Class VIII Bangla 2nd Paper

অষ্টম শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্র- নির্মিত অংশঃ সারাংশ ও সারমর্ম

সারাংশ ও সারমর্ম

কোনো পদ্য বা গদ্যের মূলভাব বা বক্তব্যকে সংক্ষপ্তি আকারে প্রকাশ করার নামই সারমর্ম বা সারাংশ। সাধারণত পদ্যের ভাব সংক্ষেপে প্রকাশকে সারমর্ম এবং গদ্যের বক্তব্য সংক্ষেপে প্রকাশ করাকে সারাংশ বলে। সারমর্ম বা সারাংশ লেখার সময়:

১.         যে পাঠটুকুর সারমর্ম বা সারাংশ রচনা করতে হবে, সেটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
২.        বাড়তি বিষয় বর্জন করতে হবে। কখনো কোনো পাঠের মূল ভাব উপমা রূপকের আড়ালে থাকতে            পারে, তা বুঝে মূল ভাব লিখতে হবে।
৩.        সারাংশ বা সারমর্মে উপমা, রূপক-এসব বাদ দিয়ে লিখতে হবে।
৪.        প্রত্যক্ষ উক্তি বর্জন করে পরোক্ষ উক্তিতে লিখতে হবে।
৫.        মূল অংশে উদ্ধৃতি থাকলে প্রয়োজনে সেই উদ্ধৃতির ভাবটুকু উদ্ধৃতি ছাড়া লিখতে হবে।

সারাংশ

[ পাঠ্য বই থেকে]

কোথা থেকে এসেছে আমাদের বাংলা ভাষা? ভাষা ……. সে-ভাষার বদল ঘটেই জন্ম হয়েছে বাংলা ভাষার।

১.         কোথা থেকে এসেছে আমাদের বাংলা ভাষা? ভাষা কি জন্ম নেয় মানুষের মতো? বা যেমন বীজ থেকে গাছ জন্মে তেমনভাবে জন্ম নেয় ভাষা? না, ভাষা মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয় না। বাংলা ভাষাও মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয়নি, কোনো কল্পিত স্বর্গ থেকেও আসেনি। এখন আমরা যে বাংলা ভাষা বলি এক হাজার বছর আগে তা ঠিক এমন ছিল না। সে-ভাষায় এ-দেশের মানুষ কথা বলত, গান গাইত, কবিতা বানাত। মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষার ধ্বনি। রূপ বদলে যায় শব্দের, বদল ঘটে অর্থের। অনেকদিন কেটে গেলে মনে হয় ভাষাটি একটি নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। আর সে-ভাষার বদল ঘটেই জন্ম হয়েছে বাংলা ভাষার।

            সারাংশ: ভাষার ধর্মই হচ্ছে বদলে যাওয়া। মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষার ধ্বনি। শব্দেরও বদল ঘটে এবং সে সঙ্গে শব্দের অর্থেরও। হাজার বছরের পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় এমনি ভাবেই আমাদের বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে।

আনন্দ প্রকাশ জীবনীশক্তির প্রবলতারই প্রকাশ। আনন্দকে…….তাই সৃষ্টি হয়েছে নানান আঙ্গিকের শিল্পকলা।

২.        আনন্দ প্রকাশ জীবনীশক্তির প্রবলতারই প্রকাশ। আনন্দকে আমরা বুঝি রূপ-রস-শব্দ-স্পর্শ-গন্ধ ইত্যাদির সাহায্যে, ইন্দ্রিয়সকলের সাহায্যে। মানুষ যখন আনন্দ পায় তখন সে তার মনকে প্রকাশ করতে চায়Ñ নানা রূপে। তাই সৃষ্টি হলো চিত্রশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক। পুরাকালের গুহামানুষ থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত মানুষ নিজের পাওয়া আনন্দকে সুন্দরকে অন্য মানুষের মধ্যে বি¯ত্মার করতে চেয়েছে। তাই সৃষ্টি হয়েছে নানান আঙ্গিকের শিল্পকলা।

            সারাংশ: মানুষের জীবনীশক্তির প্রকাশ ঘটে আনন্দে। তার সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে আনন্দকে সে উপলব্ধি করে। সেই আনন্দানুভূতি সবার কাছে জানাতে চায়। তাই ছবি, গান, কবিতা, নাচ, ভাষ্কর্য ইত্যাদি শিল্পকলার মাধ্যমে মানুষ তার আনন্দকে প্রকাশ করে। এই আনন্দ ও সুন্দরের বোধ মানুষের মনকে তৃপ্ত করে।

বাঙালি যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে ‘বাঙালির বাংলা’ সেদিন ………..যায়; দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ, মৃতপ্রায় করে রাখে।

৩.        বাঙালি যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে ‘বাঙালির বাংলা’ সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে। বাঙালির মতো জ্ঞান-শক্তি ও প্রেম-শক্তি (ব্রেন সেন্টার ও হার্ট সেন্টার) এশিয়ায় কেন, বুঝি পৃথিবীতে কোনো জাতির নেই। কিন্তু কর্ম-শক্তি একেবারে নেই বলেই তাদের এই দিব্যশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্ম-বিমুখতা, জড়তা, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা, নিদ্রা, ব্যবসাবাণিজ্যে অনিচ্ছার কারণ। তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনা-শক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে। এই তমঃ, এই তিমির, এই জড়তাই অবিদ্যা। অবিদ্যা কেবল অন্ধকার পথে ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়; দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ, মৃতপ্রায় করে রাখে।

সারাংশ: বাঙালি প্রেম-শক্তি ও জ্ঞান-শক্তিতে পৃথিবীখ্যাত। কিন্তু আলস্য তাদের দুর্বল করে রেখেছে। অলসতা আর কাজের প্রতি অনীহার জন্য তারা জগতের সবকিছু থেকে পিছিয়ে আছে। এই আলস্য ও কর্ম-বিমুখতাকে উপেক্ষা করে বাঙালিকে জেগে উঠতে হবে। তবেই এই বাংলা প্রকৃত অর্থে বাঙালির হবে।

একজন মানুষ ভালো কি মন্দ আমরা তা বুঝতে পারি…………তোমার ব্যবহার দিয়েই তোমার মনুষ্যত্বের পরিচয়।

৪.        একজন মানুষ ভালো কি মন্দ আমরা তা বুঝতে পারি তার ব্যবহার দিয়ে। সে ভদ্র কি অভদ্র তাও বুঝতে পারি তার ব্যবহার দিয়ে। ব্যবহার ভালো হলে লোকে তাকে ভালো বলে। তাকে পছন্দ করে। ব্যবহার খারাপ হলে লোকে তাকে খারাপ বলে। তাকে অপছন্দ করে। তার সঙ্গে মিশতে চায় না। তার সঙ্গে কাজ করতে চায় না। তাকে কাছে ডাকতে চায় না। তোমার ব্যবহার দিয়েই তোমার মনুষ্যত্বের পরিচয়।

            সারাংশ: সুন্দর ব্যবহারের মধ্যেই মনুষ্যত্বের পরিচয় নিহিত। মানুষের কথাবার্তা, মনোভাব ও আদব-কায়দার মধ্যে দিয়েই সুন্দর ব্যবহারের প্রকাশ ঘটে। ভালো ব্যবহার দিয়ে সহজেই অপরের ভালোবাসা পাওয়া যায়। সুন্দর স্বভাবের মধ্যেই মানুষের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।

সূর্যের আলোতে রাতের অন্ধকার কেটে যায়। শিক্ষার………আমরা মানুষ হয়ে উঠি।

৫.        সূর্যের আলোতে রাতের অন্ধকার কেটে যায়। শিক্ষার আলো আমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করে। আমাদের দৃষ্টিতে চারপাশের জগৎ আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। আমরা জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পাই; শিক্ষার আলো পেয়ে আমাদের ভিতরের মানুষটি জেগে ওঠে। আমরা বড় হতে চাই, বড় হওয়ার জন্য চেষ্টা করি। আমরা সুন্দর করে বাঁচতে চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। আর সুন্দর করে বাঁচতে হলে চাই জ্ঞান। সেই জ্ঞানকে কাজেও লাগানো চাই। শিক্ষার ফলে আমাদের ভিতর যে শক্তি লুকানো থাকে তা ধীরে ধীরে জেগে ওঠে। আমরা মানুষ হয়ে উঠি।          

            সারাংশ: সূর্যের আলো যেমন অন্ধকার দূর করে, তেমনি শিক্ষার আলো মনের অন্ধকার দূর করে দেয়। আমাদের প্রত্যেকের ভেতরে শক্তি লুকানো আছে। শিক্ষা এ শক্তির বিকাশে সাহায্য করে। শিক্ষার ফলে আমরা জ্ঞান ও দক্ষতা লাভ করে নিজের শক্তিকে কাজে লাগাই। যথার্থ মানুষ হয়ে উঠি।

[ অতিরিক্ত অংশ]

সময় ও স্রোত কাহারও অপেক্ষায় বসিয়া থাকে না, …………যতই কাঁদ না গত সময় আর ফিরিয়া আসিবে না।

৬.        সময় ও স্রোত কাহারও অপেক্ষায় বসিয়া থাকে না, চিরকাল চলিতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় করো, ইহাকে ভয় দেখাও, ভ্রুক্ষপেও করিবে না। সময় চলিয়া যাইবে, আর ফিরিবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পুনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়, কিন্তু সময় একবার গত হইয়া গেলে আর ফিরিয়া আসে না। গত সময়ের জন্য অনুশোচনা করা নিষ্ফল। যতই কাঁদ না গত সময় আর ফিরিয়া আসিবে না।

            সারাংশ: সময় চিরবহমান। শত চেষ্টা করলেও সময়ের গতিকে কেউ রুদ্ধ করতে পারে না। চেষ্টা ও শ্রম দিয়ে লুপ্ত-স্বাস্থ্য বা ধ্বংস হওয়া ধন-সম্পদ পুনরায় উদ্ধার করা যেতে পারে। কিন্তু যে সময় একবার চলে যায় শত চেষ্টায়ও তাকে আর ফিরিয়ে আনা যায় না।

ছাত্রজীবন আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের বীজ বপনের সময়। এ সময়………জীবন গঠিত হয় এবং উন্মুক্ত হয় মহত্তর সম্ভাবনার পথ।

৭.        ছাত্রজীবন আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের বীজ বপনের সময়। এ সময় যে যেমন বীজ বপন করবে, ভবিষ্যৎ জীবনে সে সেরূপ ফল ভোগ করবে। এ সময় যদি আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে জ্ঞানের অনুশীলন করে যাই তবে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় হবে। আর যদি হেলায় সময় কাটিয়ে দিই, তাহলে জীবনের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে বাধ্য। যে শিক্ষা জীবন ও জীবিকার পথে কল্যাণকর, যে শিক্ষা মানুষকে উন্নত চরিত্রের অধিকারী করে, তা-ই সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষা। ছাত্রদের জীবন গঠনে শিক্ষকসমাজ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের সুষ্ঠু পরিচালনার মধ্যে দিয়ে ছাত্রদের জীবন গঠিত হয় এবং উন্মুক্ত হয় মহত্তর সম্ভাবনার পথ।            [জেএসসি- ’১২]

            সারাংশ: ছাত্রজীবন মানব জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময়। ভবিষ্যত জীবনের সাফল্য এ সময়ের কর্মকাণ্ডের ওপরই নির্ভর করে। তাই ছাত্রজীবন থেকেই সুন্দর জীবন গঠনের চর্চা শুরু করতে হবে। ছাত্রদের জ্ঞানার্জন ও চরিত্র গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের সঠিক নির্দেশনা পেলে শিক্ষার্থীর জীবন বিকশিত হয়।

অভাব আছে বলিয়াই জগৎ বৈচিত্র্যময়। অভাব ……….দুঃখকে শত্রু মনে করিও না, দুঃখ আমাদের বন্ধু।

৮.        অভাব আছে বলিয়াই জগৎ বৈচিত্র্যময়। অভাব না থাকিলে জীব সৃষ্টি বৃথা হইতো। অভাব আছে বলিয়াই অভাব পূরণের জন্য এতো উদ্যম, এতো উদ্যোগ। আমাদের সংসার অভাবক্ষত্রে বলিয়াই কর্মক্ষত্রে। অভাব না থাকিলে সকলকেই স্থাণু, স্থবির হইতে হইতো, মনুষ্যজীবন বিড়ম্বনাময় হইতো। মহাজ্ঞানীরা জগৎ হইতে দুঃখ দূর করিবার জন্য ব্যগ্র। কিন্তু জগতে দুঃখ আছে বলিয়াই সে সেবার পাত্র যত্রতত্র সদাকাল ছড়াইয়া রহিয়াছে। যিনি অন্নদান, বস্ত্রদান, জ্ঞানদান, বিদ্যাদান করেন তিনি যেমন জগতের বন্ধু, তেমনি যিনি দুঃখে আমাদের সেবার পাত্রে অজস্র দান করিতেছেন, তিনিও মানবের পরম বন্ধু। দুঃখকে শত্রু মনে করিও না, দুঃখ আমাদের বন্ধু।

            সারাংশ: অভাব বা প্রয়োজনের কারণেই মানুষ নানা কিছু সৃষ্টি করে। আর সৃষ্টির প্রেরণাই মানুষের কাজের উৎস। অভাব না থাকলে মানুষ অলস ও উদ্যমহীন হয়ে যেত। দুঃখ আছে বলেই মহামানবগণ সেবার হাত প্রসারিত করেন। দুঃখে যিনি এগিয়ে আসেন, তিনি মানবের পরম বন্ধু। দুঃখের আগুনে পুড়েই মানুষ খাঁটি সোনা হয়। তাই দুঃখকে শত্রু ভাবা ঠিক নয়।

বিদ্যা মানুষের মূল্যবান সম্পদ সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ……… এরূপে মানব-জীবনের অমূল্য সম্পদ নষ্ট হতে পারে।

৯.        বিদ্যা মানুষের মূল্যবান সম্পদ সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু চরিত্র তদপেক্ষাও অধিকতর মূল্যবান। অতএব কেবল বিদ্বান বলেই কোনো লোক সমাদর লাভের যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে না। চরিত্রহীন ব্যক্তি যদি নানা বিদ্যায় আপনার জ্ঞান-ভান্ডার পূর্ণ করেও থাকে তথাপি তার সঙ্গ পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। প্রবাদ আছে যে, কোনো কোনো বিষধর সাপের মস্তকে মণি থাকে। মণি মূল্যবান বটে কিন্তু তাই বলে যেমন মণি লাভের নিমিত্ত বিষধর সাপের সাহচর্য বুদ্ধিমানের কাজ নয়, সেরূপ বিদ্যা আদরণীয় বিষয় হলেও বিদ্যা লাভের নিমিত্তে দুর্জন বিদ্বানের নিকট গমন করা বিধেয় নয়। কেননা, দুর্জনের সাহচার্যে আপনার নিষ্কলুষ চরিত্রও কলুষিত হতে পারে এবং এরূপে মানব-জীবনের অমূল্য সম্পদ নষ্ট হতে পারে।

            সারাংশ: চরিত্র মানব-জীবনের অমূল্য সম্পদ। এটি বিদ্যার চেয়েও মূল্যবান। মাথায় মণি থাকলেও সাপ যেমন ভয়ঙ্কর তেমনি চরিত্রহীন ব্যক্তি বিদ্বান হলেও তার সাহচর্য বর্জনীয়। এতে নিজের চরিত্র কলঙ্কিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

খুব ছোট ছিদ্রের মধ্যদিয়ে যেমন সূর্যকে দেখা যায়, তেমনি ………. প্রতি সুশোভন ব্যবহার আনন্দের নিরবচ্ছিন্ন উৎস।

১০.      খুব ছোট ছিদ্রের মধ্যদিয়ে যেমন সূর্যকে দেখা যায়, তেমনি ছোট ছোট কাজের ভেতর দিয়েও কোনো ব্যক্তির চরিত্রের পরিচয় ফুটে ওঠে। বস্তুত মর্যাদাপূর্ণভাবে ও সুচারুরূপে সম্পন্ন ছোট কাজেই চরিত্রের পরিচয়। অন্যের প্রতি আমাদের ব্যবহার কীরূপ তা-ই হচ্ছে আমাদের চরিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরীক্ষা। বড়, ছোট ও সমতুল্যের প্রতি সুশোভন ব্যবহার আনন্দের নিরবচ্ছিন্ন উৎস।

            সারাংশ: চরিত্রের মধ্য দিয়েই মানুষের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশিত হয়। ছোট ছোট সৎকাজের ভেতর দিয়ে মানুষের মনের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। ছোট-বড় সবার সাথে সুন্দর ব্যবহার আমাদের জীবনকে সুন্দর করে।

অপরের জন্য তুমি প্রাণ দাও, আমি তা বলতে……….পরের দুঃখকে ঢেকে রাখতে গৌরববোধ করেন।

১১.       অপরের জন্য তুমি প্রাণ দাও, আমি তা বলতে চাইনে। অপরের ক্ষুদ্র দুঃখ তুমি দূর করো। অপরকে একটুখানি সুখ দাও। অপরের সঙ্গে একটুখানি মিষ্টি কথা বলো। পথের অসহায় মানুষটির দিকে একটু করুণ চাহনি নিক্ষপে করো, তাহলেই অনেক হবে। চরিত্রবান, মানবতাসম্পন্ন মানুষ নিজের চেয়ে পরের অভাবে বেশি অধীর হন, পরের দুঃখকে ঢেকে রাখতে গৌরববোধ করেন।

            সারাংশ: মানুষের জন্য অনেক বড় কিছু করতে না পাড়লেও ছোট ছোট কাজের দ্বারাও আমরা মানুষের উপকারে আসতে পারি। সাধ্যমতো সহায়তা দিয়ে অন্যের মনে আশার সঞ্চার করতে পারি। মানবিক অচরণ দিয়ে অসহায় মানুষকে সান্ত্বনা দিতে পারি। এভাবেই মহৎ মানুষেরা তাঁদের মহত্ত্বের পরিচয় দেন।

মুখে অনেকেই টাকা অতি তুচ্ছ, অর্থ অনর্থের মূল বলে………জীবনান্তেও টাকা, জগতে টাকারই খেলা।

১২.      মুখে অনেকেই টাকা অতি তুচ্ছ, অর্থ অনর্থের মূল বলে থাকেন। কিন্তু জগৎ এমনি ভয়ানক স্থান যে, টাকা না থাকলে তার স্থান কোথাও নেই- সমাজে নেই, স্বজাতির নিকট নেই, ভ্রাতা-ভগিনীর নিকট নেই, স্ত্রীর নিকট নেই। স্ত্রীর ন্যায় ভালোবাসে-বল তো জগতে কে আর আছে? টাকা না থাকলে অমন অকৃত্রিম ভালোবাসারও আশা নেই, কারো নিকট সম্মান নেই। টাকা না থাকলে রাজায় চিনে না, সাধারণে মান্য করে না, বিপদে জ্ঞান থাকে না। জন্মমাত্র টাকা, জীবনে টাকা, জীবনান্তেও টাকা, জগতে টাকারই খেলা। 

            সারাংশ: পৃথিবীতে অর্থের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই। যার অর্থ নেই সমাজ সংসারে কোথাও তার মূল্য নেই। জন্ম থেকে মুত্যু পর্যন্ত টাকাই মানুষের ভাগ্যের মূল নিয়ন্তা।

সারমর্ম

[ পাঠ্য বই থেকে]

নমঃ নমঃ নমঃ সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!…….মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।

১.         নমঃ নমঃ নমঃ সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!
            গঙ্গার তীর, স্নিগ্ধ সমীর, জীবন জুড়ালে তুমি।
            অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধূলি
            ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি।
            পলস্নবঘন আম্রকানন রাখালের খেলাগেহ,
            ¯তব্ধ অতল দিঘি কালোজল- নিশীথশীতল স্নেহ।
            বুকভরা মধু বঙ্গের বধূ জল লয়ে যায় ঘরে
            মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।

          সারমর্ম: মা ও মাতৃভূমি সবার কাছে প্রিয়। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি-এর আকাশ-বাতাস, নদী, মাঠ, প্রকৃতি-নিসর্গ, মানুষ সবই আমাদের ভালোবাসার ধন। বাংলার আবহমান অপরূপ রূপে প্রতিটি বাঙালিই মোহমুগ্ধ।

ভদ্র মোরা, শান্ত বড়ো, পোষ-মানা এ প্রাণ……… মরুর ঝড় যেমন বহে সকল বাধা-হীন।

২.        ভদ্র মোরা, শান্ত বড়ো, পোষ-মানা এ প্রাণ
            বোতাম-আঁটা জামার নিচে শান্তিতে শয়ান।
            দেখা হলেই মিষ্ট অতি,
            মুখের ভাব শিষ্ট অতি,
            অলস দেহ ক্লিষ্ট গতি,
            গৃহের প্রতি টান
            তৈল-ঢালা স্নিগ্ধ তনু নিদ্রা রসে ভরা
            মাথায় ছোটো বহরে বড় বাঙালি সন্তান।
            ইহার চেয়ে হতাম যদি আরব বেদুইন
            চরণতলে বিশাল মরু দিগন্তে বিলীন।
            ছুটছে ঘোড়া উড়েছে বালি,
            জীবনস্রোত আকাশে ঢালি
            হৃদয়-তলে বহ্নি জ্বালি চলেছি নিশিদিন
            বরশা হাতে, ভরসা প্রাণে,
            সদাই নিরুদ্দেশ
            মরুর ঝড় যেমন বহে সকল বাধা-হীন।

সারমর্ম: বাঙালি শান্তশিষ্ট, কর্মহীন, আরামপ্রিয় ও অলস জাতি। এ জীবন কারো কাম্য হতে পারে না। তার চেয়ে সাহসী, কর্মী ও চঞ্চলতা-মুখর জীবনের অধিকারী হওয়া অনেক বেশি সম্মানের।

এই যে বিটপি-শ্রেণি হেরি সারি সারি-…….  নীচ প্রায় কার ঠাঁই নহে অবনত।

৩.        এই যে বিটপি-শ্রেণি হেরি সারি সারি-
            কি আশ্চর্য শোভাময় যাই বলিহারি!
            কেহ বা সরল সাধু-হৃদয় যেমন,
            ফল-ভারে নত কেহ গুণীর মতন।
            এদের স্বভাব ভালো মানবের চেয়ে,
            ইচ্ছা যার দেখ দেখ জ্ঞানচক্ষে চেয়ে।
            যখন মানবকুল ধনবান হয়,
            তখন তাদের শির সমুন্নত রয়।
            কিন্তু ফলশালী হলে এই তরুগণ,
            অহংকারে উচ্চশির না করে কখন।
            ফলশূন্য হলে সদা থাকে সমুন্নত,
            নীচ প্রায় কার ঠাঁই নহে অবনত।

            সারমর্ম: গাছ ফলে পরিপূর্ণ হয়ে নত হয়। তাতে তার গৌরব থাকলেও অহংকার থাকে না। কিন্তু মানুষের অর্থ হলেই অহংকার, অর্থ ফুরিয়ে গেলেই মাথা নিচু হয়। গাছ ফলশূন্য হলেও কিন্তু মাথা সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকে। নীচ স্বভাবের মানুষের মতো সে কারো কাছে অবনত হয় না।

সাম্যের গান গাই-…………. প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী।

৪.        সাম্যের গান গাই-
            আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই।
            বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর
            অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
            বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি
            অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
            জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান
            মাতা ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।
            কোন রণে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে,
            কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।
            কত মাতা দিল হৃদয় উপাড়ি কত বোন দিল সেবা,
            বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?
            কোনো কালে একা হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি,
            প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী।

            সারমর্ম: মানবসভ্যতা নির্মাণে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। কিন্তু ইতিহাসে পুরুষের কথা যতটা লেখা হয়েছে, নারীর ততটা হয়নি। নারীকে তার কর্ম-স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন দিন এসেছে সম-অধিকারের। নারী-পুরুষ সবাইকে সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

[ অতিরিক্ত অংশ]

হে সূর্য! শীতের সূর্য!………. এক টুকরো সোনার চেয়েও মনে হয় দামি।

৫.        হে সূর্য! শীতের সূর্য!
            হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায়
            আমরা থাকি
            যেমন প্রতীক্ষা করে থাকে কৃষকের চঞ্চল চোখ
            ধানকাটার রোমাঞ্চকর দিনগুলির জন্যে।
            হে সূর্য, তুমি তো জানো,
            আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব!
            সারারাত খড়কুটো জ্বালিয়ে
            এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে,
            কত কষ্টে আমরা শীত আটকাই!
            সকালের এক টুকরো রোদ্দুর-
            এক টুকরো সোনার চেয়েও মনে হয় দামি।

            সারমর্ম: সূর্যের শক্তিতে ভূ-পৃষ্ঠে গাছপালা, জীব-জন্তু ও মানুষ জীবনধারণ করে। প্রচণ্ড শীতে সূর্যের একটু উত্তাপের জন্য সারারাত অপেক্ষা করে বস্ত্রহীন, আশ্রয়হীন শীতার্ত মানুষ। সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের কাছে সূর্যের উষ্ণতা সোনার চেয়েও মূল্যবান।

সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে………   ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে॥

৬.        সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
            সার্থক জনম মা গো, তোমার ভালোবেসে॥
            জানি নে তোর ধনরতন আছে কি না রানির মতন,
            শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে॥
            কোন বনেতে জানি নে ফুল গন্ধে এমন করে আকুল,
            কোন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে॥
            আঁখি মেলে তোমার আলো প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
            ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে॥

            সারমর্ম: ধন-রত্নে পূর্ণ না থাকলেও মাতৃভূমি প্রতিটি মানুষের কাছেই প্রিয়। স্বদেশ মানুষের মনে পূর্ণতা এনে দেয়। এজন্যই মানুষ দেশের মাটিতেই শেষ আশ্রয়টুকু চায়।

পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি………..প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।

৭.        পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
            এ জীবন মন সকলি দাও,
            তার মতো সুখ কোথাও কি আছে?
            আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
            পরের কারণে মরণেও সুখ;
            ‘সুখ’ ‘সুখ’ করি কেঁদ না আর,
            যতই কাঁদিবে, যতই ভাবিবে
            ততই বাড়িবে হৃদয় ভার।
            আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
            আসে নাই কেহ অবনী ’পরে,
            সকলের তরে সকলে আমরা,
            প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।

            সারমর্ম: ত্যাগের মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত। অন্যকে বাদ দিয়ে কেউ একা চলতে পারে না। সব মানুষেরই দায়িত্ব অন্যের আনন্দ-বেদনাকে নিজের বলে গ্রহণ করা। পারিস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই সুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে……….ভিতরে সবারই সমান রাঙা।

৮.        জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
            সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
            এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
            একই রবি শশী মোদের সাথি।
            শীতাতপ ক্ষুধা তৃষ্ণার জ্বালা
            সবাই আমরা সমান বুঝি,
            কচি কাঁচাগুলো ডাঁটো করে তুলি
            বাঁচিবার তরে সমান যুঝি।
            দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো,
            জলে ডুবি, বাঁচি পাইলে ডাঙা,
            কালো আর ধলো বাহিরে কেবল
            ভিতরে সবারই সমান রাঙা।

            সারমর্ম: জাতি, ধর্ম, গাত্রবর্ণ ইত্যাদিতে পার্থক্য থাকলেও এ সকল পরিচয়ের ঊর্ধ্বে হচ্ছে মানুষ জাতি। সব মানুষের অনুভূতিই সমান। মানুষে মানুষে পার্থক্য করা তাই অযৌক্তিক। সকলের অনুভূতিকে মূল্য দিয়ে একসঙ্গে জীবন যাপন করলেই পৃথিবী সুন্দর হবে।

ছোট বালুকার কণা, বিন্দু বিন্দু জল………-এ ধরায় স্বর্গ শোভা নিত্য দেয় আনি।

৯.        ছোট বালুকার কণা, বিন্দু বিন্দু জল
            গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
            মুহূর্ত নিমেষ কাল, তুচ্ছ পরিমাণ,
            রচে যুগ-যুগান্তর-অনন্ত মহান,
            প্রত্যেক সামান্য ত্রুটি ক্ষুদ্র অপরাধ,
            ক্রমে টানে পাপ পথে ঘটায় প্রমাদ।
            প্রতি করুণার দান, স্নেহপূর্ণ বাণী,
            -এ ধরায় স্বর্গ শোভা নিত্য দেয় আনি।

            সারমর্ম: পৃথিবীর কোনো কিছুই তুচ্ছ নয়। ছোট ছোট বালুকণা যেমন মহাদেশ তৈরি করে, তেমনি বিন্দু বিন্দু জল মহাসাগরের জন্ম দেয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যুগ-যুগান্তরের। সামান্য অপরাধের পথ ধরেই আসে মহাপাপ। আবার সামান্য একটু করুণা ও স্নেহের বাণী এ পৃথিবীতে স্বর্গসুখ এনে দিতে পারে।

কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর?……….স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।

১০.      কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর?
            মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক- মানুষেতে সুরাসুর-
            রিপুর তাড়নে যখন মোদের বিবেক পায়গো লয়,
            আত¥গস্নানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
            প্রীতি ও প্রেমের পূণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে
            স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।

            সারমর্ম: স্বর্গ বা নরক দূরে কোথাও নয় বরং মানুষের মাঝেই বিরাজ করে। খারাপ কাজ করে মানুষ যখন অনুতপ্ত হয়ে যন্ত্রণায় ভোগে, তখন সেটাই নরকযন্ত্রণা। পরস্পরের প্রতি বিভেদ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বে মানুষ এই পৃথিবীকে নরকে পরিণত করে। যখন সব বৈরিতা ভুলে একে অন্যকে বিশুদ্ধভাবে ভালোবাসে, তখনই পৃথিবীতে নেমে আসে স্বার্গীয় সুখ।

আসিতেছে শুভদিন,………. তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!

১১.       আসিতেছে শুভদিন, 
            দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ!
            হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়,
            পাহাড়-কাটা সেই পথের দু-পাশে পড়িয়া যাদের হাড়,
            তোমারে সেবিতে হইলো যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,
            তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি,
            তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদের গান,
            তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!

            সারমর্ম: পৃথিবীর যত উন্নতি সবই শ্রমজীবী মানুষের দান। তাদের নিরলস সেবা ও শ্রমের কল্যাণেই আমরা সুখী জীবন যাপন করি। অথচ তাদের এই শ্রমের মূল্য আমরা দিই না, তাদের দুঃখ-বেদনা অনুভব করতে চাই না। শ্রমজীবী এই মানুষেরাই সভ্যতার অগ্রযাত্রার মূল কারিগর। তারাই প্রকৃত শ্রদ্ধার পাত্র। তাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা আমাদের কর্তব্য।

বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা-………নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়॥
বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা………… নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়

১২.      বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা-
            বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
            দুঃখ-তাপে ব্যথিত চিত্তে নাই-বা দিলে সান্ত্বনা,
            দুঃখ যেন করিতে পারি জয়।
            সহায় মোর না যদি জুটে, নিজের বল না যেন টুটে,
            সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি, লভিলে শুধু বঞ্চনা,
            নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়॥

            সারমর্ম: কবি সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন না। কবি কামনা করেন, তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারেন। বিপদ হতে রক্ষা, দুঃখে স্বান্ত্বনা, কর্মের ভার লাঘব ইত্যাদি তাঁর প্রত্যাশিত নয়। কবির কামনা বিপদে, দুঃখে, ভয়ে তাঁর মনোবল যেন অটুট থাকে।

Mustafij Sir

Share
Published by
Mustafij Sir

Recent Posts

HSC Synonym Antonym Board Question All Board

WordsMeaningsSynonyms    antonymsouterবাইরেরoutmostinnerproletarianদরিদ্র/সর্বহারাWorking-classmorallaunchশুরু করাIntroductionwithdrawpreparingপ্রস্তুতিGet-readydoubtfaultlesslyনির্দোষভাবেabsolutelyfaultynauseaবমিবমিভাবvomitingheadachediscomfortঅসস্তিupsetcomfortmaintainedবজায় করাsustainuselessLaterকরেnextearlierdynamicগতিশীলAggressivestaticplanপরিকল্পনাproposaldisorderaimলক্ষGoalaimlessdirectionনিদ্ধেশনাInstructionnoticeprofessionপেশাJobjoblesssuitsআকারFormnothingaptitudeযোগ্যতাAttitudedislikevaryপরিবর্তীতVariousfixeducatedশিক্ষিতLearneduneducatedcitizenনাগরিকnativeforeignervirtueপূর্ণgoodnessevilA lotঅনেকhugelittlecourteousবিনয়ীpoliterudediscourtesyঅবিনয়ীrudenesscourteouswinজয় করাgainloseenemyশত্রুfoefriendensureনিশ্চিত করাconfirmcancelangerরাগtempercalmnessremoveঅপসারণcancelputcordialityসোহার্দrudenessdiscordialitydifferentভিন্নDissimilarsameseeksঅনুসন্ধানPursuefindeagerআগ্রহীinterestdisinterestedobservationপর্যবেক্ষণExaminationneglectmereএকমাত্রImmenseabnormalalertসতর্কWatchfulunawarelatentসুপ্তOpenrealizedinstructorsপ্রশিকক্ষকteacherstudentguideগাইডmentormisguidewayপথ/উপায়Pathpartfascinatingচমৎকারexcellentunattractiveinterestআগ্রহীeagerdisregardimpatientঅধৈয্যIntolerancepatientillogicalঅযোক্তিকunethicalLogicalindifferentউদাসীনUninteresteddifferentethicallyনৈথিকভাবেlawfullyUnethicalGood-lookingচমৎকারAttractiveUnattractiveDarkঅন্ধকারBlackbrightFlawlessস্থিরperfectflawedShinyউজ্জল্যbrightdarkSlenderসরুthinfatGracefulকরুনাময়elegantungracefulStylishlyআড়ম্বরপূর্ণভাবেattractivesimplyAppreciatesপ্রশংসা করেpriesCriticizeNoticeলক্ষ করেadvertisementoverlookAmbitionউচ্ছাকাঙকাAim/desirelazinessRequireপ্রয়োজনneedanswerProficiencyদক্ষতাskilledincompetenceWonderআশ্চয্যSurprisedisinterestTestedপরীক্ষীতverifiednewEquallyসমানভাবেsimilarlyUnequallyDisappointingহতাশাজনকInceptingappointingPresumablyসম্ভবতdoubtlesslyimprobableQualifyযোগ্যতাcertifyDisqualifywrongভুলmistakewriteIdealআদর্শModelbadMasterদক্ষTeacherStudentMakesতৈরীcreateBreak/destroyMethodপদ্ধতিSystemdifferenceConvincingবিশ্বাসীsatisfactoryUnconvincingPraisesপ্রশাংসা করেhurrahCriticizeMistakeভুলErrorsagacityAngryরাগevilcalmSimpleসাধারণgeneralComplexmoralনৈতিকethicalamoralAcceptedগৃহিতreceivedrejectedSincerityআন্তরিকতাGood-willinsincerityResponsibilityদায়িত্বdutiesdepartureComplexityজটিলতাcomplicationSimplicityEnvyহিংসাlastedpraiseVicesমন্দevilVirtueImpactsপ্রভাবeffectfailsAwarenessসতর্কতাalertnessunawarenessOut-comeবাহিরের দিকresultcauseimportanceগুর্ত্বপূর্ণsignificanceinsignificanceFriendবন্দুenemyfoeNeedপ্রয়োজনcommitment/necessaryavoidSympathyসহানুভুতিkindnessrudenessProveপ্রমানconfirmdisproveFalseমিথ্যাwrongtrueHarmক্ষতিকরlosshelpLaughহাসাburstcryPleasureআনন্দhappinesssadnessBringআনাcarryleaveideaধারণাconceptnothingAllowঅনুমতিpermitdenyFreedomস্বাধীনতাindependencebondageOpinionমতামতviewawarenessFairমেলাcleanunfairEqualসমানbalancedunequalDivisionবিভাগdistributionunionElectনির্বাচন করাvoterefuseSystemনিয়ম-নীতিprocesspartTreatmentচিকিৎশা করাcuringhurtFacilityসুবিধাadvantagepainNeverকখন নয়NotingAlwaysWeakerদুর্বলrottenstrongerDiscourageনিরুৎসাহিতdroopEncourageFrustratingহতাশাজনকBuffaloingsatisfyingInterestআগ্রহীeagernessdiscourageAbilityসক্ষমতাCapabilityinabilityDreamস্বপ্নfancyfactBestসবচেয়ে ভালfinestworstSuccessসফলতাachievementfailureachieveঅর্জন…

10 months ago

সরকারি চাকরী খুজুন ঘরে বসেঃ ইন্টারনেটে চাকরীর খোঁজ(জরুরী ধাপ ও নির্ভরযোগ্য সকল ওয়েবসাইট)

আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক…

2 years ago

HSC 2023- English 1st Paper Model Question and Solution-1

Model Question 1 Part-I : Marks 60 1. Read the passage and answer the questions…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-পঞ্চম অধ্যায়- দেবদেবী ও পূজা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম অধ্যায় দেবদেবী ও পূজা এ অধ্যায়ে আমরা পূজা, পুরোহিতের ধারণা ও যোগ্যতা, দেবী দুর্গা,…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-চতুর্থ অধ্যায়- হিন্দুধর্মে সংস্কার সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

চতুর্থ অধ্যার হিন্দুধর্মে সংস্কার আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-তৃতীয় অধ্যায়, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

তৃতীয় অধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয়…

2 years ago