অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে পাকি স্তানের সামরিক সরকার ক্ষমতা হ স্তান্তর না করায়, পাকি স্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। সারা দেশব্যাপী নানারকম উদ্বেগ, উত্তেজনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল জাতির জন্য সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা।
২৫ মার্চের গণহত্যা : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বাঙালির তথা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা হয়। সে সময় পাকি স্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকি স্তানের নিরস্ত্র, নিরীহ, স্বাধীনতাকামী সাধারণ জনগণের ওপর হামলা করে এবং নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। পাকি স্তান তাদের এ অভিযানের নাম দেয় ‘অপারেশন সার্চ লাইট’।
স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা দিবস : গ্রেফতার হওয়ার পূর্বমুহূর্তে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে (২৫ মার্চ রাত ১২টার পর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এজন্যই ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস।
১৯৭১ এ বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকি স্তান সামরিক বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে প্রাথমিকভাবে পূর্ব প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক তৎপরতা ছাড়াই পূর্ব পাকি স্তানের মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১০ এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার। এ সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলায়। ১৯৭০-৭১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য দ্বারা মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি পেশাজীবী মানুষের ভূমিকা : দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল মহান মুক্তিযুদ্ধ। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিপক্ষে কিছু মতদ্বৈধতা বা বিরোধ থাকলেও ২৬ মার্চ থেকেই পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা এদেশের জনগণকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করেছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, নারী, শিক্ষক, কবি, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ মুক্তির সংগ্রামে শামিল হয়।
স্বাধীনতা অর্জনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অবদান : বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অবদান অপরিসীম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবর্গ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। নানা অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করেছেন। রাজনীতিবিদগণ স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জীবনবাজি রেখে রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে গেছেন। আর বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সারা জীবনের কর্মকাণ্ড, আন্দোলন-সংগ্রাম নির্দেশিত হয়েছে বাঙালির জাতীয় মুক্তির লক্ষে।
মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বজনমত ও বিভিন্ন দেশের ভূমিকা : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকি স্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডব বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেয়। পাকি স্তানবাহিনী ও স্বাধীনতাবিরোধী এদেশীয় দোসরদের দ্বারা সংঘটিত লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয়। বিভিন্ন দেশ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে।
জাতিসংঘের ভূমিকা : বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান যখন বাঙালি নিধনে তৎপর, তখন জাতিসংঘ বলতে গেলে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে ‘ভেটো’ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষমতাও ছিল সীমিত।
সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২ : সংবিধান একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল। এই দলিল লিখিত বা অলিখিত হতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত দলিল। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ এই সংবিধান লাভ করে। মাত্র নয় মাসে সদিচ্ছা, আন্তরিকতা আর জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রম্নতির প্রতি সৎ থেকে সংক্ষপ্তিতম সময়ে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান প্রণীত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সরকারের নেতৃত্বে।
বৈদেশিক সম্পর্ক : তৃতীয় বিশ্বের সদ্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্রনীতির ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবীন রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারকের ভূমিকায় ছিলেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু। তিনি সব সময় স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেছেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তা–ভাবনার প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হলো, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়।
১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড : ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন। ঘাতকরা এই দিন জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্বর হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠা খুনিরা ছিল সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য। পর্দার অন্তরালে ছিল সামরিক ও বেসামরিক ষড়যন্ত্রকারীরা।
খোন্দকার মোশতাক : ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় : ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খোন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন। প্রায় তিন মাসের
মতো ক্ষমতায় ছিলেন মোশতাক। দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতিও করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাসভাজনদের অন্যতম ছিলেন মোশতাক। তিনিই বঙ্গবন্ধুর সাথে জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। তিনি এদেশের ইতিহাসে জন্ম দিয়েছেন কলঙ্কিত অধ্যায়।
জিয়াউর রহমানের শাসনামল : জিয়াউর রহমান তার শাসনকালে নিজ ক্ষমতা সংহতকরণে বেশ কিছু পদক্ষপে নেন। সেনাবাহিনীতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পূর্বক তিনি বিচারপতি সায়েমের কাছ থেকে বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করে ২৩ এপ্রিল। ১৯৭৭ সালে সামরিক ফরমান জারি করে বাহাত্তরের সংবিধানের আমূল পরিবর্তন করেন। ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই ‘রাজনৈতিক দলবিধি’ জারি করে ঘরোয়া রাজনীতি চালু করেন। নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে তিনি ক্ষমতাকে গণতান্ত্রিক ধারায় সুসংহত ও বৈধ করার প্রয়াস পান। ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি ১৯ দফা নীতি ও উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বস্তুত এভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে ওঠেন।
সামরিক অভ্যুত্থান : জেনারেল এরশাদের সরকার : লে: জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালে ক্ষমতা দখল করে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসন করেন। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আর ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলেন রাষ্ট্রপতি।
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও এরশাদের পতন : দীর্ঘ নয় বছরের প্রায় পুরো সময়টাই জনগণ জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। ধারাবাহিক আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে পুলিশের গুলিতে ডা: শামসুল আলম খান মিলন নিহত হলে এরশাদবিরোধী আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের রূপ ধারণ করে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদ এর কাছে এরশাদ ক্ষমতা হ স্তান্তরে বাধ্য হন। ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এরশাদের পতনের ফলে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।
১. মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী কে ছিলেন?
ক এম. মনসুর আলী খ তাজউদ্দিন আহমেদ
গ খন্দকার মোশতাক আহমেদ > এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান
২. মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্ব জনমত গঠনের জন্য সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব-
র. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন
রর. গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন
ররর. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য রাখেন
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্তদেশ পুনর্গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। এই পুনর্গঠনের পদক্ষেপ হিসেবে বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বকেয়া সুদসহ কৃষি জমির খাজনা মওকুফ করে দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
৩. অনুচ্ছেদের আলোকে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত প্রাথমিক পদক্ষেপটি তার কোন উদ্যোগের আওতাভুক্ত?
ক নতুন সংবিধান প্রণয়ন খ রিলিফ প্রদান ও রেশনিং ব্যবস্থা
গ ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ কর্মসূচি গ্রহণ > নতুন অর্থনৈতিক পাঁচশালা পরিকল্পনা
৪. অনুচ্ছেদে বর্ণিত বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পরবর্তী পদক্ষেপটি কী উদ্দেশ্যে গ্রহণ করেন?
ক কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন
খ ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধন
গ প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নয়ন সাধন
> আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন
প্রশ্ন- ১ মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যম ও নারীদের ভূমিকা
ইমরানের বাবা স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী ছিলেন। তাঁর গান শুনে সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়। অন্যদিকে তার মা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে খাবার সরবরাহ করতেন। মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন।
ক. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কী নামে আখ্যা দেয়া হয়েছে?
খ. বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুজিবনগর সরকার কেন গঠন করা হয়েছিল?
গ. ইমরানের বাবা যে মাধ্যমে কাজ করতেন, মুক্তিযুদ্ধে উক্ত মাধ্যমের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ইমরানের মায়ের মতো অনেক নারীর ভূমিকাই ছিল তাৎপর্যপূর্ণ-তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে যুক্তি উপস্থাপন কর।
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ‘গণযুদ্ধ’ বা জনযুদ্ধ নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
খ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের লক্ষেই ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘মুজিবনগর সরকার’ গঠন করা হয়। ঐ দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আদেশ বা স্বাধীনতার সাংবিধানিক ঘোষণা।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত ইমরানের বাবা কাজ করতেন গণমাধ্যমে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন। পরে এটি মুজিবনগর সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়ে বিজয়ের পথ সুগম করে। উদ্দীপকেও একই ঘটনা লক্ষ করা যায়। ইমরানের বাবা স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী ছিলেন। তার গান শুনে সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেয়। এছাড়া, মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে।
ঘ স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ইমরানের মায়ের মতো মুক্তিযুদ্ধে অনেক নারীর
মিকাই ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। উদ্দীপকে উলিস্নখিত ইমরানের মা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে খাবার সরবরাহ
রতেন এবং মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন। ইমরানের মায়ের কাজটি
লাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ফুটিয়ে তুলেছে অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ সুগম করতে
মরানের মায়ের মতো অনেক নারীই এরকম তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা
ল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত
য়, তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে, সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা শুশ্রূষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে পাকসেনা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হয় প্রায় তিন লক্ষ নারী। তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকে ইমরানের মায়ের মতো আমাদের স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা ছিল অনেক নারীর।
প্রশ্ন- ২ জেলহত্যা
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দুলুমিয়া ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গভীর রাতে তিনি দেখতে পান একদল সশস্ত্র লোক কারাগারের বিশেষ সেলে প্রবেশ করে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। দুলু মিয়া এ কথা তার বাবাকে জানান। তার বাবা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন যে, এ হত্যার মূল উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অর্জনসমূহ ধ্বংস করা।
ক. ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কী?
খ. গণপরিষদ কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. দুলু মিয়ার দেখা হত্যাকাণ্ডটি তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর যে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি দুলু মিয়ার বাবার বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ কর? তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে যুক্তি উপস্থাপন কর।
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল হচ্ছে ২০১০-১১ অর্থবছর হতে চালু হওয়া শহর অঞ্চলের কর্মজীবী মায়েদের অর্থ সাহায্য প্রাপ্তির একটি তহবিল।
খ ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ’ নামে একটি আদেশ জারি করেন। এ আদেশ বলে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণ গণ পরিষদের সদস্য বলে পরিগণিত হন। ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় আইনকানুন পাস ও কার্যকর করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় এটি অতীব তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
গ দুলু মিয়ার দেখা হত্যাকাণ্ডটি আমার পঠিত ঘটনা জেলখানায় পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত। উদ্দীপকে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দুলু মিয়া ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গভীর রাতে তিনি দেখতে পান একদল সশস্ত্র লোক কারাগারের বিশেষ সেলে প্রবেশ করে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। দুলু মিয়ার দেখা এ হত্যাকাণ্ডটি জেলখানায় জাতীয় চার নেতার পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকেই নির্দেশ করে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের খুনিচক্র সেনাসদস্যগণ দেশত্যাগের পূর্বে খন্দকার মোশতাকের অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সেখানে বন্দী অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সংঘটিত হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আর একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। এ পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড দেশের জনগণ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এ ঘটনা মোশতাকের পতন ত্বরান্বিত করে। খুনিরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়।
ঘ উদ্দীপকে দুলু মিয়ার বাবার বক্তব্যটি সমর্থনযোগ্য। দুলুর বাবা জেলখানার হত্যাকাণ্ডটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলেছেন তার সাথে আমি একমত পোষণ করি। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের খুনিচক্র সেনাসদস্যগণ দেশত্যাগের পূর্বে খন্দকার মোশতাকের অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সেখানে বন্দী অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সংঘটিত হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আর একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। ১৫ আগস্ট ও নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড একই গোষ্ঠী সংঘটিত করে। উপরন্তু, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড দেশের জনগণ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এ ঘটনা মোশতাকের পতন ত্বরান্বিত করে। খুনিরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়। এ হত্যাকাণ্ড ছিল ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত, স্বাধীনতা বিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সম্মিলিত ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার বাস্তবায়ন। আগস্ট ও নভেম্বরে সংঘটিত উভয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অর্জনসমূহ ধ্বংস, দেশকে নেতৃত্বশূন্য এবং পাকি স্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ মুজিবনগর স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের কাঠামোটি ছকে উপস্থাপন কর।
উত্তর : মুজিবনগর স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের কাঠামো ছিল নিম্নরূপ :
রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। |
উপরাষ্ট্রপতি | সৈয়দ নজরুল ইসলাম (বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি) |
প্রধানমন্ত্রী | তাজউদ্দিন আহমদ |
অর্থমন্ত্রী | এম. মনসুর আলী |
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী | এএইচএম কামারুজ্জামান |
পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী | খন্দকার মোশতাক আহমেদ |
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ স্বাধীনতা অর্জনে গণমাধ্যমের ভূমিকা চিহ্নিত কর।
উত্তর : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন। পরে এটি মুজিবনগর সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস যুগিয়ে বিজয়ের পথ সুগম করে। এছাড়া, মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকাসমূহ লিখ।
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের পর সর্বাধিক অবদান রাখে অধুনাবিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)। পাকবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী-নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান পাকি স্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে আহ্বান জানান। তিনি ইয়াহিয়াকে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হ স্তান্তরের জন্যও বলেন। সোভিয়েত পত্র-পত্রিকা, প্রচার মাধ্যমগুলো বাংলাদেশে পাক বাহিনীর নির্যাতনের কাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি প্রচার করে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মূল কারণ কী?
উত্তর : ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সামরিক আইন জারি করে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। ক্ষমতায় এসেই সংবিধান স্থগিত করেন, জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। পত্র-পত্রিকা স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সামরিক বাহিনীর গুলিতে সেলিম, দেলোয়ার, শাহজাহান, জয়নাল, দিপালী সাহাসহ বেশ ক’জন ছাত্র নিহত হন। অগণতান্ত্রিক ও পাশবিক আচরণ এবং ক্ষমতাকে কুক্ষগিত করাই এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের মূল কারণ।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ‘স্বাধীনতা আমাদের দেশ ও জনগণের সবচেয়ে বড় অর্জন’- কথাটির পক্ষে তোমার যুক্তিগুলো কী?
উত্তর : ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা অর্জন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন। এই স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলার মানুষ পাকি স্তানি শাসন ও শোষণের নাগপাশ ছিন্ন করে। এই স্বাধীনতা অর্জনের ফলেই প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদাবান জাতিতে পরিণত হয়। একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, স্বাধীনতা আমাদের দেশ ও জনগণের সবচেয়ে বড় অর্জন।
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান বর্ণনা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মূল নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সারাজীবনের কর্মকাণ্ড, আন্দোলন, সংগ্রাম নির্দেশিত হয়েছে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে। এই লক্ষ্য নিয়ে তিনি ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ ও ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হন। ১৯৬৬ সালে ‘আমাদের বাঁচার দাবি ৬ দফা’ কর্মসূচি পেশ ও ৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলন, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন বিজয়, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জনে একচ্ছত্র ভূমিকা পালন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
পাকি স্তানের চব্বিশ বছরের মধ্যে বার বছর তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকি স্তানি হানাদার বাহিনী সশস্ত্র আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়লে ২৬ মার্চ ১৯৭১ প্রত্যুষে তিনি সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সংগ্রামের পথ ধরে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তার ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। তার নামেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি। তার বলিষ্ঠ ও আপসহীন নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন জাতির জনক, স্বাধীনতার মহানায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। তাই স্বাধীনতা অর্জনে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অপরিসীম।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ যুদ্ধবিধ্বস্তদেশ গঠন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। আক্ষরিক অর্থে শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধু সরকার। সরকারপ্রধান হিসেবে ১৪ জানুয়ারি, ১৯৭২ প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সরকারের জরুরি কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনের পাশাপাশি বিশ্বের সকল রাষ্ট্র, স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে উদার সাহায্য প্রদানের আহ্বান জানান। শুরু করেন দেশ গঠন।
সংবিধান একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল। এই দলিল লিখিত বা অলিখিত হতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত দলিল। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ এই সংবিধান লাভ করে।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু সরকার মাত্র দশ মাসে বাংলাদেশকে একটি সংবিধান উপহার দিতে সক্ষম হয়। যা দেশ পুনর্গঠনে সবচেয়ে জরুরি পদক্ষপে ছিল।
প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা : নবীন রাষ্ট্র হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে। যুদ্ধবিধ্বস্তদেশ পুনর্গঠন, দারিদ্র্য হ্রাস, প্রবৃদ্ধির হার ৩% থেকে ৫.৫%-এ উন্নীত করার জন্য ব্যবস্থা। উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এছাড়া সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮) ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়।
কৃষির উন্নয়ন : স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশের শতকরা ৮৫ ভাগ জনগণের জীবিকা ছিল কৃষির ওপর নির্ভরশীল। জাতীয় আয়ের অর্ধেকেরও বেশি আসত কৃষিখাত থেকে। তাই বঙ্গবন্ধু কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন। যেমন :
১. ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফসহ পূর্বের সমস্তবকেয়া খাজনা মওকুফ করে দেন।
২. একটি পরিবারের জন্য সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ করেন।
৩. বাইশ লাখের অধিক কৃষক পরিবার পুনর্বাসন করা হয়।
সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু মানবসম্পদের উন্নয়নে শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে তিনি স্বাধীন দেশের উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই শিক্ষা কমিশন গঠন করেন।
শিক্ষার উন্নয়ন : শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষপে গ্রহণ করেন। তিনি ৯০০ কলেজ ভবন ও ৪০০ হাইস্কুল পুনর্নিমাণ করেন। প্রথমবারের মতো সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন। এর ফলে এসব স্কুলে কর্মরত ১ লক্ষ ৬০ হাজার শিক্ষকের চাকরিও সরকারি করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় শিক্ষকদের পাওনা ৯ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্বায়ত্তশাসন প্রদানের জন্য জাতীয় সংসদে ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করেন।
সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগের উন্নয়ন : মুক্তিযুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত সকল ব্রিজ-সেতু জরুরি ভিত্তিতে পুনর্নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৭৪ সালের মধ্যে দেশের যোগাযোগব্যবস্থা একটা সšেত্মাষজনক অবস্থায় উন্নীত হয়। ঢাকা-আরিচা সড়কের বড় বড় সড়ক সেতুগুলোসহ ৯৭টি নতুন সড়ক সেতু নির্মাণ করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজসহ ধ্বংসপ্রাপ্ত অন্যান্য রেল সেতুগুলোও চালু হয়। যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ১৯৭৪ সালের ৪ নভেম্বর যমুনা সেতুর প্রাথমিক সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।
বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় রুটে বিমান চালু, তেজগাঁও বিমানবন্দর ব্যবহার উপযোগী করার কাজ দ্রম্নত সম্পন্ন হয়। ১৯৭২ সালের ৭ মার্চের মধ্যে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর ও কুমিলস্নার বিমান যোগাযোগ কার্যকর হয়। ঢাকা-লন্ডন রুটে ১৯৭৩ সালের ১৮ জুন প্রথম ফ্লাইট চালু হয়। এভাবে যুদ্ধবিধস্তবাংলাদেশ ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলেই শক্ত অবস্থানে চলে আসে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ১৯৭২ সালের সংবিধানে বর্ণিত মূলনীতিসমূহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৯৭২ সালের সংবিধানের প্র স্তাবনায় চারটি আদর্শকে গ্রহণ করা হয় রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে। যথা-
ক. জাতীয়তাবাদ : পাকি স্তান আমলের ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাতিল হয়ে যায়। এর বিপরীতে ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্ম। অসাম্প্রদায়িক চেতনা হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।
খ. সমাজতন্ত্র : বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে সব সময় সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সংগ্রাম করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের একটা বড় অংশ ছিল নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। স্বাধীনতার পর দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মৌলিক চাহিদা পূরণে রাষ্ট্রও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তাই সংবিধানে সমাজতন্ত্রকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। মূলত মানুষের ওপর মানুষের শোষণহীন সমাজ গঠনের জন্য সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করাই ছিল এর লক্ষ্য।
গ. গণতন্ত্র : পাকি স্তান রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এই অঞ্চলের জনগণ ১৯৪৭ থেকেই কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার পায়নি। সংবিধানে উলেস্নখ করা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি হবে একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। রাষ্ট্রে প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে প্রশাসন পরিচালিত হবে।
ঘ. ধর্মনিরপেক্ষতা : সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ছিল সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করা। কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান না করা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। রাষ্ট্র কোনো ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করবে না। প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার ও আচার-অনুষ্ঠান পালনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেবে রাষ্ট্র।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ জেনারেল জিয়ার শাসন আমল মূল্যায়ন কর।
উত্তর : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক বাহিনীর মেজর ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড পরবর্তী ঘোলাটে পরিস্থিতিতে ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল নিজেকে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত করেন।
জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক বাহিনীর মধ্যে বেশ কিছু ব্যর্থ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এতে বিচারের নামে অনেক নিরপরাধ সামরিক কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যের মৃত্যুদণ্ড, সাজা কিংবা চাকরিচ্যুত হয়। জেনারেল জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭২-এর সংবিধানে প্রণীত যেসব মৌলিক নীতি ও চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়ে আসছিল, তার বেশিরভাগই এ সময় বাতিল করে দেওয়া হয়।
১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করা হয়। বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া চালু করে রাজনীতিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারীদের রাজনীতি করার সুযোগ প্রদান করেন। তিনি সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন করেন। রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের পথ তৈরি করেন। জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্রের নিজস্ব ব্যাখ্যা প্রদান করেন। প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ধারণার প্রবক্তা। তিনি খালকাটা কর্মসূচি প্রবর্তন করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী চীন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশ বাংলাদেশকে এই সময়ে স্বীকৃতি প্রদান করে। পাকি স্তান বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ-সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ পূর্ব ইউরোপীয় দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয়। ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার লক্ষে এ সময় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নীতি অনুসরণ করে। জিয়াউর রহমান দক্ষণি এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। সুতরাং দেখা যায়, জেনারেল জিয়ার শাসনামলে দেশের রাজনীতিতে কিছু প্রতিক্রিয়াশীল পদক্ষপে গৃহীত হলেও দেশের সার্বিক উন্নয়নে তার শাসনামল ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ জেনারেল এরশাদের নির্বাচন পদ্ধতি মূল্যায়ন কর।
উত্তর : জেনারেল এরশাদের নির্বাচন পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ প্রহসনমূলক। তার আমলের সবগুলো নির্বাচনই নিতান্ত প্রহসন ছিল। উদাহরণস্বরূপ- ১৯৮৬ সালের ৭ মে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৮ দলীয় জোট ও জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৮টি দল অংশগ্রহণ করে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৭ দলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মোট ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ এককভাবে ৭৬টি আসন লাভ করে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দল জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে মিডিয়া ক্যু’র মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উত্থাপন করে। পর্যবেক্ষকগণও এ অভিযোগের যথার্থতাকে সমর্থন করেন। আবার ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বয়কট করে। প্রহসনমূলক এ নির্বাচনে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ দেশের প্রধান দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে। ভোটারবিহীন, দলবিহীন এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২৫১টি আসন পেয়ে বিজয়ী হয় এবং সরকার অনুগত আ স ম রবের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত বিরোধী জোট (কপ) ১৯টি আসন পায়। বাকি আসনের ৩টি জাসদ (সিরাজ), ২টি ফ্রিডম পার্টি এবং ২৫টি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পান। সুতরাং দেখা যায় জেনারেল এরশাদের নির্বাচন ছিল লোক দেখানো এবং নিজেকে জয়ী করে জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার প্রচেষ্টা। তার নির্বাচন পদ্ধতি স্বৈরতান্ত্রিক এবং প্রহসনমূলক।
১. মুক্তিযুদ্ধের সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কতজন সদস্য ছিলেন?
ক ৫ > ৬ গ ১০ ঘ ১২
২. বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
ক এককেন্দ্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা খ এক দলীয় শাসন কায়েম
> শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গঠন ঘ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন
৩. ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল বেতার ভাষণে মুজিবনগর সরকার গঠনের কথা প্রচার করেন কে?
> তাজউদ্দিন আহমদ খ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এম মনসুর আলী
৪. ১৯৭১ সালে কে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন?
> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ তাজউদ্দীন আহমেদ
৫. ন্যায়পাল পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে?
ক ৭০ নং খ ৭৩ নং > ৭৭ নং ঘ ৮৭ নং
৬. মুজিবনগর সরকার গঠনের কথা প্রচার করেন কে?
ক জেনারেল জিয়াউর রহমান খ শেখ মুজিবুর রহমান
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম > তাজউদ্দীন আহমেদ
৭. বাংলাদেশের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়?
ক ১৯৯২ সালে > ১৯৯৬ সালে
গ ১৯৯৮ সালে ঘ ২০০৯ সালে
৮. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক কে ছিলেন?
ক খন্দকার মোশতাক আহমেদ খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
> তাজউদ্দিন আহমদ ঘ এম মনসুর আলী
৯. রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?
ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম > বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
গ তাজউদ্দীন আহমেদ ঘ এম মনসুর আলী
১০. কত তারিখে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে?
ক ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল খ ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল
> ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ঘ ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল
১১. ১৯৭২ সালের সংবিধান-
ক বাংলাদেশকে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে
খ অলিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
> সরকারের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে
ঘ ২০ বার সংশোধিত হয়েছে
১২. কখন মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়েছিল?
> ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ খ ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১
গ ৯ই এপ্রিল, ১৯৭১ ঘ ৭ই এপ্রিল, ১৯৭১
১৩. কখন বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়?
> ৪ নভেম্বর ১৯৭২ খ ১৩ নভেম্বর, ১৯৭২
গ ১৪ নভেম্বর, ১৯৭২ ঘ ১২ নভেম্বর, ১৯৭২
১৪. কোনটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন?
ক আইনসভা কর্তৃক প্রণীত আইন খ নৈতিক আইন
গ সামাজিক আইন > সংবিধান
১৫. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী?
ক রমনা পার্ক খ শিশু পার্ক
> সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘ শাহবাগ উদ্যান
১৬. ২৫ মার্চের পৈশাচিক গণহত্যার নাম কী ছিল?
ক অপারেশন জ্যাকপট খ অপারেশন ফ্রিডম
গ কিলিং > অপারেশন সার্চ লাইট
১৭. “বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে, কারও প্রতি বৈরী আচরণ সমর্থন করবে না”- উক্তিটি কার?
> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ তাজউদ্দিন আহমদ
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান
১৮. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কে বিশ্ব নেতৃত্ব ও জনমত আদায়ের বিশেষ দূত নিযুক্ত হন?
ক কমরেড মনিসিং খ শ্রী মনোরঞ্জন ধর
গ আব্দুল হামিদ খান ভাসানী > বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী
১৯. মুজিবনগর সরকার কত তারিখে শপথ গ্রহণ করে?
ক ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল খ ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল
গ ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল > ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল
২০. ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জমির পরিমাণ কত ছিল?
ক ২২ একক খ ২৫ একর
গ ২৬ একর > ২৮ একর
২১. বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী খাদ্যসংকট, দুর্নীতি এবং ষড়যন্ত্ররোধে বঙ্গবন্ধু সরকার কোন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন?
ক রিলিফ প্রদান খ শিক্ষার জাতীয়করণ
গ সংবিধান প্রণয়ন > বাকশাল গঠন
২২. মুক্তিযুদ্ধের উপদেষ্টা কমিটিতে সদস্য ছিলেন-
> কমরেড মনিসিং খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ এম মনসুর আলী ঘ এএইচএম কামারুজ্জামান
২৩. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন কে?
> তাজউদ্দিন আহমদ খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ এম. মনসুর আলী ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
২৪. বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রধান রাজনৈতিক দল কোনটি?
ক মুসলিম লীগ খ পিডিপি
> আওয়ামী লীগ ঘ ন্যাপ
২৫. কত হাজার পাকসেনা নিঃশর্তে যৌথ কমান্ডের নিকট আত্মসমর্পণ করে?
ক ৯২ > ৯৩ গ ৯৪ ঘ ৯৫
২৬. বাংলাদেশ সর্বপ্রথম কোন সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে?
ক জাতিসংঘ খ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা
গ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা > ব্রিটিশ কমনওয়েলথ
২৭. ভারত কত তারিখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে?
> ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ খ ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১
গ ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ ঘ ৯ ডিসেম্বর ১৯৭১
২৮. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক কে ছিলেন?
ক ডঃ আনোয়ার পাশা > তাজউদ্দিন আহমদ
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এম আকতার মুকুল
২৯. অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কত তারিখে অনুষ্ঠিত হয়?
ক ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর > ২০০১ সালের ১ অক্টোবর
গ ২০০১ সালের ২৫ নভেম্বর ঘ ২০০১ সালের ২৫ ডিসেম্বর
৩০. ‘মুজিবনগর’ সরকার কত তারিখে গঠন করা হয়?
ক ৭ এপ্রিল খ ৮ এপ্রিল গ ৯ এপ্রিল > ১০ এপ্রিল
৩১. কখন অপারেশন সার্চ লাইট এর পরিকল্পনা করা হয়?
ক ১৫ মার্চ > ১৭ মার্চ গ ২১ মার্চ ঘ ২৮ মার্চ
৩২. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কোনটি সবচেয়ে বড় অবদান রাখে?
> রাজনৈতিক সংগঠন খ প্রবাসী বাঙালি
গ বুদ্ধিজীবী ঘ গণমাধ্যম
৩৩. অপারেশন সার্চলাইট-এর পরিকল্পনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন-
> টিক্কা খান খ জুলফিকার আলী ভুট্টো
গ জেনারেল নিয়াজি ঘ ইয়াহিয়া খান
৩৪. বাংলাদেশ কত সালে কমনওয়েলথ এর সদস্যপদ লাভ করে?
> ১৯৭২ খ ১৯৭৩ গ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৬
৩৫. বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত দ্বিতীয় বিপস্নব কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল-
> খাদ্য সংকট মোকাবিলা খ নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা
গ রিলিফ কার্যক্রম জোরদারকরণ ঘ পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ
৩৬. মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রি কে ছিলেন?
ক এম.মনসুর আলী > এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান
গ খন্দকার মোশতাক আহমেদ ঘ তাজউদ্দিন আহমেদ
৩৭. কোন সালে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ আইন পাশ হয়েছিল?
ক ১৯৯৩ খ ১৯৯৪ গ ১৯৯৫ > ১৯৯৬
৩৮. নিচে একটি জনসভার চিত্র রয়েছে। এটি আমাদের কোন ঘটনা মনে করিয়ে দেয়?
ক ভাষা আন্দোলন খ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
গ ৬ দফা আন্দোলন >৭ মার্চের ভাষণ
৩৯. মাকছুদের দাদু বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণার বার্তাটি শুনতে পান। বেতার কেন্দ্রটির নাম কী ছিল?
> কালুরঘাট সম্প্রচার কেন্দ্র খ আকাশ বাণী সম্প্রচার কেন্দ্র
গ ঢাকা সম্প্রচার কেন্দ্র ঘ খুলনা সম্প্রচার কেন্দ্র
৪০. কোথায় অস্থায়ী সরকার শপথ নেয়?
> মেহেরপুর খ নেত্রকোনা গ ঢাকা ঘ রাজশাহী
৪১. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ সরকার মিশন স্থাপন করে কেন?
> প্রচারণা ও সমর্থন লাভের জন্য খ রাষ্ট্রসীমা বৃদ্ধির জন্য
গ নিরাপত্তার জন্য ঘ বিপদে আশ্রয় পাওয়ার জন্য
৪২. ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ‘অ’ নামক সড়কে নিজ বাসভবনে বঙ্গবন্ধু নিহত হন। ‘অ’ কোনটিকে নির্দেশ করছে?
ক ৩৪ নম্বর >৩২ নম্বর গ ২৭ নম্বর ঘ ১ নম্বর
৪৩. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেছে কারা?
ক ছাত্ররা খ শ্রমিকরা গ কৃষকরা > প্রবাসী বাঙালিরা
৪৪. কোনটি বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল?
ক ১৯৭২-১৯৭৪ খ ১৯৭৩-১৯৭৫
গ ১৯৭৪-১৯৭৬ > ১৯৭২-১৯৭৫
৪৫. সংবিধান কমিটির সদস্য ছিল কয়জন?
ক ৩৩ > ৩৪ গ ৩৫ ঘ ৩৬
৪৬. গণপরিষদের একমাত্র কাজ ছিল কোনটি?
ক নির্বাচন পরিচালনা খ সরকার গঠন
গ পাঁচশালা পরিকল্পনা প্রণয়ন > সংবিধান প্রণয়ন
৪৭. বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করে কেন?
> সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে খ গণতন্ত্র পুনর্বহালের উদ্দেশ্যে
গ সংসদ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ঘ শাসনতান্ত্রিক বৈধতার উদ্দেশ্যে
৪৮. কার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়?
ক বঙ্গবন্ধুর > ড. কুদরত-ই-খুদার
গ বিচারপতি সাঈদের ঘ বিচারপতি সায়েমের
৪৯. জিয়াউর রহমান কাদের হাতে নিহত হন?
> সেনা সদস্য খ পুলিশ বাহিনী
গ রাজনৈতিক কর্মী ঘ সাধারণ আমলা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫০. মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বজনমত গঠনের জন্য সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব-
র. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন
রর. গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন
ররর. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য রাখেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর > র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫১. মুজিবনগর সরকার মিশন স্থাপন করে-
র. কলকাতায়
রর. ওয়াশিংটনে
ররর. স্টকহোম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
৫২. মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন-
র. বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা
রর. স্কুলের ছাত্ররা
ররর. কলেজের ছাত্ররা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৫৩. পররাষ্ট্রনীতির মূলকথা হলো-
র. শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান
রর. সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব
ররর. কারও সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক নয়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৪. উক্ত দিনটি-
র. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত
রর. বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য উৎসর্গীকৃত
ররর. বাংলা ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায়ে স্মরণীয়
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৫. বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৯০ সাল তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ-
র. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন ঘটে
রর. সামরিক শাসনের অবসান ঘটে
ররর. গণতন্ত্রের পুনঃযাত্রা শুরু হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৫৬. ‘অপারেশন সার্চ লাইট”-এর নীলনক্সাকারীরা হলো-
র. টিক্কা খান
রর. রাও ফরমান আলী
ররর. আইয়ুব খান
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. মুজিবনগর সরকার গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?
র. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বাহিনী গঠন
রর. বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করা
ররর. রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দল গঠন করা
নিচের কোনটি সঠিক? [য. বো. ’১৫]
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৮. বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মূল কারণ ছিল-
র. অর্থনৈতিক মুক্তি
রর. বাঙালি জাতীয়তাবোধ
ররর. পাক-প্রশাসনের প্রতি ঘৃণা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৫৯. মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বজনমত গঠনের জন্য সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব-
র. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন
রর. গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন
ররর. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য রাখেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬০ ও ৬১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
কামাল সাহেব দেশাত্মবোধক গান গাইতেন এবং সুন্দর ছবি আঁকতেন। এ কাজে তাঁর খ্যাতি ছিল প্রচুর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংক্ষপ্তি প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এবং তাঁর আইনজীবী বন্ধু জাভেদ সাহেব যুদ্ধ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করেন।
৬০. মুক্তিযুদ্ধে কামাল সাহেব ও জাভেদ সাহেব কাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন?
ক দিনমজুরের খ প্রবাসী বাঙালিদের
> পেশাজীবীদের ঘ শিক্ষকদের
৬১. কামাল সাহেব মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন-
র. প্রত্যক্ষভাবে রর. পরোক্ষভাবে
ররর. সক্রিয়ভাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬২ ও ৬৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্তদেশ গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। এই পুনর্গঠনের পদক্ষপে হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বকেয়া সুদসহ কৃষিজমির খাজনা মওকুফ করে দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ‘দ্বিতীয় বিপস্নব’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
৬২. অনুচ্ছেদের আলোকে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত প্রাথমিক পদক্ষপটি তাঁর কোন উদ্যোগের আওতাভুক্ত?
ক নতুন সংবিধান প্রণয়ন খ রিলিফ প্রদান ও রেশনিং ব্যবস্থা
গ ‘দ্বিতীয় বিপস্নব’ কর্মসূচি গ্রহণ > নতুন অর্থনৈতিক পাঁচসালা পরিকল্পনা
৬৩. অনুচ্ছেদে বর্ণিত বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পরবর্তী পদক্ষপেটি কী উদ্দেশ্যে গ্রহণ করেন?
ক কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন
খ ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধন
গ প্রযুক্তিক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন
> আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৪ ও ৬৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জামির পিতা একজন সরকারি কর্মচারী। তারা ধানমন্ডির বাসিন্দা। জামির পিতা জামিকে একদিন একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন যে, এটি সেই বাড়ি যেখানে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটায় এবং সপরিবারে হত্যাযজ্ঞ চালায়।
৬৪. অনুচ্ছেদের হত্যাকাণ্ডটি কার হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত বহন করে?
ক জিয়াউর রহমানের > শেখ মুজিবুর রহমানের
গ তাজউদ্দিন আহমদের ঘ এ.কে. ফজলুল হকের
৬৫. হত্যাকাণ্ড থেকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রক্ষা পেয়েছিলেন-
র. শেখ হাসিনা
রর. শেখ রাসেল
ররর. শেখ রেহানা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৬ ও ৬৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
তাহমিনার দাদা কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের একজন প্রাক্তন কর্মচারী। তিনি বলেন, বাংলার এক শ্রেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেলে এ বেতারকেন্দ্র থেকে এম এ হান্নান তা প্রচার করেন।
৬৬. তাহমিনা কোন শ্রেষ্ঠ সন্তানের নাম জানতে পারেন?
ক হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী খ মওলানা ভাসানী
> শেখ মুজিবুর রহমান ঘ এ. কে. ফজলুল হক
৬৭. অনুচ্ছেদে উলিস্নখিত ঘোষণাটির প্রতি সমর্থন ও অংশগ্রহণ ছিল বাঙালি-
র. সামরিক বাহিনীর
রর. আধাসামরিক বাহিনীর
ররর. বেসামরিক বাহিনীর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৮ ও ৬৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
আহমেদের পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। একদিন তিনি আহমেদকে বললেন, “আমরা যুদ্ধ করেছি একটি সংগঠনের পরিচালনায়, যে সংগঠনটি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শপথ নিয়েছিল।”
৬৮. অনুচ্ছেদের সংগে কোন সংগঠনটির সাদৃশ্য আছে?
> মুজিবনগর সরকার খ উপদেষ্টা পরিষদ
গ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ঘ জাতিসংঘ
৬৯. উক্ত সংগঠনটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল-
ক মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন > মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা
গ বিদ্রোহ প্রশমন ঘ শান্তি স্থাপন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭০ ও ৭১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অর্পা ৬ষ্ঠ শ্রেণির একজন ছাত্রী। তার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। একদিন সকালে তার বাবা বলল, “অর্পা, চলো স্কুলে যাই।” অর্পা তার বাবার সাথে স্কুলে রওনা হলো, পথে দেখল রা স্তার দু’ধার বর্ষার পানিতে পূর্ণ। স্কুলে যেয়ে দেখল অন্যদিনের মতো জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়নি। আজ সেটা অর্ধনমিত।
৭০. অনুচ্ছেদের বিষয়টি কোন ঘটনার সাথে সম্পর্কযুক্ত?
ক ১৪ ডিসেম্বরের মর্মান্তিক ঘটনা
> ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড
গ জেলখানায় পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড
ঘ ২৫ মার্চের কালরাত্রির ঘটনা
৭১. উলিস্নখিত ঘটনার ফল ছিল-
র. পাকি স্তানি সাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা পায়
রর. বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে
ররর. বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা হারায়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭২ ও ৭৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিএমএ নেতা ডাঃ সামসুল আলম মিলন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর আন্দোলনটি চরমরূপ ধারণ করে অবশেষে সরকার পদত্যাগের কথা ঘোষণা দেন।
৭২. অনুচ্ছেদে উলিস্নখিত আন্দোলনটির নাম কী?
ক নির্বাচনি আন্দোলন > ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থান
গ ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন ঘ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন
৭৩. উক্ত আন্দোলনে অংশ নেয়-
র. ছাত্রজনতা
রর. রাজনৈতিক নেতা
ররর. শিক্ষকবৃন্দ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের তালিকাটি পড়ে ৭৪ ও ৭৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি
বিচারপতি এ.এম.সায়েম বিচারপতি আহসান উদ্দিন
প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ‘ক’ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ‘খ’
৭৪. প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ‘ক’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক বিচারপতি আব্দুস সাত্তার খ খন্দকার মোশতাক
> জেনারেল জিয়াউর রহমান ঘ জেনারেল এরশাদ
৭৫. তালিকায় উলিস্নখিত শাসক ‘ক’ এবং ‘খ’ এর মধ্যেকার বৈসাদৃশ্য হলো-
র. সংবিধান সংশোধন
রর. ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি
ররর. সার্ক গঠনের উদ্যোগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ভূমিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. কত সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৫ খ ১৯৫৪ > ১৯৭০ ঘ ১৯৭২
৭৭. জনগণ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় কেন? (অনুধাবন)
ক বঙ্গবন্ধুকে অনেক শ্রদ্ধার জন্য
> পাকি স্তানিদের শোষণ থেকে মুক্তির জন্য
গ স্বাধিকার লাভের আশায়
ঘ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লোভনীয় প্র স্তাব দেয়া হয়েছিল
৭৮. ২ মার্চ জনাব ‘ক’ এদেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। ‘ক’ এর সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কার? (প্রয়োগ)
> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ ইয়াহিয়া খান
গ আইয়ুব খান ঘ টিক্কা খান
৭৯. ১৯৭১ সালের ২ মার্চ কে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন? (জ্ঞান)
> শেখ মুজিবুর রহমান খ ইয়াহিয়া খান
গ জুলফিকার আলী ভুট্টো ঘ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
৮০. বঙ্গবন্ধু কত তারিখে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
ক ৫ মার্চ > ৭ মার্চ গ ৯ মার্চ ঘ ১১ মার্চ
৮১. বঙ্গবন্ধু কোথায় ঐতিহাসিক ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
> রেসকোর্স ময়দান খ কার্জন হল
গ রমনা বটমূল ঘ মলচত্বর
৮২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ২৪ মার্চ খ ২৫ মার্চ > ২৬ মার্চ ঘ ২৭ মে
৮৩. ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
> মুজিবনগর সরকার খ মেহেরপুর সরকার
গ তাজউদ্দিন সরকার ঘ ভবেরপাড়া সরকার
৮৪. ১৯৭১ সালের কত তারিখে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়? (জ্ঞান)
ক ২৬ মার্চ খ ১০ এপ্রিল
গ ৬ ডিসেম্বর > ১৬ ডিসেম্বর
৮৫. পাক বাহিনীর কত হাজার সদস্যের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়? (জ্ঞান)
ক ৯০ > ৯৩ গ ৯৫ ঘ ৯৭
৮৬. কত সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৪ >১৯৭৫ গ ১৯৭৬ ঘ ১৯৭৮
৮৭. বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃযাত্রা শুরু হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৫ খ ১৯৭৮ গ ১৯৮২ >১৯৯০
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৮. বাংলাদেশে সামরিক শাসনের সূত্রপাত ঘটে- (অনুধাবন)
র. বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে
রর. রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে
ররর. সামাজিক পরিবর্তনে
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে
রর. জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়
ররর. বাঙালিরা ক্ষমতা লাভ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পরিণতিতে- (প্রয়োগ)
র. পাকি স্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে
রর. ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে
ররর. পাকি স্তান যুদ্ধবিধ্বস্তহয়
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন- ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ।
বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দেন- ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ।
ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হয়- ২৫ মার্চ রাতে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন- ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর।
মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননকে নামকরণ করা হয়- মুজিবনগর।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল- মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়- ১১টি সেক্টরে।
মুক্তিযুদ্ধের স্থায়িত্বকাল ছিল- ৯ মাস।
মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে নিউইয়র্কে ৪০,০০০ লোকের সমাগমে গান পরিবেশন করেন- লন্ডনের
সঙ্গীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন।
মুক্তিযুদ্ধের ফলে আমরা পেয়েছি- একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।
৯১. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় কোন দল? (জ্ঞান)
ক মুসলিম লীগ খ গণতন্ত্রী দল
গ নেজামে ইসলামী পার্টি > আওয়ামী লীগ
৯২. কত সালে ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৬২ খ ১৯৭০ গ ১৯৭০ > ১৯৭১
৯৩. জুলফিকার আলী ভুট্টো কীভাবে পাকি স্তানের রাজনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করেছিলেন? (অনুধাবন)
ক ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডেকে
> ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে
গ ঢাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে
ঘ ঢাকা থেকে সেনাবাহিনী তুলে নিয়ে
৯৪. ইয়াহিয়া খান কেন জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের ঘোষণা দেন? (অনুধাবন)
ক জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য
খ প্রেসিডেন্ট অসুস্থ থাকার কারণে
গ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে
> ক্ষমতা হ স্তান্তর প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে
৯৫. ইয়াহিয়া খান কর্তৃক ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বর্জনের মধ্য দিয়ে পাকি স্তানের কোন মনোভাব প্রকাশ পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা খ গণতন্ত্রকে নস্যাৎকরণ
> বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ঘ দেশের প্রতি ভালোবাসা
৯৬. শেখ মুজিবুর রহমান ৩মার্চ সারাদেশে হরতালের আহ্বান করেন কেন? (অনুধাবন)
> অধিবেশন স্থগিত করার প্রতিবাদে
খ সামরিক শাসনের প্রতিবাদে
গ ভুট্টোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে
ঘ অসহযোগ আন্দোলনকে প্রবল করার জন্য
৯৭. শেখ মুজিবুর রহমান কত তারিখে সারাদেশে হরতাল আহ্বান করেন? (জ্ঞান)
> ৩ মার্চ খ ২১ মার্চ গ ৪ মার্চ ঘ ৫ মার্চ
৯৮. ১৯৭১-এ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন কে? (জ্ঞান)
> শেখ মুজিবুর রহমান খ মওলানা ভাসানী
গ তাজউদ্দিন আহমদ ঘ এম মনসুর আলী
৯৯. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে এখনও অনেক বক্তৃতা শোনা যায়। কিন্তু সেই নেতার কণ্ঠ আর শোনা যায় না। এখানে কোন নেতার কণ্ঠের কথা বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী খ এ. কে. ফজলুল হক
গ মওলানা ভাসানী >শেখ মুজিবুর রহমান
১০০. বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চে কোথায় ভাষণ দিয়েছিলেন? (জ্ঞান)
ক শহিদ মিনারে খ ওসমানি উদ্যানে
> রেসকোর্স ময়দানে ঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
১০১. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী? (জ্ঞান)
ক রমনা পার্ক খ বোটানিক্যাল গার্ডেন
> সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘ শিশুপার্ক
১০২. ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করার যথার্থ কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জনতার শক্তি প্রদর্শনের জন্য > আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার জন্য
গ পার্লামেন্ট বর্জনের জন্য ঘ স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য
১০৩. ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।’ – কথাটির তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
> গেরিলা যুদ্ধের পূর্বাভাস খ গৃহযুদ্ধের পূর্বাভাস
গ সাম্প্রদায়িক যুদ্ধের পূর্বাভাস ঘ আন্তর্জাতিক পূর্বাভাস
১০৪. পৃথিবীর ইতিহাসে বিদ্যমান ঐতিহাসিক ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম কোনটি? (জ্ঞান)
ক ২ মার্চের ভাষণ খ ৩ মার্চের ভাষণ
> ৭ মার্চের ভাষণ ঘ ২৬ মার্চের ভাষণ
১০৫. যার যা কিছু আছে তা দিয়ে দখলদার বাহিনীর মোকাবিলা করার আহ্বান কে জানিয়েছেন? (জ্ঞান)
ক টিক্কাখান খ ইয়াহিয়া খান
> বঙ্গবন্ধু ঘ জিয়াউর রহমান
১০৬. ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশালস্নাহ’ বক্তব্যটি কার? (জ্ঞান)
ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম খ এম মনসুর আলী
গ তাজউদ্দিন আহমদ > শেখ মুজিবুর রহমান
১০৭. বঙ্গবন্ধু কত তারিখের ভাষণে যুদ্ধের কলা-কৌশলের দিক নির্দেশনা দেন? (অনুধাবন)
> ৭ মার্চের খ ২ মার্চের গ ৩ মার্চের ঘ ২৬ মার্চের
১০৮. বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার মূল প্রত্যয় কোনটি বলে তুমি মনে কর? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
> এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম
গ তোমরা আমার ভাই
ঘ ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল
১০৯. বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে কোর্ট-কাচারি, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন কেন? (অনুধাবন)
ক পাকি স্তান সরকারের সহযোগিতার জন্য
> পাকি স্তান সরকারের অসহযোগিতার জন্য
গ বাঙালিকে কষ্ট দেয়ার জন্য
ঘ আওয়ামী লীগের প্রভাব বুঝতে
১১০. ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকি স্তানের অবস্থা বেগতিক দেখে ইয়াহিয়া খানের সাথে কোন নেতা ঢাকায় আসেন? (অনুধাবন)
ক জিন্নাহ খ টিক্কা খান > ভুট্টো ঘ নাজিমুদ্দীন
১১১. অপারেশন সার্চলাইটের নতুন নকশা করেন কে? (জ্ঞান)
ক জুলফিকার আলী ভুট্টো > টিক্কা খান
গ মোনায়েম খান ঘ ইয়াহিয়া খান
১১২. ঢাকায় গণহত্যা শুরু হয় কী নামে? (জ্ঞান)
> অপারেশন সার্চলাইট খ অপারেশন রেবল হান্ট
গ অপারেশন ক্লিনহার্ট ঘ অপারেশন ডেজার্ট স্ট্রম
১১৩. অপারেশন সার্চলাইট কী? (জ্ঞান)
ক ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ > ৭১-এর গণহত্যার অভিযান
গ ৭১-এর মিছিল ঘ ৭১-এর বৈঠক
১১৪. অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করা হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৬৯ খ ১৯৭০ > ১৯৭১ ঘ ১৯৭২
১১৫. ইয়াহিয়া ও ভুট্টো কত তারিখে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন? (অনুধাবন)
ক ৭ মার্চ খ ৯ মার্চ গ ১৭ মার্চ > ২৫ মার্চ
১১৬. ২৫ মার্চের কালরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালানোর কারণ কী ছিল? (অনুধাবন)
> বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা
খ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা ঘাঁটি নির্মাণ
গ বাংলাদেশের নেতৃত্বকে দুর্বল করা
ঘ বাংলার আন্দোলনকে সমূলে বিনাশ করা
১১৭. অপারেশন সার্চলাইট শুরু হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের মাধ্যমে
খ বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের হত্যার মাধ্যমে
> ঢাকাসহ বাংলার বিভিন্ন জেলা শহরে নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যার মাধ্যমে
ঘ বাঙালি নেতাদের কারারুদ্ধ করার মাধ্যমে
১১৮. কত তারিখে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন? (জ্ঞান)
ক ২৫ মার্চ > ২৬ মার্চ গ ২৭ মার্চ ঘ ২৮ মার্চ
১১৯. বঙ্গবন্ধু কীভাবে স্বাধীনতার বাণী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পৌঁছে দেন? (অনুধাবন)
ক এম. এ হান্নানের সহায়তায়
> ইপিআর ট্রান্সমিশনের সহায়তায়
গ জিয়াউর রহমানের সহায়তায়
ঘ সৈয়দ নজরুলের সহায়তায়
১২০. অপারেশন সার্চলাইটের আওতায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় কখন? (জ্ঞান)
ক ২৫ মার্চ সকালে > ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে
গ ২৮ মার্চ দুপুরে ঘ ৫ এপ্রিল সকালে
১২১. কখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়? (জ্ঞান)
ক রাত ১২টায় খ রাত ১২.৩০ মিনিটে
> রাত ১.৩০ মিনিটে ঘ রাত ৩টায়
১২২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ২৪ মার্চ খ ২৫ মার্চ > ২৬ মার্চ ঘ ২৭ মার্চ
১২৩. স্বাধীনতার ডাক দেন কে? (জ্ঞান)
> শেখ মুজিবুর রহমান খ এ. কে ফজলুল হক
গ ইয়াহিয়া খান ঘ জেনারেল টিক্কা খান
১২৪. বঙ্গবন্ধু তার ঘোষণায় যে বার্তাটি দিয়েছিলেন সেটিকে তিনি কী মনে করেছিলেন? (অনুধাবন)
ক স্বাধীনতার দলিল খ গণহত্যার বার্তা
> শেষ বার্তা ঘ আনন্দ মিছিলের বার্তা
১২৫. আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন-কথাটি কে বলেছিলেন? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান > শেখ মুজিবুর রহমান
গ জেনারেল এরশাদ ঘ আবদুল হান্নান
১২৬. কতদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু দেশবাসীকে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন? (জ্ঞান)
ক ডিসেম্বর পর্যন্ত খ পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত
> চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত ঘ ৩ মাস পর্যন্ত
১২৭. শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার বার্তাটি কোন বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল স্থানে প্রচারিত হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক পুলিশ বাহিনী > ইপিআর গ বিডিআর ঘ সেনাবাহিনী
১২৮. এম. এ হান্নান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন কোন তারিখে? (জ্ঞান)
ক ২৫ মার্চ > ২৬ মার্চ গ ২৭ মার্চ ঘ ২৮ মার্চ
১২৯. বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম কে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন? (জ্ঞান)
> এম এ হান্নান শাহ খ মেজর জিয়াউর রহমান
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৩০. বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় কোন বেতার কেন্দ্র থেকে? (জ্ঞান)
ক ঢাকা বেতার কেন্দ্র খ খুলনা বেতার কেন্দ্র
> চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র ঘ রাজশাহী বেতার কেন্দ্র
১৩১. তামিমের বাড়ি চট্টগ্রামে। সেখান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়। এর সাথে কোন সামরিক ব্যক্তিত্ব জড়িত? (প্রয়োগ)
ক শেখ মুজিবুর রহমান খ তাজউদ্দিন আহমদ
গ এম এজি ওসমানী > জিয়াউর রহমান
১৩২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কে? (জ্ঞান)
ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম > মেজর জিয়াউর রহমান
গ খন্দকার মোশতাক আহমদ ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৩৩. বাংলাদেশের জন্মের মাধ্যমে পাকি স্তানের কত বছর শাসন ও শোষণের অবসান হয়? (জ্ঞান)
ক ২০ খ ২১ > ২৪ ঘ ২৮
১৩৪. মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার ভবেরপাড়ায় গিয়ে রাকিব হাসানের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা মনে পড়ে যায়। রাকিব হাসানের কোন ঘটনা মনে পড়ে যায়? (প্রয়োগ)
>মুজিবনগর সরকার গঠন খ ৭০’র নির্বাচন
গ ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ঘ ৬৬’র ছয়দফা দাবি
১৩৫. মুজিবনগর এর পূর্বনাম কী ছিল? (জ্ঞান)
> বৈদ্যনাথতলা খ মেহেরপুর গ নবাবগঞ্জ ঘ কুষ্টিয়া
১৩৬. বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় কখন? (জ্ঞান)
ক ৯ এপ্রিল, ১৯৭১ > ১০ এপ্রিল, ১৯৭১
গ ১৫ এপ্রিল, ১৯৭১ ঘ ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১
১৩৭. ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সরকার কোথায় শপথ গ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক কলকাতায় খ যশোরের নওয়াপাড়ায়
গ খুলনার খালিশপুরে > মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায়
১৩৮. মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ১০ এপ্রিল > ১৭ এপ্রিল গ ১৮ এপ্রিল ঘ ২০ এপ্রিল
১৩৯. ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গুরুত্বপূর্ণ কেন? (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশ সরকার গঠিত হওয়ায়
খ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায়
> বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করায়
ঘ যশোর শত্রুমুক্ত হওয়ায়
১৪০. মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক এম মনসুর আলী খ এ. কে. খন্দকার
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম > বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৪১. বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
> শেখ মুজিবুর রহমান খ মনসুর আলী
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৪২. মুজিবনগর সরকারের উপরাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক এএইচএম কামারুজ্জামান খ তাজউদ্দিন আহমদ
> সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এম মনসুর আলী
১৪৩. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নাম কী? (জ্ঞান)
ক এ. কে. খোন্দকার খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
> তাজউদ্দিন আহমদ ঘ মনসুর আলী
১৪৪. মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিল? (জ্ঞান)
> মনসুর আলী খ আবদুর রব
গ এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৪৫. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কে পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন? (জ্ঞান)
ক এম. মনসুর আলী খ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান
> খন্দকার মোশতাক আহমেদ ঘ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
১৪৬. মুজিবনগর সরকারের প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক লে. কর্নেল আবদুর রব খ আ. স. ম. আব্দুর রব
> কর্নেল ওসমানী ঘ এ. কে. খন্দকার
১৪৭. মুক্তিযুদ্ধকালে আতাউল গনি ওসমানীর পদবি কী ছিল? (জ্ঞান)
ক মেজর খ জেনারেল
গ মেজর জেনারেল > কর্নেল
১৪৮. মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়েছিল কীভাবে? (অনুধাবন)
ক বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে
> ১৯৭০-এর নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে
গ শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠদের নিয়ে
ঘ সকল বাহিনী নিয়ে
১৪৯. মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রমকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? (অনুধাবন)
> ২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১৫০. মুক্তিযুদ্ধের সময় বহির্বিশ্বে মিশন প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য কী ছিল? (অনুধাবন)
ক পাকবাহিনীদের হটিয়ে দেয়া খ পাকি স্তানিদের সাহায্য করা
> বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায় ঘ তহবিল সংগ্রহ করা
১৫১. কাকে বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে বিশেষ দূত নিয়োগ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ড. আকবর আলি খান > বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
গ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘ ফজলে হাসান আবেদ
১৫২. গ্রামের পঞ্চায়েত জনাব ‘ত’-কে বিশ্বের বিশেষ দূত নিয়োগ করেন। ‘ত’ নিচের কোন চরিত্রটিকে সমর্থন করছে? (প্রয়োগ)
> বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ শেখ মুজিবুর রহমান ঘ মওলানা ভাসানী
১৫৩. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়ে বিশেষ দূত নিয়োগ করে কোন সরকার? (জ্ঞান)
ক সুইডিশ খ ভারত > মুজিবনগর ঘ চীন
১৫৪. মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কত তারিখ অনুমোদন করে? (জ্ঞান)
ক ৫ই এপ্রিল > ১০ই এপ্রিল গ ৩রা জুন ঘ ১৬ই ডিসেম্বর
১৫৫. মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোন নামে বেশি পরিচিত ছিল? (জ্ঞান)
ক অস্থায়ী খ প্রবাসী বাংলাদেশ
> মুজিবনগর ঘ আওয়ামী লীগ
১৫৬. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ১০ এপ্রিল > ১১ এপ্রিল গ ১২ এপ্রিল ঘ ১৭ এপ্রিল
১৫৭. সরকার যুদ্ধক্ষেত্রকে কতটি সেক্টরে ভাগ করেন? (জ্ঞান)
ক ৮ খ ৯ গ ১০ > ১১
১৫৮. মুক্তিযুদ্ধে কয়টি ব্রিগেড ফোর্স ছিল? (জ্ঞান)
> ৩ খ ৪ গ ৫ ঘ ১১
১৫৯. অস্থায়ী সরকার বাংলাদেশের রণক্ষেত্র ১১টি সেক্টরে ভাগ করে কেন? (অনুধাবন)
ক সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন লাভের জন্য
> যুদ্ধকে গতিশীল ও সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালনার জন্য
গ শিশু, মহিলাদের রক্ষার্থে আশ্রয়স্থল তৈরির জন্য
ঘ গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধের জন্য
১৬০. কোন সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়? (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খ আওয়ামী লীগ
> মুজিবনগর ঘ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি
১৬১. পাকি স্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় আউয়াল সাহেব মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি কোন বাহিনীর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছিলেন? (প্রয়োগ)
> মুক্তিফৌজ খ কাদেরিয়া গ গেরিলা ঘ কমরেড
১৬২. কাদেরিয়া বাহিনী গড়ে উঠেছিল কোথায়? (জ্ঞান)
> টাঙ্গাইলে খ ঢাকায় গ আগরতলায় ঘ যশোরে
১৬৩. ইপিআর এর পূর্ণরূপ কী? (অনুধাবন)
ক ইস্ট পার্টি রাইফেলস্ > ইস্ট পাকি স্তান রাইফেলস্
গ ইস্টার্ন পাকি স্তান রাইফেলস্ ঘ ইস্টার্ন পার্টি রাইফেলস্
১৬৪. কাদেরিয়া বাহিনী গঠন করেছিলেন কে? (জ্ঞান)
ক আ. কাদের খ ফজলুল কাদের
> কাদের সিদ্দিকী ঘ কর্নেল ওসমানী
১৬৫. মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য কী ছিল? (জ্ঞান)
ক আত্মরক্ষা > স্বাধীনতা অর্জন
গ প্রতিবাদ ঘ স্বায়ত্তশাসন
১৬৬. মুক্তিযুদ্ধকে গণযুদ্ধ বলা হয়। কথাটির তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এ যুদ্ধ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল
> যুদ্ধের মূল নিয়ামক ছিল বাংলার সকল শ্রেণির জনগণ
গ যুদ্ধটি গণআন্দোলনের মাধ্যমে শুরু
ঘ যুদ্ধে বিভিন্ন দেশের নাগরিক অংশগ্রহণ করেছিল
১৬৭. কোনটিকে গণযুদ্ধ বলা হয়? (জ্ঞান)
> বাংলাদেশের মক্তিযুদ্ধ খ পাক-ভারত যুদ্ধ
গ পলাশীর যুদ্ধ ঘ আমেরিকার স্বাধীনতাযুদ্ধ
১৬৮. মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল কারা? (জ্ঞান)
ক ইপিআর > জনগণ গ প্রচার মাধ্যম ঘ বুদ্ধিজীবী
১৬৯. মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল কোনটি? (জ্ঞান)
ক বিএনপি খ জাতীয় পার্টি
গ জামায়াতে ইসলামী > আওয়ামী লীগ
১৭০. ১৯৭০ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন? (অনুধাবন)
> মুক্তিযুদ্ধের উদ্দীপনায় খ ক্ষমতা গ্রহণে
গ পাকি স্তানের প্রতিহিংসায় ঘ প্রাদেশিক পরিষদ গঠনে
১৭১. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘ক’ নামের রাজনৈতিক দল পাকবাহিনীর সমর্থন করে। ‘ক’ দল কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ন্যাপ খ কমিউনিস্ট পার্টি
> পিডিপি ঘ জাতীয় কংগ্রেস
১৭২. মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার কারণ কী ছিল? (অনুধাবন)
ক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য খ সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য
> দেশকে মেধাশূন্য করার জন্য ঘ যুদ্ধ জয়ের জন্য
১৭৩. মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্রদের নিয়ে। এটি কী প্রমাণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
> স্বাধীনতা অর্জনে ছাত্রদের ভূমিকা মুখ্য
খ ছাত্ররাই একমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিল
গ এ বাহিনীতে ছাত্রদের আধিক্য ছিল বেশি
ঘ শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের যুদ্ধে আসার জন্য উৎসাহ দেন
১৭৪. যুদ্ধের সময় ছাত্ররা কোথায় প্রশিক্ষণ নেয়? (জ্ঞান)
> ভারতে খ ভুটানে গ পাকি স্তানে ঘ রাশিয়ায়
১৭৫. মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি ছিল কারা? (জ্ঞান)
> ছাত্ররা খ কৃষকরা
গ নারীরা ঘ গণসাইন কর্মীরা
১৭৬. মুজিববাহিনী গঠিত হয় কাদের সহায়তায়? (জ্ঞান)
> ছাত্র-ছাত্রী খ পুলিশ
গ বুদ্ধিজীবী ঘ কৃষক-শ্রমিক
১৭৭. চাকরিজীবীরা মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখে কীভাবে? (অনুধাবন)
> চাকরি থেকে বিরত থেকে পাকি স্তান সরকারকে অসহযোগিতার মাধ্যমে
খ পাকি স্তানিদের বিনা কারণে হত্যা করে
গ পাকি স্তানি হানাদারদের অস্ত্র লুট করে
ঘ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে
১৭৮. ১৯৭১ সালে গঠিত সংগ্রাম পরিষদে নারীদের মধ্যে কাদের অংশ গ্রহণ স্বতঃস্ফূর্ত ছিল? (অনুধাবন)
ক কিশোরীদের > ছাত্রীদের গ বিধবাদের ঘ গৃহিণীদের
১৭৯. মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বঙ্গবন্ধু কী নামে সম্বোধন করেছেন? (অনুধাবন)
> বীরাঙ্গনা খ বীরপ্রতীক গ বীরবিক্রম ঘ বীরশ্রেষ্ঠ
১৮০. চট্টগ্রাম বেতারশিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র চালু করেন কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ২৫ মার্চ > ২৬ মার্চ গ ২৭ মার্চ ঘ ২৯ মার্চ
১৮১. মুক্তিযুদ্ধের জন্য কারা অর্থ সংগ্রহ করেছেন? (জ্ঞান)
> প্রবাসী বাঙালিরা খ বুদ্ধিজীবীরা
গ শিল্পীরা ঘ সাহিত্যিকরা
১৮২. চরমপত্র কখন প্রচার করা হয়? (অনুধাবন)
ক ভাষা আন্দোলনের সময় খ ৬ দফার সময়
গ দেশ ভাগের সময় > স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়
১৮৩. বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্ব দেন কে? (জ্ঞান)
> শেখ মুজিবুর রহমান খ জিয়াউর রহমান
গ এম এ জি ওসমানী ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৮৪. ২৬ মার্চ জনাব ‘ক’ বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ‘ক’ এর সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কোন চরিত্রটির? (প্রয়োগ)
ক এম এ হান্নান খ তাজউদ্দিন আহমদ
> শেখ মুজিবুর রহমান ঘ সৈয়দ নজরুল
১৮৫. মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
> তাজউদ্দিন আহমদ খ শেখ মুজিবুর রহমান
গ মনসুর আলী ঘ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
১৮৬. বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে কে মুক্তিযুদ্ধের সফল নেতৃত্ব প্রদান করেন? (জ্ঞান)
ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম খ এম মনসুর আলী
> তাজউদ্দিন আহমদ ঘ মওলানা ভাসানী
১৮৭. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক শেখ মুজিবুর রহমান > তাজউদ্দিন আহমদ
গ নজরুল ইসলাম ঘ মওলানা ভাসানী
১৮৮. স্বাধীনতা অর্জনে এম মনসুর আলীর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এর যথার্থতা নিরূপণে কী বলা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তিনি লাখ লাখ শরণার্থীর জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন
> যুদ্ধকালীন সময়ে অন্ন, বস্ত্র, অস্ত্রের প্রশিক্ষণের অর্থ সংগ্রহ করেছেন এবং এর ব্যবহার
শিখিয়েছেন
গ বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যুদ্ধের সঠিক নির্দেশনা দিয়েছেন
ঘ যুদ্ধে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন
১৮৯. ১৯৭১ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবর্গ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন কেন? (অনুধাবন)
ক নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য > বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য
গ উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের জন্য ঘ শান্তি কমিটি গঠনের জন্য
১৯০. স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মতিন সাহেব পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থান নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে প্রচার চালাতেন। তার সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কার? (প্রয়োগ)
ক শহিদ সোহরাওয়ার্দী > মওলানা ভাসানী
গ মনোরঞ্জন ধর ঘ শেখ মুজিবুর রহমান
১৯১. মুক্তিযুদ্ধে মওলানা ভাসানীর ভূমিকা কী ধরনের ছিল? (অনুধাবন)
ক যুদ্ধ চলাকালীন খাদ্য, বস্ত্র ও অস্ত্রের ব্যবস্থা করেছেন
> ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন দেশকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন
গ যুদ্ধের বিপক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন
ঘ অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহের ব্যবস্থা করতেন
১৯২. মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ তাজউদ্দিন আহমদ
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ জিয়াউর রহমান
১৯৩. ১৯৭১ সালে গণহত্যা শুরু হলে এ দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী কোন দেশে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়? (জ্ঞান)
> ভারত খ ভুটান গ নেপাল ঘ মিয়ানমার
১৯৪. মুজিবনগর সরকার গঠনের পর বাংলার স্বাধীনতাকামী জনগণ ভারতে যায় কেন? (অনুধাবন)
ক নিরাপত্তার জন্য খ স্থায়ীভাবে বাস করতে
গ ভারতে নাগরিক সুবিধা বেশি ছিল > প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রের জন্য
১৯৫. মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে কোন দেশ? (জ্ঞান)
ক আমেরিকা খ নেপাল গ চীন > ভারত
১৯৬. মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা কেন গুরুত্বপূর্ণ? (অনুধাবন)
> মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য
খ ভেটো প্রদানের জন্য
গ ভাষা আন্দোলনে সহযোগিতার জন্য
ঘ পাকবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য
১৯৭. ১৯৭১ সালের কোন তারিখে ভারত সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়? (জ্ঞান)
ক ২২ অক্টোবর খ ৩ ডিসেম্বর > ৬ ডিসেম্বর ঘ ১৬ ডিসেম্বর
১৯৮. কোন দেশের সরকার ‘যৌথ কমান্ড’ গঠন করে? (জ্ঞান)
ক বাংলাদেশ > ভারত গ ভুটান ঘ ঘানা
১৯৯. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের পর কোন দেশ বেশি অবদান রাখে? (জ্ঞান)
> রাশিয়া খ ভুটান গ আমেরিকা ঘ চীন
২০০. সোভিয়েত ইউনিয়ন কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখে? (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশকে অস্ত্র দিয়ে
> যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইয়াহিয়াকে আহ্বান করে
গ পাকি স্তানে হামলা চালিয়ে
ঘ অর্থের জোগান দিয়ে
২০১. নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রদান করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে কোন দেশ? (জ্ঞান)
ক ভারত > সোভিয়েত ইউনিয়ন
গ চীন ঘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২০২. কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর তার গানের শুরুতে জর্জ হ্যারিসনের নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বাংলাদেশের কোন ঘটনার সাথে ইংল্যান্ডের এ কণ্ঠশিল্পী জড়িত রয়েছেন? (প্রয়োগ)
ক ভাষা আন্দোলন খ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
গ ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান >৭১’র মুক্তিযুদ্ধ
২০৩. গ্রেট ব্রিটেন কীভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখে? (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে
> পাকবাহিনীর অত্যাচার বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে
গ যুদ্ধের জন্য অস্ত্র দিয়ে
ঘ অর্থের জোগান দিয়ে
২০৪. জর্জ হ্যারিসন কোন দেশের নাগরিক ছিলেন? (জ্ঞান)
> ব্রিটেন খ রাশিয়া গ ফ্রান্স ঘ আমেরিকা
২০৫. জর্জ হ্যারিসনের কনসার্টে কত হাজার লোকের সমাগম হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক ২০,০০০ খ ৩০,০০০ > ৪০,০০০ ঘ ৫০,০০০
২০৬. জর্জ হ্যারিসন কীভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করে? (অনুধাবন)
> মুক্তিবাহিনীর পক্ষে গান গেয়ে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করে
খ সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়ে
গ বাংলাদেশে অস্ত্র পাচার করে
ঘ বাঙালিদের যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করে
২০৭. ৩য় বিশ্বের মধ্যে ‘ক’ হলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত প্রথম দেশ। এটি কোনটিকে নির্দেশ করছে? (প্রয়োগ)
ক ভারত > বাংলাদেশ গ রাশিয়া ঘ পাকি স্তান
২০৮. স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে
খ ৬ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে
> সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে
ঘ ভারতের সহায়তা লাভের মাধ্যমে
২০৯. বাঙালি জাতির জীবনে ১৬ ডিসেম্বরের তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
>শাসন-শোষণের হাত থেকে মুক্তি লাভ
খ বাঙালির অর্থভাণ্ডারের সমৃদ্ধি
গ স্বাধীন সরকার গঠন
ঘ বাংলা ভাষার মর্যাদা লাভ
২১০. পাকি স্তান সামরিক জান্তার সহযোগী এদেশীয় ব্যক্তিবর্গকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
> স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি খ হিন্দুবিরোধী শক্তি
গ অবাঙালি ঘ সমর্থক
২১১. মুক্তিযুদ্ধে কোন বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা অবিস্মরণীয়? (জ্ঞান)
> স্বাধীন বাংলা বেতার খ রেডিও ফুর্তি
গ রেডিও আমার ঘ আকাশবাণী
২১২. বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্মানজনক অবস্থান অর্জন করে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক ভারতের স্বীকৃতির মাধ্যমে খ শত্রুমুক্তির মাধ্যমে
> মুুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ঘ ভেটো প্রদানের মাধ্যমে
২১৩. ১৯৭১ সালের ‘উ’ তারিখে জনাব ‘অ’ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ‘উ’ নিচের কোন দিনটিকে নির্দেশ করেছে? (প্রয়োগ)
ক ৫ মার্চ > ৭ মার্চ গ ১০ মার্চ ঘ ১২ মার্চ
২১৪. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ‘ক’ নামক দেশের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। এটি কোনটিকে সমর্থন করছে? (প্রয়োগ)
> ভারত খ রাশিয়া গ যুক্তরাষ্ট্র ঘ ব্রিটেন
২১৫. সীমান্ত বলল, ‘ক’ নামক দেশ ছিল বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারের প্রাণকেন্দ্র। উদ্দীপকের দেশটির সাথে নিচের কোন দেশটির মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক সোভিয়েত ইউনিয়ন খ ফ্রান্স
> ব্রিটেন ঘ ইতালি
২১৬. জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ব্যাপারে চীন ভেটো প্রদান করে। এটি কী প্রমাণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক চীন পাকি স্তানিদের বিপক্ষে ছিল
খ চীনের সাথে বাংলাদেশের বৈরী সম্পর্ক ছিল
> বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি চীনের নেতিবাচক ভূমিকা ছিল
ঘ চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন লাভের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১৭. ১৯৭১ সালে গণহত্যার দায়িত্বে ছিল যারা- (অনুধাবন)
র. টিক্কা খান
রর. রাও ফরমান আলী
ররর. ফজলুল হক
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৮. পূর্ব পাকি স্তানের মানুষ মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে কারণে- (অনুধাবন)
র. বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে
রর. বাংলাদেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য
ররর. স্বাধীনতা অর্জনের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২১৯. অপারেশন সার্চলাইট ছিল- (অনুধাবন)
র. বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড
রর. আলোচনার নামে কালক্ষেপণ
ররর. ইতিহাসে বর্বরতম গণহত্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২২০. পাকি স্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমণ চালায়- (অনুধাবন)
র. রাজারবাগ পুলিশ লাইনে
রর. কলকাতার বিভিন্ন স্থানে
ররর. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২১. পাকবাহিনী বাংলাকে মেধাশূন্য করার জন্য যাদেরকে হত্যা করেছিল-
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. কবি-সাহিত্যিক
রর. শিক্ষক
ররর. শিল্পী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২২২. অস্থায়ী সরকারের বিভিন্ন পদে বহাল ছিলেন- (অনুধাবন)
র. এম. এ. জি. ওসমানী
রর. আ. স. ম. আব্দুর রব
ররর. এ. কে. খন্দকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২২৩. মুজিবনগর সরকার- (অনুধাবন)
র. ১০ এপ্রিল গঠিত হয়
রর. অস্থায়ী সরকার
ররর. ১৭ এপ্রিল শপথ নেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২২৪. মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন- (অনুধাবন)
র. তাজউদ্দিন আহমদ
রর. এম. মনসুর আলী
ররর. এম. এ. জি. ওসমানী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২২৫. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করে- (অনুধাবন)
র. চট্টগ্রাম বেতার শিল্পীরা
রর. বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা
ররর. চট্টগ্রাম সংস্কৃতি কর্মীরা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৬. ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করে- (অনুধাবন)
র. যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়ে
রর. শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে
ররর. খাদ্য সরবরাহ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২২৭. সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান পাকি স্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে আহ্বান জানান যে কারণে- (অনুধাবন)
র. বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধ করার জন্য
রর. অগ্নিসংযোগ বন্ধ করার জন্য
ররর. নারী নির্যাতন বন্ধ করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২২৮. ১৯৭০-এর নির্বাচন বাঙালির জাতীয় জীবনে প্রভাব বি স্তার- (প্রয়োগ)
র. এটি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ
রর. এটি বাঙালির মুক্তিলাভের বহিঃপ্রকাশ
ররর. বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২২৯. ১৯৭১ সালের ঋ নামক স্থানে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। ঋ এর অবস্থান- (প্রয়োগ)
র. কুষ্টিয়ায়
রর. মেহেরপুরে
ররর. বরিশালে
নিচের কোনটি সঠিক?
> রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩০. বঙ্গবন্ধু তার ভাষণের মাধ্যমে বাঙালিকে প্রস্তুত করেন- (অনুধাবন)
র. যুদ্ধ ও মুক্তির জন্য
রর. ক্ষমতায় নেয়ার জন্য
ররর. স্বাধীনতার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩১. বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে সংগ্রামকে বলেছেন- (অনুধাবন)
র. মুক্তির সংগ্রাম
রর. ক্ষমতা আদায়ের সংগ্রাম
ররর. স্বাধীনতার সংগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩২. এলাকার সন্ত্রাস দমনের জন্য সজীব সাহেব এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানান। এ ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে – (প্রয়োগ)
র. স্বাধীনতার ডাক
রর. ৭ মার্চের ভাষণ
ররর. অসহযোগ আন্দোলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৩. “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।”-এ উক্তিটির সঙ্গে জড়িত- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ৭ মার্চের ভাষণ
রর. গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশ
ররর. জাতীয়তাবাদী চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৪. ক্ষমতা হ স্তান্তরের দাবিতে আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়- (অনুধাবন)
র. ছাত্ররা
রর. পেশাজীবী সংগঠন
ররর. শিক্ষক সমিতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২৩৫. “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম” বঙ্গবন্ধুর এ উক্তিটির তাৎপর্য হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাঙালির মুক্তি
রর. বাংলার স্বাধীনতার ডাক
ররর. পাকি স্তানি শাসনের অবসান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৩৬. প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আলোচনার ভান করে পর্যবেক্ষণ করেন- (প্রয়োগ)
র. বঙ্গবন্ধুর গতিবিধি
রর. গণহত্যা অভিযানের প্রস্তুতি
ররর. অপারেশন সার্চলাইটের কর্মসূচি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর >রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৭. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল- (অনুধাবন)
র. সর্বস্তরের মানুষ
রর. সেনাবাহিনী
ররর. পুলিশ ও আনসার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৩৮. বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেছিলেন- (অনুধাবন)
র. মেজর জিয়াউর রহমান
রর. এম. এ হান্নান
ররর. তাজউদ্দিন আহমদ
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৯. মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন- (অনুধাবন)
র. মওলানা ভাসানী ও মণিসিংহ
রর. শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দিন আহমদ
ররর. মোজাফফর আহমদ ও মনোরঞ্জন ধর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪০. মুজিবনগর সরকারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন- (অনুধাবন)
র. সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক
রর. স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
ররর. অবিসংবাদিত নেতা
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪১. বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি – (অনুধাবন)
র. রাজাকার বাহিনী
রর. আল শামস বাহিনী
ররর. শান্তি কমিটি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৪২. মুক্তিযুদ্ধকালীন শান্তি কমিটির কাজ ছিল- (অনুধাবন)
র. যুদ্ধ করা
রর. লুটপাট
ররর. নারী নির্যাতন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর >রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪৩. মুজিবনগর সরকারের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আবু সাঈদ চৌধুরী প্রচেষ্টা চালান – (প্রয়োগ)
র. বিদেশে জনমত গঠনে
রর. বিদেশে বাংলাদেশ মিশন স্থাপন করতে
ররর. বিদেশের সমর্থন আদায়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের ছকটি পড়ে ২৪৪ ও ২৪৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান
অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
২৪৪. অনুচ্ছেদে কোন সরকারের গঠন তুলে ধরা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক যুক্তফ্রন্ট সরকারের
> মুজিবনগর সরকারের
গ আইয়ুব সরকারের
ঘ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের
২৪৫. উক্ত সরকার ভূমিকা রেখেছিল- (অনুধাবন)
র. মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায়
রর. বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে
ররর. মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন- ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
পরিবারের সকল সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন- ১৯৭৫
সালের ১৫ আগস্ট।
বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন চারিদিকে ছিল- স্বজন হারানোর বেদনা, কান্না, হাহাকার আর
ধ্বংসযজ্ঞ।
বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়- ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ।
গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়- ১৯৭২ সালের ১০
এপ্রিল।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিল- ৩৪ জন।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়ে কার্যকর হয়- ১৬ ডিসেম্বর।
খন্দকার মোশতাক ‘ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স’ জারি করে- ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়- ঢাকার কেন্দ্রীয়
কারাগারে।
১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে- একই গোষ্ঠী।
২৪৬. বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক ভারতের স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে
> পাকি স্তানিদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে
গ পাকি স্তানের স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে
ঘ জাতিসংঘের স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে
২৪৭. স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার কখন শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে? (জ্ঞান)
ক ২২ জানুয়ারি > ২২ ডিসেম্বর গ ১০ এপ্রিল ঘ ১০ মার্চ
২৪৮. বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কবে? (জ্ঞান)
> ১০ জানুয়ারি খ ১১ জানুয়ারি গ ২০ জানুয়ারি ঘ ২১ জানুয়ারি
২৪৯. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পরিবারের প্রায় সকল সদস্যসহ কত সালে নিহত হন? (জ্ঞান)
> ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খ ১৯৭৪ সালের ১৫ আগস্ট
গ ১৯৭৩ সালের ২০ মার্চ ঘ ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল
২৫০. শেখ মুজিবুর রহমান কীভাবে নিহত হন? (অনুধাবন)
> সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে
খ প্লেন দুর্ঘটনায়
গ পারিবারিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে
ঘ রাজাকারদের নিযুক্ত আততায়ীর হাতে
২৫১. কত সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭০ খ ১৯৭৪ > ১৯৭৫ ঘ ১৯৭৬
২৫২. মুক্তিযুদ্ধের পর এদেশকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেন কে? (জ্ঞান)
> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ জিয়াউর রহমান
গ সাইদুর রহমান ঘ এইচ এম এরশাদ
২৫৩. কে অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন? (জ্ঞান)
> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ তাজউদ্দিন আহমদ
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ মওলানা ভাসানী
২৫৪. বাংলাদেশ সংবিধান গণপরিষদে পাস হয় কত তারিখে? (অনুধাবন)
ক ১ মে খ ৩ নভেম্বর গ ১ আগস্ট > ৪ নভেম্বর
২৫৫. সংবিধান কার্যকর হয় কোন দিবসে? (অনুধাবন)
> বিজয় খ ভাষা গ স্বাধীনতা ঘ নারী
২৫৬. সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৩ > ৪ গ ৫ ঘ ৬
২৫৭. গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭০ > ১৯৭২ গ ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৫
২৫৮. কত তারিখে গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয়? (জ্ঞান)
> ২৩ মার্চ খ ১ মে গ ১ জুলাই ঘ ১ জানুয়ারি
২৫৯. গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে কত সালে? (জ্ঞান)
> ১৯৭২ খ ১৯৭৩ গ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫
২৬০. কত তারিখে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে? (জ্ঞান)
ক ১ জানুয়ারি > ১০ এপ্রিল গ ১ মে ঘ ২০ আগস্ট
২৬১. প্রথমবারের মতো সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন কে? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান খ হাবিবুর রহমান
গ আবু সাঈদ চৌধুরী > শেখ মুজিবুর রহমান
২৬২. বাংলাদেশে প্রথম শিক্ষা কমিশন কত খ্রিষ্টাব্দে গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১ > ১৯৭২ গ ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৪
২৬৩. ড. মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন কার নির্দেশে গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমানের খ ফজলুল হকের
গ সোহরাওয়ার্দীর > শেখ মুজিবুর রহমানের
২৬৪. স্বাধীন বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১ খ ১৯৭২ > ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৪
২৬৫. ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ নির্বাচনে কোন দল জয়লাভ করে? (জ্ঞান)
ক বাংলাদেশ জাতীয় লীগ খ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল
> আওয়ামী লীগ ঘ ন্যাপ
২৬৬. বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেন কেন? (অনুধাবন)
ক এককেন্দ্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য
খ রাষ্ট্রপতির মর্যাদা সর্বোচ্চ করার জন্য
> জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণহীন সমাজ গঠনের লক্ষে
ঘ প্রশাসনিক কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য
২৬৭. স্বাধীনতার স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে কতটি দেশ স্বীকৃতি দেয়? (জ্ঞান)
> ১৪০ খ ১৬০ গ ১৭০ ঘ ১৮০
২৬৮. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্থায়ী সংবিধান জারি করেন কখন?
(অনুধাবন)
> ১১ জানুয়ারি, ১৯৭২ খ ২১ জানুয়ারি, ১৯৭২
গ ১৭ ফেব্রম্নয়ারি, ১৯৭২ ঘ ২১ ফেব্রম্নয়ারি, ১৯৭২
২৬৯. কার নেতৃত্বে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়? (জ্ঞান)
> ড. কামাল হোসেন খ মোহাম্মদ উল্লাহ
গ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঘ শেখ মুজিবুর রহমান
২৭০. বাংলাদেশের সংবিধান কখন থেকে বলবৎ হয়? (জ্ঞান)
> ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ খ ১০ মে ১৯৭৩
গ ৫ মে ১৯৭৪ ঘ ৪ এপ্রিল ১৯৭৫
২৭১. বঙ্গবন্ধু সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন কেন? (অনুধাবন)
> মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার প্রবর্তনের জন্য
খ রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার প্রবর্তনের জন্য
গ এককেন্দ্রিক সরকার প্রবর্তনের জন্য
ঘ রাষ্ট্রপতির মর্যাদা সর্বোচ্চ করার জন্য
২৭২. বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর কে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান খ মনসুর আলী
> খন্দকার মোশতাক আহমদ ঘ এইচ এম এরশাদ
২৭৩. খন্দকার মোশতাক ‘ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স’ জারি করেন কেন? (অনুধাবন)
ক সংবিধান সংশোধনের জন্য
খ নিজ ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করার জন্য
গ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য
> ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের রেহাই দেওয়ার জন্য
২৭৪. জনাব মতিনের ধারণা ছিল ‘ঢ’-এর অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে নতুন করে ‘ণ’ এর রাজনৈতিক উত্থান ঘটবে। ‘ঢ’ নিচের কোনটিকে নির্দেশ করছে? (প্রয়োগ)
ক তাজউদ্দিন আহমদ > খালেদ মোশাররফ
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এম. মনসুর আলী
২৭৫. কার নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে? (জ্ঞান)
> ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ খ সৈয়দ নজরুল
গ শেখ মুজিবুর রহমান ঘ জিয়াউর রহমান
২৭৬. খন্দকার মোশতাকের সময় সেনা অভ্যুত্থানের যথার্থ কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তার অদূরদর্শিতা
খ জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল
> বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের সহায়তাদান
ঘ স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা
২৭৭. কত তারিখে খন্দকার মোশতাক পদত্যাগের ঘোষণা দেন? (জ্ঞান)
> ৫ নভেম্বর খ ৩ নভেম্বর গ ৪ নভেম্বর ঘ ২ নভেম্বর
২৭৮. বিচারপতি এএসএম সায়েম কবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
> ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ খ ৬ মে ১৯৭৪
গ ৫ জুন ১৯৭৩ ঘ ৪ মার্চ ১৯৭৩
২৭৯. চার নেতাকে জেলে বন্দী অবস্থায় কখন হত্যা করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৩ সালের ২ মার্চ খ ১৯৭১ সালের ২ মে
> ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঘ ১৯৭৬ সালের ২ মার্চ
২৮০. খন্দকার মোশতাকের পতন ত্বরান্বিত হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
> তার নির্দেশে জেলে বন্দী চার নেতাকে হত্যা করা হয়
খ বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের সমর্থক ছিলেন
গ তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা করেছিলেন
ঘ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন
২৮১. কোন দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন? (জ্ঞান)
ক ১২ আগস্ট ১৯৭৫ খ ১৩ আগস্ট ১৯৭৫
গ ১৪ আগস্ট ১৯৭৫ > ১৫ আগস্ট ১৯৭৫
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৮২. ৩ নভেম্বর চার নেতাকে হত্যা করা হয়- (অনুধাবন)
র. বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য
রর. স্বাধীনতা এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অর্জনসমূহ ধ্বংস
ররর. দেশকে নেতৃত্বশূন্য এবং পাকি স্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮৩. বাংলাদেশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য হলো- (অনুধাবন)
র. জাতীয়তাবাদ রর. গণতন্ত্র
ররর. মৌলিক অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২৮৪. ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা- (অনুধাবন)
র. জাতির পিতাকে হত্যা করে
রর. জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে
ররর. শিশু রাসেলকে হত্যা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮৫. বঙ্গবন্ধু বিপর্যস্তদেশের জনগণের প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণে ব্যর্থ হন। এর প্রকৃত কারণ- (প্রয়োগ)
র. তার দূরদর্শিতা রর. রাজনৈতিক অস্থিরতা
ররর. সুবিধাবাদীদের জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৮৬ ও ২৮৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রবীণ নেতা আসন্ন নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা করেন যে, তার দল ক্ষমতায় গেলে ১০ একর পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করা হবে এবং পূর্বের সমস্তবকেয়া খাজনা মওকুফ করে দেওয়া হবে।
২৮৬. অনুচ্ছেদে বর্ণিত নেতা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন? (প্রয়োগ)
ক মহাত্মা গান্ধী খ মাস্টারদা সূর্যসেন
গ চিত্তরঞ্জন দাস > বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
২৮৭. উক্ত নেতার কর্মকাণ্ডের মধ্যে ছিল-
র. সত্যাগ্রহ বন্দীদের মুক্তিদানের দাবি
রর. শিক্ষার উন্নয়ন
ররর. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৮৮ ও ২৮৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জিনিয়ার বসবাসরত দেশে ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে সংবিধান প্রণীত হয়। সংবিধানটি উক্ত দেশের প্রথম বিজয় দিবসে কার্যকর হয়।
২৮৮. জিনিয়ার বসবাসরত দেশের সাথে কোন দেশের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ভারত খ নেপাল গ শ্রীলঙ্কা > বাংলাদেশ
২৮৯. উক্ত দেশের সংবিধানের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য হলো-
র. সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে উৎসাহিত করে
রর. বিচার বিভাগের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়
ররর. মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৯০ ও ২৯১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ক’ দেশের রাষ্ট্রপতি তাদের মাতৃভাষায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এতে তাদের দেশের সবাই খুব খুশি হয়।
২৯০. ‘ক’ দেশের নেতার সাথে বাংলাদেশের কোন নেতার মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
> শেখ মুজিবুর রহমান খ জিয়াউর রহমান
গ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঘ শাহ আবদুল হামিদ
২৯১. উক্ত নেতার মাতৃভাষায় ভাষণ প্রদানের ফলে-
র. তাদের দেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ হয়
রর. তাদের মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদা লাভ করে
ররর. তাদের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন- মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন- জেনারেল জিয়াউর রহমান।
জেনারেল জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেন- ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর।
জেনারেল জিয়াউর রহমান উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন- সার্ক গঠনের।
জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চালু করেন- উপজেলা পদ্ধতি।
জাতীয় পার্টি আত্মপ্রকাশ করে- ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি।
জেনারেল এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন- ১৯৯০ সালে।
চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়- ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ।
বাংলাদেশে সেনা শাসন বহাল ছিল- ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২৯২. স্বাধীন বাংলাদেশে সেনা শাসনের অবসানে কত সালে পুনরায় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়? (অনুধাবন)
ক ১৯৮৮ খ ১৯৯০ > ১৯৯১ ঘ ১৯৯২
২৯৩. মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান কত নম্বর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন? (জ্ঞান)
> ২ খ ৩ গ ৫ ঘ ৭
২৯৪. ৩ নভেম্বর জিয়াউর রহমান গৃহবন্দী হন কেন? (অনুধাবন)
> সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় খ নির্বাচন না দেয়ায়
গ সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টার কারণে ঘ সামরিক আইন জারি করায়
২৯৫. কত তারিখে জেনারেল জিয়া নিজেকে প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৭২ সালের ২ মে খ ১৯৭৫ সালের ১৬ মার্চ
> ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল ঘ ১৯৮৭ সালের ২১ এপ্রিল
২৯৬. কর্নেল তাহেরের বিচারে কী শাস্তি দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক যাবজ্জীবন খ মুক্তি
গ ৭ বছর কারাদণ্ড > মৃত্যুদণ্ড
২৯৭. প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কত তারিখে গণভোটের আয়োজনের ঘোষণা দেন? (জ্ঞান)
ক ২৭ মে, ১৯৭৬ খ ৩০ মে, ১৯৭৬
গ ২৫ মে, ১৯৭৭ > ৩০ মে, ১৯৭৭
২৯৮. মেজর জিয়াউর রহমান কীভাবে বৈধতা অর্জন করেন? (অনুধাবন)
ক জাসদকে নির্মূল করে > গণভোটের আয়োজন করে
গ বৈদেশিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে ঘ সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে
২৯৯. মিয়ানমারের জান্তা সরকার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে তার প্রতি জনগণের আস্থা আছে কী না তা যাচাই করার জন্য গণভোটের আয়োজন করে। জান্তা সরকারের সাথে বাংলাদেশের কোন শাসকের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক খন্দকার মোশতাক খ শেখ মুজিবুর রহমান
>জিয়াউর রহমান ঘ খালেদ মোশাররফ
৩০০. জিয়াউর রহমান গণভোটের ব্যবস্থা করেন। এর যথার্থ কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আর্থসামাজিক উন্নয়ন > ব্যক্তিগত বৈধতা অর্জন
গ রাজনৈতিক অবস্থার পটভূমি ঘ রাষ্ট্রকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য
৩০১. বাংলাদেশে কখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৫ খ ১৯৭৭ > ১৯৭৮ ঘ ১৯৮০
৩০২. সামরিক শাসনের অধীনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৭ > ১৯৭৮ গ ১৯৭৯ ঘ ১৯৮০
৩০৩. ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কত জন? (জ্ঞান)
ক ১ > ২ গ ৩ ঘ ৪
৩০৪. জিয়াউর রহমানের আমলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় কত সালে? (জ্ঞান)
> ১৯৭৯ খ ১৯৮১ গ ১৯৮৫ ঘ ১৯৮৭
৩০৫. ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি কতটি আসন লাভ করে? (জ্ঞান)
ক ২০০ খ ২০৫ > ২০৭ ঘ ২১০
৩০৬. জিয়াউর রহমানের সময় সংবিধানের কততম সংশোধনী অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক দ্বিতীয় > পঞ্চম গ দ্বাদশ ঘ চতুর্থ
৩০৭. কোন সংশোধনীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের হত্যা বৈধতা দেয়া হয়? (জ্ঞান)
ক অষ্টম > পঞ্চম গ চতুর্থ ঘ তৃতীয়
৩০৮. সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয় কত সালে? (জ্ঞান)
> ১৯৭৯ খ ১৯৮০ গ ১৯৮১ ঘ ১৯৮২
৩০৯. জিয়াউর রহমান কয় দফা কর্মসূচির ঘোষণা দেন? (জ্ঞান)
ক ৬ খ ৮ > ১৯ ঘ ২১
৩১০. ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি ‘ঐ’ এক সেনা বিদ্রোহে ‘ক’ অঞ্চলে নিহত হন। ‘ক’ কোনটিকে সমর্থন করেছে? (প্রয়োগ)
> চট্টগ্রাম খ কক্সবাজার গ বগুড়া ঘ ঢাকা
৩১১. রাষ্ট্রপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন কে? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান > এইচ এম এরশাদ
গ মোশতাক আহমদ ঘ খালেদ মোশাররফ
৩১২. জেনারেল এরশাদ কত সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসন করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৮৮ খ ১৯৮৯ > ১৯৯০ ঘ ১৯৯১
৩১৩. বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৯০ সাল উল্লেখযোগ্য কেন? (অনুধাবন)
> স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছিল খ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছিল
গ এরশাদ ক্ষমতায় এসেছিলেন ঘ রাজতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল
৩১৪. কত সালে এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৩ খ ১৯৭৭ গ ১৯৮৬ > ১৯৯০
৩১৫. এরশাদ ৯ বছর শাসনকালে পুরা সময়ই আন্দোলনের সম্মুখীন হলো- (অনুধাবন)
র. প্রহসনমূলক নির্বাচন করায়
রর. স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করায়
ররর. বিদেশ সফর করায়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১৬. দুজনের শাসনামলে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা হয়। এ দুজনের সাথে মিল রয়েছে- (প্রয়োগ)
র. মেজর জিয়াউর রহমান রর. শেখ মুজিবর রহমান
ররর. জেনারেল এরশাদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১৭. ‘ই’ এবং ‘উ’ দলটি মেজর জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গঠিত হয়। ‘ই’ এবং ‘উ’ নির্দেশ করছে- (প্রয়োগ)
র. জাগদল রর. জনদল
ররর. বিএনপি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১৮. ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন- (অনুধাবন)
র. জেনারেল জিয়াউর রহমান
রর. জেনারেল এরশাদ
ররর. জেনারেল ওসমানী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১৯. এরশাদ ক্ষমতা দখল করে- (অনুধাবন)
র. সংবিধান স্থগিত করেন
রর. সামরিক আইন জারি করেন
ররর. জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩২০ ও ৩২১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ঢ’ দেশে এক সামরিক অভ্যুত্থানে সে দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধানকে গৃহবন্দী করা হয়। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে পাল্টা আরেক অভ্যুত্থানে উক্ত সেনাবাহিনীর প্রধানকে মুক্ত করা হয়।
৩২০. অনুচ্ছেদের ঘটনা বাংলাদেশের কোন সেনাপ্রধানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়? (প্রয়োগ)
ক খন্দকার মোশতাক খ খালেদ মোশারফ
>জিয়াউর রহমান ঘ জেনারেল এরশাদ
৩২১. উক্ত সেনাপ্রধান পরবর্তীতে বাংলাদেশে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হন
রর. থানাকে উপজেলায় পরিণত করেন
ররর. খালখনন কর্মসূচি চালু করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩২২ ও ৩২৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সায়মুম সবসময় তার বন্ধু আবিরকে পড়া না বুঝলে বুঝিয়ে দেয়। ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচনে সায়মুম বিজয়ী হবে সবাই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু আবির স্যারের কাছে মিথ্যা টিফিন চুরির অভিযোগ এনে সায়মুমের শাস্তির ব্যবস্থা করে।
৩২২. সায়মুমের সাথে ’৭৫ পরবর্তী কোন সেনা অফিসারের মিল রয়েছে? (জ্ঞান)
> কর্নেল (অব) আবু তাহের খ মেজর জিয়াউর রহমান
গ জেনারেল এরশাদ ঘ ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ
৩২৩. উক্ত সেনা অফিসার ছিলেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বীর মুক্তিযোদ্ধা রর. পঙ্গু
ররর. মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পদত্যাগের মধ্যদিয়ে শুরু হয়- গণতন্ত্রের পুনঃযাত্রা।
নূর হোসেন পুলিশের গুলিতে নিহত হন- ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রম্নয়ারি অনুষ্ঠিত হয়- ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়- অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়- ২০০৮ সালে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়- ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ছিল- ৪০ শতাংশ।
সরকার জাতীয় শিশুনীতি প্রণয়ন করে- ২০১১ সালে।
পোশাক খাতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান- তৃতীয়।
বাংলাদেশে গত ৪০ বছরে দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছে- ৩০ শতাংশ।
৩২৪. হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কখন পদত্যাগ করেন? (জ্ঞান)
> ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর খ ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর
গ ১৯৯২ সালের ৫ নভেম্বর ঘ ১৯৮৮ সালের ৫ নভেম্বর
৩২৫. এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন কত সালে? (জ্ঞান)
> ১৯৮২ খ ১৯৮৪ গ১৯৮৬ ঘ ১৯৯০
৩২৬. এরশাদ কীভাবে ক্ষমতা দখল করেন? (অনুধাবন)
ক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে > সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে
গ মিডিয়া ক্যু’র মাধ্যমে ঘ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে
৩২৭. কীসের দ্বারা বাধ্য হয়ে এরশাদ প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরুর ঘোষণা দেয়? (অনুধাবন)
> বিভিন্ন জোটের আন্দোলনের চাপে
খ সামরিক কর্মকর্তাদের চাপে
গ বিদেশি শক্তির চাপে
ঘ সরকারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে
৩২৮. ৮৬ ও ৮৮-র নির্বাচনে কোনো জোট অংশ নেয়নি কেন? (অনুধাবন)
> এরশাদ আয়োজিত নির্বাচনে অনাস্থা
খ এরশাদ কর্তৃক হুমকি প্রদর্শন
গ জনসমর্থনে অভাবের আশঙ্কা
ঘ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতির অভাব
৩২৯. ১৯৮৭ সালে বিরোধীদল একযোগে পদত্যাগ করে কেন? (অনুধাবন)
> এরশাদের পদত্যাগের দাবিতে
খ সামরিক শাসন জারির জন্য
গ গণভোটে অনাস্থা প্রকাশের জন্য
ঘ প্রশাসনিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের জন্য
৩৩০. শাহেদ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৭ সালে নিহত হয়। শাহেদ কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
ক নূর মোহাম্মদকে > নূর হোসেনকে
গ রফিককে ঘ জব্বারকে
৩৩১. গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক। এটি কী প্রমাণ করে?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক এরশাদ সরকার বৈধ ছিল
> জনগণ গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনে সোচ্চার
গ স্বৈরাচারী শাসনের পক্ষে রয়েছে জনগণ
ঘ এরশাদ সরকার অবৈধ
৩৩২. এরশাদ কত সালে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করেন? (জ্ঞান)
> ১২ নভেম্বর ১৯৮৭ খ ২ মার্চ ১৯৮৭
গ ৪ এপ্রিল ১৯৮৫ ঘ ৩ মে ১৯৯০
৩৩৩. কত তারিখে এরশাদ জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন? (জ্ঞান)
ক ৩ নভেম্বর খ ৫ নভেম্বর গ ১০ নভেম্বর > ২৭ নভেম্বর
৩৩৪. সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠিত হয় নিচের কোন দিন? (জ্ঞান)
> ১০ অক্টোবর ১৯৯০ খ ১০ নভেম্বর ১৯৯০
গ ১২ মে ১৯৯০ ঘ ১০ জুন ১৯৯০
৩৩৫. ডা. মিলন গুলিবিদ্ধ হন কখন? (জ্ঞান)
ক ১০ এপ্রিল ১৯৯০ খ ১০ অক্টোবর ১৯৯০
গ ১০ নভেম্বর ১৯৯০ > ২৭ নভেম্বর ১৯৯০
৩৩৬. এরশাদ সরকারের প্রতিবাদে কবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ পদত্যাগ করেন? (জ্ঞান)
ক ২ নভেম্বর খ ৫ নভেম্বর গ ১০ নভেম্বর > ২৯ নভেম্বর
৩৩৭. ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এরশাদ কখন পদত্যাগের ঘোষণা দেন? (জ্ঞান)
> ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর খ ১৯৯০ সালের ৪ মে
গ ১৯৯০ সালের ৪ এপ্রিল ঘ ১৯৯০ সালের ৪ মার্চ
৩৩৮. এরশাদের পদত্যাগের পর কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন? (জ্ঞান)
> বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ খ মো. জিল্লুর রহমান
গ আব্দুর রহমান বিশ্বাস ঘ অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমদ
৩৩৯. স্বৈরাচারী এরশাদের পতন হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে খ মিডিয়া ক্যু’র মাধ্যমে
> গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ঘ বিদেশি শক্তির চাপের মাধ্যমে
৩৪০. ৯০ এর দশকে গণতন্ত্র পুনরায় যাত্রা শুরু করে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে খ এরশাদের ক্ষমতার মধ্যদিয়ে
গ সংসদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে > এরশাদের ক্ষমতাচ্যুতির মধ্যদিয়ে
৩৪১. নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হ স্তান্তরের উদ্দেশ্য কী?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক দেশকে অরাজনৈতিক রাখা খ নিরপেক্ষ রাখা
গ নির্বাচনকে নিরপেক্ষ রাখা > রাজনৈতিক দায়মুক্তি হওয়া
৩৪২. জেনারেল এরশাদ যে কারণে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ১৫ দলের চাপে
রর. ৭ দলের চাপে
ররর. স্কপ এর চাপে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৩৪৩. অর্থনীতিবিদ ড. অর্মত্য সেন বাংলাদেশের ভূমিকার জন্য প্রশংসা করেছেন- (প্রয়োগ)
র. অর্থনৈতিক উন্নয়নে
রর. শিক্ষার প্রসারে
ররর. নারীর ক্ষমতায়নে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪৪. সুমন সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনকে সফল করতে ৫ দফা দাবি ঘোষণা করেন। সুমন যদি ১৯৮৩ সালে উক্ত দাবি ঘোষণা করে তবে নিচের যেটি গ্রহণযোগ্য- (প্রয়োগ)
র. আগে নির্বাচন কমিশন গঠন
রর. সামরিক শাসন প্রত্যাহার
ররর. সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪৫. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে- (অনুধাবন)
র. অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি হয়
রর. মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকে
ররর. গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ র ও রর > র, রর ও ররর
৩৪৬. মাসুম একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং সে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুথানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তার সাথে অন্য যে পেশাজীবীরা যোগদান করে- (প্রয়োগ)
র. ডাক্তার
রর. সাংবাদিক
ররর. কৃষক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৩৪৭. এরশাদবিরোধী আন্দোলনে এদেশের জনগণের মধ্যে যে ধরনের মানসিকতার প্রকাশ ঘটে তা হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন
রর. গণতান্ত্রিক ধারা
ররর. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৪৮ ও ৩৪৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সেলিম স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন। তিনি ৭ দলীয় জোটের একজন কর্মী ছিলেন। আন্দোলনে তিনি নিহত হন। এতে আন্দোলন তীব্ররূপ লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে।
৩৪৮. অনুচ্ছেদে বিষয়টি দ্বারা কোন ব্যক্তির পদত্যাগকে বোঝানো হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক নজরুল ইসলাম খ তাজউদ্দিনের
> জেনারেল এরশাদ ঘ জিয়াউর রহমান
৩৪৯. দেশের এই ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনীর কর্তব্য-
র. জনগণের সাথে একাত্ম থাকা
রর. নিজেরাই ক্ষমতা গ্রহণ করা
ররর. বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ না দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
দারিদ্র্যপীড়িত দেশ হিসেবে পরিচিতি- বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ৭০ শতাংশ ছিল- ১৯৭২ সালে।
বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নয়ন ঘটেছে- দারিদ্র্য হ্রাসের মাধ্যমে।
বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করা হবে- ২০২১ সাল নাগাদ।
গত তিন দশকে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে- তিনগুণ।
বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা হয়- ২০১০ সালে।
শহর অঞ্চলের মায়েরা অর্থ সহযোগিতা পাচ্ছে- ‘ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ হতে।
শিশুদের সুরক্ষা ও জীবন বিকাশে সরকার ২০১১ সালে প্রণয়ন করেছে- জাতীয় শিশু নীতি-
২০১১।
বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই- সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায়।
অদূর ভবিষ্যতে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষায় পরিণত হবে- বাংলা ভাষা।
৩৫০. ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কত ছিল? (জ্ঞান)
>৭০ শতাংশ খ ৮৬ শতাংশ
গ ৮০ শতাংশ ঘ ৯০ শতাংশ
৩৫১. বাংলাদেশে গত ৪০ বছরে দারিদ্র্যের হার কত শতাংশে নেমে এসেছে? (জ্ঞান)
>৩০ খ ৪০ গ ৫০ ঘ ৬০
৩৫২. গত তিন দশকে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন কতগুণ বেড়েছে? (জ্ঞান)
ক দুই >তিন গ চার ঘ পাঁচ
৩৫৩. পোশাক খাতে কোন দেশের অবস্থান বর্তমানে তৃতীয়? (জ্ঞান)
>বাংলাদেশ খ ভারত
গ নেপাল ঘ পাকি স্তান
৩৫৪. গত চার দশকে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে কমে কত দাঁড়িয়েছে? (জ্ঞান)
ক ১৭ জনে খ ৩৭ জনে
>৪৮ জনে ঘ ৬৫ জনে
৩৫৫. বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষার হার কত? (অনুধাবন)
ক ৬৪ ভাগ >৬৫ ভাগ
গ ৬৬ ভাগ ঘ ৬৭ ভাগ
৩৫৬. কোন নীতি প্রণয়নের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে? (জ্ঞান)
ক জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৬ >জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০
গ জাতীয় খাদ্যনীতি ২০০৬ ঘ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১১
৩৫৭. ‘ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ হতে কারা অর্থ সাহায্য পাচ্ছে? (জ্ঞান)
>শহর অঞ্চলের কর্মজীবী মায়েরা খ গ্রাম অঞ্চলের কর্মজীবী মায়েরা
গ শহর অঞ্চলের বেকার পুরুষেরা ঘ গ্রাম অঞ্চলের বেকার পুরুষেরা
৩৫৮. ‘পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন’ কত সালে প্রণীত হয়? (জ্ঞান)
>২০১০ খ ২০১১
গ ২০১২ ঘ ২০১৩
৩৫৯. দরিদ্র মানুষের খাদ্যপ্রাপ্তি ও পুষ্টির জন্য প্রণীত হয় কোনটি? (জ্ঞান)
>খাদ্যনীতি-২০০৬ খ খাদ্যনীতি-২০১০
গ জাতীয় পুষ্টিনীতি-২০০৬ ঘ জাতীয় পুষ্টিনীতি-২০১০
৩৬০. জাতীয় শিশু নীতি সরকার কত সালে প্রণয়ন করে? (জ্ঞান)
ক ২০১০ >২০১১
গ ২০১২ ঘ ২০১৩
৩৬১. ‘জাতীয় শিশু নীতি-২০১১’ অনুযায়ী শিশু কারা? (জ্ঞান)
>১৮ বছরের কম বয়সী সকল ব্যক্তি
খ ১৫ বছরের কম বয়সী সকল ব্যক্তি
গ ১৩ বছরের কম বয়সী সকল ব্যক্তি
ঘ ১২ বছরের কম বয়সী সকল ব্যক্তি
৩৬২. ২০১১-১২ অর্থবছরে- (অনুধাবন)
র. ১ লাখ ১২ হাজার প্রসূতি নারীকে অনুদান দেওয়া হয়
রর. চলিস্নশ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়
ররর. ৩৫০ টাকা হারে অনুদান দেওয়া হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
৩৬৩. আমাদের মাতৃভাষা বাংলা- (অনুধাবন)
র. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত
রর. অদূর ভবিষ্যতে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষায় পরিণত হবে
ররর. বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মুখের ভাষা হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৪. জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়নের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রের পরিবর্তনগুলো হলো- (অনুধাবন)
র. শ্রেণিতে ছেলে শিক্ষার্থীর হার কমেছে
রর. শ্রেণিতে মেয়ে শিক্ষার্থীর হার বেড়েছে
ররর. বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর >রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৫. নারীর ক্ষমতায় ও স্বাস্থ্য রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. বাধ্যতামূলক কর্মসংস্থান
রর. টিকা দান
ররর. দুঃস্থ নারীদের সহায়তা প্রকল্প
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর >রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৬. প্রান্তিক ও গ্রামীণ জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে- (অনুধাবন)
র. ভিজিএফ
রর. বয়স্কভাতা প্রদান
ররর. কাবিখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৭. জাতীয় শিশুনীতি-২০১১-এর উলেস্নখযোগ্য নীতি হলো- (অনুধাবন)
র. ১৫ বছরের কম বয়সী সকল ব্যক্তিই শিশু
রর. ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের ব্যবহার কাঠোরভাবে নিষিদ্ধ
ররর. পথ শিশু ও বিপথগামী শিশুদের বিকাশে পৃথক ব্যবস্থা রাখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর >রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৮. বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন সূচক দক্ষণি এশিয়ার যে দেশের তুলনায় ভালো-
র. ভুটান
রর. নেপাল
ররর. পাকি স্তান
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর >রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৯. বাংলাদেশের দারিদ্র্যে বিমোচনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে-
র. দিন বদলের পদক্ষপে
রর. জাতীয় দারিদ্র্য নিরসন কৌশলপত্র
ররর. জাতীয় দারিদ্র্য নিরসন কৌশলপত্র-২
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
প্রশ্ন- ১ ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণ
এক ঐতিহাসিক দিনে জামান সাহেব তার পরিবারের সদস্যদের সাথে টিভি দেখছিলেন। টিভির পর্দায় একজন নেতার বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল, “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল….।” জামান সাহেব বললেন, “এই ভাষণটি ছিল আমাদের স্বাধীনতার দিক নির্দেশক।”
ক. কার নেতৃত্বে ‘তমদ্দুন মজলিশ’ গঠিত হয়েছিল? ১
খ. ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত ভাষণের পটভূমি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জামান সাহেবের বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয়েছিল।
খ পাকি স্তান প্রতিষ্ঠার পর সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার গঠনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এছাড়া প্রাদেশিক সরকার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানা পূর্ব বাংলার জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রাদেশিক পরিষদে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয় ঘটানোর উদ্দেশ্যে ১৯৫৩ সালের ১৪ই নভেম্বরে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ।
গ উদ্দীপকের ভাষণটি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকি স্তানি সামরিক শাসকচক্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হ স্তান্তরে নানা চক্রান্ত শুরু করে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। ভুট্টো ঢাকায় অধিবেশনে যোগদান করতে অস্বীকার করেন, অন্যান্য সদস্যদেরও তিনি হুমকি দেন। এসবই ছিল ভুট্টো ইয়াহিয়ার ষড়যন্ত্রের ফল। ইয়াহিয়া খান ১ মার্চ ভুট্টোর ঘোষণাকে অজুহাত দেখিয়ে ৩ মার্চের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। অধিবেশন স্থগিত করার প্রতিবাদে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারা দেশে হরতাল পালিত হয়। ফলে সকল সরকারি কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। হরতাল চলাকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে বহুলোক হতাহত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ তারিখে বিশাল এক জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণ দান করেন। এ ভাষণেই তিনি বলেন “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।”
ঘ উদ্দীপকে জামান সাহেবের বক্তব্যটি যথার্থ। ৭ মার্চের ভাষণ থেকে বাঙালি ঐকবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা ও মুক্তিযুুদ্ধের নির্দেশনা পায়। এ ভাষণের পরেই বাঙালি জাতির সামনে একটি মাত্র গন্তব্য নির্ধারিত হয়ে যায়, তা হলো ‘স্বাধীনতা’। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ডাক দেন, সে ডাকেই বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে পরবর্তী করণীয় ও স্বাধীনতা লাভের দিক নির্দেশনা ছিল ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশালস্নাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ভাষণে তিনি প্রতিরোধ সংগ্রাম, যুদ্ধের কলা-কৌশল ও শত্রু মোকাবিলা সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেন। ৭ মার্চের ভাষণে পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৫ মার্চ পাকি স্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায় এবং নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। বাঙালিরা পাকবাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সুতরাং বলা যায় যে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল আমাদের স্বাধীনতার দিক নির্দেশক যার ফলশ্রম্নতি আমরা স্বাধীনতা লাভ করি।
প্রশ্ন- ২ ১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থান
‘ক’ নামক একটি রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসন চলছিল। কিন্তু দেশটির কিছু ক্ষমতালিপ্সু সেনা সদস্য ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ায় সামরিক আইন চলছিল। সামরিক স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দেশের ছাত্র, শিক্ষক, সাধারণ জনতা সভা ও মিছিল করে। কেউ ব্যানার, কেউ পোস্টার বহন করে। তাদের মধ্যে এক যুবক নিজের বুকে ও পিঠে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে ¯েস্নাগান লিখে মিছিলে যোগ দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বৈরাচার সামরিক সরকারের পুলিশের গুলিতে সেই যুবকের জীবন অকালেই ঝরে পড়ে।
ক. ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের দাপ্তরিক ভাষা উর্দু করার বিরোধিতা করেন কে? ১
খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত শহিদ যুবকটির সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কোন ঘটনার মিল পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উক্ত যুবকের মতো আরো অনেকেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন”- তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের দাপ্তরিক ভাষা উর্দু করার বিরোধিতা করেন শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক।
খ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীসহ, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মীর অবদান ছিল খুবই প্রশংসনীয়। পত্র-পত্রিকায় লেখা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে খবর পাঠ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। এসব রণক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের মানসিক ও নৈতিক বল ধরে রাখতে সহায়তা করেছে, সাহস জুগিয়েছে, জনগণকে শত্রুর বিরুদ্ধে দুর্দমনীয় করেছে। এভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী-গণ গুরুত্বপূর্ণ, ভূমিকা পালন করে।
গ . উদ্দীপকে উলিস্নখিত শহিদ যুবকটির সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসন আমলের গণআন্দোলনের মিল পাওয়া যায়। উদ্দীপকে ‘ক’ রাষ্ট্র, স্বৈরাচার সরকার ও বিপস্নবী যুবক আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় বাংলাদেশের স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় বীর সেনা শহিদ নূর হোসেনকে। দীর্ঘ নয় বছরের শাসনামলের প্রায় পুরো সময়টাই জনগণ এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নূর হোসেন স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লিখে প্রতিবাদ জানানোর সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পরবর্তীতে নানা কর্মসূচি ও আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন।
ঘ . উদ্দীপকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উক্ত যুবকের মতো আরো অনেকেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন স্বৈরাচার সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে। ১৯৮২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ক্ষমতা দখল বাংলাদেশের জনগণ ভালো চোখে দেখেনি। ফলে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দীর্ঘ প্রায় নয় বছরের শাসনকালে প্রবল গণআন্দোলনের সম্মুখীন হন। এ আন্দোলনে রাজনৈতিক দল ছাড়াও ছাত্র, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সাংবাদিক, কৃষিবিদ, কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের শ্রেণি ও পেশার জনগণ অংশগ্রহণ করে। তাই এ আন্দোলন গণআন্দোলন থেকে ক্রমান্বয়ে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। তাছাড়া এ আন্দোলনে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নুর হোসেন এবং ২৭ নভেম্বর ডা. সামসুল আলম মিলনসহ অনেকেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই আমি মনে করি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের আলোকে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৩ মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ জনগণ ও পেশাজীবিদের ভূমিকা
চার বছর বয়সের মণি বারবার তার মায়ের কাছে বাবার খোঁজ নেয়। মা বলে, বাবা জানোয়ারদের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়েছে। মণির মা নয় মাস সন্তানকে নিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটালেন। অবশেষে ডিসেম্বর মাসের এক সকালে লাল-সবুজ পতাকা হাতে তার বাবাকে ফিরে পেল মণি।
ক. মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন? ১
খ. বঙ্গবন্ধুর ‘দ্বিতীয় বিপস্নব’ কর্মসূচিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে মণির বাবা যে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন সে যুদ্ধের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “মণির বাবার মতো অন্যরাও উক্ত যুদ্ধের ফলাফলের নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে”- বিশ্লেষণ কর। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন এম. মুনসুর আলী।
খ বঙ্গবন্ধু সরকার জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণহীন সমাজ গঠনের লক্ষে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন দল নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করে। দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি নতুন একটি ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেন। আর এটিকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বিতীয় বিপস্নব বলে অভিহিত করেন।
গ উদ্দীপকে মণির বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ দুই যুগের বঞ্চনার ইতিহাস কাজ করেছে। ১৯৪৭ সালে পাকি স্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পর থেকেই পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠী বাঙালিদের সর্বপ্রকারে শোষণ ও নির্যাতন করতে থাকে। ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি আত্মপরিচয়ে বলীয়ান হয়ে ওঠে। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকি স্তানের ভিত্তি নড়ে যায়। এ প্রেক্ষিতে ছাত্রদের ১১ দফা এবং চূড়ান্তরূপে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাভিত্তিক সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ফলে ৬ দফা ও ১১ দফার প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক বিজয় ঘটে। অন্যদিকে, পাকি স্তানের সরকার ও স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য এটি ছিল বিরাট পরাজয়। তারা বাঙালির হাতে ক্ষমতা হ স্তান্তরের বিরোধিতা এবং ষড়যন্ত্র করতে থাকে। পুর্ব পাকি স্তানের জনগণ পশ্চিম পাকি স্তানের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান গ্রহণ করে। ফলশ্রম্নতিতে এই নির্বাচন বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে চূড়ান্তরূপে মুক্তিযুদ্ধের চরিত্র দান করে।
ঘ মণির বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক বিজয় যে গৌরবজনক ফলাফল নির্দেশ করে তার নিয়ামক শুধু এই মুক্তিযোদ্ধারাই নয়। মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ। তাই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, পেশাজীবী, নারী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। মুক্তিযুদ্ধ হয় সার্থক। তারা প্রমাণ করে, মুক্তিকামী জনগণের সহযোগিতা ছাড়া স্বাধীনতা অর্জন অসম্ভব। এতদসত্ত্বেও অস্বীকার করা যায় না মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বজনমত ও বিভিন্ন দেশের ভূমিকাও। বিশেষ করে ভারতের ভূমিকা আমরা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করি। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্ব যে মূল নিয়ামক ছিল তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্বে। তার দৃঢ়চেতা মনবল জীবনের মায়া ত্যাগ করে বাংলার স্বাধীনতার যে স্বপ্ন তাই মূলত মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত ফলাফলের কেন্দ্রীয় নিয়ামক।
প্রশ্ন- ৪ মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যম ও নারীর ভূমিকা
“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি” আপেল মাহমুদের গাওয়া এই গানটি সাধারণ মানুষকে এতটাই অনুপ্রাণিত করে যে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে/মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারই অংশ হিসেবে রাজবাড়ি জেলার সজ্জনকান্দা গ্রামের দুই বোন গীতা ও রাসু প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন।
ক. মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন? ১
খ. মুজিবনগর সরকার কেন গঠন করা হয়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের গানটি মুক্তিযুদ্ধের যে মাধ্যমের অন্তর্ভুক্ত, মুক্তিযুদ্ধে উক্ত মাধ্যমের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গীতা ও রাসুর মতো অনেক নারীর ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মতামত দাও। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
খ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের লক্ষে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। ঐ দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আদেশ।
গ উদ্দীপকে আপেল মাহমুদের গাওয়া গানটি মুক্তিযুদ্ধের গণমাধ্যমের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন। পরে এটি মুজিবনগর সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস যুগিয়ে বিজয়ের পথ সুগম করে। এ ছাড়া, মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে।
ঘ হ্যাঁ, আমি মনে করি স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গীতা ও রাসুর মতো অনেক নারীর ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রূষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা। রাজবাড়ি জেলার সজ্জনকান্দা গ্রামের দুই বোন গীতা ও রাসু প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন। তারা এখানে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধকালীন সময়ে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। নারীরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মিছিল, মিটিং ও গণসমাবেশ করে পাকি স্তানীদের অত্যাচার আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেন। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল তা সন্দেহাতীতভাবেই প্রমাণিত হয়।
প্রশ্ন- ৫ মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা
চোখের সামনে রাজাকার, আলবদররা সখিনার স্বামী আর সন্তানকে হত্যা করে এবং তাকে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। প্রতিশোধের আগুনে প্রজ্জ্বলিত হয় সখিনা। একদিন সে বুকে পিঠে বোমা বেঁধে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাক ক্যাম্পটি ধ্বংস করে দেয়। এভাবে সখিনার মতো নারীর আত্মত্যাগে রচিত হয় মুক্তিযুদ্ধের আরো একটি সাফল্যগাঁথা। এমনিভাবে সর্বস্তরের বাঙালির অংশগ্রহণে গণযুদ্ধের মাধ্যমেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
ক. স্বাধীনতা ঘোষণার সময় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রটির নাম কী ছিল? ১
খ. ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সখিনার আত্মত্যাগ মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা মূল্যায়নের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ – ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ- তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক স্বাধীনতা ঘোষণার সময় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রটির নাম ছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।
খ ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল মূলত বাঙালিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের শাশ্বত প্রেরণার উৎস ও প্রতীক। রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা ও নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা হ স্তান্তরের টালবাহানার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু এ ভাষণ দেন। এ ভাষণই স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশিকা হিসেবে কাজ করেছে।
গ উদ্দীপকের সখিনার আত্মত্যাগ মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা মূল্যায়নের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ বক্তব্যটি যথার্থ। মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রূষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা। পাক সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হয় প্রায় তিনলক্ষ নারী। তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী এবং তাদের ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে সরকারিভাবে তাদের ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
ঘ আমি মনে করি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র জনগণের উপর পাকি স্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে বাঙালি ছাত্র, জনতা, পুলিশ, ইপিআর (ইস্ট পাকি স্তান রাইফেলস) সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। বিনা প্রতিরোধে পাকি স্তানি সেনাবাহিনীকে বাঙালিরা ছাড় দেয়নি। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে বহু মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন রণাঙ্গনে শহিদ হন, আবার অনেকে গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে শত্রুমুক্ত করার লক্ষে মৃত্যুকে তুচ্ছ মনে করে যুদ্ধে যোগদান করেছিল। তারা ছিল দেশপ্রেমিক, অসীম সাহসী এবং আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক, ইপিআর, পুলিশ, আনসার, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালিরা অংশগ্রহণ করেছিল বলে এ যুদ্ধকে ‘গণযুদ্ধ’ বা ‘জনযুদ্ধ’ও বলা হয়। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই যে, সখিনা ও সর্বস্তরের বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ।
প্রশ্ন- ৬ তাজউদ্দিন আহমেদ
আবির তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার সাথে টিভিতে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখছিল। এটি ছিল এমন এক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে যিনি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। মুজিবনগর সরকার গঠন নিয়ে তার দেয়া বেতার ভাষণের অডিও প্রামাণ্য চিত্রটি দেখানোর সময় আবিরের বাবা বললেন, “বঙ্গবন্ধুর এ বিশ্বস্তসহচরকেও তাঁর মতোই, ৭১-এর পরাজিত শক্তির নীল নকশার শিকার হতে হয়।”
ক. সংবিধানের কত নম্বর অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে? ১
খ. আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতিসংঘের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. আবিরের দেখা প্রামাণ্য চিত্রটি যাকে নিয়ে নির্মিত তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আবিরের বাবার বক্তব্যের যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক সংবিধানের ৭৭ নম্বর অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।
খ বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান যখন বাঙালি নিধনে তৎপর, তখন জাতিসংঘ বলতে গেলে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে ‘ভেটো’ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে কিছু করার ক্ষমতা ছিল সীমিত।
গ আবিরের দেখা প্রামাণ্য চিত্রটি বাংলাদেশের এক মহান নেতা মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদকে নিয়ে নির্মিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজউদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্তও ঘনিষ্ঠ সহচর। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত মুজিবনগর সরকারের (১০ এপ্রিল, ১৯৭১) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এই মহান নেতা। ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল তিনি বেতার ভাষণে মুজিবনগর সরকারের গঠনের কথা প্রচার করেন। উদ্দীপকে আবির এই অডিও প্রামাণ্য চিত্রটিই দেখছিল। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তিনি সফল নেতৃত্ব প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটির তিনি আহ্বায়ক ছিলেন। উদ্দীপকে এ তথ্যটিও উলিস্নখিত হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদের নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত।
ঘ আবিরের বাবা উদ্দীপকে মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্তসহচর তাজউদ্দিন আহমদ সম্পর্কে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর এ বিশ্বস্তসহচরকেও তাঁর মতোই, ৭১-এর পরাজিত শক্তির নীল নকশার শিকার হতে হয়।” বক্তব্যটি যথার্থ সত্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির জাতীয় জীবনে ঘটে এক নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চাভিলাষী ও উশৃঙ্খল সেনাসদস্য স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির মদদে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। আবার ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের খুনিচক্র সেনাসদস্যগণ দেশত্যাগের পূর্বে খন্দকার মোশতাকের অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সেখানে বন্দি অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান-কে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সংঘটিত হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আর একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। এ হত্যাকাণ্ড ছিল ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত, স্বাধীনতা বিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সম্মিলিত ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার বাস্তবায়ন। উভয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ধ্বংস করা, দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করা। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড একই গোষ্ঠী সংঘঠিত করে। তাই আবিরের বাবার বক্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৭ স্বাধীনতা আন্দোলনে ছাত্র সমাজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান
১.A > ১৯৫২ > ১৯৬৬ >১৯৬৮ > ১৯৭১
ছক : A এর সালগুলোর সংঘটিত ঘটনায় একটি শ্রেণির অবদান
A > ১৯৫৪ > ১৯৫৬ > ১৯৫৮ > ১৯৬৯
ছক : B এর সালগুলোর সংঘটিত ঘটনায় নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ
ক. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি কারা? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধকে গণযুদ্ধ বলা হয় কেন? ২
গ. ছক : ‘অ’ তে কোন শ্রেণির অবদানের উলেস্নখ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ছক : ই এর ঘটনায় যার নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তার ভূমিকা মূল্যায়ন কর। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ।
খ ১৯৭১ সালে পাকি স্তানি সেনাবাহিনী এদেশের নিরস্ত্র নিরপরাধ সকল শ্রেণির মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। বাঙালিরাও তাদের ছাড় দেয়নি। বাঙালি ছাত্র-জনতা, পুলিশ, ইপিআর, কৃষক, চাকরিজীবী, আনসার, শ্রমিক সবাই অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে প্রতিরোধ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধকে গণযুদ্ধ বলা হয়।
গ ছক ‘অ’তে ছাত্রসমাজ শ্রেণির অবদান উলেস্নখ রয়েছে। ছাত্রসমাজ ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়। এরাই সেই ছাত্রসমাজ যারা পাকি স্তানের চব্বিশ বছরে বাঙালি জাতির স্বার্থসংশিস্নষ্ট সকল আন্দোলনে গৌরবোজ্জল ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ছয় দফার আন্দোলন, ১৯৬৮ সালে ১১ দফার আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন, প্রতিটি ক্ষেত্রে ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকি স্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে। মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখায় এক বিরাট অংশ ছিল ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের মহান আত্মত্যাগ ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হতো।
ঘ ছক ‘ই’ এর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সারাজীবনের কর্মকাণ্ড, আন্দোলন-সংগ্রাম নির্দেশিত হয়েছে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তিনি চূড়ান্ত পর্যায়ে সম্মোহনী নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন। এর ফলেই সম্ভব হয়েছিল ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন বিজয়। ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জনে একচ্ছত্র ভূমিকা পালন করেন স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকি স্তানি হানাদার বাহিনী সশস্ত্র আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়লে ২৬ মার্চ ১৯৭১ প্রত্যুষে তিনি সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সংগ্রামের পথ ধরে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি। তার বলিষ্ঠ ও আপোষহীন নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন জাতির জনক, স্বাধীনতার মহানায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি।
প্রশ্ন- ৮ ১৯৭২ সালের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য
তারিখ | সংবিধানের সংশোধনীসমূহ |
৬ এপ্রিল ১৯৭৯ | পঞ্চম |
৬ আগস্ট ১৯৯১ | দ্বাদশ |
২৭ মার্চ ১৯৯৬ | ত্রয়োদশ |
ক. যুক্তফ্রন্ট সরকার কতদিন ক্ষমতায় ছিল? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা বর্ণনা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত সর্বশেষ সংশোধনীটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চায় উপরোক্ত কোন সংশোধনীটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে তুমি মনে কর? বিশ্লেষণ কর। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক যুক্তফ্রন্ট সরকার মাত্র ৫৬ দিন ক্ষমতায় ছিল।
খ মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রূষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা।
গ উদ্দীপকে উলিস্নখিত সর্বশেষ সংশোধনী ২৭ মার্চ ১৯৯৯ সালে গৃহীত বাংলাদেশ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার সাফল্য ধরে রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা আবশ্যক বিবেচনায় ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকার গঠন করে। কিন্তু পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে স্পষ্ট হয়ে যায়, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। অতএব সরকারের কাছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাতে থাকে। বিএনপি সরকার এ দাবি উপেক্ষা করে ১৫ই জানুয়ারি ১৯৯৬ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। তবে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলগুলো এই নির্বাচন পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে। প্রায় ভোটারবিহীন পরিবেশে তথাকথিত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী দলগুলো বর্জন করায় এ নির্বাচন গুরুত্ব ও বৈধতা হারায়। তবু নির্বাচনের পর প্রতিষ্ঠিত ৪ দিন স্থায়ী ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিল, ত্রয়োদশ সংশোধনী গৃহীত হয় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা হয়।
ঘ বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চায় উপরোক্ত পঞ্চম, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ সংশোধনীর মধ্যে দ্বাদশ সংশোধনীটি গণতন্ত্র চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে আমি মনে করি। ৬ এপ্রিল ১৯৭৯ বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে সংসদীয় সরকারব্যবস্থার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একটি মাত্র জাতীয় দল সৃষ্টি করা হয়। অথচ বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি গণতন্ত্রের প্রাণ। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থায় যা আশা করা যায় না। এ প্রেক্ষিতে ৬আগস্ট ১৯৯১ সালের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হলে গণতন্ত্র আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান গণতন্ত্রের মূল ধারার পরিপন্থী। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচিত নয়। বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়েছে। সার্বিক আলোচনার প্রেক্ষিতে আমি মনে করি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চায় উদ্দীপকের সংশোধনী তিনটির মধ্যে ৬ আগস্ট ১৯৯১-এর দ্বাদশ সংশোধনীটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৯ মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজ ও মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা
রফিক, আশরাফ, রনি, বুলবুল এরা সবাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের জীবনের পণ ছিল হয় বিজয় না হয় মৃত্যু। এদের মতো শিক্ষার্থীরা ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি আদায়ে সোচ্চার হন। এর মাঝামাঝি তারা অন্য কিছু কল্পনা করতে পারেনি। অন্যদিকে তাদের সহায়তা করার জন্য ছিল এক বিশাল কার্যক্রম যারা দেশের ভিতরে প্রশাসনিক কাজ পরিচালনাসহ বিশ্বজনমত গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল।
ক. গণযুদ্ধ কী? ১
খ. পররাষ্ট্র নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশে যে শ্রেণির লোকের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভূমিকা কী ছিল- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষাংশে যাদের কার্যক্রমের উলেস্নখ রয়েছে তাদেরকে কি মুক্তযুদ্ধের প্রাণ বলা যায়? যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক সর্বস্তরের বাঙালির অংশগ্রহণে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধই হলো গণযুদ্ধ।
খ পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে কোনো দেশ বা রাষ্ট্রের পথ চলার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক নির্ণয়ের নীতি। প্রতিটি রাষ্ট্র তার নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করে। যেমন স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন যে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়’-এ নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারিত হবে। তিনি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান এবং পুনর্গঠন সহযোগিতা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ করেন।
গ উদ্দীপকের প্রথম অংশে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছাত্রসমাজের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকের রফিক, আশরাফ, রনি, বুলবুল এরা সবাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের জীবনের পণ ছিল হয় বিজয় না হয় মৃত্যু। এদের মতো শিক্ষার্থীরা ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি আদায়ে সোচ্চার হন। এরাই সেই ছাত্রসমাজ যারা পাকি স্তানের চব্বিশ বছরে বাঙালি জাতির স্বার্থসংশিস্নষ্ট সকল আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ছয়দফার আন্দোলন, ১৯৬৮ সালে ১১ দফার আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন, প্রতিটি ক্ষেত্রে ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকি স্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে। মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখার এক বিরাট অংশ ছিল ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের মহান আত্মত্যাগ ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হতো।
ঘ উদ্দীপকের শেষাংশে মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম উলেস্নখ রয়েছে। মুজিবনগর সরকার মূলত মুক্তিযুদ্ধের প্রাণ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের লক্ষে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘মুজিবনগর সরকার’ গঠন করা হয়। বাঙালি কর্মকর্তাদের নিয়ে সরকার প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেন। মুজিবনগর সরকারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে (কলকাতা, দিলিস্ন, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, স্টকহোম) বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করে। এসব মিশন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রচারণা ও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে। সরকার বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত নিয়োগ দেয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব নেতৃত্ব ও জনমতের সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করেন। ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক, বেসামরিক জনগণকে নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১০ এপ্রিল সরকার ৪টি সামরিক জোনে বাংলাদেশকে ভাগ করে ৪ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করে। ১১ এপ্রিল তা পুনঃনির্ধারিত করে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। এছাড়া বেশ কিছু সাব-সেক্টর এবং তিনটি ব্রিগেড ফোর্স গঠিত হয়। এসব বাহিনীতে দেশের ছাত্র, যুবক, নারী, কৃষক, রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিল। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে যোদ্ধাগণ দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকি স্তানি সামরিক ছাউনি বা আ স্তানায় হামলা চালায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাগণ মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে দেশকে পাকি স্তানিদের দখলমুক্ত করার জন্য রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছেন, অনেকেই দেশের জন্যে প্রাণ দিয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। সুতরাং যৌক্তিক কারণে বলা যায়, মুজিবনগর সরকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রাণ।
প্রশ্ন- ১০ ১৯৭০ সালের নির্বাচন
প্রথম বক্তা : স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্তের জাতীয় নির্বাচনটি পাকি স্তানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
দ্বিতীয় বক্তা : হ্যাঁ, এ নির্বাচনে পূর্ব পাকি স্তানের একটি রাজনৈতিক দল এককভাবে সরকার গঠনের জন্য বিপুল আসন লাভ করে। কিন্তু তারা সরকার গঠন করতে চাইলেও নানা কারণে তা আর হয়নি।
প্রথম বক্তা : বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পিছনে ঐ নির্বাচন মূল সিঁড়ি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।
ক. বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম বক্তার বর্ণিত নির্বাচনটি কীভাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. দ্বিতীয় বক্তা যে রাজনৈতিক দলটির কথা বলেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের গুরুত্ব অনস্বীকার্য- তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
খ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকি স্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে। মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখায় এক বিরাট অংশ ছিল ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। এক কথায় বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজের মহান আত্মত্যাগ ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হতো।
গ উদ্দীপকের প্রথম বক্তার বর্ণিত স্বাধীনতার পূর্ব মুহূর্তের নির্বাচনটি হচ্ছে ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। যা ছিল পাকি স্তানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। প্রথম বক্তার বক্তব্যে ধরা পড়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে নির্বাচনটি ছিল মূল সিঁড়ি। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ফলে ৬ দফা ও ১১ দফার প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক বিজয় ঘটে। অন্যদিকে, পাকি স্তানের সরকার ও স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য এটি ছিল বিরাট পরাজয়। তারা বাঙালির হাতে ক্ষমতা হ স্তান্তরের বিরোধিতা এবং ষড়যন্ত্র করতে থাকে। পূর্ব পাকি স্তানের জনগণ পশ্চিম পাকি স্তানের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পিছনে এই নির্বাচনের অপরিসীম গুরুত্ব স্পষ্ট। এই নির্বাচন বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে মুক্তিযুদ্ধের চরিত্র দানে বিশাল ভূমিকা রাখে। পরিণতিতে পাকি স্তান যুগের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
ঘ দ্বিতীয় বক্তা ’৭০ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগই সরকার গঠনের জন্য সমগ্র পাকি স্তানের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে ১৬৭ আসন লাভের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে আর সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগই নেতৃত্ব দেয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রধান রাজনৈতিক দলটি হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক নেতৃত্বই মুক্তিযুদ্ধের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করে। আওয়ামী লীগ প্রথমে পূর্ববাংলার জনগণকে স্বাধিকার আন্দোলনে সংগঠিত করে, এরপর ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পর জনগণকে স্বাধীনতা আনয়নে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মুুক্তিযুুদ্ধের শুরুতে রাজনৈতিক নেৃতত্ব বাংলাদেশ সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাকে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে। এতে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, অপরিহার্যতা এবং এর ভবিষ্যত রূপরেখা প্রণীত হয়। ২৫ মার্চের পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংগঠিত হয়ে সরকার গঠন, মুক্তিবাহিনী গঠন, বিদেশে জনমত সৃষ্টি ও সমর্থন আদায়, যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ এবং জনগণের মনোবল অটুট রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার ক্ষেত্রে সকল শক্তি, মেধা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান, ভারতে ১ কোটি শরণার্থীরা ত্রাণ ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা, মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। আর এ নেতৃত্ব ছিল মূলত আওয়ামী লীগেরই নেতৃত্ব।
প্রশ্ন- ১১ মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রজনতা ও সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী যখন নারকীয় তাণ্ডব শুরু করে, তখন মশিউরের পিতা মোঃ আব্দুল মতিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দেশের এ পরিস্থিতির কারণে তিনি দেশকে, দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার অনেক বন্ধুও তার সাথে শত্রুর মোকাবিলা করেন। দেশের জন্য মশিউরের পিতার এ ত্যাগের কথা শুনে তার বন্ধুরা তাকে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করে।
ক. মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন? ১
খ. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গ্রেট ব্রিটেনের ভূমিকা কী ছিল? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মশিউরের পিতার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে যাদের ভূমিকার প্রতিফলন ঘটেছে, তা আলোচনা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, একমাত্র মশিউরের পিতার মতো ব্যক্তিরাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সার্থক করে তুলেছিলেন? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন এম.মনসুর আলী।
খ ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে বৃটেনে প্রচার মাধ্যমে বিশেষ করে বিবিসি এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা বাঙালিদের ওপর পাক বাহিনীর নির্মম নিয়াতন এবং বাঙালিদের সংগ্রাম ও প্রতিরোধ, ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের করুণ অবস্থা, পাক বাহিনীর গণহত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ব জনমতকে জাগ্রত করে তোলে। ব্রিটিশ সরকারও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে খুবই সহানুভূতিশীল ছিল। উলেস্নখ্য, লন্ডন ছিল বর্হিবিশ্বে মুক্তিযুুদ্ধের পক্ষে প্রচারের প্রধান কেন্দ্র।
গ মশিউরের পিতার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রদের ভূমিকার প্রতিফলন ঘটেছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকি স্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে। উদ্দীপকেও দেখা যায়, মশিউরের পিতা আব্দুল মতিন ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। পাকি স্তান বাহিনী নারকীয় তাণ্ডব শুরু কারলে তিনি দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার সাথে তার অনেক বন্ধুও যোগ দেয়। বস্তুত মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখায় এক বিরাট অংশ ছিল ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মুক্তিযুুদ্ধে ছাত্র সমাজের মহান আত্মত্যাগ ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হতো।
ঘ আমি মনে করি মশিউরের পিতার মতো ব্যক্তিরাই শুধু নয় বরং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণ সার্থক করে তুলেছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকি স্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে বাঙালি ছাত্র, জনতা, পুলিশ, ইপিআর (ইষ্ট পাকি স্তান রাইফেলস) সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। বিনা প্রতিরোধে পাকি স্তানি সেনাবাহিনীকে বাঙালিরা ছাড় দেয়নি। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে বহু মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন রণাঙ্গনে শহিদ হন, আবার অনেকে গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে শত্রুমুক্ত করার লক্ষে মৃত্যুকে তুচ্ছ মনে করে যুদ্ধে যোগদান করেছিল। তারা ছিল দেশপ্রেমিক, অসীম সাহসী এবং আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক, ইপিআর, পুলিশ, আনসার, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালিরা অংশগ্রহণ করেছিল বলে এ যুদ্ধকে ‘গণযুদ্ধ’ বা ‘জনযুদ্ধ’ও বলা হয়। আর মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ। তাই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ছাত্ররা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, নারী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। জাতি চিরকাল মুক্তিযোদ্ধাদের সূর্য সন্তান হিসেবে মনে করবে।
প্রশ্ন- ১২ ৭ মার্চের ভাষণ
ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ কোথায় ভাষণ দেন? ১
খ. বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী মানুষের নিকট অমর হয়ে থাকবে কেন? ২
গ. চিত্রে যে ভাষণের দৃশ্য লক্ষ করা যায় সে ভাষণ ছিল মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা- বর্ণনা কর। ৩
ঘ. স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক যাত্রায় উক্ত ভাষণপরবর্তী ঘটনা প্রবাহ- বিশ্লেষণ কর। ৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ভাষণ দেন।
খ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণে পশ্চিম পাকি স্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-শাসন, বঞ্চনার ইতিহাস, নির্বাচনে জয়ের পর বাঙালির সাথে প্রতারণা ও বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের পটভূমি তুলে ধরেন। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ ভাষণ এক স্মরণীয় দলিল, মুক্তির সনদ। পৃথিবীর ইতিহাসে যেসব ঐতিহাসিক ভাষণের নজির আছে ৭ মার্চের ভাষণ তার অন্যতম; পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী মানুষের নিকট এ ভাষণ অমর হয়ে থাকবে।
গ চিত্রের ভাষণটি ছিল ৭ মার্চের। ৭ মার্চের ভাষণ থেকে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা ও মুক্তিযুদ্ধের নির্দেশনা পায়। এ ভাষণের পরেই বাঙালি জাতির সামনে একটি মাত্র গন্তব্য নির্ধারণ হয়ে যায়, তা হলো ‘স্বাধীনতা’। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ডাক দেন, সে ডাকেই বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে পরবর্তী করণীয় ও স্বাধীনতা লাভের দিক নির্দেশনা ছিল- ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআলস্নাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ভাষণে তিনি প্রতিরোধ সংগ্রাম, যুদ্ধের কলাকৌশল ও শত্রু মোকাবিলার উপায় সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেন। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৫ মার্চ পাকি স্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায় এবং নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। বাঙালিরা আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ঘ ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত কর্মসূচি এবং আহ্বানের প্রতি সাড়া দিয়ে সকল স্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়। পূর্ব বাংলার সকল অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ব পাকি স্তানের অবস্থা বেগতিক দেখে ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনা করতে। এ সময় ভুট্টোও ঢাকায় আসেন। অপরদিকে গোপন আলোচনার নামে কালক্ষপেণ করে পশ্চিম পাকি স্তান থেকে সৈন্য, গোলাবারুদ এনে পূর্ব পাকি স্তানে সামরিক আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। ১৭ মার্চ টিক্কা খান, রাও ফরমান আলী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ বা বাঙালির ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড পরিচালনার নীলনক্সা তৈরি করে। ২৫ মার্চ রাতে পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বরতম গণহত্যা, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হয়। ইয়াহিয়া ও ভুট্টো ২৫ মার্চ গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পাকি স্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হত্যা করে বহু মানুষকে। পাকি স্তানি বাহিনী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ ক্যাম্প, পিলখানা ইপিআর ক্যাম্প, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আক্রমণ চালায় এবং নৃশংস গণহত্যা সংঘটিত করে যা ইতিহাসে ‘২৫ মার্চের কালরাত্রি’ নামে পরিচিত। ২৫ মার্চের কালরাত্রিতেই অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেন এবং ওয়্যারলেসযোগে তা পাঠিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাবাণী শোনা মাত্রই চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। শুরু হয় পাকি স্তানি সশস্ত্র সেনাদের সঙ্গে বাঙালি, আনসার ও নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের এক অসম লড়াই যা বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান মুক্তিযুদ্ধ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন- ১৩ অপারেশন সার্চলাইট ও ১৯৭০ নির্বাচন পরবর্তী ঘটনা
‘ক’ দেশের প্রশাসকগণ নির্বাচনে হেরে বিজয়ী দলকে ক্ষমতা না দিয়ে প্রহসনের আলোচনায় বসেন। অবশেষে তারা আলোচনাকে ভণ্ডুল করে দিয়ে সামরিক শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার প্রয়াস চালান।
ক. ইয়াহিয়া ও ভুট্টো কবে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন? ১
খ. বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে কেন? ২
গ. ‘ক’ দেশের প্রশাসকদের সামরিক হস্তক্ষেপের সাথে পাকি স্তানের কোন সামরিক আগ্রাসনের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ক’ দেশের প্রশাসকদের অনুরূপ কালক্ষপেণের বৈঠক হয়েছিল একাত্তরের মার্চে – আলোচনা কর। ৪
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক ইয়াহিয়া ও ভুট্টো ২৫ মার্চ গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন।
খ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রধান রাজনৈতিক দলটি ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক নেতৃত্বই মুক্তিযুদ্ধের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করে। আওয়ামী লীগ প্রথমে পূর্ববাংলার জনগণকে স্বাধিকার আন্দোলনে সংগঠিত করে, এরপর ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পর জনগণকে স্বাধীনতা আনয়নে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
গ ক’ দেশের সামরিক হস্তক্ষেপের সাথে পাকি স্তানের সামরিক আগ্রাসন অপারেশন সার্চলাইট-এর মিল রয়েছে। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ ছিল মূলত পাকি স্তানি সেনাদের গণহত্যার অভিযানের নাম। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পাকি স্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে এক নারকীয় গণহত্যা চালায়। ’৭০ এর নির্বাচনে পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে চাননি। উদ্দীপকে যেমন মনোভাব দেখা যায় ‘ক’ দেশের প্রশাসকদের মধ্যে। বরং ঐ সময়টিতে ইয়াহিয়া-ভুট্টো চক্র আলোচনার প্রহসন চালায় এবং ১৭ মার্চ টিক্কা খান, রাও ফরমান আলী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বা বাঙালির ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড পরিচালনার নীলনকশা প্রণয়ন করে। তারা সামরিক আগ্রাসনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং গণহত্যার প্রস্তুতি নেয়। উদ্দীপকেও তদ্রূপ নির্বাচনে পরাজিত ‘ক’ রাষ্ট্রের প্রশাসকদের সামরিক শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার প্রয়াস দেখা যায়। পাকি স্তানি বাহিনী বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ তথা সমগ্র বাঙালি জাতিকে দমন করতে যে নিষ্ঠুর, অমানবিক সামরিক আগ্রাসন চালায় তার নাম দিয়েছিল তারা ‘অপারেশন সার্চলাইট’। সুতরাং বলা যায়, ‘ক’ দেশের প্রশাসকদের সাথে পাকি স্তানের সামরিক আগ্রাসন ‘অপারেশন সার্টলাইট’-এর মিল রয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে ‘ক’ দেশের প্রশাসকগণ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা হ স্তান্তরের নামে কালক্ষপেণ করে। অনুরূপ কালক্ষপেণ আমরা দেখতে পাই ’৭০ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পাকি স্তানে। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী আওয়ামী লীগের নিকট তৎকালীন সামরিক জান্তা ক্ষমতা হ স্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। মূলত তারা অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আলোচনার ভাব দেখালেও তার মূল উদ্দেশ্য ছিল কালক্ষেপণ করা। অর্থাৎ সময় অতিবাহিত করা। নরপিশাচ ইয়াহিয়া খান ও যড়যন্ত্রের নায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো অযথা আলোচনা দীর্ঘায়িত করেন। আর এর সুযোগ নিয়ে তারা পশ্চিম পাকি স্তান থেকে পূর্ব পাকি স্তানে সেনাবাহিনী ও সামরিক সরঞ্জাম গোপনে আনার কাজটি সম্পন্ন করেন। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় তারা বাঙালি নিধনে মেতে ওঠে, গণহত্যা চালায়। অর্থাৎ ‘ক’ দেশের মতোই ছিল পাকি স্তানিদের বৈঠক।
প্রশ্ন- ১৪ ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়
ক. মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে ছিলেন? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভূমিকা লেখ। ২
গ. রেখাচিত্র-১-এ নির্দেশিত ১ম ধাপের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “রেখাচিত্র-১ এর ৩য় ধাপ হলো ১ম ধাপ ও ২য় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল।” তোমার মতামত দাও। ৪
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ।
খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান ও সফল করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক ও পরিচালক ছিলেন।
গ রেখাচিত্র-১ এ নির্দেশিত ১ম ধাপটি হচ্ছে ৭ মার্চের ভাষণ। রেখাচিত্রে ৩টি ধাপে ৩টি তারিখ উলিস্নখিত হয়েছে যার প্রথমটি হচ্ছে ৭-৩-১৯৭১। অর্থাৎ তা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে নির্দেশ করে। এ ভাষণের গুরুত্ব জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করার মধ্যে ধরা পড়ে। এটি ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। প্রয়োজনে যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআলস্নাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ভাষণে তিনি প্রতিরোধ সংগ্রাম, যুদ্ধের কলাকৌশল ও শত্রু মোকাবিলার উপায় সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেন। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৫ মার্চ পাকি স্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায় এবং নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। বাঙালিরা আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। চূড়ান্ত স্বাধীনতার লক্ষে মূলত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল ১ম ধাপ। এ প্রেক্ষিতেই রেখা চিত্র-১ এ নির্দেশিত ১ম ধাপের গুরুত্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার মধ্যে নিহিত।
ঘ রেখাচিত্র-১ এর ৩য় ধাপ হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের দিন। রেখাচিত্রে ১৬-১২-১৯৭১ তারিখটি তাই নির্দেশ করে। আর ১ম ধাপ বঙ্গন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং দ্বিতীয় ধাপে উলিস্নখিত তারিখ ১০-৪-১৯৭১ মুজিবনগর সরকার বা বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিন। আমি মনে করি, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এবং ১০ই এপ্রিল এ দুটি দিনের তাৎপর্যময় ঘটনার ফলাফল হচ্ছে রেখাচিত্রের ৩য় ধাপ বা মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পরিস্থিতিতে যে অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করেন, সে প্রেক্ষিতে ৭ই মার্চের ভাষণে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকি স্তানি বাহিনীর গণহত্যার প্রথম লগ্নে তার এই ঘোষণা স্বাধীনতা যুদ্ধকে বাস্তব রূপ দেয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকে চূড়ান্ত সাফল্যজনক পরিণতিতে নিয়ে যেতে প্রয়োজন ছিল সুষ্ঠু পরিকল্পনার এবং রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার। তাই স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ বাস্তবে রূপ লাভ করলেও তাকে চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত ও পরিচালিত করার জন্য রেখাচিত্র-১ এর ২য় ধাপ তথা মুজিবনগর সরকার গঠন জরুরি হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ এই ধাপটি অতিক্রম করার পর মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত রূপ পায়, আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ করে এবং দ্রম্নত দেশ চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যায়। রেখাচিত্রের ৩য় ধাপ তথা ১৬-১২-১৯৭১ ইং তারিখে অবশেষে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সুতরাং আমিও উলিস্নখিত যুক্তির বিচারে একমত যে, “রেখাচিত্র-১ এর ৩য় ধাপ হলো ১ম ধাপ ও ২য় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল।”
প্রশ্ন- ১৫ মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন দেশের অবদান
নয়ন, চয়ন, অয়ন তিন বন্ধু। তিনজনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক। উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ গমনের সময় তারা তাই এমন তিনটি দেশ নির্বাচন করল যারা মুক্তিযুদ্ধে এদেশকে সাহায্য করেছিল। নয়ন ভারতে, চয়ন ব্রিটেনে এবং অয়ন রাশিয়া পড়তে গেল।
ক. মুক্তিযুদ্ধে কতটি সেক্টর ছিল? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চয়ন ও অয়নের নির্বাচিত দেশ দুটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কীভাবে ভূমিকা পালন করেছিল তা পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. “বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়নের নির্বাচিত দেশের অবদান সবচেয়ে বেশি”- ব্যাখ্যা কর। ৪
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক মুক্তিযুদ্ধে ১১টি সেক্টর ছিল।
খ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে।
গ চয়ন ও অয়ন পড়তে যাওয়ার জন্য যথাক্রমে ব্রিটেন ও রাশিয়াকে নির্বাচিত করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের পর সর্বাধিক অবদান রাখে অধুনা বিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)। পাকবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান পাকি স্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে আহ্বান জানান। তিনি ইয়াহিয়াকে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হ স্তান্তরের জন্যও বলেন। সোভিয়েত পত্রপত্রিকা, প্রচার মাধ্যমগুলো বাংলাদেশে পাক বাহিনীর নির্যাতনের কাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি প্রচার করে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে সহায়তা করে। জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাকি স্তানের পক্ষে যুদ্ধবন্ধের প্র স্তাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ‘ভেটো’ (বিরোধিতা করে) প্রদান করে বাতিল করে দেয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে ব্রিটেনের প্রচার মাধ্যম বিশেষ করে বিবিসি এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা বাঙালিদের ওপর পাক বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের খবর তুলে ধরে। বাঙালিদের সংগ্রাম, ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের করুণ অবস্থা, পাকবাহিনীর গণহত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ব জনমতকে জাগ্রত করে তোলে। ব্রিটিশ সরকারও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে খুবই সহানুভূতিশীল ছিল। উল্লেখ্য, লন্ডন ছিল বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারের প্রধান কেন্দ্র। সুতরাং বলা যায় যে, উক্ত দেশ দুটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
ঘ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়নের নির্বাচিত দেশ ভারতের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি সমর্থন জানায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রির বীভৎস হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তী ৯ মাস ধরে পাকি স্তানি দখলদার বাহিনী যে নারকীয় গণহত্যা, লুণ্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, ভারত তা বিশ্ববাসীর নিকট সার্থকভাবে তুলে ধরে। এর ফলে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয়। ভারত লক্ষ লক্ষ শরণার্থীকে আশ্রয়, মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, অস্ত্র সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকি স্তান ভারতে বিমান হামলা চালায়। ভারত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। মুক্তি বাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী ‘যৌথ কমান্ড’ গড়ে তোলে। যৌথ বাহিনীর তীব্র আক্রমণের ফলে ৯৩ হাজার পাক সেনা নিঃশর্তে যৌথ কমান্ডের নিকট আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ভারতের বহু সৈন্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারায়। সুতরাং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা অপূরণীয়।
প্রশ্ন- ১৬ বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপস্নব কর্মসূচি ও তার রাষ্ট্রনীতি
মহান যারা, তারা দেশের কল্যাণে শুধু ত্যাগই করেছেন। তার একটি প্রমাণ বাংলাদেশের এক মহান নেতা। তিনি বিদেশি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেই আত্মনিয়োগ করেন দেশের পুনর্গঠনের জন্য। তিনি ছিলেন সফল এক রাষ্ট্রনায়ক।
ক. বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে কখন? ১
খ. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতিসংঘের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের মহান নেতা শোষণহীন সমাজ গঠনের লক্ষে কী কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মহান নেতার পররাষ্ট্র নীতি কেমন ছিল? পাঠ্য বইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর।
খ বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান যখন বাঙালি নিধনে তৎপর, তখন জাতিসংঘ বলতে গেলে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মৌলিক মানব অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে ‘ভেটো’ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে কিছু করার ক্ষমতা ছিল সীমিত।
গ উদ্দীপকের মহান নেতা শোষণহীন সমাজ গঠনের লক্ষে ‘দ্বিতীয় বিপস্নবের কর্মসূচি’ গ্রহণ করেন। উদ্দীপকের মহান নেতা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ যখন ব্যস্ততখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্য সংকট, ১৯৭৩-৭৪ সালে বন্যায় দেশে খাদ্যোৎপাদন দারুণভাবে ব্যাহত হয়। ফলে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়। দেশের অভ্যন্তরে মজুদদার, দুর্নীতিবাজ এবং ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী তৎপর হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর সরকার জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণহীন সমাজ গঠনের লক্ষে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন দল নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করে। দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি নতুন একটি ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেন। এটিকে তিনি ‘দ্বিতীয় বিপস্নব’ বলে অভিহিত করেন। সুতরাং যুদ্ধবিধ্বস্তস্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন।
ঘ উদ্দীপকের মহান নেতার পররাষ্ট্র নীতি ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সময়োপযোগী। পাকি স্তানের কারাগার থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকায় পদার্পণ কার বঙ্গবন্ধু বলেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে, কারও প্রতি বৈরী আচরণ সমর্থন করবে না। তিনি ঘোষণা করেন যে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’-এ নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারিত হবে। তিনি বাংলাদেশকে স্বীকৃতিপ্রদান এবং পুনর্গঠনে সহযোগিতা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ করেন। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে ১৪০টি দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইনমুক্ত করাসহ নানাভাবে সহযোগিতা প্রদান করে। অন্যান্য বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোও খাদ্যদ্রব্য, ত্রাণসামগ্রী নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। সুতরাং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলো যুদ্ধবিধ্বস্তএদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন- ১৭ বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা
ক. ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩২ নম্বর সড়কে কার বাসভবন অবস্থিত ছিল? ১
খ. বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. “উদ্দীপকে বর্ণিত সংবিধানই ছিল সর্বোত্তম” ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন অবস্থিত ছিল।
খ ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ’ নামে একটি আদেশ জারি করেন। এই আদেশ বলে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণ গণপরিষদের সদস্য বলে পরিগণিত হন। ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় আইনকানুন পাস ও কার্যকর করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় এটি অতীব তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত সংবিধানই সর্বোত্তম। এটি ছিল ৭২ এর সংবিধান। ১৯৭২ সালের সংবিধান ছিল লিখিত। পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ সংবিধানটি ছিল দুষ্পরিবর্তনীয়। সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতি লিপিবদ্ধ হয়। জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মানুষের মৌলিক প্রয়োজন যেমন : অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদি মেটানোর দায়িত্ব রাষ্ট্রের ওপর অর্পিত হয়। জীবনধারণের অধিকার, চলাফেরার অধিকার, বাকস্বাধীনতার অধিকার, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, ধর্মচর্চার অধিকার, ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভোগের অধিকার ইত্যাদি সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়। সংবিধানে বাংলাদেশকে প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস-সংবিধানের এ ঘোষণা দ্বারা জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সংবিধানে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। বাংলাদেশ সংবিধানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ১৮ বছর বয়স্ক যেকোনো নাগরিক ‘এক ব্যক্তি এক ভোট’-এ নীতির ভিত্তিতে সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রদান করা হয়েছে। এ সংবিধানে রাষ্ট্রীয়, সমবায় এবং ব্যক্তিগত মালিকানা নীতি লিপিবদ্ধ আছে। বাংলাদেশের আইনসভা এক কক্ষবিশিষ্ট হবে। সুতরাং উক্ত সংবিধানের মাধ্যমে এদেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে।
ঘ উক্ত সংবিধান তথা ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাই মুখ্য। সংবিধান হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল। সংবিধানের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য, আদর্শ ও লক্ষ্য প্রতিফলিত হয়। ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন। এতে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। অস্থায়ী সংবিধান আদেশের বিভিন্ন দিক হলো : এই আদেশ বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান আদেশ। এটি অবিলম্বে বলবৎ হবে। এটি সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে একটি গণপরিষদ গঠিত হবে। দেশে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার থাকবে। প্রধানমন্ত্রী হবেন এর প্রধান। রাষ্ট্রপতি হবেন নামমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান। অতঃপর একটি সংবিধান প্রণয়ন করে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য রাষ্ট্রপতি ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করেন। এ আদেশ অনুসারে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ সদস্যগণ গণপরিষদের সদস্য হবেন। সংবিধান প্রণয়ন করাই হবে গণপরিষদের মূল লক্ষ্য। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান বিল আকারে পেশ করা হয়। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর (বিজয় দিবস) থেকে কার্যকর হয়। গণপরিষদে সংবিধানের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এই সংবিধান শহিদের রক্তে লিখিত, এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্তপ্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।’ এভাবে বঙ্গবন্ধুর সরকার মাত্র দশ মাসে বাংলাদেশকে একটি সংবিধান উপহার দিতে সক্ষম হন।
প্রশ্ন- ১৮ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড
একই বছরে সংঘটিত দুইটি নিষ্ঠুর নির্মম হত্যাকাণ্ড এদেশের রাজনৈতিক গতিধারাকে বদলে দিয়েছিল। দেশ হারিয়েছিল দেশের পথপ্রদর্শক নেতাদের। হারিয়েছিল দেশকে স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে। হৃদয়বিদারক সে কথা মনে পড়লে আফজাল সাহেবের হৃদয়ে আজও রক্তক্ষরণ হয়।
ক. অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন? ১
খ. বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নয়ন ঘটেছে কীভাবে? ২
গ. উদ্দীপকে নির্দেশিত হত্যাকাণ্ড দুটির মধ্যে প্রথম কোনটি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের হত্যাকাণ্ড দুইটি দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে দেয়- বিশ্লেষণ কর। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক তাজউদ্দিন আহমদ।
খ বাংলাদেশ দারিদ্র্যপীড়িত দেশ হিসেবে পরিচিত। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৭০ শতাংশ। সরকারি বিভিন্ন নীতি ও কৃষক-শ্রমিকসহ জনগণের সম্মিলিত চেষ্টায় বাংলাদেশে গত ৪০ বছরে দারিদ্র্যের হার ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত পাঁচটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, একটি দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য ছিল দারিদ্র্য বিমোচন। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নীতি দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষকে দারিদ্র্য জয়ে সহযোগিতা করেছে। দারিদ্র্য হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নয়ন ঘটেছে।
গ একই বছরে সংঘটিত দুইটি নিষ্ঠুর নির্মম হত্যাকাণ্ড এদেশের রাজনৈতিক গতিধারাকে বদলে দিয়েছিল। দেশ হারিয়েছিল দেশের পথপ্রদর্শক নেতাদের। হারিয়েছিল দেশকে স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে। উদ্দীপকের এ তথ্য থেকে বোঝা যায়, প্রথম হত্যাকাণ্ডটি ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির জাতীয় জীবনে ঘটে এক নির্মম, নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চাভিলাসী ও উচ্ছৃঙ্খল সেনাসদস্য স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির মদদে বাংলাদেশের স্থপতি, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের উপস্থিত কোনো সদস্যই ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এমনকি ঘাতকের নিষ্ঠুর বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু রাসেলও। একটি আধুনিক ও শোষণ-দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ‘দ্বিতীয় বিপ্লবে’র কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিলেন। তখন দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি মহলের সহযোগিতায় দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপথকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে।
ঘ উদ্দীপকে উলিস্নখিত হত্যাকাণ্ড দুইটি দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে দেয়। প্রথম হত্যাকাণ্ডে দেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারায়। আর দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডটি ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫ জেলখানায় পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড। এতে দেশ জাতীয় চার নেতাকে হারায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হয়। ক্ষমতা গ্রহণের পাঁচদিন পর সামরিক শাসন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ২২ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করে। ২৪ আগস্ট জেনারেল কে. এম. সফিউল্লাহকে সরিয়ে জেনারেল জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত করে। ৩১ আগস্ট এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য খন্দকার মোশতাক ‘ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স’ নামে সংবিধান ও আইনের শাসন বিরোধী একটি অধ্যাদেশ জারি করে। ১৫ আগস্টের হত্যার সঙ্গে জড়িত জুনিয়র সেনা অফিসাররা ব্যারাকে ফিরে না গিয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনে বসে দেশ পরিচালনায় হস্তক্ষেপ করতে থাকে। এতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ সেনাবাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তাঁর নেতৃত্বে এক সেনা অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। ৫ নভেম্বর খন্দকার মোশতাক পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। ৬ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এএসএম সায়েম নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এভাবে জেলহত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নেতৃত্বশূন্য হয়ে যে গভীর সংকটে পতিত হয়, তার দুঃখজনক পরিণতিতে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটে এবং দীর্ঘকাল বাংলাদেশ দিকহারা অবস্থায় সামনে চলতে থাকে।
প্রশ্ন- ১৯ সেনা শাসনামল: জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদ
ক. ‘বিএনপি’ কত সালে গঠিত হয়? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ছকের দ্বিতীয় সেনা শাসনামল কীভাবে শুরু হয় তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ছকের প্রথম সেনা শাসকের ক্ষমতা সুসংহতকরণের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক বিএনপি গঠিত হয় ১৯৭৮ সালে।
খ যুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মীর অবদান ছিল খুবই প্রশংসনীয়। পত্র-পত্রিকায় লেখা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে খবর পাঠ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান, ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। এসব রণক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের মানসিক ও নৈতিক বল ধরে রাখতে সহায়তা করেছে, সাহস জুগিয়েছে, জনগণকে শত্রুর বিরুদ্ধে দুর্দমনীয় করেছে।
গ ছকে দ্বিতীয় সেনা শাসন আমলের সূচনা ঘটান জেনারেল এরশাদ। তিনিই পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে ১৯৯০ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর সংবিধান অনুযায়ী উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ সময় সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ছিলেন জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একই বছর ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিচারপতি আবদুস সাত্তার জয়লাভ করেন। কিন্তু বিচারপতি সাত্তারের দুর্বল নেতৃত্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ দেখিয়ে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সামরিক আইন জারি করে। রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সাত্তার সরকারকে অপসারণ করে ক্ষমতা দখল করেন। ক্ষমতায় এসেই সংবিধান স্থগিত করে, জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আহসান উদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করা হয়। সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সামরিক আইন প্রশাসক হন। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট আহসান উদ্দিনকে সরিয়ে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেই রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন।
ঘ ছকের প্রথম সেনা শাসক হচ্ছেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনিই পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনা অভ্যুত্থান ঘটে এবং জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্ত হয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল নিজেকে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত করেন। অতঃপর ক্ষমতা সুসংহতকরণে তাকে বেশ কিছু পদক্ষপে নিতে হয়। জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে সামরিক বাহিনীর মধ্যে বেশ কিছু ব্যর্থ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এতে বিচারের নামে অনেক নিরপরাধ সামরিক কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যের মৃত্যুদণ্ড, সাজা কিংবা চাকরিচ্যুত করা হয়। জেনারেল জিয়ার শাসন আমলে বাংলাদেশের রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭২-এর সংবিধানে প্রণীত যেসব মৌলিক নীতি ও চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়ে আসছিল, তার বেশিরভাগই এ সময় বাতিল করে দেওয়া হয়। ১৫ আগস্টসহ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না মর্মে যে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ প্রণীত হয়েছিল তার মূল হোতাও ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান। সুতরাং ওপরের আলোচনা শেষে বলা যায় যে, ক্ষমতা সুসংহত করার জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ২০ বাংলাদেশ সরকারের ‘ভিশন-২০২১
সাব্বিরের দেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। সরকার দেশকে ২০২১ সাল নাগাদ একটি শক্তিশালী মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এর নাম হচ্ছে ‘ভিশন-২০২১’।
ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কত সালে হত্যা করা হয়? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা মূল্যায়ন কর। ২
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত সাব্বিরের দেশের লক্ষ্য পূরণে পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত খাদ্যনীতির সাফল্য বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উক্ত লক্ষ্য পূরণে গৃহীত শিক্ষানীতি মূল্যায়ন কর। ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট।
খ প্রবাসী বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। বিভিন্ন দেশে তারা মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেছেন, পাকি স্তানকে অস্ত্র গোলাবারুদ সরবরাহ না করতে সরকারের নিকট আবেদন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে তারা কাজ করেছেন।
গ সাব্বিরের দেশ বাংলাদেশ যেখানে সরকার ভিশন-২০২১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্দীপকে বর্ণিত ভিশন-২০২১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের খাদ্যনীতি গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে বিশেষত দরিদ্র মানুষের খাদ্যপ্রাপ্তি ও পুষ্টির জন্য প্রণীত হয় ‘খাদ্যনীতি-২০০৬’। প্রান্তিক ও গ্রামীণ জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সরকার বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি যেমন : কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), ভিজিএফ, ভিজিডি, টিআর প্রভৃতি পরিচালনা করছে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার প্রায় ২০ লাখ টন চাল দুস্থ, নিরন্ন, প্রতিবন্ধী, শ্রমিকদের সরবরাহ করে। এছাড়া পরিবেশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে সরকার ইতোমধ্যে প্রশংসা অর্জন করেছে।
ঘ বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সাল নাগাদ দেশকে শক্তিশালী মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে তথা ভিশন-২০২১ এর লক্ষ্য পূরণে শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়নের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। বিশেষত বর্তমানে চালু হওয়া, সৃজনশীল পদ্ধতির মূল্যায়ন ব্যবস্থা, শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে এবং বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার পাসের হার বেড়েছে, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে, শ্রেণিতে নারী শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার বেড়েছে। এছাড়া একীভূত শিক্ষা গ্রহণ করার ফলে ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কার্যক্রম সফলতা পেয়েছে। যার ফলে ভিশন-২০২১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং উক্ত নীতিগুলো বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন হবে।
অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ২১ মুজিবনগর সরকার
ক. কত তারিখে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ -এর নীলনকশা করা হয়? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের তৎপরতা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে কোন সরকারের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় উক্ত সরকারের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক ১৭ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর নীলনকশা করা হয়।
খ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাকবাহিনীর সমর্থনে মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, পিডিপিসহ কতিপয় দল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। দলগুলো শান্তিকমিটি, রাজাকার, আলবদর, আল শামস নামক বিশেষ বাহিনী গঠন করে। এসব বাহিনী হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, নারীর সম্ভ্রমহানির মতো মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। স্বাধীনতাবিরোধী এ বাহিনীগুলো মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঙালিদের মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এদেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
গ উদ্দীপকে মুজিবনগর সরকারের কথা বলা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকার বা বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল তারিখে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। উদ্দীপকের ছকে এ তথ্যগুলো সন্নিবেশিত হয়েছে। এছাড়া এ সরকারে অন্য তিনজন মন্ত্রী ছিলেন, অর্থমন্ত্রী এম. মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান, পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ। মুজিবনগর সরকারকে উপদেশ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি ৬ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদও গঠন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ১২টি মন্ত্রণালয়ও এর অধীনে ছিল। অর্থাৎ উদ্দীপকের ছকে মুজিবনগর সরকারের কথাই বলা হয়েছে যা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার।
ঘ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় উক্ত সরকার তথা মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ছিল মুখ্য। যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য সরকারের যে ভূমিকা গ্রহণ করা দরকার তার বৈধতা ও ক্ষমতা কেবল মুজিবনগর সরকারের হাতেই ছিল। মুজিবনগর সরকার সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল এম.এ.জি ওসমানী। মুজিবনগর সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে (কলকাতা, দিলিস্ন, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, স্টকহোম) বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করে। এসব মিশন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রচারণা ও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে। সরকার বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত নিয়োগ দেয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব নেতৃত্ব ও জনমতের সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করে। ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক, বেসামরিক জনগণকে নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১০ এপ্রিল সরকার ৪টি সামরিক জোনে বাংলাদেশকে ভাগ করে ৪ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করে। ১১ এপ্রিল তা পুনঃনির্ধারিত করে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। এছাড়া বেশ কিছু সাব-সেক্টর এবং তিনটি ব্রিগেড ফোর্স গঠিত হয়। এসব বাহিনীতে পাকি স্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি সেনা কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, পুলিশ, ইপিআর, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যগণ যোগদান করেন। প্রতিটি সেক্টরেই নিয়মিত সেনা, গেরিলা ও সাধারণ যোদ্ধা ছিল। এরা মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিফৌজ নামে পরিচিত ছিল। এসব বাহিনীতে দেশের ছাত্র, যুবক, নারী, কৃষক, রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিল। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে যোদ্ধাগণ দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকি স্তানি সামরিক ছাউনি বা আ স্তানায় হামলা চালায়। এভাবে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধকে সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পরিচালনায় সমর্থ হয়। ফলে মাত্র ৯ মাসে আমরা পাক হানাদারদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে সক্ষম হই এবং বিজয় ছিনিয়ে আনি।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ২২ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক যাত্রা
সাহারা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তার একটি ছবিতে গণহত্যার অমানবিক দৃশ্য ফুটে ওঠে ও আরেকটি ছবিতে দেখা যায় একজন চশমাপরা, কোটপরা লোক একটি আঙুল উঁচু করে ভাষণ দিচ্ছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এ ভাষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তার এ ভাষণে উপস্থিত জনতা উত্তেজনায় ফেটে পড়ছে।
ক. স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয় কত তারিখে? ১
খ. অপারেশন সার্চলাইট বলতে কী বোঝ? ২
গ. সাহারার আঁকা প্রথম ছবিটির বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সাহারার আঁকা দ্বিতীয় ছবিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ? তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে এর যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়।
খ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকি স্তানি বাহিনী কর্তৃক নিরীহ বাঙালিদের ওপর পরিচালিত ইতিহাসের নৃশংসতম অভিযানের নাম অপারেশন সার্চলাইট। এ অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানার ইপিআর ক্যাম্পসহ গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনায় পাকি স্তানি সামরিক বাহিনী নির্মম গণহত্যা চালায়।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ২৩ মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম
সানজারের দাদুবাড়ি মেহেরপুরে। এবার গরমের ছুটিতে সানজার দাদুবাড়ি বেড়াতে যায়। ছোট চাচার সঙ্গে মেহেরপুরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে একটি আমবাগানের মধ্যে এসে চাচা বললেন, এটি বৈদ্যনাথতলা গ্রাম।
ক. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে কখন? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবী মানুষের ভূমিকা উলেস্নখ কর। ২
গ. এদেশের ইতিহাসে উদ্দীপকের স্থানটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, সানজারের দাদুবাড়ির এলাকাটিকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকি স্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।
খ ১৯৭১ সালে পাকি স্তানি হানাদার বাহিনী নিরীহ বাঙালিদের ওপর আক্রমণ চালালে বাংলাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করেন। বাঙালি ছাত্রজনতা, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ, ইপিআর, সেনাবাহিনীর সদস্য, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক, তাঁতি, মাঝি সবাই দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করে। স্বাধীনতার এ যুদ্ধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই কমবেশি আহত-নিহত হন। তাই এ যুদ্ধকে বলা হয় গণযুদ্ধ।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ২৪ সেনা শাসন আমল (১৯৭৫-১৯৯০)
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে পুনরায় এক রক্তাক্ত ইতিহাসের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পাশাপাশি দেশের শাসন ব্যবস্থায় এক নতুন রূপ ধারণ করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ শাসনব্যবস্থায় জনগণ দু’বার নিপতিত হয়েছে। সুখ-দুঃখ মিলিয়েই জনগণ এ শাসনকাল অতিক্রম করেছে।
ক. জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ অনুযায়ী শিশু কারা? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধের ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার নতুন রূপটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে তোমার মূল্যায়ন তুলে ধর। ৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক ‘জাতীয় শিশু নীতি-২০১১’ অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী সকল ব্যক্তিই শিশু।
খ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকি স্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে বাঙালি ছাত্র, জনতা, পুলিশ, ইপিআর সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে বহু মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন রণাঙ্গনে শহিদ হন। আবার অনেকে গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের এ ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ১৯৭৫-’৯০ সাল পর্যন্ত সামরিক শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ বাংলাদেশের সামরিক শাসনব্যবস্থা মূল্যায়ন কর।
প্রশ্ন- ২৫ মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম
পদবি | নাম |
রাষ্ট্রপতি | শেখ মুজিবুর রহমান |
উপরাষ্ট্রপতি | সৈয়দ নজরুল ইসলাম |
প্রধানমন্ত্রী | তাজউদ্দিন আহমদ |
পররাষ্ট্র দফতর খন্দকার | মোশতাক আহমেদ |
অর্থদপ্তর | ক্যাপ্টেন মনসুর আলী |
স্বরাষ্ট্র ও পুনর্বাসন | এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান |
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বঙ্গবন্ধু কবে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন? ১
খ. ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে কোন সরকারের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে? উক্ত সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট কি ছিল? ৩
ঘ. উক্ত সরকার গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বি স্তারিত আলোচনা কর। ৪
ক ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
খ মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। কিন্তু পাকসেনা কর্তৃক ধর্ষিত হয় প্রায় তিন লক্ষ নারী। তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী এবং তাদের ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে সরকারিভাবে ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধি দেওয়া হয়।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ মুজিবনগর সরকারের গঠন বর্ণনা কর।
ঘ মুজিবনগর সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ কর।
অধ্যায় সমন্বিত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ২৬ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য ও মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ
জনাব ‘ক’ এর দল নির্বাচনে জয় লাভ করলেও কেন্দ্রীয় সরকার তাদের হাতে ক্ষমতা হ স্তান্তর না করে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এতে জনগণের মধ্যে তীব্র অসšেত্মাষ সৃষ্টি হলে তারা কঠোরভাবে দমনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। ফলে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে যুদ্ধের রূপ ধারণ করে। জনাব ‘ক’ এর দল স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আপামর জনগণ তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। অবশেষে তার দেশ স্বাধীন হয়।
ক. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন? ১
খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব ‘ক’ এর দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কোন বৈষম্যটি পরিলক্ষতি হয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “মুক্তিকামী জনগণের সহযোগিতা ছাড়া স্বাধীনতা অর্জন অসম্ভব”- উদ্দীপকের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ।
খ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে।
গ জনাব ‘ক’ এর দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য ধরা পড়ে। ‘ক’ এর দেশে কেন্দ্রীয় সরকার ‘ক’ এর দলকে নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী ক্ষমতা না দিয়ে কঠোরভাবে তাদের দমনের সিদ্ধান্ত নেয়। এমন কী যুদ্ধ বেধে যায়। মূলত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য থাকলেই এরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। বাংলাদেশেও ১৯৭১ সালে যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে মোট অফিসারের ৫%, সাধারণ সৈনিকদের মাত্র ৪%, নৌবাহিনীর উচ্চপদে ১৯%, নিম্নপদে ৯%, বিমান বাহিনীর পাইলটদের ১১%, টেকনিশিয়ানদের ১.৭% ছিলেন বাঙালি। এমতাবস্থায় ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করলেও শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হ স্তাস্তর না করে গড়িমসি করতে থাকে। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৫ মার্চ পাকি স্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায় এবং নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। বাঙালিরা আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মূলত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্যের সূত্রে পাকি স্তানি হায়েনারা নৃশংসতা চালায় আর বাঙালি জাতি দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে রুখে দাঁড়ায়।
ঘ উদ্দীপকে ‘ক’ এর দেশের ইঙ্গিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নির্দেশিত হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ অস্ত্রের বিচারে ছিল এক অসম যুদ্ধ। একদিকে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকি স্তান সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে বাঙালি সর্বস্তরের জনতা, সাথে তাদের অকুতোভয় কিছু বীর সেনানী। কিন্তু মাত্র ৯ মাসে আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকি স্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে বাঙালি ছাত্র, জনতা, পুলিশ, ইপিআর (ইষ্ট পাকি স্তান রাইফেলস) সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। বিনা প্রতিরোধে পাকি স্তানি সেনাবাহিনীকে বাঙালিরা ছাড় দেয়নি। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে বহু মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন রণাঙ্গনে শহিদ হন, আবার অনেকে গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে শত্রুমুক্ত করার লক্ষে মৃত্যুকে তুচ্ছ মনে করে যুদ্ধে যোগদান করেছিল। তারা ছিল দেশপ্রেমিক, অসীম সাহসী এবং আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক, ইপিআর, পুলিশ, আনসার, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালিরা অংশগ্রহণ করেছিল বলে এ যুদ্ধকে ‘গণযুদ্ধ’ বা ‘জনযুদ্ধ’ও বলা হয়। আর মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ। তাই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, পেশাজীবী, নারী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। মুক্তিযুদ্ধ হয় সার্থক। আর প্রমাণ করে, মুক্তিকামী জনগণের সহযোগিতা ছাড়া স্বাধীনতা অর্জন অসম্ভব।
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল কারা?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ মুক্তিযুদ্ধে কোন অনুষ্ঠানদ্বয় জনপ্রিয় ছিল?
উত্তর : ‘চরমপত্র’ ও ‘জল্লাদের দরবার’ অনুষ্ঠানদ্বয় মুক্তিযুদ্ধের সময় জনপ্রিয় ছিল।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বঙ্গবন্ধু কখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?
উত্তর : ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর : মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
উত্তর : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর : খন্দকার মোশতাক আহমেদ মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী ছিলেন।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।?
উত্তর : মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ সাধারণ অর্থে পেশাজীবী কারা?
উত্তর : সাধারণ অর্থে পেশাজীবী বিভিন্ন পেশায় যারা নিয়োজিত।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ কারা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন?
উত্তর : চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ কারা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করেছে?
উত্তর : সাধারণ মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করেছে।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন এম মনসুর আলী।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ ভারত কখন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের পর সর্বাধিক অবদান রাখে কোন দেশ?
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের পর সর্বাধিক অবদান রাখে রাশিয়া।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ বাংলাদেশ কত সালে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য হয়?
উত্তর : ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে কবে?
উত্তর : ১৯৭৪ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে ।
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ
ন। এই ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম। ৭ মার্চের ভাষণ থেকে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা ও মুক্তিযুদ্ধের
র্দেশনা পায়। এ ভাষণের পরেই বাঙালি জাতির সামনে একটি গন্তব্য নির্ধারণ হয়ে যায়, তা হলো
স্বাধীনতা’। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকি স্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায় এবং নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। বাঙালিরা আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নারীরা কীভাবে সাহায্য করেছিল তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি
ঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রূষা,
ক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা।
পাকসেনা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হয় প্রায় তিন লক্ষ নারী। তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ স্বাধীনতা ঘোষণার বাংলা অনুবাদটি লেখ।
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণটি ছিল ইংরেজিতে, যাতে বিশ্ববাসী ঘোষণাটি
ঝতে পারেন। স্বাধীনতা ঘোষণার বাংলা অনুবাদ : “ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে, বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ কর। পাকি স্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও” (বাংলাদেশ গেজেট, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, ৩ জুলাই, ২০১১)।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ মুজিবনগর সরকারের নামকরণের তাৎপর্য কী?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের সাথে সঙ্গতি রেখে মুজিবনগর সরকার নামকরণ করা হয়।
ঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতারের পূর্বমুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর স্বাধীন দেশে সরকার গঠন আবশ্যক হয়ে পড়ে। ফলে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতারা ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা সরকার গঠন এবং ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণের মাধ্যমে সরকার গঠনের পূর্ণতা পায়। শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠন করেন। মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ অনুষ্ঠানের পর থেকেই এ সরকারকে মুজিবনগর সরকার হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না কেন?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকি স্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে বাঙালি ছাত্র, জনতা, পুলিশ, ইপিআর (ইস্ট পাকি স্তান রাইফেলস) সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে বহু মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন রণাঙ্গনে শহিদ হন। আবার অনেকে গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের এ ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ২৫ মার্চের পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংগঠিত হয়ে সরকার গঠন, মুক্তিবাহিনী গঠন, বিদেশে জনমত সৃষ্টি ও সমর্থন আদায়, যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ এবং জনগণের মনোবল অটুট রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার ক্ষেত্রে সকল শক্তি, মেধা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বজনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ জাতি কেন মুক্তিযোদ্ধাদের সূর্যসন্তান হিসেবে মনে রাখবে?
উত্তর : বাঙালি জাতি চিরকাল ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে।
মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে শত্রুমুক্ত করতে নিজের মৃত্যুকে তুচ্ছজ্ঞান করে যুদ্ধে যোগদান করেছিল। প্রায় ৩০ লক্ষ শহিদের তাজা রক্ত ও ৩ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আজকের স্বাধীনতা।
তি হিসেবে আমরা তাই মুক্তিযোদ্ধাদের মনে করি শ্রেষ্ঠ সন্তান। এজন্য বাঙালি জাতি যতদিন পৃথিবীতে থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের তারা সূর্যসন্তান হিসেবে মনে করবে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ একটি রাজনৈতিক যুদ্ধ’।- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমাদের মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্বই যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করেছিল তাই একে বলা হয়
জনৈতিক যুদ্ধ।
ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সরকার গঠনের কথা থাকলেও পশ্চিম পাকি স্তানি শাসকগোষ্ঠী সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছিল। তাই রাজনৈতিকভাবে ৭ মার্চের ভাষণের পর
এবং স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে দেশ স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়। মুজিবনগর সরকার শেষ পর্যন্ত অবদান রাখায় এ যুদ্ধকে রাজনৈতিক যুদ্ধ বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ ‘এই সংবিধান শহিদদের রক্তে লিখিত।’-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৯৭২ সালে প্রস্তুতকৃত সংবিধানের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এ উক্তিটি
রেছিলেন।
মূলত ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এর সঙ্গে ছিল অগণিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বলিদান, নাম না জানা মানুষের ত্যাগের মহিমা। ১৯৭২ সালে সংবিধান গণপরিষদে পাশ হওয়ার প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু শ্রদ্ধাভরে শহিদদের স্মরণ করেন এবং বলেন যে আজ আমরা যে সংবিধান পেলাম তা মূলত ’৭১-র শহিদদের রক্তের বিনিময়ের কারণে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান আলোচনা কর।
উত্তর : প্রবাসী বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। বিভিন্ন দেশে তারা মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের নিকট ছুটে গিয়েছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেছেন, পাকি স্তানকে অস্ত্র গোলাবারুদ সরবরাহ না করতে সরকারের নিকট আবেদন করেছেন। এক্ষেত্রে ব্রিটেনের প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ্য। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে তারা নিরলস কাজ করেছেন।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক।’ – ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ের একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল উক্ত ¯েস্নাগান। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন সারাদেশে যখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে এমনি সময়ে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নূর হোসেন নামক এক ব্যক্তি বুকে ও পিঠে “স্বৈরাচার নিপাত যাক; গণতন্ত্র মুক্তি পাক।” ¯েস্নাগান লিখে মিছিলে অংশগ্রহণ করলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পরবর্তীতে নূর হোসেনের এ আত্মত্যাগ আন্দোলনকে আরও বেগবান করে এবং জনগণ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করে। ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর এরশাদের ক্ষমতা ত্যাগের মাধ্যমে জাতি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে পায়।
WordsMeaningsSynonyms antonymsouterবাইরেরoutmostinnerproletarianদরিদ্র/সর্বহারাWorking-classmorallaunchশুরু করাIntroductionwithdrawpreparingপ্রস্তুতিGet-readydoubtfaultlesslyনির্দোষভাবেabsolutelyfaultynauseaবমিবমিভাবvomitingheadachediscomfortঅসস্তিupsetcomfortmaintainedবজায় করাsustainuselessLaterকরেnextearlierdynamicগতিশীলAggressivestaticplanপরিকল্পনাproposaldisorderaimলক্ষGoalaimlessdirectionনিদ্ধেশনাInstructionnoticeprofessionপেশাJobjoblesssuitsআকারFormnothingaptitudeযোগ্যতাAttitudedislikevaryপরিবর্তীতVariousfixeducatedশিক্ষিতLearneduneducatedcitizenনাগরিকnativeforeignervirtueপূর্ণgoodnessevilA lotঅনেকhugelittlecourteousবিনয়ীpoliterudediscourtesyঅবিনয়ীrudenesscourteouswinজয় করাgainloseenemyশত্রুfoefriendensureনিশ্চিত করাconfirmcancelangerরাগtempercalmnessremoveঅপসারণcancelputcordialityসোহার্দrudenessdiscordialitydifferentভিন্নDissimilarsameseeksঅনুসন্ধানPursuefindeagerআগ্রহীinterestdisinterestedobservationপর্যবেক্ষণExaminationneglectmereএকমাত্রImmenseabnormalalertসতর্কWatchfulunawarelatentসুপ্তOpenrealizedinstructorsপ্রশিকক্ষকteacherstudentguideগাইডmentormisguidewayপথ/উপায়Pathpartfascinatingচমৎকারexcellentunattractiveinterestআগ্রহীeagerdisregardimpatientঅধৈয্যIntolerancepatientillogicalঅযোক্তিকunethicalLogicalindifferentউদাসীনUninteresteddifferentethicallyনৈথিকভাবেlawfullyUnethicalGood-lookingচমৎকারAttractiveUnattractiveDarkঅন্ধকারBlackbrightFlawlessস্থিরperfectflawedShinyউজ্জল্যbrightdarkSlenderসরুthinfatGracefulকরুনাময়elegantungracefulStylishlyআড়ম্বরপূর্ণভাবেattractivesimplyAppreciatesপ্রশংসা করেpriesCriticizeNoticeলক্ষ করেadvertisementoverlookAmbitionউচ্ছাকাঙকাAim/desirelazinessRequireপ্রয়োজনneedanswerProficiencyদক্ষতাskilledincompetenceWonderআশ্চয্যSurprisedisinterestTestedপরীক্ষীতverifiednewEquallyসমানভাবেsimilarlyUnequallyDisappointingহতাশাজনকInceptingappointingPresumablyসম্ভবতdoubtlesslyimprobableQualifyযোগ্যতাcertifyDisqualifywrongভুলmistakewriteIdealআদর্শModelbadMasterদক্ষTeacherStudentMakesতৈরীcreateBreak/destroyMethodপদ্ধতিSystemdifferenceConvincingবিশ্বাসীsatisfactoryUnconvincingPraisesপ্রশাংসা করেhurrahCriticizeMistakeভুলErrorsagacityAngryরাগevilcalmSimpleসাধারণgeneralComplexmoralনৈতিকethicalamoralAcceptedগৃহিতreceivedrejectedSincerityআন্তরিকতাGood-willinsincerityResponsibilityদায়িত্বdutiesdepartureComplexityজটিলতাcomplicationSimplicityEnvyহিংসাlastedpraiseVicesমন্দevilVirtueImpactsপ্রভাবeffectfailsAwarenessসতর্কতাalertnessunawarenessOut-comeবাহিরের দিকresultcauseimportanceগুর্ত্বপূর্ণsignificanceinsignificanceFriendবন্দুenemyfoeNeedপ্রয়োজনcommitment/necessaryavoidSympathyসহানুভুতিkindnessrudenessProveপ্রমানconfirmdisproveFalseমিথ্যাwrongtrueHarmক্ষতিকরlosshelpLaughহাসাburstcryPleasureআনন্দhappinesssadnessBringআনাcarryleaveideaধারণাconceptnothingAllowঅনুমতিpermitdenyFreedomস্বাধীনতাindependencebondageOpinionমতামতviewawarenessFairমেলাcleanunfairEqualসমানbalancedunequalDivisionবিভাগdistributionunionElectনির্বাচন করাvoterefuseSystemনিয়ম-নীতিprocesspartTreatmentচিকিৎশা করাcuringhurtFacilityসুবিধাadvantagepainNeverকখন নয়NotingAlwaysWeakerদুর্বলrottenstrongerDiscourageনিরুৎসাহিতdroopEncourageFrustratingহতাশাজনকBuffaloingsatisfyingInterestআগ্রহীeagernessdiscourageAbilityসক্ষমতাCapabilityinabilityDreamস্বপ্নfancyfactBestসবচেয়ে ভালfinestworstSuccessসফলতাachievementfailureachieveঅর্জন…
আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক…
Model Question 1 Part-I : Marks 60 1. Read the passage and answer the questions…
পঞ্চম অধ্যায় দেবদেবী ও পূজা এ অধ্যায়ে আমরা পূজা, পুরোহিতের ধারণা ও যোগ্যতা, দেবী দুর্গা,…
চতুর্থ অধ্যার হিন্দুধর্মে সংস্কার আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয…
তৃতীয় অধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয়…
This website uses cookies.