ssc bangla 1st paper

নবম-দশম শ্রেনী-২০২৩ বাংলা ১ম পত্র পদ্যঃ জীবন-সঙ্গীত সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 

জীবন-সঙ্গীত

লেখক পরিচিতি

নামহেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম পরিচয়জন্ম তারিখ     : ১৮৩৮ সালের ১৭ই এপ্রিল। জন্মস্থান    :  হুগলি জেলার গুলিটা রাজবলস্নভহাট গ্রাম।
পিতৃ-মাতৃ পরিচয়পিতার নাম      :           কৈলাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিড়্গাজীবনকলকাতার খিদিরপুর বাংলা স্কুলে পড়াশোনাকালে আর্থিক সংকটের কারণে তাঁর পড়াশোনা বন্ধ হয়। এরপর কলকাতার সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারীর আশ্রয়ে ইংরেজি শেখেন। পরবর্তীকালে হিন্দু কলেজ থেকে সিনিয়র স্কুল পরীড়্গায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৫৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
পেশাসরকারি চাকরি, শিক্ষকতা; পরে আইন ব্যবসায় নিয়োজিত হন।
সাহিত্যিক পরিচয়কাব্য রচনায় মাইকেল মধুসূদনের পর ছিলেন সবচেয়ে খ্যাতিমান। স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় ‘বৃত্রসংহার’ নামক মহাকাব্য রচনা করেন।
উলেস্নখযোগ্য রচনামহাকাব্য : বৃত্রসংহার। কাব্য : চিন্তাতরঙ্গিনী, বীরবাহু, আশাকানন, ছায়াময়ী।
মৃত্যু১৯০৩ সালের ২৪শে মে।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

 ১ নং.  রবার্ট ব্রুস পর পর ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এক সময়ে হতাশ হয়ে বনে চলে যান। সেখানে দেখেন একটা মাকড়সা জাল বুনতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। অবশেষে সে সপ্তমবারে সফল হয়। এ ঘটনা রবার্ট ব্রুসের মনে উৎসাহ জাগায়। তিনি বুঝতে পারেন জীবনে সাফল্য ও ব্যর্থতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই তিনি আবার পূর্ণ উদ্যমে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন।

ক.       কবি কোন দৃশ্য ভুলতে নিষেধ করেছেন?      ১

খ.        কীভাবে ‘ভবের’ উন্নতি করা যায়?  ২

গ.        পরাজয়ের গণ্ঢানি রবার্ট ব্রুসের মাঝে যে প্রভাব বি¯ত্মার করে সেটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাথে যেভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ তা তুলে ধরো।      ৩

ঘ.        ‘হতাশা নয় বরং সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যই মানুষের জীবনে চরম সাফল্য বয়ে আনে।’- উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অবলম্বনে উক্তিটি বিশেণ্ঢষণ করো।       ৪

এর নং প্র. উ.

কবি বাহ্যদৃশ্য ভুলতে নিষেধ করেছেন।

১ এর খ নং প্র. উ.

সংসারে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলেই ভবের উন্নতি হবে।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় জীবনের মর্ম উপলব্ধি করার আহ্বান জানিয়েছেন কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসারজীবনকে তিনি গুরম্নত্ব দিতে বলেছেন। তাঁর মতে, ভবের বা পৃথিবীর উন্নতির জন্য সংসারজীবনের কাজগুলো ভালোভাবে করতে হবে। সবাই যদি নিজের কাজ যথার্থভাবে করে তবেই জগতের উন্নতি হবে।

এর নং প্র. উ.

পরাজয়ের গস্নানি রবার্ট ব্রম্নসের মাঝে যে প্রভাব বি¯ত্মার করে সেটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় উলিস্নখিত দুঃখবাদী চেতনার স্বরূপকেই তুলে ধরে।

‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে চেয়েছেন, এ জীবনের মূল্য অনেক। জীবনটা কেবল নিশার স্বপন নয়। তাই মিথ্যা সুখের কল্পনা করে দুঃখ বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই। হতাশায় ভোগা মানুষদের বৈরাগ্য ভাব ত্যাগ করে প্রাণচঞ্চল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে কবিতায়।
উদ্দীপকে বর্ণিত রবার্ট ব্রম্নস ছয়বার যুদ্ধ করে প্রতিবারই পরাজিত হন। এক সময়ে হতাশা তাঁকে ঘিরে ধরে। মনের দুঃখে তিনি বনে চলে যান। পরাজিত হওয়ার গস্নানি থেকেই তিনি এ কাজটি করেন। কিন্তু নিরাশ না হয়ে সাফল্য লাভের জন্য বারবার চেষ্টা করাই মানবজীবনের লড়্গ্য হওয়া উচিত। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় সেই তাগিদই দেওয়া হয়েছে। পরাজিত রবার্ট ব্রম্নসের মতো যারা হতাশায় ভোগে তেমন মানুষদের প্রতিই আশার বাণী শুনিয়েছেন জীবন-সঙ্গীত কবিতার কবি।

এর নং প্র. উ.

পরাজয়ে ভেঙে না পড়ে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করলেই সফল হওয়া যায়। উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় আমরা  এ বিষয়েরই প্রমাণ পাই।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি বলেছেন, হতাশাগ্রস্ত মানুষ জন্মটাকে বৃথা ও জীবনকে রাতের স্বপ্ন মনে করে। অথচ মানবজীবন অত্যন্ত মূল্যবান। নিজের ও জগতের উন্নতি করাই মানবজীবনের লড়্গ্য। তাই এই জীবনসংসারে মানুষকে সাহসী বীরের মতো এগিয়ে যেতে হয়। বৈরাগ্য নয় বরং সংসারজীবনের সকল দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে জীবনকে অর্থবহ করতে হয়। মহামানবেরা যেমন জীবনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে জগতে বরণীয় হয়েছেন আমাদের সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হবে।
আলোচ্য উদ্দীপকে রবার্ট ব্রম্নস ছয়-ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হতাশ হয়ে বনে চলে যান। তিনি সেখানে দেখতে পান একটি মাকড়সা তার বাসা তৈরি করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়ে সপ্তমবারে সফল হয়। তিনি এ ঘটনা থেকে উৎসাহ পেলেন। তিনি ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার শিড়্গা পেলেন। পরবর্তী সময়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে তিনি যুদ্ধে জয়ী হলেন।
কাজেই আলোচ্য উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, জীবনে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার কোনো বিকল্প নেই। কারণ জয়-পরাজয়, সাফল্য-ব্যর্থতা খুব কাছাকাছি অবস্থান করে। পরাজিত হলে হতাশ হয়ে বসে থাকলে কোনো লাভ নেই। বরং চেষ্টা ও ধৈর্যের মধ্য দিয়েই সফলতাকে ছিনিয়ে আনতে হয়। পৃথিবীর সকল মানবের ড়্গেেত্রই এ কথা প্রযোজ্য। যুগে যুগে মহামানবেরা এ পথে চলেই মহিমন্বিত হয়েছেন।

গুরম্নত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

 ২ নং.  মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানবজীবন নাতিদীর্ঘ। মানুষ স্বীয় কর্মের জন্য সাফল্য-ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ভোগ, লোভ-লালসার চিন্তায় মানুষ ব্যর্থতা অর্জন করে। পড়্গান্তরে ত্যাগ, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার মাধ্যমে মানুষ সফলতা অর্জন করে।

ক.       ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ কী?      ১

খ.        ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?     ২

গ.        ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি ব্যর্থতার যে বর্ণনা দিয়েছেন উদ্দীপকেরে আলোকে ব্যাখ্যা করো।            ৩

ঘ.        “সাফল্য অর্জনে চাই, ত্যাগ, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা”- উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অবলম্বনে উক্তিটি বিশেস্নষণ করো।        ৪

নং প্র. উ.

ক.       ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ পতাকা বা নিশান।

খ.        ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’ বলতে বোঝানো হয়েছে, আয়ু শৈবালের শিশিরের মতোই ক্ষণস্থায়ী।
সময় কারো জন্য অপেড়্গা করে না। এই সময়ের স্রোতে মানুষের আয়ুও দ্রম্নতই ফুরিয়ে যায়। শৈবালের ওপর জমে থাকা শিশিরের চিহ্নের স্থায়িত্ব খুবই সামান্য। মানুষের জীবনও তাই। মানুষের জীবনের এই ক্ষণস্থায়িত্ব বোঝাতেই কবি আয়ুকে শৈবালের শিশিরের সাথে তুলনা করেছেন।

গ.        ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ব্যর্থতার জন্য জীবনের ও সময়ের মূল্য না বোঝাকে দায়ী করা হয়েছে, যা আলোচ্য উদ্দীপকেও প্রকাশিত হয়েছে।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, আমাদের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। তাই জীবনে যতটুকু সময় আমরা পেয়ে থাকি তার সদ্ব্যবহার করতে হবে। তা না করে অকারণে বৈরাগ্যের কারণে দুঃখটা কেবল বাড়বে এবং জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, মানুষ নিজেই তার ভাগ্যের নির্ধারক। মানুষের কর্মফলই মানুষের পরিণতি ঠিক করে দেয়। মানবজীবন অনন্তকালের নয়। তাই সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার না করলে ব্যর্থতার বৃত্তে আমরা আটকা পড়ব। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায়ও মানবজীবনে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে সমধর্মী মতামত প্রকাশিত হয়েছে।

ঘ.        ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় জীবনে সফল হওয়ার জন্য যে সাধনার কথা বলা হয়েছে তা উদ্দীপকেও লক্ষ করো যায়।

‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মানবজীবন নিছক স্বপ্নমাত্র নয়। বরং জীবন অনেক গুরম্নত্বপূর্ণ। জীবনে সবার উচিত নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা। আর এড়্গেেত্র বরণীয় মানুষদের দেখানো পথ অনুসরণ করতে হবে। তাহলেই জীবনে সফল হওয়া যাবে।
উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে জীবনকে সার্থক করার মূলমন্ত্র। মানুষের কর্মফলই মানুষকে সফল করে। আবার আপন কর্মের কারণেই মানুষ ব্যর্থতার স্বাদ নিতে বাধ্য হয়। তাই জীবনকে প্রকৃত অর্থে সুন্দর করার জন্য ভোগের পথ বর্জন করে ত্যাগের পথ অনুসরণ করা প্রয়োজন। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায়ও একই আহ্বান জানানো হয়েছে।
মানবজীবন যেন এক যুদ্ধক্ষত্রে। এখানে সফল হওয়ার জন্য চাই নিরন্তর সংগ্রাম। সে সংগ্রামে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। বরং ধৈর্য ও সহিষ্ণুতাকে সম্বল করে সব প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করতে হবে। উদ্দীপক এবং ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা উভয় ড়্গেেত্রই এ বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে। পৃথিবীতে যারা আপন কর্মগুণে স্মরণীয়, বরণীয় হয়ে আছেন তাঁরা কেউই স্বার্থসিদ্ধিতে তৎপর ছিলেন না। বরং পরের কল্যাণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। জীবনে সফলতা লাভের জন্য সেসব মহামানবের পদাঙ্ক অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকেও ত্যাগের পথে জীবনকে পরিচালিত করার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা সার্থক জীবন লাভ করতে পারব।

 ৩ নং. দুঃসাহসী চারজন মুসা ইব্রাহীম, নিশাত মজুমদার, এম এ মুহিত ও ওয়াসফিয়া নাজরিন। ওদের স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার। ওরা বের হয়েছে হিমালয় জয়ের উদ্দেশ্যে। অনেক বাধা এসেছিল। অনেকেই ওদের যাওয়াটা সমর্থন করছিল না। ছিল মৃত্যুর আশঙ্কা। সবার কথাকে অগ্রাহ্য করে, বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে তারা দুর্জয়কে জয় করেছে।

ক.       ‘বীর্যবান’ শব্দের অর্থ কী?   ১

খ.        “স্বীয় কীর্তি ধ্বজা ধরে” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?            ২

গ.        উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।    ৩

ঘ.        উদ্দীপকে চার দুঃসাহসীর দুর্জয়কে জয় করা যুক্তিসংগত। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অবলম্বনে বিশেস্নষণ করো।         ৪

নং প্র. উ.

ক.       ‘বীর্যবান’ শব্দের অর্থ বলবান।

খ.        স্বীয় কীর্তি ধ্বজা ধরে বলতে নিজ নিজ মহৎ কর্মকে পতাকা হিসেবে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

পৃথিবীতে মানুষ স্মরণীয় ও বরণীয় হয় তার মহৎ কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। যুগে যুগে মহামানবরা তাঁদের কর্মগুণেই স্মরণীয় হয়েছেন। শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসন লাভ করেছেন। তাই কবি শুভকর্ম সম্পাদন এবং তাকে ধারণ করেই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

গ.        ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় বর্ণিত পৃথিবীতে সংগ্রাম করে স্মরণীয় হওয়ার প্রেরণার দিকটি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
মানব জন্ম অত্যন্ত মূল্যবান। তাই আমাদের জীবনে সংগ্রাম করে স্মরণীয় হতে হবে। পৃথিবীতে অনেক মনীষীই সংগ্রাম করে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। আমাদেরও সে পথ অনুসরণ করেতে হবে। আর ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এই পথ অনুসরণের প্রেরণাই দিয়েছেন।
উদ্দীপকে চার অভিযাত্রিকের সংগ্রামী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তাঁরা পৃথিবীতে স্মরণীয় হওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছেন, মহামনীষীদের পথে হেঁটেছেন। স্বপ্নপূরণে অনেক বাধার মুখে পড়েছেন তাঁরা। তবু তাঁরা আত¥বিশ্বাসে ছিলেন অনড় । এ কারণেই পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত সফলতা। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ও সফলতা অর্জনের জন্য দুঃসাহসী পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়েছে।

ঘ.        ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় বর্ণিত সংগ্রামী চেতনা ধারণ করায় উদ্দীপকের চার দুঃসাহসী দুর্জয়কে জয় করতে পেরেছে।
প্রত্যেক মানুষেরই পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য সংগ্রামী চেতনা থাকা উচিত। মানবজীবন ফুল বিছানো নয়। বরং কাঁটায় পরিপূর্ণ। সফলতা লাভের পথটি তাই বাধা-বিপত্তিতে ভরপুর। জীবনকে সার্থক করার জন্য চাই মানসিক দৃঢ়তা। জীবন সম্পর্কে মনে থাকা চাই ইতিবাচক ধারণা।  যারা এই চেতনা ধারণ করবে তারা অবশ্যই তাদের লক্ষেয পৌঁছতে পারবে। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার এটিই মূলকথা।
উদ্দীপকে উলিস্নখিত চার দুঃসাহসীর মনে সংগ্রামী চেতনা ছিল। তাঁদের স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়ার। তাই তাঁরা নিজেদের লক্ষেয সফল হতে পেরেছে। সংগ্রামী চেতনা না থাকলে কখনো লক্ষেয পৌঁছানো যায় না। তাই ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি মানুষের মাঝে আত¥প্রত্যয়ী মনোভাব ধারণ করতে বলেছেন। উদ্দীপকের চারজন এই চেতনাকে লালন করেছিলেন বলেই তাঁরা কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়েছেন।
জগতে দুর্বলদের স্থান নেই। সাহসী যোদ্ধার মতো সংগ্রাম করতে পারলে যেকোনো দুর্জয়কে জয় করা সম্ভব। সফলতা লাভের জন্য লড়্গ্যকে স্থির করে নিতে হবে। এরপর তা অর্জনের জন্য মনপ্রাণ উজাড় করে চেষ্টা করতে হবে। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার প্রতিটি পঙ্ক্তি সেই অনুপ্রেরণাই বহন করে। উদ্দীপকে উলিস্নখিত চার তরুণও সেই প্রেরণায় প্রদ্দীপ্ত। নিজেদের স্বপ্নপূরণে তারা সব বাধাকে তুচ্ছ করেছে। মনোবলকে সঙ্গী করে সফলতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছে।

 ৪ নং.  সমুদ্র উপকূলবর্তী শ্যামচরের অধিবাসীরা ঘূর্ণিঝড় সিডরে ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এ সময়েই আশার আলো জাগাতে কানাডীয় নাগরিক মি. পিটার এগিয়ে আসেন। তাঁর পরামর্শে ও অর্থ সাহায্যে গবাদি পশু পালন, মাছ ধরা ও চরে সবজি চাষ করে পাঁচ বছরে সর্বহারা মানুষগুলো প্রমাণ করেÑ ‘পরিশ্রমই সফলতার চাবিকাঠি’।

ক.       ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ কী?      ১

খ.        ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?   ২

গ.        উদ্দীপকের মি. পিটার ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার যে চেতনার প্রতীক তা ব্যাখ্যা করো।    ৩

ঘ.        ‘শ্যামচরের অধিবাসীরাই কবি হেমচন্দ্রের কাঙ্ক্ষিত সমরাঙ্গনের মানুষ’- উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।  ৪

নং প্র. উ.

ক.       ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ পতাকা বা নিশান।

খ.        ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’ বলতে বোঝানো হয়েছে, আয়ু শৈবালের শিশিরের মতোই ক্ষণস্থায়ী।
সময় কারো জন্য অপেড়্গা করে না। এই সময়ের স্রোতে মানুষের আয়ুও দ্রম্নতই ফুরিয়ে যায়। শৈবালের ওপর জমে থাকা শিশিরের চিহ্নের স্থায়িত্ব খুবই সামান্য। মানুষের জীবনও তাই। মানুষের জীবনের এই ক্ষণস্থায়িত্ব বোঝাতেই কবি আয়ুকে শৈবালের শিশিরের সাথে তুলনা করেছেন।
গ.        ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের প্রতি ইতিবাচক মানসিকতা পোষণ করেছেন। উদ্দীপকেরে পিটার সাহেবের মাঝেও একই চেতনার প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।
জীবন নিছক কোনো স্বপ্ন নয়। বরং জীবন দুঃসাহসিক অভিযানের নাম। তাই হতাশ না হয়ে জীবনকে কর্মময় করে তোলার চেষ্টা করো উচিত। তাহলেই জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হবে। হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘জীবন-সঙ্গীত’ রচনার এটিই মূলকথা।
উদ্দীপকের মি. পিটার একজন উদ্যমী মানুষ। প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের শিকার মানুষের সাহায্যার্থে তিনি এগিয়ে আসেন। তাঁর সংস্পর্শে হতাশা ঝেড়ে অসহায় মানুষগুলো জেগে ওঠে। কর্মময় জীবনের পথে পা বাড়িয়ে সাফল্য ছিনিয়ে আনে। প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে জীবনকে উপভোগের যে চেতনা ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে উদ্দীপকের মি. পিটারের কর্মকাণ্ড সে বিষয়টিকেই মনে করিয়ে দেয়।

ঘ.        শ্যামচরের অধিবাসীরা তাদের শ্রমশীলতার মাধ্যমে দুঃসময়কে দূরে ঠেলে জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছে। তাই তারাই কবি হেমচন্দ্রের কাঙ্ক্ষিত সমরাঙ্গনের মানুষ।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মানুষের জীবন আসলে একটি যুদ্ধক্ষত্রে ছাড়া কিছুই নয়। নানা ধরনের বাধা-বিপত্তিতে এটি ভরপুর। কিন্তু সেগুলোর ভয়ে হতাশ হয়ে বসে থাকলে চলবে না। বরং দৃপ্ত মনোভাব ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই জীবনে সাফল্য লাভ করা সম্ভব হবে।
উদ্দীপকে বর্ণিত সমুদ্র উপকূলবর্তী শ্যামচরের বাসিন্দারা ঘূর্ণিঝড় সিডরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সহায়-সম্বল হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে বাধ্য হয়। এ সময় কানাডীয় নাগরিক মি. পিটার তাদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখান। তাঁর সহযোগিতায় শ্যামচরের মানুষেরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সুদিন ফিরিয়ে আনে। কবি হেমচন্দ্র ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় সংসারে যেভাবে যুদ্ধ করেতে বলেছেন উদ্দীপকে বর্ণিত মানুষেরা সে পথই অনুসরণ করেছে।
আলোচ্য কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে  এই পৃথিবী মানুষের জন্য ঘাত-প্রতিঘাতে পরিপূর্ণ এক সমরাঙ্গন। সকলকে সাহসী যোদ্ধার মতোই এখানে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হবে। অতীতের সুখের কথা ভেবে বর্তমানের সময়টা হতাশায় কাটালে ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তায় ভরে যাবে। উদ্দীপকের শ্যামচরের অধিবাসীদের এ বিষয়টি বোঝাতে পেরেছিলেন মি. পিটার। তাই শ্যামচরের বাসিন্দারা জীবনযুদ্ধে হেরে যায়নি। নিজেদের শ্রমের বিনিময়ে তারা ভাগ্য গড়ে নিয়েছে। সংসার-সমরাঙ্গনে টিকে থাকতে হলে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেতে হয়Ñ উদ্দীপকের শ্যামচরের মানুষেরাই তার উজ্জ্বল প্রমাণ। তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই পূর্ণতা পেয়েছে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবি হেমচন্দ্রের প্রত্যাশা।

৫ নং. মুক্ত করো ভয়,
            আপনা মাঝে শক্তি ধরো
            নিজেরে করো জয়।

ক.       ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবির মতে নিছক স্বপ্ন নয় কী?  ১

খ.        কবি ‘বৃথা জন্ম এ সংসারে’ বলতে নিষেধ করেছেন কেন? ২

গ.        উদ্দীপকের সাথে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.        জীবনযুদ্ধে সফলতা লাভে উদ্দীপকটি কীভাবে দিক নির্দেশ করে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার আলোকে বিশেস্নষণ করো।    ৪

নং প্র. উ.

ক.       ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবির মতে, আমাদের জীবন নিছক স্বপ্ন নয়।

খ.        মানবজীবন অত্যন্ত মূল্যবান হওয়ায় কবি ‘বৃথা জন্ম এ সংসারে’ কথাটি বলতে নিষেধ করেছেন।

মানুষের জীবন একটাই। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে আমাদের স্মরণীয়-বরণীয় হওয়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে। কেননা এই জীবন শেষ হয়ে গেলে আর নতুন জীবন পাওয়া যাবে না। ফলে ক্ষুদ্র এই জীবনে মানব-জনম বৃথা এ কথা বলে সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। তাই কবি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলতে নিষেধ করেছেন।

গ.        অবিরাম চেষ্টা ও সাহসের সাথে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে উদ্দীপক এবং জীবন-সঙ্গীত কবিতায়।
কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের নিগূঢ় বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন তাঁর ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায়। কবিতায় তিনি  বলেছেন, পৃথিবীটা শুধু স্বপ্ন বা মায়ার জগৎ নয়। সুখের কল্পনা করে জীবনে দুঃখ বাড়িয়ে লাভ নেই। সংসারজীবনের সকল কাজ করতে হবে দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সাথে। ক্ষণস্থায়ী জীবনে সাহসী যোদ্ধার মতো সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হবে। চিন্তায় কাতর হয়ে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
 মানুষের জীবনে সফলতার অন্তরায় হিসেবে কাজ করে ভয়ভীতি, জড়তা, দ্বিধাদ্বন্দ্ব, হতাশা, অলসতা ইত্যাদি। উদ্দীপকে এগুলো থেকে আমাদের মুক্ত হতে বলা হয়েছে। কারণ সাফল্যের জন্য আগে মনটাকে প্রস্তুত করতে হয়। মনের সকল সংকীর্ণতা, দুর্বলতাকে দূর করে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যেতে হয় বীরের মতো। মনের প্রচণ্ড শক্তিই অসাধ্য সাধন করতে শেখায়। পৃথিবীতে যারা কীর্তিমান হয়েছে তারা মনের শক্তি, অধ্যবসায় ও ধৈর্যকে কাজে লাগিয়েই তা করেছে। নিজের মধ্যে শক্তি সৃষ্টি করতে পারলেই মানুষ একটার পর একটা সফলতার সিঁড়িতে পা রাখতে পারে। আর এভাবেই সে নিজেকে জয় করতে পারে। হতাশা পরিহার করে নিজের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলার মধ্য দিয়েই জীবনের সফলতাকে ছিনিয়ে আনতে হয়। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার মূল বিষয়বস্তুও তাই। তাই ভাবগত দিক থেকে উদ্দীপক ও জীবন-সঙ্গীত কবিতার যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ.        মানুষের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে জীবনযুদ্ধে সফলতা লাভে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা ও উদ্দীপকটি দিক নির্দেশ করে।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় মানুষ কীভাবে জীবনটাকে সার্থক করে তুলতে পারে তারই দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ বলে থাকে জীবনটা কিছুই না, একটা মায়া, আসা আর যাওয়া। সত্যিকার অর্থে তারা জীবনের অর্থই বুঝতে পারেনি। এরা জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ায়। কর্তব্য ও দায়িত্বকে আড়াল করে। বরং হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে মহামানবদের পথ ধরে এগিয়ে চলতে হবে। সাহসী যোদ্ধার মতো সংগ্রাম করে এগিয়ে চললে সাফল্য ধরা দেবেই।
উদ্দীপকে মানুষের জীবন-সংগ্রামে জয়ী হওয়ার জন্য রয়েছে চমৎকার দিকনির্দেশনা। যারা জীবন যুদ্ধে অংশ নিতেই ভয় পায় তাদের দ্বারা কোনো কিছুই আশা করা যায় না। ভয় হচ্ছে সাফল্যের প্রধান অন্তরায়। তাই উদ্দীপকে নির্দেশ করা হয়েছে নিজেকে ভয়মুক্ত করার। যারা ভীতু তারা সকল কাজে পিছিয়ে থাকে। কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে না। মনের ভয়কে দূর করে নিজের মধ্যে শক্তি সৃষ্টি করতে হবে। মনের মাঝে যে শক্তিকে ধারণ করতে পারে সে নিজেকে জয় করতে পারে। আর যে নিজেকে জয় করতে পারে তার সাফল্যের প্রতিটি দরজা আপনাআপনি খুলে যায়।
উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, উভয় ড়্গেেত্র মানবজীবনের গভীর সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। মনের প্রচণ্ড শক্তিই অসাধ্য সাধন করতে শেখায়। পৃথিবীতে যারা কীর্তিমান হয়েছেন তারা মনের শক্তি, অধ্যবসায় ও ধৈর্যকে কাজে লাগিয়েই তা করেছেন। নিজের মধ্যে শক্তি সৃষ্টি করতে পারলেই মানুষ একটার পর একটা সফলতার সিঁড়িতে পা রাখতে পারে। আর এভাবেই সে নিজেকে জয় করতে পারে। হতাশা পরিহার করে নিজের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলার মধ্য দিয়েই জীবনের সফলতাকে ছিনিয়ে আনতে হয়। যারা সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা করে তাদের জন্য এই সত্য এক আলোকবর্তিকা বা দিকনির্দেশনা। মানুষ কর্তব্য কাজে অবিচল থাকলেই সে নিজেকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারে, জীবনযুদ্ধে সফল হয়। আর এই জন্য প্রয়োজন মনের ভয়কে দূরে সরিয়ে আত¥বিশ্বাসে বলীয়ান হওয়া।

 ৬ নং.             “সুখ সুখ” বলে তুমি, কেন কর হা-হুতাশ,

সুখ তো পাবে না কোথা, বৃথা সে সুখের আশ!

পথিক মরম্নভূ মাঝে খুঁজিয়া বেড়ায় জল,

জল তো মিলে না সেথা, মরীচিকা করে ছল!

ক.       কারা প্রাতঃস্মরণীয়?    ১

খ.        কবি অতীত সুখের দিন চিন্তা করে কাতর হতে নিষেধ করেছেন কেন?        ২

গ.        উদ্দীপকের ‘সুখ’ বিষয়টি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কীভাবে বর্ণিত হয়েছে আলোচনা করো। ৩

ঘ.        উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র বিশেস্নষণ করো।            ৪

নং প্র. উ.

ক.       মহাজ্ঞানীরা প্রাতঃস্মরণীয়।

খ.        অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে বর্তমানের কাজ ব্যাহত হয় বলে কবি অতীত সুখের দিন চিন্তা করে কাতর হতে নিষেধ করেছেন।

অতীত কখনো ফিরে আসে না। তাই অতীত নিয়ে চিন্তা করে বৃথা সময় অপচয় করে লাভ নেই। বরং বর্তমানে সময়কে কাজে লাগিয়ে উদ্দেশ্য অর্জনে এগিয়ে গেলে সফল হওয়া যায়। আর অতীতের সুখের কথা চিন্তা করলে শুধু হতাশাই বাড়ে। তাই কবি অতীত সুখের দিন চিন্তা করে কাতর হতে নিষেধ করেছেন।

গ.        ‘মানুষের জীবনে বৃথা সুখের আশা দুঃখ ও হতাশাই আনে’- এই শিড়্গাই উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ধ্বনিত হয়েছে।
জীবনের সত্যিকার মর্মার্থই ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় বর্ণিত হয়েছে। স্বভাবগতভাবে প্রতিটি মানুষই জীবনে সুখ কামনা করে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কেবল সুখের আশা করেলেই সুখ পাওয়া যায় না। বরং সুখ সুখ বলে রোদন করলে দুঃখই জীবনে সত্যি হয়ে ওঠে। মিথ্যে সুখের কল্পনা করে তাই দুঃখ বাড়িয়ে লাভ নেই। আর শুধু সুখের কামনা জীবনের উদ্দেশ্য হতে পারে না। জীবন হচ্ছে দায়িত্বপালন আর কর্তব্যনিষ্ঠার অপর নাম।
উদ্দীপক কবিতাংশে কবি বলেছেন, সুখ, সুখ করে হা-হুতাশ করে কোনোই লাভ নেই। বরং সুখের আশা করাটাই বৃথা। জীবনে সুখের আশা মরম্নভূমিতে পানি খোঁজার মতো। মরম্নভূমিতে তৃষ্ণার্ত পথিক পানি খুঁজতে থাকলে যেমন মরীচিকা তার সাথে ছলনা করে, তেমনি সুখের আশায় যে ব্যক্তি দিন গোনে সুখও তার সাথে ছলনা করে। কাজেই সুখ নিয়ে হা-হুতাশ বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আলোচ্য কবিতায়ও ‘সুখ’ সম্পর্কে একই দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত হয়েছে।

ঘ.        উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার খণ্ডিত ভাবের ধারক। কবিতায় বর্ণিত সুখ-সম্পর্কিত ভাবনাই কেবল উদ্দীপক কবিতাংশে প্রকাশ পেয়েছে।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মানবজীবনের প্রকৃত সত্য ও গূঢ়ার্থ নির্ণয় করেছেন। কবি বাইরের চাকচিক্যময় দৃশ্য দেখে না ভুলে জীবনের আসল অর্থ উপলব্ধি করার আহ্বান জানিয়েছেন । ব্যর্থতার জন্য অশ্রম্নপাত  করে নিজেকে অসহায় নিষেধ ভাবতে করেছেন। সংসারকে তিনি সমরাঙ্গন বলেছেন। এখানে বীরের মতো যুদ্ধ ,করে টিকে থাকতে হবে। সংসারের সকল দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে। পৃথিবীতে মহামানবেরা কর্তব্যনিষ্ঠা ও ত্যাগ-তিতিড়্গার মধ্য দিয়ে স্মরণীয়-বরণীয় হয়েছেন। আমাদেরও তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্থির লক্ষেয এগিয়ে যেতে হবে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, সুখ সুখ বলে হা-হুতাশ করে জীবন পাত করলেও সুখ পাওয়া যাবে না। পথিক মরম্নভূমির মধ্যে হন্যে হয়ে খুঁজেও যেমন জল পায় না, মরীচিকা তার সাথে ছলনা করে, তেমনি সুখের আশা করলেই শুধু সুখ পাওয়া যাবে না।‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় উদ্দীপকের সমধর্মী ভাবনা ছাড়াও রয়েছে জীবন-সম্পর্কিত নানা দৃষ্টিভঙ্গির উলেস্নখ।
আলোচ্য ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি জীবন সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করেছেন। একজন মানুষের জীবন সত্যিকার অর্থে কীভাবে সার্থকতামণ্ডিত হতে পারে কবি তার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যা থেকে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য উপলব্ধি করা সম্ভব। উদ্দীপকে কেবল জীবনের একটা দিক আলোচিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সুখ সুখ বলে হা-হুতাশ করে লাভ নেই। তবে এই হতাশার বৃত্ত থেকে বের হওয়ার  কোনো দিকনির্দেশনা উদ্দীপক কবিতাংশে নেই। সেটি বলা হয়েছে, ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায়। কবির মতে, সুখকে অর্জন করে নিতে হয় আপন কর্মগুণে। এ বিষয়ে মন্তব্য করার পাশাপাশি জীবনকে সর্বাঙ্গীনভাবে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য আরো বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন কবি। উদ্দীপকে এসেছে যার সামান্য একটি ইঙ্গিত। তাই উদ্দীপকটি জীবন-সঙ্গীত কবিতায় আংশিক প্রতিফলন মাত্র।

অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর

১.         ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি রচনা করেন কে?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি রচনা করেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
২.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
            উত্তর : হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
৩.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম কী?
            উত্তর : হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম কৈলাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মহাকাব্যের নাম কী?
            উত্তর : হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মহাকাব্যের নাম বৃত্রসংহার।
৫.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
            উত্তর : হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৬.        ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কী বলে ক্রন্দন করতে নিষেধ করেছেন?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি স্ত্রী-পুত্র-কন্যা কেউ কারো নয়, এ কথা বলে ক্রন্দন করতে
ষেধ করেছেন।
৭.        ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কোনটি অনিত্য নয় বলে উলেস্নখ করা  হয়েছে?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় জীবাত্মাকে অনিত্য নয় বলে উলেস্নখ করা  হয়েছে।
৮.        ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি সংসারে কী সাজতে বলেছেন?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি সংসারে সংসারী সাজতে বলেছেন।
৯.        ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি নিত্য কী করতে বলেছেন?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি নিত্য নিজ কাজ করতে বলেছেন।
১০.      কবির মতে কী স্থির না থেকে চলে যায়?
            উত্তর : কবির মতে সময় স্থির না থেকে চলে যায়।
১১.       ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি আয়ুকে কী বলেছেন?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি আয়ুকে শৈবালের নীর বলেছেন।
১২.      কবি কাকে ভয়ে ভীত হতে নিষেধ করেছেন?
            উত্তর : কবি মানবকে ভয়ে ভীত হতে নিষেধ করেছেন।
১৩.      ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার বক্তব্য অনুযায়ী কী জগতে দুর্লভ?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার বক্তব্য অনুযায়ী মহিমা জগতে দুর্লভ।
১৪.      কবি অতীতের সুখের দিন চিন্তা করে কী হতে নিষেধ করেছেন?
            উত্তর : কবি অতীতে সুখের দিন চিন্তা করে কাতর হতে নিষেধ করেছেন।
১৫.      ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কাদের পথ লক্ষ করে আমাদের বরণীয় হতে বলেছেন?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি মহাজ্ঞানী মহাজনদের পথ লক্ষ করে আমাদের বরণীয় হতে
লেছেন।
১৬.      ‘দারা’ শব্দটির অর্থ কী?
            উত্তর : ‘দারা’ শব্দটির অর্থ স্ত্রী।
১৭.      ‘আকিঞ্চন’ শব্দের অর্থ কী?
            উত্তর : ‘আকিঞ্চন’ শব্দের অর্থ চেষ্টা।
১৮.      ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ‘ভবের’ শব্দের অর্থ কী?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ‘ভবের’ শব্দের অর্থ জগতের।
১৯.      ‘মহিমা’ অর্থ কী?
            উত্তর : ‘মহিমা’ অর্থ গৌরব।
২০.      ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ‘বরণীয়’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ‘বরণীয়’ শব্দটি সম্মানের যোগ্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
২১.      ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি কোন কবির কবিতা থেকে ভাবানুবাদ করা হয়েছে?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি কবি ঐবহৎু ডধফংড়িৎঃয খড়হমভবষষড়ি এর কবিতা থেকে
বানুবাদ করা হয়েছে।
২২.     ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি কোন ইংরেজি কবিতার ভাবানুবাদ?
            উত্তর : ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি ‘অ চংধষস ড়ভ খরভব’ শীর্ষক ইংরেজি কবিতার ভাবানুবাদ।
 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

১.         কবি বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন কেন?
            উত্তর : বাইরের জগতের চাকচিক্য জীবনের প্রকৃত রূপ এ উদ্দেশ্যকে ধারণ করে না। তাই কবি
হ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন।
মানবজীবন ক্ষণস্থায়ী। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে সংসারে নিজের কাজে রত থেকে মহাজ্ঞানীদের দেখানো পথে এগোতে হবে। পৃথিবীর চাকচিক্যময় রূপে ভুলে বৃথা সময় নষ্ট করে স্মরণীয় বরণীয় হওয়া যায় না। তাই কবি বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন।

২.        আমাদের সংসারে সংসারী সাজতে হবে কেন?
            উত্তর : বৈরাগ্যে কোনো মুক্তি নেই বলে আমাদের সংসারে সংসারী সাজতে হবে।
সংসার ত্যাগ করে বৈরাগ্য সাধন করেলে স্মরণীয় হওয়া যায় না। তাই সংসারের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেই আমাদের মহাজ্ঞানীদের দেখানো পথে যেতে হবে। যেসব মহাজ্ঞানী স্মরণীয় হয়েছেন তারা প্রত্যেকে নিজের কাজে রত থেকেই বরণীয় হয়েছেন, বৈরাগ্যে নয়। তাই আমাদেরও সংসারে সংসারী হতে হবে।

৩.        আমাদের ভবিষ্যতে নির্ভর করা ঠিক নয় কেন?
            উত্তর : মানুষের জীবন শৈবালের শিশিরের মতোই অনিশ্চিত এবং ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় আমাদের ভবিষ্যতে নির্ভর করো ঠিক নয়।
মানুষের জীবন একটাই। এই জীবনে কখন মৃত্যু এসে হানা দেয় তা কেউ বলতে পারে না। ফলে সময়ের কাজ সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। কোনো কাজ ভবিষ্যতের জন্য ফেলে রাখলে তা আর সম্পন্ন করা নাও হতে পারে। তাই আমাদের ভবিষ্যতে নির্ভর করা ঠিক নয়।

৪.        কবি সংসারকে সমরাঙ্গন বলেছেন কেন?
            উত্তর : সংসারে সুখ, হাসির সাথে দুঃখ, কান্না সবই একসাথে থাকে বলে প্রতিনিয়ত নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করেতে হয়। তাই কবি সংসারকে সমরাঙ্গন বলেছেন।
মানুষ ক্ষণস্থায়ী জীবনে সংসার ধর্ম পালন করেতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই সমস্যা মোকাবেলায় মানুষকে প্রতিনিয়তই সংগ্রাম করতে হয়। যুদ্ধড়্গেেত্র সাহসী সৈনিকদের মতো সংসারেও মানুষকে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। তাই কবি সংসারকে সমরাঙ্গন বলেছেন।

৫.        কবি আমাদের কীভাবে প্রাতঃস্মরণীয় হতে বলেছেন? বুঝিয়ে লেখো।
            উত্তর : কবি আমাদেরকে মহাজ্ঞানীদের পথ অনুসরণ করে প্রাতঃস্মরণীয় হতে বলেছেন।
মহাজ্ঞানীরা সংসার সমরাঙ্গনে থেকেই নিজের লক্ষেয অটুট থেকেছেন। তাঁরা জীবনকে বৃথা ক্ষয় করেননি। মানুষের কল্যাণে কাজ করে হয়েছেন স্মরণীয়। কবি আমাদেরও স্বীয় লড়্গ্য অটুট রেখে সেই মহামানবদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রাতঃস্মরণীয় হতে বলেছেন।

৬.        কবি ‘তুমি কার কে তোমার’ বলে কাঁদতে নিষেধ করেছেন কেন?
            উত্তর : পৃথিবীতে কেউ কারো নয়- ঠিক না বলে কবি আলোচ্য কথাটি বলে কাঁদতে নিষেধ করেছেন।
সংসার সমরাঙ্গনে সুখ-দুঃখ আসবেই। তাই বলে হতাশ হয়ে পড়ে থাকার যৌক্তিকতা নেই। মানবজন্ম বৃথা
বং মানব-সম্পর্ককে মূল্যহীন মনে করারও কোনো কারণ নেই। সংসারে স্ত্রী-পুত্র-পরিবারকে সময় দিয়েই স্মরণীয় হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বৈরাগ্যে মুক্তি নেই। আর জীবনের উদ্দেশ্যও তা নয়। তাই কবি ‘তুমি কার কে তোমার’ বলে কাঁদতে নিষেধ করেছেন।

অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি

১.         ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটির রচয়িতা কে?    গ

            ক         কাজী নজরম্নল ইসলাম          খ         রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

            গ         হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ঘ         মাইকেল মধুসূদন দত্ত

২.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? গ

            ক         ১৮৩৬ সালে   খ         ১৮৩৭ সালে

            গ         ১৮৩৮ সালে   ঘ         ১৮৩৯ সালে

৩.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?     খ

            ক         মেদিনীপুর      খ         হুগলি

            গ         পশ্চিমবঙ্গ      ঘ         বর্ধমান

৪.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম কী?     খ

            ক         হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়

            খ         কৈলাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

            গ         রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়

            ঘ         মহানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়

৫.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় কেন?       গ

            ক         এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ায়

            খ         স্কুল থেকে বিতাড়িত হওয়ায়

            গ         আর্থিক সংকটের কারণে

            ঘ         পরিবারের অনীহায়

৬.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক সংকটে পড়েন কোথায় পড়াশোনার সময়? গ

            ক         হিন্দু কলেজে

            খ         কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে

            গ         কলকাতা খিদিরপুর বাংলা স্কুলে

            ঘ         কলকাতা সংস্কৃত কলেজে

৭.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কার আশ্রয়ে ইংরেজি শেখেন?          খ

            ক         ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের

            খ         অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারীর

            গ         কৈলাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের

            ঘ         রাজা রামমোহন রায়ের

৮.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সিনিয়র স্কুল পরীড়্গায় উত্তীর্ণ হন?     গ

            ক         খিদিরপুর বাংলা স্কুল   খ         সংস্কৃত কলেজ

            গ         হিন্দু কলেজ    ঘ         কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

৯.        হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন? গ

            ক         ১৮৫৫ সালে   খ         ১৮৫৭ সালে

            গ         ১৮৫৯ সালে    ঘ         ১৮৬১ সালে

১০.      হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কোন প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন?      ঘ

            ক         সংস্কৃত কলেজ            খ         হিন্দু কলেজ

            গ         আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়            ঘ         কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

১১.       মাইকেল মধুসূদন দত্তের পরে কাব্য রচনায় সবচেয়ে খ্যাতিমান কে ছিলেন?          ঘ

            ক         বঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় খ         রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

            গ         কাজী নজরম্নল ইসলাম          ঘ         হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

১২.      হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মহাকাব্যের নাম কী?   গ

            ক         মেঘনাদবধ      খ         মহাশ্মশান

            গ         বৃত্রসংহার        ঘ         আশাকানন

১৩.      হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন রচনাটি স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় রচিত? ক

            ক         বৃত্রসংহার        খ         ছায়াময়ী

            গ         চিন্তাতরঙ্গিনী   ঘ         আশাকানন

১৪.      হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?  গ

            ক         ১৯০১ সালে     খ         ১৯০২ সালে

            গ         ১৯০৩ সালে    ঘ         ১৯০৪ সালে

১৫.      ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কাতর স্বরে কী বলতে নিষেধ করেছেন?   ক

            ক         বৃথা জন্ম এ সংসারে    খ         সময় কাহারো নয়

            গ         সংসারে সংসারী সাজ ঘ         জীবাত্মা অনিত্য নয়

১৬.      ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কী বলে ক্রন্দন করতে নিষেধ করেছেন?  গ

            ক         সকলি ঘুচায় কাল        খ         জীবাত্মা অনিত্য নয়

            গ         তুমি কার কে তোমার  ঘ         মানব-জনম সার

১৭.      ‘জীব করো না ক্রন্দন’ এখানে ‘জীব’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?        খ

            ক         প্রাণী    খ         মানুষ

            গ         পশুপাখি         ঘ         জীবন

১৮.      কবি কিসে ভুলতে নিষেধ করেছেন?  ঘ

            ক         সংসারে           খ         পরিবারে

            গ         সুখে     ঘ         বাহ্যদৃশ্যে

১৯.      কবি কোনটিকে অনিত্য নয় বলেছেন?          ক

            ক         জীবাত্মাকে      খ         পরিবারকে

            গ         সংসারকে        ঘ         মহিমাকে

২০.      “ওহে জীব কর আকিঞ্চন” এখানে ‘আকিঞ্চন’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?           ঘ

            ক         অর্জন অর্থে    খ         মহিমা অর্থে

            গ         উদ্দেশ্য অর্থে  ঘ         চেষ্টা অর্থে

২১.      কবি সংসারে কী করেতে বলেছেন?   ক

            ক         সংসারী সাজতে          খ         বৈরাগী হতে

            গ         বিরক্ত হতে      ঘ         অলস হতে

২২.     কী করলে ভবের উন্নতি হয়?  গ

            ক         ভবিষ্যতে নির্ভর করেলে         খ         অতীত চিন্তা করেলে

            গ         নিত্য নিজ কাজ করেলে        ঘ         চিন্তা করে কাতর হলে

২৩.     “বেগে ধায় নাহি রহে স্থির”Ñ কী?        ক

            ক         সময়    খ         সুখের দিন

            গ         মহিমা  ঘ         নিশার স্বপন

২৪.      ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি শৈবালের নীরের সাথে তুলনা করেছেন কোনটিকে?         খ

            ক         সময়কে          খ         আয়ুকে

            গ         সংসারকে        ঘ         বাহ্যদৃশ্যকে

২৫.     ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কোথায় ভয়ে ভীত হতে নিষেধ করেছেন? গ

            ক         ঘরের বাইরে    খ         পরিবারে

            গ         সংসার সমরাঙ্গনে      ঘ         ভবিষ্যৎ চিন্তায়

২৬.     ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অনুসারে কী করলে জয় হবে?     গ

            ক         ভয় পেলে        খ         সুখের আশা করলে

            গ         যত্ন করলে       ঘ         বাহ্যদৃশ্য ভুললে

২৭.      ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবির মতে জগতে কোনটি দুর্লভ?        ঘ

            ক         মহাজ্ঞানী        খ         সময়

            গ         জীবাত্মা           ঘ         মহিমা

২৮.     কবি কিসে নির্ভর করতে নিষেধ করেছেন?    খ

            ক         সময়ে  খ         ভবিষ্যতে

            গ         পরিবারে          ঘ         বাহ্যদৃশ্যে ভুললে

২৯.     কবি কোনটি চিন্তা করে কাতর হতে নিষেধ করেছেন?          খ

            ক         সংসারের উন্নতি          খ         অতীত সুখের দিন

            গ         ভবের উন্নতি               ঘ         মহাজ্ঞানীদের পথ

৩০.     কারা প্রাতঃস্মরণীয়?    ক

            ক         মহাজ্ঞানীরা     খ         সংসারীরা

            গ         বৈরাগীরা

            ঘ         ভবিষ্যতে নির্ভরকারীরা

৩১.      আমরা কোন পথ লড়্গ্য করে বরণীয় হব?     ঘ

            ক         ভবিষ্যতে নির্ভরকারীদের পথ

            খ         সংসারী মানুষের পথ

            গ         সংসারত্যাগীদের পথ  ঘ         মহাজ্ঞানীদের পথ

৩২.     আমরা কীভাবে সংকল্প সাধন করব? গ

            ক         ভবিষ্যতে নির্ভর করে

            খ         অতীত সুখের চিন্তা করে

            গ         নিজ নিজ কাজে রত হয়ে      ঘ         বৈরাগ্য গ্রহণ করে

৩৩.     ‘জীবন-সঙ্গীত কবিতায় কবি কোন কাজ করতে গিয়ে জীবন বৃথা ক্ষয় করতে নিষেধ করেছেন? খ

            ক         মহাজ্ঞানীর পথ অনুসরণ করেতে গিয়ে

            খ         সংসার সমরাঙ্গন মাঝে

            গ         বাহ্যদৃশ্যে মগ্ন হতে গিয়ে

            ঘ         ভবিষ্যৎ সুখের চিন্তা করেতে গিয়ে

৩৪.     ‘দারা’ শব্দের অর্থ কী?        খ

            ক         দিয়ে    খ         স্ত্রী

            গ         কন্যা    ঘ         জীবন

৩৫.     ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি ‘বাহ্যদৃশ্যে’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?        ঘ

            ক         সংসারের রূপে            খ         মহাজ্ঞানীদের পথে

            গ         মানবজীবনের বাইরের চিন্তায়

            ঘ         বাইরের জগতের চাকচিক্যময় রূপে

৩৬.     ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি জীবাত্মা বলতে কী বুঝিয়েছেন?     খ

            ক         মহাজ্ঞানীদের আত্মা   খ         মানুষের আত্মা

            গ         প্রাণীদের আত্মা           ঘ         সংসারী লোকের আত্মা

৩৭.     ‘অনিত্য’ শব্দের অর্থ কী?   ঘ

            ক         নতুন    খ         পুরাতন

            গ         স্থায়ী     ঘ         অস্থায়ী

৩৮.     ‘আকিঞ্চন’ শব্দের অর্থ কী?            ক

            ক         চেষ্টা    খ         অর্জন

            গ         আগ্রহ  ঘ         কাজ

৩৯.     ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কোনটিকে যুদ্ধড়্গেেত্রর সাথে তুলনা করেছেন? গ

            ক         মহাজ্ঞানীদের পথকে  খ         বাহ্যদৃশ্যকে

            গ         মানুষের জীবনকে      ঘ         ভবিষ্যৎকে

৪০.      ‘বীর্যবান’ শব্দের অর্থ কী?   ক

            ক         শক্তিমান         খ         মহাজন

            গ         সংসারী লোক  ঘ         যোদ্ধা

৪১.      ‘মহিমা’ শব্দের অর্থ কী?     গ

            ক         গগৎ    খ         সংকল্প

            গ         গৌরব  ঘ         সাফল্য

৪২.     ‘প্রাতঃস্মরণীয় শব্দের অর্থ কী?          খ

            ক         প্রাথমিকভাবে স্মরণীয় খ         সকালবেলায় স্মরণ

            গ         স্মরণ করোর অযোগ্য

            ঘ         মহাজ্ঞানী ও মহাজন

৪৩.     ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ কী?      গ

            ক         খুঁটি      খ         দুর্বল

            গ         পতাকা ঘ         অবলম্বন

৪৪.      ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি কোন কবির কবিতা থেকে ভাবানুবাদ করা হয়েছে?     ঘ

            ক         গন কিটস

            খ         গর্জ বার্নাড শ

            গ         শেলি

            ঘ         হেনরি লংফেলো

৪৫.     ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি কোন কবিতার ভাবানুবাদ?        ক

            ক         অ চংধষস ড়ভ খরভব           খ         ঈধঢ়ঃরাব খধফু

            গ         খরভব ড়ভ ডধৎ         ঘ         ঞড়ঁৎ ড়ভ খরভব

৪৬.     উপেন সংসার জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে সন্ন্যাসী হয়ে দেশে দেশে ঘুরছে। উপেনের ড়্গেেত্র কোন বক্তব্যটি যথার্থ?  খ

            ক         উপেন ভবের উন্নতি করেছে

            খ         উপেন বাহ্যদৃশ্যে ভুলেছে

            গ         উপেন মহিমা লাভের পথে চলেছে

            ঘ         উপেন প্রাতঃস্মরণীয় হবে

৪৭.      রায়হান সংসারের প্রতি খুবই মনোযোগী। সে কোনো কাজ কারও জন্য ফেলে রাখে না। তার কাজে কোনটি ঘটবে?           ক

            ক         ভবের উন্নতি   খ         আতি¥ক মুক্তি

            গ         মহিমা লাভ     ঘ         সংকল্প সাধন

বহুপদী সমাপ্তিসূচক

৪৮.     ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবির মতে বলা উচিত নয়-

            র.        বৃথা জন্ম এ সংসারে    রর.      তুমি কার কে তোমার

            ররর.   জীবাত্মা অনিত্য নয়

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৪৯.      কবি বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন। কারণ-

            র.        এতে প্রাতঃস্মরণীয় হওয়া যায় না

            রর.      এতে ভবের উন্নতি হয়

            ররর.   এতে জীবনের উদ্দেশ্য অর্জন হয় না

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৫০.     চেষ্টা করলে মহিমা অর্জন হবেই, কেননা-

            র.        সময় মহিমা অর্জনে সাহায্য করে

            রর.      জীবাত্মা অনিত্য হয় না

            ররর.   মহাজ্ঞানীরা এভাবেই মহিমা অর্জন করেছেন

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৫১.      মানব জনম অত্যন্ত মূল্যবান। কারণ-

            র.        মানুষের আয়ু ক্ষণস্থায়ী

            রর.      মানুষ একবারই জীবন লাভ করে

            ররর.   এ জীবনে সকলেই মহিমা লাভ করে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৫২.     জীবনের উদ্দেশ্য নয়-

            র.        সংসারে সংসারী সাজা

            রর.      মিথ্যে সুখের আশা করা          ররর.   বৈরাগ্য লাভ করা

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৫৩.     ভবের উন্নতি হয়-

            র.        বাহ্যদৃশ্যে ভুললে        রর.      সংসারে সংসারী সাজলে

            ররর.   নিত্য নিজের কাজ করলে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৫৪.     ‘বেগে ধায় নাহি রহে স্থির’- বক্তব্যটি যথার্থ-

            র.        সময়ের ড়্গেেত্র

            রর.      মানুষের আয়ুর ড়্গেেত্র

            ররর.   সংসার সমরাঙ্গনের ড়্গেেত্র

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৫৫.     মানুষের আয়ুকে শৈবালের নীর বলার কারণ-

            র.        আয়ু শৈবারের মতো চিরসবুজ

            রর.      মানুষের আয়ু ক্ষণস্থায়ী

            ররর.   মানুষের আয়ু শৈবালের নীরের মতো অনিশ্চিত

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৫৬.     মানুষকে যুদ্ধ করতে হবে-

            র.        সংসার সমরাঙ্গন মাঝে          রর.      মহিমা লাভের জন্য

            ররর.   ভয়ে ভীত না হয়ে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ঘ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৫৭.     মানুষকে প্রাতঃস্মরণীয় হতে হলে-

            র.        ভবিষ্যতে নির্ভর করা উচিত

            রর.      মহাজ্ঞানীদের পথ অনুসরণ করা উচিত

            ররর.   নিজ কাজে রত থেকে সংকল্প সাধন করা উচিত

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৫৮.     মানুষকে ভবিষ্যতে নির্ভর করা উচিত নয়Ñ

            র.        আয়ু ক্ষণস্থায়ী বলে

            রর.      এতে মহিমা অর্জন ব্যাহত হয় বলে

            ররর.   ভবের উন্নতি হয় না বলে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৫৯.     মহাজ্ঞানীদের পথ অনুসরণ করলে আমরা হতে পারব-

            র.        প্রাতঃস্মরণীয়   রর.      সংসারত্যাগী

            ররর.   বরণীয়

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৬০.     মানুষ অমর হতে পারে-

            র.        সংকল্প সাধনের মাধ্যমে

            রর.      বরেণ্যদের পথে গমন করে    ররর.   বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে পারলে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৬১.      মানুষকে সংকল্প সাধন করতে হবে-

            র.        নিজ কাজে রত থেকে রর.      ভবিষ্যতে নির্ভর করে

            ররর.   মহান ব্যক্তিদের পথ অনুসরণ করে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৬২.     জীবনে সুখের আশা করতে নেই, কারণ-

            র.        তাতে ভবের উন্নতি হয় না

            রর.      তা দুঃখের ফাঁস হয়ে দেখা দেয়

            ররর.   এটি মানবজীবনের উদ্দেশ্য নয়

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ঘ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

৬৩.     হেমচন্দ্র কাতরস্বরে বলতে নিষেধ করেছেন-

            র.        এ জীবন অলীক স্বপ্ন   রর.      মানব জনম বৃথা

            ররর.   এ জীবন শৈবালের নীর

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৪ ও ৬৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

উৎপল এমন কিছু করতে চায় যার জন্য সে সকলের কাছে সম্মানিত হতে পারবে। তা হওয়ার জন্য সে কখনো সংসারত্যাগী হওয়ার কথা ভাবে, আবার পরিবার-পরিজনের মায়ায় তাও করতে পারে না। তাই কীভাবে সমাজে মানুষের কাছে বরণীয় হওয়া যায় তা জানার জন্য উৎপল বিভিন্ন মনীষীর জীবনী পড়ে।

৬৪.     উৎপলের মাঝে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ক

            ক         মহিমালাভের বাসনা   খ         ভবিষ্যৎ নির্ভরতা

            গ         যুদ্ধ করার মানসিকতা ঘ         মিথ্যা সুখের আশা

৬৫.     উৎপল তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে-

            র.        মহান ব্যক্তিদের পথ অনুসরণ করে

            রর.      বৈরাগ্য সাধন করে      ররর.   নিজ কাজে রত থেকে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৬ ও ৬৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

কামাল হোসেন একজন ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসায়ের পাশাপাশি পরিবারের লোকদেরও যথেষ্ট সময় দেন। তাঁকে কাছে পেয়ে পরিবারের সদস্যরাও খুব খুশি হয়।

৬৬.    কামাল হোসনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কোনটি হবে? খ

            ক         মহিমা অর্জন  খ         ভবের উন্নতি

            গ         সময়ের সদ্ব্যবহার       ঘ         জীবনের উদ্দেশ্য লাভ

৬৭.     কামাল হোসেনকে প্রাতঃস্মরণীয় হতে হলে-

            র.        নিজের কাজে রত থেকেই সংকল্প সাধনা করতে হবে

            রর.      ভবিষ্যতে নির্ভর না করে কাজ করতে হবে

            ররর.   সংসার ত্যাগ করতে হবে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৮ ও ৬৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

সমীর একজন অলস প্রকৃতির মানুষ। সে সারাদিন শুয়ে বসে কাটায়। বাড়ির কোনো কাজেও বাবা-মাকে সাহায্য করে না। সে মনে করে এত কাজ করে অর্থের পেছনে ছুটে কী লাভ। একদিন তো মরতেই হবে।

৬৮.     উদ্দীপকের সমীরের মানসিকতা ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন চরণে ফুটে উঠেছে?    ক

            ক         বৃথা জন্ম এ সংসারে    খ         জীবাত্মা অনিত্য নয়

            গ         সকলি ঘুচায় কাল        ঘ         সময় কাহারো নয়

৬৯.     উদ্দীপকের সমীর বরণীয় হতে পারবে না। কারণ-

            র.        সংসার সমরাঙ্গনে সে ভীত

            রর.      জীবনের উদ্দেশ্য তার কাজে অনুপস্থিত

            ররর.   বাহ্যদৃশ্যে নিজেকে ভুলিয়েছে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭০ ও ৭১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

মালিহা প্রায়ই ক্লাসের পড়া পরের দিন করব বলে রেখে দেয়। এতে সে ক্লাসে ঠিকমতো পড়া পারে না। বছর শেষে পরীড়্গাতেও সে ভালো ফল  করতে পারে না।

৭০.      মালিহার মাঝে কোন দিকটির প্রকাশ ঘটেছে?          ক

            ক         ভবিষ্যতে নির্ভরতা

            খ         অতীত চিন্তায় কাতরতা

            গ         মহাজ্ঞানীদের মানসিকতা      ঘ         বাহ্যদৃশ্যে আকর্ষণ

৭১.      চূড়ান্ত সাফল্য লাভে মালিহা ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার যে বক্তব্যের অনুসরণ করতে পারে তা হলো-

            র.        যুদ্ধ কর দৃঢ়পণে

            রর.      ভবিষ্যতে করো না নির্ভর        ররর.   করো না সুখের আশ

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক         র ও রর            খ         র ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

            গ         রর ও ররর       ঘ         র, রর ও ররর

Mustafij Sir

Share
Published by
Mustafij Sir

Recent Posts

HSC Synonym Antonym Board Question All Board

WordsMeaningsSynonyms    antonymsouterবাইরেরoutmostinnerproletarianদরিদ্র/সর্বহারাWorking-classmorallaunchশুরু করাIntroductionwithdrawpreparingপ্রস্তুতিGet-readydoubtfaultlesslyনির্দোষভাবেabsolutelyfaultynauseaবমিবমিভাবvomitingheadachediscomfortঅসস্তিupsetcomfortmaintainedবজায় করাsustainuselessLaterকরেnextearlierdynamicগতিশীলAggressivestaticplanপরিকল্পনাproposaldisorderaimলক্ষGoalaimlessdirectionনিদ্ধেশনাInstructionnoticeprofessionপেশাJobjoblesssuitsআকারFormnothingaptitudeযোগ্যতাAttitudedislikevaryপরিবর্তীতVariousfixeducatedশিক্ষিতLearneduneducatedcitizenনাগরিকnativeforeignervirtueপূর্ণgoodnessevilA lotঅনেকhugelittlecourteousবিনয়ীpoliterudediscourtesyঅবিনয়ীrudenesscourteouswinজয় করাgainloseenemyশত্রুfoefriendensureনিশ্চিত করাconfirmcancelangerরাগtempercalmnessremoveঅপসারণcancelputcordialityসোহার্দrudenessdiscordialitydifferentভিন্নDissimilarsameseeksঅনুসন্ধানPursuefindeagerআগ্রহীinterestdisinterestedobservationপর্যবেক্ষণExaminationneglectmereএকমাত্রImmenseabnormalalertসতর্কWatchfulunawarelatentসুপ্তOpenrealizedinstructorsপ্রশিকক্ষকteacherstudentguideগাইডmentormisguidewayপথ/উপায়Pathpartfascinatingচমৎকারexcellentunattractiveinterestআগ্রহীeagerdisregardimpatientঅধৈয্যIntolerancepatientillogicalঅযোক্তিকunethicalLogicalindifferentউদাসীনUninteresteddifferentethicallyনৈথিকভাবেlawfullyUnethicalGood-lookingচমৎকারAttractiveUnattractiveDarkঅন্ধকারBlackbrightFlawlessস্থিরperfectflawedShinyউজ্জল্যbrightdarkSlenderসরুthinfatGracefulকরুনাময়elegantungracefulStylishlyআড়ম্বরপূর্ণভাবেattractivesimplyAppreciatesপ্রশংসা করেpriesCriticizeNoticeলক্ষ করেadvertisementoverlookAmbitionউচ্ছাকাঙকাAim/desirelazinessRequireপ্রয়োজনneedanswerProficiencyদক্ষতাskilledincompetenceWonderআশ্চয্যSurprisedisinterestTestedপরীক্ষীতverifiednewEquallyসমানভাবেsimilarlyUnequallyDisappointingহতাশাজনকInceptingappointingPresumablyসম্ভবতdoubtlesslyimprobableQualifyযোগ্যতাcertifyDisqualifywrongভুলmistakewriteIdealআদর্শModelbadMasterদক্ষTeacherStudentMakesতৈরীcreateBreak/destroyMethodপদ্ধতিSystemdifferenceConvincingবিশ্বাসীsatisfactoryUnconvincingPraisesপ্রশাংসা করেhurrahCriticizeMistakeভুলErrorsagacityAngryরাগevilcalmSimpleসাধারণgeneralComplexmoralনৈতিকethicalamoralAcceptedগৃহিতreceivedrejectedSincerityআন্তরিকতাGood-willinsincerityResponsibilityদায়িত্বdutiesdepartureComplexityজটিলতাcomplicationSimplicityEnvyহিংসাlastedpraiseVicesমন্দevilVirtueImpactsপ্রভাবeffectfailsAwarenessসতর্কতাalertnessunawarenessOut-comeবাহিরের দিকresultcauseimportanceগুর্ত্বপূর্ণsignificanceinsignificanceFriendবন্দুenemyfoeNeedপ্রয়োজনcommitment/necessaryavoidSympathyসহানুভুতিkindnessrudenessProveপ্রমানconfirmdisproveFalseমিথ্যাwrongtrueHarmক্ষতিকরlosshelpLaughহাসাburstcryPleasureআনন্দhappinesssadnessBringআনাcarryleaveideaধারণাconceptnothingAllowঅনুমতিpermitdenyFreedomস্বাধীনতাindependencebondageOpinionমতামতviewawarenessFairমেলাcleanunfairEqualসমানbalancedunequalDivisionবিভাগdistributionunionElectনির্বাচন করাvoterefuseSystemনিয়ম-নীতিprocesspartTreatmentচিকিৎশা করাcuringhurtFacilityসুবিধাadvantagepainNeverকখন নয়NotingAlwaysWeakerদুর্বলrottenstrongerDiscourageনিরুৎসাহিতdroopEncourageFrustratingহতাশাজনকBuffaloingsatisfyingInterestআগ্রহীeagernessdiscourageAbilityসক্ষমতাCapabilityinabilityDreamস্বপ্নfancyfactBestসবচেয়ে ভালfinestworstSuccessসফলতাachievementfailureachieveঅর্জন…

6 months ago

সরকারি চাকরী খুজুন ঘরে বসেঃ ইন্টারনেটে চাকরীর খোঁজ(জরুরী ধাপ ও নির্ভরযোগ্য সকল ওয়েবসাইট)

আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক…

2 years ago

HSC 2023- English 1st Paper Model Question and Solution-1

Model Question 1 Part-I : Marks 60 1. Read the passage and answer the questions…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-পঞ্চম অধ্যায়- দেবদেবী ও পূজা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম অধ্যায় দেবদেবী ও পূজা এ অধ্যায়ে আমরা পূজা, পুরোহিতের ধারণা ও যোগ্যতা, দেবী দুর্গা,…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-চতুর্থ অধ্যায়- হিন্দুধর্মে সংস্কার সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

চতুর্থ অধ্যার হিন্দুধর্মে সংস্কার আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-তৃতীয় অধ্যায়, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

তৃতীয় অধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয়…

2 years ago

This website uses cookies.