নাম | বিপ্রদাশ বড়ুয়া। |
জন্ম পরিচয় | জন্ম তারিখ : ২০শে, সেপ্টেম্বর, ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ; জন্মস্থান : ইছামতি গ্রাম, চট্টগ্রাম। |
শিক্ষাজীবন | বিপ্রদাশ বড়ুয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। |
কর্মজীবন | শিক্ষাজীবন শেষে তিনি শিশু একাডেমিতে যোগদান করেন। পরে সহকারী পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন |
সাহিত্যকর্ম | ছোটগল্প : যুদ্ধ জয়ের গল্প, গাঙচিল; উপন্যাস : মুক্তিযোদ্ধারা; প্রবন্ধ : কবিতায় বাকপ্রতিমা; নাটক : কুমড়োলতা ও পাখি; জীবনী : বিদ্যাসাগর, পলস্নীকবি জসীমউদ্দীন; শিশুতোষ গল্প : সূর্য লুঠের গান; শিশুতোষ উপন্যাস : রোবট ও ফুল ফোটানোর রহস্য। |
পুরস্কার ও সম্মাননা | অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৭); বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৭); ঢালী- মনোয়ার স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯২); বৌদ্ধ একাডেমি পুরস্কার (১৯৯৪) লাভ করেন। |
প্রশ্ন –১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১. নারকেল শ্রীলংকানদের অ¯তিত্বের সঙ্গে জড়িত। নারকেলতেল ছাড়া তারা কোনো খাবার রান্না করে না। কারিতে নারকেল তেল ছাড়াও গুঁড়া শুঁটকি মাছ ব্যবহার করা হয়। এই গুঁড়া শুঁটকিকে তারা মসলার অংশ হিসেবে দেখে। এরা রান্নায় প্রচুর মসলা এবং লাল মরিচ ব্যবহার করে।
২. শ্রীলংকার রা¯তায় যেসব তরম্নণীরা চলাচল করেন তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ অতি সাধারণ। দামি পোশাক ও সাজগোজের দিকে তাদের যথেষ্ট আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। স্পষ্টতই মনে হয়, এরা জীবনযাপনে সহজ-সুন্দর এবং এতেই তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
ক. সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো বস্ত্রটির নাম কী?
খ. ব্যান্ডেল রোড তাদের স্মৃতি বহন করছে বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপক-১ এ মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীর যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপক-১ এবং উদ্দীপক-২ মিলে মিয়ানমারবাসীর জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির পুরো দিকটিই প্রকাশ পেয়েছে- মংডুর পথে প্রবন্ধের আলোকে মšতব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো বস্ত্রটির নাম চীবর।
খ. ব্যান্ডেল রোড তাদের স্মৃতি বহন করেছে- বলতে বোঝানো হয়েছে- ব্যান্ডেল রোড পর্তুগিজদের স্মৃতি বহন করছে।
ব্রিটিশ যুগ শুরম্ন হওয়ারও প্রায় একশ বছর আগে পর্তুগিজরা চট্টগ্রামে এসে বসতি স্থাপন করে। তারা নিজেদের বসতির জায়গাকে ব্যান্ডেল বলত। সেই সূত্র ধরে চট্টগ্রামে এখনো ব্যান্ডেল রোড তাদের স্মৃতি বহন করছে। এতে প্রমাণিত হয় যে সেখানে পর্তুগিজরা ছিল।
গ. উদ্দীপক-১ এ মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীর অন্যতম বিষয় মিয়ানমারের খাদ্যাভ্যাসের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীতে দেখা যায়, মিয়ানমারের লোকজন পোড়া লঙ্কা কচলে লবণ ও তেল দিয়ে ভর্তা করে। এর সঙ্গে তারা লেবুর কচি পাতা দেয়। এছাড়া ওখানকার চাকমা মারমারা ধানি লঙ্কা পুড়িয়ে লবণ ও পিঁয়াজ দিয়ে ভর্তা করে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নারকেল গাছের সারি দেখে বোঝা যায় যে এরা নারকেলপ্রিয়। মিয়ানমারের লোকজন নুডলস, পোড়া লঙ্কা গুঁড়ো, তেঁতুলের টক, কলার থোড় ইত্যাদি দিয়ে স্যুপ তৈরি করে খায়। এতে তাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসের পরিচয় পাওয়া যায়।
উদ্দীপকে শ্রীলংকার অধিবাসীদের খাবারদাবারের বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। নারকেল শ্রীলংকানদের প্রিয় খাবার। প্রায় সবরকম খাবার তারা নারকেল তেলের মিশ্রণে তৈরি করে। এছাড়া শুঁটকি মাছের গুঁড়ো তারা মসলার মতো ব্যবহার করে। রান্নায় এরা প্রচুর গরম মশলা এবং লাল মরিচ ব্যবহার করে। শ্রীলংকানদের সম্পর্কিত এ বক্তব্যে তাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিচয় পাওয়া যায়। তাই বলা যায়, উদ্দীপক ও ভ্রমণকাহিনীতে বর্ণিত মিয়ানমারের বাসিন্দাদের খাদ্যাভ্যাসের দারম্নণ মিলের পরিচয় পাওয়া যায়।
ঘ. উদ্দীপক-১ এবং উদ্দীপক-২ মিলে মিয়ানমারবাসীর জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির পুরো দিকটিই প্রকাশ পেয়েছে- মন্তব্যটি যথার্থ।
মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীতে লেখক মিয়ানমারবাসীর সমগ্র জীবনচিত্র, খাদ্যাভ্যাস, চালচলন, পোশাক-পরিচ্ছদ এমনকি উক্ত দেশের গোটা সংস্কৃতিকেই উপস্থাপন করেছেন। মিয়ানমারবাসীর খাদ্যাভ্যাসে রয়েছে বৈচিত্র্য। এছাড়া সেখানে বার্মিজ মেয়েরা বেশ সুশ্রী। তারা সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো থামি পরে। বক্ষবন্ধনে তারা ঝলমলে বস্নাউজ জাতীয় জামা বা গেঞ্জি পরিধান করে। এছাড়া সাজগোজের জন্য তারা চুলে ফুল গোঁজে, চিরম্ননি ও রিবন ফিতে ব্যবহার করে।
উদ্দীপক-১ এবং উদ্দীপক-২-এ শ্রীলংকানদের সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটেছে। উদ্দীপক-১-এ দেখা যায় তাদের খাদ্যাভ্যাস রীতির প্রকাশ। নারকেল খুব পছন্দ শ্রীলংকানদের। প্রায় সব রান্নায় তারা নারকেল তেল ব্যবহার করে। এছাড়া তারা শুঁটকির গুঁড়া মসলার মতো ব্যবহার করে। রান্নায় তারা গরম মসলা ও লাল মরিচ অধিক পরিমাণে ব্যবহার করে। উদ্দীপক-২-এ তাদের পোশাক-পরিচ্ছদের পরিচয় পাওয়া যায়। শ্রীলংকার রাস্তাঘাটে যেসব তরম্নণী চলাচল করে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ অতি সাধারণ। সাজগোজের দিকে তাদের তেমন আকর্ষণ নেই। এতেই তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপক-১ এবং উদ্দীপক-২-এ শ্রীলংকার খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক-পরিচ্ছদ সম্পর্কিত সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটেছে যা মংড়ুর পথে ভ্রমণকাহিনীতে বর্ণিত মিয়ানমারবাসীর খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক-পরিচ্ছদরীতি প্রকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
প্রশ্ন –২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জাবিদ পেশায় প্রকৌশলী। দাপ্তরিক কাজে তিনি জাপান যান। সেখানকার পরিকল্পিত রাস্তাঘাট দেখে, অত্যাধুনিক আরামদায়ক গাড়িতে চড়ে তিনি অভিভূত হন। সেখানে একটি বিলাসবহুল সুসজ্জিত হোটেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়। হোটেলে ব্যায়ামগার, সুইমিংপুল, বলরম্নমসহ যাবতীয় সুবিধাদি পেয়ে তিনি মুগ্ধ হয়।
ক. আরাকান রাজ্যের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন রাজধানীর নাম কী? ১
খ. মংডুর মহিলারা চির স্বাধীন বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের হোটেলে জাবিদের অবস্থা এবং মংডুর পথে রচনায় লেখকের অবস্থার তুলনামূলক আলোচনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি মংডুর পথে রচনার সমগ্র ভাব প্রকাশ করেনি। মূল্যায়ন কর। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. আরাকান রাজ্যের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন রাজধানীর নাম ম্রাউক-উ।
খ. মংডুর মহিলারা চির স্বাধীন বলতে তাদের ইচ্ছেমতো পেশা বেছে নেওয়া এবং চলাফেরার স্বাধীনতাকে বেঝানো হয়েছে।
মংডুর পুরম্নষদের মতো নারীরাও সব কাজ করছে, ব্যবসায় করছে অর্থাৎ তারা চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ নয়। মংডুর নারীরা ঘরে বন্দি হয়ে থাকে না। দোকানও করে নারীরা। তাদের চলাফেরায় কোনো বাধা নেই। সমাজে এ নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। নারীদের অবাধ স্বাধীনতা বোঝাতে লেখক আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
গ. উদ্দীপকের হোটেলে জাবিদের অবস্থা এবং মংডুর পথে রচনার লেখকের অবস্থার মধ্যে বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষতি হয়।
মংডুর পথে রচনার লেখক মায়ানমারে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। যেখানে তিনি একটি চতুর্থ শ্রেণির হোটেলে ওঠেন। হোটেলটির অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। মেঝে এবং দেয়াল দুটোই কাঠের। এছাড়া রাত নটার পর বিদ্যুৎ থাকে না। তাই রাতে ফ্যান বা লাইট কোনোটাই জ্বালানোর উপায় নেই।
উদ্দীপকে জাবিদ দাপ্তরিক কাজে জাপান যায়। সেখানে তিনি একটি বিলাসবহুল হোটেলে ওঠেন। হোটেলে আরাম-আয়েশের সব ব্যবস্থা রয়েছে, যা তাকে মুগ্ধ করে। এ বিষয়গুলোতেই উদ্দীপকের হোটেলে জাবিদের অবস্থা এবং মংডুর পথে রচনার লেখকের অবস্থার মধ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকটি মংডুর পথে রচনার সমগ্রভাব প্রকাশ করেনি- মন্তব্যটি যথার্থ।
মংডুর পথে রচনাটি একটি ভ্রমণকাহিনী। এ রচনায় লেখক তার মিয়ানমার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। এখানে প্রথমেই মিয়ানমারের প্রতি লেখকের মুগ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি মায়ানমারে গিয়ে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। জানতে পেরেছেন, মিয়ানমারের স্থানীয় মানুষ ও তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে। যা তাকে মুগ্ধ করেছে। এছাড়া মায়ানমারের নারীদের স্বাধীনতার বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে এখানে।
উদ্দীপকে জাবিদ একজন প্রকৌশলী। তিনি দাপ্তরিক কাজে জাপান যান। সেখানকার পরিবেশ তাকে মুগ্ধ করে। এছাড়া বিলাসবহুল হোটেলের কথাও বর্ণিত হয়েছে। যেখানে আধুনিক জীবনের সম¯ত্ম সুবিধা রয়েছে।
উদ্দীপকে শুধু জাপানের পরিকল্পিত ও অত্যাধুনিক জীবনব্যবস্থার বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু রচনায় মিয়ানমারের মানুষের সমগ্র জীবনব্যবস্থার বর্ণনা পাওয়া যায়। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।
প্রশ্ন -৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পরীক্ষা শেষে মাওসুল তার বাবা-মার সাথে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছে। সে শুনেছে সমুদ্র সৈকতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক লোকজন বেড়াতে আসে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে, বিশেষ করে সূর্যা¯তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য সেখানে অনেক মানুষের ভিড় হয়। আজ বা¯ত্মবে সৈকতে এসে সে দেখতে পেল রাবার বাগান, ডুলাহাজারীর সাফারি পার্ক, বৌদ্ধমন্দির, রাখাইনদের বার্মিজ মার্কেট, বাজার ঘাটায় প্রচুর গলদা চিংড়ি।
ক. মংডুর পথে গল্পের লেখকের নাম কী? ১
খ. ব্যান্ডেল বলতে কী বুঝ? ২
গ. উদ্দীপকে মাওসুলের ভ্রমণকাহিনীর সাথে মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীর যে দিক প্রকাশ পেয়েছে- তা তোমার নিজের ভাষায় লিখ। ৩
ঘ. মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীতে লেখকের অনুভূতির সঙ্গে উদ্দীপকের অনুভূতি এক নয়- প্রবন্ধের আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মংডুর পথে গল্পের লেখকের নাম বিপ্রদাশ বড়–য়া।
খ. ব্যান্ডেল বলতে পর্তুগিজদের বসতির স্থানকে বোঝায়।
পর্তুগিজরা সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে চট্টগ্রামে এসেছিল। তারা চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করেছিল। এ বসতি স্থানকে তারা ব্যান্ডেল বলত। চট্টগ্রামের ব্যান্ডেল রোড এখন তাদের স্মৃতিই বহন করে।
গ. উদ্দীপকের মাওসুলের ভ্রমণকাহিনীর সাথে মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনির ভ্রমণের মাধ্যমে বিচিত্র অভিজ্ঞতার অর্জনের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
মংডুর পথে একটি ভ্রমণকাহিনী। ভ্রমণ মানুষকে বিচিত্র অভিজ্ঞতা দেয়। অজানাকে জানতে, অচেনাকে চিনতে সাহায্য করে। যা আলোচ্য রচনাতেও আমরা প্রত্যক্ষ করি। লেখক আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভাস, ব্যবসা-বাণিজ্য ধর্ম সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়ে তার বিচিত্র অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
উদ্দীপকে মাওসুল ভ্রমণ করতে গিয়েছে কক্সবাজারে। আগে সে লোকমুখে কক্সবাজার সম্বন্ধে সামান্য শুনেছে। কিন্তু কক্সবাজারে যখন গিয়েছে, তখনই বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে। নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছে। যা তার অভিজ্ঞতার ঝুলিকে করেছে সমৃদ্ধ। তাই বলা যায়, প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীর বিষয়বস্তু একই।
ঘ. মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীতে লেখকের অনুভূতি ছিল অচেনা আবেগে উপচে পড়ার মতো, যা উদ্দীপকের অনুভূতির সঙ্গে এক নয়।
মংডুর পথে রচনাটি লেখকের মিয়ানমার ভ্রমণের ওপর ভিত্তি করে রচিত। মিয়ানমারে লেখক গিয়েছিলেন মূলত ভ্রমণে। কিন্তু ভ্রমণের শুরম্নতেই মুগ্ধতা প্রকাশের দিক থেকে লেখকের অচেনা আবেগ যেন উপচে পড়ল। তিনি বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বটে, তবে তার প্রতি মুগ্ধতাও প্রকাশ করেছেন। জানতে পেরেছেন মিয়ানমারের মানুষের বিচিত্র জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, খাবার, পোশাক। যার সবকিছুই লেখকের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।
উদ্দীপকের মাওসুলের অনুভূতিতে তেমন কোনো মুগ্ধতা প্রকাশের বিষয়টি নেই। এখানে মাওসুল কক্সবাজারে ভ্রমণে গেছে। যদিও কক্সবাজার সম্বন্ধে সে পূর্বে জেনেছে। কিন্তু তার চেয়ে দ্বিগুণ জিনিস সে দেখতে পেয়েছে। বা¯ত্মবতাও যেন তার কাছে ছবির মতো সুন্দর হয়ে উঠেছে। কিন্তু এতে তার মধ্যে মুগ্ধতা প্রকাশের সামান্য ছাপও নেই। তাছাড়া কক্সবাজারের মানুষের জীবনযাত্রা প্রণালির বর্ণনাও অনুপস্থিত।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীর লেখকের অনুভূতির আরও উদ্দীপকের মাওসুলের অনুভূতি এক নয়।
প্রশ্ন -৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নামটাই মায়া জাগানিয়া ভালোরিয়া। ইতালিয়ান ভূমধ্যসাগরের পশ্চিম সৈকতের তীরে গড়ে ওঠা নির্জন এ শহর যৌবন পেরিয়ে চলে গিয়েছিল বার্ধক্যে। শহরেরও জীবন আছে। আমাদের অলড়্গে শহরের বয়স বাড়ে। ঠিকমতো যত্ন না নিলে মরেও যায়। মানবসভ্যতায় অনেক বড় বড় শহর মরে গেছে এভাবে। ভালোরিয়াও মরে যাচ্ছিল প্রায়। আর সব শহরের মতো এখানেও ছিল একই সমস্যা। কাজের সন্ধানে সব তরম্নণ পাড়ি জমাচ্ছিল মিলান, রোমের মতো বড় শহরে। একটি সময় এলো, যখন শহরের বাসিন্দা মাত্র ৩০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।
ক. পূর্বে স্বাধীন আরাকান রাজ্য কোন সাগরের কাছাকাছি ছিল? ১
খ. মিয়ানমারের মেয়েরা রাস্তার পাশে দোকান নিয়ে বসে কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ভালোরিয়া শহরের সাথে মংডুর পথে রচনায় বর্ণিত মিয়ানমারের তুলনা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকটি মংডুর পথে রচনার সামগ্রিকভাব ধারণ করে না।” মতের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. পূর্বে স্বাধীন আরাকান রাজ্য আন্দামান সাগরের কাছাকাছি ছিল।
খ. মিয়ানমারের মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য রাস্তার পাশে দোকান নিয়ে বসে।
মিয়ানমারের মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি স্বাধীন। মিয়ানমারের খাবারের দোকানগুলোর মালিক মহিলারা। একেবারেই ঝুপড়ি দোকানে বসে মহিলারা বেচাকেনা করে। সেখানে যেসব রে¯ত্মরাঁ রয়েছে সেগুলোর মালিকও মহিলা। সেখানে মহিলারা নিজেদের আত¥নির্ভরশীল করে তুলতেই অর্থোপার্জনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
গ. অবস্থানগত দিক থেকে মিয়ানমার ও ভালোরিয়ার মধ্যে মিল থাকলেও অর্থনৈতিক দিক থেকে তাদের মধ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
মিয়ানমার ও ভালোরিয়া উভয়ই নদী তীরবর্তী শহর হলেও অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ভ্রমণকাহিনীটিতে দেখা যায়, নাফ নদীর তীরে গড়ে ওঠা আরাকান রাজ্যের সাবেক রাজধানী ম্রাউক-উ ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও নতুন উদ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে মিয়ানমারের ব্যবসায়-বাণিজ্য, নতুন রূপে গড়ে উঠেছে মিয়ানমার শহর। এ শহরের মেয়েরা নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে রাস্তার পাশে ঝুপড়ি দোকান সাজিয়ে বসেছে। রে¯ত্মরাঁর মালিকও মেয়েরা। স্থানীয় মুসলমানরা প্যাইকা চালক, হিন্দুরাও স্বাধীন ব্যবসায় করছে। তরিকারি, মাছের দোকান দিয়েছে। এ শহরের মানুষকে জীবিকার সন্ধানে অন্যত্র যেতে হয়নি।
উদ্দীপকে দেখা যায়, ইটালিয়ান ভূমধ্যসাগরের পশ্চিম সৈকতের তীরে গড়ে ওঠা ছোট শহর ভালোরিয়া। শহরটি ছিল মৃতপ্রায়। সেখানে লোকসংখ্যা মাত্র তিরিশ জন। কারণ সেই শহরে কোনো কাজ ছিল না। কাজের সন্ধানে সবাই মিলান, রোম প্রভৃতি শহরে চলে যাচ্ছিল। এসব বিষয় বিবেচনা করে বলা যায়, ভালোরিয়া শহরের তুলনায় মিয়ানমারের অথনৈতিক অবস্থা বেশ সচ্ছল ছিল।
ঘ. উদ্দীপকটি মংডুর পথে রচনাটির সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।”-। মন্তব্যটি যথার্থ।
মংডুর পথে রচনায় লেখকের নদী তীরবর্তী মিয়ানমারের পশ্চিম সীমাšতের শহর মংডু ভ্রমণের সামগ্রিক অভিজ্ঞতার প্রকাশ লক্ষণীয়। এ রচনায় মংডুর মানুষের খাদ্যাভ্যাস, পোশাক-পরিচ্ছদ, ব্যবসায়-বাণিজ্য অর্থাৎ উক্ত দেশের গোটা সংস্কৃতিই ফুটে উঠেছে। অর্থনৈতিকভাবে এদেশের মেয়েরা অনেক বেশি স্বাধীন সে বিষয়টি গুরম্নত্বের সাথে স্থান পেয়েছে।
উদ্দীপকে শুধু মৃতপ্রায় ভালোরিয়া শহরের অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে এ শহরের সব তরম্নণ কাজের জন্য অন্যত্র পাড়ি জমায়। ফলে শহরের জনসংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৩০ জনে। এই বিষয়টি মংডুর পথে রচনায় বর্ণিত শুধু অর্থনৈতিক অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। কিন্তু এ রচনায় বর্ণিত অন্যান্য বিষয় এখানে অনুপস্থিত।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকটি আলোচ্য রচনার সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।
প্রশ্ন -৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ব্রিয়াংকা জার্মানি থেকে বাংলাদেশে এসেছে একটি গবেষণামূলক কাজে। নদী ভাঙা অঞ্চলের মানুষের সামাজিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য। সিরাজগঞ্জের একটি গ্রামে এসে উঠেছে সে, এখানকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট কাঁচা। গ্রামের আশপাশে, ভেতরে আম, জাম, কাঁঠালের অনেক গাছ। গ্রামের বেশিরভাগ পুরম্নষ কৃষিকাজ করে আর মহিলারা ঘরে কাজ করে। এখানকার বাড়িগুলো টিনের তৈরি। বেশিরভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
ক. বিপ্রদাশ বড়–য়ার উপন্যাসের নাম কী? ১
খ. তাহলে কী করে দেশের সব মানুষের সঙ্গে আমার সখ্য নিবিড় হবেÑ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের উলিস্নখিত বাংলাদেশের গাছপালার সঙ্গে মংডুর পথের ভ্রমণকাহিনির গাছপালার সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ.প্রতিবেশী দেশ হওয়ার পরও বাংলাদেশের অনেক গ্রামের অবকাঠামোগত দিক মংডুর চেয়ে আলাদাÑ উক্তিটির যথার্থতা বিশেস্নষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বিপ্রদাশ বড়–য়ার উপন্যাসের নাম মুক্তিযোদ্ধারা।
খ. চট্টগ্রামের রাখাইনদের সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভেবে লেখক বলেছেন, তাহলে কী করে দেশের সব মানুষের সঙ্গে আমার সখ্য নিবিড় হবে।
লেখক মংডুতে গিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশের যেসব ড়্গুদ্র জাতিসত্তা আছে তাদের সম্পর্কে লেখক কিছুই জানেন না। তাদের খাদ্যাভ্যাস, আচার-আচরণ, ভাষা-সংস্কৃতিতে ভিন্নতা রয়েছে। এসব সংস্কৃতি তৈরি করে একটি দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিম-ল। আর এগুলো সম্পর্কে না জানলে যে নিজের দেশের সাথে আতি¥ক সম্পর্ক গড়ে ওঠে না, লেখক এখানে তাই বোঝাতে চেয়েছেন।
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত বাংলাদেশের গাছপালার সঙ্গে মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীর গাছপালার সাদৃশ্য রয়েছে।
মংডু মিয়ানমারের একটি শহর। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও চোখে পড়ার মতো। মংডুতে রয়েছে নানান প্রজাতির গাছ। বৃষ্টি শিরীষ, আম, কাঁঠাল, কৃষ্ণচূড়া সবই আছে। পদাউকের সোনার ফুলও ফুটেছে। মংডুতে ব্রিটিশ আমলের কিছু গাছও রয়েছে, আছে তেঁতুল এবং কমবয়সি নারকেল গাছ। কাঠগোলাপ ও সোনালু গাছও আছে। তবে নারকেল গাছ সর্বত্র।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের একটি গ্রামের বর্ণনা রয়েছে। আম, জাম, কাঁঠাল গাছ সেই গ্রামের শোভাবর্ধন করেছে। বাংলাদেশের একটি গ্রামে যেমন এ গাছগুলো রয়েছে তেমনি আছে মিয়ানমারের মংডুতেও। তাই বলা যায়, উভয় স্থানের পথের চারপাশের গাছপালার সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. “প্রতিবেশী দেশ হওয়ার পরও বাংলাদেশের অনেক গ্রামের অবকাঠামোগত দিক মিয়ানমারের শহর মংডুর চেয়ে আলাদা”- উক্তিটি যথার্থ।
মিয়ানমারের নদী তীরবর্তী শহর মংডু। নদীকে কেন্দ্র করেই ব্যবসায়-বাণিজ্য আবর্তিত হয়েছে। এখানকার বাড়িগুলো রাস্তার দুপাশে এবং বাড়ির নিচে দোকান। ভেতরের বাড়িগুলো সেগুন কাঠের থাম বা পাকা থামের ওপর। বেশিরভাগ দোকানের এবং রে¯ত্মরাঁর মালিক মহিলারা। মহিলারা স্বাধীনভাবে ব্যবসায় করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমানের বাস থাকলেও ধর্মযাজক হিসেবে বৌদ্ধভিড়্গুদের আলাদা সম্মান রয়েছে।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের নদীভাঙা একটি গ্রামের (সিরাজগঞ্জ) মানুষের কথা বলা হয়েছে। কারণ ব্রিয়াংকা এসেছে নদীভাঙা মানুষের সামাজিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য। যে গ্রামের রাস্তা মাটির তৈরি। বন্যার কারণে এখানকার বেশিরভাগ মানুষ টিনের তৈরি বাড়িতে থাকে।
তাই উলিস্নখিত আলোচনার শেষে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ হওয়ার পরেও অবকাঠামোগত দিক থেকে মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে অনেকটাই ভিন্ন।
প্রশ্ন –৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান। মুসলমানদের উপাসনালয়ের নাম মসজিদ। মসজিদে নামাজ পড়ান ইমাম সাহেব। ইমাম সাহেব লম্বা জোব্বা পরেন, পায়জামাও পরেন। অবশ্য সেই পায়জামা পায়ের গিরার ওপর পর্যন্ত পরতে হয়। এটি ইসলামি নিয়ম। ইমাম সাহেবের মাথায় থাকে টুপি এবং মুখে দাঁড়ি। যেকোনো মুসলিম দেশে ইমাম সাহেবদের সম্মানের চোখে দেখা হয়।
ক. চীবর কী? ১
খ. লেখক মংডুতে বোরকা পরা মহিলার ছবি তুলতে গেলে ছাতা দিয়ে সে আড়াল তুলে দিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ইমাম সাহেবের পোশাকের সঙ্গে ফুঙ্গিদের পোশাকের বৈসাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ.প্রত্যেক ধর্মের মানুষের কাছে ধর্মযাজকরা সম্মানের পাত্র।- উক্তিটি উদ্দীপক ও মংডুর পথে রচনার আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. চীবর হলো বৌদ্ধ ভিড়্গুদের পরিধেয় গৈরিক পোশাকবিশেষ।
খ. বোরকা পরা মহিলা পর্দা রক্ষা করার জন্য ছাতা দিয়ে আড়াল তুলে দিল।
লেখক হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পান বোরকা পরা মহিলা। মহিলাটি পাইক্যায় যাচ্ছে। তার মাথায় ছাতা। লেখক তার ছবি তুলতে চাচ্ছেন বুঝতে পেরে সে ছাতা দিয়ে মুখ আড়াল করে ফেলে। কারণ ইসলাম ধর্মের বিধান লঙ্ঘন করতে সে চায়নি। চায়নি বলেই সে সাধারণ পোশাকের বদলে বোরকা পরেছে।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ইমাম সাহেবের পোশাকের সঙ্গে ফুঙ্গিদের পোশাকের বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
প্রত্যেক ধর্মের রয়েছে নিজস্ব ধর্মযাজক। তাই ধর্মগুরম্ন হিসেবে তাদের পোশাকেও ভিন্নতা দেখা যায়। মংডুর পথে রচনাটিতে দেখা যায়, মিয়ানমার বৌদ্ধপ্রধান দেশ। বৌদ্ধধর্মের যাজকদের বলা হয় ফুঙ্গি বা ভিড়্গু। ভিড়্গুদের রয়েছে ভিন্ন ধরনের পোশাক। ভিড়্গুদের পরিধেয় চীবর সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো। গায়ে আলাদা আরেক টুকরো চীবর থাকে। হাত ঢাকা ও এক কাঁধ কাটা একটি গেঞ্জি থাকে, কোমরে বেল্ট জাতীয় অর্থাৎ সেলাই করা কাপড়ের কোমর বন্ধনী থাকে। এসব মিলে হয় ত্রিচীবর। ভিড়্গুদের চীবর নিয়মানুযায়ী অনেক জোড়া দিয়ে সেলাই করা হয়।
উদ্দীপকে মসজিদের ইমাম সাহেব সম্পর্কে বলা হয়েছে। ইমাম সাহেবের পোশাক ফুঙ্গিদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। তারা লম্বা জোব্বা এবং পায়জামা পরেন। তাদের মাথায় বিশেষ ধরনের টুপি থাকে। ইমাম সাহেব নিয়মানুসারে পায়জামা পরেন পায়ের গিরার ওপর পর্যন্ত, তাদের মুখে দাঁড়ি রাখা আবশ্যক। অতএব দেখা যাচ্ছে, উদ্দীপকে বর্ণিত ইমাম সাহেবের সঙ্গে ফুঙ্গিদের পোশাকের বৈসাদৃশ্য লক্ষণীয়।
ঘ. প্রতিটি ধর্মের মানুষের কাছে ধর্মযাজকরা অনেক সম্মানের পাত্র হয়ে থাকেন।
মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীতে দেখা যায়, বৌদ্ধ ধর্মপ্রধান দেশ মংডু। বৌদ্ধ ধর্মের যাজকদের বলা হয় ফুঙ্গি। মিয়ানমারের পথঘাটে, বাসের ছাদে সব জায়গাতে ফুঙ্গিদের দেখতে পাওয়া যায়। সকালে তারা খালি পায়ে ভিক্ষা করতে বের হন। ভিক্ষাই তাদের জীবিকা। ফুঙ্গিরা বিশেষ ধরনের পোশাক পরেন। বার্মার মানুষের কাছে তারা খুব সম্মানের।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের ইমাম সাহেবদের সম্পর্কে বলা হয়েছে। ইমাম সাহেব মসজিদে নামাজ পড়ান। পোশাক থেকে শুরম্ন করে সব ব্যাপারে ধর্মের নিয়মনীতি তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। তিনি ভালো গুণাবলির দ্বারা মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা অর্জন করেন।
ইমাম সাহেবের মতো মিয়ানমারের ফুঙ্গিরাও ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করার জন্য সবার কাছে সম্মান পেয়ে থাকেন। উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, প্রত্যেক ধর্মের মানুষের কাছে ধর্মযাজকরা সম্মানের পাত্র।
প্রশ্ন -৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাদিয়ারা সপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে বার্মিজ মার্কেটে কেনাকাটা করতে যায়। সে দেখল সেখানকার বেশিরভাগ দোকানেই রাখাইন মেয়েরা নানা রকম জিনিস বিক্রি করছে। কসমেটিকস, পোশাক, এমনকি খাবারের দোকানেও তাদের একচেটিয়া অধিকার। তাদের পরনে থামি (মেয়েদের সেলাইবিহীন লুঙ্গি)। সাদিয়ার মনে হলো, রাখাইন মেয়েরা বেশ স্বাধীনভাবে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।
ক. মিয়ানমারের সবাই কী পরে? ১
খ. পাইক্যা যানবাহনটি কেমন? ২
গ. উদ্দীপকের সাথে মংডুর পথে রচনার কোন দিকটির সম্পর্ক রয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে যেন মিয়ানমারের স্বাধীন নারীদের চিত্রটিই প্রতিভাত হয়ে উঠেছে। Ñউক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মিয়ানমারের সবাই লুঙ্গি পরে।
খ. পাইক্যা হলো এক ধরনের তিন চাকার রিকশা, যা মিয়ানমারসহ মংডুর সর্বত্র দেখা যায়।
পাইক্যা তিন চাকার রিকশা হলেও এটি অনেকটা মোটরবাইকের মতো। মোটরবাইকের পাশে আরেকটি চাকা লাগিয়ে ক্যারিয়ারে বউ বাচ্চা নেয়ার মতো যেমন জায়গা থাকে, পাইক্যাও তেমনি এক ধরনের যানবাহন।
গ. রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ণনার দিক দিয়ে উদ্দীপক ও মংডুর পথে রচনার সম্পর্ক রয়েছে।
মংডুর পথে রচনায় লেখক রাখাইন সম্প্রদায়ের নারীদের কথা লিখেছেন। সেখানকার রাখাইন নারীরা স্বাধীনভাবে ব্যবসায়-বাণিজ্য করে। তারাই দোকানের মালিক। সেখানকার মহিলারা থামি পরে। আবার এই রাখাইন সম্প্রদায়ের লোক যেমন মংডুতে আছে, তেমনি বাংলাদেশের কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতেও আছে। বাংলাদেশের সেই রাখাইন সম্প্রদায়ের কথাই উদ্দীপকে বলা হয়েছে।
উদ্দীপকেও কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায়ের কথা বলা হয়েছে। সেখানকার বার্মিজ মার্কেটে রাখাইন নারীরা কেনাবেচা করে। কসমেটিকস, কাপড় এবং খাবারের দোকানেও তারাই বিক্রেতা। তাদের পরনে থামি। তারা বেশ স্বাধীনভাবেই জীবিকা নির্বাহ করে। এ বিষয়টি মংডুর পথে রচনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
ঘ. “উদ্দীপকে যেন মিয়ানমারের স্বাধীন নারীদের চিত্রটিই প্রতিভাত হয়ে উঠেছে।Ñ উক্তিটি যথার্থ।
মংডুর পথে রচনায় লেখক রাখাইন নারীদের স্বাধীন জীবনযাপনের কথা তুলে ধরেছেন। মিয়ানমার ভ্রমণকালীন লেখকের অভিজ্ঞতা তিনি এ রচনায় লিখেছেন। সেখানকার নারীদের তিনি স্বাধীনভাবে ব্যবসায়-বাণিজ্য করতে দেখেছেন। মেয়েরাও ঝুপড়ি দোকান কিংবা ভাসমান খাবার দোকানের ও রে¯তোরাঁর মালিক। লেখক তাই বলেছেন, মহিলারা চির স্বাধীন। দোকানের মালিক তারা। অর্থনৈতিকভাবে তারা অনেক বেশি স্বাধীন। এখানেও আমরা মেয়েদেরকে বার্মার নারীদের মতোই স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহ এবং ব্যবসায়-বাণিজ্য করতে দেখি।
উদ্দীপকটিতে বাংলাদেশের রাখাইন নারীদের কথা বলা হয়েছে। সাদিয়ারা কক্সবাজারে বার্মিজ মার্কেটে কেনাকাটার জন্য গিয়ে দেখল, সেখানকার বেশিরভাগ দোকানেই রাখাইন মেয়েরা জিনিস বিক্রি করছে। কসমেটিকস, পোশাক এবং খাবারের দোকানদারও তারাই। সাদিয়ার মনে হলো এরা বেশ স্বাধীনভাবেই জীবিকা নির্বাহ করছে।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকের রাখাইন নারীদের মধ্যে মিয়ানমারের স্বাধীন নারীদের চিত্রই প্রতিভাত হয়েছে।
প্রশ্ন-৮ মাসুদ সাহেব থাইল্যান্ড যান বেড়ানোর জন্য। সেখানে তিনি মানুষের জীবনাচরণের নানা দিক সম্পর্কে জানতে পারেন। থাইল্যান্ডের ছেলেমেয়ে সবাই প্যান্ট ও টিশার্ট পরে। তবে ঝলমলে ব্লাউজ জাতীয় জামা পরতেও তাদের দেখা যায়। আর থাইল্যান্ডের রাস্তায় রিকশা খুব একটা নজরে পড়ে না। সেখানে রিকশার বদলে পাইক্যা চলে। এসব যানবাহন দিয়েই মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বেড়াতে যায়।
ক. মিয়ানমারের পূর্ব নাম কী? ১
খ. ইউনাইটেড হোটেলে লেখকদের জায়গা হলো না কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত থাইল্যান্ডের জীবনাচরণের সঙ্গে মিয়ানমারের মংডুর বৈসাদৃশ্য কোথায়? নিরূপণ কর। ৩
ঘ. কিছু বৈসাদৃশ্য থাকলেও থাইল্যান্ডের সঙ্গে মংডুর সাদৃশ্য রয়েছে- মন্তব্যের যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
প্রশ্ন-৯ সিজান তার মামার সাথে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিল। কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করেছে। সেখানকার রাস্তাঘাট অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। কাশ্মীরি খাবারের স্বাদ কখনো ভুলতে পারবে না সিজান। কাশ্মীরি শাল বহির্বিশ্বে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে। সিজানের স্মৃতিপটে খোদাই হয়ে আছে কাশ্মীরের স্মৃতি।
ক. আলাওল কোন শতকের কবি? ১
খ. সারা ভ্রমণ এভাবে অপূর্ণ কথাবার্তা বলতে হবেÑ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীর কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ একটি দেশের নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে- উদ্দীপক ও মংডুর পথে রচনার আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ মংডু কোন দেশের সীমান্ত শহর?
উত্তর : মংডু মিয়ানমারের সীমান্ত শহর।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কখন থেকে মংডুর সাথে চট্টগ্রামের যোগাযোগ?
উত্তর : ব্রিটিশ যুগের বহু আগ থেকে মংডুর সাথে চট্টগ্রামের যোগাযোগ।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ মিয়ানমারে রিকশার বদলে কী আছে?
উত্তর : মিয়ানমারে রিকশার বদলে পাইক্যা আছে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ রে¯ত্মরাঁর রাখাইন মালকিনের ছেলে কোথায় পড়ে?
উত্তর : রে¯ত্মরাঁর রাখাইন মালকিনের ছেলে কলেজে পড়ে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ লেখক প্রথম রাতে কোথায় খেয়েছেন?
উত্তর : লেখক প্রথম রাতে রয়েল রে¯ত্মরাঁয় খেয়েছেন।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ কী ধরনের হোটেলে লেখকের প্রথম রাত কেটে গেল?
উত্তর : অখ্যাত বা কুশ্রী হোটেলে লেখকের প্রথম রাত কেটে গেল।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ সুধার ডিয়ার কী?
উত্তর : সুধার ডিয়ার মিয়ানমারের একটি নদী।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ বৌদ্ধ ভিড়্গুরা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করে?
উত্তর : বৌদ্ধ ভিড়্গুরা ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ ফুঙ্গি কাদের বলা হয়?
উত্তর : বৌদ্ধ ভিড়্গুদের ফুঙ্গি বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ কাদেরকে পাদরি বলা হয়?
উত্তর : খ্রিষ্ট ধর্মপ্রচারকদের পাদরি বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ মালকিন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : মালকিন শব্দের অর্থ মহিলা মালিক।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ বাংলাদেশের কোথায় রাখাইন সম্প্রদায়ের লোক রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশেরপটুয়াখালী ও কক্সবাজারে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোক রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ আরাকান রাজ্য কাদের শাসনে ছিল?
উত্তর : আরাকান রাজ্য মুসলমানদের শাসনে ছিল।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ দৌলত কাজী কোথায় সাহিত্যচর্চা করতেন?
উত্তর : দৌলত কাজী আরাকান রাজ্যের রাজসভায় সাহিত্যচর্চা করতেন।
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ লেখক বোঁচকা-বুঁচকি নিয়ে নতুন হোটেলের উদ্দেশ্যে চললেন কেন? উত্তর : ইউনাইটেড হোটেলে জায়গা না পেয়ে লেখক বোঁচকা-বুঁচকি নিয়ে নতুন হোটেলের উদ্দেশ্যে যান।
মংড়ুতে গিয়ে লেখক থাকার উদ্দেশ্যে ইউনাইটেড হোটেলে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে লেখক থাকার জায়গা পান না। আগে যারা এখানে এসেছে তারা জায়গা দখল করে নিয়েছে। তাই লেখক নতুন হোটেলের উদ্দেশে চললেন।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ এটা চতুর্থ শ্রেণির হোটেল হতেও পারে।- লেখকের এরূপ অভিমতের কারণ দর্শাও।
উত্তর : এটা চতুর্থ শ্রেণির হোটেল হতেও পারে।- লেখকের এরূপ অভিমতের কারণ হলো হোটেলের শোচনীয় অবস্থা।
ইউনাইটেড হোটেলে থাকার স্থান না পেয়ে লেখক আরেক স্থানে একটা হোটেল খুঁজে পান। হোটেলের মেঝে আর দেয়াল কাষ্ঠনির্মিত। বিছানায় চষা জমির মতো তোশক। মশারি থেকে বিচিত্র ও বিপরীতধর্মী নানারকম উৎকট দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসছে। তাছাড়া, সেখানে রাত নটার পর বিদ্যুৎ থাকে না। এসব কারণেই লেখক হোটেল সম্পর্কে আলোচ্য অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ লুঙ্গি, ফুঙ্গি ও প্যাগোডা- এই তিন নিয়ে মিয়ানমারÑ বাক্যটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : লুঙ্গি, ফুঙ্গি ও প্যাগোডা- এই তিন নিয়ে মিয়ানমার- বাক্যটি দ্বারা লেখক বুঝিয়েছেন যে, মিয়ানমারের সর্বত্রই লুঙ্গি, ফুঙ্গি ও প্যাগোডা দেখা যায়।
মিয়ানমারের নারী-পুরম্নষ সবাই লুঙ্গি পরে। মেয়েরা লুঙ্গির সাথে বস্নাউজ পরে, আর পুরম্নষরা লুঙ্গির সাথে জামা পরে। ফুঙ্গি হলো বৌদ্ধ ভিড়্গু। তাদের পেশা হলো ভিক্ষা করা এবং ধর্ম প্রচার করা। আর প্যাগোডা হলো বৌদ্ধদের প্রার্থনার স্থান। আলোচ্য বাক্য দ্বারা সার্বিক অবস্থার কথা বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ আরাকান রাজ্য সম্পর্কে অল্প কথায় লেখ।
উত্তর : আরাকান হলো বর্তমান মিয়ানমারের অংশবিশেষ। পূর্বে এটি মিয়ানমার থেকে আলাদা ও স্বাধীন রাজ্য ছিল, যার রাজধানীর নাম ছিল ম্রাউক-উ।
আরাকান যখন স্বাধীন রাজ্য ছিল, তখন তার পরিধি ছিল উত্তরে ফেনী নদী থেকে আন্দামান সাগরের কাছাকাছি পুরো বঙ্গোপসাগরের উপকূল পর্যন্ত। স্বাধীন আরাকান রাজ্যের রাজদরবারে সাহিত্যের কদর ছিল। সতেরো শতকে আরাকানের রাজসভায় দৌলত কাজী, মাগন ঠাকুর ও আলাওল সাহিত্যচর্চা করতেন। কালের আবর্তনে আরাকান বার্মার সাথে মিশে গেছে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ মংডুতে সবাই কী রকম পোশাক পরে?
উত্তর : মংডুর অধিবাসীরা চীবর, লুঙ্গি ইত্যাদি পরে। নারী-পুরুষ সবাই লুঙ্গি পরে।
মংডুতে প্যান্ট পরার প্রচলন খুব কম। ছেলে-বুড়ো-যুবক-যুবতী সবাই লুঙ্গি পরে। স্কুল, অফিস, কাছারি প্রভৃতি সব জায়গায় লুঙ্গি ও জামা বা শার্ট পরা হয়। বর্মিরা শার্টটি লুঙ্গির নিচে গুঁজে দেয়। মুসিলমরা শার্ট পরে লুঙ্গির বাইরে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ মংডুর ফুঙ্গিদের পোশাক কীরূপ?
উত্তর : মংডুর ফুঙ্গিদের প্রধান পরিধেয় চীবর।
ফুঙ্গিদের চীবর বিশেষ মাপে এবং অনেক জোড়া দিয়ে সেলাই করা হয়। হাত কাটা ও এক কাঁধ কাটা একটা গেঞ্জি থাকে। কোমরে বেল্ট জাতীয় এক ধরনের সেলাই করা কাপড়ের কোমর বন্ধনী থাকে। এসব মিলে ত্রিচীবর থাকে। আর হাতে ছাবাইক বা ভিক্ষাপাত্র থাকে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ লুঙ্গি কীভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
উত্তর : বার্মা বা মিয়ানমার থেকে লুঙ্গি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
বার্মার সবার প্রধান পরিধেয় লুঙ্গি। বর্মি-মুসলমান-হিন্দু-বড়–য়া-খ্রিষ্টান সবার পরিধেয় বস্ত্র লুঙ্গি। একসময় চট্টগ্রামে বর্মিরা বসবাস করত। এভাবে বার্মা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে লুঙ্গি প্রবেশ করে।
১. মিয়ানমারে বৌদ্ধ ভিড়্গুদের কী বলা হয়?
ক পুরোহিত > ফুঙ্গি গ ব্রাহ্মণ ঘ মহাথেরো
২. ভিড়্গুদের পরিধেয় চীবর দেখতে কেমন?
ক কাঁধ কাটা গেঞ্জির মতো
> সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো
গ সেলাই করা লুঙ্গির মতো
ঘ কোমরের বেল্টের মতো
৩. সবদেশের লোক বিদেশিদের চিনতে পারে-
র. পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে
রর. চালচলন দেখে
ররর. খাবার দাবার দেখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অন্নদাশঙ্কর রায় ফ্রান্সের প্যারিস নিয়ে লেখা পারী প্রবন্ধে বলেছেন- পারীর যারা আসল অধিবাসী, খুব খাটতে পারে বলে তাদের সুনাম আছে। মেয়েরা গল্প করার সময়ও জামা সেলাই করে। জামাকাপড়ের শখটা ফরাসিদের অসম্ভব রকম বেশি, বিশেষ করে ফরাসি মেয়েদের ও শিশুদের।
৪. উদ্দীপকে মংডুর পথে প্রবন্ধের মিয়ানমারবাসীর সংস্কৃতির যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা হলো-
র. ভোজন বিলাসিতা
রর. ভূষণ বিলাসিতা
ররর. শ্রমনিষ্ঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫. বার্মায় কাদেরকে সম্মানের চোখে দেখা হয়?
ক পুলিশ > বৌদ্ধ ভিড়্গু গ মহিলা ঘ শিশু
৬. বর্মী শব্দ গম অর্থ কী?
ক গমন খ গ্রাম > ভালো ঘ সম্মান
৭. মিয়ানমারে সেন্না ফুল কোন মাসে ফোটে?
> মে খ জুন গ জুলাই ঘ আগস্ট
৮. ছাবাইক কী?
ক সেলাইবিহীন লুঙ্গি খ থামি
> ভিক্ষাপাত্র ঘ বৌদ্ধ ভিড়্গু
৯. মংডু মিয়ানমারের কোন দিকের সীমাšত শহর?
ক পূর্ব > পশ্চিম গ উত্তর ঘ দক্ষিণ
১০. মিয়ানমারের পাইকার একচেটিয়া চালক কারা?
ক বৌদ্ধ খ হিন্দু >মুসলমান ঘ রাখাইন
১১. মংডুর পথে রচনা পাঠে শিক্ষার্থীরা কীসে অনুপ্রাণিত হবে?
ক জাতীয়তাবোধে খ স্বদেশ চেতনায়
> ভ্রমণাকাক্সক্ষায় ঘ ধর্মীয় সম্প্রীতিতে
১২. হিমালয় পর্বত কোথায় অবস্থিত?
ক ভারতের পূর্ব সীমানায়
খ ভারতের দক্ষণি সীমানায়
গ ভারতের পশ্চিম সীমানায়
> ভারতের উত্তর সীমানায়
১৩. আরাকান রাজ্যের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন রাজধানী কী?
র. মংডু রর. সিংহাই
ররর. ম্রাউক-উ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪. বর্মী নারী-পুরম্নষের বৈসাদৃশ্য রয়েছে-
র. পোশাক পরিধানে রর. জীবিকায়
ররর. সংস্কৃতিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বি.দ্র- সঠিক উত্তর নেই।
১৫. যুদ্ধজয়ের গল্প কোন ধরনের রচনা?
ক প্রবন্ধ > ছোটগল্প গ উপন্যাস ঘ নাটক
১৬. মিয়ানমারে রিকশার বদলে কী ব্যবহার করা হয়?
> পাইক্যা খ গরম্নর গাড়ি
গ ভ্যান গাড়ি ঘ ঘোড়ার গাড়ি
১৭. মিয়ানমারের ৪ থেকে ৫শ চ্যা আমাদের টাকার হিসাবে কত?
> ৪০ Ñ ৫০ টাকা খ ৫০ Ñ ৬০ টাকা
গ ৭০ Ñ ৮০ টাকা ঘ ৮০ Ñ ৯০ টাকা
১৮. পাইক্যা চলে কোন দেশে?
ক ইরানে > মিয়ানমারে
গ ভারতে ঘ নেপালে
১৯. মিয়ানমার বাংলাদেশের কোন দিকে অবস্থিত?
> পূর্ব খ পশ্চিম গ উত্তর ঘ দক্ষণি
লেখক-পরিচিতি
২০. বিপ্রদাশ বড়–য়া কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯২০ খ ১৯৩০ > ১৯৪০ ঘ ১৯৫০
২১. বিপ্রদাশ বড়–য়া কত বার শিশুসাহিত্য পুরস্কার পান? (জ্ঞান)
ক একবার > দুবার গ তিনবার ঘ চারবার
২২. বিপ্রদাশ বড়–য়া দুবার কী শিশুসাহিত্য পুরস্কার পান? (জ্ঞান)
> অগ্রণী ব্যাংক খ জনতা ব্যাংক
গ সোনালী ব্যাংক ঘ রূপালী ব্যাংক
২৩. বিপ্রদাশ বড়–য়ার সূর্য লুঠের গান কী ধরনের রচনা? (জ্ঞান)
> শিশুতোষ গল্প খ শিশুতোষ উপন্যাস
গ নাটক ঘ প্রবন্ধ
২৪. বিপ্রদাশ বড়–য়া কোন প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন?
[ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আšত্মঃবিদ্যালয়, ঢাকা]
ক বাংলা একাডেমি খ এশিয়াটিক সোসাইটি
গ শিল্পকলা একাডেমি > শিশু একাডেমি
২৫. ভিড়্গুকদের পরিধেয় বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাককে কী বলে?
ক থামি > ত্রিচীবর গ ছাবাইক ঘ নাক্ষা
২৬. সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো বস্ত্রটির নাম কী?
[মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক বর্মি কোর্ট > চীবর
গ বোরকা ঘ পাইক্যা
মূলপাঠ
২৭. মংডু শহরের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন শহরের যোগাযোগ ছিল? (জ্ঞান)
ক ঢাকা > চট্টগ্রাম গ কুমিলস্না ঘ নোয়াখালী
২৮. পর্তুগিজরা কোথায় বসতি স্থাপন করে? (জ্ঞান)
> চট্টগ্রাম খ আরাকান গ কুমিলস্না ঘ নোয়াখালী
২৯. কারা নিজেদের বসতির জায়গাকে ব্যান্ডেল বলত? (জ্ঞান)
ক ইংরেজরা > পর্তুগিজরা
গ আরাকানরা ঘ ফরাসিরা
৩০. পর্তুগিজদের কোন স্মৃতি চট্টগ্রাম এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে? (জ্ঞান)
> ব্যান্ডেল রোড খ দুর্গ
গ গির্জা ঘ প্রাসাদ অট্টালিকা
৩১. মংডুর ব্যবসা কাদের দখলে? (জ্ঞান)
ক স্থানীয় বৌদ্ধদের > স্থানীয় মুসলমানদের
গ স্থানীয় হিন্দুদের ঘ স্থানীয় রাখাইনদের
৩২. স্থানীয় মুসলমানরা কোথা থেকে এসেছে? (জ্ঞান)
ক কলকাতা খ ঢাকা গ নোয়াখালী > চট্টগ্রাম
৩৩. মংডুর পথে রচনায় কথকের কোন হোটেলে প্রথম জায়গা হলো না? (জ্ঞান)
> ইউনাইটেড হোটেল খ গ্র্যান্ড হোটেল
গ আরাকান হোটেল ঘ মুম্বাই হোটেল
৩৪. লেখক যে রে¯ত্মরাঁয় খাবার খান সে রে¯ত্মরাঁর মালকিন কোন উপজাতি? (জ্ঞান)
> রাখাইন খ রোহিঙ্গা গ চাকমা ঘ মারমা
৩৫. কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে কোন উপজাতির বসবাস? (জ্ঞান)
> রাখাইন খ চাকমা গ গারো ঘ সাঁওতাল
৩৬. মংডুর পথে রচনার রাখাইন রে¯ত্মরাঁর মেয়েটি লেখকের সাথে কোন ভাষায় কথা বলতে লাগল? (জ্ঞান)
> চট্টগ্রামী ভাষায় খ হিন্দু¯তনি ভাষায়
গ বর্মি ভাষায় ঘ পাঞ্জাবি ভাষায়
৩৭. মিয়ানমারে কোন জিসিনটিকে সেন্না নামে অভিহিত করা হয়? (জ্ঞান)
> পদাউক খ বৃষ্টি শিরীষ
গ তেঁতুল ঘ নারকেল
৩৮. কোন গাছে রঙিন ও সাদা ফুল ফুটেছে? (জ্ঞান)
ক বৃষ্টি শিরীষ > অর্কিড
গ কাঠগোলাপ ঘ সোনালু
৩৯. পদাউকের ফুল দেখতে কেমন? (অনুধাবন)
ক সাদা > সোনারঙ
গ লাল ঘ ধাতব
৪০. মংডুতে কাদের বয়স শতাব্দী থেকেও বেশি? (জ্ঞান)
> গাছ খ সড়ক গ নদী ঘ পাইক্যা
৪১. মংডুর পথে রচনায় রাখাইন রে¯ত্মরাঁর মেয়েটির পূর্বপুরুষের বাড়ি কোথায়? (জ্ঞান)
> রাউজান খ টেকনাফ
গ আরাকান ঘ রামু
৪২. মংডুর পথে রচনার লেখকের বাসস্থানের পাশের থানা কোনটি? (জ্ঞান)
> রাউজান খ রামু
গ টেকনাফ ঘ শ্রীপুর
৪৩. পাইক্যার মহিলাটি কী পরা? (জ্ঞান)
> বোরকা খ শাড়ি গ লুঙ্গি ঘ গেঞ্জি
৪৪. শেউইজার সেতু শহরের কোন দিকে? (জ্ঞান)
> পূর্ব খ পশ্চিম গ উত্তর ঘ দক্ষণি
৪৫. সুধার পাড়া কী? (জ্ঞান)
> মুসলিম গ্রাম খ হিন্দু গ্রাম
গ বৌদ্ধ গ্রাম ঘ রাখাইন গ্রাম
৪৬. ফুঙ্গিদের জীবিকা কী? (জ্ঞান)
ক মাছ ধরা খ চুরি করা
> ভিক্ষা করা ঘ সেলাই করা
৪৭. চীবরে কোন রং করা হয়? (জ্ঞান)
> লাল খ হলুদ গ কালো ঘ সাদা
৪৮. মিয়ানমারের ছেলে বুড়ো, যুবক-যুবতী সকলেই কী পোশাক পরে? (জ্ঞান)
> লুঙ্গি খ ধুতি গ শার্ট ঘ প্যান্ট
৪৯. কোন দেশ থেকে বাংলাদেশে লুঙ্গি প্রবেশ করে? (জ্ঞান)
ক চীন খ জাপান গ কোরিয়া > মিয়ানমার
৫০. কোন গাছের নিচে মিয়ানমারের তরম্নণী নুডলস বিক্রি করছিল? (জ্ঞান)
> শিরীষ গাছ খ তেঁতুলগাছ
গ নারকেল গাছ ঘ বটগাছ
৫১. বার্মার দোকানের মালিক কারা? (জ্ঞান)
ক পুরম্নষরা > মহিলারা গ ভিড়্গুরা ঘ কুমারীরা
৫২. লেখক কোন সময়ে মিয়ানমারের সীমান্ত শহর মংডুর পথে নেমেছিলেন? (অনুধাবন)
ক রাত্রে খ পূর্বাহ্ণে
গ অপরাহ্ণে > সন্ধ্যায়
৫৩. মিয়ানমারের সীমান্ত শহর মংডুর পথে নামার পর লেখকের নাক, চোখ, কান ও হৃদয় উপচে পড়ে কী কারণে? (জ্ঞান)
> অচেনা আবেগে খ চেনা পরিবেশে
গ প্রকৃতির সৌন্দর্যে ঘ অচেনা পরিবেশে
৫৪. লেখকের কাছে মিয়ানমারের ছবি বা¯ত্মবে ভেসে উঠল কখন? (অনুধাবন)
> সন্ধ্যার আলোছায়ায় খ রাত্রির অন্ধকারে
গ অপরাহ্ণে ঘ পূর্বাহ্ণে
৫৫. পূর্ণিমা তিথিতে যে পক্ষরে অবসান হয় তাকে কী বলে? (অনুধাবন)
ক অমাবস্যা খ অমানিশা > শুক্লপক্ষ ঘ কৃষ্ণপক্ষ
৫৬. বাঙালি রাঁধুনি মেয়েটি দেখতে কেমন? (অনুধাবন)
ক নবযৌবনা কিশোরীর মতো > রোগা পটকা নারীর মতো
গ অল্প বয়সি নারীর মতো ঘ রাজকুমারীর মতো
৫৭. পাইক্যায় বোরকা পরা মহিলার ছবি তুলতে গেলে ছাতা দিয়ে আড়াল করল কেন? (অনুধাবন)
ক সংশয়ের কারণে খ এসিড মারার ভয়ে
> লজ্জার কারণে ঘ ঘৃণার কারণে
৫৮. খ্রিষ্টধর্ম প্রচারকদেরকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
> পাদরি খ বুদ্ধ গ ঠাকুর কর্তা ঘ পুরোহিত
৫৯. যমুনা নদীর এপারে টাঙ্গাইল আর ওপারে সিরাজগঞ্জ শহর অবস্থিত। বাক্যটির সঙ্গে সাদৃশ্য আছে মংডুর পথে রচনার কোন নদীর? (প্রয়োগ)
ক পদ্মা নদী > নাফ নদী
গ যমুনা নাদী ঘ কর্ণফুলী নদী
৬০. মংডু কোন দেশের সীমান্তবর্তী জেলা? (জ্ঞান)
ক বাংলাদেশ খ ভারত > মিয়ানমার ঘ পাকিস্তান
৬১. কথিত আছে ভারতীয় উপমহাদেশে একসময় গ্রিক বীর আলেকজান্ডার আগমন করেছিলেন। বাক্যটির সঙ্গে ভাববন্ধন রয়েছে মংডুর পথে রচনার কোন ব্যক্তির? (প্রয়োগ)
> সেবাস্টিন খ বিপ্রদাশ বড়–য়া
গ অস্টিন ঘ সোবার্স
৬২. চিংড়িগুলো কীসের সমান ছিল? (জ্ঞান)
ক হাতের > বুড়ো আঙুলের
গ আঙুলের ঘ মধ্যমা আঙুলের
৬৩. বৌদ্ধ ভিড়্গুদের ব্যবহৃত ভিক্ষাপাত্র বর্তমানে কী দিয়ে তৈরি করা হয়? (জ্ঞান)
ক কাঠ খ লোহা > লাক্ষা ঘ রম্নপা
৬৪. মংডুর স্কুলের পোশাক কী? (জ্ঞান)
> শার্ট ও লুঙ্গি খ শার্ট ও প্যান্ট
গ পাঞ্জাবি ও পাজামা ঘ পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি
৬৫. ফুঙ্গিরা কখন ভিড়্গে করতে বের হয়? (জ্ঞান)
> সকালে খ দুপুরে গ বিকেলে ঘ সন্ধ্যায়
৬৬. প্রায় দুশ বছর ধরে ইংরেজরা এ বঙ্গরাজ্যে বসতি স্থাপন করেছিল। এ ইংরেজদের সঙ্গে সাদৃশ্য আছে তোমার পাঠ্য মংডুর পথে রচনার কোন জাতির? (প্রয়োগ)
ক ইংরেজ খ তুর্কি গ গ্রিক > পর্তুগিজ
৬৭. মংডুর পথে প্রবন্ধে মংডু ও মুসলিম গ্রামকে বিভক্ত করেছে কোন নদী? (জ্ঞান)
ক নাফ নদী খ ডিয়ার সুধার নদী
গ কর্ণফুলী শেউইজার > সুধার ডিয়ার নদী
৬৮. বৌদ্ধ ভিড়্গু শব্দটির বর্মি রূপ কোনটি? (জ্ঞান)
ক লুঙ্গি > ফুঙ্গি গ বঙ্গি ঘ রঙ্গি
৬৯. মিয়ানমারের কোন সীমান্ত শহর দিয়ে লেখকের মংডুর পথে ভ্রমণ শুরু হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক দক্ষণি-পশ্চিম খ পূর্ব
> পশ্চিম ঘ দক্ষণি
৭০. শুল্ক অফিস থেকে কত কদম দূরে বড় বড় রে¯ত্মরাঁগুলোর অবস্থান ছিল? (জ্ঞান)
ক চলিস্নশ > পঞ্চাশ গ ষাট ঘ সত্তর
৭১. মিয়ানমারের পথে পথে কারা কলহাস্যে মুখর ছিল? (জ্ঞান)
> রঙিলা যুবতী-তরম্নণীরা খ যুবক-যুবতীরা
গ স্থানীয় মুসলমানরা ঘ স্থানীয় হিন্দুরা
৭২. লেখক হোটেলে ফ্যান ছাড়া কক্ষ নিলেন কেন?
ক টাকা বাঁচানোর জন্য
খ রাতে বিজলি থাকে না বলে
> রাতে ফ্যান সহ্য হয় না বলে
ঘ ফ্যানগুলো ঘোরে না বলে
৭৩. মহাথেরো কী পরেছিলেন?
ক প্যান্ট খ লুঙ্গি > চীবর ঘ থামি
৭৪. মংডুতে রাত কয়টার পর বিজলি থাকে না?
ক আটটা > নয়টা গ দশটা ঘ এগারোটা
৭৫. দৌলত কাজী কোন রাজসভার সভাকবি ছিলেন?
[ভি. জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা]
> আরাকান খ মংডু গ রেঙ্গুন ঘ চট্টগ্রাম
৭৬. ধাতব নতুন টাকার মতো চকচক করছিল কোনটি?
[ধানমন্ডি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক হাঁড়ি-পাতিল খ আসবাবপত্র
গ পিতলের কলসি > গাছপালার পাতা
শব্দার্থ ও টীকা
৭৭. চীবর কাদের পরিধেয় পোশাক বিশেষ? (জ্ঞান)
> বৌদ্ধ ভিড়্গুদের খ হিন্দু সন্ন্যাসীদের
গ খ্রিষ্টান পাদ্রিদের ঘ মুসলমান ফকিরদের
৭৮. ফুঙ্গি শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
> বৌদ্ধ পুরোহিত খ হিন্দু সন্ন্যাসী
গ খ্রিষ্টান পুরোহিত ঘ পোশাকবিশেষ
৭৯. পণ্যদ্রব্য আমদানি-রপ্তানির ওপর কর ধার্য করে এমন অফিসকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
> শুল্ক দপ্তর খ পরিবহন অফিস
গ আমদানি দপ্তর ঘ করধার্য অধিদপ্তর
৮০. মহাথেরো শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
> বৌদ্ধধর্মীয় প্রধান গুরম্ন খ ইহুদিধর্মীয় প্রধান গুরম্ন
গ শিখধর্মীয় প্রধান গুরম্ন ঘ খ্রিষ্টধর্মীয় প্রধান গুরম্ন
৮১. বৃষ্টি শিরীষ কী? (অনুধাবন)
> গাছ খ বৃষ্টির পানির ফোঁটা
গ বৃষ্টি মাপার যন্ত্র ঘ শিলা বৃষ্টি
পাঠ-পরিচিতি
৮২. আরাকান রাজ্যে কাদের শাসন ছিল? (জ্ঞান)
ক হিন্দুদের > মুসলমানদের
গ বৌদ্ধদের ঘ মংডুদের
৮৩. মংডুতে উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক কাদের বসবাস ছিল? (জ্ঞান)
ক হিন্দু খ খ মংডু > মুসলমান ঘ বৌদ্ধ
৮৪. মিয়ানমারে কোন ধর্মাবলম্বীদের প্রাধান্য রয়েছে? (জ্ঞান)
ক মুসলমান > বৌদ্ধ গ খ্রিষ্টান ঘ হিন্দু
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
লেখক-পরিচিতি
৮৫. সাহিত্যের যে শাখায় বিপ্রদাশ বড়–য়ার পদচারণা রয়েছে- (অনুধাবন)
র. নাটক, উপন্যাস রর. গল্প, প্রবন্ধ
ররর. মহাকাব্য, শিশুতোষ উপন্যাস
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৬. বিপ্রদাশ বড়–য়া রচিত গ্রন্থ হলো- (অনুধাবন)
র. মুক্তিযোদ্ধারা রর. একাত্তরের দিনগুলি
ররর. কবিতায় বাকপ্রতিমা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. বিপ্রদাশ বড়–য়া রচিত জীবনীমূলক গ্রন্থ হলো- (অনুধাবন)
র. বিদ্যাসাগর রর. পলস্নীকবি জসীমউদ্দীন
ররর. কাজী নজরম্নল ইসলাম
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মূলপাঠ
৮৮. মংডুর পথে প্রবন্ধে লেখক যে ঔপনিবেশিক আমলের কথা বলেছেন- (অনুধাবন)
র. পালযুগ রর. ব্রিটিশ যুগ
ররর. পর্তুগিজ আমল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. মংডুর মহিলারা চিরস্বাধীন বাক্যটিতে যে অর্থ প্রকাশ পাচ্ছ- (অনুধাবন)
র. নারী স্বাধীনতা রর. দেশীয় রীতি
ররর. পুরম্নষের অক্ষমতা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. মিয়ানমারে মংডুর অবস্থান বাংলাদেশের যে অংশে- (অনুধাবন)
র. পূর্বদিকে রর. নাফ নদীর ওপারে
ররর. কক্সবাজারের পরে টেকনাফের সীমান্তের সঙ্গে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৯১. মংডুর পথে ভ্রমণকাহিনীতে উলিস্নখিত গাছ হলো- (অনুধাবন)
র. আম, কাঁঠাল
রর. কাঠগোলাপ, সোনালু
ররর. কৃষ্ণচূড়া, বৃষ্টি শিরীষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৯২. মংডুর পথে রচনায় আলাওল ও দৌলত কাজীর প্রসঙ্গ আনার কারণ- [উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
র. লেখকের অভিজ্ঞতা
রর. মংডুর ইতিহাস আলোচনা করা
ররর. ঐ অঞ্চলের সাহিত্যচর্চার ইতিহাস আলোচনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
শব্দার্থ ও টীকা
৯৩. মালিকি বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. মহিলা মালিক রর. মালিকের স্ত্রী
ররর. বেগম সাহেব
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৪. গস্নাভস শব্দটি যে অর্থবহন করে- (অনুধাবন)
র. দস্তানা রর. হাতমোজা
ররর. কম্বল
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৫. নিরবচ্ছিন্ন শব্দটি যে অর্থ বহন করে- (অনুধাবন)
র. একটানা রর. অবিরাম
ররর. নিরন্তর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
পাঠ-পরিচিতি
৯৬. মংডু ও বাংলাদেশের মধ্যে মিল রয়েছে- (অনুধাবন)
র. ভাষা রর. খাদ্যাভ্যাস
ররর. সংস্কৃতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৭. মংডুর পথে রচনাটির বিষয়বস্তু হলো- (অনুধাবন)
র. মংডুর মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ
রর. মংডুর মানুষের খাদ্যাভ্যাস
ররর. মংডুর মানুষের ব্যবসায়-বাণিজ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯৮ ও ৯৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আমাদের দেশের মেয়েদের সবচেয়ে পছন্দনীয় পোশাক শাড়ি আর পুরম্নষের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি। পোশাকের ক্ষেত্রে রং এবং পোশাক ডিজাইন নির্ভর করে বিভিন্ন ঋতু ও উৎসবকে কেন্দ্র করে। ঈদ, পূজা, নববর্ষ, ফাল্গুন, বিজয় দিবস, মাতৃভাষা দিবস প্রভৃতিতে বাঙালি নারী-পুরম্নষ মানানসই পোশাকের প্রতি গুরম্নত্ব দেয় একটু বেশি।
৯৮. উদ্দীপকের শাড়ি ও পাঞ্জাবির সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে মংডুর পথে প্রবন্ধের কোন পোশাকের? (প্রয়োগ)
ক ফুঙ্গি > লুঙ্গি
গ কোমরে বেল্ট ঘ চীবর
৯৯. উদ্দীপকের সঙ্গে মিয়ানমারবাসীর যে বিষয়টি তুলনীয়- (অনুধাবন)
র. ভূষণ বিলাসিতা
রর. ভূষণরীতি
ররর. ঐতিহ্য রক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১০০ ও ১০১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নদীর গতি যেমন স্থির নয় জীবনের গতিও স্থির নয়। একটি দেশের সংস্কৃতি অন্য দেশের ওপর কখনো কখনো প্রভাব ফেলে। সেটি হতে পারে খাবার, পোশাক, ভাষা প্রভৃতি। মানুষ যখনই যেটি আয়ত্ত করতে পারছে ঠিক তখনই সেটাকে ধারণ করার চেষ্টা করছে। যেমন জাপানি ভাষার রিকশা শব্দটি এখন আমাদের ভাষার শব্দ এবং চলমান জীবনের একটি গুরম্নত্বপূর্ণ বাহন।
১০০. উদ্দীপকের রিকশা শব্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে মংডুর পথে প্রবন্ধের কোন শব্দটির? (প্রয়োগ)
> লুঙ্গি খ হারিকেন গ ভাঙ্গি ঘ চা
১০১. উদ্দীপকের আলোকে মংডুর পথে প্রবন্ধের যে বিষয়টি বিচার্য-
র. ভাষার সম্পর্কে অনুধ্যান (উচ্চতর দক্ষতা)
রর. সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়
ররর. মানুষে মানুষে সৌহার্দ সম্পর্ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
WordsMeaningsSynonyms antonymsouterবাইরেরoutmostinnerproletarianদরিদ্র/সর্বহারাWorking-classmorallaunchশুরু করাIntroductionwithdrawpreparingপ্রস্তুতিGet-readydoubtfaultlesslyনির্দোষভাবেabsolutelyfaultynauseaবমিবমিভাবvomitingheadachediscomfortঅসস্তিupsetcomfortmaintainedবজায় করাsustainuselessLaterকরেnextearlierdynamicগতিশীলAggressivestaticplanপরিকল্পনাproposaldisorderaimলক্ষGoalaimlessdirectionনিদ্ধেশনাInstructionnoticeprofessionপেশাJobjoblesssuitsআকারFormnothingaptitudeযোগ্যতাAttitudedislikevaryপরিবর্তীতVariousfixeducatedশিক্ষিতLearneduneducatedcitizenনাগরিকnativeforeignervirtueপূর্ণgoodnessevilA lotঅনেকhugelittlecourteousবিনয়ীpoliterudediscourtesyঅবিনয়ীrudenesscourteouswinজয় করাgainloseenemyশত্রুfoefriendensureনিশ্চিত করাconfirmcancelangerরাগtempercalmnessremoveঅপসারণcancelputcordialityসোহার্দrudenessdiscordialitydifferentভিন্নDissimilarsameseeksঅনুসন্ধানPursuefindeagerআগ্রহীinterestdisinterestedobservationপর্যবেক্ষণExaminationneglectmereএকমাত্রImmenseabnormalalertসতর্কWatchfulunawarelatentসুপ্তOpenrealizedinstructorsপ্রশিকক্ষকteacherstudentguideগাইডmentormisguidewayপথ/উপায়Pathpartfascinatingচমৎকারexcellentunattractiveinterestআগ্রহীeagerdisregardimpatientঅধৈয্যIntolerancepatientillogicalঅযোক্তিকunethicalLogicalindifferentউদাসীনUninteresteddifferentethicallyনৈথিকভাবেlawfullyUnethicalGood-lookingচমৎকারAttractiveUnattractiveDarkঅন্ধকারBlackbrightFlawlessস্থিরperfectflawedShinyউজ্জল্যbrightdarkSlenderসরুthinfatGracefulকরুনাময়elegantungracefulStylishlyআড়ম্বরপূর্ণভাবেattractivesimplyAppreciatesপ্রশংসা করেpriesCriticizeNoticeলক্ষ করেadvertisementoverlookAmbitionউচ্ছাকাঙকাAim/desirelazinessRequireপ্রয়োজনneedanswerProficiencyদক্ষতাskilledincompetenceWonderআশ্চয্যSurprisedisinterestTestedপরীক্ষীতverifiednewEquallyসমানভাবেsimilarlyUnequallyDisappointingহতাশাজনকInceptingappointingPresumablyসম্ভবতdoubtlesslyimprobableQualifyযোগ্যতাcertifyDisqualifywrongভুলmistakewriteIdealআদর্শModelbadMasterদক্ষTeacherStudentMakesতৈরীcreateBreak/destroyMethodপদ্ধতিSystemdifferenceConvincingবিশ্বাসীsatisfactoryUnconvincingPraisesপ্রশাংসা করেhurrahCriticizeMistakeভুলErrorsagacityAngryরাগevilcalmSimpleসাধারণgeneralComplexmoralনৈতিকethicalamoralAcceptedগৃহিতreceivedrejectedSincerityআন্তরিকতাGood-willinsincerityResponsibilityদায়িত্বdutiesdepartureComplexityজটিলতাcomplicationSimplicityEnvyহিংসাlastedpraiseVicesমন্দevilVirtueImpactsপ্রভাবeffectfailsAwarenessসতর্কতাalertnessunawarenessOut-comeবাহিরের দিকresultcauseimportanceগুর্ত্বপূর্ণsignificanceinsignificanceFriendবন্দুenemyfoeNeedপ্রয়োজনcommitment/necessaryavoidSympathyসহানুভুতিkindnessrudenessProveপ্রমানconfirmdisproveFalseমিথ্যাwrongtrueHarmক্ষতিকরlosshelpLaughহাসাburstcryPleasureআনন্দhappinesssadnessBringআনাcarryleaveideaধারণাconceptnothingAllowঅনুমতিpermitdenyFreedomস্বাধীনতাindependencebondageOpinionমতামতviewawarenessFairমেলাcleanunfairEqualসমানbalancedunequalDivisionবিভাগdistributionunionElectনির্বাচন করাvoterefuseSystemনিয়ম-নীতিprocesspartTreatmentচিকিৎশা করাcuringhurtFacilityসুবিধাadvantagepainNeverকখন নয়NotingAlwaysWeakerদুর্বলrottenstrongerDiscourageনিরুৎসাহিতdroopEncourageFrustratingহতাশাজনকBuffaloingsatisfyingInterestআগ্রহীeagernessdiscourageAbilityসক্ষমতাCapabilityinabilityDreamস্বপ্নfancyfactBestসবচেয়ে ভালfinestworstSuccessসফলতাachievementfailureachieveঅর্জন…
আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক…
Model Question 1 Part-I : Marks 60 1. Read the passage and answer the questions…
পঞ্চম অধ্যায় দেবদেবী ও পূজা এ অধ্যায়ে আমরা পূজা, পুরোহিতের ধারণা ও যোগ্যতা, দেবী দুর্গা,…
চতুর্থ অধ্যার হিন্দুধর্মে সংস্কার আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয…
তৃতীয় অধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয়…
This website uses cookies.