নাম | কামিনী রায়। |
জন্ম পরিচয় | জন্ম তারিখ : ১২ই অক্টোবর, ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দ; জন্মস্থান : বাসন্ডা গ্রাম, বরিশাল। |
পিতৃ পরিচয় | পিতার নাম : চন্ডীচরণ সেন। |
শিক্ষাজীবন | এন্ট্রান্স (১৮৮০), বেথুন ফিমেল স্কুল; এফএ (১৮৮৩), বেথুন কলেজ; বিএ (অনার্স) সংস্কৃতে (১৮৮৬), বেথুন কলেজ। |
কর্মজীবন | অধ্যাপনা : বেথুন কলেজ, কলকাতা; অন্যতম সদস্য : নারী শ্রমিক তদন্ত কমিশন; সহসভানেত্রী : বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ। |
সাহিত্য সাধনা | কাব্যগ্রন্থ : আলো ও ছায়া, মাল্য ও নির্মাল্য, অশোক সংগীত, দীপ ও ধূপ, জীবন পথে ইত্যাদি। |
পুরস্কার ও সম্মাননা | ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন। |
জীবনাবসান | মৃত্যু তারিখ : ২৭শে সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ। |
প্রশ্ন -১ নিচের কবিতাংশ পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো
যুগ-জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আলো।
সবাই মোরে ছাড়তে পারে বন্ধু যারা আছে
নিন্দুক সে ছায়ার মতো থাকবে পাছে পাছে।
বিশ্বজনে নিঃস্ব করে, পবিত্রতা আনে
সাধক জনে নি¯ত্মারিতে তার মতো কে জানে?
বিনামূল্যে ময়লা ধুয়ে করে পরিষ্কার,
বিশ্ব মাঝে এমন দয়াল মিলবে কোথা আর?
নিন্দুক সে বেঁচে থাকুক বিশ্বহিতের তরে,
আমার আশা পূর্ণ হবে তাহার কৃপা ভরে।
ক. সদা শব্দটির অর্থ কী? ১
খ. সংশয়ে সংকল্প সদা টলে- কেন? ২
গ. উদ্দীপকের নিন্দুক ও পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় নিন্দুকের বৈসাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের নিন্দুকের প্রভাব আর পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় বর্ণিত নিন্দুকের প্রভাবকে একসূত্রে গাঁথা যায় কী? যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখ। ৪
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সদা শব্দটির অর্থ সবসময়।
খ. লোকলজ্জা ও সমালোচনার ভয়ে সংশয়ে সংকল্প সদা টলে।
কোনো কাজ করতে গেলে মনে হয় লোকে কী বলবে, কী মনে করবে। লোকের কথার ভয়ে সংকুচিত হয়ে যায় ব্যক্তির উদ্যম। মনের ভেতর সংশয় কাজ করলে সংকল্পকে বা¯ত্মবে রূপদান করা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ কোনো কাজ করতে গিয়ে লজ্জার মুখে পড়তে হয় কিনা এই জন্য কোনো প্রকার ভালো কাজ করতে গেলে মনের সংশয় দানাবেধে ওঠে।
গ. উদ্দীপকের নিন্দুক ও পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় দ্বিধা ও সংকোচের দিক দিয়ে বৈশাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় সমাজের একশ্রেণির মানুষের চিত্র ফুটে উঠেছে যারা কোনো কাজ করতে গেলে মানুষের সমলোচনার ভয়ে দ্বিধাগ্র¯ত্ম হয়। এ কারণে তারা ভালো কাজে এগিয়ে যায় না। ফলে তাদের দ্বারা সমাজের কোনো উন্নতি হয় না।
উদ্দীপকে নিন্দুকের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা প্রশংসাসূচক এবং ইতিবাচক। এখানে কবি নিন্দুকের জয়গান করেছেন। নিন্দুকেরা কবির অনিষ্ট চিšত্মা করেন বলেই কবি তাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। নিন্দুকের ইতিবাচক দিক হিসেবে কবি উলেস্নখ করেছেন যে, বন্ধুবান্ধব, আত¥ীয়স্বজন সকলেই কবিকে ছেড়ে যেতে পারে কিন্তু নিন্দুক কখনই কবিকে ছেড়ে যাবে না। অর্থাৎ কবির দোষত্রম্নটিগুলো সে খুঁজে বের করে দিয়ে কবিকে শুদ্ধ হতে সাহায্য করে। কবির জীবনে এই পরিশুদ্ধতার জন্য তিনি নিন্দুকদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। তাই বলা যায় উদ্দীপকের নিন্দুক ও পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার নিন্দুকের মধ্যে বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. উদ্দীপকে নিন্দুকের প্রভাব ইতিবাচক এবং পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় নিন্দুকের প্রভাব নেতিবাচক হওয়ায় উভয়ের প্রভাবকে একসূত্রে গাঁথা যায় না।
কামিনী রায় পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় নিন্দুকের প্রভাবে কোনো কাজ হয় না বলে জানিয়েছেন। নিন্দুকের সমালোচনায় কবির সংকল্প সংশয়ে টলে ওঠে। নিজেকে কাজ থেকে গুটিয়ে রাখেন কবি। শুধু চিšত্মাকে বিনষ্ট করেছেন নিন্দুকের ভয়ে। মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কাজে অগ্রসর হলেও লোকলজ্জার ভয়ে তা সম্পন্ন করতে পারেন না। কবির শক্তি ভীতসন্ত্র¯ত্ম হৃদয়ের কারণে দমে যায়।
উদ্দীপকে কবি নিন্দুকের প্রভাবকে তার জীবনে আশীর্বাদ হিসেবে দেখেছেন। কবি নিন্দুককে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হিসেবে কল্পনা করেছেন। বন্ধুর চেয়ে নিন্দুককে কবি আপন মনে করেছেন। বিশ্বের মানুষের সমালোচনা করে বলে মানুষ দোষত্রম্নটি সংশোধনের সুযোগ পায়। এভাবেই নিন্দুক পবিত্রতা আনে। নিন্দুককে কবি দয়াল হিসেবে দেখেছেন। কারণ নিন্দুকই কবির আশা পূরণ করতে সহায়তা করবে। কবির জীবনে নিন্দুকের প্রভাব আশীর্বাদস্বরূপ। তাই কবি নিন্দুকের দীর্ঘ আয়ু কামনা করেছেন। উদ্দীপকের নিন্দুক কবিকে নিন্দার মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে। পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি নিন্দুকের ভয়ে ভীত। তার জীবনে নিন্দুক নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উপস্থিত হয়েছে।
উলিস্নখিত আলোচনায় দেখা যায় যে, উদ্দীপকের নিন্দুকের প্রভাব আর পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় বর্ণিত নিন্দুকের প্রভাবকে একসূত্রে গাঁথা যায় না।
প্রশ্ন -২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গ্রীষ্মের ছুটি হলে শফিক বাড়িতে আসে। কয়েকজন বেকার যুবক ও সহপাঠী বন্ধুকে নিয়ে পরিকল্পনা করে গ্রামে নৈশবিদ্যালয় খোলার। সবাই তার এ প্র¯ত্মাবকে স্বাগত জানায়। এজন্য প্রয়োজনীয় বইপত্র, ঘর, শিক্ষক সবই নির্বাচন করে। এমন সময় গ্রামের এক লোক বলে, এর আগে কামাল মাস্টারের মতো মানুষ এ কাজে ফেল মেরেছে, সেখানে কচি শিশুরা খুলবে নৈশবিদ্যালয়? একথা শুনে তারা দমে যায়।
ক. সংকল্প শব্দটির অর্থ কী? ১
খ. একটি স্নেহের কথায় কীভাবে আমাদের ব্যথা দূর হতে পারে? ২
গ. শফিকের উদ্যোগ ব্যাহত হওয়ার কারণ পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শফিকের মাঝে কী ধরনের পরিবর্তন এলে সে তার পরিকল্পনাকে বা¯ত্মবায়িত করতে সক্ষম হতো তা পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার আলোকে যুক্তিসহ লেখ। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সংকল্প শব্দটির অর্থ মনের দৃঢ় ইচ্ছা।
খ. একটি স্নেহের কথায় যে আদর থাকে তার ছোঁয়ায় আমাদের ব্যথা দূর হতে পারে।
মানুষের মন সংবেদনশীল। এ মন কটু কথায় কষ্ট পায় আর স্নেহের কথায় সুখ অনুভব করে। ব্যথিত মানুষ স্বভাবতই মানসিকভাবে অন্যের সাহায্য প্রত্যাশা করে। মানুষের মনে যদি কোনো গভীর কষ্ট জমে থাকে, তাহলে যদি কেউ স্নেহের কথা বলে তার মন থেকে সেই কষ্ট অনেক লাঘব হয়ে যায়। অনেক কাজে আমরা সফল হতে পারি না, তখন আস্থা হারিয়ে ব্যথাতুর সময় অতিবাহিত করতে থাকি। এ সময় একটি স্নেহপূর্ণ কথাই হৃদয়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
গ. শফিকের উদ্যোগ ব্যাহত হওয়ার কারণ হিসেবে নিন্দুকের সমালোচনাকে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় ইঙ্গিত করা হয়েছে।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি সর্বদা লোকের কথায় ভিতু হয়ে পড়েন। কোনো কাজ করতে গেলে লোকে কী ভাববে, কী মনে করবে এ চিন্তায় অস্থির হন। লোকের কথায় সংকল্পে সংশয় দেখা দেয়। মহৎ কোনো কাজ কবি সম্পাদন করতে সাহসী হন না। লোকলজ্জার ভয়ে, সমালোচনার ভয়ে সংকুচিত হয়ে পড়েন।
উদ্দীপকের শফিকের ড়্গেেত্রও নিন্দুকদের সমালোচনার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। শফিক যখন উদ্যোগী হয়ে গ্রামের কয়েকজন বেকার যুবক ও সহপাঠী বন্ধুকে একত্রিত করে পরিকল্পনা করে গ্রামে একটি নৈশবিদ্যালয় খোলার। তখন এক লোক উপস্থিত হয়ে তাদের কাজকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। তার নেতিবাচক কথায় শফিকের সুন্দর উদ্যোগ ব্যাহত হয়। তাই বলা যায়, পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় ফুটে ওঠা নিন্দুকের সমালোচনার কারণেই শফিকের সুন্দর উদ্যোগ ব্যাহত হয়।
ঘ. সমালোচনা উপেক্ষা করে দৃঢ় মনোবলে এগিয়ে গেলে শফিক পরিকল্পনাকে বা¯ত্মবায়িত করতে সক্ষম হতো।
কামিনী রায় তাঁর পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় লোকের কথায় মানুষের গুটিয়ে থাকার প্রবণতাকে তুলে ধরেছেন। কোনো কাজ করতে গেলে মানুষ দ্বিধাগ্র¯ত্ম হয়। কে কী মনে করবে, কে কী সমালোচনা করবে এ ভেবে বসে থাকে মানুষ। এর ফলে কোনো কাজ এগোয় না। যারা সমাজে অবদান রাখতে চান তাদের দ্বিধা করলে চলবে না। দৃঢ় মনোবল নিয়ে লোকলজ্জা ও সমালোচনাকে উপেক্ষা করতে হবে।
উদ্দীপকে শফিকের উদ্যোগ মহৎ। বেকার যুবক ও বন্ধুদের নিয়ে মানুষকে শিক্ষতি করতে তারা নৈশবিদ্যালয় স্থাপন করতে চায়। প্রয়োজনীয় বইপত্র, ঘর, শিক্ষক সবই নির্বাচন করে কিন্তু এক লোকের কথায় তারা সে উদ্যম হারিয়ে ফেলে। লোকের কথায় তারা দমে যায় মহৎ উদ্যোগ থেকে। কিন্তু পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কবির চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে তারা যদি দ্বিধাহীন চিত্তে এগিয়ে যেত তাহলে তাদের উদ্যোগ সফল হতো।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায় যে, উদ্দীপকের শফিক দ্বিধা, ভয়, সংশয় থেকে মুক্ত হতে পারলেই তার পরিকল্পনাটি বা¯ত্মবায়িত হতো।
প্রশ্ন –৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারম্নকলায় পাস করা সোহেল চাকরি খুঁজে ব্যর্থ হয়ে নিজ গ্রামে সৌদি আরবের নানা জাতের খেজুরের বাগান শুরম্ন করে। তখন পরিবার ও গ্রামের অনেকেই তার এমন কর্মকা- নিয়ে নানা রকম ব্যঙ্গাত¥ক কথা বলত। কিন্তু সে থেমে থাকে না। অথচ ঐ বাগান থেকে সোহেল আজ লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক।
ক. কবি কামিনী রায়ের কবিতায় কার প্রভাব স্পষ্ট? ১
খ. শক্তি মরে ভীতির কবলে বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সোহেলের কাজে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের সোহেলের মতো মানুষদের জন্য পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটি প্রেরণার উৎস মন্তব্যটি বিশেস্নষণ কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কবি কামিনী রায়ের কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব স্পষ্ট।
খ. ভীতি মনকে দুর্বল করে বলে ভীতির কবলে শক্তি মুখ থুবড়ে পড়ে। আলোচ্য অংশে এ কথাই বলা হয়েছে।
মানুষের মনের মধ্যে ভালো কাজ করার শক্তি জাগে, সে সমাজ ও সংসারের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করতে চায়। কিন্তু পরক্ষণেই সেই শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়। এর কারণ নিন্দুকের ভয়। ভালো কাজ করতে গিয়ে পাছে কিনা মানুষের কুৎসার সম্মুখীন হয়, লজ্জার মধ্যে পড়তে হয়। আলোচ্য চরণে নিন্দুকদের ভয় পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাদের ভয়েই মনের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়।
গ. উদ্দীপকের সোহেলের কাজে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার দ্বিধাগ্রস্ত-সংশয় কাটিয়ে ইতিবাচক দিকটি ফুটে উঠেছে।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার মহৎ কাজের জন্য মানুষের মনে উদ্ভূত শুভ চিন্তার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। ভালো কাজে ইচ্ছুক মানুষের মনে বুদবুদের মতো অসংখ্য শুভবুদ্ধির উদয় হয়। দ্বিধা ত্যাগ করে এ শুভ চিন্তাগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে জীবন সার্থক হয়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, সোহেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পরে কোনো চাকরি না পেয়ে নিজ গ্রামে সৌদি আরবের বিভিন্ন জাতের খেজুরের বাগান শুরম্ন করে। তখন তার পরিবার ও গ্রামের লোকজন তার কর্মকা- নিয়ে নানা রকম ব্যঙ্গাত¥ক কথা বলে। কিন্তু সোহেল লোকলজ্জা ও সমালোচনা উপেক্ষা করে আপন মনের জোর ও দৃঢ়তার কারণে আজ ঐ বাগান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। অর্থাৎ উদ্দীপকের সোহেলের কাজে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার সংশয়গ্র¯ত্ম মানসিকতা পরিহার করে দৃঢ়ভাবে নিজ লড়্গ্েয এগিয়ে যাওয়ার ইতিবাচক দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকের সোহেলের মতো মানুষদের জন্য পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটি প্রেরণার উৎস এ মন্তব্যটি যথার্থ।
মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে গেলে অনেক সময় বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এসব ভয়ভীতি ও সংকোচ উপেক্ষা না করলে অভীষ্ট লড়্গ্েয পৌঁছানো যায় না। পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় নিঃসংকোচিত হয়ে জীবনপথে পরিচালিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিধাগ্র¯ত্ম না হয়ে বরং মুক্ত স্বাধীনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। কেননা ভালো কাজ করতে গেলে লোকলজ্জা ও সমালোচনাকে উপেক্ষা করে চলতেই হবে।
আমরা উদ্দীপকের সোহেলের মধ্যে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটির মর্মবাণী খুঁজে পাই। সোহেল মহৎ কাজের উদ্যোগ নিয়ে সংকোচবোধকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। দৃঢ় মনোবলের কারণে সোহেলের সিদ্ধান্ত থেকে কেউ তাকে টলাতে পারেনি। দ্বিধা এবং ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সোহেল নিজ শ্রমবলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায় যে, উদ্দীপকের সোহেলের মতো মানুষদের জন্য পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটি প্রেরণার উৎস।
প্রশ্ন -৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গ্রামের ছেলে মেহেদী গ্রামের বাজারে অনলাইন সেবা প্রদানের জন্য একটি কম্পিউটার দোকান দিয়েছে। দোকানে সেবা পেতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দবির এ অবস্থা দেখে বলল, মেহেদীর কী রাজনৈতিক খায়েস আছে? এ কথা শুনে মেহেদী পিছু হটে যায়?
ক. কামিনী রায়কে কোন স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়? ১
খ. একটি স্নেহের কথা প্রশমিতে পারে ব্যথা- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. মেহেদীর উদ্যোগ বাধাগ্র¯ত্ম হওয়ার কারণ পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মেহেদীর মানসিক দৃঢ়তা থাকলেই সে সফল হতো- পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কামিনী রায়কে জগত্তারিণী স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়।
খ. অনুশীলনীর ২ নং প্রশ্নে খ নং উত্তর দ্রষ্টব্য।
গ. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় বর্ণিত সমালোচকের সমালোচনার কারণে উদ্দীপকের মেহেদীর উদ্যোগ বাধাগ্র¯ত্ম হয়েছে।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় সমালোচকের সমালোচনার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সমালোচকের কাজই সমালোচনা করা। এড়্গেেত্র ভালো আর মন্দ নেই। তারা সর্বদা সমালোচনা করে মানুষকে দমিয়ে দেয়। মানুষের মনের মধ্যে সৃষ্টি করে দ্বিধার পাহাড়।
উদ্দীপকের মেহেদীও সমালোচনার কারণে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। সে মানুষের মাঝে আধুনিক সভ্যতার সুফল পৌঁছে দিতে কম্পিউটারের দোকান দেয়। তাই সাধারণ মানুষ তার দোকানে ভিড় জমায়। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারে না ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। সে মেহেদীর ব্যবসাকে রাজনীতির সঙ্গে তুলনা করে তার অগ্রগতিকে বাধাগ্র¯ত্ম করে। তাই বলা যায়, কবিতায় বর্ণিত সমালোচনার কারণে মেহেদীর উদ্যোগ বাধাগ্র¯ত্ম হয়েছে।
ঘ. মেহেদীর মানসিক দৃঢ়তা থাকলেই সে সফল হতো- পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার আলোকে মন্তব্যটি যথার্থ।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় সমালোচনার বিষয়টি বিদ্যমান। সমালোচকের কাজই সমালোচনা করা। কিন্তু এতে আমাদের ভীত হওয়া বা মহৎ কাজ থেকে ফিরে আসা উচিত নয়, বরং মানসিকতাকে দৃঢ় করতে হয়। যাতে সকল সমালোচনাকে উপেক্ষা করে আমরা সফল হতে পারি, সে লড়্গ্েয কাজ করতে হয়। তবেই জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
উদ্দীপকের মেহেদী মানুষের মাঝে অনলাইন সেবা পৌঁছে দিতে কম্পিউটারের দোকান দেয়। ফলে মানুষ তার দোকানে ভিড় জমায়। কিন্তু বিষয়টি ভালো চোখে দেখে না ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। তার কঠোর সমালোচনার কারণে মেহেদী তার মহৎ উদ্যোগ থেকে সরে আসে। যা মোটেও ঠিক নয়।
সমালোচনার কারণে কখনই মহৎ উদ্যোগ থেকে ফিরে আসা উচিত নয়। বরং দৃঢ় মানসিকতা ধারণ করতে হয়। তবেই সফল হওয়া সম্ভব আর এই মানসিকতা মেহেদী ধারণ করলে সেও সফল হতো।
প্রশ্ন -৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নকুল তার বিদেশি বন্ধুকে নিয়ে রমনা পার্কে বেড়াতে গিয়েছিল। হাঁটতে হাঁটতে তারা গল্প করছে। এমন সময় নকুল দেখল, একটা শালিক পাখির পায়ে জালের মতো কী যেন আটকে আছে, তাই পাখিটা উড়তে পারছে না- এটা দেখে নকুলের মনে দয়া হলো পাখিটির জন্য। কিন্তু সে পাখিটিকে মুক্ত করতে পারল না, কারণ সামান্য পাখিকে মুক্ত করার মতো ড়্গুদ্র কাজ করলে বিদেশি বন্ধুর সামনে যদি সম্মান খোয়া যায়, এই ভয় নকুলের সদিচ্ছাকে সুপ্ত করে দিল। খানিক বাদে এক দুষ্টু ছেলে এসে পাখিটা ধরে নিয়ে গেল।
ক. সংকল্প সর্বদা কীসে টলে? ১
খ. সদা ভয়, সদা লাজ – ব্যাখ্যা কর। ২
গ. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার প্রথম ¯ত্মবকের সঙ্গে উদ্দীপকের সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ.পাছে লোকে কিছু বলে কবিতা ও উদ্দীপক একই সত্য নির্দেশ করে-মন্তব্যটি বিচার কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সংকল্প সর্বদা সংশয়ে টলে।
খ. সদা ভয়, সদা লাজ-চরণটি দ্বারা মনের জড়তা বোঝানো হয়েছে।
সমালোচনার জন্য ভালো কাজ করতেও মানুষ ভয় ও লজ্জা পায়। কারণ যদি কাজ শুরম্ন করে শেষ না করা যায় তাহলে লোকমুখে সমালোচনার ঝড় উঠবে, সমাজে সে মুখ দেখাতে পারবে না। ফলে অন্তরের সংকল্প টলে।
গ. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার প্রথম ¯ত্মবকের সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য রয়েছে।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার প্রথম ¯ত্মবকে কবি বলেছেন- আমরা কাজ করতে পারি না, কারণ আমাদের মনে সর্বদাই রয়েছে ভয়ের আনাগোনা। লজ্জা আমাদের সর্বদাই তাড়া করে ফেরে। আমাদের মনে যদি কোনো সংকল্প আসে, তবে তার চেয়ে বেশি আসে সংশয়। কাজটা করা উচিত কী উচিত না- এটা ভাবতে ভাবতেই আমাদের সংকল্প ¯িত্মমিত হয়ে পড়ে।
উদ্দীপকের নকুলের চরিত্রে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকে দেখা যায়, নকুলের খুব ইচ্ছা হচ্ছিল পাখিটাকে মুক্ত করে দিতে। কারণ দুষ্টু শিকারির চোখে পড়লে পাখিটার প্রাণনাশের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বিদেশি বন্ধু সঙ্গে থাকার কারণে নকুল পাখিটাকে মুক্ত করতে পারে না। পাখিটাকে মুক্ত করলে নতুন বন্ধুর কাছে যদি সম্মান নষ্ট হয়, এই ভয়ে নকুল পাখিটাকে বাঁচাতে পারে না। তাই বলা যায়, পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার প্রথম ¯ত্মবকের সঙ্গে উদ্দীপকের সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতা ও উদ্দীপক একই সত্য নির্দেশ করে মন্তব্যটি যথার্থ।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি আমাদের মনের লজ্জাকে ফুটিয়ে তুলেছেন, আমাদের মনে যদি কোনো সংকল্প সৃষ্টি হয়, তার চেয়ে বেশি সৃষ্টি হয় সংশয়। ফলে মনের মাঝেই সংকল্পের বিলুপ্তি ঘটে। বা¯ত্মবে তার প্রতিফলন ঘটে না। লোকলজ্জার ভয়ে আমরা সর্বদাই কর্তব্যকে আড়ালে রাখি। কখনো কখনো বিশেষ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রাণ কাঁদে। কিন্তু লজ্জার কারণে সে কান্না চোখে প্রকাশ পায় না। এভাবে লোকলজ্জার কারণে আমরা মহৎ কাজ করা থেকেও বিরত থাকি।
উদ্দীপকের নকুল একদিন বান্ধবীকে নিয়ে রমনা পার্কে বেড়াতে গেল। হঠাৎ দেখল একটা শালিক পাখি উড়তে পারছে না। পাখিটার পা কিছুর সঙ্গে আটকে রয়েছে। পাখিটাকে মুক্ত করার ইচ্ছা নকুলের মনে জাগল, কারণ যদি কোনো শিকারি অথবা দুষ্টু ছেলে পাখিটাকে দেখে- তবে ধরে নিয়ে যাবে। নকুলের এই ভালো সংকল্প বা¯ত্মবে রূপ লাভ করল না। কারণ তার বিবেক লজ্জা দ্বারা আচ্ছন্ন। সে চিন্তা করল, তার সঙ্গে বিদেশি বন্ধু রয়েছে। পাখিটাকে মুক্ত করতে গেলে বন্ধুর কাছে সম্মানহানি হতে পারে।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় আমাদের মনের অহেতুক সংশয়ের দিকটি প্রকাশ করা হয়েছে, যা উদ্দীপকের নকুলের চরিত্রে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়। উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, পাছে লোকে কিছু বলে ও উদ্দীপক একই সত্য নির্দেশ করে।
প্রশ্ন -৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ছোটবেলা থেকে গান গাওয়ার প্রতি দারম্নণ ঝোঁক রমার। অসাধারণ গানের কণ্ঠ তার। একসময় সহপাঠীরা ওর গান শুনে হাসাহাসি করেছে। অভিভাবকেরা বিদ্রূপ করে বলেছেন, “কণ্ঠশিল্পীরা ভাত পায় না। তার চেয়ে মন দিয়ে লেখাপড়া কর।” রমা তবু হাল ছাড়েনি। আজ সে দেশের খ্যাতনামা একজন কণ্ঠশিল্পী।
ক. হৃদয়ে বুদবুদের মতো কী ওঠে? ১
খ. আড়ালে আড়ালে থাকি,
নীরবে আপনা ঢাকি-ব্যাখ্যা কর। ২
গ. রমার মনোভাব পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কোন দিকটির বিরোধিতা করে, ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের রমা পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার মূলবক্তব্যের বিপরীত মেরম্নর মানুষ।”- উক্তিটির যথার্থতা নির্ণয় কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. হৃদয়ে বুদবুদের মতো শুভ্র চিন্তা ওঠে।
খ. আড়ালে আড়ালে থাকি, নীরবে আপনা ঢাকি- চরণ দুটি দ্বারা কবি যা বুঝিয়েছেন তা হলো লোকলজ্জা ও সমালোচনার ভয়ে কবি আড়ালে আড়ালে থাকেন এবং নীরবে নিজেকে ঢেকে রাখেন।
সমাজের দুর্বল মানুষেরা সর্বদাই নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চায়। কারণ, সমাজে নিন্দুক লোকের অভাব নেই, যারা কারো দুর্বলতা নিয়ে সমালোচনা করতে একটুও কুণ্ঠিত হয় না। দুর্বল চিত্তের মানুষেরা তাদের দুর্বলতার জন্য ঠিকমতো কোনো কাজ করতে পারে না। সেই কারণে লোকলজ্জা ও সমালোচনার ভয়ে নিজেদেরকে আড়ালে ঢেকে রাখে।
গ. রমার মনোভাব পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার মূলবক্তব্যের দ্বিধাগ্র¯ত্ম মানসিকতার বিরোধিতা করে।
কবি কামিনী রায় রচিত পাচ্ছে লোকে কিছু বলে কবিতার থেকে জানতে পারি যে, দ্বিধাগ্র¯ত্ম মন নিয়ে কোনো মহঃকাজ সম্পন্ন করা যায় না। কবির অন্তরে বুদবুদের মতো অসংখ্য ভাবনার উদয় হলেও ভয় ও লজ্জায় তা অন্তরেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
উদ্দীপকের সহপাঠীদের ব্যঙ্গ, অভিভাবকদের বিদ্রূপ রমাকে গান গাওয়া থেকে টলাতে পারে নি। মনের জোর ও দৃঢ়তার জন্যে রমা একদিন দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার বিরম্নদ্ধে মনোভাবই প্রকাশিত হয়েছে। সহজভাবে বলা চলে রমার দৃঢ় মনোভাব পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার সংশয়গ্র¯ত্ম মানসিকতার বিপরীতে অবস্থান করে।
ঘ. “উদ্দীপকের রমা পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার মূলবক্তব্যের বিপরীত মেরম্নর মানুষ- উক্তিটি যথার্থই।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় রমার বিপরীত মানসিকতার সন্ধান পাওয়া যায়। এ কবিতায় মানসিক জড়তাগ্র¯ত্ম মানুষের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আড়ালে আড়ালে লুকিয়ে থেকে যারা সম্মুখে পা বাড়াতে চায় না, তাদের দ্বারা কোনো মহৎকাজ হতে পারে না বলে কবি মনে করেন।
উদ্দীপকটিতে রমার দৃঢ় মনোভাবের প্রকাশ পাওয়া যায়। মানসিক জোরের বদৌলতেই সে সহপাঠীদের ব্যঙ্গ, অভিভাবকের বিদ্রুপ হজম করে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অন্তরের শক্তি দুর্বল হলে রমা দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী হতে পারত না।
উলিস্নখিত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, রমা আলোচ্য পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার মূলবক্তব্যের বিপরীত মেরম্নর মানুষ। উদ্দীপকে রমার দ্বিধাহীন মন এবং পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবির দ্বিধাগ্রস্ত মনের প্রকাশ ঘটেছে।
প্রশ্ন -৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নবনী আর মিতা দুই বান্ধবী। নবনীর বাবা একজন কাঠ ব্যবসায়ী। বাজারে তার ফার্নিচারের দোকান আছে। সমাজেও বেশ নামডাক। তবে নবনী তার বাবাকে খুব ভয় পায়। আর মিতার বাবা রিকশাচালক, দিনমজুরির পয়সায় কোনোমতে মিতাদের সংসার চলে। এবারের ঈদে নবনী চারটা জামা পেয়েছে। তার মন বেশ খুশি হয়ে ওঠে। কিন্তু মিতাকে কেউ কোনো জামা দেয়নি। তার বাবাও কিনে দিতে পারেনি। নবনীর খুব ইচ্ছা ছিল মিতাকে একটা জামা দেয়ার। কিন্তু বাবার ভয়ে মিতাকে নবনীর জামা দেয়া হয়ে ওঠে না।
ক. শুভ্র চিন্তা কোথায় মিশে যায়? ১
খ. কাঁদে প্রাণ যবে, আঁখি সযতনে শুষ্ক রা- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.নবনীর মানসিকতাকে তুমি সমর্থন কর কি? পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার আলোকে মতের পড়্গে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. শুভ্র চিন্তা হৃদয়ের তলে মিশে যায়।
খ. কোনো বিষয়ে প্রাণ কাঁদলেও আপন আবেগকে সংযত রেখে চোখ শুকনো রাখার বিষয়টি সম্পর্কে প্রশ্নোক্ত উক্তিতে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রাণ কাঁদলেও তা গোপন করার জন্য চোখ শুকনো রাখা হয়। সমাজের দুর্বল চিত্তের মানুষেরা কাজ করতে গিয়ে দ্বিধাগ্রস্হতয়; কে কী মনে করবে, কে কী সমালোচনা করবে, এই ভেবে তারা বসে থাকে। ফলে কাজ এগোয় না। তাদের প্রাণ কেঁদে ওঠে। কিন্তু তারা তাদের আঁখি সযতনে শুষ্ক রাখে কেননা এখানেও সংশয়, পাছে লোকে কিছু বলে!
গ. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার ভয়ের কারণে শক্তি বা সংকল্প বিনাশ হওয়ার দিকটিই উদ্দীপকের নবনীর চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছে।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি বলেছেন যে, আমাদের মনে অনেক সময় শুভ্র চিšত্মার জাগরণ ঘটে। ভালো কাজের জন্য সংকল্প সৃষ্টি হয়। কিন্তু যখনই মনে ভালো সংকল্প জাগরিত হয়, তখনই আবার ভীতির কারণে আমরা কাতর হয়ে পড়ি। সামনে একটা বাধার প্রাচীর সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি আর পারিপার্শ্বিকতার কারণে সেই বাধার প্রাচীর ভেঙে ভালো ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে না। এসব কারণে আমরা বা আমাদের সমাজ অনেক ভালো কাজ থেকে বঞ্চিত হয়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, নবনী আর মিতা দুই বান্ধবী, নবনীর পিতা অনেক টাকাপয়সার মালিক। কিন্তু নবনী তার পিতাকে ভয় পায়। আর মিতার বাবা খুব গরিব। ঈদে নবনী চারটা জামা পায়। অন্যদিকে মিতার বাবা তাকে একটা জামাও কিনে দেয়ার সাধ্য রাখে না। নবনীর খুব ইচ্ছা ছিল মিতাকে অন্তত একটা জামা দেয়ার। কিন্তু নবনী যেহেতু তার বাবাকে ভয় পায়, তাই মিতাকে তার জামা দেয়া হয়ে ওঠে না। তাই বলা যায়, পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার ভয়ের কারণে শক্তি-সামর্থ্য বিনাশ হওয়ার বিষয়টিই প্রকাশ করে।
ঘ. উদ্দীপকের নবনীর মানসিকতাকে আমি সমর্থন করি না।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি যেসব সমস্যা চিহ্নিত করেছেন, তা মূলত সংশয় থেকেই সৃষ্টি। লোকলজ্জা, ভয় ইত্যাদি মূলত সংশয় থেকেই নিঃসৃত। সংশয় মনে বাসা বাঁধার কারণে মানুষ অন্যের সঙ্গে মিশতে পারে না, ভালো ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে না। প্রাণ কাঁদলেও চোখে জল আসতে দেয় না।
উদ্দীপকে দেখা যায়, নবনীর বান্ধবী মিতা, নবনীর বাবা সমাজের উঁচু ব্যক্তি, টাকা-পয়সাও পরিমাণে বেশি, আর মিতার বাবা গরিব রিকশাচালক। সামান্য অর্থ দিয়ে অতি কষ্টে তাকে সংসার চালাতে হয়। ঈদে নবনী চারটা জামা পায়। ফলে তার মন খুশি হয়ে ওঠে। অন্যদিকে গরিবের কন্যা মিতার ভাগ্যে একটা জামাও জোটে না, কোমল মনের অধিকারী নবনীর বেশ ইচ্ছা হয়, সে মিতাকে ঈদ উপলড়্গে একটা জামা উপহার দিবে। কিন্তু বাবাকে ভয় পাওয়ার কারণে সংশয়ে পড়ে মিতাকে নবনী কোনো জামা দিতে পারে না।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, সংশয় থেকে সৃষ্ট ভয় ব্যক্তিসত্তাকে অবদমিত করে রাখে। প্রাণকে কর্ম বা উদ্যমশূন্য করে ফেলে। এ ধরনের মানসিকতা কল্যাণময় কাজের অন্তরায়। তাই আমি নবনীর মানসিকতা সমর্থন করি না।
প্রশ্ন -৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাদশা বাবর দিলিস্নর রাজপথে হাঁটছিলেন। ছদ্মবেশী হওয়ায় তাকে কেউ চিনতে পারল না। দিলিস্নর মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করাই তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল। এমন সময় চারদিকে হুলস্থূল পড়ে গেল। লোকজন প্রাণ ভয়ে পালাতে লাগল। কারণ একটা পাগলা হাতি কোথা থেকে ছুটে এলো। সবাই পালিয়ে গেল। শুধু শূন্য পথে পড়ে থাকল একটা অবোধ শিশু। মেথরের শিশু হওয়ায় কেউ তাকে বাঁচাতে এলো না। কিন্তু ছদ্মবেশী বাবর ছুটে এলেন এবং মত্ত হাতির সম্মুখ থেকে শিশুটির জীবন রক্ষা করলেন।
ক. স্নেহের কথা কী প্রশমন করতে পারে? ১
খ. আমাদের প্রাণ থাকা সত্ত্বেও আমরা ম্রিয়মাণ থাকি কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সাথে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার বৈসাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ.“ পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় যে সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে, উদ্দীপকের বাবরের চরিত্রে তার সমাধান রয়েছে”- মন্তব্যটির পড়্গে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. স্নেহের কথা ব্যথা প্রশমন করতে পারে।
খ. আমাদের অন্তরে ভীতি জমাট থাকার কারণে প্রাণ থাকা সত্ত্বেও আমরা ম্রিয়মাণ থাকি।
বিবেকের দরজায় যখন কোনো কর্তব্য কড়া নাড়ে, তখন আমরা তা সমাধান করি না। অথচ সে কর্তব্য সমাধানের মতো আমাদের শক্তি ও ক্ষমতা আছে। কিন্তু মনে যে ভীতির লালন চলে, তা আমাদেরকে ম্রিয়মাণ করে রাখে।
গ. সংকোচ ও সমালোচনার গুরম্নত্ব বিবেচনার দিক দিয়ে উদ্দীপকে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি দেখিয়েছেন যে, আমরা সদা সংশয় আর লাজের মধ্যে মহৎ কাজ করতে দ্বিধা করি। কর্তব্য থেকে নিজেদেরকে সযতনে আলাদা করে রাখি। কারণ আমরা সর্বদা অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চিন্তা করি।
উদ্দীপকের বাদশা বাবর মানুষের সমস্যা স্বচড়্গে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে রাজপথে ছদ্মবেশে হাঁটছিলেন। এমন সময় দেখলেন একটা পাগলা হাতি ছুটে আসছে। মুহূর্তে রাজপথ শূন্য হয়ে গেল। শুধু পড়ে থাকল একটা মেথরের শিশু। বাবর মেথরের শিশু হওয়ায় অবজ্ঞা করলেন না, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মত্তহাতির সামনে থেকে শিশুটির প্রাণ বাঁচালেন। বাদশা বাবর তাঁর কাজে সংশয় ও লোক-লজ্জা ত্যাগ করেছেন। এই দিক দিয়ে উদ্দীপকের সাথে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. “ পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় যে সমস্যা চিিহ্নত করা হয়েছে, উদ্দীপকের বাবরের চরিত্রে তার সমাধান রয়েছে”- এ মন্তব্যটি যথার্থ।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি আমাদের চরিত্রের সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। আমরা লোকলজ্জা ও ভয়ে ইচ্ছামতো কাজ করতে পারি না, মনের মধ্যে অনেক সময় অনেক ভালো কিছু উঁকি দেয়। কিন্তু সেসব ভালো কাজ মনেই মিলিয়ে যায়। সংশয় সেসব উন্নত চিšত্মার প্রতিফলন ঘটতে দেয় না। তবে বাবরের মতো সংশয় ও শঙ্কামুক্ত, ভয়শূন্য মানসিকতা সকল বাধাকে অতিক্রম করে উন্নত চিšত্মার বা¯ত্মব প্রতিফলনে সহায়তা করবে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, দিলিস্নর বাদশা বাবর ছদ্মবেশে প্রজাদের দুঃখ-দুর্দশা ও সমস্যা দেখার জন্য দিলিস্নর রা¯ত্মায় হাঁটছেন। এসময় হঠাৎ দেখা গেল একটা মত্ত হাতি ছুটে আসছিল। বাঁচার তাগিদে সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেল, শুধু রা¯ত্মায় পড়ে থাকল এক মেথরের শিশু। মেথরের শিশু হওয়ায় কেউ তাকে বাঁচানোর তাগিদ অনুভব করল না। কিন্তু বাদশা বাবর স্থির থাকলেন না, প্রাণ হাতে নিয়ে ছুটে গেলেন মত্তহাতির সামনে। শিশুটিকে নিয়ে ফিরিয়ে দিলেন মায়ের কোলে। এর দ্বারা প্রমাণ হয় যে, বাবরের চরিত্র সংশয় ও শঙ্কামুক্ত।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় যে সমস্যা চিিহ্নত হয়েছে, উদ্দীপকের বাবরের চরিত্রে তার সমাধান রয়েছে।
প্রশ্ন –৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাদশা মিয়া সমাজের ভালো কাজ দেখতে পারে না। কেউ ভালো কাজে হাত দিলে সে বাধা প্রদান করে। সরাসরি বাধা দিতে না পারলে গোপনে গোপনে সেই ব্যক্তির সমালোচনা করে যাতে কাজ করা থেকে সে বিরত থাকে। এভাবে সে সমাজের বহু উদ্যোগী মানুষকে ভালো কাজ করা থেকে বিরত রেখেছে। তাই গ্রামের সবাই ভালো কাজ করার আগে বাদশা মিয়ার কথা স্মরণ করে ভয় পায়।
ক. কামিনী রায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. সম্মুখে চরণ নাহি চলে- কেন? ২
গ. উদ্দীপকের বাদশা মিয়া পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কার প্রতীক? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের বাদশা মিয়াদের মতো মানুষ সমাজে ভালো কাজের অন্তরায়।- পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার আলোকে মন্তব্যটি বিচার কর। ৪
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কামিনী রায় বরিশালের বাসন্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
খ. পরের সমালোচনার ভয়ে মন দ্বিধান্বিত হয়ে পড়লে মানুষ সামনে নেতৃত্ব দিতে পারে না। তাই সম্মুখে চরণ চলে না।
যারা পরের সমালোচনায় ভীত তারা সামনে থেকে কোনো কাজ করতে পারে না। ফলে নিজেদের নীরব লোকচড়্গুর আড়ালে নিয়ে যায়। তাই মনে শুভ কাজের সংকল্প থাকা সত্ত্বেও তারা সংশয়ের কারণে সম্মুখে চরণ ফেলতে পারে না।
গ. উদ্দীপকের বাদশা মিয়া পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার পাছের লোকের অর্থাৎ নিন্দুকের প্রতীক।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় নিন্দুকদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষ কীভাবে তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয় সেই বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে। নিন্দুকদের স্বভাব সম¯ত্ম ভালো কাজের সমালোচনা করা, তাদেরকে ভালো কাজ করা থেকে বিরত রাখা।
উদ্দীপকের বাদশা মিয়া পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার নিন্দুকেরই নামান্তর। বাদশা মিয়া সমাজের ভালো কাজ দেখতে পারে না। কেউ ভালো কাজে হাত দিলে সে বাধা প্রদান করে। সরাসরি না পারলে গোপনে সেই ব্যক্তির সমালোচনা করে। কারণ নিন্দুকেরা সমাজে ভালো কাজ দেখতে পারে না তারা সব কাজে সমালোচনা করে। তাদের কাছে ভালো বলে কোনো কাজ নেই সব কাজই মন্দ। তাদের এই সমালোচনার ভয়ে অনেকেই ভালো কাজে হাত দিতে চায় না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বাদশা মিয়া পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার নিন্দুকের প্রতীক।
ঘ. উদ্দীপকের বাদশা মিয়াদের মতো মানুষ সমাজে ভালো কাজের অন্তরায়- মন্তব্যটি যথার্থ।
সমাজে বহু মানুষ আছে যারা ঈর্ষাপরায়ণ এবং অন্যের ভালো দেখতে পারে না। অন্যের ভালোতে তারা ঈর্ষান্বিত হয়, তাই যাতে কারো ভালো না হয় এবং সমাজের মঙ্গল না হয় সেই জন্য তারা সমালোচনায় লিপ্ত হয়। পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি তাদের কথাই তুলে ধরেছেন। তাদের কাজ সমাজের উন্নয়নকে ব্যাহত করা। উদ্যোগী মানুষের মনোবল বিনষ্ট করে তাদেরকে সংশয়ের দিকে ঠেলে দেয়া। পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কবি নিন্দুকশ্রেণির কথা বলেছেন, তারা সমাজ ও দেশের শত্রম্ন। কারণ তাদের কারণে সমাজে উন্নয়নমূলক কাজ হয় না। উদ্যোগীরা তাদের সমালোচনায় দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পরিকল্পনা বা¯ত্মবায়ন করে না।
উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, বাদশা মিয়া সমাজের ভালো কাজ চায় না। তাই সে সমাজের ভালো কাজ করার আগ্রহী মানুষদের সমালোচনা করে। এভাবে সে সমাজের বহু উদ্যোগী মানুষকে ভালো কাজ করা থেকে বিরত রেখেছে।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকের বাদশা মিয়াদের মতো মানুষ সমাজে ভালো কাজের অন্তরায়- মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন-১০ শানু গ্রামের একজন উদ্যমী ছেলে। ডিগ্রি পাস করার পর সে ঠিক করল দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করবে। তাই পাড়ার যুবক ছেলেদের সংগঠিত করে সে একটি সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা করতে চাইল। ঠিক হলো সমিতির আয়ের একটি অংশ তারা গ্রামের দরিদ্র ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, দুস্থদের সেবা ও রা¯ত্মাঘাট নির্মাণে ব্যয় করবে। কিন্তু সমিতি প্রতিষ্ঠার সংবাদে গ্রামের এক শ্রেণির মানুষ নানারকম সমালোচনা করতে থাকে। কিন্তু সমালোচনার তোয়াক্কা না করে তারা সমিতি প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে সমিতির উদ্দেশ্য বা¯ত্মবায়ন করে সফল হয়ে শানু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সমালোচনাকে উপেক্ষা করে শ্রম আর প্রচেষ্টা থাকলে সবই সম্ভব।
ক. কবি কীসের ছলে চলে যান? ১
খ. মহৎ উদ্দেশ্যে যবে একসাথে মিলে সবে পারি না মিলিতে সেই দলে। কে এবং কেন সেই দলে মিশতে পারে না- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের শানু পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কার বিপরীত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কবির ইচ্ছারই প্রতিফলন- বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১১
র. বিধাতা দিছেন প্রাণ
থাকি সদা ম্রিয়মাণ
শক্তি মরে ভীতির কবলে
পাছে লোকে কিছু বলে
রর. বিশ্ব মাঝে এমন দয়াল মিলবে কোথা আর?
নিন্দুক সে বেঁচে থাকুক বিশ্বহিতের তরে,
আমার আশা পূর্ণ হবে তাহার কৃপা ভরে।
ক. সংশয় শব্দটির অর্থ কী? ১
খ. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটি শিক্ষার্থীদের মাঝে কোন ধরনের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে? ২
গ. উদ্দীপকের দুটি স্বতকের অমিল কোথায়? নিরূপণ কর। ৩
ঘ. একই ব্যক্তির ভিন্নরূপ প্রতিফলিত হয়েছে উদ্দীপকের দুটি ¯ত্মবকেÑ বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১২ বেগম রোকেয়া বাঙালি নারীশিক্ষার অগ্রদূত। সমাজের মানুষের কাছ থেকে নানা ধরনের নিন্দা সহ্য করে তিনি নারীশিক্ষার প্রসার করতে চেয়েছেন। তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজের স্বরূপ উন্মোচন করতেও তিনি দ্বিধাবোধ করেনি। সমস্ত লোকলজ্জা, কুৎসা প্রভৃতি উপেক্ষা করেছেন বলেই আজ তিনি নারী সমাজের আদর্শ।
ক. কখন আমরা আঁখি সযতনে শুষ্ক রাখি? ১
খ. কবি ভয়ভীতি ও সংকোচকে উপেক্ষা করতে বলেছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের বক্তব্য পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কোন বিষয়কে সমর্থন করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য পাছে লোকে কিছু বলে কবিতা অনুসারে আলোচনা কর। ৪
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটির কবি কে?
উত্তর : পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটির কবি কামিনী রায়।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ আমাদের কীসের প্রবণতা থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে?
উত্তর : আমাদের নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবণতা থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কামিনী রায় কোন কলেজ থেকে অনার্সসহ বি.এ পাস করেন?
উত্তর : কামিনী রায় কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে অনার্সসহ বি.এ পাস করেন।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কামিনী রায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : কামিনী রায় ১৮৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ কামিনী রায় কী বিষয়ে অনার্স করেন?
উত্তর : কামিনী রায় সংস্কৃতে অনার্স করেন।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ কামিনী রায়ের কবিতায় কার প্রভাব রয়েছে?
উত্তর : কামিনী রায়ের কবিতায় রবীন্দ্রনাথের প্রভাব রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ কামিনী রায়ের লেখা ছোটদের কবিতা সংগ্রহের নাম কী?
উত্তর : কামিনী রায়ের লেখা ছোটদের কবিতা সংগ্রহের নাম গুঞ্জন।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ কোন বিশ্ববিদ্যালয় কামিনী রায়কে জগত্তারিণী স্বর্ণপদকে ভূষিত করে?
উত্তর : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কামিনী রায়কে জগত্তারিণী স্বর্ণপদকে ভূষিত করে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ কামিনী রায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : কামিনী রায় ১৯৩৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ কোনটি যন্ত্রণার উপশম করতে পারে?
উত্তর : একটি স্নেহের কথা যন্ত্রণার উপশম করতে পারে।
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কবি কেন কাজ করতে পারেন না? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সমালোচনার ভয়ে কবি কাজ করতে পারেন না।
কবি কোনো কাজ করতে গিয়ে দ্বিধাবোধ করেন। কারণ কবির কাজ দেখে অনেকেই অনেক কিছু মনে করতে পারে। আবার অনেকে হয়তো সমালোচনা করতে পারে। তাই সমালোচনা ও লোকলজ্জার ভয়ে কবি কোনো কাজ করতে পারেন না।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কবির প্রাণ কাঁদে কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মানুষের দুঃখে কবির প্রাণ কাঁদে।
আমাদের পৃথিবীতে অনেক অসহায় মানুষ আছে। এদের জীবন কাটে খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়ের অভাবে। জীবনের সব চাওয়া-পাওয়া ও আনন্দ থেকে তারা বঞ্চিত। এদের দুঃখ-দুর্দশা কবি হৃদয়ে অনুভূত হয়। এজন্যই কবির প্রাণ কাঁদে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ শুভ্র চিন্তা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : শুভ্র চিন্তা বলতে সুন্দর চিন্তাকে বোঝানো হয়েছে।
মানুষের মনে অনেক ভালো চিšত্মার উদ্ভব ঘটে। অন্যের উপকার করার ইচ্ছা, কোনো ভালো কাজে নেতৃত্ব দেয়ার ইচ্ছা এরকম আরও অনেক রকম শুভ ইচ্ছা। দেশ ও দশের কল্যাণ করার ইচ্ছা আমাদের সবার মনেই জাগে। তাই দ্বিধা ত্যাগ করে এই শুভ চিšত্মাগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে জীবন সার্থক হয়। এই কল্যাণ চিšত্মা বা উদ্দেশ্যকেই কবি শুভ্র চিšত্মা বলেছেন।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ মহৎ উদ্দেশ্যে যবে/একসাথে মিলে সবে পারি না মিলিতে সেই দলে।- কে সেই দলে কেন মিশতে পারে না? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দ্বিধাগ্র¯ত্ম মানুষেরা তাদের সংশয়ের কারণে মহৎ উদ্দেশ্যে যারা একসাথে মিশে তাদের দলে মিশতে পারে না।
সমাজের দুর্বলচিত্তের মানুষেরা সমালোচনার ভয়ে দ্বিধাগ্র¯ত্ম হয়ে কোথাও নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে না। তাদের মনে সদা সংশয় থাকে, এই বুঝি লোকে তাকে কিছু বলে। সে কারণে মহৎ উদ্দেশ্যে কতিপয় লোক একসাথে মিললেও তারা সে দলে মিশতে পারে না।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সম্মুখে চরণ নাহি চলে- কেন?
উত্তর : পরের সমালোচনার ভয়ে মন দ্বিধান্বিত হয়ে পড়লে মানুষ সামনে নেতৃত্ব দিতে পারে না। তাই সম্মুখে পা চলে না।
যারা পরের সমালোচনায় ভীত তারা সামনে থেকে কোনো কাজ করতে পারে না। ফলে নিজেদের নীরবে লোকচড়্গুর আড়ালে নিয়ে যায়। তাই মনে শুভ কাজের সংকল্প থাকা সত্ত্বেও তারা সংশয়ের কারণে সম্মুখে চরণ ফেলতে পারে না।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটির প্রতিপাদ্য বিষয় কী?
উত্তর : পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটির প্রতিপাদ্য বিষয় গণসচেতনতা সৃষ্টি ও চেতনাবোধ জাগ্রত করা ।
আমাদের সমাজে কোনো কাজ করতে গেলে কেউ কেউ অনেক সময় দ্বিধাগ্র¯ত্ম থাকে সমালোচনার ভয়ে। কিন্তু যারা সমাজের কাজ করতে চান তাদের দ্বিধা করলে চলবে না। দৃঢ় মনোবল নিয়ে লোকলজ্জা ও সমালোচনাকে উপেক্ষা করতে হবে। মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে ভয়ভীতি সংকোচ উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে
১. মহৎ কাজ সম্পাদনে কোনটিকে উপেক্ষা করতে হবে?
> সংকোচ খ সংশয় গ সংকল্প ঘ বাধা
২. আর্তের পাশে দাঁড়াতে গিয়েও কেউ কেউ কেন উপেক্ষা করে চলে যান?
ক রোগাক্রান্ত হওয়ার ভয়ে > সমালোচনার ভয়ে
গ সহযোগিতার ভয়ে ঘ ছোট হওয়ার ভয়ে
৩. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটি পাঠকের মধ্যে কোন ধরনের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে?
ক ভয়হীনতা খ পরোপকারিতা
গ সাহসিকতা > সংকোচহীনতা
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মাসুদ গ্রামের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে। সে ভাবে একসময় প্রচুর আয় হবে, বেকাররা স্বনির্ভর হবে। কিন্তু যদি সে এ কাজে সফল হতে না পারে তাহলে তার সমালোচনা করবে। তাই সে তার পরিকল্পনা বাদ দেয়।
৪. উদ্দীপকের মাসুদের মাঝে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কোন বিশেষ দিকটি ফুটে উঠেছে?
ক ভীরম্নতা > সংশয় গ হতাশা ঘ দুর্বলতা
৫. কামিনী রায়ের দৃষ্টিতেই মাসুদের এ উদ্যোগ সফল করা যেতে পারে-
র. দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হলে
রর. সকল সংশয় দূর করলে
ররর. সাহসী পদক্ষপে গ্রহণ করলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৬. কোন বিশ্ববিদ্যালয় কবি কামিনী রায়কে জগত্তারিণী পুরস্কারে ভূষিত করে?
> কলকাতা খ বিশ্বভারতী গ আলীগড় ঘ ঢাকা
৭. চির যুবা তুই যে চিরজীবী জীর্ণ জরা ঝড়িয়ে দিয়ে প্রাণ অফুরান ছড়িয়ে দেদার দিবি।
উদ্দীপকের বিপরীত ভাবধারা প্রকাশ পেয়েছে কোন রচনায়?
> পাছে লোকে কিছু বলে খ একুশের গান
গ জাগে তবে অরণ্য কন্যারা ঘ প্রার্থী
উদ্দীপকটি পড়ে ৮, ৯ ও ১০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈকত নিরক্ষর গ্রামবাসীর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানোর জন্য বন্ধুদের নিয়ে একটি বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে গ্রামের মোড়ল বলেন, “সাইফুল মাস্টারের মতো দক্ষ মানুষ ব্যর্থ হয়েছেÑএখন তোমাদের মতো যুবকরা খুলবে বিদ্যালয়।” একথা শুনে দমে যায় সৈকত।
৮. উদ্দীপকের ভাবের দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে কোন রচনায়?
ক সুখী মানুষ খ পড়ে পাওয়া
> পাছে লোকে কিছু বলে ঘ দুই বিঘা জমি
৯. উক্ত রচনায় লেখক/কবির দৃষ্টিতে সৈকতের মন ভেঙে যাওয়ার কারণ-
> সংশয় খ ভীরম্নতা
গ নিন্দা ঘ উপহাস
১০. সৈকতের উদ্যোগটি মূর্ত হয়েছে যে চরণে-
র. হৃদয়ে বুদবুঁদ মতো/ওঠে শুভ্র চিন্তা কত
রর. একটি স্নেহের কথা/প্রশমিতে পারে ব্যথা
ররর. মহৎ উদ্দেশ্য যবে/এক সাথে মিলে সবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর > র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১. মহৎ কাজ সম্পাদনে কোনটিকে উপেক্ষা করতে হয়?
ক বাধা খ সংশয় গ সংকল্প > সংকোচ
১২. আমাদের মনের সংকল্প নড়বড়ে হয়ে যায় কেন?
ক ব্যর্থতার ভয়ে > লোক ভয়ে
গ অর্থহীন বলে ঘ সময়ের অভাবে
১৩. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি কেন নিজেকে সংগোপনে রাখেন?
> সংকোচের কারণে খ দুর্বলতার কারণে
গ হতাশার কারণে ঘ লজ্জার কারণে
১৪. মনের দৃঢ় ইচ্ছাগুলো কোন কারণে পূরণ হয় না?
> দ্বিধা খ চিšত্মা গ ভীরম্নতা ঘ হতাশা
১৫. শুভ্র শব্দটি পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কোন অর্থে ব্যবহৃত?
ক সাদা খ পবিত্র > অমলিন ঘ দ্বিধা
১৬. কামিনী রায়ের কবিতায় কার প্রভাব স্পষ্ট?
ক জসীমউদ্দীন খ সুফিয়া কামাল
> রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ জীবনানন্দ দাশ
১৭. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি কেন নিজেকে সংগোপনে রাখেন?
> সংকোচের কারণে খ দুর্বলতার কারণে
গ হতাশার কারণে ঘ লজ্জার কারণে
১৮. ভীতির কবলে শক্তি মরে কেন?
ক প্রাণের ভয়ে খ উপেক্ষার ভয়ে
গ সমালোচনার ভয়ে > মন দুর্বল বলে
১৯. কবি কামিনী রায় কোন উদ্দেশ্যগুলোকে মেলাতে পারেন না?
ক ভালো > মহৎ গ শুভ্র ঘ মন্দ
২০. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটি পাঠকের প্রাণে কোন ধরনের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে?
ক ভয়হীনতা খ পরোপকারিতা
গ সাহসিকতা > সংকোচহীনতা
২১. পাছে লোকে কিছু বলে-এমন মনোভাব মানুষকে কী করে?
ক ব্যথিত করে খ সমালোচিত করে
> হীনবল করে ঘ গুরম্নত্বহীন করে
২২. হৃদয় থেকে জেগে ওঠা ভাবনা হৃদয়েই থেকে যায় কেন?
ক বাধা প্রাপ্তিতে খ উপেক্ষা করায়
> সংশয়ের কারণে ঘ বিষাদগ্র¯ত্মতার জন্য
২৩. আঠারো বছর বয়সের নেই কোনো ভয়
পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা-উদ্দীপকের বিপরীত ভাব আছে কোন চরণে?
ক শক্তি মরে ভীতির কবলে খ চলে যাই উপেক্ষার ছলে
> সম্মুখে চরণ নাহি চলে ঘ পারি না মিলিতে সেই দলে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৪ ও ২৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আসিফ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে গ্রামে ফিরে আসে। গ্রামের যুবকদের স্বাবলম্বী করার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ ও গরম্ন মোটাতাজাকরণের মতো নানা পরিকল্পনা করে। কিন্তু সফল হবে কী? এ রূপ আশঙ্কায় উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়।
২৪. উদ্দীপকের আসিফের মাঝে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কোন বিশেষ দিকটি দৃশ্যমান?
ক সংশয় খ হতাশা গ দুর্বলতা > ভীরম্নতা
২৫. কামিনী রায়ের দৃষ্টিতে আসিফের কর্মপরিকল্পনা সফল করা যেতে পারে-
র. দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করলে রর. সকল সংশয় দূর করলে
ররর. সাহসী পদক্ষপে গ্রহণ করলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
কবি–পরিচিতি
২৬. কামিনী রায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৮৫৫ খ ১৮৬০ > ১৮৬৪ ঘ ১৮৬৬
২৭. কামিনী রায় বাংলাদেশের কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ঢাকা খ সিলেট > বরিশাল ঘ রাজশাহী
২৮. কবি কামিনী রায় কত সালে অনার্সসহ বি. এ পাস করেন? (জ্ঞান)
ক ১৮৮৪ > ১৮৮৬ গ ১৮৯৬ ঘ ১৮৯০
২৯. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
ক সুকান্ত ভট্টাচার্য খ বুদ্ধদেব বসু
> কামিনী রায় ঘ মাইকেল মধুসূদন
৩০. কামিনী রায়ের কবিতায় কোন কবির প্রভাব স্পষ্ট? (জ্ঞান)
ক সুকুমার রায়ের > রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
গ কায়কোবাদের ঘ কাজী নজরুল ইসলামের
৩১. কামিনী রায় কোন বিষয়ে অনার্স পাস করেন? (জ্ঞান)
ক বাংলা সাহিত্যে খ ভাষাতত্ত্বে
> সংস্কৃতে ঘ ফারসিতে
৩২. কামিনী রায় কোন কলেজে পড়াশোনা করতেন? (জ্ঞান)
ক ঢাকা কলেজ > বেথুন কলেজ
গ কলকাতা সিটি কলেজ ঘ হিন্দু কলেজ
৩৩. কবি কামিনী রায়ের লেখা ছোটদের কবিতা সংগ্রহের নাম কী? (জ্ঞান)
ক সংকলন খ কূজন গ মধুবন > গুঞ্জন
৩৪. কবি কামিনী রায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯১৯ খ ১৯৩২ > ১৯৩৩ ঘ ১৯৩৭
৩৫. কবি কামিনী রায় কোন কলেজে অধ্যাপনা করেন? (জ্ঞান)
ক ঢাকা কলেজ > বেথুন কলেজে
গ কলকাতা সিটি কলেজে ঘ দিলিস্ন রামযশ কলেজে
মূলপাঠ
৩৬. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কবির মতে, মানুষের কাজ না করতে পারার কারণ কী?
ক কর্মদক্ষতার অভাব খ প্রশিক্ষণের অভাব
> লাজ-ভয়ের তাড়না ঘ যোগ্যতার অভাব
৩৭. ভীতির কবলে কী মরে? (জ্ঞান)
ক অহংকার খ সাহস > শক্তি ঘ গর্ব
৩৮. মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে কোনটিকে উপেক্ষা করতে হবে? (জ্ঞান)
> ভয়ভীতি ও সংকোচ খ মিথ্যা ও সংকোচ
গ প্রতারণা ও ভয়ভীতি ঘ অসততা ও মিথ্যা
৩৯. কবি কামিনী রায় আড়ালে আড়ালে থাকেন কেন? (অনুধাবন)
> পরনিন্দা ও সমালোচনার ভয়ে খ অশিক্ষা ও দুর্বলতার ভয়ে
গ অজ্ঞতা ও সমালোচনার ভয়ে ঘ লোকনিন্দা ও জ্ঞানহীনতার ভয়ে
৪০. কবি নীরবে কী ঢাকেন? (অনুধাবন)
ক চোখ খ মুখ গ চুল > নিজেকে
৪১. কবি কামিনী রায়ের পা সামনে যেতে দ্বিধাবোধ করে কেন? (অনুধাবন)
> সমালোচনার ভয়ে খ লোকসানের ভয়ে
গ প্রাণনাশের ভয়ে ঘ বিপদের ভয়ে
৪২. মনের দৃঢ় ইচ্ছাগুলো পূরণ হয় না কেন? (অনুধাবন)
> দ্বিধার কারণে খ চিšত্মার কারণে
গ হতাশার কারণে ঘ ভীরম্নতার কারণে
৪৩. মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কবি কামিনী রায় কেন দলের সাথে মিশতে পারে না? (অনুধাবন)
ক সহযোগিতার ভয়ে খ দুর্বলতার কারণে
গ হতাশার কারণে > ভয়ভীতির কারণে
৪৪. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় ব্যথা প্রশমিত করতে পারে কোনটি? (অনুধাবন)
ক মহৎ উদ্দেশ্য > স্নেহের কথা
গ গরম পানি ঘ রাগের কথা
৪৫. রফিক সাহেব এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে উদ্যত হন কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে তিনি একবার এগিয়েও পিছিয়ে যান। তাঁর এ আচরণে কিসের বহিঃপ্রকাশ ঘটে? (উচ্চতর দক্ষতা)
> সংশয়ের খ সংকল্পের গ ভীতির ঘ প্রত্যয়ের
৪৬. মনিরার স্যার মনিরাকে বলল, যখন কোনো ভালো কাজের আকাক্সক্ষা করা হয় তখন তা দ্রম্নত করা উচিত। এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয় মনের কোন দিকটি? (প্রয়োগ)
ক সুশোভিত চিšত্মা খ কার্যকরী চিšত্মা
> শুভ্র চিšত্মা ঘ গতিশীল চিšত্মা
৪৭. লিমা আত¥ীয়স্বজনের কথায় বিয়ের পিঁড়িতে না বসে বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এতে তার কোন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
ক সংকোচ খ তীব্র প্রতিবাদ
> নিঃসংকোচ চিত্ত ঘ কল্যাণপথে ধাবিত হওয়া
৪৮. সমালোচনা করা কাদের কাজ? (জ্ঞান)
> নিন্দুকের খ নারীদের গ শিশুদের ঘ অশিক্ষতিদের
৪৯. হৃদয়ে কীসের মতো শুভ্রচিšত্মা ওঠে? (জ্ঞান)
> বুদবুদের খ স্নেহের গ অশ্রম্নর ঘ ঢেউয়ের
৫০. রতন গ্রামে একটি হাঁস-মুরগির খামার করার চিšত্মা করল। কিন্তু পরবর্তীতে গ্রামের মানুষের সমালোচনার ভয়ে তা বাদ দিল। তার এ আচরণের মধ্যে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দুর্বলতা > ভীরম্নতা গ সংশয় ঘ হতাশা
৫১. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতানুযায়ী যারা সমাজে ভালো কাজ করে বিশেষ অবদান রাখতে চান, তাদের করণীয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
> লোকলজ্জা ও সমালোচনাকে উপেক্ষা করা
খ ত্যাগ ও ভয় উপেক্ষা করা
গ ধৈর্য ও হিংসা উপেক্ষা করা
ঘ সমালোচনা ও সহযোগিতা উপেক্ষা করা
৫২. আড়ালে আড়ালে থাকি, নীরবে আপনা ঢাকিÑএ বাক্যে কোন বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
> জড়তা খ হিংসা গ লোভ ঘ বিদ্রম্নপ
৫৩. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কবি নিজের সংকোচ, ভয় ও নীরবতা দেখানোর মাধ্যমে মূলত কোন দিকটি ফুটিয়ে তুলেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
> আত¥প্রকাশ খ আত¥গোপন
গ আত¥বিসর্জন ঘ আত¥বিশ্বাস
৫৪. বিধাতার দেওয়া প্রাণ ভীতির কবলে পড়ে কেমন হয়ে যায়? (অনুধাবন)
> কাতর খ শুষ্ক গ বিবর্ণ ঘ করম্নন
৫৫. কবির হৃদয়ে বুদবুদের মতো ওঠা চিšত্মা কোথায় মিশে যায়? (জ্ঞান)
ক নয়নের জলে খ উপেক্ষার ছলে
গ মিলিত দলে > হৃদয়ের তলে
শব্দার্থ ও টীকা
৫৬. সংশয় শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক সংকল্প খ সাধনা > সন্দেহ ঘ সুবিধা
৫৭. সংকল্প শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
> মনের দৃঢ় ইচ্ছা খ মনের সুপ্ত কামনা
গ মনের বিলাসী প্রত্যাশা ঘ মনের সুপ্ত যাতনা
৫৮. যবে বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
> যখন খ তখন গ যেখানে ঘ সেখানে
৫৯. শুভ্র শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক সুশোভিত খ সুন্দর গ সৌন্দর্য > সাদা
৬০. প্রশমিতে বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক বন্ধ করতে
খ ঘোচাতে
> নিবারণ করতে
ঘ প্রহার করতে
৬১. আঁখি শব্দের অর্থ কোনটি? (জ্ঞান)
> নয়ন খ সাগর গ আকাশ ঘ কান
৬২. উপেক্ষা শব্দটি পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? (জ্ঞান)
> অবহেলা করা খ অহংকার করা
গ গুরম্নত্ব দেয়া ঘ হেয় না করা
পাঠ-পরিচিতি
৬৩. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কবি কে? (জ্ঞান)
ক কাজী নজরম্নল ইসলাম > কামিনী রায়
গ কায়কোবাদ ঘ সুফিয়া কামাল
৬৪. মানুষের সমালোচনাকে উপেক্ষা করার ফলাফল কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
> নিজেকে স্বাধীন রাখার প্রেরণা পাওয়া
খ নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবণতা থেকে মুক্ত হওয়া
গ নিজেকে কর্মবিমুখ রাখার প্রবণতা হতে মুক্ত হওয়া
ঘ নিজেকে অসৎ পথে পরিচালনা হতে মুক্ত হওয়া
৬৫. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার ভাবার্থ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সকল অসারতাকে হেয়প্রতিপন্ন করা খ সকল চিšত্মা পরিহার করা
গ সকল বাধা দূর করা > সকল সমালোচনাকে পরিহার
৬৬. কে কী মনে করবে বা সমালোচনা করবে এটা ভেবে বসে থাকলে কোনটি অসম্ভব? (অনুধাবন)
ক মানুষের উপকার করা খ মনের চর্চা করা
> সঠিক পথে আগানো ঘ দুঃখ যন্ত্রণার উপশম ঘটানো
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
কবি-পরিচিতি
৬৭. কবি কামিনী রায়ের কবিতা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আনন্দের সহজ-সরল প্রকাশের জন্য
রর. বেদনার সহজ-সরল প্রকাশের জন্য
ররর. সাধনার সহজ-সরল প্রকাশের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মূলপাঠ
৬৮. কবি কামিনী রায় ছিলেন- (প্রয়োগ)
র. বেথুন কলেজের শিক্ষার্থী রর. বেথুন কলেজের অধ্যক্ষ
ররর. বেথুন কলেজের অধ্যাপক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৯. বিপুল তার শ্রেণির মেধাবী ছাত্র হয়েও বক্তৃতা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চায়। তার মধ্যে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় ফুটে ওঠা দিকটি হচ্ছে- (প্রয়োগ)
র. সংশয় রর. হিংসা ররর. সমালোচনার ভয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. কবি কামিনী রায়ের প্রাণ যখন কাঁদে তখন তিনি তাঁর আঁখি সযতনে শুষ্ক রাখে যে কারণেÑ (অনুধাবন)
র. লোকের ক্ষতির কারণে রর. লোকের নিন্দার ভয়ে
ররর. লোকের সমালোচনার ভয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. যারা সমাজে অবদান রাখতে চায় তাদের দ্বিধা করা অনুচিত (অনুধাবন)
র. মহৎ কাজে অগ্রসর হওয়ার কারণে
রর. মানুষের কল্যাণ সাধনে অগ্রসর হওয়ার কারণে
ররর. জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. দুঃখীর ব্যথা দেখে আদনান সাহেবের প্রাণ কাঁদে তবুও সে তাদের দুঃখে কাঁদে না। তার এ আচরণে বহিঃপ্রকাশ ঘটে- (প্রয়োগ)
র. সংশয়ের রর. ভীতির ররর. সংকল্পের
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৩. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় মহৎ উদ্দেশ্য সফলে প্রত্যেকের করণীয়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া রর. সকল সংশয় দূর করা
ররর. কারও মুখাপেড়্গী না হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৪. সম্মুখে চরণ নাহি চলে কবিতার এ লাইনটিতে যে বিষয়টি প্রকাশ করতে চেয়েছেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দ্বিধাহীনভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া
রর. লোক-লজ্জা ভেঙে প্রকাশ্যে নিজেকে তুলে ধরা
ররর. লোকের ভয়ে নিজেকে লুকিয়ে রাখা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় শিক্ষণীয় দিক- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নিঃসংকোচ চিত্তে পথচলা রর. সমালোচকের গুরুত্ব দেওয়া
ররর. ভয় দূর করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. রাতুল ও রিমন দুই ভাই। রাতুল সবার সাথে অতি সহজেই মিশতে পারলেও রিমন পারে না। কারণ তার রয়েছে- (প্রয়োগ)
র. দ্বিধাগ্র¯ত্মতা রর. সমালোচনার ভয়
ররর. লোকলজ্জা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৭৭. সম্মুখে চরণ নাহি চলে। কারণ- (অনুধাবন)
র. সংশয় রর. সদালাজ ররর. সদা ভয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
শব্দার্থ ও টীকা
৭৮. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় ম্রিয়মাণ শব্দটি কামিনী রায় যে অর্থে ব্যবহার করেছেন- (অনুধাবন)
র. নীতিকথা হিসেবে রর. বিষাদগ্র¯ত্ম হিসেবে
ররর. কাতর অর্থে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৯. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় ছল শব্দটি যে অর্থ বহন করে- (অনুধাবন)
র. ছুতা রর. কল্পনা ররর. ওজর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮০. শুভ্র শব্দটি পাছে লোকে কিছু বলে কবিতায় যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে- (অনুধাবন)
র. পরিষ্কার রর. মলিন ররর. সাদা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-পরিচিতি
৮১. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটি মানুষের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নিঃসংকোচিত্তে জীবন পথে পরিচালিত হতে
রর. নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবণতা ত্যাগ করতে
ররর. অন্যের কল্যাণে নিজেকে সাধিত করতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৮২. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটি পাঠের ফলাফল হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নিঃসংকোচে চলার অনুপ্রেরণা লাভ
রর. দায়িত্ববোধের ব্যাপারে সচেতন হওয়া
ররর. সমালোচনাকে উপেক্ষা করতে শেখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আনিস পড়াশোনা শেষ করে গ্রামের বাড়ি ফিরে আসে। সে গ্রামের তরম্নণ সমাজকে বই পড়ায় উৎসাহিত করার জন্য একটি ছোটখাটো লাইব্রেরি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে। আর তার এ মহৎ কাজে হাজার সমালোচনা হওয়া সত্ত্বেও সে তার সিদ্ধান্তে অটল।
৮৩. উদ্দীপকের আনিসের মধ্যে নিচের কোন কবিতার কবির চাওয়ার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
> পাছে লোকে কিছু বলে খ নারী
গ কপোতাক্ষ নদ ঘ দুই বিঘা জমি
৮৪. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতা অনুসারে উক্ত প্রতিফলিত বিষয় হচ্ছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নিন্দুকের ভয় রর. ভীতি ও সংকোচ উপেক্ষা
ররর. মহৎ কাজে উদ্বুদ্ধ হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৫ ও ৮৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রেবা, জেবা, রাহেলা ও শিলা- এই চার বান্ধবী মিলে সিদ্ধান্ত নিল তারা পথশিশুদের জন্য একটি পাঠশালা খুলবে। সেখানে তারা নিজেরাই অর্থায়ন এবং শিক্ষাদান করবে। কিন্তু বিপত্তি দেখা দিল তখন যখন জানতে পারল এর আগে অনেকে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। তাই তারা পিছিয়ে যায়।
৮৫. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতা অনুসারে উদ্দীপকে উলিস্নখিত উদ্যোগটি পিছিয়ে যাওয়ার কারণ- (প্রয়োগ)
> উদ্যোক্তাদের সংশয় খ অর্থের অভাব
গ নিরাপত্তার ভয় ঘ সৎকর্মের অভাব
৮৬. পাছে লোকে কিছু বলে কবিতা অনুসারে উদ্দীপকে উলিস্নখিত পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তাতাদের করণীয় ছিল- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দ্বিধাহীন মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া
রর. অন্য উদ্যোক্তাদের নিরম্নৎসাহিত করা
ররর. সমালোচনার ভয় না করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৭ ও ৮৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সাইফ একটি গল্পের বই লেখার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু বইয়ের মান এবং এর বাজার নিয়ে সে দ্বিধাগ্র¯ত্ম হলো। অবশেষে তার শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ দেওয়ানজি সাইফকে গল্প লেখার বিভিন্ন নিয়মকানুন সম্পর্কে বললেন। প্রত্যেকটি গল্পের তিনি গঠনমূলক সমালোচনাও করলেন। এতে সাইফ প্রথমে বিচলিত হলেও আশার আলো দেখতে পেল।
৮৭. উদ্দীপকের শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ দেওয়ানজি কবি কামিনী রায়ের মানসিকতাকে কীভাবে সমর্থন করেছেন? (প্রয়োগ)
> উৎসাহ ও প্রেরণা দিয়ে খ নিন্দুকের কাজ করে
গ মহৎকাজে নিরাশ করে ঘ সিদ্ধান্ত অটল রেখে
৮৮. উদ্দীপকের সমালোচককে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতানুসারে যা বলা যেতে পারেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শুভাকাক্ষী রর. অভিভাবক ররর. পথপ্রদর্শক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৯ ও ৯০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
কিবরিয়া ও তার বন্ধুরা মিলে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে তা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠাবার ব্যবস্থা করতে লাগল। কিন্তু এগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ সম্মত হচ্ছিল না। কারণ এ ধরনের কাজকে পাড়ার কিছু ছেলে ভ-ামি, লোক দেখানো বলে কিবরিয়াদের নিরম্নৎসাহিত করতে লাগল।
৮৯. উদ্দীপকের পাড়ার ছেলেদের কর্মকা- পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কোন বিষয়টিতে ইঙ্গিত করে? (প্রয়োগ)
ক অনুপ্রেরণা > সমালোচনা
গ মিথ্যা অপবাদ ঘ আর্থিক ক্ষতি
৯০. কবি কামিনী রায়ের মতে কিবরিয়াদের এ উদ্যোগ সফল করা যেতে পারেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হলে রর. সকল সংশয় দূর করলে
ররর. সংগ্রামী পদক্ষপে গ্রহণ করলে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯১ ও ৯২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মিনতি বাড়ি যাওয়ার পথে ফার্মগেট সেজানপয়েন্টের সামনে ফুটপথে দেখে এক প্রতিবন্ধী প্রচুর বৃষ্টির মধ্যে রা¯ত্মার ওপর উপুড় হয়ে পড়ে আছে। প্রতিবন্ধী লোকটি দেখে মিনতির খুব মায়া হলো। কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সংকোচের কারণে মিনতি প্রতিবন্ধীটিকে উপেক্ষা করে চলে গেল।
৯১. উদ্দীপকের মিনতির মধ্যে পঠিত বইয়ের কোন কবিতার প্রতিফলন পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
ক প্রার্থী খ নদীর স্বপ্ন
> পাছে লোকে কিছু বলে ঘ মানবধর্ম
৯২. উক্ত কবিতার অনুযায়ী আমাদের বিষয়গুলো বর্জন করতে হবে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. লোকের সমালোচনাকে প্রাধান্য দেয়া
রর. নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রচেষ্টা
ররর. সংকোচিত্তে জীবনপথে পরিচালিত হতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯৩ ও ৯৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শ্যামলদের এলাকায় একটি পোড়ো বাড়ি আছে। সবাই তাকে ভূতের বাড়ি হিসেবেই চেনে। শ্যামল তার দাদার কাছে একদিন ঐ বাড়ি সম্পর্কে গল্প শুনল। ঐ বাড়িতে মা মেয়ে দুজন থাকত। প্রথমদিকে তাদের বেশ স্বাভাবিক জীবন ছিল। মেয়ে বড় হয়ে উকিল হলো কিছুদিন ওকালতিও করল। কিন্তু হঠাৎ কী হলো, তারা সকলকে এড়িয়ে চলতে শুরম্ন করল। বন্ধু, বান্ধব, আত¥ীয়স্বজন কেউ তাদের বাড়ি আসে না। তারাও বাড়ির দরজা খোলে না। মাঝে মাঝে নিজেদের জরম্নরি কাজ সেরেই আবার দরজা বন্ধ করে দেয়। [খুলনা জিলা স্কুল]
৯৩. উপরের উদ্দীপকে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
ক সন্দেহ প্রবণতা খ সংকল্প পরিকল্পনা
গ সাহসিকতা > দুর্বল মানসিকতা
৯৪. উদ্দীপকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ চরণগুলো হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আড়ালে আড়ালে থাকি রর. নির্মল নয়নের জলে
ররর. সংশয়ে সংকল্প সদা টলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
WordsMeaningsSynonyms antonymsouterবাইরেরoutmostinnerproletarianদরিদ্র/সর্বহারাWorking-classmorallaunchশুরু করাIntroductionwithdrawpreparingপ্রস্তুতিGet-readydoubtfaultlesslyনির্দোষভাবেabsolutelyfaultynauseaবমিবমিভাবvomitingheadachediscomfortঅসস্তিupsetcomfortmaintainedবজায় করাsustainuselessLaterকরেnextearlierdynamicগতিশীলAggressivestaticplanপরিকল্পনাproposaldisorderaimলক্ষGoalaimlessdirectionনিদ্ধেশনাInstructionnoticeprofessionপেশাJobjoblesssuitsআকারFormnothingaptitudeযোগ্যতাAttitudedislikevaryপরিবর্তীতVariousfixeducatedশিক্ষিতLearneduneducatedcitizenনাগরিকnativeforeignervirtueপূর্ণgoodnessevilA lotঅনেকhugelittlecourteousবিনয়ীpoliterudediscourtesyঅবিনয়ীrudenesscourteouswinজয় করাgainloseenemyশত্রুfoefriendensureনিশ্চিত করাconfirmcancelangerরাগtempercalmnessremoveঅপসারণcancelputcordialityসোহার্দrudenessdiscordialitydifferentভিন্নDissimilarsameseeksঅনুসন্ধানPursuefindeagerআগ্রহীinterestdisinterestedobservationপর্যবেক্ষণExaminationneglectmereএকমাত্রImmenseabnormalalertসতর্কWatchfulunawarelatentসুপ্তOpenrealizedinstructorsপ্রশিকক্ষকteacherstudentguideগাইডmentormisguidewayপথ/উপায়Pathpartfascinatingচমৎকারexcellentunattractiveinterestআগ্রহীeagerdisregardimpatientঅধৈয্যIntolerancepatientillogicalঅযোক্তিকunethicalLogicalindifferentউদাসীনUninteresteddifferentethicallyনৈথিকভাবেlawfullyUnethicalGood-lookingচমৎকারAttractiveUnattractiveDarkঅন্ধকারBlackbrightFlawlessস্থিরperfectflawedShinyউজ্জল্যbrightdarkSlenderসরুthinfatGracefulকরুনাময়elegantungracefulStylishlyআড়ম্বরপূর্ণভাবেattractivesimplyAppreciatesপ্রশংসা করেpriesCriticizeNoticeলক্ষ করেadvertisementoverlookAmbitionউচ্ছাকাঙকাAim/desirelazinessRequireপ্রয়োজনneedanswerProficiencyদক্ষতাskilledincompetenceWonderআশ্চয্যSurprisedisinterestTestedপরীক্ষীতverifiednewEquallyসমানভাবেsimilarlyUnequallyDisappointingহতাশাজনকInceptingappointingPresumablyসম্ভবতdoubtlesslyimprobableQualifyযোগ্যতাcertifyDisqualifywrongভুলmistakewriteIdealআদর্শModelbadMasterদক্ষTeacherStudentMakesতৈরীcreateBreak/destroyMethodপদ্ধতিSystemdifferenceConvincingবিশ্বাসীsatisfactoryUnconvincingPraisesপ্রশাংসা করেhurrahCriticizeMistakeভুলErrorsagacityAngryরাগevilcalmSimpleসাধারণgeneralComplexmoralনৈতিকethicalamoralAcceptedগৃহিতreceivedrejectedSincerityআন্তরিকতাGood-willinsincerityResponsibilityদায়িত্বdutiesdepartureComplexityজটিলতাcomplicationSimplicityEnvyহিংসাlastedpraiseVicesমন্দevilVirtueImpactsপ্রভাবeffectfailsAwarenessসতর্কতাalertnessunawarenessOut-comeবাহিরের দিকresultcauseimportanceগুর্ত্বপূর্ণsignificanceinsignificanceFriendবন্দুenemyfoeNeedপ্রয়োজনcommitment/necessaryavoidSympathyসহানুভুতিkindnessrudenessProveপ্রমানconfirmdisproveFalseমিথ্যাwrongtrueHarmক্ষতিকরlosshelpLaughহাসাburstcryPleasureআনন্দhappinesssadnessBringআনাcarryleaveideaধারণাconceptnothingAllowঅনুমতিpermitdenyFreedomস্বাধীনতাindependencebondageOpinionমতামতviewawarenessFairমেলাcleanunfairEqualসমানbalancedunequalDivisionবিভাগdistributionunionElectনির্বাচন করাvoterefuseSystemনিয়ম-নীতিprocesspartTreatmentচিকিৎশা করাcuringhurtFacilityসুবিধাadvantagepainNeverকখন নয়NotingAlwaysWeakerদুর্বলrottenstrongerDiscourageনিরুৎসাহিতdroopEncourageFrustratingহতাশাজনকBuffaloingsatisfyingInterestআগ্রহীeagernessdiscourageAbilityসক্ষমতাCapabilityinabilityDreamস্বপ্নfancyfactBestসবচেয়ে ভালfinestworstSuccessসফলতাachievementfailureachieveঅর্জন…
আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক…
Model Question 1 Part-I : Marks 60 1. Read the passage and answer the questions…
পঞ্চম অধ্যায় দেবদেবী ও পূজা এ অধ্যায়ে আমরা পূজা, পুরোহিতের ধারণা ও যোগ্যতা, দেবী দুর্গা,…
চতুর্থ অধ্যার হিন্দুধর্মে সংস্কার আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয…
তৃতীয় অধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয়…
This website uses cookies.