Uncategorized

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-দ্বিতীয় অধ্যায় -দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ- হিন্দুধর্মের উৎপত্তি ওক্রমবিকাশ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

দ্বিতীয় অধ্যায়

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

হিন্দুধর্মের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ

বিশ্বে প্রচলিত ধর্মসমূহের মধ্যে হিন্দুধর্ম অন্যতম প্রাচীন ধর্ম। এর প্রাচীন নাম সনাতন ধর্ম। এই ধর্মের কোনো নির্দিষ্ট প্রবর্তকরূপে কোনো ব্যক্তিকে নির্দেশ করা যায় না। এ ধর্মের মূলে রয়েছেন ভগবান স্বয়ং। জগৎ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে এ ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মানবসভ্যতার কোনো বিস্মৃত অতীতে হয়তো কোনো আদিম মানবমনে প্রথম ধর্মবোধ জেগে ওঠে সেখান থেকে এ ধর্মের যাত্রা শুরু। মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে এ ধর্মের বিকাশ ও প্রসার লক্ষণীয়। বহিরাগত আর্য সম্প্রদায়ের ধর্মমতের সঙ্গে প্রাগার্য ধর্মমতের সংশেস্নষণে হিন্দুধর্মের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ। হিন্দুধর্ম চিন্তায় একেশ্বরবাদ, অবতারবাদ, ঈশ্বরের গুণ ও শক্তি হিসেবে দেবদেবীর উপাসনা ও পূজা পদ্ধতির পরিচয় মেলে। ধর্মগ্রন্থ হিসেবে বেদ, উপনিষদ (বেদান্ত), পুরাণ, গীতা, ভাগবতের প্রকাশ ঘটে এবং দার্শনিক চিন্তায়ও বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশের পরিপ্রেড়্গেিত সনাতন ধর্মের সংস্কার ও ধর্মসাধনার নব নব রূপ এড়্গেেত্রও লক্ষণীয়। রাজা রামমোহন, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, প্রভু জগদ্বন্ধু, ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র, বাবা লোকনাথ, হরিচাঁদ ঠাকুর, স্বামী স্বরূপানন্দ, স্বামী প্রণবানন্দ, এ. সি. ভক্তি বেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ প্রমুখ ধর্মগুরুর গৌরবময় অবদান হিন্দুধর্মকে আধুনিকতার পরিমণ্ডলে উন্নীত করেছে।

বাহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

অনুশীলন বাহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১.         হিন্দুধর্মের ক্রমবিকাশকে কয়টিস্তরে বিভক্ত করা হয়েছে?

            ক  একটি         খ দুটি  >তিনটি            ঘ চারটি

২.        কোন মহাপুরুষের প্রেমভক্তি অনুসরণ করে বাঙালি হিন্দুধর্ম চেতনার আকাশে প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের আবির্ভাব ঘটে?

            ক ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র খ ড. মহানামব্রত ব্র‏‏হ্মচারী

            >শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু    ঘ হরিচাঁদ ঠাকুর

৩.        স্মৃতিশাস্ত্র বলতে বোঝায়-

            র.         জাগতিক এবং পারমার্থিক চিন্তার ক্রমবিকাশ

            রর.      জ্ঞান, ভক্তি ও রাজযোগের সমন্বয়

            ররর.  কর্ম ও জ্ঞানের সংযোগ স্থাপন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র     খ রর   গ ররর >র ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

নৃপেন্দ্রনাথ মুখার্জী একজন উদার মনের মানুষ। তিনি তাঁর পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে অষ্টপ্রহর নামযজ্ঞের আয়োজন করেন। সেখানে তাঁর গ্রামের উঁচু-নিচু, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলকে আমন্ত্রণ জানান। তার বাড়িতে সকলে নাম সংকীর্তনে মেতে ওঠেন।

৪.         উদ্দীপকের নৃপেন্দ্রনাথের চরিত্রে তোমার পঠিত কোন মহাপুরুষের আদর্শ ফুটে উঠেছে?

            ক স্বামী স্বরূপানন্দ      খ ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র

            >হরিচাঁদ ঠাকুর           ঘ শ্রী চৈতন্যদেব

৫.        উক্ত মহাপুরুষের মতাদর্শ থেকে উদ্ভব হয়েছে-

            ক ভক্তিবাদ     >মতুয়াবাদ

            গ অযাচক আশ্রয়       ঘ সৎসঙ্গ সংগঠন

   ভূমিকা          [পৃষ্ঠা-৩০]

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬.        বিশ্বে প্রচলিত ধর্মসমূহের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ধর্ম কোনটি?           (জ্ঞান)

            ক বৌদ্ধধর্ম      খ খ্রিষ্টধর্ম

            >হিন্দুধর্ম         ঘ লৌকিক ধর্ম

৭.         হিন্দুধর্মের প্রাচীন নাম কী?     (জ্ঞান)

            ক বেদান্ত ধর্ম  খ লৌকিক ধর্ম

            গ আর্যধর্ম        >সনাতন ধর্ম

৮.        কোন ধর্মের প্রবর্তকরূপে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দেশ করা যায় না?        (জ্ঞান)

            ক বৌদ্ধধর্ম      খ খ্রিষ্টধর্ম

            গ ইসলাম ধর্ম  >হিন্দুধর্ম

৯.        স্বয়ং কে হিন্দুধর্মের মূলে অবস্থান করছেন?   (জ্ঞান)

            ক শ্রীরামচন্দ্র   >ভগবান

            গ কৃষ্ণ ঘ শ্রী গৌরাঙ্গ

১০.       কখন হিন্দুধর্মের সৃষ্টি হয়েছে? (জ্ঞান)

            ক সুপ্রাচীনকালে

            খ সত্য যুগে

            গ রামায়ণের যুগে

            >জগৎ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে

১১.       হিন্দুধর্মের আধুনিকায়নে রাজা রামমোহন রায়ের কেমন অবদান রয়েছে?  (অনুধাবন)

            ক সামান্য        খ উলেস্নখযোগ্য

            >গৌরবময়      ঘ ধর্মতাত্ত্বিক

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১২.      মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে হিন্দুধর্মে লক্ষ করা যায়- (অনুধাবন)

            র. বিকাশ

            রর. উদারতা

            ররর. প্রসার

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

পাঠ-১ : হিন্দুধর্মের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ     [পৃষ্ঠা-৩১ ও ৩২]

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৩.      যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে হিন্দুধর্ম কীভাবে চলেছে?    (জ্ঞান)

            ক সংঘর্ষ বাধিয়ে          >খাপ খাইয়ে

            গ চাপ সহ্য করে         ঘ ধর্মবিশ্বাস বাদ দিয়ে

১৪.       কোন কোন সভ্যতা থেকে হিন্দুধর্মের কিঞ্চিৎ পরিচয় লাভ করা যায়?           (জ্ঞান)

            ক আরব ও মিশরীয়    খ সিন্ধু ও আরব

            গ হরপ্পা ও ভারতীয়      >মহেঞ্জোদাড়ো ও হরপ্পা

১৫.      আর্যরা এদেশের কোন সম্প্রদায়?       (জ্ঞান)

            ক আত্মীয়                    >বহিরাগত

            গ দেশীয়                      ঘ ধর্মীয়

১৬.      আর্যরা তাদের কোন কোন বিষয় সঙ্গে নিয়ে এদেশে এসেছিল?        (অনুধাবন)

            ক সংস্কৃতি ও আর্যসম্পদ         খ সংস্কৃতি ও সভ্যতা

            গ ধর্ম ও সংগীত           >ধর্ম ও সংস্কৃতি

১৭.       এদেশের প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে আর্য সভ্যতার কী ঘটে?        (জ্ঞান)

            ক বন্ধুত্ব                       >সংঘর্ষ

            গ রেষারেষি                 ঘ কলহ

১৮.      কোন সভ্যতার সঙ্গে আর্যসভ্যতার সমন্বয় ঘটে?       (জ্ঞান)

            ক প্রাচীন সভ্যতা         খ রোমান সভ্যতা

            >সিন্ধুসভ্যতা   ঘ ভারতীয় সভ্যতা

১৯.      আর্যগণ কোন নদের তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করতে থাকে?            (জ্ঞান)

            ক নীলনদ        খ ব্রহ্মপুত্র নদ

            >সিন্ধুনদ         ঘ নারদ নদ

২০.      আফগান ও পার্সিক সম্প্রদায় এদেশে কেমন সম্প্রদায় বলে গণ্য হতো?       (অনুধাবন)

            ক দেশীয়         খ যাজক

            >বহিরাগত       ঘ ব্যবসায়ী

২১.      আফগান ও পার্সিক সম্প্রদায় সিন্ধুনদকে কী বলে উচ্চারণ করত?   (জ্ঞান)

            ক সিন্ধিনদ                  খ সিন্ধুনদ

            গ হিন্দিনদ                   >হিন্দুনদ

২২.      ‘হিন্দু’ শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?          (জ্ঞান)

            [সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়]

            ক বিন্দু            খ সিন্দু

            >সিন্ধু               ঘ সিন্ধি

২৩.      বৈদিক ধর্মগ্রন্থসমূহের কয়টি ভাগ রয়েছে?   (জ্ঞান)

            ক দুই               খ তিন

            >চার                ঘ পাঁচ

২৪.      সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক এবং উপনিষদ কোন ধরনের ধর্মগ্রন্থ?      (অনুধাবন)

            ক প্রাচীন         >বৈদিক

            গ আবশ্রিক     ঘ আধুনিক

২৫.     সংহিতা ও ব্রাহ্মণ ভাগ নিয়ে বেদের কোন কাণ্ডটি রচিত?      (জ্ঞান)

            >কর্মকাণ্ড       খ জ্ঞানকাণ্ড

            গ ধর্মকাণ্ড       ঘ যোগকাণ্ড

২৬.     আরণ্যক ও উপনিষদ ভাগ দুটি নিয়ে বেদের কোন কাণ্ডটি রচিত?   (জ্ঞান)

            ক কর্মকাণ্ড     খ ধর্মকাণ্ড

            >জ্ঞানকাণ্ড     ঘ যোগকাণ্ড

২৭.      বেদের কোন অংশে বিভিন্ন দেব-দেবীরস্তব রয়েছে?  (জ্ঞান)

            >সংহিতা          খ ব্রাহ্মণ

            গ আরণ্যক      ঘ উপনিষদ

২৮.     অতীশ বাবু বেদের মন্ত্র উচ্চারণ করে অভীষ্ট লাভের জন্য প্রার্থনা করেন। তিনি কাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রসমূহ উচ্চারণ করেন?      (প্রয়োগ)

            ক ঋষিদের      খ তপস্বীদের

            গ রাজাদের     >দেবগণের

২৯.      বেদ-মন্ত্রগুলো কোন প্রকৃতির?           (জ্ঞান)

            ক সরল           খ জটিল

            >রহস্যময়       ঘ সুখপাঠ্য

৩০.      কোন ধর্মগ্রন্থের মন্ত্রগুলোর তাৎপর্য সাধারণ জ্ঞানে ধরা যায় না?      (জ্ঞান))

            ক শ্রী শ্রী গীতা             খ পুরাণ

            গ উপনিষদ                 >বেদ

৩১.      যাগযজ্ঞের মাধ্যমে আর্যগণ কয়টি বস্তুর প্রতি প্রার্থনা জানাতেন?     (জ্ঞান)

            >দুই                 খ তিন

            গ চার              ঘ পাঁচ

৩২.     আর্যগণ কোন দুটি বস্তুর প্রতি প্রার্থনা জানাতেন?       (জ্ঞান)

            ক ধী ও হী                    খ নী ও শ্রী

            >শ্রী ও ধী                     ঘ শ্রী ও সী

৩৩.     কোন দুটি চিন্তাধারার মধ্য দিয়ে হিন্দুধর্ম চেতনার মূল তত্ত্বটি প্রকটিত হয়েছে?        (অনুধাবন)

            ক ধী ও হী        খ শ্রী ও নী

            >শ্রী ও ধী         ঘ শ্রী ও সী

৩৪.      বৈদিক যুগের ঋষিদের কোন চিন্তাচেতনায় জাগতিক ও পারমার্থিক উভয়বিধ কল্যাণ চিন্তা বিদ্যমান ছিল?    (জ্ঞান)

            ক সাংস্কৃতিক চেতনায় খ সাংসারিক চেতনায়

            গ তপস্যার চেতনায়    >ধর্মীয় চেতনায়

৩৫.     কোন যুগে ঋষিগণ সুখবাদী, জীবনবাদী ছিলেন?       (জ্ঞান)

            ক সত্য যুগে    খ প্রাচীন যুগে

            >বৈদিক যুগে   ঘ দ্বাপর যুগে

৩৬.     কোন যুগের প্রার্থনাসমূহকে ঈশ্বরবাদ বলে অভিহিত করা যায়?       (জ্ঞান)

            ক প্রাচীন যুগের           খ সত্য যুগের

            গ ত্রেতা যুগের >বৈদিক যুগের

৩৭.      মানবজীবনের উদ্দেশ্য কোনটি?        (জ্ঞান)

            ক জ্ঞানলাভ    খ পুণ্যলাভ

            গ ধর্মলাভ        >ঈশ্বর লাভ বা মোক্ষলাভ

৩৮.     বৈদিক যুগে ঋষিগণ মোক্ষলাভের জন্য কোন ধর্ম গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন?             (জ্ঞান)

            ক সংসার ধর্ম  খ সত্যধর্ম

            >সন্ন্যাসধর্ম      ঘ জ্ঞানধর্ম

৩৯.     বৈদিক যুগে ভোগবাদের স্থলে কোন ভাবনার আবির্ভাব ঘটে?           (জ্ঞান)

            ক জ্ঞানবাদ     খ কৈবল্যবাদ

            গ ভক্তিবাদ      >সন্ন্যাসবাদ

৪০.      এ পর্যন্ত কতগুলো উপনিষদের পরিচয় পাওয়া যায়? (জ্ঞান)

            [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]

            ক একশত       খ দুইশত

            >দুইশতের অধিক       ঘ তিনশত

৪১.       কতটি উপনিষদকে প্রধান ও প্রামাণ্য উপনিষদ বলা হয়?      (জ্ঞান)

            ক এগারো        >বারো

            গ তেরো          ঘ চৌদ্দ

৪২.      ‘ব্রহ্মসূত্র’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

            >মহর্ষি বাদরায়ণ বেদব্যাস      খ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

            গ স্বামী বিবেকানন্দ     ঘ স্বামী স্বরূপানন্দ

৪৩.      বেদান্ত দর্শনের আলোকে হিন্দুধর্মের কোন দুটি শাখা প্রকট হয়ে ওঠে?        (অনুধাবন)

            ক কর্মমার্গ ও ভক্তিমার্গ           খ জ্ঞানমার্গ ও ভক্তিমার্গ

            >কর্মমার্গ ও জ্ঞানমার্গ ঘ কর্মমার্গ ও যোগমার্গ

৪৪.      সিন্ধুনদের তীরবর্তী অঞ্চলে কারা বসবাস করত?       (জ্ঞান)

            [অগ্রগামী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]

            ক বৌদ্ধরা       খ শিখরা

            গ ওলন্দাজরা   >আর্যরা

৪৫.      আর্যগণ দেবগণের উদ্দেশে যাগযজ্ঞ করত কেন?     (অনুধাবন)

            ক স্থায়িত্ব লাভ করার জন্য      খ মানুষের মঙ্গলের জন্য

            >অভীষ্ট লাভের জন্য  ঘ ধর্মগুরুদের সন্তুষ্ট করতে

৪৬.     বৈদিক যুগে ধর্মানুষ্ঠানের রূপ কী ছিল?          (জ্ঞান)

            [অগ্রগামী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]

            ক নিষ্কাম কর্ম খ ভক্তিশ্রদ্ধা

            >যজ্ঞক্রিয়া      ঘ সন্ন্যাস ধর্ম

৪৭.      আর্যগণ কাদের উদ্দেশে যাগযজ্ঞ করত?       (অনুধাবন)

            [অগ্রগামী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট; বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ]

            ক ঈশ্বরের       খ ধর্মগুরুদের

            >দেবগণের      ঘ প্রকৃতির

৪৮.      কারা যাগযজ্ঞের অনুশীলন করে দুটি বস্তুর প্রতি প্রার্থনা জানাতেন? (জ্ঞান)

            [বস্নু-বার্ড উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীমঙ্গল]

            ক শিখরা         >আর্যরা

            গ আফগানরা  ঘ পারসিকরা

৪৯.      হিন্দুধর্মের আদি ধর্মগ্রন্থের নাম কী?   (জ্ঞান)

            [সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ; মতিঝিল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ; সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়]

            ক শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা     >বেদ

            গ রামায়ণ        ঘ শ্রীচণ্ডী

৫০.      হিন্দুধর্মকে নবীন বলা হয় কেন?        (অনুধাবন)

            ক সনাতন ঐতিহ্য বজায় রেখেছে বলে

            >যুগের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলছে বলে

            গ নতুন নতুন ধর্মমত উদ্ভাবন করছে বলে

            ঘ নতুন প্রজš§কে নীতি শিক্ষা দেয় বলে

৫১.      নকুল বাবুর জীবনে মোক্ষলাভই একমাত্র উদ্দেশ্য। তার এ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বৈদিক যুগের মুনি ঋষিগণ কী নির্দেশ দিয়েছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অর্জনের মাধ্যমে মোক্ষলাভ

            খ নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে মোক্ষলাভ

            >কাম্যকর্ম পরিত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ

            ঘ বৈরাগ্য জীবন যাপনে মোক্ষলাভ

৫২.     সাবিত্রী রায় জগতের শাšিত্ম কামনার জন্য পরম শক্তিমান ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন। তাঁর এই প্রার্থনাকে কী বলা হয়?            (প্রয়োগ)

            ক ঈশ্বরবাদ     খ অবতারবাদ

            >পৌরাণিকবাদ           ঘ বৈদিকবাদ

৫৩.     কখন থেকে হিন্দুধর্মের বিকাশ শুরু হয়?       (অনুধাবন)

            ক পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে

            >মানবমনে ধর্মবোধ জেগে ওঠার পর থেকে

            গ যখন মানুষ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল

            ঘ আর্য সভ্যতা স্থায়িত্ব লাভ করার সময়

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৫৪.      প্রচলিত ধর্মসমূহের মধ্যে হিন্দুধর্ম একাধারে- (অনুধাবন)

            র. প্রাচীন

            রর. জনপ্রিয়

            ররর. নবীন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৫৫.     হিন্দুধর্ম একটি প্রাচীন ধর্ম। কারণ এটি-          (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. প্রাচীনতাকে ধারণ করেছে

            রর. জগৎ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে

            ররর. সনাতন ঐতিহ্য বজায় রেখেছে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            >রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৫৬.     ধর্মবিশ্বাসের মিলিত রূপ কালক্রমে আর্যধর্ম নামে প্রাধান্য লাভ করে-          (অনুধাবন)

            র. প্রাচীন

            রর. হিন্দু

            ররর. আর্য

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৫৭.      হিন্দুধর্মের ক্রমবিকাশকে যে যেস্তরে বিন্যস্ত করা যায়-         (অনুধাবন)

            র. বৈদিক যুগ

            রর. পৌরাণিক যুগ

            ররর. আধুনিক যুগ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৫৮.     বেদের মন্ত্র উচ্চারিত হতো-    (অনুধাবন)

            র. যাগযজ্ঞের সময়

            রর. তপস্যার সময়

            ররর. অভীষ্ট লাভের প্রার্থনায়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৫৯.     সনাতন ধর্মের মূল ভিত্তি হচ্ছে-          (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. জাগতিক কল্যাণ

            রর. পারমার্থিক মঙ্গল

            ররর. অন্তর্গত জ্ঞান

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৬০.     বৈদিকযুগে যে ধরনের চিন্তার পর্যায়ে এসে ঋষিগণ সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণের কথা উপলব্ধি করেন-            (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. জ্ঞান প্রধান

            রর. উপনিষদ

            ররর. দার্শনিক

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৬১.      ‘ব্রহ্মসূত্র’ রচনার উদ্দেশ্য ছিল-           (অনুধাবন)

            র. বেদের সমন্বয় সাধন

            রর. ব্রহ্মলাভের পথ সুগম করা

            ররর. সুনাম অর্জন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৬২.     শ্রী হচ্ছে-         (অনুধাবন)

            র.  ঐশ্বর্য

            রর. বল

            ররর. প্রজ্ঞা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৬৩.     ধী হচ্ছে-          (অনুধাবন)

            র.  যশ

            রর. প্রজ্ঞা

            ররর. জ্ঞান

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            >রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৬৪.     হিন্দুধর্মের মৌলিক ধারণস্তম্ভ হচ্ছে-   (অনুধাবন)

            র. মানবজীবনে ব্যবহারিক সমৃদ্ধি

            রর. আধ্যাত্মিক জীবনে পরম কল্যাণ লাভ

            ররর. দেবদেবীর উপাসনা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর     

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৫ ও ৬৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

রাধাচরণ সরকার ভোরবেলা স্নান সেরে একমনে একটি ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেন। যদিও এই গ্রন্থের মন্ত্রগুলোর অর্থ পুরোপুরি বোধগম্য হয় না। তবু তিনি ভক্তিভরে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে ঈশ্বরের নিকট পার্থিব উন্নতির পাশাপাশি আত্মিক উন্নতির জন্য প্রার্থনা করেন।

৬৫.     রাধাচরণ সরকার প্রত্যহ ভোরে কোন ধর্মগ্রন্থটি পাঠ করেন?            (প্রয়োগ)

            ক উপনিষদ    >বেদ

            গ গীতা ঘ রামায়ণ

৬৬.     রাধাচরণ সরকারের প্রার্থনার সঙ্গে আর্যদের প্রার্থনার বিষয়গত যে সাদৃশ্য রয়েছে-   (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. শ্রী অর্থাৎ ধন, যশ এসব কামনা

            রর. কোনো কামনা-বাসনা না থাকা

            ররর. ধী অর্থাৎ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার কামনা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৭ ও ৬৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

বৈদিক যুগের ঋষিগণের উপলব্ধি অনুযায়ী মোক্ষলাভই জীবনের উদ্দেশ্য। সুশীল বাবু বৈদিক যুগের ধর্মানুষ্ঠানের মতো ধর্মচর্চা করে অভীষ্ট লাভের চেষ্টা করছেন।

৬৭.     সুশীল বাবু কীভাবে ধর্মীয় আচার পালন করছেন?     (প্রয়োগ)

            ক পূজা-অর্চনা করে   >যাগযজ্ঞ করে

            গ ধ্যান করে    ঘ সন্ন্যাসীর সেবা করে

৬৮.     মোক্ষলাভের জন্য উক্ত যুগের ঋষিগণ কী নির্দেশ দিয়েছেন?           (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক বৈরাগ্যময় জীবনযাপন     

            >কাম্যকর্ম পরিত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ

            গ নিষ্কাম কর্মে মোক্ষলাভ     

            ঘ জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে মোক্ষলাভ

পাঠ-২ : স্মৃতিশাস্ত্র বা ধর্মশাস্ত্র         [পৃষ্ঠা-৩২]

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬৯.     বৈদিক শিক্ষার কর্ম ও জ্ঞানের সংযোগে কোন শাস্ত্রটি স্থাপিত হয়?   (জ্ঞান)

            ক প্রাচীনশাস্ত্র  খ সংহিতাশাস্ত্র

            >স্মৃতিশাস্ত্র       ঘ ধর্মশাস্ত্র

৭০.      মোক্ষলাভের জন্য কী কী প্রয়োজন?  (জ্ঞান)

            ক কর্ম ও ধর্ম   খ কর্ম ও যোগ

            গ ধর্ম ও জ্ঞান  >কর্ম ও জ্ঞান

৭১.       হিন্দুদের জীবনচর্চার আশ্রমবিভাগে কত বছর ব্রহ্মচর্যচর্চার কথা আছে?      (জ্ঞান)

            ক পনেরো       >পঁচিশ

            গ পঁয়ত্রিশ       ঘ পঁয়তালিস্নশ

৭২.      ব্রহ্মচর্য পালনের সময় কী কী শিক্ষা আবশ্যক?          (জ্ঞান)

            ক বিদ্যা ও জ্ঞান          >বিদ্যা ও সংযম

            গ জ্ঞান ও সংযম         ঘ বিদ্যা ও শক্তি

৭৩.      জীবনে গার্হস্থ্য আশ্রমের শিক্ষা কোন বয়সে নিতে হয়?         (অনুধাবন)

            ক ষোলো থেকে ছাব্বিশ বছর                         খ ছাব্বিশ থেকে ছত্রিশ বছর

            >ছাব্বিশ থেকে পঞ্চাশ বছর                           ঘ ছাব্বিশ থেকে ষাট বছর

৭৪.      গার্হস্থ্য আশ্রমের শিক্ষায় অর্থ, কাম ও সেবা কিসের সঙ্গে সংযুক্ত?   (জ্ঞান)

            >ধর্মের খ জ্ঞানের

            গ কর্মের          ঘ সৌহার্দ্যরে

৭৫.      গার্হস্থ্য আশ্রমের পরেরস্তর কোনটি? (জ্ঞান)

            ক ব্রহ্মচর্য        খ সন্ন্যাস

            >বানপ্রস্থ         ঘ ভক্তি

৭৬.     বানপ্রস্থ আশ্রমে কোন বৃত্তি অবলম্বন করতে হয়?     (জ্ঞান)

            ক ভিক্ষাবৃত্তি    খ সন্ন্যাসবৃত্তি

            গ সাধনাবৃত্তি    >মুনিবৃত্তি

৭৭.      সন্ন্যাস আশ্রমে কী ত্যাগ করতে হয়? (জ্ঞান)

            ক ধর্ম  >কর্ম

            গ সাধনা          ঘ জ্ঞান

৭৮.      হিন্দুদের জীবনচর্চার প্রথম দুই আশ্রমে কিসের পরিচয় মেলে?        (জ্ঞান)

            ক ভক্তিযোগ   খ ধর্মযোগ

            গ জ্ঞানযোগ    >কর্মযোগ

৭৯.      হিন্দুদের জীবনচর্চার শেষ দুই আশ্রমে কোনটির পরিচয় পাওয়া যায়?          (জ্ঞান)

            ক ভক্তিযোগ   খ ধর্মযোগ

            >জ্ঞানযোগ      ঘ কর্মযোগ

৮০.      কোন শাস্ত্রে হিন্দুসমাজ পরিচালনার বিধিবিধান রয়েছে?       (জ্ঞান)

            ক ন্যায়শাস্ত্রে   খ ভক্তিশাস্ত্রে

            গ ধর্মশাস্ত্রে      >স্মৃতিশাস্ত্রে

৮১.      পৌরাণিক যুগে হিন্দুধর্মের চিন্তার জগতে কিসের প্রাধান্য লক্ষণীয়?  (জ্ঞান)

            ক কর্মের         >ভক্তির

            গ স্মৃতির          ঘ জ্ঞানের

৮২.     ভক্তিভাবটি বেদ ও উপনিষদে কীভাবে ছিল? (জ্ঞান)

            ক অনুমিত      >অনুস্মৃত

            গ উলিস্নখিত   ঘ অনুমোদিত

৮৩.     পৌরাণিক যুগে ভক্তিকে অবলম্বন করে কোন তত্ত্বে উপনীত হওয়ার প্রচেষ্টা চলে?  (অনুধাবন)

            ক ধর্মতত্ত্বে      খ ভক্তিতত্ত্বে

            >পরমতত্ত্বে     ঘ জ্ঞানতত্ত্বে

৮৪.      কোন যুগে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং একাধিক দেবতার প্রকাশ লক্ষণীয়? (জ্ঞান)

            ক সত্য খ বৈদিক

            গ কলি >পৌরাণিক

৮৫.     কোনটি বৈষ্ণবধর্ম মতের মতোই আরেকটি প্রভাবশালী ধর্মমত? (জ্ঞান)

            ক শক্তি ধর্মমত           খ পুরাণ ধর্মমত

            গ ভক্তি ধর্মমত            >শৈব ধর্মমত

৮৬.     শৈব ধর্মমতে কে সমস্ত আগমশাস্ত্রের প্রবক্তা?           (জ্ঞান)

            ক বিষ্ণু >শিব

            গ নারায়ণ        ঘ ব্রহ্মা

৮৭.      বিশ্বচরাচরে সর্বত্র কিসের প্রকাশ লক্ষণীয়?    (অনুধাবন)

            ক আলোর       খ বাতাসের

            >শক্তির           ঘ প্রলয়ের

৮৮.     ব্রহ্ম বস্তুকে সগুণ ও সক্রিয় ভাবলে কিসের চিন্তা আসে?      (অনুধাবন)

            ক প্রলয়ের       >শক্তির

            গ বাতাসের      ঘ আলোর

৮৯.     কিসের দ্বারা শক্তির প্রকাশ ঘটে?        (অনুধাবন)

            ক ভক্তির         খ পেশির

            গ শ্রমের          >ক্রিয়ার

৯০.      দাহিকা শক্তি ছাড়া কী কল্পনা অসম্ভব?          (জ্ঞান)

            ক ক্ষমতার      খ তাপের

            >অগ্নির            ঘ সাপের

৯১.      কী ব্যতীত শক্তিমানের কর্মক্ষমতা থাকে না?

            ক অগ্নি            খ স্বাস্থ্য

            গ ধর্ম   >শক্তি

৯২.      ‘একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদšিত্ম’-এটি মূলত কিসের প্রকাশক?           (অনুধাবন)

            ক ঈশ্বরতত্ত্বের >মূলতত্ত্বের

            গ ভক্তিতত্ত্বের  ঘ ধর্মতত্ত্বের

৯৩.     শ্রীমদ্ভাগবত কোন ধরনের পুরাণ?     (জ্ঞান)

            ক প্রাচীন পুরাণ           খ অনুকরণীয় পুরাণ

            >বৈষ্ণব পুরাণ ঘ মূল পুরাণ

৯৪.      দেবী ভাগবত কোন ধরনের পুরাণ?    (জ্ঞান)

            ক প্রাচীন         খ মধ্যম

            >শাক্ত  ঘ বৈষ্ণব

৯৫.     শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় কোন পথে ঈশ্বর আরাধনার আহ্বান আছে?         (জ্ঞান)

            ক ধর্ম  খ শক্তি

            >ভক্তি ঘ জ্ঞান

৯৬.     গীতা ধর্মগ্রন্থটি কিসে সমৃদ্ধ?  (অনুধাবন)

            ক জ্ঞানবাদে    খ কর্মযোগে

            >ভক্তিবাদে      ঘ শক্তিবাদে

৯৭.      ভক্তির কোন ধারাটি শ্রীমদ্ভগবতে আরও সমুজ্জ্বল হয়ে উঠেছে?     (অনুধাবন)

            ক কর্মভক্তির ধারা       খ ন্যায়ভক্তির ধারা

            >ভগবদ্ভক্তির ধারা       ঘ উপদেশের ধারা

৯৮.     অধীর বাবু বিষ্ণু বা শ্রীকৃষ্ণকে ভগবান হিসেবে পূজা করেন। তিনি কী হিসেবে পরিচিত হবেন?            (প্রয়োগ)

            ক ব্র‏হ্মচারী      খ শক্ত

            গ  শৈব >বৈষ্ণব

৯৯.      অপর্ণা দেবী প্রতি বছর উপবাস থেকে শিবের মাথায় জল ঢেলে স্বামীর মঙ্গল কামনা করেন। তাকে কী বলা হয়?          (প্রয়োগ)

            ক বৈষ্ণব         খ শাক্ত

            গ ব্র‏হ্মচারী       >শৈব

১০০.    সাধনার প্রথম মার্গ কোনটি?   (জ্ঞান)

            [আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার]

            ক জ্ঞানযোগ   খ হঠযোগ

            >কর্মযোগ       ঘ ভক্তিযোগ

১০১.     কামনাযুক্ত কর্মকে কী বলা হয়?         (জ্ঞান)

            [আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার]

            ক নিষ্কাম কর্ম >সকাম কর্ম

            গ স্বরূপ কর্ম    ঘ কর্মান্ত কর্ম

১০২.    হিন্দু বৈষ্ণব ধর্মমত অনুযায়ী কোন অবতারকে ভগবান হিসেবে পূজা করেন?         (উচ্চতর দক্ষতা)

            >বিষ্ণু  খ ব্রহ্মা

            গ নারায়ণ        ঘ শিব

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১০৩.    ‘ভক্তি’ বিষয়টি পৌরাণিক যুগে এসে-  (অনুধাবন)

            র. বিশেষ বৈশিষ্ট্য লাভ করে

            রর. বি¯ত্মার লাভ করে

            ররর. প্রাধান্য লাভ করে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১০৪.    বিভিন্ন পুরাণ ও উপপুরাণ প্রণীত হয়- (অনুধাবন)

            র. অবতার পুরুষদের আবির্ভাবে

            রর. অবতারের মাহাত্ম্য কীর্তনে

            ররর. ঋষিদের জ্ঞানচর্চায়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১০৫.   অগ্নি ও তার দহন ক্ষমতা পরস্পর-     (অনুধাবন)

            র. এক

            রর. বিপরীত

            ররর. অভিন্ন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১০৬.   শক্তি পরম আরাধ্য বস্তু হয়ে ওঠার কারণ-      (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. বিশ্বে সর্বত্র শক্তির প্রকাশ রয়েছে

            রর. শক্তি ও শক্তিমান অভিন্ন

            ররর. শক্তি ব্যতীত শক্তিমান অক্ষম

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১০৭.    বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত ধর্মমতের সবগুলোতেই যে যে বিষয়ের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করা হয়েছে-       (অনুধাবন)

            র. সগুণ ঈশ্বর

            রর. জগতের সত্যতা

            ররর. ভক্তিমার্গের শ্রেষ্ঠত্ব

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১০৮.    যে যে গ্রন্থে ভাগবত ধর্মের প্রাধান্য বিদ্যমান- (অনুধাবন)

            র. শ্রীমদ্ভগবত

            রর রামায়ণ

            ররর. দেবী ভাগবত

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১০৯.    শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় রয়েছে-      (অনুধাবন)

            র. ভক্তিপথে ঈশ্বর আরাধনার আহ্বান

            রর. কর্ম, জ্ঞান, ভক্তি ও রাজযোগের সমন্বয়

            ররর. হিন্দুধর্মের সমন্বয় চেতনা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১১০.     গীতায় ভগবানের যেসব আহ্বানে ভগবদভক্তির উপদেশ লাভ করা যায়-       (অনুধাবন)

            র. সর্বদা আমাকে স্মরণ কর

            রর. আমাতে মনোনিবেশ কর

            ররর. গীতা পাঠ কর

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১১১.     আশীষ বাবু এ বিশ্ব চরাচরে নানা শক্তিকে একমনে পূজা করেন-      (প্রয়োগ)

            র.  শক্তির প্রকাশ ক্রিয়াতে

            রর. শক্তির প্রকাশ কল্পনাতে

            ররর. শক্তির প্রকাশ জ্ঞানেতে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র       খ রর

            গ র ও ররর      ঘ রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর     

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১২ ও ১১৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

পৌরাণিক যুগে ভগবান বিষ্ণু যখন অবতাররূপে পৃথিবীতে আসেন, ভক্তরা তার মহিমাকীর্তনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি ওই সময়ে আবির্ভূত হওয়া দেবদেবীর অবস্থান নিয়ে ভক্তদের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সৃষ্টি হয়, উদ্ভব ঘটে নানাবিধ মতবাদের।

১১২.    ভগবান বিষ্ণুর উপসনাকারীদের কী বলা হয়?            (প্রয়োগ)

            ক শক্তি            খ শৈব

            >বৈষ্ণব           ঘ ব্রহ্মবাদী

১১৩.    উক্তযুগে হিন্দুধর্মে প্রাধান্য কী লক্ষ করা যায়?            (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক একেশ্বরবাদের        খ কর্মবাদের

            >ভক্তিমার্গের   ঘ জ্ঞানমার্গের

পাঠ-৩ : আধুনিক ধর্ম সংস্কারের যুগ         [পৃষ্ঠা-৩৪]

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১১৪.     ‘যুক্তিহীনবিচারেণ ধর্মহানির প্রজায়তে’ এটি কোথায় আছে?  (জ্ঞান)

            ক লোকমুখে   খ বিজ্ঞানে

            >শাস্ত্রে ঘ বিশ্বাসে

১১৫.    রাজা রামমোহন রায় কী ধরনের সংস্কারক ছিলেন?   (অনুধাবন)

            ক বুদ্ধিবাদী      খ শাস্ত্রবাদী

            >যুক্তিবাদী       ঘ সংকীর্ণবাদী

১১৬.    ব্রহ্মের উপাসনার তত্ত্বকে কে উপস্থাপন করেন?       (জ্ঞান)

            ক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর          খ মা আনন্দময়ী

            গ স্বামী বিবেকানন্দ     >রাজা রামমোহন রায়

১১৭.     সাকাররূপে মাতৃসাধনা করেন কে?    (জ্ঞান)

            ক স্বামী বিবেকানন্দ    >শ্রীরামকৃষ্ণ

            গ লোকনাথ ব্রহ্মচারী  ঘ শ্রীচৈতন্য

১১৮.    ‘যত মত, তত পথ’; ‘যত্র জীব, তত্র শিব’ এগুলো কার বাণী? (জ্ঞান)

            ক স্বামী বিবেকানন্দ    খ শ্রীচৈতন্য

            গ ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র >শ্রীরামকৃষ্ণ

১১৯.    রামকৃষ্ণ মঠ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?            (জ্ঞান)

            ক ১৮৭৮         >১৮৮৬

            গ ১৮৮৮         ঘ ১৮৯৬

১২০.    ১৮৯৭ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কী স্থাপন করেন?       (জ্ঞান)

            ক বেলুড় মঠ   খ সেবাকেন্দ্র

            >রামকৃষ্ণ মিশন         ঘ আনন্দাশ্রম

১২১.    ‘বিবাদ নয়, সহায়তা; বিনাশ নয়, পরস্পরের ভাব গ্রহণ; মতবিরোধ নয়, সমন্বয় ও শাšিত্ম’- এটি কার বাণী ও আদর্শ? (জ্ঞান)

            ক শ্রী রামকৃষ্ণ খ ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র

            গ লোকনাথ ব্রহ্মচারী  >স্বামী বিবেকানন্দ

১২২.    শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে আবির্ভূত হন?      (জ্ঞান)

            ক ১৮১০          >১৮১২

            গ ১৮১৪           ঘ ১৮১৬

১২৩.    কে সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষকে হরিনামে মেতে ওঠার আহ্বান জানান?          (জ্ঞান)

            ক ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র  খ লোকনাথ ব্রহ্মচারী

            গ স্বরূপানন্দ ব্রহ্মচারী >হরিচাঁদ ঠাকুর

১২৪.    হরিচাঁদ ঠাকুরের ধর্মনীতি থেকে কোন ধর্মের উদ্ভব?             (জ্ঞান)

            ক ব্রাহ্মধর্ম       খ অহিংস ধর্ম

            >মতুয়া ধর্ম      ঘ লোকধর্ম

১২৫.   শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কী ধরনের আন্দোলন শুরু করেন?         (অনুধাবন)

            ক ধর্মরক্ষার    >প্রেমভক্তির

            গ প্রেমভাবের ঘ সম্প্রদায়গত

১২৬.   চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেমভক্তি অনুসরণ করে বাঙালি হিন্দুধর্ম চেতনার জগতে কার আবির্ভাব ঘটে?             (জ্ঞান)

            ক স্বামী বিবেকানন্দ    খ স্বামী স্বরূপানন্দ

            >প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দর    ঘ প্রভু রামসুন্দর

১২৭.    প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের পরম ভক্ত মহেন্দ্রজী কোন সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন? (জ্ঞান)

            ক রায়গোবিন্দ খ মহাপ্রভু

            গ ভক্ত >মহানাম

১২৮.   মহানাম সম্প্রদায়ের গৌরবোজ্জল নক্ষত্র কে?          (জ্ঞান)

            ক ড. পরমেশ্বর ব্রহ্মচারী        >ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী

            গ ড. শ্যামাপ্রসাদ ব্রহ্মচারী      ঘ ড. কৃপাচার্য ব্রহ্মচারী

১২৯.    কত সালে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়?         (জ্ঞান)

            [এসএসসি সকল বোর্ড ’১৫]

            ক ১৯৫৬         >১৯৬৬

            গ ১৯৭৬          ঘ ১৯৮৬

১৩০.    আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ কে প্রতিষ্ঠা করেন?           (জ্ঞান)

            ক শ্রী চৈতন্য   খ ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী

            গ রাজা রামমোহন রায়           >শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ

১৩১.    কোন শহরে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়?           (জ্ঞান)

            >নিউইয়র্ক       খ লন্ডন

            গ দিলিস্ন          ঘ ঢাকা

১৩২.   শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ কোন ধর্মের পরিপোষক?    (জ্ঞান)

            ক ন্যায় ধর্মের খ ভক্তি ধর্মের

            >বৈষ্ণব ধর্মের ঘ বৈদিক ধর্মের

১৩৩.   বর্তমান সময়ে ‘হরে কৃষ্ণ’ মহামন্ত্র কার দ্বারা বিশেষভাবে অনুশীলিত হয়েছে?         (জ্ঞান)

            ক শ্রী চৈতন্য   খ ড. মহানাম ব্রহ্মচারী

            গ ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র >শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ

১৩৪.    ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র কত সালে আবির্ভূত হন?             (জ্ঞান)

            [বস্নু-বার্ড উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]

            ক ১৮১৫          খ ১৮১৭

            >১৮৮৮           ঘ ১৮৯০

১৩৫.   ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র কোন ধর্মীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন?       (জ্ঞান)

            ক ইস্কন           খ মহানাম সম্প্রদায়

            >সৎসঙ্গ          ঘ সেবাসংঘ

১৩৬.   সৎসঙ্গের মূলনীতি কয়টি?     (জ্ঞান) [পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

            ক ৪     >৫

            গ ৬     ঘ ৭

১৩৭.    অখণ্ডমণ্ডলীদের প্রতিষ্ঠিত আশ্রমের নাম কী?          (জ্ঞান)

            ক যাচক আশ্রম          >অযাচক আশ্রম

            গ সুরক্ষা আশ্রম          ঘ পরম আশ্রম

১৩৮.   অযাচক আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতার নাম কী?         (জ্ঞান)

            ক শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু  খ ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র

            গ স্বামী বিবেকানন্দ     >স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংস

১৩৯.   স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংস কত খ্রিষ্টাব্দে আবির্ভূত হন?         (জ্ঞান)

            ক ১৮৮৩         খ ১৮৮৬

            >১৮৯৩           ঘ ১৮৯৬

১৪০.    স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসের আদর্শ অনুসরণে চরিত্র গঠন আন্দোলন কবে শুরু হয়?       (জ্ঞান)

            ক ১৯১৩ সালের ১ জানুয়ারি   খ ১৯১৩ সালের ১ জুন

            >১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি      ঘ ১৯১৪ সালের ১ জুন

১৪১.     স্বামী প্রণবানন্দের কোন আদর্শটি হিন্দুসমাজের কল্যাণ করেছে? (জ্ঞান)

            ক ব্রহ্মাদর্শ       খ আনন্দাদর্শ

            >সেবাদর্শ        ঘ ঈশ্বরাদর্শ

১৪২.    স্বামী প্রণবানন্দ কত সালে দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগণের সেবা করেন?    (জ্ঞান)

            ক ১৯১২          >১৯২১

            গ ১৯৩২          ঘ ১৯৪১

১৪৩.    ভারত সেবাশ্রম কে প্রতিষ্ঠা করেন?    (জ্ঞান)

            ক স্বামী স্বরূপানন্দ      খ স্বামী বিবেকানন্দ

            গ স্বামী অক্ষরানন্দ      >স্বামী প্রণবানন্দ

১৪৪.    জনগণের সেবায় কে নারায়ণগঞ্জের বারদীতে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন?          (জ্ঞান)

            ক ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র >বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী

            গ স্বামী স্বরূপানন্দ       ঘ স্বামী প্রণবানন্দ

১৪৫.    বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী সমাজে কেমন ভূমিকা রেখেছেন? (অনুধাবন)

            ক ধর্মতাত্ত্বিক ভূমিকা  খ গুরুর ভূমিকা

            >লোকশিক্ষকের ভূমিকা        ঘ নীতিশিক্ষকের ভূমিকা

১৪৬.   নিজ ধর্মে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যচেতনা উপলব্ধি করে হিন্দুধর্মাবলম্বীগণ কেমন বোধ করেন?             (অনুধাবন)

            ক আনন্দবোধ খ শাšিত্মবোধ

            গ স্ব¯িত্মবোধ >গৌরববোধ

১৪৭.    রামকৃষ্ণ মিশনের সাথে কোন আন্দোলনের নাম জড়িত?     (অনুধাবন)

            [লড়্গীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

            >বেদান্ত           খ প্রেমভক্তি

            গ বৈষ্ণব          ঘ হরিণাম জপ

১৪৮.    কত শতকে হিন্দুধর্মে এক বিশেষ চিন্তাচেতনার বিকাশ লক্ষ করা যায়?        (জ্ঞান)

            [আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]

            ক সপ্তাদশ       খ অষ্টাদশ

            >ঊনবিংশ        ঘ বিংশ

১৪৯.    ওঝকঈঙঘ-এর দ্বারা সম্পূর্ণরূপে কী বোঝায়?           (জ্ঞান)

            [সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]

            ক আন্তর্জাতিক চরিতামৃত সংঘ          >আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ

            গ আন্তর্জাতিক রামকৃষ্ণ আশ্রম         ঘ আন্তর্জাতিক ‘সৎসঙ্গ’ সংগঠন

১৫০.    মতুয়া ধর্মের মূলমন্ত্র কী?        (জ্ঞান)  [সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]

            ক দেব-দেবী উপাসনা >হরিনামে মেতে থাকা

            গ প্রকৃতির সেবা করা  ঘ জীব উদ্ধার করা

১৫১.    মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক কে?       (জ্ঞান)   [বস্নু-বার্ড উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]

            ক শ্রী অনুকুল চন্দ্র      >শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর

            গ স্বামী বিবেকানন্দ     ঘ রাজা রামমোহন রায়

১৫২.   স্বামী প্রণবানন্দ প্রতিষ্ঠিত সেবাশ্রমের নাম কী?          (জ্ঞান)

            [বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]

            ক সৎসঙ্গ        খ আত্মীয়সভা

            >ভারত সেবাশ্রম        ঘ অযাচক আশ্রম

১৫৩.   ‘সৎসঙ্গ’ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কে?      (জ্ঞান)

            [বস্নু-বার্ড উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীমঙ্গল]

            ক স্বামী প্রভুপাদ          খ স্বামী বিবেকানন্দ

            >অনুকূলচন্দ্র  ঘ শ্রী চৈতন্য

১৫৪.    সুভাষ বাবু পরিবারের সবাইকে ডেকে বললেন তোমরা সবাই হরিনাম কর এনামই তোমাদের কল্যাণ হবে। তার আদর্শে কোন ধর্মের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে?           (উচ্চতর দক্ষতা)

            >মতুয়া খ বেদান্ত

            গ বৈষ্ণব          ঘ প্রেমভক্তি

১৫৫.   অলোক চৌধুরী অন্যের ভালোবাসার জন্য এবং কল্যাণ ভাবনায় নিজের জীবনকে পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। তার এ ভাবনার সাথে কোন ধর্মীয় সংস্কারকের সাদৃশ্য রয়েছে?         (প্রয়োগ)

            ক স্বামী প্রভুপাদের      >স্বামী স্বরূপানন্দের

            গ ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের          ঘ স্বামী প্রণবানন্দের

১৫৬.   সুদেব বাবু ঈশ্বরকে লাভ করার জন্যে প্রেমপূর্ণ ভক্তির প্রতি গুরুত্ব দেন এবং তার এ মত প্রচারের জন্য একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। তার এ কাজের সাথে কোন কাজটির সাদৃশ্য রয়েছে?           (প্রয়োগ)

            ক ব্রা‏হ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার           খ সৎসঙ্গ গঠনের

            >কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ গঠনের ঘ অযাচক আশ্রম প্রতিষ্ঠার

১৫৭.    একেশ্বরবাদের প্রতি আহ্বান জানাতে শরৎমণ্ডল একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। তার এ কাজের সঙ্গে কোন কাজটির সাদৃশ্য রয়েছে?          (প্রয়োগ)

            ক আত্মীয় সভা গঠন  >ব্রা‏হ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা

            গ সৎসঙ্গ স্থাপন          ঘ অযাচক আশ্রম নির্মাণ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৫৮.   ঊনবিংশ শতকে হিন্দুধর্মে যে ধরনের চিন্তাচেতনার বিকাশ লক্ষণীয়-           (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. বিজ্ঞানমনস্ক যুক্তিনির্ভরতা

            রর. সংস্কারবাদী ভাবনা

            ররর. শাস্ত্রসম্মত পরিশুদ্ধি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১৫৯.   রাজা রামমোহন রায়ের ‘ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য-        (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠা

            রর. হিন্দুধর্মের যুক্তিপূর্ণ সংস্কার

            ররর. একেশ্বরবাদের প্রতিষ্ঠা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১৬০.   শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেমভক্তির আন্দোলনের মূল কথা হলো-         (অনুধাবন)

            র.  প্রেমপূর্ণ ভক্তি দিয়েই ভগবান লাভ সম্ভব

            রর. ভক্তি ছাড়া প্রেমের সাধনা অসম্ভব

            ররর. ধর্মআচরণে সকলের সমান অধিকার রয়েছে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১৬১.    ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র ধর্মসাধনার ড়্গেেত্র ‘সৎসঙ্গ’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। এ সংঘের সদস্যদের আদর্শ হলো-          (উচ্চতর দক্ষতা)

            র.  প্রেমভক্তির অনুশীলন করে ভগবানকে লাভ করা

            রর. এক ঈশ্বরের আরাধনা করে অভীষ্ট লাভ করা

            ররর. ধর্ম ও বিজ্ঞানকে একত্র করে জীবন গঠন করা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র     খ রর

            >ররর  ঘ রর ও ররর

১৬২.   ‘অযাচক’ আশ্রমের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো-      (উচ্চতর দক্ষতা)

            র.  অন্যের কাছ থেকে অর্থ যাঞ্ছা না করা

            রর. প্রেমপূর্ণ ভক্তি দিয়ে ঈশ্বর আরাধনা করা

            ররর. আত্মনির্ভরশীল হয়ে জগতের কল্যাণ করা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১৬৩.   স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসের জীবনাদর্শ থেকে আমরা শিক্ষা পাই-   (উচ্চতর দক্ষতা)

            র.  সকলকে সমভাবে ভালোবাসার

            রর. জগতের কল্যাণে কাজ করার

            ররর. ধর্ম ও বিজ্ঞানের সমন্বয়ে জীবন গঠন করার

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১৬৪.   বাবা লোকনাথের নৈতিক আদর্শের মূলমন্ত্র ছিল-       (অনুধাবন)

            র.  সততা

            রর. সেবা

            ররর. সংযম

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১৬৫.   সৎসঙ্ঘের মূলনীতি হচ্ছে-     (অনুধাবন)

            র.  যজন

            রর. সদাচার

            ররর. প্রেমভক্তি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর     

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৬ ও ১৬৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

নন্দীগ্রামের কিছু তরুণ একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে, যা তাদের চরিত্র গঠনের পাশাপাশি সামাজিক কল্যাণেও ভূমিকা রাখছে। এ সংগঠনটি সকলের কল্যাণ কামনায় সমাজসংস্কারমূলক নানাবিধ কাজ করছে। নিজেদের অর্থ দিয়েই তারা সংগঠনটি পরিচালনা করছে।

১৬৬.   অনুচ্ছেদে বর্ণিত সংগঠনটি নিচের কোন সংগঠনের সঙ্গে মিলে যায়?         (প্রয়োগ)

            ক ভারত আশ্রম          খ সৎসঙ্গ

            গ ব্রাহ্মসমাজ  >অযাচক আশ্রম

১৬৭.   উক্ত সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য কী?     (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক হিন্দুধর্মের বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্যের সন্ধান করা

            >স্বাবলম্বী হয়ে সমাজের কল্যাণ সাধন করা

            গ ধর্ম ও বিজ্ঞানের দ্বারা জীবন চালনা করা

            ঘ প্রেমভক্তির মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা করা

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

মানিক দে একজন উদার মানসিকতার অধিকারী সজ্জন ব্যক্তি। তিনি পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলড়্গে আয়োজিত নামযজ্ঞে এলাকার ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলকে আমন্ত্রণ জানান। তার আঙিনায় সকলে হরিনাম সংকীর্তনে মেতে ওঠে।

১৬৮.   অনুচ্ছেদটি মানিকদের চরিত্রে তোমার পঠিত কোন মহাপুরুষের আদর্শ লক্ষ করা যায়?    (প্রয়োগ)

            ক স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংস খ ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র

            >হরিচাঁদ ঠাকুর           ঘ শ্রীচৈতন্যদেব

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৯ ও ১৭০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

দেবেন্দ্রনাথ মিশ্র হিন্দুধর্মের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেন। এ কাজের জন্য তিনি একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে তিনি বন্যাদুর্গত লোকদের আশ্রয় দিয়ে তাদের সেবা করেন।

১৬৯.   দেবেন্দ্রনাথ মিশ্রের কাজটি কোন মনীষীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে মিলে যায়?      (প্রয়োগ)

            ক স্বামী বিবেকানন্দ    খ স্বামী দীনবন্ধু

            গ স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংস  >স্বামী প্রণবানন্দ

১৭০.    উক্ত আদর্শ অনুযায়ী আমরা- (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. জনসেবা করব

            রর. সমাজকে স্বাবলম্বী করব

            ররর. অস্পৃশ্যতা দূর করে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করব

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

শংকর বেশ কিছুদিন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করে কোনো চাকুরি যোগাড় করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় তার ছোটবেলার বন্ধু দুর্জয় শংকরকে একটি আশ্রমে নিয়ে যায়। এ আশ্রমে কারো কাছ থেকে কোনো চাঁদা বা সাহায্য নেওয়া হয় না। এরা নিজেদের অর্থের সংস্থান নিজেরাই করে। শংকর এ আশ্রমের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করে এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে সমাজের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে।

 ক.       অবতারবাদ কী?                     

খ.        একেশ্বরবাদ বলতে কী বোঝায়?                    

গ.        শংকর কোন মহাপুরুষের মতাদর্শের দ্বারা প্রভাবিত হয়? তা তোমার পঠিত বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।               

ঘ.        পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে উক্ত মহাপুরুষের মতাদর্শের শিক্ষা মূল্যায়ন কর।            

১নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.        অবতার সম্পর্কে যে দার্শনিক চিন্তাভাবনা তাকেই অবতারবাদ বলে।

খ.        ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এ বিশ্বাসকে বলা হয় একেশ্বরবাদ।

            বেদ ও উপনিষদে বলা হয়েছে ব্র‏হ্ম বা ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। ব্র‏হ্ম বা ঈশ্বর একাধিক নন। এই যে এক ঈশ্বরে বিশ্বাস, একেই বলে একেশ্বরবাদ। একেশ্বরবাদ হিন্দুধর্মের একটি বিশ্বাস। 

গ.        শংকর স্বামী স্বরূপানন্দ পরম হংসের মতাদর্শের দ্বারা প্রভাবিত হয়।

            স্বামী স্বরূপানন্দ ‘অযাঞ্চ আশ্রম’ নামক একটি আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা। এই সংগঠনের আর্দশ ছিল কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট অর্থ যাচঞা না করা। সাবলম্বী হয়ে সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করাই এ সংগঠনের মুখ্য উদ্দেশ্য। অযাচক আশ্রমের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমবেত উপাসনায় চরিত্র গঠন, সমাজ সংস্কার, ব্র‏হ্মচর্য স্বাবলম্বন ও জগতের কল্যাণে নিযুক্ত থাকা।

            উদ্দীপকেও শংকর পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু সে স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসের মতাদর্শে প্রতিষ্ঠিত আশ্রমটি দেখে অনুপ্রাণিত হয়। এ আশ্রমে কারো কাছ থেকে কোনো চাঁদা বা সাহায্য নেওয়া হয় না। এরা নিজেদের অর্থের সংস্থান নিজেরাই করে। সে আশ্রমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করে এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে সমাজের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে। সুতরাং বলা যায় শংকর স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসের মতাদর্শের দ্বারা প্রভাবিত হয়।

ঘ.        উক্ত মহাপুরুষ হলেন স্বামী স্বরূপানন্দ যার মতাদর্শের শিক্ষা পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে অত্যন্ত মূল্যবান।

            স্বামী স্বরূপানন্দের প্রধান আদর্শ হলো স্বাবলম্বী হওয়া। স্বাবলম্বী হয়ে সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করাই এ মতাদর্শের মুখ্য উদ্দেশ্য। চরিত্র গঠন, সমাজ সংস্কার, ব্র‏হ্মচর্য, স্বাবলম্বন ও জগতের কল্যাণের জন্য নিযুক্ত থাকা এর দাবি। স্বামী স্বরূপানন্দের সংগঠনের মূল আবেদন, ‘আমি ভালো মানুষ হবো এবং অপরকে ভালো হতে সহায়তা দেবো। তার জীবনাদর্শ থেকে আরও শিক্ষা পাওয়া যায়, সকলকে ভালোবাসতে হবে। সকলের তরে সকলে আমরা- এ ছিল তাঁর কল্যাণময় জীবন ভাবনা। আমরা তাঁর ভাবনা ও মতাদর্শের আলোকে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবনে কল্যাণমুখী নীতি ও আদর্শের চর্চা করব। বিপদে আপদে সমাজের সকলের পাশে দাঁড়াতে হবে এটাই এই মহাপুরুষের মতাদর্শের শিক্ষা।

প্রশ্ন-নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

‘ক’ নামক সভ্যতাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জনপদের সঙ্গে বহিরাগত ‘ঢ’ নামক একটি সম্প্রদায়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি নতুন ধর্মের বিকাশ ঘটে, যার নাম ণ। ঢ নামক সম্প্রদায়ের নিজস্ব আচার-আচরণ ধর্ম এবং সংস্কৃতির ‘ক’ নামক সভ্যতার ধর্মচর্চার সমন্বয়ের মাধ্যমে যে ধর্মটি বিকাশ লাভ করে তা বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে একটি স্থায়ী ধর্ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।    [পাঠ-১]

 ক.       কোন ধর্মটিকে প্রাচীন ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।        ১                     

খ.        ‘যত মত, তত পথ; যত্র জীব, তত্র শিব’’-ঠাকুর রামকৃষ্ণের এ উপদেশ থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই?            ২                    

গ.        উদ্দীপকের ‘ণ’ নামক ধর্মের উৎপত্তির সাথে কোন ধর্মের উৎপত্তির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।   ৩                       

ঘ.        উদ্দীপকের আলোচনা উক্ত ধর্মের উৎপত্তির পূর্ণরূপ প্রকাশ করে কি? উত্তরের পড়্গে যুক্তি দাও।  ৪                       

২নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.        হিন্দুধর্মকে প্রাচীন ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

খ.        ‘যত মত, তত পথ; যত্র জীব, তত্র শিব’-ঠাকুর রামকৃষ্ণের এই অমর উপদেশ থেকে একেশ্বরবাদী ধারণা আর বহু দেবদেবীরূপে আমরা ঈশ্বর আরাধনার শিক্ষা পেয়ে থাকি।

গ.        উদ্দীপকে ‘ণ’ নামক ধর্মের উৎপত্তির সাথে হিন্দুধর্মের উৎপত্তির সাদৃশ্য রয়েছে।

            হিন্দুধর্মের উৎপত্তির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সিন্ধু সভ্যতার মহেঞ্জোদাড়ো ও  হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন হিন্দুধর্মের উৎপত্তির কিঞ্চিৎ ধারণা প্রদান করে। আর্যরা এদেশের বহিরাগত সম্প্রদায়। তারা যখন ভারত ভূমিতে আসে তখন তাদের নিজস্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি ছিল। এদেশের প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে আর্য সভ্যতার সংঘর্ষ এবং পরিণতিতে সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে আর্য সভ্যতার একটা সমন্বয় ঘটে। এর ফলে হিন্দুধর্মের ধর্মচর্চার সঙ্গে আর্যদের ধর্মবিশ্বাস মিলিত হয়ে একটা নতুন রূপ লাভ করে। কালক্রমে এটি আর্যধর্ম নামে প্রাধান্য লাভ করে এবং হিন্দুধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

            উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাচ্ছি ক নামক একটি সভ্যতাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জনপদে বহিরাগত  ‘ঢ’ নামক সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্ম ও সংস্কৃতির সম্মিলনের মাধ্যমে  ‘ণ’ নামক ধর্মের উদ্ভব ঘটে। উদ্দীপকের এ ঘটনা হিন্দুধর্মের উৎপত্তির ঘটনার সাথেই সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ.        উদ্দীপকের আলোচনা হিন্দুধর্মের উৎপত্তির পূর্ণরূপ প্রকাশ করে না। হিন্দুধর্মের উৎপত্তিতে নানা ব্যক্তি, নানা ইতিহাস জড়িত। একক কোনো ব্যক্তি বা জাতির অবদানে হিন্দুধর্মের উৎপত্তি ঘটেনি।

            সিন্ধুনদের তীরে বসবাসরত আর্যদের ধর্মকে কেন্দ্র করেই হিন্দুধর্ম বিকাশ লাভ করেছে। সিন্ধু তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত আর্যদের বহিরাগত পারসিক ও আফগান সম্প্রদায় সিন্ধুনদকে হিন্দুনদ বলে উচ্চারণ করত। তাদের উচ্চারণে সিন্ধুর ‘স’ পরিবর্তিত হয়ে ‘হ’ তে রূপ নেয় এবং ‘সিন্ধ’ু শব্দটি হিন্দু বলে উচ্চারিত হতে থাকে। অনেক গবেষকের মতে সিন্ধু শব্দ থেকেই হিন্দু শব্দের উৎপত্তি এবং সিন্ধুনদের তীরবর্তী লোকদের ধর্মকেই হিন্দুধর্ম বলে আখ্যায়িত করা হয়।

            উদ্দীপকেও উপরোলিস্নখিত বিষয়টি প্রতিভাত হয়েছে যে, বিদেশিরা এদেশের নামে এদেশের কৃষ্টি কালচারের সঙ্গে একীভূত হয়ে বসবাস করে এবং তাদের যুগেই প্রচারিত হয় হিন্দু নাম। তবে উদ্দীপকের ঘটনাটি হিন্দুধর্মের উৎপত্তির প্রাথমিক পর্যায়টির ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু হিন্দুধর্ম একটি স্বতন্ত্র ধর্ম হিসেবে কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সে সম্পর্কে উদ্দীপকে কোনো ইঙ্গিত দেয়া হয়নি।

প্রশ্ন-নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

জীবের প্রতি স্নেহ, মায়া, মমতা প্রদর্শন জীবনে সমৃদ্ধি অর্জন এবং জগতের শাšিত্ম কামনায় একদল পুরোহিত ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করছেন। তারা যজ্ঞক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মফল লাভের প্রচেষ্টায় ব্যস্ত। ঈশ্বর প্রাপ্তিতে নানা ধর্মানুষ্ঠানে যজ্ঞক্রিয়া সম্পাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এলাকার জনসাধারণকে যজ্ঞক্রিয়া সম্পাদনের নির্দেশ দেন।        [পাঠ-১]

 ক.       হিন্দুধর্মের আদি ধর্মগ্রন্থের নাম কী?   ১                     

খ.        গীতায় কীভাবে ভক্তিবাদের পর্যায় লক্ষ করা যায়?      ২                    

গ.        উদ্দীপকের মাধ্যমে হিন্দুধর্ম বিকাশের কোনস্তরটির ধারণা পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।           ৩                    

ঘ.        উদ্দীপকের মাধ্যমে উক্তস্তরের পরিপূর্ণ ধারণা পাওয়া যায় কি? মন্তব্যের  পড়্গে যুক্তি দাও।            ৪                       

৩নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.        হিন্দুধর্মের আদি ধর্মগ্রন্থের নাম বেদ।

খ.        গীতার ভক্তিবাদের প্রকাশ বিভিন্ন পর্যায়ে লক্ষ করা যায়।

            এখানে ভগবানের আহ্বান রয়েছে- সততা আমাকে স্মরণ কর, আমাকে মনোনিবেশ কর। আমার ভজনা কর, আমাতেই সমস্ত কর্ম সমর্পণ কর, একমাত্র আমারই শরণ লও ইত্যাদি উক্তির মধ্য দিয়ে ভগবদ্ভক্তির উপদেশ লাভ করা যায়। এই ভক্তির ধারাটি আরো বিকাশ লাভ করে সমুজ্জ্বল হয়ে উঠেছে শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থে।

গ.        উদ্দীপকের মাধ্যমে হিন্দুধর্ম বিকাশের বৈদিক যুগস্তরটির ধারণা পাওয়া যায়।

            বৈদিক যুগে আর্যগণ যাগযজ্ঞের অনুশীলনের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি প্রার্থনা জানাতেন। এসব প্রার্থনায় জীবনে সমৃদ্ধি, জীবের প্রতি ভালোবাসা এবং জগতের শাšিত্ম কামনা করা হতো। এই প্রার্থনাগুলোর মধ্যদিয়ে এক পরম শক্তি ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করা হতো। বৈদিক যুগে ধর্মানুষ্ঠানের রূপ ছিল যজ্ঞক্রিয়া। যজ্ঞকর্মের অনুশীলন করে মানুষ অভীষ্ট কর্মফল লাভ করতে পারতেন। যজ্ঞকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে যজ্ঞকারীর অভীষ্ট ফল লাভ হয় এমনকি স্বর্গপ্রাপ্তিও ঘটে।

            উদ্দীপকে আমরা এ বিষয়টিরই ইঙ্গিত পাই। এখানে আমরা দেখতে পাই একদল পুরোহিত জীবনের সমৃদ্ধি, জীবের প্রতি ভালোবাসা, জগতের শাšিত্ম কামনার জন্য ঈশ্বরের নিকট যাগযজ্ঞের মাধ্যমে প্রার্থনা করছেন। কর্মের মাধ্যমে তারা অভীষ্ট লাভের চেষ্টায় রত রয়েছেন। এটি হিন্দুধর্ম বিকাশের বৈদিক যুগের ধারণাকেই প্রতিষ্ঠিত করে। 

ঘ.        উদ্দীপকের মাধ্যমে বৈদিক যুগের ধর্মীয় ধারণার পূর্ণরূপ পাওয়া যায় না। কারণ বৈদিক যুগের ধর্মীয় রীতি অনুশীলনের ড়্গেেত্র আমরা যাগযজ্ঞ অনুশীলনের মাধ্যমে প্রার্থনার পাশাপাশি সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করে অভীষ্ট লাভের বিষয়টিই দেখতে পাই।

            মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ উদ্দেশ্য হচ্ছে মোক্ষলাভ। বৈদিক যুগের জ্ঞান প্রধান, উপনিষদ ও দার্শনিক চিন্তার পর্যায়ে এসে তৎকালীন ঋষিগণ উপলব্ধি করেন যে, মোক্ষলাভ জীবনের উদ্দেশ্য। আর এ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কাম্যকর্ম পরিত্যাগ করে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। এখানে এসে সনাতন ধর্মচিন্তায় নতুন উপলব্ধি আসে। মোক্ষলাভের সহায়ক ধর্মচিন্তার ভোগবাদের স্থলে সন্ন্যাসবাদের আবির্ভাব ঘটে। এস্তরে মুক্তি লাভে পথপ্রদর্শক হিসেবে বহু উপনিষদ গ্রন্থ রচিত হয়। এভাবে বৈদিক যুগের ধর্মচিন্তায় কাম্যকর্ম মোক্ষদায়ক নয়। তাই বেদাšেত্মর ব্রহ্মচিন্তা হিন্দুধর্মের চিন্তাজগতে এক নতুন পরিবর্তন নিয়ে আসে।

            আলোচ্য উদ্দীপকে বৈদিক যুগের এ সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণের মাধ্যমে অভীষ্ট লাভের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই অনুপস্থিত রয়েছে।

            তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মাধ্যমে বৈদিক যুগের পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করা যায় না।

প্রশ্ন-নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

নলডাঙ্গা গ্রামে কার্তিক পূজা উপলড়্গে একটি ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল- উক্ত অনুষ্ঠানে রাতুল গোস্বামী হিন্দু ধর্মের একটি যুগ নিয়ে কথা বলেছিলেন। এ যুগে চিন্তাজগতে ভক্তির প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। ভক্তিকে অবলম্বন করে পরমতত্ত্বে উপনীত হওয়ার যাত্রাপথে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রকাশ শুরু হয়। দেবতা একাধিক হওয়ার কারণে পরমব্র‏েহ্মর স্থান নিয়ে বিভিন্ন দেবদেবীর ভক্তদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়। পরবর্তীতে ভক্তির ধারা বিকাশ লাভ করে সমুজ্জ্বল হয়ে ওঠে শ্রীমদভগবদগীতা গ্রন্থে।            [পাঠ-২]

 ক.       হিন্দুধর্মের মূলে কে রয়েছেন? ১                     

খ.        বেদান্ত দর্শন বলতে কী বোঝ? ২                    

গ.        উদ্দীপকে কোন যুগের কথা বলা হয়েছে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে উক্ত যুগের বিভিন্ন ধর্মমত ব্যাখ্যা কর।    ৩                    

ঘ.        উদ্দীপকের শেষ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।     ৪                     

৪নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.        হিন্দু  ধর্মের মূলে স্বয়ং ভগবান রয়েছেন।

খ.        মহর্ষি বাদরায়ণ বেদব্যাস ‘ব্র‏‏হ্মসূত্র’ গ্রন্থে সে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করেছেন যা বেদান্ত দর্শন বলে পরিচিত। এখানে উলেস্নখ্য যে, ব্র‏হ্মসূত্রের ব্যাখ্যা-বিশেস্নষণ নিয়ে অদ্বৈতবাদ, বিশিষ্ট অদ্বৈতবাদ, ভেদবাদ, অভেদবাদ, ভেদাভেদবাদ প্রভৃতি দার্শনিক মতবাদের উত্থান ঘটে এবং হিন্দুধর্শন-চিন্তায় এক সমৃদ্ধ যুগের আবির্ভাব ঘটে। একেই বলা হয় বেদান্ত দর্শন।

গ.        উদ্দীপকে পৌরাণিক যুগের কথা বলা হয়েছে। পৌরাণিক যুগে ভক্তির প্রাধান্য লক্ষ করা যায় আর ভক্তি মার্গের প্রাধান্য লাভ করায় সনাতন ধর্মে এক রূপান্তর সংঘটিত হয়। ভক্তিকে অবলম্বন করে পরমতত্ত্বে উপনীত হওয়ার যাত্রাপথে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রকাশ ঘটে। দেবতা একাধিক, তাই পরব্র‏েহ্মর স্থান নিয়ে বিভিন্ন দেব-দেবীর অনুসারী ভক্তগণের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা দেয়। এভাবে পৌরাণিক যুগে বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত প্রভৃতি সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে। আর হিন্দুধর্মের অবতার পুরুষদের মাহাত্ম্য কীর্তনে বিভিন্ন পুরাণ ও উপপুরাণ প্রণীত হয়। বিষ্ণুপুরাণ, শিবপুরাণ, কূর্মপুরাণ, মৎস্যপুরাণ, লিঙ্গপুরাণ, ভাগবতপুরাণ এবং বেশকিছু উপ-পুরাণও এই যুগে রচিত হয়।

            উদ্দীপকের রাতুল গোস্বামী ও নলডাঙা গ্রামে কার্তিক পূজা উপলড়্গে আয়োজিত ধর্মীয় আলোচনা সভায় এই পৌরাণিক যুগের কথাই বলেছেন।

ঘ.        উদ্দীপকের শেষ উক্তিটি হলো, ভক্তির ধারা বিকাশ লাভ করে সমুজ্জ্বল হয়ে ওঠে শ্রীমদভগবতগীতা গ্রন্থে- যা একটি যথার্থ উক্তি।

            পৌরাণিক যুগে ভক্তির প্রাধান্য লাভ করে। এই ভক্তির ইঙ্গিত  বেদ ও উপনিষদে রয়েছে। বৈষ্ণব, শৈব, শাক্তমতের সবগুলোতেই সগুণ ঈশ্বর, জগতের সত্যতা এবং ভক্তিমার্গের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করা হয়েছে। বৈদিক কর্মবাদ ও বেদাšেত্মর নির্গুণ ব্র‏‏হ্মবাদ থেকে পৌরাণিক ধর্মসমূহের পার্থক্য লক্ষ করা যায়। শাস্ত্রবচন থেকে জানা যায়, বিষ্ণু, রুদ্র, শক্তির দেবী-এরা সবাই এক মূলতত্ত্বের প্রকাশ বা বিকাশ- ‘একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদšিত্ম’। এক ব্র‏‏হ্মকেই মনীষীরা বিভিন্ন নাম ও রূপে অভিহিত করেন। ধর্মচর্চার অবলম্বন হিসেবে ভক্তি সনাতন সাধনার চিন্তাজগতে এক বিশেষ পরিবর্তন’ ঘটিয়েছে। এ প্রসঙ্গে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার গ্রন্থটি স্মরণ করা যায়। এ গ্রন্থটিতে হিন্দুধর্মের সাধন প্রক্রিয়াগুলোর কর্ম, জ্ঞান, ভক্তি প্রভৃতি বিষয় সংরক্ষতি ও সমন্বিত রয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদার আহ্বানে হিন্দুধর্মের সমন্বয়-চেতনা বিবৃত হয়েছে।

            গীতার ভক্তিবাদের প্রকাশ বিভিন্ন পর্যায়ে লক্ষ করা যায়। এখানে ভগবানের আহ্বান রয়েছে সতত আমাকে স্মরণ কর, আমাতে মনোনিবেশ কর। আমার ভজনা কর, আমাতেই সমস্ত কর্ম সমর্পণ কর। একমাত্র আমারই শরণ লও ইত্যাদি উক্তির মধ্য দিয়ে ভগবানভক্তির উপদেশ লাভ করা যায়। উদ্দীপকের রাতুল গোস্বামীর আলোচনায়ও উপরিউক্ত বিষয়টি ফুটে উঠেছে যে ভক্তিকে অবলম্বন করে পরমতত্ত্বে উপনীত হওয়ার যাত্রাপথে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রকাশ শুরু হয়।

            উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, ‘ভক্তির ধারা আরো বিকাশ লাভ করে সমুজ্জ্বল হয়ে উঠেছে শ্রীমদ্ভগবতগীতা গ্রন্থে।’ – উদ্দীপকের এ উক্তিটি যথার্থ।

প্রশ্ন-নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

শ্রী লালচন্দ্র, বিমলচন্দ্র এবং তাপস কুমার তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। লালচন্দ্র শিবের পূজা করে পরমতত্ত্বে উপনীত হতে চায়। অন্যদিকে বিমল বিষ্ণুর পূজা করে এ তত্ত্বের মাহাত্ম্য অনুধাবন করতে চায়। আবার তাপস প্রকৃতির নানা শক্তির উপাসনা করে। পরমতত্ত্বে উপনীত হওয়ার জন্য তাদের মধ্যে লক্ষ করা যায় প্রতিযোগিতা। আর এভাবে ভক্তিমার্গের মাধ্যমে তারা সবাই এক ঈশ্বরের আরাধনায় ব্যস্ত থাকে।          [পাঠ -২]

 ক.       কোন যুগে হিন্দুধর্মের চিন্তা জগতে ভক্তিমার্গের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়?       ১                     

খ.        ‘গীতা ভক্তিবাদে সমৃদ্ধ’- ব্যাখ্যা কর।  ২                    

গ.        উদ্দীপকের তিন বন্ধুর কর্মকাণ্ড এবং বিশ্বাসে হিন্দুধর্ম বিকাশের কোন যুগের ধারণা পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।    ৩                    

ঘ.        উদ্দীপকের তিন বন্ধুর বিশ্বাসের তাৎপর্য বিশেস্নষণ কর।      ৪                     

৫নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.        পৌরাণিক যুগে হিন্দুধর্মের চিন্তাজগতে ভক্তিমার্গের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়।

খ.        গীতা ভক্তিবাদে সমৃদ্ধ। অর্থাৎ গীতায় ভক্তিবাদের প্রকাশ বিভিন্ন পর্যায়ে লক্ষ করা যায়। এখানে আহ্বান জানানো হয়েছে সতত আমাকে স্মরণ কর, আমাতে মনোনিবেশ কর। আমার ভজনা কর, আমাতেই সমস্ত কর্ম সমর্পণ কর; একমাত্র আমারই স্মরণ লও। এসব উক্তির মধ্য দিয়ে ভগবত ভক্তির উপদেশ লাভ করা যায়। তাই বলা যায়- গীতা ভক্তিবাদে সমৃদ্ধ।  

গ.        উদ্দীপকের তিন বন্ধুর বিশ্বাস এবং কর্মকাণ্ডে হিন্দুধর্ম বিকাশের পৌরাণিক যুগের ধারণা লাভ করা যায়।

            পৌরাণিক যুগে ভক্তিভাবটি হিন্দুধর্মের চিন্তা জগতে প্রাধান্য লাভ করে, ভক্তিকে অবলম্বন করে পরমতত্ত্বে উপনীত হওয়ার যাত্রাপথে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের যাত্রা শুরু হয়। দেবতা একাধিক কিন্তু পরব্র‏েহ্মর স্থান নিয়ে তাদের মধ্যে অর্থাৎ বিশিষ্ট দেবদেবীর অনুসারী ভক্তগণের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও নানারূপে মতভেদ উপস্থিত হয়। এভাবে বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত প্রভৃতি সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়।

            উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাচ্ছি, পরমতত্ত্বে উপনীত হওয়ার জন্য তিন বন্ধু তিন ভিন্ন দেবতার আরাধনা করত। আরাধনা ভক্তিকে অবলম্বন করে তারা পরমতত্ত্বে উপনীত হতে চাচ্ছে। তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও লক্ষ করা যাচ্ছে। শ্রী লাল চন্দ্র শিবের পূজা করে, আবার বিমল চন্দ্র বিষ্ণুর পূজা করে, তাপস কুমার প্রকৃতির নানা শক্তির পূজা করছে। অর্থাৎ তারা যথাক্রমের শৈব, বৈষ্ণব এবং শাক্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং তিন বন্ধুর কর্মকাণ্ড থেকে আমরা বলতে পারি তাদের আচরণে ও বিশ্বাসে পৌরাণিক যুগের হিন্দুধর্ম বিকাশের ধারণা পাওয়া যায়।

ঘ.        উদ্দীপকে তিন বন্ধু তথা লালন চন্দ্র, বিমল চন্দ্র এবং শ্রী তাপস কুমার যথাক্রমে-শৈব, বৈষ্ণব এবং শাক্ত ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করছে। তাদের কর্মকাণ্ড এবং আচরণে এ বিশ্বাসই ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকে আমরা এমন তিনজন ভক্তের সন্ধান পাই যারা, বিষ্ণু, শিব এবং শক্তির পূজা করে পরমতত্ত্বে উপনীত হওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের তিনজনেরই লড়্গ্য পরমতত্ত্বে উপনীত হওয়া। আর এজন্য তারা ভক্তিভাবকে অবলম্বন করে কেউ শিবের পূজা করছে, কেউবা শক্তির পূজা করছে, আবার কেউ শিবের পূজা কবে। যারা ভগবান বিষ্ণুর পূজা করে পরমতত্ত্বে উপনীত হতে চায় তাদেরকে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী বলা হয়, আবার যারা প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তি যেমন : বাতাস, সূর্যের পূজা করে পরম আরাধ্য লাভ করতে চায় তাদেরকে শাক্ত ধর্মাবলম্বী এবং যারা শিবের পূজা করে পরমতত্ত্বে উপনীত হতে চায় তাদেরকে শৈব ধর্মের অনুসারী বলা হয়।

            পৌরাণিক যুগে ভক্তিবাদকে অবলম্বন করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়েছে। বিভিন্ন দেবতার আরাধনার মাধ্যমে পরমতত্ত্ব বা ব্রহ্মকে লাভ করাই ছিল ওইযুগে ভক্তদের প্রধান উদ্দেশ্যে।

            এসব মতের সবগুলোতেই সগুণ ঈশ্বরজগতের সত্যতা এবং ভক্তিমার্গের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করা হয়েছে। বৈদিক কর্মবাদ বেদাšেত্মর নির্গুণ ব্র‏হ্মবাদ থেকে পৌরাণিক ধর্মসমূহের পার্থক্য লক্ষ করা যায়। শাস্ত্র থেকে জানা যায়, বিষ্ণু, রুদ্র, শক্তির দেবী এরা সবাই এক মূলতত্ত্বের প্রকাশ বা বিকাশ এক ব্র‏হ্মকেই মনীষীরা বিভিন্ন নামে ও রূপে অভিহিত করেন। মূলত এটিই উদ্দীপকের তিন বন্ধুর বিশ্বাসের তাৎপর্য।

প্রশ্ন-নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া নয়নচন্দ্র আমাদের সমাজের খুঁটিনাটি দোষত্রম্নটি খুঁজে বের করে একটি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার জন্য সমাজ সংস্কারে আত্মনিয়োগ করেন। ধর্মীয় সংস্কারও ছিল তার কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। শাšিত্মময় সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একমাত্র ব্র‏েহ্মর আরাধনা করতে তিনি হিন্দুদের আহ্বান জানান। একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী এই মানুষটি  মানুষকে সত্য ও সুন্দরের পথ দেখিয়েছেন।     [পাঠ – ৩]

 ক.       ‘যত মত, তত পথ’-উপদেশটির প্রবক্তা কে?  ১                     

খ.        মতুয়া ধর্মের মূলমন্ত্র ব্যাখ্যা কর।        ২                    

গ.        নয়নচন্দ্র কোন মহাপুরুষের মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।  ৩                    

ঘ.        উক্ত ব্যক্তি ধর্মীয় সংস্কারে কীভাবে অবদান রেখেছেন? উদ্দীপকের আলোকে বিশেস্নষণ কর।        ৪                       

৬নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.        ‘যত মত, তত পথ’ উপদেশটির প্রবক্তা -ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ।

খ.        মতুয়া ধর্মের মূলমন্ত্র হলো- ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হরিনামে মেতে থাকা।

            মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর হিন্দুসমাজে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষকে এক হরিনামে মেতে থাকার আহ্বান জানান। আর এই হরিনামে  মেতে থাকার বিষয়টি থেকেই উদ্ভব হয় মতুয়া ধর্মের। এক ঈশ্বরের  আরাধনায় ধর্ম, বর্ণের বৈষম্য ভুলে গিয়ে সবাই এক হরির গুণকীর্তন করাই মতুয়া ধর্মের মূল কথা।

গ.        নয়নচন্দ্র আধুনিক সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ের মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।

             রাজা রামমোহন রায় ছিলেন একেশ্বরবাদী। তিনি হিন্দুধর্মের নানা কুসংস্কার দূরীকরণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষতি এবং উদার দৃষ্টিভক্তি পোষণকারী এই মহাপুরুষ যুক্তি দিয়ে সমাজের সংস্কার করার চেষ্টা করেছেন। তিনি এক হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন দেবদেবীর আরাধনার মাধ্যমে গোষ্ঠী চিন্তায় সংকীর্ণতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা উপলব্ধি করে হিন্দু সম্প্রদায়কে এক ব্র‏েহ্মর উপাসনার দিকে আহ্বান জানান। তিনি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য এক ব্রহ্মের সাধনার জন্য আহ্বান জানান এবং প্রতিষ্ঠা করেন ব্রাহ্মসমাজ। তিনি প্রচার করলেন ব্রহ্মই একমাত্র আরাধ্য এবং হিন্দুরা একেশ্বরবাদী।

            উদ্দীপকের উচ্চশিক্ষতি নয়নচন্দ্রের বিশ্বাস এবং কাজে এ মহামনীষীর বিশ্বাসেরই প্রতিফলন ঘটেছে। নয়নচন্দ্রও একজন একেশ্বরবাদী। তিনি হিন্দুসমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য হিন্দুদেরকে বহু দেবতার পূজা থেকে বিরত থেকে এক ব্রহ্ম সাধনার প্রতি আহ্বান জানান। তাই আমরা বলতে পারি নয়নচন্দ্র রাজা রামমোহন রায়ের মতাদর্শ দ্বারাই প্রভাবিত হয়েছেন।

ঘ.        উক্ত ব্যক্তি রাজা রামমোহন রায় হিন্দুধর্মের নানা কুসংস্কার দূরীকরণ এবং সমাজসংস্কারে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন।

            উচ্চশিক্ষতি এবং আধুনিকমনস্ক রাজা রামমোহন রায় হিন্দুসমাজে প্রচলিত পূজা-পার্বণ দেবদেবীর আরাধনাকে অর্থহীন বলে মনে করলেন। তিনি যুক্তির বিচারে হিন্দুধর্মের কুসংস্কার দূরীকরণে আত্মনিয়োগ করেন। কারণ যুক্তিহীন বিচারে ধর্মের হানি ঘটে। রাজা রামমোহন রায় লক্ষ করলেন বিভিন্ন দেবদেবীর উপাসক হয়ে এক হিন্দু সম্প্রদায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠী চিন্তায় সংকীর্ণ হয়ে পড়েছেন। সব উপাস্য যে একই ব্রহ্মের বিভিন্ন প্রকাশ, হিন্দুরা তা ভুলতে বসেছে।

            এ অবস্থায় রাজা রামমোহন রায় এক ব্রহ্মের উপাসনা তত্ত্বকে উপস্থাপিত করেন। এভাবে তিনি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য এক ব্রহ্মের উপাসনার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রচার করেন ব্রহ্মই একমাত্র আরাধ্য, তার প্রচারিত ধর্মের নাম দেয়া হয় ব্রাহ্মধর্ম। এই একেশ্বরবাদী ধর্ম প্রচারের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ব্রাহ্মসমাজ। এভাবেই তিনি হিন্দুধর্মকে সংকীর্ণতার বেড়াজাল থেকে বের করে আধুনিক রূপ দান করেন।

প্রশ্ন-নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

স্কুলের পণ্ডিত শিক্ষক শংকর বাবু হিন্দুধর্মের ক্লাসে বলেন যে, উনবিংশ শতাব্দীতে এক মহামানব ভারতবর্ষে প্রেমভক্তি বিলিয়েছেন।

সকল ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষ সকল মানুষকে ভালোবেসে তিনি বলেছেন- একমাত্র প্রেমপূর্ণ ভক্তি দিয়েই পরম আরাধ্য ভগবানকে লাভ করা যায়। তিনি ছিলেন আধুনিক যুগের ধর্মসংস্কারকদের মধ্যে অন্যতম।            [পাঠ -৩]

 ক.       হিন্দুধর্মের প্রাচীন নাম কী?     ১                     

খ.        পৌরাণিক যুগ বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।  ২                    

গ.        উদ্দীপকে তোমার পাঠ্যবইয়ের যে ধর্মসংস্কারকের কথা বলা হয়েছে তাঁর প্রেমভক্তি আন্দোলনটি ব্যাখ্যা কর।    ৩                    

ঘ.        আধুনিক যুগের ধর্মসংস্কারকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম-উদ্দীপকের এ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।  ৪                     

৭নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.        হিন্দুধর্মের প্রাচীন নাম সনাতন ধর্ম।

খ.        পৌরাণিক যুগ হলো হিন্দুধর্মের বিকাশমান বৈশিষ্ট্য তিনটির অন্যতমস্তরে বিন্যস্ত বৈশিষ্ট্য। পৌরাণিক যুগে হিন্দুধর্মের চিন্তাজগতে ভক্তির প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। আর ভক্তিমার্গের প্রাধান্য লাভ করার সনাতন ধর্মে এক রূপান্তর সংঘটিত হয়।

গ.        উদ্দীপকে হিন্দুধর্ম বিকাশের ড়্গেেত্র শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেমভক্তির ধর্ম তথা আন্দোলনটির কথা বলা হয়েছে।

            চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেমভক্তির আন্দোলনটি হিন্দুধর্ম চেতনায় বিভিন্ন দেব-দেবীর অনুসারীদের বিদ্বেষ এবং বর্ণভেদ প্রথা দূর করতে অনেকখানি সক্ষম হয়। প্রেমপূর্ণ ভক্তি দিয়েই পরম আরাধ্য ভগবানকে লাভ করা যায়। আর ধর্ম আচরণে ব্রা‏হ্মণ, অব্রা‏‏হ্মণ, নারী, পুরুষ সকলের সমান অধিকার রয়েছে।

            উদ্দীপকেও দেখা যায়, একমাত্র প্রেমপূর্ণ ভক্তি দিয়েই পরম আরাধ্য ভগবানকে লাভ করা যায়। আধুনিক যুগের সংস্কারদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। সুতরাং উলিস্নখিত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, আধুনিক ধর্মসংস্কারে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেমভক্তির ধর্ম তথা আন্দোলনটির কথা বলা হয়েছে।

ঘ.        শ্রীচৈতন্য আধুনিক যুগের ধর্মসংস্কারকদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম- কথাটি সত্যিকার অর্থে যুক্তিসঙ্গত।

            হিন্দুধর্ম বিকাশের ড়্গেেত্র শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর (পঞ্চদশ শতক) প্রেমভক্তির ধর্ম তথা আন্দোলনটি বিশেষ অবদান রাখতে সমর্থ হয়। চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেমভক্তির আন্দোলনটি হিন্দুধর্ম চেতনায় বিভিন্ন দেবদেবীর অনুসারীদের বিদ্বেষ এবং বর্ণভেদ প্রথা দূর করতে অনেকখানি সমর্থ হয়। প্রেমপূর্ণ ভক্তি দিয়েই পরম আরাধ্য ভগবানকে লাভ করা যায়। আর ধর্ম আচরণে ব্রা‏হ্মণ, অব্রা‏‏হ্মণ, নারী, পুরুষ সকলের সমান অধিকার রয়েছে। চৈতন্য মহাপ্রভুর এই প্রেমভক্তি অনুসরণ করে আবির্ভাব ঘটে প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের। তিনি চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রদর্শিত পথের সাধক হয়ে ধর্ম সাধনার ড়্গেেত্র এক অনন্য অবদান রেখে গেছেন। তাঁর এই আদর্শকে উজ্জীবিত করার লড়্গ্েয তাঁর পরম ভক্ত মহেন্দ্রজী মহানাম সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন আর এই সম্প্রদায়ের গৌরবোজ্জ্বল নক্ষত্র বৈষ্ণব আচার্য হচ্ছেন ড. মহানামব্রত ব্র‏‏হ্মচারী। তাঁর সুগভীর পাণ্ডিত্যে এবং একনিষ্ঠ ভক্তিতে কৃষ্ণ-গৌর-বন্ধু লীলা মাধুর্য প্রকাশিত। মহানাম কীর্তন জীবের উদ্ধারে উপকরণ। উপরিউক্ত আলোচনায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনাদর্শই সকল কার্যক্রমের উৎসাহকেন্দ্র। প্রেমপূর্ণ ভক্তি দিয়েই পরম আরাধ্য ভগবানকে লাভ করা যায়।

            উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, শ্রী চৈতন্য আধুনিক যুগের ধর্ম সংস্কারকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম- কথাটি সত্যিকার অর্থে যুক্তিযুক্ত।

প্রশ্ন-নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

স্বাবলম্বী হয়ে জগতের কল্যাণ সাধনে ব্যাপৃত শ্রী তপন রায়-তার অনুসারীদের সহায়তায় গড়ে তোলেন মাতৃকল্যাণ সমিতি। ব্যক্তি চরিত্র গঠনের মাধ্যমে পরস্পর পরস্পরের  কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সংগঠনটির কর্মসূচি এগিয়ে যাচ্ছে।       [ পাঠ-৩]

 ক.       ‘সৎসঙ্গ’ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন কে?          ১                     

খ.        স্বামী বিবেকানন্দের বাণীগুলো কোন ড়্গেেত্র অবদান রেখেছিল।   ২                    

গ.        উদ্দীপকের সমিতির মধ্যে পাঠ্যবইয়ে বর্ণিত কোন সংগঠনটির আদর্শ ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।              ৩                    

ঘ.        হিন্দুধর্মের বিকাশে উক্ত সংগঠনই কি একমাত্র ভূমিকা পালন করেছে? মন্তব্যের পড়্গে যুক্তি দাও।            ৪                     

৮নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.        ‘সৎসঙ্গ’ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। 

খ.        স্বামী বিবেকানন্দের বাণীগুলো মানবতার ড়্গেেত্র অবদান রেখেছিল।

            মানবতাবোধে উজ্জীবিত স্বামী বিবেকানন্দ প্রচার করেন-‘বিবাদ নয় সহায়তা, বিনাশ নয়। পরস্পরের ভাব গ্রহণ, মতবিরোধ নয়, সমন্বয় ও শাšিত্ম -এ বাণীগুলোর তাৎপর্য এবং গভীরতা উপলব্ধি করলে বোঝা যায়, এগুলো মানবতা প্রতিষ্ঠা করেছিল। সাম্য ও ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মতামতের সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশ্বে শাšিত্ম প্রতিষ্ঠাই ছিল উক্ত বাণীর মূলসুর।

গ.        উদ্দীপকের মাতৃকল্যাণ সমিতির মধ্যে পাঠ্যবইয়ে বর্ণিত ‘অযাচক আশ্রম’ নামক সংগঠনটির আদর্শ ফুটে উঠেছে।

            হিন্দুধর্মের বিকাশে অযাচক আশ্রমের অবদান অতুলনীয়। শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা। অযাচক আশ্রমের নামটির মধ্য দিয়েই এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে অর্থ  যাঞ্চা না করা এ সংগঠনের আদর্শ। স্বাবলম্বী হয়ে সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করাই এ সংগঠনের মুখ্য উদ্দেশ্য। ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে সমবেত উপাসনায় চরিত্র গঠন, সমাজ সংস্কার, ব্রহ্ম, চর্য, স্বাবলম্বন ও জগতের কল্যাণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন এ সংগঠনের অখণ্ডমণ্ডলী। আমি ভালো মানুষ হব এবং অপরকে ভালো হতে সহায়তা করব- এটি ছিল অযাচক আশ্রমের মূল আবেদন।

            উদ্দীপকের ‘মাতৃকল্যাণ’ সংগঠনটিও স্বাবলম্বন ঐতিহ্যে বিশ্বাসী। ব্যক্তিচরিত্র গঠনের মাধ্যমে জগতের কল্যাণে কাজ করছে মাতৃকল্যাণ সংগঠনটি। তাই অযাচক আশ্রমের বৈশিষ্ট্যের সাথে মাতৃকল্যাণ সংগঠনটির সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

ঘ.        উদ্দীপকে ইঙ্গিত দানকারী অযাচক আশ্রমটিই হিন্দুধর্মের বিকাশে প্রধান ভূমিকা পালন করেনি।

            হিন্দুধর্মের বিকাশে কোনো একজন ব্যক্তি বা কোনো একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করেনি। বরং বহু মনীষীর বহুমতের সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আজকের হিন্দুধর্ম। এসব মনীষীর গঠন করা নানা সংগঠন হিন্দুধর্মের মতাদর্শ প্রচারে নিরলসভাবে ভূমিকা রেখেছে। এরকম সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মঠ, রামকৃষ্ণ মিশন। বিশ্বব্যাপী রামকৃষ্ণ ভাব আন্দোলন সক্রিয়ভাবে পরিচালনায় কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠান দুটি। এছাড়া নিউইয়র্কে স্বামী প্রভুপাদ প্রতিষ্ঠিত ‘কৃষ্ণভাবনামৃত’ সংগঠনটি শ্রীচৈতন্যের প্রেমভক্তি আন্দোলন পরিচালনা করছে। সৎসঙ্গ নামের প্রতিষ্ঠানটি ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে শাšিত্মময় জীবন গঠনে কাজ করছে। এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র। স্বামী প্রণবানন্দের প্রতিষ্ঠিত ভারত আশ্রমটি সমাজ থেকে অস্পৃশ্যতা দূর করে সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। জনগণের সেবাই এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী লোকসেবা বা লোক শিক্ষার জন্য নিম্নভূমিতে এসে নানা আশ্রম এবং মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্দীপকে আমরা শুধু একটি সংগঠনের ইঙ্গিত পাই, যেটি হিন্দুধর্মের বিকাশে ভূমিকা পালন করেছে। সকলকে সমানভাবে ভালোবাসা এবং সকলের  তরে জীবন উৎসর্গ করাই ছিল উক্ত সংগঠনের ধর্ম।

            উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে বলা যায়, অযাচক আশ্রমটি হিন্দুধর্ম  বিকাশে একমাত্র ভূমিও

অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- নারায়ণ চন্দ্র মনে করেন, প্রেমভক্তির মাধ্যমে পরম আরাধ্য ভগবান লাভ করা যায়, তাই তিনি সমাজের সর্বস্তরে প্রেমভক্তি প্রচারের চেষ্টা করেন। দেশ-বিদেশে নানা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে তার অনুসারীরা হরেকৃষ্ণ মহানামে উজ্জীবিত হয়ে প্রেমভক্তি ধর্ম প্রচার করেন।

ক.        মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক কে?       ১

খ.        সৎসঙ্গ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল কেন? ২

গ.        নারায়ণ চন্দ্রের মতের সাথে পাঠ্যবইয়ের কোন মহাপুরুষদের মতের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।      ৩

ঘ.        উক্ত ব্যক্তির মতাদর্শ সমাজে কেমন প্রভাব সৃষ্টি করেছিল। পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশেস্নষণ কর।                ৪

প্রশ্ন-১০ শ্রীরামকৃষ্ণ স্বামী বিবেকানন্দকে নিজ মুক্তির কথা না ভেবে জীব মুক্তির কথা ভাবতে বললেন। ঠাকুরের নির্দেশে তিনি কুসংস্কারাচ্ছন্ন জাতিকে মুক্তির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে লাগলেন। তিনি জীবের মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করলেন।

            [সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]

ক.        স্বামী বিবেকানন্দের বাল্যনাম কী ছিল?           ১

খ.        কেন স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন?         ২

গ.        জীব মুক্তির দিক স্বামী বিবেকানন্দ কীভাবে নিয়েছিলেন।- ব্যাখ্যা কর।         ৩

ঘ.        “জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর”- উক্তিটি বিবেকানন্দের জীবনে কি প্রতিফলিত হয়েছে- বিচার কর।     ৪

প্রশ্ন-১১  গেল বছর বিত্ত বাবু তীর্থ দর্শনে ভারতের মায়াপুরে গেলে সেখানে ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ প্রতিষ্ঠিত মন্দির দেখে অভিভূত হন। সেখানে তিনি জানতে পারলেন, বৈরাগ্যময় জীবনের অনুসারী প্রভুপাদ সমাজজীবন থেকে বিভিন্ন প্রকার পাপকর্ম দূর করতে সচেষ্ট হন। ‘হরেকৃষ্ণ’ মহামন্ত্র কীর্তন জীবের মুক্তিলাভের অবলম্বন হয়ে জগতে নাম মাহাত্মা প্রচার করছে যা বিত্ত বাবুকে ব্যাকুল করে দেয়।

                        [বগুড়া জিলা স্কুল]

ক.        ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের নাম কী?     ১

খ.        যত মত, তত পথ’ বাণীটি ব্যাখ্যা কর। ২

গ.        বৈরাগ্যময় জীবনের মাধ্যমে জীবন থেকে বিভিন্ন প্রকার পাপকর্ম দূর হয়-প্রভুপাদের উক্তিটির সপড়্গে মতামত দাও।  ৩

ঘ.        ‘হরেকৃষ্ণ’ মহামন্ত্র কীর্তন জীবের মুক্তিলাভের অবলম্বন-তুমি কি একমত? যুক্তি দাও।

প্রশ্ন-১২ বরুণ একদিন নারায়ণগঞ্জ জেলার বারদীতে একটি মন্দিরে গিয়ে স্থানীয় একজন লোকের কাছে জানতে পারেন, যিনি এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা তার নৈতিক আদর্শের মূলমন্ত্র ছিল- সততা, নিষ্ঠা, সংযম, সাম্য ও সেবা। বরুণ শ্রদ্ধাভরে পূজা দিয়ে বাড়ি ফিরে আসে এবং তার মাকে বলে। তখন তার মা বলেন, হিন্দুধর্মের সম্মুখ যাত্রায় ধর্মীয় চিন্তা চেতনায় বিভিন্ন মত ও পথের সন্ধান মেলে। কিন্তু হিন্দুধর্মের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য চেতনা উপলব্ধি করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ গৌরব বোধ করে থাকেন।

ক.        স্বামী স্বরূপানন্দ কোথায় আবির্ভূত হন?          ১

খ.        অযাচক আশ্রম বলতে কী বোঝ?       ২

গ.        উদ্দীপকের আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতার সাথে পাঠ্যবইয়ের কোন মহামনীষীর কার্যাবলি ও মতের মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.        বরুণের মায়ের শেষ কথাটি বিশেস্নষণ কর।

প্রশ্ন-১৩ শান্তনু মুখার্জি একজন ধর্মীয় পুরোহিত। এলাকার মানুষকে ধর্মকর্মে উৎসাহিত করাই তার মূল কাজ। তিনি মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ উদ্দেশ্য হিসেবে মোক্ষলাভকে চিহ্নিত করে এলাকার মানুষকে জাগতিক কর্ম পরিত্যাগ করে এক ঈশ্বরের আরাধনায় নিমগ্ন থাকার আহ্বান জানান। তার এ আহ্বানে অনেকে সাড়া দিলেও কিছু মানুষ এর বিরোধিতা করেন।

ক.        শ্রী শব্দের অর্থ কী?     ১

খ.        বৈদিক যুগের ঋষিগণ কীভাবে প্রার্থনা করতেন? ব্যাখ্যা কর।            ২

গ.        উদ্দীপকে বৈদিক যুগের প্রার্থনার কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে?    ৩

ঘ.        উক্ত দিকটিই কি বৈদিক যুগের হিন্দুধর্মের প্রধান দিক? যুক্তিসহ মতামত দাও।        ৪

প্রশ্ন-১৪ সততা, সংযম, নিষ্ঠা শিক্ষা দেয়ার জন্য শ্রী গোপাল চাঁদ নিজ ভূমি  ছেড়ে অন্যত্র চলে আসেন। বিভিন্ন স্থানে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মন্দির। মন্দিরগুলোতে শিক্ষা দেয়া হয় তাঁর আদর্শ। মন্দিরগুলো হিন্দুধর্মের প্রচার ও বিকাশে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে চলছে।

ক.        ওঝকঈঙঘ  সংগঠনটি কোথায় প্রতিষ্ঠা করা হয়?      ১

খ.        সৎসঙ্গের আদর্শ ব্যাখ্যা কর। ২

গ.        শ্রী গোপাল চাঁদের মধ্যে কোন মহাপুরুষের আদর্শ প্রতিভাত হয়ে ওঠে? ব্যাখ্যা কর।           ৩

ঘ.        হিন্দুধর্মের বিকাশে উক্ত মহাপুরুষ কী অবদান রেখেছেন? পাঠ্যবইয়ের আলোকে উত্তর দাও।        ৪

অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ হিন্দুধর্মের অপর নাম কী?

উত্তর : হিন্দুধর্মের অপর নাম সনাতন ধর্ম।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কোন শব্দ থেকে হিন্দু শব্দের উৎপত্তি হয়েছে?

উত্তর : সিন্ধু শব্দ থেকে হিন্দু শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ হিন্দুধর্মের মূলে কে রয়েছেন?

উত্তর : হিন্দুধর্মের মূলে রয়েছেন স্বয়ং ভগবান।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কোন যুগে হিন্দুধর্মে ভক্তির প্রাধান্য লক্ষ করা যায়?

উত্তর : পৌরাণিক যুগে হিন্দুধর্মে ভক্তির প্রাধান্য লক্ষ করা যায়।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ মহেঞ্জোদাড়ো এবং হরপ্পা কোন সভ্যতার নিদর্শন বহন করে?

উত্তর : মহেঞ্জোদাড়ো এবং হরপ্পা সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন বহন করে।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ এদেশের বহিরাগত সম্প্রদায় বলা হয় কাদেরকে?

উত্তর : আর্যদেরকে এদেশের বহিরাগত সম্প্রদায় বলা হয়।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥  বৈদিক ধর্মগ্রন্থসমূহের কয়টি ভাগ রয়েছে?

উত্তর : বৈদিক ধর্মগ্রন্থসমূহের ৪টি ভাগ রয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ কোন অংশে ইন্দ্র, অগ্নি, সূর্য প্রভৃতি দেবদেবীরস্তবস্তুতি রয়েছে?

উত্তর:  বেদের সংহিতা অংশে ইন্দ্র, অগ্নি, সূর্য প্রভৃতি দেবদেবীরস্তবস্তুতি রয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ আর্যগণ কিসের অনুশীলন করে শ্রী ও ধীর প্রতি প্রার্থনা জানাতেন?

উত্তর : আর্যগণ যাগযজ্ঞের অনুশীলন করে শ্রী ও ধীর প্রতি প্রার্থনা জানাতেন।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ ধর্ম কাকে বলে?

উত্তর :  ধর্ম হচ্ছে যা থেকে জাগতিক কল্যাণ এবং পারমার্থিক মঙ্গল লাভ হয় সেটিই ধর্ম।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ উদ্দেশ্য কোনটি?

উত্তর : মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ উদ্দেশ্য হলো ঈশ্বরলাভ বা মোক্ষলাভ।

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ এ পর্যন্ত কয়টি উপনিষদের পরিচয় পাওয়া যায়?

উত্তর : এ পর্যন্ত দুইশতেরও অধিক উপনিষদের পরিচয় পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ হিন্দুদর্শন চিন্তায় সমৃদ্ধ যুগের পরিচয় মিলে কোন গ্রন্থের মাধ্যমে?

উত্তর : ‘ব্র‏হ্মসূত্র’ গ্রন্থের মাধ্যমে হিন্দুদর্শন চিন্তায় সমৃদ্ধ যুগের পরিচয় মিলে।

প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥  কর্ম ও জ্ঞানের সংযোগের মাধ্যমে কী সৃষ্টি হয়?

উত্তর : কর্ম ও জ্ঞানের সংযোগের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় স্মৃতিশাস্ত্র। 

প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ কোন ধর্মমত অনুযায়ী শিবই সমস্ত আগমশাস্ত্রের বক্তা বলে সুপরিচিত?

উত্তর: শৈব ধর্মমতে শিবই সমস্ত আগমশাস্ত্রের বক্তা বলে সুপরিচিত।

প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ ‘ ব্রাহ্মসমাজ’ ব্যবস্থার রূপকার কে ছিলেন?

উত্তর : ব্রাহ্মসমাজ ব্যবস্থার রূপকার ছিলেন রাজা রামমোহন রায়।

প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ রামকৃষ্ণ মঠ প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?

উত্তর :  রামকৃষ্ণ মঠ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৬ সালে?

প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ রামকৃষ্ণ মিশন কে স্থাপন করেন?

উত্তর :  রামকৃষ্ণ মিশন স্থাপন করেন স্বামী বিবেকানন্দ।

প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ অযাচক আশ্রম কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর : স্বামী স্বরূপানন্দ অযাচক আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ স্বামী স্বরূপানন্দ কখন আবির্ভূত হন?

উত্তর : স্বামী স্বরূপানন্দ ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে আবির্ভূত হন।

প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ সৎসঙ্গ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর : ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ কার ধর্মনীতি থেকে মতুয়া ধর্মের উদ্ভব হয়?

উত্তর :  শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ধর্মনীতি থেকে মতুয়া ধর্মের উদ্ভব হয়।

প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর আবির্ভূত হন কত সালে?

উত্তর :  শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ১৮১২ সালে আবির্ভূত হন।

প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ শ্রীল এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ কোথায় ওঝকঈঙঘ প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর :  শ্রীল এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ নিউইয়র্ক শহরে ওঝকঈঙঘ প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ শ্রী শব্দের অর্থ কী?

উত্তর : শ্রী শব্দের অর্থ হলো ধন-ধান্য, বল-বিক্রম, যশ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ ভারত সেবাশ্রম কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর : ভারত সেবাশ্রম স্বামী প্রণবানন্দ প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র আবির্ভূত হন কত সালে?

উত্তর : ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র আবির্ভুত হন ১৮৮৮ সালে।

অনুধাবনমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ বৈদিক যুগ বলতে কী বোঝ?

উত্তর : হিন্দুধর্মের বিকাশমান বৈশিষ্ট্যের একটি হলো বৈদিক যুগ। মূলত এ যুগে বৈদিক বা বেদের মন্ত্র অনুসারে যাগ-যজ্ঞের মাধ্যমে দেবগণের অভীষ্ট লাভের প্রার্থনা করা হতো।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ রামকৃষ্ণ মঠ সম্পর্কে লেখ।

উত্তর : ঠাকুর রামকৃষ্ণের ভাবাদর্শগুলো প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৮৮৬ সালে রামকৃষ্ণ মঠ প্রতিষ্ঠিত হয়। যা “যত মত, তত পথ; যত্র জীব, তত্র শিব” এসব মত প্রকাশের প্রধান মাধ্যম।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ হিন্দুধর্ম একটি বিকাশমান ধর্ম-কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : হিন্দুধর্মের অপর নাম সনাতন ধর্ম। এই ধর্মটি বিকাশমান ধর্ম হওয়ার কারণে তা সুপ্রাচীনকাল থেকে এখনও পর্যন্ত টিকে আছে।

বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত ধর্মসমূহের মধ্যে হিন্দুধর্ম তথা সনাতন ধর্ম একাধারে প্রাচীন ও নবীন। প্রাচীন এ কারণে যে সনাতন ধর্ম তার সনাতন ঐতিহ্য বজায় রেখেছে।

মূল মতাদর্শের সাথে হিন্দুধর্মে নতুন নতুন নানা তত্ত্বের সম্মিলনে এই ধর্ম বিকাশ লাভ করেছে যুগে যুগে। তাই বলা যায়, হিন্দুধর্ম একটি বিকাশমান ধর্ম।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ শ্রীমদভগবদগীতার ভক্তিবাদের প্রসঙ্গ সম্বন্ধে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ধর্মচর্চার অবলম্বন হিসেবে সনাতন সাধনার চিন্তাজগতে এক বিশেষ পরিবর্তন ঘটিয়েছে ভক্তি। এ প্রসঙ্গে শ্রীমদভগবদগীতার প্রসঙ্গটি স্মরণীয়। ভক্তি পথে ঈশ্বর আরাধনার বিশেষ আহ্বান শ্রীমদভগবদগীতায় এ গ্রন্থটিতে হিন্দুধর্মের সাধন প্রক্রিয়াগুলোর কর্ম, জ্ঞান, ভক্তি ও রাজযোগ প্রভৃতি বিষয় সংরক্ষতি ও সমন্বিত রয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদার আহ্বান হিন্দুধর্মের সমন্বয় চেতনা বিবৃত হয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সনাতন ধর্ম বলতে কী বোঝ?

উত্তর : হিন্দুধর্মের অপর নাম সনাতন ধর্ম। এ ধর্মের মূলে রয়েছে ভগবান স্বয়ং। জগৎ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে এ ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে। অনুমান করা হয়, মানবসভ্যতার প্রাচীন যুগে মানবমনে যখন ধর্মবোধ জেগে ওঠে সেখান থেকে এই ধর্মের বিকাশ হয়। স্থানকাল পাত্রভেদে সমাজ সভ্যতার পালাবদল হলেও হিন্দুধর্মের ভাবগাম্ভীর্যতার মধ্য দিয়ে নিজের অবস্থান ধরে রাখায় ও সমসাময়িক অন্য ধর্মের অনুপস্থিতি বিধায় একে সনাতন ধর্ম বলা হয়।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ আর্যধর্ম কীভাবে প্রাধান্য লাভ করে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আর্যরা  এদেশের বহিরাগত সম্প্রদায় ছিল। তারা যখন ভারতে আসে তখন তাদের সঙ্গে ছিল নিজস্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি। এদেশের প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে আর্য সভ্যতার সংঘর্ষ এবং পরিণতিতে সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে আর্য সভ্যতার একটা সমন্বয় ঘটে। এর ফলে হিন্দুধর্মের ধর্মচর্চার সঙ্গে আর্যদের ধর্মবিশ্বাস মিলিত হয়ে একটা নতুন রূপ ধারণ করে। কালক্রমে আর্যসভ্যতা, আর্যধর্ম নামে প্রাধান্য লাভ করে। 

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ বাবা লোকনাথ ব্র‏হ্মচারী কে?

উত্তর : হিন্দুধর্মের সম্মুখ যাত্রার অন্যতম মহাপুরুষ বাবা লোকনাথ ব্র‏হ্মচারী। তিনি সাধনায় সিদ্ধি লাভ করার পরে লোকসেবার জন্য নিম্নভূমিতে নেমে এসেছিলেন। বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলার বারদীতে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে তিনি জনগণের সেবা করা শুরু করেন।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ স্মৃতিশাস্ত্র বলতে কী বোঝ?

উত্তর : স্মৃতিশাস্ত্রের অপর নাম ধর্মশাস্ত্র অর্থাৎ ধর্মীয় নীতি বিধান বা বিধি-বিধান। বৈদিক শিক্ষার কর্ম ও জ্ঞান এ দুই মতের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে সৃষ্টি হয় স্মৃতিশাস্ত্র।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ ‘জাগতিক কল্যাণ এবং পারমার্থিক মঙ্গল লাভই ধর্ম’ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ধর্ম মানুষের জাগতিক কল্যাণ এবং পারমার্থিক মঙ্গল লাভের পথনির্দেশক। সকল পার্থিব অযাচার, নিকৃষ্ট ও পথভ্রষ্টতার পাপাচার থেকে ধর্মই মানুষকে ধার্মিক করে তোলে। যেখানে পাপের সীমাহীন অতল গহ্বর থেকে আত্মরক্ষা দান করে। ধর্মের সুমহান বিধির মাধ্যমে মানুষ পাপাচারকে চিনতে পারে এবং পরকালীন মুক্তির পথ গ্রহণ করতে পারে আর এজন্য বলা  ‘জাগতিক কল্যাণ এবং পারমার্থিক মঙ্গললাভই-ধর্ম।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ স্মৃতিশাস্ত্রের মূল উপজীব্য বিষয় কী?

উত্তর : বৈদিক শিক্ষার কর্ম ও জ্ঞান-এ দুই মতের সংযোগ স্থাপন করে সৃষ্টি হয় স্মৃতিশাস্ত্র। এই শাস্ত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে মোক্ষলাভের জন্য কর্ম ও জ্ঞান উভয়েরই প্রয়োজন। এর মাধ্যমে হিন্দুদের জীবন চর্চার আশ্রম বিভাগ সম্পর্কে জানা যায়। এছাড়াও গার্হস্থ্য আশ্রমে ধর্ম সংযুক্ত অর্থ, কাম, সেবা ও আচরণীয় সম্পর্কেও অনুধাবন করা যায়। স্মৃতিশাস্ত্রে হিন্দুসমাজ পরিচালনার বিধিবিধানও সন্নিবেশিত রয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ বৈদিক যুগের ঋষিগণ কীভাবে প্রার্থনা করতেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বৈদিক যুগের ঋষিগণ জাগতিক এবং পারমার্থিক কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে যাগযজ্ঞ এবং সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণের মাধ্যমে প্রার্থনা করতেন। বৈদিক যুগের শুরুতে মুখবাদী এবং জীবনবাদী ঋষিরা জীবের প্রতি ভালোবাসা, জীবনের সমৃদ্ধি প্রভৃতি অর্জনের জন্য যাগযজ্ঞ অনুশীলন করতেন।  পরবর্তীতে তারা কাম্যকর্ম পরিত্যাগ করে মোক্ষলাভের জন্য সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ রাজা রামমোহন রায় কেন ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর : হিন্দুধর্মের পথিকৃৎ রাজা রামমোহন রায় লক্ষ করলেন যে বিভিন্ন দেব-দেবীর উপাসক হয়ে এক হিন্দু সম্প্রদায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠী চিন্তায় সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে, সব উপাস্য যে একই ব্র‏েহ্মর বিভিন্ন প্রকাশ হিন্দু সম্প্রদায় ভুলতে বসেছে। তখন তিনি এক ব্রহ্মের উপাসনার তত্ত্ব উপস্থাপন করলেন। হিন্দুধর্মালম্বীদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য এক ব্রহ্মকে সাধনার আহ্বান জানালেন। স্থাপন করলেন ‘ব্রাহ্মসমাজ’।  

Mustafij Sir

Recent Posts

HSC Synonym Antonym Board Question All Board

WordsMeaningsSynonyms    antonymsouterবাইরেরoutmostinnerproletarianদরিদ্র/সর্বহারাWorking-classmorallaunchশুরু করাIntroductionwithdrawpreparingপ্রস্তুতিGet-readydoubtfaultlesslyনির্দোষভাবেabsolutelyfaultynauseaবমিবমিভাবvomitingheadachediscomfortঅসস্তিupsetcomfortmaintainedবজায় করাsustainuselessLaterকরেnextearlierdynamicগতিশীলAggressivestaticplanপরিকল্পনাproposaldisorderaimলক্ষGoalaimlessdirectionনিদ্ধেশনাInstructionnoticeprofessionপেশাJobjoblesssuitsআকারFormnothingaptitudeযোগ্যতাAttitudedislikevaryপরিবর্তীতVariousfixeducatedশিক্ষিতLearneduneducatedcitizenনাগরিকnativeforeignervirtueপূর্ণgoodnessevilA lotঅনেকhugelittlecourteousবিনয়ীpoliterudediscourtesyঅবিনয়ীrudenesscourteouswinজয় করাgainloseenemyশত্রুfoefriendensureনিশ্চিত করাconfirmcancelangerরাগtempercalmnessremoveঅপসারণcancelputcordialityসোহার্দrudenessdiscordialitydifferentভিন্নDissimilarsameseeksঅনুসন্ধানPursuefindeagerআগ্রহীinterestdisinterestedobservationপর্যবেক্ষণExaminationneglectmereএকমাত্রImmenseabnormalalertসতর্কWatchfulunawarelatentসুপ্তOpenrealizedinstructorsপ্রশিকক্ষকteacherstudentguideগাইডmentormisguidewayপথ/উপায়Pathpartfascinatingচমৎকারexcellentunattractiveinterestআগ্রহীeagerdisregardimpatientঅধৈয্যIntolerancepatientillogicalঅযোক্তিকunethicalLogicalindifferentউদাসীনUninteresteddifferentethicallyনৈথিকভাবেlawfullyUnethicalGood-lookingচমৎকারAttractiveUnattractiveDarkঅন্ধকারBlackbrightFlawlessস্থিরperfectflawedShinyউজ্জল্যbrightdarkSlenderসরুthinfatGracefulকরুনাময়elegantungracefulStylishlyআড়ম্বরপূর্ণভাবেattractivesimplyAppreciatesপ্রশংসা করেpriesCriticizeNoticeলক্ষ করেadvertisementoverlookAmbitionউচ্ছাকাঙকাAim/desirelazinessRequireপ্রয়োজনneedanswerProficiencyদক্ষতাskilledincompetenceWonderআশ্চয্যSurprisedisinterestTestedপরীক্ষীতverifiednewEquallyসমানভাবেsimilarlyUnequallyDisappointingহতাশাজনকInceptingappointingPresumablyসম্ভবতdoubtlesslyimprobableQualifyযোগ্যতাcertifyDisqualifywrongভুলmistakewriteIdealআদর্শModelbadMasterদক্ষTeacherStudentMakesতৈরীcreateBreak/destroyMethodপদ্ধতিSystemdifferenceConvincingবিশ্বাসীsatisfactoryUnconvincingPraisesপ্রশাংসা করেhurrahCriticizeMistakeভুলErrorsagacityAngryরাগevilcalmSimpleসাধারণgeneralComplexmoralনৈতিকethicalamoralAcceptedগৃহিতreceivedrejectedSincerityআন্তরিকতাGood-willinsincerityResponsibilityদায়িত্বdutiesdepartureComplexityজটিলতাcomplicationSimplicityEnvyহিংসাlastedpraiseVicesমন্দevilVirtueImpactsপ্রভাবeffectfailsAwarenessসতর্কতাalertnessunawarenessOut-comeবাহিরের দিকresultcauseimportanceগুর্ত্বপূর্ণsignificanceinsignificanceFriendবন্দুenemyfoeNeedপ্রয়োজনcommitment/necessaryavoidSympathyসহানুভুতিkindnessrudenessProveপ্রমানconfirmdisproveFalseমিথ্যাwrongtrueHarmক্ষতিকরlosshelpLaughহাসাburstcryPleasureআনন্দhappinesssadnessBringআনাcarryleaveideaধারণাconceptnothingAllowঅনুমতিpermitdenyFreedomস্বাধীনতাindependencebondageOpinionমতামতviewawarenessFairমেলাcleanunfairEqualসমানbalancedunequalDivisionবিভাগdistributionunionElectনির্বাচন করাvoterefuseSystemনিয়ম-নীতিprocesspartTreatmentচিকিৎশা করাcuringhurtFacilityসুবিধাadvantagepainNeverকখন নয়NotingAlwaysWeakerদুর্বলrottenstrongerDiscourageনিরুৎসাহিতdroopEncourageFrustratingহতাশাজনকBuffaloingsatisfyingInterestআগ্রহীeagernessdiscourageAbilityসক্ষমতাCapabilityinabilityDreamস্বপ্নfancyfactBestসবচেয়ে ভালfinestworstSuccessসফলতাachievementfailureachieveঅর্জন…

8 months ago

সরকারি চাকরী খুজুন ঘরে বসেঃ ইন্টারনেটে চাকরীর খোঁজ(জরুরী ধাপ ও নির্ভরযোগ্য সকল ওয়েবসাইট)

আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক…

2 years ago

HSC 2023- English 1st Paper Model Question and Solution-1

Model Question 1 Part-I : Marks 60 1. Read the passage and answer the questions…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-পঞ্চম অধ্যায়- দেবদেবী ও পূজা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম অধ্যায় দেবদেবী ও পূজা এ অধ্যায়ে আমরা পূজা, পুরোহিতের ধারণা ও যোগ্যতা, দেবী দুর্গা,…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-চতুর্থ অধ্যায়- হিন্দুধর্মে সংস্কার সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

চতুর্থ অধ্যার হিন্দুধর্মে সংস্কার আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-তৃতীয় অধ্যায়, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

তৃতীয় অধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয়…

2 years ago

This website uses cookies.