ssc bangla 1st paper

৯ম-১০ম শ্রেণী বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃ বাঙলা শব্দ

বাঙলা শব্দ

লেখক পরিচিতি

নাম হুমায়ুন আজাদ।

জন্ম পরিচয়     জন্ম তারিখ     :    ১৯৪৭ সালের ২৮শে এপ্রিল।

জন্মস্থান   :    মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের অন্তর্গত রাড়িখাল গ্রাম।

কর্মজীবন/ পেশা দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

সাহিত্যসাধনা    একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, ভাষাবিজ্ঞানী ইত্যাদি নানা পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন।

উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কাব্য : অলৌকিক ইস্টিমার, জ্বলো চিতাবাঘ, সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু।

উপন্যাস : ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল, সব কিছু ভেঙে পড়ে।

গল্পগ্রন্থ : যাদুকরের মৃত্যু।

প্রবন্ধগ্রন্থ : নিবিড় নীলিমা, বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র, বাক্যতত্ত্ব, লাল নীল দীপাবলি, কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী।

পুরস্কার ও সম্মাননা    সাহিত্যক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন।

মৃত্যু ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই আগস্ট।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

 ১.    পণ্ডিত স্যার ক্লাসে প্রায়ই সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করেন। তাঁর মতে, বাংলা হলো সংস্কৃতের মেয়ে। অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষা থেকেই বাংলা ভাষার জন্ম। এ বিষয়ে কৌতূহলী বেশ কিছু শিক্ষার্থী শেকড়ের সন্ধানে গিয়ে দেখে যে, শুধু সংস্কৃত নয় বরং বিভিন্ন ভাষার শব্দ পরিবর্তিত, আংশিক পরিবর্তিত বা অপরিবর্তিত রূপের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে বাংলা ভাষার ভিত। তাই তারা মনে করে সংস্কৃতের সাথে বাংলা ভাষার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও বাংলা ভাষাকে সংস্কৃতের মেয়ে বলা যায় না।

ক.   বাংলা ভাষার শতকরা কতটি তৎসম শব্দ?

খ.   ‘পরিবর্তনের স্রোতে ভাসা শব্দেই উজ্জ্বল বাংলা ভাষা’ লেখকের এরূপ মন্তব্যের কারণ কী?

গ.   উদ্দীপকে শিক্ষার্থীর অনুসন্ধানে ফুটে ওঠা বাংলা ভাষার শব্দের গতিপথের উন্মোচিত দিকটি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো।

ঘ.   বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সম্পর্কে পণ্ডিত মশাইয়ের বক্তব্যের যৌক্তকতা ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

১ নং প্র. উ.

ক.  বাংলা ভাষার শতকরা চুয়াল্লিশটি তৎসম শব্দ।

খ.   পরিবর্তিত হতে হতে বাংলা ভাষার শব্দ বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে লেখক প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।

      প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার বিপুল পরিমাণ শব্দ নিয়মকানুন মেনে রূপ বদলিয়ে মধ্যভারতীয় আর্যভাষায় অর্থাৎ প্রাকৃত শব্দে পরিণত হয়। এই শব্দগুলো গা ভাসিয়ে দিয়েছিল পরিবর্তনের স্রোতে। প্রাকৃতে আসার পর আবার বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে তারা বদলে যায়। পরিণত হয় বাংলা শব্দে। এ পরিবর্তনের স্রেতে ভাসা শব্দেই উজ্জ্বল বাংলা ভাষা।

গ.   উদ্দীপকের শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানে ফুটে ওঠা বাংলা ভাষার শব্দের গতিপথের উন্মোচিত দিকটি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বিভিন্ন ভাষা থেকে আসা শব্দের আলোচনার সাথে সংগতিপূর্ণ।

      বিভিন্ন ভাষার শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। দিন দিন মানুষ কঠিন শব্দ পরিহার করে সহজ শব্দ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় চন্দ্র শব্দটি (চন্দ্রচন্দচাঁদ) চাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এভাবে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার বিপুল পরিমাণ শব্দ পরিবর্তিত হয়ে প্রাকৃত ভাষায় রূপ নেয়। প্রাকৃত থেকে আরো একটু পরিবর্তিত হয়ে তা বাংলা শব্দে পরিণত হয়। বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারের সমৃদ্ধিতে বিভিন্ন ভাষা থেকে আসা শব্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

      উদ্দীপকে সংস্কৃত ভাষানুরাগী পণ্ডিত স্যারের বক্তব্যের সত্যতা অনুসন্ধান করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যে বাংলা ভাষায় উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে সেই বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। পণ্ডিত স্যার শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন বাংলা হলো সংস্কৃতের মেয়ে। কিন্তু তারা তা মেনে নেয়নি। তারা শেকড়ের সন্ধান করতে গিয়ে জেনেছে সংস্কৃত নয় বরং বিভিন্ন ভাষার শব্দ পরিবর্তিত হয়ে বাংলার ভিত্তি গড়ে তুলেছে। একক কোনো ভাষার মাধ্যমে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হয়নি। তাই উদ্দীপকের এই বিষয়টি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বাংলা ভাষার বিভিন্ন শব্দের উৎসমূল বিশ্লেষণের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। আর সেভাবেই তৎসম, অর্ধতৎসম, তদ্ভব,  দেশি, বিদেশি শব্দের সমন্বয়ে বাংলা ভাষায় শব্দ ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে।

ঘ.   ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা ভাষার সব শব্দ সংস্কৃত থেকে আসেনি। ফলে উদ্দীপকের পণ্ডিত স্যারের বক্তব্যের অসারতা প্রমাণিত হয়।

      ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে আমরা পাই, বাংলা ভাষার শরীর গড়ে উঠেছে তিন রকম শব্দ মিলে। সেগুলো হলো তৎসম, অর্ধতৎসম ও তদ্ভব। এই তিন ধরনের শব্দের সাথে দেশি ও বিদেশি শব্দ মিলে গড়ে উঠেছে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার। বাংলা ভাষার শব্দের শতকরা বায়ান্নটি শব্দ তদ্ভব ও অর্ধতৎসম। শতকরা চুয়াল্লিশটি তৎসম শব্দ।

      উদ্দীপকের পণ্ডিত স্যার মনে করেন বাংলা সংস্কৃতের মেয়ে। প্রকৃত প্রস্তাবে এ কথাটি আদৌ সত্য নয়। কারণ বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশে এককভাবে কোনো ভাষা অবদান রাখেনি। বরং নানা ভাষার বিভিন্ন শব্দ এসে এই ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে কোন ভাষার শব্দ কী হারে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে তাও তুলে ধরা হয়েছে।

      ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদ তাঁর ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারের সমৃদ্ধি এবং প্রচলিত ভাষাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। লেখক অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দগুলোর উৎপত্তি, বিকাশ ও ব্যবহার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেছেন। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে রূপ বদল করে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে বহু শব্দ। আবার আদিবাসী ভাষা থেকে এসেছে দেশি শব্দ। অন্যদিকে বিদেশিদের আগমনের ফলে বেশ কিছু বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। এসব বিষয় বিবেচনা করলে দেখা যায়, পণ্ডিত স্যারের বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ বাংলা ভাষায় সব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে আসেনি।

২.    গত কয়েকশত বছরে বিভিন্ন জাতি এই জনপদে এসেছে। তাদের মুখের ভাষা ছিল ভিন্ন ভিন্ন রকমের। ভিন্ন ভিন্ন এই ভাষাকে ধারণ করেছে আমাদের বাংলা ভাষা। কোল মুণ্ডা থেকে আর্য সম্প্রদায়, প্রাকৃতজনের ভাষার পথ ধরে আসা বিভিন্ন শব্দকে বাংলা ভাষা নিজের সন্তানের মতো কোলে তুলে নিয়েছে। এভাবেই পরিভ্রমণের পথ ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা।

ক.   হুমায়ুন আজাদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?   ১

খ.   ‘আমাদের সবচেয়ে প্রিয়রা’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।   ২

গ.   উদ্দীপকের সাথে ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা  করো।    ৩

ঘ.   ‘বিভিন্ন পথ পরিভ্রমণের জন্য ভাষা টিকে থাকে, সমৃদ্ধ হয়।’ ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধ ও উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।    ৪

২ নং প্র. উ.

ক.   হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

খ.   বাংলা ভাষায় আগত তদ্ভব শব্দগুলো আমাদের উচ্চারণে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় বলে এগুলোকে সবচেয়ে প্রিয় বলা হয়েছে।

     বাংলা ভাষায় নানা ভাষা থেকে শব্দের আগমন ঘটেছে। নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শব্দগুলো বাংলা ভাষায় স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। তারই একটি প্রকার হলো তদ্ভব শব্দ। এ শব্দগুলো অনেক নিয়ম মেনে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। এতে আমাদের শব্দভাণ্ডার হয়েছে সমৃদ্ধ। উচ্চারণ করা সহজ এবং শ্রুতিমধুর বলে এ শব্দগুলোর ব্যবহারও বাংলা ভাষায় বেশি। এসব কারণেই লেখক এই শব্দগুলোকে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় বলেছেন।

গ.   ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বাংলা শব্দের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের সাথে উদ্দীপকে আলোচ্য বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ।

     ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে লেখক বাংলা শব্দের বিবর্তনের দিকটি তুলে ধরেছেন। পরিবর্তনের ধারায় ভাষাও তার রূপ বদল করে। ভাষার ধর্মই বদলে যাওয়া। আমরা বাংলা ভাষার সেসব শব্দ ব্যবহার করি সেগুলো বিভিন্ন ভাষা থেকে এসেছে। বাংলা ভাষার মূলের ব্যাপ্তি আদি শব্দসংখ্যার দিক দিয়ে খুবই সামান্য। বিভিন্ন ভাষায় শব্দ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে।

     উদ্দীপকে বিভিন্ন জাতির আগমনে বাংলা ভাষার সমৃদ্ধির দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। দেশ শাসন, ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন জাতির আগমন ঘটে এই অঞ্চলে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের ব্যবহৃত ভাষার শব্দ বাংলা ভাষায় ঢুকে পড়ে। সেসব শব্দ আমাদের বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে ভাষাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের মূলভাবের সাথে উদ্দীপকের বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ.   উদ্দীপক ও ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন পথ পরিভ্রমণের জন্য ভাষা টিকে থাকে, সমৃদ্ধ হয়।

     ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদ তার ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বাংলা ভাষার শব্দ কীভাবে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, ঐ শব্দগুলো কীভাবে রূপ পরিবর্তন করেছে সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন। মোটকথা, বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা উপস্থাপন করেছেন ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে।

     উদ্দীপকে উল্লিখিত বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ বিভিন্ন কারণে এ অঞ্চলে আগমন করে। তাদের পরিভ্রমণ শুধু শারীরিক ছিল না। এই পরিভ্রমণ ছিল ভাষার দিক থেকেও। তুর্কি, ফারসি, আরবি, ইংরেজি, ওলন্দাজ, পর্তুগিজ প্রভৃতি ভাষার শব্দ, শব্দসম্ভারই তার প্রমাণ। এই ভাষাভাষী মানুষের প্রভাব ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।

     ‘বিভিন্ন পথ পরিভ্রমণের জন্য ভাষা টিকে থাকে, সমৃদ্ধ হয়’ কথাটি যথার্থ। কারণ এদেশে বিভিন্ন জাতির আগমন না ঘটলে ঐ বিদেশি শব্দগুলোর প্রবেশ বাংলাভাষায় ঘটত না। ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে লেখক দেখিয়েছেন বাংলা ভাষায় কীভাবে বিভিন্ন বিদেশি শব্দ যুগে যুগে খোলস বদলে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। আর এভাবে নতুন নতুন শব্দের আগমনে ভাষাও হয়েছে সমৃদ্ধ। উদ্দীপকে প্রবন্ধের এই দিকটিই তুলে ধরা হয়েছে। যুগে যুগে নতুন নতুন শব্দ আত্তীকরণের ফলে ভাষার সমৃদ্ধি ঘটে। আর বাংলা ভাষাও এভাবেই সমৃদ্ধ হয়েছে। এই বিষয়টি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধ এবং উদ্দীপক উভয় স্থানেই তুলে ধরা হয়েছে।

৩.    বাংলা ব্যাকরণের ক্লাসে শিক্ষক জালাল সাহেব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা এখন বাংলা ভাষার যে শব্দসম্ভার লক্ষ করছো তা একদিন এইভাবে সমৃদ্ধ হয়নি। বাংলা ভাষার সব শব্দ তার নিজস্ব নয়। এগুলো বিভিন্ন ভাষা থেকে এসেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ইংরেজি, ফারসি, সংস্কৃত, হিন্দি, আরবি, পর্তুগিজ ইত্যাদি শব্দ বাংলা শব্দভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে। এগুলো এখন আর বিদেশি শব্দ নয়, বাংলা ভাষার নিজস্ব শব্দ।

ক.   ‘তদ্ভব’ শব্দের অর্থ কী? ১

খ.   ‘আরো আছে কিছু তীর্থযাত্রী, যারা পথ হেঁটেছে আরো বেশি’Ñ কথাটি কেন বলা হয়েছে?    ২

গ.   উদ্দীপকটি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   জালাল সাহেবের বক্তব্য ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪

৩ নং প্র. উ.

ক.   ‘তদ্ভব’ শব্দের অর্থ ‘সংস্কৃত থেকে জন্ম নেওয়া’।

খ.   বাংলা ভাষায় আগত কিছু তদ্ভব শব্দ তুলনামলক বেশি পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে বলে উক্তিটি করেছেন লেখক।

     বাংলা ভাষার অন্তর্গত অধিকাংশ তদ্ভব শব্দের মূল হলো সংস্কৃত। সংস্কৃত থেকে নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগুলো তদ্ভব শব্দে রূপান্তরিত হয়েছে। এক্ষেত্রে রূপান্তরের ধারাবাহিকতা হলো সংস্কৃত  প্রাকৃত  তদ্ভব। আরও কিছু তদ্ভব শব্দ রয়েছে যেগুলো এসেছে বিদেশি শব্দ থেকে। এদের ক্ষেত্রে পরিবর্তনটি ঘটেছে বিদেশি শব্দ  সংস্কৃত  প্রাকৃত  তদ্ভব। অন্য ভাষায় এসেছে বলেই তারা বেশি পথ হেঁটেছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

গ.   উদ্দীপকে জালাল সাহেবের বক্তব্যটি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বাংলা শব্দের উদ্ভব ও বিকাশধারার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

     ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে লেখক হুমায়ুন আজাদ প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে এবং বিভিন্ন বিদেশি ভাষার শব্দ কীভাবে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে তার ক্রমধারা বর্ণনা করেছেন। ঐ সব শব্দ যে সব নিয়ম মেনে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে তারও উল্লেখ রয়েছে।

     উদ্দীপকে শিক্ষক জালাল সাহেব তার শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার প্রসঙ্গে আলোকপাত করেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী বাংলা ভাষায় সব শব্দই তার নিজস্ব নয়। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের এদেশে আগমনের ফলে বিভিন্ন ভাষার শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন ভাষার শব্দ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলায় এসেছে। এখন তা বাংলা ভাষার নিজস্ব শব্দ বলে পরিগণিত হচ্ছে।

ঘ.   উদ্দীপকে জালাল সাহেব বলেছেন, বাংলা ভাষার সব শব্দ তার নিজস্ব নয়, এগুলো বিভিন্ন ভাষা থেকে এসেছে। ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোচনাও এই উক্তিকে সমর্থন করে।

      ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে লেখক বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ এবং ভাষা কীভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে সেই আলোচনা লিপিবদ্ধ করেছেন। শুরুতে বাংলা এত সমৃদ্ধ ভাষা ছিল না। এর ব্যবহৃত শব্দ ছিল খুবই অল্প। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণে বিভিন্ন জাতি এদেশে আছে। ফলে তাদের সংস্পর্শে এসে তাদের ব্যবহৃত অনেক শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে। প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার শব্দসহ বিভিন্ন ভাষার শব্দ এসেছে বাংলা ভাষায়।

      উদ্দীপকে জালাল সাহেব তার শিক্ষার্থীদের বলেছেন, বাংলা ভাষার শব্দ একদিনে সমৃদ্ধ হয়নি। শত শত বছর ধরে বিভিন্ন ভাষার শব্দ বাংলায় প্রবেশ করেছে। বাংলা ভাষায় সব শব্দ তার নিজস্ব নয়। সেই ধারাবাহিকতায় ইংরেজি, আরবি, ফারসি, সংস্কৃত, হিন্দি, পর্তুগিজ ইত্যাদি শব্দ আজ বাংলা ভাষার নিজস্ব শব্দে পরিণত হয়েছে।

      ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবর্তনের স্রোতে ভাসা শব্দেই উজ্জ্বল বাংলা ভাষা। আর বেশিসংখ্যক শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে। পরে তা বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে বদলিয়ে যাওয়ার পর তা বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে। যেমন চন্দ্র  চন্দ  চাঁদ। আবার প্রচুর বিদেশি শব্দ হুবহু বাংলা ভাষায় এসেছে। উদ্দীপকের শিক্ষক জালাল সাহেব তার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে একই কথার প্রতিধ্বনি করেছেন। তিনি যথার্থই বলেছেন, বাংলা ভাষার সব শব্দ তার নিজস্ব নয়। বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারে কী কী বিদেশি শব্দ যুক্ত হয়েছে তাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। ওই বিদেশি শব্দগুলো এখন বাংলা ভাষার নিজস্ব শব্দ।

৪.    এখন আমরা যে বাংলা ভাষা বলি, এক হাজার বছর আগে তা ঠিক এমন ছিল না। এক হাজার বছর পরও ঠিক এমন থাকবে না। ভাষার ধর্মই বদলে যাওয়া। বাংলা ভাষার আগেও এদেশে ভাষা ছিল। সে ভাষায় এদেশের মানুষ কথা বলত, গান গাইত, কবিতা বানাত। মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষার ধ্বনি। রূপ বদলে যায় শব্দের, বদল ঘটে অর্থের। অনেক দিন কেটে গেলে মনে হয় ভাষাটি একটি নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। আর সে ভাষার বদল ঘটেই জন্ম হয়েছে বাংলা ভাষার।

ক.   ‘দাম’ শব্দটি গ্রিক ভাষার কোন শব্দ থেকে এসেছে?  ১

খ.   মার্জিত পরিবেশে অর্ধতৎসম শব্দ ব্যবহার করা যায় না কেন?    ২

গ.   উদ্দীপকে ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের কোন দিকটির ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা  করো। ৩

ঘ.   ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বর্ণিত অর্ধ তৎসম ও তদ্ভব শব্দের উৎপত্তির ব্যাখ্যা উদ্দীপক থেকে পাওয়া যায় কী? মতামত দাও।    ৪

৪ নং প্র. উ.

ক.   ‘দাম শব্দটি গ্রিক ভাষার ‘দ্রাখ্মে’ শব্দ থেকে এসেছে।

খ.   অর্ধতৎসম শব্দগুলো বিকলাঙ্গ রূপ ধারণ করে বাংলা ভাষায় অবস্থান করায় মার্জিত পরিবেশে এ শব্দগুলো ব্যবহৃত হয় না।

     অর্ধতৎসম শব্দগুলো কিছুটা রুগ্ণভাবে বাংলা ভাষায় এসেছে। সংস্কৃত ভাষার কিছু শব্দ কিছুটা রূপ বদলে ঢুকেছিল প্রাকৃত ভাষায়। যেমন ‘কৃষ্ণ’ শব্দটি প্রাকৃতে হয় কেষ্ট। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রাকৃত রূপ নিয়েই অবিকশিতভাবে এগুলো বাংলায় প্রবেশ করে। এই শব্দগুলোর পূর্ণতাপ্রাপ্তি না ঘটায় এগুলোকে ত্রুটিযুক্ত মনে করা হয়। এ কারণেই মার্জিত পরিবেশে অর্ধতৎসম শব্দের ব্যবহার নেই।

গ.   উদ্দীপকে ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বর্ণিত শব্দের বিবর্তনের দিকটির ইঙ্গিত রয়েছে।

      ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে লেখক অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় বাংলা শব্দের বিবর্তনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দগুলোকে ভাষাতাত্ত্বিকেরা বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে এর উৎপত্তিবিন্যাস করেছেন। সেই অনুযায়ী বাংলা শব্দ কীভাবে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষার শব্দসম্ভারকে সমৃদ্ধ করেছে, তা লেখক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। লেখকের উপস্থাপিত এই শব্দের বিবর্তন বিষয়ে জেনে পাঠক বাংলা ভাষার উৎপত্তির বিষয়ে অবগত হবে।

      উদ্দীপকে কালপরম্পরায় বাংলা ভাষার বিবর্তনের বর্ণনা করা হয়েছে। ভাষা মানুষের মুখে মুখে বদলে যায়। মূলত ভাষার পরিবর্তন ঘটে শব্দের রূপ পরিবর্তনের ফলে। একেক শব্দ যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে একেক রূপ ধারণ করে। ফলে তার উচ্চারণ, অর্থ প্রভৃতি বদলে যায়। এতে পরিবর্তন ঘটে ভাষার। উদ্দীপকে প্রদত্ত ভাষার পরিবর্তনের এ ধারণাটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধটি পাঠ করলে। সেখানেও বাংলা শব্দ বিবর্তনের ধারণাই প্রদান করা হয়েছে। তাই বলা যায়, শব্দের বিবর্তনের বর্ণনার দিক থেকে উদ্দীপক এবং ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের মিল রয়েছে।

ঘ.   ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে শব্দের উৎপত্তি বিষয়ে যেসব আলোচনা রয়েছে তার মধ্যে অর্ধতৎসম ও তদ্ভব শব্দের উৎপত্তির ব্যাখ্যা উদ্দীপক থেকে পাওয়া যায়।

      ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বাংলা শব্দের উৎপত্তিগত দিক নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বাংলা ভাষার শব্দসম্ভারকে যে প্রচলিত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে তার তৎসম, অর্ধতৎসম, তদ্ভব এবং দেশি শব্দ নিয়ে প্রবন্ধটিতে আলোচনা করা হয়েছে। শ্রেণি বিন্যাসকৃত এসব শব্দ সমূহ কীভাবে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে নানা বিবর্তনের ধারাবাহিকতা  লেখক সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন।

      উদ্দীপকে বাংলা ভাষার বিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। বাংলা ভাষা দীর্ঘকাল আগে কী অবস্থানে ছিল এবং কালের ধারাবাহিকতায় কী পরিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান অবস্থানে এসেছে, তা লেখক তুলে ধরেছেন। বাংলা ভাষার বেশির ভাগ শব্দ সংস্কৃত থেকে নানা পরিবর্তন ঘটে বাংলায় এসেছে। এই পরিবর্তনের ধরনভেদে অর্ধতৎসম এবং তদ্ভব শব্দ হয়েছে। উদ্দীপকে শব্দের এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

      ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় এসেছে তা অর্ধতৎসম শব্দ। অন্যদিকে যেসব শব্দ নিয়ম মেনে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় এসেছে তা তদ্ভব শব্দ। উদ্দীপকে এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে। সেখানে শব্দের রূপ ও অর্থ বদলে নতুন ভাষা সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। আর অর্ধতৎসম এবং তদ্ভব শব্দেই শব্দের রূপ এবং অর্থের বদল ঘটে। তাই ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বর্ণিত অর্ধতৎসম এবং তদ্ভব শব্দের উৎপত্তির ব্যাখ্যা উদ্দীপক থেকে পাওয়া যায়।

 ৫.   নানা রকমের শব্দ আছে আমাদের বাংলা ভাষায়। তোমাকে জানতে হবে সেসব শব্দকে। কিছু কিছু শব্দ আছে, যেগুলোর গায়ে হলুদ-সবুজ-লাল-নীল-বাদামি-খয়েরি রং আছে। তোমাকে চিনতে হবে শব্দের রং। অনেক শব্দ আছে, যেগুলোর শরীর থেকে সুর বেরোয় : কোনো কোনো শব্দে বাঁশির সুর শোনা যায়, কোনো কোনো শব্দে শোনা যায় হাসির সুর। কোনো শব্দে বাজে শুকনো পাতার খসখসে আওয়াজ, কোনোটিতে বেহালার সুর। কোনো কোনো শব্দ তোমার পায়ের নূপুরের মতো বাজে। তোমাকে শুনতে হবে শব্দের সুর ও স্বর। অনেক শব্দ আছে বাংলা ভাষায় যেগুলোর শরীর থেকে সুগন্ধ বেরোয়। কোনোটির শরীর থেকে ভেসে আসে লাল গোলাপের গন্ধ, কোনোটির গা থেকে আসে কাঁঠালচাঁপার ঘ্রাণ, কোনোটি থেকে আসে বাতাবিলেবুর সুবাস। তুমি যদি দেখতে পাও শব্দের শরীরের রং, শুনতে পাও শব্দের সুর, টের পাও শব্দের সুগন্ধ, তাহলেই পারবে তুমি কবি হতে।

ক.   বাংলা ভাষায় শতকরা কয়টি শব্দ মৌলিক শব্দ? ১

খ.   ‘দর্শন’, ‘চন্দ্র’-এই শব্দগুলোকে তৎসম শব্দ বলা হয় কেন?  ২

গ.   উদ্দীপকটি ‘বাঙলা শব্দ’ রচনার কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা করো।  ৩

ঘ.   মিল থাকলেও উদ্দীপকের লেখক এবং ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের লেখকের মাঝে উদ্দেশ্যগত ভিন্নতা লক্ষ করা যায়Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ করো। ৪

৫ নং প্র. উ.

ক.   বাংলা ভাষায় শতকরা ছিয়ানব্বইটি শব্দ মৌলিক শব্দ।

খ.   ‘দর্শন’, ‘চন্দ্র’-এই শব্দগুলো খাঁটি সংস্কৃতের রূপেই বাংলা ভাষায় এসেছে বলে এগুলোকে তৎসম শব্দ বলা হয়।

     প্রাকৃত ভাষার ব্যাকরণ রচয়িতারা ‘তৎ’ বলতে বোঝাতেন সংস্কৃত ভাষাকে। ‘তৎসম’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘সংস্কৃতের সমান’ অর্থাৎ, সংস্কৃত। সংস্কৃত ভাষার কিছু শব্দের রূপ আজও অটল, অবিচল। শতকের পর শতক ধরে তাদের এই রূপ বজায় রয়েছে। এভাবেই অপরিবর্তিত রূপ নিয়েই তারা বাংলা ভাষায় এসেছে। ‘দর্শন’, ‘চন্দ্র’ ইত্যাদি সে ধরনের শব্দেরই উদাহরণ। সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি এসেছে বলে এগুলোকে তৎসম শব্দ বলা হয়।

গ.   উদ্দীপকটি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বর্ণিত বাংলা শব্দের বৈশিষ্ট্য বর্ণনার দিকটিকে ইঙ্গিত করেছে।

      ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে লেখক অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধের দিকটি তুলে ধরেছেন। বর্তমানে আমরা যে বাংলা ভাষায় কথা বলি তার শব্দসমূহ বিভিন্নভাবে আত্তীকৃত হয়ে বিবর্তনের মাধ্যমে বাংলায় এসেছে। এসব শব্দের প্রতিটিই স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। প্রবন্ধের লেখক বাংলা ভাষার এসব শব্দ নিয়েই আলোচনা করেছেন।

      উদ্দীপকেও ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের মতো বাংলা ভাষার শব্দসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে লেখক বাংলা ভাষার শব্দসমূহের স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্য সুন্দরভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। বাংলায় বিভিন্ন রকমের শব্দ রয়েছে। এসব শব্দ মিলেই ভাষা রূপ লাভ করে। প্রবন্ধে এই বিভিন্ন রকমের শব্দের আলোচনাই করা হয়েছে। আর উদ্দীপকেও এসব শব্দের কথা বলা হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের শব্দ বর্ণনার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।

ঘ.   মিল থাকলেও উদ্দীপকের লেখকের উদ্দেশ্য পাঠককে কবিতা তথা সাহিত্যে উদ্বুদ্ধকরণ এবং ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের লেখকের উদ্দেশ্য বাংলা ভাষার শব্দ তথা ব্যাকরণ বিষয়ে ধারণা প্রদান।

      ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে লেখক বাংলা ভাষার শব্দসমূহ নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলা ভাষার শব্দসমূহ কীভাবে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে, বর্তমান পর্যায়ে বাংলা ভাষা কোন প্রক্রিয়ায় এসেছে সেই বিষয়ে ধারণা প্রদানই লেখকের মূল উদ্দেশ্য। ভাষাতাত্ত্বিকেরা বাংলা ভাষার শব্দসম্ভারকে বিভিন্ন শ্রেণিতে শ্রেণিকরণ করে তার মূল নির্ণয় করতে চেয়েছেন। আর সেই দিকটির ধারণা প্রদানের জন্য লেখক ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধটি রচনা করেছেন।

      উদ্দীপকের লেখকের উদ্দেশ্য ব্যাকরণকেন্দ্রিক নয়, সাহিত্যকেন্দ্রিক। তিনি পাঠকদের বাংলা সাহিত্যের একটি শাখা কবিতার বিষয়ে ধারণা দিতে চেয়েছেন। কবিতা রচনা করতে গেলে বাংলা শব্দসমূহকে কীভাবে অনুভব করতে হয় এবং বাংলা শব্দের যেসব বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে হয় উদ্দীপকে লেখক সে বিষয়ে সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আর এই কবিতা হলো সাহিত্যের একটি শাখা।

      উদ্দীপক এবং ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধ উভয় স্থানেই বাংলা শব্দসম্ভার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকের লেখক আলোচনা করেছেন কবিতার ভাষার শব্দ নিয়ে আর ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে বাংলা ভাষার শব্দের উৎপত্তি বিষয়ে। ফলে দেখা যায়, উদ্দীপকের লেখকের আলোচনার বিষয় সাহিত্য এবং ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের লেখকের আলোচনার বিষয় ব্যাকরণ। তাই বলা যায়, মিল থাকলেও উদ্দীপকের লেখক এবং ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের লেখকের মাঝে উদ্দেশ্যগত ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   হুমায়ুন আজাদ দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন?

      উত্তর : হুমায়ুন আজাদ দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন।

২.   হুমায়ুন আজাদ কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

      উত্তর : হুমায়ুন আজাদ ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

৩.  ‘তৎসম’, ‘তদ্ভব’ পারিভাষিক শব্দগুলো চালু করেছিলেন কোন ভাষার ব্যাকরণ রচয়িতারা?

      উত্তর : ‘তৎসম”, তদ্ভব’ পারিভাষিক শব্দগুলো চালু করেছিলেন প্রাকৃত ভাষার ব্যাকরণ রচয়িতারা।

৪.   বাংলা ভাষায় শতকরা কয়টি শব্দ তদ্ভব ও অর্ধতৎসম?

      উত্তর : বাংলা ভাষায় শতকরা বায়ান্নটি শব্দ তদ্ভব ও অর্ধতৎসম।

৫.  ‘খাল’ শব্দটি তামিল ভাষার কোন শব্দ থেকে এসেছে?

      উত্তর : ‘খাল’ শব্দটি তামিল ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে এসেছে।

৬.  তামিল ‘কাল’ শব্দটি সংস্কৃতে পরিবর্তিত হয়ে কী হয়?

      উত্তর : তামিল ‘কাল’ শব্দটি সংস্কৃতে পরিবর্তিত হয়ে গল্প হয়।

৭.   গ্রিক ‘দ্রাখমে’ শব্দটি প্রাকৃতে পরিবর্তিত হয়ে কী হয়?

      উত্তর : গ্রিক ‘দ্রাখমে’ শব্দটি প্রাকৃতে পরিবর্তিত হয়ে ‘দম্ম’ হয়।

৮.  গ্রিক ভাষার শব্দ ‘সুরিংক্স্’ বাংলায় কোন শব্দে পরিবর্তিত হয়?

      উত্তর : গ্রিক ভাষার শব্দ ‘সুরিংক্স্’ বাংলায় ‘সুড়ঙ্গ’ শব্দে পরিবর্তিত হয়।

৯.  ‘তিগির’ শব্দটি কোন ভাষার অন্তর্গত?

      উত্তর : ‘তিগির’ শব্দটি তুর্কি ভাষার অন্তর্গত।

১০.  ‘বংশী’ শব্দটির তদ্ভব রূপ কী?

      উত্তর : ‘বংশী’ শব্দটির তদ্ভব রূপ ‘বাঁশি’।

১১.  কোন শতকে তৎসম শব্দ বাংলা ভাষাকে তার রাজ্যে পরিণত করে?

      উত্তর : উনিশ শতকে তৎসম শব্দ বাংলা ভাষাকে তার রাজ্যে পরিণত করে।

১২.  ‘রাত্রি’ শব্দটির অর্ধতৎসম রূপটি লেখো।

      উত্তর : ‘রাত্রি’ শব্দটির অর্ধতৎসম রূপটি হলো ‘রাত্তির’।

১৩. ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধটি কোন  গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?

      উত্তর : ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধটি ‘কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী’ নামক গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   ‘এগুলোকে কী করে বিদেশি বলি?’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।

      উত্তর : খাঁটি দেশি শব্দগুলো নানা বিদেশি ভাষা হলেও কালক্রমে এগুলো আমাদের অত্যন্ত আপন হয়ে গিয়েছে।

     তৎসম, অর্ধতৎসম ও তদ্ভব শব্দের বাইরেও আরও কিছু শব্দ আছে বাংলা ভাষায়। ভাষাতাত্ত্বিকেরা এগুলোর মূল নির্ণয় করতে পারেননি। বাংলা ভাষা উদ্ভবের আগে আমাদের দেশে কিছু ভাষা প্রচলিত ছিল। ধারণা করা যায়, এ বিশেষ শব্দগুলো সেখান থেকেই এসেছে। তাই এ শব্দগুলোকে অনেকে বিদেশি শব্দ হিসেবে বিচার করতে চান। কিন্তু ‘বাংলা শব্দ’ প্রবন্ধের লেখকের মতে, যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসায় এ শব্দগুলো আমাদের নিজস্ব শব্দরূপেই গৃহীত হওয়া উচিত। এগুলোকে তিনি দেশি শব্দ বলে অভিহিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

২.   ‘কেষ্ট’, ‘রাত্তির’ ইত্যাদি অর্ধতৎসম শব্দ বলা হয় কেন?

      উত্তর : কেষ্ট, ‘রাত্তির’ এ শব্দগুলো সংস্কৃত থেকে সামান্য পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে বলে এগুলোকে অর্ধতৎসম শব্দ বলা হয়।

     ‘তৎসম’ বলতে বোঝায় ‘সংস্কৃতের সমান’, অর্থাৎ, সংস্কৃত। ‘অর্ধতৎসম’ বলতে বোঝায় তৎসম থেকে কিছুটা পরিবর্তিত। সংস্কৃতের কিছু শব্দ রূপ বদলে ঢুকেছিল প্রাকৃতে। কিন্তু এরপর আর তাদের বদল ঘটেনি। প্রাকৃত রূপ নিয়েই অবিকশিতভাবে বাংলা ভাষায় অন্তর্ভুক্ত হয় তারা। ‘কেষ্ট’, ‘রাত্তির’ তেমনই শব্দ। সংস্কৃত শব্দের খানিকটা পরিবর্তন ঘটে বাংলায় এসেছে বলে এদের নাম অর্ধতৎসম।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি

১.   ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধটি হুমায়ুন আজাদের কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?                 ছ

      কনিবিড় নীলিমা খ   কতো নদী সরোবর

      গবাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র   ঘ    লাল নীল দীপাবলি

২.   হুমায়ুন আজাদ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? চ

      ক   ১৯৪৭ খ    ১৯৪৫

      গ   ১৯৫০     ঘ    ১৯৫২

৩.   হুমায়ুন আজাদের জন্ম কোন জেলায়?    ঝ

      ককুমিল্লা       খ   নারায়ণগঞ্জ

      গমানিকগঞ্জ    ঘ    মুন্সিগঞ্জ

৪.   ‘অলৌকিক ইস্টিমার’ কোন ধরনের রচনা?      ঝ

      কগল্প    খ   উপন্যাস

      গপ্রবন্ধ   ঘ    কাব্য

৫.   হুমায়ুন আজাদ দীর্ঘদিন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন?                           চ

      কঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

      খজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

      গচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ঘ    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

৬.   মুন্সিগঞ্জের কোন গ্রামে হুমায়ুন আজাদের জন্ম?      জ

      কশিবপুর      খ   চরঘোষপুর

      গরাড়িখাল ঘ    পাহাড়তলী

৭.   হুমায়ুন আজাদের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ কোনটি?      ছ

      ক   প্রাগৈতিহাসিক   খ    যাদুকরের মৃত্যু

      গ   সরীসৃপ    ঘ    তারিণী মাঝি

৮.   হুমায়ুন আজাদ কোন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন?    চ

      ক   বাংলা বিভাগ    খ    ইংরেজি বিভাগ

      গ   দর্শন বিভাগ     ঘ    সাংবাদিকতা বিভাগ

৯.   হুমায়ুন আজাদ কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? ছ

      ক   ২০১০ খ    ২০০৪

      গ   ২০০৮     ঘ    ২০০৬

১০.  কয় রকম শব্দ মিলে গড়ে উঠেছে বাংলা ভাষার শরীর?    জ

      ক   ৫   খ    ৪

      গ   ৩   ঘ    ২

১১.  ‘তৎসম’, ‘তদ্ভব’, পারিভাষিক শব্দগুলো কারা চালু করেছিলেন?                চ

      ক   প্রাকৃত ভাষার ব্যাকরণ রচয়িতারা

      খ    প্রাকৃত ভাষার ইতিহাসবিদরা

      গ   প্রাকৃত ভাষার কবিরা  ঘ    সমসাময়িক শাসকবর্গ

১২.  বাংলা ভাষার শতকরা কতটি শব্দ ‘তদ্ভব’ ও ‘অর্ধতৎসম’?   ছ

      ক   ৫০টি খ    ৫২টি

      গ   ৫৫টি ঘ    ৫৮টি

১৩.  বাংলা ভাষায় শতকরা কত ভাগ তৎসম শব্দ?   চ

      ক   ৪৪  খ    ৪৮

      গ   ৫০  ঘ    ৫২

১৪.  বাংলা ভাষায় শতকরা কতটি মৌলিক শব্দ?     জ

      ক   ১০০টি     খ    ৯৫টি

      গ   ৯৬টি ঘ    ৮০টি

১৫.  প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার শব্দ কোন শব্দে রূপ নেয়?     ছ

      ক   সংস্কৃত    খ    প্রাকৃত

      গ   তদ্ভব ঘ    দেশি

১৬.  পরিবর্তনের স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয় কোন শব্দ? জ

      ক   প্রাকৃত শব্দ খ    সংস্কৃত শব্দ

      গ   প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার শব্দ

      ঘ    অর্ধতৎসম শব্দ

১৭.  কোন শব্দ পরিবর্তিত হয়ে রূপ নেয় বাংলা শব্দে?     জ

      ক   তৎসম শব্দ খ    তদ্ভব শব্দ

      গ   প্রাকৃত শব্দ ঘ    অর্ধতৎসম শব্দ

১৮.  ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল কার লেখা উপন্যাস?   জ

      ক   হুমায়ূন আহমেদ খ    কবীর চৌধুরী

      গ   হুমায়ুন আজাদ  ঘ    ইমদাদুল হক মিলন

১৯.  হুমায়ুন আজাদের মৃত্যু তারিখ কোনটি?  ছ

      ক   ১৫ ফেব্রুয়ারি   খ    ১২ আগস্ট

      গ   ২০ আগস্ট ঘ    ২৫ আগস্ট

২০.  ‘খাল’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?  জ

      ক   পর্তুগিজ   খ    সংস্কৃত

      গ   তামিল    ঘ    ফারসি

২১.  ‘দাম’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?  জ

      ক   ফারসি    খ    তামিল

      গ   গ্রিক ঘ    হিব্রু

২২.  উনিশ শতকে কোন শব্দ বাংলা ভাষাকে তার রাজ্যে পরিণত করে?     জ

      ক   তামিল শব্দ খ    পর্তুগিজ শব্দ

      গ   তৎসম শব্দ ঘ    ফারসি শব্দ

২৩.  প্রাকৃত রূপ নিয়ে অবিকশিতভাবে বাংলায় এসেছে কোন শব্দ?    জ

      ক   তৎসম    খ    আরবি

      গ   অর্ধতৎসম ঘ    হিন্দি

২৪.  মার্জিত পরিবেশে কোন শব্দ ব্যবহার করা হয় না?    ছ

      ক   তৎসম    খ    অর্ধতৎসম

      গ   দেশি ঘ    বিদেশি

২৫.  বাংলা ভাষার উদ্ভবের আগে এ দেশে প্রচলিত ছিল কোন শব্দ?   জ

      ক   তৎসম শব্দ খ    আরবি শব্দ

      গ   দেশি শব্দ  ঘ    অর্ধতৎসম শব্দ

২৬. সাবলীল শব্দের অর্থ কী?                 চ

      ক   সহজ খ    সৃষ্টি

      গ   অনাবিল   ঘ    কঠিন

২৭.  বাংলা ভাষার শব্দসম্ভারকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?  ছ

      ক   তিন  খ    পাঁচ

      গ   সাত ঘ    আট

২৮.  মাছ শব্দের সংস্কৃত রূপ কোনটি?         ছ

      ক   মচ্ছ খ    মৎস্য

      গ   মাছ  ঘ    মছ¡

২৯.  ‘রাত্তির’ শব্দের তৎসম রূপ হলোÑ        ছ

      ক   রাত  খ    রাত্রি

      গ   রজনী ঘ    রাতি

৩০.  শরীর শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?      চ

      ক   গাত্র খ    কুণ্ডল

      গ   গ্রীবা ঘ    আরতি

৩১.  দুধ শব্দের সংস্কৃত রূপ কোনটি?                ঝ

      ক   দুধা  খ    দুদ্ধ

      গ   দধি  ঘ    দুগ্ধ

৩২.  ‘বাঁশি’ শব্দের প্রাকৃত রূপ কোনটি?       চ

      ক   বংসী খ    বিশি

      গ   বাঁশরী ঘ    বাঁশি

৩৩.  ‘চন্দ্র’ ও ‘দুগ্ধ’ শব্দের মধ্যে সাদৃশ্য কোনটি?    জ

      ক   দুটিই প্রাকৃত শব্দ খ    দুটিই তদ্ভব শব্দ

      গ   দুটিই তৎসম শব্দ ঘ    দুটিই অর্ধতৎসম শব্দ

৩৪.  প্রাকৃত ভাষার অপর নাম কী?                  ছ

      ক   প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা    খ    মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা

      গ   নব্য ভারতীয় আর্যভাষা ঘ    নব্য ভারতীয় প্রাকৃত ভাষা

৩৫.  ‘বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র’ কার লেখা গ্রন্থ? জ

      ক   সৈয়দ শামসুল হক    খ    আল মাহমুদ

      গ   হুমায়ুন আজাদ  ঘ    কাজী দীন মুহম্মদ

৩৬. বাংলা ভাষাকে তার রাজ্যে পরিণত করে কোন শব্দ?  জ

      ক   দেশি শব্দ  খ    বিদেশি শব্দ

      গ   তৎসম শব্দ ঘ    প্রাকৃত শব্দ

৩৭.  দেশি শব্দের উদাহরণ কোনটি?                 জ

      ক   ডাব, ডিঙ্গি, চাঁদ  খ    ঢেউ, ঢোল, রাত

      গ   ঢোল, ডাঙ্গা, ঝোল ঘ    হাত, ঢোল, ঝিঙ্গা

৩৮. মার্জিত পরিবেশে কোন শব্দ ব্যবহার করা হয় না?    ছ

      ক   তৎসম শব্দ খ    অর্ধতৎসম শব্দ

      গ   তদ্ভব শব্দ  ঘ    বিদেশি শব্দ

৩৯.  ‘তিগির’ কোন ভাষার শব্দ?               জ

      ক   তামিল    খ    গ্রিক

      গ   তুর্কি ঘ    ফারসি

৪০.  ‘কুটুম’ কোন ভাষার শব্দ ছিল?                 ছ

      ক   তামিল-উড়িয়া   খ    তামিল-মলয়ালি

      গ   তামিল-পাঞ্জাবি   ঘ    তামিল-মাদ্রাজি

বহুপদী সমাপ্তিসূচক

৪১.  প্রাকৃত শব্দের উদাহরণ হলোÑ

      র.   মচ্ছ রর. বাঁশি

      ররর. অবিহবা

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৪২.  বাংলা ভাষার শতকরা বায়ান্নটি শব্দ হলোÑ

      র.   তৎসম    রর. অর্ধতৎসম

      ররর. তদ্ভব

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৪৩.  বিকলাঙ্গ শব্দ হলোÑ

      র.   চন্দ্র, সুড়ঙ্গ রর. কেষ্ট, রাত্তির

      ররর. ডিঙ্গি, ঝিঙ্গা

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র    খ    রর

      গ   র ও রর   ঘ    রর ও ররর

৪৪.  বাংলা ভাষার শরীর বলতে লেখক বুঝিয়েছেনÑ

      র.   ভাষার আঙ্গিক   রর. ভাষার সমৃদ্ধি

      ররর. ভাষার ব্যাকরণ

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    রর ও ররর

      গ   র ও ররর  ঘ    র, রর ও ররর

৪৫.  সংস্কৃত শব্দের উদাহরণ হলোÑ

      র.   চন্দ্র  রর. বংশী

      ররর. অবিহবা

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৬ ও ৪৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

ভাষার ধর্মই বদলে যাওয়া। বাংলা ভাষার আগেও এদেশে ভাষা ছিল। সে ভাষায় এদেশের মানুষ কথা বলত, গান গাইত, কবিতা বানাত। মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষার ধ্বনি। রূপ বদলে যায় শব্দের, বদল ঘটে অর্থের। আর সে ভাষার বদল ঘটেই জন্ম হয়েছে বাংলা ভাষার।

৪৬.  উদ্দীপকটি তোমার পাঠ্য বইয়ের কোন রচনার ভাব বহন করে?              ঝ

      ক   সাহিত্যের রূপরীতি    খ    শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব

      গপল্লিসমাজ    ঘ    বাঙলা শব্দ

৪৭.  যে কারণে উদ্দীপকটি উক্ত রচনার ভাব বহন করেÑ

      র.   বাংলা ভাষা উৎপত্তির আংশিক তথ্য প্রকাশের কারণে

      রর. বাংলা ভাষা উৎপত্তির সঠিক তথ্য প্রকাশের কারণে

      ররর. বাংলা ভাষা উৎপত্তির ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশের কারণে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র    খ    রর

      গ   ররর ঘ    র ও রর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৮ ও ৪৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

আজকাল মোবাইল, মেসেজ, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি শব্দ মানুষের মুখে মুখে। দুই দশক আগেও এমনটি ছিল নাা। এগুলো আস্তে আস্তে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিচ্ছে।

৪৮.  উদ্দীপকে বাংলা ভাষার কোন শব্দগুলোর কথা বলা হয়েছে? জ

      ক   তৎসম    খ    অর্ধতৎসম

      গবিদেশি  ঘ    দেশি

৪৯.  উদ্দীপক অনুযায়ী বলা যায়Ñ

      র.   বিভিন্ন ভাষার শব্দ বাংলাকে সমৃদ্ধ করেছে

      রর. ইংরেজি শব্দের ব্যবহার বেড়েছে

      ররর. পুরাতন শব্দকে আমরা বর্জন করছি

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র    খ    রর

      গ   র ও রর   ঘ    ররর

Mustafij Sir

Share
Published by
Mustafij Sir

Recent Posts

HSC Synonym Antonym Board Question All Board

WordsMeaningsSynonyms    antonymsouterবাইরেরoutmostinnerproletarianদরিদ্র/সর্বহারাWorking-classmorallaunchশুরু করাIntroductionwithdrawpreparingপ্রস্তুতিGet-readydoubtfaultlesslyনির্দোষভাবেabsolutelyfaultynauseaবমিবমিভাবvomitingheadachediscomfortঅসস্তিupsetcomfortmaintainedবজায় করাsustainuselessLaterকরেnextearlierdynamicগতিশীলAggressivestaticplanপরিকল্পনাproposaldisorderaimলক্ষGoalaimlessdirectionনিদ্ধেশনাInstructionnoticeprofessionপেশাJobjoblesssuitsআকারFormnothingaptitudeযোগ্যতাAttitudedislikevaryপরিবর্তীতVariousfixeducatedশিক্ষিতLearneduneducatedcitizenনাগরিকnativeforeignervirtueপূর্ণgoodnessevilA lotঅনেকhugelittlecourteousবিনয়ীpoliterudediscourtesyঅবিনয়ীrudenesscourteouswinজয় করাgainloseenemyশত্রুfoefriendensureনিশ্চিত করাconfirmcancelangerরাগtempercalmnessremoveঅপসারণcancelputcordialityসোহার্দrudenessdiscordialitydifferentভিন্নDissimilarsameseeksঅনুসন্ধানPursuefindeagerআগ্রহীinterestdisinterestedobservationপর্যবেক্ষণExaminationneglectmereএকমাত্রImmenseabnormalalertসতর্কWatchfulunawarelatentসুপ্তOpenrealizedinstructorsপ্রশিকক্ষকteacherstudentguideগাইডmentormisguidewayপথ/উপায়Pathpartfascinatingচমৎকারexcellentunattractiveinterestআগ্রহীeagerdisregardimpatientঅধৈয্যIntolerancepatientillogicalঅযোক্তিকunethicalLogicalindifferentউদাসীনUninteresteddifferentethicallyনৈথিকভাবেlawfullyUnethicalGood-lookingচমৎকারAttractiveUnattractiveDarkঅন্ধকারBlackbrightFlawlessস্থিরperfectflawedShinyউজ্জল্যbrightdarkSlenderসরুthinfatGracefulকরুনাময়elegantungracefulStylishlyআড়ম্বরপূর্ণভাবেattractivesimplyAppreciatesপ্রশংসা করেpriesCriticizeNoticeলক্ষ করেadvertisementoverlookAmbitionউচ্ছাকাঙকাAim/desirelazinessRequireপ্রয়োজনneedanswerProficiencyদক্ষতাskilledincompetenceWonderআশ্চয্যSurprisedisinterestTestedপরীক্ষীতverifiednewEquallyসমানভাবেsimilarlyUnequallyDisappointingহতাশাজনকInceptingappointingPresumablyসম্ভবতdoubtlesslyimprobableQualifyযোগ্যতাcertifyDisqualifywrongভুলmistakewriteIdealআদর্শModelbadMasterদক্ষTeacherStudentMakesতৈরীcreateBreak/destroyMethodপদ্ধতিSystemdifferenceConvincingবিশ্বাসীsatisfactoryUnconvincingPraisesপ্রশাংসা করেhurrahCriticizeMistakeভুলErrorsagacityAngryরাগevilcalmSimpleসাধারণgeneralComplexmoralনৈতিকethicalamoralAcceptedগৃহিতreceivedrejectedSincerityআন্তরিকতাGood-willinsincerityResponsibilityদায়িত্বdutiesdepartureComplexityজটিলতাcomplicationSimplicityEnvyহিংসাlastedpraiseVicesমন্দevilVirtueImpactsপ্রভাবeffectfailsAwarenessসতর্কতাalertnessunawarenessOut-comeবাহিরের দিকresultcauseimportanceগুর্ত্বপূর্ণsignificanceinsignificanceFriendবন্দুenemyfoeNeedপ্রয়োজনcommitment/necessaryavoidSympathyসহানুভুতিkindnessrudenessProveপ্রমানconfirmdisproveFalseমিথ্যাwrongtrueHarmক্ষতিকরlosshelpLaughহাসাburstcryPleasureআনন্দhappinesssadnessBringআনাcarryleaveideaধারণাconceptnothingAllowঅনুমতিpermitdenyFreedomস্বাধীনতাindependencebondageOpinionমতামতviewawarenessFairমেলাcleanunfairEqualসমানbalancedunequalDivisionবিভাগdistributionunionElectনির্বাচন করাvoterefuseSystemনিয়ম-নীতিprocesspartTreatmentচিকিৎশা করাcuringhurtFacilityসুবিধাadvantagepainNeverকখন নয়NotingAlwaysWeakerদুর্বলrottenstrongerDiscourageনিরুৎসাহিতdroopEncourageFrustratingহতাশাজনকBuffaloingsatisfyingInterestআগ্রহীeagernessdiscourageAbilityসক্ষমতাCapabilityinabilityDreamস্বপ্নfancyfactBestসবচেয়ে ভালfinestworstSuccessসফলতাachievementfailureachieveঅর্জন…

6 months ago

সরকারি চাকরী খুজুন ঘরে বসেঃ ইন্টারনেটে চাকরীর খোঁজ(জরুরী ধাপ ও নির্ভরযোগ্য সকল ওয়েবসাইট)

আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক…

2 years ago

HSC 2023- English 1st Paper Model Question and Solution-1

Model Question 1 Part-I : Marks 60 1. Read the passage and answer the questions…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-পঞ্চম অধ্যায়- দেবদেবী ও পূজা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম অধ্যায় দেবদেবী ও পূজা এ অধ্যায়ে আমরা পূজা, পুরোহিতের ধারণা ও যোগ্যতা, দেবী দুর্গা,…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-চতুর্থ অধ্যায়- হিন্দুধর্মে সংস্কার সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

চতুর্থ অধ্যার হিন্দুধর্মে সংস্কার আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-তৃতীয় অধ্যায়, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

তৃতীয় অধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয়…

2 years ago

This website uses cookies.