৯ম-১০ম শ্রেণী প্রবন্ধ রচনাঃ বিজয় দিবস

সূচনা : কাল যেখানে পরাজয়ের কালো সন্ধ্যা হয়,আজ সেখানে নতুন করে রৌদ্র লেখে জয়।বাঙালির জাতীয় জীবনে ১৬ই ডিসেম্বর এক মহিমান্বিত দিন। এ দিনটি আমাদের বিজয় দিবস। দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রাম শেষে এই দিনেই আমরা চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা লাভে সক্ষম হই। পটভূমি : ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের দীর্ঘ ২০০ বছরের শাসনের অবসান ঘটলে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি…

৯ম-১০ম শ্রেণী প্রবন্ধ রচনাঃ শহিদ বুদ্ধিজীবী

সূচনা : শিক্ষাকে যদি জাতির মেরুদÊ বলা হয়, তবে বুদ্ধিজীবীরা জাতির মস্তিষ্ক। তাঁদের মেধা, শ্রম ও দেশপ্রেম জাতিকে আলোর পথ দেখায়, জাতি গঠনে সহায়তা করে। আমাদের জাতিসত্তার বিকাশ ও স্বাধীনতাপ্রাপ্তির মূলে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। বুদ্ধিজীবীদের নানা পরামর্শ, তত্ত্ব, উপাত্ত, লেখনী মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। পাকিস্তানি হানাদারদের তান্ডব : স্বাধীনতাযুদ্ধে আমরা যেমন হারিয়েছি…

৯ম-১০ম শ্রেণী প্রবন্ধ রচনাঃ শহিদ মিনার

ভূমিকা : ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারিআমি কী ভুলিতে পারিছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রূয়ারিআমি কী ভুলিতে পারি’প্রভাতফেরির এ গান গেয়ে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমরা শহিদ মিনারে যাই। ফুল দিয়ে ভাষাশহিদদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই। শহিদ মিনার এদিন ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। আমাদের মনে করিয়ে দেয় মায়ের ভাষা আমাদের কাছে কত আপন। মাতৃভাষার…

৯ম-১০ম শ্রেণী প্রবন্ধ রচনাঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি

সূচনা : “যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরী, যমুনা বহমান,ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।”আপন কীর্তিতে বাংলার ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির আসনটি চিরকালের জন্য অধিকার করে নিয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। আমাদের জাতির জনক। জন্ম ও শৈশব : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ বর্তমান গোপালগঞ্জ (তৎকালীন ফরিদপুর) জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে…

৯ম-১০ম শ্রেণী প্রবন্ধ রচনাঃ আমাদের গ্রাম

সূচনা : ‘আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমানআলো দিয়ে বায়ু দিয়ে বাঁচাইছে প্রাণ।’আমাদের গ্রামের নাম ঘোপাল। গ্রামটি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানায় অবস্থিত। গ্রামের এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ফেনী নদী।সৌন্দর্য : আমাদের গ্রামটি ছবির মতো সুন্দর। আম, কাঁঠাল, বটসহ নানা রকম গাছগাছালিতে গ্রামটি ঘেরা। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। বিভিন্ন মৌসুমে ফোটে নানা রকম ফুল। গ্রামের মেঠো…

৯ম-১০ম শ্রেণী প্রবন্ধ রচনাঃ আমাদের বিদ্যালয়

সূচনা : “বিদ্যালয়, মোদের বিদ্যালয়,এখানে সভ্যতারই ফুল ফোটানো হয়।”বিদ্যালয় হচ্ছে ভালো মানুষ গড়ার কারখানা। আমি যে বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করি তার নাম ঘোপাল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। অবস্থান : আমাদের বিদ্যালয়টি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার ঘোপাল গ্রামে অবস্থিত। বিদ্যালয়ে আসার জন্য ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। আশপাশের যেকোনো গ্রাম…

৯ম-১০ম শ্রেণী প্রবন্ধ রচনাঃ আমার প্রিয় শিক্ষক

সূচনা : ছাত্রজীবনে যারা আমাদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে আলোর পথ দেখান তাঁরাই আমাদের শিক্ষক। তারা অক্লান্ত পরিশ্রমে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে দেন। তারা মানুষ গড়ার কারিগর। এ সকল শিক্ষকের মাঝে বিশেষ কিছু গুণের কারণে কোনো কোনো শিক্ষক আমাদের মনে আলাদাভাবে স্থান করে নেন। হয়ে ওঠেন আমাদের প্রিয় শিক্ষক, প্রিয় মানুষ। আমারও তেমনি একজন প্রিয় শিক্ষক আছেন। আমার…

৯ম-১০ম শ্রেণী প্রবন্ধ রচনাঃ আমার জীবনের লক্ষ্য

সূচনা : একটি সফল ও সার্থক জীবন পাওয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ। মানুষের জীবন ছোট কিন্তু তার কর্মক্ষেত্র অনেক বড়। এ ছোট জীবনে উন্নতির উচ্চ শিখরে আরোহণ করতে হলে প্রত্যেক মানুষকে জীবনের শুরুতেই সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। লক্ষ্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা : জীবন গঠনের জন্য জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি। লক্ষ্যহীন…

৯ম-১০ম শ্রেণী প্রবন্ধ রচনাঃ শ্রমের মর্যাদা

সূচনা : কর্মই জীবন। সৃষ্টির সমস্ত প্রাণীকেই নিজ নিজ কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে হয়। ছোট্ট পিঁপড়ে থেকে বিশাল হাতি পর্যন্ত সবাইকেই পরিশ্রম করতে হয়। পরিশ্রম দ্বারাই মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে নিজেকে আলাদা করেছে। পরিশ্রমের মাধ্যমেই মানুষ নিজের ভাগ্য বদলেছে। আর বহু বছরের শ্রম ও সাধনা দ্বারা পৃথিবীকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তুলেছে। বলা যায়, মানুষ…

৯ম-১০ম শ্রেণী প্রবন্ধ রচনাঃ কর্মমুখী শিক্ষা

সূচনা : প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু যে শিক্ষা বাস্তব জীবনে কাজে লাগে না, সে শিক্ষা অর্থহীন। তাই জীবনভিত্তিক শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। আর জীবনের সাথে সম্পৃক্ত যে শিক্ষা সেটিই কর্মমুখী শিক্ষা। আমাদের মনুষ্যত্বের বিকাশের পাশাপাশি উদরপূর্তির সুব্যবস্থায় কর্মমুখী শিক্ষা অন্যতম। কর্মমুখী শিক্ষা কী : কর্মমুখী শিক্ষা হচ্ছে একজন ব্যক্তিকে তার…

End of content

End of content