৪র্থ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা প্রথম অধ্যায়ঃ ইমান ও আকাইদ

ইমান ও আকাইদ

অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব

  • মহান আলাহর পরিচয়                  
    • সালাম বিনিময়ের সুন্দর নিয়ম                   
    • ইমান মুজমালের অর্থ ও গুরুত্ব                 
    • মহান আলাহর বিভিন্ন গুণবাচক নামের অর্থ ও তাৎপর্য
    • কালিমা শাহাদাতের অর্থ ও তাৎপর্য
    • ইমান মুফাস্সালের সাতটি বিষয়

অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই

আমরা মুসলিম। আমাদের ধর্মের নাম ইসলাম। ইসলামের মূল বিষয়গুলোকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করাকেই ইমান বলে। আর আকাইদ হলো আকিদা শব্দের বহুবচন, যার অর্থ বিশ্বাস। একজন মুসলিমের ইমান ও আকাইদ বিশুদ্ধ হওয়া খুবই জরুরি। ইমান ও আকাইদের প্রথম কথাই হচ্ছে আলাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস। তিনি এক, অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। তাঁর সত্তা ও গুণের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছুই নেই। তিনি ছাড়া আর কেউ ইবাদতের যোগ্য নন। মানবজাতির হিদায়াতের জন্য আলাহ তায়ালা অনেক নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। নবি-রাসুলগণ মানুষকে দুনিয়া আখেরাতের কল্যাণ ও মুক্তির দিকে ডেকেছেন। নবি-রাসুলগণের কথা যাঁরা শুনেছেন ও মেনেছেন তাঁরাই পরকালে সফলকাম হবেন।

অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন

ক.          বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

               সঠিক উত্তরের পাশে টিক  চি‎‎হ্ন দাও।

১।           ইমান অর্থ কী?

               ক.          সত্য কথা বলা    খ.           বিশ্বাস

               গ.           গচ্ছিত রাখা        ঘ.           শৃঙ্খলা

২।          আমাদের স্রষ্টা কে?

               ক.          মাতা      খ.           পিতা

                              গ.           আলাহ  ঘ.           পিতামাতা উভয়ই

৩।          আমাদের জীবন-মৃত্যুর মালিক কে?

                              ক.          আলাহ খ.           আযরাইল (আ.)

               গ.           রাষ্ট্রপ্রধান            ঘ.           প্রধান বিচারপতি

৪।          কাদীর অর্থ কী?

               ক.          অধিপতি             খ.           শান্তিদাতা

                              গ.           সর্বশক্তিমান        ঘ.           সর্বত্র বিরাজমান

৫।          সালাম শব্দের অর্থ কী?

               ক.          দয়া                       খ.           শান্তি

               গ.           সৃষ্টি        ঘ.           ক্ষমা

৬।         শাহাদত অর্থ কী?

               ক.          দীড়্গা দেওয়া                     খ.           সাড়্গ্য দেওয়া

               গ.           পরীড়্গা দেওয়া  ঘ.           দান করা

৭।          ইমান মুজমাল অর্থ কী?

                              ক.          সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস খ.           আšত্মরিক বিশ্বাস

               গ.           বিস্তারিত বিশ্বাস ঘ.           মৌখিক বিশ্বাস

৮।          ইমান মুফাসসালে কয়টি বিষয়ের উলেস্নখ আছে?

               ক.          তিনটি   খ.           চারটি

               গ.           পাঁচটি                   ঘ.           সাতটি

৯।          ওহি নিয়ে আসতেন কোন ফেরেশতা?

               ক.          আযরাইল (আ.) খ.           মিকাইল (আ.)

               গ.           ইসরাফিল (আ.)                               ঘ.           জিবরাইল (আ.)

১০। আসমানি কিতাব কয়খানা?

               ক.          ৪ খানা খ.           ১০০ খানা

                              গ.           ১০৪ খানা            ঘ.           ১১০ খানা

খ.           শূন্যস্থান পূরণ কর :

১.            যার ইমান আছে তাকে বলে ———– ।  

২.           দিন শেষে পশ্চিম আকাশে ———– অ¯ত্ম যায়।

৩.          পরস্পরে দেখা হলে আমরা ———– দেই।

৪.           মুহাম্মদ (স.) আলাহর ———– ও রাসুল।

৫.           তকদির মানে ———– ।

               উত্তর : ১. মুমিন বা মুসলিম  ২. সূর্য  ৩. সালাম       ৪. বান্দা  ৫. ভাগ্য।

গ. রেখা টেনে অর্থ মেলাও :

১) মালিক             –              বাক্য

২) কাদীর                –           শান্তিদাতা

৩) সালাম                –           অধিপতি

৪) কালিমা                     –     সর্বশক্তিমান

উত্তর :

১) মালিক             –              বাক্য

২) কাদীর              –             শান্তিদাতা

৩) সালাম              –             অধিপতি

৪) কালিমা               –           সর্বশক্তিমান

ঘ. রেখা টেনে অর্থ সঠিক উত্তর মেলাও :

১) আযরাইল (আ.)            ওহি আনতেন

২) জিবরাইল (আ.)           মেঘবৃষ্টি ও রিজিকের দায়িত্বে

৩) ইসরাফিল (আ.)          জীবের জান কবজ করেন

৪) মিকাইল (আ.)              শিঙ্গা ফুঁ দেবেন

উত্তর :

১) আযরাইল (আ.)            ওহি আনতেন

২) জিবরাইল (আ.)           মেঘবৃষ্টি ও রিজিকের দায়িত্বে

৩) ইসরাফিল (আ.)          জীবের জান কবজ করেন

৪) মিকাইল (আ.)              শিঙ্গা ফুঁ দেবেন

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর :

১.           আলাহ তায়ালার পাঁচটি গুণের নাম লেখ।

               উত্তর : মহান আলাহ তায়ালার গুণ অশেষ। নিচে তাঁর পাঁচটি গুণের নাম দেওয়া হলো—

               ক)          আলাহু মালিকুন; অর্থ আলাহ মালিক।

               খ)           আলাহু কাদীরুন; অর্থ আলাহ সর্বশক্তিমান।

               গ)           আলাহু সালামুন; অর্থ আলাহ শান্তিদাতা।

               ঘ)           আলাহু খালিকুন; অর্থ আলাহ সৃষ্টিকর্তা।

               ঙ)          আলাহু গাফুরুন; অর্থ আলাহ ক্ষমাকারী। 

২.           ইমান মুফাসসালে কয়টি বিষয়ের উলেস্নখ আছে?

               উত্তর : ইমান মুফাসসালে সাতটি বিষয়ের উলেস্নখ আছে। বিষয়গুলো হলো- (১) আলাহ, (২) ফেরেশতা, (৩) কিতাব, (৪) রাসুলগণ, (৫) শেষ দিবস, (৬) তকদির, (৭) মৃত্যুর পর পুনরুত্থান।

৩.          চারজন প্রসিদ্ধ ফেরেশতার নাম লেখ।

               উত্তর : চারজন প্রসিদ্ধ ফেরেশতা হলেন- (১) হযরত জিবরাইল (আ.), (২) হযরত মিকাইল (আ.), (৩) হযরত ইসরাফিল (আ.), (৪) হযরত আযরাইল (আ.)।

৪.           চারখানা বড় কিতাবের নাম লেখ।

               উত্তর : চারখানা বড় কিতাব হলো- (ক) তাওরাত, (খ) ইঞ্জিল, (গ) যাবুর, (ঘ) কুরআন মজিদ।

৫.           দশ জন নবি-রাসুলের নাম লেখ।

               উত্তর : দশজন নবি-রাসুল হলেন- (১) হযরত আদম (আ.), (২) হযরত নূহ (আ.), (৩) হযরত ইবরাহীম (আ.), (৪) হযরত ইসমাঈল (আ.), (৫) হযরত ইয়াকুব (আ.), (৬) হযরত ইউনুছ (আ.), (৭) হযরত যাকারিয়া (আ.),  (৮) হযরত দাউদ (আ.), (৯) হযরত মুসা (আ.), (১০) হযরত মুহাম্মদ (স.)।

৬.          আসমানি কিতাব কতোখানা?

               উত্তর : আসমানি কিতাব ১০৪ খানা।

৭.           ছোট কিতাবকে কী বলে?

               উত্তর : ছোট কিতাবকে সহীফা বলে।

৮.          সর্বশেষ নবি কে?

               উত্তর : সর্বশেষ নবি হলেন হযরত মুহাম্মদ (স.)।

৯.           সর্বশেষ আসমানি কিতাব কী?

               উত্তর : সর্বশেষ আসমানি কিতাব হচ্ছে কুরআন মজিদ।

               বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর :

১.           সংক্ষেপে আলাহর পরিচয় দাও।

               উত্তর : মহান আলাহ এক, অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। তাঁর সত্তা ও গুণের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছুই নেই। তিনি অনাদি, অনšত্ম। তিনি ইহকাল ও পরকালের মালিক। সম¯ত্ম প্রাণীকুলের রিজিকদাতা। এই বিশাল পৃথিবীতে যত কিছু আছে, সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন মহান আলাহ। শুধু এসব সৃষ্টিই করেননি, অত্যšত্ম সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করছেন আলাহ। তিনি অসীম শক্তির অধিকারী। তিনিই একমাত্র শান্তিদাতা। সবকিছুরই মালিক একমাত্র তিনি। তিনি সব কিছু জানেন, শোনেন, দেখেন।

২.           আলাহ তায়ালার কয়েকটি গুণের নাম লেখ।

               উত্তর : মহান আলাহ অনেক গুণের অধিকারী। নিচে তাঁর কয়েকটি গুণের নাম উলেস্নখ করা হলো-

               ১.            আলাহু খালিকুন (আলাহ সৃষ্টিকর্তা) : মহান আলাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এ সুন্দর পৃথিবী এবং তার বাইরে যা কিছু আছে সবই তাঁর।

               ২.           আলাহু মালিকুন (আলাহ মালিক) : পৃথিবী ও তার বাইরে যা কিছু আছে সবকিছুর মালিক একমাত্র আলাহ। তাঁর কোনো শরিক নেই। কুরআন মজিদে আছে, “আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব কিছুরই মালিক আলাহ।”

               ৩.          আলাহু কাদিরুন (আলাহ সর্বশক্তিমান) : আলাহ অসীম শক্তির অধিকারী। পৃথিবীর সবকিছুই তাঁর। পৃথিবীর ও মহাকাশের সবকিছুই তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী চলে। সম¯ত্ম কিছুই তাঁর শক্তির অধীন।

               ৪.           আলাহু সালামুন (আলাহ শান্তিদাতা) : আলাহ তায়ালা একমাত্র শান্তিদাতা। আলাহ যাকে শান্তি দেন সেই শান্তি পায়। তিনি শান্তি দিলে কেউ তার ক্ষতি করতে পারে না।

৩.          ‘আলাহ সর্বশক্তিমান’- কথাটির অর্থ বুঝিয়ে লেখ।

               উত্তর : ‘আলাহু কাদীরুন’ অর্থ আলাহ সর্বশক্তিমান। এই বিশাল পৃথিবী ও এর বাইরে যা কিছু আছে সব কিছু মহান আলাহর সৃষ্টি। পৃথিবীর ভেতরে-বাইরে, ছোট-বড়, দৃশ্য-অদৃশ্য যা কিছু আছে এ সবই আলাহর হুকুমে পরিচালিত হচ্ছে। তাঁর হুকুমের বাইরে কেউ কোনো কিছু করতে পারে না। মহান আলাহ নিজেই তাঁর কুদরতের মাধ্যমে এসব কিছুর ধারক ও বাহক হিসেবে সুন্দরভাবে পরিচালিত করছেন। তিনি অসীম শক্তির অধিকারী।

৪.           আলাহ ‘শান্তিদাতা’ বাক্যটি বুঝিয়ে লেখ।

               উত্তর : ‘আলাহু সালামুন’ অর্থ আলাহ শান্তিদাতা। আমাদের শরীর ও মন যখন ভালো থাকে, তখন আমরা শান্তি পাই। যখন আমাদের মন খারাপ হয় তখন শান্তি লাগে না। শরীর খারাপ হলেও মনে শান্তি থাকে না। অসুস্থ হলে সবাই আমাদের জন্য আলাহর কাছে দোয়া করেন। মহান আলাহ আমাদের রোগমুক্ত করেন। আমরা সুস্থ হই। শান্তি পাই। আলাহ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা বস্তু আমাদের শান্তি দিতে পারে না। তিনি যাকে শান্তি দেন সে সব অবস্থাতেই শান্তিতে থাকে। কেউ তার ক্ষতি করতে পারে না।

৫.           কালিমা শাহাদত অর্থসহ বাংলায় লেখ।

               উত্তর : কালিমা শাহাদত অর্থসহ বাংলায় নিচে উল্লেখ করা হলো :

               কালিমা শাহাদত : আশ্হাদু আল লা ইলাহা ইলালাহু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকালাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহূ ওয়া রাসূলুহূ।

               অর্থ : “আমি সাড়্গ্য দিচ্ছি যে, আলাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি আরও সাড়্গ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (স.) আলাহর বান্দা ও রাসুল।”

৬.          ইমান মুজমাল অর্থসহ বাংলায় লেখ।

               উত্তর : ইমান মুজমাল অর্থসহ বাংলায় নিচে লেখা হলো-

               আমানতু বিল্লাহি কামা হুয়া বিআস্মাইহি ওয়া সিফাতিহী ওয়া কাবিলতু জামী’আ আহ্কামিহী ওয়া আরকানিহী।

               অর্থ : আমি ইমান আনলাম আলাহর উপর ঠিক তেমনি যেমন আছেন তিনি, তাঁর সব নাম ও গুণাবলিসহ। আর মেনে নিলাম তাঁর সব হুকুম-আহকাম ও বিধি-বিধান।

৭.           ইমান মুফাসসালে উলিস্নখিত বিষয়গুলোর নাম লেখ।

               উত্তর : ইমান মুফাসসালে সাতটি বিষয়ের নাম এসেছে। সেগুলো হলো-

১)            আলাহ, অর্থাৎ আলাহর উপর বিশ্বাস।

২)           ফেরেশতা, অর্থাৎ ফেরেশতাকুলের উপর বিশ্বাস।

৩)          কিতাব, অর্থাৎ আসমানি কিতাবসমূহের উপর বিশ্বাস।

৪)           নবি-রাসুল, অর্থাৎ নবি-রাসুলগণের উপর বিশ্বাস।

৫)           শেষ দিবস, অর্থাৎ কিয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাস।

৬)          তকদির, অর্থাৎ তকদির ভালো-মন্দ যা কিছু হয় আলাহর পক্ষ থেকে হয়-এর উপর বিশ্বাস।

৭)           মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস। অর্থাৎ মৃত্যুর পর আমাদেরকে পুনরায় জীবিত করে হাশরের ময়দানে উঠানো হবে-এর উপর বিশ্বাস।  

৮.          আলাহর উপর বিশ্বাস কথাটি বুঝিয়ে লেখ।

               উত্তর : ইমানের সর্বপ্রথম বিষয় হলো মহান আলাহ তায়ালার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। মহান আলাহপাকের সত্তা এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনি তাঁর গুণাবলীতেও অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়। তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ। যখন কোনো কিছুই ছিল না তখন তিনিই ছিলেন। আবার একদিন সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে তখন তিনিই থাকবেন। মহান আলাহ সবকিছু জানেন, সবকিছু শোনেন ও দেখেন। আসমান জমিনের সবকিছু তাঁর সৃষ্টি। তিনি সকল সৃষ্টির পালনকর্তা। তিনিই সব কিছুর মালিক। এ সম¯ত্ম কিছুর উপর বিশ্বাস রাখা ইমানের প্রথম ও সবচেয়ে জরুরি শর্ত।

৯.           প্রসিদ্ধ ফেরেশতাদের নাম তাঁদের কাজ বর্ণনা কর।

               উত্তর : মহান আলাহ অসংখ্য ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন চারজন। তাঁরা হলেন-

               ১)           হযরত জিবরাইল (আ.)

               ২)           হযরত মিকাইল (আ.)

               ৩)          হযরত আযরাইল (আ.)

               ৪)           হযরত ইসরাফিল (আ.)

               প্রসিদ্ধ ফেরেশতাদের বর্ণনা :

               ১)            হযরত জিবরাইল (আ.) : তিনি নবি-রাসুলগণের কাছে আলাহর ওহি নিয়ে আসতেন। ওহি মানে আলাহর বাণী।

               ২)           হযরত মিকাইল (আ.) : তিনি জীবের জীবিকা বণ্টন ও মেঘবৃষ্টির দায়িত্বে নিয়োজিত।

               ৩)          হযরত আযরাইল (আ.) : তিনি আলাহর হুকুমে জীবের জান কবজ করেন।

               ৪)           হযরত ইসরাফিল (আ.) : তিনি শিঙ্গা হাতে আলাহর আদেশের অপেড়্গায় আছেন। তিনি প্রথম যে ফুঁ দেবেন, তাতে সকল সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। দ্বিতীয় ‘ফুঁ’ দিলে সবকিছু আবার জীবন ফিরে পাবে।

১০.        আসমানি কিতাব কাকে বলে? সর্বশেষ আসমানি কিতাবের সংক্ষেপে বর্ণনা দাও।

               উত্তর : মহান আলাহ নবি-রাসুলের কাছে বিভিন্ন সময়ে ওহি বা বাণী পাঠিয়েছেন। আলাহর বাণীসমূহের সমষ্টিকে বলে আসমানি কিতাব। আসমানি কিতাবে আছে মানুষের জন্য হিদায়াত ও মুক্তির কথা।

               সর্বশেষ আসমানি কিতাব : সর্বশেষ আসমানি কিতাব হলো কুরআন মজিদ। এ কিতাব অবতীর্ণ হয় সর্বশেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর উপর। কুরআন মজিদে কিয়ামত পর্যšত্ম সকল মানবগোষ্ঠির জন্য হেদায়াত ও মুক্তির নির্দেশনা রয়েছে। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধান।

অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

               সঠিক উত্তরের ডান পাশে ‘শু’ এবং ভুল উত্তরের ডান পাশে ‘অ’ লেখ :

১)            আমরা নিজে নিজে সৃষ্টি হইনি।

২)           আলাহ সকল সৃষ্টির মালিক।

৩)          মালিক অর্থ অধিপতি।

৪)           মহাকাশের সবকিছুই ফেরেশতাদের হুকুমে চলে।

৫)           ধনসম্পদ থাকলেই শান্তি পাওয়া যায়।

উত্তর : ১) শু  ২) শু  ৩) শু  ৪) অ  ৫) অ

               বাম পাশের বাক্যের সাথে ডান পাশের বাক্যের মিল কর :

১.            ইসলামের মূল কথাই       আলাহ মালিক।

২.           আমাদের সৃষ্টি করেছেন  আলাহ।

৩.          আলাহু মালিকুন অর্থ      তখন শান্তি লাগে।

৪.           মহাকাশের সবকিছুই তাঁর             হুকুমে চলে।

৫.           মন যখন ভালো থাকে     ইমান।

উত্তর :

১.            ইসলামের মূল কথাই ইমান।

২.           আমাদের সৃষ্টি করেছেন আলাহ।

৩.          আলাহু মালিকুন অর্থ আলাহ মালিক।

৪.           মহাকাশের সব কিছুই তাঁর হুকুমে চলে।

৫.           মন যখন ভালো থাকে তখন শান্তি লাগে।

               উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর :

               ১)            মহান আলাহ এক’ ———–। 

               ২)           ফেরেশতাগণ আলাহ তায়ালার——–তৈরি।

               ৩)          ওহি হলো ———– বাণী।

               ৪)           আমাদের মৃত্যুর পরের জীবনকে বলে ———–। 

               ৫)           জান্নাত হলো ———– সুখের স্থান।

               ৬)          ফেরেশতাদের মধ্যে বিখ্যাত হলেন ———– জন।

               উত্তর : ১) অদ্বিতীয় ২) নূরের ৩)  আলাহর  ৪) আখিরাত  ৫) পরম  ৬) চার।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ

ইমান আকাইদ

১.            ইসলামের মূল বিষয়গুলোকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করাকে বলে—                                   ছ

               ক           আখিরাত             খ            ইমান

               গ            তাকওয়া              ঘ            পরকাল

২.           আকিদা অর্থ কী?                                           চ

               ক           বিশ্বাস   খ            দৃঢ় বিশ্বাস

               গ            পরকালে বিশ্বাস         ঘ    তাকদিরে বিশ্বাস

মহান আলাহর পরিচয় [ পৃষ্ঠা নং—১ ]

৩.          আমাদের যা যা প্রয়োজন সেসব কে সৃষ্টি করেছেন?           চ

               ক           আলাহ  খ            নবি

               গ            রাসুল     ঘ            ফেরেশতা

৪.           পৃথিবীর চেয়ে লক্ষ লক্ষ গুণ বড় কোন্টি?                ছ

               ক           ধূমকেতু               খ            নক্ষত্র

               গ            ছায়াপথ               ঘ            উল্কা

৫.           কার সত্তা ও গুণের সাথে কারও তুলনা করা যায় না?            চ

               ক           আলাহর               খ            রাসুলের

               গ            ফেরেশতার         ঘরাজা

আলাহ মালিক  [ পৃষ্ঠা নং—৩ ]

৬.          সকল সৃষ্টির মালিক—                                   চ

               ক           আলাহ  খ            রাসুল

               গ            ফেরেশতা            ঘ            মানুষ

৭.           মালিক শব্দের অর্থ কী?                                ছ

               ক           শান্তিদাতা            খ            অধিপতি

               গ            সর্বশক্তিমান        ঘ            সর্বত্র বিরাজমান

৮.          আমরা আলাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনটি করব?        ছ

               ক           যা খুশি তা করব    খ         ভালো কাজ করব

               গ            মন্দ কাজ করব ঘ            কিছুই করব না

আলাহ সর্বশক্তিমান        

আলাহ কাদীরুন অর্থ কী?                                           চ

               ক আলাহ সর্বশক্তিমান    খ আলাহ শান্তিদাতা

               গ আলাহ সৃষ্টিকর্তা           ঘ আলাহ পালনকর্তা

৯.           মেঘমালা কে পরিচালনা করেন? চ

               ক আলাহতায়ালা              খ হযরত মিকাইল (আ.)

               গ হযরত জিবরাইল (আ.)              ঘ হযরত আযরাইল (আ.)             

১০.         ঈসা (আ.)-কে ঘাতকদের হাত থেকে রড়্গা করেছিলেন কে?                                         জ

               ক হযরত মুসা (আ.)         খ হযরত জিবরাইল (আ.)

               গ আলাহতায়ালা               ঘ হযরত মরিয়ম (আ.)

১১.         আবরাহা বাদশার বিশাল বাহিনীকে আলাহ কীভাবে ধ্বংস করেন?                                              জ

               ক           পাবনের দ্বারা     খ            বাতাস দ্বারা

               গ            ছোট ছোট পাখির দ্বারা    ঘ            ফেরেশতার দ্বারা

১২.         নমরুদ কাকে পুড়িয়ে মারার জন্য আগুনে নিক্ষপে করেছিল?                                     ছ

               ক           হযরত ইসমাঈল (আ.)-কে

               খ            হযরত ইবরাহীম (আ.)-কে

               গ            হযরত ইউসুফ (আ.)-কে

               ঘ            হযরত ঈসা (আ.)-কে

আলাহ শান্তিদাতা

১৩.        আমাদের শান্তিদাতা কে?                                            চ

               ক           আলাহতায়ালা    খ            রাসূল (স.)

               গ            পীরমুর্শিদ            ঘ            অলিআলাহ

১৪.         কে আমাদের রোগমুক্ত করেন—                              চ

               ক           আলাহ  খ            ডাক্তার

               গ            রাসুল     ঘ            ফেরেশতা

১৫.        শরীর ভালো থাকলে মনে কী থাকে?          জ

               ক           বিরক্তি   খ            ক্লান্তি

               গ            শান্তি      ঘ            হিংসা

১৬.        আলাহু সালামুন অর্থ কী?                                            চ

               ক           আলাহ শান্তিদাতা             খ            আলাহ রিজিকদাতা        

               গ            আলাহ সম্মানদাতা          ঘ            আলাহ পরিত্রাণদাতা

কালিমা শাহাদত

১৭.         কালিমা শাহাদতের অংশ কয়টি?               ছ

               ক           একটি    খ            দুইটি

               গ            তিনটি   ঘ            চারটি

১৮.        কালিমা অর্থ কী?                                            চ

               ক           বাক্য      খ            কথা

               গ            স্বীকারোক্তি         ঘ            ওয়াদা

১৯.         শিরক কিসের বিপরীত?                               চ

               ক           তাওহিদের           খ            তকদিরের

               গ            আখিরাতের        ঘ            রিসালাতের

ইমান মুজমাল

২০.        ইমান মুজমাল দ্বারা কিসের সংক্ষিপ্ত ঘোষণা দেওয়া হয়? চ

               ক           ইমানের               খ            এখলাছের

               গ            পরকালের          ঘ            আখেরাতের

ইমান মুফাস্সাল

২১.         ইমান মুফাস্সালে কয়টি বিষয়ের ওপর ইমান আনার কথা বলা হয়েছে?                                    ঝ

               ক           ৩টি                       খ  ৪টি

               গ            ৫টি                       ঘ  ৭টি

২২.        সহিফার সংখ্যা কতটি?                                 চ           

               ক  ১০০টি            খ  ১০২টি

               গ  ১০৩টি            ঘ ১০৪টি

২৩.       হযরত ঈসা (আ.)-এর উপর কোন কিতাব অবতীর্ণ  হয়?                                 ছ

               ক  তাওরাত         খ  ইঞ্জিল

               গ  যাবুর               ঘ  কুরআন

২৪.        মুনকির-নকির ফেরেশতারা কোন বিষয়ে প্রশ্ন  করবেন?    চ

               ক আলাহ রাসূল ও দীন সম্পর্কে 

               খ জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে

               গ কবর ও হাশর সম্পর্কে

               ঘ পুরসেরাত ও আমলনামা সম্পর্কে

২৫.        মুফাস্সাল অর্থ কী?                                      ছ

               ক           সংক্ষিপ্ত               খ            বিস্তারিত

               গ            অতিরিক্ত            ঘ            বি¯ত্মৃত

মালাইকা বা ফেরেশতাগণে বিশ্বাস    

২৬.       জীবিকা ও মেঘবৃষ্টির দায়িত্বে নিয়োজিত কোন ফেরেশতা?                                            ছ

               ক           হযরত জিবরাইল (আ.)   খ            হযরত মিকাইল (আ.)

               গ            হযরত ইসরাফিল (আ.)   ঘ            হযরত আযরাইল (আ.)  

আসমানি কিতাবে বিশ্বাস    

২৭.        শিঙ্গা হাতে আলাহর আদেশের অপেড়্গায় আছেন কে?    জ

               ক           হযরত আযরাইল (আ.)  

               খ            হযরত মিকাইল (আ.)

               গ            হযরত ইসরাফিল (আ.)  

               ঘ            হযরত জিবরাইল (আ.)  

২৮.       যাবূর কিতাব অবতীর্ণ হয় কোন নবির উপর?         জ

               ক           হযরত মূসা (আ.)              খ            হযরত ঈসা (আ.)

               গ            হযরত দাউদ (আ.)           ঘ            হযরত ইউসুফ (আ.)

২৯.        ছোট কিতাবকে কী বলে?                                            ছ

               ক           হাদিস    খ            সহীফা

               গ            ওহি        ঘ            তাওরাত

৩০.       কবরে যে দুইজন ফেরেশতা আসবেন তাঁদের নাম   কী?    ছ

               ক           কিরামান-কাতিবিন          খ            মুনকির-নকির

               গ            মিকাইল-ইসরাফিল         ঘ            আযরাইল-জিবরাইল

৩১.        হযরত মুহাম্মদ (স.) এর উপর অবতীর্ণ আসমানি কিতাবের নাম কী?           জ

               ক           যাবুর     খ            ইঞ্জিল

               গ            কুরআন               ঘ            তাওরাত

নবি-রাসুলে বিশ্বাস            

৩২.       কুরআন মজিদে কতজন নবি রাসূলের নাম উলেস্নখ আছে?           ছ

               ক ২০ জন           খ ২৫ জন

               গ ৩০ জন           ঘ ৩৫ জন          

৩৩.       নবি-রাসুলগণ মানুষের জন্য ছিলেন       ছ

               ক           শাসক   খ            আদর্শ শিক্ষক

               গ            শত্রু       ঘ            বিচারক

৩৪.       “এমন কোনো জনপদ নেই যেখানে আমি কোনো নবি পাঠাইনি”- এ উক্তি কার?

               ক           আলাহর               খ            রাসুলের               চ

               গ            ফেরেশতার         ঘ            সাহাবির

শেষ দিবসে বিশ্বাস [ পৃষ্ঠা নং—১৪ ]

৩৫.       সকল প্রাণীরই কী হবে?

               ক           প্রাণ        খ            মৃত্যু       ছ

               গ            ভয়         ঘ            ইচ্ছা

৩৬.       আখিরাত মানে হচ্ছে-

               ক           ইহকাল খ            পরকাল ছ

               গ            চিরকাল               ঘ            মরণকাল

তকদিরে বিশ্বাস

৩৭.        আমাদের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণকারী কে?

               ক           আলাহ তায়ালা   খ            প্রকৃতি   চ

               গ            আব্বা-আম্মা      ঘ            পীরবুজুর্গ

মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস     

৩৮.       ভালো কাজের পুরস্কার হিসেবে কী পাওয়া যাবে?

               ক           আখিরাত             খ            জান্নাত  ছ

               গ            জাহান্নাম             ঘ            বাড়ি-গাড়ি

৩৯.       হাশরের ময়দানে বিচারক হবেন কে?       চ

               ক           আলাহ

               খ            হযরত মুহাম্মদ (স.)

               গ            হযরত জিবরাইল (আ.)

               ঘ            হযরত আদম (আ.)

৪০.        যারা খারাপ কাজ করবে তাদের শান্তির জন্য কোথায় নিক্ষপে করা হবে?                                  জ

               ক           কবরে    খ            হাশরে

               গ            জাহান্নামে           ঘ            মিজানে

৪১.         জাহান্নাম হলো চরম-                                    চ

               ক           দুঃখ-কষ্ট ও শান্তির জায়গা

               খ            আনন্দ উলাসের জায়গা

               গ            সম্মানের জায়গা

               ঘ            নিরাপত্তার জায়গা

* যোগ্যতাভিত্তিক

শিখনফল : আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য জানতে পারব।

৪২.        আলাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন কেন?      ছ

               ক  তাঁর নিয়ামত ভোগ করার জন্য

               খ  তাঁর ইবাদত করার জন্য

               গ  তাঁর জমিনে ভ্রমণ করার জন্য

               ঘ  তাঁর শত্রম্নদের ধ্বংস করার জন্য

শিখনফল : আলাহপাকের কুদরত সম্পর্কে জানতে পারব।

৪৩.        হযরত ইবরাহীম (আ.)-কে আগুনে পুড়াতে পারেনি কেন?                                             চ

               ক  আলাহপাকের হুকুম ছিল না বলে

               খ  আগুনের তেজ ছিল না বলে

               গ  ঐ সময়ে বৃষ্টি হয়েছিল বলে

               ঘ  বাতাসে আগুন উড়িয়ে নিয়েছিল বলে

শিখনফল : আলাহতায়ালা সবকিছুর মালিক, সম্পর্কে জানতে পারব।

৪৪.        মাটির নিচে যে সম্পদ আছে এ সব কিছুই একজন সৃষ্টি করেছেন। এখানে একজন দ্বারা তুমি কাকে বোঝ?   চ

               ক           আলাহ তায়ালাকে            খ            ফেরেশতাকে

                              গ            প্রকৃতিকে            ঘ            বিজ্ঞানীদেরকে

৪৫.        সাগর-মহাসাগরে যে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য প্রাণি আছে সেগুলো লালন-পালন করেন কে?            চ

               ক           মহান আলাহ      খ            হযরত মিকাইল (আ.)

               গ            হযরত ইসরাফিল (আ.)   ঘ            সাগর-বিজ্ঞানী 

৪৬.       মহান আলাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এগুলো মনে-প্রাণে বিশ্বাস করার নাম কী?      ছ

               ক           রিসালাত              খ            ইমান    

               গ            তকদির                ঘ            আখিরাত

শিখনফল : ওহি পাঠানোর উদ্দেশ্য জানতে পারব।

৪৮.       আলাহতায়ালা ওহি পাঠিয়েছেন কেন?      ঝ

               ক নবিদের শিড়্গা দেওয়ার জন্য

               খ মানুষদেরকে ভয় দেখানোর জন্য

               গ আলাহর কুদরত প্রকাশের জন্য

               ঘ মানুষের হেদায়াতের জন্য

শিখনফল : কুরআন মজিদ সম্পর্কে জানতে পারব।

৪৯. আমরা কুরআন মজিদের শিড়্গা মেনে চলব কেন?

               ক সর্বশেষ আসমানি কিতাব বলে

               খ আরব দেশে নাজিল হয়েছে বলে

               গ আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে বলে

               ঘ পূর্বপুরুষরা বিশ্বাস করেছেন বলে

শিখনফল: মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে পারব।

৫০. আমাদেরকে জীবিত করে হাশরের ময়দানে উঠানো হবে কেন?                                          চ

               ক পরকালে জবাবদিহি করার জন্য

               খ জান্নাত জাহান্নাম দেখানোর জন্য

               গ দুনিয়াতে আবার ফেরত পাঠানোর জন্য

               ঘ কবরের আযাব দেখানোর জন্য

৫১. পুনরুত্থানে বিশ্বাস মানুষকে সৎকর্মশীল করে তোলে কেন?                                 চ

               ক পুরুস্কারের আশায়

               খ হুর পরীর আশায়

               গ ধনসম্পদের আশায়

               ঘ ক্ষমতার আশায়

৫২. আমরা মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকব কেন? ছ

               ক লোকের ভয়ে

               খ শান্তির ভয়ে

               গ আত্মীয় স্বজনের ভয়ে

               ঘ পুলিশের ভয়ে

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১.           ওহি কাকে বলে?

               উত্তর : ওহি হলো আলাহর বাণী। আলাহ তায়ালা নবি-রাসুলদের কাছে যে বাণী পাঠিয়েছেন তাকেই ওহি বলে।

২.           ইমান কাকে বলে? 

               উত্তর : ইমান অর্থ বিশ্বাস। মহান আলাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় এবং মুহাম্মদ (স.) তাঁর রাসুল ও সর্বশেষ নবি। এই কথা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করাকেই ইমান বলে।

৩.          মহানবির কাছে সর্বপ্রথম কোন ফেরেশতা ওহি নিয়ে আসেন?

               উত্তর : মহানবির কাছে সর্বপ্রথম হযরত জিবরাইল (আ.) ওহি নিয়ে আসেন।

৪.           প্রথম কোন সূরা ওহি হিসেবে অবতীর্ণ হয়?

               উত্তর : সূরা আলাকের ৫ (পাঁচ) আয়াত প্রথম ওহি হিসেবে অবতীর্ণ হয়।

৫.           ইমানে মুজমাল অর্থ কী?

               উত্তর : ইমান অর্থ বিশ্বাস। আর মুজমাল অর্থ সংক্ষিপ্ত। ইমানে মুজমাল অর্থ সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস।

৬.          তকদির অর্থ কী?

               উত্তর : তকদির অর্থ ভাগ্য। জীবনে ভালো মন্দ যা কিছু হয় সব আলাহর হুকুমে হয়- এই বিশ্বাসকে তকদির বলে।

৭.           পবিত্র কুরআনে কতোজন নবি-রাসুলের নাম এসেছে?

               উত্তর : পবিত্র কুরআনে ২৫ জন নবি-রাসুলের নাম এসেছে।

৮.          প্রথম নবির নাম কী?

               উত্তর : প্রথম নবির নাম হযরত আদম (আ.)।

৯.           সহীফা মোট কতো খানা?

               উত্তর : সহীফা মোট ১০০ খানা।

১০.        হযরত মিকাইল (আ.)-এর কাজ কী?

               উত্তর : হযরত মিকাইল (আ.) আলাহর হুকুমে জীবের জীবিকা বণ্টন ও মেঘবৃষ্টির দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।

১১.         হযরত জিবরাইল (আ.)-এর কাজ কী ছিল?

               উত্তর : হযরত জিবরাইল (আ.) এর কাজ ছিল আলাহর হুকুমে নবি-রাসুলগণের উপর ওহি নিয়ে আসা।

১২.        হযরত ইসরাফিল (আ.) হাতে কী নিয়ে অপেক্ষায় আছেন?

               উত্তর : হযরত ইসরাফিল (আ.) আলাহর হুকুমে হাতে শিঙ্গা নিয়ে অপেড়্গায় আছেন।

১৩.        কোন ফেরেশতা আলাহর হুকুমে জীবের জান কবজ করেন?

               উত্তর : হযরত আযরাইল (আ.) আলাহর হুকুমে জীবের জান কবজ করেন।

কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

* সাধারণ

১.           ইমান মুফাস্সালে আমরা কতগুলো বিষয়ের উপর ইমান আনি? ইমান মুফাস্সাল অর্থসহ বাংলায় লেখ।

               উত্তর : ইমান মুফাস্সালে আমরা সাতটি বিষয়ের উপর ইমান আনি। ইমান মুফাস্সাল অর্থসহ বাংলায় নিচে উল্লেখ করা হলো :

               ইমান মুফাস্সাল- আমানতু বিলাহি ওয়ামালাইকাতিহী ওয়াকুতুবিহী ওয়ারুসুলিহী ওয়ালইয়াওমিল আখিরি ওয়াল কাদরি খাইরিহী ওয়াশাররিহী মিনালাহি তায়ালা ওয়াল বা’সি বা’দাল মাউত।

               অর্থ : আমি ইমান আনলাম আলাহ, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর কিতাব ও তাঁর রাসুলগণের ওপর। আরও ইমান আনলাম শেষ দিবসে ও তকদিরের ভালো-মন্দে, যা আলাহর পক্ষ থেকে হয় এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে।

২.           ‘সালাম’ অর্থ কী? আমরা পরস্পর সালাম বিনিময় করব কেন?

               উত্তর : ‘সালাম’ অর্থ শান্তি।

               সালাম বিনিময়ের দ্বারা একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা, আšত্মরিকতা, মহব্বত তৈরি হয়। একে অপরের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়। এতে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। অশান্তি দূর হয়। ইসলামে সালাম বিনিময় একটি সুন্দর নিয়ম। সালাম হলো শান্তির দোয়া। তাই আমরা একে অপরের সাথে দেখা হলে অবশ্যই সালাম বিনিময় করব।

৩.          কালিমা শাহাদত মানে কী? কালিমা শাহাদতের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

               উত্তর : কালিমা শাহাদত মানে- সাক্ষ্য দেওয়ার বাক্য।

               কালিমা শাহাদত হলো ইসলামের মূল বিষয়। এর দ্বারা আমরা একমাত্র আলাহ তায়ালাকেই মাবুদ হিসেবে স্বীকার করে নিই ও হযরত মুহাম্মদ (স.)-কে আলাহর বান্দা ও রাসুল হিসেবে সাড়্গ্য দিই। তাওহিদ ও রিসালাতের প্রতি ইমান আনি। এ সাড়্গ্য দেওয়া ছাড়া একজন মুমিন-মুসলমানের ইমান কখনো পরিপূর্ণ হতে পারে না। আর রাসুল (স.)-এর খাঁটি উম্মত হওয়া যায় না। তাই আমরা কালিমা শাহাদতের অর্থ জানব, অšত্মরে বিশ্বাস করব এবং বা¯ত্মব জীবনে আমল করব।

৪.           আখিরাত কাকে বলে? ব্যাখ্যা কর।

               উত্তর : আখিরাত মানে পরকাল। মৃত্যুর পরের জীবনকে বলে আখিরাত। মৃত্যুর পরেই এ জীবনের শুরু হয়। কবর, কিয়ামত, হাশর, মিজান, পুলসেরাত, জান্নাত, জাহান্নাম এসবই আখিরাতের জীবনের অšত্মর্ভুক্ত। আখিরাত জীবনের শুরু আছে, শেষ নেই। সে জীবন অনšত্মকালের। আলাহ তায়ালা বলেন, “এ দুনিয়ার জীবন তো অস্থায়ী উপভোগের বস্তু। আর আখিরাতই হচ্ছে চিরস্থায়ী আবাস।” দুনিয়ার জীবনে আমরা যেমন কাজ করব, আখিরাতে আমরা তেমনি ফল ভোগ করব। আখিরাতের জীবনই হলো আসল জীবন।

* যোগ্যতাভিত্তিক 

৫.           মহান আলাহর পরিচয় পাঁচটি বাক্যে লেখ।

               উত্তর : মহান আলাহর পরিচয় নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো :

১)            মহান আলাহ এক ও অদ্বিতীয়।

২)           তাঁর সত্তা ও গুণের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছুই নেই।

৩)          তিনি অনাদি, অনšত্ম।

৪)           তিনি সর্বশক্তিমান ও পরম দয়ালু।

৫)           তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা ও পালনকর্তা।

৬.          শেষ দিবসের প্রতি তোমার বিশ্বাস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

               উত্তর : নিচে পাঁচটি বাক্যে শেষ দিবসের প্রতি আমার বিশ্বাস উলেস্নখ করা হলো :

১)            শেষ দিবস বা আখিরাতে বিশ্বাসী ব্যক্তি তার কাজকর্মে সতর্ক হয়।

২)           ইমানের অন্যান্য বিষয়ের মতো শেষ দিবসে বিশ্বাস করাও জরুরি।

৩)          দুনিয়ায় যারা ভালো কাজ করে, শেষ দিবসে তারা জান্নাতের সুসংবাদ পাবেন।

৪)           দুনিয়ায় যারা খারাপ কাজ করে, শেষ দিবসে তারা জাহান্নামের দুঃসংবাদ পাবে।

৫)           শেষ দিবসে বিশ্বাসী ব্যক্তি শান্তির ভয়ে দুনিয়ায় ভালো কাজ করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *