সরকারি চাকরী খুজুন ঘরে বসেঃ ইন্টারনেটে চাকরীর খোঁজ(জরুরী ধাপ ও নির্ভরযোগ্য সকল ওয়েবসাইট)

আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।

একজন শিক্ষতো মানুষ যে ভালো পড়াশোনা করেছেন তারা সবসময় ভালো কাজ খোজার চেষ্টা করে আর ভালো কাজ করতে চায়। তার কাছে সরকারি আর বেসরকারি কোনও প্রশ্ন থাকে না। শুধু তার কাজ দরকার যে কাজ করে সে যেন নিজের প্রয়জনীয় খোরোজ করতে পারে। যদি আপনি এর মধ্যে একজন হন তাহলে আজকে আমি তোমাকে বলবো তুমি কিভাবে ইন্টারনেট থেকে নিজের ভালো লাগা কাজ কিভাবে খুব সহজেই খুজে বের করবেন।

অনলাইনে কোনও চাকরীর জন্য আবেদনের জন্য অনেক জিনসের দরকার পরে। এখানে আপনার শিক্ষা, কাজের অভিজ্ঞতা (work  knowlage) ইত্যাদি আরো অনেক কিছু থাকা দরকার। শুরুতে এই নিয়মটি প্রতিটি সংস্থায় অনুসরণ করা। আপনি কিছু সময় কাজ করতে চান বা পুরো সময় সেখানে করতে চান।

ইন্টারনেট এ চাকরির জন্য আবেদন করার জন্য অনেক জায়গা আছে যেখানে আপনি কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। আর বেশির ভাগ সময় আমাদের সাথে এমন হয় যে আবেদন করার পরে সেখান থেকে কোনো উত্তর আসে না।

প্রতিটি স্তরের কমপিটিশন সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে সময় তৈরি করতে হবে এটিই মূল কারণ। আর এই কমপিটিশন এর মধ্যে কাজ পাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। সরকার ব্যতীত বেসরকারী খাতে প্রচুর প্রতিযোগিতা হয়েছে।

এখানে আমরা আপনাকে এমন কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এবং সেরা জায়গার কথা বলছি যেখানে আপনি নিজের জন্য কোনও কাজ বা চাকরি খুঁজে পেতে পারেন।

অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে কাজের সন্ধান কিভাবে করবেন

যে ভাবে প্রযুক্তিটি বাড়ছে এমনিতেই এখন বেশির ভাগ কাজ তো অনলাইনে এই হয়। আজকের সময় এ ইন্টারনেট এ হাজারো ওয়েবসাইট আর আপস আছে যে ওয়েবসাইট আর আপস আপনাকে অনলাইনে কাজ খুজতে সাহায্য করে।

পছন্দসই চাকরি খোঁজার ১০টি জরুরী ধাপ

চাকরি যেন সোনার হরিণ। দেশে দিন দিন বেড়ে চলা বেকারের সংখ্যাই যদি আপনার চোখে বেশি পড়ে তবে জেনে রাখুন চাকরিজীবীর সংখ্যাও কিন্তু বাড়ছে অন্যদিকে। অনেকে তো একই সময়ে বেশ কিছু লোভনীয় চাকরির অফার পেয়ে যান যে বাছাই করাই কঠিন হয়ে যায় কোনটি ছেড়ে কোনটি তার করা উচিত!কিন্তু মনের মত ভালো একটা চাকরি পেতে হলে আপনাকে কিন্তু একটু চোখ কান খোলা রাখতে হবে আর অবলম্বন করতে হবে বেশ কিছু কৌশল।

১) চাকরি খোঁজার মাধ্যম ঠিক করুনঃ

প্রথমেই ঠিক করুন আপনি কোন মাধ্যমে চাকরি খুঁজবেন। কিছু পত্রিকা যেগুলোয় চাকরির বিজ্ঞাপন বেশী দেয়, বা কিছু পত্রিকা কেবল চাকরির খবর নিয়েই প্রকাশিত হয়। সেগুলো সম্পর্কে খোঁজ নিন ও হকারকে বলুন যাতে নিয়মিত আপনার বাসায় দিয়ে যায়। সবচেয়ে দ্রুত ও বিশদ তথ্য পেতে মাঝে মাঝে ভিজিট করুন বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে।

২) জব ফেয়ারঃ

মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্থানে জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়। এসব মেলায় বড় বড় প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলোয় তারা তাৎক্ষণিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে চাকরি প্রদান করে। এই কনফার্মেশন আপনি সাথে সাথেই বা কিছুদিন পরেও পেতে পারেন। তাই খেয়াল রাখুন কবে কোথায় আয়োজিত হচ্ছে চাকরি মেলা। নিজের আপডেটেড সিভি, কভার লেটারের হার্ড ও সফট কপি ও এক কপি ছবি নিয়ে হাজির হয়ে যান।

৩) চাকরির ধরনঃ

আপনি ঠিক কী ধরনের চাকরি করতে চান আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী সেটা সবার আগে ঠিক করুন। এমন কোন জায়গায় সিভি পাঠানোর দরকার নেই যেখানে জব পেলেও আপনি করবেন না। এতে শুধু শুধু আপনার ইমেজ খারাপ হবে। ওই প্রতিষ্ঠানে আপনি পরবর্তীতে পছন্দের পোস্টে এপ্লাই করলেও আপনাকে না ডাকার সম্ভাবনাই বেশি।

৪) সিভি ও কভার লেটারঃ

সিভি ও কভার লেটারের ফরম্যাট ও বানানের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সে ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করবেন তা যেন হয় মানসম্পন্ন। এতে আপনার ডাকনাম বা ছদ্মনাম ব্যবহারের বদলে মূল নাম ও দু একটি সংখ্যা ব্যবহার করুন।

৫) জব সাইটে খোঁজ রাখাঃ

বিভিন্ন জব সাইটগুলোয় নিজের সিভি আপডেট করে রাখুন। অন করে রাখুন ইমেইল নোটিফিকেশন।

৬) নিজের এলাকার প্রতিষ্ঠান সমূহঃ

নিজের এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোয় খোঁজ নিন। সাধারনত চাকরিদাতারা কাছাকাছি দূরত্বে বসবাসকারী দক্ষ লোকেদের চাকরি দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

৭) ক্যারিয়ার নির্ভর সোশ্যাল নেটওয়ার্কঃ

যোগ দিন ক্যারিয়ার নির্ভর সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, যেমন, “লিংকড ইন” এর সাথে। এতে আপনার যোগ্যতা অনুসারে দেশে বিদেশে চাকরি, পেশা বিশয়ক আলোচনার মাধ্যমে দরকারী টিপস পাবেন আপনি।

৮) নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত থাকাঃ

আপনার চারদিকের মানুষগুলো, ফেসবুক বা টুইটারের মত সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোকে কাজে লাগান। আপনার দক্ষতা ও চাকরীর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবাইকে জানিয়ে রাখুন।

৯) দক্ষতা বাড়ানোঃ

এক নজরে দেখে নিন কি কি বিষয় চাকরীক্ষত্রে দরকার ও কী কী বিষোয়ে আপনার বেশ খানিকটা ঘাটতি রয়ে গেছে। ইংরেজী বা নতুন কোন ভাষার কোর্স, আইইএলটিএস স্কোর, কম্পিউটার জ্ঞান, রিসার্চের কোর্স এসব আপনার সিভিকে আরো সমৃদ্ধ করবে চাকরি দাতাদের কাছে।

১০) ইন্টারভিউর জন্যে প্রস্তুতিঃ

ইন্টারভিউর জন্যে প্রস্তুতি নিন।পরামর্শ নিন অভিজ্ঞ কারো কাছে। পোষাক, আচরণ, ভাষা, কাগজপত্র সব দিক থেকে নিজেকে ঠিকঠাক প্রস্তুত করে ফেলুন। হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী। ব্যস। এবারে দেখুন আপনি নয়, চাকরীই ছুটবে আপনার পেছনে…!

সফলতার গল্প

ইথার ও লুথার দুজনে রুমমেট ও বেশ ভালো বন্ধু। লুথার ক্লাস করে, খায়-দায়, ঘুমায়, ক্যান্ডি ক্রাশ খেলে সময় কাটায়। ইথার পড়াশোনায় মোটেই ভালো না। কিন্তু সে বেশ মিশুক। ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। মিলে-মিশে কাজ করতে তার যেন কোন ক্লান্তি নেই। সে যখন থার্ড ইয়ারে পড়তো, তখন থেকেই কম্পিউটারে বিভিন্ন সার্কুলার দেখতো, আবেদন করতো। বন্ধুরা তাকে এজন্যে কম তিরস্কার করেনি। পাস করার পর লুথার ব্যাপক চিন্তায় পড়ে গেল। কিভাবে সিভি বানাবো, কিভাবে আবেদন করবো, কোথাও তো কেউ চেনা-জানা নেই। লুথারের হতাশা চরমে গিয়ে ঠেকলো, যখন সে দেখলো, তার চেয়ে ঢের বাজে রেজাল্ট নিয়েও ইথারের একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরী হয়ে গিয়েছে। ফেসবুকে এই পোস্ট দিয়েছে ইথার। যাকে পাগল বলা হতো, সেই বন্ধুর সাফল্যের সংবাদ পেয়ে লুথার তাজ্জব বনে গেলো। কি করতো ইথার? বাজে রেজাল্ট নিয়েও কিভাবে তার চাকরী হল? চলুন, জেনে নেই ইথার আসলে কি করতো।

১। ইথার ফেসবুকে বাজে সময় কাটাতো না। সে প্রায় ২৫০টির মত গ্রুপে অ্যাড ছিলো। আপনি আসলে অন্যের চেয়ে এক্সট্রা কি করছেন তা নির্ধারণ করে দিবে আপনি কি এক্সট্রা অর্ডিনারি নাকি অর্ডিনারি। মনে রাখবেন, নয় সাধারণ যারা তারাই কিন্তু অসাধারণ। আপনাকে বিজয়ী হতে গেলেও সাধারণের চেয়ে একটু বেশি করতে হবে। যে সময় লুথার নষ্ট করেছে গেম খেলে, ঘুমিয়ে হেলে দুলে সেই সময়টা ইথার দিয়েছে চাকরী খোঁজার জন্যে। লুথামি লুথারের ক্যারিয়ারে কিছুই অ্যাড করতে পারেনি। আমাদের দেশে প্রায় সকল ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে মেয়েরাই এখন ফেসবুক ইউজার। অনেকে ফেসবুকে লম্বা সময়ও কাটান। তাই ফেসবুককে চাকরী খোঁজার মাধ্যম করে নিতে পারেন। খুব সাধারন একটা টিপস দিচ্ছি। ফেসবুকে “Career, Job, Professional, Training, HR” এই শব্দগুলো লিখে সার্চ করুন। যত গ্রুপের নাম আসবে, সব গ্রুপে অ্যাড হোন। গ্রুপ গুলোতে সব সময় সার্কুলার আসে।

২। পরিকল্পনা জিনিসটা আসলে খুব জরুরী। একটা কথা আছে ইংরেজিতেঃ “If you fail to plan, you will plan to fail.” অজানা গন্তব্যে পাড়ি দেওয়া আত্মঘাতী। নিজেকে প্রশ্ন করুন। আপনি জীবনে কি হতে চান? কি করতে আপনার ভালো লাগে? আপনি ৫ বছর পর কোথায় দেখতে চান নিজেকে? আপনি কাল মারা গেলে আপনার চারপাশের লোকদের কাছ থেকে কি ধরনের কমেন্ট, আশীর্বাদ আশা করেন? পরিকল্পনা করুন। ইথার পরিকল্পনা করে নিয়েছিলো, তৃতীয় বর্ষে থাকতেই যে সে পাস করে বেরিয়েই মার্কেটিং জব করবে। তাই সে বিভিন্ন সেমিনারে যেত।

সিভি তৈরি করিয়ে নিয়েছিলো প্রফেশনাল রাইটারকে দিয়ে। সর্বোত্তম জিনিসটিই তার চাই। তার মতে সিভি ভালো হলেই ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভব। তাই এই ব্যাপারে মোটেই গাফিলতি নয়। তার লক্ষ্য ছিলো অটুট, আত্মবিশ্বাস ছিলো, চেষ্টা ছিলো, ধৈর্য্য ছিলো। সব কিছু তাকে দিয়েছিলো প্রবল মনোবল। তাই খারাপ রেজাল্ট আর বাঁধ সাধতে পারেনি। লুথার কিন্তু ভালো ফল নিয়েও কিছুই করতে পারছে না। হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। সাথে আছে ক্যান্ডি ক্রাশ, ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান। তারাও কিছু করতে পারছে না লুথারের জন্যে। বাজে সঙ্গী আপনার বাজে সময়ে আপনাকে কিছুই দিতে পারবে না।

ইথার বিভিন্ন পেপারে আসা সার্কুলার গুলোর দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতো, যুগান্তরের চাকরীর খোঁজ নামক পেজে কি কি আর্টিকেল আসে, কি কি উপদেশ ছাপা হয়, সবই সে পড়তো। চাকরির নিউজ, চাকরি-বাকরি নামধারী সবগুলো পেজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকতো।

৩। লিঙ্কডইনের কোন বিকল্প নেই। লিঙ্কডইনে আপনি শুধু চাকরীর সার্কুলারই পাবেন না, কোন চাকরী আপনার সাথে ম্যাচ করে, সেটাও লিঙ্কডইন আপনাকে জানিয়ে দিবে। ইথার লিঙ্কডইন তৈরি করেছিলো ভার্সিটির তৃতীয় বর্ষে। এখন তার সেখানে দেড় হাজার কানেকশান। তাই, আজই লিঙ্কডইন প্রোফাইল আপডেট করুন। দৈনিক যুগান্তরে ২৮ জানুয়ারি ছাপা হয়েছিলো, “কীভাবে লিঙ্কডইন তৈরি করতে হয়?” লেখাটি পড়ে নেবেন। ভেবে দেখুন, লুথার যদি আজ লিঙ্কডইন খোলে, সে কি পারবে ইথারের মত রাতারাতি দেড় হাজার কানেকশান করতে?

চাকরী আছে, অনেক চাকরী আছে। চাকরী আপনাকে খুঁজছে, আপনি তৈরি তো?

৪। আজকাল অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ক্লাব থাকে, ফেসবুকে এরকম পেজও আছে অনেকগুলো। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি, খুলনা, চিটাগাং ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ, ড্যাফোডিল, ইউল্যাব সহ প্রায় সকল ইউনিভার্সিটির আছে নিজস্ব ক্যারিয়ার পেজ। শুধু নিজের ভার্সিটি নয়, আজই সবগুলো পেজে লাইক দিয়ে দিন, সবগুলো গ্রুপে জয়েন করে ফেলুন। এসব পেজের অ্যাডমিনরাই খুব অ্যাকটিভ। যেখানেই সার্কুলার দেখতে পান, তারা তাদের পেজে পোস্ট করেন।

৫। টুইটারেও কিছু কিছু বিজ্ঞাপন আসে। মনে রাখবেন ফেসবুক, লিঙ্কডইন টুইটার এসব সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে কৌশলী হোন। আজে-বাজে নাম, ই-মেইল অ্যাড্রেস, চালু নেই এমন ফোন নম্বর দেবেন না। অপ্রয়োজনীয়, অতি পার্সোনাল পোস্ট দিবেন না। আপনি কেমন চলাফেরা করেন, কেমন পোশাক পরেন, কেমন পোস্ট দেন এগুলো হয়তো একজন পর্যবেক্ষণ করছে। আমি নিজেই আমার অনেক ছাত্রদের ফেসবুক অ্যাকটিভিটি দেখে মুগ্ধ। কেউ হয়তো রক্তদানের সাথে জড়িত, কেউ আছে এতিম দের সাহায্য করছে, কেউ শীতবস্ত্র বিলাচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এদের সবাই জীবনে একদিন অনেক বড় হবে।

৬। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত হবার সুযোগ থাকে। ইথার এভাবে প্রায় ১৫টির মতো প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত। প্রতিষ্ঠানগুলোও সেখান থেকেই ইন্টারভিউ এর জন্যে ডাকে। আপনার সিভি যদি দৃষ্টিনন্দন হয় তাহলে এসব কোম্পানি ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা আপনার জন্য অনেক সহজ কাজ হয়ে যাবে।

৭। বিভিন্ন সেমিনার, ট্রেইনিং করে ফিরে এসে প্রথমেই ইথার যেটা করতো, তা হচ্ছে, সকলকে নিজের নেটওয়ার্কে আনা। যাতে আজ যে নতুন লোকটির সাথে পরিচয় হল, তাকে যেন ভুলে না যান। কাকে যে কোথায় দরকার হবে কেউ জানে না।

৮। ইথার বিডিজবস, প্রথম আলো জবস সহ বিভিন্ন জব সাইটগুলোতে সিভি আপলোড করে রেখেছিলো। সিভিটি দৃষ্টি নন্দন হওয়ার দরুন সে প্রতি মাসেই ইন্টারভিউ কল পেত, যা তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। চাকরি আছে, অনেক চাকরি আছে। চাকরি আপনাকে খুঁজছে, আপনি তৈরি তো?

৯। ইথার বিভিন্ন হেড হান্টার প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলো, তাদের পেজ ফেসবুক ও  লিঙ্কডইনে ফলো করতো। গ্রো অ্যান্ড এক্সেল, ইজোন, কর্পোরেট আস্ক, প্রস্টোফারজ, এজেড সলুশান, এসজিএস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে তার সিভি নিবন্ধিত ছিলো। অনেক ক্ষেত্রে ইথার মেইল পেত। অমুক জায়গায় লোক লাগবে, আবেদন করুন। ইথার ওই অনুযায়ী আবেদন করতো।

১০। দশ জন বাজে লোকের বন্ধু হবার চেয়ে একজন ভালো লোককে ফলো করা ভালো। ইথার ফেসবুকে সেরকম অনেক লোককে ফলো করতো। বিভিন্ন মোটিভেশনাল পেজ থেকে সে অনুপ্রেরণামূলক মেসেজ পেত, যাতে করে হতাশা কখনোই তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।

কলম লেখার জন্যে আবিষ্কৃত হয়েছিলো, কেউ যদি তা দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে তার জন্যে কলম দায়ী নয়। ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন এগুলো সবই টেকনোলজির অবদান। আজকের এই দিনে আপনি এগুলোকে ছাড়া সামনে এগোতে পারবেন না। তাই, সঠিক ভাবে এগুলো ব্যবহার করুন। সময় নষ্ট করবেন না। অন্যকে আপনার সময় নষ্ট করতে দেবেন না। অন্যদের চেয়ে এক্সট্রা কিছু করুন। এখন ২০১৬ সাল, চাকরীর জন্যে দুয়ারে দুয়ারে ধরনা দিতে হয় না। অবসরকে কাজে লাগান। দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। আপনাকে সঠিক সুযোগ খুঁজে নিতে হবে।

সরকারি চাকরি খোঁজার বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ১০টি ওয়েবসাইট

গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বিসিএস এর প্রস্তুতি নিচ্ছে শুভ। পাশাপাশি সরকারি অন্যান্য চাকরিগুলোর দিকেও ঝোঁক তার। চেষ্টা করে দেখতে তো আর ক্ষতি নেই! একই সাথে একই জায়গায় চাকরিগুলোর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেতে সে নির্ভর করে চাকরির ওয়েবসাইটগুলোর ওপরই। 

শুভর মত তরুণের সংখ্যা বাংলাদেশে অগণিত। চাকরির ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিই প্রথম পছন্দ থাকে বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীর। আর তার জন্য প্রস্তুতিও চলতে থাকে প্রথম থেকেই পুরোদমে। কিন্তু সেই চাকরি নামের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া বেশ দুরূহ। আর তা যদি হয় সরকারি চাকরি তাহলে তো কথাই নেই! নিয়োগের সময় কিংবা অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত না জানলে প্রস্তুতিও পরিপূর্ণ হয় না। আর এমন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে পড়তে হয় পিছিয়ে। তাছাড়া বিভিন্ন উৎস থেকে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে চাকরি খোঁজাটা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এ জন্য চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইটগুলো হয়ে উঠেছে বেশ জনপ্রিয়। 

তবে চাকরি খোঁজার জন্য এরকম ওয়েবসাইটের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। ফলে নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট কোনটি তা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ভুগতে হয় দ্বিধা-দ্বন্দ্বে।

সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব আর বিভ্রান্তিকে সরিয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক সরকারি চাকরির জন্য নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটগুলো সম্পর্কে-

১। বিডি জবস

bdjobs.com বাংলাদেশের বৃহত্তম চাকরি খোঁজার অনলাইন ওয়েবসাইট। বাংলাদেশে যে সব চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে বিডি জবস প্রথম দিকেই থাকবে। নির্দিষ্ট কী-ওয়ার্ড, স্থান বা অন্যান্য চাহিদা অনুযায়ী টপিক সার্চ করে চাকরির সার্কুলার খোঁজার সুযোগ রয়েছে এখানে। তাছাড়া শুধুমাত্র বিভাগীয় শহরগুলোতে চাকরি খোঁজার সুযোগ রয়েছে। সরকারি চাকরির জন্য রয়েছে আলাদা সেকশন। আপনি যে ধরণের চাকরি চান তা সহজেই পেতে পারেন এখান থেকে। নিয়মিত জব আপডেট করার কারণে কোনো বিজ্ঞপ্তি মিস করে যাওয়ার সুযোগ নেই। প্রতি মাসে প্রায় ৪০ মিলিয়ন চাকরিপ্রার্থী এই সাইট ভিজিট করে থাকেন, যা তাদের বিশ্বস্ততার পরিচয় দেয়। তাছাড়া নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রেও bdjobs কাজ করে থাকে।

লিংক- https://bdjobs.com/

২। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ওয়েবসাইট

bpsc.gov.bd বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইট। এটি মূলত সরকারি চাকরির ওয়েবসাইট। নানা ক্যাটাগরির চাকরি খোঁজার পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা রয়েছে। বিসিএস পরীক্ষা, বিভাগীয় পরীক্ষা, নন-ক্যাডার, সিনিয়র স্কেল পরীক্ষাসমূহের তথ্য পেয়ে যাবেই এই সাইটে। শুধু তাই নয় অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং ফলাফলও জানতে পারবেন এখান থেকে। নীতিমালা, তথ্য অধিকারসহ আরও বেশ কিছু পোর্টাল রয়েছে ওয়েবসাইটটিতে। তাই আপনার লক্ষ্য যদি হয় সরকারি চাকরি চোখ বুজে ভরসা করতেই পারেন এই সাইটটিকে।

লিংক- http://www.bpsc.gov.bd/

৩। জবস ডট পিপীলিকা ডট কম

বলতে গেলে একেবারেই প্রচারবিহীন কিন্তু চাকরি খোঁজার জন্য দারুণ একটি ওয়েবসাইট এটি। বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকার নিজস্ব চাকরি খোঁজার পোর্টাল। নতুন চাকরি, চাকরির ডেডলাইন, সরকারি চাকরির খবরাখবর তো আছেই সাথে এই সাইটের সুন্দর ইন্টারফেস আপনাকে মুগ্ধ করবে। তাছাড়া সার্চবারে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী চাকরি সম্পর্কে সার্চ দিয়ে জেনেও নিতে পারবেন।

লিংক- https://jobs.pipilika.com/

৪। বিডি জবস টুডে

কেমন হয় যদি পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোই আপনি একই জায়গায় ক্যাটাগরি অনুযায়ী পেয়ে যান? bdjobstoday.com এমনই এক ওয়েবসাইট যেখানে আপনি সংবাদপত্রে প্রকাশিত সার্কুলারগুলো পেয়ে যাবেন সহজেই। সরকারি চাকরি তো বটেই অন্যান্য চাকরির জন্যও তাই ভরসা করা যায় bdjobstoday কে। চাকরি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া যাবে এখানে।

লিংক- http://www.bdjobstoday.com/index.php 

৫। স্কিল ডট জবস

বাংলাদেশে চাকরি খোঁজার প্রথম অনলাইনভিত্তিক ওয়েবসাইট জবস বিডি ডট কম পরবর্তীতে skill.jobs হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। চাকরি খোঁজার জন্য এটিও বেশ জনপ্রিয় এবং গোছানো প্ল্যাটফর্ম। রয়েছে ক্যাটাগরি এবং চাহিদা অনুযায়ী চাকরি খোঁজার সুযোগ। সরকারি চাকরির জন্য রয়েছে আলাদা সেকশন। ওয়েবসাইটটি প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করে তৈরি করা। চাকরির পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন সুবিধাও আপনি পেয়ে যাবেন।

লিংক- https://skill.jobs/

৬। বিডি ক্যারিয়ার

সরকারি চাকরি খোঁজার আরেক নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট হল bd-career.com.  অন্যান্য সাইটগুলোর মত এখানেও রয়েছে ক্যাটাগরি অনুযায়ী চাকরি খোঁজার সুযোগ। তাছাড়া সংবাদপত্রে প্রকাশিত চাকরির বিজ্ঞপ্তি সংবাদপত্র অনুযায়ী আলাদা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যা থেকে আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি।

লিংক- https://bd-career.com/

৭। সরকারি নিয়োগ

বিশেষভাবে সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞাপন দিয়ে সাজানো এই ওয়েবসাইটি অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত চাকরির খবর একত্রিত করে প্রকাশ করে। সাথে সংগৃহিত তথ্যগুলোর কপিরাইট সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের এবং সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উদ্ধৃত থাকে বলে সাইটটি নির্ভরযোগ্যও। সরকারি চাকরির পাশাপাশি অন্যান্য চাকরির খবরও পেয়ে যাবেন এখান থেকেই।

লিংক- https://sarkariniyog.com/ 

৮। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

সরকারি বিভিন্ন খাত-সেবাসমূহের তথ্য নিয়ে bangladesh.gov.bd ওয়েবসাইটটি। শিক্ষা বিষয়ক, ভর্তির আবেদন, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, আয়কর, টিকেট বুকিং, যানবাহন সেবা, ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত তথ্যসহ এখানে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য। যেখানে গিয়ে আপনি সহজেই সরকারি চাকরির নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে হওয়ায় এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকার কোনো অবকাশই নেই।

লিংক- https://cutt.ly/TTQIT3S

৯। প্রথম আলো

প্রথম আলো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রগুলোর মধ্যে একটি। প্রথম-আলোর অনলাইন সংস্করণ prothomalo.com এ গেলেই অন্যান্য সেকশনের পাশাপাশি ‘চাকরি’ নামক আলাদা একটি সেকশন আছে। সেখান থেকেও চাইলে সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে নেয়া যায়।

লিংক- https://www.prothomalo.com/chakri

১০। জাগো নিউজ ২৪

জাগো নিউজ বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল। তাদের অনলাইন সাইটেও চাকরির জন্য জাগো জবস নামে সেকশন রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভাগ করা না থাকলেও সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের চাকরির খবরাখবর আপনি পেয়ে যাবেন। 

লিংক- https://www.jagonews24.com/jago-jobs

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *