নবম-দশম শ্রেনী-২০২৩ বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃ অভাগীর স্বর্গ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
অভাগীর স্বর্গ
লেখক পরিচিতি :
নাম | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
জন্ম পরিচয় | জন্ম তারিখ : ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই সেপ্টেম্বর। জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রাম। |
শিক্ষা | আর্থিক সংকটের কারণে এফ.এ শ্রেণিতে পড়ার সময় ছাত্রজীবনের অবসান ঘটে। |
ব্যক্তিজীবন | কৈশোরে অস্থির স্বভাবের কারণে তিনি কিছুদিন ভবঘুরে জীবনযাপন করেন। ১৯০৩ সালে ভাগ্যের অন্বেষণে বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) যান এবং রেঙ্গুনে (বর্তমান ইয়াংগুন) অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের অফিসে কেরানি পদে চাকরি করেন। এখানেই তাঁর সাহিত্যসাধনার শুরু হয়। |
সাহিত্যিক পরিচয় | মূল পরিচয় কথাসাহিত্যিক হিসেবে। উপন্যাস ও গল্প রচনার পাশাপাশি তিনি কিছু প্রবন্ধ রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। |
উল্লেখযোগ্য রচনা | উপন্যাস : বিরাজ বৌ, দেবদাস, পরিণীতা, পলিস্নসমাজ, বৈকুণ্ঠের উইল, শ্রীকান্ত, চরিত্রহীন, দত্তা, গৃহদাহ, দেনা পাওনা, পথের দাবী, শেষ প্রশ্ন। গল্পগ্রন্থ : বড়দিদি, রামের সুমতি, বিন্দুর ছেলে, মেজদিদি, পণ্ডিতমশাই, ছবি। |
পুরস্কার | ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক এবং ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি লাভ করেন। |
মৃত্যু | ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই জানুয়ারি কলকাতায় |
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১নং. এই নিষ্ঠুর অভিযোগে গফুর যেন বাক্রোধ হইয়া গেল। ক্ষণেক পরে ধীরে ধীরে কহিল, কাহন খানেক খড় এবার ভাগে পেয়েছিলাম। কিন্তু গেল সনের বকেয়া বলে কর্তামশায় সব ধরে রাখলেন? কেঁদে কেটে হাতে পায়ে পড়ে বললাম, বাবু মশাই, হাকিম তুমি, তোমার রাজত্ব ছেড়ে আর পালাব কোথায়? আমাকে পণদশেক বিচুলি না হয় দাও। চালে খড় নেই। বাপ বেটিতে থাকি, তাও না হয় তালপাখার গোঁজাগাঁজা দিয়ে এ বর্ষাটা কাটিয়ে দেব, কিন্তু না খেতে পেয়ে আমার মহেশ যে মরে যাবে।
ক. কাঙালীর বাবার নাম কী? ১
খ. ‘তোর হাতের আগুন যদি পাই, আমিও সগ্যে যাব’ উক্তিটি ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কাঙালীর সঙ্গে উদ্দীপকের গফুরের সাদৃশ্য থাকলেও কাঙালী সম্পূর্ণরূপে গফুরের প্রতিনিধিত্ব করে না Ñ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
কাঙালীর বাবার নাম রসিক বাঘ।
১ এর খ নং প্র. উ.
‘তোর হাতের আগুন যদি পাই, আমিও সগ্যে যাব’Ñ মা গভীর ধর্মবিশ্বাস থেকে কাঙালীকে এ উক্তিটি করেছিল।
মুখুয্যে বাড়ির গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুর পর সৎকারের দৃশ্য দেখে অভাগীর ভেতরে এক ধরনের ভাবানুভূতির সৃষ্টি হয়। মৃতের শবযাত্রার আড়ম্বরতা ও সৎকারের ব্যাপকতা দেখে অভাগী বিস্মিত হয়। ভাবে, তার মৃত্যুর সময় স্বামীর পায়ের ধূলি নিয়ে মৃত্যুর পর পুত্র কাঙালী মুখাগ্নি করলে সেও স্বর্গে যাবে। তাই অভাগী তার সেই শেষ ইচ্ছার কথাই সন্তানের কাছে বলে।
১ এর গ নং প্র. উ.
উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত সামন্তবাদী সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে।
‘অভাগীর স্বর্গ’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসামান্য সৃষ্টি। এখানে অভাগী ও কাঙালীর জবানিতে বর্ণভেদ প্রথা ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত মানুষের গভীর আর্তনাদ ও সমাজপতিদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে। নীচু জাতের দরিদ্র অভাগীর মৃত্যুর পর তার সৎকারের জন্য সামান্য একটু কাঠ তারা পায়নি। কাঙালী জমিদারের গোমস্তা অধর রায়ের কাছে গেলে তাকে সেখান থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। অন্য সমাজপতিররাও করে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য। এভাবে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বারবার সমান্তবাদী সমাজের নির্মমতা প্রকাশ পেয়েছে।
উদ্দীপকের গফুর দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত। যেখানে বাপ-বেটির অন্ন জোটে না সেখানে অবলা প্রাণী মহেশকে খাওয়াবে কী? মহেশকে বাঁচানোর জন্য পণদশেক বিচুলির জন্য গফুর কর্তামশাইয়ের পায়ে পড়ে কাকুতি মিনতি করেছে। এই কর্তাবাবুদের প্রবল প্রতিপত্তি থাকা সত্ত্বেও গফুরদের কষ্টে ও বুকফাটা আহাজারিতে তাদের প্রাণ কাঁদেনি। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য সে সমাজে সুস্পষ্ট দেয়াল তুলে দিয়েছিল। এই বৈষম্যপূর্ণ সমাজের চিত্র ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে আরো বি¯ত্মৃতভাবে আলোচিত হয়েছে। তাই বলা যায়, সামন্তবাদের নির্মম রূপ উদ্দীপকের সাথে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজব্যবস্থাকে সাদৃশ্যময় করে তুলেছে।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
কাঙালী ও গফুর উভয়েই শোষিত শ্রেণির প্রতিনিধি হলেও উভয়ের হৃদয়-বেদনার মাঝে গুণগত পার্থক্য রয়েছে।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালী নিম্নবর্ণের হওয়ার কারণে সমাজপতিরা তার মৃত মায়ের সৎকারে কাঠ ব্যবহার করতে দেয়নি। অভাগী ছেলের হাতের আগুন পেয়ে স্বর্গে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা নিম্নবর্ণের হওয়ার কারণে কাঙালী বারবার ধরনা দিয়েও একটু কাঠ জোগাড় করতে পারেনি। শেষমেশ নদীর চরে অভাগীকে পুঁতে ফেলতে হয়েছে। এতে কাঙালীর কিশোর হৃদয়ে কঠিন আঘাত লেগেছে।
উদ্দীপকে দরিদ্র গফুর ভাগে যেটুকু খড় পেয়েছিল কর্তামশাই গতবারের পাওনার অজুহাতে তা কেড়ে নিয়েছে। বাপ-বেটি না হয় তালপাখার গোঁজাগাজাঁ দিয়ে বর্ষাটা কাটিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু মহেশের কী হবে? মহেশ যে না খেয়ে মরে যাবে। এই মানসিক দুর্ভাবনায় আচ্ছন্ন গফুর। দরিদ্র ও মুসলমান হওয়ার কারণেই তার প্রতি জমিদারদের এমন ব্যবহার। সে সমাজে যেন তার মতো গরিবের বাঁচবার অধিকারই নেই।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালীকে মৃত মায়ের সৎকারের জন্য কাঠ দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে গলাধাক্কা । এমন অত্যাচার করা হয়েছে শুধু নীচু জাতের মানুষ হওয়ার অজুহাতে। মাতৃহারা আশ্রয়হীন একটি শিশুর কাকুতি মিনতি সমাজপতিদের মনে কোনো আবেদন সৃষ্টি করেনি। অন্যদিকে গরিব মুসলমান হওয়ার কারণে কর্তাবাবুরা নানা ছুতানাতায় গফুরকে বঞ্চিত করেছে। তবে এখানে গফুর ও কাঙালীর মধ্যে মানসিক যন্ত্রণা ও বেদনার গুণগত পার্থক্য বিদ্যমান। একজন মায়ের সৎকারে কাঠ জোগাড় করতে পারেনি অন্যজন একটি অবোধ প্রাণীর জন্য খড় সংগ্রহ করতে পারেনি। একজনের মাঝে লক্ষ করা যায় মাতৃভক্তি, অন্যজনের মাঝে প্রাণীপ্রীতি।
২নং. দশ বছরের মা-মরা মেয়ে রাবেয়া গৃহকর্মীর কাজ করে নিজের এবং অসুস্থ বাবার অন্ন সংস্থান করে। চিকিৎসার অভাবে রাবেয়াকে ছেড়ে একদিন বাবা ইহধাম ত্যাগ করেন। দাফন কাফনের খরচ এবং কবরের জায়গা না থাকায় রাবেয়া গাঁয়ের মোড়লের সহযোগিতা চেয়ে খালি হাতে ফিরে আসে। অনন্যোপায় হয়ে বাবার মৃতদেহের পাশে বসে কাঁদতে থাকে। প্রতিবেশী মনসুর এ খবর পেয়ে রাবেয়ার পাশে দাঁড়ায় এবং যাবতীয় ব্যবস্থা করে।
ক. গ্রামের শ্মশানটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত? ১
খ. “তোর হাতের আগুন যদি পাই বাবা, বামুন মার মত আমিও সগ্যে যেতে পাবো।”Ñ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. উদ্দীপকে মনসুর এবং ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের গোমস্তা অধর রায় একে অন্যের বিপরীতÑ ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা বিষয়টি ছাড়াও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে অন্যান্য বিষয়ের আলোচনা রয়েছেÑ মন্তব্যটি বিশেস্নষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. গ্রামের শ্মশানটি গরুড় নদীর তীরে অবস্থিত।
খ. [১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের ‘খ’ নং উত্তর দেখো]
গ. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে গোমস্তা অধর রায় অসহায়ের পাশে না দাঁড়ালেও উদ্দীপকের মনসুর রাবেয়াকে সহযোগিতা করে অধর রায়ের বিপরীত চরিত্রকে ধারণ করে।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে জমিদারের গোমস্তা অধর রায়ের মাঝে সামন্তবাদের নির্মম রূপের প্রকাশ ঘটেছে। সামন্তবাদীরা কখনো হতদরিদ্র মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বুঝতে চেষ্টা করে না। তারা সব সময় মানুষকে শোষণ করে নিজের লাভের চিন্তায় মগ্ন থাকে। ফলে অসহায়ের আর্তনাদ তাদের কানে পৌঁছায় না। গল্পের গোমস্তা অধর রায় তেমনই একটি চরিত্র।
উদ্দীপকের মনসুর সামন্তবাদী চরিত্রের বিপরীত রূপকে ধারণ করে। কেননা সামন্তবাদীরা নিজের স্বার্থবাদী চিন্তায় মগ্ন থাকলেও মনসুর তা করেনি। সে প্রতিবেশী অসহায় রাবেয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। রাবেয়া মৃত বাবার দাফনের জন্য যখন কোনো সহযোগিতা পায়নি তখন মনসুর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে অধর রায়কে আমরা অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি। সে উল্টো সাহায্যপ্রার্থীকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মনসুর এবং ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের গোমস্তা অধর রায় একে অন্যের বিপরীত চরিত্র।
ঘ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা সামন্তবাদী সমাজচিত্র ছাড়াও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালীর মাতৃভক্তি এবং সমাজের নীচু শ্রেণির মানুষের দুর্দশার চিত্র দরদি ভাষায় বর্ণিত হয়েছে।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালী সমাজের হতদরিদ্র মানুষের প্রতিনিধি। সমাজের সামন্তবাদী মানসিকতা একটি কিশোরের হৃদয়ে কীভাবে সমাজের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে তার সকরুণ চিত্র গল্পে অঙ্কিত হয়েছে। এছাড়া কাঙালীর মাতৃভক্তি এবং মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণে সচেষ্ট এক কিশোরের কাহিনি এই গল্পের প্রতিপাদ্য।
উদ্দীপকে দরিদ্র মানুষের অসহায়ত্বের চিত্র রূপায়িত হলেও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পটি আরও নানা দিক থেকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। গল্পের কাঙালীর মাতৃভক্তি পাঠক হৃদয়ে যে চেতনার অবতারণা ঘটায় উদ্দীপকে তা অনুপস্থিত। তাছাড়া গল্পে মুখুয্যেবাড়ির আড়ম্বরতা ও সৎকারের ব্যাপকতা সমাজের ধনী শ্রেণির বিলাসিতার চিত্র তুলে ধরে, যা উদ্দীপকে আলোচনা করা হয়নি। উদ্দীপকে কেবল একটি অসহায় মানুষের আহাজারির চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে প্রকাশিত হয়েছে সমাজের অšত্ম্যজ শ্রেণির মানুষের মর্মবেদনার স্বরূপ। তাদের প্রতি সমাজপতিদের নির্মম আচরণের পরিচয়ও তুলে ধরা হয়েছে। উদ্দীপকটি এদিক থেকে গল্পের সাথে মিলে যায়। কিন্তু গল্পে কাঙালীর মাতৃভক্তি, মানুষের ধর্মবিশ্বাস ইত্যাদি বিষয় উঠে এলেও উদ্দীপকে তেমন কিছুর উল্লেখ নেই। তাই বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ।
৩নং. ফটিক বারো-তেরো বছরের এক কিশোর বালক। নতুনকে জানার দুর্বার আকর্ষণ নিয়ে সে কলকাতায় আসে। কিন্তু এখানকার পরিবেশের সঙ্গে গ্রামের ফটিক খাপ খাওয়াতে পারে না। তার বারবার মনে পড়ে স্নেহময়ী ময়ের কথা। মায়ের কোলে ফিরে যাওয়ার তীব্র ইচ্ছায় সে একদিন সকল বন্ধন ছিন্ন করে। মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার আশায় থেকে একদিন সবার কাছ থেকে চিরদিনের জন্য ছুটি নিয়ে অসীমের পথে যাত্রা করে ।
ক. ‘অশন’ শব্দটির অর্থ কী? ১
খ. মরণকালে স্ত্রীকে পায়ের ধুলো দিতে গিয়ে রসিক কেঁদে ফেলল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ফটিকের সঙ্গে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কাঙালী চরিত্রের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উক্ত সাদৃশ্যের দিকটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজবা¯ত্মবতাকে তুলে ধরতে সহায়তা করলেও উদ্দীপকে তা ঘটেনি। উক্তিটি বিশেস্নষণ করো। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. ‘অশন’ শব্দটির অর্থ হলো খাদ্যদ্রব্য।
খ. অভাগীকে পায়ের ধুলা দিতে গিয়ে তার প্রতি নিজের অবহেলার অনুশোচনায় রসিক দুলে কেঁদে ফেলল।
রসিক দুলে অভাগীকে ফেলে আরেকটা বিয়ে করে অন্য গ্রামে চলে গিয়েছিল। কিন্তু অভাগী ছেলেকে বুকে জড়িয়ে একাই গ্রামে থেকে যায়। মৃত্যুকালে সে সেই স্বামীর পায়ের ধুলা নিতেই উদগ্রীব হয়ে ওঠে। কিন্তু যে স্ত্রীকে রসিক দুলে ভাত-কাপড় দেয়নি; কখনো যার খোঁজখবর নেয়নি তার এই পতিভক্তি রসিক দুলেকে অনুশোচনায় পোড়ায়। এজন্য পায়ের ধুলা দিতে গিয়ে সে গভীর কষ্টে কেঁদে ফেলে।
গ. মাতৃভক্তির দিক থেকে উদ্দীপকের ফটিকের সঙ্গে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কাঙালীর সাদৃশ্য রয়েছে।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কাঙালী পনেরো বছরের এক কিশোর। এ পৃথিবীতে মা তার একমাত্র আপনজন । মাকে সে ভালোবাসে প্রচণ্ডভাবে। তাই মায়ের অসুস্থতার সময় সে ব্যাকুল হয়ে কবিরাজের কাছে গিয়েছে। এমনকি মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে জমিদারের গোমস্তা দ্বারা লাঞ্ছনা ও অত্যাচারের শিকার হয়েছে।
উদ্দীপকের ফটিক গ্রামের এক দুরন্ত কিশোর। মাকে গভীরভাবে ভালোবাসে বলেই মাকে ছেড়ে শহরে এসে সে থাকতে পারেনি। বারবার মায়ের কাছে ফিরে যেতে চেয়েছে। মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার তীব্র ইচ্ছায় সে একদিন সকল বন্ধন ছিন্ন করে পৃথিবী থেকে চলে যায়। মায়ের প্রতি ভালোবাসার দিক থেকে উদ্দীপকের ফটিক ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কাঙালীর চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. মায়ের কথা রাখতে গিয়ে কাঙালি সমাজের জাতিভেদ প্রথার নিষ্ঠুরতাকে উপলব্ধি করেছে। কিন্তু উদ্দীপকে তেমন কোনো চিত্র আমরা পাই না।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে পনেরো বছরের কিশোর কাঙালী। এ পৃথিবীতে তার মা ছাড়া আর আপন কেউ ছিল না। মা ছিল তার সব কিছু। মায়ের মৃত্যুর পর মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে কাঙালী সামন্তবাদের নির্মম রূপ দেখে। মায়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসার সূত্র ধরেই সে পরিচিত হয় স্বার্থমগ্ন সমাজব্যবস্থার নির্মমতার সঙ্গে।
উদ্দীপকের ফটিক অত্যন্ত মাতৃভক্ত। মাকে ছেড়ে শহরে এসে সে একা হয়ে যায়। তার কিশোর হৃদয় মাকে দেখার জন্য, মাকে কাছে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। মাকে দেখার তীব্র ইচ্ছায় একদিন সে পৃথিবীর সঙ্গে সকল বন্ধন ছিন্ন করে স্বর্গে পাড়ি জমায়। ‘অভাগীর স্বগর্’ গল্পে মায়ের জন্য এমন গভীর অনুরাগের কথা বলা হলেও গল্পে বর্ণিত সমাজব্যবস্থার ঘৃণ্য মনোভাবের চিত্র প্রকাশ পায়নি উদ্দীপকে।
গল্পের কাঙালী মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে দেখেছে সমাজের বিত্তবানরা কতটুকু নির্মম হয়। গল্পকার কাঙালীর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমাদের সামনে জাতভেদ ও মানুষের সংকীর্ণ মানসিকতার চিত্র তুলে ধরেছেন। ছেলের হাতের আগুনটুকু পাবেনÑ এইটুকুই ছিল কাঙালীর মায়ের অšিত্মম আকাক্সক্ষা। অথচ সামান্য কাঠের অভাবে কাঙালী পারল না মায়ের কথা রাখতে। রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের ঘৃণ্য জাতিপ্রথা আর স্বার্থান্ধ মানুষের অমানবিকতার শিকার হয় সে পদে পদে। অল্প সময়ের ব্যবধানেই বুঝে যায় তাদের মতো হতদরিদ্র, নীচু জাতির মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো মূল্য নেই এই সমাজে। কিন্তু উদ্দীপকে রয়েছে কেবল মায়ের জন্য গভীর মমত্ববোধের কথা। সে মমতার টানে ফটিক নিজের জীবন বিসর্জন দেয়। সমাজের বিশেষ কোনো অসংগতির চিত্র উদ্দীপকে নেই। তাই বলা যায়, আলোচ্য উক্তিটি যথার্থ।
৪নং. মালেক সাহেবের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দেখাশোনা করেন সামাদ। প্রতিবছর তিনি মালিকের পক্ষ থেকে ভাড়াটিয়াদের মাঝে ঈদে-পূজায় বস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ করেন। প্রয়োজনে দারোয়ানকে ভাড়াটিয়াদের মেয়ের বিয়ে, ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়া, বাজার করা, দাফন-কাফনসহ সব কাজে ব্যবহার করান।
ক. কাঙালীর মা কোন জাতের মেয়ে ছিল? ১
খ. দারোয়ান রসিক দুলেকে চড় মারল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সামাদ ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের জমিদারের গোমস্তার বৈসাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. গল্পের উলিস্নখিত গ্রামের পরিস্থিতি যদি উদ্দীপকের সাথে মিলতো তাহলে গল্পের পরিণতি এমন হতো না-উক্তিটি বিশেস্নষণ করো। ৪
৪ নং প্র. উ.
ক. কাঙালীর মা দুলে জাতের মেয়ে ছিল।
খ. রসিক দুলে অনুমতি ছাড়া বেলগাছ কাটতে যাওয়ায় দারোয়ান তাকে চড় মারল।
অভাগী মৃত্যুর সময় কাঙালীর হাতের আগুন পাওয়ার অভিলাষ ব্যক্ত করে গেছে। তার সৎকারের জন্য কাঠ প্রয়োজন ছিল। রসিক দুলে স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য বাড়ির উঠানের বেলগাছটা তাই কাটতে গিয়েছিল। কিন্তু সামন্তবাদী নিয়মে জমিদারের অনুমতি ছাড়া সে গাছ কাটতে পারবে না। এমনকি নিজ বাড়ির আঙিনায় নিজ হাতে পোঁতা হলেও নয়। এজন্য বেলগাছটি কাটতে গেলে দারোয়ান তাকে চড় মেরে বসে।
গ. মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের দিক থেকে উদ্দীপকের সামাদের সাথে জমিদারের গোমস্তার চরিত্র পুরোপুরি বিপরীত।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত কাঙালীর মা মারা গেলে তাকে দাহ করার জন্য গাছের আবেদন জানাতে কাঙালী ছুটে যায় জমিদার গোমস্তার বাড়িতে। একটা বেলগাছের জন্য অনেক অনুরোধ করে গোমস্তাকে। গাছটি ছিল কাঙালীর মায়ের হাতে লাগানো। অথচ কাঙালী তাও পেল না ঘুষ দিতে না পারায়। গোমস্তা অধর রায় গাছ তো দিলই না উল্টো কাঙালীকে গালমন্দ ও প্রহার করে তাড়িয়ে দিল। কাঙালী নীচু জাতের জানার পর তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করল।
উদ্দীপকে বর্ণিত সামাদ পরোপকারী ব্যক্তি। তার মধ্যে কোনো ধর্মীয় ভেদাভেদ ছিল না। ভাড়াটিয়াদের যেকোনো কাজে সে এগিয়ে আসত। বাড়িওয়ালার প্রতিনিধি হলেও সে মনুষ্যত্ববোধের অধিকারী ছিল। কিন্তু গল্পের জমিদারের গোমস্তা ছিল শোষক ও বর্ণবাদী শ্রেণির অন্তর্গত।
ঘ. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত গ্রামের মানুষরা যদি উদ্দীপকের সামাদের মতো মানবতাসম্পন্ন হতো তবে গল্পের পরিণতি এমন দুঃখভরা হতো না।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে মুখুয্যের স্ত্রীর অšেত্ম্যষ্টিক্রিয়ার আতিশয্য দেখে কাঙালীর মা স্বপ্ন দেখে স্বর্গে যাওয়ার। তারও ইচ্ছে জাগে ছেলের হাতের মুখাগ্নি পাওয়ার। কাঙালীর মা ছিল তথাকথিত দুলে জাতের মেয়ে। নীচু জাতের ধোঁয়া তুলে কেড়ে নেওয়া হয় তার স্বপ্ন। কাঙালী যখন মায়ের ইচ্ছে পূরণে জমিদার বাড়িতে কাঠ চাইতে যায় তখন হেনস্তা হতে হয় তাকে। একদিকে জমিদারের গোমস্তার অসহযোগিতা অন্যদিকে অন্ধ সমাজ। কাঙালীর মায়ের অšিত্মম ইচ্ছা আর পূরণ হয় না।
উদ্দীপকের সামাদ মানবিকবোধে উজ্জ্বল। মালেক সাহেব তাঁকে সম¯ত্ম সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত করেছেন। কিন্তু সামাদ সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। বরং ভাড়াটিয়াদের নানা কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তাঁর অধীনে থাকা দারোয়ানকেও নানা সেবামূলক কাজে লাগান। কিন্তু ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত গ্রামের চিত্র এর তুলনায় সম্পূর্ণই বিপরীত।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে দেখা যায় সামন্তবাদের নির্মম রূপ। ক্ষমতার অহংকারে জমিদারের গোমস্তা হয়ে ওঠে মহাপ্রতাপশালী। মানুষকে সে মানুষ বলে মনে করে না। এমনকি তার চাকর ও দারোয়ানরাও ক্ষমতার অপব্যবহার করে। সমাজে জাতিভেদপ্রথার কারণে তথাকথিত নীচু জাতের মানুষের সাথে জন্তুর মতো আচরণ করা হয়। কিন্তু উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার উদাহরণ। মানুষের সেবা করার ড়্গেেত্র সামাদ বিবেচনা করেননি কে হিন্দু কে মুসলিম। মালিক অনুপস্থিত থাকলেও তার সুযোগ নেননি তিনি। বরং নিজের অধীন কর্মকারীদের ভালো কাজে ব্রতী করেছেন। গল্পে বর্ণিত গ্রামের মানুষেরা এমন মনোভাব পোষণ করলে মূল্য পেত কাঙালীর মায়ের অšিত্মম ইচ্ছা। কিশোর কাঙালীকে বরণ করতে হতো না নির্মম মানসিক ও শারীরিক যাতনা। গোটা সমাজই হতো মানবিক, সুন্দর।
৫নং. মন্টু বাসে বাসে চকলেট বিক্রি করে। তার বোনের বিয়ের জন্য বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন। সেদিন বাসে এক ভদ্রলোকের হাত ধরে দুটো চকলেট নেওয়ার জন্য অনুনয় করে মন্টু। “এই ছোটলোকের বাচ্চা, আমার গায়ে হাত দিলি কেন?” বলেই লোকটি মন্টুর গলায় সজোরে ধাক্কা দেয়। পড়ে গিয়ে মন্টু মাথায় ভীষণ আঘাত পায়। তিন মাস ধরে জমানো সব টাকা খরচ হয়ে যায় চিকিৎসায়। বোনটাকে আর বিয়ে দেওয়া হয় না তার।
ক. কাঙালীর বাবা কোন গাছ কাটতে উদ্যত হয়েছিল? ১
খ. ‘দুলের মড়ার কাঠ কী হবে শুনি?- অধর রায় এ কথা কেন বললেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মণ্টুর স্বপ্নভঙ্গের কারণটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের আলোকে বিশেস্নষণ করো। ৪
৫ নং প্র. উ.
ক. কাঙালীর বাবা বেলগাছ কাটতে উদ্যত হয়েছিল।
খ. সামন্তবাদী চেতনার ধারক হওয়ায় অধর রায় প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে সামন্তবাদী সমাজবা¯ত্মবতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে কাঙালী মায়ের মৃতদেহ সৎকারের জন্য কাঠ পাওয়ার আশায় বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দেয়। কিন্তু সবাই তাকে নিরাশ করে। কারণ কাঙালীরা দুলে। আর দুলেরা নীচু জাত হওয়ায় সমাজপতিদের মতে তাদের মড়া পোড়ানোর প্রয়োজন নেই। এমন বর্ণবাদী চেতনা পোষণ করার কারণেই অধর রায় কাঙালীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।
গ. উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের জাতভেদ প্রথার দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে আমরা লক্ষ করি সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষের মৃত্যুর পর তাদের সৎকার হয় মহা আয়োজনে। কিন্তু দরিদ্র ও নীচু জাত হওয়ার কারণে অভাগীর মুখাগ্নি করার জন্য তার ছেলে কাঙালী কাঠ সংগ্রহ করতে পারেনি। বরং কাঠ সংগ্রহ করতে গেলে কাঙালী ও তার বাবা অপমানিত ও নিগৃহীত হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত মন্টু বোনের বিয়ে দেওয়ার জন্য বাসে বাসে চকলেট বিক্রি করে। বাসে এক ভদ্রলোকের হাত ধরে অনুনয়-বিনয় করলে ‘কথিত’ ভদ্রলোকটি তাকে ছোটলোক বলে অপমান ও তিরস্কার করে। শুধু তাই নয়, সজোরে গলাধাক্কা দিলে মন্টু পড়ে গিয়ে মারাত¥ক আহত হয়। মন্টুকে নিজের চিকিৎসায় জমানো সব টাকা খরচ করতে হয়। কথিত ভদ্রলোকটির আচরণ ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সামন্ত জমিদারের মতোই অমানবিক ও নিষ্ঠুর। উদ্দীপকে ভদ্রলোকটির কারণে মন্টু তার অসহায় অবস্থা থেকে আরো অসহায় হয়ে পড়ল। তার দরিদ্রতার জন্য ওই লোকটি তাকে ছোটলোকের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছিল। ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কাঙালী তার মায়ের অšিত্মম ইচ্ছে পূরণ করতে পারেনি জমিদার ও তার লোকদের কারণে। নীচু জাত বলে মায়ের মুখাগ্নি পর্যন্ত করতে পারেনি। উল্টো তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে। তাই উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের জাতভেদ প্রথার দিকটি উলিস্নখিত হয়েছে।
ঘ. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে উলিস্নখিত জাতভেদ প্রথার নির্মমতার শিকার হওয়াই মন্টুর স্বপ্নভঙ্গের কারণ।
সমাজে উঁচু-নীচু আর জাতভেদ প্রথা কীভাবে মানুষের জীবনকে বিষিয়ে তোলে, কীভাবে নিষ্ঠুরতা আর অপমান বিষণ্ণতার জন্ম দেয়, তার প্রমাণ ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্প। নীচু জাত বলে মায়ের মুখাগ্নি করার কাঠ পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারেনি কাঙালী। অভাগীর হাতে লাগানো উঠানের বেলগাছ কাটতে গেলে কাঙালীর বাবার গালে কষে চড় মারে জমিদারের লোক। কাঠের জন্য কাঙালী জমিদারের গোমস্তার কাছে ছুটে গেলেও তার কপালে জুটেছে গালি আর লাঞ্ছনা। মৃত মায়ের অšিত্মম ইচ্ছে পূরণ করতে না পারার যন্ত্রণায় সে দগ্ধ হয়েছে।
সমাজে গরিব দুঃখী অনাথদের দেখে নাক সিঁটকানো, অবজ্ঞা বা দুর্ব্যবহার করার অভ্যাস কারো কারো মাঝে বিদ্যমান। উদ্দীপকে বর্ণিত ভদ্রলোকের মাঝে যেমনটা রয়েছে। অসহায় হয়ে মন্টু হাত ধরে দুটো চকলেট নেওয়ার আবদার করায় তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে লোকটি যে পশুত্বের পরিচয় দিয়েছে তা নিন্দনীয় ও বড় ধরনের অপরাধ।
৬নং. কাঙালী তার দুঃখীনি মায়ের অšিত্মম ইচ্ছে পূরণ করতে পারেনি সমাজের মিথ্যে আভিজাত্যের অহংকারে নিমগ্ন কিছু নির্দয় মানুষের কারণে। বংশগৌরব ও আভিজাত্য তাদের পশুর ¯ত্মরে নিয়ে গিয়েছে। কাঙালীর ভেতরের কষ্ট ও আর্তনাদ তাদের বিবেককে এতটুকু নাড়া দিতে পারেনি। একইভাবে উদ্দীপকে বর্ণিত ভদ্রলোক নামধারী লোকটির নিষ্ঠুরতায় মন্টুর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। বোনের বিয়ে দূরে থাক তার জীবন নিয়েই সংকটে পড়ে সে। এ ধরনের নরপিশাচরাই সমাজে নানা অনাচারের সৃষ্টি করে থাকে। জাতিভেদ প্রথার কারণে একদিকে কাঙালী তার মায়ের শেষ ইচ্ছে পূরণে ব্যর্থ হয়েছে অন্যদিকে মন্টুরও স্বপ্ন ভেঙেছে তার বোনকে বিয়ে দিয়ে সুখী করতে না পারায়।
জাত গেল, জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা।
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি,
সবই দেখি তা না না না।
ক. কাঙালী কোন জাতের অন্তর্ভুক্ত? ১
খ. কাঙালী তার মাকে আগুন দিতে পারল না কেন? ২
গ. উদ্দীপকটি কোন দিক থেকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটির মূলভাব ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের পূর্ণাঙ্গ ভাবের প্রকাশক”। মতামত দাও। ৪
৬ নং প্র. উ.
ক. কাঙালী দুলে জাতের অন্তর্ভুক্ত।
খ. সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থার নিষ্ঠুরতার কারণে কাঙালী তার মাকে আগুন দিতে পারল না।
কাঙালীর মায়ের শখ ছিল মৃত্যুর পর মুখুয্যে বাড়ির গিন্নির মতো ছেলের হাতের আগুন পাওয়ার। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ছেলে কাঙালী মায়ের সেই আশা পূরণ করতে পারে না। কাঙালীরা নীচু জাতের মানুষ হওয়ায় সামন্তবাদী সমাজে মৃতদেহ সৎকারে আগুন দেওয়ার নিয়ম নেই। তবুও কাঙালী নানাভাবে থাকে আগুন দেয়ার জন্য কাঠ সংগ্রহের চেষ্টা করলে সকলেই তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। জমিদারের গোমস্তা ঘুষ চায়। অবশেষে বাধ্য হয়ে কাঙালীরা অভাগীকে নদী চড়ায় পুঁতে ফেলে।
গ. উদ্দীপকের ভাবটি জাতভেদ প্রথা পালনের দিক থেকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পকে প্রতিনিধিত্ব করে।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত অভাগী মুখুয্যে বাড়ির গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুর পর সৎকারের দৃশ্য দেখে
বেছিল মৃত্যুর পর গেলে পুত্র মুখাগ্নি করলে সেও স্বর্গে যাবে। কাঙালী বাবাকে হাজির করতে পারলেও
রেনি মায়ের সৎকারের কাঠ জোগাড় করতে। পারে নি জাতভেদ প্রথার নিষ্ঠুরতার শিকার হওয়ায়।
উদ্দীপকের রচয়িতা জাতভেদ প্রথা দেখে বিস্মিত হয়েছেন। মানুষ জাতভেদ প্রথার বশবর্তী হয়ে যে
র্মকাণ্ড করে তাকে হাস্যকর বলে জ্ঞান করেছেন। মানুষ তার সত্য কাজ বা কর্তব্য কাজকে ফলে রেখে
নর্থক বা অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ব্য¯ত্ম রয়েছে। জাতভেদ প্রথায় মানুষ মানুষকে হেয়প্রতিপন্ন করে। এই জাতভেদ প্রথার কারণেই গল্পের কাঙালীর কচি মন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। তাঁর মমতাময়ী মাকে যথাযথভাবে শেষকৃত্য না করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। তাই উদ্দীপকের ভাবটি জাতভেদ প্রথা পালনের দিক থেকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পকে প্রতিনিধিত্ব করে।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মূলকথা সমাজে উঁচু-নীচু জাতভেদ প্রথার ভয়াবহতার দিকটি তুলে ধরা। আলোচ্য উদ্দীপক তাই অভাগীর স্বর্গ গল্পের পূর্ণাঙ্গ ভাবের প্রকাশক।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে গরিব-দুঃখী নীচু শ্রেণির এক নারী অভাগী। উঁচু জাতের মুখুয্যেবাড়ির
হকর্ত্রীর মৃত্যুর পর তার সৎকার করা হয়েছিল আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে। নীচু জাতের বলে অভাগীকে তা দূরে দাঁড়িয়ে দেখতে হয়। স্বর্গপ্রাপ্তির আশায় অভাগী তার ছেলে কাঙালীকে বলেছিল তাকে মৃত্যুর পর মুখাগ্নি করতে। প্রচলিত সমাজব্যবস্থার নিয়ম ভেঙে কাঙালী নীচু জাতের হয়ে মায়ের সৎকার করতে পারেনি, পারেনি মুখাগ্নি করতে।
উদ্দীপকে জাতভেদ নিয়ে জীবনের চরম সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। যারা জাত গেল জাত গেল বলে
ৎকার করে তারা কখনও সমাজের মঙ্গল চিন্তা করতে পারে না। তারা জাতের নামে সমাজকে বহুধা বিভক্ত করে রাখে। তারা মনুষ্যত্ব ও মানসিকতাকে বিকশিত করতে দেয় না। তাই সমাজে এত ভাঙন, বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা।
একই রক্তমাংসের মানুষ হয়েও মানুষে মানুষে অসংখ্য ভেদাভেদ। একদল আরেক দলকে তুচ্ছ
চ্ছিল্য করে দূর দূর করে। ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে দেখি একটি সামান্য সৎকার করার কাজ নিয়ে কত বিপত্তি ঘটে গেল। নিজের বাড়ির উঠানের বেলগাছ কাটতে দিল না শক্তির উন্মত্ততায় আর বংশের আভিজাত্যতায়। নীচু জাতের মানুষের যেন ধর্মীয় ও মানবিক অধিকার নেই। উদ্দীপকেও একই ভাবে জাতভেদ প্রথার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাই উদ্দীপকটির মূলভাব ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের পূর্ণাঙ্গ ভাবের প্রকাশক।
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : শরৎচন্দ্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
২. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট. উপাধি লাভ করেন কত সালে?
উত্তর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট. উপাধি লাভ করেন ১৯৩৬ সালে।
৩. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৪. ঠাকুরদাস মুখুয্যের বর্ষীয়সী স্ত্রী কয়দিনের জ্বরে মারা গেলেন?
উত্তর : ঠাকুরদাস মুখুয্যের বর্ষীয়সী স্ত্রী সাত দিনের জ্বরে মারা গেলেন।
৫. ঠাকুরদাস মুখুয্যের কয় ছেলে?
উত্তর : ঠাকুরদাস মুখুয্যের চার ছেলে।
৬. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত শ্মশান কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তর : ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত শ্মশান গরুড় নদীর তীরে অবস্থিত।
৭. কাঙালীর বয়স কত?
উত্তর : কাঙালীর বয়স পনেরো বছর।
৮. কাঙালীর মায়ের নাম কী?
উত্তর : কাঙালীর মায়ের নাম অভাগী।
৯. অভাগীর স্বামীর নাম কী?
উত্তর : অভাগীর স্বামীর নাম রসিক দুলে।
১০. কাঙালী কিসের কাজ শিখতে আরম্ভ করেছে?
উত্তর : কাঙালী বেতের কাজ শিখতে আরম্ভ করেছে।
১১. অভাগী কাকে রূপকথা বলতে চায়?
উত্তর : অভাগী তার ছেলেকে রূপকথা বলতে চায়।
১২. কার হাতের আগুন পেলে অভাগী স্বর্গে যেতে পারবে বলে মনে করে?
উত্তর : কাঙালীর হাতের আগুন পেলে অভাগী স্বর্গে যেতে পারবে বলে মনে করে।
১৩. কাঙালী ভিন গ্রামের কবিরাজকে কয় টাকা প্রণামী দিল?
উত্তর : কাঙালী ভিন গ্রামের কবিরাজকে এক টাকা প্রণামী দিল।
১৪. কাঙালী কী বাঁধা দিয়ে কবিরাজকে প্রণামী দিল?
উত্তর : কাঙালী ঘটি বাঁধা দিয়ে কবিরাজকে প্রণামী দিল।
১৫. কাঙালীর আনা বড়িগুলো অভাগী কোথায় ফেলে দিল?
উত্তর : কাঙালীর আনা বড়িগুলো অভাগী চুলায় ফেলে দিল।
১৬. গ্রামে কে নাড়ি দেখতে জানত?
উত্তর : গ্রামে ঈশ্বর নাপিত নাড়ি দেখতে জানত।
১৭. অভাগী কাঙালীকে কার কাছ থেকে আলতা চেয়ে আনতে বলল?
উত্তর : অভাগী কাঙালীকে নাপতে বৌদির কাছ থেকে আলতা চেয়ে আনতে বলল।
১৮. অভাগী কার পায়ের ধুলো নিতে চায়?
উত্তর : অভাগী রসিক দুলের পায়ের ধুলো নিতে চায়।
১৯. রসিক কী গাছ কাটতে যায়?
উত্তর : রসিক বেলগাছ কাটতে যায়।
২০. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে গ্রামের স্থানীয় কাছারির কর্তা কে?
উত্তর : ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে গ্রামের স্থানীয় কাছারির কর্তা গোমস্তা অধর রায়।
২১. ‘অন্তরীক্ষ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘অন্তরীক্ষ’ শব্দের অর্থ আকাশ।
২২. অভাগী কোন সম্প্রদায়ের নারী?
উত্তর : অভাগী দুলে সম্প্রদায়ের নারী।
২৩. কাঙালীকে কাছারি থেকে গলাধাক্কা দিল কে?
উত্তর : কাঙালীকে কাছারি থেকে গলাধাক্কা দিল পাঁড়ে।
২৪. অধর রায় গাছের দাম কত চায়?
উত্তর : অধর রায় গাছের দাম পাঁচ টাকা চায়।
২৫. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত বেলগাছটি কার হাতের পোঁতা?
উত্তর : ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত বেলগাছটি অভাগীর হাতের পোঁতা।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. “সে যেন একটা উৎসব বাধিয়া গেল।”Ñ লেখক এ কথা বলেছেন কেন?
উত্তর : ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রীর মৃত্যুতে বাড়িতে স্বজনদের উপস্থিতিতে সৃষ্ট অবস্থা বর্ণনায় লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে ঠাকুরদাস মুখুয্যে একজন পয়সাওয়ালা লোক। তার স্ত্রীর মৃত্যুতে বাড়িতে
নেক লোকজন উপস্থিত হয়েছে। ছেলে-মেয়ে, নাতিপুতি এলাকার মানুষ সকলেই বর্ষীবয়সী গিন্নির লাশ দেখতে এসেছে। আর এত মানুষের উপস্থিতিতে বাড়ি গমগম করছিল। তাই লেখক বলেছেন, “সে যেন একটা উৎসব বাধিয়া গেল।”
২. অভাগী একটু দূরে থেকে অšেত্ম্যষ্টিক্রিয়া দেখল কেন?
উত্তর : অভাগী ছোট জাতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় একটু দূরে থেকে অšেত্ম্যষ্টিক্রিয়া দেখল।
আভাগী ছিল দুলে সম্প্রদায়ের নারী। তাদেরকে সমাজে ছোট জাত মনে করা হয়। সমাজের সৃষ্ট এই
সংস্কারের কারণে ছোট জাতের লোকেরা কখনো উঁচু জাতের মানুষের কাছে আসতে সাহস করে না। গল্পের
ভাগী ছিল নীচু জাতের আর অšেত্ম্যষ্টিক্রিয়া হচ্ছিল উঁচু জাতের মানুষের। তাই অভাগী একটু দূরে দাঁড়িয়ে
কে অšেত্ম্যষ্টিক্রিয়া দেখল।
৩. বামুন ঠাকরুণের শ্মশান সৎকারের শেষটুকু দেখা অভাগীর ভাগ্যে আর ঘটল না কেন?
উত্তর : কাঙালীর সাথে বাড়ি ফিরে আসায় বামুন ঠাকরুণের শ্মশান সৎকারের শেষটুকু দেখা
ভাগীর ভাগ্যে আর ঘটল না।
অভাগী ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রীর অšেত্ম্যষ্টিক্রিয়া দূর থেকে দেখছিল। সে ছোট জাতের হওয়ায়
জেরও অমন করে স্বর্গে যাওয়ার বাসনা নিয়ে অšেত্ম্যষ্টিক্রিয়া দেখছিল। কিন্তু শেষবেলা কাঙালী এসে
কে ডাকায় এবং ক্ষুধার কথা বলায় তাকে তখনই বাড়িতে ফিরতে হয়। তাই শ্মশান সৎকারের শেষটুকু তার আর দেখা হয় না।
৪. কাঙালীর মায়ের নাম অভাগী রাখা হয়েছিল কেন?
উত্তর : জন্মের সময় মা মরে যাওয়ায় কাঙালীর মায়ের নাম অভাগী রাখা হয়েছিল।
অভাগীর বাবা অভাগীর এই নাম রেখেছিলেন। অভাগীর যখন জন্ম হয় তখন তার মা মারা যায়। ফলে
বাবা রাগ করে মা-মরা মেয়ের নাম রাখেন অভাগী। মূলত মা-মরা মেয়ে হওয়ার কারণেই তার নাম অভাগী
খা হয়েছিল।
৫. কাঙালীর ভাত রান্না দেখে অভাগীর চোখ ছলছল করে উঠল কেন?
উত্তর : কাঙালীর ভাত রান্নার অপটুতা দেখে ছেলের প্রতি মমতায় অভাগীর চোখ ছলছল করে উঠল।
অভাগী অসুস্থ হওয়ায় সে বিছানা থেকে উঠতে পারছিল না। তাই ছেলে কাঙালীকে ভাত রান্না করে নিতে বলে। কাঙালী অদক্ষ হাতে রাঁধতে গিয়ে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়। ফেন ঝাড়তে পারে না, ভাত বাড়তে পারে না। এমন অপটুতা দেখে অভাগীর মায়া হয়। তাই তার চোখ ছলছল করে ওঠে।
৬. ঈশ্বর নাপিত অভাগীর নাড়ি দেখে মুখ গম্ভীর করল কেন?
উত্তর : অভাগীর অবস্থা ভালো না হওয়ায় ঈশ্বর নাপিত অভাগীর নাড়ি দেখে সে মুখ গম্ভীর করল।
অভাগী বেশ কয়েক দিনের জ্বরে শয্যাশায়ী। তার অবস্থার ক্রমেই অবনতি হয়। নাড়ি পরীক্ষা করে গ্রামের ঈশ্বর নাপিত বুঝতে পারল অভাগীর অবস্থা ভালো নয়। তার বাঁচার আশা ড়্গীণ। অভাগীর নাড়ি দেখে তাই সে মূুখ গম্ভীর করল।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? খ
ক. বিহারে খ. হুগলিতে
গ. মেদিনীপুরে ঘ. কলকাতায়
২. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? ক
ক. ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে খ. ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে
গ. ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে ঘ. ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে
৩. এফ.এ. শ্রেণিতে পড়ার সময় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছাত্রজীবনের অবসান ঘটে কেন? গ
ক. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায়
খ. ভবঘুরে হয়ে এলাকা ত্যাগ করায়
গ. আর্থিক সংকটের কারণে
ঘ. পরীক্ষায় ফেল করার কারণে
৪. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে ভাগ্যের সন্ধানে বার্মা গমন করেন? গ
ক. ১৯০১ সালে খ. ১৯০২ সালে
গ. ১৯০৩ সালে ঘ. ১৯০৪ সালে
৫. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রেঙ্গুনে অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের অফিসে কোন পদে চাকরী করেন? ঘ
ক. সহকারী জেনারেল পদে
খ. ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে
গ. অ্যাকাউন্টস অফিসার পদে
ঘ. কেরানি পদে
৬. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বার্মা থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন কত সালে? গ
ক. ১৯১৪ সালে খ. ১৯১৫ সালে
গ. ১৯১৬ সালে ঘ. ১৯১৭ সালে
৭. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে জগত্তারিণী পদক লাভ করেন? ক
ক. ১৯২০ সালে খ. ১৯২১ সালে
গ. ১৯২২ সালে ঘ. ১৯২৩ সালে
৮. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৬ সালে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধি লাভ করেন? খ
ক. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় খ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
গ. কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ঘ. আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়
৯. কোনটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত গ্রন্থ? ক
ক. শেষ প্রশ্ন খ. শেষ লেখা
গ. শেষের কবিতা ঘ. মানসী
১০. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? গ
ক. ১৯২০ সালে খ. ১৯৩৬ সালে
গ. ১৯৩৮ সালে ঘ. ১৯৪০ সালে
১১. ঠাকুরদাস মুখুয্যের বর্ষীয়সী স্ত্রী কয়দিনের জ্বরে মারা গেলেন? গ
ক. তিন দিনের জ্বরে খ. পাঁচ দিনের জ্বরে
গ. সাত দিনের জ্বরে ঘ. নয় দিনের জ্বরে
১২. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত ঠাকুরদাস মুখুয্যের কয় ছেলে? ঘ
ক. এক ছেলে খ. দুই ছেলে
গ. তিন ছেলে ঘ. চার ছেলে
১৩. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বৃদ্ধ মুখোপাধ্যায় মহাশয় কিসের কারবার করে সম্পদশালী হয়েছেন? ক
ক. ধানের কারবার খ. পাটের কারবার
গ. সবজির কারবার ঘ. গমের কারবার
১৪. ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রীর মৃত্যুর পর বাড়িতে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হলো কেন? খ
ক. এই মৃত্যুতে সবাই খুশি হয়েছিল বলে
খ. অনেক লোকের সমাগম হওয়ায়
গ. মৃত ব্যক্তি খারাপ লোক ছিল বলে
ঘ. মৃত্যুশোক শক্তিতে পরিণত হয়েছিল বলে
১৫. ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রীর মৃত্যুর পর লাশের পায়ে আলতা পরিয়ে দিয়েছিল কারা? খ
ক. ছেলেরা খ. মেয়েরা
গ. ছেলের বৌ ঘ. কাজের মেয়ে
১৬. ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রীর শবযাত্রায় দূর থেকে কে সঙ্গী হলো? খ
ক. কাঙালী খ. অভাগী
গ. রাখালের মা ঘ. রাখাল
১৭. শবযাত্রার সঙ্গী হওয়ার সময় অভাগীর আঁচলে কী বাঁধা ছিল? খ
ক. করলা খ. বেগুন
গ. কাকরোল ঘ. টাকা
১৮. কাঙালীর মা শবযাত্রার পেছন পেছন কোথায় গেল? গ
ক. ঠাকুরদাস মুখুয্যের বাড়ি খ. নদীর ঘাটে
গ. শ্মশানঘাটে ঘ. হাটে
১৯. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত শ্মশানঘাট কোন নদীর তীরে অবস্থিত? গ
ক. হুগলী নদী খ. পদ্মা নদী
গ. গরুড় নদী ঘ. ব্রহ্মপুত্র নদী
২০. উত্তম ছোট জাতের হওয়ায় ব্রাহ্মণদের কোনো অনুষ্ঠানে তাকে দূর থেকে দেখতে হয়। উত্তমের সাথে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কার মিল রয়েছে? ক
ক. কাঙালীর মা খ. ঠাকুরদাস মুখুয্যে
গ. অধর ঘ. দারোয়ানজী
২১. কাঙালীর মা শ্মশানঘাটে অšেত্ম্যষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের কাছে যেতে পারল না কেন? ঘ
ক. স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ায় খ. শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায়
গ. স্নান না করায় ঘ. ছোট জাতের হওয়ায়
২২. শ্মশানঘাটে চিতার ওপর শব স্থাপন করা হলে কী দেখে কাঙালীর মায়ের চোখ জুড়িয়ে গেল? ক
ক. আলতারাঙা পা দেখে খ. চিতার ব্যাপ্তি দেখে
গ. চিতার সৌন্দর্য দেখে ঘ. পুরোহিতের মন্ত্রপাঠ দেখে
২৩. অভাগী মৃত্যুর পর কার হাতের আগুন পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে? খ
ক. রসিক বাঘের খ. কাঙালীর
গ. অধরের ঘ. ঠাকুরদাস মুখুয্যের
২৪. কাঙালীর মা চিতার ধোঁয়ার মধ্যে কী দেখতে পেল? খ
ক. শিবের ধনুক খ. ছোট একটা রথ
গ. স্বর্গের ছায়া ঘ. প্রকাণ্ড এক দেবদূত
২৫. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত কাঙালীর বয়স কত? ঘ
ক. আট-নয় বছর খ. দশ-এগারো বছর
গ. বার-তেরো বছর ঘ. চৌদ্দ-পনেরো বছর
২৬. বামুন মা রথে চড়ে কোথায় যাচ্ছে বলে অভাগী মনে করে? খ
ক. শ্বশুরবাড়ি খ. স্বর্গে
গ. নরকে ঘ. ভিনদেশে
২৭. অভাগী শ্মশানঘাটে কাঙালীর কথায় লজ্জা পেল কেন? খ
ক. বামুন গিন্নির শব দেখতে আসায়
খ. পরের জন্য শ্মশানে দাঁড়িয়ে অশ্রম্নপাত করায়
গ. ভাত রান্না না করায়
ঘ. আঁচলে বেগুন নিয়ে শব দর্শন করায়
২৮. শ্মশানঘাটে কাঙালীর কথায় অভাগী মুহূর্তে চোখ মুছে হাসার চেষ্টা করল কেন? গ
ক. ছেলের কাছে সত্য লুকানোর জন্য
খ. অপমানিত হওয়ার ভয়ে
গ. ছেলের অকল্যাণের আশঙ্কায়
ঘ. কাঙালীর কাছে ভালো সাজার জন্য
২৯. ‘শ্মশান সৎকারের শেষটুকু আর তার ভাগ্যে ঘটিল না’ ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে অভাগীর ড়্গেেত্র এমন হলো কেন? ক
ক. সৎকার শেষ হওয়ার আগেই শ্মশান থেকে চলে আসায়
খ. ছোট জাত বলে তাড়িয়ে দেয়ায়
গ. শ্মশান থেকে অনেক দূরে অবস্থান করায়
ঘ. চোখে ধোঁয়া লেগে না দেখতে পাওয়ায়
৩০. অভাগীর বাবা মেয়ের নাম ‘অভাগী’ রেখেছিল কেন? খ
ক. মেয়ে হয়ে জন্মানোয়
খ. গন্মের সময় মা মারা যাওয়ায়
গ. গন্মের পর সংসারে অভাব বৃদ্ধি পাওয়ায়
ঘ. গন্ম থেকে অসুস্থ হওয়ায়
৩১. অভাগীর বাবার পেশা কী ছিল? গ
ক. নৌকা বাওয়া খ. ড়্গেেত কাজ করা
গ. নদীতে মাছ ধরা ঘ. পালকি বহন করা
৩২. অভাগীর স্বামীর নাম কী ছিল? খ
ক. অধর রায় খ. রসিক বাঘ
গ. ঠাকুরদাস ঘ. নারায়ণ দুলে
৩৩. কাঙালী সবেমাত্র কিসের কাজ শিখতে আরম্ভ করেছে? গ
ক. চাষবাসের কাজ খ. মাছ ধরার কাজ
গ. বেতের কাজ ঘ. মৃৎশিল্পের কাজ
৩৪. কাঙালী বহুকাল যাবৎ মায়ের কোল ছেড়ে বাইরের সঙ্গী-সাথিদের সাথে মেশার সুযোগ পায়নি কেন? গ
ক. মায়ের নিষেধ থাকায়
খ. ছোট জাতের ছেলে হওয়ায়
গ. শারীরিকভাবে রুগ্ণ থাকায়
ঘ. সমাজে একঘরে হওয়ায়
৩৫. কাঙালী শিশুকাল থেকে কাকে বিশ্বাস করতে শিখেছে? খ
ক. রসিক বাঘকে খ. অভাগীকে
গ. বামুন মাকে ঘ. নাপতে-বৌদিকে
৩৬. অভাগী ছেলেকে রূপকথার গল্প বলতে গিয়ে কিসের গল্প শুরু করে? গ
ক. নিজের ছোটবেলার কথা খ. কাঙালীর বাবার কথা
গ. শ্মশান ও শ্মশানযাত্রার কাহিনি ঘ. দুলে সম্প্রদায়ের কাহিনি
৩৭. অভাগী শ্মশানঘাটে দেখা আকাশজোড়া ধোঁয়াকে কী মনে করে? গ
ক. নরকের আগুন খ. যমদূত
গ. স্বর্গের রথ ঘ. স্বর্গের বৃক্ষ
৩৮. অভাগী মৃত্যুর পর কার হাতের আগুনের প্রত্যাশী? ঘ
ক. রসিক বাঘের খ. গমিদারের
গ. ঠাকুরদাস মুখুয্যের ঘ. কাঙালীর
৩৯. অভাগী মৃত্যুর সময় তার স্বামীকে ডেকে আনার কথা বলেছে কেন? ক
ক. পায়ের ধুলা নেওয়ার জন্য খ. কাঙালীর ভরণপোষণের জন্য
গ. বিচার করার জন্য ঘ. সৎকার করার জন্য
৪০. কাঙালী ঘটি বাঁধা দিয়ে কী করল? খ
ক. মায়ের জন্য খাবার কিনল খ. কবিরাজকে প্রণামী দিল
গ. মৃতদেহ সৎকারের কাঠ কিনল ঘ. গমিদারকে খাজনা দিল
৪১. কাঙালী ভালো করে ভাত রাঁধতে পারল না কেন? গ
ক. চুলায় আগুন না থাকায় খ. মায়ের মৃত্যু শোকে
গ. রান্না না জানার কারণে ঘ. অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে
৪২. কাঙালীর ভাত রাঁধা দেখে তার মায়ের চোখ ছলছল করে উঠল কেন? খ
ক. ফেন ঝাড়তে গিয়ে ছেলের হাত পুড়ে যাওয়ায়
খ. অপটু হাতের রান্নায় ছেলের নানা ভ্রাšিত্ম দেখে
গ. রাঁধতে গিয়ে ছেলে কান্নাকাটি করায়
ঘ. মায়ের জন্য ছেলের রান্নায় আগ্রহ দেখে
৪৩. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে দুলে পাড়ার কে নাড়ি দেখতে পারত? ঘ
ক. রসিক বাঘ খ. ঠাকুরদাস মুখুয্যে
গ. রাখালের পিসি ঘ. ঈশ্বর নাপিত
৪৪. ঈশ্বর নাপিত অভাগীর নাড়ি দেখে মাথা নেড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল কেন? ক
ক. অভাগীর সময় শেষ হয়ে এসেছে বোঝাতে
খ. অভাগীর অসুখ বাড়েনি বোঝাতে
গ. অভাগীর রোগের কোনো ওষুধ নেই বোঝাতে
ঘ. অভাগীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য
৪৫. বাবাকে ডেকে ফেরার পথে কাঙালীকে তার মা কী আনতে বলেছিল? গ
ক. ওষুধ খ. চাল-ডাল
গ. আলতা ঘ. সিঁদুর
৪৬. অভাগী কাঙালীকে কোথা থেকে আলতা আনার কথা বলেছে? ঘ
ক. বাজার থেকে খ. মুখুয্যেবাড়ি থেকে
গ. রসিক বাঘের কাছ থেকে ঘ. নাপতে-বৌদির কাছ থেকে
৪৭. রসিক দুলে কাঙালীর ডাকে বাড়িতে এসে অভাগীকে কী অবস্থায় পেল? গ
ক. সুস্থ-সবল খ. মৃত
গ. মুমূর্ষু ঘ. হাস্যোজ্জ্বল
৪৮. রসিক দুলে অভাগীর বাড়ি এসে হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল কেন? ক
ক. তার প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা দেখে
খ. সকলে অনেক সম্মান করায়
গ. ডেকে নিয়ে অপমান করায়
ঘ. অভাগী মৃত্যুবরণ করায়
৪৯. অভাগীর শয্যাপাশে রসিক দুলেকে কে পায়ের ধুলো দিতে বলল? ঘ
ক. কাঙালী খ. ঠাকুরদাস মুখুয্যে
গ. রাখালের মা ঘ. বিন্দির পিসি
৫০. রসিক দুলে অভাগীকে পায়ের ধুলো দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলল কেন? ক
ক. অনুশোচনার কারণে
খ. দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফেরায়
গ. নিজের গুরুত্ব বোঝার আনন্দে
ঘ. শাস্তি পাওয়ার কথা ভেবে
৫১. “এমন সতীলক্ষ্মী বামুন-কায়েতের ঘরে না জন্মে, ও আমাদের দুলের ঘরে জন্মালে কেন।” ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কথাটি কে বলেছে? গ
ক. রসিক দুলে খ. বিন্দির পিসি
গ. রাখালের মা ঘ. নাপতে-বৌদি
৫২. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কোথায় একটা বেলগাছ থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে? খ
ক. মুখুয্যেবাড়িতে খ. অভাগীর কুটির প্রাঙ্গণে
গ. গমিদারবাড়ির উঠানে ঘ. বিন্দির পিসির বাড়ি
৫৩. অভাগীর সৎকারের জন্য কে কুড়াল চেয়ে এনে বেলগাছ কাটতে গেল? ঘ
ক. কাঙালী খ. গমিদারের দারোয়ান
গ. ঠাকুরদাস ঘ. রসিক দুলে
৫৪. গমিদারের দারোয়ান রসিক দুলের গালে সশব্দে চড় মারল কেন? গ
ক. খাজনা না দেওয়ায়
খ. অভাগীকে পায়ের ধুলো দেওয়ায়
গ. অনুমতি ছাড়া বেলগাছ কাটতে যাওয়ায়
ঘ. ছোট জাতের মানুষ হওয়ায়
৫৫. কাঙালীদের কুটির প্রাঙ্গণের বেলগাছটি কে পুঁতেছে? ক
ক. অভাগী খ. রসিক দুলে
গ. কাঙালী ঘ. গমিদার
৫৬. হিন্দুস্তানি দারোয়ান কাঙালীকে মারতে গিয়েও মারল না কেন? গ
ক. রসিক দুলের ভয়ে খ. কাঙালী ছোট হওয়ায়
গ. অশৌচের ভয়ে ঘ. গমিদারের নিষেধে
৫৭. কাঙালীদের গ্রামে জমিদারের কাছারির কর্তা কে? খ
ক. ঠাকুরদাস মুখুয্যে খ. অধর রায়
গ. ভট্টাচার্য মহাশয় ঘ. মুখোপাধ্যায় মহাশয়
৫৮. সকলে দারোয়ানের কাছে অনুনয় বিনয় করার সময় কাঙালী ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে কোথায় যায়? ক
ক. কাছারিবাড়িতে খ. মুখুয্যেবাড়িতে
গ. গমিদারবাড়িতে ঘ. শ্মশানঘাটে
৫৯. কাছারিবাড়িতে কাঙালী গোমস্তার কাছে মা মরার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললে গোমস্তা কী করেন? গ
ক. কাঙালীকে ধমক দেন খ. কাঙালীকে সান্ত্বনা দেন
গ. কাঙালীর ওপর বিরক্ত হন ঘ. কাঙালীকে গলাধাক্কা দেন
৬০. কাঙালী মায়ের সৎকারের জন্য কাঠ চাইতে গেলে জমিদারের গোমস্তা তাকে কয় টাকা আনতে বলে? ঘ
ক. দুই টাকা খ. তিন টাকা
গ. চার টাকা ঘ. পাঁচ টাকা
৬১. কাঙালী কাঠের জন্য টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে অধর রায় অভাগীর লাশ কী করতে বলে? খ
ক. নদীতে ভাসিয়ে দিতে বলে
খ. নদীর চড়ায় পুঁতে ফেলতে বলে
গ. খড়কুটা দিয়ে পোড়াতে বলে
ঘ. দূরের জঙ্গলে ফেলে আসতে বলে
৬২. কাছারিবাড়ি থেকে কাঙালীকে কে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়? খ
ক. অধর রায় খ. পাঁড়ে
গ. ঠাকুরদাস ঘ. রসিক দুলে
৬৩. কাঙালী মুখুয্যে বাড়িতে গিয়ে কী চায়? গ
ক. টাকা-পয়সা খ. দুমুঠো খাবার
গ. সৎকারের কাঠ ঘ. আলতা-চন্দন
৬৪. “দেখছেন ভট্টাচার্য মশায়, সব ব্যাটারাই এখন বামুন-কায়েত হতে চায়।” কথাটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কে বলেছে? খ
ক. ঠাকুরদাস মুখুয্যে
খ. ঠাকুর দাস মুখুয্যের বড় ছেলে
গ. অধর রায়ের কেরানি
ঘ. গমিদারবাড়ির দারোয়ান
৬৫. কোথায় গর্ত খুঁড়ে অভাগীকে অšিত্মমশয্যায় শোয়ানো হলো? খ
ক. বাড়ির পাশের বাগানে খ. নদীর চরে
গ. পুকুরঘাটে ঘ. শ্মশানঘাটে
৬৬. অভাগীর মুখাগ্নি করার জন্য কাঙালীর হাতে খড়ের আঁটি জ্বেলে দিল কে? গ
ক. রসিক দুলে খ. বিন্দির পিসি
গ. রাখালের মা ঘ. পুরোহিত মশাই
৬৭. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পটিতে ‘সঙ্গতিপন্ন শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? ক
ক. অর্থ-সম্পদের অধিকারী অর্থে খ. সঙ্গতিপূর্ণ অর্থে
গ. দুর্গতি অর্থে ঘ. সন্দেহযুক্ত অর্থে
৬৮. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে ব্যবহৃত ‘অন্তরীক্ষ’ শব্দটির অর্থ কী? গ
ক. অন্তর খ. বৃক্ষ
গ. আকাশ ঘ. বাতাস
৬৯. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্প কোন গ্রন্থটি থেকে সংকলিত হয়েছে? ঘ
ক. রামের সুমতি খ. পলিস্নসমাজ
গ. পথের দাবী ঘ. শরৎ সাহিত্যসমগ্র
৭০. ‘শরৎ সাহিত্যসমগ্র’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন কে? খ
ক. সুকুমার রায় খ. সুকুমার সেন
গ. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঘ. প্রমথ চৌধুরী
৭১. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালী কিসের অভাবে মায়ের সৎকার করতে পারেনি? খ
ক. আলতার অভাবে খ. কাঠের অভাবে
গ. পুরোহিতের অভাবে ঘ. আগুনের অভাবে
৭২. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রধানত সমাজের কোন দিকটি তুলে ধরেছেন? ক
ক. সাম্রাজ্যবাদের নির্মম রূপ
খ. হিন্দুদের আনন্দ উৎসব
গ. দরিদ্রদের প্রতি ধনীদের সহমর্মিতা
ঘ. সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
৭৩. ঠাকুরদাস মুখুয্যের কতটি ছেলেমেয়ে? গ
ক. ৫টি খ. ৬টি
গ. ৭টি ঘ. ১০টি
৭৪. অভাগী গোটা কয়েক বেগুন তুলে কোথায় রওনা হয়েছিল? খ
ক. শ্মশানে খ. হাটে
গ. বাড়িতে ঘ. নদীর ঘাটে
৭৫. শ্মশানঘাটে মুখুয্যে গিন্নির আলতারাঙা পা দেখে অভাগীর কী ইচ্ছে হলো? ক
ক. একবিন্দু আলতা মাথায় দিতে
খ. নিজের পায়ে আলতা লাগাতে
গ. নদীর পানিতে পা ধুতে
ঘ. ছেলের হাতের আগুন পেতে
৭৬. মুখুয্যেবাড়ির বধূরা আঁচল দিয়ে শাশুড়ির পা থেকে কী মুছে নিল? ক
ক. পদধূলি খ. আলতা
গ. কন্দন ঘ. নেইল পলিশ
৭৭. মুখুয্যেগিন্নির সৌভাগ্য দেখে অভাগীর কী ইচ্ছা হলো? খ
ক. অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করার
খ. ছেলের হাতের আগুন পাওয়ার
গ. অনেক বিত্তের মালিক হওয়ার
ঘ. স্বামীকে ফিরে পাওয়ার
৭৮. ‘চোখে ধোঁ লেগেছে বৈ ত নয়।’ -এখানে ‘ধোঁ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? খ
ক. ধাঁধা খ. ধোঁয়া
গ. মরিচ ঘ. আলো
৭৯. শ্মশান থেকে ফেরার পথে অভাগী ও কাঙালী কী করল? গ
ক. বাজারে বেগুন বিক্রি করল খ. কবিরাজের বাড়ি গেল
গ. নদীতে গোসল করল ঘ. আলতা সংগ্রহ করল
৮০. “তাহাদের সম¯ত্ম জীবনটা তাহাদের নিজের নামগুলোকেই যেন আমরণ ভ্যাঙচাইয়া চলিতে থাকে”-বাক্যটির সাথে কোন নামটি সামঞ্জস্যপূর্ণ? খ
ক. রসিক খ. অভাগী
গ. অধর ঘ. ঠাকুরদাস
৮১. অভাগী কল্পনায় কী দেখল? গ
ক. সুখের সংসার খ. কাঙালীর সুখী জীবন
গ. বামুন মায়ের স্বর্গযাত্রা ঘ. স্বামীর শেষকৃত্য
৮২. “ক্যাঙলার মার মত সতী-লক্ষ্মী আর দুলে-পাড়ায় নেই।”- কথাটি কে বলেছিল? ক
ক. বিন্দির মা খ. বিন্দির পিসি
গ. রাখালের মা ঘ. রাখালের পিসি
৮৩. অভাগীর মতে কোনটির কারণে স্বর্গের রথকে আসতেই হবে? খ
ক. স্বামীর পদধূলি খ. ছেলের হাতের আগুন
গ. আলতারাঙা পা ঘ. কন্দন কাঠের চিতা
৮৪. কাঙালী মায়ের জন্য বড়ি আনলে অভাগী কী করল? ঘ
ক. চুপচাপ খেয়ে নিল খ. এককোণে রেখে দিল
গ. ফিরিয়ে দিতে বলল ঘ. উনুনে ফেলে দিল
৮৫. “ও যে রে – ও-গাঁয়ে উঠে গেছে—এখানে কার কথা বলা হয়েছে? ক
ক. রসিক দুলের খ. অধরের
গ. বিন্দির পিসির ঘ. ঈশ্বর নাপিতের
৮৬. কোন বিষয়ে অভাগীর সন্দেহ ছিল? খ
ক. তাকে দেখতে কবিরাজের আসার বিষয়ে
খ. তাকে দেখতে স্বামীর আসার বিষয়ে
গ. নাপতে-বৌদির আলতা দেওয়ার বিষয়ে
ঘ. ঈশ্বর নাপিতের রোগ নির্ণয়ের বিষয়ে
৮৭. সকলের মধ্যে বয়সে বড় বোঝাতে কোন শব্দটি ব্যবহার করা যায়? গ
ক. মুখুয্যে খ. সগ্য
গ. বর্ষীয়সী ঘ. বৃদ্ধ
৮৮. ভোজনের পর পাতে যা পড়ে থাকে তাকে কী বলে? ঘ
ক. সগ্য খ. প্রণামী
গ. অশন ঘ. ভুক্তাবশেষ
৮৯. ‘মুষ্টিযোগ’ শব্দের অর্থ কী? গ
ক. অর্থ সাহায্য খ. ভিক্ষা
গ. টোটকা চিকিৎসা ঘ. আহারের বস্তু
৯০. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কোন শব্দটি দ্বারা গল্পের মাধ্যমে মোহিত করে রাখার ক্ষমতা বোঝানো হয়েছে? ঘ
ক. রোমাঞ্চ খ. সঙ্গতিপন্ন
গ. মুষ্টিযোগ ঘ. ইন্দ্রজাল
৯১. ‘শশব্য¯ত্ম’ শব্দটির সাথে কোন প্রাণীটির যোগসূত্র আছে? খ
ক. ঘোড়া খ. খরগোশ
গ. বানর ঘ. কচ্ছপ
৯২. হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মৃতদেহ বহন করার সময় সমবেত কণ্ঠে উচ্চস্বরে কোন দেবতার নাম উচ্চারণ করে? গ
ক. শিব খ. রাম
গ. হরি ঘ. ইন্দ্র
৯৩. ‘সান্ধ্যাহ্নিক’ কী? খ
ক. এক ধরনের খাবার খ. এক ধরনের পূজা
গ. এক ধরনের ওষুধ ঘ. এক ধরনের চিকিৎসা
৯৪. ‘অশন’ শব্দের অর্থ? খ
ক. পোশাক খ. খাদ্যদ্রব্য
গ. বিদ্যা ঘ. গল
৯৫. অভাগী ও মুখুয্যেবাড়ির গিন্নির সৎকারের মধ্যে যে তফাৎ দেখা যায় তার মূল কারণ কী? খ
ক. হীনম্মন্যতা খ. জাতিভেদ
গ. দারিদ্র্য ঘ. শত্রম্নতা
৯৬. ‘দুলে’ সম্প্রদায়ের লোকদের মূল পেশা কী? খ
ক. মাছ ধরা খ. পালকি বহন করা
গ. কৃষিকাজ করা ঘ. নৌকা বাওয়া
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৯৭. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রীর মৃত্যুর পর বাড়িতে উৎসবের মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল-
র. ছেলেপুলে ও নাতিপুতিদের আগমনে
রর. সম¯ত্ম গ্রামের লোক ভিড় করায়
ররর. ধুমধামের সাথে শবযাত্রা হওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৯৮. সকলের পেছন পেছন অভাগী শ্মশানঘাটে এসে উপস্থিত হয়েছিল-
র. গ্রামের অন্যদের মতো শবযাত্রা অনুসরণ করে
রর. লাশের সৎকার দৃশ্য দেখার জন্য
ররর. নিজের চোখে বামুন ঠাকরুণের স্বর্গযাত্রা দেখতে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৯৯. অভাগী শ্মশানঘাটে মুহূর্তেই চোখ মুছে হাসার চেষ্টা করল-
র. রসিক দুলের ফেরার সংবাদ শুনে
রর. অন্যের জন্য ঝরা নিজের অশ্রম্ন লুকানোর চেষ্টায়
ররর. ছেলের অকল্যাণের আশঙ্কায়
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০০. কাঙালীর মায়ের নাম অভাগী হয়েছিল-
র. গন্মের সময় মা মারা যাওয়ায়
রর. বাবা রাগ করে ‘অভাগী’ নাম রাখায়
ররর. দুলের ঘরে জন্মলাভ করায়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০১. কাঙালী বহুদিন ধরে রুগ্ণ থাকায়-
র. বাইরের সঙ্গীদের সাথে মিশতে পারেনি
রর. মায়ের কোলে বসেই খেলাধুলার সাধ মিটিয়েছে
ররর. মেজাজ অত্যন্ত খিটখিটে হয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০২. অভাগী মৃত্যুর পর তার অšেত্ম্যষ্টিক্রিয়ায় ছেলের হাতের আগুন পেতে চায়, কারণ-
র. ছেলের হাতের আগুন ছাড়া স্বর্গে যাওয়া যায় না
রর. এতে সে স্বর্গে যেতে পারবে বলে মনে করে
ররর. এতে আর কেউ ছোটজাত বলে ঘেন্না করতে পারবে না
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০৩. কাঙালী কবিরাজের বাড়ি থেকে বড়ি নিয়ে এলে অভাগী –
র. হাত পেতে গ্রহণ করল
রর. মাথায় ঠেকিয়ে প্রণাম করল
ররর. উনুনে ফেলে দিল
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০৪. কাঙালীর অপটু হাতে ভাত রাঁধার ফল হলো-
র. ঠিকমতো ফেন ঝাড়তে পারল না
রর. উনুনে জল পড়ে ধোঁয়া হলো
ররর. ভাত পুরোটাই পুড়ে গেল
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০৫. কাঙালীর ভাত রান্না দেখে অভাগীর চোখ ছল ছল করে ওঠার কারণ-
র. ছেলের প্রতি গভীর ভালোবাসা
রর. ছেলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তা
ররর. উনুনে তৈরি হওয়া ধোঁয়া
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০৬. অভাগী রসিক দুলেকে ডেকে আনতে বলল-
র. পায়ের ধুলা নেওয়ার আশায়
রর. স্বামীর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে
ররর. নিজের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০৭. ঈশ্বর নাপিত অভাগীর নাড়ি দেখে বুঝতে পারে-
র. অভাগীর সময় ফুরিয়ে এসেছে
রর. অভাগীর বাঁচার আশা ড়্গীণ
ররর. অভাগী স্বর্গে যেতে চায়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০৮. রসিক দুলে অভাগীর শয্যাপাশে এসে হতবুদ্ধি হয়ে গেল-
র. অভাগীর হৃদয়ের আকুতি অনুধাবন করে
রর. অভাগীর ভালোবাসা তার কল্পনার অতীত হওয়ায়
ররর. অভাগীর অকাল মরণযাত্রা দেখে
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০৯. রসিক দুলে অভাগীকে পায়ের ধুলো দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলল-
র. স্ত্রীর প্রতি নিজের অবিচারের অনুশোচনায়
রর. অভাগীকে হারানোর ভয়ে
ররর. তার প্রতি অভাগীর ভালোবাসা অনুধাবন করে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১১০. রসিক দুলে কুটির-প্রাঙ্গণের বেলগাছটি কাটতে গেল-
র. নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে
রর. স্ত্রীর অšেত্ম্যষ্টিক্রিয়ার জন্য
ররর. অভাগীর শেষ ইচ্ছার বা¯ত্মবায়নে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১১১. হিন্দুস্তানি দারোয়ানের কাঙালীকে মারতে গিয়েও ফিরে আসার মাধ্যমে প্রকাশ পায়-
র. দারোয়ানের বর্ণবাদী মনোভাব
রর. হিন্দুধর্মের উঁচু-নীচু জাতভেদের দিকটি
ররর. ছোটদের প্রতি দারোয়ানের সহমর্মিতা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১১২. কাঙালীর প্রতি জমিদারের গোমস্তা অধর রায়ের আচরণে প্রকাশ ঘটে-
র. ধর্মবোধের জাগ্রত রূপ
রর. সামন্তবাদের নির্মম রূপ
ররর. সমাজের বর্ণভেদের প্রকাশ্য রূপ
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১১৩. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালীর ঊর্ধ্বশ্বাসে কাছারিবাড়িতে আসার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়-
র. মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের আকাঙ্ক্ষা
রর. সুবিচার লাভের আকুতি
ররর. অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মনোভাব
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১১৪. কাঙালী কাছারিবাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলল-
র. মায়ের স্মৃতি মনে ভেসে ওঠায়
রর. মৃত মায়ের অনুরোধ উপরোধ স্মরণ করে
ররর. মায়ের প্রতি বাবার অবিচারের কথা স্মরণ করে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১১৫. কাঙালীর কাছে গাছের জন্য অধর রায় পাঁচ টাকা চাওয়ায়-
র. তার ভিখিরিসুলভ মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে
রর. তার সামন্তবাদী চেতনার প্রকাশ ঘটেছে
ররর. তার নিষ্ঠুর মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১১৬. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মাধ্যমে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন-
র. সামন্তবাদের নির্মম রূপটি
রর. বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
ররর. সমাজের নিচু শ্রেণির মানুষের দুঃখ-কষ্ট
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১১৭. কাঙালী তার মায়ের সৎকার করতে পারেনি-
র. সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষের নির্লিপ্ততার কারণে
রর. ধর্মীয় বিধি-নিষেধের কারণে
ররর. সৎকারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের অভাবে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১১৮. রসিক দুলে অভাগীকে ছেড়ে চলে গেলে অভাগী আর দ্বিতীয় বিয়ে করেনি-
র. একমাত্র সন্তানকে অবলম্বন করে বাঁচতে চেয়েছিল বলে
রর. কাঙালী এতিম হয়ে যাবে এই আশঙ্কায়
ররর. পুরুষ জাতির ওপর ঘৃণাবোধের কারণে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১১৯. হাঁড়িতে ভাত আছে কি না তা কাঙালীর পরীক্ষা করার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়-
র. মায়ের প্রতি কাঙালীর গভীর টান
রর. সন্তানের প্রতি অভাগীর ভালোবাসা
ররর. দারিদ্র্যপীড়িত সংসারের চিত্র
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১২০. কাঙালী খুব খুশি হলো-
র. মা কাজে যেতে বারণ করায়
রর. মা বাবাকে ডেকে আনতে বললে
ররর. মা রূপকথার গল্প বলার প্রস্তাব দেওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১২১. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে মানুষের প্রতি অন্যায়-অবিচার করেছে-
র. রসিক দুলে
রর. অধর রায়
ররর. ঠাকুরদাস মুখুয্যে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১২২. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে জাতিবৈষ্যমের প্রমাণ মেলে-
র. অধর রায়ের আচরণে
রর. ভট্টাচার্য মহাশয়ের আচরণে
ররর. মুখুয্যে মশাই
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১২৩. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে জাতিভেদের মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে যে বাক্যে-
র. দুলের মড়ার কাঠ কী হবে শুনি
রর. সব ব্যাটারাই এখন বামুন কায়েত হতে চায়
ররর. হারামজাদা পালাতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১২৪. কাছারিবাড়িতে এসে কাঙালী পেল-
র. অবিচার রর. নির্যাতন
ররর. সহানুভূতি
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১২৫. কাছারিবাড়িতে কাঙালী ছুটে এসেছিল-
র. সুবিচারের আশায়
রর. মায়ের সৎকারের জন্য সাহায্যের আশায়
ররর. ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করার বাসনায়
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১২৬. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত কাঙালীর প্রতি নির্দয় আচরণে প্রকাশ পেয়েছে-
র. বর্ণবাদ রর. কুসংস্কারাচ্ছন্নতা
ররর. অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১২৭ ও ১২৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
হুমায়ুনের দাদার মৃত্যুতে বাড়ি লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। তার দাদা গ্রামের মোড়ল হওয়ায় লাশটি একপলক দেখতে পুরো গ্রামের লোক ছুটে এসেছে। এছাড়া সকল আত¥ীয়-স্বজনের আগমনে বাড়িতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। হুমায়ুনের দাদার মৃত্যু উপলড়্গে সব আত¥ীয়ের মাঝে একবার দেখা-সাক্ষাতও হয়ে যায়।
১২৭. উদ্দীপকের সাথে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কোন ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে? ক
ক. ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনার
খ. অভাগীর মৃত্যুর ঘটনার
গ. কাঙালীর কাছারিবাড়ির ঘটনার
ঘ. রসিক দুলের বেলগাছ কাটার ঘটনার
১২৮. আপাতদৃষ্টিতে সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে দিকটি তুলে ধরতে পারেনি তা হলোÑ
র. সামন্তবাদের নির্মম রূপ
রর. নীচু শ্রেণির মানুষের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র
ররর. মুখুয্যেবাড়ির শোকাবহ পরিবেশ
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১২৯ ও ১৩০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
রুমেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সে প্রতিদিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সদ্য মাতৃবিয়োগ হওয়া এক কিশোর তার সামনে দাঁড়ায়। ছেলেটি তার কাছে মায়ের দাফন-কাফনের জন্য কিছু সাহায্য চায়। রুমেল ছেলেটির হৃদয়াবেগ অনুভব করে এবং মানিব্যাগ হাতড়ে সাধ্যমতো সহযোগিতা করে।
১২৯. উদ্দীপকে রুমেলের দেখা কিশোরের মাঝে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে? ঘ
ক. অধর রায় খ. রসিক দুলে
গ. অভাগী ঘ. কাঙালী
১৩০. উদ্দীপকের রুমেলের চরিত্রটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে দিকটি ধারণ করে-
র. সামন্তবাদী চরিত্রের বিপরীত রূপ
রর. অধর রায়ের চারিত্রিক দিক
ররর. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের শিক্ষার দিক
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৩১ ও ১৩২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
আটানব্বইয়ের ভয়াবহ বন্যার মধ্যে দুখু মিয়ার জন্ম। তীব্র বন্যায় তার বাবা পরিবার নিয়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকের মতো স্কুলঘরে আশ্রয় নেন। এই দুর্দশার মাঝেই স্কুলঘরে দুখু মিয়ার জন্ম হয়। এজন্য বাবা তার নাম রাখেন দুখু মিয়া। দুখু মিয়া এখন বুঝতে পারে তার নামের সাথে তার জন্মের ইতিহাসও জড়িত।
১৩১. উদ্দীপকের দুখু মিয়ার সাথে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কার মিল রয়েছে? খ
ক. কাঙালীর খ. অভাগীর
গ. রসিক দুলের ঘ. অধর রায়ের
১৩২. উদ্দীপকটি ধারণ করে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের-
র. কুসংস্কারাচ্ছন্নতার দিক
রর. গল্পের অভাগীর জন্মকালীন ঘটনার প্রতিফলন
ররর. কাঙালীর মায়ের নামকরণের ইতিহাস
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৩৩ ও ১৩৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি বলে এক বাবুসাব তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে।
চোখ ফেটে এলো জল,
এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল।
১৩৩. কবিতাংশে উলিস্নখিত বাবুসাব ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিভূ? ক
ক. অধর রায়ের খ. ঠাকুরদাস মুখুয্যের
গ. রসিক দুলের ঘ. কাঙালীর
১৩৪. উদ্দীপক এবং ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক হলো-
র. উভয় ড়্গেেত্র রচয়িতা অসহায়ের দুর্দশার চিত্র এঁকেছেন
রর. উভয় রচনায়ই পাঠকের মনে মমত্ববোধ জাগায়
ররর. উভয় রচনাই একে অপরের পরিপূরক
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর