অষ্টম শ্রেনী- বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃ বাবুরের মহত্ত্ব সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বাবুরের মহত্ত্ব
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -০১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
প্রচন্ড বন্যায় ডুবে যায় টাঙ্গাইলের ব্যাপক অঞ্চল। অনেকেরই বাড়ি-ঘর ডুবে যায়। নিরাশ্রয় হয়ে পড়ে অগণিত মানুষ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এমনি একটা পরিবার নৌকায় চড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে। তীব্র স্রোতের টানে নৌকাটি উল্টে গেলে সবাই সাঁতার কেটে উঠে এলেও জলে ডুবে যায় একটি শিশু। বড় মিয়া নামের এক যুবক এ দৃশ্য দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করেন শিশুটিকে। কূলে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ডাক্তার এসে পরীড়্গা-নীরিড়্গা করে জানালেন বড় মিয়া আর বেঁচে নেই।
(ক) রণবীর চৌহান কে ছিলেন? ১
(খ) বড়ই কঠিন জীবন দেওয়া যে জীবন নেওয়ার চেয়ে- কেন? ২
(গ) উদ্দীপকে বর্ণিত বড় মিয়া আবরণে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা কর। ৩
(ঘ) উদ্দীপকটিতে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার একটা বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটলেও সমভাব ধারণ করে নাÑ যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখ। ৪
১ নং উত্তর
(ক) রণবীর চৌহান ছিলেন চিতোরের এক তরুণ যোদ্ধা।
(খ) জীবন দেওয়া জীবন নেওয়ার চেয়ে কঠিন-কারণ জীবন অমূল্য। জীবন একবারই পাওয়া যায়।
অমূল্য সম্পদ জীবন নেওয়া যায় সহজে। রাগে দুঃখে বা ক্ষভের বশবর্তী হয়ে যেকোনো মানুষকে হত্যা করে ফেললে জীবন নেওয়া যায়। কিন্তু ক্ষমা, উদারতা, মহত্ত্ব দিয়ে মানুষের অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া কঠিন কাজ। তাছাড়া জীবন সৃষ্টি করা অসম্ভব। তাই জীবন দেওয়া জীবন নেওয়ার চেয়ে কঠিন বলা হয়েছে।
(গ) উদ্দীপকে বর্ণিত বড় মিয়া একটি মহৎ চরিত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। তার ঘটনার সাথে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার দিল্লির রাজপথে হাতির আক্রমণ থেকে শিশুর জীবন বাঁচানোর ঘটনার সাথে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
কালিদাস রায় রচিত বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা দেখি, সম্রাট বাবুর ছদ্মবেশ ধারণ করে দিল্লির রাজপথে হাঁটতেন। একদিন রাজপথে একটা পাগলা হাতি মানুষের ওপর ক্ষপ্তি হয়। সবাই হাতির ভয়ে ছুটে পালায়। এমন সময় একটি ছোট্ট শিশু পড়ে থাকে রাজপথে। বাবুর সবার নিষেধ অবজ্ঞা করে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুটিকে হাতির পায়ের তলায় পিষ্ট হওয়া থেকে রড়্গা করে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠে গেলেও একটি শিশু পানিতে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য বড় মিয়া নামের এক যুবক, তীব্র স্রোতের মধ্যে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নিজের জীবনের মায়া না করে যুবক শিশুটিকে উদ্ধার করে। কিন্তু নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত যুবক বড় মিয়া মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অর্থাৎ উদ্দীপক ও বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা দুজন মানুষের মানবিকতার পরিচয় পাই। মানবিক দৃষ্টিকোণের দিকটিই বড় মিয়ার আবরণে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় ফুটে উঠেছে।
(ঘ) উদ্দীপকটিতে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার একটি বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটেছে তবে পুরো কবিতার ভাব প্রকাশিত হয়নি।
কালিদাস রায় রচিত বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা দেখি পুুরো কবিতা জুড়ে মুঘল সম্রাট বাবুরের কৃতিত্ব, সাফল্য, মহানুভবতা, এসব প্রকাশিত হয়েছে। মুঘলদের বীরত্বের ইতিহাসের সাথে শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের গৃহীত পদক্ষপেগুলোর কথাও প্রকাশিত হয়েছে এই কবিতায়। এমনকি ভারতের মাটিতে টিকে থাকতে হলে শুধু ভূমি দখল করলেই চলবে না। এদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে হবে। এমন চিন্তা বাবুরের চেতনায় এসেছে। ফলে মানুষের জন্য ভালোবাসা ও জাতিভেদ প্রথার ঊর্ধ্বে উঠে প্রকৃত মানবিকতার নিদর্শন রেখেছেন বাবুর।
অন্যদিকে উদ্দীপকে আমরা বড় মিয়া নামের এক যুবকের মানবীয় চেতনা ও আত¥ত্যাগের ঘটনা পাই। সে নিজের জীবন দিয়ে একটি শিশুকে উদ্ধার করে।
এভাবে দেখা যায় উদ্দীপকটিতে সমগ্র কবিতার ভাব প্রকাশিত না হয়ে কবিতায় একটি বিশেষ দিক প্রকাশিত হয়েছে। এখানে উদ্দীপকের বড় মিয়া চরিত্রটির মহানুভবতা ও কর্তব্যপরায়ণতার কথা বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার এই বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সমভাব ধারণ করে না।
প্রশ্ন -০২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
রতন চৌধুরী বদমেজাজি মানুষ। এক সময় ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন। ডাকাতি করে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। এলাকার মানুষ তাকে ভয় পায়। একবার তিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলেন। লোকজন ভাবল, তারা আর ন্যায় বিচার পাবেন না। কিন্তু ঘটল উল্টো ঘটনা। রতন চৌধুরী মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে লাগলেন। দুঃখি মানুষের খোঁজখবর নিয়ে তাদের সাহায্য করা শুরু করলেন। তিনি স্থির করলেন ভালো কাজ করে নিজের বদনাম ঘোঁচাবেন।
(ক) খানুয়ার প্রান্তর কী? ১
(খ) মাটির দখলই খাঁটি জয় নয় বুঝেছে বিজয়ী বীরÑ কথাটির তাৎপর্য কী? ২
(গ) উদ্দীপকের রতন চৌধুরীর সাথে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সাদৃশ্য আছে কি? থাকলে তা উপস্থাপন কর। ৩
(ঘ) ভালো কাজ করে নিজের বদনাম ঘোঁচানো আর হিন্দুর-হৃদি জিনিবার লাগি করিতেছে সুশাসন-সমঅর্থবোধক কথা – বিশেস্নষণ কর। ৪
২ নং উত্তর
(ক) খানুয়ার প্রান্তর হচ্ছে আগ্রার পশ্চিমে অবস্থিত যুদ্ধক্ষত্রে।
(খ) মাটির দখল খাঁটি জয় নয় বুঝেছে বিজয়ী বীর- কথাটির দ্বারা কালিদাস রায় রচিত বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার মুঘল সম্রাট বাবুরের উপলব্ধির কথা প্রকাশিত হয়েছে।
সম্রাট বাবুর মধ্য এশিয়া থেকে আফগানিস্তনে আসেন। তারপর অনেক চেষ্টার পর ভারত দখল করেন। দিল্লির সিংহাসন দখল করেও বাবুর বুঝতে পারে ভারতের মানুষের হৃদয় জয় করতে পারেননি তিনি। তার কাছে মনে হয় শুধু মাটির দখল নেওয়াই বড় কথা না। অথবা শুধু মাটির দখল নিয়েই সব পাওয়া যায় না, মানুষের হৃদয়ের দখলও নিতে হয়।
(গ) আলোচ্য উদ্দীপকের সাথে আমরা বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সম্রাট বাবুরের চিন্তার সাদৃশ্য খুঁজে পাই।
উদ্দীপকে আমরা দেখি রতন চৌধুরী নামের একজন ডাকাত। একবার তিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন। অত্যাচারী মানুষ চেয়ারম্যান হওয়ায় সবাই ভাবে তার কাছে কেউ ন্যায়বিচার পাবে না। অথচ তিনি স্থির করেন ভালো কাজ করে বদনাম ঘোচাবেন। এটা তার বোধদয় ঘটার বিষয়।
বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা দেখি সম্রাট বাবুর যুদ্ধ করে ভারত দখল করে। তিনি দিল্লির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে লুণ্ঠন অত্যাচার চালিয়ে শুধু ধনবান হতে চাননি। সাধারণ মানুষের অন্তর জয় করতে চেয়েছেন। অর্থাৎ বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় সম্রাট বাবুরের ও উদ্দীপকের রতন চৌধুরীর বোধ ও চিন্তার পরিবর্তনের মধ্যে সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
(ঘ) উদ্দীপকের রতন চৌধুরীর ভালো কাজ করে নিজের বদনাম ঘোচানোর চিন্তা আর বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার হিন্দু-হৃদি জিনিবার লাগি করিতেছে সুশাসন এই দুটি কথা সমার্থক।
উদ্দীপকে আমরা রতন চৌধুরী নামের একজন ডাকাতের অত্যাচারের কাহিনি যেমন পাই, তেমনি ডাকাতির পরে চেয়ারম্যান হয়ে নিজের অপবাদ ঘোচানোর জন্য মানুষের প্রতি তার প্রতিভার কথাও জানতে পারি।
আবার বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা সম্রাট বাবুরের ভারত জয়ের কাহিনির সাথে ভারতবাসীর জন্য তার হৃদয়ের টানের কথাও জানতে পারি। ভারত মাটির যারা প্রকৃত সন্তান তারা কখনো বাবুরের শাসন মেনে নেবে না; যদি না বাবুর তাদের হৃদয়ের খোঁজ রাখেন। এই সত্য কথাটি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বাবুর। তাই মুসলিম হয়েও ভারতের হিন্দুর জন্য তিনি উদার হয়েছেন। জাতি বর্ণের বিভেদ ভুলে সাম্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। নিজে পথে পথে ঘুরেছেন সাধারণের বেশ নিয়ে। হিন্দুদের আচার আচরণ, তাদের জীবনাচার জেনে তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
বাবুরের সুনাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ও তাঁর নিজের সামগ্রিক কর্মকা- ভারতের মানুষের কাছে তাকে মহান সম্রাটে পরিণত করেছে। এখানেই উদ্দীপকের উক্তিটি ও বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার লাইনটি সমার্থবোধক।
প্রশ্ন –০৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
রানা স্কুলে যাচ্ছিল। হঠাৎ দেখল একটা ছেলে রাস্তর পাশে ডোবায় পড়ে গেছে। ছেলেটি সাঁতার জানে না। পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার অবস্থা। রানা দ্রুত স্কুল ব্যাগ রেখে পানিতে লাফিয়ে পড়ল। ডোবার নোংরা পানি থেকে ছেলেটিকে উদ্ধার করল সে। এ সময়ের মধ্যে লোকজন জড়ো হলো। কেউ কেউ বলল, বস্তির ছেলের জন্য ডোবায় লাফ দিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করার কি দরকার ছিল?
(ক) পানিপথ কী? ১
(খ) ফেলে দিয়ে ওরে এখন করগে ¯্নান- এই কথাটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
(গ) উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনা ও রানা চরিত্রের সাথে তোমার পঠিত বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দিকটি আলোচনা কর। ৩
(ঘ) সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। কথাটি উদ্দীপক ও বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
৩ নং উত্তর
(ক) দিল্লির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ইতিহাস প্রসিদ্ধ একটি যুদ্ধক্ষেত্রের নাম পানিপথ।
(খ) ফেলে দিয়ে ওরে এখন করগে ¯্নান- এই কথাটির মধ্য দিয়ে জাতিভেদে বিভক্ত ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থার পরিচয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা দেখি সম্রাট বাবুর একজন মেথরের ছেলেকে পাগল হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচায়। এই দেখে উপস্থিত জনতা তাকে একথা বলেছিল। মেথর সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষ। তার সামাজিক মর্যাদা নেই। তাকে স্পর্শ করলে নিজের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে। এমন চিন্তা থেকে বলা হয়েছে যে, মেথরের ছেলেকে ফেলে দিয়ে ¯্নান করতে হবে। এখানে ¯্নানের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
(গ) উদ্দীপকের ঘটনা ও রানা চরিত্রটির সাথে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় বাবুর চরিত্র ও শিশুকে বাঁচানোর ঘটনার প্রত্যক্ষ সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
উদ্দীপকে আমরা দেখি রানা স্কুলে যাওয়ার পথে পানিতে ডুবে থাকা একটি ছেলেকে উদ্ধার করে। লোকজন বলে বস্তির ছেলেকে বাঁচাতে নোংরা ডোবায় নামার কি প্রয়োজন ছিল। এটা একদিকে শ্রেণিবিভক্ত সমাজ চেতনাকে যেমন প্রকাশ করে তেমনি মানবিকতা বোধের পরিচয় দেয়।
বাবুরের মহত্ত্ব কবিতাতেও আমরা এমন ঘটনা দেখি। বাবুর মেথরের ছেলেকে রাজপথে একটি হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচায়। লোকজনের অবজ্ঞা, অবহেলা ও তিরস্কার উপেড়্গা করে বাবুরের এমন কাজ মানবিকতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এখানেও শ্রেণি বিভক্ত সমাজ চিন্তা ও মানবিকতা উভয় বোধ প্রকাশিত।
অতএব আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপক ও বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার চরিত্র ও ঘটনা সাদৃশ্যপূর্ণ।
(ঘ) “সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই”- চন্ডিদাসের এ কথাটির মধ্য দিয়ে মানবিক মূল্যবোধের অসামান্য প্রকাশ ঘটেছে।
মানুষ সবাই সমান। মানুষই সৃষ্টির সেরা। কিন্তু শ্রেণি বিভক্ত সমাজ মাঝে মাঝে এই সত্য ভুলে যায়। তাই আমরা দেখি মানুষ বস্তির ছেলে বা মেথরের ছেলেকে সাধারণ ভাবে স্বীকৃতি দেয় না।
উদ্দীপকে আমরা দেখি, রানা স্কুলে যাওয়ার পথে পানিতে ডুবতে থাকা বস্তির একটি ছেলেকে বাঁচায়। কিন্তু স্থানীয় মানুষ এই কাজে প্রশংসা না করে ধিক্কার দেয়। আবার বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা দেখি সম্রাট বাবুর একটি মেথরের ছেলেকে হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচালে মানুষ তাকে ধিক্কার দেয়। কিন্তু উভয়ক্ষেত্রে শ্রেণিভেদ প্রথার ফলে সৃষ্ট সংকীর্ণতার জয় হয়নি। জয় হয়েছে মানবিকতার। উদ্দীপকের রানা ও কবিতার সম্রাট বাবুর প্রকৃত মানবীয় মানুষ হিসেবে ধর্ম বর্ণের বিভেদ ভুলে মানুষের উপকারে নেমেছে। তাদের কারণে মানুষের জীবন বেঁচে গেছে।
অর্থাৎ মানুষের সংকীর্ণ মানসিকতা ও সমাজ ব্যবস্থার বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে প্রকৃত মানুষের জয় হয়েছে। মানুষ পরিচয় যে সবার থেকে বড় পরিচয় সামাজিক অন্য পরিচয় সেখানে বৃথা- সে কথা এখানে পরিষ্কার প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ মানবীয় মূল্যবোধের জয় হয়েছে।
প্রশ্ন -০৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
করিম সাহেব একজন সৎ মানুষ। তিনি গ্রামের সব মানুষকে ভালোবাসেন। সবার বিপদে সাহায্য করেন। কিন্তু রহমান নামে একজন করিম সাহেবকে সহ্য করতে পারে না। তার ধারণা করিম সাহেব বদ মতলব নিয়ে মানুষের উপকার করেন। এ ধারণা থেকে রহমান করিম সাহেবের ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। অথচ একদিন রহমান বিপদে পড়লে করিম সাহেব সবার আগে ছুটে আসেন। এতে রহমানের ভুল ভাঙে।
(ক) মসনদ শব্দের অর্থ কী? ১
(খ) বীরভোগ্যা এ বসুধা এ কথা সবাই কয়Ñ কথাটি ব্যাখ্যা কর। ২
(গ) উদ্দীপকের রহমানের সাথে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার বিশেষ চরিত্রের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকগুলো চিহ্নিত কর। ৩
(ঘ) মানুষের কল্যাণে যিনি নিয়োজিত থাকেন। যোগ্য সম্মান তারই প্রাপ্য কথাটি উদ্দীপক ও বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
৪ নং উত্তর
(ক) মসনদ শব্দের অর্থ রাজাসন বা সিংহাসন।
(খ) বীরভোগ্যা এ বসুধা এ কথা সবাই কয়- কথাটি রাজন্যদের কাছে অতি প্রসিদ্ধ একটি বাক্য। পৃথিবী যে বীর তথা ক্ষমতাবানদের হাতের মুঠোয়, সেই সত্যটি এখানে প্রকাশিত।
বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা দেখি রণবীর চৌহান সম্রাট বাবুরের মহত্ত্ব দেখে এবং তার বীরত্ব ও মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে যায়। তাই সম্রাটকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসেও তার কাছে সে আত¥সমর্পণ করে। তার মনে হয়, ভারতের যোগ্য সম্রাট বাবুর। পৃথিবী সবসময় যোগ্য পালকের অধীনে থাকবে। সত্যিকারের বীরের কাছে আত¥সমর্পণে দীনতা নেই বা এতে মর্যদা হানি হয় না। এতে সম্মান বৃদ্ধি পায়। সত্যিকারের বীরের কাছে পৃথিবী নিরাপদ। এ সত্যটি কথাটিতে প্রকাশিত হয়েছে।
(গ) উদ্দীপকে রহমানের সাথে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার রণবীর চৌহানের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
উদ্দীপকে আমরা দেখি, করিম সাহেবের সমস্ত কল্যাণকর কাজে বাধা দেয় রহমান। তার সন্দেহ করিম সাহেব নিজের স্বার্থে মানুষের কল্যাণ করে। কিন্তু নিজের বিপদের দিনে তার ভুল ভাঙে। এখানে সন্দেহের পরে প্রকৃত মানবিক সত্য প্রকাশিত হয়। ফলে সন্দেহের কালো মেঘ কেটে যায়।
বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা প্রায় একই ঘটনা দেখি। রণবীর চৌহান বাবুরকে ভারতের শত্রম্ন ভাবে। সে মনে করে বাবুর অন্যায় ভাবে ভারত শোষণ করতে এসেছে। কিন্তু রাজপথে মত্ত হাতির কবল থেকে একটি শিশুকে বাঁচাতে দেখে রণবীর চৌহানের ভুল ভাঙে। বাবুরকে তার প্রকৃত বীর মনে হয়। সে তার কাছে আত্মসমর্পণ করে। সুতরাং আমরা উভয় ক্ষেত্রেই মানবিকতার সাদৃশ্য খুঁজে পাই। রহমান ও রণবীর চৌহান সমান দৃষ্টিভঙ্গির দুটি চরিত্র হিসাবে উদ্ভাসিত হয়েছে।
(ঘ) মানুষের কল্যাণে যিনি নিয়োজিত থাকেন যোগ্য সম্মান তারই প্রাপ্য। কথাটি মানবিক মানদন্ডে সবসময় সবকালেই সত্য হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। যুগে যুগে এই সত্যের প্রকাশ আমরা বিভিন্নভাবে দেখতে পাই।
উদ্দীপকের করিম সাহেবের কর্মকান্ড সত্য ও কল্যাণের জন্য নিবেদিত ছিল। ফলে রহমানের শত চেষ্টা ও সন্দেহের পরও সেই সত্য আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে। ফলে রহমানের সমস্ত সন্দেহ দূরীভূত হয়।
বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা এই সত্যের প্রকাশ দেখতে পাই। বাবুর মানব কল্যাণে ও ভারতের প্রকৃত সেবক হতে চেষ্টা করেন। তাঁর এই কাজ সবাই সমান চোখে দেখে না। রণবীর চৌহান তাদের অন্যতম। রণবীর বাবুরকে হত্যার জন্য আসে। কিন্তু বাবুরের প্রকৃত মহত্ত্ব তার সন্দেহের অবসান ঘটায়। ফলে রণবীর বাবুরেরর কাছে আত্মসমর্পণ করে। মহানুভব বাবুর আত্মউপলব্ধির জন্য চৌহানকে নিজের দেহ রক্ষী হিসেবে গ্রহণ করে।
এভাবে দেখা যায় পৃথিবীতে যুগে যুগে মানবতার জয় হয়েছে। মানুষের জন্য কল্যাণকামী মানুষ যুগে যুগে সম্মানিত হয়েছে। তারাই প্রকৃত বীর হিসাবে সমাজে ও রাষ্ট্রে সম্মানিত হয়েছেন।
প্রশ্ন -০৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
রায়হান ও হাবিব দুজন একই পাড়ায় বাস করে। হাবিব রায়হানকে সহ্য করতে পারে না। সে ঠিক করল, রায়হানকে রাস্তয় ধরে মারবে। রায়হান কিন্তু হাবিবের মতো নয়। সে হাবিবকে ভালোবাসে। হাবিবের জন্মদিনে রায়হান তার বাসায় গেল। রায়হানকে দেখে হাবিব বিস্মিত হলো। তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে নিজের অপরাধের কথা বলে ক্ষমা চাইল।
(ক) কবিশেখর কার উপাধি? ১
(খ) কেটেছে আমার প্রতিহিংসার অন্ধ মোহের ঘোর- কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। ২
(গ) উদ্দীপকের সাথে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সাদৃশ্য উপস্থাপন কর। ৩
(ঘ) বড়ই কঠিন জীবন দেওয়া যে জীবন নেওয়ার চেয়ে- কথাটি উদ্দীপক ও বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
৫ নং উত্তর
(ক) কবিশেখর কবি কালিদাস রায়ের উপাধি।
(খ) কেটেছে আমার প্রতিহিংসার অন্ধ মোহের ঘোর- কথাটি একটি চেতনাপূর্ণ কথা। মানুষের সন্দেহ তাকে ঘোরের মধ্যে ফেলে দেয়। সেই সন্দেহ প্রতিহিংসা তৈরি করে। এতে মানুষ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে।
বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা এই সত্য প্রকাশিত হতে দেখি। চিতরের তরুণ যোদ্ধা রণবীর চৌহান বাবুরকে সন্দেহ করে। ভাবে, বাবুর অন্যায় ভাবে ভারতের সম্রাট হয়েছে। কিন্তু বাবুরের মহত্ত্বের ঘটনা দেখে তার সন্দেহের অবসান ঘটে। কারণ বাবুর একটি শিশুকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচায়। তাতেই রণবীর চৌহানের মধ্যে এই চেতনার সৃষ্টি হয়।
(গ) উদ্দীপকে আমরা হাবিব ও রায়হানের মধ্যে বোধোদয়ের ঘটনা দেখি। আবার বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় সম্রাট বাবুর ও রণবীর চৌহানের মধ্যে বোধোদয়ের ঘটনা ঘটে। এই দুটি ঘটনাই সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকের রায়হান সৎ ও প্রকৃত মানবীয় মানুষ। অথচ হাবিব তাকে সহ্য করতে পারে না কিন্তু হাবিবের জন্মদিনে রায়হান উপস্থিত হলে হাবিবের সন্দেহের অবসান হয়। হাবিবের ভুল ভেঙে যায়। তারা বন্ধু হয়ে যায়।
বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় আমরা এমনই ঘটনা দেখি। রণবীর চৌহান সম্রাট বাবুরকে সন্দেহ করে। তাকে দেশপ্রেমিক ভাবতে পারে না। বিদেশি শত্রম্ন ভাবতে থাকে। কিন্তু মেথর শিশুকে হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচানোর ঘটনা রণবীরের সন্দেহের অবসান ঘটায়। রণবীর এক পরম সত্যের মুখোমুখি হয়। শেষে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাবুর তাকে হত্যা করতে আসা তরুণকে দেহ রক্ষক বানায়। এটা পরম মমত্ববোধের প্রকাশ। উভয় কবিতায় এভাবে আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বের পরে প্রকৃত মানবিকতার জয়গান দেখতে পাই। প্রকৃত মানুষ এখানে বিজয়ী হয়েছে। এখানেই উদ্দীপক ও কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য সৃষ্টি হয়েছে।
বড়ই কঠিন জীবন দেওয়া যে জীবন নেওয়ার চেয়ে।- কথাটি যথার্থ।
(ঘ) বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় ও আলোচ্য উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, যে কোনো জীবন ধ্বংস করার চেয়ে সেই জীবনটা নিরাপদ করা অনেক বেশি কঠিন। কবিতায় সম্রাট বাবুর নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি মেথর শিশুকে বাঁচায়। পাগলা হাতির আক্রমণে লোকজন নিজের জীবন নিয়ে পালিয়ে গেলেও শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য সাধারণ মানুষ বাবুরকে বাহবা দেয় না। বরং তারা তাঁকে গোসল করে শুদ্ধ হতে বলে। কারণ মেথর শিশু নিম্ন জাতের। বাবুর নিম্ন জাতকে স্পর্শ করছে। মানবতা এখানে জাতপাতের বাধায় আটকে আছে। কিন্তু প্রকৃত মানুষ বাবুর তা ভেঙে দিয়েছেন। আবার রণবীর চৌহান নিজে যখন এমন ঘটনা দেখে মুগ্ধ হয়। তখন সে বাবুরের কাছে আত¥সমর্পণ করে নিজের শাস্তির আবেদন করে। বাবুর তার কথা শুনে আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় রণবীর চৌহান নিজের ভুল বুঝতে পেরে বাবুরের কাছে আত্মসমরর্থন করে নিজের শাস্তি কামনা করেন। এ দিকটি উদ্দীপকের হাবিবের মধ্যেও পরিলক্ষতি হয়। হাবিব ও বাবুর দুজনেই মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। আসলে যেকোনো জীবন মূল্যবান। সৃষ্টিতেই আনন্দ। মাানুষের কল্যাণেই প্রকৃত সুখ। এই সত্য বাবুরের উক্তিটিতে প্রকাশিত হয়েছে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
০১। কবি কালিদাস রায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
>বর্ধমানে খ ঢাকায় গ বিহারে ঘ যশোরে
০২। কবি কালিদাস রায় কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
>১৮৮২ খ ১৮৮৪ গ ১৮৮৬ ঘ ১৮৮৮
০৩। কালিদাস রায়ের পেশা ছিল-
ক ডাক্তারি >শিক্ষকতা গ ব্যবসা ঘ সাংবাদিকতা
০৪। কবি কালিদাস রায়ের কবিতায় কোন শব্দের সার্থক ব্যবহার হয়েছে?
ক ইংরেজি খ হিন্দি >আরবি-ফারসি ঘ উর্দু
০৫। কবি কালিদাসের উপাধি হচ্ছে-
ক কবিকুল খ কবিশ্রেষ্ঠ গ কবিগুরু >কবিশেখর
০৬। কবি কালিদাস রায়কে ডি. লিট উপাধি দেয়-
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় >রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
০৭। কালিদাস রায় কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
ক ১৯৫০ >১৯৬০
গ ১৯৭০ ঘ ১৯৮০
০৮। কালিদাস রায়ের কাব্য-
র. কিশলয় রর. বলস্নরী ররর. ঋতুমঙ্গল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
০৯। কালিদাস রায় লেখেন-
র. কাহিনি কবিতা রর. বিচিত্র বিষয়ের কবিতা ররর. রোমান্টিক কবিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০। লোদি কোন বংশের বাদশা ছিলেন?
ক মোঘল >পাঠান গ সেন ঘ রাজপুত
১১। বাবুরের মহত্ত্ব কার লেখা?
>কালিদাস রায়ের খ জসিমউদ্দীনের গ কাজী নজরুলের ঘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
১২। বাবুর কেন দেখল তাঁর জয় ফাঁকি?
ক কারণ তিনি সম্পদ পাননি খ কারণ তিনি বারবার পরাজিত
>কারণ ভারত যাদের তাদের জানতে পারেননি ঘ কারণ তিনি নিজে ব্যর্থ হয়েছেন
১৩। সংগ্রাম সিংহ কী করে উঠলেন?
>গর্জে খ আঁতকে গ ভীত ঘ আনন্দিত
১৪। কোথায় সংগ্রাম সিংহের পতন হয়?
ক খানকার প্রান্তরে খ পানি পথে গ দিল্লিতে >খানুয়ার প্রান্তরে
১৫। কার কাছে সংগ্রাম সিংহের পতন হয়?
ক আকবর >বাবুর গ লোদি ঘ রণবীর
১৬। কে দিল্লির মসনদে জাঁকিয়া বসেন?
>মুঘল সিংহ খ রণবীর চৌহান গ ইব্রাহিম লোদি ঘ সংগ্রাম সিংহ
১৭। বিজিতের হৃদয় দখল করতে চাওয়ার কারণ কী?
ক শুধু লুণ্ঠন করা >শাসন দীর্ঘস্থায়ী করা গ মানুষকে কাছে পাওয়া ঘ দখল বাড়ানো
১৮। বাবুর কেন শাসন করতে শুরু করেন?
ক মুসলমানের কল্যাণে খ হিন্দুদের অত্যাচার করতে >হিন্দুদের হৃদয় জয় করতে
ঘ মানুষকে দেশত্যাগে বাধ্য করতে
১৯। বাবুর কেন ছদ্মবেশ ধারণ করেন?
>প্রজাদের দুঃখ ক্লেশ দেখতে খ প্রজাদের সুখ দেখতে
গ প্রজাদের শোষণ করতে ঘ প্রজাদের অত্যাচার করতে
২০। কে বাবুরের সন্ধান করছিল?
ক সংগ্রাম সিংহ >রণবীর চৌহান গ ইব্রাহিম লোদি ঘ দৌলত খাঁ
২১। রণবীর কুর্তার নিচে কী নিয়ে ঘুরছিল?
>কৃপাণ খ দাঁত গ ঢোল ঘ ঢাল
২২। রণবীর কার প্রাণ নিতে চায়?
ক সংগ্রাম সিংহের >বাবুরের গ ইব্রাহিম লোদির ঘ টোডল খানের
২৩। রাস্তর পাশে দাঁড়িয়ে রণবীর কী করছিল?
ক লোকজনের আনন্দ দেখছিল >লোকজনের যাতায়াত দেখছিল
গ লোকজনের বাঁধা দিচ্ছিল ঘ লোকজনকে ধমক দিচ্ছিল
২৪। হঠাৎ পথে কী ছুটল?
ক মত্ত গাধা খ মত্ত ঘোড়া গ মত্ত গরু >মত্ত হাতি
২৫। লোকজন পথ ছেড়ে পালাল কেন?
ক ঘোড়ার ভয়ে >হাতির ভয়ে গ বাঘের ভয়ে ঘ সিংহের ভয়ে
২৬। রাজপথের ধুলায় কী পড়ে রইল?
ক একটি বৃদ্ধ >একটি শিশু গ একটি বাজু ঘ একটি ব্যাগ
২৭। শিশুকে বাঁচাতে কে ছুটে আসে?
ক দেশি পুরুষ খ হিন্দু পুরুষ গ মেথর পুরুষ >বিদেশি পুরুষ
২৮। শিশুটি কার ছিল?
ক ধনীর খ হিন্দুর গ মুসলমানের >মেথরের
২৯। কে শিশুকে বড়্গে চেপে রাখে?
ক শিশুর বাবা খ শিশুর ভাই >শিশুর জননী ঘ শিশুর বোন
৩০। কে চিনল বিদেশি পুরুষকে?
>রাজপুত বীর খ মেথর ছেলে গ সংগ্রাম সিংহ ঘ পথের লোক
৩১। বাবুরের করপুটে রণবীর কী রাখল?
ক গুপ্ত অস্ত্র খ গুপ্তধন গ গুপ্তজামা >গুপ্তকৃপাণ
৩২। অন্য কারেও নয় শুধু বাবুরের কী সাজে?
ক ভারতের রাজপথ >ভারতের রাজপদ গ ভারতের জনতা ঘ ভারতের সম্পদ
৩৩। রণবীরের কী কেটে গেছে?
ক অন্ধ মোহ >প্রতিহিংসার অন্ধ মোহ গ মোহ ঘ লোভ
৩৪। জীবন নেওয়ার চেয়ে দেওয়া কঠিন কেন?
ক জীবনের মূল্য নাই খ জীবন শেষ করা সহজ >জীবন অমূল্য ঘ জীবন ফেরত দিতে পারে
৩৫। বাবুর রণবীরকে যা বলেছিলেন-
র. তোমায় পেয়ে ধন্য হলাম রর. তোমাকে শাস্তি দিব ররর. আজ হতে তুমি আমার দেহ রক্ষক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬। রণবীর যে জন্য নিজের দন্ড চেয়েছিল-
র. সে অপরাধ করেছিল রর. তার বোধোদয় হয়েছিল ররর. তার মোহের ঘোর কেটে গিয়ে ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
৩৭। মেথর ছেলেকে বাঁচাতে দেখে বাবুর সম্পর্কে রণবীর যা বলল-
র. আমি এঁকে হত্যা করতে এসেছি রর. এই ছুরি দিয়ে আপনাকে হত্যা করতে এসেছি
ররর. আমি ক্ষমা চাই
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮। মেথর ছেলেকে বাঁচাতে দেখে লোকজন বলল-
র. তুমি একটা বেআকুফ রর. খুদার দয়ায় নিজের প্রাণ পেয়েছ ররর. এখন গিয়ে ¯্নান কর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদে পড়ে ৩৯ ও ৪০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
রহমত ক্লাসে ঢুকল। সে যে বেঞ্চেই যায় সেখান থেকেই ছেলেরা সরে যায়। সবাই বলছে, ওর বাবা রিকশা চালায়। রমিজ রহমতকে কাছে বসাল। সে সবাইকে বলল, তোমরা এমন কর না। রহমতের বাবা রিকশা চালালেও তিনি মানুষ। মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি অসম্মান করা ঠিক না।
৩৯। অনুচ্ছেদে রমিজের বক্তব্যের মধ্যে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার প্রকাশিত উপলব্ধি কী?
>মানুষ সবাই সমান খ জাতিভেদ প্রথা গ পৃথিবীতে মানুষ ছোট ও বড় আছে ঘ মানুষ কখনো সমান না
৪০। অনুচ্ছেদে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার যেদিকগুলো ধারণ করেছে-
র. সবার উপরে মানুষ সত্য রর. জন্ম যেখানেই হোক মানুষ মানুষই ররর. সব মানুষ স্রষ্টার কাছে ফিরে যাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদে পড়ে ৪১ ও ৪২নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
রনজু স্কুল থেকে ফিরছিল। পথে মুন্নার সাথে দেখা হলো। মুন্না তাকে দেখে পালাতে লাগল। কারণ এর আগে মুন্না তাকে মেরেছিল। রনজু মুন্নাকে ডাকল। বলল, পালাচ্ছ কেন? আমি তোমাকে মারব না। তোমাকে ক্ষমা করেছি। তুমিতো আমার বন্ধু।
৪১। উদ্দীপকের রনজুর ভাবনা সাথে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় কোন দিকটির সাদৃশ্য পরিলক্ষতি হয়?
ক সততা > ক্ষমা গ প্রতিহিংসা ঘ নিষ্ঠা
৪২। রনজু ও বাবুরের উদারতা যে কারণে সমার্থক-
র. রনজু ক্ষমা করেছে বলে রর. বাবুর ক্ষমা করেছে বলে ররর. তারা উভয়ই ক্ষমা করেছে বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৪৩। হত শব্দের অর্থ কী?
ক আহত > নিহত গ পরাহত ঘ যুদ্ধাহত
৪৪। রণ- অর্থ কী?
> যুদ্ধ খ শান্তি গ রওনা হওয়া ঘ রানওয়ে
৪৫। প্রান্তর বলতে কী বোঝায়?
ক বিস্মৃত ক্ষেত্রে খ বিস্মৃত সাগর > বিস্মৃত মাঠ ঘ বিস্মৃত পাহাড়
৪৬। করি-শুর-ম্নএর অর্থ হচ্ছে-
ক সাহার খুড় খ ঘোড়ার ডাক গ উটের গলা > হাতির শুঁড়
৪৭। বসুধা শব্দের অর্থ হচ্ছে-
> পৃথিবী খ মাটি গ আসমান ঘ বাতাস
৪৮। দন্ডবিধান শব্দের অর্থ কী?
ক ডান্ডা মারা > শাস্তি প্রদান গ জেলে পাঠানো ঘ ফাঁসি দেওয়া
৪৯। পর্যটক হচ্ছে-
ক দেশ ত্যাগী খ বিদেশি > ভ্রমণকারী ঘ ঘরকুনো
৫০। গুপ্ত কৃপাণ হচ্ছে-
ক লুকানো টাকা খ লুকানো হাত গ লুকানো মোহর > লুকানো তলোয়ার
৫১। করতল শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
ক পায়ের তালু খ মাথার তালু গ হাতের তালু ঘ চৌকির তলা
৫২। তুষ্ট শব্দটি দিয়ে বোঝায়-
র. তৃপ্ত রর. আনন্দিত ররর. খুশি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৫৩। পানিপথ হলো-
র. যুদ্ধক্ষত্রে রর. দিল্লির উত্তর পশ্চিমের স্থান ররর. পানির পথ
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৪। দৌলত খাঁকে কৃতঘ্ন বলা হয়েছে যে কারণ-
র. সে ইব্রাহিম লোদির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য রর. তিনি বাবুরের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য
ররর. তিনি বাবুরের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর