৯ম-১০ম শ্রেণী BGS দশম অধ্যায়ঃজাতীয় সম্পদ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
- জাতীয় সম্পদ : অর্থনীতিতে সম্পদ হলো সেই সমস্ত জিনিস বা দ্রব্য যেগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হয়। সংক্ষেপে আমরা এ দ্রব্যগুলোকে অর্থনৈতিক দ্রব্যও বলে থাকি। যেমন : ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, টিভি ইত্যাদি দৃশ্যমান বস্তুগত সম্পদ এবং ডাক্তারের সেবা, শিক্ষকের পাঠদান ইত্যাদি অদৃশ্যমান বা অবস্তুগত সম্পদ। উল্লিখিত জিনিসগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয করতে হবে। কোনো জিনিসকে যদি অর্থনীতিতে সম্পদ বলতে হয় তবে তার চারটি বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : ১. উপযোগ, ২. অপ্রাচুর্যতা, ৩. হস্তান্তরযোগ্য, ৪. বাহ্যিকতা।
- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা : ধনতন্ত্র এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের উপকরণসমূহ ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হয়। এখানে প্রত্যেক ব্যক্তির উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে।
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা : সমাজতন্ত্র হচ্ছে সমাজের অর্থনৈতিক সংগঠন। কারণ সমাজতন্ত্রে রাষ্ট্র উৎপাদনের চারটি উপাদানকে সমন্বিত করে একটি সার্বিক কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা অনুসারে উৎপাদন কার্যে নির্দেশনা দেয় ও তা পরিচালনা করে। এতে সমাজের সকল সদস্য এই পরিকল্পিত সকল সদস্য কর্মকা থেকে সর্বাধিক কল্যাণ অর্জন করতে সক্ষম হয়। কাজেই এটা বলা যায় যে, সমাজের অর্থনৈতিক সংগঠন হলো সমাজতন্ত্র।
- মিশ্র অর্থব্যবস্থা : ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পাশাপাশি বর্তমান বিশ্বে আর একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিরাজমান। সেটি হচ্ছে মিশ্র অর্থনীতি। এটি ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কিছু কিছু বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে গড়ে উঠা একটি ব্যবস্থা।
- ইসলামি অর্থব্যবস্থা : যে অর্থব্যবস্থা কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী পরিচালিত হয় তাই ইসলামি অর্থব্যবস্থা। এ অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কার্যাবলির মৌলিক নীতিমালা স্থির হয় ইসলামের ৫টি মূলস্তম্ভ, পবিত্র কুরআনের নির্দেশনাবলি ও রাসুল (স)-এর হাদিসের বিধান অনুসারে।
- জাতীয় আয়ের বণ্টন : সাধারণ অর্থে বণ্টন হলো ভাগ বা বিলি করা। অর্থনীতিতে বণ্টন বলতে জাতীয় আয় বা সম্পদের ভাগ বা বিলি করা বোঝায়। উৎপাদনের জন্য ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন এই চারটি উপাদান অপরিহার্য। অর্থনীতির ভাষায় উৎপাদিত সম্পদ উৎপাদনের উপাদানসমূহের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে বণ্টন বলা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. সমষ্টিগত সম্পদ নিচের কোনটি?
ক ঘরবাড়ি খ সাগর গ কলকারখানা বনাঞ্চল
২. উপরের কোন বৃত্তে ব্যক্তিগত সম্পদ রয়েছে?
ক ১ খ ২ গ ১ ও ২ ঘ ২ ও ৩
৩. মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হলোÑ
র. সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যক্তির স্বাধীনতা ও সরকারি খাতের প্রাধান্য
রর. কোনো দ্রব্য কী পরিমাণ উৎপাদিত হবে সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত থাকে
ররর. একক উৎপাদনকারী হিসেবে একক ব্যবস্থার প্রচলন
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ র ও রর গ ররর ঘ র ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
গাজীপুর জেলার বকুলপুর গ্রামের তানভীর ল করলেন কতিপয় লোক বনের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তানভীর গ্রামের লোকজনের সহায়তায় গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত লোকদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
৪. তানভীরের কাজটি জাতীয় সম্পদের সংর ণ ও অপচয় রোধের কোন ধরনের উদ্যোগ?
ক ব্যক্তিগত খ রাষ্ট্রীয় সমষ্টিগত ঘ আন্তর্জাতিক
৫. উক্ত উদ্যোগটি গ্রহণের ফলে
র. জাতীয় সম্পদ র া পাবে
রর. অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে
ররর. কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ সমাজতান্ত্রিক ও ধনতান্ত্রিক
পার্থ ‘ক’ নামক দেশের নাগরিক। তিনি যে দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন সে দেশে ব্যক্তিগত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যায় না। পার্থের বাবা উক্ত ‘ক’ দেশে যে কারখানায় কাজ করতেন তার প্রাপ্য মজুরির একটি অংশ প্রয়োজন অনুসারে তাকে দেয়া হতো। সাম্প্রতিক কালে পার্থ ‘খ’ নামক দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন। তিনি এক ল ডলার খরচ করে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। তিনি তার আয় দিয়ে আরও একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন।
ক.সম্পদকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
খ.অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কী? ব্যাখ্যা কর।
গ.পার্থের ‘ক’ দেশের অর্থব্যবস্থার ধরনটি তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ.‘খ’ দেশে যে ধরনের অর্থব্যবস্থা প্রচলিত তার সাথে ‘ক’ দেশের অর্থব্যবস্থার পার্থক্য রয়েছে-যুক্তির মাধ্যমে ব্যাখ্যা কর।
ক সম্পদকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
খ যে ব্যবস্থা বা কাঠামোর আওতায় উৎপাদনের উপাদানসমূহের মালিকানা নির্ধারিত হয় এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া, উৎপাদিত সম্পদের বণ্টন ও ভোগ প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে। এ ব্যবস্থা জনগণের অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং অর্থনীতিবিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত কাঠামোর সমন্বয়ে গড়ে উঠে।
গ পার্থের ‘ক’ দেশের অর্থব্যবস্থার ধরনটি আমার পঠিত সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মতো। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণসমূহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। সম্পদের ওপর কোনো ব্যক্তিমালিকানা থাকে না। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সরকার দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের েত্রে মৌলিক সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। কোনো দ্রব্য কী পরিমাণে, কখন ও কোন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হবে এবং এই দ্রব্য কাদের নিকট সরবরাহ করা হবে এসব সরকার স্থির করে। এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ ও বিনিয়োগের সুযোগ নেই। রাষ্ট্রই শ্রমিকের মজুরি প্রদান করে এবং উৎপাদনের অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করে। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কেউ উৎপাদনে তার অবদান অনুসারে প্রাপ্য আয় থেকে বঞ্চিত হয় না। উদ্দীপকে পার্থের ‘ক’ নামক দেশে ব্যক্তিগত কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যায় না। পার্থের বাবা উক্ত দেশে যে কারখানায় কাজ করেন তার প্রাপ্য মজুরির একটি অংশ প্রয়োজন অনুসারে তাকে দেয়া হয়। এসবই সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্যে পড়ে। সুতরাং বলা যায়, পার্থের ‘ক’ দেশের অর্থব্যবস্থার ধরনটি আমার পঠিত সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি ব্যক্তিগত শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারে। তাই ‘খ’ দেশে ধনতান্ত্রিক এবং ‘ক’ দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা প্রচলিত। ধনতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সকল ব্যক্তি তাদের ইচ্ছা ও সুবিধা অনুযায়ী উৎপাদন, কলকারখানা স্থাপন, ব্যবসায়-বাণিজ্য ইত্যাদি করে সম্পদ অর্জন করে। অর্থাৎ এ ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় থাকে। অন্যদিকে সমাজতন্ত্রে সব সম্পদ বা উৎপাদনের উপকরণগুলো রাষ্ট্রের মালিকানাধীন। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় প্রত্যেক ভোক্তা তার সামর্থ্য, ইচ্ছা ও পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো দ্রব্য অবাধে ভোগ করতে পারে। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দেশে কেবল সরকারি উদ্যোগে সমাজের প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন ও আমদানি করা হয়। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় মুনাফা পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা গ্রহণ করে। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্জিত মুনাফার মালিক রাষ্ট্র বা সরকার। আবার, ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় শ্রমিককে তার প্রাপ্য মজুরি দেওয়া হয় না। অন্যদিকে, সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় শ্রমিক তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ ও পারিশ্রমিক পায়। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সম্পদের বণ্টনে অসমতা দেখা দেয় কিন্তু সমাজতন্ত্রে সম্পদের সুষম বণ্টন হয়। উদ্দীপকে ‘ক’ দেশে ব্যক্তিগত কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যায় না। ‘খ’ দেশে ব্যক্তিগত শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যায়। অর্থাৎ বলা যায়, ‘খ’ দেশের অর্থব্যবস্থার সাথে ‘ক’ দেশের অর্থব্যবস্থার পার্থক্য রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ উদ্যোক্তা কাকে বলে?
উত্তর : যিনি উৎপাদনের উপকরণসমূহ অর্থাৎ ভূমি, শ্রম, মূলধন ও শ্রমকে সমন্বিত করে উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন তাকে উদ্যোক্তা বলে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ব্যক্তিগত সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তর : ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গা-জমি, বাড়িঘর, কলকারখানা, অর্থসম্পদ, গাড়ি, দ্রব্যসামগ্রী ইত্যাদি ব্যক্তিগত সম্পদ। নিজস্ব প্রতিভা, ব্যক্তির দক্ষতা ইত্যাদি যদিও হস্তান্তরযোগ্য নয়, তথাপি এগুলোকে ব্যবহার করে সম্পদ সৃষ্টি করা যায়। তাই এগুলোও ব্যক্তিগত সম্পদের উদাহরণ।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ জাতীয় সম্পদ কী?
উত্তর : জাতীয় সম্পদ হলো রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদের সমষ্টি।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ সমষ্টিগত সম্পদকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করবে?
উত্তর : সমাজের সবাই সম্মিলিতভাবে যে সম্পদ ভোগ করে সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ। এ সম্পদের ওপর সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও এগুলোর প্রতি তাদের সমান দায়িত্ব রয়েছে।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ সংর ণে রাষ্ট্রের করণীয়সমূহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ সংর ণে রাষ্ট্রের করণীয়সমূহ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
ক. কেউ যেন এসব জাতীয় সম্পদের কোনো তিসাধন না করে সে বিষয়ে সবার সচেতন থাকা উচিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সংর িত বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে গাছ কাটা, পশুপাখি শিকার করা ইত্যাদি কর্মকা জাতীয় সম্পদের তিসাধন করা হিসেবে গণ্য।
খ. জাতীয় সম্পদ সংর ণের জন্য রাষ্ট্রীয় যেসব ব্যবস্থা আছে সেগুলো যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয় সেদিকে ল রাখতে হবে। সেতু, গুর“ত্বপূর্ণ স্থাপনা, অফিস ভবন ইত্যাদি যেন কোনো সময় অর িত না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
গ. জাতীয় সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয় রোধে সচেতন ও সচেষ্ট থাকতে হবে। যেমন : রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি অপ্রয়োজনে খরচ না করা এবং এগুলো ব্যবহারে মিতব্যয়িতা অবলম্বন করা উচিত।
ঘ.জাতীয় সম্পদ সংর ণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য নির্ধারিত সংস্থার দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ সংস্থার দলিলের সুস্পষ্টভাবে বিবৃত থাকে। এসব সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের করণীয় হলো এসব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে তৎপর থাকা।
ঙ.নাগরিকদের সচেতন করার জন্য গণমাধ্যমে তাদের করণীয় সম্পর্কে প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সর্বোপরি রাষ্ট্রের জাতীয় সম্পদ সংর ণের জন্য নিজ নিজ কর্তব্য বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক সচেতন ও সচেষ্ট থাকলে জাতীয় সম্পদ সংর ণ ও এগুলোর অপচয় রোধ করা কঠিন নয়।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধর।
উত্তর : ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হলো :
ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
১.ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিতে ভোক্তার স্বাধীনতা থাকে। ১.সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে ভোক্তার স্বাধীনতা নেই।
২.ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সকল উপকরণের মালিক ব্যক্তি নিজে। ২.সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সকল উপকরণের মালিক সরকার।
৩.ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি ব্যক্তি মুনাফা কেন্দ্রিক। ৩.সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে সকল মুনাফা রাষ্ট্রের।
৪.ধনতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থায় উৎপাদনকারীর যেকোনো দ্রব্য উৎপাদনের স্বাধীনতা থাকে।৪.সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেয়।
৫.ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিতে ব্যক্তিসিদ্ধান্ত স্বীকৃত। ৫.সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে রাষ্ট্র সকল সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ চিহ্নিত কর।
উত্তর : বাংলাদেশে বর্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রাধান্যসহ মিশ্র অর্থনৈতিক অবস্থা বিদ্যমান বলা চলে। এ ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে চিহ্নিত করা হলো :
সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান : বাংলাদেশে প্রধানত ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। তবে ব্যক্তিমালিকানা ও ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি কিছু কিছু খাতে বিশেষত সেবা খাতে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে সরকারি মালিকানা উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকে। জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য ও সেবা সরকারি নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি উদ্যোগে উৎপাদন ও সরবরাহ দেখা যায়।
প্রতিযোগিতা : বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রাধান্য আছে। দাম ও সামর্থ্যরে ওপর ভিত্তি করে ক্রেতার পছন্দ ও উদ্যোক্তার বিনিয়োগ স্থির হয়।
মুনাফা অর্জন : এদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সম্পত্তিতে ব্যক্তির স্বাধীনতা ও বেসরকারি খাতের প্রাধান্য আছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খাতসমূহও মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।
অতএব, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ চিহ্নিত করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. অর্থনীতির ভাষায় নিচের কোনটি সম্পদ?
ফসলি জমি খ কালিবিহীন কলম
গ সূর্যের আলো ঘ নদীর পানি
২. রহিম একটি পোলট্রি ফার্মে কর্মরত। তার অর্জিত আয় অর্থনীতিতে কী হিসেবে বিবেচিত হবে?
ক খাজনা মজুরি গ সুদ ঘ মুনাফা
৩. প্রযুক্তি কোন ধরনের সম্পদ?
জাতীয় খ আন্তর্জাতিক গ সমষ্টিগত ঘ ব্যক্তিগত
৪. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানসমূহ কার মালিকানাধীন?
ব্যক্তির খ রাষ্ট্রের গ সমাজের ঘ রাষ্ট্র ও সমাজের
৫. উন্নত দেশের মাথাপিছু আয়
খুব বেশি খ খুব কম গ মধ্যম ঘ নিচু মানের
৬. দেশের সার্বিক উন্নয়ন অর্জনের জন্য বর্তমান সরকার পরিকল্পিত উন্নয়নের যে উদ্যোগটি নিয়েছে, তা হলো
ক ভিশন-২০২০ ভিশন-২০২১
গ ভিশন-২০২২ ঘ ভিশন-২০২৩
৭. বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কোন ধরনের সম্পদ?
ক ব্যক্তিগত আন্তর্জাতিক গ সমষ্টিগত ঘ রাষ্ট্রীয়
৮. বর্তমান বিশ্বে কত প্রকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কার্যকর আছে?
ক সাত প্রকার খ ছয় প্রকার গ পাঁচ প্রকার চার প্রকার
৯. ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য কোনটি?
ক উৎপাদনের উপকরণসমূহ রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন
খ উৎপাদনের উপকরণসমূহ ব্যক্তিমালিকানাধীন
উৎপাদকের উৎপাদন বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা নেই
ঘ প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সকল অর্থনৈতিক কর্মকা পরিচালিত হয়
১০. অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কত প্রকার?
ক ২ খ ৩ ৪ ঘ ৫
১১. নিচের কোনটি সমষ্টিগত সম্পদ?
ক গাড়ি খ ঘরবাড়ি গ কলকারখানা নদনদী
১২. হস্তান্তরযোগ্যতা কী?
ক চাহিদার তুলনায় যোগানের সীমাবদ্ধতা
খ কোনো দৃশ্যমান বস্তু
একজনের নিকট হতে বস্তুটি আরেকজনের পাওয়ার সম্ভাব্যতা
ঘ কোনো দ্রব্যের অভাব পূরণের ক্ষমতা
১৩. অর্থনীতিতে ভূমি বলতে কোনটিকে বোঝায়?
ক মাটি বা সমতল ভূমিকে
খ জমি যা ব্যবহৃত হয় ফসল ফলানোর জন্য
গ একমাত্র উর্বর জমিকে
সকল প্রাকৃতিক সম্পদকে
১৪. প্রকৃত অর্থে কোন বস্তু বা দ্রব্যকে সম্পদ বলতে হলে, তার কয়টি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে?
ক দুইটি খ তিনটি চারটি ঘ পাঁচটি
১৫. কোনটিকে মুক্ত বাজার অর্থনীতি বলা হয়?
ক সমাজতান্ত্রিক খ মিশ্র গ ইসলামি ধনতান্ত্রিক
১৬. নিচের কোনটি সমষ্টিগত সম্পদ? [ব. বো. ’১৫]
ক ঘরবাড়ি বনাঞ্চল গ সাগর ঘ কলকারখানা
১৭. নিচের কোনটি আন্তর্জাতিক সম্পদ?
সাগর-মহাসাগর খ নদনদী
গ শিল্প প্রতিষ্ঠান ঘ বাড়িঘর
১৮. ঢাকার রেলপথ কোন ধরনের সম্পদ?
ক সামাজিক সম্পদ সমষ্টিগত সম্পদ
গ আন্তর্জাতিক সম্পদ ঘ ব্যক্তিগত সম্পদ
১৯. শাকিল একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক। তার এই ফ্যাক্টরির যন্ত্রপাতি উৎপাদনের কোন ধরনের উপাদান?
ক ভূমি খ শ্রম মূলধন ঘ সংগঠন
২০. কোন অর্থব্যবস্থায় অর্জিত মুনাফার মালিক রাষ্ট্র?
ক ধনতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামি
২১. ব্যক্তি বা বেসরকারি খাতের প্রাধান্য থাকে কোন অর্থব্যবস্থায়?
ক সামন্ততান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ ইসলামি মিশ্র
২২. কোনটি সম্পদের বৈশিষ্ট্য?
অপ্রাচুর্য খ চাহিদা গ অভাব ঘ ঘরবাড়ি
২৩. কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে না?
ক ধনতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক
গ মিশ্র অর্থনীতি ঘ ইসলামি অর্থনীতি
২৪. কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রত্যেক ব্যক্তি উৎপাদনে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে?
ক মিশ্র অর্থনীতি ধনতান্ত্রিক
গ সমাজতান্ত্রিক ঘ ইসলামি অর্থব্যবস্থা
২৫. উৎপাদনের জন্য কয়টি উপাদান আবশ্যক?
ক ২ খ ৩ ৪ ঘ ৫
২৬. কোনটি সম্পদের বৈশিষ্ট্য?
অপ্রাচুর্য খ চাহিদা গ অভাব ঘ ভোগ
২৭. কোনো দ্রব্যের অভাব পূরণের মতাকে কী বলে?
উপযোগ খ ভোগ গ চাহিদা ঘ যোগান
২৮. অপ্রাচুর্য কী?
চাহিদার তুলনায় যোগান কম খ চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি
গ চাহিদা ও যোগান সমান ঘ অভাব পূরণের ক্ষমতা
২৯. একজন শিল্পীর প্রতিভা কোন ধরনের সম্পদের অন্তর্ভুক্ত?
ক জাতীয় খ আন্তর্জাতিক গ সমষ্টিগত ব্যক্তিগত
৩০. রুনা লায়লা গান গেয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। তার গানের কণ্ঠ কোন ধরনের সম্পদ?
ক জাতীয় ব্যক্তিগত গ সমষ্টিগত ঘ জনগণের
৩১. যে সম্পদের ওপর সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে তাকে কোন ধরনের সম্পদ বলে?
ক ব্যক্তিগত সমষ্টিগত গ জাতীয় ঘ আন্তর্জাতিক
৩২. মেহেদি সাহেবের নতুন বাড়িতে ওয়াসা থেকে পানি সংযোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে ওয়াসার সংযোগ থেকে প্রাপ্ত পানি কোন ধরনের সম্পদ?
জাতীয় খ ব্যক্তিগত গ সামাজিক ঘ রাজনৈতিক
৩৩. বিশেষ কোনো রাষ্ট্রের মালিকানাধীন নয় এমন সম্পদকে কী বলে?
ক জাতীয় সম্পদ খ সমষ্টিগত সম্পদ
আন্তর্জাতিক সম্পদ ঘ ব্যক্তিগত সম্পদ
৩৪. প্রযুক্তি কোন ধরনের সম্পদ?
ক ব্যক্তিগত খ সমষ্টিগত গ জাতীয় আন্তর্জাতিক
৩৫. জাতীয় সম্পদের উৎস কয়টি?
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৩৬. রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সকল প্রাকৃতিক ও উৎপাদিত সম্পদ কোন ধরণের সম্পদের অন্তর্গত?
ক ব্যক্তিগত খ সমষ্টিগত জাতীয় ঘ আন্তর্জাতিক
৩৭. বিশেষভাবে র ণাবে ণ ও তত্ত্বাবধানকে কী বলে?
ক সুষম বণ্টন খ তদারকীকরণ
সংর ণ ঘ নিবিড় পর্যবেক্ষণ
৩৮. সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছকাটা কোনটির শামিল?
ক ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতিসাধন জাতীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন
গ সম্পদের অপচয় করা ঘ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা
৩৯. একজন কাঠমিস্ত্রি কাঠ কেটে মঞ্চ তৈরি করে। অর্থনীতির ভাষায় এটা কী?
ক ভূমি উৎপাদন গ সংগঠন ঘ মূলধন
৪০. শ্রমিক উৎপাদনের জন্য কোনটি লাভ করে?
ক পণ্য খ সুদ মজুরি ঘ মুনাফা
৪১. উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদানকে কী বলে? [চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল]
ক সুদ মূলধন গ শ্রম ঘ উপযোগ
৪২. সংগঠন কয়টি উপাদানের সমষ্টি?
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৪৩. উৎপাদিত সম্পদ উৎপাদনের চারটি উপাদানের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
ক ভোগ বণ্টন গ মজুরি ঘ মুনাফা
৪৪. কোন ধারাটি সঠিক?
ক অভাব উৎপাদন প্রচেষ্টা বণ্টন ভোগ
খ উৎপাদন অভাব বণ্টন ভোট প্রচেষ্টা
অভাব প্রচেষ্টা উৎপাদন বণ্টন ভোগ
ঘ উৎপাদন বণ্টন ভোগ প্রচেষ্টা অভাব
৪৫. অভাব ? উৎপাদন বণ্টন ভোগ ‘?’ চিিহ্নত স্থানে কী হবে?
ক চাহিদা খ অর্থ প্রচেষ্টা ঘ উপযোগ
৪৬. গ্রামের মানুষ এখানে কাজ করে মজুরি পাচ্ছে। কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সার বীজ কিনেছে। এ বছর তার জমিতে বিভিন্ন রকম সবজির ভালো ফলন হয়েছে। এখানে সজলের ভূমিকায় উৎপাদনের কোন উপাদানকে ইঙ্গিত করা হয়েছে?
ক শ্রম খ মূলধন গ ভূমি সংগঠন
৪৭. সংগঠনকে কোনটি দেওয়া হয়?
ক সুদ খ মজুরি গ খাজনা মুনাফা
৪৮. কোন অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি তার সম্পদ স্বাধীনভাবে ভোগ ও হস্তান্তর করতে পারে?
ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামি
৪৯. উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা রয়েছে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়?
ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামি
৫০. রায়হানের দেশে সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই উৎপাদনকারী উৎপাদন করে। তার দেশে উৎপাদনকারী এবং ভোক্তা উভয়ই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। রায়হানের দেশের অর্থব্যবস্থার নাম কী?
ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ ইসলামি ঘ মিশ্র
৫১. মুক্ত বাজার অর্থনীতি বলা হয় কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে?
ক সমাজতান্ত্রিক ধনতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামি
৫২. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দ্রব্যের উৎপাদন, বণ্টন, ভোগ সবই কোন দুটি সম্পর্কের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দ্বারা পরিচালিত হয়?
চাহিদা ও যোগান খ যোগান ও ভোগ
গ দ্রব্য ও যোগান ঘ মূলধন ও যোগান
৫৩. কোন অর্থব্যবস্থায় দ্রব্য উৎপাদনে অবাধ প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়?
ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ক ইসলামি
৫৪. শ্রমিক শোষণ লক্ষ করা যায় কোন অর্থব্যবস্থায়?
ক সমাজতান্ত্রিক খ ইসলামি গ সামন্ততান্ত্রিক ধনতান্ত্রিক
৫৫. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মুনাফার গ্রহীতা কে?
ক সরকার খ শ্রমিক গ ভোক্তা উদ্যোক্তা
৫৬. সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা স্বীকৃত কোন অর্থব্যবস্থায়?
ক ধনতান্ত্রিক খ পুঁজিবাদী সমাজতান্ত্রিক ঘ মিশ্র
৫৭. সামিরার দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা ের মূল উদ্দেশ্য জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধন। এটি কোন অর্থব্যবস্থা নির্দেশ করে? )
ক ধনতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামি
৫৮. কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মালিকানার সুযোগ নেই?
ক ধনতান্ত্রিক খ মিশ্র সমাজতান্ত্রিক ঘ ইসলামি
৫৯. বেকারত্ব থাকে না কোন অর্থব্যবস্থায়?
ক মিশ্র খ ইসলামি গ ধনতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক
৬০. সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান ঘটে কোথায়?
ক সরকারি ব্যবস্থানায় খ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায়
গ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় মিশ্র অর্থব্যবস্থায়
৬১. মিশ্র অর্থব্যবস্থায় দ্রব্যের দাম নির্ধারিত হয় কীভাবে?
ক ক্রেতা-বিক্রেতার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে
দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের মাধ্যমে
গ সরকার নির্ধারিত
ঘ ব্যক্তির নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী
৬২. প্রাচীন বাংলায় কোন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল?
ক সমাজতান্ত্রিক খ মিশ্র গ ধনতান্ত্রিক সামন্ততান্ত্রিক
৬৩. ভূস্বামী এবং তার সম্পত্তির নিরাপত্তার জন্য কী থাকত?
ক নিরাপত্তা বাহিনী খ সৈন্যবাহিনী
লাঠিয়াল বাহিনী ঘ পুলিশ বাহিনী
৬৪. পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশে কোন অর্থব্যবস্থা প্রচলিত ছিল?
ক সমাজতান্ত্রিক ধনতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৫. মিশ্র অর্থ ব্যবস্থায়
র. সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন ঘটে
রর. আয় বৈষম্য দেখা যায়
ররর. শ্রমিক শোষণ বিদ্যমান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. শুধু ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা দ্বারা অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় নাÑ
র. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায়
রর. মিশ্র অর্থব্যবস্থায়
ররর. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৭. কর্মদক্ষতা, উদ্ভাবনী শক্তি প্রযুক্তিগত জ্ঞান ইত্যাদি কোন সম্পদের উদাহরণ?
র. ব্যক্তিগত
রর. সমষ্টিগত
ররর. জাতীয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. জাতীয় সম্পদ রক্ষায় নাগরিকদের করণীয় হলোÑ
র. সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা
রর. রাষ্ট্রের আইন ভঙ্গ করা
ররর. সম্পদের অপচয় করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র ও ররর
৬৯. উৎপাদনের ক্ষেত্রে যেসব পারিতোষিক দেওয়া হয় সেগুলো হলো
র. খাজনা ও মজুরি
রর. সুদ ও মুনাফা
ররর. সম্পদ ও মুনাফা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে অন্তভর্ুৃক্ত হবে
র. বিদেশে বসবাসকারী দেশি নাগরিকের আয়
রর. দেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকের আয়
ররর. বিদেশে অবস্থানরত দেশি সংস্থার আয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. ব্যক্তিগত সম্পদ হলো
র. বাড়িঘর
রর. নদনদী
ররর. প্রতিভা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. জাতীয় সম্পদের অপচয়রোধে আমাদের করণীয় হলো
র. প্রশিক্ষণ নেওয়া
রর. ব্যবহারে মিতব্যয়িতা অবলম্বন করা
ররর. প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৩. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায়
র. শ্রমিক প্রাপ্যের চেয়ে কম মজুরি পায়
রর. পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা প্রাপ্যের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করে
ররর. সমাজের অধিকাংশ সম্পদ ুদ্র জনগোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৪. ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে
র. অবাধ প্রতিযোগিতা
রর. ভোক্তার স্বাধীনতা
ররর. সর্বাধিক মুনাফা অর্জন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৫. মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সরকারি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্যসমূহ হলো
র. শ্রমিকরা সাধারণত ন্যায্য মজুরি পায়
রর. সম্পদের সুষম বণ্টন হয়
ররর. মুনাফা অর্জনের উদ্দেশে পরিচালিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. সকল অর্থনৈতিক কার্যাবলির মুল উদ্দেশ্য থাকে সর্বাধিক মুনাফা অর্জন। এ বৈশিষ্ট্যটি
র. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার
রর. মিশ্র অর্থব্যবস্থার
ররর. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৭ ও ৭৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব হাসান ‘ক’ রাষ্ট্রের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি পোশাকশিল্প কারখানা স্থাপন করেন। তিনি জানেন যে, তার দেশে উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারের কোনো বিধি-নিষেধ নেই। [কু. বো. ’১৬]
৭৭. অনুচ্ছেদে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে নির্দেশ করা হয়েছে?
ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামিক
৭৮. উৎপাদন কাজে নিয়োজিত অর্থকে কী বলে?
ক মূলধন বিনিয়োগ গ সঞ্চয় ঘ মুনাফা
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৯ ও ৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঢাকার রমিজ সাহেব তার পোশাক কারখানার জন্য প্রায় দশ লক্ষ টাকার নতুন কিছু মেশিন কিনলেন। ফলে তার কারখানায় আরও কিছু শ্রমিক নিয়োগ দিতে হয় এবং তার মুনাফা আগের চেয়েও বেড়ে যায়।
৭৯. রমিজ সাহেবের দশ লক্ষ টাকা ব্যয়কে অর্থনীতির ভাষায় কী বলে?
ক বিনিয়োগ মূলধন গ ভূমি ঘ ভোগব্যয়
৮০. রমিজ সাহেবের এ ধরনের ব্যয়ের ফলে
র. দেশের মোট জাতীয় ব্যয় বৃদ্ধি পাবে
রর. শ্রমিক শোষণ বেড়ে যাবে
ররর. জনগণের জীবনযাত্রার মান বাড়বে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮১ ও ৮২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
কুমিল্লা জেলার সাদিপুর গ্রামের সফিক সাহেব লক্ষ করলেন কতিপয় লোক বনের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সফিক সাহেব গ্রামের লোকজনের সহায়তায় গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত লোকদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
৮১. সফিক সাহেবের কাজটি জাতীয় সম্পদের সংরক্ষণ ও অপচয় রোধের কোন ধরনের উদ্যোগ?
ক ব্যক্তিগত জাতীয় গ সমষ্টিগত ঘ আন্তর্জাতিক
৮২. উক্ত উদ্যোগটি গ্রহণের ফলে
র. জাতীয় সম্পদ রক্ষা পাবে
রর. অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে
ররর. কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৩ এবং ৮৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব শামীম ঢাকা শহরে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের আশায়, স্বাধীনভাবে উদ্যোগ নিয়ে তিনি অবাধ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তার শিল্প প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। তিনি ভূমির জন্য খাজনা, মূলধনের জন্য সুদ এবং নিজ উদ্যোগের জন্য মুনাফা গ্রহণ করলেও শ্রমের মালিককে তার ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দিয়ে থাকেন।
৮৩. অর্থনৈতিক কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে জনাব শামীম কোন পর্যায়কে ব্যাহত করেছেন?
ক প্রচেষ্টা খ উৎপাদন গ ভোগ বণ্টন
৮৪. জনাব শামীমের উদ্যোগে গঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠানটি কোন উৎপাদন ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করে?
ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামি
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৫ ও ৮৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সৌমিক এমন একটি রাষ্ট্রের নাগরিক যেখানে সম্পদের সুষম বণ্টন হয়। দেশের জনগণের আয় বৈষম্য খুবই সামান্য। সেদেশে জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের কাজ সুসম্পন্ন হয় এবং সম্পদের অপচয়ও তুলনামূলক কম।
৮৫. সৌমিকের দেশটিতে নিচের কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত?
ক ধনতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র অর্থনীতি ঘ ইসলামি
৮৬. উক্ত অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য কোনটি?
র. ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পদ জনগণ তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে হস্তান্তর করতে পারে
রর. উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্বাধীনতা নেই
ররর. সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা ও সৃজনশীলতা অনিশ্চিত থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভূমিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৭. একটি দেশের উন্নতির সম্ভাবনা কোনটির ওপর বেশি নির্ভরশীল? (অনুধাবন)
জাতীয় সম্পদ খ ব্যক্তিগত সম্পদ
গ সমষ্টিগত সম্পদ ঘ আন্তর্জাতিক সম্পদ
৮৮. কোনো দেশের অর্থনীতি সম্বন্ধে জানতে হলে কোনটি সম্বন্ধে জানা প্রয়োজন? (জ্ঞান)
সম্পদ খ ব্যবস্থাপনা গ কাঠামো ঘ সংগঠন
৮৯. যে পদ্ধতি, প্রক্রিয়া এবং নিয়মনীতির আওতায় কোনো দেশের অর্থনীতি পরিচালিত হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক উৎপাদন ব্যবস্থা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
গ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ঘ সামাজিক ব্যবস্থা
৯০. সাব্বির ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে তার দেশের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন এবং তাদের বণ্টন বিষয়ে জানতে পারে। এটি নিচের কোন বিষয়কে সমর্থন করে? (প্রয়োগ)
ক রাজনীতি অর্থনীতি গ রাষ্ট্রনীতি ঘ পৌরনীতি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯১. কোনো দেশের সমৃদ্ধি নির্ভর করে সে দেশের (অনুধাবন)
র. জাতীয় সম্পদের প্রকৃতির ওপর
রর. জাতীয় সম্পদের পরিমাপের ওপর
ররর. জাতীয় সম্পদের ব্যবহারের ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯২. একটি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বুঝতে হলে সে দেশের যেসব বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে
র. সম্পদ উৎপাদন রর. বণ্টনের প্রক্রিয়া
ররর. সম্পদের অপব্যবহার
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
জাতীয় সম্পদের ধারণা
- নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ ও সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে বলে- জাতীয় সম্পদ।
- কোনো দেশের সমৃদ্ধি নির্ভর করে সে দেশের- জাতীয় সম্পদের প্রকৃতি ও পরিমাণের ওপর।
- কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে বলে- উপযোগ।
- চাহিদার তুলনায় যোগানের সীমাবদ্ধ হলো- অপ্রাচুর্যতা।
- একজনের নিকট হতে দ্রব্য বা বস্তু অপরজনের পাওয়ার সম্ভাব্যতা হলো- হস্তান্তরযোগ্যতা।
- সম্পদকে ভাগ করা যায়- চার শ্রেণিতে।
- সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সম্পদ ভোগ করে তা হলো- সমষ্টিগত সম্পদ।
- জাতীয় সম্পদের দুটি উৎস, যথা- প্রকৃতিপ্রদত্ত ও মানবসৃষ্ট।
- জাতির গুণবাচক বৈশিষ্ট্য- জাতীয় সম্পদের অন্তর্ভুক্ত।
- প্রাকৃতিক বনাঞ্চল, প্রাণি ও উদ্ভিদ, পানি ও খনিজ সম্পদ সবই- প্রকৃতিপ্রদত্ত জাতীয় সম্পদ।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৩. কোনো বস্তুর বাহ্যিকতা বলতে কী বোঝায়? (জ্ঞান)
ক বস্তুটির হস্তান্তর যোগ্যতা খ বস্তুটির অদৃশ্যমানতা
গ বস্তুটির পরিবর্তন যোগ্যতা বস্তুটির দৃশ্যমানতা
৯৪. সম্পদকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক ২ খ ৩ ৪ ঘ ৫
৯৫. ব্যক্তিগত সম্পদ কী? (জ্ঞান)
ক সরকারি মালিকানাধীন সম্পদ ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পদ
গ সমাজের মালিকানাধীন সম্পদ ঘ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্পদ
৯৬. আমাদের দেশের বিখ্যাত খেলোয়ার সাকিব-আল-হাসান। তার এই প্রতিভা কোন সম্পদের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক সমষ্টিগত ব্যক্তিগত গ জাতীয় ঘ আন্তর্জাতিক
৯৭. হস্তান্তরযোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তির দ তাকে কেন সম্পদ বলা হয়? (অনুধাবন)
ক অর্থনৈতিক মূল্য আছে খ উপযোগিতা আছে
গ সামাজিক স্বীকৃতি আছে সম্পদ সৃষ্টির যোগ্যতা আছে
৯৮. সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সম্পদ ভোগ করে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
সমষ্টিগত খ অর্থনৈতিক গ জাতীয় ঘ রাষ্ট্রীয়
৯৯. খনিজ সম্পদ কী ধরনের সম্পদ? (জ্ঞান)
ক আন্তর্জাতিক খ রাষ্ট্রীয় গ ব্যক্তিগত সমষ্টিগত
১০০. জাতীয় সম্পদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে যৌক্তিক কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ব্যক্তিগত এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সমন্বয়
ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগত সম্পদের সমন্বয়
গ ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সম্পদের সমন্বয়
ঘ রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক সম্পদের সমন্বয়
১০১. রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ব্যক্তিগত সম্পদ জাতীয় সম্পদ
গ সমষ্টিগত সম্পদ ঘ আন্তর্জাতিক সম্পদ
১০২. জাতীয় সম্পদের প্রথম উৎস কোনটি? (অনুধাবন)
প্রকৃতি প্রদত্ত খ মানব সৃষ্ট গ কৃত্রিম ঘ রাষ্ট্র
১০৩. জাতীয় সম্পদের দ্বিতীয় উৎস কোনটি? (জ্ঞান)
ক প্রকৃতি প্রদত্ত খ ভূমিপৃষ্ঠ
মানবসৃষ্ট ঘ ভূমির অভ্যন্তর
১০৪. একটি দেশের নাগরিকরা সারা বছর কোন কাজে নিয়োজিত থাকে? (অনুধাবন)
ক সম্পদ সরবরাহের খ সম্পদ ব্যবহারের
সম্পদ সৃষ্টির ঘ সম্পদ সংরক্ষণের
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৫. কোনো বস্তু বা দ্রব্যকে সম্পদ বলতে হলে সে বস্তুর যেসব বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে (অনুধাবন)
র. উপযোগ
রর. অপ্রাচুর্য
ররর. হস্তান্তরযোগ্যতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৬. জাতির যেসব গুণবাচক বৈশিষ্ট্য জাতীয় সম্পদের অন্তর্ভুক্ত (অনুধাবন)
র. কর্মদক্ষতা
রর. উদ্ভাবনী শক্তি
ররর. অর্থসম্পদ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৭. আন্তর্জাতিক সম্পদের বৈশিষ্ট্য হলো (অনুধাবন)
র. রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ
রর. বিশেষ কোনো রাষ্ট্রের মালিকানাধীন নয়
ররর. সকল জাতিই ভোগ করতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৮. সমষ্টিগত সম্পদ হলো (অনুধাবন)
র. বাঁধ, পার্ক
রর. সাগর-মহাসাগর, প্রযুক্তি
ররর. সরকারি হাসপাতাল, স্কুল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৯. মানবসৃষ্ট জাতীয় সম্পদ হলো (অনুধাবন)
র. প্রাকৃতিক জলাশয় রর. জলাশয়ে মাছ চাষ
ররর. ভূমি আবাদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১০. কোনো দেশের অধিবাসীরা নতুন সম্পদ সৃষ্টি করে (অনুধাবন)
র. প্রাকৃতিক সম্পদের রূপান্তর দ্বারা রর. প্রাকৃতিক সম্পদের উত্তোলন দ্বারা
ররর. প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১১. জাতীয় সম্পদের উৎস হলো (অনুধাবন)
র. রাষ্ট্র প্রদত্ত রর. প্রকৃতি প্রদত্ত
ররর. মানবসৃষ্ট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১২ ও ১১৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি থেকে গ্যাস সংযোগ নেওয়া হয়েছে অভিদের বাসায়। একটি সংযোগের জন্য মাসিক খরচ ৪৫০/- টাকা।
১১২. অভিদের প্রাপ্ত গ্যাস কোন ধরনের সম্পদ? (প্রয়োগ)
ক ব্যক্তিগত খ আন্তর্জাতিক জাতীয় ঘ রাজনৈতিক
১১৩. উক্ত সম্পদ অপব্যবহার রোধে করণীয় হলো
র. অপ্রয়োজনীয় খরচ না করা
রর. ইচ্ছামতো খরচ করা
ররর. ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
জাতীয় সম্পদের সংরক্ষণ ও অপচয় রোধ
- সংরক্ষণের অর্থ হলো বিশেষভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান।
- ব্যক্তিগত সম্পদ ও সমষ্টিগত সম্পদ উভয়েরই সংরক্ষণ হলো জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ।
- রাষ্ট্র ও জনগণ সম্মিলিতভাবে সমষ্টিগত সম্পদের অধিকারী।
- গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ অরক্ষিত থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো আমাদের দায়িত্ব।
- সম্পদ নষ্ট হলে তা পূরণ করার ব্যবস্থা নেয়াও সংরক্ষণ কাজের অন্তর্ভুক্ত।
- জাতীয় সম্পদের প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদের উদাহরণ হলো খনিজসম্পদ।
- জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণে নাগরিক সচেতনতা বাড়ানো যায় গণমাধ্যমে প্রচারের দ্বারা।
- সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে পশুপাশি শিকার করা জাতীয় সম্পদের ক্ষতিসাধনের নামান্তর।
- সমষ্টিগত সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হলো বনাঞ্চল, নদী-নালা, জলাশয় ইত্যাদি।
- সম্মিলিতভাবে এসব সম্পদের অধিকারী রাষ্ট্র ও জনগণ।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৪. বিশেষভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানকে কী বলে? (জ্ঞান)
সংরক্ষণ খ ব্যবস্থা গ সতর্কতা ঘ মিতব্যয়িতা
১১৫. জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ বলতে কোন ধরনের সম্পদের সংরক্ষণকে বোঝায়? (অনুধাবন)
ক দেশের সমষ্টিগত ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত
গ ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ঘ দেশের রাষ্ট্রীয়
১১৬. সমষ্টিগত সম্পদ ব্যবহার করা হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক সমাজের উঁচু শ্রেণির মাধ্যমে সমাজের সকলের সম্মিলিত মাধ্যমে
গ সমাজের নিচু শ্রেণির মাধ্যমে ঘ ক্ষমতাসীন মানুষের মাধ্যমে
১১৭. কাওসার তার বাইকটি প্রতিদিন নিজ হাতে পরিষ্কার করে এবং অনেক যত্ন সহকারে ব্যবহার করে। তার কাজটি দ্বারা কী প্রকাশ পেয়েছে? (প্রয়োগ)
ক নিজ স্বার্থে পারিবারিক সম্পদ সংর ণ
নিজ স্বার্থে ব্যক্তিগত সম্পদ সংর ণ
গ নিজ স্বার্থে রাষ্ট্রীয় সম্পদ সংর ণ
ঘ সমষ্টিগত স্বার্থে ব্যক্তিগত সম্পদ সংর ণ
১১৮. ব্যক্তি তার নিজস্ব সম্পদ সংর ণ করে কেন? (অনুধাবন)
নিজ স্বার্থে খ রাষ্ট্রের স্বার্থে
গ সমাজের স্বার্থে ঘ পরিবারের স্বার্থে
১১৯. ব্যক্তি তার সম্পদকে কী করতে তৎপর থাকে? (জ্ঞান)
ক বৃদ্ধি ও ক্ষতিসাধন উন্নয়ন ও বৃদ্ধি
গ অপচয় ও উন্নয়ন ঘ উন্নয়ন ও ভোগ
১২০. প্রত্যেকেই নিজস্ব সম্পদের তত্ত্বাবধান করে কেন? (অনুধাবন)
ক ভোগ বাড়াতে খ চাহিদা বাড়াতে
অপচয় রোধ করতে ঘ সচেতন থাকতে
১২১. কোন সম্পদ অতিরিক্ত ব্যয় না করার েত্রে ব্যক্তি সর্তক থাকে? (জ্ঞান)
ক সমষ্টিগত ব্যক্তিগত গ আন্তর্জাতিক ঘ জাতীয়
১২২. রাশেদ ও তার কয়েক বন্ধু মিলে তাদের গ্রামের জলাশয়গুলো র ার্থে বিভিন্ন ধরনের পদ েপ হাতে নিল। তাদের গৃহীত পদক্ষেপ কী নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
সমষ্টিগত সম্পদ সংর ণ খ সামাজিক সচেতনতা হ্রাস
গ ব্যক্তিগত সম্পদ সংর ণ ঘ সামাজিক সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ
১২৩. রাষ্ট্র ও জনগণ সম্মিলিতভাবে কোন সম্পদের অধিকারী? (জ্ঞান)
ক আন্তর্জাতিক খ জাতীয়
গ ব্যক্তিগত সমষ্টিগত
১২৪. সমষ্টিগত সম্পদ পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে কে জনগণকে সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে? (জ্ঞান)
ক সরকার খ জনগণ রাষ্ট্র ঘ এলাকার সবাই
১২৫. রাষ্ট্রীয় সম্পদ সংর ণের জন্য সরকারের কী ব্যবস্থা রয়েছে? (জ্ঞান)
ক সমষ্টিগত রাষ্ট্রীয় গ সামাজিক ঘ অর্থনৈতিক
১২৬. গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কোনো সময় অরক্ষিত দেখলে কাকে জানাতে হবে? (জ্ঞান)
ক রাষ্ট্রীয় সরকারকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে
গ কাছের বন্ধুবান্ধবকে ঘ নিকট আত্মীয়স্বজনকে
১২৭. নার্গিসরা সুন্দরবনে বেড়াতে গেলে সেখানকার কর্মকর্তারা তাদের পশুপাখি নিরোধ থেকে বিরত থাকতে বললেন। এটি কোন কাজকে সমর্থন করে? (প্রয়োগ)
ক ব্যক্তিগত সম্পদ র া জাতীয় সম্পদ র া
গ সামাজিক সম্পদ র া ঘ আন্তর্জাতিক সম্পদ র া
১২৮. জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণে নাগরিকদের সচেতন করার সর্বাধিক কার্যকর মাধ্যম কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কর্মকর্তার তদারকি খ ব্যানার
গণমাধ্যম ঘ শ্লোগান
১২৯. বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য নির্ধারিত সংস্থার দায়িত্ব ও কর্তব্য কোথায় সুস্পষ্টভাবে বিবৃত থাকে? (জ্ঞান)
ক রাষ্ট্রীয় দলিলসমূহে খ মন্ত্রণালয়ের দলিলসমূহে
সংস্থার দলিলসমূহে ঘ সংরক্ষিত দলিলসমূহে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩০. যেসব জাতীয় সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিরাপত্তা রক্ষী থাকে (অনুধাবন)
র. অফিস ভবন
রর. গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
ররর. ব্যক্তিগত অফিস ভবন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩১. শাওনের বাবা রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত সম্পদ অপ্রয়োজনে খরচ না করার জন্য পরিবারের সবাইকে সচেতন করেন। তিনি যেসব সম্পদ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে পরামর্শ দেন (প্রয়োগ)
র. পানি
রর. বিদ্যুৎ
ররর. গ্যাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩২. জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ করা যায় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাসমূহ মেনে চলার মাধ্যমে
রর. নাগরিক সচেতনতার মাধ্যমে
ররর. জাতীয় সম্পদের উন্নয়ন ও বৃদ্ধির মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩৩. প্রাকৃতিক সম্পদকে সমষ্টিগত সম্পদ বলার কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রাষ্ট্র পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে এগুলো সংরক্ষণ করে
রর. রাষ্ট্র ও জনগণ সম্মিলিতভাবে এসবের অধিকারী
ররর. জনগণ এগুলোর ব্যবহার ও ভোগ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৪ ও ১৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গাজীদের বাসা ঢাকায়। পানি সরবরাহের জন্য তারা ওয়াসা (ডঅঝঅ) এর ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। পরিবারের পানির সকল প্রয়োজন সেই পানি থেকেই মিটানো হয়।
১৩৪. গাজীদের বাসায় প্রাপ্ত পানি কোন ধরনের সম্পদ? (প্রয়োগ)
ক সামাজিক খ রাজনৈতিক গ ব্যক্তিগত জাতীয়
১৩৫. উক্ত সম্পদ সংর ণে গাজীদের করণীয় হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অপ্রয়োজনীয় খরচ না করা
রর. অপচয়রোধে সচেতন থাকা
ররর. ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
- সুন্দরভাবে বাচতে হলে প্রয়োজন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবার এবং সমাজব্যবস্থা।
- অভাব পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ সবসময়ই অপ্রতুল।
- দ্রব্য বা সম্পদের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর হলো উৎপাদন।
- উৎপাদনের উপাদান ৪টি যথা ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন।
- উৎপাদিত সম্পদ উৎপাদনের চারটি উপাদানের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে বলে বণ্টন।
- ভূমি, মূলধন ও শ্রমকে সমন্বিত করে উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পাদন করে সংগঠন বা উদ্যোক্তা।
- মানুষ অর্থনৈতিক কার্যাবলি সম্পাদন করে অভাব পূরণের জন্য।
- উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভূমির ব্যবহারের জন্য ভূমির মালিককে দেওয়া হয় খাজনা।
- যে ব্যবস্থায় মালিকানা নির্ধারণ, উৎপাদন প্রক্রিয়া, সম্পদের বণ্টন ও ভোগ প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে বলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
- বর্তমানে বিশ্বে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কার্যকর আছে ৪ ধরনের।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৬. কী থেকে অভাবের সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
ক ভোগ খ বিলাসিতা প্রয়োজন ঘ সম্পদ
১৩৭. অভাব পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ কেমন? (জ্ঞান)
ক অসীম খ সীমাহীন অপ্রতুল ঘ পর্যাপ্ত
১৩৮. মানুষ কিসের জন্য উৎপাদন করে? (অনুধাবন)
অভাব পূরণ খ বিলাসিতা করা
গ সংসার চালানো ঘ ঘরবাড়ি বানানো
১৩৯. দ্রব্য বা সম্পদের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরকে কী বলে? (জ্ঞান)
উৎপাদন খ উপকরণ গ মূলধন ঘ সংর ণ
১৪০. সংগঠন কী বহন করে? (জ্ঞান)
ক উপকরণ খ শ্রম
উৎপাদনের ঝুঁকি ঘ মূলধন
১৪১. যিনি সংগঠন করেন তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক শ্রমিক খ ভূমির মালিক
গ মূলধনের মালিক উদ্যোক্তা
১৪২. মোট উৎপাদিত সম্পদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ কয়টি উপাদানের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়? (জ্ঞান)
ক ২ খ ৩ ৪ ঘ ৫
১৪৩. কয়টি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আওতায় বণ্টনের কাজ সমাধা হয়? (জ্ঞান)
ক ১ খ ২ গ ৩ ৪
১৪৪. অর্থনৈতিক কার্যাবলি সম্পাদনের পর্যায় কয়টি? (জ্ঞান)
ক ২ খ ৩ গ ৪ ৫
১৪৫. উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভূমি ব্যবহারের জন্য ভূমির মালিককে কী দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক সুদ খাজনা গ মজুরি ঘ মুনাফা
১৪৬. মুকুল প্রতিদিন সকালে জাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরে। এ কাজে মহাজন তাকে নিয়োগ দেয়। মুকুল মহাজনের কাছ থেকে কী পায়? (প্রয়োগ)
ক খাজনা খ সুদ গ মুনাফা মজুরি
১৪৭. উৎপাদনের ক্ষেত্রে মূলধনের মালিককে কী দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
সুদ খ খাজনা গ মুনাফা ঘ মজুরি
১৪৮. উৎপাদনের উপাদানগুলোর মধ্যে মোট উৎপাদিত সম্পদের অর্থমূল্য বণ্টন করা কিসের ওপর নির্ভর করে? (জ্ঞান)
ক দেশের সরকারি ব্যবস্থার খ দেশের সামাজিক অবস্থার
দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ঘ দেশের ভৌগোলিক কাঠামোর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৯. অভাব বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. দ্রব্য বা সেবা পাওয়ার ইচ্ছা
রর. বস্তুগত দ্রব্যের জন্য অনুভূতি
ররর. অবস্তুগত দ্রব্যের জন্য অনুভূতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৫০. অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠেÑ (অনুধাবন)
র. অর্থনীতি বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সমন্বয়ে
রর. রাজনৈতিক কার্যাবলির সমন্বয়ে
ররর. অর্থনৈতিক কার্যাবলির সমন্বয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫১. উৎপাদনের উপাদানসমূহের আয় বলতে বোঝায়Ñ (অনুধাবন)
র. মজুরি
রর. মুনাফা
ররর. খাজনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৫২. বর্তমান বিশ্বে কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা (অনুধাবন)
র. ধনতান্ত্রিক
রর. সমাজতান্ত্রিক
ররর. রাজতান্ত্রিক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৩. বণ্টন ব্যবস্থা অসম হলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেয়
রর. জীবনযাত্রার মানে কাক্সি ত উন্নয়ন ঘটে না
ররর. সমাজে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৫৪. শ্রম নির্দেশ করে (অনুধাবন)
র. মানুষের শারীরিক কর্মক্ষমতা
রর. মানুষের মানসিক কর্মক্ষমতা
ররর. মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫৫ ও ১৫৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইউসুফ সাহেব একটি স্টিল মিলের মালিক। তার মিলে বহু শ্রমিক কাজ করে। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে এবং শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি প্রদানে খুবই সচেতন।
১৫৫. ইউসুফ সাহেবের ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতি উৎপাদনের কোন উপাদানকে নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
ক ভূমি খ শ্রম মূলধন ঘ সংগঠন
১৫৬. উক্ত উপাদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্যসমূহ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সরাসরি ভোগ করা যায় না
রর. উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান
ররর. উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ
- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানসমূহ ব্যক্তি মালিকানাধীন।
- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তির রয়েছে উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা।
- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থাকে অনেক সময় মুক্তবাজার অর্থনীতি বলা হয়।
- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ প্রায় থাকে না সরকারের।
- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সাধারণত থাকে অবাধ প্রতিযোগিতা।
- দ্রব্য ক্রয় ও ভোগে ভোক্তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতাকে ভোক্তার স্বাধীনতা বলে।
- ধনতান্ত্রিক অর্থ্যবস্থায় ভোক্তার স্বাধীনতা থাকে।
- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে।
- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অধিকাংশ সম্পদ কেন্দ্রীভূত থাকে ুদ্র জনগোষ্ঠীর হাতে।
- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় শ্রমিক শোষণ হয়।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৭. উৎপাদনের উপাদানসমূহ ব্যক্তি মালিকানাধীন থাকে কোন অর্থব্যবস্থায়? (অনুধাবন)
ক সমাজতান্ত্রিক ধনতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামি
১৫৮. উৎপাদন কাজে নিয়োজিত অর্থকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক মূলধন খ সঞ্চয় বিনিয়োগ ঘ খরচ
১৫৯. শ্রমিককে তার ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয় কেন? (অনুধাবন)
উৎপাদন ব্যয় কম রাখার জন্য
খ উৎপাদন ব্যয় বেশি রাখার জন্য
গ নতুন বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য
ঘ দ্রব্যের মূল্য বেশি পাওয়ার জন্য
১৬০. মানুষের অভাব পূরণের জন্য কোনো দ্রব্যের উপযোগিতা ব্যবহার করার প্রক্রিয়াকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক বিনিয়োগ ভোগ গ শ্রম ঘ মূলধন
১৬১. কোন অর্থব্যবস্থায় সরকারের হস্তক্ষেপ নেই বললেই চলে? (জ্ঞান)
ক ইসলামি খ মিশ্র ধনতান্ত্রিক ঘ সমাজতান্ত্রিক
১৬২. ভোগকারী কোনো দ্রব্য কী পরিমাণে ক্রয় ও ভোগ করবে তা কয়টি উপাদানের দ্বারা নির্ধারিত হয়? (জ্ঞান)
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১৬৩. কবির একটি বড় কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। প্রতি বছর তার কোম্পানি বিপুল মুনাফা অর্জন করলেও তাদের মজুরি কম। এটি কোন অর্থব্যবস্থাকে সমর্থন করে? (প্রয়োগ)
ক মিশ্র খ ইসলামি গ সামন্ত্রতান্ত্রিক ধনতান্ত্রিক
১৬৪. উৎপাদনকারীর লাভজনক খাতে অধিক বিনিয়োগের কারণ কোনটি? (অনুধাবন)
ক জাতীয় আয় বৃদ্ধি খ দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি
গ উৎপাদন বৃদ্ধি অধিক মুনাফা অর্জন
১৬৫. উৎপাদন ব্যয় কম রাখার জন্য কোনটি করা হয়? (অনুধাবন)
শ্রমিককে তার ন্যায্য মজুরি না দেওয়া
খ শ্রমিককে বেশি খাটানো
গ নতুন বিনিয়োগে উৎসাহিত করা
ঘ দ্রব্যের মূল্য বেশি পাওয়ার জন্য পন্থা অবলম্বন
১৬৬. ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কোন উদ্দেশ্যে উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়? (জ্ঞান)
সর্বাধিক মুনাফা অর্জন খ দেশের চাহিদা মেটানো
গ অধিকমাত্রায় উৎপাদন ঘ শ্রমিকের মজুরি প্রদান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৭. ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিকে অবাধ প্রতিযোগিতার বাজার বলার কারণÑ (অনুধাবন)
র. উৎপাদক ও ক্রেতার মধ্যে একচেটিয়া মতা থাকে
রর. বহুসংখ্যক উৎপাদকের মধ্যে অবাধ প্রতিযোগিতা থাকে
ররর. বিক্রেতা ও ক্রেতার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দাম নির্ধারিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৮. ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উৎপাদনের জন্য ব্যক্তি উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেÑ (অনুধাবন)
র. গোষ্ঠীবদ্ধভাবে
রর. এককভাবে
ররর. সরকারিভাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৯. ভোক্তার স্বাধীনতা যেসব সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রভাবিত হয় (অনুধাবন)
র. পছন্দ
রর. আয়
ররর. দ্রব্যের বাজার মূল্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৭০ ও ১৭১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব হাসমত চৌধুরী তৈরি পোশাক কারখানার মালিক। তার একাধিক সার কারখানা, রাইস ও সুগার মিল রয়েছে। তার এ সকল অর্থনৈতিক কর্মকা তিনি নিজেই পরিচালনা করেন।
১৭০. হাসমত চৌধুরীর কর্মকা কোন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিফলিত? (প্রয়োগ)
ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামিক
১৭১. হাসমত চৌধুরীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সরকারি নির্দেশনা
রর. উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা
ররর. অবাধ প্রতিযোগিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের সকল উপকরণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন।
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সম্পদের ওপর ব্যক্তিমালিকানা থাকে না।
- সমাজতন্ত্র হচ্ছে সমাজের অর্থনৈতিক সংগঠন।
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ভূমি ও মূলধনের মালিক সরকার।
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে সরকার।
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দ্রব্য উৎপাদনকারী এবং ভোগকারীর মধ্যে স্বাধীনতার অভাব লক্ষণীয়।
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই।
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কর্মকা পরিচালিত হয় জনগণের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে।
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় থাকে না বেকারত্ব।
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সম্পদের সুষম বণ্টন হয়।
- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় শ্রমিকের মজুরি প্রদান এবং অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করে রাষ্ট্র।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭২. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণ কার মালিকানাধীন? (জ্ঞান)
রাষ্ট্রের খ কতিপয় সরকারি এজেন্টের
গ জনসাধারণের ঘ কতিপয় গোষ্ঠীর
১৭৩. সমাজতন্ত্র কী? (অনুধাবন)
সমাজের অর্থনৈতিক সংগঠন খ সমাজের রাজনৈতিক সংগঠন
গ সমাজের জনগণের সংগঠন ঘ সমাজের সাংস্কৃতিক সংগঠন
১৭৪. সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে দ্রব্য ও সেবা কীভাবে উৎপাদিত হয়? (অনুধাবন)
ক ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে সরকারি সিদ্ধান্তে
গ সমষ্টিগত সিদ্ধান্তে ঘ আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তে
১৭৫. একজন ব্যক্তির গাড়ির প্রয়োজন। কিন্তু সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তি একটির বেশি গাড়ি কিনতে পারে না। এটি কোন অর্থব্যবস্থার উদাহরণ? (প্রয়োগ)
ক ইসলামি খ মিশ্র সমাজতান্ত্রিক ঘ ধনতান্ত্রিক
১৭৬. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কিসের আওতায় সকল অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়? (জ্ঞান)
ক উদ্যোক্তার পরিকল্পনার আওতায় খ শ্রমিকের সংঘের আওতায়
একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার আওতায় ঘ সামাজিক পরিকল্পনার আওতায়
১৭৭. উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভোগের েত্রে ব্যক্তির স্বাধীনতা নেই কোথায়? (জ্ঞান)
সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় খ ব্যক্তিতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায়
গ সরকারি অর্থব্যবস্থায় ঘ মিশ্র অর্থব্যবস্থায়
১৭৮. সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উদ্দেশ্য কোনটি? (জ্ঞান)
ক সর্বাধিক মুনাফা অর্জন সর্বাধিক কল্যাণ সাধন
গ অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন ঘ সামাজিক উন্নতি সাধন
১৭৯. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ভূমি ও মূলধনের মালিক কে? (জ্ঞান)
ক জমিদার খ উদ্যোক্তা সরকার ঘ পুঁজিপতি
১৮০. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ভূমির খাজনা ও মূলধনের সুদ কোথায় জমা হয়? (জ্ঞান)
সরকারের কোষাগারে খ জমির মালিকের তহবিলে
গ উদ্যোক্তার কোষাগারে ঘ পুঁজিপতির তহবিলে
১৮১. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মূলনীতি কী? (জ্ঞান)
ক কাজ করার পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট করা থাকে
খ প্রত্যেক শ্রমিক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে
প্রত্যেক ব্যক্তি তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবে
ঘ কাজের সুযোগ না পেলে বেকার থাকতে হয়
১৮২. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় রাষ্ট্র কীভাবে প্রত্যেকের কাজের ব্যবস্থা করে? (অনুধাবন)
ক মূলধনের ভিত্তিতে খ চাহিদার ভিত্তিতে
গ শ্রমের ভিত্তিতে সামর্থ্য ও যোগ্যতার ভিত্তিতে
১৮৩. কোন অর্থব্যবস্থায় সম্পদের সুষম বণ্টন হয়? (জ্ঞান)
ক ধনতান্ত্রিক খ মিশ্র গ ইসলামি সমাজতান্ত্রিক
১৮৪. ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক উভয় অর্থব্যবস্থার লক্ষণীয় বিষয় হলো, এখানে- (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বেকারত্ব প্রকট খ আয় বৈষম্য সমান
গ শ্রমিক শোষন বিদ্যমান আয় বৈষম্য বিদ্যমান
১৮৫. কী অনুযায়ী সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়? (জ্ঞান)
জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী খ সরকারের চাহিদা অনুযায়ী
গ শ্রমিকের ইচ্ছানুযায়ী ঘ সরকারের ইচ্ছানুযায়ী
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮৬. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কার্যাবলির উদ্দেশ্য (অনুধাবন)
র. প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ
রর. জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধন
ররর. সর্বাধিক মুনাফা অর্জন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৭. সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার চেয়ে আলাদা
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. উৎপাদিত সম্পদের বণ্টন
রর. উৎপাদনের উপাদানসমূহের মালিকানা
ররর. উৎপাদন প্রক্রিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৮৮. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় শ্রমিক বঞ্চিত হয় না। কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রাষ্ট্র উৎপাদনের অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করে
রর. অর্জিত মুনাফার মালিক রাষ্ট্র
ররর. রাষ্ট্র শ্রমিকের মজুরি প্রদান করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৮৯. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় রাষ্ট্র কর্তৃক সকল অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সম্পদের অপচয় কম হয়
রর. মোট জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পায়
ররর. সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৯০. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় শ্রমিকের মজুরির মূলনীতি হলো (অনুধাবন)
র. শ্রমিক তার কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাবে
রর. প্রত্যেকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবে
ররর. শ্রমিকের পছন্দ অনুযায়ী দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদিত হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯১ ও ১৯২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর জাবেদের নিকট কয়েকজন ছাত্র রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সম্পদে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে। জাবেদ লক্ষ করল তাদের বক্তব্যের মূল কথা হলো ‘প্রত্যেকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবে এবং কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাবে।’
১৯১. জাবেদের নিকট কোন অর্থ ব্যবস্থার আলোচনা করা হয়েছিল? (প্রয়োগ)
ক ধনতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ঘ ইসলামি
১৯২. এ ধরনের অর্থ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বেকারত্বের অবদান খ সম্পদের অসমতা নিশ্চিতা
গ মিশ্র ইসলামি
মিশ্র অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহ
- মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হলো ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার কিছু বৈশিষ্ট্য সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত একটি অর্থব্যবস্থা।
- মিশ্র অর্থব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান লক্ষণীয়।
- মিশ্র অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যায়।
- মিশ্র অর্থ ব্যবস্থায় সম্পত্তিতে ব্যক্তিমালিকানা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যক্তির স্বাধীনতা থাকে।
- মিশ্র অর্থব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য সর্বাধিক মুনাফা অর্জন।
- মিশ্র অর্থব্যবস্থায় সরকার জনসাধারণের অতিপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে একচেটিয়া ব্যবসার ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করতে পারে।
- উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটলে এ অর্থব্যবস্থায় সরকার যেকোনো দ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয়ে পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে।
- মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মতোই শ্রমিককে প্রাপ্য মজুরির কম মজুরি প্রদান করা হয়।
- মিশ্র অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশটির উদ্দেশ্য সর্বাধিক মুনাফা অর্জন নয়, বরং সর্বাধিক সামাজিক কল্যাণ সাধন।
- মিশ্র অর্থব্যবস্থায় সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন হয়।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯৩. ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার পাশাপাশি বিশ্বে আরও কয়টি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে? (জ্ঞান)
ক ১ ২ গ ৩ ঘ ৪
১৯৪. মিশ্র অর্থব্যবস্থা কোন দুটি অর্থব্যবস্থার মিলিত রূপ? (জ্ঞান)
ক ইসলামি ও সামন্ততান্ত্রিক ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক
গ ধনতান্ত্রিক ও ইসলামি ঘ সমাজতান্ত্রিক ও ইসলামি
১৯৫. রাষ্ট্র এবং ব্যক্তি একই সাথে মুনাফা অর্জনের জন্য অধিক উপযোগী কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সামন্ততান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা মিশ্র অর্থব্যবস্থা
গ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা ঘ সামাজিক অর্থব্যবস্থা
১৯৬. মিশ্র অর্থব্যবস্থায় বৃহদায়তন শিল্প কোন প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকে? (জ্ঞান)
ক ব্যক্তিগত সরকারি
গ বিনিয়োগ বোর্ড ঘ বেসরকারি
১৯৭. মিশ্র অর্থব্যবস্থায় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কোন উদ্যোগে উৎপাদিত ও সরবরাহ করা হয়? (জ্ঞান)
ক সরকারি খ রাষ্ট্রীয় গ সামাজিক ব্যক্তিগত
১৯৮. আদনান একটি পোশাকশিল্প স্থাপনের জন্য সরকারিভাবে কিছু মূলধনের যোগান পেল। এটি কোন অর্থব্যবস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক সমাজতান্ত্রিক খ ধনতান্ত্রিক গ সামন্ততান্ত্রিক মিশ্র
১৯৯. মিশ্র অর্থনীতিতে কোন খাতের প্রাধান্য থাকে? (জ্ঞান)
বেসরকারি খ সরকারি গ শিল্প ঘ ব্যাংকিং
২০০. ক্রেতার পছন্দ ও উদ্যোক্তার বিনিয়োগ স্থির হয় কিসের ওপর ভিত্তি করে? (জ্ঞান)
ক দ্রব্যের দাম ও ইচ্ছা দ্রব্যের দাম ও সামর্থ্য
গ দ্রব্যের দাম ও চাহিদা ঘ ক্রেতার পছন্দ ও সামর্থ্য
২০১. কোন েত্রে মুনাফা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা হয়? (জ্ঞান)
ক বস্ত্রখাতে খ স্বাস্থ্যখাতে পরিবহন খাতে ঘ শি াখাতে
২০২. অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর একচেটিয়া ব্যবস্থার ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয় কোন অর্থব্যবস্থায়? (অনুধাবন)
ক ব্যক্তিতান্ত্রিক খ সামন্ততান্ত্রিক গ সমাজতান্ত্রিক মিশ্র
২০৩. কোন অর্থব্যবস্থায় দুর্যোগকালীন সময়ে সরকার দ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয়ে পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করতে পারে? (জ্ঞান)
ক সামন্ততান্ত্রিক খ ধনতান্ত্রিক মিশ্র ঘ ইসলামি
২০৪. সম্পদ বা আয়ের আংশিক সুষ্ঠুবণ্টন ঘটে কোথায়? (জ্ঞান)
ক সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় মিশ্র অর্থব্যবস্থায়
গ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঘ সামন্ততান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২০৫. মিশ্র অর্থনীতিতে যে বৈশিষ্ট্য পরিল িত হয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ব্যক্তিমুনাফা স্বীকৃত
রর. সরকারি নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান
ররর. বেসরকারি খাতের প্রাধান্য রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২০৬. মিশ্র অর্থব্যবস্থায় সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকে (অনুধাবন)
র. কৃষিপণ্য রর. শিশুখাদ্য
ররর. জীবন রক্ষাকারী ওষুধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০৭. মিশ্র অর্থব্যবস্থায় যেসব অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য প্রায় থাকেই না (অনুধাবন)
র. ব্যক্তি পরিচালিত অর্থনৈতিক কার্যাবলি
রর. স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কার্যাবলি
ররর. শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যাবলি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০৮. মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত হয় (অনুধাবন)
র. হোটেল-রেস্তোরাঁ
রর. কাপড় ও তৈরি পোশাক
ররর. অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিপণন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২০৯ ও ২১০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“বাংলাদেশের অর্থনীতি : অগ্রগতির পথে” শীর্ষক একটি সেমিনারে বিদেশি আলোচক বললেন, আমাদের দেশে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিরাজমান যাতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান রয়েছে।
২০৯. বিদেশি আলোচকের দেশে কোন ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? (প্রয়োগ)
ক ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক
মিশ্র অর্থনীতি ঘ ইসলামি অর্থনীতি
২১০. উক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উদ্যোক্তা ও ভোগকারীর স্বাধীনতা থাকে
রর. ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই
ররর. সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
- ইসলাম ধর্ম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান।
- ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে পবিত্র কুরআন ও হাদিসসমূহের ওপর ভিত্তি করে।
- ইসলামি অর্থব্যবস্থা- মানুষের জীবনের সার্বিক বিষয় আলোচনা করে।
- ইসলামি অর্থব্যবস্থায়- ব্যক্তিগত মালিকানা এবং ব্যক্তিগত সম্পদ ভোগের স্বাধীনতা স্বীকৃত।
- ইসলামি অর্থ্যব্যবস্থা পরিচালনার মূল হলো শরিয়তের বিধান।
- ইসলামি অর্থব্যবস্থায় যাকাত ব্যবস্থা বিদ্যমান।
- ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সুদ লেনদেন হারাম বা নিষিদ্ধ।
- এ অর্থব্যবস্থায় শ্রমিক ন্যায্য পাওনা যথাসময়ে লাভ করে।
- ইসলামি অর্থব্যবস্থায় অনুসরণ করা হয় শোষণহীন উৎপাদন প্রক্রিয়া।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১১. কোন ধর্মে মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্রিয়াকলাপের দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে? (জ্ঞান)
ক খ্রিষ্টান খ বৌদ্ধ ইসলাম ঘ হিন্দু
২১২. মানুষের যতরকম নীতি, নিয়মকানুন, আইনি কাঠামো ও নির্দেশনা প্রয়োজন কোন ধর্মে তার সবকিছুরই সন্নিবেশ ঘটেছে? (জ্ঞান)
ক হিন্দু ইসলাম গ খ্রিষ্টান ঘ বৌদ্ধ
২১৩. ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি কোনটি? (জ্ঞান)
পবিত্র কুরআন খ দার্শনিকদের মতবাদ
গ প্রাকৃতিক সম্পদ ঘ দেশের সংবিধান
২১৪. কোন অর্থব্যবস্থা মানুষের জীবনের সামগ্রিক আলোচনা করে? (জ্ঞান)
ক মিশ্র ইসলামি গ সমাজতান্ত্রিক ঘ পুঁজিবাদী
২১৫. চৌধুরী সাহেবের মৃত্যুর পর তার ছেলে মেহেদি উত্তরাধিকারসূত্রে তার সম্পদের মালিক হন। সম্পদের মালিকানার এ ব্যবস্থাটি কোন অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে? (প্রয়োগ)
ক মিশ্র ইসলামি গ ধনতান্ত্রিক ঘ সামন্ততান্ত্রিক
২১৬. কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তি তার সম্পদ উত্তরাধিকারীদের নিকট হস্তান্তর করতে পারে? (জ্ঞান)
ক ব্যক্তিতান্ত্রিক খ ধনতান্ত্রিক ইসলামি ঘ মিশ্র
২১৭. ইসলামি অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সকল কার্যাবলি কীভাবে পরিচালিত হয়? (জ্ঞান)
ক একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার আওতায়
খ সরকারের আওতায়
শরিয়তের বিধান অনুসারে
ঘ শ্রমিকদের প্রয়োজন অনুসারে
২১৮. ইসলাম ধর্মের মূলস্তম্ভ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ২ খ ৩ ৫ ঘ ৬
২১৯. কোন ধরনের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন নিশ্চিত করা ইসলামি অর্থব্যবস্থার লক্ষ্য? (জ্ঞান)
হালাল খ হারাম
গ বিলাসজাত ঘ নিত্যপ্রয়োজনীয়
২২০. ইসলামি অর্থব্যবস্থায় কোন ধরনের উৎপাদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়? (জ্ঞান)
ক মুনাফাভিত্তিক শোষণহীন গ শোষণমূলক ঘ সুদভিত্তিক
২২১. বিশিষ্ট শিল্পপতি মেহরাজ হাবিবের নিকট নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদ থাকে। তিনি এর একটি নির্ধারিত অংশ গরিব মানুষদের মাঝে বণ্টনের ব্যবস্থা করেন। তার এ ব্যবস্থাকে ইসলামি অর্থব্যবস্থায় কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক সদকা যাকাত গ দান ঘ পাওনা
২২২. ইসলামি অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তির নিকট নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ থাকলে তার একটি নির্ধারিত অংশ কাদের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা রয়েছে? (জ্ঞান)
ক বাবা-মার খ সন্তানদের
দরিদ্র জনগণের ঘ ধনীদের
২২৩. যাকাত কাদের জন্য দেয়া বাধ্যতামূলক? (জ্ঞান)
ক মুসলিমদের খ অমুসলিমদের
গ গরিবদের সম্পদশালী মুসলিমদের
২২৪. মূলধনের জন্য সুদ প্রদানের ব্যবস্থা নেই কোন ধরনের অর্থব্যবস্থায়? (অনুধাবন)
ক সমাজতান্ত্রিক ইসলামি গ ধনতান্ত্রিক ঘ মিশ্র
২২৫. কোন অর্থব্যবস্থায় সুদ লেনদেন হারাম? (জ্ঞান)
ইসলামি খ মিশ্র গ ধনতান্ত্রিক ঘ সমাজতান্ত্রিক
২২৬. মালেক সুদ গ্রহণ করে না। কারণ তার ধর্মে এটি একটি হারাম কাজ। মালেক কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনুসরণ করে? (প্রয়োগ)
ইসলামি খ ধনতান্ত্রিক গ সমাজতান্ত্রিক ঘ মিশ্র
২২৭. কোন অর্থব্যবস্থায় শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা যথাসময়ে পরিশোধ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ধনতান্ত্রিক খ সামন্ততান্ত্রিক গ মিশ্র ইসলামি
২২৮. কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উৎপাদিত সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন সম্ভব হয়?
(অনুধাবন)
ক ধনতান্ত্রিক ইসলামি গ সমাজতান্ত্রিক ঘ মিশ্র
২২৯. ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য বিশেষণ করলে কোনটি পরিল িত হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
সাম্যের নীতি অনুসরণ খ শোষণমূলক ব্যবস্থা
গ সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা ঘ সুদভিত্তিক ব্যবস্থা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩০. ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থায় ব্যবস্থা আছে (অনুধাবন)
র. মূলধনের জন্য সুদ প্রদানের ব্যবস্থা
রর. সুদমুক্ত আমানত রাখা
ররর. সুদমুক্ত ঋণ গ্রহণ
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩১. ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উৎপাদনের ল ্য হলোÑ
র. হালাল বা ধর্মসম্মত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন নিশ্চিত করা
রর. সামাজিক কল্যাণমুখী শোষণহীন উৎপাদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা
ররর. সর্বাধিক মুনাফা অর্জন ও সুদমুক্ত আমানত রাখা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩২. ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সম্পদের মালিকানার েত্রে যেটি পরিল িত হয়Ñ
(অনুধাবন)
র. উত্তরাধিকারীদের নিকট হস্তান্তর
রর. ব্যক্তিগত মালিকানা
ররর. সামাজিক মালিকানা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৩. ইসলামি অর্থব্যবস্থায় আয়বণ্টনের েত্রে যেটি পরিল িত হয়-
র. সাম্যের নীতি অনুসরণ
রর. শোষণহীন উৎপাদন প্রক্রিয়া
ররর. সুদের লেনদেন
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৪. সৈকতের দেশে ইসলামি অর্থব্যবস্থা প্রচলিত। তার দেশে অর্থনৈতিক কার্যাবলির মৌলিক নীতিমালা স্থির হয়
র. পবিত্র কুরআনের নির্দেশাবলি অনুসারে
রর. রাসুল (সা.)-এর হাদিসের বিধান অনুসারে
ররর. রাষ্ট্র কর্তৃক কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা অনুসারে
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৩৫ ও ২৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
উৎপাদনের একটি অন্যতম উপাদান হলো মূলধন। সাধারণত মূলধন প্রদানকারীকে সুদ প্রদান করা হয়। কিন্তু একটি বিশেষ অর্থব্যবস্থায় তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২৩৫. অনুচ্ছেদে কোন অর্থব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মিশ্র ইসলামি গ ধনতান্ত্রিক ঘ সমাজতান্ত্রিক
২৩৬. উক্ত অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এর ভিত্তি পবিত্র কুরআন ও হাদিসসমূহ
রর. শোষণমুক্ত উৎপাদন প্রক্রিয়া
ররর. মজুরি প্রদানে ন্যায় ও সাম্যনীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
বাংলাদেশে প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
- প্রাচীনকালে বাংলাদেশে প্রচলিত ছিল সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
- ভূমির মালিককে বলা হতো ভূস্বামী।
- ব্রিটিশ শাসনামলে ভূস্বামীদের বলা হতো জমিদার।
- পাকিস্তান আমলের শেষ দিকে প্রাধান্য লাভ করে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা।
- পাকিস্তান আমলে একটি ুদ্র গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয় দেশের অধিকাংশ সম্পদ।
- ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ।
- স্বাধীনতার পরে বিরাষ্ট্রীয়করণ শুরু হয় রাষ্ট্রয়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো।
- অর্থনীতির প্রায় সব খাত ক্রমশ চলে যাচ্ছে বেসরকারি উদ্যোগের নিয়ন্ত্রণে।
- দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়ায় নির্ধারিত হয় দ্রব্যের দাম।
- ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে বেসরকারি খাত।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩৭. নূরনবি সাহেব উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমির মালিক হওয়ায় তার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পেশার মানুষ কাজ করত। এটি প্রাচীন বাংলার কোন অর্থব্যবস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক ধনতান্ত্রিক খ ইসলামি
গ মিশ্র সমাজতান্ত্রিক
২৩৮. সামন্ততান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালিত হতো? (অনুধাবন)
ক সমাজতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে খ সমষ্টিগত নিয়ন্ত্রণে
গ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে ভূস্বামীর নিয়ন্ত্রণে
২৩৯. প্রাচীন বাংলায় প্রচলিত অর্থব্যবস্থা কোন কেন্দ্রিক ছিল? (জ্ঞান)
ক উপনিবেশ ভূস্বামী গ শাসক ঘ সরকার
২৪০. ব্রিটিশ শাসনামল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি কেমন ছিল? (জ্ঞান)
ক শিল্পনির্ভর কৃষিনির্ভর গ আমদানিনির্ভর ঘ রপ্তানিনির্ভর
২৪১. প্রাচীন বাংলায় মুসলিম শাসন বা ব্রিটিশ শাসনামলে একজন ভূস্বামী কেমন ছিলেন? (অনুধাবন)
ক দক্ষ পেশাজীবীর নিয়ন্ত্রণে খ সরকারের নিয়ন্ত্রণে
অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ঘ বড় ব্যবসায়ীর আওতাধীন
২৪২. পরেশ প্রাচীন বাংলার একজন ভূস্বামী। তার নিয়ন্ত্রণে লাঠিয়াল বাহিনী রাখার প্রয়োজন ছিল কেন? (প্রয়োগ)
ক প্রভাব বিস্তার খ জমিদারি পরিচালনা
নিজস্ব সম্পত্তি র া ঘ উৎপাদন বৃদ্ধি
২৪৩. ব্রিটিশ শাসনামলে ভূস্বামীদের কী বলা হতো? (জ্ঞান)
ক রাজা খ মালিক জমিদার ঘ সামন্ত প্রভু
২৪৪. কোন আমলে জমিদারি ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা স্থান করে নেয়? (জ্ঞান)
পাকিস্তান খ মুসলিম গ মুঘল ঘ ব্রিটিশ
২৪৫. দেশের অধিকাংশ মূলধন ও সম্পদ একটি ুদ্র অংশের হাতে কেন্দ্রীভূত হয় কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়? (জ্ঞান)
ধনতান্ত্রিক খ মিশ্র গ সমাজতান্ত্রিক ঘ সামন্ততান্ত্রিক
২৪৬. ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে কোন দেশ স্বাধীনতা লাভ করে? (জ্ঞান)
ক ভারত বাংলাদেশ গ পাকিস্তান ঘ মায়ানমার
২৪৭. স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক ধনতন্ত্র অভিমুখী খ ইসলামি অভিমুখী
সমাজতন্ত্র অভিমুখী ঘ মিশ্র অভিমুখী
২৪৮. স্বাধীনতার পর আদমজি জুট মিল রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রের কোন অর্থব্যবস্থার চরিত্র ফুটে ওঠে? (প্রয়োগ)
ক মিশ্র খ ইসলামি সমাজতান্ত্রিক ঘ পুঁজিবাদ
২৪৯. বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে বড় বড় শিল্প বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার নিয়ন্ত্রণে ছিল? (জ্ঞান)
ক ভারতীয়দের অবাঙালিদের গ বাঙালিদের ঘ স্থানীয়দের
২৫০. স্বাধীনতার পর অবাঙালি মালিকদের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার যথার্থ কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
মালিকরা দেশ ত্যাগ করেছিল খ সরকার ব্যর্থ হয়েছিল
গ শ্রমিক আন্দোলন জোরদার হয়েছিল ঘ শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল
২৫১. স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লোকসানের সম্মুখীন হয় কেন? (অনুধাবন)
ক সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার অভাব
গ শ্রমিক অসন্তোষ ঘ সরকারের উদাসীনতা
২৫২. স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সমাজতন্ত্র অভিমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রচলিত কোন ধারাটি বর্তমান সময় পর্যন্ত চালু আছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মুনাফার সম্প্রসারণ বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগ সম্প্রসারণ
গ সরকারি উদ্যোগ সম্প্রসারণ ঘ অর্থনীতির সম্প্রসারণ
২৫৩. কোন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বর্তমান অর্থনীতিকে পরিচালনা করা হচ্ছে? (জ্ঞান)
ক ব্যক্তি উদ্যোগ সম্প্রসারণ মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা
গ শিল্পকারখানা রাষ্ট্রীয়করণ ঘ সরকারি খাত সম্প্রসারণ
২৫৪. বর্তমানে অর্থনীতির কিছু খাতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? (জ্ঞান)
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব খ সরকার ও বিদেশি অংশীদারিত্ব
গ সরকার ও সমবায় অংশীদারিত্ব ঘ সরকার ও বহুজাতিক অংশীদারিত্ব
২৫৫. বাংলাদেশে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা কোন প্রকৃতির? (জ্ঞান)
ক সামন্ততান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ ধনতান্ত্রিক মিশ্র
২৫৬. ‘ঢ’ দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান সহাবস্থান করে। দেশটিতে কোন অর্থব্যবস্থা চালু আছে? (প্রয়োগ)
মিশ্র খ ইসলামি গ সামন্ততান্ত্রিক ঘ ধনতান্ত্রিক
২৫৭. বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় সব খাত কার নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে যাচ্ছে? (জ্ঞান)
ক যৌথ মালিকানায় খ সরকারি
গ সমবায় মালিকানায় বেসরকারি
২৫৮. বেসরকারি উদ্যোগ সম্প্রসারণের সাথে কোন অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে? (জ্ঞান)
ক একচেটিয়া বাজার খ একচেটিয়ামূলক বাজার
বাজার ঘ মুক্তবাজার
২৫৯. উৎপাদনের প্রকৃতি ও পরিমাণ এবং ক্রেতার ভোগকে কোনটি প্রভাবিত করে? (অনুধাবন)
দ্রব্যের দাম খ উদ্যোক্তা
গ ব্যবসায়িক সংগঠন ঘ সরকার
২৬০. মূলধন বা পুঁজির প্রয়োজন কেন? (অনুধাবন)
উৎপাদনের জন্য খ চাহিদার জন্য
গ ভোগের জন্য ঘ যোগানের জন্য
২৬১. দেশীয় মূলধন বা পুঁজি কোথা থেকে সংগৃহীত হয়? (অনুধাবন)
ক বৈদেশিক সাহায্য খ এনজিও
অভ্যন্তরীণ উৎস ঘ রেমিটেন্স
২৬২. উদ্যোক্তা ও ভোগকারীর স্বাধীনতার মূলে রয়েছে কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সরকারের সরাসরি তদারকি খ ক্রমবর্ধমান সরকারি খাত
গ দাতা দেশগুলোর সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান বেসরকারি খাত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৬৩. দেশে উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ায় সহাবস্থান করছে (অনুধাবন)
র. বৈদেশিক ঋণ
রর. সরকারি খাত
ররর. বেসরকারি খাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬৪. প্রাচীন বাংলায় ভূস্বামীদের নিয়ন্ত্রণে যেসব পেশার লোক থাকতেন (অনুধাবন)
র. কৃষক
রর. স্বর্ণকার
ররর. ছুতার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৬৫. পাকিস্তান আমলেও বেশ কিছুকাল যাবৎ চালু ছিল (অনুধাবন)
র. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার প্রভাব
রর. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার প্রভাব
ররর. জমিদারি প্রথার প্রভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬৬. স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় (অনুধাবন)
র. বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ করা হয়
রর. ব্যক্তি উদ্যোগকে উন্মুক্ত করা হয়
ররর. শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিরাষ্ট্রীয়করণ করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৬৭. বর্তমান বিশ্বের সাথে দেশের অর্থনীতি সমতালে চলার লক্ষ্যে করণীয়
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা
রর. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা জোরদার করা
ররর. সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬৮. বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের অন্তর্ভুক্ত (অনুধাবন)
র. প্রধান প্রধান শিল্প
রর. ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
ররর. আর্থিক প্রতিষ্ঠান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের প্রবাহচিত্র থেকে ২৬৯ ও ২৭০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সামন্ততান্ত্রিক ধনতান্ত্রিক মিশ্র অর্থনীতি
২৬৯. প্রবাহচিত্রে কোন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে? (প্রয়োগ)
ক যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ গ পাকিস্তান ঘ সৌদি আরব
২৭০. উক্ত দেশে
র. অর্থনীতি কৃষিনির্ভর
রর. জমিদার প্রথা ছিল
ররর. সুদ লেনদেন নিষিদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বণ্টন পরিস্থিতি
- উৎপাদনের ৪টি উপাদানের সমষ্টি হলো জাতীয় আয়।
- উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় না মূলধন ছাড়া।
- বাংলাদেশের জনগণের একটি ুদ্র অংশ পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা।
- জাতীয় আয়ের বৃহত্তর অংশ ভোগ করে অল্পসংখ্যক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী।
- বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরির হার নিম্ন।
- বাংলাদেশে আয় বৈষম্য প্রকট।
- বাংলাদেশের জনসংখ্যার বৃহত্তর অংশই শ্রমিক বা মজুর।
- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার প্রায় সকল বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান বাংলাদেশে।
- মুনাফার উচ্চহার লক্ষণীয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে।
- বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণির জীবনযাত্রা নিম্নমানের।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৭১. বাংলাদেশে প্রধানত কোন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান? (জ্ঞান)
ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ সামন্ততান্ত্রিক ঘ ইসলামি
২৭২. বাংলাদেশের কোন খাতে সরকারও মালিকগণের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে? (জ্ঞান)
ক শিক্ষা খ শিল্প সেবা ঘ কৃষি
২৭৩. বাংলাদেশের ব্যাপক ও বৃহত্তর অংশ কোন শ্রেণির? (জ্ঞান)
ক পুঁজিপতি খ উদ্যোক্তা শ্রমিক ঘ মালিক
২৭৪. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আয়ের অসম বণ্টন খ সরকারি খাতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ
গ শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি পুঁজিপতির দ্বারা শ্রমিকের শোষণ
২৭৫. সরকারি খাতে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি তুলনামূলকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সরকারের সততার কারণে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকে বলে
গ সরকারি অর্থের প্রাচুর্যের কারণে ঘ শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৭৬. বাংলাদেশের ুদ্র অংশ (অনুধাবন)
র. পুঁজিপতি রর. উদ্যোক্তা
ররর. মজুর
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৭৭. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার লক্ষণীয় (অনুধাবন)
র. সম্পদের সুষম বণ্টন রর. শ্রমিকদের মজুরির নিম্নহার
ররর. উদ্যোক্তাদের মুনাফার উচ্চহার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৭৮. রহিম মিয়া একজন কাঠমিস্ত্রি। তার প্রাপ্য মজুরির একটি বড় অংশ পুঁজিপতিদের কাছে জমা হয় (প্রয়োগ)
র. সুদ হিসেবে রর. মুনাফা হিসেবে
ররর. পারিশ্রমিক হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৭৯ ও ২৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সালমা আক্তার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তিনি তার প্রাপ্য ও ন্যায্য মজুরি পান না।
২৭৯. সালমার কর্মস্থলে কোন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান? (প্রয়োগ)
ক বাণিজ্যিক খ মিশ্র গ সমাজতান্ত্রিক ধনতান্ত্রিক
২৮০. সালমার কর্মস্থলের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শ্রমিকদের মজুরির নিম্নহার
রর. উদ্যোক্তাদের মুনাফার উচ্চহার
ররর. সুদ এবং খাজনার উচ্চহার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ সমাজতান্ত্রিক ও মিশ্র অর্থব্যবস্থা
ক.উৎপাদনের উপাদান কয়টি? ১
খ.জাতীয় সম্পদ বলতে কী বোঝ? ২
গ.সারণী-১ এ উল্লিখিত অ রাষ্ট্রটির অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.সারণি-১ ও সারণি-২ এর অ এবং উ রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে তুমি উত্তম বলে মনে কর? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
ক উৎপাদনের উপাদান চারটি।
খ সাধারণত রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে জাতীয় সম্পদ বলে। এছাড়া দেশের নাগরিকদের গুণবাচক বৈশিষ্ট্য; যেমন- কর্মদক্ষতা, উদ্ভাবনী শক্তি এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান ইত্যাদি জাতীয় সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। জাতীয় সম্পদের উৎস দু’ধরনের; প্রথমটি হলো প্রকৃতিপ্রদত্ত আর দ্বিতীয়টি হলো মানবসৃষ্ট।
গ সারণী-১ এ উল্লিখিত রাষ্ট্রটির অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য হলো সমাজতান্ত্রিক। এ ধরনের অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হলো উৎপাদনের উপকরণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং অর্থনৈতিক লক্ষ্য জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ; যার প্রতিচ্ছবি সারণি-১ এ প্রতিফলিত হয়েছে। বস্তুত সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণসহ সকল সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। সম্পদের ওপর কোনো ব্যক্তি মালিকানা থাকে না। সমাজের সকল সদস্য এই পরিকল্পিত অর্থনৈতিক কর্মকা থেকে সর্বাধিক কল্যাণ অর্জন করবে এটিই সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার উদ্দেশ্য। এ অর্থব্যবস্থার সকল অর্থনৈতিক কর্মকা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। এখানে ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই। এ অর্থব্যবস্থায় অর্জিত মুনাফার মালিক রাষ্ট্র বা সরকার। একইভাবে ভূমির খাজনা এবং মূলধনের সুদও সরকারের কোষাগারেই জমা হয়। এ অর্থব্যবস্থায় জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সকল অর্থনৈতিক কার্যক্রম একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার আওতায় রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত হয়। তাই সম্পদের অপচয়ও অপেক্ষাকৃত কম। এর ফলে মোট জাতীয় উৎপাদনও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় এবং সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব হয়।
ঘ সারণি -১ এর অ রাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা এবং সারণি-২ এর উ রাষ্ট্রে মিশ্র অর্থব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। এ দুই অর্থব্যবস্থার মধ্যে আমি উ রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থাকে অর্থাৎ মিশ্র অর্থ ব্যবস্থাকে উত্তম বলে মনে করি। কেননা, অ রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থায় অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানা স্বীকৃত নয়, মালিকানা রাষ্ট্রের। আবার উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্বাধীনতা নেই। ফলে উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির প্রণোদনা ও উদ্যম হ্রাস পেতে পারে। এতে সম্পদের কাম্য ব্যবহার বিশেষত ব্যক্তির সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা এবং সহনশীলতা নিশ্চিত করা যায় না। অন্যদিকে রাষ্ট্রের কার্যব্যবস্থায় অর্থাৎ মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ভোগকারী অবাধে সাধারণ দ্রব্য ক্রয় ও ভোগ করতে পারে। উৎপাদনের যে অংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সে অংশ মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে নয় বরং সর্বাধিক সামাজিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ খাতের আওতাধীন কলকারখানা ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকরা সাধারণত নায্য মজুরি পায়। ফলে সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব হয়। উপর্যুক্ত কারণে আমি উ রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থাকে অর্থাৎ মিশ্র অর্থব্যবস্থাকে উত্তম বলে মনে করি।
প্রশ্ন- ২ সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
‘ক’ দেশ-উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে উৎপাদকের স্বাধীনতা নেই। ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই।
‘খ’ দেশ উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হলেও সরকারি নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান। মুনাফা অর্জনই প্রধান লক্ষ্য।
ক.উৎপাদনের উপাদান কয়টি? ১
খ.মোট দেশজ উৎপাদন বলতে কী বোঝায়? ২
গ.‘ক’ দেশে কী ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটি দেশের মধ্যে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক উৎপাদনের উপাদান চারটি।
খ মোট দেশজ উৎপাদন হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের অভ্যন্তরে বা ভৌগোলিক সীমানার ভিতরে বসবাসকারী সকল জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের অর্থমূল্যের সমষ্টি। এতে উক্ত সীমানার মধ্যে বসবাসকারী দেশের সকল নাগরিক ও বিদেশি ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে বিদেশে অবস্থানকারী ও কর্মরত দেশের নাগরিক/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না।
গ উদ্দীপকের ‘ক’ দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য অনন্য। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্য থেকে ‘ক’ দেশে দুইটি বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকে সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। যথা : ১. ভোক্তার স্বাধীনতার অভাব ও ২. আয় বন্টন। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদকের যেমন উৎপাদন বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা নেই, তেমনি ভোগকারীর নিজ ইচ্ছামতো দ্রব্যসামগ্রী ভোগের সুযোগ নেই। উৎপাদক সরকার নির্ধারিত দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করে এবং ভোগকারী সেগুলো প্রয়োজনমতো ক্রয় ও ভোগ করে। অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্জিত মুনাফার মালিক রাষ্ট্র বা সরকার। একইভাবে ভূমির খাজনা ও মূলধনের সুদও সরকারের কোষাগারেই জমা হয়। কারণ সরকারই ভূমি ও মূলধনের মালিক। এখানে ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটি দেশের মধ্যে ‘ক’ দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং ‘খ’ দেশে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। বাংলাদেশের জন্য আমি মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটিই প্রযোজ্য বলে মনে করি। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে চলা একটি দেশ। স্বাধীনতার পর প্রণীত সংবিধানের ভিত্তিতে দেশে সমাজতন্ত্র অভিমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশে কলকারখানা, ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকানা বদল, যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে দক্ষ মানবসম্পদের অভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লোকসানের সম্মুখীন হয়, এ পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা হয়। এতে অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরে আসলেও ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার ত্রুটিসমূহ পরিলক্ষিত হতে থাকে। বিশেষ করে আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতো বাংলাদেশেও শ্রমিকদের মজুরির নিম্ন হার এবং উদ্যোক্তাদের মুনাফার উচ্চহার লক্ষণীয়। সুদ এবং খাজনা উচ্চহারে পরিশোধ করা হয়। সুতরাং, বাস্তবতা বিবেচনায় দেখা যায়, বাংলাদেশের জন্য মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করা গেলে তা পরিপূর্ণ ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন- ৩ মিশ্র ও ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা
‘ক’ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। এখানে সরকারি উদ্যোগে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা যেমন রয়েছে তেমনি বেসরকারিভাবেও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে ‘খ’ আরেকটি দেশ যেখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো প্রকার সরকারি হস্তক্ষেপ নেই।
ক.উপযোগ কী? ১
খ.উৎপাদিত সম্পদ কীভাবে বণ্টিত হয়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রে কোন ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘ক’ দেশের তুলনায় ‘খ’ দেশে অধিক শ্রেণিবৈষম্য পরিলক্ষিত হয়”Ñ মূল্যায়ন কর। ৪
ক কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে উপযোগ বলে।
খ মোট উৎপাদিত সম্পদের অর্থমূল্য কীভাবে উৎপাদনের উপাদানগুলোর মধ্যে বণ্টন করা হয়, তা নির্ভর করে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ঊপড়হড়সরপ ঝুংঃবস এর উপর। মানুষ সবসময়ই তার বিভিন্ন অভাব পূরণের জন্য উৎপাদনের চারটি উপাদানের সাহায্যে প্রচেষ্টা চালায়। মোট উৎপাদিত সম্পদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ এই চারটি উপকরণের মধ্যে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা হিসেবে ভাগ হয়ে যায়।
গ উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। মিশ্র অর্থব্যবস্থায় দেশে উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান রয়েছে। মিশ্র অর্থনীতিতে প্রধান আমদানি ও রপ্তানি দ্রব্য সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকলেও আংশিক ব্যক্তিগত বা বেসরকারি উদ্যোগও পরিলক্ষিত হয়। মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এ মূল বৈশিষ্ট্যের নিরিখে উদ্দীপকের উন্নয়নশীল রাষ্ট্র ‘ক’-তে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান বলে সাব্যস্ত করা যায়। যেখানে সরকারি উদ্যোগে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা যেমন রয়েছে তেমনি বেসরকারিভাবেও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপিত হয়েছে।
ঘ ‘ক’ দেশ তথা মিশ্র অর্থনীতির দেশের তুলনায় ‘খ’ দেশ তথা ধনতান্ত্রিক দেশে অধিক শ্রেণি বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। উদ্দীপকে ‘খ’ দেশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেখানে কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ নেই। ফলে সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে বিধায় উদ্যোক্তা/পুঁজিপতিরা দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় কম রাখতে ও বেশি মূল্য পেতে চেষ্টা করে। উৎপাদন ব্যয় কম রাখার জন্য শ্রমিককে তার ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয়। এই উদ্বৃত্ত মজুরি পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তার কাছে মুনাফা হিসেবে সঞ্চিত হয়। এইভাবে উৎপাদিত সম্পদ বণ্টনে অসমতা ও বৈষম্য সৃষ্টি হয়। শ্রমিক প্রাপ্যের চেয়ে কম মজুরি পান আর পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা তাদের প্রাপ্যের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করেন। এতে করে ব্যাপক শ্রেণি বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। অন্যদিকে মিশ্র অর্থনীতির ‘ক’ দেশে ব্যক্তি মালিকানাধীন বেসরকারি ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতোই শ্রমিককে প্রাপ্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয় এবং উদ্বৃত্ত মজুরি মুনাফার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে উৎপাদিত সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন হয় না। উৎপাদনের বিভিন্ন উপাদানের আয়ে বৈষম্য দেখা দেয়। কিন্তু মিশ্র অর্থনীতির এদেশে উৎপাদনের যে অংশ সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন, সে অংশে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে নয় বরং সর্বাধিক সামাজিক কল্যাণ অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ খাতের আওতাধীন কলকারখানা ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকরা সাধারণত ন্যায্য মজুরি পায়। ফলে সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব হয়। সুতরাং নিশ্চিত করেই বলা যায়, মিশ্র অর্থনীতির ‘ক’ দেশের তুলনায় ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ‘খ’ দেশে অধিক শ্রেণি বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়।
প্রশ্ন- ৪ সমষ্টিগত সম্পদ
মিসেস শামীম কাঞ্চন নদীর তীরে এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলেন। নদীর দৃশ্য দেখে এবং প্রকৃতির নির্মল বাতাসে তার শরীর ও মন জুড়িয়ে গেল।
ক.উপযোগ কাকে বলে? ১
খ.আবগারি শুল্ক বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত নদীটি কোন ধরনের সম্পদ? Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মিসেস শামীমার উপভোগ্য বস্তুটিকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা যায় না। Ñ উক্তিটি অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে উপযোগ বলে।
খ দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর যে কর ধার্য করা হয়, তাকে আবগারি শুল্ক বলা হয়। রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশেও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত চা, সিগারেট, চিনি, তামাক, কেরোসিন, ওষুধ, স্পিরিট, দিয়াশলাই প্রভৃতি দ্রব্যের উপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত নদীটি সমষ্টিগত সম্পদ। সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সকল সম্পদ ভোগ করে, সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ। এই সম্পদের উপরে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও এগুলোর প্রতি তাদের সমান দায়িত্ব রয়েছে। রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল ও স্কুল, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সকল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমনÑ বনাঞ্চল, খনিজসম্পদ, নদ-নদী ইত্যাদি সমষ্টিগত সম্পদ। রাষ্ট্র ও জনগণ সম্মিলিতভাবে এসব সম্পদের অধিকারী। জনগণ এগুলো ব্যবহার করে ও ভোগ করে। এগুলোর পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্র জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ঘ উদ্দীপকে মিসেস শামীমার উপভোগ্য বস্তুটিকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা যায় না। অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বস্তু বা দ্রব্যকে সম্পদ বলতে হলে সে বস্তুর উপযোগ, অপ্রাচুর্য, বাহ্যিকতা এবং হস্তান্তরযোগ্যতা থাকতে হবে। উপযোগ হলো কোনো দ্রব্যের অভাব পূরণের ক্ষমতা। অপ্রাচুর্য বলতে বোঝায় চাহিদার তুলনায় যোগানের সীমাবদ্ধতা। বাহ্যিকতা বলতে বোঝায় বস্তুটির দৃশ্যমানতা আর হস্তান্তরযোগ্যতা হচ্ছে একজনের নিকট হতে বস্তুটি আরেকজন পাওয়ার সম্ভাব্যতা। তবে এই পাওয়ার জন্য মূল্য বা দাম দিতে হবে। শামীমার উপভোগ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে উপযোগ ও বাহ্যিকতা আছে। কেননা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের তৃপ্ত করে এবং তা দৃশ্যমান কিন্তু অপ্রাচুর্য ও হস্তান্তরযোগ্যতা নাই। সুতরাং অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, মিসেস শামীমার উপভোগ্য বস্তুটিকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা যায় না।
প্রশ্ন- ৫ সমজাতান্ত্রিক ও ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
‘ক’ ও ‘খ’ পাশাপাশি দুটি রাষ্ট্র। ‘ক’ রাষ্ট্রের জনগণ যার যার ইচ্ছামতো কাজ করে। উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে তারা স্বাধীন। এসব ব্যাপারে রাষ্ট্র কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। কিন্তু ‘খ’ রাষ্ট্রে এর ঠিক বিপরীত অবস্থা বিদ্যমান।
ক.উপযোগ কী? ১
খ.ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকে ‘খ’ রাষ্ট্রের কোন ধরনের অর্থনৈতিক াবস্থা বিদ্যমান? তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.‘ক’ এবং ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে কোনটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর বলে তুমি মনে কর? ব্যাখ্যা কর। ৪
ক উপযোগ হলো কোনো দ্রব্যের অভাব পূরণের ক্ষমতা।
খ যে অর্থব্যবস্থা কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী পরিচালিত হয় তাই ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।এ অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কার্যাবলির মৌলিক নীতিমালা স্থির হয় ইসলামের ৫টি মূলস্তম্ভ, পবিত্র কুরআনের নির্দেশনাবলি ও রাসুল (সা.) এর হাদিসের বিধান অনুসারে। ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সুদ লেনদেন হারাম বা নিষিদ্ধ।
গ উদ্দীপকে ‘খ’ রাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিদ্যমান। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণসমূহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। সম্পদের ওপর কোনো ব্যক্তিমালিকানা থাকে না। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সরকার দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের ক্ষেত্রে মৌলিক সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। কোনো দ্রব্য কী পরিমাণে, কখন ও কোন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হবে এবং এই দ্রব্য কাদের নিকট সরবরাহ করা হবে এসব সরকার স্থির করে। এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ ও বিনিয়োগের সুযোগ নেই। রাষ্ট্রই শ্রমিকের মজুরি প্রদান করে এবং উৎপাদনের অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করে। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কেউ উৎপাদনে তার অবদান অনুসারে প্রাপ্য আয় থেকে বঞ্চিত হয় না। উদ্দীপকে ‘খ’ রাষ্ট্রের জনগণ ইচ্ছামতো উৎপাদন ও ভোগ করতে পারে না। কাজেই বলা যায় যে, ‘খ’ দেশের অর্থব্যবস্থার ধরনটি সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা।
ঘ উদ্দীপকের আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, ‘ক’ নামক রাষ্ট্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং ‘খ’ নামক রাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। আমি মনে করি যে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা কার্যকর। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সকল ব্যক্তি তাদের ইচ্ছা ও সুবিধা অনুযায়ী উৎপাদন, কলকারখানা স্থাপন, ব্যবসায়-বাণিজ্য ইত্যাদি করে সম্পদ অর্জন করে। অর্থাৎ এ ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় থাকে। অন্যদিকে সমাজতন্ত্রে সব সম্পদ বা উৎপাদনের উপকরণগুলো রাষ্ট্রের মালিকানাধীন। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় প্রত্যেক ভোক্তা তার সামর্থ্য, ইচ্ছা ও পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো দ্রব্য অবাধে ভোগ করতে পারে। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দেশে কেবল সরকারি উদ্যোগে সমাজের প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন ও আমদানি করা হয়। ফলে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় জনগণ কাজ না করে বসে থাকবে তথা কর্মবিমুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বুঝা যায়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বেশি কার্যকর।
প্রশ্ন- ৬ জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ
ঘটনা ১ : তাসরিন যে শুধু ব্যক্তিগত জিনিসের প্রতি যত্নশীল ছিল, তা নয়। সে কোনোকিছুরই অপচয় পছন্দ করে না। প্রতিদিন ক্লাস শেষে শ্রেণিকক্ষের ফ্যান, লাইটের সুইচ বন্ধ করে দেয়। পানির কল খোলা দেখলে তা বন্ধ করে দেয়।
ঘটনা ২ : মৃত্তিকা নিজের ব্যাপারে বেশ সচেতন। তার স্কুল ড্রেসে যেন দাগ না লাগে, সে ব্যাপারে বেশ যত্নশীল। বইখাতা, স্কুল ব্যাগ ইত্যাদির ব্যাপারেও বেশ সজাগ। সে কখনও চিপস ও অন্য খাবারের প্যাকেট যত্রতত্র ফেলে না।
ক.অর্থনীতিতে অভাব কী? ১
খ.উপযোগ বলতে কী বোঝায়? ২
গ.ঘটনা ১-এ কোন ধরনের সম্পদকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.ঘটনা ১ ও ঘটনা ২-এর কার্যক্রম আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রাখে। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
ক অভাব হলো কোনো বস্তু বা সেবা পাবার ইচ্ছা বা আকাক্স া।
খ উপযোগ একটি মানসিক ধারণা। সাধারণ কথায়, উপযোগ বলতে কোনো দ্রব্যের উপকারিতাকে বোঝায়। তবে অর্থনীতিতে কোনো দ্রব্য বা সেবার মধ্যে মানুষের অভাব মেটানোর যে ক্ষমতা থাকে তাকে উপযোগ বলে। যেমনÑ ভাত খেলে মানুষের ুধা মেটে, গান শুনলে মন ভালো লাগে ইত্যাদি দ্রব্য বা সেবা মানুষের বিভিন্ন অভাব মেটায়।
গ ঘটনা-১ এ জাতীয় সম্পদকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলে। উদ্দীপকের ঘটনা-১ এ তাসরিন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জিনিসের প্রতিই যত্নশীল নয় বরং সে সমষ্টিগত সম্পদ ব্যবহার ও সংরক্ষণেও যত্নশীল। রাষ্ট্র ও জনগণ সম্মিলিতভাবে সমষ্টিগত সম্পদের অধিকারী। জনগণ এগুলো ব্যবহার করে ও ভোগ করে। এগুলোর পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্র জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাই সমষ্টিগত সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধে সচেতন ও সচেষ্ট থাকা। যেমনÑ রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি অপ্রয়োজনে খরচ না করা এবং এগুলো ব্যবহারে মিতব্যয়িতা অবলম্বন করা। উদ্দীপকে তাসরিনও শ্রেণিকক্ষের ফ্যান, লাইট এর সুইচ ক্লাস শেষে বন্ধ করে দেয়। পানির কল খোলা থাকলে বন্ধ করে। সুতরাং ঘটনা ১ -এ জাতীয় সম্পদকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ঘ ঘটনা ১ ও ঘটনা ২-এর কার্যক্রম আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখে। ঘটনা (১)এ বিদ্যালয়ে তাসরিনের আচরণের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ ও অপচয়রোধের চিত্র ফুটে উঠেছে। ব্যক্তিগত সম্পদ ও সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলে। মানুষ নিজ স্বার্থেই এসব সম্পদ সংরক্ষণ করে এবং এগুলোর অপচয় রোধে তৎপর হয়। উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনা ২ এ মৃত্তিকাও নিজ স্বার্থেই এসব সম্পদের সংরক্ষণ ও অপচয়রোধে উদ্যোগী হয়েছে। উদ্দীপকে তাসরিন বিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে ফ্যান বন্ধ করে দেয়। পানির কল খোলা দেখলে বন্ধ করে দেয়। মৃত্তিকা নিজের ব্যাগ, কলম, ঘড়ি এগুলোর খুব যত্ন করে, যা জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ ও অপচয়রোধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সুতরাং পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বলা যায় যে, ঘটনা ১ ও ২ এর মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ সংরক্ষিত হয়েছে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রাখে।
প্রশ্ন- ৭ মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
প্রতীক ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পায়। কিন্তু তার বন্ধু সিয়াম ডাক্তারি পাস করে সরকারি চাকরি না পেয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করে।
ক.জাতীয় সম্পদের উৎস কয়টি? ১
খ.উদ্যোক্তা বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রতীক ও তার বন্ধু কোন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কর্মরত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আয় বণ্টন প্রক্রিয়াটি কি তোমার কাছে গ্রহণযোগ্য? Ñ উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
ক জাতীয় সম্পদের উৎস প্রধানত দু’টি।
খ কোনো কাজে যিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনিই উদ্যোক্তা। সকল উদ্যোগের পিছনে উদ্যোক্তা কাজ করেন। উদ্যোক্তা হলেন একজন ব্যক্তি যিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ উদ্যোগ হতে পারে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আবার সামাজিক বা মানবিক উদ্দেশ্যেও। উদ্যোক্তা তার সৃজনশীলতার মাধ্যমে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেন।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রতীক ও তার বন্ধু ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কর্মরত। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতি বলা হয়। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় দ্রব্যের উৎপাদন, বণ্টন, ভোগ সবই বাজারে দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া দ্বারা পরিচালিত হয়। ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সম্পদের ব্যক্তিমালিকানা এবং উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশা ও কর্মক্ষেত্র নির্বাচন করতে পারে। প্রতীক ও তার বন্ধু নিজের ইচ্ছানুযায়ী কর্মক্ষেত্র বেছে নিয়েছে। যদিও সিয়াম সরকারি চাকরি পায়নি। কিন্তু এক্ষেত্রে সে প্রার্থী হিসেবে স্বাধীন ছিল। কাজেই বলা যায় যে, প্রতীক ও তার বন্ধু ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কর্মরত।
ঘ ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আয় বণ্টন প্রক্রিয়াটি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে বিধায় উদ্যোক্তা/ পুঁজিপতিরা দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় কম রাখতে ও বেশি মূল্য পেতে চেষ্টা করে। উৎপাদন ব্যয় কম রাখার জন্য শ্রমিককে তার ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয়। এই উদ্বৃত্ত মজুরি পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তার কাছে মুনাফা হিসেবে সঞ্চিত হয়। এইভাবে উৎপাদিত সম্পদ বণ্টনে অসমতা ও বৈষম্য সৃষ্টি হয়। শ্রমিক প্রাপ্যের চেয়ে কম মজুরি পান আর পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা তাদের প্রাপ্যের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করেন। যেহেতু পুঁজিপতির সংখ্যা কম, তাই একটি ুদ্র জনগোষ্ঠীর হাতেই সমাজের অধিকাংশ সম্পদ কেন্দ্রিভূত হয়। আর যেহেতু শ্রমিক অগণিত, তাই সমাজের বিশাল জনগোষ্ঠী মোট সম্পদের ুদ্র অংশের সুবিধা ভোগ করে। এভাবে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সুষম বণ্টন হয় না। একারণেই আমার মতে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আয় বণ্টন প্রক্রিয়াটি গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রশ্ন- ৮ সমাজতান্ত্রিক ও মিশ্র অর্থব্যবস্থার পার্থক্য
কামাল ও তার ইউরোপ প্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বন্ধুর মধ্যে ফেসবুকে চ্যাটিং হচ্ছেÑ
কামাল : দোস্ত, বর্তমানে তুমি কত টাকা বৃত্তি পাচ্ছ?
নূর : আগের মতোই, মাসিক ১০০০ রুবল।
কামাল : বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এ অর্থ দিয়ে তোমার কী সারা মাস চলে?
নূর : হ্যাঁ, কেননা, এদেশে কেউ ইচ্ছে করলে দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে না। সবকিছুতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে।
ক.অভাব কী? ১
খ.উৎপাদন বলতে কী বোঝায়? ২
গ.নূরের অধ্যয়নরত দেশে কী ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.আমাদের দেশের অর্থব্যবস্থার সাথে উক্ত অর্থব্যবস্থার সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর। ৪
ক অভাব হলো কোনো বস্তু বা সেবা পাবার ইচ্ছা বা আকাক্স া।
খ উৎপাদন হলো দ্রব্য বা সম্পদের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর। উৎপাদনের জন্য ৪টি উপাদান আবশ্যক : ভূমি, শ্রম, মূলধন, সংগঠন। যেমন- চেয়ারের জন্য কাঠ সংগ্রহ হয় ভূমি থেকে। কাঠ সংগ্রহের জন্য অর্থ এবং কাঠকে চেয়ারে রূপান্তরের জন্য যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ প্রয়োজন। এই অর্থ ও যন্ত্রপাতি মূলধন। এরপর প্রয়োজন শ্রমিক বা কারিগর, যিনি যন্ত্রপাতি ও নিজ শ্রমের সাহায্যে কাঠ থেকে চেয়ার প্রস্তুত করবেন। আর এই ভূমি, মূলধন ও শ্রমকে সমন্বিত করে চেয়ার উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পাদন করবেন সংগঠক বা উদ্যোক্তা।
গ নূরের অধ্যয়নরত দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। উদ্দীপক থেকে জানা যায়, নূরের অধ্যয়নরত দেশে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি বা হ্রাস সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে অর্থাৎ জনসাধারণের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এ ধরনের রাষ্ট্রে বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় জমি, কলকারখানা, খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা বজায় থাকে। সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা না থাকায় উৎপাদন, ব্যবসায় বাণিজ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেই। এখানে একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ থাকে। দেশে কোন কোন দ্রব্য, কী পরিমাণে ও কীভাবে উৎপাদিত হবে এবং কীভাবে বণ্টন করা হবে এসবই পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের দ্বারা নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ ব্যক্তিগত মুনাফার সুযোগ নেই। সার্বিক সামাজিক চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে নূরও দ্রব্যমূল্যের দুর্মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয়। যা প্রমাণ করে নূরের অধ্যয়নরত দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান।
ঘ আমাদের দেশে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রাধান্যসহ মিশ্র অর্থনৈতিক অবস্থা বিদ্যমান। যার সাথে উক্ত অর্থ ব্যবস্থা অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার সাদৃশ্য নেই বলা চলে। স্বাধীনতা পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও নানারকম সংস্কার এবং পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলেছে। বর্তমানে দেশে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রাধান্যসহ মিশ্র অর্থনৈতিক অবস্থা বিদ্যমান বলা চলে। এক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার কোনো প্রভাব নেই। তবে প্রধান প্রধান শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রয়ত্ত খাতের অন্তর্ভুক্ত। অবশ্য বর্তমানে অর্থনীতির প্রায় সব খাত ক্রমশ বেসরকারি উদ্যোগের নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আর একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বেসরকারি উদ্যোগ সম্প্রসারণের সাথে সাথে বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। যা সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত, আমাদের দেশে উৎপাদনের জন্য যে মূলধন বা পুঁজি প্রয়োজন, তা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই বেশিরভাগ সংগৃহীত হয়। তবে বৈদেশিক ঋণ, সাহায্য, অনুদান এবং ব্যক্তিগত পুঁজিও এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান রয়েছে। দেশে বেসরকারি খাত ক্রমশঃ সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে উদ্যোক্তা ও ভোগকারীর স্বাধীনতা আছে। যে কোনো উদ্যোক্তা বা উৎপাদনকারী যে কোনো দ্রব্য যে কোনো পরিমাণ উৎপাদন করতে পারে। এই উৎপাদন কার্য অবশ্য সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। এভাবে বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থায় সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রশ্ন- ৯ সমষ্টিগত সম্পদ
রমনা পার্ক বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সড়ক বরেন্দ্র জাদুঘর
ক.উপযোগ কাকে বলে? ১
খ.সম্পদের অপ্রাচুর্যতা বলতে কী বোঝায়? ২
গ.ছকের বিষয়গুলো কোন ধরনের সম্পদের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“সচেতনতাই উক্ত সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধে একমাত্র উপায়”Ñ উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে উপযোগ বলে।
খ অপ্রাচুর্যতা বলতে বোঝায় চাহিদার তুলনায় যোগানের সীমাবদ্ধতা।
কোনো দ্রব্য বা সেবার চাহিদার তুলনায় যোগান বা সরবরাহের পরিমাণ কম হলে দ্রব্যটির অপ্রাচুর্যতা দেখা দেয়। যেমন : খাদ্য। যে কোনো দেশে যে কোনো সময়ে খাদ্যের সরবরাহ এর চাহিদার তুলনায় কম। সেজন্য খাদ্য পেতে হলে এর দাম পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ খাদ্যের অপ্রাচুর্যতা আছে।
গ ছকের বিষয়গুলো সমষ্টিগত সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সকল সম্পদ ভোগ করে, সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ। এই সম্পদের ওপরে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও এগুলোর প্রতি তাদের সমান দায়িত্ব রয়েছে। রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল ও স্কুল, সরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সকল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমনÑ বনাঞ্চল, খনিজসম্পদ, নদ-নদী ইত্যাদি সমষ্টিগত সম্পদ। ছকে উল্লিখিত বিষয়গুলো হলোÑ রমনা পার্ক, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সড়ক ও বরেন্দ্র জাদুঘর। এই সম্পদগুলো সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে ভোগ করে এবং এগুলোর ওপর সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, ছকে উল্লিখিত বিষয়গুলো হলো সমষ্টিগত সম্পদ।
ঘ সচেতনতাই সমষ্টিগত সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধের একমাত্র উপায় নয় বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্র ও জনগণ সম্মিলিতভাবে সমষ্টিগত সম্পদের অধিকারী। জনগণ এগুলো ব্যবহার করে ও ভোগ করে। এগুলোর পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্র জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাই এসব সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণে প্রতিটি নাগরিকেরই বিশেষ যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। সচেতনতা সমষ্টিগত সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর উপায়। তবে একমাত্র উপায় নয়। সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণের জন্য নিজ নিজ কর্তব্য বিষয়ে প্রতিটি নাগরিক সচেতন ও সচেষ্ট থাকলে সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণ ও এগুলোর অপচয় রোধ করা কঠিন নয়। তবে সচেতনতার পাশাপাশি সমষ্টিগত সম্পদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করা আবশ্যক। এসব দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রয়োজন। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, সচেতনতা সমষ্টিগত সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধের গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর উপায় হলেও একমাত্র উপায় নয়।
প্রশ্ন- ১০ ধনতান্ত্রিক ও মিশ্র ও অর্থব্যবস্থা
ক.বর্তমান বিশ্বে প্রধানত কয় ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কার্যকর আছে। ১
খ.অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? ২
গ.‘অ’ দ্বারা কোন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘অ’ ও ‘ই’-এর সমন্বিত রূপ যেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থারই প্রতিচ্ছবি যুক্তি দাও। ৪
ক বর্তমান বিশ্বে প্রধানত চার ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কার্যকর আছে।
খ যে ব্যবস্থা বা কাঠামোর আওতায় উৎপাদনের উপাদানসমূহের মালিকানা নির্ধারিত হয় এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া, উৎপাদিত সম্পদের বণ্টন ও ভোগ প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয়, তাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে। এ ব্যবস্থা জনগণের অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং অর্থনীতি বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত কাঠামোর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে।
গ উদ্দীপকের ‘অ’ ছক দ্বারা ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করেছে। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতি বলা হয়। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় দ্রব্যের উৎপাদন, বণ্টন ভোগ সবই বাজারে দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া দ্বারা পরিচালিত হয়। ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সম্পদের ব্যক্তিমালিকানা এবং উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে বলে উদ্যোক্তা বা পুঁজিপতিরা দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় কম রাখতে ও মূল্য বেশি পেতে চেষ্টা করে। উৎপাদন ব্যয় কম রাখার জন্য শ্রমিককে তার ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয়। ফলে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তুষ্টি বিরাজ করে। উদ্দীপকের ‘অ’ ছকে এসব বিষয় দেখানো হয়েছে। তাই ‘অ’ ছক দ্বারা ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করছে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
ঘ উদ্দীপকে ‘অ’ ছকে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং ‘ই’ ছকে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উভয় ব্যবস্থার কিছু কিছু দিক নিয়ে গড়ে উঠেছে। তাই প্রশ্নে উল্লিখিত ‘অ’ ও ‘ই’-এর সমন্বিত রূপ যেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থারই প্রতিচ্ছবি মন্তব্যটি যুক্তিযুক্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। বর্তমান বিশ্বে বিরাজমান অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে তাল মেলানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে মিশ্র অর্থনীতির রূপ দেওয়া হচ্ছে। এখানে প্রধান প্রধান শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ত্ব খাতের অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে লোকসানের সম্মুখীন হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে বেসরকারি খাত ও ব্যক্তি উদ্যোগ সম্প্রসারিত হচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগ সম্প্রসারণের সাথে সাথে বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। ফলে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উদ্যোক্তা ও ভোগকারীর স্বাধীনতা আছে। যেকোনো উদ্যোক্তা বা উৎপাদনকারী যেকোনো দ্রব্য যেকোনো পরিমাণ উৎপাদন করতে পারে। এই উৎপাদন কার্য অবশ্য সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতো শ্রমিকদের মজুরির নিম্নহার এবং উদ্যোক্তাদের মুনাফার উচ্চহার লক্ষণীয়। অর্থাৎ বাংলাদেশে উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান রয়েছে।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১১ সম্পদের শ্রেণিবিভাগ
মৎস্য রপ্তানিকারক জনাব মেহেদি তার ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। সুদূর আমেরিকার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তার রপ্তানি করা চিংড়ি আজ শিপমেন্টে যাচ্ছে।
ক.জাতীয় সম্পদের উৎস কয়টি? ১
খ.‘অপ্রাচুর্য’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ.জনাব মেহেদি কীভাবে জাতীয় সম্পদ সৃষ্টি করেন। ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে সম্পদের প্রতিটি ধরনের উদাহরণ রয়েছেÑ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে প্রমাণ কর। ৪
ক জাতীয় সম্পদের উৎস দু’টি।
খ কোনো দ্রব্য বা সেবার চাহিদার তুলনায় যোগান বা সরবরাহের পরিমাণ কম হলে দ্রব্যটির অপ্রাচুর্য দেখা দেয়। যেমন : খাদ্য। যেকোনো দেশে যেকোনো সময়ে খাদ্যের সরবরাহ এর চাহিদার তুলনায় কম। সেজন্য খাদ্য পেতে হলে এর দাম পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ খাদ্যের অপ্রাচুর্য আছে।
গ জনাব মেহেদি সম্পদ স্থানান্তরের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ সৃষ্টি করেন। জাতীয় সম্পদের দ্বিতীয় উৎস মানবসৃষ্ট। কোনো দেশের অভিবাসীরা তাদের শ্রম ও মূলধনের সাহায্যে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার, সংগ্রহ ও উত্তোলন করে, সেগুলোর রূপান্তর বা স্থানান্তর করে নতুন সম্পদ সৃষ্টি করে। যেমন মানুষ ভূমি আবাদ করে শস্য-ফল-ফুল-গাছপালা উৎপাদন করে। জলাশয়ে মাছ চাষ করে, খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে ব্যবহার উপযোগী করে। উদ্দীপকের জনাব মেহেদি এ প্রক্রিয়াতেই দেশ থেকে আমেরিকায় চিংড়ি রপ্তানি করছেন। সম্পদের এরূপ উপযোগিতা বৃদ্ধি ছাড়াও জাতীয় সম্পদ সৃষ্টিতে ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে বা সরকারের অর্থ ও পরিচালনায় রাস্তাঘাট, কলকারখানা, যন্ত্রপাতি, যানবাহন, বাঁধ ও সেতু, নানারকম স্থাপনা নির্মাণ করে, নানারকম শিল্প দ্রব্য উৎপাদন করে। এভাবে দেশের নাগরিকেরা বছরব্যাপী নানারকম অর্থনৈতিক দ্রব্য ও সেবা অর্থাৎ সম্পদ সৃষ্টির কাজে নিয়োজিত থাকে। যেমন : উদ্দীপকের মেহেদি সাহেব জাতীয় সম্পদ সৃষ্টি করেন।
ঘ উদ্দীপকে সম্পদের প্রতিটি ধরনের উদাহরণ রয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের আলোচনায় দেখা যায়, সম্পদকে ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এই চার শ্রেণিতে বিন্যস্ত করা যায়। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গাজমি, বাড়িঘর, কলকারখানা, অর্থসম্পদ, গাড়ি, দ্রব্যসামগ্রী ইত্যাদি ব্যক্তিগত সম্পদ। উদ্দীপকের জনাব মেহেদি নিজের গাড়ি ব্যবহার করেন। এছাড়া নিজস্ব প্রতিভা, ব্যক্তির দক্ষতা ইত্যাদি যদিও হস্তান্তরযোগ্য নয়, কিন্তু ব্যক্তি এগুলো ব্যবহার করে সম্পদ সৃষ্টি করতে পারে। তাই এগুলোও ব্যক্তিগত সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যেসব সম্পদ ভোগ করে, সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ। রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল ও স্কুল, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সকল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন : বনাঞ্চল, খনিজসম্পদ, নদ-নদী ইত্যাদি সমষ্টিগত সম্পদ। উদ্দীপকে জনাব মেহেদি গাড়ি চালাতে রাস্তা ব্যবহার করেন। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলে। যেমন : কর্মদক্ষতা, উদ্ভাবনী শক্তি, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ইত্যাদি জাতীয় সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। কোনো কোনো সম্পদ আছে, যা বিশেষ কোনো রাষ্ট্রের মালিকানাধীন নয়। যেমন : সাগর-মহাসাগর, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, প্রযুক্তি ইত্যাদি। এগুলো আন্তর্জাতিক সম্পদ। উদ্দীপকে মি. মেহেদি চিংড়ি রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক সমুদ্র পথ ব্যবহার করেন। আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত সম্পদের সবগুলো উদাহরণ রয়েছে।
প্রশ্ন- ১২ জাতীয় সম্পদের অপচয় রোধে করণীয়
নবম শ্রেণির ছাত্র আবীর তার বাবা-মার সাথে মধুপুর ও ভাওয়াল বনভূমি দেখতে যায়। সেখানে তারা বিশাল গাছের সমারোহ দেখে বিস্মিত হয়। কিন্তু বনের মধ্যে কিছু লোককে গাছ কাটতে দেখে তাদের মন ব্যথিত হয়। সে মনে মনে প্রতিরোধের উপায় পরিকল্পনা করে।
ক.বনভূমি কী ধরনের সম্পদ? ১
খ.উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.আবীরের ব্যথিত হওয়ার কারণ কী আলোচনা কর। ৩
ঘ.উক্ত সমস্যা সমাধানে আবীর কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। ৪
ক বনভূমি ‘সমষ্টিগত সম্পদ’।
খ উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা বলতে বোঝায় যেখানে দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য ব্যক্তি নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে এবং বিনিয়োগ করে। এখানে কোনোরকম বাধানিষেধ থাকে না।
গ আবীরের ব্যথিত হওয়ার কারণ হলো জাতীয় সম্পদের অপচয়। সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সম্পদ ভোগ করে সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ। এসব সম্পদের ওপর সব নাগরিকের সমান অধিকার আছে এবং এগুলো সংর ণেরও সকলের দায়িত্ব আছে। রাস্তাঘাট বনভূমি, বাঁধ, পার্ক এগুলো সবার কাজে লাগে। তাই যত্নবান ও সচেতন থাকা উচিত। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রচুর বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন। সেগুলো যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে সজাগ থাকা উচিত। উদ্দীপকে যেহেতু নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে তাই আবীর এসব তি দেখে ব্যথিত হয়।
ঘ উক্ত সমস্যাটি হলো জাতীয় সম্পদের অপচয় যার সমাধান কল্পে আবীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। জাতীয় সম্পদ সংর ণের জন্য রাষ্ট্রীয় যেসব ব্যবস্থা আছে সেগুলো যাতে ব্যহত না হয় সেদিকে আবীর লক্ষ রাখতে পারে। কেউ যেন এসব সম্পদের কোনো তিসাধন না করে সে বিষয়ে সচেতন থাকবে। এ ধরনের কোনো অপচেষ্টার বিষয়ে জানলে বা দেখলে যথাযথ ব্যক্তি/কর্তৃপ কে অবহিত করবে। সংর িত বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে গাছ কাটা, পশুপাখি শিকার করা ইত্যাদি জাতীয় সম্পদের তিসাধন করা হলে আবীর সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। এসব সম্পদের উন্নয়ন ও বৃদ্ধিসাধনের জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। সমষ্টিগত/ জাতীয় সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধে সচেতন ও সচেষ্ট থাকতে পারে। রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি অপ্রয়োজনে খরচ না করা এবং এগুলো ব্যবহারে মিতব্যয়িতা অবলম্বন করতে পারে।
প্রশ্ন- ১৩ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
আজমল সাহেব একজন পাট ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায়ের সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়ে থাকেন। বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তিনি বেশ কিছু কৌশলও অবলম্বন করেন। আশা করা যায় তিনি ব্যবসায় সফল হবেন এবং প্রচুর মুনাফা অর্জন করবেন।
ক.প্রাচীন বাংলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূমির মালিককে কী বলা হতো? ১
খ.অর্থনীতিতে বণ্টন বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকে যে ধরনের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর, আজমল সাহেব যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যবসা করছেন তাতে শ্রমিকদের ওপর শোষণের আশঙ্কা বেশি থাকে? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক প্রাচীন বাংলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূমির মালিককে বলা হতো ভূস্বামী।
খ সাধারণ অর্থে বণ্টন হলো ভাগ বা বিলি করা। অর্থনীতিতে বণ্টন বলতে জাতীয় আয় বা সম্পদের ভাগ বা বিলি করা বোঝায়। উৎপাদনের জন্য ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন এ চারটি উপাদান অপরিহার্য। উৎপাদিত সম্পদ উৎপাদনের উপাদানসমূহের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে বণ্টন বলা হয়।
গ উদ্দীপকে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে। যে অর্থব্যবস্থায় জমি, খনি, কলকারখানা প্রভৃতি উৎপাদন উপকরণ ব্যক্তি মালিকানায় থাকে তাকে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলা হয়। এই অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনকার্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণে পুঁজিপতিরা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। এসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কোনো হস্তক্ষেপ করে না। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির কিছু বৈশিষ্ট্য হলো :
১. উৎপাদনের উপকরণের মালিকানা : ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানসমূহ যথা : ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন ব্যক্তি মালিকানাধীন। যেমন : আজমল সাহেব তার ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
২. মুনাফা অর্জনই মূল লক্ষ্য : ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। যেসব দ্রব্যের ক্ষেত্রে মুনাফার সম্ভাবনা বেশি, উৎপাদনকারীরা সেসব দ্রব্যেই বেশি বিনিয়োগ করে।
৩. উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা : ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তি এককভাবে বা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে যেকোনো দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে পারে। উদ্দীপকের আজমল সাহেবও নিজ উদ্যোগে সর্বাধিক মুনাফার আশায় ব্যবসায় পরিচালনা করেন। সুতরাং উদ্দীপকে তার মাধ্যমে ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ আমি মনে করি, এ ধরনের অর্থব্যবস্থায় শ্রমিক শোষণের আশঙ্কা বেশি থাকে। আজমল সাহেব যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যবসা করছেন তা হলো ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে বিধায় উদ্যোক্তা বা পুঁজিপতিরা দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় কম রাখতে এবং বেশি মূল্য পেতে চেষ্টা করে। উৎপাদন ব্যয় কম রাখার জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয়। এ উদ্বৃত্ত মজুরি পুঁজিপতিরা মুনাফা হিসেবে সঞ্চয় করে। এভাবে উৎপাদিত সম্পদ বণ্টনে অসমতা ও বৈষম্য সৃষ্টি হয়। শ্রমিক প্রাপ্যের চেয়ে কম মজুরি পায় আর পুঁজিপতি বা উদ্যোক্তা তাদের প্রাপ্যের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করে। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সকল সিদ্ধান্ত ব্যক্তি নিজে গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে সরকারি কোনো হস্তক্ষেপ থাকে না, তাই আমি মনে করি, এ ব্যবস্থায় শ্রমিক শোষণের আশঙ্কা বেশি থাকে।
প্রশ্ন- ১৪ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
রফিক পড়াশোনার জন্য ‘ণ’ নামক দেশে গিয়েছিল। সেখানে সে দেখল, সমাজে সকলেই সমান। কলকারখানা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। সেখানে দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের মৌলিক বিষয়গুলো সরকার নির্ধারণ করে। জনগণ ইচ্ছা করলেই যে কোনো দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করতে পারে না।
ক.অপ্রাচুর্য কী? ১
খ.অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বলতে কী বোঝ? ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ণ’ নামক দেশে ভোক্তার স্বাধীনতার অভাব রয়েছে-ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর, ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে ‘ণ’ দেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বেশি? ব্যাখ্যা কর। ৪
ক অপ্রাচুর্য হলো চাহিদার তুলনায় সীমাবদ্ধ যোগান।
খ উৎপাদন কাজে নিয়োজিত অর্থ হচ্ছে বিনিয়োগ। মূলত বিনিয়োগ বলতে বিদ্যমান মূলধন সামগ্রীর সাথে নতুন মূলধন যেমন : অর্থ বা যন্ত্রপাতি, সাজসরঞ্জাম, উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল যুক্ত হওয়াকে বোঝায়।
গ উদ্দীপকে যে দেশের কথা বলা হয়েছে, সেটি হলো সমাজতান্ত্রিক দেশ। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদকের যেমন উৎপাদনবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা নেই, তেমনি ভোগকারীর নিজ ইচ্ছামতো দ্রব্যসামগ্রী ভোগের সুযোগ নেই। উৎপাদক সরকার নির্ধারিত দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করে এবং ভোগকারী সেগুলো প্রয়োজনমতো ক্রয় ও ভোগ করে। তবে সামাজিকভাবে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নির্বাচন ও ক্রয়ের ব্যাপারে ভোক্তার স্বাধীনতা আছে।
ঘ ‘ণ’ নামক দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত। আমি মনে করি, ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার চেয়ে এ ধরনের ব্যবস্থাধীন অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বেশি। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উৎপাদনকারীদের যে কোনো দ্রব্য উৎপাদনের স্বাধীনতা থাকে। ফলে ঐ দ্রব্য উৎপাদনে অবাধ প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়। আবার যেকোনো দ্রব্য ক্রয় ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির ওপর কোনো বিধি নিষেধ নেই। তাই বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দ্রব্যের দাম নির্ধারিত হয়। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সরকার দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের ক্ষেত্রে মৌলিক সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। কোনো দ্রব্য কী পরিমাণে, কখন ও কোনো প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হবে এবং এই দ্রব্য কাদের নিকট সরবরাহ করা হবে এসবই সরকার স্থির করে। এসব সিদ্ধান্ত সরকারের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনারই অংশ। এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ ও বিনিয়োগের সুযোগ নেই।
প্রশ্ন- ১৫ মিশ্র অর্থব্যবস্থা
মি. সাইফুদ্দিন একরাম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। তিনি বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে অর্থনীতিবিষয়ক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। সাম্যবাদী চিন্তাধারার মানুষ হিসেবে তিনি ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ঘোরবিরোধী। আবার সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বাস্তবে অসাড় বলে তিনি দেশের জন্য মিশ্র অর্থনীতির সফল প্রয়োগ চান।
ক.বর্তমান বিশ্বে প্রধানত কয় ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আছে? ১
খ.ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ? ২
গ.মি. সাইফুদ্দিনের চাওয়া পূরণ হলে সরকারি ও বেসরকারি খাতের পারস্পরিক অবস্থান কিরূপ হবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মন কর, সাম্যবাদী মি. সাইফুদ্দিনের চাওয়া পূরণ হলে সর্বক্ষেত্রে আয়ের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হবে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুুক্তি দাও। ৪
ক বিশ্বে বর্তমানে প্রধানত চার ধরনের অর্র্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে।
খ ধনতন্ত্র এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের উপকরণসমূহ ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হয়। এখানে প্রত্যেক ব্যক্তি উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের েত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে।
গ মি. সাইফুদ্দিনের চাওয়া পূরণ হলে দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থার সফল প্রয়োগ ঘটবে। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান দেখা যাবে। মিশ্র অর্থনীতিতে ব্যক্তিমালিকানা ও ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি কিছু কিছু খাতে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে সরকারি মালিকানা, উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকে। জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য ও সেবা যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিক্ষার আয়োজন এসব প্রধানত সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। তবে এক্ষেত্রেও আংশিক ব্যক্তিগত বা বেসরকারি উদ্যোগে উৎপাদন ও সরবরাহ দেখা যায়। এছাড়া মৌলিক ও বৃহদাতয়ন শিল্প, জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বড় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রধান আমদানি ও রপ্তানি দ্রব্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, শিশুখাদ্য এসবও সাধারণত সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকে। আবার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য যেমন : কৃষিপণ্য, কাপড় ও তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, হোটেল-রেস্তোরাঁ, ব্যক্তিগত যানবাহন ইত্যাদি প্রধানত ব্যক্তিগত উদ্যোগে উৎপাদিত ও সরবরাহ করা হয়।
ঘ উদ্দীপকের সাম্যবাদী মি. সাইফুদ্দিনের চাওয়া পূরণ হলে অর্থাৎ মিশ্র অর্থব্যবস্থা চালু হলেও সর্বক্ষেত্রে আয়ের সুষম বণ্টন সম্ভব নয়। মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকা ের একটি বড় অংশ যেমন : বড় বড় কলকারখানা, ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন এবং আমদানি-রপ্তানি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অর্থনীতির ব্যক্তি মালিকানাধীন অংশ ব্যক্তির দ্বারা সম্পূর্ণভাবে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এ খাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতোই শ্রমিককে প্রাপ্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয় এবং উদ্বৃত্ত মজুরি মুনাফার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে উৎপাদিত সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন হয় না। উৎপাদনের বিভিন্ন উপাদানের আয়ে বৈষম্য দেখা দেয়। এতে সমাজের সকল জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ নিশ্চিত করা যায় না। মিশ্র অর্থনীতিতে উৎপাদনের যে অংশ সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন, সে অংশে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য নয় বরং সর্বাধিক সামাজিক কল্যাণ অর্জনের উদ্দেশে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ খাতের আওতাধীন কলকারখানা ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকরা সাধারণত ন্যায্য মজুরি পায়। ফলে সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব হয়। এভাবে দেখা যায় যে, মিশ্র অর্থনীতিতে সম্পদ বা আয়ের আংশিক সুষ্ঠু বণ্টন ঘটে। আর অংশ বিশেষে শ্রমিক শোষিত ও বঞ্চিত হয় এবং আয় বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়।
প্রশ্ন- ১৬ ইসলামি অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
সিতার আজিজ তার সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করে দেয়। সে অনেক সম্পদের মালিক বলে এটা তার জন্য বাধ্যতামূলক। সিতার আজিজ যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনুসরণ করে সেটির মৌলিক নীতিমালা স্থির হয় তার ধর্মের পাঁচটি মূলস্তম্ভ ও ধর্মীয় গ্রন্থের বিধান অনুসারে।
ক.রাস্তাঘাট কোন ধরনের সম্পদ? ১
খ.ভোক্তার স্বাধীনতা বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকে কোন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলো বিশেষণ কর। ৪
ক রাস্তাঘাট সমষ্টিগত সম্পদ।
খ ভোক্তার স্বাধীনতা বলতে বোঝায়- ভোক্তা বা ভোগকারী কোনো দ্রব্য কী পরিমাণে ক্রয় বা ভোগ করবে এ ব্যাপারে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারা। তবে তার এই সিদ্ধান্ত পছন্দ, আয় ও দ্রব্যের বাজার মূল্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়।
গ উদ্দীপকে ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ইসলামি অর্থব্যবস্থা মানুষের জীবনের সামগ্রিক আলোচনা করে। পবিত্র কুরআন ও হাদিসসমূহে ইসলামি অর্থব্যবস্থার নির্দেশনা রয়েছে। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূলস্তম্ভ, পবিত্র কুরআনের বিধান অনুসারে অর্থনৈতিক কার্যাবলির মৌলিক নীতিমালা স্থির হয়। ইসলামি অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তির নিকট নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী অর্থসম্পদ থাকলে তার একটি নির্ধারিত দরিদ্র জনগণের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থাকে বলে যাকাত। যাকাত হচ্ছে সম্পদশালী ব্যক্তির একটি বাধ্যতামূলক দান। উদ্দীপকেও দেখা যায়, সিতার আজিজকে বাধ্যতামূলকভাবে তার সম্পদের একটি অংশ যাকাত হিসেবে দরিদ্রদের দিতে হয়। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এ অর্থব্যবস্থার মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো বিশেষণ করা হলো :
ইসলামি অর্থব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা। ইসলামে সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা স্বীকৃত। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পদ মানুষ তার ইচ্ছামতো ব্যবহার ও ভোগ করতে পারে। এ সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের নিকট হস্তান্তর করতে পারে। ইসলামি অর্থব্যবস্থার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো শরিয়তভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যাবলি। এ অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সকল কার্যাবলিই শরিয়তের বিধান অনুসারে পরিচালিত হয়। ইসলামি অর্থব্যবস্থা একটি শোষণহীন উৎপাদন প্রক্রিয়া। এখানে উৎপাদনসমূহের পারিতোষিক প্রদানে ন্যায় ও সাম্যের নীতি অনুসরণ করা হয়। উৎপাদনে অবদানের ভিত্তিতে উপাদানসমূহের পাওনা পরিশোধ করা হয়। ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উপর্যুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো পরিল িত হয়।
প্রশ্ন- ১৭ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা থেকে মিশ্র অর্থব্যবস্থায় উত্তরণ
প্রাচীন বাংলা ‘ঢ’ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ ‘ণ’ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
বর্তমান বাংলাদেশ ‘ত’ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
ক.মজুরি কী? ১
খ.আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিফলন লক্ষণীয়। ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকের ‘ঢ’ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বর্ণনা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশে ‘ণ’ থেকে ‘ত’ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উত্তরণের কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ভূমির আয়, খাজনা, শ্রমের আয়কে মজুরি বলে।
খ আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতো বাংলাদেশেও শ্রমিকদের মজুরির নিম্নহার এবং উদ্যোক্তাদের মুনাফার উচ্চহার লক্ষণীয়। সুদ এবং খাজনা উচ্চহারে পরিশোধ করা হয়। সরকারি খাতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকায় শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি তুলনামূলকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তবে অর্থনীতির খাতসমূহের অধিকাংশই বেসরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকায় বাংলাদেশে আয় বৈষম্য বেশ প্রকট। ফলে শ্রমিক শ্রেণির জীবনযাত্রার নিম্নমান দীর্ঘসময় ধরেই বিরাজ করছে।
গ উদ্দীপকের ‘ঢ’ হচ্ছে প্রাচীন বাংলার সামন্ততান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। প্রাচীন বাংলায়, মুসলিম এবং ব্রিটিশ শাসনামলেও বাংলাদেশে প্রধানত সামন্ততান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। এ ব্যবস্থা ছিল ভূস্বামী কেন্দ্রিক। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূমির মালিককে ভূস্বামী বলা হতো। অর্থনীতি ছিল কৃষিনির্ভর। একজন ভূস্বামী ছিলেন অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তার নিয়ন্ত্রণে সকল বৃত্তি ও পেশার লোকজন যেমন : কৃষক, কামার, কুমার, তাঁতি, জেলে, ছুতার, স্বর্ণকার, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, চিকিৎসক থাকতেন। এমনকি তার সম্পদ বা সম্পত্তির নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব প্রজাকুল বা লাঠিয়াল বাহিনী থাকত। ব্রিটিশ শাসনামলে এই ভূস্বামীদের বলা হতো জমিদার।
ঘ ‘ণ’ হচ্ছে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সদ্যগঠিত বাংলাদেশের সমাজতন্ত্র অভিমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। পরবর্তীতে তা ‘ত’ নির্দেশিত ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার দিকে ধাবিত হয় যেখানে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যও লক্ষণীয়। ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর প্রণীত সংবিধানের ভিত্তিতে দেশে সমাজতন্ত্র-অভিমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বড় বড় কলকারখানা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, পরিবহন, প্রধান প্রধান শিল্পপ্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক শিক্ষা, আমদানি-রপ্তানি ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এসব কলকারখানা, ব্যবসায় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিকাংশই অবাঙালি মালিকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই অবাঙালি মালিকেরা স্বাধীনতার পর দেশত্যাগ করলে এসব প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। আবার সদ্য স্বাধীন দেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি ও বিপর্যস্ত সমাজের সমস্যা ও সংকট মোকাবিলায় সরকারকে প্রায় সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে দক্ষ প্রশাসক, ব্যবস্থাপক, উদ্যোক্তাসহ মানবসম্পদের ব্যাপক ধ্বংস সাধিত হয়। ফলে উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এতে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান লোকসানের সম্মুখীন হয়। ফলে বেসরকারি খাত ও ব্যক্তি উদ্যোগকে সম্প্রসারণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বর্তমানে অর্থনীতির কিছু খাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও নানারকম সংস্কার এবং পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলেছে। বর্তমানে দেশে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রাধান্যসহ মিশ্র অর্থনৈতিক অবস্থা বিদ্যমান বলা চলে।
প্রশ্ন- ১৮ বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা
শ্রমিক নেতা ইউসুফ শ্রমিক অসন্তোষ, কিছু মালিকের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব এবং ব্যবস্থাপনার অভাব ইত্যাদি বিষয়ে মতপ্রকাশ করতে গিয়ে একটি জনসভায় বলেন, ‘কলকারখানা বেসরকারি উদ্যোগে না থাকলেই মনে হয় ভালো হতো। তার কারণ, শ্রমিকরা একটি নির্ধারিত নিয়মানুযায়ী রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে হয়তো সন্তুষ্ট থাকত।
ক.নদ-নদী কোন ধরনের সম্পদ? ১
খ.অর্থনীতিতে ভূমি বলতে কী বোঝ? ২
গ.উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের শিল্পখাতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর, ইউসুফের মতানুযায়ী অর্থনীতি পরিচালিত হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে টিকে থাকা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব? মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক নদ-নদী জাতীয় সম্পদ।
খ সাধারণ অর্থে ভূমি বলতে জমি বোঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে ভূমি বলতে সকল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন জমি, জমির উপরিস্থিত এবং অভ্যন্তরের সকল কিছুকে বোঝায়। গাছপালা, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি: ভূমির অন্তর্ভুক্ত।
গ বাংলাদেশ একটি মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দেশ। অর্থনীতির এ ব্যবস্থায় সরকারি এবং বেসরকারি উভয় উদ্যোগেই উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে কিছু কিছু ফার্ম বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হলেও কিছু কিছু আবার সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ এখানকার শিল্পখাত মূলত ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় পরিচালিত হয়। যার ফলে শ্রমিক শোষণ এবং শ্রমিক অসন্তোষ রোধে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের শিল্পখাতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও নানারকম সংস্কার ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের শিল্পখাতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বেসরকারি উদ্যোগ সম্প্রসারণের সাথে সাথে বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে।
ঘ আমি মনে করি, ইউসুফের মতানুযায়ী অর্থনীতি পরিচালিত হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে টিকে থাকা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
এর যথার্থ কারণ হিসেবে বলা যায়, বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি মিশ্র অর্থব্যবস্থায় পরিচালিত হয়। সরকারি উদ্যোগে কলকারখানা পরিচালিত হলে হয়তো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে শ্রমিকরা সন্তুষ্ট থাকত। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে বিশ্ব অর্থনীতিতে টিকে থাকার জন্য প্রতিযোগিতা করা সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এ দেশে অধিক জনসংখ্যার কারণে সরকারের একার পক্ষে সবকিছু দেখা সম্ভব নয়। বেসরকারি উদ্যোগ সম্প্রসারণের সাথে সাথে বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা হয়। সরকারের একার পক্ষে বাজার সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। তাই সবশেষে বলা যায়, বিশ্ব অর্থনীতি যেহেতু মিশ্র তাই ইউসুফের মতানুযায়ী অর্থনীতি পরিচালিত হলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব অর্থনীতিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়।অনুশীলনমূলককাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১৯ সম্পদের বন্টন ও বৈষম্য
জনাব আকমল একজন পুঁজিপতি। ঢাকায় তার বাড়ি, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি তিনি গ্রামে পৈতৃক সম্পত্তিতে এক বিশাল বাগান বাড়ি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতোমধ্যেই তিনি একজন ম্যানেজার নিয়োগ দিয়েছেন। ম্যানেজার সাহেব খুবই স্বল্প মজুরিতে গ্রামে শ’ খানেক শ্রমিক নিয়োগ করেছেন। জনাব আকমল এ ব্যাপারে তার ম্যানেজারের ওপর নির্ভর করেন।
ক.রাস্তাঘাট কী ধরনের সম্পদ? ১
খ.ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে জাতীয় সম্পদ কীভাবে আলাদা করবে। ২
গ.উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বন্টন কার্যক্রমের সমস্যা বর্ণনা কর। ৩
ঘ.জনাব আকমল ও তার নিয়োজিত শ্রমিক, কর্মচারীর আয়বৈষম্য কমাতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কী পরিবর্তন আনতে হবে বলে তুমি মনে কর? ৪
ক রাস্তাঘাট জাতীয় সম্পদ।
খ ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে জাতীয় সম্পদ নিম্নোক্তভাবে আলাদা করা যায়-ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গা-জমি, বাড়িঘর, কলকারখানা, অর্থসম্পদ, গাড়ি, দ্রব্যসামগ্রী ইত্যাদি ব্যক্তিগত সম্পদ। এসব সম্পদের মালিক ব্যক্তি নিজে। তাই এর সমুদয় মুনাফাও ব্যক্তির নিজের। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলে। তাছাড়া জাতীয় কোনো গুণবাচক বৈশিষ্ট্য যেমন : কর্মদ তা, উদ্ভাবনী শক্তি, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ইত্যাদি জাতীয় সম্পদের অন্তর্ভুক্ত।
গ বাংলাদেশের জনগণের একটি ুদ্র অংশ পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা এবং ব্যাপক বৃহত্তর অংশই শ্রমিক বা মজুর। উদ্দীপকের জনাব আকমল এমনই এক পুঁজিপতি যিনি বাগান বাড়ি তৈরির জন্য শ্রমিক নিয়োগ করেন। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য পুঁজিপতির দ্বারা শ্রমিকের শোষণ। বাংলাদেশে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রায় সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। আয় বন্টনের ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতো বাংলাদেশেও শ্রমিকদের মজুরির নিম্নহার এবং উদ্যোক্তাদের মুনাফার উচ্চহার লক্ষণীয়। উদ্দীপকের জনাব আকমল ও ম্যানেজারের মাধ্যমে শ্রমিকদের স্বল্প মজুরি প্রদান করেন এবং এ বিষয়ে নিজে খোঁজখবর রাখেন না। এদেশে সরকারি খাতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকায় শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি তুলনামূলকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তবে অর্থনীতির খাতসমূহের অধিকাংশই বেসরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকায় বাংলাদেশে আয় বৈষম্য বেশ প্রকট। যেমন : উদ্দীপকে পুঁজিপতি জনাব আকমলের কার্যক্রমে তা ধরা পড়েছে।
ঘ বাংলাদেশে বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যেসব পরিবর্তন আনলে আয়বৈষম্য কমে আসবে বলে আমি মনে করি তা নিম্নরূপ :
১.এদেশের ৭৫ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষি পেশায় জড়িত। কিন্তু কৃষি জমির মালিকানা ব্যবস্থা অসম। তাই কৃষিজমির সুষম মালিকানা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
২.দেশে ব্যাপক ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব থাকায় আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে অসমতা সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং দেশে কর্মসংস্থানের নানামুখী সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে সকল কর্মক্ষম লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩.ঘুষ, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকা থেকে যদি প্রশাসনকে দূরে রাখা সম্ভব হয় তবে সকল উন্নয়ন কর্মকা ত্বরান্বিত হওয়াসহ সমাজের যে কোনো কাজে জনগণ উপকৃত হবে।
৪.বয়স্কভাতা, গৃহায়ন তহবিল, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আশ্রয়ন প্রকল্প ইত্যাদি সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রমের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।
৫.সুষ্ঠু গণমুখী ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আয় বৈষম্য কমানো সম্ভব।
অতএব, বাংলাদেশে বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উপরিউক্ত পরিবর্তনসমূহ আনলে আয়বৈষম্য কমে আসতে পারে।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ২০ মিশ্র অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য
মজিদ সাহেবের দুই ছেলে রাজীব ও রাসেল। রাজীব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। তাই সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। অন্যদিকে রাসেল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না পাওয়ায় মজিদ সাহেব তাকে বাধ্য হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বেশি বেতনে ভর্তি করান।
ক.বর্তমানে বাংলাদেশে কোন অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ১
খ.অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ? ২
গ.উদ্দীপকে উলিখিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আয়বণ্টন প্রক্রিয়াটি কি তোমার কাছে গ্রহণযোগ্য? উত্তরের প ে মত দাও। ৪
ক বর্তমানে বাংলাদেশে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান।
খ যে ব্যবস্থা বা কাঠামোর আওতায় উৎপাদনের উপাদানসমূহের মালিকানা নির্ধারিত হয় এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত সম্পদের বণ্টন ও ভোগ প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখ।
ঘ মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বণ্টন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ২১ ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ
ব্রাউনিয়া ‘ণ’ রাষ্ট্রে বসবাস করে। সে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। কিন্তু পরিশ্রম অনুযায়ী সে মজুরি কম পায়। এক পর্যায়ে সে জানতে পারে মালিকপ বেশি মুনাফার জন্য মজুরি কম দেয়। এর ফলে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে।
ক.উৎপাদনের জন্য কয়টি উপাদান প্রয়োজন? ১
খ.সমষ্টিগত সম্পদ বলতে কী বোঝ? ২
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত রাষ্ট্রের সাথে পাঠ্যবইয়ে উলিখিত কোন রাষ্ট্রের সাদৃশ্য ল করা যায়-ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উলিখিত রাষ্ট্রব্যবস্থায় শ্রমিক শ্রেণি শোষিত হয়- এ ব্যাপারে তোমার মতামত উপস্থাপন কর। ৪
ক উৎপাদনের জন্য ৪টি উপাদান প্রয়োজন।
খ সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সকল সম্পদ ভোগ করে, সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ। এ সম্পদের উপরে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও এগুলোর প্রতি তাদের সমান দায়িত্ব রয়েছে। রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল, স্কুল, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সকল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন বনাঞ্চল, খনিজ সম্পদ, নদনদী ইত্যাদি সমষ্টিগত সম্পদ।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় শ্রমিক শোষণের ধরন বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ২২ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদের সংরক্ষণ ও অপচয়রোধ
বন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন সাহেব সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ায় শঙ্কিত। আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। জলদস্যুরা আস্তানা গড়ে তুলেছে। বনের গাছ পাচার হয়ে যাচ্ছে।
ক.জাতীয় সম্পদ কাকে বলে? ১
খ.‘ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা রয়েছেÑ বুঝিয়ে লেখ। ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত সম্পদ সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের করণীয় কী কী? ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত বনকে কেন সম্পদ বলা হয়? যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক একটি দেশের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ ও সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলে।
খ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি এককভাবে বা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে যে কোনো দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনোরকম বিধিনিষেধ নেই।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদের সংরক্ষণ ও অপচয় রোধে করণীয় কাজগুলো বর্ণনা কর।
ঘ জাতীয় সম্পদের উৎস বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ২৩ ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ
প্রেমা উচ্চশিক্ষার জন্য যে দেশে যায় সেখানে দেখতে পায়, সকল কারখানা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। অথচ তার নিজের দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন। [মতিঝিল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
ক.কোন অর্থব্যবস্থা ভূস্বামী কেন্দ্রিক। ১
খ.জাতীয় সম্পদ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.প্রেমার দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শ্রমিকদের ওপর শোষণের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত দু’ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে কোনটিকে তোমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়? মতামত দাও। ৪
ক সামন্ততান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা ভূস্বামী কেন্দ্রিক।
খ রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলে। রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল, স্কুল রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সম্পদ। যেমনÑ বনাঞ্চল, খনিজ সম্পদ, নদ-নদী ইত্যাদি সমষ্টিগত সম্পদ। এগুলোকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলা হয়।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা সম্পর্কে বর্ণনা কর।
ঘ ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর।
অধ্যায় সমন্বিত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ২৪ সার্বভৌমত্ব ও ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
সোমালিয়া রাষ্ট্র তার অভ্যন্তরীণ সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী এবং বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণমুক্ত। সোমালিয়া রাষ্ট্রের জনগণ নিজস্ব সম্পদ স্বাধীনভাবে ভোগ ও হস্তান্তর করতে পারে এবং একক বা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
ক.নাগরিকের প্রধান কর্তব্য কী? ১
খ.রাষ্ট্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও জনহিতকর কাজ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে সোমালিয়া রাষ্ট্রের রাষ্ট্র গঠনের কোন উপাদানের ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সোমালিয়া রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ উদ্দীপক ও পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হলো- রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।
খ রাষ্ট্র বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও জনহিতকর কাজ করে থাকে। যেমন: কৃষি ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বনায়ন কর্মসূচি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য ও পুনর্বাসন, দুর্ভিক্ষ ও মহামারী প্রতিরোধ, বিদ্যুতায়ন ও জ্বালানি সরবরাহ, প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, গ্রামীণ উন্নয়ন, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি ইত্যাদি বহুবিধ কাজ রাষ্ট্র সম্পাদন করে।
গ উদ্দীপকে সোমালিয়া রাষ্ট্রের রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান সার্বভৌমত্বের ইঙ্গিত রয়েছে। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। প্রত্যেক রাষ্ট্রের চূড়ান্ত ক্ষমতা কার্যকরী করার জন্য একটি মাত্র কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ থাকে । আর এই ক্ষমতাই হলো সার্বভৌম ক্ষমতা। সার্বভৌম ক্ষমতার দুটি দিক রয়েছে। যথা : অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের মধ্যকার সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। এই সার্বভৌম ক্ষমতার ঊর্ধ্বে কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। বাহ্যিক সার্বভৌমত্বের অর্থ হলো রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকবে। অনুরূপভাবে উদ্দীপকে বর্ণিত সোমালিয়া রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, রাষ্ট্রটি তার অভ্যন্তরীণ সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী এবং বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণমুক্ত যা রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান সার্বভৌমত্বের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ সোমালিয়া রাষ্ট্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। কেননা সোমালিয়া রাষ্ট্রের জনগণ নিজস্ব সম্পদ স্বাধীনভাবে ভোগ ও হস্তান্তর করতে পারে এবং একক বা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেÑ যা ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে নির্দেশ করে। এ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে বিশ্লেষণ করা হলো :
১.উৎপাদনের উপাদানসমূহের মালিকানা : ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানসমূহ যথা : ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন ব্যক্তিমালিকানাধীন থাকে।
২.উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা : ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তি এককভাবে বা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে যেকোনো দ্রব্য/সেবা উৎপাদনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে
৩.অবাধ প্রতিযোগিতা : যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে পারেন। তাই বাজারে একই দ্রব্যের বহুসংখ্যক উৎপাদক থাকে এবং তাদের মধ্যে অবাধ প্রতিযোগিতা থাকে।
৪.সর্বাধিক মুনাফা অর্জন : এ ব্যবস্থায় সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়।
এছাড়া ভোক্তার স্বাধীনতা এবং শ্রমিক শোষণ ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ প্রকৃত অর্থে সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : যে বস্তুর বা দ্রব্যের উপযোগ, অপ্রাচুর্য, হস্তান্তরযোগ্যতা ও বাহ্যিকতা আছে তাকে প্রকৃত অর্থে সম্পদ বলে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ব্যক্তিমালিকানা স্বীকৃত কোন অর্থব্যবস্থায়?
উত্তর : ব্যক্তিমালিকানা স্বীকৃত ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বণ্টন কী?
উত্তর : বণ্টন হলো উৎপাদনের উপাদানসমূহের মধ্যে উৎপাদিত সম্পদ ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ জাতীয় সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : একটি দেশের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ ও সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ জাতীয় সম্পদের উৎস কয়টি?
উত্তর : জাতীয় সম্পদের উৎস দুইটি।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ সম্পদকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?
উত্তর : সম্পদকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ হস্তান্তরযোগ্যতা কী?
উত্তর : কোনো বস্তুর দাম বা মূল্যের বিনিময়ে একজনের নিকট হতে আরেকজন পাওয়ার সম্ভাব্যতাই হস্তান্তরযোগ্যতা।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ অপ্রাচুর্য কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুর চাহিদার তুলনায় যোগানের সীমাবদ্ধতাকে অপ্রাচুর্য বলে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ কোন অর্থব্যবস্থা ভূস্বামী কেন্দ্রিক?
উত্তর : সামন্ততান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা ভূস্বামী কেন্দ্রিক।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ ইসলামি অর্থব্যবস্থার ভিত্তি কী?
উত্তর : ইসলামি অর্থব্যবস্থার ভিত্তি পবিত্র কুরআন ও হাদিস।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ অর্থনৈতিক কার্যাবলির প্রধান উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : অর্থনৈতিক কার্যাবলির প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষের নানাবিধ অভাব পূরণ করা।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ ব্যক্তি সাধারণত কোন সম্পদ অপচয় করে না?
উত্তর : ব্যক্তি সাধারণত ব্যক্তিগত সম্পদ অপচয় করে না।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ সংর ণ কাকে বলে?
উত্তর : সংর ণের অর্থ হলো বিশেষভাবে র ণাবে ণ ও তত্ত্বাবধান।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ সংগঠক কাকে বলে?
উত্তর : ভূমি, শ্রম, মূলধনকে সমন্বিত করে যে উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে সংগঠক বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ উৎপাদন কী?
উত্তর : উৎপাদন হলো দ্রব্য বা সম্পদের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ কোন সম্পদ সংর ণে নাগরিকদের যত্নবান হওয়া উচিত?
উত্তর : জাতীয় সম্পদ সংর ণে নাগরিকদের যত্নবান হওয়া উচিত।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ একটি দেশের জনগণ কোন সম্পদ ভোগ করে?
উত্তর : একটি দেশের জনগণ সমষ্টিগত ও জাতীয় সম্পদ ভোগ করে।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ ব্রিটিশ শাসনামলে ভূস্বামীদের কী বলা হতো?
উত্তর : ব্রিটিশ শাসনামলে ভূস্বামীদের জমিদার বলা হতো।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ কোন ব্যবস্থায় ব্যক্তিমালিকানা স্বীকৃত নয়?
উত্তর : সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিমালিকানা স্বীকৃত নয়।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ মিশ্র অর্থনীতিতে কোন খাতের প্রাধান্য থাকে?
উত্তর : মিশ্র অর্থনীতিতে ব্যক্তি বা বেসরকারি খাতের প্রাধান্য থাকে।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ একটি দেশের আয় বণ্টন কিসের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : একটি দেশের আয়বণ্টন নির্ভর করে দেশটির অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ সেতু, ব্রিজ, গুর“ত্বপূর্ণ স্থাপনা কোন ধরনের সম্পদ?
উত্তর : সেতু, ব্রিজ, গুর“ত্বপূর্ণ স্থাপনা জাতীয় সম্পদ।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ উৎপাদন ব্যবস্থায় সুদ কাকে দেওয়া হয়?
উত্তর : উৎপাদন ব্যবস্থায় সুদ দেওয়া হয় মূলধনকে।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ উৎপাদন ব্যবস্থায় মূলধনের মালিককে কী দেওয়া হয়?
উত্তর : উৎপাদন ব্যবস্থায় মূলধনের মালিককে সুদ দেওয়া হয়।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ মিশ্র অর্থব্যবস্থায় হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কৃষিপণ্য, তৈরি পোশাক ইত্যাদি কার নিয়ন্ত্রণে থাকে?
উত্তর : মিশ্র অর্থব্যবস্থায় হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কৃষিপণ্য, তৈরি পোশাক ইত্যাদি ব্যক্তিমালিকানার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ মিশ্র অর্থনীতি কী?
উত্তর : ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কিছু কিছু বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে মিশ্র অর্থনীতি।
প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ কোন ব্যবস্থায় সম্পদের সুষম বণ্টন হয়?
উত্তর : সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সম্পদের সুষম বণ্টন হয়।
প্রশ্ন ॥ ২৮ ॥ কোন অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই?
উত্তর : সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা রয়েছে বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি এককভাবে বা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে যে কোনো দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। সে জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে হবে। এ েত্রে কোনোরকম বিধি-নিষেধ নেই।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যে ব্যবস্থা বা কাঠামোর আওতায় উৎপাদনের উপাদানসমূহের মালিকানা নির্ধারিত হয় এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত সম্পদের বণ্টন ও ভোগ প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ অর্থনীতিতে ভূমি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সাধারণ অর্থে ভূমি বলতে জমি বোঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে ভূমি বলতে সকল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন : জমি, জমির উপরিস্থিত এবং অভ্যন্তরের সকল কিছুকে বোঝায়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ অর্থনীতিতে বণ্টন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সাধারণ অর্থে বণ্টন হলো ভাগ বা বিলি করা। অর্থনীতিতে বণ্টন বলতে জাতীয় আয় বা সম্পদের ভাগ বা বিলি করা বোঝায়। উৎপাদনের জন্য ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন এই চারটি উপাদান অপরিহার্য। অর্থনীতির ভাষায় উৎপাদিত সম্পদ উৎপাদনের উপাদানসমূহের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে বণ্টন বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা বলতে বোঝায় যেখানে দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য ব্যক্তি নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে এবং বিনিয়োগ করে। এখানে কোনোরকম বাধা-নিষেধ থাকে না।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কাজের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সকল অর্থনৈতিক কাজের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধন। এখানে ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে না।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ ইসলামি অর্থব্যবস্থার ধারণা দাও।
উত্তর : যে অর্থব্যবস্থা কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী পরিচালিত হয় তাই ইসলামি অর্থব্যবস্থা।এ অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কার্যাবলির মৌলিক নীতিমালা স্থির হয় ইসলামের ৫টি মূলস্তম্ভ, পবিত্র কুরআনের নির্দেশনাবলি ও রাসুল (স) এর হাদিসের বিধান অনুসারে। ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সুদ লেনদেন হারাম বা নিষিদ্ধ।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ সমাজতন্ত্র হচ্ছে “সমাজের অর্থনৈতিক সংগঠন” ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সমাজতন্ত্র হচ্ছে সমাজের অর্থনৈতিক সংগঠন। কারণ সমাজতন্ত্রে রাষ্ট্র উৎপাদনের চারটি উপাদানকে সমন্বিত করে একটি সার্বিক কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা অনুসারে উৎপাদন কার্যে নির্দেশনা দেয় ও তা পরিচালনা করে। এতে সমাজের সকল সদস্য এই পরিকল্পিত সকল সদস্য কর্মকা থেকে সর্বাধিক কল্যাণ অর্জন করতে স ম হয়। কাজেই এটা বলা যায় যে, সমাজের অর্থনৈতিক সংগঠন হলো সমাজতন্ত্র।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ বণ্টন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : উৎপাদিত সম্পদ উৎপাদনের উক্ত চারটি উপাদানের মধ্যে ভাগ হওয়ার প্রক্রিয়াকে বণ্টন বলা হয়। মানুষ সবসময়ই তার বিভিন্ন অভাব পূরণের জন্য উৎপাদনের চারটি উপাদানের সাহায্যে প্রচেষ্টা চালায়। মোট উৎপাদিত সম্পদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ এই চারটি উপকরণের মধ্যে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা হিসেবে ভাগ হয়ে যায়। এগুলো হচ্ছে উৎপা
দনের উপকরণসমূহের আয়বণ্টন।