৯ম-১০ম শ্রেণী বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃমানুষ মুহম্মদ (স.)
মানুষ মুহম্মদ (স.)
লেখক পরিচিতি :
নাম মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩০৩ বঙ্গাব্দের ২৮শে ভাদ্র।
জন্মস্থান : সাতক্ষীরা জেলার বাঁশদহ গ্রাম।
শিক্ষাজীবন কলকাতা বঙ্গবাসী কলেজে বিএ ক্লাসের ছাত্র থাকাকালীন অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন এবং এখানেই লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটে।
কর্মজীবন পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। ‘দৈনিক মোহাম্মদী, ‘মাসিক মোহাম্মদী’, ‘দৈনিক সেবক’, ‘সাপ্তাহিক খাদেম’, ‘সাপ্তাহিক সওগাত’, ‘দি মুসলমান’ প্রভৃতি পত্রিকায় কাজ করেন।
সাহিত্যিক পরিচয় রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সহজ, সরল প্রকাশভঙ্গি। গদ্যশৈলী ঋজু, রচনা সাবলীল।
প্রবন্ধগ্রন্থ প্রবন্ধগ্রন্থ : মরুভাস্কর।
জীবনীগ্রন্থ : সৈয়দ আহমদ, মহামানুষ মুহসীন, ছোটদের হযরত মুহম্মদ।
অনুবাদকর্ম : স্মার্ণানন্দিনী।
মৃত্যু ১৯৫৪ সালের ৮ই নভেম্বর।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১. হযরত নূহু (আ.) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে চলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এতে মাত্র চলি−শ জন মানুষ সাড়া দেন। বাকিরা সবাই তাঁর বিরোধিতা শুরু করে নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তোলে। এ অত্যাচারের মাত্রা সহনাতীত হলে তিনি এক পর্যায়ে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল−াহর কাছে ফরিয়াদ জানান। আল−াহর হুকুমে তখন এমন বন্যা হয় যে, ঐ চলি−শ জন বাদে সকল অত্যাচারী ধ্বংস হয়ে যায়।
ক. হযরত মুহম্মদ (স.) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. সুমহান প্রতিশোধ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. হযরত নূহু (আ.) যে দিক দিয়ে হযরত মুহম্মদ (স.) থেকে ভিন্ন তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. হযরত নূহু (আ.)-এর চরিত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আনলে তাঁর মাঝেও হযরত মুহম্মদ (স.)-এর একটি বিশেষ গুণ ফুটে উঠত? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১ নং প্র. উ.
ক. হযরত মুহম্মদ (স.) কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন।
খ. সুমহান প্রতিশোধ বলতে লেখক অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম নিপীড়নের জবাবে ভালো ব্যবহার ও মনুষ্যত্বের আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা বুঝিয়েছেন।
মুহম্মদ (স.) মানবতার জন্য কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করলেও বারবার তিনি বৈরীতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। পৌত্তলিকের প্রস্তরাঘাতে তিনি আহত হয়েছিলেন। সত্য প্রচারের জন্য তায়েফে গমন করলে শত্রুর নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু কারো প্রতি তাঁর ক্ষোভ, ক্রোধ, ঘৃণা কোনোটিই ছিল না। জয়ীর আসনে বসার পর তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তাঁর ভেতরকার বিরাট মনুষ্যত্ববোধের কারণেই এই সুমহান প্রতিশোধ নেওয়া সম্ভব হয়েছিল।
গ. হযরত নূহু (আ.) অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করলেও মুহম্মদ (স.) অত্যাচারীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি বরং তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে লেখক মুহম্মদ (স.)-এর অসাধারণ গুণাবলির উল্লেখ করেছেন আদর্শ মহামানব হযরত মুহম্মদ (স.) বিশ্বকে জয় করেছিলেন তাঁর মানবিক গুণাবলি দ্বারা। মানুষের জন্য তিনি দিওয়ানা ও কল্যাণকামী হলেও তাঁর চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তাঁকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। শারীরিক-মানসিক সব ধরনের নির্যাতনে তাঁকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। এত কিছুর পরও তিনি প্রাণের শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহর কাছেও কারো বিরুদ্ধে কোনো নালিশ করেননি।
উদ্দীপকে হযরত নূহু (আ.) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে সবাইকে আহ্বান জানালেও মাত্র ৪০ জন মানুষ তার আহ্বানে সাড়া দেয়। অন্যরা তাঁর বিরোধিতা এবং অত্যাচার ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। তাদের অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গেলে নূহু (আ.) তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। ওই ৪০ জন বাদে বাকিদের আল্লাহ ধ্বংস করে দেন। তাই এক্ষেত্রে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর থেকে হযরত নূহু (আ.)-এর ভিন্নতা আমরা লক্ষ করি।
ঘ. হযরত নূহু (আ.) যদি আরো ধৈর্য ও ক্ষমার নীতি গ্রহণ করতেন তাহলে মহানবি মুহম্মদ (স.)-এর বিশেষ গুণটি তাঁর মধ্যে ফুটে উঠত।
মানুষ মুহম্মদ (স.) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। মানবীয় সকল শ্রেষ্ঠ গুণের সমাবেশ ঘটেছিল তাঁর চরিত্রে। ভালোবাসা, কল্যাণকামিতা, ধৈর্য ও ক্ষমার মহৎ গুণ আজও পৃথিবীতে উদাহরণ হয়ে আছে। অথচ তাঁর জীবনের মহৎ আদর্শকে গ্রহণ না করে কুরাইশরা তাঁর বিরোধিতা করে নির্যাতন-নিপীড়নের পথ বেছে নেয়। পাথরের আঘাতে তাঁকে বারবার রক্তাক্ত করা হয়। তারপরও তিনি কখনোই শত্রুদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চাননি। বরং তিনি ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনাও করেননি। বরং বলেছেন, “এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা করো।”
উদ্দীপকে হযরত নূহু (আ.) তাঁর সম্প্রদায়কে ধর্ম ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র চল্লিশজন মানুষ তাঁর আহ্বানে সাড়া দেয়। বাকিরা তাঁর বিরুদ্ধাচারণে লিপ্ত হয়। নুহু (আ.) ও তাঁর অনুসারীদেরকে অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তোলে। তাদের অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেলে তিনি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আল্লাহ তখন মহাপ্লাবন দিয়ে অত্যাচারীদের ডুবিয়ে মারেন।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে আমরা লক্ষ করি মহানবি (স.) সীমাহীন নির্যাতন ও কষ্ট ভোগ করার পরও তিনি কাফেরদের মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো ফরিয়াদ বা প্রার্থনা করেননি। তিনি সবসময় মনে করতেন যারা তাঁর ওপর অন্যায় করেছে তারা না বুঝে করেছে। তিনি তাদের ওপর কোনোরূপ প্রতিশোধের চিন্তা কখনোই করেননি। তিনি মনে করতেন অবাধ্যদের সৎপথে আনার চূড়ান্ত চেষ্টা চালানোই তাঁর কাজ। তিনি সবকিছু বিচার করতেন মানবিক বিবেচনায়। প্রতিশোধ গ্রহণের স্পৃহা তার ভেতর কখনোই কাজ করেনি। মনুষ্যত্বের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল তাঁর চরিত্রে। তাই উদ্দীপকে বর্ণিত নূহু (আ.)-এর মধ্যে যদি ক্ষমা ও ধৈর্যের গুণটি আরো বেশি প্রকাশ পেত তবে মহানবি মুহম্মদ (স.) এর চরিত্রের মতো তা তাঁর মধ্যেও ফুটে উঠত।
২. স্ত্রীর দেওয়া বিষপানে মৃত্যুকালে ইমাম হাসান তাঁর বিষদাতার পরিচয় জানতে পেরেও তাকে উদ্দেশ করে বলেন, “তোমাকে বড়ই ভালোবাসিতাম, বড়ই স্নেহ করিতাম, তাহার উপযুক্ত কার্যই তুমি করিয়াছ। তোমার চক্ষু হইতে হাসান চিরতরে বিদায় হইতেছে। সুখে থাক, তোমাকে আমি ক্ষমা করিলাম।”
ক. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ‘স্থিতধী’ বলা হয়েছে কাকে? ১
খ. ‘তাঁহারই দিকে সকলের মহাযাত্রা’। কেন? বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. উদ্দীপকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “প্রতিফলিত দিকটি ছাড়াও হযরত মুহম্মদ (স.) অন্যান্য গুণে গুণান্বিত ছিলেন”Ñ ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ‘স্থিতধী’ বলা হয়েছে হযরত আবু বকর (রা.)-কে।
খ মৃত্যুর পর সকলকেই আল্লাহপাকের নিকট ফিরে যেতে হবে বিধায় ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে হযরত আবু বকর (রা.) বলেছেন ‘তাঁহারই দিকে সকলের মহাযাত্রা’।
আল্লাহ তায়ালা বিশ্বভুবনের সকল কিছুরই সৃষ্টিকর্তা। তিনি অমর ও অবিনশ্বর। তিনি জিন ও মানবজাতিকে তাঁরই ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। দুনিয়াতে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমেই মানুষ আখিরাতে লাভ করবে পরম সুখের স্থান জান্নাত। আর দুনিয়ার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে মৃত্যুর মাধ্যমে। প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। তাঁর কাছেই সকলের মহাযাত্রা।
গ. উদ্দীপকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের হযরত মুহম্মদ (স.) -এর ক্ষমাশীলতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
হযরত মুহম্মদ (স.) ছিলেন অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। তিনি দুনিয়াতে ক্ষমার এক মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। শত্রুর তীব্র অত্যাচারের মুখেও তাঁর মুখ থেকে কোনো অভিশাপের বাণী প্রকাশ পায়নি। বরং তিনি বলেছেন, ‘এদের ক্ষমা কর প্রভু, এদের জ্ঞান দাও’। তায়েফে সত্য প্রচারে গিয়ে শত্রুর প্রস্তরাঘাতে রক্তাক্ত হয়েও তিনি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে মানবজাতির জন্য তিনি ক্ষমার অনন্য নজির স্থাপন করে গেছেন।
উদ্দীপকে বর্ণিত ইমাম হাসান মৃত্যুকালে তাঁর ঘাতকের পরিচয় জেনেও তাকে ক্ষমা করে দেন। এর মাধ্যমে তাঁর মাঝে ক্ষমাশীলতার অপূর্ব প্রকাশ ঘটেছে। হযরত মুহম্মদ (স.) শত্রুকে নাগালে পেয়েও মাফ করে দিয়েছেন। তেমনি উদ্দীপকের ইমাম হাসানও নিজের ঘাতককে নাগালে পেয়েও ক্ষমা করেছেন। উভয়ের মাঝেই ক্ষমাশীলতার ক্ষেত্রে সাদৃশ্য ফুটে ওঠে।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ক্ষমাশীলতার দিকটি ছাড়াও হযরত মুহম্মদ (স.) ছিলেন অজস্র চারিত্রিক গুণে গুণান্বিত।
মানুষের পক্ষে যা আচরণীয় হযরত মুহম্মদ (স.) তারই আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি বিপুল ঐশ্বর্য, ক্ষমতা ও মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মধ্যে থেকেই সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করে গেছেন। ক্ষমা ও মহত্ত্ব, প্রেম ও দয়া ছিল তাঁর অসংখ্য গুণের মধ্যে অন্যতম। তাঁর সাধনা, ত্যাগ ও কল্যাণচিন্তা ছিল বিশ্বের সব মানুষের জন্য অনুকরণীয়।
উদ্দীপকে মুহম্মদ (স.)-এর অসংখ্য চারিত্রিক গুণের মধ্যে মাত্র একটি দিকের প্রতিফলন ঘটেছে। ইমাম হাসান তাঁর হন্তারকের পরিচয় জানা সত্ত্বেও তাকে ক্ষমা করার মাধ্যমে মুহম্মদ (স.)-এর ক্ষমাশীলতা গুণের প্রতিফলন ঘটান। মুহম্মদ (স.) এই ক্ষমাশীলতা ছাড়াও আরও অসংখ্য গুণে গুণান্বিত ছিলেন।
‘মানুষ মুহম্মদ (স)’ প্রবন্ধে মানুষ হিসেবে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হয়েছে। চারিত্রিক গুণাবলি বিবেচনায় হযরত মুহম্মদ (স.) ছিলেন এক অসাধারণ চরিত্র। তাঁর মাঝে ছিল ত্যাগ, প্রেম, সাধুতা, সৌজন্য, ক্ষমা, তিতিক্ষা, সাহস, মৌর্য, অনুগ্রহ, আত্মবিশ্বাস, তীক্ষ্ম-দৃষ্টি ইত্যাদি অজস্র গুণের সমাহার। এ কারণেই মানবজাতির জন্য তিনি হয়েছেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। আমাদের অতি আপনজন হয়েও হয়েছেন অনুকরণীয়, বরণীয়। উদ্দীপকে হযরত মুহম্মদ (স.) এর এই অজস্র গুণের মধ্যে একটি তথা ক্ষমার দিক প্রতিফলিত হয়েছে।
৩. হযরত হাসান বসরী (র.) রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এক লোক এসে তাঁকে অহেতুক গালাগাল করল। লোকটি চলে যাওয়ার পর হাসান বসরী (র.) তার জন্য দুই হাত তুলে দোয়া করলেন। উপস্থিত লোকদের একজন যখন জিজ্ঞেস করলেন, যে ব্যক্তি আপনাকে গালমন্দ করল, দুর্ব্যবহার করল তার জন্য কেন দোয়া করলেন? তিনি বললেন, ওই লোকটির মনে আছে মানুষের প্রতি ঘৃণা, গালাগাল। সে তাই করে। আমার মনে আছে কল্যাণ কামনা। আমি তাই করি।
ক. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধটি রচনা করেন কে? ১
খ. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুর পর মদিনায় আঁধার ঘনিয়ে আসার মতো হলো কেন? ২
গ. উদ্দীপকের হাসান বসরী (র.)-এর চরিত্রে মহানবি (স.)-এর কোন গুণের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ওই গুণটি মানব চরিত্র গঠনে কীভাবে ভূমিকা রাখে? উদ্দীপক ও ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধটি রচনা করেন মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী।
খ. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুর পর নেতা হারানোর শোকে মদিনায় আঁধার ঘনিয়ে আসার মতো হলো।
মুহম্মদ (স.) ছিলেন মুসলিম জাতির নেতা। তাঁকে মদিনার সকলে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসত। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সকলে ইসলামের সেবায় নিয়োজিত ছিল। ফলে মদিনাবাসীরা মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যু সংবাদে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে। এই সংবাদে সমগ্র মদিনায় আঁধার ঘনিয়ে আসার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
গ. মহানবি (স.)-এর অন্যতম গুণ ‘ধৈর্য’-এর প্রতিফলন ঘটেছে উদ্দীপকের হাসান বসরী (র.)-এর চরিত্রে।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে মুহম্মদ (স.) -এর চরিত্রে কীভাবে সকল প্রকার মানবীয় গুণের সমাবেশ ঘটেছে। বৈরী শক্তির অত্যাচারে তিনি বারবার জর্জরিত হয়েছিলেন। সত্য প্রচার করতে গিয়ে তিনি তায়েফে পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন। নির্মম অমানুষিক অত্যাচারে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতে বাধ্য হয়েছিলেন। সত্য প্রচারের অপরাধে যারা তাঁকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন এমনকি হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল তিনি তাদেরকে কোনোদিন অভিশাপ দেননি। বরং তাদের সৎপথে ফেরানোর জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন।
আলোচ্য উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, এক ব্যক্তি হাসান বসরী (র.)-এর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলেও তিনি উত্তেজিত না হয়ে শান্ত থেকেছেন। কোনো প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেননি। নিজেকে সংযত রেখে মন্দ ব্যবহারের জবাবে ভালো ব্যবহার করেছেন। হাসান বসরী (র.) এ বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলেও প্রশান্ত মনে তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন। তাঁর ধৈর্য ধারণের এই আদর্শ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাই বলতে পারি, উদ্দীপকের হাসান বসরী (র.)-এর চরিত্রে মহনবি (স.)-এর অন্যতম মানবীয় গুণ-ধৈর্যের প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ধৈর্য নামক গুণটি মানব চরিত্র গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। উদ্দীপকের দৃষ্টান্ত এবং মহানবি (স.) এর মহিমান্বিত জীবন থেকে আমরা সে শিক্ষাই পাই।
ধৈর্যের মতো মহৎ গুণ কীভাবে মানুষকে মহামানবে পরিণত করে তা ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধ থেকে আমরা জানতে পারি। মহানবি (স.) কে বিভিন্ন সময়ে শত্রুরা লাঞ্ছনা দিয়েছে, তাঁর ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে, তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে জয়ীর আসনে তিনি বসে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। ক্রোধ, ঘৃণা বা বিরক্তির একটি কথাও তাঁর মুখে উচ্চারিত হয়নি। সত্য প্রচারে স্বার্থে, মানুষের কল্যাণের স্বার্থে সব কষ্ট হাসিমুখে সয়েছেন তিনি।
উদ্দীপকের উল্লিখিত হযরত হাসান বসরী (র.)-এর মাঝে এই ধৈর্যের গুণটি তাঁকে ব্যাপকভাবে মহিমান্বিত করে। তাঁর প্রতি যে অসদাচরণ করা হয়েছে তিনি তা ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করেছেন। ধৈর্যধারণের এই দৃষ্টান্ত আশপাশের মানুষ এমনকি দুর্বৃত্ত শ্রেণির মানুষের ওপরও প্রভাব ফেলে। মন্দ ব্যবহারের জবাবে মন্দ ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে হাসান বসরী (র.) তার চরিত্র মাধুর্য তুলে ধরতে পারতেন না। কারো গালাগাল নীরবে সহ্য করা সহজ কাজ না। তদুপরি তিনি আবার ওই ব্যক্তির জন্য হাত তুলে দোয়া করলেন। তিনি ধৈর্যের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
উদ্দীপক এবং প্রবন্ধ বিচার করলে বোঝা যায়, মহামানবের ধৈর্যের মাধ্যমেই পৃথিবীতে কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। মহানবি (স.) ধৈর্যের মাধ্যমে একটি অধঃপতিত জাতিকে আলো ও মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। তাঁর মাধ্যমেই আমরা জানতে পেরেছি ‘আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন’ পক্ষান্তরে হাসান বসরী (র.)-এর ধৈর্য ধারণও যুগ যুগ ধরে মানুষকে ধৈর্য ধারণে উদ্বুদ্ধ করে। মানব চরিত্র গঠনে ধৈর্যই সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। যে কোনো কল্যাণমূলক কাজ করতে গেলেই সেখানে বিঘœ আছে, কষ্ট আছে। এগুলোকে যারা ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে এগিয়ে যায়, তারাই সাফল্য লাভ করে।
৪. এক কাপড়ের ব্যবসায়ী তার দোকানটি করিম নামের এক ছেলের দায়িত্বে রেখে বাইরে চলে গেলেন। নানা দুর্বিপাকে দীর্ঘদিন তিনি আর ফিরতে পারলেন না। করিম তার কর্তব্যনিষ্ঠা দিয়ে আরো তিনটি দোকান স্থাপন করল। সাত বছর পর ওই ব্যবসায়ী ফিরে এলে করিম দোকানের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হলো। করিমের মহৎপ্রাণের পরিচয় পেয়ে ব্যবসায়ী অভিভূত হলেন। তিনি করিমের হাতেই দোকান বুঝিয়ে দিয়ে ধর্ম কর্মের জন্য আবার বেরিয়ে পড়লেন। বালক তার সততার পুরস্কার পেল।
ক. কার মৃত্যুর সংবাদে কারো মুখে কথা সরে না? ১
খ. “যে বলিবে হযরত মরিয়াছেন, তাহার মাথা যাইবে” বীরবাহু ওমর এ কথা বললেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তু মহানবি (স.)-এর গুণাবলির কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ৩
ঘ. সততা কীভাবে মানুষের মহিমান্বিত করে উদ্দীপক ও মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
৪ নং প্র. উ.
ক. হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুর সংবাদে কারো মুখে কথা সরে না।
খ. মুহম্মদ (স.)-কে অধিক ভালোবাসার কারণে তার মৃত্যুসংবাদ সইতে না পেরে ওমর (রা) বলেছেন, ‘যে বলিবে হযরত মরিয়াছেন, তাহার মাথা যাইবে’।
ওমর (রা.) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এবং মুহম্মদ (স.)-এর সাহাবি। তিনি মুহম্মদ (স.)-কে অত্যধিক ভালোবাসতেন। তাঁর জন্য জীবন উৎসর্গ করতেও রাজি ছিলেন। এই প্রাণপ্রিয় রাসুলের মৃত্যু সংবাদ তার বুকে শেলের মতো বিঁধে। এজন্য তিনি রাসুলের মৃত্যুসংবাদে উন্মুক্ত তরবারি হাতে দাঁড়িয়ে যান এবং প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেন।
গ. মহানবি (স.)-এর অসংখ্য গুণের মধ্যে সততা ও সত্যবাদিতার গুণটি উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধে আমরা লক্ষ করি মহানবি (স.) বাল্যকাল থেকেই বিশ্বস্ত, প্রিয়ভাষী এবং সত্যবাদী ছিলেন। সততা ও সত্যবাদিতার জন্য তিনি আল-আমিন উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। সততার জন্য তাঁর প্রতি বিবি খাদিজা বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। নিঃস্ব কাঙালের মতো তিনি জীবনযাপন করেছেন। কিন্তু সততা ও সত্যবাদিতা থেকে একচুলও নড়েন নি। শত্রুরাও তাঁর সততার স্বীকৃতি দিয়েছিল।
আলোচ্য উদ্দীপকে করিম নামের বালকটি সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সততার সাথে সে ব্যবসায়ীর আমানত রক্ষা করেছে। নতুন তিনটি দোকান স্থাপন করেছে। কিন্তু সে নিজেকে এগুলোর মালিক মনে করেনি। যে কারণে ব্যবসায়ী ফিরে এলে দোকান তার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। উদ্দীপক ও ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে সততা কীভাবে মানুষকে মহিমান্বিত করে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ঘ. মহানবি (স.) তাঁর সততার কারণে সকলের আস্থাভাজন ও আল-আমিন উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে উদ্দীপকে করিম সততার জন্য উপযুক্ত পুরস্কার পেল।
মহানবি (স.) সততার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। আল-আমিন উপাধি পেয়েছিলেন একেবারে ছোটবেলায়। তাঁর সততার কারণেই হযরত খাদিজা (রা)-এর ব্যবসায় বহুগুণে সম্প্রসারিত হয়েছিল। তিনি কখনও মিথ্যার আশ্রয় নেননি। জীবনের সকল ক্ষেত্রে তিনি সততাকেই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
উদ্দীপকের বালক করিম যে সততার পরিচয় দিয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। করিমের মাঝে সততা ও নিষ্ঠা ছিল বলেই একটি দোকান পরিচালনা করে আরো ৩টি দোকান স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। তার ভেতরে কোনো লোভ কাজ করেনি। দোকানের মূল মালিকের সাথে সে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। বরং সততা ও মনুষ্যত্ববোধে উজ্জীবিত এই বালক ফিরে আসা মালিকের কাছে দোকানের ভার ন্যস্ত করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। বালক করিমের সততায় দোকানের মালিক মুগ্ধ হয়েছেন।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধ এবং উদ্দীপকের বিষয় পর্যালোচনা করে আমরা বলতে পারি সততার মতো বড়গুণ আর নেই। মানুষ মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে সততার জন্যই। আমাদের মহানবি (স.) ছিলেন মানবতার মহান শিক্ষক। তিনি সততাসহ সব সৎগুণে চর্চা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। সমাজের সব মানুষ সততার নীতি অনুসরণ করলে কোথাও স্বার্থে দ্বন্দ্ব হবে না। মানুষের জীবনে বিপর্যয় আসবে না। মানুষ নিরাপত্তা লাভ করবে। কেউ কারো সম্পদ বা অধিকার জোর করে হরণ করবে না। এই আদর্শ অনুসরণ করেই করিম নিজেকে মহৎপ্রাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। নিজের জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পেরেছে।
৫. কয়েক বছর আগের ইমরানের সাথে ভালোভাবে কথাও বলত না কেউ। কারণটা ছিল তার কুশ্রীদর্শন অবয়ব ও দারিদ্র্য, সে কালো ও বেঁটে। থ্যাবড়া নাক আর তোবড়ানো গালের কারণে চেহারাটা তার অদ্ভুতদর্শন। তবে এখন সে সকলের প্রিয় ‘ইমরান ভাই’। মানুষের কল্যাণে জীবনকে উৎসর্গ করেছে ইমরান। এলাকার কেউ বিপদে পড়লে বা সাহায্য চাইলে যথাসাধ্য চেষ্টা করে সে। প্রথম প্রথম সবাই নানাভাবে বাধা দিলেও দমে যায়নি ইমরান। বরং পরম মমতায় শত্রু-মিত্র সবাইকে আপন করে নিয়েছে। হযরত মুহম্মদ (স.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে মানুষের ভালোবাসা পেতে চায় ইমরান।
ক. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুশয্যার পার্শ্বে শেষ পর্যন্ত কে ছিলেন? ১
খ. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যু সংবাদে মূর্ছিত মুসলমানদের চৈতন্য হয় কীভাবে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের ইমরানের কোন বৈশিষ্ট্যটি ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বর্ণিত মুহম্মদ (স.)-এর বৈশিষ্ট্যের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটির যৌক্তিকতা ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
৫নং প্র. উ.
ক. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুশয্যার পার্শ্বে শেষ পর্যন্ত আবু বকর (রা.) ছিলেন।
খ. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুসংবাদে মূর্ছিত মুসলমানদের চৈতন্য হয় আবু বকর (রা.)-এর গম্ভীর উক্তিতে।
আবু বকর (রা.) মুহম্মদ (স.) -এর মৃত্যুশয্যার পাশে শেষ পর্যন্ত ছিলেন। তিনি শোকে বিহ্বল মুসলিমদের বোঝালেন মুহম্মদ (স.) আমাদের মতোই মানুষ। তাঁরও জীবন-মৃত্যু, সুখ-দুঃখ রয়েছে। তাই মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুতে ভেঙে না পড়ে মুসলমানদের আল্লাহর একত্ববাদের সত্যকে মাথা পেতে গ্রহণ করতে হবে। আর আবু বকর (রা)-এর এই পরামর্শেই দুঃখ ভারাক্রান্ত মুসলমানদের চৈতন্য হয়।
গ. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বর্ণিত মুহম্মদ (স.)-এর শারীরিক সৌন্দর্যের দিক থেকে উদ্দীপকের ইমরানের বৈশিষ্ট্য বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবিক গুণাবলির পাশাপাশি তাঁর সুন্দর শারীরিক সৌন্দর্যের কথা বলা হয়েছে। হযরতের রূপলাবণ্য ছিল অপূর্ব, অসাধারণ। তাঁর সুউচ্চ গ্রীবা, কালো কালো দুটি চোখের ঢলঢল চাহনি ছিল মন-প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মতো। এক অপূর্ব পুলকদীপ্ত চেহারা, সুদর্শন পুরুষ হিসেবে তিনি সহজেই মানুষের চিত্ত আকর্ষণ করতে পারতেন।
উদ্দীপকের ইমরানের কুশ্রী চেহারার কারণে কেউ তার সাথে ভালোভাবে কথা বলত না। সবাই এড়িয়ে চলত। কারণ সে ছিল কালো ও বেঁটে। থ্যাবড়া নাক আর তোবড়ানো গালের অধিকারী। যদিও পরবর্তীতে সেবাধর্মী কাজের মধ্য দিয়ে সে সকলের প্রিয় হয়ে ওঠে। শারীরিক সৌন্দর্য বিবেচনায় মুহম্মদ (স.)-এর সাথে তার বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. হযরত মুহম্মদ (স.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে যেকোনো মানুষই মানুষের ভালোবাসা পেতে পারে।
‘মানুষ মুহাম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, মুহম্মদ (স.) মানুষের মন আকর্ষণ করেছিলেন মূলত তাঁর মানবীয় গুণাবলি দ্বারা। মানুষের সাথে মানুষের ব্যবহারে তিনি ছিলেন ইতিহাসের অসাধারণ চরিত্র। ক্ষমা ও মহত্ত্ব, প্রেম ও দয়া তার অজস্র চারিত্রিক গুণের মধ্যে প্রধান। সারাজীবন মানবজাতির কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। তাঁর কল্যাণচিন্তা বিশ্বের সব মানুষের জন্য অনুকরণীয়।
উদ্দীপকের ইমরান হযরত মুহম্মদ (স.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে মানুষের ভালোবাসা পেতে চায়। ইমরান মানুষের কল্যাণে জীবনকে উৎসর্গ করেছে। মানুষের প্রয়োজনে বিপদে-আপদে সে ছুটে যায়, সাধ্যমতো চেষ্টা করে। সে ভালোবাসা দিয়ে শত্রু-মিত্র সবাইকে আপন করে নিয়েছে।
মুহম্মদ (স.) মানুষের পক্ষে যা আচরণীয় তার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বিপুল ঐশ্বর্য, ক্ষমতা ও মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মধ্যে থেকেও একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করে গেছেন। শত্রুরা তাঁর দেহ থেকে রক্ত ঝরালেও, তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হলেও তিনি কাউকেই অভিশাপ দেননি। বরং ক্ষমতার মসনদে আসীন হয়েও তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাঁর নীতি ও আদর্শের কারণেই তিনি পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। উদ্দীপকের ইমরান মহানবি (স.)-এর আদর্শ অনুসরণ করেই মানুষের ভালোবাসা পেতে চায়। যে কারণে সে মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করেছে। মহানবির পথ ধরেই সে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ভালো কাজের স্বীকৃতি পেয়েছে। সব মানুষের জন্যই মহানবি (স.) সর্বশ্রেষ্ঠ অনুকরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. কার গম্ভীর উক্তিতে সকলের চৈতন্য হয়?
উত্তর : আবু বকরের গম্ভীর উক্তিতে সকলের চৈতন্য হয়।
২. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যু সংবাদে কার শিথিল অঙ্গ মাটিতে লুটাল?
উত্তর : মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যু সংবাদে হযরত ওমর (রা.)-এর শিথিল অঙ্গ মাটিতে লুটাল।
৩. আবু বকর (রা.) মূর্ছিত মুসলিমকে কী বুঝিয়ে দিলেন?
উত্তর : মুহম্মদ (স.) জীবন-মৃত্যুর অধীন রক্ত-মাংসে গঠিত একজন মানুষ এ কথা আবু বকর (রা.) মূর্ছিত মুসলিমকে বুঝিয়ে দিলেন।
৪. মুহম্মদ (স.) মানুষের মন আকর্ষণ করেছিলেন মুখ্যত কী দ্বারা?
উত্তর : মুহম্মদ (স.) মানুষের মন আকর্ষণ করেছিলেন মুখ্যত তাঁর মানবীয় গুণাবলি দ্বারা।
৫. মুহম্মদ (স.) মক্কা থেকে কোথায় হিজরত করেন?
উত্তর : মুহম্মদ (স.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন।
৬. পরহিতব্রতী দম্পতির কুটিরস্বামীর নাম কী?
উত্তর : পরহিতব্রতী দম্পতির কুটিরস্বামীর নাম আবু মাবদ।
৭. হিজরতের পথে উম্মে মা’বদ কী দিয়ে হযরতের তৃষ্ণা নিবারণ করেছিলেন?
উত্তর : হিজরতের পথে উম্মে মা’বদ ছাগীদুগ্ধ দিয়ে হযরতের তৃষ্ণা নিবারণ করেছিলেন।
৮. কোথায় সত্য প্রচার করতে গিয়ে মুহম্মদ (স.)-কে রক্তাক্ত হতে হয়েছিল?
উত্তর : তায়েফে সত্য প্রচার করতে গিয়ে মুহম্মদ (স.)-কে রক্তাক্ত হতে হয়েছিল।
৯. কোন সন্ধিতে মুসলমানদের ওপর ঘোর অপমানের শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়?
উত্তর : হুদায়বিয়ার সন্ধিতে মুসলমানদের ওপর ঘোর অপমানের শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়।
১০. মুহম্মদ (স.)-এর মক্কা বিজয়ের দিন কাফেররা কার সাথে হাঙ্গামা বাধায়?
উত্তর : মুহম্মদ (স.)-এর মক্কা বিজয়ের দিন কাফেররা খালিদের সাথে হাঙ্গামা বাধায়।
১১. বক্তৃতার মাঝখানে প্রশ্ন করে মুহম্মদ (স.)-কে থামিয়ে দেয় কে?
উত্তর : বক্তৃতার মাঝখানে প্রশ্ন করে মুহম্মদ (স.)-কে থামিয়ে দেয় একজন অন্ধ।
১২. মানুষের মঙ্গল আনার জন্য পাথরের ঘায়ে কার দাঁত ভেঙেছিল?
উত্তর : মানুষের মঙ্গল আনার জন্য পাথরের ঘায়ে মুহম্মদ (স.)-এর দাঁত ভেঙেছিল।
১৩. ‘ধী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘ধী’ শব্দের অর্থ হলো বুদ্ধি।
১৪. কারা পরাহিতব্রতী দম্পতি?
উত্তর : আবু মা’বদ দম্পতি পরহিতব্রতী।
১৫. ‘পৌত্তলিক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘পৌত্তলিক’ শব্দের অর্থ হলো মূর্তিপূজক।
১৬. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা কে?
উত্তর : ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.)।
১৭. ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম পুরুষ ব্যক্তি কে?
উত্তর : ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম পুরুষ ব্যক্তি হযরত আবু বকর (রা.)।
১৮. মহানবি (স.)-এর হিজরতকালীন সঙ্গী কে ছিলেন?
উত্তর : মহানবি (স.)-এর হিজরতকালীন সঙ্গী ছিলেন আবু বকর (রা.)।
১৯. মহানবি (স.) কোন নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : মহানবি (স.) মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন।
২০. কখন থেকে হিজরি সাল গণনা শুরু হয়?
উত্তর : মহানবি (স.)-এর হিজরতের পর থেকে হিজরি সাল গণনা শুরু হয়।
২১. আয়েশা (রা.) কার কন্যা?
উত্তর : আয়েশা (রা.) আবু বকর (রা.)-এর কন্যা।
২২. ‘মরুভাস্কর’ গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
উত্তর : ‘মরুভাস্কর’ গ্রন্থটি রচনা করেন মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী।
২৩. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে কী বিশ্লেষণ করা হয়েছে?
উত্তর : ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে হযরত মুহম্মদ (স.) এর মানবীয় গুণাবলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
২৪. কার দিকে সকলের মহাযাত্রা?
উত্তর : আল্লাহর দিকে সকলের মহাযাত্রা।
২৫. উম্মে মা’বদ স্বামীর নিকট কার রূপ বর্ণনা করেন?
উত্তর : উম্মে মা’বদ স্বামীর নিকট মুহম্মদ (স.)-এর রূপ বর্ণনা করেন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. মুহম্মদ (স.) মানুষের মন আকর্ষণ করেছিলেন কীভাবে? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : মুহম্মদ (স.) মানুষের মন আকর্ষণ করেছিলেন তাঁর মানবীয় গুণাবলি দ্বারা।
মুহম্মদ (স.) ছিলেন মানবতার মূর্ত প্রতীক। তিনি ছিলেন আল-আমিন বা বিশ্বস্ত। তার বুদ্ধি, বিচারশক্তি, বলিষ্ঠ দেহ যে কাউকেই মুগ্ধ করে। দয়া, ভালোবাসা, সহমর্মিতা, করুণা প্রভৃতি সকল গুণই তাঁর মাঝে বিদ্যমান ছিল। আর অসামান্য দৈহিক সৌন্দর্যের সাথে চরিত্র-মাধুরীর সংমিশ্রণে মুহম্মদ (স.) মানুষের মন আকর্ষণ করেছিলেন।
২. মুহম্মদ (স.)-এর কাছে এলে মানুষজন তাঁর আপনজন হয়ে যেত কেন?
উত্তর : মুহম্মদ (স.)-এর শারীরিক সৌন্দর্য এবং মধুময় চরিত্রগুণের আকর্ষণে মানুষজন তাঁর কাছে এলে আপনজন হয়ে যেত।
মুহম্মদ (স.) ছিলেন বড় সুদর্শন পুরুষ। একজন মানুষের চেহারা অন্যের চিত্ত আকর্ষণে যতটুকু সহায়তা করে এর সবই তিনি পেয়েছিলেন। সেই সাথে সত্যের নিবিড় সাধনায় তাঁর চরিত্র মধুময় হয়ে উঠেছিল। তাঁর কাছে এলে মানুষজন তাঁর মুখের মধুবর্ষী ভাষণ এবং অপূর্ব আচরণে মুগ্ধ হয়ে যেত। এভাবে তিনি মানুষকে আপন করে নিতেন।
৩. মক্কার পথে প্রান্তরে পৌত্তলিকেরা মুহম্মদ (স.)-কে প্রস্তরাঘাতে জর্জরিত করেছিল কেন?
উত্তর : সত্য প্রচারের কারণে মক্কার পথে-প্রান্তরে পৌত্তলিকেরা মুহম্মদ (স.)-কে প্রস্তরাঘাতে জর্জরিরত করেছিল।
মুহম্মদ (স.) সত্য প্রচারে ছিলেন পর্বতের মতো অটল। তিনি মক্কার মূর্তিপূজকদের সৎপথে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালান। কিন্তু পৌত্তলিকেরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। ফলে তারা মুহম্মদ (স.)-এর ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। মক্কার পথে-প্রান্তরে তাঁকে প্রস্তরাঘাতে জর্জরিত করে।
৪. মুহম্মদ (স.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে গেলেন কেন?
উত্তর : মক্কার কোরেশরা মুহম্মদ (স.)-এর ওপর অসহনীয় নির্যাতন শুরু করলে মুহম্মদ (স.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যান।
মুহম্মদ (স.) সত্য প্রচার করতে গিয়ে অসহনীয় নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছেন। মক্কার কোরেশরা তাঁর ওপর নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। কখনো পথে কাঁটা পুঁতে, কখনো রাস্তায় পাথর মেরে বারবার তাঁকে রক্তাক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মুহম্মদ (স.)-কে হত্যার ষড়ষন্ত্র করে। এজন্য মুহম্মদ (স.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে গেলেন।
৫. মুহম্মদ (স.)-এর মক্কা বিজয়ের দিন কাফেররা খালিদের সাথে হাঙ্গামা বাধিয়ে দিল কেন?
উত্তর : মুহম্মদ (স.)-এর মক্কা বিজয়ের দিন তাঁর সাথে যুদ্ধ কামনা করে কাফেররা খালিদের সাথে হাঙ্গামা বাধিয়ে দিল।
মক্কার কাফেররা নানাভাবে মুহম্মদ (স.)-এর ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তারা বদর, ওহোদ, খন্দক প্রভৃতি যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলমানদের নির্মূল করতে চেয়েছে। মক্কা বিজয়ের সময় কাফেররা মুসলমানদের বিজয় মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা যুদ্ধ বাধাতে চেয়েছিল। এজন্য কাফেররা খালিদের সাথে হাঙ্গামা বাধিয়ে দিল।
৬. অন্ধের প্রশ্নে মুহম্মদ (স.)-এর ললাট সামান্য কুঞ্চিত হলো কেন?
উত্তর : বক্তৃতার মাঝখানে প্রশ্ন করায় বিরক্তিতে অন্ধের প্রশ্নে মুহম্মদ (স.) ললাট সামান্য কুঞ্চিত হলো।
মুহম্মদ (স.) সত্য প্রচারে ব্রতী ছিলেন। তিনি সারাজীবন সত্য প্রচার করে গেছেন। সত্য প্রচারে রত অবস্থায় বক্তৃতা দানের মাঝখানে অন্ধ লোকটি প্রশ্ন করলে মুহম্মদ (স.) কিছুটা বিরক্ত হন। এজন্য তার ললাট সামান্য কুঞ্চিত হয়।
৭. মুহম্মদ (স.)-এর আদর্শ আমাদের জন্য অনুকরণীয় কেন?
উত্তর : মুহম্মদ (স.) মানবতার মূর্ত প্রতীক ছিলেন বলে তাঁর আদর্শ আমাদের জন্য অনুকরণীয়।
মুহম্মদ (স.) সারা জীবন সত্যের সাধনা করে গেছেন। তিনি ছিলেন সৎ, সহমর্মী, উদার ও নীতিবান। তিনি সবসময় মানবতার কল্যাণে সকলকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করলে সমাজ হবে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ। তাই মুহম্মদ (স.)-এর আদর্শ আমাদের জন্য অনুকরণীয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? চ
ক ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে খ ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে
গ ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে
২. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? ছ
ক ফরিদপুর খ সাতক্ষীরা
গ বরিশাল ঘ পাবনা
৩. বি.এ ক্লাসের ছাত্র থাকাকালীন মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোন আন্দোলনে যোগদান করেন? ঝ
ক স্বদেশি আন্দোলনে খ সিপাহি বিদ্রোহে
গ দেশভাগ আন্দোলনে ঘ অসহযোগ আন্দোলনে
৪. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোন ক্লাসের ছাত্র থাকাকালীন লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটান? ছ
ক দশম শ্রেণি খ বি.এ.
গ এফ.এ. ঘ এম.এ.
৫. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী পেশা হিসেবে কোনটি গ্রহণ করেন? জ
ক শিক্ষকতা খ আইন ব্যবসা
গ সাংবাদিকতা ঘ ব্যবসায়
৬. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোন পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন? চ
ক মাসিক মোহাম্মদী খ ইত্তেফাক
গ ধূমকেতু ঘ লাঙল
৭. স্বাস্থ্যগত কারণে মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কত সালে কলকাতা ছেড়ে সাতক্ষীরায় চলে আসেন? ছ
ক ১৯৩০ সালে খ ১৯৩৫ সালে
গ ১৯৪০ সলে ঘ ১৯৪৫ সালে
৮. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? ঝ
ক ১৯৫১ সালে খ ১৯৫২ সালে
গ ১৯৫৩ সালে ঘ ১৯৫৪ সালে
৯. শেষ পর্যন্ত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুশয্যার পাশে ছিলেন কে? চ
ক আবু বকর (রা.) খ উমর (রা.)
গ উসমান (রা.) ঘ আলী (রা.)
১০. আবু বকর (রা.) কাকে অবিনশ্বর বলেছেন? চ
ক আল্লাহকে খ হযরত মুহম্মদ (স.)-কে
গ উমর (রা.)-কে ঘ আয়েশা (রা.)-কে
১১. হযরত মুহম্মদ (স.) মানুষের মন আকর্ষণ করেছিলেন কী দ্বারা? ছ
ক বংশমর্যাদা দ্বারা খ মানবীয় গুণাবলি দ্বারা
গ ক্ষমতা দ্বারা ঘ শক্তি দ্বারা
১২. মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পথে মুহম্মদ (স.) কার কুটিরে আশ্রয় নেন? ছ
ক আবু বকরের খ আবু মা’বদের
গ উসমান (রা.)-এর ঘ উমাইর (রা.)-এর
১৩. রাহী-পথিকদের সেবা করা কাদের ব্রত ছিল? চ
ক আবু মাবদ দম্পতির খ মক্কাবাসীর
গ মদিনার মুসলমানদের ঘ তায়েফবাসীর
১৪. হিজরতের পথে মুহম্মদ (স.) আবু মাবদের ঘরে আশ্রয় নিলে আবু মাবদ কোথায় ছিলেন? ছ
ক বাজারে ছিলেন খ মেষপাল চরাতে গিয়েছিলেন
গ মক্কায় ছিলেন ঘ মদিনায় গিয়েছিলেন
১৫. মুহম্মদ (স.) আশ্রয় গ্রহণ করলে উম্মে মাবদ কী দিয়ে হযরতের তৃষ্ণা নিবারণ করেন? জ
ক পানি দিয়ে খ শরবত দিয়ে
গ ছাগীদুগ্ধ দিয়ে ঘ উষ্ট্রদুগ্ধ দিয়ে
১৬. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে আবু মাবদ বাসায় ফিরলে স্ত্রী তার কাছে কী বর্ণনা করেন? ছ
ক মুহম্মদ (স.)-এর হিযরতের কাহিনি
খ মুহম্মদ (স.)-এর রূপের কথা
গ মুহম্মদ (স.)-এর মানবীয় গুণের কথা
ঘ মুহম্মদ (স.)-এর প্রচারিত ধর্মের কথা
১৭. কিসের নিবিড় সাধনায় মুহম্মদ (স.)-এর চরিত্র মধুময় হয়ে উঠেছিল? ছ
ক ধর্মবোধের খ সত্যের
গ রূপমাধুর্যের ঘ ইসলামের
১৮. কে সবচেয়ে বেশি সুদর্শন পুরুষ ছিলেন? ঝ
ক আবু বকর (রা.) খ উমর (রা.)
গ আবু মাবদ ঘ মুহম্মদ (স.)
১৯. কোথায় সত্য প্রচার করতে গিয়ে মুহম্মদ (স.) প্রস্তরাঘাতে জর্জরিত হয়েছিলেন? জ
ক মক্কায় খ মদিনায়
গ তায়েফে ঘ জেদ্দায়
২০. মুহম্মদ (স.) মদিনায় হিজরত করলেন কেন? চ
ক মক্কাবাসীদের নির্যাতনের মাত্রা সহনাতীত হলে
খ মদিনায় অনেক ধন-সম্পদ লাভের আশায়
গ যুদ্ধের জন্য সৈন্য সংগ্রহ করতে
ঘ মদিনার গভর্নর হওয়ার জন্য
২১. কোন যুদ্ধে মুহম্মদ (স.)-এর মিথ্যা পরাজয়ের সংবাদ শুনে কাফেররা আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল? ঝ
ক বদরের যুদ্ধে খ ওহোদের যুদ্ধে
গ খন্দকের যুদ্ধে ঘ খয়বরের যুদ্ধে
২২. পথিমধ্যে কাকে হত্যা করার জন্য মক্কার কাফেররা শত শত ঘাতক পাঠায়? চ
ক মুহম্মদ (স.)-কে খ উমর (রা)-কে
গ আবু মাবদকে ঘ উসমান (রা)-কে
২৩. মুহম্মদ (স.)-এর মক্কা বিজয়ের দিন কাফেররা খালিদের সাথে হাঙ্গামা বাধিয়ে দিল কেন? চ
ক যুদ্ধ করার অভিপ্রায়ে
খ খালিদ প্রতারণা করার কারণে
গ খালিদ ইসলাম গ্রহণ করায়
ঘ মুহম্মদ (স.)-কে হত্যা করার জন্য
২৪. মক্কা বিজয়ের পর মুহম্মদ (স.) কাফেরদের প্রতি কোনটি করেছিলেন? ছ
ক প্রতিশোধ নিয়েছিলেন খ ক্ষমা করেছিলেন
গ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন
ঘ ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করেছিলেন
২৫. কোনটির মাধ্যমে মুহম্মদ (স.)-এর মনুষ্যত্বের সুমহান প্রকাশ ঘটেছে? ঝ
ক বদর যুদ্ধ খ মদিনায় হিজরত
গ তায়েফে রক্তাক্ত হওয়া
ঘ মক্কা বিজয়ের পর কাফেরদের ক্ষমা করা
২৬. হযরত মুহম্মদ (স.) মুহূর্তের জন্যও তাঁর অন্তরে কোনটিকে স্থান দেননি? চ
ক বংশগৌরব খ মদিনায় যাওয়ার কথা
গ দয়া ও ভালোবাসা ঘ কঠোরতা
২৭. বক্তৃতার মাঝখানে মুহম্মদ (স.)-কে প্রশ্ন করে থামিয়েছিল কে? ঝ
ক আবু বকর (রা.) খ উমর (রা.)
গ জনৈক পথচারী ঘ জনৈক অন্ধ
২৮. অন্ধ ব্যক্তিটি প্রশ্ন করায় মুহম্মদ (স.)-এর ললাট সামান্য কুঞ্চিত হলো কেন? জ
ক রাগে খ দুঃখে
গ বিরক্তিতে ঘ ঘৃণায়
২৯. হুদায়বিয়ার সন্ধি মুসলমানদের জন্য কেমন ছিল? চ
ক অপমানের খ গৌরবের
গ লাভজনক ঘ প্রতিশোধের
৩০. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুর পর কার গম্ভীর উক্তিতে সকলের চৈতন্য হলো? ছ
ক উমর (রা.)-এর খ আবু বকর (রা.)-এর
গ আয়েশা (রা.)-এর ঘ উসমান (রা.)-এর
৩১. মুহম্মদ (স.) এর মৃত্যু সংবাদ শুনে কার শিথিল অঙ্গ মাটিতে লুটায়? ছ
ক আবু বকর (রা.)-এর খ উমর (রা.)-এর
গ আয়েশা (রা.)-এর ঘ আবু মা’বুদের
৩২. “হযরত মুহম্মদ (স.) আমাদের মতোই রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ” এ কথা আবু বকর (রা.) কাদের বুঝিয়ে দিলেন? জ
ক পৌত্তলিকদের খ তায়েফবাসীদের
গ মূর্ছিত মুসলমানদের ঘ উমর (রা.)-কে
৩৩. মক্কার শ্রেষ্ঠ বংশ কোনটি? জ
ক বনু হাশিম খ বনু তাইম
গ কুরাইশ ঘ উমাইয়া
৩৪. পৌত্তলিকদের পাথরের আঘাতে আহত হলে মুহম্মদ (স.) কী করেন? জ
ক সকলকে অভিশাপ দেন
খ যুদ্ধ ঘোষণা করেন
গ তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন
ঘ মক্কা ছেড়ে পালিয়ে যান
৩৫. কার নবিত্বলাভের শুরু থেকেই মক্কার কাফিররা অমানুষিক অত্যাচার শুরু করে? চ
ক মুহম্মদ (স.)-এর খ আবু বকর (রা.)-এর
গ উমর (রা.)-এর ঘ আবু মা’বদের
৩৬. মক্কার কাফেররা কার ছিন্ন মস্তক আনতে পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে ঘাতক প্রেরণ করে? চ
ক মুহম্মদ (স.)-এর খ উমর (রা.)-এর
গ আবু মাবদের ঘ বিবি খাদিজার
৩৭. খায়বরের যুদ্ধে কাফেররা আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল কেন? ছ
ক মুসলমানরা পলায়ন করায়
খ মুহম্মদ (স.)-এর পরাজয়ের মিথ্যা সংবাদে
গ যুদ্ধে জয়লাভ করায়
ঘ কাফেরদের কেউ নিহত না হওয়ায়
৩৮. মক্কা বিজয়ের দিন কাফেররা কার সাথে হাঙ্গামা বাধিয়ে দেয়? জ
ক আবু বকরের সাথে খ উমরের সাথে
গ খালিদের সাথে ঘ মুহম্মদ (স.)-এর সাথে
৩৯. মুহম্মদ (স.) তাঁর মায়ের নিত্যকার আহার্য হিসেবে কোন খাদ্যের কথা বলেন? জ
ক যবের রুটি খ খেজুর
গ সাধারণ শুষ্ক মাংস ঘ দুম্বার মাংস
৪০. বক্তৃতার মাঝখানে প্রশ্ন করে অন্ধ লোকটি মুহম্মদ (স.)-কে থামাল কেন? ছ
ক বক্তৃতা ভালো না লাগায়
খ দুই-একটি কথা শুনতে না পাওয়ায়
গ মুহম্মদ (স.) বক্তৃতায় ভুল বলায়
ঘ মুহম্মদ (স.)-কে অপমান করার জন্য
৪১. অন্ধের প্রশ্নে মুহম্মদ (স.)-এর মুখে ঈষৎ বিরক্তির আভাস ফুটে উঠল কেন? জ
ক লোকটি অন্ধ হওয়ায়
খ লোকটি কাফের হওয়ায়
গ বক্তৃতায় বাধা পাওয়ায়
ঘ অন্ধ লোকটি গরিব হওয়ায়
৪২. কুরআনে মুহম্মদ (স.)-এর কোন তুচ্ছ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত এসেছে? চ
ক অন্ধের প্রতি ঈষৎ বিরক্তির প্রকাশ
খ মদিনায় হিজরত করা
গ খয়বরের যুদ্ধের ঘটনা
ঘ মক্কা বিজয়ের ঘটনা
৪৩. আয়েশার বক্ষ ভেদিয়া শোকের মাতম উঠল কেন? চ
ক মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুতে
খ খয়বারের যুদ্ধে হযরতের মিথ্যা মৃত্যু সংবাদে
গ হযরত মদিনায় হিজরত করায়
ঘ তায়েফে হযরতকে প্রস্তরাঘাত করায়
৪৪. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ব্যবহৃত ‘স্থিতধী’ শব্দটির অর্থ কী? ছ
ক ধুরন্ধর খ স্থিরবুদ্ধিসম্পন্ন
গ স্থির ঘ চঞ্চল
৪৫. ‘গ্রীবা’ শব্দের অর্থ কী? জ
ক গাল খ কপাল
গ ঘাড় ঘ মাথা
৪৬. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ‘তিতিয়া’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? ছ
ক বিরক্ত অর্থে খ ভেজা অর্থে
গ রাগ অর্থে ঘ রোদ অর্থে
৪৭. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ‘অরাতি’ শব্দের অর্থ কী? জ
ক প্রার্থনা খ বাতি
গ শত্রু ঘ বন্ধু
৪৮. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা কে? ছ
ক আবু বকর (রা.) খ উমর (রা.)
গ উসমান (রা.) ঘ আলী (রা.)
৪৯. উমর (রা.) কার কণ্ঠে পবিত্র কুরআনের বাণী শুনে ইসলাম গ্রহণ করেন? ছ
ক মুহম্মদ (স.)-এর খ তার ভগ্নীর
গ আবু বকর (রা.)-এর ঘ উসমান (রা.)-এর
৫০. বীরবাহু উমর কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন? চ
ক কুরাইশ বংশে খ আব্বাসীয় বংশে
গ বনু তাইম বংশে ঘ সাদ বংশে
৫১. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ব্যবহৃত ‘রাহী’ শব্দের অর্থ কী? ঝ
ক যুদ্ধ খ আপ্যায়ন
গ মঙ্গল ঘ পথিক
৫২. ইসলামের প্রথম খলিফা কে? চ
ক আবু বকর (রা.) খ উমর (রা.)
গ উসমান (রা.) ঘ আলী (রা.)
৫৩. ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম পুরুষ ব্যক্তি কে? চ
ক আবু বকর (রা.) খ উমর (রা.)
গ উসমান (রা.) ঘ আলী (রা.)
৫৪. মদিনায় হিজরতের সময় মুহম্মদ (স)-এর সঙ্গী কে ছিলেন? চ
ক আবু বকর (রা.) খ উমর (রা.)
গ আয়েশা (রা.) ঘ বিবি খাদিজা (রা.)
৫৫. পবিত্র কাবা শরিফ কোথায় অবস্থিত? ছ
ক মদিনায় খ মক্কায়
গ তায়েফে ঘ জেদ্দায়
৫৬. মুহম্মদ (স.) কোন নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন? চ
ক মক্কায় খ মদিনায়
গ তায়েফে ঘ রিয়াদে
৫৭. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ‘হিজরত’ শব্দটি কী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে? জ
ক মক্কা বিজয় বোঝাতে
খ খয়বরের যুদ্ধ বোঝাতে
গ মক্কা ছেড়ে হযরতের মদিনায় গমন বোঝাতে
ঘ অন্ধ লোকটির প্রতি হযরতের আচরণ বোঝাতে
৫৮. কোন সময় থেকে হিজরি সাল গণনা শুরু হয়? ঝ
ক মক্কা বিজয়ের পর থেকে
খ খয়বরের যুদ্ধের পর থেকে
গ মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুর পর থেকে
ঘ মুহম্মদ (স.)-এর মদিনায় হিজরতের সময় থেকে
৫৯. আয়েশা (রা.) কার কন্যা ছিলেন? চ
ক আবু বকর (রা.)-এর খ উমর (রা.)-এর
গ উসমান (রা.)-এর ঘ আবু তালিবের
৬০. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? জ
ক ছোটদের হযরত মুহম্মদ খ মরুসূর্য
গ মরুভাস্কর ঘ মরুশিখা
৬১. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর কোন দিকটি বিশ্লেষণ করা হয়েছে? জ
ক ইসলাম প্রচারের দিক খ নেতৃত্বের গুণাবলি
গ মানবীয় গুণাবলি ঘ শারীরিক সৌন্দর্য
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৬২. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুর কথা প্রচারিত হলেÑ
র. সকল মুসলমান শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে
রর. মুসলিম জাতি হতাশায় মুহ্যমান হয়ে যায়
ররর. কাফেররা মুসলমানদের ওপর আক্রমণ করে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. “যে বলিবে হযরত মরিয়াছে, তাহার মাথা যাইবে” বীরবাহু উমরের এ কথা বলার কারণÑ
র. তিনি হযরতের পূজা করেন
রর. হযরতের প্রতি তার প্রচণ্ড ভালোবাসা
ররর. মৃত্যুশোক সইতে না পারার মানসিকতা
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) মূর্ছিত মুসলিমকে বুঝিয়ে দিলেনÑ
র. মুহম্মদ (স.) রক্ত-মাংসে গঠিত মানুষ
রর. মুহম্মদ (স.)-এরও মৃত্যু হতে পারে
ররর. মুহম্মদ (স.) অমর ও অবিনশ্বর
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৫. হযরত উমরের শিথিল অঙ্গ মাটিতে লুটালÑ
র. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যু সংবাদে
রর. মৃত্যুভয়ে আতঙ্কিত হয়ে
ররর. প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুর পর আবু বকর (রা.)-এর আচরণে প্রকাশ পায়Ñ
র. কঠোর মানসিকতা
রর. স্থিতধী
ররর. সত্য মেনে নেওয়ার মানসিকতা
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৭. মুহম্মদ (স.) মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেনÑ
র. তাঁর সহনশীলতার গুণে
রর. সত্যের প্রতি অবিচল আস্থার কারণে
ররর. বংশমর্যাদার গৌরবে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. বিবি খাদিজা মুহম্মদ (স.)-এর ওপর মুগ্ধ হয়েছিলেনÑ
র. সত্যবাদিতা দেখে
রর. অসাধারণ বুদ্ধি ও বিচারশক্তি দেখে
ররর. মক্কার শ্রেষ্ঠ বংশের সন্তান হওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৯. আবু মাবদের স্ত্রী মুগ্ধ হয়েছিলÑ
র. মুহম্মদ (স.)-এর মানবীয় গুণ দেখে
রর. মুহম্মদ (স.)-এর অসাধারণ রূপ-লাবণ্য দেখে
ররর. মুহম্মদ (স.)-এর ব্যক্তিত্ব দেখে
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. মুহম্মদ (স.)-এর চরিত্র মধুময় হয়ে উঠেছিলÑ
র. সত্যের নিবিড় সাধনায়
রর. বংশমর্যাদার কারণে
ররর. কুসুম কোমল করুণার ফলে
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. মুহম্মদ (স.)-এর কাছে এলে সকলে তার আপনজন হয়ে যেতÑ
র. তার গুণে মুগ্ধ হয়ে
রর. তার মধুবর্ষী ভাষণে
ররর. তার প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. মুহম্মদ (স.) মদিনায় হিজরত করেনÑ
র. কোরেশদের অত্যাচার সহনাতীত হলে
রর. কাফেরদের হাত থেকে জীবন বাঁচানোর তাগিদে
ররর. সত্য প্রচারের সুবিধার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৩. মক্কার কোরেশরা মুহম্মদ (স.)-কে হত্যা করার জন্য ঘাতক প্রেরণ করেÑ
র. ইসলামকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার প্রয়াসে
রর. তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে
ররর. মদিনায় হিজরত করার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৪. পৌত্তলিকদের পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হলেও মুহম্মদ (স.) তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রকাশ ঘটানÑ
র. সহনশীলতার গুণ
রর. ক্ষমাশীলতার গুণ
ররর. উদারতার গুণ
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. মুহম্মদ (স.) মদিনায় হিজরত করেনÑ
র. সত্য প্রচারে বজ্র কঠিন থেকে
রর. জীবন বাঁচানোর তাগিদে
ররর. কোরেশদের নির্যাতন সহনাতীত হলে
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. খয়বরের যুদ্ধে কাফেররা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়লÑ
র. হযরতের পরাজয়ের মিথ্যা সংবাদ শুনে
রর. মুসলমানরা ময়দান ছেড়ে পলায়ন করায়
ররর. হযরতের মৃত্যু সম্ভাবনার আনন্দে
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৭. মুহম্মদ (স.)-এর মক্কাবিজয়ের দিন কাফেররা খালিদের সাথে হাঙ্গামা বাধিয়ে দেয়Ñ
র. মুহম্মদ (স.)-এর সাথে যুদ্ধ কামনা করে
রর. সত্যের বিজয়ে বাধাদানের জন্য
ররর. নিজেদের শক্তির পরিচয় দিতে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৮. মুহম্মদ (স.)-এর বিরাট মনুষ্যত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছেÑ
র. মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করার মাধ্যমে
রর. মক্কা বিজয়ের পর কাফেরদের ক্ষমা করার মাধ্যমে
ররর. সত্যান্বেষী ভীতসন্ত্রস্ত লোকটিকে অভয়দানের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৯. “আমি এমন এক নারীর সন্তান, সাধারণ শুষ্ক মাংসই ছিল যাঁহার নিত্যকার আহার্য” মুহম্মদ (স.) এই বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. নিরহংকার
রর. দারিদ্র্য
ররর. নিঃসংকোচ মানসিকতা
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮০. মুহম্মদ (স.) সকলের কাছে বরণীয় হওয়ার কারণÑ
র. তাঁর বংশমর্যাদা
রর. তাঁর মানবীয় গুণাবলি
ররর. তাঁর সহজ-সরল জীবনপ্রণালি
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮১. হযরত আয়েশা (রা.)-এর বক্ষ ভেদিয়া শোকের মাতম ওঠার কারণÑ
র. স্বামীর মহাপ্রয়াণ
রর. মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুসংবাদ
ররর. তায়েফে হযরতের ওপর প্রস্তরাঘাত
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮২. তায়েফে পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েও মুহম্মদ (স.) প্রতিশোধ নেননিÑ
র. মানবতার কল্যাণে
রর. ক্ষমতা কম থাকার কারণে
ররর. ক্ষমাশীল মানসিকতার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
জামান সাহেবের মৃত্যুতে বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। বাড়ির অভিভাবকের মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারে না। শোকে মুহ্যমান পরিবারে সদস্যদের সান্ত্বনা দেয় জামান সাহেবের বড় ছেলে রায়হান। বাবার মৃত্যুর শোক সামলে সে ছোট ভাই-বোনদের সত্যকে মেনে নেওয়ার জন্য বলে।
৮৩. উদ্দীপকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের কোন ঘটনার প্রতিফলন লক্ষণীয়? ঝ
ক তায়েফের ঘটনা খ হুদাযবিয়ার ঘটনা
গ খয়বর যুদ্ধের ঘটনা
ঘ হযরতের মৃত্যুকালীন ঘটনা
৮৪. উদ্দীপকের রায়হানের মাঝে আবু বকর (রা.)-এর যে গুণের প্রতিফলন ঘটেছে তা হলোÑ
র. সহনশীলতা রর. স্থিতধী
ররর. সাহসিকতা
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৫ ও ৮৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
মেহজাবিন সুলতানা একটি রেস্টুরেন্টের মালিক। তিনি রেস্টুরেন্টের পরিচালনার জন্য আব্দুল্লাহ নামে একজন ম্যানেজার নিয়োগ দেন। আব্দুল্লাহ ম্যানেজার হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যেই রেস্টুরেন্টটির বিক্রি বহুগুণ বেড়ে যায়। মেহজাবিন সুলতানা কিছুদিন পর হিসাব চাইলে আব্দুল্লাহ হিসাব জমা দেন। হিসাবে স্বচ্ছতা দেখে মেহজাবিন সুলতানা মুগ্ধ হয়ে আব্দুল্লাহকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
৮৫. উদ্দীপকের মেহজাবিন সুলতানার সাথে মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধের কার মিল রয়েছে? চ
ক বিবি খাদিজা (রা.)-এর খ আয়েশা (রা.)-এর
গ উম্মে মাবদের ঘ অন্ধ লোকটির
৮৬. উদ্দীপকের আব্দুল্লাহ মুহম্মদ (স.)-এর যে গুণের ধারক তা হলোÑ
র. সততা রর. অসাধারণ যোগ্যতা
ররর. বলিষ্ঠ দেহ
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৭ ও ৮৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
জালাল নবম শ্রেণির ছাত্র। স্কুলের মাঠে ক্রিকেট খেলার সময় তারিক তাকে মারধর করে। জালাল তারিককে কিছু না বলে বাসায় চলে আসে। পরদিন প্রধান শিক্ষক জালালের কাছে স্কুল মাঠের ঘটনা জানতে চাইলে সে তারিককে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে জানায়।
৮৭. উদ্দীপকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের কোন ঘটনার ইঙ্গিত বহন করে? চ
ক তায়েফের ঘটনা
খ আবু মাবদ দম্পতির ঘটনা
গ উমর (রা.)-এর ঘটনা
ঘ অন্ধ লোকের ঘটনা
৮৮. উদ্দীপকের জালালের মাঝে মুহম্মদ (স.)-এর যে গুণের মিল রয়েছে তা হলোÑ
র. করুণা রর. ক্ষমাশীলতা ররর. সহনশীলতা
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৯ ও ৯০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
কামাল হোসেন ফিলিপনগর হাই স্কুলের গণিতের শিক্ষক। তিনি একদিন নবম শ্রেণির ক্লাসে গণিতের সূত্র পড়াচ্ছিলেন। পড়ানোর শেষ পর্যায়ে এসে পেছনের বেঞ্চ থেকে এক ছাত্র সূত্রগুলো আবার বোঝাতে বলে। কামাল হোসেন নতুন করে আবার সূত্র বুঝিয়ে দেন।
৮৯. উদ্দীপকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের কোন ঘটনার প্রতিফলন ঘটেছে? জ
ক তায়েফের ঘটনা খ হিজরতের ঘটনা
গ অন্ধ ব্যক্তির ঘটনা ঘ খয়বরের যুদ্ধের ঘটনা
৯০. উদ্দীপকের কামাল হোসেনের মাঝে মুহম্মদ (স.)-এর যে গুণের প্রকাশ ঘটেছে তা হলোÑ
র. উদারতা রর. সহমর্মিতা ররর. সহনশীলতা
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর