৯ম-১০ম শ্রেণী বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃ বই পড়া

বইপড়া

লেখক পরিচিতি :

নাম প্রমথ চৌধুরী

জন্ম পরিচয়     জন্ম তারিখ :    ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই আগস্ট।

জন্মস্থান   :    যশোর। পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার হরিপুর গ্রাম।

শিক্ষা ১৮৯০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর বিলেত (ইংল্যান্ড) থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেন।

কর্মজীবন  ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন।

সাহিত্যিক পরিচয় মূলত প্রাবন্ধিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও সাহিত্যের নানা শাখায় তাঁর বিচরণ ছিল। তাঁর নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্যে নতুন গদ্যধারা সূচিত হয়। বাংলা সাহিত্যে প্রথম স্যাটায়ারিস্ট বা বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধ রচয়িতা। ‘সবুজপত্র’ নামক সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন। বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষারীতি প্রবর্তনে এ পত্রিকাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

সাহিত্যিক ছদ্মনাম     ঊীরবল

উল্লেখযোগ্য রচনা বীরবলের হালখাতা, রায়তের কথা, প্রবন্ধ সংগ্রহ, সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ, চার-ইয়ারি কথা, আহুতি, নীললোহিত।

মৃত্যু ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ২রা সেপ্টেম্বর কলকাতায়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর

১.   ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে কিসের ওপর স্থান দিয়েছেন?                 ছ

      ক.   হাসপাতালের    খ.   স্কুল-কলেজের

      গ.   অর্থ-বিত্তের ঘ.   জ্ঞানী মানুষের

২.   স্বশিক্ষিত বলতে বোঝায় Ñ                চ

      ক.   সৃজনশীলতা অর্জন    খ.   বুদ্ধির জাগরণ

      গ.   সার্টিফিকেট অর্জন    ঘ.   উচ্চ শিক্ষা অর্জন

উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :

‘পড়িলে বই আলোকিত হয়

না পড়িলে বই অন্ধকারে রয়।’

৩.   উদ্দীপকটির ভাবার্থ নিচের কোন চরণে বিদ্যমান?    জ

      ক.   জ্ঞানের ভাণ্ডার যে ধনের ভাণ্ডার নয়

      খ.   শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না

      গ.   সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত

      ঘ.   আমাদের বাজারে বিদ্যাদাতার অভাব নেই

৪.   উদ্দীপকটির ভাবার্থ ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে ভাবকে নির্দেশ করে Ñ চ

      ক.   জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে মৌলিকত্ব অর্জন

      খ.   শিক্ষাযন্ত্রের মাধ্যমে বিকশিত হওয়া

      গ.   শিক্ষকের মাধ্যমে বিকশিত হওয়া

      ঘ.   শিক্ষিত হয়ে চাকরি অর্জন

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

  ১.    জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক, অপরদিকে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ। অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। একদিকে সংগ্রহ, আরেক দিকে সৃষ্টি। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না।

ক.   ‘ভাঁড় ও ভবানী’ অর্থ কী?     ১

খ.   অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?   ২

গ.   উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটিকে ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা করো।    ৩

ঘ.   উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে Ñ মন্তব্যটির বিচার করো।   ৪

১ নং প্র. উ.

ক.     ‘ভাঁড় ও ভবানী’ অর্থ রিক্ত বা শূন্য।

  খ.   ‘অন্তনির্হিত শক্তি’ বলতে ভেতরের বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে বোঝায়। এটি হচ্ছে নিজের মনকে গড়ে তোলার শক্তি।

     প্রতিটি মানুষের মাঝেই নিহিত রয়েছে সুপ্ত শক্তি। প্রকৃত শিক্ষার ছোঁয়ায় তা জাগ্রত হয়। স্বশিক্ষিত ব্যক্তিরা নিজের ভেতরের এই শক্তিকে আবিষ্কার করতে পারেন। এই শক্তিই অন্তর্নিহিত শক্তি, যা মানুষের মানসিক শক্তির পরিচায়ক।

 গ.    উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে অর্থ উপার্জনের নিমিত্তে বিদ্যাচর্চার দিকটিকে ইঙ্গিত করে।

     ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরী স্বেচ্ছায় বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আমাদের সমাজব্যবস্থা আমাদের সেই সুযোগটি দেয় না। অর্থ উপার্জনের চিন্তায় আমরা সবাই মশগুল। তাই যে বই পড়লে পেশাগত উপকার হবে বলে আমরা ভাবি, শুধু সেই বই-ই পড়ি। এভাবে বই পড়াতে নেই কোনো আনন্দ। আর এই চর্চার ফলে জাতি হিসেবে আমরা হয়ে উঠছি অন্তঃসারশূন্য।

     উদ্দীপকে বলা হয়েছে, জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। একটি আত্মরক্ষা বা স্বার্থ প্রসার অন্যটি আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একটি কদর্য আর আরেকটি কল্যাণের দিক। একদিকে কাজের জন্য কাজ, অন্যদিকে আনন্দের জন্য কাজ। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে বর্ণিত অর্থ উপার্জনের জন্য বই পড়ার প্রবণতার মিল রয়েছে উদ্দীপকের বক্তব্যের সঙ্গে।

ঘ     ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক সৃজনশীল সাহিত্যচর্চার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন, যা উদ্দীপকে উল্লিখিত পরমার্থ অর্জনের নামান্তর।

     ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরী তাঁর প্রবন্ধে আমাদের পাঠচর্চার প্রতি অমনোযোগের সমালোচনা করেছেন। উদর পূর্তির জন্য কেবল গৎবাঁধা বই পড়ি আমরা। এ কারণেই জাতি হিসেবে আমরা নিরানন্দ ও নির্জীব হয়ে পড়েছি। মনের শক্তিকে আবিষ্কারের জন্য আমাদের প্রয়োজন স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে সাহিত্যচর্চা করা। নিয়মিত লাইব্রেরিতে গমনের মাধ্যমেই এটি করা সম্ভব।

     উদ্দীপকে জাতীয় জীবনধারার দুটি দিকের কথা বলা হয়েছে। একটি আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার অন্যটি আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। এখানে উল্লিখিত পরমার্থ অর্জনই জীবনের শ্রেষ্ঠ সাধনা। অর্থলাভের মধ্য দিয়ে শুধু আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না। জীবনের কদর্য দিকের পরিবর্তে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণকর দিক অর্জন করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমেই উঁচু জীবনের অধিকারী হওয়া যায়।

     জীবনে পরমার্থ অর্জনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বই। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে সে কথাই বলা হয়েছে। আমাদের শিক্ষিত শ্রেণি নিতান্ত বাধ্য না হলে বই পড়ে না। পড়ে না এতে উদরপূর্তি হয় না বলে। পরীক্ষা পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক কথা নয়। প্রকৃত শিক্ষিত হতে হলে জীবনের পরম সত্য বা পরমার্থকে উপলব্ধি করতে হবে এবং তা অর্জন করতে হবে। শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার। এই প্রসারতার জন্যই বই পড়া আবশ্যক। এ কারণেই প্রমথ চৌধুরী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

  ২.     দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৌমিকের পত্রিকার সাহিত্যের পাতাগুলোর প্রতি আগ্রহ বেশি। মামার সাথে বইমেলায় গিয়ে অবসরকালীন বিনোদনের জন্য সে কয়েকটি বই কিনে নেয়। মামা তাকে বলেন, জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। সৌমিকের বই পড়ার আগ্রহ দেখে মামা তাকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে ভর্তি করে দেন।

ক.   সুশিক্ষিত লোক মাত্রই কী?   ১

খ.   মনের হাসপাতাল বলতে কী বোঝায়?     ২

গ.   উদ্দীপকের মূলভাব ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   ‘উদ্দীপকটির মূলভাব মূলত ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের মূলভাবের অংশবিশেষকে প্রস্ফুটিত করে।”Ñ বক্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪

২ নং প্র. উ.

ক.   সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।

খ.   লাইব্রেরিতে স্বচ্ছন্দচিত্তে সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে আমাদের মানসিক শক্তি গড়ে ওঠে বলে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে মনের হাসপাতাল বলেছেন।

     প্রমথ চৌধুরীর মতে, কেবল উদরপূর্তি হলেই আমাদের মন ভরে না। আর মনের দাবি মেটাতে না পারলে আমাদের আত্মা বাঁচে না। মনকে সতেজ ও সরাগ রাখতে না পারলে আমাদের প্রাণ নির্জীব হয়ে পড়ে। এ জন্যই প্রয়োজন লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাহিত্যচর্চা করতে পারি। এতে আমাদের মন সুস্থ ও সতেজ থাকে। এ কারণেই লেখক লাইব্রেরিকে মনের হাসপাতাল বলেছেন।

গ.   উদ্দীপকের মূলভাব ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে বর্ণিত লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তার দিকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

     সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। আর স্বশিক্ষিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন বইপড়ার অভ্যাস বাড়ানো। বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানোর জন্য লাইব্রেরির বিকল্প নেই। কেননা লাইব্রেরিতে পাঠক তার চাহিদা ও ইচ্ছা অনুযায়ী বিভিন্ন বই পড়তে পারে। এজন্য ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

     উদ্দীপকে বই পড়ার আগ্রহ এবং তা বাস্তবায়নে লাইব্রেরির গুরুত্বই প্রধান হয়ে উঠেছে। বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানোর জন্য লাইব্রেরিই প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে। লাইব্রেরিতে পছন্দের বই পড়ে একজন ব্যক্তি যথার্থ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক এটিই বোঝাতে চেয়েছেন। আর প্রবন্ধের এই দিকটিই উদ্দীপকের মূলভাবে ফুটে উঠেছে।

ঘ.   সাহিত্যচর্চার আবশ্যকতা বর্ণনায় ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করলেও উদ্দীপকে শুধু লাইব্রেরির গুরুত্বের দিকটিই প্রস্ফুটিত হয়েছে।

     প্রগতিশীল জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে সাহিত্যচর্চার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে ব্যক্তির আত্মিক উন্নতি ঘটে। এই অভ্যাস ব্যক্তিকে স্বশিক্ষিত করে তোলে। তাই ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী আমাদের পাঠচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে বলেছেন। পাঠচর্চার অভ্যাস গড়তে পারলেই একজন যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠা সহজ হয়। আর এক্ষেত্রে লাইব্রেরির ভূমিকা অগ্রগণ্য।

     উদ্দীপকে সৌমিককে সাহিত্যচর্চায় আগ্রহী মনোভাব পোষণ করতে দেখা গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লব্ধ শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে ব্যাপকভাবে বই পড়া দরকার। উদ্দীপকে সৌমিক ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের কাক্সিক্ষত পাঠচর্চার অভ্যাসকারী। সে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পছন্দের বই পড়তে ভালোবাসে। প্রবন্ধে লেখক সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবন্ধকতা এবং এসব প্রতিবন্ধকতা থেকে উত্তরণের উপায় বর্ণনা করেছেন। উদ্দীপকে সেগুলোর ভেতর কেবল একটি দিকই উঠে এসেছে।

     জগতের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত জীবন যাপন করতে হলে স্বশিক্ষিত হতে হবে। আর এজন্য দরকার বই পড়া। এই বই পড়ার চর্চার জন্য আবার প্রয়োজন লাইব্রেরি। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি এবং বই পড়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করলেও উদ্দীপকে এসব আসেনি। সেখানে শুধু বই পড়ার চর্চায় লাইব্রেরির ভূমিকার দিকটিই উঠে এসেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটির মূলভাবে মূলত ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের মূলভাবের অংশবিশেষকে প্রস্ফুটিত করে-উক্তিটি যথার্থ।

   ৩.    গ্রামের ডানপিটে ও দুষ্ট ছেলেদের দেখে স্কুলের নতুন স্যার তাদের একটি পাঠাগার গড়ার পরামর্শ দিলেন। অল্পদিনের মধ্যে স্কুলের একটি অব্যবহৃত কক্ষ পাঠাগারে পরিণত হলো। নতুন স্যারের তত্ত্বাবধানে ঐসব ছেলের মাটির ব্যাংকে জমানো টাকায় পাঠাগারটি বিভিন্ন স্বাদের বইয়ে ভরে উঠল। ধীরে ধীরে ওরাসহ গ্রামের অনেকেই বই পড়ায় আগ্রহী হয়ে উঠল।

ক.   প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী?    ১

খ.   ‘পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়’Ñ বুঝিয়ে লেখো।  ২

গ.   নতুন স্যারের চেতনাবোধ ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন চেতনাকে সমর্থন করে?Ñ ব্যাখ্যা করো।    ৩

ঘ.   গ্রামের ছেলেদের মানসিক পরিবর্তনের দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।  ৪

৩ নং প্র. উ.

ক.   প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ‘বীরবল’।

খ.   শিক্ষিত হওয়ার অর্থ আত্মশক্তি অর্জন। কেবল পাস করার মাধ্যমে সেটি সম্ভব হয় না।

     শিক্ষা মানুষের মনকে গড়ে তোলে। প্রকৃত শিক্ষা আমাদের দৃষ্টি খুলে দেয়। আমরা বুঝতে পারি সঠিক ও ভুলের পার্থক্য। শুধু পাস করার জন্য যারা পড়ে তাদের মনের চোখ বন্ধই থেকে যায়। ফলে তাদের মনের অপমৃত্যু ঘটে। তাদের ভেতরটা হয় অন্তঃসারশূন্য। প্রকৃত শিক্ষিত হওয়ার সাথে পাস করা বিদ্যার এখানেই বৈপরীত্য।

গ.   ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লাইব্রেরি স্থাপনের ওপর প্রাবন্ধিক অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। উদ্দীপকে বর্ণিত নতুন স্যারের কর্মকাণ্ডে একই চেতনা প্রকাশিত হয়েছে।

     ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের রচয়িতা প্রমথ চৌধুরী তাঁর রচনায় আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার নানা ত্রুটিপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, স্কুল-কলেজ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা নয়। এই শিক্ষার পূর্ণতা প্রাপ্তি হয় ব্যাপকভাবে বিভিন্ন স্বাদের বই পড়ে। আর বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার জন্য প্রয়োজন লাইব্রেরির।

     উদ্দীপকে বর্ণিত নতুন স্যার বই পড়ার তাৎপর্য ভালোভাবেই জানেন। এ কারণেই ছাত্রদের তিনি পরামর্শ দেন পাঠাগার তথা লাইব্রেরি গড়ে তোলার জন্য। নিজেই পাঠাগার স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরি স্থাপনের যে আহ্বান জানিয়েছেন তারই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই উদ্দীপকের নতুন স্যারের মধ্যে।

ঘ.   লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ার মাধ্যমে মানুষের মানসিকতার ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে। উদ্দীপকে বর্ণিত গ্রামের ছেলেদের মধ্যে আমরা সেই প্রতিচ্ছবিই দেখতে পাই।

     ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক প্রমথ চৌধুরী মত প্রকাশ করেছেন যে, বই পড়ার অভ্যাস নেই বলেই আমরা দিন দিন নির্জীব ও নিরানন্দ হয়ে পড়ছি। যথার্থ শিক্ষিত হওয়ার জন্য ব্যাপক ভিত্তিতে  বই পড়ার বিকল্প নেই। আর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে আগে প্রয়োজন লাইব্রেরিতে যাওয়া। লাইব্রেরিতে সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে আমাদের মন সতেজ ও সরাগ হয়।

     উদ্দীপকের নতুন স্যার তাঁর সুবিবেচনাপ্রসূত উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামের ছেলেদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন। গ্রামের ছেলেরা আগে নানা দুষ্টুমিতে মূল্যবান সময় নষ্ট করত। স্কুলে লাইব্রেরি স্থাপনের পর থেকে তাদের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়। লাইব্রেরি যে মানুষের বই পড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে তা উদ্দীপক এবং ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।

     লাইব্রেরি হলো সাহিত্যচর্চার তীর্থস্থান। এখানে মানুষ স্বচ্ছন্দচিত্তে আপন রুচি অনুসারে বই পড়তে পারে। এখানে বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ অমৃতের সন্ধান পায়। ফলে সে সাহিত্যের রস আস্বাদনে আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হয়। এ কারণেই ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক বেশি বেশি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। উদ্দীপকের নতুন স্যারও বুঝতে পেরেছেন যে সাহিত্যচর্চার আদর্শ স্থান হলো লাইব্রেরি। তাই নিজে নেতৃত্ব দিয়ে স্কুলে একটি লাইব্রেরি স্থাপন করেছেন। সেখানে নানা স্বাদের বই পড়ে গ্রামের ছেলেদের চোখ খুলে গেছে। অবহেলায় সময় নষ্ট না করে তারা নতুন নতুন বই পড়ায় উৎসাহী হয়ে উঠেছে। লাইব্রেরিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাহিত্যচর্চার সুযোগই তাদের এই মানসিক পরিবর্তনে মূল ভূমিকা পালন করেছে।

৫.  সেলিম খান একজন বিশিষ্ট উকিল। ওকালতিতে সুনাম অর্জনের জন্য তিনি সর্বদা আইনবিষয়ক বই পড়েন। এর বাইরে তিনি কোনো বই পড়েন না এবং কেনেন না। কারণ তিনি মনে করেন, পেশাগত বই না পড়ে সাহিত্যের বই পড়লে পেশার উন্নয়ন হবে না।

ক.   ‘বই পড়া’ রচনার লেখক কে? ১

খ.   প্রমথ চৌধুরী সাহিত্যচর্চাকে শিক্ষার প্রধান অঙ্গ বলেছেন কেন?   ২

গ.   উদ্দীপকের সেলিম খানের ভাবনার সঙ্গে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের ভাবনার বৈসাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা করো।   ৩

ঘ.   সেলিম খানের মতো অসংখ্য বাঙালির দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য কী করা প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো? উদ্দীপক ও ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪

৪ নং প্র. উ.

ক.   ‘বই পড়া’ রচনার লেখক প্রমথ চৌধুরী।

খ.   সাহিত্যচর্চার দ্বারা স্বশিক্ষিত হওয়া যায় বলে প্রমথ চৌধুরী সাহিত্যচর্চাকে শিক্ষার প্রধান অঙ্গ বলেছেন।

   সাধারণ অর্থে শিক্ষা বলতে আমরা কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই বুঝে থাকি। এই শিক্ষার গণ্ডি অত্যন্ত সীমাবদ্ধ এবং বাধ্য হয়ে গ্রহণ করতে হয় বলে এতে কোনো আনন্দ নেই। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষাগ্রহণের পরিধি আরও বৃহত্তর। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও আরও অনেক উপায়ে মানুষ শিক্ষা লাভ করে। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমেই সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ ও পরিপূর্ণভাবে শিক্ষা লাভ করা যায়। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে মানুষ আত্মশক্তিসম্পন্ন হয়ে সুশিক্ষিত হয়ে ওঠে। প্রমথ চৌধুরী এ কারণে সাহিত্যচর্চাকে শিক্ষার প্রধান অঙ্গ বলেছেন।

গ.   ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক সাহ্যিচর্চার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করলেও উদ্দীপকের সেলিম খান এটিকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেছেন।

     ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরী জ্ঞানার্জনের জন্য বইপড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। প্রবন্ধে লেখক পেশাগত উন্নয়নের জন্যেও সাহিত্যের বই পড়ার পক্ষে যুক্তিনিষ্ঠ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। লেখকের ধারণা, যাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য, তাদের ধনের ভাণ্ডারও শূন্য। যে জাতি জ্ঞানে বড় নয়, সে জাতি মনেও বড় নয়। আর জাতিকে ধনে ও মনে বড় হতে হলে সাহিত্যের বই পড়া অপরিহার্য।

     উদ্দীপকে পেশার সাথে সম্পর্কহীন বই পড়ার প্রতি অনীহা সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে। সেলিম খান একজন বিশিষ্ট উকিল। ওকালতিতে সুনাম অর্জনের জন্য তিনি আইনবিষয়ক বই ছাড়া অন্য কোনো বই পড়েন না। তাঁর ধারণা, সাহিত্যের বই বা অন্য কোনো বই পড়ে পেশার উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেলিম খানের ভাবনার সঙ্গে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখকের ভাবনার বৈসাদৃশ্য হলো, একজনের সৃজনশীল বই পড়ার প্রতি অনীহা আর অন্যজনের সেটির প্রতি গুরুত্ব আরোপ।

ঘ.   সেলিম খানের মতো অসংখ্য বাঙালির দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া আর তার জন্য প্রয়োজন সৃজনশীল সাহিত্যচর্চা।

     ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক আমাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য বই পড়ার কথা বলেছেন। পেশাগত উন্নয়নের জন্যও বই পড়ার পক্ষে যৌক্তিক মন্তব্য পেশ করেছেন। লেখকের মতে, যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। তিনি আরও বলেন, দর্শন, বিজ্ঞান প্রভৃতি সাহিত্যের ভেতরই পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়। তাছাড়া সাহিত্যচর্চার মাধ্যমেই মানুষ প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠে। আর প্রকৃত শিক্ষা মানুষের মনের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়। মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করে। ফলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন ঘটে।

     উদ্দীপকে বই পড়ার প্রতি অনীহা তুলে ধরা হয়েছে। সেলিম খান একজন বিশিষ্ট উকিল। তিনি মনে করেন, ওকালতি পেশায় সুনাম অর্জনের জন্য কেবল আইনবিষয়ক বই পড়ার প্রয়োজন। সাহিত্যের বই পড়ে কখনও পেশার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়। সেলিম খানে মতো অসংখ্য বাঙালি আনে যাঁরা মনে করেন, পেশার উন্নয়নের জন্য শুধু পেশাসংশ্লিষ্ট বই পড়লেই হয়। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

     আমাদের সমাজে এমন কিছু স্বার্থপর লোক আছে যারা নিজ পেশা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের ধারণা, সাহিত্যচর্চা মানুষের ব্যক্তিসত্তার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটায় না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাহিত্যই একমাত্র বিষয়, যা পাঠের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন ঘটে। উদ্দীপকে বর্ণিত সেলিম খান কেবল পেশাগত বইগুলোই পড়েন। সাহিত্যচর্চায় তার আগ্রহ নেই। এ কারণে তাঁর জ্ঞানের পরিধি হবে গণ্ডিবদ্ধ। তাঁর অর্জিত শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করবে না। কিন্তু তিনি যদি প্রয়োজনীয় বইগুলোর বাইরে স্বচ্ছন্দচিত্তে অন্য বই পড়তেন তবেই তিনি যথার্থ শিক্ষিত হতে পারতেন। সাহিত্যচর্চা মানুষের মনকে সতেজ ও সরাগ করে। জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে মানসিক সুস্থতা অপরিহার্য আর মনকে সুস্থ রাখার জন্য চাই সৃজনশীল সাহিত্যচর্চা।

 ৫. ধরাবাঁধা লেখাপড়ার প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনো আগ্রহই ছিল না। তবে ছেলেবেলা থেকে নিজের ইচ্ছায় তিনি পড়েছেন। এই সুপণ্ডিতের বাড়িতেই ছিল বিশাল গ্রন্থাগার। তার সৃজনশীলতার প্রাথমিক সাক্ষ্য হলো তাঁর সৃষ্টির বিপুলতা। সাহিত্যের সব অঙ্গনেই ছিল তাঁর সফল পদচারণ। তিনি একাই তাঁর শিল্প  সাধনা, কর্মোদ্যোগ ও চিন্তাধারা দ্বারা পশ্চাৎপদ একটি জাতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতিগুলো সমকক্ষ করে গিয়েছেন।

ক.   যিনি যথার্থ গুরু তিনি শিষ্যের আত্মাকে কী করেন?  ১

খ.   সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে লাইব্রেরি অপরিহার্য কেন?  ২

গ.   উদ্দীপকের বর্ণনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাঝে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।  ৩

ঘ.   উদ্দীপকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্যকে পুরোপুরি সমর্থন করে- উক্তিটি মূল্যায়ন করো।  ৪

৫ নং প্র. উ.

ক.   যিনি যথার্থ গুরু তিনি শিষ্যের আত্মাকে উদ্বোধিত করেন।

খ.   স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে বৃহৎ পরিসরে সাহিত্যচর্চা করার জন্য লাইব্রেরি অপরিহার্য।

     বই পড়া ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই। আর বই পড়ার জন্য সবচেয়ে আদর্শ স্থান হলো লাইব্রেরি। এখানে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখা অনেক বইয়ের সংগ্রহ থাকে। পাঠক এখানে এসে নির্বিঘেœ তার রুচি অনুসারে বই পড়তে পারে। এ কারণেই সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে লাইব্রেরির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গ.   উদ্দীপকে বর্ণিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাঝে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে উল্লিখিত স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

     ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক বই পড়ার উপযোগিতা ও পাঠকের মন-মানসিকতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসারতার দরকার, যা স্বচ্ছন্দচিত্তে পাঠাভ্যাসের মাধ্যমেই কেবল সম্ভব। শিক্ষা হচ্ছে মূলত আনন্দের সঙ্গে কোনো বিষয় আয়ত্ত করা। অর্থাৎ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে মন হতে হবে স্বতঃস্ফূর্ত। এ কারণে শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না। নিজেকেই অর্জন করে নিতে হয়।

     রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ধরাবাঁধা নিয়মে বাঁধা পড়েননি। অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তৈরি করা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষা গ্রহণ করেননি। তিনি আনন্দের সঙ্গে পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে যে শিক্ষা অর্জন করেছেন, তা তাঁর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। একই সাথে তিনি হয়েছেন স্বশিক্ষিত ও সুশিক্ষিত। আলোচ্য প্রবন্ধে প্রকাশিত স্বশিক্ষিত হওয়ার সুফল আমরা দেখতে পাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে।

ঘ.   যথার্থ শিক্ষিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন সৃজনশীল পাঠ্যাভ্যাস। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের এটিই মূলসুর, যা উদ্দীপকেও স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।

     ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে বই পড়ার গুরুত্ব ব্যক্ত করেছেন প্রমথ চৌধুরী। মানুষের জীবনবোধ ও জীবনদর্শন, ধর্মনীতি, অনুরাগ-অভিমান, আশা, নৈরাশ্য ও স্বপ্ন-কল্পনার দোলাচল সব কিছুই সাহিত্যের বিষয়বস্তু হিসেবে বিবেচিত। মানুষের অন্তরের সত্য সৌন্দর্য ও স্বপ্নের সমন্বয়ে সাহিত্যের জন্ম। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অনুসারে মনোরাজ্যের দান গ্রহণসাপেক্ষ। তাই সাহিত্যচর্চাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করলেই যথার্থ শিক্ষিত হওয়া যায়।

     উদ্দীপকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে স্কুল-কলেজে না পড়ে সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত হলেন, তা তুলে ধরা হয়েছে। ছেলেবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহু বিচিত্র বিষয়ে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করেছেন। তাঁর সেই অর্জিত জ্ঞান থেকেই মানবকল্যাণে অসংখ্য কবিতা, গান, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি রেখে গেছেন। রবীন্দ্রনাথের প্রতিভা বিকাশ এবং তাঁর সুগঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ঠাকুরবাড়ির বিশাল গ্রন্থাগার। সেই গ্রন্থাগারের বহু বিচিত্র বই পড়ে যে জ্ঞান তিনি অর্জন করেছিলেন তা-ই পরে মানবকল্যাণে উৎসর্গ করে গেছেন। প্রকৃত শিক্ষিত হওয়ার মূল উপায় ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে যেভাবে এসেছে সেটি উদ্দীপকেও প্রকাশ্য।

     শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেবল নির্বাচিত কিছু বই পড়তে দেওয়া হয়। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ নয়। আর এ কারণেই আমাদের প্রয়োজন ব্যাপকভাবে বই পড়া। তাহলেই আমরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হব। দেশ ও জাতির জন্য মহৎ কাজ করতে পারব। যেমনটা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালি ও বাংলাভাষাকে তিনি বিশ্ব আসরে মর্যাদার আসন দান করেছেন আপন সৃষ্টির মাধ্যমে। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছিলেন বলেই তিনি এত সমৃদ্ধ জ্ঞানের ভাণ্ডার আমাদের জন্য রেখে যেতে পেরেছেন। শিক্ষাকে তিনি অর্থ উপার্জনের উপায় হিসেবে দেখেননি। বরং জ্ঞানার্জনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের মূলকথাও এটি। তাই আলোচ্য বক্তব্যটি যথার্থ।

    ৬.  সাধারণত জাতীয় জীবনের অগ্রগতি দুটি ধারায় হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড ও স্বার্থরক্ষার দিক, অন্যটি হচ্ছে সাহিত্যশিল্প সৃষ্টি ও মননচর্চার দিক। যে জাতি কেবল প্রথম ধারাটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে, সে জাতি উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। তাই উন্নত জাতি গঠনে মানসিক ও আত্মিক সাধনা অপরিহার্য। আর সেক্ষেত্রে লাইব্রেরির ভূমিকা ও অবদান অসামান্য। গ্রন্থাগার তাই জাতীয় বিকাশ ও উন্নতির মানদণ্ড। গ্রন্থাগার ব্যবহার ও বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা ছাড়া জাতীয় চেতনার জাগরণ হয় না।

ক.   ডেমোক্রেসির গুরুরা কী চেয়েছিলেন?    ১

খ.   যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব। Ñকথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২

গ.   ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রকাশিত লাইব্রেরি সম্পর্কে লেখকের মনোভাব উদ্দীপকে যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   ‘যে জাতি কেবল প্রথম ……… অধিকারী হতে পারে না।’  উদ্দীপকের এ বাক্যটির যথার্থতা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪

৬ নং প্র. উ.

ক.   ডেমোক্রেসির গুরুরা চেয়েছিলেন সবাইকে সমান করতে।

খ.   মনের স্ফূর্তিই সকল কল্যাণের উৎস। তাই যে জাতির প্রাণশক্তি কম তারা খুব বেশি উন্নতি করতে পারে না।

     কেবল দেহের চাহিদা পূরণ হলেই মানুষের সন্তুষ্টি হয় না। তার পাশাপাশি চাই মনের আনন্দ। আনন্দের স্পর্শে মানুষের মনপ্রাণ সজীব ও সতেজ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে মনে আনন্দ না থাকলে কোনো কিছুতেই উৎসাহ পাওয়া যায় না। তাই যে জাতি প্রাণশক্তিতে দুর্বল তারা কর্মশক্তিতেও অগ্রগামী নয়।

গ.   লাইব্রেরির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে উল্লিখিত লেখকের মনোভাব উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে।

   ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে হাসপাতালের সাথে তুলনা করেছেন। কেননা যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার। যে জন্য বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। লাইব্রেরিতে লোকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই পড়ে যথার্থ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে। লেখক লাইব্রেরিকে স্কুল কলেজের ওপর স্থান দিয়েছেন। কারণ এখানে লোকেরা স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়।

   উদ্দীপকে বলা হয়েছে, সাহিত্যশিল্প সৃষ্টি ও মননচর্চা ছাড়া জাতি উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। মানবিক ও আত্মিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য তাই লাইব্রেরির ভূমিকা অসামান্য। জাতির বিকাশ ও উন্নতির মানদণ্ডই হচ্ছে গ্রন্থাগার। জাতীয় চেতনা জাগরণের জন্য তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা অপরিহার্য। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক প্রমথ চৌধুরীর যে মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে একই মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে আলোচ্য উদ্দীপকে। উভয় ক্ষেত্রে আত্মশক্তি অর্জনে লাইব্রেরির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

ঘ.   ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অনুসারে বলা যায়, সাহিত্যশিল্প সৃষ্টি ও মননচর্চার পরিবর্তে প্রথম ধারা অর্থাৎ, রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড ও স্বার্থরক্ষার ধারাটি নিয়ে ব্যস্ত থাকলে আমাদের জাতীয় জীবনের উন্নতি হবে না।

‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক বলেছেন, উদরের বা পেটের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের দেহ বাঁচে না। তেমনি মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না। মনের দাবি পূরণের জন্য তাই লেখক বই পড়া ও সাহিত্যচর্চার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে বলেছেন। লাইব্রেরিকে তিনি বলেছেন মনের হাসপাতাল। লাইব্রেরির মাধ্যমেই মানুষ মননচর্চা করতে পারে এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে।

উদ্দীপকে জাতীয় জীবনের অগ্রগতির জন্য দুটো ধারার কথা বলা হয়েছে। একটি রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড ও স্বার্থরক্ষার দিক অন্যটি সাহিত্যশিল্প সৃষ্টি ও মননচর্চার দিক। এখানে বলা হয়েছে যে জাতি কেবল প্রথম দিকটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে সে জাতি উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। উন্নত জাতি গঠনে মানসিক ও আত্মিক সাধনা অপরিহার্য। মানসিক ও আত্মিক সাধনার জন্য লাইব্রেরির কোনো বিকল্প নেই। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকও সমধর্মী মত প্রকাশ করেছেন।

বুদ্ধিবৃত্তির চর্চা মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য। পেটপুরে আহার আর ঘুমুতে পেলেই তার চলে না। সমাজ সভ্যতা নির্মাণে তাকে ভূমিকা পালন করতে হয়। সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি তাকে চিন্তা, মনন ও জাগরণের দিক থেকে ঐশ্বর্যসম্পন্ন হতে হয়। এর জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। প্রচলিত শিক্ষার মাধ্যমে স্কুল, কলেজে প্রকৃত জ্ঞানার্জন হচ্ছে না বলে লেখক চিন্তিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। উদ্দীপকে বলা হয়েছে জাতীয় বিকাশ ও উন্নতির মানদণ্ড হচ্ছে গ্রন্থাগার। উন্নত জীবনযাপনের জন্য লেখাপড়া, সহিত্যচর্চা তথা মননশীলতার চর্চা একান্ত জরুরি।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   প্রমথ চৌধুরী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

      উত্তর : প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

২.   প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত কোন পত্রিকা বাংলা সাহিত্যে গদ্য ভাষারীতি প্রবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে?

      উত্তর : প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা বাংলা সাহিত্যে গদ্য ভাষারীতি প্রবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।

৩.   মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ কী?

      উত্তর : মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ হলো বই পড়া।

৪.   প্রমথ চৌধুরীর মতে আমাদের এই দুঃখ-দারিদ্র্যের দেশে প্রধান সমস্যা কী?

      উত্তর : প্রমথ চৌধুরীর মতে আমাদের এই দুঃখ-দারিদ্র্যের দেশে প্রধান সমস্যা হলো সুন্দর জীবন ধারণ করা।

৫.   আমরা কিসের রস উপভোগ করতে প্রস্তুত নই?

      উত্তর : আমরা সাহিত্যের রস উপভোগ করতে প্রস্তুত নই।

৬.   কী লাভের জন্য আমরা সকলে উদ্বাহু?

      উত্তর : শিক্ষার ফল লাভের জন্য আমরা সকলে উদ্বাহু।

৭.   শিক্ষা আমাদের কী দূর করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি?

      উত্তর : শিক্ষা আমাদের গায়ের জ্বালা ও চোখের জল দূর করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

৮.   প্রমথ চৌধুরীর মতে কোনটি শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ?

      উত্তর : প্রমথ চৌধুরীর মতে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ হলো সাহিত্যচর্চা।

৯.   ডেমোক্রেসি কিসের সার্থকতা বোঝে না?

      উত্তর : ডেমোক্রেসি সাহিত্যের সার্থকতা বোঝে না।

১০.  ডেমোক্রেসি কেবল কিসের সার্থকতা বোঝে?

      উত্তর : ডেমোক্রেসি কেবল অর্থের সার্থকতা বোঝে।

১১.  ডেমোক্রেসির শিষ্যরা সকলেই কী হতে চায়?

      উত্তর : ডেমোক্রেসির শিষ্যরা সকলেই বড় মানুষ হতে চায়।

১২.  ইংরেজি সভ্যতার সংস্পর্শে এসে আমরা ডেমোক্রেসির কী আত্মসাৎ করেছি?

      উত্তর : ইংরেজি সভ্যতার সংস্পর্শে এসে আমরা ডেমোক্রেসির দোষগুলো আত্মসাৎ করেছি।

১৩.  আমাদের শিক্ষিত সমাজের লোলুপদৃষ্টি আজ কিসের ওপর পড়েছে?

      উত্তর : আমাদের শিক্ষিত সমাজের লোলুপদৃষ্টি আজ অর্থের ওপর পড়েছে।

১৪.  কিসে মানুষের পুরো মনের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়?

      উত্তর : সাহিত্যে মানুষের পুরো মনের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়।

১৫.  কী করা ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই?

      উত্তর : বই পড়া ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই।

১৬.  আমরা দাতার মুখ চেয়ে কার কথা একেবারেই ভুলে যাই?

      উত্তর : আমরা দাতার মুখ চেয়ে গ্রহীতার কথা একেবারেই ভুলে যাই।

১৭.  শিক্ষকের সার্থকতা কিসে?

      উত্তর : শিক্ষকের সার্থকতা ছাত্রকে শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম করায়।

১৮.  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে কাকে উত্তরসাধক বলা হয়েছে?

      উত্তর : ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে গুরু অর্থাৎ শিক্ষককে উত্তরসাধক বলা হয়েছে।

১৯.  কোথায় লোকে স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়?

      উত্তর : লাইব্রেরিতে লোকে স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়।

২০.  প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে কিসের হাসপাতাল বলে অভিহিত করেছেন?

      উত্তর : প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে মনের হাসপাতাল বলে অভিহিত করেছেন।

২১.  মুসলমান ধর্মে মানবজাতি কয়ভাগে বিভক্ত?

      উত্তর : মুসলমান ধর্মে মানবজাতি দুই ভাগে বিভক্ত।

২২.  কেউ স্বেচ্ছায় বই পড়লে আমরা তাকে কিসের দলে ফেলে দিই?

      উত্তর : কেউ স্বেচ্ছায় বই পড়লে আমরা তাকে নিষ্কর্মার দলে ফেলে দিই।

২৩.  কিসের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের দেহ বাঁচে না?

      উত্তর : উদরের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের দেহ বাঁচে না।

২৪.  প্রমথ চৌধুরীর মতে, কিসের দাবি রক্ষা না করলে আমাদের আত্মা বাঁচে না?

      উত্তর : প্রমথ চৌধুরীর মতে, মনের দাবি রক্ষা না করলে আমাদের আত্মা বাঁচে না।

২৫.  মনকে কেমন রাখতে না পারলে জাতির প্রাণ যথার্থ স্ফূর্তিলাভ করে না?

      উত্তর : মনকে সজাগ ও সবল রাখতে না পারলে জাতির প্রাণ যথার্থ স্ফূর্তিলাভ করে না।

২৬. ‘উদ্বাহু’ শব্দের অর্থ কী?

      উত্তর : ‘উদ্বাহু’ শব্দের অর্থ আহ্লাদে হাত ওঠানো।

২৭.  ‘গতাসু’ শব্দের অর্থ কী?

      উত্তর : ‘গতাসু’ শব্দের অর্থ মৃত।

২৮.  ‘গলাধঃকরণ’ শব্দের অর্থ কী?

      উত্তর : ‘গলাধঃকরণ’ শব্দের অর্থ গিলে ফেলা।

২৯.  ‘করদানি’ শব্দের অর্থ কী?

      উত্তর : ‘করদানি’ শব্দের অর্থ বাহাদুরি।

৩০.  ‘প্রচ্ছন্ন’ শব্দের অর্থ কী?

      উত্তর : ‘প্রচ্ছন্ন’ শব্দের অর্থ গোপন।

৩১.  ‘জীর্ণ’ শব্দের অর্থ কী?

      উত্তর : ‘জীর্ণ’ শব্দের অর্থ হজম।

৩২.  ‘উদরপূর্তি’ শব্দের অর্থ কী?

      উত্তর : ‘উদরপূর্তি’ শব্দের অর্থ পেট ভরানো।

৩৩.  ‘কেতাবি’ বলা হয় কাদের?

      উত্তর : ‘কেতাবি’ বলা হয় যারা কেতাব অনুসরণ করে চলে।

৩৪.  কর্ণ কিসের জন্য প্রবাদতুল্য মানুষ?

      উত্তর : কর্ণ দানের জন্য প্রবাদতুল্য মানুষ।

৩৫.  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধটি প্রমথ চৌধুরীর কোন গ্রন্থ থেকে নির্বাচন করা হয়েছে?

      উত্তর : ‘বই পড়া’ প্রবন্ধটি প্রমথ চৌধুরীর ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ থেকে নির্বাচন করা হয়েছে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   ‘ব্যাধিই সংক্রামক স্বাস্থ্য নয়’ ‘বই পড়া’ রচনায় কথাটির প্রাসঙ্গিকতা বুঝিয়ে লেখো।

      উত্তর : ডেমোক্রেসির ভালো দিক গ্রহণ করার পরিবর্তে আমরা এর দোষগুলোকে গ্রহণ করেছিÑ এ বিষয়টি বোঝাতেই ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী এই উদাহরণটি টেনেছেন।

সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে এলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও স্বাস্থ্যবান হওয়া যায় না। তেমনিভাবে যাবতীয় নেতিবাচক বিষয়গুলো মানুষকে অতি সহজেই আকর্ষণ করে। এ কারণেই ইংরেজ সভ্যতার সংস্পর্শে এসে আমরা ডেমোক্রেসির গুণগুলোকে নিজেদের করে নিতে পারিনি। অথচ দোষগুলো রপ্ত করেছি সহজেই। এ কারণেই প্রাবন্ধিক আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

২.   সাহিত্যচর্চার সুফল সম্বন্ধে অনেকেই সন্দিহান কেন?

      উত্তর : হাতে হাতে পাওয়া যায় না বলে সাহিত্যচর্চার সুফল সম্বন্ধে অনেকেই সন্দিহান।

ক্ষ   আমাদের সমাজের অধিকাংশ লোকেরই লোলুপ দৃষ্টি এখন অর্থের প্রতি। অর্থসাধনা না করে সাহিত্যচর্চা করলে আর্থিক কোনো লাভ হবে না বলেই তাদের বিশ্বাস। সাহিত্যচর্চার নগদ কোনো বাজারদর নেই। অর্থাৎ সাহিত্যচর্চা করে কোনো লাভ হলেও সেটা বর্তমানে প্রত্যক্ষ্য করার সুযোগ নেই। এ কারণে সাহিত্যচর্চার সুফল সম্বন্ধে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে।

৩.   ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।

      উত্তর : আপন চেষ্টায় যে শিক্ষা অর্জন করা যায় সেটাই প্রকৃত শিক্ষা।

শিক্ষাগ্রহণ কেবল পাঠ্য বইয়ের পড়াশোনা কিংবা পরীক্ষায় পাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রকৃতপক্ষে আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে শিক্ষাগ্রহণের অসংখ্য উপকরণ। যথার্থরূপে শিক্ষিত হয়ে উঠতে হলে তাই জীবনকে কাছ থেকে দেখতে হবে। পাঠ্য বইয়ের বাইরেও নানা বিষয়ের বই পড়তে হবে। এভাবে যারা সুশিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন তাদের মাঝেই শিক্ষার আসল উদ্দেশ্যকে কাজে লাগিয়ে নিজের ও অন্যের জীবনকে সুন্দর করে তোলার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়। আর এই পদ্ধতিতে নিজে নিজে শিক্ষাগ্রহণের নামই স্বশিক্ষিত হওয়া।

৪.   প্রমথ চৌধুরী শিশু সন্তানকে দুধ গেলানোর উদাহরণের মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।

      উত্তর : শিশু সন্তানকে দুধ গেলানোর উদাহরণ উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমথ চৌধুরী আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম একটি ত্রুটিকে তুলে ধরেছেন। সেটি হলো জোর করে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা।

দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। অনেক মায়েরই ধারণা, সন্তানের পেটে তা যেকোনো উপায়ে পৌঁছালেই সন্তানের উপকার হবে। তাই তাঁরা সন্তানকে জোর-জবরদস্তি করে দুধ গেলানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা বুঝতে চান না যে এভাবে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুধ গেলালে শিশুর উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়ও অনুরূপভাবে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানোর চেষ্টা করা হয়। ফলে হিতে বিপরীত দশা হয়। শিক্ষার্থীরা স্বশিক্ষিত হওয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলে।

৫.   ‘দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয়, আত্মার হয় না’Ñ কথাটির প্রাসঙ্গিকতা বুঝিয়ে লেখো।

      উত্তর : ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের আত্মিক মৃত্যুর ব্যাপারটি লোকচক্ষুর অন্তরালেই থেকে যায়- এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে আলোচ্য উক্তিটি দ্বারা।

আমাদের স্কুল-কলেজের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় না। বরং তাদের আত্মশক্তি অর্জনের পথ রুদ্ধ হয়। মুখস্থনির্ভর এই শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মনের দাবি মেটে না। ফলে আত্মার অপমৃত্যু ঘটে। দেহের মৃত্যুর হিসাব রাখা হলেও মানুষের আত্মার মৃত্যুর কোনো হিসাব কেউ রাখে না। ফলে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতির বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অজ্ঞই থেকে যাই।

৬.   স্কুল-কলেজের শিক্ষা অনেক স্থলে মারাত্মক- প্রমথ চৌধুরীর এমন মন্তব্যের কারণ বুঝিয়ে লেখো।

      উত্তর : স্বশিক্ষিত হওয়ার পথে স্কুল-কলেজের শিক্ষা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলে প্রমথ চৌধুরী এই শিক্ষাকে মারাত্মক বলে অভিহিত করেছেন।

‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় নানা ধরনের ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন। শিক্ষার্থীদের এখানে শিক্ষা লাভের জন্য ব্যক্তিগত সাধনার প্রয়োজন হয় না। বরং গুরুরাই কষ্ট স্বীকার করে শিক্ষার্থীকে জোর করে বিদ্যা গেলান। গুরুদের দেওয়া নোট পড়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাস করে, যথার্থ শিক্ষিত হয় না। স্বশিক্ষিত ও সুশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ কেড়ে নেয় বলে স্কুল-কলেজের শিক্ষা সম্বন্ধে এমন মন্তব্য করেছেন প্রমথ চৌধুরী।

৭.   প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের ওপর স্থান দিয়েছেন কেন?

      উত্তর : লাইব্রেরিতে মানুষ স্বেচ্ছায় স্বশিক্ষিত হতে পারে বলে প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের ওপর স্থান দিয়েছেন।

স্কুল-কলেজে যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী তাকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল লাভ করানোর জন্য শিক্ষার্থীকে এখানে জোর করে বিদ্যা গেলানো হয়। ফলে শিক্ষার্থীর প্রাণশক্তি বলতে তেমন কিছুই গড়ে ওঠে না। অন্যদিকে লাইব্রেরিতে স্বাধীনভাবে স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়, যা সুশিক্ষিত হওয়ার সর্বপ্রধান উপায়। এ কারণেই প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের ওপর স্থান দিয়েছেন।

৮.   আমাদের দেশে বেশি বেশি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন কেন?

      উত্তর : লাইব্রেরিতে সাহিত্যচর্চা করে মানুষ যথার্থ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে বলে আমাদের দেশে বেশি বেশি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

লাইব্রেরিতে মানুষ স্বচ্ছন্দচিত্তে সাহিত্যচর্চার সুযোগ পায়। এর ফলে মানুষ স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠে। আর সুশিক্ষিত মানুষ মাত্রই স্বশিক্ষিত। দেশে যত বেশি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হবে যথার্থ প্রাণশক্তিসম্পন্ন একটি জাতি গড়ার সম্ভাবনাও তত বেশি বাড়বে।

৯.   স্বেচ্ছায় বই পড়ার ব্যাপারে প্রমথ চৌধুরী গুরুত্ব দিয়েছেন কেন?

      উত্তর : স্বেচ্ছায় বই পড়লে সুশিক্ষিত হয়ে ওঠা যায় বলে প্রমথ চৌধুরী এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় জোর করে পাঠ্য বইয়ের বিদ্যা গেলানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। এমন পরিবেশে যথার্থ শিক্ষিত মানুষ হয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে প্রমথ চৌধুরীর মতামত। তাঁর মতে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠন করতে হলে স্বেচ্ছায় সাহিত্যচর্চার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। যে জিনিস করে আনন্দ পাওয়া যায় না তা থেকে ভালো কোনো ফলাফল আশা করাও বৃথা। তাই সবাই সানন্দে বই পড়ে সাহিত্যচর্চার সুফল লাভ করবেÑএই প্রত্যাশা প্রমথ চৌধুরীর।

১০.  যথার্থ শিক্ষক কাকে বলা যায়? ব্যাখ্যা করো।

      উত্তর : যে শিক্ষক শিক্ষার্থীকে স্বশিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করেন তাঁকেই যথার্থ শিক্ষক বলা যায়।

সুশিক্ষিত হওয়ার পূর্বশর্ত হলো স্বশিক্ষিত হওয়া। ছাত্র যদি বিদ্যালাভের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে শিক্ষকের ওপর নির্ভরশীল হয় তবে তার স্বশিক্ষিত অর্থাৎ সুশিক্ষিত হওয়ার পথও রুদ্ধ হয়ে যায়। শিক্ষকের সার্থকতা বিদ্যাদান করা নয় বরং শিক্ষার্থীকে তা লাভে সক্ষম করে তোলা। একজন যথার্থ শিক্ষক তাঁর ছাত্রের আত্মাকে বিদ্যালাভের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে তোলেন। তার বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করেন। তার কৌতূহলের উদ্রেক করেন। যথার্থ শিক্ষকের সাহচর্যে শিক্ষার্থী নিজেই নিজের শিক্ষাগ্রহণের প্রয়াস পায়।

১১.  ‘মনের দাবি রক্ষা না করলে আত্মা বাঁচে না’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।

      উত্তর : একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য মনের পরিচর্যা করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কথাটির মাধ্যমে।

প্রতিটি মানুষের দুই রকম চাহিদা রয়েছে। একটি শারীরিক আরেকটি হলো মানসিক। উদরপূর্তি কেবল আমাদের শারীরিক চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। কিন্তু শুধু এই দাবি মিটলেই আমরা শতভাগ সন্তুষ্ট হতে পারি না। জীবনকে সুন্দর ও সৃজনশীল করার জন্য আমাদের মন স্বপ্ন দেখে। আর তা পূরণ হলেই আমাদের আত্মা সুস্থ ও সতেজ থাকে। মনের এই দাবি পূরণের অন্যতম উপায় হচ্ছে সাহিত্য চর্চা করা।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি

১.   ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের রচয়িতা কে?    জ

      ক   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  খ    বনফুল

      গ   প্রমথ চৌধুরী    ঘ    মোতাহের হোসেন চৌধুরী

২.   প্রমথ চৌধুরীর জন্মতারিখ কোনটি? ঝ

      ক   ৭ই জুলাই ১৮৩৮ খ    ৭ই নভেম্বর ১৮৪৮

      গ   ৭ই অক্টোবর ১৮৫৮   ঘ    ৭ই আগস্ট ১৮৬৮

৩.   প্রমথ চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস কোথায় ছিল?     ঝ

      ক   সিরাজগঞ্জ জেলায়    খ    কুষ্টিয়া জেলায়

      গ   যশোর জেলায়   ঘ    পাবনা জেলায়

৪.   প্রমথ চৌধুরী কত সালে এম.এ. ডিগ্রি সম্পন্ন করেন? জ

      ক   ১৮৬৮ সালে    খ    ১৮৮৮ সালে

      গ   ১৮৯০ সালে     ঘ    ১৮৯৯ সালে

৫.   প্রমথ চৌধুরী কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন? চ

      ক   কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়  খ    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

      গ   ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ঘ    রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

৬.   এম.এ. পাস করার পর প্রমথ চৌধুরী বিলাত যান কেন?    ছ

      ক   শিক্ষাসফরে খ    ব্যারিস্টারি পড়তে

      গ   ভ্রমণে ঘ    ডাক্তারি পড়তে

৭.   বিলাত থেকে ফিরে প্রমথ চৌধুরী কী করেন?   ঝ

      ক   ব্যারিস্টারি পেশায় যোগদান করেন

      খ    দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করেন

      গ   সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন

      ঘ    ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন

৮.   প্রমথ চৌধুরী কোন বিষয়ে এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন?    ছ

      ক   বাংলা খ    ইংরেজি

      গ   দর্শন ঘ    সংস্কৃত

৯.   ‘বীরবল’ সাহিত্যিক ছদ্মনামে কে লিখতেন?     জ

      ক   বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

      খ    বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

      গ   প্রমথ চৌধুরী

      ঘ    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০.  প্রমথ চৌধুরী রচিত কোন পত্রিকাটি বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষারীতি প্রবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে?  ছ

      ক   সাহিত্যপত্র খ    সবুজপত্র

      গ   যুগবাণী    ঘ    প্রবাসী

১১.  বাংলা সাহিত্যে গদ্যধারার সূচনা ঘটে কার নেতৃত্বে?   ছ

      ক   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের    খ    প্রমথ চৌধুরীর

      গ   সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের

      ঘ    শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের

১২.  প্রমথ চৌধুরীর রচিত গ্রন্থ কোনটি? জ

      ক   মাধবীলতা  খ    বৈকুণ্ঠের উইল

      গ   নীললোহিত ঘ    পদ্মরাগ

১৩.  প্রমথ চৌধুরী কোন তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?   ঝ

      ক   ২রা আগস্ট ১৯৩৬    খ    ১লা জুলাই ১৯৪৬

      গ   ৭ই আগস্ট ১৯৩৬    ঘ    ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৪৬

১৪.  মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ কী?    জ

      ক   সাঁতার কাটা খ    বাগান করা

      গ   বই পড়া   ঘ    গান শোনা

১৫.  প্রমথ চৌধুরীর মতে আমাদের এখন কী করার সময় নয়?  ছ

      ক   পরিশ্রম করার   খ    শখ করার

      গ   সন্দেহ করার    ঘ    আশা করার

১৬.  প্রমথ চৌধুরীর মতে তিনি কোন পরামর্শটি দিলে অনেকে সেটিকে কুপরামর্শ হিসেবে দেখবেন? ছ

      ক   আয় বুঝে ব্যয় করো  খ    শখ করে বই পড়ো

      গ   অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করো

      ঘ    বইয়ের পড়া মুখস্থ করো

১৭.  প্রমথ চৌধুরীর মতে জাত হিসেবে আমরা কেমন নই?      ঝ

      ক   অলস খ    পরিশ্রমী

      গ   অভিজাত  ঘ    শৌখিন

১৮.  প্রমথ চৌধুরীর মতে তাঁর কোন প্রস্তাব অনেকের কাছে নিরর্থক ও নির্মম ঠেকবে?      ছ

      ক   সুন্দর জীবনধারণের প্রস্তাব

      খ    জীবনকে সুন্দর ও মহৎ করার প্রস্তাব

      গ   সাহিত্যচর্চা ত্যাগের প্রস্তাব

      ঘ    ডেমোক্রেসি প্রবর্তনের প্রস্তাব

১৯.  কোনটি উপভোগের জন্য আমরা প্রস্তুত নই?   জ

      ক   শিক্ষার ফল খ    জীবনের আনন্দ

      গ   সাহিত্যের রস    ঘ    ডেমোক্রেসির সার্থকতা

২০.  কী লাভের জন্য আমরা সকলেই উদ্বাহু? ছ

      ক   সাহিত্যের রস    খ    শিক্ষার ফল

      গ   সুশিক্ষার স্বাদ    ঘ    মনোরাজ্যের ঐশ্বর্য

২১.  প্রমথ চৌধুরীর মতে শিক্ষা সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কী? জ

      ক   শিক্ষা আলোকিত মানুষ গড়ে

      খ    মুখস্থবিদ্যা শিক্ষার উদ্দেশ্যকে ধ্বংস করে

      গ   শিক্ষা আমাদের অর্থ ও অন্নের সংস্থান করে

      ঘ    শিক্ষা আমাদের মননকে উন্নত করে

২২.  প্রমথ চৌধুরী কিসে বিশ্বাস করেন? চ

      ক   শিক্ষার মাহাত্ম্যে

      খ    মুখস্থবিদ্যার প্রয়োজনীয়তায়

      গ   লাইব্রেরির অসারতায়

      ঘ    স্কুল-কলেজের শ্রেষ্ঠত্বে

২৩.  প্রমথ চৌধুরীর মতে সন্দেহাতীতভাবে শিক্ষার প্রধান অঙ্গ কী?    ছ

      ক   দর্শনচর্চা   খ    সাহিত্যচর্চা

      গ   ধর্মচর্চা    ঘ    বিজ্ঞানচর্চা

২৪.  ডেমোক্রেসি কেবল কী বোঝে?     চ

      ক   অর্থের সার্থকতা  খ    সাহিত্যের সার্থকতা

      গ   সুশিক্ষার সার্থকতা ঘ    লাইব্রেরির সার্থকতা

২৫.  ডেমোক্রেসির গুরুরা কী চেয়েছিলেন?    চ

      ক   সবাইকে সমান করতে

      খ    সবাইকে বড় মানুষ বানাতে

      গ   শ্রেণিবৈষম্য গড়ে তুলতে

      ঘ    সবাইকে ছোট মানুষ করতে

২৬. ডেমোক্রেসির শিষ্যদের সকলেই কী হতে চায়? জ

      ক   সমান খ    ছোট

      গ   বড়  ঘ    শিক্ষিত

২৭.  প্রমথ চৌধুরীর মতে আমরা যে সভ্যতার উত্তরাধিকারী তার বৈশিষ্ট্য কোনটি?  জ

      ক   দুর্বল খ    শৌখিন

      গ   অভিজাত  ঘ    স্বাস্থ্যবান

২৮.  ইংরেজি সভ্যতার সংস্পর্শে এসে আমরা কী আত্মসাৎ করেছি?   ছ

      ক   ডেমোক্রেসির গুণ     খ    ডেমোক্রেসির দোষ

      গ   ডেমোক্রেসির স্বাস্থ্য    ঘ    ডেমোক্রেসির অর্থ

২৯.  ডেমোক্রেসির গুণ আয়ত্তে ব্যর্থ হলেও এর দোষগুলো আমরা আত্মসাৎ করেছি। এর কারণ কী?   জ

      ক   সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত

      খ    দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয়, আত্মার হয় না

      গ   ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়

      ঘ    মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না

৩০.  আমাদের শিক্ষিত সমাজের লোলুপদৃষ্টি আজ কিসের ওপর পড়েছে?    জ

      ক   সুশিক্ষার ওপর   খ    স্বশিক্ষার ওপর

      গ   অর্থের ওপর     ঘ    ডেমোক্রেসির ওপর

৩১.  যাঁরা হাজারখানা ল-রিপোর্ট কেনেন তাঁরা একখানা কাব্যগ্রন্থও কিনতে প্রস্তুত নন -কেন? চ

      ক   তাতে ব্যবসার কোনো লাভ হবে না

      খ    তাতে ব্যবসার বড় ক্ষতি হবে

      গ   তাতে লোকের ভর্ৎসনা শুনতে হবে

      ঘ    তাতে জ্ঞানচর্চায় বিঘœ ঘটবে

৩২.  মামলায় জেতার জন্য কোনটি করতে হবে?    ছ

      ক   কবিতা আবৃত্তি করতে হবে

      খ    নজির আওড়াতে হবে

      গ   বিজ্ঞানচর্চা করতে হবে

      ঘ    স্বশিক্ষার সার্থকতা বুঝতে হবে

৩৩.  যে জাতির জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য সে জাতির ধনের ভাণ্ডার কী?   ছ

      ক   পূর্ণ  খ    শূন্য

      গ   অর্ধপূর্ণ    ঘ    অপূর্ণ

৩৪.  কোন জাতি জ্ঞানে বড় নয়?  জ

      ক   যারা অর্থে বড় নয়    খ    যারা ধ্যানে বড় নয়

      গ   যারা মনে বড় নয়     ঘ    যারা আভিজাত্যে বড় নয়

৩৫.  ধনের সৃষ্টি কোনটির ওপর নির্ভরশীল?    ছ

      ক   ভাগ্যের    খ    জ্ঞানের

      গ   মুখস্থবিদ্যার ঘ    ইচ্ছার

৩৬. মানুষের পুরো মনটার সাক্ষাৎ পাওয়া যায় একমাত্র কিসে?  জ

      ক   দর্শনে খ    বিজ্ঞানে

      গ   সাহিত্যে   ঘ    ধর্মনীতিতে

৩৭.  দর্শন, বিজ্ঞান ইত্যাদিকে প্রমথ চৌধুরী কোন উপমায় অভিহিত করেছেন?    ছ

      ক   সংক্রামক ব্যাধি  খ    মনগঙ্গার তোলা জল

      গ   মানবমনের পূর্ণচিত্র    ঘ    অনন্ত স্রৌতধারা

৩৮. মানবমনের পূর্ণস্রোত কিসের ভেতর দিয়ে সোল্লাসে বয়ে চলেছে? জ

      ক   ধর্মনীতির  খ    ডেমোক্রেসির

      গ   সাহিত্যের  ঘ    শিক্ষাপদ্ধতির

৩৯.  প্রমথ চৌধুরীর মতে কোনটি করা ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই?   ছ

      ক   ল-রিপোর্ট কেনা ছাড়া  খ    বই পড়া ছাড়া

      গ   মুখস্থ করা ছাড়া  ঘ    শিক্ষিত হওয়া ছাড়া

৪০.  সাহিত্যচর্চার জন্য কোনটি চাই?     ঝ

      ক   স্কুল  খ    জাদুঘর

      গ   গুহা ঘ    লাইব্রেরি

৪১.  প্রমথ চৌধুরীর মতে কোনটিকে অবলম্বন করলে আমাদের জাত মানুষ হবে? ঝ

      ক   বিজ্ঞানের চর্চা করলে  খ    অর্থের সাধনা করলে

      গ   নীতির অনুশীলন করলে ঘ    সাহিত্যচর্চা করলে

৪২.  প্রমথ চৌধুরীর মতে কোনটি বেশি বেশি প্রতিষ্ঠা করলে দেশের সবচেয়ে বেশি উপকার হবে?    ঝ

      ক   কলেজ    খ    জাদুঘর

      গ   মন্দির ঘ    লাইব্রেরি

৪৩.  শিক্ষা সম্বন্ধে প্রমথ চৌধুরীর দৃষ্টিভঙ্গি কী? ছ

      ক   শিক্ষকের কাছ থেকে নিতে হয়

      খ    শিক্ষার্থীকে আপন চেষ্টায় অর্জন করতে হয়

      গ   মুখস্থ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়

      ঘ    লাইব্রেরিতে গিয়ে অর্জন করা সম্ভব নয়

৪৪.  স্বশিক্ষার ফলাফল কী? ঝ

      ক   অশিক্ষা   খ    কুশিক্ষা

      গ   অর্ধশিক্ষা  ঘ    সুশিক্ষা

৪৫.  শিক্ষার্থীকে কার হস্তগত করে আমরা তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিন্ত থাকি?   ছ

      ক   নেতার    খ    শিক্ষকের

      গ   দার্শনিকের ঘ    ডাক্তারের

৪৬.  কোন বিশ্বাসটি নিতান্ত অমূলক?    জ

      ক   মনোরাজ্যের দান গ্রহণসাপেক্ষ

      খ    সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত

      গ   শিক্ষক শিক্ষার্থীকে বিদ্যা দান করেন

      ঘ    বই পড়া ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তার নেই

৪৭.  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে কাদেরকে দাতাকর্ণ বলে অভিহিত করা হয়েছে? জ

      ক   শিক্ষার্থীদের খ    ডেমোক্রেসির গুরুদের

      গ   শিক্ষকদের ঘ    অভিভাবকদের

৪৮.  শিক্ষকের সার্থকতা কিসে?    জ

      ক   বিদ্যাদান করায়

      খ    মুখস্থ করতে সাহায্য করায়

      গ   শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম করায়

      ঘ    কৌতূহল নিবৃত্ত করায়

৪৯.  যথার্থ গুরু কোনটি করেন?   ছ

      ক   শিক্ষার্থীর জ্ঞানপিপাসাকে পরিতৃপ্ত করেন

      খ    শিক্ষার্থীর বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগ্রত করেন

      গ   শিক্ষার্থীর সমস্ত কৌতূহল নিবারণ করেন

      ঘ    শিক্ষার্থীর শিক্ষালাভের কষ্ট দূর করেন

৫০.  কোন শিক্ষক শ্রেষ্ঠ?    জ

      ক   যিনি শিক্ষার্থীকে বিদ্যাদান করেন

      খ    যিনি অর্থ ছাড়াই বিদ্যাদান করেন

      গ   যিনি শিক্ষার্থীকে স্বশিক্ষিত হওয়ার শিক্ষা দেন

      ঘ    যিনি শিক্ষার্থীকে কর্মমুখী শিক্ষা দান করেন

৫১.  প্রমথ চৌধুরীর মতে আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষাপদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ কেন?     জ

      ক   এখানে সুশিক্ষিত হতে বলা হয়

      খ    এখানে স্বশিক্ষিত হতে বলা হয়

      গ   এখানে মুখস্থবিদ্যায় উৎসাহিত করা হয়

      ঘ    এখানে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো হয়

৫২.  দুধের উপকারিতা ভোক্তার কিসের ওপর নির্ভরশীল?  ঝ

      ক   শারীরিক শক্তির ওপর  খ    ইচ্ছাশক্তির ওপর

      গ   মানসিক শক্তির ওপর  ঘ    হজম করার শক্তির ওপর

৫৩.  আমাদের স্কুল-কলেজে শিক্ষা প্রদানের পদ্ধতিকে প্রমথ চৌধুরী কিসের সাথে তুলনা করেছেন? ছ

      ক   ফ্রান্সের দেশ রক্ষার সাথে

      খ    জোর করে দুধ গেলানোর সাথে

      গ   ডেমোক্রেসির গুণ আয়ত্ত করার সাথে

      ঘ    ছেলের বাবাদের নজির পড়ার সাথে

৫৪.  স্কুল-কলেজের ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষার কারণে সুস্থ-সবল শিক্ষার্থীদের মন কোন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে?   জ

      ক   ইনফ্যান্টাইল হার্ট খ    ইনফ্যান্টাইল ব্রেইন

      গ   ইনফ্যান্টাইল লিভার   ঘ    ইনফ্যান্টাইল ব্লাড

৫৫.  স্কুল-কলেজের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের আত্মিক মৃত্যুর বিষয়টি আমরা টের পাই না কেন?   ছ

      ক   দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয় না বলে

      খ    আত্মার মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয় না বলে

      গ   ছাত্রদের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয় না বলে

      ঘ    মানুষের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয় না বলে

৫৬. প্রমথ চৌধুরীর মতে আত্মার অপমৃত্যুতে আমরা কী হই?   ছ

      ক   ভীত হই   খ    উৎফুল্ল হই

      গ   সাবধান হই ঘ    ঐক্যভ্রষ্ট হই

৫৭.  শিক্ষার্থীরা পাস করলে কী হচ্ছে বলে আমরা মনে করি?   চ

      ক   শিক্ষার বিস্তার ঘটছে   খ    আত্মার মৃত্যু ঘটছে

      গ   জাতির অধঃপতন হচ্ছে ঘ    শিক্ষার্থীরা স্বশিক্ষিত হচ্ছে

৫৮. কোনটি স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই?      ছ

      ক   পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া একই

      খ    পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক নয়

      গ   শিক্ষকের মূল কাজ শিক্ষাদান করা

      ঘ    সাহিত্যচর্চা লাইব্রেরির বাইরেও চলে

৫৯.  সে যুগে ফ্রান্সকে রক্ষা করেছিল কারা?   ঝ

      ক   সুশিক্ষিত ছেলেরা খ    স্কুলে যাওয়া ছেলেরা

      গ   বিশিষ্ট নাগরিকেরা ঘ    স্কুল পালানো ছেলেরা

৬০.  মাস্টার মশাইয়ের প্রদত্ত নোটকে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?    ছ

      ক   দুধের সাথে খ    লোহার গোলার সাথে

      গ   মধুর সাথে ঘ    খেলনা বন্দুকের সাথে

৬১.  বাজিকর যে খেলা দেখায় দর্শকের কাছে তা তামাশা হলেও বাজিকরের কাছে কেমন?    জ

      ক   অত্যন্ত সহজ    খ    দারুণ হৃদয়বিদারক

      গ   ভয়ানক কষ্টকর  ঘ    কিঞ্চিৎ কঠিন

৬২. আমাদের ছেলেরা কী গলাধঃকরণ করে তা পরীক্ষাকেন্দ্রে উদ্গীরণ করে?     ছ

      ক   হতাশা     খ    নোট

      গ   আশ্বাস    ঘ    বই

৬৩. নোট গলাধঃকরণ ও পরীক্ষাকেন্দ্রে তার উদ্গীরণ কী প্রমাণ করে? চ

      ক   মুখস্থবিদ্যা প্রীতি

      খ    জাতির উজ্জ্বল ভবিষৎ

      গ   বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতি

      ঘ    সাহিত্যচর্চার প্রবণতা

৬৪.  প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ফলে শিক্ষার্থীরা কোনটি হচ্ছে? ছ

      ক   স্বশিক্ষিত   খ    কুশিক্ষিত

      গ   অশিক্ষিত  ঘ    সুশিক্ষিত

৬৫. ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাপদ্ধতি কাদেরকে জখম করতে পারলেও একেবারে বধ করতে পারে না?   ছ

      ক   যাদের মন অত্যন্ত নরম

      খ    যাদের প্রাণ অত্যন্ত কড়া

      গ   যারা গুরুপ্রদত্ত নোট পড়ে

      ঘ    যারা পরীক্ষায় ভালো করে

৬৬. কোথায় মানুষ স্বেচ্ছায়, স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়? জ

      ক   স্কুলে খ    কলেজে

      গ   লাইব্রেরিতে ঘ    জাদুঘরে

৬৭.  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লাইব্রেরিকে কী বলা হয়েছে? চ

      ক   মনের হাসপাতাল খ    প্রকৃতির নিভৃত কোণ

      গ   মনের জাদুঘর   ঘ    প্রকৃতির লীলাভূমি

৬৮. মুসলমান ধর্মে মানবজাতি কয় ভাগে বিভক্ত?   চ

      ক   দুই   খ    তিন

      গ   চার  ঘ    পাঁচ

৬৯. আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায় বাধ্য না হলে কী স্পর্শ করেন না?    জ

      ক   টাকা খ    খাবার

      গ   বই   ঘ    জল

৭০.  স্কুল-কলেজে ছেলেদের নোট পড়ার মূল কারণ কী?   জ

      ক   স্বশিক্ষিত হওয়ার বাসনা

      খ    সুশিক্ষিত হওয়ার বাসনা

      গ   পেটের দায় ঘ    প্রাণের দায়

৭১.  আমরা কাকে নিষ্কর্মা বলে গণ্য করি?    জ

      ক   কেউ স্বেচ্ছায় নোট পড়লে

      খ    কেউ স্বেচ্ছায় নজির পড়লে

      গ   কেউ স্বেচ্ছায় বই পড়লে

      ঘ    কেউ স্বেচ্ছায় পত্রিকা পড়লে

৭২.  মনকে সন্তুষ্ট করে কোনটি?  ঝ

      ক   পেটের দায়ে করা কাজ খ    বাধ্য হয়ে করা কাজ

      গ   অন্যের করা কাজ     ঘ    স্বেচ্ছায় করা কাজ

৭৩.  কিসের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের দেহ বাঁচে না?  ছ

      ক   মনের খ    উদরের

      গ   মস্তিষ্কের   ঘ    চোখের

৭৪.  প্রমথ চৌধুরীর মতে কিসের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মার মৃত্যু ঘটে? জ

      ক   উদরের    খ    অর্থের

      গ   মনের ঘ    স্বপ্নের

৭৫.  যে জাতি নিরানন্দ সে জাতি তত কী?    জ

      ক   শক্তিশালী  খ    সজীব

      গ   নির্জীব    ঘ    অলস

৭৬.  কোন আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলে জাতির জীবনীশক্তি হ্রাস পায়?   ঝ

      ক   খাদ্যের আনন্দ   খ    বিত্তের আনন্দ

      গ   ধর্মচর্চায় আনন্দ  ঘ    সাহিত্যচর্চার আনন্দ

৭৭.  কাব্যামৃতে আমাদের অরুচি ধরার জন্য প্রমথ চৌধুরী কোনটিকে দোষী করেছেন?      ছ

      ক   ধর্মনীতিকে খ    শিক্ষাব্যবস্থাকে

      গ   অর্থনীতিকে ঘ    বিজ্ঞানচর্চাকে

৭৮.  প্রমথ চৌধুরীর মতে জাতির আত্মরক্ষার জন্য কী করা উচিত?    জ

      ক   ধর্মচর্চার প্রসার ঘটানো

      খ    অর্থনীতির ভিত মজবুত করা

      গ   শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা

      ঘ    বেশি বেশি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা

৭৯.  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক কোনটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন?     জ

      ক   স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার ওপর   খ    পরীক্ষায় পাস করার ওপর

      গ   স্বেচ্ছায় সাহিত্যচর্চার ওপর   ঘ    বাধ্য হয়ে বই পড়ার ওপর

৮০.  কামাল স্কুলের বইগুলোর বাইরে আর কোনো বই পড়ে না। কামালের ক্ষেত্রে কোনটি সত্য?    জ

      ক   উদরের দাবি রক্ষা করছে না

      খ    স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে

      গ   মনের দাবি রক্ষা করছে না

      ঘ    স্বেচ্ছায় সাহিত্যচর্চায় আগ্রহ বাড়ছে

৮১.  রাসেল একটি ছেলেকে বাড়িতে গিয়ে পড়ায়। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে রাসেলের কোনটি করা উচিত?      ছ

      ক   ছাত্রকে জোর করে বিদ্যা গেলানো

      খ    ছাত্রের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো

      গ   ছাত্রকে নোট তৈরি করে দেওয়া

      ঘ    ছাত্রের সমস্ত কৌতূহল নিবৃত্ত করা

৮২.  ‘শৌখিন’ শব্দটির অর্থ কী?    জ

      ক   অভিজাত  খ    বিত্তশালী

      গ   রুচিবান   ঘ    ধীরস্থির

৮৩. আহ্লাদে হাত ওঠানোকে এককথায় কী বলে?    ছ

      ক   বাহুবল    খ    উদ্বাহু

      গ   উদ্বোধন   ঘ    আনন্দবাহু

৮৪.  ‘ডেমোক্রেসি’ শব্দটির অর্থ কী?     চ

      ক   গণতন্ত্র    খ    স্বৈরতন্ত্র

      গ   রাজতন্ত্র   ঘ    সমাজতন্ত্র

৮৫. ‘সুসার’ অর্থ কী?  ছ

      ক   নিষ্ফল    খ    প্রাচুর্য

      গ   ঘাটতি ঘ    সফল

৮৬. ‘ভাঁড়ে ভবানী’Ñ শব্দটি কী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়?      ছ

      ক   ক্লান্ত অবস্থা বোঝাতে  খ    রিক্ত অবস্থা বোঝাতে

      গ   অশান্ত অবস্থা বোঝাতে ঘ    সচ্ছল অবস্থা বোঝাতে

৮৭.  ‘অবগাহন’ শব্দটির অর্থ কী?  ঝ

      ক   ইচ্ছেমতো জলপান    খ    সর্বাঙ্গ ঢেকে রাখা

      গ   ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো     ঘ    সর্বাঙ্গ ডুবিয়ে গোসল

৮৮. ‘প্রচ্ছন্ন’ বলতে কী বোঝানো হয়?   জ

      ক   প্রকাশ্য    খ    প্রকট

      গ   গোপন    ঘ    গভীর

৮৯.  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে উল্লিখিত ‘জীর্ণ’ শব্দটির অর্থ কী?   ছ

      ক   পুরাতন    খ    হজম

      গ   নতুন ঘ    লেহন

৯০.  ‘গতাসু’ শব্দটির অর্থ কী?     ছ

      ক   জীবিত    খ    মৃত

      গ   স্বাস্থ্যবান   ঘ    স্বাস্থ্যহীন

৯১.  ‘কারদানি’ বলতে কী বোঝানো হয়? ছ

      ক   চালবাজি   খ    বাহাদুরি

      গ   মনরক্ষা   ঘ    দেহরক্ষা

৯২.  ধান ভানতে শিবের গীত গাইলে কেমন বিষয়ের অবতারণা করা হয়?   ঝ

      ক   অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খ    অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক

      গ   কম গুরুত্বপূর্ণ   ঘ    সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক

৯৩.  কোনটি গ্রিসের রাজধানী?    ছ

      ক   এডিনবরা  খ    এথেন্স

      গ   লন্ডন ঘ    লিসবন

৯৪.  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে নিচের কোন পৌরাণিক চরিত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে?  জ

      ক   ইন্দ্র  খ    সীতা

      গ   কর্ণ  ঘ    হনুমান

৯৫.  কর্ণ কার পুত্র?   ছ

      ক   সীতার     খ    কুন্তীর

      গ   সূর্পনখার  ঘ    লক্ষ্মীর

৯৬. কর্ণ কিসের জন্য প্রবাদতুল্য? ছ

      ক   শিক্ষার জন্য     খ    দানের জন্য

      গ   দেশপ্রেমের জন্য ঘ    সত্যবাদিতার জন্য

৯৭.  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধটি প্রমথ চৌধুরীর কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?  ছ

      ক   বীরবলের হালখাতা    খ    প্রবন্ধ সংগ্রহ

      গ   নীললোহিত ঘ    পদচারণ

৯৮.  কিসের বার্ষিক সভায় ‘বই পড়া’ প্রবন্ধটি পঠিত হয়েছিল?   ঝ

      ক   একটি হাসপাতালের   খ    একটি স্কুলের

      গ   একটি জাদুঘরের ঘ    একটি লাইব্রেরির

৯৯.  প্রগতিশীল জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কোনটি আবশ্যক বলে প্রমথ চৌধুরী মনে করেন?    জ

      ক   মুখস্থবিদ্যা  খ    প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা

      গ   সাহিত্যচর্চা ঘ    ডেমোক্রেসি

১০০. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য বইয়ের বাইরেও আমাদের প্রচুর বই পড়া উচিত কেন? চ

      ক   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা যথেষ্ট নয় বলে

      খ    বই না পড়লে ভালো চাকরি পাব না বলে

      গ   বই না পড়লে পরীক্ষার ফল ভালো হবে না

      ঘ    তা না হলে অভিভাবকেরা রাগ করবেন

১০১. কোন দুটির সম্পর্ক বিপরীতধর্মী?   চ

      ক   অর্থ ও সাহিত্য   খ    সাহিত্য ও লাইব্রেরি

      গ   বিজ্ঞানচর্চা ও জাদুঘর  ঘ    ঘর ও নীতিচর্চা

     বহুপদী সমাপ্তিসূচক

১০২. প্রমথ চৌধুরী শখ হিসেবে বই পড়তে পরামর্শ দেন নাÑ

      র.   সেই পরামর্শ অযৌক্তিক বলে

      রর.  সেই পরামর্শে কেউ কান দেবে না বলে

      ররর. জাত হিসেবে আমরা শৌখিন নই বলে

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১০৩. সাধারণ মানুষের আগ্রহ নেইÑ

      র.   সাহিত্যের রস উপভোগে

      রর.  শিক্ষার ফল লাভে

      ররর. লাইব্রেরিমুখী হওয়ায়

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১০৪. শিক্ষার ফলাফল হিসেবে আমরা চাই, শিক্ষা আমাদের Ñ

      র.   গায়ের জ্বালা দূর করুক

      রর.  মনকে সরাগ ও সতেজ করুক

      ররর. চোখের জল দূর করুক

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১০৫. সাধারণ লোকে সাহিত্যচর্চার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সন্দিহান কেননাÑ

      র.   এর নগদ কোনো বাজারমূল্য নেই

      রর.  উন্নত দেশে এর চর্চা নেই

      ররর. এর ফল হাতে হাতে পাওয়া যায় না

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর    খ র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ  র, রর ও ররর

১০৬. ডেমোক্রেসি আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেÑ

      র.   ডেমোক্রেসির দোষগুলো আত্মসাৎ করেছি বলে

      রর.  ডেমোক্রেসির অর্থ ভুলভাবে বুঝেছি বলে

      ররর. ডেমোক্রেসির গুণগুলো আয়ত্ত করতে পারিনি বলে

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১০৭. সাহিত্য পাঠেÑ

      র.   মন সতেজ হয়  রর.  প্রাণ সমৃদ্ধ হয়

      ররর. শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করে

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১০৮. সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত হলোÑ

      র.   ধর্মনীতি   রর.  দর্শন

      ররর. বিজ্ঞান

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১০৯. আমাদের বই পড়তে হবেÑ

      র.   সাহিত্যচর্চায় অংশ নেওয়ার জন্য

      রর.  প্রগতিশীল মননের অধিকারী হওয়ার জন্য

      ররর. পরীক্ষায় ভালো ফলাফল লাভের জন্য

      নিচের কোনটি সঠিক?             চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১০. বেশি বেশি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করলেÑ

      র.   স্বশিক্ষিত হওয়ার পথ সুগম হবে

      রর.  জাতির কল্যাণ হবে

      ররর. স্কুল-কলেজের সার্থকতা কমে যাবে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১১. শিক্ষা সম্পর্কে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের রচয়িতার অভিমতÑ

      র.   সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত

      রর.  শিক্ষা গ্রহণ সাপেক্ষ বিষয়   ররর. শিক্ষাদান সাপেক্ষ বিষয়

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১২. সার্থক শিক্ষকের কাজ হলোÑ

      র.   ছাত্রের কৌতূহল নিবৃত্ত করা

      রর.  ছাত্রের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো

      ররর. ছাত্রকে জ্ঞানার্জনে সক্ষম করা

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৩. প্রমথ চৌধুরী আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে নিকৃষ্ট বলেছেনÑ

      র.   জোর করে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে

      রর.  মুখস্থবিদ্যায় উৎসাহিত করা হয় বলে

      ররর. শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের চেষ্টা করা হয় বলে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৪. ফ্রান্সের স্কুল পালানো ছেলেদের মধ্য থেকে Ñ

      র.   দেশ রক্ষাকারী মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল

      রর.  দেশ ধ্বংসকারী মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল

      ররর. অনেক সফল মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৫. নোট মুখস্থ করে পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীর পক্ষেÑ

      র.   কষ্টসাধ্য   রর.  অপকারী

      ররর. উপকারী

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৬. প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর কেননাÑ

      র.   এতে তারা সুশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায় না

      রর.  এতে তাদের প্রাণশক্তি নষ্ট হয়

      ররর. এটি তাদের স্বশিক্ষিত হওয়ার শক্তি কেড়ে নেয়

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৭. প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের ওপর স্থান দেনÑ

      র.   এখানে স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ থাকে বলে

      রর.  এখানে মুখস্থবিদ্যার বালাই নেই বলে

      ররর. এখানে বিনামূল্যে পড়াশোনা করা যায় বলে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৮. লাইব্রেরি সম্পর্কে প্রমথ চৌধুরীর মন্তব্যÑ

      র.   এটি এক রকম মনের হাসপাতাল

      রর.  এটি স্কুল-কলেজের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ

      ররর. এটি শিক্ষিতদের কাজে আসে না

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৯. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের উদ্দেশ্যÑ

      র.   স্বেচ্ছায় বই পড়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা

      রর.  শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন সাধনে ভূমিকা রাখা

      ররর. সাহিত্যচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরা

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১২০, ১২১ ও ১২২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

সুমন যে স্কুলে পড়ে সেখানে প্রতিদিন একগাদা পড়া বাড়ি থেকে মুখস্থ করে আসতে বলা হয়। পরীক্ষায় ভালো করার জন্য শিক্ষকরা ছাত্রদের নানা রকম উপদেশ দেন। শিক্ষকদের করে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর পড়ে সবাই পরীক্ষায় ভালো ফল করে।

১২০. উদ্দীপকটির বক্তব্য নিচের কোন রচনার বক্তব্যের সাথে মিলে যায়?     ঝ

      ক   আম আঁটির ভেঁপু খ    শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব

      গ   বাঙলা শব্দ ঘ    বই পড়া

১২১. উক্ত রচনার আলোকে সুমনের স্কুলের শিক্ষাপদ্ধতিকে বলা যায়Ñ

      র.   গতানুগতিক ধারার অনুসারী

      রর. সুশিক্ষিত করার মাধ্যম

      ররর. ত্রুটিপূর্ণ

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২২. এই স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে সুমনÑ

      র.   স্বশিক্ষিত হবে

      রর. স্বশিক্ষিত হওয়ার শক্তি হারাবে

      ররর. সৃজনশীল হয়ে উঠতে পারবে না

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১২৩, ১২৪ ও ১২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

শুধু পাঠ্য বইয়ের পড়াশোনার মাঝেই আটকে থাকেনি রবি। এর পাশাপাশি সে নানা রকম বই পড়ে থাকে। কিন্তু তার বাবার কাছে এ ধরনের প্রবণতা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

১২৩. রবির প্রবণতাকে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে কী বলা যায়?      চ

      ক   সাহিত্যচর্চা খ    নীতিচর্চা

      গ   পেশাদারিত্ব ঘ    শৌখিনতা

১২৪. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অনুসারে রবির প্রবণতার প্রতি তার বাবার নেতিবাচক মনোভাবের কারণÑ

      র.   এর ফল হাতে হাতে পাওয়া যায় না

      রর. এর নগদ বাজারদর নেই

      ররর. এতে রবি শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে ভুগবে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৫. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অনুসারে রবি অর্জন করছেÑ

      র.   স্বশিক্ষা    রর. আত্মশক্তি

      ররর. আনন্দ

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১২৬, ১২৭ ও ১২৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

কান্তা ওর বাবাকে বলল, “বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।” বাবা বললেন, “এ জন্যই তো তুমি স্কুলে যাও।” কান্তা মনে মনে ভাবে, স্কুলে তো জোর করে, ভয় দেখিয়ে পড়া মুখস্থ করানো হয়। এমন কোনো জায়গা কি নেই যেখানে মনের খুশিতে অনেক রকম বই পড়া যাবে!

১২৬. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অনুসারে কান্তার মনে জাগা প্রশ্নটির উত্তর কী?  জ

      ক   জাদুঘর    খ    কলেজ

      গ   লাইব্রেরি   ঘ    গুহা

১২৭. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অনুসারে উদ্দীপকের কান্তার মাঝে লক্ষ করা যায়Ñ

      র.   প্রবন্ধটির রচয়িতার মানসিকতা

      রর. পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা

      ররর. প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় নিষ্পেষিত হওয়ার বাস্তবতা

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৮. কান্তার বাবার উচিতÑ

      র.   কান্তাকে নানা রকম বই কিনে দেওয়া

      রর. কান্তাকে লাইব্রেরিতে নিয়ে যাওয়া

      ররর. কান্তাকে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে বাধ্য করা

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১২৯, ২৩০ ও ১৩১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

শাওনের জন্য গৃহশিক্ষক হিসেবে শ্রাবণকে রাখা হয়েছে। শ্রাবণ শাওনের সমস্ত প্রশ্নের জবাব খুঁজে বের করে দেয়। সকল বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা নোট করে দেয়। শাওনও সেগুলো ভালোভাবে মুখস্থ করে রাখে। এ কারণে ফলাফলও বেশ ভালো হয়। পড়াশোনায় উন্নতি দেখে তার বাবা-মা খুবই আনন্দিত হন।

১২৯. উদ্দীপকের শ্রাবণ চরিত্রটিকে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বলা যায়Ñ   ছ

      ক   সুশিক্ষিত  খ    দাতাকর্ণ

      গ   বাজিকর   ঘ    যথার্থ গুরু

১৩০. শিক্ষক শ্রাবণের উচিতÑ

      র.   শাওনের কৌতূহল জাগিয়ে তোলা

      রর. শাওনকে স্বশিক্ষিত হতে সাহায্য করা

      ররর. শাওনের সুপ্ত শক্তিকে জাগ্রত করা

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩১. শাওনের বাবা-মায়ের খুশি হওয়া অনর্থক কেননাÑ

      র.   আত্মশক্তি অর্জন ব্যাহত হচ্ছে

      রর. পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়

      ররর. উদরের দাবি রক্ষিত হচ্ছে না

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

Similar Posts

6 Comments

  1. এতগুলো বহুনির্বাচনী প্রশ্ন কিন্তু উত্তর দেয়া নাই, কেন? উত্তরগুলো দিলে খুব খুব উপকার হতো।

    1. ঊত্তর দেওয়া আছে যেই অপসনের (যেমনঃ ক,খ,গ,ঘ) জায়গায় একটা তে ডেস বা কোনো বক্স দেওয়া আছে অই টাই উত্তর।
      ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান সময় দেওয়ার জন্য। আমাদের সাথেই থাকবেন সামনে আরো আপডেট দেওয়া হবে।

  2. খুব ই ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট টি পড়ে।

    1. ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান সময় দেওয়ার জন্য। আরো ভালো কিছু পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *