পঞ্চম শ্রেণী বাংলা ত্রেয়বিংশ অধ্যায় অপেক্ষা
অপেক্ষা
সেলিনা হোসেন
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
য় সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১) রুমা রুবার কী হয়?
ক বান্ধবী খ খালাতো বোন
গ মা ঘ আপন বোন
২) রুমার জন্মদিনে কোন গাছটি ফুলে ভরে ছিল?
ক গোলাপ খ বেলী
গ শিউলি ঘ কৃষ্ণচূড়া
৩) রুবার জন্মদিনে কিসের সুগন্ধে চারদিক ভরে
গিয়েছিল?
ক শিউলি ফুলের
খ হাস্নাহেনা ফুলের
গ আমের বোলের
ঘ পাকা কাঁঠালের
৪) রুবার বয়স কত?
ক আট বছর খ দশ বছর
গ বারো বছর ঘ চৌদ্দ বছর
৫) রুবার জন্মদিনের গল্পটা কে বলেছিলেন?
ক রাহেলা বানু খ জসীম মিয়া
গ রুবা নিজেই ঘ রুমা
৬) রুমা ও রুবা বেণীর সাথে কী গেঁথে রাখে?
ক শিউলি ফুল
খ বুনোফুল
গ আমের মুকুল
ঘ গোলাপের পাপড়ি
৭) রুমা ও রুবা কোথায় ফুলের পাপড়ি চাপা দিয়ে রাখে?
ক বালিশের নিচে
খ তোশকের নিচে
গ খাতার ভেতর
ঘ বইয়ের ভেতর
৮) জসীম মিয়া বাজার থেকে কী কিনে এনেছিলেন?
ক চাল-ডাল খ চিড়ে-মুড়ি
গ আম-কাঁঠাল ঘ তেল-নুন
৯) লোকজন কোথায় বসে রেডিও শুনছিলেন?
ক নদীর ধারে
খ আমগাছের নিচে
গ স্কুল মাঠে
ঘ বটগাছের নিচে
১০) বিবিসির খবর শুনে লোকজন উত্তেজিত হয়ে কী বলল?
ক এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
খ আমাদের যুদ্ধ করতে হবে
গ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
ঘ গ্রাম ছেড়ে পালাতে হবে
১১) রুমা ও রুবা অন্য ছেলেমেয়েদের কাছে গিয়ে
কিসের কথা বলে?
ক যুদ্ধ করার কথা
খ মুক্তিযোদ্ধাদের আসার কথা
গ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা
ঘ বাবার মৃত্যুর কথা
১২) বঙ্গবন্ধু কোন তারিখের ভাষণে স্বাধীনতা
সংগ্রামের ডাক দেন?
ক ২১শে ফেব্রুয়ারি খ ৭ই মার্চ
গ ১৭ই এপ্রিল ঘ ১৬ই ডিসেম্বর
১৩) জসীম শহর থেকে আসা ছেলেদের কাছ থেকে
কী শিখে নেন?
ক লেখাপড়া খ যুদ্ধের কৌশল
গ প্রাথমিক চিকিৎসা ঘ গাড়ি চালানো
১৪) জসীম কী গড়ে তুলছিলেন?
ক হানাদার বাহিনী
খ রাজাকার বাহিনী
গ শান্তি বাহিনী
ঘ মুক্তিবাহিনী
১৫) জসীম কখন বাজারে গিয়েছিলেন?
ক সকালে খ দুপুরে
গ বিকেলে ঘ সন্ধ্যায়
১৬) জসীমের শরীরে কোথায় বুলেট বিদ্ধ হয়েছিল?
ক মাথায় খ গলায়
গ বুকে ঘ পেটে
১৭) জসীমের গায়ে কয়টি বুলেট বিদ্ধ হয়েছিল?
ক একটি খ দুইটি
গ পাঁচটি ঘ অসংখ্য
১৮) জসীম কীভাবে শহিদ হয়েছিলেন?
ক বুলেটবিদ্ধ হয়ে খ নদীতে ডুবে
গ রাজাকারদের নির্যাতনে ঘ ছুরিকাহত হয়ে
১৯) রাহেলা কবে জসীমের মৃত্যুর কথা জানতে পারেন?
ক যেদিন মারা যায়
খ মৃত্যুর পরদিন
গ মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর
ঘ মৃত্যুর কয়েক মাস পর
২০) রুমা-রুবাদের বাড়িতে আগুন লাগেনি কেন?
ক মিলিটারিরা এত দূর আসেনি বলে
খ বড় বটগাছ ছিল বলে
গ বাতাস কম ছিল বলে
ঘ বড় আমগাছ ছিল বলে
২১) রাহেলা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন কেন?
ক ঘর পুড়ে যাওয়ায়
খ মিলিটারিদের ভয়ে
গ স্বামী হারানোর বেদনায়
ঘ গোলাগুলির শব্দ শুনে
২২) রাহেলাকে কারা সান্ত¡না দিচ্ছিল?
ক রুমা ও রুবা খ মুক্তিযোদ্ধারা
গ গাঁয়ের মুরব্বিরা ঘ গাঁয়ের মেয়েরা
২৩) যুদ্ধ বলতে রুমা কী বুঝল?
ক মায়ের জ্ঞান হারানো
খ বাবার মরে যাওয়া
গ গাঁয়ে মিলিটারি আসা
ঘ মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা
২৪) রাহেলা বানু ভাত রান্না করার জন্য চাল কীভাবে
পেয়েছিলেন?
ক জসীম কিনে রেখেছিলেন
খ মুক্তিযোদ্ধারা দিয়ে গিয়েছিলেন
গ পাশের বাড়ি থেকে এনেছিলেন
ঘ বাজার থেকে কিনে এনেছিলেন
২৫) মুক্তিযোদ্ধাদের ডাক শুনে ধড়মড়িয়ে ওঠে কে?
ক রুমা খ রুবা
গ রাহেলা ঘ জসীম
২৬) রাহেলা দরজা খুলে দিলে ঘরে কারা দ্রুত ঢুকে পড়ে?
ক রুমা ও রুবা খ মুক্তিযোদ্ধারা
গ মিলিটারিরা ঘ রাজাকাররা
২৭) মুক্তিযোদ্ধারা ঘরে ঢুকে প্রথমে কী করে?
ক দরজা বন্ধ করে খ ভাত খেতে বসে
গ ঘুমিয়ে নেয় ঘ হাত মুখ ধোয়
২৮) জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের উপাধি কোনটি?
ক বঙ্গবীর খ বাংলার বাঘ
গ বঙ্গবন্ধু ঘ বাংলার নেতা
২৯) দুজন মুক্তিযোদ্ধা রাহেলা বানুর বাড়িতে কেন
এসেছিলেন?
ক ভাত খেতে খ টাকা নিতে
গ অস্ত্র লুকিয়ে রাখতে ঘ ঘুমোতে
৩০) মুক্তিযোদ্ধারা ভাত খেয়ে কী করবে?
ক অস্ত্র আনতে যাবে
খ ক্যাম্পে যাবে
গ নিজেদের বাড়িতে যাবে
ঘ যুদ্ধ করতে যাবে
৩১) রুমা কী ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছিল?
ক গ্রেনেড খ বুলেট
গ রাইফেল ঘ পতাকা
৩২) এক সের = কত কিলোগ্রাম?
ক ০.৮০ কিলোগ্রাম খ ০.৯৩ কিলোগ্রাম
গ ১.৫০ কিলোগ্রাম ঘ ৯.৩০ কিলোগ্রাম
৩৩) ফুলের পাপড়ি ছিঁড়ে দুই বোন কোথায় রাখতো?
ক বইয়ের মধ্যে খ বালিশের নিচে
গ কৌটার মধ্যে ঘ খাতার মধ্যে
৩৪) আমগাছের নিচে বসে জসীম কিসের খবর শুনছিল?
ক বাজারের খবর খ যুদ্ধের খবর
গ গণহত্যার খবর ঘ বাড়ির খবর
৩৫) রুবা রুমার হাত ধরে ঝাঁকিয়ে বলে, যুদ্ধ মানে কী বুবু? রুমা দুই হাতে চোখ মুছে বলে-
ক বাবার মরে যাওয়া
খ মায়ের মরে যাওয়া
গ ভাই বোনের মরে যাওয়া
ঘ স্বামী মরে যাওয়া
৩৬) কখন শিউলি ফুল ফোটে?
ক আশ্বিন মাসে খ কার্তিক মাসে
গ দিনের বেলা ঘ মাঘ মাসে
৩৭) ‘অধীর’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) অপেক্ষা (খ) অস্থির
(গ) ব্যস্ত (ঘ) রাগান্বিত
৩৮) মুক্তিযোদ্ধারা রাহেলা বানুকে কী বলে ডাকে?
(ক) খালা (খ) মামি
(গ) মা (ঘ) আপা
৩৯) রাহেলা বানু কলসিতে চাল জমিয়ে রাখে কেন?
(ক) বিপদের দিনের জন্য
(খ) স্বামীর জন্য
(গ) মেয়ে দুটোর জন্য
(ঘ) মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য
৪০) ‘জ্যোৎস্না’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) সকালের রোদ (খ) চাঁদের আলো
(গ) সূর্য (ঘ) চন্দ্র
৪১) অনুচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছেÑ
(ক) মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা
(খ) মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা
(গ) মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা
(ঘ) মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের কৌশল
৪২) রুমা-রুবা কার জন্য কাঁদে?
(ক) মায়ের জন্য (খ) বাবার জন্য
(গ) মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য (ঘ) বঙ্গবন্ধুর জন্য
৪৩) ‘সংগ্রাম’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) প্রতিবাদ (খ) যুদ্ধ
(গ) স্বাধীনতা (ঘ) হত্যা
৪৪) অনুচ্ছেদে কার শহিদ হওয়ার ঘটনা রয়েছে?
(ক) রাহেলার (খ) রাহেলার একটি ছেলে
(গ) রুমার (ঘ) জসীমের
৪৫) ‘গাঁ’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) গ্রাম (খ) শরীর
(গ) শহর (ঘ) দেশ
৪৬) বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে কিসের কথা বলেন?
(ক) লেখাপড়ার শেখার
(খ) কৃষি কাজ করার
(গ) স্বাধীনতা সংগ্রামের
(ঘ) নির্বাচন করার
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১) ঘ আপন বোন
২) গ শিউলি
৩) গ আমের বোলের
৪) গ বারো বছর
৫) খ জসীম মিয়া
৬) খ বুনোফুল
৭) গ খাতার ভেতর
৮) ক চাল-ডাল
৯) খ আমগাছের নিচে
১০) খ আমাদের যুদ্ধ করতে হবে
১১) ক যুদ্ধ করার কথা
১২) খ ৭ই মার্চ
১৩) খ যুদ্ধের কৌশল
১৪) ঘ মুক্তিবাহিনী
১৫) গ বিকেলে
১৬) গ বুকে
১৭) ক একটি
১৮) ক বুলেটবিদ্ধ হয়ে
১৯) খ মৃত্যুর পরদিন
২০) ঘ বড় আমগাছ ছিল বলে
২১) খ মিলিটারিদের ভয়ে
২২) ঘ গাঁয়ের মেয়েরা
২৩) খ বাবার মরে যাওয়া
২৪) গ পাশের বাড়ি থেকে এনেছিলেন
২৫) ক রুমা
২৬) খ মুক্তিযোদ্ধারা
২৭) ক দরজা বন্ধ করে
২৮) গ বঙ্গবন্ধু
২৯) ক ভাত খেতে
৩০) খ ক্যাম্পে যাবে
৩১) গ রাইফেল
৩২) খ ০.৯৩ কিলোগ্রাম
৩৩) ঘ খাতার মধ্যে
৩৪) গ গণহত্যার খবর
৩৫) ক বাবার মরে যাওয়া
৩৬) ক আশ্বিন মাসে
৩৭) (খ) অস্থির
৩৮) (গ) মা
৩৯) (ঘ) মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য
৪০) (খ) চাঁদের আলো
৪১) (গ) মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা
৪২) (খ) বাবার জন্য
৪৩) (খ) যুদ্ধ
৪৪) (ঘ) জসীমের
৪৫) (ক) গ্রাম
৪৬) (গ) স্বাধীনতা সংগ্রামের
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১) রুমা ও রুবার মধ্যে কেমন টান?
উত্তর : রুমা ও রুবা দুই বোনের মধ্যে ভীষণ টান। তারা একসঙ্গে খেলা করে। ঝগড়া করে খুবই কম।
২) রুমার বয়স কত?
উত্তর : রুমার বয়স বারো বছর।
৩) রুমা ও রুবা বাবা-মার কপালে ফুলের পাপড়ি ছুঁইয়ে কী বলে?
উত্তর : রুমা ও রুবা বাবার কপালে ফুলের পাপড়ি ছুঁইয়ে বলে, বাবা তোমার হাজার বছর আয়ু হোক। আর মার কপালে লাগিয়ে বলে, মা তোমার ভাতের হাঁড়ি ভরা থাকুক।
৪) জসীম মিয়া মেয়েদের ঢাকা পাঠাতে চান কেন?
উত্তর : জসীম মিয়া মেয়েদের লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকা পাঠাতে চান।
৫) পাক মিলিটারিরা গ্রামে এসে কী করে?
উত্তর : পাক মিলিটারিরা গ্রামে এসে বাজারের দোকান আর ঘরবাড়িগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুলি ছুড়ে মানুষ মারতে মারতে তারা সামনে এগোতে থাকে।
৬) রুমা-রুবাদের বাড়ি আগুনের হাত থেকে বেঁচে যায় কেন?
উত্তর : রুমা-রুবাদের বাড়িতে ছিল বড় একটি আমগাছ। আমগাছটা ঘরের চাল আড়াল করে রেখেছিল বলে আগুন বাড়ি পর্যন্ত পেঁৗঁছতে পারেনি।
৭) জসীমের লাশ দেখে রাহেলা, রুমা ও রুবার কী অবস্থা হয়?
উত্তর : জসীমের লাশ দেখে রাহেলা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিল। রুমা আর রুবা বাবার লাশ দেখে একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যায়।
৮) রাহেলা বানু ও তার মেয়েরা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য কী কী জমিয়ে রাখে?
উত্তর : রাহেলা বানু ও তার মেয়েরা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য সামান্য কিছু চাল, শুকনো লাকড়ি ইত্যাদি জমিয়ে রাখে।
৯) ট্রেনিংয়ের সময় জসীম মুক্তিযোদ্ধাদের কী বলেছিলেন?
উত্তর : ট্রেনিংয়ের সময় জসীম মুক্তিযোদ্ধাদের বলেছিলেনÑ যদি দরকার পড়ে তাহলে মুক্তিযোদ্ধারা যেন রাহেলা বানুর কাছে সাহায্য চাইতে আসে।
১০) রুমা ও রুবা কী কোলে নিয়ে বসে থাকে?
উত্তর : রুমা ও রুবা মুক্তিযোদ্ধা দুজনের রাইফেল দুটি কোলে নিয়ে বসে থাকে।
১১) রাহেলা মুুক্তিযোদ্ধা দুজনকে কী খেতে দেন?
উত্তর : রাহেলা মুক্তিযোদ্ধা দুজনকে গরম ভাত ও ডিম আলুর তরকারি খেতে দেন।
১২) মুক্তিযোদ্ধারা গপগপিয়ে খায় কেন?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বেশি সময় ছিল না। নদীর ধারে তাদের জন্য অন্য মুক্তিযোদ্ধারা অপেক্ষা করছিলেন। তাই তাঁরা গপগপ করে দ্রুত খেয়ে যায়।
১২) মুক্তিযোদ্ধা দুজন চলে যাওয়ার সময় কী করে?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধা দুজন চলে যাওয়ার সময় রাহেলা বানুকে সালাম করে আর রুমা-রুবার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
১৩) মুক্তিযোদ্ধারা রুমা-রুবাদের বাড়িতে এসে কী করত?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা রুমা-রুবাদের বাড়িতে এসে ভাত খেত। কখনও কখনও একটু বিশ্রাম নিত।
১৪) ‘বিবিসি’ কী?
উত্তর : বিবিসি হলো যুক্তরাজ্যের একটি বেতার কেন্দ্রের নাম। এর পূর্ণরূপ হচ্ছেÑ ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন।
১৫) গভীর রাতে রুমা-রুবাদের বাড়িতে কারা আসতেন? তাঁরা কাদের সঙ্গে লড়াই করছিলেন?
উত্তর : গভীর রাতে রুমা ও রুবাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা আসতেন। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দখল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য তাদের সঙ্গে লড়াই করছিলেন।
১৬) লোকজন গোল হয়ে বসে কী করছিলেন? তাঁরা কী শুনতে পান?
উত্তর : লোকজন গোল হয়ে বসে রেডিওতে বিবিসির খবর শুনছিলেন। তাঁরা শুনতে পেলেন যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় গণহত্যা শুরু করেছে।
১৭) রুমার জন্মদিনের গল্পটি কী?
উত্তর : রুমার যেদিন জন্ম হয় সেদিন বাড়ির উঠোনের শিউলিগাছটা ফুলে ফুলে ভরে ছিল। এত ফুল একসাথে ওদের বাড়িতে কখনো ফোটেনি। ফুলের সুগন্ধে চারদিক মেতে উঠেছিল।
১৮) রুবার জন্মদিনের গল্পটি কী?
উত্তর : রুবার যেদিন জন্ম হয় সেদিন বাড়ির বাইরের আমগাছটা বোলে ভরে উঠেছিল। এত বোল এ গাছে আগে কখনো দেখা যায়নি। আমের বোলের সুবাসে চারদিক ভরে ওঠেছিল।
১৯) প্রতিদিন দুই মুঠো চাল উঠিয়ে রেখে কী লাভ হয়েছিল?
উত্তর : রাহেলা বানু দুমুঠো চাল কলসিতে জমিয়ে রাখতেন। কোনো মুক্তিযোদ্ধা যদি রাতে হঠাৎ চলে আসেন তখন তাঁকে যেন ভাত রান্না করে খাওয়াতে পারেন সেজন্যই তিনি এ কাজটি করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা প্রায়ই তাঁর বাড়িতে এসে ভাত খেয়ে যেতেন। দুই মুঠো চাল উঠিয়ে রাখায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতে পেরেছিলেন।
২০) গভীর রাত পর্যন্ত দুই বোন কেন জেগে থাকত?
উত্তর : রুমা ও রুবা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপেক্ষা করত।
মুক্তিযোদ্ধারা মাঝে মাঝে সাহায্যের জন্য রুমা, রুবাদের বাড়িতে আসত। গভীর রাতে এসে তারা ভাত খেত, নয়তো একটুখানি জিরিয়ে নিত। রুমা ও রুবা সবসময় অপেক্ষায় থাকত কখন মুক্তিযোদ্ধারা আসবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ডাক শোনার প্রতীক্ষায় তাদের চোখে ঘুম আসত না। তাই তারা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকত।
২১) মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে জসীম মিয়ার পরিবারের সম্পর্কটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জসীম মিয়া ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মিলিটারির গুলিতে প্রাণ হারান। সহযোদ্ধাদের জসীম মিয়া বলে গিয়েছিলেন কোনো সাহায্য লাগলে তাঁর স্ত্রীর কাছে আসতে। মুক্তিযোদ্ধারা তাই জসীমের স্ত্রীর কাছে সাহায্য চায়। জসীমের স্ত্রী রাহেলা বানু ও তাঁর দুই মেয়ে রুমা ও রুবা তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করে।
২২) “আমার মেয়েগুলোর অনেক বুদ্ধি। অনেক বড় হ মা”-“অনেক বুদ্ধি” এবং “বড় হ” বলতে তুমি কী বোঝ?
উত্তর : কথাগুলো জসীম মিয়া তাঁর দুই মেয়ে রুমা ও রুবা সম্পর্কে বলেছে। রুমা ও রুবা খুব বুদ্ধিমতি। আশেপাশের সবকিছু তারা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে ও বুঝতে চেষ্টা করে। এ কারণেই জসীম মিয়া বলেছেন যে তাঁর মেয়েদের মাথায় অনেক বুদ্ধি। জসীম মিয়া আশা করেন তার মেয়েরা মানুষের মতো মানুষ হবে। “বড় হ” বলে তিনি তাদের আশীর্বাদ করেন।
২৩) একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ করার জন্য কী কী যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা দরকার?
উত্তর : একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ করার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। যেমন-
১. দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি গভীর টান
২. অস্ত্র চালনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান
৩. কঠিন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা
৪. শারীরিক শক্তি
৫. দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ার মানসিকতা
৬. প্রখর বুদ্ধিমত্তা
২৪) দুই বোন কোথা থেকে কুঁচো চিংড়ি ধরে আনে?
উত্তর : দুই বোন ধানখেতের আলের পাশ দিয়ে গড়িয়ে যাওয়া পানি থেকে কুচো চিংড়ি ধরে আনে।
২৫) রাহেলা বানু কে? মুক্তিযোদ্ধারা যে রাতে তার বাড়িতে এলো সে রাতটি কেমন ছিল?
উত্তর : রাহেলা বানু জসীমের স্ত্রী; রুমা ও রুবার মা।
মুক্তিযোদ্ধারা যে রাতে রাহেলা বানুর বাড়িতে এলো সে রাতটি ছিল বৃষ্টিহীন। আকাশে ছিল ভরা জ্যোৎস্নার আলো।
২৬) দুই বোন অধীর অপেক্ষায় থাকে কেন?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা যেকোনো সময় সাহায্যের আশায় বাড়িতে আসতে পারে। তাই দুই বোন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যন্ত আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করে থাকে।
২৭) লোকজন বিবিসির খবরে কী শুনতে পেল?
উত্তর : লোকজন বিবিসির খবরে শুনতে পেল- ঢাকা শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকারে গণহত্যা শুরু করেছে।
২৮) বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে কী বলেছিলেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতাযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেনÑ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
২৯) জসীম কে? কারা, কীভাবে তাকে হত্যা করে?
উত্তর : ‘অপেক্ষা’ গল্পে জসীম হলেন রুমা ও রুবার বাবা।
জসীমদের গ্রামে পাকিস্তানি মিলিটারি এসেছিল। তারা বাজারের দোকান আর ঘর-বাড়িতে আগুন লাগিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসছিল। একটি বুলেট এসে জসীমের বুকে লাগলে তিনি শহিদ হন। এভাবেই পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে প্রাণ হারান জসীম।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
য় অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের মানুষ নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছিল। রাহেলা বানু ও তাঁর দুই মেয়েও তাঁদের সাহায্য করতে সদা প্রস্তুত থাকত। মুক্তিযোদ্ধারা এলে তাঁদের খাওয়াদাওয়া করাতে তারা বিভিন্ন ব্যবস্থা করে রাখে। একদিন মুক্তিযোদ্ধারা গভীর রাতে আসে তাদের বাড়িতে।
য় অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এদেশের মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার সংগ্রামের ডাক দেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে জসীম যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হয়। কিন্তু গ্রামে মিলিটারিরা এলে শহিদ হয় সে। জসীমের অপেক্ষা করে থাকে তার পরিবার।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানি হানাদারেরা রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা নির্বিচারে নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা চালাতে থাকে। এ কাজে তাদের সহায়তা করে আলবদর, আল-শামস ও রাজাকারের দল। গ্রামে-গঞ্জে-শহরে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-পুলিশ-আনসার সবাই মিলে শত্রুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মোট এগারোটি সেক্টরে ভাগ হয়ে সারা দেশে ব্যাপক যুদ্ধ হয়। ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী একসঙ্গে আক্রমণ শুরু করে। নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে ১৪ই ডিসেম্বর তারা এদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকবাহিনী রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে। ত্রিশ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি প্রাণের স্বাধীনতা।
য় সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) আলবদর, আল-শামস, রাজাকারদের কোনটি বলা যায়?
(ক) দেশপ্রেমিক (খ) মুক্তিযোদ্ধা
(গ) বুদ্ধিজীবী (ঘ) বিশ্বাসঘাতক
২) কোন দিনটিতে আমরা উল্লাস করতে পারি?
(ক) ২১এ ফেব্রুয়ারি (খ) ২এ মার্চ
(গ) ১৪ই ডিসেম্বর (ঘ) ১৬ই ডিসেম্বর
৩) অনুচ্ছেদে কী প্রকাশিত হয়েছে?
(ক) ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
(খ) মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনা
(গ) স্বাধীনতা লাভের আনন্দ
(ঘ) বীরশ্রেষ্ঠদের বীরগাথা
৪) পাক হানাদাররা ১৪ই ডিসেম্বর হত্যা করেছিলÑ
(ক) অসংখ্য বুদ্ধিজীবী
(খ) অসংখ্য আইনজীবী
(গ) অসংখ্য সাংবাদিক
(ঘ) অসংখ্য স্থানীয় নেতা
৫) মুক্তিযুদ্ধে এদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
(ক) ৯টি (খ) ১০টি
(গ) ১১টি (ঘ) ১২টি
উত্তর : ১) (ঘ) বিশ্বাসঘাতক; ২) (ঘ) ১৬ই ডিসেম্বর; ৩) (খ) মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনা; ৪) (ক) অসংখ্য বুদ্ধিজীবী; ৫) (গ) ১১টি।
য় নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
নির্বিচারে কোনো রকম বাছ-বিচার ছাড়া।
ব্যাপক বহুদূর বিস্তৃত।
আত্মসমর্পণ অস্ত্র ত্যাগ করে বিপক্ষের অধীনতা স্বীকার করা।
হানাদার আক্রমণকারী।
নিশ্চিত নিঃসন্দেহ।
ময়দান মাঠ, প্রান্তর।
ক) ছেলেমেয়েরা খেলার ঘিরে জড়ো হয়েছে।
খ) বন্যায় মাঠঘাট সব তলিয়ে গেছে।
গ) মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুর মুখেও করলেন না।
ঘ) বৃক্ষ নিধনের ফলে বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে।
ঙ) আমার বেড়াতে যাওয়া নয়।
উত্তর : ক) ময়দান; খ) ব্যাপক; গ) আত্মসমর্পণ;
ঘ) নির্বিচারে; ঙ) নিশ্চিত।
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) পঁচিশে মার্চ রাতে কী ঘটেছিল? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ২৫শে মার্চ গভীর রাতে পাক হানাদাররা ঘুমন্ত, নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের সে ধ্বংসযজ্ঞে সাহায্য করেছিল এদেশেরই কিছু ঘৃণ্য, লোভী মানুষ। এরা আলবদর, আল-শামস ও রাজাকার নামে পরিচিত। এদের সহায়তায় পাকবাহিনী নির্বিচারে নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা চালায়।
খ) পাকবাহিনী কবে আত্মসমর্পণ করে? মিত্রবাহিনী আসার ফলে উভয় পক্ষে কী হলো তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : পাকবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে।
মিত্রবাহিনী আসার ফলে
১) মুক্তিযুদ্ধের একপর্যায়ে ৪ঠা ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিল।
২) মুক্তিবাহিনীর সাহস ও শক্তি বহুগুণ বেড়ে গেল।
৩) তাঁদের সম্মিলিত আক্রমণের ফলেই পাকবাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হলো এবং হানাদাররা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলো।
গ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলো :
১) ১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চ থেকে পাকবাহিনী এদেশে গণহত্যার সূচনা করে।
২) সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
৩) মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা দেশকে এগারোটি সেক্টরে ভাগ করা যায়।
৪) ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে।
৫) ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামে চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে।
ঘ) মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণের ফলে শত্রুদের মধ্যে দেখা দেওয়া প্রভাব পাঁচটি বাক্যে তুলে ধর।
উত্তর : যৌথ আক্রমণের প্রভাবÑ
১) ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে যৌথ আক্রমণের ফলে পাকিস্তানি হানাদাররা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল।
২) তারা বুঝতে পেরেছিল যে, তাদের পরাজয় নিশ্চিত।
৩) পরাজয়ের পূর্বাভাস পেয়ে তারা ১৪ই ডিসেম্বর অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে।
৪) এদেশের গভীরভাবে ক্ষতি সাধনের জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছিল।
৫) ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদাররা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ঙ্গ, ল্ল, ক্ত, ত্ত, ন্ন, বৃ।
উত্তর :
ঙ্গ = ঙ + গ অঙ্গ
– মা শিশুটির সারা অঙ্গে তেল লাগালেন।
ল্ল = ল + ল উল্লেখ
– কাগজে স্যারের নাম উল্লেখ করা আছে।
ক্ত = ক + ত শক্ত
– রশিটি শক্ত করে বাঁধা।
ত্ত = ত + ত উত্তর
– বাড়ির উত্তর দিকে আছে একটি পুকুর।
ন্ন = ন + ন কান্না
– শিশুটির কান্না থামছেই না।
বৃ = ব+ ঋ-ফলা ( ৃ ) বৃথা
– বৃথা সময় নষ্ট করো না।
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ল্প, ন্ধ, ক্ষ, ট্র, ক্র।
উত্তর :
ল্প = ল + প কল্পনা
– শিশুরা কল্পনা করতে ভালোবাসে।
ন্ধ = ন + ধ বন্ধ
– কাল থেকে স্কুল বন্ধ।
ক্ষ = ক + ষ পরীক্ষা
– শনিবার থেকে পরীক্ষা শুরু।
ট্র = ট + র-ফলা ( ্র ) ট্রাম
– ট্রামে চড়ার মজাই আলাদা।
ক্র = ক + র-ফলা ( ্র ) ক্রমিক
– সামির খাতায় ক্রমিক নং লিখল।
বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন
য় সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
রুমা রুবা বাবার হাত ছাড়িয়ে অন্য ছেলেমেয়েদের কাছে যুদ্ধের কথা বলার জন্য ছুট দেয় চিৎকার করে বলে যুদ্ধ করতে হবে রে যুদ্ধ যুদ্ধ
উত্তর : রুমা-রুবা বাবার হাত ছাড়িয়ে অন্য ছেলেমেয়েদের কাছে যুদ্ধের কথা বলার জন্য ছুট দেয়। চিৎকার করে বলে, যুদ্ধ করতে হবে রে। যুদ্ধ যুদ্ধ।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
য় ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
শুনিতেছিল, ছুড়িতে, বসিয়া, বলিল, চাহিয়াছিল।
উত্তর :
সাধু রূপ চলিত রূপ
শুনিতেছিল শুনছিল
ছুড়িতে ছুড়তে
বসিয়া বসে
বলিল বলল
চাহিয়াছিল চেয়েছিল
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
আদর, আগুন, ঘুম, দোকান, বাবা।
উত্তর :
মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
আদর Ñ স্নেহ, মমতা।
আগুন Ñ অনল, অগ্নি।
ঘুম Ñ তন্দ্রা, নিদ্রা।
দোকান Ñ আপণ, বিপণি।
বাবা Ñ আব্বা, পিতা।
য় নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
বন্ধ, কেনা, মুক্তি, ডোবা, দ্রুত, সহজ।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
বন্ধ খোলা ডোবা ভাসা
কেনা বেচা দ্রুত ধীরে
মুক্তি বন্ধন সহজ কঠিন
য় নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
জন্ম, কান্না, ভরা, যুদ্ধ, দূর, শুকনো।
উত্তর : মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
জন্ম মৃত্যু
কান্না হাসি
যুদ্ধ শান্তি
শুকনো ভেজা