৯ম-১০ম শ্রেণী BGS নবম অধ্যায়ঃজাতিসংঘ ও বাংলাদেশ
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
- জাতিসংঘ সৃষ্টির পটভূমি : তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টের উদ্যোগে এবং বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সাথে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ফলশ্রুতিতে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শুরুতে জাতিসংঘের সদস্যসংখ্যা ছিল ৫০। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এর সদর দপ্তর অবস্থিত।
- জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক : বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের নীতি ও আদর্শের প্রতি আস্থাশীল রয়েছে। বাংলাদেশ
বিভিন্ন সময়ে তার নানা সমস্যা মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা পেয়েছে। আবার জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাÊ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
- বিশ্ব শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের ভূমিকা : বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অন্যতম সদস্য দেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কর্মকা সমর্থন জানাচ্ছে ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২৫টি দেশে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষাকারী মিশনে অংশগ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান খুবই গৌরবের।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১.বাংলাদেশ কতো সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
১৯৭৪ খ ১৯৮০ গ ১৯৮৪ ঘ ১৯৮৬
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
তাপস রায় আফ্রিকার একটি অঞ্চল থেকে তার স্ত্রীকে জানান, সেখানে যুদ্ধরত দলগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘটাতে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে এবং তারা সকল শ্রেণির আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।
২.তাপস রায় দেশের পক্ষে যে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন তা হলো-
র. জাতিসংঘ মিশন রর. শান্তিরক্ষা মিশন
ররর. বাংলাদেশ মিশন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩. উক্ত কার্যক্রমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের কী অর্জন হয়েছে?
ক সামরিক কৌশল অর্জন শক্তিতে উন্নত
বহির্বিশ্বে প্রভাব বিস্তার
গ সুশৃঙ্খল বাহিনী গঠন
ঘ বিশ্বশান্তি
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা
গৃহবধু রিতা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে কোনো কর্মক্ষেত্রে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অনেক যুক্তি ও সংগ্রামের পরে তিনি একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি লাভ করেন। সেখানে একই পদমর্যাদার পুরুষ সহকর্মী অপেক্ষা তাকে কম আর্থিক সুবিধাদি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে যোগ্য সম্মান ও প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেন; অবশেষে সফলও হন। সিয়েরা লিওনে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য রিতার ভাই লাভলু এ সংবাদ জেনে অত্যন্ত খুশি হন এবং তিনি বোনকে অভিনন্দন জানান।
ক.লীগ অব নেশনস’ কতো সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
খ.জাতিসংঘের বিতর্ক সভা বলতে কী বোঝায়?
গ.রিতার মতো নারীর অধিকার আদায়ে জাতিসংঘের কোন অঙ্গ সংস্থা কাজ করছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.রিতার ভাই লাভলু দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন- তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাও।
ক ‘লীগ অব নেশনস’ ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়।
খ জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত। একে ‘বিতর্ক সভা’ বলে অভিহিত করা যায়। অর্থাৎ জাতি সংঘের বিতর্ক সভা বলতে সাধারণ পরিষদকে বোঝায়।
গ রিতার মতো নারীর অধিকার আদায়ে জাতিসংঘের নারী উন্নয়ন তহবিল বা ইউনিফেম অঙ্গ সংস্থাটি কাজ করছে। উদ্দীপকে বর্ণিত গৃহবধূ রিতা উচ্চ শিক্ষিত। তা সত্ত্বেও পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে কোনো কর্মক্ষেত্রে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অনেক যুক্তি ও সংগ্রামের পর তিনি একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি লাভ করেন। সেখানে একই পদমর্যাদার পুরুষ সহকর্মী অপেক্ষা তাকে কম আর্থিক সুবিধাদি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে যোগ্য সম্মান ও প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেন, অবশেষে সফল হন। রিতার মতো নারীর এরূপ অধিকার আদায়ে জাতিসংঘের নারী উন্নয়ন তহবিল বা ইউনিফেম অঙ্গ সংস্থাটি কাজ করছে। ইউনিফেম বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। নারীদের বিভিন্ন ধরনের অধিকার আদায় এবং অর্থনৈতিক কর্মকা র সাথে তাদের সম্পৃক্ত করছে। বাংলাদেশের নারীদের নিরাপদ শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এ সংস্থা কাজ করছে। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশের নারীদের অধিকার আদায়ে ইউনিফেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত রিতার ভাই লাভলু দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন বলে আমি মনে করি। রিতার ভাই লাভলু সিয়েরা লিওনে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য। রিতার ভাইয়ের মতো ১১,০০০-এর বেশি বাংলাদেশি সৈন্য বিশ্বের ১১টি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা, শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছেন। আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের অভূতপূর্ব সাফল্য সেই দেশগুলোতে তথা সারাবিশ্বে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ পেয়েছে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার মডেল হিসেবে এবং শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশি সৈন্যরা আফ্রিকা, এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধংদেহী দুই বা ততোধিক সশস্ত্র গেরিলা গোষ্ঠীর মাঝে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অস্ত্র বিরতি পর্যবেক্ষণ করেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করেছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা বাহিনী তাদের প্রাণ বিসর্জন করে দেশের মর্যাদা, গৌরব উন্নত করেছে এবং বিশ্বশান্তি রক্ষায় রেখেছে এক নজিরবিহীন অনন্য অবদান। যেহেতু লাভলু জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর একজন সদস্য সেক্ষেত্রে তিনিও দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পেয়েছে কেন?
উত্তর : বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার মডেল হিসেবে এবং শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে বাংলাদেশি সৈন্যরা তাদের অনন্য অবদানের জন্য সিয়েরা লিওনে শুধু গ্রহণযোগ্যতা নয়, পেয়েছেন স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা। এ ভালোবাসার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা ভাষা পেয়েছে সেই দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ভেটো কী?
উত্তর : পাঁচটি স্থায়ী সদস্য ও ১০টি অস্থায়ী সদস্য মোট ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত। স্থায়ী সদস্য
রাষ্ট্রগুলোর ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। ভেটো হচ্ছে কোনো প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার ক্ষমতা। অর্থাৎ কোনো প্রস্তাবে এদের কেউ দ্বিমত পোষণ করলে সে প্রস্তাব আর অনুমোদিত হয় না।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ জাতিসংঘ সৃষ্টির প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : গত শতকের প্রথম দিকে (১৯১৪-১৯১৯) এবং ৪০ এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫) সংঘঠিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “লীগ অব নেশনস” সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু “লীগ অব নেশনস” এর সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অন্যান্য কারণে বিশ্বশান্তি বিধানে তা ব্যর্থ হয়। ১৯৩৯ সালে পুনরায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা পৃথিবীকে গ্রাস করে। বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্ব বিবেককে ভীষণ শঙ্কিত করে তোলে এবং নাড়া দেয়।
এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য আরেকটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। এরপর ১৯৪৩ সালে তেহরানে ও মস্কোতে ৪টি প্রধান শক্তির মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ফ্রান্সের সম্মিলিত উদ্যোগে জাতিসংঘ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ আত্মপ্রকাশ করে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবদান মূল্যায়ন কর।
উত্তর : বাংলাদেশে জাতিসংঘের সবকটি অঙ্গসংস্থার মিশন আছে। জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য দেশ বাংলাদেশ সবসময়ই জাতিসংঘের বিশেষ নজর পেয়ে থাকে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের আর্থিক অবদান কম হলেও বাংলাদেশের সৈন্যরা প্রাণ উৎসর্গ করে শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার পর থেকে বাংলাদেশ এই বিশ্বসংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিবাদের শান্তিপূর্ণ মীমাংসায় জাতিসংঘ ঘোষিত নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ ভারতের সাথে গঙ্গার পানিবণ্টন সমস্যা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানে সফল হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র কিন্তু তার আছে বিশাল জনগোষ্ঠী। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষিত বাহিনী বিশ্বশান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে অবদান রাখছে। উন্নত দেশগুলো টাকা দিয়ে জাতিসংঘে অবদান রাখছে আর বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, তাদের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে বিশ্বশান্তি রক্ষায় অনন্য অবদান রাখছে।
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
ক বেইজিং খ নাইরোবি
গ কোপেনহেগেন মেক্সিকো
২. কোনটিকে জাতিসংঘের ‘বিতর্কসভা’ বলে অভিহিত কর হয়?
অছি পরিষদ খ আন্তর্জাতিক আদালত
গ নিরাপত্তা পরিষদ ঘ সাধারণ পরিষদ
৩. তৃতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
ক বেইজিং খ মেক্সিকো
গ জেনেভা নাইরোবি
৪. জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ কয়টি?
ক ৩টি খ ৪টি ৫টি ঘ ৬টি
৫. বাংলাদেশ কততম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত হয়?
ক ১৩০তম খ ১৩৪তম ১৩৬তম ঘ ১৩৮তম
৬. জাতিসংঘ দিবস কোনটি?
ক ২৪ মার্চ খ ২৪ জুন গ ২৪ আগস্ট ২৪ অক্টোবর
৭. “নারী চোখে বিশ্ব দেখুন” ঘোষণাটি কততম নারী সম্মেলনে ছিল?
ক ১ম খ ২য় গ ৩য় ৪র্থ
৮. কোন দেশের ব্যস্ততম সড়কের নাম “বাংলাদেশ সড়ক”?
আইভরি কোস্ট খ সিয়েরালিওন
গ ইংল্যান্ড ঘ কিউবা
৯. নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করছে কোন অঙ্গ সংস্থা?
ক টঘউচ খ টঘওঈঊঋ গ টঘঐঈজ টঘওঋঊগ
১০. ‘বিতর্ক সভা’ এর অপর নাম কী?
ক জাতিসংঘ সচিবালয় খ অছি সচিবালয়
গ নিরাপত্তা পরিষদ সাধারণ পরিষদ
১১. টঘওঈঊঋ কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে কাজ করছে?
ক শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির উন্নয়নের লক্ষ্যে
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষে
গ বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিতকরণের জন্য
ঘ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য
১২. বিশ্বশান্তি রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি?
ক ডঐঙ খ ঋঅঙ গ ঊট টঘঙ
১৩. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলো কী কী?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন
খ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স ও চীন
গ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও চীন
ঘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানি, চীন ও জাপান
১৪. কোন সংস্থা আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক নির্বাচন করে?
সাধারণ পরিষদ খ সামাজিক পরিষদ
গ নিরাপত্তা পরিষদ ঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
১৫. কোন সালে নারী দিবস ঘোষিত হয়েছিল?
ক ১৯৭০ খ ১৯৭৩ ১৯৭৫ ঘ ১৯৭৯
১৬. কোন তারিখে জাতিসংঘ দিবস উদযাপিত হয়?
২৪ অক্টোবর খ ২৪ নভেম্বর গ ২৪ ডিসেম্বর ঘ ৩০ ডিসেম্বর
১৭. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে কাজ করছেÑ
ক স্বাস্থ্য শিক্ষার ক্ষেত্রে পোলিও নিবারণের ক্ষেত্রে
গ এইডস নিবারণের জন্য ঘ নারীস্বাস্থ্য নিয়ে
১৮. বাংলাদেশের নারীদের নিরাপদ শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে জাতিসংঘের কোন অঙ্গ সংস্থাটি কাজ করছে?
ক ইউএনডিপি খ ইউনিসেফ গ ডব্লিউএইচও ইউনিফেম
১৯. আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের সদর দপ্তর কোন শহরে অবস্থিত?
ক নিউইয়র্ক খ লন্ডন হেগ ঘ প্যারিস
২০. “লীগ অব নেশনস” গঠিত হয়েছিল কত সালে?
ক ১৯৪১ ১৯২০ গ ১৯৩৯ ঘ ১৯৪৫
২১. বর্তমানে বিশ্বের কতটি দেশ জাতিসংঘের সদস্য? [কু. বো. ’১৫]
ক ১৯২ ১৯৩ গ ১৯৪ ঘ ১৯৫
২২. কোন দেশের অন্যতম ব্যস্ত সড়কের নাম হয়েছে “বাংলাদেশ সড়ক”?
ক শ্রীলংকা খ কানাডা
আইভরি কোস্ট ঘ সিয়েরা লিওন
২৩. বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য রাষ্ট্র?
ক ১৩৫ ১৩৬ গ ১৩৭ ঘ ১৩৮
২৪. ‘লীগ অব নেশনস’ ১৯২০ সালের কত তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়?
১০ জানুয়ারি খ ২০ জানুয়ারি গ ১০ ফেব্রুয়ারি ঘ ২০ ফেব্রুয়ারি
২৫. কোন যুদ্ধের ফলে জাতিসংঘের জন্ম হয়?
ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধ খ ইরাক-ইরান যুদ্ধ
গ ভিয়েতনাম যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
২৬. বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে একটি সংগঠনের ১৩৬ তম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। সংগঠনটির নাম কী?
ক ওআইসি (ঙওঈ) খ ন্যাটো (ঘঅঞঙ)
গ সার্ক (ঝঅঅজঈ) ইউএন (টঘ)
২৭. ‘?’ স্থানে কী হবে?
ক আশিয়ান খ সাপটা
গ লীগ অব নেশনস জাতিসংঘ
২৮. লীগ ও নেশনস কেন গঠন করা হয়?
ক নতুন রাজনীতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
গ বিশ্বে একটি সরকার গঠনের জন্য ঘ সকল মানুষকে একত্রিত করার জন্য
২৯. জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ কয়টি?
ক তিন খ চার পাঁচ ঘ ছয়
৩০. জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী শাখা কোনটি?
ক সাধারণ পরিষদ খ অছি পরিষদ
নিরাপত্তা পরিষদ ঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
৩১. ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের সংখ্যা কয়টি?
ক ৪ ৫ গ ৬ ঘ ১৫
৩২. দুই দেশের বিবাদ মীমাংসা, সীমানা সংক্রান্ত সমস্যা নিরসন করবে জাতিসংঘের কোন সংস্থা?
ক সাধারণ পরিষদ আন্তর্জাতিক বিচারালয়
গ নিরাপত্তা পরিষদ ঘ প্রশাসনিক বিভাগ
৩৩. বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
১৯৭৪ খ ১৯৮০ গ ১৯৮৪ ঘ ১৯৮৬
৩৪. বাংলাদেশ মায়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন কার্যালয় মধ্যস্থতা করছে?
[যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক টঘউচ টঘঐঈজ গ টঘওঈঊঋ ঘ টঘওঋঊগ
৩৫. জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনিফেম (টঘওঋঊগ) বাংলাদেশের কোন ইস্যুতে কাজ করে?
নারী উন্নয়ন খ শিশু শিক্ষা
গ নারীদের বিবাহ ঘ নারীদের পারিবারিক জীবন
৩৬. বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কোন সংস্থাটি?
ক টঘওঈঊঋ খ ঋঅঙ টঘওঋঊগ ঘ ওখঙ
৩৭. প্রথম নারী বছর ঘোষণা করা হয় কত সালে?
ক ১৯৭৪ ১৯৭৫ গ ১৯৭৬ ঘ ১৯৭৭
৩৮. প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
মেক্সিকো খ কোপেনহেগেন
গ নাইজেরিয়া ঘ বেইজিং
৩৯. কততম বিশ্ব নারী সম্মেলনের ঘোষণা ছিল নারীর চোখে বিশ্ব দেখুন?
ক দ্বিতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলন চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন
গ তৃতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলন ঘ প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন
৪০. সিডও সনদে কতটি ধারা আছে? [মতিঝিল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা ]
ক ১৪ খ ১৬ গ ২৩ ৩০
৪১. জাতিসংঘ কত তারিখকে বিশ্ব নারীদিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে?
ক ৭ মার্চ ৮ মার্চ গ ৯ মার্চ ঘ ১০ মার্চ
৪২. বর্তমানে বাংলাদেশের কত সৈন্য বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষার কাজ করে যাচ্ছে?
ক ১০,০০০ এর বেশি খ ১০,৫০০ এর বেশি
১১,০০০ এর বেশি ঘ ১২,০০০ এর বেশি
৪৩. কোন দেশে অন্যতম একটি ব্যস্ত সড়কের নাম বাংলাদেশ সড়ক?
ক ইথিওপিয়া খ সিয়েরালিওন
আইভরি কোস্ট ঘ মালাগাছি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৪. জাতিসংঘে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় হয়েছে যে কারণে
র. বিশ্বশান্তি রক্ষায় আর্থিক অনুদান দিয়ে
রর. বিশ্বশান্তি রক্ষায় প্রশিক্ষিত বাহিনী দিয়ে
ররর. বিশ্বশান্তি রক্ষায় অস্ত্র বিরতিতে ভূমিকা রেখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৫. ইউনেস্কো কাজ করে
র. বিজ্ঞান রর. সংস্কৃতি
ররর. খাদ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৬. লীগ অব নেশনস সৃষ্টির মূল কারণ হলো-
র. যুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন
রর. জাতিগত দ্বন্দ্ব নিরসন
ররর. যুদ্ধের ধ্বংসলীলা থেকে মানুষের মুক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৭. বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছেÑ
র. উন্নত দেশ হিসেবে
রর. শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে
ররর. শান্তিপ্রতিষ্ঠার মডেল হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৮ ও ৪৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যার কিছু অঙ্গ সংস্থা আছে। খ তেমনই একটি অঙ্গ সংস্থা। খ এর কার্যালয় নেদারল্যান্ডের ‘হেগ’ শহরে অবস্থিত।
৪৮. অঙ্গ অংস্থা ‘খ’ এর প্রকৃত নাম কী?
ক নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক বিচারালয়
গ সাধারণ পরিষদ ঘ অছি পরিষদ
৪৯. ‘খ’ একটি অঙ্গ সংস্থা
র. যার কাজ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসা করা
রর. যাকে জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ বলা হয়
ররর. যা জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও ররর খ র, রর ও ররর গরর ও ররর ঘ র ও রর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫০ ও ৫১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
জনাব ‘ক’ তার এলাকায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলার জন্য একটি শান্তি সংগঠন গড়ে তোলে।
৫০. উক্ত সংগঠনটির নিচের কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে মিল রয়েছে?
জাতিসংঘ খ সার্ক গ এফএও ঘ ইউনেস্কো
৫১. উক্ত সংগঠনটির উদ্দেশ্য-
র. শান্তি নিশ্চিত করা
রর. সকলের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা
ররর. সকল জাতির মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সহযোগিতা গড়ে তোলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫২ ও ৫৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দু প্রতিবেশী ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে ‘ক’ রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সংস্থার একটি শাখায় আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে সংস্থাটি বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করে দেয়।
৫২. দু রাষ্ট্রের বিরোধ মীমাংসা করা আন্তর্জাতিক সংস্থার কোন শাখার কাজ?
ক সাধারণ পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ
গ সেক্রেটারিয়েট আন্তর্জাতিক আদালত
৫৩. উক্ত শাখার কাজ হলো
র. জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা মীমাংসা করা
রর. জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো চুক্তির প্রেক্ষিতে মামলা হলে তা মীমাংসা করা
ররর. জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তন করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও রর
অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভূমিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৪. কোনটি ব্যতীত কোনো মানুষ পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হতে পারে না? (জ্ঞান)
মানবাধিকার খ অর্থনৈতিক অধিকার
গ সামাজিক অধিকার ঘ নৈতিক অধিকার
৫৫. প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সুযোগ-সুবিধার অধিকারকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সামাজিক অধিকার খ নৈতিক অধিকার
মানবাধিকার ঘ মৌলিক অধিকার
৫৬. পৃথিবীতে কয়টি বড় যুদ্ধ হয়েছে? (জ্ঞান)
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৫৭. কোন যুদ্ধের ভয়াবহতা মানুষকে শান্তির জন্য আগ্রহী করে তোলে? (জ্ঞান)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ খ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
গ ভিয়েতনাম যুদ্ধ ঘ ইরাক-ইরান যুদ্ধ
৫৮. ‘লীগ অব নেশনস’ কিরূপ প্রতিষ্ঠান ছিল? (জ্ঞান)
ক আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক
গ জাতীয় ঘ রাজনৈতিক
৫৯. পৃথিবীর ইতিহাসে কোন যুদ্ধটি সবচেয়ে কলঙ্কিত ও বিভীষিকাময় ছিল? (জ্ঞান)
ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
গ ভিয়েতনাম যুদ্ধ ঘ ইরাক-ইরান যুদ্ধ
৬০. নারীর অবস্থান উন্নয়নে ‘ঢ’ নামক প্রতিষ্ঠানের অনেক ভূমিকা রয়েছে। ‘ঢ’ প্রতিষ্ঠানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ওআইসি খ সার্ক গ ন্যাম জাতিসংঘ
জাতিসংঘ সৃষ্টির পটভূমি
- বিশ শতকের ইতিহাসে পৃথিবী জুড়ে ঘটে গেছে দুটি বিশ্বযুদ্ধ।
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল হলো ১৯১৪-১৯১৯
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল হলো ১৯৩৯-১৯৪৫
- ‘লীগ অব নেশনস’ গড়ে ওঠে- ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি।
- জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর।
- জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালিত হয় প্রতি বছর- ২৪ অক্টোবর তারিখে।
- জাতিসংঘের মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হয় ৫টি স্থায়ী ও ১০৯টি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে।
- বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা- ১৯৩টি।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬১. পৃথিবী জুড়ে দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটে গেছে কোন শতাব্দীতে? (জ্ঞান)
ক অষ্টাদশ খ ঊনবিংশ বিংশ ঘ এক বিংশ
৬২. প্রথম বিশ্বযুদ্ধের স্থায়িত্বকাল কত বছর ছিল? (অনুধাবন)
ক ৪ ৫ গ ৬ ঘ ৭
৬৩. লীগ অব নেশনস কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯১৪ ১৯২০ গ ১৯২৫ ঘ ১৯৩০
৬৪. প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়? (জ্ঞান)
লীগ অব নেশনস খ জাতিসংঘ
গ ওআইসি ঘ ন্যাম
৬৫. শান্তির জন্য প্রতিষ্ঠিত কোন প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়? (জ্ঞান)
ক আরব লীগ খ ওআইসি
গ ন্যাম লীগ অব নেশনস
৬৬. কত সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯২০ ১৯৩৯ গ ১৯৪০ ঘ ১৯৫০
৬৭. লীগ অব নেশনস চূড়ান্তরূপে ব্যর্থ হওয়ার ফলে কোনটি হয়? (জ্ঞান)
ক ইরাক-ইরান যুদ্ধ খ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু ঘ ভিয়েতনাম যুদ্ধ শুরু
৬৮. জাতিসংঘের জন্ম হয় কোন যুদ্ধের ফলে? (জ্ঞান)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ খ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
গ ভিয়েতনাম যুদ্ধ ঘ উপসাগরীয় যুদ্ধ
৬৯. কয়টি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত? (জ্ঞান)
এক খ দুই গ তিন ঘ চার
৭০. জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে কোন পরিষদ গঠিত? (জ্ঞান)
ক নিরাপত্তা খ অছি
সাধারণ ঘ আন্তর্জাতিক বিচারালয়
৭১. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ১০ ১৫ ঘ ২০
৭২. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কয়টি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৭ গ ৮ ১০
৭৩. কোনো প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে জাতিসংঘের কতটি সদস্য রাষ্ট্রের? (জ্ঞান)
৫ খ ৬ গ ৭ ঘ ৮
৭৪. ইরানের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে প্রায় সকল দেশের সমর্থন পাওয়ার পরও রাশিয়া বিরোধিতা করায় তা কার্যকর হয়নি। এ ক্ষমতাকে কী নামে আখ্যায়িত করা যায়? (প্রয়োগ)
ক চরম খ সামরিক ভেটো ঘ সার্বভৌম
৭৫. উত্তর সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে সীমানা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। সমস্যা নিরসন করবে জাতিসংঘের কোন সংস্থা? (প্রয়োগ)
আন্তর্জাতিক বিচারালয় খ নিরাপত্তা পরিষদ
গ সাধারণ পরিষদ ঘ সেক্রেটারিয়েট বা প্রশাসনিক বিভাগ
৭৬. আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসার কাজ করে কোন পরিষদ? (জ্ঞান)
ক নিরাপত্তা পরিষদ খ অছি পরিষদ
আন্তর্জাতিক বিচারালয় ঘ সাধারণ পরিষদ
৭৭. আন্তর্জাতিক আদালতের কার্যালয় কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক ওয়াশিংটন খ নিউইয়র্ক হেগ ঘ জেনেভা
৭৮. কোনটি জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ? (জ্ঞান)
ক অছি পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ
গ সাধারণ পরিষদ সেক্রেটারিয়েট
৭৯. জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায়? (জ্ঞান)
ক ক্যালিফোর্নিয়া খ লন্ডন
নিউইয়র্ক ঘ প্যারিস
৮০. বিশ্বের শান্তিকামী দেশ কীভাবে জাতিসংঘের সদস্য হতে পারে? (অনুধাবন)
ক অছি পরিষদের মাধ্যমে
খ প্রশাসনিক বিভাগের মাধ্যমে
গ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে
জাতিসংঘ সনদের নিয়মকানুন মেনে চলার মাধ্যমে
৮১. বর্তমানে বিশ্বের কতটি দেশ জাতিসংঘের সদস্য? (জ্ঞান)
ক ১৫০ খ ১৭৩ গ ১৮৫ ১৯৩
৮২. বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য? (জ্ঞান)
ক ১২০ খ ১৩০ ১৩৬ ঘ ১৫৬
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৩. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ (অনুধাবন)
র. আহত হয় রর. নিহত হয়
ররর. পঙ্গুত্ববরণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৪. যুদ্ধ ডেকে আনে মানবজাতির জন্য অবর্ণনীয় (অনুধাবন)
র. দুঃখ রর. কষ্ট
ররর. আহাজারি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৫. মানব সভ্যতার ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল সবচেয়ে (অনুধাবন)
র. আনন্দময় অধ্যায় রর. কলঙ্কিত অধ্যায়
ররর. বিভীষিকাময় অধ্যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৬. নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র (অনুধাবন)
র. চীন রর. ফ্রান্স
ররর. জার্মানি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট হলো (অনুধাবন)
র. ‘লীগ অব নেশনস’-এর ব্যর্থতা
রর. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা
ররর. ওআইসি’র ব্যর্থতা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গের অন্তর্ভুক্ত (অনুধাবন)
র. নিরাপত্তা পরিষদ
রর. অছি পরিষদ
ররর. তত্ত্বাবধায়ক পরিষদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৯. জাতিসংঘের উদ্দেশ্যসমূহ হলোÑ (অনুধাবন)
র. সকল জাতির মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা
রর. আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করা
ররর. মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯০, ৯১ ও ৯২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মাহি ছোট চাচা আর্মি অফিসার হওয়ায় তিনি জাতিসংঘ শান্তিমিশনে আফ্রিকার ঘটনায় এক বছর কর্মরত ছিলেন। তিনি দায়িত্বকাল শেষে দেখে ফিরে আসায় মাহি তার চাচার নিকট জাতিসংঘের বিভিন্ন ছোটখাটো বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি খুব সুন্দর ভাবে মাহিকে বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিলেন।
৯০. মাহির চাচার বর্ণনার আলোকে জাতিসংঘ গঠনের উদ্দেশ্য কী? (প্রয়োগ)
বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা
খ যুদ্ধ প্রতিরোধ করা
গ শুধুমাত্র আমেরিকায় শান্তি স্থাপন করা
ঘ খাদ্য নিরাপপত্তা নিশ্চিত
৯১. মাহির চাচা জাতিসংঘের কোন পরিষদের অধীনে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন? (প্রয়োগ)
নিরাপত্তা পরিষদ খ অছি পরিষদ
গ সাধারণ পরিষদ ঘ শান্তি পরিষদ
৯২. মাহির চাচার মতে, জাতিসংঘ যেসব ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে – (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আর্ন্তাজাতিক উন্নতিতে রর. প্রগতির ক্ষেত্রে
ররর. সংহতি প্রতিষ্ঠায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভূমিকা বা কার্যক্রম
- বাংলাদেশ হলো জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য দেশ।
- জাতিসংঘের ৪ জন মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন ৫ বার।
- জাতিসংঘের কার্যপ্রণালিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার হচ্ছে ১৯৮৪ সাল থেকে।
- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।
- বাংলাদেশের সৈন্যরা প্রাণ উৎসর্গ করে কার্যকরি ভূমিকা পালন করছে শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায়।
- ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইউএনডিপি মিলেনিয়াম লক্ষমাত্রা ৮টি।
- বাংলাদেশের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে ইউনেস্কো।
- আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা পত্র জারি হয় ১৯৪৮ সালে।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংক্ষিপ্ত ইংরেজি রূপ হলো ডঐঙ।
- বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিস্থিতি উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে টঘঋচঅ.
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৩. বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কোন সংস্থা কাজ করেছে? (জ্ঞান)
ক কমনওয়েলথ খ আসিয়ান জাতিসংঘ ঘ ওআইসি
৯৪. জাতিসংঘের কতজন মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন? (জ্ঞান)
৪ খ ৫ গ ৬ ঘ ৭
৯৫. জাতিসংঘের মহাসচিব কতবার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন? (জ্ঞান)
ক ৬ ৫ গ ৪ ঘ ৩
৯৬. জাতিসংঘের কার্যাবলিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার শুরু হয় কত সাল থেকে? (জ্ঞান)
ক ১৯৮০ ১৯৮৪ গ ১৯৮৮ ঘ ১৯৯০
৯৭. ১৯৮৬ সালে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী বাংলাদেশের কোন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন? (জ্ঞান)
ক পাট খ স্বরাষ্ট্র পররাষ্ট্র ঘ আইন
৯৮. জাতিসংঘের কততম অধিবেশনে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন? (জ্ঞান)
৪১তম খ ৪২তম গ ৪৩তম ঘ ৪৪তম
৯৯. জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিকে সংক্ষেপে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ইউনিসেফ ইউএনডিপি
গ ইউনেস্কো ঘ এফএও
১০০. কোনটি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে দেশব্যাপী অসংখ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে? (জ্ঞান)
ইউএনডিপি খ ইউনিসেফ গ ইউনেস্কো ঘ এফএও
১০১. ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে টঘউচ মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা কতটি? (জ্ঞান)
৮ খ ৯ গ ১০ ঘ ১১
১০২. ইউনিসেফ দ্বারা কোনটিকে বোঝানো হয়? (জ্ঞান)
ক জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি খ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা
জাতিসংঘ শিশু তহবিল ঘ জাতিসংঘ নারী উন্নয়ন তহবিল
১০৩. দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করছে কোন সংস্থা? (জ্ঞান)
ক ইউনিফেম খ ইউএনডিপি ইউনিসেফ ঘ এফএও
১০৪. বাংলাদেশের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের কোন সংস্থাটি কাজ করছে? (জ্ঞান)
ইউনেস্কো খ ইউনিসেফ
গ এফ এ ও ঘ ইউনিফেম
১০৫. বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের কোন সংস্থা কাজ করছে? (জ্ঞান)
ক ইউনিসেফ খ ইউএনডিপি গ ইউনিফেম এফএও
১০৬. বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সংক্ষিপ্ত রূপ কী? (জ্ঞান)
ক টঘঐঈজ খ টঘউচ গ টঘওঈঊঋ ডঐঙ
১০৭. বাংলাদেশের পোলিও নিবারণের জন্য শিশুদেরকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়াচ্ছে কোন সংস্থা? (জ্ঞান)
ডব্লিউএইচও খ ইউএনএইচসিআর
গ ইউনিফেম ঘ ইউনিসেফ
১০৮. উদ্বাস্তুবিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সংক্ষিপ্ত রূপ কী? (জ্ঞান)
ক ইউনিসেফ খ ডব্লিউএইচও
ইউএনএইচসিআর ঘ ইউনিফেম
১০৯. বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিস্থিতি উন্নয়নে জাতিসংঘের কোন সংস্থাটি কাজ করছে? (অনুধাবন)
ক ডব্লিউ এইচ ও খ এফ এ ও
গ ইউনিফেম ইউএনএফপিএ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১০. জাতিসংঘ ঘোষিত নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ সফল হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ গঙ্গার পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানে
রর. ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে
ররর. পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১১. জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ইউনিসেফ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির উন্নয়ন করে
রর. ‘ডঐঙ’ স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করে
ররর. ‘ঋঅঙ’ খাদ্য ও কৃষির উন্নয়নে কাজ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১২. সিডর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে বিশ্ব খাদ্যসংস্থা যেসব ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে পারেÑ (প্রয়োগ)
র. খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ
রর. ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের কৃষি সহায়তা
ররর. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টিকাদান
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৩. ফাও-এর বিশ্লেষিত রূপ হলো জাতিসংঘের- (অনুধাবন)
র. খাদ্য সংস্থা রর. স্বাস্থ্য সংস্থা
ররর. কৃষি সংস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৪. ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে অবদান রেখেছেÑ (অনুধাবন)
র. শরণার্থীদের কর্মসংস্থানে
রর. বিশাল শরণার্থী পালনের খরচে
ররর. বিহারি জনগোষ্ঠীর আবাসনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৫ ও ১১৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইভান গত বছর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগদান করেছেন। সম্প্রতি তিনি আফগানিস্তানে বদলি হয়েছেন। স্বাস্থ্যসম্পর্কিত বিভিন্ন পরিচালনা করছেন।
১১৫. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংস্থাটির নাম কী? (প্রয়োগ)
ক ইউনিসেফ (টঘওঈঊঋ) খ এফএও (ঋঅঙ)
খ ইউনিফেম (টঘওঋঊগ) ঘ ডব্লিউএইচও (ডঐঙ)
১১৬. উক্ত সংস্থাটির কাজ হলো – (উচ্চতর দক্ষতা) [ব. বো.’ ১৫]
র. রোগ প্রতিরোধক র্কমসূচি পালন রর. শিশু শ্রম বন্ধ করা
ররর. পুষ্টিহীনতা দূর করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণে জাতিসংঘের ভূমিকা
- মানবপাচার ও পতিতাবৃত্তি অবসানের জন্য জাতিসংঘ সনদ অনুমোদন হয় ১৯৪৯ সাল।
- বিবাহিত নারীর জাতীয়তা সংরক্ষণ ও পরিবর্তন সংক্রান্ত অনুমোদন ১৯৫৭ সাল।
- বিয়ের ন্যূনতম বয়স ও রেজিস্ট্রেশন ফরম সনদ ১৯৬২ সাল।
- মেক্সিকোতে প্রথম বিশ্বনারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালে।
- কোপেনহেগেনে দ্বিতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে।
- ১৯৮১ সালে কার্যকর করা হয় সিডও সনদ।
- বেইজিং প্লাসফাইভ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০০ সালে।
- সিডও সনদ সমর্থন করছে বাংলাদেশসহ মোট ১৩২টি দেশ।
- নারীর অধিকারের পূর্ণাঙ্গ দলিল হলো সিডও সনদ।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৭. কত সালে জাতিসংঘ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র দেয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৪২ ১৯৪৮ গ ১৯৫০ ঘ ১৯৬০
১১৮. কত সালে মানব পাচার দমন ও পতিতাবৃত্তি অবসানের জন্য জাতিসংঘ সনদ অনুমোদন করে? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৫ খ ১৯৪৭ ১৯৪৯ ঘ ১৯৫১
১১৯. জাতিসংঘে নারীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার স্বীকৃত হয় কত সালে? (জ্ঞান)
১৯৫২ খ ১৯৫৪ গ ১৯৫৭ ঘ ১৯৬০
১২০. জাতিসংঘে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ও রেজিস্ট্রেশন ফরম সনদ কত সালে অনুমোদিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৫২ খ ১৯৫৭ গ ১৯৬০ ১৯৬২
১২১. ১৯৭৬-১৯৮৫ সালকে কী ঘোষণা করা হয়? (জ্ঞান)
ক যুবক দশক খ বৃদ্ধ দশক গ শিশু দশক নারীদশক
১২২. নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
ক ইউনিফেম খ ইউনিসেফ সিডও ঘ ডব্লিউএইচও
১২৩. কোপেনহেগেনে কততম বিশ্ব নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক প্রথম দ্বিতীয় গ তৃতীয় ঘ চতুর্থ
১২৪. তৃতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক হেগে নাইরোবিতে গ মেক্সিকোতে ঘ টোকিওতে
১২৫. পরিবেশ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় নারীর ভূমিকার স্বীকৃতি পায় যে সম্মেলনে সেটি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
রিওডি জেনেরোতে খ ভিয়েনায়
গ বেইজিংয়ে ঘ কোপেনহেগেন
১২৬. কোন সম্মেলনে নারীর অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দান করা হয়? (জ্ঞান)
ক দ্বিতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলনে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার সম্মেলনে
গ বেইজিং প্লাস ফাইভ সম্মেলনে ঘ চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনে
১২৭. ১৯৯৫ সালে চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
বেইজিংয়ে খ লন্ডনে গ বার্লিনে ঘ জুরিখে
১২৮. “ক” নামক শহরে ১৯৯৫ সালে চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন হয়। ‘ক’ শহরের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ শহর কোনটি? (প্রয়োগ)
বেইজিং খ মেক্সিকো গ কোপেনহেগেন ঘ লন্ডন
১২৯. কোন সম্মেলনে বেইজিং কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১ম বিশ্ব নারী সম্মেলনে খ ২য় বিশ্ব নারী সম্মেলনে
গ ৩য় বিশ্ব নারী সম্মেলনে ৪র্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনে
১৩০. বেইজিং প্লাস ফাইভ সম্মেলন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৯৩ খ ১৯৯৭ ২০০০ ঘ ২০০৫
১৩১. বেইজিং প্লাস টেন সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক বেইজিংয়ে খ রিওডি জেনেরোতে
নিউইয়র্কে ঘ মেক্সিকোতে
১৩২. সিডও সনদ কত সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৮০ ১৯৭৯ গ ১৯৭৮ ঘ ১৯৭৭
১৩৩. ১৯৮১ সালে কতটি দেশ সমর্থন করার পর সিডও সনদ কার্যকর হয়? (জ্ঞান)
ক ১২ খ ১৬ ২০ ঘ ২২
১৩৪. বাংলাদেশসহ মোট কতটি দেশ সিডও সনদটি সমর্থন করেছে? (জ্ঞান)
১৩২ খ ১৩১ গ ১৩০ ঘ ১২৯
১৩৫. সিডও সনদ ১৯৭৯-এর ক্ষেত্রে কোনটি যথার্থ? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এটি জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের চেষ্টা করে
খ এটি আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করে
এটি নারীর অধিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল
ঘ এটি আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করে
১৩৬. সিডও সনদ কেন তৈরি করা হয়? (অনুধাবন)
ক শিশু অধিকার রক্ষার জন্য খ নারী দিবস উদযাপন করার জন্য
নারী ও পুরুষের সমতার জন্য ঘ নৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য
১৩৭. কত সালে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
১৯৯৯ খ ২০০০ গ ২০০১ ঘ ২০০২
১৩৮. বিশ্বব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত হয় (জ্ঞান)
ক ১৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর খ ১৭ নভেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর
২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর ঘ ১২ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৯. নারীদের কল্যাণে জাতিসংঘ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেÑ
র. বেইজিং কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ থেকে বিরত থেকে
রর. আন্তর্জাতিক প্রটোকল, সেমিনার ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে
ররর. কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি তা বাস্তবায়ন করে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪০. ১৯৬০ সালে জাতিসংঘ নারীদের বৈষম্য বিলোপ সনদ অনুমোদন করে
র. কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে রর. পেশাক্ষেত্রে
ররর. শিক্ষাক্ষেত্রে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪১. নারীর প্রতি বৈষম্য এবং তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য জাতিসংঘ প্রণয়ন করেছে-
র. আইন রর. সনদ
ররর. কর্মপরিকল্পনা
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৪২. সিডও সনদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
র. নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে
রর. নারীর মানবাধিকারের বিষয়টি উল্লেখ আছে
ররর. নারী ও পুরুষের সমতার নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৪৩. ঈঊউঅড সনদ গৃহীত ও কার্যকর হয় যথাক্রমে
র. ১৯৭৯ সালে রর. ১৯৮০ সালে
ররর. ১৯৮১ সালে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৪ ও ১৪৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শুক্রবার সকালে অনন্যা এফএম (ঋগ) রেডিও শুনছিলেন। রেডিওতে নারী দিবস উপলক্ষে সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছিল। অথচ অনন্যা আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্পর্কে জানত না।
১৪৪. অনন্যা বৃহস্পতিবার রেডিও শুনছিল। এখানে বৃহস্পতিবারÑ (প্রয়োগ)
র. ৮ মার্চ
রর. মাসের প্রথম
ররর. জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৫. এফএম (ঋগ) রেডিওর উক্ত অনুষ্ঠান শোনার ফলে অনন্যার মধ্যে কোন বিষয়ে সচেতনতা পরিলক্ষিত হতে পারে? (উচ্চতর দক্ষতা)
নারী অধিকার খ মানবাধিকার
গ মৌলিক অধিকার ঘ শিশু অধিকার
জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা
- বিশ্বব্যাপি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতিসংঘ।
- বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছে- ১১,০০০-এর বেশি বাংলাদেশি সৈন্য।
- বর্তমানে বাংলাদেশের সৈন্য জাতিসংঘের অধীনে কাজ করছে ১১টি দেশে।
- সিয়েরালিওনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার কল্যাণে বাংলাভাষা পেয়েছে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা।
- জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার কল্যাণে আইভরিকোস্টে রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক।
- শান্তিমিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
- জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এ পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন ৮৮ জন সৈন্য।
- বাংলাদেশি সৈন্যরা শান্তির জন্য- জীবন দিতেও রাজি।
- বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তিরক্ষায় অবদান রাখছে প্রশিক্ষিত সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর মাধ্যমে।
- উন্নত দেশগুলো জাতিসংঘে অবদান রাখছে অর্থ দিয়ে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৬. বর্তমানে “ণ” নামক দেশের ১১,০০০ এর বেশি সাহসী সৈন্য বিশ্বের ১০টি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। “ণ” দেশের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কোন দেশের? (প্রয়োগ)
বাংলাদেশ খ ইংল্যান্ড গ মেক্সিকো ঘ পাকিস্তান
১৪৭. বর্তমানে কতটি দেশে বাংলাদেশি সৈন্যরা জাতিসংঘের অধীনে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে? (জ্ঞান)
ক ১০ ১১ গ ১২ ঘ ১৩
১৪৮. বাংলাদেশের সৈন্যরা কোন মহাদেশে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে? (জ্ঞান)
আফ্রিকা খ ইউরোপ
গ অস্ট্রেলিয়া ঘ উত্তর আমেরিকা
১৪৯. কোন দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের সাফল্য সারাবিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে? (জ্ঞান)
ক আমেরিকার খ এশিয়ার আফ্রিকার ঘ মধ্যপ্রাচ্যের
১৫০. আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি সৈন্যরা গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা পেয়েছে। এর যথার্থ কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অর্থনৈতিক পক্ষপাতিত্ব খ সামাজিক পক্ষপাতিত্ব
রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা ঘ ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব
১৫১. কোন দেশে বাংলা ভাষা দ্বিতীয় রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা পেয়েছে? (জ্ঞান)
সিয়েরা লিওন খ আইভরিকোস্ট
গ রাশিয়া ঘ কঙ্গো
১৫২. এখন পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশি সৈন্য বিশ্বশান্তির জন্য শহিদ হয়েছেন? (জ্ঞান)
৮৮ খ ৯০ গ ৯৮ ঘ ১০০
১৫৩. উন্নত দেশগুলো যেখানে টাকা দিয়ে জাতিসংঘে অবদান রাখছে সেখানে বাংলাদেশ কীভাবে অবদান রাখছে? (অনুধাবন)
ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শান্তিরক্ষা বাহিনীর মাধ্যমে
গ বিশাল জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে ঘ প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৪. উন্নত দেশগুলো চাঁদা দিয়ে জাতিসংঘে অবদান রাখছে, আর বাংলাদেশ ভূমিকা রাখছে
র. শান্তিমিশনে অংশগ্রহণ করে
রর. শান্তিমিশনের কাজে জীবন বিসর্জন দিয়ে
ররর. দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৫. আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি সৈন্যরা পেয়েছে স্থানীয় মানুষেরÑ
র. শ্রদ্ধা রর. ভালোবাসা
ররর. ঘৃণা
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৬. শান্তিমিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নিয়োজিত আছেনÑ
র. পুলিশ বাহিনী রর. র্যাব বাহিনী
ররর. মহিলা পুলিশ
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫৮ ও ১৫৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে জাতিগত সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করে নির্দিষ্ট এলাকার শৃঙ্খলা বিধানের চেষ্টা করছে।
১৫৭. অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিশেষ বাহিনী নিচের কোনটিকে নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
ক শান্তিবাহিনী শান্তিরক্ষা বাহিনী
গ জাতিসংঘ বাহিনী ঘ নিরাপত্তা বাহিনী
১৫৮. উক্ত বাহিনীতে বাংলাদেশের অংশ গ্রহণের ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিশ্বের দরবারে পরিচিতি বেড়েছে
রর. দেশের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে
ররর. দেশের সংস্কৃতির প্রসার হয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা
মাহি বাংলাদেশের সৈনিকদের নিয়ে নির্মিত একটি প্রতিবেদনের অংশবিশেষ দেখার সুযোগ পায়। সেখানে বলা হয়, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি ও দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে এ পর্যন্ত ৮৮ জন বাংলাদেশি সৈন্য শহিদ হন। মাহি তার বাবার নিকট জানতে চায় বাংলাদেশ এখনও কোনো দেশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে কিনা। বাবা তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন।
ক.কোন দেশের একটি সড়কের নাম ‘বাংলাদেশ সড়ক’? ১
খ.নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সিডও সনদের গুরুত্ব বর্ণনা কর। ২
গ.উদ্দীপকে যে বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নানাভাবে লাভবান হচ্ছে তুমি কী এর সাথে একমত? ৪
ক আইভরিকোস্টে একটি অন্যতম ব্যস্ত সড়কের নাম ‘বাংলাদেশ সড়ক’।
খ নারী ও পুরুষের সমতার নীতির ওপর ভিত্তি করে সিডও সনদটি তৈরি করা হয়। নারীর মানবাধিকারের বিষয়টি এখানে উঠে এসেছে। এই সনদে স্বীকার করা হয় যে, বিভিন্ন দেশে নারীর আইনগত অধিকার বলবৎ থাকলেও বৈষম্য রয়েছে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নারীর অধিকার খর্ব করার মাধ্যমেই তা করা হয়ে থাকে। তাই এ সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে। এই সনদের ৩০টি ধারার মধ্যে ১৬টি ধারা বৈষম্য বিশ্লেষণ এবং ১৪টি ধারা বৈষম্য বিলোপের উপায় সংক্রান্ত।
গ উদ্দীপকে জাতিসংঘে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হয়েছে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই। তাই স্বভাবতই জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশের অবদান ঈর্ষর্ণীয়। বর্তমানে প্রায় ১১,০০০ এর বেশি বাংলাদেশি সৈন্য বিশ্বের ১১টি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘের শান্তি মিশন সহজ ছিল না। আফ্রিকা, এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধংদেহী দুই বা ততোধিক সশস্ত্র গেরিলা গোষ্ঠীর মাঝে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি সৈন্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অস্ত্র বিরতি পর্যবেক্ষণ করেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করেছে। এ কাজে এখন পর্যন্ত ৮৮ জন সৈন্য বিশ্বশান্তির জন্য শহিদ হয়েছেন, আহত হয়েছে অনেকে। উদ্দীপকে মাহি প্রতিবেদনে এ বিষয়টিই লক্ষ করেছে। মূলত বাংলাদেশি সৈন্যরা প্রমাণ করেছে শান্তির জন্য তারা জীবন দিতে ও রাজি।
ঘ হ্যাঁ, আমি মনে করি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের অন্যরা বিশ্বশান্তি রক্ষী বাহিনীতে কাজ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নানাভাবে লাভবান হচ্ছে। বিশ্বশান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা গৌরোবজ্জ্বল। এক্ষেত্রে আমাদের প্রাপ্তিও অনেক। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীর এককথায় শান্তিরক্ষা বাহিনী তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে এমনকি প্রাণ বিসর্জন দিয়ে দেশের মর্যাদা, গৌরব বৃদ্ধি করছে এবং বিশ্বশান্তিতে রেখেছে এক নজিরবিহীন অনন্য অবদান। আবার অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র বিশাল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশ বেশ লাভবানও হচ্ছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের অভূতপূর্ব সাফল্য সেই দেশগুলোতে তথা সারাবিশ্বে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতাকে অনেক বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ পেয়েছে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার মডেল হিসেবে এবং শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে। আফ্রিকার এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে অন্যান্য দেশের সৈন্যরা যেখানে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছিল না সেখানে বাংলাদেশি সৈন্যরা শুধু গ্রহণযোগ্যতা নয়, পেয়েছে স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা। সিরেয়ালিওনে বাংলা ভাষা পেয়েছে সেই দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। আইভরিকোস্ট অন্যতম ব্যস্ত সড়কের নাম হয়েছে ‘বাংলাদেশ সড়ক’। সুতরাং, বিশ্বশান্তি রক্ষার দ্বারা বাংলাদেশ নানাভাবে লাভবান হচ্ছে- তা একবাক্যে বলা যায়।
প্রশ্ন- ২ জাতিসংঘ গঠন ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যক্রম
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত তিন্নির বাবা একটি বিশেষ সংস্থার অধীনে লিবিয়াতে কর্মরত ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি তার কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, উক্ত সংস্থা বিভিন্ন ধরনের সৃষ্টিশীল উদ্যোগের পাশাপাশি নারীদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ক.বিশ্ব নারী দিবস কোন তারিখে পালন করা হয়? ১
খ.স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত সংস্থাটির গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“বাংলাদেশে উক্ত সংস্থার বহুমুখী কার্যক্রম রয়েছে” উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন করা হয়।
খ স্থানীয় প্রশাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয় জেলা এবং উপজেলা শাসনব্যবস্থাকে বুঝায়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করে থাকে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্থানীয় প্রশাসনের ফলে বিভাগ, জেলা, উপজেলার সাথে কেন্দ্রের সংযোগ স্থাপন হয়। সুতরাং স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তা অধ্যধিক।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত সংস্থাটি জাতিসংঘ। উদ্দীপকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য তিন্নির বাবা জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে লিবিয়ায় কর্মরত ছিলেন। পাঁচটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত। এ পাঁচটি অঙ্গ হচ্ছে : সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক বিচারালয় বা আদালত। জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত। নিরাপত্তা পরিষদ হচ্ছে জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী পরিষদ। ৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্যসহ মোট ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে এটি গঠিত। অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কাজ হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করা। স্বাধীনতা প্রাপ্ত নয়-এরূপ বিশেষ এলাকার তত্ত্বাবধানের জন্য অছি পরিষদ গঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের কাজ। আর সেক্রেটারিয়েট হচ্ছে জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ।
ঘ বাংলাদেশে উক্ত সংস্থা তথা জাতিসংঘের বহুমুখী কার্যক্রম রয়েছে। প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ সত্যবলে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশে জাতিসংঘের সবকটি অঙ্গ সংস্থার মিশন আছে। জাতিসংঘের সবকটি অঙ্গ সংস্থা শুরু থেকেই বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে নানামুখী কার্যক্রম চালাচ্ছে। যেমন :বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক অর্থাৎ আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইউএনডিপি দেশব্যাপী অসংখ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিশেষত শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ কাজ করছে। বাংলাদেশের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সংস্থাটি কাজ করছে। তাছাড়া এ দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা কাজ করছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। বাংলাদেশ-মায়ানমার রোহিংগা ইস্যুতে কার্যালয় মধ্যস্থতা করছে। ইউনিফেম বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছে এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা কার্যক্রম তহবিল (টঘঋচঅ) এই সংস্থাটি বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিস্থিতি উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে জাতিসংঘের বহুমুখী কার্যাবলি খুবই প্রশংসনীয়। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৩ জাতিসংঘ গঠন ও জাতিসংঘ নারী উন্নয়ন তহবিল
চিত্র : চিত্রে জাতিসংঘের একটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি অঙ্গ সংস্থার উল্লেখ রয়েছে
ক.প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়? ১
খ.মানবাধিকার ছাড়া কোনো মানুষ পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না”। উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ.ক’ চিহ্নিত চিত্রে জাতিসংঘের কোন অঙ্গটির উল্লেখ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ‘খ’ চিহ্নিত অঙ্গ সংস্থাটির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে”। উক্তিটির সাথে তুমি কি একমত? বিশ্লেষণ কর। ৪
ক প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হয়।
খ মানবাধিকার হলো প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সুযোগ-সুবিধার অধিকার। মানবাধিকার মানুষের সম্মান ও অধিকার রক্ষা করে। সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে। মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হলে জাতিতে জাতিতে যুদ্ধ ও ধ্বংসলীলা সৃষ্টি হবে। তাই বলা যায়, মানবাধিকার ছাড়া কোনো মানুষ পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হতে পারে না।
গ ‘ক’ চিহ্নিত চিত্রে জাতিসংঘের প্রধান একটি অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের উল্লেখ রয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদ হচ্ছে জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরি পরিষদ। ৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী মোট ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে এটি গঠিত। ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হচ্ছে : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন। এদের প্রত্যেকের ‘ভেটো’ প্রদান বা কোনো প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ার ক্ষমতা আছে। ‘ক’ চিহ্নিত চিত্রে ফ্রান্স একটি স্থায়ী সদস্য বলে এ নিরাপত্তা পরিষদকেই নির্দেশ করা হয়েছে।
ঘ নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ‘খ’ চিহ্নিত অঙ্গ সংস্থা তথা ইউনিফেমের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। জাতিসংঘ নারী উন্নয়ন তহবিল বা ইউনিফেম নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় তৎপর। সংস্থাটি উন্নয়নকামী দেশের নারীদের নিরাপদে অন্য দেশে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করে চলেছে। উদ্দীপকে ‘খ’ চিহ্নিত চিত্রে তা উল্লিখিত হয়েছে। বস্তুত নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সংস্থাটি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখে। নারীর ক্ষমতায়ন বলতে আমরা যখন সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ এবং মতামত ও অবদান রাখার ক্ষমতাকে বুঝব, তখন ইউনিফেমের গুরুত্ব স্বীকার করতেই হয়। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নে ইউনিফেম নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। যাতে তারা সমাজে অবদান রাখতে পারে। ফলশ্রুতিতে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটে। এদেশে ইউনিফেম নারীদের বিভিন্ন অধিকার আদায় এবং অর্থনৈতিক কর্মকা র সাথে সংশ্লিষ্ট করছে। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটছে। উপরন্তু তারা নারীদের নিরাপদ শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছে। ইউনিফেমের এই সার্বিক কর্মকাÊ প্রকারান্তরে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটাচ্ছে। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটির এর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
প্রশ্ন- ৪ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকা
জাইমা তার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্লাসে শিক্ষকের আলোচনায় জানতে পারল একটি বিশ্বসংস্থা ও তার আওতাভুক্ত বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থাগুলো বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার সংরক্ষণ ও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। স্যার আরও বলেছেন বিশ্ব সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
ক.দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় কত সালে? ১
খ.লীগ অব নেশনস’ কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলÑ ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকে যে বিশ্বসংস্থা ওতার অঙ্গ সংস্থাগুলোর কথা জাইম জেনেছে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘বিশ্বসংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে’Ñ কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ সালে
খ যুদ্ধের কারণে মানবজাতির অবর্ণনীয় দুর্ভোগ এবং অশান্তি সৃষ্টি হয়। এছাড়া সাধিত হয় ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপকতা এবং ধ্বংসলীলা মানুষকে যুদ্ধের প্রতি বীতশ্রদ্ধ এবং শান্তির জন্য আগ্রহী করে তোলে। এজন্যই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘লীগ অব নেশনস’।
গ জাইমা যে বৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থার কথা জানতে পেরেছে তা হলো জাতিসংঘ এবং এই বৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থার অনেক অঙ্গ সংস্থাই বাংলাদেশে কাজ করছে। জাতিসংঘের এই সব অঙ্গ সংস্থার মধ্যে টঘউচ, টঘওঈঊঋ, ঋঅঙ উল্লেখযোগ্য। উদ্দীপকে জাইকা এসব সংস্থার কার্যক্রমই জেনেছে।
১. জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি (টঘউচ) : বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক অর্থাৎ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইউএনডিপি দেশব্যাপী অসংখ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইউএনডিপি মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এমডিজি) ৮টি।
২. জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ (টঘওঈঊঋ) : দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিশেষত শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ কাজ করছে।
৩. জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা বা এফএও (ঋঅঙ) : বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা কাজ করছে।
এসব সংস্থা ছাড়াও জাতিসংঘ টঘঊঝঈঙ, ডঐঙ, টঘঐঈজ, টঘওঋঊগ, টঘঋচঅ এর মাধমে বাংলাদেশে নানা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজেই আমরা দেখি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে জাতিসংঘের কার্যাবলি খুবই প্রশংসনীয়।
ঘ উক্ত সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ্ব শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা অনুধাবন করে বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলোÑ আন্তজাতিক শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করে আসছে। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। কখনো কখনো যুদ্ধ বন্ধে বা যুদ্ধের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘ তার শান্তিরক্ষী বাহিনীকেও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পাঠায়। এছাড়াও বিশ্ব থেকে ¶ুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষিতজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণরোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাÊ পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও জাতিসংঘ সরকার গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে। সুতরাং বলা যায়, বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নে জাতিসংঘ নামক সংস্থাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
প্রশ্ন- ৫ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকা
‘ক’ এলাকায় প্রায়শই গোলমাল, ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। এলাকার মানুষের মধ্যে কোনো সদ্ভাব নেই। এগুলো দেখে এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে এলাকার কিছু যুবক সম্মিলিতভাবে একটি সংঘ গঠন করে। এলাকার যেখানেই অশান্তি সৃষ্টি হয় সংঘটি সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা করে এবং এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করে। বর্তমানে ঐ এলাকাসহ অন্যান্য এলাকায়ও সংঘটি শান্তির দূত হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
ক.লীগ অব নেশানস’ কত সালে সৃষ্টি হয়েছিল? ১
খ.নারীর প্রতি বৈষম্যের ক্ষেত্রে সিডও সনদের ভূমিকা বর্ণনা কর। ২
গ.ক’ এলাকায় গঠিত সংঘটি বিশ্বমানের কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে? তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বিশ্বমানের উক্ত সংঘটির কাজের মূল্যায়ন কর। ৪
ক ‘লীগ অব নেশনস’ ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি সৃষ্টি হয়েছিল।
খ সিডও (ঈঊউঅড) সনদটি নারী ও পুরুষের সমতা নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। আইনগত পদ্ধতিতে এ সনদ সমর্থনকারী দেশগুলো এ সনদের ম্যান্ডেটভুক্ত নারী অধিকারসমূহ মেনে চলতে বাধ্য। এ সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে।
গ উদ্দীপকে ‘ক’ এলাকায় গঠিত সংঘটি বিশ্বমানের জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে। কেননা জাতিসংঘ যেমন বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নমূলক কাজ করে তেমনি উদ্দীপকেও সংস্থাটি শান্তি ও উন্নয়নমূলক কাজ করছে। গত শতকের প্রথমদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং চল্লিশের দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। মূলত এ ধরনের জাতিগত দ্বন্দ্ব নিরসনে মধ্যস্থতাকারী শান্তিকামী জনতা যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় চুপ করে থাকেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “লীগ অব নেশনস” সৃষ্টি হয়। কিন্তু “লীগ অব নেশনস” তার সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অন্যান্য কারণে বিশ্বশান্তি বিধানে ব্যর্থ হয়। ১৯৩৯ সালে পুনরায় দ্বিতীয়বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা পৃথিবীকে গ্রাস করে। ফলে বিশ্বের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য আর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে এবং ১৯৪৫ সালের ২৪ শে অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্দীপকেও দেখা যায় ‘ক’ এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে গোলমাল ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। আর এলাকার যুবকদের গঠিত সংঘটি শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থাৎ সংঘটি জাতিসংঘের প্রতিনিধিত্ব করছে।
ঘ বিশ্বমানের উক্ত সংঘটি হচ্ছে জাতিসংঘ। সংঘটি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নমূলক কাজ করে। উদ্দীপকেও দুইটি কাজের কথা বলা হয়েছে; ১. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও ২. উন্নয়নমূলক কাজ।
১. শান্তি : ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্ব বিবেককে ভীষণ আতঙ্কিত করে তোলে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘জাতিসংঘ’ প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি ও সহযোগিতার বিধানের লক্ষ্যে কতকগুলো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
২. উন্নয়নমূলক কাজ : জাতিসংঘ বিশ্বে আর্থিক সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, খাদ্য, কৃষি, শরণার্থীদের আশ্রয় দান, শিশু ও নারীদের অধিকার ইত্যাদি উন্নয়নমূলক কাজ করে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে। জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা যেমন টঘউচ, টঘওঈঊঋ, টঘঊঝঈঙ, ডঐঙ, টঘঐঈজ, টঘওঋঋগ, টঘঋচঅ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন- ৬ জাতিসংঘ গঠনের পটভূমি এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভূমিকা
ক.বিশ্ব নারী দিবস কোন তারিখে পালিত হয়? ১
খ.নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সিডও সনদের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকে ‘অ’ চিহ্নিত সংস্থাটির সৃষ্টির প্রেক্ষাপট পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে উক্ত সংস্থাটি কী ভূমিকা পালন করছেÑ তোমার মতামত দাও। ৪
ক বিশ্ব নারী দিবস ৮ মার্চে পালিত হয়।
খ সিডও (ঈঊউঅড) সনদটি নারী ও পুরুষের সমতা নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। আইনগত পদ্ধতিতে এ সনদ সমর্থনকারী দেশগুলো এ সনদের ম্যান্ডেটভক্তি নারী অধিকারসমূহের মেনে চলতে বাধ্য। এ সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে।
গ উদ্দীপকে ‘অ’ চিহ্নিত সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ শতকে পৃথিবী জুড়ে দু’টি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। গত শতকের প্রথমদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৯) এবং ৪০ এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-৪৫) সংঘটিত হয়। মূলত জাতিগত দ্বন্দ্ব নিরসনে মধ্যস্থতাকারী শান্তিকামী জনতা যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় চুপ করে থাকেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “লীগ অব নেশনস” সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু “লীগ অব নেশনস” এর সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অন্যান্য কারণে বিশ্বশান্তি বিধানে তা ব্যর্থ হয়। ১৯৩৯ সালে পুনরায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা পৃথিবীকে গ্রাস করে। লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত ও আহত, গৃহহারা, পঙ্গুত্ব বরণ করেন। প্রতিটি দেশ হারায় তাদের কর্মক্ষম যুব সম্প্রদায়কে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্ব বিবেককে ভীষণ আতঙ্কিত করে তোলে এবং নাড়া দেয়। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য আর একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। এরপর ১৯৪৩ সালে তেহরানে ও মস্কোতে ৪টি প্রধান শক্তির মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিবৃন্দ সম্মিলিত জাতিসংঘ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ২৪ শে অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ আত্মপ্রকাশ করে।
ঘ উক্ত সংস্থা তথা জাতিসংঘ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। যেমন-
ইউএনডিপি (টঘউচ) : বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক অর্থাৎ আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইউএনডিপি দেশব্যাপী অসংখ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইউএনডিপি মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৮টি।
ইউনিসেফ (টঘওঈঊঋ) : দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিশেষত শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ কাজ করছে।
ইউনেস্কো (টঘঊঝঈঙ) : বাংলাদেশের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সংস্থাটি কাজ করছে।
এফএও (ঋঅঙ) : বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা কাজ করছে।
ডব্লিউএইচও (ডঐঙ) : স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। যেমন : সংস্থাটি বাংলাদেশের পোলিও নিবারণের জন্য শিশুদেরকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়াচ্ছে এবং টিকা দিচ্ছে।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা কার্যক্রম তহবিল (টঘঋচঅ) : এই সংস্থাটি বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিস্থিতি উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির জন্য জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্রশ্ন- ৭ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকা
সুদান ও দারফুরের মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ ও সংঘর্ষ চলে আসছিল। বিবাদ মীমাংসায় একটি বিশ্বসংস্থা এগিয়ে আসে এবং গণভোটের আয়োজন করে। বিভিন্ন শাখার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
ক.জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? ১
খ.আন্তর্জাতিক আদালত কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়? ২
গ.সুদান ও দারফুরের মধ্যে বিবাদ মীমাংসায় বিশ্বসংস্থাটির কোন শাখা কাজ করে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে- বিশ্লেষণ কর। ৪
ক জাতিসংঘের সদর দপ্তর আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।
খ এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের ওপর যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এরপরও বিশ্বের স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিবাদ পরিলক্ষিত হয়। এর ফলে বিশ্বশান্তি বিনষ্ট হয়। তাই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিবাদ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক আদালত গঠন করা হয়।
গ সুদান ও দারফুরের মধ্যে বিবাদ মীমাংসায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কাজ করে। বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার মূল দায়িত্ব এই নিরাপত্তা পরিষদের ওপর ন্যস্ত। সংস্থাটি বিশ্বশান্তির প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী ঘটনাবলির অনুসন্ধান করে এবং আলাপ আলোচনা ও মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করে। সুদান ও দারফুরের মধ্যকার বিবাদ মীমাংসার ক্ষেত্রেও সংস্থাটি এ দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়া নিরাপত্তা পরিষদ শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ বন্ধের জন্য জাতিসংঘের বাহিনী মোতায়েন করতে পারে।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করে আসছে। যুদ্ধ, সংঘাত বিশ্বশান্তির প্রধান প্রতিবন্ধক। তাই বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। কখনো কখনো যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ তার শান্তিরক্ষী বাহিনীকেও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পাঠায়। এছাড়াও বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশদূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলা ও জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাÊ পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। এর জন্য জাতিসংঘের রয়েছে কতগুলো বিশেষ সংস্থা যেমন : ‘ইউনেস্কো’ কাজ করে শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য। ‘ইউনিসেফ’ শিশুদের কল্যাণের জন্য। ‘ফাও’ খাদ্য ও কৃষির উন্নতির জন্য। ‘হু’ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য। বাংলাদেশের সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে পৃথিবীর কোনো কোনো অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৮ জাতিসংঘের গঠন ও বিশ্বশান্তি রক্ষায় এর ভূমিকা
‘ক’ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের ১৯৩টি দেশ এ সংস্থার সদস্য। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে সংস্থাটির সদস্যপদ লাভ করে।
ক.জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? ১
খ.জাতিসংঘ সৃষ্টি হয় কেন? ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটির গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বিশ্বশান্তি রক্ষায় উক্ত সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে- মন্তব্যটির পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক জাতিসংঘের সদর দপ্তর আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।
খ কতকগুলো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়। জাতিসংঘ সৃষ্টির পেছনে প্রধানত যেসব বিষয় জড়িত ছিল সেগুলো হলো-
১.আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।
২.জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।
৩.আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্তর্জাতিক বিরোধসমূহের মীমাংসা করা ইত্যাদি।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটি হলো জাতিসংঘ। ‘ক’ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে সংস্থাটির সদস্যপদ লাভ করে। এছাড়া বিশ্বের ১৯৩টি দেশ ‘ক’ সংস্থার সদস্য, যা জাতিসংঘের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ থেকে বোঝা যায়, সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। পাঁচটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত। পাঁচটি অঙ্গ হচ্ছে : সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক বিচারালয় বা আদালত। জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত। নিরাপত্তা পরিষদ হচ্ছে জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী পরিষদ। ৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্যসহ মোট ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে এটি গঠিত। অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কাজ হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করা। স্বাধীনতা প্রাপ্ত নয়Ñ এরূপ বিশেষ এলাকার তত্ত্বাবধানের জন্য অছি পরিষদ গঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের কাজ। আর সেক্রেটারিয়েট হচ্ছে জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ।
ঘ উক্ত সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা অনুধাবন করে বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো- আন্তর্জাতিক শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করে আসছে। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। কখনো কখনো যুদ্ধ বন্ধে বা যুদ্ধের পর বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। কখনো কখনো যুদ্ধ বন্ধে বা যুদ্ধের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘ তার শান্তিরক্ষী বাহিনীকেও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পাঠায়। এছাড়াও বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণরোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাÊ পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও জাতিসংঘ সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে। সুতরাং বলা যায়, বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নে জাতিসংঘ নামক সংস্থাটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৯ ইউএন এইচ সি আর ও ইউনিফেম
জাতিসংঘের ‘ক’ অঙ্গ সংস্থা বাংলাদেশ-মায়ানমার রোহিংগা ইস্যুতে মধ্যস্থতা করছে। এছাড়া বাংলাদেশের শরণার্থী পালনের খরচেও সংস্থাটি অবদান রাখছে। অন্যদিকে জাতিসংঘের ‘খ’ অঙ্গ সংস্থা বাংলাদেশের নারীদের নিরাপদ শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছে।
ক.বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে? ১
খ.নিরাপত্তা পরিষদ সম্পর্কে ধারণা দাও। ২
গ.উদ্দীপকে জাতিসংঘের কোন কোন অঙ্গসংস্থার পরিচয় ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত অঙ্গসংস্থাগুলোই কেবল বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছেÑ তুমি কি বক্তব্যটি সমর্থন কর? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
খ নিরাপত্তা পরিষদ হলো জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী পরিষদ। ৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ীসহ মোট ১৫ টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে এটি গঠিত। ৫টি স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন।
গ উদ্দীপকে জাতিসংঘের দুটি অঙ্গসংস্থা ইউএনএইচসিআর ও ইউনিফেমের পরিচয় ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকে বর্ণিত জাতিসংঘের ‘ক’ অঙ্গসংস্থা বাংলাদেশ-মায়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যুতে মধ্যস্থতা করছে। এছাড়া সংস্থাটি বাংলাদেশের শরণার্থী পালনের খরচেও অবদান রাখছে, যা বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রমের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ থেকে বোঝা যায়, ‘ক’ অঙ্গসংস্থাটি হচ্ছে ইউএনএইচসিআর। অন্যদিকে বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনিফেম বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। নারীদের বিভিন্ন ধরনের অধিকার আদায় এবং অর্থনৈতিক কর্মকা র সাথে তাদের সম্পৃক্ত করছে। বাংলাদেশের নারীদের নিরাপদ শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতেও এ সংস্থা কাজ করছে। উদ্দীপকে বর্ণিত জাতিসংঘের ‘খ’ অঙ্গসংস্থাও বাংলাদেশের নারীদের নিরাপদ শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছে। এ থেকে বোঝা যায়, ‘খ’ অঙ্গসংস্থাটি হচ্ছে ইউনিফেম।
ঘ উক্ত অঙ্গসংস্থাগুলো হলো ইউএনএইচসিআর ও ইউনিফেম। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কেবল ইউএনএইচসিআর ও ইউনিফেম কাজ করছে এ বক্তব্যটি আমি সমর্থন করি না। কেননা জাতিসংঘের এ দুটি অঙ্গসংস্থা ছাড়াও আরও কয়েকটি অঙ্গসংস্থা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে। নিচে সেসব অঙ্গ সংস্থার কাজ তুলে ধরা হলো :
ইউএনডিপি (টঘউচ) : বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক অর্থাৎ আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইউএনডিপি দেশব্যাপী অসংখ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইউএনডিপি মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৮টি।
ইউনিসেফ (টঘওঈঊঋ) : দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিশেষত শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ কাজ করছে।
ইউনেস্কো (টঘঊঝঈঙ) : বাংলাদেশের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সংস্থাটি কাজ করছে।
এফএও (ঋঅঙ) : বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষিসংস্থা কাজ করছে।
ডব্লিউএইচও (ডঐঙ) : স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। যেমন : সংস্থাটি বাংলাদেশের পোলিও নিবারণের জন্য শিশুদেরকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়াচ্ছে এবং টিকা দিচ্ছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা কার্যক্রম তহবিল (টঘঋচঅ)-এই সংস্থাটি বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিস্থিতি উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য জাতিসংঘের সবকটি অঙ্গসংস্থাই কাজ করছে।
প্রশ্ন- ১০ সিডও সনদ
বিশ্ব নারী দিবসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পড়ে তৌফিক জানতে পারে, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই পেশাক্ষেত্রে নারী শ্রমিকরা পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে কম বেতন পায়। শিক্ষাক্ষেত্রেও পুরুষরা নারীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া এসব দেশের নারীদেরকে বিভিন্ন প্রলোভনে অন্য দেশেও পাচার করে দেওয়া হয়। প্রতিবেদনটি পড়ে তৌফিকের মন খারাপ হয়ে যায়।
ক.জাতিসংঘ ৮ মার্চকে কী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে? ১
খ.‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত নারীদের সমস্যা দূরীকরণে জাতিসংঘ কী ধরনের কাজ করে থাকে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত সমস্যা সমাধানে সিডও সনদ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেÑ মূল্যায়ন কর। ৪
ক জাতিসংঘ ৮ মার্চকে বিশ্ব নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
খ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ১১,০০০-এরও বেশি বাংলাদেশি সৈন্য শান্তিরক্ষার কাজ করছেন। আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের সাফল্য সেই দেশগুলোতে তথা সরাবিশ্বে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ রোল মডেল এবং শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তাই বলা যায়, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত তৌফিক বিশ্ব নারী দিবসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পড়ে জানতে পারে, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই নারী শ্রমিকরা পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে কম বেতন পায়। শিক্ষাক্ষেত্রেও পুরুষরা নারীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া এসব দেশের নারীদেরকে বিভিন্ন প্রলোভনে অন্য দেশেও পাচার করে দেওয়া হয়। নারীদের এসব সমস্যা দূরীকরণের জন্য জাতিসংঘ বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সনদ ও ঘোষণাপত্র পেশ করেছে। অর্থাৎ উদ্দীপকে পেশাক্ষেত্রে নারীদের বৈষম্য, শিক্ষাক্ষেত্রে পশ্চাতপদতা ও নারী পাচার এই তিনটি সমস্যার প্রতিফলন ঘটেছে। যেমন :
১.১৯৪৯ – মানবপাচার দমন ও পতিতাবৃত্তি অবসানের জন্য জাতিসংঘ সনদ অনুমোদন।
২.১৯৫১ – আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ওখঙ) কর্তৃক এক ধরনের কাজের জন্য নারী ও পুরুষ শ্রমিকের একই বেতন প্রদান।
৩.১৯৬০ – নারীদের কর্মসংস্থান ও পেশাক্ষেত্রে বৈষম্য বিলোপ সনদ।
৪.১৯৬২ – বালিকা ও নারীদের শিক্ষাক্ষেত্রে সমান অধিকার।
৫.১৯৭৯ – নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ, যা ঈঊউঅড নামে অভিহিত। সনদটি ১৯৮১ সালে কার্যকর হয়।
ঘ উক্ত সমস্যা হচ্ছে পেশাক্ষেত্রে নারীদের বৈষম্য, শিক্ষাক্ষেত্রে পশ্চাৎপদতা এবং নারী পাচার। যা উদ্দীপকের বর্ণনা থেকে বোঝা যায় নারীদের এসব সমস্যা সমাধানে সিডও সনদ অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদটি সিডও (ঈঊউঅড) সনদ নামে পরিচিত, যা ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। নারী ও পুরুষের সমতার নীতির ওপর ভিত্তি করে সনদটি তৈরি হয়েছে। নারীর মানবাধিকারের বিষয়টিও এখানে উঠে এসেছে। আইনগত পদ্ধতিতে এই অধিকারগুলো ম্যান্ডেটভুক্ত করায় সমর্থনকারী দেশগুলো এই সনদ মেনে চলতে বাধ্য। এই সনদে স্বীকার করা হয় যে, বিভিন্ন দেশে নারীর আইনগত অধিকার বলবৎ থাকলেও বৈষম্য রয়েছে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নারীর প্রবেশাধিকার খর্ব করার মাধ্যমেই তা করা হয়ে থাকে, যা উদ্দীপকেও দেখা যায়। এই সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে। সিডও সনদে ৩০টি ধারা আছে। এর প্রথম ১৬টি ধারা নারীর প্রতি কত প্রকার বৈষম্য আছে তা বিশ্লেষণ করে। পরের ১৪টি ধারা ব্যাখ্যা করে এ বৈষম্যগুলো কীভাবে বিলোপ করা যায়। সুতরাং বলা যায়, নারীদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের সমস্যা দূরীকরণে সিডও সনদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রশ্ন- ১১ জাতিসংঘে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা
একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফেরার পথে বেনিনে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা। এদের একজন মেজর ইমতিয়াজ। ছেলের জন্য সারাক্ষণ কান্না করে মেজর ইমতিয়াজের মা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা তার মাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বলেন, আপনার ছেলের মতো যারা বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে তারা বিশ্ববাসীর নিকট চির অমর হয়ে থাকবে। তাদের মৃত্যু বিশ্ব শান্তির জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে চিরকাল।
ক.জাতিসংঘের কতজন মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন? ১
খ.পাঁচটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত’-ব্যাখ্যা কর। ২
গ.মেজর ইমতিয়াজ যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে যেয়ে মারা গেছেন সে সংস্থায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.শুধু বাংলাদেশে নয় মেজর ইমতিয়াজের মতো অমররা বিদেশের স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে থাকবে চিরকাল- তোমার মতামত দাও। ৪
ক জাতিসংঘের ৪ জন মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন।
খ পাঁচটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত। পাঁচটি অঙ্গ হচ্ছে সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক বিচারালয় বা আদালত। আর সেক্রেটারিয়েট হচ্ছে জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ।
গ মেজর ইমতিয়াজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে দায়িত্বরত অবস্থায় মারা গেছেন। জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের আমন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধরত দেশ বা অঞ্চলে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ করা হয়। আর এসব দেশে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী নিজেদের জীবন দিয়ে হলেও শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অনেক সদস্যই বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এবং বিদ্রোহীদের হাতে প্রাণ হারান। উদ্দীপকে বর্ণিত মেজর ইমতিয়াজ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশের অবদান ঈষর্ণীয়। বর্তমানে প্রায় ১১,০০০ এর বেশি বাংলাদেশি সৈন্য বিশ্বের ১১টি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের অভূতপূর্ব সাফল্য সেই দেশগুলোতে তথা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতাকে অনেক বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ পেয়েছে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার মডেল হিসেবে এবং শান্তি প্রিয় জাতি হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে ইমতিয়াজের মৃত্যু বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধরত অঞ্চলে শান্তি স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু শান্তিরক্ষার কারণে ইমতিয়াজের মতো এইসব বীররা বিশ্ববাসীর কাছে অমর হয়ে আছে। শান্তিরক্ষীবাহিনীর বাংলাদেশি সদস্যরা তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিভিন্ন কার্যক্রম সফল করার জন্য বিদেশে স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়েছে। আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে অন্যান্য দেশের সৈন্যরা যেখানে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছিলনা সেখানে বাংলাদেশি সৈন্যরা শুধু গ্রহণযোগ্যতাই নয়, পেয়েছে স্থানীয় মানুষদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। সিয়েরালিওনে বাংলা ভাষা পেয়েছে সেই দেশের দ্বিতীয় মাতৃভাষার মর্যাদা, আইভরিকোস্টে অন্যতম ব্যস্ত সড়কের নাম হয়েছে ‘বাংলাদেশ সড়ক’। শান্তি মিশনে শুধু বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নয়, পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী, মহিলা পুলিশ বাহিনীও নিয়োজিত আছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে জাতিসংঘে তথা বিশ্বে বাংলাদেশ পেয়েছে ব্যাপক পরিচিতি ও শ্রদ্ধা। যেসব দেশে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী শান্তি স্থাপনে কাজ করেছে সেসব দেশে তারা স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে থাকবে চিরকাল।
অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১২ বিশ্ব শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘের ভূমিকা ও জাতিসংঘ সৃষ্টির পটভূমি
‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। ‘ক’ রাষ্ট্র তার সামরিক বাহিনী নিয়ে ‘খ’ রাষ্ট্রের ভূখ আগ্রাসী তৎপরতা চালায়। ‘খ’ রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সাহায্য চাইলে বিবদমান রাষ্ট্রের বিরোধ মীমাংসায় সংস্থাটি এগিয়ে আসে এবং তা সমাধান করে দেয়।
ক.সিডও সনদে কয়টি ধারা আছে? ১
খ.জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ- ব্যাখ্যা কর। ২
গ.‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের বিরোধ মীমাংসায় কোন সংস্থাটি কাজ করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত সংস্থাটি সৃষ্টির পটভূমি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সিডও সনদে ৩০টি ধারা আছে।
খ বাংলাদেশ সবসময়ই জাতিসংঘের বিশেষ নজর পেয়ে থাকে। জাতিসংঘের সবকটি অঙ্গ সংস্থা শুরু থেকেই বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের সৈন্যরা প্রাণ উৎসর্গ করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এছাড়া জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার পর থেকে বাংলাদেশ এই বিশ্বসংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
গ ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের বিরোধ মীমাংসায় জাতিসংঘ কাজ করেছে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জাতিসংঘের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বিবাদমান রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করে সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা। এ সংস্থাটি আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে। দুটি দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত বেধে গেলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়- ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। ‘ক’ রাষ্ট্র তার সামরিক বাহিনী নিয়ে ‘খ’ রাষ্ট্রের ভূখ আগ্রাসী তৎপরতা চালালে ‘খ’ রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সাহায্য চায়। ফলে সংস্থাটি তাদের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসা করে দেয়।
ঘ উক্ত সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ শতকে পৃথিবী জুড়ে দু’টি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। গত শতকের প্রথমদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৯) এবং ৪০ এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-৪৫) সংঘটিত হয়। মূলত জাতিগত দ্বন্দ্ব নিরসনে মধ্যস্থতাকারী শান্তিকামী জনতা যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় চুপ করে থাকেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “লীগ অব নেশনস” সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু “লীগ অব নেশনস” এর সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অন্যান্য কারণে বিশ্বশান্তি বিধানে তা ব্যর্থ হয়। ১৯৩৯ সালে পুনরায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা পৃথিবীকে গ্রাস করে। লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত ও আহত, গৃহহারা, পঙ্গুত্ব বরণ করেন। প্রতিটি দেশ হারায় তাদের কর্মক্ষম যুব সম্প্রদায়কে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্ব বিবেককে ভীষণ আতঙ্কিত করে তোলে এবং নাড়া দেয়। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য আর একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। এরপর ১৯৪৩ সালে তেহরানে ও মস্কোতে ৪টি প্রধান শক্তির মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিবৃন্দ সম্মিলিত জাতিসংঘ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ আত্মপ্রকাশ করে।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ১৩ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকা
‘লীগ অব নেশনস’-এর ব্যর্থতা এবং ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা শান্তিকামী দেশগুলোকে চরমভাবে আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা জš§লাভ করে। এর সদরদপ্তর স্থাপন করা হয় আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩টি।
ক.বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে কত সালে? ১
খ.নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সিডও সনদের ভূমিকা কীরূপ? ২
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত সংস্থার পটভূমি ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় উক্ত সংস্থার ভূমিকা প্রশংসনীয়’- বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে ১৯৭৪ সালে।
খ সিডও সনদটি নারী ও পুরুষের সমতা নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। আইনগত পদ্ধতিতে এ সনদ সমর্থনকারী দেশগুলো এ সনদের ম্যান্ডেটভুক্ত নারী অধিকারসমূহ মেনে চলতে বাধ্য। এ সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে।
গ জাতিসংঘের গঠন ও উদ্দেশ্য বর্ণনা কর।
ঘ বিশ্বশাস্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ১৪ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা জাতিসংঘের ভূমিকা
বর্তমানে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থার স্থায়ী সদস্য পদ পেতে চায়। অর্থনৈতিক শক্তিতে নতুন করে জেগে ওঠা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলও স্থায়ী সদস্য পদ পেতে চায়। অন্যদিকে মুসলিমবিশ্ব মনে করে তাদেরও একটি স্থায়ী প্রতিনিধি দরকার। কেননা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় উক্ত অঙ্গ সংস্থার দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি।
ক.বর্তমানে কতটি দেশ জাতিসংঘের সদস্য? ১
খ.ভেটো বলতে কী বোঝ? ২
গ.উল্লিখিত দেশগুলোর উক্ত অঙ্গ সংস্থার সদস্য হতে হলে কী কী কাজ করতে হবে? Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর বিশ্বশান্তি এবং মানবাধিকার রক্ষায় এই সংস্থা বিশ্ববাসীকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছে? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য দেশ ১৯৩টি।
খ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ৫টি সদস্য স্থায়ী। এ পাঁচ সদস্যের যেকোনো সদস্যের ভেটো ক্ষমতা আছে। ভেটো অর্থ আমি মানি না। অর্থাৎ ৫টি স্থায়ী সদস্যের যেকোনো একটি সদস্য কোনো প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলে তা পাস হতে পারে না। স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলো হলোÑ চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং রাশিয়া।
গ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ জাতিসংঘের কার্যক্রম বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ১৫ জাতিসংঘ গঠনের পর্টভূমি এবং নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্যবিলোপ সনদ বা সিডও
বৈষম্যের ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক সংস্থার ভূমিকা
নারী পাচার ও পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগ ১৯৪৯ সালে মানবপাচার ও পতিতাবৃত্তি অবসানের জন্য সনদ অনুমোদন
শ্রম বৈষম্য ১৯৫১ সালে একই প্রকৃতির কাজের জন্য নারী ও পুরুষ শ্রমিকের একই বেতন দান সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন।
রাজনৈতিক বৈষম্য ১৯৫২ সালে নারীর রাজনৈতিক অধিকার বিশেষ করে নারীর ভোটদান ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সনদ অনুমোদন।
ক.বেইজিং প্লাস ফাইভ সম্মেলন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়? ১
খ.জাতিসংঘ কেন গঠিত হয়? ২
গ.প্রদত্ত ছকে আন্তর্জাতিক সংস্থা বলতে কোনটিকে বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.প্রদত্ত ছকটি পূর্ণাঙ্গ কিনা তা যাচাই কর। ৪
ক বেইজিং প্লাস ফাইভ সম্মেলন ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
খ ১৯২০ সালে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় লীগ অব নেশনস। কিন্তু এ সংস্থার সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অন্যান্য কারণে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় ব্যর্থ হয়। ১৯৩৯ সালে পুনরায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা পৃথিবীকে গ্রাস করে। এ যুদ্ধের ভয়াবহতা ও বিভীষিকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্ব। তাই বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ।
গ জাতিসংঘ গঠনের প্রেক্ষাপট উল্লেখ কর।
ঘ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণে জাতিসংঘের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ১৬ নারী অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের কার্যক্রম
ড. তানভির মোহাম্মদ বাংলাদেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন যে, দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমিকই নারী। কিন্তু বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে একই পরিশ্রম করে নারীরা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম বেতন পায়।
ক.বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য দেশ? ১
খ.টঘওঋঊগ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.অনুচ্ছেদের নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের যে সনদের কার্যকর ভূমিকা ব্যর্থ হয়েছে তার ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত নারী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের রয়েছে ব্যাপক কার্যক্রম- পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মতামত দাও। ৪
ক বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য দেশ।
খ ‘টঘওঋঊগ’ হলো জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাগুলোর একটি। ‘টঘওঋঊগ’ হলো নারী উন্নয়ন তহবিল। বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নে এ সংস্থা বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে। নারীদের বিভিন্ন ধরনের অধিকার আদায়ে অর্থনৈতিক কর্মকা র সাথে তাদের সংশ্লিষ্ট করছে। বাংলাদেশের নারীদের নিরাপদ শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতেও এ সংস্থা কাজ করেছে।
গ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ বা সিডও সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ নারীর অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর।
অধ্যায় সমন্বিত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১৭ পৌরসভা ও জাতিসংঘ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সংগঠনটির জন্ম হয়। পাঁচটি প্রধান অঙ্গ ও একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে গঠিত। সম্প্রতি সংগঠনটির একদল প্রতিনিধি শহর এলাকার উন্নয়নে কাজ করে। এমন একটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে আমাদের দেশে আসে যার বর্তমান সংখ্যা ৩১৬টি।
ক.নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য কী? ১
খ.কীভাবে সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে? ২
গ.উদ্দীপকে আমাদের দেশের যে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের পরিচয় ফুটে উঠেছে তার গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.প্রতিনিধিদল প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানের অঙ্গ সংস্থাগুলোর কাজ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মূল্যায়ন কর। ৪
ক নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- প্রার্থীকে সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেওয়া।
খ প্রত্যেক নাগরিককেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এমনকি রাষ্ট্রের বেআইনি কোনো কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো নাগরিকদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে কোনোক্রমেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। তা হলেই সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে।
গ উদ্দীপকে আমাদের দেশের পৌরসভা নামক স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের পরিচয় ফুটে উঠেছে। শহর এলাকার স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাটির নাম পৌরসভা। বাংলাদেশের প্রত্যেক পৌর বা শহর এলাকার জন্য একটি করে পৌরসভা আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ছোট-বড় মোট ৩১৬টি পৌরসভা আছে। উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি শহর এলাকার উন্নয়নে কাজ করে এবং এর বর্তমান সংখ্যা ৩১৬টি যা পৌরসভার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। পৌরসভার গঠন প্রাপ্তবয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ডভিত্তিক কয়েকজন নির্বাচিত সদস্য নিয়ে পৌরসভা গঠিত হয়। সদস্যগণ কমিশনার নামে পরিচিত। দেশের সকল পৌরসভার সদস্য সংখ্যা সমান নয়। পৌর এলাকার আয়তন ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে সদস্য সংখ্যা কমবেশি হতে পারে। পৌরসভার কার্যকলাপ পাঁচ বছর।
ঘ প্রতিনিধিদল প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো জাতিসংঘ। প্রতিনিধিদল প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানটির ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জন্ম নেয় এবং পাঁচটি প্রধান অঙ্গ ও একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে এটি গঠিত বা জাতিসংঘকে নির্দেশ করে। বাংলাদেশে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাগুলো যেসব কাজ করে থাকে তার মূল্যায়ন করা হলো :
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি : বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইউএনডিপি দেশব্যাপী অসংখ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইউএনডিপি মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৮টি।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা সংস্থা বা এফএও : দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিশেষত শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ কাজ করছে।
জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা বা এফএও : বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থা কাজ করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও : বাংলাদেশের পোলিও নিবারণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শিশুদেরকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়াচ্ছে এবং টিকা দিচ্ছে।
উদ্বাস্তুবিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশনারের কার্যালয় বা ইউএনএইচসিআর : বাংলাদেশের শরণার্থী এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে এই সংস্থা ব্যাপক অবদান রেখেছে।
জাতিসংঘ নারী উন্নয়ন তহবিল বা ইউনিফেম : নারীদের বিভিন্ন ধরনের অধিকার আদায়, অর্থনৈতিক কর্মকা র সাথে তাদের সংশ্লিষ্ট করা এবং নারীদের নিরাপদ শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এ সংস্থা কাজ করছে।
কাজেই দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাগুলোর কার্যাবলি খুবই প্রশংসনীয়।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কোনটি ছাড়া মানুষ পূর্ণাঙ্গরূপে বিকশিত হতে পারে না?
উত্তর : মানবাধিকার ছাড়া মানুষ পূর্ণাঙ্গরূপে বিকশিত হতে পারে না।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পৃথিবীতে কয়টি বড় যুদ্ধ হয়েছে?
উত্তর : পৃথিবীতে দুটি বড় যুদ্ধ হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কোন প্রতিষ্ঠানটি গঠন করা হয়?
উত্তর : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর লীগ অব নেশনস গঠন করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ জাতিসংঘের সদস্য কে?
উত্তর : বিশ্বের স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ জাতিসংঘের সদস্য।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ কত তারিখে জাতিসংঘ দিবস পালন করা হয়?
উত্তর : ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস পালন করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ কতটি?
উত্তর : জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ ৫টি।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের কাজ কী?
উত্তর : আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের কাজ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসা করা।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ নিরাপত্তা পরিষদ কতটি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত?
উত্তর : নিরাপত্তা পরিষদ ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ সাধারণ পরিষদকে কী বলে অভিহিত করা হয়?
উত্তর : সাধারণ পরিষদকে বিতর্ক সভা বলে অভিহিত করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ ইউনিসেফ কী নিয়ে কাজ করে?
উত্তর : ইউনিসেফ সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও মেয়েদের অধিকার নিয়ে কাজ করে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ জাতিসংঘের ৪১তম অধিবেশন বসে কত সালে?
উত্তর : জাতিসংঘের ৪১তম অধিবেশন বসে ১৯৮৬ সালে।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ জাতিসংঘের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কে?
উত্তর : জাতিসংঘের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কোথায় লিপিবদ্ধ আছে?
উত্তর : জাতিসংঘের উদ্দেশ্য জাতিসংঘ সনদে লিপিবদ্ধ আছে।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ সিডও সনদে কতটি ধারা আছে?
উত্তর : সিডও সনদে ৩০টি ধারা আছে।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ বিশ্বশান্তির জন্য কত জন বাংলাদেশি সৈন্য শহিদ হয়েছেন?
উত্তর : বিশ্বশান্তির জন্য ৮৮ জন বাংলাদেশি সৈন্য শহিদ হয়েছেন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ‘লীগ অব নেশনস’ কেন গঠন করা হয়?
উত্তর : যুদ্ধের কারণে মানবজাতির অবর্ণনীয় দুর্ভোগ এবং অশান্তি সৃষ্টি হয়। এছাড়া সাধিত হয় ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপকতা এবং ধ্বংসলীলা মানুষকে যুদ্ধের প্রতি বীতশ্রদ্ধ এবং শান্তির জন্য আগ্রহী করে তোলে। এজন্যই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘লীগ অব নেশনস’।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ “সিডও নারীর অধিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদটি সিডও সনদ নামে পরিচিত। এটি ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। নারী ও পুরুষের সমতার নীতির ওপর ভিত্তি করে সনদটি তৈরি। নারীর মানবাধিকারের বিষয়টিও এখানে উঠে এসেছে। এ সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে। এজন্য এ সনদকে নারীর অধিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ মানবাধিকার বলতে কী বোঝ?
উত্তর : মানবাধিকার হলো প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সুযোগ-সুবিধার অধিকার। মানবাধিকার ছাড়া কোনো মানুষ পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হতে পারে না। মানবাধিকার মানুষের সম্মান ও অধিকার রক্ষা করে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ঈঊউঅড-১৯৭৯ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ঈড়হাবহঃরড়হ ড়হ ঃযব ঊষরসরহধঃরড়হ ড়ভ ধষষ ঋড়ৎসং ড়ভ উরংপৎরসরহধঃরড়হ অমধরহংঃ ডড়সবহ ১৯৭৯ কে সংক্ষেপে সিডও ১৯৭৯ বলা হয়। এই সনদটি ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ১৯৮১ সালে ২০টি সদস্য দেশ সমর্থন করার পর এটি কার্যকর হয়। সিডও সনদে ৩০টি ধারা আছে। এর প্রথম ১৬টি ধারায় নারীর প্রতি বৈষম্যের বিবরণ এবং পরের ১৪টি ধারায় এ বৈষম্যগুলো বিলোপের উপায় চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ যেকোনো রাষ্ট্রই জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করতে পারেÑ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : জাতিসংঘ সনদের নিয়মকানুন মেনে চলতে আগ্রহী বিশ্বের যেকোনো শান্তিকামী দেশ জাতিসংঘের সদস্য হতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের ১৯৫টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে সদস্যপদ লাভ করে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ নারীর অধিকার সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : নারীর অধিকার সংরক্ষণ বলতে বুঝি সকল ক্ষেত্রে আইনের মাধ্যমে নারীদের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। সমাজের উন্নয়ন করতে হলে নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া তা সম্ভব নয়। কিন্তু দেশে নারীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। শিক্ষাক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে। শিল্প-কারখানায় সমান শ্রম দিয়েও নারীরা বেতন পায় কম।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ “যুদ্ধ কখনো জাতিতে জাতিতে সংকট নিরসনের পথ হতে পারে না”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যুদ্ধ কখনো জাতিতে জাতিতে সংকট নিরসনের পথ হতে পারে না। যুদ্ধ কেবল লোকবল ও অর্থবল ক্ষয় করতে পারে, ধ্বংস করতে পারে। আমরা বিগত দুটি বিশ্বযুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু, পঙ্গুত্ববরণ ও আহত হওয়ার দৃশ্য দেখেছি। এর বিনিময়ে কোনো পক্ষের কোনো লাভ হয়নি। তাই বিশ্বের বিবাদমান জাতিগুলোর সংকট নিরসনের জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আলোচনার টেবিলে বসা।