SSC-২০২৩ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়- বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ ও প্রশাসন ব্যবস্থা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

সপ্তম অধ্যায়

বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ প্রশাসন ব্যবস্থা

  অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ : পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সরকারব্যবস্থার মতো বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগ আছে। সেগুলো হচ্ছে : ১. শাসন বিভাগ ২. আইন বিভাগ ও ৩. বিচার বিভাগ।

শাসন বিভাগ : শাসন বিভাগকে নির্বাহী বিভাগও বলা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রের শাসনকার্য তথা নিত্যদিনকার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং রাষ্ট্রের সার্বিক সিদ্ধান্ত এবং সুবিধাসমূহ বা্স্তবায়ন করে যে বিভাগ তাকে শাসন বিভাগ বলে।

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ : বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ অন্যতম। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। সরকারের যে বিভাগ আইন অনুসারে বিচার কাজ পরিচালনা। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নিয়ে গঠিত।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কার্যাবলি : সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ তার নামে পরিচালিত হয়। তার হাতে কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। কিন্তু তবু দেশের সরকার গঠন, শাসন পরিচালনা, আইন প্রণয়ন, অর্থ সংক্রান্ত, বিচার, প্রতিরক্ষা ও কূটনীতি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি সম্পাদন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কার্যাবলি : প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে- ১. শাসন বিষয়ক ও নির্বাহী ক্ষমতা, ২. আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা, ৩.  সংসদ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, ৪. অর্থবিষয়ক ক্ষমতা, ৫. রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রী, ৬. জাতির মুখপাত্র হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, ৭. দলের নেতা হিসেবে।

আইন বিভাগ : সরকারের তিনটি বিভাগের একটি হচ্ছে আইন বিভাগ। আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োজনবোধে প্রচলিত আইনের সংশোধন বা রদবদল করে থাকে। আইন বিভাগের একটি অংশ হলো আইনসভা বা পার্লামেন্ট। আইনসভা আইন প্রণয়ন করে। আইনসভা নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের নিয়ে কিংবা কোনো কোনো ক্ষেেত্র মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। আইনসভা প্রণীত আইন রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। প্রত্যেক রাষ্ট্রের আইনসভা রয়েছে এবং এসব আইনসভা বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলাদেশের আইনসভার নাম  জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশের আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট।

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো : বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো স্তরভিত্তিক। এর দুটি প্রধান স্তর আছে। প্রথম স্তরটি হলো কেন্দ্রীয় প্রশাসন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের দ্বিতীয় স্তরটি হলো মাঠ প্রশাসন। মাঠ প্রশাসনের প্রথম ধাপ হলো বিভাগীয় প্রশাসন। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার পর আছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বি¯ত্মৃত।

কেন্দ্রীয় প্রশাসন : সেক্রেটারীয়েট বা সচিবালয় বাংলাদেশ প্রশাসন  ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত যা শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ। সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়। সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার বিভাগসমূহের অফিসগুলোকে যৌথভাবে সচিবালয় বলে। প্রধামন্ত্রীর পছন্দানুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে একজন মন্ত্রী নিযুক্ত হন। মন্ত্রী হলেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও মন্ত্রণালয়ের প্রধান। মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন সচিব।

স্থানীয় প্রশাসন : স্থানীয় শাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয়/জেলা এবং উপজেলা শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায়। প্রশাসনের সুবিধার্থে এর সৃষ্টি। এ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত  বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে সংশিস্নষ্ট কর্তা ব্যক্তিবৃন্দ সরকারের এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য। যেমন : আমাদের দেশে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসক এবং থানা/উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

বিভাগীয় প্রশাসন : কেন্দ্রের পরেই বাংলাদেশে বিভাগীয় প্রশাসনের স্থান। বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে ৭টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ১. ঢাকা বিভাগ, ২. চট্টগ্রাম বিভাগ, ৩. রাজশাহী বিভাগ, ৪. খুলনা ভিাগ, ৫. বরিশাল বিভাগ, ৬. সিলেট বিভাগ ও ৭. রংপুর বিভাগ। বিভাগীয় প্রশাসনের শীর্ষে অবস্থান করেন  বিভাগীয় কমিশনার। একজন অতিরিক্ত কমিশনার এবং কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারীসহ  বহুসংখ্যক কর্মচারী বিভাগীয় প্রশাসনে কর্মরত থাকেন।

সিটি কর্পোরেশন : মহানগর এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রত্যেক সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত সংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্ত থাকে। একজন মেয়র, নির্ধারিত ওয়ার্ডের সমানসংখ্যক কাউন্সিলর এবং নির্ধারিত ওয়ার্ডের এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যক সংরক্ষতি আসনের মহিলা কাউন্সিলর নিয়ে সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ : গড়ে ১০-১৫টি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। এর একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, নয়জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিনজন নির্বাচিত মহিলা সদস্য (সংরক্ষতি আসনে) রয়েছেন। একটি ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে একজন করে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন সাধারণ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন।

উপজেলা পরিষদ : আমাদের দেশে থানা/উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক স্তর। একজন চেয়ারম্যান, দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান (এদের মধ্যে একজন হবেন মহিলা) এবং উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন পরিষদসমূহের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌরসভার (যদি থাকে) মেয়র এবং তিনজন মহিলা সদস্যের সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়।

জেলা পরিষদ : ২০০০ সালের জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদ গঠিত হবে একজন চেয়ারম্যান, পনেরোজন সদস্য এবং সংরক্ষতি আসনে ৫ জন মহিলা সদস্যদেরকে নিয়ে। এরা সবাই পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হবেন একটি নির্দিষ্ট জেলার অধীনে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কমিশনারবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের ভোটে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর         

প্রশ্ন- ১             জেলা প্রশাসকের কার্যাবলি  

সাইক্লোনে বাংলাদেশের দক্ষণিাঞ্চলের একটি জেলার তিনটি গ্রামের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বহুলোক আহত হয়। জেলা প্রশাসক ‘ক’ ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য নগদ অর্থ ও আহতদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তিনি তাঁর জেলার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সরকারি নীতি বাস্তবায়ন এবং রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে পালন করছেন বলে জেলার জনগণের কাছে তাঁর সুনাম রয়েছে।

 ক.       ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম কতো বছর?        

খ.        অভিশংসন কী? ব্যাখ্যা কর।     

গ.        সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ ‘ক’-এর কোন ধরনের কাজের অন্তর্ভুক্ত- ব্যাখ্যা কর।          

ঘ.        ‘জেলা প্রশাসক হলেন জেলার একজন বন্ধু’ -উক্তিটি বর্ণিত অনুচ্ছেদের এবং পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে মূল্যায়ন কর।   

 ১ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম ৫ বছর।

 খ         অভিশংসনের আভিধানিক অর্থ প্রকাশ্যে দোষারোপ। ব্যবহারিক অর্থে দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের প্রক্রিয়াকে অভিশংসন বলা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন বা অপসারণ করতে পারে। সংবিধান লঙ্ঘন, গুরুতর অপরাধ, দৈহিক ও মানসিক অসুস্থতা ও অক্ষমতার জন্য সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও ন্যায়পালকে অপসারণ করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে।

 গ         সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ ‘ক’-এর  মানবতামূলক কাজের অন্তর্ভুক্ত।একটি জেলা পরিচালনায় জেলা প্রশাসকের ভূমিকা অনেক। ডেপুটি কমিশনার বা জেলা প্রশাসক মানবতার সেবামূলক ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দুঃখদুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন। এ সময় কেন্দ্রীয়ভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ, কাপড় ও ওষুধ জেলার জনগণের মধ্যে বিতরণ করেন। উদ্দীপকেও বলা হয়েছে, সাইক্লোনে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলার তিনটি গ্রামের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বহুলোক আহত হয়। জেলা প্রশাসক        ‘ক’ ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য নগদ অর্থ ও আহতদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ধরনের কাজ জেলা প্রশাসকের মানবতামূলক কাজ।

 ঘ         জেলা প্রশাসককে কেন্দ্র করে জেলার সমগ্র শাসন আবর্তিত হয়। জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্যই জেলার একজন বন্ধু হিসেবে পরিগণিত হন। তার বেশ কিছু কার্যাবলি তা স্পষ্ট করে তোলে। বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহীত শাসন সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা তথা সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় সরকারকে সর্বাত¥ক সাহায্য-সহযোগিতা করা জেলা প্রশাসনের শাসন সংক্রান্ত কাজ। জেলা প্রশাসক প্রধান কালেক্টর হিসেবে জেলার ভূমি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন।তিনি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাশোনা করেন। জেলার আওতাধীন উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দুঃখদুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন যেটি উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক জেলার বিচারকও বটে। তিনি একজন প্রথম শ্রেণির বিচারক হিসেবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করেন।এছাড়াও জেলার পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় নিজ জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেন। এছাড়া জেলা প্রশাসক জেলার প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে বহুবিধ দায়দায়িত্ব পালন করেন।কাজেই বলা যায়, জেলা প্রশাসক হলেন জেলার একজন বন্ধু – উক্তিটি সঠিক।

প্রশ্ন- ২            ইউনিয়ন পরিষদ  

বেলস্নাল হোসেন তাঁর এলাকার ভোটার কর্তৃক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাঁর দপ্তরে আরও ১২ জন প্রতিনিধি রয়েছে। বেলস্নাল হোসেন তাঁর এলাকায় ৩টি নলকূপ স্থাপন, টয়লেট (পায়খানা) স্থাপনের জন্য ৫টি রিং ¯স্নাব সরবরাহ এবং কৃষকদের কাছে সার বিতরণ করেন।

 ক.       সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা কতো?  

খ.        স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে কী বোঝায়?  

গ.        বেলস্নাল হোসেন কোন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান? ব্যাখ্যা কর।    

ঘ.        অনুচ্ছেদে উলেস্নখিত বেলস্নাল হোসেনের কাজ উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট কী? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।   

   নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন।

 খ         স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক জনগণের স্বশাসনকে বোঝায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা তা পরিচালিত হয় এবং ঐ জনগণের নিকট তা দায়িত্বশীল থাকে। এ শাসনব্যবস্থা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যা সরকার পরিচালনা পদ্ধতির পরিশীলিত রূপ।

 গ         বেল্লাল হোসেন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান। ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধিত আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। এ আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ৯ জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিনজন নির্বাচিত মহিলা সদস্য (সংরক্ষিত আসনে) থাকবে। পূর্বে একটি ইউনিয়ন তিনটি ওয়ার্ডে বিভক্ত ছিল। সংশোধিত আইনে ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টিতে উন্নীত করা হয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে একজন করে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন সাধারণ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। মহিলা সদস্যগণ প্রতি ৩ ওয়ার্ডে ১ জন এই ভিত্তিতে পুরুষ ও মহিলা সকলের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। উদ্দীপকে বর্ণিত বেল্লাল হোসেন এলাকার ভোটার কর্তৃক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং তার দপ্তরে আরও ১২ জন প্রতিনিধি রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান।

 ঘ         অনুচ্ছেদে উলিস্নখিত বেলস্নাল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান। তিনি তার এলাকায় ৩টি নলকূপ স্থাপন, টয়লেট (পায়খানা) স্থাপনের জন্য ৫টি রিং সস্নাব সরবরাহ এবং কৃষকদের কাছে সার বিতরণ করেন। তার এ কাজ উক্ত প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদের জন্য যথেষ্ট নয়।ইউনিয়ন পরিষদের এ কাজগুলো ছাড়া আরও অনেক কাজ রয়েছে যা ইউনিয়ন পরিষদ প্রধানের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : প্রধান কার্যাবলি ও ঐচ্ছিক কার্যাবলি। ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে-

জনশৃঙ্খলা রক্ষা : গ্রামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা : ইউনিয়নে অবস্থিত কৃষি, স্বাস্থ্য, মৎস্য, পশুপালন ও শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার সেবা ও কার্যক্রম জনগণকে অবহিত করা।

স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন : এলাকার কৃষি উন্নয়নের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়ন সাধন, বাজার সৃষ্টি, মৎস্যচাষ ও পশু পালনের উন্নত পদ্ধতি সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করা।

প্রশাসনিক কাজ : সচিব, গ্রাম পুলিশ ও পরিষদের অন্য কর্মচারীদের পরিচালনা, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন ইত্যাদিও ইউনিয়ন পরিষদ করে থাকে।

এছাড়া ঐচ্ছিক কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা, বিধবা, এতিম, গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যকরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থাকরণ, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার তদারকি এবং ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বনায়ন, ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, পাঠাগার স্থাপন, উদ্যান ও খেলার মাঠের ব্যবস্থা, দুস্থ ব্যক্তির তালিকা প্রণয়ন, সকল প্রকার শুমারি পরিচালনার দায়িত্ব পালন, সরকারি সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, পলিস্ন বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি। সুতরাং বলা যায়, অনুচ্ছেদে উলিস্নখিত বেলস্নাল হোসেনের কাজ ইউনিয়ন পরিষদের জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন- ১             ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলি  

রাশেদ সাহেব বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের একজন নির্বাচিত সদস্য । তিনি ছাড়া সেখানে আরও ১২ জন সদস্য আছেন। তিনি তার এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসন, কৃষি উপকরণ বিতরণ ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেন।

 ক.       জেলা প্রশাসন বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর কততম স্তর? ১

খ.        স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে কী বোঝায়?   ২

গ.        রাশেদ সাহেব বাংলাদেশের যে সথানীয় প্রতিষ্ঠানের সদস্য তার গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩                    

ঘ.        রাশেদ সাহেবের কাজগুলো উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট বলে মনে কর কি? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।     ৪

 ১ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        জেলা প্রশাসন বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর তৃতীয় স্তর।

 খ         স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক জনগণের স্বশাসনকে বোঝায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা তা পরিচালিত হয় এবং ঐ জনগণের নিকট তা দায়িত্বশীল থাকে। এ ধরনের শাসনব্যবস্থা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যা সরকার পরিচালনা পদ্ধতির পরিশীলিত রূপ।

 গ         রাশেদ সাহেব বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। প্রতিষ্ঠানটি এদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান। উদ্দীপকে এ তথ্যটির নির্দেশ রয়েছে। উপরন্তু উক্ত প্রতিষ্ঠানে তিনি ছাড়া আরও ১২ জনের সদস্য আছেন যা ইউনিয়ন পরিষদের বৈশিষ্ট্য। ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধিত আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। গড়ে ১০-১৫টি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। এর একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, নয়জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিনজন নির্বাচিত মহিলা সদস্য (সংরক্ষতি আসনে) থাকবেন। সংশোধিত আইনে ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টিতে উন্নীত করা হয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে ১ জন করে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন সাধারণ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। মহিলা সদস্যগণ প্রতি ৩ ওয়ার্ডে ১ জন এই ভিত্তিতে পুরুষ ও মহিলা সকলের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকাল ৫ বছর।

 ঘ         উদ্দীপকের রাশেদ সাহেব ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে তার এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসন, কৃষি উপকরণ বিতরণ ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেন। ইউনিয়ন পরিষদের জন্য এ কাজগুলো যথেষ্ট নয়। তার এ কাজগুলো জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনকল্যাণমূলক। যদিও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জনকল্যাণমূলক কাজের সবগুলো উদ্দীপকে রাশেদ সাহেবের কাজে নির্দেশিত হয়নি। উপরন্তু ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রমও ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করে। যেমন, সচিব, গ্রাম পুলিশ ও পরিষদের অন্যান্য কর্মচারীদের পরিচালনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করা। ইউনিয়ন পরিষদের ঐচ্ছিক কার্যাবলির পরিবর্তিত কম বি¯ত্মৃত নয়। বরং ইউনিয়নের সার্বিক, টেকসই উন্নয়নে ঐচ্ছিক কাজগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। আর স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল উদ্দেশ্যও তাই। সুতরাং আলোচিত যুক্তিমালার আলোকে আমি মনে করি, রাশেদ সাহেবের কাজগুলো ইউনিয়ন পরিষদের জন্য যথেষ্ঠ নয়।

প্রশ্ন- ২             জেলা প্রশাসন তার কার্যাবলি  

সম্প্রতি ‘কোমেন’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় জেলার উপরে আঘাত হানে। তাতে ঐ অঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপকূলীয় জেলায় নিয়োজিত জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মধ্যে নানা ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দেন এবং বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কারণ তিনি নিজেকে উক্ত জেলার জনগণের বন্ধু ও পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।

 ক.       ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত?  ১

খ.        অভিশংসন বলতে কী বোঝায়?  ২

গ.        উদ্দীপকে বর্ণিত কোমেনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সাহায্য-সহযোগিতা জেলা প্রশাসকের কোন ধরনের কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত- বিশেস্নষণ কর।         ৩                    

ঘ.        উক্ত জেলা প্রশাসককে জনগণের প্রকৃত বন্ধু ও পথপ্রদর্শক হতে হলে যে সমস্ত কাজ করা উচিত, তা সংক্ষেপে আলোচনা কর। ৪

    নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৩ জন।

 খ         অভিশংসন-এর আভিধানিক অর্থ প্রকাশ্যে দোষারোপ। ব্যবহারিক অর্থে দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের প্রক্রিয়াকে অভিশংসন বলা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন বা অপসারণ করতে পারে। সংবিধান লঙ্ঘন, গুরুতর অপরাধ, দৈহিক ও মানসিক অসুস্থতা ও অক্ষমতার জন্য সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও ন্যায়পালকে অপসারণ করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে।

 গ         উদ্দীপকে বর্ণিত কোমেন-এ ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সাহায্য-সহাযোগিতা জেলা প্রশাসকের মানবতামূলক কাজের বহিঃপ্রকাশ।  দুর্যোগকালীন মুহূর্তে জেলা প্রশাসক মানবতার সেবামূলক ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এ সময় তিনি জেলার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বাজার যেন জনগণের নাগালের বাইরে চলে না যায় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। দুর্যোগকালীন মুহূর্ত যেমন : বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টনের্ডো, ভূমিকম্প, অনাবৃষ্টি ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন। এ সময় তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ, কাপড়, ওষুধ উক্ত এলাকায় বিতরণ করেন।

 ঘ         জেলা প্রশাসককে কেন্দ্র করে জেলার সমগ্র শাসন আবর্তিত হয়। জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্যই জেলার একজন বন্ধু হিসেবে পরিগণিত হন। জেলা প্রশাসককে জনগণের প্রকৃত বন্ধুও পথপ্রদর্মক হতে হলে বহুবিধ কাজ করা উচিত। বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহীত শাসন সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজ তদারক করা ইত্যাদি জেলা প্রশাসনের শাসন সংক্রান্ত কাজ। আবার জেলা প্রশাসক প্রধান কালেক্টর হিসেবে জেলার ভূমি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন। জেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত সরকারি সকল দপ্তরের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করেন এবং জেলা প্রশাসক স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাশুনা করেন। তিনি এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন যেটি উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে। কার্যক্ষেেত্র জেলা প্রশাসক একজন প্রথম শ্রেণির বিচারক হিসেবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করেন। জেলার শিক্ষা বিষয়ক সকল প্রকার তত্ত্বাবধান এবং জাতীয় দিবসসহ উদযাপন ও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। জেলার পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় নিজ জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেন। উপরিউক্ত সকল কাজ সমূহ যদি উদ্দীপকে উলিস্নখিত জেলা প্রশাসক যথাযথভাবে করতে পারেন তবেই তিনি ঐ জেলার জনগণের প্রকৃত বন্ধু ও পথপ্রদর্শক হতে পারবেন বলে আমি মনে করি। অর্থাৎ উপরিউক্ত কার্যাবলিই ঐ জেলাপ্রশাসকের করা উচিত।

প্রশ্ন- ৩             জেলা প্রশাসকের কার্যাবলি  

SSC 2023 BGS

 ক.       কে সংসদীয় পদ্ধতিতে মন্ত্রিসভার মূল স্তম্ভ?       ১

খ.        উপজেলা পরিষদের গঠন ব্যাখ্যা কর।   ২

গ.        ‘?’ চিহ্নিত স্থানের ব্যক্তিটি কে? তার কার্যাবলি বর্ণনা দাও।           ৩                    

ঘ.        উক্ত ব্যক্তির সঠিক ব্যবস্থাপনাই ঐ অঞ্চলের সার্বিক উন্নতি নির্ভরশীল-বিশেস্নষণ কর।     ৪

    নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় পদ্ধতিতে মন্ত্রীসভার মূল স্তম্ভ।

 খ         আইনের বিধান অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ গঠিত হবে চেয়ারম্যান, ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান, যার মধ্যে একজন নারী, উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান; উপজেলার এলাকাভুক্ত পৌরসভার মেয়র এবং সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত মহিলা সদস্যগণের।

 গ         ‘?’ চিহ্নিত স্থানের ব্যক্তিটি হলেন জেলা প্রশাসক। কেননা প্রদত্ত ছকে যে কাজের ধারা উলেস্নখ করা হয়েছে তা জেলা প্রশাসকের কাজের বৈশিষ্ট্যকেই উপস্থাপন করে। বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহীত শাসনসংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজ তদারক করা, সরকারি নীতি নির্ধারণ এবং সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় সরকারকে সর্বাত¥ক সাহায্য সহযোগিতা করা জেলা প্রশাসনের শাসন সংক্রান্ত কাজ। জেলা প্রশাসক প্রধান কালেক্টর হিসেবে জেলার ভূমি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন। সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত বিষয় জেলা প্রশাসকের ভূমিকা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি জেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত সরকারি সকল দপ্তরের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তিনি জেলার শিক্ষাবিষয়ক সকল প্রকার তত্ত্বাবধান এবং জাতীয় দিবস উদযাপন ও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করেন। এছাড়াও তিনি উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেন। প্রথম শ্রেণির বিচারক হিসেবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি ও রাজস্ব সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান করে থাকেন। জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান। আগ্নেয়াস্ত্র, স্পিরিট ও বিষ প্রভৃতি লাইসেন্স প্রদানের দায়িত্ব তাঁর ওপরই ন্যস্ত। আর জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নিকট জবাবদিহি করেন।

 ঘ         ছকচিত্রে উক্ত ব্যক্তি তথা জেলা প্রশাসকের সঠিক ব্যবস্থাপনাই জেলার সার্বিক উন্নতি নিশ্চিত করতে পারে। জেলা প্রশাসক হলেন জেলার মধ্যমণি। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন অভিজ্ঞ সদস্য ও প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনারের পরই তার স্থান। তাকে কেন্দ্র করে জেলার সমগ্র শাসনব্যবস্থা আবর্তিত হয়। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রের যোগসূত্র বিদ্যমান। বাংলাদেশ সচিবালয়ে জেলা সংক্রান্ত গৃহীত যাবতীয় সিদ্ধান্ত সরাসরি জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরিত হয়। জেলা প্রশাসক কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা প্রশাসন পরিচালনা করেন। আর জেলা প্রশাসকদের কেন্দ্র করেই জেলার প্রশাসন পরিচালিত ও আবর্তিত। জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্য বিভগীয় কমিশনারের কাছে দায়ী। বিভাগীয় কমিশনার আবার যাবতীয় কার্যাবলির জন্য কেন্দ্রের নিকট দায়ী। বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে জেলা ও কেন্দ্রের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়। সুতরাং জেলা প্রশাসকের কার্যাবলি ব্যাপক। আর তাই বলা যায়, জেলা প্রশাসকের সঠিক ব্যবস্থাপনাই ঐ জেলার সার্বিক উন্নতি নির্ভরশীল।

প্রশ্ন- ৪             নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা  

অ         জাতির মুখপাত্র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা

ই          পদমর্যাদায় সবার উপরে, নিয়মতান্ত্রিক প্রধান

ছক : নির্বাহী বিভাগের দুজনের ক্ষমতার পার্থক্য

 ক.       অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রের আইনসভা কী নামে পরিচিত? ১

খ.        কেন্দ্রীয় প্রশাসন কী? ব্যাখ্যা কর।           ২

গ.        ছকে উলিস্নখিত ‘ই’ ব্যক্তির দণ্ড মার্জনা করার ক্ষমতা ব্যাখ্যা কর।          ৩                    

ঘ.        উদ্দীপকের ‘অ’ ব্যক্তি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেও প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ ‘ই’ ব্যক্তির নামেই পরিচালিত হয়। উক্তিটির যথার্থতা বিশেস্নষণ কর।   ৪

    নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রের আইনসভা মজলিশ নামে পরিচিত।

 খ         বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা এককেন্দ্রিক। বিশ্বের অন্যান্য দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার মতো বাংলাদেশেও সচিবালয় প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত যা শাসনব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ। সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়। এই গৃহীত সিদ্ধান্ত ধাপে ধাপে নিচের স্তরে প্রেরিত হয়। তাই সচিবালয় কেন্দ্রিক এদেশের প্রশাসনকে কেন্দ্রীয় প্রশাসন বলে।

 গ         ছকে উলিস্নখিত ‘ই’ ব্যক্তি হচ্ছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। ছকের তথ্য অনুসারে পদমর্যাদায় সবার উপরে। নিয়মতান্ত্রিক প্রধান দেশের রাষ্ট্রপতিরই মর্যাদার প্রতিফলন। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান। সবার উর্ধ্বে তিনি স্থান লাভ করেন। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তাকে প্রদত্ত সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতা তিনি প্রয়োগ করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের ক্ষমতা রয়েছে। তার ক্ষমতা রয়েছে যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার। কোনো আদালত, ট্রাইবুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত যেকোনো দণ্ড তিনি মার্জনা করতে পারেন।

 ঘ         উদ্দীপকের ‘অ’ ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যিনি জাতির মুখপাত্র এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ ‘ই’ ব্যক্তি তথা রাষ্ট্রপতির নামেই পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান। আর সংসদীয় ব্যবস্থার অধীনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা অনেক উপরে। তিনি শাসনব্যবস্থার কার্যকর নেতৃত্ব দান করেন। কিন্তু সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। সংবিধান অনুযায়ী তিনি রাষ্ট্রের প্রধান। পদমর্যাদায় তিনি সবার উপরে। তার হাতে কানো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। কিন্তু সংবিধান ও আইন অনুযায়ী প্রদত্ত সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতা তিনি প্রয়োগ করেন। প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ তাঁর নামেই পরিচালিত হয়। এ কারণেই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ সত্য বলে বিবেচিত হয়।

প্রশ্ন- ৫            ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলি  

মিসেস সোফিয়া ও তার চেয়ারম্যান ভাইয়ের কথোপকথন :

মিসেস সোফিয়া : ভাইয়া তোমার পরিষদের সবাইকে ঈদের দাওয়াত দাওনি? মাত্র তো বারজন এলেন।

চেয়ারম্যান : কেন সবাই এসেছেন। সারা দেশেই তো এ ধরনের পরিষদের সদস্য সংখ্যা একই।

মিসেস সোফিয়া : তুমি নাকি এলাকায় বিধবা ভাতা, উন্নত বীজ, সার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে ভালোই সুনাম করেছ?

চেয়াম্যান : চেষ্টা তো করছি। তবে গ্রামে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে।

 ক.       কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সর্ব নিম্নস্তরের কর্মকর্তা কে? ১

খ.        জাতীয় সংসদ কীভাবে বিচার বিষয়ক ক্ষমতা প্রয়োগ করে?        ২

গ.        মিসেস সোফিয়ার ভাই যে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার প্রশাসনিক কাজ ব্যাখ্যা কর।  ৩                       

ঘ.        উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি কতটুকু সফল তা মূল্যায়ন কর।          ৪

    নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সর্ব নিম্নস্তরের কর্মকর্তা হলেন সহকারী সচিব।

 খ         সংসদ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করতে পারে। সংবিধান লঙ্ঘন গুরুতর অপরাধ, দৈহিক ও মানসিক অসুস্থতা ও অক্ষমতার জন্য সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও ন্যায়পালকে অপসারণ করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে। এ জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিচার সংক্রান্ত কাজ সংসদ পরিচালনা করে।

 গ         মিসেস সোফিয়ার ভাই স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। কেননা ইউনিয়ন পরিষদে একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বারজন সাধারণ সদস্য থাকে। উদ্দীপকে যা উলিস্নখিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। তার প্রশাসনিক কাজগুলোও অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রশাসনিক কাজ হিসেবে সচিব, গ্রামপুলিশ ও পরিষদের অন্যান্য কর্মচারীদের পরিচালনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াও তিনি সকল সভা আহ্বান, বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রেরণ করা, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন ইত্যাদি করে থাকেন।

 ঘ  উদ্দীপকের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তার দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সজাগ ও সচেতন। উদ্দীপকে এর ইঙ্গিত রয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব বেশ সুনামের সাথে তার এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিধবা ভাতা, উন্নত বীজ, সার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। এর দ্বারা বোঝা যায় তিনি জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবামূলক কাজে বেশ সফল হয়েছেনে। চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় জনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার ইউনিয়নে সমস্যা দেখা দিয়েছে যা তার দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে। তাই তিনি তা বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সুতরাং উপরিউক্ত বর্ণনা অনুসারে বলা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছেন।

প্রশ্ন- ৬            আইন শাসন বিভাগ  

কানিজের পিতা সরকারের একটি শাখার সদস্য। তিনি তার এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকিসহ আইন প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করেন। তিনি সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা এবং মন্দ কাজের সমালোচনা করেন।

 ক.       প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্রগুলোতে কী ধরনের গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল? ১

খ.        স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে কী বোঝ?      ২

গ.        কানিজের পিতা সরকারের যে শাখার সদস্য তার গঠন ব্যাখ্যা কর।          ৩

ঘ.        কানিজের পিতার শেষোক্ত কাজটির মাধ্যমে কি প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।            ৪

   নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্রগুলোতে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল।

 খ         ১নং সৃজনশীল প্রশ্নে খ এর উত্তর দ্রষ্টব্য।

 গ         কানিজের পিতা সরকারের শাখা আইন বিভাগের সদস্য। উদ্দীপকে দেখা যায়, তিনি এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকিসহ আইন প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করেন। সরকারের তিনটি বিভাগের একটি আইন বিভাগ। আইন বিভাগের প্রধান কাজ হলো দেশের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরনো আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করা। আইন বিভাগের একটি অংশ হলো আইনসভা। আইনসভা নির্বাচিত এবং কোনো কোনো ক্ষেেত্র মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত। এটি  আইন প্রণয়ন করে। আইনসভা কর্তৃক প্রণীত আইন রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। বাংলাদেশের আইনসভার নাম ‘জাতীয় সংসদ’। জাতীয় সংসদ আইন বিভাগের একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান। সংসদ প্রণীত আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। আইন বিভাগ সরকারের একটি অংশ। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষতি। তারা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। সংরক্ষতি আসন ছাড়াও মহিলারা সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে সদস্যদের ভোটে একজন স্পীকার ও একজন ডেপুটি স্পীকার নির্বাাচিত হবেন। সংসদের মেয়াদ ৫ বছর।

 ঘ         কানিজের পিতার শেষোক্ত কাজটির মাধ্যমে প্রশাসনকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত এবং এই নিয়ন্ত্রণটি আইন বিভাগের দ্বারা কার্যকর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীসভাকে শাসন সংক্রান্ত সকল কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়। সকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। সংসদ সরকারের যে কোনো ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করতে পারে তেমনি সরকারের যে কোনো মন্দ কাজের সমালোচনাও করতে পারে। উদ্দীপকে কানিজের বাবাও সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা এবং মন্দ কাজের সমালোচনা করেন। ফলে সরকারকে সকল শাসন সংক্রান্ত কাজের জন্য সংসদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের প্রতি মনোযোগ দিতে হয়। সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকারের উপর সংসদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু প্রশাসনকে শুধু এর দ্বারাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বরং সংসদ মূলতবি প্রস্তাব, নিন্দা প্রস্তাব, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীদের প্রতি প্রশ্ন  বা অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে শাসন বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। সংসদ সদস্যের আস্থা হারালে যে কোনো মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অর্থ হলো, সম্পূর্ণ মন্ত্রীসভার পদত্যাগ। ঐ অবস্থা হলে দেশে আবার নতুন করে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রশ্ন- ৭             আইন, শাসন বিচার বিভাগ  

বিভাগ             কাজ

ঢ                      আইন প্রণয়ন করে।

ণ                      শাসনকার্য পরিচালনা করে।

ত                     ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।

 ক.       নাগরিকের প্রধান কর্তব্য কোনটি?          ১

খ.        আইনের অনুশাসন বলতে কী বোঝায়?  ২

গ.        বাংলাদেশের ‘ত’ বিভাগটির গঠন ব্যাখ্যা কর।   ৩

ঘ.        “বাংলাদেশে ‘ণ’ বিভাগটি ‘ঢ’ বিভাগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।         ৪

   নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        নাগরিকের প্রধান কর্তব্য রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।

 খ         রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। কেউ কারও অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে পারে না। সাধারণভাবে আইনের অনুশাসন দুইটি ধারণা প্রকাশ করে। যথা : (ক) আইনের প্রাধান্য ও (খ) আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 গ         বাংলাদেশে ‘ু’ বিভাগটি হচ্ছে বিচারবিভাগ। এ বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য এবং স্বাধীনতা বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ন্যায় ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লড়্গ্েয বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুসংগঠিত ও সুপরিচালিত। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ উচ্চ আদালত (হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট) এবং অধস্তন আদালত সমন্বয়ে গঠিত। বাংলাদেশ সংবিধানে বিচারকদের নিয়োগ সংক্রান্ত যোগ্যতার শর্তাবলি উলেস্নখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নিয়োগের শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে বিচারকদের নিয়োগ করে। এটাই হলো এদেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষপে। বর্তমানে অধিকাংশ রাষ্ট্রই সাধারণত শাসন বিভাগের প্রধান কর্তৃক বিচারপতি নিয়োগ করে থাকে। প্রধান বিচারপতি ও উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের নিয়োগ সাধারণত রাষ্ট্রপতি দিয়ে থাকেন। তবে অধ:স্তন আদালতসমূহের বিচারকগণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। আর এসব বিচারকদের নিয়েই বিচার বিভাগ গঠিত।

 ঘ         বাংলাদেশে ‘ু’ বিভাগটি হচ্ছে শাসন বিভাগ এবং ‘ী’ বিভাগটি হচ্ছে আইন বিভাগ। বাংলাদেশে শাসন বিভাগ আইন বিভাগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আমি এ বক্তব্যের সাথে একমত। বস্তুত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত এবং এই নিয়ন্ত্রণটি আইন বিভাগের দ্বারা কার্যকর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীসভাকে শাসন সংক্রান্ত সকল কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়। সরকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। সংসদ সরকারের যে কোনো ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করতে পারে তেমনি সরকারের যে কোনো মন্দ কাজের সমালোচনাও করতে পারে।সরকারকে সকল শাসন সংক্রান্ত কাজের জন্য সংসদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের প্রতি মনোযোগ দিতে হয়। সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকারের উপর সংসদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। সংসদ মূলতবি প্রস্তাব, নিন্দা প্রস্তাব, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীদের প্রতি প্রশ্ন বা অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে শাসন বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। সংসদ সদস্যের আস্থা হারালে যে কোনো মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অর্থ হলো, সম্পূর্ণ মন্ত্রীসভার পদত্যাগ। ঐ অবস্থা হলে দেশে আবার নতুন করে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ আলোচনার প্রেক্ষেিত সুস্পষ্ট হয় যে, বাংলাদেশেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে শাসন বিভাগ আইন বিভাগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

প্রশ্ন- ৮            স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন   

সংস্থা                কাজ

ঈ                     জনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা প্রশাসনিক কাজ

উ                     পরিকল্পনামূলক, জননিরাপত্তামূলক বাসস্থান সংক্রান্ত

 ক.       গণতন্ত্র কত প্রকার?      ১

খ.        জাতিসংঘের যে কোনো একটি উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।        ২

গ.        ‘ঈ’ সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের কোন স্থানীয় সরকারের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।         ৩

ঘ.        “গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে উক্ত সংস্থাগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ”- উক্তিটি মূল্যায়ন কর।            ৪

   নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        গণতন্ত্র দুই প্রকার।

 খ         জাতিসংঘের উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে একটি হচ্ছে স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর বিবাদ ও সংঘর্ষ রোধ করা।এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের ওপর যাতে হস্তক্ষপে করতে না পারে সে লড়্গ্েয জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এরপরও বিশ্বের স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিবাদ পরিলক্ষতি হয়। এর ফলে বিশ্বশান্তি বিনষ্ট হয়। তাই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণের লড়্গ্েয বিবাদ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক আদালত গঠন করা হয়।

 গ         প্রশ্নে উলেস্নখিত ‘ঈ’ সহংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের মিল রয়েছে। উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটির কাজ জনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা, প্রশাসনিক কাজ ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান কার্যাবলি নির্দেশ করে।

জনশৃঙ্খলা রক্ষা : গ্রামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে কিছু চৌকিদার ও দফাদার নিয়োগ করা, অপরাধ, বিশৃঙ্খলা ও চোরাচালান বন্ধের জন্য ব্যবস্থা করে।

জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা : ইউনিয়নে অবস্থিত কৃষি, স্বাস্থ্য, মৎস্য, পশুপালন ও শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার সেবা ও কার্যক্রম জনগণকে অবহিতকরণ এবং গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্থার কর্মসূচির অধীনে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন, আত¥কর্মসংস্থান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানতম কার্যাবলির মধ্যে পড়ে।

প্রশাসনিক কাজ : সচিব, গ্রাম পুলিশ ও পরিষদের অন্যান্য কর্মচারীদের পরিচালনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করা, সকল সভা আহ্বান, বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রেরণ করা, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন ইত্যাদিও ইউনিয়ন পরিষদ করে থাকে।

 ঘ         উদ্দীপকে ‘ঈ’ বলতে ইউনিয়ন পরিষদ এবং ‘উ’ বলতে পৌরসভাকে বুঝানো হয়েছে। গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার ব্যাপক ভূমিকা রাখে। আধুনিক কালে রাষ্ট্র পরিচারনার ক্ষেেত্র স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব যে কত বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে রাষ্ট্রের আয়তন ও জনসংখ্যা বিশাল। রাজধানীতে বসে কেন্দ্রীয় সরকারের একার পক্ষে দেশের সর্বত্র সুষ্ঠুভাবে শাসন কার্য পরিচালনা, নানা বিষয়ে দৈনন্দিন নজর রাখা, স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর ও সঠিক সময়ে পদক্ষপে গ্রহণ, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত এবং অঞ্চল নির্বিশেষে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা দ্বারা তা সম্ভবপর হয়। স্থানীয় শাসনের শ্রেষ্ঠত্ব হলো এই যে, এর ফলে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষতিা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা মুক্ত থেকে স্থানীয় পর্যায়ে এলাকা ভেদে বিশেষ প্রয়োজন,  বৈচিত্র্য ও বাস্তবতার আলোকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও স্থানীয় উন্নয়নে ত্বরিত উদ্যোগ বা পদক্ষপে গ্রহণ সম্ভব হয়। এ ব্যবস্থা স্থানীয় শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ, তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তি বা বুনিয়াদকে সুদৃঢ় করতে সহায়ক হয়।

প্রশ্ন- ৯            জেলা প্রশাসকের কার্যাবলি  

অনন্তপুর ইউনিয়নের বিলাসবাড়ি গ্রামে অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা সৃষ্টি হওয়ায় সেখানকার অধিবাসীরা দুর্যোগে পতিত হয়। সংশিস্নষ্ট জেলা প্রশাসক দুর্গতদের সাহায্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

 ক.       সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা কত?        ১

খ.        স্থানীয় প্রশাসন বলতে কী বোঝায়?         ২

গ.        উদ্দীপকে বন্যায় দুর্গতদের জন্য ব্যবস্থাগ্রহণ সংশিস্নষ্ট জেলা প্রশাসকের কোন ধরনের কাজের অন্তর্ভুক্ত? -ব্যাখ্যা কর।       ৩

ঘ.        “জেলা প্রশাসক হলেন জেলার মধ্যমণি” -মূল্যায়ন কর।   ৪

নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদের সদস্য ৩৫০ জন।

 খ         স্থানীয় প্রশাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয়/জেলা এবং উপজেলা শাসন ব্যবস্থাকে বুঝায়। প্রশাসনের সুবিধার্থে এর সৃষ্টি। এ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে সংশিস্নষ্ট কর্তা ব্যক্তিবৃন্দ সরকারের এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য। যেমন- আমাদের দেশে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসক এবং থানা/উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

 গ         উদ্দীপকে বন্যায় দুর্গতদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ সংশিস্নষ্ট জেলা প্রশাসকের মানবতামূলক কাজ। জেলা প্রশাসক জেলার প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে বহুবিধ দায়-দায়িত্ব পালন করেন। ডেপুটি কমিশনার বা জেলা প্রশাসক মানবতার সেবামূলক ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হন। তিনি জেলার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দু:খ দুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন। তিনি জনককল্যাণমূলক কাজের জন্য বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান। এসময় কেন্দ্রীয়ভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ, কাপড় ও ঔষধ জেলার জনগণের মধ্যে বিতরণ করেন।

 ঘ         জেলা প্রশাসককে কেন্দ্র করে জেলার সমগ্র শাসন আবর্তিত হয়। জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্যই জেলার মধ্যমণি হিসেবে পরিগণিত হন। তার বেশ কিছু কার্যাবলি তা স্পষ্ট করে তোলে। যেমন :

প্রশাসন সংক্রান্ত কাজ : বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহীত শাসন সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা তথা সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় সরকারকে সর্বাত¥ক সাহায্য-সহযোগিতা করা জেলা প্রশাসনের শাসন সংক্রান্ত কাজ।

রাজস্ব সংক্রান্ত কাজ : জেলা প্রশাসক প্রধান কালেক্টর হিসেবে জেলার ভূমি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন।

স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত কাজ : তিনি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাশোনা করেন। জেলার আওতাধীন উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেেত্র তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

মানবতামূলক কাজ : প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দু:খদুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন যেটি উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে।

বিচার সংক্রান্ত কাজ : জেলা প্রশাসক জেলার বিচারকও বটে। তিনি একজন প্রথম শ্রেণির বিচারক হিসেবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করেন।

শান্তি রক্ষামূলক কাজ : জেলার পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় নিজ জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেন।

এছাড়া জেলা প্রশাসক জেলার প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে বহুবিধ দায়দায়িত্ব পালন করেন।

কাজেই বলা যায়, “জেলা প্রশাসক হলেন জেলার মধ্যমণি”- উক্তিটি সঠিক। 

প্রশ্ন- ১০           ইউনিয়ন পরিষদ  

রফিক সাহেব ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশঅসিত প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি তার সদস্যদের সাথে আলোচনা ও মতামত নিয়ে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ও সেবাধর্মী কাজ করেন। এলাকার কৃষি, গ্রামীণ শিল্পের বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করে থাকেন।

 ক.       বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?        ১

খ.        জেলা পরিষদের গঠন বর্ণনা কর।           ২

গ.        রফিক সাহেব যে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।           ৩

ঘ.        ‘জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রফিক সাহেবের প্রতিষ্ঠানের একটি অন্যতম কাজ’-তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? বিশেস্নষণ কর। ৪

  ১০ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বাংলাদেশের আইনসভার জাতীয় সংসদ।

 খ         বাংলাদেশ সরকার ৬ই জুলাই ২০০০ সালে জেলা পরিষদ আইন- ২০০০ প্রবর্তন করে। আইনের বিধান অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ও বান্দরবান পার্বত্য জেলাসমূহ ব্যতীত অন্য জেলায় জেলা পরিষদ গঠনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষতি আসনের পাঁচজন মহিলা সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত। একটি নবগঠিত জেলা পরিষদের মেয়াদ বা কার্যকাল থাকবে পাঁচ বছর।

 গ         রফিক সাহেব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। কেননা উদ্দীপকে উলেস্নখ রয়েছে রফিক সাহেব ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশঅসিত প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদ আমাদের দেশে গ্রাম সমাজে উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এ লড়্গ্েয ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলিকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- ১. প্রধান কার্যাবলি ও ২. ঐচ্ছিক কার্যাবলি। ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান কাজগুলো হচ্ছে (র) জনশৃঙ্খলা রক্ষা (রর) জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা করা (ররর) স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন (রা) প্রশাসনিক কাজ করা। এছাড়া ঐচ্ছিক কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে; জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা, বিধবা, এতিম গরিব ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যকরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থাকরণ, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার তদারকি এবং ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া, পরিষদ সংরক্ষণ ও বনায়ন, ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, পাঠাগার স্থাপন, উদ্যান ও খেলার মাঠের ব্যবস্থা, গণসংযোগ, সনদ প্রদান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণকার্য সম্পাদন, দুঃস্থ ব্যক্তির তালিকা প্রুণয়ন, সকল প্রকার শুমারি পরিচালনার দায়িত্ব পালন, সরকারি সম্পত্তি যেমন- সড়ক, সেতু, খাল, বাঁধ, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, পলিস্ন বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি। সুতরাং ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীণ স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

 ঘ         উদ্দীপকে জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রফিক সাহেবের প্রতিষ্ঠানের একটি অন্যতম কাজ এ বক্তব্যের সাথে আমি একমত। কেননা ইউনিয়ন পরিষদের একটি প্রধান কাজ হলো জনশৃৃঙ্খলা রক্ষা করা। গ্রামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়নে কিছু চৌকিদার ও দফাদার নিয়োগ করা, অপরাধ, বিশৃঙ্খলা ও চোরাচালান বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, ঝগড়া-বিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসনে ভূমিকা পালন, গ্রাম আদালত সম্পর্কিত দায়িত্ব সম্পাদন, পারিবারিক বিরোধের আপোষ-মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন- ১১           পৌরসভা  

SSC 2023 BGS

 ক.       মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?    ১

খ.        স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে কী বোঝায়?   ২

গ.        ছকে প্রশ্নবোধক (?) চি‎ি‎হ্নত স্থানে কোন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ব্যাখ্যা কর।            ৩

ঘ.        “উক্ত প্রতিষ্ঠানটি কেবলমাত্র জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমে সক্রিয়” -তুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।            ৪

১১ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেন সচিব।

 খ         ১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের খ এর উত্তর দ্রষ্টেব্য।

 গ         উদ্দীপকের ছকে প্রশ্নবোধক চিহ্নিত স্থানে পৌরসভা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।    প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ডভিত্তিক কয়েকজন নির্বাচিত সদস্য নিয়ে পৌরসভা গঠিত হয়। সদস্যগণ কমিশনার নামে পরিচিত। দেশের সকল পৌরসভার সদস্য-সংখ্যা সমান নয়। পৌর এলাকার আয়তন ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে সদস্য সংখ্যা কমবেশি হতে পারে। বাংলাদেশে পৌরসভার সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ৩১৬টি। উদ্দীপকে এসব তথ্য সন্নিবেশতি হয়েছে। পৌরসভার কার্যকাল পাঁচ বছর। এছাড়া উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটির কাজের ধারায় পানীয় জলের ব্যবস্থা, আবর্জনা অপসারণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পৌরসভার জনস্বাস্থ্যবিষয়ক কাজ নির্দেশ করে। সুতরাং ছকের (?) চিহ্নিত স্থানে পৌরসভাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

 ঘ         উক্ত প্রতিষ্ঠান তথা পৌরসভা কেবলমাত্র জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমে সক্রিয় এই বিষয়ে পামি একমত না। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পৌরসভার কাজ হচ্ছে সরকারি রাস্তা, পায়খানা, ডাস্টবিন, পয়ঃপ্রণালির ময়লা ও আবর্জনা অপসারণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ। তাছাড়া চিকিৎসা কেন্দ্র, মাতৃসদন, শিশু সদন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার, দূষিত ও ভেজাল খাদ্য ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি পৌরসভার জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজ। এছাড়া পৌরসভা শহর এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও উন্নয়নকল্পে বহুবিধ কাজ করে থাকে। যেমন : পরিকল্পনামূলক অনেক কাজ করে, জননিরাপত্তামূলক কাজ করে, বাসস্থান সংক্রান্ত কাজ, শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ, রাস্তাঘাটের উন্নয়নমূলক কাজ, সমাজকল্যাণ সংক্রান্ত কাজ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সালিশী কার্যক্রম পরিচালনা ইত্যাদি। সুতরাং পৌরসভা কেবলমাত্র জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমে সক্রিয়- কথাটি ঠিক নয়।

প্রশ্ন- ১২          ইউনিয়ন পরিষদ  

জমির মিয়া একজন গ্রামের জনপ্রতিনিধি। তার কাজের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হােলা দারিদ্র্য বিমোচন, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ, আত¥কর্মসংস্থান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তিনি ঐ সমস্ত কাজের পাশাপাশি সমাজের মারামারি, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ, মেয়েদের ওপর অবিচার ইত্যাদি বিষয়গুলোর বিচারকার্যও তিনি সম্পন্ন করে থাকেন।

 ক.       মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?       ১

খ.        স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে কী বোঝায়?   ২

গ.        উলিস্নখিত জমির মিয়া কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন? সেটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.        উক্ত প্রতিনিধির বর্তমানে করা কাজের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে তোমার ধারণা ব্যক্ত কর।      ৪

 ১২ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেন সচিব।

 খ         ১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের খ এর উত্তর দ্রষ্টব্য।

 গ         উদ্দীপকে উলিস্নখিত জমির মিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। উদ্দীপকের জমির মিয়া দারিদ্র্য বিমোচন, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ, আত¥কর্মসংস্থান ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন ইত্যাদি কাজগুলো করে থাকেন। এগুলো ইউনিয়ন পরিষদের কাজ। তাছাড়া জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা, বিধবা, এতিম গরিব ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যকরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থাকরণ, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার তদারকি এবং ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া, পরিষদ সংরক্ষণ ও বনায়ন, ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, পাঠাগার স্থাপন, উদ্যান ও খেলার মাঠের ব্যবস্থা, গণসংযোগ, সনদ প্রদান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণকার্য সম্পাদন, দুঃস্থ ব্যক্তির তালিকা প্রুণয়ন, সকল প্রকার শুমারি পরিচালনার দায়িত্ব পালন, সরকারি সম্পত্তি যেমন- সড়ক, সেতু, খাল, বাঁধ, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, পলিস্ন বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি কার্যে ইউনিয়ন পরিষদ ভূমিকা রাখে। ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধিত আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। গড়ে ১০-১৫টি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। এর একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ন’জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিন জন নির্বাািচত মহিলা সদস্য (সংরক্ষতি আসনে)।

 ঘ         জমির মিয়া মারামারি, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ, মেয়েদের ওপর অবিচার ইত্যাদি বিষয়গুলোর বিচারকার্যও বর্তমান প্রতিনিধি হিসেবে সম্পন্ন করেন। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আশা করা যায়, তিনি নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেেত্র স্বাধীন ও নিরপেক্ষতার বিচারকার্য সম্পন্ন করে থাকেন। এলাকায় যেকোনো মারামারি ও জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ দেখা দিলে তিনি নিরপেক্ষতার সাথে মীমাংসা করেন। বিশেষ করে মেয়েদের প্রতি নানা রকম অপরাধ দেখা দেয় যথা- মেয়েদের উত্তাক্ত করা, যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন ইত্যাদি বিষয়ে নিরপেক্ষতার সাথে সমাধান করেন। প্রকৃতপক্ষে এসব কাজ নিরপেক্ষতার সাথে করা তার দায়িত্ব। জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে তাই আশা করে। বস্তুত ইউনিয়ন পরিষদ ঝগড়া -বিবাদ, দাঙ্গামা-হাঙ্গামা নিরসন গ্রাম আদালত সম্পর্কিত দায়িত্ব সম্পাদন, পারিবারিক বিরোধের আপোষ- মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর যেহেতু তারা নির্বাচিত, তাই জন প্রতিনিধি হিসেবে এসব কাজে নিরপেক্ষতা বজায় থাকে- আমার এরূপই ধারণা।

প্রশ্ন- ১৩          আইন বিচার বিভাগ  

SSC 2023 BGS

 ক.       শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র কী?     ১

খ.        বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বিচার সংক্রান্ত কাজ ব্যাখ্যা কর।            ২

গ.        ৩নং অঙ্গ সংগঠনটির দায়িত্ব পালনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।        ৩

ঘ.        “২নং অঙ্গ সংগঠন দ্বারা ১নং অঙ্গ সংগঠন নিয়ন্ত্রণের উপরই দেশের সুশাসন নির্ভর করে”- মন্তব্যটি বিশেস্নষণ কর।     ৪

 ১৩ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        শাসনব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র হচ্ছে সচিবালয়।

 খ         বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির অন্যতম একটি কাজ হচ্ছে বিচারসংক্রান্ত কাজ। রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করেন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেেত্র রাষ্ট্রপতি কারও পরামর্শ গ্রহণ করেন না। সুপ্রিমকোর্টের অন্য বিচারপতিগণও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন।

 গ         ৩নং অঙ্গ সংগঠনটি হলো বিচার বিভাগ। ছকে দেখা যাচ্ছে, ৩নং অঙ্গ সংগঠনটি মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে। মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা বিচার বিভাগের কাজ। সুতরাং বলা যায়, ৩নং অঙ্গ সংগঠনটি হচ্ছে বিচার বিভাগ। বিভাগ ন্যায় ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দক্ষ শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং আইন অমান্যকারীর বিচার করা বিচার বিভাগের প্রধান কাজ। এক্ষেেত্র বিচারকগণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে আইন অনুযায়ী ন্যায়নীতির ভিত্তিতে বিচারকার্য সম্পন্ন করেন। সংবিধানে লিপিবদ্ধ মৌলিক অধিকারের সংরক্ষণের দায়িত্ব আদালতের ওপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে আইনের ব্যাখ্যা ও বিশেস্নষণ করা এবং সেই ব্যাখ্যা অনুযায়ী আইন প্রয়োগ করা। এছাড়া বিচারকগণ নতুন আইন সংযোজন করে থাকেন। বিচার বিভাগ রাষ্ট্রীয় সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বিভিন্ন সময় বিরোধ দেখা যায়। বিচার বিভাগ এ ধরনের বিরোধের মীমাংসা করে থাকে। শাসন বিভাগের অনুরোধে বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শও প্রদান করে থাকে। বিচার বিভাগ বিবিধ কার্যাবলিও সম্পাদন করে থাকে। যেমন : বিদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব দান, অভিভাকত্ব নিরূপণ, নাবালকের সম্পত্তির তত্ত্বাবধান প্রভৃতি।

 ঘ         ২নং অঙ্গ সংগঠন দ্বারা ১নং অঙ্গ সংগঠন নিয়ন্ত্রণের ওপরই দেশের সুশাসন নির্ভর করে। ২নং অঙ্গ সংগঠনটি হলো আইন বিভাগ। কারণ আইন বিভাগ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নিয়ে গঠিত এবং ২নং অঙ্গ সংগঠনটিও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নিয়ে গঠিত। আর ১নং অঙ্গ সংগঠনটি হলো শাসন বিভাগ। কেননা ১নং অঙ্গ সংগঠনটি সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে, যা শাসন বিভাগের কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত এবং এই নিয়ন্ত্রণটি আইন বিভাগের দ্বারা কার্যকর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভাকে শাসনসংক্রান্ত সব কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়। সরকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। সংসদ সরকারের যেকোনো ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করতে পারে তেমনি সরকারের যেকোনো মন্দ কাজের সমালোচনাও করতে পারে। সরকারকে সব শাসনসংক্রান্ত কাজের জন্য সংসদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের প্রতি মনোযোগ দিতে হয়। সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকারের ওপর সংসদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। তবে এ নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই কার্যকরী নিয়ন্ত্রণ হওয়া বাঞ্ছনীয়। পরিশেষে বলা যায় যে, আইন বিভাগ কর্তৃক শাসন বিভাগকে সঠিক ও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণের ওপরই দেশের সুশাসন নির্ভর করে।

প্রশ্ন- ১৪           জেলা প্রশাসক  

শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে এমন এক ব্যক্তিকে নিমন্ত্রণ জানানো হয় যিনি বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর তৃতীয় স্তরের একজন কর্মকর্তা এবং একটি জেলার মধ্যমণি। বাংলাদেশ সচিবালয়ে জেলা সংক্রান্ত গৃহীত যাবতীয় সিদ্ধান্ত সরাসরি তার নিকট প্রেরিত হয়। তিনি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

 ক.       বর্তমানে দেশে কতটি উপজেলা রয়েছে?            ১

খ.        উপজেলা প্রশাসন ব্যাখ্যা কর।   ২

গ.        উদ্দীপকের নিমন্ত্রিত অতিথি বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর যে স্তরে কাজ করে তার পরিচয় দাও।     ৩

ঘ.        একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে উক্ত প্রধান অতিথির রয়েছে বেশ কিছু কার্যাবলি- বিশেস্নষণ কর।    ৪

 ১৪ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বর্তমানে দেশে ৪৮৬টি উপজেলা রয়েছে।

 খ         বাংলাদেশের উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক স্তর। প্রতিটি জেলা কয়েকটি উপজেলায় বিভক্ত। উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি জেলা প্রশাসক এবং জেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রেরিত আদেশ এবং অন্যান্য কাজের সমন্বয় করে থাকেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য। তিনি উপজেলার সকল উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কাজ তদারক করেন।

 গ         উদ্দীপকের নিমন্ত্রিত অতিথি বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কাঠামোর যে স্তরে কাজ করে তা হলো জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর তৃতীয় স্তর। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৪টি জেলা রয়েছে। জেলা প্রশাসককে কেন্দ্র করে জেলার সমগ্র শাসন আবর্তিত হয়। জেলা প্রশাসক হলেন জেলার মধ্যমণি। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন অভিজ্ঞ সদস্য ও প্রশাসনের প্রবীণ কর্মকর্তা। বিভাগীয় কমিশনারের পরই তার স্থান। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রের যোগসূত্র বিদ্যমান। বাংলাদেশ সচিবালয়ে জেলা সংক্রান্ত গৃহীত যাবতীয় সিদ্ধান্ত সরাসরি জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরিত হয়। জেলা প্রশাসক কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা প্রশাসন পরিচালনা করেন। উদ্দীপকের আলোচনায় দেখা যায়, নিমন্ত্রিত অতিথি জেলার মধ্যমণি এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ে জেলা সংক্রান্ত গৃহীত যাবতীয় সিদ্ধান্ত সরাসরি তার নিকট প্রেরিত হয়। এমনকি তিনি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। জেলা প্রশাসনই এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি জেলা প্রশাসক।

 ঘ         উদ্দীপকের আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত প্রধান অতিথি হলেন জেলা প্রশাসক। আর একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসকের বেশ কিছু কার্যাবলি রয়েছে। যেমন :

প্রশাসন সংক্রান্ত কাজ : বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহীত শাসন সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজ তদারক করা, সরকারি নীতি নির্ধারণ এবং সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় সরকারকে সর্বাত¥ক সাহায্য সহযোগিতা করা ইত্যাদি শাসন সংক্রান্ত কাজ জেলা প্রশাসক করে থাকেন।

রাজস্ব সংক্রান্ত কাজ : জেলা প্রশাসক প্রধান কালেক্টর হিসেবে জেলার ভূমি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন।

স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত কাজ : স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাশোনা করেন।

সমন্বয় সংক্রান্ত কাজ : তিনি জেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত সরকারি সকল দপ্তরের মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন করে থাকেন।

শান্তি রক্ষামূলক কাজ : জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় নিজ জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেন।

এছাড়াও একজন জেলা প্রশাসক মানবতামূলক কাজ, বিচার সংক্রান্ত কাজসহ আরও অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন- ১৫          রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা  

জনাব ‘ঢ’ বাংলাদেশে পদমর্যাদায় সবার উপরে। সংবিধান অনুযায়ী তিনি রাষ্ট্রের প্রধান। সংসদ নির্বাচনের পর তিনি ‘ণ’ কে এমন এক পদে নিযুক্ত করেন যে পদে অধিষ্ঠিত হয়ে ‘ণ’ তার ইচ্ছামতো মন্ত্রীদের নিয়ে সরকার গঠন করেন।

 ক.       সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধান কে? ১

খ.        বিচার বিভাগ রাষ্ট্রে কিরূপ দায়িত্ব পালন করে? ব্যাখ্যা কর।         ২

গ.        জনাব ‘ঢ’ এর জরুরি ক্ষমতা বর্ণনা কর।            ৩

ঘ.        জনাব ‘ণ’ এর পদমর্যাদা বিশেস্নষণ কর।           ৪

 ১৫ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধান মাননীয় রাষ্ট্রপতি।

 খ         সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। সরকারের যে বিভাগ আইন অনুসারে বিচার কাজ পরিচালনা করে থাকে তাকে বিচার বিভাগ বলে। আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি প্রদান, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার রক্ষা বহুলাংশে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল।

 গ         জনাব ‘ঢ’ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। জনাব ‘ঢ’ এর পদমর্যাদা সবার ওপর, তিনি রাষ্ট্রের প্রধান এবং সংসদ নির্বাচনের পর তিনি বর্ণিত ‘ণ’ কে এমন এক পদে নিযুক্ত করেন যে পদে অধিষ্ঠিত হয়ে ‘ণ’ পর ইচ্ছেমতো মন্ত্রীদের নিয়ে সরকার গঠন করেন। উদ্দীপকে জনাব ‘ঢ’ সম্পর্কিত এরূপ তথ্যাদি প্রমাণ করে তিনি বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপ্রতি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কিছু জরুরি ক্ষমতা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি যদি বুঝতে পারেন, যুদ্ধ, বহিঃশত্রম্নর আক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারণে বাংলাদেশ বা এর কোনো অংশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন তাহলে তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন। জরুরি অবস্থাকালে সংবিধানের কিছু বিধান ও মৌলিক অধিকারসমূহ স্থগিত থাকে।

 ঘ         জনাব ‘ণ’ বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কেননা তিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত এবং নিজের ইচ্ছেমতো মন্ত্রীদের নিয়ে সরকার গঠন করেন। উদ্দীপকের এ তথ্যসমূহ জনাব ‘ণ’ কে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্দেশ করে। তার পদমর্যাদা অনেক ঊর্ধ্বে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান। তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা, মন্ত্রিসভার প্রধান। তিনিই সকল মন্ত্রী পছন্দ করে মন্ত্রিসভা গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী যেকোনো মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা সংসদের আস্থা হারালে সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়। রাষ্ট্রপতি যাকে সংসদের অধিকাংশ সদস্যের আস্থাভাজন মনে করেন তাকেই প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। সংসদীয় ব্যবস্থার অধীনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা অনেক উপরে। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হলেও রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার মূলস্তম্ভ। প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে শাসন ক্ষমতা পরিচালিত হয়। তিনি অত্যন্ত সম্মানজনক পদমর্যাদার অধিকারী।

প্রশ্ন- ১৬          প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা 

রফিক তার বন্ধু সুমনকে বলল, যদি তোমাকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এমন পদে বসানো হয় যেখানে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেেত্র তোমার সিদ্ধান্তই মুখ্য; সেক্ষেেত্র তুমি কোন কাজটি আগে করবে? জবাবে রফিক বলল, সমাজ তথা রাষ্ট্রকে দুর্নীতিমুক্ত করতে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 ক.       ব্রিটেনের আইনসভা কত কক্ষবিশিষ্ট?    ১

খ.        সেক্রেটারিয়েট বলতে কী বোঝ? ২

গ.        উদ্দীপকের সুমনের পদের মধ্যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কোন পদের ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।         ৩

ঘ.        উদ্দীপকের সুমনকে যে পদে বসানোর কথা বলা হয়েছে তার কার্যাবলি তুলে ধর। ৪

 ১৬ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        ব্রিটেনের আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট।

 খ         সেক্রেটারিয়েট বা সচিবালয় বাংলাদেশ প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত। এটি শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ। সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়। সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার বিভাগসমূহের অফিসগুলোকে যৌথভাবে সচিবালয় বলে।

 গ         উদ্দীপকের সুমনের পদের মধ্যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ‘প্রধানমন্ত্রী’ পদের ইঙ্গিত রয়েছে। সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব সর্বত্র স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের নেতা। তিনি আইনসভার নেতা। সংসদে তার স্থান অদ্বিতীয়। তাকে কেন্দ্র করে মন্ত্রিসভা গঠিত, পরিচালিত ও বিলুপ্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী জাতির নেতা। তিনি জাতীয় নীতির ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকে কেন্দ্র করে সরকার, দেশ ও জাতি পরিচালিত হয়। তার নেতৃত্বের ওপর রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড ও উন্নয়ন নির্ভরশীল। উদ্দীপকেও দেখা যায়, রফিক তার বন্ধু সুমনকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এমন পদের কথা বলে রাষ্ট্র পরিচালনায় যে পদের সিদ্ধান্তই মুখ্য। এ থেকে বোঝা যায়, রফিক সুমনকে প্রধানমন্ত্রী পদের কথা বলেছে।

 ঘ         উদ্দীপকে সুমনকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর কথা বলা হয়েছে। কেননা রফিক তার বন্ধু সুমনকে বলে, যদি তোমাকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এমন পদে বসানো হয় যেখানে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেেত্র তোমার সিদ্ধান্তই মুখ্য সেক্ষেেত্র তুমি কোন কাজটি আগে করবে? রফিকের এরূপ প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর পদকে নির্দেশ করে। সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তার কার্যাবলি দ্বারা তিনি পুরো শাসন ব্যবস্থার কার্যকর নেতৃত্ব প্রদান করেন। সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেন। সব নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নামে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে সংসদের আইন প্রণয়ন বিষয়ক কার্যাবলি পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী সংসদের সাফল্যজনক পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা পালন করেন। সংসদে সব সদস্যের অধিকার সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অনেক। তিনি আর্থিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রণয়ন ও সংসদে উপস্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রীর বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক নীতিরই প্রতিফলন ঘটে। রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্বয়ও প্রধানমন্ত্রী করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও অধিদপ্তরের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধনে ভূমিকা রাখেন। তিনি জাতীয় নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি জাতির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন। সর্বোপরি তিনি শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু।

প্রশ্ন- ১৭           আইন বিভাগ  

বাংলাদেশ সরকার ‘চ’ বিভাগের আস্থা হারালে সরকারের পতন হবে। এক্ষেেত্র দেশে নতুন নির্বাচনের প্রয়োজন হবে। উক্ত ‘চ’ বিভাগ ১৯৯১ সালে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল।

 ক.       আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করার ক্ষমতা রয়েছে কোন প্রতিষ্ঠানের?    ১

খ.        বাংলাদেশের আইনসভার পরিচয় দাও।  ২

গ.        উদ্দীপকের ‘চ’ বিভাগ বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.        তুমি কী মনে কর ‘চ’ বিভাগ শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে? মতামত দাও।         ৪

 ১৭ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করার ক্ষমতা রয়েছে জাতীয় সংসদের।

 খ         বাংলাদেশের আইনসভার নাম ‘জাতীয় সংসদ’। জাতীয় সংসদ আইন বিভাগের একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান। সংসদ প্রণীত আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। আইনবিভাগ সরকারের একটি অংশ।

 গ         উদ্দীপকের ‘চ’ বিভাগ বাংলাদেশ সরকারের আইনবিভাগের প্রধানতম প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদকে নির্দেশ করে। জাতীয় সংসদ সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংসদের আস্থাভাজন ব্যক্তিই প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং তিনি মন্ত্রিসভা গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী সংসদের আস্থা হারালে সরকারের পতন হয়। এছাড়া সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীও সংসদে উত্থাপিত ও গৃহীত হয়। উদ্দীপকে বর্ণিত তথ্যেও দেখা যায়, বাংলাদেশ সরকার ‘চ’ বিভাগের আস্থা হারালে সরকারের পতন হবে। এক্ষেেত্র দেশে নতুন নির্বাচনের প্রয়োজন হবে। ‘চ’ বিভাগ ১৯৯১ সালে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল।

 ঘ         হ্যাঁ, আমি মনে করি ‘চ’ বিভাগ তথা আইনবিভাগ শাসন বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভাকে শাসনসংক্রান্ত সকল কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়। সরকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। সংসদ সরকারের যেকোনো ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করতে পারে তেমনি সরকারের যেকোনো মন্দ কাজের সমালোচনাও করতে পারে। সরকারকে শাসন সংক্রান্ত কাজের জন্য সংসদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের প্রতি মনোযোগ দিতে হয়। সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকারের ওপর সংসদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। সংসদ মুলতবি প্রস্তাব, নিন্দা প্রস্তাব, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিদের প্রতি প্রশ্ন বা অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে শাসন বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। সংসদ সদস্যদের আস্থা হারালে যেকোনো মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অর্থ হলো, সম্পূর্ণ মন্ত্রিসভার পদত্যাগ। ঐ অবস্থা হলে দেশে আবার নতুন করে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেটি উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে।

প্রশ্ন- ১৮          আইনসভা  

মি. আলী আজগর এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সদস্য হতে চান যে প্রতিষ্ঠানের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন। এদের মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত। তিনি প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচণের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ লাভ করে দেশ ও জনগণের সেবা করে যেতে চান।

 ক.       শাসন বিভাগের অপর নাম কী? ১

খ.        সিটি কর্পোরেশন কীভাবে গড়ে ওঠে?     ২

গ.        মি. আলী আজগর বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ লাভ করতে চান তার পরিচয় প্রদান কর।         ৩

ঘ.        উক্ত প্রতিষ্ঠানটি আইন প্রণয়ন, অর্থসংক্রান্ত এবং বিচার বিষয়ক ক্ষমতার অধিকারী- বিশ্লেষণ কর।          ৪

 ১৮ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        শাসন বিভাগের অপর নাম নির্বাহী বিভাগ।

 খ         শহরের বি¯ত্মৃত সমস্যা যেমন : পানীয় জল ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, ময়লা আবর্জনা অপসারণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের এলাকা ও কাজের ওপর এর সদস্য সংখ্যা নির্ভর করে। কর্পোরেশনে একজন মেয়র ও একজন ডেপুটি মেয়র আছেন, যারা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন।

 গ         মি. আলী আজগর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ বা আইনসভার সদস্য পদ লাভ করতে চান। তার কারণ মি. আলী আজগার এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সদস্য হতে চান যে প্রতিষ্ঠানের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন এবং এদের মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন যা জাতীয় সংসদকে নির্দেশ করে।জাতীয় সংসদ আইন বিভাগের একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান। সংসদ প্রণীত আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তারা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। সংরক্ষিত আসন ছাড়াও মহিলারা সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে সদস্যদের ভোটে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ৫ বছর।

 ঘ         মি. আলী আজগর যে প্রতিষ্ঠানের সদস্য হতে চান তা হলো জাতীয় সংসদ। আর জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়ন, অর্থসংক্রান্ত এবং বিচারবিষয়ক ক্ষমতার অধিকারী। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে তা বিশ্লেষণ করা হলো :

আইন প্রণয়ন ক্ষমতা : সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নামে একটি আইনসভা থাকবে এবং এর ওপর প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ন্যস্ত হবে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদ যেকোনো নতুন আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করতে পারে।

অর্থসংক্রান্ত ক্ষমতা : রাষ্ট্রের অর্থ কীভাবে ব্যয়িত হবে তার ওপর সংসদ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখে। সংসদের অনুমোদন ও কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো প্রকার ব্যয় করা যায় না। প্রত্যেক অর্থবছরে সরকার সংসদে বাজেট উপস্থাপন করে। সংসদ অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী সরকারকে চলতে হয়।

বিচারবিষয়ক ক্ষমতা : সংবিধান লঙ্ঘন, গুরুতর অপরাধ, দৈহিক ও মানসিক অসুস্থতা ও অক্ষমতার জন্য সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও ন্যায়পালকে অপসারণ করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে।

প্রশ্ন- ১৯          বিচার বিভাগ 

মইনুল সাহেব সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিভাগের কাজ হলো আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি প্রদান, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার রক্ষা করা। মইনুল সাহেব রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ লাভ করেছেন।

 ক.       সংসদীয় ব্যবস্থায় কে নিয়মতান্ত্রিক প্রধান?         ১

খ.        বাংলাদেশের নির্বাহী বিভাগের গঠন ব্যাখ্যা কর। ২

গ.        মইনুল সাহেব কোন বিভাগে কর্মরত? ব্যাখ্যা কর।          ৩

ঘ.        উদ্দীপকে বর্ণিত মইনুল সাহেব যে বিভাগে কর্মরত সেটির ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা কর।      ৪

 ১৯ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান।

 খ         রাষ্ট্রের শাসনকার্য তথা নিত্যদিনকার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং রাষ্ট্রের সার্বিক সিদ্ধান্ত ও সুবিধাসমূহ বাস্তবায়ন করে যে বিভাগ তাকে নির্বাহী বিভাগ বলে। বি¯ত্মৃত অর্থে রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভা, আমলা, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কূটনৈতিক, দাপ্তরিক কর্মকর্তা এমনকি গ্রাম্য চৌকিদারসহ সকল প্রশাসনিক কর্মচারীদের নিয়ে নির্বাহী বা শাসন বিভাগ গঠিত।

 গ         মইনুল সাহেব বিচার বিভাগে কর্মরত।    সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম হলো বিচার বিভাগ। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। সরকারের যে বিভাগ আইন অনুসারে বিচার কাজ পরিচালনা করে থাকে তাকে বিচার বিভাগ বলে। আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি প্রদান, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নাগরিকের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার রক্ষা বহুলাংশে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। রাষ্ট্রের সকল আদালত এবং বিচারপতিদের নিয়ে বিচার বিভাগ গঠিত হয়। উদ্দীপকেও দেখা যায়, মইনুল সাহেবের কর্মরত বিভাগের কাজ হলো আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি প্রদান, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নাগরিকদের ব্যক্তি, স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার রক্ষা করা যা বিচার বিভাগের কাজের সাতে সাদৃশ্যপূর্ণ।

 ঘ         উদ্দীপকে বর্ণিত মইনুল সাহেব যে বিভাগে কর্মরত তা হলো বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা করা হলো :

ন্যায়বিচার করা : প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং আইন অমান্যকারীর বিচার করা বিচার বিভাগের প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে বিচারকগণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে আইন অনুযায়ী ন্যায়নীতির ভিত্তিতে বিচারকার্য সম্পন্ন করেন।

আইন তৈরি : সাধারণত আইনের ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রয়োগের দায়িত্ব বিচার বিভাগের ওপর ন্যস্ত হয়। এছাড়াও বিচারকগণ নতুন আইন সংযোজন করে থাকেন।

মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ : জনগণের মৌলিক অধিকার যা সাধারণত সংবিধানে লিপিবদ্ধ থাকে তা সংরক্ষণের দায়িত্ব আদালতের ওপরই ন্যস্ত।

আইনের ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রয়োগ : বিচার বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে আইনের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা এবং সেই ব্যাখ্যা অনুযায়ী আইন প্রয়োগ করা।

সংবিধান রক্ষা করা : রাষ্ট্রীয় সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে বিচার বিভাগ কাজ করে। বিচার বিভাগ সংবিধানের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দেয়। এছাড়া বিচার বিভাগ বিরোধ নিষ্পত্তি, শাসন বিভাগকে পরামর্শ প্রদান ও বিবিধ কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।

প্রশ্ন- ২০          সচিবালয়  

আনিসকে ঢাকায় বেড়াতে নিয়ে আসেন তার চাচা। চাচার সাথে ঘুরে বেড়িয়ে এমন একটি অফিস দেখতে পায় যা কিনা বাংলাদেশ প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত। এটি শাসনব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্রস্বরূপ। সে আরও জানতে পারে মাননীয় মন্ত্রীরা এখানে অফিস করেন।

 ক.       সংবিধানের আমানতদার হিসেবে কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?      ১

খ.        জাতীয় সংসদের গঠন উল্লেখ কর।        ২

গ.        উদ্দীপকে পাঠ্যপুস্তকের যে প্রশাসনের কথা বলা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দাও।           ৩

ঘ.        তুমি কী মনে কর, স্থানীয় শাসনের সাথে এ প্রশাসনের গভীর যোগসূত্র রয়েছে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।            ৪

২০ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        সংবিধানের আমানতদার হিসেবে জাতীয় সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 খ         সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তারা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে সদস্যদের ভোটে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হবেন। সংসদের মেয়াদ ৫ বছর।

 গ         উদ্দীপকে পাঠ্যপুস্তকের কেন্দ্রীয় প্রশাসন সেক্রেটারিয়েট বা সচিবালয়ের কথা বলা হয়েছে। আনিস ঢাকায় বেড়াতে এসে এমন একটি অফিস দেখতে পায় যেটি বাংলাদেশ প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত এবং শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্রস্বরূপ। এছাড়া সে জানতে পারে, মাননীয় মন্ত্রীরা এখানে অফিস করেন যা কেন্দ্রীয় প্রশাসন সচিবালয়কে নির্দেশ করে। বাংলাদেশ সচিবালয় বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ। সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়। সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার বিভাগসমূহের অফিসগুলোকে যৌথভাবে সচিবালয় বলে। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দানুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে একজন মন্ত্রী নিযুক্ত হন। মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন সচিব। মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় কাজের ভার সচিবের ওপর ন্যস্ত থাকে। তিনি মন্ত্রীকে যাবতীয় কাজে সহায়তা করেন। বাংলাদেশের সচিবালয় হচ্ছে আমলাতান্ত্রিক। প্রশাসনিক কাঠামোর পদসোপান অনুযায়ী সর্বনিম্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হচ্ছে সহকারী সচিব। এরপরে ধাপের ক্রমানুসারে কর্মকর্তাদের পদবি যথাক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব এবং সবার উপরে মন্ত্রী অবস্থান করেন।  প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড এই কাঠামো স্তরের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হয়।

 ঘ         আমি মনে করি, স্থানীয় প্রশাসনের সাথে উদ্দীপকে উল্লিখিত কেন্দ্রীয় প্রশাসনের গভীর যোগসূত্র রয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রশাসন তথা সচিবালয়ে সরকারের সকল কাজের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর এগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরিত হয়। সেখান থেকে জেলা প্রশাসনে এবং উপজেলা প্রশাসনে প্রেরিত হয়। স্থানীয় শাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা শাসন ব্যবস্থা বোঝায়। প্রশাসনের সুবিধার্থে এর সৃষ্টি। এ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণ নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিবৃন্দ সরকারের এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য। যেমন : আমাদের দেশে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসক এবং থানা উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সচিবালয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত বিভাগে প্রেরিত হয়। এগুলো আবার জেলা প্রশাসনে এবং উপজেলা প্রশাসনে প্রেরিত হয়। তাই দেখা যায় যে, স্থানীয় শাসনের সাথে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের গভীর যোগসূত্র রয়েছে।

প্রশ্ন- ২১          জেলা পরিষদ 

জনাব মামুনুর রশিদ মানিকগঞ্জ জেলার একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। তিনি ছাড়াও উক্ত প্রতিষ্ঠানে আরও বিশজন সদস্য রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছরের জন্য গঠিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এরূপ প্রতিষ্ঠান থাকলেও বান্দরবানে এরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।

 ক.       শহর এলাকার স্থানীয় শাসন সংস্থাটির নাম কী?  ১

খ.        রাষ্ট্রপতির বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতা কিরূপ?          ২

গ.        জনাব মামুনুর রশিদ যে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার আবশ্যিক কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর।       ৩

ঘ.        উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিধি কেবলমাত্র আবশ্যিক কার্যাবলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ- তুমি কি বক্তব্যটি সমর্থন কর? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।           ৪

 ২১ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        শহর এলাকার স্থানীয় শাসন সংস্থাটির নাম হচ্ছে পৌরসভা।

 খ         বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থায় নামেমাত্র একজন রাষ্ট্রপতি থাকেন। তিনি সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়োগ করেন। তিনি যেকোনো দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির দণ্ড হ্রাস, মওকুফ বা মার্জনা করতে পারেন।

 গ         জনাব মামুনুর রশিদ জেলা পরিষদের সদস্য। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার যে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সেটি পাঁচ বছরের জন্য গঠিত হয়েছে এবং এরূপ প্রতিষ্ঠান বান্দরবান জেলায় অনুপস্থিত। এছাড়া উক্ত প্রতিষ্ঠানে তিনি ছাড়া আরও বিশজন সদস্য রয়েছেন যা জেলা পরিষদকে নির্দেশ করে। জেলা পরিষদের আবশ্যিক কার্যাবলি হলো :

১.         জেলার সকল উন্নয়ন কার্যক্রমের পর্যালোচনা।

২.        উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা কর্তৃক প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা।

৩.        সাধারণ পাঠাগারের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ।

৪.        জনপথ, কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন।

৫.        রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণ।

৬.        উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা।

৭.        উপজেলা ও পৌরসভাকে সহায়তা, সহযোগিতা এবং উৎসাহ প্রদান।

৮.        সরকার কর্তৃক জেলা পরিষদের উপর অর্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।

৯.        সরকার কর্তৃক আরোপিত অন্যান্য কাজ।

এসব কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে জেলা পরিষদ জেলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 ঘ         উক্ত প্রতিষ্ঠানটি হলো জেলা পরিষদ। উক্ত প্রতিষ্ঠানের অর্থাৎ জেলা পরিষদের কার্যাবলি কেবলমাত্র আবশ্যিক কার্যাবলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ বক্তব্যটি আমি সমর্থন করি না। কেননা জেলা পরিষদকে আবশ্যিক কার্যাবলি ছাড়াও ঐচ্ছিক কার্যাবলি সম্পাদন করতে হয়। জেলা পরিষদ ঐচ্ছিক কার্যাবলির অংশ হিসেবে শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজকল্যাণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য ও গণপূর্ত বিষয়ক বি¯ত্মৃত কার্যক্রম গ্রহণ করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্থ মজুরি প্রদান ও শিক্ষার উন্নয়নের সহায়ক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ, জনসাধারণের জন্য ক্রীড়া ও খেলাধুলা উন্নয়ন, তথ্যকেন্দ্র স্থাপন, জাতীয় দিবস উদ্যাপন, নাগরিক শিক্ষার প্রসার, দুস্থ ব্যক্তিদের জন্য কল্যাণকর, আশ্রয় সদন, বিধবা সদন, এতিমখানা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন জুয়া, মাদকদ্রব্য সেবন, কিশোর অপরাধ ও অন্যান্য সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ, সালিসি ও আপসের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ, অর্থনৈতিক উন্নয়নে আদর্শ কৃষি খামার স্থাপন, উন্নত কৃষি পদ্ধতি জনপ্রিয়করণ, কৃষি যন্ত্রপাতির সংরক্ষণ ও সরবরাহ, পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত, সেচের পানি সরবরাহ, জমানো ও নিয়ন্ত্রণ, বনভূমি সংরক্ষণ, গ্রামাঞ্চলের শিল্পসমূহের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ এবং উৎপাদিত সামগ্রীর বাজারজাতকরণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন, পানি নিষ্কাশন ও অন্যান্য জনহিতকর কাজ জেলা পরিষদের ঐচ্ছিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত। এভাবে জেলা পরিষদ স্থানীয় এলাকাবাসী ধর্মীয়, নৈতিক ও বৈষয়িক উন্নতি সাধনের জন্য কাজ করে।

প্রশ্ন- ২২          পৌরসভার কার্যাবলি 

মনজুর সাহেব ‘ক’ পৌরসভার চেয়ারম্যান। তিনি উক্ত পৌরসভায় একটি মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার পৌরসভায় বসবাসরত জনসাধারণের পারিবারিক সমস্যা সমাধানে তিনি সদা তৎপর থাকেন। সৎ ও যোগ্য চেয়ারম্যান হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।

 ক.       উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?     ১

খ.        ইউনিয়ন পরিষদ এদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান- ব্যাখ্যা কর।          ২

গ.        মনজুর সাহেবের কার্যাবলির মধ্যে পৌরসভার কোন কোন কাজের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।           ৩

ঘ.        উক্ত কার্যাবলি ছাড়াও মনজুর সাহেবের রয়েছে আরও নানাবিধ কাজ- বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর।      ৪

 ২২ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

 খ         ইউনিয়ন পরিষদ এদেশের সর্বাপেক্ষা প্রচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান। চৌকিদার পঞ্চায়েত আইন ১৮৭০ এর মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় স্থানীয় আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন কমিটি, ১৯১৯ সালে পলিস্ন আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন বোর্ড এবং ১৯৭৬ সালে স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ নাম ধারণ করেছে।

 গ         মনজুর সাহেবের কার্যাবলির মধ্যে পৌরসভার যেসব কাজের প্রতিফলন ঘটেছে তাহলো জনস্বাস্থ্য বিষয়ক ও সালিসি কার্যক্রম পরিচালনা। মনজুর সাহেব ‘ক’ পৌরসভার চেয়ারম্যান। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কাজের আওতায় পৌরসভা সরকারি রাস্তা, পায়খানা, ডাস্টবিন, পয়ঃপ্রণালির ময়লা ও আবর্জনা অপসারণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাছাড়া চিকিৎসা কেন্দ্র, মাতৃসদন, শিশুসদন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার, দূষিত ও ভেজাল খাদ্য ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি পৌরসভার জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজ। মনজুর সাহেব ‘ক’ পৌরসভায় একটি মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কাজের অন্তর্ভুক্ত। পৌরসভায় বসবাসরত জনসাধারণের জরিমানা সংক্রান্ত সমস্যা, সীমানা নির্ধারণ, পারিবারিক সমস্যা ও ঝগড়াঝাটি মীমাংসা করার জন্য পৌরসভা সালিসি উদ্যোগ নিতে পারে এবং মধ্যস্থতা করতে পারে। এক্ষেেত্র ওয়ার্ড কমিশনার এবং প্রয়োজনে চেয়ারম্যান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখেন। উদ্দীপকের মনজুর সাহেব তার পৌরসভায় বসবাসরত জনসাধারণের পারিবারিক সমস্যা সমাধানে সদা তৎপর থাকেন, যা সালিসি কার্যক্রম পরিচালনাকে নির্দেশ করে।

 ঘ         মনজুর সাহেব ‘ক’ পৌরসভার চেয়ারম্যান। উদ্দীপকে তার কাজের মধ্যে পৌরসভার সালিসি কার্যক্রম পরিচালনা ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কাজের প্রতিফলন রয়েছে। উক্ত কার্যাবলি ছাড়াও মনজুর সাহেবের আরও অনেক কাজ রয়েছে। কেননা পৌরসভা উক্ত কাজ ছাড়া আরও অনেক কাজ করে থাকে। যেমন :

পরিকল্পনামূলক : শহর ও এর অন্তর্গত এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য পৌরসভা বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে। শহর এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সড়ক বা মহাসড়ক ও আবাসিক এলাকার বিন্যাস করতে পারে।

জননিরাপত্তামূলক : পৌরসভা অগ্নি নিরোধ ও নির্বাপণের ব্যবস্থা করে থাকে। তাছাড়া বন্যা, মহামারী, দুর্ভিক্ষ, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে জনজীবন রক্ষা সংক্রান্ত কাজ করে।

শিক্ষাসংক্রান্ত : পৌরসভার শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যাবলি হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হোস্টেল নির্মাণ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি, বিনামূল্যে বই বিতরণ, বাধ্যতামূলক ও গণশিক্ষার ব্যবস্থাকরণ ইত্যাদি।

রাস্তাঘাটের উন্নয়ন : জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য পৌরসভা রাস্তা নির্মাণ, নামকরণ ও সংরক্ষণ করে। রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, এতে আলোর ব্যবস্থা করা এবং যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা পৌরসভার কাজ। এছাড়া পৌরসভা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সমাজকল্যাণ ও বাসস্থান সংক্রান্ত কাজ করে থাকে।

সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষেিত বলা যায় যে, ‘ক’ পৌরসভার চেয়ারম্যান মনজুর সাহেব নানাবিধ কাজ করে থাকেন।

প্রশ্ন- ২৩          সিটি কর্পোরেশন  

ঢাকা উত্তরের বাসিন্দা সোহেল। সে মনে করে ঢাকাকে উত্তর ও দক্ষেিণ বিভক্ত করায় তার নাগরিক সুবিধাদি সংরক্ষতি ও নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশের নগরগুলোতে যেভাবে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার স্রোত তাতে প্রশাসনিক সুবিধাদি নিশ্চিত করতে এ ধরনের পদক্ষপে ভবিষ্যতে আরও বি¯ত্মৃত হবে বলেই তার বিশ্বাস।

 ক.       স্থানীয় শাসন কী?          ১

খ.        স্থানীয় শাসন সৃষ্টি হয়েছে কেন? ২

গ.        উদ্দীপকে সোহেলের চিন্তাভাবনায় বাংলাদেশের কোন স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের রূপ ধরা পড়েছে? বর্ণনা কর।     ৩

ঘ.        উক্ত স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যে প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত আধুনিককালে রাষ্ট্র পরিচালনায় তার গুরুত্ব বিশেস্নষণ কর। ৪

 ২৩ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        স্থানীয় শাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয়/জেলা এবং উপজেলা শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায়।

 খ         প্রশাসনের সুবিধার্থে স্থানীয় শাসনের সৃষ্টি। এ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণকে নি¤্ন পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে সংশিস্নষ্ট কর্তা ব্যক্তিবৃন্দ সরকারের এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য। যেমন : আমাদের দেশে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসক এবং থানা/ উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

 গ  উদ্দীপকে সোহেলের চিন্তাভাবনায় বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের রূপ ধরা পড়েছে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, কুমিলস্না, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে আইনের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষণি নামে দুটো কর্পোরেশন হিসেবে বিভক্ত করা হয়েছে। উদ্দীপকের সোহেল ঢাকা উত্তরের বাসিন্দা। সিটি কর্পোরেশনের এলাকা ও কাজের ওপর এর সদস্যসংখ্যা নির্ভর করে। কর্পোরেশনে একজন মেয়র ও একজন ডেপুটি মেয়র আছেন, যারা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। শহরের বি¯ত্মৃত সমস্যা যেমন : পানীয় ও জল ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, ময়লা আবর্জনা অপসারণ ও ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়েছে। তাই সিটি কর্পোরেশনের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বর্ধিত জনসংখ্যার নাগরিক সুবিধাদি নিশ্চিত হয়। উদ্দীপকে সোহেলের চিন্তাভাবনায় যা ধরা পড়ে।

 ঘ         উদ্দীপকে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের পরিচয় ফুটে উঠেছে। আর সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আধুনিককালে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেেত্র স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্ব যে কত বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে রাষ্ট্রের আয়তন ও জনসংখ্যা বিশাল। রাজধানীতে বসে কেন্দ্রীয় সরকারের একার পক্ষে দেশের সর্বত্র সুষ্ঠুভাবে শাসন কার্যপরিচালনা, নানা বিষয়ে দৈনন্দিন নজর রাখা, স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর ও সঠিক সময়ে পদক্ষপে গ্রহণ, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত এবং অঞ্চল নির্বিশেষে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা দ্বারা তা সম্ভবপর হয়।স্থানীয় শাসনের শ্রেষ্ঠত্ব হলো এই যে, এর ফলে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষতিা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা মুক্ত থেকে স্থানীয় পর্যায়ে এলাকাভেদে বিশেষ প্রয়োজন, বৈচিত্র্য ও বাস্তবতার আলোকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও স্থানীয় উন্নয়নে ত্বরিত উদ্যোগ বা পদক্ষপে গ্রহণ সম্ভব হয়। এ ব্যবস্থা স্থানীয় শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ, তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তি বা বুনিয়াদকে সুদৃঢ় করতে সহায়ক হয়।

অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন- ২৪          ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলি  

সুমনের বাবা ফরিদপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সর্বপ্রথম এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা স্থাপনে মনোযোগী হন। তিনি গরিব লোকদের কর্মের ব্যবস্থাসহ নানামুখী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন। উদার, কর্মঠ ও সাহসী এ চেয়ারম্যানকে নিয়ে তার এলাকার লোকজন গর্ববোধ করে।

 ক.       কে প্রধান বিচারপতির নিয়োগ দেন?      ১

খ.        প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক ক্ষমতা কিরূপ? ২

গ.        সুমনের বাবা ইউনিয়ন পরিষদের যে কার্যাবলি সম্পাদন করেছেন তার ব্যাখ্যা দাও।          ৩

ঘ.        তুমি কি মনে কর, উদ্দীপকে উলিস্নখিত বিষয়গুলো ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ অনেক কাজ করে থাকে? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।           ৪

২৪ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন।

 খ         প্রধানমন্ত্রী আর্থিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রণয়ন ও সংসদে উপস্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রীর বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক নীতিরই প্রতিফলন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহে অর্থ মঞ্জুরি প্রদান করেন।

 গ         সুমনের বাবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কাজ করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান কার্যাবলির মধ্যে জনশৃঙ্খলা রক্ষা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে কিছু চৌকিদার ও দফাদার নিয়োগ করা হয়। অপরাধ, বিশৃঙ্খলা ও চোরাচালান বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, ঝগড়া-বিবাদ নিরসনে ভূমিকা পালন ইউনিয়ন পরিষদের জনশৃঙ্খলা রক্ষামূলক কাজ। সুমনের বাবা ফরিদপুরের একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে প্রথমে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা স্থাপনে মনোযোগী হন। এটি জনশৃঙ্খলা রক্ষামূলক কাজ। অতঃপর তিনি গরিব লোকদের কর্মের ব্যবস্থাসহ নানামুখী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন। এটি তার স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কাজ। কেননা স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কাজের আওতায় এলাকার কৃষি উন্নয়নের জন্য যাবতীয় পদক্ষপে গ্রহণ, গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়ন সাধন, বাজার সৃষ্টি, মৎস্য চাষ ও পশু পালনের উন্নত পদ্ধতি সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিতকরণ, উন্নত বীজ, চারা ও সার বিতরণের সুষ্ঠু ব্যবস্থা সৃষ্টি করা, জনগণের আয় বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমে পরামর্শ প্রদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাঁধ নির্মাণ প্রভৃতি কাজ ইউনিয়ন পরিষদ সম্পাদন করে।

 ঘ         উদ্দীপকে ইউনিয়ন পরিষদের জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কাজ উলিস্নখিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ এসব কাজ ছাড়া আরও অনেক কাজ করে থাকে বলে আমি মনে করি। যেমন :

জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা : ইউনিয়নে অবস্থিত কৃষি, স্বাস্থ্য, মৎস্য, পশুপালন ও শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার সেবা ও কার্যক্রম জনগণকে অবহিতকরণ এবং গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্থার কর্মসূচির অধীনে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, দারিদ্র্যবিমোচন, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, আত¥কর্মসংস্থান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানতম কার্যাবলির মধ্যে পড়ে।

প্রশাসনিক কাজ : সচিব, গ্রাম পুলিশ ও পরিষদের অন্য কর্মচারীদের পরিচালনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করা, সকল সভা আহ্বান, বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রেরণ করা, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন ইত্যাদিও ইউনিয়ন পরিষদ করে থাকে। ইউনিয়ন পরিষদ কিছু ঐচ্ছিক কাজও করে থাকে। জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা, বিধবা, এতিম, গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যকরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থাকরণ, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার তদারকি এবং ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া ইউনিয়ন পরিষদের ঐচ্ছিক কাজ। এ ছাড়া সকল প্রকার শুমারি পরিচালনার দায়িত্ব পালন, সরকারি সম্পত্তি যেমন : সড়ক, সেতু, খাল, বাঁধ, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি ইউনিয়ন পরিষদের ঐচ্ছিক কাজের অন্তর্ভুক্ত।

অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)

প্রশ্ন- ২৫          ইউনিয়ন পরিষদের গঠন  কার্যাবলি 

জসিম উদ্দিন সিলেটের অধিবাসী। তিনি যে এলাকার বাসিন্দা সেখানে একবার পানির সংকট দেখা দেয়। ফলে পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়। তখন সে এলাকার বাসিন্দারা একটি দায়িত্বশীল সংস্থার কাছে তাদের সমস্যার বিষয়টি জানায়। সংস্থার পক্ষ থেকে পানির সংকট দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

ক.        বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সাংবিধানিক পদবি কী?    ১

খ.        জাতীয় সংসদের গঠন পদ্ধতি কিরূপ?   ২

গ.        উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থার সাথে পাঠ্যবইয়ের কোন সংস্থার মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।      ৩

ঘ.        উক্ত সংস্থাটি নাগরিক সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখে- উক্তিটির সপক্ষে যুক্তি দেখাও।     ৪

 ২৫ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সাংবিধানিক পদবি হলো প্রধানমন্ত্রী।

 খ         বাংলাদেশের আইনসভার নাম ‘জাতীয় সংসদ’। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে ৩০০ জন জনগণের  প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষতি। তারা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। সংরক্ষতি আসন ছাড়াও মহিলারা সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সংসদ সদস্যদের মধ্যে থেকে সদস্যদের ভোটে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হবেন। সংসদের মেয়াদ ৫ বছর।

            ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

 গ         ইউনিয়ন পরিষদের গঠন বর্ণনা কর।

 ঘ         ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলি বিশেস্নষণ কর।

প্রশ্ন- ২৬         বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ক্ষমতা কার্যাবলি 

বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমাদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধী ব্যক্তিকে এবং আইন অমান্যকারী ব্যক্তিকে সঠিক বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের একটি বিভাগের অন্যতম প্রধান কাজ। এছাড়াও এই বিভাগ সাধারণ আইনের ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রয়োগের দায়িত্ব পালনসহ নতুন আইন সংযোজন করে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকে।

ক.        বাংলাদেশে ইউনিয়নের সংখ্যা কত?      ১

খ.        ইউনিয়ন পরিষদ কীভাবে গঠিত হয়?     ২

গ.        উদ্দীপকে যে বিভাগের কার্যাবলির প্রতিফলন ঘটেছে তার ব্যাখ্যা দাও।     ৩

ঘ.        উক্ত কার্যাবলি ছাড়াও এ বিভাগের আরও কার্যাবলি রয়েছে-বিশ্লেষণ কর। ৪

 ২৬ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪,৪৬৬টি।

 খ         গড়ে ১০-১৫টি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। এর একজন নির্বাচিতা চেয়ারম্যান, ৯ জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিন জন নির্বাচিত মহিলা সদস্য (সংরক্ষতি আসনে) থাকবেন। একটি ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে একজন করে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন সাধারণ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। মহিলা সদস্যগণ প্রতি ৩ ওয়ার্ডে ১ জন এই ভিত্তিতে পুরুষ ও মহিলা সকলের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকাল ৫ বছর।

            ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

 গ         বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।

 ঘ         বিচার বিভাগের কার্যাবলি বিশেস্নষণ কর।

প্রশ্ন- ২৭          উপজেলা প্রশাসন 

জনাব হাসান জাকির বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর তৃতীয় স্তরের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি ভূমি উন্নয়নসহ ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করে থাকেন। তার নেতৃত্বেই ভূমির খাজনা আদায় করা হয়।

ক.        সরকারের কয়টি বিভাগ আছে? ১

খ.        দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা কী?      ২

গ.        জনাব হাসান জাকির প্রশাসনের কোন পদে রয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।          ৩

ঘ.        জনাব হাসান জাকিরের উক্ত কাজটি একটি খণ্ডচিত্র মাত্র- মূল্যায়ন কর।            ৪

 ২৭ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        সরকারের তিনটি বিভাগ আছে।

 খ         গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সরকারি দলের নেতা। তিনি সংসদ ও সংসদের বাইরে দলের নীতি-নির্ধারণ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন। দলীয় নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ভূমিকা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিরোধী দলের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

            ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

 গ         উপজেলা প্রশাসন সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।

 ঘ         উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যাবলি বিশেস্নষণ কর।

প্রশ্ন- ২৮         ইউনিয়ন পরিষদ 

ইমরান সাহেব তার এলাকার প্রাপ্তবয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তার অফিসে তিনি প্রধান। তার অধীনস্থ আরও ১২ জন

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তিনি জনগণের কল্যাণের জন্য নলকূপ স্থাপন ও বৃক্ষরোপণ করেন। মানুষের জন্য কাজ করার পরও তিনি দুশ্চিন্তায় থাকেন। কারণ দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে অপসারণ করতে পারেন।           

ক.        সংসদ মুলতবি রাখতে পারেন কে?         ১

খ.        স্থানীয় প্রশাসন বলতে কী বোঝায়?         ২

গ.        ইমরান সাহেব কোন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যাখ্যা কর।           ৩

ঘ.        উদ্দীপকে বর্ণিত কাজগুলো কি ঐ স্থানীয় সরকারের জন্য যথেষ্ট? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।         ৪

 ২৮ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        সংসদ মুলতবি রাখতে পারেন রাষ্ট্রপতি।

 খ         স্থানীয় প্রশাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয় জেলা এবং উপজেলাভিত্তিক শাসনব্যবস্থাকে বোঝায়। এ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণকে নি¤্ন পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।  কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে সংশিস্নষ্ট কর্তা ব্যক্তিবৃন্দ সরকারের এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য। যেমন- আমাদের দেশে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসক এবং থানা/উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

            ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

 গ         ইউনিয়ন পরিষদের গঠন ব্যাখ্যা কর।

 ঘ         ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলি বিশেস্নষণ কর।

অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর         

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ প্রশাসন পরিচালনা কয় ধরনের?
উত্তর : প্রশাসন পরিচালনা দুই ধরনের।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ আইনসভা কাদের নিয়ে গঠিত?
উত্তর : নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আইনসভা গঠিত।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম কী?
উত্তর : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম হচ্ছে কংগ্রেস।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ প্রধানমন্ত্রীকে নিযুক্ত করেন কে?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রীকে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ কার অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা রয়েছে?
উত্তর : রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ কার ভাষণের ওপর সংসদ আলোচনা করে?
উত্তর : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদ আলোচনা করে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ বাংলাদেশের সরকার প্রধান কে?
উত্তর : বাংলাদেশের সরকার প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ সংসদীয় ব্যবস্থায় কে মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর বণ্টন করেন?
উত্তর : সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর বণ্টন করেন।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ সংসদীয় ব্যবস্থায় কাকে কেন্দ্র করে শাসন বিভাগ পরিচালিত হয়?
উত্তর : সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে শাসন বিভাগ পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলার জন্য কোনটি প্রয়োজন?
উত্তর : দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলার জন্য সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রয়োজন।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ জাতীয় সংসদের কতটি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত?
উত্তর : জাতীয় সংসদের ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ বাংলাদেশ কখন স্বাধীনতা অর্জন করে?
উত্তর : বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন করে।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ রাষ্ট্রীয় সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে কোন বিভাগ কাজ করে?
উত্তর : রাষ্ট্রীয় সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে বিচার বিভাগ কাজ করে।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় ভার কার ওপর ন্যস্ত?
উত্তর : মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় ভার সচিবের ওপর ন্যস্ত।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ সরকারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম কোথায় গৃহীত হয়?
উত্তর : সরকারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?
উত্তর : প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হচ্ছেন সহকারী সচিব।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ কোনটি শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ?
উত্তর : সচিবালয় শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি বিভাগ রয়েছে?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে ৭টি বিভাগ রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ কেন্দ্রের পরেই কোনটির স্থান?
উত্তর : কেন্দ্রের পরই বিভাগীয় প্রশাসনের স্থান।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ বাংলাদেশে সরকারের রাজস্ব বিষয়ক কর্মকর্তা কে?
উত্তর : বাংলাদেশে সরকারের রাজস্ব বিষয়ক কর্মকর্তা হলেন বিভাগীয় কমিশনার।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ বর্তমানে বাংলাদেশে উপজেলা কতটি?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে উপজেলা ৪৮৬টি।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ বর্তমানে বাংলাদেশে জেলার সংখ্যা কতটি?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে জেলার সংখ্যা ৬৪টি।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ একটি ইউনিয়নে কতটি ওয়ার্ড থাকে?
উত্তর : একটি ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ড থাকে।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি পৌরসভা আছে?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে ৩১৬টি পৌরসভা আছে।
প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ।
প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ ইউনিয়ন বোর্ড কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ইউনিয়ন বোর্ড ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ২৮ ॥ সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের কথা আছে?
উত্তর : সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের কথা আছে।
প্রশ্ন ॥ ২৯ ॥ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে কয়টি কর্পোরেশনে বিভক্ত করা হয়েছে?
উত্তর : ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুইটি কর্পোরেশনে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৩০ ॥ বাংলাদেশের আইনসভার সাধারণ সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভার সাধারণ সদস্য সংখ্যা ৩০০ জন।
প্রশ্ন ॥ ৩১ ॥ প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভা তার কাজের জন্য কার নিকট দায়ী থাকেন?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভা তার কাজের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকেন।
প্রশ্ন ॥ ৩২ ॥ একটি দেশের ন্যায়বিচারের মানদণ্ড কোনটি?
উত্তর : একটি দেশের ন্যায়বিচারের মানদণ্ড হচ্ছে বিচার বিভাগ।
প্রশ্ন ॥ ৩৩ ॥ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিকদের স্বাধীনতা রক্ষার ব্যবস্থা করে কোনটি?
উত্তর : গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিকদের স্বাধীনতা রক্ষায় ব্যবস্থা করে বিচার বিভাগ।
প্রশ্ন ॥ ৩৪ ॥ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন?
উত্তর : সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন।


অনুধাবনমূলকপ্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ নির্বাহী বা শাসন বিভাগ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : রাষ্ট্রের শাসনকার্য তথা নিত্যদিনকার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং রাষ্ট্রের সার্বিক সিদ্ধান্ত ও সুবিধাসমূহ বাস্তবায়ন করে যে বিভাগ তাকে শাসন বিভাগ বলে। বি¯ত্মৃত অর্থে রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভা, আমলা, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কূটনৈতিক, দাপ্তরিক কর্মকর্তা এমনকি গ্রাম্য চৌকিদারসহ সকল প্রশাসনিক কর্মচারীদের নিয়ে নির্বাহী বা শাসন বিভাগ গঠিত।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বাংলাদেশের আইন বিভাগ সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : সরকারের তিনটি বিভাগের একটি হচ্ছে আইন বিভাগ। আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন এবং
য়োজনবোধে প্রচলিত আইনের সংশোধন বা রদবদল করে থাকে। আইনসভা নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের
য়ে কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। আইনসভা প্রণীত আইন
ষ্ট্রপ্রধানের সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বিচার বিভাগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সরকারের যে বিভাগ আইন অনুসারে বিচার কাজ পরিচালনা করে থাকে তাকে বিচার বিভাগ
লে। আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি প্রদান, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার
ক্ষা বহুলাংশে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। রাষ্ট্রের সকল আদালত এবং
চারপতিদের নিয়ে বিচার বিভাগ গঠিত হয়। 
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সরকারি দলের নেতা। তিনি সংসদ ও সংসদের বাইরে দলের নীতি-
র্ধারণ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন। দলীয় নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ভূমিকা রাজনৈতিক
তিশীলতা ও বিরোধী দলের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ জাতীয় সংসদ কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর : সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত।
দের মধ্যে ৩০০ জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যেমে নির্বাচিত হবেন। ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য
রক্ষিত। তারা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। সংরক্ষিত আসন ছাড়াও মহিলারা সাধারণ আসনে
তিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে সদস্যদের ভোটে একজন স্পিকার ও একজন
পুটি স্পিকার নির্বাচিত হবেন।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ উপজেলা প্রশাসন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : আমাদের দেশে উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক স্তর। উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। যিনি জেলা প্রশাসক এবং জেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রেরিত আদেশ এবং অন্যান্য কাজের সমন্বয় করে থাকেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য।
পজেলার সকল উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কাজ তদারকি করা তাঁর দায়িত্ব।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ উপজেলা পরিষদ কীভাবে গঠিত হবে?
উত্তর : আইনের বিধান অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ গঠিত হবে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে-
ক.        চেয়ারম্যান;

খ.         ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান, যার মধ্যে একজন নারী;

গ.        উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান;

ঘ.         উপজেলার এলাকাভুক্ত পৌরসভার মেয়র;

ঙ.        সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত মহিলা সদস্যগণ।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ পৌরসভার গঠন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে ছোট বড় মোট ৩১৬টি পৌরসভা আছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে
র্বাচিত একজন চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ডভিত্তিক কয়েকজন নির্বাচিত সদস্য নিয়ে পৌরসভা গঠিত হয়।
দস্যগণ কমিশনার নামে পরিচিত। দেশের সকল পৌরসভার সদস্য-সংখ্যা সমান নয়। পৌর এলাকার আয়তন ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে সদস্য সংখ্যা কমবেশি হতে পারে। পৌরসভার কার্যকাল পাঁচ বছর।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ রাষ্ট্রপতির সংসদ আইন বিষয়ক ক্ষমতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রাষ্ট্রপতি সংসদ আহ্বান করেন। প্রতিটি নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে ও প্রতি নতুন বছরের অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণদান করেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদ আলোচনা করে। সময়ে সময়ে তিনি সংসদে বাণীও প্রেরণ করেন। তিনি সংসদ মুলতবি রাখতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রী লিখিত পরামর্শে ভেঙে দিতে পারেন।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ জাতীয় সংসদের অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা কিরূপ?
উত্তর : রাষ্ট্রের অর্থ কীভাবে ব্যয়িত হবে তার ওপর সংসদ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখে। সংসদের অনুমোদন ও কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো প্রকার ব্যয় করা যায় না। আবার কোনো কর আরোপ বা কর সংগ্রহ করতেও সংসদের অনুমতি নিতে হয়। প্রত্যেক অর্থবছর সরকার সংসদে বাজেট উপস্থাপন করে। সংসদ অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী সরকারকে চলতে হয়। মোটকথা রাষ্ট্রীয় ও সরকারি সকল ব্যয় সংসদের সম্মতির ভিত্তিতে করতে হয়।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ জেলা পরিষদের গঠন প্রণালি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশ সরকার ৬ই জুলাই ২০০০ সালে জেলা পরিষদ আইন- ২০০০ প্রবর্তন করে। আইনের বিধান অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ও বান্দরবান পার্বত্য জেলাসমূহ ব্যতীত অন্য জেলায় জেলা পরিষদ গঠনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষতি আসনের পাঁচজন মহিলা সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত। একটি নবগঠিত জেলা পরিষদের মেয়াদ বা কার্যকাল থাকবে পাঁচ বছর।


সংক্ষপ্তিপ্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ সরকারের তিনটি মৌলিক বিভাগের নাম লিখ।
উত্তর : সরকারের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য বিভিন্ন বিভাগ বা অঙ্গ রয়েছে। সরকারের তিনটি মৌলিক বিভাগ হলো :
১. নির্বাহী বা শাসন বিভাগ; ২. আইন বিভাগ; ৩. বিচার বিভাগ।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ জাতীয় সংসদ কীভাবে শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত এবং এই নিয়ন্ত্রণটি আইন বিভাগের দ্বারা কার্যকর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভাকে শাসনসংক্রান্ত সকল কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়। সরকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। সংসদ সরকারের যেকোনো ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করতে পারে তেমনি সরকারের যেকোনো মন্দ কাজের সমালোচনাও করতে পারে। এভাবে জাতীয় সংসদ শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে। 

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বর্তমানে রাষ্ট্রের আয়তন ও জনসংখ্যা বিশাল। রাজধানীতে বসে কেন্দ্রীয় সরকারের একার পক্ষে দেশের সর্বত্র সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য-পরিচালনা, নানা বিষয়ে দৈনন্দিন নজর রাখা, স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর ও সঠিক সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত এবং অঞ্চল নির্বিশেষে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা দ্বারা তা সম্ভবপর হয়।স্থানীয় শাসনের শ্রেষ্ঠত্ব হলো এই যে, এর ফলে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা মুক্ত থেকে স্থানীয় পর্যায়ে এলাকাভেদে বিশেষ প্রয়োজন, বৈচিত্র্য ও বাস্তবতার আলোকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও স্থানীয় উন্নয়নে ত্বরিত উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হয়। এ ব্যবস্থা স্থানীয় শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ, তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তি বা বুনিয়াদকে সুদৃঢ় করতে সহায়ক হয়।

বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর        

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান। তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা, মন্ত্রিসভার প্রধান এবং তাকে কেন্দ্র করে শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়। নিচে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি ব্যাখ্যা করা হলো :

১.         শাসন বিষয়ক ও নির্বাহী ক্ষমতা : প্রধানমন্ত্রী পুরো শাসন ব্যবস্থার কার্যকর নেতৃত্ব প্রদান করেন। সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেন। সকল নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নামে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর বণ্টন করেন। বিচার, অর্থ, পররাষ্ট্র এবং শাসন বিষয়ক সকল কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও মতামত অনুযায়ী পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেন।

২.         আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা : আইন প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জাতীয় সংসদে সরকারি বিলের পৃষ্ঠপোষকতা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে সংসদের আইন প্রণয়ন বিষয়ক কার্যাবলি পরিচালিত হয়।

৩.        সংসদ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা : প্রধানমন্ত্রী সংসদের নেতা। প্রধানমন্ত্রী সংসদের সাফল্যজনক পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা পালন করেন। বিরোধী দলের আস্থা অর্জন ও সহযোগিতা পেতে তিনি নেতৃত্বদান করেন। সংসদে সকল সদস্যের অধিকার সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অনেক। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সংসদ আহ্বান, স্থগিত বা ভেঙে দেন।

৪.         অর্থবিষয়ক ক্ষমতা : প্রধানমন্ত্রী আর্থিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রণয়ন ও সংসদে উপস্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রীর বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক নীতিরই প্রতিফলন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহে অর্থ মঞ্জুরি প্রদান করেন।

৫.        রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রী : রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্বয় প্রধানমন্ত্রী করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু প্রশাসনের কেন্দ্রে অবস্থিত তাই সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও অধিদপ্তরের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি আন্তমন্ত্রণালয় সভার সভাপতিত্ব করেন।

৬.        জাতির মুখপাত্র হিসেবে প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি জাতির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। যেকোনো জাতীয় সংকট সম্পর্কে দেশবাসীকে জানান, দেশের হয়ে বিবৃতি ও বক্তৃতা দেন।

৭.        দলের নেতা : গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সরকারি দলের নেতা। সংসদ ও সংসদের বাইরে দলের নীতি-নির্ধারণ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি ভূমিকা রাখেন। দলীয় নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ভূমিকা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিরোধী দলের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সুতরাং প্রধানমন্ত্রী দেশের শাসন পরিচালনা, আইন প্রণয়ন, অর্থব্যবস্থার ওপর তদারকি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সর্বক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। তিনিই সংসদ নেতা, মন্ত্রিসভার নেতা, তদুপরি শাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ‘জাতীয় সংসদই শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে’- উক্তিটি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে লিখ।

উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।  গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত এবং এই নিয়ন্ত্রণটি আইন বিভাগের দ্বারা কার্যকর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভাকে শাসনসংক্রান্ত সকল কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়। সরকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। সংসদ সরকারের যেকোনো ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করতে পারে তেমনি সরকারের যেকোনো মন্দ কাজের সমালোচনাও করতে পারে। সরকারকে সকল শাসন সংক্রান্ত কাজের জন্য সংসদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের প্রতি মনোযোগ দিতে হয়। সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকারের উপর সংসদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। সংসদ মুলতবি প্রস্তাব, নিন্দা প্রস্তাব, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীদের প্রতি প্রশ্ন বা অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে শাসন বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। এভাবেই জাতীয় সংসদ শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বিচার বিভাগ কীভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য এবং স্বাধীনতা বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ন্যায় ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুসংগঠিত ও সুপরিচালিত। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্ট সংবিধান বহির্ভূত বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করে শাসনতন্ত্রকে সুনির্দিষ্ট গতিপথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের মাধ্যমে আইনের অনুশাসনকে অক্ষুণ্ণ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সজীব রাখে।বিচার বিভাগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিকদের স্বাধীনতা রক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে। ব্যক্তির মৌলিক অধিকার যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সেজন্য বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, বিচার বিভাগ ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করে। নাগরিকদের নাগরিক অধিকার ও সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক অধিকার রক্ষা করার মাধ্যমে এ বিভাগ ব্যক্তি স্বাধীনতার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। এ অধিকার সংরক্ষণ করতে গিয়ে বিচার বিভাগকে কয়েকটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। এ পদ্ধতিগুলো হচ্ছে : হেবিয়াস কর্পাস রিট, ম্যানডেমাস রিট, সার্টিওয়ারি রিট এবং কোওয়ারেন্টো রিট ইত্যাদি। এ সব রিট আবেদন বা হুকুমনামাগুলো জারি করার ক্ষমতা বিচার বিভাগের রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে অধিকার বঞ্চিত যেকোনো ব্যক্তির আবেদনক্রমে বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে বিচারের জন্য আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দিতে পারে।সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ মানবাধিকার সংরক্ষণে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ রিট জারি করেছে, যা জনমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। সুতরাং বলা যায় যে, বিচার বিভাগ নাগরিকত্বের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১.         এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা আছে এমন দেশের উদাহরণ নিচের কোনটি?

            ক যুক্তরাষ্ট্র        খ যুক্তরাজ্য       গ ভারত            > বাংলাদেশ

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

হৃদয় তার প্রবাসী বন্ধুকে জানায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকারি বিলের পৃষ্ঠপোষকতা, অর্থবিষয়ক কাজ, দলের নেতা, সংসদবিষয়ক ক্ষমতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করেন।

২.        জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে হৃদয় প্রদত্ত কোন তথ্যটি সঠিক?

            র. সরকারি বিলের পৃষ্ঠপোষকতা করা

            রর. বার্ষিক বাজেট অনুমোদন

            ররর. সংসদ সদস্যদের অধিকার সংরক্ষণ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ রর ও ররর     > র ও ররর        ঘ র, রর ও ররর

৩.        উপরোক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়-

            > সরকার প্রধান খ নির্বাহী প্রধান গ সংসদ প্রধান ঘ দলীয় প্রধান

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১.         পুরো শাসন ব্যবস্থার কার্যকর নেতৃত্বে প্রদান করেন কে?

            ক রাষ্ট্রপতি       > প্রধানমন্ত্রী       গ সচিব ঘ জাতীয় সংসদ

২.        পৃথিবীর সকল দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার ভিন্নতার কারণ কোনটি?

            > রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভিন্নতা  খ বিচিত্র স্বাধীনতার ইতিহাস

            গ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পার্থক্য     ঘ দেশের আয়তনের ভিন্নতা

৩.        সংসদ প্রণীত আইনে রাষ্ট্রপতি কতদিনের মধ্যে সম্মতি দান করেন?        [

            ক ১০   > ১৫     গ ২০    ঘ ২৫

৪.        শহর এলাকায় স্থানীয় সংস্থাটি হলো-

            ক ইউনিয়ন পরিষদ      খ উপজেলা পরিষদ

            > পৌরসভা                   ঘ জেলা পরিষদ

৫.        বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি জেলা আছে?

            ক ৬২  খ ৬৩   > ৬৪    ঘ ৬৫

৬.        সচিবালয়ের পদসোপান অনুযায়ী নিচের কোনটি সঠিক?

            > সচিব – অতিরিক্ত সচিব – যুগ্ম সচিব

            খ সচিব – উপসচিব – অতিরিক্ত সচিব

            গ উপসচিব – সহকারী সচিব – যুগ্ম সচিব

            ঘ সচিব – যুগ্ম সচিব – অতিরিক্ত সচিব

৭.        জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত?

            ক ৫ জন          খ ৯ জন           গ ১৩ জন         > ২১ জন

৮.        কোন কাজটি দ্বারা বোঝা যায় জাতীয় সংসদ শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে?

            ক বাজেট পাস              > নিন্দা প্রস্তাব

            গ রাষ্ট্রপতি নিয়োগ       ঘ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ

৯.        মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে?

            > সচিব  খ মন্ত্রী  গ সহকারী সচিব           ঘ উপমন্ত্রী

১০.      বিচার বিভাগের কার্যাবলি কোনটি?

            ক শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করা > আইন প্রণয়ন করা

            গ মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা         ঘ সংবিধান সংশোধন করা

১১.       রাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা কে জারি করতে পারেন?

            ক প্রধানমন্ত্রী                 খ স্পিকার

            গ ডেপুটি স্পিকার         > প্রেসিডেন্ট

১২.      ইউনিয়ন পরিষদের কাজ কোনটি?

            > জনশৃঙ্খলা রক্ষা         

            খ সাধারণ পাঠাগারের ব্যবস্থাপকরণ

            গ জেলার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পর্যালোচনা

            ঘ জননিরাপত্তামূলক কার্যক্রম

১৩.      বাংলাদেশ সরকারের প্রধান কে?

            > রাষ্ট্রপতি         খ স্পিকার        গ প্রধানমন্ত্রী     ঘ ডেপুটি স্পিকার

১৪.      কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেন?

            ক প্রধানমন্ত্রী     খ স্পিকার        > রাষ্ট্রপতি         ঘ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৫.      আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডকে মওকুফ করতে পারেন-

            > রাষ্ট্রপতি                     খ প্রধানমন্ত্রী

            গ প্রধান বিচারপতি       ঘ স্পিকার

১৬.      জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষতি আসন কয়টি?

            ক ৪০টি            খ ৪২টি গ ৪৫টি > ৫০টি

১৭.      সচিবালয়কে সরকারি কার্যকলাপের মূল উৎস বলা হয় কেন?

            ক সবচেয়ে ক্ষমতাধর বিভাগ

            > সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এখানে

            গ রাষ্ট্র নির্ভরশীল

            ঘ প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ের ক্ষমতা ন্যস্ত

১৮.      হোস্টেল নির্মাণ পৌরসভার কোন ধরনের কাজ?

            ক সমাজকল্যাণ সংক্রান্ত          খ জননিরাপত্তামূলক

            গ বাসস্থান সংক্রান্ত       > শিক্ষা সংক্রান্ত

১৯.      প্রধান বিচারপতি ও উচ্চ আদালতের বিচারপতিগণের নিয়োগ সাধারণত কোন বিভাগের উপর ন্যস্ত থকে?

            ক জনসাধারণের উপর  খ আইন সভার উপর

            > শাসন বিভাগের উপর ঘ বিচার বিভাগের উপর

২০.      নিচের কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন?

            ক অতিরিক্ত কমিশনার খ জেলা প্রশাসক

            গ যুগ্মসচিব      > বিভাগীয় কমিশনার

২১.      বিচার, অর্থ, পররাষ্ট্র বিষয়ক সকল কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও মতামত অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর কোন ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে নির্দেশ করে?

            > নির্বাহী ক্ষমতা খ আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা

            গ অর্থবিষয়ক ক্ষমতা    ঘ রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্বয়

২২.      রাষ্ট্রপতি সংসদ আহ্বান করলেও সংবিধান লঙ্ঘন ও গুরুতর অপরাধের কারণে সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। এক্ষেেত্র নিম্নের কোনটি পরিলক্ষতি হয়?

            ক আইন বিভাগের উপর শাসন বিভাগের ক্ষমতা

            > শাসন বিভাগের উপর আইন বিভাগের ক্ষমতা

            গ আইন বিভাগের উপর বিচার বিভাগের ক্ষমতা

            ঘ আইন বিভাগের উপর বিচার বিভাগের ক্ষমতা

২৩.      গ্রাম এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য চৌকিদার পঞ্চায়েত আইন প্রবর্তিত হয় কত সালে?

            > ১৮৭০ সালে    খ ১৮৮৫ সালে  গ ১৮৯০ সালে  ঘ ১৯১৯ সালে

২৪.      সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?

            ক ২টি  > ৩টি    গ ৪টি   ঘ ৫টি

২৫.      প্রয়োজনে রাষ্ট্রের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন কে?

            ক প্রধানমন্ত্রী     > রাষ্ট্রপতি

            গ প্রধান বিচারপতি       ঘ সামরিক বাহিনীর প্রধান

২৬.     জাতীয় সংসদের নেতা কে?

            ক স্পিকার        > প্রধানমন্ত্রী

            গ বিরোধীদলের প্রধান   ঘ চিফ হুইপ

২৭.      কার পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রণয়ন করেন?

            ক রাষ্ট্রপতি       খ স্পিকার

            > প্রধানমন্ত্রী       ঘ রাজনৈতিক দল

২৮.      প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাহী প্রধান বলার কারণ তিনি-

            ক বাজেট প্রণয়ন ও উপস্থাপন করেন

            খ আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তন করেন

            গ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নেতৃত্ব প্রদান করেন

            > পুরো শাসন ব্যবস্থার নেতৃত্ব প্রদান করেন

২৯.      বাংলাদেশের বিচার বিভাগ-

            ক পরাধীন        > স্বতন্ত্র ও স্বাধীন

            গ জাতীয় সংসদের নির্দেশে চলে            ঘ মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশে চলে

৩০.      সংসদের নেতা কে?

            ক রাষ্ট্রপতি       > প্রধানমন্ত্রী

            গ স্পিকার        ঘ বিরোধীদলীয় নেতা

৩১.      কত সালে ইউনিয়ন বোর্ড নামে একটিমাত্র স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়?

            ক ১৯১৭           খ ১৯১৮            > ১৯১৯ ঘ ১৯২০

৩২.      বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?

            ক পার্লামেন্ট    > জাতীয় সংসদ গ কংগ্রেস        ঘ মজলিশ

৩৩.     জাতীয় সংসদের মেয়াদ কত?

            ক ৩ বৎসর       খ ৪ বৎসর        > ৫ বৎসর         ঘ ৬ বৎসর

৩৪.      বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের নাম কী?

            > ইউনিয়ন        খ উপজেলা      গ জেলা            ঘ বিভাগ

৩৫.     সামগ্রিকভাবে সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?

            ক দুইটি            > তিনটি            গ চারটি            ঘ পাঁচটি

৩৬.     শাসন বিভাগের অপর নাম কী?

            ক প্রশাসনিক বিভাগ     > নির্বাহী বিভাগ

            গ প্রধান বিভাগ ঘ আন্তপ্রধান বিভাগ

৩৭.      বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?

            > জাতীয় সংসদ খ পার্লামেন্ট     গ কংগ্রেস        ঘ মজলিস

৩৮.     মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম কী?

            ক পার্লামেন্ট     খ মজলিশ        > কংগ্রেস          ঘ জাতীয় সংসদ

৩৯.      অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রের আইনসভা কী নামে পরিচিত?

            ক পার্লামেন্ট     > মজলিস         গ কংগ্রেস         ঘ জাতীয় সংসদ

৪০.      নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা কোন বিভাগের কাজ?

            ক আইন বিভাগ            খ শাসন বিভাগ

            > বিচার বিভাগ  ঘ প্রতিরক্ষা বিভাগ

৪১.      সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রধান কে?

            ক প্রধানমন্ত্রী     > রাষ্ট্রপতি

            গ প্রধান বিচারপতি       ঘ স্পিকার

৪২.      আমাদের দেশে সংসদীয় ব্যবস্থায় নিয়মতান্ত্রিক প্রধান কে?

            > রাষ্ট্রপতি         খ প্রধানমন্ত্রী     গ স্পিকার        ঘ অর্থমন্ত্রী

৪৩.      সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যানকে কে নিয়োগ দান করেন? (জ্ঞান)

            ক প্রধানমন্ত্রী     > রাষ্ট্রপতি         গ জাতীয় সংসদ           ঘ ন্যায়পাল

৪৪.      সংসদ আহ্বান করেন কে?

            >রাষ্ট্রপতি         খ প্রধানমন্ত্রী     গ স্পিকার         ঘ বিচারপতি

৪৫.      সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে নিয়োগ করেন?

            ক প্রধানমন্ত্রী     খ আইনমন্ত্রী     > রাষ্ট্রপতি         ঘ স্পিকার

৪৬.     যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রয়েছে কার?

            ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী     খ প্রধানমন্ত্রীর   গ স্পিকারের     > রাষ্ট্রপতির

৪৭.      বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে?

            > প্রধানমন্ত্রী       খ রাষ্ট্রপতি        গ জেলা প্রশাসক          ঘ সচিব

৪৮.      কার অনুমোদন ও কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো প্রকার ব্যয় করা যায় না?

            > প্রধানমন্ত্রী       খ স্পিকার        গ অর্থমন্ত্রী        ঘ রাষ্ট্রপতি

৪৯.      কততম সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হয়েছে?

            ক চতুর্থ সংশোধনী        খ অষ্টম সংশোধনী

            গ দশম সংশোধনী        > দ্বাদশ সংশোধনী

৫০.      জনাব ‘ক’ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। সংসদ প্রণীত আইনে তিনি কত দিনের মধ্যে সম্মতি দান করবেন?

            ক ৭     খ ১৪    > ১৫     ঘ ৯০

৫১.      সংসদ প্রণীত আইনে রাষ্ট্রপতি কত দিনের মধ্যে সম্মতি দান করেন?

            ক ১০   খ ১২    > ১৫     ঘ ২০

৫২.      রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করতে পারে কে?

            ক প্রধানমন্ত্রী     খ মন্ত্রিপরিষদ

            > জাতীয় সংসদ ঘ প্রধান বিচারপতি

৫৩.     নিচের কোনটি জাতীয় সংসদের নির্বাচনমূলক কাজ?

            ক প্রধান বিচারপতি       খ নির্বাচন কমিশনার

            > ন্যায়পাল        ঘ মহাহিসাবরক্ষক

৫৪.      জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত?

            ক সংবিধানের   > আদালতের    গ সংসদের       ঘ পুলিশের

৫৫.     ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করে কোন বিভাগ?

            ক নির্বাহী বিভাগ           > বিচার বিভাগ

            গ শাসন বিভাগ ঘ আইন বিভাগ

৫৬.     অধিদপ্তরের প্রধান কে?

            ক মন্ত্রী খ সচিব > মহাপরিচালক ঘ উপসচিব

৫৭.      কোনটি শাসনব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ?

            ক মন্ত্রণালয়      > সচিবালয়       গ জেলা            ঘ বিভাগ

৫৮.     মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে?

            ক মন্ত্রী > সচিব  গ বিচারপতি     ঘ প্রধানমন্ত্রী

৫৯.      প্রশাসনিক কাঠামোর পদসোপান অনুযায়ী সর্বনি¤্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?

            ক বিভাগীয় কমিশনার  > সহকারী সচিব

            গ জেলা প্রশাসক          ঘ অতিরিক্ত সচিব

৬০.     বিভাগীয় কমিশনার কার সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তা?

            > যুগ্ম সচিবের   খ অতিরিক্ত সচিবের

            গ উপসচিবের   ঘ সহকারী সচিবের

৬১.      জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্য কার কাছে দায়ী?

            ক সংসদের       > বিভাগীয় কমিশনারের

            গ সচিবের         ঘ সরকারের

৬২.     জেলা প্রকাশনা সংবাদপত্র বিভাগের প্রধান নিয়ন্ত্রক কে?

            ক জেলা পুলিশ সুপার   > জেলা প্রশাসক

            গ জেলার প্রধান সংবাদদাতা      ঘ বিভাগীয় কমিশনারের

৬৩.     কোনটি এদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান?

            ক উপজেলা পরিষদ     খ জেলা পরিষদ

            গ পৌরসভা      > ইউনিয়ন পরিষদ

৬৪.     চৌকিদার পঞ্চায়েত আইন কত সালে প্রবর্তিত হয়?

            ক ১৮৫০          খ ১৮৬০           > ১৮৭০ ঘ ১৮৯০

৬৫.     বঙ্গীয় স্থানীয় আইন কত সালে পাস হয়?

            ক ১৮৭০           > ১৮৮৫            গ ১৯১৯            ঘ ১৯৭৬

৬৬.     কোন সালে বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু হয়?

            ক ১৯৭৫          > ১৯৭৬            গ ১৯৭৮           ঘ ১৯৮০

৬৭.     স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ অনুযায়ী কয়স্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়?

            ক ২     > ৩       গ ৪      ঘ ৫

৬৮.     একটি ওয়ার্ডে কয়জন সাধারণ সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন?

            > ১        খ ২      গ ৩      ঘ ৪

৬৯.     বাংলাদেশ সরকার কত সালে জেলা পরিষদ আইন প্রবর্তন করে?

            > ২০০০ খ ২০০১           গ ২০০২           ঘ ২০০৩

৭০.      নিচের কোনটি জেলা পরিষদের আবশ্যিক কাজ?

            > জনপথ উন্নয়ন           খ বাঁধ নির্মাণ

            গ কৃষি খামার স্থাপন      ঘ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ

৭১.      বর্তমানে বাংলাদেশে মোট কতটি পৌরসভা আছে?

            ক ৩১৪ > ৩১৬  গ ৩৮৫ ঘ ৪৮৫

৭২.      পৌরসভার সদস্যগণ কী নামে পরিচিত?

            ক মেয়র           খ মেম্বার           > কমিশনার      ঘ চেয়ারম্যান

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৭৩.      স্থানীয় সরকারের প্রয়োজন হয়-

            র.  নেতৃত্বের বিকাশে

            রর. স্থানীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণে

            ররর. গণতন্ত্র নিশ্চিতকরণে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ ররর  গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

৭৪.      নিচের কোন বিষয়গুলো ইউনিয়ন পরিষদের সংগে সম্পৃক্ত?

            র.   ওয়ার্ডের সংখ্যা ৯টি

            রর.  দফাদার নিয়োগ করা

            ররর. সদস্যরা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

৭৫.      জাতীয় সংসদ পারে-

            র. আইন সংশোধন      

            রর. আইন পরিবর্তন

            ররর. আইন উন্নয়ন

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও রররৎ

৭৬.     জরুরি অবস্থা চলাকালে স্থগিত থাকে সংবিধানের-

            র. কিছু বিধান

            রর. মৌলিক অধিকারসমূহ

            ররর. সকল বিধিবিধান

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৭৭.      আদালত মানুষের আশ্রয়স্থল-

            র. ন্যায়বিচার লাভের জন্য

            রর. অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য

            ররর. আত¥মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৮ ও ৭৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

জনাব রহিম উলস্নাহ শহর এলাকার একটি স্থানীয় সরকারের প্রধান। তিনি সর্বদা কমিশনারদের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে তাঁর এলাকার উন্নয়ন ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।

৭৮.      জনাব রহিম উলস্নাহ কোন স্থানীয় সরকারের প্রধান?

            ক ইউনিয়ন পরিষদ      > পৌরসভা

            গ উপজেলা পরিষদ      ঘ জেলা পরিষদ

৭৯.      উক্ত স্থানীয় সরকারের কাজের বিশেষত্ব হলো-

            র.         বসবাসের অযোগ্য বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলার নির্দেশ প্রদান

            রর.      অশিক্ষতি বয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা

            ররর.১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র      > রর     গ র ও রর         ঘ র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮০ ও ৮১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

গত বছরের বন্যায় কক্সবাজার জেলার লোকজনের প্রচুর ক্ষতি হয়। নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কারণে অনেক মানুষ গৃহহীন ও বেকার হয়ে পড়েন। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নানারকম ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

৮০.      অনুচ্ছেদে উলিস্নখিত কাজটি জেলা প্রশাসকের কোন ধরনের কাজ?

            ক শান্তিরক্ষামূলক        খ সমন্বয় সংক্রান্ত

            > মানবতামূলক             ঘ প্রশাসন সংক্রান্ত

৮১.      অনুচ্ছেদে উলিস্নখিত মানুষের এ ধরনের কষ্ট থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারের উচিত- 

            র.  বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা

            রর. নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা

            ররর. ফারাক্কা সমস্যার সমাধান করা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         > রর ও ররর      গ র ও ররর       ঘ র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮২ ও ৮৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

সীমা একটি যৌথ পরিবারে বাস করে। পরিবারে তাঁর দাদা-দাদি, মা-বাবা, চাচা-চাচি, ভাই-বোন বসবাস করে। সীমার বাবাই পরিবারে সব কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সীমার দাদা শুধু তাতে সম্মতি প্রকাশ করেন মাত্র।

৮২.      অনুচ্ছেদের আলোকে সীমার বাবার কাজের সাথে মিল রয়েছে কার?

            ক রাষ্ট্রপতি       > প্রধানমন্ত্রী

            গ প্রধান বিচারপতির     ঘ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের

৮৩.     অনুচ্ছেদের সীমার দাদার ভূমিকা হলো-

            র. নিয়মতান্ত্রিক প্রধান

            রর. সরকার প্রধান

            ররর. রাষ্ট্রপ্রধান

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৪ ও ৮৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

জমির মিয়া মানুষ হত্যার দায়ে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

৮৪.      জমির মিয়াকে রক্ষা করার ক্ষমতা একমাত্র কার আছে?

            ক আইনমন্ত্রীর খ প্রধানমন্ত্রীর   > রাষ্ট্রপতির       ঘ বিচারপতির

৮৫.     উক্ত ব্যক্তি আর যে ক্ষমতা রাখেন-

            র. অধ্যাদেশ জারি

            রর. অর্থসংক্রান্ত

            ররর. আইনবিষয়ক

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

            বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

ভূমিকা

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৮৬.     কার মাধ্যমে রাষ্ট্র তার কাজ করে?         (জ্ঞান)

            > সরকারের       খ আইন পরিষদের

            গ মন্ত্রি পরিষদের          ঘ জনগণের

৮৭.      প্রত্যেক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কয়টি মৌলিক বিভাগ বিদ্যমান?    (জ্ঞান)

            ক দুইটি            > তিনটি            গ চারটি            ঘ পাঁচটি

৮৮.     সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ কয়টি?         (জ্ঞান)

            ক ২     > ৩       গ ৪                  ঘ ৫

৮৯.      প্রশাসন পরিচলনা কত ধরনের? (জ্ঞান)

            > ২       খ ৩      গ ৪      ঘ ৫

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৯০.      সাধারণভাবে সরকার বলতে আমরা বুঝি-         (অনুধাবন)

            র. আইন পরিষদ

            রর. রাজনৈতিক দল

            ররর. মন্ত্রিপরিষদ

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

৯১.      সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে-          (অনুধাবন)

            র. প্রশাসন পরিচালনা

            রর. আইন প্রণয়ন

            ররর. ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

 পরিচ্ছেদ-৭.১ : বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গসমূহ    

            সরকার ব্যবস্থা- রাষ্ট্রের যন্ত্রস্বরূপ।

            সরকার বলতে বোঝায়- আইন পরিষদ, রাজনৈতিক দল, মন্ত্রিপরিষদ, শাসনকর্তা, আদালত ও পুলিশ।

            প্রশাসন পরিচালনা, আইন প্রণয়ন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে- সরকার।

            সামগ্রিকভাবে সরকারের বিভাগ রয়েছে- তিনটি।

            মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম- কংগ্রেস।

            বাংলাদেশের আইনসভার নাম- জাতীয় সংসদ।

            বাংলাদেশের আইনসভা- এক কক্ষবিশিষ্ট।

            ব্রিটেনের আইনসভার নাম- পার্লামেন্ট।

            ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের আইনসভা- দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট্য।

            নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার বহুলাংশে নির্ভর করে- স্বাধীন বিচারব্যবস্থার উপর।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৯২.      শাসন বিভাগের যথার্থ কাজ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)

            > দেশের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা

            খ দেশের জন্য আইন প্রণয়ন করা

            গ দেশের রাজনৈতিক কাজ পরিচালনা

            ঘ দেশের অর্থনৈতিক কাজ পরিচালনা

৯৩.      রাষ্ট্রের সার্বিক সিদ্ধান্ত এবং সুবিধাসমূহ বাস্তবায়ন করে কোন বিভাগ?     (জ্ঞান)

            > শাসন বিভাগ  খ আইন বিভাগ

            গ বিচার বিভাগ ঘ প্রতিরক্ষা বিভাগ

৯৪.      রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করে যে বিভাগ তাকে কী বলে?      (জ্ঞান)

            > শাসন বিভাগ খ আইন বিভাগ

            গ বিচার বিভাগ ঘ প্রতিরক্ষা বিভাগ

৯৫.      সাদেক বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে চাকরি করে। সাদেক বাংলাদেশের কোন বিভাগের সদস্য?           (প্রয়োগ)

            > শাসন বিভাগ খ আইন বিভাগ

            গ বিচার বিভাগ ঘ গণপূর্ত বিভাগ

৯৬.     নিচের কোনটি আইন বিভাগের কাজ?   (জ্ঞান)

            ক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা     > আইন প্রণয়ন

            গ আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি প্রদান         ঘ প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা

৯৭.      আইনসভার প্রণীত আইন কার সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়?  (জ্ঞান)

            ক প্রধানমন্ত্রী                 > রাষ্ট্রপতি

            গ স্পিকার                    ঘ অর্থমন্ত্রী

৯৮.      পার্লামেন্ট কোন দেশের আইনসভার নাম?         (জ্ঞান)

            ক বাংলাদেশ    খ ভারত            গ যুক্তরাষ্ট্র        > ব্রিটেন

৯৯.      দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় কোন ধরনের পরিষদ থাকে? (জ্ঞান)

            ক উচ্চ ও মধ্য               > উচ্চ ও নিম্ন

            গ নিম্ন ও মধ্য                ঘ বড় ও ছোট

১০০.    কোন দেশের আইনসভা এক কক্ষবিশিষ্ট?          (অনুধাবন)

            ক ভারত                       খ যুক্তরাষ্ট্র

            গ ইংল্যান্ড                    > বাংলাদেশ

১০১.    কোন রাষ্ট্রটির আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট? (জ্ঞান)

            ক বাংলাদেশ    > ব্রিটেন            গ নেপাল          ঘ ভুটান

১০২.    রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে কোনটি পরিলক্ষতি হয়? (অনুধাবন)

            ক আইন প্রণয়ন করা

            খ দেশের অভ্যন্তরে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা

            > সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা

            ঘ সমাজের মানুষকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া

১০৩.    সরকারের যে বিভাগ আইন অনুসারে বিচার কাজ পরিচালনা করে তাকে কী বলে?           (জ্ঞান)

            ক শাসন বিভাগ            > বিচার বিভাগ   গ আইন বিভাগ             ঘ নির্বাহী বিভাগ

১০৪.    ‘ঢ’ বিভাগ নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। ‘ঢ’ বিভাগ এর সাথে নিচের কোনটির মিল আছে?      (প্রয়োগ)

            ক শাসন বিভাগ            > বিচার বিভাগ   গ আইন বিভাগ             ঘ নির্বাহী বিভাগ

১০৫.    বিচার বিভাগ কীভাবে গঠিত হয়?           (অনুধাবন)

            ক কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে

            খ নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে

            > রাষ্ট্রের সকল আদালত ও বিচারক নিয়ে

            ঘ সংসদ সদস্যদের নিয়ে

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১০৬.   বি¯ত্মৃত অর্থে শাসন বিভাগের আওতাভুক্ত-     (অনুধাবন)

            র. মন্ত্রিসভা

            রর. দাপ্তরিক কর্মকর্তা

            ররর. গ্রাম্য চৌকিদার

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১০৭.    আইন বিভাগের একটি অংশ হলো-       (অনুধাবন)

            র. আইনসভা

            রর. পার্লামেন্ট

            ররর. কংগ্রেস

            নিচের কোনটি সঠিক?  )

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১০৮.    দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার থাকে-          (অনুধাবন)

            র. উচ্চ পরিষদ

            রর. মধ্য পরিষদ

            ররর. নিম্ন পরিষদ

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১০৯.    দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা আছে- (অনুধাবন)

            র. ভারতে

            রর. যুক্তরাষ্ট্রে

            ররর. ব্রিটেনে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১১০.    শাসন বিভাগ যেসব কাজ করে সেগুলো হলো-  (অনুধাবন)

            র.  আইনশৃঙ্খলা রক্ষা

            রর. আইন প্রণয়ন

            ররর. রাষ্ট্রের সার্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১১১.     বহুলাংশে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল-     (অনুধাবন)

            র. ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা

            রর. নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা

            ররর. আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি প্রদান

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১১২.    বিচার বিভাগ গঠিত হয় রাষ্ট্রের সকল-   (অনুধাবন)

            র. আদালত নিয়ে

            রর. সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে

            ররর. বিচারক নিয়ে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৩ ও ১১৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

মি. ‘ঢ’ বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী। সরকারের শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।

১১৩.    মি. ‘ঢ’ কার দ্বারা মনোনীত হয়েছেন?     (প্রয়োগ)

            ক রাষ্ট্রপতি       > প্রধানমন্ত্রী

            গ জাতীয় সংসদ           ঘ জনগণ

১১৪.    মি. ‘ঢ’ তার মন্ত্রণালয় পরিচালনায় কার নিকট হতে পরামর্শ গ্রহণ করেন?            (উচ্চতর দক্ষতা

            ক প্রধানমন্ত্রী     খ সংসদীয় কমিটি

            > সচিব  ঘ বিভাগীয় কমিশনার

 নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা

            পদমর্যাদায় সবার ওপরে- রাষ্ট্রপতি।     

            সংসদীয় ব্যবস্থায় নিয়মতান্ত্রিক প্রধান- রাষ্ট্রপতি।

            সংসদ আহ্বান করেন- রাষ্ট্রপতি।

            সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করেন- রাষ্ট্রপতি।

            মন্ত্রিসভার মূলস্তম্ভ- প্রধানমন্ত্রী।

            বাংলাদেশের শাসনক্ষমতা পরিচালিত হয়- প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে।

            মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর বণ্টন করেন- প্রধানমন্ত্রী।

            জাতির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন- প্রধানমন্ত্রী।

            প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বাজেট প্রণয়ন ও সংসদে উপস্থাপন করেন- অর্থমন্ত্রী।

            আইন প্রণয়ন, অর্থব্যবস্থার উপর তদারকি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেেত্র শীর্যস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন- প্রধানমন্ত্রী।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১১৫.    সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় পদমর্যাদায় কে সবার উপরে? (জ্ঞান)

            ক প্রধানমন্ত্রী     > রাষ্ট্রপতি

            গ অর্থমন্ত্রী        ঘ প্রধান বিচারপতি

১১৬.    সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রধান কে?     (অনুধাবন)

            ক প্রধান মন্ত্রী    > রাষ্ট্রপতি

            গ স্পিকার        ঘ প্রধান বিচারপতি

১১৭.    প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ রাষ্ট্রপতির নামে পরিচালিত হয়। এর কারণ নিচের কোনটিকে সমর্থন করে?            (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক রাষ্ট্রপতি সরকার প্রধান         > রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান

            গ রাষ্ট্রপতি নির্বাহী প্রধান           ঘ রাষ্ট্রপতি প্রকৃত শাসক

১১৮.    প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ কার নামে পরিচালিত হয়?         (জ্ঞান)

            ক প্রধানমন্ত্রী     খ প্রধান বিচারপতি

            > রাষ্ট্রপতি         ঘ স্পিকার

১১৯.    সংসদ নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন কে?   (জ্ঞান)

            > রাষ্ট্রপতি         খ স্পিকার

            গ প্রধান বিচারপতি       ঘ উচ্চ পদস্থকর্মকর্তা

১২০.    রাষ্ট্রপতি কার পরামর্শক্রমে মন্ত্রীদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন?        (জ্ঞান)

            ক প্রধান বিচারপতি       খ এটর্নি জেনারেল

            গ স্পিকার        > প্রধানমন্ত্রী

১২১.    রাষ্ট্রপতি নিচের কোন কাজটি করেন?    (জ্ঞান)

            ক মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন

            খ আইন প্রণয়ন করেন

            > প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন

            ঘ জাতীয় নেতৃত্ব দান করেন

১২২.    রাষ্ট্রপতি কখন সংসদে ভাষণদান করেন?          (জ্ঞান)

            ক সকল অধিবেশনে

            > নতুন বছরের অধিবেশনের সূচনায়

            গ বছরের শেষ অধিবেশনে

            ঘ বছরের মধ্যবর্তী অধিবেশনে

১২৩.    সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শে কে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন?     (জ্ঞান)

            ক সংসদের হুইপ          খ স্পিকার

            গ প্রধান বিচারপতি       > রাষ্ট্রপতি

১২৪.    মি. ‘ঢ’ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সংসদ ভেঙে যাওয়ায় তিনি দ্রম্নত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধ্যাদেশ জারি করেন। মি. ‘ঢ’ উক্ত দেশের কোন পদে আছেন?     (প্রয়োগ)

            ক প্রধানমন্ত্রী     > রাষ্ট্রপতি

            গ প্রধান বিচারপতি       ঘ সংসদ সদস্য

১২৫.    সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ পর্যন্ত বিকাশ মাস্তানের ফাঁসির আদেশ কার্যকর থাকে। সে বাঁচার জন্য কার কাছে আবেদন করবে?           (প্রয়োগ)

            ক প্রধানমন্ত্রী     > রাষ্ট্রপতি

            গ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী      ঘ প্রধান বিচারপতি

১২৬.   শামীম মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। সে তার দণ্ড মওকুফ করার জন্য দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে আবেদন করে। শামীম কার নিকট আবেদন করে?            (প্রয়োগ)

            > রাষ্ট্রপতি                     খ প্রধানমন্ত্রী

            গ অর্থমন্ত্রী                    ঘ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১২৭.    সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকারি ব্যয় সংক্রান্ত কোনো বিল সংসদে উত্থাপন করতে হলে তাতে কার সুপারিশ লাগে?             (জ্ঞান)

            ক প্রধানমন্ত্রীর  খ অর্থমন্ত্রীর      গ আইনমন্ত্রীর   > রাষ্ট্রপতির

১২৮.    সংসদীয় ব্যবস্থায় দেশের প্রয়োজনে সংযুক্ত তহবিল থেকে ব্যয় নির্বাহের ব্যবস্থা করতে পারেন কে?            (জ্ঞান)

            ক অর্থমন্ত্রী       খ প্রধানমন্ত্রী

            গ প্রধান বিচারপতি       > রাষ্ট্রপতি

১২৯.    বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিভাগসমূহের সর্বাধিনায়কতা কার ওপর ন্যস্ত?    (জ্ঞান)

            ক প্রধানমন্ত্রী     > রাষ্ট্রপতি

            গ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী      ঘ সেনাবাহিনী প্রধান

১৩০.    কোন কাজের জন্য রাষ্ট্রপতি যেকোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন?     (জ্ঞান)

            ক অধ্যাদেশ জারি        > বহিঃআক্রমণ মোকাবিলা

            গ শান্তি প্রতিষ্ঠা ঘ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ

১৩১.    জরুরি অবস্থা জারি করেন কে? (অনুধাবন)

            ক প্রধানমন্ত্রী     খ প্রধান নির্বাচন কমিশনার

            > রাষ্ট্রপতি         ঘ আইনমন্ত্রী

১৩২.    সংসদীয় ব্যবস্থায় সংসদের নেতা কে?    (জ্ঞান)

            ক রাষ্ট্রপতি       > প্রধানমন্ত্রী

            গ স্পিকার        ঘ বিরোধী দলীয় নেতা

১৩৩.    বাংলাদেশে মন্ত্রিসভার প্রধান কে?          (জ্ঞান)

            ক আইনমন্ত্রী    খ রাষ্ট্রপতি       গ স্পিকার         > প্রধানমন্ত্রী

১৩৪.    সংসদীয় ব্যবস্থায় মন্ত্রিসভা গঠন করেন কে?      (জ্ঞান)

            ক প্রধান বিচারপতি       খ স্পিকার

            > প্রধানমন্ত্রী       ঘ রাষ্ট্রপতি

১৩৫.    সংসদীয় ব্যবস্থায় যেকোনো মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন কে?  (জ্ঞান)

            ক রাষ্ট্রপতি                   > প্রধানমন্ত্রী

            গ স্পিকার                     ঘ সংসদের হুইপ

১৩৬.   সংসদীয় ব্যবস্থায় কাকে কেন্দ্র করে শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়?             (জ্ঞান)

            ক রাষ্ট্রপতি       খ অর্থমন্ত্রী

            > প্রধানমন্ত্রী       ঘ প্রধান বিচারপতি

১৩৭.    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভাকে শাসন সংক্রান্ত সকল কাজের জন্য কার কাছে দায়ী থাকতে হয়?            (জ্ঞান)

            ক রাষ্ট্রপতি       > জাতীয় সংসদ

            গ স্পিকার        ঘ সেনাবাহিনী প্রধান

১৩৮.    মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর বণ্টন করেন কে?         (জ্ঞান)

            ক রাষ্ট্রপতি       খ প্রধান বিচারপতি

            গ সচিবগণ       > প্রধানমন্ত্রী

১৩৯.    সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় জাতীয় সংসদের নেতা কে?     (জ্ঞান)

            > প্রধানমন্ত্রী       খ রাষ্ট্রপতি        গ স্পিকার         ঘ প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১৪০.    বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেন কে?    (জ্ঞান)

            ক রাষ্ট্রপতি       খ প্রধানমন্ত্রী      > অর্থমন্ত্রী         ঘ শিল্পমন্ত্রী

১৪১.    প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রণয়ন ও সংসদে উপস্থাপন করেন। উক্তিটি দ্বারা কী প্রকাশ পায়?     (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক প্রধানমন্ত্রীর আদেশ কার্যকর হয়       

            > বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক নীতির প্রতিফলন ঘটে

            গ প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যাপারে অনাগ্রহী

            ঘ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী উভয়ে এক ও অভিন্ন

১৪২.    সংসদীয় ব্যবস্থায় কে রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্বয় করে থাকেন?          (জ্ঞান)

            > প্রধানমন্ত্রী       খ রাষ্ট্রপতি       গস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী      ঘ সচিব

১৪৩.    সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় কে জাতির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন?        (জ্ঞান)

            ক রাষ্ট্রপতি       খ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী      গ অর্থমন্ত্রী        > প্রধানমন্ত্রী

১৪৪.    মি. ‘ক’ একটি গণতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক দলের নেতা। তিনি সরকারি দলের নেতা এবং আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি উক্ত দেশে কোন দায়িত্বে আছেন?          (প্রয়োগ)

            ক রাষ্ট্রপতি       > প্রধানমন্ত্রী       গ সংসদ সদস্য ঘ স্পিকার

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৪৫.    রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা রয়েছে যেকোনো দণ্ড-          (অনুধাবন)

            র. মওকুফ করার

            রর. স্থগিত করার

            ররর. হ্রাস করার

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১৪৬.   রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন-     (অনুধাবন)

            র. বহিঃশত্রু আক্রমণ করলে

            রর. গোলযোগের কারণে

            ররর. নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১৪৭.    রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দান করেন-      (অনুধাবন)

            র. সংসদের প্রতিটি অধিবেশনের সূচনায়

            রর. প্রতিটি নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের সূচনায়

            ররর. নতুন বছরের অধিবেশনের সূচনায়

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

১৪৮.    রাষ্ট্রপতি নিয়োগদান করেন-     (অনুধাবন)

            র. সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের

            রর. এটর্নি জেনারেলকে

            ররর. প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

১৪৯.    প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও মতামত অনুযায়ী পরিচালিত হয়- (অনুধাবন)

            র. বিচারবিষয়ক কাজ

            রর. অর্থবিষয়ক কাজ

            ররর. পররাষ্ট্রবিষয়ক কাজ

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১৫০.    প্রধানমন্ত্রী সংসদে নেতৃত্বদান করেন বিরোধী দলের-      (অনুধাবন)

            র. আস্থা অর্জনে

            রর. বিরোধিতা করতে

            ররর. সহযোগিতা পেতে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৫১.    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে শাসনক্ষমতা পরিচালিত হয়। এ কথাটির তাৎপর্য হলো-    (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. প্রধানমন্ত্রী শাসন ক্ষমতার অধিকারী

            রর. প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার মূলস্তম্ভ

            ররর. প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা রাষ্ট্রপতির উপরে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৫২.    প্রধানমন্ত্রী সংসদ ও সংসদের বাইরে ভূমিকা রাখেন দলের-         (অনুধাবন)

            র. নীতি নির্ধারণে

            রর. আঞ্চলিক পর্যায়ে দল গঠনে

            ররর. কর্মসূচি বাস্তবায়নে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৫৩.   সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় সরকারের পতন ঘটে- (অনুধাবন)

            র. প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে

            রর. সংসদের আস্থা হারালে

            ররর. রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫৪ ও ১৫৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

সংসদীয় সরকার পদ্ধতি শাসিত একটি গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করে মাইকেল ক্লার্ক। দেশটির বাজেট প্রণয়নের পর তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় বাজেটের বিভিন্ন খাতের ওপর মন্তব্য প্রদান করে থাকেন।

১৫৪.    মাইকেল ক্লার্কের দেশে কার পরামর্শ ও নিদের্শক্রমে অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করতে পারেন?           (প্রয়োগ)

            ক রাষ্ট্রপতি                   > প্রধানমন্ত্রী

            গ প্রধান বিচারপতি       ঘ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৫৫.   মাইকেল ক্লার্কের দেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য হলো-

            র. রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান

            রর. প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান

            ররর. রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার মূলস্তম্ভ

            নিচের কোনটি সঠিক?  (উচ্চতর দক্ষতা)

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

 আইন বিভাগ : জাতীয় সংসদের ক্ষমতা কার্যাবলি            

            আইন বিভাগের প্রধান কাজ হলো- আইন প্রণয়ন, পরিবর্তনও সংশোধন।

            আইন বিভাগের একটি অংশ- আইনসভা।

            সংসদ প্রণীত আইন কার্যকর হয়- রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর।

            জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত- সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে।

            বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০ জন সদস্য নির্বাচিত হন- জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে।

            সংসদীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়- দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে।

            বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নামে একটি আইনসভা থাকবে- ৬৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী।

            সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য- সরকার।

            সংসদ প্রণীত আইনে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দান করবেন- ১৫ দিনের মধ্যে।

            সংসদ সংবিধান অনুযায়ী অভিশংসন করতে পারে- রাষ্ট্রপতিকে।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৫৬.   আইনসভা প্রণীত আইন কার সম্মতি লাভের পর কার্যকর করা হয়?        (অনুধাবন)

            ক স্পিকারের    > রাষ্ট্রপতির

            গ প্রধানমন্ত্রীর   ঘ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের

১৫৭.    সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদ মোট কতজন সদস্য নিয়ে গঠিত?           (জ্ঞান)

            ক ৩৩০            > ৩৫০ গ ৩৭০ ঘ ৩৮০

১৫৮.   জাতীয় সংসদে কতজন সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন?    (জ্ঞান)

            ক ২০০             > ৩০০  গ ৩৫০             ঘ ৩৬০

১৫৯.    সংরক্ষতি মহিলা আসনের প্রার্থীরা কাদের ভোটে নির্বাচিত হন?   (জ্ঞান)

            ক জনগণের     খ মন্ত্রীদের

            > সংসদ সদস্যদের        ঘ সংসদের মহিলা সদস্যদের

১৬০.   সংসদের মেয়াদ কত বছর?       (জ্ঞান)

            ক ৪      > ৫       গ ৬      ঘ ৭

১৬১.    কত সালে বাংলাদেশের সংবিধানে দ্বাদশ সংশোধনী আনা হয়?    (জ্ঞান)

            ক ১৯৭৩          খ ১৯৮১           গ ১৯৮৭           > ১৯৯১

১৬২.   সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নামে একটি আইনসভা থাকবে?            (জ্ঞান)

            ক ৩৯   খ ৫৩   গ ৫৯   > ৬৫

১৬৩.   সরকার গঠনে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?   (জ্ঞান)

            > জাতীয় সংসদ খ শাসন বিভাগ

            গ নির্বাহী বিভাগ            ঘ বিচার বিভাগ

১৬৪.   রাষ্ট্রের অর্থ কার অনুমতি ব্যতীত ব্যয় করা যায় না?        (জ্ঞান)

            ক রাষ্ট্রপতির    খ প্রধানমন্ত্রীর

            গ অর্থমন্ত্রীর      > জাতীয় সংসদের

১৬৫.   কোনো কর আরোপ বা কর সংগ্রহ করতে কার অনুমতি নিতে হয়?         (জ্ঞান)

            > জাতীয় সংসদের         খ রাষ্ট্রপতির

            গ অর্থমন্ত্রীর      ঘ স্পিকারের

১৬৬.   হাবিল সাহেব একজন সংসদ সদস্য। তিনি নিচের কোন ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন?            (প্রয়োগ)

            > স্পিকারকে     খ প্রধান বিচারপতিকে

            গ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে             ঘ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে

১৬৭.   সংবিধানের আমানতদার হিসেবে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?           (জ্ঞান)

            > জাতীয় সংসদ             খ শাসন বিভাগ

            গ বিচার বিভাগ ঘ মন্ত্রিপরিষদ

১৬৮.   বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্র বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে স্থল সীমান্তে দু দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় বাংলাদেশকে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হলে কার সম্মতি প্রয়োজন হবে?            (প্রয়োগ)

            ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর খ সেনাপ্রধানের

            > জাতীয় সংসদের         ঘ স্পিকারের

১৬৯.   যুদ্ধ ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করার ক্ষমতা কার আছে?

            (অনুধাবন)

            ক প্রধানমন্ত্রীর   খ রাষ্ট্রপতির

            > জাতীয় সংসদের         ঘ মন্ত্রিসভার

১৭০.    গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনটি শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে?           (জ্ঞান)

            ক নির্বাহী বিভাগ           > আইন বিভাগ

            গ বিচার বিভাগ ঘ মন্ত্রিপরিষদ

১৭১.    জামিল সাহেব জাতীয় সংসদের একজন সদস্য। তিনি নিচের কোন কাজটিতে অংশ নিতে পারছেন?            (প্রয়োগ)

            ক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা         খ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা

            গ দুর্যোগময় মুহূর্তে সেবা করা   > শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করা

১৭২.    সরকার কার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য?        (জ্ঞান)

            ক রাষ্ট্রপতির                > সংসদের

            গ মন্ত্রিপরিষদের                       ঘ স্পিকারের

১৭৩.    সংসদ সরকারের যেকোনো ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করতে পারে তেমনি সরকারের যেকোনো মন্দ কাজের সমালোচনাও করতে পারে। এর যথার্থ কারণ কী?            (উচ্চতর দক্ষতা)

            > সরকারকে সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়

            খ সরকার গঠনে সংসদের ভূমিকা রয়েছে

            গ সংসদে আইন প্রণীত হয়

            ঘ জনগণই আইনের উৎস

১৭৪.    প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অর্থ কী?   (জ্ঞান)

            ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ          খ অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ

            > সম্পূর্ণ মন্ত্রিসভার পদত্যাগ      গ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৭৫.    আইন বিভাগের প্রধান কাজ হলো-       (অনুধাবন)

            র. নতুন আইন প্রণয়ন

            রর. পুরনো আইন পরিবর্তন

            ররর. দেশ শাসন

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৭৬.   সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে-   (অনুধাবন)

            র. সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য

            রর. গুরুতর অপরাধের জন্য

            ররর. দৈহিক ও মানসিক অসুস্থতার জন্য

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১৭৭.    সংসদের অপসারণ করার ক্ষমতা রয়েছে-         (অনুধাবন)

            র. স্পিকারকে

            রর. ডেপুটি স্পিকারকে

            ররর. ন্যায়পালকে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১৭৮.    শাসন সংক্রান্ত সকল কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়-

            (অনুধাবন)

            র. প্রধানমন্ত্রীকে

            রর. বিচারপতিকে

            ররর. মন্ত্রিসভাকে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৭৯.    সংসদ শাসন বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে-         (অনুধাবন)

            র. মুলতবি প্রস্তাবের মাধ্যমে

            রর. নিন্দা প্রস্তাবের মাধ্যমে

            ররর. অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৮০.    মহিলারা আইনসভার সদস্যপদ লাভ করতে পারেন-     (অনুধাবন)

            র. পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে

            রর. নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে

            ররর. পদাধিকার বলে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৮১.    দ্বাদশ সংশোধনীর ফলে সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বৃদ্ধি পেয়েছে-       (অনুধাবন)

            র. নির্বাচনের ক্ষেেত্র    রর. আইন প্রণয়নের ক্ষেেত্র

            ররর. পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেেত্র

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৮২.    জাতীয় সংসদের কাজ হলো-    (অনুধাবন)

            র. আইন প্রণয়ন করা    রর. বাজেট অনুমোদন করা

            ররর. আইন কার্যকর করা

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৮৩.    সংবিধানের যেকোনো সংশোধনী সংসদে-         (অনুধাবন)

            র. উত্থাপিত হয়

            রর. কার্যকরী হয়

            ররর. গৃহীত হয়

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৮৪.    সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হবে যদি তিনি- (অনুধাবন)

            র. রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র দেন

            রর. সংসদ সদস্য না থাকেন

            ররর. জাতীয় সংসদ কর্তৃক আস্থা ভোটে হেরে যান

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১৮৫.    সংসদ যেসব প্রস্তাবের মাধ্যমে শাসন বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে-         (অনুধাবন)

            র. নিন্দা প্রস্তাব

            রর. মুলতবি প্রস্তাব

            ররর. অনাস্থা প্রস্তাব

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৮৬ ও ১৮৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

মাহমুদ সাহেব একজন জাতীয় সংসদ সদস্য। সংসদে কোনো বিল উত্থাপিত হলে তিনি সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে কখনো হ্যাঁ ভোট আবার কখনো না ভোট দেন।

১৮৬.   মাহমুদ সাহেব কোন বিভাগের সদস্য?   (প্রয়োগ)

            > আইন খ শাসন            গ বিচার            ঘ নির্বাহী

১৮৭.    উক্ত বিভাগের ক্ষেেত্র সঠিক তথ্য হলো-          (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. সংবিধানের রক্ষক হিসেবে কাজ করে

            রর. প্রচলিত আইন সংশোধন করে

            ররর. সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

 বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ক্ষমতা কার্যাবলি  

            নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে- বিচার বিভাগ।

            বিচারবিভাগের স্বাতন্ত্র্য এবং স্বাধীনতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য- বাংলাদেশ সংবিধানের।

            আইনের অনুশাসনকে অক্ষুণ্ণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সজীব রাখে- বিচার বিভাগ।

            একটি দেশের ন্যায়বিচারের মানদণ্ড- বিচার ব্যবস্থা।

            জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব ন্যস্ত- বিচার বিভাগের ওপর।

            রাষ্ট্রীয় সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে- বিচার বিভাগ।

            সংবিধানের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দেয়- বিচার বিভাগ।

            ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করে- বিচার বিভাগ।

            বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার প্রথম পদক্ষপে- নিয়োগ পদ্ধতি।

            প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন- অধঃস্তন আদালতসমূহের বিচারকগণ।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৮৮.    বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কোনটি?          (জ্ঞান)

            ক বিচার বিভাগের পরাধীনতা    > বিচার বিভাগের স্বাধীনতা

            গ বিচার বিভাগের দুর্নীতি           ঘ বিচার বিভাগের স্বজনপ্রীতি

১৮৯.    কোনটি সংবিধানবহির্ভূত বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করে শাসনতন্ত্রকে সুনির্দিষ্ট গতিপথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে?    (জ্ঞান)

            ক জাতীয় সংসদ           খ আইনবিভাগ

            গ মন্ত্রিসভা       > সুপ্রিমকোর্ট

১৯০.    বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নাগরিকের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের মাধ্যমে কোনটি করে?         (জ্ঞান)

            > আইনের অনুশাসনকে অক্ষুণ্ণ রাখে

            খ বিচার বিভাগকে গতিহীন করে

            গ জরুরি অবস্থা জারি করে

            ঘ বিচার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করে

১৯১.    একটি দেশের ন্যায়বিচারের মানদণ্ড কী?           (জ্ঞান)

            > বিচারব্যবস্থা    খ আদালত ব্যবস্থা

            গ বিচারকের যোগ্যতা   ঘ আইনব্যবস্থা

১৯২.    বিচার বিভাগের প্রধান কাজ কোনটি?     (অনুধাবন)

            > ন্যায়বিচার করা           খ আইন তৈরি

            গ মৌলিক অধিকার রক্ষা          ঘ সংবিধান রক্ষা

১৯৩.    কোনটি বিচার বিভাগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ?          (অনুধাবন)

            ক আইনের সংশোধন    খ আইন প্রণয়ন

            গ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা     > আইনের ব্যাখ্যা ও বিশেস্নষণ

১৯৪.    রাষ্ট্রীয় সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে কোন বিভাগ? (জ্ঞান)

            ক আইন বিভাগ খ নির্বাহী বিভাগ

            গ শাসন বিভাগ > বিচার বিভাগ

১৯৫.    সংবিধানের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দেয় কোন বিভাগ?      (জ্ঞান)

            > বিচার বিভাগ  খ শাসন বিভাগ

            গ নির্বাহী বিভাগ            ঘ আইন বিভাগ

১৯৬.   ক বিভাগ যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধানের অভিভাবক ও চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দানকারী। ক বিভাগের সাথে মিল রয়েছে কোন বিভাগের?         (প্রয়োগ)

            > বিচার খ শাসন            গ আইন           ঘ নির্বাহী

১৯৭.    কোন দেশের শাসনব্যবস্থায় সুপ্রিমকোর্ট প্রভূত ক্ষমতা ধারণ করে?          (জ্ঞান)

            ক ভারত           খ বাংলাদেশ     গ কানাডা         > যুক্তরাষ্ট্র

১৯৮.    রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বিভিন্ন বিরোধের মীমাংসা করে থাকে কে?   (জ্ঞান)

            ক আইন বিভাগ > বিচার বিভাগ

            গ নির্বাহী বিভাগ            ঘ রাষ্ট্রপতি

১৯৯.    কোন বিভাগের অনুরোধে বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে থাকে   (জ্ঞান)

            > শাসন বিভাগের          খ আইন বিভাগের

            গ প্রতিরক্ষা বিভাগের    ঘ নির্বাহী বিভাগের

২০০.   ‘ক’ দেশ সাম্প্রতিক সময়ে তার দেশের জনগণের মানবাধিকার সংরক্ষণে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ রিট জারি করেছে। ‘ক’ দেশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ দেশ কোনটি?      (প্রয়োগ)

            > বাংলাদেশ       খ চীন   গ মিশর            ঘ জাপান

২০১.    বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার প্রথম পদক্ষপে কোনটি?    (জ্ঞান)

            ক আইন প্রয়োগ           খ আইন সংযোজন

            > বিচারপতি নিয়োগ পদ্ধতি       ঘ বিচার করা

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২০২.   বিচার বিভাগ দক্ষ শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলে-    (অনুধাবন)

            র. ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে

            রর. আইনের ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে

            ররর. নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২০৩.   বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের মাধ্যমে-   (অনুধাবন)

            র. আইনের অনুশাসনকে অক্ষুণ্ণ রাখে

            রর. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সজীব রাখে

            ররর. একনায়কতান্ত্রিকতাকে উদ্বুদ্ধ করে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২০৪.   নাগরিকের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করতে গিয়ে বিচার বিভাগকে যে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় তাহলো-           (অনুধাবন)

            র. হেবিয়াস কর্পাস রিট

            রর. ম্যানডেমাস রিট

            ররর. সার্টিওয়ারি রিট

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২০৫.   বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো-   (অনুধাবন)

            র. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা

            রর. বিচার বিভাগের পরাধীনতা

            ররর. বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২০৬.   বিচার বিভাগের প্রধান কাজ হলো-         (অনুধাবন)

            র. আইন সংশোধন করা

            রর. অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার করা

            ররর. আইন অমান্যকারীর বিচার করা

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

২০৭.   বিচারকগণ বিচারকার্য সম্পন্ন করেন-    (অনুধাবন)

            র. নিরপেক্ষভাবে

            রর. স্বাধীনভাবে

            ররর. ন্যায়নীতির ভিত্তিতে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২০৮.   ন্যায় ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লড়্গ্েয বাংলাদেশের বিচার বিভাগ-      (অনুধাবন)

            র. সুসংগঠিত

            রর. সুনির্দিষ্ট

            ররর. সুপরিচালিত

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২০৯.   বিচার বিভাগের বিবিধ কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত-       (অনুধাবন)

            র. লাইসেন্স প্রদান

            রর. অভিভাবকত্ব নিরূপণ

            ররর. বিদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব দান

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

২১০.    বিদেশে উচ্চ বিচারালয়ের বিচারক নিয়োগের ক্ষেেত্র অবলম্বন করা হয়-          

            (অনুধাবন)

            র. জনসাধারণ কর্তৃক নির্বাচন পদ্ধতি

            রর. শাসন বিভাগ কর্তৃক নির্বাচন পদ্ধতি

            ররর. আইনসভা কর্তৃক নির্বাচন পদ্ধতি

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২১১ ও ২১২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

আলিফের বয়স যখন ২ বছর তখন তার বাবা মারা যায়। ৫ বছর বয়সে মাও মারা যায়। বাবা-মা হারানো অসহায় আলিফকে তার চাচা ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন। সেই সাথে তিনি আলিফের বাবা-মা’র রেখে যাওয়া সম্পদ-সম্পত্তিও দেখাশোনা করেন।

২১১.    আলিফের সম্পত্তির তত্ত্বাবধান বিচার বিভাগের কোন ধরনের কাজের আওতাভুক্ত?         (প্রয়োগ)

            ক বিরোধ নিষ্পত্তি         খ সংবিধান রক্ষামূলক

            > বিবিধ কার্যাবলি           ঘ মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ

২১২.    বিচার বিভাগের উক্ত কাজের মাধ্যমে-   (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. আলিফের বাবা-মায়ের সম্পত্তি সুরক্ষতি হবে

            রর. প্রাপ্তবয়স্ক হলে আলিফ সম্পত্তির অংশ পাবে

            ররর. আলিফের ব্যক্তি স্বাধীনতা বিঘ্নিত হবে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

 পরিচ্ছেদ-৭.২ : বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থা        

            একটি দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন- সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থা।

            মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা- সচিব।

            সচিবালয়- শাসনব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ।

            বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিসের একজন প্রধান কর্মকর্তা- বিভাগীয় কমিশনার।

            অধিদপ্তরের প্রধান হলেন- মহাপরিচালক বা পরিচালক।

            বাংলাদেশ সরকারের কার্যকলাপের মূল উৎস- সচিবালয়।

            কেন্দ্রের পরেই বাংলাদেশে স্থান- বিভাগীয় প্রশাসনের।

            বাংলাদেশ বিভক্ত- ৮টি বিভাগে।

            জেলা প্রশাসনের সাথে যোগসূত্র বিদ্যমান- কেন্দ্রের।

            উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হচ্ছেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২১৩.    বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের কত তারিখে স্বাধীনতা অর্জন করে?      (জ্ঞান)

            ক ১৪ ডিসেম্বর খ ১৫ ডিসেম্বর  > ১৬ ডিসেম্বর   ঘ ২৬ মার্চ

২১৪.    পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক ব্যবস্থা কীরূপ ছিল? (অনুধাবন)

            ক এক কেন্দ্রিক খ কেন্দ্রীয়         > প্রাদেশিক       ঘ বহুকেন্দ্রিক

২১৫.    শাসন সংক্রান্ত এক বা একাধিক বিভাগ কিসের ওপর ন্যস্ত?        (জ্ঞান)

            ক অধিদপ্তরের > মন্ত্রণালয়ের    গ আইন বিভাগের         ঘ পরিদপ্তরের

২১৬.   মন্ত্রণালয়ের প্রধান কে?  (জ্ঞান)

            ক সচিব            > মন্ত্রী

            গ সরকারি সচিব           ঘ যুগ্ম সচিব

২১৭.    প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত রয়েছে কী?      (জ্ঞান)

            ক পরিদপ্তর      খ বোর্ড গ কর্পোরেশন   > অধিদপ্তর

২১৮.    সচিবালয় বাংলাদেশ সরকারের কার্যকলাপের মূল উৎস। এ কথাটি দ্বারা কী প্রকাশ পেয়েছে?        (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক সচিবালয় বিচার ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্রস্বরূপ

            > সচিবালয় শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্রস্বরূপ

            গ সচিবালয় আইন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্রস্বরূপ

            ঘ সচিবালয় বাংলাদেশের স্নায়ুকেন্দ্রস্বরূপ

২১৯.    সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম কোথায় গৃহীত হয়?    (জ্ঞান)

            ক সংসদে         খ মন্ত্রণালয়ে     গ মন্ত্রিসভায়     > সচিবালয়ে

২২০.   প্রশাসনিক কাঠামোর পদসোপান অনুযায়ী সবার উপর অবস্থান করেন কে?        (জ্ঞান)

            ক অতিরিক্ত সচিব        খ যুগ্ম সচিব

            গ সচিব > মন্ত্রী

২২১.    মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় কাজের ভার কার ওপর ন্যস্ত থাকে? (জ্ঞান)

            ক মন্ত্রী > সচিব গ যুগ্ম সচিব      ঘ সহকারী সচিব

২২২.   মন্ত্রণালয় পরিচালনার ব্যাপারে মন্ত্রী কার নিকট হতে সংশিস্নষ্ট বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করেন?         (জ্ঞান)

            > সচিব  খ রাষ্ট্রপতি       গ প্রধানমন্ত্রী     ঘ এটর্নি জেনারেল

২২৩.   তানভীর একজন সরকারি কর্মকর্তা। সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি মন্ত্রীর সহচর হিসেবে কাজ করেন। তিনি কোন পদে কর্মরত আছেন?  (প্রয়োগ)

            > সচিব খ অতিরিক্ত সচিব

            খ মহাপরিচালক           ঘ যুগ্ম সচিব

২২৪.   ফরিদ বাংলাদেশ সচিবালয়ে চাকরি করেন। প্রশাসনিক কাঠামোর পদসোপান অনুযায়ী তার স্থান তৃতীয়। তিনি নিচের কোন পদটি দখল করে আছেন?  (প্রয়োগ)

            ক মন্ত্রী খ সচিব             > অতিরিক্ত সচিব          ঘ উপসচিব

২২৫.   কোনো বিভাগীয় প্রধান কার পরামর্শ ছাড়া সরাসরি মন্ত্রীর কাছে কোনো কিছু পাঠাতে পারেন না? (জ্ঞান)

            ক সহকারী সচিবের       খ অতিরিক্ত সচিবের

            > সচিবের          ঘ যুগ্ম সচিবের

২২৬.   বিভাগীয় কমিশনার যাবতীয় কার্যাবলির জন্য কার নিকট দায়ী থাকে?      (জ্ঞান)

            > কেন্দ্র  খ জেলা প্রশাসক          গ সচিব ঘ মন্ত্রী

২২৭.    প্রশাসনের সুবিধার্থে কোনটির সৃষ্টি হয়?  (অনুধাবন)

            ক কেন্দ্রীয় প্রশাসন       > স্থানীয় প্রশাসন

            গ বহুকেন্দ্রিক প্রশাসন   ঘ এককেন্দ্রিক প্রশাসন

২২৮.   বিভাগীয় কমিশনারের পরই কার স্থান?  (জ্ঞান)

            > জেলা প্রশাসকের        খ পুলিশ সুপারের

            গ যুগ্ম সচিবের ঘ অতিরিক্ত সচিবের

২২৯.   বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর দ্বিতীয় স্তর কোনটি? (জ্ঞান)

            ক সচিবালয়     > বিভাগীয় প্রশাসন

            গ জেলা প্রশাসন           ঘ উপজেলা প্রশাসন

২৩০.   বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে কয়টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে? (জ্ঞান)

            ক ৪     খ ৫      গ ৬      > ৭

২৩১.    বিভাগীয় প্রশাসনের শীর্ষে অবস্থান করেন কে?   (জ্ঞান)

            ক মন্ত্রী খ সচিব

            > বিভাগীয় কমিশনার    ঘ জেলা প্রশাসক

২৩২.   কে বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিসের একজন প্রধান কর্মকর্তা?         (জ্ঞান)

            ক জেলা প্রশাসক          > বিভাগীয় কমিশনার

            গ যুগ্ম সচিব      ঘ সহকারী সচিব

২৩৩.   হাফিজ একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি একজন যুগ্ম সচিবের সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তা। তার পদমর্যাদা কী?      (প্রয়োগ)

            ক জেলা প্রশাসক          > বিভাগীয় কমিশনার

            গ পুলিশ সুপার ঘ এসআই

২৩৪.   কে মূলত বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব বিষয়ক কর্মকর্তা? (জ্ঞান)

            ক জেলা প্রশাসক          খ মেয়র

            > বিভাগীয় কমিশনার    ঘ রাজস্ব কর্মকর্তা

২৩৫.   কে জেলা প্রশাসকদের কার্যাবলি তদারকি করেন?          (জ্ঞান)

            ক মন্ত্রী খ সচিব

            > বিভাগীয় কমিশনার    ঘ যুগ্ম সচিব

২৩৬.   বিভাগীয় কমিশনার কোন ধরনের কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে?    (জ্ঞান)

            ক সেবামূলক    > জনকল্যাণমূলক

            গ উন্নয়নমূলক ঘ আইনশৃঙ্খলা রক্ষামূলক

২৩৭.   জেলা প্রশাসন বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর কোন স্তর?     (জ্ঞান)

            ক দ্বিতীয়          > তৃতীয় গ চতুর্থ ঘ পঞ্চম

২৩৮.   প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত রয়েছে কী?      (জ্ঞান)

            ক পরিদপ্তর      খ বোর্ড গ কর্পোরেশন   > অধিদপ্তর

২৩৯.   জেলার ভূমি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন কে?      (জ্ঞান)

            ক বিভাগীয় কমিশনার  খ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

            গ সহকারী সচিব           > জেলা প্রশাসক

২৪০.   মনোয়ার সাহেব একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেেত্র তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তার পদবি কী?     (প্রয়োগ)

            ক বিভাগীয় কমিশনার  খ উপজেলা নির্বাহী অফিসার

            > জেলা প্রশাসক           ঘ অতিরিক্ত সচিব

২৪১.    প্রথম শ্রেণির বিচারক হিসেবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করেন কে?    (জ্ঞান)

            ক বিভাগীয় কমিশনার খ সচিব

            > জেলা প্রশাসক            ঘ বিচারপতি

২৪২.   বর্তমানে দেশে কতটি উপজেলা রয়েছে?            (জ্ঞান)

            ক ৪৬৫টি        খ ৪৮০টি          > ৪৮৬টি          ঘ ৪৯০টি

২৪৩.   উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?       (জ্ঞান)

            ক জেলা প্রশাসক          > উপজেলা নির্বাহী অফিসার

            গ বিভাগীয় কমিশনার   ঘ পৌর কমিশনার

২৪৪.   উপজেলার শাসন ব্যবস্থা ও শান্তিশৃঙ্খলার কাজ দেখাশুনা করেন কে?     (জ্ঞান)

            ক জেলা প্রশাসক          > উপজেলা নির্বাহী অফিসার

            গ বিভাগীয় কমিশনার   ঘ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

২৪৫.   মন্ত্রী – সচিব – ? (প্রয়োগ)

            বাংলাদেশের প্রশাসনিক স্তরবিন্যাসে ‘?’ চি‎িহ্নত স্থানে কী হবে?

            ক উপসচিব      > অতিরিক্ত সচিব

            গ যুগ্ম সচিব     ঘ সিনিয়র সহকারী সচিব

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৪৬.   বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত-  (অনুধাবন)

            র. মন্ত্রণালয়

            রর. সেক্রেটারিয়েট

            ররর. সচিবালয়

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

২৪৭.    বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যবস্থা বিভিন্ন রকম। এর মূলে রয়েছে-     (অনুধাবন)

            র. জনগণের বৈচিত্র্য

            রর. উৎপাদন ব্যবস্থা

            ররর. রাজনৈতিক সংস্কৃতি

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৪৮.   মন্ত্রী হলেন একজন-     (অনুধাবন)

            র. প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা

            রর. রাজনৈতিক ব্যক্তি

            ররর. মন্ত্রণালয়ের প্রধান

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

২৪৯.   বিভাগীয় প্রশাসনে কর্মরত থাকেন-       (অনুধাবন)

            র. অতিরিক্ত কমিশনার

            রর. কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারী

            ররর. বহুসংখ্যক কর্মচারী

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৫০.   স্থানীয় প্রশাসনের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে-  (অনুধাবন)

            র. আইনশৃঙ্খলা রক্ষা

            রর. রাজস্ব আদায়

            ররর. সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৫১.    জেলা প্রশাসকের শাসন সংক্রান্ত কাজ হলো-    (অনুধাবন)

            র. সরকারি দপ্তরের কাজ তদারক করা

            রর. সরকারি নীতি নির্ধারণ করা

            ররর. কর আদায় করা

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২৫২.   জেলা প্রশাসককে বলা চলে জেলার-     (অনুধাবন)

            র. পরিচালক

            রর. তত্ত্বাবধায়ক

            ররর. নিয়ন্ত্রক

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৫৩.   স্থানীয় শাসন বলতে বোঝায় স্থানীয় পর্যায়ের-    (অনুধাবন)

            র. ইউনিয়ন শাসনব্যবস্থাকে

            রর. জেলা শাসনব্যস্থাকে

            ররর. উপজেলা শাসনব্যবস্থাকে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

২৫৪.   উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব তদারক করা উপজেলার সকল-    (অনুধাবন)

            র. কল্যাণমূলক কাজ

            রর. উন্নয়ন কাজ

            ররর. প্রশাসনিক কাজ

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

২৫৫.   জেলা প্রশাসক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখেন-    (অনুধাবন)

            র. উচ্চবিত্তদের সাথে

            রর. কেন্দ্রের সাথে

            ররর. জেলার গণ্যমান্য লোকদের সাথে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৫৬ ও ২৫৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

জামিল সাহেবকে কেন্দ্র করে ‘ক’ জেলার সমগ্র শাসন আবর্তিত হয়। তিনি ঐ জেলার মধ্যমণি। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন অভিজ্ঞ সদস্য

২৫৬.   বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর কোন স্তরে জামিল সাহেব দায়িত্ব পালন করছেন?      (প্রয়োগ)

            ক প্রথম            খ দ্বিতীয়           > তৃতীয় ঘ চতুর্থ

২৫৭.   জামিল সাহেব ভূমিকা রাখেন-

            র. ভূমি রাজস্ব আদায়ে

            রর. জেলার উন্নয়নে

            ররর. বিভাগের উন্নয়নে

            নিচের কোনটি সঠিক?  (উচ্চতর দক্ষতা)

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

 স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন, ইউনিয়ন উপজেলা পরিষদ

            স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন হচ্ছে- সরকার পরিচালনা পদ্ধতির পরিশীলিত রূপ।

            নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক জনগণের স্বশাসনকে বোঝায়- স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন।

            এদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান- ইউনিয়ন পরিষদ।

            স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ পাস হয়- ১৯৭৬ সালে।

            সংশোধিত আইনে প্রতিটি ইউনিয়ন গঠিত- একজন চেয়ারম্যানসহ মোট ১৩ জন সদস্য নিয়ে।

            বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে- ৪,৪৬৬টি।

            ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলিকে প্রধানত ভাগ করা যায়- দুইটি ভাগে।

            উপজেলা ব্যবস্থা প্রথম প্রবর্তন করা হয়- ১৯৮৩ সালে।

            ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ- স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।

            বর্তমানে দেশে উপজেলা রয়েছে- ৪৮৬টি।

            জেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার প্রেরিত আদেশ ও কাজের সমন্বয় করেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৫৮.   নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক জনগণের স্বশাসনকে কী বলে?     (জ্ঞান)

            ক স্থানীয় প্রশাসন         খ কেন্দ্রীয় প্রশাসন

            > স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন     ঘ স্থানীয় স্বশাসন

২৫৯.   গ্রাম এলাকায় জনপ্রতিনিধিত্বমূলক স্থানীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লড়্গ্েয কোন প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে?            (জ্ঞান)

            ক পৌরসভা     খ উপজেলা পরিষদ

            > ইউনিয়ন পরিষদ        ঘ জেলা পরিষদ

২৬০.   চৌকিদার পঞ্চায়েত আইন ১৮৭০ এ কত সদস্যবিশিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষরে মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করা হতো?        (জ্ঞান)

            ক তিন খ চার   > পাঁচ    ঘ ছয়

২৬১.   ১৯১৯ সালে কী নামে একটিমাত্র স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়?           (জ্ঞান)

            ক চৌকিদারি পঞ্চায়েত খ ইউনিয়ন কাউন্সিল

            > ইউনিয়ন বোর্ড            ঘ ইউনিয়ন পরিষদ

২৬২.   পাকিস্তান আমলে কোনটির নাম হয় ইউনিয়ন কাউন্সিল?          (জ্ঞান)

            ক ইউনিয়ন কাউন্সিলের           খ ইউনিয়ন পরিষদের

            > ইউনিয়ন বোর্ডের        ঘ ইউনিয়ন কমিটির

২৬৩.   কত সালে ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়?   (জ্ঞান)

            ক ১৯৭৬          খ ১৯৮৫           > ১৯৯৭ ঘ ১৯৯৮

২৬৪.   গড়ে কতটি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত?   (জ্ঞান)

            ক ৫-১০টি        > ১০-১৫টি        গ ১৫-২০টি      ঘ ২০-২৫টি

২৬৫.   ইউনিয়ন পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা কত জন?           (অনুধাবন)

            > ১৩     খ ১৪    গ ১৫    ঘ ২০

২৬৬.  পূর্বে একটি ইউনিয়ন কয়টি ওয়ার্ডে বিভক্ত ছিল? (জ্ঞান)

            ক ২     > ৩       গ ৫      ঘ ৭

২৬৭.   বর্তমানে একটি ইউনিয়ন কয়টি ওয়ার্ডে বিভক্ত? (জ্ঞান)

            ক ৩     খ ৫      গ ৭      > ৯

২৬৮.   ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকাল কত বছর? (জ্ঞান)

            ক ৪      > ৫       গ ৬     ঘ ৭

২৬৯.   বাংলাদেশে সর্বমোট কতটি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে?     (জ্ঞান)

            ক ৪,৪৬৮টি     > ৪,৪৬৬টি       গ ৪,৪৬৪টি      ঘ ৪,৪৬২টি

২৭০.    ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলিকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা হয়?          (জ্ঞান)

            > ২       খ ৩      গ ৪      ঘ ৫

২৭১.    কচুয়ারপোতা ও ডালডাঙ্গা গ্রামের মধ্যে দাঙ্গা-হাক্সগামা নিরসনে ইউনিয়ন পরিষদ কতগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এটা ইউনিয়ন পরিষদের কোন ধরনের কাজ?     (প্রয়োগ)

            > জনশৃঙ্খলা রক্ষা          খ জনকল্যাণমূলক

            গ প্রশাসনিক    ঘ উন্নয়নমূলক

২৭২.    কাজিরবেড ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লতিফ আহমেদ। তিনি গ্রামের নিরক্ষর লোকদের অক্ষরদানের জন্য একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করলেন। তার এ কাজটি কোন ধরনের কাজ?           (প্রয়োগ)

            ক জনশৃঙ্খলা রক্ষা        > জনকল্যাণমূলক

            গ প্রশাসনিক    ঘ শিক্ষামূলক

২৭৩.    উপজেলা ব্যবস্থা প্রথম কত সালে প্রবর্তন করা হয়?        (জ্ঞান)

            ক ১৯১৯           খ ১৯৭৬           > ১৯৮৩            ঘ ১৯৮৫

২৭৪.    উপজেলা পরিষদ আইন কত সালে পুনঃপ্রচলন হয়?      (জ্ঞান))

            ক ২০০৯          খ ২০০৭           গ ২০০২           > ১৯৯৮

২৭৫.   কত সালে উপজেলা পরিষদ আইন পাস হয়?     (জ্ঞান)

            ক ১৯৮৩          খ ১৯৯৮           > ২০০৯ ঘ ২০১২

২৭৬.   উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান কীভাবে নির্বাচিত হবেন?       (অনুধাবন)

            ক জনগণের পরোক্ষ ভোটে       > জনগণের সরাসরি ভোটে

            গ হ্যাঁ-না ভোটে             ঘ সংসদ সদস্যের ভোটে

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৭৭.    স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-       (অনুধাবন)

            র. আইনগত ভিত্তি       

            রর. নির্বাচিত সংস্থা

            ররর. পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৭৮.   বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-  (অনুধাবন)

            র. ইউনিয়ন পরিষদ

            রর. উপজেলা পরিষদ

            ররর. জেলা প্রশাসন

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২৭৯.    স্থানীয় সরকারব্যবস্থার ক্ষেেত্র সঠিক তথ্য হলো-          (অনুধাবন)

            র. কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন

            রর. কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন নয়

            ররর. অনেক ক্ষেেত্র স্বাধীনতা ভোগ করে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

২৮০.   ইউনিয়ন পরিষদের ঐচ্ছিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত-         (অনুধাবন)

            র. ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা

            রর. কর্মসংস্থান সৃষ্টি

            ররর. পরিবেশ সংরক্ষণ ও বনায়ন

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২৮১.    ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানতম কার্যাবলির মধ্যে পড়ে-    (অনুধাবন)

            র. বাঁধ নির্মাণ

            রর. দারিদ্র্যবিমোচন

            ররর. আত¥কর্মসংস্থান

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

২৮২.   ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত কাজ হলো-     (অনুধাবন)

            র. কৃষি উন্নয়নের জন্য পদক্ষপে গ্রহণ

            রর. গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়ন সাধন

            ররর. কর্মসংস্থান সৃষ্টি

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৮৩.   উপজেলা পরিষদের গঠন সম্পর্কিত সঠিক তথ্য হলো-  (অনুধাবন)

            র. চেয়ারম্যান

            রর. ১ জন ভাইস চেয়ারম্যান

            ররর. ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৮৪ ও ২৮৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

নিজাম সাহেব তার সংস্থার ১৩ জন সদস্য নিয়ে এলাকার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি এই ব্যয় নির্বাহের জন্য কর ও সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভর করেন।

২৮৪.   নিজাম সাহেব কোন সংস্থার সদস্য?       (প্রয়োগ)

            ক জেলা পরিষদ           খ পৌরসভা     

            গ সিটি কর্পোরেশন       > ইউনিয়ন পরিষদ

২৮৫.   উক্ত সংস্থার মাধ্যমে-    (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. গ্রামীণ উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়

            রর. গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পায়

            ররর. গ্রামীণ নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

 স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন : জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন

            বাংলাদেশ সরকার জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ প্রবর্তন করে- ৬ জুলাই ২০০০ সালে।

            জেলা পরিষদ নেই- খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলাসমূহে।

            জেলা পরিষদ গঠনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়- ৬১টি জেলায়।

            ১ জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষতি আসনের ৫ জন মহিলা সদস্য নিয়ে গঠিত- জেলা পরিষদ।

            নবগঠিত জেলা পরিষদের কার্যকাল- পাঁচ বছর।

            দেশের প্রত্যেক পৌর বা শহর এলাকার জন্য রয়েছে- একটি করে পৌরসভা।

            পৌরসভার সদস্যগণ পরিচিত- কাউন্সিলর নামে।

            একজন মেয়র ও একজন ডেপুটি মেয়র থাকে- সিটি কর্পোরেশনে।

            উত্তর ও দক্ষণি নামে দুটো কর্পোরেশনে বিভক্ত করা হয়েছে- ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে কর্পোরেশনকে।

            গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে- স্থানীয় প্রশাসন।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৮৬.   কোন জেলায় জেলা পরিষদ অনুপস্থিত?           (জ্ঞান)

            ক যশোর                      খ ঝিনাইদহ

            গ খুলনা                        > বান্দরবান

২৮৭.   মোট কত জন সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত?           (অনুধাবন)

            ক ২০   > ২১     গ ২৩   ঘ ২৬

২৮৮.   চেয়ারম্যান ব্যতীত মোট কতজন সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত হয়?  (অনুধাবন)

            ক ১৫   খ ১৮    > ২০     ঘ ২১

২৮৯.   জেলা পরিষদের কার্যাবলি কত ধরনের? (জ্ঞান)

            > ২       খ ৩      গ ৪      ঘ ৫

২৯০.   কোনটি জেলা পরিষদের আবশ্যিক কাজ?         (জ্ঞান)

            > রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণ

            খ জনস্বাস্থ্য ও গণপূর্ত বিষয়ক কার্যক্রম গ্রহণ                

            গ জাতীয় দিবস উদ্যাপন

            ঘ সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ

২৯১.    শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজকল্যাণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোনটির ঐচ্ছিক কাজ?        (জ্ঞন)

            > জেলা পরিষদ খ পৌরসভা

            গ উপজেলা পরিষদ      ঘ জেলা প্রশাসন

২৯২.   শহর এলাকার স্থানীয় শাসন সংস্থা কোনটি?        (জ্ঞান)

            > পৌরসভা        খ সিটি কর্পোরেশন

            গ জেলা পরিষদ            ঘ উপজেলা পরিষদ

২৯৩.   পৌরসভার কার্যকাল কত বছর? (জ্ঞান)

            ক ৩     খ ৪      > ৫       ঘ ৬

২৯৪.   ঝিনাইদহ একটি জেলা। এই জেলা সদরে নিচের কোনটির উপস্থিতি থাকতে হবে?           (প্রয়োগ)

            ক হাইকোর্ট       খ ইউনিয়ন পরিষদ

            > পৌরসভা        ঘ বিভাগীয় প্রশাসন

২৯৫.   শহর এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কোন সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে?        (জ্ঞান)

            ক সিটি কর্পোরেশন       খ জেলা পরিষদ

            গ উপজেলা পরিষদ      > পৌরসভা

২৯৬.   কোনটি অগ্নিনিরোধ ও নির্বাপণের ব্যবস্থা করে থাকে?     (জ্ঞান)

            > পৌরসভা        খ উপজেলা পরিষদ

            গ জেলা পরিষদ            ঘ ইউনিয়ন পরিষদ

২৯৭.   মাতৃসদন, শিশুসদন প্রতিষ্ঠা পৌরসভার কোন ধরনের কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত?       (জ্ঞান)

            ক পরিকল্পনামূলক        খ জননিরাপত্তামূলক

            > জনস্বাস্থ্য বিষয়ক        ঘ শিক্ষা সংক্রান্ত

২৯৮.   পৌর এলাকায় কিসের অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী দালানকোঠা নির্মাণ করতে হয়?  (জ্ঞান)

            ক জেলা পরিষদের        খ উপজেলা পরিষদের

            > পৌরসভার     ঘ ইউনিয়ন পরিষদের

২৯৯.   পৌরসভা কেন রাস্তা নির্মাণ, নামকরণ ও সংরক্ষণ করে?

            > জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য             (অনুধাবন)

            খ পৌর এলাকা নিয়ন্ত্রণের জন্য

            গ জনসাধারণের চিত্তবিনোদনের জন্য

            ঘ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য

৩০০.   রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করা এবং রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ কোন সংস্থার কাজ?     (জ্ঞান)

            ক জেলা পরিষদ           খ উপজেলা পরিষদ

            > পৌরসভার     ঘ সিটি কর্পোরেশন

৩০১.    নিচের কোনটি সিটি কর্পোরেশন?          (জ্ঞান)

            ক যশোর          খ কুষ্টিয়া           > কুমিল্লা           ঘ নবাবগঞ্জ

৩০২.   ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে আইনের মাধ্যমে কয়টি কর্পোরেশনে বিভক্ত করা হয়েছে?       (জ্ঞান)

            > দুইটি খ তিনটি           গ চারটি            ঘ পাঁচটি

৩০৩.   শহরের পানীয় ও জল ব্যবস্থা, ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্য নিচের কোনটি গঠন করা হয়েছে?            (জ্ঞান)

            ক জেলা পরিষদ           খ উপজেলা পরিষদ

            > সিটি কর্পোরেশন        ঘ ইউনিয়ন পরিষদ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩০৪.   জেলা পরিষদের ঐচ্ছিক কার্যাবলি হলো-         (অনুধাবন)

            র. অর্থনৈতিক উন্নয়ন   রর. তথ্যকেন্দ্র স্থাপন

            ররর. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

৩০৫.   পৌরসভার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কাজ হলো-          (অনুধাবন)

            র. মহামারী হতে জনজীবন রক্ষা            রর. চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন

            ররর. সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

৩০৬.   পৌরসভার শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ হচ্ছে-  (অনুধাবন)

            র. হোস্টেল নির্মাণ         রর. বিনামূল্যে বই বিতরণ

            ররর. এতিমখানা স্থাপন

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৩০৭.   পৌরসভা গঠিত হয়-    (অনুধাবন)

            র. একজন চেয়ারম্যান নিয়ে

            রর. ওয়ার্ডভিত্তিক কয়েকজন নির্বাচিত সদস্য নিয়ে

            ররর. দুজন ভাইস চেয়ারম্যান নিয়ে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৩০৮.   পৌরসভার সমাজকল্যাণ সংক্রান্ত কাজ হচ্ছে-  (অনুধাবন)

            র. মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা

            রর. কল্যাণকেন্দ্র স্থাপন

            ররর. এতিমখানা স্থাপন

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

৩০৯.   সিটি কর্পোরেশনে আছেন-       (অনুধাবন)

            র. একজন মেয়র          রর. একজন ডেপুটি মেয়র

            ররর. একজন চেয়ারম্যান

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৩১০.    যে সমস্যা মীমাংসা করার জন্য পৌরসভা সালিসি উদ্যোগ নিতে পারে-

                        (অনুধাবন)       

            র. পারিবারিক সমস্যা    রর. ঝগড়াঝাটি

            ররর. দাঙ্গা-হাঙ্গামা

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩১১ ও ৩১২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

মনোয়ার সাহেব একটি সংস্থার চেয়ারম্যান। পনেরোজন সদস্য এবং পাঁচজন মহিলা সদস্য নিয়ে তার সংস্থাটি গঠিত। সংস্থাটি ঐচ্ছিক ও আবশ্যিক এই দুই ধরনের কাজ করে থাকে। আবশ্যিক কাজের অংশ হিসেবে মনোয়ার সাহেব এলাকায় একটি পাঠাগার স্থাপন করেন।

৩১১.    মনোয়ার সাহেবের সংস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ সংস্থা কোনটি?          (প্রয়োগ)

            > জেলা পরিষদ খ ইউনিয়ন পরিষদ

            গ পৌরসভা      ঘ সিটি কর্পোরেশন

৩১২.    মনোয়ার সাহেবের কার্যক্রমের ফলে এলাকায়-  (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. সচেতন নাগরিক তৈরি হবে   রর. কুসংস্কার হ্রাস পাবে

            ররর. দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *