SSC-২০২৩ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়-অর্থনৈতিক নির্দেশকসমূহ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রকৃতি সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

একাদশ অধ্যায়

অর্থনৈতিক নির্দেশকসমূহ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রকৃতি

  অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

মোট জাতীয় উৎপাদন : কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বা ভূমির উপর সে দেশের মোট শ্রম ও মূলধন নিয়োগ করে যে পরিমাণ বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয়, তার আর্থিক মূল্যকে ঐ দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন বলে।

মোট দেশজ উৎপাদন : একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয় তার বাজার দামের সমষ্টিকে মোট দেশজ উৎপাদন বা এউচ বলে।

মাথাপিছু আয় : মাথাপিছু আয় হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নাগরিকদের গড় আয়। মাথাপিছু আয় দুইটি পৃথক মান দ্বারা নির্ধারিত হয়। যথা- ১. মোট জাতীয় আয় ও ২. মোট জনসংখ্যা।

বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহ : কোনো দেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য প্রধানত সে দেশের অর্থনীতির প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :

            ১. কৃষিপ্রধান অর্থনীতি ২. কৃষিখাতের প্রকৃতি ৩. শিল্পখাতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব ও অবদান ৪. শিল্পখাতের প্রকৃতি ৫. জনসংখ্যাধিক্য ৬. ব্যাপক বেকারত্ব ৭. জীবনযাত্রার নিম্নমান ৮. সঞ্চয় ও বিনিয়োগের নিম্নহার ৯. দুর্বল অবকাঠামো ১০. বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা, ১১. বৈদেশিক বাণিজ্য ও ১২. প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের অপূর্ণ ব্যবহার।

 বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রসরতার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতাসমূহ : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত, তবে শিল্পখাত ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো অপর্যাপ্ত ও অনুন্নত। জনসংখ্যাধিক্য, শিক্ষার নিম্নহার ও বেকারত্ব দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সমস্যা।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা উত্তরণের পদক্ষপেসমূহ : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে গৃহীত পদক্ষপেগুলো নিম্নে উলেস্নখ করা হলো :

১.         উন্নয়নের জন্য নীতিগত ভিত্তি প্রস্তুত করা।

২.        কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষপেসমূহ।

৩.        সামাজিক  ও প্রকৃতি সৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা দূর করার লড়্গ্েয গৃহীত পদক্ষপেসমূহ।

অনুন্নত দেশ : অধ্যাপক র‌্যাগনার নার্কস বলেন, অনুন্নত দেশ হচ্ছে সেসব দেশ যেগুলোতে জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় মূলধন বা পুঁজি কম। এসব দেশে জনসাধারণ নিম্নমানের জীবনযাপন করে।

উন্নয়নশীল দেশ : যেসব দেশের মাথাপিছু প্রকৃত আয় উন্নত দেশের তুলনায় কম কিন্তু উন্নয়নের সূচকগুলোর ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে তাকে উন্নয়নশীল দেশ বলে। এসব দেশের মাথাপিছু আয় বর্ধনশীল এবং জীবনযাত্রার মান ক্রমেই বাড়ছে।

উন্নত দেশ : অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে এবং এই উন্নয়ন দীর্ঘ মেয়াদে অব্যাহত আছে এমন দেশকে বলে উন্নত দেশ। উন্নত দেশসমূহের জনগণের মাথাপিছু আয় খুব বেশি এবং জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত উন্নত।

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর         

প্রশ্ন- ১             অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্থনৈতিক উন্নয়ন  

 ক.       মোট জাতীয় উৎপাদন কাকে বলে?      

খ.        বাংলাদেশ কীভাবে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে আবদ্ধ?  

গ.        ছকের প্রশ্ন (?) চিহ্নিত স্থানটি যে ধারণা নির্দেশ করে তা ব্যাখ্যা কর।         

ঘ.        ছকে বর্ণিত ধাপসমূহের মধ্যে প্রথমটির সাথে সর্বশেষটির সম্পর্ক বিশেস্নষণ কর।

 ১ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বা ভূমির ওপর সে দেশের মোট শ্রম ও মূলধন নিয়োগ করে যে পরিমাণ বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয়, তার আর্থিক মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় উৎপাদন বলে।

 খ         বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় ধরে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে আবদ্ধ। বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় নিম্নন হওয়ায় জনগণের সঞ্চয়ের হার কম। তাই মূলধন বা পুঁজি গঠনের এবং উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগের হারও কম। আবার বিনিয়োগের নিম্ননহারের কারণে নতুন শিল্প স্থাপনের গতি মন্থর। ফলে নতুন কর্মসংস্থানের হারও কম। ফলে জনগণের আয় কম। বাংলাদেশ এভাবেই দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের মধ্যে আবদ্ধ।

 গ         ছকের প্রশ্ন (?) চিহ্নিত স্থানটি যে ধারণা নির্দেশ করে তা হলো অর্থনৈতিক উন্নয়ন। প্রবৃদ্ধি হচ্ছে জাতীয় আয়ের বার্ষিক বৃদ্ধির হার। অন্যদিকে, দেশের সম্পদ ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে সার্বিক আর্থসামাজিক সমৃদ্ধি ও বিকাশ সাধনকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলা যায়। সম্পদ বলতে দেশের প্রাকৃতিক ও মানবসম্পদ উভয়কে বোঝায়। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির হারের সাথে জনসংখ্যা ও দ্রব্যমূল্যস্তর বিবেচনায় নেয় এবং প্রকৃত মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে। কোনো দেশের প্রবৃদ্ধির হার যদি ২% হয় এবং সে দেশের জনসংখ্যাও যদি ২% হারে বৃদ্ধি পায়, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে না। কারণ, প্রবৃদ্ধির হার ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একই হলে মাথাপিছু আয় একই থাকে। যদি প্রবৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি হয়, তাহলেই মাথাপিছু আয় বাড়ে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে। ছকেও দেখা যাচ্ছে যে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পায় এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায় তাহলেই দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে।

 ঘ         ছকে বর্ণিত ধাপসমূহের মধ্যে প্রথমটি হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সর্বশেষটি হলো অর্থনৈতিক উন্নয়ন। নিচে এদের মধ্যে সম্পর্ক বিশেস্নষণ করা হলো :

অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পেতে হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়টি বুঝতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন (ঊপড়হড়সরপ ফবাবষড়ঢ়সবহঃ) ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (ঊপড়হড়সরপ মৎড়ঃিয) এ দুটিকে অনেক সময় একই অর্থে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এ দুটি এক নয়, কিছুটা পার্থক্য আছে। কোনো দেশের জাতীয় আয়ের বার্ষিক বৃদ্ধির হারকে প্রবৃদ্ধির হার বলা হয়। প্রবৃদ্ধি হার হচ্ছে জাতীয় আয়ের পরিবর্তনের হার। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির হারের সাথে জনসংখ্যা ও দ্রব্যমূল্যস্তর বিবেচনায় নেয় এবং প্রকৃত মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে। প্রবৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি হয়, তাহলেই মাথাপিছু আয় বাড়ে অথবা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার অপেক্ষা কম হয়, তাহলেই প্রকৃত মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাবে। প্রকৃত মাথাপিছু আয় দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে তবেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে বলা যাবে। অতএব,উপরিউক্ত বিশেস্নষণ থেকে দেখা যায় যে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক হলো- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি গভীরতর, বি¯ত্মৃততর ও বহুমাত্রিক বিষয়।

প্রশ্ন- ২            প্রকৃতিসৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের উপায়সমূহ  

অনিমা তার পরিবারের সদস্যদের সাথে মাইক্রোবাসে করে কুয়াকাটায় বেড়াতে যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় দু’টি ফেরি তারা নির্বিঘ্নে পার হলো। কিন্তু মহীপুরের ফেরি পার হতে গিয়ে দেখে যে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের কারণে ফেরি সংলগ্ন পল্টুনের তিন-চতুর্থাংশ পানির নিচে ডুবে গেছে। তাদেরকে ফেরি পার হওয়ার জন্য সেখানে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অনিমার বাবা সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানতে পারেন, সরকার এ ধরনের অবস্থা মোকাবিলার জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।

 ক.       অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি কী?

খ.        বৈদেশিক বাণিজ্য বলতে কী বুঝায়?      

গ.        অনিমা ও তার পরিবার কুয়াকাটা যাওয়ার পথে দেশের কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়? ব্যাখ্যা কর।      

ঘ.        অনিমার বাবার জানা প্রকল্পটি কি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়ক হবে? তোমার উত্তরের সপড়্গে যুক্তি দাও।       

 ২ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি হলো আর্থসামাজিক অবকাঠামো।

 খ         দুই বা ততোধিক সার্বভৌম দেশের মধ্যে দ্রব্যসামগ্রীর আদান-প্রদানকে বৈদেশিক বাণিজ্য বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বলা হয়।অন্যভাবে বলা যায়, বিশ্বের কোনো একটি দেশের সাথে অন্য একটি বা একাধিক দেশের দ্রব্য সামগ্রীর যে লেনদেন হয় তাকে আন্তর্জাতিক বা বৈদেশিক বাণিজ্য বলে।

 গ         অনিমা ও তার পরিবার কুয়াকাটা যাওয়ার পথে দেশের প্রকৃতিসৃষ্ট অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশে একটি সাধারণ ঘটনা। প্রধান প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো ও নদীভাঙন। এগুলোর মধ্যে জলোচ্ছ্বাস অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ। উদ্দীপকে বর্ণিত অনিমা তার পরিবারের সদস্যদের সাথে মাইক্রোবাসে করে কুয়াকাটার বেড়াতে যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় দুটি ফেরি তারা নির্বিঘ্নে পার হলেও মহীপুরের ফেরি পার হতে গিয়ে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের কারণে ফেরি সংলগ্ন পল্টুনের তিন-চতুর্থাংশ পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় তাদের ফেরি পার হতে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ফেরির পল্টুনের তিন-চতুর্থাংশ ডুবে যাওয়া এবং চার ঘণ্টা সময়ের অপচয় ফেরি পার হবার জন্য প্রকৃতিসৃষ্ট অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতাই নির্দেশ করে।

 ঘ         অনিমার বাবার জানা প্রকল্পটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে কিছু পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো প্রকৃতিসৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য পদক্ষেপ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠছে। এছাড়াও সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো ও আবহাওয়া অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড ইত্যাদি সংস্থা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে। এর ফলে জনগণ সচেতন হবে দুর্যোগের সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারে।            এতে ক্ষয়ক্ষতি কম হওয়া সম্ভব। এছাড়াও ‘সিডিএমপি’ প্রকল্পের ২য় পর্যায় ২০১০-২০১৪ মেয়াদ বাস্তবায়ন করার ফলে দুর্যোগ সম্পর্কে আগাম সতর্কীকরণ, দুর্যোগের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি, ঝুঁকি হ্রাস, দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতএব, বলা যায়, অনিমার বাবার জানা প্রকল্পটি এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন- ১             উচ্চ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ  

মাহি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ‘ক’ দেশে গিয়ে দেখে সে দেশের মোট জাতীয় আয় ২৩০৯.৩ বিলিয়ন ডলার। তাদের জনসংখ্যা ৬৪ মিলিয়ন। তার বন্ধু ফারহান ‘খ’ দেশে পড়তে গিয়েছে। সে দেশের মোট জাতীয় আয় ১৮৮.৪ বিলিয়ন ডলার। তাদের জনসংখ্যা ১৫৮ মিলিয়ন।

 ক.       বাণিজ্যের কয়টি দিক রয়েছে?   ১

খ.        বেকারত্ব হ্রাস বলতে কী বোঝায়?           ২

গ.        ‘ক’ দেশটি কোন ধরনের আয়ের দেশের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩                    

ঘ.        ‘খ’ দেশকে ‘ক’ দেশের মতো আয়ের দেশ হতে হলে শিক্ষার প্রসারের বিকল্প নেই”। উক্তিটি বিশেস্নষণ কর।            ৪

  ১ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বাণিজ্যের দুটি দিক রয়েছে।

 খ         কৃষিতে আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ ও দ্রম্নত শিল্পায়ন এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের হার কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা নেওয়াই হলো বেকারত্ব হ্রাস। সাধারণত উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় নানারকম প্রকল্পের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস করার ও দারিদ্র্য নিরসনের ব্যবস্থা করা হয়।

 গ         ‘ক’ দেশটি উচ্চ আয়ের দেশের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বব্যাংক মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে পৃথিবীর দেশগুলোকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করেছে। এগুলো হচ্ছে : উচ্চ আয়ের দেশ (ঐরময রহপড়সব ঈড়ঁহঃৎরবং), মধ্য আয়ের দেশ (গরফফষব ওহপড়সব ঈড়ঁহঃৎরবং) এবং নিম্ন আয়ের দেশ (খড়ি ওহপড়সব ঈড়ঁহঃৎরবং)। এর মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশগুলোর মাথাপিছু আয় ১২২৭৬ ডলার ও তার বেশি। উদ্দীপকের ‘ক’ দেশটির মোট জাতীয় আয় ২৩০৯.৩ বিলিয়ন ডলার এবং জনসংখ্যা মাত্র ৬৪ মিলিয়ন। সুতরাং ‘ক’ দেশের মাথাপিছু আয় ৩৬,০৮৩ ডলার। অর্থাৎ ‘ক’ দেশটি উচ্চ আয়ের দেশের অন্তর্ভুক্ত।

 ঘ         উদ্দীপকের ‘খ’ দেশটি নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ। কেননা ‘খ’ দেশের মোট জাতীয় আয় ১৮৮.৪ বিলিয়ন ডলার এবং জনসংখ্যা ১৫৮ মিলিয়ন। অর্থাৎ দেশটির মাথাপিছু আয় ১১৯২ ডলার। সুতরাং ‘খ’ দেশটিকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ থেকে উচ্চ আয়ের দেশ হতে হলে বেশ কিছু পদক্ষপে নিতে হবে। এ লড়্গ্েয ‘খ’ দেশের শিক্ষার প্রসারের বিকল্প নেই। উচ্চ আয়ের দেশের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, শিল্পের প্রসার এবং প্রচুর পুঁজির বিনিয়োগ, এসব দেশের শিক্ষতি জনগোষ্ঠী এর মূলে কাজ করে। অন্যদিকে ‘খ’ দেশের মতো নিম্ন আয়ের দেশে শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা, জনগণের সাক্ষরতার নিম্নহার এবং কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও জ্ঞানের অভাবের ফলে সাধারণ শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কম। এর সাথে পুষ্টিহীনতা ও সুস্বাস্থ্যের অভাব উৎপাদনশীলতা আরও কমিয়ে দেয়। শ্রমিক ও জনগণের মধ্যে উদ্যোগ গ্রহণের আগ্রহ ও সাধ্যও কম। এসব কিছুই অর্থনীতির সকল খাত বিশেষত শিল্পখাতের অগ্রসরতাকে অনেকটাই বাধ্যগ্রস্ত করে রেখেছে। অর্থাৎ শিক্ষার প্রসারে অন্য সকল বাধা অতিক্রম করা যায়। তাই বলা যেতে পারে ‘খ’ দেশকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ থেকে ‘ক’ দেশের মতো উচ্চ আয়ের দেশ হতে হলে শিক্ষা প্রসারের বিকল্প নেই।

প্রশ্ন- ২            সেবা কৃষি খাত 

SSC 2023 BGS

            ১ নং ব্যক্তির বক্তব্য       ২নং ব্যক্তির বক্তব্য

 ক.       কোনো দেশের মোট আয় কতভাবে ব্যয়িত হয়? ১

খ.        মোট জাতীয় আয় বলতে কী বোঝায়?    ২

গ.        ১ নং ব্যক্তির বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে সমন্বিত খাতটি চিহ্নিত হয়েছে তার অবদান ব্যাখ্যা কর।  ৩

ঘ.        তুমি কি মনে কর ২ নং ব্যক্তির বক্তব্যে বাংলাদেশের একটি অন্যতম খাতের প্রকৃতি ফুটে উঠেছে? যৌক্তিক বিশেস্নষণ কর। ৪

 ২ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক         কোনো দেশের মোট আয় দু’ভাবে ব্যয়িত হয়।

 খ         কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট আর্থিক বছরে কোনো দেশের নাগরিক কর্তৃক যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় আয় বলে। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মোট জাতীয় আয় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 গ  উদ্দীপকের ১ নং ব্যক্তির বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে সমন্বিত খাতটি চিহ্নিত হয়েছে তা হলো সেবা খাত। অর্থনীতির খাত বলতে বোঝায় অর্থনীতির বিভিন্ন অংশ, বিভাগ বা সংখ্যা। বিশ্বের যেকোনো অর্থনীতিকে প্রধান তিনটি খাতে ভাগ করা হয়। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত। সেবা খাত অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। হোটেল ও রে¯েত্মাঁরা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও যোগাযোগ, আর্থিক প্রাতিষ্ঠানিক (ব্যাংক ও বিমা) সেবা ইত্যাদি সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত। ২০১১-১২ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনে হোটেল ও রে¯েত্মাঁরার অবদান ০.৭৪ শতাংশ, পরিবহন, সংরক্ষণ ও যোগাযোগ (স্থল, পানি ও আকাশ পথে পরিবহন, সহযোগী পরিবহন, সেবা  ও সংরক্ষণ, ডাক  ও তার যোগাযোগ) এর অবদান ১০,৭৪ শতাংশ এবং আর্থিক প্রাতিষ্ঠানিক সেবা (ব্যাংক, বিমা ও অন্যান্য) এর অবদান ২.১০ শতাংশ।

 ঘ  হ্যাঁ,  আমি মনে করি ২ নং ব্যক্তির বক্তব্যে বাংলাদেশের অন্যতম একটি খাত অর্থাৎ কৃষি খাতের প্রকৃতি ফুটে উঠেছে। মূলত কৃষি এমন একটি খাত যেটি পরিমিত বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না হলে কৃষি পণ্যের দাম ও ভাল পাওয়া যায় না; যা উদ্দীপকের ২ নং ব্যক্তির বক্তব্যে পাওয়া যায়। বস্তুত অতি প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিপ্রধান অর্থনীতি হিসাবে পরিগণিত ২০১১-১২ অর্থ বছরে মোট দেশজ উৎপাদনে মৎস্য খাতসহ কৃষি খাতের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। দেশের শ্রমশক্তির ৪৩.৬ শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত। দেশের রপ্তানি আয়েও কৃষিখাতের উলেস্নখযোগ্য অবদান রয়েছে। খাদ্যশস্য কৃষিখাতের অন্যতম প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য। এসব কারণেই কৃষিখাত এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসাবে বিবেচিত।

প্রশ্ন-

উন্নত অনুন্নত দেশ 

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মি. ইমন সম্প্রতি উচ্চশিক্ষার্থে জাপান এসেছেন। এদেশের মাথাপিছু আয় ৪২,১৫০ ইউএস ডলার (উৎস: বিশ্বব্যাংক রিপোর্ট, ২০১২)। মি. ইমনের দেশটির মাথাপিছু আয় ৬৪০ ইউএস ডলার। (উৎস: বিশ্বব্যাংক রিপোর্ট, ২০১২)

 ক.       এঘচ-এর ইংরেজি পূর্ণরূপ কী?  ১

খ.        বাংলাদেশে কেন বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি বিরাজমান? ব্যাখ্যা কর।     ২

গ.        উন্নয়নের মাত্রার ভিত্তিতে মি. ইমনের দেশটি কী ধরনের দেশ তা শনাক্ত করে ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.        উদ্দীপকে উলিস্নখিত মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে দেশ দুটির বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য বিশেস্নষণ কর।     ৪

 ৩ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক         এঘচ-এর ইংরেজি পূর্ণরূপ হলো  এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ.

 খ          বৈদেশিক বাণিজ্যের দুটি দিক। যথা: আমদানি ও রপ্তানি। রপ্তানি হলো কোনো দেশের আয়ের উৎস আর আমদানি হচ্ছে ব্যয়ের খাত। সাধারণত প্রতিবছর রপ্তানির মাধ্যমে যে পরিমাণ আয় আসে তার চেয়ে বেশি আমদানির মাধ্যমে ব্যয় হয় বলে বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় সর্বদা আমদানি ব্যয়ের চেয়ে কম। আর এজন্যই বাংলাদেশে বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি বিরাজমান।

 গ  উন্নয়নের মাত্রার ভিত্তিতে মি. ইমনের দেশটি নিম্নআয়ের দেশ। সাধারণত যেসব দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ১০০৫ ডলার বা তার কম সেসব দেশ নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে চিহ্নিত। উদ্দীপকের মি. ইমনের দেশটির মাথাপিছু আয় ৬৪০ ইউএস ডলার; যা নিম্ন আয়ের দেশকে নির্দেশ করছে। সাধারণত যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক সে দেশের জনগণের মাথাপিছু  আয়। একটি দেশ উন্নত, অনুন্নত নাকি উন্নয়নশীল তা মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়। বিশ্বব্যাংক মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে পৃথিবীর দেশগুলোকে উচ্চ আয়ের দেশ, মধ্য আয়ের দেশ এবং নিম্ন আয়ের দেশ এ তিনটি ভাগে ভাগ করেছে। যেসব দেশের মাথাপিছু আয় ১২,২৭৬  ডলার বা তার বেশি সেগুলো উচ্চআয়ের দেশ। আবার যেসব দেশের মাথাপিছু আয় ১০০৬-১২,২৭৫ ডলার সেগুলো মধ্য আয়ের দেশ এবং যেসব দেশের মাথাপিছু আয় ১০০৫ ডলার অথবা তার কম সেগুলো নিম্নআয়ের দেশ। এ হিসেবে উদ্দীপকের মি. ইমনের দেশটি নিম্নআয়ের দেশ হিসেবে চিহ্নিত।

 ঘ  উদ্দীপকে ইমনের উচ্চশিক্ষার্থে গমনকারী দেশটি হলো উচ্চআয়ের দেশ আর মি. ইমনের দেশটি হলো নিম্ন আয়ের দেশ। মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে দেশ দুটির মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। মাথাপিছু আয় ব্যক্তির জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ করে। উচ্চ মাথাপিছু আয় উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করে। উচ্চ মাথাপিছু আয়ের দেশসমূহ উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃত। উন্নয়ন প্রক্রিয়া শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছানোর ফলেই এসব দেশ এতে উন্নত অবস্থা অর্জন করেছে। এসব দেশের মাথাপিছু আয় এমন যে জনগণের সকল মৌলিক চাহিদা পূরণের পরও প্রচুর অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে যা সঞ্চয় ও মূলধন গঠনে ব্যয় হয়। এসব দেশ উদ্বৃত অর্থ দিয়ে অধিকতর উন্নয়ন কার্যক্রম চালায় এবং উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়তা করে। অন্যদিকে নিম্ন মাথাপিছু  আয়ের দেশসমূহে জনগণের জীবনযাত্রার মান নিম্ন। ব্যাপক বেকারত্ব, দরিদ্রতা এবং বিভিন্ন আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক সমস্যা এসব দেশের জনগণের নিত্যসঙ্গী। জনগণ তাদের মৌল মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। বিশেষ করে দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে এসব দেশের জনগণ মানবেতর জীবনযাপন করে। সুতরাং বলা যায় যে, উদ্দীপকে উলিস্নখিত মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে দেশ দুটির মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান।

প্রশ্ন- ৪             বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা  

ঘটনা-১ : বাংলাদেশে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট জাতীয় আয় অর্জন করে ১৪,৩৩,২২৪ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অর্জন করে ১৬,১০,৮৯৫ কোটি টাকা।

ঘটনা-২ : বিশ্ব ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। শিল্পায়ন, কৃষি উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সফলতা দেখাচ্ছে।

 ক.                   চূড়ান্ত দ্রব্য কাকে বলে? ১

খ.                    মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?           ২

গ.                    উদ্দীপকে প্রদত্ত তথ্যের আলোকে বাংলাদেশ উন্নয়নের কোন মাত্রায় ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.                    বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশেস্নষণে ঘটনা-১ এর তথ্যই যথেষ্ট কিনা-বিশেস্নষণ কর।       ৪

 ৪ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        যে সমস্ত দ্রব্য উৎপাদনের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে চূড়ান্তভাবে ভোগের উদ্দেশ্যেই উৎপাদিত হয় সে সমস্ত দ্রব্যকে বলা হয় চূড়ান্ত দ্রব্য।

 খ         সাধারণত যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিমালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলে। এরূপ অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও ভোগের ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে কিন্তু সরকার প্রয়োজন মনে করলে দ্রব্যের দাম ও উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এরূপ অর্থব্যবস্থাকে বলা হয় মিশ্র অর্থব্যবস্থা। বাংলাদেশেও মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিরাজমান।

 গ   উদ্দীপকের প্রদত্ত তথ্যানুসারে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মাত্রার বিচারে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ভূক্ত হিসেবে বিবেচনা করা যায়। অব্যাহত উন্নয়ন প্রচেষ্টা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচক যেমন: জাতীয় আয়ের উর্ধ্বগতি, মাথাপিছু প্রকৃত আয় বৃদ্ধি এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের সূচক, যেমন : শিক্ষায় জেন্ডার সমতা, শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুহার হ্রাস, প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হারের উলেস্নখযোগ্য অগ্রগতি ইত্যাদি উচ্চমানের কারণে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অভিহিত করা যায়। বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ১৪,৩৩,২২৪ কোটি টাকা এবং তা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬,১০,৮৯৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। এছাড়াও কৃষি উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোর উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সফলতা অর্জনেও সক্ষম হচ্ছে। সর্বোপরি বলা যায়, অর্থনৈতিক অবস্থার ক্রমোন্নতি এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিচারের মাত্রায় বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ বলা যায়।

 ঘ   বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশেস্নষণে ঘটনা-১ এর তথ্য যথেষ্ট নয়। একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা জানার জন্য জাতীয় আয় গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সূচক যেমন মাথাপিছু আয়, দ্রব্যমূল্য, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদি বিবেচনা করাও একটি দেশের অর্র্থনৈতিক উন্নয়ন বিশেস্নষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঘটনা-১এর তথ্যে মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধির অবস্থা দেয়া থাকলেও সেখানে মাথাপিছু প্রকৃত আয় এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়নি। মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে যদি কোনো দেশের জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ে তবে সে দেশের মাথাপিছু আয় কমে যায়, জীবনযাত্রার মান কমে এবং সর্বোপরি একটি দেশ অনুন্নত অর্থব্যবস্থার দিকে ধাবিত হয়। কোনো দেশের প্রবৃদ্ধির হার যদি ২% হয় এবং জনসংখ্যাও যদি ২% হারে বাড়ে তবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে বলা যাবে না। ঠিক একইভাবে যদি দেশের জনসগণের মাথাপিছু আয় ৫% বাড়ে এবং একই সময়ে দ্রব্যমূল্যও ৫% বৃদ্ধি পায় তবে মাথাপিছু আয় বৃদ্দি পাওয়া সত্ত্বেও জনগণ পুর্বাপেক্ষা বেশি দ্রব্য ক্রয় করতে পারবে না। তাই জাতীয় আয় বৃদ্ধির ফরে আর্থিক আয় বৃদ্ধি হলেও প্রকৃত আয় বাড়ে না। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে বলা যায় না। জনসংখ্যা ও দ্রব্যমূল্য স্থির অবস্থায় যদি মোট জাতীয় আয় ও মাথাপিছু আয় বাড়ে তাহলে প্রকৃত উন্নয়ন ঘটবে বলা যায়। তাই উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিচারে মোট জাতীয় আয়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে যুক্ত অন্যান্য সূচকের গুরুত্বও অপরিসীম।

প্রশ্ন- ৫            অনুন্নত উন্নয়নশীল দেশ সম্পর্কে ধারণা 

সৈকত সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় চাকরিসূত্রে এসেছে। মালয়েশিয়ার মাথাপিছু আয় ৭,৯০০ মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৬৪০ মার্কিন ডলার। (উৎস : ওয়ার্ল্ড ব্যাংক রিপোর্ট, ২০১২)। বাংলাদেশের লড়্গ্য জনসংখ্যাকে শিক্ষার মাধ্যমে মানব সম্পদে পরিণত করা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, পরিবার পরিকল্পনা ও অন্যান্য খাতে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।

 ক.       এঘচ-এর পূর্ণরূপ কী?   ১

খ.        বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাধা দূর করার একটি পদক্ষপে বর্ণনা কর।     ২

গ.        উন্নয়নের মাত্রার ভিত্তিতে বাংলাদেশে কোন ধরনের দেশ? ব্যাখ্যা কর।     ৩

ঘ.        “মধ্য আয়ের দেশসমূহ সাধারণত উন্নয়নশীল দেশ” – যুক্তিসহকারে মতামত দাও। ৪

 ৫ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        এঘচ-এর পূর্ণরূপ এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ।

 খ         বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাধা দূর করার একটি পদক্ষপে হচ্ছে কৃষিক্ষেত্রে গৃহীত সার ব্যবস্থাপনার পদক্ষপে। যেমন-

১.         জৈব সার ব্যবহারের উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করে সারাদেশে ৯৭ লক্ষ পরিবারের বসতভিটার চারদিকে জৈব সার, সবুজ সার ও জীবাণু সার উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কার্যক্রম গ্রহণ।

২.        সার ব্যবহার সুষমকরণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সারের আমদানি খরচের উপর ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখা।

 গ         অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাত্রা বা স্তর অনুসারে বিশ্বের দেশগুলোকে উন্নত, উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত বা স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে শ্রেণিবিভাগ করা হয়। এই বিভাজন অনুসারে বাংলাদেশ সর্বশেষ শ্রেণি অর্থাৎ স্বল্পোন্নত দেশের অন্তর্ভুক্ত। কেননা বাংলাদেশের রয়েছে কৃষির উপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা, অনুন্নত কৃষি উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা, ক্ষুদ্র ও অনুন্নত শিল্পখাত, বিনিয়োগের নিম্নহার, প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনশক্তির অসম্পূর্ণ ব্যবহার, প্রতিকূল বৈদেশিক বাণিজ্য, বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য। তবে অব্যাহত উন্নয়ন প্রচেষ্টা ও কার্যক্রম এবং আর্থসামাজিক কিছু সূচকের (যেমন, শিক্ষায় জেন্ডার সমতা, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হারে উলেস্নখযোগ্য অগ্রগতি) উচ্চমানের কারণে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ভুক্ত হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।

 ঘ         বিশ্বের উন্নত ও অনুন্নত দেশসমূহের মধ্যপর্যায়ে আরেক ধরনের দেশ আছে- যেগুলোকে বলা হয় উন্নয়শীল দেশ। এসব দেশে মাথাপিছু প্রকৃত আয় উন্নত দেশসমূহের তুলনায় অনেক কম। উন্নয়নশীল দেশসমূহে অনুন্নত অর্থনীতির অধিকাংশ বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষিখাতের প্রাধান্য, শিল্পখাতের অনগ্রসরতা, ব্যাপক বেকারত্ব, পরিবহন, যোগাযোগ ও বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা, শিক্ষার নিম্নহার, মূলধন গঠন ও বিনিয়োগের নিম্নহার, নিম্ন মাথাপিছু আয় ও দারিদ্র্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার ইত্যাদি। তবে অনুন্নত দেশসমূহের সাথে এ দেশগুলোর পার্থক্য এই যে, এইসব দেশ পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনসংখ্যাকে ব্যবহার করে মোট জাতীয় উৎপাদন তথা মাথাপিছু প্রকৃত আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির একটি প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। যা তাদের মধ্য আয়ে দেশে পরিণত করেছে। পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় এসব দেশ আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন ও দেশের দ্রম্নত শিল্পায়ন করার প্রচেষ্টা নেয়। ফলে পুঁজিগঠন ও বিনিয়োগের হার বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয়। জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করার জন্য শিক্ষার প্রসার ঘটানো হয় এবং সকলের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এইসব উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার ফলে অর্থনীতিতে বিরাজমান উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর হওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়। ফলে দেখা যায়, মধ্য আয়ের দেশসমূহ সাধারণত উন্নয়নশীল দেশ।

প্রশ্ন- ৬            মোট জাতীয় উৎপাদন পরিমাপ  

দৃশ্য-১ : হারুন ডিগ্রি পাস করে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে একটি হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তোলে। সেখানে অনেক লোক কাজ করে।

দৃশ্য-২ : ফারদিন পড়াশুনা শেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেয়।

            ক.        কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক কী?    ১

খ.        ‘প্রতিকূল বৈদেশিক বাণিজ্য’ বলতে কী বোঝায়?           ২

গ.        ফারদিনের কাজ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোন খাতের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর।   ৩

ঘ.        “দৃশ্য-২ এর চেয়ে দৃশ্য-১ এর কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেশি অবদান রাখছে।” – উক্তিটি মূল্যায়ন কর।            ৪

 ৬ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক সে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয়।

 খ         বৈদেশিক বাণিজ্যের দুটি দিক আছে রপ্তানি ও আমদানি। রপ্তানি হচ্ছে কোনো দেশের আয়ের উৎস আর আমদানি ব্যয়ের খাত। যখন কোনো দেশের রপ্তানি আয় একই অর্থবছরে আমদানি ব্যয়ের চেয়ে কম হয় তখন ঐ দেশকে বাণিজ্য ঘাটতি দেশ এবং উক্ত দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যকে ‘প্রতিকূল বৈদেশিক বাণিজ্য’ বলে।

 গ         ফারদিনের কাজ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ‘সেবা’খাতের অন্তর্ভুক্ত। অর্থনীতিতে খাত বলতে বোঝায় অর্থনীতির বিভিন্ন অংশ, বিভাগ বা শাখা। বিশ্বের যে কোনো অর্থনীতিকে প্রধান তিনটি খাতে ভাগ করা হয় : কৃষি, শিল্প ও সেবাখাত। তবে বিভিন্ন দেশে বাজেট বরাদ্দের সুবিধা ও কাজ করার সুবিধার জন্য এই তিনটি প্রধান খাতের প্রত্যেকটিকে আবার কিছু সংখ্যক খাতে ভাগ করা যায়। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মোট ১৫টি প্রধান খাতে ভাগ করা হয়। তবে এই ১৫টি খাতকে মোট ৫টি বি¯ত্মৃত খাতে সমন্বিত করা যায়। যেমন : কৃষি, শিল্প, সেবা, ব্যবসা ও সামাজিক সেবা। এর মধ্যে হোটেল ও রেস্তোরাঁ; পরিবহন, সংরক্ষণ ও যোগাযোগ; আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ব্যাংক ও বীমা) সেবা ইত্যাদি ‘সেবা’ খাতের অন্তর্ভুক্ত। উদ্দীপকের ফারদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা। সুতরাং তার কাজ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ‘সেবা’ খাতের অন্তর্ভুক্ত।

 ঘ         দৃশ্য-২ এর কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘সেবা’ খাত এবং দৃশ্য-১ এর কর্মকাণ্ড তথা হাঁস-মুরগির খামার বিষয়ক কর্মকাণ্ড ‘কৃষি’ খাতের অন্তর্ভুক্ত। এ দুইটি খাতের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেশি অবদান রাখছে ‘কৃষি’ খাত। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তিস্বরূপ। তবে এত গুরুত্বপূর্ণ হলেও কৃষি উৎপাদন প্রণালি এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ আধুনিক হয়ে ওঠেনি। চাষাবাদের আওতাধীন জমির বৃহদাংশে এখনও পর্যন্ত সনাতন পদ্ধতির চাষাবাদ চলছে। এর ফলে কৃষিজমির উৎপাদনশীলতাও কম। যদিও বহু লোক এ খাতে জড়িত। যেমন- উদ্দীপকের হাঁস-মুরগির খামারেও অনেক লোক কাজ করে। ২০১১-১২ অর্থবছরে কৃষিখাতে মোট দেশজ উৎপাদনের অংশ ১৯.৪১%। যা পাঁচটি খাতের মধ্যে তৃতীয়। অন্যদিকে ‘সেবা’ খাতে দেশের খুব কম সংখ্যক লোকই জড়িত এবং জাতীয় অর্থনীতির অবদানের দিক থেকে তা পঞ্চম। ২০১১-১২ অর্থবছরে সেবা খাতের অবদান মোট দেশজ উৎপাদনে ১৩.৫৮%। আলোচনার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্তে আসা যায়, কৃষি বিষয়ক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেশি অবদান রাখছে।

প্রশ্ন- ৭             রেমিটেন্স মোট দেশজ উৎপাদনের ধারণা  

‘অ’ দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন এ বছর ৫০,০০০ কোটি টাকা। দেশটি এ বছর আমদানি করেছে ২০,০০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ দ্রব্য ও সেবাসামগ্রী। অন্যপড়্গে দেশটি রপ্তানি ও প্রবাসী নাগরিকদের নিকট থেকে রেমিটেন্স বাবদ এ বছর ৩০,০০০ কোটি টাকা অর্জন করেছে।

            ক.        ভোগ কাকে বলে?         ১

খ.        মাথাপিছু আয় বলতে কী বোঝায়?          ২

গ.        ‘অ’ দেশটির এ বছর এউচ কত? ব্যাখ্যা কর।      ৩

ঘ.        আমদানি-রপ্তানি (রেমিটেন্সসহ) বিবেচনায় ‘অ’ দেশকে ক্রমপ্রসারমান অর্থনীতির দেশ বলা যায়? যুক্তিসহ লেখ।    ৪

৭ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        মানুষের অভাব পূরণের জন্য কোনো দ্রব্যের উপযোগ ব্যবহার করার প্রক্রিয়াকে ভোগ বলে।

 খ         মাথাপিছু আয় হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নাগরিকদের গড় আয়। মাথাপিছু আয় দুইটি পৃথক মান দ্বারা নির্ধারিত হয় : (১) মোট জাতীয় আয় এবং (২) মোট জনসংখ্যা।

কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের মোট জাতীয় আয়কে (জিএনআই) সে দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে মাথাপিছু জাতীয় আয় বা মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়। মাথাপিছু আয়কে নিম্নলিখিতভাবে প্রকাশ করা যায় :

মাথাপিছু আয় = মোট জাতীয় আয়মোট জনসংখ্যা

সংকেতের সাহায্যে মাথাপিছু আয় প্রকাশ করলে আমরা পাই : -ণ = ণচ

যেখানে -ণ = মাথাপিছু আয়

               ণ = মোট জাতীয় আয়

               চ = মোট জনসংখ্যা

 গ         কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের জনগণ মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন করে তার অর্থমূল্যকে মোট জাতীয় উৎপাদন বলে। জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারী ও কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উৎপাদন/আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত দেশি নাগরিক, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন/আয় অন্তর্ভুক্ত হবে। যদি ঢ দ্বারা আমরা বিদেশে অবস্থানরত দেশি জনগণের আয় বুঝাই এবং গ দ্বারা দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আয় বুঝাই তাহলে মোট জাতীয় উৎপাদন (এঘচ) = মোট দেশজ উৎপাদন (এউচ) + (ঢ-গ)।

সুতরাং এউচ = এঘচ -(ঢ-গ)

উদ্দীপকে ‘অ’ দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন এঘচ = ৫০,০০০ কোটি টাকা।

আর উদ্দীপকের আলোচনার সূত্রে ধরে নেওয়া যেতে পারে প্রবাসীদের আয়, ঢ = ৩০,০০০ কোটি টাকা

এক্ষেত্রে উদ্দীপকে বিদেশি নাগরিকদের আয় উলেস্নখ নেই, যারা ‘অ’ দেশে অবস্থান করছে।

সুতরাং ‘অ’ দেশের জিডিপি = ৫০,০০০ -৩০,০০০

                                    = ২০,০০০ কোটি টাকা

 ঘ         আমদানি-রপ্তানি (রেমিটেন্সসহ) বিবেচনায় ‘অ’ দেশটিকে ক্রমপ্রসারমান অর্থনীতির দেশ বলা যায়। পৃথিবীতে কোনো দেশই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক কারণেও প্রতিটি দেশকে প্রতিবেশী দেশসমূহসহ অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে, বজায় রাখতে ও উন্নয়ন করতে হয়। এক্ষেত্রে বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্পর্ক অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আর এ বাণিজ্যের দু’টি দিক আছে- রপ্তানি ও আমদানি। রপ্তানি হচ্ছে কোনো দেশের আয়ের উৎস আর আমদানি ব্যয়ের খাত। ‘অ’ দেশের রপ্তানি আয় দেখা যাচ্ছে আমদানি ব্যয়ের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘অ’ দেশ একটি উদ্বৃত্ত দেশ। এ প্রেক্ষিতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, প্রবাসীদের আয়প্রবাহ বৃদ্ধি ইত্যাদি অব্যাহত থাকলে নিঃসন্দেহে ‘অ’ দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। অতএব, আমদানি-রপ্তানি (রেমিটেন্সসহ) বিবেচনায় ‘অ’ দেশকে ক্রমপ্রসারমান অর্থনীতির দেশ বলা যায়।

প্রশ্ন- ৮            মোট জাতীয় উৎপাদনের পরিমাণ  

আদনান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। প্রতি মাসে সে তার আয়ের একটি অংশ দেশে মা-বাবার কাছে পাঠান। অন্যদিকে কানাডার নাগরিক মি. জন বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় করেন। তিনিও প্রতি মাসে কানাডায় টাকা পাঠান।

            ক.        উৎপাদনের উপাদান কয়টি?     ১

খ.        অর্থনীতিতে ‘বণ্টন’ বলতে কী বোঝায়? ২

গ.        আদনানের পাঠানো টাকা জাতীয় আয় পরিমাপের ক্ষেত্রে কীভাবে সম্পৃক্ত? ব্যাখ্যা কর।  ৩

ঘ.        “মি. জন এর কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের জাতীয় আয়কে প্রভাবিত করবে।” – উক্তিটি বিশেস্নষণ কর।    ৪

 ৮ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        উৎপাদনের উপাদান চারটি।

 খ         উৎপাদিত সম্পদ উৎপাদনের চারটি উপাদানের মধ্যে ভাগ হওয়ার প্রক্রিয়াকে বণ্টন বলা হয়। মানুষ সবসময়ই তার বিভিন্ন অভাব পূরণের জন্য উৎপাদনের চারটি উপাদানের সাহায্যে প্রচেষ্টা চালায়। মোট উৎপাদিত সম্পদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ এই চারটি উপকরণের মধ্যে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা হিসেবে ভাগ হয়ে যায়। এগুলো হচ্ছে উৎপাদনের উপকরণসমূহের আয়বণ্টন।

 গ         আদনানের পাঠানো টাকা মোট জাতীয় উৎপাদনের অংশ হিসেবে জাতীয় আয় পরিমাপে সম্পৃক্ত। মোট জাতীয় উৎপাদনকে অনেক সময় মোট জাতীয় আয় বলা হয়। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের জনগণ মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন করে তার অর্থমূল্যকে মোট জাতীয় উৎপাদন বলে। জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারী ও কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উৎপাদন/আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত দেশি নাগরিক, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন/আয় অন্তর্ভুক্ত হবে। যদি ঢ দ্বারা আমরা বিদেশে অবস্থানরত দেশি জনগণের আয় বুঝাই এবং গ দ্বারা দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আয় বুঝাই তাহলে মোট জাতীয় উৎপাদন (এঘচ) = মোট দেশজ উৎপাদন (এউচ) + (ঢ-গ)। উপরের আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট যে মোট জাতীয় উৎপাদন (এঘচ) শুধুমাত্র দেশের নাগরিকদের উৎপাদন হিসাবে গণনা করে। সে নাগরিকেরা দেশে অথবা বিদেশে যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, এক্ষেত্রে জাতি বা নাগরিকই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দীপকে আদনান মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত এবং সে দেশে মা-বাবার কাছে টাকা পাঠায়। সুতরাং আদনানের পাঠানো টাকা মোট জাতীয় উৎপাদনের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে জাতীয় আয় পরিমাপের ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত।

 ঘ         মি. জন এর কর্মকাণ্ড অবশ্যই বাংলাদেশের জাতীয় আয়কে প্রভাবিত করবে। উদ্দীপকে মি. জন কানাডার নাগরিক। সুতরাং তার আয় বাংলাদেশের দেশজ উৎপাদনে অন্তর্ভুক্ত হলেও মোট জাতীয় উৎপাদন বা সরলভাবে জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে না। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের জনগণ মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন করে তার অর্থমূল্যকে মোট জাতীয় উৎপাদন বলে। জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারী ও কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উৎপাদন/আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত দেশি নাগরিক, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন/আয় অন্তর্ভুক্ত হবে। পক্ষান্তরে, মোট দেশজ উৎপাদন হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের অভ্যন্তরে বা ভৌগোলিক সীমানার ভিতরে বসবাসকারী সকল জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের অর্থমূল্যের সমষ্টি। এতে উক্ত সীমানার মধ্যে বসবাসকারী দেশের সকল নাগরিক ও বিদেশি ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হবে। সুতরাং মি. জন এর কর্মকাণ্ড মোট জাতীয় উৎপাদন হিসেবে কানাডার জাতীয় আয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং বাংলাদেশে বসবাস করলেও তার আয় এ দেশের জাতীয় আয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে না যদিও তা জিডিপির অন্তর্ভুক্ত।

প্রশ্ন- ৯            বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অগ্রসরতার প্রতিবন্ধকতা  

যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সোহেল আত¥কর্মসংস্থানের লড়্গ্েয নিজ বাড়িতে একটি হাঁস-মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা করেছে। মাঝারি উৎপাদনের খামারটিতে দুই তিন জন লোক কাজ করে। কিন্তু খামারে উৎপাদিত ডিম ও মুরগি বিক্রয়ের জন্য শহরে আনার রাস্তা খুবই খারাপ। অনেক জায়গা ভাঙা ও খানাখন্দ। ফলে কম দামে সোহেল গ্রামে ডিম ও হাঁস-মুরগি বিক্রি করছে। গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় তার উৎপাদন খরচও অনেক বেশি পড়ছে। লোকসানের ফলে সোহেল খামার ব্যবসায় পরিবর্তনের চিন্তা করছে।

 ক.       বাংলাদেশ কোন দেশ থেকে বেশি আমদানি করে?          ১

খ.        বৈদেশিক ঋণ বলতে কী বোঝ? ২

গ.        সোহেলের খামার প্রকল্পটি যে ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তা ব্যাখ্যা কর।        ৩

ঘ.        দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সোহেলের খামার প্রকল্প কতটুকু সহায়ক? তোমার মতামত দাও।      ৪

 ৯ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বাংলাদেশ চীন দেশ থেকে বেশি আমদানি করে।

 খ         অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের জন্য যে কোনো উন্নয়নশীল দেশ পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রচুর অর্থ দরকার হয়। এই অর্থের সবটা দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যোগান দেওয়া সম্ভব হয় না। উন্নয়ন তহবিল সংগ্রহের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে ঋণ সহায়তা গ্রহণ করে। উন্নয়ন কার্যক্রমে ঋণ সহায়তা গ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য অন্যান্য দেশের ঋণ সহায়তাই হচ্ছে বৈদেশিক ঋণ।

 গ         সোহেলের খামার প্রকল্পটি অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন যা মূলত আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতা। বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা উন্নয়নের পথে মারাত¥ক অন্তরায়। আর্থসামাজিক প্রতিবন্ধকতা হিসেবে প্রথমেই উলেস্নখ করতে হয় অর্থনৈতিক অবকাঠামোর দুর্বলতা ও অপর্যাপ্ততার বিষয়টি। যেমন- ধরা যাক যোগাযোগের বিষয়টি। ডাক, তার, টেলি ও ইলেকট্রিক যোগাযোগের মধ্যে টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছে। তবে ইলেকট্রিক যোগাযোগ সুবিধা বৃহত্তর জনগোষ্ঠির নাগালের বাইরে রয়েছে। পরিবহন (আকাশ, স্থল ও জলপথে) সুবিধার দুর্বলতা ও অপর্যাপ্ততার কারণে যাতায়াত ও পন্য উৎপাদন-বিপণন কাঙ্ক্ষিত গতি পায় না। যেমন- উদ্দীপকে সোহেলের খামারে উৎপাদিত ডিম ও মুরগি বিক্রয়ের জন্য শহরে আনার রাস্তা খুবই খারাপ। অনেক জায়গা ভাঙা ও খানাখন্দ। ফলে কম দামে সে গ্রামেই ডিম ও হাঁস-মুরগি বিক্রি করছে। আবার তার গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় উৎপাদন খরচও বেশি পড়ছে। বস্তুত আমাদের দেশে এখনও জ্বালানি ও শক্তির ক্ষেত্রে গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ উভয়ই ত্রম্নটিপূর্ণ ও অপর্যাপ্ত। ফলে কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এভাবে দেখা যাচ্ছে সোহেলের হাঁস-মুরগির খামার প্রকল্পটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে আর্থসামাজিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন।

 ঘ         দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সোহেলের খামার প্রকল্প খুবই সহায়ক বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের কৃষিপ্রধান অর্থনীতির মধ্যে ব্যাপক বেকারত্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। অথচ এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর করে এবং বেকারদের আত¥কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিলে দেশে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। এ প্রেক্ষিতে উদ্দীপকে যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সোহেল আত¥কর্মসংস্থানের লড়্গ্েয নিজ বাড়িতে একটি হাঁস-মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা করেছে। মাঝারি উৎপাদনের খামারটিতে দুই তিন জন লোক কাজ করে। সুতরাং সোহেলের উদ্যোগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক। বস্তুত আমাদের কৃষিপ্রধান অর্থনীতিতে কৃষিজমির পরিমাণ ক্রমশ কমে আসছে। জনসংখ্যা ও বেকারত্ব বাড়ছে। আর এসব বাধা দূরীকরণে সরকার ঋণ সহায়তা, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করেছে। এমতাবস্থায় উদ্দীপকে সোহেলের মতো যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে স্থায়ীভাবে কৃষি খামার অথবা ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠা করলে অবশ্যই তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করবে। আর তাই আমার মত হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সোহেলের খামার প্রকল্প অত্যন্ত সহায়ক।

প্রশ্ন- ১০           বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতা নিরসনে পদক্ষপেসমূহ  

 ক.       অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাকে বলে? ১

খ.        মোট দেশজ উৎপাদন ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।        ২

গ.        দৃশ্যকল্পে উলিস্নখিত আর্থসামাজিক প্রতিবন্ধকতাসমূহ যে কারণে সৃষ্ট তা ব্যাখ্যা কর।       ৩

ঘ.        উক্ত প্রতিবন্ধকতাসমূহ নিরসনে গৃহীত মূল পদক্ষপেটি বিশেস্নষণ কর।   ৪

 ১০ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        কোনো দেশের জাতীয় আয়ের বার্ষিক বৃদ্ধির হারকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলে।

 খ         মোট দেশজ উৎপাদন হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের অভ্যন্তরে বা ভৌগোলিক সীমানার ভিতরে বসবাসকারী সকল জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের অর্থমূল্যের সমষ্টি। এতে উক্ত সীমানার মধ্যে বসবাসকারী দেশের সকল নাগরিক ও বিদেশি ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে বিদেশে অবস্থানকারী ও কর্মরত দেশের নাগরিক/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না।

 গ         দৃশ্যকল্পে উলিস্নখিত আর্থসামাজিক প্রতিবন্ধকতাসমূহ সামাজিক অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে সৃষ্ট। সামাজিক অবকাঠামোগত সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দেশের ব্যাপক জনগণের নিরক্ষরতা। শিক্ষতি ও সাক্ষর জনগণও দেশের উন্নয়নে আশানুরূপ অবদান রাখতে পারেন না। এর কারণ শিক্ষা অনেকটাই পুঁথিগত ও জ্ঞানভিত্তিক। অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত দক্ষতাও শিক্ষার্থীরা অর্জন করে না। শিক্ষাব্যবস্থার এই দুর্বলতা, জনগণের সাক্ষরতার নিম্ন হার এবং কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও জ্ঞানের অভাবের ফলে সাধারণ শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কম। এর সাথে পুষ্টিহীনতা ও সুস্বাস্থ্যের অভাব উৎপাদনশীলতা আরও কমিয়ে দেয়। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে যদিও সরকার বিভিন্ন পদক্ষপে গ্রহণ করেছে, তবুও সমাজের সব ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারী এখনও অনগ্রসর। দেশের জনগণের অর্ধেকই নারী। এই পশ্চাৎপদতার ফলে নারীরা কর্মক্ষেত্রেও পিছিয়ে আছে। উদ্দীপকেও বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে অদক্ষ ও স্বল্পদক্ষ শ্রমিক, সাক্ষরতার নিম্নহার ও নারীর পশ্চাৎপদতাকে দেখানো হয়েছে, যা সামাজিক অবকাঠামোগত সমস্যাকে নির্দেশ করে।

 ঘ  দৃশ্যকল্পে উলিস্নখিত সামাজিক অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে সৃষ্টি প্রতিবন্ধকতাসমূহ নিরসনের লড়্গ্েয একটি নীতিগত ভিত্তি গড়ে তোলা হয়েছে। এই নীতিগত ভিত্তিই হচ্ছে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা নিরসনে গৃহীত মূল পদক্ষপে। ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’, ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচি’, এবং ‘প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় বহুমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে :

১.         প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় ছাত্র ভর্তি ও উপস্থিতির হার বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়া রোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ।

২.        নারী শিক্ষা প্রসারের লড়্গ্েয মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রী উপবৃত্তি প্রদান এবং বেতন মওকুফ সুবিধা প্রদান।

৩.        ২০১৪ সালের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণ নিশ্চিত করার লড়্গ্েয বিদ্যালয় ভর্তি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, উপবৃত্তি বৃদ্ধির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দান।

৪.        বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন।

৫.        বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ।

৬.        বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, স্কুলসমূহে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা প্রবর্তন ও সম্প্রসারণের ব্যবস্থা।

৭.        কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারের লড়্গ্েয মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়সমূহে ভোকেশনাল কোর্স অন্তর্ভুক্তকরণ।

পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতাসমূহ নিরসনে উলিস্নখিত মূল পদক্ষপেটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

প্রশ্ন- ১১           কৃষিক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতা  

নাফিসাদের গ্রামের শতকরা আশি ভাগ লোকের পেশা কৃষি। কিন্তু তাদের কৃষকরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। কাছে কোনো ব্যাংক না থাকায় কৃষিঋণ পায় না, উন্নত বীজও পায় না। এবার সার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুতের কারণে ঠিকমতো সেচ দিতে পারে না তারা।

 ক.       ইংরেজরা এদেশের কৃষকদের জোর করে কোন ফসল চাষ করাত?         ১

খ.        বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার পটভূমি বুঝিয়ে লেখ।     ২

গ.        নাফিসাদের গ্রামের অবস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতির যে প্রতিবন্ধকতা নির্দেশ করে তা ব্যাখ্যা কর।  ৩

ঘ.        উদ্দীপকের উলিস্নখিত ক্ষেত্রের মতোই বাংলাদেশের শিল্পক্ষত্রে।- কথাটি বিশেস্নষণ কর। ৪

 ১২ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        ইংরেজরা এদেশের কৃষকদের জোর করে নীলচাষ করাত।

 খ         বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার মূল কারণ প্রায় ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ। কৃষিক্ষেত্রে চিরস্থায়ী বন্দোব¯েত্মর মাধ্যমে জমিদারি প্রথা, বাধ্যতামূলক নীলচাষ প্রবর্তনের ফলে কৃষি ও কৃষকসমাজ বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ইংল্যান্ডের বস্ত্রকলে কম খরচে উৎপাদিত বস্ত্র দিয়ে বাংলাদেশের বাজার দখল করার ফলে এদেশের বিশ্ববিখ্যাত বস্ত্রশিল্প ও অন্যান্য শিল্প ধ্বংস হয়। এভাবে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের শিল্পজাত পণ্যের বাজারে পরিণত হয়।

 গ         নাফিসাদের গ্রামের অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা যায়, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির কৃষিক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতা নির্দেশ করে। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো :

আমাদের কৃষিপ্রধান অর্থনীতিতে কৃষি জমির পরিমাণ ক্রমশ কমে আসছে। কৃষিকাজে উন্নত বীজ, সার, সেচ সুবিধা এবং আধুনিক চাষ প্রণালি প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে কৃষিকাজের সাথে সংশিস্নষ্ট জনগণের একটি বড় অংশের কাছে এখন পর্যন্ত সুবিধাগুলো পৌঁছেনি। কৃষি উন্নয়নের জন্য সুলভ কৃষিঋণ একটি বড় উপাদান। কৃষিঋণ বিতরণের পরিমাণ প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার অপর্যাপ্ততার কারণে বহু কৃষকের কাছে কৃষিঋণ এখনও সুলভ নয়। কৃষিক্ষেত্রে অনগ্রসরতার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক অবকাঠামোর দুর্বলতা। সেচ সুবিধার অপর্যাপ্ততা, বীজ ও সারের অপর্যাপ্ততা এবং যথাসময়ে প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা, বিদ্যুতের অভাব, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে পরিবহনের উচ্চ ব্যয়, পণ্য সংরক্ষণ ও গুদামজাত করে রাখার সুবিধার অভাবের ফলে উৎপাদনশীলতা কম হয়। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে একটি বড় বাধা। উদ্দীপকে উলিস্নখিতদের গ্রামের অবস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতির এই প্রতিবন্ধকতাই নির্দেশ করে। তাদের গ্রামের আশি ভাগ লোকের পেশা কৃষি হলেও কৃষকেরা নানা সমস্যায় জর্জরিত।

 ঘ         উদ্দীপকে কৃষিক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতার কথা বলা হয়েছে। উলিস্নখিত ক্ষেত্রের মতোই বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রেও কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। নিচে তা বিশেস্নষণ করা হলো :

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পখাত ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। তবে শিল্পখাতেও ভিত্তিমূলক শিল্প নেই বলে শিল্পখাত খুব দ্রম্নত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারছে না। অর্থনৈতিক অবকাঠামোর দুর্বলতাও শিল্পক্ষেত্রে অগ্রগতির একটি বড় বাধা। প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের অভাব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও গ্যাসের উচ্চমূল্য এগুলো উৎপাদন ও সরবরাহে অপর্যাপ্ততা, রাস্তাঘাট, সেতু ইত্যাদির অপর্যাপ্ততা ও অনুন্নত অবস্থা নতুন শিল্পস্থাপন ও উৎপাদন বৃদ্ধির পড়্গে বড় বাধা। ব্যাংক ঋণ সুবিধা শিল্পখাত উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। এদেশে চাহিদার তুলনায় ঋণ সুবিধা অপ্রতুল। নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা, এমন ঋণ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ কম। ঋণ বিতরণ ও আদায় ব্যবস্থার মধ্যে দুর্বলতা আছে। প্রতিবছর প্রচুর ঋণ অনাদায়ী থাকে। এর ফলে ঋণদানকারী ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান নানারকম অসুবিধার সম্মুখীন হয় এবং ঋণদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়। দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তথা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শিল্পখাতের উন্নয়নের অনুকূল নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচি শিল্পখাতের উৎপাদনশীলতায় উলেস্নখযোগ্য নৈতিবাচক প্রভাব ফেলে। শ্রমিকদের আয় কমে যায়। উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় ও উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে বাজারে দ্রব্যের চাহিদা কমে ও শিল্পমালিকদের আয় কমে যায়। ফলে নতুন উদ্যোগ ও বিনিয়োগ করার প্রবণতাও হ্রাস পায়।

অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১২          এউচ এঘচ এর মধ্যে পার্থক্য  

মি. দানিয়েল জার্মানির নাগরিক। বাংলাদেশে একটি কারখানা স্থাপন করেন। তার কারখানায় বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য উৎপাদন করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের নাগরিক মি. জামান সিঙ্গাপুরে একটি ওষুধের কারখানা স্থাপন করেন। তার কারখানায় উৎপাদিত ওষুধ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেন।

 ক.       মোট জাতীয় উৎপাদনকে কয়টি দিক থেকে বিবেচনা করা হয়?  ১

খ.        বাংলাদেশে স্বল্প মাথাপিছু আয়ের কারণ কী?       ২

গ.        মি. দানিয়েল ও মি. জামানের উৎপাদন বাংলাদেশের কোন কোন উৎপাদনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে ব্যাখ্যা কর।            ৩

ঘ.        উদ্দীপকে মি. দানিয়েল ও মি. জামানের উৎপাদন বাংলাদেশের যে দুটি উৎপাদনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে তাদের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর।     ৪

 ১২ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        মোট জাতীয় উৎপাদনকে তিনটি দিক থেকে বিবেচনা করা হয়।

 খ         বাংলাদেশে স্বল্প মাথাপিছু আয়ের কারণ মজুরির নিম্নহার, ব্যাপক বেকারত্ব ও অর্ধবেকারত্ব। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল দেশ। ব্যাপক জনাধিক্য এদেশে সৃষ্টি করেছে নানা সমস্যা, যার মধ্যে বেকারত্ব অন্যতম।  ফলে জনগণের মাথাপিছু আয় কম।

 গ         মি. দানিয়েল ও মি. জামানের উৎপাদন যথাক্রমে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (এউচ) ও মোট জাতীয় উৎপাদন (এঘচ)-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশে উৎপাদিত মোট দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার আর্থিক মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় উৎপাদন (এঘচ) বলে। এতে দেশের  অভ্যন্তরে বসবাসকারী ও কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উৎপাদন/আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত দেশি নাগরিক, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন/আয় অন্তর্ভুক্ত হবে। যেমন : মি. জামানের উৎপাদন যে বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু সিঙ্গপুরে তার কারখানা, বিধায় তার উৎপাদন মোট জাতীয় উৎপাদনের অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে মোট দেশজ উৎপাদন (এউচ) হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের অভ্যন্তরে বা ভৌগোলিক সীমানার ভিতরে বসবাসকারী সকল জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের অর্থমূল্যের সমষ্টি। এতে উক্ত সীমানার মধ্যে বসবাসকারী দেশের সকল নাগরিক ও বিদেশি ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে বিদেশে অবস্থানকারী ও কর্মরত দেশের নাগরিক/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের আয়ও অন্তর্ভুক্ত হবে না। মি. দানিয়েলের উৎপাদন মোট দেশজ উৎপাদনের অন্তর্ভুক্ত। জার্মানির নাগরিক হয়েও বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করার জন্য তার উৎপাদন মোট দেশজ উৎপাদনের অন্তর্ভুক্ত। তাই বলা যায়, মি. দানিয়েলের উৎপাদন বাংলাদেশের এউচ এবং মি. জামানের উৎপাদন বাংলাদেশের এঘচ এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

 ঘ         উদ্দীপকে মি. দানিয়েল ও মি. জামানের উৎপাদন মূলত এউচ ও এঘচ-এর অন্তর্ভুক্ত। নিচে বিষয় দুটির মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করা হলো :

যদি ঢ দ্বারা আমরা বিদেশে অবস্থানরত দেশি জনগণের আয়  বোঝাই এবং গ দ্বারা দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আয়  বোঝাই তাহলে মোট জাতীয় উৎপাদন (এউচ) = মোট দেশজ উৎপাদন (এউচ) + (ঢ – গ)। উপরের আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট যে মোট জাতীয় উৎপাদন (এউচ) শুধুমাত্র দেশের নাগরিকদের উৎপাদন হিসেবে গণনা করে। সে নাগরিকরা দেশে অথবা বিদেশে যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, এক্ষেত্রে জাতি বা নাগরিকই গুরুত্বপূর্ণ। আর মোট দেশজ উৎপাদন (এউচ) শুধুমাত্র দেশের সীমানার ভিতরের মোট উৎপাদন গণ্য করে। এটা দেশের নাগরিক বা বিদেশি ব্যক্তি যাদের দ্বারাই উৎপাদিত হোক না কেন। এক্ষেত্রে দেশের ভৌগোলিক সীমানার বিষয়টিই গুরুত্বপূর্ণ। মোট জাতীয় উৎপাদন (জিএনপি) মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-এর চেয়ে বেশি বা কম হতে পারে, আবার সমানও হতে পারে। তবে সাধারণত এঘচ, এউচ-এর চেয়ে বেশি বা কম হয়, সমান হয় না। ‘গ’ থেকে এঘচ ও এউচ-এর সার্বিক ধারণা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন- ১৩          দারিদ্রের দুষ্টচক্র   

 ক.       কোন শাসনামল ছিল বাংলার স্বর্ণযুগ?    ১

খ.        দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বলতে কী বোঝ?        ২

গ.        চিত্রের চক্রটির নাম কী? বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বর্ণনা কর।         ৩        

ঘ.        উক্ত চক্রটি থেকে বাংলাদেশের  বেরিয়ে আসার পদক্ষপে কী হতে পারে?- বর্ণনা কর।      ৪

 ১৩ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        মুসলিম শাসনামল ছিল বাংলার স্বর্ণযুগ।

 খ         দরিদ্র দেশের লোকদের আয় কম বলে বাজারে পণ্যের চাহিদা কম, বাজারে পণ্যের চাহিদা কম বলে বিনিয়োগের পরিমাণ কম। আবার দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে কর্মসংস্থান কম হয়, যা থেকে লোকদের আয়ের স্বল্পতা দেখা যায়। এভাবে এটি চক্রাকারে চলতে থাকে। এ চক্রকেই ‘দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র’ বলা হয়।

 গ         চিত্রের চক্রটির নাম ‘দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র’। বাংলাদেশে এ চক্রটি বেশ কার্যকর। এদেশের লোকজনের আয় কম এবং আয় কম বলেই তাদের চাহিদা কম। আর চাহিদা কম  থাকায় বিনিয়োগ কম হয় এবং মূলধনের স্বল্পতা সৃষ্টি করে। মূলধন কম হওয়ার কারণে উৎপাদন কম হয়। যেমনটি লক্ষ করা যায় উলিস্নখিত চিত্রের ছকটিতেও। বাংলাদেশে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র কার্যকর রয়েছে, যার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তিলাভ কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। অর্থাৎ বাংলাদেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রটি প্রবলভাবে বিদ্যমান আছে বলেই আমি মনে করি। তাই যেভাবেই হোক এই দুষ্টচক্রের কবল থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

 ঘ         উক্ত চক্রটি থেকে বাংলাদেশের বেরিয়ে আসার পদক্ষপে হতে পারে শিক্ষা ও বিনিয়োগের হার বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশে দারিদ্র্য চক্র আবর্তিত হওয়ার ফলে দেশে ব্যাপক বেকারত্ব দেখা দিয়েছে। শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠী এখন দেশের বোঝা। তাই বিপুল পরিমাণ মূলধন উৎপাদন কাজে বিনিয়োগ করে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। এদেশের কারিগরি, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাকে আরও সম্প্রসারিত করে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার জন্য অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তবক্ষেত্রে যাতে কাজে লাগিয়ে অধিক অর্থ উপার্জন করা যায় সেজন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সবচেয়ে আশার কথা এই যে, বর্তমানে অনেক দরিদ্র মানুষ কষ্ট করে তাদের সন্তানদের শিক্ষাদানে তৎপর রয়েছেন। দরিদ্র পরিবারের এসব সন্তানরা শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের সাথে সাথে  দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে এসে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবে-এটা সবার প্রত্যাশা।

প্রশ্ন- ১৪           বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে কৃষি শিল্পখাতের অবদান  

আব্বাস সাহেব একজন শিল্পপতি। তার অনেকগুলো গার্মেন্ট কারখানা আছে। অন্যদিকে তার ছোট ভাই গ্রামে কৃষিকাজ করে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান ১৯.৯৫ শতাংশ। দেশের ৪৩.৬ শতাংশ শ্রমশক্তি কৃষিখাতে নিয়োজিত। বর্তমানে দেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ।

 ক.       বাংলাদেশের অর্থনীতি কয়টি খাতে বিভক্ত?        ১

খ.        বাংলাদেশের কৃষিখাতের প্রকৃতি কেমন? ২

গ.        আব্বাস সাহেব জাতীয় আয়ের যে খাতে অবদান রাখেন সেটি ব্যাখ্যা কর।           ৩

ঘ.        উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।          ৪

 ১৪ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৫টি খাতে বিভক্ত।

 খ         বাংলাদেশের কৃষিখাতের প্রকৃতি সনাতন ও প্রকৃতিনির্ভর। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তিস্বরূপ হলো এদেশের কৃষিখাত। তবে এত গুরুত্বপূর্ণ হলেও কৃষি উৎপাদন প্রণালি এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ আধুনিক হয়ে ওঠেনি। এখনও বৃষ্টিপাতের সময় ও পরিমাণ কৃষি উৎপাদনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

 গ         আব্বাস সাহেব বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের শিল্পখাতে রাখেন। নিচে এই খাতটির বর্ণনা দেওয়া হলো :

শিল্পখাতের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প। তবে বৃহত্তর অর্থে ‘খনিজ ও খনন’ যেমন, বিদ্যুৎ গ্যাস ও পানিসম্পদ এবং নির্মাণ খাতগুলোও শিল্পখাতের অন্তর্ভুক্ত। ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন খাতওয়ারি অংশ বা অবদান হিসেবে ৫টি সমন্বিত খাতসমূহের মধ্যে সবচেয়ে ওপরে আছে শিল্পখাত। জাতীয় আয়ে এর অবদান ৩০.৩৩ শতাংশ। আব্বাস সাহেবের কয়েকটি গার্মেন্ট কারখানা আছে। এটি শিল্পখাতের অন্তর্গত। তাই বলা যায়, আব্বাস সাহেব এদেশের জাতীয় আয়ের শিল্পখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

 ঘ         উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের অর্থনীতির কৃষি ও শিল্পখাতের জাতীয় আয়ের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো :

অতি প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি প্রধান হিসেবে পরিচিত। মোট দেশজ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদানের পাশাপাশি কৃষিখাত দেশের জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একক বৃহত্তম খাত। দেশের শ্রমশক্তির মোট ৪৩.৬ শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত। এছাড়া দেশের রপ্তানি আয়েও কৃষিখাতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কৃষিপ্রধান অর্থনীতি হওয়ায় এবং খাদ্যশস্য অন্যতম প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য হওয়ায় বাংলাদেশ খাদ্যের জন্য অন্যান্য দেশের ওপর তেমন নির্ভরশীল নয়। বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রমশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও আমাদের শিল্পখাতের অনেক শিল্পের কাঁচামালের জোগান দেয় আমাদের কৃষিখাত। যেমন : পাটশিল্প, চা ও চামড়া শিল্প ইত্যাদি। এসব কারণে কৃষিখাত এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচিত যা উদ্দীপকেও ফুটে উঠেছে।

প্রশ্ন- ১৫          বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার কারণ 

আসাদ টিভিতে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখছে। যেখানে একদল শক্তিশালী লোক একটি অনুন্নত এলাকায় হামলা করে লুণ্ঠন করে, তাদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করে ফেলে এবং নিজেদের তৈরিকৃত পণ্য তাদের ব্যবহার করতে বাধ্য করে। প্রামাণ্য চিত্রটি দেখতে দেখতে আসাদ চিন্তা করল এভাবেই দুটি দেশ আমাদের ওপর কর্তৃত্ব করেছিল।

 ক.       দেশের মোট শ্রমশক্তির কত শতাংশ কৃষিকাজে নিয়োজিত?       ১

খ.        এঘও কী? ধারণা দাও।   ২

গ.        উদ্দীপকে উলিস্নখিত কারণ ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির অনগ্রসরতার কারণগুলো উলেস্নখ কর।          ৩

ঘ.        “এভাবেই দুটি দেশ আমাদের ওপর কর্তৃত্ব করেছিল”-আসাদের ভাবনাটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে আলোচনা কর।            ৪

 ১৫ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৩.৬% লোক কৃষিতে নিয়োজিত।

 খ         এঘও হলো এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ ওহপড়সব অর্থাৎ মোট জাতীয় আয়। দেশের জনসাধারণের অর্থনৈতিক কার্যাবলির ফলে প্রতিবছর যে বিভিন্ন প্রকার দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্ম উৎপাদিত হয় তার আর্থিক মূল্যকে জাতীয় আয় বলা হয়।

 গ         উদ্দীপকে উলিস্নখিত কারণটি হলো উপনিবেশিক শোষণ। এছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনীতির অনগ্রসরতার কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :

১.         উদ্যোগ ও ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতার অভাব।

২.         বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা।

৩.        প্রতিকূল বৈদেশিক বাণিজ্য।

৪.         দুর্বল আর্থসামাজিক কাঠামো।

৫.        ব্যাপক বেকারত্ব।

৬.        জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার এবং অদক্ষ জনশক্তি।

৭.         প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনশক্তির অসম্পূর্ণ ব্যবহার।

৮.        মূলধন গঠন ও বিনিয়োগের নিম্নহার।

৯.         ক্ষুদ্র ও অনুন্নত শিল্পখাত।

১০.      নিম্ন মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার নিম্নমান।

উলিস্নখিত কারণগুলোর ফলে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

 ঘ         আসাদের ভাবনা হলো বাংলাদেশের ওপর দুটি দেশ কর্তৃত্ব করেছিল। আসাদ টিভিতে যে প্রামাণ্যচিত্র দেখছিল, সেখানে বাইরের থেকে অত্যাচারী লোকজন এসে স্থানীয় লোকদের নির্যাতন করে এবং তাদের কথা মেনে চলতে বাধ্য করে। এটা দেখে আসাদের মনে হয় এভাবেই ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিরা এদেশ শোষণ করেছে। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের আগে ব্রিটিশরা ঔপনিবেশিক শাসনের মাধ্যমে ভারতবর্ষ তথা আমাদের শোষণ করেছে দেশের ওপর কর্তৃত্ব করেছে। এর পর দেশবিভাগের ফলে ভারতবর্ষ ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি দেশে বিভক্ত হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় পাকিস্তানি শাসনামল। পাকিস্তানের দুটি অংশ ছিল। পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। বর্তমানের বাংলাদেশ ছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৪৭-৭১ সময়কালে পশ্চিম পাকিস্তান একইভাবে পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করে। চাকরি, সম্পদ বণ্টন, বাজেট বরাদ্দ, সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ, বৈদেশিক সাহায্যের অংশ, সব ক্ষেত্রেই পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে চরম বঞ্চনার শিকার হতে হয়। প্রশাসনের সব ক্ষেত্রেই পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাধান্য ছিল। এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ চলার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি পরনির্ভর অর্থনীতিতে পরিণত হয়। এটি ছিল আসাদের ভাবনা যে বার বার শোষক রাষ্ট্রের অত্যাচারে নিপীড়িত হয়েছে আমাদের দেশ।

প্রশ্ন- ১৬          জনশক্তি রপ্তানি 

মাসুমরা দুই ভাই। দুজনই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাদের মতো বাংলাদেশের অনেক এলাকা আছে, যেখানকার মানুষেরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন।

            ক.        বাংলাদেশ কোন দেশে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে? ১

খ.        প্রতিকূল বৈদেশিক বাণিজ্য বলতে কী বোঝ?      ২

গ.        উদ্দীপকে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের কোন বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে- ব্যাখ্যা কর।         ৩

ঘ.        তুমি কি মনে কর যে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে উদ্দীপকে আলোচিত ক্ষত্রে ছাড়াও বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্কের আরও ক্ষেত্র রয়েছে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।           ৪

 ১৬ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে।

 খ         প্রতিকূল বৈদেশিক বাণিজ্য বলতে বোঝায় আমদানিনির্ভর বাণিজ্য।

মোট জাতীয় উৎপাদন কম হওয়ায় অনুন্নত দেশগুলো সাধারণ আমদানিনির্ভর বাণিজ্যিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তাদের রপ্তানি আয় সব সময়ই আমদানি ব্যয়ের চেয়ে কম। ফলে এসব দেশের আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্যে সব সময়ই ঘাটতি থাকে। এ পরিস্থিতিকে প্রতিকূল বৈদেশিক বাণিজ্য বলা হয়।

 গ         উদ্দীপকে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের শ্রমশক্তি রপ্তানির বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ অদক্ষ, আধা দক্ষ, ও দক্ষ শ্রমিক রপ্তানি করে। এসব দেশে নানারকম কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। যেসব দেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হয়েছে সেগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব। এছাড়া আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশসমূহে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি করার লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উদ্দীপকে দেখা যায় মাসুমরা দুই ভাই আরব আমিরাতে কাজ করে। এভাবে বাংলাদেশের অনেক জায়গার লোকেরা বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গিয়েছে। তাই দেখা যায় যে উদ্দীপকে এদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের জনশক্তির রপ্তানি বৈশিষ্ট্যটির প্রতিফলন ঘটে।

 ঘ         উদ্দীপকে আলোচিত ক্ষত্রেটি হলো জনশক্তি রপ্তানি যা ছাড়াও অর্থনৈতিক সম্পদ বিষয়ে বাংলাদেশে বৈদেশিক সম্পর্কের  আরও ক্ষত্রে রয়েছে বলে আমি মনে করি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবসময়ই একটি ঘাটতি দেশ।  এদেশ জনশক্তি রপ্তানি ছাড়াও বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে। এদেশের প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার, কাঁচাপাট, পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, চা, চামড়া, কৃষিজাত পণ্য, সিরামিক ইত্যাদি। উন্নত দেশসমূহ ছাড়াও সার্ক দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। (ডি-৮) আওতায় ওআইসিভুক্ত আটটি উন্নয়নশীল দেশ যথা : বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক এর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। সুতরাং আমি মনে করি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে জনশক্তি রপ্তানি ছাড়াও বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্কের আরও অনেক ক্ষত্রে রয়েছে।

প্রশ্ন- ১৭           উন্নত উন্নয়নশীল দেশের বৈশিষ্ট্য 

তামিম বৃত্তি নিয়ে ‘ক’ দেশে যায়। ‘ক’ দেশে আর্থসামাজিক অবকাঠামো অত্যন্ত উন্নত, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থনীতির অনূকূল। সেখানে গিয়ে সে নিজের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রকৃত চিত্র বুঝতে পারে। সে নিজের দেশের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের চিন্তা করতে থাকে।

 ক.       বাংলাদেশের কৃষি কিসের ওপর নির্ভরশীল?        ১

খ.        উচ্চ আয়ের দেশ বলতে কী বোঝ?         ২

গ.        উলিস্নখিত দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিতে কোন শ্রেণিতে পড়ে? বর্ণনা কর।           ৩

ঘ.        তামিমের দেশের সাথে উক্ত দেশের আয় বৈষম্যের কারণগুলো বিশেস্নষণ কর।   ৪

 ১৭ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বাংলাদেশের কৃষি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।

 খ         যেসব দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ১২,২৭৬ ডলার বা তার বেশি তাদের উচ্চ আয়ের দেশ বলে। উচ্চ আয়ের দেশ উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃত। উন্নয়ন প্রক্রিয়া শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছানোর ফলেই এসব দেশ উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হয়। এখানে জীবনযাত্রার মানও উন্নত।

 গ         উলিস্নখিত ‘ক’ দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উন্নত দেশের পর্যায়ভুক্ত। উদ্দীপকে উলিস্নখিত ‘ক’ দেশটির আর্থসামাজিক অবকাঠামো অত্যন্ত উন্নত, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থনীতির অনুকূল, যা উন্নত দেশের বৈশিষ্ট্যের অন্তর্গত। উচ্চ আয়ের দেশসমূহ উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃত। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছার ফলেই এসব দেশ এই উন্নত অবস্থা অর্জন করেছে। এসব দেশের মাথাপিছু আয় এমন যে সেখানে সকল মৌলিক চাহিদা পূরণের পরও প্রচুর অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে যা সঞ্চয় ও মূলধন গঠনে ব্যয় হয়। এসব দেশের উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে অধিকতর উন্নয়ন কার্যক্রম চালায় এবং উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়তা করে।

 ঘ         তামিমের নিজ দেশ হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের অনুন্নত দেশ। কারণ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৯২৩ মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয় ১০০০ ডলারের নিচে হলে সেসব দেশকে নিম্ন আয়ের দেশ বলে। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড হলো উচ্চ আয়ের উন্নত দেশ। এদেশের সাথে বাংলাদেশের আয়-বৈষম্য অত্যন্ত প্রকট। এর কারণগুলো নিচে বর্ণিত হলো :

১.         শিল্পের অনগ্রসরতা;

২.        দারিদ্র্য ও নিম্ন জীবনযাত্রার মান;

৩.        কর্মসংস্থানের অভাব;

৪.        অনুন্নত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা;

৫.        রাজনৈতিক অস্থিরতা;

৬.        নারী শিক্ষার অভাব।

এছাড়া আরও বহুবিধ কারণে সুইজারল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের আয়-বৈষম্য প্রকট।

প্রশ্ন- ১৮          বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে কৃষি শিল্পখাতের অবদান  

মুকুল সাহেব একজন ব্যবসায়ী। তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা আছে। তার কারখানায় বহু লোক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অন্যদিকে মাইদুল একজন কৃষক। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

 ক.       অর্থনৈতিক উন্নয়নের লড়্গ্য কী?           ১

খ.        বাংলাদেশের অর্থনীতির খাতগুলো কী কী?         ২

গ.        মুকুল সাহেব জাতীয় আয়ের যে খাতে অবদান রাখেন সেটি ব্যাখ্যা কর।   ৩

ঘ.        বাংলাদেশে জাতীয় আয়ে মাইদুলের পেশার অবদান সর্বাধিক-ব্যাখ্যা কর।           ৪

 ১৮ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        অর্থনৈতিক উন্নয়নের লড়্গ্য হলো দেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণ।

 খ         বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মোট ১৫টি প্রধান খাতে ভাগ করা হয়। এই ১৫টি খাত হচ্ছে : ১. কৃষি ও বনজ; ২. মৎস্য; ৩. খনিজ ও খনন; ৪. শিল্প; ৫. বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সম্পদ; ৬. নির্মাণ; ৭. পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য; ৮. হোটেল ও রেস্তোরাঁ; ৯. পরিবহন, সংরক্ষণ ও যোগাযোগ; ১০. আর্থিক প্রাতিষ্ঠানিক সেবা; ১১. রিয়েল এস্টেট, ভাড়া ও অন্যান্য ব্যবসা; ১২. লোক প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা; ১৩. শিক্ষা; ১৪. স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা; ১৫. কমিউনিটি, সামাজিক ও ব্যক্তিগত সেবা।

 গ         মুকুল সাহেব জাতীয় আয়ের ‘শিল্পখাতে’ অবদান রাখেন। মুকুল সাহেব একজন ব্যবসায়ী, তার অনেক কারখানা আছে। এটি শিল্পখাতের অন্তর্গত। শিল্পখাতের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প। ২০১১-১২ অর্থবছরে মোট এউচ এর খাতওয়ারি অংশ বা অবদান হিসেবে ৫টি সমন্বিত খাতের মধ্যে সবচেয়ে উপরে আছে শিল্পখাত। জাতীয় আয়ে এর অবদান ৩৩.৪৫ শতাংশ। তাই বলা যায় মুকুল সাহেব এদেশের শিল্পখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

 ঘ         মাইদুলের পেশা কৃষি। তিনি এ পেশার মাধ্যমে নিজের জীবিকা নির্বাহ করেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে এ পেশার অর্থাৎ কৃষিখাতের অবদান সর্বাধিক। বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৮০% লোক প্রত্যক্ষভাবে কৃষির সাথে জড়িত। মোট দেশজ উৎপাদনে কৃষির অবদান ১৯.৯৫। বাংলাদেশ একটি অনুন্নত দেশ, এখানে শিল্পভিত্তিক অর্থব্যবস্থা খুবই দুর্বল। কেননা অবকাঠামোগত সমস্যা এবং মানুষের সম্পদ স্বল্পতার কারণে সেভাবে আমাদের দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। তাই আমাদের কৃষিই সব। বর্তমানে আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিদেশ থেকে কৃষিপণ্য আমদানি অনেকাংশ কমে গেছে, যার ফলে আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক অগ্রসর হয়েছে। অতএব একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান সর্বাধিক।

প্রশ্ন- ১৯          নারীর প্রতি বৈষম্য  

সুমির বিয়ে হয় ১০ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায়। কেননা সুমির বাবা-মা মনে করে, মেয়েদের বেশি শিক্ষার প্রয়োজন নেই। অথচ নারীদেরও শিক্ষার অধিকার আছে। সুমির স্বামী ও সুমিকে লেখাপড়া করতে দেন না।

 ক.       বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার কত ভাগ নারী?   ১

খ.        বাংলাদেশে কেন সঞ্চয় ও মূলধন গঠনের হার কম?        ২

গ.        সুমির জীবনে সমাজের যে সমস্যাটি চি‎িহ্নত হয়েছে সেটি ব্যাখ্যা কর।    ৩

ঘ.        উদ্দীপকে উলিস্নখিত সমস্যা বজায় থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।         ৪

 ১৯ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক হলো নারী।

 খ         বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় কম  সঞ্চয় ও মূলধন গঠনের হার কম বলে। মাথাপিছু আয় নিম্ন হওয়ায় জনগণের সঞ্চয়ের হার কম (জিডিপির ২৮.৪০%)। সঞ্চয়ের হার কম বলে মূলধন বা পুঁজি গঠনের হার কম। স্বল্প সঞ্চয় ও মূলধনের কারণে নতুন শিল্প স্থাপন করা যায় না। ফলে বাংলাদেশে মানুষের আয়েরও হার কম।

 গ         সুমির জীবনে পুরুষশাসিত সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য সমস্যাটি চিহ্নিত হয়েছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য নারীদের শিক্ষা গ্রহণ অপরিহার্য। নারীদের চার দেয়ালের ভেতর বন্দী করে রাখা হয়েছে। অথচ ধর্ম তাদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছে। নারীরা বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক সিদ্ধান্তে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এর ফলে ব্যাপকভাবে পারিবারিক সহিংসতা, বাল্যবিবাহ, অধিক সন্তান জন্মদানের ঘটনা ঘটছে। উদ্দীপকেও দেখা যায়, সুমির বাবা-মা মনে করতেন মেয়েদের লেখাপড়া করার প্রয়োজন নেই। তাই তাকে দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বিয়ে দিয়ে দেন। অর্থাৎ সুমির জীবনে প্রকৃতপড়্গে সমাজের নারীর প্রতি বৈষম্য সমস্যাটি চি‎িহ্নত হয়েছে।

 ঘ         উদ্দীপকে উলিস্নখিত সমস্যা হলো নারীর শিক্ষার অভাব। আর এ সমস্যা অব্যাহত থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে অর্ধেক নারী। এ বিপুল সংখ্যক নারীকে বাদ দিয়ে দেশের ন্যূনতম উন্নয়ন সম্ভব নয়। মেয়েদের যদি বাল্যকালে বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তারা পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হয়, ফলে তারা দেশ ও জাতি সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখতে পারে না, ফলে তারা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অশিক্ষতি থেকে যায় বলে তারা বেশি বেশি সন্তান জন্ম দিয়ে থাকে। জনসংখ্যার কুফল সম্পর্কে তারা থাকে অজ্ঞ। উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই সেখানে পুরুষের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নারীরা সমান যোগ্যতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে পুরুষের তুলনায় নারীরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। যার কারণে আমাদের দেশ কাঙ্ক্ষিত লড়্গ্েয পৌঁছতে পারছে না। তাই আমাদের দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীর শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।

প্রশ্ন- ২০          উন্নত উন্নয়নশীল দেশের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক  

রশিদ শ্রমিক হিসেবে ‘ক’ নামক দেশে যায়। সেখানে সে দেখতে পায় যে উৎপাদনের প্রতিটি স্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। সেসব দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান আমাদের দেশের চেয়ে অনেক বেশি। রশিদ সেসব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করে কিছু মৌলিক পার্থক্য খুঁজে পায়। সে চিন্তা করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারলে তার দেশও একদিন এসব দেশের সমপর্যায় আসতে পারবে।

 ক.       উন্নয়নের মাত্রার ভিত্তিতে বিশ্বের দেশ সমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে?       ১

খ.        বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধর।   ২

গ.        উদ্দীপকে উলিস্নখিত ‘ক’ নামক দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাত্রার ভিত্তিতে ভাগকৃত কোন শ্রেণির আওতায় পড়ে বর্ণনা কর।            ৩

ঘ.        উদ্দীপকে উলিস্নখিত ‘ক’ নামক দেশের পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ কী কী পদক্ষপে গ্রহণ করতে পারে তোমার মতামত আলোচনা কর।   ৪

 ২০ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        উন্নয়নের মাত্রার ভিত্তিতে বিশ্বের দেশসমূহকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

 খ         বাংলাদেশের শিল্পখাতে ভিত্তিমূলক শিল্প বা ইধংরপ ওহফঁংঃৎরবং নেই বলে এদেশের খিল্পখাতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারছে না। অর্থনৈতিক অবকাঠামোর দুর্বলতাও শিল্পক্ষেত্রে অগ্রগতির একটি বড় বাধা। ব্যাংক ঋণ সুবিধার অপ্রতুলতা এদেশের শিল্পখাতের উন্নয়ন ব্যাহত করে। দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তথা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শিল্পখাতের উন্নয়নের অনুকূলে নয়। শিল্পক্ষেত্রের এ প্রতিবন্ধকতাসমূহের কারণে বাংলাদেশে শিল্পোন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

 গ         উদ্দীপকে উলিস্নখিত ‘ক’ নামক দেশটি উন্নয়নের মাত্রায় উন্নত দেশের অন্তর্ভুক্ত।          অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে এবং এই উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত আছে এমন দেশকে উন্নত দেশ বলে। উন্নত দেশসমূহের জনগণের মাথাপিছু আয় অনেক বেশি এবং জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত উন্নত। এসব দেশের শিল্পখাত, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। দেশের সকল জনগণের আবাসন, শিক্ষা সুবিধা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়। শিক্ষার প্রসারের ফলে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দ্রম্নত প্রসার লাভ করে এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়। রশিদও শ্রমিক হিসেবে যেদেশে যায়, সেদেশে উৎপাদনের প্রতিটি স্থরে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত। এসব বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে বলা যায়, ‘ক’ দেশটি একটি উন্নত দেশ।

 ঘ  উদ্দীপকে উলিস্নখিত ‘ক’ নামক দেশটি একটি উন্নত দেশ অন্যদিকে বাংলাদেশ একটি অনুন্নত দেশ। উক্ত দেশের পর্যায়ে আসতে বাংলাদেশ নিমোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

১.         অনুকূল বৈদেশিক বাণিজ্য : বাংলাদেশে বৈদেশিক বাণিজ্য সবসময় প্রতিকূল থাকে। তাই উন্নত দেশের পর্যায়ে আসতে হলে বৈদেশিক বাণিজ্য অনুকূলে রাখতে হবে।

২.         উন্নত ও আধুনিক কৃষিব্যবস্থা : বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক হওয়া সত্ত্বেও কৃষি উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা অত্যন্ত অনুন্নত। তাই কৃষিব্যবস্থা উন্নত ও আধুনিক করতে হবে।

৩.        আমদানি-রপ্তানিতে সমতা : বাড়াতে ও আমদানি যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে   হবে।

৪.        জীবনযাত্রার মান বাড়াতে হবে : বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক কম। তাই উন্নত দেশের পর্যায়ে আসতে হলে পরিকল্পতিভাবে জীবনযাত্রার মান বাড়াতে হবে।

৫.        শিল্পায়িত অর্থনীতি : বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে শিল্প নির্ভর নয়। শিল্পনির্ভর অর্থনীতি উন্নত দেশের পর্যায়ভুক্ত হওয়ার অন্যতম শর্ত।

উপরের উলিস্নখিত বিষয়গুলো আন্তরিকভাবে সম্পাদন করলে বাংলাদেশ উন্নত দেশের সমপর্যায়ে আসতে পারবে।

প্রশ্ন- ২১          উন্নত উন্নয়নশীল দেশের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক  

উন্নয়নের মাত্রা হিসাবে তিন ধরনের দেশের বৈশিষ্ট্য :

অ = শিল্পায়িত অর্থনীতি

ই =  কৃষির ওপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা, অদক্ষ জনশক্তি

ঈ =  প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাপ্যতা ও উন্নয়নের সম্ভাবনা

 ক.       সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে কোন দেশে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ সর্বোচ্চ? ১

খ.        বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ সহায়তা ও অনুদান গ্রহণ করে কেন?   ২

গ.        উদ্দীপকে উলিস্নখিত ‘ই’ দেশের কৃষি ও জনশক্তি সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর।        ৩

ঘ.        ‘অ’ ও ‘ই’ দেশের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক মূল্যায়ন কর। ৪

 ২১ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ সর্বোচ্চ।

 খ         উন্নয়ন তহবিল সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে ঋণ সহায়তা ও অনুদান গ্রহণ করে থাকে। ঋণ ও অনুদানকারী দেশ থেকে বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্য পায়, সেগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া। এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সাহায্যদাতা দেশ হিসেবে উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে জাপান। ভারত থেকেও কিছু পরিমাণ সাহায্য পাওয়া যায়।

 গ         উদ্দীপকে উলিস্নখিত ‘ই’ দেশের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কৃষির ওপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা ও অদক্ষ জনশক্তি। এটি অনুন্নত দেশের বৈশিষ্ট্য।            অনুন্নত দেশ কৃষির ওপর অত্যধিক নির্ভরশীল। এসব দেশের জনগণের বৃহদাংশই খাদ্য, জীবিকা ও অন্যান্য প্রয়োজন পূরণের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষি জাতীয় উৎপাদনের একক বৃহত্তম খাত। এসব দেশে অধিকাংশ জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল হলেও কৃষি উৎপাদন ও বণ্টন ব্যবস্থা অনুন্নত। সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ, ত্রম্নটিপূর্ণ মালিকানা, স্বরূপ বিনিয়োগ, কৃষি উপকরণ এবং কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যথা : সার, বীজ ও সেচ সুবিধা এবং বিপণন সুবিধা ইত্যাদির অভাব, কৃষির প্রকৃতি নির্ভরতা এসব কারণে কৃষিব্যবস্থা অত্যন্ত অনুন্নত। অনুন্নত দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উচ্চ এবং জনশক্তি অদক্ষ। অশিক্ষা, কুসংস্কার এবং যথাযথ নিয়ন্ত্রণের অভাবে অনুন্নত দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উচ্চ। দেশের পরিপোষণ ক্ষমতার চেয়ে জনসংখ্যার আয়তন বড়। এই জনসংখ্যাকে সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধা সরবরাহের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার ব্যবস্থাও নগণ্য।

 ঘ         উদ্দীপকে অ ও ই দেশ যথাক্রমে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশের সাথে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্পর্ককে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্পর্ক, ঋণ সহায়তা ও অনুদান দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক।বাণিজ্যের দুটি দিক আছে-রপ্তানি ও আমদানি। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় সব সময়ই আমদানির চেয়ে কম। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বড় বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরের অবস্থানে রয়েছে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স বেলজিয়াম প্রভৃতি দেশ। এছাড়া ইতালি, নেদারল্যান্ডস, কানাডা এসব দেশেও আমাদের পণ্য রপ্তানি হয়। আমাদের রপ্তানির একটি উলেস্নখযোগ্য দিক হলো আমরা জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ। যেসব দেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ। এছাড়া আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশসমূহে জনশক্তি রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের প্রধান আমদানি পণ্যের তালিকায় আছে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য, পেট্রোলিয়াম, তুলা, ভোজ্যতেল, সার, সুতা ইত্যাদি। দেশওয়ারি আমদানি পণ্যের পর্যালোচনা থেকে দেখা যায়, চীনের অবস্থান শীর্ষে। এরপর রয়েছে ভারত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের অবস্থান। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে ঋণ সহযোগিতা ও অনুদান গ্রহণ করে থাকে। আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়া।

অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ২২          উন্নত উন্নয়নশীল দেশের মাথাপিছু আয়  

আয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাসআয়সীমা (মাথাপিছু আয়)
‘ক’ আয়ের দেশ১২,২৭৬ ইউএস ডলার ও তার বেশি
‘খ’ আয়ের দেশ মধ্য আয়ের দেশ১,০০৬-১২,২৭৫ ইউএস ডলার                  ৩,৯৭৬-১২,২৭৫ ইউএস ডলার
নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ১,০০৫ ইউএস ডলার বা তার কম

 ক.       একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক কী?     ১

খ.        মাথাপিছু দেশজ উৎপাদন কীভাবে নির্ধারিত হয়?           ২

গ.        পাঠ্যপুস্তকের আলোকে পৃথিবীর ‘ক’ আয়ের দেশের এঘঞ  দেখিয়ে মাথাপিছু আয়ের একটি চার্ট তৈরি কর।            ৩

ঘ.        উদ্দীপকে উলিস্নখিত ‘খ’ দেশের আয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাসগুলো ব্যাখ্যা কর।      ৪

 ২২ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক সেদেশের জনগণের মাথাপিছু আয়।

 খ         নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন করে মাথাপিছু দেশজ উৎপাদন নির্ধারণ করা যায়।

মাথাপিছু দেশজ উৎপাদন =

কোনো নির্দিষ্ট বছরে মোট দেশজ উৎপাদান (এউচ) ঐ নির্দিষ্ট বছরে মোট জনসংখ্যা

অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট বছরে মোট দেশজ উৎপাদন (এউচ)-কে ঐ নির্দিষ্ট বছরে মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করে মাথাপিছু দেশজ উৎপাদন নির্ণয় করা সম্ভব।

 গ         পৃথিবীর ‘ক’ আয়ের দেশগুলো হচ্ছে উন্নত দেশ। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে পৃথিবীর উন্নত আয়ের কতিপয় দেশের মাথাপিছু আয়ের একটি চার্ট তৈরি করা হলো :

আয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাসদেশের নামমোট জাতীয় আয় (এঘও) (বিলিয়ন ডলার)জনসংখ্যা (মিলিয়ন)মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (ইউএস ডলার)
‘ক’ আয়ের দেশ (উন্নত দেশ)যুক্তরাষ্ট্র১৪৬০০.৮৩১০৪৭১৪০
(১২২৭৬ ডলার ও তার বেশি)কানাডা১৪১৫.৪৩৪৪১৯৫০
যুক্তরাজ্য২৩৯৯.৩৬২৩৮৫৪০
নরওয়ে৪১৬.৯৮৫৩৮০
সুইডেন৪৬৯.০৪৯৯৩৯
জাপান৫৩৬৯.১১২৭৪২১৫০
সিংগাপুর২১০.৩৪০৯২০

 ঘ         ঘ.        উদ্দীপকে  উলিস্নখিত ‘খ’ আয়ের দেশসমূহ সাধারণত উন্নয়নশীল দেশ। ‘খ’ আয়ের দেশ বলতে মধ্য আয়ের দেশকে বোঝানো হয়েছে। মধ্য আয়ের দুইটি ভাগের মধ্যে উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশগুলোর অবস্থান উন্নত। এসব দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়েছে। দেশগুলো দ্রম্নত শিল্পায়িত হচ্ছে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো সামাজিক অবকাঠামোর দ্রম্নত ঊর্ধ্বমুখী উন্নয়ন ঘটেছে। তবে উন্নত দেশগুলোর সমপর্যায়ে পৌঁছাতে এসব দেশকে এখনও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। মাথাপিছু জাতীয় আয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাসের ২য় স্তরে রয়েছে মধ্য আয়ের দেশ। উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, ইরান, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড। এই দেশগুলোর জনগণের মাথাপিছু আয় ৪২১০ ডলার থেকে ৯৫০০ ডলার পর্যন্ত। এসব দেশের মোট জাতীয় আয় ২২০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫৭০০ বিলিয়ন ডলারের আয়ের দেশ’। এগুলোও উন্নয়নশীল দেশ, তবে উন্নয়ন অর্জনের গতি ‘উচ্চ-মধ্য আয়’-এর দেশগুলোর চেয়ে অনেক কম। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিশর, নাইজেরিয়া নিম্নন-মধ্য আয়ের অন্তর্ভুক্ত। এসব দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ১০৫০ ডলার থেকে ২৩৪০ ডলার পর্যন্ত এবং মোট জাতীয় আয় ৪৬.৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৫৬৬.৬ বিলিয়ন ডলার।

অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)

প্রশ্ন- ২৩          উন্নত, অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি 

সেলিম গ্রামের অন্যান্য ছেলেদের মতো সংগ্রাম করে বড় হয়েছে। বড় হয়ে সে শ্রমিকের কাজ নিয়ে কানাডায় আসে। দেশে থাকতে ভালোভাবে মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ করতে পারত না। কানাডায় শ্রমিক হিসেবে এলেও সে উন্নত জীবনযাপনের সকল উপকরণ ভোগ করতে পারছে। সে ভাবে কবে তার দেশও এরকম উন্নত দেশে পরিণত হবে।

ক.        কানাডার মাথাপিছু আয় কত?   ১

খ.        উন্নত দেশ বলতে কী বোঝ?       ২

গ.        সেলিম যে দেশে জন্মগ্রহণ করেছে, সেখানকার অধিকাংশ মানুষ ভালোভাবে তাদের মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ করতে পারে না কেন- ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.        সেলিমের চাকরিস্থলের সাথে তার নিজ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।   ৪

 ২৩ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        কানাডার মাথাপিছু আয় ৪১,৯৫০ মার্কিন ডলার।

 খ         অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে এবং এই উন্নয়ন দীর্ঘ মেয়াদে অব্যাহত আছে এমন দেশকে বলে উন্নত দেশ। উন্নত দেশসমূহে জনগণের মাথাপিছু আয় খুব বেশি। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হারও বেশি এবং সে কারণে জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত উন্নত।

            ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

 গ         অনুন্নত দেশ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।

 ঘ         উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির তুলনামূলক আলোচনা কর।

প্রশ্ন- ২৪          বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রসরতার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতাসমূহ 

কাশেম মিয়া ও তার পরিবার ‘অ’ নামক রাষ্ট্রে বসবাস করে। সেখানে জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত নিম্ন। অধিকাংশ  লোকজন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তাদের দেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। কিন্তু তাদের চাষাবাদ পদ্ধতি প্রাচীন আমলের, তাই তারা প্রত্যাশিত শস্য উৎপাদন করতে পারে না। ফলে অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী।

ক.        অবকাঠামোকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়?       ১

খ.        অনুন্নত দেশ বলতে কী বোঝ?   ২

গ.        উদ্দীপকে অ দেশ বলতে কেমন দেশকে বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।   ৩

ঘ.        উদ্দীপকে বর্ণিত রাষ্ট্রের জনগণের জীবনযাত্রার নিম্নমানের কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়।-এর পক্ষে যুক্তি দাও।        ৪

 ২৪ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        অবকাঠামোকে প্রধানত ২টি ভাগে ভাগ করা হয়।

 খ         যেসব দেশের জনগণের মাথাপিছু প্রকৃত আয় উন্নত দেশসমূহের জনগণের মাথাপিছু আয়ের তুলনায় অনেক কম, সে সব দেশকে অনুন্নত দেশ বলা হয়। তবে কেবল মাথাপিছু প্রকৃত আয়ের ভিত্তিতে একটি দেশকে অনুন্নত বলা ঠিক নয়। অনুন্নত দেশ বলতে সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করতে সক্ষম নয়, এমন দেশকেও বোঝায়। অনেক অর্থনীতিবিদের মতে, যেসব দেশে অব্যবহৃত জনশক্তি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সহাবস্থান, সেসব দেশই অনুন্নত দেশ।

            ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

 গ         বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থার প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।

 ঘ         বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রসরতার প্রতিবন্ধকতাসমূহ বিশেস্নষণ কর।

প্রশ্ন- ২৫           মোট জাতীয় উৎপাদন পরিমাপ 

নাবিলা বই হাতের কাছে পেলেই তা একবার পড়ে নিতে চায়। গতকাল সে তার বড় বোনের পড়ার টেবিলে একটি নতুন বই দেখতে পায়। বইটির দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় লেখা ছিল আফ্রিকার একটি দেশের ২০০৯ সালের প্রাকৃতিক সম্পদ বা ভূমির ওপর ঐ দেশের শ্রম ও মূলধন বিনিয়োগ করে যে পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয়েছে তার আর্থিক মূল্য কত এ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য।

ক.        এউচ-এর পূর্ণরূপ কী?  ১

খ.        মাথাপিছু আয় নির্ণয়ের পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।         ২

গ.        উদ্দীপকের ধারণাটিকে উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা হিসেবে বিবেচনা করে তা ব্যাখ্যা কর।        ৩

ঘ.        উদ্দীপকের ধারণাটি আরও দুদিক থেকে বিবেচনা করে পরিমাপ করা যায় বলে তুমি মনে কর কি? মতামত দাও।    ৪

 ২৫ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        এউচ-এর পূর্ণরূপ হলো এৎড়ংং উড়সবংঃরপ ঢ়ৎড়ফঁপঃ.

 খ         মাথাপিছু আয় হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নাগরিকদের গড় আয়। মাথাপিছু আয় দুটি পৃথক মান দ্বারা নির্ধারিত হয়- ১. মোট জাতীয় আয় ও ২. মোট জনসংখ্যা। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের মোট জাতীয় আয়কে (জিএনআই) সে দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে মাথাপিছু জাতীয় আয় বা মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়।

ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

 গ         মোট জাতীয় উৎপাদন পরিমাণের একটি দিক হিসেবে উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা ব্যাখ্যা কর।

 ঘ         মোট জাতীয় উৎপাদন পরিমাণের তিনটি দিক বিশেস্নষণ কর।

প্রশ্ন- ২৬         উন্নয়নশীল দেশ 

বিশ্বের উন্নত ও অনুন্নত দেশসমূহের মধ্যে পর্যায়ে আরেক ধরনের দেশ আছে যেগুলোকে বলা হয় উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নশীল দেশসমূহে অনুন্নত অর্থনীতির অধিকাংশ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষিখাতের প্রাধান্য, শিল্পে অনগ্রসরতা, বেকারত্ব নিম্নন মাথাপিছু আয় ইত্যাদি।        

ক.        এঘচ-এর পূর্ণরূপ কী?   ১

খ.        মোট দেশজ উৎপাদন ব্যাখ্যা কর।         ২

গ.        কোনো দেশকে উন্নয়নশীল বলতে হলে কোন কোন বিষয় বিবেচনা করতে হবে? ব্যাখ্যা কর।        ৩

ঘ.        শ্রেণিবিভাগ অনুসারে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত হলেও কিছু সূচকের (আর্থসামাজিক) অগ্রগতি বা উচ্চমানের কারণে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ভুক্ত হিসেবেও বিবেচনা করা হয়’- কেন যুক্তি দেখাও।      ৪

 ২৬ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        এঘচ-এর পূর্ণরূপ হলো এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ ঢ়ৎড়ফঁপঃ.

 খ         একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য বা সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকে মোট দেশজ উৎপাদন বা এউচ বলে। যদি বাংলাদেশে চারটি দ্রব্য এক বছরে উৎপাদিত হয় তবে ঐ দ্রব্য চারটির পরিমাণের বাজার মূল্য ধরতে হবে। এর পর দ্রব্য চারটির বাজার মূল্য যোগ করলে পাওয়া যাবে মোট দেশজ উৎপাদন।

ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

 গ         উন্নয়নশীল দেশের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।

 ঘ         উন্নয়নশীল দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিশেস্নষণ কর।

প্রশ্ন- ২৭

উন্নয়নশীল দেশ 

‘ক’ একটি দেশ। এ দেশটির আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি। দেশটিতে যথেষ্ট পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনসংখ্যাকে ব্যবহার করে মোট জাতীয় উৎপাদন বাড়াচ্ছে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। কৃষিপ্রধান থেকে দেশটি এখন শিল্পপ্রধান দেশে পরিণত হচ্ছে।

ক.        বাংলাদেশে নিরক্ষর জনসংখ্যা কত?      ১

খ.        মোট জাতীয় উৎপাদন কী?       ২

গ.        উদ্দীপকে উলিস্নখিত ‘ক’ দেশটি উন্নয়নের মাত্রার ভিত্তিতে কোন ধরনের তা বিশেস্নষণ কর।       ৩

ঘ.        উক্ত ‘ক’ দেশটির সাথে বাংলাদেশের কি কোনো মিল রয়েছে? তোমার উত্তরের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪

 ২৭ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ জনসংখ্যা নিরক্ষর।

 খ         কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বা ভূমির ওপর সেদেশের মোট শ্রম ও মূলধন নিয়োগ করে যে পরিমিাণ বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয়, তার আর্থিক মূল্যকে ঐ দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন বলে।

ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

 গ         উন্নয়নশীল দেশের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।

 ঘ         উন্নয়নশীল দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিশেস্নষণ কর।

প্রশ্ন- ২৮         মাথাপিছু আয় 

নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের শিক্ষকিা নাসরিন আপা তার ছাত্রছাত্রীদের মাথাপিছু আয় সম্পর্কে লেকচার দিচ্ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বোঝানোর জন্য একটি উদাহরণ দিলেন যদি বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় ১০ লক্ষ টাকা হয় এবং জনসংখ্যা ৫০০০ জন হয় তাহলে মাথাপিছু আয় হবে ২০০ টাকা।

ক.        ২০০১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত ছিল?          ১

খ.        উন্নয়নশীল দেশ বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।    ২

গ.        নাসরিন আপার উদাহরণটি সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর।  ৩

ঘ.        উক্ত জাতীয় আয় বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে-বিশেস্নষণ কর।     ৪

 ২৮ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        ২০০১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.৪৮%।

 খ         বিশ্বের উন্নত ও অনুন্নত দেশসমূহের মধ্যপর্যায়ে আরেক ধরনের দেশ আছে, যেগুলোকে বলা হয় উন্নয়নশীল দেশ। এসব দেশে মাথাপিছু প্রকৃত আয় উন্নত দেশসমূহের তুলনায় অনেক কম। উন্নয়নশীল দেশসমূহে অনুন্নত অর্থনীতির অধিকাংশ বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান।

ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

 গ         মাথাপিছু আয়কে সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর।

 ঘ         জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে মাথাপিছু আয়ের ভূমিকা বিশেস্নষণ কর।

অধ্যায় সমন্বিত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ২৯          জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশ 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থার অর্থায়নে সখিপুর উপজেলার রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। সমগ্র উপজেলার সাথে জেলার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি ও দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার বক্তৃতায় বলেন, শুধু রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণে অর্থায়ন দ্বারা এ সংস্থার সাথে আমাদের সম্পর্ক চিহ্নিত করলে চলবে না। এ সংস্থাটির সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর।

 ক.       আইএমএফ এর পূর্ণরূপ কী?     ১

খ.        দেশওয়ারি আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান শীর্ষে- ব্যাখ্যা কর।    ২

গ.        রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের অর্থায়নকে অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিক থেকে ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.        উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্যটি বিশেস্নষণ কর।     ৪

২৯ নং প্রশ্ন ও উত্তর

 ক        আইএমএফ এর পূর্ণরূপ ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড।

 খ         দেশওয়ারি আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান শীর্ষে। কারণ দেশওয়ারি আমাদানি পণ্যের পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বাংলাদেশের মোট আমদানির শতকরা ১৮.১৩ ভাগ চীন থেকে আসে। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারত ১৩.৩৫%, সিঙ্গাপুর ৪.৮১% ও দক্ষণি কোরিয়া ৪.৩৪%।

গ         উদ্দীপকে উলিস্নখিত প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থা বলতে জাতিসংঘকে নির্দেশ করা হয়েছে। রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের অর্থায়নকে অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভাষায় বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও অনুদান বলা হয়। কারণ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের জন্য প্রচুর অর্থের দরকার হয়। যেটা দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে দেওয়া সম্ভব হয় না। উন্নয়ন তহবিল সংগ্রহের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো অন্যান্য দেশ থেকে ঋণ সহায়তা ও অনুদান গ্রহণ করে। ঋণ সহায়তা ও অনুদান দানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন: বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল, এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ, আইডিএ ইত্যাদি।

 ঘ  উদ্দীপকে প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থা বলতে জাতিসংঘকে বোঝানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্যে জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্কের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। জাতিসংঘের সবকটি অঙ্গ সংস্থার মিশন আছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য জাতিসংঘের এসব সংস্থা কাজ করছে। শুধুমাত্র বাঁধ নির্মাণের অর্থায়ন নয়, এ সংস্থা আরো যেসব সহযোগিতা করে তা হলো-

“ইউএনডিপি” : আমাদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে দেশব্যাপী অসংখ্য কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ইউএনডিপি।

“ইউনিসেফ” : দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লড়্গ্েয বিশেষ করে শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।

“ইউনেস্কো” : শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি উন্নয়নের জন্য এ সংসথা কাজ করে যাচ্ছে।

“ফাও” : বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য এ সংস্থা কাজ করছে।

“হু” : স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এ সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কাজ করছে।

“ইউএনএইচসিআর” : এ সংস্থা রোহিঙ্গা ইস্যু, শরণার্থী পালন ও বিহারী জনগোষ্ঠীর আবাসনে ব্যাপক অবদান রাখছে।

“ইউএনএফপিএ” : এ সংস্থা জনসংখ্যা পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।

অতএব বলা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য পুরোপুরি সঠিক।

অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর         

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ একটি দেশের জনগণের জীবনপ্রবাহের চালিকাশক্তি কী?

উত্তর : একটি দেশের জনগণের জনগণের জীবনপ্রবাহের চালিকাশক্তি অর্থনীতি।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কোন ধরনের দেশসমূহ উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃত?

উত্তর : উচ্চ আয়ের দেশসমূহ উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃত।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ব্যক্তির জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ করে কী?

উত্তর :  ব্যক্তির জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ করে মাথাপিছু আয়।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ব্যয়কারীদের প্রধানত কয়টি শ্রেণিতে বিন্যাস করা হয়?

উত্তর : ব্যয়কারীদের প্রধানত তিন শ্রেণিতে বিন্যাস করা হয়।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ কোনো দেশের মোট আয় কয়ভাবে ব্যয়িত হয়?

উত্তর : কোনো দেশের মোট আয় দুইভাবে ব্যয়িত হয়।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে একটি বড় বাধা কী?

উত্তর : কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে একটি বড় বাধা প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ বাণিজ্যের কয়টি দিক?

উত্তর : বাণিজ্যের দুটি দিক।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ শিল্পায়নের জন্য প্রথম ও প্রধান প্রয়োজন কী?

উত্তর : শিল্পায়নের জন্য প্রথম ও প্রধান প্রয়োজন পুঁজি বা মূলধন।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিস্বরূপ কী?

উত্তর : অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিস্বরূপ হলো আর্থসামাজিক অবকাঠামো।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ জনসংখ্যাকে কী হিসেবে বিবেচনা করা হয়?

উত্তর : জনসংখ্যাকে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ এদেশের কৃষি কিসের উপর নির্ভরশীল?

উত্তর : এদেশের কৃষি প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল।

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান সূচক কোনটি?

উত্তর : যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান সূচক সে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয়।

প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ মাথাপিছু আয় কয়টি পৃথক মান দ্বারা নির্ধারিত হয়?

উত্তর : মাথাপিছু আয় দুইটি পৃথক মান দ্বারা নির্ধারিত হয়।

প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ জীবন নির্ধারণের জন্য উচ্চ মাথাপিছু আয়ের সাথে কোন বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হয়?

উত্তর : জীবন নির্ধারণের জন্য উচ্চ মাথাপিছু আয়ের সাথে  দ্রব্যমূল্যের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে।

প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ শুধু দেশের নাগরিকদের উৎপাদন হিসেবে গণনা করে কী?

উত্তর : শুধু দেশের নাগরিকদের উৎপাদন হিসেবে গণনা করে মোট জাতীয় আয়।

প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ উন্নত উৎপাদনের একটি বড় কারণ কী?

উত্তর : উন্নত উৎপাদনের একটি বড় কারণ তথ্য প্রযুক্তি বা ঞবপযহড়ষড়মু-র উন্নয়ন।

প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ কোন ধরনের দেশসমূহের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হয়?

উত্তর : উন্নত দেশসমূহের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হয়।

প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ কোন ধরনের দেশগুলোতে মৌলিক বা ভারী শিল্প নেই?

উত্তর : অনুন্নত দেশগুলোতে মৌলিক বা ভারি শিল্প নেই।

প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ পুঁজি বা মূলধনের প্রধান উৎস কী কী?

উত্তর :  পুঁজি বা মূলধনের প্রধান উৎস ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ বাংলাদেশের জনগণের কত ভাগ নারী?

উত্তর : বাংলাদেশের জনগণের অর্ধেক নারী ।

প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ এদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো প্রধানত কোন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে?

উত্তর : এদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো প্রধানত কৃষিখাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশে শিল্পঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল কত কোটি টাকা?

উত্তর : ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশে শিল্পঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ৩৮০৯৮.৫৫ কোটি টাকা।

প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ বাংলাদেশের কত শতাংশ জনগণ নিরক্ষর?

উত্তর : বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ জনগণ নিরক্ষর।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ বাংলাদেশের বেকারত্ব সমস্যার বিবরণ দাও।

উত্তর : বাংলাদেশের জনসংখ্যাধিক্য ও দ্রুত শিল্পায়নের অভাব একটি বড় সমস্যার জন্ম দিয়েছে, সেটি হচ্ছে বেকারত্ব। বাংলাদেশে মোট

শ্রমশক্তির একটি উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বেকার। কর্মে নিয়োজিতদের মধ্যে আবার দিনমজুর প্রায় ২০ শতাংশ। দেশে মজুরির হার কম বলে দিনমজুরদের অধিকাংশকে অর্ধবেকার এবং বিনা মজুরিতে নিয়োজিতদের অধিকাংশকে বেকার হিসেবে গণ্য করা হয়।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বাংলাদেশে কেন বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি বিরাজমান?

উত্তর : বাংলাদেশে বৈদেশিক বাণিজ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ঘাটতি বিরাজমান। বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুটি দিক আছে- আমদানি ও রপ্তানি। রপ্তানি হচ্ছে কোনো দেশের আয়ের উৎস আর আমদানি হচ্ছে ব্যয়ের খাত। বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরেই রপ্তানি আয় আমদানি ব্যয়ের চেয়ে কম।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতির ধরন কেমন?

উত্তর : উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি শিল্পনির্ভর।

দ্রুত শিল্পায়নের ফলে এসব দেশ উন্নতি অর্জন করেছে। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে এসব দেশ শিল্পপ্রধান দেশে পরিণত হয়েছে। উন্নত দেশসমূহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প থেকে এসব দেশে এসে মৌলিক ও বৃহদায়তন শিল্পের প্রসার ঘটেছে।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ উন্নত দেশসমূহে কেন দুর্নীতি কম হয়ে থাকে?

উত্তর : উন্নত দেশসমূহে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকে বলে দুর্নীতি কম হয়ে থাকে। উন্নত দেশে প্রশাসন যন্ত্র স্বচ্ছতার সাথে কাজ করে। রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থিতিশীল ও উন্নত। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়ক পরিবেশ গড়ে ওঠে ও তা বজায় থাকে। এ কারণে উন্নত দেশগুলোতে দুর্নীতি কম হয়ে থাকে।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ অনুন্নত দেশসমূহে স্বল্প  মূলধন ও বিনিয়োগের নিম্নহার কেন দেখা দেয়?

উত্তর : অনুন্নত দেশসমূহে মাথাপিছু আয় কম বলে জনগণের আয়ের সর্বদাই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ভোগের জন্য ব্যয় করতে হয়। এ কারণে জনগণের সঞ্চয়ের হার অত্যন্ত কম। ফলে মূলধন বা পুঁজির স্বল্পতা দেখা দেয় এবং বিনিয়োগের হারও অত্যন্ত নিম্ন।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ উন্নয়নশীল দেশসমূহে কৃষির ক্রমোন্নতি কীভাবে ঘটানো হয়?

উত্তর : উন্নয়নশীল দেশসমূহ মূলত কৃষিপ্রধান দেশ। তাই এসব দেশে কৃষির আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, কৃষির অবকাঠামো উন্নয়ন, উন্নতমানের বীজ, সার ও সেচ সুবিধা সরবরাহ ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ফলে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ে এবং কৃষিতে ক্রমোন্নতির সূচনা হয়।

সংক্ষপ্তি প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ উৎপাদনের উপাদানসমূহের মোট আয় কীভাবে নির্ণয় করা হয়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : জমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন উৎপাদনের এই চারটি উপাদানের আয় যথাক্রমে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা এক বছরে কোনো দেশের জাতীয় আয় ঐ বছরে উপাদানসমূহের অর্জিত মোট খাজনা, মজুরি/বেতন, সুদ ও মুনাফার সমষ্টি হিসাব করে নির্ণয় করা হয়।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ মোট জাতীয় উৎপাদন নির্ণয়ের সাংকেতিক সূত্রটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : মোট জাতীয় উৎপাদন নির্ণয়ের সাংকেতিক সূত্রটি হলো-মোট জাতীয় উৎপাদন (এঘচ) = মোট দেশজ উৎপাদন (এউচ) + (ঢ -গ)

যেখানে, ঢ = বিদেশে অবস্থানরত দেশি জনগণের আয়

              গ  = দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আয়

মোট জাতীয় উৎপাদন (এঘচ) মোট দেশজ উৎপাদন (এউচ)

এর চেয়ে বেশি বা কম হতে পারে, আবার সমানও হতে পারে।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কৃষিখাত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচিত কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : অতি প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিপ্রধান অর্থনীতি হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে মৎস্যখাতসহ কৃষিখাতের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। দেশের শ্রমশক্তির মোট ৪৩.৬ শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত। দেশের রপ্তানি আয়েও কৃষিখাতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। খাদ্যশস্য কৃষিখাতের অন্যতম প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য। বিগত এক দশকেরও  বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন ক্রমবর্ধমান এবং দেশটি ক্রমশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে। এছাড়া আমাদের শিল্পখাতের অনেক শিল্পের কাঁচামালের যোগান দেয় আমাদের কৃষিখাত। যেমন : পাট শিল্প, চা ও চামড়া শিল্প ইত্যাদি। এসব কারণেই কৃষিখাত এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচিত।

বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ মাথাপিছু আয় কীভাবে জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ করে? বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : মাথপিছু আয় হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নাগরিকদের গড় আয়। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের মোট জাতীয় আয়কে সে দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়। উচ্চ মাথাপিছু আয় উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করে। তবে জীবনমান নির্ধারণের জন্য উচ্চ মাথাপিছু আয়ের সাথে দ্রব্যমূল্যের বিষয়টিও বিবেচনা নিতে হবে। যদি কোনো বছরে কোনো দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হয়ে যায়, আবার একই সাথে দ্রব্যের মূল্যস্তরও দ্বিগুণ হয়, তাহলে প্রকৃতপক্ষে জীবনযাত্রার মান একই থাকবে। কারণ ওই দ্বিগুণ আয় দিয়ে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে এই পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা ক্রয় করতে পারবে। অর্থাৎ তার আর্থিক আয় দ্বিগুণ হলেও তার প্রকৃত আয় বৃদ্ধি পায়নি। কারণ, আর্থিক আয় ও দ্রব্যমূল্য একই হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মূল্যস্তর অপরিবর্তিত থেকে মাথাপিছু আয় বাড়লে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে এবং মাথাপিছু আয় কমলে জীবনযাত্রার মান হ্রাস পাবে। আবার জাতীয় আয়ের বণ্টন যদি সুষম না হয় তাহলে বেশির ভাগ মানুষের মাথাপিছু আয় জাতীয় আয়ের চেয়ে কম হবে। ফলে অধিকাংশ মানুষের জীবনযাত্রাও উন্নত হবে না। এভাবে মাথাপিছু আয় ব্যক্তির জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ করে। তাই জীবনযাত্রার মান নির্ধারণে মাথাপিছু আয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ মোট দেশজ উৎপাদনে অর্থনীতির খাতসমূহ কীভাবে অবদান রাখে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মোট ১৫টি প্রধান খাতে ভাগ করা হয়। এই ১৫টি খাতকে আবার সমন্বিত করে ৫টি প্রধান খাতে বিন্যস্ত করা যায়। যেমন : কৃষিখাত, শিল্পখাত, ব্যবসা খাত সামাজিক সেবা ও সেবাখাত। ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে অবদান হিসেবে উক্ত ৫টি সমন্বিত খাতের মধ্যে সবচেয়ে ওপরে রয়েছে ‘শিল্পখাত’। যার অবদান ৩১.১৩ শতাংশ। এর পরে আসে ব্যবসা খাত, এর অবদান ২১.১০%। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কৃষিখাত, মোট দেশজ উৎপাদনে এর অংশ ১৯.৪১%। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ‘সামাজিক সেবা ও ‘সেবাখাত’- এদের অংশ যথাক্রমে ১৪.৮০% ও ১৩.৫৮%। মোট দেশজ উৎপাদনে অর্থনীতির খাতসমূহ এভাবেই অবদান রাখে।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ নিম্নআয়ের দেশের ক্ষেত্রে জিডিপি, জিএনপি ও মাথাপিছু আয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : আমরা জানি, যে কোনো  দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক সে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয়। তবে একটি দেশ উন্নত, অনুন্নত নাকি উন্নয়নশীল, তা নির্ধারণের জন্য মাথাপিছু জাতীয় আয় বা মাথাপিছু আয় ছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেমন, অর্থনীতির প্রকৃতি অর্থাৎ অর্থনীতি কৃষিপ্রধান নাকি এর শিল্পায়ন ঘটেছে, স্বাক্ষরতা বা শিক্ষার হার, জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, অর্থনৈতিক অবকাঠামোর ঊর্ধ্বমুখী উন্নয়ন ঘটেছে কিনা অর্থাৎ পরিবহন, যোগাযোগ সুবিধা এবং মূলধন গঠন ও বিনিয়োগের ঊর্ধ্বমুখী কিনা এসব বিষয়ও বিবেচ্য।

নিচে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে নিম্ন আয়ের দেশের শ্রেণিবিন্যাস দেখানো হলো :

নিম্ন আয়ের দেশ           মোট জাতীয় আয় (জিএনআই) (বিলিয়ন ডলার) জনসংখ্যা

(মিলিয়ন)          মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (ইউএস ডলার)

বাংলাদেশ         ১০৪.৫ ১৬৪     ৬৪০

নেপাল ১৪.৫    ৩০       ৪৯০

কম্বোডিয়া        ১০.৭    ১৪        ৭৬০

উগান্ডা ১৬.৬   ৩৪       ৪৯০

কেনিয়া ৩১.৮   ৪১        ৭৮০

সারণিতে অন্তর্ভুক্ত নিম্ন আয়ের দেশসমূহের মাথাপিছু আয় ৪৯০ ডলার থেকে ৭৮০ ডলারের মধ্যে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে কোনো কোনো সময় উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও মূলত এগুলো অনুন্নত দেশ। এসব দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় অত্যন্ত কম। তবে এসব দেশের অধিকাংশেই উন্নয়নের ধারা শুরু হয়েছে বেশ কিছুকাল থেকেই। সাধারণত এই শ্রেণিতে এশীয় দেশের মধ্যে নেপাল, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও আফ্রিকান দেশের মধ্যে কেনিয়া এবং উগান্ডাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরিকল্পিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশগুলো কিছুটা উন্নয়নও অর্জন করেছে। সেজন্য অনেক ক্ষেত্রেই এদেশগুলোকে অনুন্নত না বলে স্বল্পোন্নত দেশ বলা হয়। 

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১.         দেশের শ্রমশক্তির মোট কতো শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত?

            ক ১৭.৩১                     খ ২৪.৭৩

            গ ২৮.৪০                     > ৪৩.৬০

২.        মোট জাতীয় আয় পরিমাপের ক্ষেত্রে একটি গার্মেন্টস কারখানার কোন দ্রব্যটির দাম বিবেচনা করা হবে?

            ক তুলা             খ সুতা

            গ কাপড়                      > শার্ট

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

২০১০ সালে ‘ঢ’ দেশের মোট জাতীয় আয় ছিল ৯৬০০ কোটি মার্কিন ডলার এবং জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি।

৩.        ২০১০ সালে ‘ঢ’ দেশের মাথাপিছু আয় কত মার্কিন ডলার ছিল?

            ক ৪০০ খ ৫০০ > ৬০০  ঘ ৭০০

৪.        উক্ত সূচকটি দ্বারা প্রকাশ পায় ‘ঢ’ দেশের মানুষের-

            র. জীবনযাত্রার মান

            রর. সঞ্চয়ের হার

            ররর. শিক্ষার হার

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র             খ রর           গ র ও রর         ঘ রর ও ররর

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১.         অনুন্নত দেশের জাতীয় উৎপাদনের একক বৃহত্তম খাত কোনটি?

            ক শিল্প খ সেবা > কৃষিজ            ঘ ব্যবসা

২.        নিম্ন আয়ের দেশের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয় কত মার্কিন ডলার?

            ক ৭৬০ > ১০০৫ গ ১০০৬           ঘ ৩৯৭৫

৩.        সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোন খাতের গুরুত্ব ও অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে?

            > শিল্পখাতের                 খ কৃষিখাতের

            গ শিক্ষাখাতের              ঘ নির্মাণ খাতের

৪.        ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার-

            > ৪৩.৭%           খ ৪৯.৭%          গ ৫১.৮%          ঘ ৫৯.৮%

৫.        ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটার জনসংখ্যার ঘনত্ব কত ছিল?

            ক ১০০৫ জন               খ ১০১০ জন

            > ১০১৫ জন                  ঘ ১০২০ জন

৬.        দেশের সার্বিক উন্নয়ন অর্জনের জন্য বর্তমান সরকার পরিকল্পিত উন্নয়নের যে উদ্যোগটি নিয়েছে, তা হলো-

            ক ভিশন-২০২০           > ভিশন-২০২১

            গ ভিশন-২০২২           ঘ ভিশন-২০২৩

৭.        জনসংখ্যা বৃদ্ধির চরম পর্যায় কোনটি?

            > খাদ্যসংকট                 খ রাস্তাঘাট ধ্বংস

            গ প্রাকৃতিক দুর্যোগ       ঘ ঘরবাড়ি ধ্বংস

৮.        অনুন্নত দেশের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো-

            > মাথাপিছু আয় কম      খ শিল্পের উপর নির্ভরশীলতা

            গ কৃষির উপর নির্ভরশীলতা       ঘ অন্য দেশের উপর নির্ভরশীলতা

৯.        উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ও দ্রব্যের আর্থিক মূল্যের সমষ্টিকে বলা হয়-

            ক মূলধন                      খ মোট সুদ

            গ মুনাফা                      > মোট জাতীয় উৎপাদন

১০.      দেশের শ্রম শক্তির মোট কত শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত?

            ক ১৭.৩১         খ ২৪.৭৩         গ ২৮.৪০         > ৪৩.৬০

১১.       কৃষি উন্নয়নের একটি বড় নিয়ামক হলো-

            ক প্রশিক্ষণদান             খ কৃষকের সংখ্যা বৃদ্ধি

            গ কৃষি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি       > পর্যাপ্ত কৃষি ঋণদান

১২.      বাংলাদেশের শিপিং কর্পোরেশন কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

            ক ১৯৭৯          খ ১৯৭৭           গ ১৯৭৪           > ১৯৭২

১৩.      ২০১০-১১ অর্থবছরে শিল্পখাতের অবদান কত শতাংশ ছিল?

            ক ১৪.৮১         খ ১৭.৩১          গ ১৯.৯৫          > ৩০.৩৩

১৪.      আদমশুমারি রিপোর্ট, ২০১১ অনুযায়ী বাংলাদেশে কত শতাংশ জনগণ নিরক্ষর?

            ক ৪১% খ ৪২% > ৪৩%   ঘ ৪৪%

১৫.      মাথাপিছু আয় হচ্ছে-

            > মাথাপিছু আয় = মোট জাতীয় আয়মোট জনসংখ্যা

            খ মাথাপিছু আয় = মোট জনসংখ্যা আয়মোট জাতীয় আয়

            গ মাথাপিছু আয় = মোট জাতীয় আয়মোট জাতীয় ব্যয়

            ঘ মাথাপিছু আয় = মোট উৎপাদনমোট জনসংখ্যা

১৬.      “অনুন্নত দেশ হচ্ছে সেইসব দেশ যেগুলোতে জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় পুঁজি বা মূলধন কম”। উক্তিটি কার?

            ক ম্যালথাস      খ কার্ল মার্কস   গ ম্যাকাইভার   > র‌্যাগনার নার্কস

১৭.      সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কোন দেশে বাংলাদেশ সর্বাধিক পণ্য রপ্তানি করে?

            ক পাকিস্তানে   খ শ্রীলংকায়     > ভারতে           ঘ নেপালে

১৮.      কোনটি নিম্ন আয়ের দেশ?

            ক পাকিস্তান     খ শ্রীলংকা        > নেপাল           ঘ তুরস্ক

১৯.      বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কতটি খাতে ভাগ করা যায়?

            > ১৫টি  খ ১৪টি গ ১৩টি ঘ ১২টি

২০.      বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব- (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে)।

            ক ১০২৫ জন   > ১০১৫ জন      গ ১১২৫ জন     ঘ ১২১৫ জন

২১.      উৎপাদিত উপাদানের মূল সমষ্টিকে বলা হয়-

            > মোট জাতীয় আয়       খ মোট জাতীয় উৎপাদন

            গ মাথাপিছু আয়           ঘ মোট উৎপাদন

২২.      ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে খাতওয়ারি অবদানের কোন খাত তৃতীয় স্থানে রয়েছে?

            ক শিল্প খাত      খ ব্যবসা খাত    গ সেবা খাত                  > কৃষি খাত

২৩.      আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১ অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত ছিল?

            > ১.৩৭%           খ ১.৪৮%          গ ১.৮০%          ঘ ২.১৭%

২৪.      ২০১০ সালের তথ্য অনুযায়ী মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে মালয়েশিয়া, চীন, ইরান কোন ধরনের দেশ?

            ক উচ্চ আয়ের দেশ      > উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ

            গ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ ঘ নিম্ন আয়ের দেশ

২৫.      নিচের কোনটি ‘সামাজিক সেবা’ খাতের অন্তর্ভুক্ত?

            > শিক্ষা খ পরিবহন

            গ সংরক্ষণ ও যোগাযোগ           ঘ হোটেল ও রেস্তোরাঁ

২৬.     একটি দেশের এউচ = ৭,০০০ কোটি ডলার, বিদেশে অবস্থানরত দেশি জনগণের আয় = ৩,০০০ কোটি ডলার এবং দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আয় ২,৫০০ কোটি ডলার। তাহলে, এঘচ = কত?

            > ৭,৫০০ কোটি ডলার   খ ৯,৫০০ কোটি ডলার

            গ ১০,০০০ কোটি ডলার ঘ ১২,৫০০ কোটি ডলার

২৭.      জাপানের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় কত ইউ.এস ডলার?

            ক ৭২,১৫০      খ ৬২,১৫০      গ ৫২,১৫০       > ৪২,১৫০

২৮.      দেশের শ্রমশক্তির মোট কত শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত?

            ক ১৭.৩১         খ ২৪.৭৩         গ ২৮.৪০         > ৪৩.৬০

২৯.      মোট জাতীয় আয়ের পরিমাপের ক্ষেত্রে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কোন দ্রব্যটির দাম বিবেচনা করা হয়?

            ক তুলা খ সুতা  গ কাপড়          > শার্ট

৩০.      বাংলাদেশে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় কত (২০১০)?

            > ৬৪০ ইউএস ডলার    খ ৪৯০ ইউএস ডলার

            গ ৭৬০ ইউএস ডলার   ঘ ৭৮০ ইউএস ডলার

৩১.      নিচের কোনটি ব্যক্তির জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ করে?

            ক মোট দেশজ উৎপাদন          খ মোট জাতীয় আয়

            গ মোট মুনাফা > মাথাপিছু আয়

৩২.      বিগত এক দশক যাবত বাংলাদেশের রপ্তানী সবচেয়ে বড় বাজার কোনটি?

            ক ফ্রান্স > যুক্তরাষ্ট্র         গ যুক্তরাজ্য      ঘ শ্রীলংকা

৩৩.     স্বাধীনতা পূর্ব বাংলাদেশের অর্থনীতির কোন ধাপটিকে বলা হয় ‘বাংলার স্বর্ণযুগ’?

            ক প্রাচীন কাল  > মুসলিম শাসনামল

            গ ব্রিটিশ শাসনামল       ঘ পাকিস্তান আমল

৩৪.      কাজ করার অধিকার কোন ধরনের অধিকার?

            ক সামাজিক অধিকার  খ রাজনৈতিক অধিকার

            > অর্থনৈতিক অধিকার  ঘ নৈতিক অধিকার

৩৫.     বিশ্বব্যাংক মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে পৃথিবীর দেশগুলোকে কয়ভাগে ভাগ করেছে?

            ক ৫     খ ৪      > ৩       ঘ ২

৩৬.     সজল তার বাবার পতিত জমিতে পরিকল্পিতভাবে সবজি চাষ করছে। গ্রামের মানুষ এখানে কাজ করে মজুরি পাচ্ছে। কৃষি ব্যাংক থেকে  ঋণ নিয়ে সার, বীজ কিনেছে। এ বছর তার জমিতে বিভিন্ন রকম সবজির ভালো ফলন হয়েছে। এখানে সজলের ভূমিকায় উৎপাদনের কোন উপাদানকে ইঙ্গিত করা হয়েছে?

            ক শ্রম              খ মূলধন

            > ভূমি               ঘ সংগঠন

৩৭.      অর্থনীতিবিদ মামা ভাগ্নেকে একটি উৎপাদনের উদাহরণ দিলেন। উদাহরণটি হলো তুলা থেকে সুতা, সুতা থেকে কাপড় এবং কাপড় থেকে শার্ট উৎপাদন করা হয়। এভাবে উৎপাদন সম্পন্ন হয়। উদ্দীপকে শার্ট  কোন ধরনের পণ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?

            ক প্রাথমিক দ্রব্য           খ মাধ্যমিক দ্রব্য

            > চূড়ান্ত দ্রব্য     ঘ উৎকৃষ্ট দ্রব্য

৩৮.     দেশজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় কোনটি?      

            ক প্রাকৃতিক সম্পদ      খ খনিজ সম্পদ

            > ভৌগোলিক সীমানা    ঘ জাতীয়তা

৩৯.      ‘ক’ নামক রাষ্ট্রে ২০১৩ সালের মধ্য সময়ে মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি এবং মোট জাতীয় আয় ৯০০ কোটি। দেশটির মাথাপিছু আয় কত ডলার?

            > ৩০০              খ ৩৩৩.৩৩

            গ ৩০০০                      ঘ ৩৩০০

৪০.      কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক কোনটি?

            ক এউচ            খ এঘচ গ মোট মুনাফা > মাথাপিছু আয়

৪১.      বিশ্বের যেকোনো অর্থনীতিকে কয়টি প্রধান খাতে ভাগ করা হয়?

            ক ২     > ৩       গ ৪      ঘ ৫

৪২.      বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মোট কয়টি প্রধান খাতে ভাগ করা হয়?           

            ক ১০   খ ১২    > ১৫     ঘ ২০

৪৩.      মি. সোহেল ইমরান যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। তিনি বিভিন্ন এলাকার সড়ক পথ উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করেন। মি. সোহেল ইমরানের কাজ অর্থনীতির কোন খাতের অন্তর্ভুক্ত?   

            ক শিল্পখাত                   খ ব্যবসায় খাত

            > সেবাখাত                    ঘ কৃষিখাত

৪৪.      নরওয়ে ও সিঙ্গাপুরের মাথাপিছু আয় কত?

            ক ৩৮৫৪০ এবং ৬৪০  খ ৪৭১৪০ এবং ৭৮০

            > ৮৫৩৮০ এবং ৪০৯২০           ঘ ৪৯৯৩০ এবং ৭৬০

৪৫.      মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে তুরস্ক কোন ধরনের দেশ?      

            > উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ            খ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ

            গ উচ্চ আয়ের  ঘ নিম্ন আয়ের দেশ

৪৬.     ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী শ্রীলংকার মাথাপিছু আয় কত?

            ক ১১৮০ ডলার             > ২২৯০ ডলার

            গ ২৩৪০ ডলার             ঘ ১৩৪০ ডলার

৪৭.      ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান কত ছিল?

            ক ১৫.৩৭ শতাংশ         > ১৭.৩১ শতাংশ

            গ ১৮.৪১ শতাংশ          ঘ ২৯.৩০ শতাংশ

৪৮.      ২০১১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত ছিল?

            ক ২.১৭%         খ ১.৪৮%          গ ১.৩২%          > ১.৩৭%          

৪৯.      বাংলাদেশের অনগ্রসরতার মূল কারণ কী?

            > ঔপনিবেশিক শাসন    খ পাকিস্তানি শাসন

            গ অনুন্নত অবকাঠামো ঘ প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব

৫০.      বাংলাদেশের শিক্ষতি জনগণ অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত দক্ষতা অর্জন করতে পারে না। উক্ত বিষয়টি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে?

            ক রাজনৈতিক  > আর্থসামাজিক

            গ সুশাসনের অভাব      ঘ শিল্পক্ষত্রে

৫১.      জাতীয় কৃষিনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে কত সালে?           

            ক ১৯৯০          > ১৯৯৯ গ ২০০০           ঘ ২০১০

৫২.      জাপান কোন ধরনের দেশ?

            > উন্নত             খ উন্নয়নশীল

            গ অনুন্নত                     ঘ মধ্য আয়ের

৫৩.     বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার কোনটি?          

            ক চীন              খ জাপান

            > যুক্তরাষ্ট্র                     ঘ ফ্রান্স

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৫৪.      বাংলাদশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে-

            র. সৃজনশীল পদ্ধতির মূল্যায়ন ব্যবস্থার কারণে

            রর. শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে

            ররর. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির কারণে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ  র ও ররর      > রর ও ররর      ঘ  র,  রর ও ররর

৫৫.     মোট জাতীয় আয় নির্ণয়ে হিসাবে ধরা হয়-

            র.  দেশের ভিতরে অবস্থানরত বিদেশিদের আয়

            রর. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের আয়

            ররর. দেশের ভিতরে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের আয়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক রর   খ র ও রর         গ র ও ররর       > রর ও ররর

৫৬.     বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই ধরনের দেশসমূহের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য হলো-

            র.  কৃষিভিত্তিক প্রধান অর্থনীতি

            রর. প্রাকৃতিক ও মানবসম্পদের ব্যবহার

            ররর. ব্যাপক বেকারত্ব

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৫৭.      বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য-

            র. কৃষিপ্রধান   

            রর. শিল্প নির্ভর

            ররর. প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের অপূর্ণ ব্যবহার

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ রর ও ররর     > র ও ররর        ঘ র, রর ও ররর

৫৮.     সেবাখাতে অন্তর্ভুক্ত হলো-

            র. বনজ সম্পদ

            রর. ব্যাংক, বিমা

            ররর. শিক্ষা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও ররর      খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

৫৯.      কোনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা জানার জন্য আবশ্যক-

            র. মোট জাতীয় উৎপাদন

            রর. মোট দেশজ উৎপাদন

            ররর. মাথাপিছু আয়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

৬০.     উন্নত দেশে প্রত্যেক উৎপাদনকারীর লড়্গ্য থাকে-

            র. অধিক উৎপাদন

            রর. সর্বাধিক মুনাফা লাভ

            ররর. সর্বাধিক সেবা প্রদান

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

৬১.      অনুন্নত দেশে যে শিল্পের প্রাধান্য দেখা যায়-

            র. ক্ষুদ্র শিল্প     

            রর. কুটির শিল্প

            ররর. ভারী শিল্প

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬২ ও ৬৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

২০১৪ সালে একটি দেশের মোট জাতীয় আয় ছিল ৭০০ কোটি ইউএস ডলার এবং দেশটির জনসংখ্যা ছিল ১০ কোটি।

৬২.     উক্ত দেশটির মাথাপিছু আয় কত ডলার?

            ক ২৭   > ৭০     গ ২৭০০           ঘ ২৭০০০

৬৩.     আয়ের ভিত্তিতে উক্ত দেশটি কোন ধরনের?

            ক উচ্চ আয়ের             খ  উচ্চ মধ্য আয়ের

            গ নিম্ন মধ্য আয়ের        ঘ নিম্ন আয়ের

অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬৪.     মোট দেশজ উৎপাদনের আরেক নাম কী?         (জ্ঞান)

            ক মোট জাতীয় উৎপাদন          খ মাথাপিছু আয়

            > মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন      ঘ অর্থনীতির নির্দেশক

৬৫.     যে বিষয়গুলো একটি দেশের অর্থনীতির অবস্থা নির্দেশ করে সেগুলোকে কী বলে?           (জ্ঞান)

            > অর্থনীতির নির্দেশক    খ অর্থনীতির ধারণা

            গ মোট জাতীয় উৎপাদন          ঘ মোট দেশজ উৎপাদন

৬৬.     অর্থনীতির নির্দেশক কী নির্দেশ করে?    (অনুধাবন)

            > অর্থনীতির অবস্থা       খ দেশের অগ্রগতি

            গ উন্নয়নের হার            ঘ উৎপাদনের অবস্থা

৬৭.     বিদেশ থেকে কর্মজীবী মানুষ দেশে কী প্রেরণ করে?       (জ্ঞান)

            ক পণ্যসামগ্রী               > অর্থ

            গ কাঁচামাল                   ঘ জনসম্পদ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬৮.     দেশের অর্থনীতি পূর্বের তুলনায়-           (অনুধাবন)

            র. এগিয়ে যেতে পারে

            রর. পিছিয়ে যেতে পারে

            ররর. একই অবস্থায় থাকতে পারে

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

৬৯.     অর্থনীতির অবস্থা নির্দেশ করে- (অনুধাবন)

            র. মোট অভ্যন্তরীণ আয়

            রর. মোট দেশজ উৎপাদন

            ররর. জনগণের মাথাপিছু আয়

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭০ ও ৭১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

উচ্চতর বৃত্তি নিয়ে ইউরোপের একটি দেশে গবেষণা করতে গেল রিপা। সেখানে সে সবার আগে সেই দেশের অর্থনীতির অবস্থা জানার চেষ্টা করল।

৭০.      রিপা জানার চেষ্টা করল সে দেশের-      (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. মোট জাতীয় উৎপাদন

            রর. মোট দেশজ উৎপাদন

            ররর. মাথাপিছু আয়

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

৭১.      রিপার জানা বিষয়গুলোকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)

            ক অর্থনীতির চাকা        > অর্থনীতির নির্দেশক

            গ অর্থনীতির প্রকৃতি      ঘ উন্নয়নের অবস্থা

            পরিচ্ছেদ-১১.১: অর্থনৈতিক নির্দেশনাসমূহ মোট জাতীয় উৎপাদন :

            একটি দেশের অর্থনীতির অবস্থা জানার জন্য দরকার-মোট জাতীয় উৎপাদন সম্বন্ধে জানা।       

            একটি দেশের মোট শ্রম ও মূলধন নিয়োগ করে বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্য ও সেবা এবং আর্থিক মূল্যই হলো-জাতীয় উৎপাদন।

            মোট জাতীয় উৎপাদনকে-৩টি ভাগে ভাগ করা যায়।

            মোট জাতীয় উৎপাদন নির্ণয় করতে হলে-শুধুমাত্র চূড়ান্ত দ্রব্য গণনা করা হয়।

            ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন-এই চারটি উৎপাদনের উপাদান।

            কোনো দেশের জাতীয় আয় উৎপাদনের উপাদানসমূহের অর্জিত-মোট খাজনা, মজুরি/বেতন, সুদ ও মুনাফার সমষ্টি।

            সমাজের মোট ব্যয়ের ভিত্তিতেও-মোট জাতীয় উৎপাদন নির্ণয় করা যায়।

            যে কোনো অবস্থাগত দ্রব্য যার উপযোগ এবং বিনিময় মূল্য আছে-তাই সেবা।

            মানুষের অভাব পূরণের জন্য কোনো দ্রব্যের উপযোগ ব্যবহার করার প্রক্রিয়াকে-ভোগ বলা যায়।

            মোট জাতীয় উৎপাদনকে অনেক সময়-মোট জাতীয় আয় বলা হয়।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৭২.      এঘচ এর পূর্ণরূপ কী?    (অনুধাবন)

            ক এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ারফবৎ

            > এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ

            গ এৎড়ঃিয ঘধঃরড়হধষ চৎড়মৎবংং

            ঘ এৎড়ঃিয ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ

৭৩.      মোট জাতীয় উৎপাদন হিসাব করতে কোন সময়টি বিবেচনায় আনতে হয়?         (অনুধাবন)

            ঘ ৪ মাস           খ ৬ মাস          > ১ বছর            গ ১০ বছর

৭৪.      নির্দিষ্ট দেশে নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিটি দ্রব্য ও আর্থিক সেবার মূল্যের সমষ্টিকে কী বলে?          (জ্ঞান)

            ক মাথাপিছু আয়          খ মোট জাতীয় আয়

            > মোট জাতীয় উৎপাদন           ঘ মাথাপিছু উৎপাদন

৭৫.      মোট জাতীয় উৎপাদনকে কয়টি দিক থেকে বিবেচনা করতে হয়?           (জ্ঞান)

            > ৩       খ ৪      গ ৫      ঘ ৬

৭৬.     যে কোনো দেশের অর্থনীতিতে কার প্রয়োজনে নানাবিধ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা উৎপাদন করা হয়?   (জ্ঞান)

            ক সরকারের     খ চাকরিজীবীদের

            গ আমলাদের   > জনগণের

৭৭.      প্রতিটি দ্রব্য ও সেবার মোট উৎপাদনের পরিমাণকে তার বাজার দাম দিয়ে গুণ করে  কী নির্ণয় করা হয়?   (জ্ঞান)

            > মোট জাতীয় উৎপাদন           খ মাথাপিছু আয়

            গ মোট জাতীয় আয়     ঘ মাথাপিছু উৎপাদন

৭৮.      মোট জাতীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনটির আর্থিক মূল্য হিসাব করতে হয়?          (অনুধাবন)

            > উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার         খ ব্যয়িত দ্রব্যের

            গ প্রয়োজনীয় সেবার     ঘ মোট মূলধনের

৭৯.      উৎপাদনের কোন পর্যায়ে ভোগকারীরা দ্রব্য ক্রয় ও ভোগ করে?  (জ্ঞান)

            ক প্রাথমিক       খ মাধ্যমিক      > চূড়ান্ত ঘ বিভিন্ন

৮০.      মানুষের অভাব পূরণের জন্য কোনো দ্রব্যের উপযোগ সৃষ্টি করাকে কী বলে?       (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক সেবা খ উৎপাদন      গ মূল্য  > ভোগ

৮১.      তুলা থেকে কী উৎপাদিত হয়?   (জ্ঞান)

            ক আলমারি      খ চেয়ার           > সুতা   ঘ বই

৮২.      আলীম ও ডালিম দুই বন্ধু মিলে বাগান থেকে কাঠ কেটে এনে তা থেকে তক্তা তৈরি করল। তক্তা দিয়ে বিভিন্ন খাট বানিয়ে বাজারে বিক্রি করল। এখানে চূড়ান্ত দ্রব্য কোনটি?    (প্রয়োগ)

            > খাট    খ তক্তা গ শ্রম   ঘ গাছ

৮৩.     নিচের কোন উপাদান থেকে মজুরি পাওয়া যায়? (জ্ঞান)

            ক ভূমি > শ্রম    গ মূলধন          ঘ সংগঠন

৮৪.      একটি দেশের জাতীয় আয় কয়টি উপাদান থেকে হিসাব করা হয়?           (জ্ঞান)

            ক ৩     > ৪       গ ৫      ঘ ৬

৮৫.     ভূমি থেকে কোনটি পাওয়া যায়? (জ্ঞান)

            > খাজনা           খ মজুরি           গ সুদ   ঘ মুনাফা

৮৬.     খাজনা + মজুরি + সুদ + মুনাফা = ?       (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক নিট জাতীয় আয়      খ মোট জাতীয় আয়

            গ মোট জাতীয় ব্যয়      > মোট জাতীয় উৎপাদন

৮৭.      উৎপাদনের কোন উপাদান মুনাফা ভোগ করে? (জ্ঞান)

            ক শ্রম  > সংগঠন          গ ভূমি  ঘ মূলধন

৮৮.     কিসের ভিত্তিতে জাতীয় উৎপাদন নির্ণয় করা যায়?         (অনুধাবন)

            ক বিনিয়োগ                 > মোট ব্যয়

            গ মোট আয়                 ঘ মোট লাভ

৮৯.      কোনো দেশের মোট আয় কয়ভাগে ব্যয়িত হয়? (জ্ঞান)

            > ২       খ ৩      গ ৪      ঘ ৫

৯০.      ব্যয়কারীদের প্রধানত কয় শ্রেণিতে বিন্যাস করা যায়?     (অনুধাবন)

            ক ২     > ৩       গ ৪      ঘ ৫

৯১.      নিচের কোনটি সরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক ও বেসরকারি ভোগ ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যয়ের সমষ্টি?              (জ্ঞান)

            ক মোট জাতীয় আয়     খ জাতীয় ব্যয়

            > মোট জাতীয় উৎপাদন            ঘ জাতীয় উপাদান

৯২.      মোট জাতীয় উৎপাদনকে অনেক সময় কী বলা হয়?      (অনুধাবন)

            > মোট জাতীয় আয়       খ মোট দেশজ উৎপাদন

            গ মাথা পিছু আয়          ঘ মাথা পিছু ব্যয়

৯৩.      কোনটির সাথে সমাজের মোট আয়ের সমতা থাকে না?  (জ্ঞান)

            ক জাতীয় উৎপাদন      খ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন

            > মোট জাতীয় উৎপাদন           ঘ দেশজ উৎপাদন

৯৪.      মোট জাতীয় উৎপাদন থেকে ক্ষয়ক্ষতিজনিত ব্যয় বাদ দিলে কী পাওয়া যায়?      (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক মোট জাতীয় উৎপাদন          > নিট জাতীয় উৎপাদন

            গ মোট জাতীয় আয়     ঘ নিট জাতীয় ব্যয়

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৯৫.      অর্থনীতিতে চূড়ান্ত দ্রব্য হলো-   (অনুধাবন)

            র. কেক

            রর. শার্ট

            ররর. সুতা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৯৬.     অর্থনীতিতে মাধ্যমিক দ্রব্য হলো-          (অনুধাবন)

            র. সুতা

            রর. কেক

            ররর. ময়দা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৯৭.      জাতীয় উৎপাদন পরিমাপ করা যায়-    (অনুধাবন)

            র. উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা হিসেবে

            রর. উৎপাদনের উপকরণের অর্জিত আয় হিসেবে

            ররর. সমাজের মোট ব্যয় হিসেবে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

৯৮.      মোট জাতীয় উৎপাদনের উপাদান –      (অনুধাবন)

            র. মূলধন

            রর. সংগঠন

            ররর. শ্রম

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

৯৯.      জাতীয় উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে সাদৃশ্য রয়েছে- (প্রয়োগ)

            র. দেশীয় উৎপাদন

            রর. দেশীয় নাগরিক

            ররর. বিদেশি নাগরিক

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০০ ও ১০১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

আসমা ইসলাম একটি কমপেস্নক্স ফ্যাক্টরির মালিক। তার ফ্যাক্টরিতে বাজার থেকে তুলা ক্রয় করে এনে প্রথমে সুতা তৈরি করা হয় অতঃপর পর্যায়ক্রমে ঐ সুতা দ্বারা কাপড় ও শার্ট বানানো হয় এবং প্রতি শার্ট ২০০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।

১০০.    আসমা ইসলামের ফ্যাক্টরিতে তৈরি সুতাকে কোন পর্যায়ের দ্রব্য বলা যায়?           (প্রয়োগ)

            ক প্রাথমিক                  > মাধ্যমিক

            গ প্রাক-প্রাথমিক          ঘ চূড়ান্ত

১০১.    উক্ত শার্টের দামের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-

            র. তুলার দাম

            রর. সুতার দাম

            ররর. কাপড়ের দাম

            নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

 মোট দেশজ উৎপাদন

কোনো দেশে বসবাসকারী জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবাকর্মের অর্থমূল্যের সমষ্টি হলো-মোট দেশজ উৎপাদন।       

            মোট দেশজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে-ভৌগোলিক সীমানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

            এউচ এর পূর্ণরূপ-এৎড়ংং উড়সবংঃরপ ঢ়ৎড়ফঁপঃ.

            সাধারণত এঘচ, এউচ থেকে কম বা বেশি হয়-সমান হয় না।

            দেশজ উৎপাদন বুঝতে হলে-মোট জাতীয় উৎপাদন সম্পর্কে জানতে হয়।

            মোট জাতীয় উৎপাদনে নাগরিকগণ দেশে বা বিদেশে অবস্থানের ক্ষেত্রে-জাতি বা নাগরিকই গুরুত্বপূর্ণ।

চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের মূল্যের অন্তর্ভুক্ত হবে-দেশের সকল নাগরিকের উৎপাদন।

            এঘচ-এর পূর্ণরূপ-এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ.

            মোট দেশজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো-ভৌগোলিক সীমানা।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১০২.    মোট দেশজ উৎপাদন + বিদেশে অবস্থানরত দেশি জনগণের আয় – দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আয় =?            (উচ্চতর দক্ষতা)

            > মোট জাতীয় উৎপাদন           খ মোট জাতীয় আয়

            গ মোট দেশজ উৎপাদন           ঘ মোট আয়

১০৩.    কোন ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরে কর্মরত কোনো বিদেশির আয় হিসাবের বাইরে থাকে?       (অনুধাবন)

            ক মোট উৎপাদন         > মোট জাতীয় উৎপাদন

            গ মোট আয়     ঘ মোট জাতীয় আয়

১০৪.    সুমন কানাডায় কর্মরত। তার  উপার্জন হিসাব করা হবে কীভাবে?           (প্রয়োগ)

            > মোট আয়ে     খ মোট ব্যয়ে

            গ জাতীয় আয়ে ঘ নিট জাতীয় আয়ে

১০৫.    দেশে অবস্থিত বিদেশি জনগণের আয় বেশি হলে কোনটি ঘটবে?

            (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক এউচ – এঘচ               > এউচ – এঘচ

            গ এউচ – এঘচ               ঘ এউচ = এঘচ

১০৬.   মরোক্কোর নাগরিক হবস বাংলাদেশের একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করেন। তার উপার্জন হিসাব করা হবে কীভাবে?           (প্রয়োগ)

            ক জাতীয় আয় খ জাতীয় উৎপাদন

            গ মোট জাতীয় আয়     > দেশজ উৎপাদন

১০৭.    মোট জাতীয় উৎপাদন হিসাব করতে কী গণনা করা হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক কেবল বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের উৎপাদন

            খ দেশি এবং বিদেশি নাগরিকদের উৎপাদন

            > দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের উৎপাদন

            ঘ শুধুমাত্র দেশে অবস্থানরত নাগরিকদের উৎপাদন

১০৮.    এঘচ = ? + (ঢ – গ); ‘?’ চি‎িহ্নত স্থানে কী বসবে? (প্রয়োগ)

            ক এঘও > এউচ  গ চঈও ঘ খওঈ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১০৯.    মোট দেশজ উৎপাদনের অন্তর্ভুক্ত-

            র. বিদেশি ব্যক্তির সেবা

            রর. বিদেশি সংস্থার উৎপাদিত পণ্য

            ররর. বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আয়

            নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১১০.    মোট জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ-

            র. জাতি           রর. নাগরিক

            ররর. ভৌগোলিক সীমানা

            নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১১১.     মোট জাতীয় উৎপাদন ও মোট দেশজ উৎপাদনের সম্পর্ক-

            র. মোট জাতীয় উৎপাদন = মোট দেশজ উৎপাদন

            রর. মোট জাতীয় উৎপাদন > মোট দেশজ উৎপাদন

            ররর. মোট জাতীয় উৎপাদন < মোট দেশজ উৎপাদন

            নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ র ও ররর       > র, রর ও ররর

১১২.    মোট দেশজ উৎপাদনে হিসাব করা হয়-

            র. দেশে অবস্থানরত বিদেশি সংস্থার আয়

            রর. বিদেশে অবস্থানরত দেশি সংস্থার আয়

            ররর. ভৌগোলিক সীমানার মধ্যকার সকল উৎপাদন

            নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৩ ও ১১৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

প্রনয়ের দেশের গত অর্থবছরের জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ে দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের মোট অর্থ মূল্য নির্ণয় করেছে সে দেশের একটি বেসরকারি জরিপ প্রতিষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে তারা দেশের অভ্যন্তরে অবস্থান সকল দেশি-বিদেশি লোকের উৎপাদিত চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবাকর্মের দান অন্তর্ভুক্ত করলে বিদেশে অবস্থানরত দেশটির নাগরিকদের দ্রব্য ও সেবাকর্মে দাম অন্তর্ভুক্ত করেনি।

১১৩.    প্রনয়ের দেশের জরিপে কী নির্ণয় করা হয়েছে?  (প্রয়োগ)

            ক মোট জাতীয় উৎপাদন          > মোট দেশজ উৎপাদন

            গ বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব          ঘ জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র

১১৪.    প্রনয়ের দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন মোট দেশজ উৎপাদনের চেয়ে-

(উচ্চতর দক্ষতা)

            র.  বেশি বা কম হতে পারে        রর. সমান হতে পারে

            ররর. সব সময় কম হবে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

 মাথাপিছু আয়

            মাথাপিছু আয়-কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নাগরিকদের গড় আয়।       

            মোট জাতীয় আয়কে জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে পাওয়া যায়-মাথাপিছু জাতীয় আয়।

            মাথাপিছু আয় ভাগ করা যায়-দুই ভাগে।

            মাথাপিছু আয় নির্ধারণ করে-ব্যক্তির জীবনযাত্রার মান।

            উচ্চ মাথাপিছু আয় নিশ্চিত করে-উন্নত জীবনমান।

            মূল্যস্তর অপরিবর্তিত থাকলে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে-মাথাপিছু আয় বাড়লে।

            মাথাপিছু আয় হ্রাস পেলে-জীবনযাত্রার মানও হ্রাস পাবে।

            মাথাপিছু আয় হলো-একটি গড় মান।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১১৫.    মাথাপিছু আয় কয়টি পৃথক মান দ্বারা নির্ধারিত হয়?        (অনুধাবন)

            > ২       খ ৩      গ ৪      ঘ ৫

১১৬.    নিচের কোনটি মাথাপিছু আয় নির্ণয়ের পদ্ধতি? (অনুধাবন)

            > মোট জাতীয় আয়মোট জনসংখ্যা       খ মোট উৎপাদনমোট জনসংখ্যা

            গ মোট জনসংখ্যামোট জাতীয় আয়      ঘ মোট দেশজ উৎপাদনমোট ব্যয়

১১৭.    সংকেতের সাহায্যে মাথাপিছু আয়ের প্রকাশিত রূপ কোনটি?      (অনুধাবন)

            ক ঢ়ু      খ ঢ়ীু   গ ঢ়  ু > ুঢ়

১১৮.    কোনো দেশের মোট জনসংখ্যা ১৫ কোটি এবং মোট জাতীয় আয় ৮,০০০ কোটি মার্কিন ডলার হলে মাথাপিছু আয় কত মার্কিন ডলার?            (প্রয়োগ)

            ক ৪০০ খ  ৫০০ > ৫৩৩.৩৩       ঘ ৮০০.২০

১১৯.    বাংলাদেশের জাতীয় আয় ২০১০ সালে ৮০০০ কোটি মার্কিন ডলার ছিল। তখন দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ছিল। ২০১০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছ আয় কত ডলার ছিল?  (প্রয়োগ)

            ক ৫০০.৫০      খ ৫০০.০০       > ৫৭১.৪৩        ঘ ৬৮০.০০

১২০.    মাথাপিছু আয় মানুষের কোনটি নির্ধারণ করে?    (অনুধাবন)

            ক দ্রব্যমূল্য       খ অর্থনৈতিক দিক

            গ শিক্ষাব্যবস্থা   > জীবনযাত্রার মান

১২১.    কোনটি ব্যক্তির জীবনধারার মান নির্ধারণ করে? (জ্ঞান)

            ক মোট দেশজ উৎপাদন          খ মোট দেশজ আয়

            গ মোট ব্যয়      > মাথাপিছু আয়

১২২.    জীবনমান নির্ধারণের জন্য মাথাপিছু আয়ের সাথে কোন বিষয়টি বিবেচ্য?            (অনুধাবন)

            > দ্রব্যমূল্য         খ বাজার পরিস্থিতি

            গ উৎপাদন ব্যয়            ঘ উৎপাদনের উপকরণ

১২৩.    রাশেদ একটি নতুন দেশে গিয়ে সে  দেশের জীবনমান সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে কিসের মাধ্যমে?             (প্রয়োগ)

            ক খেলাধুলা      > মাথাপিছু আয়

            গ মোট জাতীয় উৎপাদন          ঘ মোট ব্যয়

১২৪.    ‘অ’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সাথে মূল্যস্তর স্থির থাকলে জীবনযাত্রার মানের কী পরিবর্তন হবে?             (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক স্থির থাকবে   > বাড়বে

            গ দ্রম্নত অবনতি ঘটবে  ঘ  কমবে

১২৫.    ‘ঢ’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১% এবং দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে ৩%। এক্ষেত্রে জনগণের জীবনযাত্রার মানের ওপর কীরূপ প্রভাব পড়বে?        (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক বাড়বে                      খ স্থির থাকবে

            > কমবে            ঘ উন্নত হবে

১২৬.   কখন মানুষের মাথাপিছু আয় মাথাপিছু জাতীয় আয়ের চেয়ে কম হয়?    (অনুধাবন)

            > জাতীয় আয়ের অসম বণ্টন হলে         খ মূল্যস্তরের পরিবর্তন হলে

            গ জাতীয় আয়ের সুষ্ঠু বণ্টন হলে         ঘ মূল্যস্তর অপরিবর্তিত থাকলে

১২৭.    ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল ২৭০ ডলার। ২০০২ সালে ৩৮০ ডলার এবং ২০০৩ সালে ৪০০ ডলার। এদেশে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার কী রকম?            (প্রয়োগ)

            ক একই                        খ ক্রমহ্রাসমান

            > ক্রমবর্ধমান                ঘ সামঞ্জস্যহীন

১২৮.    ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় কতছিল?   (জ্ঞান)

            > ৭৪,৩৮০ টাকা           খ ৪৭,৩৮০ টাকা

            গ ৭৪,৮৩০ টাকা          ঘ ৭০,৩৮০ টাকা

১২৯.    ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু জাতীয় আয় কত মার্কিন ডলার?        (জ্ঞান)

            > ৯২৩ খ ৯৫০ গ ৯৬৩ ঘ ১০০০

১৩০.    বাংলাদেশের অর্থনীতিকে যে ১৫টি খাতে ভাগ করা যায় সেগুলোকে কয়টি বি¯ত্মৃত খাতে সমন্বিত করা যায়?            (জ্ঞান)

            ক ২টি  খ ৩টি   > ৫টি    ঘ ৬টি

১৩১.    বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোন খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি?  (জ্ঞান)

            ক কৃষি খ বাণিজ্য

            গ আর্থিক প্রাতিষ্ঠানিক সেবা      > শিল্প

১৩২.    কোঠাবাড়ি হাউজিং একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। এ প্রতিষ্ঠানটি অর্থনীতির কোন খাতের অন্তর্ভুক্ত?            (প্রয়োগ)

            ক সামাজিক সেবা                    > ব্যবসা

            গ শিল্প              ঘ ব্যাংকিং

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৩৩.    মাথাপিছু আয় নির্ভর করে-       (অনুধাবন)

            র. জনসংখ্যার ওপর

            রর. মোট আয়ের ওপর

            ররর. মোট জাতীয় আয়ের ওপর

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৩৪.    জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পায়-    (অনুধাবন)

            র. মাথাপিছু আয় বাড়লে

            রর. দ্রব্যমূল্য কমলে

            ররর. জনসংখ্যা বাড়লে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৩৫.    শিল্পখাতের অন্তর্ভুক্ত-   (অনুধাবন)

            র. খনিজ ও খনন

            রর. বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি

            ররর. নির্মাণ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৬ ও ১৩৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

লিটনের মাসিক বেতন ৭০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫০০ টাকা হলো। দ্রব্যমূল্যও প্রায় ৫০% হারে বৃদ্ধি পেল।

১৩৬.   লিটনের জীবনযাত্রার মান কেমন হবে? (প্রয়োগ)

            > কমছে            খ বেড়েছে

            গ অপরিবর্তিত থাকবে  ঘ তারতম্য ঘটেনি

১৩৭.    এই অবস্থা কাটানোর জন্য লিটন কী করতে পারে?          (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক দ্রব্যমূল্য কমাতে পারে

            > আয় বাড়াতে পারে

            গ নতুন চাকরি খুঁজতে পারে     

            ঘ নিজেই দ্রব্য উৎপাদন করতে পারে

 কয়েকটি দেশের জিএনপি, জিডিপি মাথাপিছু আয়ের তুলনা  

            দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক-জনগণের মাথাপিছু আয়।

            বিশ্ব ব্যাংক মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে পৃথিবীর দেশগুলোকে ভাগ করেছে-৩টি ভাগে।

            উচ্চ আয়ের দেশ-ঐরময ওহপড়সব ঈড়ঁহঃৎরবং.

            মধ্য আয়ের দেশ-গরফফষব ওহপড়সব ঈড়ঁহঃৎরবং.

            নিম্ন আয়ের দেশ-খড়ি ওহপড়সব পড়ঁহঃৎরবং.

            উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ-টঢ়ঢ়বৎ গরফফষব ওহপড়সব ঈড়ঁহঃৎরবং.

            নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ-খড়বিৎ গরফফষব ওহপড়সব ঈড়ঁহঃৎরবং.

            এশীয় দেশসমূহের মধ্যে “উচ্চ আয়ের দেশ”-জাপান, সিংগাপুর।

            “মধ্য আয়ের দেশ” বলা হয়-উন্নয়নশীল দেশকে।

            ‘নিম্ন আয়ের দেশ’ সমূহের মাথাপিছু আয়-৪৯০ থেকে ৭৮০ ডলার।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৩৮.    যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক কী? (অনুধাবন)

            ক সে দেশের জনগণের মোট আয়

            খ সে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন

            গ সে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন

            > সে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয়

১৩৯.    মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে পৃথিবীর দেশগুলোকে বিভক্ত করেছে কোন সংস্থা?           (জ্ঞান)

            > বিশ্বব্যাংক      খ ওগঋ গ অউই            ঘ জাতিসংঘ

১৪০.    মাথাপিছু জাতীয় আয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাসের সবচেয়ে নিচে কোন দেশসমূহ অবস্থিত?    (জ্ঞান)

            > নিম্ন আয়ের দেশ        খ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ

            গ উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ            ঘ উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ

১৪১.    যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় কত ইউএস ডলার?        (জ্ঞান)

            ক ৩৫৫১৫       খ ৪৫১৫০        > ৪৭১৪০          ঘ ৫০০০০

১৪২.    কোনটি উচ্চ আয়ের দেশ?        (জ্ঞান)

            > সুইডেন          খ বাংলাদেশ     গ ভুটান            ঘ নেপাল

১৪৩.    জাপানের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় কত মার্কিন ডলার?         (জ্ঞান)

            ক ২৪১৫০                    খ ৩০৫০০

            > ৪২১৫০                      ঘ ৫০৫০০০

১৪৪.    কোন দেশসমূহকে সাধারণত উন্নয়নশীল দেশ বলা হয়? (অনুধাবন)

            ক উচ্চ আয়ের দেশ      > মধ্য আয়ের দেশ

            গ উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ            ঘ নিম্ন আয়ের দেশ

১৪৫.    মধ্য আয়ের দেশগুলো কয় ভাগে বিভক্ত?          (জ্ঞান)

            > ২       খ ৩      গ ৪      ঘ ৫

১৪৬.   চীনের জনসংখ্যা কত? (জ্ঞান)

            > ১৩৩৮ মিলিয়ন          খ ১০০০ মিলিয়ন

            গ ৫০০ মিলিয়ন            ঘ ৩০০ মিলিয়ন

১৪৭.    চীনের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় কত ইউএস ডলার?  (জ্ঞান)

            ক ৪০০০          > ৪২৬০           গ ৪৫০০          ঘ ৬০০০

১৪৮.    কোন দেশটি উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ?     (জ্ঞান)

            ক ভারত           খ নেপাল          গ পাকিস্তান      > ইরান

১৪৯.    মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে কোন তথ্যটি ঠিক?       (অনুধাবন)

            > নেপাল ও উগান্ডার আয় একই

            খ চীন ও ইরানের আয় সমান

            গ ভারতের আয় মিশরের চেয়ে বেশি

            ঘ শ্রীলঙ্কার আয় নাইজেরিয়ার চেয়ে বেশি

১৫০.    কোন দেশটি নিম্ন আয়ের?         (জ্ঞান)

            > কেনিয়া          খ আমেরিকা    গ ফ্রান্স ঘ জাপান

১৫১.    নিম্ন আয়ের দেশের মাথাপিছু আয় কত ডলারের মধ্যে অবস্থিত? (জ্ঞান)

            > ৭৮০  খ ৮০০ গ ৯০০ ঘ ১০০০

১৫২.    কোন ধরনের দেশ উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃত?    (জ্ঞান)

            ক নিম্ন আয়ের  খ নিম্ন-মধ্য আয়ের

            > উচ্চ আয়ের   ঘ উচ্চ-মধ্য আয়ের

১৫৩.   উন্নত দেশ নির্ধারণের সূচক কোনটি?      (অনুধাবন)

            > সঞ্চয় ও মূলধন গঠনে উদ্বৃত্ত অর্থ ব্যয়

            খ অধিকাংশ মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা

            গ বেকারত্বের হার মোটামুটি কম

            ঘ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি

১৫৪.    মালয়েশিয়া কোন ধরনের দেশ? (জ্ঞান)

            ক মধ্য আয়ের  খ উচ্চ আয়ের

            গ নিম্ন আয়ের   > উচ্চ-মধ্য আয়ের

১৫৫.   কোন দেশটি নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ?     (জ্ঞান)

            > শ্রীলঙ্কা                       খ জার্মানি

            গ জাপান                      ঘ চীন

১৫৬.   নাইজেরিয়া কোন ধরনের দেশ?             (জ্ঞান)

            > নিম্ন-মধ্য আয়ের        খ উচ্চ-মধ্য আয়ের

            গ উচ্চ আয়ের  ঘ নিম্ন আয়ের

১৫৭.    কোন ধরনের দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত বলা হয়?   (অনুধাবন)

            > নিম্ন-আয়ের   খ উচ্চ আয়ের

            গ নিম্ন-মধ্য আয়ের       ঘ উচ্চ-মধ্য আয়ের

১৫৮.   কম্বোডিয়া কোন ধরনের দেশ?   (জ্ঞান)

            ক নিম্ন-মধ্য আয়ের      খ উচ্চ-মধ্য আয়ের

            > নিম্ন আয়ের    ঘ উচ্চ আয়ের

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৫৯.    উন্নয়নশীল দেশের অন্তর্ভুক্ত-    (অনুধাবন)

            র. শ্রীলঙ্কা

            রর. পাকিস্তান

            ররর. ভারত

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১৬০.   উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ হলো-     (অনুধাবন)

            র. মালয়েশিয়া  রর. ইরান

            ররর. মিশর

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৬১.    উন্নত দেশ হলো-          (অনুধাবন)

            র. সুইডেন        রর. যুক্তরাজ্য

            ররর. নরওয়ে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের সারণিটির আলোকে ১৬২ ও ১৬৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

দেশ     মাথাপিছু আয়

ঢ          ৪৫৩০

ণ          ৯৫০০

ত         ৭৯০০

১৬২.   ঢ, ণ, ত কোন ধরনের দেশ?      (প্রয়োগ)

            ক নিম্ন-মধ্য আয়ের      > উচ্চ-মধ্য আয়ের

            গ নিম্ন আয়ের   ঘ উচ্চ আয়ের

১৬৩.   এ ধরনের দেশের প্রধান বৈশিষ্ট্য-           (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. শিল্পায়নের হার বৃদ্ধি

            রর. শতভাগ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী

            ররর. সামাজিক অবকাঠামোর ঊর্ধ্বমুখী উন্নয়ন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

 বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহ         

            কৃষিখাত বাংলাদেশের অর্থনীতির-ভিত্তিস্বরূপ।

            বাংলাদেশের শ্রমশক্তির মোট ৪৩.৬ শতাংশ লোক-কৃষিখাতে নিয়োজিত।

            বাংলাদেশের কৃষি-প্রকৃতিনির্ভর।

            বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ জনগণ-নিরক্ষর।

            শিল্প খাতের অনেক কাঁচামালের যোগান দেয়-কৃষিখাত।

            ২০১১-১২ অর্থ বছরে যে খাতের গুরুত্ব ও অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে-তা হলো শিল্পখাত।

            বাংলাদেশে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটার-১০১৫ জন।

            বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির একটি উলেস্নখযোগ্য অংশ-বেকার।

            বাংলাদেশের এখনও বিস্তার ঘটেনি-বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষার।

            বাংলাদেশের জনগণের বৃহত্তর অংশকেই রূপান্তর করা সম্ভব হয়নি-মানবসম্পদে।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৬৪.   অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য কোনটির ওপর নির্ভরশীল?    (অনুধাবন)

            ক ব্যক্তির         খ পরিবারের

            > অর্থনীতির প্রকৃতির     ঘ সমাজের

১৬৫.   বাংলাদেশের অর্থনীতি কী ধরনের?        (অনুধাবন)

            ক পর্যটনভিত্তিক          > কৃষিভিত্তিক

            গ শিল্পভিত্তিক   ঘ বৈদেশিক আয়ভিত্তিক

১৬৬.   বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রকৃতি পাঠের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করলে কোন বিষয়টি ফুটে উঠবে?             (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক সামাজিক মূল্যবোধ  খ ধর্মীয় আচার-আচরণ

            > কৃষিপ্রধান অর্থনীতি    ঘ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার

১৬৭.   ২০১১-১২ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে মৎস্যসহ কৃষিখাতের অবদান কত শতাংশ?            (জ্ঞান)

            ক ১০   খ ১৫    > ২০     ঘ ২৫

১৬৮.   রপ্তানি খাতে কোনটির অবদান বেশি?    (জ্ঞান)

            ক মাছ  খ রেশম           > কৃষি   ঘ ব্যবসা

১৬৯.   বাংলাদেশের কৃষিখাত কোন খাতের কাঁচামাল যোগান দেয়?        (অনুধাবন)

            ক নির্মাণ          খ শিক্ষা > শিল্প   ঘ স্বাস্থ্য

১৭০.    ২০১০-১১ সালে কত লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে?         (জ্ঞান)

            > ৩৬০.৬৫       খ ৩৬৬.৬১      গ ৩৬৮.৭২      ঘ ৩৭০.২৪

১৭১.    কোনটি বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তিস্বরূপ?     (অনুধাবন)

            > কৃষি   খ শিল্প  গ ব্যবসা           ঘ দক্ষ জনগণ

১৭২.    বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনের হার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম হওয়ার কারণ কী?         (অনুধাবন)

            ক প্রাকৃতিক দুর্যোগ      খ অশিক্ষিত কৃষক

            > সনাতন চাষ পদ্ধতি    ঘ অনুর্বর ভূমি

১৭৩.    আমাদের দেশে কোন ব্যবস্থাটি এখনো সম্পূর্ণ আধুনিক হয়ে ওঠেনি?      (অনুধাবন)

            ক পর্যটন খাত  > কৃষিখাত

            গ শিল্পখাত        ঘ যোগাযোগ খাত

১৭৪.    বাংলাদেশের কৃষি কিসের ওপর নির্ভরশীল?        (অনুধাবন)

            ক রাষ্ট্র              খ সমাজ

            গ পরিবার                     > প্রকৃতি

১৭৫.    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনীতিতে কোন খাতের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে?    (জ্ঞান)

            ক শিক্ষা            খ কৃষি  > শিল্প   ঘ স্বাস্থ্য

১৭৬.   বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা কত?      (জ্ঞান)

            ক ১৪ কোটি      > প্রায় ১৫ কোটি

            গ ১৫.৫ কোটি প্রায়       ঘ প্রায় ১৬ কোটি

১৭৭.    বাংলাদেশে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কিরূপ?        (অনুধাবন)

            ক ক্রমহ্রাসমান খ স্থিতিশীল

            > ক্রমবর্ধমান    ঘ দ্রুত পরিবর্তনশীল

১৭৮.    বর্তমানে বাংলাদেশে জনসংখ্যা ১৫ কোটি। ২০২০ সালে জনসংখ্যা যদি ২০ কোটি হয় তাহলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত হবে?   (প্রয়োগ)

            ক ১০.৩%         খ ২.০২%          > ২.০৮%           ঘ ১.৫%

১৭৯.    ২০০৯ সালের হিসাব মতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে পাকিস্তানের জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল কত জন?   (জ্ঞান)

            ক ৩২০ > ২২০  গ ৩৫০ ঘ ৫০০

১৮০.    ২০০০-১০ সময়কালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক গড় হার ভারতে কত ছিল?           (জ্ঞান)

            ক ১.২০%         > ১.৪%  গ ১.৫০%          ঘ ২.৪%

১৮১.    জনসংখ্যাকে দেশের কী হিসেবে বিবেচনা করা হয়?       (অনুধাবন)

            > সম্পদ                        খ আপদ

            গ বোঝা                        ঘ সমস্যা

১৮২.    বাংলাদেশের স্বাক্ষরতার হার বিবেচনার ক্ষেত্রে বয়সসীমা কত ধরা হয়েছে?          (জ্ঞান)

            > ৭       খ ৯     গ ১২    ঘ ১৮

১৮৩.    জনসংখ্যাধিক্য এবং দ্রুত শিল্পায়নের অভাব কিসের জন্ম দিয়েছে?          (অনুধাবন)

            ক নৈরাজ্যের                খ অপরাধের

            > বেকারত্বের                 ঘ দুর্নীতির

১৮৪.    দেশের শ্রমশক্তির একটি বড় অংশ কী? (অনুধাবন)

            > বেকার                        খ অশিক্ষিত

            গ শিক্ষিত                     ঘ অদক্ষ

১৮৫.    পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় কত ডলার? (জ্ঞান)

            > ১০৫০            খ ৯৫০

            গ ৮৮০             ঘ ১২৫০

১৮৬.   আমাদের দেশে নতুন শিল্প স্থাপনের গতি মন্থর কেন?     (অনুধাবন)

            > বিনিয়োগের অভাব     খ প্রতিকূল পরিবেশ

            গ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব          ঘ উদ্যোক্তার অভাব

১৮৭.    বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতি কোন চক্রের মধ্যে আবদ্ধ?          (জ্ঞান)

            > দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র        খ কর্মসংস্থানের নিম্নচক্র

            গ দুর্নীতির দুষ্টচক্র         ঘ বিনিয়োগের নিম্নচক্র

১৮৮.    অবকাঠামোকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা হয়?           (জ্ঞান)

            > ২       খ ৩      গ ৪      ঘ ৫

১৮৯.    কোনটি সামাজিক অবকাঠামোর অন্তর্ভুক্ত?       (অনুধাবন)

            ক বিমা             খ পরিবহন

            গ বিদ্যুৎ                       > স্বাস্থ্য

১৯০.    কোনটি উন্নত হলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করা যায়?       (অনুধাবন)

            ক প্রযুক্তি          খ শিক্ষা গ স্বাস্থ্য > অবকাঠামো

১৯১.    বিগত ১ দশক ধরে বাংলাদেশে কোন উৎস থেকে ঋণের পরিমাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে?      (জ্ঞান)

            > অভ্যন্তরীণ উৎস         খ আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল

            গ বৈদেশিক অনুদান     ঘ বৈদেশিক ঋণ

১৯২.    বাংলাদেশের বৈদেশিক উৎস হতে ঋণ ও অনুদান প্রাপ্তি ক্রমশ কমে আসছে কেন?         (অনুধাবন)

            ক প্রতিকূল পরিবেশের জন্য

            খ অভ্যন্তরীণ উৎসের অবস্থান সুসংহত রাখার জন্য

            গ দুর্নীতির জন্য

            > বিভিন্ন বৈশ্বিক পরিবর্তনের জন্য

১৯৩.    ঘাটতি বাণিজ্য বলতে কী বোঝায়?          (অনুধাবন)

            > রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি  খ আমদানি রপ্তানি সমান

            গ রপ্তানির চেয়ে আমদানি কম  ঘ আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি

১৯৪.    উর্বর কৃষি জমি কী ধরনের সম্পদ?        (অনুধাবন)

            ক ব্যক্তিগত                  খ রাষ্ট্রীয়

            > প্রাকৃতিক                   ঘ সামাজিক

১৯৫.    কোনটি খনিজ সম্পদ? (জ্ঞান)

            ক প্রাকৃতিক জলাশয়    খ নদনদী

            > সিলিকা          ঘ গাছপালা

১৯৬.   কোনো দেশের মূল চালিকাশক্তি কী?      (অনুধাবন)

            ক পরিবার                    খ সমাজ

            গ রাজনীতি                  > অর্থনীতি

১৯৭.    বাংলাদেশের কৃষি কিসের ওপর নির্ভরশীল?        (অনুধাবন)

            ক রাষ্ট্র              খ সমাজ

            গ পরিবার                     > প্রকৃতি

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৯৮.    বাংলাদেশের অবকাঠামোর অন্তর্ভুক্ত-   (অনুধাবন)

            র. বিনোদন

            রর. শিল্প

            ররর. স্বাস্থ্য

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

১৯৯.    খনিজসম্পদ হলো-      (অনুধাবন)

            র. চুনাপাথর

            রর. প্রাকৃতিক গ্যাস

            ররর. প্রাকৃতিক জলাশয়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২০০.   মৌলিক শিল্পের অন্তর্ভুক্ত-         (অনুধাবন)

            র. বস্ত্র শিল্প

            রর. জ্বালানি শিল্প

            ররর. বিদ্যুৎ উৎপাদন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

২০১.    অবকাঠামোর জন্য অত্যাবশ্যক-          (অনুধাবন)

            র. জ্বালানি শিল্প

            রর. ইস্পাত শিল্প

            ররর. বিদ্যুৎ উৎপাদন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২০২ ও ২০৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

মাইনুল ও মাইদুল শ্যামপুর গ্রামে বাস করে। গ্রামে দিন দিন লোকসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু সে অনুপাতে খাদ্যশস্য বাড়েনি। তাই মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

২০২.   শ্যামপুরে বাংলাদেশের অর্থনীতির কোন বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যাচ্ছে?           (প্রয়োগ)          

            > জনসংখ্যাধিক্য           খ নিরক্ষরতা বৃদ্ধি

            গ অবকাঠামোর দুর্বলতা           ঘ শিল্পখাতের প্রকৃতি

২০৩.   শ্যামপুরের অতিরিক্ত জনসংখ্যা-          (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. রপ্তানি বাণিজ্যে সহায়তা করবে

            রর. বেকারত্ব সৃষ্টি করবে

            ররর. খাদ্য সমস্যা সৃষ্টি করবে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

 বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রসরতার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতাসমূহ         

            বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার মূল কারণ-আমাদের ইতিহাস।

            কৃষিক্ষেত্রের অগ্রসরতার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক-অবকাঠামোর দুর্বলতা।

            দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো-অপর্যাপ্ত ও অনুন্নত।

            প্রাচীন বাংলায় কৃষি উৎপাদনে-প্রাচুর্য ও বৈচিত্র্য ছিল।

            মুসলিম শাসনামল ছিল-বাংলার স্বর্ণযুগ।

            আমাদের দেশে পাকিস্তানি শাসন আমল-২৪ বছরের।

            ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকাল-২০০ বছর ব্যাপী।

            স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলাদেশের ইতিহাসকে ভাগ করা যায়-৪ ভাগে।

            ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর সৃষ্টি হয়-ভারত ও পাকিস্তান।

            ১৭৫৭ সালে সংগঠিত হয়-পলাশীর যুদ্ধ।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২০৪.   বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার পিছনে কতকাল বি¯ত্মৃত পটভূমি রয়েছে?         (অনুধাবন)

            ক এক শতাব্দী  > দুই শতাব্দী     গ তিন শতাব্দী  ঘ চার শতাব্দী

২০৫.   ২৪ বছর ধরে বাংলাদেশে কোন শাসনামল ছিল? (অনুধাবন)

            > পাকিস্তান       খ  ভারত          গ মালদ্বীপ        ঘ  নেপাল

২০৬.   বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার মূল কারণ কিসের মধ্যে নিহিত রয়েছে?   (জ্ঞান)

            ক ঐতিহ্য         > ইতিহাস          গ রাজনীতি      ঘ যুদ্ধ

২০৭.   স্বাধীনতা পূর্ব বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিহাসকে কয়টি পর্বে ভাগ করা যায়?       (জ্ঞান)

            ক ২     খ ৩      > ৪       ঘ ৫

২০৮.   স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিহাসের দ্বিতীয় পর্ব কী?            (জ্ঞান)

            ক পাকিস্তানি শাসনামলে          খ ব্রিটিশ শাসনামল

            > মুসলিম শাসনামল      ঘ প্রাচীন বাংলা

২০৯.   বাংলার মুসলিম শাসনামলকে কী বলা হয়?         (জ্ঞান)

            > স্বর্ণযুগ                        খ আলোর যুগ

            গ অন্ধকার যুগ             ঘ  রৌপ্যের যুগ

২১০.    মুসলিম যুগে বাংলার কোন শিল্পজাত পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমাদৃত ছিল?     (জ্ঞান)

            > বস্ত্র                 খ কাগজ

            গ কুটির শিল্প                ঘ লোহা

২১১.    পলাশী যুদ্ধ সংঘটিত হয় কত সালে?      (জ্ঞান)

            > ১৭৫৭            খ ১৮৫৭           গ ১৯৪৭           ঘ ১৯৭১

২১২.    কোন সময়ে এদেশে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়?           (অনুধাবন)

            ক বক্সারের যুদ্ধের পর   > পলাশীর যুদ্ধের পরে

            গ ১৭৫৭ সালের সময়   ঘ পলাশীর যুদ্ধের আগে

২১৩.    কোন শাসকগোষ্ঠী এদেশে অব্যাহতভাবে শোষণ ও লুণ্ঠন চালায়?            (জ্ঞান)

            ক পাঠান          খ মুঘল > ইংরেজ           ঘ ফরাসি

২১৪.    কোন বন্দোব¯েত্মর মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে জমিদারি প্রথা চালু হয়?            (জ্ঞান)

            > চিরস্থায়ী                     খ একসনা

            গ পাঁচসনা                    ঘ দশসনা

২১৫.    পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলার বাণিজ্য ছিল কোন শাসনামলে?       (জ্ঞান)

            ক সেন শাসনামলে       খ পাল আমলে

            > মুসলিম আমলে          ঘ ইংরেজ শাসনামলে

২১৬.   ইংরেজরা কোন জিনিসটি নিজেদের কুক্ষিগত করে রেখেছিল?    (জ্ঞান)

            ক জমিদারি প্রথা           > ব্যবসা-বাণিজ্য

            গ প্রশাসনিক ব্যবস্থা      ঘ খাজনা আদায়

২১৭.    কোন দেশ থেকে প্রথম শিল্পবিপ্লব সংগঠিত হয়?            (জ্ঞান)

            ক রাশিয়ায়                   খ ফ্রান্স

            গ আমেরিকা                > ইংল্যান্ড

২১৮.    কোন  দেশের বস্ত্রকলে কম খরচে বস্ত্র উৎপাদিত হত?    (জ্ঞান)

            ক দিল্লির                      খ করাচির

            গ কলকাতার                > ইংল্যান্ডের

২১৯.    ইংল্যান্ডের বস্ত্রকলে উৎপাদিত বস্ত্র কোন দেশের বাজার দখল করেছিল? (জ্ঞান)

            ক আমেরিকার             খ আফ্রিকার

            গ পাকিস্তানের              > বাংলাদেশের

২২০.   বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প ও অন্যান্য শিল্প কেন ধ্বংস হয়েছিল?         (অনুধাবন)

            ক পর্যাপ্ত কাঁচামালের অভাবে

            খ দক্ষ কারিগরের অভাবে

            গ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অনীহা ছিল

            > ইংল্যান্ডে উৎপাদিত বস্ত্রের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে

২২১.    ঔপনিবেশিক আমলে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের কোন ধরনের পণ্যের বাজারে পরিণত হয়?   (জ্ঞান)

            ক খাদ্যজাত                 খ কৃষিজাত

            > শিল্পজাত                    ঘ খনিজ

২২২.   বাংলাদেশে পাকিস্তানি আমল শুরু হয়  কোন সাল থেকে?          (জ্ঞান)

            ক ১৭৫৭          খ ১৯৪৫           > ১৯৪৭             ঘ ১৯৫২

২২৩.   পাকিস্তানি শাসনামলে বর্তমান বাংলাদেশের নাম কী ছিল?          (জ্ঞান)

            ক পূর্ববঙ্গ         > পূর্ব পাকিস্তান

            গ পশ্চিম পাকিস্তান      ঘ পশ্চিমবঙ্গ

২২৪.   ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন বাংলাদেশে কত বছর স্থায়ী ছিল?       (জ্ঞান)

            > প্রায় ২০০       খ প্রায় ১০০       গ প্রায় ২৫০      ঘ প্রায় ৩০০

২২৫.   বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার পিছনে কতকাল বি¯ত্মৃত পটভূমি রয়েছে?          (অনুধাবন)

            > ২ শতাব্দী                   খ ৩ সহস্রাব্দ

            গ ৪ শতাব্দী                  ঘ ৫ যুগ

২২৬.   ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের ফলে বাংলাদেশের কোন ভিত্তিটি ধ্বংস হয়ে যায়?          (অনুধাবন)

            ক সামাজিক                 খ রাজনৈতিক

            > অর্থনৈতিক                ঘ প্রশাসনিক

২২৭.    কৃষি, শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক সময় কোন দেশটি বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করত?   (জ্ঞান)

            ক নেপাল                     খ ইংল্যান্ড

            গ পাকিস্তান                  > বাংলাদেশ

২২৮.   বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে অগ্রসরতার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা কোনটি?  (জ্ঞান)

            > অবকাঠামোর দুর্বলতা খ খরা

            গ বন্যা  ঘ প্রাকৃতিক দুর্যোগ

২২৯.   কোন দেশটি দুর্যোগকবলিত দেশ?         (জ্ঞান)

            > বাংলাদেশ      খ চীন   গ ভারত           ঘ শ্রীলঙ্কা

২৩০.   গৌড়িপুরে ক্রমশ কলকারখানা স্থাপিত হচ্ছে তবে লোহা ও ইস্পাত, বিদ্যুতের সরবরাহ ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অভাবে কলকারখানা স্থাপন গতি পাচ্ছে না। সেখানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রসরতার কোন প্রতিবন্ধকতা লক্ষ করা যায়? (প্রয়োগ)

            > শিল্পক্ষেত্রের   খ কৃষিক্ষেত্রের

            গ আর্থসামাজিক          ঘ পরিবহন ক্ষেত্রের

২৩১.    সবচেয়ে বড় আর্থসামাজিক সমস্যা কোনটি?     (জ্ঞান)

            ক জনসংখ্যা                 খ যৌতুক প্রথা

            > নিরক্ষরতা                  ঘ বেকারত্ব

২৩২.   শিল্পখাত উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য কী? (জ্ঞান)

            > ব্যাংক ঋণ সুবিধা        খ শিক্ষার হার বৃদ্ধি করা

            গ সঞ্চয়ের সুবিধা          ঘ উৎপাদন বৃদ্ধি করা

২৩৩.   এদেশে শিল্পায়নের গতি খুব ধীর-এ কথাটির দ্বারা কী প্রমাণিত হয়?         (উচ্চতর দক্ষতা)

            > দক্ষ শ্রমশক্তির অভাব খ অনুন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা

            গ বেকারত্বের হার কম  ঘ অসম বণ্টন ব্যবস্থা

২৩৪.   কোন ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে?    (জ্ঞান)

            ক রাজনীতিতে > প্রশাসনে

            গ চাকরিজীবীদের         ঘ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের

২৩৫.   নিম্ন আয়ের দেশসমূহের মাথাপিছু আয় ৪৯০ ডলার। এ কথাটি দ্বারা নিম্ন আয়ের দেশের কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়েছে?         (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক সুষম বণ্টন ব্যবস্থা    খ কৃষি ব্যবস্থা প্রচলন

            গ অনুন্নত দেশ > অসম বণ্টন ব্যবস্থা

২৩৬.   কারা সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে? (অনুধাবন)

            > বেকার কিশোর ও তরুণরা       খ নেশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠী

            গ বেকার কিশোর-কিশোরী       ঘ শিক্ষত যুব সমাজ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৩৭.   এদেশের মানুষের অপুষ্টির কারণ-         (অনুধাবন)

            র. দারিদ্র্য

            রর. বেকারত্ব

            ররর. প্রশিক্ষণ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২৩৮.   অর্থনীতির অন্যতম সমস্যা হলো-         (অনুধাবন)

            র. বেকারত্ব

            রর. দারিদ্র্য

            ররর. জনসংখ্যাধিক্য

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৩৯.   বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষিকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে-            (অনুধাবন)

            র. উন্নত সার

            রর. উন্নত বীজ

            ররর. আধুনিক চাষপ্রণালি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৪০.   নারী জনগোষ্ঠী পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে আছে-          (অনুধাবন)

            র. পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে

            রর. শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে

            ররর. কর্মক্ষেত্রে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৪১.    সাধারণ শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কম হওয়ার কারণ- (অনুধাবন)

            র. জনগণের স্বাক্ষরতার নিম্নহার

            রর. কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব

            ররর. জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৪২.   বাংলাদেশে বেকারত্বের মূল কারণ-        (অনুধাবন)

            র. শিল্পের অনুন্নয়ন

            রর. কর্মবিমুখতা

            ররর. অধিক জনসংখ্যা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২৪৩.   দেশের সার্বিক অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়-          (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. সুশাসনের অভাব

            রর. সঞ্চয়ের নিম্নহার

            ররর. যৌতুক প্রথার বৃদ্ধি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২৪৪.   বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় কমের কারণ-     (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. মজুরির নিম্নহার

            রর. কর্মের অভাব

            ররর. কর্মে অনীহা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২৪৫.   বেকারত্বের ফলে সৃষ্টি হয়-        (অনুধাবন)

            র. আইনশৃঙ্খলার অবনতি

            রর. সঞ্চয়ের নিম্নহার

            ররর. যৌতুক প্রথার বৃদ্ধি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৪৬.   সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের পিছিয়ে থাকার প্রভাব- (অনুধাবন)

            র. পারিবারিক সহিংসতা

            রর. অধিক সংখ্যক সন্তানের জন্মদান

            ররর. যৌতুক প্রথার বৃদ্ধি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৪৭ ও ২৪৮ প্রশ্নের উত্তর দাও :

র. ব্রিটিশ বাংলা রর. ঝ

ররর. ব্রিটিশ শাসনামল  রা. পাকিস্তানি আমল

২৪৭.    ছকে বাংলাদেশের কোন পর্যায়ের অর্থনীতির ইতিহাসকে দেখানো হয়েছে?          (প্রয়োগ)

            > স্বাধীনতা-পূর্ব খ স্বাধীনতা-উত্তর

            গ স্বাধীনতা পরবর্তী       ঘ পূর্ব পাকিস্তান

২৪৮.   ‘ঝ’ চি‎িহ্ন্ত পর্বটি-

            র. মুসলিম শাসনামল

            রর. বাংলার স্বর্ণযুগ

            ররর. তদানীন্তন পূর্ব বাংলা

            নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

 বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা উত্তরণের পদক্ষপেসমূহ          

            দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সরকার ঘোষণা করেছে-“রূপকল্প ২০২১”।

            বাংলাদেশ ইতোপূর্বে বাস্তবায়ন করছে ৫টি পঞ্চবার্ষিক-পরিকল্পনা।

            জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তির সুবিধাভোগীর সংখ্যা-৪৮ থেকে ৭৮ লড়্গে উন্নীত করা।

            জাতীয় উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন-নীতিগত ভিত্তি।

            ‘জাতীয় কৃষি নীতি ১৯৯৯ অনুসারে কাজ চলছে-কৃষি উন্নয়নের।

            ২০১১-১২অর্থবছরে শিল্প ঋণ বিতরণের পরিমাণ-১১১৯৫৩.০৮ কোটি টাকা।

            ২০১১-১২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল-৬০৬৬ মেগাওয়াট।

            প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য গড়ে উঠেছে-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা।

            সিডিএমপি-কম্প্রিহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম।

            প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে-বহুসংখ্যক এনজিও।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৪৯.   যে কোনো জাতীয় উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য কোনটি প্রয়োজন?   (জ্ঞান)

            > নীতিগত ভিত্তি খ বৈদেশিক সাহায্য

            গ টেকসই অবকাঠামো ঘ সরকারি হস্তক্ষেপ

২৫০.   পরিকল্পনা ও প্রকল্প প্রয়োজন হয় কোন ক্ষেত্রে? (অনুধাবন)

            ক নীতিমালা প্রণয়ন      খ অবকাঠামো নির্মাণ

            > নীতিমালা বাস্তবায়ন   ঘ বৈদেশিক সাহায্য

২৫১.    বর্তমান সরকার পরিকল্পিত উন্নয়নের উদ্যোগের আওতায় কী ঘোষণা করেছে?    (জ্ঞান)

            ক পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা           > রূপকল্প-২০২১

            গ রূপকল্প-২০০১         ঘ সিডি এমপি

২৫২.   রূপকল্প ২০২১-এর আলোকে বাংলাদেশ সরকার কোন পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে?           (জ্ঞান)

            ক পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০১১-১৫

            > বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২১

            গ জাতীয় শিল্পনীতি পরিকল্পনা ২০১০

            ঘ সিডি এম পি ২০১০-১৪

২৫৩.   বাংলাদেশ ইতিপূর্বে কয়টি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে?      (জ্ঞান)

            ক ২     খ ৩      গ ৪      > ৫

২৫৪.   বাংলাদেশে কোন সার ব্যবহারের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে?   (জ্ঞান)

            > জৈব   খ গুটি  গ কেঁচো           ঘ রাসায়নিক

২৫৫.   সরকার কৃষি উপকরণের কোনটি বৃদ্ধি করেছে? (জ্ঞান)

            ক মূল্য             খ পরিমাণ

            গ মান              > ভর্তুকি

২৫৬.   বাংলাদেশে কার্যরত কোন ব্যাংকে কৃষিঋণ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে?     (জ্ঞান)

            ক ইসলামি ব্যাংক         খ গ্রামীণ ব্যাংক

            > সকল তফসিলি ব্যাংক ঘ কৃষি ব্যাংক

২৫৭.   শিল্পক্ষেত্রের বাধা ও সমস্যা সমাধানে সরকার কোন বছর জাতীয় শিল্পনীতি ঘোষণা করেছে?         (জ্ঞান)

            > ২০১০            খ ২০১১

            গ ২০১২                       ঘ ২০১৫

২৫৮.   দ্রুত শিল্পায়ন নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের সরকার কোন শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে?             (জ্ঞান)

            ক মাঝারি         খ কুটির            > ক্ষুদ্র   ঘ বৃহৎ

২৫৯.   সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কোন শিল্প স্থাপন জরুরি?      (জ্ঞান)

            ক ক্ষুদ্র > মৌলিক          গ কুটির            ঘ বৃহৎ

২৬০.   শিল্পায়নের জন্য প্রথম ও প্রধান প্রয়োজন কী?    (জ্ঞান)

            > মূলধন                        খ শ্রমিক

            গ কাঁচামাল                   ঘ অবকাঠামো

২৬১.   কোনটি পুঁজি বা মূলধনের প্রধান উৎস? (জ্ঞান)

            ক সঞ্চয়                       খ মহাজন

            > ব্যাংক            ঘ জায়গা জমি

২৬২.   মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রী উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে কেন?            (অনুধাবন)

            > নারীশিক্ষা প্রসার         খ যৌতুকপ্রথা দূর করা

            গ নারীর আত¥নির্ভরশীলতা        ঘ বাল্যবিবাহ রোধ

২৬৩.   মাদরাসাসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়সমূহে কোন কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?             (জ্ঞান)

            > ভোকেশনাল               খ কারিগরি

            গ বৃত্তিমূলক                  ঘ সার্টিফিকেট

২৬৪.   প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য দেশে কী গড়ে উঠেছে?        (জ্ঞান)

            > দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা       খ আবহাওয়া অফিস

            গ আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘ দুর্যোগ মন্ত্রণালয়

২৬৫.   নিচের কোনটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অন্তর্গত বিষয়?         (জ্ঞান)

            ক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ     খ আধুনিক চাষাবাদ প্রবর্তন

            > জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল     ঘ কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা

২৬৬.  কমপ্রিহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম শীর্ষক প্রকল্প কততম মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে?            (জ্ঞান)

            ক প্রথম                        > দ্বিতীয়

            গ তৃতীয়                       ক চতুর্থ

২৬৭.   বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে কিসের কারণে?        (উচ্চতর দক্ষতা)

            > সামাজিক অসচেতনতা          খ জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি

            গ অর্থনৈতিক অনুন্নয়ন ঘ পারিবারিক বন্ধন

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৬৮.   কৃষি উন্নয়নে সরকার যেসব নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-   (অনুধাবন)

            র. সমন্বিত সার বিতরণ নীতি

            রর. জাতীয় পণ্য বিপণন নীতি

            ররর. সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৬৯.   কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের বড় বাধা- (অনুধাবন)

            র. কৃষি ঋণের অপর্যাপ্ততা

            রর. উৎপাদিত পণ্য বিপণন সুবিধার অভাব

            ররর. কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাস পাওয়া

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৭০.    দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস সম্ভব-        (অনুধাবন)

            র. দুর্যোগবহুল এলাকায় বাস না করা

            রর. পূর্ব সতর্কীকরণের দ্বারা

            ররর. জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

২৭১.    সামাজিক অবকাঠামোর দুর্বলতা হলো- (অনুধাবন)

            র. নারী সমাজের পশ্চাৎপদতা

            রর. শিক্ষাক্ষেত্রে মুখস্থ বিদ্যা

            ররর. সনাতন চাষ পদ্ধতি

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২৭২.    কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে প্রদান করা হয়-          (অনুধাবন)

            র. পরিবার কল্যাণ সেবা

            রর. পুষ্টি সেবা

            ররর. স্বাস্থ্যসেবা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৭৩ ও ২৭৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

মাননীয় মন্ত্রী জনাব আহসান উলস্নাহ মণ্ডল তার এলাকার কৃষকদের মাঝে বীজ, সার, কীটনাশক ইত্যাদি বিতরণ করেছেন।

২৭৩.    মাননীয় মন্ত্রী দেশের উন্নয়নের কোন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন?   (প্রয়োগ)

            ক যাতায়াতের              খ প্রকৃতি সৃষ্ট

            > কৃষিক্ষেত্রে                 ঘ শিল্পের

২৭৪.    এই ধরনের সরকারি নীতিমালা হলো-

            র. জাতীয় বীজ নীতি

            রর. জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি

            ররর. সমন্বিত সার বিতরণ এবং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা

            নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

 উন্নত, অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ এসব দেশের অর্থনীতি     

            দেশের আর্থসামাজিক সমৃদ্ধি ও বিকাশ সাধনকে বলা হয়-অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

            কোনো দেশের জাতীয় আয়ের বার্ষিক বৃদ্ধির হারকে-প্রবৃদ্ধির হার বলা হয়।

            উন্নয়ন বলতে বোঝায়-সার্বিক মানোন্নয়ন।

            অর্থনৈতিক উন্নয়ন-ঊপড়হড়সরপ উবাবষড়ঢ়সবহঃ.

            অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি-ঊপড়হড়সরপ এৎড়ঃিয.

            প্রবৃদ্ধির হার ও  জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একই হলে-মাথাপিছু আয়ও একই হবে।

            অর্থনৈতিক উন্নয়নের লড়্গ্য হলো-দেশের সকল জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ।

            কৃষিপ্রধান অবস্থা থেকে শিল্পপ্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হওয়াকে বলে-অর্থনীতি প্রকৃতিগত পরিবর্তন।

            সামাজিক অবকাঠামোর পরিবর্তন হলো-সুশাসনের সুফল, শিক্ষার সুযোগ এবং স্বাস্থ্যসেবা।

            উন্নয়নের মাত্রার ভিত্তিতে বিশ্বের দেশসমূহকে ভাগ করা হয়-৩টি ভাগে।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৭৫.   কোনো দেশ উন্নত, অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল কিনা তা বুঝতে হলে প্রথমে আমাদের কোন বিষয়টি সম্বন্ধে জানতে হবে?    (অনুধাবন)

            ক বৃহদায়তন শিল্প         > অর্থনৈতিক উন্নয়ন

            গ অর্থনৈতিক অবকাঠামো       ঘ অর্থনীতির মেরুদণ্ড

২৭৬.   দেশের সম্পদ ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে সার্বিক আর্থসামাজিক সমৃদ্ধি ও বিকাশ সাধনকে কী বলে?             (জ্ঞান)

            > অর্থনৈতিক উন্নয়ন     খ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি

            গ অর্থনীতির দিকনির্দেশনা       ঘ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি

২৭৭.    কোন ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাহায্য সহযোগিতা ও সমর্থনের প্রয়োজন হয়?        (জ্ঞান)

            ক সেতু নির্মাণ  > উন্নয়ন অর্জন

            গ শিল্প স্থাপন    ঘ অবকাঠামো নির্মাণ

২৭৮.   অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পেতে হলে কোন বিষয়টি বুঝতে হবে?    (জ্ঞান)

            > অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি      খ অর্থনীতির ভিত্তি

            গ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি    ঘ অর্থনীতির কাঠামো

২৭৯.    কোনো দেশের জাতীয় আয়ের বাৎসরিক বৃদ্ধির হারকে কী বলে?             (জ্ঞান)

            ক অর্থনৈতিক উন্নয়ন   খ স্থূল হার

            > প্রবৃদ্ধির হার    ঘ মাথাপিছু আয়

২৮০.   প্রবৃদ্ধির হার ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একই হলে মাথাপিছু আয় কেমন হবে?        (প্রয়োগ)

            > একই থাকবে              খ উন্নত হবে

            গ বাড়বে                       ঘ কমবে

২৮১.    ২০১২ সালের জাতীয় আয় ৮০,০০০ কোটি টাকা এবং ২০১৩ সালের জাতীয় আয় ৮৫,০০০ কোটি টাকা হলে প্রবৃদ্ধির হার কত হবে? (প্রয়োগ)

            > ৬.২৫%          খ ৫.২৫%         গ ৭.৮%            ঘ ১০.১৫%

২৮২.   ‘ক’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু আয় ৪% এবং দ্রব্যমূল্য ৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘ক’ রাষ্ট্রের জনগণের ক্ষেত্রে কী বৃদ্ধি পেয়েছে?          (প্রয়োগ)

            ক প্রকৃত আয়   > আর্থিক আয়

            গ ক্রয়ক্ষমতা    ঘ জীবনযাত্রার মান

২৮৩.   একটি দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৪% এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩% হলে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা কীরূপ হবে?             (প্রয়োগ)

            ক মাথাপিছু আয় কমবে খ অনুন্নত হবে

            > উন্নত হবে       ঘ একই থাকবে

২৮৪.   অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে কোন ক্ষেত্রে? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক প্রবৃদ্ধির হার < জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার

            খ প্রবৃদ্ধির হার = জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার

            > প্রবৃদ্ধির হার > জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার

            ঘ প্রবৃদ্ধির হার + জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার

২৮৫.   কোনটি জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ নিশ্চিত করে?          (জ্ঞান)

            ক আয়ের সুষম বণ্টন   খ সামাজিক অবকাঠামোর পরিবর্তন

            গ প্রকৃতিগত পরিবর্তন  > অর্থনীতির অবকাঠামোর পরিবর্তন

২৮৬.   আমাদের দেশে যদি শিক্ষার সুযোগ ও স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা বেড়ে যায়, তাহলে আমাদের ক্ষেত্রে নিচের কোনটি প্রযোজ্য?          (উচ্চতর দক্ষতা)

            > সামাজিক অবকাঠামোর পরিবর্তন ঘটেছে

            খ অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন এসেছে

            গ উপকরণসমূহের সহজলভ্যতা বেড়েছে

            ঘ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে

২৮৭.   কোনো দেশ কৃষিপ্রধান অর্থনীতি থেকে শিল্পপ্রধান অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশটিতে কোন পরিবর্তন এসেছে?            (অনুধাবন)

            ক অর্থনৈতিক  খ কাঠামোগত > প্রকৃতিগত      ঘ সামাজিক

২৮৮.   উন্নয়নের মাত্রার ভিত্তিতে বিশ্বের দেশসমূহকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?          (জ্ঞান)

            > ৩       খ ৪      গ ৫      ঘ ৬

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৮৯.   আরিফ যে সমাজে বাস করে সেখানকার জীবনযাত্রা উন্নত। এ ধরনের দেশ হলো-           (প্রয়োগ)

            র. সুইডেন

            রর. জাপান

            ররর. যুক্তরাষ্ট্র

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

২৯০.   অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবৃদ্ধির হারের সাথে বিবেচ্য বিষয়- (অনুধাবন)

            র. দ্রব্যমূল্য স্তর

            রর. জীবনযাত্রার মান

            ররর. জনসংখ্যা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

২৯১.    প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি-        (অনুধাবন)

            র. বি¯ত্মৃততর বিষয়

            রর. বহুমাত্রিক বিষয়

            ররর. পৃথক বিষয়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     >র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৯২ ও ২৯৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

বেলাল সাহেবের বেতন বেড়েছে ৮% এবং দ্রব্যমূল্য বেড়েছে ৮%।

২৯২.   বেলাল সাহেবের প্রকৃত আয়ের কী পরিবর্তন হয়েছে?      (প্রয়োগ)

            ক কমেছে        খ বেড়েছে

            গ উন্নত হয়েছে > একই আছে

২৯৩.   বেলাল সাহেবের পরিবারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য-

            র. প্রকৃত আয় বাড়েনি

            রর. অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জিত হয়েছে

            ররর. আর্থিক আয় বাড়েনি

            নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

 উন্নত দেশ

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে এবং তা দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত আছে এমন দেশকে বলা হয়-উন্নত দেশ।         

            উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি-শিল্পনির্ভর।

            উন্নত দেশসমূহের-জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত।

            উন্নত দেশের জীবনযাত্রার মান-অত্যন্ত উঁচু।

            উন্নত দেশসমূহের মাথাপিছু আয়-খুব বেশি।

            ২০১০ সালে বিশ্বের প্রধান কয়েকটি উন্নত দেশের মাথাপিছু বার্ষিক আয়-৪০,০০০ মার্কিন ডলার থেকে ৮৫,০০০ মার্কিন ডলার।

            সঞ্চয়ের উচ্চহারের ফলে-মূলধন গঠন ও বিনিয়োগের হারও উচ্চ।

            উন্নত দেশগুলোতে কৃষি-একটি অপ্রধান খাত।

            উন্নত দেশগুলোতে-দুর্নীতির পরিমাণ খুবই কম।

            উন্নত দেশগুলোতে-রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থিতিশীল ও উন্নত।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৯৪.   অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে এবং এই উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত আছে এমন দেশকে কী বলে?   (জ্ঞান)

            ক অনুন্নত দেশ খ উন্নয়নশীল দেশ

            > উন্নত দেশ      ঘ স্বল্পোন্নত দেশ

২৯৫.   উন্নত দেশে জ্ঞান বিজ্ঞান দ্রুত প্রসার লাভ করে কিসের ফলে?    (জ্ঞান)

            ক অর্থনৈতিক অবকাঠামো       > শিক্ষা প্রসার

            গ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি     ঘ প্রাকৃতিক সম্পদ

২৯৬.   শিক্ষা প্রসারের ফল কোনটি হয়?            (অনুধাবন)

            ক প্রাকৃতিক নির্ভরতা বাড়ে       খ জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়

            গ প্রবৃদ্ধির খারাপ দিক জানা যায়           > নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়

২৯৭.   কোনটি উন্নত দেশ?      (জ্ঞান)

            > নরওয়ে                      খ ব্রাজিল

            গ তুরস্ক            ঘ পাকিস্তান

২৯৮.   ২০১০ সালে উন্নত দেশের মাথাপিছু আয় কত মার্কিন ডলার ছিল?           (জ্ঞান)

            ক ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার খ ৩৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার

            গ ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার  > ৪০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার

২৯৯.   উন্নত দেশের অর্থনীতির প্রকৃতি কিসের ওপর নির্ভরশীল?           (জ্ঞান)

            ক বাণিজ্য         > শিল্প   গ প্রযুক্তি          ঘ কৃষি

৩০০.   জার্মানি একটি উন্নত দেশ। এদেশের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। এক্ষেত্রে নিচের কোনটির ভূমিকা রয়েছে? (প্রয়োগ)

            ক সম্পদ পাচার           > দ্রুত শিল্পায়ন

            গ শিক্ষার প্রসার ঘ প্রাকৃতিক সম্পদ

৩০১.    কোনটি উন্নত উৎপাদনের একটি বড় কারণ?     (জ্ঞান)

            > কৃতকৌশলের উন্নয়ন খ বণ্টন ব্যবস্থার উন্নয়ন

            গ শিক্ষার উচ্চহার         ঘ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা

৩০২.   ‘অ’ নামক একটি দেশে জনগণের সার্বিক কল্যাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পেছনে কোনটি কাজ করেছে?             (জ্ঞান)

            ক উন্নত প্রযুক্তি             > আয়বৈষম্য কম

            গ কিছু লোক অতি ধনী ঘ উৎপাদন বেশি

৩০৩.   কোন ধরনের দেশে শ্রমিক তার ন্যায্য মজুরি পায়?         (জ্ঞান)

            > উন্নত দেশে    খ মধ্যম আয়ের দেশে

            গ অনুন্নত দেশে            ঘ স্বল্পোন্নত দেশে

৩০৪.   বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাত কৃষি। এ কথাটি দ্বারা কী প্রকাশ পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক জনশক্তির উৎস কৃষি > কৃষিই উন্নয়নের সহায়ক

            গ অর্থনীতিই কৃষির খাত ঘ কৃষির উৎস জনশক্তি

৩০৫.   উচ্চ আয়ের দেশসমূহ উন্নত হওয়ার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)

            > দক্ষ শ্রমশক্তি খ শতকরা শিক্ষিত জনগণ

            গ সামাজিক সচেতনতা ঘ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেশি

৩০৬.   কোন ধরনের দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থনীতির অনুকূলে? (জ্ঞান)

            ক উন্নয়নশীল               খ স্বল্পোন্নত

            > উন্নত             ঘ অনুন্নত

৩০৭.   উন্নত দেশে প্রশাসনতন্ত্র কীভাবে কাজ করে?      (অনুধাবন)

            > সাংবিধানিক উপায়ে   খ প্রশাসনিক ইচ্ছানুযায়ী

            গ স্বচ্ছতার সাথে           ঘ জনগণকে সাথে নিয়ে

৩০৮.   সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করতে সক্ষম কোন দেশ? (অনুধাবন)

            > উন্নত             খ অনুন্নত

            গ উন্নয়নশীল                ঘ স্বল্পোন্নত

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩০৯.   উন্নত দেশের বৈশিষ্ট্য-   (অনুধাবন)

            র. জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি

            রর. মাথাপিছু আয় বেশি

            ররর. জনগণের স্বাক্ষরতার হার খুব বেশি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

৩১০.    উন্নত দেশসমূহ যতই উন্নতির পথে অগ্রসর হয় ততই উন্নত হয় তাদের-

(অনুধাবন)

            র. উৎপাদন পদ্ধতি

            রর. ব্যবস্থাপনা

            ররর. কৃষি ব্যবস্থা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৩১১.    জনগণ মানবসম্পদে পরিণত হয়-        (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. উন্নত ব্যবস্থাপনার ফলে

            রর. শিক্ষার উচ্চ হারের কারণে

            ররর. যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

৩১২.    উন্নত জীবনযাত্রার মাধ্যমে দেশে-         (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়

            রর. শিক্ষার সুযোগ

            ররর. জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পায়

            নিচের কোনটি সঠিক? 

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের ছকটি লক্ষ করে ৩১৩ ও ৩১৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৩১৩.    ঢ কোন ধরনের দেশ?    (প্রয়োগ)

            ক অনুন্নত        খ উন্নয়নশীল    > উন্নত ঘ স্বল্পোন্নত

৩১৪.    এ ধরনের দেশের বৈশিষ্ট্য-

            র. শিল্পনির্ভর অর্থনীতি

            রর. ব্যাপক নগরায়ন

            ররর. কৃতকৌশলের উন্নয়ন

            নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

 অনুন্নত দেশ

যেসব দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় অনেক কম তাকে বলা হয়-অনুন্নত দেশ। 

            অনুন্নত দেশে-প্রাথমিক পেশার প্রাধান্য, পুঁজির স্বল্পতা ও ব্যাপক বেকারত্ব বিদ্যমান।

            অনুন্নত দেশে কৃষি জাতীয় উৎপাদনের-একক বৃহত্তম খাত।

            অনুন্নত দেশে সাধারণত মোট জাতীয় উৎপাদনে-শিল্পখাতের অবদান মাত্র ৮-১০ ভাগ।

            অধ্যাপক নার্কস বলেন-অনুন্নত দেশ হচ্ছে সেই সব দেশ যেগুলোতে জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় পুঁজি বা মূলধন কম।

            অনুন্নত দেশে বিদ্যমান-প্রাথমিক পেশার প্রাধান্য, পুঁজির স্বল্পতা ও ব্যাপক বেকারত্ব।

            অনুন্নত দেশসমূহে মাথাপিছু আয়-২০০ ডলারের কম।

            অনুন্নত দেশে বিনিয়োগ কম থাকায়-শিল্প স্থাপনের গতি মন্থর।

            অশিক্ষা, কুসংস্কার এবং যথাযথ নিয়ন্ত্রণের অভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উচ্চ-অনুন্নত দেশের।

            বিনিয়োগ করার উদ্যোগ ও ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতার অভাব রয়েছে-অনুন্নত দেশের।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩১৫.   যেসব দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় অনেক কম সেসব দেশকে কী বলা হয়?            (জ্ঞান)

            ক উন্নয়নশীল               > অনুন্নত

            গ উন্নত            ঘ স্বল্পোন্নত

৩১৬.   ‘অনুন্নত দেশ হচ্ছে সেই সব দেশ যেগুলোতে জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় পুঁজি বা মূলধন কম’-কথাটি কে বলেছেন?     (অনুধাবন)

            ক অ্যাডাম স্মিথ            খ প্লেটো

            > রাগনার নার্কস                        ঘ মার্শাল

৩১৭.    জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের সামর্থ্য নেই কোন ধরনের দেশের?      (জ্ঞান)

            > অনুন্নত                      খ উন্নত

            গ উন্নয়নশীল                ঘ স্বল্পোন্নত

৩১৮.    অনুন্নত দেশের জনগণের বৃহদাংশ জীবিকা নির্বাহের জন্য কিসের ওপর নির্ভরশীল?        (জ্ঞান)

            ক প্রাকৃতিক সম্পদ      খ খনিজ সম্পদ

            > কৃষির ওপর    ঘ শিল্পের বিকাশ

৩১৯.    অনুন্নত দেশের অধিকাংশ জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিসের ওপর নির্ভরশীল?        (অনুধাবন)

            ক প্রযুক্তির                   খ অবকাঠামোর

            > কৃষির             ঘ শিল্পের

৩২০.   অনুন্নত দেশে শিল্পখাত অত্যন্ত ক্ষুদ্র কেন?         (অনুধাবন)

            > পুঁজি ও দক্ষ জনশক্তির অভাবে           খ শ্রমিকের অভাবে

            গ সম্পদের অভাবে      ঘ যন্ত্রপাতির অভাবে

৩২১.    অনুন্নত দেশে উৎপাদন বা শিল্প স্থাপনের গতি মন্থর কেন?          (অনুধাবন)

            > মাথাপিছু আয় কম      খ সঞ্চয় কম

            গ বিনিয়োগের নিম্নহার  ঘ দ্রব্যের দাম বেশি বলে

৩২২.   অনুন্নত দেশে লেনদেনের ভারসাম্য কীরূপ থাকে?         (অনুধাবন)

            ক অনুকূল                    > প্রতিকূল

            গ ঘাটতি                       ঘ অনুন্নত

৩২৩.   অনুন্নত দেশগুলো আমদানি নির্ভর কেন?          (অনুধাবন)

            > জাতীয় উৎপাদন কম খ অভাবের তাড়না

            গ জাতীয় আয় কম       ঘ চাহিদা বেশি

৩২৪.   অর্থনৈতিক কার্যাবলির অগ্রগতির জন্য কোনটি অপরিহার্য?       (অনুধাবন)

            ক সুলভ শ্রমিক খ প্রযুক্তি

            > দক্ষ উদ্যোক্তা ঘ দক্ষ জনশক্তি

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩২৫.   শিল্পখাত বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন-             (অনুধাবন)

            র. কারিগরি শিক্ষা

            রর. দক্ষ জনশক্তি

            ররর. পুঁজি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

৩২৬.   অনুন্নত দেশের যেসব ক্ষেত্রে ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ অপর্যাপ্ত-        (অনুধাবন)

            র. কৃষি

            রর. প্রযুক্তি

            ররর. শিল্প

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         > র ও ররর        গ রর ও ররর     ঘ র ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের ছকটি লক্ষ করে ৩২৭ ও ৩২৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৩২৭.   ‘ণ’ কোন ধরনের দেশ?            (প্রয়োগ)

            ক উন্নত                       > অনুন্নত

            গ উন্নয়নশীল                ঘ স্বল্পোন্নত

৩২৮.   এ ধরনের দেশের বৈশিষ্ট্য-

            র. কৃষিনির্ভর অর্থনীতি

            রর. বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর

            ররর. প্রতিকূল বৈদেশিক বাণিজ্য

            নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

 উন্নয়নশীল দেশ

            উন্নত ও অনুন্নত দেশসমূহের মধ্য পর্যায়ের দেশগুলোকে বলা হয়-উন্নয়নশীল দেশ।      

            উন্নয়নশীল দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য-জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

            উন্নয়নশীল দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল লড়্গ্য-সকল জনগণের সর্বাধিক আর্থিক ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করা।

কৃষি প্রধান অবস্থা থেকে ক্রমশ শিল্প প্রধান দেশে পরিণত হওয়ার ধারা-উন্নয়নশীল দেশের লক্ষণ।

            কৃষি ও শিল্পের প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়-উন্নয়নশীল দেশে।

            উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে আধুনিকায়ন ঘটে-গ্রামীণ অর্থনীতির।

            উন্নয়নশীল দেশে শিল্পায়নের ফলে-জনগণ শহরাভিমুখী হয়।

            উন্নয়নশীল দেশে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা থাকলেও তা বাস্তবায়নের ফলে-উন্নতির প্রবণতা সৃষ্টি হয়।

            পরিকল্পনার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়-উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩২৯.   উন্নয়নশীল দেশসমূহে  কোন ধরনের অর্থনীতির অধিকাংশ বৈশিষ্ট্যেই বিদ্যমান? (জ্ঞান)

            > অনুন্নত                      খ উন্নত

            গ স্বল্পোন্নত                   ঘ সমাজতান্ত্রিক

৩৩০.   কোন ধরনের দেশে পরিকল্পিত উপায়ে প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনসংখ্যাকে ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে?            (জ্ঞান)

            > উন্নয়নশীল                 খ উন্নত

            গ স্বল্পোন্নত                   ঘ অনুন্নত

৩৩১.   একটি দেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হয়ে তা পরিবর্তনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশটি কোন ধরনের?      (প্রয়োগ)

            > উন্নয়নশীল                 খ উন্নত

            গ অনুন্নত                     ঘ স্বল্পোন্নত

৩৩২.   উন্নয়নশীল দেশসমূহে কিসের আধুনিকায়ন করা হয়?    (জ্ঞান)

            ক শিল্পের                      খ শিক্ষার

            > কৃষির             ঘ ব্যবসা-বাণিজ্যের

৩৩৩.   উন্নয়নশীল দেশে কোনটি রয়েছে?         (জ্ঞান)

            > জনসংখ্যাধিক্য           খ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী

            গ সামাজিক সম্পদ      ঘ প্রাকৃতিক সম্পদ

৩৩৪.   উন্নয়নশীল দেশে কিসের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস করার ব্যবস্থা করা হয়?   (জ্ঞান)

            ক শিল্পের                      > প্রকল্পের

            গ প্রযুক্তির                    ঘ বিনিয়োগের

৩৩৫.   আর্থসামাজিক কল্যাণের নিশ্চয়তা কিসের ওপর নির্ভরশীল?       (অনুধাবন)

            ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি    > সুষম আয় বণ্টন

            গ বেকারত্ব দূরীকরণ     ঘ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

৩৩৬.  যেসব দেশের মানুষ গ্রাম থেকে শহরমুখী হচ্ছে।  সেগুলো কী ধরনের দেশ?        (জ্ঞান)

            ক স্বল্পোন্নত                   খ অনুন্নত

            গ উন্নত            > উন্নয়নশীল

৩৩৭.   উন্নয়নশীল দেশে কোন প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে?      (জ্ঞান)

            > মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির   খ দক্ষ জনশক্তি তৈরির

            গ প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের   ঘ বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির

৩৩৮.   উন্নয়নশীল দেশ কীভাবে উন্নয়ন অর্জন করতে সক্ষম হয়?         (অনুধাবন)

            ক জনসংখ্যা বৃদ্ধি করে খ প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন করে

            > উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে       ঘ পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণ করে

৩৩৯.   একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়ক পরিবেশ গড়ে উঠলে তাকে কী ধরনের দেশ বলা যাবে?             (অনুধাবন)

            ক স্বল্পোন্নত                   > উন্নয়নশীল

            গ উন্নত            ঘ অনুন্নত

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩৪০.   উন্নয়নশীল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়-

            র. স্বাক্ষরতা প্রকল্প

            রর. কারিগরি শিক্ষা

            ররর. পরিবার পরিকল্পনা

            নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)

            > র ও রর           খ র ও ররর       গ রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৪১ ও ৩৪২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

বাংলাদেশ থেকে একটি পর্যটক দল পার্শ্ববর্তী একটি দেশে বেড়াতে গেল। দেশটির সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতির অনেকটা মিল থাকলেও ভিন্নতা রয়েছে। সেদেশে কৃষি, শিল্প ও অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটছে। যদিও বেকারত্ব ও জনসংখ্যাধিক্য রয়েছে।

৩৪১.    উক্ত দেশটি কোন ধরনের দেশ?             (প্রয়োগ)

            ক উন্নত                       খ অনুন্নত

            > উন্নয়নশীল                 ঘ স্বল্পোন্নত

৩৪২.   উক্ত দেশের সাথে বাংলাদেশের পার্থক্য-

            র. বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা বৃদ্ধি

            রর. কারিগরি শিক্ষা

            ররর. মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি

            নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

            উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক        

            কোনো দেশের আয়ের উৎস আর আমদানি ব্যয়ের খাতই হচ্ছে-রপ্তানি।

            বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে-যুক্তরাষ্ট্র।

            ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশের মোট আমদানির শতকরা-১৮.১৩ ভাগ চীন থেকে এসেছে।

            বাণিজ্যের-২টি দিক রয়েছে।

            অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাত্রা অনুসারে বাংলাদেশ-স্বল্পোন্নত দেশের অন্তর্ভুক্ত।

            ঝঅঅজঈ এর পূর্ণপরূপ-ঝড়ঁঃয অংরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ জবমরড়হধষ ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ.

            আই এম এফ-ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড।

            এডিবি-এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।

            এশীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সাহায্যদাতা দেশ হিসেবে উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে-জাপান।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩৪৩.   অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাত্রা অনুসারে বাংলাদেশ কোন দেশের অন্তর্ভুক্ত?             (জ্ঞান)

            > স্বল্পোন্নত                     খ উন্নত

            গ উচ্চ আয়ের              ঘ উন্নয়নশীল

৩৪৪.   শিক্ষায় জেন্ডার সমতা, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে। এ কোন ধরনের দেশের অন্তর্ভুক্ত?    (প্রয়োগ)

            > উন্নয়নশীল                 খ উন্নত

            গ স্বল্পোন্নত                   ঘ অনুন্নত

৩৪৫.   কোন অঞ্চলের দেশগুলো মধ্য আয়ের দেশ?     (জ্ঞান)

            ক এশিয়া                      খ ইউরোপ

            গ আমেরিকা                > আফ্রিকা

৩৪৬.   বাণিজ্যের কয়টি দিক রয়েছে?   (জ্ঞান)

            ক ১      > ২       গ ৪      ঘ ৫

৩৪৭.   যেকোনো দেশের আয়ের উৎস কোনটি?            (জ্ঞান)

            > রপ্তানি                        খ আমদানি

            গ শিক্ষা            ঘ শিল্প

৩৪৮.   বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা কেমন? (অনুধাবন)

            > রপ্তানি < আমদানি       খ রপ্তানি > আমদানি

            গ রপ্তানি = আমদানি    ঘ রপ্তানি  আমদানি

৩৪৯.   বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে কোনটি রপ্তানি করে?         (অনুধাবন)

            > জনশক্তি        খ বস্ত্র

            গ পাট  ঘ হিমায়িত চিংড়ি

৩৫০.   ২০১১-১২ অর্থবছরে সিঙ্গাপুর থেকে শতকরা কত ভাগ আমদানি করা হয়েছে?    (জ্ঞান)

            ক ৪.৭৫                       > ৪.৮১

            গ ৫.০৫                       ঘ ৬.০৬

৩৫১.   বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে আমদানি করে সেগুলোর মধ্যে চতুর্থ কোন দেশ?    (অনুধাবন)

            ক ভারত                       খ পাকিস্তান

            > দক্ষণি কোরিয়া           ঘ জাপান

৩৫২.   এডিবি-এর পূর্ণরূপ কোনটি?     (জ্ঞান)

            ক এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক

            খ এশিয়ান ডেভেলপার’স ব্যাংক

            গ এশিয়ান ডেভেলপার’স ব্যাংক

            > এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩৫৩.   বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি হয়-   (অনুধাবন)

            র. যুক্তরাজ্য     

            রর. যুক্তরাষ্ট্র

            ররর. জার্মানি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

৩৫৪.   বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে- (অনুধাবন)

            র. চিংড়ি

            রর. কাঁচা পাট

            ররর. তৈরি পোশাক

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       গ রর ও ররর     > র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের টেবিলটি লক্ষ কর এবং ৩৫৫ ও ৩৫৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

ঢ          ভুটান   নেপাল শ্রীলঙ্কা

ণ          অউই   ওগজ   ওউঅ

৩৫৫.   ঢ ছকের দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী?      (প্রয়োগ)

            > রপ্তানি            খ আমদানি

            গ ঋণ ও অনুদান গ্রহণ  ঘ ঋণ ও অনুদান প্রদান

৩৫৬.  ণ ছকের সংস্থাগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক-         (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. সার্কুভুক্ত সম্পর্ক     

            রর. ঋণ গ্রহণ

            ররর. অনুদান গ্রহণ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর            ক র ও রর         খ র ও ররর       > রর ও ররর      ঘ র, রর ও ররর

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *