অষ্টম শ্রেনী- বাংলা ১ম পত্র পদ্যঃ বাংলা নববর্ষ  সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

বাংলা নববর্ষ

লেখক-পরিচিতি

নামশামসুজ্জামান খান।  
জন্ম পরিচয়জন্ম তারিখ : ২৯শে ডিসেম্বর, ১৯৪০ সাল; জন্মস্থান : মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার চারিগ্রাম।
পিতৃ মাতৃপরিচয়পিতার নাম : মাহমুদুর রহমান খান; মাতার নাম : শামসুন্নাহার খানম।
শিক্ষাজীবনপ্রবেশিকা : চারিগ্রাম এস. এ. খান হাই স্কুল, সিংগাইর (১৯৫৬); উচ্চ মাধ্যমিক : জগন্নাথ কলেজ, ঢাকা (১৯৫৯); উচ্চতর শিক্ষা : স্নাতক সম্মান (বাংলা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬২); স্নাতকোত্তর (বাংলা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৩)।  
কর্মজীবন/পেশাবাংলা একাডেমির পরিচালক, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ছিলেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।  
সাহিত্য সাধনাপ্রবন্ধ-গবেষণা : নানা প্রসঙ্গ, গণসঙ্গীত, মাটি থেকে মহীরুহ, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলাপ ও প্রাসঙ্গিক কথকতা, মুক্তবুদ্ধি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমকাল, আধুনিক ফোকলোর চিন্তা, ফোকলোরচর্চা। রম্য-রচনা : ঢাকাই রঙ্গরসিকতা, গ্রামবাংলার রঙ্গরসিকতা ইত্যাদি। শিশুসাহিত্য :দুনিয়া মাতানো বিশ্বকাপ,লোভী ব্রাহ্মণ ও তেনালীরাম।  
পুরস্কার সম্মাননাঅগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার, কালুশাহ পুরস্কার, দীনেশচন্দ্র সেন ফোকলোর পুরস্কার, আবদুর রব চৌধুরী স্মৃতি গবেষণা পুরস্কার, দেওয়ান মোর্তজা পুরস্কার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় গবেষণা পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক ইত্যাদি।

সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন -১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সীমা ও চৈতি দুই বান্ধবী। আজ তাদের খুব আনন্দের দিন, কারণ আজ নববর্ষ। তারা দুজনে লালপাড় সাদা শাড়ি পরে চলে যায় রমনার বটমূলে। সেখানে কত মানুষের ভিড়। ছেলে, মেয়ে, শিশু, বুড়ো সবাই সেজেছে নতুন সাজে। সেখানে সীমার খালাতো বোন তন্বীর সাথে দেখা। সীমা খালা-খালু সবার খোঁজ পেল তন্বীর কাছ থেকে। ছোট খালাতো বোনের জন্য কিনে দিল নানান খেলনা। নিজের বাড়ির জন্য কিনে নিল কুলা, ঝুড়ি, হাঁড়ি, পাতিল ইত্যাদি। চৈতি মনের আনন্দে গেয়ে উঠল :

তাপস নিশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
মুছে যাক গস্নানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।

ক.       বাংলা সন চালু করেন কে?    

খ.        হালখাতা বলতে কী বোঝায়? 

গ.        চৈতির গানে বাংলা নববর্ষের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? -ব্যাখ্যা কর।      

ঘ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের মূল সুরটিই যেন ফুটে উঠেছে। উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

  ১নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       মুগল সম্রাট আকবর বাংলা সন চালু করেন।

খ.        হালখাতা বলতে বোঝায়, পয়লা বৈশাখের যে অনুষ্ঠানে বাকির টাকা মিটিয়ে দেয়া হয়।

            পয়লা বৈশাখের হালখাতা অনুষ্ঠানে দোকানিদের সারা বছরে বাকিতে কেনা জিনিসপত্রের টাকা পরিশোধ করা হয়। সম্পূর্ণ সম্ভব না হলেও অন্তত আংশিক পরিশোধ করেও নতুন বছরের খাতা খোলা হয়। হালখাতা উপলড়্গে ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সাজসজ্জা করেন। গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করান। আগের মতো সাড়ম্বরে না হলেও এখনো হালখাতা উদ্যাপিত হয়।

গ.        চৈতির গানে পুরনো সম¯ত্ম দুঃখ-শোক-গস্নানি ভুলে বাংলা নববর্ষের মাধ্যমে নতুন আনন্দে জগৎকে আলোকময় করার আহ্বান ফুটে উঠেছে।

            মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন চালু করার পর থেকে পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ নববর্ষ উদ্যাপনে নানা আনুষ্ঠানিকতা যুক্ত হয়। পুণ্যাহ, হালখাতা, আমানি প্রভৃতি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটে। বিগত দিনের দুঃখকষ্ট-কালিমা মুছে দিয়ে সুখসমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশায় নব সূর্যের আলোকচ্ছটায় চারদিক উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। নববর্ষে মানুষের এই চিরাচরিত প্রত্যাশাবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে সুচারুরূপে চিত্রিত হতে দেখা যায়।

            উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই নববর্ষে চৈতি মনের আনন্দে গান গেয়ে ওঠে। পুরাতন বছরের সব দুঃখ-শোক-জরা-গস্নানি স্রোতে ভাসিয়ে দিয়ে সূর্যের আগুনরাঙা আলোয় এই পৃথিবী শুচিশুভ্র করে তোলার আহ্বান গানের মধ্যে ফুটে উঠেছে।

ঘ.        “উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের মূল সুরটিই যেন ফুটে উঠেছে।”- উক্তিটি যথার্থ।

            বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে আমরা বাংলা সনের ইতিহাস ও নববর্ষ উদ্যাপন সম্পর্কে নানা তথ্যের সন্ধান পাই। পুরনো দিনের দুঃখ-দৈন্য-হতাশা ঘুচিয়ে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশা নিয়ে মহা ধুমধামের সঙ্গে বাংলা নববর্ষ পালন করা হয়। হালখাতা, ব্রত-অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ঐতিহ্যবাহী খেলার আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয় ফুটে ওঠে।

            উদ্দীপকেও আমরা দেখি রমনার পাকুড়মূলে সীমার সঙ্গে খালাতো বোন তন্বীর দেখা হয়। সীমা কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি সবার খোঁজ নিয়ে উপহার দেয়। নববর্ষের আনন্দ-প্রত্যাশা চৈতি গানের মাধ্যমে প্রকাশ করে। বিগত দিনের সকল দুঃখ গস্নানি মুছে দিয়ে মঙ্গল আলোকে এই জগৎ আলোকিত করার প্রয়াস ব্যক্ত হয়েছে গানে।

            উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের মূল সুরটি যেন ফুটে উঠেছে।

নির্বাচিত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন -২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

            সুমী তার দাদার সাথে মথুরাপুর গ্রামে মেলা দেখতে যায়। সে মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় চড়ে, বায়স্কোপ দেখে। মেলায় আছে গ্রামের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র। মুড়ি, মুড়কি, জিলাপি, বাতাসা, শাপলা-শালুক দোকানিরা থরে থরে সাজিয়ে নিয়ে বসে আছে।

ক.       কত হিজরিতে বাংলা সন চালু হয়?     ১

খ.        “কিন্তু সে-বিজয় স্থায়ী হয়নি” কেন বুঝিয়ে লেখ।     ২

গ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।                    ৩

ঘ.“উদ্দীপকের মেলা ওবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের রমনার মেলা এক নয়।”- উক্তিটি মূল্যায়ন কর।        ৪

  ২নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন চালু হয়।

খ.        শেরে বাংলা এ.  কে. ফজলুল হকের যুক্তফ্রন্ট সরকার বাংলা নববর্ষের দিনকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করলে বাঙালির যে বিজয় অর্জিত হয় তা স্থায়ী হয়নি।

            বাঙালির দীর্ঘদিনের দাবিকে সম্মান করে ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট সরকার। বাংলা নববর্ষের দিনকে ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু স্বৈরচারী পাকি¯ত্মান সরকার যুক্তফ্রন্ট ভেঙে দিয়ে সামরিক শাসন জারি করলে নববর্ষের সরকারি ছুটি আবার বাতিল হয়ে যায়। অবশ্য পাকি¯ত্মানি আমলে আর সরকারিভাবে নববর্ষ উদ্যাপিত না হলেও বেসরকারিভাবে তা উদ্যাপিত হয়েছে প্রবল আগ্রহ ও গভীর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে।

গ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের নববর্ষ উৎসব উদ্যাপনের দিক ফুটে উটেছে।

            বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। এ উৎসবকে বুকে ধারণ করে প্রতিটি বাঙালি মেতে ওঠে নানা আয়োজনে। বর্ণিল আয়োজনগুলো প্রাণে প্রাণে আনন্দের শিহরণ জাগায়। আনন্দের পসরা যেন সাজিয়ে বসে।

            উদ্দীপকের সুমী দাদার সাথে মেলায় যায়। নাগরদোলায় চড়ে, বায়স্কোপ দেখে সে অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠে। মেলায় আছে মুড়ি, মুড়কিসহ নানা ধরনের খাবার। যা দোকানিরা থরে থরে সাজিয়ে বসে আছে। মেলার এসব অনুষঙ্গের বর্ণনা আছে আলোচ্য প্রবন্ধে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে নববর্ষ উৎসব উদ্যাপনের দিকটি ফুটে উঠেছে।

ঘ.        উদ্দীপকের মেলা ওবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের রমনার মেলা এক নয়। উক্তিটি যথার্থ।

            বাঙালিরা উৎসবপ্রিয় জাতি। এখানে বারো মাসে তেরো পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়। নানা বর্ণিল আয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন আমেজে এ সকল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে যেমন অনুষ্ঠিত হয় নববর্ষ উৎসব তেমনি রমনার মেলাও। নামের মতো এ দুই মেলায় রয়েছে অনেক ভিন্নতা।

            উদ্দীপকের মেলার নাম নববর্ষ উৎসব। যা পয়লা বৈশাখে অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ নাগরদোলা ও বায়স্কোপ। সেই সাথে মুড়ি, মুড়কিসহ হরেক রকম খাবারের আয়োজন। থাকে গ্রামের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র। কিন্তু রমনার মেলায় এসব কিছু থাকে না। থাকে রমনার পাকুড়মূলে নববর্ষের উৎসব। যার আয়োজন করে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। ১৯৬১ সাল থেকে অত্যন্ত জনপ্রিয় এ মেলায় নববর্ষকে বরণ করা হয় ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরে গান-বাজনার মাধ্যমে।

            উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকের মেলা ওবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের রমনায় মেলা একই দিনে অনুষ্ঠিত হলেও এক নয়।

প্রশ্ন -৩  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

            নদীর কোল ঘেঁষা বটতলায় হাজার হাজার মানুষ জমেছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যেমন এটা-ওটা খেলনা কিনছে, তেমনি তাদের বাবারাও কাঠের আসবাব, মসলাপাতি কিংবা তৈজসপত্র কিনছেন। আর একটু দূরে শোনা যাচ্ছে নাগরদোলার ক্যাঁচর ক্যাঁচর শব্দ। এ দিনটির জন্য আশপাশের গাঁয়ের মানুষেরা প্রায় বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকে।

ক.       বাংলা সন চালু করেন কোন শাসক?              ১

খ.        আমানিকে আঞ্চলিক মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান বলা হয় কেন?       ২

গ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ রচনায় উলিস্নখিত কোন সর্বজনীন উৎসবের পরিচয় রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।                        ৩

ঘ.        উলিস্নখিত উৎসব ব্যতীত বাঙালির আরও উৎসবের পরিচয় পঠিত রচনায় রয়েছেÑ বক্তব্যের তাৎপর্য বিচার কর।                  ৪

  ৩নং প্রশ্নের উত্তর   

ক.       মুগল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন।

খ.        প্রাচীনকালে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে আমানি অনুষ্ঠান প্রচলিত হওয়ার কারণে আমানিকে আঞ্চলিক মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান বলা হয়।

            আমানি মূলত কৃষকের পারিবারিক অনুষ্ঠান। পরিবারের গৃহকর্ত্রী চৈত্র মাসের শেষদিনের সন্ধ্যারাতে এক হাঁড়ি পানিতে স্বল্প পরিমাণ অপক্ব চাল ছেড়ে দিয়ে সারারাত ভিজতে সে এবং তার মধ্যে একটি কচি আমের পাতাযুক্ত ডাল বসিযে রাখেন এবং পয়লা বৈশাখের সূর্য ওঠার আগে ঘর ঝাড়– দিয়ে সেই হাঁড়ির পানি সারা ঘরে ও বাড়ির সকলের গায়ে ছিটিয়ে দেন। শুরুর দিকে আমানি অনুষ্ঠানটি নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে পালন করা হলেও এখন সিংহভাগ কৃষকের ঘরে আমানি অনুষ্ঠান বেশ গুরুত্বের সাথেই পালিত হয়।

গ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ রচনার যে সর্বজনীন উৎসবের উলেস্নখ রয়েছে তার নাম বৈশাখী মেলা।

            বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ উদ্যাপন। বৈশাখের প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলা সব বয়সের মানুষের মনের খোরাক যেমন জোগায় তেমনি পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও।

            উদ্দীপকে বটতলায় মেলা বসেছে। মেলায় ছোটরা খেলনা কিনছে, নাগরদোলা চড়ছে। এ চিত্র দেখা যায়, বাংলা নববর্ষ রচনার সর্বজনীন  বৈশাখী মেলার বর্ণনায়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি বাংলা নববর্ষ রচনায় সর্বজনীন বৈশাখী মেলার পরিচয় বহন করে।

ঘ.        উলিস্নখিত উৎসব ব্যতীত বাঙালির আরও উৎসবের পরিচয় পঠিত রচনায় রয়েছে- বক্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

            বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ উদ্যাপন। নানা ভাবে নানা আয়োজনে দেশের প্রায় সর্বত্রই বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হয়। সব ধরনের শ্রেণিপেশার মানুষের আয়োজনে এসব মেলা অনেক উপভোগ্য ও আকর্ষণীয় হয়। তবে স্থান ও বয়স ভেদে থাকে আয়োজনের ভিন্নতাও।

            উদ্দীপকের উৎসবে দেখা যায়, বটতলায় অনেক মানুষ জমেছে। ছোটরা কিনছে খেলনা, বড়রা কিনছে নিত্যপণ্য। রয়েছে নাগরদোলাসহ নানা আয়োজন। এ চিত্র বৈশাখী মেলাকে নির্দেশ করে। এ উৎসব ব্যতীতবাংলা নববর্ষ রচনায় আরও উৎসবের পরিচয় রয়েছে। যেমন- রমনার পাকুড়মূলে ছায়ানট আয়োজিত নববর্ষ উৎসব হালখাতা, পুণ্যাহ, জব্বারের বলী খেলা, মোরগ লড়াই, ষাঁড়ের লড়াই প্রভৃতি।

            তাই উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকে কেবল বৈশাখী মেলার বর্ণনা রয়েছে। অধিকন্তু পঠিত রচনায় রয়েছে আরও নানা উৎসবের বর্ণনা। এ বিচারে প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রশ্ন -৪  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

পয়লা বৈশাখে বাংলার জনসমষ্টি অতীতের সুখ-দুঃখ ভুলে গিয়ে নতুনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওঠে। তারা জানে এ নতুন অনিশ্চিতের সুনিশ্চিত সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ। তাই মন সাড়া দেয়, চঞ্চল হয়, নতুনকে গ্রহণ করার প্রস্তুতি নেয়। সবাই আটপৌরে জামাকাপড় ছেড়ে ধোপদুর¯ত্ম পোশাক-পরিচ্ছদ পরে, বটের তলায় জড়ো হয়ে গান গায়, হাতে তালি বাজায়, মুখে বাঁশি ফুঁকে, মাঠে ঘাটে খেলায় বসে পড়ে, পুকুরে সাঁতার কাটে। সবকিছু মিলে দেশটা যেন হয়ে উঠে উৎসবমুখর।

ক.       সাল কথাটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?         ১

খ.        হালখাতা অনুষ্ঠানটি এখন আর তেমন সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হয় না কেন?                  ২

গ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।                ৩

ঘ.সবকিছু মিলে দেশটা যেন হয়ে ওঠে উৎসবমুখর- উদ্দীপক ওবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশেস্নষণ কর।           ৪

  ৪নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       সাল কথাটি ফরসি ভাষা থেকে এসেছে।

খ.        বাকিতে বেচাকেনা এখন আর আগের মতো না হওয়ায় হালখাতাও আগের মতো সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হয় না।

            পয়লা বৈশাখের দ্বিতীয় বৃহৎ অনুষ্ঠান ছিল হালখাতা। এ অনুষ্ঠানটি করতেন ব্যবসায়ীরা। এ দিন তারা নতুন খাতা খুলতেন। কৃষিপ্রধান দেশে ফসলের মৌসুমে ফসল বিক্রির টাকা না এলে কৃষকসহ প্রায় কেউই নগদ টাকার মুখ দেখতে পেত না। তাই কৃষকদের দোকানিদের কাছ থেকে সারাবছর বাকিতে জিনিসপত্র কিনতে হতো। হালখাতা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা দোকানিদের বাকি মিটিয়ে দিত।

গ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের নববর্ষ উদ্যাপনের দিকটিই ফুটে উঠেছে।

            নববর্ষের উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব। প্রাণে প্রাণে অপূর্ব সম্মিলনে নানা আয়োজনে এ উৎসব পালিত হন। বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুখরিত হয়ে ওঠে দেশের অধিকাংশ এলাকায় শহর-বন্দর থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জ পিছিয়ে থাকে না এদিন। অতীতের সবকিছু ভুলে নতুনের আবাহনে সরব হয়ে ওঠে সবাই।

            উদ্দীপকে দেখা যায়, পুরাতনকে দূরে সরিয়ে নতুনকে গ্রহণ করার প্রস্তুতি। সবাই নতুন জামাকাপড় পরেছে। বটের তলায় জড়ো হয়ে গান গাইছে, হাততালি দিচ্ছে, নানা আয়োজনে অংশ নিচ্ছে। সবকিছুতে উৎসবমুখর পরিবেশ। অনুরূপ বর্ণনা রয়েছেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে বর্ষবরণের আয়োজনে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে নববর্ষ উদ্যাপনের দিকটি ফুটে উঠেছে।

ঘ.        সবকিছু মিলে দেশটা যেন হয়ে ওঠে উৎসবমুখর- মন্তব্যটি যথার্থ।

            বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ উদ্যাপন। এ উৎসব আয়োজনে থাকে প্রাণের ছোঁয়া, থাকে জীবনের জয়গান। প্রতিটি প্রাণ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেতে ওঠে বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে। এসবের মধ্য দিয়ে পুরো দেশ যেন উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পয়লা বৈশাখে।

            উদ্দীপকে দেখা যায়, নতুনের প্রাণের মহড়া। নববর্ষে সবাই পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য নতুন জামাকাপড় পরেছে। বটের তলায় সমবেত হয়ে গান গাইছে, হাততালি দিচ্ছে, নানা আয়োজনে অংশ নিচ্ছে। সকলে ভেসে যাচ্ছে প্রাণের বন্যায়।বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধেও একই চিত্র মূর্ত হয়ে উঠেছে। যদিও আলোচ্য প্রবন্ধে উৎসবের আধিক্য লক্ষণীয়। অর্থাৎ উদ্দীপকের উৎসব ছাড়াও রমনার পাকুড়মূলে ছায়ানটের নববর্ষের উৎসব, হালখাতা, পুণ্যাহ, জব্বারের বলী খেলাসহ অনেক উৎসবের উলেস্নখ রয়েছে। তবে সবকিছুতে উৎসবমুখর পরিবেশের চিত্রই ফুটে উঠেছে।

            উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপক ওবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে উৎসব আয়োজনের মাত্রা কমবেশি থাকলেও সবকিছু মিলে দেশটা যেন হয়ে ওঠে উৎসবমুখর।

অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন -৫  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

আজ পয়লা বৈশাখ। ছুটির দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে মিতুল টেলিভিশনে বিদেশি চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখছে। মিতুলের বাবা মাহমুদ সাহেব এসে বাংলাদেশি চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখতে বললেন। মিতুল প্রশ্ন করল, কেন? উত্তরে তিনি বললেন, রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাঙালির রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাস। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে জারি-সারি ভাটিয়ালির মতো বিবিধ লোকসংগীত, আর ছয় ঋতুর এই দেশে বছরের বারোটি মাসজুড়ে পালিত হয় নানা উৎসব। সময় স্বল্পতার জন্য নানা কারণে পুরো দেশ ঘুরতে না পারলেও প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসে টেলিভিশনে আমরা এসব অনুষ্ঠান, মেলা, খেলা দেখতে পারি। তাই অতিমাত্রায় বিদেশি অনুষ্ঠান দেখার প্রবণতা দূর করে বাংলাদেশি চ্যানেলের দেশীয় অনুষ্ঠান দেখা উচিত।

ক.       ছায়ানট কী?                ১

খ.        লেখকের মতে গ্রামবাংলায় বার্ষিক মেলাগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল?                      ২

গ.        মাহমুদ সাহেবের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে বাঙালি চেতনার যে দিকটি ফুটে উঠেছেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর।                    ৩

ঘ.        উদ্দীপকে বাংলা সংস্কৃতির বিকাশের বিষয়টিবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের আলোকে বিশেস্নষণ কর।       ৪

  ৫নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ছায়ানট।

খ.        গ্রামবাংলার বার্ষিক মেলাগুলো মানুষের স্থবির জীবনযাত্রায় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পরিণত হতো বলে মেলাগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

            আগে সারা দেশে যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। বিভিন্ন বার্ষিক মেলা থেকেই মানুষ সারা বছরের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখত। নানা সংবাদ আদান-প্রদান নানা বিষয়ে মতবিনিময়েরও আদর্শ স্থান ছিল এইসব মেলা। বার্ষিক বিনোদনের জায়গাও ছিল এই মেলা। ফলে এই মেলাগুলোকে কেন্দ্র করে মানুষের স্থবির জীবন গতিশীল হয়ে উঠত। এ কারণেই লেখক গ্রামবাংলার বার্ষিক মেলাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন।

গ.        মাহমুদ সাহেবের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বাঙালি চেতনার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা হলো দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।

            বাঙালির রয়েছে হাজার বছরের পুরনো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলা সন প্রবর্তিত হওয়ার পর পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন বাঙালি জীবনে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। নববর্ষকে কেন্দ্র করে এ বাংলায় অনুষ্ঠিত হয় নানা লোকজ অনুষ্ঠান। হালখাতা, আমানি এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য। গত বছরের দুঃখ-শোক ভুলে সূর্যের নতুন আলো মেখে জগৎ পবিত্র করার প্রত্যয়ে উদ্ভাসিত হয় সবাই। সহস্র প্রাণের উজ্জীবিত শক্তি রূপান্তরিত হয়ে ওঠে মঙ্গলকারী অবিনাশী শক্তিতে।বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে বাঙালির এই সম্মিলিত প্রয়াসের জয়গান সূচিত হতে দেখি।

            উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই মাহমুদ সাহেব তার ছেলেকে বাঙালির সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্যের কথা জানাচ্ছেন। বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ইতিহাস, বিশেষ করে নববর্ষ উদ্যাপনের কথা মিশে আছে। আজকের বাংলাদেশ যে স্বাধীন হতে পেরেছে, তার পেছনে নববর্ষের প্রেরণাও সক্রিয় ছিল।

ঘ.        উদ্দীপকে বাংলা সংস্কৃতির বিকাশের বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে।

            বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে বাংলা সনের ইতিহাস ও নববর্ষ উদ্যাপনের উলেস্নখ পাই। বিগত দিনের দুঃখ, দৈন্য-হতাশা ঘুচিয়ে পবিত্র, সুখী জীবনের প্রত্যাশায় নতুন সূর্যকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। হালখাতা, ব্রত অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ঐতিহ্যবাহী খেলার আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাঙলা ও বাঙালি সংস্কৃতির সমন্বয়ে সূচিত হয় মঙ্গলশক্তি।

            উদ্দীপকে সংস্কৃতি সচেতন মাহমুদ সাহেব তার ছেলে মিতুলকে বাংলাদেশ ও বাংলা সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন। বাংলাদেশের পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকা ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, জারি, সারির মতো লোকসংগীতসহ মেলা ও বিবিধ লোকজ খেলা সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন। বাংলা সংস্কৃতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার জন্য ছেলেকে বিদেশি অনুষ্ঠানের পরিবর্তে বাংলা অনুষ্ঠান দেখার পরামর্শ দিয়েছেন।

            নববর্ষ উৎসব উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালি বাংলা সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালনের শক্তি খুঁজে পায়। আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটে নববর্ষের আয়োজনে।

প্রশ্ন -৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ছোট ছিমছাম সুন্দর একটি গ্রাম বকুলপুর। বৈশাখের প্রথম দিনে ঐ গ্রামের বৈশাখী মেলায় বাঁশি, মাটির পুতুল, বাঁশের ঝুড়ি, কুলা, ডালা, পাটের তৈরি নানা জিনিসপত্রের অনেক দোকান বসে। মিষ্টি, সন্দেশ, তিলের খাজাসহ নানা রকম পিঠার দোকানও আছে। ছোট্ট মঞ্চে চলছে পুতুল নাচ, ছোটদের পাশাপাশি বড়দের ভিড়ও সেখানে কম নয়। মঞ্চের পাশেই নাগরদোলায় বাচ্চারা দোল খাচ্ছে। গ্রামের রা¯ত্মা গত মাসে সংস্কার করায় অনেক মানুষ মেলায় এসেছে। আনন্দে সবার মুখ ঝলমল করছে।

ক.       বলী খেলা কী?             ১

খ.        পুণ্যাহ বলতে কী বোঝায়?                  ২

গ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে উলিস্নখিত নববর্ষ উদ্যাপনের কোন অনুষ্ঠানের পরিচয় ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।      ৩

ঘ.        নববর্ষের বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান মানুষের জীবনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেÑ উদ্দীপক ওবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

  ৬নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       কুস্তিখেলাকেই বলা হয় বলী খেলা।

খ.        খাজনা আদায়ের অনুষ্ঠানকে বলা হয় পুণ্যাহ।

            বাংলা সন চালু হওয়ার পর নববর্ষ উপলড়্গে নবাব ও জমিদাররা চালু করেনপুণ্যাহ অনুষ্ঠান। পয়লা বৈশাখে প্রজারা নবাব বা জমিদার বাড়িতে আমন্ত্রিত হতেন। তাদের মিষ্টিমুখ করানো হতো, থাকত পান-সুপারির আয়োজন। তবে মূল উদ্দেশ্য ছিল খাজনা আদায়। জমিদারি প্রথা উঠে যাওয়ায় এ অনুষ্ঠানও লুপ্ত হয়ে গেছে।

গ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে উলিস্নখিত বাংলা নববর্ষের একটি প্রধান অনুষ্ঠান বৈশাখী মেলার পরিচয় ফুটে উঠেছে।

            দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈশাখের প্রথম দিনে বার্ষিক মেলা বসে। আগের দিনে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় মানুষের বিনোদন ছিল খুব সামান্য। তাই এসব মেলা অনেক ধুমধামের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হতো। দিনবদল হলেও মেলার আবেদন একেবারে ফুরিয়ে যায়নি। এখনো অনেক মেলা বসে যা বেশ পুরনো। মাটি, বাঁশ-বেত, কাঁসার তৈরি খেলনাসহ তৈজসপত্রের পসরা নিয়ে দোকান বসে। থাকে নানারকম মুখরোচক খাবার, কবিগান, কীর্তন, যাত্রা, পুতুলনাচ, নাগরদোলাসহ নানা আনন্দ আয়োজন।

            উদ্দীপকে বকুলপুর গ্রামে পয়লা বৈশাখে বার্ষিক মেলাটি বাঁশি, মাটির পুতুল, বাঁশের ঝুড়ি ইত্যাদির পসরা বসেছে। পুতুলনাচ, নাগরদোলা ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রামের বৈশাখী মেলার পরিচয় ফুটে উঠেছে। তাই বলা যায়, বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ বার্ষিক মেলার পরিচয় উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।

ঘ.        নববর্ষের বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান মানুষের জীবনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে- প্রবন্ধ ও উদ্দীপকের আলোকে মন্তব্যটি যথার্থ।

            বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ও উৎসব উদ্যাপনের পরিচয় মেলে। বিগত দিনের দুঃখ-দৈন্যদশা হতাশা ঘুচিয়ে সুখশান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশায় সাড়ম্বরে বাংলা নববর্ষ উৎসব পালিত হয়। হালখাতা, ব্রত অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ঐতিহ্যবাহী খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানÑ এত বিশাল আয়োজনে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির বন্ধন সূচিত হয়।

            উদ্দীপকেও আমরা লক্ষ করলে দেখতে পাব যে, মেলাকে কেন্দ্র করে ছোট একটা গ্রাম আনন্দমুখর হয়ে উঠেছে। একটি মাত্র অনুষ্ঠান ছোট-বড় সবার মনে আনন্দের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। সবার মুখ আনন্দে ঝলমল করছে। নববর্ষ উপলড়্গে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুধু আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। সব মানুষকে প্রাণের শক্তিতে বলীয়ান করে তুলেছে। বাংলা নববর্ষের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবোধ অনন্যতা পেয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনেও নববর্ষের প্রেরণা সক্রিয় ছিল।

            উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, নববর্ষেরবিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান মানুষের জীবনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।

প্রশ্ন -৭  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গড়াইডুবি নামক স্থানে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ উপলড়্গে বসে অনেক বড় মেলা। সীমান্তের এপারে বাংলাদেশের মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা। মেলা উপলড়্গে ৭ দিনের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে এ মেলায়। হিন্দু, মুসলমান, ভারতীয় বাংলাদেশি পরিচয়ের বাইরে সবার বড় পরিচয় হয়ে ওঠে বাঙালি। বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাবেচার পাশাপাশি এ ৭ দিন কাঁটাতার পেরিয়ে একান্তই যেন বাঙালির হয়ে যায়। এ মেলা প্রমাণ করে সীমান্ত বেড়া, ধর্ম এসব কিছু বাঙালিকে বিভক্ত করতে পারে না।

ক.       কীর্তন শব্দের অর্থ কী?                       ১

খ.        নববর্ষ উৎসব কীভাবে জাতীয় উৎসবে পরিণত হলো?         ২

গ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের কোন সুরটি ধ্বনিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।                ৩

ঘ.        উদ্দীপকটিবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের খ-অংশের ইঙ্গিত বহন করে”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।            ৪

  ৭নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       কীর্তন শব্দের অর্থ হচ্ছে গুণ বর্ণনা।

খ.        ১৯৬৭ সালে রমনার পাকুড়মূলে ছায়ানট অনুষ্ঠান জনগণের বিপুল আগ্রহ-উদ্দীপনায় অংশগ্রহণে জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।

            পাকি¯ত্মানি শাসনামলে এ সরকারের দমননীতির কারণে বারবার বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু জনগণ নিজেদের মতো করে ঠিকই প্রবল আগ্রহ ও গভীর উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে নববর্ষ পালন করে গেছে। এর ধারাবাহিকতায় রমনার পাকুড়মূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু করে। পরে দেশের জনগণের অংশগ্রহণে ক্রমেই এ অনুষ্ঠান পরিণত হয় দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় অনুষ্ঠানে।

গ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের বাঙালি জাতিসত্তার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুর ধ্বনিত হয়েছে।

            বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, পাকি¯ত্মান শাসনামলে মুসলিম সংস্কৃতির পরিপন্থি বলে নববর্ষ পালন করতে দেওয়া হয়নি। যা বাঙালি সংস্কৃতির ওপর ছিল চরম আঘাত। নববর্ষ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। একসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। এ ঐক্যবদ্ধতার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে নববর্ষ। এখনো নববর্ষ উৎসব হিন্দু-মুসলমান, সাদা-কালো বিভেদ ভুলে দেশে ও বিদেশের সকল বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে উদ্যাপন করে। উদ্দীপকে মূলত ঐক্যবদ্ধতার সুরটিই ধ্বনিত হয়েছে।

            উদ্দীপকে বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষা নদীয়া জেলার গড়াইডুবির বৈশাখী মেলার কথা বলা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে বাংলা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুদেশে পড়লেও বাঙালি হিসেবে তারা একই জাতিসত্তা। তাই নববর্ষের মেলায় সীমান্ত উন্মুক্ত করা হলে দুই বাংলার মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়Ñ সীমান্ত, ধর্ম সব কিছু ছাপিয়ে এক বাঙালি পরিচয় বড় হয়ে ওঠে। তাই বলা যায়,বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার যে সুর ধ্বনিত হয়েছে তা উদ্দীপকটিতে প্রতিফলিত হয়েছে।

ঘ    “উদ্দীপকটিবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের খ-অংশের ইঙ্গিত বহন করে- মন্তব্যটি যথার্থ।

            বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে বাঙালির জাতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব বাংলা নববর্ষ সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা ব্যক্ত করা হয়েছে। এ উৎসবের উৎপত্তি, প্রকৃতি এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আলোচ্য প্রবন্ধে আলোকপাত করা হয়েছে। এ উৎসবের মধ্যদিয়ে ধর্ম, বর্ণ ও জাতি নির্বিশেষে সব মানুষের একই চেতনায় উদ্ভাসিত হওয়ার দিকটিও প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে।

            অপরপক্ষ,ে উদ্দীপকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের গড়াইডুবির বৈশাখী মেলার কথা বলা হয়েছে। দুদেশের মাঝে সীমানা থাকা সত্ত্বেও দুই বাংলার মানুষ সব বিভেদ ভুলে নববর্ষের বৈশাখী মেলায় অংশগ্রহণ করে। ধর্ম বা সীমানা এখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে না। এর মধ্য দিয়েবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের ঐক্য চেতনার বিষয়টিরই ইঙ্গিত পাওয়া যায়। প্রবন্ধে উলিস্নখিত অন্যান্য বিষয়ের ইঙ্গিত উদ্দীপকে অনুপস্থিত।

            উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকটিবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের খ-াংশের ইঙ্গিত বহন করে মাত্র।

প্রশ্ন -৮  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

রমনার বটমূলে যেন জড়ো হয়েছে সারা বাংলাদেশ। শাড়ি-পাঞ্জাবিতে তরুণ-তরুণীরা সেজেছে বৈশাখী সাজে। শিশু-কিশোররা মুখে আলপনা আঁকতে ব্য¯ত্ম। বটমূলে শুরু হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ সংগীত। চারদিকে ঢাক-ঢোল, বাঁশির সুরে মুখরিত। হঠাৎ প্রচ- শব্দে চারদিক প্রকম্পিত। শুরু হলো ছেলে-বুড়োদের আর্তনাদ আর আহাজারি। সাদা শাড়ি হলো রক্তে রঙিন। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি মুছে ফেলতে চাইলেও সম্ভব হয়নি বাঙালির ঐতিহ্যকে মুছে দেওয়া। বাঙালি এগিয়ে চলেছে ঐতিহ্যকে লালন করে। এখনো বসছে প্রাণের মেলা রমনার বটমূলে।

ক.       বাংলা প্রথম মাসের নাম কী?              ১

খ.        মঙ্গল শোভাযাত্রা বলতে কী বোঝ?                ২

গ.        উদ্দীপকে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বাঙালির ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার প্রচেষ্টার সঙ্গেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ নিরূপণ কর।                      ৩

ঘ.        বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে নববর্ষ উদ্যাপনের ইতিকথা-বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের আলোক মন্তব্যটি যাচাই কর। ৪

  ৮নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       বাংলা প্রথম মাসের নাম বৈশাখ।

খ.        ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বাংলা নববর্ষের যে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় তা

           মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে পরিচিত।

            নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় নববর্ষ। রাজধানী ঢাকার নববর্ষ উৎসবের দ্বিতীয় প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার আয়োজনে অনুষ্ঠিত মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা মুখোশ, কার্টুন এবং যেসব পস্নাকার্ড বহন করে তাতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের চিত্র, আবহমান বাঙালিত্বের পরিচয় এবং সমকালীন সমাজ রাজনীতির সমালোচনা ফুটে ওঠে। এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে পরিচিত।

গ. উদ্দীপকে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বাঙালির ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার প্রচেষ্টার সঙ্গেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের পাকি¯ত্মান সরকারের নববর্ষ উদ্যাপন করতে না দেওয়ার বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ।

            বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রধান জাতীয় উৎসব। কিন্তু পাকি¯ত্মান আমলে পূর্ব বাংলার বাঙালিকে এ উৎসব পালন করতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, এটা পাকি¯ত্মানি আদর্শের পরিপন্থী। যা ছিল বাঙালির সংস্কৃতির ওপর এক চরম আঘাত। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল বাঙালি নববর্ষের দিন জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে, কিন্তু সে দাবিও অগ্রাহ্য হয়েছে। আর এর মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্তার অগ্রযাত্রাকেই থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

            উদ্দীপকে বর্ণিত বর্তমান স্বাধীন দেশে জাঁকজমক ও প্রবল উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়। বাঙালিয়ানার ষোলোকলা প্রকাশ পায় এ দিন। কিন্তু প্রবন্ধের পাকি¯ত্মানি শোষকদের মতো উদ্দীপকেও সক্রিয় তাদেরই মদদপুষ্ট প্রতিক্রিয়াশীল একটি গোষ্ঠী। যারা নববর্ষের ফুলে ফুলে রঙিন অনুষ্ঠানে বোমা ফাটিয়ে মানুষ মেরে বন্ধ করে দিতে চায় বাঙালির অগ্রযাত্রার পথকে। তাই বলা যায়, প্রবন্ধের পাকি¯ত্মানি শাসকদের সঙ্গে উদ্দীপকের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির প্রচেষ্টা সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ.        বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে নববর্ষ উদ্যাপনের ইতিকথা মিশে আছে।

            স্বাধীনতাপূর্ব পাকি¯ত্মানি শাসক কর্তৃক নববর্ষ উদ্যাপনে বাধা দেওয়া হয়। এটি ছিল বাঙালির সংস্কৃতির ওপর চরম এক আঘাত। বাঙালি নববর্ষকে ছুটির দিন ঘোষণার দাবি জানায়। সে দাবিও অগ্রাহ্য হয়। ফলে বাঙালি ফুঁসে ওঠে। সোচ্চার হয় প্রতিবাদে। আর এ আন্দোলনের পথ ধরেই আসে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তি। দেশ স্বাধীন হলেও পরাজিত শক্তির কিছু দোসর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে চারদিকে।

            আর উদ্দীপকে সে চিত্রটিই ফুটে উঠেছে। প্রাণের উচ্ছ্বাসে নববর্ষে সবাই যখন মেতেছে বৈশাখী আনন্দে তখন তাদেরই কিছু দোসর বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে থামিয়ে দিতে চাইছে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে। কিন্তু বীর বাঙালি তাদের চোখ রাঙানিকে ভয় পায়নি। তারপরও রমনা বটমূলে সমবেত হয়ে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

            আগের ন্যায় বর্তমানেও নববর্ষের ওপর আঘাত আসছে প্রতিক্রিয়াশীলদের পক্ষ থেকে। আর সংগ্রামের ধারায় সে আঘাত পার হয়ে সামনে হাঁটছে বাঙালি।বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধ আর উদ্দীপকে সেই চিত্রটিই ফুটে উঠেছে।

প্রশ্ন -৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

রামদাস বাজারের বড় ব্যবসায়ী। তিনি নির্মাণসামগ্রীর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা। ছোট ব্যবসায়ীরা তার দোকান থেকে পাইকারি দরে মাল কিনে খুচরা বিক্রি করে। তিনি অন্যসব খুচরা বিক্রেতার চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করেন। সেজন্যই তার খুব নাম-ডাক। তিনি প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু করে সাত দিন পর্যন্ত দোকানে একটি অনুষ্ঠান করেন। নানা রং-বেরঙের কাগজ দিয়ে দোকান সাজান। খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা ঐ সময় বিগত বছরের পাওনা মিটিয়ে, ইচ্ছামতো মিষ্টি, রসমালাই দধি, ইলিশ ভাজি-ভাত খেয়ে তৃপ্ত হন।

ক.       পয়লা বৈশাখের দ্বিতীয় বৃহৎ অনুষ্ঠান ছিল কোনটি? ১

খ.        পুণ্যাহ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।                      ২

গ.        রামদাসবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে উলিস্নখিত বাংলা নববর্ষের কোন অনুষ্ঠানটি পালন করেন? ব্যাখ্যা কর।                        ৩

ঘ.        উক্ত অনুষ্ঠানটিই কি বাংলা নববর্ষে আয়োজিত একমাত্র অনুষ্ঠান?বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশেস্নষণ কর।       ৪

  ৯নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       পয়লা বৈশাখের দ্বিতীয় বৃহৎ অনুষ্ঠান ছিল হালখাতা।

খ.        পুণ্যাহ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল খাজনা আদায়।

            পয়লা বৈশাখে প্রজারা নবাব বা জমিদার বাড়িতে আমন্ত্রিত হতেন, তাদের মিষ্টিমুখও করানো হতো। পান-সুপারিরও আয়োজন থাকত। তবে তার মূল্য উদ্দেশ্য ছিল খাজনা আদায়।

গ.        রামদাসবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে উলিস্নখিত বাংলা নববর্ষের হালখাতা অনুষ্ঠানটি পালন করেন।

            পয়লা বৈশাখের দ্বিতীয় বৃহৎ অনুষ্ঠান ছিল হালখাতা। এই অনুষ্ঠানটি করতেন ব্যবসায়ীরা। পয়লা বৈশাখে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ব্যবসায়ীরা তাদের পাওনা আদায় করে নিত। কৃষকরা সারাবছর বাকিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনত। পয়লা বৈশাখে হালখাতার দিনে কৃষকরা দোকানিদের বাকির টাকা মিটিয়ে দিতেন। উদ্দীপকে এ বিষয়ের ইঙ্গিত রয়েছে।

            উদ্দীপকে রামদাস বাকি আদায় করার জন্য সাত দিন পর্যন্ত হালখাতা চালু রাখেন। কারণ, ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা যারা তার দোকান থেকে মাল নিয়ে বিক্রি করে তারাও নিজস্ব দোকানে পয়লা বৈশাখে হালখাতার আয়োজন করে। তিনি হালখাতায় সংগৃহীত টাকা নিয়ে রামদাসের দোকানে হালখাতা করতে আসেন। আর যারা সরাসরি তার দোকান থেকে খুচরা কেনেন তারা যদি কোনো কারণে ঐ দিন পরিশোধ করতে না পারেন তার পরদিন করেন।

            তাই বলা যায়, রামদাস নববর্ষের হালখাতা অনুষ্ঠানটি পালন করেন।

ঘ.        হালখাতা অনুষ্ঠানটিই বাংলা নববর্ষে আয়োজিত একমাত্র অনুষ্ঠান নয়।

            বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, জমিদার ও নবাবেরা নববর্ষে পুণ্যাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। নববর্ষে হালখাতা, বৈশাখী মেলা, ঘোড়দৌড় এবং বিভিন্ন লোকমেলার আয়োজন করা হয়। বাঙালির গৃহিণীরাও আমানিসহ নানা ব্রত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বছরের প্রথম দিনটি উদ্যাপন করে।

            উদ্দীপকে রামদাস পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু করে সাত দিন পর্যন্ত দোকানে একটি অনুষ্ঠান করেন। এ অনুষ্ঠানের সময় তিনি ক্রেতাদের নিমন্ত্রণ করেন এবং রং-বেরঙের কাগজ দিয়ে দোকান সাজান। ক্রেতারা দোকানে উপস্থিত হয়ে বকেয়া পরিশোধ করেন এবং মিষ্টিমুখ করেন। এ অনুষ্ঠানটি বাংলা নববর্ষের হালখাতা অনুষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এ অনুষ্ঠানটি ছাড়াও নববর্ষে আরও অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যা আলোচ্য প্রবন্ধে উলেস্নখ করা হয়েছে।

            উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, হালখাতা অনুষ্ঠানটি বাংলা নববর্ষে আয়োজিত একমাত্র অনুষ্ঠান নয়।

সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন-১০বাংলা নববর্ষ সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাহাত স্যার বলেন, নববর্ষ বাঙালির জীবনের এক আনন্দ উৎসবের দিন। ঐ দিন সর্ব¯ত্মরের মানুষ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আনন্দ উৎসব করে থাকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এ নববর্ষ উৎসব পালন করতেও বাঙালিকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু বাঙালিরা সাহসী জাতি হিসেবে সকল বাধা উপেক্ষা করে নববর্ষ উৎসব পালন করেছে।

ক.       নববর্ষ উৎসব কখন পালিত হয়?        ১

খ.        শুভ নববর্ষ কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।       ২

গ.        উদ্দীপকের সঙ্গেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের কোন অংশটির সাদৃশ্য রয়েছে? নির্ণয় কর।           ৩

ঘ.        উদ্দীপকেবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ফুটে উঠেছেÑ উক্তিটি বিশেস্নষণ কর।      ৪

প্রশ্ন-১১  কালাম পহেলা বৈশাখে তাদের স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত মেলায় যায়। মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় ওঠে। বাউল গান শুনে সে মুগ্ধ হয়। নানা রকম মিষ্টি দ্রব্য কেনে মেলা থেকে। ছোট বোনের জন্য অনেক রকম খেলনা নিয়ে বাড়ি ফেরে কালাম। মেলা যেন তার কাছে মানুষের মিলনমেলা।

ক.       ১৯৫৪ সালে কোথায় সাধারণ নির্বাচন হয়?    ১

খ.        লোকজ সংস্কৃতি বলতে কী বোঝ?      ২

গ.        বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে বর্ণিত বৈশাখী মেলার সঙ্গে কালামের দেখা মেলার সাদৃশ্য বর্ণনা কর।           ৩

ঘ.        মেলা যেন মানুষের মিলনমেলা,বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের আলোকে বিশেস্নষণ কর।  

অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর

জ্ঞানমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥আধুনিক ফোকলোর চিন্তা গ্রন্থটির লেখক কে?

উত্তর :আধুনিক ফোকলোর চিন্তা গ্রন্থটির লেখক শামসুজ্জামান খান।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ শামসুজ্জামান খান কত সালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন?

উত্তর : শামসুজ্জামান খান ২০০৯ সালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ শামসুজ্জামান খান কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন?

উত্তর : শামসুজ্জামান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কার সরকার বাংলা নববর্ষে ছুটি ঘোষণা করে?

উত্তর : শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের সরকার বাংলা নববর্ষে ছুটি ঘোষণা করে।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ কোনটি আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব?

উত্তর : বাংলা নববর্ষ আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ পাকি¯ত্মান আমলে কাদেরকে নববর্ষ উৎসব পালন করতে দেওয়া হয়নি?

উত্তর : পাকি¯ত্মান আমলে পূর্ববাংলার বাঙালিদেরকে নববর্ষ উৎসব পালন করতে দেওয়া হয়নি।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ রাজধানী ঢাকার নববর্ষ উৎসবের দ্বিতীয় প্রধান আকর্ষণ কী?

উত্তর : রাজধানী ঢাকার নববর্ষ উৎসবের দ্বিতীয় প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্রছাত্রীদের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ সম্রাট আকবর কোন কোন সনের সমন্বয় সাধন করে বাংলা সন চালু করেন?

উত্তর : সম্রাট আকবর চান্দ্র হিজরি সনের সঙ্গে ভারতবর্ষের সৌর সনের সমন্বয় সাধন করে বাংলা সন চালু করেন।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ বাংলা সন চালু হওয়ার পর নববর্ষ উদ্যাপনের সাথে সাথে নবাব ও জমিদাররা আর কী অনুষ্ঠান চালু করেন?

উত্তর : বাংলা সন চালু হওয়ার পর নববর্ষ উদ্যাপনের সঙ্গে সঙ্গে নবাব ও জমিদাররা পুণ্যাহ অনুষ্ঠান চালু করেন।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ পুণ্যাহ অনুষ্ঠান পালন করার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?

উত্তর : পুণ্যাহ অনুষ্ঠান পালন করার মূল্য উদ্দেশ্য ছিল খাজনা আদায়।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ চট্টগ্রামে প্রচলিত বলী খেলার প্রবর্তন কে করেন?

উত্তর : চট্টগ্রামে প্রচলিত বলী খেলার প্রবর্তন করেন আবদুল জব্বার নামের এক ব্যক্তি।

অনুধাবনমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ধুমধামের সঙ্গে আমরা নববর্ষ উৎসব উদ্যাপন করি কেন?

উত্তর : আমাদের জাতীয় উৎসব হিসেবে ধুমধামের সঙ্গে আমরা নববর্ষ উৎসব উদ্যাপন করি।

পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষ বাঙালির উৎসব। নববর্ষ শুধু আনন্দ-উৎসবই নয় সবার জন্য কল্যাণ কামনারও দিন। সবার সুখ শান্তি, সমৃদ্ধি এবং কল্যাণের প্রত্যাশা দিয়ে ধুমধামের সঙ্গে আমরা নববর্ষ উৎসব উদ্যাপন করি।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ “সে বক্তব্য ছিল বাঙালির সংস্কৃতির ওপর এক চরম আঘাত- কেন?

উত্তর : বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনকে পাকি¯ত্মানি আদর্শের পরিপন্থী-বক্তব্যটি বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আঘাতস্বরূপ ছিল।

বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষকে পাকিস্তান আমলে পালন করতে দেওয়া হতো না তা বাঙালি সংস্কৃতির ওপর চরম আঘাতস্বরূপ ছিল। বাংলাদেশে গভীর ভালোবাসা ও প্রাণের আবেগে পালন করা হয় বাংলা নববর্ষ উৎসব। তবে পাকি¯ত্মান আমলে এটি মুসলমানের উৎসব নয় বলে বাঙালিকে এ উৎসব পালন করতে দেওয়া হতো না। যা ছিল বাঙালি সংস্কৃতির ওপর চরম আঘাত।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বৈসাবী উৎসব কাকে বলে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : নতুন বছরের আগমনে উপজাতিরা বৈসুব, সাংগ্রাই ও বিজু এ তিনটি উৎসবকে একত্র করে যে উৎসব করে তাকে বৈসাবী উৎসব বলে।

পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত উপজাতিরাও নববর্ষের উৎসব পালন করে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় নববর্ষের উৎসব নানা আনন্দময় ক্রীড়া-কৌতুকের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কেননা পাহাড়ি উপজাতিদের প্রধান তিনটি অনুষ্ঠান বৈসুব, সাংগ্রাই ও বিজু। এ তিনটি অনুষ্ঠানকে একত্রিত করে তারা একটি উৎসব করে যার নাম দিয়েছে বৈসাবী। বৈসুব, সাংগ্রাই, বিজু – এর প্রথম তিনটি বর্ণের সমাহার বৈসাবী।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ছায়ানটের নববর্ষ উদ্যাপন দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে কীভাবে?

উত্তর : ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর রমনার পাকুড়মূলেছায়ানট আয়োজন করে আসছে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উৎসব, যা এখন দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় অনুষ্ঠান।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট সূচনালগ্ন থেকেই সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিরতিহীনভাবে নববর্ষ পালন করে আসছে। আর জনগণের বিপুল আগ্রহ, উদ্দীপনাময় অংশগ্রহণে দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে ছায়ানটের এ নববর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বাংলা বছরকেসন বাসাল বলে উলেস্নখ করা হয় কেন?

উত্তর : মুগল সম্রাট আকবর যে সর্বভারতীয় ইলাহি সন প্রবর্তন করেছিলেন, তার ভিত্তিতে বাংলায় তার কোনো প্রতিনিধি বা মুসলমান সুলতান বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। সে কারণেই বাংলা বছরকেসন বাসাল বলা হয়।

অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও প-িতের ধারণা মুগল সম্রাট আকবর চান্দ্র হিজরি সনের সঙ্গে ভারতবর্ষের সৌর সনের সমন্বয় সাধন করেন এবং ১৫৫৬ সাল বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন চালু করেন।সন কথাটি আরবি আরসাল হলো ফারসি। বর্তমানে সন এবং সাল দুটোই প্রচলিত।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১.         বাংলা সন চালু করা হয় কোন সালে?

            > ১৫৫৬          খ ১৫৬১          গ ১৯৫৪          ঘ ১৯৬৭

২.        সাল কথাটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?        

            ক আরবি         খ বাংলা           > ফারসি          ঘ উর্দু

৩.        বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতিসত্তার সঙ্গে যুক্ত, কারণÑ

            র. এ উৎসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ

            রর. এ সময় আমরা নতুন কাপড় পরে আনন্দ করি

            ররর. এটি প্রতিবাদ প্রতিরোধের মাধ্যমে অর্জিত 

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র       খ র ও রর        গ র ও ররর     ঘ রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

টুটুল টেলিভিশনে মধ্যযুগের নববর্ষের অনুষ্ঠানের কিছু অংশ দেখছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে ধনী-গরিব সবাই জামাকাপড় পরে জমিদার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাচ্ছে। সেখানে তারা খাওয়া দাওয়া শেষে জমিদারকে খুশি মনে জমির খাজনা পরিশোধ করে ফিরে আসছে।

৪.        টুটুলের দেখা অনুষ্ঠানটিকে কী বলা হয়?

            ক হালখাতা     > পুণ্যাহ           গ বৈসাবী        ঘ নবান্ন

৫.        এ ধরনের অনুষ্ঠানের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল কোনটি?

            > অর্থনৈতিক   খ রাজনৈতিক

            গ সামাজিক                ঘ ধর্মীয়

নির্বাচিত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬.        আমাদের নববর্ষ উৎসব ভাষা আন্দোলনের পর নতুন গুরুত্ব ও তাৎপর্য লাভ করেছে কেন?

            ক পশ্চিমারা বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করেনি বলে

            খ পাকি¯ত্মানিরা বাংলা ভাষাকে ঘৃণা করে

            > নববর্ষের অনুষ্ঠানটি বাঙালি চেতনার উৎস বলে

            ঘ নববর্ষ বাঙালির এক ঐতিহাসিক দিবস বলে

৭.        হালখাতা ওপুণ্যাহ অনুষ্ঠানের মধ্যে সাদৃশ্য কীসে?

            ক উদ্যাপনে                খ আড়ম্বরতায়

            গ আপ্যায়নে               > উদ্দেশ্য সাধনে

৮.        নেকমরদের মেলা কোন জেলায় অনুষ্ঠিত হয়?

            ক চট্টগ্রাম                   খ কক্সবাজার  

            গ রংপুর                      > ঠাকুরগাঁ

৯.        নববর্ষের প্রধান সর্বজনীন উৎসব কয়টি?

            > একটি            খ দুইটি            গ তিনটি          ঘ চারটি

১০.      পাকি¯ত্মান আমলে বেসরকারিভাবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপিত হয়েছে-

            র. প্রবল আগ্রহের সাথে

            রর. গভীরতর উৎসাহ-উদ্দীপনায়

            ররর. কল্যাণ কামনায়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র     খ রর   গ রর ও ররর   > র ও রর

১১.       গ্রামবাংলায় নববর্ষের মোরগ লড়াই কোথায় হতো?

            ক নড়াইলে                  খ কিশোরগঞ্জ

            গ নেত্রকোনায়            > ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

১২.      মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণÑ

            ক চারুকর্ম প্রদর্শন      খ লোক সমাগম

            > সমকালীন চেতনা    ঘ আনন্দ প্রকাশ

১৩.     সন কথাটি কোন ভাষার?

            ক বাংলা          খ ফারসি         গ উর্দু  > আরবি

১৪.      বাংলা সন গণনা প্রথম চালু করেন কে?

            > সম্রাট আকবর                      খ সম্রাট বাবর

            গ সম্রাট জাহাঙ্গীর       ঘ সম্রাট হুমায়ুন

১৫.      বাংলা নববর্ষে প্রথম ছুটির প্রচলন হয় কত সালে?

            ক ১৯৫২         খ ১৯৫৩          > ১৯৫৪           ঘ ১৯৫৫

১৬.      বৈশাখী মেলা কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

            ক এটি জমিদারদের অনুষ্ঠান খ এটি বর্ণিল অনুষ্ঠান

            গ এটি ব্যবসায়ীদের অনুষ্ঠান  > এটি জাতি, বর্ণ, ধর্ম সকলের অনুষ্ঠান

১৭.      হালখাতা অনুষ্ঠানের আড়ম্বরপূর্ণ উদ্যাপন কমে যাওয়ার কারণ কী?

            > মানুষের সচ্ছলতা                 খ ব্যবসায়িক মন্দা

            গ ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহ                     ঘ বকেয়া অনাদায়

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

            লেখক-পরিচিতি

১৮.      শামসুজ্জামান খান কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)

            > মানিকগঞ্জ    খ কিশোরগঞ্জ গ সিরাজগঞ্জ  ঘ নারায়ণগঞ্জ

১৯.      শামসুজ্জামান খান কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?      (জ্ঞান)

            > ১৯৪০            খ ১৯৪২          গ ১৯৫০          ঘ ১৯৬২

২০.      শামসুজ্জামান কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন?     (জ্ঞান)

            > ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়    খ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

            গ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়        ঘ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

২১.      মাটি থেকে মহীরুহ গ্রন্থটি কার লেখা?           (জ্ঞান)

            > শামসুজ্জামান খানের          খ হাশেম খানের

            গ যতীন সরকারের     ঘ খাইরুল আলম সবুজের

২২.     গণসংগীত গ্রন্থটির লেখক কে?          (জ্ঞান)

            > শামসুজ্জামান খান  খ আবুল মনসুর আহমদ

            গ কাজী নজরুল ইসলাম        ঘ সৈয়দ আলী আহসান

২৩.     লোভী ব্রাহ্মণ ও তেনালীরাম কী ধরনের গ্রন্থ?            (জ্ঞান)

            > শিশু সাহিত্য খ গবেষণাধর্মী

            গ নাটক                      ঘ কাব্য-উপন্যাস

২৪.      দুনিয়া মাতানো বিশ্বকাপ গ্রন্থটি কার লেখা?   (জ্ঞান)

            ক মনিরুজ্জামানের   > শামসুজ্জামান খানের

            গ বেগম রোকেয়ার     ঘ সেলিনা হোসেনের

২৫.     আধুনিক ফোকলোর চিšত্মা কার লেখা?        (জ্ঞান)

            ক ড. আশরাফ সিদ্দিকীর      খ ড. আহমদ শরীফের

            > শামসুজ্জামান খানের          ঘ ড. সাইফুল ইসলামের

            মূলপাঠ

২৬.     বাঙালির নববর্ষ উৎসব বৈশাখের কত তারিখে পালিত হয়?  (জ্ঞান)

            > পয়লা তারিখে           খ দ্বিতীয় তারিখে

            গ পনেরো তারিখে      ঘ পঁচিশ তারিখে

২৭.      নববর্ষের দিন আমরা একে অন্যকে কী বলে শুভেচ্ছা জানাই          (জ্ঞান)

            ক শুভ কামনার বর্ষ    খ শুভ বর্ষ

            গ শুভ প্রেরণার বর্ষ     > শুভ নববর্ষ

২৮.     আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব কোনটি?       (জ্ঞান)

            ক স্বাধীনতা উৎসব      খ নবান্ন উৎসব

            > বাংলা নববর্ষ ঘ বিজয় উৎসব

২৯.     কোন আমলে বাংলার মানুষকে নববর্ষ উৎসব পালন করতে দেওয়া হতো না?        (জ্ঞান)

            ক ব্রিটিশ         > পাকি¯ত্মান   গ মোগল         ঘ সুলতানি

৩০.     কত সালে পূর্ব বাংলার সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের সরকার গঠিত হয়?     (জ্ঞান)

            > ১৯৫৪           খ ১৯৬৭          গ ১৯৬৭          ঘ ১৯৭০

৩১.      কে প্রথম বাংলা নববর্ষে ছুটি ঘোষণা করেন? (জ্ঞান)

            ক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ         খ শহীদ সোহরাওয়ার্দী

            > এ. কে. ফজলুল হক ঘ মওলানা ভাসানী

৩২.     কত সাল থেকে রমনার পাকুড়মূলে ছায়ানট নববর্ষের উৎসব শুরু করে?   (জ্ঞান)

                        ক ১৯৬১          খ ১৯৬২          গ ১৯৬৫         > ১৯৬৭

৩৩.     মোগল সম্রাট আকবর চান্দ্র হিজরি সনের সঙ্গে ভারতবর্ষের কোন সনের সমন্বয় সাধন করে বাংলা সন চালু করেন?    (জ্ঞান)

            ক ইংরেজি সন            খ গণনা সন    

            > সৌর সন       ঘ ইলাহি সন

৩৪.     প্রজারা কখন জমিদার বাড়িতে আমন্ত্রিত হতেন?      (জ্ঞান)

            ক দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে           খ পয়লা ফাল্গুনে

            গ ঈদের দিনে > পয়লা বৈশাখে

৩৫.     প্রজাদের নববর্ষে জমিদার কর্তৃক আমন্ত্রিত হওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?   (জ্ঞান)

            > খাজনা আদায়           খ বিচার শালিস মিটানো

            গ আনন্দ উপভোগ     ঘ দান খয়রাত করা

৩৬.     পয়লা বৈশাখের দ্বিতীয় বৃহৎ অনুষ্ঠানটি কী ছিল?      (জ্ঞান)

            ক মিষ্টিমুখ      > হালখাতা

            গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘ খেলাধুলা

৩৭.     কোন অনুষ্ঠানে কৃষকরা দোকানিদের বাকির টাকা মিটিয়ে দিতেন? (জ্ঞান)

            ক পুণ্যাহ অনুষ্ঠানে     > হালখাতা অনুষ্ঠানে

            গ মেলার অনুষ্ঠানে     ঘ নবান্ন অনুষ্ঠানে

৩৮.     কোন অনুষ্ঠানে গ্রাহক খরিদ্দারদের মিষ্টিমুখ করানো হতো?            (জ্ঞান)

            ক পুণ্যাহ অনুষ্ঠানে     খ নবান্ন অনুষ্ঠানে

            > হালখাতা অনুষ্ঠানে   ঘ ঈদ অনুষ্ঠানে

৩৯.     প্রাচীনকালে মহামুনির বুদ্ধপূর্ণিমা মেলা কোথায় অনুষ্ঠিত হতো?     (জ্ঞান)

            ক সিলেটে       খ কুমিলস্নায়   > চট্টগ্রামে        ঘ রাজশাহী

৪০.      বলী খেলা কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?         (জ্ঞান)

            ক রাজশাহীর পুঠিয়ায় > চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে

            গ ঢাকার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে            ঘ কুষ্টিয়ার শিলাইদহে

৪১.      কোন সাল থেকে বলী খেলার প্রচলন শুরু হয়?         (জ্ঞান)

            ক ১৯০৭          > ১৯০৯            গ ১৯১০           ঘ ১৯১২

৪২.      কে বলী খেলা প্রবর্তন করেন?            (জ্ঞান)

            ক আবদুল হাকিম       খ আবদুল করিম

            > আবদুল জব্বার        ঘ আবদুল হাসেম

৪৩.     নববর্ষের প্রাচীন আঞ্চলিক মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হচ্ছে?            (জ্ঞান)

            > আমানি         খ কালী

            গ বৈশাখী মেলা          ঘ কাবাডি খেলা

৪৪.      বৈসাবী উৎসব বাংলাদেশের কোন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়?   (জ্ঞান)

            ক সিলেটে                   খ রাঙামাটিতে

            > পার্বত্য চট্টগ্রামে        ঘ খুলনায়

৪৫.     নববর্ষ উপলড়্গে মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে কোন খেলা অনুষ্ঠিত হতো?        (জ্ঞান)

            ক ঘোড়দৌড়              খ মোরগ লড়াই          

            > গরুর দৌড়   ঘ ষাঁড়ের লড়াই

৪৬.     কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও নড়াইলের কোন খেলা অনুষ্ঠিত হতো?   (জ্ঞান)

            > ষাঁড়ের লড়াই            খ মোরগ লড়াই

            গ ঘোড়দৌড়               ঘ গরুর দৌড়

৪৭.      আধুনিককালে নব আঙ্গিকে বর্ষবরণ উৎসবের সূচনা হয় কার উদ্যোগে?    (জ্ঞান)

            > রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে           

            খ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে

            গ চিত্তরঞ্জন দাশের উদ্যোগে

            ঘ বিহারিলাল চক্রবর্তীর উদ্যোগে

৪৮.     আমাদের নববর্ষ উৎসব কখন থেকে নতুনভাবে গুরুত্ব ও তাৎপর্য লাভ করে?       (জ্ঞান)

            ক বঙ্গভঙ্গের পর থেকে

            > ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকে

            গ ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে

            ঘ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে

৪৯.      নববর্ষে কোথায় বৈশাখী ও কারুপণ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়?      (জ্ঞান)

            ক কলা ভবনে খ শিল্পকলা একাডেমিতে

            গ কার্জন হলে > বাংলা একাডেমিতে

৫০.     পাকি¯ত্মান আমলে পূর্ববাংলার বাঙালিদের নববর্ষ পালন নিষেধ ছিল কেন?           (অনুধাবন)

            ক ভিনদেশি সংস্কৃতি মনে করে         

            > পাকি¯ত্মানি আদর্শের পরিপন্থী বলে

            গ ইসলামি আদর্শের পরিপন্থী বলে   

            ঘ হিন্দুদের সংস্কৃতি মনে করে

৫১.      ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল বাঙালি প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল কেন? (অনুধাবন)

            ক শান্তিপূর্ণভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করতে দেওয়ার কারণে

            খ পয়লা ফাল্গুন উদ্যাপনে বাধা দেওয়ার কারণে

            গ বৈশাখী মেলা করতে বাধা দেওয়ার কারণে

            > নববর্ষে ছুটি ঘোষণা না করার কারণে

৫২.     এ. কে. ফজলুল হকের বিজয় ও সরকার গঠনকে বাঙালির এক তাৎপর্যপূর্ণ বিজয়ের দিন বলা হয় কেন?  (অনুধাবন)

            > ফজলুল হক সরকার প্রথম বাংলা নববর্ষে ছুটি ঘোষণা করেন

            খ ফজলুল হক সরকার প্রথম বাঙালিকে সঠিক মর্যাদা দান করেন

            গ ফজলুল হক সরকার প্রথম বাঙালি হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন

            ঘ ফজলুল হক সরকার বাঙালির দাবির দিকে লক্ষ করেন

৫৩.     নববর্ষে প্রজাদের জমিদার বাড়িতে নিমন্ত্রিত হওয়ার অনুষ্ঠান এখন লুপ্ত হয়েছে কেন?       (অনুধাবন)

            ক দেশের সম্পদ কমে যাওয়ার কারণে

            খ জমিদারের উপাধি বদলে যাওয়ার কারণে

            গ প্রজাপ্রথা উচ্ছেদ হওয়ার কারণে

            > জমিদার প্রথা লুপ্ত হওয়ার কারণে

৫৪.     পান-সুপারি কোন অনুষ্ঠানের অনুষঙ্গ?        (জ্ঞান)

            ক হালখাতা     > পুণ্যাহ           গ বৈসাবী        ঘ আমানি

৫৫.     কৃষকেরা সারা বছর বাকিতে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনত কেন?        (অনুধাবন)

            ক তাদের অর্থের অভাব চাহিদার তুলনায় বেশি ছিল বলে

            খ জমিদাররা বাকি নিতে উৎসাহিত করত বলে

            > ফসল বিক্রি ছাড়া নগদ টাকা পাওয়া অসম্ভব ছিল বলে

            ঘ সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হতো বলে

৫৬.     মুনাদের এলাকায় বাংলা বছরের প্রথম দিনে মেলা, গান, নাটক, খেলা ইত্যাদি অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এ 

            অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় কোন উৎসব?           (প্রয়োগ)

            > নববর্ষ উৎসব           খ হালখাতা উৎসব

            গ আমানি উৎসব       ঘ বিজু উৎসব

৫৭.     পাকি¯ত্মান সরকার পূর্ববাংলার প্রাণের উৎসব নববর্ষ পালন করতে বাধা দেয়। তাদের এ কর্মকা- বাংলার

              ওপর কী প্রভাব ফেলে?        (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক বাঙালির আত¥সম্মানে আঘাত

            খ বাঙালির চেতনার ওপর আঘাত

            গ বাঙালি জাতির রাজনীতির ওপর আঘাত

            > বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আঘাত

৫৮.     বহু বছরের পুরাতন একটি সিনেমায় সুমি দেখল বছরের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান রঙিন

            কাগজে সাজিয়ে গ্রাহক ও খরিদ্দারদের মিষ্টিমুখ করাচ্ছে। এ ঘটনাটি বাংলা নববর্ষ রচনার কোন  

           অনুষ্ঠানটির ইঙ্গিত প্রদান করে?          (প্রয়োগ)

            ক পুণ্যাহ         খ আমানি        > হালখাতা       ঘ বৈসুব

৫৯.     আমানি উৎসব কারা পালন করে?     (জ্ঞান)

            ক ব্যবসায়ীরা  খ ধনীরা

            গ জমিদাররা               > কৃষকরা

৬০.     সে মেলা এখনো বসে, তবে আগের সেই জৌলুস নেইÑ বাক্যটি এখানে কোন অর্থ প্রকাশ করছে?            (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক মানুষের চাহিদা পূরণে        খ মানুষের রুচির পরিবর্তন

            > যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ        ঘ সাংস্কৃতিক আগ্রাসন

৬১.      পুণ্যাহ অনুষ্ঠান হারিয়ে যাওয়ার কারণ কী বলে তুমি মনে কর?

                        (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক মানুষের রুচির পরিবর্তন    খ সাংস্কৃতিক বিবর্তন

            > নবাবি ও জমিদারি প্রথার বিলুপ্ত       ঘ জমিদারদের অনীহা

৬২.     বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে উলিস্নখিত কোন কোন অনুষ্ঠানগুলো লুপ্তের পথে?    (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক শোভাযাত্রা, বলীখেলা        

            > পুণ্যাহ, হালখাতা, আমানি

            গ বুদ্ধপূর্ণিমার মেলা, যাত্রা

                        ঘ বৈশাখী মেলা, হালখাতা

৬৩.     মুঘল সম্রাট বাংলা সন চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন কী কারণে?         (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে

            খ খ্রিষ্টীয় সনের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য

            গ সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটানোর জন্য

            > হিজরি সনের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য

৬৪.     পাকি¯ত্মানি শাসকগোষ্ঠী কেন সরকারিভাবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপিত হতে দেয়নি? (অনুধাবন)

            > বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে বলে

            খ বাঙালিরা তাদের সামগ্রিক অধিকার ফিরে পাবে বলে

            গ শাসকরা বাঙালিদের আর শোষণ করতে পারবে না বলে

            ঘ বাঙালিদের সাহস বেড়ে যাবে বলে

৬৫.     ছায়ানট কেন বেসরকারিভাবে নববর্ষ পালনের উদ্যোগ নেয়?          (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক দায়িত্ব পেয়েছিল বলে       

            খ রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত বলে

            গ পাকি¯ত্মান সরকার উৎসাহ দিয়েছিল বলে

            > সরকারিভাবে উদ্যাপিত হয়নি বলে

৬৬.    পাকি¯ত্মান সরকার কর্তৃক নববর্ষ পালনে বাধা ও এ দিনে ছুটি ঘোষণা না করার ফলাফল কী ছিল?            (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক পূর্ববাংলার জনগণ কর্তৃক ৬ দফা দাবি পেশ

            > পূর্ববাংলার জনগণের কঠোর প্রতিবাদ ও আন্দোলন

            গ পূর্ববাংলার জনগণের অনশন ধর্মঘট

            ঘ পূর্ববাংলার জনগণ কর্তৃক প্রবল যুদ্ধ

৬৭.     বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের লেখকের নাম কী?      (জ্ঞান)

            > শামসুজ্জামান খান  খ আনিসুজ্জামান

            গ মনিরুজ্জামান        ঘ আসাদুজ্জামান

৬৮.     বাংলা সনের প্রথম মাসের নাম কী?   [ভি. জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা]

            ক চৈত্র            > বৈশাখ           গ ফাল্গুন      ঘ আষাঢ়

৬৯.     শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক ১৯৫৪ সালের পূর্ববাংলা যুক্তফ্রন্ট সরকারের কী ছিলেন?

            > মুখ্যমন্ত্রী        খ অর্থমন্ত্রী

            গ প্রতিমন্ত্রী      ঘ কৃষিমন্ত্রী

৭০.      নববর্ষের জন্য নেকমরদের মেলা কোন জেলায় অনুষ্ঠিত হতো?

                        [ধানমন্ডি সরকারি বয়েজ স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]

            ক মুন্সীগঞ্জ জেলায়    খ ফরিদপুর জেলায়

            > ঠাকুরগাঁও জেলায়     ঘ কুমিলস্না জেলায়

৭১.      পুণ্যাহ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?       [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুল, সিলেট]

            ক ফসল আদায়          > খাজনা আদায়

            গ হিসাব আদায়          ঘ সম্পত্তি আদায়

শব্দার্থ টীকা

৭২.      ছায়ানট কী?    (জ্ঞান)

            > বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার প্রতিষ্ঠান         খ বাংলার ইতিহাস চর্চার প্রতিষ্ঠান

            গ রাজনীতি সম্পর্কিত বই      ঘ ইতিহাস সম্পর্কিত বই

৭৩.     পুণ্যের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানকে কী বলে?          (জ্ঞান)

            ক পুণ্য > পুণ্যাহ           গ মঙ্গলীয়       ঘ আমানি

৭৪.      জিম ও রাব্বি দুজন পালা করে একে অন্যের যুুক্তি খ-ন করে গান গায়। গানের এই বিশেষ ধারাটি কী?      (প্রয়োগ)

            ক গম্ভীরা         > কবিগান        গ পাঁচালী        ঘ কীর্তন

৭৫.     প্রাচীন বাংলার দৃশ্যকাব্যকে কী বলে?            (জ্ঞান)

            ক কীর্তন         > যাত্রা  গ সিনেমা        ঘ নাটক

পাঠপরিচিতি

৭৬.     বাংলা নববর্ষ পাঠটির তাৎপর্য কী?     (উচ্চতর দক্ষতা)

            > বাঙালি জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ

            খ বাঙালি জাতির সঙ্গে পাকি¯ত্মানিদের সম্পর্কে ধারণা লাভ

            গ বাঙালি জাতির সঙ্গে জমিদারদের সম্পর্কে ধারণা লাভ

            ঘ বাংলার সাধারণ মানুষের কার্যাবলি সম্পর্কে ধারণা লাভ

৭৭.      বৈসাবী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নববর্ষ উদ্যাপন করে কারা?       (জ্ঞান)

            ক রাখাইন সম্প্রদায়    খ হিন্দু সম্প্রদায়

            গ বৌদ্ধ সম্প্রদায়        > পাহাড়ি অবাঙালি জনগোষ্ঠী

৭৮.     পুণ্যাহ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করতেন কারা?           (জ্ঞান)

            ক সুলতান ও নবাবরা  খ মোগল সম্রাট ও রাজপুতরা

            > নবাব ও জমিদাররা   ঘ জমিদার ও তার নায়েবরা

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

লেখক-পরিচিতি

৭৯.      শামসুজ্জামান খান রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ হলো-   (অনুধাবন)

            র. নানা প্রসঙ্গ রর. মুক্তবুদ্ধি

            ররর. ঢাকাই রঙ্গরসিকতা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮০.     শামসুজ্জামান খান তার বিপুল কর্মজগতের স্বীকৃতিস্বরূপ যে পুরস্কার পান-           (অনুধাবন)

            র. অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার

            রর. কালুশাহ পুরস্কার

            ররর. দেওয়ান মোর্তজা পুরস্কার

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   > র, রর ও ররর

৮১.      শামসুজ্জামান খান   (অনুধাবন)

            র. লেখক        রর. গবেষক

            ররর. ফোকলোরবিদ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   > র, রর ও ররর

৮২.     পাকি¯ত্মান সরকার বাঙালির নববর্ষ পালনের বিশেষ দিনে ছুটির দাবি প্রত্যাখ্যান করে। সরকারের এ

           আচরণের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ ঘটে-  (প্রয়োগ)

            র. স্বৈরাচারী মনোবৃত্তির          রর. প্রতিবাদী মনোবৃত্তির

            ররর. বাঙালির আদর্শের পরিপন্থী

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       > র ও ররর       গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮৩.     বাংলাদেশে নববর্ষ প্রাণের আবেগ ও ভালোবাসায় উদ্যাপিত হয় যে জন্য-  (অনুধাবন)

            র.        পাকি¯ত্মান আমলে পূর্ব বাংলার বাঙালিকে এ উৎসব করতে দেওয়া হয়নি বলে

            রর. এ উৎসব বাঙালি সত্তার সঙ্গে একত্রিত হয় বলে

            ররর. এ উৎসব সকল বাঙালির কাছে অতি প্রিয় বলে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   > র, রর ও ররর

৮৪.     এ. কে. ফজলুল হক সরকারের বাংলা নববর্ষে ঘোষিত ছুটি বেশি দিন স্থায়িত্ব অর্জনে ব্যর্থ হয়-            (অনুধাবন)

            র. যুক্তফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার কারণে

            রর. পাকি¯ত্মান সরকার কর্তৃক সামরিক শাসন জারির কারণে

            ররর. বিভিন্ন আন্দোলনের কারণে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮৫.     নববর্ষে চারুকলার ছাত্রছাত্রীদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি সকলের কাছে আকর্ষণীয়-  (অনুধাবন)

            র.        এ শোভাযাত্রার মুখোশ ও কার্টুন বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীকধর্মী চিত্র বহন করে বলে

            রর.      এ শোভাযাত্রার মুখোশ ও কার্টুনে সমকালীন সমাজ ও রাজনীতির সমালোচনা থাকে বলে

            ররর. এ শোভাযাত্রার মুখোশ ও কার্টুনে বিভিন্ন ¯েস্নাগান থাকে বলে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮৬.     হালখাতা এখন আর আগের মতো সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হয় না যে কারণে-    (অনুধাবন)

            র. মানুষের কাছে এখন নগদ টাকা থাকে বলে

            রর. বাকিতে বেচাকেনা এখন আর পূর্বের মতো ব্যাপক আকারে হয় না বলে

            ররর. হালখাতা উৎসবে এখন লোক সমাগম এত হয় না বলে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮৭.     পূর্বে নববর্ষে আমানি নামে প্রাচীন আঞ্চলিক মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হতো-       (অনুধাবন)

            র. পরিবারের সকলের কল্যাণ হবে এ বিশ্বাসের কারণে

            রর. নতুন বছরে সুখ ও শান্তি হবে এ বিশ্বাসের কারণে

            ররর. পরিবারে সমৃদ্ধি আসবে এ বিশ্বাসের কারণে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   > র, রর ও ররর

৮৮.     ১৯৫৪ সালে পূর্ব-বাংলার সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগ সরকারের পতনের ফলাফল হলো-            (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন

            রর. বাংলা নববর্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা

            ররর. বাঙালি জনগণের বিজয়ের সূচনা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   > র, রর ও ররর

শব্দার্থ টীকা

৮৯.     কীর্তন বলতে বোঝায়-           (অনুধাবন)

            র. গুণ বর্ণনা

            রর. সংকীর্তন

            ররর. দেবদেবীর মহিমা সংগীত

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   > র, রর ও ররর

পাঠ-পরিচিতি

৯০.      বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে যে বিষয় সম্পৃক্ত-    (অনুধাবন)

            র. বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস রর. বাংলা নববর্ষ

            ররর. ভারতীয় ইতিহাস

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৯১.      বাংলা নববর্ষ উৎসবকে সাধারণ মানুষ যেভাবে প্রাণে ধারণ করেছে-           (অনুধাবন)

            র. হালখাতা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে

            রর. বৈশাখী মেলার মাধ্যমে

            ররর. ঘোড়দৌড়ের মাধ্যমে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   > র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯২ ৯৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

পূজার মাসি চৈত্র মাসের শেষ দিনের সন্ধ্যা রাতে এক হাঁড়ি পানিতে স্বল্প পরিমাণ চাল দিয়ে সারারাত ভিজতে দেন এবং তার মধ্যে একটি কচি আমের পাতাযুক্ত ডাল বসিয়ে রাখেন। বৈশাখের সূর্য ওঠার আগে ঘর ঝাড়– দিয়ে ঐ পানি সারা ঘরে ছিটিয়ে দেন। পরে সেই ভেজা চাল সবাইকে খেতে দিয়ে আমের কচিপাতা হাঁড়ির পানিতে ভিজিয়ে সকলের গায়ে ছিটিয়ে দিতেন। তারা নববর্ষের দিন এ অনুষ্ঠানটি করতেন।

৯২.     পূজার মাসিবাংলা নববর্ষ প্রবন্ধে উলিস্নখিত কোন অনুষ্ঠানটি পালন করতেন?       (প্রয়োগ)

            ক হালখাতা অনুষ্ঠান   > আমানি অনুষ্ঠান

            গ বৈসাবী অনুষ্ঠান      ঘ বিজু অনুষ্ঠান

৯৩.     পূজার মাসি নববর্ষের দিন যেসব কাজ করতেন, এর প্রভাবে নতুন বছর-  (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. সুখের হবে  রর. শান্তিময় হবে

            ররর. সমৃদ্ধির হবে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   > র, রর ও ররর

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *