অষ্টম শ্রেনী- বাংলা ১ম পত্র পদ্যঃবাঙালির বাংলা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বাঙালির বাংলা
লেখক-পরিচিতি
নাম | কাজী নজরুল ইসলাম। |
জন্ম পরিচয় | জন্ম তারিখ : ২৪শে মে, ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ (১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ)। জন্মস্থান : বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রাম। |
পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় | পিতার নাম : কাজী ফকির আহমদ; মাতার নাম : জাহেদা খাতুন। |
শিক্ষাজীবন | প্রাথমিক শিক্ষা : গ্রামের মক্তব থেকে প্রাথমিক শিক্ষালাভ; মাধ্যমিক : প্রথমে রানীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুল, পরে মাথরুন উচ্চ ইংরেজি স্কুল, সর্বশেষ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। |
কর্মজীবন/পেশা | প্রথম জীবনে জীবিকার তাগিদে তিনি লেটো গানের দলে, রুটির দোকানে এবং সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। পরবর্তীতে পত্রিকা সম্পাদনা, গ্রামোফোন রেকর্ডের ব্যবসা ও সাহিত্য সাধন করেন। |
সাহিত্য সাধনা | কাব্যগ্রন্থ : অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ভাঙার গান, সাম্যবাদী, সর্বহারা, ফণিমনসা, জিঞ্জীর, সন্ধ্যা, প্রলয়শিখা, দোলনচাঁপা, ছায়ানট, সিন্ধু-হিন্দোল, চক্রবাক। উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা। গল্প : ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা, পদ্মগোখরা, জিনের বাদশা।নাটক : ঝিলিমিলি, আলেয়া, পুতুলের বিয়ে। প্রবন্ধগ্রন্থ : যুগ-বাণী, দুর্দিনের যাত্রী, রাজবন্দীর জবানবন্দী, ধূমকেতু। জীবনীগ্রন্থ : মরুভাস্কর [হযরত মুহম্মদ (স)-এর জীবনীগ্রন্থ] অনুবাদ : রুবাইয়াত-ই-হাফিজ, রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম। গানের সংকলন : বুলবুল, চোখের চাতক, চন্দ্রবিন্দু, নজরুলগীতি, সুরলিপি, গানের মালা, চিত্তনামা। সম্পাদিত পত্রিকা : ধূমকেতু, লাঙল, দৈনিক নবযুগ। |
পুরস্কার ও সম্মাননা | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত জগত্তারিণী স্বর্ণপদক এবং ভারত সরকার প্রদত্ত পদ্মভূষণ উপাধি লাভ। রবীন্দ্রভারতী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করে। তাছাড়া ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার কবিকে একুশে পদক প্রদান এবং জাতীয় কবির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে। |
জীবনাবসান | মৃত্যু তারিখ : ২৯শে আগস্ট, ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ; সমাধিস্থান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ। |
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা;
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা;
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা;
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি।
ক. সত্ত্বগুণের প্রধান শত্রু কোনটি?
খ. বাংলা সর্ব ঐশীশক্তির পীঠস্থানÑ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের যে দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উদ্দীপকের বক্তব্য বিষয় উপস্থাপনই কি কাজী নজরুল ইসলামের মূল লক্ষ্য? বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের আলোকে যুক্তি দাও।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সত্ত্বগুণের প্রধান শত্রু তমোগুণ।
খ. বাংলা সর্ব ঐশীশক্তির পীঠস্থা বলতে মুনি, ঋষি, যোগী, ফকির, দরবেশ, অলি, গাজিদের পীঠস্থান বোঝানো হয়েছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলায় লক্ষ লক্ষ যোগি, মুনি, ঋষি এসেছেন এবং তারা সব ভেদাভেদ ভুলে একত্রে বাস করেছেন। এই সোনার বাংলায়ই তাদের সমাধি তৈরি হয়েছে। এখানে রয়েছে সহস্র ফকির-দরবেশ অলি-গাজির পরম পবিত্র দরগা। এখানকার গ্রামে হয় আজানের সাথে সাথে শঙ্খঘণ্টার ধ্বনি। এখানে মূলত সব ধর্মের সহাবস্থানের কথা বলা হয়েছে।
গ. উদ্দীপকটি বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের আমাদের মাতৃভূমি যে পৃথিবীর স্বর্গ, নিত্য, সবৈশ্বর্যময়ী এবং ঐশী ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ সে দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বাংলার অপরূপ রূপের কথা ব্যক্ত করেছেন। জন্মভূমি বাংলা যেন পৃথিবীর স্বর্গ, নিত্য সর্বৈশ্বর্যময়ী, ঐশী ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ। বাংলার অন্তরে বাইরে যে ঐশ্বর্য পরমদাতা আমাদের দিয়েছেন তা অতুলনীয়। বাংলার আকাশ নিত্য প্রসন্ন, বাংলার বায়ুতে চিরবসন্ত ও শরতের নিত্য মাধুর্য ও শ্রী। বাংলার জল নিত্য প্রাচুর্যে ও শুদ্ধতায় পূর্ণ। বাংলার মাটি নিত্য উর্বর।
উদ্দীপকের কবিও অপরূপ বাংলাকে সকল দেশের সেরা এবং সকল দেশের রানি হিসেবে অভিহিত করেছেন। কেননা রূপে-সৌন্দর্যে, ধনে-ঐশ্বর্যে, পুষ্পেভরা এমন দেশ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের এ বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্রের দিক দিয়ে উদ্দীপকের সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. “উদ্দীপকের বক্তব্য বিষয় উপস্থাপনই বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের কাজী নজরুল ইসলামের মূল লক্ষ্য” মন্তব্যটি যথার্থ নয়।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে বাঙালির ঐতিহ্য, কর্মদক্ষতা, বাংলার সৌন্দর্য, ঐশ্বর্য ও বাঙালির স্বভাব লেখকের সাহিত্য শিল্প রীতিতে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বাংলার সৌন্দর্য একটি প্রধান বিষয় হলেও একমাত্র নয়। লেখক বাঙালিকে সম্পদ-ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে বিজয়ের পথে অগ্রসর হওয়ার কথা বলেছেন।
অপরদিকে উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে, বাংলার অনিন্দ্যসুন্দর প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিশ্বসভায় তার শ্রেষ্ঠত্ব। অনুচ্ছেদে বাংলা মায়ের সৌন্দর্যকে স্বপ্নিল বলা হলেও সেখানে সাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ব লুটেরা ও ঐতিহ্য হারিয়ে দিশেহারা বাঙালি জাতির কথা বিধৃত হয়নি।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বক্তব্য বিষয় উপস্থাপনই বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের কাজী নজরুল ইসলামের একটি লক্ষ্য মূল লক্ষ্য নয়।
প্রশ্ন -২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১.চলতে ওরা চায় না মাটির ছেলে
মাটির পরে চরণ ফেলে ফেলে
আছে অচল আসনখানা মেলে
যে যার আপন উচ্চ বাঁশের মাচায়।
২.অভিযানের বীর সেনাদল!
জ্বালাও মশাল, চল আগে চল!
কুচকাওয়াজের বাজাও মাদল
গাও প্রভাতের গান!
ক. বাংলার শিয়রে প্রহরীর মতো জেগে আছে কে?
খ. বাংলা বাঙালির হো বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপক-১ এ বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের আলোকে উদ্দীপক ১-এর সঙ্গে উদ্দীপক ২-এর সম্পর্ক নির্ণয়পূর্বক এর যথার্থতা যাচাই কর।
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বাংলার শিয়রে প্রহরীর মতো জেগে আছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম গিরি হিমালয়।
খ. বাংলা বাঙালির হোক বলতে বাংলার অফুরন্ত সম্পদ ও বিপুল ঐশ্বর্যে বাঙালির পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বোঝানো হয়েছে।
বাংলার মাটিতে সোনার ফসল ফলে। এই বাংলার রয়েছে অফুরন্ত সম্পদ ও ঐশ্বর্য। এগুলো হরণ করার জন্য বারবার বিদেশিরা এদেশ আক্রমণ করেছে। এদেশের মানুষ জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তিতে পৃথিবী বিখ্যাত। কিন্তু আলস্য তাদের দুর্বল করে রেখেছে। এই আলস্য ও কর্মবিমুখতাকে উপেক্ষা করে বাঙালিকে জেগে উঠতে হবে। তবেই এ বাংলা প্রকৃত অর্থে বাঙালির হবে।
গ. উদ্দীপক-১ বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে উল্লিখিত বাঙালি জাতির আলস্য ও কর্মবিমুখতার দিকটি ফুটে উঠেছে।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধেও প্রাবন্ধিক বাঙালির যে আলস্য আর কর্মবিমুখতার জন্য পিছিয়ে আছে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। বাঙালি জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তিতে পৃথিবীখ্যাত। কিন্তু আলস্য তাদেরকে দুর্বল করে রেখেছে। তাদের কর্মবিমুখতা, জড়ত্ব, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা, নিদ্রা ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিচ্ছার কারণ। অতি প্রাচুর্য তাদেরকে বিলাসী ও ভোগী করে শেষে অলস ও কর্মবিমুখ জাতিতে পরিণত করেছে। ফলে ঐশী ঐশ্বর্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন সম্পদ বিদেশি দস্যুরা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। আর তারা বসে বসে দেখে, বাধা দিতে পারে না।
উদ্দীপকেও বলা হয়েছে যে, অলস মানুষ কোনো কাজ করতে চায় না। অর্থাৎ মাটির ছেলে হয়েও হাঁটার ভয়ে মাটিতে পা ফেলে চলতে চায় না। অজ্ঞতার দরুন তারা ধুঁকে ধুঁকে জীবনযাপন করে, তাদের চেতনাশক্তি লোপ পায়। তারা জীবনে কোনো উন্নতিই করতে পারে না। আলস্য ও কর্মবিমুখতায় পৌরষের অভাবে তারা সবার চেয়ে দীন। তাই তারা অচল আসনখানা মেলে যে যার উচ্চ বাঁশের মাচায় পড়ে থাকে। সুতরাং বলা যায়, বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের অলস কর্মবিমুখ জাতিরই প্রতিচ্ছবি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে। বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের আলোকে উদ্দীপক-১ এর সঙ্গে উদ্দীপক-২ এর সম্পর্ক রয়েছে।
ঘ. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বাঙালির অতীত ঐতিহ্য ও কর্মবিমুখতার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেছেন এবং বাঙালিকে জেগে উঠতে বলেছেন। উদ্দীপক দুটিতেও এ বিষয়ই লক্ষ করা যায়। এদিক থেকে উদ্দীপক দুটি একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বাঙালির আলস্য ও কর্মবিমুখতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। অলস ও দুর্বল বিধায় বিদেশিরা এদেশের মাছ, ধান, পাট, বিভিন্ন ঐশ্বর্য লুট করে নিয়ে যায় আর বাঙালিরা বসে বসে দেখে, কোনো প্রতিবাদ করে না, বরং উল্টো তাদের দাসত্ব করে। উদ্দীপক-১-এও অলস ও দুর্বলদের কথা বলা হয়েছে। আলস্যে ও কর্মবিমুখতায় পৌরুষের অভাবে তারা অতিশয় দীন। তারা জীবনে কোনো উন্নতিই করতে পারে না।
প্রাবন্ধিক আলস্য দূর করে বাঙালিকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশরক্ষার জন্য জেগে উঠতে বলেছেন। উদ্দীপক ২-এ বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেছে। উদ্দীপক ২-এ কবি অভিযানের বীর সেনাদের মশাল জ্বালিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন। সুখী ও সমৃদ্ধময় নতুন প্রভাতের গান গাওয়ার কথা বলেছেন। বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকও অলস ও কর্মবিমুখ জাতিকে আলস্য ও কর্মবিমুখতাকে উপেক্ষা করে বাঙালি জাতিকে জেগে উঠতে বলেছেন।
পরিশেষে বলা যায়, বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়ের প্রতিফলনপূর্বক উদ্দীপক-১ ও উদ্দীপক-২-এ যে সম্পর্ক সূচিত হয়েছে তা যথার্থ।
নির্বাচিত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পৈতৃকসূত্রে পাওয়া দশ বিঘা জমি চাষ না করে সাত বছরের মধ্যে ব্রিক্রি করে খেয়ে শরিফ পথের ভিখারি। অথচ তারই বাল্যবন্ধু রবিউল কেবল গতর খেটেই আজ আধা-পাকা একটা বাড়ি আর কুড়িটি অটোরিকশার মালিক।
ক. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধটি কার লেখা? ১
খ. বাংলাকে সর্ব ঐশীশক্তির পীঠস্থান বলা হয়েছে কেন? ২
গ. উদ্দীপকের শরিফের মাঝে বাঙালির যে স্বভাবের পরিচয় মেলে তা বাঙালির বাংলা রচনার আলোকে ব্যাখ্যা কর।৩
ঘ.উদ্দীপকের রবিউলের মতো মানুষেরা বাঙালির বাংলা রচয়িতার প্রত্যাশিত বাঙালি। Ñমন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধটির লেখক কাজী নজরুল ইসলাম।
খ. ১নং অনুশীলনীর প্রশ্নের খ নং উত্তর দেখ।
গ. উদ্দীপকের শরিফের মাঝে বাঙালির কর্মহীনতা এবং আলস্যের পরিচয় পাওয়া যায়।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে বাঙালি জাতির জড়তা, অলসতা ও কর্মবিমুখতার দিকটি ফুটে উঠেছে। কর্মশক্তি এবং সম্পদকে কাজে না লাগানোর কারণে বাঙালি জাতি আজ অন্ধকার গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছে। বাঙালি কর্মশক্তিতে আগুয়ান না হয়ে চেতনাহীন এবং পরমুখাপেক্ষী হয়ে দিনযাপন করে। কিন্তু বাঙালি জন্মগতভাবে যে শক্তির অধিকারী তার ব্যবহার বাঙালির ধন ঐশ্বর্যকে ঈর্ষণীয় স্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম।
উদ্দীপকের শরিফ পৈতৃকসূত্রে দশ বিঘা জমির মালিক হলেও ধীরে ধীরে কর্মহীনতাকে অবলম্বন করায় মাত্র সাত বছরে পথের ভিখারি হয়ে পড়ে। সে তার ভূসম্পত্তি বিক্রি করে জীবিকার অভাব পূরণ করে। অপরদিকে তার বন্ধু রবিউল গতর খেটে, পরিশ্রম করে এবং নিজ কর্মশক্তিকে শক্তিতে পরিণত করে। যার ফলশ্রুতিতে সে একটি আধা-পাকা বাড়ি ও কুড়িটি অটোরিকশার মালিক হয়। শুধুমাত্র পরিশ্রমকে প্রাধান্য দেওয়ায় তাদের দুই বন্ধুর অর্থনৈতিক অবস্থায় বিশাল বিভেদ সৃষ্টি হয়। উদ্দীপকের শরিফ সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও তাকে সঠিক ব্যবহার করতে না পারায় পরমুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে। এই আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় উদ্দীপকের শরিফের জড়তা এবং কর্মহীনতার সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের লেখকের বক্তব্যের মিল পাওয়া যায়।
ঘ. “উদ্দীপকের রবিউলের মতো মানুষেরা বাঙালির বাংলা রচয়িতার প্রত্যাশিত বাঙালি” Ñ উক্তিটি যথার্থ।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের লেখকের মতে, দৈহিক শক্তিকে কাজে না লাগিয়ে বাঙালি তার ক্ষাত্রশক্তির ক্ষমতাকে অবহেলা করেছে। তাই লেখক তার অতীত ইতিহাস স্মরণ করে জড়তা ঝেড়ে ফেলে এগিয়ে যাবার পক্ষে পরামর্শ দিয়েছেন বাঙালিদের।
উদ্দীপকের রবিউল পৈতৃকসূত্রে কিছুই লাভ করেনি। সে নিজের কর্মশক্তি ও পরিশ্রমকে পুঁজি করে ভাগ্য গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রচুর শ্রম দিয়ে হলেও বর্তমানে সে সফল। গতর খেটে আজ সে আধা পাকা বাড়ি এবং বিশটি অটোরিকশার মালিক। নিজের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভাগ্যের চাবি আপন হাতে নিয়ে সে সফল। প্রবন্ধে লেখক এমন বাঙালিরই আশা প্রকাশ করেছেন যাকে কোনো বাধা আটকাতে পারবে না, পরিশ্রম যার শক্তি হবে জড়তা যার জীবনে স্থান পাবে না।
তাই বলা যায় রবিউলের মতো উদ্যমী মানুষেরাই বাঙালির বাংলা রচয়িতার আকাঙ্ক্ষিত আদর্শ বাঙালি।
প্রশ্ন -৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
উদ্দীপক-১ম অংশ :
ভদ্র মোরা শান্ত বড়ো পোষ মানা এ প্রাণ
বোতাম-আঁটা জামার নিচে শান্তিতে শয়ান।
উদ্দীপক-২য় অংশ :
শাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী
অবাক তাকিয়ে রয়,
জ্বলে-পুড়ে-মরে ছার খার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।
ক. বিদ্রোহী কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়? ১
খ. এদেশের মানুষ জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তিতে পৃথিবী খ্যাত।- কেন? ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের যে দিকটির রূপায়ণ ঘটেছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের ১ম অংশে বর্ণিত বাঙালি চেতনা থেকে উদ্দীপকের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত চেতনার উত্তরণই বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে লেখকের মূল উদ্দেশ্য মূল্যায়ন কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বিদ্রোহী কবিতাটি সাপ্তাহিক বিজলী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
খ. সহজাত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ফলে এদেশের মানুষ জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তিতে পৃথিবী খ্যাত।
জ্ঞানসাধনা বা শিক্ষাদীক্ষা দ্বারা অর্জিত বুদ্ধিবৃত্তিক ও কর্মকৌশলমূলক দক্ষতাকে বলা হয় জ্ঞানশক্তি। অপরদিকে হৃদয়বৃত্তিজাত মানবিক ও সুকুমার শৈলীকে প্রেমশক্তি বলে। বাঙালির সহজাত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে অনুধাবন করে প্রাবন্ধিক মন্তব্য করেন বাঙালির মতো জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তি ইংরেজিতে যাকে বলে ব্রেন সেন্টার ও হার্ট সেন্টার, তা কেবল এশিয়া নয় পৃথিবীতে কোনো জাতির নেই।
গ. উদ্দীপকের ১ম অংশে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের বাঙালি চরিত্রের কর্মবিমুখ তথা অলসতা এবং বিলাসিতার দিকটির রূপায়ণ ঘটেছে।
সুজলা-সুফলা-শস্যশ্যামলা বাংলা আবহমানকাল থেকেই প্রাকৃতিক ও পার্থিব ধনৈশ্বর্যে সমৃদ্ধ। বাংলার জল নিত্যপ্রাচুর্যে ও শুদ্ধতায় পূর্ণ। বাংলার মাটি নিত্য উর্বর। এ মাটিতে সোনা ফলে। প্রাকৃতিক ও পার্থিব এ ধনৈশ্বর্য বাঙালিকে ভোগী, বিলাসী ও কর্মবিমুখ অলস করে তুলেছে।
উদ্দীপকের ১ম অংশে বাঙালি চরিত্র সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আমরা বড় ভদ্র ও শান্ত। আমাদের প্রাণী বড় পোষ মানা। ধোপদুরস্ত জামাকাপড়ের নিচে আমরা নিরুদ্বিগ্ন শয়নে সমর্থ। উদ্দীপকের ১ম অংশে বাঙালির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের বাঙালি জাতির আলস্য, কর্মবিমুখ ও বিলাসী চরিত্রের রূপায়ণ। কেননা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, আমাদের মাতৃভূমি পৃথিবীর স্বর্গ, নিত্য সবৈশ্বর্যময়ী। অতি প্রাচুর্য আমাদের বিলাসী, ভোগী করে শেষে অলস, কর্মবিমুখ জাতিতে পরিণত করেছে। বাঙালির কর্মবিমুখতা, জড়ত্ব, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা, নিদ্রা, ব্যবসায়-বাণিজ্যে অনিচ্ছার কারণ। যার প্রতিচ্ছবি উদ্দীপকের ১ম অংশে দৃশ্যমান। সুতরাং বলা যায় উদ্দীপকের প্রথম অংশে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের বাঙালির অলসতা, কর্মবিমুখতা তথা বিলাসিতার দিকটিই প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. “উদ্দীপকের ১ম অংশে বর্ণিত বাঙালি চেতনা থেকে উদ্দীপকের ২য় অংশে বর্ণিত চেতনার উত্তরণই বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে লেখকের মূল উদ্দেশ্য” শীর্ষক মন্তব্যটি সঠিক।
ব্যক্তির সমষ্টি পরিবার, গোষ্ঠী, সমাজ, জাতি, ব্যক্তির জীবনে যেমন ব্যর্থতা, হতাশা ও স্থবিরতা থাকে, জাতীয় জীবনেও অনুরূপ অবস্থা বিরাজ করে। ব্যর্থতা, স্থবিরতা থেকে যুদ্ধ জয়ের এই উত্তরণের চেতনাই ধ্বনিত হয়েছে প্রদত্ত উদ্দীপকে ও বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে।
উদ্দীপকের ১ম অংশে বাঙালি চরিত্র সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আমরা বড় ভদ্র ও শান্ত, আমাদের প্রাণটি বড় পোষমানা। ধোপদুরস্ত জামাকাপড়ের নিচে আমরা নিরুদ্বিগ্নচিত্তে শয়ন করতে পারি। কিন্তু উদ্দীপকের ২য় অংশে এক ভিন্ন, এক বিপরীত বাঙালিকে আমরা প্রত্যক্ষ করি। সেখানে বাঙালির সাহসের শৌর্যের অদম্য মনোবলের এক সংগ্রামী চরিত্র অবলোকন করি। যারা জ্বলে-পুড়ে মরে ছারখার হবে তবু অন্যায়ের কাছে, অত্যাচারীর চরণতলে মাথা নোয়াবে না। উদ্দীপকের ১ম অংশ থেকে উদ্দীপকের ২য় অংশে বাঙালির এই যে উত্তরণ তার চেতনাই আমরা লক্ষ করি বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে লেখকের মর্মবেদনায়, আহ্বানে। উদ্দীপকের ১ম ও ২য় অংশের ন্যায় বাঙালির বাংলা প্রবন্ধেও লেখক বাঙালিকে বিলাসী, ভোগী, কর্মবিমুখ, অলস ও তমসাচ্ছন্ন বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু প্রবন্ধের শেষাংশে বাঙালির হাজার বছরের প্রতিবাদী চরিত্রের সংগ্রামী চেতনার উদাহরণ উপস্থাপন করে তাকে ক্ষাত্রশক্তি তেজে জ্বলে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
উদ্দীপকে তথাকথিত শান্ত, ভদ্র, পোষমানা বাঙালিকে জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার হয়েও অদম্য মনোবলের অধিকারী হওয়ার চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। বাঙালির বাংলা প্রবন্ধেও লেখক বাঙালি জাতিকে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থা থেকে নিজস্ব শক্তিতে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন। বোতাম-আঁটা জামার নিচে শান্তিতে শয়নকারী বাঙালিকে ক্ষাত্রশক্তি বলে বলীয়ান হয়ে পরদেশি দস্যু ডাকাত, রামা-গামাদের প্রহারেণ ধনঞ্জয় হানার উদাত্ত আহ্বান জানান। তাই বলা যায় উদ্দীপকের ১ম অংশে বর্ণিত বাঙালির চেতনা থেকে উদ্দীপকের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত চেতনার উত্তরণই বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের লেখকের মূল উদ্দেশ্য মন্তব্যটি সংগত কারণেই যথার্থ।
প্রশ্ন -৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ওরে নবীন ওরে আমার কাঁচা
আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা
রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরে
আজকে যে যা বলে বলুক তোরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ করে
পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা।
আয় দুরন্ত, আয় রে আমার কাঁচা।
ক. কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে কঠিন রোগে আক্রান্ত হন? ১
খ. দেহ ও মন পাষাণময় বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকের আধ-মরাদের সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে কাদের মিল খুঁজে পাওয়া যায়Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ “উদ্দীপকে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের বক্তব্যই উপস্থাপিত হয়েছে” উক্তিটির সত্যতা নির্ধারণ কর।
৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কাজী নজরুল ইসলাম মাত্র তেতাল্লিশ বছর বয়সে কঠিন রোগে আক্রান্ত হন।
খ. পাষাণ হচ্ছে প্রস্তর, শিলা বা কঠিন। দেহ ও মন পাষাণময় বলতে লেখক বাঙালির দেহ ও মন কর্মের ক্ষেত্রে যে পাষাণের মতো কঠিন তা বুঝিয়েছেন।
কর্মের প্রতি বাঙালি আসক্তিহীন। কাজের প্রািত আগ্রহ তাদের একদমই নেই। বাঙালির জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তি পৃথিবী খ্যাত। কিন্তু তাদের কর্মশক্তি একদম নেই বললেই চলে। আলস্য তাদের দিব্যশক্তিকে তমসাচ্ছন্ন করে রেখেছে। ফলে তারা কাজের ক্ষেত্রে পাষাণের মতো নিশ্চল, কঠিন হয়ে গেছে।
গ. উদ্দীপকের আধ-মরাদের সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের বিলাসী, ভোগী, অতঃপর, আলস্য জর্জরিত কর্মবিমুখ বাঙালিদের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
শত-সহস্র কবি, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিকের মতে, আমাদের জন্মভূমি বাংলার কোনো তুলনা নেই। বাংলা রূপে-সৌন্দর্যে, ধনে-ঐশ্বর্যে, ফুল-ফলে ভরা এমন দেশ যার তুলনা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া কঠিন। বাংলার এই অতি প্রাচুর্য তার সন্তানদের বিলাসী, ভোগী, অতঃপর অলস ও কর্মবিমুখ জাতিতে পরিণত করেছে।
উদ্দীপকে নবীন, কাঁচা, সবুজ, অবুঝ ও দুরন্ত প্রজন্মের মাঝে বিসদৃশভাবে একদল আধ মরাদের অস্তিত্ব লক্ষণীয়। এরা নতুন কিছুর বিরোধী, প্রগতির বিরুদ্ধে তর্ক তোলে, সর্বোপরি এরা চেতনাহীন। এমনি আধ-মরা চেতনাহীনদের পরিচয় আমরা বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের বিলাসী, ভোগী, অলস, কর্ম-শক্তিহীনদের মাঝে পাই। প্রাবন্ধিকের মতে, এরা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনাশক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে। এই তমঃ, এই তিমির, এই জড়ত্বই অবিদ্যা। অবিদ্যা কেবল অন্ধকার পথে, ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়; দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ, মৃতপ্রায় করে রাখে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় উদ্দীপকের আধ-মরাদের সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের বিলাসী, ভোগী, কর্মশক্তিহীনদের মিল খোঁজে পাওয়া যায়।
ঘ. “উদ্দীপকে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের বক্তব্যই উপস্থাপিত হয়েছে” শীর্ষক উক্তিটি সত্য।
উদ্দীপকে কবি নবীন, কাঁচা, সবুজ, অবুঝ ও দুরন্ত প্রজন্মের জয়গান গেয়েছেন। তাদের আহ্বান করেছেন সমাজের আধ-মরা রূপী চেতনাহীনদের জাগাতে প্রয়োজনে আঘাত হানার। তাদের এ নতুন পথের রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরকে উদ্দেশ্য করে যে যাই বলুক, সকল তর্ক হেলায় ভরে যেন তারা স্বীয় উদ্দেশ্য সাধনে নাচতে নাচতে এগিয়ে চলে।
উদ্দীপকের অনুরূপ বাঙালির বাংলা প্রবন্ধেও আমরা দুই বিপরীত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ধারক বাঙালিকে দেখতে পাই। যাদের একদলের কর্মশক্তি একেবারে নেই বলে তাদের দিব্যশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্মবিমুখতা, জড়ত্ব, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা ও নিদ্রা ব্যবসায় বাণিজ্যে অনিচ্ছার কারণ। এ বাঙালির বিপরীতে আরেকদল বাঙালি রয়েছে যারা প্রাবন্ধিকের প্রত্যাশিত ক্ষাত্রশক্তিতে দেদীপ্যমান। তারা শুধু লাঠি দিয়েই দেড়শত বছর আগেও বাংলার স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে চেষ্টা করেছে। প্রাবন্ধিক বাঙালির এই নিজস্ব শক্তির উদ্বোধন চেয়েছেন।
উদ্দীপকে দৃশ্যমান দুটি দলের মধ্যে পরস্পর বিপরীতমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। এখানে নবীনেরা হচ্ছে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকের প্রত্যাশিত ক্ষাত্রশক্তির ধারক আর আধ-মরারা হচ্ছে অলস, কর্মবিমুখ চেতনাহীন বাঙালি। উদ্দীপকের কবির মতো বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকও নতুন পথের দুরন্ত পথিককে স্বাগত জানিয়েছেন, তাদের জাগরণ, উদ্বোধন কামনা করেছেন। তাই বলা যায় উদ্দীপকে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের বক্তব্যই উপস্থাপিত হয়েছে মন্তব্যটি যথার্থ।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলার পাহাড় আর বন জঙ্গল দেখতে বিদেশ থেকে ছুটে আসে বহু পর্যটক। বাংলার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখে তারা বিস্ময়ে অভিভূত হন। বিধাতা যেন সব আশীর্বাদ এ বাংলায় ঢেলে দিয়েছেন। মাঠ ভরা সোনালি ধান, চারদিকে সবুজের সমারোহ প্রতিটি মানুষের চিত্তকেই মোহনীয় করে তোলে। এছাড়া এখানে রয়েছে সমৃদ্ধ সম্পদের ভাণ্ডার। এত সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির পরও বাঙালিরা এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
ক. কোনটি মানুষকে পূর্ণতার পথে নিয়ে যায়? ১
খ. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে ক্ষাত্রশক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালি জাতির পিছিয়ে থাকার কারণ হিসেবে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে কোনটিকে দায়ী করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত বাংলার সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির কথা পরিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে মন্তব্যের যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ঐশীশক্তি মানুষকে পূর্ণতার পথে নিয়ে যায়।
খ. ক্ষাত্রশক্তি বলতে মানুষের অমিত তেজ, সাহস, মৃত্যুভয়হীন এমন এক শক্তিকে বোঝানো হয়েছে, যা সকল তমোগুণকে ধ্বংস করে দেয়।
মানুষের মধ্যে আলস্য, কর্মবিমুখতা, পঙ্গুত্ব আসতে দেয় না এই ক্ষাত্রশক্তি। দেহ ও মনকে কর্মসুন্দর করে। জীবনীশক্তিকে সদা জাগ্রত করে যৌবনকে রাখে প্রদীপ্ত। সকল নৈরাশ্য, অবিশ্বাস, জরা ও ক্লৈব্যকে দমন করে মানুষকে তেজোদীপ্ত করে যে শক্তি সেটিই হলো ক্ষাত্রশক্তি।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালি জাতির পিছিয়ে থাকার কারণ হিসেবে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে বাঙালির আলস্য ও কর্মবিমুখতাকে দায়ী করা হয়েছে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, বাংলায় রয়েছে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, মাঠভরা সোনালি ধান, চারদিকে সবুজের সমারোহ এবং সমৃদ্ধ সম্পদের ভাণ্ডার। এত সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির পরও বাঙালিরা এখনও পিছিয়ে রয়েছে। বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে প্রবন্ধকার বাঙালির এই পিছিয়ে থাকার কারণ সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করেছেন।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে বলা হয়েছে বাঙালির সব রয়েছেÑ সম্পদ, ঐশ্বর্য, প্রেমশক্তি জ্ঞানশক্তি প্রভৃতি। কিন্তু তাদের মধ্যে কর্মশক্তি একেবারে নেই বলে তাদের দিব্যশক্তি তথা প্রেম-জ্ঞান তমাসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে এ জাতি চেতনাশক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে। অবিদ্যা ও জড়ত্ব তাদের আঁকড়ে ধরেছে। বাংলার সমৃদ্ধ ঐশ্বর্য এ জাতিকে অলস জাতিতে পরিণত করেছে। তাই তারা সব দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে।
সুতরাং বলা যায়, বাঙালি জাতির পিছিয়ে থাকার কারণ হিসেবে আলোচ্য প্রবন্ধে অলসতা ও কর্মবিমুখতাকে দায়ী করা হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বাংলার সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির কথা পরিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে মন্তব্যটি যথার্থ।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে বাংলার সৌন্দর্য সম্পর্কে বলা হয়েছে এ বাংলার শিয়রে প্রহরীর মতো জেগে আছে হিমালয় পর্বতমালা, যাকে মুনিঋষিরা বলেছেন সর্ব দৈবশক্তির লীলা-নিকেতন। এ হিমালয়ের গভীর হৃদয় থেকে যে স্নেহধারা প্রবাহিত হয়েছেÑ তা বাংলার সৌন্দর্য আর সম্পদকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। এদেশের হাজারো নদনদী হৃদয় ছুঁয়েছে সবার। নদীতে রয়েছে মৎস্য সম্পদ। বাংলার আকাশ নিত্যপ্রসন্ন। বাংলার বাতাসে শরৎ আর বসন্তের ছোঁয়া রয়েছে, যা মাতোয়ারা করে দেয় সবার হৃদয়।
বাংলার এ সৌন্দর্য বর্ণনার প্রতিফলনই লক্ষ করা যায় উদ্দীপকে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, বাংলায় রয়েছে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, বিধাতা যেন সব আশীর্বাদ এ বাংলায় ঢেলে দিয়েছেন। মাঠভরা সোনালি ধান, চারদিকে সবুজের সমারোহ প্রতিটি মানুষের চিত্তকেই মোহনীয় করে তোলে।
সুতরাং বলা যায় যে, উদ্দীপকটিতে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের দিকটি পরিপূর্ণভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রশ্ন -৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী
অবাক তাকিয়ে রয়;
জ্বলে-পুড়ে মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।
ক. তিমির শব্দের অর্থ কী? ১
খ. বাঙালির দুর্গতি ও অভিশপ্ত জীবনের কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের বাঙালির চেতনার সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকের প্রত্যাশিত চেতনার সাদৃশ্য তুলে ধর।৩
ঘ.বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের সমগ্রভাব প্রকাশের জন্য উদ্দীপকটি যথেষ্ট নয় মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. তিমির শব্দের অর্থ অন্ধকার।
খ. ক্ষাত্রশক্তিকে অবহেলা করার জন্যই বাঙালির এ দুর্গতি ও অভিশপ্ত জীবন।
বাঙালি নিতান্তই অলস ও কর্মবিমুখ। তারা মৃত্যুকে ভয় পায়। তারা ব্যাধি, দুঃখকষ্ট থেকে সবসময় নিজেকে সরিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু এগুলোই মানুষের জীবনে আবর্তিত হতে থাকে। বাঙালির রয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শক্তি। কিন্তু বাঙালির জড়ত্ব এ শক্তিকে জাগতে দেয় না। আর এ কারণেই বাঙালি দুর্গতি ও অভিশপ্ত জীবন বহন করে।
গ. উদ্দীপকের চেতনার সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকের প্রত্যাশিত চেতনার সাদৃশ্য রয়েছে।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক সব অন্যায়, অবিচার আর শত্রুর বিরুদ্ধে বাঙালিকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বলেছেন। তার মতে, আলস্য বাঙালিকে দুর্বল করে রেখেছে। কিন্তু বাঙালিরাও যে অসাধ্য সাধন করতে পারে ইতিহাসে তার প্রমাণ আছে। স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে বহু বাঙালি আত্মত্যাগ করেছেন। আলস্য আর কর্মবিমুখতার জন্য বাঙালি এখন পিছিয়ে আছে। আলস্য ও কর্মবিমুখতা ত্যাগ করে বাঙালিকে কর্মে আত্মনিয়োগ করতে হবে। প্রতিহত করতে হবে সব অন্যায়।
উদ্দীপকে বর্ণিত কবিতাংশে এই চেতনারই বহিঃপ্রকাশ লক্ষণীয়। এখানে বাঙালির কর্মমুখর সংগ্রামী রূপটি দেখানো হয়েছে। বাঙালি মরে যাবে তবু কোনো অন্যায়ের কাছে তারা মাথা নোয়াবে না। নিজের জীবনের বিনিময়ে তারা সব অন্যায় অবিচারকে ধ্বংস করে দেশকে শত্রুমুক্ত করবে। সুতরাং বলা যায়, প্রাবন্ধিক বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে বাঙালির সংগ্রামমুখর যে রূপটির প্রত্যাশা করেছেন উদ্দীপকে সে বিষয়টিই লক্ষণীয়। এদিক দিয়ে প্রাবন্ধিকের প্রত্যাশার সাথে উদ্দীপকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের একটি বিষয়ের প্রতিফলন থাকায় উদ্দীপকটি আলোচ্য প্রবন্ধের সমগ্র ভাব প্রকাশের জন্য যথেষ্ট নয়।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে বলা হয়েছে বাংলার মানুষ শত শত বছর ধরে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্মবোধ জাগ্রত রেখে সম্প্রীতিময় পরিবেশে বসবাস করছে। এদেশ নদনদী, ফল-ফসল আর প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কিন্তু অলসতার কারণে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে বাইরের শত্রুরা এদেশের সম্পদ কেড়ে নিচ্ছে। তাই প্রবন্ধকার আশা পোষণ করেছেন স্বাধীনতার সংগ্রামের মতো এদেশের মানুষকে জেগে উঠে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবেই এই বাংলা বাঙালির হবে।
অপরপক্ষে উদ্দীপকে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বাঙালি মরে যাবে তবু কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না। জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার হয়ে গেলেও তারা শত্রুর কাছ থেকে দেশকে মুক্ত করবে। এতে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে প্রত্যাশিত প্রতিবাদমুখর বাঙালির চিত্রটিই প্রতিফলিত হয়েছে। এ প্রবন্ধে উল্লিখিত অন্যান্য প্রসঙ্গ উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
বাঙালির সমৃদ্ধময় ইতিহাস, ঐতিহ্য রয়েছে। বাঙালি স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের সমগ্র ভাব প্রকাশের জন্য উদ্দীপকটি যথেষ্ট নয়।
প্রশ্ন -৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলা আমার
বাংলা আমার
গঙ্গা ও যমুনা আমি বাংলার
জন্মভূমি
পদ্মা ও মেঘনা
বহিছে যাহার চরণ চুমি
বাংলার হাওয়া
হৃদয় আমায়
এত সুখ শান্তি বাংলার জল
করে সুশীতল
এত পরিমল
কোথা পাব আর বাংলা ছাড়া?
ক. প্রহারেণ ধনঞ্জয় বলতে কী বোঝায়? ১
খ. বাংলার মাটি নিত্য উর্বর এ কথাটি প্রাবন্ধিক কেন বলেছেন? ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম চরণের সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের লেখকের কোন ভাবনার মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।৩
ঘ.উদ্দীপকের চেতনাই পারে বাঙালি জাতিকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রহারেণ ধনঞ্জয় বলতে বোঝায় প্রহার দ্বারা শাসন।
খ. বাংলার মাটিতে সবসময়ই সোনার ফসল ফলে বলে প্রাবন্ধিক এ মাটিকে নিত্য উর্বর বলেছেন।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক মনে করেন, বাংলার মাটিতে নিত্য সোনা ফলে। এত ধান, এত পাট পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এত ফুল, এত কুঞ্জ ছায়া পৃথিবীতে বিরল। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ মধুময়। নিত্য উর্বর বলতে প্রাবন্ধিক এ দিকটিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
গ. উদ্দীপকের প্রথম চরণটির সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের লেখক কাজী নজরুল ইসলামের সুগভীর স্বদেশপ্রেম ও বাংলার সৌন্দর্যপিপাসু ভাবনার সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে লেখক সম্ভাবনাময়ী বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসত্তার উন্মোচন করেছেন। বাংলার শিয়রে প্রহরীর মতো যে হিমালয় পর্বত জেগে আছে তার গভীর হ্রদ-গুহার অনন্ত স্নেহধারা বাংলার শত শত নদনদী রূপে আমাদের মাঠে ঘাটে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলার আকাশ নিত্যপ্রসন্ন, বাংলার বায়ুতে চির বসন্ত ও শরতের নিত্য মাধুর্য ও শ্রী- এই যে, বাংলা প্রকৃতির অসাধারণ রূপকল্প লেখক সৃষ্টি করেছেন তা সত্যিই মনোহারিণী।
উদ্দীপকেও এই বাংলার বন্দনাগীত রচিত হয়েছে যে বাংলাকে নজরুল ইসলাম আত্তীকরণ করেছেন। যে বাংলার বুক চিরে চিরায়ত স্রোতধারা নিয়ে গঙ্গা-যমুনা, পদ্মা-মেঘনা, দুরন্তগতিতে বয়ে চলছে সে নদীগুলো নিত্যদিনের অতিথির মতো বাংলার চরণ চুম্বন করে শীতল পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। পরিশেষে এসব বিবেচনায় বলা যায় যে, উদ্দীপকের প্রথম চরণটির সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের লেখকের ভাবগত ও তাৎপর্যগত চেতনার মিল বিদ্যমান রয়েছে।
ঘ. “উদ্দীপকের চেতনায় পারে বাঙালি জাতিকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছতেÑ বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি যথার্থ”।
বাঙালি জাতি আজ ক্ষাত্রশক্তির দিব্য তেজ হারিয়ে অভাব-দৈন্য-দুর্দশায় জর্জরিত হয়ে অতীত ঐতিহ্যকে হারাতে বসেছে। আজন্ম দিব্যজ্ঞানসম্পন্ন এই বাঙালি জাতি আজ কর্মবিমুখতার কারণে আলস্যে গা ভাসিয়ে দিয়ে মস্তিষ্ক ও হৃদয়কে জরাগ্রস্ত করে ফেলেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাঙালির মধ্যে স্বদেশপ্রেমের চিরজাগ্রত বীজমন্ত্র অনুপ্রবেশ করাতে হবে।
উদ্দীপকের কবিতাংশটি বাঙালির সেই বীজমন্ত্রকেই ধারণ করে আছে। এতে জন্মভূমি বাংলার নাড়িস্পন্দন স্বরূপ পদ্মা-মেঘনা-যমুনা নদীর কথা বলা হয়েছে। এ নদী প্রতিনিয়ত শ্যামল বাংলার পদচুম্বন করে বাংলাকে সুশীতল করে রাখে। অনন্ত স্নেহধারা মেলে ধরে এ নদী বয়ে চলে বাংলার বুক চিরে। বাঙালিরা এই প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে জীবনযাপন করে। বাংলার সাথে আপন অস্তিত্বকে বেঁধে নেয় একইসূত্রে। এই চেতনাবোধটি চিরজাগ্রত থাকলে কখনই কোনো অপশক্তি বাংলার সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। স্বদেশকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে, অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে হবে। আর তবেই বাঙালি জাতি পারবে একদিন সাফল্যের স্বর্ণসিঁড়ি বেয়ে চির উন্নত শির নিয়ে শিখর স্পর্শ করতে।
উল্লিখিত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকের চেতনায় পারে বাঙালি জাতিকে অন্ধকার থেকে মুক্তি দিয়ে উন্নত জাতিতে রূপ দিতে।
প্রশ্ন -৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আসছে পথে আঁধার নেমে
তাই বলে কি রইবি থেমে
তুই বারে বারে জ্বালাবি বাতি
হয়তো বাতি জ্বলবে না
তাই বলে তো ভীরুর মতো
বসে থাকলে চলবে না।
ক. ক্ষাত্রশক্তি কী? ১
খ. এই জড়তা মানবকে মৃত্যুর পথে নিয়ে যায়।- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের সাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের মূলভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের ধারক মন্তব্যটি যাচাই কর। ৪
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে লেখক ক্ষাত্রশক্তি বলতে ক্ষত্রিয়ের শক্তি তথা যুদ্ধ করার ক্ষমতাকে বুঝিয়েছেন।
খ. আলোচ্য কথাটিতে চেতনাহীনতার কারণে বাঙালিদের ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে।
বাঙালি জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তিতে পৃথিবীখ্যাত। অন্যদিকে কর্মবিমুখ ও অলস জাতি হিসেবেও তারা পরিচিত। যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যও লেখক তাদেরকে জড়তা ত্যাগ করতে বলেছেন। জড়ত্বকে তিনি অবিদ্যা বলে উল্লেখ করেছেন। অবিদ্যা মানুষের দিব্যশক্তি নিস্তেজ করে রাখে। ফলে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। তাই জড়তা দূর করে কর্মমুখী হওয়া বাঙালির একান্ত জরুরি।
গ. চেতনাগত দিক থেকে উদ্দীপকের সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
বাঙালির আছে গৌরবময় ইতিহাস ঐতিহ্য। তাই সকল জড়তা, জীর্ণতা দূর করে সাহসের সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত। তবেই দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের লেখক বাঙালিকে সোনালি অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে বলেছেন। সেখানে জড়তার, অলসতার স্থান নেই। তিনি দিব্যশক্তির পূর্ণ বিকাশ প্রত্যাশা করেছেন। যার মধ্য দিয়ে বাঙালি তাদের আত্মপরিচয়ে সর্বাধিক মর্যাদা লাভ করতে পারে সেদিকে তাদের উৎসাহিত করেছেন।
উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি বিপদসংকুল পথে দৃঢ়সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য জ্ঞানের আলো জ্বেলে এগিয়ে যেতে বলেছেন। ভীরুর মতো বসে থাকাকে যুক্তিযুক্ত মনে করেননি। কারণ চেষ্টা চালিয়ে গেলে লক্ষ্য অর্জন করা কোনো কঠিন কাজ নয়। সুতরাং বলা যায়, সকল বাধার জাল ছিন্ন করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণার দিক দিয়ে উদ্দীপক ও বাঙালির বাংলা প্রবন্ধ সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকটি বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের মূলভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের ধারক মন্তব্যটি প্রাসঙ্গিক।
বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে লেখক বাঙালির সোনালি অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে বলেছেন। কারণ বাঙালি জাতি তাদের অলসতার কারণে পিছিয়ে আছে। লেখক সকল জড়তা, অলসতাকে দূরীভূত করে বাঙালির দিব্যশক্তির পূর্ণ বিকাশ প্রত্যাশা করেছেন। যার মধ্য দিয়ে বাঙালি তাদের আত্মপরিচয়ে সর্বাধিক মর্যাদা লাভ করতে পারে। সেদিকে তাদের উৎসাহিত করাই বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের মূল বক্তব্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
উদ্দীপকেও এই মূল বক্তব্যের অংশবিশেষের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। এখানে বিপদসংকুল পথে দৃঢ়সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য জ্ঞানের আলো জ্বেলে এগিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আলো নিভে গেলে বার বার জ্বালাতে বলা হয়েছে। ভীরুর মতো বসে থাকাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অর্থাৎ উদ্দীপকটিও সকল বাধা ঠেলে, অলসতা, ভীরুতা দূর করে সামনে এগোনোর প্রেরণা জোগায়।
উল্লিখিত আলোচনা শেষে তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের মূলভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের ধারক মন্তব্যটি যথার্থ।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন-১০ বাংলাদেশ সম্পদে পরিপূর্ণ একটি দেশ। এদেশের মাঠে রয়েছে সোনালি ফসল, বিলে-ঝিলে, নদীতে রয়েছে মৎস্যসম্পদের অফুরন্ত ভাণ্ডার। তারপরও বাঙালির দৈন্যদশা। কারণ তারা কর্মবিমুখ। বাঙালি জাগলে যে অসাধ্য সাধন হয় এর প্রমাণ তারা কয়েকবার দিয়েছে। বাঙালি যদি তার ওপর নির্যাতনকারী অপশক্তিকে কঠোরহস্তে দমন করতে পারে তাহলে এই বাংলা প্রকৃত অর্থে বাঙালির হবে। বাঙালি যদি কর্মঠ হয়ে তার সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে তাহলে বাঙালির জয়কে কেউ রুখতে পারবে না।
ক. বাংলা সর্ব ঐশীশক্তির কী? ১
খ. লেখকের মতে বাঙালির ভিখারি বেশের কারণ কী? ২
গ. উদ্দীপকের বিষয় তোমার পঠিত কোন প্রবন্ধে প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি কি প্রতিফলিত প্রবন্ধের সমগ্রভাব ধারণ করে? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
প্রশ্ন-১১ মাহিন ও সজীব দুই বন্ধু। তারা একসঙ্গে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। কিন্তু মাহিন অলস, ঠিকমতো কাজে যোগ দেয় না, ঘরে শুয়ে ঘুমায়। তাছাড়া সে মালিকের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করে না। অন্যদিকে সজীব কর্মঠ। সে রীতিমতো কাজে যোগ দেয় এবং মালিকের সব অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করে। এজন্য মালিকপক্ষ তাকে ভয় পায়, তার বেতন-ভাতা নিয়ে ঝামেলা করে না।
ক. স্বর্গরেণু শব্দের অর্থ কী? ১
খ. বিদেশিদের এদেশ আক্রমণের কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের মাহিন বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে কার প্রতিনিধি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক যে বাঙালির কথা বলেছেন উদ্দীপকের সজীব তারই প্রতিচ্ছবিÑ বিশ্লেষণ কর।৪
অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন কত সালে?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৯ সালে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বাঙালির বাংলা প্রবন্ধটির লেখক কে?
উত্তর : বাঙালির বাংলা প্রবন্ধটির লেখক কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বাঙালির বাংলা প্রবন্ধটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : বাঙালির বাংলা প্রবন্ধটি নবযুগ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বাঙালি কিসে আচ্ছন্ন হয়ে চেতনাশক্তি হারিয়ে ফেলেছে?
উত্তর : বাঙালি তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনাশক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ অবিদ্যা মানুষকে কোন পথে নিয়ে যায়?
উত্তর : অবিদ্যা কেবল অন্ধকার পথে, ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ তমোগুণকে দমন করে কোনটি?
উত্তর : তমোগুণকে দমন করে প্রবল ক্ষাত্রশক্তি।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ বাঙালি আজন্ম কোন শক্তিসম্পন্ন?
উত্তর : বাঙালি আজন্ম দিব্যশক্তিসম্পন্ন।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ সর্ব অসৎশক্তিকে পরাজিত করে কোনটি?
উত্তর : সর্ব অসৎশক্তিকে পরাজিত করে সত্ত্বগুণ।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে জড়ত্বকে কী বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে?
উত্তর : বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে জড়ত্বকে অবিদ্যা বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে কোন আগ্নেয়গিরির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে চন্দ্রনাথের আগ্নেয়গিরি কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ সত্ত্বগুণের প্রধান শত্রু কোনটি?
উত্তর : সত্ত্বগুণের প্রধান শত্রু তমোগুণ বা অন্ধকার।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ বাংলার আবহাওয়ায় কোন শক্তি রয়েছে?
উত্তর : বাংলার আবহাওয়ায় স্বাধীনতা মন্ত্রের সঞ্জীবনী শক্তি রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মুনি ঋষি যোগীরা কোথায় সাধনা করেছেন?
উত্তর : পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মুনি ঋষি যোগীরা হিমালয়ে সাধনা করেছেন।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ বাঙালির বাংলা প্রবন্ধ অনুযায়ী মানুষ কয়টি গুণে গুণান্বিত?
উত্তর : বাঙালির বাংলা প্রবন্ধ অনুযায়ী মানুষ তিনটি গুণে গুণান্বিত।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ দিব্যশক্তি কাজে লাগে না কোন শক্তির অভাবে?
উত্তর : ক্ষাত্রশক্তির অভাবে দিব্যশক্তি কাজে লাগে না।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ বাঙালিরা ঘরের পাশে কী নিয়ে বাস করে?
উত্তর : বাঙালিরা ঘরের পাশে অজগর ও বনের বাঘ নিয়ে বাস করে।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ প্রকৃতির তিন গুণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ গুণ কোনটি?
উত্তর : প্রকৃতির তিন গুণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ গুণ হলো সত্ত্বগুণ।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ দিব্যশক্তি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : দিব্যশক্তি বলতে বোঝায় ঐশ্বরিক শক্তি।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে ক্লৈব্য বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে ক্লৈব্য বলতে পৌরুষহীনতাকে বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ পীঠস্থান বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : পীঠস্থান বলতে বোঝায় পবিত্রস্থান।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ বাংলার চাঁদ কেমন?
উত্তর : বাংলার চাঁদ নিত্য স্নিগ্ধ।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ বাংলার মাটি কেমন?
উত্তর : বাংলার মাটি নিত্য উর্বর।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ আজকের বাঙালির দীনতার কারণ কী?
উত্তর : আলস্যপরায়ণতা ও কর্মবিমুখতাই আজকের বাঙালির দীনতার প্রধান কারণ।
বাঙালিরা নিতান্তই অলস ও কর্মবিমুখ জাতি। জরা-মৃত্যুর ভয়ে তারা সর্বদাই আতঙ্কিত। তাদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্যমশক্তি ও কাজ করার স্পৃহা থাকা সত্ত্বেও তারা পেছনে পড়ে আছে। কারণ বাঙালিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে রাজি নয়। তারা মূলত কর্মবিমুখ জাতি নয়। তাদের মধ্যেও রয়েছে অসীম তেজ কিন্তু আলস্যপরায়ণতার জন্য এ স্পৃহাকে তারা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে না। ফলে তাদের জীবনে এসেছে আজকের এই দীনতা।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বাঙালিরা অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিল কীভাবে?
উত্তর : স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় বাঙালির সংগ্রামী চেতনার মাধ্যমে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিল।
বাঙালিরা নির্ভীক জাতি। মা ও মাতৃভূমিকে তারা প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। মায়ের ভাষা ও মাতৃভূমির সম্মান বাঁচাতে তারা সর্বদাই তৎপর। নিজেদের জীবন বাজি রেখে তারা অকাতরে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জরা-মৃত্যু-ভয়কে তুচ্ছ করে তারা সামনে এগিয়ে যায়। জীবনের সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয় বাংলার স্বাধীনতা। এভাবেই তারা নিজেদের অসীম সাহসিকতার পরিচয় তুলে ধরে বিশ্বের দরবারে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বিদেশি শক্তি এদেশকে বারবার আক্রমণ করেছিল কেন?
উত্তর : বাংলার মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠনের জন্যই বিদেশি শক্তি এদেশে বারবার আক্রমণ করেছিল।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। এদেশের মানুষের রয়েছে গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু ও পুকুর ভরা মাছ। এছাড়াও এদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে বহু নদী। এসব নদীতে মাছসহ রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের মূল্যবান পদার্থ। মাটির নিচে রয়েছে অফুরন্ত খনিজ সম্পদ। প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এদেশের সম্পদ লুটে নেয়ার জন্য বিদেশিরা বারবার আক্রমণ করেছে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বাঙালি বিদেশি শক্তির দাসত্ব করে কেন?
উত্তর : অলস স্বভাবের কারণে বাঙালি বিদেশি শক্তির দাসত্ব করে।
আমাদের বাংলাদেশ সম্পদে পরিপূর্ণ একটি দেশ। এদেশে মাঠ ভরা সোনালি ফসল, নদী ভরা মাছ আর মাটির নিচে রয়েছে খনিজ সম্পদের অফুরন্ত ভাণ্ডার। কিন্তু বাঙালি তার সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে পারে না। কারণ তারা অলস, কর্মবিমুখ। বাংলার সম্পদের মোহে বিদেশি শক্তি আসে এদেশে, লুটে নিয়ে যায় মূল্যবান সম্পদ। সেই সঙ্গে কর্মবিমুখতার সুযোগে তারা বাঙালির ওপর নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু বাঙালি নির্বিবাদে এসব নির্যাতন সহ্য করে কিছুই করতে পারে না। আর এ কারণেই বাঙালি বিদেশি শক্তির দাসত্ব করে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বাঙালি তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে কেন?
উত্তর : বাঙালির কর্মশক্তি একেবারেই নেই বলে তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে।
বাঙালির কর্মবিমুখতার কারণেই তাদের মধ্যে বিরাজ করে জড়তা, মৃত্যুভয়, আলস্য তন্দ্রা-নিদ্রা, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিচ্ছা। এই জড়তা তাদের দিব্যশক্তিতে তামসিকতায় আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। তামসিকতার কারণে বাঙালি চেতনা শক্তিকেও হারিয়ে ফেলেছে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বাঙালির অবিদ্যার ফলাফল ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অবিদ্যার কারণেই বাঙালির কর্মশক্তি একেবারে নেই। তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনা শক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে।
লেখকের মতে, এই তম, তিমির ও জড়ত্বই অবিদ্যা। অবিদ্যা মানুষকে অন্ধকার ও ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়। দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ ও মৃতপ্রায় করে রাখে। এই অবিদ্যার কারণেই বাঙালির দিব্যশক্তি কোনো কাজে লাগছে না।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ প্রত্যেক মানুষই ত্রিগুণান্বিত- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলামের মতে প্রত্যেক মানুষই সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ- এ তিনটি গুণের অধিকারী।
স্বত্ত্বগুণ হলো ঐশীশক্তি বা সততার শক্তি যা সকল অসৎ শক্তিকে পরাজিত করে পূর্ণতা দান করে। আবার সত্ত্বগুণের প্রধান শত্রু হলো তমোগুণ। তমোগুণ প্রবল রজঃ অর্থাৎ ক্ষাত্রশক্তিকে দমন করে। এই তিনটি গুণ মানুষের জীবনীশক্তিকে চির জাগ্রত রাখে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. অবিদ্যা কাদের জীবনে সবচেয়ে বেশি বাধা-বিঘ্ন আনে?
সাত্ত্বিক ভাবাপন্নদের খ ক্ষাত্রশক্তি ভাবাপন্নদের
গ রজগুণ ভাবাপন্নদের ঘ ব্রহ্মশক্তি ভাবাপন্নদের
২. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় কোন পত্রিকায়?
ক ধূমকেতু নবযুগ গ লাঙল ঘ আঙুর
উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বলেন, এই বাংলায় হিন্দু-মুসলমান, বাঙালি-অবাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই। তাদের সবার দায়িত্ব আপনাদের উপর।
৩. উদ্দীপকে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রতিফলিত ভাব হলোÑ
র. স্বদেশ চেতনা রর. অসাম্প্রদায়িক চেতনা
ররর. সংগ্রামী চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রর খ র ও রর
গ র ও ররর র, রর ও ররর
৪. উক্ত ভাবটি নিচের কোন চরণে ফুটে উঠেছে?
ক বাংলা সর্ব ঐশীশক্তির পীঠস্থান
খ আমাদের বাংলা নিত্য মহিমাময়ী
গ এই পবিত্র দেশ বাঙালির
বাংলার জয় হোক, বাঙালির জয় হোক
নির্বাচিত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫. কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
ক নবযুগ খ লাঙল গ ধূমকেতু বিজলী
৬. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে নিত্য-প্রাচুর্যে ও শুদ্ধতায় পূর্ণ কোনটি?
ক মাটি খ বায়ু জল ঘ প্রকৃতি
৭. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে আজানের সাথে শঙ্খ ঘণ্টার ধ্বনির উল্লেখ করার প্রকাশ পেয়েছেÑ
ক ধর্মীয় মূল্যবোধ খ সামাজিকতা
গ সাম্যবাদ অসাম্প্রদায়িকতা
৮. বাঙালি আজন্ম কেমন?
দিব্যশক্তি সম্পন্ন খ ক্ষাত্রশক্তি সম্পন
গ ঐশীশক্তি সম্পন্ন ঘ ব্রহ্মশক্তি সম্পন্ন
৯. বর্তমান যুগের ধর্ম কী?
ক ভেদাভেদ খ সাম্য গ বেদনা পীড়ন
১০. জড়তা কোন গন্তব্য পথে মানুষকে পরিচালিত করে?
ক বন্ধুর খ কণ্টকময় মৃত্যুময় ঘ জটিল
১১. ক্লৈব্য শব্দের অর্থ কী?
ক মূর্খতা খ শ্রমবিমুখতা
গ হতাশা কাপুরুষতা
১২. কাজী নজরুল ইসলামের চক্রবাক কী ধরনের গ্রন্থ?
কাব্যগ্রন্থ খ উপন্যাস
গ গল্পগ্রন্থ ঘ নাট্যগ্রন্থ
১৩. বিধাতা প্রাণ দিয়েছেন কেন?
ক ম্রিয়মাণ থাকার জন্য খ প্রাণহীন থাকার জন্য
গ হতাশাগ্রস্ত থাকার জন্য উজ্জ্বল থাকার জন্য
১৪. জড়তা মানবকে কেন মৃত্যুর পথে নিয়ে যায়?
ক ভবিষ্যৎ না ভাবায় খ কর্মহীনতার জন্যে
গ কুশিক্ষা পাওয়ায় অবিদ্যার কারণে
১৫. কাজী নজরুল ইসলামের মতে, প্রত্যেক মানুষই কয়টি গুণে গুণান্বিত?
ক দুইটি তিনটি
গ চারটি ঘ পাঁচটি
১৬. বিদ্রোহী কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
ক আজাদ খ ইত্তেফাক
গ সংবাদ বিজলী
১৭. কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
ক ১৯৭৩ খ ১৯৭৪
গ ১৯৯৫ ১৯৭৬
১৮. বাঙালির বাংলা রচনায় আমাদের মাতৃভূমিকে কী বলা হয়েছে?
ক স্রষ্টার দান খ শ্যামল দেশ
গ স্বর্গভূমি পৃথিবীর স্বর্গ
১৯. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে উল্লিখিত নিচের কোনটি অফুরান?
ক চা খ মাছ
গ গ্যাস কয়লা
২০. প্রকৃতির তিনটি গুণের মধ্যে কোনটির প্রভাবে মানবমনে অহংকার জন্ম নেয়?
ক সত্ত্ব রজঃ
গ তমঃ ঘ ব্রহ্ম
২১. সঞ্জীবনী শক্তির অর্থ কী?
ক সন্দীপ্ত করার শক্তি খ জীবিত করার শক্তি
সঞ্জীবিত করার শক্তি ঘ প্রেরণা দেয়ার শক্তি
২২. শশীর দাদার মৃত্যুতে সীমা এসে সান্ত্বনা দিল। বাক্যটির সাথে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের মিল আছে।
র. ইতিহাস-ঐতিহ্য রর. সম্প্রীতি
ররর. সামাজিকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৪ ও ২৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নাগের বাঘের পাহারাতে, হচ্ছে বদল দিনে রাতে
পাহাড় তারে আড়াল করে, সাগর যে তার ধোয়ায় পাটি।
২৩. উদ্দীপকে প্রকাশিত ভাবটি কোন রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
বাঙালির বাংলা
খ জাগো তবে অরণ্য কন্যারা
গ আবার আসিব ফিরে
ঘ মংড়ুর পথে
২৪. সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয়
র. বাঙালির সাহসিকতা রর. মুক্তির আহ্বান
ররর. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৬ ও ২৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আমরা দুর্বল নিরীহ বাঙালি। এই বাঙালি শব্দে কেমন সুমধুর তরল কোমল ভাব প্রকাশিত হয়। বিশ্বজগতে সমুদয় সৌন্দর্য এবং স্নিগ্ধতা লইয়া বাঙালি গঠিত হইয়াছে।
২৫. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধ অনুসারে উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে বাঙালি জাতির
র. প্রাচুর্য ও শুদ্ধতা রর. দিব্যশক্তির নিস্তেজতা
ররর. ক্ষাত্রশক্তির অকার্যকারিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৬. উক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণে বাঙালি
র. বিদেশিদের দাসত্ব করে
রর. রামা গামাদের সাহায্য করে
ররর. দীনহীন জীবনযাপন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
লেখক-পরিচিতি
২৭. কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
ঢাকায় খ কলকাতায়
গ বর্ধমানে ঘ বরিশালে
২৮. কাজী নজরুল ইসলাম কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৮৯০ খ ১৮৯৩
গ ১৮৯৫ ১৮৯৯
২৯. কত খ্রিষ্টাব্দে বাঙালি পল্টন ভেঙে দেয়া হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে খ ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে
১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে
৩০. কাজী নজরুল ইসলাম কোনটির বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ করেন? (জ্ঞান)
অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে
খ বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির বিরুদ্ধে
গ অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে
ঘ দুর্বলতা ও হারের বিরুদ্ধে
৩১. কত বছর বয়সে কাজী নজরুল ইসলাম কঠিন রোগে আক্রান্ত হন? (জ্ঞান)
ক তেইশ খ তেত্রিশ
তেতাল্লিশ ঘ তিপ্পান্ন
৩২. কত খ্রিষ্টাব্দে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে
গ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে
৩৩. কোন গ্রামে কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক দেবানন্দপুর চুরুলিয়া
গ মুরাতিপুর ঘ দুমকা
৩৪. বাঙালি পল্টনে যোগ দেয়ার সময় নজরুল ইসলাম কোন শ্রেণির ছাত্র ছিলেন? (জ্ঞান)
ক সপ্তম খ অষ্টম
গ নবম দশম
৩৫. নজরুলের রচনাবলি কোন চেতনায় সমৃদ্ধ? (অনুধাবন)
ক প্রকৃতি খ জীবপ্রেম
অসাম্প্রদায়িক ঘ গ্রামীণ
৩৬. কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য সাধনায় ছেদ পড়ে কেন? (অনুধাবন)
ক দরিদ্রতার কারণে
অসুস্থতার কারণে
গ যুদ্ধে যোগ দেয়ার কারণে
ঘ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে
৩৭. নিচের কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গ্রন্থ? (জ্ঞান)
অগ্নিবীণা খ বিরহ বিলাপ
গ সঞ্চয়িতা ঘ বলাকা
৩৮. কাজী নজরুল ইসলামের বিষের বাঁশী কী ধরনের গ্রন্থ? (জ্ঞান)
ক উপন্যাস খ প্রবন্ধ
কাব্য ঘ ছোটগল্প
মূলপাঠ
৩৯. পৃথিবীর যেকোনো জাতির চেয়ে বাঙালির মাঝে কোন শক্তি অধিক বিদ্যমান?
ক মেধাশক্তি ও স্মৃতিশক্তি
জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তি
গ স্মৃতিশক্তি ও শ্রদ্ধাশক্তি
ঘ শ্রদ্ধাশক্তি ও ভক্তিশক্তি
৪০. মুনি-ঋষিরা সর্ব দৈবশক্তির লীলা-নিকেতন কোনটিকে বলেছেন?
হিমালয়কে
খ বঙ্গোপসাগরকে
গ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়কে
ঘ মাধবকুণ্ডের ঝরনাকে
৪১. বাঙালির বাংলা রচনাটিতে কাজী নজরুল ইসলাম কোন মহাদেশের নাম উল্লেখ করেছেন?
এশিয়া খ ইউরোপ
গ আফ্রিকা ঘ অস্ট্রেলিয়া
৪২. বাঙালির বাংলা কোন ধরনের রচনা?
ক ছোটগল্প প্রবন্ধ
গ কথিকা ঘ রসরচনা
৪৩. বাঙালির কোন শক্তিটি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে? (জ্ঞান)
ক প্রেমশক্তি দিব্যশক্তি
গ স্মৃতিশক্তি ঘ মেধাশক্তি
৪৪. বাঙালিরা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে তাদের কোন শক্তি হারিয়ে ফেলেছে? (জ্ঞান)
ক প্রেরণাশক্তি খ বোধশক্তি
গ মেধাশক্তি চেতনাশক্তি
৪৫. তম বা অন্ধকারকে শাসন করতে পারে কে? (জ্ঞান)
ক ব্রহ্মশক্তি ক্ষাত্রশক্তি
গ জ্ঞানশক্তি ঘ ঐশীশক্তি
৪৬. কোন শক্তির অনুপস্থিতিতে মানুষের দিব্যশক্তি অকেজো হয়ে যায়? (জ্ঞান)
ক ঐশীশক্তির ক্ষাত্রশক্তির
গ সৎশক্তির ঘ জ্ঞানশক্তির
৪৭. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে প্রত্যেক মানুষের মাঝে কয়টি গুণ বিদ্যমান থাকার কথা বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক দুই তিন
গ পাঁচ ঘ সাত
৪৮. সব ধরনের অসৎ শক্তিকে পরাজিত করে মানুষকে পূর্ণতার পথে নিয়ে যায় কোন শক্তি? (জ্ঞান)
ঐশীশক্তি খ ব্রহ্মশক্তি
গ জ্ঞানশক্তি ঘ দিব্যশক্তি
৪৯. বাঙালির দেহ ও মন কেমন? (জ্ঞান)
পাষাণময় খ ব্রহ্মময়
গ প্রেমময় ঘ কর্মময়
৫০. বাংলার শিয়রে প্রহরীর মতো কোনটি জেগে আছে? (জ্ঞান)
হিমালয় খ তাজিংডন
গ কিলিমানজারো ঘ শিলং
৫১. বাংলার কোনটি নিত্য স্নিগ্ধ? (জ্ঞান)
ক রোদ খ বাতাস
চাঁদ ঘ ফুল
৫২. বাংলার বায়ুতে কোনটি বিদ্যমান? (জ্ঞান)
ক চির গ্রীষ্ম ও গরমের দাহ
চির বসন্ত ও শরতের মাধুর্য
গ চির শীত ও শীতের শুষ্কতা
ঘ চির বর্ষা ও শরতের মাধুর্য
৫৩. বাংলার জল কোনটি দ্বারা পূর্ণ? (জ্ঞান)
প্রাচুর্য ও শুদ্ধতায় খ মধুময় ও স্নিগ্ধতায়
গ শীতল ও শুদ্ধতায় ঘ মধুময় ও প্রাচুর্যে
৫৪. বাংলার মাটি কেমন? (জ্ঞান)
ক কর্দমাক্ত খ শুষ্ক
গ শিক্ত উর্বর
৫৫. কোন দেশটি নিত্য সবৈশ্বর্যময়ী? (জ্ঞান)
বাংলাদেশ খ পাকিস্তান
গ ভারত ঘ শ্রীলঙ্কা
৫৬. বাঙালি কোন শক্তিকে অবহেলা করল বলে তার দুর্গতি ও অভিশপ্তের জীবন হলো? (জ্ঞান)
ক ব্রহ্মশক্তিকে খ ক্ষাত্রশক্তিকে
দিব্যশক্তিকে ঘ ঐশীশক্তিকে
৫৭. বাঙালির দিব্যশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে কেন? (অনুধাবন)
ক ক্ষাত্রশক্তির অভাবে কর্মশক্তির অভাবে
গ ব্রহ্মশক্তির অভাবে ঘ দৈবশক্তির অভাবে
৫৮. বাঙালিরা চেতনা শক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে কেন? (অনুধাবন)
ক অতি ভালোবাসায় আচ্ছন্ন হওয়ার কারণে
খ অতি অন্ধকারে আচ্ছন্ন হওয়ার কারণে
গ অতি বিলাসিতায় আচ্ছন্ন হওয়ার কারণে
তামসিকতায় আচ্ছন্ন হওয়ার কারণে
৫৯. হিমালয়কে মুনি-ঋষিরা সর্ব দৈবশক্তির লীলানিকেতন বলেছেন কেন? (অনুধাবন)
এখানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মুনি-ঋষিরা সাধনা করেছেন বলে
খ এখানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ লুকায়িত আছে বলে
গ এখানে পৃথিবীর সর্বশক্তি নিহিত আছে বলে
ঘ এখানে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বীরদের কবরস্থান বলে
৬০. বাঙালিরা কর্মবিমুখ জাতিতে পরিণত হয়েছে কেন? (অনুধাবন)
ক অতি ভয়ের কারণে খ অতি সতর্কতার কারণে
গ অতি দরিদ্রতার কারণে অতি প্রাচুর্যের কারণে
৬১. বাংলায় যে শাসনকর্তা হয়ে এসেছে সেই স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পেরেছে কেন? (অনুধাবন)
ক বেশিরভাগ শাসনকর্তারই বাংলার প্রতি অতি আন্তরিক ছিল
খ বাংলার মানুষের অতি আন্তরিকতা
বাংলার আবহাওয়ায় আছে স্বাধীনতা মন্ত্রের সঞ্জীবনী শক্তি
ঘ বাংলার শাসনভার বেশিরভাগ সময়ই ছিল দুর্বল
৬২. বাঙালির জীবন অভিশপ্ত হলো কেন? (অনুধাবন)
ক ঐশীশক্তিকে অবহেলা করল বলে
ক্ষাত্রশক্তিকে অবহেলা করল বলে
গ দৈবশক্তিকে অবহেলা করল বলে
ঘ ব্রহ্মশক্তিকে অবহেলা করল বলে
৬৩. বিদেশিরা বার বার বাংলা আক্রমণ করেছে কেন? (অনুধাবন)
ক বাংলায় বাণিজ্যের বিভিন্ন সুযোগ থাকার কারণে
বাংলা সম্পদে পরিপূর্ণ থাকার কারণে
গ বাংলা জ্ঞানী ব্যক্তিদের জন্মস্থান হওয়ার কারণে
ঘ বাংলায় প্রচুর বনজ সম্পদ থাকার কারণে
৬৪. বহু বাঙালি আত্মোৎসর্গ করেছেন কেন? (অনুধাবন)
স্বাধীনতার জন্য খ নেতা নির্বাচনের জন্য
গ দল গঠনের জন্য ঘ স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ার জন্য
৬৫. কবি নজরুল ইসলাম কেন বাঙালি ছেলেমেয়েদের মন্ত্র বোঝানোর কথা বলেছেন? (অনুধাবন)
ক তাদের দিয়ে জাদু দেখাবেন বলে
স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য
গ শত্রুদের বিতাড়নের জন্য
ঘ নিজের ইচ্ছাকে প্রতিপালনের জন্য
৬৬. বাঙালিরা কেন সকলের দ্বারে ভিখারি হচ্ছে? (অনুধাবন)
ক জ্ঞানী মানুষের অভাবের কারণে
বিদেশিরা সব লুটে নিয়ে গেছে বলে
গ বাঙালিরা সব নিঃশেষ করেছে বলে
ঘ গরিব দেশ বলে
৬৭. আনোয়ার সাহেব বাঙালি হয়েও তিনি ইউরোপে তার বিচক্ষণ লেখনীর মাধ্যমে সবার কাছে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। তাঁর মধ্যে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে উল্লিখিত বাঙালিদের কোন গুণটি লক্ষণীয়? (প্রয়োগ)
ক কর্মশক্তি খ প্রেমশক্তি
জ্ঞানশক্তি ঘ চেতনাশক্তি
৬৮. আরিফা তার এলাকার মানুষদের অতুলনীয় সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করে নিয়েছেন। আরিফার মধ্যে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে উল্লিখিত বাঙালিদের কোন গুণটি বর্তমান? (প্রয়োগ)
প্রেমশক্তি খ চেতনাশক্তি
গ দিব্যশক্তি ঘ জ্ঞানশক্তি
৬৯. মৌমিতা বলে বাংলাদেশের আকাশ নিত্য প্রসন্ন, এখানের জল শুদ্ধতায় পূর্ণ আর মাটিতে সোনা ফলে। বাংলার প্রতি তার ধারণার সঙ্গে কোন কবির মনোভাব সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক কায়কোবাদ খ আহসান হাবিব
কাজী নজরুল ইসলাম ঘ সুকুমার রায়
৭০. কাজী নজরুল ইসলামের বাঙালির বাংলা প্রবন্ধটি পাঠের উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বাঙালি জাতির বীরত্ব ও যুদ্ধ বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধি
বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি
গ বাঙালি জাতির দীনতা ও আলস্য সম্পর্কে অবগত হওয়া
ঘ বাঙালি জাতির বিভিন্ন ক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞানবৃদ্ধি
৭১. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের মূল বিষয় কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সোনালি অতীতকে স্মরণ
খ বাংলার সৌন্দর্য প্রকাশ
গ বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ
বাঙালিদের সমৃদ্ধ সম্পদের অপব্যবহার
৭২. বাঙালিরা কোন কাজের মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে? (উচ্চতর দক্ষতা)
কর্মঠ হওয়ার মাধ্যমে
খ দাসত্ব থেকে মুক্তির মাধ্যমে
গ প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে
ঘ বিদেশিদের দেখভালের দায়িত্ব দেয়ার মাধ্যমে
৭৩. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের কোন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার প্রেরণা জোগাচ্ছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আত্ম সমালোচনায় খ আত্ম জাগরণের
সম্মিলিত জাগরণের ঘ জ্ঞানের জাগরণের
৭৪. বাঙালির অসাধ্য সাধনের জন্য করণীয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শিক্ষা অর্জন
অবিদ্যা থেকে মুক্তি লাভ
গ মনকে পাষাণমুক্ত করা
ঘ বিদেশিদের কূটবুদ্ধির জালে ফেলা
৭৫. বাঙালি জাতির মাঝে কর্মশক্তি না থাকার ফলাফল কী?
(উচ্চতর দক্ষতা)
দিব্যশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে
খ ব্রহ্মশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে
গ জ্ঞানশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে
ঘ প্রেমশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে
৭৬. বাঙালি জাতির আলস্য ও কর্মবিমুখতা তাদের ওপর কী প্রভাব ফেলেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অসৎ ও অপরাধী জাতিতে পরিণত করেছে
খ অলস ও গতিহীন জাতিতে পরিণত করেছে
দীন ও ভিখারি জাতিতে পরিণত করেছে
ঘ মূর্খ ও অহংকারী জাতিতে পরিণত করেছে
শব্দার্থ ও টীকা
৭৭. বাটপাড়ি শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক একনিষ্ঠ প্রতারণা গ শাসন ঘ হতাশা
৭৮. দিব্যশক্তি শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক দৈত্যদের শক্তি খ দেহের শক্তি
ঐশ্বরিক শক্তি ঘ মনের শক্তি
৭৯. তমঃ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক তন্দ্রা অন্ধকার
গ নিত্য ঘ নিবিড়
৮০. প্রকৃতির একটি গুণের প্রভাবে রিয়ার মনে অহংকার জন্মেছে। এ গুণটি কী? (প্রয়োগ)
রজঃ খ তমঃ
গ সত্ত্ব ঘ শাস্ত্র
৮১. ক্লৈব্য বলতে কী বোঝ? (অনুধাবন)
ক জীর্ণতা খ হতাশা
কাপুরুষতা ঘ অলসতা
৮২. সাত্ত্বিক শব্দের অর্থ কী? (প্রয়োগ)
ক উদার
খ সাতটি ত্বক
গ স্বার্থত্যাগ
ফলের আকাঙ্ক্ষাবিহীন
পাঠ-পরিচিতি
৮৩. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধটি ১৩৪৯ বঙ্গাব্দের ৩রা বৈশাখ কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? (জ্ঞান)
ক শিখা নবযুগ
গ ভারতী ঘ সবুজপত্র
৮৪. কাজী নজরুল ইসলামের মতে বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশ কেমন? (জ্ঞান)
ক নির্মল মধুময়
গ উজ্জ্বল ঘ শ্যামল
৮৫. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধটির লেখক কে? (জ্ঞান)
কাজী নজরুল ইসলাম খ জসীমউদ্দীন
গ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
লেখক-পরিচিতি
৮৬. কাজী নজরুল ইসলামকে বিদ্রোহী কবি বলা হয়Ñ (অনুধাবন)
র. তিনি বিদ্রোহী মেজাজের ছিলেন বলে
রর. তিনি অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ করতেন বলে
ররর. তাঁর কবিতায় অন্যায় ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উচ্চারিত হয় বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্যের যে শাখায় প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন (অনুধাবন)
র. সংগীত রর. কবিতা
ররর. মহাকাব্য
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. কাজী নজরুল ইসলাম বাংলায় যা লিখে প্রশংসা অর্জন করেন (অনুধাবন)
র. গান রর. গজল
ররর. সমালোচনা গ্রন্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কাব্যগ্রন্থ (অনুধাবন)
র. সাম্যবাদী রর. সর্বহারা
ররর. রিক্তের বেদন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কাব্যগ্রন্থ (অনুধাবন)
র. সিন্ধু-হিন্দোল রর. চক্রবাক
ররর. মৃত্যুক্ষুধা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মূলপাঠ
৯১. বাঙালির দিব্যশক্তি অন্ধকারাচ্ছন্ন। কারণ
র. তাদের কর্মশক্তির স্বল্পতা
রর. তারা জড়তা ও মৃত্যুভয়ে আড়ষ্ট
ররর. তারা অতিমাত্রায় অতিথিপরায়ণ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯২. মানুষ অমৃতের পানে আনন্দের পথে যেতে বাধাগ্রস্ত হয়Ñ (অনুধাবন)
র. জড়তার কারণে রর. অবিদ্যার কারণে
ররর. দিব্যশক্তির কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৩. ক্ষাত্রশক্তি প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এটি মানুষের আলস্য ও কর্মবিমুখতা দূর করে
রর. এটি মানুষের দেহ ও মনকে কর্মসুন্দর করে
ররর. এটি মানুষের জীবনী শক্তিকে চির জাগ্রত রাখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৯৪. বাংলাকে সর্ব ঐশীশক্তির পীঠস্থান বলা হয় যে কারণেÑ (অনুধাবন)
র. এখানে লক্ষ লক্ষ যোগী, মুনি, ঋষি, তপস্বীর পীঠস্থান
রর. সহস্র ফকির দরবেশ, অলি, গাজীর পবিত্র দরগা
ররর. এখানে বিভিন্ন ধর্মের লোক বাস করে বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৯৫. বাঙালি আজ সকলের চেয়ে দীন জাতিতে পরিণত হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. আলস্যের কারণে রর. পৌরুষের অভাবের কারণে
ররর. অশিক্ষিত হওয়ার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৬. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম গিরি হিমালয় পর্বতকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মুনি-ঋষি দেবীরা যা বলেনÑ (অনুধাবন)
র. সর্ব পাপ ও পুণ্যের বিচারালয় রর. সর্ব দৈবশক্তির লীলা-নিকেতন
ররর. সর্ব ক্ষমতার উৎস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র রর গ র ও রর ঘ রর ও ররর
৯৭. বাঙালিদের বিদেশি দাসত্বের বিষয়টি বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকের ওপর যে প্রভাব ফেলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ক্রোধে হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ওঠে রর. সারা দেহমনে প্রলয়ের কম্পন আসে
ররর. সারা বক্ষ মন্থন করে অশ্রু আসে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৯৮. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে প্রবন্ধকার বাঙালিদের সম্পর্কে যে সত্য তুলে ধরেছেন (অনুধাবন)
র. মায়াময় অরণ্য বাঙালিদের স্নিগ্ধ শান্তশ্রী দেয়
রর. মৃত্যুভয় বাঙালিদের দুর্বল করে দেয়
ররর. বজ্রের বিদ্যুৎ দেখে বাঙালিরা নেচে ওঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৯. বাঙালি জাতির তামসিকতায় আচ্ছন্ন হওয়ার ফলাফল হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তারা চেতনা শক্তি হারিয়ে ফেলেছে
রর. তারা ব্রহ্মশক্তি হারিয়ে ফেলেছে
ররর. তারা জ্ঞানশক্তি হারিয়ে ফেলেছে
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ র ও রর ঘ রর ও ররর
১০০. প্রবল ক্ষাত্রশক্তি দ্বারা সত্ত্বগুণের প্রধান শত্রু তমোগুণকে দমন করার ফলাফল হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেহ ও মনকে কর্মসুন্দর করে
রর. আলস্য ও কর্মবিমুখতা হ্রাস পায়
ররর. জীবনীশক্তিকে চির জাগ্রত রাখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০১. বাঙালি জাতি ক্ষাত্রশক্তিকে অবহেলা করার ফল হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুর্গতির জীবন ভোগ করা রর. অভিশপ্তের জীবন ভোগ করা
ররর. কর্মবিমুখ হওয়া জীবন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০২. প্রাবন্ধিক যে কারণে রামা-গামাদের এদেশ থেকে তাড়াতে চানÑ (অনুধাবন)
র. স্বদেশকে রক্ষা করার জন্য রর. স্বদেশের সম্পদ রক্ষার জন্য
ররর. স্বদেশের সার্বভৌমত্বের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৩. হেথায় গ্রামে হয় আজানের সাথে শঙ্খঘণ্টার ধ্বনি উক্তিটি যে তাৎপর্য বহন করে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তি রর. অসাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তি
ররর. সামাজিক ঐক্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
শব্দার্থ ও টীকা
১০৪. তামসিকতা বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. তমোগুণ বিশিষ্ট রর. অজ্ঞানজনিত ভাব
ররর. ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৫. সাত্ত্বিক শব্দটি বাঙালির বাংলা প্রবন্ধে যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে (অনুধাবন)
র. সত্ত্বগুণ সম্পর্কিত রর. ফলের আকাঙ্ক্ষাবিহীন
ররর. ব্রহ্মজ্ঞানজনিত
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৬. জরা বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. স্থবিরতা রর. হতাশা
ররর. দুর্বলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-পরিচিতি
১০৭. কাজী নজরুল ইসলামের মতে বাংলা (জ্ঞান)
র. মুনি, ঋষিদের পীঠস্থান রর. ফকির, দরবেশের পীঠস্থান
ররর. ফরাসি, ভারতীয়দের কর্মস্থল
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৮. বাঙালির বাংলা প্রবন্ধ অনুযায়ী বাঙালি জাতির করণীয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আলস্য ও কর্মবিমুখতা উপেক্ষা করা রর. বিদেশি শক্তি প্রতিহত করা
ররর. উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৯. বিদেশি শক্তি প্রতিহত করার জন্য বাঙালির করণীয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আলস্যকে উপেক্ষা করে জেগে ওঠা
রর. সাহিত্যচর্চায় আত্মনিয়োগ করা
ররর. কর্মবিমুখতা উপেক্ষা করে জেগে ওঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১১ ও ১১২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বড়লোক বাবার একমাত্র সন্তান সোহাগ। সে এবার মেধাবী ছাত্র হিসেবে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দিবে। কিন্তু তার বাবা-মা খুবই চিন্তিত, কারণ সোহাগ যথেষ্ট পরিশ্রম করতে চায় না।
১১০. উদ্দীপকের সোহাগের মধ্যে কোন শক্তির অভাব রয়েছে?
ক চেতনাশক্তি ক্ষাত্রশক্তি
গ দিব্যশক্তি ঘ ঐশীশক্তি
১১১. উদ্দীপকের সোহাগের মধ্যে কোন শক্তি থাকলেও বাঙালি তা কাজে লাগাতে পারছে না?
র. দিব্যশক্তি রর. ক্ষাত্রশক্তি
ররর. চেতনাশক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১৩ ও ১১৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জাহিদ হোসেন উত্তরাধিকার সূত্রে অনেক সম্পত্তির মালিক ছিলেন। কিন্তু কোনো কাজ না করে শুধু অলসভাবে সময় কাটাতে লাগলেন। এভাবে চলতে চলতে তার সংরক্ষিত সম্পদে ভাটা পড়তে শুরু করল।
১১২. উদ্দীপকের বিষয়টি তোমার পঠিত কোন প্রবন্ধে প্রতিফলিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
বাঙালির বাংলা খ মংডুর পথে
গ সুখী মানুষ ঘ বাংলা নববর্ষ
১১৩. জাহিদ হোসেনের সম্পদে ভাটা পড়ার কারণ হিসেবে উক্ত প্রবন্ধে কোন বিষয়টিকে ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক দিব্যশক্তি কর্মবিমুখতা
গ ক্ষত্রশক্তি ঘ বিদেশি প্রভাব
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১৫ ও ১১৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
স্যার আতিকুর রহমান বলেন, প্রতিটি বাঙালির মাঝে কর্মশক্তি থাকা একান্ত জরুরি। তিনি বলেন, বাংলার আকাশ নিত্য প্রসন্ন। এছাড়া বাংলার বাতাস, পানি প্রতিটি জিনিসই শুদ্ধতায় পূর্ণ। এছাড়া বাংলার মাটি এতই উর্বর যে প্রতিনিয়তই এখানে সোনা ফলে। প্রকৃতির এ ঐশ্বর্যই বাঙালিকে বিলাসী জাতিতে পরিণত করেছে।
১১৪. উদ্দীপকের বিষয়টি নিচের কোন রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক পড়ে পাওয়া বাঙালির বাংলা
গ অতিথির স্মৃতি ঘ তৈলচিত্রের ভূত
১১৫. উক্ত রচনা ও উদ্দীপককে সাদৃশ্যপূর্ণ করেছে যে বিষয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাঙালির প্রকৃতি বর্ণনা
রর. বাংলার সমৃদ্ধির বর্ণনা
ররর. নারীর রূপ বর্ণনা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১৭ ও ১১৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা;
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা;
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা;
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি।
১১৬. উদ্দীপকে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের কোন ভাবটি প্রতিফলিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক বাংলার অসাম্প্রদায়িকতা
বাংলার ঐশ্বর্য
গ বাঙালির গুণ
ঘ বাঙালির সংগ্রাম
১১৭. উক্ত ভাব বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের যে বাক্যে প্রকাশিত হয়েছে (অনুধাবন)
র. বাংলার মাটি নিত্য-উর্বর
রর. আমাদের মাতৃভূমি পৃথিবীর স্বর্গ নিত্য সবৈশ্বর্যময়ী
ররর. দিয়া প্রহারেণ ধনঞ্জয়, তাড়াব আমরা করি না ভয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১৯ ও ১২০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহিম উদ্দীন ও সঞ্জয় চক্রবর্তী পরম বন্ধু। তারা একজনের বিপদে আরেকজন আন্তরিক সাহায্য করে। গরিব রহিম উদ্দীনের মেয়ের বিয়েতে সঞ্জয় বিশ হাজার টাকা দেয়।
১১৮. উদ্দীপকে বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের প্রতিফলিত ভাবটি হলো (প্রয়োগ)
অসাম্প্রদায়িকতা খ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
গ সম্পদের সমৃদ্ধি ঘ বাঙালির প্রতিবাদমুখরতা
১১৯. উক্ত ভাবটি বাঙালির বাংলা প্রবন্ধের যে বাক্যে ফুটে উঠেছে (অনুধাবন)
হেথায় গ্রামে হয় আজানের সাথে শঙ্খঘণ্টার ধ্বনি
খ আমাদের মাতৃভূমি পৃথিবীর স্বর্গ
গ বাংলার আকাশ নিত্যপ্রসন্ন
ঘ বাংলার চাঁদ নিত্য স্নিগ্ধ