পঞ্চম শ্রেণী বাংলা দ্বাবিংশ অধ্যায় বই
বই
হুমায়ুন আজাদ
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
য় সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১) কেমন বই পড়লে মন আলোকিত হবে?
ক যে বই ভালোবাসতে শেখায়
খ যে বই ভয় দেখায়
গ যে বই স্বার্থপরতা শেখায়
ঘ যে বই মন্দ হওয়ার পথ দেখায়
২) যে বইয়ের পাতায় গোলাপ ফোটে সে বই আমরাÑ
ক পড়ব না খ ধরব না
গ পড়ব ঘ এড়িয়ে চলব
৩) যে বই আমাদের অন্ধ করে সেগুলো পড়লে কী হবে?
ক সুন্দর ভাবনায় মন ভরে যাবে
খ কিছুই হবে না
গ অন্ধদের প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে
ঘ স্বার্থপরতায় মন ভরে উঠবে
৪) ভালো মানুষ হওয়ার জন্য কেমন বই পড়তে হবে?
ক মন্দ বই খ ভালো বই
গ ভালো-মন্দ সব বই ঘ শুধু পাঠ্য বই
৫) মন্দ বইগুলো আমাদের কিসে বাধা দেয়?
ক ভীতু হতে খ সুন্দর মানুষ হতে
গ সংকীর্ণমনা হতে ঘ স্বার্থপর হতে
৬) মন্দ বইগুলো পড়লে আমাদের মন কিসে ভরে উঠবে?
ক অন্ধকারে খ আলোতে
গ মানবিক গুণে ঘ কৌতূহলে
৭) বইয়ের পাতায় কী জ্বলে?
ক আগুন খ জোনাকি
গ প্রদীপ ঘ তারা
৮) ‘বন্ধ’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) অচল (খ) অন্ধকার
(গ) উত্তাপ (ঘ) অশান্তি
৯) আমাদের কোন ধরনের বই পড়া উচিত?
(ক) যে বই ভয় দেখায়
(খ) যে বইয়ে ভালো কথা লেখা
(গ) যে বইয়ে মন্দ কথা লেখা
(ঘ) যে বই মন্দ ছেলেরা পড়ে
১০) ‘প্রদীপ’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) শিখা (খ) আলো
(গ) বাতি (ঘ) হারিকেন
১১) যে বই আমাদের স্বার্থপর করে তোলে সে বই আমরাÑ
(ক) পড়ব (খ) পড়ব না
(গ) অন্যকে পড়তে বলব (ঘ) কিনব
১২) কবিতাংশের মূলকথা কী?
(ক) মন্দ বইগুলোও পড়া প্রয়োজন
(খ) বই মানুষকে ভয় দেখায়
(গ) ভালো মানুষ হতে হলে ভালো বই পড়তে হবে
(ঘ) পড়ার সময় মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১) ক যে বই ভালোবাসতে শেখায়
২) গ পড়ব
৩) ঘ স্বার্থপরতায় মন ভরে উঠবে
৪) খ ভালো বই
৫) খ সুন্দর মানুষ হতে
৬) ক অন্ধকারে
৭) গ প্রদীপ
৮) (ক) অচল
৯) (খ) যে বইয়ে ভালো কথা লেখা
১০) (গ) বাতি
১১) (খ) পড়ব না
১২) (গ) ভালো মানুষ হতে হলে ভালো বই পড়তে হবে
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১) ‘যে-বই জুড়ে সূর্য ওঠে
পাতায় পাতায় গোলাপ ফোটে’Ñ কথাটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : কথাটি দিয়ে সুন্দর ও শুভ চিন্তায় ভরা বইয়ের কথা বলা হয়েছে। এ বইগুলো আমাদের মাঝে আলো ছড়ায়, মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়।
২) বই কীভাবে ভিন্ন আলো জ্বালে?
উত্তর : ভালো বইগুলোতে সুন্দর ভাবনা-চিন্তার কথা লেখা থাকে। সেগুলো পড়ে আমরা আলোকিত মানুষ হয়ে উঠি। এভাবেই বই ভিন্ন আলো জ্বালে।
৩) বই পড়ে আমরা কীভাবে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারি?
উত্তর : বই পড়ে আমরা নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করি। ভালো বইগুলো আমাদের মন থেকে স্বার্থপরতা ও মন্দ চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে এবং মনে শুভ ভাবনার প্রদীপ জ্বালিয়ে দেয়। এভাবেই আমরা বই পড়ে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারি।
৪) সুন্দর চিন্তা-ভাবনায় ভরা বই পড়লে আমাদের কী উপকার হবে?
উত্তর : সুন্দর চিন্তা-ভাবনায় ভরা বই পড়লে আমরা মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হয়ে উঠতে পারব।
৫) সুন্দর মানুষ হয়ে ওঠার পথে কোন ধরনের বই কীভাবে বাধা দেয়?
উত্তর : কিছু কিছু বই আছে যেগুলো আমাদের মনকে স্বার্থপর করে তোলে। মনকে ঈর্ষা ও হিংসায় ভরিয়ে তোলে। সুন্দর মানুষ হয়ে ওঠার পথে এ ধরনের বই আমাদের বাধা দেয়।
৬) ‘বইয়ের পাতায় প্রদীপ জ্বলে
বইয়ের পাতা স্বপ্ন বলে।’- কথাটি ব্যাখ্যা করি।
উত্তর : বই আমাদের আলোকিত জীবনের স্বপ্ন দেখায়- এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে আলোচ্য কথাটির মাধ্যমে।
বই আমাদের সামনে সুন্দর চিন্তা ও কথা তুলে ধরে। বইয়ে এগুলো পড়ে আমরা নতুন নতুন জিনিস নিয়ে কল্পনা করি, নতুন নতুন স্বপ্ন দেখি। এভাবে বই থেকে জ্ঞানার্জন করে আমরা আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠি।
৭) কোন ধরনের বই পড়া উচিত? কেন?
উত্তর : যে বইগুলো সুন্দর ও শুভ চিন্তা-ভাবনার কথা বলে সে বইগুলোই আমাদের পড়া উচিত।
ভালো বইগুলো আমাদের মনকে সুন্দর স্বপ্নে ভরিয়ে তোলে। মন থেকে স্বার্থপরতা ও অন্যান্য মন্দ চিন্তা দূর করে। তাই মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হয়ে উঠবার জন্য আমাদের এ ধরনের বই পড়া উচিত।
৮) কোন ধরনের বই পড়া উচিত নয়? কেন পড়া উচিত নয়?
উত্তর : যে বইগুলো মনকে ক্ষুদ্র ও স্বার্থপর করে তোলে সে বইগুলো পড়া উচিত নয়।
কিছু কিছু বই মনকে উদার করে তোলার পরিবর্তে সংকীর্ণ ও স্বার্থপর করে তোলে। এ বইগুলো পড়লে মন আলোকিত হয় না। ভালো মানুষ হয়ে ওঠার পথে এই বইগুলো আমাদের বাধা দেয়। তাই এ ধরনের বই পড়া উচিত নয়।
৯) ‘বই আমাদের জ্ঞানকে প্রসারিত করে’Ñ বুঝিয়ে বলি।
উত্তর : বই হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার। জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা বিষয় আমরা বই পড়ে জানতে পারি। এর ফলে আমরা নতুন করে ভাবতে শিখি। আরও নতুন নতুন জিনিস সম্পর্কে জানতে কৌতূহলী হয়ে উঠি। এভাবেই বই আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে।
১০) বইয়ের পাতা কী বলে?
উত্তর : বইয়ের পাতা স্বপ্ন বলে।
১১) বইয়ের পাতায় কী জ্বলে? আমরা কোন বই ধরব না?
উত্তর : বইয়ের পাতায় প্রদীপ জ্বলে।
কিছু কিছু বই আছে যেগুলো পড়লে আমাদের মন সংকীর্ণ ও স্বার্থপর হয়ে যায়। এ বইগুলো আমরা ধরব না।
১২) বইয়ের পাতায় কী ফোটে? বইয়ের পাতা কীভাবে স্বপ্ন বলে?
উত্তর : বইয়ের পাতায় গোলাপ ফোটে।
বইয়ের পাতায় অনেক ধরনের চিন্তা-ভাবনার কথা লেখা থাকে। এগুলো পড়ে আমরা কল্পনা করতে শিখি। মন ভরে ওঠে নানা স্বপ্নে। এভাবেই বইয়ের পাতা স্বপ্ন বলে।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
য় কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : বইয়ের পাতা অনেক নতুন চিন্তা-ভাবনার কথা বলে, আমাদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়। তবে কিছু কিছু বইয়ে থাকে মন্দ ভাবনার কথা। এ বইগুলো পড়লে আমাদের মন সংকীর্ণ ও স্বার্থপরতায় পূর্ণ হয়ে যায়। তাই এই বইগুলো আমরা পড়ব না। আলোকিত মানুষ হওয়ার জন্য আমরা সুন্দর চিন্তা-ভাবনায় ভরা বইগুলো পড়ব।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
জ্ঞানার্জনের একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম হচ্ছে বই। ভালো বইয়ের মধ্যে এমন একটি গুণ থাকে, যা সহৃদয় পাঠকের মনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘রামের সুমতি’ আমার প্রিয় বই। পৃথিবীতে বহু বিখ্যাত বই থাকতে ‘রামের সুমতি’ আমার ভালো লাগার কারণ হলো ‘রাম’ চরিত্রটি। কমবয়সী রামের দুষ্টু বুদ্ধির নানা রকম চিত্র শরৎচন্দ্রের ‘রামের সুমতির’ মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। রামের মা-বাপ ছিল না। বৌদির স্নেহ ও শাসনের ছায়াতলে সে বেড়ে উঠেছিল। বৌদির অসুখের সময় নীলমণি ডাক্তার যখন আসতে চাইল না তখন রাম ডাক্তারের মুখে ঘুষি দিয়ে দাঁত ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়। ডাক্তারের কলমের আমবাগান উপড়ে ফেলার হুমকি দিয়ে তাকে আসতে বাধ্য করে। গ্রামের কিপটে, অত্যাচারী ও ফাঁকিবাজ নীলমণি ডাক্তার রামকে যমের মতো ভয় করত। এ ঘটনা থেকে রামকে গোঁয়ার বা ডানপিটে মনে হলেও রাম গোঁয়ার বা ডানপিটে কোনোটিই নয়। সে নিপীড়িতের সেবা এবং অত্যাচারীকে শায়েস্তা করাকে কর্তব্য বলে মনে করেছে। এছাড়া নানা ধরনের মজার মজার কাণ্ড করেছে সে পুরোটা কাহিনি জুড়ে। রামকে ভালোবেসেছি কিন্তু রামের মতো সহজ বুদ্ধিতে কাজ করার শক্তি ও সাহস আমার নেই। এজন্যই রাম চরিত্রটির প্রতি আমার একটি গোপন আকর্ষণ আছে। তাই এ বইটি আমার কাছে এত প্রিয়। ‘রামের সুমতি’ পড়তে বসলে একবারে শেষ না করে ওঠা যায় না। যে বই পড়ে আনন্দ পাওয়া যায়, সেরকম বই-ই পড়া উচিত। রামের সুমতি পড়ে আমি অপরিসীম আনন্দ পেয়েছি।
য় সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) সহৃদয় পাঠকের মনে কেমন বই বিশেষ ছাপ ফেলে?
(ক) ভালো বই (খ) মন্দ বই
(গ) যেকোনো বই (ঘ) ক্লাসের বই
২) ‘রামের সুমতি’ বইয়ের কাকে অনুচ্ছেদের লেখকের খুব ভালো লেগেছে?
(ক) নীলমণি ডাক্তারকে (খ) বৌদিকে
(গ) বইয়ের লেখককে (ঘ) বইয়ের মূল চরিত্রটিকে
৩) অনুচ্ছেদে মূলত প্রকাশিত হয়েছেÑ
(ক) প্রিয় বইয়ের কথা
(খ) অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথা
(গ) শৈশবের আনন্দের কথা
(ঘ) গল্প লেখার আনন্দের কথা
৪) ‘রামের সুমতি’ বইয়ের শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হচ্ছেনÑ
(ক) কেন্দ্রীয় চরিত্র (খ) লেখক
(গ) অত্যাচারী ডাক্তার (ঘ) বাবা-মা হারা কিশোর
৫) অনুচ্ছেদ পড়ে বলা যায় রামের সবচেয়ে আপন ছিল-
(ক) বাবা (খ) মা
(গ) বৌদি (ঘ) নীলমণি ডাক্তার
উত্তর : ১) (ক) ভালো বই; ২) (ঘ) বইয়ের মূল চরিত্রটিকে; ৩) (ক) প্রিয় বইয়ের কথা; ৪) (খ) লেখক; ৫) (গ) বৌদি।
য় নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
উৎকৃষ্ট উত্তম, উন্নত।
কথাশিল্পী গল্প, উপন্যাস, কাহিনি ইত্যাদির লেখক।
সহৃদয় আন্তরিকতাপূর্ণ, হৃদয়বান।
অপরিসীম অসীম।
ডানপিটে দুরন্ত, চঞ্চল।
গোঁয়ার অত্যন্ত জেদি, একগুঁয়ে।
ক) বাদল খুব প্রকৃতির বলে ওকে কেউ ভালোবাসে না।
খ) হুমায়ূন আহমেদ এ দেশের নামকরা ।
গ) লোকেরা শিশুটিকে সাহায্য করলেন।
ঘ) রাজশাহীর আম মানের হয়।
ঙ) ছেলেটি খুব লাফালাফি করছে।
উত্তর : ক) গোঁয়ার; খ) কথাশিল্পী; গ) সহৃদয়; ঘ) উৎকৃষ্ট; ঙ) ডানপিটে।
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) ‘রামের সুমতি’ বইয়ের রাম চরিত্রটি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : নিচে পাঁচটি বাক্যে ‘রামের সুমতি’ বইয়ের রাম চরিত্র সম্পর্কে লেখা হলো-
১) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘রামের সুমতি’ বইয়ের মূল চরিত্র হলো রাম।
২) কম বয়সী রাম দুষ্টু বুদ্ধি দিয়ে নানা রকম মজার মজার কাণ্ড ঘটায়।
৩) রাম নিপীড়িতের সেবায় এগিয়ে যায়।
৪) অত্যাচারীকে উচিত শিক্ষা দিতে রাম ছাড়ে না।
৫) সব মিলিয়ে রাম চরিত্রটি খুবই আকর্ষণীয়।
খ) ‘রামের সুমতি’ বইটি অনুচ্ছেদের লেখকের কেন ভালো লেগেছে? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : অনুচ্ছেদের লেখক ‘রামের সুমতি’ বইয়ের রামের সহজ বুদ্ধির প্রতি প্রবল টান অনুভব করেছেন। পুরো বইটিতে রয়েছে রামের মজার সব কাণ্ডকারখানার বর্ণনা। বইটির কাহিনি এমনই আকর্ষণীয় যে পড়তে বসলে একবারে শেষ না করে উঠতে ইচ্ছে করে না। বইটি তাকে আনন্দ দিতে পেরেছিল। আর এসব কারণেই ‘রামের সুমতি’ বইটি অনুচ্ছেদের লেখকের প্রিয় বই।
গ) রাম কীভাবে নীলমণি ডাক্তারকে আসতে বাধ্য করেছিল? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : রামের স্নেহময়ী বৌদি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাম নীলমণি ডাক্তারকে ডেকে আনতে যায়। কিন্তু ফাঁকিবাজ ডাক্তার কিছুতেই আসতে চাচ্ছিল না। রাম ডাক্তারকে ঘুষি মেরে দাঁত ভেঙে দেওয়ার কথা বলে। তার কলমের আমবাগান নষ্ট করার ভয় দেখায়। এভাবেই সাহসী রাম অত্যাচারী নীলমণি ডাক্তারকে আসতে বাধ্য করেছিল।
ঘ) নীলমণি ডাক্তার সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ। রামের দুটি গুণের কথা লেখ।
উত্তর : নীলমণি ডাক্তার সম্পর্কে তিনটি বাক্য :
১) নীলমণি ডাক্তার ছিল অত্যাচারী।
২) সে ছিল অত্যন্ত কিপটে।
৩) সে রামকে যমের মতো ভয় পেত।
রামের দুটি গুণের কথা নিচে উল্লেখ করা হলো :
১) রাম অসহায় মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসত।
২) রাম অত্যাচারীকে উচিত সাজা দিত।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
স্ব, জ্ব, ক্ষ, ন্ত।
উত্তর :
স্ব = স + ব-ফলা ( ^ ) স্বাধীন
বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ।
জ্ব = জ + ব-ফলা ( ^ ) জ্বর
খোকার ভীষণ জ্বর।
ক্ষ = ক + ষ ক্ষমা
ক্ষমা একটি মহৎ গুণ।
ন্ত = ন + ত গন্তব্য
আমাদের গন্তব্য সিলেট।
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
প্র, ন্ধ, ম্প, ন্ন, ন্দ।
উত্তর :
প্র = প + র-ফলা ( ্র ) প্রকৃতি
– বাংলাদেশের প্রকৃতি বড়ই মনোরম।
ন্ধ = ন + ধ সন্ধ্যা
– খোকা সন্ধ্যায় পড়তে বসে।
ম্প = ম + প সম্পূর্ণ
– সম্পূর্ণ কাজটা খুকু একাই করল।
ন্ন = ন + ন উন্নয়ন
– দেশের উন্নয়নে সবাইকে কাজ করতে হবে।
ন্দ = ন + দ অন্দর
– বাড়ির ভেতরের অংশের নাম অন্দর।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
য় ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
জ্বলিতেছে, বলিয়া, পড়িবে, ধরিতেছে, ভরাইয়া।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
জ্বলিতেছে জ্বলছে
বলিয়া বলে
পড়িবে পড়বে
ধরিতেছে ধরছে
ভরাইয়া ভরিয়া
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
প্রদীপ বাতি, দীপ, পিদিম, দীপবর্তিকা, আলোকাধার।
আলো আলোক, প্রভা, আভা, দীপ্তি, জ্যোতি।
সূর্য রবি, তপন, দিবাকর, ভানু, প্রভাকর।
য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
শুভ, আলো, অন্ধকার, ভিন্ন, সূর্য।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
শুভ Ñ মঙ্গল, কল্যাণ।
আলো Ñ জ্যোতি, আলোক।
অন্ধকার Ñ তমসা, তিমির।
ভিন্ন Ñ আলাদা, পৃথক।
সূর্য Ñ অরুণ, ভানু।
য় নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
জ্বলা, আলো, বন্ধ, শুভ, হিংসা।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
জ্বলা Ñ নেভা
আলো Ñ অন্ধকার
বন্ধ Ñ খোলা
শুভ Ñ অশুভ
হিংসা Ñ অহিংসা
কবিতার চরণ সাজিয়ে লিখন এবং কবিতা, কবির নাম ও প্রশ্নোত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(ক) কবিতার চরণগুলো সাজিয়ে লেখ ঃ
তোমাকে শেখায় বাসতে ভালো
সে-বই তুমি পড়বে।
যে-বই জ্বালে ভিন্ন আলো
সেগুলো কোনো বই-ই নয়
যে-বই তোমায় দেখায় ভয়
সে-বই তুমি পড়বে না।
(খ) কবিতার অংশগুলো কোন কবিতার অংশ তা লেখ।
(গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) কোন বই পড়া উচিত নয়? কেন পড়া উচিত নয়?
উত্তর ঃ
(ক) যে বই জ্বালে ভিন্ন আলো
তোমাকে শেখায় বাসতে ভালো
সে-বই তুমি পড়বে।
যে-বই তোমায় দেখায় ভয়
সেগুলো কোন বই-ই নয়
সে-বই তুমি পড়বে না।
(খ) কবিতার অংশটুকু ‘বই’ কবিতার অংশ।
(গ) কবিতাটির কবির নাম হুমায়ুন আজাদ।
(ঘ) উত্তর : যে বইগুলো মনকে ক্ষুদ্র ও স্বার্থপর করে তোলে সে বইগুলো পড়া উচিত নয়।
কিছু কিছু বই মনকে উদার করে তোলার পরিবর্তে সংকীর্ণ ও স্বার্থপর করে তোলে। এ বইগুলো পড়লে মন আলোকিত হয় না। ভালো মানুষ হয়ে ওঠার পথে এই বইগুলো আমাদের বাধা দেয়। তাই এ ধরনের বই পড়া উচিত নয়।