পঞ্চম শ্রেণী বাংলা একবিংশ অধ্যায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

য়    সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।

১)   মওলানা ভাসানী কাদের অতি আপনজন?

      ক   মেহনতি মানুষের     

      খ    বড়লোক মানুষদের   

      গ   অধিক বয়সী মানুষের

      ঘ    প্রবাসী মানুষের

২)   মওলানা ভাসানীকে কোনটি বলা হয়?    

      ক   অবিসংবাদিত জননেতা

      খ    মজলুম জননেতা

      গ   ধর্মীয় জননেতা

      ঘ    ভাসানচরের জননেতা

৩)   মওলানা ভাসানী কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?

      ক   কাগমারি  খ    ভাসানচর

      গ   ধানগড়া   ঘ    সন্তোষ

৪)   মওলানা ভাসানীর জন্মসাল কোনটি?     

      ক   ১৮৬০    খ    ১৮৭০

      গ   ১৮৮০     ঘ    ১৮৯০

৫)   ইরাক থেকে আগত পীর ভাসানীকে দেওবন্দ পাঠান কেন?            

      ক   শিক্ষা লাভের জন্য

      খ    রাজনীতি চর্চার জন্য  

      গ   ধর্মীয় চর্চার জন্য

      ঘ    আন্দোলন করার জন্য

৬)   কাগমারি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করার সময় কোন বিষয়টি মওলানা ভাসানীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে?    

      ক   নারীদের অধিকারহীনতা

      খ    জমিদারের অন্যায়-অবিচার 

      গ   পাকিস্তানিদের অত্যাচার

      ঘ    বাঙালির নিরক্ষরতা

৭)   জমিদারের কুনজরের কারণে মওলানা ভাসানীকেÑ   

      ক   কর্মস্থল ছাড়তে হয়    খ    দেশ ছাড়তে হয়

      গ   ভারতবর্ষ ছাড়তে হয়   ঘ    জন্মস্থান ছাড়তে হয়

৮)   কত বছর বয়সে মওলানা ভাসানী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন? 

      ক   বিশ বছর  খ    একুশ বছর

      গ   বাইশ বছর ঘ    তেইশ বছর

৯)   কোন আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে মওলানা ভাসানী সতেরো মাস কারারুদ্ধ ছিলেন?   

      ক   ভাষা আন্দোলন

      খ    জমিদারি উচ্ছেদ আন্দোলন

      গ   ছয় দফা আন্দোলন

      ঘ    অসহযোগ আন্দোলন

১০)  সিরাজগঞ্জের জনসভায় জমিদারদের নির্যাতনের প্রতিবাদ জানালে মওলানা ভাসানীর কী পরিণতি হয়?   

      ক   জন্মভূমি ত্যাগে বাধ্য হন

      খ    চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন

      গ   কারাভোগ করতে বাধ্য হন

      ঘ    সহায়-সম্পত্তি হারাতে বাধ্য হন

১১)  ভাসানচর কোথায় অবস্থিত?       

      ক   সিরাজগঞ্জে খ    কলকাতায়

      গ   টাঙ্গাইলে   ঘ    আসামে

১২)  মওলানা ভাসানী কত সালে পূর্ববাংলায় ফিরে আসেন?

      ক   ১৯৪২ সালে     খ    ১৯৪৭ সালে

      গ   ১৯৫২ সালে     ঘ    ১৯৫৭ সালে

১৩)  কত সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিপুল ভোটে জয়ী হয়?     

      ক   ১৯৪৭ সালের    খ    ১৯৫৪ সালের  

      গ   ১৯৬২ সালের   ঘ    ১৯৭০ সালের

১৪)  ১৯৭০ সালের নভেম্বরে পল্টন ময়দানে দেওয়া ভাষণে ভাসানী কাদের বিষয়ে বাঙালিকে সতর্ক করেছিলেন?      

      ক   জমিদারদের খ    পাকিস্তানিদের

      গ   ব্রিটিশদের  ঘ    শিল্পমালিকদের

১৫)  মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য মওলানা ভাসানী

      কোথায় যান?               

      ক   ভারতে    খ    পাকিস্তানে

      গ   আমেরিকায় ঘ    ইংল্যান্ডে

১৬)  মওলানা ভাসানীর মৃত্যু হয় কোথায়?     

      ক   ঢাকায়     খ    টাঙ্গাইলে

      গ   আসামে   ঘ    কলকাতায়

১৭)  মওলানা ভাসানী সেসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন

      তার সবই ছিলÑ            

      ক   ধর্মীয় চেতনামূলক    খ    জনকল্যাণকর

      গ   দেশবিরোধী ঘ    শিক্ষাসংক্রান্ত

১৮)  মওলানা ভাসানী চিরকাল কেমন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন?

      ক   নির্যাতিত   খ    অবহেলিত

      গ   সুখী  ঘ    বড়লোক

১৯)  মওলানা ভাসানী কোন পীর সাহেবের স্নেহদৃষ্টি লাভ করেন?

      ক   ইরাকের   খ    বাংলাদেশের

      গ   ভারতের   ঘ    পাকিস্তানের

২০)  তাঁকে কাগমারি কেন ছাড়তে হয়?

      ক   গ্রামের মানুষের কারণে

      খ    জমিদারদের কারণে

      গ   ব্যবসায়ীদের কারণে

      ঘ    রাজনৈতিক কারণে

২১)  মওলানা ভাসানী তাঁর এক ভাষণে কী বলেছেনÑ

      ক   আমি খেটে-খাওয়া মানুষের কথা বলি

      খ    আমি আরামপ্রিয় মানুষের কথা বলি

      গ   আমি সুখী মানুষের কথা বলি

      ঘ    আমি ভালো মানুষের কথা বলি

২২)  মওলানা ভাসানী শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে গঠন করেনÑ

      ক   যুক্তফ্রন্ট   খ    যুক্তদল

      ৩.   যুবফোরাম ঘ    যুবফ্রন্ট

২৩)  মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর কী ছিলেন?

      ক   সদস্য খ    প্রেসিডেন্ট

      গ   সহকারী   ঘ    কেউ নন

২৪)  তিনি কোন নেতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন?

      ক   হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

      খ    দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ

      গ   শেরে বাংলা ফজলুল হক

      ঘ    শেখ মুজিবুর রহমান

২৫) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছেÑ

      (ক)  মওলানা ভাসানীর জন্মপরিচয় সম্পর্কে

      (খ)  মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবনের কথা

      (গ)  মওলানা ভাসানীর সাধারণ জীবন যাপনের কথা

      (ঘ)  মওলানা ভাসানীর বিদ্যানুরাগের কথা

২৬) ‘বিষ-নজর’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক)  দুর্বল দৃষ্টিশক্তি   (খ)  ক্ষোভের শিকার

      (গ)  প্রখর দৃষ্টিশক্তি   (ঘ)  বিশেষ অনুরাগ

২৭)  ‘নিপীড়ন’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক)  সহায়তা   (খ)  শাসন

      (গ)  পলায়ন    (ঘ)  অত্যাচার

২৮) ‘টাঙ্গাইল’ শব্দটির যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত?

      (ক)  ঙ + গ    (খ)  ড + গ

      (গ)  ঞ + গ  (ঘ)  ন + গ

২৯)  ভাসানচরের জনসভায় মওলানা ভাসানী কাদের পক্ষে কথা বলেন?

      (ক)  শিক্ষকদের (খ)  কৃষকদের

      (গ)  রাজনীতিবিদদের (ঘ)  নারীদের

৩০)  ১৯৭১ সালে কার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়?

      (ক) মওলানা ভাসানীর

      (খ)  এ. কে. ফজলুল হকের

      (গ)  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের

      (ঘ)  হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর

৩১) ‘উপদেষ্টা’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক)  নেতা     (খ)  পরামর্শদাতা

      (গ)  পরিচালক (ঘ)  প্রতিষ্ঠাতা

৩২) মওলানা ভাসানীর টাঙ্গাইলের ঘরবাড়ি পাকিস্তানি সৈন্যরা পুড়িয়ে দেয় কেন?

      (ক)  ভাসানী মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলেন বলে

      (খ)  তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় বলে

      (গ)  তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন বলে

      (ঘ)  তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে

৩৩) ‘স্বাধীন’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক)  মুক্ত  (খ)  অন্যের অধীন

      (গ)  যুদ্ধে বিজয়ী     (ঘ)  নিঃসঙ্গ

৩৪)  অনুচ্ছেদটি আমাদের কী ধারণা দেয়?

      (ক)  মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে

      (খ)  মুক্তিযুদ্ধের সময় মওলানা ভাসানীর ভূমিকা সম্পর্কে

      (গ)  মওলানা ভাসানীর শিক্ষাজীবন সম্পর্কে

      (ঘ)  দেশ গঠনে মওলানা ভাসানীর অবদান সম্পর্কে

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর

১)   ক   মেহনতি মানুষের

২)   খ    মজলুম জননেতা

৩)   গ   ধানগড়া  

৪)   গ   ১৮৮০    

৫)   ক   শিক্ষা লাভের জন্য

৬)   খ    জমিদারের অন্যায়-অবিচার      

৭)   খ    দেশ ছাড়তে হয়

৮)   গ   বাইশ বছর

৯)   ঘ    অসহযোগ আন্দোলন

১০)  ক   জন্মভূমি ত্যাগে বাধ্য হন   

১১)  ঘ    আসামে

১২)  খ    ১৯৪৭ সালে    

১৩)  খ    ১৯৫৪ সালের       

১৪)  ঘ    শিল্পমালিকদের

১৫)  ক   ভারতে   

১৬)  ক   ঢাকায়    

১৭)  খ    জনকল্যাণকর  

১৮)  ক নির্যাতিত

১৯)  ক ইরাকের

২০)  খ জমিদারদের কারণে

২১)  ক আমি খেটে-খাওয়া মানুষের কথা বলি

২২)  ক যুক্তফ্রন্ট

২৩)  ক সদস্য 

২৪)  খ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ   

২৫) (খ) মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবনের কথা

২৬) (খ) ক্ষোভের শিকার 

২৭) (ঘ) অত্যাচার

২৮) (ক) ঙ + গ  

২৯) (খ) কৃষকদের

৩০) (গ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের

৩১) (খ) পরামর্শদাতা

৩২) (গ) তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন বলে

৩৩) (ক) মুক্ত

৩৪) (খ) মুক্তিযুদ্ধের সময় মওলানা ভাসানীর ভূমিকা সম্পর্কে

পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

১)   মওলানা ভাসানীর পিতা-মাতার নাম লেখ।

উত্তর : মওলানা ভাসানীর পিতার নাম হাজী শরাফত আলী খান। তাঁর মাতার নাম মোসাম্মৎ মজিরন বিবি।

২)   বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর মওলানা ভাসানী কার কাছে আশ্রয় পান?

উত্তর : বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর মওলানা ভাসানী তাঁর এক চাচা ইব্রাহীম খানের কাছে আশ্রয় পান।

৩)   কোথায় পড়াশোনা করতে গিয়ে মওলানা ভাসানী দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হন?

উত্তর : ভারতের দেওবন্দ মাদরাসায় পড়াশোনা করতে গিয়ে মওলানা ভাসানী দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হন।

৪)   কংগ্রেস নেতা চিত্তরঞ্জন দাশের উপাধি কী ছিল?

উত্তর : কংগ্রেস নেতা চিত্তরঞ্জন দাশের উপাধি ছিল ‘দেশবন্ধু’।

৫)   মওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত দলের নাম কী?

উত্তর : মওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত দলের নাম পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।

৬)   ১৯৫৪ সালে সাধারণ নির্বাচনে মওলানা ভাসানীর ভূমিকা কী ছিল?

উত্তর : ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন। যুক্তফ্রন্ট এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়।

৭)   ভাসানী ১৯৫৭ সালে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেন কেন?

উত্তর : ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানী কাগমারিতে এক আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতিমান মানুষ যোগ দেন। তাঁদের কাছে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরাই ছিল মওলানা ভাসানীর উদ্দেশ্য।

৮)   পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের শাসকরা কোন কোন বিষয়ের নামে পূর্ব বাংলার মানুষকে শোষণ করছিল?

উত্তর : পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের শাসকরা ধর্ম ও জাতীয় সংহতির নামে পূর্ববাংলার মানুষকে শোষণ করছিল।

৯)   পাকিস্তানি সৈন্যরা মওলানা ভাসানীর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় কেন?

উত্তর : মওলানা ভাসানী পাকিস্তানিদের শোষণের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাদের ব্যাপারে পূর্ববাংলার মানুষদের সতর্ক করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি তাতে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতে যান। এসব কারণেই পাকিস্তানি সৈন্যরা তাঁর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।

১০)  মওলানা ভাসানীর জীবনযাপন কেমন ছিল?

উত্তর : মওলানা ভাসানীর জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত সাদামাটা ও সহজ-সরল। খুবই সাধারণ একটা বাড়িতে তিনি বাস করতেন। খেতেন সাধারণ মানুষের খাবার।

১১)  মওলানা ভাসানীকে কোথায় সমাহিত করা হয়?

উত্তর : মওলানা ভাসানীকে সমাহিত করা হয় টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে অবস্থিত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

১২)  শোষণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মওলানা ভাসানী কীভাবে অত্যাচারিত হয়েছিলেন?

উত্তর : শোষণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মওলানা ভাসানীকে নানাভাবে নির্যাতিত হতে হয়েছিল।

 জমিদারের জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় তাঁকে কর্মস্থল কাগমারি ছাড়তে হয়েছিল। এমনকি একপর্যায়ে জন্মভূমি ত্যাগেও বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

 অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সতেরো মাস তিনি কারাভোগ করেন।

 ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়।

 ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সৈন্যরা তাঁর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।

১৩)  মজলুম জননেতা কে ছিলেন? কেন তাকে মজলুম জননেতা বলা হয়?

      উত্তর : মজলুম জননেতা ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।

      মওলানা ভাসানী চিরকাল মজলুম অর্থাৎ নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন। তাদের সুখে-দুঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এজন্যই তাঁকে মজলুম জননেতা বলা হয়।

১৪)  মওলানা ভাসানী কোথায় পড়াশোনা করেন?

      উত্তর : মওলানা ভাসানী প্রথমে চাচা ইব্রাহীম খানের কাছে থেকে মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে ইরাক থেকে আগত এক পীর তাঁকে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসায় লেখাপড়ার জন্য পাঠান।

১৫)  কেন তাকে কাগমারি ছাড়তে হয়েছিল?

      উত্তর : কাগমারি থাকার সময় ভাসানী জমিদারের অত্যাচার, নির্যাতন দেখতে পান। এর বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ ও সংগ্রাম শুরু করেন। জমিদার তাঁর ওপর অসন্তুষ্ট হন। জমিদারের কারণেই তাঁকে কাগমারি ছাড়তে হয়।

১৬)  কীভাবে তাঁর নাম মওলানা ভাসানী হলো?

      উত্তর : ১৯২৪ সালে মওলানা ভাসানী এক বিশাল প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করেন আসামের ধুবড়ি জেলার ভাসানচরে। এ সভায় তিনি বাঙালি কৃষকদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। এ সমাজেই সাধারণ কৃষকরা তাঁকে ‘ভাসানচরের মওলানা’ নাম দেয়। পরে তাঁর নাম দেওয়া হয় ‘ভাসানী’। তখন থেকেই তাঁর পরিচয় হয় মওলানা ভাসানী।

১৭)  পল্টন ময়দানের ভাষণে তিনি যা বলেছিলেন তার বিষয়বস্তু কী?

      উত্তর : পল্টন ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণে মওলানা ভাষণে যা বলেছিলেন তার বিষয়বস্তু হলো নির্যাতিত, নিপীড়িত, অবহেলিত মানুষের অধিকার আদায়।

১৮)  শিক্ষার ক্ষেত্রে মওলানা ভাসানী কী অবদান রেখেছেন?

      উত্তর : এ দেশের মানুষের শিক্ষার প্রসারে মওলানা ভাসানীর অনেক অবদান রয়েছে। তিনি সন্তোষে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, মহীপুরে হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ, ঢাকায় আবুজর গিফারি কলেজ এবং টাঙ্গাইলে মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯)  মওলানা ভাসানী কোথায় শিক্ষকতা শুরু করেন?

      উত্তর : মওলানা ভাসানী টাঙ্গাইলের এক প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন।

২০)  কোন সভায় ভাষণের জন্য মওলানা ভাসানীকে স্বদেশ ছাড়তে হয়? এরপর তিনি কোথায় যান?

উত্তর : ১৯২৪ সালে সিরাজগঞ্জে একটি সভায় ভাষণের জন্য মওলানা ভাসানীকে স্বদেশ ছাড়তে হয়। এরপর তিনি আসামের জলেশ্বরে চলে যান।

২১)  অনুচ্ছেদ থেকে পাওয়া যায়, মওলানা ভাসানীর এমন দুটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে লেখ।

উত্তর : অনুচ্ছেদ থেকে পাওয়া যায়, মওলানা ভাসানীর এমন দুটি বৈশিষ্ট্য হলোÑ

১)   তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রতিবাদী।

২)   তিনি নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট ছিলেন।

২২)  মওলানা ভাসানী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য কোথায় চলে যান?

            উত্তর : মওলানা ভাসানী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য ভারতে চলে যান।

২৩)  মওলানা ভাসানী কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখেন?

            উত্তর : মওলানা ভাসানী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য ভারতে চলে যান। সেখানে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে ভূমিকা রাখেন।

২৪) কোনো পদমর্যাদা ও মোহ মওলানা ভাসানীকে আকৃষ্ট করেনি কেন?

            উত্তর : মওলানা ভাসানী ছিলেন একজন আদর্শবান মানুষ। তিনি সবসময় জনগণের পাশে থেকে তাদের সেবায় কাজ করতে চেয়েছেন। নির্লোভ মানসিকতার কারণে কোনো পদমর্যাদা ও মোহ তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারেনি।

পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন

য়    অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।

      উত্তর : মওলানা ভাসানী অত্যাচারিত, নির্যাতিত মানুষদের প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। তাদের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন। এ জন্য তাঁকে জন্মভূমি ছাড়তে হয়েছিল। কারাগারেও যেতে হয়েছিল। কিন্তু কোনো কিছুই তাঁকে দমাতে পারেনি। মানুষকে ভালোবেসেছিলেন বলেই তিনি মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছেন।

পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। তিনি ছিলেন বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। একাধারে ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীত স্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাল্যকালে তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ ছিল না। গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতে পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ১৮৭৮ সালে তিনি ইংল্যান্ডে যান আইনবিদ্যা পড়তে। সেখানে তিনি আইনবিদ্যা পড়া শুরুও করেছিলেন। কিন্তু সাহিত্যচর্চার আকর্ষণে পড়াশোনা সমাপ্ত করতে পারেন নি। ১৮৮০ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং সাহিত্য সাধনায় মনোনিবেশ করেন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করে। তবে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ১৯১৯ সালে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা আয়তনে ব্যাপক। বলাকা, সোনার তরী, পুনশ্চ, গীতাঞ্জলি ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। তাঁর ছোটগল্প ও গানসমূহ যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতানে সংকলিত হয়েছে। তাঁর যাবতীয় রচনাগুলো ৩২ খণ্ডে ‘রবীন্দ্র রচনাবলি’ নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট, বাংলা ১৩৪৮ সনের ২২শে শ্রাবণ মৃত্যুবরণ করেন।

য়    সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।

১)   অনুচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছেÑ

      (ক)  বিশ্বকবির দেশপ্রেমের কথা

      (খ)  বিশ্বকবির স্বপ্নের কথা

      (গ)  বিশ্বকবির জীবন ও কর্মের কথা

      (ঘ)  বিশ্বকবির কবিতার কথা

২)   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী কবে পালন করা হয়?

      (ক)  ৭ই জানুয়ারি    (খ)  ৭ই এপ্রিল 

      (গ)  ৭ই মে    (ঘ)  ৭ই আগস্ট

৩)   ব্রিটিশ সরকার রবীন্দ্রনাথকে কোনটি দিয়ে সম্মানিত করে?

      (ক) ‘নোবেল’ পুরস্কার দিয়ে

      (খ)  ‘বিশ্বকবি’ উপাধি দিয়ে

      (গ)  ‘নাইট’ উপাধি দিয়ে

      (ঘ)  ‘সর্বশ্রেষ্ঠ’ সাহিত্যিক উপাধি দিয়ে

৪)   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরÑ

      (ক)  এশিয়ার একমাত্র নোবেল বিজয়ী

      (খ)  বিশ্বের প্রথম নোবেল বিজয়ী

      (গ)  সাহিত্যে প্রথম নোবেল বিজয়ী

      (ঘ)  প্রথম এশীয় নোবেল বিজয়ী

৫)   ‘পুনশ্চ’ শব্দের যুক্তবর্ণ দ্বারা গঠিত শব্দ কোনটি?

      (ক)  বঞ্চিত (খ)  আশ্চর্য

      (গ)  শ্মশান     (ঘ)  বিশ্ব

      উত্তর : ১) (খ) বিশ্বকবির জীবন ও কর্মের কথা;  ২) (গ) ৭ই মে;  ৩) (গ) নাইট উপাধি দিয়ে; ৪) (ঘ) প্রথম এশীয় নোবেল বিজয়ী; ৫) (খ) আশ্চর্য।

য়    নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।

শব্দ  অর্থ

একাধারে   একই সঙ্গে।

চিত্রকর    ছবি আঁকেন যিনি।

ঔপন্যাসিক উপন্যাস রচনা করেন যিনি।

অনুবাদ    এক ভাষার কথাকে অন্য ভাষায় বলা বা লেখা।

সংকলিত  সংগৃহীত, একত্রিত।

যাবতীয়    সমস্ত, সমগ্র।

ক)   আমাদেরকে তাঁর আঁকা ছবি দেখালেন। 

খ)   বাবা একটি ইংরেজি কবিতা বাংলায়  করেছেন।

গ)   সালাম স্যার আমাদের  বাংলা ও ভূগোল পড়ান।

ঘ)   সঞ্চিতায় কাজী নজরুলের কাব্যসমূহ  হয়েছে।

ঙ)   কবির সাহেব তাঁর  সম্পত্তি গরিব মানুষকে দান করে গেছেন।

      উত্তর: ক) চিত্রকর; খ) অনুবাদ; গ) একাধারে; ঘ) সংকলিত; ঙ) যাবতীয়।

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।    

ক)  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

            উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য :

      ১)   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। 

      ২)   তাঁকে বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা যায়।

      ৩)   এশীয়দের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম নোবেল পুরস্কার পান।

      ৪)   ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে।

      ৫)   গল্পগুচ্ছে রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পসমূহ সংকলিত হয়েছে।

খ)   ‘তিনি ছিলেন বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী’Ñ কথাটি চারটি বাক্যে বুঝিয়ে লেখ।

            উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ ছিল। তিনি একই সাথে ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। একাধারে এত সব শাখায় প্রতিভার প্রমাণ রাখায় রবীন্দ্রনাথকে বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী বলা হয়েছে। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হিসেবে ধরা হয়।

গ)   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আইনবিদ্যা শিক্ষায় ব্যর্থতার বিষয়টি তিনটি বাক্যে লেখ। রবীন্দ্রনাথের দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখ।

            উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৭৮ সালে আইনবিদ্যা পড়তে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ঝোঁক ছিল সাহিত্যচর্চার দিকে। এ কারণে আইনবিদ্যায় ভর্তি হয়েও তিনি তা সমাপ্ত করেন নি।

            রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি কাব্যগ্রন্থ হলোÑ বলাকা ও সোনার তরী।

ঘ)   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাইট উপাধিপ্রাপ্তি ও ত্যাগের ঘটনাটি লেখ।

উত্তর : ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘নাইট’ উপাধি প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।

যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ

য়    নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।

      ম্ম, দৃ, ত্ম, ক্ত, চ্চ।

      উত্তর :

ম্ম   =    ম + ম        আম্মা

           আম্মা আমাকে খুব স্নেহ করেন।

দৃ    =    দ + ঋ-ফলা (  ৃ )       দৃপ্ত

           সৈনিকেরা দৃপ্ত ভঙ্গিতে কুচকাওয়াজ করছে।

ত্ম   =    ত + ম-ফলা ( ¥ )           আত্মীয়

           লোকটি আমাদের আত্মীয় হন।

ক্ত   =    ক + ত        ভক্ত

           বকুল ক্রিকেট খেলার ভক্ত।

চ্চ   =    চ + চ        উচ্চতা

           দেয়ালটির উচ্চতা ছয় ফুট।

য়    নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।

      ঞ্জ, ন্দ, স্ব, শ্র, ণ্ড।

      উত্তর :

ঞ্জ   =    ঞ + জ       গঞ্জনা

           ছেলেটিকে অনেক গঞ্জনা সইতে হয়।

ন্দ   =    ন + দ        ছন্দ

           খুকী কবিতাটি ছন্দে ছন্দে আবৃত্তি করছে।

স্ব    =    স + ব-ফলা (  ^ )          স্বাভাবিক

           বৈশাখ মাসে প্রচণ্ড গরম পড়াই স্বাভাবিক।

শ্র   =    শ + র-ফলা (  ্র )      শ্রাবণ

           শ্রাবণ মাসে খুব বৃষ্টিপাত হয়।

ণ্ড   =    ণ + ড        কাণ্ড

বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন

য়    বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেটি আবার লেখ।

      বাংলার কৃষক মজুর শ্রমিকের অতি আপনজন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চিরকাল নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি

উত্তর : বাংলার কৃষক-মজুর-শ্রমিকের অতি আপনজন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। চিরকাল নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

য়    সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।

      এ সম্মেলন কাগমারি সম্মেলন নামে খ্যাত এ সম্মেলনে যোগ দেন দেশ বিদেশের বহু খ্যাতিমান মানুষ এ সম্মেলনে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরেন

      উত্তর : এ সম্মেলন ‘কাগমারি সম্মেলন’ নামে খ্যাত। এ সম্মেলনে যোগ দেন দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতিমান মানুষ। এ সম্মেলনে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরেন।

এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন

য়    এককথায় প্রকাশ কর।

      ক) নির্যাতনের শিকার হয়েছে যে   খ) উপদেশ দেন যিনি

      গ) সম্পূর্ণরূপে অন্যের বশ্যতা স্বীকার

      ঘ) প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত       ঙ) আড়ম্বরবিহীন

উত্তর : ক) নির্যাতিত;   খ) উপদেষ্টা;   গ) আত্মসমর্পণ;

ঘ) প্রাতিষ্ঠানিক;   ঙ) অনাড়ম্বর।

য়    ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।

      পাঠাইয়া, ছাড়িতে, থাকিবার, চালাইতেছে, খাইতেন।

      উত্তর :   সাধু রূপ    চলিতরূপ

পাঠাইয়া       পাঠিয়ে

ছাড়িতে        ছাড়তে

থাকিবার       থাকার

চালাইতেছে     চালাচ্ছে

খাইতেন       খেতেন

বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন

য়    নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।

      আপন, আশ্রয়, সতর্ক, জনমুখী, নিরহংকার, অনাড়ম্বর, প্রিয়।

      উত্তর : মূল শব্দ বিপরীত শব্দ

আপন         পর

আশ্রয়         নিরাশ্রয়

সতর্ক     অসতর্ক

জনমুখী       জনবিরোধী

নিরহংকার     অহংকারী

অনাড়ম্বর      আড়ম্বর

প্রিয়      অপ্রিয়

য়    নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।

      স্নেহ, জুলুম, বাড়ি, সংগ্রাম, বিপুল।

      উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ

স্নেহ     আদর, মমতা।

জুলুম     নির্যাতন, নিপীড়ন।

বাড়ি     ঘর, আলয়।

সংগ্রাম        লড়াই, যুদ্ধ।

বিপুল         প্রচুর, অনেক বেশি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *