পঞ্চম শ্রেণী বাংলা ৫ম অধ্যায় ফুটবল খেলোয়ার
ফুটবল খেলোয়াড়
জসীম উদ্দীন
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
য় সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১) মেসের চাকর ভাঙা হাড়ে সেঁক দিতে গিয়ে কী হয়?
ক আনন্দিত খ লবেজান
গ অসুস্থ ঘ আতঙ্কিত
২) সন্ধ্যাবেলায় ইমদাদ হক কী করে?
ক ফুটবল খেলে খ পড়তে বসে
গ মালিশ মাখে ঘ পত্রিকা পড়ে
৩) ইমদাদ হকের বন্ধুরা তার ব্যাপারে কী আশঙ্কা করে?
ক পঙ্গু হয়ে যাবে
খ ফুটবল খেলা ছেড়ে দেবে
গ পরীক্ষায় খারাপ করবে
ঘ সারা রাত ব্যথায় ঘুম হবে না
৪) সকালে ইমদাদ হকের ঘরে গেলে কী দেখা যেত?
ক ইমদাদ মালিশ মাখছে
খ ইমদাদ ব্যথায় কাতরাচ্ছে
গ বিছানা খালি পড়ে আছে
ঘ ভাঙা শিশি পড়ে আছে
৫) ছিপি খোলা মালিশের শিশিগুলো দেখলে কী মনে হয়?
ক যেন আনন্দে নাচছে
খ যেন বেদনায় ভেঙে পড়েছে
গ যেন উপহাস করছে
ঘ যেন ঘুম থেকে জেগে গেছে
৬) ইমদাদ হক কী নিয়ে আগে ছোটে?
ক ফুটবল খ মালিশের শিশি
গ বাঁশি ঘ বিজয়ের পুরস্কার
৭) ইমদাদ হক কোথায় থাকে?
ক মামাবাড়িতে খ নিজের বাড়িতে
গ মেসে ঘ হলে
৮) ইমদাদ হকের খেলাকে কিসের সাথে তুলনা
করা হয়েছে?
ক ঝড়ের সাথে খ বজ্রের সাথে
গ বাতাসের সাথে ঘ বন্যার সাথে
৯) চারদিকে কখন কোলাহল ওঠে?
ক ইমদাদ আহত হলে
খ ইমদাদ গোল করলে
গ ইমদাদ ব্যথায় কাতরালে
ঘ ইমদাদ গোল করতে না পারলে
১০) ইমদাদ হক কীভাবে জয় ছিনিয়ে আনে?
ক জোর করে খ কূটকৌশলে
গ অসাধারণ খেলে ঘ খেলতে না নেমে
১১) দর্শকেরা কীভাবে ফিরে যায়?
ক কোলাহল করতে করতে খ বিষণœ মনে
গ কাঁদতে কাঁদতে ঘ লবেজান হয়ে
১২) ইমদাদ হক খেলা শেষে কীভাবে মেসে ফিরে আসে?
ক এক দৌড়ে খ খোঁড়াতে খোঁড়াতে
গ রিকশায় চড়ে ঘ বন্ধুদের কাঁধে চড়ে
১৩) ইমদাদ হকের বেঘুম রাতি কাটে কীভাবে?
ক শারীরিক যন্ত্রণায় খ পরীক্ষার দুশ্চিন্তায়
গ পড়াশোনা করে ঘ খেলার দুশ্চিন্তায়
১৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে Ñ
(ক) অদম্য এক খেলোয়াড়ের কথা
(খ) ফুটবল খেলার কায়দাকানুন সম্পর্কে
(গ) ফুটবল খেলার আনন্দ সম্পর্কে
(ঘ) খেলাধুলার উপকারিতার কথা
১৫) সন্ধ্যাবেলায় ইমদাদ হক কাজির বন্ধুরা বিস্মিত হয়
(ক) নিজেদের দলের হেরে যাওয়া দেখে
(খ) ইমদাদ হকের খেলতে আসা দেখে
(গ) ইমদাদ হককে মাঠে না দেখে
(ঘ) মাঠে প্রচুর দর্শক দেখে
১৬) পায়ে-পায়ে বল গড়িয়ে নিয়ে বল কাটানোর কৌশলকে কী বলে?
(ক) ফুটবল (খ) ফাউল
(গ) গোল (ঘ) ড্রিবলিং
১৭) ইমদাদ হক আসায় তার দলের কী হয়?
(ক) দুর্নাম (খ) জিত
(গ) হার (ঘ) সমস্যা
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১) খ লবেজান ২) গ মালিশ মাখে
৩) ক পঙ্গু হয়ে যাবে
৪) গ বিছানা খালি পড়ে আছে
৫) গ যেন উপহাস করছে
৬) ক ফুটবল ৭) গ মেসে
৮) খ বজ্রের সাথে ৯) খ ইমদাদ গোল করলে
১০) গ অসাধারণ খেলে ১১) ক কোলাহল করতে করতে
১২) খ খোঁড়াতে খোঁড়াতে ১৩) কশারীরিক যন্ত্রণায়
১৪) (ক) অদম্য এক খেলোয়াড়ের কথা;
১৫) (খ) ইমদাদ হকের খেলতে আসা দেখে;
১৬) (ঘ) ড্রিবলিং; ১৭) (খ) জিত;
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১. প্রভাত বেলায় ফুটবল খেলোয়াড় ইমদাদ হকের বিছানা শূন্য পড়ে আছে কেন?
উত্তর : প্রভাত বেলায় ইমদাদ হক ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। তাই তার বিছানা শূন্য পড়ে আছে।
২. টেবিলের উপরে ছোট-বড় মালিশের শিশি কবিকে উপহাস করছে কেন?
উত্তর : ইমদাদ হক প্রতিদিন খেলতে গিয়ে অনেক আঘাত পায়। সারা রাত ক্ষতগুলোতে মালিশ লাগায়। বেদনায় কাতরায়। কবি ভাবেন ইমদাদ হক বুঝি ছয় মাসের জন্য পঙ্গু হয়ে গেল। কিন্তু সকাল বেলা গিয়ে দেখেন ইমদাদ হকের বিছানা খালি। মালিশের শিশিগুলো যেন তাঁকে অবাক হতে দেখে দাঁত বের করে হাসে।
৩. কবিতায় ইমদাদ হকের খেলা ও দর্শকের আনন্দপূর্ণ নানান অভিমতের বর্ণনা নিজের ভাষায় বলি ও লিখি।
উত্তর : ইমদাদ হক ফুটবল খেলায় অত্যন্ত দক্ষ। সে বল নিয়ে সবার আগে ছুটে চলে। কখনো বাঁ পায়ে ড্রিবলিং করে। কখনো ডান পায়ে ঠেলা মারে বলকে। ইমদাদ হকের গোলেই তার দল জয় পায়।
দর্শকেরা ইমদাদ হকের অসাধারণ খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়। তারা চিৎকার করে তাকে উৎসাহ দেয়। ‘চালিয়ে যাও’, ‘আরো আগে যাও’ ‘মারো জোরে মারো’, ‘গোল গোল’ ইত্যাদি বলে তারা আনন্দ প্রকাশ করে।
৪) সকালের দৈনিকে ইমদাদ হক সম্পর্কে কী লেখা থাকে?
উত্তর : সকালের দৈনিকে ইমদাদ হকের অসাধারণ খেলার প্রশংসা করা থাকে। ইমদাদ হকের মতো চমৎকার খেলোয়াড় আজকাল যে খুব বেশি দেখা যায় না, সে কথা পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়।
৫) ইমদাদ হক খেলার মাঠে কীভাবে খেলে?
উত্তর : ইমদাদ হক খেলার মাঠে চোখ ধাঁধানো খেলা খেলে। সে বল পায়ে সবার আগে ছুটে যায়। বাঁ পায়ে ড্রিবলিং করে ডান পায়ে বলকে ঠেলা মারে। দেখে মনে হয় তার সারা শরীরে যেন বজ্র ভর করেছে। বাতাসের মতো ছুটে গিয়ে ইমদাদ হক গোল করে ও তার দলকে জেতায়।
৬) আঘাতপ্রাপ্ত হলেও ইমদাদ হক খেলতে যায় কেন?
উত্তর : ইমদাদ হক একজন জাত খেলোয়াড়। ফুটবল খেলা ও খেলায় জেতাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। খেলতে গিয়ে সে যত শারীরিক আঘাতই পাক না কেন, খেলতে নামা ও দলকে জেতানোর নেশায় সে কোনো কিছুই পরোয়া করে না। তাই শত আঘাত নিয়েও ইমদাদ হক খেলতে যায়।
৭) সন্ধ্যাবেলা ইমদাদ হক কী করে?
উত্তর : সন্ধ্যাবেলা খেলা শেষে ইমদাদ হক খোঁড়াতে খোঁড়াতে মেসে ফিরে আসে। এরপর শরীরের নানা ক্ষতস্থানে পটি বাঁধে। বিছানায় কাত হয়ে শরীরের প্রতিটি গিঁটে গিঁটে মালিশ মাখে। আর চাকরকে দিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হাড়ে সেঁক দেওয়ায়।
৮) কে বল নিয়ে আগে ছুটে যায়?
উত্তর : ইমদাদ হক কাজি বল নিয়ে সবার আগে ছুটে যায়।
৯) ড্রিবলিং কী? দর্শক দল কোলাহল করে কেন?
উত্তর : ড্রিবলিং হলো ফুটবল খেলার একটি কৌশল।
দর্শক দল ইমদাদ হকের ফুটবল খেলার চমৎকার সব কৌশল আর গোল করা দেখে কোলাহল করে।
১০) ইমদাদ হক কাজির ফুটবল খেলা সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ।
উত্তর : ইমদাদ হক কাজিÑ
১) বাঁ পায়ে ড্রিবলিং করে ডান পায়ে বলকে ঠেলা মারে।
২)শত চেষ্টায় গোল করে তার দলকে জেতায়।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
য় কবিতাংশের মূলভাব লেখ।
উত্তর : সন্ধ্যাবেলায় মাঠে গিয়ে দেখা যায় ইমদাদ হক কাজি বল পায়ে সবার আগে ছুটে চলেছে। তার শরীরে যেন বজ্র খেলে যাচ্ছে। ইমদাদ হকের নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখে দর্শকেরা আনন্দে শোরগোল করে। ইমদাদ হক গোল করে তার দলকে জেতায়।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১৯৬০ সালে দরিদ্র পরিবারে জন্ম দিয়াগো ম্যারাডোনার। শৈশব কাটে বস্তিতে। মাত্র দশ বছর বয়সেই ফুটবল খেলায় তাঁর প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ড্রিবলিং, পাসিং, ফ্রি-কিক নেওয়া সবগুলোতেই তিনি অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তিনি ছিলেন বাঁ পায়ের খেলোয়াড়। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান। সেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে লাভ করেন ‘গোল্ডেন বল’। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ম্যারাডোনা ছয়জন ইংরেজ ফুটবলারকে তাঁর অসাধারণ ড্রিবলিং নৈপুণ্যে নাস্তানাবুদ করে বিখ্যাত এক গোল করেন। গোলটিকে গত শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে ধরা হয়। ম্যারাডোনা ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেন। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ছিলেন। সেবার আর্জেন্টিনা রানার্সআপ হয়।
য় সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) উল্লিখিত খেলোয়াড়ের সাথে পাঠ্য বইয়ের কোন চরিত্রের মিল লক্ষ করা যায়?
(ক) মওলানা ভাসানীর
(খ) নূর মোহাম্মদ শেখের
(গ) ইমদাদ হক কাজির
(ঘ) জগদীশচন্দ্র বসুর
২) ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কী হয়?
(ক) রানারআপ (খ) চ্যাম্পিয়ন
(গ) তৃতীয় (ঘ) চতুর্থ
৩) ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা গোল্ডেন বল জেতেন কেন?
(ক) অধিনায়ক ছিলেন বলে
(খ) দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বলে
(গ) সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন বলে
(ঘ) প্রতিভাবান ফুটবলার ছিলেন বলে
৪) ম্যারাডোনার মতো সফল হওয়ার জন্য আমাদের
(ক) প্রচুর অর্থের মালিক হতে হবে
(খ) দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও পরিশ্রমী হতে হবে
(গ) সময়ের অপচয় করতে হবে
(ঘ) আর্জেন্টিনায় যেতে হবে
৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফুটবল বিশ্বকাপ হয়ে থাকেÑ
(ক) প্রতিবছর
(খ) এক বছর পর পর
(গ) যখন ইচ্ছে তখন
(ঘ) চার বছর পর পর
উত্তর : ১) (গ) ইমদাদ হক কাজির; ২) (খ) চ্যাম্পিয়ন; ৩) (গ) সেরা খেলোয়াড় ছিলেন বলে; ৪) (খ) দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও পরিশ্রমী হতে হবে; ৫) (ঘ) চার বছর পর পর।
য় নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
সর্বশ্রেষ্ঠ সবচেয়ে ভালো।
রানার্সআপ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান দখলকারী।
নৈপুণ্য কৌশল, চাতুর্য।
নাস্তানাবুদ নাজেহাল, হয়রান।
শতাব্দী একশ বছরব্যাপী সময়।
ইংরেজ ইংল্যান্ডের অধিবাসী।
ক) বাবা ভদ্র লোকাটির সাথে কথা বলছেন।
খ) মারুফার গাছে ওঠার দেখে আমরা মুগ্ধ।
গ) নেকড়ের আক্রমণে শেয়ালটার হলো।
ঘ) ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় আমাদের স্কুল হয়েছে।
ঙ) ডন ব্র্যাডম্যানকে সর্বকালের ক্রিকেটার বলা হয়।
উত্তর : ক) ইংরেজ; খ) নৈপুণ্য; গ) নাস্তানাবুদ; ঘ) রানার্সআপ; ঙ) সর্বশ্রেষ্ঠ।
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) ম্যারাডোনা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : ম্যারাডোনা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য
১) ম্যারাডোনা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মেছিলেন।
২) শৈশবেই ফুটবল খেলায় তাঁর প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায়।
৩) ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন।
৪) ম্যারাডোনা গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গোল করেন।
৫) ম্যারাডোনাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
খ) ম্যারাডোনা কীভাবে গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গোলটি করলেন?
উত্তর : ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে বিস্ময়কর একটি গোল করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় তিনি ছয়জন ইংরেজ খেলোয়াড়কে ড্রিবলিং জাদুতে ধরাশায়ী করে গোলটি করেন। গোলটি গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গোল হিসেবে বিবেচিত।
গ) ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য কী কী? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা ছিলেন আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক। আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৯০ সালে হয় রানার্সআপ। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন এবং ‘গোল্ডেন বল’ জেতার গৌরব অর্জন করেন।
ঘ) ম্যারাডোনার ছেলেবেলা সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ। তাঁর ফুটবলের দুটি বিশেষ দক্ষতার নাম লেখ।
উত্তর : ম্যারাডোনা ১৯৬০ সালে আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার ছিল অত্যন্ত দরিদ্র। ছেলেবেলাতেই ফুটবল খেলায় তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
ম্যারাডোনার ফুটবল খেলার দুটি বিশেষ দক্ষতা হলো- ড্রিবলিং এবং ফ্রি কিক।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
য় নিচের যুক্ত বর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ন্দ, ঙ্গ, ক্ষ, স্থ।
উত্তর :
ন্দ = ন + দ ছন্দ
– খুকী গানের ছন্দে দুলছে।
ঙ্গ = ঙ + গ সঙ্গ
দাদুর সঙ্গ আমার ভালো লাগে।
ক্ষ = ক + ষ শ্রেণিকক্ষ
আমরা শ্রেণিকক্ষে বসলাম।
স্থ = স + থ অসুস্থ
বাবা দুদিন ধরে অসুস্থ।
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ন্ধ, স্ম, ষ্ট, চ্ছ, প্র।
উত্তর :
ন্ধ = ন + ধ সুগন্ধ
– হাসনাহেনার সুগন্ধে মন মাতে।
স্ম = স + ম-ফলা (§) স্মৃতি
– ছেলেবেলার স্মৃতি সবচেয়ে মধুর।
ষ্ট = ষ + ট নষ্ট
– বৃথা সময় নষ্ট করতে নেই।
চ্ছ = চ + ছ স্বেচ্ছা
– স্বেচ্ছায় রক্তদান করা মহৎ কাজ।
প্র = প + র-ফলা ( ্র ) প্রান্ত
– বাড়িটির ডান প্রান্তে ফুলের বাগান আছে।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
য় এককথায় প্রকাশ কর।
ক) শরীরের আঘাত পাওয়া স্থান; খ) দিন ও রাতের মিলনকাল; গ) দেখেন যিনি; ঘ) শরীর-বিষয়ক; ঙ) অনুকরণযোগ্য শ্রেষ্ঠ বিষয়।
উত্তর : ক) ক্ষত; খ) সন্ধ্যা; গ) দর্শক; ঘ) শারীরিক; ঙ) আদর্শ।
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
বাতাস, পণ, ঘর, ভাগ্য, খবর।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
বাতাস Ñ পবন, হাওয়া।
পণ Ñ প্রতিজ্ঞা, শপথ।
ঘর Ñ গৃহ, নিবাস।
ভাগ্য Ñ বরাত, নসিব।
খবর Ñ সংবাদ, সন্দেশ।
য় নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
রাত, শূন্য, জীবন, কষ্ট, জিত, যোগ্যতা।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
রাত Ñ দিন কষ্ট Ñ আনন্দ
শূন্য Ñ ভরা জিত Ñ হার
জীবন Ñ মরণ যোগ্যতা Ñ অযোগ্যতা
কবিতার চরণ সাজিয়ে লিখন এবং কবিতা, কবির নাম ও প্রশ্নোত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ভাঙা কয়খানা হাতে পায়ে তার বজ্র করিছে খেলা।
মোদের মেসের ইমদাদ হক আগে ছুটে বল লয়ে!
চালাও চালাও আরো আগে যাও বাতাসের মতো ধাও,
সন্ধ্যাবেলায় খেলার মাঠেতে চেয়ে দেখি বিস্ময়ে,
মারো জোরে মারো- গোলের ভিতরে বলেরে ছুঁড়িয়া দাও।
বাম পায়ে বল ড্রিবলিং করে ডান পায়ে মারে ঠেলা,
ক) কবিতার লাইনগুলো পর পর সাজিয়ে লেখ।
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) ইমদাদ হকের খেলা দেখে কী মনে হয়?
উত্তর :
ক) কবিতার লাইনগুলো নিচে পর পর সাজিয়ে লেখা হলো-
সন্ধ্যাবেলায় খেলার মাঠেতে চেয়ে দেখি বিস্ময়ে,
মোদের মেসের ইমদাদ হক আগে ছুটে বল লয়ে!
বাম পায়ে বল ড্রিবলিং করে ডান পায়ে মারে ঠেলা,
ভাঙা কয়খানা হতে পায়ে তার বজ্র করিছে খেলা।
চালাও চালাও আরো আগে যাও বাতাসের মতো ধাও,
মারো জোরে মারো- গোলের ভিতরে বলেরে ছুঁড়িয়া দাও।
খ) কবিতাংশটি ‘ফুটবল খেলোয়াড়’ কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম জসীম উদ্দীন।
ঘ) ইমদাদ হকের খেলা দেখে মনে হয় তার হাতে পায়ে যেন বজ্র খেলা করছে।