পঞ্চম শ্রেণী বিজ্ঞান ৮ম অধ্যায় মহাবিশ্ব
মহাবিশ্ব
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
১. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন () দাও।
১) কোনটি সঠিক?
ক. চাঁদের নিজস্ব আলো রয়েছে
খ. চাঁদ একটি উপগ্রহ
গ. চাঁদ একটি গ্রহ
ঘ. চাঁদ সূর্যের চারপাশে ঘুরে
২) সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর কত সময় লাগে?
ক. ২৪ দিন খ. ২৭ দিন
গ. ৩৬৫ দিন ঘ. ৭ দিন
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ পৃথিবীর দুই ধরনের গতি কী কী?
উত্তর : পৃথিবীর দুই ধরনের গতি হলো : (i) আহ্নিক গতি ও (ii) বার্ষিক গতি।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ দিন এবং রাত কী কারণে হয়?
উত্তর : দিন এবং রাত পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ চাঁদের বিভিন্ন দশার কারণ কী?
উত্তর : পৃথিবীকে আবর্তনের সময় পৃথিবীর দিকে মুখ করা চাঁদের আলোকিত অংশের পরিমাণ বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন হয়। এটাই চাঁদের বিভিন্ন দশার কারণ।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য হলো : গ্রহ নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরে আর উপগ্রহ গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ পৃথিবীর অর্ধেক উত্তরাংশ সূর্যের দিকে হেলে পড়লে কী ঘটে?
উত্তর : পৃথিবীর অর্ধেক উত্তরাংশ সূর্যের দিকে হেলে পড়লে ঐ অংশে তখন গ্রীষ্মকাল হয় এবং পৃথিবীর বাকি অর্ধেক দক্ষিণাংশে তখন শীতকাল হয়।
৩. বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ঋতু পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পৃথিবীর নিজস্ব কক্ষপথে ঘূর্ণন এবং সূর্যের দিকে এর হেলে থাকা অক্ষের কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়। সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর আবর্তনের জন্য বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে বা সূর্যের বিপরীত দিকে সরে পড়ে।
যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে সে অংশে তখন গ্রীষ্মকাল। সময় দক্ষিণ গোলার্ধে উল্টো ব্যাপারটি ঘটে। সেখানে তখন শীতকাল। যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের বিপরীত দিকে হেলে থাকে সে অংশে তখন শীতকাল।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ সূর্যকে পূর্ব থেকে পশ্চিম আকাশে চলমান মনে হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রতিদিনের সূর্যকে দেখে মনে হয় যে, এটি সকালে পূর্ব দিকে উঠে এবং দিনের শেষে পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে নিজ অক্ষের উপর পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণেই এমনটি হয়। পৃথিবীর এরূপ ঘূর্ণনের কারণে সূর্যকে পূর্ব থেকে পশ্চিম আকাশে চলমান মনে হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ পৃথিবীর অর্ধেক উত্তরাংশ সূর্যের দিকে হেলে পড়লে সূর্যের উচ্চতার কী ঘটে? তখন দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যরে কী পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর : পৃথিবীর অর্ধেক উত্তরাংশ সূর্যের দিকে হেলে পড়লে সূর্য আকাশের অপেক্ষাকৃত উঁচুতে অবস্থান করে। এ সময় উত্তর গোলার্ধে সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়। ফলে, দিনের সময় দীর্ঘ হয় এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, এজন্য উত্তর গোলার্ধে এ সময় দিন বড় ও রাত ছোট হয়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কীভাবে সৌরজগৎ, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও মহাবিশ্ব সম্পর্কযুক্ত?
উত্তর : সূর্য ও সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহ, ধুমকেতু, গ্রহাণু, উল্কা ও অন্যান্য বস্তু নিয়ে যে পরিবার গড়ে ওঠে তাকে সৌরজগৎ বলে। আর এই সৌরজগতের নক্ষত্র সূর্যের মতো দশ হাজার কোটি নক্ষত্র একত্রিত হয়ে মিল্কিওয়ে নামক গ্যালাক্সি গঠন করে। এসকল নক্ষত্রের মধ্যবর্তী স্থান নানা ধুলা ও মেঘ সৃষ্টি করে যাদেরকে নীহারিকা বলে। নীহারিকা, গ্যালক্সি ও এদের মধ্যবর্তী স্থান নিয়ে যে বিশেষ জগৎ সৃষ্টি হয় তা মহাবিশ্ব। সুতরাং সৌরজগৎ, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও মহাবিশ্ব পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ নিচের ছবি দুটি দেখ। দুটি ছবিই দিনের একই সময়ে একই স্থানে তোলা হলেও দেখতে ভিন্ন। এর কারণ কী?
বিকাল : ৫: ০০ জুন বিকাল ৫: ০০ ডিসেম্বর
উত্তর : ছবি দুটি দেখে বোঝা যায় যে প্রথমটি জুন মাসে অর্থাৎ গ্রীষ্মকালের এবং দ্বিতীয়টি ডিসেম্বর মাস অর্থাৎ শীতকালের। একই সময় তোলা হলেও এর ভিন্নতার কারণ গ্রীষ্মকালে সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়। তাই এ সময় দিনের দৈর্ঘ্য বড় হয় এবং রাতের দৈর্ঘ্য ছোট হয়। আবার, শীতকালে সূর্য তীর্যকভাবে কিরণ দেয়। ফলে দিনের চেয়ে রাত বড় হয়। এজন্য প্রথম ছবিটিতে বিকাল ৫:০০ টায় দিনের আলো দেখা গেলেও দ্বিতীয়টিতে বিকাল ৫:০০ টার সময় রাতের আঁধার ঘনিয়ে আসতে দেখা যায়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন :
দিন রাত্রির কারণ হল
(ক) পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরে
(খ) সূর্য উদয় হয় ও অস্ত যায়
(গ) পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপরে পাক খায়
(ঘ) চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে
উত্তরঃ পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরে
২. ঋতু পরিবর্তন হয় কখন?
(ক) পৃথিবীর আহ্নিক গতির জন্য
(খ) পথিবীর বার্ষিক গতির জন্য
(গ) পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার বলে
(ঘ) সূর্যের তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে বলে
উত্তরঃ পথিবীর বার্ষিক গতির জন্য
৩. কোনটি সৌরজগতের বন্তু নয়?
(ক) পৃথিবী (খ) ধূমকেতু
(গ) গ্যালাক্সি (ঘ) চাঁদ
উত্তরঃ গ্যালাক্সি
৪. সৌরজগতের কেন্দ্রীয় নক্ষত্র কোনটি?
(ক) চাঁদ (খ) গ্যালাক্সি
(গ) নীহারিকা (ঘ) সূর্য
উত্তরঃ সূর্য
৫. যেসব জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো আছে তাদের কী বলে?
(ক) চন্দ্র (খ) নক্ষত্র
(গ) উল্কা (ঘ) নীহারিকা
উত্তরঃ নক্ষত্র
৬. বিপুল সংখ্যক গ্যালাক্সি এবং এদের মধ্যবর্তী স্থান মিলে তৈরি হয় কোনটি?
(ক) নীহারিকা (খ) নক্ষত্র
(গ) মহাবিশ্ব (ঘ) সৌরজগৎ
উত্তরঃ মহাবিশ্ব
৭. কোথায় অসংখ্য নক্ষত্র আছে?
(ক) সৌরজগতে (খ) ছায়াপথে
(গ) গ্রহে (ঘ) উপগ্রহে
উত্তরঃ ছায়াপথে
৮. চাঁদ, সূর্য, তারা এগুলো এক নামে কী বলে পরিচিত?
(ক) গ্রহ (খ) নক্ষত্র
(গ) জ্যোতিষ্ক (ঘ) নীহারিকা
উত্তরঃজ্যোতিষ্ক
৯. সৌরজগতের গ্রহ সংখ্যা কয়টি?
(ক) ৭ (খ) ৮
(গ) ৯টি (ঘ) ১০টি
উত্তরঃ ৮
১০. পৃথিবী ছাড়া সৌরজগতের আরও কয়টি গ্রহ রয়েছে?
(ক) ৭ (খ) ৮
(গ) ৯টি (ঘ) ১০ি
উত্তরঃ ৭
১১. কোনটি পৃথিবীর নিকটতম তারকা?
(ক) চাঁদ (খ) সূর্য
(গ) ধূমকেতু (ঘ) বুধ
উত্তরঃ সূর্য
১২. সৌরজগতের কোনটির নিজের আলো আছে?
(ক) পৃথিবী (খ) চাঁদ
(গ) সূর্য (ঘ) শুকতারা
উত্তরঃ সূর্য
১৩. সৌরজগতে মোট কত গুলো উপগ্রহ রয়েছে?
(ক) ৯টি (খ) ২৪টি
(গ) ৩৫টি (ঘ) ৪১টি
উত্তরঃ৪১টি
১৪. বৃহস্পতির কয়টি উপগ্রহ আছে?
(ক) ১৬টি (খ) ১৭টি
(গ) ২০টি (ঘ) ২১টি
উত্তরঃ১৬টি
১৫. উপগ্রহ কোনটি?
(ক) ছায়াপথ (খ) সূর্য
(গ) চন্দ্র (ঘ) পৃথিবী
উত্তরঃ চন্দ্র
১৬. নিচের চারটির মধ্যে কোনটি উপগ্রহ?
(ক) সূর্য (গ) চাঁদ
(গ) মঙ্গল (ঘ) শুক্র
উত্তরঃ চাঁদ
১৭. পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে?
(ক) বুধ (খ) চাঁদ
(গ) শুক্র (ঘ) শনি
উত্তরঃ চাঁদ
১৮. পৃথিবীর কয়টি উপগ্রহ আছে?
(ক) ১টি (খ) ২টি
(গ) ৩টি (ঘ) ৪টি
উত্তরঃ১টি
১৯. চাঁদের আলো কোন ধরনের আলো?
(ক) প্রতিফলিত (খ) প্রতিসরিত
(গ) নিজস্ব (ঘ) ধার করা
উত্তরঃ প্রতিফলিত
২০. পৃথিবীর নিকটতম জ্যোতিষ্ক কোনটি?
(ক) বুধ (খ) শুক্র
(গ) মঙ্গল (ঘ) চাঁদ
উত্তরঃ চাঁদ
২১. সূর্যের নিকটতম গ্রহ কোনটি?
(ক) বুধ (খ) শুক্র
(গ) পৃথিবী (ঘ) মঙ্গল
উত্তরঃ বুধ
২২. কোনটির নিজের আলো আছে?
(ক) পৃথিবী (খ) চাঁদ
(গ) সূর্য (ঘ) বুধ
উত্তরঃ সূর্য
২৩. পৃথিবী চাঁদের কত গুণ বড়?
(ক) ৩০ গুণ (খ) ৪০ গুণ
(গ) ৫০ গুণ (ঘ) ৬০ গুণ
উত্তরঃ৫০ গুণ
২৪. সূর্যের চারপাশে ঘুরে আসতে পৃথিবীর সময় লাগে
(ক) ৩০০ দিন (খ) ৩৬৪ দিন
(গ) ৩৬৫ দিন (ঘ) ৪০০ দিন
উত্তরঃ৩৬৫ দিন
২৫. সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ কোনটি?
(ক) বৃহস্পতি (খ) শুক্র
(গ) বুধ (ঘ) মঙ্গল
উত্তরঃ বৃহস্পতি
২৬. সূর্য পৃথিবী থেকে কত দূরে অবস্থিত?
(ক) ১০ কোটি কি.মি.
(খ) ১৫ কোটি কি. মি.
(গ) ১৪ কোটি কি. মি.
(ঘ) ২০ কোটি কি.মি.
উত্তরঃ১৫ কোটি কি. মি.
২৭. সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে?
(ক) ৮.১৮ মি (খ) ৮.২০ মি.
(গ) ৮.৩২ মি. (ঘ) ৮.১৬ মি.
উত্তরঃ৮.২০ মি.
২৮. বাইনাকুলার দিয়ে আকাশ দেখলে অসংখ্য উজ্জল বস্তু দেখা
যায়। এদেরকে কী বলে?
(ক) মেঘ (খ) জ্যোতিষ্ক
(গ) বরফ খন্ড (ঘ) নীহারিকা
উত্তরঃজ্যোতিষ্ক
২৯. কোনটি বড়?
(ক) চন্দ্র (খ) সূর্য
(গ) পৃথিবী (ঘ) মঙ্গল
উত্তরঃ সূর্য
৩০. কোনটি সৌরজগতের বস্ত নয়?
(ক) পৃথিবী (খ) ধুমকেতু
(গ) গ্যালাক্সি (ঘ) চাদ
উত্তরঃ গ্যালাক্সি
৩১. কোন উক্তিটি শুদ্ধ?
(ক) সূয এর্ক গ্রহ (খ) সূর্য ্একটি নক্ষত্র
(গ) সূর্য একটি গ্রহাণু (ঘ) সুর্য একটি উপগ্রহ
উত্তরঃ সূর্য ্একটি নক্ষত্র
৩২. সৌরজগতের গ্রহ কয়টি?
(ক) সাতটি (খ) আটটি
(গ) নয়টি (ঘ) দশটি
উত্তরঃ আটটি
৩৩. সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ কোনটি?
(ক) বুধ (খ) পৃথিবী
(গ) শনি (ঘ)নেপচুন
উত্তরঃ বুধ
৩৪. মহাকাশ বিজ্ঞানীরা গবেষণার কোন যন্ত্রটি ব্যবহার করেন?
(ক) দুরবীক্ষণ যন্ত্র (খ) অণুবীক্ষণ যন্ত্র
(গ) থার্মোমিটার (ঘ) মাইক্রোস্কোপ
উত্তরঃদুরবীক্ষণ যন্ত্র
৩৫. পৃথিবীর কোন গতির কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়?
(ক) রৈখিক (খ) বৃত্তাকার
(গ) আহ্নিক (ঘ) বার্ষিক
উত্তরঃ বার্ষিক
৩৬. মহাকাশের বস্তু মিল্কিওয়ে কী?
(ক) একটি নক্ষত্র (খ) একটি উপগ্রহ
(গ) একটি গ্যালাক্সি (ঘ) একটি ধুমকেতু
উত্তরঃ একটি গ্যালাক্সি
৩৭. আমাদের কয় ঋতু?
(ক) ৫ (খ)৬
(গ) ৭ (ঘ)৮
উত্তরঃ৬
৩৮.কিসের আলোকিত অংশের পরিমান ভিন্ন ভিন্ন হয়?
(ক) চাদের (খ) পৃথিবীর
(গ) বুধের (ঘ) শনির
উত্তরঃ চাদের
৩৯. কোনটির দশা পরিবর্তন হয়?
(ক) পৃথিবী (খ) চাদ
(গ) সূর্য (ঘ) শুক্র
উত্তরঃ চাদ
৪০. চাদ সূর্য ও গ্রহদের স চাদম্পর্কে নতুন তথ্য উদ্ভাবন করেছেন কে?
(ক) গ্যালিলিও (খ) নিউটন
(গ) হাকিংস (ঘ) আইনস্টাইন
উত্তরঃ গ্যালিলিও
৪১. পৃথিবীর চারদিকে কোনটি ঘিরে আছে?
(ক) সূয (খ) চন্দ্র
(গ) সমুদ্র (ঘ) বায়ুমন্ডল
উত্তরঃ বায়ুমন্ডল
৪২.সূর্য এবং এর গ্রহ উপগ্রহ ও গ্রহাণুপুঞ্জ নিয়ে একত্রে কোনটি গঠিত?
(ক) বিশ্বজগৎ (খ) সৌরজগৎ
(গ) নক্ষত্রমন্ডলী (ঘ) জ্যোতিষ্কমন্ডলী
উত্তরঃসৌরজগৎ
৪৩. যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্দে সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন সে অংশ কোন ঋতু থাকে?
(ক) গ্রীষ্ম (খ) বর্ষা
(গ) শরৎ (ঘ) শীত
উত্তরঃ গ্রীষ্ম
৪৪. লাটিম যেমন নিজ অক্ষেরচারদিকে ঘুরে পৃথিবীও তেমনি কার চারদিকে ঘুরে
(ক) চাদ (খ) সূয
(গ) তারা (ঘ) ছায়াপথ
উত্তরঃ সূয
৪৫. মহাকাশ সম্পর্কিত গবেষণাকে বলাহয়
(ক) মহাকাশ বিজ্ঞান (খ) পদার্থ বিজ্ঞান
(গ) সৌরবিজ্ঞানী (ঘ) জ্যোতিবিজ্ঞান
উত্তরঃজ্যোতিবিজ্ঞান
৪৬.পৃথিবী আপন অক্ষের উপর দিনে একবার পাক খায়। এর ফলে কোনটি ঘটে?
(ক) দিন ওরাত (খ) ঋতু পরিবর্তন
(গ) পূর্ণিমা হয় (ঘ) বছর হয়
উত্তরঃ দিন ওরাত
৪৭. যদি আমরা আলোর গতির চেয়ে অর্ধেক গতিতে চলতে পারতাম তাহলে গ্যালাক্সি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে কত সময় লাগত?
(ক) ৬৫,০০০ বছর (খ)১,৩০,০০০ বছর
(গ) ২,৬০,০০০ বছর (ঘ)৫,২০,০০০ বছর
উত্তরঃ২,৬০,০০০ বছর
৪৮. শিমুল তার ছোট ভাইকে মহাকাশের মিল্কিওয়ে নামে একটি বস্তুর কথা বলল। বস্তুটি মুলত কী?
(ক) তারকা (খ)সূর্য
(গ) চাদ (ঘ) গ্যালাক্সি
উত্তরঃ গ্যালাক্সি
৪৯. মে থেকেজুন মাস বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল। এ সময় পৃথিবী কোন গোলার্ধে হেলে থাকে?
(ক) দক্ষিণ গোলার্ধে (খ) পূব গোলাধে
(গ) উত্তর গোলার্ধে (ঘ) পশ্চিম গোলার্ধে
উত্তরঃ উত্তর গোলার্ধে
৫০. চাদ হলো পৃথিবীর একমাত্র
(ক) গ্রহ (খ) উপগ্রহ
(গ) নক্ষত্র (ঘ) গ্যালাক্সি
উত্তরঃ উপগ্রহ
৫১. যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূযের বিপরীত দিকে হেলে থাকে তখন সে অংশে কোন ঋতু বিরাজমান?
(ক) শীতকাল (খ) গ্রীষ্মকাল
(গ) শরৎকাল (ঘ) বসন্তকাল
উত্তরঃ শীতকাল
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ মহাবিশ্ব কী?
উত্তর : বিপুল সংখ্যক গ্যালাক্সি এবং এদের মধ্যবর্তী স্থান মিলে যা গঠিত হয় তাই মহাবিশ্ব।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ঋতু পরিবর্তনের কারণ কী?
উত্তর : ঋতু পরিবর্তনের কারণ পৃথিবীর বার্ষিক গতি।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ দিন ও রাত কেন হয়?
উত্তর : পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে দিন ও রাত হয়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ গ্যালাক্সি কাকে বলে?
উত্তর : সূর্যের মতো অনেক নক্ষত্র মিলে যে বিশাল এক একটি সমাবেশ তাকে গ্যালাক্সি বলে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ আহ্নিক গতি কাকে বলে?
উত্তর : পৃথিবী আপন অক্ষের উপর দিনে একবার পাক খায় যার জন্য দিন ও রাত হয়। একে আহ্নিক গতি বলে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ রাতের আকাশের নক্ষত্রকে আরও স্পষ্ট দেখা যায় কীভাবে?
উত্তর : রাতের আকাশের নক্ষত্রকে আরও স্পষ্ট দেখা যায়। দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে কত সময় লাগে?
উত্তর : চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে ১.৩ সেকেন্ড সময় লাগে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ জ্যোতির্বিজ্ঞান কী?
উত্তর : জ্যোতির্বিজ্ঞান হলো মহাকাশ সম্পর্কিত গবেষণা।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ বার্ষিক গতি কাকে বলে?
উত্তর : সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীর আবর্তনকে বার্ষিক গতি বলে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ অক্ষ কী?
উত্তর : অক্ষ হলো কোনাবস্তুর কেন্দ্র বরাবরের ছেদকারী কাল্পনিক রেখা।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ পূর্ণিমার চাঁদ ও অমাবস্যার চাঁদের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : যখন চাঁদের সম্পূর্ণ অংশ আলোকিত দেখা যায়, তখন তাকে পূর্ণিমার চাঁদ বলা হয়। আর যখন চাঁদের আলোকিত অংশ একদমই দেখা যায় না, তখন তাকে অমাবস্যার চাঁদ বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ সৌরজগৎ কাকে বলে?
উত্তর : সূর্যকে ঘিরে এর চারদিকে গ্রহ ও উপগ্রহ নিয়ে যে জগৎ তাকে সৌরজগৎ বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ বার্ষিক গতির ফল কী?
উত্তর : বার্ষিক গতির ফলে একই সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে দিন রাত ছোট বড় হয়। অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তন হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ চাঁদ কী?
উত্তর : চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ সূর্য কী?
উত্তর : সূর্য হচ্ছে একটি নক্ষত্র।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ অমাবস্যা কখন হয়?
উত্তর : চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে তখন অমাবস্যা হয়।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন :
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ তুমি কি মনে কর পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণেই দিন এবং রাত হয়? চিত্রসহ কথাটি তোমার নিজের ভাষায় বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : পৃথিবীর প্রতি ২৪ ঘণ্টায় নিজ অক্ষে একবার সম্পূর্ণ ঘুরছে। আর এ কারণে প্রতিদিন সকালে সূর্য ওঠে এবং সন্ধ্যায় অস্ত যায়। পৃথিবীর একদিক সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে এবং অপর দিক সূর্যের বিপরীত থাকে। যে দিকটা সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে সেই দিকটায় দিন এবং যে দিকটা বিপরীত দিকে থাকে সেই দিকটায় রাত হয়।
দিন এবং রাত
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ চাঁদ ও সূর্যকে পৃথিবী থেকে সমান দেখালেও এরা সমান নয় কীভাবে প্রমাণ করবে?
উত্তর : চাঁদ ও সূর্যকে পৃথিবী থেকে সমান দেখালেও আসলে এরা অসমান। নিচে পরীক্ষার সাহায্যে তা প্রমাণ করা যায়-
দুজন দর্শকের একজনের হাতে ফুটবল এবং অন্যজনের হাতে একটি ক্রিকেট বল দেওয়া হলো। তৃতীয় একজন দর্শক বল দুটির মাঝে টর্চ লাইট হাতে এমনভাবে দাঁড়াবে যেন ছোট বলটি তার নিকটে থাকে এবং বড় বলটি তার নিকট হতে দূরে থাকে। এখন তৃতীয় দর্শক একবার প্রথম দর্শকের ফুটবলকে টর্চ দিয়ে আলোকিত করবে এবং অন্যবার ক্রিকেট বলকে আলোকিত করবে। টর্চবাহী দর্শকের নিকট হতে বল হাতে দর্শকদ্বয়ের দূরত্ব এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়, যাতে আলো ফেললে দুটি বলই সমান দেখায়। আসলে সূর্য ও চাঁদ অসমান হলেও পৃথিবী হতে দূরত্বের ভিন্নতার কারণে তাদের সমান দেখায়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ সারাদিন আকাশে সূর্যের অবস্থান পর্যবেক্ষণ কর এবং সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে ঘূর্ণনের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সারাদিন আকাশে সূর্যের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করলাম। প্রতিদিনই সূর্যকে দেখে মনে হয় যে, এটি সকালে পূর্ব দিকে ওঠে এবং দিনের শেষে পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। অর্থাৎ সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। আসলে তা নয়। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে পরিভ্রমণ করে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ মহাবিশ্বের আকার সম্পর্কে ধারণা দাও। [প্রা.শি.স.প. ২০১৫]
উত্তর : মহাবিশ্বের প্রকৃত আকার সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারে না। তবে মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণা থেকে আমরা ধারণা করতে পারি, মহাবিশ্ব কত বড়। একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যায়। মহাকাশের গ্যালাক্সিসমূহের মধ্যে মিল্কিওয়ে একটি গ্যালাক্সি। যদি আমরা আলোর গতিতে চলতে পারতাম তবে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে আমাদের ১,৩০,০০০ বছর সময় লাগতো। স্যার এডিংটনের মতে, প্রতি গ্যালাক্সিতে গড়ে দশ সহস্র কোটি নক্ষত্র রয়েছে। তাছাড়া মহাবিশ্ব এখনও ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। অতএব, মহাবিশ্বের আকার সম্পর্কে বলা যায় যে, মহাবিশ্ব সুবিশাল ও অসীমে বিস্তৃত।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ তুমি মহাবিশ্ব সম্পর্কে গবেষণা করতে চাইলে কী করবে? তোমার পরিকল্পনা আলোচনা কর।
উত্তর : রাতের আকাশে খালি চোখে আমি অসংখ্য তারা বা নক্ষত্র দেখতে পাই। কিন্তু ভালোভাবে সেগুলো দেখতে হলে আমাকে মহাকাশ গবেষণার জন্য নির্মিত বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। যেমন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে আমি নক্ষত্রসমূহকে আরও স্পষ্ট দেখতে পাব। এ যন্ত্রের সাহায্যে অনেক দূরের বস্তুও বড় দেখায়। এটি আমাদেরকে মহাকাশের দূরবর্তী বস্তু পর্যবেক্ষণে সাহায্য করবে। মহাকাশের গ্রহ, নক্ষত্র এবং গ্যালাক্সি নিয়ে গবেষণা করতে বিজ্ঞানীরাও দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে থাকেন।
মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য বর্তমানে বিজ্ঞানীরা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছেন এবং মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করেছেন। কাজেই আমি যদি মহাবিশ্ব সম্পর্কে গবেষণা করতে চাই তাহলে দূরবীক্ষণ যন্ত্রসহ বিভিন্ন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করব।
সাধারণ প্রশ্ন :
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ ঋতু পরিবর্তন হয় কেন? গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার চারটি কারণ লেখ।
উত্তর : পৃথিবীর নিজস্ব কক্ষপথে ঘূর্ণন এবং সূর্যের দিকে এর হেলে থাকা অক্ষের কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়।
গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার চারটি কারণ নিচে দেওয়া হলো :
১. গ্রীষ্মকালে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে সূর্যের দিকে হেলে থাকে।
২. সূর্য অপেক্ষাকৃত আকাশের উঁচুতে অবস্থান করে।
৩. সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়।
৪. দিনের সময়কাল দীর্ঘ থাকে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ বার্ষিক গতি কাকে বলে? পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে বা সূর্যের বিপরীত দিকে সরে পড়ে কেন? একটি বাক্যে লেখ। শীতকালে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার তিনটি কারণ লেখ।
উত্তর : সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীর আবর্তনকে বার্ষিক গতি বলে।
সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর আবর্তনের জন্য বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে বা সূর্যের বিপরীত দিকে সরে পড়ে।
শীতকালে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার তিনটি কারণ দেওয়া হলো :
১. শীতকালে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের বিপরতি দিকে হেলে পড়ে।
২. সূর্য আকাশের অপেক্ষাকৃত নিচে অবস্থান করে।
৩. সূর্য তির্যকভাবে কিরণ দেয়।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ পৃথিবী কী? সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘূর্ণন সম্পর্কিত তথ্য চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : পৃথিবী সৌরজগতের একটি গ্রহ।
সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘূর্ণন সম্পর্কিত চারটি বাক্য নিম্নরূপ :
১. পৃথিবী সূর্যের চারপাশে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরে।
২. যে পথে পৃথিবী সূর্যকে আবর্তন করে তাকে কক্ষপথ বলে।
৩. সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা সময় লাগে।
৪. নিজ অক্ষের উপর পৃথিবীর ঘূর্ণায়মান গতিকে আহ্নিক গতি বলে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ ঋতু পরিবর্তন কেন হয়? বছরে আমরা কয়টি ঋতু দেখতে পাই? উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকালে সূর্যের তিনটি প্রভাব উল্লেখ কর।
উত্তর : পৃথিবীর নিজস্ব কক্ষপথে ঘূর্ণন এবং সূর্যের দিকে এর হেলে থাকা অক্ষের কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়।
বছরে আমরা ছয়টি ঋতু দেখতে পাই।
উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকালে সূর্যের তিনটি প্রভাব নিম্নরূপ :
১. গ্রীষ্মকালে সূর্য আকাশের অপেক্ষাকৃত উঁচুতে অবস্থান করে।
২. এ সময় উত্তর গোলার্ধে সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়।
৩. দিনের সময়কাল দীর্ঘ হয় এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ মহাবিশ্ব ও সৌরজগতের মধ্যে তুলনা উল্লেখ কর।
উত্তর : মহাবিশ্ব ও সৌরজগতের মধ্যে তুলনা নিম্নরূপ :
মহাবিশ্ব সৌরজগৎ
১. মহাকাশের অসংখ্য ছায়াপথ, নীহারিকা, এদের অন্তর্গত অগণিত নক্ষত্র ও তাদের গ্রহ, উপগ্রহ, ধূমকেতু ও উল্কা ইত্যাদি নিয়ে মহাবিশ্ব গঠিত। ১. সূর্য ও তার গ্রহ, উপগ্রহ ও ধূমকেতু নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত।
২. মহাবিশ্ব অনেক বিশাল। ২. সৌরজগৎ মহাবিশ্বের কাছে একটি বিন্দুর মতো।
৩. মহাবিশ্ব সৌরজগতের অন্তর্গত নয়। ৩. সৌরজগৎ মহাবিশ্বের অন্তর্গত।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ :
গ্রহ উপগ্রহ
১. যেসব জ্যোতিষ্ক নক্ষত্রের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথে পরিভ্রমণ করে তাদের গ্রহ বলে। ১. যেসব জ্যোতিষ্ক গ্রহের আকর্ষণে তার চারদিকে নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে তাদের উপগ্রহ বলে।
২. গ্রহ উপগ্রহ থেকে অনেক বড় হয়। ২. উপগ্রহ গ্রহ থেকে অনেক ছোট হয়।
৩. গ্রহ নক্ষত্র থেকে সৃষ্টি হয়। যেমন : আমাদের পৃথিবী সূর্য নামক নক্ষত্র থেকে সৃষ্ট। ৩. উপগ্রহ গ্রহ থেকে সৃষ্টি হয়। যেমন : ফোবস ও ডিমোস নামক ২টি উপগ্রহ মঙ্গল গ্রহ থেকে সৃষ্ট।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ ঋতু পরিবর্তন কেন হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বার্ষিক গতির ফলে ঋতু পরিবর্তন হয়।
পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ যখন সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন সূর্যরশ্মি অপেক্ষাকৃত খাড়াভাবে এসে পড়ে এই গোলার্ধে। সূর্য থেকে বেশি পরিমাণ বিকিরণ রশ্মি এই গোলার্ধে এসে পড়ে প্রতি একক এলাকায়। এছাড়া পৃথিবী যখন আপন অক্ষের ওপর ঘুরতে থাকে, এই গোলার্ধের এলাকা বেশিক্ষণ ধরে সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। অর্থাৎ সে সময় উত্তর গোলার্ধে দিন হয় বড় এবং রাত হয় ছোট। এই সময়টা হচ্ছে উত্তর গোলার্ধের জন্য গ্রীষ্মকাল। বেশিক্ষণ ধরে সূর্যরশ্মি পায় বলে এই গোলার্ধের তাপমাত্রা তখন বৃদ্ধি পায়। এই সময দক্ষিণ গোলার্ধে উল্টো ব্যাপারটি ঘটে বলে সেখানে হয় শীতকাল।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ আহ্নিক গতি কী? আহ্নিক গতির তিনটি সুবিধা লেখ।
উত্তর : পৃথিবী তার অক্ষের উপর চারদিকে একবার ঘুরে আসতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। এ ২৪ ঘণ্টাকে বলা হয় একদিন। পৃথিবীর এ দৈনিক গতির নাম আহ্নিক গতি।
আহ্নিক গতির তিনটি সুবিধা হলো :
১. দিন রাত সংঘটন : আহ্নিক গতির ফলে ভৃপৃষ্ঠে দিন রাত সংঘটিত হয়।
২. সময় গণনা : আহ্নিক গতির ফলে সময় গণনা করার সুবিধা হয়।
৩. উষ্ণতার তারতম্য : আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীতে উষ্ণতার পরিবর্তন হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ গ্যালাক্সি কাকে বলে? সূর্য নক্ষত্রের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : অজস্র নক্ষত্রের সমারোহকে গ্যালাক্সি বলে।
সূর্য নক্ষত্রের চারটি বৈশিষ্ট্য নিম্নে দেওয়া হলো :
১. সূর্যের নিজস্ব আলো আছে।
২. সূর্য তার চতুর্দিকে আবর্তনকারী গ্রহগুলোকে আকর্ষণ করে।
৩. সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থান করে।
৪. সূর্য সমসময় একই আকৃতি ও উজ্জ্বলতা বহন করে।