পঞ্চম শ্রেণী বিজ্ঞান ৫ম অধ্যায় স্বাস্থবিধি

স্বাস্থ্যবিধি

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান

১.   সঠিক উত্তরে টিক চি‎হ্ন () দাও। 

      ১)   টাইফয়েড এর জীবাণু নিচের কোনটির মাধ্যমে ছড়াতে পারে?

            ক. পানি       খ. বায়ু

            গ. মাটি        ঘ. পোকামাকড়

      ২)   কোনটি ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গু রোগের বাহক?

            ক. কুকুর       খ. প্রজাপতি   

            গ. মশা       ঘ. মাছি

      ৩)   বয়ঃসন্ধিকালে নিচের কোনটি হয়ে থাকে?

            ক. সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক

            খ. পড়াশোনার প্রতি অধিক মনোযোগ

            গ. শরীরের গঠন পরিবর্তন

            ঘ. বেশি বেশি অসুস্থ হওয়া

২.   সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কীভাবে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা যায় তার ৫টি উপায় লেখ।

উত্তর : সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করার ৫টি উপায় হলো :

১.   সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

২.   নিজেকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখা।

৩.   বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।

৪.   হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা।

৫.   সময়মতো প্রয়োজনীয় টিকা গ্রহণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করা।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বায়ুবাহিত রোগ কী?

উত্তর : যেসব রোগের জীবাণু হাঁচি-কাশি বা কথাবার্তা বলার সময় বায়ুতে ছড়ায় সেগুলো বায়ুবাহিত রোগ। যেমন : হাম, যক্ষ্মা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ সংক্রামক রোগ প্রতিকারের উপায়গুলো কী?

উত্তর : সংক্রামক রোগ প্রতিকারের উপায় হলো :

১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া, ২. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ৩. প্রচুর পরিমাণ নিরাপদ পানি পান করা ও ৪. প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেব করা।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের পরিবর্তনের কারণে দুশ্চিন্তা হলে তুমি কী করবে?

উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের পরিবর্তনের কারণে দুশ্চিন্তা হলে আমি মা-বাবা, শিক্ষক কিংবা বড় ভাই বা বোনের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ নেব।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সংক্রামক রোগ এর কারণ কী কী?

উত্তর : সংক্রামক রোগের কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের জীবাণু। যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি।

৩.   বর্ণনামূলক প্রশ্ন :

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ সংক্রামক রোগ কীভাবে ছড়ায় তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বিভিন্ন জীবাণু যেমন : ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ। সংক্রামক রোগ বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে। যেমন- ১. কিছু কিছু রোগ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে একজন থেকে আরেক জনে সংক্রমিত হয়। যেমন- সোয়াইন ফ্লু, হাম।

২. সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহারের মাধ্যমে জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। যেমন- ফ্লু, ইবোলা।

৩. মশার মতো পোকামাকড় বা কুকুরের মতো প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে। যেমন- ডেঙ্গু, জলাতঙ্ক। দূষিত খাদ্য ও পানি গ্রহণও সংক্রামক রোগ ছড়ানোর অন্যতম কারণ। যেমন- ডায়রিয়া, কলেরা। 

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পানি জমে থাকে এমন বস্তু যেমন- গামলা, টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারি। এর কারণ কী?

উত্তর : পানি জমে থাকে এমন বস্তু যেমন- গামলা, টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারি। কারণ এগুলোতে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে। তাই ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে হলে মশার আবাসস্থলে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কারণ, জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি করে।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ পানিবাহিত এবং বায়ুবাহিত রোগের সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য কোথায়?

উত্তর : পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত রোগের সাদৃশ্য নিম্নরূপ :

i.    পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত উভয় রোগের বাহক প্রয়োজন।

ii.   পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত উভয় রোগই সংক্রামক রোগ।

iii. পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত উভয় রোগই জীবাণুর মাধ্যমে ছড়ায়।

পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত রোগের বৈসাদৃশ্য নিম্নরূপ :

i.    বায়ুবাহিত রোগ হলো সে সকল রোগ যা হাঁচি-কাশি বা কথাবার্তা বলার সময় বায়ুতে জীবাণু ছড়ানোর মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর পানিবাহিত রোগ হলো সে সকল রোগ যা জীবাণুযুক্ত দূষিত পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে।

ii.   বায়ুবাহিত রোগের মধ্যে রয়েছে সোয়াইন ফ্লু, হাম, গুটিবসন্ত, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি আর পানিবাহিত রোগের মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় এবং টাইফয়েড।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥  হাঁচি-কাশির সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বা রুমাল ব্যবহার করে আমরা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। এক্ষেত্রে হাতের তালু ব্যবহার করার চেয়ে হাতের উল্টো পিঠ বা কনুই এর ভাঁজ ব্যবহার করা ভালো কেন?

উত্তর : হাঁচি-কাশির সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বা রুমাল ব্যবহার করে আমরা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। এক্ষেত্রে হাতের তালু ব্যবহার করার চেয়ে হাতের উল্টো পিঠ বা কনুই এর ভাঁজ ব্যবহার করা ভালো। কারণ, হাঁচি-কাশির সময় হাতের তালু ব্যবহার করলে জীবাণু হাতের তালুতে লেগে যাবে। পরবর্তীতে ঐ হাত দিয়ে খাদ্যদ্রব্য বা নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র স্পর্শ করলে তাতেও জীবাণু লেগে যাবে। ফলে খুব সহজেই জীবাণু সেখান থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমিত হবে। আর হাঁচি-কাশির সময় হাতের উল্টো পিঠ বা কনুইয়ের ভাঁজ ব্যবহার করলে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন :

হাম, বসন্ত ইত্যাদি রোগ কিসের মাধ্যমে ছড়ায়?

      (ক) পানি (খ) বায়ু

      (গ) মশা   (ঘ) খাদ্য

      উত্তরঃ বায়ু

২.   নিচের কোনটি খালি চোখে দেখা যায় না?

      (ক) সোনা (খ)রূপা

      (গ) রোগজীবাণু  (ঘ) লোহা

      উত্তরঃ রাগজীবাণু

৩.   নিচের কোনটি সোয়াইন ফ্লুর লক্ষণ?

      (ক) নাক দিয়ে পানি পড়বে  (খ) ক্ষুধা বৃদ্ধি পাবে

      (গ) শরীরে ঘাম হবে   (ঘ) চুলকানি হবে

      উত্তরঃ চুলকানি হবে

 ৪.  নিচের কোনটি বায়ুবাহিত রোগ নয়?

      (ক) হাম   (খ) বসন্ত

      (গ) সর্দিজ্বর (ঘ) আমাশয়

      উত্তরঃ আমাশয়

৫.   বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনের সময় ছেলেমেয়েদের মধ্যে নিচের কোনটি ঘটে?

      (ক) সবার সাথে বন্ধুভাবাপন্ন হয়  

      (খ) লেখাপড়া অধিক মনোযোগী হয় 

      (গ) প্রদিতিন স্কুলে যেতে পছন্দ করে 

      (ঘ) শারীরিক, মানসিক ও আচরণের পরিবর্তন হয়

      উত্তরঃ শারীরিক, মানসিক ও আচরণের পরিবর্তন হয়

৬.   বিসিজি টিকা কোন রোগের প্রতিরোধ?

      (ক) যক্ষ্মা  (খ) আমাশয়

      (গ) ডায়রিয়া     (ঘ) কোনোটিই নয়

      উত্তরঃ যক্ষ্মা

৭.   নিচের কোনটি সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী?    

      (ক)  (খ) 

      (গ)  (ঘ) 

      উত্তরঃ

৮.   নিচের কোনটি সংক্রামক রোগ?

      (ক) বসন্ত (খ) পাঁচড়া

      (গ) হাম   (ঘ) সবগুলোই

      উত্তরঃ সবগুলোই

৯.   এনোফিলিস জাতীয় স্ত্রী মশার কামড়ে কোন রোগ হয়?

      (ক) গোঁদ রোগ  (খ) ম্যালেরিয়া

      (গ) ডায়রিয়া     (ঘ) জ-িস

      উত্তরঃ ম্যালেরিয়া

১০.  কিউলেক্স মশার কামড়ে কোন রোগ হয়?

      (ক) ম্যালেরিয়া   (খ) ডায়রিয়া

      (গ) গোঁদ রোগ  (ঘ) হাম

      উত্তরঃগোঁদ রোগ

১১.  সোয়াইন ফ্লু রোগে আক্রান্ত জ্বরের মাত্রা কত হয়?

      (ক) ১০০০ ফারেনহাইট (খ) ১০২০ ফারেনহাইট (গ) ১০৩০ ফারেনহাইট (ঘ) ১০৪০ ফারেনহাইট

১২.  কোন রোগের চিকিৎসায় অবহেলা করলে হৃৎপি-ের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

      (ক) রাতকানা    (খ) ডায়রিয়া

      (গ) কলেরা (ঘ) বাতজ্বর

      উত্তরঃ বাতজ্বর

১৩.  এডিশ মশার কামড়ে নিচের কোন রোগটি হয়?

      (ক) গোঁদ রোগ  (খ) ম্যালেরিয়া

      (গ) ডেংগু জ্বর (ঘ) কলেরা

      উত্তরঃডেংগু জ্বর

১৪.  কোন রোগের জন্য বিসিজি টিকা দিতে হয়?

      (ক) বসন্ত (খ) হাম

      (গ) যক্ষ্মা (ঘ) ইনফ্লুয়েঞ্জা

      উত্তরঃ যক্ষ্মা

১৫.  বাতজ্বরে সাধারণত কারা বেশি আক্রান্ত হয়?

      (ক) শিশুরা      (খ) বৃদ্ধরা

      (গ) প্রাপ্ত বয়স্করা (ঘ) সকলেই

      উত্তরঃ শিশুরা

১৬.  স্ট্রেপটোকক্কাস নামক জীবাণুর কারণে কোন রোগ হয়?

      (ক) কলেরা (খ) ডেংগুজ্বর

      (গ) বাতজ্বর (ঘ) বসন্ত

      উত্তরঃ বাতজ্বর

১৭.  নিচের কোনটি শৈশবকাল?

      (ক) জন্ম হতে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত

      (খ) জন্ম হতে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত

      (গ) জন্ম হতে সাত বছর বয়স পর্যন্ত

      (ঘ) জন্ম হতে আট বছর বয়স পর্যন্ত

      উত্তরঃ জন্ম হতে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত

১৮. কোন রোগটি পানিবাহিত রোগ?

      (ক) বসন্ত (খ) হাম

      (গ) ডায়রিয়া     (ঘ) ইনফ্লুয়েঞ্জা

      উত্তরঃ ডায়রিয়া

১৯.  নিচের কোনটি বাল্যকাল?

      (ক) ৫-১০ বছর পর্যন্ত  (খ) ৬-১০ বছর পর্যন্ত

      (গ) ৫-১২ বছর পর্যন্ত  (ঘ) ৬-১২ বছর পর্যন্ত

উত্তরঃ৬-১০ বছর পর্যন্ত

২০.  যক্ষ্মা রোগের প্রতিষেধক কোনটি?

      (ক) পেনিসিলিন  (খ) বিসিজি

      (গ) স্যালাইন    (ঘ) ব্যাকটেরিয়া

      উত্তরঃ বিসিজি

২১.  নিচের কোনটি বয়:সন্ধিকাল?

      (ক) ১৫-২০ বছর পর্যন্ত (খ) ১০-২০ বছর পর্যন্ত

      (গ) ১০-১৯ বছর পর্যন্ত (ঘ) ১৫-২১ বছর পর্যন্ত

      উত্তরঃ১০-১৯ বছর পর্যন্ত

২২.  সংক্রামক রোগ কোনটি?

      (ক) আমাশয়    (খ) জন্ডিস

      (গ) কলেরা      (ঘ) মাথাব্যথা

      উত্তরঃ আমাশয়

২৩.  হাতে-পায়ের গিঁটে ব্যথা হওয়া কোন রোগের লক্ষণ? 

      (ক) বসন্ত  (খ) কলেরা

      (গ) এইডস (ঘ) বাতজ্বর

      উত্তরঃ বাতজ্বর

২৪.  ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণু বহনকারী মশা কোনটি?

      (ক) ফাইলেরিয়া  (খ) ম্যালেরিয়া

      (গ) এডিস (ঘ) এনোফিলিস

উত্তরঃ এডিস

২৫.  এইডস ছড়াবে কোন উপায়ে?      

      (ক) আক্রান্ত ব্যক্তির সেবা করলে

      (খ) আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে খাবার খেলে

      (গ) আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ সন্তানকে খাওয়ালে

      (ঘ) আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে খেলাধুলা করলে

      উত্তরঃ আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ সন্তানকে খাওয়ালে

২৬. কফ ও থুথুর মাধ্যমে কোন রোগ ছড়ায়?

      (ক) যক্ষ্মা (খ) কলেরা

      (গ) আমাশয়    (ঘ) ডায়রিয়া

      উত্তরঃ যক্ষ্মা

২৭.  ডেঙ্গু সাধারণত বংশবিস্তার করে

      (ক) ভাঙ্গা দ্রব্যাদিতে জমা পানিতে  (খ) অন্ধকারে

      (গ) ঘরের কোণায় (ঘ) স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায়

      উত্তরঃ ভাঙ্গা দ্রব্যাদিতে জমা পানিতে 

 ২৮. কীভাবে এইচআইভি ছড়ায় না?

      (ক) এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত গ্রহণ    (গ) আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ব্যবহার করলে

      (গ) আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ওঠাবসা করলে                          (ঘ) সংক্রমিত ব্যক্তির অপারেশনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে

      উত্তরঃ আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ওঠাবসা করলে                      

২৯. আমাশয় কোন ধরনের রোগ?

      (ক) পানিবাহিত রোগ  (খ) বায়ুবাহিত রোগ

      (গ) . অসংক্রামক রোগ     (ঘ) পতঙ্গবাহিত রোগ

      উত্তরঃ বায়ুবাহিত রোগ

৩০. ডায়রিয়া হওয়ার সাথে সাথে রোগীকে কী দিতে হবে?

      (ক) গোশত (খ) স্যালাইন

      (গ) . ফলমূল    (ঘ) . ইলিশ মাছ

      উত্তরঃ স্যালাইন

৩১. ডায়রিয়ার ফলে শরীরে কী সমস্যা দেখা দেয়?  

      (ক) রক্তস্বল্পতা   (খ) পানিস্বল্পতা

      (গ) ভিটামিনের অভাব      (ঘ) শরীরে পঙ্গুত¦

      উত্তরঃ পানিস্বল্পতা

৩২. কানটি পানিবাহিত রোগ?     

      (ক) বসন্ত  (খ) হাম

      (গ) ডায়রিয়া    (ঘ) ইনফ্লুয়েঞ্জা

      উত্তরঃ ডায়রিয়া

৩৩. কানটি ছোঁয়াচে রোগ?

      (ক) বাতজ¦র    (খ) পাঁচড়া

(গ) হাঁপানি (ঘ) রাতকানা

      উত্তরঃ পাঁচড়া

৩৪. কারা বাতজ¦রে বেশি আক্রান্ত হয়?

      (ক) শিশুরা      (খ) মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিরা

      (গ) প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিরা     ঘ. বৃদ্ধরা

      উত্তরঃ বৃদ্ধরা

৩৫. সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসের নাম কী?  

      (ক) এইচ ওয়ান এন ওয়ান   (খ) এইচআইভি

      (গ) ই.কোলাই    (ঘ) স্ট্রেপটোকক্কাস

      উত্তরঃ এইচআইভি

৩৬.রাকিবের ম্যালেরিয়া হয়েছ্ েকোন মশা কামড়ালে এ রোগ হয়?

      (ক) ডেঙ্গু       (খ) ফাইলেরিয়া

      (গ) এনোফিলিন      (ঘ) কিউলেক্স

      উত্তরঃ এনোফিলিন

৩৭. তন্দ্রা একটি সংক্রামক রোগে আক্রান্ত যা কুকুরের কামড়ের      মাধ্যমে ছড়ায। রোগটির নামকী?

      (ক) টাইফয়েড        (খ) ডেঙ্গু

      (গ) জালাতঙ্ক        (ঘ) এইডস

      উত্তরঃ জালাতঙ্ক

৩৮. মিনা জীবাণুমুক্ত পানি পানে ফলে একটি সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রোগটির নাম কী?

      (ক) ক্যান্সার         (খ) ডায়াবেটিকস

      (গ)জন্ডিস      (ঘ) ডেঙ্গু

      উত্তরঃ জন্ডিস

৩৯. রহিমের বয়স ১৩ বছর হয়েছে। এ সময়তার কোন পরিবর্তনটি তোমার বা সকলের নজরে পড়বে?

      (ক) মানসিক পরিবর্তন      (খ) শারীরিক পরির্বতন

      (গ)আর্থিক পরিবর্তন        (ঘ) ক ও খ উভয়ই

      উত্তরঃ ক ও খ উভয়ই

৪০. অর্কর মধ্যে ইদানিং শারীরিক মানসিক ও আচরণজনিত পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। এটা তার জীবনের কোন পর্যায়

      (ক) শিশুকাল        (খ) বয়ঃসন্ধিকাল

      (গ) বার্ধক্যকাল       (ঘ) শৈশবকাল

      উত্তরঃ বয়ঃসন্ধিকাল

৪১.তপু অপরিস্কার খাবার খায়। তার কোন রোগটি হতেপারে?

      (ক) হাম        (খ) বসন্ত

      (গ)এইডস      (ঘ) কলেরা

      উত্তরঃ কলেরা

৪২. আল্পনা তাদের বাড়ির সামনের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পুকুরের পানি খেয়ে ফেলেছে। ফলে সে একটি সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রোগটি কী?

      (ক) যক্ষ্মা       (খ) হাম

      (গ)ডেঙ্গু জ্বর         (ঘ) টাইফয়েড

      উত্তরঃ টাইফয়েড

৪৩. পানি নিরপাদ না হলে এর মাধ্যমে রোগছাড়ায। নিচের কোন রোগটি এ ধরনের পানি পান করলে হয়ে থাকে?

      (ক) বসন্ত       (খ) আমাশয়

      (গ) ডেঙ্গু       (ঘ) বাতজ্বর

      উত্তরঃ আমাশয়

৪৪. হ্যারির বয়স ১৩ বছর । ইদানীং অল্পতেই সে হতাশ হয়ে পড়ে।্ এর কারণ কোনটি?

      (ক) আবেগপ্রবণ হওয়া     

      (খ) মেজাজ উগ্রহওয়া

      (গ) দুশ্চিন্তা করা

      (ঘ) কাজে  অমনোযোগী থাকা

      উত্তরঃ আবেগপ্রবণ হওয়া

৪৫. হেলালের সরকারি স্বাস্থ্যকেকেন্দ্র একটি রোগের জন্য প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হলো । রোগটি কী হতে পারে?

      (ক) ডেঙ্গু  (খ) ডায়রিয়া

      (গ) জন্ডিস      (ঘ) যক্ষèা

      উত্তরঃ যক্ষèা

৪৬. কোনটি ম্যালেরিয়া জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু বহন করে?

      (ক) ময়ুর  (খ) মশা

      (গ)ছাগল       (ঘ) কুকুর

      উত্তরঃ মশা

৪৭. নিচে কোন প্রাণীটি জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু বহন করে?

(ক)  ময়ুর     (খ)কুকুর

      (গ)গরু         (ঘ)মশা

      উত্তরঃ কুকুর

৪৮. হাম বসন্ত ইত্যাদি রোগ কিসের মাধ্যমে ছড়ায়?

      (ক) পানি (খ) বায়ু

      (গ)মশা         (ঘ) খাদ্য

      উত্তরঃ বায়ু

৪৯.যক্ষ্মা রোগীর হাচি ও কাশির সময় কী করা উচিত?

      (ক) ুমখে রুমাল ব্যবহার করা

      (খ) মুখে হাত ব্যবহার করা

      (গ) মুখ খোলা রেখে কাশি দেয়া  

      (ঘ) অন্যেরকাছাকাছি দেয়া

ু    উত্তরঃ মখে রুমাল ব্যবহার করা  

৫০. কোনটি ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গু রোগের বাহক

      (ক) কুকুর (খ) এইচ আইভি

      (গ) মশা        (ঘ) মাছি

      উত্তরঃ মশা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ তিনটি সংক্রামক রোগের নাম লিখ।

উত্তর : তিনটি সংক্রামক রোগের নাম : র. হাম; রর. গুটি বসন্ত; ররর. কলেরা।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ডেঙ্গু প্রতিরোধের দুইটি উপায় লিখ।

উত্তর : ডেঙ্গু প্রতিরোধের দুইটি উপায় নিম্নরূপ :

(র) চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা। (রর) কোনো বন্ধ স্থানে এক নাগাড়ে পানি যেন জমা হয়ে না থাকে এ ব্যাপারে লক্ষ রাখা।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ এডিস মশা সাধারণত কখন কামড়ায়?

উত্তর : এডিস মশা সাধারণত সকাল এবং সন্ধ্যার পূর্বে কামড়ায়।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ সংক্রামক রোগ কী?

উত্তর : যেসব রোগ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এক দেহ হতে অন্য দেহে ছড়ায় সেসব রোগকে সংক্রামক রোগ বলে।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সংক্রামক রোগের প্রকারগুলো কী কী?

উত্তর : সংক্রামক রোগের প্রকারগুলো হলো :

১. বায়ুবাহিত রোগ, ২. পানিবাহিত রোগ, ৩. ছোঁয়াচে রোগ ও ৪. প্রাণী ও পোকামাকড়বাহিত সংক্রামক রোগ।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ কয়েকটি জীবাণুর নাম উল্লেখ কর।

উত্তর : কয়েকটি জীবাণু হলো : ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ ছোঁয়াচে রোগ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : রোগাক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে যে সকল রোগ সংক্রমিত হয় তাই ছোঁয়াচে রোগ।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ কয়েকটি পানিবাহিত রোগের নাম লেখ।

উত্তর : কয়েকটি পানিবাহিত রোগ হলো : ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড ইত্যাদি।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় এমন দুইটি রোগের নাম লেখ।

উত্তর : মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় এমন দুইটি রোগ হলো : ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে কী রোগ ছাড়ায়?

উত্তর : কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ পানিবাহিত রোগ কাকে বলে?

উত্তর : যেসব রোগের জীবাণু পানির মাধ্যমে ছড়ায় সেগুলোকে পানিবাহিত রোগ বলে।

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ তিনটি বায়ুবাহিত রোগের নাম লেখ।

উত্তর : বায়ুবাহিত রোগের তিনটি উদাহরণ হলো- ইনফ্লুয়েঞ্জা, বসন্ত, হাম ইত্যাদি।

প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ সোয়াইন ফ্লুকে সংক্রামক রোগ কেন বলা হয়?

উত্তর : আক্রান্ত রোগীর মলমূত্র, পরিধেয় কাপড়-চোপড়, ব্যবহার্য থালাবাসন থেকে সোয়াইন ফ্লু রোগ ছড়ায়। তাই সোয়াইন ফ্লুকে সংক্রামক রোগ বলা হয়।

প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে?

উত্তর : ছেলে ও মেয়েদের যে সময়ে শারীরিক, মানসিক ও আচরণের পরিবর্তন দেখা যায় সে সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে।

প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ এইডস রোগটি কিসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়?

উত্তর : এইডস রোগটি এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।

কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন :

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ সংক্রামক রোগ কী? সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের তিনটি উপায় লেখ।

উত্তর : বিভিন্ন জীবাণু যেমন : ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ।

সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের তিনটি উপায় নিম্নরূপ :

i.    সুষম খাদ্য গ্রহণ করা, নিরাপদ পানি পান করা।

ii.    হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা এবং চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।

iii.   প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করা।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বয়ঃসন্ধিকাল কী? এ সময় কী কী পরিবর্তন ঘটে তা চারটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : ছেলে ও মেয়েদের যে সময়ে শারীরিক, মানসিক ও আচরণের পরিবর্তন দেখা যায় সে সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে।

বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :

১.   বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে শারীরিক, মানসিক ও আচরণের পরিবর্তন দেখা দেয়।

২.   এ সময় ছেলে ও মেয়েরা দ্রুত লম্বা হয়, শারীরের ওজন বৃদ্ধি পায়।

৩.   এ সময় একটু বেশি ঘাম হয়, ত্বক তৈলাক্ত হয়, ব্রন উঠে।

৪.   ছেলে ও মেয়েরা এ সময় নিজেদের মতামত প্রকাশ করার চেষ্টা করে।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ মনে কর তোমার বড় আপু সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত। তার ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছে। সুস্থ হওয়ার জন্য তাকে কী করতে হবে বলে তুমি মনে কর?

উত্তর : ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি সংক্রামক রোগ। সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। আমার বড় আপু যেহেতু ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত, তাই সুস্থ হওয়ার জন্য তাকে নিচের পদক্ষেপগুলো নিতে হবে :

১.   পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

২.   পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

৩.   প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করতে হবে।

৪.   যদি জ্বর ভালো না হয়, ক্রমাগত বমি হতে থাকে এবং মাথাব্যথা হয় তবে আপুকে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ রানা তোমার সহপাঠী। সে বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করছে। তুমি কি তার শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখেছ? বর্ণনা কর।

উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। আমার সহপাঠী রানার শরীরেও আমি কিছু পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। যেমন ১. দ্রুত লম্বা হওয়া; ২. শরীরের গঠন পরিবর্তিত হওয়া; ৩. বেশি ঘাম হওয়া, ত্বক তৈলাক্ত হওয়া, ব্রন উঠা;

৪. শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া; ৫. গলার স্বরের পরিবর্তন হওয়া; ৬.মাংসপেশি সুগঠিত হওয়া এবং দাড়ি-গোঁফ গজাতে শুরু করা।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বয়ঃসন্ধি বলতে কী বোঝ? তোমার ও তোমার বড় আপুর উদাহরণ দিয়ে বোঝাও।

উত্তর  : বয়ঃসন্ধি হলো জীবনের এমন এক পর্যায় যখন আমাদের শরীর শিশু অবস্থা থেকে কিশোর অবস্থায় পৌঁছায়।

সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধি ৮ থেকে ১৩ বছরে হয়। যেমন আমার বড় আপু সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার বয়স ১৩ বছর। এখন তার বয়ঃসন্ধি চলছে। অন্যদিকে ছেলেদের ক্ষেত্রে ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সে শুরু হয়। যেমন আমার বয়স ১১ বছর। আমার বয়ঃসন্ধি শুরু হয়েছে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে শারীরিক, মানসিক ও আচরণিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। যা আমার ও আপুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বয়ঃসন্ধিকাল কি জীবনের একটি জটিল সময়? এ সময়ের সমস্যাসমূহ থেকে উত্তরণের জন্য কী কী করা উচিত? তোমার মতামত দাও।

উত্তর : বয়ঃসন্ধিকাল জীবনের কোনো জটিল সময় নয়। এটি সবার জীবনেই আসে। এই পরিবর্তন স্বাভাবিক।

বয়ঃসন্ধিকালে কোনো কিছু নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে কিংবা আবেগের দিক থেকে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। এ সময় অনেকেই খুব আবেগপ্রবণ হয় বা অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়ে। আবার শারীরিক পরিবর্তন দেখে অনেকে দুঃশ্চিন্তায় ভোগে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এই সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা খুবই জরুরি। আমার মতামত হলো বয়ঃসন্ধিকালে কোনো কিছু নিয়ে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে মা-বাবা, শিক্ষক কিংবা বড় ভাই বা বোনের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ মুক্তা তার বাবা-মা, ভাই-বোন ও দাদা-দাদির সাথে খুবই ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকায় বাস করে। মাত্র দুটি ঘরে তাদের দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ সম্পন্ন করতে হয়। মুক্তা তার পরিবারের সদস্যদের কোন ধরনের রোগ হতে পারে বলে তুমি মনে কর? ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর : মুক্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের সংক্রামক রোগ হতে পারে।

বিভিন্ন জীবাণু যেমন : ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগ হলো সংক্রামক রোগ। এ সকল রোগ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে ছড়াতে পারে। এসব রোগ বিভিন্নভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে। কিছু কিছু রোগ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে সংক্রমিত হয়। সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস যেমন : গ্লাস, প্লেট, চেয়ার, টেবিল, জামাকাপড়, টয়লেট ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে অন্য সুস্থ ব্যক্তি জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।

মুক্তার পরিবারের সবাই খুব ঘনসন্নিবিষ্ট হয়ে বাস করে এবং পরস্পরের জিনিস ব্যবহার করে, তাই তারা সহজেই জীবাণুর সংস্পর্শে আসতে পারে। ফলে তাদের সংক্রামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ তোমার বন্ধু রনি নানারকম সংক্রামক রোগের কারণে প্রায়ই অসুস্থ থাকে। সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকার জন্য তুমি রনিকে কী পরামর্শ দিবে?

উত্তর : সংক্রামক রোগ জীবাণুর মাধ্যমে হয়ে থাকে। এসব রোগ থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করা। রনির ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিরাপদ পানি ব্যবহার এবং হাত জীবাণুমুক্ত রাখার মাধ্যমে সে সুস্থ থাকতে পারে। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা, চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদির মাধ্যমে রনি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে পারে এমন আবর্জনা যেমন কৌটা, টায়ার, ফুলের টব ইত্যাদি পরিষ্কার রাখতে হবে তাকে। কারণ এখানে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে। প্রয়োজনীয় টিকা নিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করেও সে রোগমুুক্ত থাকতে পারে।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ সংক্রামক রোগ কী? সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তোমার করণীয় কী?

উত্তর : এমন কিছু রোগ আছে যেগুলো একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায়, এগুলোকে সংক্রামক রোগ বলে।

সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে করণীয় হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত গোসল করা, দাঁত মাজা, হাত পায়ের নখ কাটা। ব্যবহার্য জামা কাপড়, বালিশ, বিছানা, চাদর ইত্যাদি পরিষ্কার রাখা উচিত। এছাড়া যেখানে সেখানে কফ, থুতু ইত্যাদি ফেলা যাবে না। কাশি বা হাঁচি হলে মুখে রুমাল বা হাত দিয়ে ঢাকতে হবে।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের কী করা উচিত বলে তুমি মনে কর?

উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত :

১.   শারীরিক পরিবর্তন দেখে ঘাবড়ে না যাওয়া।

২.   দুশ্চিন্তা না করা।

৩.   মা-বাবা, বড় ভাইবোনদের সাথে বিষয়টি আলোচনা করা।

৪.   এসময় ঘটে যাওয়া পরিবর্তনকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া।

৫.   পড়ালেখাসহ স্বাভাবিক কাজকর্ম করা।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ তোমাদের এলাকায় সংক্রামক রোগ দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে তোমরা কীভাবে এর প্রতিকার করবে?

উত্তর : আমাদের এলাকায় সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা নিম্নোক্তভাবে এর প্রতিকার করব :

রোগাক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করতে হবে। এগুলো আমাদের সেরে উঠতে সাহায্য করে। হালকা জ্বর হলে বা সামান্য

মাথাব্যথা করলে প্রাথমিকভাবে কিছু ঔষধ গ্রহণ করলে আমরা ভালো বোধ করি। কিন্তু যদি জ্বর ভালো না হয়, ক্রমাগত বমি হতে থাকে এবং মারাত্মক মাথাব্যথা হয় তবে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।

সাধারণ প্রশ্ন :

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ সংক্রামক রোগের প্রকারভেদ আলোচনা কর।

উত্তর : সংক্রামক রোগ চার প্রকার। যেমন ১. বায়ুবাহিত রোগ, ২. পানিবাহিত রোগ, ৩. ছোঁয়াচে রোগ, ৪. প্রাণী ও পোকামাকড়বাহিত সংক্রামক রোগ। নিচে এগুলো সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো :

বায়ুবাহিত রোগ : যে সকল রোগ হাঁচি-কাশি বা কথাবার্তা বলার সময় বায়ুতে জীবাণু ছড়ানোর মাধ্যমে হয়ে থাকে তাদেরকে বায়ুবাহিত রোগ বলে। যেমন : সোয়াইন ফ্লু, হাম, গুটিবসন্ত, যক্ষ্মা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি।

পানিবাহিত রোগ : যে সকল রোগ জীবাণুযুক্ত দূষিত পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে তাদেরকে বলে পানিবাহিত রোগ। যেমন : ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় এবং টাইফয়েড।

ছোঁয়াচে রোগ : রোগাক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে যে সকল রোগ সংক্রমণ হয় তাই ছোঁয়াচে রোগ। যেমন : ফ্লু, ইবোলা, হাম ইত্যাদি।

প্রাণী ও পোকামাকড়বাহিত সংক্রামক রোগ : বিভিন্ন প্রাণী এবং পোকামাকড়ের মাধ্যমে কিছু জীবাণুবাহিত রোগ ছড়ায়। যেমন : কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়। মশার কামড়ের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়।

প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের ৫টি উদাহরণ দাও।

উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন রক্ষ করা যায়। যেমন :

১.   দ্রুত লম্বা হওয়া।

২.   মাংসপেশি সুগঠিত হওয়া।

৩.   শরীরের গঠন পরিবর্তন হওয়া।

৪.   বেশি ঘাম হওয়া, ত্বক তেলাক্ত হওয়া, ব্রন উঠা।

৫.   শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *