অষ্টম শ্রেনী- বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃনদীর স্বপ্ন  সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নদীর স্বপ্ন

কবিপরিচিতি

নামবুদ্ধদেব বসু।
জন্ম পরিচয়জন্ম তারিখ : ৩০শে নভেম্বর, ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ; জন্মস্থান : কুমিল্লা; পৈতৃক নিবাস : বিক্রমপুর অর্থাৎ বর্তমানের মুন্সিগঞ্জ।
পিতৃ মাতৃপরিচয়পিতার নাম : ভূদেবচন্দ্র বসু; মাতার নাম : বিনয় কুমারী।
শিক্ষাজীবনমাধ্যমিক : ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল (১৯২৫); উচ্চ মাধ্যমিক : ঢাকা সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (১৯২৭); উচ্চতর শিক্ষা : বিএ অনার্স (ইংরেজি) (১৯৩০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এমএ (ইংরেজি) (১৯৩১), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কর্মজীবন/ পেশাপ্রথমে সাংবাদিকতা এবং পরে অধ্যাপনাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন।
সাহিত্য সাধনাকাব্যগ্রন্থ : মর্মবাণী, পৃথিবীর পথে, কঙ্কাবতী, দ্রৌপদীর শাড়ি, শ্রেষ্ঠ কবিতা, শীতের প্রার্থনা, বসস্তেরর উত্তর, স্বাগত বিদায়।
সাহিত্য সাধনাউপন্যাস : সাড়া, সানন্দা, লালমেঘ, কালো হাওয়া, মৌলিনাথ, নীলাঞ্জনের খাতা, রাতভর বৃষ্টি, বিপন্ন বিস্ময় ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থ : অভিনয়, রেখাচিত্র, শ্রেষ্ঠগল্প, হৃদয়ের জাগরণ, প্রেমপত্র প্রবন্ধগ্রন্থ : কালের পুতুল, সাহিত্যচর্চা, স্বদেশ ও সংস্কৃতি। ভ্রমণকাহিনী : সব পেয়েছির দেশে, জাপানি জার্নাল ইত্যাদি।
পুরস্কার সম্মাননাসাহিত্য একাডেমি পুরস্কার, পদ্মভূষণ উপাধি ও রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ।
জীবনাবসানমৃত্যু তারিখ : ১৮ই মার্চ, ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন -১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

নুরু, শফি, আয়েশা, রেহানা বড়দের দৃষ্টি এড়িয়ে পরির দিঘির পাড়ে মিলিত হয়েছে। বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে চাল, ডাল, ডিম, মসলা- সবকিছু। জমিয়ে পিকনিক হবে। রান্নার ধূম লেগেছে। রান্না শেষ হতেই নুরুর দেখাদেখি সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ল দিঘির জলে। দাপাদাপি যেন শেষ হতেই চায় না। শেষে রেহানার চেঁচামেচিতে সবাই এসে কলাপাতায় পাত পেড়ে খেতে বসল। খাবার মুখে দিয়েই এ ওর মুখের দিকে তাকাচ্ছে। নুন-নুন দেয়া হয়নি যে। আবার এক দফা হেসে নিয়ে সবাই গপাগপ খিচুড়ি খেতে বসে গেল। খুউব ড়্গুধা পেয়েছে যে!

  ১নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       দুপুরের রোদে জল ছলোছলো করে বয়ে চলে।

খ.        নৌকাভ্রমণের বিনিময়ে কানাই মাঝিকে একটি রুপোর সিকি ও দুটো আনি দিতে চেয়েছিল। কারণ সিকি ও আনির বিনিময়ে মাঝি নৌকায় উঠতে দেবে।

            গ্রামের দুরন্ত কিশোর কানাই তার ছোট বোন ছোকানুকে নিয়ে নৌকায় ভ্রমণ করে মনের সাধ পূরণ করতে চায়। এজন্য নৌকার মাঝিকে সে অনুরোধ করে তাকে আর তার বোনকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পাশাপাশি সে মাঝির পারিশ্রমিকের কথাও মনে রাখে। নৌকাভ্রমণ করার ভাড়া হিসেবে সে নিজের সম্বল রুপোর সিকি ও বোনের কাছে থাকা দুটি আনি মাঝিকে দিতে চেয়েছিল।

গ.        উদ্দীপকের সাথে নদীর স্বপ্ন কবিতার বিষয়বস্তুগত অমিল লক্ষ করা যায়।

            কিশোর মনের উচ্ছ্বাস বিচিত্রমুখী। কল্পনার অবাধ প্রবাহকে লালন করে তারা সুখের রাজ্যে ভেসে যেতে চায়। বুদ্ধদেব বসু রচিত নদীর স্বপ্ন কবিতায় তেমনই নদী ও নৌকাভ্রমণ নিয়ে এক কিশোর মনের কল্পনা চিত্রিত হয়েছে। যে তার বোনকে নিয়ে একের পর এক নদী পাড়ি দিয়ে মনের আশা পূরণ করতে চায়।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় বর্ণিত কিশোর কানাইয়ের মতো উদ্দীপকের নুরু, শফি, আয়েশা ও রেহানারাও বড়দের চোখ ফাঁকি দিয়ে আনন্দে মশগুল হয়েছে। বাড়ি থেকে আনা চাল-ডাল দিয়ে খাবার রান্না করেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে পাশের দিঘিতে। এখানে নদীর স্বপ্ন কবিতায় বর্ণিত নদীর বর্ণনা অনুপস্থিত। কানাইয়ের আনন্দ উদ্যাপন উদ্দীপকের আনন্দ উদ্যাপন থেকে ভিন্ন। এছাড়া কানাইয়ের সকল আনন্দ কল্পনায় চিত্রিত হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকের আনন্দ বা¯ত্মবে ধরা দিয়েছে। এসব দিক দিয়ে উদ্দীপক ও কবিতায় অমিল লক্ষ করা যায়।

ঘ.        “বিষয়বস্তু ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও কবিতাটি কিশোর মনের আবেগ প্রকাশের দিক থেকে অভিন্ন”- মন্তব্যটি যথার্থ।

            শৈশব আর যৌবনের মাঝের সময়টুকু কৈশোর। এ সময় তারা কোনো বাধা মানতে চায় না। নিয়মনীতি আর শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে উঠে তারা সবকিছু জয় করতে চায়, অজানাকে জানতে চায়।

            কবি বুদ্ধদেব বসুর নদীর স্বপ্ন কবিতার বিষয়বস্তু নদীর সৌন্দর্য বর্ণনা ও নৌভ্রমণ নিয়ে হলেও কবিতায় কিশোর মনের এক উচ্ছ্বল আবেদন ফুটে উঠেছে। কবিতায় নৌকার নানা রঙের পাল, নীল রঙের আকাশ, ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির উড়ে চলা, রুপালি ইলিশ মাছ, নৌকায় রান্না করা, সন্ধ্যায় গান গাওয়া, গল্প করা এসবকিছু কিশোর মনে গভীর স্বপ্ন নিয়ে আসে।

            উদ্দীপকেও ঠিক তেমনি বড়দের দৃষ্টি এড়িয়ে নুরু, শফি, আয়েশা, রেহানাদের দিঘিরপাড়ে মিলিত হওয়া, জমিয়ে পিকনিকের আয়োজন আর দিঘির জলে, ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃশ্যপট কিশোর মনের উচ্ছ্বল আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ। সুতরাং কবিতার বিষয়বস্তু ভিন্ন হলেও কিশোর মনের আবেগ প্রকাশের দিক থেকে উদ্দীপক ও কবিতাটি অভিন্ন।

প্রশ্ন -২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

মনে কর যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।
তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক করে।
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার পরে
টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে।

ক.       খাওয়ার পর মাঝি কোন রঙের পাল তোলে?             ১

খ.        যত দোষ সব আমরা- না, আমি একা নেবো মাথা পেতে। – ব্যাখ্যা কর।       ২

গ.        উদ্দীপকের কিশোরটির সাথে নদীর স্বপ্ন কবিতার বালকটির যে সাদৃশ্য আছে তা তুলে ধর।           ৩

ঘ.“উদ্দীপকটি নদীর স্বপ্ন কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।” – উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।      ৪

  ২নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       খাওয়ার পর মাঝি লাল রঙের পাল তোলে?

খ.        কানাই নৌকাভ্রমণে বোনকে নিয়ে বের হওয়ায় সব দোষ একা মাথা পেতে নিয়েছে।

            কানাই তাদের দিদি ও মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদী ভ্রমণে বের হয়। কিন্তু বাবা তাকে বকা দেবেন। মাঝিকে সে অভয় দেয় যে, বাবার বকুনি মাঝিকে খেতে হবে না, সব দোষ সে একা মাথা পেতে নেবে। এর মাধ্যমে কানাইয়ের ভ্রাতৃত্ববোধ ও বোনের প্রতি দায়িত্বশীলতা ফুটে ওঠে। সে প্রথমে দুজনের কথা বললেও পরে সংশোধন করে নেয় যে, সব দোষ সে একাই নেবে, বোনের কোনো দোষ দেবে না, ঠিক দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ ভাইয়ের গুণাগুণ অড়্গুণ্ণ ছিল কানাইয়ের মাঝে।

গ.        উদ্দীপকের কিশোরটির সাথে নদীর স্বপ্ন কবিতার বালকের কল্পনাবিলাসী ভাবনার দিক থেকে সাদৃশ্য বিদ্যমান।

            নদীর স্বপ্ন কবিতার বালক কানাইয়ের নদীকে কেন্দ্র করে বর্ণিল চিন্তাধারা আছে। নৌকার পাটাতনে শুয়ে আশ্চর্য নীলের শোভা, পাখির যাত্রা, রাতের নক্ষত্রের চিত্র সে মানসপটে অঙ্কন করে। পদ্মা নদীর রুপালি ইলিশ, সন্ধ্যায় নৌকায় বসে মাঝির গান তার জন্য অতি আকাক্সিক্ষত। দুপুরের নরম হাওয়ায় কানাইয়ের মন আরও স্বপ্নাতুর হয়ে ওঠে।

            উদ্দীপকের কিশোর মাকে সঙ্গে নিয়ে দূরদেশ ভ্রমণে বেরিয়ে একের পর এক সাহসী দৃশ্যের পট উন্মোচন করেছে। কল্পনায় সে নিজে ঘোড়ার পিঠে চড়ে বীরের মতো পথ চলছে। তার মনে অনেক সাহস তাই মাকে বীরপুরুষের মতো রক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে সে। এই পুরো দৃশ্যপটটি কিশোরের কল্পনায় সংঘটিত হয়। সে কল্পনার আকাশে উড়াল দিয়ে মনের রঙে রঙিন পদযাত্রা করছে। এই কিশোরের কল্পনাবিলাসের সাথে নদীর স্বপ্ন কবির কানাইয়ের মিল আছে। তাই বলা যায়, কল্পনাবিলাসী মন উদ্দীপকের কিশোর এবং কবিতার কানাইয়ের মাঝে সাদৃশ্য সৃষ্টি করেছে।

ঘ.        “উদ্দীপকটি নদীর স্বপ্ন কবিতার সমগ্রভাব ধারণ করে না”- ন্তব্যটি যথার্থ।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় কবি দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নদীর কথা বলেছেন। শিশু মন কৌতূহলী বলে তাদের মনে নানা কল্পনা খেলা করে, যা আমরা দেখতে পাই কবিতার কানাইয়ের চরিত্রে। কিশোর কানাই নদীতে ঘুরে বেড়ানোতেই আনন্দের স্বাদ পেয়েছে। বোন ছোকানুকে নিয়ে কানাই চারপাশের সকল সৌন্দর্যকে অবলোকন করতে চায়। মূলত কবিতাটির ভাজে ভাজে কল্পনাবিলাসী এক বালকের নদীর বুকে ঘুরে বেড়ানোর চিত্রকল্প এঁকেছেন কবি।

            উদ্দীপকের কিশোর মাকে সঙ্গে নিয়ে দূরদেশ ভ্রমণে যাবার কল্পনা করে। কল্পনায় সে নিজে এক তেজি ঘোড়ার পিঠে চড়ে ধুলা উড়িয়ে খুব দ্রুত গতিতে পথ পাড়ি দিচ্ছে। তার মা পাশে পালকিতে পথ চলছে। বীরের মতো পথ চলতে চলতে সে কল্পনা করে মাকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনো দূরদেশে যাবার সময়ে যাত্রাপথের বর্ণনা বর্ণিত আছে উদ্দীপকটিতে। কিন্তু নদীর স্বপ্ন কবিতায় বালকের কল্পনার ক্ষত্রে আরও বি¯ত্মৃত। সে পদ্মানদীর রুপালি ইলিশ, জেলেদের মতো নৌকায় রান্না করা, সন্ধ্যায় গান গাওয়া, গল্প করা ইত্যাদি বিষয়ও নিজের কল্পনায় দেখতে পায় যা আলোচ্য উদ্দীপকে অনুপস্থিত।

            কানাইয়ের কল্পনার ছোট একটি অংশ আলোচ্য উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি নদীর স্বপ্ন কবিতার সমগ্রভাব প্রকাশ করে না।

প্রশ্ন -৩  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

“নুরু, পুষি, আয়শা, শুফি, সবাই এসেছে
আমবাগিচার তলায় যেন সবাই মিশেছে
বাপ-মা তাদের ঘুমিয়ে গেছে এই সুবিধা পেয়ে
বনভোজনে মিলেছে আজ দুষ্টু কটি মেয়ে
বিনা আগুন দিয়ে যদি হচ্ছে তাদের রাঁধা
তবুও তাদের দুচোখে ধোঁয়া লেগে কাঁদা

ক.       নদীর স্বপ্ন কবিতায় কার কাছে দুটো আনি আছে?                  ১

খ.        কানাই মাঝিকে লক্ষ্মী বলেছিল কেন?                       ২

গ.        উদ্দীপকটির সাথে নদীর স্বপ্ন কবিতার বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।           ৩

ঘ.“বিষয়বস্তু ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও নদীর স্বপ্ন কবিতায় কিশোর মনের আবেগ প্রকাশ একই রকম।”বিশেস্নষণ কর।         ৪

  ৩নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       ছোকানুর কাছে দুটো আনি আছে।

খ.        কিশোর কানাই বোন ছোকানুকে নিয়ে নদীতে বেড়াতে যাবে বলে মাঝির নৌকায় তাদের তুলতে আবদারের সুরে অনুরোধ করে কানাই মাঝিকে লক্ষ্মী বলেছিল।

            কিশোর মনের কল্পনার প্রতিচ্ছবি নদীর স্বপ্ন কবিতার কানাই কল্পনা করে বোন ছোকানুকে নিয়ে সে নদীতে বেড়াতে যাচ্ছে। কিন্তু মাঝি তার নৌকায় তাদেরকে তুলছে না; বরং না চেনার ভান করছে, তাদেরকে উপেক্ষা করছে। কানাই তা দেখে মাঝিকে বিভিন্নভাবে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। নিজেদের কাছে থাকা সিকি, আনি যা ছিল তা দিতে চেয়েছে এবং সবশেষে আদর করে মাঝিকে বলেছে- লক্ষ্মী তো, মোরে-আর ছোকানুরে নৌকায় তুলে নাও।

গ.        নদীর প্রকৃতি বর্ণনা ও ভাইবোনের মধুর সম্পর্কের দিক থেকে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

             নৌকাভ্রমণ ও চড়–ইভাতির প্রতি কিশোর বয়সের আকর্ষণ দুর্নিবার। এ বয়সে সবাই কমবেশি এ দুটোতে মেতে ওঠে। নিদেনপড়্গে স্বপ্ন দেখে।

            উদ্দীপকের কিশোর-কিশোরীরা আমবাগিচার তলায় চড়–ইভাতিতে মিলিত হয়েছে। তাদের বনভোজন বেশ জমে উঠেছে। আগুন ছাড়া রান্না হলেও তাদের দুচোখ ধোঁয়ায় একাকার। তারা কেঁদে কেঁদে তার জানান দিচ্ছে। পক্ষান্তরে নদীর স্বপ্ন কবিতায় সম্পূর্ণ ভিন্নচিত্র। কবিতায় ভাইবোনের মধুর সম্পর্ক ফুটে উঠেছে। বোনকে নিয়ে এক কিশোরের কল্পনা রূপায়িত হয়েছে কবিতায়। এ নৌকাভ্রমণে আছে নানা রঙের পাল, নীল রঙের আকাশ, ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির উড়ে চলা, রুপালি ইলিশ। যার কোনটিরই অ¯িস্তত্ব উদ্দীপকে নেই। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের সাথে নদীর স্বপ্ন কবিতায় বৈসাদৃশ্য অনেক।

ঘ.        বিষয়বস্তু ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও নদীর স্বপ্ন কবিতায় কিশোর মনের আবেগ প্রকাশ একই রকম। -উক্তিটি যথার্থ।

            কিশোর বযস স্বপ্ন দেখার, কল্পনা করার। এ বয়সে কত উপভোগ্য স্বপ্ন যে মাথার মধ্যে ভিড় করে, তার ইয়ত্তা নেই। নেই কল্পনারও সীমা-পরিসীমা। এসব স্বপ্ন কিংবা কল্পনায় ছড়িয়ে থাকে কিশোর বয়সের আবেগ। যে কারণে উপকরণ কিংবা প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও মাতামাতির ক্ষেত্রে থাকে না ভিন্নতা। তেমনি ভিন্নতা থাকে না আবেগ প্রকাশেও।

            উদ্দীপকের কিশোর-কিশোরীরা বাবা-মায়ের ঘুমের সুযোগে বনভোজনে মেতেছে। অনাবিল আনন্দ-উপভোগে তাদের আয়োজনের কমতি নেই। যদিও সবটাই কল্পনার। কিশোর মনের খেয়াল। অনুরূপ চিত্র আছে নদীর স্বপ্ন কবিতায়। কবিতায় এক কিশোর তার ছোট বোনকে নিয়ে কল্পনায় নৌকাভ্রমণে মেতেছে। এ ভ্রমণে কত আয়োজন, কত উপভোগ্য দৃশ্যপট। সবকিছুই এক কিশোর মনের গভীর স্বপ্ন।

            উদ্দীপক ও কবিতার বিশেস্নষণে দেখা যায়, দুক্ষেত্রেই রয়েছে কিশোর বেলার খেয়াল। যা স্বপ্ন্ কিংবা কল্পনার মোড়কে মনে আবেগ, উচ্ছ্বাস বাস্তবায়নের স্বপ্নিল উপস্থাপন। তবে উভয় ক্ষেত্রে একই দৃশ্যপট। অর্থাৎ কিশোর মনের আবেগ প্রকাশ।

প্রশ্ন –৪  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

রাতুল শহরের স্কুলে পড়ে। ঈদের ছুটিতে সে পরিবারের সবার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে সে চাচতো ভাই-বোনের সঙ্গে নৌকায় করে ঘুরতে বের হয়। সে নৌকায় চড়ে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা, শাপলা তোলাসহ আরও নানা রকমের আনন্দ করে। সারাদিনের আনন্দ-ভ্রমণ শেষে সে বিকেলে ঘরে ফিরে আসে।

ক.       রান্নার কারসাজি কে দেখাবে?            ১

খ.        কানাই মাঝিকে পাল নামাতে বলল কেন?                 ২

গ.        উদ্দীপক ও নদীর স্বপ্ন কবিতার প্রেক্ষাপটের ভিন্নতা কোথায়? ব্যাখ্যা কর।   ৩

ঘ.“রাতুলের আনন্দানুভূতি কানাইয়ের স্বপ্নের সম্পূর্ণ প্রতিফলন।-মন্তব্যটির সাথে তুমি কি একমত? যুক্তিসহ লেখ।   ৪

  ৪নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       ছোকানু রান্নার কারসাজি দেখাবে।

খ.        দিনশেষে সন্ধ্যা হলে আকাশে যে তারা ফুটে ওঠে, তা দেখার জন্য কানাই মাঝিকে পাল নামাতে বলে।

            মাঝির সাথে নৌকায় চড়ে ছোকানুকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার সময় কানাই মাঝিকে রং-বেরঙের পাল তুলতে বলেছিল। সারাদিন কেটে যাওয়ার পর সূর্য ডুবে যায়। নেমে আসে কালো সন্ধ্যা। সন্ধ্যার বুকে ফুটে ওঠে সহস্র তারা। পাল তোলা থাকলে সন্ধ্যার এ সৌন্দর্য দেখতে অসুবিধা হবে। তাই কানাই মাঝিকে পাল নামাতে বলেছে।

গ.        কল্পনাগত দিক থেকে উদ্দীপকের সাথে নদীর স্বপ্ন কবিতার প্রেক্ষাপটগত ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।

            নদীর স্বপ্ন কবিতাটি ভাই কানাইয়ের কিশোর মনের কল্পনা। কানাই তার ছোটবোনকে নিয়ে নৌকাতে উঠে নদী পার হয়ে মনের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে চায়। নৌকার নানা রঙের পাল। নীল রঙের আকাশ, ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির উড়ে চলা, রুপালি ইলিশ মাছ, নৌকায় রান্না করা ইত্যাদি বিষয় তার মনে গভীর স্বপ্ন নিয়ে আসে।

            উদ্দীপকের রাতুলের সাথে কানাইয়ের কোনো মিলই নেই। রাতুলের চাচাতো ভাইবোনের সাথে নৌকায় চড়া, মাছ ধরা, শাপলা তোলা ইত্যাদি বিষয় সে বা¯ত্মবে সম্পাদন করেছে। অপরদিকে নদীর স্বপ্ন কবিতায় কানাই করেছে কল্পনায়। তাই বলা যায়, কল্পনাগত দিক থেকে কবিতার কানাইয়ের সাথে উদ্দীপকের রাতুলের প্রেক্ষাপটগত ভিন্নতা রয়েছে।

ঘ.        “রাতুলের আনন্দানুভূতি কানাইয়ের স্বপ্নের সম্পূর্ণ প্রতিফলন”- উক্তিটি যথাযথ।

            কানাই স্বপ্ন দেখে বাবা মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মা, মেঘনা ও শোন নদী বোনকে নিয়ে পাড়ি দেয়ার। নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রতিটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সে নিংড়ে নিংড়ে উপভোগ করতে চায়।

            উদ্দীপকের রাতুল গ্রামের স্নিগ্ধ পরিবেশ থেকে দূরে থাকলেও সে চাচাতো ভাইবোনদের সাথে নৌকায় ঘুরতে বের হয়। সারাদিন নৌকায় বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে, শাপলা তোলাসহ বিভিন্ন আনন্দ করে।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় কানাই যেসব আনন্দের বিষয় কল্পনা করে, উদ্দীপকের রাতুল বা¯ত্মবে তা অনুভব করে। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, আনন্দানুভূতির দিক থেকে রাতুলের আনন্দানুভূতি কানাইয়ের স্বপ্নের সম্পূর্ণ প্রতিফলন।

প্রশ্ন –৫  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে
পাগল আমার মন জেগে ওঠে।
যেখানে পথ নাই, নাই-রে
চেনা শোনার কোন ঠাইরে
সেখানে অকারণে যায় ছুটে।

ক.       কারসাজি শব্দটির অর্থ কী?                ১

খ.        কানাই মাঝিকে পাল নামাতে বলেছে কেন? বুঝিয়ে লেখ।    ২

গ.        উদ্দীপকে নদীর স্বপ্ন কবিতার কোন চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।       ৩

ঘ.“উদ্দীপকটি নদীর স্বপ্ন কবিতার সমগ্র বিষয়বস্তুকে ধারণ করে না”- বিশেস্নষণ কর।      ৪

  ৫নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       কারসাজি শব্দের অর্থ কূটকৌশল।

খ.        ৪ নং বোর্ড প্রশ্নের খ নং উত্তর দ্রষ্টব্য।

গ.        উদ্দীপকে নদীর স্বপ্ন কবিতার কিশোর বয়সের চঞ্চলতার পরিচয় পাওয়া যায়।

            কিশোর মনের স্বপ্ন ও কল্পনা ডানা মেলে উড়তে চায় অজানা রাজ্যে। কল্পনায় বিভোর ও উদ্বেলিত মনের দুর্বার আকাক্সক্ষা পূরণ করতে চায় অদেখাকে দেখে এবং অজানা জেনে। উদ্দীপকের কিশোর ও নদীর স্বপ্ন কবিতার কিশোরের মধ্যে এই কৌতূহলময় চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় দুই কিশোর-কিশোরীর চঞ্চলতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তারা বাবা-মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদী ভ্রমণে যেতে চায়। তাইতো কল্পনার নৌকা ভেসে তারা ঘুরে আসে সম¯ত্ম নদী। উপভোগ করে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তাদের এই স্বপ্নযাত্রায় কোনো বাধাই যেন বাধা মনে হয় না। উদ্দীপকেও চঞ্চলতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে যেকোনো বাধাই বাধা নয়। বাধাহীন অবস্থায় ছুটে বেড়াতে চায় মন। কারণে-অকারণে যেকোনো পথে ছুটে বেড়াতে চায়। এ পথের যেন কোনো শেষ নেই। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে কবিতার চঞ্চলতার পরিচয় পাওয়া যায়।

ঘ.        উদ্দীপকটি নদীর স্বপ্ন কবিতায় সমগ্র বিষয়বস্তুকে ধারা করে না- মন্তব্যটি যথার্থ।

            মানুষ নানা রকম স্বপ্ন দেখে। কল্পনায় জীবনের নানামাত্রিক উপস্থাপন ঘটায়। স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে বলেই মানুষের আশা নিয়ে বেঁচে থাকে। সব স্বপ্ন-আশা-কল্পনার পেছনে মানুষের মূল উদ্দেশ্য সুখ-শান্তি, আনন্দ, হাসি-গান নিয়ে বেঁচে থাকা। এ জন্যই মানুষ প্রকৃতির বিচিত্র অনুষঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করে রাখে, ভাববিনিময় করে, জগৎ ও জীবের প্রতি নতুন উপলব্ধির জন্ম দেয়।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় নদী এবং নৌকাভ্রমণ নিয়ে এক কিশোরের স্বপ্ন কল্পনা রূপায়িত হয়েছে। নৌকায় নানা রঙের পাল, নীলাকাশ, ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির উড়ে চলা, রূপালি ইলিশ মাছ, নৌকায় রান্না করা, সন্ধ্যায় গান গাওয়া, গল্প করা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় ফুটে উঠেছে। এর পাশাপাশি এক ভাইয়ের দায়িত্ববোধ ও ছোট বোনের প্রতি গভীর স্নেহ-মমতার প্রকাশ পেয়েছে; যা উদ্দীপকের কবিতাংশে প্রকাশ পায়নি। সেখানে কেবল অজানাকে জানার আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে। সেই আগ্রহ, স্বপ্ন কল্পনার বিষয়টি আলোচ্য কবিতার কেবল একটি অংশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় কানাই বোন ছোকানুকে নিয়ে নৌকাভ্রমণে যেতে চায়। সেজন্য সে মাঝিকে নানাভাবে বোঝায় এবং তার ভ্রমণের সমস্ত পরিকল্পনা তুলে ধরে। উদ্দীপকে এই ধরনের পরিকল্পনার কথা নেই। সেখানে পাগলা হাওয়া বাদল দিনে চেনা-শোনার বাইরের জগতে ছুটে বেড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ সবদিক বিচার বিবেচনা করে তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রশ্ন -৬  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ও গাড়িয়াল ভাই –
নেবে আমায়? দূরের কোন গাঁয়ে?
কত চাও তুমি?
জামাখানা নেবে? কিন্তু অনেক দামি।
সন্ধ্যেই ফিরবো বাড়ি,
নিয়ে চলো আমায়, নইলে দেব আড়ি।
গাঁয়ের কী রূপ,
দুচোখ ভরে দেখবো আমি, ইচ্ছে করছে খুব।

ক.       বুদ্ধদেব বসু কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?            ১

খ.        ছোট পাখিকে আকাশের মুখের তিল বলা হয়েছে কেন?                   ২

গ.        উদ্দীপকের কথক তার জামাখানা দিতে চাওয়ার সাথে নদীর স্বপ্ন কবিতার কোন দিকটির মিল আছে- ব্যাখ্যা কর।      ৩

ঘ.উদ্দীপক ও নদীর স্বপ্ন কবিতার দৃশ্যপট আলাদা হলেও উভয় কবিতায় কিশোর মনের একই অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছেÑ উক্তটি বিশেস্নষণ কর।       ৪

  ৬নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       বুদ্ধদেব বসু কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

খ.        ছোট পাখি যখন আকাশে অনেক উঁচুতে ওড়ে তখন তাকে আরও ছোট দেখায় সে সময় মনে হয় ওটা যেন আকাশের মুখের তিল।

            পরিচ্ছন্ন, মেঘমুক্ত নির্মল আকাশে ছোট ছোট পাখি উড়ে বেড়ায় মনের আনন্দে। উড়তে উড়তে তারা যখন অনেক উঁচুতে ওঠে তখন তাকে আরও ছোট দেখায়। প্রকৃতিপ্রেমী কবি সেই ছোট পাখিকে আকাশের মুখের তিল বলে বর্ণনা করেছেন। সত্যিই তখন পাখিগুলোকে আকাশের মুখের তিলের মতো মনে হয়।

গ.        উদ্দীপকের কথকের জামা দিতে চাওয়ার সাথে নদীর স্বপ্ন কবিতার মাঝিকে কানাইয়ের রুপোর সিকি দিতে চাওয়ার সাদৃশ্য রয়েছে।

            অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার আকর্ষণ মানুষের চিরন্তন। আর ছোটদের মনের আকর্ষণতো আরও তীব্র। তারা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে হলেও তাদের কৌতূহল মেটাতে চায়। মনের আকাক্সক্ষা বা¯ত্মবে রূপ দিতে তারা সদা তৎপর থাকে।

            উদ্দীপকের কথক দূর গাঁয়ে যেতে চায়। তাই সে গাড়িয়াল ভাইকে অনুরোধ করে তার গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। দূর গাঁয়ের রূপ সে দু চোখ ভরে দেখতে চায়। এজন্য গাড়িয়াল ভাইকে সে নিজের অনেক দামি জামাটি দিয়ে দিতে চায়। এ জামা দিতে চাওয়ার সাথে নদীর স্বপ্ন কবিতার মাঝিকে কানাই সে রুপোর সিকি দিতে চায় তার সাদৃশ্য রয়েছে। কানাই নদী ভ্রমণে যেতে চায়। নদীর অপরূপ সৌন্দর্য সে উপভোগ করতে চায়। এজন্য মাঝিকে সে অনুরোধ করে তাকে এবং তার বোনকে তার নৌকায় তুলে নেওয়ার জন্য। এর বিনিময়ে তার এবং তার বোনের কাছে যে রুপোর সিকি, আনি রয়েছে সেটা দিয়ে দিতে চায়।

ঘ.        উদ্দীপক ও নদীর স্বপ্ন কবিতার দৃশ্যপট আলাদা হলেও উভয় কবিতায় কিশোর মনের একই অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে- উক্তিটি যথার্থ।

            কিশোর মনের কল্পনা বড়ই বিচিত্র। সে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে ভালোবাসে। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে সে তার আকাক্সক্ষাকে মেটাতে চায়। কল্পলোকে স্বশরীরে প্রবেশ করতে চায়। আর এজন্য সে যেকোনো কিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকে।

            উদ্দীপকে এক দুরন্ত কিশোরের কল্পনার কথা বর্ণিত হয়েছে। সে দূর অজানা-অচেনা গ্রামে ভ্রমণ করতে চায়। গাঁয়ের রূপ দুচোখ ভরে দেখতে চায়। এজন্য সে নিজের দামি জামা গাড়োয়ানকে দিয়ে দিতে চায়। কিশোর মনের এ ধরনের কল্পনা রূপায়িত হয়েছে নদীর স্বপ্ন কবিতার কানাইয়ের মাঝেও।

            কানাই এক দুরন্ত কিশোর। সে তার বোনকে নিয়ে নদী-ভ্রমণে যেতে চায়। নৌকার নানা রঙের পাল, নীল আকাশ, নদীর রুপালি মাছ ইত্যাদি কিশোরমনে গভীর স্বপ্ন নিয়ে আসে। তাই সে মাঝিকে অনুরোধ করে তার সাথে নৌকায় নেবার জন্য। তাই বলা যায়, উদ্দীপক এবং নদীর স্বপ্ন কবিতার দৃশ্যপট যদিও আলাদা তবু উভয় স্থানে কিশোর মনের কৌতূহল সৌন্দর্যপিপাসু অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলা যায় প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ। 

প্রশ্ন –৭  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

এই শোন, এই ভাইটি আমার,
বিলের ধারে যাবি?
আম কুড়াবো আর জাম কুড়াবো,
মুখটি ভরে খাবি ॥
ইচ্ছে হলে আমার সাথে,
চুপটি করে চল।
মায়ের ঘুম ভাঙলে তবে,
কেমনে যাবি বল ॥

ক.       নতুন রুপোর সিকি দেখতে কী রকম?                       ১

খ.        কানাই মাঝিকে খুব ভালো বলেছে কেন?                  ২

গ.        উদ্দীপকে নদীর স্বপ্ন কবিতার কোন ভাবটির প্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।   ৩

ঘ.নদীর স্বপ্ন কবিতায় প্রকাশিত বোনের প্রতি ভাইয়ের দায়িত্ববোধের বিষয়টি উদ্দীপকে অনুপস্থিত- মন্তব্যটি বিচার কর।      ৪

  ৭নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       নতুন রুপোর সিকি দেখতে চকচকে।

খ.        মাঝি পদ্মা নদীর রুপালি ইলিশ কিনেছে বলেই কানাই তাকে খুব ভালো বলেছে।

            কানাই কল্পনায় যখন পদ্মা নদীতে ছোকানুকে নিয়ে মাঝির নৌকায় ভেসে বেড়াচ্ছিল তখন মাঝি জেলেদের কাছ থেকে কিছু রুপালি ইলিশ কেনে। মাছগুলো দেখে এমনিতেই কানাইয়ের চোখ ঝলসে গিয়েছিল। এ মাছগুলো যখন মাঝি কিনে আনল তখন কানাই অতি উচ্ছ্বাসে মাঝিকে বলল, তুমি খুব ভালো।

গ.        উদ্দীপকে নদীর স্বপ্ন কবিতার বোনের প্রতি ভাইয়ের মিষ্টি মধুর ভালোবাসার সম্পর্কের দিকটি ফুটে উঠেছে।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় দেখা যায়, কানাই তার বোনকে অনেক ভালোবাসে। কানাইর মা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন আর দিদি স্কুলে ছিলেন তখন এই ফাঁকে কানাই আদরের বোন ছোকানুকে  নিয়ে চুপটি করে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে চেয়েছে। তারা নৌকাভ্রমণের মাধ্যমে নদীর সৌন্দর্য অবলোকন করতে চেয়েছে। নৌকায় ঘুরতে ঘুরতে ছোকানু ঘুমিয়ে পড়েছিল তখন ঝড় এলে ছোকানুকে ডেকে কানাইকে ডাকার জন্য মাঝিকে অনুরোধ করে। এতে ছোকানুর প্রতি তার মমতার দিকটি প্রকাশিত হয়। উদ্দীপকেও এ বিষয়েরই প্রতিফলন লক্ষণীয়।

            উদ্দীপকের বোনটি তার ভাইকে অনেক ভালোবাসে। তাই সে ছোট ভাইকে বিলের ধারে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। সেখানে গিয়ে তারা আম আর জাম কুুড়াবে, মূলত আম আর জামের প্রলোভন দেখিয়ে বোনটি তার ভাইকে বিলের ধারে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। কারণ, দেরি হলে যদি তাদের মায়ের ঘুম ভেঙে যায় তবে তারা আর বিলের ধারে যেতে পারবে না। বস্তুত ভাইয়ের প্রতি বোনের অগাধ ভালোবাসা উদ্দীপকে প্রকাশ হয়েছে। তাই বলা যায়, নদীর স্বপ্ন কবিতার বোনের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসার দিকটিই উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ.        নদীর স্বপ্ন কবিতায় প্রকাশিত বোনের প্রতি ভাইয়ের দায়িত্ববোধের বিষয়টি উদ্দীপকে অনুপস্থিত- মন্তব্যটি যথার্থ।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় কিশোর কানাই তার ছোট বোন ছোকানুকে সঙ্গে নিয়ে নদী এবং নৌভ্রমণ উপভোগ করবে। কল্পনায় ছোকানু হয়ে ওঠে আকাশের রানি আর সে পদ্মার রাজা। আনাড়ি রাঁধুনি ছোকানুর রান্না করা টাটকা ইলিশ তারা মজা করে খাবে। এতে তার বোনের প্রতি ভালোবাসাই প্রকাশ পায়। আবার বোনের প্রতি দায়িত্বও প্রকাশ পেয়েছে তার বক্তব্যে। বাড়িতে না জানিয়ে বোনকে সঙ্গে নিয়ে নৌভ্রমণে বের হওয়া, বাবার বকুনি মাথা পেতে নেওয়া, ঝড় উঠলে কানাই তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে মাঝিকে অনুরোধ করলেও ভিতু ছোকানুর ঘুম ভাঙাতে নিষেধ করেছে।

            উদ্দীপকেও ভাইবোনের মধ্যে ভালোবাসা প্রত্যক্ষ করা যায়। বোন তার ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই বিলের ধারে নিয়ে যেতে চায় চুপি চুপি। আম, জাম খাওয়ার প্রলোভন দেখায় এবং দুই ভাই-বোন সেখানে অনেক মজা করবে, আনন্দ পাবে। ভাই-বোনের ভালোবাসার এই দিকটি উদ্দীপকে উপস্থিত থাকলেও কবিতায় ছোকানুর প্রতি ভাইয়ের যে দায়িত্ববোধ ফুটে উঠেছে সে দিকটি এখানে অনুপস্থিত। একসঙ্গে বেড়ানোর আনন্দ উপভোগের কথা থাকলেও বাড়িতে না বলে যাওয়ার যে দায়িত্ব কানাই নিয়েছে উদ্দীপকে বড় বোন হিসেবে সে দায়িত্ব ছোট ভাইয়ের জন্য নেয়া হয়নি।

            উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, কবিতায় বোনের প্রতি ভাইয়ের যে দায়িত্ব প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য উদ্দীপকে ভাইয়ের প্রতি বোনের সে দায়িত্ববোধ অনুপস্থিত।

প্রশ্ন -৮  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

“মেঘনা নদী দেবো পাড়ি
কল-অলা এক নায়ে
আবার আমি যাবো আমার
পাড়াতলী গাঁয়ে।
গাছঘেরা ঐ পুকুর পাড়ে
বসবো বিকেল বেলা
দুচোখ ভরে দেখবো কতো
আলোছায়ার খেলা।
ধানের গন্ধ আনবে ডেকে আমার ছেলেবেলা
বসবে আবার দুচোখ জুড়ে
প্রজাপতির মেলা ॥”

ক.       ছোকানুর ভাইয়ের নাম কী?                ১

খ.        পায়ে পড়ি মাঝি সাথে নিয়ে চলো- চরণটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।      ২

গ.        নদীর স্বপ্ন কবিতার কোন দিকটির সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।   ৩

ঘ.উদ্দীপক ও নদীর স্বপ্ন কবিতায় কল্পনার সমান প্রভাব থাকলেও অবস্থানগত ভিন্নতা রয়েছে- মতটি বিচার কর।    ৪

  ৮নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       ছোকানুর ভাইয়ের নাম কানাই।

খ.        পায়ে পড়ি মাঝি, সাথে নিয়ে চলো- চরণটি দ্বারা কানাই মাঝির কাছে নৌকাভ্রমণের জন্য ব্যাকুলতা প্রকাশ করেছে।

            কিশোর কানাই তার মনের আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য কতটা ব্যাকুল আলোচ্য উক্তিতে সে ভাবই ফুটে উঠেছে। মাঝিকে রুপোর সিকি, বোনের কাছে থাকা দুআনি সব দেয়া সত্ত্বেও মাঝি যখন নৌকা ছাড়তে দেরি করছিল, তখন আলোচ্য লাইন দ্বারা কানাই মাঝির কাছে নৌকায় বেড়ানোর জন্য আকুতি জানিয়েছে।

গ.        উদ্দীপকের কবির কল্পনায় নৌকাভ্রমণের আকুলতা ও আবেগ প্রকাশ নদীর স্বপ্ন কবিতায় কানাইয়ের নৌকাভ্রমণের আকুলতা ও আবেগ প্রকাশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় দেখা যায়, কানাই ছোকানুকে নিয়ে নৌকাভ্রমণে বের হয় এবং স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে- ছোট বোন, মাঝি আর প্রকৃতিকে নিয়ে। নৌকার নানা রঙের পাল নীল রঙের আকাশ, আকাশের মুখে তিল হয়ে উড়ে চলা পাখি, রূপালি ইলিশ, নৌকায় রান্না, সন্ধ্যায় গল্প ও গান শোনা ইত্যাদি কানাইয়ের মনে স্বপ্ন তৈরি করে।

            উদ্দীপকের কবি শহরের জীবন থেকে স্ব¯িত্ম পাবার জন্য তার পাড়াতলী গাঁয়ে ফিরে যেতে চান। তাই নিরালায় বসে কবি স্মৃতিকাতর হয়ে আবেগ প্রকাশ করেছেন। কল-অলা নৌকায় চড়ে আবার তিনি গ্রামে ফিরে যাবেন। সেখানে গিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য দুচোখ ভরে দেখবেন। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়ে কবি খুঁজে পাবেন তার হারানো কৈশোরের স্মৃতি। কবির দুচোখে আবার বসবে প্রজাপতির মেলা। নদীর স্বপ্ন কবিতায় কানাইয়ের নৌকাভ্রমণের যে আকুলতা ও আবেগ প্রকাশ পেয়েছে উদ্দীপকের কবির কল্পনায়ও সেই আকুলতা ও আবেগ প্রকাশ পেয়েছে। তাই বলা যায় ভ্রমণের জন্য যে কল্পনাবিলাসী মন সেই মনের সাথেই কানাই ও উদ্দীপকের কবির মধ্যে মিল রয়েছে।

ঘ.        উদ্দীপক ও নদীর স্বপ্ন কবিতায় কল্পনার সমান প্রভাব থাকলেও অবস্থানগত ভিন্নতা রয়েছে। মন্তব্যটি যথার্থ।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় কিশোরের প্রবল আবেগ-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনামূলক কল্পনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এখানে দেখা যায় কানাই তার বোনকে অনেক ভালোবাসে। বয়সে সে কিশোর। ফলে মনের ইচ্ছা চরিতার্থ করার প্রক্রিয়াও কানাইয়ের অনেক প্রাণবন্ত। মা ও দিদিকে ফাঁকি দিয়ে এবং মাঝিকে অনেক পয়সা দিয়ে সে নৌকাভ্রমণের আয়োজন করে। এমনকি মাঝিকে তার বাবার বকুনির হাত থেকে বাঁচাবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়। মূলত এর দ্বারা কানাইয়ের চরিত্রের শৈশবসুলভ দুরন্তপনা ফুটে উঠেছে।

            উদ্দীপকের কবি তার কৈশোর কালকে অনেক পেছনে ফেলে এসেছেন। তার কল্পনায় কৈশোর ফুটে ওঠে। অল্প সময়ের জন্য সত্যিই তিনি কিশোর হয়ে ওঠেন। আবার কল-অলা নৌকায় চড়ে পাড়ি দিতে চান অকূল মেঘনার বুক। গ্রামের চিরচেনা প্রকৃতিতে খুঁজে পেতে চান হারানো কৈশোরের হাতছানি, ধানের গন্ধে আবার কবির ছেলেবেলা গুটি গুটি পায়ে ফিরে আসবে। দুচোখে বসবে প্রজাপতির রঙিন মেলা। অর্থাৎ এখানে প্রবীণ জীবনে কবির মনে কৈশোরের অতীত কর্মকা-গুলো পুনঃবা¯ত্মবায়ন উদ্যোগমূলক কল্পনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

            উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, দুটি ভাবনার মধ্যে অবস্থানগত ভিন্নতা রয়েছে।

প্রশ্ন –৯  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সেন্টমার্টিন গিয়েছিলাম গতবছর। দ্বীপের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম। যতক্ষণ ইচ্ছা ঘুরলাম আমরা দুই বন্ধু। কিন্তু এক সময় প্রচ- খিদে পেল। ফলে খাদ্যের অনুসন্ধান করতে হলো। এ সময় আমার বন্ধু প্র¯ত্মাব করল- রান্না করে খেলে কেমন হয়? এ কথা শুনে রোমাঞ্চিত হলাম। স্থানীয় বাজার থেকে চাল, ডাল, মাছ কিনলাম। তারপর গেলাম দ্বীপের এক প্রাস্তের। সেখানে জেলেদের ঘর আছে। জেলে বউয়ের সঙ্গে কথা বলে হাঁড়িকুঁড়ি নিলাম। রান্না করে খেতে খেতে অনেক দেরি হয়েছিল। কিন্তু নিজেরা রান্না করে খেয়ে সেদিন যে মজা পেয়েছিলাম তা কোনো দিন ভুলতে পারব না।

ক.       কার চোখ ঘুমে ঢুলে আসে?               ১

খ.        সোনা হয়ে জ্বলে পদ্মার জল- চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।         ২

গ.        উদ্দীপকে নদীর স্বপ্ন কবিতার কোন ভাবের স্ফুরণ ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।    ৩

ঘ.উদ্দীপকটি নদীর স্বপ্ন কবিতায় আংশিক ভাবের ধারক মাত্র। মন্তব্যটির পড়্গে যুক্তি দাও।          ৪

  ৯নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       ছোকানুর চোখ ঘুমে ঢুলে আসে।

খ.        সোনা হয়ে জ্বলে পদ্মার জল- চরণটি দ্বারা পদ্মা নদীর সন্ধ্যার সৌন্দর্য বোঝানো হয়েছে। কারণ, সন্ধ্যায় পদ্মার জল সোনা রং ধারণ করে।

            সূর্য যখন অস্ত যায় তখন সূর্যের বিরাট প্রতিবিম্ব নদীর বুকে দেখা যায়। টকটকে সে লাল প্রতিবিম্ব নদীর ঢেউয়ের মাথায় জ্বলজ্বল করে। তখন নদীর পানি সোনালি রঙের মতো হয়ে যায়। আলোচ্য চরণটিতে এ সৌন্দর্যের দিকটিই তুলে ধরা হয়েছে।

গ.        উদ্দীপকে নদীর স্বপ্ন কবিতার কানাই এবং ছোকানুর নিজ হাতে রান্না করে পরম তৃপ্তিতে আহার করার যে কাল্পনিক চিত্রকল্পটির অবতারণা করা হয়েছে তার পরিপূর্ণ স্ফুরণ ঘটেছে।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় দেখা যায়, নৌকার মাঝি জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ মাছ কিনেছে। সে ইলিশ মাছ দেখে কানাই আর ছোকানু বেশ খুশি হয়ে উঠল। ছোকানু খুব ভালো রান্না করতে পারে। নৌকার গলুইয়ে তারা উনুন ধরাল তারপর নিপুণ হাতে ছোকানু ভাত রান্না করল আর ইলিশ মাছ ভাজা করল। রান্নার পর তারা তিনজন নৌকায় বসে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত আর ইলিশ ভাজা তৃপ্তি করে খেল। খাওয়ার আনন্দে কানাই তার বোনকে আকাশের রানি হিসেবে অভিহিত করল।

            উদ্দীপকের লেখক তার বন্ধুকে নিয়ে সেন্টমার্টিন গিয়েছিলেন। সেখানে তারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর যখন উভয়ের খিদে পেল তখন তারা রান্না করে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। বাজার থেকে চাল, ডাল, মাছ কিনলেন। তারপর এক জেলে বউয়ের কাছ থেকে হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে রান্নার আয়োজন করলেন এবং লেখক ও তার বন্ধু পরম তৃপ্তিতে খেলেন। সে তৃপ্তির কথা লেখক অনেক দিন ভুলতে পারবেন না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে নদীর স্বপ্ন কবিতার কানাই এবং ছোকানুর রান্না করে পরম তৃপ্তি সহকারে আহার করার ভাবটির স্ফুরণ ঘটেছে।

ঘ.        উদ্দীপকটি নদীর স্বপ্ন কবিতার আংশিক ভাবের ধারক মাত্র। মন্তব্যটি যথার্থ।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় অনেক ভাবের প্রকাশ ঘটেছে। কবিতায় দেখা যায়, কানাই তার বোন ছোকানুকে অনেক ভালোবাসে। বোনকে খুশি করার জন্য নৌকাভ্রমণের আয়োজন করে। ঘরের কাউকে না জানিয়ে তারা খেয়াঘাটে যায়। সব টাকার বিনিময়ে নৌকায় ওঠে এবং সব অপরাধ মাথা পেতে নেবে বলে মাঝির কাছে স্বীকার করে। কারণ কানাইয়ের বাবা এজন্য রাগ করতে পারেন। মাঝি, ছোকানু আর কানাই মিলে নৌকায় মজা করে। ভাত-মাছ রান্না করে খায়। এছাড়া কবিতায় নদী ও প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। সন্ধ্যাকালে সূর্যস্নাত পদ্মার বুক, দুপুরের রোদে নদীর ঝলমল জল, মস্ত বড় আকাশের বিশালতা, আকাশের নীল রং, আকাশের বুকে উড়ে চলা দুরন্ত পাখি-কিশোর কানাইয়ের মনে নতুন স্বপ্ন সৃষ্টি করেছে। কিন্তু উদ্দীপকে এ বিষয়গুলোর কোনো ইঙ্গিত দেয়া হয়নি।

            উদ্দীপকের লেখক সেন্টমার্টিন বেড়াতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে তার বন্ধু ছিল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অবগাহনের পর যখন তাদের ক্ষুধা লাগল, তখন তারা স্থির করলেন যে রান্না করে খাবেন। বাজার থেকে চাল, ডাল, মাছ কিনে তারা এক জেলে বউয়ের কাছ থেকে হাঁড়ি-পাতিল জোগাড় করে রান্না করল। লেখকের রান্নার অভ্যাস ছিল। অনেক সময় লাগল তাদের রান্না করতে। ফলে খেতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা নিজেরা রান্না করে খেয়ে যে আনন্দ পেয়েছেন তা অনেকদিন ভুলতে পারবেন না।

            উদ্দীপকের এ বিষয়টির সঙ্গে কবিতায় কানাই ছোকানুদের রান্না করার ঘটনার মিল থাকলেও অন্যান্য বিষয় এখানে অনুপস্থিত।

প্রশ্ন –১০  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

যমুনার চরে যখন পৌঁছলাম তখন বিকেলের শুরু। সারি সারি কাশফুলের রাজ্যে প্রজাপতির মেলা। আর নদীর বুকে মসৃণ ঢেউয়ের অবিরাম জলখেলা। এক সময় সূর্য অস্ত যেতে লাগল, তখন পাখিদের ঘরে ফেরার পালা। দূর থেকে উড়ে আসতে আসতে আবার দূরে চলে যায়। এক সময় বিন্দু হয়ে মেঘের আড়ালে ডুব দেয়। অবশেষে সূর্য ডুব দিল যমুনার জলে। তখন মনে হলো যমুনার একবুক পানি সোনারঙে মোড়া। সে আলোর আভা এক সময় ফিকে হতে হতে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। তারপর ফুটল রাতের তারা। ততক্ষণে আমরা বাড়ির পথে হাঁটা শুরু করেছি।

ক.       সারাদিন গেলে সূর্য কোথায় লুকালো?            ১

খ.        নদীর স্বপ্ন কবিতায় রান্নার কারসাজি বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।        ২

গ.        নদীর স্বপ্ন কবিতার কোন দিকটি উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।   ৩

ঘ.উদ্দীপকটিতে নদীর স্বপ্ন কবিতার মূলভাব পরিপূর্ণ ফুটে ওঠেনি- তুমি কি বিষয়টির সাথে একমত? তোমার মতামত সংড়্গেেপ লেখ।     ৪

  ১০নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       সারাদিন গেলে সূর্য জলের তলার ঘরে লুকাল।

খ.        নদীর স্বপ্ন কবিতায় রান্নার কারসাজি বলতে রান্নার চমৎকারিত্ব বা রান্নায় পটুতা বোঝানো হয়েছে।

            কারসাজি বলতে কৌশল বোঝানো হয়ে থাকলেও এখানে কাব্যিক ব্যবহারে অতিরিক্ত কিছু উচ্ছ্বাস প্রকাশে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। কিশোর কানাই তার কল্পনায় এঁকেছে জেলেদের কাছ থেকে মাঝি রুপালি ইলিশ কিনেছে। তার বোন ছোকানু সেই ইলিশ রান্না করার দায়িত্ব নেয়। ছোকানু সেই তাজা ইলিশ রান্না করতে গিয়ে যে চমৎকারিত্ব ও পারদর্শিতা দেখাবে সে বিষয়টি বোঝাতে গিয়ে রান্নার কারসাজি শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

গ.        নদীর স্বপ্ন কবিতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মনোহর বর্ণনার দিকটিই উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দুপুরের রোদে পদ্মার বুকে আকাশের দিকে তাকালে মনে হয়, পৃথিবীর সব নীল বুঝি আকাশে জমা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় ঝাঁক বেঁধে পাখিরা ওড়াওড়ি করে। পদ্মা নদীর রুপোলি ইলিশের সৌন্দর্য প্রকৃতির চেয়ে কম নয়। রোদের আলোয় ইলিশের রূপ দেখে চোখ ঝলসে যায়। যখন বিকেল গড়িয়ে আসে, তখন আকাশের নীল রং আরও বেশি নীল হয়ে ওঠে। আর সূর্য অ¯ত্ম যাওয়ার সময় পদ্মার পানি সব সোনা রং হয়ে যায়।

            উদ্দীপকের লেখকও যখন যমুনার চরে পৌঁছলেন, তখন সন্ধ্যার শুরু। নদীর পাড়ে অনেক কাশফুল রয়েছে। যেখানে প্রজাপতির মেলা বসেছে। আর নদীর বুকে ছুটে চলছে অবিরাম ঢেউ। খানিক পর সূর্য স্তযেতে লাগল। তখন পাখিরা নীড়ে ফিরছে ঝাঁক বেঁধে। অবশেষে সূর্যস্তযখন নেমে পড়ল যমুনার বুকে। সূর্যের লাল আলোর প্রতিফলনে যমুনার পানিও যেন সব লাল হয়ে গেল। সূর্য যতই ডুবতে লাগল, আলো ততই কমতে লাগল। প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ণনা উদ্দীপকে অবতারণা করা হয়েছে। তাই বলা যায়, নদীর স্বপ্ন কবিতায় বর্ণিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটিই উদ্দীপকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ঘ.        উদ্দীপকটিতে নদীর স্বপ্ন কবিতার মূলভাব পরিপূর্ণভাবে ফুটে ওঠেনি- আমি এ বিষয়টির সাথে একমত।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় ছোকানু আর কানাইয়ের ভালোবাসা প্রকাশ পাওয়ার পাশাপাশি প্রকৃতির সৌন্দর্যের অপরূপ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ছোকানু কানাইয়ের ছোট বোন যাকে সে অনেক আদর করে। ছোকানুর মন খুশি করার জন্য কানাই তাকে নিয়ে নৌকাভ্রমণে যায়। সম¯ত্ম টাকা মাঝিকে দিয়ে তারা নৌকাভ্রমণ শুরু করে। তখন পদ্মার বুক অনেক সুন্দর ঝলমলে। নৌকার মাঝি গান গায়, গল্প করে। আর কানাই আশ্চর্য হয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য অবলোকন করে। দেখে পদ্মার সান্ধ্যকালীন রূপ। এ সবকিছু মূলত ছোকানুকে খুশি করার জন্যই হয়েছে।

            উদ্দীপকের লেখকের বর্ণনায় শুধু বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। লেখক যখন যমুনার চরে গেলেন, তখন বিকেল বেলা। নদীর পাড়ে ছিল অনেক কাশফুল, কাশফুলের মধ্যে অনেক প্রজাপতি খেলা করছিল। আর নদীর বুকে ছিল হাজার ঢেউয়ের অবিরাম মৃদু গর্জন। এক সময় সূর্য অ¯ত্ম যেতে লাগল। পাখিরা ফিরতে লাগল আপন নীড়ে। সূর্য যেন ধীরে ধীরে যমুনার জলে স্নান করতে নামল। সম¯ত্ম যমুনার বুকে ছড়িয়ে দিল সব সোনা রং। তার অনেক পর সূর্যের রং ফিকে হতে হতে একসময় মিলিয়ে গেল। নদীর বুকে নেমে এলো অন্ধকার। তখন লেখক রাতের তারা দেখতে দেখতে বাড়ি ফিরলেন।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বর্ণনার পাশাপাশি ভাইবোনের মিষ্টিমধুর ভালোবাসা আর বোনের প্রতি ভাইয়ের দায়িত্ববোধের বিষয়টি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে শুধু প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকটি নদীর স্বপ্ন  কবিতার মূলভাব স্পর্শ করেনি।

প্রশ্ন -১১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;
সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে
শোনে মায়া মন্ত্রধ্বনি) তব কলকাল
বহু দেশে দেখিয়াছে বহু নদ-দলে
কিন্তু এ মেহের তৃষ্ণা মেটে কার জলে?

ক.       বুদ্ধদেব বসুর পৈতৃক নিবাস কোথায়?                        ১

খ.        ঝাঁকে ঝাঁকে বেঁকে ঐ দ্যাখো পাখি- চরণটি ব্যাখ্যা কর।       ২

গ.        উদ্দীপকের কবিতাংশের  কবির অনুভূতির সঙ্গে নদীর স্বপ্ন কবিতার কানাইয়ের অনুভূতির পার্থক্য দেখাও।            ৩

ঘ.কানাই যেন উদ্দীপকের কবির শৈশবের প্রতিচ্ছবি- উদ্দীপক ও নদীর স্বপ্ন কবিতার আলোকে মন্তব্যটি বিশেস্নষণ কর।           ৪

  ১১নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       বুদ্ধদেব বসুর পৈতৃক নিবাস বিক্রমপুর অর্থাৎ বর্তমান মুন্সীগঞ্জে।

খ.        আকাশে পাখির মেলা কল্পনা করে কানাই মাঝিকে উদ্দেশ্য করে আলোচ্য উক্তিটি করেছে।

            কানাই স্বপ্ন দেখছে সে নৌকায় করে নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে। নৌকায় বসে বসে সে প্রকৃতি দেখছে। সে দেখছে আকাশের বিশালতা। সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। আর এই পাখির মেলাই সে নৌকার মাঝিকে দেখাচ্ছে।

গ.        উদ্দীপকের কবিতাংশের কবির অনুভূতি স্মৃতিচারণমূলক আর নদীর স্বপ্ন কবিতার কানাইয়ের অনুভূতি নৌকাভ্রমণকে ঘিরে আনন্দপূর্ণ।

            নদীর স্বপ্ন কবিতার কানাই নদী দেখতে চায়, চায় নৌকায় করে ঘুরে বেড়াতে। প্রকৃতিকে দেখতে চায়। কিন্তু মা-বাবার শাসন উপেক্ষা করে সে তার ইচ্ছা পূরণ করতে পারে না। তাই সে স্বপ্ন দেখে সে তার ছোট বোন ছোকানুকে নিয়ে নদীতে নৌকায় ভেসে বেড়াচ্ছে, দেখছে প্রকৃতি, উপভোগ করছে নদীর সৌন্দর্য। সে মাঝির কণ্ঠে গান শুনছে, গল্প শুনছে। এভাবে তার দিন পার হয়ে যাচ্ছে।

            উদ্দীপকে বর্ণিত কবিতাংশটিতে কবি স্মৃতিচারণ করেছেন তার শৈশবের নদীর। কবি সুদূর প্রবাস জীবনে নদীর কাছ থেকে

            বিচ্ছিন্ন আছেন। প্রবাস জীবনে কবি অনুভব করেছেন নদীর স্নেহ, মমতার স্পর্শ। তাই বারবার কবির মনে পড়ছে তার শৈশবের নদীকে। নদীর স্বপ্ন কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকের পার্থক্য এখানেই। একজনের অনুভূতি স্মৃতিচারণমূলক আর অন্যজনের অনুভূতি কাল্পনিক আনন্দের।

ঘ.        কানাই যেন কবির শৈশবের প্রতিচ্ছবি- মন্তব্যটি যথার্থ।

            উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি তার শৈশবের নদীকে স্মরণ করেছেন। আর নদীর স্বপ্ন কবিতায় কানাই নদী দেখতে চায়, নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে চায়। অর্থাৎ নদীকে ঘিরেই সে নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়েছে।

            কিশোর কানাইয়ের মনে প্রকৃতিকে নিয়ে নানা স্বপ্ন। সে চায় নদী দেখতে, নৌকায় বসে নদীর সৌন্দর্য অবলোকন করতে। মা-বাবার কড়া শাসনের জন্য সে পারে না তার ইচ্ছা মেটাতে। সে একদিন স্বপ্ন দেখে তার ছোট বোনকে নিয়ে নৌকায় করে এক নদী থেকে অন্য নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে। নদীর স্বচ্ছ পানি, প্রকৃতি তার মনকে করছে মুগ্ধ।

            উদ্দীপকের কবিতাংশটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের কপোতাক্ষ নদ কবিতা থেকে নেওয়া। কবির শৈশব-কৈশোর কেটেছে এ নদের স্পর্শে। এ নদের প্রকৃতির সঙ্গে পানির সঙ্গে কবির নাড়ির সম্পর্ক। তাই কবি ভুলতে পারছেন না এ নদকে। কৈশোরে কবিও তার মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নৌকায় চড়ে বেড়িয়েছেন। নদীর স্বপ্ন কবিতার কানাইয়ের মতো কবিও শৈশবে নদীর বুকে ভেসে বেড়িয়েছেন, উপভোগ করেছেন প্রকৃতির সৌন্দর্য। তাই সে কথা তিনি ভুলতে পারছেন না।     উলিস্নখিত আলোচনায় প্রেক্ষিতে যায় যে, কানাই যেন কবির শৈশবের প্রতিচ্ছবি উক্তিটি যথার্থ।

প্রশ্ন -১২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

কিশোর সাজু তার ছোট ভাইকে নিয়ে চৈত্রসংক্রান্তির মেলায় যায়। ভাইকে নিয়ে সে নাগরদোলায় উঠে এবং পুতুলনাচ দেখে। ভাইকে সে অনেক কিছু কিনে দেয়। কিন্তু নিজের জন্য কিছুই কেনে না। তাতে তার মনখারাপ হয় না, কারণ ভাইয়ের খুশিতেই তার খুশি। মানুষের ভিড়ে ভাইয়ের হাত ধরে রাখে।

ক.       রান্নার কারসাজি কে দেখাবে?            ১

খ.        ঝড় এলে ডেকো আমারে- কানাই একথা বলেছে কেন?      ২

গ.        উদ্দীপকে নদীর স্বপ্ন কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।        ৩

ঘ.উদ্দীপকটি কী নদীর স্বপ্ন কবিতার সমগ্র ভাব প্রকাশ করে? উত্তরের স্বপড়্গে যুক্তি দাও।           ৪

  ১২নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.       রান্নার কারসাজি দেখাবে ছোকানু।

খ.        ছোকানুর কথা ভেবে কানাই একথা বলেছে।

            নৌকাভ্রমণের ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছে ছোকানু। ঝড় এলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। সে সময় বোনকে পরম মমতায় আগলে রাখবে কানাই। তাই কানাই ঘুমিয়ে পড়লে মাঝিকে ডেকে দিতে বলেছে।

গ.        উদ্দীপকে নদীর স্বপ্ন কবিতার ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের দায়িত্ব ও আদর প্রকাশের দিকটি ফুটে উঠেছে।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায কিশোর কানাই তার ছোট বোন ছোকানুকে সঙ্গে নিয়ে নদী এবং নৌভ্রমণ উপভোগ করবে। তার কল্পনায় ছোকানু হয়ে ওঠে আকাশের রানি আর সে পদ্মার রাজা। আনাড়ি রাঁধুনি ছোকানুর রান্না করা টাটকা ইলিশ তারা মজা করে খাবে। এতে তার বোনের প্রতি ভালোবাসাই প্রকাশ পায়। আবার বোনের প্রতি তার দায়িত্বও প্রকাশ পায় তার বক্তব্যে। ঝড় উঠলে কানাই তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে মাঝিকে অনুরোধ করলেও ভিতু ছোকানুর ঘুম ভাঙাতে নিষেধ করেছে।

            উদ্দীপকেও লক্ষ্য করা যায়, সাজু ভাইয়ের চাহিদামতো সবকিছুই মেলা থেকে কিনে দেয়, কিন্তু নিজের জন্যে কিছুই কেনা হয় না। ছোট ভাইয়ের খুশিতেই তার সুখ। এক্ষেত্রে তার ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে। আবার মানুষের ভিড়ে ভাইকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে সাজু শক্ত করে ভাইয়ের হাত ধরে রাখার মধ্য দিয়ে দায়িত্ববোধেরও প্রকাশ মেলে।

ঘ.        উদ্দীপকটি নদীর স্বপ্ন কবিতার সমগ্র ভাব প্রকাশ করে না।

            নদীর স্বপ্ন কবিতার ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের দায়িত্ব ও আদর প্রকাশের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু আলোচ্য কবিতার বিষয়বস্তু আরও ব্যাপক।

            উদ্দীপকে দেখা যায়, কিশোরী সাজু তার ছোট ভাইকে বৈশাখী মেলায় নিয়ে যায়। ভাইয়ের পছন্দমতো জিনিসপত্র তাকে কিনে দেয় এবং মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যাবার ভয়ে তার হাত শক্ত করে ধরে রাখে। এতে ভাইয়ের প্রতি আদর ও দায়িত্ববোধের পরিচয় মেলে।

            নদীর স্বপ্ন কবিতায় কিশোর কানাইয়ের বোন ছোকানুর প্রতি দায়িত্ব ও আদর প্রকাশের নির্দেশ রয়েছে। বোনের প্রতি ভাইয়ের মমত্ব ও দায়িত্ব প্রকাশের দিকটি ছাড়াও নদীর স্বপ্ন কবিতার রয়েছে নানাদিক। কানাই ছোট বোনকে নিয়ে বাবা-মা ও দিদির দৃষ্টি এড়িয়ে পাল তোলা নৌকায় উঠে নদীর পর নদী পাড়ি দিয়ে তাদের মনের দুর্বার আকাক্সক্ষা পূরণ করতে চায়। নৌকার নানা রঙের পাল, নীর রঙের বিশার আকাশ, ঝাঁকে উড়ন্ত পাখি, পদ্মার রূপালি ইলিশ, নৌকায় রান্না করে খাওয়া, সন্ধ্যায় মাঝির গান শোনা এসব কিশোর কানাইয়ের মনে স্বপ্ন জাগায়। কল্পনায় সে বিভোর ও উদ্বেলিত হয়ে ওঠে, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত।

            তাই উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, উদ্দীপকটি নদীর স্বপ্ন কবিতার সামগ্রিক রূপ নয়। 

সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন-১৩ খুঁজিনি কিছুই আমি, যতবার এসেছি এ তীরে
নীরব তৃপ্তির জন্য আনমনে বসে থেকে ঘাসে

নির্মল বাতাস টেনে বহুক্ষণ ভরেছি এ বুক।


আবার দেখেছি সেই ঝিকিমিকি শবরী তিতাস
কি গভীর জলধারা ছড়াল হৃদয়ে আমার।

ক.       নদীর স্বপ্ন কবিতায় পদ্মা নদীকে কী নাম দেওয়া হয়েছে?                  ১

খ.        কিশোর আগে পদ্মায় যেতে চাইল কেন?                    ২

গ.        উদ্দীপকের সঙ্গে নদীর স্বপ্ন কবিতার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।                  ৩

ঘ.        “কি গভীর জলধারা ছড়াল হৃদয়ে আমার”- উদ্দীপক ও নদীর স্বপ্ন কবিতার আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।   ৪

প্রশ্ন-১৪ 

ক.       কানাই কোন রঙের পালটা দিতে মাঝিকে অনুরোধ করে?    ১

খ.        আমার জন্য কিছু ভেবো না আমি তো বড়োই প্রায়। চরণটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে ব্যাখ্যা কর।    ২

গ.        উপরের দৃশ্যটিতে নদীর স্বপ্ন কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? নির্ণয় কর।        ৩

ঘ.        উপরের দৃশ্যটি নদীর স্বপ্ন কবিতার বিষয়বস্তুকে ধারণ করে কি? মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও।     ৪

অনুশীলনের জন্য দক্ষতা¯ত্মরের প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ নদীর স্বপ্ন কবিতার কবির নাম কী?

উত্তর : নদীর স্বপ্ন কবিতার কবির নাম বুদ্ধদেব বসু।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বুদ্ধদেব বসু কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর : বুদ্ধদেব বসু ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বুদ্ধদেব বসু জন্মগ্রহণ করেন কোন জেলায়?

উত্তর : বুদ্ধদেব বসু কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বুদ্ধদেব বসু কার সাথে যৌথ সম্পাদনা করে প্রগতি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন?

উত্তর : বুদ্ধদেব বসু অজিত দত্তের সাথে যৌথ সম্পাদনা করে প্রগতি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বুদ্ধদেব বসু কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর : বুদ্ধদেব বসু কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বুদ্ধদেব বসু নিজে যে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন তার নাম কী?

উত্তর : বুদ্ধদেব বসু নিজে যে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন তার নাম কবিতা পত্রিকা।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ এই নাও-এই চকচকে, ছোটো, নতুন-কী?

উত্তর : এই নাও-এই চকচকে, ছোটো, নতুন রুপোর সিকি।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ কার কাছে দুটো আনি আছে?

উত্তর : ছোকানুর কাছে দুটো আনি আছে।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ মাঝিকে কে জিজ্ঞেস করেছে- আমারে চেনো না?

উত্তর : মাঝিকে কানাই জিজ্ঞেস করেছে, আমারে চেনো না?

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ ছোকানু কার বোন?

উত্তর : ছোকানু কানাইয়ের বোন।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ নদীর স্বপ্ন কবিতায় আকাশের রানি বলা হয়েছে কাকে?

উত্তর : নদীর স্বপ্ন কবিতায় ছোকানুকে আকাশের রানি বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ দেখাক, রান্নার কারসাজি- কে রান্নার কারসাজি দেখাবে?

উত্তর : কানাইয়ের ছোট বোন ছোকানু রান্নার কারসাজি দেখাবে।

প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ কে নিজেকে পদ্মার রাজা বলে পরিচয় দিয়েছে?

উত্তর : কানাই নিজেকে পদ্মার রাজা বলে পরিচয় দিয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ সোনা হয়ে জ্বলে কীসের জল?

উত্তর : সোনা হয়ে জ্বলে পদ্মার জল।

প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ নদীর স্বপ্ন কবিতায় কাকে লক্ষ্মী বলা হয়েছে?

উত্তর ॥ নদীর স্বপ্ন কবিতায় মাঝিকে লক্ষ্মী বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ কারসাজি শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?

উত্তর : কারসাজি শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো কূটকৌশল।

প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ পাল কী?

উত্তর : বাতাসের সাহায্যে নৌকা চালানোর জন্য নৌকায় খাটানো কাপড়ের পর্দাই হলো পাল।

অনুধাবনমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কিশোর তার মনের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে চায় কীভাবে? বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : নদীর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকনের মাধ্যমে কিশোর তার মনের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে চায়।

কিশোররা সবসময়ই স্বপ্নবিলাসী। কিশোর কানাইয়ের বহুদিনের স্বপ্ন নদী দেখার। নদীর সৌন্দর্য, প্রকৃতির সঙ্গে নদীর মিশ্রণে যে মনোমুগ্ধকর রূপ তা উপভোগ করা কিশোরের অদম্য ইচ্ছা। তাই সে মাঝিকে অনুরোধ করে তার নৌকায় তাকে এবং তার ছোট বোন ছোকানুকে নদীতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। নদীর অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করার মাধ্যমেই কিশোর তার ইচ্ছা পূরণ করতে চায়।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ সোনা হয়ে জ্বলে পদ্মার জল/কালো হলো তার পরে- চরণটি বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : সোনা হয়ে জ্বলে পদ্মার জল/কালো হলো তার পরে- চরণটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে রৌদ্রের আলোতে পদ্মার জল সোনার মতো ঝলমল করলেও সন্ধ্যার আধো আলোতে তা আবার কালো হয়ে যায়।

ছোট্ট কিশোর কানাই। তার মনের খুব ইচ্ছা নৌকাভ্রমণের। সে একদিন স্বপ্ন দেখে মা-বাবাকে ফাঁকি দিয়ে ছোট বোন ছোকানুকে নিয়ে বের হয়েছে নৌকাভ্রমণে। নৌকায় করে সে ভেসে চলছে এক নদী থেকে অন্য নদীতে। দেখছে প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় অপরূপ দৃশ্য। প্রকৃতির ভিন্নতার সঙ্গে নদীর মনোরম দৃশ্যেরও পরিবর্তন ঘটে তা সে সচেতনভাবে লক্ষ করে। কানাই দেখছে দুপুরের ঝলমল রৌদ্রে পদ্মার জল সোনালি রং ধারণ করে আবার বিকেলের নরম আলোয় তা কালো রূপে পরিণত হয়। 

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কানাই মাঝির সঙ্গে যেতে চাইল কেন?

উত্তর : বহুদিনের নদী দেখার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে কানাই মাঝির সঙ্গে নদী দেখতে যেতে চাইল।

কানাই স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। কিশোর কানাইয়ের বহুদিনের স্বপ্ন নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা। প্রকৃতির সঙ্গে নদীর মিশ্রণে যে মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি হয় তা দেখার তীব্র ইচ্ছা কিশোর কানাইয়ের। তাই কিশোর ছোট বোন ছোকানুকে নিয়ে এক মাঝির সঙ্গে নদী দেখতে যেতে চাইল।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ এই ফাঁকে মোরে- আর ছোকানুরে- নৌকায় নাও তুলে।- কোন ফাঁকে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : কানাইয়ের মা ঘুমিয়ে পড়েছেন, দিদিও স্কুলে চলে গেছেন। এই ফাঁকে কানাই তাকে ও তার বোন ছোকানুকে নৌকায় তুলে নিতে মাঝিকে অনুরোধ করে।

কল্পনাবিলাসী কিশোর কানাই তার বোনকে নিয়ে নদীতে বেড়াতে চায়। নৌকার মাঝিকে অনেক অনুনয়-বিনয় করে তাদেরকে নৌকায় তুলতে। এমনকি অভয় দিয়ে বলে, তোমার কোনো ভয় নেই, মা ঘুমিয়ে আছেন এবং দিদি স্কুলে গেছেন- এই ফাঁকে আমাকে আর আমার বোন ছোকানুকে তোমার নৌকায় তুলে নাও।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ মাঝির গানে জলের শব্দ কীভাবে তাল দিয়েছিল?

উত্তর : মাঝির কণ্ঠে গানের সাথে সাথে নৌকা চালানোর সময় মাঝির বৈঠা জলের ভেতর যে ঝুপঝুপ শব্দ তৈরি করে তা এক ধরনের তাল সৃষ্টি করে।

নদীর বুকে নৌকা আর মাঝির কণ্ঠের গান মিলেমিশে প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্যের অবতারণা করে। কোনো বাদ্যযন্ত্র নেই তারপরও গানের অপরূপ এক তাল সৃষ্টি হয়। আর এ তাল সৃষ্টিতে সহায়তা করে মাঝির বৈঠা। নদীর জল ঝুপঝুপ শব্দের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বাদ্যযন্ত্রের মতো এক অপূর্ব ছন্দের সৃষ্টি করে মাঝির গানে।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ নদীর স্বপ্ন কবিতায় কবি পদ্মা নদীকে কীভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?

উত্তর : নদীর স্বপ্ন কবিতায় কানাইয়ের কল্পনায় কবি পদ্মা নদীর একটি রঙিন স্বপ্ন এঁকেছেন।

কবির দৃষ্টিতে পদ্মা নদী স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা। পদ্মা নদীর ঝলমল পানি আর রুপালি ইলিশ পদ্মাকে এক নতুন রূপ দিয়েছে। নদীর বুকে মস্ত বড় নীল আকাশ পানিতে এক নীলের ছাপ ফেলেছে। তার ওপর উড়ে যাওয়া পাখিগুলো এক নতুন চিত্রের অবতারনা করেছে। সব মিলিয়ে পদ্মা এক অপরূপ সাজে সেজেছে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

অনুশীলনলীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১.         প্রথম দিন নৌকায় কোন রঙের পাল খাটানোর কথা বলা হয়েছিল?

            ক বেগুনি                    খ বাদামি

            গ লাল             > হলুদ

২. কোথায় চলেছো? এদিকে এসো না!
দুটো কথা শোনো দিকি,
চরণটিতে প্রকাশ পেয়েছে-

            ক আদেশ                    খ নির্দেশ

            গ অনুরোধ                  > অনুনয়

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

কিশোর মোরা উষার আলো, আমরা হাওয়া দুরন্ত,

মনটি চির বাঁধন হারা, পাখির মতো উড়ন্ত।

৩.        উদ্দীপকের দ্বিতীয় চরণের অর্থের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় নিচের কোন চরণের অর্থের?

            ক পায়ে পড়ি, মাঝি সাথে নিয়ে চলো, মোরে আর ছোকানুরে

            > ছোকানুরে, তুই আকাশের রানি, আমি পদ্মার রাজা

            গ লক্ষ্মী তো, মোরে- আর ছোকানুরে, নৌকায় তুলে নাও

            ঘ এই ফাঁকে মোরে-আর ছোকানুরে, নৌকায় তুলে নাও

৪.        উক্ত পঙ্ক্তি দুটিতে যে আবেগ ফুটে উঠেছে তা হচ্ছে-

            র. কিশোর মনের উচ্ছ্বাস       রর. ভাই ও বোনের সত্যিকার মর্যাদা

            ররর. কল্পনার অবাধ প্রবাহ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র     খ রর   গ র ও রর        > র ও ররর

নচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫ ও ৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে

পাগল আমার মন জেগে ওঠে।

চেনা শোনার কোন বাইরে

যেখানে পথ নাই, নাইরে

            সেখানে অকারণে যায় ছুটে।

৫.                    কবিতাংশটিতে নদীর স্বপ্ন কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?

            ক নৌ ভ্রমণের আনন্দ            > কল্পনার অবাধ প্রবাহ

            গ নদী ভ্রমণের ভাবনা ঘ অকারণে ছুটোছুটি

৬.                    উক্ত ফুটে ওঠা দিকটি নিচের যেসব চরণের সাথে সংগতিপূর্ণ-

র. সবগুলো নদী দেখাবে কিন্তু আগে পদ্মায় চলো

            রর. খাওয়া হলো শেষ, আবার চলেছি, দুলছে ছোট্ট নাও

            ররর. ছোকানুর কাছে দুটো আনি আছে, তোমায় দিচ্ছি তাও

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৭.                    কবিতা পত্রিকাটির সম্পাদক-

            ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর     > বুদ্ধদেব বসু

            গ কাজী নজরুল ইসলাম        ঘ জীবনানন্দ দাশ

৮.                    “পায়ে পড়ি মাঝি, সাথে নিয়ে চলো মোরে আর ছোকানুরতা- উদ্ধৃতাংশে প্রকাশ পেয়েছে-

            ক উদারতা                  > স্নেহপরায়ণতা

            গ কর্তব্যনিষ্ঠা              ঘ সহমর্মিতা

৯.                    প্রগতি পত্রিকার প্রকাশকাল কত?

            ক ১৯২৫-১৯২৭ খ্রি.   খ ১৯২৬-১৯২৮ খ্রি.

            > ১৯২৭-১৯২৯ খ্রি.     ঘ ১৯২৮-১৯৩০ খ্রি.

১০.                  কানাই যে কথাটি বলে বোনের প্রতি দরদ প্রকাশ করেছে তা হলোÑ

            > মাঝি, তুমি দেখো ছোকানুরে, ভাই

            খ ছোকানুরে তুই আকাশের রানি

            গ ছোকানুর কাছে দুটি আনি আছে

            ঘ ছোকানু আমার বোন

১১.                   কানাই মাঝিকে সবশেষে কোন রঙের পাল তোলার কথা বলেছিল?

            > লাল               খ সাদা

            গ নীল             ঘ হলুদ

১২.                  বুদ্ধদেব বসুর পৈতৃক নিবাস কোথায়?

            ক পাবনা                     > মুন্সিগঞ্জ

            গ বরিশাল                   ঘ ফরিদপুর

১৩.      মাঝির গানে তাল দেবে কে?

            ক কানাই                     > জলের শব্দ

            গ ছোকানু                   ঘ নদীর ঢেউ

১৪.      নদীর স্বপ্ন কবিতা পাঠে কিসের প্রসার ঘটবে?

            ক সৃজনশীল শক্তির    খ বাকশক্তির

            > কল্পনাশক্তির ঘ মেধাশক্তির

১৫.      কোন কাজের জন্য কানাই মাঝির প্রশংসা করে?

            ক নৌকায় তোলায়      খ গল্প বলায়

            গ গান শোনার > ইলিশ কেনায়

১৬.      শোণ কিসের নাম?

            > নদীর খ সাগরের       গ পাহাড়ের     ঘ গ্রামের

১৭.      মাঝিকে সিকিটি দেওয়ার প্রস্ট্যাব করেছিল-

            > কানাই                       খ ছোকানু

            গ জেলে                      ঘ অচেনা লোক

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

কবিপরিচিতি

১৮.      প্রগতি কী ধরনের পত্রিকা?     (জ্ঞান)

            ক দৈনিক        খ সাপ্তাহিক     গ মাসিক         ঘ ত্রৈমাসিক

১৯.      বুদ্ধদেব বসু কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?  (জ্ঞান)

            ক ১৯০৬         > ১৯০৮           গ ১৯০৯          ঘ ১৯১০

২০.      বুদ্ধদেব বসু কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?   (জ্ঞান)

            ক ১৯৬০         খ ১৯৬৫         গ ১৯৭২          > ১৯৭৪

২১.      বুদ্ধদেব বসু কয়টি পেশা গ্রহণ করেছিলেন?  (জ্ঞান)

            > ২       খ ৩     গ ৪      ঘ ৫

২২.     বুদ্ধদেব বসু কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?          (জ্ঞান)

            ক কুমিল্লায়      খ ঢাকায়          গ খুলনায়        ঘ পাবনায়

২৩.     সচিত্র মাসিক পত্রিকা প্রগতি কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?     (জ্ঞান)

            ক পুরানা পল্টন          খ নয়াপল্টন

            গ শান্তিনগর                ঘ বাংলাবাজার

            মূলপাঠ

২৪.      দুরন্ত বালক কানাই কাকে দুটো কথা শোনার জন্য অনুনয় করছে?  (জ্ঞান)

            ক ছোকানুকে  > মাঝিকে

            গ দিদিকে        ঘ স্কুলের দারোয়ানকে

২৫.     মাঝির নৌকা কোথায় বাঁধা ছিল?        (জ্ঞান)

            > ঘাটে  খ নদীর ওপারে

            গ সাঁকোর সঙ্গে          ঘ গাছের সাথে

২৬.     মাঝির সঙ্গে কানাই ও ছোকানু কোন কোন নদীতে বেড়াতে চেয়েছিল?       (জ্ঞান)

            > মেঘনা, পদ্মা, শোণ  খ পদ্মা, যমুনা, শোণ

            গ যমুনা, সুরমা, পদ্মা ঘ বুড়িগঙ্গা, সুরমা, শোণ

২৭.      কানাইয়ের বোনের নাম কী?   (জ্ঞান)

            > ছোকানু         খ গোলাপি       গ রথি  ঘ মিনি

২৮.     কানাইয়ের মা কী করছেন?    (জ্ঞান)

            ক খাবার খাচ্ছেন        খ ঘুমিয়ে আছেন

            গ বেড়াতে যাচ্ছেন      ঘ কানাইকে পাহারা দিচ্ছেন

২৯.     কানাই মাঝিকে কোন নদীতে প্রথমে যেতে বলেছিল?           (জ্ঞান)

            ক মেঘনা        খ যমুনা           > পদ্মা  ঘ সুরমা

৩০.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় ঝাঁকে ঝাঁকে বেঁকে কী উড়ে চলে যায়?   (জ্ঞান)

            ক প্রজাপতি    খ শঙ্খচিল       > পাখি  ঘ কবুতর

৩১.      কে রুপোলি নদীর রুপোলি ইলিশ কিনেছিল?           (জ্ঞান)

            > মাঝি খ কানাই          গ ছোকানু       ঘ দিদি

৩২.     বিছানা বালিশ ছাড়া কে ঘুমাতে চাইল?          (জ্ঞান)

            ক কানাই         খ মাঝি            গ ছোকানু       ঘ জেলে

৩৩.     কে বড়ই ভিতু?            (জ্ঞান)

            ক কানাই         খ ছোকানু        গ দিদি ঘ মাঝি

৩৪.     ছোকানুর কাছে কয় আনি মুদ্রা ছিল? (জ্ঞান)

            ক এক খ দুই    গ তিন ঘ চার

৩৫.     কানাই মাঝিকে কখন পাল নামাতে বলেছিল?           (জ্ঞান)

            > সন্ধ্যার বুকে তারা ফুটলে     খ আকাশের বুকে চাঁদ উঠলে

            গ জলের তলে সূর্য লুকালে     ঘ বিকেলের হালকা রোদে

৩৬.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় পইঠায় বসে ধোঁয়া-ওঠা ভাতের সাথে কী খাওয়ার কথা বলা হয়েছে?     (জ্ঞান)

            ক রুই মাছ      খ ভাজা ইলিশ গ সবজি ভাজি            ঘ শোল মাছ

৩৭.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় কাকে আকাশের মুখে তিল হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে?          (জ্ঞান)

            > ছোট পাখিকে           খ তারাকে

            গ খ- মেঘকে             ঘ চাঁদকে

৩৮.     কানাই কার কাছে গল্প শোনার বায়না করে?   (জ্ঞান)

            ক মা    খ বাবা গ ছোকানু       ঘ মাঝি

৩৯.     কানাই মাঝিকে ছোকানুর দেখাশোনা করতে বলে কেন?      (অনুধাবন)

            ক ছোকানু ভীতু বলে  খ ছোকানু একা ছিল বলে

            গ ছোকানু অনেক ছোট বলে ঘ ছোকানু কোথাও চলে যাবে বলে

৪০.      কানাই তার বোনের মনের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে চায় কীভাবে?   (অনুধাবন)

            ক পড়াশোনা করে      খ নৌকায়ভ্রমণ করে

            গ স্কুলে গিয়ে   ঘ ধনী হয়ে

৪১.      কানাই মাঝিকে খুব ভালো বলল কেন?          (অনুধাবন)

            ক মাঝি তাদেরকে পদ্মা নদীতে নিয়ে গেল বলে

            > মাঝি পদ্মার রুপালি ইলিশ কিনল বলে

            গ মাঝি তাদের গান শোনাল বলে

            ঘ মাঝি তাদের গল্প শোনাল বলে

৪২.      বাবার বকুনি কে একা মাথা পেতে নেবে?      (অনুধাবন)

            ক ছোকানু       খ দিদি খ কানাই          ঘ মাঝি

৪৩.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় কিশোরটি কেন জেগে ছিল?       (অনুধাবন)

            ক রুপালি ইলিশ দেখার জন্য

            খ গল্প, গান শোনার জন্য

            গ নদীর ঢেউ দেখার জন্য

            ঘ ঝড় ওঠার ভয়ে

৪৪.      নিচের কোনটি কিশোরের চোখকে ঝলসে দেয়?      (অনুধাবন)

            ক রুপালি ইলিশ          খ রঙিন পাল

            গ নীল আকাশ            ঘ সন্ধ্যা তারা

৪৫.     কানাই ছোকানুকে আকাশের রানি ও নিজেকে পদ্মার রাজা বলেছে। এর মাধ্যমে তার মনের কোন দিকটির বহিঃপ্রকাশ ঘটে?      (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক কাল্পনিক আকাক্সক্ষা          খ হতাশা

            গ বোনের প্রতি ভালোবাসা     > কাল্পনিক তৃপ্তি

৪৬.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় কয়টি নদীর নাম উলেস্নখ রয়েছে?         (জ্ঞান)

            > তিনটি           খ চারটি           গ পাঁচটি          ঘ ছয়টি

৪৭.      নদীর স্বপ্ন কবিতায় পদ্মার রাজা কে?  (জ্ঞান)

            > কানাই           খ ছোকানু        গ মাঝি            ঘ কবি

৪৮.     কানাই কল্পনায় ছোকানুকে কী ভেবেছিল?     (জ্ঞান)

            ক পদ্মার রানি > আকাশের রানি

            গ নৌকার রানি           ঘ দেশের রানি

৪৯.      ছোকানুর কাছে দুটো আনি আছে, তোমায় দিচ্ছি তাও-পঙ্ক্তিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?       (অনুধাবন)

            ক মাঝিকে ন্যায্য ভাড়া প্রদান

            খ মাঝিকে অতিরিক্ত ভাড়া প্রদান

            > নৌকাভ্রমণের তীব্র আকাক্সক্ষা

            ঘ ছোকানুর ভাড়া প্রদান

৫০.     কানাই আর ছোকানু সম্পর্কে কী হয়?            (জ্ঞান)

            ক প্রতিবেশী    > ভাই-বোন     গ সহপাঠী       ঘ মামা-ভাগ্নে

৫১.      কানাই বর্ণিত আকাশের রং কেমন?   (জ্ঞান)

            > আশ্চর্য নীল  খ আসমানি

            গ গোলাপি                  ঘ বেগুনি

৫২.     দ্বিতীয় দিন নৌকায় কোন রঙের পাল খাটানোর কথা বলা হয়েছিল?            (জ্ঞান)

            ক বাদামি         > বেগুনি          গ লাল ঘ হলুদ

৫৩.     কানাইয়ের দিদি কোথায় গেছে?          (জ্ঞান)

            ক ঘাটে            > স্কুলে  গ কলেজে      ঘ বাজারে

৫৪.     গান গাওয়া শেষ হলে কানাই মাঝিকে কী বলতে বলেছে?     (জ্ঞান)

            ক ছড়া খ কবিতা         গ লোককাহিনী           > গল্প

৫৫.     শিলা স্বপ্নে তার ছোট ভাইকে নিয়ে পরির রাজ্যে পৌঁছে গেছে। একসময় তারা ভাবে পরির রাজ্যে তারাই রাজা-রানি। উদ্দীপকের ভাবনার সঙ্গে নদীর স্বপ্ন কবিতায় কার ভাবনার মিল আছে?         (প্রয়োগ)

            ক মাঝির         খ দিদির           গ ছোকানুর     ঘ কানাইয়ের

৫৬.     কানাই নিজে ঘুমিয়ে পড়লে তার ছোট বোন ছোকানুর দিকে মাঝিকে লক্ষ রাখতে বলল যেন সে ভয় না পায়। এর মাধ্যমে বোনের প্রতি কানাইয়ের কোন ধরনের অনুভূতির প্রকাশ ঘটে?          (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক দয়া  খ আশঙ্কা        > দায়িত্ববোধ    ঘ মমত্ববোধ

৫৭.     জীবন দাস নদীর স্বপ্ন কবিতাটি পড়ল। এটি তার জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে?          (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা তৈরি করবে

            খ মাঝির প্রতি শ্রদ্ধা তৈরি করবে

            গ নৌকা তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করবে

            > বোনের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করবে

৫৮.     মেঘনা, পদ্মা, শোণ নদীগুলো বাংলাদেশের কোন দিক প্রকাশ করে।          (উচ্চতর দক্ষতা)

ক. ভৌগোলিক অবস্থা            খ ঐতিহ্য

            গ ইতিহাস       ঘ পরিচয়

৫৯.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় রুপালি নদী বলতে কোন নদীকে বোঝানো হয়েছে?      (অনুধাবন)

            ক পদ্মা            খ মেঘনা         গ যমুনা           ঘ শোণ

৬০.     আমারে চেনো না? চরণ দ্বারা কানাই কী প্রকাশ করতে চেয়েছে?     (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক গর্ব  খ আত¥মর্যাদা  খ পরিচয়         ঘ অহংকার

৬১.      বুদ্ধদেব বসু কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন? (জ্ঞান)

            > ঢাকা  খ কলকাতা     গ বিশ্বভারতী   ঘ যাদবপুর

৬২.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় কে সব দোষ মাথা পেতে নিতে চেয়েছে?

            > কানাই           খ ছোকানু        গ মাঝি            ঘ দিদি

৬৩.     কারা ছোকানুদের উঁচু থেকে দেখতে পায়?    (জ্ঞান)

            > পাখিরা          খ মেঘেরা        গ তারারা         ঘ পাহাড়া

৬৪.     কানাই মাঝিকে সবশেষে কোন রঙের পাল তোলার কথা বলেছে?

            > লাল   খ নীল  গ সাদা ঘ হলুদ

৬৫.     নদীর স্বপ্ন কবিতাটিতে উপস্থাপিত চিত্রটি মূলত কী?

            ক স্বপ্নের বা¯ত্মব রূপায়ন       খ নদী ভ্রমণের কাহিনী

            গ ভাই-বোনের অটুট বন্ধন    > কিশোর মনের অবাধ কল্পনা

৬৬.    “ইশ,  চোখে ঝলসায়!”- চরণটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?

            ক কানাইয়ের আবেগ  খ কানাইয়ের লজ্জা

            গ কানাইয়ের বিস্ময়    ঘ কানাইয়ের আনন্দ

            শব্দার্থ টীকা

৬৭.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় সূর্য লুকালো বলতে কী বোঝানো হয়েছে?          (অনুধাবন)

            ক সূর্য উদিত হলো

            খ সূর্য অ¯ত্ম গেল

            গ সূর্য মেঘের আড়ালে গেল

            ঘ সূর্য রক্তবর্ণ ধারণ করল

৬৮.     কারসাজি শব্দটির অর্থ কী?    (জ্ঞান)

            ক দক্ষতা         খ নৈপুণ্য         > কূটকৌশল   ঘ সঠিক কৌশল

৬৯.     নদীর স্বপ্ন কবিতাটিতে কারসাজি শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?          (অনুধাবন)

            ক দক্ষতা                     খ কূটকৌশল

            > চমৎকারিত্ব ঘ স্বাভাবিকতা

৭০.      সিকি বলতে কী বোঝায়?        (অনুধাবন)

            ক এক টাকার মুদ্রা      খ ৫০ পয়সার মুদ্রা

            গ চার আনা মূল্যের মুদ্রা        ঘ দুই টাকার মুদ্রা

৭১.      আনি কী?        (জ্ঞান)

            ক এক টাকার অর্ধেক

            খ একার তিন ভাগের এক ভাগ

            গ এক টাকার পাঁচ ভাগের এক ভাগ

            ঘ এক টাকার ষোলো ভাগের এক ভাগ

            পাঠ-পরিচিতি

৭২.      নদীর স্বপ্ন কবিতার কবি কে? (জ্ঞান)

            ক কায়কোবাদ খ গোলাম মো¯ত্মফা

            গ বুদ্ধদেব বসু ঘ সুকান্ত ভট্টাচার্য

৭৩.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় কিশোরের স্বপ্নে নিচের কোন অনুষঙ্গটি উঠে এসেছে? (জ্ঞান)

            > নৌকার নানা রঙের পাল      খ সোনালি ধানের খেত

            গ ঘন সবুজ অরণ্য     ঘ জ্যোৎস্না আলোকিত রাত

৭৪.      নদীর স্বপ্ন কবিতাটি পাঠের ফলাফল কী?      (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক মেধাশক্তির প্রসার  > কল্পনাশক্তির প্রসার

            গ শারীরিক শক্তির প্রসার       ঘ স্মৃতিশক্তির প্রসার

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

কবি-পরিচিতি

৭৫.     বুদ্ধদেব বসুর রচনাশৈলী-      (অনুধাবন)      

            র. স্বতন্ত্র           রর. মনোজ্ঞ

            ররর. ব্যঙ্গাত¥ক

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৭৬.     বুদ্ধদেব বসু বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন-        (প্রয়োগ)

            র. গল্প রচনা করে       রর. উপন্যাস লিখে

            ররর. নাটক রচনা করে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   > র, রর ও ররর

৭৭.      বুদ্ধদেব বসু সংশিস্নষ্ট পত্রিকা-          (অনুধাবন)

            র. প্রগতি         রর. কবিতা পত্রিকা

            ররর. সমকাল

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

            মূলপাঠ

৭৮.     কানাই মাঝির পায়ে পড়ল-    (অনুধাবন)

            র. নৌকায় তুলে নেওয়ার জন্য

            রর. নদী দেখতে নিয়ে যাওয়ার জন্য

            ররর. ইলিশ মাছ খাওয়ানোর জন্য

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৭৯.      কানাই সব দোষ একা মাথা পেতে নিতে চাইল-         (অনুধাবন)

            র. বোনের প্রতি সহানুভূতির জন্য

            রর. মাঝিকে চিন্তামুক্ত করার জন্য

            ররর. বড় দিদিকে চিন্তামুক্ত করার জন্য

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮০.     বাবার বকুনি এড়িয়ে কানাই ছোকানুকে নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার মধ্যে প্রকাশ পায়-    (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. কানাইয়ের ভ্রমণ পিপাসা   রর. কানাইয়ের কল্পনার প্রসারতা

            ররর. কানাইয়ের প্রকৃতি প্রেম

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮১.      কানাই ছোকানুকে আকাশের রানি ও নিজেকে পদ্মার রাজা বলল-  (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. অতিরিক্ত আবেগের কারণে

            রর. কানাইয়ের কাল্পনিক চিন্তার কারণে

            ররর. ছোকানুকে ভোলানোর কারণে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮২.     ছোকানুর চোখে ঘুম আসলেও কানাই জেগে থাকতে চায়-   (অনুধাবন)

            র. গল্প শোনার জন্য

            রর. গান শোনার জন্য

            ররর. চাঁদ দেখার জন্য

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮৩.     ঝড় এলে কানাই মাঝিকে ছোকানুকে না ডেকে নিজেকে ডাকতে বলল যাতে ছোকানু সুখে ঘুমাতে পারে। এর মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ ঘটে ছোকানুর প্রতি কানাইয়ের-      (উচ্চতর দক্ষতা) 

            র. কর্তব্যবোধ  রর. মমত্ববোধ

            ররর. করুণা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

            পাঠ-পরিচিতি

৮৪.     নদীর স্বপ্ন কবিতাটি পাঠের মাধ্যমে-  (অনুধাবন)

            র. কল্পনাশক্তির প্রসার ঘটবে রর. দেশের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে

            ররর. মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি হবে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮৫.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় এক কিশোরের কল্পনাশক্তি রূপায়িত হয়েছে-    (অনুধাবন)

            র. নদীকে ঘিরে           রর. সাগরকে ঘিরে

            ররর. নৌভ্রমণকে ঘিরে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       > র ও ররর       গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৮৬.     নদীর স্বপ্ন কবিতায় এক কিশোর মনে স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে-            (অনুধাবন)

            র. সোনালি ধানক্ষতে  রর. ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি

            ররর. নীল রঙের আকাশ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      > রর ও ররর    ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৭ ও ৮৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

নেই তুলি, নেই রং, তবুও আঁকতে পারি সবই।

৮৭.     তোমার পাঠ্য কোন রচনায় উদ্দীপকের ন্যায় এমন চিত্র অঙ্কিত হয়েছে?

            ক শিল্পকলার নানা দিক          খ নদীর স্বপ্ন

            গ পড়ে পাওয়া ঘ তৈলচিত্রের ভূত

৮৮.     উক্ত রচনায় এমন চিত্রের অঙ্কন শিল্পী কে?

            > কানাই           খ বিধু   গ নগেন          ঘ ছোট শিশুরা

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৯-৯১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

সজল তার ছোট বোন জয়াকে খুব ভালোবাসে। তারা শহরে থাকে বলে পুকুরে মাছ ধরা কখনও দেখেনি। গ্রামে দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে দুই ভাইবোন মাছ ধরা দেখতে গেছে। জালিয়াকে অনেক অনুরোধ করে দুই ভাইবোন হাত দিয়ে মাছ ধরে দেখার সুযোগ পায়। কিন্তু ছোট বোন জয়ার হাতে মাছের কাটা ফুটলে সজল কষ্ট পায় এবং সেখান থেকে দুজনেই চলে যায়।

৮৯.     উদ্দীপকের সজল চরিত্রটি নদীর স্বপ্ন কবিতার কোন চরিত্রকে নির্দেশ করেছে?                 (প্রয়োগ)                       

            ক ছোকানু       খ কানাই          গ মাঝি            ঘ কবি

৯০.      উক্ত চরিত্র চিত্রণে প্রকাশ ঘটেছে-    (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. নিরানন্দ জীবনে বৈচিত্র্য

            রর. প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণ

            ররর. ভাইবোনের মধুর সম্পর্ক

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৯১.      উক্ত রচনায় রূপায়িত হয়েছে-           (উচ্চতর দক্ষতা)

            র.  এক কিশোরের কল্পনা 

            রর. বোনের প্রতি আদর প্রকাশের চমৎকারিত্ব 

            ররর. কিশোরের দুরন্তপনা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *