৭ম শ্রেণী হিন্দুধর্ম দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ধর্মগ্রন্থ

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. শূন্যস্থান পূরণ কর

       ১.     পুরাণ শব্দের অর্থ ——–।

       ২.     চন্ডী হচ্ছে ——– পুরাণের একটি অংশবিশেষ।

       ৩.     বাসন্তী পূজার সময় ——– পাঠ করা হয়।

       ৪.     সুরথ ——– বংশের রাজা ছিলেন।

       ৫.     যা দেবী ——– শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।

       উত্তর : ১. পুরাতন; ২. মার্কন্ডেয়; ৩. চন্ডী; ৪. চৈত্র; ৫. সর্বভূতেষু।

২. ডান পাশ থেকে শব্দ বা বাক্যাংশ নিয়ে বাম পাশের সাথে মিল কর :

বাম পাশডান পাশ
১. পুরাণে মানুষের জন্যসপ্তশতী।
২. শ্রীশ্রীচন্ডীর অপর নামবেদ।
৩. মহামায়া সকলকে কল্যাণকর জীবন সম্পর্কে বলা হয়েছে।শ্রী গৌরাঙ্গ। বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
৪. দেবতাদের তেজঃপুঞ্জ হতে       এক দিব্য নারীমূর্তির সৃষ্টি হয়। 
৫. হিন্দুদের আদি ধর্মগ্রন্থের নাম হচ্ছে 

       উত্তর :

       ১. পুরাণে মানুষের জন্য কল্যাণকর জীবন সম্পর্কে বলা হয়েছে।

       ২. শ্রীশ্রীচন্ডীর অপর নাম সপ্তশতী।

       ৩. মহামায়া সকলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

       ৪. দেবতাদের তেজঃপুঞ্জ হতে এক দিব্য নারী মূর্তির সৃষ্টি হয়।

       ৫. হিন্দুদের আদি ধর্মগ্রন্থের নাম হচ্ছে বেদ।

৩. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ধর্মগ্রন্থের ধারণাটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে এমন একটি গ্রন্থ বা পুস্তক, যাতে ধর্মবিষয়ক তথ্যাবলি ও নির্দেশাবলি থাকে। যেমন : হিন্দুধর্মগ্রন্থগুলো হলো : বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, শ্রীশ্রীচন্ডী প্রভৃতি। এগুলোর মধ্যে বেদ আদি ধর্মগ্রন্থ। এসব ধর্মগ্রন্থে মানুষের কল্যাণের পথ সম্পর্কে লেখা থাকে। এতে ঈশ্বরের মাহাত্ম্য, দেব-দেবীর জীবনাচরণ সম্পর্কে ধারণা থাকে।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পুরাণের মূল শিক্ষা কীভাবে কাজে লাগাবে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : মানুষকে উন্নত জীবনযাপন সম্পর্কে অবগত করা পুরাণের মূল শিক্ষা বা বিষয়বস্তু। পুরাণে সুন্দর জীবনযাপনের জন্য উপদেশ ও নীতি শিক্ষা দেয়া হয়েছে। আমরা এসব শিক্ষা কাজে লাগানোর জন্য নিয়মিত পুরাণ পাঠ করব। এর মর্মার্থ বুঝব। এর প্রতিটি উপদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করব। তাহলে আমরা পুরাণের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে নিজেদের জীবন সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারব।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ রাজা সুরথ কেন রাজ্যহারা হলেন?

উত্তর : রাজা সুরথ ছিলেন পুরাকালের চৈত্র বংশের একজন রাজা। শত্র“রা তার রাজ্য আক্রমণ করে। এ আক্রমণে তিনি পরাজিত হন। ফলে তার রাজ্য শত্র“রা ছিনিয়ে নেয়। আর রাজা সুরথ রাজ্যহারা হন।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ মহিষাসুর বধের উদ্দেশ্য বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : মহিষাসুর বধের উদ্দেশ্য ছিল দৈত্যদের হাত থেকে স্বর্গরাজ্য রক্ষা করে দেবতাদের ফিরিয়ে দেওয়া। মহিষাসুর ছিলেন দৈত্যরাজ। তিনি দেবতাদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করেন। স্বর্গের সিংহাসনে বসেন। দেবতারা তখন ব্রহ্মার কাছে গেলে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব ও অন্যান্য দেবতাদের তেজ মিলে দেবী দুর্গা রূপ নেন। তিনি দৈত্য মহিষাসুরকে শূলাঘাতে বধ করে দেবতাদের স্বর্গরাজ্য ফিরিয়ে দেন।

৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ পুরাণ পাঠের আবশ্যকতা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আমাদের জীবনে পুরাণের গুর“তবই অনেক বেশি। পুরাণে বর্ণিত রয়েছে সুন্দর জীবন গড়ে তোলার উপায়সমূহ। এ গ্রন্থে সত্যনিষ্ঠা, অহিংসা, ক্ষমা, শান্তি ও ত্যাগের মহিমার কথা বলা হয়েছে। তাই এ গ্রন্থ পাঠ করা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। পুরাণ নিয়মিত পাঠ করলে আমরা ধর্মপথে পরিচালিত হতে পারব। পুণ্য অর্জন করতে পারব। ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব। পুরাণে গল্পের আলোকে সকলকে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করার প্রচেষ্টা রয়েছে। এজন্য আমরা পুরাণ পাঠ করব। পুরাণের আলোকে জীবন গড়ে তুলব।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পুরাণ শুধু একটি বিষয় নিয়েই রচিত হয়নি কথাটি যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আমাদের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ পুরাণ। এ গ্রন্থের বিষয়বস্তু অনেক। এসব বিষয়বস্তুর আলোকে একে পাঁচটি বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ মনে হয়েছে। এ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য হলো :

১. সর্গ, ২. প্রতিসর্গ ৩. বংশ, ৪. মন্বন্তর ও ৫. বংশানুচরিত।

১. সর্গ : সর্গ শব্দের অর্থ সৃষ্টি। এখানে জগতের সৃষ্টি রহস্য আলোচিত হয়েছে।

২. প্রতিসর্গ : প্রতিসর্গ অর্থ পুনরায় সৃষ্টি। জগতের বিনাশ হয়ে পুনরায় আবার সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি এখানে উলি­খিত হয়েছে।

৩. বংশ : এখানে বিভিন্ন দেবতা ও ঋষিদের বর্ণনাই হলো বংশ।

৪. মন্বন্তর : এক মনু থেকে আরেক মনুর কালের পূরবই পর্যন্ত সময়কে বলা হয় মন্বন্তর।

৫. বংশানুচরিত : ঋষি, রাজা ও দেবতাদের জীবনচরিত এখানে আলোচিত হয়েছে।

এসব ছাড়াও বর্ণাশ্রম, ধর্ম, শ্রাদ্ধ, দান, পূজা, ব্রত, তীর্থস্থান ও অন্যান্য ধর্মীয় আচার সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে। তাই বলা যায়, পুরাণ শুধু একটি বিষয় নিয়েই রচিত হয়নি।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ শ্রীশ্রীচন্ডীর শিক্ষা কীভাবে সমাজের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা যায় বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : শ্রীশ্রীচন্ডীতে দেবী দুর্গার অন্যায় দমন করার কাহিনি উলি­খিত হয়েছে। এসব কাহিনি থেকে আমরা অন্যায় না করা, অন্যায়ের কুফল এবং অন্যায়ের বির“দ্ধে নিজেদের সক্রিয় হওয়ার শিক্ষা পাই। এছাড়াও আমরা ঐক্য ও শক্তির শিক্ষা পাই। এ শিক্ষা আমরা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি। এমনকি সমাজের মঙ্গলের জন্যও এ শিক্ষা ব্যবহার করতে পারি। সমাজের সকলেই অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকতে পারি। অন্যায় দেখলে তার বিরোধিতা করে দমন করতে পারি। এভাবে সকলে মিলে এসব কাজ করলে যে কোনো সমাজেই মঙ্গল আসবে।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ শ্রীশ্রীচন্ডী পাঠের মাহাত্ম্য সমাজ জীবনের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : সমাজজীবনের আলোকে শ্রীশ্রীচন্ডীর মাহাত্ম্য অনেক। সমাজের সকলকে একতাবদ্ধভাবে যে কোনো অন্যায়-অবিচার দূর করতে শ্রীশ্রীচন্ডীর শিক্ষা দেয়। এ শিক্ষা আমরা অর্জন করতে পারি নিয়মিত চন্ডী পাঠ করার মাধ্যমেই। শ্রীশ্রীচন্ডী নারীশক্তিকে পূজা করার কথা বলে। এতে নারীর প্রতি সম্মান বাড়ে। শত্রুর কবল থেকে দেশকে রক্ষা করারও শিক্ষা দেয় চন্ডী। এসব উপদেশ আমরা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি। এমনকি সমাজজীবনেও কাজে লাগাতে পারি। সমাজকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারি।

 বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর

১.     পুরাণের প্রধান বৈশিষ্ট্য কয়টি?

        > পাঁচ খ বার গ আঠার     ঘ একুশ

২.     সর্গ কথাটির অর্থ কী?

       ক সুখ খ শান্তি       গ পুণ্য > সৃষ্টি

৩.     ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত হয়

       র. ঈশ্বরের বাণী ও মাহাত্ম্য

       রর. সমাজ জীবনের জন্য মঙ্গলজনক উপদেশ

       ররর. দেবদেবীর কাহিনী

       নিচের কোনটি সঠিক?

       ক র   খ রর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

সৌমি প্রতিদিন শ্রীশ্রীচন্ডী পাঠ করে। এতে সারাদিন তার মন ভালো থাকে। তাছাড়া সে মনে করে চন্ডী পাঠ করার ফলে তার ও পরিবারের মঙ্গল হয়।

৪.     সৌমির পঠিত গ্রন্থে কার মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে?     

        > দুর্গা খ লক্ষ্মী       গ সরস্বতী    ঘ শীতলা

৫.     সৌমি প্রতিদিন শ্রীশ্রীচন্ডী পাঠ করে। কারণ এর মাধ্যমে:  

       র. ঈশ্বরভক্তির নিদর্শন রয়েছে      রর. বিপদ থেকে পরিত্রাণের পথপ্রদর্শক

       ররর. ধর্ম রক্ষিত হয়।

       নিচের কোনটি সঠিক?

       ক র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর > র, রর ও ররর

পাঠ-১ : পুরাণ বই পৃষ্ঠা-৯

 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬. পুরাণ শব্দটির অর্থ কী? (জ্ঞান)

       ক নবীন > প্রাচীন গ বিনাশ ঘ বিভু

৭.     পুরাণসমূহ রচনা করেন কে? (জ্ঞান)

        > মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব খ বাল্মীকি

       গ কবীন্দ্র পরমেশ্বর ঘ কাশীরাম দাস

৮.     পুরাণের সংখ্যা কয়টি?       (জ্ঞান)

       ক ১৬ খ ১৭ > ১৮   ঘ ১৯

৯.     পুরাণে বিশেষভাবে কয়জন দেবতার কথা প্রকাশিত হয়েছে? (জ্ঞান)

       ক ২   > ৩ গ ৪    ঘ ৫

১০.    পুরাণে কী শোনানো হয়েছে? (জ্ঞান)

       ক গান খ কবিতা গ উপন্যাস > গল্প

১১.    পুরাণ বলতে কী বোঝায়?    (অনুধাবন)

       ক বহু গল্পের সমষ্টি > বহু গ্রন্থের সমষ্টি

       গ বহু গানের সমষ্টি ঘ বহু কবিতার সমষ্টি

১২.    পুরাণগুলো রচিত কীভাবে?         (অনুধাবন)

       ক গান করার ছলে খ কবিতা বলার ছলে > গল্প বলার ছলে ঘ উপন্যাস বলার ছলে

১৩.    সুমি মনে করে, পুরাণ ও উপপুরাণের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এগুলো কোন ধরণের পার্থক্য?       (প্রয়োগ)

       ক গঠনগত   > রচনাগত গ গুণগত ঘ মানগত

১৪.    বকুল উপপুরাণের একটি নামের সাথে মূল পুরাণের একটি নামের প্রায় মিল খুঁজে পায়। সেটি কী?       (প্রয়োগ)

       ক ব্রহ্মা পুরাণ খ পদ্ম পুরাণ গ শিব পুরাণ  > বিষ্ণু পুরাণ

১৫.    পুরাণে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবকে বিশেষভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)

       ক নামের মাহাত্ম্য খ গুণের মাহাত্ম্য

        > দেবতার মাহাত্ম্য ঘ শক্তির মাহাত্ম্য

 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৬.    পুরাণের নাম হলো (অনুধাবন)

       র. ব্রহ্মা পুরাণ       রর. শিব পুরাণ

       ররর. বিষ্ণু ধর্মোত্তর পুরাণ

       নিচের কোনটি সঠিক?

        > র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

১৭.    পুরাণ সম্পর্কে যেটি যথার্থ- (অনুধাবন)

       র. এটি অনেক গ্রন্থের সমষ্টি রর. এটিকে গ্রন্থাবলি বলা উচিত

       ররর. গল্পের মাধ্যমে নীতিশিক্ষা প্রদান

       নিচের কোনটি সঠিক?

       ক র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর > র, রর ও ররর

 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের উদ্দীকপটি পড়ে ১৮ ও ১৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

চৈতালীর বাসায় প্রতিদিন একটি পুস্তক পাঠ করা হয়। চৈতালী অভিভূত হয় এই জেনে যে, এতে সৃষ্টি থেকে শুরু করে কত কিছুরই না বর্ণনা রয়েছে গল্পের আকারে।

১৮.    চৈতালীদের পঠিত পুস্তকটি কোন গ্রন্থের ইঙ্গিত করে?      (প্রয়োগ)

       ক গীতা খ উপন্যাস > পুরাণ ঘ পুঁথি

১৯.    উদ্দীপকের পুস্তকে ‘সৃষ্টি থেকে শুরু করে কত কিছুরই না বর্ণনা রয়েছে’।-উক্তিটিতে বোঝানো হয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)

       র. সৃষ্টি ও ধর্মের নানা দিক রর. বংশ ও মন্বন্তর ররর. পৃথিবীর নানা দিক

       নিচের কোনটি সঠিক?

        > র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

পাঠ-২ : পুরাণের বিষয়বস্তু বই পৃষ্ঠা-১০

 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২০.   ‘সর্গ’ অর্থ কী?                     (জ্ঞান)

        > সৃষ্টি খ ধ্বংস গ বংশ     ঘ জীবনচরিত

২১.    ‘প্রতিসর্গ’ অর্থ কী?          (জ্ঞান)

       ক বংশ খ সৃষ্টি > পুনরায় সৃষ্টি ঘ জীবনচরিত

২২.   সৃষ্টির আদি পুরুষ কে?             (জ্ঞান)

       ক ইন্দ্র খ ব্রহ্মা গ দনু > মনু

২৩.   কয়টি মনুর কাল অতিক্রান্ত হয়েছে?        (জ্ঞান)

       ক ১২ খ ১৩ > ১৪   ঘ ১৫

২৪.   প্রতিসর্গ বলতে কী বোঝায়?              (অনুধাবন)

       ক সৃষ্টি হওয়া  > পুনরায় সৃষ্টি হওয়া

       গ ধ্বংস হওয়া       ঘ আচার-অনুষ্ঠান পালন করা

 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৫.   পুরাণের বৈশিষ্ট্য হলো              (অনুধাবন)

       র. সর্গ রর. প্রতিসর্গ ররর. মন্বন্তর

       নিচের কোনটি সঠিক?

       ক র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর > র, রর ও ররর

২৬.   পুরাণে প্রতিফলন ঘটেছে           (অনুধাবন)

       র. ধর্ম ও জীবনের রর. ধর্ম ও দর্শনের ররর. আসক্তি ও দর্শনের

       নিচের কোনটি সঠিক?

        > র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৭ ও ২৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

জয় ঠাকুর বলেন, আমাদের জীবনের সপ্তম পুরুষ পর্যন্ত ধারা প্রতিফলিত হয়। এজন্য কোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে সপ্তম পুরুষকে স্মরণ করে তা শুরু করতে হয়। তিনি বলেন, আমাদের ধর্মগ্রন্থ পুরাণের বৈশিষ্ট্যের মধ্যেও এমন একটি বিষয় রয়েছে।

২৭.   উদ্দীপকে বর্ণিত সপ্তম পুরুষের স্তরের সাথে পুরাণের কোন স্তরের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)

       ক জন্মান্তর > মন্বন্তর গ বংশানুচরিত ঘ বংশানুক্রম

২৮.   উদ্দীপকের সপ্তম পুরুষ সম্পর্কে নিচের ধারণাটি যথার্থ- (উচ্চতর দক্ষতা)

       র. বংশের ধারা বা স্তর রর. পূর্বপুরুষদের জ্ঞান ররর. মন্বন্তর ধারা বা স্তর

       নিচের কোনটি সঠিক?

        > র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

পাঠ-৩ : ধর্মাচরণ ও নৈতিকতা পুরাণ বই পৃষ্ঠা-১১

 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৯.   পুন্য কাজ করলে মৃত্যুর পর আমরা কোন লোকে গমন করতে পারব?                 (জ্ঞান)

        > বিষ্ণু      খ ব্রহ্মা গ শিব       ঘ দেবী

৩০.   সবসময় আমরা কাকে স্মরণ করি? (জ্ঞান)

       ক ব্রহ্মা খ বিষ্ণু গ মহেশ্বর > ঈশ্বর

৩১.    প্রাচীন ঐতিহ্যে কোনটি ধর্মশাস্ত্রের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত? (জ্ঞান)

        > পুরাণ খ অন্নদামঙ্গল      গ বৈষ্ণব পদাবলী    ঘ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

৩২.   পুণ্যপথে থাকলে মৃত্যুর পর আমরা কোথায় যেতে পারব? (অনুধাবন)

        > পুণ্যলোকে খ ভূলোকে গ নরকে ঘ মহাকাশে

৩৩.   পুরাণ কীভাবে আমাদের জীবনকে সুন্দর করে?    (অনুধাবন)

       ক উপদেশ দিয়ে খ গল্প, উপাখ্যান বলে

        > নীতিবোধ জাগ্রত করে    ঘ গান, কবিতা দিয়ে

৩৪.   পুরাণের বীরত্বপূর্ণ কাহিনি থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই? (উচ্চতর দক্ষতা)

       ক মানুষে মানুষে হানাহানি খ অসৎ পথে চলা

       গ জীবনে তার প্রতিফলন > জীবনকে সুন্দরভাবে গড়া

 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩৫.   মানুষকে শ্রেষ্ঠতম আসনে প্রতিষ্ঠিত করে    (অনুধাবন)

       র. সত্য রর. ক্ষমা ররর. ত্যাগ

       নিচের কোনটি সঠিক?

       ক র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর > র, রর ও ররর

৩৬.   পুরাণ সম্পর্কে যথার্থ-              (অনুধাবন)

       র. নানা গল্পের সমষ্টি রর. উপাখ্যানের মাধ্যমে জীবনকে সুন্দর করে

       ররর. এটি ধর্মশাস্ত্রের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত

       নিচের কোনটি সঠিক?

       ক র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর > র, রর ও ররর

 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৭ ও ৩৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

‘ক’ আমাদের ধর্মগ্রন্থ। এখানে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে নানা উপদেশ রয়েছে। আমাদের জীবনে ‘ক’-এর গুরুতবই অপরিসীম।

৩৭.   উদ্দীপকের ‘ক’ গ্রন্থের সাথে কোনটির মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)

       ক পুঁথির খ গল্পগ্রন্থের > পুরাণের ঘ গ্রন্থের সমষ্টি

৩৮.   উদ্দীপকের গ্রন্থটির গুরুতবই অপরিসীম বলার কারণ      (উচ্চতর দক্ষতা)

       র. নীতিবোধ জাগ্রত করে রর. প্রাচীন আচারনিষ্ঠা সম্পর্কে জানা যায়

       ররর. জীবনের উত্থান রোধ করে

       নিচের কোনটি সঠিক?

        > র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

পাঠ-৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ : শ্রীশ্রীচন্ডী, শ্রীশ্রীচন্ডী পূজার মহাত্ম্য, মহিষাসুর বধ, শুম্ভ-নিশুম্ভ বধ ও শ্রীশ্রীচন্ডীর শিক্ষা বই পৃষ্ঠা ১১-১৫

 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩৯.   শ্রীশ্রীচন্ডী কোন পুরাণের অংশ?             (জ্ঞান)

       ক ব্রহ্মা পুরাণ > মার্কন্ডেয় পুরাণ গ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ     ঘ ভাগবত পুরাণ

৪০.   মার্কন্ডেয় পুরাণে চন্ডী অংশটির নাম কী ছিল?      (জ্ঞান)

        > দেবী মাহাত্ম্য খ মহিমা প্রকাশ গ মনুষ্য মাহাত্ম্য ঘ জীবন মহিমা

৪১.    চন্ডীর অপর নাম কী?              (জ্ঞান)

       ক পঞ্চশতী খ ষষ্ঠশতী > সপ্তশতী ঘ অষ্টশতী

৪২.   চন্ডীতে কতটি মন্ত্র আছে?           (জ্ঞান)

       ক চারশত খ পাঁচশত গ ছয়শত > সাতশত

৪৩.   চন্ডীকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে? (অনুধাবন)

       ক ২   > ৩  গ ৪   ঘ ৫

৪৪.   সুরথ কোন বংশের রাজা?          (জ্ঞান)

       ক পাল খ সেন গ গুপ্ত > চৈত্র

৪৫.   দেবরাজ কে?                     (জ্ঞান)

        > ইন্দ্র খ ব্রহ্মা গ বিষ্ণু ঘ শিব

৪৬.   মহিষাসুর কে?                     (জ্ঞান)

       ক মানুষ      খ দেবতা     > অসুর ঘ পশু

৪৭.   কে মহিষাসুরকে বধ করেন?               (জ্ঞান)

       ক ইন্দ্র খ শিব গ বিষ্ণু      > দুর্গা

৪৮.   শুম্ভ-নিশুম্ভকে কে বধ করেন?              (জ্ঞান)

       ক দুর্গা > অম্বিকা গ মহামায়া ঘ কালী

৪৯.   শ্রীবিষ্ণু কাকে বধ করেন?          (জ্ঞান)

       ক শুম্ভ-নিশুম্ভ খ চন্ড-মুন্ড     গ মহিষাসুর > মধু-কৈটভ

৫০.   দেবী দুর্গা কার শক্তির প্রতীক?            (জ্ঞান)

       ক মহেশ্বর খ ব্রহ্মা > ঈশ্বর ঘ বিষ্ণু

৫১.    কোন বার্তা নিয়ে দেবী দুর্গা আসেন?             (জ্ঞান)

       ক বসন্তের আগমনী বার্তা খ হেমন্তের আগমনী বার্তা

        > শরতের আগমনী বার্তা ঘ বর্ষার আগমনী বার্তা

৫২.   শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে পূজার আয়োজন করেন কেন?       (অনুধাবন)

        > সীতাকে উদ্ধার করতে খ লক্ষ্মণকে উদ্ধার করতে

       গ দশরথকে উদ্ধার করতে   ঘ কৌশল্যাকে উদ্ধার করতে

৫৩.   রাজা সুরথ এবং সমাধি বৈশ্য কার কাছে গেলেন? (অনুধাবন)

       ক বশিষ্ঠ দেবের কাছে খ বিশ্বামিত্রের কাছে

        > মেধা মুনির কাছে  ঘ যোগীর কাছে

৫৪.   দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন কীভাবে?       (অনুধাবন)

       ক খড়গাঘাতে খ কুঠারাঘাতে গ চক্রাঘাতে   > শূলাঘাতে

৫৫.   শ্রীশ্রীচন্ডী কী রূপে অধিষ্ঠিত?               (জ্ঞান)

       ক দেবীশক্তি > মাতৃশক্তি     গ ধ্বংসশক্তি ঘ কন্যাশক্তি

৫৬.   শ্রীশ্রীচন্ডীকে নিত্য পাঠ্য বলা হয় কেন?            (অনুধাবন)

       ক ঈশ্বরভক্তি প্রদর্শনের জন্য খ বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আশায়

        > প্রতিদিনের কর্তব্য শেখার বলে   ঘ ধর্ম রক্ষা করার জন্য

৫৭.   কোন আকর্ষণে আমরা জগৎসংসারে ডুবে থাকি?          (জ্ঞান)

       ক ধনসম্পদ খ ক্ষমতা > মায়া ঘ আত্মীয়-স্বজন

৫৮.   মহিষাসুর বধ কাহিনি থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই? (উচ্চতর দক্ষতা)

       ক ভক্তিতেই মুক্তি > একতাই শক্তি গ শয়তানের পরাজয় ঘ ন্যায়ের বিজয়

৫৯.   শ্রীশ্রীচন্ডীতে কিসের বর্ণনা রয়েছে বলে মনে কর? (অনুধাবন)

        > দেবীদের উদ্ভব ও মহিমা খ দৈত্যদের উদ্ভব ও মহিমা

       গ সৃষ্টিতত্ত্বের মহিমা ঘ জীবজগতের বর্ণনা

৬০.   শ্রীশ্রীচন্ডীর বিষয়বস্তু হিসেবে মলি নিচের কোনটি সমর্থন করবে? (প্রয়োগ)

       ক শুধু মানুষের কল্যাণ সাধন খ শুধু দেবতাদের কল্যাণ সাধন

        > জীবজগতের কল্যাণ সাধন ঘ আর্তদের কল্যাণ সাধন

৬১.    সবিতা দেবী বলেন, “তুমি ত্রিনয়না, তুমি গৌরি, তুমি নারায়ণী।” কাকে উদ্দেশ্য করে তিনি এটি বলেছেন? (প্রয়োগ)

       ক লক্ষ্মী খ সরস্বতী গ জগদ্ধাত্রী > দুর্গা

৬২.   দেবী দুর্গার আবির্ভাবের সাথে নিচের কোন শক্তির আবির্ভাব ঘটেছে বলে তোমার মনে হয়?            (প্রয়োগ)

       ক মনুষ্য > নারী গ জীব     ঘ মাতৃ

৬৩.   শ্রীশ্রীচন্ডী মার্কন্ডের পুরাণের অংশ হয়েও আলাদা গ্রন্থের মর্যাদা পাওয়ার যথার্থ কারণ কী?                    (উচ্চতর দক্ষতা)

       ক বর্ণনার গুণে       > বিষয়বস্তু ও রচনার গুণে

       গ উপদেশ দেওয়ার গুণে ঘ গল্প বলার গুণে

৬৪.   “একই দেবী মহামায়া, দুর্গা, অম্বিকা ও কালিকারূপে আবির্ভূত হন” উক্তিটিতে কী বোঝানো হয়েছে?              (উচ্চতর দক্ষতা)

        > চন্ডীর মাহাত্ম্য খ দেবতাদের মাহাত্ম্য

       গ ঈশ্বরের মাহাত্ম্য ঘ শক্তির মাহাত্ম্য

৬৫.   “স্বর্গচ্যুত দেবতাগণের ঐক্যই তাঁদের স্বর্গ ফিরিয়ে দিয়েছে।” এখানে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে?              (উচ্চতর দক্ষতা)

       ক ভক্তিতেই মুক্তি খ সকল দুর্গতির কারণ গ দুষ্টের দমন > একতাই শক্তি

৬৬.   “সকল প্রকার দুর্গতিনাশিনী বলেই তিনি শ্রীদুর্গা।” এখানে তাঁর কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে?            (উচ্চতর দক্ষতা)

       ক ভক্তদের মুক্তি দেন খ সকল দুর্গতির কারণ

        > সকল দুঃখ-দুর্দশা দূর করেন ঘ অন্যায়কে দমন করেন

 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬৭.   দেবী মহামায়া আবির্ভূত হন         (অনুধাবন)

       র. দুর্গা রূপে রর. অম্বিকা রূপে     ররর. কালিকা রূপে

       নিচের কোনটি সঠিক?

       ক র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর > র, রর ও ররর

৬৮.   শ্রীশ্রী দুর্গা সম্মিলিত শক্তি-          (অনুধাবন)

       র. দানবদের  রর. ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের ররর. দেবতাদের

       নিচের কোনটি সঠিক?

       ক র ও রর   খ র ও ররর  > রর ও ররর       ঘ র, রর ও ররর

৬৯.   এটি জগতেরই এক নিয়ম। এটি হলো      (উচ্চতর দক্ষতা)

       র. মায়া রর. মহামায়ার প্রভাব ররর. সংসারের কারণ

       নিচের কোনটি সঠিক?

       ক র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর > র, রর ও ররর

৭০.   দেবী দুর্গা সম্পর্কে যৌক্তিক-        (অনুধাবন)

       র. নারী শক্তির প্রতীক রর. মাতৃশক্তিরূপে অধিষ্ঠিতা ররর. মায়ের মতো করুণাময়ী

       নিচের কোনটি সঠিক?

       ক র ও রর   খ র ও ররর  গ রর ও ররর > র, রর ও ররর

 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭১ ও ৭২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

চন্দ্রিমা দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশে বেড়াতে এসেছে। সে পূজা দেখতে গিয়ে জানতে পারল যে, এখন যেটি দুর্গাপূজা হিসেবে সমাদৃত, সেটির মূল পূজা হয় বসন্তকালে। কিন্তু এখনকার পূজাকেই বেশি গুরুতবই দেওয়া হয়।

৭১.    দুর্গাপূজা উদ্যাপনের সময় হিসেবে চন্দ্রিমা নিচের কোনটি জেনেছে?       (প্রয়োগ)

        > শরৎকাল খ বসন্তকাল গ হেমন্তকাল    ঘ শীতকাল

৭২.   শরৎকালের দুর্গাপূজাকেই বেশি গুরুতবই দেওয়ার পেছনে নিচের যথার্থ কারণ: (উচ্চতর দক্ষতা)

       র. রাবণ এ পূজা করেছিলেন বলে রর. শ্রীরাম এ পূজা করেছিলেন

       ররর. বিশেষ কল্যাণ কামনায় এ পূজা করা হয়েছিল

       ক র ও রর   খ র ও ররর  > রর ও ররর       ঘ র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সঞ্জয় দুর্ধর্ষ ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির হলেও সন্তানবৎসল। সে সামান্য ব্যাপারেই রাগান্বিত হয়ে তুলকালাম কান্ড বাধায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তার স্বার্থে আঘাত লাগলে মারধর পর্যন্ত করে। অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ কেড়ে নেয়। এসকল কারণে সকলেই তাকে অপছন্দ করে। অথচ প্রচুর দানধ্যান করে বলে তাকে ত্যাগ করতে পারে না। তারই ছেলে দেবজিৎ আবার সম্পূর্ণ বিপরীত। সে অমায়িক ও দয়ালু এবং পরোপকার ও সমাজসেবামূলক কাজ করতে ভালোবাসে। দেবজিৎ বাবার অনৈতিক কর্মকান্ড একেবারেই পছন্দ করে না। অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করে বলে প্রায়ই বাবার সাথে দ্বন্দবই হয়।

 ক.   শ্রীশ্রীচন্ডীতে কতগুলো মন্ত্র আছে?

খ.     শ্রীশ্রীচন্ডী কোন পুরাণের অন্তর্গত?

গ.     সঞ্জয়ের চরিত্রের সাথে মহিষাসুরের চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা কর।

ঘ.     ‘শ্রীশ্রীচন্ডীর শিক্ষা দেবজিৎ-এর চরিত্রে অনেকটাই প্রতিফলিত হয়েছে’ কথাটি মূল্যায়ন কর।

 ১নং প্রশ্নের উত্তর

ক.    শ্রীশ্রীচন্ডীতে সাতশত মন্ত্র আছে।

খ.     শ্রীশ্রীচন্ডী উলে­খযোগ্য গ্রন্থ হলেও এটি মার্কন্ডেয় পুরাণের অংশ। স্বতন্ত্রভাবে এর রচনা হয়নি। মার্কন্ডেয় পুরাণের ৮৩ থেকে ৯৫ পর্যন্ত ১৩টি অধ্যায়ে এ অংশ রয়েছে। এ অংশকে দেবীমাহাত্ম্য বলা হয়। এটিই শ্রীশ্রীচন্ডী। এতে সাতশত মন্ত্র রয়েছে বলে একে সপ্তশতীও বলা হয়।

গ.     উদ্দীপকের সঞ্জয় ও মহিষাসুর দুজন আলাদা ব্যক্তি হলেও স্বভাব চরিত্রের দিক থেকে তাদের মধ্যে বেশ কিছু মিল রয়েছে।

       মহিষাসুর খুবই নিষ্ঠুর ও কর্কশ ছিল। সেও অন্যের জিনিসে লোভ করত। অন্যায়ভাবে তা দখল করতে চাইত। এভাবে সে স্বর্গরাজ্য থেকে দেবতাদের বিতাড়িত করে সেখানে রাজতবই করে। এ ধরনের চরিত্রসমূহকে দুর্বৃত্ত চরিত্র বলা হয়। এদের কেউ পছন্দ করে না।

       উদ্দীপকেও আমরা দেখি যে, সঞ্জয় মন্দ চরিত্রের। সে স্বার্থপর। সকলের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। অন্যায় করে। অন্যের সম্পদে লোভ করে। অর্থাৎ মহিষাসুরের চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সঞ্চয়ের চরিত্রের মধ্যে।

ঘ.     শ্রীশ্রীচন্ডীর শিক্ষা দেবজিৎ-এর চরিত্রে অনেকটাই প্রতিফলিত হয়েছে’: এ উক্তিটি যথার্থ।

       শ্রীশ্রীচন্ডী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। এটি স্বতন্ত্রভাবে রচিত হয়নি। শ্রীশ্রীচন্ডী মার্কন্ডেয় পুরাণের অংশ। এটি আমাদের অন্যায়ের বির“দ্ধে শক্তি ও সাহসী হতে শিক্ষা দেয়।

       উদ্দীপকেও দেখা যায়, সঞ্জয় দুর্বৃত্ত হলেও তার পুত্র দেবজিৎ শ্রীশ্রীচন্ডীর শিক্ষা নিজ জীবনে প্রতিফলিত করেছে। সে আপন পিতার অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। এতে তার পিতা তার ওপর রেগে গেলেও সে প্রতিবাদ বন্ধ করে না। কারণ সে শ্রীশ্রীচন্ডী থেকে এ শিক্ষা গ্রহণ করেছে। সে অন্যায়কে সহ্য করতে চায় না।

       শ্রীশ্রীচন্ডীতে দেবী দুর্গা দেবতাদের স্বর্গরাজ্য ফিরিয়ে দিতে এবং দুষ্টের দমন করতেই আবির্ভূত হয়েছিলেন।

       তাই বলা যায় যে, শ্রীশ্রীচন্ডীর শিক্ষা দেবজিৎ-এর চরিত্রে সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এটাই যথার্থ।

প্রশ্ন -২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

পূর্ণিমা গল্প শুনতে ভালোবাসে। সে এমন সব গল্প পড়ে ও শোনে যাতে মানুষের কল্যাণের কথা আছে। আছে প্রাচীন বংশতালিকা ও জীবনের উত্থান পতনের অনেক গল্প। এতে কয়েকজন দেবতার কথা বলা হয়েছে। এর বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে।

 ক.   ‘পুরাণ’ শব্দের অর্থ কী?      ১

খ.     কীভাবে উপপুরাণ রচিত হয়েছে?    ২

গ.     উদ্দীপকে কোন গ্রন্থের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।      ৩

ঘ.     উদ্দীপকের বিষয়টি বলতে একটিমাত্র গ্রন্থকে বোঝায় না। এ মতের সাথে তুমি কি একমত? মতামত দাও।  ৪

 ২নং প্রশ্নের উত্তর

ক.    ‘পুরাণ’ শব্দের অর্থ পুরাতন বা প্রাচীন।

খ.     মূল পুরাণের অনুসরণ করে উপপুরাণ রচিত হয়েছে। পুরাণের রয়েছে অনেক খন্ড। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ব্রহ্ম পুরাণ, পদ্ম পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, শিব পুরাণ বা বায়ু পুরাণ প্রভৃতি। এ পুরাণগুলোর অনুসরণেই রচিত হয়েছে উপপুরাণ। যেমন বিষ্ণু ধর্মোত্তর পুরাণ।

গ.     উদ্দীপকে পুরাণের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।

       পুরাণ হলো বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এক শ্রেণির ধর্মগ্রন্থ। এখানে সৃষ্টি ও দেবতাদের উপাখ্যান। ঋষি ও রাজাদের বংশ, মানবজীবনের উত্থান ও পতনের নানা উপাখ্যান রয়েছে। এই পুরাণগুলি গল্পচ্ছলে রচিত। ধর্মজীবন ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গল্পগুলি রচিত। মানুষকে কল্যাণকর সুন্দর জীবন সম্পর্কে গল্পের মাধ্যমে ও নীতিশিক্ষা প্রদান এর বিষয়বস্তু।

       উদ্দীপকেও দেখা যায়, পূর্ণিমা যে গ্রন্থ পাঠ করে ও শোনে যাতে গল্পছলে বলা আছে মানুষের কল্যাণের কথা, তাকে প্রাচীন ঋষি ও দেবতাদের বংশতালিকা। এসব পুরাণেরই মূল বিষয়বস্তু। অর্থাৎ পুর্ণিমার পড়া ও শোনা গল্পগুলো পুরাণের প্রতিই ইঙ্গিত করে।

ঘ.     উদ্দীপকে যে গ্রন্থের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, তা পুরাণ। আর পুরাণ একটি গ্রন্থ নয়, অনেক গ্রন্থের সমষ্টি।

       পাঠ্যপুস্তকে পুরাণ শব্দটিকে বিশেষ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। পুরাণ হচ্ছে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এক শ্রেণির গ্রন্থ। সেখানে সৃষ্টি ও দেবতাদের উপাখ্যান, ঋষি ও রাজাদের বংশ, পৃথিবীর ভৌগোলিক পরিচিত, তীর্থমাহাত্ম্য, দান, ব্রত, তপস্যা, আয়ুর্বেদ প্রভৃতির মধ্য দিয়ে বেদভিত্তিক হিন্দুধর্ম ও সমাজের নানা কথা বলা হয়েছে। পুরাণ বলতে একটিমাত্র গ্রন্থ বোঝায় না, পুরাণ বহু গ্রন্থের সমষ্টি।

       উদ্দীপকেও আমরা তাই দেখতে পাই যে, পূর্ণিমা যে গল্প শুনতে ভালোবাসে তা হলো পুরাণের গল্প। এর বিভিন্ন দিক রয়েছে। এই পুরাণ একাধিক পুরাণের সমষ্টি।

       সুতরাং, পুরাণকে শুধু গ্রন্থ না বলে গ্রন্থাবলি বলা উচিত। পুরাণের রয়েছে ১৮টি খন্ড। এ খন্ডগুলোর সমন্বয়েই রচিত হয়েছে পুরাণ। তাই পুরাণ মাত্র একটি গ্রন্থ নয় একথার সাথে আমি একমত।

প্রশ্ন -৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

মানবচরিত্রের যেমন কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তেমনি একটি গ্রন্থেরও নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। এগুলোর মাধ্যমে সৃষ্টির কথা, তত্তবই প্রভৃতি বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে মন্বন্তর সম্পর্কে বর্ণনা। শিখা প্রতিদিন গ্রন্থটি পাঠ করে। তার মতে, জীবনে এটির গুরুতবই অপরিসীম।

 ক.   পুরাণের বৈশিষ্ট্য কয়টি?     ১

খ.     মন্বন্তর বলতে কী বোঝ?     ২

গ.     উদ্দীপকে উল্লিখিত কোন গ্রন্থের বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.     উদ্দীপকে শিখার সর্বশেষ ধারণার সাথে তুমি কি একমত? উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।   ৪

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক.    পুরাণের বৈশিষ্ট্য পাঁচটি।

খ.     এক মনুর কাল হতে অন্য মনুর কালের পূরবই পর্যন্ত সময়ের পরিধিকে মন্বন্তর বলে।

       জীবজগতের সবকিছুরই বিনাশ আছে। বিনাশ হওয়ার পর তা আবার নতুন করে সৃষ্টি হয়। প্রতিটি সৃষ্টির আদি পুরুষ হলেন মনু। এমনি করে চৌদ্দজন মনুর কাল অতিক্রান্ত হয়েছে। এক মনু হতে আরেক মনুর কালের পূরবই পর্যন্ত সময়কে বলা হয় মন্বন্তর।

গ.     উদ্দীপকে উলি­খিত গ্রন্থ পুরাণের বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে।

       আমরা জানি, পুরাণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো হলো সর্গ, প্রতিসর্গ, বংশ, মন্বন্তর ও বংশানুচরিত। সর্গ মানে সৃষ্টি। কীভাবে জীবন-জগৎ সৃষ্টি হলো তার বর্ণনা। আর প্রতিসর্গ মানে পুনরায় সৃষ্টি। জীবজগৎ বিনাশ হওয়ার পর পুনরায় নতুন করে সবকিছুর সৃষ্টি হয়, তার বর্ণনা। অন্যদিকে দেবতা ও ঋষিদের বর্ণনাই হলো বংশ এবং এক মনুর কাল হতে আরেক মনুর কালের পূরবই পর্যন্ত সময়ই হলো মন্বন্তর। তাছাড়া বংশানুচরিত বলতে দেবতা, ঋষি বা বিখ্যাত রাজাদের জীবনচরিতকে বোঝায়।

       উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, গ্রন্থটিতে কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সৃষ্টির কথা, তত্তবই প্রভৃতি বর্ণনা করা হয়েছে। এর নাম পুরাণ। শিখা প্রতিদিন পাঠ করে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকে পুরাণের বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে।

ঘ.     উদ্দীপকে মিতার সর্বশেষ ধারণা অর্থাৎ আমাদের প্রাত্যহিক এবং সামাজিক জীবনে পুরাণের গুরুতবই অপরিসীম। এ কথার সাথে আমি একমত।

পৌরাণিক ধর্মমতে সত্য, অহিংসা, ক্ষমা, শান্তি ও ত্যাগ মানুষকে শ্রেষ্ঠতম আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। আর এসব গুণকে উপজীব্য করেই নানা গল্প, উপাখ্যানের মাধ্যমে জীবনকে সুন্দর করার উপদেশাবলি রয়েছে পুরাণশাস্ত্রে। সেসব উপদেশাবলি আমাদের নীতিবোধকে সজাগ করে দেয়। ধর্মের পথে চলতে সহায়তা করে। সবসময় ঈশ্বরকে স্মরণ করা আমাদের কর্তব্য। তাহলে পাপ আমাদের স্পর্শ করবে না। পুণ্যপথে থাকলে মৃত্যুর পর আমরা বিষ্ণুলোকে গমন করতে পারব। এসব বিষয়সহ বৈদিক আদর্শ, একেশ্বরবাদ, লৌকিক আচারনিষ্ঠা, জাতিভেদের সংস্কার থেকে মুক্তি প্রভৃতি পুরাণে আলোচনা করা হয়েছে। পুরাণে আলোচিত এসব বিষয় আমাদেরকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে সাহায্য করে।

উদ্দীপকেও আমরা দেখি যে, গ্রন্থের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে সৃষ্টির কথা, তত্তবই প্রভৃতি বর্ণনা করা হয়েছে। রয়েছে অনেক উপাখ্যান, উপদেশ, জীবনের উত্থান ও পতনের কথা।

তাই বলা যায়, জীবনে পুরাণের গুরুতবই অপরিসীম। একথার সাথে আমি একমত পোষণ করি।

প্রশ্ন -৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

দিব্যা ‘ক’ পূজা উপলক্ষে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছে। সে ছোট বিধায় এ পূজা সম্পর্কে কিছু জানে না। তখন তার দিদিমণি তাকে অসুরবধ, দেবীর আবির্ভাব, দেবীর কৃপা প্রভৃতি সম্পর্কে বর্ণনা করেন। এভাবে দিব্যা দেবী ও তার পূজা সম্পর্কে জানতে পারে। দেবী হলেন দেবতাদের শক্তির মিলিত রূপ।

 ক.   শ্রীশ্রীচন্ডী কোন পুরাণের অংশ?      ১

খ.     কেন শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন?      ২

গ.     উদ্দীপকে কোন দেবীর ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।   ৩

ঘ.     উদ্দীপকের সর্বশেষ কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪

৪নং প্রশ্নের উত্তর

ক.    শ্রীশ্রীচন্ডী মার্কন্ডেয় পুরাণের একটি অংশ।

খ.     অপহৃত সীতাকে উদ্ধার করতে রাম শরৎকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন।

       শ্রীরামচন্দ্রের বনবাস চলাকালে রাবণ সীতাকে অপহরণ করে। অপহৃত সীতাকে উদ্ধার করতে রাবণের সাথে যুদ্ধ করার আগে শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন। কালক্রমে এটি শারদীয় দুর্গাপূজা নামে পরিচিত হলো।

গ.     উদ্দীপকে দেবী দুর্গার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।

       আমরা জানি, দুর্গা ঈশ্বরের শক্তিরূপ। এ রূপ শক্তির ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী প্রতীক হিসেবে পরিগণিত। এ দেবী অসুর বধ করে দেবতাদের স্বর্গরাজ্য ফিরিয়ে দেবার জন্য আবির্ভূত হন। অন্যায় ও অত্যাচার দূর করে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তাঁর আবির্ভাব।

       উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, দিব্যা ‘ক’ পূজা উপলক্ষে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছে। সে ছোট বিধায় এ পূজা সম্পর্কে কিছু জানে না। তখন তার দিদিমণি তাকে অসুরবধ, দেবীর আবির্ভাব, দেবীর কৃপা প্রভৃতি সম্পর্কে বর্ণনা করেন। এভাবে দিব্যা দেবী ও তার পূজা সম্পর্কে জানতে পারে। দেবী হলেন সকল দেবতাদের শক্তির মিলিত রূপ। সুতরাং উদ্দীপকে দেবী দুর্গার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।

ঘ.     উদ্দীপকের সর্বশেষ কথাটি হলো দেবী দুর্গা হলেন দেবতাদের শক্তির মিলিত রূপ।

       শ্রীশ্রীচন্ডী বা মহামায়া দেবতাসহ মানবকুলকে নানা বিপদ হতে উদ্ধার করেন। বহুকাল আগে দেবরাজ ইন্দ্র ও দৈত্যরাজ মহিষাসুরের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধ বাধে। এতে ইন্দ্র পরাজিত হয়ে স্বর্গের সিংহাসন হতে বিতাড়িত হন। ব্রহ্মার কাছে দেবতারা তাদের দুঃখের কথা জানালে শিব ও বিষ্ণুর নিকট ব্রহ্মা তা বর্ণনা করেন। এতে ক্রোধে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবসহ অন্যান্য দেবতাদের দেহ হতে ভয়ঙ্কর তেজ বের হলো। সেই তেজ একত্রিত হয়ে এক দিব্য নারীমূর্তির সৃষ্টি হলো। সেই নারীমূর্তিই দেবী দুর্গা।

       উদ্দীপকেও দেখা যায়, দিব্যা একটি পূজা উপলক্ষে মামা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে পূজা দেখে। এ সম্পর্কে সে কিছুই জানে না তাই তার দিদিমণি তাকে বুঝাতে গিয়ে সম্পূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করে এ উক্তি করেন।

       তাই বলা হয়, দেবী দুর্গা হলেন দেবতাদের শক্তির মিলিত রূপ।

জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ মহাভারতের রচয়িতা কে?

উত্তর : মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব মহাভারতের রচয়িতা।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পুরাণের রচয়িতা কে?

উত্তর : মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব পুরাণের রচয়িতা।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ প্রধান পুরাণের সংখ্যা কয়টি?

উত্তর : প্রধান পুরাণের সংখ্যা আঠারোটি।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ পুরাণের মধ্যে কোন কোন দেবতার মাহাত্ম্য বিশেষভাবে প্রকাশিত হয়েছে?

উত্তর : পুরাণের মধ্যে ব্র‏হ্মা, বিষ্ণু ও শিবের মাহাত্ম্য বিশেষভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ কালিকার আরেক নাম কী?

উত্তর : কালিকার আরেক নাম অম্বিকা।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ পুরাণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের নাম লেখ।

উত্তর : পুরাণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য হলো: সর্গ, প্রতিসর্গ, বংশ, মন্বন্তর ও বংশানুচরিত।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ সর্গ মানে কী?

উত্তর : সর্গ মানে সৃষ্টি।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ প্রতিসর্গ মানে কী?

উত্তর : প্রতিসর্গ মানে পুনরায় সৃষ্টি।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ কয়জন মনুর কাল অতিক্রান্ত হয়েছে?

উত্তর : চৌদ্দজন মনুর কাল অতিক্রান্ত হয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ মন্বন্তর কাকে বলে?

উত্তর : এক মনু থেকে আরেক মনুর কালের পূরবই পর্যন্ত সময়কে মন্বন্তর বলে।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ কে শুম্ভকে বধ করেন?

উত্তর : দেবী অম্বিকা শুম্ভকে বধ করেন।

অনুধাবনমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ পুরাণের পাঁচটি বেশিষ্ট্যের ধারণা দাও।

উত্তর : পুরাণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য হলো : সর্গ, প্রতিসর্গ, বংশ, মন্বন্তর ও বংশানুচরিত। সর্গ মানে সৃষ্টি, আবার প্রতিসর্গ মানে পুনরায় সৃষ্টি। দেবতা ও ঋষিদের বর্ণনাই হলো বংশ। এক মনু থেকে আরেক মনুর কালের পূরবই পর্যন্ত সময়কে বলা হয় মন্বন্তর। আর বংশানুচরিত হচ্ছে দেবতা, ঋষি বা বিখ্যাত রাজাদের জীবনচরিত।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পুরাণের মূল বিষয়বস্তু আলোচনা কর।

উত্তর : মানুষকে কল্যাণকর সুন্দর জীবন সম্পর্কে গল্পের মাধ্যমে উপদেশ ও নীতি শিক্ষা প্রদান করা পুরাণের মূল বিষয়বস্তু। গল্প বলার ছলে পুরাণগুলো রচিত। এ গল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্মজীবন ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ পুরাণের গুর“তবই বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পুরাণের গুর“তবই অপরিসীম।

পৌরাণিক ধর্মমতে সত্য, অহিংসা, ক্ষমা, শান্তি ও ত্যাগ মানুষকে শ্রেষ্ঠতম আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। আর এসব গুণকে কেন্দ্র করেই নানা গল্প, উপাখ্যানের মাধ্যমে জীবনকে সুন্দর করার উপদেশাবলি রয়েছে পুরাণ শাস্ত্রে। এসব উপদেশাবলি আমাদের নীতিবোধকে জাগ্রত করে। ধর্মের পথে চলতে সহায়তা করে।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ দুর্গা প্রণাম মন্ত্রের ভাবার্থ লেখ।

উত্তর : দেবী দুর্গার কল্যাণ রূপ স্মরণ করে তাঁর বন্দনাই প্রণাম মন্ত্রণটির ভাবার্থ।

দুর্গা প্রণাম মন্ত্রটি হলো

       সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।

       শরণ্যে এ্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তু তে ॥

অর্থাৎ ‘তুমি সকল প্রকার কল্যাণদায়িনী। তুমি মঙ্গলময়ী। তুমি সর্বপ্রকার অভীষ্টপূরণকারিণী। তুমি জগতের শরণভূতা। তুমি ত্রিনয়না, তুমি গৌরী, তুমি নারয়ণী। হে দেবী, তোমাকে প্রণাম করি।’

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *