নবম-দশম শ্রেনী-২০২৩ বাংলা ১ম পত্র পদ্যঃ সেইদিন এই মাঠ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সেইদিন এই মাঠ
লেখক পরিচিতি :
নাম | জীবনানন্দ দাশ |
জন্ম পরিচয় | জন্ম তারিখ: ১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রম্নয়ারি। জন্মস্থান: বরিশাল। |
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় | পিতার নাম: সত্যানন্দ দাশ। মাতার নাম: কুসুমকুমারী দাশ। |
শিড়্গাজীবন | ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে বরিশাল ব্রজমোহন স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক, ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই.এ, ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে বি.এ. অনার্স এবং ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম.এ পাস করেন। |
কর্মজীবন | অধ্যাপনা । |
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য | প্রধানত আধুনিক জীবনচেতনার কবি হিসেবে পরিচিত। বাংলার প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যে ছিলেন নিমগ্নচিত্ত। |
উলেস্নখযোগ্য রচনা | কাব্যগ্রন্থ : ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা, কালবেলা। উপন্যাস : মাল্যবান, সতীর্থ। |
মৃত্যু | ১৯৫৪ সালের ২২শে অক্টোবর। |
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১ নং. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথাসাহিত্যে প্রকৃতিকে একটি জীবন্ত চরিত্র হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে ‘পথের পাঁচালী’ ও ‘আরণ্যক’ উপন্যাসে প্রকৃতি চিরকালের নবীনরূপে আবির্ভূত হয়েছে। অপু, দুর্গা এবং আরও অনেকে সেই চিরকালের প্রকৃতির সন্তান। এরা যায় আসে-থাকে না। কিন্তু প্রকৃতি চিরকালই নানা রূপে-রসে-গন্ধে-বর্ণে-বিরাজমান থাকে।
ক. কী ছাই হয়ে গেছে? ১
খ. ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকের প্রকৃতি জানার সঙ্গে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিক ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কবিতায় উলিণ্ঢখিত সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক উদ্দীপকের আলোকে বিশেণ্ঢষণ করো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
এশিরীয় ও বেবিলনীয় সভ্যতা ছাই হয়ে গেছে।
১ এর খ নং প্র. উ.
‘পৃথিবীর এই সব গল্প বেঁচে থাকবে চিরকাল’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন প্রকৃতির বহমানতা চিরকাল বেঁচে থাকবে ।
পৃথিবীর প্রবহমানতা চিরন্তন। ব্যক্তিমানুষ একসময় পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু চালতাফুল আগের মতোই ভিজে শিশিরের জলে, লক্ষ্মীপেঁচা গান গায়। খেয়া নৌকার যাতায়াত, পৃথিবীর কলরব সবই চলতে থাকে প্রকৃতির নিয়মে। তাই কবি বলেছেন, ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’। অর্থাৎ পৃথিবীর এই বহমানতা কালক্রমে চলতেই থাকে।
১ এর গ নং প্র. উ.
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সাথে উদ্দীপকে উলিস্নখিত প্রকৃতির প্রবহমানতার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বলা হয়েছে, প্রকৃতির চলমানতা অবিনশ্বর। মানুষ এক সময় পৃথিবী ছাড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু প্রকৃতিতে থাকে চিরকালের ব্যস্ততা। মাঠে ঘাটে চঞ্চলতা, চালতা ফুলে পড়ে শীতের শিশির, লক্ষ্মীপেঁচার ডাক, খেয়া নৌকার ছুটে চলা থেমে যায় না। কোথাও থাকে না ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুর রেশ। সত্য হয়ে ওঠে কেবল পৃথিবীর বহমানতা।
উদ্দীপকের অপু, দুর্গাসহ আরো অনেকে প্রকৃতির লালিত সন্তান। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে এরা প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যায়। কিন্তু প্রকৃতি চিরকালই নানা রূপে-রসে-গন্ধে-বর্ণে বিরাজমান থাকে। সুন্দর নির্মল প্রকৃতি প্রাণবন্ত থাকে। তাই উদ্দীপক ও ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা প্রকৃতির বহমানতার সাদৃশ্য খুঁজে পাই।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
প্রকৃতির সাথে মানুষের অস্থায়ী সম্পর্কের মাধ্যমে সভ্যতার বিবর্তন ঘটেছে। এই ধারণা ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে উদ্দীপকে।
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কবি জীবনানন্দ দাশ তুলে ধরেছেন প্রকৃতির অবিনশ্বরতার কথা। মানুষ প্রকৃতিরই সন্তান। প্রকৃতির সাথে একাত¥ হয়ে সে গড়ে তোলে নতুন সভ্যতা। মানুষ একসময় মারা যায়। তাদের নির্মিত সভ্যতাও ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু প্রকৃতি থাকে অটল, অবিচল।
আলোচ্য উদ্দীপকে প্রকৃতিকে জীবন্ত চরিত্র হিসেবে উলেস্নখ করা হয়েছে। কারণ প্রকৃতির মাঝে একটা গতিময়তা বিদ্যমান। ফুল ফোটে ঝরে আবার ফোটে। অপু, দুর্গাসহ অনেকেই প্রকৃতির সন্তান হিসেবে জন্ম নেয়। আবার তারা চলেও যায়। আরেক প্রজন্ম এসে তাদের স্থান দখল করে। প্রকৃতিতে যেন ভাঙা-গড়ার খেলা চলতে থাকে। মানুষ মরে যায় কিন্তু প্রকৃতি তার স্বরূপে বিরাজমান থাকে। সকল ভাঙা-গড়া, জন্ম-মৃত্যু সবকিছুকেই প্রকৃতি ধারণ করে।
সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাই প্রকৃতির সম্পর্ক বিদ্যমান। সকল পরিবর্তন বিবর্তনের মধ্যেও প্রকৃতি তার সৌন্দর্যকে ধরে রাখে। মানুষের গড়া বিভিন্ন সভ্যতার নিদর্শনও যেন প্রকৃতির উপাদান হয়ে ওঠে। মানুষের জীবন নতুন নতুন সভ্যতার উন্মেষ ঘটায়। সেগুলোও এ সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। তবু প্রকৃতি থাকে নির্বিকার। আলোচ্য কবিতা ও উদ্দীপক আমাদের সে ইঙ্গিতই দেয়
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
২ নং. রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘রাজপথের কথা’ গল্পে বলেছেন, কী প্রখর রৌদ্র। উহু-হু-হু। এক-একবার নিশ্বাস ফেলিতেছি, আর তপ্ত ধুলা সুনীল আকাশ ধূসর করিয়া উড়িয়া যাইতেছে। ধনী দরিদ্র, সুখী দুঃখী, জরা যৌবন, হাসি কান্না, জন্ম মৃত্যু, সমস্তই আমার উপর দিয়া একই নিশ্বাসে ধূলির স্রোতের মতো উড়িয়া চলিয়াছে। আমি কিছুই পড়িয়া থাকিতে দেই না-হাসিও না কান্নাও না। আমিই কেবল পড়িয়া আছি।
ক. চালতাফুল কিসের জলে ভিজবে? ১
খ. এই নদী নক্ষত্রের তলে সেদিনো দেখিবে স্বপ্ন- কেন? ২
গ. উদ্দীপকটিতে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কোন বিশেষ দিকটি ফুটে উঠেছে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণরূপ-বিশেস্নষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. চালতাফুল শিশিরের জলে ভিজবে।
খ. প্রকৃতির রূপ-ঐশ্বর্য চির বহমান বলে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কবি উপরিউক্ত কথাটি বলেছেন।
প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য জীবনানন্দ দাশের কবিতার প্রাণ। কবির চোখে নদী যেন নক্ষত্রখচিত আকাশের নিচে বসে বসে স্বপ্ন দেখে। আর এই স্বপ্ন দেখার কোনো শেষ নেই। কেননা প্রকৃতি তার আপন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে চিরকাল প্রাণময় হয়ে থাকবে।
গ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় উলিস্নখিত প্রকৃতির বহমানতার দিকটি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় জীবনের এক চিরন্তন সত্যকে তুলে ধরেছেন। আবহমানকাল ধরে প্রকৃতিতে চলছে ব্যস্ততা। মাঠে থাকে চঞ্চলতা, নদী-নালাতে চলে নৌকা, শীতের শিশির পড়ে চালতা ফুলে- এভাবে প্রকৃতির সবকিছুই রয়েছে চলমান। পৃথিবীতে মানুষ মরে যায়, নতুন মানুষের আগমন ঘটে। কিন্তু প্রকৃতি থেমে থাকে না। মানুষের মৃত্যুতে প্রকৃতির বহমানতা কখনও থমকে যায় না।
আলোচ্য উদ্দীপকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজপথের জবানিতে পৃথিবীর চলমানতা বা বহমানতাই তুলে ধরেছেন। রাজপথের ওপর দিয়ে ঘটে যাওয়া অজস্র ঘটনা বহমান মানবজীবনের কথাই মনে করিয়ে দেয়। তার ওপর দিয়ে ঘটে যাওয়া সব কিছুই অবলোকন করে। সকল ঘটনার সাড়্গী হিসেবে রাজপথ একই জায়গায় থেকে একই। তাই বলতে পারি, উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় উলিস্নখিত প্রবহমানতার দিক ফুটে উঠেছে।
ঘ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাবে মানবজীবনের নশ্বরতার বিপরীতে প্রকৃতির অবিনশ্বর রূপ ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকেও একই ভাব ফুটে উঠেছে।
প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ গভীরভাবে আস্বাদন করেছেন। নদীর ভাঙা গড়ারমতো সভ্যতা একদিকে ক্ষয়িষ্ণু হলে অন্যদিকে চলে তার বিনির্মাণ। মানুষ একসময় মরে যায় কিন্তু প্রকৃতিতে চলে চিরকালের প্রবহমানতা। মানুষের মৃত্যুর ফলে কোনো কিছুই থেমে থাকে না। ফসলের খেত, নদীনালা, গাছপালা, ফুল, পাখি সবকিছুতেই থাকে জীবনের স্পন্দন। মৃত্যুর রেশ থাকে না কোথাও।
জীবনের গতিময়তা ও প্রবহমানতা উদ্দীপকেও যথার্থভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। জীবনের হাসি-কান্না, সুখ-দুখ, জরা-যৌবন, জন্ম-মৃত্যু সবকিছুই রাজপথের ওপর দিয়ে সংঘটিত হচ্ছে। সবকিছুরই শুরু ও শেষ রয়েছে। কিন্তু রাজপথটি একই জায়গায় স্থির পড়ে আছে। উদ্দীপকের রাজপথ জীবনের গতিময়তা তার জবানিতে তুলে ধরেছে। ‘সেই এই মাঠ’ কবিতার বর্ণনার মতোই মানব জীবন একসময় থমকে যায়। কিন্তু রাজপথ অর্থাৎ, প্রকৃতি থাকে চলমান।
উদ্দীপক ও ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার বিশেস্নষণে আমরা জীবনের এক গভীর অনুধাবন করি। আর তা হলো মানবজীবন ক্ষণস্থায়ী হলেও প্রকৃতি চিরকালীন। প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ অফুরন্ত। তা চিরকালই মানুষের মনকে মুগ্ধ করে যাবে। উদ্দীপক ও কবিতার রচিয়তাগণ প্রকৃতির চিরভাস্বর সৌন্দর্যের সেই বোধকেই নিজনিজ রচনার উপজীব্য করেছেন। কাজেই এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, আলোচ্য উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার পূর্ণ প্রতিরূপ।
৩ নং. বাতাসের মাঝে বাস করে আমরা যেমন ভুলে যাই বাতাসের কথা। প্রকৃতির মাঝে বাস করেও আমরা ভুলে যাই প্রকৃতির কথা। অথচ সুজলা, সুফলা, শস্যশ্যামলা প্রকৃতি অকৃপণভাবে তার সৌন্দর্য বিতরণ করছে। নয়নাভিরাম গাছপালা, ফুল-ফল, পাখির কলরব, বয়ে চলা নদী, ঢেউ খেলানো ফসলের মাঠ জীবনে এনে দেয় প্রাণের ছোঁয়া। প্রকৃতির নিয়মেই প্রতিটি ঋতু আপন বৈশিষ্ট্যে রূপে, রসে, গন্ধে অনন্য হয়ে ওঠে।
ক. লক্ষ্মীপেঁচকের কণ্ঠে কী ধ্বনিত হয়? ১
খ. কবি চলে গেলেও চালতাফুল শিশিরের জলে ভিজবে কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র- ব্যাখ্যা করো। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. লক্ষ্মীপেঁচকের কণ্ঠে মঙ্গলবার্তা ধ্বনিত হয়।
খ. পৃথিবীতে মানুষের অবস্থানকাল ক্ষণস্থায়ী হলেও প্রকৃতি চিরবহমান বলেই কবি না থাকলেও চালতাফুল শিশিরের জলে ভিজবে।
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গের মাধ্যমে কবি জীবনানন্দ দাশের সৌন্দর্য চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। মরণশীল বলে কবিকে একদিন এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। ফলে শিশিরে ভেজা চালতাফুলে সৃষ্টি হওয়া সৌন্দর্য অবলোকন করার সুযোগ তাঁর আর ঘটবে না। কিন্তু চালতাফুল একইভাবে ফুটবে। আগের মতোই ভোরের শিশিরে গা ভেজাবে। আর তা জীবিত কোনো মানুষের সৌন্দর্যবোধকে ঠিকই পরিতৃপ্ত করবে।
গ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় উলিস্নখিত প্রকৃতির শাশ্বতরূপটি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার প্রকৃতির অফুরন্ত ঐশ্বর্য নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। প্রকৃতির কোনো কিছুই যেন তাঁর দৃষ্টি এড়ায়নি। শিশিরের জলে চালতাফুল ভিজে কি রহস্যময় সৌন্দর্য সৃষ্টি করে, খেয়া নৌকা, লক্ষ্মীপেঁচার গান প্রকৃতিতে যে ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করে তা লক্ষ করেছেন গভীরভাবে। প্রকৃতি তার আপন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে এভাবেই চিরকাল ভাস্বর হয়ে আছে।
উদ্দীপকেও ফুটে উঠেছে প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্য। প্রকৃতির দিকে তাকালে চোখ জুড়িয়ে যায়। ঢেউ খেলানো ফসলের মাঠ,, গাছপালা, ফল, ফুল, পালতোলা নৌকা, পাখির কলরব এগুলো সবার মন জুড়িয়ে দেয়। এই প্রকৃতি আমাদের জীবনকে করেছে বৈচিত্র্যময়। ঋতুবৈচিত্র্য আমাদের জীবনে এনে দেয় প্রাণচাঞ্চল্য। তাই উদ্দীপক ও ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতা পর্যালোচনা করে বলা যায়, উভয় ড়্গেেত্রই প্রকৃতির, আবহমান রূপটি ফুটে উঠেছে।
ঘ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় প্রকৃতির অবিনশ্বর রূপ তুলে ধরার পাশাপাশি কবি মানবজীবনের এক চরম সত্য-মৃত্যুর কথাও বলেছেন। কিন্তু উদ্দীপকের দ্বিতীয় দিকটি অনুপস্থিত।
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতা কবি জীবনানন্দ দাশের এক অনবদ্য সৃষ্টি। প্রকৃতিকে কবি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছেন। প্রকৃতি তার রূপ সৌন্দর্য নিয়ে বেঁচে থাকে। কবি এও ভেবেছেন যে তিনি চলে গেলে কী হবে? তিনি জানেন তিনি বিদায় নিলেও চালতাফুলের ওপর শিশির জল ঠিকই সৌন্দর্য ছড়াবে। পাখি গাইবে। নদীতে নৌকা ছুটে চলবে, পাখি তার গন্তব্যে ফিরে যাবে।
উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে কেবল প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্য। প্রকৃতি কীভাবে আমাদের মাঝে তার সৌন্দর্য বিলায় তার চিত্র। গাছপালা, ফুল-ফল, নদী, পাখি, সবকিছুর সৌন্দর্য আমরা মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখি। সত্যিই প্রকৃতির মাঝে বাস করে আমরা প্রকৃতিকে যেন ভুলেও যাই।
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কবি বলেছেন মানুষের মৃত্যু পৃথিবীর বহমানতাকে স্তব্ধ করতে পারে না। প্রকৃতি তার আপন গতিতেই চলমান থাকবে। অর্থাৎ ব্যক্তিমানুষের মৃত্যু থাকলেও প্রকৃতির সৌন্দর্য মৃত্যুহীন। এই দার্শনিক সত্যের উলেস্নখ উদ্দীপকে নেই। উদ্দীপকে বলা হয়েছে, কেবল প্রকৃতির সৌন্দর্যের কথা। আলোচ্য কবিতায় কবি কবিতায় যে নিসর্গের রূপ তুলে ধরেছেন সেটিকেই শুধু উদ্দীপকটি মনে করিয়ে দেয়। তাই উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র।
৪ নং. আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়
ক. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কী ছাই হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে? ১
খ. ব্যক্তিমানুষের মৃত্যু ঘটলেও সব শেষ হয়ে যায় না কেন? ২
গ. ‘সেই দিন এই মাঠ’ কবিতার কোন দিকটি উদ্দীপক কবিতাংশে লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করেছে কি? বিশেস্নষণী মতামত দাও। ৪
৪ নং প্র. উ.
ক. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বেবিলন ছাই হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
খ. মানুষের মৃত্যু ঘটলেও পৃথিবীর বহমানতা বজায় থাকে বলে ব্যক্তি মানুষের মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে যায় না।
মানুষ মরণশীল বলে একসময় তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। কিন্তু প্রকৃতিতে থাকে চিরকালীন ব্যস্ততা। নদীর স্রোতধারা বহমান থাকে, মাঠে থাকে চঞ্চলতা, চালতাফুলে জমে শীতের শিশির। ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুর রেশ কোথাও লেগে থাকে না। সবকিছু আপন গতিতেই চলে। মানুষের মৃত্যু আছে কিšত্মু জগতের সৌন্দর্যের মৃত্যু নেই, মানুষের স্বপ্নেরও মরণ নেই। এ কারণেই ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে যায় না।
গ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় উলিস্নখিত প্রকৃতির চলমানতার দিকটি উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শে লালিত মানুষকে একদিন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যেতে হয়। কিন্তু পৃথিবী চির প্রবহমান। মাঠে ঘাটে থাকে চিরকালীন ব্যস্ততা। চালতা ফুলে আগের মতোই পড়ে শীতের শিশির। লক্ষ্মীঁেপচার কণ্ঠে ধ্বনিত হয় মঙ্গলবার্তা। নদ-নদীতে চলে খেয়া নৌকা। মৃত্যুর রেশ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই মানুষের মৃত্যু আছে কিন্তু প্রকৃতির সৌন্দর্যের কোনো মৃত্যু নেই। জীবনানন্দ দাশ সেইদিন এই মাঠ কবিতায় এই বাস্তবতাকেই তুলে ধরেছেন। উদ্দীপক কবিতাংশে আমরা লক্ষ করি কবি মৃত্যুর পরও এই বাংলায় ফিরতে চান। বাংলার প্রকৃতির সাথে একাত¥ হতে চান। তিনি পৃথিবীতে না থাকলেও বাংলার প্রকৃতির ঐশ্বর্য অটুট থাকবে। কবি এ কথা জানেন বলেই প্রকৃতির মাঝে আশ্রয় খুঁজছেন। ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় ও প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাস একইভাবে এই চলমান পৃথিবীর চিত্র তাঁর কবিতায় অঙ্কন করেছেন।
ঘ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় মূলত প্রকাশিত হয়েছে প্রকৃতির প্রবহমানতার দিক আর উদ্দীপকের মূলভাব হলো স্বদেশপ্রেম। তাই উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করে না।
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কবি বলেছেন, তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও এই নদী মাঠ স্তব্ধ হবে না বা থেমে যাবে না। আগের মতোই চালতাফুল ভিজবে শিশিরের জলে, লক্ষ্মীপেঁচা গান গাবে। পৃথিবীতে চলবে তার কলরব। নদ-নদীতে চলবে খেয়ানৌকা। এরই মাঝে বেঁচে থাকবে পৃথিবীর গল্প। এশিরীয়া আর বেবিলনীয় সভ্যতা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে সেখানে নতুন সভ্যতার যাত্রা শুরু হয়েছে। ব্যক্তিমানবের মৃত্যুতে প্রবহমানতার দিক থেকে কোনো শূন্যতা সৃষ্টি হয়নি।
উদ্দীপকে, কবি তাঁরা মাটির মমতায় জড়িয়ে আছেন। বাংলার রূপে মুগ্ধ কবি চান না এই সৌন্দর্যের লীলাভূমি ছেড়ে চলে যেতে। যদি ছেড়ে যানও তবে শঙ্খচিল শালিকের রূপ ধরে আবার তিনি ফিরে আসবেন বলে আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। কবি কার্তিকের নবান্নের দেশে ভোরের কাক হয়ে আসতে চান। কবি এই বাংলাকে, বাংলার প্রকৃতিকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসেন। তাই বারবার এই মাটিতেই ফিরে আসতে চান। উদ্দীপকে কবির এই দেশপ্রেমের মনোভাব ফুটে উঠেছে।
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাব হচ্ছে পৃথিবীর প্রবহমানতা কিংবা চলমানতা, যা কবিতার প্রতিটি চরণে প্রকাশিত। জন্ম-মৃত্যু চিরন্তন। মানুষ একসময় মারা যায়। কারো জীবন থেমে গেলেও পৃথিবীর মধ্যকার প্রাণচাঞ্চল্য টিকে থাকে। প্রকৃতি তার রূপ বদলালেও তার মাঝে জীবনের আনন্দ সবসময় প্রত্যক্ষ করা যায়। অন্যদিকে উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে মূলত কবির দেশপ্রেম। তার চিরপরিচিত পরিবেশে তিনি মৃত্যুর পরও ফিরে আসতে চান। ফিরে এসে এই বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য ভোগ করতে চান। তাই ভাববস্তুর বিচারে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাব উদ্দীপক ধারণ করে না।
৫ নং. শিলাইদহে পদ্মার উচ্ছল কলেস্নাল শুনে মনটা উদ্যমী হয়ে গেল। এই সেই পদ্মা যার মোহন রূপে তৈরি হয়েছিল সৃষ্টির মায়াজাল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যের অধিকাংশ কবিতা রচনা করেছিলেন পদ্মার বুকে। পদ্মার অপূর্ব সান্নিধ্য, তার বিস্তৃত কলেস্নাল কবিমনকে জাগিয়ে তুলেছিল। আর প্রকৃতির এইঅপূর্ব সান্নিধ্যেই কবি সৃষ্টি করেছেন তার অপূর্ব কবিতাবলি।
ক. লক্ষ্মীপেঁচা কার জন্য গান গাইবে? ১
খ. ‘আমি চলে যাব বলে’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকে বর্ণিত পদ্মার অপূর্ব সৌন্দর্য কবিকে দিয়েছেন। কাব্য রচনার অনুপ্রেরণা।’ উক্তিটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪
৫ নং প্র. উ.
ক. লক্ষ্মীপেঁচা তার লক্ষ্মীটির জন্য গান গাইবে।
খ. ‘আমি চলে যাব বলে’ বলতে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে।
পৃথিবীতে কেউই চিরস্থায়ী নয়। প্রত্যেক মানুষকেই একসময় পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। তবে কবি জানেন যে তিনি একা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও প্রকৃতির বহমানতা শেষ হবে না। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর সবকিছুই চলমান থাকবে। বিষয়টি বোঝাতে কবি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
গ. উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় উলিস্নখিত প্রকৃতির বহমানতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় জীবনানন্দদাশ জীবনের এক নিগূঢ় সত্য উন্মোচন করেছেন। কবি গভীরভাবে ভেবেছেন তিনি এ পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যাবেন। কিন্তু তাতে প্রকৃতির চলমানতা থামবে না। তাই তিনি প্রশ্ন করেছেন, তিনি চলে গেলে চালতাফুল কি আর আগের মতো বৃষ্টির জলে ভিজবে না? লক্ষ্মীপেঁচা কি গান গাইবে না? তিনি জানেন সবকিছুই চলমান থাকবে। অর্থাৎ ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুতে পৃথিবীর কোনো কিছু থেমে যায় না।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, পদ্মার রূপসৌন্দর্য আর প্রবহমানতায় রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হয়েছিলেন। নদীর কলেস্নাল ধ্বনি কবির মনকে জাগিয়ে তুলেছিল। কবি এখন আর বর্তমানে নেই। তাই বলে পদ্মার বহমানতা থেমে যায়নি। পদ্মা এখনও তার বুকে অসীম জলরাশি নিয়ে বয়ে চলেছে। উদ্দীপকের পদ্মা নদীর কলেস্নাল ধ্বনিতে বহমানতা ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার উলিস্নখিত প্রকৃতির বহমানতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কবি জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির সৌন্দর্য ও রূপে মুগ্ধ হয়ে সাহিত্য রচনা করেছেন। একইভাবে পদ্মা নদীর অপূর্ব সৌন্দর্য রবীন্দ্রনাথকে দিয়েছিল কাব্য রচনার অনুপ্রেরণা।
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন প্রকৃতির কবি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটাকে তিনি মন ভরে উপভোগ করেছিলেন। ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় আমরা লক্ষ করি, তিনি শিশিরের জলে চালতাফুলের ভেজা দেখেছেন। লক্ষ্মীপেঁচার গান শুনেছেন, চরের অদূরে খেয়া নৌকা। সবই তার দৃষ্টিনন্দন মনে হয়েছে। প্রকৃতির এই নিবিড়তার মাঝে ডুব দিয়ে কবি সংগ্রহ করেছেন তাঁর কবিতার নির্যাস।
উদ্দীপকের বর্ণনায় আমরা দেখি, শিলাইদহের উচ্ছল পদ্মা কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। পদ্মার কলেস্নাল ধ্বনিতে তিনি যেন নতুন করে গেয়ে উঠেছিলেন। প্রকৃতির এই মোহনীয় রূপ কবিকে কাব্য রচনায় অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। সে অনুপ্রেরণাতেই তিনি গীতাঞ্জলির অধিকাংশ কবিতা লিখেছিলেন এই পদ্মার পাড়েই। প্রকৃতির অপূর্ব সান্নিধ্যই কবির মনে ব্যাপক রসবোধ সৃষ্টি করেছিল। কাব্য রচনার জন্য কবি তাই বারবার প্রকৃতির মাঝে ছুটে এসেছেন।
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় জীবনানন্দ দাশকে দেখি আকণ্ঠ নিয়োজিত হয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্যের অবগাহন করতে। শিশিরের জলে চালতাফুেেলর সৌন্দর্য কীভাবে মোহনীয় হয়ে ওঠে তা এই কবির পক্ষইে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব। অন্যদিকে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য আর বিশালতা রবীন্দ্রনাথকে আচ্ছন্ন করেছিলে একই সৌন্দর্য চেতনায়। তাই তিনি পদ্মা নদীর সাথে এক ধরনের সখ্য গড়ে তুলেছিলেন। পদ্মা তাঁর কাব্য সাধনায় প্রধান উপজীব্য হয়ে উঠেছিল। প্রকৃতি উভয় কবির মনেই সৌন্দর্যপিপাসা নিবারণ করেছে। সেই তৃপ্তি তাঁরা প্রকাশ করেছেন সাহিত্য রচনার মধ্য দিয়ে।
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. জীবনানন্দ দাশ প্রধানত কোন জীবনচেতনার কবি হিসেবে পরিচিত?
উত্তর : জীবনানন্দ দাশ প্রধানত আধুনিক জীবনচেতনার কবি হিসেবে পরিচিত।
২. জীবনানন্দ দাশ কী দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : জীবনানন্দ দাশ ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
৩. জীবনানন্দ দাশ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
৪. সেই দিন কী স্তব্ধ হবে না বলে কবি জানেন?
উত্তর : সেই দিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে না বলে কবি জানেন।
৫. নদী কিসের তলে স্বপ্ন দেখবে?
উত্তর : নদী নক্ষত্রের তলে স্বপ্ন দেখবে।
৬. লক্ষ্মীপেঁচা কার তরে গান গাইবে?
উত্তর : লক্ষ্মীপেঁচা তার লক্ষ্মীটির তরে গান গাইবে।
৭. খেয়া নৌকাগুলো কোথায় এসে লেগেছে?
উত্তর : খেয়া নৌকাগুলো চরের খুব কাছে এসে লেগেছে।
৮. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কী ধুলো হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় এশিরিয়া ধুলো হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
৯. জীবনানন্দ দাশের কবিতার মৌলিক প্রেরণা কী?
উত্তর : জীবনানন্দ দাশের কবিতার মৌলিক প্রেরণা প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য।
১০. কবি না থাকলেও প্রকৃতি তার কী নিয়ে মানুষের স্বপ্ন-সাধ-কল্পনাকে তৃপ্ত করে যাবে?
উত্তর : কবি না থাকলেও প্রকৃতি তার অফুরন্ত ঐশ্বর্য নিয়ে মানুষের স্বপ্ন-সাধ-কল্পনাকে তৃপ্ত করে
বে।
১১. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কোন ফুলের কথা উলেস্নখ করা হয়েছে?
উত্তর : ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় চালতা ফুলের কথা উলেস্নখ করা হয়েছে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. সেইদিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো জানি- চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : বিচিত্র বিবর্তনের মাঝেও প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ হারিয়ে যাবে না-এ ভাবটিই প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।
জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির কবি। প্রকৃতির সাথে তাঁর রয়েছে নিবিড় সখ্য। তিনি জানেন প্রকৃতির ঐশ্বর্যের বিনাশ নেই। তিনি হয়তো এ পৃথিবী থেকে একদিন বিদায় নেবেন। কিন্তু প্রকৃতির অনুষঙ্গগুলো একইভাবে পৃথিবীর শোভা হিসেবে রয়ে যাবে। প্রকৃতির এই অবিনাশী সত্তার অনুভূতিই প্রকাশ পেয়েছে উপরিউক্ত চরণটিতে।
২. ‘সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে’-চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : মানুষের দেহের মৃত্যু ঘটলেও কল্পনা ও স্বপ্নের মৃত্যু ঘটে না- এই অনুভূতিই প্রকাশিত হয়েছে চরণটিতে।
মানুষ মরণশীল। তাই ব্যক্তিমানুষকে একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়। কিন্তু পৃথিবীতে থেকে যায় তার স্বপ্ন-সাধ-কল্পনা। সেগুলোর ধারাবাহিকতা জীবিতদের মাধ্যমে যুগ-যুগান্তরে বয়ে চলে। প্রকৃতি তার অবিনাশী ঐশ্বর্যের দ্বারা মানুষের সেই স্বপ্ন-সাধ-কল্পনাকে তৃপ্ত করে। আলোচন্য চরণে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে।
৩. এশিরিয়া ধুলো আজ বেবিলন ছাই হয়ে আছে- কবি এ কথা বলেছেন কেন?
উত্তর : প্রকৃতি ও মানব নির্মিত সভ্যতার স্থায়ীত্বের মাঝে পার্থক্য বোঝাতে কবি জীবনানন্দ দাশ আলোচ্য কথাটি বলেছেন।
এশিরিয়া ও বেবিলন মানুষের গড়া দুটি সভ্যতা। কালের বিবর্তনে এগুলো আজ ধ্বংস¯ত্মূপে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতির ঐশ্বর্য অফুরন্ত। যুগ-যুগান্তর ধরে এর প্রাণ চঞ্চলতা বহমান আছে এবং অনন্তকাল এমনই থাকবে। আলোচ্য চরণে এ বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছেন কবি।
৪. লক্ষ্মীপেঁচা গান গাবে নাকি তার লক্ষ্মীটির তরে?- চরণটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : প্রকৃতিতে মায়া-মমতা, স্নেহ ভালোবাসার ধারা অনন্তকাল ধরে বহমান থাকবে- আলোচ্য চরণে এই বিষয়টিই প্রকাশিত হয়েছে।
‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বলা হয়েছে, মানুষের মৃত্যু ঘটলেও প্রকৃতির চিরবহমানতায় কোনো ছন্দপতন হয় না। এড়্গেেত্র জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির নানা চিত্রের বর্ণনা দিয়েছেন। লক্ষ্মীপেঁচার মমত্বের অনুভাবনাও তিনি তুলে ধরেছেন অসাধারণ এক তাৎপর্যে। লক্ষ্মীপেঁচা এখানে প্রকৃতিরই এক প্রতিনিধি। ব্যক্তিমানুষের অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে চিরকাল ধ্বনিত হবে মঙ্গলবার্তা।
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কবি কে? গ
ক. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত খ. গ সীমউদ্দীন
গ. জীবনানন্দ দাশ ঘ. ফররুখ আহমদ
২. জীবনানন্দ দাশের জন্ম কত সালে? ঘ
ক. ১৮৮০ সালে খ. ১৮৮৯ সালে
গ. ১৮৯০ সালে ঘ. ১৮৯৯ সালে
৩. জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান কোনটি? গ
ক. কলকাতা খ. খুলনা
গ. বরিশাল ঘ. মালদহ
৪. জীবনানন্দ দাশের বাবার নাম কী? খ
ক. আনন্দ দাশ খ. সত্যানন্দ দাশ
গ. বিবেকানন্দ দাশ ঘ. জ্ঞানানন্দ দাশ
৫. জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কী? খ
ক. কামিনী দাশ খ. কুসুমকুমারী দাশ
গ. বঙ্কাবতী দাশ ঘ. কিরণমালা দাশ
৬. জীবনানন্দ দাশের মা কোনটি ছিলেন? গ
ক. অভিনেত্রী খ. ঔপন্যাসিকা
গ. স্বভাব কবি ঘ. সংগীতশিল্পী
৭. জীবনানন্দ দাশ নিচের কোন স্কুলে শিড়্গালাভ করেন? খ
ক. গোদানাইল হাইস্কুল খ. ব্রজমোহন স্কুল
গ. দরিরামপুর হাইস্কুল ঘ. ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল
৮. জীবনানন্দ দাশ কোন কলেজ থেকে শিড়্গালাভ করেন? ক
ক. ব্রজমোহন কলেজ খ. গ গন্নাথ কলেজ
গ. হিন্দু কলেজ ঘ. রিপন কলেজ
৯. জীবনানন্দ দাশ কলকাতার কোন কলেজে পড়াশোনা করেন? গ
ক. রিপন কলেজ
খ. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
গ. প্রেসিডেন্সি কলেজ
ঘ. হিন্দু কলেজ
১০. জীবনানন্দ দাশ কত সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন? ঘ
ক. ১৯১৮ সালে খ. ১৯১৯ সালে
গ. ১৯২০ সালে ঘ. ১৯২১ সালে
১১. জীবনানন্দ দাশ কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন? গ
ক. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ. ক ট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
গ. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ. রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
১২. জীবনানন্দ দাশ কোন বিষয়ে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন? খ
ক. বাংলা খ. ইংরেজি
গ. দর্শন ঘ. ভাষাতত্ত্ব
১৩. এম.এ ডিগ্রি লাভের পর জীবনানন্দ দাশ কোন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন? খ
ক. সাংবাদিকতা খ. অধ্যাপনা
গ. সরকারি চাকরি ঘ. আইন
১৪. জীবনানন্দ দাশ প্রধানত কী হিসেবে পরিচিত? গ
ক. প্রাচীন মতাদর্শের কবি খ. পাশ্চাত্য ভাবধারার কবি
গ. আধুনিক জীবনচেতনার কবি
ঘ. ধর্মীয় ভাবাদর্শের কবি
১৫. কবি জীবনানন্দ দাশ কিসে নিমগ্নচিত্ত ছিলেন? খ
ক. বাংলার মানুষের জীবনযাত্রা প্রত্যক্ষকরণে
খ. বাংলার প্রকৃতির রূপ প্রত্যক্ষকরণে
গ. নাটক রচনায় ঘ. মহাকাব্য রচনায়
১৬. কবি জীবনানন্দ দাশের দৃষ্টিতে কোনটি অনন্য রূপসী? ঘ
ক. সমস্ত পৃথিবী খ. কলকাতার প্রকৃতি
গ. দিগন্তবি¯ত্মৃত মাঠ ঘ. বাংলার প্রকৃতি
১৭. কোনটি জীবনানন্দ দাশ রচিত উলেস্নখযোগ্য গ্রন্থ? গ
ক. শীত বিকেল খ. পাখির বাসা
গ. মহাপৃথিবী
ঘ. বাংলার মাটি বাংলার জল
১৮. কোনটি জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ? ক
ক. সাতটি তারার তিমির খ. আনন্দের মৃত্যু
গ. পঞ্চাশ সহস্রবর্ষ ঘ. ধূলি ও সাগর দৃশ্য
১৯. জীবনানন্দ দাশ কী দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন? গ
ক. বিমান দুর্ঘটনা খ. নৌ দুর্ঘটনা
গ. ট্রাম দুর্ঘটনা ঘ. বাস দুর্ঘটনা
২০. জীবনানন্দ দাশ কত সালে ট্রাম দুর্ঘটনায় পতিত হন? ঘ
ক. ১৯২১ সালে খ. ১৯৩৪ সালে
গ. ১৯৫০ সালে ঘ. ১৯৫৪ সালে
২১. জীবনানন্দ দাশ কোন তারিখে মৃত্যুবরণ করেন? গ
ক. ১৪ই অক্টোবর ১৯৫৪ খ. ১৪ই আগস্ট ১৯৫৪
গ. ২২ শে অক্টোবর ১৯৫৪ ঘ. ২২শে আগস্ট ১৯৫৪
২২. কোনটি স্তব্ধ হবে না বলে কবির জানা আছে? ক
ক. এই মাঠ খ. এই স্বপ্ন
গ. এই গান ঘ. এই সাধ
২৩. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় নক্ষত্রের তলে কোনটির স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে? খ
ক. সমুদ্রের খ. নদীর
গ. মাঠের ঘ. পাহাড়ের
২৪. জীবনানন্দ দাশের মতে কখনোই কোনটি ঝরে পড়ে না? গ
ক. চালতাফুল খ. ভিজে গন্ধ
গ. সোনার স্বপ্নের সাধ ঘ. নক্ষত্রের বাতি
২৫. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় শিশিরের জলে কোনটি ভেজার কথা উলেস্নখ রয়েছে? গ
ক. কদমফুল খ. বকুলফুল
গ. ক লতা ফুল ঘ. ঝিঙেফুল
২৬. লক্ষ্মীপেঁচা কার তরে গান করবে? খ
ক. মানুষের তরে খ. সঙ্গীনির তরে
গ. বঙ্গজ জনের তরে ঘ. পলিস্নজননীর তরে
২৭. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কেমন বাতির কথা বলা হয়েছে? ক
ক. শান্ত বাতি খ. অত্যুজ্জ্বল বাতি
গ. নিষ্প্রভ বাতি ঘ. অসহ্য বাতি
২৮. খেয়ানৌকাগুলো কোথায় এসে লেগেছে? খ
ক. ঘাটের কাছে খ. ক রের কাছে
গ. নদীর মোহনায় ঘ. সমুদ্রসৈকতে
২৯. ‘সেইদিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো জানি’- এখানে কোন ভাবটি প্রকাশিত হয়েছে? ক
ক. প্রকৃতির স্থায়িত্ব খ. প্রাণের অমরত্ব
গ. প্রকৃতির নশ্বরতা ঘ. প্রাণের ক্ষণস্থায়িত্ব
৩০. ‘বেবিলন ছাই হয়ে আছে’- কথাটির মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে? ক
ক. মানুষের গড়া সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে
খ. প্রকৃতির কাছে মানুষ অসহায়
গ. মানুষ চাইলে সবই সম্ভব
ঘ. প্রকৃতি ক্ষণস্থায়ী হলেও জীবন অনন্ত
৩১. সেই দিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো- কেন? খ
ক. মানুষ বাঁচিয়ে রাখবে বলে
খ. প্রকৃতির ঐশ্বর্য টিকে থাকবে বলে
গ. মানুষের গড়া বলে
ঘ. পরিবেশ দূষণ বন্ধ হবে বলে
৩২. ‘পৃথিবীতে কেউই চিরস্থায়ী নয়’- এ ভাবটি কোন চরণে নিহিত আছে? গ
ক. সেদিনো দেখিবে স্বপ্ন খ. এশিরিয়া ধুলো আজ
গ. আমি চলে যাব বলে ঘ. চারিদিকে শান্ত বাতি
৩৩. কোনটির ধারাবাহিকতা অনন্তকালব্যাপী বি¯ত্মৃত নয়? খ
ক. চালতাফুলের শিশিরে ভেজা
খ. বেবিলনের প্রাণস্পন্দন
গ. সোনার স্বপ্নের সাধ
ঘ. সঙ্গিনীর তরে লক্ষ্মীপেঁচার গান
৩৪. জীবনানন্দ দাশকে কোনটি বলা হয়? খ
ক. গণমানুষের কবি খ. প্রকৃতির কবি
গ. সাম্যবাদের কবি ঘ. স্বভাব কবি
৩৫. কোনটি জীবনানন্দ দাশের কাব্য রচনার মৌলিক প্রেরণা? গ
ক. পাশ্চাত্যের জীবনযাপন খ. নাগরিক জীবন
গ. নিসর্গের রহস্যময়তা ঘ. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৩৬. ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে র’বে চিরকাল’- চরণটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে? গ
ক. প্রকৃতির রহস্যময়তা খ. প্রকৃতির স্নিগ্ধতা
গ. প্রকৃতির শাশ্বত রূপ ঘ. প্রকৃতির রুদ্ররূপ
৩৭. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় লক্ষ্মীটির তরে লক্ষ্মীপেঁচার কী করার কথা উলেস্নখ আছে? খ
ক. নাচার কথা খ. গান গাওয়ার কথা
গ. খাবার সংগ্রহের কথা ঘ. জীবন দেওয়ার কথা
৩৮. ‘লক্ষ্মীপেঁচা গান গাবে নাকি তার লক্ষ্মীটির তরে’- পঙ্ক্তিটিতে কিসের প্রকাশ ঘটেছে? খ
ক. প্রাণিজগতের ভাব-ভালোবাসা
খ. প্রকৃতির সৌন্দর্যের বহমানতা
গ. অবোধ প্রাণীদের অনুভূতি
ঘ. তীব্র মর্ত্যপ্রীতি
৩৯. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় পৃথিবীতে কী চিরকাল বেঁচে থাকার কথা বলা হয়েছে? খ
ক. নৃত্য খ. গল্প
গ. সংগীত ঘ. নাটক
৪০. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় ‘এইসব গল্প’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ক
ক. প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ খ. কবির সমস্ত সৃষ্টিকর্ম
গ. লক্ষ্মীপেঁচার কথামালা ঘ. মানবসৃষ্ট সভ্যতাসমূহ
৪১. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কিসের প্রতি কবির অনুরাগ লক্ষ করা যায়? গ
ক. স্বদেশের প্রতি খ. মাতৃভাষার প্রতি
গ. প্রকৃতির প্রতি ঘ. অমরত্ব লাভের প্রতি
৪২. লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে কী ধ্বনিত হয়? খ
ক. অশুভ সংকেত খ. মঙ্গলবার্তা
গ. নতুন দিনের সূচনা ঘ. দিন শেষের সংকেত
৪৩. কোনটির মৃত্যু আছে? খ
ক. মানুষের স্বপ্নের খ. মানুষের দেহের
গ. গ গতের সৌন্দর্যের ঘ. প্রকৃতির ঐশ্বর্যের
৪৪. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বর্ণিত চারিদিকে অনুভূতি গন্ধটি কেমন? খ
ক. শুকনো খ. ভেজা
গ. মিষ্টি ঘ. ঝাঁঝালো
৪৫. চালতাফুল কি আর ভিজিবে না শিশিরের জলে- এখানে কবির প্রশ্ন কী সম্পর্কিত? খ
ক. প্রকৃতির সৌন্দর্য খ. গ গতের বহমানতা
গ. সৃষ্টিকর্মের অমরত্ব ঘ. মানবমনের অনুভূতি
৪৬. এশিরিয়া ও বেবিলন কী? ক
ক. মানবনির্মিত সভ্যতা খ. বৃহৎ পাহাড়
গ. প্রকৃতির অবিনশ্বরতার প্রতীক ঘ. পৃথিবীর দুটি মেরু
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৪৭. জীবনানন্দ দাশের কাব্যে লক্ষণীয়-
র. আধুনিক জীবনচেতনার বহিঃপ্রকাশ
রর. প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্যের প্রতি অনুরাগ
ররর. মধ্যবিত্ত নাগরিকের কথকতা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৪৮. কবি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও-
র. চালতাফুল শিশিরে ভিজবে
রর. বাগানে ফুল ফুটবে ররর. বেবিলন টিকে থাকবে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৪৯. এশিরিয়া ও বেবিলনের মধ্যে মিল-
র. দুটোই আজও টিকে আছে
রর. দুটোই মানবনির্মিত সভ্যতা ররর. দুটোই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৫০. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে-
র. কবির সৌন্দর্য চেতনা
রর. কবির অমরত্ব লাভের বাসনা
ররর. প্রকৃতির শাশ্বতরূপের উপস্থাপন
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৫১. মানব-হৃদয়ের স্বপ্ন-সাধ-কল্পনা-
র. চির বহমান
রর. প্রকৃতির ঐশ্বর্যে তৃপ্ত হয় ররর. চিরস্থায়ী নয়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৫২. চালতাফুল কি আর ভিজিবে না শিশিরের জলে- পঙ্ক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে-
র. প্রকৃতির শাশ্বত রূপ রর. প্রকৃতিমুগ্ধতা
ররর. কবিমনের আক্ষপে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৫৩. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় প্রকৃতির ঐশ্বর্যের মাহাত¥্যকে কবি উলেস্নখ করেছেন-
র. দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে রর. গভীর তৃপ্তি নিয়ে
ররর. অত্যন্ত মমত্বের সাথে
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫৪ ও ৫৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
পাহাড়টাকে হাত বুলিয়ে লালদিঘির ঐ পাড়
এগিয়ে দেখি জোনাকিদের বসেছে দরবার।
৫৪. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কোন বিষয়টি উদ্দীপকে প্রতিফলিত? ক
ক. প্রকৃতিমুগ্ধতা খ. বেঁচে থাকার আনন্দ
গ. গ গতের বহমানতা ঘ. সভ্যতার বিনির্মাণ
৫৫. উক্ত অনুভূতি কবিতার যে চরণে প্রতিফলিত-
র. আমি চলে যাব বলে
রর. চালতাফুল কি ভিজিবে না শিশিরের জলে
ররর. খেয়ানৌকাগুলো এসে লেগেছে চরের খুব কাছে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫৬, ৫৭ ও ৫৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
আবার উঠিবে সুরুজ, পাখিরা উঠবে মেতে গানে কেবল
বিদায়ের শেষ রাগিনীখানি বাজবে আমার প্রাণে।
৫৬. উদ্দীপক কবিতাংশটি কোন কবিতার ভাবকে সমর্থন করে? খ
ক. আমার সন্তান খ. সেইদিন এই মাঠ
গ. কপোতাক্ষ নদ ঘ. আমি কোনো আগন্তুক নই
৫৭. উক্ত মিল-
র. মানবজীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব তুলে ধরায়
রর. প্রকৃতির চলমানতা তুলে ধরায়
ররর. গভীর অভিমান তুলে ধরায়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৫৮. কবিতার যে চরণে উক্ত ভাব প্রকাশিত-
র. এই নদী নক্ষত্রের তলে সেদিনো দেখিবে স্বপ্ন
রর. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে
ররর. পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর