ssc bangla 1st paper

৯ম-১০ম শ্রেণী বাংলা ১ম পত্র পদ্যঃ বৃষ্টি

বৃষ্টি

কবি পরিচিতি

নাম র্ফরুখ আহমদ

জন্ম পরিচয়     জন্ম তারিখ     :    ১৯১৮ সালের ১০ই জুন।

জন্মস্থান   :    মাগুরা জেলার মাঝআই গ্রামে।

শিক্ষাজীবন উচ্চমাধ্যমিক-কলকাতা রিপন কলেজ, উচ্চতর শিক্ষা- দর্শনে অনার্স, স্কটিশ চার্চ কলেজ।

কর্মজীবন  ঢাকা বেতারের স্টাফ রাইটার পদে নিয়োজিত ছিলেন (১৯৪৭-১৯৭২)। মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায় সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করেছেন।

উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : সাত সাগরের মাঝি, সিরাজাম্-মুনীরা, নৌফেল ও হাতেম, মুহূর্তের কবিতা, হাতেমতায়ী।

শিশুতোষ গ্রন্থ : পাখির বাসা, নতুন লেখা, হরফের ছড়া, ছড়ার আসর।

বিশেষ অবদান  ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করলেও পরবর্তীকালে ধর্মীয় আদর্শ ও ঐতিহ্যের অনুপ্রেরণায় সাহিত্য রচনায় ব্রতী হন।

পুরস্কার ও সম্মাননা    বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, একুশে পদকসহ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন।

মৃত্যু ১৯৭৪ সালে ১৯শে অক্টোবর।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

১. কেউবা রঙিন কাঁথায় মেলিয়া বুকের স্বপনখানি,

তারে ভাষা দেয় দীঘল সূতার মায়াবী আখর টানি।

আজিকে বাহিরে শুধু μন্দন ছলছল জলধারে

বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।

ক.   ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কোন কোন নদীর কথা উলে−খ রয়েছে?     ১

খ.   রৌদ্র-দগ্ধ ধানক্ষেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায় কেন ?    ২

গ.   ‘বেণু-বনে বায়ু নীড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।’   উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতার সাদৃশ্যের দিকটি তুলে ধরো।    ৩

ঘ.   উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার একটা বিশেষ ভাব প্রকাশ করে মাত্র, সমগ্র ভাব নয়   তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪

১ এর নং প্র. উ.

ক.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় পদ্মা ও মেঘনা নদীর কথা উল্লেখ রয়েছে।

খ.   প্রচণ্ড খরা থেকে বাঁচতে আর ফসলের সম্ভারে ভরিয়ে দিতে রৌদ্রদ্বগ্ধ ধানখেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায়।

      ভীষণ রোদে মাঠ, ঘাট, ধানখেত যখন শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায় তখন বৃষ্টি আসে আশীর্বাদ হয়ে। মাঠ-ঘাট-ধানখেত শুধু নয়, বৃষ্টির পরশে মানুষের মনও রসসিক্ত হয়ে ওঠে। রুক্ষ প্রকৃতিতে বৃষ্টি আসে প্রাণের শিহরণ নিয়ে। তীব্র রোদে ধানখেত হয়ে ওঠে রুক্ষ ও কঠিন। বৃষ্টির ছোঁয়া পেলে এই র্ক্ষু প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার হবে তাই রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায়।

গ.   ‘বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে’ উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত নিঃসঙ্গ নির্জন জীবনের বিরহী চেতনার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।

      গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের পর বর্ষার প্রবল বৃষ্টি প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে তোলে। বৃষ্টির হিমেল পরশে বন-বনানীর মতো মানুষের মনও সংবেদনশীল ও রসসিক্ত হয়ে ওঠে। মনে জেগে ওঠে সুখময় অতীতের নানা স্মৃতি। ভালো লাগা ভালোবাসার আলপনা মনে মনে আঁকতে থাকে। আবার নিঃসঙ্গ নির্জন মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে বিরহের সুর।

      উদ্দীপকে বর্ষার দিনের একটি রূপচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। বর্ষার দিনে পল্লিবধূরা নিবিষ্ট মনে নকশিকাঁথায় ফুল তোলে। বাইরে অঝোর ধারায় চলে বর্ষণ। গৃহবধূরা যেন সুতার টানে টানে মনের স্বপ্ন বুনতে থাকে। এমন দিনে প্রিয়জনের কথা মনে পড়ে যায়। প্রিয়জনের অনুপস্থিতি তখন মনকে বিষণœ করে। বিরহ বেদনা আরো বাড়িয়ে দেয়। কাজেই বৃষ্টির প্রবল বর্ষণের সময় মানুষের মনে কল্পনার ডানা মেলে। মনে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি জাগে। উদ্দীপকে যেভাবে বলা হয়েছে ‘মন যেন চায় কারে’। অর্থাৎ প্রিয়জনের বিরহ মনকে আবিষ্ট করে। তাই ‘বেনু-বনে বায়ু নাড়ে, এলোকেশ, মন যেন চায় কারে’ উদ্দীপকের এ বক্তব্য ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত নিঃসঙ্গ নির্জন জীবনের বিরহী চেতনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ.   ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত পুরনো দিনের স্মৃতি ও বিরহী হৃদয়ের ভাবটি উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে। কবিতার সমগ্র ভাবটি প্রকাশিত হয়নি।

      গ্রীষ্মের কঠিন দাবদাহে প্রকৃতি অনেকটা বিবর্ণ হয়ে পড়ে। বর্ষার বৃষ্টিধারা বিবর্ণ পল্লি প্রকৃতিকে সজীব করে তোলে। টানা বর্ষণে মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, নদী-নালা ভরে যায়। তৃষ্ণাকাতর মাঠ-ঘাট ও বনে দেখা দেয় প্রাণের জোয়ার। বৃষ্টি কবিতায় অঙ্কিত হয়েছে বাংলার সামগ্রিক জীবন ও প্রকৃতি। বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি আবাদি জমিতে আনে গৌরবের ফসল। এ সময় মেঘ ও বিদ্যুতের চমক যেন আকাশে খেলা করে। মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে পুরনো স্মৃতি। মনকে কখনও করে বিষণœ। একাকী জীবনে বাড়ায় বিরহ।

      উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি বর্ষণমুখর দিনে গৃহবধূরা তাদের অবসর কাটাতে নকশীকাঁথা সেলাই করে। এই সেলাইয়ের মধ্য দিয়ে যেন তারা স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে। বাইরে তুমুল বৃষ্টি পড়ে। আশপাশের সবকিছু মিলে যেন জলাধারে পরিণত হয়। এমনি দিনে মনে পড়ে প্রিয়জনের কথা। মন যেন প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভে ব্যাকুল হয়ে উঠে।

      আলোচ্য ‘বৃষ্টি’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, কবিতায় বর্ষণের সৌন্দর্য, এর ব্যাপকতা, বর্ষার কল্যাণকামিতা, মানবমনে বর্ষার প্রভাবসহ যাবতীয় বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে কেবল বর্ষণসিক্ত দিনে মানবমনের অনুভূতির দিকটি আলোচনা করা হয়েছে। কাজেই উদ্দীপকে ‘বৃষ্টি’ কবিতার সমগ্র ভাব প্রকাশিত হয়নি বরং বিশেষভাব প্রকাশিত হয়েছে মাত্র।

 ২.   ‘গুরু গুরু ডাকে মেঘ ঘনঘটা চারিদিকে আজ

      টুপটাপ বৃষ্টি ঝরে অঝোর ধারায়

      নিজেকে হারিয়ে খুঁজি কিছু নাহি পাই

      খুলেছি হৃদয় বাতায়ন ফেলে সব কাজ।  [য.বো. ১৫]

ক.   বর্ষার প্রাণ কী?   ১

খ.   বৃষ্টির দিন একাকী জীবনে বিরহ বাড়ায় কেন?  ২

গ.   “খুলেছি হৃদয় বাতায়ন ফেলে সব কাজ’  উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতার মিল কিসে? ব্যাখ্যা দাও।  ৩

ঘ.   উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার মূলভাবের প্রতিনিধিত্ব করছে  মূল্যায়ন করো। ৪

২ নং প্র. উ.

ক.   বর্ষার প্রাণ হলো বৃষ্টি।

খ.   বৃষ্টির দিন মন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে বলে একাকী জীবনে বিরহ বাড়ে।

      বৃষ্টির দিনে সংবেদনশীল মানুষ রসসিক্ত হয়ে পড়ে। অতীতের নানা সুখময় স্মৃতি মনের কোণে উঁকি দেয়। একাকী মানুষ তার আনন্দ বা কষ্টের অনুভূতিগুলো সম্পর্কে কথা বলার জন্য কাউকে খুঁজে পায় না। তাই বৃষ্টির দিনে সঙ্গীহীন মানুষের মনে সঙ্গীর জন্য ব্যাকুলতা তৈরি হয়। মন বিরহী হয়ে ওঠে।

গ.   বৃষ্টিমুখর দিনে প্রকৃতির পাশাপাশি মানুষের মনও রসসিক্ত হয়ে ওঠে- ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণিত এ দিকটির সাথে প্রশ্নোক্ত বক্তব্যের মিল রয়েছে।

      প্রকৃতিতে বর্ষা আসে প্রাণস্পন্দন নিয়ে। বর্ষায় বৃষ্টিতে সিক্ত হয়ে প্রকৃতি যেমন রসসিক্ত হয়ে ওঠে, মানুষের মনও তাই। মানুষ এমন দিনে উদাসী হয়ে পড়ে। মানুষের মনকে পুরনো স্মৃতিতে আসক্ত করে ফেলে। এই বৃষ্টি মানুষের মনকে সাময়িক মোহাবিষ্ট করে ফেলে। ফলে বৃষ্টির দিন প্রকৃতির পাশাপাশি মানুষের জন্যও বিশেষ বৈশিষ্ট্য বহন করে।

      উদ্দীপকে কবি বৃষ্টির আগমনে মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। এই বৃষ্টি মানুষকে মনে করায় সুখময় অতীত, পুরনো স্মৃতি। ফলে মানুষ মনে মনে ভালোলাগার আলপনা আঁকে। আবার একাকী মানুষের বিরহকাতরতাও বাড়ায় এ বৃষ্টি। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণিত এই দিকগুলো উদ্দীপকেও প্রতীয়মান হয়। বৃষ্টির পরশে উদ্দীপকের কবি সব কাজ ফেলে হৃদয়ের মণিকোঠার ঝাঁপি খুলে বসেছেন। আর এই উদাসী মানসিকতার দিকটিতেই ‘বৃষ্টি’ কবিতার সাথে প্রশ্নোক্ত বক্তব্যের মিল রয়েছে।

ঘ.   উদ্দীপকে বৃষ্টির আগমনে প্রকৃতির সাথে সাথে কবির মনের অনুভূতির পরিবর্তন ‘বৃষ্টি’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করেছে।

      বৃষ্টি হলো বর্ষার প্রাণ। বর্ষায় বৃষ্টির সংস্পর্শে প্রকৃতি নতুন প্রাণস্পন্দনে জেগে ওঠে। এ সময় বর্ষার ফুলে মোহিত হয় প্রকৃতি, রসসিক্ত হয় রুক্ষ মাটি। আর প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের মনেও আসে পরিবর্তন। মানুষের স্মৃতির মণিকোঠায় ঘুরপাক খায় নানা ঘটনা। বর্ষার আবেশে মানুষ হয়ে পড়ে মোহাচ্ছন্ন।

      উদ্দীপকে বর্ষার আবেশে কবির হৃদয়ে ভাবের পরিবর্তন ঘটেছে। কবি বৃষ্টির ¯িœগ্ধতায় হৃদয়ের বাতায়ন খুলে বসেছেন। বৃষ্টি মানুষকে মোহময় স্মৃতি মনে করায়। সুখময় স্মৃতি, পুরোনো অতীত মানুষকে মনে করিয়ে দেয় বৃষ্টির পরশ। উদ্দীপকের কবি বৃষ্টির পরশে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। আর বৃষ্টির আবেশে মোহময় হওয়ার এই দিকটিই উদ্দীপক কবিতাংশের মূল কথা।

      উদ্দীপকে কবি বৃষ্টিতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজে বেড়ান স্মৃতির আঙিনায়। উদ্দীপকের কবির এই ভাব ‘বৃষ্টি’ কবিতায়ও দৃশ্যমান হয়। সেখানে বৃষ্টি আবেশে মনে পড়ে সুখময় অতীত, পুরনো স্মৃতি প্রভৃতি। কবি বৃষ্টির আগমনে মনের এই পরিবর্তনকে কবিতায় তুলে ধরতে চেয়েছেন। ‘বৃষ্টি’ কবিতার কবির মনের অবস্থা এবং উদ্দীপকের কবির মনের অবস্থা একই। বৃষ্টির আগমন তাদের উভয়ের মনকেই আবিষ্ট করেছে। বৃষ্টির আগমনে প্রকৃতি ও মনের অবস্থার পরিবর্তনই ‘বৃষ্টি’ কবিতার মূলকথা। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার মূলভাবের প্রতিনিধিত্ব করছে।

 ৩.   আজি ঝরঝর মুখর বাদর দিনে

      জানিনে, জানিনে

      কিছুতে কেন যে মন লাগেনা।

ক.   কোন হাওয়ায় বৃষ্টি এলো?    ১

খ.   ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বৃষ্টিকে বহু প্রতীক্ষিত বলা হয়েছে কেন?     ২

গ.   উদ্দীপকে কবিতাংশটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার কোন দিকটিকে মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   বর্ষণমুখর দিনের যে চিত্র ‘বৃষ্টি’ কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে তার সম্পূর্ণটা উদ্দীপক কবিতাংশে নেই  উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।   ৪

৩ নং প্র. উ.

ক.   পুবের হাওয়ায় বৃষ্টি এলো।

খ.   বৃষ্টির অভাবে মানবমন ও প্রকৃতি থেকে প্রাণচাঞ্চল্য হারিয়ে যায় বলে ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বৃষ্টিকে বহু প্রতীক্ষিত বলা হয়েছে।

      গ্রীষ্মকালের প্রখর তাপে মাঠ-ঘাট, বৃক্ষ সবকিছু প্রাণহীন হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবনও ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে। মানুষ তখন ব্যাকুল হয়ে থাকে এক পশলা বৃষ্টির জন্য। বৃষ্টি কবিতার কবি ফররুখ আহমদের ভাষায় দগ্ধ প্রকৃতিও যেন উন্মুখ হয়ে থাকে বৃষ্টির শীতলতায় নিজেকে জুড়িয়ে নিতে। এ কারণেই ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বৃষ্টিকে বহু প্রতীক্ষিত বলা হয়েছে।

গ.   উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত বর্ষণমুখর দিনে বিরহী হৃদয়ের অনুভূতিকে বোঝানো হয়েছে।

     বৃষ্টি প্রকৃতিতে নিয়ে আসে এক অন্য রকম প্রাণের স্পন্দন। বৃষ্টির সময় আকাশের সর্বত্র মেঘের খেলা দেখা যায়। বিভিন্ন ফলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিক। বৃষ্টিতে প্রাণ জুড়ায় রুক্ষ মাটি। সংবেদনশীল মানুষও বৃষ্টির দিনে রসসিক্ত হয়ে ওঠে। মনে পড়ে পুরনো স্মৃতি, মনে মনে আঁকে ভালোবাসার আলপনা। বৃষ্টি কখনও মনকে বিষণœ করে। একাকী জীবনে বিরহের যাতনাকে বাড়িয়ে তোলে।

     আলোচ্য উদ্দীপকে বর্ষণমুখর দিনের কথা বলা হয়েছে। যখন মন উতলা হয়ে ওঠে। কোনো কাজেই যেন মন বসে না। কিছুই যেন ভাল লাগে না। এখানে একাকী বিরহী জীবনের কথাই বোঝানো হয়েছে। উদ্দীপকে বৃষ্টি কবিতায় উল্লিখিত বর্ষণমুখর দিনের বিরহী চেতনাকে বোঝানো হয়েছে। যখন বৃষ্টির প্রভাবে মানুষের মন অনেকটা বিষণœ হয়ে ওঠে। প্রিয়জনের সন্তুষ্টির জন্য মন ব্যাকুল হয়। একাকী জীবনের এই মনোবেদনার কথাই প্রকাশিত হয়েছে।

ঘ.   ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণমুখর দিনের একটি সার্বিক চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। উদ্দীপক কবিতাংশে কেবল একটি দিক- একাকী জীবনের বিরহ প্রকাশ পেয়েছে।

     ‘বৃষ্টি’ কবিতায় ফররুখ আহমদের বর্ষণমুখর দিনের গভীর অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটেছে। বর্ষার দিনেই সাধারণত প্রবল বৃষ্টিপাতে খালবিল নদীনালা টইটম্বুর হয়ে ওঠে। আকাশের সর্বত্র মেঘ ভেসে বেড়ায়। বর্ষাঋতুতে ফোটে নানা ফুল। বৃষ্টিতে সিগ্ধ হয়ে ওঠে রুক্ষ মাটি। রসসিক্ত হয়ে ওঠে মানুষের মন। তখন মনে পড়ে অতীত দিনের স্মৃতি। আর ভালোবাসার আলপনা আঁকে মনে মনে। একাকী মানুষের মন বৃষ্টিতে আরো বিষণœœ হয়ে ওঠে। বিরহ বেদনা আরো বাড়িয়ে তোলে।

     উদ্দীপকে বর্ষণমুখর দিনে একাকী মানুষের মনে কীরূপ অনুভূতির সৃষ্টি করে তা-ই বোঝানো হয়েছে। এমন দিনে মন যেন শুধুই আনচান করে। কোনো কিছুতেই যেন মন ভরে না। কোনো কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। বিরহী হৃদয়ের ব্যাকুলতাই যেন শুধু সত্য হয়ে ওঠে।

     আলোচ্য ‘বৃষ্টি’ কবিতায় আমরা দেখি বৃষ্টির ফলে প্রকৃতিতে আসে বিপুল পরিবর্তন। প্রকৃতিতে অনেক পরিচ্ছন্ন অনেক সুন্দর মনে হয়। বৃষ্টি যেন আকস্মিক এসে ধুয়ে মুছে দিয়ে যায়। মাঠে ঘাটে সব ক্ষেত্রে জেগে ওঠে প্রাণের স্পন্দন। রুক্ষতা দূর হয়ে সবকিছুই যেন রসসিক্ত হয়ে ওঠে। মানব মনেও বৃষ্টির প্রভাবে অনেক বেশি বিরহ বেদনা জেগে ওঠে কারো কারো মনে। উদ্দীপকে বৃষ্টি দিনের এই বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে শুধু বিরহী হৃদয়ের ব্যাকুলতাকে তুলে ধরা হয়েছে। তাই বলা হয়েছে, বর্ষণমুখর দিনের যে চিত্র বৃষ্টি কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে তার সম্পূর্ণটা উদ্দীপক কবিতাংশে নেই। আংশিক চিত্র উল্লেখ হয়েছে মাত্র।

৪.    আজি, বরিষণ মুখরিত শ্রাবণরাতি

      স্মৃতিবেদনার মালা একেলা গাঁথি।

      আজি, কোন ভুলে ভুলি আঁধার ঘরেতে রাখি দুয়ার খুলি

      মনে হয় বুঝি আসিছে সে মোর দুখরজনীর সাথী।

ক.   প্লাবন হলে কিসের গৌরবে ফসল ভালো হয়?   ১

খ.   পাড়ি দিয়ে যেতে চায় বহু পথ, প্রান্তর বন্ধুর-পঙ্ক্তিটি বুঝিয়ে লেখো। ২

গ.   উদ্দীপকে ‘বৃষ্টি’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ৩

ঘ.   ‘উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার খণ্ডাংশ মাত্র’ উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।    ৪

৪ নং প্র. উ.

ক.   প্লাবন হলে পলিমাটির গৌরবে ফসল ভালো হয়।

খ.   বৃষ্টির দিনে মন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে এ বিষয়টি বোঝানো হয়েছে আলোচ্য চরণটিতে।

      বর্ষণমুখর দিনে অনুভূতিপ্রবণ মানুষের মন রসসিক্ত হয়। স্মৃতির জানালা খুলে মানুষ চলে যায় বহুদূর। মনে পড়ে যায় সুখময় অতীত, পুরোনো স্মৃতি। সেই ভালোলাগা দিয়ে মানুষ আপন মনে আলপনা এঁকে চলে।

গ.   উদ্দীপকে বৃষ্টি কবিতায় উল্লিখিত বর্ষণমুখর দিনের বিরহ-কাতরতা প্রকাশিত হয়েছে।

      বর্ষণমুখর দিনে মানবমনে নানা অনুভূতির সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির দিনে সংবেদনশীল মানুষ রসসিক্ত হয়ে ওঠে। সে তখন সুখময় অতীত, পুরোনো স্মৃতি আর ভালোলাগার ছবি আঁকে মনে মনে। বৃষ্টির দিনে কারো কারো মন বিষণœ হয়ে পড়ে। একাকী জীবনে বৃষ্টি বিরহকাতরতা জাগিয়ে তোলে।

      উদ্দীপকে বর্ষণমুখরিত শ্রাবণরাতে একজন বিরহকাতর মানুষের কথা বলা হয়েছে। স্মৃতি-বেদনার মালা গাঁথছে। আর ভাবনাকাতর উদাসী মন দুয়ার খুলে রেখেছে মনের ভুলে। প্রিয়জনের আগমন প্রতীক্ষায় সে সময় গুনছে। যে হবে তার এই দুখরজনীর সাথি। ‘বৃষ্টি’ কবিতায়ও আমরা দেখি উদ্দীপকের মতোই নিঃসঙ্গ নির্জন জীবনে বর্ষার মেঘ মনে বিষণœতা জাগায়।

ঘ.   ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত বিষয়ের মধ্যে কেবল একটি দিক বর্ষণমুখর দিনের বিরহকাতরতা উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে। তাই উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার খণ্ডাংশ মাত্র।

      ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কবি ফররুখ আহমদ বর্ষা কীভাবে প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন নিয়ে আসে তা চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। বর্ষার প্রাণ হচ্ছে বৃষ্টি। বৃষ্টির আগমনে আকাশের সর্বত্র মেঘের খেলা দেখা যায়। বৃষ্টিতে রৌদ্রদগ্ধ ধানখেতে আনে প্রাণের জোয়ার। ফুল ফুটে সর্বত্র মোহিত হয়। বৃষ্টিতে প্রাণ জুড়ায় রুক্ষ মাটি। বৃষ্টির ফলে কারো কারো মন রসসিক্ত হয়ে ওঠে। আবার একাকী জীবনে বাড়িয়ে তোলে বিরহকাতরতা।

      উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে বর্ষণমুখর শ্রাবণ রাতের কথা। এ সময় অতীত স্মৃতিগুলো একাকী জীবনে বেদনা হয়ে ধরা দেয়। কবি তাই আনমনা হয়ে পড়েন। অন্ধকার ঘরের দুয়ার খুলে রেখে ভাবেন এই বুঝি তাঁর প্রিয় মানুষটি চলে এলো। যে হবে তার দুঃখী হৃদয়ের একান্ত সাথি।

      ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ষার রূপবৈচিত্র্য, রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত, নদী, পাখি, ফুল, আকাশে মেঘের খেলা ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে। বৃষ্টি কীভাবে প্রকৃতিতে স্নিগ্ধতা ও কোমলতা ফিরিয়ে আনে সে কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি মানবমনের বিরহ ও স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধুই বিরহ ও প্রিয় মিলনের আকাক্সক্ষাই ব্যক্ত হয়েছে। কাজেই এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, উদ্দীপকটি বৃষ্টি কবিতার সমগ্র ভাবের ধারক নয়, খণ্ডাংশ মাত্র।

 ৫.   বৃষ্টির ধারা নদীনালা, খালবিল পূর্ণ করে। অতিবৃষ্টিতে তারই উপচে পড়া পানিতে যে বন্যা দেখা দেয়, তা ঘরবাড়ি, মানুষ ও পশুর সর্বনাশ ঘটায়। অতি বৃষ্টির প্লাবণে বর্ষা মানবজীবনে অভিশাপ নিয়ে আসে।

ক.   তৃষাতপ্ত শব্দের অর্থ কী?     ১

খ.   রুক্ষ মাঠকে রুগ্ণ বৃদ্ধ ভিখারির রগ-ওঠা হাতের মতো বলা হয়েছে কেন?    ২

গ.   উদ্দীপকটিতে ‘বৃষ্টি’ কবিতার কোন দিকটির সাথে বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা  করো। ৩

ঘ.   উদ্দীপক ও বৃষ্টি কবিতার মূল চেতনা সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন-তোমার মতামত দাও। ৪

৫ নং প্র. উ.

ক.   তৃষাতপ্ত শব্দের অর্থ পিপাসায় কাতর।

খ.   রুক্ষ মাঠ অসমান বলেই একে রুগ্ণ বৃদ্ধ ভিখারির রগ-ওঠা হাতের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

      বর্ষণহীন দিনে মাঠ-ঘাট শুকিয়ে নি®প্রাণ রুক্ষমূর্তি ধারণ করে। তাকে দেখতে তখন একজন বৃদ্ধ রুগ্ণ ভিখারির মতোই লাগে। বৃদ্ধ, রুগ্ণ একজন মানুষের হাতের রগগুলো স্পষ্ট হয়ে ভেসে ওঠে। জলের অভাবে রুক্ষ মাঠও তেমনি অসমতল বলে ‘বৃষ্টি’ কবিতার কবি আলোচ্য তুলনাটি ব্যবহার করেছেন।

গ.   ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণিত বৃষ্টি আশীর্বাদ হিসেবে এলেও উদ্দীপকের বর্ণনায় বৃষ্টি এসেছে অভিশাপ হিসেবে।

      ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কবি ফররুখ আহমদ বলেছেন, বৃষ্টি আসে প্রকৃতির প্রাণ ফিরিয়ে দিতে। রুক্ষ প্রকৃতি বৃষ্টিতে ভিজে সিক্ত হয়। রৌদ্রদগ্ধ ধানখেতে আসে সজীবতা। প্রকৃতি যেন ফুলে ফলে সুশোভিত হয়ে নতুন রূপে সজ্জিত হয়। বর্ষার প্রভাবে বন্যা নদীর ফাটলে আনে পূর্ণ প্রাণের জোয়ার। তাই বৃষ্টি হয় বহু প্রতীক্ষিত।

      উদ্দীপকে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের বিড়ম্বনার কথা। অতিবৃষ্টির ফলে দেখা দেয় বন্যা। বন্যাপ্লাবিত হলে মানুষের ও পশুপাখির জীবনে আসে সীমাহীন দুর্ভোগ। ঘরবাড়ি ও ফসল বিনষ্ট হয়। বৃষ্টি তখন মানুষের জীবনে অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসে। অন্যদিকে ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণিত হয়েছে বৃষ্টির কল্যাণকামী দিক।

ঘ.   ‘বৃষ্টি’ কবিতায় প্রকৃতি ও মানবমনের ওপর বৃষ্টির ইতিবাচক প্রভাবের কথা বলা হলেও উদ্দীপকে রয়েছে ঠিক তার বিপরীত চিত্র। তাই আলোচ্য মন্তব্যটি যথার্থ।

      ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কবি বৃষ্টির ফলে প্রকৃতিতে যে শান্ত ও স্নিগ্ধ রূপ ফুটে ওঠে সে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। শুষ্ক প্রকৃতিতে বৃষ্টি হয়ে ওঠে বহু প্রতীক্ষিত ও আকাক্সিক্ষত। রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত, কাঠফাটা রৌদ্রে চৌচির হাওয়া মাঠঘাট বৃষ্টিতে সিক্ত হয়। বৃষ্টি প্রকৃতিতে আনে পূর্ণ প্রাণের জোয়ার। মানবমনকেও বৃষ্টি উদাস করে তোলে। অজানা এক ভালোলাগার দোলায় মন দুলতে থাকে।

      উদ্দীপকে বলা হয়েছে, বৃষ্টির ধারা নদী-নালা খালবিল পূর্ণ করে। অতিবৃষ্টিতে নদী ও খালবিলের উপচে পড়া পানিতে বন্যা দেখা দেয়। বন্যা মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলের জমিকে প্লাবিত করে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। তাই অতিবৃষ্টির কারণে বর্ষা মানুষের জীবনে অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসে। যার প্রভাব মানুষের মনেও পড়ে।

      ‘বৃষ্টি’ কবিতায় আমরা লক্ষ করি বৃষ্টি মানুষের জীবনে নিয়ে আসে প্রাণের ছোঁয়া, মনে জাগায় রোমাঞ্চ। প্রকৃতিতে নিয়ে আসে সজীবতা ও স্নিগ্ধতা। তাই বৃষ্টি আসে আশীর্বাদ হয়ে। আর উদ্দীপকের বৃষ্টি এসেছে অভিশাপ হয়ে। কারণ অতিবৃষ্টির প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ধারণ করে রুদ্রমূর্তি। এই বন্যা জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। প্রকৃতিকে এটি দূষিত করে। মানুষেরা হারায় তাদের সহায় সম্বল। জমির ফসল ভেসে গিয়ে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়। ফলে মানসিকভাবে অনেকেই ভেঙে পড়ে। পশুদের জীবনও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। আলোচ্য কবিতার মূলভাব হলো বর্ষণমুখরতার সৌন্দর্য তুলে ধরা। অন্যদিকে উদ্দীপকের মূলভাব হলো এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া উপস্থাপন, যা কবিতার মূলভাবের সম্পূর্ণ বিপরীত।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   ‘বৃষ্টি’ কবিতার কবির নাম কী?

      উত্তর : ‘বৃষ্টি’ কবিতার কবির নাম ফররুখ আহমদ।

২.   ফররুখ আহমদের কাব্যসৃষ্টির প্রেরণা কী ছিল?

      উত্তর : ফররুখ আহমদের কাব্যসৃষ্টির প্রেরণা ছিল ইসলামি আদর্শ ও ঐতিহ্য।

৩.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কোনটিকে বহু প্রতীক্ষিত বলা হয়েছে?

      উত্তর : ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বৃষ্টিকে বহু প্রতীক্ষিত বলা হয়েছে।

৪.   বিদগ্ধ আকাশ, মাঠ কিসে ঢেকে গেল?

      উত্তর : বিদগ্ধ আকাশ, মাঠ কাজল ছায়ায় ঢেকে গেল।

৫.  কে মেঘে মেঘে সওয়ার হয়েছে?

      উত্তর : বিদ্যুৎ-রূপসী পরি মেঘে মেঘে সওয়ার হয়েছে।

৬.  বর্ষণমুখর দিনে কে শিহরায়?

      উত্তর : বর্ষণমুখর দিনে অরণ্যের কেয়া শিহরায়।

৭.   বন্যা কোথায় পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আনে?

      উত্তর : বন্যা নদীর ফাটলে পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আনে।

৮.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রুক্ষ, অসমান মাঠকে রুগ্ণ ভিখারির কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?

      উত্তর : ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রুক্ষ, অসমান মাঠকে রুগ্ণ ভিখারির রগ-ওঠা হাতের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

৯.  তৃষিত বনের সাথে কী জেগে ওঠে?

      উত্তর : তৃষিত বনের সাথে তৃষাতপ্ত মন জেগে ওঠে।

১০.  কোন ধারণা অনুযায়ী ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদ্যুৎ চমকানোকে সুন্দরী পরির সাথে তুলনা করা হয়েছে?

      উত্তর : লোকজ ধারণা অনুযায়ী ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদ্যুৎ চমকানোকে সুন্দরী পরির সাথে তুলনা করা হয়েছে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   ‘বিদগ্ধ আকাশ, মাঠ ঢেকে গেল কাজল ছায়ায়।’ চরণটি বুঝিয়ে লেখো।

      উত্তর : আলোচ্য চরণটিতে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বমুহূর্তের চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।

      বৃষ্টি হওয়ার পূর্বমুহূর্তে সারা আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। সূর্যও ঢাকা পড়ে ঘন মেঘের আস্তরণে। প্রকৃতির বুকেও তাই যেন কালো রঙের এক চাদর নেমে আসে। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কবি এই কালো ছায়াকে কাজলের সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করেছেন। বৃষ্টির আগমনী বার্তা বহন করে আনা মুহূর্তের এমন চমৎকার বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে চরণটির মাধ্যমে।

২.   বিদ্যুতৎ-রূপসী পরি মেঘে মেঘে হয়েছে সওয়ারকথাটির মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে?

      উত্তর : কথাটির মাধ্যমে বর্ষণমুখর দিনে বিদ্যুতের ঝলকানির সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে।

      বৃষ্টির দিনে আকাশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকায়। ফলে দিগন্তজুড়ে তৈরি হয় অসাধারণ শোভা। লোকজ ধারণা অনুযায়ী বৃষ্টির সময় সুন্দরী কোনো পরি মেঘে মেঘে ঘুরে বেড়ায় বলেই এই ঘটনা তৈরি হয়। এই বিষয়টিকেই ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কবি তার কল্পনার তুলি দিয়ে রাঙিয়ে উপস্থাপন করেছেন।

৩.  ‘সেখানে বর্ষার মেঘ জাগে আজ বিষণœ মেদুর’  কথাটি ব্যাখ্যা করো।

      উত্তর : বৃষ্টির দিনে প্রকৃতিতে একই সাথে যে বিষণœতা ও সজীবতার উপস্থিতি লক্ষ করা যায় সে বিষয়টি বলা হয়েছে চরণটিতে।

      বর্ষণহীন দিনে প্রকৃতিতে বিরাজ করে প্রাণশূন্যতা। বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রকৃতি থেকে রুক্ষতা দূর হয়ে যায়। প্রকৃতি স্নিগ্ধ কোমল হয়ে যায়। চারদিকে প্রাণের উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়। সেই সাথে মেঘে ঢাকা আকাশের কারণে প্রকৃতিকে বিরহকাতর, বিষণœ বলে মনে হয়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি

১.   ‘বৃষ্টি’ কবিতাটির রচয়িতা কে? ছ

      ক   আল মাহমুদ    খ    ফররুখ আহমদ

      গ   জসীমউদ্দীন    ঘ    আহসান হাবীব

২.   ফররুখ আহমদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?  জ

      ক   ১৯০৯ সালে     খ    ১৯১৫ সালে

      গ   ১৯১৮ সালে ঘ    ১৯১৯ সালে

৩.   ফররুখ আহমদের জন্মতারিখ কোনটি?   ঝ

      ক   ১লা জানুয়ারি ১৯১০   খ    ১১ই জুলাই ১৯১৩

      গ   ২৬শে অক্টোবর ১৯১৪ ঘ    ১০ই জুন ১৯১৮

৪.   ফররুখ আহমদ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?     জ

      ক   পাবনা     খ    সাতক্ষীরা

      গ   মাগুরা    ঘ    কুষ্টিয়া

৫.   ফররুখ আহমদের গ্রামের নাম কী? চ

      ক   মাঝআইল খ    নিমতা

      গ   সাগরদাঁড়ি ঘ    শঙ্করপাশা

৬.   ফররুখ আহমদের পিতার নাম কী? ছ

      ক   আহমদ শেখ    খ    সৈয়দ হাতেম আলী

      গ   মোয়াজ্জেম হোসেন   ঘ    গোলাম মোস্তফা

৭.   ফররুখ আহমদ কোন কলেজ থেকে আইএ পাস করেন?  জ

      ক   স্কটিশ চার্চ কলেজ    খ    প্রেসিডেন্সি কলেজ

      গ   রিপন কলেজ   ঘ    কলকাতা কলেজ

৮.   ফররুখ আহমদ কোথায় দর্শন ও ইংরেজির ছাত্র ছিলেন?   ছ

      ক   রিপন কলেজ   খ    স্কটিশ চার্চ কলেজ

      গ   সংস্কৃত কলেজ   ঘ    প্রেসিডেন্সি কলেজ

৯.   ফররুখ আহমদ অনার্স পরীক্ষা না দিয়ে কোনটি করেন?   ঝ

      ক   যুদ্ধে যোগ দেন  খ    গৃহত্যাগ করেন

      গ   মাস্টার্সের পড়াশোনা শুরু করেন

      ঘ    কর্মজীবনে প্রবেশ করেন

১০.  ১৯৪৭-১৯৭২ সাল পর্যন্ত ফররুখ আহমদ কোথায় কর্মরত ছিলেন?      ছ

      ক   বাংলাদেশ টেলিভিশনে খ    ঢাকা বেতারে

      গ   শিল্পকলা একাডেমিতে  ঘ    জাতীয় জাদুঘরে

১১.  ১৯৪৭-১৯৭২ সাল পর্যন্ত ফররুখ আহমদ বাংলাদেশ বেতারে কোন পদে কর্মরত ছিলেন?    জ

      ক   মহাপরিচালক   খ    অনুষ্ঠান সম্পাদক

      গ   স্টাফ রাইটার    ঘ    সিনিয়র অপারেটর

১২.  ফররুখ আহমদের কাব্যসৃষ্টির প্রেরণা কোনটি?  জ

      ক   প্রকৃতির রহস্যময়তা   খ    বাঙালির সংস্কৃত

      গ   ইসলামি ভাবধারা ঘ    পশ্চিমা জীবনযাত্রা

১৩.  কোনটি ফররুখ আহমদ রচিত গ্রন্থ?     চ

      ক   সিরাজাম মুনীরা  খ    মহাপৃথিবী

      গ   মাটির কান্না

      ঘ    আপন মনের পাঠশালাতে

১৪.  কোনটি ফররুখ আহমদ রচিত গ্রন্থ?     ছ

      ক   পঞ্চাশ সহস্র বর্ষ খ    মুহূর্তের কবিতা

      গ   আনন্দের মৃত্যু   ঘ    তীর্থরেণু

১৫.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বহু প্রতীক্ষা কিসের জন্য? চ

      ক   বৃষ্টির জন্য খ    পুবের হাওয়ার জন্য

      গ   বজ্রপাতের জন্য  ঘ    রোদের জন্য

১৬.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কোন নদীটির কথা বলা হয়েছে? জ

      ক   যমুনা খ    কুশিয়ারা

      গ   মেঘনা    ঘ    শীতলক্ষ্যা

১৭.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় পদ্মা, মেঘনার দুপাশে কিসের কথা বলা হয়েছে?   চ

      ক   আবাদি গ্রামের কথা   খ    কাশফুলের কথা

      গ   বিস্তীর্ণ চরের কথা ঘ    ধানখেতের কথা

১৮.  বৃষ্টি আসার আগে আকাশের কী অবস্থা ছিল?  ছ

      ক   বিষণœ     খ    বিদগ্ধ

      গ   বিরক্ত ঘ    বিশুদ্ধ

১৯.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় আকাশ, মাঠ কিসে ঢেকে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে?    জ

      ক   সবুজ মায়ায়    খ    রংধনুর রঙে

      গ   কাজল ছায়ায়    ঘ    রৌদ্রের কিরণে

২০.  বিদ্যুৎ-রূপসী পরি কিসে সওয়ার হয়েছে? ঝ

      ক   পুবের হাওয়ায়   খ    কাজল ছায়ায়

      গ   ঢেউয়ে ঢেউয়ে   ঘ    মেঘে মেঘে

২১.  রানু বারান্দায় বসে আকাশে বিদ্যুতের খেলা দেখছে। এ অবস্থাটি নিচের কোন চরণে প্রকাশিত হয়েছে? জ

      ক   বৃষ্টি এলো….. বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি

      খ    বর্ষাণমুখর দিনে অরণ্যের কেয়া শিহরায়

      গ   বিদ্যুৎ-রূপসী পরি মেঘে মেঘে হয়েছে সওয়ার

      ঘ    রুগ্ণ বৃদ্ধ ভিখারির রগ-ওঠা হাতের মতন

২২.  বর্ষণমুখর দিনে কার শিহরণ জাগে? ছ

      ক   বৃদ্ধ ভিখারির    খ    অরণ্যের কেয়ার

      গ   তৃষিত বনের    ঘ    বিদ্যুৎ-রূপসীর

২৩.  কার অপরূপ আভা দেখে অরণ্যের কেয়া শিহরিত হয়?     জ

      ক   বিদগ্ধ আকাশের খ    রুক্ষ মাঠের

      গ   বিদ্যুৎ-রূপসী পরির    ঘ    রুগ্ণ বৃদ্ধ ভিখারির

২৪.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণিত ধানখেতের অবস্থা কী?    ছ

      ক   সবুজ-সজীব    খ    রৌদ্রে দগ্ধ

      গ   জলে ভরভর    ঘ    সোনালি ধানে পূর্ণ

২৫.  রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত কার স্পর্শ পেতে চায়? চ

      ক   বৃষ্টির খ    বিদ্যুৎ-রূপসী পরির

      গ   বৃদ্ধ ভিখারির    ঘ    অরণ্যের কেয়ার

২৬. নদীর ফাটলে প্রাণের জোয়ার আনে কোনটি?   ছ

      ক   পরি  খ    বন্যা

      গ   পুবের হাওয়া    ঘ    তৃষিত বন

২৭.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রুগ্ণ বৃদ্ধ ভিখারির রগ-ওঠা হাতের সাথে কোনটিকে তুলনা করা হয়েছে?    ছ

      ক   নদীর ঢেউকে   খ    রুক্ষ মাঠকে

      গ   ধানখেতকে ঘ    তৃষিত বনকে

২৮.  রুক্ষ মাঠ কী শোনে?   ঝ

      ক   বিদ্যুতের গর্জন  খ    অরণ্যের কেয়ার গান

      গ   তৃষিত বনের কান্না     ঘ    বর্ষণের সুর

২৯.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রুগ্ণ বৃদ্ধ ভিখারির হাতে কোনটি সহজেই দৃশ্যমান?     ছ

      ক   বৃষ্টির ফোঁটা খ    রগ

      গ   রক্ত  ঘ    ভিক্ষার উপার্জন

৩০.  বৃষ্টি কবিতায় কোনটিকে তৃষিত বলা হয়েছে?    ঝ

      ক   নদীকে    খ    কেয়াকে

      গ   ধানখেতকে ঘ    বনকে

৩১.  তৃষিত বনের সাথে কী জেগে ওঠে? চ

      ক   তৃষাতপ্তমন খ    বিদগ্ধ আকাশ

      গ   রুক্ষ মাঠ  ঘ    পুবের হাওয়া

৩২.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বন ও মনের মাঝে মিল কিসে? চ

      ক   বৃষ্টির প্রতীক্ষায়   খ    উদারতায়

      গ   বিষণœতা অনুভবে     ঘ    উদাসীনতায়

৩৩.  বৃষ্টির দিনে কোনটি বহু পথ পাড়ি দিতে চায়?  ছ

      ক   বিদ্যুৎ-রূপসী পরি খ    তৃষাতপ্ত মন

      গ   অরণ্যের কেয়া   ঘ    পুবের হাওয়া

৩৪.  ‘পাড়ি দিতে চায় বহু পথ, প্রান্তর বন্ধুর’  চরণটিতে কিসের প্রকাশ ঘটেছে?     ঝ

      ক   প্রকৃতিপ্রেমের    খ    স্বদেশপ্রেমের

      গ   ভ্রমণপ্রিয়তার    ঘ    স্মৃতিকাতরতার

৩৫.  কোনটি নিঃসঙ্গ নির্জন অবস্থায় পড়ে থাকে?   ছ

      ক   অরণ্যের কেয়া   খ    বিস্মৃতি দিন

      গ   রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত ঘ    তৃষাতপ্ত মন

৩৬. পূর্ণ প্রাণের জোয়ার নিয়ে বন্যা কোথায় হাজির হয়?  ছ

      ক   সাগরের মোহনায় খ    নদীর ফাটলে

      গ   আবাদি গ্রামে    ঘ    রুক্ষ মাঠে

৩৭.  দিক-দিগন্তের পথে অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে কোনটি?    জ

      ক   কাজল ছায়া খ    বিদগ্ধ আকাশ

      গ   বিদ্যুৎ ঝলক    ঘ    তৃষিত বন

৩৮. কেমন ধারণা অনুযায়ী বিদ্যুৎ চমকানোর ঘটনাকে বিদ্যুৎ-রূপসী পরির সাথে তুলনা করা হয়েছে?    জ

      ক   বৈজ্ঞানিক ধারণা খ    আধুনিক ধারণা

      গ   লোকজধারণা    ঘ    আধ্যাত্মিক ধারণা

৩৯.  ‘সওয়ার’ শব্দের অর্থ কী?     ছ

      ক   সুন্দরী খ    আরোহী

      গ   পুণ্য  ঘ    চলাচল

৪০.  তৃষ্ণাকাতর মাঠ-ঘাট কিসের প্রতীক?      ঝ

      ক   বর্ষার খ    শীতের

      গ   বসন্তের   ঘ    গ্রীষ্মের

৪১.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় সর্বশেষ চরণে কী প্রকাশ পেয়েছে?    জ

      ক   প্রকৃতির রুক্ষতা  খ    প্রকৃতির উন্মত্ততা

      গ   প্রকৃতির কোমলতা    ঘ    প্রকৃতির রহস্যময়তা

৪২.  ‘তৃষাতপ্ত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?    ছ

      ক   বৃষ্টিস্নাত   খ    পিপাসায় কাতর

      গ   প্রচণ্ড নিঃসঙ্গ   ঘ    রৌদ্রে দগ্ধ

৪৩.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় হাওয়া আসে কোন দিক থেকে? চ

      ক   পূর্ব  খ    পশ্চিম

      গ   উত্তর ঘ    দক্ষিণ

৪৪.  প্রকৃতিতে বর্ষা কী নিয়ে আসে?     জ

      ক   রুক্ষতা    খ    তৃষ্ণা

      গ   প্রাণস্ফূর্তি ঘ    অভিশাপ

৪৫.  কোনটি বর্ষার প্রাণ?    জ

      ক   বাতাস     খ    বিজলী

      গ   বৃষ্টি  ঘ    মেঘ

৪৬.  নদীর দুধারে প্লাবন কিসের গৌরব বয়ে আনে? চ

      ক   পলিমাটির খ    বর্ষণের

      গ   রিক্ততার   ঘ    নির্জনতার

৪৭.  নদীর প্লাবনে কোনটি থাকে বলে ফসল ভালো হয়?   ছ

      ক   সার  খ    পলিমাটি

      গ   পানি ঘ    কীটনাশক

৪৮.  বৃষ্টির সময় সর্বত্র মোহিত করে কোনটি? জ

      ক   কালো মেঘ খ    পুবালি হাওয়া

      গ   বর্ষার ফুল  ঘ    বিজলির ঝলকানি

৪৯.  বৃষ্টির দিনে পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে যায়  এমন অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ রয়েছে কোন চরণে?     জ

      ক   রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত আজ তার স্পর্শ পেতে চায়

      খ    রুক্ষ মাঠ আসমান শোনে সেই বর্ষণের সুর

      গ   যেখানে বিস্মৃত দিন পড়ে আছে নিঃসঙ্গ নির্জন

      ঘ    সেখানে বর্ষার মেঘ জাগে আজ বিষণœ মেদুর

বহুপদী সমাপ্তিসূচক

৫০.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বৃষ্টিকে বলা হয়েছে

      র.   অনেক আকাক্সিক্ষত

      রর.  বর্ষার প্রাণ

      ররর. নিঃসঙ্গ নির্জন

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৫১.  বৃষ্টির জন্য উন্মুখ হয়ে আছে

      র.   তৃষাতপ্ত মন

      রর.  রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত

      ররর. তৃষিত বন

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৫২.  রুগ্ণ বৃদ্ধ ভিখারির রগ-ওঠা হাতের সাথে মাঠের তুলনা করা হয়েছে

      র.   রুক্ষ বলে

      রর.  অসমান বলে

      ররর. অনুর্বর বলে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৫৩.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণিত হয়েছে বৃষ্টির সাথে

      র.   প্রকৃতির সম্পর্ক

      রর.  বৃষ্টির সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক

      ররর. বৃষ্টির সাথে মানবমনের সম্পর্ক

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৫৪.  বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রকৃতি হয়ে যায়

      র.   রুক্ষ

      রর.  স্নিগ্ধকোমল

      ররর. প্রাণোচ্ছ্বাসে ভরপুর

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৫৫.  ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বিদ্যুৎ-রূপসী পরি বলতে তুলে ধরা হয়েছে

      র.   একটি লোকজ ধারণাকে

      রর.  বিদ্যুৎ চমকানোর ঘটনাকে

      ররর. একটি বৈজ্ঞানিক সত্যকে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৫৬. বিদ্যুৎ-রূপসী পরি

      র.   কাজল ছায়ায় মাঠ-ঘাট ঢেকে দেয়

      রর.  দিক দিগন্তে অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে

      ররর. মেঘে মেঘে ঘুরে বেড়ায়

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৫৭.  বর্ষণহীন দিনে মাঠ-ঘাট, বন হয়ে থাকে

      র.   তৃষাতপ্ত

      রর.  বিষণœ মেদুর

      ররর. রুক্ষ

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৫৮. প্রকৃতিতে সজীবতা ফিরে আসার কথা বলা আছে যে চরণে

      র.   যেখানে বর্ষার মেঘ জাগে আজ বিষণœ মেদুর

      রর.  নদীর ফাটলে বন্যা আনে পূর্ণ প্রাণের জোয়ার

      ররর. বর্ষণমুখর দিনে অরণ্যের কেয়া শিহরায়

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

৫৯.  বর্ষার দিনে মানুষের মনে পড়ে

      র.   সুখময় অতীত

      রর.  ভালোলাগার স্মৃতি

      ররর. পরাজয়ের স্মৃতি

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬০ ও ৬১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

সালমান গ্রীষ্মকালে গ্রামে বেড়াতে গিয়ে দেখে মাঠ-ঘাট, নদী-নালা, খাল-বিল সব শুকিয়ে একাকার। গাছপালাগুলোরও শীর্ণ দশা। কয়েক মাস পর সে আবার গ্রামে এসে তো অবাক। চারদিকে সবুজের সমারোহ। নদী-নালাগুলো পানিতে টইটুম্বুর।

৬০.  উদ্দীপকের বক্তব্য নিচের কোন রচনাকে সমর্থন করে?     ঝ

      ক   আমি কোনো আগন্তুক নই   খ    কপোতাক্ষ নদ

      গ   সেইদিন এই মাঠ ঘ    বৃষ্টি

৬১.  সালমানের দেখা পরবর্তী দৃশ্যটির তুলে ধরেছে যে চরণ

      র.   সেখানে বর্ষার মেঘ জাগে আজ বিষণœ মেদুর

      রর. নদীর ফাটলে বন্যা আনে পূর্ব প্রাণের জোয়ার

      ররর. সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬২ ও ৬৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে

ধান দেব মেপে

লেবুর পাতা করমচা

যা বৃষ্টি ঝরে যা

৬২. ‘বৃষ্টি’ কবিতার কোন দিকটি উদ্দীপক কবিতাংশে লক্ষণীয়?  ঝ

      ক   বিদ্যুৎ চমকের সৌন্দর্য খ    প্রকৃতির সজীবতা

      গ   স্মৃতিকাতরতা    ঘ    বৃষ্টির জন্য প্রতীক্ষা

৬৩. উক্ত ভাব ‘বৃষ্টি’ কবিতায় যে চরণে প্রকাশিত হয়েছে

      র.   বৃষ্টি এলো…. বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি!

      রর. যেখানে বিস্মৃত দিন পড়ে আছে নিঃসঙ্গ নির্জন

      ররর. রৌদ্র-দগ্ধ ধানক্ষেত আজ তার স্পর্শ পেতে চায়

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৪ ও ৬৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছল ছল জলধারে,

বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।

৬৪.  বৃষ্টি কবিতার কোন চরণটি উদ্দীপক কবিতাংশের বক্তব্য তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে?    ছ

      ক   রুক্ষ মাঠ অসমান শোনে সেই বর্ষণের সুর

      খ    পাড়ি দিয়ে যেতে চায় বহু পথ, প্রান্তর বন্ধুর

      গ   বৃষ্টি এলো….. বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি

      ঘ    বর্ষণমুখর দিয়ে অরণ্যের কেয়া শিহরায়

৬৫. উদ্দীপক কবিতাংশ এবং উক্ত চরণের মধ্যে সাদৃশ্য

      র.   স্মৃতিকাতরতায়

      রর. সংবেদনশীলতায়

      ররর. বিরহকাতরতায়

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৬ ও ৬৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

মন মোর মেঘের সঙ্গী

উড়ে চলে দিক দিগন্তের পানে

নিঃসীম শূন্যে

শ্রাবণ-বর্ষণ সঙ্গীতে

রিমঝিম রিমঝিম রিমঝিম

৬৬. উদ্দীপক কবিতাংশে প্রকাশিত অনুভূতি নিচের কোন কবিতায় পাওয়া যায়?   জ

      ক   প্রাণ  খ    অন্ধবধূ

      গ   বৃষ্টি  ঘ    ঝর্ণার গান

৬৭.  উক্ত কবিতার যে দিকটি উদ্দীপক কবিতাংশে উপস্থিত

      র.   প্রকৃতির বর্ণনা

      রর. স্মৃতিকাতরতা

      ররর. সংবেদনশীলতা

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

Mustafij Sir

Share
Published by
Mustafij Sir

Recent Posts

HSC Synonym Antonym Board Question All Board

WordsMeaningsSynonyms    antonymsouterবাইরেরoutmostinnerproletarianদরিদ্র/সর্বহারাWorking-classmorallaunchশুরু করাIntroductionwithdrawpreparingপ্রস্তুতিGet-readydoubtfaultlesslyনির্দোষভাবেabsolutelyfaultynauseaবমিবমিভাবvomitingheadachediscomfortঅসস্তিupsetcomfortmaintainedবজায় করাsustainuselessLaterকরেnextearlierdynamicগতিশীলAggressivestaticplanপরিকল্পনাproposaldisorderaimলক্ষGoalaimlessdirectionনিদ্ধেশনাInstructionnoticeprofessionপেশাJobjoblesssuitsআকারFormnothingaptitudeযোগ্যতাAttitudedislikevaryপরিবর্তীতVariousfixeducatedশিক্ষিতLearneduneducatedcitizenনাগরিকnativeforeignervirtueপূর্ণgoodnessevilA lotঅনেকhugelittlecourteousবিনয়ীpoliterudediscourtesyঅবিনয়ীrudenesscourteouswinজয় করাgainloseenemyশত্রুfoefriendensureনিশ্চিত করাconfirmcancelangerরাগtempercalmnessremoveঅপসারণcancelputcordialityসোহার্দrudenessdiscordialitydifferentভিন্নDissimilarsameseeksঅনুসন্ধানPursuefindeagerআগ্রহীinterestdisinterestedobservationপর্যবেক্ষণExaminationneglectmereএকমাত্রImmenseabnormalalertসতর্কWatchfulunawarelatentসুপ্তOpenrealizedinstructorsপ্রশিকক্ষকteacherstudentguideগাইডmentormisguidewayপথ/উপায়Pathpartfascinatingচমৎকারexcellentunattractiveinterestআগ্রহীeagerdisregardimpatientঅধৈয্যIntolerancepatientillogicalঅযোক্তিকunethicalLogicalindifferentউদাসীনUninteresteddifferentethicallyনৈথিকভাবেlawfullyUnethicalGood-lookingচমৎকারAttractiveUnattractiveDarkঅন্ধকারBlackbrightFlawlessস্থিরperfectflawedShinyউজ্জল্যbrightdarkSlenderসরুthinfatGracefulকরুনাময়elegantungracefulStylishlyআড়ম্বরপূর্ণভাবেattractivesimplyAppreciatesপ্রশংসা করেpriesCriticizeNoticeলক্ষ করেadvertisementoverlookAmbitionউচ্ছাকাঙকাAim/desirelazinessRequireপ্রয়োজনneedanswerProficiencyদক্ষতাskilledincompetenceWonderআশ্চয্যSurprisedisinterestTestedপরীক্ষীতverifiednewEquallyসমানভাবেsimilarlyUnequallyDisappointingহতাশাজনকInceptingappointingPresumablyসম্ভবতdoubtlesslyimprobableQualifyযোগ্যতাcertifyDisqualifywrongভুলmistakewriteIdealআদর্শModelbadMasterদক্ষTeacherStudentMakesতৈরীcreateBreak/destroyMethodপদ্ধতিSystemdifferenceConvincingবিশ্বাসীsatisfactoryUnconvincingPraisesপ্রশাংসা করেhurrahCriticizeMistakeভুলErrorsagacityAngryরাগevilcalmSimpleসাধারণgeneralComplexmoralনৈতিকethicalamoralAcceptedগৃহিতreceivedrejectedSincerityআন্তরিকতাGood-willinsincerityResponsibilityদায়িত্বdutiesdepartureComplexityজটিলতাcomplicationSimplicityEnvyহিংসাlastedpraiseVicesমন্দevilVirtueImpactsপ্রভাবeffectfailsAwarenessসতর্কতাalertnessunawarenessOut-comeবাহিরের দিকresultcauseimportanceগুর্ত্বপূর্ণsignificanceinsignificanceFriendবন্দুenemyfoeNeedপ্রয়োজনcommitment/necessaryavoidSympathyসহানুভুতিkindnessrudenessProveপ্রমানconfirmdisproveFalseমিথ্যাwrongtrueHarmক্ষতিকরlosshelpLaughহাসাburstcryPleasureআনন্দhappinesssadnessBringআনাcarryleaveideaধারণাconceptnothingAllowঅনুমতিpermitdenyFreedomস্বাধীনতাindependencebondageOpinionমতামতviewawarenessFairমেলাcleanunfairEqualসমানbalancedunequalDivisionবিভাগdistributionunionElectনির্বাচন করাvoterefuseSystemনিয়ম-নীতিprocesspartTreatmentচিকিৎশা করাcuringhurtFacilityসুবিধাadvantagepainNeverকখন নয়NotingAlwaysWeakerদুর্বলrottenstrongerDiscourageনিরুৎসাহিতdroopEncourageFrustratingহতাশাজনকBuffaloingsatisfyingInterestআগ্রহীeagernessdiscourageAbilityসক্ষমতাCapabilityinabilityDreamস্বপ্নfancyfactBestসবচেয়ে ভালfinestworstSuccessসফলতাachievementfailureachieveঅর্জন…

8 months ago

সরকারি চাকরী খুজুন ঘরে বসেঃ ইন্টারনেটে চাকরীর খোঁজ(জরুরী ধাপ ও নির্ভরযোগ্য সকল ওয়েবসাইট)

আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক…

2 years ago

HSC 2023- English 1st Paper Model Question and Solution-1

Model Question 1 Part-I : Marks 60 1. Read the passage and answer the questions…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-পঞ্চম অধ্যায়- দেবদেবী ও পূজা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম অধ্যায় দেবদেবী ও পূজা এ অধ্যায়ে আমরা পূজা, পুরোহিতের ধারণা ও যোগ্যতা, দেবী দুর্গা,…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-চতুর্থ অধ্যায়- হিন্দুধর্মে সংস্কার সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

চতুর্থ অধ্যার হিন্দুধর্মে সংস্কার আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয…

2 years ago

SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-তৃতীয় অধ্যায়, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

তৃতীয় অধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয়…

2 years ago

This website uses cookies.