SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-তৃতীয় অধ্যায়, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
তৃতীয় অধ্যায়
ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান
আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয় তাই ধর্মাচার। এগুলো লোকাচারও বটে। এসব আচরণে মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশ আছে। অপরদিকে ধর্মশাস্ত্রে পূজা এবং অবশ্য কর্তব্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেওয়া আছে। এগুলো ধর্মানুষ্ঠান। ধর্মাচার ও ধর্মানুষ্ঠান মূলত একই সূত্রে গাঁথা। ধর্মাচার ব্যতীত ধর্মানুষ্ঠান হয় না আবার ধর্মানুষ্ঠান করতে হলে ধর্মাচার অবশ্য কর্তব্য। সংক্রান্তি উৎসব, গৃহপ্রবেশ, জামাইষষ্ঠী, রাখীবন্ধন, ভাইফোঁটা, দীপাবলি, হাতেখড়ি, নবান্ন প্রভৃতি ধর্মাচারের পাশাপাশি দোলযাত্রা, রথযাত্রা, নামযজ্ঞ প্রভৃতি ধর্মানুষ্ঠানও আমাদের সংস্কৃতি।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘নবান্ন’ উৎসবে কোন দেবীর পূজা করা হয়?
ক সরস্বতী > লক্ষ্মী
গ দুর্গা ঘ মনসা
২. চৈত্রসংক্রান্তির প্রধান উৎসব কোনটি?
ক জামাইষষ্ঠী খ দোলযাত্রা
গ দীপাবলি > শিবপূজা
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নবম শ্রেণির ছাত্র অয়ন পহেলা বৈশাখের সকালে পূজার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রামের সকলের সাথে আনন্দ উপভোগ করে। এ আনন্দ উৎসব তার কাছে ছিল মহামিলন মেলা।
৩. অয়ন গ্রামে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে?
ক সংক্রান্তি খ গৃহপ্রবেশ
> বর্ষবরণ ঘ নবান্ন
৪. সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে উক্ত অনুষ্ঠানটি অয়নের জীবনে এক মহামিলন মেলা। কারণ এ অনুষ্ঠানটি-
র. সর্বজনীন
রর. অসাম্প্রদায়িক চেতনার মিলন
ররর. ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
গ ররর > র, রর ও ররর
ভূমিকা [পৃষ্ঠা : ৩৮]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫. ধর্মাচার ব্যতীত কী হয় না? (জ্ঞান) [পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক যজ্ঞানুষ্ঠান খ পূজানুষ্ঠান
> ধর্মানুষ্ঠান ঘ ধর্মপালন
৬. ধর্মাচারের অন্য নাম কী? (জ্ঞান)
ক মঙ্গলাচার খ অনাচার
গ পুণ্যাচার > লোকাচার
৭. ধর্মাচারের মাধ্যমে আমাদের আচরণে কিসের প্রকাশ ঘটে? (অনুধাবন)
[বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক মাঙ্গলিক কর্মের খ অনৈতিক কর্মের
গ সৃজনশীল > সাংস্কৃতিক কর্মের
৮. ধর্মাচারে কোন কর্মের নির্দেশ আছে? (জ্ঞান)
ক প্রায়োগিক খ সাম্প্রতিক
> মাঙ্গলিক ঘ আচরিক
পাঠ-১ : ধর্মাচার ও ধর্মানুষ্ঠান [পৃষ্ঠা : ৩৯]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯. ধর্মশাস্ত্রে পূজার্চনাসহ যেসব কর্তব্য কর্মের নির্দেশ আছে সেগুলোকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক আচার-অনুষ্ঠান খ কর্মানুষ্ঠান
গ মঙ্গলানুষ্ঠান > ধর্মানুষ্ঠান
১০. ঈশ্বর, দেবদেবীর ¯ত্মব-স্তুতি, প্রশংসা করে যেসব অনুষ্ঠান করা হয় সেগুলোকে কী বলে? (জ্ঞান)
[আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক যজ্ঞানুষ্ঠান খ নিত্যানুষ্ঠান
গ পূজানুষ্ঠান > ধর্মানুষ্ঠান
১১. যে সকল মাঙ্গলিক আচার-অনুষ্ঠান ধর্মানীতির সাথে সম্পর্কিত সেগুলোকে কী বলে? (জ্ঞান) [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
> ধর্মাচার খ ধর্মানুষ্ঠান
গ বিধিবিধান ঘ নামযজ্ঞ
১২. ধর্মাচার কিসের দ্বারা অনুমোদিত? (জ্ঞান)
ক ব্রাহ্মণদের নির্দেশ খ মানুষের বিশ্বাস
> ধর্মীয় বিধিবিধান ঘ লৌকিক আচার
১৩. ধর্মীয় বিধিবিধান দ্বারা অনুমোদিত কোনটি? (জ্ঞান)
> ধর্মাচার খ ধর্মানুষ্ঠান
গ সাংস্কৃতিক ঘ পূজানুষ্ঠান
১৪. জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যে সম¯ত্ম আচার-আচরণ পালন করা হয় সেগুলোকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক লৌকিকাচার খ মঙ্গলাচার
> ধর্মাচার ঘ অনাচার
১৫. পূজা কী ধরনের অনুষ্ঠান? (জ্ঞান)
ক লোকাচার > ধর্মানুষ্ঠান
গ কর্মানুষ্ঠান ঘ মঙ্গলানুষ্ঠান
১৬. সারাবছর নানা উৎসব করে থাকেন কারা? (জ্ঞান)
> হিন্দুধর্মাবলম্বীরা খ মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা
গ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা ঘ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা
১৭. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে সম¯ত্ম মাঙ্গলিক আচার-অনুষ্ঠান ধর্মনীতির সাথে সম্পর্কিত সেগুলোকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ধর্মানুষ্ঠান > ধর্মাচার
গ পূজানুষ্ঠান ঘ কর্মানুষ্ঠান
১৮. সবিতা ঈশ্বর, দেবদেবীর ¯ত্মব, স্তুতি, প্রশংসা করে সকল ধর্মানুষ্ঠান পালন করে থাকে। তার এ কাজটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
> ধর্মানুষ্ঠান খ নিত্যানুষ্ঠান গ ধর্মাচার ঘ পারমার্থিক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯. ধর্মানুষ্ঠানের মাধ্যমে জীবনটাকে রাখা যায়- (অনুধাবন)
র. কল্যাণময়
রর. সুখময়
ররর. আনন্দময়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২০. হিন্দুধর্মশাস্ত্রে পূজাসহ নানা অনুষ্ঠানের নির্দেশ রয়েছে- (অনুধাবন)
র. ধর্মানুষ্ঠান
রর. ধর্মাচার
ররর. লোকাচার
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১. হিন্দুধর্মশাস্ত্রে যেসব উৎসব রয়েছে তা হলো- (অনুধাবন)
র. বড়দিন
রর. সংক্রান্তি
ররর. রথযাত্রা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২. ধর্মাচারের মধ্যে রয়েছে- (অনুধাবন)
র. সংক্রান্তি
রর. রাখীবন্ধন
ররর. বর্ষবরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২৩. ধর্মানুষ্ঠানের উৎসবগুলো হলো- (অনুধাবন)
র. দোলযাত্রা
রর. রথযাত্রা
ররর. বর্ষবরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৪ ও ২৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ভবেন বাবু জীবনটাকে কল্যাণময়, সুখময় ও আনন্দময় করে রাখার চেষ্টায় থাকেন। যে সকল আচার-আচারণ আমাদের জীবনকে সুন্দর ও মঙ্গলময় করে গড়ে তোলে সেগুলো তিনি মেনে চলেন। ধর্মীয় বিধিবিধানেও অনেক জানেন।
২৪. ভবেন বাবুর জীবনকে সুন্দর ও মঙ্গলময় করে গড়ে তোলাকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
> ধর্মাচার খ ধর্মানুষ্ঠান
গ কর্মানুষ্ঠান ঘ পারমার্থিক
২৫. উক্ত আচার-আচরণ নির্দেশ করে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সংযম
রর. মাঙ্গলিক কর্মের
ররর.পারমার্থিক কর্মের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র > রর গ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-২, ৩ ও ৪ : কতিপয় ধর্মাচার [পৃষ্ঠা : ৩৯]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৬. বাংলা মাসের শেষ দিনকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
[গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা]
ক পার্বণ > সংক্রান্তি
গ লক্ষণা ঘ সমাপ্তি
২৭. পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্রসংক্রান্তির উৎসব কোন সমাজে বেশ উলেস্নখযোগ্য? (জ্ঞান)
ক রাশিয়ান সমাজ খ নেপালি সমাজ
গ বৈদিক সমাজ > বাঙালি সমাজ
২৮. ‘সংক্রান্তি’ শব্দটি অন্য কোন নামে পরিচিত? (জ্ঞান) [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
ক ঠাকরাইন খ আবরাইন
> সাকরাইন ঘ শাঁখরাইন
২৯. পৌষ সংক্রান্তিকে অন্য কী নামে চিহ্নিত করা হয়? (জ্ঞান)
ক ভাটি সংক্রান্তি খ শীত সংক্রান্তি
গ প্রহর সংক্রান্তি > মকর সংক্রান্তি
৩০. কোন দিনে হিন্দুরা পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে থাকে? (জ্ঞান)
ক চৈত্র সংক্রান্তিতে খ পহেলা বৈশাখে
গ মাঘী পূর্ণিমায় > পৌষ সংক্রান্তিতে
৩১. চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব কোনটি? (জ্ঞান)
ক জগন্নাথ পূজা খ দুর্গাপূজা
> শিবপূজা ঘ বিষ্ণুপূজা
৩২. শিবপূজার অন্য নাম কী? (জ্ঞান) [ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক নীলকণ্ঠ পূজা খ দ্বৈত পূজা
গ রক্তিম পূজা > নীল পূজা
৩৩. শিব পূজার অন্যতম প্রধান অঙ্গ কোনটি? (জ্ঞান)
ক কার্তিক পূজা খ দুর্গাপূজা
> চড়ক পূজা ঘ শক্তিপূজা
৩৪. নবনির্মিত গৃহে প্রবেশের সময় কোন দেবতার পূজা করা হয়? (জ্ঞান)
[নড়াইল সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়; অগ্রগামী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]
ক শিব খ গণেশ
> নারায়ণ ঘ কার্ত্তিক
৩৫. জামাই ষষ্ঠীতে কার প্রাধান্য থাকে? (অনুধাবন)
[সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা]
ক কন্যা খ শ্বশুর > শাশুড়ি ঘ ছেলে
৩৬. কোন অনুষ্ঠানে নারায়ণ দেবতার পূজা করা হয়? (অনুধাবন)
[অগ্রগামী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]
> গৃহপ্রবেশ খ চৈত্র সংক্রান্তি
গ দীপাবলি ঘ রাখীবন্ধন
৩৭. কোন মাসে জামাই ষষ্ঠী উদ্যাপন করা হয়? (জ্ঞান)
ক বৈশাখ > জ্যৈষ্ঠ
গ চৈত্র ঘ পৌষ
৩৮. ‘রাখী’ শব্দটি কোন শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে? (জ্ঞান)
[চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল; জামালপুর জিলা স্কুল]
ক রাখাল খ রাখা > রক্ষা ঘ রাত্রি
৩৯. কোন অনুষ্ঠানে বোনেরা তাদের ভাইদের হাতে পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়? (জ্ঞান)
ক দুর্গাপূজায় > রাখীবন্ধনের দিন
গ ভাইফোঁটায় ঘ নববর্ষে
৪০. রাখী পূর্ণিমা কখন পালন করা হয়? (জ্ঞান)
ক বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে খ জ্যৈষ্ঠ মাসে পূর্ণিমা তিথিতে
গ আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে > শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে
৪১. শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিটি অন্য কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
ক মঙ্গল পূর্ণিমা খ ভ্রাতৃ পূর্ণিমা
> রাখী পূর্ণিমা ঘ ধর্ম পূর্ণিমা
৪২. ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসব কখন পালন করা হয়? (জ্ঞান)
> কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে
খ কার্তিক মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে
গ ফাল্গুন মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে
ঘ ফাল্গুন মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে
৪৩. কোন ধর্মগ্রন্থে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া সংশিস্নষ্ট ঘটনার উলেস্নখ আছে? (জ্ঞান)
ক বেদ খ গীতা
> পুরাণ ঘ সংহিতা
৪৪. যমুনাদেবী কার মঙ্গল কামনায় ধ্যানমগ্ন হন? (জ্ঞান)
> যমদেবের খ বিষ্ণুর
গ গঙ্গাদেবীর ঘ পিতৃপুরুষের
৪৫. কিসের পুণ্যপ্রভাবে যমদেব অমরত্ব লাভ করেন? (অনুধাবন)
ক যমুনাদেবীর ভালোবাসার খ যমুনাদেবীর পূজা-অর্চনার
> যমুনাদেবীর আশীর্বাদের ঘ যমুনাদেবীর চোখের জলের প্রভাবে
৪৬. কোন দিনে বোনেরা বিশেষভাবে ভাইদের মঙ্গল কামনা করে? (জ্ঞান)
ক পূজার দিনে > ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায়
গ জন্মদিনে ঘ রাখী উৎসবে
৪৭. ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিতে বোনেরা কী ব্যবহার করে? (জ্ঞান)
ক চন্দন খ ঘি, দধি
গ কাজল > সবই
৪৮. বাঁ হাতের কোন আঙুল দিয়ে ভাইফোঁটা দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক তর্জনী আঙুল খ মধ্যমা আঙুল
> অনামিকা আঙুল ঘ কনিষ্ঠ আঙুল
৪৯. ‘যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা’ বোনের এই কামনা কোন অনুষ্ঠানে প্রকাশ পায়? (অনুধাবন)
ক রাখীবন্ধন খ ভ্রাতৃবরণ
> ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ঘ দীপাবলি
৫০. ‘ভ্রাতৃদ্বিতীয়া’ অনুষ্ঠানের অন্য নাম কী? (জ্ঞান)
ক ভাইমঙ্গল খ ভাইবরণ
গ রাখী উৎসব > ভাইফোঁটা
৫১. বাংলা সনের প্রথম দিন কোন উৎসব পালন করা হয়? (জ্ঞান)
ক বাংলা উৎসব খ নবান্ন
গ চৈত্র সংক্রান্তি > বর্ষবরণ
৫২. বর্তমানে বাঙালি অসাম্প্রদায়িক চেতনার মহা উৎসব কোনটি? (জ্ঞান)
ক ঈদ উৎসব খ দুর্গাপূজা
গ বসন্ত বরণ > বর্ষবরণ
৫৩. বর্ষবরণ ও চৈত্রসংক্রান্তি উপলড়্গে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীসমূহ কোন উৎসব পালন করে? (জ্ঞান)
ক বৈশাখী খ বাসšত্মী
> বৈসাবি ঘ জয়ন্তি
৫৪. শ্যামাপূজার অপর নাম কী? (জ্ঞান)
ক মনসাপূজা খ শক্তিপূজা
> কালীপূজা ঘ লক্ষ্মীপূজা
৫৫. শ্যামা বা কালীপূজার দিন কোন উৎসব পালিত হয়? (জ্ঞান)
ক রাখীবন্ধন খ জামাইষষ্ঠী
গ গৃহপ্রবেশ > দীপাবলি
৫৬. দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানো কী ধরনের অর্থ বহন করে? (অনুধাবন)
ক ভাববাচক খ ধর্মীয়
> প্রতীক ঘ সাংস্কৃতিক
৫৭. দীপাবলিতে জ্বালানো আলো প্রকৃতপড়্গে কোন আলোর প্রতীক? (অনুধাবন)
ক জ্বালানির আলো খ জ্ঞানের আলো
গ ধর্মের আলো > সচেতনতার আলো
৫৮. কোন ব্রত নিয়ে দীপাবলি উৎসব পালন করা হয়? (অনুধাবন)
[সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]
> জ্ঞানের আলোয় সারা বিশ্ব আলোকিত হোক
খ পরস্পরের মধ্যে সহমর্মিতা বোধ জাগ্রত হোক
গ মতবিরোধ নয়, শান্তি ও সমন্বয়ই হোক আমাদের প্রত্যাশা
ঘ ঐশ্বর্যে ও সমৃদ্ধিতে জগৎ পরিপূর্ণ হোক
৫৯. কোন পূজা অনুষ্ঠানের শেষে ‘হাতেখড়ি’ দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
[চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল]
ক দুর্গাপূজা খ কালীপূজা
গ লক্ষ্মীপূজা > সরস্বতী পূজা
৬০. শিশুদের শিক্ষা জীবনে প্রবেশের এক উলেস্নখযোগ্য অনুষ্ঠান কোনটি? (জ্ঞান)
ক দোলযাত্রা খ স্কুলগমন
গ রাখীবন্ধন > হাতেখড়ি
৬১. ‘নবান্ন’ শব্দটি বিশেস্নষণ করলে কী পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
[সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]
ক ন + অন্ন খ নব + আন্ন
> নব + অন্ন ঘ নবা + অন্ন
৬২. ‘নবান্ন’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক নতুন ধান খ নতুন চাল
গ নতুন বছর > নতুন ভাত
৬৩. কোন ঋতুতে নবান্ন উৎসব পালিত হয়? (জ্ঞান)
ক বর্ষা খ শরৎ
> হেমন্ত ঘ বসন্ত
৬৪. কোন মাসে নবান্ন উৎসব পালিত হয়? (জ্ঞান)
ক আষাঢ় খ আশ্বিন
গ কার্তিক > অগ্রহায়ণ
৬৫. ‘নবান্ন উৎসব কোন ধরনের অনুষ্ঠান? (জ্ঞান)
ক ধর্মীয় খ সাংস্কৃতিক
> ঋতুভিত্তিক ঘ আঞ্চলিক
৬৬. নবান্ন উৎসবে কোন দেবীর পূজা করা হয়? (জ্ঞান)
[এসএসসি স. বো. ’১৫; সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা]
ক অন্নপূর্ণা খ দুর্গা > লক্ষ্মী ঘ মনসা
৬৭. শ্রীশ্রীলক্ষ্মী কিসের অধিষ্ঠাত্রী দেবী? (জ্ঞান)
ক বিদ্যার খ জ্ঞানের
গ ফলের > শস্যের
৬৮. শিব নারায়ণ বাংলা মাসের শেষ দিনে একটি উৎসব পালন করল। তার এ উৎসবটি কিসের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
[অগ্রগামী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট; গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা]
> ধর্মাচারের খ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের
গ পূজার ঘ ব্রহ্মচর্যের
৬৯. কোন উৎসবের দিন লক্ষ্মীপূজা করা হয়? (জ্ঞান)
[পাবনা জিলা স্কুল; নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক দীপাবলি খ রানি পূর্ণিমা
> নবান্ন ঘ বর্ষবরণ
৭০. কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে পালন করা হয়- (জ্ঞান)
[কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
ক গৃহপ্রবেশ খ নবান্ন
গ রথযাত্রা > ভ্রাতৃদ্বিতীয়া
৭১. মকর সংক্রান্তি বলা হয় কোনটিকে? (জ্ঞান)
[ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম; সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক চৈত্র সংক্রান্তি খ জামাইষষ্ঠী
> পৌষ পার্বণ ঘ রাখীবন্ধন
৭২. শস্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী কে? (জ্ঞান) [চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল]
ক শ্রীশ্রী দুর্গা খ শ্রীশ্রী কালী
> শ্রীশ্রী সরস্বতী > শ্রীশ্রী লক্ষ্মী
৭৩. পৌষ সংক্রান্তিতে হিন্দুরা কাদের তর্পণ করে থাকে? (অনুধাবন)
ক দেবদেবীর খ অবতারদের
> পিতৃপুরুষের ঘ ধর্মগুরুদের
৭৪. হাতেখড়ি অনুষ্ঠান উদ্যাপন করা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক ভাইয়ের মঙ্গল কামনায়
খ জ্ঞানের আলোয় পৃথিবীকে আলোকিত করার জন্য
> শিশুদের শিক্ষাজীবনে প্রবেশের জন্য
ঘ আবহমান বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করার জন্য
৭৫. সমরেশ বাবু একটি নতুন ঘর তৈরি করেছে। তিনি ঘরে প্রবেশের সময় কোন দেবতার উদ্দেশ্যে পূজা করবেন? (প্রয়োগ)
> নারায়ণ খ কার্ত্তিক
গ বিষ্ণু ঘ লক্ষ্মী
৭৬. ‘বৈসাবি’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
> ড়্গুদ্র নৃগোষ্ঠীর ধর্মীয় সামাজিক অনুষ্ঠান
খ হিন্দু জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
গ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান
ঘ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সামাজিক অনুষ্ঠান
৭৭. প্রমিলাদের বাড়িতে শ্রীশ্রীলক্ষ্মী পূজা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম পিঠা তৈরি করে। হিন্দুধর্ম অনুযায়ী তার বাড়ির উৎসবটির নাম কী? (প্রয়োগ)
ক বর্ষবরণ > নবান্ন
গ চৈত্র সংক্রান্তি ঘ দীপাবলি
৭৮. শিবপূজার অঙ্গ হিসেবে কোনটি উদ্যাপন করা হয়? (অনুধাবন)
ক অগ্নিপূজা > চড়ক পূজা
গ গোপূজা ঘ গণেশ পূজা
৭৯. সারদা রানি কার্তিক মাসের দ্বিতীয়া তিথিতে উপবাস থেকে তার ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিল। সারদা রানির উপবাস থাকার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নিজের কল্যাণ কামনা > ভাইয়ের মঙ্গল কামনা
গ জগতের কল্যাণ কামনা ঘ ঈশ্বর প্রাপ্তির আকাক্সক্ষা
৮০. শ্যামা পূজার দিন রাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে একটি উৎসব পালন করা হয়। এ উৎসবের নাম কী? (প্রয়োগ)
> দীপাবলি খ সংক্রান্তি
গ নবান্ন ঘ মহালয়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮১. গৃহপ্রবেশের সময় যে যে দেবতার পূজা করা হয়- (অনুধাবন)
র. নারায়ণের পূজা
রর. ভূমিদেবতার পূজা
ররর. গৃহপতির অভীষ্ট দেবতার পূজা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৮২. যে দিন ও তিথিতে জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়- (অনুধাবন)
র. জ্যৈষ্ঠ মাস
রর. শুক্লপক্ষ
ররর. ষষ্ঠী তিথি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৮৩. ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার আচার ও আনুষ্ঠানিকতাগুলো হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. বোন উপবাস থাকে
রর. ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেয়
ররর. ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৮৪. বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের অনুষঙ্গগুলো হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. বিভিন্ন পূজার্চনা
রর. ভাববিনিময়
ররর. হালখাতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৮৫. দীপাবলির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মনের অন্ধকার দূর করা
রর. কুসংস্কার থেকে মুক্তি লাভ
ররর. জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৮৬. বাংলায় নবান্ন উৎসবের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. এটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান
রর. এটি অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান
ররর. এটি সর্বজনীন অনুষ্ঠান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
> রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. নবান্ন উৎসব সম্পর্কে বলা যায়- (অনুধাবন)
র. সব ধর্মের মানুষ এটি পালন করে
রর. এটি ঋতুনির্ভর একটি অনুষ্ঠান
ররর. বারো মাসে তের পার্বণের অন্যতম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৮৮. প্রবীর শ্যামা পূজার দিন রাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপাবলি উৎসব পালন করে। এ উৎসবের মাধ্যমে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সকল কুসংস্কার পুড়িয়ে দেয়া হয়
রর. সচেতনতার আলো জ্বালানো হয়
ররর. মানব শিশুকে শিক্ষাজীবনে প্রবেশ করানো হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান নবান্ন। এ অনুষ্ঠানে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শ্রী শ্রী লক্ষ্মী দেবীর পূজা দেয়া হয়
রর. নানা ধরনের পিঠাপুলি তৈরি করা হয়
ররর. ইলিশ-পাšত্মা খাওয়া হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. বাঙালি সমাজে সংক্রান্তির যে উৎসবগুলো উলেস্নখযোগ্য- (অনুধাবন)
র. বসন্ত সংক্রান্তি
রর. চৈত্র সংক্রান্তি
ররর. পৌষ সংক্রান্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
> রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯১ ও ৯২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে টুম্পা তার ভাই অমিতের হাতে একটি পবিত্র সুতা বেঁধে দিল। প্রতি বছরই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে টুম্পা এই কাজটি করে থাকে।
৯১. হিন্দুধর্মাচার অনুযায়ী টুম্পার বেঁধে দেওয়া সুতাটির নাম কী? (প্রয়োগ)
ক মঙ্গলসূত্র খ চূড়া
গ নবসূত্র > রাখী
৯২. টুম্পার বেঁধে দেওয়া এ সুতা কিসের প্রতীক বহন করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য কামনা
খ ভাইবোনের বিদ্যালাভ
গ ভাইকে বিদায় জানানো
> ভাইবোনের আজীবনের ভালোবাসা
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৩ ও ৯৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
চন্দ্রার একমাত্র ভাই কুশন। ভাইয়ের জন্য তার দুশ্চিšত্মার শেষ নেই। তাই কার্তিক মাসের দ্বিতীয় তিথিতে চন্দ্রা উপবাস থেকে ভাইকে ডেকে তার কপালে ফোঁটা দিল। [যশোর জিলা স্কুল]
৯৩. চন্দ্রার পালিত ধর্মাচারটির নাম কী? (প্রয়োগ)
ক ভ্রাতৃ আদর খ ভাইমঙ্গল
> ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ঘ রাখী পূর্ণিমা
৯৪. ভ্রাতৃদ্বিতীয়া নামক ধর্মাচারটি সকলের মধ্যে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভ্রাতৃত্বের চেতনা জাগ্রত করে
রর. জাতীয় ঐক্যসৃষ্টি করে
ররর. পারস্পরিক সহনশীলতা সৃষ্টি করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৫ ও ৯৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অথৈ কার্তিক মাসের এক বিশেষ তিথিতে উপবাস থেকে তার ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে মঙ্গল কামনা করল। [এসএসসি স. বো. ’১৫]
৯৫. অথৈ কোন তিথিতে তার ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়েছিল? (প্রয়োগ)
> দ্বিতীয়া খ একাদশী
গ চতুর্দশী ঘ পূর্ণিমা
৯৬. অথৈ তার ভাইকে ফোঁটা দেয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো তার ভাই যেন-
র. দীর্ঘ জীবন লাভ করে
রর. বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পায়
ররর. উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষতি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর > র ও রর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ – ৫ ও ৬ : ধর্মানুষ্ঠান [পৃষ্ঠা : ৪১]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৭. দোল পূর্ণিমা তিথি কোন মাসে অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক কার্তিক খ অগ্রহায়ণ
গ মাঘ > ফাল্গুন
৯৮. দোল পূর্ণিমায় রাধাকৃষ্ণকে কোথায় রাখা হয়? (জ্ঞান)
ক মন্দিরে খ বৃক্ষতলায়
> দোলায় ঘ মঠে
৯৯. দোল পূর্ণিমায় কোন বিগ্রহকে আবীর, কুঙ্কুমে রাঙিয়ে পূজা করা হয়? (জ্ঞান)
ক সরস্বতী খ শিব
> রাধাকৃষ্ণ ঘ গোবিন্দ
১০০. দোল পূর্ণিমায় লোকজন পরস্পরকে কী মাখিয়ে আনন্দ পায়? (জ্ঞান)
ক সিঁদুর খ আলতা
গ কাদা > আবীর
১০১. দোল পূর্ণিমার আগের দিন কোন তিথি থাকে? (জ্ঞান)
ক শুক্লা দশমী খ কৃষ্ণা দশমী
> শুক্লা চতুর্দশী ঘ কৃষ্ণা চতুর্দশী
১০২. দোল পূর্ণিমার আগের দিন কী পোড়ানো হয়? (জ্ঞান)
ক ঘরের বেড়া খ পাটের পুতুল
গ পাটখড়ি > বুড়ির ঘর বা মেড়া
১০৩. দোল পূর্ণিমার আগের দিন ‘মেড়া’ পোড়ানো হয় কেন? (অনুধাবন)
[অগ্রগামী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য খ আনন্দ উপভোগের জন্য
> অমঙ্গল দূর করার জন্য ঘ ঈশ্বরপ্রাপ্তির জন্য
১০৪. দোলপূর্ণিমা মূলত কী ধরনের উৎসব? (জ্ঞান)
ক বাঙালির উৎসব > বৈষ্ণবীর উৎসব
গ ঋতুভিত্তিক উৎসব ঘ পূর্ণিমা উৎসব
১০৫. কোন সময়ে শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে আবীর নিয়ে রাধিকা ও গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন? (জ্ঞান)
ক রাখী পূর্ণিমায় খ দীপাবলিতে
গ সংক্রান্তিতে > দোল পূর্ণিমায়
১০৬. দোল পূর্ণিমায় শ্রীকৃষ্ণ, রাধিকা ও গোপীগণ কোথায় রং খেলায় মেতেছিলেন? (জ্ঞান)
ক নবদ্বীপে খ মথুরায়
গ গয়ায় > বৃন্দাবনে
১০৭. কোন ঘটনা থেকে দোল খেলার প্রবর্তন? (জ্ঞান)
ক রাধাকৃষ্ণের প্রেম থেকে
খ প্রাচীনকালের দোলনা থেকে
> রাধাকৃষ্ণ ও গোপীদের রং খেলা থেকে
ঘ দোলনা দোলানো থেকে
১০৮. দোল পূর্ণিমা উৎসবটি বাংলার বাইরে কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
ক রাখী উৎসব খ আবীর উৎসব
> হোলি উৎসব ঘ বন্ধন উৎসব
১০৯. কোন তিথিতে রথযাত্রা শুরু হয়? (জ্ঞান)
> শুক্লা-দ্বিতীয়া খ শুক্লা-পঞ্চমী
গ শুক্লা-ষষ্ঠী ঘ শুক্লা-দশমী
১১০. কোন মাসে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক বৈশাখ > আষাঢ়
গ ভাদ্র ঘ কার্তিক
১১১. রথযাত্রা অনুষ্ঠানটি কোন দেবতার নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
ক শ্রীশ্রীকৃষ্ণ খ শ্রীশ্রীবাসুদেব
> শ্রীশ্রীজগন্নাথদে ঘ শ্রীশ্রীবিশ্বকর্মা
১১২. রথ কী ধরনের যান? (জ্ঞান)
ক পাখাওয়ালা খ বৈঠাওয়ালা
গ যন্ত্রওয়ালা > চাকাওয়ালা
১১৩. রথে কতজন দেবতা অধিষ্ঠিত? (জ্ঞান)
ক ২ > ৩
গ ৪ ঘ ৫
১১৪. রথে অধিষ্ঠিত দেবতাগণ হলেন (জ্ঞান)
ক জগন্নাথ, বলরাম ও রাধিকা খ জগন্নাথ, রাধিকা ও সুভদ্রা
গ বলারম, সুভদ্রা ও বিশ্বকর্মা > জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা
১১৫. রথ কী দিয়ে টেনে নেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক সালু কাপড় খ যন্ত্র
গ নতুন কাপড় > রশি
১১৬. রথযাত্রার কয়দিন পরে উল্টোরথ পর্বটি সমাপ্ত হয়? (জ্ঞান)
[পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়]
ক পাঁচ দিন খ সাত দিন
> নয় দিন ঘ এগারো দিন
১১৭. কোন তিথিতে রথ উল্টোদিকে টেনে আনা হয়? (জ্ঞান)
ক পঞ্চমী খ অষ্টমী
গ দশমী > একাদশী
১১৮. রথযাত্রা উপলড়্গে কয়দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মেলা হয়? (জ্ঞান)
ক সাত দিন > নয় দিন
গ এগারো দিন ঘ তেরো দিন
১১৯. ধামরাই কোন জেলায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
> ঢাকা খ নারায়ণগঞ্জ
গ কুমিলস্না ঘ নেত্রকোনা
১২০. কোন স্থানের রথযাত্রা উৎসবটি পৃথিবীজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছে? (জ্ঞান)
[পাবনা জিলা স্কুল]
ক ঢাকার নারিন্দা খ ঢাকার শাঁখারি পাড়া
> ঢাকার ধামরাই ঘ ঢাকার তাঁতিখোলা
১২১. দোলযাত্রার সার্বজনীনতা কী? (অনুধাবন)
> সবাই একান্ত হয়ে যাওয়া খ সবাই সহনশীল হওয়া
গ সবাই পরোপকারী হওয়া ঘ সবাইকে ভালোবাসা
১২২. দোলযাত্রা বাংলার বাইরে কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
[পাবনা জিলা স্কুল; সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক রাখী বন্ধন > হোলি গ নবান্ন ঘ রথ
১২৩. দোলযাত্রা মূলত কাদের উৎসব? (জ্ঞান)
[বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক শৈব খ শাক্ত গ মথুরা > বৈষ্ণবীয়
১২৪. কোন সময় ভগবান ভক্তের কাছে নেমে আসেন? (অনুধাবন)
ক দোলখেলার সময় > রথযাত্রার সময়
গ পূজা অর্চনার সময় ঘ ধ্যান তপস্যার সময়
১২৫. দোলযাত্রা উৎসবের দিন নারী পুরুষ শত্রম্ন-মিত্র সবাই বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়ে যায়। এ উৎসবটি আমাদের কী শিক্ষা দেয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
> একান্ততার খ সহনশীলতার
গ উদারতার ঘ নমনীয়তার
১২৬. রথযাত্রায় সবাই একত্রে রশি ধরে টানে। এ যাত্রার শিক্ষণীয় দিক কী? (উচ্চতর দক্ষতা) [মতিঝিল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক পরস্পরের কল্যাণ কামনা > সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা
গ পূজা অর্চনায় একাগ্রতা ঘ পারস্পরিক সহনশীলতা
১২৭. রথযাত্রা মূলত কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান) [চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল]
> শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথযাত্রা
খ শ্রীকৃষ্ণের রথযাত্রা
গ বাবা লোকনাথ ঠাকুরের রথযাত্রা
ঘ শিব দেবের রথযাত্রা
১২৮. ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন যশোধা তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে রাধাকৃষ্ণকে দোলায় রেখে পূজা করেন। তারা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করেছেন? (প্রয়োগ) [খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক রথযাত্রা খ দীপাবলি
> দোলযাত্রা ঘ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৯. দোলযাত্রার বিশেষ বৈশিষ্ট্যসূচক দিকগুলো হলো- (অনুধাবন)
র. রাধাকৃষ্ণকে দোলায় রেখে আবীর মাখিয়ে পূজা
রর. শত্রম্ন-মিত্র, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রং খেলায় মত্ত হওয়া
ররর. সকল ভেদাভেদ ভুলে একান্ত হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১৩০. রথযাত্রার তাৎপর্যসমূহ হচ্ছে (অনুধাবন)
র. ভগবান ভক্তের নিকট নেমে আসেন
রর. জাতি-ধর্ম-বর্ণের বিভেদ থাকে না
ররর. সাম্যের শিক্ষা পাওয়া যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১৩১. দোলযাত্রা উপলড়্গে আয়োজন করা হয়- (অনুধাবন)
[খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. গানের আসর
রর. মেলা
ররর. প্রদীপ জ্বালানো
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩২. রথের মেলার গুরুত্ব রয়েছে- (অনুধাবন)
র. সাংস্কৃতিক দিক থেকে
রর. রাজনৈতিক দিক থেকে
ররর. অর্থনৈতিক দিক থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৩ ও ১৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রুমা স্কুল থেকে বাসায় আসার সময় রিকাবীবাজার এসে রিকশা আটকে গেল। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিশাল সমাগম। রা¯ত্মায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। রুমা দেখতে পেল একটি বড় চাকাওয়ালা যানে দেবতাদের বিগ্রহ রয়েছে। [অগ্রগামী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট]
১৩৩. রুমার দেখা ধর্মীয় অনুষ্ঠানটির নাম কী? (প্রয়োগ)
ক দোলযাত্রা খ দেওয়ালি
গ সুখসুপ্তিকা > রথযাত্রা
১৩৪. উক্ত উৎসবটির সামাজিক শিক্ষা কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পারস্পরিক ভালোবাসা স্থাপন > সাম্য প্রতিষ্ঠা
গ বিপদে সহানুভূতি দেখানো ঘ মানুষের কল্যাণ কামনা
পাঠ-৭ ও ৮ : ধর্মানুষ্ঠান ও পারিবারিক-সামাজিক জীবনে ধর্মানুষ্ঠান ও ধর্মাচারের গুরুত্ব [পৃষ্ঠা : ৪২]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৫. কোন ধর্মানুষ্ঠানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও মহাপ্রভুর পূজা করা হয়? (জ্ঞান)
[চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল]
ক দোলযাত্রা খ রথযাত্রা
> নামযজ্ঞ ঘ লীলাকীর্তন
১৩৬. নামযজ্ঞে বিভিন্ন সুর, ছন্দ ও তালে কী করা হয়? (জ্ঞান)
ক ধর্মীয় গান খ শিবনৃত্য
গ ¯ত্মবগান > কৃষ্ণনাম বা কীর্তন
১৩৭. কার নাম নিলে বা শুনলে পুণ্য হয় বলে হিন্দুদের বিশ্বাস? (জ্ঞান)
ক কালীমাতার খ শ্রীরাধিকার
> শ্রীহরির ঘ শ্রীদুর্গার
১৩৮. সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে আমাদের ধর্মাচার অনুসরণ করার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মোক্ষলাভ খ নৈতিক চরিত্র গঠন করা
> সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় করা ঘ বৈষয়িক উন্নতি লাভ করা
১৩৯. তপন বাবু বৌদ্ধনাথ মন্দিরে গিয়ে দেখলেন বিভিন্ন সুরে ও তালে কৃষ্ণনাম এবং রামনাম কীর্তন করা হচ্ছে। তিনি কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন? (প্রয়োগ)
> নামযজ্ঞে খ ধর্মযজ্ঞে
গ রথযাত্রায় ঘ দোলযাত্রায়
১৪০. মানুষ নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে যোগ দেয় কেন? (অনুধাবন)
> দুঃখযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে খ বৈষয়িক উন্নতি লাভের আশায়
গ আধ্যাতি¥ক কল্যাণ লাভের জন্য ঘ ঈশ্বরপ্রাপ্তির জন্য
১৪১. তিন ঘণ্টায় কয় প্রহর ধরা হয়? (জ্ঞান)
> এক খ দুই গ তিন ঘ চার
১৪২. শ্রীহরির নাম নিলে বা শুনলে কী হয়? (জ্ঞান)
> দুঃখ-যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়
খ আধ্যাতি¥ক কল্যাণ লাভ হয়
গ বৈষয়িক উন্নতি লাভ হয়
ঘ মোক্ষলাভ হয়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৩. ধর্মাচার পালনের ফলে ব্যক্তির চরিত্রে- (অনুধাবন)
র. ভদ্রতা ও বিনয় প্রকাশ পায়
রর. বলিষ্ঠতা দানা বাঁধে
ররর. মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৪. নামযজ্ঞের মাধ্যমে মানুষ- (অনুধাবন)
র. দুঃখ থেকে পরিত্রাণ পায়
রর. ভেদাভেদ ভুলে যায়
ররর. ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১৪৫. নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান বেশ কয়েক প্রহরব্যাপী হয়ে থাকে- (অনুধাবন)
[দি বাডস্ রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
র. অনুষ্ঠানের স্থান অনুযায়ী
রর. অনুষ্ঠানের সময় অনুযায়ী
ররর. মানুষের উপস্থিতি অনুযায়ী
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৬. আমাদের অবশ্য কর্তব্য হলো ধর্মানুষ্ঠান ও ধর্মাচারের নীতি অনুসরণ করা। কারণ এগুলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
[অগ্রগামী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট]
র. ব্যক্তিজীবনকে সুন্দর করে
রর. পারিবারিক জীবনকে সুন্দর করে
ররর. সামাজিক জীবনকে গতিশীল করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৭ ও ১৪৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে কদিন থেকে ধর্মানুষ্ঠান চলছে। বিভিন্ন সুরে, তালে ও ছন্দে কৃষ্ণনাম জপ করা হচ্ছে। রণজিৎ বাবু অনেক দূরের একটি জেলা থেকে পুণ্যলাভের প্রত্যাশায় এই ধর্মানুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন।
১৪৭. রণজিৎ বাবু কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন? (প্রয়োগ)
ক দীপান্বিতা > নামযজ্ঞ গ রথযাত্রা ঘ কর্মযজ্ঞ
১৪৮. উক্ত অনুষ্ঠানটির ন্যায় বিভিন্ন ধর্মাচার অনুসরণ করার গুরুত্ব কী?
(উচ্চতর দক্ষতা
ক সুখ লাভ করা > সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করা
গ চরিত্র গঠন করা ঘ ঐতিহ্য রক্ষা করা
পাঠ-৯ : বাংলাদেশের তীর্থস্থান [পৃষ্ঠা : ৪৩]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৯. ‘সীতাকুণ্ড’ নামক তীর্থস্থানটি কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
[অগ্রগামী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট]
ক নারায়ণগঞ্জে খ সুনামগঞ্জে
> চট্টগ্রামে ঘ রাঙামাটিতে
১৫০. আদিনাথের মন্দির কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান) [পাবনা জিলা স্কুল]
ক সোনাখালী > মহেশখালী
গ হিমাইতপুর ঘ তাহিরপুর
১৫১. পুণ্যস্নানের জন্য বিখ্যাত লাঙ্গলবন্দ কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক নোয়াখালী খ যশোর
গ পাবনা > নারায়ণগঞ্জ
১৫২. যুগলটিলা তীর্থস্থানটির অবস্থান কোথায়? (জ্ঞান)
ক সীতাকুণ্ড খ শ্রীভট্ট
> শ্রীহট্ট ঘ লোহাগাড়া
১৫৩. ভগবান কিংবা অবতারের আবির্ভাব স্থানকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
> পুণ্যস্থান খ ভৌগোলিক স্থান
গ আগমস্থান ঘ ধর্মস্থান
১৫৪. তীর্থস্থান ভ্রমণ কোন ধরনের কর্ম? (অনুধাবন)
ক ধর্মকর্ম খ অবশ্যকর্ম
> পুণ্যকর্ম ঘ নিত্যকর্ম
১৫৫. তীর্থদর্শনে মন কেমন হয়? (অনুধাবন)
ক দুঃখিত খ আনন্দিত
> পবিত্র ঘ অশান্ত
১৫৬. তীর্থদর্শনে কী দূর হয়? (জ্ঞান)
ক কষ্ট খ আনন্দ
গ ভয় > দুঃখ
১৫৭. তীর্থদর্শন করলে পরকালে কী লাভ হয়? (জ্ঞান)
ক স্ব¯িত্ম খ আনন্দ
> সদ্গতি ঘ স্বাতন্ত্র্য
১৫৮. ঐতিহাসিক তীর্থস্থান ভ্রমণে কিসের পরিধি বৃদ্ধি পায়? (্উচ্চতর দক্ষতা)
ক বিবেকের > জ্ঞানের
গ সম্পদের ঘ সুনামের
১৫৯. পুণ্যস্থান বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক যেখানে পুণ্যকাজ করা হয়
খ যেখানে পূজা দেওয়া হয়
> যেখানে ভগবান বা তাঁর অবতার আবির্ভূত হয়
ঘ যে স্থানে দান করা হয়
১৬০. স্বয়ং ভগবান কিংবা তাঁর অবতারের আবির্ভূত স্থানকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
> পুণ্যস্থান খ স্বর্গস্থান
গ বানপ্রস্থ স্থান ঘ সংকীর্ণ স্থান
১৬১. পণাতীর্থ স্থান কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
[ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম; সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক সিলেট > সুনামগঞ্জ
গ সীতাকুণ্ড ঘ আবাসভূমি
১৬২. পুণ্যস্থানকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
[দি বাডস রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
> তীর্থস্থান খ দর্শনীয় স্থান
গ সমধিস্থল ঘ আবাসভূমি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৩. তীর্থস্থান ভ্রমণ করা একটি পবিত্র কাজ। কারণ এর মাধ্যমে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মন পবিত্র হয়
রর. সংকীর্ণতা দূর হয়
ররর. উদারতা বৃদ্ধি পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১৬৪. তীর্থস্থান দর্শনে (অনুধাবন) [বস্নু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
র. জ্ঞান বৃদ্ধি পায়
রর. পুণ্যলাভ হয়
ররর. দুঃখ দূর হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৫ ও ১৬৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সত্তর বছর বয়সী সুবোধ ঘোষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখন তিনি তীর্থস্থান ভ্রমণ করে পুণ্যকর্মের চর্চা করবেন। তিনি এও ঠিক করে রেখেছেন মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির ভ্রমণের মধ্য দিয়ে এই পুণ্যকর্মের সূচনা করবেন।
১৬৫. সুবোধ ঘোষের সিদ্ধান্তটি কী বলে চিহ্নিত করা যায়? (প্রয়োগ)
ক ভ্রমণপিপাসু খ বিনোদন লাভ
গ তীর্থচিšত্মা > তীর্থদর্শন
১৬৬. তার উক্ত সিদ্ধান্তের ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পুণ্যলাভ হবে
রর. দুঃখ দূর হবে
ররর. জীবনে শান্তি আসবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-১০ : পণাতীর্থ এবং পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে এর প্রভাব [পৃষ্ঠা : ৪৩]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৭. পণাতীর্থ স্থানটি কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে > সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে
গ পাবনার হিমাইতপুরে ঘ সুনামগঞ্জের মোহনপুরে
১৬৮. পণাতীর্থে কার জন্মস্থান রয়েছে? (জ্ঞান)
ক শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর > শ্রীমৎ অদ্বৈত প্রভুর
গ শ্রী রামঠাকুরের ঘ শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের
১৬৯. শ্রীমৎ অদ্বৈত প্রভু কার পার্ষদ ছিলেন? (জ্ঞান)
> শ্রীচৈতন্যের খ শ্রীভট্টের গ শ্রীনিবাসের ঘ শ্রীনিত্যানন্দের
১৭০. শ্রীমৎ অদ্বৈত প্রভুর জন্মস্থান কোন পাহাড়ে অবস্থিত? (জ্ঞান)
> লাউড় খ লাহুর গ বৈলর ঘ সীতাকুণ্ড
১৭১. কোন সময়ে পণাতীর্থে জনসমাবেশ হয়? (জ্ঞান) [যশোর জিলা স্কুল]
ক বৈশাখ মাসে খ শ্রাবণ মাসে
গ ফাল্গুন মাসে > চৈত্র মাসে
১৭২. চৈত্র মাসে পণাতীর্থে সবাই কোন স্নানে আসে? (জ্ঞান)
ক অরুণীস্নানে খ সূর্যস্নানে
> বারুনীস্নানে ঘ অর্ধস্নানে
১৭৩. লাভাদেবী কী করতে ইচ্ছা পোষণ করেন? (জ্ঞান)
ক অষ্টমীস্নান খ ব্রতপূজা > গঙ্গাস্নান ঘ গঙ্গাপূজা
১৭৪. অদ্বৈত প্রভু মায়ের ইচ্ছা পূরণে এক নদীতে কী প্রবাহিত করান? (জ্ঞান)
ক সম¯ত্ম নদীর জল খ সাত সমুদ্রের জল
গ স্বচ্ছ টলটলে জল > সম¯ত্ম তীর্থের পুণ্যজল
১৭৫. রেণুকা নদী বর্তমানে কী নামে প্রবাহিত? (জ্ঞান)
ক নয়নকাটা নদী খ দাগকাটা নদী
গ পুণ্যকাটা নদী > যাদুকাটা নদী
১৭৬. কখন পণাতীর্থে বারুণীস্নান হয়? (জ্ঞান)
ক এক বছর অন্তর খ দুবছর অন্তর
> প্রতিবছর ঘ প্রতিমাসে
১৭৭. অদ্বৈত প্রভু কিসের দ্বারা সব তীর্থের পুণ্যজল এক করেছিলেন? (অনুধাবন)
[অগ্রগামী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট;
সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক সন্ন্যাসী হয়ে > যোগসাধনাবলে
গ কর্মসাধনা বলে ঘ জ্ঞানসাধনা করে
১৭৮. অদ্বৈত প্রভুর মায়ের নাম কী? (জ্ঞান)
[সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক মায়াদেবী খ কৃষ্ণদেবী
> লাভাদেবী ঘ সারদাদেবী
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭৯. লাভা দেবী গঙ্গাস্নানে যেতে পারেননি- (অনুধাবন)
র. শারীরিক অসামর্থ্যরে কারণে
রর. ইচ্ছা না থাকার কারণে
ররর. প্রাকৃতিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র খ রর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮০. পণাতীর্থে জনসমাবেশ ঘটে- (অনুধাবন)
র. জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির জন্য
রর. বারুণীস্নানের জন্য
ররর. মোক্ষলাভের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৮১ – ১৮৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অনুরাধা একটি তীর্থস্থানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে রেনুকা নামে একটি নদী আছে। বর্তমানে এটি যাদুকাটা নদী নামে প্রবাহিত।
১৮১. অনুরাধা কোন তীর্থস্থানে গিয়েছিলেন? (প্রয়োগ)
> পণাতীর্থ খ যুগলটিলা
গ ওড়াকান্দি ঘ লাঙ্গলবন্দ
১৮২. উক্ত স্থানে বহুলোকের সমাবেশ ঘটে কোন মাসে? (প্রয়োগ)
ক বৈশাখ > চৈত্র
গ ভাদ্র ঘ শ্রাবণ
১৮৩. উক্ত তীর্থস্থানে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শ্রীমৎ অদ্বৈত প্রভুর জন্মস্থান
রর. লাউড় পাহাড় অবস্থিত
ররর. রামঠাকুরের সমাধিস্থল
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে কনক উপবাস থেকে তার ভাই সৌবর্ণের কপালে ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে। তার বিশ্বাস সৌবর্ণ সকল বিপদ-আপদ থেকে পরিত্রাণ পাবে।
ক. বাংলা মাসের শেষ দিনকে কী বলা হয়?
খ. ধর্মাচার বলতে কী বোঝায়?
গ. কনক কীভাবে অনুচ্ছেদে বর্ণিত ধর্মাচারটি উদ্যাপন করছে, তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পারিবারিক ও ধর্মীয় জীবনে কনকের পালনকৃত ধর্মাচারটির প্রভাব বিশেস্নষণ কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বাংলা মাসের শেষ দিনকে বলা হয় সংক্রান্তি।
খ. যে সম¯ত্ম আচার-আচরণ আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে তাকে ধর্মাচার বলে। এগুলোকে লোকাচারও বলা হয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে সম¯ত্ম মাঙ্গলিক আচার-অনুষ্ঠান ধর্মনীতির সাথে সম্পর্কিত সেগুলোই ধর্মাচার। ধর্মাচার ধর্মীয় বিধিবিধান দ্বারা অনুমোদিত।
গ. উদ্দীপকে কনক যে ধর্মাচারটি উদ্যাপন করেছে সেটি হলো ভ্রাতৃদ্বিতীয়া।
ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসবটি কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে পালন করা হয়। এ দিনটি বড়ই পবিত্র। ভাইকে যাতে কোনো বিপদ-আপদ স্পর্শ করতে না পারে সেজন্য বোনেরা ঐদিন উপবাস থেকে ভাইয়ের কপালে বাঁ হাতের কড়ে অথবা অনামিকা আঙুল দিয়ে চন্দনের (ঘি, কাজল বা দধিও হতে পারে) ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে বলা হয়
‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,
যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা’।
উপরিউক্ত নিয়ম-অনুসারে, উদ্দীপকের কনকও তাঁর ভাই সৌবর্ণের মঙ্গলের জন্য কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে উপবাস থেকে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেছে। এভাবেই সে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ধর্মাচারটি উদ্যাপন করেছে।
ঘ. কনকের পালনকৃত ধর্মাচারটি হলো ভ্রাতৃদ্বিতীয়া যার পারিবারিক ও ধর্মীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
কনক প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে উপবাস থেকে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে। এ আচারটি হলো ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। কনকের বিশ্বাস এতে সৌবর্ণ সকল বিপদ-আপদ থেকে পরিত্রাণ পাবে।
ভাইয়ের বিপদ-আপদ দূর করার জন্য এবং মঙ্গলের জন্য বোনেরা ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেয়। এতে ভাই ও বোনের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন শক্তিশালী হয়। পরিবার ও সমাজের সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব চেতনাবোধ জাগ্রত হয়। ভাইবোনের মধ্যে মমত্ববোধ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া শুধু পারিবারিক গণ্ডীর মধ্যেই নয়। এই উৎসব জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের চেতনা জাগ্রত করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব।
উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, পারিবারিক ও ধর্মীয় জীবনে কনকের উদ্যাপিত ধর্মাচারটির প্রভাব অপরিসীম।
প্রশ্ন-২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
চৈত্র মাসে গোবিন্দ তার মা-বাবার সাথে লাঙ্গলবন্দ স্নানে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে সে তার মা-বাবার সাথে স্নান সম্পন্ন করে। স্নান শেষে হাজার মানুষের ভিড়ে লাঙ্গলবন্দ স্নান সম্পর্কে তার কৌতূহল জাগে এবং সে লাঙ্গলবন্দ স্নানের উৎপত্তি, বিকাশ ও মহাপুরুষের অবদান সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।
ক. পুণ্যস্থান কী?
খ. ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান ভ্রমণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ. গোবিন্দের তীর্থ দর্শনের সাথে তোমার পাঠ্যপু¯ত্মকের যে তীর্থস্থানের সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. গোবিন্দের জীবনাচরণে তীর্থ দর্শনের প্রভাব বিশেস্নষণ কর।
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. স্বয়ং ভগবান কিংবা তাঁর অবতারের আবির্ভাব স্থানকে পুণ্যস্থান বলা হয়।
খ. ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান তথা তীর্থস্থান ভ্রমণ করা একটি পুণ্যকর্ম। ধর্ম পালন করার মতো ধর্মীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করাও একটি পবিত্র কর্তব্য। এ স্থানগুলো দর্শনে মন পবিত্র হয়, অশান্ত মন শান্ত হয়। পুণ্য লাভ হয়। পরকালে সদ্গতি হয়। এছাড়াও জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়, মনের প্রসারতা বাড়ে। সংকীর্ণতা দূর হয়, উদারতা বৃদ্ধি পায় ও মনে স্বস্তিআনে। তাই ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম।
গ. গোবিন্দের তীর্থ দর্শনের সাথে আমার পাঠ্যপু¯ত্মকের পণাতীর্থ স্থানের সাদৃশ্য রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর গ্রামে পণাতীর্থ স্থানটি অবস্থিত। পণাতীর্থে মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যের পার্ষদ শ্রীমৎ অদ্বৈত প্রভুর জন্মস্থান। এটি লাউড় পাহাড়ে অবস্থিত। চৈত্রমাসে বারুণী স্নানে এখানে বহু জনসমাবেশ হয়। অদ্বৈত প্রভু তার মায়ের ইচ্ছা পূরণের জন্য যোগসাধনাবলে পৃথিবীর সম¯ত্ম তীর্থের পুণ্যজল এক নদীতে প্রবাহিত করেছিলেন। সেই জলধারাটি পুরনো রেণুকা নদী বর্তমানে যাদুকাটা নদী নামে পরিচিত।
উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, চৈত্র মাসে গোবিন্দ তার মা-বাবার সাথে লাঙ্গলবন্দ স্নানে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে সে তার মা-বাবার সাথে স্নান সম্পন্ন করে। পণাতীর্থ স্থানের মতো লাঙ্গলবন্দ তীর্থস্থানেও চৈত্র মাসে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের গোবিন্দের দেখা লাক্সগলবন্দ তীর্থস্থানের সাথে পাঠ্যবইয়ের পণাতীর্থ স্থানের সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে গোবিন্দ জীবনাচরণে তীর্থস্থান দর্শনের প্রভাব অপরিসীম।
স্বয়ং ভগবান বা তাঁর অবতারের আবির্ভাব স্থানকে পুণ্যস্থান বলে। আর পুণ্যস্থানকে তীর্থস্থান বলা হয়। তীর্থস্থান ভ্রমণ করা একটি পুণ্যকর্ম, তীর্থস্থান দর্শনে মন পবিত্র হয় অশান্ত মন শান্ত হয়। পুণ্য লাভ হয়, জ্ঞানের পরিধি বাড়ে, মনের প্রসারতা বাড়ে। সংকীর্ণতা দূর হয় ও উদারতা বৃদ্ধি পায়। মহাপুরুষদের জীবনাচরণের নিদর্শন মনকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করে।
উদ্দীপকের গোবিন্দ লাঙ্গলবন্দ তীর্থস্থান ভ্রমণ করেছে। এতে তার মন পবিত্র হয়েছে। পুণ্যলাভ হয়েছে। অশান্ত মন শান্ত হয়েছে। লাঙ্গলবন্দ স্নানের উৎপত্তি, বিকাশ ও মহাপুরুষদের অবদান সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে। ফলে তার জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মনের সংকীর্ণতা দূর হয়ে উদারতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মহাপুরুষদের জীবনাচরণ সম্পর্কে জেনে সে মনকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছে।
তাই বলা যায়, গোবিন্দের জীবনাচরণে তীর্থস্থান দর্শনের প্রভাব অপরিসীম।
প্রশ্ন-৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শ্রী হরিপদ ঘোষ পৌষের শেষ দিনে পূজার আয়োজন করেছেন। নানা ধর্মকর্মের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করছেন দিনটি। তিনিও চৈত্রের শেষদিনে এরকম উৎসবের আয়োজন করে থাকেন। পরিবারের সবাই মিলে স্নান, দান, ব্রত, উপবাসের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করেন দিনটি।
[পাঠ : ১-৪]
ক. ধর্মাচার কী? ১
খ. ধর্মাচার ও ধর্মানুষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য কী? ২
গ. শ্রী হরিপদ ঘোষ হিন্দুদের কোন ধর্মাচারটি পালন করেছেন- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটিতে হিন্দুধর্মাচারের পূর্ণরূপ প্রতিফলিত হয়নি মন্তব্যটি বিশেস্নষণ কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যে সম¯ত্ম আচার-আচরণ আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে সেগুলোই ধর্মাচার নামে স্বীকৃত।
খ. ধর্মাচার এবং ধর্মানুষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য হলো-আমাদের জীবনকে সুন্দর কল্যাণময় করার যে সকল আচরণ পালন করা হয়, সেগুলো হলো ধর্মাচার। এগুলো লোকাচার নামে পরিচিত। ধর্মাচারে মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশ রয়েছে।
অন্যদিকে ধর্মশাস্ত্রে পূজা এবং অবশ্য কর্তব্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে-এগুলো হলো ধর্মানুষ্ঠান। সংক্রান্তি উৎসব, গৃহপ্রবেশ, রাখীবন্ধন প্রভৃতি উৎসব হলো ধর্মানুষ্ঠান।
গ. শ্রী হরিপদ হিন্দুদের সংক্রান্তি নামক ধর্মাচারটি পালন করেছেন।
বাংলা মাসের শেষ দিনকে বলা হয় সংক্রান্তি। এ দিনে ঋতুভেদে ভিন্ন ভিন্ন মাসের সংক্রান্তি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন উৎসব করা হয়। তবে বাঙালি সমাজে পৌষ সংক্রান্তি এবং চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবই উলেস্নখযোগ্য। সংক্রান্তি শব্দটি কোথাও কোথাও ‘সাকরাইন’ নামেও পরিচিতি। তবে পৌষ পার্বণ বা পৌষ সংক্রান্তিকে ‘মকর’ সংক্রান্তিও বলা হয়। পৌষ সংক্রান্তিতে হিন্দুরা পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে অর্পণ করে থাকে। আর চৈত্র্যের শেষ দিনে হিন্দুরা শিব পূজা করে। এর অপর নাম নীল পূজা শাস্ত্র ও লোকাচার অনুযায়ী স্নান দান ব্রত। উপবাস প্রভৃতি মঙ্গলজনক উৎসবের মাধ্যমে সংক্রান্তি উৎসব উদ্যাপন করা হয়।
উদ্দীপকে শ্রী হরিপদ ঘোষ পৌষের শেষ দিন এবং চৈত্রের শেষ দিনে নানা উৎসব এবং পূজার আয়োজন করেছেন। তিনি স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি উৎসবের মাধ্যমে এ দিনগুলো উদ্যাপন করেছেন। তাই বলা যায়, শ্রী হরিপদ হিন্দুধর্মাচারের সংক্রান্তি উৎসব পালন করেছেন।
ঘ. উদ্দীপকটিতে হিন্দুধর্মাচারের পূর্ণরূপ প্রতিফলিত হয়নি- মন্তব্যটি যথার্থ।
ধর্মাচার হলো আমাদের জীবনকে সুন্দর ও মঙ্গলজনক করার জন্য স্বীকৃত কিছু আচার-আচরণ অনুশীলন করা। হিন্দুধর্মের এরকম নানা ধরনের উৎসব বা আচার উদ্যাপন করা হয়। এসব আচার বা উৎসবের মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো- সংক্রান্তি, গৃহপ্রবেশ, জামাইষষ্ঠী, রাখীবন্ধন, ভাইফোঁটা, বর্ষবরণ, দীপাবলি, হাতেখড়ি প্রভৃতি। নবনির্মিত ঘরে প্রবেশ করার সময় নারায়ণ দেবতা এবং এবং পাশাপাশি ভূমি দেবতা এবং গৃহপতির অভীষ্ট দেবতা বা ঠাকুরের পূজা করা হয়। হিন্দুধর্মাচারের বিশেষ উৎসব হলো জামাইষষ্ঠী। এ দিনকে জামাই-শাশুড়ির দিন বলেও অভিহিত করা হয়। ভাইবোনের সম্পর্কটুকু রাখতে রাখীবন্ধন এবং ভাইয়ের কল্যাণ কামনায় ভাইফোঁটা অনুষ্ঠান উদ্যাপন করা হয়। বাংলা সনের প্রথম দিনকে স্বাগত জানাতে বা বরণ করে নিতে নববর্ষ বা বর্ষবরণ উৎসব পালন করা হয়। নতুন চালের পিঠা খেতে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। সচেতনতার আলো জ্বালিয়ে মনের অজ্ঞানতার মোহান্ধকার দূর করার প্রতীক হিসেবে দীপাবলি উৎসব পালন করা হয়। এছাড়া সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠানের শেষ দিনে শিশুদের শিক্ষা জীবনে প্রবেশের এক উলেস্নখযোগ্য অধ্যায় হাতেখড়ি অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
কিন্তু আলোচ্য উদ্দীপকে আমরা শুধু সংক্রান্তি উৎসবটি পালন করার রীতি দেখতে পাই। তাই একথা বলা যায় যে, উদ্দীপকটিতে হিন্দুধর্মাচারের পূর্ণরূপ প্রতিফলিত হয়নি- মন্তব্যটি যথার্থ ও যুক্তিসংগত।
প্রশ্ন-৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আজ বাংলা সনের প্রথম দিন। নতুন বছরকে বরণ করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। রমনার বটমূলে চলছে ছায়ানটের সংগীতানুষ্ঠান। এটি ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশি পেয়েছে সর্বজনীনতা। এ ধরনের আরও অনেক উৎসব পালন করা হয় বাংলাদেশে। যেমন- নবান্ন আবহমান বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন উৎসব। [পাঠ : ২, ৩ ও ৪]
ক. দীপাবলি উৎসব কখন অনুষ্ঠিত হয়? ১
খ. হাতেখড়ি দেয়া হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বাংলার কোন উৎসবের কথা বলা হয়েছে? পাঠ্যবইয়ের আলোকে এ উৎসবটি সম্পর্কে ধারণা দাও। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. শ্যামা বা কালীপূজার আগের দিন দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
খ. শিশুদেরকে শিক্ষাজীবনে প্রবেশ করানোর জন্য হাতেখড়ি দেওয়া হয়। সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠানের শেষদিনে শিশুদেরকে হাড়েখড়ি দেওয়া হয়।
পুরোহিত কিংবা পছন্দনীয় লোকজনের কাছে কলাপাতায় খাগ দিয়ে লিখে অথবা পাথরে খড়িমাটি দিয়ে লিখে শিশুরা লেখাপড়ার জগতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশ করে।
গ. উদ্দীপকে বাংলার বর্ষবরণ উৎসবের কথা বলা হয়েছে।
বর্ষবরণ উৎসবে বাংলা সনের প্রথম দিনে নতুন বছরকে বরণ করার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানায়। এটির ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশি রয়েছে সর্বজনীনতা। বর্ষবরণ উৎসব বাঙালি অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক মহোৎসব। এ দিন বিভিন্ন পূজা, মিষ্টি ও ইলিশ-পাšত্মা খাওয়া, ভাববিনিময়, অন্যান্য অনুষ্ঠান ও হালখাতাসহ নানা প্রকার অনুষ্ঠান করা হয়। এছাড়াও বর্ষবরণ ও চৈত্রসংক্রান্তি উপলড়্গে পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন ড়্গুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয় সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’ পালন করা হয়। উদ্দীপকেও দেখা যায়, নতুন বছরকে বরণ করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। রমনার বটমূলে চলছে ছায়ানটের সংগীতানুষ্ঠান। এটি ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশি সার্বজনীনতা পাচ্ছে।
উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, উদ্দীপকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ উক্তিটি হলো ‘নবান্ন আবহমান বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন উৎসব’- কথাটি সার্বিক অর্থে যুক্তিযুক্ত।
নবান্ন – নব + অন্ন = নবান্ন শব্দের অর্থ হলো নতুন ভাত। বারো মাসে তের পার্বণের একটি পার্বণ নবান্ন। হেমন্তকালের অগ্রহায়ণ মাসে নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি ভাত, নানা রকম পিঠা প্রভৃতি দিয়ে যে মাঙ্গলিক উৎসব করা হয় তারই নাম নবান্ন উৎসব। এটি ঋতুভিত্তিক অনুষ্ঠান। এদিন শস্যের অধিষ্ঠাত্রী শ্রীশ্রীলক্ষ্মী দেবীর পূজা দেওয়া হয়। উপরিউক্ত অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশে জাতিধর্ম নির্বিশেষে পালন করে।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, বাংলাদেশে বিভিন্ন উৎসব পালন করা হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি উৎসব নবান্ন অনুষ্ঠান, যা আবহমান বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক সার্বজনীন উৎসব। সুতরাং উলিস্নখিত আলোচনার প্রেড়্গেিত দেখা যায় যে, নবান্ন আবহমান বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক সার্বজনীন উৎসব- উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন-৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখছিল মিতা। সে দেখতে পেল কিছু বখাটে যুবক রা¯ত্মায় হেঁটে যাওয়া দুটি মেয়েকে দেখে খারাপ মন্তব্য করছিল। মেয়ে দুটি ওদের কাছে গিয়ে হাত বাড়িয়ে ওদের হাতে লাল সুতায় বাঁধা একটি ফিতা পরিয়ে দিল। মেয়েদের এ আচরণে ছেলেগুলো মধ্যে ভাইবোনের সম্পর্কের একটি অনুভূতি জেগে উঠল। [পাঠ : ২, ৩ ও ৪]
ক. গৃহে প্রবেশের সময় কোন দেবতার পূজা করা হয়? ১
খ. জামাইষষ্ঠী বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটি হিন্দুদের কোন ধর্মাচারের কথা মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক সৃষ্টিকারী ধর্মাচারের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি-মন্তব্যটি বিশেস্নষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. গৃহে প্রবেশের সময় নারায়ণ দেবতার পাশাপাশি ভূমি দেবতা এবং গৃহপতির অভীষ্ট দেবতার পূজা করা হয়।
খ. জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষরে ষষ্ঠী তিথিতে জামাইষষ্ঠী অনুষ্ঠিত হয়। এদিন জামাইকে শ্বশুরবাড়িতে নিমন্ত্রণ করা হয়। খাওয়াদাওয়ার বিশেষ আয়োজন করা হয়। জামাইও শাশুড়িসহ অন্যান্য আন্তীয়কে সাধ্যমতো নতুন কাপড় উপহার দেয়। সšত্মানের মঙ্গল প্রার্থনা করে ষষ্ঠীদেবীর পূজা হয়।
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের রাখীবন্ধন উৎসবটির কথা মনে করিয়ে দেয়।
হিন্দুধর্মাচারের মধ্যে রাখীবন্ধন অন্যতম। এদিন বোনেরা তাদের ভাইদের হাতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। ভাইবোনের মধ্যকার আজীবন ভালোবাসর প্রতীক বহন করে এই রাখীবন্ধন। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এ পর্বটি পালন করা হয় বিধায় এ দিনটি রাখীপূর্ণিমা নামেও পরিচিত।
উদ্দীপকের বখাটে ছেলেদের ভাইয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ করার জন্য মেয়েগুলো রাখী নামের সুতো তাদের হাতে বেঁধে দেয়। যে ছেলেরা মেয়েদের সাথে অশোভন আচরণ করেছিল রাখী বেঁধে দেওয়ায় তারা লজ্জা পেয়ে নিজেদের শুধরে নেয় এবং ভাইবোনের সম্পর্কে তারা আবদ্ধ হয়। ঘটনাটি রাখীবন্ধন ধর্মাচারটিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ঘ. উদ্দীপকে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক সৃষ্টিকারী ধর্মাচারের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি- কথাটি যথার্থ।
হিন্দুধর্মাচারে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান রয়েছে। উদ্দীপকে ইঙ্গিতদানকারী রাখীবন্ধন ছাড়াও ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা এর মধ্যে অন্যতম কার্তিক মাসের শুক্লা তিথিতে ভাইফোঁটা উৎসবটি পালন করা হয়। এদিনটিই পবিত্র দিন হিসেবে পরিচিত। পুরাণে উলেস্নখ আছে- কার্তিকের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে যমুনাদেবী তাঁর ভাই যমের মঙ্গল কামনায় গভীর ধ্যানমগ্ন হয়ে পূজা করেন, তাঁরই পুণ্যপ্রভাবে যমদেব অমরত্ব লাভ করেন। বোন যমুনা দেবীর পূজার ফলে ভাই যমের এই অমরত্ব চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমানকালের বোনেরাও তা অনুসরণ করছে। ভাইকে যাতে কোনো বিপদ-আপদ স্পর্শ করতে না পারে সেজন্য বোনেরা ঐ দিন উপবাস থেকে ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে। এ উৎসবটি জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের চেতনা জাগ্রত করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলে।
উদ্দীপকে আমরা শুধু রাখীবন্ধন ধর্মাচারটির ইঙ্গিত পাই। কিন্তু ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ধর্মাচারটির কোনো ধারণা উদ্দীপকে দেয়া হয়নি। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক সৃষ্টিকারী ধর্মাচারের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।
প্রশ্ন-৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন রাধা গোবিন্দ মন্দিরে পূজা দিতে অলোকা ও তার মা মন্দিরে গেল। হঠাৎ ঢাকঢোল বাজিয়ে রাধা-কৃষ্ণের দোল নিয়ে একদল ছেলেমেয়ে উপস্থিত। অলোকা যখন সেখানে প্রণাম করতে গেল তখন কিছু ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন রঙে তার শরীর রাঙিয়ে দিল। তখন তার মন খারাপ হয়ে গেল। অলোকার মা এ দৃশ্য দেখে অলোকাকে বলল, এ দিন শুভ দিন। এ দিনে শত্রম্ন-মিত্র সবাই মিলে রঙের খেলায় মত্ত হয়ে বিভেদ ভুলে যেতে হয়। [পাঠ : ৫ ও ৬]
ক. রাখীবন্ধন কী? ১
খ. বর্ষবরণ উৎসব কীভাবে পালিত হয়? ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধর্মানুষ্ঠানের কথা বলে হয়েছে? উক্ত অনুষ্ঠানটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর উক্ত অনুষ্ঠানের সাথে রথযাত্রার মিল রয়েছে? উত্তরের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. রাখীবন্ধন হিন্দু ধর্মাচার।
খ. বর্ষবরণ বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার মহোৎসব। এ দিনটি বিভিন্ন পূজা, মিষ্টি ও ইলিশ-পাšত্মা খাওয়া, ভাববিনিময় ও হালখাতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়।
গ. উদ্দীপকে দোলযাত্রা নামক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
দোলযাত্রা ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন রাধাকৃষ্ণকে দোলায় রেখে আবীর, কুঙ্কুমে রাঙিয়ে পূজা করা হয়। এদিন পরস্পরকে আবীর মাখিয়ে আনন্দ পায়। যেমনটি দেখা যায় এড়্গেেত্র। এক দল ছেলেমেয়ে তাকে রাঙিয়ে দিয়েছে। এ পূজার আগের দিন বুড়ির ঘর বা মেড়া পুড়িয়ে অমঙ্গলকে দূর করার প্রতীকী অনুষ্ঠান করা হয়। এটি মূলত বৈষ্ণবীয় উৎসব, যেদিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবীর নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সাথে রং খেলায় মেতেছিল, তখন থেকেই এ দোল খেলার প্রবর্তন। দোলযাত্রা দোলপূর্ণিমা নামে পরিচিত। এ উপলড়্গে বিভিন্ন স্থানে গান, মেলা প্রভৃতির আয়োজন করা হয়।
সুতরাং উলিস্নখিত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায়, উদ্দীপকে দোলযাত্রা নামক হিন্দুধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
ঘ. আমি মনে করি, উক্ত অনুষ্ঠানের সাথে রথযাত্রার যথেষ্ট মিল রয়েছে।
দোলযাত্রা এবং রথযাত্রা দুটি অনুষ্ঠানই ধর্মীয় উৎসব। শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের এ অনুষ্ঠানটি রথযাত্রা নামে পরিচিত। অন্যদিকে দোলযাত্রা রাধাকৃষ্ণের রং খেলার নাম। লোকেরা একটি যানে করে জগন্নাথদেবের মূর্তি নিয়ে যায়। আর দোলযাত্রায় রাধাকৃষ্ণের মূর্তি দোলায় রেখে বাড়িতে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে রথযাত্রার তাৎপর্য অনেক। রথের সময় ভগবানই ভক্তের কাছে নেমে আসেন। সবাই একত্রে রশি ধরে। এখানে জাতি-বর্ণের বিভেদ থাকে না। তাই রথযাত্রা দেয়া সাম্যের শিক্ষা। রথের মেলা একদিকে উৎসব, অন্যদিক থেকে তার অর্থনৈতিক গুরুত্বও রয়েছে। রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা তিনজন দেবতা অধিষ্ঠিত থাকেন।
উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, আমি মনে করি উদ্দীপকের দোলযাত্রার সাথে রথযাত্রার সম্পূর্ণ মিল না থাকলেও যথেষ্ট সাদৃশ্য পরিলক্ষতি হয়।
প্রশ্ন-৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মতিঝিল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে যাচ্ছিল রুমা। দীর্ঘ জ্যামে তার রিকশাটি দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত এসে থেমে থাকল। সে দেখল চারদিকের সব রা¯ত্মা বন্ধ। বিভিন্ন মন্দির থেকে আগত মানুষের ঢলে প্রেসক্লাবের সবদিকের রা¯ত্মা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা চাকাওয়ালা একটি যানের রশি ধরে টানছে আর তার পেছনে হাজার হাজার ভক্ত ছুটছে। রুমা বুঝতে পারল-এটি হিন্দুদের একটি ধর্মানুষ্ঠান। [পাঠ : ৫ ও ৬]
ক. দীপাবলি কখন অনুষ্ঠিত হয়? ১
খ. সংক্রান্তি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কোন অনুষ্ঠানের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে এ ধরনের ধর্মানুষ্ঠানের গুরুত্ব মূল্যায়ন কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কালীপূজার দিন দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়।
খ. বাংলা মাসের শেষ দিনকে বলা হয় সংক্রান্তি। এ দিনে ঋতুভেদে ভিন্ন ভিন্ন মাসের সংক্রান্তি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন উৎসব করা হয়। তবে বাঙালি সমাজে পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবই উলেস্নখযোগ্য। সংক্রান্তি শব্দটি কোথাও কোথাও ‘সাকরাইন’ নামে পরিচিত। তবে পৌষপার্বণ বা পৌষ সংক্রান্তিকে মকর সংক্রান্তিও বলা হয়। হিন্দুরা এ দিনে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে থাকে।
গ. উদ্দীপকে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা ধর্মানুষ্ঠানটির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
রথযাত্রা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। তবে বর্তমানে এটি সর্বজনীনতা লাভ করেছে। আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয় তিথিতে রথযাত্রা শুরু হয়। এই রথযাত্রা শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথযাত্রা নামেই পরিচিত। রথ হলো একটি চাকাওয়ালা যান যেখানে তিনজন দেবতা-জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা অধিষ্ঠিত থাকে। ভক্তগণ এ তিন দেবতার যানটিকে একটি নির্দিষ্ট মন্দির থেকে রশি দিয়ে টেনে অন্য একটি নির্দিষ্ট মন্দিরের তলায় রাখে। এর ঠিক ৯ দিন পর একাদশীর দিন পুনরায় রথটিকে পূর্বের মন্দিরে নিয়ে রাখা হয়। রথের সময় ভগবানই ভক্তের কাছে নেমে আসেন।
উদ্দীপকে রুমার দেখা হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি একটি রথযাত্রার দৃশ্য। কারণ সে দেখছিল-ভক্তরা চাকাওয়ালা যানের রশি ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, যে যানে অধিষ্ঠিত ছিলেন দেবতারা। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে হিন্দুদের রথযাত্রা ধর্মানুষ্ঠানেরই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিত দানকারী রথযাত্রা অনুষ্ঠানের মতো এমন আরও অনেক ধর্মীয় অনুষ্ঠান রয়েছে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে যার তাৎপর্য অপরিসীম।
উদ্দীপকে রুমার দেখা রথযাত্রা ধর্মানুষ্ঠানটি আমাদের সাম্য ও ঐক্যের শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি এটি স্বাবলম্বন নীতিরও শিক্ষা দেয়। অর্থাৎ এর অর্থনৈতিক গুরুত্বও রয়েছে। ধর্মাচার ও ধর্মানুষ্ঠান মানুষকে নম্র, বিনয়ী ও ভদ্র করে তোলে। মানবিক মূল্যবোধ শিক্ষা দেয়। পরিবার ও সমাজের বন্ধন সুদৃঢ় করে। আমাদের ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবনকে সুস্থ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য ধর্মানুষ্ঠান এবং ধর্মাচার অনুসরণ করা অবশ্য কর্তব্য।
প্রশ্ন-৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গঙ্গারামপুর গ্রামের বুড়ো বটগাছ তলায় শ্রীকৃষ্ণ ও মহাপ্রভুর পূজা হচ্ছে। বিভিন্ন সুরে, ছন্দে, তালে কৃষ্ণনাম বা কীর্তন করছে পাংশা রাজবাড়ী সম্প্রদায়। দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটেছে। হারমোনিয়াম, ঢোল, করতাল, চাকি আর উলুধ্বনিতে মুখরিত বিশ্বাস বাবুর বাসভবন। সকল ভক্তরা এই বিশ্বাসে এখানে এসেছে যে শ্রীহরির নাম শুনলে পুণ্যলাভ হবে। দুঃখ-যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। [পাঠ : ৭ ও ৮]
ক. পুণ্যস্থান কী? ১
খ. রাখীবন্ধন বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধর্মানুষ্ঠানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে উক্ত অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বিশেস্নষণ কর। ৪
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. স্বয়ং ভগবান কিংবা তাঁর অবতারের আবির্ভাব স্থানকে পুণ্যস্থান বলা হয়।
খ. হিন্দুধর্মাচারের মধ্যে রাখীবন্ধন অন্যতম। এদিন বোনেরা তাদের ভাইদের হাতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয় এবং ভাইবোনের আজীবন ভালোবাসার প্রতীক বহন করে এই রাখীবন্ধন। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এ পর্বটি পালন করা হয়।
গ. উদ্দীপকে মূলত হিন্দুধর্মীয় অনুষ্ঠান নামযজ্ঞের কথা বলা হয়েছে।
এ নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান স্থান, সময় এবং আয়োজনের পরিধিভেদে বেশ কয়েক প্রহরব্যাপী হয়ে থাকে। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে যে, শ্রীহরির নাম নিলে বা শুনলে পুণ্যলাভ হয়। দুঃখযন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ হয়। যার কারণেই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে এবং অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। ফলে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, শ্রীকৃষ্ণ ও মহাপ্রভুর পূজার বিভিন্ন সুরে ছন্দে, তালে কৃষ্ণনাম কীর্তন করছে পাংশা-রাজবাড়ী সম্প্রদায়। সেখানে দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটেছে। উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, উদ্দীপকে মূলত হিন্দুধর্মীয় অনুষ্ঠান নামযজ্ঞের কথা বলা হয়েছে।
ঘ. পারিবারিক ও সামাজিকজীবনে উক্ত অনুষ্ঠান তথা নামযজ্ঞের যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব রয়েছে।
ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবনে ধর্মাচারের গুরুত্ব অপরিসীম। ধর্মনীতি মানুষকে ভদ্র, নম্র ও বিনয়ী করে তোলে। মানবিক মূল্যবোধের এ নীতি অনুসরণ করতে হলে ধর্মাচার অনুসরণ করতে হয়। আবার ধর্মানুষ্ঠান ছাড়া ধর্মাচার তেমন ফলপ্রসূ হয় না। সমাজ ও পারিবারিক জীবন সুন্দর সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হলে ধর্মানুষ্ঠান ও ধর্মাচারের নীতি অনুসরণ অবশ্য কর্তব্য, যা নামযজ্ঞ নামক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও গড়ে ওঠে। দূরদূরান্তের মানুষ ভেদাভেদ ভুলে একান্ত হয় এবং সামাজিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়। নামযজ্ঞের মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও মহাপ্রভুর পূজা করা হয়।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, শ্রীহরির নাম শুনলে পুণ্যলাভ হয় ও সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।
সুতরাং উলিস্নখিত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নামযজ্ঞের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
প্রশ্ন-১০ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অনেক দিন ধরেই ঈশ্বর সাধনা করছেন মেঘাবতী রায়। ঈশ্বরের নানা লীলা আর মহা পুরুষদের জাগতিক কর্মকাণ্ড পরিদর্শনের জন্য তিনি এবার দুর্গাপূজায় মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তাই স্বামী-সšত্মানসহ তিনি মহেশখালী যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। [পাঠ : ৯]
ক. পণাতীর্থস্থানটি কোথায় অবস্থিত? ১
খ. ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বলতে কী বোঝ? ২
গ. মেঘাবতী রায়ের কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরই কি মেঘাবতী রায়ের উদ্দেশ্য পূরণের একমাত্র স্থান? উত্তরের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
১০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. পণাতীর্থ স্থানটি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর গ্রামে অবস্থিত।
খ. কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইকে যাতে কোনো বিপদ স্পর্শ করতে না পারে সেজন্য বোনেরা ভাইদের মঙ্গল কামনায় অনামিকা আঙুল দিয়ে কপালে চন্দনের ফোঁটা দেয়। এমনই করেছিলেন যমুনাদেবী তাঁর ভাই যমদেবের জন্য। তাই যমদেব অমরত্ব লাভ করেছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানই ভ্রাতৃদ্বিতীয়া।
গ. উদ্দীপকে মেঘাবতী রায়ের কর্মকাণ্ডটি তীর্থ দর্শনের সাথে জড়িত। কারণ তিনি মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির পরিদর্শনের জন্য মনঃস্থির করেছেন। মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরটি তীর্থস্থান হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে।
তীর্থস্থান দর্শনের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বয়ং ভগবান কিংবা তাঁর অবতারের আবির্ভাবের স্থানকে পুণ্যস্থান বা তীর্থস্থান বলা হয়। তীর্থস্থান ভ্রমণ করা একটি পুণ্যের কাজ। ধর্ম পালন করার মতো তীর্থদর্শন করাও একটি পবিত্র কাজ। তীর্থদশনে মন পবিত্র হয়, অশান্ত মন শান্ত হয়। দুঃখ দূর হয়। পুণ্য লাভ হয়। পরকালে স্বর্গলাভে সহায়ক হয়। এছাড়া ঐতিহাসিক তীর্থস্থান দর্শনে জ্ঞানের গভীরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মনের প্রসারতা বাড়ে। মনের সংকীর্ণতা দূর হয়, উদারতা বৃদ্ধি পায়, মনে আনে স্ব¯িত্ম। মহাপুরুষদের জীবনাচরণের নিদর্শন মনকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করে। তাই প্রত্যেক ধার্মিক ব্যক্তির ইহকালীন এবং পরকালীন কল্যাণের জন্য তীর্থ দর্শন করা উচিত।
ঘ. মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরই উদ্দীপকের মেঘাবতী রায়ের উদ্দেশ্য পূরণের একমাত্র স্থান নয়।
তীর্থদর্শনের জন্য বা মহাপুরুষদের জীবনাচরণ দর্শনের জন্য শুধু আদি নাম মন্দিরই একমাত্র স্থান নয়-এছাড়াও আরও বহু স্থান বা পূর্ণ স্থান রয়েছে মহাপুরুষ, অবতার বা স্বয়ং ভগবানের আবির্ভাব ঘটেছে। এরকম স্থানগুলোর নাম হলো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দি, নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ, নোয়াখালির রামঠাকুরের সমাধিস্থল, পাবনার হিমাইতপুর, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টিলা প্রভৃতি। পণাতীর্থ, শ্রীহট্টের যুগল উদ্দীপকের মেঘাবতী রায়ের মতো কেউ মহাপুরুষদের জীবনাচরণের নিদর্শন দেখতে চাইলে শুধু আদিনাথ মন্দিরে নয়- উলিস্নখিত যে কোনো জায়গায়ই যেতে পারেন।
অতএব, বলা যায়, মেঘাবতী রায়ের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আদিনাথ মন্দিরই একমাত্র স্থান নয়।
প্রশ্ন-১১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হরেন্দ্রনাথ বাবু ঠিক করেছেন জীবনের শেষ দিনগুলো বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘুরে ঘুরে কাটাবেন। চৈত্র মাসে তিনি বারুণীস্নানের উদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জ জেলার একটি তীর্থস্থানে যান। যেখানে একটি নদীতে পৃথিবীর সম¯ত্ম তীর্থের পুণ্যজল রয়েছে। এখানে প্রতিবছর বারুণীস্নানে বহু লোকের সমাগম হয়। মানবজীবনে এ ধরনের তীর্থস্থানে ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম। [পাঠ : ১০]
ক. পণাতীর্থে প্রতিবছর কী স্নান অনুষ্ঠিত হয়? ১
খ. দোলযাত্রা কী? ২
গ. উদ্দীপকে কোন তীর্থস্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে এর প্রভাব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষ বক্তব্যের যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
১১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. পণাতীর্থে প্রতিবছর বারুণীস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
খ. দোলযাত্রা হলো ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন রাধাকৃষ্ণকে দোলায় রেখে আবীর আর কুঙ্কুমে রাঙিয়ে যে পূজা করা হয় তার নাম। এটি মূলত বৈষ্ণবীয় উৎসব। বাংলার বাইরে এটি হোলি উৎসব নামে পরিচিত।
গ. উদ্দীপকে মূলত পণাতীর্থ স্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে পণাতীর্থের প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর গ্রামে পণাতীর্থ স্থানটি অবস্থিত। পণাতীর্থ মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের পার্ষদ শ্রীমৎ অদ্বৈত প্রভুর জন্মস্থান। চৈত্র মাসে বারুণীস্নানে এখানে বহু জনসমাবেশ হয়। অদ্বৈত প্রভু তার মায়ের ইচ্ছে পূরণের জন্য যোগাসাধনাবলে পৃথিবীর সম¯ত্ম তীর্থের পুণ্যজল এক করেন। নদীর এই জলধারাটিই পুরোনো রেনুকা নদী বর্তমানে যাদুকাটা নদী নামে প্রবাহিত।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, হরেন্দ্রনাথ বাবু জীবনের শেষ দিনগুলো বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘুরে বেড়াবেন। তিনি চৈত্র মাসে বারুণীস্নানের উদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় একটি পণাতীর্থ স্থানে যান।
উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, উদ্দীপকে মূলত পণাতীর্থ স্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ বক্তব্যটি হলো মানবজীবনে পণাতীর্থের মতো তীর্থস্থান ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম মন্তব্যটি যুক্তিযুক্ত।
কেননা স্বয়ং ভগবান কিংবা তার অবতারের আবির্ভাব স্থান বলা হয় পুণ্যস্থান বা তীর্থস্থানকে। তীর্থস্থান ভ্রমণ করা শুধু পুণ্যের কাজ নয় বরং তা ধর্মপালনের প্রতিকৃতি। তীর্থ দর্শনে মন পবিত্র হয়, অশান্ত মন শান্ত হয়, দুঃখ দূর হয় ও পুণ্যলাভ হয়। ঐতিহাসিক তীর্থস্থান ভ্রমণে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়, মনের প্রসারতা বাড়ে। সংকীর্ণতা দূর হয়। মনে আসে স্ব¯িত্ম। তাইতো হরেন্দ্রনাথ বাবু এই পুণ্যলাভ ও পরকালে সদ্গতির লড়্গ্েয তীর্থভ্রমণ করে করে বাকি জীবন কাটাতে চায়। চৈত্র মাসে তিনি বারুণীস্নানের উদ্দেশ্য সুনামগঞ্জ জেলার একটি তীর্থস্থানে যান। যেখানে একটি নদীতে পৃথিবীর সম¯ত্ম তীর্থের পুণ্যজল রয়েছে। এখানে প্রতিবছর বারুণীস্নানে বহু লোকের সমাগম হয়। মানবজীবনে এ ধরনের তীর্থস্থান ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম।
সুতরাং উলিস্নখিত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায়, ‘মানবজীবনে পণাতীর্থ স্থানের মতো তীর্থস্থান ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম- উদ্দীপকের এ বক্তব্যটি যথার্থ।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-১২ স্বর্ণা প্রতিবছর হেমন্ত ঋতুতে একটি ধর্মাচার পালন করে। এই অনুষ্ঠানে সে তার একমাত্র ভাইয়ের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে। এই অনুষ্ঠানে সে তার হিন্দু-মুসলিম, বন্ধু-বান্ধবীদের নিমন্ত্রণ করে। সবাই উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটিকে সাফল্য মণ্ডিত করে তোলে। শুধু বন্ধুবান্ধবী নয়, প্রতিবেশীরাও উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করে।
ক. রাখীবন্ধন পালন করা হয় কোন মাসে? ১
খ. ধর্মাচার বলতে কী বোঝায়? আলোচনা কর। ২
গ. স্বর্ণা কোন ধর্মাচারটি পালন করে? ৩
ঘ. স্বর্ণার পালনকৃত ধর্মাচারটির পারিবারিক ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন কর। ৪
প্রশ্ন-১৩ রমলা দেবী হিন্দু ধর্মের উৎসব পালনের প্রতি অতি আগ্রহী। ভাইফোঁটা কিংবা দীপাবলি প্রতিটি উৎসবেই রমলা দেবীর আয়োজন থাকে অনেক বেশি। কিন্তু তার স্বামী এ উৎসবগুলোতে তেমন আগ্রহ দেখান না। রথযাত্রা কিংবা দোল এলেই তিনি আনন্দে আন্তহারা হয়ে পড়েন। উৎসব পালনে সবাই ব্য¯ত্ম থাকেন।
ক. হাতেখড়ি কী? ১
খ. দীপাবলি উৎসব পালন করা হয় কেন? ২
গ. রমলা দেবী এবং তার স্বামীর উৎসব পালনের ধরন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রমলা দেবী এবং তার স্বামীর উৎসব পালনের মূল সুর একই সূত্রে গাঁথা – মন্তব্যটি বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৪ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই রমনার বটমূলে হাজির হয়েছেন-হাজার হাজার মানুষ। হিন্দু-মুসলিম বলে কথা নয় বাংলা সনের প্রথম দিনকে বরণ করে নিতে সর্বজনীনভাবে সকলে অংশগ্রহণ করেছে এ অনুষ্ঠানে। হিংসা বিভেদ সব ভুলে গিয়ে এক অসাম্প্রদায়িক চেতনা সবাইকে একত্রিত হতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
ক. ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে কোন কথাটি বলা হয়? ১
খ. রাখীবন্ধন বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধর্মচারের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. হিন্দু ধর্মাচারে এরকম আর কোনো ঋতুভিত্তিক অনুষ্ঠান রয়েছে কি? মন্তব্যের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
প্রশ্ন-১৫ পূজা তার দিদির সাথে পিসিবাড়ি যাওয়ার সময় দেখল একদল লোক চাকাওয়ালা একটি যান রশি দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ঐ যানটির মধ্যে তিনজন দেবতার মূর্তি রয়েছে। সে তার মাকে জিজ্ঞেস করল, মা ঐ তিনজন দেবতার নাম কী? তখন তার মা উত্তরে বললেন, জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তিথি ঠিক নয় দিন পরে বাড়ি ফেরার পথে আবার সেই একই দৃশ্য তার চোখে পড়ে। সে সবকিছু বুঝতে না পারলেও এটুকু বুঝতে পারল যে, এটি কোনো ধর্মানুষ্ঠান।
ক. তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দ কোথায় অবস্থিত? ১
খ. ‘বৈসাবি’ কী? ২
গ. উদ্দীপকের বিষয়ের সাথে পাঠ্যবইয়ের যে ধর্মানুষ্ঠানের মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত ধর্মানুষ্ঠানের সামাজিক জীবনে যে প্রভাব ফেলে তা পাঠ্যবই অনুসারে বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৬ মিনতী রায় একমনে কী যেন ভাবছিল। হঠাৎ পিছন থেকে রূপম এসে তার গায়ে রং মেখে দিল। রঙে লাল হয়ে গেল মিনতী। রেগে গেলে মিনতীকে বোঝানো হলো এটি একটি ধর্মানুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে যে কেউ যে কারও সাথে আনন্দ মজা করতে পারে। মিনতীর ভুল ভাঙল। সে অন্য সবার সাথে রং খেলায় মেতে উঠল।
ক. ধর্মানুষ্ঠান কী? ১
খ. ধর্মানুষ্ঠান ও ধর্মাচারের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধর্মানুষ্ঠানের ধারণা দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ধর্মানুষ্ঠানের পূর্ণরূপ নয়মন্তব্যটি বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৭ শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে নদী তার ভাই প্রাপ্ত রাজের হাতে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। আর এই সুতো ভাই বোনের মধ্যকার আজীবন ভালোবাসার প্রতীক বহন করে এটাই নদীর ধারণা। [বগুড়া জিলা স্কুল]
ক. চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব কী? ১
খ. সংক্রান্তি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের বিষয়ের সাথে পাঠ্যবইয়ের যে ধর্মানুষ্ঠানের মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত ধর্মানুষ্ঠানের সামাজিক জীবনে যে প্রভাব ফেলে তা পাঠ্যবই অনুসারে বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৮ নিলীমার বাবা কয়েকদিন আগে লাউড় পাহাড়ের একটি তীর্থস্থান থেকে ফিরেছেন। নিলীমা বাবার কাছে ঐ স্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান যে, ঐ স্থানটি শ্রীচৈতন্যের পার্ষদ শ্রীমৎ অদ্বৈত প্রভুর জন্মস্থান। এছাড়াও বাংলাদেশে এরকম আরও অনেক স্থান রয়েছে যেখানে স্বয়ং ভগবান কিংবা তার অবতারের আবির্ভাব ঘটেছিল।
ক. সীতাকুণ্ড কোথায়? ১
খ. বাংলাদেশের ৩টি তীর্থস্থানের নাম লেখ।
গ. নিলীমার বাবা বাংলাদেশের কোন বিশেষ স্থান সম্পর্কে বলেছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত স্থান দর্শনের গুরুত্ব বিশেস্নষণ কর। ৪
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ধর্মীয় বিধি-বিধান দ্বারা কী অনুমোদিত?
উত্তর : ধর্মীয় বিধি-বিধান দ্বারা ধর্মাচার অনুমোদিত।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ হিন্দুরা কোন দিনে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে?
উত্তর : হিন্দুরা মকর সংক্রান্তিতে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ করে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব কী?
উত্তর : চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব শিবপূজা।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ গৃহে প্রবশের সময় অনুষ্ঠান করা হয় কী?
উত্তর : গৃহে প্রবশের সময় মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ধর্মাচারে কোন কর্মের নির্দেশ রয়েছে?
উত্তর : ধর্মাচারে মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশ রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ জামাই-শাশুড়ির দিন কী?
উত্তর : জামাইষষ্ঠীর দিনকে বলা হয় জামাই-শাশুড়ির দিন।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ ‘রাখী’ কথাটি কোন শব্দ থেকে উৎপন্ন?
উত্তর : রাখী কথাটি ‘রক্ষা’ শব্দ থেকে উৎপন্ন।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া কখন পালিত হয়?
উত্তর : কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পালিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ জামাই-ষষ্ঠী কোন মাসে পালন করা হয়?
উত্তর : জামাই-ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠমাসের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে পালন করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার অপর নাম কী?
উত্তর : ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার অপর নাম ভাইফোঁটা।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ হালখাতা কখন করা হয়?
উত্তর : বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হালখাতা করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ ‘বৈসাবি’ কোন উপলড়্গে পালন করা হয়?
উত্তর : বৈসাবি বর্ষবরণ ও চৈত্র সংক্রান্তি উপলড়্গে পালন করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ হাতেখড়ি কখন অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর : হাতেখড়ি সরস্বতী পূজা শেষে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ নবান্নে কোন দেবীর পূজা করা হয়?
উত্তর : নবান্নে লক্ষ্মী দেবীর পূজা করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ রথযাত্রা সাধারণত কী নামে পরিচিত?
উত্তর : রথযাত্রা সাধারণত শ্রীশ্রীজগন্নাথ দেবের রথযাত্রা নামেই পরিচিত।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ রথে কতজন দেবতা থাকেন?
উত্তর : রথে তিনজন দেবতা থাকেন।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ তীর্থস্থান ওড়াকান্দি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : তীর্থস্থান ওড়াকান্দি গোপালগঞ্জে অবস্থিত।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ তীর্থস্থান আদিনাথের মন্দির কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : তীর্থস্থান আদিনাথের মন্দির মহেশখালীতে অবস্থিত।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে কোন কথাটি বলা হয়?
উত্তর : ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে বলা হয়‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।’
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ দীপাবলি উৎসবের অন্য একটি নাম লেখো।
উত্তর: দীপাবলি উৎসবের অন্য একটি নাম হলো-দেওয়ালি।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ নবান্ন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : নবান্ন শব্দের অর্থ নতুন ভাত।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ দোল পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ কার সাথে রং খেলায় মেতে ছিলেন?
উত্তর : দোল পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সাথে দোলখেলায় মেতে ছিলেন।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ রথযাত্রা কখন উদযাপিত হয়?
উত্তর : রথযাত্রা উৎসবটি আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ অদ্বৈত প্রভুর মায়ের নাম কী?
উত্তর : অদ্বৈত প্রভুর মায়ের নাম হলো- লাভাদেবী।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ রামঠাকুরের সমাধিস্থল কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : রামঠাকুরের সমাধিস্থল নোয়াখালিতে অবস্থিত।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ধর্মাচার বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যেসব আচার-আচরণ আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে তোলে তা ধর্মাচার। ধর্মাচার ব্যতীত ধর্মানুষ্ঠান হয় না। লোকাচার হিসেবেও এগুলোতে মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশ আছে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ দীপাবলি উদযাপন করা হয় কেন?
উত্তর : প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে অন্ধকার দূর করা অর্থাৎ সচেতনতার আলো জ্বালিয়ে মনের অজ্ঞানতা দূর করার জন্য দীপাবলি উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সকল কুসংস্কার প্রদীপের আগুনে পুড়িয়ে জ্ঞানের আলোতে সারাব্র্হ্মাণ্ড আলোকিত করা হয়। এ ব্রত নিয়েই দীপাবলি উৎসব পালন করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ রাখীবন্ধন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : রাখীবন্ধন হিন্দু ধর্মাচারের একটি রীতি। ‘রাখী’ কথাটি রক্ষা শব্দ থেকে উৎপন্ন। এদিন বোনেরা ভাইদের হাতে রাখী নামক একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। ভাইবোনের মধ্যকার আজীবন ভালোবাসার প্রতীক বহন করে এ রাখী বন্ধন।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ভাইফোঁটা কোন চেতনাকে জাগ্রত করে?
উত্তর : ভাইফোঁটা দিনটি বড়ই পবিত্র। ভাইকে যাতে কোনো বিপদ আপদ স্পর্শ করতে না পারে সেজন্য বোনেরা ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠান পালন করে। এটি জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের চেতনা জাগ্রত করে ও ঐক্য গড়ে তোলে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ দোলযাত্রা কেন হয়?
উত্তর : দোলযাত্রা মূলত বৈষ্ণবীয় উৎসব। ফাল্গুনী পূর্ণিমার বা দোল পূর্ণিমার দিন ‘বুড়ির ঘর’ বা মেড়া পুড়িয়ে অমঙ্গলকে দূর করার বা ধ্বংস করার প্রতীকী অনুষ্ঠান করা হয়। এ দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবীর নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সাথে রং খেলায় মেতে ছিলেন। সে ঘটনা থেকেই দোল খেলার প্রবর্তন।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বর্ষবরণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার মহোৎসব বর্ষবরণ। বর্ষবরণ হলো পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বছরের প্রথমদিনের অনুষ্ঠান। এদিন বিভিন্ন পূজা, মিষ্টি ও ইলিশ-পাšত্মা খাওয়া, ভাববিনিময় ইত্যাদি হালখাতা নানা প্রকার অনুষ্ঠান করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ রথযাত্রার গুরুত্ব কী?
উত্তর : হিন্দুদের ধর্মানুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রথযাত্রা অন্যতম একটি পর্ব। এটি হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব হলেও বর্তমানে সর্বজনীন মেলা উৎসব হিসেবে রূপলাভ করেছে। রথের সময় ভগবানই ভক্তের কাছে নেমে আসেন। সবাই একত্রে রথের রশি ধরে। এখানে জাতি বর্ণের বিভেদ থাকে না। তাই যথযাত্রা দেয় সাম্যের শিক্ষা। রথের মেলা একদিকে উৎসব, অন্যদিক থেকে তার অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ‘নবান্ন উৎসব ঐতিহাসিক ও সর্বজনীন’-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নবান্ন = নব + অন্ন; নবান্ন শব্দের অর্থ নতুন ভাত। বারো মাসে তের পার্বণের একটি পার্বণ নবান্ন। হেমন্তে অগ্রহায়ণ মাসের নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি ভাত, নানা রকম পিঠা প্রভৃতি দিয়ে যে মাঙ্গলিক উৎসব করা হয় তারই নাম নবান্ন উৎসব। এটি ঋতুভিত্তিক অনুষ্ঠান। এদিন শস্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শ্রীশ্রী লক্ষ্মীর পূজা দেওয়া হয়। এই নবান্ন উৎসব আবহমান কাল ধরে পালিত হচ্ছে। তাই বলা যায়, নবান্ন উৎসব বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক সার্বজনীন উৎসব।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ রাখীবন্ধন ও ভাইফোঁটার মধ্যে সাদৃশ্য নিরূপণ কর।
উত্তর : রাখী কথাটি রক্ষা শব্দ থেকে উৎপন্ন। এদিন বোনেরা তাদের ভাইদের হাতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। ভাইবোনের মধ্যকার আজীবন ভালোবাসার প্রতীক বহন করে এই রাখীবন্ধন। ভাইফোঁটাও একই রকম উৎসব। কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে উপবাস থেকে বোনেরা ভাইয়ের কপালে বাঁ হাতের কড়ে অথবা অনামিকা আঙুল দিয়ে চন্দনের (ঘি, কাজল বা দধিও হতে পারে) ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে।
তাই বলা যায়, রাখীবন্ধন ও ভাইফোঁটা উভয়ই একই রকম উৎসব।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ অসাম্প্রদায়িক চেতনার গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর : অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটে। দেশে এমন কিছু উৎসব আছে যা কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নয় বরং আবহমান বাংলার সকল মানুষের। এতে করে উৎসবের সার্বজনীন স্বীকৃতি লাভ হয়। সকল মানুষ একই ধর্মের নয়। কিন্তু তারা যদি অসাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠেন তাহলে এই পৃথিবীতে প্রত্যেক সমাজে শান্তি আসবে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ হালখাতা কখন এবং কী উদ্দেশ্যে পালন করা হয়?
উত্তর : হালখাতা বর্ষবরণ উৎসবে পালন করা হয়। বাংলা সনের প্রথম দিন নতুন বছরকে বরণ করার মাধ্যমে এ উৎসব পালন করা হয়। হালখাতা বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পালন করা হয়। এর উদ্দেশ্য থাকে মূলত সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ তীর্থস্থান বলতে কী বোঝ?
উত্তর : স্বয়ং ভগবান কিংবা তাঁর অবতারের আবির্ভাব স্থানকে পুণ্যস্থান বলে। কোনো দেবালয়ের স্থান ও পুণ্যস্থান আর পুণ্যস্থানকে বলা হয় তীর্থস্থান তীর্থস্থান ভ্রমণ একটি পবিত্র ও পুণ্য কর্ম।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ পণাতীর্থ কী?
উত্তর : পণাতীর্থ বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর গ্রামে অবিস্থত একটি অন্যতম তীর্থস্থান। এখানে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের পার্ষদ শ্রীমৎ অদ্বৈত প্রভুর জন্মস্থান। অদ্বৈত প্রভু তাঁর মায়ের ইচ্ছে পূরণের জন্য যোগসাধনাবলে পৃথিবীর সম¯ত্ম তীর্থের পুণ্যজল এক নদীর মধ্যে নিয়ে আসেন। এই জলধারাটিই পুরনো রেণুকা নদী। এই নদীর তীরে পণাতীর্থে প্রতি বছর বারুণীস্নানে বহু লোকের সমাগম হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ দোলযাত্রার তাৎপর্য লেখো।
উত্তর : দোল পূর্ণিমা বা দোলযাত্রার দিন সকাল থেকেই শত্রম্ন-মিত্র নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়ে বিভেদ ভুলে যায়। সকলেই একান্ত হয়ে সাম্যের গান গায়। ঐক্য, সাম্য, ভালোবাসার প্রকাশই হলো দোলযাত্রা ধর্মানুষ্ঠানটি।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ধর্মাচারের গুরুত্ব বিশেস্নষণ কর।
উত্তর : ধর্মাচার মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটায়। বিনয়, নম্রতা, ভদ্রতা, সেবা, পরোপকার ইত্যাদি মানবিক মূল্যবোধের অংশ। এই মানবিক মূল্যবোধগুলো মানুষের মাঝে জাগ্রত করতে হয়। মানুষ যখন মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয় তখন মানুষে মানুষে কোনো প্রকার ভেদাভেদ থাকে না।
ধর্মাচার বা ধর্মনীতি মানুষকে নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী করে গড়ে তোলে। ধর্মাচারের মাধ্যমে সমাজ ও পারিবারিক জীবনের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ তীর্থ দর্শনের প্রভাবে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আসে-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মানুষের মাঝে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আসে তার জীবনধারণ পদ্ধতির আলোকে। তীর্থ দর্শনে মানুষের মন হয় পবিত্র, অশান্ত মনও শান্ত হয়ে আসে, দুঃখ দূর হয়। তীর্থস্থানগুলোকে ঐতিহাসিক স্থান হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। ঐতিহাসিক তীর্থস্থান দর্শনের মাধ্যমে মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়, মনে উদারতা আসে, মনের সংকীর্ণতা দূর হয়, মানুষের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন ঘটে।