জীববিজ্ঞান ৯ম-১০ম শ্রেণী দশম অধ্যায় সমন্বয়
দশম অধ্যায়
সমন্বয়
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
ফাইটোহরমোন : উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশ, বিভিন্ন অঙ্গ সৃষ্টি ইত্যাদি উদ্ভিদদেহে উৎপাদিত জৈব রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই জৈব রাসায়নিক পদার্থকে বলে ফাইটোহরমোন বা বৃদ্ধিকারক জৈব রাসায়নিক পদার্থ।
উদ্ভিদের প্রধান তিনটি হরমোন হলো : অক্সিন, জিবেরেলিন বা জিবেরিলিক এসিড ও সাইটোকাইনিন।
হরমোনের নাম | উৎস | কাজ |
অক্সিন | ভ্রূণ মুকুলাবরণী; কাণ্ড ও মূলের অগ্রভাগ। | উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ, শাখাকলমে মূল গজানো, ফলের অকাল ঝরেপড়া রোধ ইত্যাদি অক্সিনের প্রধান কাজ। |
জিবেরেলিন | পরিপক্ব বীজ, অঙ্কুরিত বীজ, বীজপত্র। | উদ্ভিদের খর্বতা নষ্ট করা এবং বীজের অঙ্কুরোদগম ত্বরান্বিত করা জিবেরেলিনের কাজ। |
সাইটোকাইনিন | বীজের সস্য, ফুল ও ফলের নির্যাস। | উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহায়ক এ হরমোনের কাজ। |
এই হরমোনগুলো ছাড়াও উদ্ভিদে কয়েকটি বিশেষ হরমোন পাওয়া যায়। যথা : অ্যাবসিসিক এসিড, ইথিলিন ও ফ্লোরিজেন।
হরমোনের নাম | কাজ |
অ্যাবসিসিক এসিড | উদ্ভিদের পাতা ও ফুলঝরা রোধ করে এবং উদ্ভিদ অঙ্গের বার্ধক্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। আলু, পিঁয়াজ ইত্যাদির মুকুলোদগম রোধ করার জন্য এই হরমোন প্রয়োগ করা হয়। |
ইথিলিন | এটি গ্যাসীয় হরমোন। এ হরমোন পাকা ফলে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এ হরমোন ফুল, পাতা, বীজ ও মূলেও অল্প পরিমাণে পাওয়া যায়। এ হরমোন ফল পাকাতে সাহায্য করে। কাঁচা ফলকে কৃত্রিম উপায়ে পাকানোর জন্য এই হরমোন ¯েপ্র করা হয়। |
ফ্লোরিজেন | এই হরমোন উদ্ভিদের পাতায় সংশ্লেষিত হয়ে অগ্রমুকুলে পরিবাহিত হয় এবং ফুল ফোটাতে সাহায্য করে। |
চলন : যে প্রক্রিয়ায় জীব নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থেকে উদ্দীপকের প্রভাবে বা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে তাকে চলন বলে।
গমন : যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের দ্বারা সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলে।
ট্রপিক চলন : উদ্ভিদের অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথের দিকে হয়, তখন তাকে ট্রপিক চলন বা ট্রপিজম বলে।
স্নায়ুতন্ত্র : যে তন্ত্রের সাহায্যে দেহ বাইরের ও ভেতরের উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করে দেহকে পরিচালিত করে তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে।
নিউরন বা স্নায়ুকোষ : স্নায়ুতন্ত্রের কার্যগত ও গঠনগত এককের নাম নিউরন বা স্নায়ুকোষ।
নিউরনের তিনটি অংশ থাকেÑ কোষ দেহ, অ্যাক্সন ও ডেনড্রন।
মানুষসহ মেরুদণ্ডী প্রাণীদের স্নায়ুতন্ত্র প্রধানত তিনভাগে বিভক্ত করা যায়; যথা :
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র : এটি মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ড নিয়ে গঠিত।
প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে নির্গত সমস্ত রকম স্নায়ু নিয়ে এই স্নায়ুতন্ত্র গঠিত।
স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র : দেহের বিভিন্ন অন্তরযন্ত্রের (যথা : হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, পাকস্থলি ইত্যাদি) কার্যের নিয়ন্ত্রণ ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। এ সকল অঙ্গের কাজ স্নায়ুতন্ত্রের যে বিশেষ অংশের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র বলে।
মস্তিষ্ক : করোটি দ্বারা সুরক্ষিত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্ফীত যে অংশটিতে প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতি ইত্যাদি আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে মস্তিষ্ক বলে।
ধূসর পদার্থ বা গ্রে ম্যাটার : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশে অসংখ্য স্নায়ুকোষের কোষদেহগুলো ঘন অবস্থায় থাকে এবং ধূসর বর্ণের হওয়ায় সেই অংশকে ধূসর পদার্থ বা গ্রে ম্যাটার বলে। এটি মস্তিষ্কের বাহিরের অংশে থাকে। গ্রেম্যাটার সুষুম্নাকাণ্ডের ভেতরের অংশে থাকে।
শ্বেতপদার্থ বা হোয়াইট ম্যাটার : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশে স্নায়ুতন্তু ঘন অবস্থায় থাকে সেই অংশকে শ্বেতপদার্থ বা হোয়াইট ম্যাটার বলে। এটি মস্তিষ্কের ভেতরের অংশে থাকে। হোয়াইট ম্যাটার সুষুম্নাকাণ্ডের বাহিরের অংশে থাকে।
সুষুম্নাকাণ্ড বা মেরুরজ্জু : মস্তিষ্কের সুষুম্নাশীর্ষকের শেষভাগ থেকে শুরু হয়ে করোটির পশ্চাদের ছিদ্র (ফোরামেন ম্যাগনাম) পথ দিয়ে মেরুদণ্ডের ভেতর দিয়ে পৃষ্ঠমধ্যরেখা বরাবর দেহের পুচ্ছ পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে সুষুম্নাকাণ্ড বলে।
উদ্দীপনার আকস্মিকতাও স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়াকে প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলে।
প্রতিবর্তী ক্রিয়া কেবল সুষুম্নাকাণ্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন : চোখে জোরালো আলো পড়লে চোখের পাতা তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া, হাতে কাঁটা ফুটলে তৎক্ষণাৎ হাত সরিয়ে নেওয়া ইত্যাদি প্রতিবর্তী ক্রিয়ার উদাহরণ।
প্রতিটি প্রতিবর্তী চক্রের পাঁচটি অংশ থাকে। যথা :
১. গ্রাহক অঙ্গ : ত্বক ইত্যাদিতে অবস্থিত বিশেষ গঠন যাদের মাধ্যমে উদ্দীপনা গৃহীত হয়।
২. অনুভূতিবাহী স্নায়ু : এটি গ্রাহক থেকে উৎপন্ন হয় এবং উদ্দীপনা গ্রহণ করে স্নায়ুকেন্দ্রে (সুষুম্না কাণ্ড অথবা মস্তিষ্কে) পরিবহন করে।
৩. প্রতিবর্তী কেন্দ্র (স্নায়ুকেন্দ্র) : সুষুম্না কাণ্ড অথবা মস্তিষ্ক প্রতিবর্তী কেন্দ্র বা স্নায়ুকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
৪. আজ্ঞাবাহী স্নায়ু : এটি মস্তিষ্ক অথবা সুষুম্না কাণ্ড থেকে উদ্দীপনা সাড়া (কারক) অঙ্গে পরিবহন করে।
৫. সাড়ার (কারক) অঙ্গ : পেশি বা গ্রন্থি সাড়ার অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। সাড়ার বা কারক অঙ্গে প্রতিবর্তী ক্রিয়ার কাজ শেষ হয়।
এপিলেপসি : এপিলেপসি মস্তিষ্কের একটি রোগ, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর খিচুনি বা কাঁপুনি দিতে থাকে। অনেকক্ষেত্রে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এই রোগকে মৃগী রোগও বলা হয়।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অহনা বাবার সাথে কৃষি খামারে ঘুরতে যেয়ে বিভিন্ন ধরনের গাছ পর্যবেক্ষণ করে। সে দেখল, একটি করে আলো জ্বালিয়ে ছোট ছোট চারা গাছ রাখা আছে এবং ঘরটি বেশ ঠাণ্ডা। সে আরও দেখল, কিছু ফলজ গাছের ফুল ফুটছে না, কিছু গাছে ফলগুলো ছোট অবস্থায় ঝরে পড়ছে।
ক. বায়োলজিক্যাল ক্লক কী?
খ. ভার্নালাইজেশন বলতে কী বুঝায়?
গ. উদ্দীপকে ফলজ গাছগুলোতে এরূপ সমস্যার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অহনার দেখা গাছগুলো উক্ত পরিবেশে রাখার কারণ-বিশ্লেষণ কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. উদ্ভিদে ফুল ধারণের ক্ষেত্রে আলো-অন্ধকার ছন্দকে বায়োলজিকাল ক্লক বলা হয়।
খ. উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্পায়নে আলোর মতো তাপ ও শৈত্যের প্রভাব রয়েছে। দেখা গেছে অনেক উদ্ভিদের অঙ্কুরিত বীজকে শৈত্য প্রদান করা হলে তাদের ফুল ধারণের সময় এগিয়ে আসে। এই প্রক্রিয়াকেই বলে ভার্নালাইজেশন।
গ. উদ্দীপকে ফলজ গাছগুলোতে এরূপ সমস্যার কারণ ফাইটোহরমোনের অভাব। অক্সিন এক ধরনের ফাইটোহরমোন। অক্সিনের কাজ হলো ফলের অকাল ঝরে পড়া রোধ করা। জিবেরেলিন নামক অপর হরমোনের কাজ ফুল ফোটাতে সাহায্য করা। উদ্দীপকে ফলজ গাছগুলোতে এই হরমোনগুলোর স্বল্পতার কারণে ফুল ফুটছে না এবং ফলগুলো ঝরে পড়ছে।
এছাড়া ফুল ফোটার জন্য উদ্ভিদদেহে কিছু হরমোন তৈরি হয়, এদের পস্টুলেটেড হরমোন বলে। এদের মধ্যে ফ্লোরিজেন একটি। এটির উৎপত্তি দিবাদৈর্ঘ্যরে আলো ও অন্ধকার কালের ওপর নির্ভর করে। খামারে আলো জ্বালিয়ে রাখার কারণে সম্ভবত ছোটদিনের ফলজ গাছে ফুল ফুটছে না কারণ ওসব গাছগুলোতে ফ্লোরিজেন উৎপন্ন হচ্ছে না।
ঘ. অহনার দেখা গাছগুলোকে খামারিরা উদ্দীপকের পরিবেশে রেখেছিল অধিক ও আগাম ফুল-ফল ধরানোর জন্য। উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গ বিকাশের ক্ষেত্রে আলো ও উষ্ণতার প্রভাব লক্ষণীয়। দীর্ঘ অন্ধকার দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদে পুষ্প উৎপাদনে ব্যঘাত ঘটায়। কিন্তু দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ যখন দীর্ঘ আলো পায় তখন ঐসব উদ্ভিদে পুষ্প উৎপাদন সহায়ক হয়। সুতরাং বলা যায় উদ্ভিদে পুষ্প প্রস্ফুটন দিবা দৈর্ঘ্যরে উপর অধিক নির্ভরশীল। অহনা তার বাবার সাথে কৃষি খামারে ঘুরতে গিয়ে যে ঘরটিতে ঢুকেছিল সেটি সম্ভবত একটি গ্রিন হাউস এবং সময়টা ছিল শীতকাল। যেখানকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকায় বাহিরের তাপের থেকে কম ঠাণ্ডা অনুভব করেছে। চারা গাছগুলো সম্ভবত বড় দিনের উদ্ভিদের। তাই শীতকালে ছোট দিনে তাদের পুষ্পায়নের জন্য আলোর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ঘরটিতে আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। এর ফলে উদ্ভিদগুলোর মধ্যে পুষ্পায়ন ঘটবে আগাম সময়ে এবং খামারিরা এতে করে লাভবান হবে।
প্রশ্ন-২ নিচের চিত্রটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. প্রতিবর্তী ক্রিয়া কী? ১
খ. প্রাণরস কাকে বলে বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. মানবদেহে উদ্দীপনা তৈরিতে ‘অ’ চিহ্নিত অংশটির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত কোষটির গঠন প্রকৃতি একটি সাধারণ কোষ অপেক্ষা ভিন্নতর যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রতিবর্তী ক্রিয়া হলো উদ্দীপনার আকস্মিকতা ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া।
খ. মানবদেহে ও বিভিন্ন প্রাণিদেহে এক ধরনের বিশেষ নালিবিহীন গ্রন্থি থাকে। এসব গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস রক্তের মাধ্যমে দেহের একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয়ে দেহের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এদের প্রাণরস বলে।
গ. উদ্দীপকের চিত্রটি একটি নিউরন বা স্নায়ুকোষের। এটি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা ও স্নায়ু তাড়না গ্রহণ করতে পারে এবং দেহের অভ্যন্তরে তা পরিবহন করতে পারে।
স্নায়ুকোষটির অ চিহ্নিত অংশটি হলো ডেনড্রাইট ও কোষদেহের। অনুভূতি গ্রহণ এবং সে অনুসারে উদ্দীপনা তৈরি করে তা কার্যকরী অঙ্গে প্রেরণ করা এদের কাজ। উদ্দীপনা তৈরির ক্ষেত্রে ডেনড্রাইট পূর্ববতী নিউরন থেকে অথবা গ্রাহক অঙ্গ থেকে স্নায়ুতাড়না গ্রহণ করে এবং তা কোষদেহে বহন করে। পরবর্তীতে অ্যাক্সন কোষদেহ থেকে স্নায়ুতাড়নাকে সিন্যাপসের মাধ্যমে অপর স্নায়ুকোষের ডেনড্রাইটে বহন করে। এভাবে ডেনড্রাইট ও কোষদেহ স্নায়ুতাড়না এক নিউরন থেকে অপর নিউরনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছায় এবং পরবর্তীতে স্নায়ুতাড়না আজ্ঞাবহ বা মোটর নিউরন-এর মাধ্যমে কার্যকরী অঙ্গে উদ্দীপনা প্রেরণ করে।
ঘ. উক্ত কোষটি হলো মেরুদণ্ডী প্রাণীর স্নায়ুকোষ বা নিউরন। সাধারণ কোষ অপেক্ষা নিউরন কেন ভিন্ন ধরনের তা নিচে উল্লেখ করা হলো :
(১) স্নায়ুকোষটি আকারে লম্বাটে অনেকটা সুতার মতো এবং প্রাণিদেহে সবচেয়ে বড় কোষ। অন্যদিকে, সাধারণ প্রাণিকোষ দেখতে গোলাকার বা ডিম্বাকার ধরনের।
(২) কোষটির তিনটি অংশ থাকেÑ ডেনড্রাইট, অ্যাক্সন ও কোষদেহ ডেনড্রাইট ও অ্যাক্সন কোষদেহের প্রলম্বিত অংশ। সাধারণ প্রাণীকোষ দেহ বিভক্ত নয় এবং কোনো প্রলম্বিত অংশ থাকে না।
(৩) উদ্দীপকের কোষটির কোষদেহের সাইটোপ্লাজমে নিসল কণা, নিউরোফাইব্রিল তন্তু, মাইটোকন্ড্রিয়া, গলজি বস্তু, আন্তঃপ্লাজমিক রেটিকুলাম থাকে কিন্তু সাধারণ কোষে নিসল কণা ও নিউরোফাইব্রিল তন্তু থাকে না।
(৪) স্নায়ুকোষ শুধুমাত্র স্নায়ুতাড়না পরিবহন করে। সাধারণ কোষ দেহ গঠন ও বিভিন্ন বিপাকীয় কাজ করে।
(৫) সাধারণ দেহকোষ প্রয়োজনে বিভক্ত হতে পারে। কিন্তু নিউরন বিভাজিত হতে পারে না।
(৬) নিউরনের অ্যাক্সন কোষপর্দা ছাড়া পাতলা আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে, যাকে নিউরিলেমা বলে।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে যে, উদ্দীপকের কোষটির গঠন প্রকৃতি একটি সাধারণ কোষ অপেক্ষা ভিন্নতর।
প্রশ্ন-৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রফিক সাহেব ইদানিং প্রায়ই ক্লান্তি বোধ করেন। তিনি লক্ষ করলেন তার ক্ষুধা, পিপাসা দুই-ই বেড়ে গেছে। ক্ষতস্থান সহজে শুকাতে চায় না। শরীরের ত্বক রুক্ষ হচ্ছে। এ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শে তিনি রক্ত পরীক্ষা করান এবং এতে একটি রোগ ধরা পড়ে। ডাক্তার বলেন, ভয়ের কিছু নেই। নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনেই এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
ক. এপিলেপসি কী? ১
খ. প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলতে কী বুঝায়? ২
গ. রফিক সাহেবের রোগটি হবার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ডাক্তারের শেষোক্ত কথাটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
৩নং প্রশ্নের সমাধান
ক. এপিলেপসি হলো মস্তিষ্কের রোগ, যাতে শরীরে খিচুনি ও কাঁপুনি হয়।
খ. যেসব উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়া মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে সুষুষ্মা কাণ্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলে।
হঠাৎ করে আঙুলে সূঁচ ফুটলে, হাতে গরম কিছু পড়লে আমরা অতিদ্রুত হাতটি উদ্দীপনার স্থান থেকে সরিয়ে নিই। এটি প্রতিবর্তী ক্রিয়ার ফল।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে, রফিক সাহেব প্রায় ক্লান্তি বোধ করেন। এর সাথে তার ক্ষুধা ও পিপাসাও বেড়ে গেছে। ক্ষত স্থান সহজে শুকাতে চায় না। এ লক্ষণগুলোর কারণে বলা যায় রফিক সাহেবের রোগটি বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস। আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস নালীবিহীন গ্রন্থি অগ্ন্যাশয়ের মধ্যে অবস্থিত থাকে। এ গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ হয় যা রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আইলেটস অব ল্যাগগারহ্যানস যদি প্রয়োজনমতো ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হয় তাহলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে যায় এবং প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ নির্গত হয়। এ অবস্থাকে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস মেলিটাস বলে।
সুতরাং জনাব রফিক সাহেবের দেহে প্রয়োজন মতো ইনসুলিন রক্তে নিঃসৃত হচ্ছে না ফলে শর্করা বিপাক ঠিকমতো না হওয়ার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে গিয়ে তার বহুমূত্র রোগটি সৃষ্টি হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত লক্ষণের প্রেক্ষিতে বলা যায়, রফিক সাহেবের ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে।
ডাক্তারদের মতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি ‘উ’ মেনে চলা অত্যাবশ্যক। এগুলো হলোÑ উরংপরঢ়ষরহব, উরবঃ ও উড়ংব।
1. শৃঙ্খলা (উরংপরঢ়ষরহব) : একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য তার সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থা মহৌষধস্বরূপ। এছাড়া (১) নিয়মিত ও ডাক্তারের পরামর্শমতো পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করা, (২) নিয়মিত ব্যায়াম করা, (৩) রোগীর দেহের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বিশেষভাবে পায়ের যত্ন নেওয়া, (৪) নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করা, (৫) দৈহিক কোনো জটিলতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
2. খাদ্য নিয়ন্ত্রণ (উরবঃ) : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা। মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ও সময়মতো খাদ্য গ্রহণ করা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের মেনু অনুসরণ করলে সুফল পাওয়া যায়।
3. ঔষধ সেবন (উড়ংব) : ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করা উচিত নয়।ডাক্তার রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে ঔষধ খাওয়া বা ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে। ঠিকমতো চিকিৎসা না করা হলে রোগীর শ্বসন হার কমে যায়, পানি স্বল্পতার কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে। অনেক সময় রোগীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হয়ে মৃত্যু হতে পারে।
উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, ডাক্তারের শেষোক্ত কথাটি সম্পূর্ণ যথার্থ যে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
প্রশ্ন-৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাকিব সাহেবের ছেলে সাকিবের মানসিক বিকাশ হচ্ছিল না। ইদানীং রাকিব সাহেবের ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে ও ওজন কমে যাচ্ছে। তিনি ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে, ডাক্তার সাকিবকে আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে বললেন। রাকিব সাহেবকে ডাক্তার জানালেন যে, তিনটি ‘উ’ মেনে চললে তাঁর রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ক. নিউরন কী? ১
খ. ব্যাপন বলতে কী বুঝায়? ২
গ. সাকিবকে ডাক্তার সাহেবের উল্লিখিত পরামর্শ দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “রাকিব সাহেবের রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয় তবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য”বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
৪নং প্রশ্নের সমাধান
ক নিউরন হচ্ছে স্নায়ুকোষ যা স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একক।
খ. যে প্রক্রিয়ার মাধমে কোনো দ্রব্যের অণু বেশি ঘনত্বের এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তাকে ব্যাপন প্রক্রিয়া বলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়।
ঘরের এক কোণে কিছু সুগন্ধি থাকলে তার সুগন্ধ সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ এর অণুগুলো বেশি ঘনত্ব থেকে কম ঘনত্বের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। আবার এক গ্লাস পানিতে কিছু চিনি ছেড়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্লাসের পানি মিষ্টি হয়ে যায়। এ প্রক্রিয়াগুলোকেই ব্যাপন বলে।
গ. আয়োডিনের অভাবে হরমোন এর উৎপাদন ব্যাহত হলে মানসিক বুদ্ধির বিকাশ কমে যায়, সাকিবকে ডাক্তার সাহেবের উল্লিখিত পরামর্শ হলো আয়োডিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। আয়োডিনের অভাবে মানসিক বিকাশ বাধা পায় বলে গায়ের চামড়া খসখসে হয় ও চেহারা গোলাকার গোবেচারা আকারের মুখমণ্ডল তৈরি হয়। এছাড়া আয়োডিনযুক্ত খাবার খেলে থাইরয়েড হরমোন তৈরি হয়। এর অভাবে মানুষের গলাফোলা রোগ গলগণ্ড বা গয়টার রোগও হয়ে থাকে। এসব রোগ হলে আয়োডিনযুক্ত খাবার সুফল বয়ে আনে।
তাই ডাক্তার সাহেব সাকিবকে আয়োডিনযুক্ত খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
ঘ. সৃজনশীল ৩ (ঘ) নং প্রশ্নের উত্তর দেখ।
প্রশ্ন-৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাগানে কাজ করার সময় হঠাৎ মিঃ শফিক এর পা কেটে যায়। কিন্তু পা এর ক্ষত সহজে শুকাচ্ছে না। ইদানীং তিনি বেশ দুর্বল অনুভব এবং ঘন ঘন পিপাসা বোধ করেন। ডাক্তারের নিকট গেলে তিনি মিঃ শফিককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসাপত্র প্রদান করেন।
ক. হরমোন কী? ১
খ. আইলেটস্ অফ ল্যাংগারহ্যানস বলতে কী বোঝায়? ২
গ. শফিক সাহেবের সমস্যাগুলোর কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ডাক্তার সাহেবের দেওয়া পরামর্শ শফিক সাহেব না মানলে কী ধরনের জটিলতা হতে পারে? বিশ্লেষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের সমাধান
ক. নালিবিহীন গ্রন্থি কোষ থেকে নিঃসৃত রসকে হরমোন বলে।
খ. অগ্ন্যাশয়ের মাঝে আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস নালিবিহীন গ্রন্থি অবস্থিত। এর কোষগুচ্ছ শরীরের শর্করা বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। এর নালিহীন কোষগুলি ইনসুলিন ও গ্লুকাগন হরমোন নিঃসরণ করে যা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
গ. সৃজনশীল ৩(গ)নং উত্তরের অনুরূপ।
ঘ. উদ্দীপকে মি. শফিকের যে লক্ষণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে তাতে বুঝা যায় তিনি বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ডাক্তার তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তাকে তিনটি ‘উ’ মেনে চলার পরমার্শ দেন। এগুলো হলোÑ উরংপরঢ়ষরহব, উরবঃ ও উড়ংব।
1. শৃঙ্খলা (উরংপরঢ়ষরহব) : একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য তার সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থা মহৌষধস্বরূপ। এছাড়া (১) নিয়মিত ও ডাক্তারের পরামর্শমতো পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করা, (২) নিয়মিত ব্যায়াম করা, (৩) নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করা, দৈহিক কোনো জটিলতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
2. খাদ্য নিয়ন্ত্রণ (উরবঃ) : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা। মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা।
3. ঔষধ সেবন (উড়ংব) : ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। সেই পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে।
মি. শফিক যদি ডাক্তারের উপরিউক্ত পরামর্শগুলো না মেনে চলেন তাহলে তার শ্বসন হার কমে যেতে পারে এবং পানি স্বল্পতার কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এতে তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়তে পারেন। এছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না রাখায় তার উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হজতে পারে। এতে করে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটে স্ট্রোক হতে পারে এমন কি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
প্রশ্ন-৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. শীর্ষ মুকুল কী? ১
খ. উদ্ভিদের সামগ্রিক চলন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ‘অ’ টিস্যুর কোষের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ই, ঈ ও উ অংশগুলো আমাদের দেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিশ্লেষণ কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. উদ্ভিদের কাণ্ডের শীর্ষে যে মুকুল থাকে তাকে শীর্ষ মুকুল বলে।
খ. উদ্ভিদের কোনো অংশ যখন সামগ্রিকভাবে প্রয়োজনের তাগিদে একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে তখন তাকে সামগ্রিক চলন বলে।
ছত্রাক ও উন্নত শ্রেণির উদ্ভিদের যৌনজনন কোষ এবং জুস্পোরে এ ধরনের চলন দেখা যায়। এছাড়া কিছু ব্যাকটেরিয়া ও কিছু শৈবাল একস্থান থেকে অন্যস্থানে যায়, যা এক ধরনের সামগ্রিক চলন।
গ. ‘অ’ অংশটি হলো মস্তিস্কে অবস্থিত স্নায়ুকলা। বহুসংখ্যক স্নায়ুকোষ বা নিউরনের সমন্বয়ে স্নায়ু কলা গঠিত।
চিত্র : একটি নিউরন
ঘ. উদ্দীপকে ই, ঈ ও উ অংশগুলো আমাদের দেহের বিভিন্ন টিস্যু। ‘ই’ মানব শ্বসনতন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত। এটির মাধ্যমে আমরা শ্বসনের সময় বায়ু গ্রহণ করি এবং ঈঙ২ ত্যাগ করি।
‘ঈ’ মানবদেহে রক্ত একটি যোজক কলা। এটি সংবহনতন্ত্রের অংশ। রক্ত জীবনীশক্তির মূল উপাদান। রক্তনালির মধ্য দিয়ে রক্ত দেহের সর্বত্র প্রবাহিত হয় এবং কোষে ঙ২ ও খাদ্য উপাদান সরবরাহ করে। রক্তের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ একস্থান থেকে অন্যস্থানে পরিবাহিত হয়। এছাড়া রক্ত দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
‘উ’ হৃৎপিণ্ডের পেশি এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি। এই পেশি হৃৎপিণ্ডকে একটি পাম্পের ন্যায় কাজ করতে সহায়তা করে। এই পেশির দ্বারা হৃৎপিণ্ডের অবিরাম সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে সারাদেহে রক্তসংবহন চলতে থাকে।
‘উ’ হাতের পেশি ঐচ্ছিক পেশি। হাতের পেশি দুটি বাইসেপস ও ট্রাইসেপস পেশি। ইচ্ছাধীন স্নায়ুর তাড়নায় বাইসেপস ও ট্রাইসেপস পেশির সংকোচন ও শ্লথ হওয়ার মাধ্যমে আমরা কনুই বাঁকানো ও সোজা করতে পারি।
উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, উদ্দীপকের ই, ঈ ও উ অংশগুলো আমাদের দেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন-৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
৫৫ বছর বয়সী মি. ভৌমিকের হাত কাঁপে এবং হাঁটতে চলতে পারেন না। এছাড়াও মুখ অনড় থাকায় তিনি ঠিকমতো খাবার গিলতে পারেন না এবং কথা বলতেও কষ্ট হয়।
ক. ওঅঅ এর পূর্ণরূপ লেখ। ১
খ. প্রতিবর্তী ক্রিয়াপথের বিভিন্ন অংশগুলো কী কী? ২
গ. মি. ভৌমিকের রোগটির কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের রোগটি হতে সুস্থ হওয়ার উপায়গুলো বিশ্লেষণ কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ওঅঅ এর পূর্ণরূপ ইন্ডোল অ্যাসিটিক এসিড।
খ. একটি প্রতিবর্তী ক্রিয়া পাঁচটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত ১. গ্রাহক অঙ্গ, ২. যে অনুভূতিবাহী স্নায়ু, ৩. প্রতিবর্তী কেন্দ্র (সুষুম্না কাণ্ড), ৪. আজ্ঞাবাহী স্নায়ু ও ৫. কারক অঙ্গ (পেশি)।
গ. মি. ভৌমিকের রোগটির নাম পারকিনসন। রোগটির কারণ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
স্নায়ুকোষ এক ধরনের নির্যাস তৈরি করে যাকে ডোপামিন বলে। ডোপামিন শরীরের পেশির নড়াচড়ায় সাহায্য করে। মস্তিষ্কে ডোপামিন তৈরির কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। ডোপামিন ছাড়া স্নায়ুকোষগুলো পেশি কোষগুলোকে সংবেদন পাঠাতে পারে না। ফলে মাংসপেশি তার কার্যকারিতা হারায়।
যেহেতু মি. ভৌমিকের বয়স ৫০ বছর এজন্য তার মাংসপেশি আরও অকার্যকর হয়ে ওঠে। এ রোগ সাধারণত ধীরে ধীরে প্রকট রূপ দেখা দেয়। মাংসপেশির অকার্যকর হওয়ায় তিনি একা পথ চলতে পারেন না। স্নায়ুকোষগুলো কার্যকারিতা হারাতে থাকায় মুখ অনড় হয়ে যায়। ফলে তিনি খাবার গিলতে পারেন না এবং কথা বলতেও কষ্ট হয়।
ঘ. উদ্দীপকের রোগটি হচ্ছে পারকিনসন। এ রোগটি হতে সুস্থ হওয়ার উপায়গুলো হলো :
১. নিয়মিত পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করলে মাংসপেশি সবল হয়। স্নায়ুগুলো আরও বেশি উদ্দীপিত হয়।
৩. নিয়মিত হাঁটতে হবে। তাহলে পায়ের পেশি সবল হয়।
৪. যারা নিয়মিত ধূমপান করে তাদের শরীরে নিকোটিনের প্রভাবে স্নায়ুগুলো দুর্বল হতে থাকে। ফলে পারকিনসন রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
৫. যারা নিয়মিত মাদক গ্রহণ করে তাদের পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ মাদক গ্রহণের ফলে স্নায়ু ও পেশি দুর্বল হতে থাকে। এজন্য রোগীকে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।
৬. সুস্থ জীবনযাপন করলে রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে।
৭. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি গ্রহণের মাধ্যমে পারকিনসন রোগে আক্রান্ত রোগী অনেকটা সুস্থ থাকে।
উপরিউক্ত পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে পারকিনসন রোগী মি. ভৌমিকের অনেকটা সুস্থ থাকা সম্ভব।
প্রশ্ন-৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দশম শ্রেণিতে জীববিজ্ঞান শিক্ষক শ্রেণিতে স্নায়ুতন্ত্র ও হরমোন সম্পর্কে পাঠদান করলেন।
ক. এপিলেপসি কী? ১
খ. ভার্নালাইজেশন বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে শিক্ষকের পাঠদানের প্রথম বিষয়বস্তুর এককের চিহ্নিত চিত্রসহ কাজ লেখ। ৩
ঘ. উদ্দীপকে শিক্ষকের পাঠদানের দ্বিতীয় বিষয়বস্তু উদ্ভিদে ও প্রাণীর ক্ষেত্রে কী কী অবদান রাখে বলে তুমি মনে কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. এপিলেপসি মস্তিষ্কের একটি রোগ যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর খিঁচুনি বা কাঁপুনি দিতে থাকে।
খ. শৈত্য প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভিদের ফুল ধারণকে ত্বরান্বিত করার প্রক্রিয়াকে ভার্নালাইজেশন বলে। উদ্ভিদের অঙ্কুরিত বীজকে শৈত্য প্রদান করা হলে, তাদের ফুল ধারণের সময় এগিয়ে আসে।
এজন্য স্বাভাবিক সময়ের আগে বা পরে ফসল উৎপাদনের জন্য ভার্নালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ।
গ. উদ্দীপকে শিক্ষকের পাঠদানের প্রথম বিষয়বস্তু ছিল স্নায়ুতন্ত্র। স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যিক একক হচ্ছে নিউরন।
চিত্র : একটি নিউরন
নিউরনের প্রধান কাজ উদ্দীপনা বহন করা। অনুভূতিবাহী নিউরন গ্রাহক অঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং মোটর বা আজ্ঞাবাহী নিউরন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কার্যকরী অঙ্গে উদ্দীপনা প্রেরণ করে।
ঘ. উদ্দীপকে শিক্ষকের পাঠদানের দ্বিতীয় বিষয়বস্তু ছিল হরমোন। হরমোন উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহে রাসায়নিক সংযোগ স্থাপন করে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে।
উদ্ভিদ দেহে অক্সিন, জিবেরেলিন, সাইটোকাইনিন, ইথিলিন, ফ্লোরিজেন ইত্যাদি হরমোন উৎপন্ন হয়। অক্সিন ফলের অকাল ঝরে পড়া রোধ করে এবং বীজহীন ফল উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। ফ্লোরিজেন পত্রমুকুলকে পুষ্পমুকুলে রূপান্তরিত করে। সাইটোকাইনিন বীজ ও অঙ্গের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করে। ইথিলিন ফল পাকাতে সাহায্য করে।
মানবদেহে ও বিভিন্ন প্রাণীর দেহের গ্রন্থিগুলো হলো পিটুইটারি, থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড, থাইমাস, অ্যাডরেনাল, আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস এবং জনন গ্রন্থি। পিটুইটারি গ্রন্থি মানবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, থাইরয়েড থেকে থাইরক্সিন নিঃসরণ ও জননাঙ্গের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাডরেনাল গ্রন্থি মানসিক চাপ থেকে পরিত্রাণে সাহায্য করে। আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস শরীরের শর্করা বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। জনন গ্রন্থি প্রাণীর জনন অঙ্গের বৃদ্ধি, জনন চক্র ও যৌন আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমি মনে করি শিক্ষকের পাঠদানের দ্বিতীয় বিষয়বস্তু উদ্ভিদ ও প্রাণীর ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখে।
প্রশ্ন-৯ নিচের চিত্র দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. ফেরোমন কী? ১
খ. উদ্ভিদে অক্সিনের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মানুষের গুরুমস্তিষ্কে উপরের কোষটির অবস্থান ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মানবদেহে উদ্দীপনা পরিবহনে উপরের কোষের গঠনের সাথে কাজের সমন্বয় বিশ্লেষণ কর। ৪
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কীট-পতঙ্গ যে হরমোন নিঃসরণ করে, তাই ফেরোমন।
খ. অক্সিন মূলত উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। এর ভূমিকা নিম্নরূপ :
১. অক্সিন শাখাকলমে মূল উৎপাদনে সাহায্য করে।
২. উদ্ভিদের বক্রচলন অক্সিন নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. অক্সিন পাতা ও ফলের অকাল ঝরে পড়া রোধ করে। এছাড়া উদ্ভিদে বীজহীন ফল উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
গ. উপরের চিত্রটি দুটি স্নায়ুকোষের। মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষ নিয়ে গঠিত।
গুরুমস্তিষ্কের বহিঃস্তর প্রধানত স্নায়ুকোষের কোষদেহ অংশ ও মায়োলিনবিহীন স্নায়ুতন্ত্র নিয়ে গঠিত। এটি ধূসর বর্ণের হওয়ায় একে ধূসর পদার্থ বা গ্রেম্যাটার বলে। ধূসর পদার্থের কয়েকটি স্তরে বিশেষ আকারের স্নায়ুকোষ দেখা যায়। এই স্নায়ুকোষগুলো গুরুমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে গুচ্ছ বেঁধে স্নায়ুকেন্দ্র সৃষ্টি করে।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রটি নিউরন বা স্নায়ুকোষের। মানবদেহে উদ্দীপনা পরিবহনে এ কোষের গঠন ও কাজের মধ্যে একটা সমন্বয় বজায় থাকে।
প্রতিটি নিউরন দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত যথা : কোষদেহ এবং প্রলম্বিত অংশ। প্রলম্বিত অংশ দুই রকমের যথা : অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইট। একটি নিউরনে একটিমাত্র অ্যাক্সন থাকে এবং এটি সুতার মতো লম্বা। অ্যাক্সন কোষদেহ থেকে স্নায়ুস্পন্দন অপর কোনো স্নায়ুকোষে বা আজ্ঞাবাহী অঙ্গে বহন করে। ডেনড্রাইট হলো কোষদেহের চারদিক থেকে উৎপন্ন ছোট ছোট শাখাপ্রশাখা। ডেনড্রাইট পূর্ববর্তী নিউরন থেকে স্নায়ুতাড়না গ্রহণ করে এবং তা কোষদেহে বহন করে। একটি স্নায়ুকোষের অ্যাক্সন অন্য একটি স্নায়ুকোষের ডেনড্রনের সাথে মিলিত হওয়ার স্থানকে সিন্যাপস বলে। সিন্যাপস স্নায়ুতাড়নাকে এক নিউরন থেকে অপর একটি নিউরনে প্রবাহিত করে।
এভাবে মস্তিষ্কে স্মৃতিধারণ করা, চিন্তা করা ও বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেয়া ও পরিচালনা করা নিউরনের কাজ। এছাড়াও নিউরন উদ্দীপনা বহন করে, প্রাণিদেহের ভেতরে ও বাইরের পরিবেশের সাথে সংযোগ রক্ষা করে এবং প্রাণিদেহের বিভিন্ন অংশের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করে।
প্রশ্ন-১০ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফাহিম সাহেবের বয়স ৬০ বছর। তাঁর প্রস্রাবে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি। একদিন তাঁর প্রচণ্ড মাথা ব্যথার সাথে বমি হলো এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন।
ক. স্নায়ুতন্ত্র কী দ্বারা গঠিত? ১
খ. সেরিবেলামের কাজগুলো লেখ। ২
গ. ফাহিম সাহেবের প্রস্রাবে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক থেকে বেশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যাসহ লেখ। ৩
ঘ. ফাহিম সাহেবের দ্বিতীয় প্রকার রোগটির কারণ ও প্রতিরোধের উপায় বিশ্লেষণ কর। ৪
১০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মস্তিষ্ক ও সুষুম্না কাণ্ড দ্বারা স্নায়ুতন্ত্র গঠিত।
খ. সেরিবেলামের কাজগুলো নিচে দেয়া হলো :
১. দেহের পেশির টান নিয়ন্ত্রণ করা।
২. চলনে সমন্বয় সাধন করা।
৩. দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা।
৪. দৌড়ানো ও লাফানোর কাজে জড়িত পেশিগুলোর কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করা।
গ. ফাহিম সাহেবের প্রস্রাবে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক থেকে বেশি হওয়ার কারণ তিনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।
অগ্ন্যাশয়ের ভেতর আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যানস নামক একটি গ্রন্থি আছে; এই গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন হলো এক প্রকার হরমোন, যা দেহের শর্করা পরিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। অগ্ন্যাশয়ে যদি প্রয়োজনমতো ইনসুলিন তৈরি না হয় তবে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে যায় এবং প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ নির্গত হয়। এ অবস্থাকে ডায়াবেটিস মেলিটাস বা বহুমূত্র রোগ বলে।
ফাহিম সাহেবের যেহেতু বয়স ৬০ বছর এবং তার প্রস্রাবে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, কাজেই তার দেহে ইনসুলিন তৈরি না হওয়াই এর কারণ।
ঘ. ফাহিম সাহেবের দ্বিতীয় রোগটির লক্ষণ হলো মাথা ব্যথার সাথে বমি এবং জ্ঞান হারানো। এ লক্ষণ অনুযায়ী তার দ্বিতীয় রোগটি হলো স্ট্রোক।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে স্ট্রোক হয়। সাধারণত ধমনি গাত্র শক্ত হয়ে যাওয়া ও উচ্চরক্তচাপজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। অনেক সময় অত্যধিক স্নায়বিক চাপ যেমন উত্তেজনা অত্যধিক পরিশ্রমের কারণে এরূপ ঘটে। মস্তিষ্কে যেকোনো ধমনিতে রক্তক্ষরণের ফলে এবং এতে রক্ত জমাট বেঁধে মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধনের ফলে স্ট্রোক হতে পারে।
স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় হলো ধূমপান পরিহার করা, যারা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তাদের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের নিয়মিত ওষুধ সেবন করা, খাদ্যাভ্যাস যেমন অধিক তেলযুক্ত খাবার পরিহার করা। শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়া। এছাড়া দুশ্চিন্তামুক্ত, সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হবে।
প্রশ্ন-১১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মিসেস নাজমা একজন ডাক্তার। একদিন গরম পানির পাত্র সরাতে গিয়ে হঠাৎ তার হাতে গরম পানি লেগে যায়। তিনি তৎক্ষণাৎ হাত সরিয়ে নেন। সাথে সাথে তাতে বরফ ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে পরবর্তীতে সারিয়ে তোলেন।
ক. অ্যাক্সলেমা কী? ১
খ. কোন রোগের ক্ষেত্রে তিনটি ‘উ’ মেনে চলা অত্যাবশ্যক? বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. মিসেস নাজমার হাতটি তৎক্ষণাৎ সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মিসেস নাজমার জ্ঞান, চিন্তা, স্মৃতি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় তা বিশ্লেষণ কর। ৪
১১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অ্যাক্সলেমা হলো অ্যাক্সনের মূল অক্ষের আবরণী।
খ. ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তিনটি ‘উ’ মেনে চলা অত্যাবশ্যক। এগুলো হলো উরংপরঢ়ষরহব, উরবঃ ও উড়ংব.
উরংপরঢ়ষরহব সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থা।
উরবঃ নিয়মিত ও সময়মতো খাদ্য গ্রহণ করা।
উড়ংব ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে।
গ. মিসেস নাজমার হাতটি তাৎক্ষণিক সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি প্রতিবর্তী ক্রিয়ার ফল।
প্রতিবর্তী ক্রিয়া সুষুম্না কাণ্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ত্বক থেকে উদ্দীপনা সংবেদী নিউরনের অ্যাক্সনের মাধ্যমে সুষুম্না কাণ্ডের ধূসর অংশে পৌঁছায় সুষুম্না কাণ্ডের ধূসর অংশে অবস্থিত সংবেদী নিউরনের অ্যাক্সন থেকে তড়িৎ রাসায়নিক পদ্ধতিতে উদ্দীপনা আজ্ঞাবাহী স্নায়ুতে প্রবেশ করে। এরপর সংবেদী স্নায়ুর অ্যাক্সনও আজ্ঞাবাহী স্নায়ুর ডেনড্রাইটে সিন্যাপসের মধ্য দিয়ে উদ্দীপনা হাতের পেশিতে প্রবেশ করে।
মিসেস নাজমার হাতে গরম পানি পড়ার সাথে সাথে ত্বকে সংবেদী নিউরনের ডেনড্রাইটগুলো জ্বালার উদ্দীপনা গ্রহণ করে। আজ্ঞাবাহী স্নায়ুর ডেনড্রাইট থেকে পেশিতে উদ্দীপনা পৌঁছালে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের নির্দেশে মিসেস নাজমার হাতের পেশির সংকোচন ঘটে এবং তাঁর হাত গরম পানি থেকে সরে আসে।
ঘ. মিসেস নাজমার জ্ঞান, চিন্তা, স্মৃতি তাঁর মস্তিষ্কের সেরিব্রাম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধনের জন্য স্নায়ুতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মস্তিষ্ক সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ্ঞাবাহী স্নায়ুযোগে তাড়না পাঠিয়ে সাড়া জাগায় ও কোনো কাজ করতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র গঠিত মস্তিষ্ক ও সুষুম্না কাণ্ড নিয়ে। মস্তিষ্কের অগ্রমস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে সেরিব্রাম। মানুষের সেরিব্রাম বেশি উন্নত। সেরিব্রাম হলো প্রত্যেক অঙ্গ থেকে স্নায়ুতাড়না গ্রহণ এবং প্রত্যেক অঙ্গে স্নায়ুতাড়না প্রেরণের উচ্চতর অঙ্গ। দেহের সকল অনুভূতির কেন্দ্র হলো সেরিব্রাম। এটি আমাদের চিন্তা, চেতনা, জ্ঞান, স্মৃতি, হচ্ছে। বাক্শক্তি ও ঐচ্ছিক পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন-১২ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তাজুল ইসলাম একজন সফল সবজি চাষি। একদিন সে দেখল তার ক্ষেতে লাগানো কয়েকটি পুঁইশাকের ডগা ছাগলে খেয়ে ফেলছে। কিন্তু কয়েক দিন পর সে লক্ষ করল ছাগলের খাওয়া পুঁইশাকের কক্ষ মুকুলগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে শাখা-প্রশাখায় পরিণত হয়েছে। তাজুল ইসলাম তখন তার অবশিষ্ট গাছগুলোর শীর্ষ মুকুল কেটে দেয়।
ক. শীর্ষমুকুল কী? ১
খ. অমরা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ছাগলে খাওয়া পুঁইশাকের কক্ষ মুকুলগুলো দ্রুত শাখা প্রশাখায় পরিণত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তাজুল ইসলামের মতো অন্য চাষিরাও উদ্ভিদের এই বৈশিষ্ট্যের সবজি চাষে ব্যবহার করে কীভাবে লাভবান হতে পারে- মতামত দাও। ৪
১২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. উদ্ভিদের কাণ্ডের শীর্ষে যে মুকুল থাকে তাই শীর্ষমুকুল।
খ. যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রƒণ এবং মাতৃ জরায়ুর টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাকে অমরা বা গর্ভফুল বলে। ভ্রƒণ জরায়ুতে পৌঁছানোর পর ভ্রƒণের কিছুকোষ এবং মাতৃ জরায়ুর অন্তঃস্তরের কিছু কোষ মিলিত হয়ে ডিম্বাকার ও রক্তনালি সমৃদ্ধ অমরা গঠন করে। অমরার মাধ্যমে ভ্রƒণ মায়ের রক্ত থেকে যাবতীয় পুষ্টি গ্রহণ করে।
গ. ছাগলে খাওয়া পুঁইশাকের কক্ষমুকুলগুলো দ্রুত শাখা-প্রশাখায় পরিণত হওয়ার কারণ কক্ষমুকুলে ভাজক কোষ ছড়িয়ে পড়া।
যেকোনো উদ্ভিদের অগ্রমুকুল তার পার্শ্ব মুকুলের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। অগ্রমুকুলের কোষগুলো ভাজক কোষ। কাজেই এটি হলো কোষ বিভাজন অঞ্চল। এ অঞ্চলের কোষগুলো দ্রুত বিভাজিত হয়ে সংখ্যাবৃদ্ধি করে। যেমন, অক্সিন নামক বৃদ্ধিকারক হরমোন অধিক মাত্রায় উপস্থিত থাকার কারণে অগ্রমুকুল দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। অন্যদিকে কক্ষমুকুলের বৃদ্ধি খুব ধীর গতিতে চলে। অগ্রমুকুল কেটে দিলে ঐ ভাজক কোষগুলো পার্শ্ববর্তী কক্ষমুকুলে ছড়িয়ে পড়ে এবং শাখা বৃদ্ধি পায়। এ কারণেই পুঁইশাকের ডগা অর্থাৎ অগ্রমুকুল ছাগলে খেয়ে ফেলার ফলে কক্ষমুকুলের বৃদ্ধির হার বেড়ে যায়। ফলে কক্ষমুকুলগুলো বিস্তৃত হয়ে দ্রুত শাখাপ্রশাখায় পরিণত হয়।
ঘ. তাজুল ইসলামের মতো অন্য চাষীরাও উদ্ভিদের এ বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ শীর্ষমুকুল কাটার ফলে কক্ষমুকুলের দ্রুত বৃদ্ধি হওয়ার বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারে।
কিছু সবজি যেমন- লাউ, কুমড়া, পুঁইশাক ইত্যাদি সবজির ক্ষেত্রে শীর্ষমুকুল বা অগ্রমুকুল কেটে ফেলাই লাভজনক। কারণ অগ্রমুকুল কেটে দিলে ঐ ভাজক কোষগুলো পার্শ্ববর্তী কক্ষমুকুলে ছড়িয়ে পড়ে এবং শাখা বৃদ্ধি পায় এবং উদ্ভিদ দ্রুত বড় হয়। ফলে মাঠে তুলনামূলকভাবে গাছগুলো দ্রুত বিস্তৃত হয়। নিচের ছোট উদ্ভিদ বড় হয়ে সূর্যালোক পায়। কোনো কারণে অগ্রমুকুল ভেঙে গেলে একইভাবে ঠিক নিচের দ্বিতীয় কক্ষমুকুলটি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে লম্বা হয়ে যায় এবং গাছের বৃদ্ধিতে সাম্য বজায় রাখে। গাছে আলো ও বায়ু প্রাপ্তি নিশ্চিত করে এবং গাছের ডগা, পাতা ও ফুল অতি দ্রুত বড় করে দেয়।
অতএব, গাছের এই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চাষিরা যদি নিয়মিত অগ্রমুকুল কেটে দেয় তাহলে ফলন ভালো পাবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
প্রশ্ন-১৩ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আদিত্য পত্রিকা পড়ে প্রাণীর সমন্বয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারল। সে প্রাণীর দেহে (র) হরমোনাল ও (রর) স্নায়বিক প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পারল। সে জানতে পারল প্রাণীর প্রয়োজনীয় সমন্বয় কাজ স্নায়ু ও হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়।
ক. মস্তিষ্কের কর্টেক্স কী? ১
খ. অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের মধ্যে দুটি পার্থক্য উল্লেখ কর। ২
গ. মানবদেহে উদ্দীপকে উল্লিখিত (ক) বিষয়টির প্রভাব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মানবদেহে (খ) বিষয়টি সমন্বয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেÑ আলোচনা কর। ৪
১৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কর্টেক্স হলো গুরুমস্তিষ্কের বাইরের স্তর।
খ. অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের মধ্যে দুইটি পার্থক্য নিম্নরূপ :
অ্যাক্সন ডেনড্রন
১. কোষদেহ থেকে উৎপন্ন একটি লম্বা প্রলম্বিত অংশ। ১. কোষদেহ থেকে উৎপন্ন একাধিক ক্ষুদ্র শাখা-প্রশাখা।
২. উদ্দীপনা কোষদেহ থেকে পরবর্তী স্নায়ুকোষে বহন করে নিয়ে যায়। ২. স্নায়ুস্পন্দন গ্রাহক থেকে অথবা পূর্ববর্তী স্নায়ুকোষ থেকে কোষদেহে বহন করে।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত (র) বিষয়টি হলো মানবদেহে হরমোনাল প্রভাব।
মানবদেহে বিভিন্ন কাজের সমন্বয় সাধনের জন্য এক ধরনের বিশেষ নালিবিহীন গ্রন্থি আছে। এসব গ্রন্থি নিঃসৃত রস রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে দূরবর্তী কোনো কোষের শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। নালিবিহীন গ্রন্থি নিঃসৃত এ রসকে হরমোন বলে। হরমোনের কারণে মানবদেহের কার্যকলাপ অর্থাৎ নড়াচড়া ও আচরণ পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এ জন্য এদেরকে রাসায়নিক দূত বলা হয়। হরমোন রক্তস্রোতের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যকোষে পৌঁছে কোষের প্রাণরাসায়নিক কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে। সুস্থ দেহের চাহিদা অনুসারে গ্রন্থি থেকে অবিরত ধারায় হরমোন নিঃসৃত হয়। এরা উত্তেজক রোধক হিসেবে দেহের বৃদ্ধি, বিকাশ ও বিভিন্ন টিস্যুর কার্য নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যক্তির আচরণ, স্বভাব ও আবেগ প্রবণতার ওপরও হরমোনের প্রভাব অপরিসীম। তবে প্রয়োজন অপেক্ষা কম অথবা বেশি পরিমাণ হরমোন নিঃসৃত হলে দেহে নানারকম অবাঞ্ছিত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, মানবদেহে হরমোনের প্রভাব অপরিসীম।
ঘ. উদ্দীপকের (রর)-তে মানবদেহে স্নায়বিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে যা মানবদেহে বিভিন্ন অঙ্গের কাজের প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধনের জন্য স্নায়ুতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মানবদেহ চলে পরিবেশের উদ্দীপনা ও সাড়া জাগানোর ফলে। দেহের বাইরের জগৎ হলো বাহ্যিক পরিবেশ এবং দেহের ভেতর হলো অভ্যন্তরীণ পরিবেশ। বাহ্যিক পরিবেশের উদ্দীপক হলো আলো, গন্ধ, স্বাদ এবং স্পর্শ। এসব চোখ, কান, নাক, জিহ্বা এবং চর্মের অনুভূতিবাহী স্নায়ু প্রান্তে উদ্দীপনা জাগায়। অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক হলো চাপ, তাপ ও বিভিন্ন রাসায়নিক বস্তু। এরা অভ্যন্তরীণ অঙ্গের কেন্দ্রমুখী প্রান্তে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। স্নায়ুতন্ত্র দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং দেহের উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে। মস্তিষ্ক সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ্ঞাবাহী মোটর স্নায়ু যোগে উদ্দীপনা পাঠিয়ে পেশি কিংবা গ্রন্থিতে সাড়া জাগায় ও কোনো কাজ করতে সাহায্য করে।
এভাবে স্নায়ুতন্ত্র দেহের বিভিন্ন অংশে উদ্দীপনা বহন করে, দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করে এবং পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে।
তাই বলা যায়, মানবদেহে (রর) বিষয়টি অর্থাৎ স্নায়বিক প্রভাব সমন্বয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন-১৪ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাকিব তার বন্ধু সাকিবের নিকট তার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কথা বলেন, রাকিব শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করে। তার দেহের কোথাও ক্ষত হলে সহজে শুকাতে চায় না। এসব কথা শুনে সাকিব রাকিবকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলে এবং ডায়াবেটিস রোগের পরীক্ষা করার কথা বলে।
ক. স্ট্রোক কী? ১
খ. ডায়াবেটিস বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত উপসর্গগুলো যে রোগের কারণে হয়ে থাকে তার বিবরণ ও প্রতিকারের উপায়গুলো লেখ। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত রোগটি নিয়ন্ত্রণ অতীব জরুরি বিশ্লেষণ কর। ৪
১৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়া
খ. ডায়াবেটিস বলতে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া বোঝায়। ইনসুলিন নামক এক প্রকার হরমোন দেহের শর্করা পরিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। দেহে যদি প্রয়োজনমতো ইনসুলিন তৈরি না হয় তবে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে যায়, প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ নির্গত হয়। এ অবস্থাকে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস বলা হয়।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত উপসর্গগুলো যে রোগের কারণে হয়ে থাকে তা হলো ডায়াবেটিস।
দেহে ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন পরিমাণমতো না হলে ডায়াবেটিস দেখা দেয়। ইনসুলিন হরমোন রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিন হরমোনের ঘাটতি হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে যায়। প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ নির্গত হয়।
রাকিবের উপসর্গগুলো বিবেচনা করলে বোঝা যায় যে, সে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ডাক্তারদের মতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তিনটি ‘উ’ মেনে চলা উচিত। এগুলো হলেÑ উরংপরঢ়ষরহব, উরবঃ ও উড়ংব। উরংপরঢ়ষরহব অর্থাৎ শৃঙ্খলাÑ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর জন্য তার সুশৃঙ্খল জীবনযাপন মহৌষধস্বরূপ। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শমতো পরিমিত খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করা দরকার।
উরবঃ অর্থাৎ খাদ্য নিয়ন্ত্রণÑ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা। মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার নিয়মিত ও সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শমতো খাদ্য গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
উড়ংব অর্থাৎ ওষুধ সেবন- ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন বা ইনসুলিন গ্রহণ করা উচিত।
উপরিউক্ত বিষয়গুলো মেনে চললে উক্ত রোগ অর্থাৎ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত রোগটি হলো ডায়াবেটিস যা নিয়ন্ত্রণ করা অতীব জরুরি।
একজন ডায়াবেটিস রোগীর অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। রক্তে ও প্রস্রাবে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাণের চেয়ে বেড়ে গেলে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এই রোগে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, অধিক পিপাসা লাগা, ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া, পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া সত্ত্বেও দেহের ওজন কমতে থাকে, দুর্বলতা বোধ করা, চোখে কম দেখা, চামড়া খসখসে ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া, ক্ষতস্থান সহজে না শুকানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া ডায়াবেটিস অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কারণ হিসেবে কাজ করে।
ঠিকমতো চিকিৎসা না করা হলে রোগীর শ্বসন হার কমে যায়। পানি স্বল্পতার কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে রোগী বেঁহুশ হয়ে পড়ে। অনেক সময় রোগীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুও হতে পারে।
যেহেতু চিকিৎসা দ্বারা ডায়াবেটিস একেবারে নিরাময় করা যায় না, তাই এ সকল সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা অতীব জরুরি।
প্রশ্ন-১৫ নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. মস্তিষ্ক কী? ১
খ. প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলতে কী বুঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের ‘ঢ’ অংশটি কীভাবে উদ্দীপনা বহন করে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত অংশটি প্রাণিদেহের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বিশ্লেষণ কর। ৪
১৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. স্নায়ুতন্ত্রের যে স্ফীত অংশ করোটির মধ্যে অবস্থান করে সেটি মস্তিষ্ক।
খ. প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলতে উদ্দীপনার আকস্মিকতা ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া বোঝায়।
হঠাৎ করে আঙুলে সূচ ফুটলে, হাতে গরম পানি পড়লে আমরা অতিদ্রুত হাতটি উদ্দীপনার স্থান থেকে সরিয়ে নেই। এটি প্রতিবর্তী ক্রিয়ার ফল। অর্থাৎ যেসব উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়া হয় তাকে প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলে।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ঢ’ অংশটি হলো অক্সিন। এই অংশটি উদ্দীপনা বহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অ্যাক্সন ডেনড্রাইটের সাথে মিলিত হয়ে স্নায়ু গঠন করে। কোন নিউরনের অ্যাক্সন দ্বিতীয় একটি ডেনড্রাইটের সাথে যুক্ত থাকে। এই সংযোগস্থলকে সিন্যাপস বলে। সিন্যাপসের মধ্য দিয়ে তড়িৎ রাসায়নিক পদ্ধতিতে স্নায়ু তাড়না প্রবাহিত হয়। কোনো একটি নিউরনের মধ্য দিয়ে স্নায়ু তাড়না প্রবাহিত হয়ে পরবর্তী নিউরনের ডেনড্রাইটে যায়। এর ভেতর দিয়ে স্নায়ু উদ্দীপনা একদিকে প্রবাহিত হয়।
এভাবে, উক্ত ঢ অংশটি উদ্দীপনা বহন করে এবং অনুভূতিবাহী নিউরন গ্রাহক অঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং মোটর বা আজ্ঞাবাহী নিউরন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কার্যকরী অঙ্গে উদ্দীপনা প্রেরণ করে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অংশটি হলো নিউরন, যা প্রাণিদেহের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিউরন হলো স্নায়ুতন্ত্রের গাঠনিক এবং কার্যকরী একক। নিউরন পরিবেশ থেকে ডেনড্রাইট ও অ্যাক্সনের মাধ্যমে পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে দেহের ভিতরে পরিবাহিত করে এবং সেই অনুযায়ী প্রতিবেদন সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমরা যখন কোথাও ব্যথা পাই তখন এর প্রতিক্রিয়া সঙ্গে সঙ্গে হয়। ব্যথা পাওয়ার স্থানে অবস্থিত স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে উদ্দীপনা মস্তিষ্কে প্রবাহিত হয়। এ সময় নিউরন উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
সুতরাং অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইট বাহ্যিক উদ্দীপনা গ্রহণ করে কোষ দেহের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় এবং পরবর্তী নিউরনে পরিবাহিত করে। পরপর দুইটি নিউরনের প্রথমটার অ্যাক্সন এবং পরেরটার ডেনড্রাইটের মধ্যে একটি স্নায়ুসন্ধির সৃষ্টি হয়। এর মাধ্যমেই একটি নিউরন থেকে স্নায়ু উদ্দীপনা পরবর্তী কোষে পরিবাহিত হয়।
অতএব বলা যায়, নিউরন প্রাণীদেহের সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন-১৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
একজন কৃষক তার একখণ্ড জমিতে ধানগাছ রোপণ করেন। কিছুদিন পর দেখলেন তার বীজ গাছগুলোর অতিবৃদ্ধি ঘটেছে। অন্যদিকে তার আর একটি বীজতলায় লাগানো বীজগুলোর ঠিকভাবে অঙ্কুরোদগম হচ্ছে না। কৃষক একজন কৃষিবিদের সাথে পরামর্শ করে জানতে পারলেন ধান গাছে এক প্রকার রোগ হয়েছে।
ক. প্রাণরস কাকে বলে? ১
খ. উদ্ভিদের জন্য অক্সিন এতে প্রয়োজন কেন? ২
গ. কৃষকের ধান গাছগুলোর অতিবৃদ্ধিজনিত সমস্যাটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কৃষকের সমস্যা দুটি পরস্পর সম্পর্কিত যুক্তিসহ বর্ণনা কর। ৪
১৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ উদ্ভিদ দেহে উৎপন্ন হয়ে বৃদ্ধি ও বিকাশ, বিভিন্ন অঙ্গ সৃষ্টি ইত্যাদি কাজ নিয়ন্ত্রণ করে তাকে প্রাণরস বা হরমোন বলে।
খ. উদ্ভিদের ক্ষত অংশে ক্যালাস সৃষ্টি করে ক্ষতস্থান পূরণ করে বলে উদ্ভিদের জন্য অক্সিন একটি অতি প্রয়োজনীয় হরমোন।
অক্সিন উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ঘটায়। ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে। শাখা কলমে মূল গজায় এবং ফলের অকাল ঝরে পড়া রোধ করে।
গ. উদ্দীপকে কৃষকের বীজ গাছগুলোর অতিবৃদ্ধি ঘটেছে ব্যাকানি রোগের ফলে যা জিবেরেলিন হরমোনের কারণে হয়ে থাকে।
ধানগাছের ব্যাকানি রোগ হয় এক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণে। এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে ধানগাছের অতি বৃদ্ধি। এই ছত্রাক থেকে জিবেরেলিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যার প্রভাবে ধানগাছের পর্বমধ্যগুলো দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়। ফলে গাছের অতিবৃদ্ধি ঘটে।
উদ্দীপকের কৃষকের জমিতেও রোপণ করা ধান গাছের চারার অতিবৃদ্ধি ঘটছিল। তাই কৃষককে কৃষিবিদ বলেছেন এটি ঘটেছে এক ধরনের রোগের কারণে।
ঘ. উদ্দীপকে কৃষকের সমস্যা দুটি পরস্পর সম্পর্কিত কারণ দুটি সমস্যা জিবেরেলিন হরমোনের সাথে সম্পর্কিত।
প্রথম সমস্যা বীজ গাছের অতিবৃদ্ধি ছত্রাক কর্তৃক অতিমাত্রার জিবেরেলিন নিঃসৃত হওয়ার কারণে ঘটেছে, যা ব্যাকানি রোগ নামে পরিচিত।
দ্বিতীয় সমস্যা বীজগুলোর অঙ্কুরোদগম সঠিকভাবে না হওয়ার কারণ জিবেরেলিনের অভাব। কারণ জিবেরেলিন উদ্ভিদে ফুল ফোটাতে এবং বীজের সুপ্তবস্থার দৈর্ঘ্য কমিয়ে অঙ্কুরোদগমে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
তাই কৃষিবিদ কৃষককে বলেছেন ধানগাছে এক প্রকার রোগ হয়েছে, এ কথায় তিনি বোঝাতে চেয়েছেন প্রথম রোগটি অতিমাত্রায় জিবেরেলিন হরমোনের কারণে এবং দ্বিতীয় রোগটি জিবেরেলিনের অভাব।
প্রশ্ন-১৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. মেনিনজেস কী? ১
খ. সেরিব্রামকে গুরুমস্তিষ্ক বলার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপনা পরিবহনে চিত্রের ভূমিকা বর্ণনা কর। ৩
ঘ. মানবদেহে উদ্দীপকে ‘অ’ স্থানে তরল পদার্থের অভাবজনিত প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ কর। ৪
১৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মেনিনজেস হলো মস্তিষ্কের আবরণ।
খ. সেরিব্রাম মস্তিষ্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ। এটি করোটির বেশিরভাগ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত থাকে। সেরিব্রাম হলো প্রত্যেক অঙ্গ থেকে স্নায়ুতাড়না গ্রহণ এবং প্রত্যেক অঙ্গে স্নায়ুতাড়না প্রেরণের উচ্চতর অঙ্গ। দেহ সঞ্চালন তথা প্রত্যেক কাজের অনুভূতির কেন্দ্র হলো সেরিব্রাম। এজন্য সেরিব্রামকে গুরুমস্তিষ্ক বলা হয়।
গ. উদ্দীপকের চিত্রটি নিউরনের। এটি মানবদেহে উদ্দীপনা পরিবহন করে।
নিউরনের প্রধান কাজ উদ্দীপনা বহন করা। একটি নিউরন থেকে অন্য নিউরনে তড়িৎ রাসায়নিক পদ্ধতিতে স্নায়ুতাড়না প্রবাহিত হয়। স্নায়ু উদ্দীপনা বা স্নায়ুতাড়না এক দিকে পরিবাহিত হয়। অনুভূতিবাহী নিউরন গ্রাহক অঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং মোটর বা আজ্ঞাবাহী নিউরন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কার্যকরী অঙ্গে উদ্দীপনা প্রেরণ করে। এভাবে পরস্পর সংযুক্ত অসংখ্য তন্তুর ভিতর দিয়ে উদ্দীপনা মস্তিষ্কে পৌঁছায়। পরবর্তীতে উদ্দীপনা মস্তিষ্ক থেকে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে সঞ্চালিত হয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, উদ্দীপনা পরিবহনে চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম।
ঘ. উদ্দীপকের ‘অ’ স্থানটি দুইটি নিউরনের সংযোগস্থল সিন্যাপস। এখানে নিউরোহিউমার ও ডোপামিন নামক তরল পদার্থ থাকে। কোনো একটি নিউরনের মধ্য দিয়ে স্নায়ুতাড়না প্রবাহিত হতে এই তরল পদার্থটি সহায়তা করে। এর অভাবজনিত প্রতিক্রিয়ার ফলে মানবদেহে উদ্দীপনা বা স্নায়ুতাড়নার পরিবহন বিঘ্নিত হবে।
নিউরনের কার্যকারিতা নির্ভর করে নিউরোহিউমারের ওপর। ডোপামিন ছাড়া স্নায়ুকোষগুলো পেশিকোষগুলোকে সংবেদন পাঠাতে পারে না। ডোপামিন শরীরের পেশির নড়াচড়ায় সাহায্য করে। যখন কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্কে ডোপামিন তৈরির কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় তখন তার পারকিনসন রোগ সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় হাতের ও পায়ের কাঁপুনি হয় এবং নড়াচড়া ও হাঁটতে পারে না।
যেহেতু, নিউরনই স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যের একক এবং নিউরনের কার্যকারিতা নির্ভর করে উপরে বর্ণিত তরল পদার্থগুলোর ওপর। সুতরাং, নিউরোহিউমার ও ডোপামিন নিঃসৃত বাধাপ্রাপ্ত হলে অর্থাৎ মানবদেহে উদ্দীপকে “অ” স্থানে তরল পদার্থের অভাবজনিত প্রতিক্রিয়া হলো উদ্দীপনা গ্রাহককেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় অঙ্গগুলোতে সঞ্চালিত হবে না।
প্রশ্ন-১৮ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মানবদেহে এক ধরনের বিশেষ নালিবিহীন গ্রন্থি থাকে। এসব গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস শারীরবৃত্তীয় নানা রকম কাজে অংশগ্রহণ করে। এই গ্রন্থিগুলোর মধ্যে একটি গ্রন্থি অন্যসব গ্রন্থির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
ক. পনস কী? ১
খ. পারকিনসন রোগটি কেন হয়? ২
গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত নালিবিহীন গ্রন্থি নিঃসৃত উপাদান কীভাবে আমাদের সাহায্য করে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকে উল্লিখিত গ্রন্থিগুলোর মধ্যে একটি গ্রন্থি অন্যসব গ্রন্থির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে’Ñ উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
১৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মেডুলা অবলংগাটা ও মধ্যমস্তিষ্কের মাঝখানে অবস্থিত নলাকৃতির বৃহৎ অংশটি হলো পনস।
খ. পারকিনসন রোগ মস্তিষ্কের এমন এক রোগ, যা সাধারণত পঞ্চাশ বছর বয়সের পরে হয়। দেহের স্নায়ুকোষ এক ধরনের নির্যাস তৈরি করে, যাকে ডোপামিন বলে। এগুলো শরীরের নড়াচড়ায় সাহায্য করে। এ কোষগুলো নষ্ট হয়ে গেলেই পারকিনসন রোগ হয়।
গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত নালিবিহীন গ্রন্থি নিঃসৃত উপাদান হলো হরমোন, যা রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করে। দেহের প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করে। হরমোনের কারণে প্রাণী তার কার্যকলাপ অর্থাৎ নড়াচড়া বা আচরণের পরিবর্তন করে থাকে। হরমোন রক্তস্রোতের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে নির্দিষ্ট কোষে পৌঁছে কোষের প্রাণ রাসায়নিক কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে। দেহের জৈবিক কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করে। হরমোন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। কিছু হরমোন জনন অঙ্গের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কাজেই উল্লিখিত নালিবিহীন গ্রন্থি নিঃসৃত উপাদান দেহের নানাবিধ প্রয়োজনীয় সমন্বয়সহ জৈবিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের সাহায্য করে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত গ্রন্থিগুলোর মধ্যে একটি গ্রন্থি যা অন্যসব গ্রন্থির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে, আর সেটি হলো পিটুইটারি গ্রন্থি। পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ যেমন বেশি তেমনি অন্যান্য নালিবিহীন গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোনের ওপর এ হরমোনের প্রভাবও বেশি। এ গ্রন্থিটি মস্তিষ্কের নিচে অবস্থিত। এ গ্রন্থিটি আকারে সবচেয়ে ক্ষুদ্র হলেও দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নালিবিহীন গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে গোনাডোট্রপিন, এডরেনোকর্টিকেট্রপিন, থাইরোট্রপিন, প্রোল্যাকটিন ইত্যাদি হরমোন নিঃসৃত হয়। সোমাটোট্রপিন হরমোন দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিপাকীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েড উদ্দীপক উদ্দীপক হরমোন (ঞঝঐ) থাইরক্সিন নিঃসরণে সহায়তা করে এবং গোনাড্রোট্রপিন হরমোন জনন অঙ্গের সহায়তা করে। দেখা যাচ্ছে যে, সেমাটোট্রপিন হরমোন দৈহিক বৃদ্ধিতে বিপাক থাইরয়েড ও প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির কাজে সাহায্য করে। গোনাডোট্রপিন হরমোন জনন গ্রন্থি তথা গোনাড গ্রন্থির বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দেখা যাচ্ছে যে, একটি নালিবিহীন গ্রন্থি অন্য অনেকগুলো গ্রন্থির কাজ নিয়ন্ত্রণ করছে। কাজেই বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত একটি গ্রন্থি অন্যসব গ্রন্থির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন-১৯ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
একদিন টেলিভিশনে কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠানে ফুল, ফল ও ফসল উৎপাদনে ফাইটোহরমোনের প্রয়োগ ও সফলতা সম্পর্কে দেখানো হয়। অনুষ্ঠানের শেষে জিবেরেলিন হরমোনের উপর বিশেষ প্রতিবেদন দেখানো হয়। [বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক. অক্সিন কী? ১
খ. ইথিলিন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠানের শেষ প্রতিবেদনে উক্ত হরমোনকে বৃদ্ধিবর্ধক হরমোন বলার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অনুষ্ঠানে দেখানো উক্ত ক্ষেত্রে ফাইটোহরমোনের সফলতা বিশ্লেষণ কর। ৪
১৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অক্সিন হলো উদ্ভিদ দেহে উৎপাদিত এক ধরনের ফাইটোহরমোন।
খ. ইথিলিন এক ধরনের ফাইটোহরমোন। এ হরমোনটি গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। ইথিলিন ফল পাকাতে সাহায্য করে।
গ. জিবেরেলিন উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গে বর্ধন ঘটায় বলে একে বৃদ্ধিবর্ধক হরমোন বলে।
ধানের ব্যাকানি রোগের জীবাণু এক প্রকার ছত্রাক, যা ধানগাছের অতি বৃদ্ধি ঘটায়। এ ছত্রাক থেকে জিবেরেলিন হরমোন নিষ্কাশিত হয়, যার প্রভাবে এরূপ অতিবৃদ্ধি হয়ে থাকে। এ হরমোন এর অধিকাংশই উদ্ভিদের পাকা বীজে থাকে। তবে চারাগাছ, বীজপত্র ও পত্রের বর্ধিষ্ণু অঞ্চলেও দেখা যায়। এর প্রভাবে উদ্ভিদের পর্বমধ্যগুলো দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়। ফলে উদ্ভিদ কাণ্ডের অতিবৃদ্ধি ঘটে। এজন্য খাটো উদ্ভিদে এ হরমোন প্রয়োগ করলে উদ্ভিদটি অন্যান্য সাধারণ উদ্ভিদ থেকেও অধিক লম্বা হয়।
এই কারণেই কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠানের শেষ প্রতিবেদনে জিবেরেলিন হরমোনকে বৃদ্ধিবর্ধক হরমোন বলা হয়েছে।
ঘ. কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠানটিতে টেলিভিশনে ফুল, ফল ও ফসল উৎপাদনে ফাইটোহরমোনের প্রয়োগ ও সফলতা সম্পর্কে দেখানো হয়েছে।
ফাইটোহরমোন হলো উদ্ভিদ দেহে উৎপাদিত জৈব রাসায়নিক পদার্থ। ফাইটোহরমোনকে উদ্ভিদের বৃদ্ধিকারক বস্তু হিসাবেও আখ্যায়িত করা যায়। কয়েকটি প্রধান ফাইটোহরমোন হলো অক্সিন, জিবেরেলিন, সাইটোকাইনিন, ইথিলিন ইত্যাদি।
অক্সিন ফল ও বীজ উৎপাদনের প্রধান নিয়ন্ত্রক। অক্সিন উৎপন্ন না হলে প্রথমাবস্থায়ই ফুল ঝরে যেত। ফলে কোনো ফল বা বীজ উৎপন্ন হতো না। জিবেরেলিন এমন এক প্রকার হরমোন যা ধান গাছের অতি বৃদ্ধি ঘটায়। কোনো কোনো উদ্ভিদে জিবেরেলিন প্রয়োগ করে পারথেনোকর্পিক ফল সৃষ্টি করা হয়। ফাইটোহরমোন প্রয়োগে কোষ দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়। উদ্ভিদ কর্তৃক অধিক পানি গ্রহণে সহায়তা করে। শীর্ষ মুকুলের বৃদ্ধিতে প্রাধান্য সৃষ্টি করে। সাইটোকাইনিন হরমোন উদ্ভিদের কোষ বিভাজন ত্বরান্বিত করে। ইথিলিন মূল সৃষ্টির সূচনা করে, মূলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এছাড়া কোষবৃদ্ধি, অঙ্গের বিকাশ সাধন, বীজ ও অঙ্গের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করা ও বার্ধক্য বিলম্বিতকরণে ভূমিকা পালন করে। ফাইটোহরমোনের এসব বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে ফুল, ফল ও ফসল উৎপাদনে সফলতা পাওয়া গেছে। যেমন, শাখাকলমের মূল উৎপাদন ও ফলের মোচন বিলম্বিতকরণে অক্সিন, ক্যাম্বিয়ামের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে ওঅঅ নামক অক্সিন এবং বীজহীন ফল উৎপাদনে অক্সিন ও জিবেরেলিনের ব্যবহার সফলতা পাওয়া গেছে এবং ব্যবহার করা হচ্ছে।
অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, অধিক ফুল, ফল ও ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফাইটোহরমোন অত্যন্ত সফল।
প্রশ্ন-২০ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
একদল পিঁপড়া সারিবদ্ধভাবে তাদের বাসস্থান থেকে প্রায় ২০ হাত দূরের একটি খাদ্য উৎস থেকে খাদ্য সংগ্রহ করছে। সবগুলো পিঁপড়াই এক সারিতে চলছে। সারি থেকে পিঁপড়াগুলো আলাদা হয়ে যাচ্ছে না।
ক. অভিকর্ষ উপলব্ধি কাকে বলে? ১
খ. পস্টুলেটেড হরমোন বলতে কী বোঝ? ২
গ. পিঁপড়াগুলো কীভাবে এক সারিতে চলছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পিঁপড়া চলার এ ঘটনাটিকে কাজে লাগিয়ে অনিষ্টকারী পোকাও দমন করা যায়Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
২০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. উদ্ভিদের ভ্রƒণমূল বা ভ্রƒণকাণ্ডের অগ্রাংশ অভিকর্ষের উদ্দীপনা অনুভব করে, একে অভিকর্ষ উপলব্ধি বলে।
খ. পস্টুলেটেড হরমোন বলতে অশনাক্ত হরমোনগুলোকে বোঝায়।
উদ্ভিদের প্রাকৃতিক প্রধান হরমোনগুলো অক্সিন, জিবেরেলিন, সাইটোকাইনিন, অ্যাবসিসিক এসিড, ইথিলিন ইত্যাদি। এ হরমোনগুলো ছাড়াও উদ্ভিদে আরও কিছু হরমোন আছে, যাদের আলাদা করা বা শনাক্ত করা যায়নি। এদের পস্টুলেটেড হরমোন বলে।
গ. পিঁপড়াগুলো হরমোনের প্রভাবে এক সারিতে চলছে।
প্রাণীর প্রয়োজনীয় সমন্বয় কাজ স্নায়ু ছাড়াও হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। হরমোনের কারণে প্রাণী তার কার্যকলাপ অর্থাৎ নড়াচড়া বা আচরণের পরিবর্তন করে থাকে। সমন্বয় সাধনে নানা প্রাণী হরমোন ব্যবহার করে থাকে।
পিঁপড়াগুলো এক সারিতে চলার ক্ষেত্রেও হরমোনের প্রভাব রয়েছে। কোনো পিঁপড়া খাদ্যের খোঁজ পেলে খাদ্য উৎস থেকে বাসায় আসার পথে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত করে। এ হরমোনকে ফেরোমন বলে। এই হরমোনের দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে অন্য পিঁপড়াগুলোও খাদ্য উৎসে যায় এবং খাদ্য সংগ্রহ করে বাসায় ফিরে আসে। এই কারণেই পিঁপড়াদের এক সারিতে চলতে দেখা যায়। খাদ্য শেষ হলে পিঁপড়া ফেরোমন নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়, যা বাতাসে সহজেই উড়ে যায় এবং অন্য পিঁপড়াদের খাদ্য সংগ্রহের জন্য না যেতে প্রভাবিত করে।
ঘ. অনিষ্টকারী পোকা দমনে পিঁপড়াদের এক সারিতে চলার জন্য দায়ী হরমোন ফেরোমন ব্যবহার করা হয়।
সমন্বয় সাধনে বিভিন্ন প্রাণী হরমোন ব্যবহার করে। পতঙ্গরা এক ধরনের হরমোন বাতাসে নিঃসৃত করে যার নাম ফেরোমন। ফেরোমন হরমোন এর ওপর নির্ভর করে একই প্রজাতির পতঙ্গের কাছে যায়। এ কারণে এই ফেরোমন হরমোন ব্যবহার করে অনিষ্টকারী পোকা দমন করা যায়।
একাজে ব্যবহৃত হরমোন হলো, সেক্স ফেরোমন। সেক্স ফেরোমন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা কোনো স্ত্রী পোকা কর্তৃক একই প্রজাতির পুরুষ পোকাকে প্রজনন কার্যে আকৃষ্ট করার জন্য প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হয়। সেক্স ফেরোমনের গন্ধে পুরুষ পোকা আকৃষ্ট হয়ে স্ত্রী পোকার সাথে মিলিত হয়। স্ত্রী পোকা কর্তৃক নিঃসৃত পদার্থের গন্ধটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করে সেক্স ফেরোমন ফাঁদে ব্যবহার করা হয়। আর এই গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে পুরুষ পোকারা এই ফাঁদে এসে ধরা দেয় ও ফাঁদে আটকা পড়ে বা পানিতে ডুবে মারা যায়।
তাই উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণ করে বলা যায় উদ্দীপকের পিঁপড়া এক সারিতে চলার ঘটনাটি কাজে লাগিয়ে অনিষ্টকারী পোকা দমন করা যায়।
প্রশ্ন-২১ নিচের ছকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘ঢ’ রোগ এখানে ইনসুলিন পর্যাপ্ত নিঃসৃত হয় না
‘ণ’ রোগ মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরির কোষ নষ্ট হয়ে যায়
ক. হরমোন কী? ১
খ. প্যারালাইসিস কেন হয়? ২
গ. ণ রোগের প্রভাবে মানবদেহে কী কী সমস্যা হতে পারে তা বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ঢ রোগটি নিয়ন্ত্রণে ৩টি ‘উ’ মেনে চলা অত্যাবশ্যক-বর্ণনা কর। ৪
২১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. নালিবিহীন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত যে রস দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে তাই হরমোন।
খ. শরীরের কোনো অংশের মাংসপেশির কার্যাবলি নষ্ট হওয়ার কারণে প্যারালাইসিস হয়।
সাধারণত মস্তিষ্কের কোনো অংশের ক্ষতির কারণে ঐ অংশের সংবেদন গ্রহণকারী পেশিগুলো কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে নড়াচড়ায় অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এ কারণেই প্যারালাইসিস হয়।
গ. ণ হলো পারকিনসন রোগ। এ রোগের প্রভাবে মানবদেহে নানাবিধ সমস্যা হতে পারে।
পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর মস্তিষ্কে ডোপামিন তৈরির কোষ নষ্ট হয়। ডোপামিন ছাড়া ঐ স্নায়ু কোষগুলো পেশি কোষগুলোকে সংবেদন পাঠাতে পারে না বলে মাংসপেশি তার কার্যকারিতা হারায়। বয়স বাড়ার সাথে পারকিনসন রোগীর মাংসপেশি আরও অকার্যকর হয়ে ওঠে। রোগী প্রাথমিক অবস্থায় হালকা হাত বা পা কাঁপা অবস্থায় থাকে। এছাড়াও চোখের পাতার কাঁপুনি, কোষ্ঠকাঠিন্য, খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া, সোজাসুজি হাঁটার সমস্যা, মাংসপেশিতে টান বা ব্যথা লাগা, নড়াচড়ায় কষ্ট হওয়া প্রভৃতি অসুবিধা দেখা দেয়।
ঘ. ঢ রোগটি হলো ডায়াবেটিস। ৩টি উ মেনে চললে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
অগ্ন্যাশয়ে প্রয়োজনমতো ইনসুলিন তৈরি না হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে যায়, প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ নির্গত হয়, যা বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস নামে পরিচিত। ছোট বড় যেকোনো বয়সের মানুষের এ রোগটি হতে পারে। যারা কায়িক পরিশ্রম কম করে বা অলস জীবন যাপন করে তাদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি। স্থূলকায় মানুষও এ রোগে আক্রান্ত হয়, আর বংশগতিক কারণেও এটি হয়।
তবে ৩উ অর্থাৎ উরংপরঢ়ষরহব, উরবঃ ও উড়ংব সঠিকভাবে মেনে চললে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সুশৃঙ্খল জীবনধারা বলতে নিয়মিত ব্যায়াম, পরিশ্রমের কাজ, সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস ইত্যাদি বোঝায়। ডায়াবেটিস রোগীকে বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হয়, মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হয়। আলোচিত ৩উ মেনে চললে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, কেননা ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য রোগ নয়।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটা সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, ঢ রোগ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ৩টি “উ” মেনে চলা অত্যাবশ্যক।
প্রশ্ন-২২ শাহনাজ বেগম তাঁর ছাত্রদের সাথে হরমোন ও এগুলোর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি পিটুইটারি, থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড, থাইমাস, এড্রেনাল, আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যান্স সম্পর্কে আলোচনা করেন।
ক. বড় দিনের উদ্ভিদ কাকে বলে? ১
খ. মস্তিষ্কের বোঁটা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মানবদেহে উল্লিখিত হরমোনগুলোর অবস্থান উল্লেখ কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত গ্রন্থিগুলো থেকে নিঃসৃত হরমোনগুলোর কাজের বিবরণ দাও। ৪
প্রশ্ন-২৩
ক. অভিকর্ষ উপলব্ধি কাকে বলে? ১
খ. ট্রফিক চলন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. চিত্রের অ, ই, ঈ ও উ অংশের বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. “চিত্রের অ ও ই যুক্ত হয়ে স্নায়ু তাড়না পরিবহন করে”Ñ উক্তিটির পক্ষে তোমার মতামত দাও। ৪
প্রশ্ন-২৪
ঢ রোগ ণ রোগ
এ রোগে ইনসুলিন পর্যাপ্ত নিঃসৃত হয় না। মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরির কোষ নষ্ট হয়ে যায়।
ক. স্নায়ুতন্ত্রের চলক কে? ১
খ. ট্রফিক চলন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ‘ণ’ রোগের প্রভাবে মানবদেহে কী কী সমস্যা হতে পারে তা বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. ‘ঢ’ রোগটি নিয়ন্ত্রণে তিনটি ‘উ’ মেনে চলা অত্যাবশ্যকÑ বর্ণনা কর। ৪
প্রশ্ন-২৫ মিতা ও তার ছোট ভাই সন্ধ্যাবেলায় টেবিলে পড়তে বসেছিল। অতিরিক্ত মশার উৎপাতের কারণে তাদের মা টেবিলের এক কোণায় নিচে একটি মশার কয়েল জ্বালিয়ে রেখেছিল। হঠাৎ মিতার পা মশার কয়েলের উপরে পরার সঙ্গে সঙ্গে গরম অনুভূত হওয়ায় সে পা সরিয়ে নিল।
ক. অক্সিন কে আবিষ্কার করেন? ১
খ. দিন দিন মাদকাসক্ত লোকের সংখ্যা বাড়ছে কেন? ২
গ. মিতার জ্বলন্ত কয়েলে পা লাগায় প্রতিবর্তী ক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে আলোচিত মিতার ক্রিয়াটির ক্ষেত্রে প্রতিবেদন সৃষ্টিকারী কলাটি না থাকলে কী হতো? বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-২৬
ক. মধ্যমস্তিষ্ক এবং মেডুলা অবলংগাটার মাঝে মস্তিষ্কের কোন অংশ থাকে? ১
খ. স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র বলতে কী বোঝ? ২
গ. আবেগ সঞ্চালনে উদ্দীপকের চিত্র অ এবং ঢ কীভাবে সাহায্য করেÑ বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র ‘অ’ তে কী ঘটে, উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর। ৪
প্রশ্ন-২৭ স্নায়ুতন্ত্রের সাথে দেহকোষে উৎপন্ন এক বিশেষ রাসায়নিক বস্তুটির সমন্বয়ের ফলে জীবদেহে সুষ্ঠুভাবে সকল কার্য সম্পন্ন করতে পারে।
ক. রাসায়নিক দূত কাকে বলে? ১
খ. স্নায়ুর দুটি প্রধান কাজ উল্লেখ কর। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত রাসায়নিক বস্তু কীভাবে নিঃসৃত হয়? বুঝাও। ৩
ঘ. দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয়ে উদ্দীপকে বর্ণিত রাসায়নিক বস্তুটির ভূমিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন –২৮ নিচের চিত্রদ্বয় দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. খাদ্য তালিকায় কমপক্ষে শতকরা কতভাগ প্রাণিজ আমিষ থাকা প্রয়োজন? ১
খ. উদ্ভিদে ঘ২ প্রয়োজন কেন? ২
গ. ঈ ও উ এর মধ্যে কী বৈসাদৃশ্য রয়েছে উল্লেখ কর। ৩
ঘ. ঈ কোষটির গঠন সাধারণ প্রাণিকোষের গঠন থেকে ভিন্নতর Ñ যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর। ৪
২৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. খাদ্য তালিকায় কমপক্ষে শতকরা ২০ ভাগ প্রাণিজ আমিষ থাকা প্রয়োজন।
খ. ঘ২ (নাইট্রোজেন) হলো উদ্ভিদের মাইক্রো উপাদানের মধ্যে একটি। এর অভাবে উদ্ভিদে ক্লোরোফিল সৃষ্টি ব্যাহত হয়। আবার ঘ২ এর অভাবে কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন হ্রাস পায়। তাই উদ্ভিদের ক্লোরোফিল তৈরির মাধ্যমে সালোকসংশ্লেষণ ঠিক রাখতে এবং কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন স্বাভাবিক রাখতে উদ্ভিদে ঘ২ প্রয়োজন।
গ. উদ্দীপকের চিত্র ঈ হলো নিউরন এবং উ হলো নেফ্রন। নিউরন এবং নেফ্রনের মধ্যে বেশ কিছু বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। নিচে এদের বৈসাদৃশ্যগুলো উল্লেখ করা হলো :
নিউরন হলো স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কাজের একক, অন্যদিকে বৃক্কের গঠন ও কাজের একক হলো নেফ্রন।
স্নায়ুতন্ত্রের অংশ হিসেবে নিউরন দেহের সর্বত্রই বিদ্যমান, কিন্তু নেফ্রন কেবলমাত্র বৃক্কে বিদ্যমান।
নিউরন ভ্রƒণীয় এক্টোডার্ম থেকে তৈরি হয় কিন্তু নেফ্রন তৈরি হয় ভ্রƒণীয় মেসোডার্ম থেকে।
কোষদেহ, ডেনড্রাইট ও আক্সন সমন্বয়ে নিউরন গঠিত, কিন্তু ম্যালপিজিয়ান বডি, প্রক্সিমাল ও হেনলির লুপ সমন্বয়ে নেফ্রন গঠিত।
নিউরন উদ্দীপনা বহনে কাজ করে কিন্তু নেফ্রনে রক্ত থেকে নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ মূত্র হিসেবে ইউরেটারে প্রেরণে কাজ করে।
ঘ. উদ্দীপকের ঈ কোষটি হলো স্নায়ুকোষ বা নিউরন। এটি একটি সাধারণ প্রাণিকোষের গঠন থেকে ভিন্নতর। ভিন্নতার যুক্তিগুলো নিচে তুলে ধরা হলো :
১. স্নায়ুকোষটি দেখতে লম্বাটে। কিন্তু সাধারণ প্রাণিকোষ দেখতে গোলাকার বা ডিম্বাকার।
২. স্নায়ুকোষটি প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত। যথাÑ কোষদেহ ও প্রলম্বিত অংশ। কিন্তু সাধারণ কোষকে আলাদা কোনো অংশে বিভক্ত করা যায় না এবং এখানে কোষদেহ বা প্রলম্বিত অংশ বলে কিছু থাকে না।
৩. উদ্দীপকের কোষটির কোষদেহের সাইটোপ্লাজমে নিসলকণা, নিউরোফাইব্রিল তন্তু, মাইটোকন্ড্রিয়া, গলজি বস্তু, আন্তঃপ্লাজমিক রেটিকুলাম থাকে কিন্তু সাধারণ কোষে নিসলকণা ও নিউরোফাইব্রিল তন্তু থাকে না।
৪. স্নায়ুকোষের কোষদেহের বাইরে চারিদিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুতার ন্যায় শাখা বিশিষ্ট অঙ্গ থাকে, যাকে ডেনড্রাইট বলে। সাধারণ কোষে ডেনড্রাইট অনুপস্থিত।
৫. স্নায়ুকোষের কোষদেহ থেকে বেশ লম্বা শাখাহীন আক্সন তৈরি হয় যা সাধারণ কোষে থাকে না।
৬. স্নায়ুকোষের আক্সনে র্যানভিয়ারের পর্ব থাকে কিন্তু সাধারণ কোষে র্যানভিয়ারের পর্ব সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত।
সুতরাং উল্লিখিত যুক্তিগুলো প্রমাণ করে উদ্দীপকের কোষটির গঠন প্রকৃতি একটি সাধারণ কোষ অপেক্ষা ভিন্নতর।
প্রশ্ন –২৯ নিচের চিত্রগুলো লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. ইমবাইবিশন কী? ১
খ. প্রস্বেদনকে ঘবপবংংধৎু বারষ বলা হয় কেন? ২
গ. দেহের ভারসাম্য রক্ষায় চিত্র ক এর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মানবদেহে চিত্র ‘ক’ না থাকলে কি ঘটত? তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর। ৪
২৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কলয়েড জাতীয় শুকনা বা আধাশুকনা পদার্থ কর্তৃক তরল পদার্থ শোষণের বিশেষ প্রক্রিয়াকে বলা হয় ইমবাইবিশন।
খ. যেকোনো সজীব উদ্ভিদের কোষের বিপাকীয় কার্যক্রম প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল হলেও এ প্রক্রিয়ায় কিছু অপকারী দিকও রয়েছে। পানি শোষণের চেয়ে প্রস্বেদনে পানি হারানোর হার অধিক হলে উদ্ভিদের জন্য পানি ও খনিজের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে উদ্ভিদের মৃত্যুও হতে পারে। মাটিতে পানি ঘাটতি থাকলে শোষণ কম হয় কিন্তু প্রস্বেদন চলে। ফলে শীত মৌসুমে উদ্ভিদের পাতা ঝরে যায়। এসব ক্ষতিসাধন করলেও এই প্রক্রিয়া উদ্ভিদের জন্য অত্যাবশ্যক। তাই প্রস্বেদনকে ঘবপবংংধৎু বারষ বলা হয়।
গ. চিত্র খ হলো একটি স্নায়ুকোষ বা নিউরন। দেহের ভারসাম্য রক্ষায় নিউরন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেহ পরিবেশের উদ্দীপনা ও সাঁড়া জাগানোর ফলে চলে যা নিয়ন্ত্রণ করে স্নায়ুকোষ। দেহের বাইরের জগৎ হলো বাহ্যিক পরিবেশ এবং ভেতর হলো অভ্যন্তরীণ পরিবেশ। বাহ্যিক পরিবেশের উদ্দীপক হলো আলো, গন্ধ, স্বাদ এবং স্পর্শ। যা চোখ, কান, নাক, জিহ্বা এবং চর্মের অনুভূতিবাহী স্নায়ুতে উদ্দীপনা জাগায়। অভ্যন্তরীণ পরিবেশের উদ্দীপক হলো চাপ, তাপ ও বিভিন্ন রাসায়নিক বস্তু। এরা অভ্যন্তরীণ অঙ্গের কেন্দ্রমুখী প্রান্তে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে ও যেকোনো অনুভূতি কেন্দ্রমুখী স্নায়ুতে তাড়না করে, যা মস্তিষ্কে পৌঁছে। মস্তিষ্ক সিদ্ধান্ত নিয়ে মোটর স্নায়ুযোগে তাড়না পাঠিয়ে পেশি কিংবা গ্রন্থিতে সাড়া জাগায় ও কোনো কাজ করতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্র দেহের বিভিন্ন অংশে উদ্দীপনা বহন করে। দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করে এবং পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই বলা যায়, দেহের ভারসাম্য রক্ষায় চিত্র খ অর্থাৎ স্নায়ুকোষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র ক হলো রক্তকণিকা। চিত্র ক এ লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেতরক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা এই তিন ধরনের রক্ত কণিকা বিদ্যমান। এই রক্তকণিকাগুলো মানবদেহের জন্য অপরিহার্য। লোহিত রক্তকণিকা না থাকলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিবহন ব্যাহত হবে। অম্ল ও ক্ষারের সমতা বিধান এবং দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। শ্বেত রক্তকণিকা না থাকলে দেহে এন্টিবডি তৈরি হবে না। এ রক্ত কণিকা জীবাণুকে ধ্বংস করে আত্মরক্ষায় অংশ নেয় এবং মানবদেহকে সুরক্ষা করে থাকে। ফলে শ্বেত রক্তকণিকার অনুপস্থিতিতে দেহে জীবাণু প্রবেশ করে নানারকম রোগের বিস্তার ঘটাবে। অপরদিকে অণুচক্রিকা না থাকলে দেহের কোনো স্থান কেটে গেলে সহজে রক্ত জমাট বাঁধবে না। কারণ অণুচক্রিকা রক্ততঞ্চন বা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
সুতরাং উদ্দীপকের আলোকে বলা যায় যে, এই তিন ধরনের রক্তকণিকা মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। আর এদের অনুপস্থিতিতে মানবদেহের সকল কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ফাইটোহরমোন কী?
উত্তর : উদ্ভিদ হরমোনকে ফাইটোহরমোন বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ অভিকর্ষ উপলব্ধি কী?
উত্তর : উদ্ভিদের ভ্রƒণমূল ও ভ্রƒণকাণ্ডের অগ্রাংশের অভিকর্ষের উদ্দীপনা অনুভব করাই হলো অভিকর্ষ উপলব্ধি।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : প্রাণিদেহের যে তন্ত্র দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং উদ্দীপনার সাড়া দিয়ে পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র কী নিয়ে গঠিত?
উত্তর : মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র গঠিত।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ প্যারালাইসিস কেন হয়?
উত্তর : সাধারণত মস্তিষ্কের স্ট্রোকের কারণে প্যারালাইসিস হয়। এছাড়াও মেরুদণ্ডের বা ঘাড়ের সুষুম্নাদণ্ডে আঘাত বা দুর্ঘটনাজনিত কারণেও প্যারালাইসিস হতে পারে।
রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে হরমোনের ভূমিকা আলোচনা কর।
উত্তর : উদ্ভিদে যেসব হরমোন প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় সেগুলো হলো অক্সিন, জিবেরেলিন, সাইটোকাইনিন এবং অ্যাবসিসিক এসিড। এগুলোর মধ্যে অক্সিন, জিবেরেলিন ও সাইটোকাইনিন উদ্ভিদে বৃদ্ধিকারক হরমোন। এগুলোর কাজ সংক্ষেপে নিচে উল্লেখ করা হলো :
অক্সিন : উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করাই হলো অক্সিনের মুখ্য কাজ। অক্সিন উদ্ভিদদেহে বৃদ্ধি ঘটায় কোষ বিভাজন দ্বারা। পার্শ্বমুকুলের বৃদ্ধি রোধ করে অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ঘটিয়ে কাণ্ডের দৈর্ঘ্যবৃদ্ধি করে।
জিবেরেলিন : জিবেরেলিনের প্রধান শারীরবৃত্তীয় কাজ হলো : ১. উদ্ভিদের কাণ্ডের পর্বমধ্য অংশের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে খর্বাকার উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। ফুল ফোটাতে এবং বীজের সুপ্তাবস্থা কমাতে এবং অঙ্কুরোদগম ঘটাতে সাহায্য করে।
সাইটোকাইনিন : এই হরমোনটি ১. কোষ বিভাজনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে কোষের সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটায়। ২. এটি উদ্ভিদের বার্ধক্য অর্থাৎ জরা অবস্থাকে বিলম্বিত করে অঙ্গের বিকাশ সাধন করে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণগুলো লেখ।
উত্তর : থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরক্সিন মানবদেহে বিপাকের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরক্সিন অধিক পরিমাণে ক্ষরণের ফলে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে গিয়ে গলগণ্ড বা গয়টার রোগ হয়। এ সমস্যার লক্ষণগুলো হলোÑ (1) থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধা পায়। (2) গায়ের চামড়া খসখসে হয়। (3) চেহারা গোলাকার গোবেচারা আকারের মুখমণ্ডল তৈরি হয়।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ মেরুরজ্জীয় স্নায়ুর সংখ্যা কত?
উত্তর : মেরুরজ্জীয় স্নায়ুর সংখ্যা ৩১ জোড়া।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পনসের অবস্থান কোথায়?
উত্তর : পনসের অবস্থান মধ্য মস্তিষ্কের পেছনে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ অক্সিন কী?
উত্তর : অক্সিন হলো একটি ফাইটো হরমোন যা ভ্রƒণ মুকুলাবরণীর অগ্রভাগে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ অগ্রমুকুল কী?
উত্তর : অগ্রমুকুল হলো উদ্ভিদের কাণ্ডের একেবারে শীর্ষ অঞ্চল।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ কাকে গুরু মস্তিষ্ক বলা হয়?
উত্তর : সেরিব্রামকে গুরু মস্তিষ্ক বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ উদ্ভিদে আলো-অন্ধকার ছন্দ কাকে বলে?
উত্তর : উদ্ভিদের ফুল ধারণে আলো-অন্ধকার বা দিনরাতের দৈর্ঘ্যরে প্রভাবকে উদ্ভিদে আলো-অন্ধকার ছন্দ বলে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ চলন কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় জীব নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থেকে উদ্দীপকের প্রভাবে বা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে তাকে চলন বলে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ গমন কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের দ্বারা সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ উদ্ভিদের প্রধান বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোন কোনটি?
উত্তর : অক্সিন উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক প্রধান হরমোন।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ অক্সিনের দুটি উৎস উল্লেখ কর।
উত্তর : অক্সিনের দুটি উৎস : ১. ভ্রূণমুকুলাবরণী। ২. কাণ্ড ও মূলের অগ্রস্থ ভাজক টিস্যু।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ কোন হরমোন উদ্ভিদের ফুল ফুটাতে সাহায্য করে?
উত্তর : ফ্লোরিজেন হরমোন উদ্ভিদের ফুল ফুটাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ একটি গ্যাসীয় উদ্ভিদ হরমোনের নাম উল্লেখ কর।
উত্তর : গ্যাসীয় উদ্ভিদ হরমোনের নাম ইথিলিন।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে কোন হরমোন?
উত্তর : উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে অক্সিন হরমোন।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ নিউরনের প্রধান অংশ কয়টি?
উত্তর : নিউরনের প্রধান অংশ তিনটি।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ সিন্যাপস কী?
উত্তর : সিন্যাপস হলো একটি নিউরনের অ্যাক্সনের সাথে অন্য একটি নিউরনের ডেনড্রনের সংযোগস্থল।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ ডেনড্রাইট কী?
উত্তর : ডেনড্রাইট হলো কোষদেহের চারদিকের শাখাযুক্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রলম্বিত অংশ।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ কয়টি?
উত্তর : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ দুইটি।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ গুরুমস্তিষ্কের কোথায় ধূসরবস্তু থাকে?
উত্তর : গুরুমস্তিষ্কের বাইরের অংশে ধূসরবস্তু থাকে।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ স্নায়ুতন্ত্রের কাজ কয়টি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়?
উত্তর : স্নায়ুতন্ত্রের কাজ চারটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ উদ্দীপনা বা স্নায়ুতাড়না কাকে বলে?
উত্তর : যে যান্ত্রিক রাসায়নিক বা ভৌত পরিবর্তন দেহকে বা দেহের কোনো অংশকে উত্তেজিত করে, তাকে উদ্দীপনা বা স্নায়ুতাড়না বলে।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ গ্রে ম্যাটার কাকে বলে?
উত্তর : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশে কেবল নিউরনের কোষদেহ থাকে তাকে গ্রে ম্যাটার বলে।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ সুষুম্না কাণ্ড বা মেরুরজ্জু কাকে বলে?
উত্তর : মস্তিষ্কের সুষুম্নাশীর্ষকের শেষভাগ থেকে শুরু হয়ে করোটির পশ্চাদের ছিদ্র (ফোরামেন ম্যাগনাম) পথ দিয়ে মেরুদণ্ডের ভেতর দিয়ে পৃষ্ঠমধ্যরেখা বরাবর দেহের পুচ্ছ পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে সুষুম্না কাণ্ড বলে।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ সুষুম্না কাণ্ডের একটি কাজ লেখ।
উত্তর : সুষুম্না কাণ্ড পরিবেশ থেকে গৃহীত সংবেদন মস্তিষ্কে পাঠায় এবং মস্তিষ্কের নির্দেশ বিভিন্ন অন্তরযন্ত্রে প্রেরণ করে।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের কার্যগত পার্থক্য কী?
উত্তর : অ্যাক্সন স্নায়ুস্পন্দন বহন করে এবং ডেনড্রন স্নায়ুস্পন্দন গ্রহণ করে।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ দিকমুখিতা কাকে বলে?
উত্তর : উদ্ভিদ অঙ্গের বিশেষ দিকে অর্থাৎ উদ্দীপকের গতিপথে যেমন : আলোর দিকে, মাটির দিকে, পানির দিকে বৃদ্ধি পাওয়া বা চলনকে দিকমুখিতা বলে।
প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ গুরুমস্তিষ্কের কাজ কী?
উত্তর : গুরুমস্তিষ্ক প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতিশক্তি, দর্শন, শ্রবণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ লঘুমস্তিষ্কের কাজ কী?
উত্তর : মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা লঘুমস্তিষ্কের কাজ।
প্রশ্ন ॥ ২৮ ॥ কোথা থেকে প্রান্তীয় স্নায়ুর উৎপত্তি ঘটে?
উত্তর : প্রান্তীয় স্নায়ুর উৎপত্তি ঘটে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে।
প্রশ্ন ॥ ২৯ ॥ প্রান্তীয় স্নায়ুর বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : প্রান্তীয় স্নায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- সংজ্ঞাবহ অর্থাৎ উদ্দীপনাকে উৎপত্তিস্থল থেকে মস্তিষ্কে বহন করে নিয়ে আসা।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় সমন্বয় বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় সমন্বয় বলতে প্রতিনিয়ত একযোগে নিয়ম-শৃঙ্খলার মাধ্যমে সংঘটিত কাজগুলোকে বোঝায়।
উদ্ভিদের জীবনকালে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবনচক্রের পর্যায়গুলো যেমন : অঙ্কুরোদগম, বৃদ্ধি ও বিকাশ, পুষ্পায়ন, ফল সৃষ্টি, বার্ধক্য প্রাপ্তি, সুপ্তাবস্থা ইত্যাদি একটি সুশৃঙ্খল নিয়ম মেনে চলে। এসব কাজের সমন্বয় সাধনই হলো উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় সমন্বয়।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ডায়াবেটিস রোগের চারটি লক্ষণ লেখ।
উত্তর : ডায়াবেটিস রোগের চারটি লক্ষণ নিম্নরূপ :
1. ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া।
2. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
3. পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া সত্ত্বেও দেহের ওজন কমতে থাকা।
4. ক্ষতস্থান সহজে না শুকানো।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ আমাদের দেহের চারটি নালিবিহীন গ্রন্থির অবস্থান উল্লেখ করে নাম লেখ।
উত্তর : আমাদের দেহের চারটি নালিবিহীন গ্রন্থির অবস্থান ও নাম নিম্নরূপ :
1. পিটুইটারী গ্রন্থিÑ মস্তিষ্কের নিচের অংশে
2. থাইরয়েড গ্রন্থিÑ গলায় ট্রাকিয়ার ওপর অংশে
3. প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থিÑ থাইরয়েড গ্রন্থির পেছনে
4. থাইমাসÑ গ্রীবা অঞ্চলে
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ মস্তিষ্কের সেরিবেলাম কী কাজ করে?
উত্তর : সেরিবেলামের কাজ নিচে দেওয়া হলোÑ
1. চলনে সমন্বয় সাধন করে
2. দৌড়ানো ও লাফানোর কাজে জড়িত পেশিগুলোর কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।
3. দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
4. দেহের পেশির টান নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বৃদ্ধি ও জননের সম্পর্ক কেমন?
উত্তর : বৃদ্ধি এবং জননের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।
পরিণত হওয়ার পর জীব প্রজননক্ষম হয়ে নতুন জীব সৃষ্টি করে। সুতরাং অপরিণত জীব বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিণতি লাভ করে এবং অবশেষে জননের মাধ্যমে নতুন অপত্য জীবের সৃষ্টি করে। এটাই বৃদ্ধি ও জননের সম্পর্ক।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ উদ্ভিদে আলো-অন্ধকার ছন্দের প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আলো-অন্ধকার ছন্দের গুরুত্ব অপরিসীম। এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে এক ঋতুর ফসল অন্য ঋতুতে ফলানো সম্ভব। এর ফলে সুবিধাজনক সময়ে ফসল উৎপন্ন করে তাকে বন্যা, ঝড়, তুষারপাত, রোগবালাই প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তাছাড়া এক ঋতুর ফসল উৎপন্ন ও বাজারজাত করে ভিন্ন মৌসুমের ফসল হিসেবে প্রচুর আয় করা সম্ভব।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ হঠাৎ উদ্দীপনায় প্রাণিদেহে যে দ্রুত স্বতঃস্ফূর্ত এবং অনৈচ্ছিক সাড়ার সৃষ্টি হয় তাকে প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলে।
তাৎক্ষণিক আত্মরক্ষার জন্য কোনো অঙ্গের ত্বরিত ক্রিয়ার নামই প্রতিবর্তী ক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এই প্রক্রিয়াটি স্নায়ুরজ্জু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। স্নায়ুরজ্জু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়াটিকে প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলা হয়। চোখে প্রখর আলো পড়ামাত্র চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যাওয়া, আগুনে হাত লাগা বা পিনে হাত ফোটামাত্র হাত টেনে নেয়া এগুলো প্রতিবর্তী ক্রিয়া।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ হরমোনের কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বহুকোষী প্রাণীদের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধক হিসেবে স্নায়ুতন্ত্র ও বিবিধ হরমোন কাজ করে।
বহুকোষী উদ্ভিদদেহে স্নায়ুতন্ত্র অনুপস্থিত থাকায় হরমোনই একমাত্র সমন্বয় সাধক হিসেবে কাজ করে। জীবের বৃদ্ধি, প্রজনন, বংশবিস্তার, অনুভূতি গ্রহণ ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি ইত্যাদি কাজে হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ হরমোনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর : হরমোনের দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
(1) হরমোন এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ।
(2) হরমোন কোষে উৎপন্ন হয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ একটি উদ্ভিদের কাণ্ডের আগা কেটে দিলে উদ্ভিদটিতে কী পরিবর্তন দেখা যাবে এবং কেন?
উত্তর : উদ্ভিদের কাণ্ডের আগায় শীর্ষমুকুল থাকে এবং অক্সিন এর বৃদ্ধি ঘটায়। ফলে উদ্ভিদ লম্বা হয়। এ সময় কাক্ষিক মুকুলগুলোর বৃদ্ধি ঘটে না। কাণ্ডের আগা কেটে দিলে কাক্ষিক মুকুলগুলোর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটবে অক্সিন হরমোনের প্রভাবে। এতে গাছটিতে শাখাপ্রশাখা উৎপন্ন হয়ে ঝাকড়া হয়ে যাবে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ প্রতিবর্তী ক্রিয়া একটি রেখাচিত্রের দ্বারা দেখাও।
উত্তর : প্রতিবর্তী পথের রেখাচিত্র নিম্নরূপ Ñ
গ্রাহক অঙ্গ অনুভূতিবাহী স্নায়ু প্রতিবর্তী কেন্দ্র (সুষুম্না কাণ্ড) আজ্ঞাবাহী স্নায়ু কারক অঙ্গ।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ প্রতিবর্তী ক্রিয়ার পথের বিভিন্ন অংশগুলো কী কী?
উত্তর : একটি প্রতিবর্তী ক্রিয়া পাঁচটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত : (র) গ্রাহক (রর) অনুভূতিবাহী স্নায়ু (ররর) প্রতিবর্তী কেন্দ্র (সুষুম্নাকাণ্ড) (রা) আজ্ঞাবাহী স্নায়ু (া) কারক অঙ্গ।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ স্নায়ুতন্ত্রে সিন্যাপস না থাকলে কী হতো? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের মিলন স্থলকে সিন্যাপস বলে। এক স্নায়ুকোষ থেকে স্নায়ুতাড়নাকে অপর স্নায়ুকোষে পরিবাহিত করা সিন্যাপসের কাজ। সুতরাং সিন্যাপস না থাকলে প্রাণীরা বাইরের ও ভেতরের উদ্দীপনায় সাড়া দিতে পারত না এবং স্নায়ুতন্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়ত।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ স্নায়ুতন্ত্রের কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দেহের বিভিন্ন অংশের উদ্দীপনা বহন করা, দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করা ও পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রাখাই স্নায়ুতন্ত্রের কাজ।
পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য জীবদেহে দ্রুত যোগাযোগ রক্ষা করা প্রয়োজন। আমাদের চলাফেরা, কোনো বিষয়ে চিন্তা করা, হাতে গরম লাগলে দ্রুত হাত সরিয়ে নেওয়া ইত্যাদি ঘটে বিভিন্ন উদ্দীপকের কার্যকারিতার ফলে যা স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ সেরিব্রামের কাজ লেখ।
উত্তর : সেরিব্রাম আমাদের চিন্তা, চেতনা, জ্ঞান, স্মৃতি, ইচ্ছা, বাক্শক্তি ও ঐচ্ছিক পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো উদ্দীপকের প্রতি কী ধরনের সাড়া দিতে হবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ নিউরনের কাজ লেখ।
উত্তর : নিউরনের প্রধান কাজ উদ্দীপনা বহন করা এবং অনুভূতিবাহী নিউরন গ্রাহক অঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং মোটর বা আজ্ঞাবাহী নিউরন স্নায়ুতন্ত্র থেকে কার্যকরী অঙ্গে উদ্দীপনা প্রেরণ করে।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ ডোপামিন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : স্নায়ুকোষ এক ধরনের নির্যাস তৈরি করে থাকে, যাকে ডোপামিন বলে।
ডোপামিন শরীরের পেশির নড়াচড়ায় সাহায্য করে। মস্তিষ্ক ডোপামিন তৈরির কোষসমূহ নষ্ট হয়ে গেলে পারকিনসন রোগ হয়। ফলে মাংসপেশি তার কার্যকারিতা হারায়।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ মেডুলা অবলংগাটার ২টি কাজ লেখ।
উত্তর : মেডুলা অবলংগাটার ২টি কাজ নিচে দেওয়া হলো। যথা :
(1) মেডুলা অবলংগাটা খাদ্য গলাধঃকরণ, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, গলবিল প্রভৃতির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
(2) এই স্নায়ুগুলো শ্রবণ ও ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ স্ট্রোকের লক্ষণগুলো লেখ।
উত্তর : স্ট্রোকের লক্ষণ হঠাৎ করেই প্রকাশ পায়। নিচে লক্ষণগুলো দেওয়া হলো :
(1) বমি ও প্রচণ্ড মাথাব্যথা।
(2) কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগী সংজ্ঞা হারায়।
(3) ঘাড় শক্ত হয়ে যেতে পারে।
(4) মাংসপেশি শিথিল হয়ে যায়।
(5) শ্বসন ও নাড়ির স্পন্দন কমে যায়।
(6) মুখমণ্ডল লালবর্ণ ধারণ করে।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
১. থাইমাস গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন কোনটি?
ক থাইরক্সিন
খ প্যারাথাইরক্সিন
থাইমক্সিন
ঘ থাইরোট্রপিন
২. আইলেটস্ অফ ল্যাংগারহ্যানস-
র. শরীরের শর্করা বিপাকে সহায়তা করে
রর. ইনসুলিন হরমোন নিঃসরণ করে
ররর. দেহের বিপাকীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের চিত্রের আলোকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৩. ‘অ’ এর ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য?
আলোক দিকমুখিতা খ ভূ-দিকমুখিতা
গ পানি দিকমুখিতা ঘ রাসায়নিক দিকমুখিতা
৪. ‘অ’ অংশটি সৃষ্টিতে কোনটি কাজ করে?
অক্সিন খ জিবেরেলিন
গ সাইটোকাইনিন ঘ অ্যাবসিসিক এসিড
৫. বীজের সুপ্তাবস্থার দৈর্ঘ্য কমাতে কোন হরমোনটি ব্যবহার হয়?
ক অক্সিন খ ইথিলিন
জিবেরেলিন ঘ সাইটোকাইনিন
৬. মানব মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ কোনটি?
ক পনস সেরিব্রাম
গ সেরিবেলাম ঘ মেডুলা অবলংগাটা
৭. ডায়াবেটিস টাইপ-১ এ আক্রান্ত রোগীর দেহে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়Ñ
ক বেশি পরিমাণে খ কম পরিমাণে
গ প্রয়োজনমতো একেবারেই উৎপন্ন হয় না
৮. ছোট দিনের উদ্ভিদ নিচের কোনটি?
ক ঝিঙা খ সূর্যমুখী
গ শশা ডালিয়া
৯. অভিস্রবণ ও শ্বসনের হার বৃদ্ধিতে কোন হরমোনের প্রভাব রয়েছে?
অক্সিন খ ইথিলিন
গ সাইটোকাইনিন ঘ জিবেরেলিন
১০. আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস নিঃসৃত হরমোন কোনটি?
ইনসুলিন খ প্রোল্যাকটিন
গ অ্যাডরেনালিন ঘ থাইরোট্রপিন
১১. স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া কোনটির কাজ?
ক নাক, কান খ দাঁত, মুখণ্ডল
অন্ত্র, অগ্ন্যাশয় ঘ জিহ্বা, হৃৎপিণ্ড
১২. মানবদেহে থাইরয়েড গ্রন্থি কোথায় অবস্থিত?
ক গ্রীবা অঞ্চলে গলার ট্রাকিয়ার উপরে
গ কিডনির উপরে ঘ ফুসফুসের নিচে
১৩. আয়োডিনের অভাবে কোন গ্রন্থি ফুলে যায়?
ক অ্যাড্রিনাল খ থাইমাস
থাইরয়েড ঘ প্যারাথাইরয়েড
১৪. কোনটি ফল পাকাতে সাহায্য করে?
ক অক্সিন ইথিলিন
গ সাইটোকাইনিন ঘ জিবেরেলিন
১৫. মস্তিষ্কের কয়টি অংশ?
ক ১ খ ২ ৩ ঘ ৪
১৬. কোনটির অভাবে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়?
ক থাইরক্সিন খ ইনসুলিন
আয়োডিন ঘ পেপসিন
১৭. মেরুরজ্জু থেকে কতজোড়া স্নায়ু নির্গত হয়?
ক ১০ জোড়া খ ১১ জোড়া
গ ২১ জোড়া ৩১ জোড়া
১৮. উদ্ভিদের গৌণ বৃদ্ধিতে কোন হরমোন ভূমিকা রাখে?
ইন্ডোল অ্যাসিটিক এসিড খ অক্সিন
গ ইথিলিন ঘ অ্যাবসিসিক এসিড
১৯. জর্দার নিকোটিন প্রাথমিক অবস্থায় কোন তন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে?
ক শ্বাসতন্ত্র খ পরিপাকতন্ত্র
গ রক্ত সংবহনতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র
২০. থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলেÑ
র. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়বে
রর. বিপাক কার্য বাধাগ্রস্ত হবে
ররর. চোখ বের হয়ে আসবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১. মানুষের পশ্চাৎ মস্তিষ্কের অংশগুলো হলোÑ
র. কর্টেক্স
রর. সেরিবেলাম
ররর. পনস ও মেডুলা অবলংগাটা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অর্নব হাঁটছিল, সে পড়ে গিয়ে কেঁদে উঠল।
২২. অর্নবের ক্ষেত্রে প্রভাব রয়েছে?
র. হরমোনতন্ত্র
রর. পেশিতন্ত্র
ররর. স্নায়ুতন্ত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৩ ও ২৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
উদ্ভিদের প্রতিটি কোষই হরমোন উৎপন্ন করতে সক্ষম। এটা কোনো পুষ্টি দ্রব্য নয় তবে ক্ষুদ্র মাত্রায় উৎপন্ন হয়ে কোষে বিভিন্নতা সৃষ্টি ও দেহের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
২৩. কোনটি ফাইটোহরমোন নয়?
ইনসুলিন খ অক্সিন
গ ইথিলিন ঘ সাইটোকাইনিন
২৪. কোষ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেÑ
ক ইথিলিন সাইটোকাইনিন
গ অক্সিন ঘ অ্যাবসিসিকি এসিড
উদ্ভিদে সমন্বয়, বৃদ্ধি ও চলন
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৫. উদ্ভিদ হরমোনকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক হরমোন ফাইটোহরমোন
গ জু হরমোন ঘ থাইরক্সিন
২৬. আগাছা দমনে কোনটি ব্যবহার করা হয়? (অনুধাবন)
ক অক্সিন জিবেরেলিন
গ সাইটোকাইনিন ঘ অ্যাবসিসিক এসিড
২৭. মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দিকে মূলের বৃদ্ধিকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক আলোকমুখী চলন খ অন্ধকারমুখী চলন
ফটোট্রপিজম ঘ ভূদিকমুখি চলন
২৮. তাপ যখন উদ্ভিদের ফুলধারণ সময়কালকে নির্ধারণ করে তখন তাকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক ফটোপিরিওডিজম খ দিকমুখিতা
গ রাসায়নিক দিকমুখিতা ভার্নালাইজেশন
২৯. দিন রাতের দৈর্ঘ্য উদ্ভিদের ফুল ধারণে যে প্রভাব রাখে তাকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক ভার্নালাইজেশন ফটোপিরিওডিজম
গ দিকমুখিতা ঘ ছোটদিনের উদ্ভিদ
৩০. বীজ অঙ্কুরিত করার আগে খুবই নিম্ন তাপমাত্রা প্রয়োগ করার পদ্ধতিকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ভার্নালাইজেশন খ ফটোপিরিওডিজম
গ ফটোট্রপিজম ঘ দিকমুখিতা
৩১. উদ্ভিদ দেহে অশনাক্ত হরমোনকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক অক্সিন খ হরমোন
পস্টুলেটেড হরমোন ঘ ইথিলিন
৩২. নিচের কোন ফাইটোহরমোন উদ্ভিদের বৃদ্ধিকারক নয়? (অনুধাবন)
অ্যাবসিসিক এসিড খ জিবেরেলিন
গ অক্সিন ঘ সাইটোকাইনিন
৩৩. সাইটোকাইনিন কী? (অনুধাবন)
ক পুষ্টি খ ভিটামিন
বৃদ্ধিবর্ধক যৌগ ঘ রাসায়নিক যৌগ
৩৪. ছোট দিনের উদ্ভিদের পুষ্পায়নে দৈনিক গড়ে কত ঘণ্টা আলোর প্রয়োজন? (জ্ঞান)
ক ৬Ñ১০ ঘণ্টা ৮Ñ১২ ঘণ্টা
গ ৯Ñ১৩ ঘণ্টা ঘ ১০Ñ১৫ ঘণ্টা
৩৫. গাছে ফলের সংখ্যা বাড়াতে কোন হরমোন ব্যবহার করা হয়? (জ্ঞান)
ক অক্সিন জিবেরেলিন
গ সাইটোকাইনিন ঘ ইথিলিন
৩৬. গরমকালে গমের বীজ রোপণের পূর্বে কত তাপ প্রয়োগ করলে পুষ্প ধারণ ঘটবে? (অনুধাবন)
ক ০ ১ খ ০.৩ ২
২ ৫ ঘ ৩ ৫
৩৭. উদ্ভিদের কোন কোন অংশের অগ্রভাগে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি লক্ষ করা যায়? (অনুধাবন)
ক কাণ্ডে ও পাতায় খ মূলে ও পাতায়
কাণ্ডে ও মূলে ঘ শুধু কাণ্ডে
৩৮. নিচের কোন উদ্ভিদগুলো ছোট দিনের উদ্ভিদ? (অনুধাবন)
ক সরিষা ও ডালিয়া খ ঝিঙা ও ডালিয়া
চন্দ্রমল্লিকা ও ডালিয়া ঘ আমন ধান ও পাটগাছ
৩৯. দিন ও রাত্রিকালের দৈর্ঘ্যরে প্রত্যক্ষ প্রভাবে উদ্ভিদের কী ঘটে? (অনুধাবন)
ক বৃদ্ধি ঘটে খ অঙ্কুরিত ঘটে
পুষ্পধারণ ঘটে ঘ জনন ঘটে
৪০. কোনগুলো দিন নিরপেক্ষ উদ্ভিদ? (অনুধাবন)
ক ধান ও পেঁপে খ পাট ও ধান
গ ডালিয়া ও কুমড়া শসা ও সূর্যমুখী
৪১. কোনটি দিয়ে উদ্ভিদের কাণ্ডের ফটোট্রপিক পরীক্ষা করা যায়? (অনুধাবন)
ক বিটপ খ ভ্রƒণমূল
মুকুলাবরণ ঘ ভ্রƒণকাণ্ড
৪২. উদ্ভিদের কোন অংশে সাধারণত অক্সিন উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান)
ক শুধুমাত্র পত্রবৃন্তে ও পত্রফলকে খ পত্রবৃন্তে ও কাণ্ডের শীর্ষে
শীর্ষমুকুলে ঘ পত্রবৃন্তে
৪৩. উদ্ভিদের কোন অঙ্গে পজিটিভ ফটোট্রপিজম দেখা যায়? (অনুধাবন)
কাণ্ডে খ মূলে
গ পাতায় ঘ কাণ্ড ও মূলে
৪৪. ফটোট্রপিজম কোনটি? (অনুধাবন)
মূলের অন্ধকারের দিকে বৃদ্ধি
খ মূলের মাটির দিকে বৃদ্ধি
গ কাণ্ডের আলোর বিপরীত দিকে বৃদ্ধি
ঘ কাণ্ডের মাটির বিপরীত দিকে বৃদ্ধি
৪৫. ধনাত্মক ফটোট্রপিজম কোনটি? (অনুধাবন)
ক আলোর বিপরীত দিকে কাণ্ডের বৃদ্ধি
খ মাটির দিকে মূলের বৃদ্ধি
আলোর দিকে কাণ্ডের বৃদ্ধি
ঘ রাসায়নিক সারের দিকে মূলের বৃদ্ধি
৪৬. আলোর দিকে কাণ্ডের গমন কোন ধরনের ফটোট্রপিক চলন? (জ্ঞান)
ক ঋণাত্মক আলোকমুখী চলন ধনাত্মক আলোকমুখী চলন
গ আলোক দিকমুখিতা ঘ ঋণাত্মক ভূমিমুখী চলন
৪৭. ছোট দিনের উদ্ভিদ কোনটি? (অনুধাবন)
ডালিয়া খ আম
গ ঝিঙা ঘ আউশ ধান
৪৮. শসা কোন ধরনের উদ্ভিদ? (অনুধাবন)
ক বড়দিন নিরপেক্ষ দিন
গ ছোট দিন ঘ ছোট রাত্রি
৪৯. উদ্ভিদের বৃদ্ধিরোধক হরমোন কোনটি? (অনুধাবন)
ক অক্সিন খ সাইটোকাইনিন
অ্যাবসিসিক এসিড ঘ জিবেরেলিন
৫০. নিচের কোনটি দীর্ঘ রাত্রির উদ্ভিদ? (জ্ঞান)
ডালিয়া খ ঝিঙা
গ সূর্যমুখী ঘ আউশ ধান
৫১. সাইটোকাইনিনের প্রভাবে কোনটি হয়? (অনুধাবন)
ক ফুল ফোটা কোষ বিভাজন
গ মূল সৃষ্টি ঘ বীজহীন ফল
৫২. বীজহীন ফল উৎপাদনে সাহায্য করে কোন হরমোন? (অনুধাবন)
ক অক্সিন ও ইথিলিন জিবেরেলিন ও অক্সিন
গ সাইটোকাইনিন ও ইথিলিন ঘ অ্যাবসিসিক এসিড ও অক্সিন
৫৩. ক্যালাস সৃষ্টিতে ব্যবহৃত হয় কোন হরমোন? (জ্ঞান)
ক অক্সিন খ জিবেরেলিন
গ সাইটোকাইনিন ইন্ডোল অ্যাসিটিক এসিড
৫৪. মূলের নেগেটিভ ফটোট্রপিজম ঘটে কোন কলার বৃদ্ধির কারণে? (অনুধাবন)
ক প্যারেনকাইমা কলা স্থায়ী কলা
গ স্থায়ী জটিল কলা ঘ ভাজক কলা
৫৫. উদ্ভিদের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য কোন ধরনের ফাইটোহরমোন ব্যবহার করা হয়? (জ্ঞান)
ক ডরমিন খ অক্সিন
গ সাইটোকাইনিন জিবেরেলিন
৫৬. নেগেটিভ ফটোট্রপিক চলন কোনটি? (অনুধাবন)
ক মাটির দিকে মূলের বৃদ্ধি
খ সারের দিকে মূলের বৃদ্ধি
গ পানির বিপরীত দিকে কাণ্ডের বৃদ্ধি
মাটির বিপরীত দিকে কাণ্ডের বৃদ্ধি
৫৭. কোনটি উদ্ভিদের কক্ষমুকুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে? (অনুধাবন)
অক্সিন খ থাইরক্সিন
গ সাইটোকাইনিন ঘ ডরমিন
৫৮. দিনের আলোর সময়সীমার ওপর কোন উদ্ভিদের ফুলধারণ নির্ভর করে না? (অনুধাবন)
ক ঝিঙা খ ডালিয়া
গ তামাক সূর্যমুখী
৫৯. ফুলধারণের জন্য কোন উদ্ভিদের দৈনিক গড় প্রায় ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা অবিরাম আলোর প্রয়োজন? (প্রয়োগ)
ক ছোট দিনের উদ্ভিদ বড় দিনের উদ্ভিদ
গ দিন নিরপেক্ষ উদ্ভিদ ঘ সাধারণ উদ্ভিদ
৬০. শীতপ্রধান দেশের ফসল গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ফলানোর ব্যবস্থা করা যায় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক ফটোপিরিওডিজম দ্বারা খ উচ্চতাপ প্রয়োগ করে
ভার্নালাইজেশন দ্বারা ঘ কাটিং করে
৬১. নিচের সময়কাল (দিবা-অন্ধকার) স্কেলটি লক্ষ কর :
দিবাকাল ও অন্ধকার কালের এরকম দৈর্ঘ্যে কোন উদ্ভিদগুলো পুষ্পধারণ করবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আলু ও মুলা খ গম ও আখ
ডালিয়া ও চন্দ্রমল্লিকা ঘ মুলা ও লেটুস
৬২. মূল মাটির নিচের দিকে বৃদ্ধি পায়। এটি কোন ধরনের দিকমুখিতা? (প্রয়োগ)
ক পজিটিভ ফটোট্রপিক খ পানি দিকমুখিতা
নেগেটিভ ফটোট্রপিক ঘ রাসায়নিক দিকমুখিতা
৬৩. বীজের ও কুঁড়ির সুপ্ততা ভঙ্গ করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক অক্সিন জিবেরেলিন
গ অ্যাবসিসিক এসিড ঘ সাইটোকাইনিন
৬৪. আলো-অন্ধকারের ছন্দের উত্তেজনা গ্রহণ করে কোনটি? (অনুধাবন)
পাতা খ বিভিন্ন হরমোনসমূহ
গ উদ্ভিদের সবুজ অংশ ঘ মূল
৬৫. নিচের কোনটি উদ্ভিদের ফুল ফোটাতে সাহায্য করে? (অনুধাবন)
ক জিবেরেলিন খ সাইটোকাইনিন
ফ্লোরিজেন ঘ অক্সিন
৬৬. অক্সিন উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটায় কেন? (অনুধাবন)
ক কোষ বিভাজন করে
কোষগুলোর আয়তন বৃদ্ধি করে
গ উদ্ভিদে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে
ঘ শ্বসন বৃদ্ধি করে
৬৭. উদ্ভিদের শীর্ষমুকুলটি অপসারণ করলে কী ঘটবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক উদ্ভিদের বর্ধন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে
পার্শ্বমুকুলগুলো বাড়তে শুরু করবে
গ উদ্ভিদটি উপরের দিকে দ্রুত বাড়বে
ঘ পরিস্ফুটন দ্রুত হবে
৬৮. ভার্নালাইজেশনের ফলে কী হয়? (অনুধাবন)
ক গাছ তাড়াতাড়ি লম্বা হয় খ গাছের শাখা-প্রশাখা বেশি হয়
গ গাছের মূল অনেক বিস্তৃত হয় অল্প সময়ে ফুল ফোটে
৬৯. উদ্ভিদের পাতায় উৎপন্ন হয় কোন হরমোন? (অনুধাবন)
ক ইথিলিন খ সাইটোকাইনিন
ফ্লোরিজেন ঘ অক্সিন
৭০. কোনটির প্রভাবে প্রাণিদেহে বিভিন্ন কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধিত হয়? (জ্ঞান)
ক এনজাইম খ সূর্যালোক
হরমোন ঘ খনিজ পদার্থ
৭১. উদ্ভিদের যেসব হরমোন এখনো আলাদা করা যায়নি তাদের কী বলে? (জ্ঞান)
ক বিশেষ হরমোন খ আইসোলেটেড হরমোন
গ স্টেরয়েড পস্টুলেটেড হরমোন
৭২. উদ্ভিদে জননাঙ্গ বিকাশে সাহায্য করে নিচের কোন হরমোন? (অনুধাবন)
ফ্লোরিজেন খ সাইটোকাইনিন
গ অ্যাবসিসিক এসিড ঘ অক্সিন
৭৩. ভ্রƒণমুকুলাবরণির এক দিকে আলো পড়লে কী হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আলোর উৎসের বিপরীতে বেঁকে যায়
আলোর উৎসের দিকে বেঁকে যায়
গ মাটির দিকে নুয়ে পড়ে
ঘ খাড়াভাবে বৃদ্ধি পায়
৭৪. জিবেরেলিন এর উৎস- (অনুধাবন)
ক এক প্রকার শৈবাল এক প্রকার ছত্রাক
গ বীজপত্র ঘ এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া
৭৫. কোনটির প্রভাবে উদ্ভিদকাণ্ডের অতিবৃদ্ধি ঘটে? (অনুধাবন)
ক অক্সিন খ ইথিলিন
গ ভার্নালিন জিবেরেলিন
৭৬. নিচের কোনটি বড় দিনের উদ্ভিদ? (অনুধাবন)
ক চন্দ্রমল্লিকা খ ডালিয়া
ঝিঙা ঘ শসা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৭.
উপরের চিত্রের অ চিহ্নিত অংশটির চলন হবে-
র. আলোকমুখী
রর. অন্ধকারমুখী
ররর. পানিমুখী
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র খ রর গ র ও ররর রর ও ররর
৭৮. হরমোনের প্রভাবে উদ্ভিদের-
র. বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে
রর. বিভিন্ন অঙ্গ সৃষ্টি হয়
ররর. সকল কাজ নিয়ন্ত্রিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৯. অক্সিনের কাজ হলোÑ
র. বীজহীন ফল উৎপাদনে সাহায্য করে
রর. শাখা কলমে মূল গজায়
ররর. ফলের অকাল ঝরে পড়া রোধ করে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮০. বৃদ্ধিজনিত চলনের উদাহরণÑ
র. মূলের এগিয়ে চলা
রর. আকর্ষীর অবলম্বনকে পেঁচিয়ে ধরা
ররর. কাণ্ডের বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮১. হরমোন উদ্ভিদে-
র. পুষ্টি দ্রব্য
রর. ক্ষুদ্রমাত্রায় উৎপন্ন হয়
ররর. দেহের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রের আলোকে ৮২ ও ৮৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
চিত্র : দিবালোকের দৈর্ঘ্য
৮২. অ, ই ও ঈ চিহ্নিত পরিস্থিতিতে কোন উদ্ভিদ ফুল ও ফল প্রদান করে? (প্রয়োগ)
ক তামাক খ পালংশাক
গ শিম সূর্যমুখী
৮৩. অ চিহ্নিত সময়কালে ঝিঙা চাষ করলে Ñ
র. ঝিঙা গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে
রর. ঝিঙার উৎপাদন হ্রাস পাবে
ররর. আর্থিক ক্ষতি হবে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৮৪ ও ৮৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিজ্ঞানীদের মতে এক ধরনের রাসায়নিক বস্তু বহুকোষী জীবের কোষে উৎপন্ন হয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষ বা কোষপুঞ্জের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।
৮৪. উল্লিখিত রাসায়নিক বস্তুটি কী? (অনুধাবন)
ক স্টেরয়েড খ লিপিড
গ এনজাইম হরমোন
৮৫. উল্লিখিত রাসায়নিক বস্তুটি উদ্ভিদের-
র. ফাইটোহরমোন
রর. বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটায়
ররর. শারীরবৃত্তীয় কাজের হার বৃদ্ধি করে
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৮৬ ও ৮৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাফাত ক্লাসে পাঠ গ্রহণের সময় জানতে পারল এক প্রকার হরমোনের কথা, যার প্রভাবে ধানগাছের অতিবৃদ্ধি হয় এবং ফল ও উদ্ভিদের বিকাশেও যাদের ভূমিকা রয়েছে।
৮৬. রাফাত কোন হরমোনটির কথা জানতে পারল? (অনুধাবন)
জিবেরেলিন খ অক্সিন
গ ইথিলিন ঘ অ্যাবসিসিক এসিড
৮৭. উল্লিখিত হরমোনটি প্রয়োগ করা হয়-
র. ফুল ফোটাতে
রর. বীজের সুপ্তাবস্থার দৈর্ঘ্য কমাতে
ররর. উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
প্রাণীর সমন্বয় প্রক্রিয়া
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৮. হরমোনের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে কে? (জ্ঞান)
স্নায়ুতন্ত্র খ দেহ
গ নালিহীন গ্রন্থি ঘ এনজাইম
৮৯. পিঁপড়া খাদ্যের খোঁজ পেলে খাদ্য উৎস থেকে বাসায় আসার পথে কী নিঃসৃত করে? (জ্ঞান)
ক অক্সিন ফেরোমন
গ ফ্লোরিজেন ঘ ইথিলিন
৯০. রাসায়নিক দূত কোনটি? (অনুধাবন)
ক ভিটামিন খ এনজাইম
হরমোন ঘ এটিলি
৯১. রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয় কোনটি? (অনুধাবন)
হরমোন খ স্নায়ুতাড়না
গ স্নায়ুউদ্দীপনা ঘ অনুভূতি
৯২. সুষুম্নাকাণ্ড কার অংশ? (জ্ঞান)
ক প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের
গ মেরুদণ্ডের ঘ অগ্রমস্তিস্কের
৯৩. পতঙ্গ যে হরমোন নিঃসৃত করে তার নাম কী? (জ্ঞান)
ক প্রোল্যাকটিন খ গ্লুকাগন
ফেরোমন ঘ ফ্লোরিজেন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৪. অভ্যন্তরীণ পরিবেশের উদ্দীপক-
র. গন্ধ, আলো
রর. তাপ, চাপ
ররর. রাসায়নিক বস্তু
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৫. দেহের কাজ পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন করে-
র. স্নায়ুতন্ত্র
রর. পেশিতন্ত্র
ররর. হরমোনতন্ত্র
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৬. হরমোন এর বৈশিষ্ট্যÑ
র. এটি বিশেষ বিশেষ শারীরবৃত্তীয় কাজে সূক্ষ্মমাত্রায় ক্রিয়াশীল
রর. এটি উৎসস্থলে ক্রিয়া করে
ররর. এটির ক্রিয়া ক্ষণস্থায়ী
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৯৭ ও ৯৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রাণীরা তাদের বিভিন্ন কাজে ফেরোমন নিঃসরণ করে। এটি পোকা ধ্বংসের কাজে আমরাও ব্যবহার করে থাকি।
৯৭. পতঙ্গ উক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে কেন? (অনুধাবন)
সঙ্গীকে আকৃষ্ট করতে খ বাসা তৈরির জন্য
গ বর্জ্য নিষ্কাশনের উদ্দেশ্যে ঘ ডিম ফুটানোর জন্য
৯৮. উক্ত নিঃসৃত পদার্থটি পোকা ধ্বংসের জন্য যেভাবে কাজ করেÑ
র. ফাঁদে ব্যবহার করা হয় যাতে পানিতে ডুবে পোকা মারা যায়
রর. এটি পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়া
ররর. এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রক্রিয়া
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
র ও রর খ রর ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
কেন্দ্রীয় ও প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৯. কোনটি মস্তিষ্কের সুরক্ষা প্রদান করে? (অনুধাবন)
ক স্কাল করোটি
গ করোটিকা ঘ স্কেলিটন
১০০. মস্তিষ্ক কয়টি অংশে বিভক্ত? (জ্ঞান)
ক ২টি ৩টি
গ ৪টি ঘ ৫টি
১০১. মস্তিষ্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ কোনটি? (জ্ঞান)
ক সেরিবেলাম সেরিব্রাম
গ পনস ঘ মেডুলা অবলংগাটা
১০২. স্নায়ুতন্ত্রের পরিচালক কোনটি? (অনুধাবন)
ক সুষুম্না কাণ্ড খ মেরুরজ্জু
মস্তিষ্ক ঘ সুষুম্নাস্নায়ু
১০৩. কোনটিকে গুরুমস্তিষ্ক বলা হয়? (অনুধাবন)
ক সেরিবেলাম খ পনস
সেরিব্রাম ঘ মেডুলা অবলংগাটা
১০৪. কোনটি সেরিব্রামকে আবৃত করে রাখে? (অনুধাবন)
ক প্লুরা খ আবরণী কলা
মেনিনজেস ঘ পেরিকার্ডিয়াম
১০৫. দেহে সঞ্চালন তথা প্রত্যেক কাজের ও অনুভূতির কেন্দ্র কোনটি? (অনুধাবন)
সেরিব্রাম খ সেরিবেলাম
গ পনস ঘ মেডুলা অবলংগাটা
১০৬. সেরিবেলাম ও মেডুলা অবলংগাটার ভেতর সংযোগ স্থাপন করে কোনটি? (জ্ঞান)
ক অগ্রমস্তিষ্ক পনস
গ পশ্চাৎ মস্তিষ্ক ঘ সুষুম্না কাণ্ড
১০৭. সেরিবেলামের অবস্থান কোথায়? (জ্ঞান)
ক অগ্রমস্তিষ্কে পনসের পৃষ্ঠীয়দেশে
গ পনসের অঙ্কীয় দেশে ঘ মধ্যমস্তিষ্কে
১০৮. মস্তিষ্কের সব থেকে পেছনের অংশ কোনটি? (জ্ঞান)
ক সেরিব্রাম মেডুলা অবলংগাটা
গ পনস ঘ সেরিবেলাম
১০৯. করোটিক স্নায়ুর সংখ্যা মোট কতটি? (জ্ঞান)
ক ১২টি খ ১৬টি
গ ২০টি ২৪টি
১১০. মেডুলা অবলংগাটা থেকে কত জোড়া করোটিক স্নায়ু উৎপন্ন হয়? (অনুধাবন)
ক ৪ জোড়া ৮ জোড়া
গ ৯ জোড়া ঘ ১০ জোড়া
১১১. দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ছিদ্র দিয়ে কত জোড়া মেরুরজ্জীয় স্নায়ু বের হয়? (জ্ঞান)
ক ২১ জোড়া খ ২৫ জোড়া
গ ৩০ জোড়া ৩১ জোড়া
১১২. নিউরনের প্রলম্বিত অংশ কয় ধরনের? (জ্ঞান)
২ ধরনের খ ৩ ধরনের
গ ৪ ধরনের ঘ ৫ ধরনের
১১৩. অ্যাক্সনের চারদিকের পাতলা আবরণটিকে কী বলে? (জ্ঞান)
নিউরিলেমা খ অ্যাক্সলেমা
গ সিন্যাপস ঘ মায়োলিন
১১৪. অ্যাক্সনের মূল অক্ষের আবরণটিকে কী বলে? (জ্ঞান)
অ্যাক্সলেমা খ অ্যাক্সনিমা
গ মায়োলিন ঘ নিউরিলেমা
১১৫. ডেনড্রাইট ও অ্যাক্সনের সংযোগস্থলকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক নিউরিলেমা সিন্যাপস
গ র্যানভিয়ার এর পর্ব ঘ অ্যাক্সলেমা
১১৬. সিন্যাপসের মধ্য দিয়ে কোন পদ্ধতিতে স্নায়ু তাড়না প্রবাহিত হয়? (জ্ঞান)
ক জৈব রাসায়নিক খ যান্ত্রিক
তড়িৎ রাসায়নিক ঘ বিকিরণ
১১৭. প্রতিবর্তী ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক মস্তিষ্ক খ হরমোন
সুষুম্নাকাণ্ড ঘ নিউরন
১১৮. স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক কী? (জ্ঞান)
ক নেফ্রন খ অ্যাক্সন
গ স্নায়ু নিউরন
১১৯. দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক পেশিতন্ত্র খ কঙ্কালতন্ত্র
স্নায়ুতন্ত্র ঘ হরমোনতন্ত্র
১২০. কোন ধরনের স্নায়ুতন্ত্রের ওপর মস্তিষ্ক ও মেরুরজ্জুর কোনো প্রভাব থাকে না? (অনুধাবন)
ক কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র খ প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র
গ সুষুম্না কাণ্ড স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র
১২১. অগ্রমস্তিষ্কের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ অংশ কোনটি? (অনুধাবন)
ক সেরিবেলাম সেরিব্রাম
গ বাম সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার ঘ ডান সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার
১২২. সেরিব্রাম কয়টি অংশে বিভক্ত? (জ্ঞান)
২টি খ ৩টি
গ ৪টি ঘ ৫টি
১২৩. স্নায়ুতন্ত্রের কোন অংশে নিউরন অবস্থিত? (অনুধাবন)
ক ডুরাম্যাটার খ হোয়াইট ম্যাটার
গ্রে ম্যাটার ঘ প্যারাম্যাটার
১২৪. মস্তিষ্কের বহিরাংশে এবং সুষম্নাকাণ্ডের কেন্দ্রে কী থাকে? (প্রয়োগ)
গ্রে ম্যাটার খ প্যারাম্যাটার
গ হোয়াইট ম্যাটার ঘ ডুরাম্যাটার
১২৫. মস্তিষ্কের ভেতর অংশে এবং সুষুম্নাকাণ্ডের বাইরের অংশে কী থাকে? (অনুধাবন)
ক গ্রে ম্যাটার খ ডুরাম্যাটার
হোয়াইট ম্যাটার ঘ প্যারাম্যাটার
১২৬. মস্তিষ্কে সেরিবেলামের অবস্থান কোথায়? (অনুধাবন)
ক মেডুলার উপরে খ মেডুলার পেছনে
পনসের নিম্নভাগে ঘ পনসের পৃষ্ঠীয় ভাগে
১২৭. মস্তিষ্কের কোন অংশ চলনে সমন্বয় সাধন এবং দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে? (অনুধাবন)
ক সেরিব্রাম সেরিবেলাম
গ পনস ঘ হেমিস্ফিয়ার
১২৮. কোন স্নায়ুকেন্দ্র খাদ্য গলাধঃকরণ ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে? (অনুধাবন)
ক থ্যালামাস খ সেরিবেলাম
গ সেরিব্রাম মেডুলা অবলংগাটা
১২৯. মস্তিষ্কের কোন অংশে প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস কেন্দ্র অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক সেরিব্রাম খ পনস
মেডুলা অবলংগাটা ঘ সেরিবেলাম
১৩০. প্রতিবর্তী ক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী স্নায়ুতন্ত্রের পর্যায়ক্রমিক অঙ্গগুলো কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক গ্রাহক অঙ্গ অনুভূতিবাহী নিউরন মেডুলা অবলংগাটা কারক অঙ্গ (ঐচ্ছিক পেশি)
খ গ্রাহক অঙ্গ সুষুম্না কাণ্ড অনুভূতিবাহী নিউরন কারক অঙ্গ (ঐচ্ছিক পেশি)
গ্রাহক অঙ্গ অনুভূতিবাহী নিউরন সুষুম্না কাণ্ড কারক অঙ্গ (ঐচ্ছিক পেশি)
ঘ গ্রাহক অঙ্গ অনুভূতিবাহী নিউরন মস্তিষ্ক কারক অঙ্গ (ঐচ্ছিক পেশি)
১৩১. মানবদেহের কোন কোষ বিভাজিত হয় না? (প্রয়োগ)
ক স্থায়ী কোষ স্নায়ু কোষ
গ দেহকোষ ঘ প্যারেনকাইমা কোষ
১৩২. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র কী দ্বারা গঠিত? (অনুধাবন)
ক মস্তিষ্ক খ সেরিব্রাম ও পনস
মস্তিষ্ক ও মেরুরজ্জু ঘ মেরুরজ্জু ও স্নায়ুতন্ত্র
১৩৩. মস্তিষ্ক ও মেরুরজ্জু দ্বারা কোনটি গঠিত? (অনুধাবন)
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র খ স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র
গ প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র ঘ স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র
১৩৪. সেরিব্রামের প্রধান কাজ কোনটি? (অনুধাবন)
বুদ্ধি ও স্মৃতি নিয়ন্ত্রণ খ দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ
গ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ ঘ হৃদস্পন্দন ও শ্বসন নিয়ন্ত্রণ
১৩৫. মানুষের মস্তিষ্কের সেরিব্রাম অংশের অপসারণ করলে নিচের কোনটি ঘটবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দেহে উষ্ণতা বজায় থাকবে না
স্মৃতি ও চিন্তা চেতনার বিঘ্ন ঘটবে
গ অনুভূতির উপলব্ধিতে ব্যাঘাত ঘটবে
ঘ চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটবে
১৩৬. মানুষের মস্তিষ্কের কোন অংশ অন্যান্য অংশের তুলনায় অধিক উন্নত?
(অনুধাবন)
ক লঘুমস্তিষ্ক খ মেডুলা
সেরিব্রাম ঘ থ্যালামাস
১৩৭. সেরিবেলামের মুখ্য কাজ কোনটি? (অনুধাবন)
চলাফেরা খ শ্রবণ
গ দর্শন ঘ স্মৃতি
১৩৮. ঘ্রাণ অনুভূতির কেন্দ্র কোথায় থাকে? (অনুধাবন)
অগ্রমস্তিষ্কে খ মধ্যমস্তিষ্কে
গ লঘুমস্তিষ্কে ঘ পনসে
১৩৯. মস্তিষ্কের বাইরে এবং সুষুম্না কাণ্ডের ভেতরে কোনটি থাকে? (অনুধাবন)
ক হোয়াইট ম্যাটার গ্রে ম্যাটার
গ স্নায়ুকোষ ঘ সেরিব্রাম
১৪০. স্নায়ুুতাড়না নিউরনের দেহের দিকে পরিবাহিত হয় কী দ্বারা? (অনুধাবন)
ক অ্যাক্সনের দ্বারা ডেনড্রাইট দ্বারা
গ কোষদেহ দ্বারা ঘ হরমোন দ্বারা
১৪১. প্রাণিদেহে পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ প্রেরণ করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক পেশিকোষ স্নায়ুকোষ
গ অ্যাক্সন ঘ হৃদপেশি কোষ
১৪২. একটি নিউরনের কয়টি অংশ থাকে? (জ্ঞান)
ক চারটি খ পাঁচটি
তিনটি ঘ দুটি
১৪৩. কোনটির কারণে আমরা উদ্দীপনায় সাড়া দেই? (প্রয়োগ)
স্নায়ুটিস্যু খ পেশিটিস্যু
গ যোজক টিস্যু ঘ আবরণী টিস্যু
১৪৪. দুর্গন্ধের অনুভূতি জাগায় কোনটি? (প্রয়োগ)
স্নায়ুতন্ত্র খ নাক
গ মস্তিষ্ক ঘ কান
১৪৫. নিচের কোনটি প্রতিবর্তী কার্যধারা? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মস্তিষ্ক সুষুম্না কাণ্ড পেশি
গ্রাহক অঙ্গ সুষুম্না কাণ্ড পেশি
গ পেশি সুষুম্না কাণ্ড গ্রাহক অঙ্গ
ঘ পেশি গ্রাহক অঙ্গ মস্তিষ্ক
১৪৬. দেহের কোন কোষ সৃষ্টির পর বিভাজিত হয় না? (অনুধাবন)
ক দেহকোষ খ প্যারেনকাইমা কোষ
স্নায়ুকোষ ঘ পেশি কোষ
১৪৭. প্রাণীদেহে সব চাইতে দীর্ঘ কোষ কোনটি? (অনুধাবন)
নিউরন খ লিম্ফোসাইট
গ জইঈ ঘ পেশিকোষ
১৪৮. সেরিবেলামের মুখ্য কাজ কী? (অনুধাবন)
ক দর্শন খ শ্রবণ
ভারসাম্য রক্ষা ঘ জ্ঞান
১৪৯. একটি নিউরনের অ্যাক্সন ও পরবর্তী নিউরনের ডেনড্রনের সংযোগস্থলকে কী বলে? (অনুধাবন)
সিন্যাপস খ র্যানভিয়ারের পর্ব
গ টেনডন ঘ কোষদেহ
১৫০. স্নায়ুকোষের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
ক নেফ্রন খ অ্যাক্সন
নিউরন ঘ মায়োব্লাস্ট
১৫১. নিউরনের দীর্ঘ আবরণযুক্ত প্রলম্বিত অংশকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ডেনড্রন খ তন্তু
অ্যাক্সন ঘ ডেনড্রাইট
১৫২. আগুনের সংস্পর্শে আসা মাত্রই মানুষ হাত সরিয়ে নেয় কেন? (অনুধাবন)
প্রতিবর্তী ক্রিয়ার কারণে খ পরাবর্ত ক্রিয়ার কারণে
গ আজ্ঞাবাহী স্নায়ুর কারণে ঘ স্নায়ুকোষ বিকল হয় বলে
১৫৩. চোখে প্রখর আলো পড়ামাত্রই চোখের পাতা বন্ধ হয় কেন? (অনুধাবন)
ক চোখের কর্নিয়ার প্রতিক্রিয়ার কারণে
খ স্নায়ুতাড়নার কারণে
প্রতিবর্তী ক্রিয়ার কারণে
ঘ অ্যাক্সন প্রদাহের কারণে
১৫৪. পনস্-এর নিম্নভাগ থেকে মেরুরজ্জুর উপরিভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত কোনটি? (অনুধাবন)
ক সেরিবেলাম খ হাইপোথ্যালামাস
গ থ্যালামাস মেডুলা
১৫৫. কোনটি থেকে উদ্ভূত স্নায়ুগুলো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চালনা করে? (প্রয়োগ)
ক স্নায়ু কাণ্ড খ করোটি
গ স্নায়ুমজ্জা মেরুরজ্জু
১৫৬. কোনটির কার্যকারিতার ওপর মস্তিষ্ক ও মেরুরজ্জুর কোনো প্রভাব নেই? (অনুধাবন)
ক কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র খ পার্শ্বীয় স্নায়ুতন্ত্র
গ ঐচ্ছিক পেশি স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৭. স্নায়ুতন্ত্রের কাজের মধ্যে পড়ে Ñ
র. ক্ষতস্থান পূরণ
রর. বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয়
ররর. দেহে উদ্দীপনা বহন
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৮. স্নায়ুকলার কাজ হলো Ñ
র. স্মৃতি ধারণ করা
রর. অনুভব ও চিন্তায় সহায়তা করা
ররর. বিভিন্ন অঙ্গের কাজ নিয়ন্ত্রণ করা
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৫৯. মেরুরজ্জুতে
র. শ্বেতপদার্থ থাকে বাইরে
রর. নিউরন থাকে মাঝে
ররর. ধূসর পদার্থ থাকে ভিতরে
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬০. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে রয়েছে
র. মস্তিষ্ক
রর. সুষুম্না কাণ্ড
ররর. করোটিক স্নায়ু
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬১. সেরিব্রামের কর্টেক্স
র. অসংখ্য নিউরন দ্বারা গঠিত
রর. মেনিনজেসের ভেতরের অংশ
ররর. ধূসর বর্ণের
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৬২. মস্তিষ্কের বাইরের দিকে থাকে
র. হোয়াইট ম্যাটার
রর. গ্রে ম্যাটার
ররর. স্নায়ুকোষ
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৩. প্রতিবর্তী ক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয়
র. স্নায়ু দ্বারা
রর. সুষম্না কাণ্ড দ্বারা
ররর. মস্তিষ্ক দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৪. মায়োলিন
র. ডেনড্রাইট ও অ্যাক্সনের মধ্যবর্তী স্তর
রর. স্নেহ পদার্থের একটি স্তর
ররর. নিউরিলেমা ও অ্যাক্সনের মধ্যবর্তী স্তর
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর
রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৫. মস্তিষ্ক থেকে বের হওয়া করোটিক স্নায়ুগুলোর প্রকৃতি-
র. সংবেদী
রর. মোটর
ররর. মিশ্র
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৬৬. মস্তিষ্কের যে অংশে প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস কেন্দ্র অবস্থিত সেটি হলো
র. পনস
রর. মেডুলা অবলংগাটা
ররর. মেডুলার করোটিক স্নায়ু
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৭. স্নায়ু টিস্যুর বৈশিষ্ট্য Ñ
র. এটা ভ্রƒণীয় এক্টোডার্মজাত
রর. নিউরন স্নায়ুতন্ত্রের গাঠনিক একক
ররর. এটি শাখান্বিত ও আড়াআড়ি দাগযুক্ত
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৮. নিউরনের কাজ Ñ
র. উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রতিবেদন সৃষ্টি করা
রর. প্যারালাইসিস রোধ করা
ররর. দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৯. স্নায়ুতন্ত্রের অংশ হলো Ñ
র. মস্তিষ্ক
রর. করোটিকা
ররর. ব্রঙ্কাস
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭০. করোটিক স্নায়ু নিয়ন্ত্রণ করে-
র. হৃৎপিণ্ডের কাজ
রর. হাত, পা সঞ্চালন
ররর. পাকস্থলির কাজ
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭১. স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র পরিচালনা করে-
র. পেশির সঞ্চালন
রর. অন্ত্র, পাকস্থলির কাজ
ররর. পাকস্থলি, অগ্ন্যাশয়ের কাজ
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭২. সেরিবেলামে থাকে
র. বাইরের দিকে ধূসর পদার্থ
রর. ভেতরের দিকে শ্বেতপদার্থ
ররর. বাইরের দিকে লোহিত পদার্থ
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৩. নিউরনের প্রলম্বিত অংশ-
র. কোষদেহ
রর. ডেনড্রাইট
ররর. অ্যাক্সন
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৪. অগ্র মস্তিষ্কের অংশÑ
র. কর্টেক্স
রর. সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার
ররর. সেরিবেলাম
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৫. মেরুরজ্জুর বৈশিষ্ট্য হলোÑ
র. শ্বেতপদার্থ ও ধূসর পদার্থ থাকে
রর. উপরিভাগ ঢেউতোলা
ররর. শ্বেতপদার্থের অবস্থান বাইরে
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখ এবং ১৭৬১৭৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১৭৬. চিত্রের অ অংশটির নাম কী? (অনুধাবন)
ডেনড্রাইট খ অ্যাক্সন
গ নিউরিলেমা ঘ মায়োলিন
১৭৭. চিত্রের ই অংশটির আবরণ অবিচ্ছিন্ন নয় কারণ এর গাত্রে থাকে- (প্রয়োগ)
ক মায়োলিন ছাড়া পর্দা র্যানভিয়ারের পর্ব
গ হেনলি-র লুপ ঘ অ্যাক্সলেমা
১৭৮. বাইরের উদ্দীপনার স্নায়ুতাড়না-
র. অ গ্রহণ করে
রর. ই বাহিত করে
ররর. ঈ গ্রহণ করে
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
হরমোন ও প্রাণরস বা হরমোনজনিত অস্বাভাবিকতা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭৯. নালিবিহীন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত পদার্থকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক এনজাইম হরমোন গ ফেরোমন ঘ উৎসেচক
১৮০. মানবদেহে হরমোন উৎপাদনকারী প্রধান গ্রন্থি কোনটি? (জ্ঞান)
ক পিনিয়াল খ থাইরয়েড পিটুইটারি ঘ থাইমাস
১৮১. কোন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি? (জ্ঞান)
পিটুইটারি খ থাইমাস
গ থাইরয়েড ঘ পিনিয়াল
১৮২. আকারে সবচেয়ে ক্ষুদ্র গ্রন্থিটির নাম কী? (জ্ঞান)
ক থাইরয়েড খ গোনাড
গ এডরেনাল পিটুইটারি
১৮৩. কোন গ্রন্থিটি ট্রাকিয়ার উপরের অংশে অবস্থিত? (অনুধাবন)
ক পিটুইটারি থাইরয়েড
গ থাইমাস ঘ গোনাড
১৮৪. আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস মানব বিপাকে কী নিয়ন্ত্রণ করে? (অনুধাবন)
ক প্রোটিন খ লিপিড
শর্করা ঘ প্রোটিন ও শর্করা
১৮৫. ইনসুলিনের অভাবজনিত রোগ কোনটি? (অনুধাবন)
ক রাতকানা খ গলগণ্ড
গ রিকেট ডায়াবেটিস মেলিটাস
১৮৬. অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি মানবদেহের কোথায় অবস্থান করে? (অনুধাবন)
বৃক্কের উপরে খ বৃক্কের পাশে
গ বৃক্কের নিচে ঘ মস্তিষ্কে
১৮৭. অ্যাড্রিনাল অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১টি ২টি
গ ৩টি ঘ ৪টি
১৮৮. পিটুইটারি গ্রন্থি কোন হরমোন নিঃসরণ করে? (অনুধাবন)
ক অ্যাড্রিনালিন খ গ্লুকাগন
গোনাডোট্রপিক ঘ ইনসুলিন
১৮৯. আইলেটস্ অফ ল্যাংগারহ্যানস থেকে নিচের কোনটি নিঃসৃত হয়? (অনুধাবন)
ক এডরেনোকর্টিকোট্রপিন খ টেস্টোস্টেরন
গ ইস্ট্রোজেন ইনসুলিন
১৯০. পরিণত বয়সের লক্ষণসমূহ বিকশিত করতে ভূমিকা রাখে কোন গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন? (অনুধাবন)
ক থাইমাস গ্রন্থি খ পিটুইটারি গ্রন্থি
গ পিনিয়াল গ্রন্থি গোনাড গ্রন্থি
১৯১. জনন অঙ্গের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক প্যারাথাইরক্সিন খ থাইরক্সিন
ইস্ট্রোজেন ঘ অ্যাডরেনালিন
১৯২. নিচের কোনটি আয়োডিনের অন্যতম প্রধান উৎস? (অনুধাবন)
ক পুকুরের মাছ সামুদ্রিক মাছ
গ গরুর মাংস ঘ মুরগির মাংস
১৯৩. গলগণ্ড রোগের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
গয়টার খ রয়টার
গ এপিলেপসি ঘ পারকিনসন
১৯৪. প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ বের হলে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক এপিলেপসি খ পারকিনসন
ডায়াবেটিস মেলিটাস ঘ গয়টার
১৯৫. কাদের ডায়াবেটিস হয়? (অনুধাবন)
ক বয়স্কদের খ শিশুদের
গ যুবক-যুবতীদের ছোট-বড় সবার
১৯৬. মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক প্যারালাইসিস স্ট্রোক
গ পারকিনসন ঘ এপিলেপসি
১৯৭. শরীরের কোনো অংশের মাংসপেশির কার্যাবলি নষ্ট হওয়াকে কী বলে? (জ্ঞান)
প্যারালাইসিস খ স্ট্রোক
গ বহুমূত্র ঘ এপিলেপসি
১৯৮. কোনটিকে মৃগী রোগ বলা হয়? (অনুধাবন)
ক প্যারালাইসিস খ পারকিনসন
গ এনসেফলাইটিস এপিলেপসি
১৯৯. কোন বয়সে মৃগী রোগের ব্যাপকতা বেশি দেখা যায়? (জ্ঞান)
ক ৩০ – ৫৩ বছর খ ২৫ – ৩০ বছর
গ ১০ – ২৫ বছর ৫ – ২০ বছর
২০০. পেশির নড়াচাড়ার সহায়তার জন্য স্নায়ুকোষ নিচের কোন নির্যাসটি তৈরি করে? (অনুধাবন)
ডোপামিন খ ফেরোমন
গ ভার্নালিন ঘ প্রোল্যাকটিন
২০১. নিকোটিন গ্রহণে কোনটির কার্যকারিতা নষ্ট হয়? (অনুধাবন)
ক ফুসফুস স্নায়ুকোষ
গ কিডনি ঘ গলবিল
২০২. বাংলাদেশে কত সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৬ সালে খ ১৯৮৩ সালে
গ ১৯৮৯ সালে ১৯৯০ সালে
২০৩. হরমোনকে রাসায়নিক দূত বলার কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এটি উদ্দীপনা সৃষ্টি করে
এটি ক্রিয়াস্থানে রাসায়নিক বার্তা বহন করে
গ এটি রাসায়নিক পদার্থ
ঘ এটি প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়
২০৪. অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা উভয় বৈশিষ্ট্যযুক্ত মিশ্রগ্রন্থি কোনটি? (প্রয়োগ)
ক যকৃৎ অগ্ন্যাশয়
গ প্যারাথাইরয়েড ঘ ডিম্বাশয়
২০৫. মানুষের শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি অবস্থান করে কোথায়? (অনুধাবন)
ক গলবিলের নিচে
খ প্যারাথাইরয়েডের দু’পাশে
গ অন্ননালির উপরে
ট্রাকিয়ার উপরের অংশে উভয়পাশে
২০৬. থাইরয়েড হরমোনের অতিমাত্রায় নিঃসরণের ফলে কোন রোগ সৃষ্টি হয়? (অনুধাবন)
ক অতিলম্বা হওয়া টক্সিক গলগণ্ড
গ ট্রক্সিন গলগণ্ড ঘ অধিক ঘাম
২০৭. থাইরক্সিন হরমোন কম নিঃসরণের ফলে মানবদেহে কোন রোগ সৃষ্টি হয়? (অনুধাবন)
ক অতিলম্বা হওয়া সরল গলগণ্ড
গ ট্রক্সিক গলগণ্ড ঘ অধিক ঘাম হওয়া
২০৮. আয়োডিনযুক্ত হরমোন কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ইস্ট্রোজেন খ ইনসুলিন
গ গোনাডোট্রপিন থাইরক্সিন
২০৯. প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি মানব শরীরে অবস্থান করে- (অনুধাবন)
ক ট্রাকিয়ার উপরে খ ট্রাকিয়ার পাশে
গ থাইরয়েড গ্রন্থির নিচে থাইরয়েড গ্রন্থির পেছনে
২১০. প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির নিঃসৃত হরমোন কোনটি? (অনুধাবন)
প্যারাথাইরক্সিন খ থাইরক্সিন
গ প্রোল্যাকটিন ঘ থাইমক্সিন বিপাক নিয়ন্ত্রণ
২১১. নিচের কোনটি প্যারাথাইরয়েড হরমোনের কাজ? (প্রয়োগ)
ক রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা হ্রাস
খ রক্তে ফসফরাসের মাত্রা বৃদ্ধি
দেহের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের বিপাক নিয়ন্ত্রণ
ঘ বৃক্কে ক্যালসিয়াম রেচন বৃদ্ধি
২১২. আইলেটস্ অব ল্যাংগারহ্যানস মানবদেহের কোথায় অবস্থিত? (অনুধাবন)
ক গলবিলে খ যকৃতে
অগ্ন্যাশয়ে ঘ লালাগ্রন্থিতে
২১৩. কোনগুলো সম্পূর্ণভাবে নালিবিহীন গ্রন্থির অর্ন্তগত? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অ্যাড্রিনাল, শুক্রাশয়, ডিম্বাশয়, যকৃত
খ অ্যাড্রিনাল, ডিম্বাশয়, শুক্রাশয়, লালাগ্রন্থি, যকৃত
পিটুইটারি, থাইরয়েড, অ্যাড্রিনাল, ডিম্বাশয়, শুক্রাশয়
ঘ পিটুইটারি, লালাগ্রন্থি, অ্যাড্রিনাল, ডিম্বাশয়, থাইরয়েড
২১৪. হরমোন কী ধরনের পদার্থ? (অনুধাবন)
ক রেচন পদার্থ খ উৎসেচক
রাসায়নিক দূত ঘ গ্রন্থি নিঃসৃত পদার্থ
২১৫. কোন হরমোনটি মানসিক চাপ থেকে পরিত্রাণে সাহায্য করে? (অনুধাবন)
ক থাইরক্সিন অ্যাড্রিনালিন
গ ইনসুলিন ঘ গ্লুকাগন
২১৬. গোনাডোট্রপিক হরমোন নিঃসৃত হয় কোন গ্রন্থি থেকে? (জ্ঞান)
ক অ্যাড্রিনাল থেকে খ থাইরয়েড থেকে
পিটুইটারি থেকে ঘ শুক্রাশয় থেকে
২১৭. থাইরক্সিন কী? (অনুধাবন)
ক থাইসাম গ্রন্থির কোষ
খ প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির সঞ্চিত পদার্থ
থাইরয়েড গ্রন্থির নিঃসৃত পদার্থ
ঘ থাইরয়েড গ্রন্থির রেচন পদার্থ
২১৮. কোনটিকে প্রতিরোধ করার জন্য খাবার লবণের সাথে আয়োডিন মেশানো হয়? (প্রয়োগ)
ক স্কার্ভি খ রাতকানা
গলগণ্ড ঘ রিকেট
২১৯. প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যার কারণে দেহে কোনটি বিপাকে সমস্যা হয়? (অনুধাবন)
ক সোডিয়াম খ পটাসিয়াম
ক্যালসিয়াম ঘ আয়োডিন
২২০. যে গ্রন্থি ক্যালসিয়াম বিপাকের জন্য দায়ী কোনটি? (জ্ঞান)
ক থাইরয়েড খ থাইমাস
গ অ্যাড্রিনাল প্যারাথাইরয়েড
২২১. কোন হরমোনের কারণে দেহে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়ে? (প্রয়োগ)
ক গ্লুকাগন প্যারাথাইরক্সিন
গ থাইমক্সিন ঘ থাইরক্সিন
২২২.
উপরের চিত্রে প্রদর্শিত নিউরনের অ অংশকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক অ্যাক্সন খ কোষদেহ
গ সারকোলেমা ডেনড্রাইট
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২৩. এডরেনাল গ্রন্থির কাজ-
র. অত্যাবশ্যকীয় বিপাক নিয়ন্ত্রণ
রর. কঠিন মানসিক চাপ থেকে পরিত্রাণ
ররর. এডরেনালিন হরমোন নিঃসরণ
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২৪. গোনাড গ্রন্থির ক্ষেত্রে-
র. যৌন আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে
রর. পরিণত পুরুষে টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ করে
ররর. পরিণত স্ত্রীতে ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ করে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২৫. অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন-
র. ইনসুলিন
রর. গ্লুকাগন
ররর. প্রোল্যাকটিন
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখ এবং ২২৬ ও ২২৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
২২৬. মানবদেহে ই চিহ্নিত অংশটি একটি গ্রন্থি। এটির নাম কী? (অনুধাবন)
ক লালাগ্রন্থি থাইরয়েড
গ প্যারাথাইরয়েড ঘ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি
২২৭. অ ও ই চিহ্নিত অংশগুলো মানবদেহে বিশেষ ধরনের গ্রন্থি। এ গ্রন্থিদ্বয়
র. পিটুইটারি ও এর নিঃসৃত রসকে বলে হরমোন
রর. লালা গ্রন্থি ও এর নিঃসৃত রসকে বলে হরমোন
ররর. থাইরয়েড ও এর নিঃসৃত রসকে বলে থাইরক্সিন
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর খ রর ও ররর র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
স্ট্রোক ও স্নায়ুবিক বৈকল্যজনিত শারীরিক সমস্যা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২৮. মাংসপেশীর কার্যাবলি নষ্ট হওয়াকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক পারকিনসন খ স্ট্রোক
প্যারালাইসিস ঘ থ্রোম্বোসিস
২২৯. স্ট্রোক হওয়ার লক্ষণ কোনটি? (অনুধাবন)
ক জ্বর আসা ঘাড় শক্ত হওয়া
গ ঘাড় নরম হওয়া ঘ নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যাওয়া
২৩০. মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক প্যারালাইসিস স্ট্রোক
গ পারকিনসন ঘ এপিলেপসি
২৩১. মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ হওয়ার লক্ষণ কোনটি? (প্রয়োগ)
ক মাংসপেশি শিথিল হওয়া খ ঘাড় নরম হওয়া
গ শ্বসন দ্রুত হওয়া নাড়ির স্পন্দন দ্রুত হওয়া
২৩২. এপিলেপসি রোগের আর এক নাম কী? (জ্ঞান)
ক প্যারালাইসিস খ স্ট্রোক
মৃগী ঘ খিঁচুনি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩৩. ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে-
র. স্থূলকায় ব্যক্তিদের
রর. রোগীর সংস্পর্শে থাকলে
ররর. বাবা, মা, দাদা, দাদির এ রোগ থাকলে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৪. স্ট্রোকের সময়-
র. নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যায়
রর. প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়
ররর. মাংসপেশি শিথিল হয়ে যায়
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৫. প্যারালাইসিসের কারণ-
র. স্নায়ুরোগ
রর. স্ট্রোক
ররর. সুষুম্নাদণ্ডের ক্ষয় ও রোগ
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৩৬. মাদকাসক্ত হওয়ার কারণ –
র. নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন
রর. সহজ আনন্দ লাভ
ররর. পরিবারে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৩৭ ও ২৩৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মরিয়মের নানার বয়স প্রায় ৭০। ইদানীং তিনি ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না, হাত ও পা কাঁপে। লেখালেখি এখন তার জন্য অসম্ভব। ডাক্তার বলেছেন, তার শরীর ডোপামিনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
২৩৭. মরিয়মের নানার হাত ও পা কাঁপার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক এপিলেপসি খ প্যারালাইসিস
পারকিনসন ঘ ডায়াবেটিস
২৩৮. উদ্দীপকে উল্লিখিত রোগটি-
র. পরিপাকতন্ত্রের রোগ
রর. মাংসপেশির কার্যকারিতা কমায়
ররর. বয়স বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৩৯ ও ২৪০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মঞ্জু তার মামাকে প্রতিদিন পায়ে এক ধরনের ইনজেকশন নিতে দেখে একদিন সে জিজ্ঞাসা করল, এই ইনজেকশন কেন তিনি নেন? তার মামা বললেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য তাকে নিয়মিত এই ইনজেকশনটি নিতে হয়।
২৩৯. উদ্দীপকে মঞ্জুর মামার গ্রহণ করা ইনজেকশনটি আসলে কী? (অনুধাবন)
ক থাইরক্সিন খ গ্লুকোজ
গ আয়োডিন ইনসুলিন
২৪০. উক্ত রোগকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আবশ্যক-
র. খাদ্য নিয়ন্ত্রণ
রর. শৃঙ্খলা
ররর. নিয়মিত ওষুধ সেবন
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৪১. নিচের কোনটি দেহের মসৃণ পেশির কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে?
ক মস্তিষ্ক খ সুষুষ্মাকাণ্ড
গ করোটিক স্নায়ু স্বয়ংক্রিয় স্নায়ু
২৪২. কোন গ্রন্থির হরমোন তৈরিতে কোলেস্টেরল ব্যবহৃত হয়?
ক পিটুইটারি খ থাইরয়েড
গ আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স অ্যাডরেনাল
২৪৩. মায়োলিনে কোনটি থাকে?
ক আমিষ স্নেহ
গ শর্করা ঘ ভিটামিন
২৪৪. সেরিব্রামের মাঝখানে খাঁজটি কী?
ক মেনিনজেস খ গ্রেম্যাটার
সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার ঘ ডোপামিন
২৪৫. স্বয়ংক্রিয় স্নায়ু দ্বারা পরিচালিত হয় কোনটি?
অগ্ন্যাশয় খ চোখ
গ হাতের পেশি ঘ জিহ্বা
২৪৬. কোনটি পস্টুলেটেড হরমোন?
ক অক্সিন খ ইথিলিন
ভার্নালিন ঘ অ্যাবসিসিক এসিড
২৪৭. শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি কোন হরমোনের প্রভাবে ঘটে?
ক অ্যাড্রিনালিন থাইরক্সিন
গ রিলাক্সিন ঘ টেস্টোস্টেরন
২৪৮. খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে কোনটি অনুমোদিতভাবে ব্যবহার করা হয়?
ক্যালসিয়াম এপারনেট খ হেভিমেটাল
গ সরবেট ঘ কার্বাইড
২৪৯. নিম্নের কোনটির কারণে ক্যাম্বিয়ামের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়?
ক ইথিলিন খ ভার্নালিন
গ অক্সিন ওঅঅ
২৫০. কোন কোষটি ভ্রƒণে পরিণত হয়?
ক সহকারী কোষ খ প্রতিপাদ কোষ
এপিক্যাল কোষ ঘ ভিত্তি কোষ
২৫১. কোন হরমোনটি গ্যাসীয় পদার্থ?
ক অক্সিন খ জিবেরেলিন
গ সাইটোকাইনিন ইথিলিন
২৫২. মস্তিষ্ক কয়টি অংশে বিভক্ত?
ক দুটি তিনটি
গ চারটি ঘ পাঁচটি
২৫৩. উদ্ভিদ দেহে প্রাপ্ত হরমোন কোনটি?
ক থাইমিন সাইটোকাইনিন
গ এ্যাডরেনালিন ঘ ইস্ট্রোজেন
২৫৪. কোনটিতে নিসল দানা দেখা যায়?
কোষদেহ খ ডেনড্রাইট
গ নিউরিলেমা ঘ র্যান ভিয়ারের পর্ব
২৫৫. উদ্ভিদ হরমোন অক্সিন এর নামকরণ করেন-
কোল ও স্নিট খ রবার্ট হুক
গ লিউয়েন হুক ঘ ক্যারোলাস লিনিয়াস
২৫৬. পারকিনসন রোগ কত বয়সের পরে হয়?
ক ৩০ খ ৪০
গ ৪৫ ৫০
২৫৭. কোন গ্রন্থির হরমোন তৈরিতে কোলেস্টেরোল ব্যবহৃত হয়?
ক থাইরয়েড খ প্যারাথাইরয়েড
এডরেনাল ঘ প্যারোটিড
২৫৮. কোন গ্রন্থি বয়োঃবৃদ্ধির সাথে সাথে ছোট হয়ে যায়?
ক থাইরয়েড থাইমাস
গ এডরেনাল ঘ পিটুইটারী
২৫৯. নিচের কোনটির অঙ্কুরোদগমে কার্যকারিতা রয়েছে?
ক ইথিলিন খ অ্যাবসিসিক এসিড
জিবেরেলিন ঘ অক্সিন
২৬০. উদ্ভিদে ফুল ফোটাতে সাহায্য করে কোনটি?
ক জিবেরেলিন খ সাইটোকাইনিন
গ ভার্নালিন ফ্লোরিজেন
২৬১. কোন তন্ত্রটি পেশিকে চালনা করে?
স্নায়ুতন্ত্র খ পেশিতন্ত্র
গ রেচনতন্ত্র ঘ রক্তসংবহনতন্ত্র
২৬২. ডায়টম শৈবালে কোন ধরনের চলন পরিলক্ষিত হয়?
সামগ্রিক চলন খ বক্র চলন
গ সরল চলন ঘ ফটোপ্রপিক চলন
২৬৩. পিঁপড়া খাদ্যের খোঁজ পেলে খাদ্য উৎসে থেকে বাসায় আসার পথে কী নিঃসৃত করে?
ক অক্সিন খ জিবেরোলিন
ফেরোমন ঘ ফ্লোরিজেন
২৬৪. ব্যথা অনুভূত হওয়ার জন্য দায়ী কোষগুলো-
র. যেকোনো অংশের উদ্দীপনা গ্রহণ করে
রর. চলাচলে সহায়তা করে
ররর. মস্তিষ্কের বার্তা শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬৫. ডায়াবেটিস রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা না করা হলে-
র. রোগীর শ্বসন হার কমে যায়
রর. রোগী বেহুশ হয়ে পড়তে পারে
ররর. রোগীর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ হ্রাস পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬৬. অক্সিন-এর প্রভাবে-
র. অভিস্রবণ ও শ্বসন ক্রিয়ার হার বাড়ে
রর. শ্বসন ক্রিয়ার হার কমে
ররর. বীজহীন ফল উৎপাদন করা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও ররর খ রর ও ররর গ র, রর ও ররর ঘ রর
২৬৭. প্রতিবর্তী ক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য হলো-
র. এটি মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়
রর. সুষুম্না কাণ্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়
ররর. আমরা ইচ্ছা করলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬৮. পারকিনসন রোগের চিকিৎসা-
র. ইনসুলিন গ্রহণ
রর. ফিজিওথেরাপি গ্রহণ
ররর. পরিমিত খাদ্য গ্রহণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের ছকটি পড় এবং ২৬৯ ও ২৭০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অ থাইমাস
ই এডরেনাল
ঈ পিটুইটারি
উ থাইরয়েড
২৬৯. কঠিন মানসিক চাপ পরিত্রাণে সাহায্য করে কোনটি?
ক অ ই
গ ঈ ঘ উ
২৭০. ছকের গ্রন্থিগুলোর
র. অ জনন অঙ্গের বৃদ্ধি করে
রর. ঈ মস্তিষ্কের নিচে অবস্থিত
ররর. উ ট্রাকিয়ার উপরে অবস্থিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৭১ ও ২৭২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
লাল পিঁপড়ার বিশাল বাহিনী সারিবদ্ধভাবে খাবার নিয়ে বাসায় ফিরছে।
২৭১. কাজটি সম্পাদনের জন্য নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে উক্ত প্রাণী কী ব্যবহার করে?
ক মেলানিন ফেরোমেন
গ ভার্নালিন ঘ ইথিলিন
২৭২. সমন্বয় সাধনে উল্লিখিত প্রাণির ব্যবহৃত উপাদানটি কৃষি উন্নয়নেও কার্যকর। কারণ-
র. এটি ব্যবহারে ক্ষতিকর পোকা দমন করা যায়
রর. বালাইনাশক এর ব্যবহার কমানো যায়
ররর. এটি পরিবেশবান্ধব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৭৩ ও ২৭৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহিমের বাবা বহুমূত্র রোগী। চিকিৎসক তাকে নিয়মিত ইনসুলিন গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
২৭৩. রহিমের বাবার ডায়বেটিস কোন ধরনের?
টাইপ-১ খ টাইপ-২
গ টাইপ-৩ ঘ টাইপ-৪
২৭৪. ডায়াবেটিসের লক্ষণ-
র. প্রস্রাবে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়
রর. অধিক পিপাসা লাগা
ররর. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং ২৭৫ ও ২৭৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
২৭৫. চিত্রে উল্লিখিত ‘অ’ কী?
কোষদেহ খ প্রলম্বিত অংশ
গ ডেনড্রাইট ঘ অ্যাক্সন
২৭৬. নিউরিলেমা ও ই -এর মধ্যবর্তী অঞ্চলেÑ
র. অ্যাক্সলেমা থাকে
রর. মায়োলিন থাকে
ররর. স্নেহপদার্থের স্তর থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৭৭. টিস্যুকালচারে বিশেষ ধরনের কোষ বৃদ্ধিকারক পদার্থ-
র. থাইরক্সিন
রর. ইনডোল অ্যাসিটিক এসিড
ররর. অক্সিন
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৭৮. জিবেরেলিন Ñ
র. উদ্ভিদের পাকা বীজে থাকে
রর. মস্তিষ্কের নিচের অংশে অবস্থিত
ররর. একটি ছত্রাক থেকে সর্বপ্রথম নিষ্কাশন করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৭৯. অক্সিনের প্রভাবে-
র. অভিস্রবণ বৃদ্ধি পায়
রর. স্নায়ুতাড়না প্রবাহিত হয়
ররর. শ্বসনের হার বৃদ্ধি পায়
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮০. ধানের ব্যাকানি রোগটি-
র. আয়োডিনজনিত রোগ
রর. ছত্রাকজনিত রোগ
ররর. থাইমাসের অভাবে হয়
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮১. অভিকর্ষের উদ্দীপনা অনুভব করতে পারে-
র. ভ্রƒণমূলের অগ্রভাগ
রর. ভ্রƒণকাণ্ডের অগ্রভাগ
ররর. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮২. অৎঃযৎড়ঢ়ড়ফধ পর্বের প্রাণীর নিঃসৃত হরমোন –
র. ফ্লোরিজেন
রর. ফেরোমন
ররর. অক্সিন
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র রর গ ররর ঘ র ও ররর
২৮৩. মানুষের দর্শন, শ্রবণ ও চলাফেরার ক্রিয়াকেন্দ্র
র. ওঅঅ
রর. সেরিব্রাম
ররর. সেরিবেলাম
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮৪. প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলতে বোঝায়
র. উদ্দীপনার আকস্মিকতা
রর. ফটোট্রপিজম
ররর. স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮৫. সেরিবেলামের কাজ হলো-
র. পেশির টান নিয়ন্ত্রণ করা
রর. দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা
ররর. ক্যাম্বিয়ামের কার্যকারিতা বাড়ায়
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮৬. প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির কাজ-
র. স্নায়ুতাড়না বহন করা
রর. প্যারাথাইরক্সিন হরমোন নিঃসরণ
ররর. ক্যালসিয়াম বিপাক নিয়ন্ত্রণ
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮৭. পিটুইটারি গ্রন্থির হরমোনগুলো হলোÑ
র. বৃদ্ধি উদ্দীপক হরমোন
রর. অ্যাড্রিনাল হরমোন
ররর. স্নায়ুতাড়নায়
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৮৮ ও ২৮৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রমার কক্ষে জানালার কাছে টবের মধ্যে লাগানো মানিপ্লান্ট গাছটি দ্রুত বাড়ায় এর লতাগুলো জানালার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। প্রমা হাত দিয়ে এগুলোকে কক্ষের ভেতর দিকে এনে দিলেও এরা আবার জানালার দিকে ধাবিত হয়।
২৮৮. প্রমার গাছটি কিসের উদ্দীপনায় জানালার দিকে ধাবিত হয়? (প্রয়োগ)
ক হরমোনের খ নিউরনের আলোর ঘ গ্লুকোজের
২৮৯. প্রমার গাছটির এ ধরনের চলনকে বলে-
র. বক্র চলন
রর. প্রতিবর্তী ক্রিয়া
ররর. ফটোট্রপিক চলন
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ রর ও ররর র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৯০ ও ২৯১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহমত ফল পাকানোর জন্য এক ধরনের গ্যাসীয় পদার্থ ব্যবহার করেন। গ্যাসীয় এই পদার্থটি ফল পাকাতে সাহায্য করা ছাড়াও পাতা, ফুল ও ফলের ঝরেপড়া ত্বরান্বিত করে।
২৯০. উল্লিখিত পদার্থটির নাম কী? (প্রয়োগ)
ক ঞঝঐ খ অক্সিন ইথিলিন ঘ ইনসুলিন
২৯১. উক্ত পদার্থটি-
র. ফুল ও ফলের ঝরে পড়া ত্বরান্বিত করে
রর. গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে
ররর. চারাগাছের বৃদ্ধি ঘটায়
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৯২ ও ২৯৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিক্ষক ক্লাসে শ্রুতিলিপি দিচ্ছেন এবং ছাত্ররা লিখছে।
২৯২. উদ্দীপকে উল্লিখিত শ্রুতিলিপি ছাত্রদের কানে কীভাবে পৌঁছায়? (প্রয়োগ)
তরঙ্গাকারে খ হরমোন আকারে
গ চক্রচলনের মাধ্যমে ঘ ফটোট্রপিক প্রক্রিয়ায়
২৯৩. এক্ষেত্রে প্রধান সাড়া অঙ্গ-
র. শিক্ষকের কথা বলার পেশি
রর. ছাত্রদের হাতের পেশি
ররর. পিটুইটারি গ্রন্থি
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৯৪ ও ২৯৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
হাইপার গ্লাইসেমিয়া গ্লুকোসিয়া উপসর্গ দেখা দিলে তাকে ডায়াবেটিস বলে। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে এ ধরনের রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
২৯৪. অনুচ্ছেদের প্রথমে উল্লিখিত ক্ষেত্রে কী হয়? (প্রয়োগ)
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়
খ গলগণ্ড রোগ হয়
গ মুখমণ্ডল লাল বর্ণ ধারণ করে
ঘ দেহের ভারসাম্য নষ্ট হয়
২৯৫. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত রোগের দ্বিতীয় উপসর্গের ক্ষেত্রেÑ
র. মূত্রের সাথে গ্লুকোজ বের হয়
রর. অগ্ন্যাশয় হরমোন নিঃসরণে ব্যর্থ হয়
ররর. রোগীর রক্তে গ্লুকোজের থ্রেসহোল্ডমান অতিক্রান্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর