নবম-দশম শ্রেনী-২০২৩ বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃ আম-আঁটির ভেঁপু সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
আম-আঁটির ভেঁপু
লেখক পরিচিতি :
নাম | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। |
জন্ম পরিচয় | জন্ম সাল : ১৮৯৪। জন্মস্থান : ক ব্বিশ পরগনার মুরারিপুর গ্রাম। |
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় | পিতার নাম : মহানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতার নাম : মৃণালিনী দেবী। |
শিক্ষা | স্থানীয় বনগ্রাম স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। কলকাতা রিপন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন এবং ডিস্টিংশনে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। |
পেশা | হুগলি, কলকাতা ও ব্যারাকপুরের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। |
সাহিত্যিক পরিচয় | শরৎচন্দ্রের পরে বাংলা কথাসাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাপনের অসাধারণ আলেখ্য নির্মাণ করে অমর হয়ে আছেন। |
উলেস্নখযোগ্য রচনা | উপন্যাস : পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ্যক, ইছামতি, দৃষ্টিপ্রদীপ। গল্পগ্রন্থ : মেঘমলস্নার, মৌরীফুল, যাত্রাবদল। |
পুরস্কার | ‘ইছামতি’ উপন্যাসের জন্য ১৯৫১ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন। |
মৃত্যু | ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ঘাটশীলায়। |
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
২নং. মকবুল, আবুল, সুরত সবাই বেশ পরিশ্রমী। নিজেদের জমি না থাকায় অন্যের জমি বর্গাচাষ করে, লাকড়ি কাটে, মাঝিগিরি করে, কখনো কখনো অন্যের বাড়িতে কামলা খেটে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের স্ত্রীরাও বসে নেই। ভাগ্যের উন্নতির জন্য পাতা দিয়ে পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় মরিচ, লাউ, কুমড়া ফলায়, বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। কোনোরকমে জীবন চলে যাচ্ছে তাদের।
ক. দুর্গার বয়স কত? ১
খ. বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হলোনা কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
দুর্গার বয়স দশ-এগারো বছর।
১ এর খ নং প্র. উ.
বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হতে পারল না আত্মসম্মানবোধ ও পাওনাদারদের ভয়ে এসে বলত টাকা দাও, নৈলে যেতে দেব না।
মাসিক ৮ টাকা মাইনের গোমস্তার কাজ করে হরিহর। সামান্য ভিটে বাড়িটি ছাড়া আর কিছুই নেই হরিহরের। দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছে সে। ধার শোধ দিতে পারছে না। তাই বামুন হয়ে বসবাসের প্রস্তাবটি তার জন্য সোনায় সোহাগা হলেও সে তা তখনই গ্রহণ করতে পারেনি পাওনাদারদের ভয়ে। তার ভয় পাওনাদাররা খবর পেলে হট্টগোল বাধিয়ে দেবে। তাছাড়া সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলে তার মর্যাদারও হানি ঘটত বলে সে মনে করেছে।
১ এর গ নং প্র. উ.
উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের নিম্নবিত্ত পরিবারের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার চিত্রটি ফুটে উঠেছে।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে মূলত গ্রামীণজীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের আনন্দিত জীবনের ঘটনাবলি বর্ণিত হয়েছে। অপু ও দুর্গা দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও গল্পে দারিদ্র্যের সেই কষ্ট প্রধান হয়ে ওঠেনি। গ্রামের ফলমূল আহারের আনন্দ, শিশুর দুরন্তপনা, বিস্ময় ও কৌতূহল আমাদের চিরায়ত গ্রামীণ শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। দরিদ্র গৃহিণী সর্বজয়ার সংসার নিয়ে ব্যতিব্য¯ত্মতা, হাড়ভাঙা খাটুনি, দুগ্ধ দোহন, সন্তানদের সাথে চেঁচামেচি ইত্যাদি একেবারেই গ্রামীণজীবনের প্রতিচ্ছবি।
উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে গ্রামের নিম্নবিত্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি। মকবুল, আবুল, সুরত আলী পরিশ্রমী মানুষ। সবাই জীবনসংগ্রামে ব্য¯ত্ম। তাদের নিজের জমি নেই, অন্যের জমি বর্গা চাষ করে। লাকড়ি কেটে, মাঝিগিরি করে, কখনো কামলা খেটে তারা অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে। বসে নেই তাদের স্ত্রীরাও। পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় মরিচ, লাউ, কুমড়া ফলায়, বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে কোনোমতে দিন পার করে। উদ্দীপকে তাই ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে উল্লিখিত হরিহর ও সর্বজয়ার জীবনযাপনের চিত্রই যেন ফুটে উঠেছে। উভয় স্থানেই নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনসংগ্রাম আমরা লক্ষ করি।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে আংশিকভাবে ধারণ করে।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অপরাপর সাহিত্যকর্মের মতোই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবন-যাপনের অসাধারণ আলেখ্য নির্মাণ করেছেন। গল্পের অধিকাংশ জুড়ে আছে ছোট দুটি ভাই-বোনের দুরন্তপনা আর তাদের মধ্যকার খুনসুঁটি। আমের কুসি খাওয়াসহ নানা প্রকার দুষ্টুমি করে মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়েই। অন্যদিকে গৃহিণী সর্বজয়া সংসারের নানা কাজে ব্য¯ত্ম সময় পার করে। সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে হরিহর।
উদ্দীপকে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে কর্মব্য¯ত্ম নর-নারীর জীবনচিত্র বর্ণনা করা হয়েছে। মকবুল, আবুল, সুরত সকলেই পরিশ্রমী। নানা কাজ করে জীবন ধারণ করে। তাদের স্ত্রীরাও একটু উন্নতির আশায় পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় সবজি ফলায়, শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। উদ্দীপকে তাই বর্ণিত হয়েছে এদের জীবন-জীবিকার সংগ্রাম, যা ‘আমা-আঁটির ভেঁপু’ গল্পেও লক্ষণীয়।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূল বিষয়ই হলো প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাইবোনের কাহিনি। তাদের দুরন্তপনার বর্ণনা তুলে ধরতে গিয়ে গ্রামীনজীবনের চিত্রও উঠে এসেছে। কিন্তু উদ্দীপকে মূলত গ্রামীণ সমাজের জীবনচিত্রটিই তুলে ধরা হয়েছে, যা কেবল ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের একটি দিককে ধারণ করে। শৈশবের উদ্দামতার বিষয়টি উদ্দীপকে উপেক্ষতিই থেকে গেছে। তাই উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সম্পূর্ণ মূলভাবকে ধারণ করতে পারে নি।
২নং.প্রকাণ্ড একটা ঢাউস ঘুড়ি লইয়া বোঁ বোঁ শব্দে উড়াইয়া বেড়াইবার সেই মাঠ, ‘তাইরে নাইরে নাইরে না’ করিয়া উচ্চঃস্বরে স্বরচিত রাগিনী আলাপ করিয়া অকর্মণ্যভাবে ঘুরিয়া বেড়াইবার সেই নদী তীর, দিনের মধ্যে যখন-তখন ঝাঁপ দিয়া পড়িয়া সাঁতার কাটিবার সেই সংকীর্ণ স্রোতস্বীনী চিত্তকে চঞ্চল করিত।
ক. হরিহর কাজ সেরে কখন বাড়ি ফিরল? ১
খ. দিদির কথায় নুন ও তেল আনতে অপু দ্বিধা করছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন দিকের ইঙ্গিত লক্ষণীয়? ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্রতা স্পর্শ করেছে কি? তোমার মতামত যাচাই করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. হরিহর কাজ সেরে দুপুরের কিছু পরে বাড়ি ফিরল।
খ. মায়ের ভয়ে অপু দিদির কথায় নুন ও তেল আনতে দ্বিধা করছিল।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে অপু ও দুর্গা পল্লির প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের এক অপরূপ দৃষ্টান্ত। তারা মাকে ভয় করে। কোনো দোষ-ত্রম্নটি করলে মা শাসন করবে- এই ভয় দুর্গার পাশাপাশি অপুর মনেও ছিল। তাছাড়া গোসল না করে নুন, তেলের ভাঁড় ছুলে অমঙ্গল হবে বলে বাসি কাপড়ে তা ছোঁয়া নিষেধ ছিল। অপু বাসি কাপড় পরে থাকায় মায়ের ভয়ে নুন তেল আনতে দ্বিধা করছিল।
গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে বর্ণিত দুর্গা ও অপুর শৈশবের চঞ্চলতার ইঙ্গিত লক্ষণীয়।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাইবোনের আখ্যান রচিত হয়েছে। গল্পে দুর্গা ও অপু মানুষের শাশ্বত শৈশবের প্রতিনিধি। তাদের শিশুসুলভ কৌতূহল ও বিস্ময়, গ্রামীণজীবনের প্রকৃতি সান্নিধ্যতা পাঠকের মনে শৈশব স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়।
উদ্দীপকে মানুষের শৈশব চঞ্চলতার দিকটি লক্ষণীয়। শৈশবকালে গ্রামীণজীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠতা মানুষকে চঞ্চল করে তোলে। মাঠে ঘুড়ি ওড়ানো, নদীর তীরে ছুটে বেড়ানো, নদীর জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোসল করা এসব চঞ্চলতার প্রকাশ ঘটে মানুষের শৈশবেই। উদ্দীপকে এমনই এক চমৎকার সময়ের উলেস্নখ রয়েছে, যা ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের অপু ও দুর্গার শৈশবের আনন্দমুখরতাকেই ইঙ্গিত করে।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের খণ্ডিত ভাবের ধারক।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে গ্রামীণজীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাইবোনের আনন্দঘন জীবনের আখ্যান রচিত হয়েছে। তাদের আনন্দের মাঝে পরিবারের দারিদ্র্য কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। এই দিকটির পাশাপাশি গল্পে সর্বজয়ার মাঝে শাশ্বত পল্লিমায়ের চরিত্র এবং গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের অভাবের দিকটি চিত্রিত হয়েছে।
উদ্দীপকে গ্রামীণ প্রকৃতিঘনিষ্ঠ আনন্দঘন দিনগুলোর স্মৃতি স্মরণ করা হয়েছে। গ্রামের প্রকৃতি যেমন মানুষকে আকর্ষণ করে তেমনি তা মানুষের মনকে চঞ্চলতায় ভরিয়ে দেয়। তাই গ্রামীণজীবনের মাঠ-ঘাট, নদী-নালার সান্নিধ্যে থাকলে মানুষ বিমোহিত হয়। উদ্দীপকে গ্রামীণজীবনের এই প্রকৃতিঘনিষ্ঠতার দিকটি বোঝানো হয়েছে। গ্রামের মাঠে ঘুড়ি ওড়ানো, নদীতে সাঁতার কাটা, বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো সবই গ্রামীণজীবনের প্রতিচ্ছবি।
উদ্দীপকে শুধু ‘আম-আঁটির ভেপু’ গল্পে বর্ণিত প্রকৃতিঘনিষ্ঠ জীবনের দিকটির ইঙ্গিত রয়েছে। গ্রামীণজীবনের মাঠ-ঘাট, বনবাদাড় সবকিছুই মানুষের মনে চঞ্চলতার সৃষ্টি করে। তাই প্রতিটি মানুষ এই প্রকৃতি থেকে পেতে চায় আনন্দ। যা গল্পে ও উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু গল্পে উল্লিখিত এই প্রকৃতিঘনিষ্ঠতা ছাড়া অন্য দিকগুলোর কোনো ইঙ্গিত উদ্দীপকে নেই। গল্পের চরিত্রগুলো দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে। সন্তানের জন্য মমতাময়ী মায়ের ভালোবাসার চিত্রও পাওয়া যায় এখানে। কিন্তু উদ্দীপকে এ ধরনের কোনো দিক উপস্থাপিত হয়নি। তাই উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্রতাকেও স্পর্শ করতে পারেনি।
৩নং.মমতার অভাবের সংসার। সে চৌধুরীবাড়িতে রান্নার কাজ করে। মমতার সংসারের অভাবের কথা জেনে গৃহকর্ত্রী মমতাকে সপরিবারে তাদের বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে ঐ বাড়িতে মর্যাদা কমে যাবে ভেবে মমতা এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।
ক. গরুর দুধ দোহন করতে এসেছিল কে? ১
খ. অপু দাঁত টকে যাওয়ার কথা বললে দুর্গা ইশারায় তাকে থামিয়ে দেয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মমতার সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের সাদৃশ্য রয়েছে কীভাবে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে ধারণ করে না।”- উক্তিটি যাচাই করো। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. গরুর দুধ দোহন করতে এসেছিল স্বর্ণ গোয়ালিনী।
খ. মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে দাঁত টকে যাওয়ার কথা বলার সময় দুর্গা ইশারায় অপুকে থামিয়ে দেয়।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে সর্বজয়া একটি শাশ্বত পল্লিমায়ের চরিত্র। তাকে অপু ও দুর্গা ভয় করে। কেননা তিনি ছেলেমেয়েকে শাসন করেন। দুর্গা ও অপু আম কুড়িয়ে এনে খেয়েছে এ কথা জানলে সর্বজয়া তাদের বকবেন। এই ভয়ে আম খেয়ে দাঁত টকে যাওয়ার কথা বলার সময় দুর্গা অপুকে ইশারায় নিষেধ করে থামিয়ে দেয়।
গ. আত্মসম্মানবোধ ধারণের দিক থেকে উদ্দীপকের মমতার সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে হরিহরের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে হরিহর একজন আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মানুষ। দরিদ্র হলেও নিজের সম্মানহানি যেন না হয় সে ব্যাপারে তিনি সচেতন। তাঁর সেই পরিচয় পাওয়া যায় দশঘরার মাতবরের প্রস্তাবের ব্যাপারে স্ত্রীর সাথে আলোচনার সময়। মাতবর ছোটলোক ভাববে মনে করে সপরিবারে দশঘরায় যাওয়ার প্রস্তাব পেয়েও সাথে সাথে তিনি রাজি হননি। হরিহরের এ ধরনের আচরণে আত্মমর্যাদাবোধের প্রকাশ লক্ষণীয়।
উদ্দীপকের মমতার কর্মকাণ্ডেও আত্মমর্যাদাবোধের প্রকাশ ঘটেছে। সে দরিদ্র হলেও তার আত্মসম্মান বিকিয়ে দেয়নি। তাই গৃহকর্ত্রীর উদার প্রস্তাবে সে রাজি হতে পারে না। গৃহকর্ত্রীর অধীনে সপরিবারে বসবাস করলে তার মর্যদা যে নিচে নেমে যেতে পারে সেই ভাবনা তাকে উঁচু চিন্তা-চেতনার অধিকারী করে তুলেছে। মমতার এই আত্মসম্মানবোধের দিকটিই ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের সাথে তাকে সাদৃশ্যময় করে তুলেছে।
ঘ. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলকথা গ্রামীণজীবনে চিরায়ত শৈশবের বর্ণনা হলেও উদ্দীপকে মমতার আত্মসম্মানচেতনা বর্ণনাই উদ্দেশ্য।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে গ্রামীণজীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাইবোনের আনন্দিত জীবনের আখ্যান রচিত হয়েছে। গল্পে অপু ও দুর্গা হতদরিদ্র পরিবারের শিশু হয়েও তাদের স্বভাবসুলভ আনন্দ উদ্যাপন করেছে। গ্রামীণ ফলফলাদি আহারের আনন্দ এবং বিচিত্র বিষয় নিয়ে কৌতূহল অপু ও দুর্গা চরিত্রের মাঝে মানুষের চিরায়ত শৈশবেরই প্রকাশ ঘটিয়েছে। গল্পে আনুষঙ্গিক অন্যান্য বর্ণনা থাকলেও মূলত এ দিকটিই গল্পের মূলকথা।
উদ্দীপকে মমতার আত্মসম্মানবোধের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। মমতা গৃহকর্মীর কাজ করলেও তার নিজের আত্মমর্যাদা ঠিক রেখেছে। এ কারণে গৃহকর্ত্রীর লোভনীয় প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছে। দারিদ্র্যের মাঝে বেঁচে থাকলেও নিজের মর্যাদার হানি ঘটে এমন প্রস্তাবে সে রাজি হয় না। আর মমতার চরিত্রের এই গুণের বর্ণনা প্রদানই উদ্দীপকের মূল উদ্দেশ্য।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পটি এবং উদ্দীপকটি উদ্দেশ্যগত দিক থেকে ভিন্ন। কেননা গল্পটি যে ভাবধারা প্রকাশ করেছে, উদ্দীপকটি তা করেনি। ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে গ্রামীণ পরিবেশে চিরায়ত শৈশবকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্দীপকে একজন গৃহকর্মীর মর্যাদাবোধের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। গল্পে বর্ণিত হরিহরের সাথে কিছুটা গুণগত মিল ছাড়া উদ্দীপকের সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোনো মিল নেই। উদ্দীপকটি তাই গল্পের মূলভাবকে ধারণ করতে পারে না। কেবল খণ্ডিত একটি ভাবকে ধারণ করে।
৪নং.দুঃখিনী রাহেলার দিন কাটে খুব কষ্টে। দুধের ছেলেটিকে মানুষ করার জন্য পরের বাড়িতে কাজ করতে হয়। তার বেকার স্বামী তার জমানো টাকা চুরি করে নেশা করে। রাহেলার কষ্টে ব্যথিত হয়ে গৃহকর্ত্রী তাকে স্বামীসহ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আগ্রহের অভাব না থাকলেও রাহেলা কারও দয়ার বশবর্তী হয়ে বাঁচতে চায় না বলে জানিয়ে দেয়। স্বামীর স্বভাব খুব ভালো ভাবেই জানা আছে তার। রাহেলা জানে এ বাড়িতে এলে চোর, নেশাখোর স্বামীর কারণে তাকে অনেক অপদস্থ হতে হবে।
ক. আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের রচয়িতা কে? ১
খ. মায়ের ডাকে দুর্গা উত্তর দিতে পারল না কেন? ২
গ. উদ্দীপকের রাহেলার সিদ্ধান্তের সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের গৃহিত সিদ্ধান্তের অমিল দেখাও। ৩
ঘ. উদ্দীপকের রাহেলা ও ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহর দুজনেই দরিদ্র হলেও আত্মসম্মান ও বিবেচনাবোধ বিসর্জন দেয়নি- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো। ৪
৪ নং প্র. উ.
ক. আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের রচয়িতা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
খ. মায়ের ডাকে দুর্গার উত্তর দিতে না পারার কারণ হলো- তখন তার মুখভর্তি ছিল জারানো আমের চাকলা।
ক্ষ দুর্গা পটলিদের বাগানের আম কুড়িয়ে এনে ছোট ভাই অপুকে সাথে নিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে খাচ্ছিল মা দেখে ফেললে বকবেন এই ভয়ে। হঠাৎ মায়ের ডাক পড়ায় বাকি আমগুলো দুর্গা মুখে পুরে ফেলল। তখন মুখভর্তি আম থাকায় দুর্গার মায়ের ডাকের উত্তর দিতে পারল না।
গ. উদ্দীপকের রাহেলা সপরিবারে আশ্রয় লাভের সুযোগ ফিরিয়ে দিলেও ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহর তা না করায় রাহেলা ও হরিহরের মাঝে অমিল ফুটে ওঠে।
‘আম-আঁটির ভেপুঁ’ গল্পে হরিহর একজন দরিদ্র মানুষ। সে অন্নদা রায়ের বাড়িতে গোমস্তার কাজ করে। সংসারের টানাপড়েনের কারণে দশঘরায় তাকে সপরিবারে চলে যাওয়ার অনুরোধে সে যাওয়ার জন্য মনস্থ করে। এজন্য স্ত্রীর সাথে আলোচনাও করে। সে মনে করে সেখানে গেলে সংসারটা যদি একটু ভালো চলে।
উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের এই মানসিকতার বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে। সেখানে রাহেলা সপরিবারে আশ্রয় লাভের প্রস্তাব পেয়েও তা গ্রহণ করে না। নেশাগ্র¯ত্ম স্বামী আর অন্যের বশবর্তী হয়ে না থাকার বাসনা তাকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য করে। রাহেলা প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও গল্পে হরিহর দশঘরায় প্রস্তাব বিবেচনায় রাখে। সে পরে তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবে বলেছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় উদ্দীপকের রাহেলা এবং ‘আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের হরিহরের মানসিকতার অমিল রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের রাহেলা প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে এবং গল্পের হরিহর সরাসরি সিদ্ধান্ত না জানিয়ে আত্মসম্মান ও বিবেচনাবোধের পরিচয় দিয়েছে।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে হরিহরকে আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে দেখা যায়। কেননা হরিহর অভাব-অনটনের মধ্যে থাকলেও নিজের আত্মসম্মান ঠিক রেখে কাজ করেছে। সে দশঘরায় পাওয়া প্রস্তাবে তখনি রাজি হলে প্রস্তাবকারী তাকে ছোটলোক ভাববে মনে করেছে। আবার এলাকার পাওনাদারদের কথাও সে বিবেচনা করেছে। এতে হরিহরের মাঝে আত্মসম্মান ও বিবেচনাবোধ প্রবল বলে প্রতীয়মান হয়।
উদ্দীপকের রাহেলার মাঝেও প্রবল আত্মসম্মানবোধ প্রকাশ পেয়েছে। সে অন্যের বশবর্তী হয়ে বাঁচাকে নিজের আত্মসম্মানের পরিপন্থী মনে করেছে। তাই গৃহকর্ত্রীর প্রস্তাব সসম্মানে ফিরিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া আশ্রয় নিলে স্বামীর কর্মকাণ্ডের কারণে নিজেকে অপদস্থ হতে হবে বলে সে মনে করেছে। রাহেলার এ ধরনের চিন্তা-চেতনা তার প্রবল আত্মমর্যাদাবোধ এবং বিবেচনাবোধের পরিচায়ক।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহর এবং উদ্দীপকের রাহেলার চরিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায় তারা সমাজে নিজের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য চেষ্টা করেছে। হরিহর যেমন দশঘরায় নিজের আত্মসম্মানের কারণে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি, তেমনি উদ্দীপকের রাহেলাও আত্মসম্মানের কারণেই গৃহকর্ত্রীর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। সংসারে অভাব থাকা সত্ত্বেও তারা সম্পদের লোভের কাছে নিজেদের বিলিয়ে দেয় নি, নিজের সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছে। এ ধরনের মানসিকতা তাদের সুবিবেচক এবং আত্মসম্মানবোধের অধিকারী হিসেবে পরিচিত করেছে। এক্ষেত্রে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
৫নং.শহরের বুকে বিশাল এক বাড়িতে রানু ও রানাদের বসবাস। সারা দিন এঘর ওঘর আর বাড়ির সামনের বাগানে ছোটাছুটি করে তারা। রানু ও রানার মা আফরোজা বানু ওদের সব আবদার পূরণের জন্য সচেষ্ট থাকেন। মাঝে মাঝে ওদের দুষ্টুমি দেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। দুষ্টুমি করতে গিয়ে ওরা না আবার হাত-পা ভেঙে বসে।
ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. “ইচ্ছে করে একদিকে বেরিয়ে যাই”- সর্বজয়া কেন এ কথা বলেছে? ২
গ. উদ্দীপকের আফরোজা বানু কোন দিক থেকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়ার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্রভাব ধারণ করে কি? বিশ্লেষণী মতামত দাও। ৪
৫ নং প্র. উ.
ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
খ. দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হওয়ায় ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়া এ উক্তিটি করেছে।
গল্পের হরিহর অন্নদা রায়ের বাড়িতে গোমস্তার কাজ করে মাসে আট টাকা মাইনে পায়। তাতে তার সংসার চলে না। ধার-দেনা হয়েছে প্রচুর। সেজ ঠাকরুণ, রাধা বোষ্টমের বৌ পাওনা আদায়ের জন্য যেন ঘাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটার কাপড়ে দু-তিন জায়গায় সেলাই। মনের দুঃখে সর্বজয়া তাই বলেছিলÑ আমার এমন হয়েছে যে ইচ্ছে করে একদিকে বেরিয়ে যাই’।
গ. উদ্দীপকের আফরোজা বানু আপত্যস্নেহের অনিবার্য আকর্ষণের দিক থেকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়ার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সন্তানের প্রতি ভালোবাসা সব মায়ের মাঝেই একটি আলাদা ভাব ধারণ করে। সন্তানের সুখে হাসা, সন্তানের কষ্টে কাঁদা, সর্বদা সন্তানের চিন্তায় উদ্বিগ্ন থাকা বাংলার মায়েদের একটি শাশ্বত বৈশিষ্ট্য। ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে সর্বজয়ার মাঝে সন্তানবাৎসল্যের এই চিরাচরিত রূপটিই ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপকের আফরোজা বানুর মাঝে গল্পের সর্বজয়ার মতো শাশ্বত মায়ের রূপটিই প্রতীয়মান। আফরোজা বানু নিজের সন্তানদের নিয়ে সকল সময় চিšিত্মত থাকেন। এর মাধ্যমে সন্তানদের প্রতি তার ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়ার মাঝে আফরোজা বানুর মতো সন্তানবাৎসাল্য প্রকাশ পেয়েছে। সে সন্তানদের চঞ্চলতায় উদ্বিগ্ন হয়েছে, সন্তানদের চাহিদা পূরণে ব্যাকুল হয়েছে। তাই বলা যায়, আফরোজা বানু সন্তানবাৎসল্যের দিক থেকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়ার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মতো প্রকৃতিঘনিষ্ট দারিদ্র্যক্লিষ্ট শিশুর দিকটি প্রকাশ না পাওয়া তা গল্পের সমগ্র ভাব ধারণ করে না।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে হতদরিদ্র পরিবারে দুটি শিশুর আনন্দিত জীবনের আখ্যান রচিত হয়েছে। গল্পে দুর্গা ও অপুর শৈশব জীবনে দারিদ্র্যের কষ্ট প্রধান হয়ে ওঠেনি। তাদের ফলফলাদি আহারের আনন্দ এবং বিচিত্র বিষয় নিয়ে কৌতূহল গল্পটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে। সর্বোপরি গল্পটি মানুষের চিরাচরিত শৈশবকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
উদ্দীপকে দুটি শিশুর শৈশবের চাঞ্চল্য এবং তাদের জন্য মায়ের ভালোবাসার দিকটি বর্ণিত হয়েছে। কিছুটা মিল থাকলেও এটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সামগ্রিক আবেদনকে ধারণ করে না। কেননা উদ্দীপকে শহুরে জীবনের বিলাসিতার মাঝে বেড়ে ওঠা শিশুর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু গল্পে তা নেই। ফলে এক্ষেত্রে গল্পের সাথে উদ্দীপকের বৈসাদৃশ্য ফুটে ওঠে।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে গ্রামীণ প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুটি শিশুর কথা বর্ণিত হলেও উদ্দীপকে শহুরে বিলাসী জীবনে অভ্য¯ত্ম শিশুদের কথা বলা হয়েছে। গল্পে দুর্গা ও অপু গ্রামীণ ফলফলাদি আহারের আনন্দ উপভোগ করলেও উদ্দীপকে তা অনুপস্থিত। তাছাড়া উদ্দীপকে আফরোজা বানু সন্তানদের সব চাহিদা পূরণ করতে পারলেও গল্পের সর্বজয়া তা পারেনি। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্র ভাব ধারণ করে না।
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় চব্বিশ পরগণার মুরারিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
২. শরৎচন্দ্রের পরে কে বেশি জনপ্রিয় কথাশিল্পী?
উত্তর : শরৎচন্দ্রের পরে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বেশি জনপ্রিয় কথাশিল্পী।
৩. ‘পথের পাঁচালী’ কার লেখা উপন্যাস?
উত্তর : ‘পথের পাঁচালী’ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস।
৪. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৫০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৫. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের দুর্গার বয়স কত?
উত্তর : ‘আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের দুর্গার বয়স দশ-এগারো বছর।
৬. তেল আর নুন দিয়ে দুর্গা কী করবে?
উত্তর : তেল আর নুন দিয়ে দুর্গা আমের কুসি জারাবে।
৭. দুর্গাদের বাড়ির চারপাশেই কী?
উত্তর : দুর্গাদের বাড়ির চারপাশেই জঙ্গল।
৮. হরিহর রায়ের জ্ঞাতিÑ ভ্রাতা কে?
উত্তর : হরিহর রায়ের জ্ঞাতি ভ্রাতা নীলমণি রায়।
৯. দুর্গার মায়ের নাম কী?
উত্তর : দুর্গার মায়ের নাম সর্বজয়া।
১০. দুর্গা অপুকে মুখ মুছে ফেলতে বলল কেন?
উত্তর : দুর্গা অপুকে মুখ মুছে ফেলতে বলল কারণ তার মুখে নুন লেগে ছিল।
১১. সকাল থেকে ক্ষার কেচে গা-গতর ব্যথা হয়েছিল কার?
উত্তর : সকাল থেকে ক্ষার কেচে গা-গতর ব্যথা হয়েছিল সর্বজয়ার।
১২. হরিহর কখন বাড়ি ফিরল?
উত্তর : হরিহর দুপুরের কিছু পরে বাড়ি ফিরল।
১৩. হরিহরের মতে আজকাল চাষাদের ঘরে কী বাঁধা?
উত্তর : হরিহরের মতে আজকাল চাষাদের ঘরে লক্ষ্মী বাঁধা।
১৪. দুর্গা পা টিপে টিপে এসে কোথায় দাঁড়াল?
উত্তর : দুর্গা পা টিপে টিপে এসে কাঁঠালতলায় দাঁড়াল।
১৫. কালমেঘ কী?
উত্তর : কালমেঘ যকৃতের রোগে উপকারী এক প্রকার তিক্ত স্বাদের গাছ।
১৬. কে দু’বেলা সর্বজয়াকে পাওনার জন্য তাগাদা দেয়?
উত্তর : রাধা বোষ্টমের বৌ দু’বেলা সর্বজয়াকে পাওনার জন্য তাগাদা দেয়।
১৭. ‘আম-আঁটির ভেঁপু গল্পে কে নিরীহ মুখে বাড়িতে ঢুকল?
উত্তর : ‘আম-আঁটির ভেঁপু গল্পে দুর্গা নিরীহ মুখে বাড়িতে ঢুকল।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. সব ব্যাটা এসে বলবে টাকা দাও, নৈলে যেতে দেবো নাÑ হরিহর কেন বলেছিল?
উত্তর : ঋণের দায়ে জর্জরিত হরিহর পাওনাদারদের বিষয়ে এ কথা বলেছিল।
হরিহরের কাছে বামুন হিসেবে মন্তর নেওয়ার প্রস্তাব দেয় ভিন গাঁয়ের এক লোক। গাঁয়ে একঘর বামুন বসবাস করানোর জন্য তারা জায়গা জমি দিতেও প্রস্তুত। এই প্রস্তাব নিয়ে হরিহর ও সর্বজয়ার মধ্যে কথা হচ্ছিল। সর্বজয়া এই সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য হরিহরকে তাগাদা দিচ্ছিল। কিন্তু ঋণগ্র¯ত্ম হরিহরের দায় শোধ না করে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার জো ছিল না। তখন সর্বজয়াকে হরিহর প্রশ্নোক্ত কথাটি বলছিল।
২. “আগ্রহে সর্বজয়ার কথা বন্ধ হইবার উপক্রম হইলÑ” কেন?
উত্তর : অভাব-অনটনহীন জীবনের সম্ভাবনার কথা শুনে আগ্রহে সর্বজয়ার কথা বন্ধ হওয়ার
পক্রম হলো।
সর্বজয়ার পরিবার হতদরিদ্র। দু-বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতেই তাদের প্রাণপণ কষ্ট করতে হয়। এর ওপর রয়েছে পাওনাদারদের তাগাদা। এমন সঙ্গীন অবস্থায় ভিন গাঁয়ে জায়গা-জমি পাওয়ার সম্ভাবনার কথা সর্বজয়াকে শোনায় তার স্বামী। সর্বজয়া স্বপ্ন দেখে তার দুঃখের দিন এর মাধ্যমে শেষ হবে। তাই আনন্দে, উত্তেজনায় ভাষা হারিয়ে ফেলে সে।
৩. দুর্গা অপুর পিঠে এক কিল বসিয়ে দিল কেন?
উত্তর : আম খাওয়ার কথা ভুলক্রমে মাকে বলে দেওয়ায় দুর্গা অপুর পিঠে এক কিল বসিয়ে দিল।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের বর্ণিত দুর্গা কুড়িয়ে পাওয়া কাঁচা আম তার ভাই অপুকে সাথে নিয়ে
য়েছে। কিন্তু এই আম খাওয়ার ঘটনা সে মাকে জানতে দিতে চায়নি। কেননা মা যদি জানতে পারে যে দুর্গা জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে আম কুড়িয়ে এনেছে তাহলে বকাবকি করবে। কিন্তু অপু অসাবধানতাবশত আম
ওয়ার কথা মাকে বলে ফেলে। তাই পরবর্তীতে দুর্গা মৃদু শাসনের ছলে ভাইয়ের পিঠে একটা কিল বসিয়ে
য়।
৪. দশঘরার লোকটি হরিহরকে জায়গা-জমি দেওয়ার প্রস্তাব করে কেন?
উত্তর : গ্রামে একঘর বামুন বাস করানোর আকাঙ্ক্ষায় দশঘরার লোকটি
রিহরকে জায়গা-জামি দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। দশঘরার লোকটি জাতে সদগোপ, তাদের গাঁয়ে কোনো ব্রাহ্মণের বাস নেই। তার ইচ্ছা জায়গা-জমি দিয়ে গাঁয়ে অন্তত একঘর ব্রাহ্মণকে স্থান দেবে। এতে গাঁয়ের মান মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া হরিহর ব্রাহ্মণ পুরোহিত হওয়ায় তার কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে নিজেরাও জাতে উঠতে পারবে। এ সকল কারণেই লোকটি হরিহরকে এমন লোভনীয় প্রস্তাব দেয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? গ
ক. ১৮৭৪ সালে খ. ১৮৮৪ সালে
গ. ১৮৯৪ সালে ঘ. ১৯০৪ সালে
২. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মস্থান কোথায়? ক
ক. ক ব্বিশ পরগণা খ. মেদিনীপুর
গ. হুগলি ঘ. নদীয়া
৩. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম কী? খ
ক. হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় খ. মহানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়
গ. রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ঘ. কৈলাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
৪. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের নাম কী? গ
ক. কুসুমকুমারী দেবী খ. স্বর্ণকুমারী দেবী
গ. মৃণালিনী দেবী ঘ. প্রমীলা দেবী
৫. বাংলার জনপ্রিয় কথাশিল্পী হিসেবে কার পরেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উচ্চারিত হয়? ঘ
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ঘ. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৬. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন? খ
ক. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় খ. কলকাতা রিপন কলেজ
গ. আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় ঘ. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
৭. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র-পুরস্কারে ভূষিত হন? গ
ক. পথের পাঁচালী খ. অপরাজিত
গ. ইছামতি ঘ. আরণ্যক
৮. কোনটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস? ঘ
ক. মেঘমলস্নার খ. মৌরীফুল
গ. যাত্রাবদল ঘ. দৃষ্টিপ্রদীপ
৯. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? ক
ক. ১৯৫০ সালে খ. ১৯৫২ সালে
গ. ১৯৫৪ সালে ঘ. ১৯৫৬ সালে
১০. হরিহরের পুত্র কখন বারান্দায় বসে খেলা করছিল? ক
ক. সকালে খ. দুপুরে
গ. বিকেলে ঘ. সন্ধ্যায়
১১. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে বর্ণিত হরিহরের পুত্রের নাম কী? খ
ক. তপু খ. অপু
গ. বিধু ঘ. তিনু
১২. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে ডালা ভাঙা টিনের বাক্সটি কার? খ
ক. দুর্গার খ. অপুর
গ. হরিহরের ঘ. সর্বজয়ার
১৩. অপু তার ডালা ভাঙা বাক্সের সমুদয় সম্পতি উপুড় করে মেঝেতে ঢেলেছে কেন? খ
ক. রাগ করে খ. খেলা করার জন্য
গ. নতুন বাক্সে রাখার জন্য
ঘ. নতুন করে সাজানোর জন্য
১৪. অপুর কাছে থাকা টিনের ভেঁপু-বাঁশিটির দাম কত? ঘ
ক. এক পয়সা খ. দুই পয়সা
গ. তিন পয়সা ঘ. চার পয়সা
১৫. অপু তার কড়িগুলো কীভাবে পেয়েছিল? গ
ক. বাবা বাজার থেকে কিনে দিয়েছিল
খ. দুর্গামেলা থেকে এনে দিয়েছিল
গ. লক্ষ্মীপূজার কড়ির চুপড়ি থেকে খুলে নিয়েছিল
ঘ. মা এনে দিয়েছিল
১৬. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে অপুর খেলনা পি¯ত্মলটির দাম কত? খ
ক. এক পয়সা খ. দুই পয়সা
গ. তিন পয়সা ঘ. চার পয়সা
১৭. অপুকে শুকনো নাটাফল কে এনে দিয়েছে? গ
ক. হরিহর খ. সর্বজয়া
গ. দুর্গা ঘ. পটলি
১৮. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে গঙ্গা যমুনা খেলতে কিসের লড়্গ্য অব্যর্থ বলে অপুর মনে হয়? গ
ক. কড়ি খ. নাটাফল
গ. খাপরার কুচি ঘ. খেলনা পি¯ত্মলের গুলি
১৯. অপু বারান্দায় বসে খেলার সময় উঠানের কাঁঠালতলা থেকে কে তাকে ডাক দেয়? ক
ক. দুর্গা খ. হরিহর
গ. সর্বজয়া ঘ. পটলি
২০. কাঁঠালতলা থেকে দুর্গা অপুকে ডাকার সময় তার স্বর সতর্কতা মিশ্রিত ছিল কেন? খ
ক. চুরি করে আম এনেছিল বলে খ. মায়ের ভয়ে
গ. বাবার ভয়ে ঘ. সাপ দেখেছিল বলে
২১. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে বর্ণিত দুর্গার বয়স কত? ঘ
ক. খ য়-সাত বছর খ. আট-নয় বছর
গ. দশ-এগারো বছর ঘ. বারো-তেরো বছর
২২. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে দুর্গার চোখ দুটিকে কার চোখের সাথে তুলনা করা হয়েছে? গ
ক. সর্বজয়ার চোখের সাথে খ. হরিহরের চোখের সাথে
গ. অপুর চোখের সাথে ঘ. পটলির চোখের সাথে
২৩. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে দুর্গার হাতে কিসের চুড়ি ছিল? ঘ
ক. সোনার খ. রুপার
গ. পিতলের ঘ. কাচের
২৪. দুর্গার নারিকেলের মালায় কী ছিল? ক
ক. কচি আম খ. পাকা আম
গ. নাটাফল ঘ. পাকা লিচু
২৫. দুর্গা অপুকে তেল আর নুন নিয়ে আসতে বলল কেন? খ
ক. রান্না করার জন্য
খ. আমের কুসি জারাবার জন্য
গ. স্বর্ণ গোয়ালিনীকে দেওয়ার জন্য
ঘ. পুতুলের বিয়েতে রান্নার জন্য
২৬. দুর্গা নারিকেলের মালার আমগুলো কুড়িয়ে আনে কোথা থেকে? খ
ক. মুখুয্যেবাড়ির বাগান থেকে
খ. পটলিদের সিঁদুর কৌটের আমতলা থেকে
গ. রায়বাড়ির গাছতলা থেকে
ঘ. নিজেদের আমবাগান থেকে
২৭. অপু বাসি কাপড়ে তেলের ভাঁড় ছুঁতে চায় না কেন? ক
ক. মায়ের ভয়ে খ. বাবার ভয়ে
গ. অমঙ্গল হবে ভেবে ঘ. দুর্গার ভয়ে
২৮. দুর্গাদের বাড়ি থেকে ভুবন মুখুয্যের বাড়ি কয় মিনিটের পথ? ঘ
ক. দুই মিনিটের খ. তিন মিনিটের
গ. চার মিনিটের ঘ. পাঁচ মিনিটের
২৯. দুর্গাদের বাড়ির পাশের জঙ্গলাবৃত ভিটাটি কার? খ
ক. ভুবন মুখুয্যের খ. নীলমণি রায়ের
গ. স্বর্ণ গোয়ালিনীর ঘ. অন্নদা রায়ের
৩০. দুর্গার মায়ের নাম কী? ক
ক. সর্বজয়া খ. স্বর্গদেবী
গ. লক্ষ্মী ঘ. অনুরাধা
৩১. দুর্গা ও অপু আম খাওয়ার সময় সর্বজয়া কোথায় গিয়েছিল? গ
ক. নীলমণি রায়ের বাড়ি খ. ভুবন মুখুয্যের বাড়ি
গ. ঘাটে ক্ষার কাচতে ঘ. দোকানে তেল নুন কিনতে
৩২. সর্বজয়া রান্নাঘরের দাওয়ায় বঁটি পেতে কী কাটতে বসে? গ
ক. আম খ. পুঁইশাক
গ. শসা ঘ. বেগুন
৩৩. স্বর্ণ গোয়ালিনী গাই দোহন করতে আসায় কোন কথা চাপা পড়ে গেল? ক
ক. অপুদের আম খাওয়ার কথা
খ. রায়বাড়ির কথা
গ. হরিহরের মন্তর দেওয়ার কথা
ঘ. দুর্গার তেল-নুন চুরির কথা
৩৪. দুর্গা অপুর পিঠে দুম করে কিল বসিয়ে দিল কেন? খ
ক. তেল-নুন আনতে যেতে চায়নি বলে
খ. আম খাওয়ার কথা বলে ফেলার কারণে
গ. গাই দোহন দেখতে আসছিল বলে
ঘ. দুর্গার নাটাফল চুরি করেছিল বলে
৩৫. হরিহর কোথায় গোমস্তার কাজ করে? খ
ক. ভুবন মুখুয্যের বাড়িতে খ. অন্নদা রায়ের বাড়িতে
গ. নিশ্চিন্দিপুরের কাছারিবাড়িতে ঘ. দশঘরার জমিদারবাড়িতে
৩৬. হরিহর কখন কাজ সেরে বাড়ি ফিরল? খ
ক. সকালে খ. দুপুরের পর
গ. সন্ধ্যার পর ঘ. রাতে
৩৭. দুপুরের পর অপু কী করছিল? গ
ক. রোয়াকে খেলছিল খ. আম কুড়াতে গিয়েছিল
গ. ঘুমাচ্ছিল ঘ. সর্বজয়ার কাছে বসেছিল
৩৮. হরিহর দশঘরার মাতবর লোকটার বাড়িতে কয়টা গোলার কথা বলে? ক
ক. পাঁচ-ছয়টা খ. সাত-আটটা
গ. নয়-দশটা ঘ. এগারো-বারোটা
৩৯. দশঘরার মাতবর লোকটি কোন জাতের? ঘ
ক. ব্রাহ্মণ খ. কায়স্থ
গ. ক্ষত্রিয় ঘ. সদগোপ
৪০. হরিহর অন্নদা রায়ের বাড়িতে মাসে কত টাকা পায়? ঘ
ক. পাঁচ টাকা খ. খ য় টাকা
গ. সাত টাকা ঘ. আট টাকা
৪১. সর্বজয়া সেজ ঠাকরুণের কাছ থেকে কত মাস আগে টাকা ধার নিয়েছিল? গ
ক. তিন মাস খ. চার মাস
গ. পাঁচ মাস ঘ. খ য় মাস
৪২. সর্বজয়াকে পাওনা আদায়ে দুবেলা তাগাদা আরম্ভ করেছে কে? খ
ক. সেজ ঠাকরুণ খ. রাধা বোষ্টমের বৌ
গ. স্বর্ণ গোয়ালিনী ঘ. পটলির মা
৪৩. সংসারে অনটনের কারণে কার একদিকে বেরিয়ে যেতে ইচ্ছে করে? খ
ক. হরিহরের খ. সর্বজয়ার
গ. দুর্গার ঘ. স্বর্ণ গোয়ালিনীর
৪৪. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে কার কাপড়ের দু-তিন জায়গায় সেলাই করা? ক
ক. অপুর খ. দুর্গার
গ. সর্বজয়ার ঘ. হরিহরের
৪৫. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে কোন গ্রামে বামুন নেই? খ
ক. নিশ্চিন্দিপুরে খ. দশঘরায়
গ. বোষ্টমপাড়ায় ঘ. রায়গঞ্জে
৪৬. হরিহর দশঘরার উঠে যাওয়ার ব্যাপারে কার সাথে আলোচনা করতে চায়? ঘ
ক. ভুবন মুখুয্যের সাথে খ. অন্নদা রায়ের সাথে
গ. নীলমণি রায়ের সাথে ঘ. মজুমদার মহাশয়ের সাথে
৪৭. দুর্গার আঁচলে কয়টি রড়া ফলের বিচি ছিল? গ
ক. বাইশটি খ. ক ব্বিশটি
গ. ছাব্বিশটি ঘ. আটাশটি
৪৮. রড়া ফলের বিচি খেয়ে নেওয়ার জন্য দুর্গা কাকে রাক্ষস বলেছে? ক
ক. রাঙি গাইকে খ. অপুকে
গ. পটলিদের ছাগলকে ঘ. স্বর্ণ গোয়ালিনীর গরুকে
৪৯. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে ‘রোয়াক’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? ঘ
ক. শোবার জলচৌকি অর্থে
খ. বই রাখার শেলফ অর্থে
গ. বাড়ির বাইরের খোলা অংশ অর্থে
ঘ. ঘরের সামনের খোলা বারান্দা অর্থে
৫০. ‘চুপড়ি’ শব্দটির অর্থ কী? ক
ক. ছোট ঝুড়ি খ. কলসির ভাঙা টুকরো
গ. কাচের চুড়ি ঘ. বুনো গাছ
৫১. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে ব্যবহৃত ‘খাপরার কুচি’ কী? খ
ক. ইটের টুকরা
খ. কলসি-হাঁড়ি প্রভৃতির ভাঙা টুকরা
গ. ভাঙা কাচ ঘ. নাটাফলের বীজ
৫২. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে ব্যবহৃত ‘গরাদ’ শব্দের অর্থ কী? খ
ক. কারাগার খ. জানালার সিক
গ. দরজার চৌকাঠ ঘ. ঘরের চালা
৫৩. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত? গ
ক. দৃষ্টিপ্রদীপ খ. ইছামতি
গ. পথের পাঁচালী ঘ. মেঘমলস্নার
৫৪. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূল প্রতিপাদ্য কী? গ
ক. হরিহরের অভাব উপস্থাপন
খ. সর্বজয়ার সন্তানপ্রীতি
গ. অপু ও দুর্গার আনন্দিত জীবনের আখ্যান
ঘ. সমাজে বামুনদের মর্যাদা উপস্থাপন
৫৫. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পটি আমাদের কোন সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়? ক
ক. শৈশবের খ. যুবক বয়সের
গ. মধ্য বয়সের ঘ. বৃদ্ধকালের
৫৬. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে পল্লিমায়ের শাশ্বত চরিত্র হয়ে উঠেছে কে? ক
ক. সর্বজয়া খ. স্বর্ণ গোয়ালিনী
গ. সেজ ঠাকরুণ ঘ. রাধা বোষ্টমের বৌ
৫৭. রোকন সারা দিন বন-বাদাড়ে ঘোরাঘুরি আর ছোটাছুটি করে কাটায়। রোকনের কর্মকাণ্ডে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কার আচরণের প্রতিফলন ঘটেছে? খ
ক. অপুর খ. দুর্গার
গ. সর্বজয়ার ঘ. পটলির
৫৮. স্বামীর মৃত্যুর পর রাহেলা শিশুপুত্রকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। রাহেলার সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কার মিল রয়েছে? গ
ক. সর্বজয়ার খ. স্বর্ণ গোয়ালিনীর
গ. নীলমণি রায়ের স্ত্রীর ঘ. রাধা বোষ্টমের স্ত্রীর
৫৯. নিয়াজুল অভাবে পড়ে স্থানীয় মহাজনের কাছে কিছু টাকা ধার করতে গেলে মহাজন কিছু বন্ধক না রেখে ধার দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। মহাজনের মানসিকতার সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কার মিল রয়েছে? খ
ক. সর্বজয়ার খ. সেজ ঠাকরুণের
গ. রাধা বোষ্টমের স্ত্রীর ঘ. স্বর্ণ গোয়ালিনীর
৬০. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে বর্ণিত হরিহরের পুত্র কোথায় বসে খেলছিল? খ
ক. পুকুরঘাটে খ. বারান্দায়
গ. সিঁড়িতে ঘ. উঠানে
৬১. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের অপু সর্বদা কী লুকিয়ে রাখে? ক
ক. কড়ি খ. আম
গ. তেল ঘ. বাঁশি
৬২. কোন খেলায় ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে অপু খাপরার কুচি সংগ্রহে রেখেছিল? গ
ক. পদ্মা-মেঘনা খ. মেঘনা-যমুনা
গ. গঙ্গা-যমুনা ঘ. সুরমা-তিস্তা
৬৩. কাঁঠালতলা থেকে অপুকে ডাকার সময় দুর্গার কণ্ঠে কী জড়ানো ছিল? গ
ক. দ্বিধা খ. ভয়
গ. সতর্কতা ঘ. রুক্ষতা
৬৪. মানুষের গলার আওয়াজ পেয়ে অপু কলের পুতুলের মতো কী করল? খ
ক. খাপরার কুচি লুকিয়ে ফেলল
খ. চুপড়ির কড়ি লুকিয়ে ফেলল
গ. নাটাফল লুকিয়ে ফেলল
ঘ. কাঠের ঘোড়া লুকিয়ে ফেলল
৬৫. ‘দুর্গার এখন উত্তর দিবার সুযোগ নাই’- কেন? খ
ক. ক্ষার কাচায় ব্য¯ত্ম খ. মুখ আমে ভর্তি
গ. পড়াশোনায় মগ্ন ঘ. জ্বরে মৃতপ্রায়
৬৬. অপু তেল ঢেলে আনতে দুর্গার কাছে কী চাইল? গ
ক. তেলের ভাঁড় খ. পিতলের বাটি
গ. নারকেলের মালা ঘ. কাঁসার বাটি
৬৭. দুর্গাকে কী এনে দিলে অপু আরও একখানা আমের টুকরা পেত? গ
ক. নুন খ. তেল
গ. লঙ্কা ঘ. শশা
৬৮. ‘সে বাঁদর কোথায়?’- সর্বজয়া কার কথা জিজ্ঞেস করেছে? খ
ক. দুর্গার খ. অপুর
গ. পটলির ঘ. হরিহরের
৬৯. স্বর্ণ গোয়ালিনীকে সর্বজয়া কেন তিরস্কার করল? খ
ক. দুধে পানি মেশানোয় খ. দেরি করে আসায়
গ. বাছুর আটকে রাখায় ঘ. এক সপ্তাহ না আসায়
৭০. ‘লক্ষ্মীছাড়া বাঁদর!’Ñ অপুকে এ কথা কে বলেছে? ঘ
ক. সর্বজয়া খ. হরিহর
গ. স্বর্ণ গোয়ালিনী ঘ. দুর্গা
৭১. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে কোন মাসের উলেস্নখ রয়েছে? ঘ
ক. কার্তিক খ. মাঘ
গ. ফাল্গুন ঘ. চৈত্র
৭২. হরিহরের মতে আজকাল কাদের ঘরে লক্ষ্মী বাঁধা? গ
ক. ভদ্রলোকের ঘরে খ. জেলেদের ঘরে
গ. চাষাদের ঘরে ঘ. ব্রাহ্মণদের ঘরে
৭৩. দশঘরায় বাড়ি ও জমি পাওয়ার বিষয়ে হরিহর তৎক্ষণাৎ রাজি হয়নি কেন? ক
ক. আত্মমর্যাদা অটুট রাখতে খ. যথেষ্ট সচ্ছল ছিল বলে
গ. স্ত্রীর বারণ থাকায়
ঘ. জাত ত্যাগ করতে হবে বলে
৭৪. দুর্গা চুপিচুপি বাড়ি এসেছিল কেন? খ
ক. লুকিয়ে ভাত খেতে খ. গোপনে একটু শুয়ে নিতে
গ. অপুকে আম খাওয়াতে ঘ. আম লুকিয়ে রাখতে
৭৫. ‘নাটাফল’ বলতে কী বোঝায়? গ
ক. পানিফল খ. কমলালেবু
গ. করঞ্চা ফল ঘ. জামরুল
৭৬. ‘কালমেঘ’ উদ্ভিদটি কিসের জন্য উপকারী? ক
ক. যকৃতের রোগের খ. দাঁত ব্যথার
গ. মাথা ব্যথার ঘ. চুল পড়া
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৭৭. বাংলা কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকার কারণ-
র. তাঁর লেখনীতে বাংলার প্রকৃতির চিত্র সুন্দরভাবে
ফুটে উঠেছে
রর. তিনি গ্রামবাংলার মানুষের অসাধারণ জীবনালেখ্য
নির্মাণ করেছেন
ররর. তিনি বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পের ধারার
প্রতিষ্ঠাতা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৮. অপু তার ভাঙা বাক্সের সম¯ত্ম জিনিস উপুড় করে ঢেলেছে-
র. খেলনা জিনিসগুলো পুনরায় যাচাই করার মানসে
রর. একটাও ভালো খেলনা না থাকার বেদনায়
ররর. শিশুসুলভ খেলাপাগল মানসিকতায়
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৯. দুর্গার ডাক শুনে অপু লক্ষ্মীর চুপড়ির কড়িগুলো লুকিয়ে ফেলল-
র. কড়ির কথা দুর্গা জেনে যাওয়ার ভয়ে
রর. কড়িগুলো দুর্গার ছিল বলে
ররর. কড়িগুলো লক্ষ্মীর চুপড়ি থেকে অজ্ঞাতসারে নেওয়া ছিল বলে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮০. “মা ঘাট থেকে আসেনি তো?” দুর্গার এই কথা বলার কারণ-
র. সে তেল ও নুন চুরি করেছিল বলে
রর. অন্যের বাগানে আম কুড়িয়ে এনেছিল বলে
ররর. মায়ের অজ্ঞাতসারে আম খাবে বলে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮১. দুর্গা অপুকে একটু নুন আর তেল নিয়ে আসতে বলল-
র. আমের কুসি জারাবে বলে
রর. কচি আম মাখিয়ে খাবে বলে
ররর. পটলির মাকে দেবে বলে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮২. দুর্গা তেল ও নুন আনতে অপুকে তাগাদা দিল-
র. আম মেখে খাওয়ার জন্য
রর. মা চলে আসার ভয়ে
ররর. আবার আম কুড়াতে যাবে বলে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮৩. দুর্গা অপুর পিঠে দুম্ করে কিল মারল-
র. আম খাওয়ার কথা মাকে বলে ফেলায়
রর. লুকিয়ে আম খাওয়ার কথা মা জেনে যাওয়ায়
ররর. লক্ষ্মীর চুপড়ি থেকে কড়ি চুরি করায়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮৪. হরিহর দশঘরার মাতবরের জাত পরিচয় বলতে গিয়ে স্বরটা নিচু করে-
র. মাতবর নীচু জাতের লোক বলে
রর. কেউ শুনে ফেলতে পারে বলে
ররর. মাতবর সেখানে উপস্থিত থাকতে পারে ভেবে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮৫. দশঘরার মাতবর সদগোপ জাতের হলেও সর্বজয়া তাদের মন্তর দিতে বলে-
র. সমাজচ্যুত হওয়ার ভয়ে
রর. সংসারের অভাবের কারণে
ররর. অনেক ধার-দেনা জমেছিল বলে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮৬. দশঘরার মাতবর হরিহরকে সপরিবারে সেখানে চলে যাওয়ার প্রস্তাব করলে সে তাৎক্ষণিক কোনো মত দেয়নিÑ
র. নিজের ধার-দেনা পরিশোধের ভয়ে
রর. আত্মমর্যাদা ঠিক রাখার জন্য
ররর. রাজি হলে ছোটলোক ভাববে মনে করে
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮৭. দুর্গা বাইরে থেকে এসে ঘরে প্রবেশ করল না-
র. বাবার ভয়ে রর. মায়ের ভয়ে
ররর. অপু বাড়িতে না থাকায়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮৮. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূল প্রতিপাদ্য-
র. দুর্গা ও অপুর আনন্দিত জীবন উপাখ্যান
রর. প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের জীবন
ররর. হরিহরের সংসারের দৈন্য
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮৯. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পটি পাঠের মাধ্যমে আমাদের চেতনায় ফুটে ওঠে-
র. শৈশবের আনন্দমুখর জীবন
রর. অভাবের তাড়নায় দেশান্তরি মানুষের চিত্র
ররর. পল্লিমায়ের শাশ্বত রূপ
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৯০. হরিহরের দশঘরায় চলে যাওয়ার আমন্ত্রণের কথায় সর্বজয়ার কথা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো-
র. অভাব-অনটন থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায়
রর. সুখী জীবনের প্রত্যাশায়
ররর. ধানি জমি ও বসতবাড়ি পাওয়ার কথা শুনে
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৯১. দুর্গা রড়া ফলের বীজ কুড়িয়ে আঁচলে বেঁধে রাখার মাধ্যমে তার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে-
র. প্রকৃতিপ্রেমী মনোভাব
রর. খ ন্নছাড়া জীবনের প্রতিকৃতি
ররর. প্রকৃতিঘনিষ্ঠ এক গ্রাম্য শিশুর প্রতিরূপ
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৯২. দশঘরার মাতবর হরিহরের পরিবারকে নিজের এলাকায় বসবাস করাতে চায়-
র. হিন্দুধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ধর্মবোধ প্রকাশে
রর. হরিহরের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে
ররর. এলাকায় উঁচুজাতের কোনো পরিবারের বাস না থাকায়
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৯৩. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে সর্বজয়া চরিত্রের মাঝে প্রকাশ পেয়েছে-
র. লোভী নারীর চাল-চরিত্র
রর. পল্লিমায়ের শাশ্বত রূপ
ররর. সন্তানদের প্রতি মমতাময়ী মায়ের স্বভাবসুলভ ব্যবহার
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৯৪. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে অপুর সম্পত্তি হলো-
র. রং ওঠা কাঠের ঘোড়া রর. খাপরার কুচি
ররর. রড়া ফলের বিচি
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৯৫. অপু অপারগতা প্রকাশ করল-
র. নুন আনতে রর. তেল আনতে
ররর. লঙ্কা আনতে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৯৬. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে দুর্গার মাঝে লক্ষ করা যায়-
র. মুক্ত জীবনের প্রতি আকর্ষণ রর. প্রকৃতিঘনিষ্ঠতা
ররর. শিশু সুলভ সারল্য
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
টানা চার-পাঁচ দিন জ্বরে ভুগে মকবুল বুড়ো ইহলীলা সাঙ্গ করে। তার স্ত্রী টুনি এতে ভেঙে পড়ে। ভিটেমাটি খালি করে অসহায় টুনি বাপের বাড়ি চলে যায়।
৯৭. উদ্দীপকে টুনির সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কার মিল রয়েছে? খ
ক. সর্বজয়ার খ. নীলমণি রায়ের স্ত্রীর
গ. স্বর্ণ গোয়ালিনীর ঘ. রাধা বোষ্টমের স্ত্রীর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯৮ ও ৯৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
ফটিক খুব ডানপিটে স্বভাবের। সারাদিন বন-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানোই তার কাজ। ঘুড়ি ওড়ানো, নদীতে গোসল করা, গাছে উঠে ফল পাড়া সারাদিন এসব নিয়েই সে ব্য¯ত্ম থাকে। বাড়ির সাথে তার শুধু খাওয়ার সম্পর্ক। ক্ষুধা লাগলে মায়ের কাছ থেকে খাবার খেয়ে আবার ছুটে যায় তার আপন ভুবনে।
৯৮. উদ্দীপকের ফটিকের মাঝে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে? খ
ক. অপুর খ. দুর্গার
গ. হরিহরের ঘ. সর্বজয়ার
৯৯. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের আলোকে উদ্দীপকের ফটিক চরিত্রটি-
র. প্রকৃতিঘনিষ্ঠ শৈশবকে ধারণ করে
রর. শিশুসুলভ চঞ্চলতা প্রকাশ করে
ররর. দারিদ্র্যের মাঝেও আনন্দমুখর শিশুর প্রতিরূপ
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১০০ ও ১০১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
মতিলাল একজন সুদের কারবারি। তিনি গ্রামের লোকদের সুদে টাকা ধার দেন। এজন্য ঋণগ্রহীতার কোনো জিনিস বন্ধক হিসেবে রাখেন। টাকা শোধ করলে বন্ধকের জিনিস ফেরত দেন।
১০০. উদ্দীপকের মতিলালের সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে? ক
ক. সেজ ঠাকরুণের খ. অন্নদা রায়ের
গ. হরিহরের ঘ. সর্বজয়ার
১০১. উদ্দীপকের মতিলালের মতো মানুষদের কাছে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের-
র. সর্বজয়ার মতো মানুষেরা জিম্মি
রর. দরিদ্র মানুষেরা অভাবের তাড়নায় যেতে বাধ্য হয়
ররর. নিম্নবিত্ত সমাজের মানুষ ঋণী
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১০২ ও ১০৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
সখিপুর গ্রামের কুসুমের চারটি সন্তান। স্বামীর মৃত্যুর পর সংসার পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে তার পক্ষ।ে তবু শত কষ্টেও সবসময় সন্তানদের আগলে রেখেছে সে।
১০২. উদ্দীপকের কুসুম ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে কার প্রতিনিধি? গ
ক. স্বর্ণ গোয়ালিনীর খ. দুর্গার
গ. সর্বজয়ার ঘ. বোষ্টমের বৌয়ের
১০৩. উক্ত সাদৃশ্য-
র. স্বামীহারা হওয়ার বা¯ত্মবতায়
রর. পল্লিমায়ের শাশ্বত রূপ ধারণে
ররর. দৈন্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? ?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১০৪ ও ১০৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
সজল আর কাজল ভাইবোন। সজলের চেয়ে কাজল বছর তিনেকের বড়। ওদের বাবা-মা প্রায়ই ওদেরকে খেলনা, খাবার-দাবার ইত্যাদি কিনে দেয়। সেগুলোর ভাগাভাগি নিয়ে দুই ভাইবোনের সবসময় ঝগড়া লেগেই থাকে।
১০৪. উদ্দীপকের সজল ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কার প্রতিনিধি? খ
ক. দুর্গার খ. অপুর
গ. সর্বজয়ার ঘ. হরিহরের
১০৫. উদ্দীপকের সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের বৈসাদৃশ্যÑ
র. শিশুসুলভ সারল্য
রর. সচ্ছল পারিবারিক চিত্র প্রকাশে
ররর. সহোদরদের মাঝে গভীর মমতার চিত্র প্রকাশে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর