SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-চতুর্থ অধ্যায়- হিন্দুধর্মে সংস্কার সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
চতুর্থ অধ্যার
হিন্দুধর্মে সংস্কার
আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয প্রাচীন ঋষিরা, ধর্মীয় আচার-আচরণ ও মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশ দিয়েছেন। এ উদ্দেশ্যে তাঁরা রচনা করেছেন ‘মনুসংহিতা’, ‘যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা’, ‘পরাশরসংহিতা’ প্রভৃতি স্মৃতিশাস্ত্র তথা হিন্দু বিধিবিধানের বিখ্যাত গ্রন্থাবলি। এসব গ্রন্থে বর্ণিত বিধিবিধানকে আশ্রয় করে হিন্দুদের সমগ্র জীবনে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন মাঙ্গলিক ক্রিয়া। মৃতজনের উদ্দেশ্যে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, পারলৌকিক কৃত্য প্রভৃতি সম্পাদন করার বিধিবিধানও হিন্দুধর্মের গ্রন্থাবলিতে বর্ণিত রয়েছে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. নারী-পুরুষ পরস্পর শপথ করে মাল্য বিনিময়ের মাধ্যমে কোন বিবাহ সংঘটিত হয়?
ক প্রাজাপত্য > গান্ধর্ব
গ আসুর ঘ ব্রাহ্ম
২. সমাবর্তন বলতে কিরূপ অনুষ্ঠান বোঝায়?
ক পাঠগ্রহণের উদ্দেশ্যে গুরুগৃহে গমন
খ পাঠগ্রহণকালে গুরুকে মূল্যবান উপহার প্রদান
> পাঠশেষে গুরুগৃহ থেকে বিদায়ানুষ্ঠান
ঘ পাঠশেষে গুরুগৃহ থেকে নিজগৃহে ফিরে আসা
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গোপাল তার ঠাকুরদার একমাত্র নাতি। চোখের সামনে ঠাকুরদার মৃত্যুতে সে শোকাহত হয়। গোপাল দেখে মৃত্যুর পর তার ঠাকুরদার দেহটিকে ফুলের মালা ও চন্দন দিয়ে সাজিয়ে তার বাবা ও পাড়া-প্রতিবেশীরা শ্মশানে নিয়ে যায়। শাস্ত্র অনুযায়ী গোপাল ও তার বাবা-মা বার দিন অশৌচ পালন করেন।
৩. গোপালের ঠাকুরদাকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার কারণ কোনটি?
ক হবিষ্যান্ন পালন খ নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান সম্পন্ন
গ আদ্যশ্রাদ্ধ সম্পন্ন > অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন
৪. তাদের অশৌচ পালনের মাধ্যমে অর্জিত হবে-
র. শ্রাদ্ধ করার উপযুক্ততা
রর. আত্মার শান্তি কামনায় নিজেদের প্রস্তুত করা
ররর. শাস্ত্রীয় বিধিবিধান পালন করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর > র, রর ও ররর
পাঠ-১ ও ২ : ধর্মীয় সংস্কারের ধারণা ও ধরন [পৃষ্ঠা-৪৬ ]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫. স্মৃতিশাস্ত্রে কতটি সংস্কারের উলেস্নখ রয়েছে? (জ্ঞান)
[যশোর জিলা স্কুল; কুমিলস্না জিলা স্কুল; বরিশাল জিলা স্কুল]
ক আট > দশ
গ বারো ঘ বিশ
৬. হিন্দুদের ঐতিহ্যানুসারী মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানসমূহকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ক্রিয়া খ ধর্মানুষ্ঠান
> সংস্কার ঘ আচার
৭. কোন শাস্ত্রে দশবিধ সংস্কারের উলেস্নখ আছে? (জ্ঞান)
ক জনশাস্ত্রে > স্মৃতিশাস্ত্রে
গ পুরাণ শাস্ত্রে ঘ ন্যায়শাস্ত্রে
৮. ‘মনুসংহিতা’ কী? (জ্ঞান) [খুলনা জিলা স্কুল]
ক উপাখ্যান খ কাব্যগ্রন্থ
> স্মৃতিশাস্ত্র ঘ নাট্যশাস্ত্র
৯. সংহিতা শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
[বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
> সংগ্রহ খ সংস্কার
গ সংবিধান ঘ সংশোধন
১০. স্মৃতিশাস্ত্রে উলিস্নখিত দশবিধ সংস্কারের প্রথমটির নাম কী? (জ্ঞান)
ক জাতকর্ম খ সীমন্তোন্নয়ন
গ পুংসবন > গর্ভাধান
১১. দশবিধ সংস্কারের সবশেষ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারটির নাম কী? (জ্ঞান)
> বিবাহ খ উপনয়ন
গ সমাবর্তন ঘ চূড়াকরণ
১২. নিচের কোন আচার অনুষ্ঠানটি বর্তমানে নেই বললেই চলে? (জ্ঞান)
[জিলা স্কুল, খুলনা]
> সীমন্তোন্নয়ন খ নামকরণ
গ সমাবর্তন ঘ জাতকর্ম
১৩. জাতকর্ম কখন করা হয়? (জ্ঞান)
ক কারো মৃত্যুর পর > সন্তান জন্মের পর
গ নববর্ষের দিন ঘ ফসল বোনার সময়
১৪. সংস্কার কী? (জ্ঞান)
> মাঙ্গলিক কর্মকাণ্ড খ ধ্যানধারণা
গ বিশ্বাস-অনুভূতি ঘ ইতিহাস-ঐতিহ্য
১৫. সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সর্বনিম্ন কততম দিবসে নামকরণ করা যায়? (জ্ঞান)
ক অষ্টম খ নবম
> দশম ঘ বিশংতম
১৬. মাঙ্গলিক কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সন্তানকে প্রথম মুখে ভাত দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক ভোজনকর্ম খ পুংসবন
> অন্নপ্রাশন ঘ অন্নদান
১৭. নিচের কোন আচারটি বর্তমানে নেই বললেই চলে? (অনুধাবন)
ক জাতকর্ম খ নামকরণ
গ সমাবর্তন > সীমন্তোন্নয়ন
১৮. কত মাস বয়সে পুত্রের অন্নপ্রাশন করা যায়? (অনুধাবন)
ক চার > ছয়
গ আট ঘ দশ
১৯. জাতকর্ম কী? (জ্ঞান)
ক সন্তানের নাম রাখা খ সন্তানের মুখে ভাত দেয়া
> ঘৃতদ্বারা সন্তানের জিহ্বা স্পর্শ করা ঘ সন্তানের চুলকাটা
২০. সর্বশেষ কততম মাসে কন্যার অন্নপ্রাশন করা যায়? (জ্ঞান)
ক সপ্তম খ অষ্টম
গ নবম > দশম
২১. ঘৃতদ্বারা সন্তানের জিহ্বাকে স্পর্শ করাকে কী বলে? (জ্ঞান)
> জাতকর্ম খ সমাবর্তন
গ সংবর্ধন ঘ নামকরণ
২২. গুরুগৃহে পাঠ শেষে নিজ গৃহে ফেরার সময় কোন অনুষ্ঠান করা হতো? (জ্ঞান)
ক বিদায়ক খ আবর্তন
> সমাবর্তন ঘ উপনয়ন
২৩. জন্মের পর পিতা যব, যষ্ঠিমধু ও ঘৃতদ্বারা জিহ্বা স্পর্শ করে মন্ত্রোচ্চারণ করেন। হিন্দুধর্ম সংস্কারে এটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
> জাতকর্ম খ সমাবর্তন
গ সীমান্তোন্নয়ন ঘ নামকরণ
২৪. কোন অনুষ্ঠানে গুরু শিষ্যকে মূল্যবান অনেক উপদেশ দিতেন? (জ্ঞান)
[পাবনা জিলা স্কুল; যশোর জিলা স্কুল]
ক বিদায়ক খ উপনয়ন
গ পুংসবন > সমাবর্তন
২৫. কোন বয়সে বিবাহ করা হয়? (জ্ঞান)
ক কৈশোরে > যৌবনে
গ মাঝ বয়সে ঘ পৌঢ়াবস্থায়
২৬. অনামিকার ছেলে অর্ণবের ছয়মাস বয়সে প্রথম মুখে ভাত দেওয়ার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। হিন্দু ধর্মে ত্র সংস্কারটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক জাতকর্ম খ নামকরণ
> অন্নপ্রাশন ঘ সমাবর্তন
২৭. বিয়েতে কী উচ্চারণ করা আবশ্যক? (জ্ঞান)
ক সঙ্গীত খ আশীর্বাদ
> মন্ত্র ঘ উলুধ্বনি
২৮. জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারমূলক অধ্যায় কোনটি? (জ্ঞান)
[পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক সমাবর্তন খ গুরুগৃহে প্রবেশ
> বিবাহ ঘ নামকরণ
২৯. বর্তমানে গর্ভাধান, পুংসবন ও সীমন্তোন্নয়ন প্রভৃতি সংস্কারের অবস্থা কেমন? (অনুধাবন)
ক পালনযোগ্য খ প্রচলিত
গ জনপ্রিয় > লুপ্তপ্রায়
৩০. পলক গুরুগৃহ থেকে ফিরে আসার সময় একটি অনুষ্ঠান করা হয়। হিন্দুধর্মে এ সংস্কারটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক নামকরণ খ সীমন্তোন্নয়ন
> সমাবর্তন ঘ পুংসবন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩১. প্রদীপের মেয়ের মাঙ্গলিক ক্রিয়ার মাধ্যমে অন্নপ্রাশন করা হয়। এ অনুষ্ঠানটি করা হয় (অনুধাবন)
র. পঞ্চম মাসে
রর. অষ্টম মাসে
ররর. দশম মাসে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৩২. বিবাহ সংস্কার পালন করা হয় (অনুধাবন) [ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়]
র. বেদের মাধ্যমে
রর. পিতৃপূজার মাধ্যমে
ররর. হোমের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৩৩. নামকরণ করণীয় সন্তান জন্মলাভের (অনুধাবন) [ যশোর জিলা স্কুল]
র. প্রথম দিনে
রর. দশম দিনে
ররর. শততম দিনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
> রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৪ ও ৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অনিক ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর একটি সরকারি চাকরি পেয়েছে। ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি বেদ, পিতৃপূজা ও হোম প্রভৃতির মাধ্যমে মন্ত্রোচ্চারণপূর্বক বর ও বধূ মিলনরূপ সংস্কারে আবদ্ধ হয়েছে। সে হিন্দুধর্মের দশবিধ সংস্কার সম্পর্কেও অবগত।
৩৪. অনুচ্ছেদে কোন সংস্কারের কথা বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
> বিবাহ খ জাতকর্ম
গ সমাবর্তন ঘ সীমন্তোন্নয়ন
৩৫. উক্ত দশবিধ সংস্কারের মধ্যে রয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গর্ভাধান
রর. পুংসবন
ররর. সীমন্তোন্নয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৬ ও ৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অর্ঘ শালিখা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন শেষ করেছে। তাদের ক্লাসের সবাইকে বিদায় জানাতে প্রতিষ্ঠানটি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
৩৬. হিন্দু সংস্কারে অনুচ্ছেদে বর্ণিত অনুষ্ঠানটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক পুংসবন খ সীমন্তোন্নয়ন
> সমাবর্তন ঘ অন্নপ্রাশন
৩৭. উক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ছাত্ররা গৃহে ফিরে আসে
রর. ছাত্ররা উপদেশ লাভ করে
ররর. শিক্ষকের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৩ ও ৪ : বিবাহ [পৃষ্ঠা-৪৬]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৮. বর্তমান সমাজে কোন বিবাহ প্রচলিত? (জ্ঞান)
[দিনাজপুর জিলা স্কুল; বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়; লালমনিরহাট সরকারি
উচ্চ বিদ্যালয়; বরিশাল জিলা স্কুল; বস্নু বার্ড উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]
> ব্রাহ্ম খ দৈব
গ প্রাজাপত্য ঘ আর্য
৩৯. বিবাহ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
[সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ; সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]
ক বিশেষরূপে দায়িত্ব পালন করা > বিশেষরূপে ভারবহন করা
গ বিশেষরূপে সেবা করা ঘ বিশেষরূপে যত্ন নেয়া
৪০. ‘যদেতৎ হৃদয়ং তব তদস্তু হৃদয়ং মম’- এটি কিসের মন্ত্র? (অনুধাবন)
[রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক অন্নপ্রাশনের > বিবাহের
গ সমাবর্তনের ঘ জাতকর্মের
৪১. অশোক বাবু তার কন্যাকে বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদন করে এবং অলঙ্কার দ্বারা সজ্জিত করে বিদ্বান ও সদাচারী বরকে আমন্ত্রণ করে কন্যাদান করেন। এ ধরনের বিবাহকে কী বিবাহ বলে? (প্রয়োগ)
ক আর্য বিবাহ > ব্রাহ্মবিবাহ
গ গান্ধর্ব বিবাহ ঘ দৈব বিবাহ
৪২. মহাভারতের দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার বিয়ে কোন বিবাহের উদাহরণ? (প্রয়োগ)
[ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়; বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়;
অগ্রগামী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]
ক ব্রাহ্ম খ দৈব
> গান্ধর্ব ঘ প্রাজাপত্য
৪৩. বিবাহের মাধ্যমে নারী জননীরূপে কী লাভ করে? (জ্ঞান)
[সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়]
ক সতীত্ব > মাতৃত্ব
গ দেবত্ব ঘ নারীত্ব
৪৪. আলোকিত মানুষ তৈরির সূতিকাগার বলা হয় কোনটিকে? (জ্ঞান)
ক বিদ্যালয় > বিবাহ
গ মন্দির ঘ সামাজিক সংঘ
৪৫. সুপ্রিয়া ও রাহুল পরস্পর শপথ করে মাল্য বিনিময়ের মাধ্যমে বিবাহ করে। তাদের এ বিবাহকে কোন বিবাহ বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক ব্রহ্ম খ দৈব
গ আর্ষ > গান্ধর্ব
৪৬. কোন সংস্কারটি মানব মনের সুকুমার বৃত্তিগুলো বিকশিত করতে সাহায্য করে? (অনুধাবন)
> বিবাহ খ অন্নপ্রাশন
গ সমাবর্তন ঘ জাতকর্ম
৪৭. হিন্দু সমাজে বিবাহ মানে কী? (জ্ঞান)
ক একটি আনুষ্ঠানিকতা খ বর-বধূর শুভমিলন
> ধর্মীয় জীবনের চর্চা ঘ ধর্ম পালনের বাধা
৪৮. কাকে বাদ দিয়ে পুরুষের কোনো ধর্মকার্যই সম্পন্ন হয় না? (জ্ঞান)
ক সন্তানকে খ ব্রাহ্মণকে
> স্ত্রীকে ঘ আত¥ীয়কে
৪৯. ‘বাহ্’ ধাতুর অর্থ কী? (জ্ঞান) [পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক বাহবা দেওয়া খ বাহির করা
গ বন্ধন করা > বহন করা
৫০. স্মৃতি শাস্ত্রের বিখ্যাত গ্রন্থ কোনটি? (জ্ঞান)
ক যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা > মনুসংহিতা
গ পরাশরসংহিতা ঘ আর্যসংহিতা
৫১. মনুসংহিতায় কয়প্রকার বিবাহের উলেস্নখ আছে? (জ্ঞান)
ক চার খ ছয়
> আট ঘ দশ
৫২. কোন গ্রন্থে দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার প্রসঙ্গ আছে? (জ্ঞান)
ক রামায়ণ > মহাভারত
গ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ঘ ভাগবত
৫৩. হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে দশবিধ সংস্কারের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠ? (জ্ঞান)
> বিবাহ খ সমাবর্তন
গ জাতকর্ম ঘ উপনয়ন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৪. উক্ত দশবিধ সংস্কারের মধ্যে রয়েছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গর্ভাধান
রর. পুংসবন
ররর. সীমন্তোন্নয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৫৫. পুরুষের জীবনে স্ত্রী হচ্ছেন (অনুধাবন)
র. সহধর্মিণী স্বরূপ
রর. ধর্মচর্চার সঙ্গী
ররর. আত্মার আত¥ীয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৫৬. মানবমনের সুকুমার বৃত্তি হলোÑ (অনুধাবন)
[সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়; পাবনা জিলা স্কুল; যশোর জিলা স্কুল;
দি ব্ডাস্ রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
র. স্নেহ
রর. প্রেমপ্রীতি
ররর. সততা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. বিবাহের মাধ্যমেÑ (অনুধাবন)
র. নতুন জীবনে পথচলা শুরু হয়
রর. নারী মাতৃত্ব লাভ করে
ররর. সামাজিক বন্ধন তৈরি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৫৮. বিবাহের ফলে পুরুষকে স্ত্রীর যেসব বিষয়ের দায়িত্ব নিতে হয় (অনুধাবন)
র. ভরণপোষণ
রর. মানসম্ভ্রম রক্ষা
ররর. সকল আবদার রক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. সবিতা গান্ধর্ব বিবাহের মাধ্যমে সংসারে আবদ্ধ হয়। এ ধরনের বিবাহে নারী-পুরুষ (অনুধাবন)
র. শপথ গ্রহণ করে
রর. মাল্যবিনিময় করে
ররর. অলংকার দ্বারা সজ্জিত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬০. ব্রাহ্ম বিবাহের বৈশিষ্ট্যাবলি (অনুধাবন)
র. কন্যাকে বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদন
রর. বিদ্বান ও সদাচার পাত্রে কন্যাদান
ররর. শুধু মাল্যবিনিময়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. বিবাহের মন্ত্রের তাৎপর্য হলো (অনুধাবন)
র. স্বামী-স্ত্রীর একাত¥তা তৈরি
রর. আমৃত্যু একসঙ্গে থাকার প্রতিজ্ঞা
ররর. জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৬২. বিবাহ-পরবর্তী জীবনের বিশেষত্ব হলো (অনুধাবন)
র. পুরুষ-নারী লাভ করে পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব
রর. সংসারকে কেন্দ্র করে মানবহৃদয় বিকশিত হয়
ররর. পরিবারের মাধ্যমে আলোকিত মানুষ তৈরি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৩ ও ৬৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আজ হৈমšত্মী ও অপুর বিয়ে। বিবাহসভায় প্রচুর লোকসমাগম হয়েছে। এরই মাঝে পুরোহিতের নির্দেশে অপু ও হৈমšত্মী উচ্চারণ করলো‘যদেতৎ হৃদয়ং তব তদস্তু হৃদয়ং মম’।
৬৩. হৈমšত্মী ও অপুর উচ্চারিত মন্ত্রটি বিয়ের কী মন্ত্র? (প্রয়োগ)
ক পরিচিত মন্ত্র > সর্বশ্রেষ্ঠ মন্ত্র
ঘ সাধারণ মন্ত্র ঘ আনুষ্ঠানিক মন্ত্র
৬৪. উচ্চারিত উক্ত মন্ত্রটির মাধ্যমে কী গড়ে ওঠে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পরিশীলিত সমাজব্যবস্থা
> স্বামী-স্ত্রীর গভীর একাত¥তার সম্পর্ক
গ আত¥ীয় পরিজনের বন্ধন
ঘ স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৫ ও ৬৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
কমলেন্দু নিজ কন্যা সম্প্রদানের দিন ধার্য করেন। ঐ দিন তিনি কন্যাকে বস্ত্রাবৃত করে নাকে, কানে ও গলায় অলংকার দ্বারা সজ্জিত করে বিবাহ আসরে বরকে আমন্ত্রণ জানান। [পাবনা জিলা স্কুল]
৬৫. কমলেন্দুর কন্যার বিয়েটি কোন ধরনের বিবাহ? (প্রয়োগ)
ক আর্য > ব্রাহ্ম বিবাহ
ঘ আসুর ঘ দৈব
৬৬. উক্ত বিবাহ সমাজে অধিক প্রচলনের মূল কারণ-
র. বর ও কনের সম্মতির ভিত্তিতে মাল্যদান
রর. সকলের মতামতের ভিত্তিতে এ বিয়ে হয় বলে
ররর. পুরোহিতের মাধ্যমে এ বিয়ে হয় বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র > রর
গ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৫, ৬ ও ৭ : বিবাহ অনুষ্ঠানের পর্বসমূহ [পৃষ্ঠা-৪৭]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৭. জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারমূলক অধ্যায় কোনটি? (জ্ঞান)
ক ধ্যান খ সমাবর্তন
> বিবাহ ঘ উপনয়ন
৬৮. বিয়ের অনুষ্ঠান কোন ধর্মাচারের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়? (জ্ঞান)
ক গায়ে হলুদ খ অধিবাস
গ মালাবদল যজ্ঞ
৬৯. বিয়ে উপলড়্গে বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ কখন করা হয়? (জ্ঞান)
ক আশীর্বাদের দিন খ বৌভাতের দিন
> বিয়ের দিন বা আগের দিন ঘ বিয়ের পরদিন
৭০. বৃদ্ধিশ্রাদ্ধে কাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও শ্রাদ্ধতর্পণ করা হয়? (জ্ঞান)
ক আত¥ীয়দের প্রতি খ অলৌকিক শক্তির প্রতি
> পূর্বপুরুষের প্রতি ঘ দেবতাদের প্রতি
৭১. কোন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়? (জ্ঞান)
ক আশীর্বাদ খ আসনে
গ বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ > গায়ে হলুদ
৭২. কোনটিকে দেহ শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান বলা হয়? (জ্ঞান)
[সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট]
> গায়ে হলুদ খ বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ
গ অধিবাস ঘ শুভদৃষ্টি
৭৩. বিবাহ অনুষ্ঠানে আশীর্বাদ পর্বকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ধর্মানুষ্ঠান > লোকাচার
গ সমাবর্তন ঘ সীমন্তোন্নয়ন
৭৪. গায়ে হলুদে বর বা কনেকে কোথায় বসানো হয়? (জ্ঞান)
ক মাটিতে > পাটিতে
গ পিঁড়িতে ঘ চৌকিতে
৭৫. অলোকার বিবাহ অনুষ্ঠানে বরকে বরণ করা হয়। অঞ্চলভেদে এটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
> লোকাচার খ ধর্মানুষ্ঠান
গ সমাবর্তন ঘ পুংসবন
৭৬. গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে ছোটরা কী করে বর বা কনের গায়ে হলুদ মাখায়? (জ্ঞান)
ক ঠাট্টা করে খ কান্নাকাটি করে
> নমস্কার করে ঘ তাড়াহুড়ো করে
৭৭. গায়ে হলুদে বর-কনেকে হলুদ মাখানোর পূর্বে বড়রা কী দিয়ে আশীর্বাদ করে? (জ্ঞান)
> ধান-দূর্বা খ কলাপাতা
গ উলুধ্বনি ঘ তুলসীপাতা
৭৮. অধিবাসের পরপরই বিয়ের কোন আনুষ্ঠানিকতাটি সম্পন্ন করা হয়? (জ্ঞান)
ক আশীর্বাদ খ অধিবাস
> গায়ে হলুদ ঘ মালাবদল
৭৯. গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানটি কোন অনুষ্ঠানেরই অংশবিশেষ? (জ্ঞান)
ক আশীর্বাদ > অধিবাস
গ বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ ঘ শুভদৃষ্টি
৮০. বিবাহ অনুষ্ঠান পর্বে সাবিত্রি গলার মালাটি তিনবার অলোকের গলায় পরিয়ে দেয়, অনুরূপভাবে অলোকও সাবিত্রির গলায় মালা পরিয়ে দেয়। এ অনুষ্ঠানটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক সম্প্রদান > মালাবদল
গ যজ্ঞানুষ্ঠান ঘ অষ্টমঙ্গল
৮১. গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত উপাদানগুলো কিসের প্রতীক? (জ্ঞান)
ক আনন্দের খ লজ্জার
গ পরিচ্ছন্নতার > সৌভাগ্যের
৮২. বিয়েতে বর ও কনে কয়বার মালাবদল করে? (জ্ঞান)
ক দুই > তিন
গ পাঁচ ঘ সাত
৮৩. বিবাহ অনুষ্ঠান পর্বে একটি আসনের উপর চন্দনাকে বসিয়ে ধান, দূর্বা দিয়ে কপালে ও হাতে হলুদ মাখিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়। এ অনুষ্ঠানটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক সম্প্রদান > গায়ে হলুদ
গ বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ ঘ সপ্তপদী গমন
৮৪. বিবাহের মূল পর্ব কোনটি? (জ্ঞান)
ক শুভদৃষ্টি খ মালাবদল
> সম্প্রদান ঘ যজ্ঞানুষ্ঠান
৮৫. বিয়ের সম্প্রদান পর্বে বর কোনদিকে মুখ করে বসে? (জ্ঞান)
> পূর্ব খ পশ্চিম
গ উত্তর ঘ দক্ষণি
৮৬. গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন অবিচ্ছেদ্য মনে করা
খ স্বামীর নির্দেশ মেনে চলা
> নবদম্পতির সুখশান্তি কামনা করা
ঘ আনন্দ ফুর্তি করা
৮৭. সম্প্রদান পর্বে কনেকে কোনদিকে মুখ করে বসাতে হয়? (জ্ঞান)
ক পূর্ব > পশ্চিম
গ উত্তর ঘ দক্ষণি
৮৮. বিয়েতে সম্প্রদান পর্বে কন্যাসম্প্রদানকারী কোনদিকে মুখ করে বসেন? (জ্ঞান)
ক পূর্ব খ পশ্চিম
> উত্তর ঘ দক্ষণি
৮৯. বিয়ের অনুষ্ঠানে বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
> পিতৃপুরুষের প্রতি শ্রাদ্ধতর্পণ করা
খ স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন দৃঢ় করা
গ স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য দূর করা
ঘ নববধূর মঙ্গল কামনা করা
৯০. সম্প্রদানের সময় বর ও কনের হাত কিসের ওপর রাখা হয়? (জ্ঞান)
ক মাটির ওপর খ কলাপাতার ওপর
> ঘটের ওপর ঘ বেদীর ওপর
৯১. সম্প্রদানে ঘটের ওপর রাখা বর ও কনের হাত কী দিয়ে বাঁধা হয়? (জ্ঞান)
ক মালা দিয়ে > লাল গামছা দিয়ে
গ ফিতা দিয়ে ঘ ঘাস দিয়ে
৯২. যজ্ঞানুষ্ঠানের জন্য কোন আকারের যজ্ঞক্ষত্রে তৈরি করা হয়? (জ্ঞান)
ক বৃত্তাকার খ ত্রিভুজাকার
> বর্গাকার ঘ আয়তাকার
৯৩. বিয়ের সময় পিতৃপুরুষদের আশীর্বাদ নেয়াকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ক আদ্যশ্রাদ্ধ > বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ
গ বয়োবৃদ্ধি ঘ শ্রদ্ধা
৯৪. গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দেহ শুদ্ধিকরণ > নব দম্পতির সুখশান্তি কামনা
গ আনন্দফুর্তি করা ঘ বিয়ের কনেকে সুন্দর করে সাজানো
৯৫. বিয়ের যজ্ঞানুষ্ঠানে অগ্নিকে কয়বার প্রদক্ষণি ও প্রণাম করতে হয়? (জ্ঞান)
ক তিন খ পাঁচ
> সাত ঘ নয়
৯৬. কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অগ্নিদেবের কাছে বর-কনে আমৃত্যু বাঁধা থাকে? (জ্ঞান)
ক আশীর্বাদ খ বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ
> যজ্ঞানুষ্ঠান ঘ সম্প্রদান
৯৭. বিবাহ আসনে ঘোরার সময় বর-কনে পরস্পরের কোন আঙুল ধরে থাকে? (জ্ঞান)
ক বৃদ্ধাঙ্গুল > কনিষ্ঠা বা কড়ে আঙ্গুল
গ মধ্যমা আঙ্গুল ঘ তর্জনী আঙ্গুল
৯৮. বর-কনেকে বিবাহ আসরে কতবার ঘোরানো হয়? (জ্ঞান)
ক তিন খ পাঁচ
> সাত ঘ নয়
৯৯. বিয়েতে যজ্ঞানুষ্ঠান শেষে বর কনের সিঁথিতে কী পরিয়ে দেয়? (জ্ঞান)
ক আবীর > সিঁদুর
গ কুমকুম ঘ টিকলি
১০০. একজন হিন্দু রমণীর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শুভদৃষ্টির মুহূর্ত খ মালাবদল করা
গ অষ্টমঙ্গলায় যাওয়া > স্বামীর হাতে সিঁদুর পরা
১০১. বিয়ের পর স্ত্রী কতদিন সিঁদুর পরতে পারেন? (জ্ঞান)
ক ছয়মাস খ আজীবন
গ নির্দিষ্ট কয়েকদিন > স্বামীর জীবিতাবস্থায়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০২. হিন্দু বিবাহ সম্পর্কে বলা যায়- (অনুধাবন)
র. এটি কোনো চুক্তি নয়
রর. এতে শাস্ত্রীয় বিধি ও স্ত্রী-আচার পালিত হয়
ররর. উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনি করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১০৩. বিয়েতে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা করা
রর. সুদৃঢ় বিবাহিত জীবন কামনা
ররর. নবদম্পতির সুখ কামনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
> রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৪. হিন্দু বিবাহের পর্বের মধ্যে রয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. আশীর্বাদ
রর. অধিবাস
ররর. শুভ দৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১০৫. বিয়ের যজ্ঞানুষ্ঠানে বেদমন্ত্র উচ্চারণ ঘি-মাখা আমপাতা আগুনে আহুতি দেওয়ার তাৎপর্য হচ্ছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অহংকার ও মান-অভিমান ত্যাগ
রর. হিংসা-বিদ্বেষ পরিত্যাগ
ররর. ঘৃণাসহ সকল কুচিন্তা দূর করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১০৬. অনুপমার দেহ শুদ্ধিকরণের জন্য বিয়ের আগের দিন কাঁচা হলুদ, গিলা, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হলো। এ অনুষ্ঠানের ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নবদম্পতির সুখশান্তি লাভ করে
রর. নবদম্পতির বিবাহিত জীবন সুদৃঢ় হয়
ররর. নবদম্পতির অর্থনৈতিক উন্নতি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৭. সপ্তমের বিয়েতে বেদমন্ত্র উচ্চারিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে দূর হবেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মনের অহংকার
রর. মান-অভিমান
ররর. অসাধু চিন্তা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১০৮. হিন্দু বিবাহ অনুষ্ঠান পর্বে বর্গাকার যজ্ঞক্ষত্রে তৈরি করে মনের অহংকার, অভিমান, হিংসা-বিদ্বেষসহ সকল অসাধুচিন্তা ঘি-মাখা আমপাতা আগুনে আহুতি দেয়। এর ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নবদম্পতি বিশুদ্ধ নবজীবন লাভ করে
রর. বর-কনে আমৃত্যু বাঁধা হয়ে থাকে
ররর. নবদম্পতি উচ্চ শিক্ষা লাভ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৯. বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়Ñ (অনুধাবন)
র. মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে
রর. উলুধ্বনির মাধ্যমে
ররর. শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১১০. বিয়ের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়Ñ (অনুধাবন)
র. শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে
রর. যজ্ঞের মাধ্যমে
ররর. লোকাচার পালনের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
> রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১১ ও ১১২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দেবেন্দ্রনাথ তার একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছেন। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। তিনি মেয়েকে সুপাত্রে দান করতে পারছেন বলে খুবই আনন্দিত। তাই বরের হাতে মেয়ের হাত তুলে দিয়ে নিজে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।
১১১. দেবেন্দ্রনাথ তার কন্যার হাত বরের হাতে তুলে দিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানকে বিবাহ সংস্কার অনুযায়ী বলা হয়Ñ (প্রয়োগ)
ক যজ্ঞানুষ্ঠান খ সাত পাকে বাঁধা
> সম্প্রদান ঘ বাসি বিয়ে
১১২. উক্ত অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেবতার নাম উচ্চারণ করে
রর. উলুধ্বনি দেয়
ররর. বরের নাম উচ্চারণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৩ ও ১১৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নির্দিষ্ট পোশাক পরিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বর-কনেকে মুখোমুখি বসিয়ে পুত্তলি অঙ্কিত, আম্রপলস্নব, গঙ্গাজল পূর্ণ একটি ঘটের উপর বরের চিৎ করা হাতের উপর কনের হাত রাখা হয়। তার উপর লাল গামছায় পাঁচটি ফল ও ফুল দিয়ে হাত বেঁধে দেওয়া হয়।
১১৩. অনুচ্ছেদে হিন্দুধর্মের বিবাহ পর্বের কোন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক অধিবাস খ যজ্ঞানুষ্ঠান
> সম্প্রদান ঘ বর-বরণ
১১৪. উক্ত অনুষ্ঠানে দেবতার নাম উচ্চারণ করেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উলুধ্বনি করা হয়
রর. শঙ্খ ধ্বনি করা হয়
ররর. কুশল বিনিময় করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ –৮ : পণপ্রথা অধর্ম [পৃষ্ঠা-৪৯]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৫. পণপ্রথা বা যৌতুকপ্রথা কী হিসেবে বিবেচ্য? (জ্ঞান)
ক ধর্মকাজ খ স্বাভাবিক ঘটনা
> অধর্ম কাজ ঘ লোকাচার
১১৬. পণপ্রথা নির্মূলে কী ধরনের শিক্ষা ভূমিকা রাখতে পারে? (জ্ঞান)
ক কর্মমুখী শিক্ষা খ সাধারণ শিক্ষা
গ অতীতমুখী শিক্ষা > জীবনমুখী শিক্ষা
১১৭. নির্মল বাবু তার কন্যাকে পাত্রস্থ করার সময় বর পক্ষকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ দিলেন। এ প্রথাকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক জাত প্রথা খ বর্ণপ্রথা
> পণপ্রথা ঘ সামাজিক প্রথা
১১৮. পণপ্রথার উৎপত্তি হয়েছে কোন সমাজে? (জ্ঞান)
> হিন্দু খ ইসলাম
গ বৌদ্ধ ঘ খ্রিষ্টান
১১৯. পণ বা যৌতুক বন্ধে আইনের প্রয়োগ কেমন হওয়া উচিত? (জ্ঞান)
ক হালকাভাবে খ আংশিক
> কঠোর ঘ মনগড়া
১২০. বহুকাল ধরে আমাদের সমাজে ক্ষতি করে আসছে কোন প্রথা? (জ্ঞান)
ক বর্ণপ্রথা > পণপ্রথা
গ সামাজিক প্রথা ঘ জাত প্রথা
১২১. রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ প্রথা কোনটি? (জ্ঞান)
ক জাত প্রথা খ ধর্মপ্রথা
> পণপ্রথা ঘ বর্ণপ্রথা
১২২. বর্তমান সমাজব্যবস্থায় পণপ্রথা কেমন দৃষ্টিতে দেখে? (অনুধাবন)
ক আকর্ষণীয় > নিন্দনীয়
গ সম্মানীয় ঘ আদর্শনীয়
১২৩. যৌতুক সমাজ থেকে নির্মূল করতে হলে কোনটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সচেতনতা বৃদ্ধি খ অর্থনৈতিক স্বাবলম্বন
> যৌতুকবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘ সহনশীল মনমানসিকতা
১২৪. অনিকের বিয়ের সময় কন্যাপক্ষরে কাছে একটি মোটর সাইকেল ও একটি ল্যাপটপ দাবি করে। তার এ দাবিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক উপঢৌকন > যৌতুক
গ দান ঘ চাহিদা
১২৫. পণপ্রথাকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
[যশোর জিলা স্কুল; বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ]
ক ধ্বংসকারী প্রথা > সামাজিক ব্যাধি
গ সামাজিক উন্নতির সহায়ক ঘ অর্থনীতির গতিরোধক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৬. পণপ্রথা সম্পর্কে বলা যায়- (অনুধাবন)
র. একটি সম্মানজনক প্রথা
রর. পণ গ্রহণ ও প্রদান সমান অপরাধ
ররর. মূল কারণ পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১২৭. পণপ্রথা বা যৌতুকপ্রথা নির্মূলে দরকার (অনুধাবন)
[সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রাম; সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়]
র. সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ
রর. পুরুষের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি
ররর. শিক্ষতি ও সচেতন নারীসমাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১২৮. পণপ্রথা হলো- (অনুধাবন)
র. সামাজিক ব্যাধি
রর. নিন্দনীয় কাজ
ররর. সম্মানীয় কাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২৯ ও ১৩০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাখাল রায় বিয়ের সময় কন্যাপক্ষরে নিকট টিভি, ফ্রিজ ও অন্য জিনিসপত্র দাবি করে। অথচ ধর্মে এই বিষয়টি অন্যায় বলে গণ্য করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে দেশে আইনও রয়েছে।
১২৯. রাখাল রায়ের দাবিকে কী বলে চিহ্নিত করা যায়? (প্রয়োগ)
ক চাহিদা খ উপহার
গ পুরস্কার > যৌতুক বা পণ
১৩০. উক্ত প্রথার মূলে রয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা
রর. অশিক্ষা
ররর. দারিদ্র্য
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৯ ও ১০ : অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া [পৃষ্ঠা-৪৯]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩১. ‘অন্ত’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান) [সাতড়্গীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক সূচনা খ অন্তর
> শেষ ঘ অন্তর্গত
১৩২. ‘ইষ্টি’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
[ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়; বাগেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়]
ক পূজা খ দান
গ অর্ঘ্য > যজ্ঞ
১৩৩. ‘অন্ত্যেষ্টি’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
[পাবনা জিলা স্কুল; দিনাজপুর জিলা স্কুল]
ক শেষকথা খ শেষদান
গ শেষঅর্ঘ্য > শেষযজ্ঞ
১৩৪. দেহ থেকে আত্মার বহির্গমনকে কী বলে চিহ্নিত করা হয়? (জ্ঞান)
ক জরা খ বিদায়
> মৃত্যু ঘ সমাপ্তি
১৩৫. কোথায় মৃতদেহের সৎকারের বিধান দেওয়া রয়েছে? (জ্ঞান)
ক চিকিৎসাবিদ্যায় > শাস্ত্রে
গ মানবমনে ঘ রাজার আদেশে
১৩৬. মৃতদেহকে কী দ্বারা বিভূষিত করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়? (জ্ঞান)
> মালা-চন্দন খ স্বর্ণালংকার
গ বেল পাতা ঘ ঘি-চন্দন
১৩৭. শ্মশানে মৃতদেহের মাথা কোনদিকে রেখে শয়ন করানো হয়? (জ্ঞান)
ক পূর্বদিকে খ পশ্চিমদিকে
গ উত্তরদিকে > দক্ষণিদিকে
১৩৮. ‘শব’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
> মৃতদেহ খ চন্দন কবি
গ শ্মশান ঘ সৎকারকারী
১৩৯. সাধারণত কে মৃতদেহের মুখাগ্নি করেন? (জ্ঞান)
ক স্ত্রী খ কন্যা
> জ্যেষ্ঠ পুত্র ঘ কনিষ্ঠ পুত্র
১৪০. অগ্নিদানের পূর্বে কয়বার চিতা প্রদক্ষণি করতে হয়? (জ্ঞান)
ক একবার খ তিনবার
গ সাতবার > সাত বা তিনবার
১৪১. শবদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কী ধরনের বিধান? (অনুধাবন)
> ধর্মীয় খ সামাজিক
গ মনগড়া ঘ রাজনৈতিক
১৪২. শাস্ত্রে মৃতদেহের সৎকারের বিধান রাখা হয়েছে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
[সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]
ক পুণ্যলাভের জন্য খ ঈশ্বর প্রাপ্তির জন্য
গ অমরত্ব লাভের জন্য > পচনরোধ করার জন্য
১৪৩. আত্মা দেহ থেকে নির্গত হলে দেহটি কিসে পরিণত হয়? (জ্ঞান)
ক জীবন্ত প্রাণীতে > জড়বস্তুতে
গ উদ্ভিদে ঘ মৃত্তিকায়
১৪৪. ধর্মীয় দিকের পাশাপাশি আর কোন দিক থেকে মৃতদেহ সৎকারের গুরুত্ব রয়েছে? (জ্ঞান)
> সামাজিক খ রাজনৈতিক
গ ব্যক্তিগত ঘ শ্রদ্ধাগত
১৪৫. যোগেশ হঠাৎ মৃত্যুবরণ করলে তার বড় ছেলে রমেশ বাবার মুখাগ্নি করল। বড় ছেলের এ কাজটি কিসের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক জাতকর্মের খ অন্নপ্রাশনের
গ অশৌচের > অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার
১৪৬. কী কাঠ দিয়ে চিতা সাজানো হয়? (জ্ঞান)
> আম খ জাম
গ তেঁতুল ঘ সেগুন
১৪৭. শেষ যজ্ঞ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক মৃত দেহের সপ্ত ছিদ্র স্বর্ণ দ্বারা বন্ধ করা
খ মৃতদেহ বস্ত্রাবৃত করা
> মৃতদেহকে অগ্নিতে আহুতি দেয়া
ঘ মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া
১৪৮. মৃতদেহের সৎকার কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
[সাতড়্গীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়;
মতিঝিল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ; আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
> অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া খ দহনক্রিয়া
গ শোধনক্রিয়া ঘ ধ্বংসক্রিয়া
১৪৯. দাহ শেষ হলে কতবার চিতা প্রদক্ষণি করতে হয়? (জ্ঞান)
[বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ]
ক পাঁচ > সাত
গ নয় ঘ দশ
১৫০. মিতার বাবার মৃতদেহ বৈদ্যুতিক চুলিস্নতে সৎকার করা হয়। এই সৎকার কী নামে পরিচিত? (প্রয়োগ)
ক শোধন ক্রিয়া খ ধ্বংসক্রিয়া
গ পরিশোধন ক্রিয়া > অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫১. মৃতদেহের সৎকারপূর্ব আনুষ্ঠানিকতাগুলো হচ্ছে-(অনুধাবন)
র. মৃতদেহকে নতুন কাপড় ও মালা-চন্দন পরানো
রর. দেহের সপ্তছিদ্র স্বর্ণ বা কাঁসা দ্বারা আচ্ছাদন
ররর.পিণ্ডদান এবং আমকাঠ বা চন্দনকাঠে চিতা সাজানো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১৫২. শোভনের বাবার মৃতদেহ গতকাল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ফলে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তার আত্মা পবিত্র হয়েছে
রর. সকলের মধ্যে একটা সৌহার্দপূর্ণ মন তৈরি হয়েছে
ররর. মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি পেয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১৫৩. অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মন্ত্রটি উচ্চারণের ফলে- (উচ্চতরদক্ষতা)
র. আত্মা পবিত্র হয়
রর. সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি হয়
ররর. মনে ক্ষমার আদর্শ জাগ্রত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১৫৪. স্নানের পর মৃতদেহকে পরানো হয়Ñ (অনুধাবন)
র. নতুন কাপড়
রর. মালা
ররর. চন্দন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১৫৫. অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার গুরুত্ব রয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. ধর্মীয় দিক দিয়ে
রর. অর্থনৈতিক দিক দিয়ে
ররর. সামাজিক দিক দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৬. চিতা সাজানো হয় যেসব কাঠ দিয়েÑ (অনুধাবন)
র. আম কাঠ দিয়ে
রর. সেগুন কাঠ দিয়ে
ররর. চন্দন কাঠ দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫৭ ও ১৫৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাবা মারা যাওয়ায় পরিমল তার আত¥ীয়-পরিজনদের নিয়ে বাবার দেহটিকে মালা-চন্দনাদি দ্বারা বিভূষিত করে শ্মশানে নিয়ে যায়। বাবার বড় ছেলে হওয়ায় সে-ই প্রথম মরদেহের মুখে আগুন দেয়। সকলে হরিণামধ্বনি উচ্চারণ করে।
১৫৭. পরিমল কর্তৃক বাবার মরদেহের মুখে আগুন দেওয়ার বিধানটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক অগ্নিকরণ খ পিতৃকর্ম
> মুখাগ্নি ঘ পুত্রাগ্নি
১৫৮. উক্ত কাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ- (উচ্চতর দক্ষতা
র. ভীতিমুক্ত সুন্দর পরিবেশ রক্ষা
রর. ধর্মীয় বিধান বজায় রাখা
ররর. সামাজিক অনুশাসনের বন্ধন দৃঢ় করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
পাঠ-১১ : অশৌচ [পৃষ্ঠা-৫০]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৯. ‘শৌচ’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক অশুচিতা > শুচিতা
গ শ্রীঘ্রই ঘ শালীনতা
১৬০. ‘অশৌচ’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক অশুচিতার অভাব > শুচিতা বা পবিত্রতার অভাব
গ শুভকামনার অভাব ঘ শালীনতার অভাব
১৬১. সামাজিক দিক থেকে অশৌচ পালনের গুরুত্ব কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
> নিকটাত¥ীয়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন
খ মৃত্যুর জন্য মনকে প্রস্তুত করা
গ ঈশ্বরের প্রতি একাগ্রতা প্রকাশ
ঘ মানসিক প্রশান্তি অর্জন
১৬২. মাতাপিতা বা জাতিবর্গের মৃত্যুতে আমাদের অশৌচ হয় কেন? (অনুধাবন)
ক ফলফলাদি খেয়ে থাকতে হয় বলে
> চিত্ত সাধন-ভজনের অনুপযোগী থাকে বলে
গ কঠোর দুঃখ পেতে হয় বলে
ঘ তীর্থযাত্রা করা যায় না বলে
১৬৩. কীভাবে মৃতের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়? (জ্ঞান)
ক কান্নাকাটি করে খ নামকীর্ত্তন করে
গ চুপচাপ থেকে > অশৌচ পালন করে
১৬৪. অশৌচ পালনের মাধ্যমে কোন বিষয়টি দৃঢ় হয়? (জ্ঞান)
ক পারিবারিক বন্ধন খ আত¥ীয়দের বন্ধন
> সামাজিক অনুশাসনের বন্ধন ঘ ধর্মীয় বন্ধন
১৬৫. অশৌচ পালনকালে উঠানে কোন গাছ রোপণ করতে হয়? (জ্ঞান)
[পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক আমগাছ খ কলাগাছ
গ চন্দনগাছ > তুলসীগাছ
১৬৬. পিতামাতার মৃত্যুর চতুর্থ ও দশম দিনে দান করা পিণ্ডকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক অপূরকপিণ্ড খ পূরণপিণ্ড
> পূরকপিণ্ড ঘ শ্রাদ্ধপিণ্ড
১৬৭. অশৌচান্তের কোন দিবসে শ্রাদ্ধ করা হয়? (জ্ঞান)
ক প্রথম > দ্বিতীয়
গ তৃতীয় ঘ চতুর্থ
১৬৮. অশৌচ পালনের ড়্গেেত্র কিসের প্রভাব লক্ষণীয়? (অনুধাবন)
ক নিষেধের খ আবেগের
> বর্ণপ্রথার ঘ কূলপ্রথার
১৬৯. কাদের অশৌচ পালনের দিবস সংখ্যা তুলনামূলক বেশি? (জ্ঞান)
ক ব্রাহ্মণদের > শূদ্রদের
গ ক্ষত্রিয়দের ঘ বৈশ্যদের
১৭০. অশৌচ কয় প্রকার? (জ্ঞান)
ক এক > দুই
গ তিন ঘ চার
১৭১. কেউ জন্মগ্রহণ করলে যে অশৌচ হয় তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক গণনাশৌচ খ জন্মশৌচ
গ মরণশৌচ > জননাশৌচ
১৭২. কারো মৃত্যুতে কোন অশৌচ পালিত হয়? (জ্ঞান)
ক জননাশৌচ খ জন্মশৌচ
> মরণাশৌচ ঘ গণনাশৌচ
১৭৩. কত পুরুষ পর্যন্ত জ্ঞাতিত্ব বজায় থাকে? (জ্ঞান)
ক পঞ্চম > সপ্তম
গ নবম ঘ একাদশ
১৭৪. কত পুরুষ পর্যন্ত অশৌচ পালনের নিয়ম রয়েছে? (জ্ঞান)
ক তৃতীয় খ পঞ্চম
> সপ্তম ঘ নবম
১৭৫. পিতামাতার মৃত্যু সন্তানকে কেমন অনুভূতি দেয়? (অনুধাবন)
ক সামান্য ব্যথার অনুভূতি > বিচলিত করে
গ আনন্দিত করে ঘ বিষণ্ণ করে
১৭৬. অনন্যার একটি মেয়ে হয়েছে। এখন সে কোন অশৌচ পালন করবে? (প্রয়োগ)
> জননাশৌচ খ মরণাশৌচ
গ জ্ঞাতিশৌচ ঘ মানসিক শৌচ
১৭৭. সতীশ তার বাবার মৃত্যুর পর দশ দিন ফলফলাদি খেয়ে জীবন ধারণ করল। তার কাজটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
> অশৌচ খ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
গ আদ্যশ্রাদ্ধ ঘ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত
১৭৮. বিনয় চক্রবর্তীর বাবা মারা গিয়েছে। এড়্গেেত্র সে কতদিন অশৌচ পালন করবে? (প্রয়োগ)
> দশ খ বারো
গ পনের ঘ ত্রিশ
১৭৯. ‘হবিষ্যান্ন’ মানে কী? (জ্ঞান) [সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক ভাত-মাছ খ ডিম-দুধ
গ শাকসবজি > ফলফলাদি
১৮০. পিণ্ড দানকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক পূরকপিণ্ড > রূপকপিণ্ড
গ কণকপিণ্ড ঘ সম্মুখপিণ্ড
১৮১. মোট কতটি পূরকপিণ্ড দান করতে হয়? (জ্ঞান)
[যশোর জিলা স্কুল; পাবনা জিলা স্কুল]
ক আট > দশ
গ বারো ঘ একুশ
১৮২. অশৌচ পালন করা হয় কেন? (অনুধাবন)
> মৃত ব্যক্তির আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে
খ নিজের মনকে শান্ত করতে
গ সামাজিক কাজে আত¥নিয়োগের জন্য
ঘ পবিত্রতা অর্জনের লড়্গ্েয
১৮৩. নিতাই ঘোষ তার মায়ের মৃত্যুর চতুর্থ দিনে দশটি পিণ্ডদান করল। একে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক শৌচ > পূরকপিণ্ড
গ শ্রাদ্ধ ঘ বস্ত্র পরিধান
১৮৪. অশৌচকালে কীভাবে জীবনধারণ করতে হয়? (অনুধাবন)
ক অনাহারি থেকে > নিরামিষ খেয়ে
গ ফলাফলাদি খেয়ে ঘ মাছ-মাংস খেয়ে
১৮৫. বৈশ্যের অশৌচ কত দিন? (অনুধাবন) [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
ক দশ > বারো
গ পনেরো ঘ ত্রিশ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮৬. প্রশান্তর বাবা মারা যাওয়ায় তাদের পরিবারে অশৌচ পালন করছে। এ অশৌচ পালনের ফলে তাদের- (অনুধাবন)
র. মনধীরে ধীরে শান্ত হবে
রর. মনে প্রশান্তি ফিরে আসবে
ররর. অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর গ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৭. কাদের মৃত্যুতে আমাদের ‘অশৌচ’ হয়Ñ (অনুধাবন)
র. মাতাপিতার মৃত্যুতে
রর. বন্ধুর মৃত্যুতে
ররর. জ্ঞাতিবর্গের মৃত্যুতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৮. প্রিয়জনের মৃত্যুতে আমাদের মন শোকে আচ্ছন্ন হয়। এর ফলে আমাদেরÑ (অনুধাবন)
র. চিত্ত সাধন-ভজনের উপযোগী থাকে না
রর. হবিষ্যান্ন বা ফলফলাদি জীবন ধারণ করতে হয়
ররর. কঠোর সংযম পালন করতে হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর গ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১৮৯. অশৌচ হলো (অনুধাবন)
র. পবিত্রতার অভাব
রর. সাধনায় নিমগ্ন হওয়া
ররর. মন শোকে আচ্ছন্ন হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯০. অশৌচ পালনকালে উঠানে রোপিত তুলসীগাছে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে (অনুধাবন)
র. জলপ্রদান করতে হয়
রর. মালা দিতে হয়
ররর. দুধ দিতে হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯১. কারা কারা অশৌচ পালন করে মৃত ব্যক্তির আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে? (অনুধাবন)
র. মৃতের সন্তানাদি
রর. পরিবার-পরিজন
ররর. জ্ঞাতিবর্গ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর গ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯২ ও ১৯৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মায়ের মৃত্যুতে নারায়ণ কুমার মাথা মুণ্ডন করে নতুন বস্ত্র পরিধান করেছে। এর আগের দশদিন সে হবিষ্যান্ন বা ফলফলাদি খেয়ে জীবন ধারণ করেছে। সেইসঙ্গে উঠানে একটি তুলসীগাছ রোপণ করে তাতে মৃত মায়ের উদ্দেশ্যে প্রত্যহ জল ও দুধ প্রদান করেছে।
১৯২. মাথা মুণ্ডনের আগের দশদিন নারায়ণ কুমার ধর্মের কোন বিধানটি পালন করেছে? (প্রয়োগ)
ক আদ্যশ্রাদ্ধ খ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
> অশৌচ ঘ মাতৃআদেশ
১৯৩. নারায়ণ কুমারের উক্ত কাজগুলোর ফলে- (উচ্চতর দক্ষতা
র. পবিত্রতা অর্জন করে
রর. মানসিক প্রশান্তি লাভ করে
ররর. স্বর্গলাভ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯৪ ও ১৯৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অচিন্ত চক্রবর্তীর বাবা তিনদিন পূর্বে মারা গেছে। ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে তাদের পরিবার, জ্ঞাতিবর্গ অশৌচ পালন করে।
১৯৪. অচিন্ত চক্রবর্তীর পরিবার কতদিন অশৌচ পালন করবে? (প্রয়োগ)
> দশ খ বারো
গ পনের ঘ ত্রিশ
১৯৫. উক্ত পরিবার অশৌচ পালন করার কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা
র. চিত্ত সাধন-ভজনের উপযোগী নেই
রর. মন শোকে আচ্ছন্ন তাই
ররর. মৃতব্যক্তির আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯৬ ও ১৯৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সুরেশ তার বাবা মারা যাবার কারণে মাথা মুণ্ডন করে নতুন বস্ত্র রিধান করেছে। সে আজ দশদিন যাবৎ নিরামিষ ভোজন করছে। [বরিশাল জিলা স্কুল]
১৯৬. সুরেশ ধর্মের কোন আনুষ্ঠানিকতা পালন করছে? (প্রয়োগ)
> অশৌচ খ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
গ আদ্যশ্রাদ্ধ ঘ জš§শৌচ
১৯৭. উক্ত কাজটি সুরেশকে সাহায্য করবে- (উচ্চতর দক্ষতা
র. পবিত্রতা অর্জনে
রর. মনে প্রশান্তি আনতে
ররর. শাস্ত্রীয় বিধিবিধান পালনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
পাঠ-১২ : আদ্যশ্রাদ্ধ [পৃষ্ঠা-৫১]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯৮. ‘শ্রদ্ধা’ শব্দের সঙ্গে কোন প্রত্যয়যোগে শ্রাদ্ধ শব্দটি গঠিত? (জ্ঞান)
ক অনট্ > অণ্
গ অবায়ন ঘ ইন
১৯৯. শ্রাদ্ধ মূলত কী? (অনুধাবন)
ক মৃতকে স্মরণ করা > শ্রদ্ধার সঙ্গে দান করা
গ মৃতের গুণকীর্তন করা ঘ মৃতের জন্য শোক করা
২০০. কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর প্রথমে কোনপ্রকার শ্রাদ্ধ করণীয়? (জ্ঞান)
ক আদি শ্রাদ্ধ খ বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ
> আদ্যশ্রাদ্ধ ঘ পূর্ণ শ্রাদ্ধ
২০১. কিসের যোগ না থাকলে শ্রাদ্ধ হয় না? (জ্ঞান)
ক টাকার খ ধর্মের
গ আত্মার > শ্রদ্ধার
২০২. শ্রাদ্ধের প্রবর্তক কে? (জ্ঞান)
ক মিনি > নিমি
গ মুনি ঘ নিমু
২০৩. শ্রাদ্ধের প্রবর্তক নিমি কোন মুনির পুত্র ছিলেন? (জ্ঞান)
ক বিশ্বশ্রবা খ বাল্মীকি
> দত্তাত্রেয় ঘ বিশ্বামিত্র
২০৪. বৃষোৎসর্গ কিসের নাম? (জ্ঞান)
ক দানের > শ্রাদ্ধের
গ রামায়ণের ঘ বেদের
২০৫. আদ্যশ্রাদ্ধের পূর্ণ নাম কী? (জ্ঞান)
ক আদি শ্রাদ্ধ খ একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ
গ বৃষোৎসর্গ শ্রাদ্ধ > আদ্য একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ
২০৬. ‘একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ’ কথাটির অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক একবার মাত্র দান
খ একহাতে দান
> একজনের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে দান
ঘ একপাত্রে দান
২০৭. আদ্যশ্রাদ্ধে কোন ধর্মগ্রন্থ পাঠের বিধান রয়েছে? (জ্ঞান)
ক রামায়ণ খ বেদ
গ পুরাণ > গীতা
২০৮. বৃষোৎসর্গে মহাভারতের কোন পর্ব পাঠ করা হয়ে থাকে? (জ্ঞান)
ক বনপর্ব খ সংহারপর্ব
> বিরাটপর্ব ঘ প্রস্থানপর্ব
২০৯. আদ্য একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধের প্রথমে কী প্রজ্বলিত করা হয়? (জ্ঞান)
ক আমকাঠ খ মোমবাতি
> প্রদীপ ঘ চন্দনকাঠ
২১০. আদ্যশ্রাদ্ধ পালন করতে হয় কখন? (অনুধাবন)
ক যেকোনো দিন > অশুচিতা ত্যাগ করে
গ এক বছর পর ঘ মৃত্যুর দিন
২১১. আদ্য একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ কিসের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়? (জ্ঞান)
ক মন্ত্রোচ্চারণ খ অন্নদান
গ কড়িদান > পিণ্ডদান
২১২. অশৌচ ও চতুর্থী কারা পালন করে থাকেন? (জ্ঞান)
ক পুরুষরা খ আত¥ীয়রা
> নারীরা ঘ প্রতিবেশিরা
২১৩. আদ্যশ্রাদ্ধের অধিকারী কে? (জ্ঞান)
ক জ্যেষ্ঠ কন্যা খ কনিষ্ঠ কন্যা
> জ্যেষ্ঠ পুত্র ঘ কনিষ্ঠ পুত্র
২১৪. কাদের উদ্দেশে আদ্যশ্রাদ্ধ করা হয়? (অনুধাবন)
ক বাবা-মা’র > মৃতব্যক্তির
গ আত¥ীয়স্বজনের ঘ দেবতার
২১৫. রতন দাস প্রথমে প্রদীপ প্রজ্বলিত করে বাস্তুপুরুষ যজ্ঞেশ্বর ও ভূস্বামীর পূজা করল। রতন দাস কোন অনুষ্ঠানে এ কাজটি করল? (প্রয়োগ)
> আদ্য একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধে খ উপনয়নে
গ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ঘ জাতকর্মে
২১৬. আদ্যশ্রাদ্ধকে আদ্য একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ বলা হয়। এর কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মৃত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে এ শ্রাদ্ধ করা হয় বলে
> একজন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে করা হয় বলে
গ মৃত ব্যক্তির ইচ্ছাপূরণের জন্য করা হয় বলে
ঘ মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করা হয় বলে
২১৭. শ্রাদ্ধ করার সার্থকতা কিসে নিহিত? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বৃষোৎসর্গদানে > শ্রদ্ধাদানে
গ গীতাপাঠে ঘ প্রদীপ প্রজ্বলিত করায়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১৮. আদ্যশ্রাদ্ধে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে উৎসর্গ করতে হয় (অনুধাবন)
র. আসন, ছাতা, পাদুকা
রর. অন্ন, বস্ত্র, জল
ররর. তাম্বুল, মালা, বিছানা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২১৯. একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধের প্রথমে যজ্ঞেশ্বর ও ভূস্বামীর পূজা করা হয় (অনুধাবন)
র. পবিত্রতার জন্য
রর. ভক্তিভাব জাগ্রত করার জন্য
ররর. সামাজিকতা রক্ষার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
> রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২০. রীতা রানী তার মায়ের মৃত্যুর পর প্রথম শ্রাদ্ধ করে। সে পূজা করে শ্রাদ্ধ শুরু করেÑ (প্রয়োগ) [ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়]
র. বাস্তুপুরুষ যজ্ঞেশ্বরের রর. বনরাজির
ররর. ভূস্বামীর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২১. শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে মহাভারতের বিরাট পর্বটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা) [হলিক্রস গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
র. মনে প্রশান্তি ফিরে আসে
রর. পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়
ররর. মৃত ব্যক্তির আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২২২. আদ্যশ্রাদ্ধ পালন করতে হয়Ñ (অনুধাবন)
র. অশুচি ত্যাগ করে রর. শ্রদ্ধার সাথে
ররর. ত্যাগের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২২৩ ও ২২৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দেবেন্দ্রনাথ গত মাসে হঠাৎ করে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার সন্তানরা পিতার আদ্যশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বস্তুদান করেন। আদ্যশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান শেষে রাতে মহাভারত পাঠ করা হয়।
২২৩. অনুচ্ছেদটির বিধানমতে উক্ত রাতে মহাভারতের কোন পর্বটি পাঠ করা হয়? (প্রয়োগ)
> বিরাট খ সভা
গ কর্ণ ঘ বন
২২৪. উক্ত পাঠের ফলে (অনুধাবন)
র. জ্ঞাতিবর্গের দুঃখের সাথে একাত¥তা প্রকাশ করা হয়
রর. সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয় ররর. সামাজিকতা বৃদ্ধি পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২২৫ ও ২২৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পরিতোষ মণ্ডল প্রথমে প্রদীপ জ্বালিয়ে বাস্তুপুরুষ যজ্ঞেশ্বর ও ভূস্বামীর পূজা করলেন। এরপর একজন ব্যক্তি অর্থাৎ তার মৃত পিতার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে দানকর্ম সম্পন্ন করলেন।
২২৫. অনুচ্ছেদের পরিতোষ মণ্ডলের কাজগুলোকে কী বলা হয়? (প্রয়োগমূলক)
ক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া খ উপনয়ন
> আদ্যশ্রাদ্ধ ঘ অশৌচ পালন
২২৬. উক্ত অনুষ্ঠানটির মূলত সার্থকতা কিসে নিহিত রয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পবিত্র গীতা পাঠে খ প্রদীপ প্রজ্বালনে
> শ্রদ্ধার সঙ্গে দানে ঘ বৃষোৎসর্গে
পাঠ-১৩ ও ১৪ : পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে আদ্যশ্রাদ্ধের গুরুত্ব ও অভিন্ন বিধানের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব [পৃষ্ঠা-৫২]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২৭. আদ্যশ্রাদ্ধের মাধ্যমে কোন ফল লাভ করা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আত্মা পবিত্র হয়
খ স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন দৃঢ় হয়
> ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে সামাজিকতার বীজ অঙ্কুরিত হয়
ঘ সন্তানের আয় বৃদ্ধি হয়
২২৮. অলোক চক্রবর্তীর ছেলে তমঃগুণে প্রভাবিত হয়েছে। সে কী বলে গণ্য হবে? (প্রয়োগ)
ক ক্ষত্রিয় খ বৈশ্য
> শূদ্র ঘ ব্রাহ্মণ
২২৯. সাধন মণ্ডলের ছেলে সত্ত্বগুণে প্রভাবিত হয়েছে। সে কী বলে গণ্য হবে? (প্রয়োগ)
> ব্রাহ্মণ খ শূদ্র
গ বৈশ্য ঘ ক্ষত্রিয়
২৩০. ‘কর্মভেদে বর্ণবিভাজন হয়’ কথাটি কোথায় বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক রামায়ণে খ মহাভারতে
> শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ঘ শ্রী চণ্ডীতে
২৩১. বর্ণবিভাজন হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক জন্মভেদে > কর্মভেদে
গ রূপভেদে ঘ সম্পদভেদে
২৩২. চারটি বর্ণ সৃষ্টি করার কথা কে বলেছেন? (জ্ঞান)
ক বিষ্ণু > ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
গ শ্রীরামকৃষ্ণ ঘ তারকেশ্বর
২৩৩. গীতায় কর্ম ও গুণের বিভাগ অনুসারে কয়টি বর্ণের উলেস্নখ আছে? (জ্ঞান)
ক তিন > চার
গ পাঁচ ঘ ছয়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩৪. আদ্যশ্রাদ্ধের গুরুত্ব রয়েছে (অনুধাবন)
র. ধর্মীয় দিক দিয়ে
রর. সামাজিক দিক দিয়ে
ররর. পারিবারিক দিক দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২৩৫. আদ্যশ্রাদ্ধের মাধ্যমে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আত¥ীয়-স্বজনদের মিলনমেলা হয়
রর. সামাজিকতার বীজ অঙ্কুরিত হয়
ররর. পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২৩৬. আদ্যশ্রাদ্ধের ফল হতে পারে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মৃত ব্যক্তির স্বর্গলাভ
রর. উত্তরসূরিদের মঙ্গল
ররর. জগতের কল্যাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৭. হিন্দুসমাজে অভিন্ন বিধান প্রয়োজন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সামগ্রিক ঐক্যের জন্য
রর. পারস্পরিক সম্প্রীতির জন্য
ররর. ঈশ্বরপ্রাপ্তির জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৮. ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বর্ণ সৃষ্টি করেছেন (অনুধাবন)
র. গুণ অনুযায়ী
রর. কর্ম অনুযায়ী
ররর. বংশ অনুযায়ী
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৯. জাতি বা বর্ণভেদের মূল ভিত্তি হলো (অনুধাবন)
র. গুণগত রর. কর্মগত
ররর. বংশগত
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৪০ ও ২৪১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অনিকের দাদু মারা যাওয়ার পরে ধর্মীয় বিধিবিধান অনুযায়ী একটি অনুষ্ঠানে পাড়া প্রতিবেশী, আত¥ীয়স্বজন আসেন। এই অনুষ্ঠানে মৃত ব্যক্তির আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে এবং পরিবার, জ্ঞাতিবর্গের দুঃখের সাথে একাত¥ হন।
২৪০. অনিকদের বাড়িতে কোন অনুষ্ঠানের কথা উলেস্নখ করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া খ অশৌচ
> আদ্যশ্রাদ্ধ ঘ মরণাশৌচ
২৪১. উক্ত অনুষ্ঠানের ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়
রর. আত¥ীয়স্বজনের একটি মিলন মেলা হয়
ররর. সামাজিক বীজ অঙ্কুরিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৪২ ও ২৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ধর্মতত্ত্ব ও বর্ণভেদের আলোচনা প্রসঙ্গে হরিপদ পণ্ডিত বলেন বর্ণভেদ জন্মগত নয়, কর্মের দ্বারাই এটি নির্ধারিত হয়। তাই এ নিয়ে বিবাদ কমাতে হিন্দুসমাজে অভিন্ন বিধিবিধান চালু হওয়া প্রয়োজন।
২৪২. ধর্মতত্ত্ব ও বর্ণভেদের আলোচনাটি হরিপদ পণ্ডিত কোন গ্রন্থ থেকে জেনেছেন? (প্রয়োগমূলক)
ক রামায়ণ থেকে খ বেদ থেকে
গ শ্রীচণ্ডী থেকে > শ্রীমদ্ভগবদগীতা থেকে
২৪৩. যে কারণে উক্ত সমাজে অভিন্ন বিধিবিধান প্রয়োজন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঈশ্বরতুষ্টির জন্য
রর. পারস্পরিক সম্প্রীতির জন্য
ররর. সামগ্রিক ঐক্যের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
> রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
স্নাতক পরীক্ষা শেষে মিতার বাবা-মা তার বিবাহের দিন ধার্য করে। ঐদিন মিতাকে বস্ত্র ও অলংকার সজ্জিত করে তার বাবা তাকে বরের হাতে সম্প্রদান করেন। এ অনুষ্ঠানে পুরোহিত মন্ত্র পাঠ ও যজ্ঞের মাধ্যমে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন করেন।
ক. সংস্কার কী?
খ. কেন অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান করা হয়?
গ. মিতার বিবাহ পদ্ধতিটি তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মিতার বিবাহ কার্য সম্পাদনে যজ্ঞানুষ্ঠানের যৌক্তিকতা বিশেস্নষণ কর।
ক. ঐতিহ্য অনুসরণ করে হিন্দুদের সমগ্রজীবনে যে সকল মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান করা হয় সেগুলোকে বলা হয় সংস্কার।
খ. পুত্রের ষষ্ঠমাসে এবং কন্যার পঞ্চম, অষ্টম বা দশম মাসে পূজাদি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম অন্নভোজনের নাম অন্নপ্রাশন। সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনার জন্য অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান করা হয়।
গ. মিতার বিবাহ পদ্ধতিটি হলো ব্রাহ্মবিবাহ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি আমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
দশবিধ সংস্কারের মাঝে বিবাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই বিবাহের প্রক্রিয়ার রকমভেদ আছে। স্মৃতিশাস্ত্রের বিখ্যাত গ্রন্থ মনুসংহিতায় আট প্রকার বিবাহের উলেস্নখ আছে-ব্রাহ্ম, দৈব, আর্ষ, প্রাজাপত্য, আসুর, গান্ধর্ব, রাক্ষস এবং পৈশাচ। এই আট প্রকারের মাঝে বর্তমানে প্রাজাপত্য বিবাহ সমাজে বেশি প্রচলিত। এতে কন্যাকে বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদন করে এবং অলংকার দ্বারা সজ্জিত করে বিদ্বান ও সদাচারী বরকে স্বয়ং আমন্ত্রণ করে কন্যাদান করা হয়। উদ্দীপকেও দেখা যায়, মিতার বাবা মিতার বিবাহের দিন ধার্য করে। ঐদিন মিতাকে বস্ত্র ও অলংকার সজ্জিত করে তার বাবা তাকে বরের হাতে সম্প্রদান করেন। এ অনুষ্ঠানে পুরোহিত মন্ত্র পাঠ ও যজ্ঞের মাধ্যমে তাদের বিবাহ কার্যসম্পন্ন করেন।
উলিস্নখিত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, মিতার বিবাহ পদ্ধতিটি হলো ব্রাহ্মবিবাহ পদ্ধতি।
ঘ. উদ্দীপকে মিতার বিবাহ কার্য সম্পাদনে যজ্ঞানুষ্ঠানটির যথেষ্ট যৌক্তিক তা রয়েছে।
যজ্ঞানুষ্ঠানের জন্য বর্গাকার যজ্ঞক্ষত্রে তৈরি করা হয়। বেদমন্ত্র উচ্চারণ করে মনের অহংকার মান অভিমান হিংসা-বিদ্বেষ ঘৃণাসহ সকল অসাধু চিন্তারূপী ঘি-মাখা আমপাতা আগুনে আহুতি দেওয়া হয়। এরপর দেবপুরোহিত অগ্নিকে পরপর সাতবার প্রদক্ষণি করে প্রণাম করতে হয়। এভাবেই সাত পাকে বেঁধে নবদম্পতি বিশুদ্ধ নবজীবন লাভ করে। মন্ত্রের মাধ্যমে বিবাহের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গভীর একাত¥তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জীবন হয় একসূত্রে গাঁথা। এই যজ্ঞানুষ্ঠানের মাধ্যমে অগ্নিদেবের কাছে বর-কনে আমৃত্যু বাঁধা হয়ে থাকে। আমৃত্যু তারা সুখে-দুঃখে একসাথে থাকার প্রতিজ্ঞা করে এবং জীবনের নতুন অধ্যায়ে শুরু হয় পথচলা।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, মিতার বিয়েতে বিবাহ অনুষ্ঠানে মন্ত্রপাঠ ও যজ্ঞের মাধ্যমে কার্য সম্পন্ন করেন। উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, মিতার বিবাহ কার্য সম্পাদনে যজ্ঞানুষ্ঠানের অপরিসীম রয়েছে।
প্রশ্ন-২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তাপস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা অবস্থায় শিপ্রাকে ভালোবেসে মাল্যদানের মাধ্যমে বিয়ে করে। কিন্তু তার মা-বাবা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। পড়ালেখা শেষে তাপস চাকরিতে যোগদান করলে তার মা-বাবা তাকে বিয়ের কথা বললে তাপস তাঁদেরকে সব কথা খুলে বলে। তখন তার মা-বাবা খুশিমনে শিপ্রাকে ঘরে তোলে।
[এসএসসি স. বো. ’১৫]
ক. অধিবাস বিয়ের কয়দিন পূর্বে পালিত হয়? ১
খ. সোহাগজল কী? বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. তাপস ও শিপ্রার বিষয়টি কোন প্রকারের তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তাপস ও শিপ্রা কি ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করেছিল? তোমার উত্তরের সপড়্গে যুক্তি প্রদর্শন কর। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অধিবাস বিয়ের একদিন পূর্বে পালিত হয়।
খ. সোহাগজল হলো বিয়ের পর এটি একটি মেয়েলি আচার বা সংস্কার। নবদম্পতিকে ঘরে নিয়ে মুকুট সাজে সজ্জিত করে একটি পাটিতে বসানো হয়। স্বামীর বাম পাশে স্ত্রী। সরা জাতীয় একটি মাটির পাত্রে নির্দিষ্ট পরিমান জল দেয়া হয়।
এই জলটুকু কিন্তু সাধারণ জল নয়। বিয়ের আগের দিন এয়োতী (সধবা) নারীরা সাতঘাট ঘুরে জল এনে সযত্নে রেখে দেন। এই জলে বর ও বধূর মাথার মুকুট থেকে একটু করে শোলা নিয় আনন্দদায়ক একটি মাঙ্গলিক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ জলকেই বলা হয় সোহাগজল। কোনো কোনো স্থানে একে শান্তিজলও বলা হয়।
গ. তাপস ও শিপ্রার বিয়েটি হলো গান্ধর্ব বিবাহ।
গান্ধর্ব বিবাহ হচ্ছে এমন একটি বিবাহের ধরন, যেখানে নারীপুরুষ পরস্পর শপথ গ্রহণ করে মাল্য বিনিময়ের মাধ্যমে বিবাহ করে। মহাভারতে দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার বিবাহ গার্ন্ধব বিবাহের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এ ধরনের বিবাহ আমাদের সমাজে এখনও প্রচলিত আছে।
উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই, তাপস ও শিপ্রা পড়ালেখা করা অবস্থায় ভালোবেসে মাল্যদানের মাধ্যমে বিবাহ করে। পড়ালেখা শেষে তাপস চাকরিতে যোগদান করে এবং তাদের বিয়ের কথা বাবা-মাকে জানায়। তখন তাপসের মা-বাবা খুশিমনে শ্রিপাকে ঘরে তোলে।
সুতরাং উলিস্নখিত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, তাপস ও শিপ্রার বিবাহটি গান্ধর্ব প্রকারের বিবাহ।
ঘ. তাপস ও শিপ্রা নিশ্চিতরূপেই ধর্মীয় রীতি মেনেই বিয়ে করেছিল।
তাপস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা অবস্থাতেই ভালোবেসে মালা বদলের মাধ্যমে শিপ্রাকে বিয়ে করে। এটি হলো গান্ধর্ব প্রকার বিবাহ।
স্মৃতিশাস্ত্রের বিখ্যাত গ্রন্থ মনুসংহিতায় আট প্রকার বিবাহের উলেস্নখ আছে : ব্রাহ্ম, দৈব, আর্ষ, প্রাজাপত্য, আসুর, গান্ধর্ব, রাক্ষস এবং পৈশাচ। এই আট প্রকার বিবাহের মধ্যে ব্রাহ্ম, দৈব, আর্ষ ও প্রাজাপাত্য উলেস্নখযোগ্য। যদিও বর্তমান সমাজে ব্রাহ্মবিবাহ অধিক প্রচলিত। কিন্তু সমাজে গান্ধর্ব বিবাহেরও প্রচলন আছে। নারী-পুরুষ পরস্পর শপথ করে মাল্যবিনিময়ের মাধ্যমে যে বিবাহ করে তার নাম গান্ধর্ব বিবাহ। মহাভারত দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার বিবাহ গান্ধর্ব বিবাহের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
অতএব উপরিউক্ত, যুক্তি বিশেস্নষণপূর্বক একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, তাপস ও শিপ্রা ধর্মীয় রীতি মেনেই বিয়ে করেছিল।
প্রশ্ন-৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গতকাল হঠাৎ করে ধীরেন্দ্র বাবু মারা গেলে তার পুত্ররা গ্রামবাসীর সহায়তায় পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে। নির্দিষ্ট সময় অশৌচ পালনের পর আদ্যশ্রাদ্ধানুষ্ঠান ঘটা করে আয়োজন করে।
[এসএসসি স. বো. ’১৫]
ক. মৃত্যু মানে কী? ১
খ. ‘জন্মভেদে নয়, বরং কর্মভেদেই বর্ণ বিভাজন’Ñকথাটি বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. ধীরেন্দ্র বাবুর পুত্রদের অশৌচ পালনের কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আদ্যশ্রাদ্ধানুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ধীরেন্দ্র বাবুর পুত্ররা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেÑ তোমার উত্তরের সপড়্গে যুক্তি দাও। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মৃত্যু মানে দেহ থেকে আত্মার বহির্গমন।
খ. শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে, জন্মভেদে নয়, বরং কর্মভেদেই বর্ণ বিভাজন হয়।
যে রকম পেশায় নিয়োজিত তার বর্ণটি সে অনুসারে হয়। এ প্রসঙ্গে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেনÑ ‘চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ’- অর্থাৎ- গুণ ও কর্মের বিভাগ অনুসারে আমিই চারটি বর্ণ সৃষ্টি করেছি।
সুতরাং বলা যায়, জাতি বা বর্ণভেদ বংশগত নয়, গুণ ও কর্মগত।
গ. ধীরেন্দ্র বাবুর পুত্রদের অশৌচ পালনের কারণ পিতার মৃত্যুতে মন শোকে আচ্ছন্ন হওয়া এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা।
পিতা-মাতা জীবদ্দশায় সারাদিন কর্মক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে এলে তাঁদের স্পর্শ আমাদের স্বর্গসুখ দেয়। হঠাৎ করে তাঁদের চির অনুপস্থিতি সন্তানকে বিচলিত করে তোলে। এমনকি নিকট আত¥ীয়স্বজনের মৃত্যুও আমাদের বিষাদগ্র¯ত্ম করে তোলে। তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হয়। কিন্তু বিচলিত মনে ঈশ্বরকে সবিনয়ে পূর্ণ একাগ্রতা আসে না। এজন্য চাই শান্ত মন। তাই সময়ের প্রয়োজন। আর এ প্রস্তুতির জন্য অশৌচ পালন কর্তব্য। এতে মন ধীরে ধীরে শান্ত হয় এবং মনে প্রশান্তি ফিরে আসে। এছাড়া মৃত ব্যক্তির পরিবার, জ্ঞাতিবর্গ অশৌচ পালন করে তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, ধীরেন্দ্র বাবু হঠাৎ করে মারা যাওয়ার কারণে শোকে ভারাক্রান্ত হয়ে তার পুত্ররা অশুচি হয়। তখন পিতার আত্মার শান্তি কামনা তথা শ্রাদ্ধ করার জন্য দেহ ও মনে প্রস্তুতি নেওয়ার উদ্দেশে ধীরেন্দ্র বাবুর পুত্ররা অশৌচ পালন করে।
ঘ. আদ্যশ্রাদ্ধানুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ধীরেন্দ্র বাবুর পুত্ররা একাগ্রচিত্তে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে। আমার মতে এ কথাটি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। উদ্দীপকের ধীরেন্দ্র বাবু হঠাৎ করে মারা যাওযার পর গ্রামবাসীর সহায়তায় তার পুত্ররা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং নির্দিষ্ট সময় অশৌচ পালনের পর ঘটা করে আদ্যশ্রাদ্ধানুষ্ঠান আয়োজন করে।
‘শ্রদ্ধা’ শব্দের সঙ্গে ‘অন্’ প্রত্যয় যোগে ‘শ্রাদ্ধ’ শব্দ গঠিত। শ্রদ্ধার সঙ্গে যা দান করা হয় তাই শ্রাদ্ধ। সুতরাং যেখানে শ্রদ্ধার সংযোগ নেই সেখানে আড়ম্বর থাকলেও শ্রাদ্ধ হয় না। কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর প্রথমে যে শ্রাদ্ধ করণীয় তাকে বলা হয় আদ্যশ্রাদ্ধ। অশৌচকাল উত্তীর্ণ হলে তার পর দিন অনুষ্ঠিত হয় এই শ্রাদ্ধ। আদ্যশ্রাদ্ধের পূর্ণ নাম আদ্য একোদিষ্ট শ্রাদ্ধ। একজন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে এই শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান হয় বলে তাকে বলা হয় একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ। অর্থাৎ একজনের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার সাথে দান। আদ্যশ্রাদ্ধের যে শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই গুরুত্ব আছে তা নয়, পারিবারিক ও সামাজিক দিক থেকেও এর গুরুত্ব যথেষ্ট। কেউ মারা গেলে পাড়া-প্রতিবেশী, আত¥য়স্বজন যেমন দেখতে আসেন তেমনি মৃত ব্যক্তির আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে তার পরিবার, জ্ঞাতিবর্গের দুঃখের সাথে একাত¥ হন। এতে মানুষের মধ্যে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। সকলেই সমব্যথী হয়। পাশাপাশি আত¥ীয়স্বজনের একটি মিলনমেলাও হয়। একজনে প্রতি আরেক জনের শ্রদ্ধা ভালোবাসা বেড়ে যায়।
অতএব, উপরিক্ত যুক্তি ও আলোচনা থেকে এটা নিশ্চিতরূপেই বলা যায় যে, আদ্যশ্রাদ্ধানুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ধীরেন্দ্র বাবুর পুত্ররা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে।
প্রশ্ন-৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নতুন জীবনের প্রত্যাশায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নয়নতারা এবং শ্রীমান মুখার্জি। বছর যেতে না যেতেই তাদের কোলজুড়ে এলো ফুটফুটে কন্যা সন্তান। জন্মের সাথে সাথে কন্যার বাবা তার মুখে যব, যষ্টিমধু, ঘি দিয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করলেন। একাদশ দিনে নাম রাখা হলো তুলতুলি। দশম মাস পড়ার সাথে সাথে মেয়ের মুখে তুলে দিলেন অন্ন।
[পাঠ-১ ও ২]
ক. বিবাহ কী? ১
খ. মনুসংহিতা, পরাশরসংহিতা কী জাতীয় গ্রন্থ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের কোন সংস্কারগুলোর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটিতে হিন্দুধর্মের সংস্কারের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে কি? মতামত দাও। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যৌবনে বেদ ও পিতৃপূজা, হোম প্রভৃতির মাধ্যমে মন্ত্রোচ্চারণ পূর্বক বর ও বধূর মিলন রূপ সংস্কারকে বিবাহ বলে।
খ. মনুসংহিতা, পরাশরসংহিতা হলো হিন্দুদের বিধিবিধান সম্বলিত বিখ্যাত গ্রন্থাবলি। এগুলোকে বলা হয় স্মৃতিশাস্ত্র। আমাদের পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয প্রাচীন ঋষিরা ধর্মীয় আচার-আচরণ ও মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশ দিয়েছেন। এ উদ্দেশ্যে তারা একক ধর্মীয় বিধান সংবলিত স্মৃতিশাস্ত্র রচনা করেছেন।
গ. উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের সংস্কারের মধ্যে বিবাহ, জাতকর্ম, নামকরণ এবং অন্নপ্রাশন সংস্কারগুলোর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
বিবাহ হচ্ছে হিন্দু সংস্কারের মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সংস্কার। বিবাহের মাধ্যমে একজন নারী এবং একজন পুরুষ একত্রে বসবাস করার বৈধতা লাভ করে। এরপর সন্তান লাভ করে আর জন্মের পর পিতা যব, ষষ্টিমধু, ঘি দ্বারা সন্তানের জিহবা স্পর্শ করে মন্ত্রোচ্চারণ করেন জাতকর্ম সংস্কারের। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার দশ, একাদশ, দ্বাদশ ও শততম দিবসে নামকরণ করা হয়। এছাড়া কন্যা সন্তানের পঞ্চম, অষ্টম এবং দশম মাসে পূজাদি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সন্তানের অন্নপ্রাশন করা হয়।
উদ্দীপকে উলিস্নখিত সংস্কারগুলোরই প্রতিফলন ঘটেছে। কারণ নয়নতারা এবং শ্রীমান মুখার্জি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একত্রে বসবাস করছে। এছাড়া তাদের সন্তান তুলতুলির জন্মের সাথে সাথে শ্রীমান তার মুখে যব, যষ্টিমধু, ঘি দ্বারা জিহ্বা স্পর্শ করে জাতকর্ম সংস্কারটি পালন করেছে। তুলতুলির জন্মের একাদশতম দিনে নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া দশম মাসে তুলতুলির মুখে ভাত দিয়ে অন্নপ্রাশন সংস্কারটি পালন করা হয়েছে। উপর্যুক্ত আলোচনায় মাধ্যমে বলা যায় যে, উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের চারটি সংস্কারেরই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকটিতে হিন্দু সংস্কারের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।
কারণ হিন্দু স্মৃতিশাস্ত্রে হিন্দুদের জীবন পরিচালনার ড়্গেেত্র দশবিধ সংস্কারের কথা উলেস্নখ আছে। এগুলো হলো-গর্ভাধান, পুংসবন, সীমন্তোন্নয়ন, জাতকর্ম, নামকরণ, অন্নপ্রাশন, চূড়াকরণ সমাবর্তন, উপনয়ন ও বিবাহ। এসব সংস্কারের মধ্যে উদ্দীপকে কেবল বিবাহ, জাতকর্ম, নামকরণ এবং অন্নপ্রাশন সংস্কারগুলোর ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে গর্ভাধান, পুংসবন এবং সীমন্তোন্নয়ন সংস্কারগুলোর প্রচলন বর্তমানে নেই বললেই চলে। এছাড়া রয়েছে সমাবর্তন, চূড়াকরণ এবং উপনয়ন। প্রাচীনকালে পাঠ শেষে গুরুগৃহ থেকে নিজগৃহে ফিরে আসার সময় যে অনুষ্ঠান হতো তার নাম সমাবর্তন। এই অনুষ্ঠানে গুরু শিষ্যকে অনেক মূল্যবান উপদেশ দিতেন। চূড়াকরণ হলো ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য- এ তিন বর্ণের প্রাচীন সংস্কার বিশেষ, যাতে ম¯ত্মক মুণ্ডন করে মধ্যস্থলে একগুচ্ছ চুল রেখে দেয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে বালকের যজ্ঞোপবীত ধারণ বা পৈতা দেয়ার নাম উপনয়ন। কিন্তু আলোচ্য উদ্দীপকে এ সংস্কারের কোনো ধারণা দেয়া হয়নি। এখানে শুধু বিবাহ, অন্নপ্রাশন, জাতকর্ম ও নামকরণ সংস্কারের ধারণা দেয়া হয়েছে। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায়, উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের সংস্কারের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।
প্রশ্ন-৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার জন্য প্রাচীন ঋষিরা কিছু মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশনা দিয়েছেন। সপ্তমের বাবা তাই এ নির্দেশনানুসারে ছয়মাস বয়সের সময় তাকে নিয়ে যায় মন্দিরে। সেখানে গিয়ে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম তার মুখে ভাত তুলে দেয়। এ উপলড়্গে বৃদ্ধ কিছু ভিড়্গুককে ডেকে নিয়ে লোকনাথ মন্দিরে অন্নভোজন করান সপ্তমের মা। স্মৃতিশাস্ত্রে এ ধরনের দশবিধ সংস্কারের কথা বলা আছে। [পাঠ-১ ও ২]
ক. কখন সমাবর্তন করা হতো? ১
খ. ‘বিবাহ’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি লেখ। ২
গ. উদ্দীপকের আলোচনায় যে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত শাস্ত্রে এ ধরনের দশবিধ সংস্কারের কথা বলা হয়েছেÑ এ বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রাচীনকালে গুরুগৃহ থেকে নিজগৃহে ফিরে আসার সময় সমাবর্তন করা হতো।
খ. ‘বিবাহ’ শব্দটি বি-পূর্বক বহ্ ধাতু ও ঘঞ্ প্রত্যয়যোগে গঠিত। বহ্ ধাতুর অর্থ ‘বহন করা’ এবং বি উপসর্গের অর্থ বিশেষরূপে। ‘বিবাহ’ শব্দের অর্থ বিশেষরূপে ভারবহন করা। অর্থাৎ বিবাহের ফলে পুরুষকে স্ত্রীর ভরণপোষণ এবং মানসম্ভ্রম রক্ষার সার্বিক দায়িত্ব পালন করতে হয়।
গ. উদ্দীপকে প্রতীয়মান বিষয়টি হিন্দুধর্মীয় একটি মাঙ্গলিক সংস্কারমূলক অনুষ্ঠান অন্নপ্রাশন সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
অন্নপ্রাশন পুত্রের ষষ্ঠ মাসে এবং কন্যার পঞ্চম, অষ্টম বা দশম মাসে অনুষ্ঠেয় একটি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান, যার মাধ্যমে শিশুকে প্রথম অন্নভোজন করানো হয়। যেমনটি সপ্তমের বাবা ও মা তাকে লোকনাথ বাবার মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তার ছয় মাস বয়সে প্রথম মুখে ভাত তুলে দিয়ে পালন করেছেন। মূলত পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয প্রাচীন ঋষিরা ধর্মীয় আচার-আচরণ ও মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশ দিয়েছেন। মনুসংহিতা নামক গ্রন্থে হিন্দুদের ধর্মীয় আচার-আচরণ ও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের বর্ণনা রয়েছে।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, সপ্তমের বাবা ধর্মের নির্দেশনানুসারে তার ছয়মাস বয়সের সময় মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার মুখে ভাত তুলে দেওয়া হয়।
উলিস্নখিত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায়, উদ্দীপকের বিষয়টি হিন্দুধর্মীয় মাঙ্গলিক।
ঘ. স্মৃতিশাস্ত্রে দশবিধ সংস্কারের কথা বলা হয়েছেÑ কথাটি সত্যিকার অর্থে যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে করি।
কেননা স্মৃতিশাস্ত্রে হিন্দুধর্মের জাগতিক এবং পারমার্থিক ক্রমবিকাশ ও হিন্দুসমাজ পরিচালনার বিধিবিধান সন্নিবেশিত হয়েছে। আমাদের পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয প্রাচীন ঋষিরা ধর্মীয় আচার-আচরণ ও মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশ দিয়েছেন। এ উদ্দেশ্যেই রচিত হয়েছে মনুসংহিতা, যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা, পরাশরসংহিতা প্রভৃতি স্মৃতিশাস্ত্র। এসব গ্রন্থে বর্ণিত বিধিবিধানকে আশ্রয় করে হিন্দুদের সমগ্র জীবনে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান।
দশবিধ সংস্কার হলো গর্ভাধান, পুংসবন, সীমন্তোন্নয়ন, জাতকর্ম, নামকরণ, অন্নপ্রাশন, চূড়াকরণ, সমাবর্তন, উপনয়ন ও বিবাহ।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেড়্গেিত বলা যায় যে, দশবিধ সংস্কারের অন্যতম আধার স্মৃতিশাস্ত্র।
প্রশ্ন-৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মালা দাসের বাবা তার বিয়ে ঠিক করেছেন একজন বিদ্বান, সদাচারী মানুষের সাথে। তিনি কন্যাকে বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদন করে এবং অলংকার দ্বারা সজ্জিত করে বিদ্বান ও সদাচারী বরকে স্বয়ং আমন্ত্রণ করে মেয়েকে বরের হাতে সমর্পণ করলেন। মালা প্রবেশ করল এক নতুন জীবনে। নিজ পরিবার-সংসার জীবনের প্রতি বেড়ে গেল তার দায়িত্ব-কর্তব্য। দশবিধ সংস্কারের মধ্যে এটি অন্যতম একটি সংস্কার। [পাঠ-৩ ও ৪]
ক. বিবাহ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. বিবাহ শব্দটি কীভাবে গঠিত হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের বিবাহের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে উক্ত সংস্কারের গুরুত্ব পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বিবাহ শব্দের অর্থ বিশেষভাবে ভারবহন করা।
খ. বিবাহ শব্দটি বি-পূর্বক বহ্ ধাতু ও ঘঞ্ প্রত্যয়যোগে গঠিত। বহ্ ধাতুর অর্থ ‘বহন করা’ এবং ‘বি’ উপসর্গের অর্থ বিশেষরূপে। সুতরাং ‘বিবাহ’ শব্দটির অর্থ বিশেষরূপে ভারবহন করা। বিবাহের ফলে পুরুষকে স্ত্রীর ভরণপোষণ এবং মানসম্ভ্রম রক্ষার সার্বিক দায়িত্ব পালন করতে হয়।
গ. উদ্দীপকে বিবাহ ব্রাহ্মবিবাহের ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে।
স্মৃতিশাস্ত্রের বিখ্যাত গ্রন্থ মনুসংহিতায় আট প্রকারের বিবাহের কথা উলেস্নখ আছে। তš§ধ্যে বর্তমান সমাজে ব্রাহ্মবিবাহ প্রচলিত। এই বিবাহে কন্যাকে বস্ত্র আচ্ছাদন করে এবং অলংকার দ্বারা সজ্জিত করে বিদ্বান ও সদাচারী বরকে স্বয়ং আমন্ত্রণ করে যে কন্যা দান করা হয় তাকে ব্রাহ্মবিবাহ বলে।
উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, মালা দাসের বাবা মেয়েকে অলংকার ও বস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করে একজন বিদ্বান ও সদাচারী বরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কন্যাকে বরের হাতে সম্প্রদান করলেন। বিবাহের এ ধরনটি ব্রাহ্মবিবাহেরই ইঙ্গিত করছে। বর্তমান সমাজের অধিকাংশ বিবাহ এই রীতিতেই হয়ে থাকে। নানা লোকাচার-আচারের মাধ্যমে এ বিবাহটি সম্পন্ন হয়। যা মালার ড়্গেেত্রও অনুসরণ করা হয়েছে। উলিস্নখিত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায়, উদ্দীপকে ব্রাহ্মবিবাহেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ঘ. দশবিধ সংস্কারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সংস্কার বিবাহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বিবাহের গুরুত্ব অপরিসীম। বিবাহ হলো হিন্দুসমাজে ধর্মীয় জীবনের চর্চা। বিবাহের ফলে পুরুষকে স্ত্রীর ভরণপোষণ এবং মানসম্ভ্রম রক্ষার সার্বিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গড়ে ওঠে একাত¥তার সম্পর্ক। জীবন হয় একসূত্রে গাঁথা। আমৃত্যু তারা সুখে-দুঃখে একসাথে থাকার প্রতিজ্ঞা করে এবং জীবনের নতুন অধ্যায়ে শুরু হয় পথ চলা। বিবাহের দ্বারা নারী জননীরূপে লাভ করে মাতৃত্ব এবং পুরুষ সন্তানের জনক হয়ে লাভ করে পিতৃত্ব। বিবাহের মাধ্যমে মাতা-পিতা-পুত্র-কন্যা সকলকে নিয়ে গড়ে ওঠে সুখের সংসার, যাকে কেন্দ্র করে প্রেমপ্রীতি, স্নেহ। বাৎসল্য প্রভৃতি মানব মনের সুকুমার বৃত্তিগুলো পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়। গড়ে ওঠে আলোকিত মানুষ গড়ার সূতিকাগার।
উদ্দীপকে আমরা মালার জীবনটি পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই বিবাহের মাধ্যমে সে প্রবেশ করেছে এক নতুন জীবনে, যেখানে তার দায়িত্ব-কর্তব্য বেড়ে গেছে বহুগুণে। শুরু হয়েছে জীবনের নতুন অধ্যায়।
প্রশ্ন-৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুচন্দা চক্রবর্তী নাতনির বিয়ের বরযাত্রী হয়েছেন। বিয়ের এই আয়োজন দেখে তার মনে পড়ে গেল আজ থেকে ৬০ বছর আগে সেই দিনটির কথা। সকল ঘৃণা, অহংকার, মান-অভিমানসহ অসাধু চিন্তারূপী ঘি-মাখা আমপাতা আগুনে আহুতি দেওয়ার কথা। মনে অজানা ভয়, পুলকিত, শিহরিত অন্তরাত্মা নিয়ে অজয় চক্রবর্তীর (স্বর্গত) পেছনে পরিক্রমণ করার কথা। আজ নেই সেই চিহ্ন যা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আজ তার নাতনি সেই গুরুত্বপূর্ণ একটি চিহ্ন বহন করতে যাচ্ছে। দু’চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রম্ন গড়িয়ে পড়ল। একি বেদনার, না আনন্দের? [পাঠ-৫, ৬ ও ৭]
ক. জন্মের পর পিতা যব, যষ্টিমধু ও ঘৃত দ্বারা সন্তানের জিহ্বা স্পর্শ করেন কোন সংস্কারে? ১
খ. বিবাহ বলতে কী বোঝ? ২
গ. সুচন্দা চক্রবর্তী কোন বিশেষ ঘটনার স্মৃতিচারণ করছিলেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘সিঁথিতে বিবাহ চিহ্ন একজন হিন্দু রমণীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা’ উদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যটি বিশেস্নষণ কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জন্মের পর পিতা যব, যষ্টিমধু ও ঘৃত দ্বারা সন্তানের জিহ্বা স্পর্শ করেন জাতকর্ম সংস্কারে।
খ. হিন্দুধর্মীয় সংস্কার বিবাহ, যা প্রত্যেকটি নর-নারী পালন করে থাকে। যৌবনে বেদ ও পিতৃপূজা, হোম প্রভৃতির মাধ্যমে মন্ত্রোচ্চারণপূর্বক বর ও বধূর মিলনরূপ সংস্কারকে বিবাহ বলে।
গ. সিঁথিতে বিবাহ চিহ্ন একজন হিন্দু রমণীয় জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা- এ উক্তিটি যথার্থ। যেমনটি উদ্দীপকের সুচন্দা চক্রবর্তী তার বিবাহের সাতপাকে বাঁধা ও যজ্ঞানুষ্ঠানের কথা মনে করছিলেন, বা স্মৃতিচারণ করছিলেন।
মূলত যজ্ঞানুষ্ঠান ও সাতপাকে বাঁধা বিবাহের অন্যতম পর্ব। বেদমন্ত্র উচ্চারণ করে মনের অহংকার, মান-অভিমান, হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণাসহ সকল অসাধু চিন্তারূপী ঘি-মাখা আমপাতা আগুনে অঞ্জলি দিতে হয়। এরপর দেবপুরোহিত অগ্নিকে পরপর সাতবার প্রদক্ষণি করে প্রণাম করতে হয়। এভাবেই সাতপাকে নবদম্পতি বিশুদ্ধ নবজীবন লাভ করে। এই যজ্ঞানুষ্ঠানের মাধ্যমে অগ্নিদেবের কাছে বর-কনে আমৃত্যু বাঁধা হয়ে থাকে। অনেক স্থানে কলাগাছ বেষ্টিত বিবাহ আসরে সাতবার ঘোরানো হয়। বর সম্মুখে কনে তার পেছনে। বর তার বাঁ হাতের কড়ে আঙুল দিয়ে কনের ডান হাত হুকের মতো ধরে বিবাহ আসরের চারদিকে সাতবার ঘোরে। দুজনের কাপড়ের কোণা একত্র করে একটা গিঁটও দেওয়া হয়। যেমনটি উদ্দীপকের সুচন্দা চক্রবর্তী তার বিবাহের যজ্ঞানুষ্ঠান ও সাতপাকে বাঁধা পর্বটি সম্পাদন করেছিলেন।
ঘ. সিঁথিতে বিবাহ চিহ্ন একজন হিন্দু রমণীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বক্তব্যটি যুক্তিপূর্ণ।
কেননা বিবাহ সম্পাদন করতে হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী কয়েকটি পর্ব সম্পাদন করতে হয় তাদের মধ্যে অন্যতম পর্ব হলো সিঁথিতে বিবাহ চিহ্ন। সম্প্রদান ও যজ্ঞানুষ্ঠান শেষে বর কনের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। সিঁদুর দিয়ে বিবাহ চিহ্ন পরানো একজন হিন্দু রমণীর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এতে স্বর্ণ আংটি বা দর্পণ কিংবা কলার আগমাচ ব্যবহৃত হয়। এরপর থেকেই কনে অর্থাৎ স্ত্রী স্বামীর জীবিতাবস্থায় সিঁথিতে সিঁদুর পরে। তবে আমাদের দেশে অনেক স্থানে গায়ে হলুদের দিন আবার কোথাও কোথাও বাসি বিয়ের দিন সিঁদুর পরানোর অনুষ্ঠান হয়।
পরিশেষে বলা যায়, সিঁদুর স্বামীর মঙ্গলের চিহ্ন হিসেবে এবং কনে যে বিবাহিত এটা জানার জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নিলিমার বাবা সমীরের হাতে কন্যাকে সম্প্রদান করেন। নিলিমার বিবাহ পর্ব শেষ হলে তার বাবা ঘর থেকে ফ্রিজ, ল্যাপটপসহ সংসারের বিভিন্ন জিনিস বের করে সমীরের বাবাকে বুঝিয়ে দিলেন। কিন্তু সমীরের বাবা এসব জিনিস গ্রহণ করতে আপত্তি জানালেন। কারণ তিনি মনে করেন এগুলো গ্রহণ করা এবং প্রদান করা দুটোই অপরাধ। [পাঠ-৮]
ক. ‘বহ্’ ধাতুর অর্থ কী? ১
খ. দশবিধ সংস্কার পালনের কারণ কী? ২
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত ঘটনাটি পাঠ্যবইয়ের কোন বিষয়টির ইঙ্গিত করেছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘এগুলো গ্রহণ করা এবং প্রদান করা দুটোই অপরাধ’ উদ্দীপকের এই বাক্যটির প্রেড়্গেিত তোমার মতামত উপস্থাপন কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘বহ্’ ধাতুর অর্থ হলো বহন করা।
খ. মানুষের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণকর করে গড়ে তোলার জন্য দশবিধ সংস্কার পালন করা হয়। স্মৃতিশাস্ত্রে গর্ভাধান, পুংসবন, নামকরণ, অন্নপ্রাশন ইত্যাদি দশটি সংস্কারের উলেস্নখ আছে। মানবজীবনকে সুন্দর ও কল্যাণকরভাবে গড়ে তোলার লড়্গ্েয প্রাচীন ঋষিরা যেসব ধর্মীয় বিধিবিধান দিয়েছিলেন তাই দশবিধ সংস্কার।
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত ঘটনাটি পাঠ্যবইয়ের যে বিষয়টির ইঙ্গিত করে তা হলো পণ। কন্যাকে পাত্রস্থ করার সময় বরপক্ষকে যদি নগদ অর্থ, সম্পদ প্রভৃতি দিতে হয় তাহলে তাকে পণ বলে। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে সমগ্র জীবনে যে দশটি সংস্কার বা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান রয়েছে তš§ধ্যে বিবাহ শ্রেষ্ঠ। বিবাহের দ্বারা পুরুষ সন্তানের জনক হয়ে লাভ করেন পিতৃত্ব এবং নারী জননীরূপে লাভ করেন মাতৃত্ব। বিবাহের মাধ্যমে মাতা, পিতা, পুত্র, কন্যা, সকলকে নিয়ে গড়ে ওঠে সুখের সংসর, যাকে কেন্দ্র করে প্রেমপ্রীতি, স্নেহ বাৎসল্য প্রভৃতি মানব মনের সুকুমার বৃত্তিগুলো পরিপূর্ণরূপে বিকশিত হয়। উদ্দীপকেও দেখা যায়, নিলিমার বাবা কন্যার বিবাহপর্ব শেষ হলে সমীরের বাবাকে বিভিন্ন জিনিস পত্র বুঝিয়ে দেয়। যা হিন্দু সমাজে প্রাচীন কাল থেকে বিবাহের সময় বিভিন্ন দ্রব্যাদি ছাড়াও নগদ টাকা-পয়সা কনের বাবা বরপক্ষকে প্রদান করে থাকে। সুতরাং উলিস্নখিত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, উদ্দীপকে উলিস্নখিত ঘটনাটি পাঠ্যবইয়ের পণপ্রথার বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করেছে।
ঘ. হ্যাঁ, আমি মনে করি সত্যিকার অর্থে পণ গ্রহণ করা এবং প্রদান করা দুটোই অপরাধ। এই পণপ্রথা বা যৌতুকপ্রথা একটি সামাজিক ব্যাধি। বহুকাল থেকে এটি আমাদের অনেক ক্ষতি করছে। পণ গ্রহণ এবং প্রদান দুটোই সমান অপরাধ। এর মূলে রয়েছে অশিক্ষা, অসচেতনতা, পিতৃতান্ত্রিক ও পুরুষ-নিয়ন্ত্রিত সমাজব্যবস্থা।
বর্তমান সমাজব্যবস্থায় এই পণপ্রথা নিন্দনীয় এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ। এ জঘন্য প্রথা নির্মূল করার জন্য দরকার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, সামাজিক প্রতিরোধ, নারীকে শিক্ষতি ও সচেতন করে যথাযোগ্য মর্যাদা দান। এছাড়াও মানসিক প্রসারতা ও জীবনমুখী শিক্ষা এ প্রথা নির্মূলে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। সর্বোপরি পণ বা যৌতুকবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। যেমনটি উদ্দীপকেও দেখা যায়, নিলিমার বিবাহ পর্ব শেষ হলে তার বাবা ঘর থেকে ফ্রিজ, ল্যাপটপসহ সংসারের বিভিন্ন জিনিস বের করে সমীরের বাবাকে বুঝিয়ে দিলেন। কিন্তু সমীরের বাবা এসব জিনিস গ্রহণ করতে আপত্তি জানালেন। কারণ তিনি মনে করেন এগুলো গ্রহণ করা এবং প্রদান করা দুটোই অপরাধ।
উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, ‘পণ গ্রহণ করা এবং পণ প্রদান করা’ দু’টোই অপরাধ’ উদ্দীপকের এ উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন-৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রবীর তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। গতকাল সকালে হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করে তার বাবা মারা গেছেন। বাবার মৃতদেহের পাশে বসে সে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। পাশের বাড়ির রমেন কাকা এসে বললেন, অনেক কেঁদেছ আর কেঁদ না; এখন তোমার বাবার মৃতদেহ বস্ত্রাবৃত, মালা, চন্দনাদি দ্বারা বিভূষিত করে শ্মশানে নিতে হবে।
[পাঠ-৯ ও ১০]
ক. মনুসংহিতায় কত প্রকার বিবাহ রয়েছে? ১
খ. মালাবদল বলতে কী বোঝ? ২
গ. প্রবীর কীভাবে তার বাবার সৎকার বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদন করেছিল পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রবীর এর কাজটির তাৎপর্য মূল্যায়ন কর। ৪
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মনুসংহিতায় আট প্রকার বিবাহ রয়েছে।
খ. হিন্দুধর্মানুসারে বিবাহের সময় বর তার গলার মালাটি কনের গলায় এবং একইভাবে কনেও তার গলার মালাটি বরের গলায় পরিয়ে দেয়। এই প্রক্রিয়া পরপর তিনবার করা হয় যাকে মালাবদল পর্ব বলা হয়।
গ. প্রবীর যেভাবে তার বাবার সৎকার বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদন করেছিল পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা করা হলো।
মৃত্যুর পর দেহটিকে বস্ত্রাবৃত ও মালা চন্দনাদি দ্বারা বিভূষিত করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃতদেহের মাথা দক্ষণি দিকে রেখে তাকে কুশের উপর শয়ন করানো হয়। দাহাধিকারী স্নান করে এসে মৃতদেহের গায়ে তেল ও কাঁচা হলুদ মেখে তাকে স্নান করান।
স্নানের পরে মৃতদেহকে নতুন কাপড় ও মালা পরিয়ে কপালে চন্দন দিতে হয়। এরপর দুই চোখ, দুই কান, নাকের দুই ছিদ্র ও মুখ এই সপ্তছিদ্র স্বর্ণ বা কাঁসা দ্বারা আচ্ছাদন করতে হয়। তারপর পিণ্ডদান করতে হয়। এরপর আমকাঠ বা চন্দনকাঠ দিয়ে চিতা সাজানো হয়। তারপর শবকে চিতায় শয়ন করানো হয়। চন্দনকাঠ পাওয়া না গেলে ক্ষতি নেই। যেখানে যেমন কাঠ প্রাপ্য তা দিয়ে দাহকার্য সম্পন্ন করতে হবে। বর্তমানে বৈদ্যুতিক চুলিস্নতেও শবদাহ করা হয়।
ঘ. ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে অবশ্যই প্রবীরের কাজটির তাৎপর্য রয়েছে। আত্মা দেহ থেকে নির্গত হলে দেহটি একটি জড়বস্তুতে পরিণত হয় এবং প্রাকৃতিক নিয়মে ধীরে ধীরে এটি পচতে শুরু করে। ভূপৃষ্ঠে পড়ে থাকলে তখন ভীতির সঞ্চার হয় এবং পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই শাস্ত্রে মৃতদেহের সৎকারের বিধান দেওয়া হয়েছে। সুতরাং শবদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া একটি ধর্মীয় বিধান। তবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার শুধু যে ধর্মীয় দিক থেকেই গুরুত্ব আছে তা নয়, সামাজিক দিক থেকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কেউ মারা গেলে পাড়াপ্রতিবেশী, আত¥ীয়স্বজন দেখতে আসেন। মৃত ব্যক্তির পরিবার, জ্ঞাতিবর্গ অশৌচ পালন করে তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। এতে সামাজিক অনুশাসনের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। তাছাড়া অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মন্ত্রটি উচ্চারণের ফলে আত্মা পবিত্র হয়। সকলের মধ্যে একটা সৌহার্দপূর্ণ মন তৈরি হয়। মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি হয়।
উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে বল যায় যে, ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে অবশ্যই প্রবীরের কাজটির তাৎপর্য রয়েছে।
প্রশ্ন-১০ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পিযুষ বাবুর বাবার মৃত্যুর পর দশদিন হবিষ্যান্ন খেয়ে জীবন ধারণ করেছেন। এরপর মাথা মুণ্ডন করে ধর্মীয় বিধান অনুসারে অন্যান্য কাজ সম্পাদন করেছেন। প্রথম প্রথম তার মনটা খুব খারাপ থাকত এরপর আ¯েত্ম আ¯েত্ম ঠিক হয়ে যায়। মনে স্থিরতার ভাব জেগে ওঠে। ফলে ঐ সময়ের ধর্মীয় কাজগুলো করতে তার সুবিধা হয়। [পাঠ-১১]
ক. অন্ত্যেষ্টি শব্দের অর্থ কী? ১
খ. মৃতদেহের সৎকার করা প্রয়োজন কেন? ২
গ. পিযুষ বাবু ও তার জ্ঞাতিরা কোন ধরনের অশৌচ পালন করেছেন? পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পিযুষ বাবুর উক্ত কাজটির গুরুত্ব বিশেস্নষণ কর। ৪
১০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অন্ত্যেষ্টি শব্দের অর্থ শেষযজ্ঞ।
খ. দেহ থেকে আত্মা বের হয়ে গেলে মৃতদেহ ক্রমে পচে যায় বলে মৃতদেহের সৎকার করার প্রয়োজন হয়। শাস্ত্রে মৃতদেহের সৎকারের বিধান দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহের সৎকার বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মাধ্যমে মৃতদেহকে ঈশ্বরে সমর্পণ করা হয় এবং মৃতব্যক্তির আত্মার মঙ্গল কামনা করা হয়।
গ. পিযুষ বাবু ও তার জ্ঞাতিরা মরণাশৌচ পালন করেছেন।
মৃত্যুর পর যে অশৌচ পালন করা হয় তার নাম মরণাশৌচ। মাতাপিতার মৃত্যুর পর অশৌচ কালে হবিষ্যান্ন বা ফলফলাদি খেয়ে জীবন ধারণ করতে হয়। এ সময় কঠোর সংযম পালন করে শ্রাদ্ধ করার উপযুক্ততা অর্জন করতে হয়। অশৌচকালে উঠানে একটি তুলসী গাছ রোপণ করে সেখানে প্রতিদিন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে জল ও দুগ্ধ প্রদান করতে হয়। পিতামাতার মৃত্যুর পর চতুর্থ দিনে ও দশম দিনে পিণ্ড দান করতে হয়। এই পিণ্ডকে বলা হয় পূরকপিণ্ড। পূরক পিণ্ড দিতে হয় মোট দশটি। অশৌচান্তের দ্বিতীয় দিবসে হয় শ্রাদ্ধ। অশৌচ পালনে বর্ণপ্রথার প্রভাব দেখা যায়। উচ্চবর্ণের চেয়ে নি¤্নবর্ণের লোকদের অশৌচ পালনের দিবস সংখ্যা বেশি। বর্তমানে প্রায় সকল বর্ণের বা গোত্রের মানুষ দশ দিন অশৌচ পালন করে একাদশ কিংবা ত্রয়োদশ দিবসে, কেউ কেউ পনেরো দিন অশৌচ পালন করে ষোড়শ দিবসে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে থাকেন।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, পিযুষ বাবু তার বাবার মৃত্যুর পরে দশদিন হবিষ্যান্ন খেয়ে জীবন ধারণ করেছে। এরপর মাথা মুণ্ডন করে ধর্মীয় বিধান অনুসারে অন্যান্য কাজ সম্পাদন করেছে।
উলিস্নখিত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, পিযুষ বাবু ও তার জ্ঞাতিরা মরণাশৌচ পালন করেছে।
ঘ. পিযুষ বাবুর অশৌচ পালনের গুরুত্ব অপরিসীম।
নিচে অশৌচ পালনের গুরুত্ব বিশেস্নষণ করা হলো :
অশৌচ পালন যে শুধু শাস্ত্রীয় বিধিবিধান তা-ই নয়, সামাজিক দিক থেকেও এর যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। পিতামাতার জীবদ্দশায় সারাদিন কর্মক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে এলে তাঁদের স্পর্শ আমাদের স্বর্গসুখ দেয়। হঠাৎ তাদের চির অনুপস্থিতি সন্তানকে বিচলিত করে তোলে। এমনকি নিকট আত¥ীয়স্বজনের মৃত্যুও আমাদের বিষাদগ্র¯ত্ম করে তোলে। তাদের আত্মার শান্তি কামনায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হয়। কিন্তু বিচলিত মনে ঈশ্বরের প্রতি সবিনয়ে পূর্ণ একাগ্রতা আসে না। এজন্য চাই শান্ত মন। তাই সময়ের প্রয়োজন। আর এ প্রস্তুতির জন্য অশৌচ পালন কর্তব্য। এতে মন ধীরে ধীরে শান্ত হয় এবং মনে প্রশান্তি ফিরে আসে। এছাড়া মৃত ব্যক্তির পরিবার ও জ্ঞাতিবর্গ অশৌচ পালন করে তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। উদ্দীপকেও দেখা যায়, পিযুষ বাবুর পিতার মৃত্যুর পরে ধর্মীয় বিধানানুসারে সকল কাজ সম্পাদন করেছেন। প্রথম দিকে মনটা খারাপ ছিল এরপর ধীরে ধীরে ঠিক হয়েছে। মনে স্থিরতা ভাব জেগে ওঠে। ধর্মীয় কাজগুলো করতে পারে।
উপর্যুক্ত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, পিযুষ বাবুর অশৌচ পালনের কাজটির গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন-১১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মায়ের মৃত্যুর একাদশ দিনে অশৌচ পালন করার পর প্রদীপ প্রজ্বলিত করে বাস্তুপুরুষ যজ্ঞেশ্বর ও ভূস্বামীর পূজা দিল নয়ন চাঁদ। তারপর মায়ের উদ্দেশে আসন, ছাতা, তাম্বুল উৎসর্গ করলেন তিনি। পরে পিণ্ডদান করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটালেন। তার এ কাজে পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে সাধুবাদ জানাল। [পাঠ-১২]
ক. আদ্যশ্রাদ্ধের পূর্ণনাম কী? ১
খ. অশৌচের প্রকারভেদ লেখ। ২
গ. উদ্দীপকে কোন সংস্কারটির ধারণা দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. নয়ন চাঁদের উক্ত কাজটিকে এলাকাবাসীর সাধুবাদ জানানোর কারণ বিশেস্নষণ কর। ৪
১১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. আদ্যশ্রাদ্ধের পূর্ণনাম আদ্য একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ।
খ. শুচিতা বা পবিত্রতার অভাবকে অশৌচ বলে। অশৌচ দুই প্রকার। যথা : জননাশৌচ ও মরণাশৌচ। কেউ জš§গ্রহণ করলে যে অশৌচ হয় তার নাম জননাশৌচ এবং কেউ মৃত্যুবরণ করলে যে অশৌচ হয় তার নাম মরণাশৌচ।
গ. উদ্দীপকে হিন্দুসমাজের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ আদ্যশ্রাদ্ধের সংস্কারটির ধারণা দেয়া হয়েছে।
কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর প্রথমে যে শ্রাদ্ধ করণীয় তাকে বলা হয় আদ্যশ্রাদ্ধ। অশৌচ উত্তীর্ণ হলে তার পরদিন শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। আদ্যশ্রাদ্ধকে একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধও বলা হয়। একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধের প্রথমে প্রদীপ প্রজ্বলিত করে বাস্তুপুরুষ, যজ্ঞেশ্বর ও ভূস্বামীর পূজা করা হয়। অতঃপর মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে আসন, ছাতা, পাদুকা, বস্ত্র, অন্ন প্রভৃতি উৎসর্গ করে মন্ত্রোচ্চারণ করা হয়। এরপর পিণ্ড দান করে শ্রাদ্ধ সমাপ্ত করতে হয়। উদ্দীপকে নয়ন চাঁদ মায়ের মৃত্যুর অশৌচ পালনের পরের দিন প্রদীপ প্রজ্বলিত করে বাস্তুপুরুষ, যজ্ঞেশ্বর এবং ভূস্বামীর পূজা করেছে। এরপর সাধ্য অনুযায়ী তাম্বুল, ছাতা, আসন উৎসর্গ করে মন্ত্রোচ্চারণ করেছে এবং পিণ্ডদান করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেছে। এ কাজগুলো আদ্যশ্রাদ্ধ পালনের অন্তর্ভুক্ত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে হিন্দুসমাজের আদ্যশ্রাদ্ধ সংস্কারটির ধারণা দেওয়া হয়েছে।
ঘ. নয়ন চাঁদের উক্ত কাজটি হলো হিন্দু সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারবিধি আধ্যশ্রাদ্ধ। এ কাজটিকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছে। কারণ আদ্যশ্রাদ্ধ মৃত ব্যক্তির আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি পারিবারিক এবং সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত অশৌচ পালনের পরের দিন মৃতের উদ্দেশে পূজা করে মন্ত্রোচ্চারণ করা হয় এবং সাধ্যানুযায়ী বিভিন্ন জিনিস উৎসর্গ করা হয়। ধর্মীয় গুরুত্বের পাশাপাশি আদ্যশ্রাদ্ধের পারিবারিক এবং সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে। এ গুরুত্বের কারণেই এলাকাবাসী নয়ন চাঁদের মায়ের আদ্যশ্রাদ্ধ পালনকে সাধুবাদ জানিয়েছে। আদ্যশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে আত¥ীয়স্বজন, এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে জ্ঞাতিবর্গের দুঃখের সাথে একাত¥তা প্রকাশ করে। এতে মানুষের মধ্যে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। একে অন্যের দুঃখের সমব্যাথী হয়। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি পায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সামাজিকতার একটি বীজ অঙ্কুরিত হয়। সামাজিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব উপলব্ধি করেই এলাকাবাসী নয়ন চাঁদের কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-১২ সুমন অফিসে বসে কাজ করছিল। দুপুরে সহকর্মী পলাশ জানতে চাইল সে খাবে কিনা। তখন সুমন বলল, আমার কাকীমা গত পরশু মারা গেছেন তাই আমি শরীরের পবিত্রতা অর্জন করছি। তখন পলাশ বলল, গতকাল ভাইয়ের ছেলে হয়েছে আমিও জননাশৌচ করছি। তখন তারা কিছু ফল খেয়ে দুপুরের আহার সম্পন্ন করে এবং বলে ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে অশৌচ পালনের তাৎপর্য অপরিসীম।
[মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]
ক. মৃত্যুর পর তুলসি তলায় কী দিতে হয়? ১
খ. মানুষ মারা গেলে কীভাবে অশৌচ পালন করতে হয়? ২
গ. উদ্দীপকে উক্ত ব্যক্তিদের অশৌচ পালনের মধ্যকার তুলনামূলক ব্যাখা দাও। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত বাক্যটি বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৩ গরিব কৃষক মোহন রায় অতি কষ্টে মেয়েকে বিএ পাস করিয়েছেন। এখন মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছেন। কিন্তু বিয়েতে বরপক্ষ দুই লক্ষ টাকা দাবি করেছে। টাকা দিতে না পারলে মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাবে, লগ্নাভ্রষ্টা হবে মেয়ে সেই ভেবে মোহন রায় মেয়েকে না জানিয়ে ভিটেবাড়ি সব বিক্রি করে দেয়। নিঃস্ব হয়ে যায় মোহন লাল। মেয়ে কতটুকু সুখী হবে এটাই এখন তার একমাত্র ভাবনা।
ক. অধর্ম কী? ১
খ. কোন নীতি অনুসরণ করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব? ২
গ. উদ্দীপকটিতে সমাজ জীবনের কোন ব্যাধিটির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. এ ব্যাধি নির্মূলে সচেতন সমাজের করণীয় বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৪ নিঝুম অন্ধকার রাত। চারদিক থেকে ভেসে আসছে ঝিঁঝিঁ পোকা আর ডাহুক পাখির ডাক। পুলিন দাস সঙ্গীদের নিয়ে শ্মশানে বসে আছে। কখন এসে শবদেহ পৌঁছাবে। রাতের মধ্যে দাহকার্য সম্পন্ন করতে হবে। হঠাৎ পুলিনের মনে পড়ল গুরুদেবের কথা। তিনি বলেছিলেন, শবদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া একটি ধর্মীয় বিধান হলেও এটি মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করে।
[ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
ক. অশৌচ কত প্রকার? ১
খ. সংস্কার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. পুলিন দাস কীভাবে শবদাহ সম্পন্ন করবে? পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে ব্যাখ্যা কর ৩
ঘ. পুলিনের গুরুদেবের মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। ৪
প্রশ্ন-১৫ মোহন লাল আর পৃথিবীতে নেই। তার মৃত্যু সংবাদ শুনে জ্যেষ্ঠ ছেলে বাড়িতে গিয়ে বাবার মুখাগ্নি করল। অগ্নিদানের পূর্বে সে মন্ত্র পাঠ করল। এরপর সকল নিয়ম অনুসরণ করে শ্মশান থেকে বাড়ি ফিরল তারা।
ক. মৃতের চিতা কোন কাঠ দিয়ে সাজাতে হয়? ১
খ. মৃতদেহ সৎকারের সময় মন্ত্র পাঠ করা হয় কেন? ২
গ. মোহন লালের জ্যেষ্ঠ ছেলে মুখাগ্নি করার পর কোন নিয়মগুলো অনুসরণ করবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সামাজিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৬ জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার জন্য প্রাচীন ঋষিরা কিছু মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশনা দিয়েছেন। অনুভবের বাবা তাই এ নির্দেশনানুসারে তার ছয়মাস বয়সের সময় তাকে নিয়ে যায় স্বামীবাগ লোকনাথ বাবার মন্দিরে। সেখানে গিয়ে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম তার মুখে ভাত তুলে দেয়। এ উপলড়্গে বৃদ্ধ কিছু কিছু ভিড়্গুককে ডেকে নিয়ে মন্দিরের অন্নভোজন করান অনুভবের মা। স্মৃতিশাস্ত্রে এ ধরনের দশবিধ সংস্কারের কথা বলা আছে।
ক. আদ্য একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধে কতজন ব্যক্তির শ্রাদ্ধ করা হয়? ১
খ. আদ্য একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ কী? ২
গ. উদ্দীপকের আলোচনায় যে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. স্মৃতিশাস্ত্রে এ ধরনের দশবিধ সংস্কারের কথা বলা হয়েছেÑ এ বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? ৪
প্রশ্ন-১৭ বড় ছেলে ঢাকায় বড় চাকরি করছে, কবে তার সাথে দেখা হবে এমন দিন গুনতে গুনতে অবশেষে মৃত্যু পথে পাড়ি জমালেন হরিদাস পাল। ছেলে সেই বাড়িতে গেল কিন্তু বাবা তার মুখটি দেখতে পেল না। কি আর করা। বাবাকে চিতায় শয়ন করানোই এখন তার মুখ্য কাজ। তাই মৃতদেহটিকে সৎকারের জন্য বস্ত্রাবৃত ও মালা চন্দনাদি পরিয়ে স্নান করিয়ে পিণ্ডদান করা হলো। আমকাঠ দিয়ে সাজানো হলো চিতা।
ক. অন্ত্যেষ্টি শব্দের অর্থ কী? ১
খ. অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কোন দিকগুলো ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পূর্ণ রূপ দেয়কি? মন্তব্যের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
প্রশ্ন-১৮ বাবার মৃত্যুতে শোকের ছায়া সারা বাড়ি জুড়ে। সবাই কেমন যেন ছন্নছাড়া হয়ে গেছে। ফলফলাদি খেয়ে জীবন ধারণ করছে আত¥ীয়স্বজনরা। কঠোর সংযম আর নানা নিয়মকানুন অনুসরণের মধ্য দিয়ে দিনগুলো অতিবাহিত করছে মৃতের আত¥ীয়রা।
ক. পূরকপিণ্ড কী? ১
খ. অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সামাজিক গুরুত্ব কতটুকু? লেখ। ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধারণাটির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মানুষের জীবনে উক্ত দিকটির গুরুত্ব বিশেস্নষণ কর। ৪
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর
জ্ঞানমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ স্মৃতিশাস্ত্রে কত প্রকার সংস্কারের কথা উলেস্নখ রয়েছে?
উত্তর : স্মৃতিশাস্ত্রে দশ প্রকার সংস্কারের কথা উলেস্নখ রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পুত্র সন্তানের কত মাসে অন্নপ্রাশন করা হয়?
উত্তর : পুত্র সন্তানের ষষ্ঠ মাসে অন্নপ্রাশন করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কন্যা সন্তানের কত মাসে অন্নপ্রাশন করা হয়?
উত্তর : কন্যা সন্তানের পঞ্চম, অষ্টম বা দশম মাসে অন্নপ্রাশন করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বহ্ ধাতুর অর্থ কী?
উত্তর : বহ্ ধাতুর অর্থ ‘বহন করা’।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বিবাহ কী?
উত্তর : যৌবনে বেদ ও পিতৃপূজা, হোম প্রভৃতির মাধ্যমে মন্ত্রোচ্চারণপূর্বক বর ও বধূর মিলনরূপের সংস্কারকে বলা হয় বিবাহ।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বর্তমান সমাজে কোন বিবাহ প্রচলিত?
উত্তর : বর্তমান সমাজে ব্রাহ্মবিবাহ প্রচলিত।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ ‘বিবাহ’ শব্দটি কোন ধাতু প্রত্যয় যোগে গঠিত?
উত্তর : ‘বিবাহ’ শব্দটি বি-পূর্বক বহ্ ধাতু ও ঘঞ্ প্রত্যয়যোগে গঠিত।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ মহাভারতে দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার বিবাহ কিসের উদাহরণ?
উত্তর : দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার বিবাহ গান্ধর্ব বিবাহের উদাহরণ।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ গান্ধর্ব বিবাহ কী?
উত্তর : নারী-পুরুষ পরস্পর শপথ করে মাল্য বিনিময়ের মাধ্যমে যে বিবাহ করে তার নাম গান্ধর্ব বিবাহ।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ কোন গ্রন্থে দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার বিবাহের কথা উলেস্নখ রয়েছে?
উত্তর : মহাভারতে দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার বিবাহের কথা উলেস্নখ রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ অšত্ম্য শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : অšত্ম্য শব্দের অর্থ শেষ।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ ইষ্টি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ইষ্টি শব্দের অর্থ যজ্ঞ।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ কোন পুত্র মুখাগ্নি করে?
উত্তর : জ্যেষ্ঠ পুত্র মুখাগ্নি করে।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ অশৌচ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : অশৌচ শব্দের অর্থ পবিত্রতার অভাব।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ অশৌচকালে উঠানে কী গাছ লাগানো হয়?
উত্তর : অশৌচকালে উঠানে তুলসী গাছ লাগানো হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ কেউ জš§গ্রহণ করলে কোন অশৌচ হয়?
উত্তর : কেউ জš§গ্রহণ করলে জননাশৌচ হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ দশবিধ সংস্কারের মধ্যে কোনটিকে শ্রেষ্ঠ সংস্কার বলা হয়?
উত্তর : দশবিধ সংস্কারের মধ্যে বিবাহকে শ্রেষ্ঠ সংস্কার বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ বিবাহের মূল পর্ব কোনটি?
উত্তর : বিবাহের মূল পর্ব হলো সম্প্রদান পর্ব।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ বিয়ের কততম দিনে বৌভাত করা হয়?
উত্তর : সাধারণত বিয়ের তৃতীয় দিনে বৌভাত করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ পণ কী?
উত্তর : কন্যাকে পাত্রস্থ করার সময় বর পক্ষকে যদি নগদ অর্থ, সম্পদ প্রভৃতি দিতে হয় সেটাই হলো পণ।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ অন্ত্যেষ্টি শব্দটি কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর : ‘অন্ত’ ও ‘ইষ্টি’ এই শব্দ দুটি মিলে অন্ত্যেষ্টি শব্দটি গঠিত হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ সংস্কার কাকে বলে?
উত্তর : ঐতিহ্য অনুসরণ করে হিন্দুদের সমগ্র জীবনে যেসব মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান করা হয় সেগুলোকে বলা হয় সংস্কার।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ নিয়মানুযায়ী মৃতের মুখাগ্নি করেন কে?
উত্তর : নিয়মানুযায়ী সাধারণত জ্যেষ্ঠ ছেলে মৃতের মুখাগ্নি করেন।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ শৌচ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : শৌচ শব্দের অর্থ হলো শুচিতা।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ অশৌচ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : অশৌচ শব্দের অর্থ হলো পবিত্রতার অভাব।
প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ জননাশৌচ কী?
উত্তর : কেউ জন্মগ্রহণ করলে যে অশৌচ হয় তার নাম জননাশৌচ।
প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ কত পুরুষ পর্যন্ত জ্ঞাতিত্ব বর্তমান থাকে?
উত্তর : সপ্তম পুরুষ পর্যন্ত জ্ঞাতিত্ব বর্তমান থাকে।
প্রশ্ন ॥ ২৮ ॥ মরণাশৌচ কী?
উত্তর : কেউ মৃত্যুবরণ করলে যে অশৌচ হয়, তার নাম মরণাশৌচ।
প্রশ্ন ॥ ২৯ ॥ যৌতুক প্রথাকে কী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে?
উত্তর : যৌতুক প্রথাকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৩০ ॥ শ্রাদ্ধ কী?
উত্তর : শ্রদ্ধার সঙ্গে যা দান করা হয় তাই শ্রাদ্ধ।
প্রশ্ন ॥ ৩১ ॥ আদ্যশ্রাদ্ধ কী?
উত্তর : কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর প্রথমে যে শ্রাদ্ধ করণীয় তাকে বলা হয় আদ্যশ্রাদ্ধ।
প্রশ্ন ॥ ৩২ ॥ শ্রাদ্ধের প্রবর্তক কে?
উত্তর : দত্তাত্রেয় মুনির পুত্র নিমি হলেন শ্রাদ্ধের প্রবর্তক।
প্রশ্ন ॥ ৩৩ ॥ আদ্যশ্রাদ্ধের পূর্ণ নাম কী?
উত্তর : আদ্যশ্রাদ্ধের পূর্ণ নাম হলো একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ।
প্রশ্ন ॥ ৩৪ ॥ আমিই চারটি বর্ণ সৃষ্টি করেছি একথা কে বলেছেন?
উত্তর : আমিই চারটি বর্ণ সৃষ্টি করেছি একথা বলেছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
প্রশ্ন ॥ ৩৫ ॥ চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ কোন গ্রন্থে বলা হয়েছে?
উত্তর : চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ একথা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ দশবিধ সংস্কারসমূহ কী?
উত্তর : স্মৃতিশাস্ত্রে দশবিধ সংস্কারের উলেস্নখ আছে। যেমন- ১. গর্ভাধান ২. পুসংবন ৩. সীমন্তোন্নয়ন ৪. জাতকর্ম ৫. নামকরণ ৬. অন্নপ্রাশন ৭. চূড়াকরণ ৮. সমাবর্তন ৯. উপনয়ন ও ১০. বিবাহ।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ দশবিধ সংস্কারের মধ্যে কোনগুলোর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে?
উত্তর : দশবিধ সংস্কারের মধ্যে বর্তমানে গর্ভাধান, পুংসবন, সীমন্তোন্নয়ন প্রভৃতি সংস্কারগুলোর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বিবাহ ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : হিন্দুসমাজে বিবাহ হলো ধর্মীয় জীবনের চর্চা। বিবাহ শব্দটি বি-পূর্বক বহ্ ধাতু ও ঘঞ্ প্রত্যয়যোগে গঠিত। বহ্ ধাতুর অর্থ হলো ভারবহন করা এবং বি উপসর্গের অর্থ বিশেষরূপে। সুতরাং বিবাহ শব্দের অর্থ হলো বিশেষরূপে ভারবহন করা। বিবাহের ফলে পুরুষকে স্ত্রীর ভরণপোষণ এবং মানসম্ভ্রম রক্ষার সার্বিক দায়িত্ব পালন করতে হয়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ধর্মীয় সংস্কারের ইতিবাচক দিকসমূহ চিিহ্নত কর।
উত্তর : আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণকর করে গড়ে তোলাই ধর্মীয় সংস্কারের ইতিবাচক দিক। ধর্ম সবসময় আমাদের কল্যাণের জন্যই বিধিবিধান, আচার-অনুষ্ঠান প্রচলন করে। হিন্দুধর্মের প্রাচীন ঋষিগণ আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণরূপে গড়ে তোলার জন্য এই সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই ধর্মীয় সংস্কারের মাধ্যমে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ সাধিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সমাবর্তন কী?
উত্তর : প্রাচীনকালে পাঠ শেষে গুরুগৃহ থেকে নিজ গৃহে ফিরে আসার সময় যে অনুষ্ঠান হতো তাকে সমাবর্তন বলা হতো।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ গায়ে হলুদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : হিন্দু বিবাহের অন্যতম পর্ব গায়ে হলুদ। গায়ে হলুদ বলতে মূলত বর-কনের স্ব স্ব বাড়িতে ধান, দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদপূর্বক হাত, পায়ে, গায়ে হলুদ মাখিয়ে স্নান করানোকে বোঝায়।
এটি মূলত দেহশুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ ব্রাহ্মবিবাহ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : কন্যাকে বস্ত্র আচ্ছাদন করে এবং অলংকার দ্বারা সজ্জিত করে বিদ্বান ও সদাচারী বরকে স্বয়ং আমন্ত্রণ করে যে কন্যা দান করা হয় তাকে বলে ব্রাহ্মবিবাহ। বর্তমান সমাজে ব্রাহ্মবিবাহই প্রচলিত।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ বর-বরণ কী?
উত্তর : বরকে বিয়ের পিঁড়িতে বা আসনে বসানোর আগে কনে পক্ষরে লোকজন বরণ-কুলা, ফুল-মালা, প্রজ্বলিত ঘৃত-প্রদীপ প্রভৃতি দিয়ে বরকে বরণ করে। এ সময় উলুধ্বনিতে পরিবেশ আনন্দমুখর হয় এবং সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ সিঁথিতে বিবাহ চিহ্ন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সিঁদুর দিয়ে বিবাহ চিহ্ন পরানো একজন হিন্দু রমণীর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এতে স্বর্ণ আংটি কিংবা দর্পণ কিংবা কলার আগমাচ ব্যবহৃত হয়। সম্প্রদানপর্ব ও যজ্ঞানুষ্ঠান শেষে বর কনের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ সম্প্রদান বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বিবাহের মূল পর্বই হচ্ছে সম্প্রদানপর্ব। বিবাহের নির্দিষ্ট পোশাক পরে বর-কনেকে বিয়ের পিঁড়িতে মুখোমুখি বসাতে হয়। বর পূর্বমুখী আর কনে পশ্চিমমুখী হয়ে বসে এবং যিনি কন্যা সম্প্রদান করবেন তিনি উত্তরমুখী হয়ে বসেন। পুত্তলি অঙ্কিত, আম্রপলস্নবে সুশোভিত, গঙ্গাজলপূর্ণ একটা ঘটের উপর বরের চিৎ করা ডান হাতের উপর কনের ডান হাত রাখা হয় এবং তার উপর লাল গামছায় বাঁধা পাঁচটি ফল কুশপত্র আর ফুলের মালা দিয়ে বেঁধে দেয়ার পর সম্প্রদানকর্তা দেবতার নাম উচ্চারণ করে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনিও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে কন্যা সম্প্রদান করেন।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ বিবাহের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিবাহ হচ্ছে হিন্দুসমাজের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কার। বিবাহের মাধ্যমে পুরুষ সন্তানের জনক হয়ে লাভ করেন পিতৃত্ব এবং নারী জননীরূপে লাভ করেন মাতৃত্ব। বিবাহের মাধ্যমে মাতা-পিতা, স্ত্রী-পুত্র,কন্যা সবাইকে নিয়ে গড়ে ওঠে সুখের সংসার, যাকে কেন্দ্র করে মানবমনের সুকুমার বৃত্তিগুলো বিকশিত হয়। গড়ে ওঠে আলোকিত মানুষ গড়ার সূতিকাগার।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ শুচিতা বা পবিত্রতার অভাব বলতে কী বোঝ?
উত্তর : শাব্দিক অর্থে শুচিতা বা পবিত্রতার অভাব অশৌচ হলো মাতা, পিতা বা জ্ঞাতিবর্গের মৃত্যুতে আমাদের অশৌচ হয়। কারণ প্রিয়জনের মৃত্যুতে আমাদের হৃদয় শোকে আচ্ছন্ন হয় বলে চিত্ত ভজনের উপযোগী থাকে না। তখন আমরা অশুচি হই।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ বর্ণ সম্পর্কে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় কী লিখেছেন? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে জš§ভেদে নয়, বরং কর্মভেদেই বর্ণবিভাজন হয়। অর্থাৎ যে যে রকম পেশায় নিয়োজিত তার বর্ণটি সে অনুসারে হয়। এ প্রসঙ্গে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গণকর্র্মবিভাগশ: অর্থাৎ গুণ ও কর্মের বিভাগ অনুসারে আমিই চারটি বর্ণ সৃষ্টি করেছি।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ জাতকর্ম কী?
উত্তর : শিশুর জন্মের পর পিতা যব, যষ্টিমধু ও ঘৃত দ্বারা সন্তানের জিহ্বা স্পর্শ করে মন্ত্রোচ্চারণ করে যে সংস্কারটি পালন করেন, সেটিই হলো জাতকর্ম।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ বিবাহের সর্বশ্রেষ্ঠ মন্ত্রটি উলেস্নখ কর।
উত্তর : বিবাহের সর্বশ্রেষ্ঠ মন্ত্রটি হলো-
‘যদেতৎ হৃদয়ং তব তদস্তু হৃদয়ং মম।
যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব। (ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণ)
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ গায়ে হলুদের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : গায়ে হলুদ মূলত দেহশুদ্ধিকরণ একটি অনুষ্ঠান। কাঁচা হলুদের সাথে মেথি, সুন্ধা, সরিষা, চন্দন প্রভৃতি মাখিয়ে বর বা কনেকে পাটির ওপর বসিয়ে বড়রা আশীর্বাদ করে যে অনুষ্ঠান উদ্যাপন করে তাকে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান বলা হয়। সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বর বা কনের গায়ে উলিস্নখিত দ্রব্যগুলো মাখানো হয়। সুদৃঢ় বিবাহিত জীবন, নব-দম্পতির সুখ-শান্তি কামনা করাই এ অনুষ্ঠানের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ গান্ধর্ব বিবাহ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : নারী পুরুষ পরস্পর শপথ করে মাল্য বিনিময়ের মাধ্যমে যে বিবাহ করে তাকে গান্ধর্ব বিবাহ বলে। মহাভারতে দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার বিবাহ গান্ধর্ব বিবাহের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ ‘পণপ্রথা অধর্ম’ দৃষ্টান্তসহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কন্যাকে পাত্রস্থ করার সময় বরপক্ষকে যদি নগদ অর্থ, সম্পদ প্রভৃতি দিতে হয় সেটাই পণ। এই পণপ্রথা বা যৌতুকপ্রথা সামাজিক ব্যাধি। এটি আমাদের প্রাচীনকাল থেকেই ক্ষতি করে আসছে। পণ গ্রহণ এবং প্রদান দুটোই সমান অপরাধ।
এই প্রথার কারণে অনেক কন্যাদায়গ্র¯ত্ম পিতার হাহাকার বেড়ে যায়। সমাজে এমন দৃষ্টান্ত অহরহ মিলবে। এমনকি পিতার কষ্ট আর দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য পণপ্রথার ভয়ে কন্যা আত¥হত্যাও করে।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ অশৌচ পালনের সুবিধাসমূহ চিিহ্নত কর।
উত্তর : আমাদের আপনজনদের মৃত্যু আমরা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারি না। আমাদের বিষাদগ্র¯ত্ম ও বিচলিত করে। এতে আমাদের মন সাধন-ভজনের উপযোগী থাকে না। অশৌচ পালনের প্রধান সুবিধা হলো এর ফলে আমাদের মন শান্ত হয় এবং প্রার্থনা, সাধন-ভজনের উপযোগী হয়ে ওঠে।
অশৌচ পালনের আরেকটি প্রধান সুবিধা হলো, এতে করে আমাদের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধাও প্রদর্শন করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ কী?
উত্তর : বিবাহের দিন কিংবা আগের দিন বর ও কনে উভয় পক্ষই নিজ নিজ ঘরে পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁদের আশীর্বাদ কামনা করেন। উভয়কুলের পিতৃপুরুষদের প্রতি এই শ্রাদ্ধতর্পণ করাকে বলা হয় বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কেন করা হয়?
উত্তর : অন্ত্যেষ্টি শব্দের অর্থ ‘শেষযজ্ঞ’ অর্থাৎ অগ্নিতে মৃতদেহকে আহুতি দেয়া। মৃত্যু মানে আত্মার দেহত্যাগ। আত্মার দেহ থেকে অন্তর্হিত হলে দেহ একটি প্রাণহীন অচল পদার্থে পরিণত হয় এবং ক্রমে ক্রমে এটি পচে যায়। তাই শাস্ত্রে মৃত্যুদেহের সৎকারের বিধান দেয়া হয়েছে। এই সৎকারই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ আদ্যশ্রাদ্ধের অধিকারী সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : শাস্ত্র অনুসারে জ্যেষ্ঠপুত্র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও আদ্যশ্রাদ্ধের অধিকারী। তিনি মৃত ব্যক্তির মুখাগ্নি করবেন, অশৌচ পালন করবেন। অশৌচান্তে তিনি মাথা-মুণ্ডন করে নতুন বস্ত্র পরিধান করবেন। মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করবেন।