পঞ্চম শ্রেণী বাংলা প্রথম অধ্যায় এই দেশ এই মানুষ

এই দেশ এই মানুষ

শ্রেণি : পঞ্চম বিষয় : বাংলা

এই দেশ এই মানুষ

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

য়    সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।

১)   আমরা বাংলাদেশে জন্মেছিÑএটি আমাদের   

     ক   যোগ্যতা   খ    দুর্ভাগ্য   

     গ    সৌভাগ্য   ঘ    কষ্ট

২)   ‘ইস্টার সানডে’ উৎসবটি কোন ধর্মের অনুসারীরা

     পালন করে থাকে?                

     ক   হিন্দু খ    জৈন

     গ   বৌদ্ধ ঘ    খ্রিষ্টান

৩)   বাংলাদেশে বসবাসকারী নানা জাতির মানুষের মধ্যে

     মূল মিল কোনটি?                 

     ক   সবাই বাংলাদেশের অধিবাসী

     খ    সবাই বাংলায় কথা বলে

     গ   সবাই একই উৎসব উদ্যাপন করে

     ঘ    সবাই একই পোশাক পরিধান করে

৪)   বাংলাদেশে মূলত কয়টি ধর্মের লোকের বাস?  

     ক   ৩টি  খ   ৪টি

     গ   ৫টি  ঘ   ৬টি

৫)   দুর্গাপূজা কাদের ধর্মীয় উৎসব?          

     ক   মুসলমানদের    খ    হিন্দুদের  

     গ    বৌদ্ধদের   ঘ    খ্রিষ্টানদের

৬)   জনজীবন বৈচিত্র্যময় হওয়ায় আমাদের

     কোনটি হয়েছে?             

     ক   দুর্নাম খ    সমস্যা    

     গ   গৌরব     ঘ    উপকার

৭)   নিজস্ব ভাষা আছে কাদের?              

     ক   কুমোরদের খ    হিন্দুদের  

     গ   সাঁওতালদের ঘ    কৃষকদের

৮)   বাংলাদেশে নানা জাতির মানুষ কীভাবে বসবাস করে?

     ক   মিলেমিশে বন্ধুর মতো     

     খ    কাছাকাছি ভাইয়ের মতো

     গ   আলাদা আলাদা নিজের মতো

     ঘ    দূরত্ব বজায় রেখে

৯)   নানা পেশার মানুষ কী দিয়ে এদেশকে গড়ে তুলছে?

     ক   ভাষা দিয়ে খ    আনন্দ-উৎসব দিয়ে   

     গ   ধর্মীয় বিশ্বাস দিয়ে     ঘ    কাজ দিয়ে

১০)  এদেশের প্রায় সকল লোক কোন ভাষায় কথা বলে?

     ক   চাকমা     খ    বাংলা

     গ    হিন্দি ঘ    ইংরেজি

১১)  বাঙালি কারা?                

     ক   যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে

     খ    যারা বাংলাদেশে থাকে 

     গ    যারা বাংলা ভাষা জানে না

     ঘ    যারা বাংলাদেশে থাকে না

১২)  বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন মূলত

     কোথায় বসবাস করে?             

     ক   দেশের রাজধানীতে

     খ    সমতল অঞ্চলের জেলাগুলোতে  

     গ    পার্বত্য জেলাগুলোতে

     ঘ    বিভিন্ন নদীর তীরে

১৩)  সাঁওতালদের বসবাস কোন অঞ্চলে?

     ক   জামালপুর খ    রাজশাহী  

     গ    চট্টগ্রাম    ঘ    সিলেট

১৪)  কৃষক আমাদের জন্য কী করেন?       

     ক   চিকিৎসা সেবা দেন    খ    খাদ্যের জোগান দেন  

     গ    হাঁড়ি-পাতিল বানান    ঘ    লেখাপড়া শেখান

১৫)  ‘সাংরাই’ কাদের উৎসব?                

     ক   চাকমাদের খ    মুসলমানদের   

     গ    রাখাইনদের ঘ    খ্রিষ্টানদের

১৬)  ‘বিজু’ উৎসব কারা পালন করে?         

     ক   রাখাইনরা খ    চাকমারা  

     গ    তঞ্চঙ্গারা   ঘ    গারোরা

১৭)  নববর্ষের দিন আমরা কোন উৎসব পালন করি?

     ক   ঈদ খ    পয়লা বৈশাখ   

     গ    পূজা ঘ    বড়দিন

১৮)  ‘প্রান্তর’ শব্দের অর্থ কী?

     (ক) জনবসতি   (খ)  লোকালয়

     (গ)  মাঠ (ঘ)  এলাকা

১৯) ‘বৈচিত্র্য’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

     (ক)  প্রান্তর     (খ) বেলাভূমি

     (গ)  বিভিন্নতা   (ঘ)  সমুদ্র

২০)  ‘বাংলাদেশের জনজীবন বৈচিত্র্যময়’ বলতে বোঝানো হয়েছেÑ

     (ক)  বাংলাদেশে প্রকৃতি নানা রূপ ধারণ করে

     (খ)  বাংলাদেশে নানা ধরনের মানুষের বাস

     (গ)  বাংলাদেশে অনেক ধর্মের লোক বসবাস করে

     (ঘ)  বাংলাদেশের সব মানুষ একই রকমের

২১)  অনুচ্ছেদে দেশকে কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?

     (ক)  মায়ের সাথে     (খ)  বাবার সাথে

     (গ)  বন্ধুর সাথে      (ঘ)  আত্মীয়ের সাথে

২২)  নিজের দেশকে ঘুরে ঘুরে দেখলে কী হবে?

     (ক)  দেশের উন্নতি হবে

     (খ)  দেশের প্রতি মমতা বাড়বে

     (গ)  নতুন দেশ চেনা হবে

     (ঘ)  দেশের মানুষ অচেনা থাকবে

২৩)  বাংলাদেশের মানুষ একজন আরেকজনকে সাহায্য করছে কীভাবে?

     (ক) অর্থ দিয়ে   (খ)  কাজ দিয়ে

     (গ)  পেশা বদলে (ঘ)  উৎসব পালন করে

২৪) ‘শ্রদ্ধা’ শব্দের অর্থ কী?

     (ক)  ভক্তি (খ)  জীবিকা

     (গ)  আগ্রহ     (ঘ)  উৎসব

২৫) বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে পেশাকে গড়ে তুলছে?

     (ক)  আলাদাভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করে

     (খ)  কৃষকের ওপর নির্ভর করে

     (গ)  পরস্পর সহযোগিতা করে

     (ঘ)  অফিস আদালতে চাকরি করে

২৬) আমাদের সবাইকে ভালোবাসতে হবে কেন?

     (ক)  দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য

     (খ)  কেউ কারও আপন নই বলে

     (গ)  পেশার বিচিত্রতার জন্য

     (ঘ)  কৃষকের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য

২৭)  ‘পেশা’ শব্দের অর্থ কী?

     (ক)  জীবিকার উপায় (খ)  বন্ধুভাবাপন্ন

     (গ)  উৎসব    (ঘ)  বৈচিত্র্যপূর্ণ

     পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর

১) গ  সৌভাগ্য        

২) ঘ খ্রিষ্টান

৩) ক সবাই বাংলাদেশের অধিবাসী

৪) খ   ৪টি

৫) খ হিন্দুদের       

৬) গ গৌরব   

৭) গ সাঁওতালদের        

৮) ক মিলেমিশে বন্ধুর মতো     

৯)ঘ কাজ দিয়ে      

১০) খ বাংলা        

১১)ক যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে

১২) গ     পার্বত্য জেলাগুলোতে

১৩)  খ    রাজশাহী      

১৪) খ     খাদ্যের জোগান দেন  

১৫)  গ    রাখাইনদের    

১৬) খ চাকমারা     

১৭)  খ    পয়লা বৈশাখ        

১৮) (গ) মাঠ;

১৯) (গ) বিভিন্নতা; 

২০) (খ) বাংলাদেশে নানা ধরনের মানুষের বাস;

২১) (ক) মায়ের সাথে;

২২) (খ) দেশের প্রতি মমতা বাড়বে

     ২৩) (খ) কাজ দিয়ে;  

     ২৪) (ক) ভক্তি;

     ২৫) (গ) পরস্পর সহযোগিতা করে;

     ২৬) (ক) দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য;

     ২৭)(খ)জীবিকারউপায়।

     পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন

পাঠ্যবই এর যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

১)   ‘একই দেশ, একই মানুষ অথচ কত বৈচিত্র্য’- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়াও নানা জাতিগোষ্ঠীর লোকজন বসবাস করে। এদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, জীবনযাপন পদ্ধতি ও আনন্দ-উৎসব। দেশের এই জাতিগত বৈচিত্র্যের কথাই বলা হয়েছে বাক্যটিতে।

২)   আমাদের দেশে কোন কোন ধর্মের লোকজন বাস করে?

উত্তর : আমাদের দেশে মূলত মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মের লোকজনের বাস।

৩)   সব পেশার মানুষদের শ্রদ্ধা করতে হবে কেন?

উত্তর : দেশের উন্নয়নে সব পেশার মানুষেরই অবদান আছে। একজন তার কাজ দিয়ে অন্যজনকে সাহায্য করছে। এভাবে আমরা পরস্পর পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে সব পেশার মানুষদের শ্রদ্ধা করতে হবে।

৪)   দেশকে কীভাবে ভালোবাসতে হবে?

উত্তর : দেশ আমাদের মায়ের মতোই। মাকে আমরা যেমন ভালোবাসি, দেশকেও ঠিক তেমনি ভালোবাসতে হবে।

৫)   বাংলাদেশের গৌরব কিসে?

     উত্তর : বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাঙালি হলেও এদেশে রয়েছে আরও নানা ধরনের মানুষ। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, জীবন-যাপনের নিজস্ব পদ্ধতি এবং আলাদা আনন্দ-উৎসব। বাংলাদেশে যে এত বৈচিত্র্যে ভরা মানুষ বসবাস করে এটিই এদেশের গৌরব।

৬)   বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়া আর কারা বাস করে?

     উত্তর : বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়াও বাস করে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, মুরং, তঞ্চঙ্গা রাজবংশী ইত্যাদি।

৭)   বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের উৎসবগুলোর নাম কী?

     উত্তর : বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের নানা রকম উৎসব রয়েছে। নিচে বিভিন্ন ধর্মের উৎসবের নাম উল্লেখ করা হলো :

     মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব : ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা।

     হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব : দুর্গাপূজাসহ নানা উৎসব ও পার্বণ।

     বৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসব : বৌদ্ধ পূর্ণিমা।

     খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব : ইস্টার সানডে, বড়দিন।

৮)   বাংলাদেশের জনজীবনের বৈচিত্র্যসমূহ কী কী?

     উত্তর : বাংলাদেশের জনজীবন খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। নিচে তা তুলে ধরা হলোÑ

ধর্মীয় বৈচিত্র্য – এ দেশে বসবাস করে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ইত্যাদি ধর্মের মানুষ।

পেশাগত বৈচিত্র্য – এ দেশের একেক মানুষ একেক পেশায় নিয়োজিত। কেউ কৃষক, কেউ কুমোর, কেউ আবার কাজ করে অফিস-আদালতে।

জাতিসত্তার বৈচিত্র্য – বাঙালি ছাড়াও এ দেশে চাকমা, মারমা, মুরং, সাঁওতালসহ নানা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন বাস করে।

পোশাক-পরিচ্ছদের বৈচিত্র্য – এদেশের মানুষের পোশাক-আশাকেও অনেক বৈচিত্র্য দেখা যায়। কেউ পরে লুঙ্গি, কেউ শার্ট, কেউ শাড়ি, কেউ বা সালোয়ার কামিজ।

৯)   “দেশ হলো জননীর মতো।” দেশকে জননীর সাথে তুলনা করা হয়েছে কেন?

     উত্তর : জননী স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন। তেমনি দেশও তার আলো-বাতাস-সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। এ কারণেই দেশকে জননীর সাথে তুলনা করা হয়েছে।

১০)  জেলেরা কী কাজ করেন? তারা যদি কাজ না করেন তাহলে আমাদের কী হতে পারে?

     উত্তর : জেলেরা পুকুর, নদী, খাল-বিল ইত্যাদি থেকে মাছ ধরেন।

     জেলেরা যদি তাঁদের কাজ না করেন তাহলে আমরা মাছ খেতে পাব না। এর ফলে আমাদের শরীরে আমিষের অভাব দেখা দেবে। তাই জেলেদের কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১১)  “ধর্ম যার যার, উৎসব যেন সবার।”Ñ এ কথার দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

     উত্তর : আমাদের দেশে সব ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে মিলে-মিশে বসবাস করছে। প্রতিটি ধর্মের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় উৎসব। আমরা সবাই মিলে এ উৎসবগুলো উদ্যাপন করি। উৎসবে আনন্দ করার সময় আমরা কে কোন ধর্মের তা মনে রাখি না। এ কারণেই বলা হয়েছে “ধর্ম যার যার, উৎসব যেন সবার।”

১২)  দেশকে কেন ভালোবাসতে হবে?

     উত্তর : মা আমাদের স্নেহ ও মমতা দিয়ে আগলে রাখেন। ঠিক সেভাবেই দেশও তার আলো, বাতাস, সম্পদ ইত্যাদি দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই দেশ আমাদের মায়ের মতোই। মাকে আমরা যেমন ভালোবাসি দেশকেও তেমনিভাবে ভালোবাসতে হবে। দেশকে ভালোবাসার মাধ্যমেই আমাদের জীবন সার্থক হয়ে উঠবে।

১৩)  দেশ আমাদের কীভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে?

          উত্তর : দেশ আমাদের তার আলো, বাতাস ও সম্পদ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। 

১৪)  আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া উচিত কেন?

          উত্তর : আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা আমাদের আপনজন। তাদের সাথে আমাদের মিলেমিশে থাকা উচিত। তাই দেশের নানা প্রান্তের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে আমরা বেড়াতে যাব। এতে পরস্পরের প্রতি আমাদের ভালোবাসা বাড়বে। দেশের মানুষকে ভালোবাসার অর্থ দেশকেই ভালোবাসা।

১৫) দেশকে কীভাবে দেখতে হবে?

          উত্তর : দেশকে খুব কাছ থেকে দেখতে হবে। দেশের পাহাড়, নদী, সমুদ্র সব জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে। দেশের মানুষের সাথে আন্তরিকভাবে মিশলেও দেশকে দেখা হয়।

১৬)  পয়লা বৈশাখ কিসের উৎসব?

          উত্তর : পয়লা বৈশাখ হলো নববর্ষের উৎসব। 

১৭)  “তাদের পেশাও কত বিচিত্র?” কথাটি কেন বলা হয়েছে?

          উত্তর : বাংলাদেশের মানুষ একেকজন একেক পেশায় নিয়োজিত। কেউ জেলে, কেউ কুমোর, কেউ কৃষক, কেউ আবার কাজ করে অফিস আদালতে। জীবিকা অর্জনের উপায়ের এমন ভিন্নতার কারণে কথাটি বলা হয়েছে।

১৮) সবাইকে ভালোবাসতে হবে কেন?

          উত্তর : আমরা সবাই একে অন্যের বন্ধু, অতি আপনজন। প্রত্যেকেই একে অন্যের ওপর নির্ভর করি। তাই সুন্দরভাবে দেশকে গড়ে তোলার জন্য সবাইকে ভালোবাসতে হবে।

     পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন

য় অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।

     উত্তর : বাংলাদেশে মানুষের মাঝে রয়েছে ধর্মীয় ও পেশাগত নানা বৈচিত্র্য। এসব বৈচিত্র্য থাকা স্বত্ত্বেও সকলেই পরস্পরের বন্ধু। তারা কাজ দিয়ে একে অন্যকে সাহায্য করে। যে কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে সকলে মিলে মিশে আনন্দ করে। এভাবেই পরস্পরকে ভালোবেসে দেশকে গড়ে তুলতে হবে।

     পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন বাস করে। তাদের রয়েছে নিজস্ব জীবনযাপন পদ্ধতি, আনন্দ উৎসব। বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, হালুয়াঘাট ও আশপাশের এলাকায় গারো জাতিগোষ্ঠীর বাস। গারোরা নিজেদের ‘অচিকমান্দি’ বা পাহাড়ি মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। অর্থাৎ মা পরিবারের প্রধান ও মেয়েরা সম্পদের উত্তরাধিকারী। বাবা বিয়ের পর স্ত্রীর সাথে শ্বশুরালয়ে থাকেন এবং পরিবারের দেখাশোনা করেন। গারোরা ‘আবেং’ ভাষায় কথা বলে, যার কোনো লিখিত রূপ নেই। আরেকটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী হলো ত্রিপুরা। এরা বাংলা বছরের সমাপনী দুদিন এবং নববর্ষের প্রথম দিন ‘বৈসু’ উৎসব পালন করে। তখন গ্রামবাসী গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়, কিশোরীরা কানে ফুল, গলায় টাকার ছড়া, পুঁতির মালা আর হাতে কুঁচিবালা ইত্যাদি পরে আনন্দ উৎসবে মাতে। এই দিন ত্রিপুরা নারীরা ১০৮ প্রজাতির লতাপাতা ও ফলমূল সংগ্রহ করে বাড়িতে রান্না করে ও অতিথিদের আপ্যায়ন করে। বাংলাদেশের আরেকটি উল্লেখযোগ্য জাতিগোষ্ঠী হলো মণিপুরি। তাদের আদিবাস ভারতের আসাম ও মণিপুর রাজ্য। বর্তমানে তারা বাংলাদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় বাস করে। এরা মূলত কৃষিজীবী। অধিকাংশই সনাতন ধর্মের অনুসারী। মণিপুরি সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ।

য়    নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।  

শব্দ  অর্থ

সনাতন    চিরস্থায়ী

মাতৃতান্ত্রিক মা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত

উত্তরাধিকারী    স্বজনের মৃত্যুর পর সম্পত্তির মালিক

শ্বশুরালয়  শ্বশুরবাড়ি

সমাপনী    শেষ

সমৃদ্ধ     উন্নত

ক)  বিলেত একটি  নগরী।

খ)   বড় আপা  থেকে আমাদের বাড়ি এলেন।

গ)   সভাপতি সাহেব  ভাষণ দিলেন।

ঘ)    পরিবারে মায়েরাই প্রধান।

ঙ)   সালাম তার বাবার সম্পত্তির একমাত্র ।

     উত্তর: ক) সমৃদ্ধ; খ) শ্বশুরালয়; গ) সমাপনী;  ঘ) মাতৃতান্ত্রিক;   ঙ) উত্তরাধিকারী।

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

ক)  ত্রিপুরারা কোন কোন দিন ‘বৈসু’ উৎসব পালন করে? উৎসবটি তারা যেভাবে পালন করে তা তিনটি বাক্যে লেখ।

          উত্তর : ত্রিপুরারা বাংলা বছরের শেষ দুদিন এবং বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ‘বৈসু’ উৎসব পালন করে। নিচে তিনটি বাক্যে তাদের উৎসব পালন সম্পর্কে লেখা হলো

১)   ‘বৈসু’ উৎসবের সময় গ্রামবাসী ত্রিপুরারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়।

২)   কিশোরীরা কানে পরে ফুল, গলায় ঝোলায় টাকার ছড়া, পুঁতির মালা আর হাতে থাকে কুঁচিবালা।

৩)   এই দিন ত্রিপুরা নারীরা ১০৮ প্রজাতির লতাপাতা ও ফলমূল সংগ্রহ করে বাড়িতে রান্না করে ও অতিথিদের আপ্যায়ন করে।

খ)   মণিপুরিদের সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

          উত্তর : মণিপুরিদের সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিচে উল্লেখ করা হলো-

১)   মণিপুরিদের আদি নিবাস ছিল ভারতের আসাম ও মণিপুর রাজ্যে।

২)   বাংলাদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় মণিপুরিরা বাস করে।

৩)   মণিপুরিদের মূল পেশা কৃষিকাজ।

৪)   মণিপুরিরা মূলত সনাতন ধর্মের অনুসারী।

৫)   মণিপুরিদের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। 

গ)   ‘গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক’Ñকথাটি চারটি বাক্যে বুঝিয়ে লেখ।

          উত্তর : গারো সমাজে মায়েরাই পরিবারের প্রধানের ভূমিকা পালন করেনÑ কথাটির মাধ্যমে এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে। এ সমাজে পুরুষ তাঁর স্ত্রীর সাথে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। পুরুষরাই পরিবার দেখাশোনার কাজ করেন। মেয়েরা সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়।

ঘ)   গারোরা বাংলাদেশে কোন কোন স্থানে বসবাস করে? ‘আবেং’ সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ। 

উত্তর : গারোরা বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, হালুয়াঘাট ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বসবাস করে।

‘আবেং’ হচ্ছে গারোদের নিজস্ব ভাষা। এ ভাষার কোনো লিখিত রূপ নেই।

     যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ

য়    নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।

     স্ট, ত্র, ন্ধ, ন্দ, স্ব, প্র, দ্র, ম্প।

     উত্তর :

স্ট   =    স + ট                  স্ট্যাম্প   

     –    চিঠির খামের ওপর স্ট্যাম্প লাগাতে হয়।

ত্র   =    ত + র-ফলা (  ্র )      পত্রিকা   

     –    বাবা পত্রিকা পড়ছেন।

ন্ধ   =    ন + ধ                  সন্ধ্যা

     –    সন্ধ্যায় বাড়ি যাব।

ন্দ   =    ন + দ                  পছন্দ

     –    খুকীর পছন্দ লাল জামা।

স্ব    =    স + ব-ফলা (  ¦ )           অস্বীকার  

     –    লোকটি সব অভিযোগ অস্বীকার করল।

দ্র   =    দ + র-ফলা (  ্র )      মুদ্রা 

     –    বাংলাদেশের মুদ্রার নাম ‘টাকা’।

ম্প  =    ম + প                 সুসম্পর্ক  

–    আপনজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।

য়    নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।

     ন্ত, দ্দ, ষ্ঠ, চ্ছ, প্র।

     উত্তর :

     ন্ত   =    ন + ত                 জন্তু

     –    হাতি বিশাল জন্তু।

দ্দ   =    দ + দ                  খদ্দের    

     –    দোকানটিতে খদ্দের নেই।

ষ্ঠ    =    ষ + ঠ                  পৃষ্ঠা 

     –    বইটিতে ১০০টি পৃষ্ঠা আছে।

চ্ছ   =    চ + ছ                  গুচ্ছ

     –    একগুচ্ছ রজনীগন্ধা কিনেছি।

প্র   =    প + র-ফলা (  ্র )      প্রশ্ন 

     –    প্রশ্নটি বুঝতে পারিনি

বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন

য়    সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।

     ভাবো তো কৃষকের কথা তারা কাজ না করলে আমাদের খাদ্য জোগাতো কে সবাইকে তাই আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে ভালোবাসতে হবে সবাই আমাদের আপনজন

     উত্তর : ভাবো তো কৃষকের কথা। তারা কাজ না করলে আমাদের খাদ্য জোগাতে কে? সবাইকে তাই আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। সবাই আমাদের আপনজন।

য়    সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।

     সার্থক জনম মাগো জন্মেছি এ দেশে কবির এ কথার অর্থ দাঁড়ায় আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এদেশে জন্মেছি বাংলাদেশের প্রায় সকল লোক বাংলায় কথা বলে

     উত্তর : “সার্থক জনম মাগো জন্মেছি এ দেশে।” কবির এ কথার অর্থ দাঁড়ায়, আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এদেশে জন্মেছি। বাংলাদেশের প্রায় সকল লোক বাংলায় কথা বলে।

এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরপ লিখন

য়    এককথায় প্রকাশ কর।

     ক)  আপন যে জন।

     খ)   সমুদ্রের তীরে বালুময় স্থান।

     গ)   জনবসতি নেই এমন বিস্তীর্ণ স্থান।

     ঘ)   ভালো ভাগ্য।

     ঙ)   লোকজনের বসতি রয়েছে এমন জায়গা।

     উত্তর : ক) আপনজন; খ) বেলাভূমি;

গ) প্রান্তর; ঘ) সৌভাগ্য;

ঙ) জনপদ।

য়    ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।

     ভালোবাসিতে, গড়িয়া, জন্মিয়াছি, আগলাইয়া, জোগাইতো।

     উত্তর :    সাধু রূপ        চলিত রূপ

     ভালোবাসিতে    –    ভালোবাসতে

     গড়িয়া     –    গড়ে

     জন্মিয়াছি  –    জন্মেছি

     আগলাইয়া –    আগলে

     জোগাইতো –    জোগাতো

বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন

য় বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।

বাঙালি    অবাঙালি       বন্ধু  শত্রু

দেশ বিদেশ         সার্থকতা   ব্যর্থতা

ক.   আমাদের বাংলাদেশের বাইরেও অনেক ……. আছে।

খ.   সবাই আমরা পরস্পরের …….।

গ.   ……. হলো জননীর মতো।

ঘ.   আমাদের ……. যে আমরা এদেশে জন্মেছি।

উত্তর : ক. বাঙালি; খ. বন্ধু; গ. দেশ; ঘ. সার্থকতা।

য়    নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।

     সৌভাগ্য, ভিন্ন, আপন, মিল, সার্থক।

     উত্তর :    মূল শব্দ        বিপরীত শব্দ

          সৌভাগ্য   Ñ     দুর্ভাগ্য

          ভিন্ন  Ñ     অভিন্ন

          আপন     Ñ     পর

          মিল  Ñ     অমিল

          সার্থক Ñ     ব্যর্থ

য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।

     কথা, বন্ধু, জননী, পাহাড়, আকাশ, নদী, সমুদ্র।

     উত্তর :    মূল শব্দ        সমার্থক শব্দ

     কথা –    উক্তি, বচন।

     বন্ধু  –    মিত্র, সখা।

     জননী     –    মা, আম্মা।

     পাহাড়    –    পর্বত, গিরি।

     আকাশ    –    গগন, আসমান।

     নদী  –    গাঙ, স্রোতস্বিনী।

     সমুদ্র –    সাগর, পাথার।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *