৯ম-১০ম শ্রেণী BGS দ্বাদশ অধ্যায়ঃ বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
- সরকারি অর্থ ব্যবস্থার ধারণা : সরকারি অর্থ ব্যবস্থা হলো অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা। সাধারণভাবে সরকারি অর্থ ব্যবস্থা বলতে রাষ্ট্রের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত নীতি ও পদ্ধতিকে বুঝায়। এ সম্পর্কে অধ্যাপক ডালটন বলেন, ‘সরকারি অর্থব্যবস্থা সরকারের আয়-ব্যয় এবং এদের একটির সঙ্গে অপরটির সমন্বয় বিধানের কার্যাবলি আলোচনা করে।’ অর্থনীতির এ শাখায় রাষ্ট্রের সব ধরনের আয়-ব্যয়, ঋণ ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা ও এদের সমাধানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসসমূহ : বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, জনকল্যাণ সাধন, প্রশাসন পরিচালনা, দেশ রক্ষা ইত্যাদি কাজে সরকার অনেক অর্থ ব্যয় করে। এই ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে বিভিন্ন উৎস হতে আয় সংগ্রহ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস প্রধানত দুটি। যথা (ক) কর রাজস্ব (খ) কর বহির্ভূত রাজস্ব।
- বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের খাতসমূহ : বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, মানসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, দেশ রক্ষা ও পরিচালনা এবং জনগণের সার্বিক কল্যাণের জন্য প্রতিবছর সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। গণতন্ত্রের উন্মেষ ও উন্নয়নের ফলে রাষ্ট্রীয় কর্মকাÊের পরিধি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে অনেক নতুন নতুন খাত ব্যয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
- ব্যাংকের ধারণা : ব্যাংক হলো জনসাধারণের অর্থ গচ্ছিত রাখার এবং ঋণগ্রহীতাদের বিভিন্ন মেয়াদী ঋণ প্রদান করার প্রতিষ্ঠান। জনসাধারণ তাদের আয় বা উদ্বৃত্ত অর্থ নিরাপদে সঞ্চয়ের জন্য ব্যাংকে জমা রাখে। কোনো কোনো জমা থেকে জনসাধারণ সুদ হিসেবে আয়ও করে থাকে। ব্যাংক জনসাধারণের এই গচ্ছিত অর্থ
- উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী ও ঋণগ্রহীতাদের ঋণ হিসেবে প্রদান করে এবং এ ধরনের ঋণের উপর সুদ আদায় করে।
- বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি : আধুনিককালে বাণিজ্যিক ব্যাংক বহুমুখী কার্য সম্পাদন করে রাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য প্রধান কার্যাবলি হচ্ছে : ১. আমানত গ্রহণ; ২. ঋণ দান করা; ৩. বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি; ৪. দেশীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্যে সহায়তা; ৫. অর্থ স্থানান্তর; ৬. রেমিট্যান্স; ৭. সঞ্চয় বৃদ্ধি।
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা ব্যাংক ব্যবস্থার শীর্ষে অবস্থান করে সমগ্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মুদ্রাবাজারের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে। এটি সরকারের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণে থেকে নোট ও মুদ্রা প্রচলন, ঋণ নিয়ন্ত্রণ, মুদ্রার মান সংরক্ষণ, মুদ্রা বাজার সংগঠন ও পরিচালনা এবং সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা ও ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তাই এর প্রধান উদ্দেশ্য মুনাফা সর্বোচ্চকরণ নয় বরং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, উন্নয়ন ও জনকল্যাণ সর্বোচ্চকরণ।
- দারিদ্র্য বিমোচন ও স্ব-কর্মসংস্থানে বিভিন্ন ব্যাংকের ভূমিকা : স্ব-কর্মসংস্থান বলতে বোঝায় স্বাধীনভাবে একজন কর্মক্ষম ও কর্মে ইচ্ছুক মানুষ বেকারত্বের অভিশাপ হতে মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে স্ব-উদ্যোগে উৎপাদন বা আয় অর্জনের ক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকা। বাংলাদেশে প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ নতুন কর্মক্ষম মানুষ প্রবেশ করছে। এসব মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে বিভিন্ন ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যথাÑ ১. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ২. গ্রামীণ ব্যাংক।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কর বহির্ভূত রাজস্ব কোনটি?
ক ভূমি রাজস্ব খ আয়কর
বন ঘ যানবাহন কর
২. বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের প্রধান খাত কোনটি?
প্রতিরক্ষা
খ শিক্ষা
গ বেসরকারি প্রশাসন
ঘ বৈদেশিক বিষয়াবলি
৩. নিচের কোন কাজটি সোনালী ব্যাংকের?
বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানিতে অর্থ দেয়া
খ বৈদেশিক ঋণের হিসাব রাখা
গ জমিতে সেচের নলকূপ স্থাপনে অর্থ দেয়া
ঘ বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করা
৪. বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ হলো
র. সরকারকে ঋণ প্রদান
রর. আর্থিক সংকটকালে বাণিজ্যিক ব্যাংককে ঋণ প্রদান
ররর. ব্যবসায় করার জন্য ঋণ প্রদান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫ ও ৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
সুন্দরপুর গ্রামের ভূমিহীন নূরজাহান বেগম স্থানীয় একটি সংস্থায় হাঁস-মুরগি পালনের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সংস্থাটি নূরজাহান বেগমকে দশ হাজার টাকা ঋণ দেয়। হাঁস-মুরগি পালন করে নূরজাহানের পরিবার এখন সচ্ছল।
৫. নূরজাহান বেগম কোন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছেন?
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক খ বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ কৃষি ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংক
৬. নূরজাহান বেগমকে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ভূমিকা হলোÑ
র. জাতীয় বাজেট প্রণয়নে সাহায্য করা
রর. নারীদের বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান
ররর. গ্রামীণ মহাজনদের শোষণ হতে গরিব মানুষকে রক্ষা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ দারিদ্র বিমোচনে বিভিন্ন ব্যাংকের ভূমিকা
সফিপুর গ্রামের দুই বন্ধু মামুন ও নাফিজ বিএ পাস করে গ্রামে বসবাস করেন। মামুন তার পৈত্রিক সম্পত্তি চাষাবাদের কাজে একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। মামুনের নলকূপের পানি দিয়ে গ্রামের কৃষকরা চাষাবাদ করে অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারছেন। নাফিজ তার বাড়িটি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে বিশ লক্ষ টাকা নিয়ে একটি পোশাক তৈরির কারখানা দিয়েছেন। নাফিজের কারখানায় গ্রামের ১০০ শ্রমিক কাজ করছে। নাফিজের কারখানায় উৎপাদিত পোশাক বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। গ্রামের বেকার যুবকরা নাফিজের কারখানায় কাজ করে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে।
ক.ব্যাংকসমূহকে প্রধানত কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?
খ.‘চিহ্নিত মুদ্রা’ কী? ব্যাখ্যা কর।
গ.মামুন যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন, দারিদ্র্য নিরসনে এর কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর।
ঘ.নাফিজ যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন, অর্থনীতিতে উক্ত ব্যাংকটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ কর।
ক ব্যাংকসমূহকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।
খ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রাই দেশে ‘চিহ্নিত মুদ্রা’। এ মুদ্রার অভ্যন্তরীণ ও বহির্মূল্য যাতে স্থিতিশীল থাকে তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর ন্যস্ত থাকে।
গ মামুন যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন সে ব্যাংকটির নাম হলো বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। স্বাধীনতা লাভের পর পরই বাংলাদেশে অবস্থিত সাবেক কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সকল দায় ও সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গঠিত হয়। দারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই ব্যাংকের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশ কৃষিব্যাংক কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে। হালের বলদ, বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, পানি সেচের জন্য শক্তিচালিত পাম্প, গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন প্রভৃতি কাজের জন্য কৃষিব্যাংক ঋণ প্রদান করে। বর্তমানে কৃষি কার্য ছাড়াও হাঁস-মুরগি ও পশু পালন, মৎস্য উৎপাদন, গুটিপোকার চাষ, ফলের চাষ, ফুলের চাষ ও কুটির শিল্পের জন্যও এই ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে। উদ্দীপকে মামুন বিএ পাস করে গ্রামে বসবাস করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পৈতৃক সম্পত্তি চাষাবাদের কাজে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন। এর মাধ্যমে গ্রামের অন্য কৃষকরা অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারছেন। সুতরাং বলা যায়, দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক অনেক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ঘ নাফিজ বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণই হলো বাণিজ্যিক ব্যাংক। অর্থনীতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ঋণ প্রদান করা। জনসাধারণের কাছ থেকে গৃহীত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ গচ্ছিত রেখে অবশিষ্ট অর্থ ব্যাংক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের ঋণ হিসেবে প্রদান করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক সাধারণত মূল্যবান সম্পত্তি বন্ধক রেখে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের ঋণ প্রদান করে। উদ্দীপকে নাফিজ তার বাড়ি বন্ধক রেখে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি একটি পোশাক কারখানা স্থাপন করে অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। উৎপাদিত পোশাক রপ্তানি করে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। বাণিজ্যিক ব্যাংক অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিতে সাহায্য করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমেই বৈদেশিক বাণিজ্যের অধিকাংশ কাজ পরিচালিত হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংক নিরাপদে এবং দ্রুত টাকা স্থানান্তর করে। এসব ব্যাংক চেক, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার, ভ্রমণকারীর চেক, টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার (টিটি) প্রভৃতি সহজ উপায়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে অর্থ প্রেরণে জনগণকে সহায়তা করে। এভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ প্রদানের মাধ্যমে শিল্প কারখানা নির্মাণ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। সুতরাং বলা যায়, অর্থনীতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ২ বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস
প্রাপ্তি এবং দীপ্ত ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রাপ্তির বাবা বিদেশি গাড়ির আমদানিকারক। প্রাপ্তির বাবা এই বছর সর্বোচ্চ করদাতার পুরস্কার পেয়েছেন। দীপ্তর বাবা একটি ব্যাংকের জি. এম পদে কর্মরত। দীপ্তর বাবাও প্রতিবছর সরকারকে কর প্রদান করেন।
ক.কৃষি ও পল্লী উন্নয়নের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বার্ষিক ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম হার কত?
খ.বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের গুরুত্বপূর্ণ খাতটি ব্যাখ্যা কর।
গ.দীপ্তর বাবা সরকারকে কোন ধরনের ট্যাক্স দেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.প্রাপ্তির বাবা সরকারকে যে ট্যাক্স দেন তা সরকারের আয়ের প্রধান উৎস-ব্যাখ্যা কর।
ক কৃষি ও পল্লি উন্নয়নের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বার্ষিক ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম হার শতকরা ২৫ ভাগ।
খ বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের গুরুত্বপূর্ণ খাতটি হলো শিক্ষা। শিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশকে অশিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সরকারকে সাম্প্রতিককালে এ খাতে প্রচুর ব্যয় করতে হচ্ছে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসার জন্য অনুদান, উপবৃত্তি, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা, শিক্ষক ও প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা বিস্তারের নতুন নতুন কার্যক্রমে যথেষ্ট ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ দীপ্তর বাবা সরকারকে যে ট্যাক্স দেন তা হলো আয়কর। বাংলাদেশ সরকার দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, ভৌত-অবকাঠামো নির্মাণ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যে বিপুল অর্থ ব্যয় করে থাকে। এ ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে প্রচুর আয় করতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস আয়কর। জনসাধারণের ব্যক্তিগত আয়ের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আয়কর বলা হয়। বাংলাদেশে যাদের আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধ্বে তাদের নিকট থেকে প্রগতিশীল হারে আয়কর আদায় করা হয়। যেহেতু দীপ্তর বাবা একটি ব্যাংকের জিএম পদে কর্মরত তাই তিনি সরকারকে যে কর প্রদান করেন তা হলো আয়কর।
ঘ প্রাপ্তির বাবা সরকারকে যে ট্যাক্স দেন সেটি হলো বাণিজ্য শুল্ক। সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে আয় করে। বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হলো বাণিজ্য শুল্ক। দেশের আমদানি ও রপ্তানিকৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে বাণিজ্য শুল্ক বলা হয়। বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণ, বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প কারখানার ওপর কর ধার্য করে কর রাজস্ব আদায় করে থাকে। আর বাণিজ্য শুল্ক এই কর রাজস্বের মধ্যে অন্যতম। উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রাপ্তির বাবা বিদেশি গাড়ির একজন আমদানিকারক। তিনি সর্বোচ্চ করদাতার পুরস্কার পেয়েছেন। প্রাপ্তির বাবা গাড়ি আমদানি করে যে ব্যবসা পরিচালনা করেন তা থেকে সরকারকে বাণিজ্য শুল্ক প্রদান করতে হয়। সরকার অন্যান্য উৎসের পাশাপাশি বাণিজ্য শুল্ক গ্রহণের মাধ্যমে আয় করে সরকারি ব্যয় মেটায়। পরিশেষে বলা যায়, প্রাপ্তির বাবা সরকারকে যে ট্যাক্স দেন অর্থাৎ বাণিজ্য শুল্ক সরকারের আয়ের প্রধান উৎস।
প্রশ্ন- ৩ বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস
জাহিদ আড়ং এ ঈদের শার্ট কিনতে যায়। শার্টের দাম দিতে গিয়ে তাকে শার্টের গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি দাম দিতে হয়। কারণ জানতে চাইলে বিক্রয়কর্মী তাকে বলেন, বাড়তি দামটি এক ধরনের কর। জাহিদের বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী। জাহিদ বাসায় এসে সব ঘটনা বাবাকে বর্ণনা করলে বাবা বলেন, তিনিও সরকারকে কর দেন।
ক.সম্পূরক শুল্ক কাকে বলে?
খ.বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের অন্যতম প্রধান খাতটি বর্ণনা কর।
গ.জাহিদ যে কর দেয় তার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
ঘ.জাহিদের বাবা যে কর দেয় তা সরকারের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস-বিশ্লেষণ কর।
ক অনেক দ্রব্যসামগ্রীর ওপর আবগারি শুল্ক বা আমদানি শুল্ক বা ভ্যাট আরোপের পরও অতিরিক্ত যে শুল্ক আরোপ করা হয়, তাকে সম্পূরক শুল্ক বলা হয়।
খ বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের অন্যতম প্রধান খাতটি হলো প্রতিরক্ষা। প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য খরচ, যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র, সাজসরঞ্জাম ইত্যাদি বাবদ বাংলাদেশ সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে।
গ জাহিদের প্রদানকৃত কর হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর। সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে আয় করে থাকে। মূল্য সংযোজন কর তার মধ্যে অন্যতম। মূল্য সংযোজন কর বাংলাদেশে কর ব্যবস্থায় ভ্যাট (ঠধষঁব অফফবফ ঞধী) নামে পরিচিত। বর্তমানে আমাদের দেশে আমদানিকৃত দ্রব্য ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দ্রব্য এবং নির্ধারিত কতগুলো সেবাখাতের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। উদ্দীপকে শার্ট কিনতে গিয়ে জাহিদকে শার্টের গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি দাম দিতে হয়। জাহিদের দেওয়া বাড়তি দামটি মূল্য সংযোজন কর নামে পরিচিত।
ঘ জাহিদের বাবা যে কর দেন তা আয়কর নামে পরিচিত। বাংলাদেশ সরকার দেশের জনকল্যাণ সাধন, প্রশাসন পরিচালনা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। এই ব্যয় মেটানোর জন্য সরকারকে প্রচুর আয় করতে হয়। সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে আয় করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস আয়কর। জনসাধারণের ব্যক্তিগত আয়ের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আয়কর বলা হয়। বাংলাদেশে যাদের আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধ্বে তাদের নিকট থেকে প্রগতিশীল হারে আয়কর আদায় করা হয়। উদ্দীপকে জাহিদের বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী। তার ব্যক্তিগত আয়ের ওপর নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধ্বে প্রগতিশীল হারে কর নির্ধারণ করা হয়। তাই তিনি সরকারকে যে কর প্রদান করেন তা আয়করের অন্তর্ভুক্ত। পরিশেষে বলা যায়, জাহিদের বাবার দেয় কর তথা আয়কর সরকারি আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ সরকারি অর্থব্যবস্থা কী?
উত্তর : সাধারণভাবে সরকারি অর্থব্যবস্থা বলতে রাষ্ট্রের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত নীতি ও পদ্ধতিকে বোঝায়। ‘অর্থনীতির শাখায় রাষ্ট্রের সব ধরনের আয়-ব্যয়, ঋণ ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা ও এদের সমাধানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে তাকে সরকারি অর্থব্যবস্থা বলে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ক্রয়কৃত মিষ্টির উপর অতিরিক্ত প্রদানকৃত অর্থ কোন করের আওতাভুক্ত?
উত্তর : ক্রয়কৃত মিষ্টির ওপর অতিরিক্ত প্রদানকৃত অর্থ সম্পূরক শুল্ক করের আওতাভুক্ত। মূল্য সংযোজন কর বাংলাদেশে করব্যবস্থায় ভ্যাট (ঠধষঁব অফফবফ ঞধী) নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ চিনির উপর ধার্যকৃত করকে আবগারিমূলক বলার কারণ কী?
উত্তর : দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আবগারি শুল্ক বলা হয়। রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশেও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। তাই চিনির উপর ধার্যকৃত কর হল আবগারি শুল্ক।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ নিকাশঘর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কোন ব্যাংক? ব্যাখ্যা কর?
উত্তর : নিকাশঘর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দৈনন্দিন ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত চেক আদান-প্রদানের ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মধ্যে দেনা-পাওনার সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে চেকের মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক দেনা-পাওনা মিটিয়ে থাকে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বাণিজ্যিক ব্যাংককে তার মূলধনের একটি অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ রাখতে হয় কেন?
উত্তর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশে নতুন ব্যাংক ও শাখা প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি প্রদান করে। আইন বা প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহকে তাদের আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত রাখতে হয়। এ গচ্ছিত তহবিল হতে প্রয়োজনে তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ ঋণ গ্রহণ করতে পারে। এবং এ কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংককে তার মূলধনের একটি অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ রাখতে হয়।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ সরকারি আয়ের উৎস সম্প্রসারিত করার উপায় বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : সরকার প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। এ ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে প্রচুর আয় করতে হয়। সরকারি আয়ের উৎস প্রধানত দুটি। যথা : ১. কর রাজস্ব; ২. কর বহির্ভূত রাজস্ব।
সরকারি আয়ের উৎস সম্প্রসারিত করার উপায়সমূহ নিচে বিশ্লেষণ করা হলো :
১.কর ফাঁকি রোধ : আমাদের দেশের জনগণের মধ্যে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত ব্যাপক। এজন্য সরকারের কার্যকরি পদক্ষেপই পারে জনগণের কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রোধ করে সরকারি আয় বৃদ্ধি করতে।
২.অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হ্রাস : বাংলাদেশ সরকার অনেক অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করে। এক্ষেত্রে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হ্রাস করে উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করে সরকার আয়ের উৎস সম্প্রসারিত করতে পারে।
৩.কর আদায়ে দক্ষ লোক নিয়োগ : ব্যক্তির সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর সরকারের আয় নির্ভর করে। তাই কর আদায়ে সৎ, দক্ষ ও উপযুক্ত লোক নিয়োগ করে সরকারের আয় সম্প্রসারিত করা যেতে পারে।
৪.রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে দুর্নীতির অবসান : রাষ্ট্রায়ত্ত বড় বড় খাতে দুর্নীতির দরুন সরকারের আয় যথেষ্ট কম হয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হলে সরকারি আয় অনেক সম্প্রসারিত হবে।
৫.প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ : আমাদের দেশে প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবিলা করতে সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
সরকার যদি এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে তাহলে সরকারি আয় অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। উপরিউক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার দেশের আয় সম্প্রসারিত করতে পারে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কৃষি ব্যাংকের ভূমিকা মূল্যায়ন কর।
উত্তর : স্বাধীনতা লাভের পর পরই বাংলাদেশে অবস্থিত সাবেক কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সকল দায় ও সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গঠিত হয়। দারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই ব্যাংকের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে। হালের বলদ, বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, পানি সেচের জন্য শক্তিচালিত পাম্প, গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন প্রভৃতি কাজের জন্য কৃষি ব্যাংক ঋণ প্রদান করে। বর্তমানে কৃষি কার্য ছাড়াও হাঁস-মুরগি ও পশু পালন, মৎস্য উৎপাদন, গুটিপোকার চাষ, ফলের চাষ, ফুলের চাষ ও কুটির শিল্পের জন্যও এই ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ মুদ্রা ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম কাজ-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দেশের কাগজি মুদ্রার প্রচলন ও মুদ্রা ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রাই দেশে চিহ্নিত মুদ্রা। এ মুদ্রার অভ্যন্তরীণ ও বহির্মূল্য যাতে স্থিতিশীল থাকে তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর ন্যস্ত থাকে। ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ দেশের মোট মুদ্রার যোগানের অন্তর্ভুক্ত। অতিরিক্ত ঋণ সৃষ্টির কারণে মোট অর্থের পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, তাহলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের মোট মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের মধ্যে যথাসম্ভব সমতা বিধান করে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করে। মুদ্রা সংকোচন ও মুদ্রাস্ফীতি এড়ানোর লক্ষ্যে এই ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি মিষ্টির দোকানে অভিযান চালিয়ে ছানার সাথে টিস্যু পেপার মিশিয়ে মিষ্টি বানানোর অপরাধে এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে। এটি সরকারের কোন ধরনের আয়ের উৎস?
ক কর রাজস্ব কর বহির্ভূত রাজস্ব
গ সম্পূরক কর ঘ নন-জুডিসিয়াল কর
২. বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসগুলোকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
২ খ ১১ গ ১২ ঘ ১৫
৩. ব্যক্তিগত আয়ের উপর ধার্যকৃত করকে কী বলে?
আয়কর খ ব্যক্তিগত কর
গ আবগারি কর ঘ মূল্য সংযোজন কর
৪. বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে কোনটি?
ক সোনালী ব্যাংক খ কৃষি ব্যাংক
গ বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংক
৫. বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হলো
ক ভূমি রাজস্ব খ যানবাহন কর
বাণিজ্য শুল্ক ঘ বিদ্যুৎ শুল্ক
৬. ভ্যাট (ঠঅঞ) কী?
ঠধষঁব অফফবফ ঞধী খ ঠধষঁব অফফ ঞধী
গ ঠধষঁধনষব অফফ ঞধী ঘ ঠধষঁধনষব অফফবফ ঞধী
৭. বাণিজ্যিক ব্যাংক বাট্টা ধার্য করে কোন ক্ষেত্রে?
ক চেক ভাঙানোর ক্ষেত্রে
বিনিময় বিল ভাঙানোর ক্ষেত্রে
গ বড় ব্যাংকের টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে
ঘ যে কোনো টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে
৮. চিহ্নিত মুদ্রা বলতে বুঝায়
ক বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রা
খ সরকার কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রা
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রা
ঘ বিদেশি মুদ্রা
৯. কর রাজস্ব কোনটি?
ক ডাক বিভাগ রেজিস্ট্রেশন
গ টোল ও লেভী ঘ ভাড়া ও ইজারা
১০. বাংলাদেশে সরকারের কর রাজস্ব আয়ের উৎস কোনটি?
বাণিজ্য শুল্ক খ সুদ গ রেলওয়ে ঘ বন
১১. নিচের কোন কাজটি গ্রামীণ ব্যাংকের?
ক কৃষকদের ঋণ প্রদান
খ হাঁস মুরগি ও পশুপালন ঋণ
বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান
ঘ ফুলের চাষের জন্য ঋণ প্রদান
১২. বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনটি?
ক সোনালী ব্যাংক খ রূপালী ব্যাংক
গ পূবালী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
১৩. পরোক্ষ কর কী?
ক ভূমি রাজস্ব খ মূল্য সংযোজন কর
বিক্রয় কর ঘ আয়কর
১৪. জনাব দুলাল তার উদ্বৃত্ত আয় ব্যাংকে আমানত রাখতে চায় যেন সে যে কোনো সময়ে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। এমতাবস্থায় সে কোন ধরনের আমানত খুলবে?
ক তলবি আমানত খ স্থায়ী আমানত
গ মেয়াদি আমানত চলতি আমানত
১৫. জনাব শফিক একজন রপ্তানিকারক। তিনি জাপানে তৈরি পোশাক রপ্তানি করেন। বাংলাদেশ সরকার তার কাছ থেকে যে কর আদায় করে সেটি হচ্ছেÑ
বাণিজ্য শুল্ক খ আবগারি শুল্ক
গ মূল্য সংযোজন কর ঘ সম্পূরক শুল্ক
১৬. বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের প্রধান খাত কোনটি?
প্রতিরক্ষা খ শিক্ষা গ স্বাস্থ্য ঘ বৈদেশিক বিষয়াবলি
১৭. বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্ট ও বিনিময় বিল খাতে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। রাজস্ব আয়ের কোন উৎস হতে এ আয় হয়?
ক আয়কর নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প
গ রেজিস্ট্রেশন ঘ ভূমি রাজস্ব
১৮. বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী?
ক সোনালী ব্যাংক খ গ্রামীণ ব্যাংক
গ কৃষি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
১৯. কোন ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ক্লিয়ারিং হাউজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে?
কেন্দ্রীয় ব্যাংক খ বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ কৃষি ব্যাংক ঘ গ্রামীণ ব্যাংক
২০. দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের ওপর ধার্যকৃত করকে কোন কর বলে?
ক বাণিজ্য আবগারি গ মূল্য সংযোজন ঘ সম্পূরক
২১. বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারকে কোন ব্যয় করতে হয়?
ক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খ সমাজকল্যাণমূলক
অপ্রত্যাশিত ঘ অন্যান্য খাতভুক্ত
২২. ব্যাংকের আমানত কত প্রকার?
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
২৩. কোন উৎস থেকে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় হয়?
আমদানি ও রপ্তানি শুষ্ক খ মূল্য সংযোজন কর
গ আয়কর ঘ ভূমি রাজস্ব
২৪. সরকারের আয়ের উৎসকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
২৫. বাংলাদেশের সরকার কত বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেছে?
ক ১৫ বিঘা খ ২০ বিঘা ২৫ বিঘা ঘ ৩০ বিঘা
২৬. “সরকারি অর্থব্যবস্থায় সরকারের আয়-ব্যয় এবং এদের একটির সঙ্গে অপরটির সমন্বয় বিধানের কার্যাবলি আলোচনা করে।”-ব্যক্তব্যটি কার?
ক ম্যাকাইভার ডালটন গ স্মিথ ঘ গার্নার
২৭. বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস কয় ভাগে বিভক্ত?
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
২৮. নিচের কোন খাতগুলো থেকে সরকার আয় করে থাকে?
ক শিক্ষা ও আনসার খ রেলওয়ে ও শিক্ষা
ভ্রমণ ও বন ঘ ভ্রমণ ও প্রতিরক্ষা
২৯. নিচের কোনটি থেকে কর বহির্ভূত আয় হয়?
ক তামাক খ বিনিময় বিল
বাজেয়াপ্তকরণ ঘ আফিম
৩০. বাংলাদেশে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের ওপর কোন ধরনের কর ধার্য করা হয়?
ক বাণিজ্য শুল্ক আবগারি শুল্ক গ আয়কর ঘ সম্পূরক শুল্ক
৩১. নিচের কোন খাতে বর্তমানে সরকার লোকসান দিচ্ছে?
ক রেলওয়ে খ অর্থনৈতিক সেবা
ডাক বিভাগ ঘ বিদ্যুৎ শুল্ক
৩২. বাংলাদেশের সরকারের ব্যয়ের অন্যতম প্রধান খাত কোনটি?
ক বেসামরিক প্রশাসন খ বৈদেশিক বিষয়াবলি
গ পুলিশ বাহিনী প্রতিরক্ষা
৩৩. বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্রবাবদ যে ব্যয় করে এটা কোন ধরনের ব্যয়?
প্রতিরক্ষা খ বেসামরিক প্রশাসন
গ বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ঘ পুলিশ বিভাগ
৩৪. অপ্রত্যাশিত ব্যয় কোনটি?
ক কাজের বিনিময়ে খাদ্য খ মহামারিতে চিকিৎসা ব্যয়
প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন ব্যয় ঘ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান
৩৫. ব্যাংক কিসের উপর ভিত্তি করে টিকে থাকে?
ক সুদ খ ঋণ মুনাফা ঘ আমানত
৩৬. বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী?
ক সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
গ কৃষি ব্যাংক ঘ শিল্প ব্যাংক
৩৭. নিচের কোনটি বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান?
ক সোনালী ব্যাংক খ অগ্রণী ব্যাংক
কৃষি ব্যাংক ঘ ইসলামী ব্যাংক
৩৮. কোন ব্যাংক বিশেষ ঋণ দানকারী সংস্থা?
ক সোনালী ব্যাংক খ অগ্রণী ব্যাংক
গ্রামীণ ব্যাংক ঘ বাংলাদেশ ব্যাংক
৩৯. সমবায় ব্যাংক কী ধরনের প্রতিষ্ঠান?
বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খ বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান ঘ গৃহঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান
৪০. একটি দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনটি?
কেন্দ্রীয় ব্যাংক খ বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ গ্রামীণ ব্যাংক ঘ বিশেষায়িত ব্যাংক
৪১. একটি দেশের ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে কে?
কেন্দ্রীয় ব্যাংক খ বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ সরকার ঘ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ
৪২. বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ কোনটি?
ক ঋণ দান আমানত গ্রহণ
গ বিনিময় বিল বাট্টাকরণ ঘ আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ
৪৩. কোন আমানতের জন্য ব্যাংক কোনো সুদ প্রদান করে না?
চলতি খ সঞ্চয়ী গ স্থায়ী ঘ অস্থায়ী
৪৪. ব্যাংকের আমানত সাধারণত কত প্রকার?
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৪৫. কোনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ?
ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা খ ঋণ দেওয়া
গ মুদ্রার প্রচলন ঘ মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়
৪৬. বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মধ্যে দেনা-পাওনার সৃষ্টি হয় কী আদান প্রদানের ফলে?
ক ড্রাফট চেক গ হুন্ডি ঘ বন্ড
৪৭. মুদ্রাস্ফীতি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় কোন প্রতিষ্ঠান?
ক অর্থ মন্ত্রণালয় খ বাণিজ্যিক মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ ব্যাংক ঘ বিশ্বব্যাংক
৪৮. পল্লির ভূমিহীন পুরুষ ও নারীদের বিনা জামানতে ঋণদানের জন্য গঠিত ব্যাংক কোনটি?
ক কৃষি ব্যাংক খ ব্র্যাক ব্যাংক
গ্রামীণ ব্যাংক ঘ সোনালী ব্যাংক
৪৯. বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের বার্ষিক ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার শতকরা কত ভাগ দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নির্ধারিত রাখতে হয়?
২৫ খ ২৮ গ ৩০ ঘ ৩৪
৫০. গ্রামীণ ব্যাংকের অগ্রযাত্রা শুরু হয় কোন মহান ব্রত নিয়ে?
ক গরিব কৃষকদেরকে স্বাবলম্বী করা
খ মহাজনদের ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা
মহাজনদের শোষণ হতে গরিব মানুষকে রক্ষা করা
ঘ পল্লির ভূমিহীন নারীদের ঋণদানের জন্য
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫১. বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো টিকে থাকে
র. মুনাফার মাধ্যমে রর. ঋণের মাধ্যমে
ররর. জমাখাতের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ র ও ররর
৫২. প্রত্যেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে
র. আইএমএফ রর. বিশ্বব্যাংক
ররর. আইডিবি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও ররর খ র ও রর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৩. বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের খাতগুলো হলোÑ
র. যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র ক্রয় রর. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
ররর. দূতাবাস প্রতিষ্ঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৪. বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কাজ হলোÑ
র. ঋণ প্রদান রর. বিনিময়ের মাধ্যমে সৃষ্টি
ররর. ঋণ নিয়ন্ত্রণ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৫. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হলো
র. ঋন নিয়ন্ত্রণ করা রর. নিকাশ ঘর হিসেবে কাজ করা
ররর. বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর র, রর ও ররর
৫৬. আবগারি শুল্ক আদায়ের যৌক্তিক কারণ হলোÑ
র. সরকারি আয় বৃদ্ধি
রর. ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস
ররর. রাজস্ব সংগ্রহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. ঠঅঞ আরোপ করা হয়Ñ
র. আমদানিকৃত দ্রব্যের ওপর
রর. নির্ধারিত সেবাখাতের ওপর
ররর. স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দ্রব্যের ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৮. বাণিজ্য শুল্ক বলতে বোঝায়Ñ
র. আমদানি কর
রর. উৎপাদিত পণ্যের কর
ররর. রপ্তানি কর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের খাতের অন্তর্ভুক্ত
র. হিসাব নিরীক্ষা
রর. সচিবালয়
ররর. শিশু কল্যাণ কর্মসূচি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬০. চলতি আমানতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলো-
র. উচ্চহারে সুদ প্রদান
রর. কোনো প্রকার সুদ দেয় না
ররর. যে কোনো সময় টাকা তোলা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. কেন্দ্রীয় ব্যাংক দায়িত্ব পালন করে বিভিন্ন ব্যাংকের দেনা-পাওনার-
র. সর্বশেষ আশ্রয় হিসেবে
রর. ক্লিয়ারিং হাউজ হিসেবে
ররর. নিকাশ ঘর হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬২. বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ হলো-
র. সরকারকে ঋণ প্রদান
রর. আর্থিক সংকটকালে বাণিজ্যিক ব্যাংককে ঋণ প্রদান
ররর. ব্যবসা করার জন্য ঋণ প্রদান
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজ দেশে যেসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে
র. বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা
রর. আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাÊারের
ররর. বিশ্বব্যাংকের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৪ ও ৬৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
রফিক সাহেব একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। প্রতিমাসে তিনি ‘ঢ’ ব্যাংকের মাধ্যমে তার বেতন উঠান।
৬৪. অনুচ্ছেদের ‘ঢ’ ব্যাংকটি কোন ধরনের ব্যাংক?
ক কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক গ শিল্প ঘ কৃষি
৬৫. উক্ত ব্যাংকের বৈশিষ্ট্য হলো Ñ
র. আমানত গ্রহণ রর. ঋণ নিয়ন্ত্রণ
ররর. ঋণ প্রদান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর র ও ররর ঘ রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৬ ও ৬৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
জহির সাহেব বিদেশ ভ্রমণে যাবেন। সে জন্য তিনি তার ব্যাংক হিসাবে থেকে টাকা তুললেন এবং ঐ ব্যাংক থেকেই বিনিময় বিল ভাঙ্গিয়ে নিলেন।
৬৬. জহির সাহেব কোন ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করেন?
ক বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক
গ গ্রামীণ ব্যাংক ঘ সমবায় ব্যাংক
৬৭. উক্ত ব্যাংকের আরো কাজ হলো
র. পল্লী অঞ্চলে স্বকর্মসস্থানের জন্য ঋণ দেয়া
রর. নোট প্রচলন করা
ররর. অলংকার গচ্ছিত রাখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৮ ও ৬৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব করিম তাঁর এলাকায় একটি ব্যাংকে হিসাব খোলেন এবং তাতে তিনি মাস শেষে বেতনের সঞ্চিত অর্থ হতে কিছু জমা রাখেন। একটি নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হবার পর তিনি উচ্চ হারের সুদসহ বেশ টাকা উত্তোলন করেন এবং ব্যাংক হতে আরো কিছু ঋণ নিয়ে চাকরি শেষে একটি শিল্প স্থাপন করেন।
৬৮. জনাব করিম কোন ব্যাংকের মাধ্যমে হিসাব খুলে অর্থ জমা রাখেন?
ক বাংলাদেশ ব্যাংক খ গ্রামীণ ব্যাংক
সোনালী ব্যাংক ঘ শিল্প ব্যাংক
৬৯. উক্ত ব্যাংক জনাব করিমকে কোন ধরনের আমানত খুলতে সহায়তা করে?
র. চলতি আমানত রর. স্থায়ী আমানত
ররর. সঞ্চয়ী আমানত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭০ ও ৭১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মিঃ রাতুল একটি শিল্প কারখানা স্থাপন করেন। তিনি ব্যাংকের নিকট তার সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহণ করে।
৭০. মিঃ রাতুল কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন?
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ কৃষি ব্যাংক ঘ গ্রামীণ ব্যাংক
৭১. রাতুলকে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকের কার্যাবলি হলো
র. জাতীয় বাজেট প্রণয়নে সাহায্য করা
রর. জনগণের নিকট থেকে আমানত গ্রহণ করা
ররর. বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭২ ও ৭৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৭২. উদ্দীপকটি সরকারের আয়ের কোন উৎসটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক কর বহির্ভূত রাজস্ব কর রাজস্ব
গ বৈদেশিক রাজস্ব ঘ দেশীয় রাজস্ব
৭৩. উদ্দীপকের ২নং শুল্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যÑ
র. ক্ষতিকর দ্রব্যের ওপর আরোপিত কর
রর. দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের কর
ররর. আমদানি পণ্যের ওপর আরোপিত কর
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৪ ও ৭৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৭৪. ডায়াগ্রামে “?” চিিহ্নত স্থানটি কোন ব্যাংককে নির্দেশ করে?
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঘ শিল্পব্যাংক
৭৫. উক্ত ব্যাংকের কাজ হলো-
র. বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করা
রর. নিরাপদে এবং দ্রুত টাকা স্থানান্তর
ররর. ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভূমিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে কোনটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে? (জ্ঞান)
বাংলাদেশ সরকারের খ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
গ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
৭৭. কোন ব্যবস্থার কার্যাবলি পূর্বের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে? (জ্ঞান)
ক শিক্ষা ব্যবস্থার খ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার
অর্থ ব্যবস্থার ঘ প্রশাসন ব্যবস্থার
৭৮. জনসাধারণ তাদের আয় বা উদ্বৃত্ত অর্থ নিরাপদে সঞ্চয়ের জন্য কোথায় জমা রাখে? (জ্ঞান)
ব্যাংকে খ মহাজনের কাছে
গ আলমারিতে ঘ বাক্সে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৯. বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে গড়ে তুলেছে (অনুধাবন)
র. প্রশাসন ব্যবস্থাপনা
রর. অর্থব্যবস্থাপনা
ররর. শিক্ষাব্যবস্থাপনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮০. সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেÑ (অনুধাবন)
র. দেশ রক্ষায় রর. প্রশাসন পরিচালনায়
ররর. অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাÊে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮১. বাংলাদেশ সরকারের বৃহত্তম ব্যবস্থাপনা হলোÑ (অনুধাবন)
র. স্বাস্থ্যব্যবস্থা রর. ব্যাংকব্যবস্থা
ররর. অর্থব্যবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ সরকারি অর্থব্যবস্থার ধারণা; বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস
- সরকারি অর্থব্যবস্থা বলতে সাধারণত- রাষ্ট্রের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত নীতি ও পদ্ধতিকে বোঝায়।
- স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা, দক্ষ প্রশাসন, অর্থ ও ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান- গড়ে তুলেছে।
- অর্থব্যবস্থা ও ব্যাংকব্যবস্থা বাংলাদেশ সরকারের বৃহত্তম দুটি ব্যবস্থাপনা।
- সময়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকার- কেন্দ্রীয়, বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ বিশেষ কতগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।
- অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো- সরকারি অর্থব্যবস্থা।
- বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস ২টি যথা- কর রাজস্ব ও কর বহির্ভূত- রাজস্ব।
- বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস- বাণিজ্য শুল্ক।
- জনসাধারণের আয়ের উপর ধার্য করই হলো- আয়কর।
- ঠঅঞ এর সংক্ষিপ্ত রূপ- ঠধষঁব অফফবফ ঞধী.
- সরকার জমির খাজনা মওকুফ করেছে- ২৫ বিঘা পর্যন্ত।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮২. একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা কোনটি? (অনুধাবন)
সরকারি অর্থব্যবস্থা খ ব্যাংক ব্যবস্থা
গ শিল্প প্রতিষ্ঠান ঘ আমদানি রপ্তানি
৮৩. রাষ্ট্রের আয় ও ব্যয়সংক্রান্ত নীতি ও পদ্ধতিকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সরকারি ব্যাংক ব্যবস্থা খ সরকারি কল্যাণ সংস্থা
সরকারি অর্থব্যবস্থা ঘ সরকারি বাণিজ্য ব্যবস্থা
৮৪. বাংলাদেশ সরকার জনগণ, বিভিন্ন ব্যবসায় ও শিল্প কারখানার ওপর যে কর ধার্য করে তা থেকে প্রাপ্ত আয়কে কী বলে? (জ্ঞান)
কর রাজস্ব খ বাণিজ্য শুল্ক গ আবগারি শুল্ক ঘ ভ্যাট
৮৫. বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস কোনটি? (জ্ঞান)
ক আয়কর খ মূল্য সংযোজন কর
গ ভূমি রাজস্ব বাণিজ্য শুল্ক
৮৬. আমাদের দেশ প্রতিবছর রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এ রপ্তানি থেকে সরকার কীভাবে আয় করতে পারে? (প্রয়োগ)
বাণিজ্য শুল্কের মাধ্যমে খ আবগারি শুল্কের মাধ্যমে
গ সম্পূরক শুল্কের মাধ্যমে ঘ মূল্যসংযোজন করের মাধ্যমে
৮৭. রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়া আর কোন উদ্দেশ্যে আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়? (অনুধাবন)
ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার জন্য
খ আয় সম্প্রসারণের জন্য
গ বিনোদনের জন্য
ঘ অর্থের ভারসাম্যের জন্য
৮৮. চা, তামাক, চিনি প্রভৃতির ওপর কোনটি ধার্য করা হয়? (জ্ঞান)
ক বাণিজ্য শুল্ক খ মাদক শুল্ক
আবগারি শুল্ক ঘ মূল্যসংযোজন কর
৮৯. সরকার দিয়াশলাইয়ের ওপর কোনটি ধার্য করে? (প্রয়োগ)
ক মূল্য সংযোজন কর খ সম্পূরক শুল্ক
আবগারি শুল্ক ঘ বাণিজ্য শুল্ক
৯০. বাংলাদেশ সরকারের আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস কী? (জ্ঞান)
ক আবগারি শুল্ক আয়কর
গ মূল্য সংযোজন কর ঘ ভূমি রাজস্ব
৯১. হাসান বাংলাদেশি হওয়ায় তার ব্যক্তিগত আয়ের ওপর সরকার কর ধার্য করে। এটি নিচের কোনটিকে সমর্থন করে? (প্রয়োগ)
ক সুদ আয়কর গ প্রশাসন কর ঘ আবগারি শুল্ক
৯২. প্রগতিশীল হারে আয়কর আদায় করা হয় কার কাছ থেকে? (জ্ঞান)
ক যাদের আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে
যাদের আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধ্বে
গ যাদের আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার সমান
ঘ যাদের আয় একটি সন্তোষজনক অবস্থায় আছে
৯৩. আমদানি শুল্ক বা আবগারি শুল্ক বা ভ্যাট আরোপের পরও অতিরিক্ত আরোপিত শুল্ককে কী বলে? (জ্ঞান)
সম্পূরক শুল্ক খ আয়কর গ ভ্যাট ঘ বাণিজ্য শুল্ক
৯৪. সিরাজ সাহেবের ৬০ বিঘা জমি রয়েছে। তিনি প্রতি বছর সরকারকে কর প্রদান করে থাকেন। সিরাজ সাহেব সরকারকে কোন ধরনের কর প্রদান করে থাকেন? (প্রয়োগ)
ক বাণিজ্য শুল্ক খ আয়কর ভূমি রাজস্ব ঘ আবগারি শুল্ক
৯৫. ভূমি রাজস্ব নামে পরিচিত কোনটি? (জ্ঞান)
ক জমিদারকে প্রদেয় খাজনা
ভূমি ভোগ দখলের জন্য সরকারকে প্রদত্ত খাজনা
গ ফসল উৎপাদনের জন্য প্রদত্ত খাজনা
ঘ ঘরবাড়ি তৈরির জন্য প্রদত্ত খাজনা
৯৬. ভূমি রাজস্ব খাতে সরকারের আয় হ্রাস পেয়েছে কেন? (অনুধাবন)
ক জমির খাজনা ১০ বিঘা পর্যন্ত মওকুফ করার জন্য
খ জমির খাজনা ১৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফ করার জন্য
গ জমির খাজনা ২০ বিঘা পর্যন্ত মওকুফ করার জন্য
জমির খাজনা ২৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফ করার জন্য
৯৭. দলিলপত্র নিবন্ধনের জন্য কী দিতে হয়? (জ্ঞান)
ক ভ্যাট খ কোর্ট ফি
রেজিস্ট্রেশন ফি ঘ ভূমি রাজস্ব
৯৮. মামলা মকদ্দমার জন্য কোন ফি প্রদান করতে হয়? (জ্ঞান)
ক রেজিস্ট্রেশন ফি কোর্ট ফি
গ আদালত ফি ঘ জিডি ফি
৯৯. বিভিন্ন প্রকার যানবাহন নিবন্ধনের জন্য প্রদত্ত করকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক আবগারি শুল্ক যানবাহন কর
গ আয়কর ঘ মূল্য সংযোজন কর
১০০. মাদক দ্রব্যের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক কোন করের অন্তর্ভুক্ত (জ্ঞান)
ক বিদ্যুৎ শুল্ক খ বাণিজ্য শুল্ক গ আবগারি শুল্ক মাদক শুল্ক
১০১. সরকার কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লভ্যাংশ ও মুনাফা পায়? (জ্ঞান)
বীমা কোম্পানি খ ডাক বিভাগ
গ বন ঘ রেলওয়ে
১০২. সরকার কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লভ্যাংশ ও মুনাফা পায়? (জ্ঞান)
চিড়িয়াখানা খ সাধারণ প্রশাসন
গ রেলওয়ে ঘ ডাক বিভাগ
১০৩. সরকারের করবহির্ভূত রাজস্ব কোনটির? (জ্ঞান)
ক বাণিজ্য শুল্ক খ আয়কর
অর্থনৈতিক সেবা ঘ মাদক শুল্ক
১০৪. বাংলাদেশ সরকার কোন সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন প্রকার ‘ফি’ আদায় করে? (জ্ঞান)
ক স্বাস্থ্যসেবা খ শিক্ষাসেবা গ আর্থিক সেবা প্রশাসনিক সেবা
১০৫. ডাক বিভাগ কোন ধরনের রাজস্ব? (জ্ঞান)
ক কর রাজস্ব কর-বহির্ভূত রাজস্ব
গ আবগারি শুল্ক ঘ ভূমি রাজস্ব
১০৬. মোস্তফা সাহেব প্রতিমাসে টেলিফোন বিল প্রদান করেন। এ থেকে প্রাপ্ত আয় সরকারের কোন রাজস্বের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক কর রাজস্ব কর-বহির্ভূত রাজস্ব
গ মূল্য সংযোজন কর ঘ যন্ত্রপাতির ওপর কর
১০৭. সরকারি সম্পত্তির মাধ্যমে সরকার কীভাবে আয় করে? (অনুধাবন)
ক খাজনা আদায় করে ভাড়া আদায় করে
গ টোল আদায় করে ঘ চাষের মাধ্যমে আয় করে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৮. আবগারি শুল্কের আওতাভুক্ত- (অনুধাবন)
র. তামাক
রর. কেরোসিন
ররর. ওষুধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৯. অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত- (অনুধাবন)
র. ব্যাংক রর. চিড়িয়াখানা
ররর. পার্ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১০. যেসব বনজ সম্পদ বিক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের আয় হয়Ñ (অনুধাবন)
র. বাঁশ রর. কাঠ
ররর. মধু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১১. কর রাজস্ব আয়ের উৎস হিসেবে অন্যান্য কর ও শুল্কের অন্তর্ভুক্তÑ (অনুধাবন)
র. বিদেশ ভ্রমণের ওপর শুল্ক রর. আমোদ-প্রমোদ কর
ররর. পেট্রোল ও গ্যাসের ওপর কর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১২. অর্থনৈতিক সেবার আওতায় রয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশন
রর. সমবায় সমিতিসমূহের অডিট স্কিম
ররর. বিমা আইনের আওতায় প্রাপ্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১৩. বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করে যেসব কারণেÑ (অনুধাবন)
র. জনকল্যাণ সাধনের জন্য রর. প্রশাসন পরিচালনার জন্য
ররর. আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১৪. জনসাধারণকে যেসব অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সরকার আয় করেÑ (প্রয়োগ)
র. পর্যটন রর. ব্যাংকিং
ররর. টোল
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৫. আবগারি শুল্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ক্ষতিকর দ্রব্যের ওপর আরোপিত কর
রর. দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের কর
ররর. আমদানি পণ্যের ওপর আরোপিত কর
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের ছকটি দেখে ১১৬ ও ১১৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১১৬. ছকটি সরকারের আয়ের কোন উৎসটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক কর বহির্ভূত রাজস্ব কর রাজস্ব
গ বৈদেশিক রাজস্ব ঘ দৈশীয় রাজস্ব
১১৭. ছকের ২নং শুষ্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ক্ষতিকর দ্রব্যের উপর আরোপিত কর
রর. দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের কর
ররর. আমদানি পণ্যের উপর আরোপিত কর
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের খাতসমূহ
- বাংলাদেশ সরকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, প্রশাসন পরিচালনা প্রভৃতি কাজে প্রচুর ব্যয় করে থাকে।
- বাংলাদেশ সরকার জাতীয় বার্ষিক বাজেট ২ রকম ব্যয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে থাকেন।
- বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের অন্যতম প্রধান খাত হলো প্রতিরক্ষা।
- বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো শিক্ষা।
- দেশের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকারকে দেশের অভ্যন্তর থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ গ্রহণ করতে হয়।
- কৃষি, মৎস্য, পশুপালন প্রভৃতি খাতসমূহে সরকারকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।
- পুলিশ, আনসার ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-সরকারের ব্যয়ের বৃহৎ খাত।
- বিচার বিভাগ ও করবিভাগে সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে।
- বিদেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, দূতা বাস প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
- বাংলাদেশে প্রতি বছর ক্রমশই বাড়ছে ব্যয়ের নতুন নতুন খাত।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৮. সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় কোনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়? (অনুধাবন)
ক অনুৎপাদনশীল খাত উৎপাদনশীল খাত
গ প্রতিরক্ষা খাত ঘ শিক্ষা খাত
১১৯. সরকার দেশের বার্ষিক বাজেটে কত ধরনের ব্যয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে? (জ্ঞান)
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১২০. মন্ত্রণালয় কোন ধরনের প্রশাসনিক ইউনিট? (জ্ঞান)
ক সামরিক খ প্রতিরক্ষা
বেসামরিক ঘ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ
১২১. সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত বিভাগসমূহে কীভাবে ব্যয় করে থাকে? (অনুধাবন)
বেসামরিক প্রশাসনের মাধ্যমে খ প্রতিরক্ষার মাধ্যমে
গ আনসার বিভাগের মাধ্যমে ঘ বিচার বিভাগের মাধ্যমে
১২২. নাজমুল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকরি করে। এজন্য সরকার তাকে বেতন-ভাতা প্রদান করে। নাজমুলের প্রাপ্ত বেতন-ভাতা সরকারের ব্যয়ের কোন খাতের মধ্যে পড়ে? (প্রয়োগ)
ক প্রতিরক্ষা বেসামরিক প্রশাসন
গ শিক্ষা ঘ পরিবার কল্যাণ
১২৩. সাম্প্রতিককালে সরকার কোন খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করছে? (জ্ঞান)
ক স্বাস্থ্য শিক্ষা গ পশু পালন ঘ অবসর ভাতা
১২৪. দেশকে অশিক্ষার অভিশাপ থেকে সরকার কীভাবে মুক্ত করতে পারবে?
(অনুধাবন)
ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারিকরণের মাধ্যমে
খ শিক্ষিত যুবকদের বেকারত্ব দূর করে
গ শিক্ষা বোর্ডকে দুর্নীতিমুক্ত করে
শিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে
১২৫. বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য দেশের ভিতর ও বাইরে থেকে যে ঋণ গ্রহণ করা হয় তার সুদ কে পরিশোধ করে? (জ্ঞান)
ক জনগণ খ সমাজ সরকার ঘ জেলা প্রশাসক
১২৬. প্রতি বছর সরকারকে ঋণের বদলে কী পরিশোধ করতে হয়? (জ্ঞান)
ক ধার সুদ ও আসল গ মুনাফা ঘ সুদ
১২৭. আজকাল অনেক বেকার যুবক এবং কৃষকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন ফার্মে কাজ করছে। সরকার দেশের উন্নয়নে এ খাতে প্রচুর ব্যয় করে। এটি নিচের কোনটিকে সমর্থন করে? (প্রয়োগ)
ক প্রতিরক্ষা
খ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
গ পুলিশ, আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ
কৃষি, মৎস্য ও পশু পালন
১২৮. বর্তমানে সীমান্ত রক্ষা ও চোরাচালান রোধের জন্য কারা নিয়োজিত? (জ্ঞান)
ক বাংলাদেশ রাইফেলস্ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ
গ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী
১২৯. বিদেশি স্বার্থরক্ষার্থে সরকারকে কী প্রতিষ্ঠা করতে হয়? (জ্ঞান)
ক বিমানবন্দর দূতাবাস
গ বৈদেশিক ব্যাংক ঘ ঘরবাড়ি
১৩০. ২০০৭ সালে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। এ ব্যয় কোন খাতের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক অন্যান্য খাত অপ্রত্যাশিত
গ সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম ঘ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
১৩১. বাংলাদেশ সরকারকে সচিবালয়, জ্বালানি ও খনিজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। এগুলো কোন খাতটিকে সমর্থন করে? (প্রয়োগ)
ক বৈদেশিক বিষয়াবলি খ বেসামরিক পূর্ত কাজ
অন্যান্য খাত ঘ অপ্রত্যাশিত ব্যয়
১৩২. বাংলাদেশ কী ধরনের দেশ? (অনুধাবন)
ক দরিদ্র খ উন্নত গ অনুন্নত উন্নয়নশীল
১৩৩. বর্তমানে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি করার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পূর্বের তুলনায় সরকারের পরিধি বেড়েছে
খ দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে
গ মানুষের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে
ব্যয়ের খাত বৃদ্ধি পেয়েছে
১৩৪. কিসের স্বার্থে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির পরিধি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত? (জ্ঞান)
ক সরকারের উন্নয়নের খ সামাজিক উন্নয়নের
দেশের সামষ্টিক উন্নয়নের ঘ অর্থনৈতিক উন্নয়নের
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৫. সরকার দেশের বার্ষিক বাজেটে যেসব ক্ষেত্রে বরাদ্দ করে- (অনুধাবন)
র. রাজস্ব রর. উন্নয়নমূলক
ররর. জনকল্যাণমূলক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৬. যেসব বৈদেশিক বিষয়াবলির জন্য সরকার প্রতি বছর প্রচুর অর্থ ব্যয় করেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিদেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন
রর. দূতাবাস প্রতিষ্ঠা
ররর. বিদেশ থেকে দ্রব্য সামগ্রী আমদানি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৭. সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো (অনুধাবন)
র. উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি
রর. অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি
ররর. অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮. বাংলাদেশ সরকার বিপুল অর্থ ব্যয় করে থাকে (অনুধাবন)
র. ভৌত-অবকাঠামো নির্মাণে
রর. মানবসম্পদ উন্নয়নে
ররর. দারিদ্র্যবিমোচনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩৯. পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, আনসার বাহিনী অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে
রর. সমাজে শান্তি রাখার ক্ষেত্রে
ররর. চোরাচালান রোধের ক্ষেত্রে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৪০. স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের আওতাভুক্ত যে সমস্ত খাতে সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করেÑ (অনুধাবন)
র. মাতৃস্বাস্থ্য কর্মসূচি রর. শিশু কল্যাণ কর্মসূচি
ররর. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪১ ও ১৪২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিককালে একটি খাতে প্রচুর ব্যয় করছে। এ খাতসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদান, উপবৃত্তি, বিনামূল্যে পুস্তক প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রমে সরকার যথেষ্ট ব্যয় করে।
১৪১. অনুচ্ছেদে বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের কোন খাতটির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক প্রতিরক্ষা খ বেসামরিক প্রশাসন
শিক্ষা ঘ অন্যান্য খাত
১৪২. উক্ত খাতটিতে ব্যয় বৃদ্ধির ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শিক্ষা সম্প্রসারণ হবে
রর. উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার বিস্তার হবে
ররর. দেশ অশিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ব্যাংকের ধারণা ও শ্রেণিবিভাগ
- জনসাধারণের অর্থ গচ্ছিত রাখার এবং ঋণগ্রহীতাদের বিভিন্ন মেয়াদি ঋণ প্রদান করার প্রতিষ্ঠান হলো ব্যাংক।
- ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে।
- জনসাধারণ ব্যাংকে জমা রাখে তাদের আয় বা উদ্বৃত্ত অর্থ।
- ব্যাংক হলো ঋণের কারবারি ব্যবস্থা।
- ব্যাংক টিকে থাকে মুনাফার উপর ভিত্তি করে।
- উদ্দেশ্য ও কার্যাবলির ভিত্তিতে ব্যাংক তিন প্রকার।
- একটি দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
- দেশের অর্থবাজার, মুদ্রাব্যবস্থা এবং অন্যান্য ব্যাংকসমূহকে তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
- বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক।
- দেশের কাগজি মুদ্রা প্রচলনের একমাত্র অধিকারী হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৩. জনসাধারণের অর্থ গচ্ছিত রাখা ও ঋণ গ্রহীতাদের বিভিন্ন মেয়াদি ঋণ প্রদান করার প্রতিষ্ঠানকে কী বলে? (জ্ঞান)
ব্যাংক খ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
গ বিমা ঘ শেয়ারবাজার
১৪৪. আকাশ তার উদ্বৃত্ত টাকা ব্যাংকে জমা রাখে। সে মূলত কী কারণে ব্যাংকে টাকা জমা রাখে? (প্রয়োগ)
ক অধিক সুদের আশায় খ অধিক মুনাফার আশায়
নিরাপদে সঞ্চয়ের জন্য ঘ বেশি সম্মানের জন্য
১৪৫. ব্যাংকে জমাকৃত টাকা থেকে আয় হিসেবে জমাদানকারী কী পায়? (অনুধাবন)
ক মুনাফা খ তারল্য সুদ ঘ সঞ্চয়
১৪৬. সুদের হারের পার্থক্যকে ব্যাংকের কী বলে? (জ্ঞান)
ক ঋণ খ উৎপাদন গ সুদ মুনাফা
১৪৭. ব্যাংককে কিসের কারবারি বলা হয়? (জ্ঞান)
ক সুদের খ মুনাফার ঋণের ঘ লেনদেনের
১৪৮. উদ্দেশ্য ও কার্যাবলির ভিত্তিতে ব্যাংকসমূহকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১৪৯. একটি দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনটি? (জ্ঞান)
ক বাণিজ্যিক ব্যাংক খ গ্রামীণ ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘ বিশেষায়িত ব্যাংক
১৫০. দেশের সার্বিক ব্যাংক ব্যবস্থাকে কে নিয়ন্ত্রণ করে? (জ্ঞান)
ক অর্থমন্ত্রী খ গভর্নর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘ সরকার
১৫১. দেশের কাগজি মুদ্রা প্রচলনের অধিকারী কোন ব্যাংক? (জ্ঞান)
ক বাণিজ্যিক ব্যাংক খ বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘ আঞ্চলিক ব্যাংক
১৫২. কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে? (জ্ঞান)
ক জনগণের খ রাষ্ট্রের
সরকারের ঘ অন্যান্য ব্যাংকের
১৫৩. কোনটি সরকারের আর্থিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে? (জ্ঞান)
ক আইনসভা খ বাণিজ্যিক ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘ অর্থ মন্ত্রণালয়
১৫৪. বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ বাণিজ্যিক লাভের উদ্দেশ্যে কোন ধরনের ঋণ প্রদান করে? (জ্ঞান)
ক দীর্ঘমেয়াদি খ মধ্যমেয়াদি স্বল্পমেয়াদি ঘ বার্ষিক
১৫৫. সোনালী ব্যাংক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি কোন ধরনের ঋণ প্রদান করে? (প্রয়োগ)
ক দীর্ঘমেয়াদি স্বল্পমেয়াদি
গ গৃহ নির্মাণের ঋণ ঘ শিল্পের উন্নয়নের জন্য ঋণ
১৫৬. ন্যাশনাল ব্যাংক কী ধরনের ব্যাংক? (জ্ঞান)
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক খ বিশেষায়িত ব্যাংক
বাণিজ্যিক ব্যাংক ঘ ঋণদানকারী ব্যাংক
১৫৭. কোন ব্যাংক বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? (অনুধাবন)
ক বাণিজ্যিক ব্যাংক শিল্প ব্যাংক
গ কৃষি ব্যাংক ঘ কেন্দ্রীয় ব্যাংক
১৫৮. একজন কৃষক অর্থাভাবে তার কৃষিকার্য সম্পাদন করতে পারছে না। এমতাবস্থায় ঐ কৃষককে ঋণ গ্রহণের জন্য কোন ব্যাংকে যেতে হবে? (প্রয়োগ)
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে খ বাণিজ্যিক ব্যাংকে
কৃষি ব্যাংকে ঘ গ্রামীণ ব্যাংকে
১৫৯. দরিদ্র জনসাধারণকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে কোন ব্যাংক? (জ্ঞান)
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক খ আঞ্চলিক ব্যাংক
গ বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬০. বাংলাদেশ ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বলা হয়, কারণÑ
র. এটি বাংলাদেশের কেন্দ্রে অবস্থিত
রর. দেশের সার্বিক ব্যাংক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে
ররর. দেশে কাগজি মুদ্রা প্রচলনের অধিকারী
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬১. সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
র. সমবায় কার্যক্রমে ঋণদানের লক্ষ্যে
রর. জনসাধারণের ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যে
ররর. জনগণকে সমবায়ী মনোভাব সম্পন্ন করার লক্ষ্যে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬২. ব্যাংক জনসাধারণের গচ্ছিত অর্থ ঋণ হিসেবে প্রদান করে
র. ব্যবসায়ীদের রর. উৎপাদনকারীদের
ররর. ঋণগ্রহীতাদের
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৬৩. কেন্দ্রীয় ব্যাংক তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করে
র. দেশের অর্থবাজারকে রর. দেশের মুদ্রা বাজারকে
ররর. অন্যান্য ব্যাংকসমূহকে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৪ ও ১৬৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মুনাফার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানটি টিকে থাকে। এজন্য একে ঋণের কারবারি বলা হয়। জনসাধারণ তাদের আয় বা উদ্বৃত্ত অর্থ নিরাপদে সঞ্চয়ের জন্য এখানে জমা রাখে।
১৬৪. অনুচ্ছেদে কোন প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়েছে? (প্রয়োগ)
ব্যাংক খ ইন্স্যুরেন্স
গ বিমা ঘ সরকারি কোষাগার
১৬৫. উক্ত প্রতিষ্ঠানটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য-
র. জনসাধারণের অর্থ গচ্ছিত রাখে
রর. ঋণগ্রহীতাদের ঋণ প্রদান করে
ররর. অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি
- বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রাণ।
- বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করা।
- ব্যাংকের আমানত প্রধানত ৩ প্রকার।
- যে কোনো সময় তোলা যায় চলতি আমানতের গচ্ছিত অংশ।
- বাণিজ্যিক ব্যাংক স্থায়ী আমানতের জন্য আমানতকারীকে উচ্চহারে সুদ প্রদান করা হয়।
- বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণপ্রদানের ক্ষেত্রে সাধারণত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে মূল্যবান সম্পত্তি বন্ধক রেখে।
- বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্যতম কাজ হলো ঋণ প্রদান।
- বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষমতা নেই কাগজি নোট প্রচলনের।
- বৈদেশিক বাণিজ্যের অধিকাংশ কাজ পরিচালিত হয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে।
- মূল্যবান অলংকার, দলিলপত্র প্রভৃতি নিরাপদে গচ্ছিত রাখে বাণিজ্যিক ব্যাংক।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৬. ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ কোন ব্যাংক? (অনুধাবন)
ক কৃষি ব্যাংক খ গ্রামীণ ব্যাংক
গ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক
১৬৭. কীভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংক কাজ করে? (অনুধাবন)
ক মুনাফা নিয়ে
খ লাভ নিয়ে
জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত নিয়ে
ঘ সুদ নিয়ে
১৬৮. রহিম তার অর্জিত আয়ের উদ্বৃত্ত অংশ এমনভাবে ব্যাংকে রাখতে চায় যেন সে যেকোনো সময় টাকা ওঠাতে পারে-এক্ষেত্রে সে কোন ধরনের আমানত রাখবে? (প্রয়োগ)
ক চাহিদা আমানত চলতি আমানত
গ স্থায়ী আমানত ঘ মেয়াদি আমানত
১৬৯. কোন আমানতের গচ্ছিত অর্থ যে কোনো সময় তোলা যায়? (জ্ঞান)
চলতি আমানত খ সঞ্চয়ী আমানত
গ স্থায়ী আমানত ঘ অস্থায়ী আমানত
১৭০. সপ্তাহে এক বা দুইবার অর্থ তোলা যায় কোন আমানত থেকে? (জ্ঞান)
ক চলতি আমানত সঞ্চয়ী আমানত
গ স্থায়ী আমানত ঘ বিশেষ আমানত
১৭১. কোন আমানতের জন্য ব্যাংক আমানতকারীকে অল্প সুদ প্রদান করে? (জ্ঞান)
ক চলতি আমানত সঞ্চয়ী আমানত
গ স্থায়ী আমানত ঘ বিশেষ আমানত
১৭২. একটি নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর যে আমানত তোলা যায় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক চলতি আমানত খ সঞ্চয়ী আমানত
স্থায়ী আমানত ঘ বিশেষ আমানত
১৭৩. কোন আমানতের জন্য ব্যাংক আমানতকারীকে উচ্চ হারে সুদ প্রদান করতে হয়? (জ্ঞান)
ক চলতি খ সঞ্চয়ী স্থায়ী ঘ অস্থায়ী
১৭৪. বাণিজ্যিক ব্যাংক কোন অর্থ ঋণ হিসেবে প্রদান করে? (অনুধাবন)
ক প্রাপ্ত অনুদান জনসাধারণের গচ্ছিত অর্থ
গ সরকার প্রদত্ত অর্থ ঘ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত অর্থ
১৭৫. বাণিজ্যিক ব্যাংক কোন ক্ষেত্রে মূল্যবান সম্পত্তি বন্ধক রাখে? (জ্ঞান)
ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে খ কর্মকর্তার নিয়োগের ক্ষেত্রে
গ হুন্ডি বাট্টার ক্ষেত্রে ঘ জামানতের ক্ষেত্রে
১৭৬. মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পূর্বেই ইউসুফ সাহেবের টাকার প্রয়োজন হলো। তিনি কোন ব্যাংক থেকে হুন্ডি ভাঙিয়ে টাকা পেতে পারেন? (প্রয়োগ)
বাণিজ্যিক ব্যাংক খ কেন্দ্রীয় ব্যাংক
গ বিশেষায়িত ব্যাংক ঘ সোনালী ব্যাংক
১৭৭. বাণিজ্যিক ব্যাংক বাট্টা ধার্য করে কোন ক্ষেত্রে? (অনুধাবন)
বিনিময় বিল ভাঙানোর ক্ষেত্রে খ চেক ভাঙানোর ক্ষেত্রে
গ বড় টাকার নোট ভাঙানোর ক্ষেত্রে ঘ টাকা উত্তোলনের সময়
১৭৮. বাণিজ্যিক ব্যাংক কোন কাজের মাধ্যমে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে? (জ্ঞান)
ক চেক ভাঙিয়ে খ ঋণ নিয়ে
বিনিময় বিল ভাঙিয়ে ঘ সুদের মাধ্যমে
১৭৯. বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে কোন বাণিজ্যের অধিকাংশ কাজ পরিচালিত হয়? (জ্ঞান)
ক স্থানীয় খ আঞ্চলিক বৈদেশিক ঘ জাতীয়
১৮০. কোন ব্যাংক নিরাপদে ও দ্রুত টাকা স্থানান্তর করে? (জ্ঞান)
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাণিজ্যিক ব্যাংক
গ বিশেষায়িত ব্যাংক ঘ গ্রামীণ ব্যাংক
১৮১. বন্ড, স্টক, শেয়ার ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করে কোন ব্যাংক? (জ্ঞান)
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক খ অগ্রণী ব্যাংক
গ বিশেষায়িত ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক
১৮২. জাকারিয়া সাহেব প্রতি মাসে টেলিফোন ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য ব্যাংকে যান। তিনি কোন ব্যাংকে যান? (প্রয়োগ)
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ সমবায় ব্যাংক ঘ গ্রামীণ ব্যাংক
১৮৩. মূল্যবান অলংকার, দলিলপত্র প্রভৃতি নিরাপদে গচ্ছিত রাখে কোন ব্যাংক? (জ্ঞান)
বাণিজ্যিক ব্যাংক খ কেন্দ্রীয় ব্যাংক
গ বিশেষায়িত ব্যাংক ঘ ন্যাশনাল ব্যাংক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮৪. বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ যা দ্বারা বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে (অনুধাবন)
র. ব্যাংক ড্রাফট
রর. চেক
ররর. হুন্ডি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৮৫. বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ কাজ করে- (অনুধাবন)
র. আমানত গ্রহণ করে
রর. সুদ প্রদান করে
ররর. ঋণ দান করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৮৬. ব্যাংকের আমানতগুলো হলো- (অনুধাবন)
র. চলতি
রর. অস্থায়ী
ররর. সঞ্চয়ী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৭. বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রাহকদের সহায়তা করে- (অনুধাবন)
র. বাড়িভাড়া পরিশোধে
রর. আয়কর পরিশোধে
ররর. বিমার প্রিমিয়াম পরিশোধে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৮৮. বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রাহকের সুবিধার্থে ক্রয়-বিক্রয় করে- (অনুধাবন)
র. শেয়ার
রর. স্টক
ররর. ডিবেঞ্চার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৮৯. বাণিজ্যিক ব্যাংক ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিতে সাহায্য করে- (অনুধাবন)
র. অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে
রর. বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে
ররর. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণ দানের ক্ষেত্রে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯০. বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ দিয়ে থাকে (অনুধাবন)
র. স্বল্পমেয়াদি
রর. মধ্যমেয়াদি
ররর. দীর্ঘমেয়াদি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯১ ও ১৯২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বন্ধু জামিলের ফোন পেয়ে একটু আগেই অফিসে চলে এলেন আমিন সাহেব। তিনি একজন ব্যাংকার। অফিসে গিয়ে জনাব জামিলের বিনিময় বিল ভাঙ্গিয়ে দিলেন।
১৯১. আমিন সাহেব কোন ধরনের ব্যাংকে কার্যরত? (প্রয়োগ)
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক খ আঞ্চলিক ব্যাংক
বাণিজ্যিক ব্যাংক ঘ শাখা ব্যাংক
১৯২. আমিন সাহেবের কার্যালয়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কাগজী নোট প্রচলন করতে পারে
রর. চেক সৃষ্টি করতে পারে
ররর. বাট্টা ধার্য করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো কাগজি মুদ্রা প্রচলন ও মুদ্রাব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখা।
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রাই হলো চিহ্নিত মুদ্রা।
- সরকারের ব্যাংক হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
- সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বিনা খরচে বিভিন্ন উৎস থেকে সরকারের পাওনা আদায় এবং বিভিন্ন খাতে সরকারের দেনা পরিশোধ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
- সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের হিসাব-নিকাশ করে এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংক হিসেবে।
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ হলো ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা।
- কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বলা হয় সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা।
- বিভিন্ন ব্যাংকের পারস্পরিক দেনা-পাওনার ক্লিয়ারিং হাউজ বা নিকাশঘর হিসেবে কাজ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
- অন্যান্য দেশের মুদ্রার সাথে দেশের মুদ্রার নির্দিষ্ট বিনিময় হার রক্ষা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯৩. মুদ্রার অভ্যন্তরীণ ও বহির্মূল্য স্থিতিশীল রাখার দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত? (জ্ঞান)
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খ বাণিজ্যিক ব্যাংকের
গ গ্রামীণ ব্যাংকের ঘ বিশেষায়িত ব্যাংকের
১৯৪. কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত কার ব্যাংক? (অনুধাবন)
সরকারের খ জনগণের
গ রাষ্ট্রের ঘ অন্যান্য ব্যাংকের
১৯৫. সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের হিসাব-নিকাশ করে কোন ব্যাংক? (জ্ঞান)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক খ ঢাকা ব্যাংক
গ বাণিজ্যিক ব্যাংক ঘ গ্রামীণ ব্যাংক
১৯৬. বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অভিভাবকস্থানীয় কারণ কী? (প্রয়োগ)
ক সরকারের ব্যাংক খ জনগণের ব্যাংক
অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংক ঘ রাষ্ট্রের ব্যাংক
১৯৭. কেন্দ্রীয় ব্যাংক জমাকৃত মূলধনের নির্দিষ্ট অংশ হ্রাস বৃদ্ধি করে কোন ব্যাংকের ঋণদান ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে? (জ্ঞান)
ক সোনালী ব্যাংক খ আঞ্চলিক ব্যাংক
বাণিজ্যিক ব্যাংক ঘ গ্রামীণ ব্যাংক
১৯৮. মোট অর্থের পরিমাণ কখন বেড়ে যেতে পারে? (অনুধাবন)
ক অতিরিক্ত মুদ্রা ছাপানো হলে খ বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য পেলে
অতিরিক্ত ঋণ সৃষ্টি করা হলে ঘ অতিরিক্ত ঋণের টাকা আদায় করা হলে
১৯৯. মোট অর্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে দেশে কী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে? (জ্ঞান)
ক মুদ্রার মান কমে যায় খ দ্রব্যের দাম বেড়ে যায়
মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় ঘ মুদ্রা সংকোচন দেখা দেয়
২০০. কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা সংকোচন ও মুদ্রাস্ফীতি এড়ানোর লক্ষ্যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে? (অনুধাবন)
ক মুদ্রা কম ছাপায় ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে
গ বাণিজ্যিক ব্যাংককে চাপে রাখে ঘ বার্ষিক বাজেটের সমালোচনা করে
২০১. বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আর্থিক সংকটের হাত থেকে রক্ষা করে কে? (জ্ঞান)
ক সরকার খ রাষ্ট্র কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘ জনসাধারণ
২০২. বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলা কখন বাংলাদেশ ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়? (অনুধাবন)
অন্য কোনো উৎস হতে ঋণ গ্রহণে ব্যর্থ হলে
খ সরকারের ব্যয়ের নতুন খাত দেখা দিলে
গ ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে
ঘ ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলে
২০৩. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক সরকারকে অধিক ঋণ প্রদান করে বলে
খ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে বলে
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা করে
ঘ কাগজি মুদ্রার প্রচলন করে বলে
২০৪. কোন ব্যাংককে নিকাশ ঘর বলা হয়? (জ্ঞান)
ক বাণিজ্যিক ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে
গ সমবায় ব্যাংককে ঘ গ্রামীণ ব্যাংককে
২০৫. কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে আন্তঃব্যাংক দেনা-পাওনা মিটিয়ে থাকে কিসের মাধ্যমে? (অনুধাবন)
ক ড্রাফট খ হুন্ডি চেক ঘ বন্ড
২০৬. কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য দেশের মুদ্রার সাথে দেশীয় মুদ্রার কী নির্ধারণ করে? (জ্ঞান)
ক নির্দিষ্ট লেনদেনের হার নির্দিষ্ট বিনিময় হার
গ নির্দিষ্ট সুদের হার ঘ নির্দিষ্ট ঋণের হার
২০৭. কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করে কেন? (অনুধাবন)
ক মজুত করার জন্য
খ মুদ্রাস্ফীতি রক্ষার জন্য
দেশি মুদ্রার বিনিময় হার রক্ষার জন্য
ঘ সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২০৮. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ (অনুধাবন)
র. কাগজি মুদ্রার প্রচলন
রর. মুদ্রা ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখা
ররর. চিিহ্নত মুদ্রার বহির্মূল্য স্থিতিশীল রাখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২০৯. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বলা হয় (অনুধাবন)
র. সরকারের প্রতিনিধি
রর. অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংক
ররর. সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২১০ ও ২১১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জাহিদ এমন একটি ব্যাংকে চাকরি করেন যা অন্যান্য ব্যাংককে তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাছাড়া তার ব্যাংক সরকারের পাওনা আদায় ও দেনা পরিশোধ করে এবং প্রয়োজনবোধে সরকারকে ঋণ দেয়।
২১০. জাহিদ সাহেব কোন ব্যাংকে চাকরি করেন? (প্রয়োগ)
ক বাণিজ্যিক ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে
গ আঞ্চলিক ব্যাংকে ঘ জনতা ব্যাংকে
২১১. উক্ত ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে
র. প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে
রর. জাতীয় বাজেট প্রণয়নের সাহায্য করে
ররর. গবেষণা পরিচালনা করে
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
দারিদ্র্য বিমোচন ও স্বকর্মসংস্থানে বিভিন্ন ব্যাংকের ভূমিকা
- বেকারত্বের অভিশাপ হতে মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে একজন কর্মক্ষম ও কর্মে ইচ্ছুক মানুষ স্ব-উদ্যোগে যখন উৎপাদন বা আয় অর্জনের ক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকে তাই হলো স্বকর্মসংস্থান।
- বাংলাদেশে প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ নতুন কর্মক্ষম মানুষ।
- কৃষকদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
- স্বাধীনতার পরপরই সাবেক কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সকল দায় দায়িত্ব ও সম্পদ নিয়ে গঠিত ব্যাংকই হলো বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
- হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য উৎপাদন, গুটি পোকার চাষ, ফলের চাষ, ফুলের চাষ ও কুটির শিল্পের জন্য ঋণ দান করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
- দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নির্ধারিত হয় ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ২৫%।
- বাংলাদেশে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে গ্রামীণ ব্যাংক।
- গ্রামীণ ব্যাংক পল্লির ভূমিহীন পুরুষ ও নারীদের ঋণদানের জন্য একটি বিশেষ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান।
- বাংলাদেশের দরিদ্র পুরুষ ও নারীদের বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে গ্রামীণ ব্যাংক।
- গ্রামের বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য স্বকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণ ব্যাংক।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১২. স্বাধীনভাবে একজন কর্মক্ষম মানুষ স্বউদ্যোগে উৎপাদন বা আয় উপার্জনে নিয়োজিত থাকাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক দারিদ্র্যবিমোচন স্বকর্মসংস্থান
গ কর্মসংস্থান ঘ আত্মনির্ভরশীল
২১৩. বাংলাদেশে প্রতিবছর কত লক্ষ লোক শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে? (জ্ঞান)
ক ১০-১৫ খ ১৫-২০ ২০-২৫ ঘ ৩০-৩৫
২১৪. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কখন গঠিত হয়? (জ্ঞান)
স্বাধীনতার পর পরই খ স্বাধীনতার পূর্বে
গ পাকিস্তান আমলে ঘ ব্রিটিশ আমলে
২১৫. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কেন গঠিত হয়? (অনুধাবন)
কৃষি উন্নয়নের জন্য খ খাদ্য ঘাটতি দূর করার জন্য
গ ব্যবসা-বাণিজ্য সমৃদ্ধির জন্য ঘ শিল্পের উন্নয়নের জন্য
২১৬. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কাদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে? (জ্ঞান)
ক বেকারদের খ প্রজাদের কৃষকদের ঘ ব্যবসায়ীদের
২১৭. ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে কোন ব্যাংক? (জ্ঞান)
ক কৃষি ব্যাংক খ শিল্পব্যাংক
গ বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংক
২১৮. গনি মিয়া একজন ভূমিহীন। তার আর্থিক উন্নয়নের জন্য নিচের কোন অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান ঋণ দেবে? (প্রয়োগ)
গ্রামীণ ব্যাংক খ কৃষি ব্যাংক
গ শিল্প ব্যাংক ঘ বাণিজ্যিক ব্যাংক
২১৯. গ্রামীণ ব্যাংক বিশেষায়িত ব্যাংক বলার যৌক্তিক কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক গ্রামের লোকদের নিয়ে কাজ করে বলে
বিশেষ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণ দান করে বলে
গ গ্রামের নারী ও পুরুষদের নিয়ে কাজ করে বলে
ঘ ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক বলে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২০. কৃষি তথা গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য অধিক উপযোগী ব্যাংক হলোÑ (অনুধাবন)
র. কৃষি ব্যাংক
রর. শিল্প ব্যাংক
ররর. গ্রামীণ ব্যাংক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২১. গ্রামীণ ব্যাংক বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে বাংলাদেশের- (অনুধাবন)
র. দরিদ্র নারীদের রর. দরিদ্র পুরুষদের
ররর. ধনী যুবকদের
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২২. গ্রামের বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য স্বকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে- (অনুধাবন)
র. কৃষি ব্যাংক রর. গ্রামীণ ব্যাংক
ররর. ইসলামী ব্যাংক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৩. কৃষি ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে- (অনুধাবন)
র. দারিদ্র্যবিমোচনে রর. কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে
ররর. অবকাঠামো নির্মাণে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২২৪ ও ২২৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দরিদ্র গৃহবধূ জামিলা খাতুন যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে সেলাইয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে কোনো বন্ধকি ছাড়াই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে একটি সেলাই মেশিন ক্রয় করেন। এখন জামিলা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।
২২৪. জামিলা খাতুন যে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে তার নাম কী? (প্রয়োগ)
ক বাণিজ্যিক ব্যাংক খ শিল্প ব্যাংক
গ সমবায় ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংক
২২৫. জামিলা খাতুন যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেন সেই ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করা
রর. স্বকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা
ররর. মক্কেলদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি
জনাব আব্দুস সালাম বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য শিল্পপতি। তিনি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বত্র জনগণকে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা। তার ব্যাংকের কাজ হলো জনগণের সঞ্চিত অর্থ বিভিন্ন মেয়াদে জমা রেখে ব্যবসায়ী, শিল্প উদ্যোক্তা ও আবাসন প্রকল্পে ঋণ প্রদান করা। এছাড়াও তার ব্যাংক গ্রাহকদের সুবিধার্থে বন্ড, স্টক, শেয়ার, ডিবেঞ্চার ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে।
ক.বাংলাদেশের সরকারের ব্যয়ের অন্যতম প্রধান খাত কোনটি? ১
খ.কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.জনাব আব্দুস সালামের প্রতিষ্ঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি কোন ধরনের ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তার প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটিকে কোন অর্থে ঋণের কারবারি বলা যায়? আলোচনা কর। ৪
ক বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের অন্যতম প্রধান খাত হচ্ছে প্রতিরক্ষা।
খ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যখন আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয় এবং অন্য কোনো উৎস থেকে ঋণ গ্রহণে ব্যর্থ হয় তখন বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদান করে আর্থিক সংকটের হাত থেকে রক্ষা করে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা বলা হয়।
গ জনাব আব্দুস সালামের প্রতিষ্ঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত। বাণিজ্যিক ব্যাংক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে জনগণের সঞ্চিত অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে এবং গৃহীত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ গচ্ছিত রেখে অবশিষ্ট অর্থ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদেরকে ঋণ হিসেবে প্রদান করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ চেক, ব্যাংক ড্রাফট, হুন্ডি ইত্যাদি বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে। এছাড়াও এই ব্যাংক তার গ্রাহক বা মক্কেলের সুবিধার্থে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে বন্ড, স্টক, শেয়ার, ডিবেঞ্চার ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। উদ্দীপকে জনাব আব্দুস সালামের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটি বর্ণনাকৃত কার্যক্রম পরিচালনা করে। অর্থাৎ জনাব আব্দুস সালাম একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।
ঘ জনাব আব্দুস সালামের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটি একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো জনসাধারণের অর্থ গচ্ছিত রাখার এবং ঋণগ্রহীতাদের বিভিন্ন মেয়াদী ঋণ প্রদান করার প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংক জনগণের সঞ্চিত অর্থ স্বল্পহার সুদে চলতি, সঞ্চয়ী ও স্থায়ী হিসাবের মাধ্যমে আমানত গ্রহণ করে। গ্রহণকৃত আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ গচ্ছিত রেখে অবশিষ্ট অংশ উচ্চহারে ব্যবসায়ী, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও জনগণকে ঋণ হিসেবে প্রদান করে থাকে। আমানতকৃত অর্থের ওপর ব্যাংক যে সুদ দেয় তা ঋণ গ্রহীতাদের নিকট হতে ব্যাংক যে সুদ নেয় তার চেয়ে কম। সুদের হারের এই পার্থক্যই ব্যাংকের মুনাফা। মূলত এই মুনাফার ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক টিকে থাকে। এ কারণে জনাব আব্দুস সালামের প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক ব্যাংককে ঋণের কারবারি বলা হয়।
প্রশ্ন- ২ বাণিজ্যিক ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক
‘ক’ ও ‘খ’ উভয় ব্যাংকই বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে। তবে ‘খ’ ব্যাংক যে মাধ্যম সৃষ্টি করে তা জনগণ গ্রহণ করতে বাধ্য নয়। আবার উভয়েই ঋণ বিতরণ করে। তবে ‘ক’ ব্যাংক সরাসরি জনগণের মধ্যে ঋণ বিতরণ করে না। ঋণ প্রদান করে মূলত ‘খ’ এর মতো ব্যাংকগুলোকে।
ক.রেজিস্ট্রেশন ফি সরকারের কোন ধরনের রাজস্বের অন্তর্ভুক্ত? ১
খ.সরকার ব্যয় করে কেন? বুঝিয়ে লিখ। ২
গ.উদ্দীপকে ‘খ’ ব্যাংকের কার্যাবলির বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ‘ক’ ব্যাংকের ভূমিকা মূল্যায়ন কর। ৪
ক রেজিস্ট্রেশন ফি সরকারের কর রাজস্বের অন্তর্ভুক্ত।
খ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, ভৌত-অবকাঠামো নির্মাণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সরকার ব্যয় করে থাকে। এছাড়া সরকারকে প্রশাসনিক, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক এবং অন্যান্য সেবাধর্মী কর্মকাÊেও ব্যয় করতে হয়। মোটকথা দেশের উন্নয়নের জন্যই সরকার ব্যয় করে থাকে।
গ উদ্দীপকে ‘খ’ ব্যাংক যে বিনিময় মাধ্যম সৃষ্টি করে তা জনগণ গ্রহণ করতে বাধ্য নয়। এই ব্যাংক জনগণের মাঝে ঋণ বিতরণ করে থাকে। উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলিকে নির্দেশ করছে। অর্থাৎ ‘খ’ ব্যাংক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। আর অর্থনীতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণই হলো এই বাণিজ্যিক ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ হলো জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করা। এ ব্যাংক চলতি, সঞ্চয়ী ও স্থায়ী এই তিন ধরনের হিসাবের মাধ্যমে আমানত গ্রহণ করে থাকে। ঋণ প্রদান বাণিজ্যিক ব্যাংকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংক বন্ড, স্টক, শেয়ার, ডিবেঞ্চার ক্রয়-বিক্রয় করে এবং গ্রাহকদের বাড়ি ভাড়া, আয়কর, বিমার প্রিমিয়াম, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ বিল প্রভৃতি পরিশোধে সহায়তা করে।
ঘ উদ্দীপকে ‘ক’ ব্যাংক বিনিময়ের যে মাধ্যম সৃষ্টি করে তা জনগণ গ্রহণ করতে বাধ্য। এই ব্যাংক সরাসরি জনগণের মধ্যে ঋণ বিতরণ করে না। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ‘ক’ ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ‘ক’ ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংক গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র। এ ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নোট ইস্যু করে থাকে। মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের মধ্যে যথাসম্ভব সমতা বিধান করে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করে। মুদ্রা সংকোচন ও মুদ্রাস্ফীতি এড়ানোর লক্ষ্যে এই ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গবেষণা পরিচালনা, প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ, জাতীয় বাজেট প্রণয়নে সাহায্য করা প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করে থাকে। এছাড়া সরকারের গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো উন্নয়ন কর্মকাÊে সরকারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকে। এই ব্যাংক সুদ ছাড়া সরকারের অর্থ জমা রাখা, প্রয়োজনবোধে সরকারকে ঋণ প্রদান ও আর্থিক ব্যাপারে পরামর্শ দান করে। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংক অনন্য শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে।
প্রশ্ন- ৩ বাণিজ্যিক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি
‘ঢ’ ও ‘ণ’ বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ‘ঢ’ প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে পড়লে অন্যান্য উৎস থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করে, তবে ব্যর্থ হলে ‘ণ’ প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হয়। ‘ণ’ প্রতিষ্ঠানটি ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ‘ঢ’ প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ক.মূল্য সংযোজন কর কী? ১
খ.সরকারি অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকের ‘ঢ’ কোন ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.ঋণ প্রদান করাই কি ‘ণ’ প্রতিষ্ঠানের একমাত্র কাজ? মতামত দাও। ৪
ক আমদানিকৃত দ্রব্য ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দ্রব্য এবং নির্ধারিত কতগুলো সেবাখাতের ওপর যে কর আরোপ করা হয় তাকে মূল্য সংযোজন কর বলে।
খ সাধারণভাবে সরকারি অর্থব্যবস্থা বলতে রাষ্ট্রের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত নীতি ও পদ্ধতিকে বোঝায়। এ সম্পর্কে অধ্যাপক ডালটন বলেন, ‘সরকারি অর্থব্যবস্থা সরকারের আয়-ব্যয় এবং এদের একটির সঙ্গে অপরটির সমন্বয় বিধানের কার্যাবলি আলোচনা করে।’ অর্থনীতির এ শাখায় রাষ্ট্রের সব ধরনের আয়-ব্যয়, ঋণ ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা ও এদের সমাধানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।
গ উদ্দীপকের ‘ঢ’ নামক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে জনগণের সঞ্চিত অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ এবং সে আমানত হতে ঋণ প্রদান কাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংককে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। এই ব্যাংকগুলো যখন আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয় এবং অন্য কোনো উৎস থেকে ঋণ গ্রহণে ব্যর্থ হয় তখন বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদান করে আর্থিক সংকটের হাত থেকে রক্ষা করে। উদ্দীপকে ‘ঢ’ নামক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও তা পরিলক্ষিত হয়েছে। সুতরাং উদ্দীপকে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বলা যায় ‘ঢ’ নামক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক।
ঘ উদ্দীপকে ‘ণ’ নামক প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেননা উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ঋণদানের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে ঋণ প্রদান করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ প্রদান করা ছাড়াও নানা ধরনের কাজ করে থাকে। এই ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নোট ইস্যু করে থাকে। তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়ে বিভিন্নভাবে পরিচালনায় সাহায্য করে। এই ব্যাংক অন্যান্য দেশের মুদ্রার সাথে দেশের মুদ্রার নির্দিষ্ট বিনিময় হার রক্ষা করে। এ উদ্দেশ্যে এই ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করে। দেশের মোট মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের মধ্যে যথাসম্ভব সমতা বিধান করে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করে। মুদ্রা সংকোচন ও মুদ্রাস্ফীতি এড়ানোর লক্ষ্যে এই ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গবেষণা পরিচালনা, প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ, জাতীয় বাজেট প্রণয়নে সাহায্য করা প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করে থাকে। এছাড়া সরকারের গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো উন্নয়ন কর্মকাÊে সরকারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকে। এই ব্যাংক সুদ ছাড়া সরকারের অর্থ জমা রাখে, প্রয়োজনবোধে সরকারকে ঋণ প্রদান ও আর্থিক ব্যাপারে পরামর্শ দান করে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, ঋণ প্রদান করাই ‘ণ’ নামক প্রতিষ্ঠান তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একমাত্র কাজ নয়।
প্রশ্ন- ৪ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
আরমান গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবক। চাকরি না পেয়ে আত্মকর্মসংস্থানমূলক কিছু করার পরিকল্পনা থেকেই শেষ সম্বল পৈত্রিক জমিটি স্থানীয় একটি বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বন্ধক দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেয়। বাড়ির পাশের মজা পুকুরটি পরিষ্কার করে সেখানে ঋণের টাকা দিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করে অল্প সময়েই আর্থিকভাবে সে বেশ সচ্ছল হয়ে ওঠে।
ক.বাংলাদেশ সরকারের আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস কোনটি? ১
খ.নিকাশ ঘর কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকের আরমান কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.আরমানের মতো বেকার যুবকদের জনসম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অবদান বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বাংলাদেশ সরকারের আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে আয়কর।
খ নিকাশ ঘর এমন একটি ব্যবস্থা যাতে কেন্দ্রীয় স্থান বা অফিসে নির্দিষ্ট এলাকার ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিগণ তাদের মধ্যকার সৃষ্ট দৈনন্দিন দেনাপাওনা নিষ্পত্তিতে লিপ্ত থাকে। নিকাশ ঘর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। নিকাশ ঘর সর্বদা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ দেনা-পাওনা মিটিয়ে থাকে।
গ উদ্দীপকের আরমান বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। বিশেষ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দেশে কতিপয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি ব্যাংক এ রকম একটি বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংক কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে। বর্তমানে কৃষিকার্য ছাড়াও হাঁস-মুরগি ও পশুপালন, মৎস্য উৎপাদন, ফুল ও ফলের চাষ ও কুটিরশিল্পের জন্যও এই ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে। আরমান দারিদ্র দূরীকরণ এবং আত্মকর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যে প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছে তা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উদ্দেশ্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, আরমান বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকেই ঋণ নিয়েছে।
ঘ আরমানের মতো বেকার যুবকদের জনসম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান তথা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবদান অনস্বীকার্য। দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই ব্যাংক কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি হাঁস-মুরগি ও পশুপালন, মৎস্য উৎপাদন, ফলের চাষ, ফুলের চাষ ও কুটিরশিল্পের জন্যও ঋণ প্রদান করে থাকে। এ ঋণ গ্রহীতারা প্রথমে ¶ুদ্র পরিসরে তাদের কর্মকাÊ শুরু করে। এর পরে তারা এ কর্মকাÊের দ্বারা লাভবান হয়ে উঠলে তাদের কর্মকাÊ আরো বৃহৎ আকারে রূপ দেয়। যা সম্ভব হয় ব্যাংকের ¶ুদ্র ঋণের কারণে। কারণ আমাদের দেশের দারিদ্র বেকার যুবকেরা অর্থের অভাবে কোনো ব্যবসা বা আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মকাÊে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর ঋণ সহায়তা তাদেরকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। ঋণ পেয়ে তারা নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে লাভবান হয়। যা তাদের অসচ্ছলতা দূর করে। আরমানও অনুরূপভাবে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ শুরু করে। আজ তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি তার আর্থিক অভাব দূর করে সচ্ছল হতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু ব্যাংক যদি তাকে ঋণ না দিত তাহলে আরমানের পক্ষে তার অসচ্ছলতা দূর করা সম্ভব হতো না। তাই বলা যায়, আরমানের মতো বেকার যুবকদের জনসম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
প্রশ্ন- ৫ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
দৃশ্যকল্প ১ : মামুন চাষাবাদের গরু, কৃষি যন্ত্রপাতি, পাম্প ইত্যাদি কেনার জন্য একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কৃষির উন্নতির চেষ্টা করেন।
দৃশ্যকল্প ২ : জনাব রহমান সাহেব যে ব্যাংকে চাকরি করেন সেটি দেশের অভ্যন্তরে ও বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেনা-পাওনার সমাধান করে দেয়।
ক.বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস কোনটি? ১
খ.কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা বলা হয় কেন? ২
গ.দৃশ্যকল্প-১ এ উল্লিখিত ব্যাংকটির সাথে কোন ব্যাংকের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দৃশ্যকল্প-২ এ উল্লিখিত ব্যাংকটির অবদান বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হলো বাণিজ্য শুল্ক।
খ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যখন আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয় এবং অন্য কোনো উৎস থেকে ঋণ গ্রহণে ব্যর্থ হয় তখন বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদান করে আর্থিক সংকটের হাত থেকে রক্ষা করে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা বলা হয়।
গ দৃশ্যকল্প-১ এ উল্লিখিত ব্যাংকটির সাথে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মিল রয়েছে। বিশেষ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দেশে কতিপয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি ব্যাংক এ রকম একটি বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংক কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে। হালের বলদ, বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, পানি সেচের জন্য শক্তিচালিত পাম্প, গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন প্রভৃতি কাজের জন্য কৃষি ব্যাংক ঋণ প্রদান করে। উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ দেখা যায়, মামুন চাষাবাদের গরু, কৃষি যন্ত্রপাতি, পাম্প ইত্যাদি কেনার জন্য একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। অর্থাৎ মামুন কৃষি কাজের জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। সুতরাং দৃশ্যকল্প-১ এ উল্লিখিত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ব্যাংকটির সাথে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মিল রয়েছে।
ঘ দৃশ্যকল্প-২ এ বাণিজ্যিক ব্যাংকের কথা বলা হয়েছে। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখে। ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রাণ হলো বাণিজ্যিক ব্যাংক। এ শ্রেণির ব্যাংকসমূহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে অর্থনীতিতে উন্নয়নে সহায়তা করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ হলো জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করা। ঋণ প্রদান বাণিজ্যিক ব্যাংকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কাগজি নোট প্রচলন করার ক্ষমতা কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের থাকলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ চেক, ব্যাংক ড্রাফট, হু, ভ্রমণকারীর ঋণপত্র ইত্যাদি বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে। বাট্টা ধার্য করে হুÊি, ভ্রমণকারীর ঋণপত্র ইত্যাদি বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে। বাট্টা ধার্য করে হুÊি বা বিনিময় বিল ভাঙিয়ে দেওয়া বাণিজ্যিক ব্যাংকের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেনা পাওনা নিষ্পত্তিতে সাহায্য করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক নিরাপদে এবং দ্রুত টাকা স্থানান্তর করে। তাছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংক চেক, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার, ভ্রমণকারীর চেক, টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার (টিটি) প্রভৃতি সহজ উপায়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অর্থ প্রেরণে জনগণকে সহায়তা করে থাকে। তাই বলা যায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাণিজ্যিক ব্যাংকের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৬ বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস
মোস্তফা সাহেব চট্টগ্রামের একজন দক্ষ ব্যবসায়ী। তিনি চিনি, কেরোসিন ও ওষুধের ব্যবসায় করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করেন। অন্যদিকে, তার বড় ভাই কাদের সাহেবের রয়েছে কুয়াকাটায় একটি বিলাসবহুল হোটেল যা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখেন। সরকার এ দু শ্রেণির ব্যবসায়ের কাছ থেকে অর্থ আয় করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবহার করেন।
ক.বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস কয়টি? ১
খ.স্থায়ী আমানত বলতে কী বোঝায়? ২
গ.মোস্তফা সাহেবের ব্যবসায় থেকে অর্জিত সরকারের আয়ের উৎসটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত দুই শ্রেণির ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সরকার যে অর্থ আয় করে তার উৎস এক নয়। তুমি কি একমত? বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বাংলাদেশ সরকার আয়ের উৎস দু’টি।
খ যে আমানত একটি নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হবার পর তোলা যায় তাকে স্থায়ী আমানত বলে। স্থায়ী আমানতের জন্য আমানতকারীকে উচ্চ হারে সুদ প্রদান করা হয়। সাধারণত ১ মাস থেকে শুরু করে যেকোনো মেয়াদে ব্যাংকে টাকা জমা রেখে এ হিসাব খোলা যায়। এ হিসাবে ব্যাংক উচ্চহারে সুদ প্রদান করে তবে মেয়াদ পূর্তির আগে গ্রাহক তার টাকা উত্তোলন করতে পারে না। তবে বিশেষ প্রয়োজন উত্তোলন করলে সে ক্ষেত্রে গ্রাহক কোনো সুদ পাবে না।
গ উদ্দীপকে মোস্তফা সাহেবের ব্যবসায় থেকে অর্জিত সরকারের আয়ের উৎসটি হলো কর রাজস্বের আবগারি শুল্ক। বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণ, বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প কারখানার উপর যে কর ধার্য করে তা থেকে প্রাপ্ত আয়কে কর রাজস্ব বলে। আর দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আবগারি শুল্ক বলা হয়। রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশ্যেও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত চা, সিগারেট, চিনি, তামাক, কেরোসিন, ওষুধ, স্পিরিট, দিয়াশলাই, মদ, গাঁজা, আফিম প্রভৃতি দ্রব্যের উপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। সুতরাং উদ্দীপকে বর্ণিত মোস্তফা সাহেবের চিনি, কেরোসিন ও ওষুধের ব্যবসা থেকে অর্জিত সরকারের আয়ের খাতটি হলো আবগারি শুল্ক।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত দুই শ্রেণির ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সরকার যে অর্থ আয় করে তার উৎস এক নয়। আমি এই বিষয়ে একমত। প্রথম শ্রেণির ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সরকার কর রাজস্বের অন্তর্ভুক্ত আবগারি শুল্ক আদায় করেছেন। আর দ্বিতীয় শ্রেণির ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সরকার কর বহির্ভূত রাজস্ব আয় করেন। দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আবগারি শুল্ক বলা হয়। রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশ্যেও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। বাংলাদেশ সরকার কর ও শুল্ক ছাড়াও আরও অনেক উৎস হতে রাজস্ব সংগ্রহ করে। এ উৎসগুলো থেকে অর্জিত রাজস্বকে কর-বহির্ভূত রাজস্ব বলে। যেমনÑ সরকার জনসাধারণকে কিছু অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমেও আয় করে। এগুলোর মধ্যে পর্যটন, ব্যাংকিং, ভ্রমণ ও সেবা উল্লেখযোগ্য। উদ্দীপকে কাদের সাহেব বিলাসবহুল হোটেলে পর্যটকদের, ভ্রমণকারীদের নানা সেবা দিয়ে থাকেন সরকারের বিভিন্ন নীতির আওতায়। সরকার প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা তার বিলাসবহুল হোটেলের ব্যবসায়ের মাধ্যমে যখন ভোক্তার নিকট পৌঁছায় তার কর বহির্ভূত রাজস্বের অন্তর্ভুক্ত হয়। এ প্রেক্ষিতেই বলা যায় উদ্দীপকে উল্লেখিত দুই শ্রেণির ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সরকার যে অর্থ আয় করে তার উৎস এক নয় বরং ভিন্ন।
প্রশ্ন- ৭ দারিদ্র্য বিমোচন ও স্বকর্মসংস্থানের গ্রামীণ ব্যাংক
জরিনার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সন্তানটিকে নিয়ে সে বাবার বাড়িতে চলে আসে। এখানে এসে সে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সেলাইয়ের কাজের ওপর প্রশিক্ষণ নেয়। পরবর্তীতে সে একটি সেলাই মেশিন ক্রয়ের জন্য ঋণ নেওয়ার কথা বাবা, ভাইকে বললে, তারা বলে নিজস্ব বা নিজের নামে কোনো জমি বা সম্পদ না থাকলে কোনো ঋণ পাওয়া যায় না। শেষে একটি প্রতিষ্ঠান কোনো কিছু জামানত না রেখে তাকে ঋণ দেওয়ায় সে একটি সেলাই মেশিন ক্রয় করে।
ক.ব্যাংক কীসের উপর ভিত্তি করে টিকে থাকে? ১
খ. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা বলা হয় কেন? ২
গ.জরিনা বেগম কোন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করল? তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.হাত দরিদ্র্র, সহায়-সম্বলহীন, মানুষের আর্থিক উন্নতিতে উক্ত ব্যাংকের অবদান মূল্যায়ন কর। ৪
ক ব্যাংক মুনাফার উপর ভিত্তি করে টিকে থাকে।
খ কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের অর্থবাজার, মুদ্রাব্যবস্থা এবং অন্য ব্যাংকসমূহকে তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যখন আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয় এবং অন্য কোনো উৎস থেকে ঋণ গ্রহণে ব্যর্থ হয় তখন বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদান করে আর্থিক সংকটের হাত থেকে রক্ষা করে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা বলা হয়।
গ উদ্দীপকের জরিনা বেগম গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করল। গ্রামীণ ব্যাংক একটি ব্যতীক্রমধর্মী ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করেছে। এটি পল্লীর ভূমিহীন নারী ও পুরুষের ঋণদানের জন্য একটি বিশেষ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের দরিদ্র পুরুষ ও নারীদের বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে। উদ্দীপকেও দেখা যায়, জরিনা বেগম কোনোকিছু জামানত না রেখেই ঋণ পায়। বস্তুত গ্রামীণ মহাজনদের শোষণ হতে গরিব মানুষকে রক্ষা করার মহান ব্রত নিয়েই গ্রামীণ ব্যাংকের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। এ ব্যাংক গ্রামের বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
ঘ প্রশ্নোল্লিখিত হতদরিদ্র, সহায়-সম্বলহীন মানুষের আর্থিক উন্নতিতে গ্রামীণ ব্যাংক ব্যাপক অবদান রাখে। গ্রামীণ ব্যাংক দেশের অবহেলিত জনসাধারণকে শিল্প খাতে সম্পৃক্ত করার জন্যে গ্রামীণ ¶ুদ্র ও কুটির শিল্পে (যেমনÑ বাঁশ ও বেতের কাজ, বিড়ি তৈরি, সাবান তৈরি, কাপড় তৈরি ও মিষ্টি তৈরি) ঋণ প্রদানসহ উপকরণ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে। গ্রামীণ ফোনের কারিগরি সহায়তায় গ্রামের সাধারণ জনগণের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ পৌঁছে দেয়ার জন্যে পল্লীফোন চালু করে। সুবিধাবঞ্চিত বেকার জনগোষ্ঠীকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় সংঘবদ্ধ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে পরিচালিত ব্যাংক হলো গ্রামীণ ব্যাংক। এ ব্যাংক ভি¶ুককে সুদবিহীন ঋণ প্রদান করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করে। নারীকে কর্মে উদ্বুদ্ধকরণ ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে এ ব্যাংক সহায়তা করে। দরিদ্র অসহায় মহিলাদের ঋণ হিসেবে পল্লীফোন প্রদান করা হয়। এর আয় থেকে ঋণ পরিশোধ করে মহিলার পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হয়। পরিশেষে বলা যায়, গ্রামীণ ভূমিহীন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংগঠিতকরণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি, উন্নয়ন কর্মকাÊে সকলের সম্পৃক্তকরণ, আত্মনির্ভরশীলতা সৃষ্টি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
প্রশ্ন- ৮ কেন্দ্রিয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের তুলনামূলক আলোচনা
ব্যাংক
ছক অ ছক ই
দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান ও বিনিময়ের মাধ্যম।
ক.সরকারি অর্থব্যবস্থা সংক্রান্ত অধ্যাপক ডালটনের উক্তিটি লেখ। ১
খ.আবগারি শুল্ক কাকে বলে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.ছক ‘ই’ এর কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.ছক ‘অ’ এবং ‘ই’ এর কার্যাবলির তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সরকারি অর্থব্যবস্থা সম্পর্কে অধ্যাপক ডালটন বলেন, ‘সরকারি অর্থব্যবস্থা সরকারের আয়-ব্যায় এবং এদের একটির সঙ্গে অপরটির সমন্বয় বিধানের কার্যাবলি আলোচনা করে।’
খ দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আবগারি শুল্ক বলা হয়। রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশ্যেও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত চা, সিগারেট, চিনি, তামাক, কেরোসিন, ওষুধ, স্পিরিট, দিয়াশলাই, মদ, গাঁজা, আফিম প্রভৃতি দ্রব্যের উপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়।
গ উদ্দীপকের ছকে ‘ই’ বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলিকে নির্দেশ করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান ও বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টিতে কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ হলো জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করা। ব্যাংকের আমানত সাধারণত তিন প্রকারেরÑ চলতি, সঞ্চয়ী এবং স্থায়ী আমানত। চলতি আমানতের গচ্ছিত অর্থ যে কোনো সময় তোলা যায়। এই আমানতের জন্যে ব্যাংক আমানতকারীকে কোনো সুদ প্রদান করে না। সঞ্চয়ী আমানত থেকে সপ্তাহে এক বা দুইবার অর্থ উত্তোলন করা যায়। এজন্য ব্যাংক আমানতকারীকে অল্প সুদ প্রদান করে। আর যে আমানত একটি নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হবার পর তোলা যায় তাকে স্থায়ী আমানত বলে। স্থায়ী আমানতের জন্য আমানতকারীকে উচ্চ হারে সুদ প্রদান করা হয়। ঋণ প্রদান বাণিজ্যিক ব্যাংকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনসাধারণের কাছ থেকে গৃহীত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ গচ্ছিত রেখে অবশিষ্ট অর্থ ব্যাংক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদেরকে ঋণ হিসেবে প্রদান করে থাকে। বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করা বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্যতম কাজ। কাগজী নোট প্রচলন করার ক্ষমতা কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের থাকলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ চেক, ব্যাংক ড্রাফট, হুন্ডি, ভ্রমণকারীর ঋণপত্র ইত্যাদি বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে। উন্নত দেশগুলোতে অধিকাংশ লেনদেনই এসব বিনিময়ের মাধ্যমের সাহায্যে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
ঘ উদ্দীপকের ছক অ হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ই বাণিজ্যিক ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংক দেশের অর্থ-বাজার, মুদ্রাব্যবস্থা এবং অন্যান্য ব্যাংকমূহকে তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করে। দেশের সার্বিক ব্যাংক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে বলেই এর নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের কাগজী মুদ্রা প্রচলনের একমাত্র অধিকারী হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংক সরকারের প্রতিনিধি ও আর্থিক পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করে। অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ হলো বাণিজ্যিক ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ বাণিজ্যিক লাভের উদ্দেশ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ প্রদান ছাড়াও বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে এবং বাট্টা ধার্য করে বিনিময় বিল ভাঙিয়ে দেয়। বাণিজ্যিক ব্যাংক নিরাপদে এবং দ্রুত টাকা হস্তান্তর করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক এসব কার্যাবলি ছাড়াও এর গ্রাহক বা মক্কেলের সুবিধার্থে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আরও অনেক কাজ সম্পাদন করে। যেমনÑ বন্ড, স্টক, শেয়ার, ডিবেঞ্চার ক্রয়-বিক্রয় করে। তাছাড়া গ্রাহকদের বাড়িভাড়া, আয়কর, বীমার প্রিমিয়াম, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ বিল প্রভৃতি পরিশোধে সহায়তা করে। মূল্যবান অলংকার, দলিলপত্র প্রভৃতি নিরাপদে গচ্ছিত রাখে। সুতরাং বাণিজ্যিক ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলিতে রয়েছে ব্যাপক ভিন্নতা এবং এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে ব্যাংক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক।
প্রশ্ন- ৯ বাংলাদেশের সরকারের কর রাজস্ব
‘গ্রিন ট্রেড’ এর মালিক সাহাবউদ্দিন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে বাংলাদেশ হতে কাঁচামাল পাঠায়। তার প্রতিনিধিরা সেখানে এগুলো বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবসার মালিক সাহাবউদ্দিনের কাছে পাঠিয়ে দেয়। তার এই ব্যবসা থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে। তার ভাই আলাউদ্দিন একটি চা বাগানের মালিক। চা উৎপাদন করে সে এগুলো সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে।
ক.দেশের কাগজি মুদ্রা প্রচলন করে কোন ব্যাংক? ১
খ.কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কেন দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়? ২
গ.সাহাবউদ্দিনের ব্যবসা থেকে সরকার কোন ধরনের আয় করে থাকে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর সাহাবউদ্দিন ও তার ভাইয়ের ব্যবসা থেকে সরকার একই ধরনের আয় করে থাকে? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক দেশের কাগজি মুদ্রা প্রচলন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ।
খ কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। দেশের অর্থ-বাজার, মুদ্রা-ব্যবস্থা এবং অন্যান্য ব্যাংকসমূহকে তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করে বলে একে দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়। দেশের সার্বিক ব্যাংক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে বলে একে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলা হয়। কাগজি মুদ্রা প্রচলনের একমাত্র অধিকারী হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রত্যেক দেশেই একটি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে।
গ ‘গ্রিন ট্রেড’-এর মালিক সাহাবউদ্দিনের ব্যবসা থেকে সরকার যে ধরনের আয় করে থাকে তা হলো বাণিজ্য শুল্ক। সাহাবউদ্দিনের সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে কাঁচামাল পাঠিয়ে যে ব্যবসা করে থাকে তাকে আমরা রপ্তানি বলি। দেশের আমদানি ও রপ্তানিকৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে বাণিজ্য শুল্ক বলা হয়। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যে আয় করে তা থেকে সরকারকে নির্ধারিত বাণিজ্য শুল্ক প্রদান করে। আর বাণিজ্য শুল্ক রাজস্বের একটি উৎস। এই উৎস থেকে বাংলাদেশ সরকার প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে। উদ্দীপকের সাহাবউদ্দিনও সরকারকে এই নিয়মে বাণিজ্য শুল্ক প্রদান করে। সুতরাং বলা যায়, সরকার ‘গ্রিন ট্রেড’ এর মালিক সাহাবউদ্দিনের নিকট থেকে যে অর্থ পায় তা হলো বাণিজ্য শুল্ক।
ঘ আমি মনে করি সরকার উদ্দীপকের সাহাবউদ্দিনের ও তার ভাইয়ের ব্যবসা থেকে একই ধরনের আয় করে না। কারণ ‘গ্রিন ট্রেড’-এর মালিক সাহাবউদ্দিন বিদেশে কাঁচামাল অর্থাৎ পণ্য রপ্তানি করে থাকে। আর সরকার তার থেকে বাণিজ্য শুল্ক গ্রহণ করে। দেশের আমদানি ও রপ্তানিকৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে বাণিজ্য শুল্ক বলে। কিন্তু সাহাবউদ্দিনের ভাই আলাউদ্দিন চা বাগান থেকে চা উৎপাদন করে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। এখান থেকে সরকারের যে আয় হয় তাকে আবগারি শুল্ক বলে। দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আবগারি শুল্ক বলা হয়। রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশ্যেও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত চা, সিগারেট, চিনি, তামাক, কেরোসিন, ওষুধ, স্পিরিট, দিয়াশলাই, মদ, গাঁজা আফিম প্রভৃতি দ্রব্যের ওপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। বাণিজ্য শুল্ক পাওয়া যায় সাহাবউদ্দিনের ব্যবসা থেকে আর আবগারি শুল্ক আসে তার ভাইয়ের ব্যবসা থেকে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সাহাবউদ্দিন ও তার ভাইয়ের ব্যবসার ধরন এক নয়। তাই সরকারের আয়ের উৎসও এক নয়।
প্রশ্ন- ১০ গ্রামীণ ব্যাংক
রাবেয়া বেগম একজন বিধবা মহিলা। তিনি বন্ধকি ছাড়াই একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে একটি কুটির শিল্প গড়ে তোলেন। তিনি জানতে পারেন যে ঐ ব্যাংক থেকে তার মতো আরও অনেকে ঋণ গ্রহণ করেন। তার উৎপাদিত সামগ্রীর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় তার শিল্পের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে। এতে রাবেয়া বেগমের আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং তিনি সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
ক.চিহ্নত মুদ্রা কী? ১
খ.ঠঅঞ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.রাবেয়া বেগম যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, সেটি কোন ব্যাংক? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর ঐ ব্যাংকটি দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে? মতামত দাও। ৪
ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রাই চিিহ্নত মুদ্রা।
খ ঠঅঞ-এর পূর্ণরূপ ঠধষঁব অফফবফ ঞধী। বাংলাদেশে কর ব্যবস্থায় মূল্য সংযোজন কর বা ঠঅঞ নামে পরিচিত। বর্তমানে আমাদের দেশে আমদানিকৃত দ্রব্য ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দ্রব্য এবং নির্ধারিত কতগুলো সেবাখাতের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
গ রাবেয়া বেগম যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, সেটি গ্রামীণ ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংক একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করেছে। এটি পল্লির ভূমিহীন নারী ও পুরুষের ঋণদানের জন্য একটি বিশেষ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের দরিদ্র পুরুষ ও নারীদের বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে। উদ্দীপকে রাবেয়া বেগম একজন বিধবা মহিলা। তিনি কোনো বন্ধকী ছাড়াই ঋণ নিয়েছেন ব্যাংক থেকে। এ ঋণ দিয়ে তিনি একটি কুটির শিল্প গড়ে তোলেন। এতে রাবেয়া বেগমের আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং তিনি সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। রাবেয়া বেগম গ্রামের দরিদ্র বিধবা মহিলা এবং কোনো বন্ধকি ছাড়াই ঋণ সুবিধা পেয়েছে যা গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যাবলির আওতাভুক্ত। তাই বলা যায়, রাবেয়া বেগম যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় সেটি গ্রামীণ ব্যাংক।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যাংকটি হলো গ্রামীণ ব্যাংক। ব্যাংকটি দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে বেশিরভাগ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। দেশের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে ভূমিহীন, অসহায়, দরিদ্র, বেকার, বিধবা নারী। এসব কর্মক্ষম ও কর্মে ইচ্ছুক মানুষদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এটি পল্লির ভূমিহীন নারী ও পুরুষের ঋণদানের জন্য একটি বিশেষ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের দরিদ্র পুরুষ ও নারীদের বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে। গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা গ্রামীণ মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে। কিন্তু সময়মতো সে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তারা নিঃস্ব হয়ে পড়ে। তাছাড়া বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী কর্মসংস্থানের অভাবে কাজে নিযুক্ত হতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। গ্রামীণ মহাজনদের শোষণ হতে গরিব মানুষকে রক্ষা করার মহান ব্রত নিয়েই এ ব্যাংকের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। এ ব্যাংক গ্রামের বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য স্ব-কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। উদ্দীপকে রাবেয়া বেগমের আর্থিক সচ্ছলতা ও সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের বন্ধকি ছাড়া ঋণ প্রদানের ভূমিকা অপরিসীম। সুতরাং বলা যায়, গ্রামীণ ব্যাংক দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১১ সরকারী অর্থব্যবস্থা
বাংলাদেশ সরকারের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এক উচ্চপদে জনাব ‘চ’ কর্মরত। তিনি সম্প্রতি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এক জেলায় সড়ক নির্মাণে সরকারের ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে পর্যালোচনা করছিলেন। তার অভিজ্ঞতা বলছে, এ সড়কটি নির্মাণে ব্যয় আরও বাড়বে। মূলত বাংলাদেশের মতো উন্নয়নকামী দেশ আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখে সঠিক পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি। জনাব ‘চ’ মনে করেন এ লক্ষ্যে কর আদায় যথাযথ হওয়া উচিত। তিনি নিজেও যথাসময়ে কর প্রদান করেন।
ক.কোন জাতীয় দ্রব্যের ওপর বাণিজ্য শুল্ক ধার্য করা হয়? ১
খ.ভূমি রাজস্ব থেকে সরকারের আয় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে কেন? ২
গ.উদ্দীপকে কিসের ধারণা প্রতিফলিত হয়েছে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.জনাব ‘চ’ সরকারের আয়ে ভূমিকা রাখেন বিশ্লেষণ কর। ৪
ক আমদানি ও রপ্তানিকৃত দ্রব্যের ওপর বাণিজ্য শুল্ক ধার্য করা হবে।
খ ভূমি ভোগ দখলের জন্য সরকারকে প্রদত্ত খাজনাই ভূমি রাজস্ব নামে পরিচিত। সরকার ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করার ফলে এখাতে সরকারের আয় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
গ উদ্দীপকে সরকারি অর্থব্যবস্থার ধারণা প্রতিফলিত হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত হয়েছে সরকারি অর্থ ব্যবস্থা হলো অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা। সাধারণভাবে সরকারি অর্থ ব্যবস্থা বলতে রাষ্ট্রের আয় ও ব্যয়সংক্রান্ত নীতি ও পদ্ধতিকে বোঝায়। এ সম্পর্কে অধ্যাপক ডালটন বলেন, ‘সরকারি অর্থব্যবস্থা সরকারের আয়-ব্যয় এবং এদের একটির সঙ্গে অপরটির সমন্বয় বিধানের কার্যাবলি আলোচনা করে।’ অর্থনীতির এ শাখায় রাষ্ট্রের সব ধরনের আয়-ব্যয়, ঋণ ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা ও এদের সমাধানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। উদ্দীপকে দেখা যায় জনাব ‘চ’ সড়ক নির্মাণ খাতে সরকারের ব্যয় পর্যালোচনা করছেন। এছাড়া উদ্দীপকে দেশের উন্নয়নে পরিকল্পনামাফিক আয়-ব্যয়ের কথা উল্লিখিত হয়েছে। সুতরাং, উদ্দীপকে সরকারি অর্থব্যবস্থার ধারণা প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ জনাব ‘চ’ আয়কর প্রদানের মাধ্যমে সরকারের আয়ে ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশ সরকার জনকল্যাণ সাধন, প্রশাসন পরিচালনা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। এ ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ আয় করতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের আয়ের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো আয়কর। জনসাধারণের ব্যক্তিগত আয়ের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আয়কর বলা হয়। বাংলাদেশে যাদের আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধ্বে তাদের নিকট থেকে প্রগতিশীল হারে আয়কর আদায় করা হয়। উদ্দীপকের জনাব ‘চ’ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি নিয়মিত কর প্রদান করেন। সুতরাং বলা যায়, তার আয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সীমার ঊর্ধ্বে এবং তাই তিনি আয়কর প্রদান করেন। আর এভাবে তিনি সরকারের আয়ে ভূমিকা রাখেন।
প্রশ্ন- ১২ বাংলাদেশ সরকারের কর বহির্ভূত রাজস্ব
আমিনুলের বৃদ্ধা মায়ের জন্য সে খাঁটি মধুর খেঁাঁজ করছে। কোনো উপায় না দেখে সে তার ছোট ভাই জামিলুরকে সুন্দরবন পাঠিয়ে দেয় সেখান থেকে খাঁটি মধু কিনে আনার জন্য। জামিলুর সুন্দরবনের থেকে খাঁটি মধু কিনে নিয়ে আসে।
ক.যানবাহন কর কী? ১
খ.মাদক ও বিদ্যুৎ শুল্ক ব্যাখ্যা কর। ২
গ.জামিলুর কীভাবে সরকারের আয়ে ভূমিকা রেখেছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.উক্তরূপ আয়ের উৎসের ধরন পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বিভিন্ন প্রকার যানবাহন নিবন্ধনের জন্য প্রদত্ত করকে যানবাহন কর বলে।
খ সরকারের কর রাজস্বের দুটি অন্যতম খাত হচ্ছে মাদক শুল্ক ও বিদ্যুৎ শুল্ক। সরকার মদ, গাঁজা, আফিম ইত্যাদি মাদক দ্রব্যের ওপর শুল্ক বসিয়ে কিছু আয় করে। এছাড়া বিদ্যুৎ শুল্ক থেকেও সরকারের আয় হয়।
গ জামিলুর সুন্দরবনের মধু কিনে তথা বনজ সম্পদ ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের আয়ে ভূমিকা রাখে। বন থেকে সরকার প্রচুর অর্থ আয় করে থাকে। বাংলাদেশের বনাঞ্চল থেকে কাঠ, বাঁশ, জ্বালানি, মধু, মোম ইত্যাদি বনজ সম্পদ বিক্রয়ের মাধ্যমে সরকার আয় করে। উদ্দীপকে দেখা যায় জামিলুর তার মায়ের জন্য সুন্দরবন থেকে ক্রয়ের মাধ্যমে খাঁটি মধু সংগ্রহ করে। সুতরাং তার এ অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা হবে এবং সরকারের আয় হবে।
ঘ সরকারের উক্তরূপ আয় তথা বন থেকে আয় সরকারের আয়ের উৎসের ধরন হিসেবে কর বহির্ভূত রাজস্ব আয়ের উৎস। বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস পাঠ্যপুস্তকে দুভাগে উল্লিখিত হয়েছে। যথা : ক. কর রাজস্ব খ. কর বহির্ভূত রাজস্ব। বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণ, বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প কারখানার ওপর যে কর ধার্য করে তা থেকে প্রাপ্ত আয়কে কর রাজস্ব বলে। বাংলাদেশ সরকার কর ও শুল্ক ছাড়াও আরও অনেক উৎস হতে রাজস্ব সংগ্রহ করে। এ উৎসগুলো থেকে অর্জিত রাজস্বকে কর বহির্ভূত রাজস্ব বলে। এসব উৎসসমূহ হলো : লভ্যাংশ ও মুনাফা, সুদ, অর্থনৈতিক সেবা, সাধারণ প্রশাসন, রেলওয়ে, ডাক বিভাগ, তার ও টেলিফোন, বন, টোল ও লেভী, ভাড়া ও ইজারা, জরিমানা, দÊ ও বাজেয়াপ্তকরণ। উদ্দীপকে জামিলুরের সুন্দরবন থেকে মধু ক্রয় সরকারের বনজ সম্পদ থেকে আয়কে নির্দেশ করে যা সরকারের কর বহির্ভূত রাজস্ব আয়ের উৎসের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন- ১৩ বাংলাদেশ সরকারের ভূমি রাজস্ব
জনাব হাসানাইন ভূমি রাজস্ব বিভাগের একজন কর্মকর্তা। তিনি সরকারি আয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মনে করেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের আয় যথেষ্ট হলেও তা আরও বাড়ানো উচিত এবং সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির পরিধি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
ক.মামলা মকদ্দমার জন্য কোন জাতীয় ফি প্রদান করতে হয়? ১
খ.আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সরকারের ব্যয়ের খাতটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ.জনাব হাসনাইনের বিভাগটি সরকারের ব্যয়ের কোন খাতটি নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় সম্পর্কে জনাব হাসনাইনের চিন্তাভাবনা কতটুকু যথার্থ? মতামত দাও। ৪
ক মামলা মকদ্দমার জন্য কোর্ট ফি প্রদান করতে হয়।
খ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সরকারের ব্যয়ের খাতটি হচ্ছে পুলিশ, আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ । দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ও শান্তি বজায় রাখার জন্য পুলিশ ও আনসার বাহিনী অপরিহার্য। আবার সীমান্ত রক্ষা ও চোরাচালান রোধের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ গড়ে তোলা হয়েছে। এই তিন বৃহৎ বাহিনীর জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে।
গ জনাব হাসনাইন ভূমি রাজস্ব বিভাগের একজন কর্মকর্তা। এ বিভাগটি রাজস্ব আদায়কারী বিভাগসমূহের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আদায়কারী বিভাগসমূহ সরকারি অর্থ ব্যয়ের একটি অন্যতম খাত। বাংলাদেশ সরকার দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, ভৌত-অবকাঠামো নির্মাণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচনে বিপুল অর্থ-ব্যয় করে থাকে। এছাড়া সরকারকে প্রশাসনিক, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক এবং অন্যান্য সেবাধর্মী কর্মকাÊেও ব্যয় করতে হয়। এ ব্যয় মিটানোর জন্য সরকারকে প্রচুর আয় করতে হয়, এজন্য সরকারের রয়েছে কর আদায়কারী বিভাগসমূহ। এ কর আদায়ে এসব বিভাগের আবার প্রচুর ব্যয় করতে হয়। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সরকার আয়কর বিভাগ, বাণিজ্য শুল্ক বিভাগ, আবগারি শুল্ক বিভাগ, ভূমি রাজস্ব বিভাগ প্রভৃতির ব্যয়ভার মেটানোর জন্য রাজস্বের এক বিরাট অংশ ব্যয় করে।
ঘ হাসনাইন সাহেব মনে করেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির পরিধি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আমি তার চিন্তাভাবনাকে যথার্থ মনে করি। সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা এবং অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখা। সরকার দেশের বার্ষিক বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়নমূলক এ দুরকম ব্যয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ সরকারকে প্রতি বছরই বিভিন্ন খাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা, বেসামরিক প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, ঋণ ও সুদ পরিশোধ, কৃষি, মৎস্য ও পশু পালন, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি রক্ষা, বিচার বিভাগ ও কারা বিভাগ, রাজস্ব আদায়কারী বিভাগসমূহ, বৈদেশিক বিষয়াবলি, অবসর ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা, সমাজ কল্যাণমূলক কার্যক্রম, অপ্রত্যাশিত ব্যয় ও অন্যান্য নানা খাত। এছাড়া অনেক নতুন নতুন খাত ও ব্যয়ের পরিমাণ প্রতি বছর ক্রমশই বাড়ছে। তবে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে দেশের সামষ্টিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির পরিধি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আর এ প্রেক্ষিতেই আমি হাসনাইন সাহেবের চিন্তাধারাকে সমর্থন করি।
প্রশ্ন- ১৪ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি
সালমা জাহান যে ব্যাংকে কর্মরত আছেন সে ব্যাংকটি দেশের কাগজি মুদ্রা প্রচলন করে। সরকারের দেনা পরিশোধ ও পাওনা আদায় করে। অন্যান্য ব্যাংকগুলোর জামানত গ্রহণ করে। এটি মূলত সরকারের ব্যাংক।
ক.সরকারের আয়ের প্রধান উৎস কী? ১
খ.ব্যাংক বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকে সালমা জাহান কোন ব্যাংকে কর্মরত আছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত ব্যাংকটির কার্যাবলি আলোচনা কর। ৪
ক সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হলো বাণিজ্য শুল্ক।
খ ব্যাংক হলো জনসাধারণের অর্থ গচ্ছিত রাখার এবং ঋণগ্রহীতাদের বিভিন্ন মেয়াদি ঋণ প্রদান করার প্রতিষ্ঠান। জনসাধারণ তাদের আয় বা উদ্ধৃত্ত অর্থ নিরাপদে সঞ্চয়ের জন্য ব্যাংকে জমা রাখে। ব্যাংককে ঋণের কারবারি বলা হয়।
গ সালমা জাহান কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মরত আছেন। দেশের কাগজি মুদ্রা প্রচলনের একমাত্র অধিকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত সরকারের ব্যাংক। সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বিনা খরচে বিভিন্ন উৎস থেকে সরকারের পাওনা আদায় এবং বিভিন্ন খাতে সরকারের দেনা পরিশোধ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংককে তাদের মূলধনের নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। উদ্দীপকে সালমা জাহান যে ব্যাংকটিতে কাজ করেন সে ব্যাংকটির বৈশিষ্ট্যের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাদৃশ্য রয়েছে। তাই বলা যায়, সালমা জাহান কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মরত আছেন।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যাংকটি হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ব্যাংকের কার্যাবলি আলোচনা করা হলো : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো দেশের কাগজি মুদ্রার প্রচলন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের হিসাব-নিকাশ করে ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের মোট মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের মধ্যে যথাসম্ভব সমতা বিধান করে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের পারস্পরিক দেনা-পাওনার ক্লিয়ারিং হাউজ বা নিকাশ ঘর হিসেবে কাজ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে চেকের মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক দেনা-পাওনা মিটিয়ে থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যখন আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয় তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদান করে আর্থিক সংকটের হাত থেকে রক্ষা করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য দেশের মুদ্রার সাথে দেশের মুদ্রার নির্দিষ্ট বিনিময় হার রক্ষার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করে। এই ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গবেষণা পরিচালনা, প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ, জাতীয় বাজেট প্রণয়নে সাহায্য করা প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করে থাকে। এছাড়া প্রত্যেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজ দেশে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাÊার ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন- ১৫ দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষি ব্যাংকের ভূমিকা
আনিস তার কৃষি জমির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য একটি সেচের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। কিন্তু তার কাছে যথেষ্ট অর্থ ছিল না অন্যান্য কৃষকদের সাথে আলোচনা করে সে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে। অতঃপর আনিস তার প্রয়োজন পূরণ করতে সক্ষম হয় এবং তার কৃষি ফসলের উৎপাদন বেড়ে যায়। সে ধীরে ধীরে ঋণ শোধ করতেও সক্ষম হয়।
ক.কোন ব্যাংক বাংলাদেশের দরিদ্র পুরুষ ও নারীদের বিনা জানামতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে? ১
খ.বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কীভাবে ও কেন গঠিত হয়? ২
গ.আনিস আর কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারত ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বেকারত্ব নিরসনে এসব ব্যাংকিং কার্যক্রমের ভূমিকা মূল্যায়ন কর। ৪
ক গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের দরিদ্র পুরুষ ও নারীদের বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে।
খ স্বাধীনতা লাভের পর পরই বাংলাদেশে অবস্থিত সাবেক কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সকল দায় ও সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গঠিত হয়। দারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই ব্যাংকের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে।
গ আনিস কৃষি ব্যাংক ছাড়া অন্যান্য কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারত। বাংলাদেশে কৃষি ব্যাংক ছাড়াও সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকসমূহের স্ব স্ব বার্ষিক কৃষি ও পল্লী ঋণ কর্মসূচিতে স্ব-কর্ম সংস্থান ও আয়বর্ধক কর্মকাÊের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনের লক্ষ্যে ¶ুদ্র ঋণদান কর্মসূচি যথাযথ গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। কৃষি ও পল্লী ঋণখাতে এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বার্ষিক ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম শতকরা ২৫ ভাগ দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য নির্ধারিত রাখতে হয়। বেসরকারি সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে এ ঋণ সরবরাহ করা হয় এবং এক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহের নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে। আনিস এরকম যেকোনো একটি কর্মসূচির আওতায় ঋণ নিতে পারত। সুতরাং আনিস তার সেচের প্রয়োজন পূরণে কৃষিব্যাংক ছাড়াও উল্লিখিত ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিতে পারত।
ঘ বেকারত্ব নিরসনে কৃষি ব্যাংক ও অন্যান্য বিশেষ ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্ব-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সাধারণত এ জাতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্ব-কর্মসংস্থান বলতে বোঝায় স্বাধীনভাবে একজন কর্মক্ষম ও কর্মে ইচ্ছুক মানুষ বেকারত্বের অভিশাপ হতে মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে স্ব-উদ্যোগে উৎপাদন বা আয় অর্জনের ক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকা। বাংলাদেশে প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ নতুন কর্মক্ষম মানুষ প্রবেশ করছে। এসব মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্যবিমোচনে বিভিন্ন ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে। হালের বলদ, বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, পানি সেচের জন্য শক্তিচালিত পাম্প, গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন প্রভৃতি কাজের জন্য কৃষি ব্যাংক ঋণ প্রদান করে। বর্তমানে কৃষিকার্য ছাড়াও হাঁস-মুরগি ও পশু পালন, মৎস্য উৎপাদন, গুটিপোকার চাষ, ফলের চাষ, ফুলের চাষ ও কুটির শিল্পের জন্যও এই ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে। এছাড়া সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকসমূহের স্ব স্ব বার্ষিক কৃষি ও পল্লি ঋণ কর্মসূচিতে স্ব-কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধক কর্মকাÊে ঋণদান কর্মসূচি রয়েছে। এ ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের দরিদ্র পুরুষও নারীদের বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে। গ্রামীণ মহাজনদের শোষণ হতে গরিব মানুষকে রক্ষা করার মহান ব্রত নিয়েই এ ব্যাংকের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। এ ব্যাংক গ্রামের বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাংক ভূমিকা রাখছে। সুতরাং বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশে উদ্দীপকে নির্দেশিত বিশেষ ব্যাংকিং কার্যক্রম বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে।
অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১৬ বাংলাদেশ সরকারের কর বহির্ভূত রাজস্ব
সকালে রোদেলা দাদিকে ফোন করে জানায় সে চট্টগ্রাম আসছে। অতঃপর যাত্রাবাড়ি থেকে সে ফ্লাইওভার পার হয়ে আধাঘণ্টায় কমলাপুর রেল স্টেশনে চলে আসে। অতঃপর রেলে চড়ে চট্টগ্রামে বিকালেই পৌঁছে যায়। সেখানে রেল স্টেশন থেকে সিএনজিতে চড়ে দাদির বাসায় যাওয়ার পথে সার্জেন্ট সিএনজি চালককে আটকায় এবং কাগজপত্র ঠিক না থাকায় জরিমানা আদায়ের জন্য কেস করে দেয়।
ক.‘ফি’ কী? ১
খ.সরকার কী ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে সুদ আদায় করে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকে সরকারের করবহির্ভূত রাজস্বের কোন কোন খাত উল্লিখিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত খাতগুলো ব্যতীত সরকারের করবহির্ভূত রাজস্ব আয়ের অন্যান্য আরও খাত রয়েছে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বাংলাদেশ সরকার প্রশাসনিক সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন প্রকার রাজস্ব আদায় করে যা ‘ফি’।
খ সরকার বিভিন্ন আর্থিক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়ে থাকে। এ ঋণ থেকে সুদ আসে। আর সুদ বাবদ প্রাপ্ত শুল্ক থেকে সরকারের কিছু আয় হয়। সরকার এসব আর্থিক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকেই কেবল সুদ আদায় করে।
গ উদ্দীপকে সরকারের কর বহির্ভূত রাজস্বের বেশ কয়েকটি খাত উল্লিখিত হয়েছে। যেমন : ১. তার ও টেলিফোন ২. টোল ও লেভী, ৩. রেলওয়ে এবং ৪. জরিমানা, দÊ ও বাজেয়াপ্তকরণ। বাংলাদেশ সরকারের কর বহির্ভূত রাজস্বের উৎসের মধ্যে তার ও টেলিফোন একটি তার ও টেলিফোন ব্যবস্থা সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয় বিধায় এটি সরকারের আয়ের আরও একটি উৎস। উদ্দীপকে রোদেলা তার দাদিকে টেলিফোন করে। আর সে ফ্লাইওভার পাড়ি দেয় যেখানে গাড়ির টোল দিতে হয়। টোল ও লেভী খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সরকার আয় করে। অতঃপর রোদেলা ট্রেনে চেপে চট্টগ্রাম যায়। বাংলাদেশে রেলওয়ে সরকারি আয়ের একটি উৎস। যদিও বর্তমানে এ খাতে প্রায়ই ঘাটতি থাকে। সবশেষে রোদেলা চট্টগ্রামে যে সিএনজিতে চড়ে তা থেকে সার্জেন্ট জরিমানা আদায় করে। এ খাত থেকে তথা জরিমানা, দÊ, বাজেয়াপ্তকরণ বাবদ সরকার প্রতি বছর অর্থ আয় করে থাকে।
ঘ উক্ত খাতগুলো ব্যতীত সরকারের কর বহির্ভূত রাজস্বের আরও খাত রয়েছে। যথা : লভ্যাংশ ও মুনাফা, সুদ, অর্থনৈতিক সেবা, সাধারণ প্রশাসন, ডাক বিভাগ, বন ভাড়া ও ইজারা।
লভ্যাংশ ও মুনাফা : সরকার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যেমন : ব্যাংক, বিমা কোম্পানি এবং অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পার্ক, চিড়িয়াখানা প্রভৃতি থেকে বছর শেষে লভ্যাংশ ও মুনাফা পেয়ে থাকে।
সুদ : সরকার বিভিন্ন আর্থিক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়ে থাকে। এ বাবদ প্রাপ্ত শুল্ক থেকে কিছু আয় হয়।
অর্থনৈতিক সেবা : সরকার জনসাধারণকে কিছু অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমেও আয় করে। এগুলোর মধ্যে পর্যটন, ব্যাংকিং, ভ্রমণ ও সেবা উল্লেখযোগ্য। যেমন আমদানি-রপ্তানি আইনের আওতায় প্রাপ্ত রেজিস্ট্রেশন স্কিম, বিমা আইনের আওতায় প্রাপ্তি এবং সমবায় সমিতিসমূহের অডিট স্কিম, সমবায় সমিতি রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন স্কিম প্রভৃতি।
সাধারণ প্রশাসন : বাংলাদেশ সরকার প্রশাসনিক সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন প্রকার ‘ফি’ আদায় করে।
ডাক বিভাগ : দেশের ডাক বিভাগ সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয় বিধায় এটিও সরকারি আয়ের অন্যতম উৎস।
বন : বন থেকে ও সরকার প্রচুর অর্থ আয় করে। বাংলাদেশের বনাঞ্চল থেকে কাঠ, বাঁশ, জ্বালানি, মধু, মোম ইত্যাদি বনজ সম্পদ বিক্রয় করে সরকার আয় করে।
ভাড়া ও ইজারা : সরকারি সম্পত্তি ভাড়া ও ইজারা দেওয়ার মাধ্যমেও সরকার আয় করে।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ১৭ বাণিজ্যিক ব্যাংকের ধারণা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি
ক.আবগারি শুল্ক কী? ১
খ.সরকারের ব্যয় ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝ? ২
গ.‘?’ চিিহ্নত স্থানের নির্দেশিত বিষয়টি হচ্ছে ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রাণÑ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.একটি দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যে ব্যাংক তার কার্যাবলি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আবগারি শুল্ক বলে।
খ সরকার রাজস্ব ও উন্নয়নমূলক খাতে বার্ষিক যে অর্থ বরাদ্দ করে তাই সরকারের ব্যয় ব্যবস্থাপনা। সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা এবং অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখা।
গ বাণিজ্যিক ব্যাংক সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি উল্লেখ কর।
প্রশ্ন- ১৮ বাণিজ্যিক ব্যাংকের ধারণা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি
সাব্বির সাহেব একজন কৃষক। জমিতে পানি দেওয়ার সময় হঠাৎ তার সেচের পাম্পটি নষ্ট হয়ে যায় ফলে তিনি চিিন্তত হয়ে পড়েন। তার এক বন্ধু তাকে বলেন যে সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করেছেন।
ক.ব্যাংক কী? ১
খ.কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা বলা হয় কেন? ২
গ.উদ্দীপকে কোন ব্যাংকের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.দারিদ্র্য বিমোচনে উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যাংকের ভূমিকা মূল্যায়ন কর। ৪
ক ব্যাংক হলো জনসাধারণের অর্থ গচ্ছিত রাখার এবং ঋণগ্রহীতাদের বিভিন্ন মেয়াদি ঋণ প্রদান করার প্রতিষ্ঠান।
খ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যখন আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয় এবং অন্য কোনো উৎস থেকে ঋণ গ্রহণে ব্যর্থ হয়, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদান করে আর্থিক সংকটের হাত থেকে রক্ষা করে বিধায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ‘সর্বশেষ পর্যায়ের ঋণদাতা’ বলা হয়।
গ বাংলাদেশ কৃষিব্যাংক সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কার্যাবলি বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ১৯ বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যাবলি
ফরিদা একজন তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মী। সে ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে যা আয় করে তা থেকে তাকে কোনো কর সরকারকে প্রদান করতে হয় না। একসময় সে বাড়তি উপার্জনের আশায় একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক হতে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে একটি সেলাই মেশিন ও কিছু কাপড় ক্রয় করে।
ক.ঠঅঞ-এর পূর্ণ রূপ কী? ১
খ.বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের প্রধান খাতটি বর্ণনা কর। ২
গ.ফরিদাকে তার আয়কর প্রদান করতে হয়নি কেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংকটির কার্যাবলি লেখ। ৪
ক ঠঅঞ এর পূর্ণরূপ হলো াধষঁব অফফবফ ঞধী.
খ প্রতিরক্ষা বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের অন্যতম প্রধান খাত। প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য খরচ, যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র, সাজ-সরঞ্জাম ইত্যাদি বাবদ বাংলাদেশ সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে।
গ বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস হিসেবে আয়কর ব্যাখ্যা কর।
ঘ গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যাবলি বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ২ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি
জনাব বশির বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে সরকারের বৈদেশিক ঋণের হিসাব-নিকাশের যে বিষয়গুলো রয়েছে তা দেখাশোনা করেন। এ প্রতিষ্ঠানটিতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সংরক্ষিত থাকে।
ক.বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস কী? ১
খ.বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝায়? ২
গ.জনাব বশিরের কর্মরত প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে- বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হলো বাণিজ্য শুল্ক।
খ বিশেষ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দেশে কতিপয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যাংকসমূহকে বলা হয় বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। যেমনÑ শিল্প উন্নয়নের জন্য শিল্প ব্যাংক, কৃষি উন্নয়নের জন্য কৃষি ব্যাংক, গৃহনির্মাণ ঋণ মঞ্জুরির জন্য গৃহনির্মাণ ঋণদান সংস্থা, সমবায় কার্যক্রমে ঋণদান ও জনগণকে সমবায়ী মনোভাবসম্পন্ন করার লক্ষ্যে সমবায় ব্যাংক, দরিদ্র জনসাধারণকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রভৃতি।
গ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর।
ঘ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বিশ্লেষণ কর।
অধ্যায় সমন্বিত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ২ কৃষি ব্যাংক ও বাংলাদেশের কৃষিখাত
উচ্চশিক্ষিত মেহেদি দেশের মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে চায়। তাই লেখাপড়া শেষে চাকরির চিন্তা বাদ দিয়ে গ্রামে গিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেয়। সে সমন্বিত কৃষি খামারের চিন্তা করে। একপর্যায়ে কৃষি অবকাঠামো ও পানি সেচের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য একটি ব্যাংক থেকে সে পঞ্চাশ হাজার টাকা ঋণ নেয়। সে মনে করে, কৃষি ক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতা অর্থনৈতিক অগ্রসরতাকে বাধাগ্রস্ত করলেও এরূপ উদ্যোগে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
ক.বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস কী? ১
খ.মূল্য সংযোজন কর সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর। ২
গ.মেহেদির কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কোন ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেÑ উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর যে, উদ্দীপকের উক্ত খাতটি বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত? বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হলো বাণিজ্য শুষ্ক।
খ মূল্য সংযোজন কর বাংলাদেশে কর ব্যবস্থায় ভ্যাট বা ঠধষঁব অফফবফ ঞধী (ঠঅঞ) নামে পরিচিত। বর্তমানে আমাদের দেশে আমদানিকৃত দ্রব্য ও স্থায়ীভাবে উৎপাদিত দ্রব্য এবং নির্ধারিত কতগুলো সেবা খাতের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
গ মেহেদির কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যে ব্যাংকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তা হলো বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। স্বাধীনতা লাভের পরপরই বাংলাদেশে অবস্থিত সাবেক কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সকল দায় ও সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গঠিত হয়। দারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই ব্যাংকের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে। উদ্দীপকের মেহেদিও তার কৃষি খামার প্রতিষ্ঠার পঞ্চাশ হাজার টাকা ঋণ নেয়। হালের বলদ, বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, পানি সেচের জন্য শক্তিচালিত পাম্প, গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন প্রভৃতি কাজের জন্য ব্যাংক ঋণ প্রদান করে। বর্তমানে কৃষিকার্য ছাড়াও হাঁস-মুরগি ও পশুপালন, মৎস্য উৎপাদন, গুটি পোকার চাষ, ফলের চাষ, ফুলের চাষ ও কুটির শিল্পের জন্যও এই ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে। তাই বলা যায় যে, মেহেদির কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কৃষি ব্যাংক বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ঘ হ্যাঁ, আমি মনে করি উদ্দীপকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লিখিত খাতটি বাংলাদেশের অর্থনীতি খাত। এখানে উক্ত খাত বলতে কৃষি খাতকে বোঝানো হয়েছে। কেননা উদ্দীপকে বর্ণিত মেহেদি সমন্বিত কৃষি খামার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় এবং কৃষি অবকাঠামো ও পানি সেচের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় যা কৃষিখাতকে নির্দেশ করে। আর এই কৃষিখাত বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। অতি প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিপ্রধান অর্থনীতি হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের অর্থনীতিতে শিল্পখাতের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে মৎস্য খাতসহ কৃষিখাতের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। দেশের শ্রমশক্তির মোট ৪৩.৬ শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত। দেশের রপ্তানি আয়েও কৃষিখাতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন ক্রমবর্ধমান এবং দেশটি ক্রমশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে। এছাড়া আমাদের শিল্পখাতের অনেক শিল্পের কাঁচামালের যোগান দেয় আমাদের কৃষি খাত। যেমন পাট শিল্প, চা ও চামড়া শিল্প ইত্যাদি। এসব কারণেই কৃষিখাত এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচিত।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কর রাজস্ব কাকে বলে?
উত্তর : সরকার দেশের জনগণ, বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প কারখানার ওপর যে কর ধার্য করে তা থেকে প্রাপ্ত আয়কে কর রাজস্ব বলে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা কোনটি?
উত্তর : সরকারি অর্থব্যবস্থা হলো অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসগুলোকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস কোনটি?
উত্তর : বাণিজ্য শুল্ক হলো বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ঠঅঞ এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : ঠঅঞ এর পূর্ণরূপ হলো ঠধষঁব অফফবফ ঞধী।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ আয়কর কাকে বলে?
উত্তর : জনসাধারণের ব্যক্তিগত আয়ের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আয়কর বলে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ বাংলাদেশ সরকারের প্রধান ব্যয়ের খাত কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের প্রধান ব্যয়ের খাত প্রতিরক্ষা।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ সরকার দেশের বার্ষিক বাজেটে কয় ধরনের ব্যয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে?
উত্তর : সরকার দেশের বার্ষিক বাজেটে দুই ধরনের ব্যয়ের জন্য অর্থ বরাদ্ধ করে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ ব্যাংক কী?
উত্তর : ব্যাংক হলো জনসাধারণের অর্থ গচ্ছিত রাখার এবং ঋণগ্রহীতাদের বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ প্রদান করার প্রতিষ্ঠান।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ ঋণের কারবারি বলা হয় কাকে?
উত্তর : ঋণের কারবারি বলা হয় ব্যাংককে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ কোনটির ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক টিকে থাকে?
উত্তর : মুনাফার ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক টিকে থাকে।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলা হয় কাকে?
উত্তর : দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ কোন ব্যাংক সরকারের প্রতিনিধি ও আর্থিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে?
উত্তর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের প্রতিনিধি ও আর্থিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ ব্যাংকের আমানত কত প্রকার?
উত্তর : ব্যাংকের আমানত তিন প্রকার।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কাজ কী?
উত্তর : বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কাজ জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করা।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ কোন আমানতের জন্য ব্যাংক আমানতকারীকে কোনো সুদ প্রদান করে না?
উত্তর : চলতি আমানতের জন্য ব্যাংক আমানতকারীকে কোনো সুদ প্রদান করে না।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ কোন ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংক?
উত্তর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংক।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ কোন ব্যাংককে নিকাশঘর বলে?
উত্তর : কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিকাশঘর বলে।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ কোনটি?
উত্তর : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ হলো ঋণ নিয়ন্ত্রণ।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ বাংলাদেশে প্রতিবছর কতজন নতুন কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে?
উত্তর : বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লক্ষ নতুন কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ কোন ব্যাংক একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করেছে?
উত্তর : গ্রামীণ ব্যাংক একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করেছে।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ কৃষি ব্যাংক কোন ব্যাংকের সকল দায় ও সম্পদ নিয়ে গঠিত?
উত্তর : কৃষি ব্যাংক কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সকল দায় ও সম্পদ নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ কোনটি বাংলাদেশের কর ব্যবস্থার নতুন সংযোজন?
উত্তর : মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাংলাদেশের কর ব্যবস্থার নতুন সংযোজন।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ দরিদ্র পুরুষ ও নারীদের বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে কোন ব্যাংক?
উত্তর : দরিদ্র পুরুষ ও নারীদের বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে গ্রামীণ ব্যাংক।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস হিসেবে আবগারি শুল্কের ধারণা দাও।
উত্তর : দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আবগারি শুল্ক বলা হয়। রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশেও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত চা, সিগারেট, চিনি, তামাক, কেরোসিন, ওষুধ, স্পিরিট, দিয়াশলাই, মদ, গাঁজা, আফিম প্রভৃতি দ্রব্যের ওপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ মূল্য সংযোজন কর সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : মূল্য সংযোজন কর বাংলাদেশে কর ব্যবস্থায় ভ্যাট (ঠধষঁব অফফবফ ঞধী) নামে পরিচিত। বর্তমানে আমাদের দেশে আমদানিকৃত দ্রব্য ও স্থায়ীভাবে উৎপাদিত দ্রব্য এবং নির্ধারিত কতগুলো সেবাখাতের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ শিক্ষাখাতে বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় কেন বৃদ্ধি পেয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো শিক্ষা। শিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশকে অশিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সরকারকে সাম্প্রতিককালে এ খাতে প্রচুর ব্যয় করতে হচ্ছে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসার জন্য অনুদান, উপবৃত্তি, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা বিস্তারের নতুন নতুন কার্যক্রমে যথেষ্ট ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংক দেশের অর্থ বাজার, মুদ্রাব্যবস্থা এবং অন্যান্য ব্যাংকসমূহকে তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করে। দেশের সার্বিক ব্যাংক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে বলেই এর নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের কাগজি মুদ্রা প্রচলনের একমাত্র অধিকারী হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংক সরকারের প্রতিনিধি ও আর্থিক পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ব্যাংক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ব্যাংক হলো জনসাধারণের অর্থ গচ্ছিত রাখার এবং ঋণগ্রহীতাদের বিভিন্ন মেয়াদি ঋণপ্রদান করার প্রতিষ্ঠান। অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। জনসাধারণ তাদের আয় বা উদ্বৃত্ত অর্থ নিরাপদে সঞ্চয়ের জন্য ব্যাংকে জমা রাখে। কোনো কোনো জমা থেকে জনসাধারণ সুদ হিসেবে আয়ও করে থাকে। ব্যাংক জনসাধারণের এই গচ্ছিত অর্থ উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী ও ঋণগ্রহীতাদের ঋণ হিসেবে প্রদান করে এবং এ ধরনের ঋণের ওপর সুদ আদায় করে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বিশেষ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দেশে কতিপয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যাংকসমূহকে বলা হয় বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। যেমন : শিল্প উন্নয়নের জন্য শিল্পব্যাংক, কৃষি উন্নয়নের জন্য কৃষি ব্যাংক, গৃহনির্মাণ ঋণ মঞ্জুরির জন্য গৃহনির্মাণ ঋণদান সংস্থা, সমবায় কার্যক্রমে ঋণদান ও জনগণকে সমবায়ী মনোভাব সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সমবায় ব্যাংক, দরিদ্র জনসাধারণকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রভৃতি।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ঋণ প্রদান বাণিজ্যিক ব্যাংকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনসাধারণের কাছ থেকে গৃহীত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ গচ্ছিত রেখে অবশিষ্ট অর্থ ব্যাংক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের ঋণ হিসেবে প্রদান করে থাকে। ব্যাংক ঋণপ্রদানের ক্ষেত্রে সাধারণত মূল্যবান সম্পত্তি বন্ধক রেখে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে। ঋণ প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল রাখে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টিকারী হিসেবে বানিজ্যিক ব্যাংকের ভূমিকা লেখ?
উত্তর : বর্তমানে দেশে নোট প্রচলনের ক্ষমতা একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর ন্যস্ত। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো চেক, ব্যাংক ড্রাফট, ভ্রমণকারী চেক প্রভৃতি ঋণপত্র ইস্যু করে। এসব ঋণপত্র বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য লেনদেন গতিশীল হয়। উন্নত দেশগুলোতে অধিকাংশ লেনদেন এসব বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কাজ কী বর্ণনা কর।
উত্তর : বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ হলো জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করা। ব্যাংকের আমানত সাধারণত তিন প্রকারের- চলতি, সঞ্চয়ী এবং স্থায়ী আমানত। চলতি আমানতের গচ্ছিত অর্থ যে কোনো সময় তোলা যায়। এই আমানতের জন্য ব্যাংক আমানতকারীকে কোনো সুদ প্রদান করে না। সঞ্চয়ী আমানত থেকে সপ্তাহে এক বা দুইবার অর্থ উত্তোলন করা যায়। এজন্য ব্যাংক আমানতকারীকে অল্প সুদ প্রদান করে। আর যে আমানত একটি নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর তোলা যায় তাকে স্থায়ী আমানত বলে। স্থায়ী আমানতের জন্য আমানতকারীকে উচ্চ হারে সুদ প্রদান করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক হিসাবে গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান বর্ণনা কর।
উত্তর : গ্রামীণ ব্যাংক একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করেছে। এটি পল্লির ভূমিহীন পুরুষ ও নারীদের ঋণদানের জন্য একটি বিশেষ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের দরিদ্র পুরুষ ও নারীদের বিনা জামানতে ব্যাংকিং সুবিধা-প্রদান করে। গ্রামীণ মহাজনদের শোষণ হতে গরিব মানুষকে রক্ষা করার মহান ব্রত নিয়েই এ ব্যাংকের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। এ ব্যাংক গ্রামের বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।