অষ্টম শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্র- নির্মিত অংশঃ অনুধাবন শক্তি ও অনুচ্ছেদ

 অনুধাবন শক্তি ও অনুচ্ছেদ

 অনুধাবন শক্তি

লিখিত যে কোনো বিষয়ে কোনো না কোনো মানুষ পাঠ করে থাকে কিন্তু যে অংশটুকু পড়ে তার মূলভাব সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারে তাকে বলা হয় তার অনুধাবন দক্ষতা। একটি পাঠে কিছু শব্দ থাকে, কিছু নতুন বিষয় থাকতে পারে যার অর্থ বা ধারণা জানা না থাকলে পাঠটির পূর্ণ ধারণা লাভ সহজ হয় না। তাই একটি পাঠ সম্পূর্ণরূপে বুঝতে হলে পাঠ সংশিস্নষ্ট কিছু বিষয়ও জানতে এবং বুঝতে হয়। আবার তা কেবল মুখস্ত করলে সেটি বেশিদিন মনে নাও থাকতে পারে। সেই জানা জ্ঞান অন্য কোনো পাঠের সাথে বা জ্ঞানের  সাথে মেলাতে পারার ক্ষমতাও থাকতে হয়। এ ভাবেই অনুধাবন দক্ষতা পরিপূর্ণভাবে অর্জিত হয়।

[ পাঠ্য বই থেকে ]

১.         অনুধাবন শক্তি পরীক্ষা :

            স্পন্দন, প্রতীতি, প্রান্ত, হিমেল, বর্ণ, প্রাপ্তি শীতের ছুটিতে জগৎপট্টিতে বেড়াতে গিয়েছে। ওরা সবাই এলাকাটি ঘুরে ঘুরে দেখল। ওখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি বাজার আছে। এলাকার অধিকাংশ মানুষই শিক্ষতি। কৃষিজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষ সেখানে বসবাস করে। বেশকিছু লোক জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপসহ নানা দেশে চাকরি নিয়ে গেছে। এলাকার জনগণ মোটামুটি সচ্ছল। বৈদেশিক অর্থ লেন-দেনের জন্য ওখানে বেশকিছু ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোনো কোনো বাড়িতে ফুলের বাগান রয়েছে। জগৎপট্টি বাংলাদেশের একটি আদর্শ গ্রামীণ এলাকা।

কর্ম-অনুশীলন :

ক.       ‘প্রতীতি’ শব্দের অর্থ কী?
খ.        কৃষিজীবী কারা?
গ.        নানান পেশার মানুষ বলতে কী বুঝায়?
ঘ.        জীবিকা বলতে কী বুঝ?
ঙ.        আদর্শ গ্রামের একটি সংক্ষপ্তি বর্ণনা দাও।

উত্তর :

ক.       ‘প্রতীতি’ শব্দের অর্থ জ্ঞান।
খ.        কৃষি কাজ করার মাধ্যমে যারা জীবিকা অর্জন করে তারাই কৃষিজীবী।
গ.        সব মানুষের জীবিকা অর্জনের পদ্ধতি এক নয়। একেক জন একেক ধরনের কাজে নিয়োজিত থাকেন। কেউ চাকরি করেন, কেউ কৃষিকাজ করেন, কেউ মাছ ধরেন কেউ শিক্ষকতা করেন, কেউ বা ব্যবসা করেন। নানা পেশার মানুষ বলতে এই বৈচিত্রপূর্ণ কাজে নিয়োজিত মানুষদেরই বোঝানো যায়।
ঘ.        জীবন ধারণের জন্য আমরা যে কাজের সাথে জড়িত থাকি তা-ই আমাদের জীবিকা।
            মানুষের জীবন ধারনের জন্য অর্থ উপার্জন করতে হয়। এজন্য মানুষ নানা ধরনের কাজ করে। অর্থাৎ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত থাকে। এভাবে যে কাজ বা পেশায় নিয়োজিত থেকে আমরা পারিশ্রমিক অর্জন করি সেই কাজ বা পেশাই জীবিকা হিসেবে পরিচিত।
ঙ.        একটি আদর্শ গ্রাম বলতে আমরা বুঝি সেই গ্রামকে যেখানে জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থার সুন্দর সমন্বয় থাকে।
            একটি আদর্শ গ্রামে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দরকারি ব্যবসা, ধর্মীয় ও অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সঠিক পরিমাণে থাকে। জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হয়। মানুষের মাঝে শান্তি-শৃঙ্খলা বিদ্যমান থাকে।

[ অতিরিক্ত অংশ ]

১.         নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

নকশিকাঁথা আমাদের একটি গ্রামীণ লোকশিল্প। এ শিল্প আজ লুপ্তপ্রায় হলেও এর কিছু নমুনা পাওয়া যায়। আপন পরিবেশ থেকেই মেয়েরা তাঁদের মনের মতো করে কাঁথা সেলাইয়ের অনুপ্রেরণা পেতেন। কাঁথার প্রতিটি সুচের ফোঁড়ের লুকিয়ে আছে এক একটি পরিবারের কাহিনি, তাদের পরিবেশ, তাদের জীবনগাথা। আমাদের দেশের কুমোরপাড়ার শিল্পীরা বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র ছাড়াও পোড়ামাটি দিয়ে নানা প্রকার শৌখিন দ্রব্য তৈরি করে থাকে। নানা প্রকার পুতুল, মূর্তি ও আধুনিক রুচির ফুলদানি, ছাইদানি, চায়ের সেট ইত্যাদি তারা গড়ে থাকে। খুলনার মাদুর ও সিলেটের শীতলপাটি সকলের কাছে পরিচিত। 

ক.        ‘গ্রামীণ’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী?     ১
খ.      ‘আধুনিক’ শব্দের স্ত্রীবাচক শব্দ কী? ১
গ  ‘অনুপ্রেরণা’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ লেখ। ১
ঘ.       লোকশিল্প কী? ১
া.       নকশিকাঁথার নকশাগুলো সংগ্রহ করা হতো কোথা থেকে?   ১

উত্তর :

ক.      ‘গ্রামীণ’ শব্দের বিপরীত শব্দ ‘শহুরে’।
খ.      ‘আধুনিক’ শব্দের স্ত্রীবাচক শব্দ ‘আধুনিকা’।
গ.   ‘অনুপ্রেরণা’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ হচ্ছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা।
ঘ.      দেশি জিনিস দিয়ে দেশের মানুষের হাতে তৈরি শিল্পসম্মত দ্রব্যকে লোকশিল্প বলে। যেমন- মাটির পুতুল আমাদের গ্রামীণ লোকশিল্প।

ঙ.       নকশিকাঁথার নকশাগুলো সংগ্রহ করা হতো গ্রামীণ আপন পরিবেশ থেকে। নকশিকাঁথার শিল্পীদের জীবনবাস্তবতার প্রতিফলন ঘটে নকশাগুলোতে।

২.        নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

দুঃখ চোখে জল হয়ে দেখা দেয়। চোখের পাতায় দুঃখ টলমল করে এক ফোঁটা জল হয়ে। শহিদ মিনারের দিকে তাকালে মনে হয় মুক্তোর মতো; কিন্তু তা দুঃখের মুক্তো। শহিদ মিনারও সুন্দর, কিন্তু অনেক বেদনার,। অনেক দীর্ঘশ্বাসের। কার চোখে টলমল করছে ওই জলের ফোঁটা, ওই দুঃখে নীরবে কাঁদছে সবুজ বাংলাদেশ, তার চোখে টলমল করছে কান্না। শহিদ মিনার বাংলাদেশের চোখের জল।

ক.       ‘নীরব’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী?       ১
খ.        শহিদ মিনার বেদনার কেন?   ১
গ.        ‘দুঃখ’-এর দু’টি প্রতিশব্দ লেখ।        ১
ঘ.        শহিদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের মধ্যে চেতনাগত সাদৃশ্য উলেস্নখ করো।          ২

উত্তর :

ক.       ‘নীরব’ শব্দের বিপরীত শব্দ ‘সরব’। 
খ.        শহিদ মিনারের সাথে আমাদের ভাই হারানোর বেদনার স্মৃতি জড়িত। তাই শহিদ মিনার বেদনার। 
            ১৯৫২ সালে ভাষা-আন্দোলনে পাকি¯ত্মান সরকারের পুলিশের গুলিতে নৃশংস হত্যার শিকার হন- সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ নাম না জানা আরও অনেকে। তাঁদের সেই মহান আত¥ত্যাগের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় শহিদ মিনার। ভাই হারানোর স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় বলে শহিদ মিনার বেদনার।
গ.        ‘দুঃখ’-এর দুটি প্রতিশব্দ হলো- কষ্ট ও বেদনা।
ঘ.        শহিদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ উভয়ই আমাদের জাতীয় প্রতীক।
            শহিদ মিনার আমাদের মনে করিয়ে দেয় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন ও সেই আন্দোলনের শহিদদের কথা। আর স্মৃতিসৌধ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি মাতৃভাষার অধিকার। আর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন স্বদেশভূমি। তাই উভয় স্থাপত্যই আমাদের মনে দেশপ্রেমের চেতনা জাগিয়ে তোলে।

৩.        নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সৌভাগ্য আকাশ থেকে পড়ে না। জীবনে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনার দরকার হয়। সব মানুষের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে। পরিশ্রমের দ্বারা সেই সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে হয়। যে মানুষ কর্মকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে, জীবন সংগ্রামে তারই জয় হয়েছে। কর্মের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি জীবনে সফল সৈনিক হতে পারে। কর্মহীন ব্যক্তি সমাজের বোঝাস্বরূপ। অন্যদিকে, শ্রমশীলতাই মানব জীবনের সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। আমাদের জীবনে উন্নতি করতে হলে, জীবনে সুখী হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

ক.        ‘সৌভাগ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী?  ১
খ.      সৌভাগ্য অর্জনের জন্য কী করতে হয়?        ১
গ   কে সমাজের বোঝা?   ১
ঘ.      জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে কিসের প্রয়োজন?    ২

উত্তর :

ক.        ‘সৌভাগ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ হচ্ছে ‘দুর্ভাগ্য’।
খ.      সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনা করতে হয়।
গ. .   কর্মহীন ব্যক্তি সমাজের বোঝা। 
ঘ.       জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে কর্মকাকে জীবনের মূল লড়্গ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পরিশ্রমই উন্নতির মূল চাবিকাঠি। কর্মের প্রতি একনিষ্ঠ ব্যক্তিগণই জীবন সংগ্রামে সফল হয়েছেন।

৪.        নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সুন্দরকে জানার যে জ্ঞান তার নাম ‘নন্দনতত্ত্ব’। নন্দনতত্ত্ব মানে সুন্দরকে বিশ্লেষণ করা, সুন্দরকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করা। সব সুন্দরের সৃষ্টির মধ্যেই একটা রূপ আছে, তার নাম স্বাধীনতা- অপর নাম যা খুশি তাই করা। যে কাজ সকলকে আনন্দ দেয়, খুশি করে তাই সুন্দর। স্বার্থপর বা অসংগত আমির খুশি নয়, অনেক মনে খুশির বি¯ত্মার করা আমি। অন্ধকার ঘর আলোকিত করার জন্যে নিয়ম মেনে প্রদীপ জ্বালতে হয়, ঘরে অসংগত আগুন লাগিয়ে ঘর আলোকিত করা নয়।

ক.        ‘আগুন’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ লেখ।       ১
খ.      সুন্দর-এর বিপরীত শব্দ লেখ।            ১
গ.    সুন্দরকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার নাম কী?           ১
ঘ.       অন্ধকার ঘরে কীভাবে আগুন জ্বালাতে হবে?            ১
       অনুচ্ছেদে ‘স্বাধীনতা’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?      ১

উত্তর :

ক.       ‘আগুন’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ হলো অগ্নি ও হুতাশন।
খ.      সুন্দর-এর বিপরীত শব্দ হলো কুৎসিত।
গ.   সুন্দরকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার নাম নন্দনতত্ত্ব।
ঘ.      অন্ধকার ঘরে নিয়ম মেনে আগুন জ্বালাতে হবে। সারা ঘরে যথেচ্ছভাবে আগুন না জ্বালিয়ে প্রদীপ
লাতে হবে।
রা.       অনুচ্ছেদে স্বাধীনতা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মনের আনন্দ প্রকাশ করা অর্থে।
            সুন্দর সৃষ্টির জন্য মানুষ নানা শিল্পমাধ্যম বেছে নেয়। সে মাধ্যমগুলোতে মনের স্বাধীনতা বা আনন্দের
কাশ ঘটে।

৫.        নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

দিনদিন চাষের জমি-জমা কমছে। বন-টন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। মাঠে-মাঠে ফসল নেই। বনে-বনে জীবজন্তু নেই। বছর-বছর লোকজন বাড়ছে, বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট, কল-কারখানা হচ্ছে। খাল-বিল, পুকুর-টুকুর দখল ও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিবেশ ও ভবিষ্যতের জন্যে এটি মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।   

ক.       ‘দিনদিন’-দ্বিরুক্ত শব্দটির প্রতিশব্দ কী?       ১
খ.      ‘পুকুর-টুকুর’ দ্বিরুক্ত শব্দটি কীভাবে গঠিত হয়েছে?           ১
গ.    এ অনুচ্ছেদে কতটি বিভিন্ন রকমের দ্বিরুক্ত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে?   ১
ঘ.       অনুচ্ছেদে যে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে তা আমাদের পরিবেশ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি কেন?            ২

উত্তর :

ক.       ‘দিনদিন’ দ্বিরুক্ত শব্দটির প্রতিশব্দ হচ্ছে প্রতিদিন।
খ.      ‘পুকুর-টুকুর’ দ্বিরুক্ত শব্দ-জোড়ায় দ্বিতীয় শব্দটির আংশিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দ্বিুরুক্ত শব্দ গঠিত
য়েছে।
গ.    এ অনুচ্ছেদে ১১টি বিভিন্ন রকমের দ্বিরুক্ত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।
ঘ.      অনুচ্ছেদে যে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে তা আমাদের পরিবেশ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য
শনিসংকেত।
            আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রতিনিয়তই মানুষের হাতে ধ্বংস হচ্ছে। গাছপালা, নদীনালা, সবুজ ফসলের মাঠের স্থানে হচ্ছে বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট, কল-কারখানা। ফলে পরিবেশের দূষণ বাড়ছে। সেই সাথে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে।

৬.        নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

এক দল লোক মনে করতেন ওই সংস্কৃত ভাষাই বাংলার জননী। বাংলা সংস্কৃতের মেয়ে। তবে দুষ্টু মেয়ে, যে মায়ের কথা মতো চলেনি। না চলে চলে অন্যরকম হয়ে গেছে। তবে উনিশ শতকেই আরেক দল লোক ছিলেন, যাঁরা মনে করতেন বাংলার সাথে সংস্কৃতের সম্পর্ক বেশ দূরের। তাঁদের মতে, বাংলা ঠিক সংস্কৃতের কন্যা নয়। অর্থাৎ সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপত্তি ঘটেনি বাংলার। ঘটেছে অন্য কোনো ভাষা থেকে। সংস্কৃত ছিল সমাজের উঁচুশ্রেণির মানুষের লেখার ভাষা।

ক.       ‘জননী’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী?      ১
খ.        বাংলা ভাষাকে দুষ্টু মেয়ে বলা হয়েছে কেন?   ১
গ.        ‘মেয়ে’- শব্দের দুটি প্রতিশব্দ লেখ।  ১
ঘ.        ‘বাংলা সংস্কৃতের মেয়ে’- এর পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি দেখাও।   ২

উত্তর :

ক.       ‘জননী’ শব্দের বিপরীত হলো- ‘জনক’।
খ.        সংস্কৃত ভাষা থেকে বিচ্যুতি লাভ করেছে বলে বাংলাকে দুষ্টু মেয়ে বলা হয়েছে।
            এক দল লোকের ধারণা ছিল বাংলাভাষার জন্ম হয়েছে সংস্কৃত থেকে। সে হিসেবে সংস্কৃত হলো বাংলা ভাষার জননী। তাদের মতে সংস্কৃত থেকে খানিকটা বিচ্যুত হয়ে পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে বাংলার আজকের রূপ তৈরি হয়েছে। সংস্কৃত ভাষা অর্থাৎ মায়ের কথামতো চলে নি বলেই বাংলাকে দুষ্টু মেয়ে বলা হয়েছে।
গ.        ‘মেয়ে’ শব্দের দুটি প্রতিশব্দ হলো- কন্যা ও জায়া।
ঘ.        আমরা জানি, মানুষের মুখের কথায় বদল ঘটে ভাষার ধ্বনির। শব্দ ও শব্দের অর্থেরও বদল ঘটে। এভাবে এক ভাষা থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে রূপ লাভ করে অন্য একটি ভাষা। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, সংস্কৃতি থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হওয়াটা সম্ভব নয়। কেননা সংস্কৃত ছিল তৎকালীন সমাজের কেবলমাত্র লেখার ভাষা। কথা বলায় এ ভাষার ব্যবহার ছিল না।

৭.        নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

বাংলা সনের প্রথম মাসের নাম বৈশাখ। পয়লা বৈশাখ বাঙালির নববর্ষ। নববর্ষ সকল দেশের, সকল জাতিরই আনন্দ উৎসবের দিন। শুধু আনন্দ উচ্ছ্বাসই না, সকল মানুষের জন্য কল্যাণ কামনারও দিন। আমরাও সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশা নিয়েই মহাধুমধামের সঙ্গে আমাদের নববর্ষ উদ্যাপন করি। একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ।

ক.        ‘আনন্দ’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী?     ১
খ.      ‘উচ্ছ্বাস’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করো।           ১
গ.   বাংলা সনের প্রবর্তক কে?       ১
ঘ.       বাংলা নববর্ষের মতো সার্বজনীন আরো একটি উৎসবের সংক্ষপ্তি পরিচয় দাও।      ২
উত্তর :

ক.        ‘আনন্দ’ শব্দের বিপরীত শব্দ হলো ‘কষ্ট’।
খ.      ‘উচ্ছ্বাস’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হলো- উৎ + শ্বাস।
ররর.   বাংলা নববর্ষের ইতিহাস এখনো সুস্পষ্টভাবে জানা সম্ভব হয় নি। তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও পণ্ডিতের মতে মুঘল সম্রাট বাদশাহ আকবর বাংলা সন চালু করেন।
ঘ.      বাংলা নববর্ষের মতো আরও একটি সার্বজনীন উৎসব হলো বিজয় উৎসব।
            আমাদের মহান বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ই ডিসেম্বর আমরা এই উৎসব করে থাকি। এদিন সারা দেশ লাল সবুজে সেজে ওঠে। সর্বস্তরের বাঙালি এই উৎসবে আনন্দের সাথে অংশ নেয়।

৮.        নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

আমাদের দেশের উন্নতির প্রধান অন্তরায় আমাদের জনসংখ্যা সমস্যা। এই জনসংখ্যা সমস্যাকে জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে দেশের উন্নতি সম্ভব। তাদেরকে প্রয়োজনীয় কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণ কায়িক পরিশ্রমের মর্যাদা পেলে তারা কায়িক পরিশ্রমের দিকে আগ্রহী হবে। পরিশ্রমী জনগণ দ্বারা দেশের ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব।

ক.        ‘উন্নতি’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী?      ১
খ.      কারিগরি শিক্ষা বলতে কী বোঝ?        ২
গ.    ‘জাতি’-এর দুটি প্রতিশব্দ লেখো।     ১
ঘ.       ‘জনসংখ্যা সমস্যা’ আমাদের দেশের উন্নতির প্রধান অন্তরায়-বিশ্লেষণ করো।      ২

উত্তর :

ক.        ‘উন্নতি’ শব্দের বিপরীত শব্দ হলো অবনতি।
খ.     কারিগরি শিক্ষা বলতে বোঝায় হাতে-কলমে লাভ করা বিশেষ শিক্ষা।
            একজন ব্যক্তি তার আত্মপ্রতিষ্ঠার লড়্গ্েয যখন বিশেষ কোনো কর্মে প্রশিক্ষতি হন তখন সেই শিক্ষাকে কারিগরি শিক্ষা বলে। এই শিক্ষা হাতে-কলমে গ্রহণ করা হয় এবং শিক্ষা শেষেই জীবিকা অর্জনের যোগ্যতা অর্জিত হয়।
গ.    ‘জাতি’ শব্দের দুটি প্রতিশব্দ হলো- বর্ণ এবং শ্রেণী।
ঘ.      জনসংখ্যা সমস্যা থেকে তৈরি হচ্ছে আরও নানা ধরনের সমস্যা যা জাতির উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
            জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীতে অন্যতম। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের জন্য দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ মোটেই যথেষ্ট নয়। ফলে দেশে  বাড়ছে বেকার সমস্যা, অপরাধ প্রবণতা ইত্যাদি। আর এগুলো আমাদের উন্নতির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছে।

৯.        নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

            আজ থেকে প্রায় দুইশ বৎসর আগে পৃথিবীতে শিল্পবিপস্নব হয়েছিল। যারা সেই শিল্পবিপস্নবে অংশ নিয়েছিল তারা পৃথিবীটাকে শাসন করেছে। আমরা শিল্পবিপস্নবে অংশ নিতে পারিনি বলে বাইরের দেশ আমাদের শাসন-শোষণ করেছে। আমরা আবার সেটা হতে দিতে পারি না। এই মুহূর্তে শিল্পবিপস্নবের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা বিপস্নব হচ্ছেÑতথ্য প্রযুক্তির বিপস্নব। এ বিপস্নবে আমাদের অংশ নিতেই হবে। তাই দায়িত্বটা পালন করতে হবে নতুন প্রজন্মকে, যারা নতুন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে এবং প্রযুক্তিতে। তারা ঠিকভাবে লেখাপড়া করবে, অন্য সব বিষয়ের সাথে সাথে গণিত ও ইংরেজিতে সমান দক্ষ হয়ে উঠবে, কম্পিউটারের সাথে পরিচিত হবে। যখন কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ পাবে তখন সেটাকে বিনোদনের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার না করে শেখার একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবে। নিজেদের সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে উঠে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে তুলতে সাহায্য করবে।

ক.        ‘প্রজন্ম’ শব্দটি কী সাধিত শব্দ?         ১
খ.      পৃথিবী’ শব্দটির দুটি সমার্থক শব্দ লেখো।     ১
গ.    সৃজনশীল মানুষ কারা?           ১
ঘ.       তথ্য-প্রযুক্তির বিপস্নব ঘটাতে হবে কেন?      ১
া.       কম্পিউটারকে শেখার একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে হবে কেন?     ১

উত্তর :

ক.        ‘প্রজন্ম’ শব্দটি উপসর্গ সাধিত শব্দ।
খ.      ‘পৃথিবী’ শব্দটির দু’টি সমার্থক শব্দ হলো ধরণী ও বসুন্ধরা।
গ.    যারা নিজেদের জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে পারে তারাই সৃজনশীল মানুষ।
ঘ.       বর্তমান পৃথিবীর সবকিছুই তথ্য-প্রযুক্তির অধীন। এর যথাযথ ব্যবহার ছাড়া জাতীয় অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই তথ্য-প্রযুক্তির বিপস্নব ঘটাতে হবে।
া.       তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মূল হাতিয়ার হলো কম্পিউটার। তাই কম্পিউটার ব্যবহারে সবাইকে দক্ষ হতে হবে। কেবল বিনোদনের মাধ্যমে হিসেবে নয়, শেখার মাধ্যম হিসেবে এটিকে গ্রহণ করতে হবে।

১০.      নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

            ছাত্রদের অলসতা ত্যাগ করে পরিশ্রমী হতে হবে। দেখা যায় অনেক মেধাবী ছাত্রও অলসতার কারণে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে ব্যর্থ হয়। আবার অনেক কম মেধার ছাত্র শুধু অধ্যবসায় ও পরিশ্রম দ্বারা আশাতীত সাফল্য অর্জন করে চমক সৃষ্টি করে। তাই ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

ক.       ‘অলস’ শব্দের অর্থ কী?        ১
খ.     ‘ব্যর্থ’ শব্দের বিপরীত শব্দ লেখো।    ১
গ.   ‘পরীক্ষা’ শব্দটির সন্ধি-বিচ্ছেদ করো।          ১
ঘ.       “অধ্যবসায় সাফল্যের পূর্বশর্ত”- ব্যাখ্যা করো। ২

উত্তর :

ক.        ‘অলস’ শব্দের অর্থ ‘অকর্মণ্য’।
খ.      ‘ব্যর্থ’ শব্দের বিপরীত শব্দ হলো ‘সফল’।
গ.   ‘পরীক্ষা’ শব্দটির সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো : পরি+ঈক্ষা।
ঘ.       অধ্যবসায় ব্যতীত কোনো কিছুতেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য লাভ করা যায় না।
            মানুষের সংগ্রামী জীবনের জন্য অধ্যবসায় একটি অত্যাবশ্যকীয় গুণ। এর মাধ্যমেই মানুষ সকল কিছুকে সম্ভব করে তুলতে পারে। ছাত্রজীবনেও এই গুণটির গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক কম মেধার ছাত্ররাও অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে চমৎকার সাফল্য অর্জন করতে পারে। সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার মৌলিক প্রেরণা হলো অধ্যাবসায়।
১১        নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর, শহরতলি এবং গ্রামের হাজার হাজার নারী-পুরুষ আছে, যারা কাজ করতে চায় অথচ কাজের অভাবে দিন দিন দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে। সুপরিকল্পিত উপায়ে এবং সুরুচিপূর্ণ লোকশিল্প প্রস্তুতির দিকে মনোযোগ দিলে তাদের সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে।

ক.        ‘সম্প্রসারণ’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ.      লোকশিল্প কাকে বলে।           ১
গ.    ‘দিন দিন’ কোন ধরনের দ্বিরুক্ত শব্দ?          ১
ঘ.      কীভাবে লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। ২

উত্তর :

ক.       ‘সম্প্রসারণ’ শব্দের অর্থ বৃদ্ধি বা বি¯ত্মার।
খ.      দেশি জিনিস দিয়ে দেশের মানুষের হাতে তৈরি শিল্পসম্মত দ্রব্যকেই লোকশিল্প বলে।
গ.    ‘দিন দিন’ হলো বিশেষ্য শব্দযুগলের বিশেষরূপে ব্যবহারে গঠিত দ্বিরুক্ত।
ঘ.       লোকশিল্পের প্রতি আন্তরিক হলে ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলে লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ করা
সম্ভব।
            লোকশিল্পের প্রতি আমাদের হৃদয় দিয়ে তাকাতে হবে। এর উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। লোকশিল্পের কর্মসংস্থান ও এর চাহিদা সৃষ্টির জন্য সুপরিকল্পিত পদক্ষপে গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ করতে পারব।

১২.      নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

            প্রস্ফুটিত পদ্মফুল সরোবরে অত্যন্ত সুন্দর দেখায়। এই ফুল তার সৌন্দর্যের জন্য লোভনীয়ও বটে। ইচ্ছে হয় দিঘিতে ঝাঁপ দিয়ে মুঠিভরে গুচ্ছ গুচ্ছ পদ্মফুল তুলে আনি। কিন্তু পদ্মবনে কাঁটাঘেরা মৃণালের ঘন বেষ্টনী ভেঙে এই সুন্দর ফুল চয়ন করা বেশ কঠিন। এটা সত্য যে, যে-ব্যক্তি কাঁটার ভয়ে জলে নামতে চায় না তার পক্ষে দিঘির সুন্দর পদ্মফুল আহরণ কখনও সম্ভব নয়। এটাও সত্য যে, পৃথিবীতে যে কোনো কষ্ট সহ্য করতে চায় না তার পক্ষে মহৎ বা সুন্দর কিছু অর্জন করা কঠিন। জীবনে সাফল্য লাভ করতে হলে বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করতে হবে। যা দুর্লঙ্ঘ্য, তা জয় করতে হবেÑতবেই সুখ ও সাফল্য আসবে।

ক.        ‘প্রস্ফুটিত’ শব্দের অর্থ কী?  ১
খ.      ‘ফুল’ শব্দের একটি সমার্থক শব্দ লেখ।        ১
গ.   ‘গুচ্ছ গুচ্ছ’ শব্দটি কোন ধরনের দ্বিরুক্তি?   ১
ঘ.      ‘সুন্দর’ শব্দটি কোন লিঙ্গ?    ১
া.       জীবনে সাফল্য কীভাবে অর্জিত হবে?           ১

উত্তর :

ক.        ‘প্রস্ফুটিত’ শব্দের অর্থ সম্পূর্ণ বিকশিত।
খ.      ফুল শব্দের একটি সমার্থক শব্দ- কুসুম।
গ.    ‘গুচ্ছ গুচ্ছ’ হলো বিশেষ্য শব্দযুগলের বিশেষণরূপে ব্যবহারে গঠিত দ্বিরুক্তি।
ঘ.       ‘সুন্দর’ শব্দটি উভয়লিঙ্গ।
া.       প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করে তা জয় করলেই জীবনে সাফল্য আসবে। পদ্মবনের কাঁটার ভেতর মোহনীয় ফুল পদ্ম যেভাবে থাকে তেমনি সাফল্যও ঢাকা থাকে নানা বাধা-বিপত্তির আড়ালে। পদ্মফুলকে জয় করার ক্ষেত্রে কাঁটার ব্যথাকে অগ্রাহ্য করতে হয়। একইভাবে সকল বাধা-বিঘ্নকে তুচ্ছ করে সামনে এগিয়ে গেলেই সাফল্য অর্জিত হবে।

১৩.      নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

            তারপর ফিরে এসে যখন শুনল লাল গরুকে নিয়ে গেছে, তখন বিশুর কী কান্না। ছেলেমেয়েদের সবার মুখই ভার। মায়ের অবস্থাও তাই। সেদিন বাড়ির কারোরই ভালো করে খাওয়া হলো না। কিন্তু নিধিরামকে কেউ কিছু বললে না। কেউ কিছু বললে সে নিশ্চয়ই খুব রেগেমেগে উঠত। রাগবার জন্য মনে মনে তৈরি হয়েও ছিল। কিন্তু কেউ তাকে সেই সুযোগ দিল না। নিধিরাম এমন বিপদে আর কখনো পড়েনি। কী আশ্চর্য, এমন যে তেজস্বী নিধিরাম, সে যেন ঠাণ্ডা জল হয়ে গেল।

ক.        ‘কী’ কোন পদ?         ১
খ.    সেদিন কারোরই ভালো করে খাওয়া হলো না কেন?  ১
গ.    নিধিরামকে কেউ কোনোকিছু না বলার কারণ কী?    ১
ঘ       বিপদে মানুষকে কেমন হতে হয়?      ২

উত্তর :

ক.        ‘কী’ হলো সর্বনাম পদ?
খ.      লাল গরুটাকে অন্য কেউ নিয়ে যাওয়ায় সবার মন খারাপ হয়েছিল। তাই সেদিন কারোরই ভালো করে খাওয়া হলো না।
গ.    নিধিরামকে ঐ অবস্থায় কেউ কিছু বললে সে খুব রেগে যেত। তাছাড়া লাল গরুটার জন্য সবারই মন ভার ছিল। তাই নিধিরামকে কেউ কিছু বলল না।
ঘ       বিপদে পড়লে মানুষকে ধৈর্য ধারণ করতে হয়।
                        বিপদের সময় মানুষের উচিত মাথা ঠাণ্ডা রাখা। হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া। সবদিক ভেবে-চিন্তে স্থির সিদ্ধান্তে আসা। আর ভয় না পেয়ে মনে সাহস রাখা উচিত। তাহলেই বিপদ মোকাবেলা করা সহজ হয়।

১৪.      নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

‘ফুল পাখি নই, নইকো পাহাড়
ঝরণা সাগর নই
মায়ের মুখের মধুর ভাষায়
মনের কথা কই।
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
শহিদ ছেলের দান
আমার ভাইয়ের রক্তে লেখা
ফেব্রুয়ারির গান।’
ক.        ‘সাগর’ শব্দের একটি প্রতিশব্দ লেখো।         ১
খ.      আমরা মনের কথা কোন ভাষায় বলি?           ১
গ.   কাদের আত্ত্যাগে আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি?      ১
ঘ      ফেব্রুয়ারির গান রক্তে লেখা কেন?     ২

উত্তর :

ক.        ‘সাগর’ শব্দের একটি প্রতিশব্দ হলো ‘দরিয়া’।
খ.      আমরা মনের কথা বাংলা ভাষায় বলি।
গ.    ভাষাশহিদদের আত্মত্যাগে আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি।
ঘ       ফেব্রুয়ারি মাসে ভাষার জন্য রক্ত ঝরেছিল বলে ফেব্রুয়ারির গানকে রক্তে লেখা বলা হয়েছে।

            ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে আন্দোলন করে বাংলার ছাত্র-জনতা। তাদের মিছিলে পুলিশ গুলি করলে অনেকে শহিদ হন। ভাষাশহিদদের এই মহান আত্মত্যাগের কারণেই বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা হয়েছে। তাই ফেব্রুয়ারির গান রক্তে লেখা।

১৫.      নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

            মানব সভ্যতার শত শত বছরের ইতিহাসের হৃদয়স্পন্দন সঞ্চিত থাকে বইঘরের ভাণ্ডারে। সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান এসবের এক বিশাল সংগ্রহশালা এই বইঘর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় : “এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে।” শঙ্খের মধ্যে যেমন সমুদ্রের শব্দ শোনা যায়, বইঘর বা পাঠাগারের মধ্যে তেমনি মানুষের হৃদয়ের উত্থান-পতনের ধ্বনি শোনা যায়। পাঠক এখানে স্পর্শ পায় সভ্যতার এক শাশ্বত ধারার, অনুভব করে মহাসমুদ্রের শত শত বছরের কলেস্নাল-ধ্বনি, শুনতে পায় জগতের এক মহা-ঐকতানের সুর; সেখানে অবিরাম চলতে থাকে কতশত হৃদয়ের কথোপকথন। বইঘর বা লাইব্রেরি মানুষের অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতের সেতুবন্ধন।

ক.        ‘শ্বাশত’ শব্দের অর্থ কী?        ১
খ.     ‘বিশাল’ শব্দটির দু’টি সমার্থক শব্দ লেখো।  ১
গ.   ‘কথোপকথন’ শব্দটির সন্ধি-বিচ্ছেদ করো। ১
ঘ                   ‘… মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে।’ গবাক্যটিকে চলিত ভাষায় রূপান্তর করে দেখাও।     ১
া.       দুটি বাক্যের মাধ্যমে বইঘরের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরো।       ১

উত্তর :

ক.        ‘শ্বাশত’ শব্দের অর্থ চিরস্থায়ী বা অনন্ত।
খ.    ‘বিশাল’ শব্দটির দু’টি সমার্থক শব্দ হলো-বিরাট ও প্রকাণ্ড।
গ.                ‘কথোপকথন’ শব্দটির সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো : কথা + উপকথন।
ঘ      বাক্যটিকে চলিত ভাষায় রূপান্তর করে দেখানো হলো-
                        ‘মানবাত্মার অমর আলো কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়ে আছে।’
া.       বইঘরের বইয়ের ভাণ্ডারে শত শত বছরের জ্ঞান সঞ্চিত থাকে। এই বই পড়ে আমরা আলোকিত মানুষ
য়ে উঠি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *