অষ্টম শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্র- নির্মিত অংশঃ ব্যক্তিগত পত্র :

ব্যক্তিগত পত্র :

[ পাঠ্য বই থেকে ]

১.             মনে করো, তোমার নাম নিবিড়। তোমার বন্ধুর…….. উল্লেখ করে তার কাছে একটি পত্র লেখ।

১.             মনে করো, তোমার নাম নিবিড়তোমার বন্ধুর নাম রাহুলসে খুলনায় থাকেবৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তার কাছে একটি পত্র লেখ

পল্লবী ঢাকা
১৩.০৭.২০১৬
প্রিয় রাহুল,

আমার শুভেচ্ছা নিও। অনেক দিন হলো তোমার কোনো খবর পাই না। আশা করি ভালো আছ। গতদিন  আমাদের স্কুলে ‘বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ে একটি সেমিনার হয়ে গেল। সেই সেমিনারেই বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক ভালো ভালো কথা শুনলাম। তোমাকে সেগুলো জানাতেই এ চিঠি লিখতে বসেছি।

তুমি তো জানো, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসে অক্সিজেন গ্রহণ করি, কার্বন-ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করি। আর গাছ আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু মানুষ তার প্রয়োজনে প্রচুর গাছ কাটছে। বন উজাড় হচ্ছে। তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। তুমি হয়তো জানো না, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মূল ভূ-খন্ডের কমপক্ষে পঁচিশ ভাগ বন থাকা দরকার। আমাদের দেশে তা নেই। বরং যা আছে তা-ও নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কলকারখানা। রাস্তায় যানবাহনের চলাচল বাড়ছে। কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। কমছে বাতাসের ওজোন স্তর। সৃষ্টি হচ্ছে গ্রিনহাউজ ইফেক্ট। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। দেখা দিচ্ছে নানা রোগ-ব্যাধি। এসবই ঘটছে বাতাসে অক্সিজেনের অভাবের কারণে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগালে বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরে আসবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে। তাছাড়া আমাদের জ্বালানির চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হয় বৃক্ষের মাধ্যমে। কাঠ থেকে আমরা বাড়িঘর এবং আমাদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রস্তুত করে থাকি। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই আমাদের অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন। বাড়ির চারপাশে, রাস্তার দুপাশে, পতিত জমিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে আরো সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, বৃক্ষ বাঁচলে আমরা বাঁচব।

আজ এই পর্যন্তই। তোমার মা-বাবাকে আমার শ্রদ্ধা জানিও। চিঠি দিও।
ইতি-
তোমার বন্ধু
নিবিড়।
                ডাক টিকিট
প্রেরক:
নিবিড় সেতু
পল্লবী, মিরপুর,
ঢাকা।       প্রাপক:
মো. রাহুল
সোনারতরী
৩৩ স্যার ইকবাল রোড, খুলনা।

.             তোমার বন্ধু মুমতাহিনার মা হঠাৎ……….জানিয়ে একটি চিঠি লেখ।

২.             তোমার বন্ধু মুমতাহিনার মা হঠাৎ মারা গেছেনতাকে সান্তনা জানিয়ে একটি চিঠি লেখ

লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা।
২৫.০৬.২০১৬
সুপ্রিয় মুমতাহিনা,

কিছুক্ষণ আগে তোমার চিঠি পেয়েছি। চিঠি পড়ে আমি স্তম্ভিত। তুমি লিখেছ তোমার মায়ের আকস্মিক মৃত্যুর কথা। আমার কাছে এখনো সব অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো! আমি খুবই মর্মাহত। তোমাকে সাš—্বনা দেবার মতো ভাষা আমার নেই। শুধু জেনো, তোমার এ মর্মবেদনার আমিও সমান অংশীদার।

ছোটবেলায় আমি মাকে হারিয়েছিলাম। মায়ের আদর-ভালোবাসা কাকে বলে জানতাম না। তোমার মা আমার সেই অনুভূতি জাগিয়েছিলেন। তাই তাঁকে আমি মা বলে ডেকেছি। আজ আমি আবার মা-হারা হলাম। মানুষ মরণশীল- এই নির্মম সত্যটা আমাদের জন্য বড়ই বেদনাদায়ক। কাজেই দুঃখ না করে মায়ের আত্মার শান্তির জন্য তিনি যেমনটি ভেবেছিলেন ভবিষ্যতে আমাদের সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। পড়াশোনায় আত্মনিয়োগ করো। বাবা ও ছোট ভাইয়ের প্রতি খেয়াল রেখ। কয়েক দিন পরে তোমার দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা। নিজের পড়ার কাজে ডুবে থাকলে এ বেদনা হয়তো আস্তে আস্তে প্রশমিত হবে।

পরীক্ষার কারণে আমি তোমার এই দুঃসময়ে কাছে থাকতে পারলাম না, এটাও আমার জন্য খুব কষ্টকর। কায়মনোবাক্যে কামনা করি, তুমি এই প্রতিকূলতা যেন কাটিয়ে উঠতে পারো। আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আল্লাহ তোমার সহায় হোন।

তোমার বাবাকে সালাম জানিও। ছোট ভাই সিয়ামের প্রতি রইল আমার অসীম স্নেহ।

ইতি-
তোমার বন্ধু
সুমনা।
[ঠিকানাসহ খাম হবে]

৩.            মনে করো, তোমার ছোট ভাই মুগ্ধ ষষ্ঠ শ্রেণিতে ……..হুমকিস্বরূপ’ এই মর্মে একটি পত্র পাঠাও।

৩.            মনে করো, তোমার ছোট ভাই মুগ্ধ ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েতাকে ‘পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ব্যক্তি তথা জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ’ এই মর্মে একটি পত্র পাঠাও

সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ

১৭.০৭. ২০১৬

স্নেহের মুগ্ধ,

আমার আদর নিও। গতকাল তোমার চিঠি পেয়েছি। তুমি ও বাড়ির সবাই ভালো আছ জেনে খুশি হয়েছি।

চিঠিতে জানতে পারলাম আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তোমার পরীক্ষা শুরু হবে। তোমার পড়াশোনা নিশ্চয়ই ভালোভাবে চলছে? মনোযোগ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ো এবং বারবার লেখো। নিজের ভুলগুলো নিজেই সংশোধন করো। এতে তোমার হাতের লেখা যেমন সুন্দর হবে, তেমনি লেখায় বানান ভুলও কমে যাবে। ফলে পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর পাবে।

আজকাল অনেক শিক্ষার্থীই ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকদের কথা শোনে না। বাড়িতেও ঠিকমতো পড়ালেখা করে না। তারা পরীক্ষার হলে গিয়ে নকল করে। কেউ কেউ নকল করে ভালোভাবে পাসও করে যায়। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা তাদের হয় না। ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। আগামীতে তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। তাই পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে তাদের নিজেকে সব দিক দিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। পরীক্ষায় নকল করা একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। নকলের মতো দুর্নীতি বা পাপের ওপর ভিত্তি করে জীবনে কখনোই সাফল্য লাভ করা যায় না। আশা করি, তুমি শিক্ষকদের উপদেশ মতো পড়াশোনার প্রতি গভীর মনঃসংযোগ করবে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে আমাদের পরিবার ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। তোমার কৃতিত্ব ও গৌরব কামনা করি। ভালো থেকো। বাবা ও মাকে আমার সালাম জানিও।

ইতি-

বাঁধন ভাইয়া ।

[ঠিকানাসহ খাম হবে]

৪.            কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ……….বনানীকে একটি চিঠি লেখ।

৪.            কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করে তোমার ছোট বোন বনানীকে একটি চিঠি লেখ

আহসান রোড, খুলনা।
১৭.০৭.২০১৬
প্রিয় বনানী,

আমার স্নেহাশিস নিও। অনেক দিন পর তোমার চিঠি পেলাম। তুমি ক্লাসে প্রথম হয়েছ জেনে খুব আনন্দিত হয়েছি। আমি আরো খুশি হয়েছি তুমি ক্লাসের পড়াশোনার বাইরে কম্পিউটার শিখছ বলে।

বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। আর প্রযুক্তির এ যুগে সর্বোচ্চ স্থান দখল করে আছে কম্পিউটার। কম্পিউটার ছাড়া আধুনিক জীবন-যাপন কল্পনা করা যায় না। শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, ব্যবসাবাণিজ্য, অফিস-আদালত, চিকিৎসা, বিনোদন- সব ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের ব্যবহার আজ অপরিহার্য। তাই কর্মক্ষেত্রেও এখন কম্পিউটার জানা লোকদের অগ্রাধিকার। কম্পিউটার-অভিজ্ঞ লোক বেকার বসে থাকে না। তাই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের প্রত্যেকেরও উচিত অন্যান্য বিষয়ের সাথে কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। তুমি ক্লাসের পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটার ভালোভাবে আয়ত্ত করবে, আমার এই শুভ কামনা রইল।

আজ আর না। মা ও বাবাকে আমার সালাম দিও। তুমি ভালো থেকো।

ইতি-
তোমার ভাইয়া
রনি
                ডাক টিকিট
প্রেরক:
রনি
১০৪, আসহান রোড
বগুড়া।
প্রাপক:
ব্রততী বনানী
গ্রাম : শ্রীপুর
ডাকঘর : বকসিগঞ্জ
জেলা : জামালপুর।


[ অতিরিক্ত অংশ ]

৫.            মনে করো, তুমি কাজল। তোমার জেএসসি ………..বাবার কাছে একটি পত্র লেখো।

৫.            মনে করো, তুমি কাজলতোমার জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছেপরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে জানিয়ে বাবার কাছে একটি পত্র লেখো

বাজিতপুর

ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬

শ্রদ্ধেয় বাবা,

সালাম নিন। আশা করি ভালো আছেন। গতকাল আপনার চিঠি পেলাম। আপনার আসতে দেরি হবে জেনে মনটা বেশ খারাপ হলো।

আজ আমার জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। আমার ফল জেনে আপনি নিশ্চয়ই খুশি হবেন। আমি অ+ পেয়েছি। দোয়া করবেন, আমি যেন ভবিষ্যতে আপনার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।

আপনাকে অনেক দিন দেখিনি। আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। ছুটি নিয়ে এক দিনের জন্য হলেও আমাদের সঙ্গে দেখা করে যান। আমরা আপনার অপেক্ষায় রইলাম।

বাড়ির সবাই ভালো আছে। আপনি শরীরের প্রতি যত্ন নেবেন। ভালো থাকবেন।

ইতি

আপনার স্নেহের

কাজল।

[ঠিকানাসহ খাম হবে]

৬.            মনে করো, তোমার নাম খসরু। তোমার………এ উপলক্ষ্যে একটি চিঠি লেখো।

৬.            মনে করো, তোমার নাম খসরুতোমার বড় বোনের বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছেতোমার প্রিয় বন্ধু হামিদকে উপলক্ষ্যে একটি চিঠি লেখো

   পূর্ব ঘোপাল, ফেনী

  ২৫শে মার্চ, ২০১৬

প্রিয় হামিদ,

শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ। আগামী ১০ই এপ্রিল আমার বড় আপার বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে। তুমি অবশ্যই আসবে। মা, আপা সবাই তোমাকে আসতে বলেছেন। তুমি কিন্তু ৭ তারিখের মধ্যেই চলে আসবে, কেমন? অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের সব বন্ধুরাই আসছে। খুব মজা হবে।

আজকের মতো বিদায়। সাবধানে এসো।

ইতি

তোমার বন্ধু

খসরু

[ঠিকানাসহ খাম হবে]

৭.             মনে করো, তুমি ফরহাদ। গ্রীষ্মের ছুটি……….শফিককে একটি চিঠি লেখো।

৭.             মনে করো, তুমি ফরহাদগ্রীষ্মের ছুটি কীভাবে কাটাবে তা জানিয়ে তোমার বন্ধু শফিককে একটি চিঠি লেখো

বয়রা, খুলনা

১০/০৪/২০১৬

প্রিয় শফিক,               

ভালোবাসা নিও। তোমার চিঠি পেয়ে খুব আনন্দিত হয়েছি।

তোমাকে একটা খুশির খবর দিই, এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে আমাদের বিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হবে। এবারের ছুটিতে মা-বাবার সাথে আমি সোনারগাঁও ও  পাহাড়পুর যাব। এ দুটিই আমাদের দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। স্থানগুলোতে গেলে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। তুমিও চলো না আমাদের সাথে। খুব মজা হবে।

ভালো থেকো। তোমার মতামত জানিও।

ইতি

তোমার শুভার্থী

ফরহাদ

[ঠিকানাসহ খাম হবে]

৮.            মনে করো, তোমার নাম অহনা/অহন। তোমার…….একটি চিঠি লেখো। ধরো, তোমার বন্ধুকে লেখার ঠিকানা- ৩৬,      সল্ট লেক, কলকাতা, ভারত।

৮.            মনে করো, তোমার নাম অহনা/অহন। তোমার কলকাতা প্রবাসী এক বন্ধুর নাম বাদল/বৃষ্টি। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে তুমি যা জান তা তোমার বন্ধুকে জানিয়ে একটি চিঠি লেখো। ধরো, তোমার বন্ধুকে লেখার ঠিকানা- ৩৬,      সল্ট লেক, কলকাতা, ভারত।

মহিষাকান্দি, নরসিংদী।

২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

প্রিয় বাদল,

কেমন আছ? আমি ভালোই আছি। কাল ছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজ তোমাকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানিয়ে লিখছি।

১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন ঘোষণা দেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বাংলার ছাত্র সমাজ। ২১শে ফেব্রুয়ারিকে সংস্কৃতিক সংগঠনগুলো রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে ২০শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ঢাকায় ১৪৪ দ্বারা জারি করা হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারার পরোয়া না করেই এগিয়ে গেল ছাত্র-জনতা। পুলিশের গুলিতে রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেকে শহিদ হলেন। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে বি¶ুব্ধ করে তুলল। রাস্তায় নেমে এলো লাখো জনতা। অবশেষে ভাষাশহিদদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেলাম মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার।

তোমার বাবা-মাকে আমার সালাম জানিও। আজ বিদায় নিচ্ছি।

ইতি

তোমার বন্ধু

অহনা

৯.            মনে করো, তোমার নাম বিকাশ/বৈশাখী। তোমার……..জানিয়ে বন্ধুর কাছে একটি পত্র লেখো।

৯.            মনে করো, তোমার নাম বিকাশ/বৈশাখীতোমার বন্ধুর নাম রহিম/শশীতোমার প্রিয় বই সম্পর্কে জানিয়ে বন্ধুর কাছে একটি পত্র লেখো

উত্তরা, ঢাকা।

১৮/০৭/২০১৬

প্রিয় শশী,

কেমন আছ? আমি ভালো আছি। আজ আমি তোমাকে আমার প্রিয় বইয়ের কথা জানাব।

আমার সবচেয়ে প্রিয় বই হচ্ছে ‘কাকের নাম সাবানি’। বইটির লেখক আনিসুল হক। সাবানি নামের একটি কাকের মজার সব কান্ড নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। সাবানির খুব ইচ্ছা সে শিল্পী হবে। যে উদ্দেশ্যে সে ঢাকার দিকে রওনা দেয়। তারপর কত রকমের অভিজ্ঞতা যে তার হয়! সেগুলো পড়ে কখনও হেসে উঠি। কখনো আবার মন খারাপ হয়ে যায়। একবার বইটা নিয়ে বসলে শেষ না করে ওঠার উপায় নেই। আর বইটাতে আছে শেখার মতন অনেক কিছু।

আজ এখানেই শেষ করছি। নতুন কী বই পড়লে জানিও।

ইতি

তোমার বন্ধু

বৈশাখী

[ঠিকানাসহ খাম হবে]

১০.          মনে করো, তোমার নাম পল্লব/পলি। জন্মভূমির………নাম ড্যানিয়েল/ডোরি। তার ঠিকানা- ২৪ ডাউনিং স্ট্রীট, নিউইয়র্ক, আমেরিকা।

১০.          মনে করো, তোমার নাম পল্লব/পলিজন্মভূমির প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়ে তোমার আমেরিকা প্রবাসী বন্ধুকে একটি চিঠি লেখোধরো, তোমার বন্ধুর নাম ড্যানিয়েল/ডোরিতার ঠিকানা- ২৪ ডাউনিং স্ট্রীট, নিউইয়র্ক, আমেরিকা

বাঘা, রাজশাহী

১২/০৪/২০১৬

প্রিয় ড্যানিয়েল,

কেমন আছ বন্ধু? গত চিঠিতে তুমি জন্মভূমি সম্পর্কে আমার অনুভূতির কথা জানতে চেয়েছ। আজ সে কথা জানিয়ে তোমাকে লিখছি।

আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর। মন ভোলানো এর প্রকৃতি। সারা দেশে সবুজের ছড়াছড়ি। নদী, পাহাড়, সমুদ্র সবই আছে এদেশে। আর আছে নানা ধর্ম, পেশা ও সংস্কৃতির মানুষ। সকলেই এদেশে মিলেমিশে বসবাস করে। এই সবকিছুই আমাকে প্রন্ডভাবে আকর্ষণ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ত্রিশ লক্ষ মানুষ সে যুদ্ধে শহিদ হয়েছে। এদেশকে নিয়ে তাই আমাদের অহংকারের শেষ নেই। বাংলাদেশে জন্ম নিতে পেরে আমি গর্বিত। দেশকে আমি আমার মায়ের মতোই ভালোবাসি।

আজ আর নয়। তোমার দেশের কথা জানিয়ে আমাকে চিঠি দিও।

ইতি

তোমার বন্ধু

পল্লব

[ঠিকানাসহ খাম হবে]

১১. মনে করো, তোমার নাম সাকিব/সালমা। তোমার বন্ধুর ……তোমার বন্ধুকে একটি পত্র লেখো।

১১. মনে করো, তোমার নাম সাকিব/সালমাতোমার বন্ধুর নাম অয়ন/আয়নাসম্প্রতি তুমি একটি স্থান থেকে বেড়িয়ে এসেছসেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তোমার বন্ধুকে একটি পত্র লেখো

মালিবাগ, ঢাকা।

প্রিয় অয়ন, ১৭/০২/২০১৬

শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ।

গত সপ্তাহে বাবা-মা’র সাথে সেন্টমার্টিন থেকে ঘুরে এসেছি। দারুন মজা হয়েছে। ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়ে প্রথমে গিয়েছি চট্টগ্রাম। সেখান থেকে বাসে করে টেকনাফ। তারপর জাহাজে সেন্টমার্টিন পৌঁছেছি। সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য বলে বোঝানোর মতো না। সাগরের স্বচ্ছ নীল পানি, রাতের আকাশে হাজার তারার মেলা, সৈকতে ঘুরে বেড়ানো নানা রঙের কাঁকড়া, সূর্যোদয়ের দৃশ্য ইত্যাদি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। অনেক রকমের সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিয়েছি। আর খেয়েছি সেন্টমার্টিনের সুমিষ্ট ডাবের পানি। সেন্টমার্টিনের অদূরেই আছে ছেঁড়াদ্বীপ। নৌকায় চড়ে সেখানেও গিয়েছি। সেন্টমার্টিনে আমরা দুই দিন ছিলাম। ফেরার পথে টেকনাফ এসে বাসে চড়ে সরাসরি ঢাকায় ফিরেছি। সব মিলিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের স্মৃতি ভোলার মতো নয়।

আজ বিদায় নিচ্ছি। তোমার ময়না পাখিটার কী খবর? ভালো থেকো।

ইতি

তোমার বন্ধু

সাকিব

[ঠিকানাসহ খাম হবে]

২.           মনে করো, তোমার নাম হাসনা/সেলিম। তোমার ছোট…..সম্পর্কে জানিয়ে তাকে একটি পত্র লেখো।

১২.           মনে করো, তোমার নাম হাসনা/সেলিমতোমার ছোট ভাইয়ের নাম আকাশস্বাধীনতা দিবস কীভাবে উদ্যাপন করেছ সে সম্পর্কে জানিয়ে তাকে একটি পত্র লেখো

সাভার, ঢাকা।

২৯/০৩/২০১৬

আদরের আকাশ,

কেমন আছ? বাড়ির সবাই ভালো তো? তোমার বিড়ালটা কত বড় হলো?

২৬ তারিখ ছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। নানা রকম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের সবাই মিলে এ দিবসটি উদ্যাপন করেছি। দিনটি উপলক্ষ্যে আমরা পুরো বিদ্যালয় কাগজের পতাকা দিয়ে সাজিয়েছিলাম। দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। সকাল বেলা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে আমরা ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। দুপুর থেকে বিদ্যালয়ে আরম্ভ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা আবৃত্তি, গান, নাচ, ছোট নাটিকা ইত্যাদি উপস্থাপন করে। আমিও একটি কবিতা আবৃত্তি করি। বিকেলে অডিটোরিয়ামের বড় পর্দায় দেখানো হয় ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রটি। দেখে খুব ভালো লাগল। সব মিলিয়ে খুব আনন্দময় একটি দিন কেটেছে।

আজ আর নয়, গরমের ছুটিতে বাড়ি আসছি।

ইতি

তোমার বড় বোন

হাসনা

                [ঠিকানাসহ খাম হবে]

১৩.          মনে করো, তোমার নাম মানিক। তোমার……..বর্ণনা দিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখো।

১৩.          মনে করো, তোমার নাম মানিকতোমার বন্ধুর নাম রিয়াজসম্প্রতি তোমার এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি সড়ক দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখো

                যাত্রাবাড়ি, ঢাকা

১৪ই মার্চ, ২০১৬

প্রিয় রিয়াজ,               

শুভেচ্ছা নিও। কেমন আছ? কয়েকদিন আগে আমার চোখের সামনে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে গেল। সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তোমাকে লিখছি।

তখন বিকেল প্রায় চারটা। স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছি। একটি অল্পবয়সী ছেলে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিল। কাছেই ফুট-ওভারব্রিজ থাকলেও ছেলেটি তা ব্যবহার করছিল না। হঠাৎ তাড়াহুড়ায় রাস্তা পার হওয়ার সময় উল্টোদিক থেকে একটি বাস এসে তাকে চাপা দিয়ে চলে গেল। ঘটনাস্থলেই ছেলেটির মৃত্যু হলো। রক্তে রাজপথ ভেসে যাচ্ছিল। ছেলেটিকে দেখে চেনার কোনো উপায় ছিল না। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে আমার মাথা ঘুরে গেল। দ্রুত বাড়ি ফিরে এলাম।

ভালো থেকো। রাস্তা পারাপারে সব সময় সাবধান থাকবে। চাচা-চাচিকে আমার সালাম জানিও।

                ইতি
                তোমার বন্ধু
                মানিক
[ঠিকানাসহ খাম হবে]

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *