নবম-দশম শ্রেনী-২০২৩ বাংলা ১ম পত্র পদ্যঃ অন্ধবধূ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

অন্ধবধূ

লেখক পরিচিতি :

নামযতীন্দ্রমোহন বাগচী
জন্ম পরিচয়জন্ম তারিখ: ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে ২৭শে নভেম্বর। জন্মস্থান: নদীয়া জেলার জামশেরপুর গ্রাম।
রচনার বৈশিষ্ট্যপল্লিপ্রীতি তাঁর কবি-মানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কবি জীবনানন্দ দাশের মতো তাঁর কাব্যবস্তুও নিসর্গ-সৌন্দর্যে চিত্ররূপময়। তাঁর ভাষা সহজ, সরল।
উলেস্নখযোগ্য কাব্যলেখা, রেখা, অপরাজিতা, নাগকেশর, বন্ধুর দান, জাগরণী, নীহারিকা, মহাভারতী।
মৃত্যু১৯৪৮ সালের ১লা ফেব্রম্নয়ারি ।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

 ১ নং.  মানুষের জীবন ণস্থায়ী। জীবনের এই স্বল্প সময়ের সমগ্র হিসাব চুকিয়ে, সব সম্পর্ক ছিন্ন করে পরপারে চলে যেতে হয়। গৃহবধূ সুদীপা মাঝে মাঝে দুঃখ করে বলেন, ‘সুন্দর এই পৃথিবী, ঝিঁ ঝিঁ ডাকা সন্ধ্যা, জ্যোৎ¯্না ভরা রাত সব ছেড়ে আমাদেরকে বিদায় নিতে হবে’।

ক.       ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় দীঘির ঘাটের সিঁড়িটি কেমন?   ১

খ.        ‘কোকিল ডাকা শুনেছি সেই কবে’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা প্রকৃতির কোন রূপের ইঙ্গিত পাওয়া যায়?   ২

গ.        উদ্দীপকের বক্তব্য ‘অন্ধবধূ’ কবিতার যে বিশেষ দিকটিকে আলোকপাত করেছে তা ব্যাখ্যা করো।            ৩

ঘ.        উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার সমগ্র ভাবের প্রতিফলন ঘটেনি- বিশেণ্ঢষণ করো।        ৪

এর নং প্র. উ.

            অন্ধবধূ কবিতায় দীঘির ঘাটের সিঁড়িটি শ্যাওলা-পিছল।

এর নং প্র. উ.

            ‘কোকিল ডাকা শুনেছি সেই কবে’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা প্রকৃতিতে বসন্ত ঋতুর বিদায় নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের অসাধারণ জগৎকে তুলে ধরা হয়েছে অন্ধবধূ কবিতায়। অন্ধবধূ তার অনুভূতিশক্তি দিয়েই প্রকৃতির বিচিত্র রং-রূপের বিষয়গুলো বুঝতে পারে। কোকিলের ডাকে ঋতু পরিবর্তনের বিষয়টি অনুভব করতে পারে।  কোকিল বসন্তকালে ডাকে। আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে অন্ধবধূ বোঝাতে চেয়েছে বসন্তকাল অনেক আগেই গত হয়েছে।

এর নং প্র. উ.

            উদ্দীপকে অন্ধবধূর মৃত্যুচিন্তার দিকটি আলোকপাত করা হয়েছে।
অন্ধবধূ তার অন্ধত্বের জন্য গভীর মর্মবেদনা অনুভব করে। দুঃখ-কষ্ট-অভিমানে সে অনেক কথাই মনে মনে ভাবে। দিঘির ঘাটে শ্যাওলা-পিছল সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে পানিতে তলিয়ে মরে যাওয়ার কথাও সে ভেবেছে। সে বলেছে, এতে তার অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে যাবে। প্রকৃতপড়্গে অন্ধবধূ আর দশটি মানুষের মতো করেই বাঁচতে চেয়েছিল। কিন্তু তার প্রতি মানুষের অবহেলা সে সহ্য করতে পারেনি। তাই সে ভেবেছে দিঘির জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হলে ভালোই হতো।
পৃথিবী নশ্বর ও জীবন ড়্গণস্থায়ী হলেও বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা মানুষের চিরন্তন। উদ্দীপকের গৃহবধূ সুদীপার মাঝে এমন অভিব্যক্তি আমরা লড়্গ করি। ঝিঁ ঝিঁ ডাকা সন্ধ্যা, জ্যোৎস্না ভরা রাত কার না ভালো লাগে। গৃহবধূ এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার কথায় বেদনা অনুভব করে। তাই অন্ধবধূর মৃত্যুচিন্তার সাথে উদ্দীপকের গৃহবধূর মৃত্যুচিন্তার দিকটি একই সূত্রে গাঁথা।

এর নং প্র. উ.

            ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন মানুষের মনোজাগতিক নানা বিষয় উঠে এলেও উদ্দীপকে তেমনটা হয় নি। উদ্দীপকটি তাই কবিতার সমগ্র ভাবের ধারক নয়।
কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী তাঁর ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় একজন অন্ধবধূর গভীর মর্ম যাতনার দিকটি উলেস্নখ করেছেন। অন্ধ হওয়ার কারণে সে প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে প্রবাসী স্বামীর অবহেলায় তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। তারপরও সে তার অনুভূতি দিয়ে ঋতুর পরিবর্তন, ফুলের গন্ধ, পাখির ডাকসহ প্রকৃতির সবকিছুই সে উপলব্ধি করতে চেষ্টা করেছে। তার প্রতি অবহেলা সে যেন সহ্য করতে পারছিল না। ড়্গােভে দুঃখে সে দিঘির জলে ডুবে মরতে চেয়েছে। দিঘির স্নিগ্ধ শীতল জলে সে তার মনের ব্যথা খানিকটা উপশম করতে চেষ্টা করেছে।
উদ্দীপকে ব্যক্ত হয়েছে মানুষের জীবনের চিরন্তন সত্য মৃত্যুরচিন্তা। এই পৃথিবীর সৌন্দর্য অসীম। এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে কারো মন চায় না পরপারে চলে যেতে। গৃহবধূ সুদীপার মধ্যেই সেই অনুভূতি কাজ করেছে। সে শান্ত স্নিগ্ধ ঝিঁ ঝিঁ ঢাকা সন্ধ্যা, জোৎস্না ভরা রাত এসব ছেড়ে চলে যেতে চায় না। গৃহবধূ সুদীপার মাঝে মায়া-মমতায় ভরা পৃথিবীর মাঝে বেঁচে থাকার চিরন্তন আবেগ কাজ করেছে।
আলোচ্য কবিতা ‘অন্ধবধূ’ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কবিতায় অন্ধবধূর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচিত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধু মৃত্যুচিন্তা ও পৃথিবী ছেড়ে না যাওয়ার আকুতি ব্যক্ত হয়েছে। কবিতার মতো প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের মর্মবেদনার স্বরূপ প্রকাশিত হয় নি উদ্দীপকে। সেদিক থেকে উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার সমগ্র ভাবের প্রতিফলন ঘটেনি বরং আংশিক ভাব প্রতিফলিত হয়েছে মাত্র।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

নং.  দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফুলবানুর ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া শিখে স্বনির্ভর হওয়ার। বাবার সহযোগিতায় সে ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখাপড়া শেখে পরবর্তীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিড়্গক হিসেবে নিযুক্ত হয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলেও অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মেনেছে অন্ধত্বের অভিশাপ।

ক.       সমাজ কাদের অবজ্ঞা করে?  ১

খ.        ‘দিঘীর ঘাটে নতুন সিঁড়ি জাগে’- কথাটি বুঝিয়ে বলো।     ২

গ.        উদ্দীপকের সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার কোন অংশটি সাদৃশ্যপূর্ণ- ব্যাখ্যা করো।     ৩

ঘ.        “উদ্দীপকের ফুলবানু এবং অন্ধবধূ চরিত্রের ভাব সম্পূর্ণ আলাদা”- মূল্যায়ন করো।           ৪

নং প্র. উ.

ক.       সমাজ দৃষ্টিহীনদের অবজ্ঞা করে।

খ.        অন্ধবধূ তার প্রখর অনুভূতিশক্তি দ্বারা দিঘির ঘাটে নতুন সিঁড়ি জাগার কথা বুঝেছে।
অন্ধবধূ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলেও সে একজন ইন্দ্রিয়সচেতন মানুষ। এই ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে সে প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছে। দিঘির ঘাটের শ্যাওলা পড়া সিঁড়ির অস্তিত্ব টের পেয়েছে। দিঘির পানি কমে গেছে। অনুভবে সে নতুন সিঁড়ি জাগার কথা বুঝেছে।

গ.        অন্ধত্বের প্রতিবন্ধকতা দূর করে জীবনকে উপভোগ করার আকাঙ্ক্ষার দিকটি উদ্দীপকের সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার সাদৃশ্য রচনা করেছে।
সমাজ দৃষ্টিহীনদের অবজ্ঞা করে। ফলে দৃষ্টিহীনেরা নিজেদের অসহায় ভাবে। কিন্তু ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে অন্ধদের এই প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব। ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী অন্ধবধূর জীবনকে উপভোগের এই আকাঙ্ক্ষার স্বরূপ বর্ণনা করেছেন। অন্ধবধূ নিজের ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করে। পায়ের তলায় নরম শিউলি ফুলের অস্তিত্ব, পাখির ডাকে ঋতু পরিবর্তনের অনুভূতি সবই সে নিজের চেষ্টায় বুঝতে পারে।
উদ্দীপকের ফুলবানুরও নিজের অন্ধত্বের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা প্রবল। সে দৃষ্টিহীন হলেও আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতো বেঁচে থাকার বাসনা মনের মধ্যে পোষণ করে। তার এই বাসনা ‘অন্ধবধূ’ কবিতার অন্ধবধূর আকাঙ্ক্ষার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। অন্ধবধূও ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে দৃষ্টিহীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে চায়।

ঘ.        উদ্দীপকের ফুলবানু অদম্য ইচ্ছায় প্রতিবন্ধকতা জয় করলেও ‘অন্ধবধূ’ কবিতার অন্ধবধূটি অসহায়ত্বের নিগড়ে বন্দি।
‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অসহায়ত্ব বোঝাতে চেয়েছেন। কবিতার ‘অন্ধবধূ’ সমাজে অবজ্ঞার শিকার হওয়ায় নিজেকে অসহায় মনে করে। অন্ধত্বের অভিশাপে সে হতাশা ব্যক্ত করে। এই হতাশা তাকে শেষ পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হয়। প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকে বধূটি সাšত্ম্বনা খুঁজে নিতে চায়।
উদ্দীপকের ফুলবানু দৃষ্টিহীন হলেও অন্ধত্বের অভিশাপকে জয় করেছে। ফলে তার ভেতর হতাশা নেই বরং অসহায়ত্বকে জয় করার গৌরব আছে। অবশ্য পরিবার তাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় অন্ধবধূ পরিবারের কাছে অসহায়ত্ব থেকে উত্তরণে কোনো সহযোগিতা পায়নি বরং অবহেলিত হয়েছে।
‘অন্ধবধূ’ কবিতায় অন্ধবধূটি পরিবারের মানুষের অবহেলার কারণে হতাশা প্রকাশ করেছে। কিন্তু উদ্দীপকে ফুলবানু পরিবারের সহায়তায় হতাশা থেকে মুক্তি পেয়েছে। ফলে উদ্দীপকের ফুলবানুর ড়্গেেত্র সফলতার আনন্দ থাকলেও অন্ধবধূর মাঝে রয়েছে অসহায়ত্বের বেদনা। তাদের দুজনের জীবনের অভিজ্ঞতার মাঝে ভিন্নতা লড়্গণীয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ফুলবানু এবং অন্ধবধূ চরিত্রের ভাব সম্পূর্ণ আলাদা।

নং.  নিশাতের সাথে ভালোবেসে বিয়ে হয় তৌহিদের। একদিন তৌহিদ স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে মারাত¥ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুজনে প্রাণে বেঁচে গেলেও নিশাত দুইটি পা হারিয়ে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়। তৌহিদ ও পরিবারের অন্য সদস্যরা নিশাতের দৈনন্দিন কাজে যত্ন নিতে থাকে। নিশাত এখন আর নিজেকে অসহায় ভাবে না।

ক.       পায়ের তলায় নরম কী ঠেকেছিল?     ১

খ.        বধূটির ঘরে ফিরে যাওয়ার তাড়া ছিল না কেন?          ২

গ.        উদ্দীপকে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার যে বিপরীত সত্তার পরিচয় পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা করো।     ৩

ঘ.        ‘অন্ধবধূর প্রবাসী স্বামী যদি তৌহিদের মতো হতো তবে অন্ধবধূকে এত বিড়ম্বনায় পড়তে হতো না।’-উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো।          ৪

নং প্র. উ.

ক.       পায়ের তলায় নরম ঝরা বকুল ঠেকেছিল।

খ.        ঘরের কোণে বসে থাকা ছাড়া আর কোনো কাজ ছিল না বলে অন্ধবধূর ঘরে ফিরে যাওয়ার তাড়া ছিল না।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় অন্ধবধূ স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বিচ্ছিন্ন। ঘরের কোণে তার একাকী সময় কাটতে চায় না। মনের ব্যথা ভুলতে প্রকৃতির সাথে যে মিশে যেতে চায়। দিঘির স্নিগ্ধ শীতল জলে  সে মায়ের ভালোবাসার পরশ খুঁজে পায়। অন্ধবধূ দিঘির শীতল জলের সাথে নিজের একাকিত্বের দুঃখ ভাগাভাগি করতে চায়। এজন্য অন্ধবধূ তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চায় না।

গ.        ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় প্রতিবন্ধিতার শিকার অন্ধবধূ নিজেকে অবহেলিত ভাবার দিক বিবেচনায় তার সাথে উদ্দীপকের নিশাতের বৈসাদৃশ্য লড়্গ করা যায়।
যতীন্দ্রমোহন বাগচী রচিত ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীর কথা তুলে ধরা হয়েছে। শারীরিক অড়্গমতার কারণে সে সবার কাছে অবহেলিত। নিজের স্বামীও তার প্রতি যথাযথ যত্ন নেয় না। এসব কারণে অন্ধবধূ নিজেকে ভাগ্যহীনা মনে করে। তার মনে হয় পুকুরে ডুবে মরলে অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে সে মুক্তি পেত।
উদ্দীপকের নিশাত মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পা দুটি হারায়। কিন্তু তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে অমর্যাদা করেনি। বরং সবার ভালোবাসা তাকে নতুনভাবে বাঁচার প্রেরণা জোগায়। নিশাতের মাঝে যে মানসিক শক্তির উদ্ভব হয়েছে, তা অন্ধবধূর ড়্গেেত্র পাওয়া যায় না।

ঘ.        অন্ধবধূর প্রবাসী স্বামী উদ্দীপকের নিশাতের স্বামী তৌহিদের মতো সহানুভূতিশীল হলে অন্ধবধূর জীবনটা অনেক সুন্দর হতো।
‘অন্ধবধূ’ কবিতায় যতীন্দ্রমোহন বাগচী একজন দৃষ্টিহীন নারীর দুর্ভাগ্যের কথা লিপিবদ্ধ করেছেন। দৃষ্টিহীন হলেও অন্ধবধূ তার ইন্দ্রিয়ের শক্তিতে প্রকৃতির নানা রূপ-রস-গন্ধ অনুভব করে। কিন্তু অন্ধবধূর মনে অনেক দুঃখ। প্রবাসী স্বামী তার খোঁজ রাখে না। অন্ধবধূ তাই নিজেকে বঞ্চিত মনে করে।
উদ্দীপকের নিশাতের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে। দুটি পা হারিয়ে সে পঙ্গু হয়ে যায়। তার এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ায় স্বামী তৌহিদ। তৌহিদের ভালোবাসায় তার দুঃখ দূর হয়ে যায়। অন্ধবধূর স্বামী উদ্দীপকের তৌহিদের মতো যত্নশীল হলে অন্ধবধূও দুঃখ ভুলে হাসতে পারত।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ভিতটি পারস্পরিক ভালোবাসা, মমতা ও যত্নে নির্মিত। উদ্দীপকের তৌহিদ ও নিশাতের মাঝে তার দেখা পাওয়া যায়। নিশাত ভালোবেসে বিয়ে করে তৌহিদকে। সড়ক দুর্ঘটনা নিশাতকে শারীরিক প্রতিবন্ধীতে পরিণত করলেও নিশাতের প্রতি তৌহিদের ভালোবাসা কমে যায়নি। বরং তৌহিদের ভালোবাসাই নিশাতকে কষ্ট ভুলে বাঁচতে শিখিয়েছে। অন্যদিকে অন্ধবধূর স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি সহমর্মী নয়। প্রবাসে গিয়ে দীর্ঘদিন সে স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকে। ফলে অন্ধবধূ নিজেকে খুব অসহায় মনে করে। স্বামীর এই অবজ্ঞার চেয়ে মৃত্যুকেই সে শ্রেয় মনে করে। উদ্দীপকের তৌহিদের মতো অন্ধবধূর স্বামী তাকে মমতা ও মর্যাদা দিলে অন্ধবধূর মনে কোনো বেদনা থাকত না।

  নং.  চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন
            ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?
            কি যাতনা  বিষে বুঝিবে সে কিসে
            কভু আশী বিষে দংশেনি যারে?

ক.       অন্ধবধূ কাকে আস্তেচলতে বলে?      ১

খ.        অন্ধবধূ কীভাবে বুঝতে পারে পায়ের তলায় ঝরা বকুল পড়েছে?      ২

গ.        ‘অন্ধবধূ’ কবিতার অন্ধবধূর মানসিক যাতনার আলোকে উদ্দীপকটি ভাবটি ব্যাখ্যা করো।         ৩

ঘ.        উদ্দীপকটির ‘অন্ধবধূ’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্রÑ বিশেস্নষণ করো।      ৪

নং প্র. উ.

ক.       অন্ধবধূ তার ঠাকুরঝিকে আস্তেচলতে বলে।

খ.        অন্ধবধূ তার অনুভূতিশক্তির দ্বারা বুঝতে পারে পায়ের তলায় ঝরা-বকুল পড়েছে।
দৃষ্টিহীনদের অনুভূতিশক্তি হয় প্রখর। তারা জগতের সকল কিছু তাদের অনুভবে বুঝতে চেষ্টা করে। অন্তর্দৃষ্টিকে প্রসারিত করে বিভিন্ন বস্তুর সম্পর্কে দৃষ্টিহীনরা জ্ঞান রাখে। অন্ধবধূ তার অনুভবে জগতের রূপ-রস-গন্ধ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে। এর মাধ্যমেই সে পায়ের তলায় ঝরা-বকুলের উপস্থিতি টের পায়।

গ.        উদ্দীপকের ব্যথিতের বেদন কেউ যেমন কেউ বুঝতে পারে না তেমনি ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় বর্ণিত বধূর মানসিক যাতনাও কেউ বুঝতে পারেনি।
‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী এক দৃষ্টিহীন নারীর গভীর মর্মবেদনার দিকটি তুলে ধরেছেন। অন্ধবধূ দৃষ্টিহীন হওয়ার কারণে সুন্দর প্রকৃতিকে দেখতে পায় না। দিন কাটে ঘরের কোণে বসে। অন্ধবধূ তাই তার মনের খেদোক্তি ব্যক্ত করেছে। পা-পিছলে যদি দিঘির জলে ডুবে যায় তবে যেন অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে যায়। তার দুখের আলাপন শোনার যেন কেউ নেই। অন্ধবধূর ব্যথা যেন কেউ বোঝে না।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, একজন সুখী মানুষ কখনও ব্যথিতের বেদন বা কষ্ট বুঝতে পারে না। অথবা যাকে কোনো দিন সাপে দংশন করেনি সেও দংশনের জ্বালা বুঝতে পারবে না। আলোচ্য অন্ধবধূর বিষয়টাও অনুরূপ। যার চোখ নেই তার কষ্ট ও দুঃখ দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা বুঝতে পারে না।
ঘ.        ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় অন্ধবধূর মানসিক যাতনাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হলেও উদ্দীপকে কেবল মানসিক যাতনার দিকটি আলোচিত হয়েছে। উদ্দীপকটি তাই কবিতার খণ্ডাংশের ধারক।
‘অন্ধবধূ’ কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর এক অনবদ্য কবিতা। কবিতায় তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক গৃহবধূর গভীর মর্মবেদনা নিপুণভাবে অংকন করেছেন। অন্ধবধূর স্মৃতিশক্তি ও অনুভূতি অত্যন্ত প্রখর। যা দিয়ে সে তার আশপাশের পরিবেশকে বুঝতে পারে। এই অসহায় নারীর স্বামী থাকে প্রবাসে। তার মনের যন্ত্রণাকে ভাগাভাগি করারও উপায় ছিল না। তাই মনঃকষ্টে সে দিঘির জলে ডুবে গিয়ে সকল যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে চেয়েছে। আবার দীঘির স্নিগ্ধ জলের পরশে সে দেহ ও মনকে জুড়াতে চেয়েছে।
আলোচ্য উদ্দীপকের বক্তব্য কালজয়ী। সব যুগ সব সময়ের জন্য তা সত্য। পৃথিবীতে মানুষ তার কষ্ট একাই বহন করে। একজনের কষ্ট কখনই আরেকজন তার মতো করে বুঝতে পারে না। যাকে কোনো দিন সাপে দংশন করেনি এর তীব্র যাতনা সে কখনোই বুঝতে পারে না। একজন সুখী মানুষও দুঃখী মানুষের কষ্ট বুঝতে পারে না। ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় এ বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি অন্ধবধূর মানসিকতার নানা দিক উঠে এসেছে।
‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কবি অন্ধবধূর বিষয়টি বর্ণনা করতে গিয়ে নানা বিষয়ের অবতারণা করেছেন। দৃষ্টিশক্তি না থাকলেও অন্ধবধূর অন্তর্দৃষ্টি প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ এড়ায়নি। জীবন সম্পর্কে প্রতিবন্ধী মানুষের গভীর দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায় কবিতায়। কিন্তু উদ্দীপকে কেবল একটি বিষয় তথা মানসিক যাতনার দিকটি ফুটে উঠেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘অন্ধবধূ’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র।

  নং. “ও যার চোখ নাই
            তার চোখের জলের
            কীই বা আছে দাম”
ক.       অন্ধবধূ কোথায় বসে মধুমদির গন্ধে আচ্ছন্ন হয়?      ১

খ.        অন্ধবধূ অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে যাওয়ার কথা বলেছে কেন? ২

গ.        উদ্দীপকটি ‘অন্ধবধূ’ কবিতাতে অন্ধবধূর হৃদয়ের প্রতিধ্বনি যেভাবে পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা করো।            ৩

ঘ.        উদ্দীপকটি ‘অন্ধবধূ’ কবিতার পূর্ণ প্রতিফলন কি? বিশেস্নষণী মতামত দাও।       ৪

নং প্র. উ.

ক.       অন্ধবধূ দোরের পাশে বসে মধুমদির গন্ধে আচ্ছন্ন হয়।

খ.        অন্ধবধূ অসহায়ভাবে জীবনযাপন করার চেয়ে মরে গেলে অন্ধত্বের অভিশাপ ঘুচবে মনে করে অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে যাক বলেছে।
অন্ধত্বের কারণে অন্ধবধূ সবার কাছে অবহেলিত। তাই সে নিজেকে পরিবারের জন্য বোঝা ভাবতে থাকে। তাই মরে গেলে এই অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলত বলে মনে করে। এজন্য অন্ধবধূ অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে যাওয়ার কথা বলেছে।

গ.        উদ্দীপকটিতে ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় বর্ণিত অন্ধবধূর হৃদয়ের করুণ অভিব্যক্তিই প্রকাশিত হয়েছে।
‘অন্ধবধূ’ কবিতাটিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী একজন নারীর হৃদয়ের হাহাকার প্রকাশিত হয়েছে। অন্ধ হওয়ার কারণে সে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না। আত¥মর্যাদাসম্পন্ন অন্ধবধূ অন্ধত্বের কষ্ট গভীরভাবে অনুভব করে। দিঘির জলে ডুবে মরলে তার অন্ধত্ব চিরতরে ঘুচে যেত এমন খেদোক্তিও ব্যক্ত করে সে। জীবনের প্রতি গভীর মমত্ববোধ থাকা সত্ত্বেও সে প্রেম-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত। প্রবাসী স্বামীর প্রতি তাই তার অনেক অভিমান।
উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে মানবজীবনের এক করুণ অভিব্যক্তি। সমাজে অন্ধ ব্যক্তি অনেকটাই অবহেলা ও করুণার পাত্র হয়ে থাকে। অন্ধ মানুষও যে সাধারণ মানুষের মতো স্নেহ ভালোবাসা মায়া মমতা পাওয়ার অধিকারী সেটি আমরা ভেবে দেখি না। তারও যে বেদনা আছে দুঃখবোধ আছে সেটিও বিবেচনা করি না। আর সে কারণেই বলা হয়ে থাকে তার চোখের জলের কোনো মূল্য নেই। ঠিক একইভাবে কবিতায় উলেস্নখ রয়েছে “চক্ষুহীনার কী কথা কার কাছে”। কাজে কাজেই উদ্দীপকের বক্তব্য অন্ধবধূ কবিতার অন্ধবধূর হৃদয়ের যথার্থ প্রতিধ্বনি।
ঘ.        ‘অন্ধবধূ’ কবিতার মূল প্রতিপাদ্য হলো দৃষ্টিহীনদের সহানুভূতি জানানো। সেই বিষয় বিবেচনায় উদ্দীপকটি ‘অন্ধবধূ’ কবিতার পূর্ণ প্রতিফলন।
‘অন্ধবধূ’ কবিতার অন্ধবধূ রক্তে-মাংসে গড়া একজন মানুষ। পৃথিবীর সৌন্দর্য দুচোখ মেলে তারও তাকিয়ে দেখার কথা ছিল। তারও ভালোবাসা স্নেহ পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস সে এসবের কিছুই পায়নি। পৃথিবীটা তার কাছে শুধুই কেবলই নিকষ কালো অন্ধকার। তার মনের দুঃখ বোঝে না কেউ। অন্ধবধূ তাই দিঘির জলে ডুবে মরার কথা বলেছে। অন্ধবধূ যদিও তার তীক্ষ্ণ অনুভূতি ও ইন্দ্রিয় দিয়ে সব কিছু জয় করার চেষ্টা করেছে তবু তার হৃদয়ে ড়্গণে ড়্গণে বেজে উঠেছে বেদনার সুর।
আলোচ্য উদ্দীপকটি সংড়্গপ্তি হলেও এর মধ্য দিয়ে বঞ্চিত মানবহৃদয়ের করুণ অভিব্যক্তি বর্ণিত হয়েছে। মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে তার দুটি চোখ। এই চোখ দিয়ে সে পৃথিবীকে অবলোকন করে। প্রিয়জনকে দেখে আনন্দে উদ্বেলিত হয়। পৃথিবীর রূপ-সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়। অথচ দুটো চোখই যার অন্ধ তার কাছে পুরো পৃথিবীটা ধূসর, বিবর্ণ। অন্ধ মানুষের এই দুঃখ কেউই যেন বুঝতে পারে না।
উদ্দীপক ও ‘অন্ধবধূ’ কবিতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় উভয়টিতে রয়েছে যেন বিন্দুর মাঝে সিন্ধুর গভীরতা। সমাজে দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষের আবেগ অনুভূতির কোনো মূল্য নেই। এই নিয়ে তাদের মন যন্ত্রণায় পোড়ে। ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় বর্ণিত বধূটিও একা একা সব কষ্ট সহ্য করে। স্বামীর দীর্ঘদিন প্রবাস যাপন তার বেদনাকে বাড়িয়ে তোলে। জীবনটা তাই তার কাছে অর্থহীন। সংবেদনশীল কবি হয়তো অন্ধবধূর মর্মবেদনা অনেকটাই বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তাঁর কবিতা আমাদের কাছে হয়ে উঠেছে বাস্তব ও জীবনধর্মী। উদ্দীপকেও একইভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের হৃদয়ের যাতনা উপস্থাপিত হয়েছে।

অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর

১.         ‘অন্ধবন্ধূ’ কবিতাটির রচয়িতা কে?
            উত্তর : ‘অন্ধবধূ’ কবিতাটির রচয়িতা যতীন্দ্রমোহন বাগচী।
২.        যতীন্দ্রমোহন বাগচী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
            উত্তর : যতীন্দ্রমোহন বাগচী ১৮৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
৩.        যতীন্দ্রমোহন বাগচী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
            উত্তর : যতীন্দ্রমোহন বাগচী নদীয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
৪.        যতীন্দ্রমোহন বাগচী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
            উত্তর : যতীন্দ্রমোহন বাগচী ১৯৪৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৫.        ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় দিঘির ঘাটে কী জাগে?
            উত্তর : ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় দিঘির ঘাটে নতুন সিঁড়ি জাগে।
৬.        কে চেঁচিয়ে সারা হলো?
            উত্তর : ‘চোখ গেল’ পাখি চেঁচিয়ে সারা হলো।
৭.        ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কার অনুভূতিশক্তি প্রখর?
            উত্তর : ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় অন্ধবধূর অনুভূতিশক্তি প্রখর।
৮.        দৃষ্টিহীনদের কী দিয়ে প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব?
            উত্তর : দৃষ্টিহীনদের ড়্গেেত্র ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব।
৯.        অন্ধবধূ কাকে আমের গায়ে বরণ দেখার কথা জিজ্ঞেস করে?
            উত্তর : অন্ধবধূ তার ননদকে আমের গায়ে বরণ দেখার কথা জিজ্ঞেস করে।
১০.      অন্ধবধূ অনেক দিন আগে কিসের ডাক শুনেছে?
            উত্তর : অন্ধবধূ অনেক দিন আগে কোকিলের ডাক শুনেছে।
১১.       ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কে নৈরাশ্যবাদী মানুষ নয়?
            উত্তর : ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় অন্ধবধূ নৈরাশ্যবাদী মানুষ নয়।
১২.      অন্ধবধূ কিসের গায়ে বরণ দেখার কথা বলেছে?
            উত্তর : অন্ধবধূ আমের গায়ে বরণ দেখার কথা বলেছে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

১.         অন্ধবধূর আকাশ-পাতাল মনে হয় কেন?
            উত্তর : রাতে ফুলের মোহময় সুগন্ধে অন্ধবধূর আকাশ-পাতাল মনে হয়।
অন্ধবধূ একজন অনুভবঋদ্ধ মানুষ। সে অন্ধ হলেও অনুভবে প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয় উপলব্ধি করতে পারে। সেই উপলব্ধিতে তার মনে নানা প্রশ্ন, নানা শঙ্কা জাগে। আবেগ-অনুভূতি সবই তার অনুভবের জগৎকে ঘিরে। তার এই চিন্তার জগতে নতুন উদ্দীপনা জাগায় ফুলের মধুমদির সুগন্ধ। এই গন্ধেই তার আকাশ-পাতাল মনে হয়।

২.        “দেখবি তখন- প্রবাস কেমন লাগে?”- অন্ধবধূ একথা বলেছে কেন?
            উত্তর : স্বামীর প্রতি অভিমানে অন্ধবধূ আলোচ্য কথাটি বলেছে।
অন্ধবধূর স্বামী প্রবাসী। অন্ধবধূ তার জন্য দিনের পর দিন প্রতীড়্গায় থাকে। সে কোকিলের ডাক শুনে, দিঘির ঘাটের নতুন সিঁড়ির অনুভবে ঋতু বদল বুঝতে পারে। এভাবে ঋতুর পর ঋতু চলে গেলেও প্রবাসী স্বামী অন্ধবধূর সান্নিধ্যে আসেনি। বধূটি ভাবে সে মারা গেলে স্বামী নিশ্চয়ই দ্রম্নত ঘরে নতুন বউ আনবে। তখন প্রবাসের জীবন তার আর ভালো লাগবে না।

৩.        অন্ধবধূ কীভাবে ঋতুর বিবর্তন জেনে নিতে চায়?
            উত্তর : অন্ধবধূ তার ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে ঋতুর বিবর্তন জেনে নিতে চায়।
অন্ধবধূ একজন ইন্দ্রিয়সচেতন মানুষ। সে অনুভবে জগতের রূপ-রস-গন্ধ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে। তার সেই জ্ঞানের আলোকে কোকিলের ডাক শুনে সে বসšেত্মর আগমন বোঝে, দিঘির ঘাটে নতুন সিঁড়ি জাগায় গ্রীষ্মের আগমন বোঝে। এভাবেই গভীর ইন্দ্রিয়সচেতনতা ও জ্ঞান দিয়ে অন্ধবধূ ঋতুর বিবর্তন বুঝে নিতে চায়।

৪.        দৃষ্টিহীনদের প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব কীভাবে? বুঝিয়ে লেখো।
            উত্তর : ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে দৃষ্টিহীনদের প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব।
দৃষ্টিহীনেরা নিজেদের অসহায় মনে করে। কিন্তু নিজেদের অসহায় মনে না করে নিজের অন্তর্দৃষ্টিকে প্রসারিত করলে দৃষ্টিহীন হলেও প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয় অনুভব করা যায়। প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকে জগতের রূপ-রস-গন্ধ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। আর এভাবে দৃষ্টিহীনেরা ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে নিজেদের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারে।

৫.        অন্ধবধূ দিঘির জলে তলিয়ে গেলে মন্দ হতো না বলে কেন?
            উত্তর : অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য অন্ধবধূ দিঘির জলে তলিয়ে গেলে মন্দ হতো না বলে।
অন্ধবধূ অন্ধত্বের কষ্ট গভীরভাবে অনুধাবন করে। সবাই অবজ্ঞা করে বলে নিজেকে সে বড় অসহায় মনে করে। তাই অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি খুঁজে পেতে চায়। পা পিছলিয়ে দিঘির জলে তলিয়ে গেলে মন্দ হতো না বলে সে মনে করে।

৬.        “বাঁচবি তোরা-দাদা তো তোর আগে?” অন্ধবধূ এ কথা বলেছে কেন?
            উত্তর : অন্ধবধূ নিজেকে অসহায় এবং পরিবারের বোঝা মনে করে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছে।
অন্ধবধূ তার পরিবারে নিগৃহীত। স্বামীর কাছ থেকে পায় অবজ্ঞা। অন্ধবধূ তাই অন্ধত্বকে নিজের অভিশাপ মনে করে। মনে করে অন্ধত্বের কারণে সে পরিবারের বোঝা। এই কারণে মরে গিয়ে অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে পরিবারকে মুক্তি দিতে চায়। আর এজন্যই সে ঠাকুরঝিকে বলে, “বাঁচবি তোরাÑ দাদা তো তোর আগে?”

অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি

১.         ‘অন্ধবধূ’ কবিতাটির রচয়িতা কে?  গ

            ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর    খ. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

            গ. যতীন্দ্রমোহন বাগচী           ঘ. গ সীমউদ্দীন

২.        যতীন্দ্রমোহন বাগচী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?     ঘ

            ক. ১৮৭৫ সালে          খ. ১৮৭৬ সালে

            গ. ১৮৭৭ সালে           ঘ. ১৮৭৮ সালে

৩.        যতীন্দ্রমোহন বাগচীর জন্মস্থান কোনটি?       ঘ

            ক. হুগলি         খ. মেদিনীপুর

            গ. পাবনা        ঘ. নদীয়া

৪.        যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কবিমানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?         

            ক. মানবপ্রেম

            খ. পল্লি প্রীতি

            গ. বাংলার প্রতি ভালোবাসা

            ঘ. কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম

৫.        যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কাব্যবস্তু কিসে চিত্ররূপময়?   খ

            ক. মানবতার জয়গানে           খ. নিসর্গ-সৌন্দর্যে

            গ. সংগ্রামী চেতনায়    ঘ. অধিকার সচেতনতায়

৬.        যতীন্দ্রমোহন বাগচী তার কবিতায় কী উন্মোচনে প্রয়াসী হয়েছেন?  

            ক. কুসংস্কারের নাগপাশ        খ. মানবতার বিমূর্ত রূপ

            গ. গ্রামবাংলার শ্যামল রূপ     ঘ. সমাজ বাস্তবতার চিত্র

৭.        কোনটি যতীন্দ্রমোহন বাগচী রচিত কাব্যগ্রন্থ?          

            ক. নাগকেশর খ. চিত্রা

            গ. অগ্নিবীণা    ঘ. রাখালী

৮.        যতীন্দ্রমোহন বাগচী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?      খ

            ক. ১৯৪৭ সালে           খ. ১৯৪৮ সালে

            গ. ১৯৪৯ সালে           ঘ. ১৯৫০ সালে

৯.        অন্ধবধূর পায়ের তলায় নরম কী ঠেকে?        খ

            ক. শিউলি ফুল            খ. বকুল ফুল

            গ. তুলা            ঘ. দূর্বাঘাস

১০.      অন্ধবধূ কার সাথে পুকুর ঘাটে গিয়েছে?        খ

            ক. শাশুড়ির সাথে       খ. ননদের সাথে

            গ. বোনের সাথে          ঘ. মায়ের সাথে

১১.       অন্ধবধূ কাকে আস্তেচলতে বলে?      খ

            ক. শাশুড়িকে খ. ননদকে

            গ. মাকে          ঘ. বোনকে

১২.      অন্ধবধূ কখন মধুমদির গন্ধ পায়?     

            ক. সকালে      খ. দুপুরে

            গ. বিকালে      ঘ. রাতে

১৩.      অন্ধবধূ ঠাকুরঝির কাছে কোন মাস আসার কথা জিজ্ঞেস করে?     খ

            ক. বৈশাখ মাস           খ. জ্যৈষ্ঠ মাস

            গ. আষাঢ় মাস ঘ. শ্রাবণ মাস

১৪.      অন্ধবধূর আকাশ-পাতাল মনে হয় কেন?      গ

            ক. চোখ গেল’র ডাক শুনে খ. আমের বরণ দেখে

            গ. মধুমদির বাসে       ঘ. কোকিলের ডাক শুনে

১৫.      অন্ধবধূ ঠাকুরঝির কাছে জ্যৈষ্ঠ আসতে কত দিন দেরি বলে জানতে পারে? ঘ

            ক. ১-২ দিন    খ. ৭ দিন

            গ. ১৫ দিন       ঘ. অনেক দেরি

১৬.      অন্ধবধূ অনেক দিন আগে কিসের ডাক শুনেছে?    ক

            ক. কোকিলের ডাক    খ. টিয়ার ডাক

            গ. বুলবুলির ডাক        ঘ. হুতোম পেঁচার ডাক

১৭.      অন্ধবধূ ঠাকুরঝিকে কোন হাওয়া বন্ধ হওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করে?  ঘ

            ক. পুবের হাওয়া          খ. পশ্চিমের হাওয়া

            গ. উত্তরের হাওয়া       ঘ. দখিনা হাওয়া

১৮.      ‘অন্ধবন্ধূ’ কবিতায় কোথায় নতুন সিঁড়ি জাগে?    ক

            ক. দিঘির ঘাটে            খ. নদীর ঘাটে

            গ. চেয়ারম্যান বাড়ির ঘাটে     ঘ. মাতবরের পুকুর ঘাটে

১৯.      অন্ধবধূর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে কেন? ক

            ক. ঘাটের সিঁড়িতে শ্যাওলা থাকায়

            খ. আত¥হত্যা করার ইচ্ছা থাকায়

            গ. সাঁতার না জানার কারণে

            ঘ. পানিতে কুমির থাকায়

২০.      কী ঘটলে অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে যায় বলে অন্ধবধূ মনে করে?        ক

            ক. পা পিছলিয়ে পানিতে তলিয়ে গেলে

            খ. সাপের কামড়ে মরে গেলে

            গ. দেশ ছেড়ে নিরুদ্দেশ হলে

            ঘ. প্রবাসী স্বামী আর না ফিরলে

২১.      ‘দেখবি তখন- প্রবাস কেমন লাগে?’- অন্ধবধূ এ কথা বলেছে কেন?          গ

            ক. ঠাকুরঝির প্রতি রাগে         খ. অন্ধ হওয়ার বেদনায়

            গ. স্বামীর প্রতি অভিমানে       ঘ. শাশুড়ির প্রতি রাগে

২২.     কোন পাখি চেঁচিয়ে সারা হলো?         গ

            ক. কোকিল     খ. হুতোম পেঁচা

            গ. চোখ গেল   ঘ. শালিক

২৩.     অন্ধবধূ কী করলে তার শোক একটু কমত?   খ

            ক. দিঘির ঘাটে বসে থাকলে   খ. কাঁদতে পারলে

            গ. মন খুলে হাসতে পারলে    ঘ. স্বামীর চিঠি পেলে

২৪.      ‘টানিস কেন?’Ñ ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কথাটি কে বলেছে?   ক

            ক. অন্ধবধূ      খ. ঠাকুরঝি

            গ. শাশুড়ি       ঘ. বোন

২৫.     ঠাকুরঝি অন্ধবধূকে টানছিল কেন?   খ

            ক. দিঘির ঘাটে যাওয়ার জন্য

            খ. বাড়ি যাওয়ার জন্য

            গ. বকুল ফুল কুড়াতে যাওয়ার জন্য

            ঘ. আম কুড়াতে যাওয়ার জন্য

২৬.     অন্ধবধূর কাছে কিসের পরশ মায়ের স্নেহের মতো মনে হয়?            ক

            ক. দিঘির স্নিগ্ধ শীতল জলের

            খ. ঘ রা-বকুল ফুলের

            গ. নতুন সিঁড়ির শ্যাওলার

            ঘ. আমের সুমধুর গন্ধের

২৭.      কোনটি অন্ধবধূর মনের ব্যথা ভোলায়?          ঘ

            ক. দখিনা বাতাস         খ. কোকিলের ডাক

            গ. চোখ গেল পাখির সুর

            ঘ. দিঘির জলের শীতল পরশ

২৮.     ‘ঠাকুরঝি’ অর্থ কী? খ

            ক. ভাসুরের মেয়ে       খ. ননদ

            গ. ভাবি           ঘ. বোন

২৯.     ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কার অনুভূতিশক্তি প্রখর?         খ

            ক. ঠাকুরঝির  খ. অন্ধবধূর

            গ. কোকিলের ঘ. অন্ধবধূর স্বামীর

৩০.     কে অন্ধত্বের কষ্ট গভীরভাবে অনুভব করে?  খ

            ক. ঠাকুরঝি     খ. অন্ধবধূ

            গ. অন্ধবধূর স্বামী        ঘ. অন্ধ বধূর শাশুড়ি

৩১.      অন্ধবধূ কোথায় ডুবে মরার আশঙ্কা করে?     খ

            ক. নদীতে       খ. দিঘির জলে

            গ. পদ্মা নদীতে           ঘ. যমুনা নদীতে

৩২.     ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কে নৈরাশ্যবাদী মানুষ নয়?      ক

            ক. অন্ধবধূ      খ. ঠাকুরঝি

            গ. অন্ধবধূর স্বামী        ঘ. অন্ধবধূর শাশুড়ি

৩৩.     কান্নার মধ্য দিয়ে কিসের লাঘব ঘটে? খ

            ক. সুখের        খ. শোকের

            গ. সহযোগিতা করে    ঘ. আকাঙ্ক্ষার

৩৪.     সমাজ দৃষ্টিহীনদের কী করে? খ

            ক. পুরস্কৃত করে         খ. অবজ্ঞা করে

            গ. সহযোগিতা করে    ঘ. বিতাড়িত করে

৩৫.     দৃষ্টিহীনেরা নিজেদের কী ভাবে?         গ

            ক. বীর খ. সাহসী

            গ. অসহায়      ঘ. উপকারী

৩৬.     অন্ধবধূ কোকিলের ডাক শুনে কী অনুভব করেছিল?           ঘ

            ক. গ্রীষ্মের আগমন     খ. বর্ষার আগমন

            গ. শীতের আগমন      ঘ. বসšেত্মর আগমন

৩৭.     দৃষ্টিহীনদের কোনটি করা প্রয়োজন?  গ

            ক. মানুষকে এড়িয়ে চলা        খ. সমাজকে ঘৃণা করা

            গ. অন্তর্দৃষ্টিকে প্রসারিত করা  ঘ. নিজেদের গৃহবন্দি রাখা

৩৮.     অন্ধবধূ জগতের রূপ-রস-গন্ধ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে কীভাবে?         খ

            ক. ঠাকুরঝির কাছে শুনে       খ. অনুভূতি শক্তির দ্বারা

            গ. শাশুড়ির কাছে জিজ্ঞেস করে

            ঘ. অভিজ্ঞতার মাধ্যমে

৩৯.     দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুভা ঠাণ্ডা হাওয়ার স্পর্শে বুঝতে পারে বৃষ্টি হবে। সুভার সাথে ‘অন্ধবধূর’ কবিতার  কার মিল রয়েছে?   খ

            ক. ঠাকুরঝির  খ. অন্ধবধূর

            গ. অন্ধবধূর স্বামীর     ঘ. শাশুড়ির

৪০.      অন্ধবধূ ঠাকুরঝিকে আস্তেচলতে বলে কেন? খ

            ক. সে অসুস্থ ছিল বলে

            খ. পায়ের তলার বস্তুকে অনুভবে বুঝতে

            গ. অন্ধ হওয়ায় জোরে হাঁটতে পারছিল না

            ঘ. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুভব করতে করতে যাচ্ছিল বলে

৪১.      অন্ধবধূ আমের গায়ে বরণ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছে?      খ

            ক. আমের ড়্গত         খ. আমের রং

            গ. আমের মুকুল         ঘ. আমের পাতা

৪২.     দিঘির ঘাটে অন্ধবধূর কিসের শঙ্কা লাগে?      খ

            ক. স্বামী হারানোর

            খ. পানিতে তলিয়ে যাওয়ার

            গ. স্বামী না ফেরার

            ঘ. পঙ্গু হওয়ার

৪৩.     ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় দীঘির ঘাটে নতুন সিঁড়ি জাগার কারণ কী?       খ

            ক. দিঘির জল সেঁচে ফেলা

            খ. ঋতুর পরিবর্তন হওয়া

            গ. বৃষ্টি না হওয়া

            ঘ. সিঁড়ি নির্মাণ করা

৪৪.      ‘এই আষাঢ়েই আবার বিয়ে হবে’Ñ অন্ধবধূ এ কথা বলেছে কেন?  ঘ

            ক. রাগে          খ. শঙ্কায়

            গ. ভয়ে           ঘ. অভিমানে

৪৫.     ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় ‘চোখ গেল’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?     ক

            ক. পাখিবিশেষ            খ. চোখ নষ্ট হওয়া

            গ. চোখের যন্ত্রণা         ঘ. কান্নার ইচ্ছা

৪৬.     “কী করবে ভাই তারা” অন্ধবধূ কাদের কথা বলেছে? গ

            ক. প্রবাসীদের খ. প্রতিবেশীদের

            গ. যাদের চোখ নেই তাদের

            ঘ. শ্বশুরবাড়ির লোকদের

৪৭.      পা পিছলিয়ে তলিয়ে গেলে অন্ধবধূ কী চুকে যাওয়ার কথা বলেছে?  খ

            ক. স্বামীর সাথে দ্বন্দ্ব   খ. অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব

            গ. ননদের সাথে ঝামেলা

            ঘ. শ্বশুরবাড়ির সাথে সম্পর্ক

৪৮.     ‘টানিস কেন?’ কথাটিতে অন্ধবধূর কী প্রকাশ পেয়েছে?      গ

            ক. রাগ            খ. অভিমান

            গ. বিরক্তি        ঘ. দুঃখ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক

৪৯.      অন্ধবধূ ঠাকুরঝিকে আস্তেচলতে বলেছে-

            র.        পায়ের নিচের বস্তু অনুধাবনের জন্য

            রর.      অনুভূতিশক্তি দিয়ে ঝরা ফুল চেনার জন্য

            ররর.   অন্ধত্বের কারণে দ্রম্নত হেঁটে যেতে না পারার জন্য

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫০.     অন্ধবধূর আকাশ-পাতাল মনে হয়-

            র.        নানান ভাবনা-অনুভাবনায়    রর.      মধুমদির সুবাস পেয়ে

            ররর.   প্রবাসী স্বামীর কথা মনে পড়ে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫১.      দিঘির ঘাটে নতুন সিঁড়ি জেগেছে-

            র.        দিঘির পানি কমে যাওয়ায়

            রর.      নতুন সিঁড়ি নির্মাণ করায়

            ররর.   ঋতুর পরিবর্তনের কারণে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫২.     অন্ধবধূর মনে শঙ্কা জেগেছে-

            র.        স্বামীকে হারানোর

            রর.      দিঘির সিঁড়ি পিছল হওয়ায়

            ররর.   দিঘির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৩.     অন্ধবধূ মনে করে দিঘির জলে তলিয়ে গেলে-

            র.        অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে যাবে

            রর.      স্বামী আবারো বিয়ে করবে

            ররর.   স্বামীর মনের আশা পূরণ হবে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৪.     ‘অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে যায়’Ñ অন্ধবধূ কথাটি বলেছে-

            র.        অসহায় হয়ে   রর.      বিরক্তির কারণে

            ররর.   অভিমান করে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৫.     অন্ধবধূ তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চায় না-

            র.        শাশুড়ির অত্যাচারের কারণে

            রর.      প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার জন্য

            ররর.   মনের ব্যথা কমানোর জন্য

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৬.     দিঘির স্নিগ্ধ শীতল জলে অন্ধবধূর মনে হয়-

            র.        মায়ের স্নেহের পরশ লাভ হয়

            রর.      মনের ব্যথা কিছুটা উপশম হয়

            ররর.   ডুবে মরলে ভালো হয়

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৭.     অন্ধবধূ প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ সম্পর্কে ধারণা রাখে-

            র.        তার ননদের কাছে শুনে

            রর.      তার ইন্দ্রিয় সচেতনতা দিয়ে

            ররর.   তার প্রখর অনুভূতিশক্তি দিয়ে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৮.     অন্ধবধূ গভীরভাবে অনুভব করে-

            র.        তার অন্ধত্বের কষ্ট

            রর.      দিঘির শীতল জলের পরশ

            ররর.   স্বামী প্রবাসে থাকার বেদনা

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ঘ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৯.     ‘অন্ধবধূ’ কবিতাটির চেতনা থেকে বোঝা যায়-

            র.        অন্ধবধূ নৈরাশ্যবাদী মানুষ নয়

            রর.      অন্ধবধূ অনুভবঋদ্ধ মানুষ

            ররর.   অন্ধবধূ হতাশাগ্রস্ত মানুষ

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬০.     ‘অন্ধবধূ’ কবিতা থেকে বোঝা যায় দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরা-

            র.        সমাজে অবহেলিত হয়

            রর.      সকলেই আশাবাদী হয়

            ররর.   নিজেদের অসহায় ভাবে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬১.      অন্ধ ব্যক্তিদের প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব-

            র.        অবজ্ঞার মাধ্যমে

            রর.      ইন্দ্রিয় সচেতনতা দিয়ে

            ররর.   অনুভূতিশক্তি দিয়ে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬২.     অন্ধবধূ দিঘির বুকে নতুন সিঁড়ি জেগে ওঠার কথা বুঝতে পারে-

            র.        প্রখর অনুভূতি শক্তি দিয়ে

            রর.      ইন্দ্রিয় সচেতনতা দিয়ে

            ররর.   ঠাকুরঝির সহযোগিতায়

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬৩.     অন্ধবধূ জগতের রূপরসগন্ধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিল-

            র.        ঠাকুরঝির সহায়তায়

            রর.      অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে

            ররর.   অন্তর্দৃষ্টিকে প্রসারিত করে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬৪.     অন্ধবধূ কাঁদতে পারলে-

            র.        মনের দুঃখ লাঘব হতো

            রর.      হৃদয় হালকা হতো

            ররর.   অন্ধত্বের অভিশাপ ঘুচত

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬৫.     “ওমা, এ যে ঝরা বকুল!” অন্ধবধূর এই উক্তির মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে-

            র.        প্রখর অনুভূতিসম্পন্নতা

            রর.      ইন্দ্রিয় সচেতনতা

            ররর.   দেখতে না পাওয়ার বেদনা

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬৬.    “অন্ধ গেলে কী আর হবে বোন?” অন্ধবধূর এই উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে-

            র.        স্বামীর প্রতি রাগ

            রর.      নিজেকে অসহায় ভাবার প্রবণতা

            ররর.   অবহেলিত হওয়ার স্বরূপ

            নিচের কোনটি সঠিক?                                    জ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬৭.     “মন্দ নেহাত হয় না কিন্তু তায়”Ñ কথাটি দ্বারা অন্ধবধূ বোঝাতে চেয়েছে-

            র.        পুকুরে তলিয়ে যাওয়ার বাসনা

            রর.      মরে যাওয়ার ইচ্ছা

            ররর.   অন্ধত্বের কষ্ট

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬৮.     ‘অন্ধবধূ’ কবিতাটি পাঠকের মনে সৃষ্টি করে-

            র.        দৃষ্টিহীনদের প্রতি মমতা

            রর.      প্রবাসীদের প্রতি ঘৃণা

            ররর.   প্রতিবন্ধকতা জয়ের প্রেরণা

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৯ ও ৭০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

রাতুল জন্মান্ধ। তবুও সে কখনো হতাশ হয় না। কঠোর পরিশ্রম আর অদম্য সাধনায় সে কঠিনকে জয় করেছে। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীড়্গায় রাতুল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সুযোগ পেয়েছে।

৬৯.     উদ্দীপকের রাতুলের মাঝে অন্ধবধূর কোন দিকটির প্রকাশ ঘটেছে?           ক

            ক. ইন্দ্রিয় সচেতনতা   খ. অন্ধত্বের কষ্ট

            গ. নিজেকে অসহায় ভাবার মানসিকতা

            ঘ. অনুভূতি দিয়ে প্রকৃতিকে জানার বাসনা

৭০.      রাতুল তার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে পেরেছে-

            র.        নিজের অন্তর্দৃষ্টিকে প্রসারিত করায়

            রর.      অনুভবঋদ্ধ মানুষ হয়ে ওঠায়

            ররর.   সমাজের সহযোগিতায়

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭১ ও ৭২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

সোনিয়া সুলতানার স্বামী সৌদি আরব থাকে। সেখান থেকে প্রতি মাসেই  অনেক টাকা পাঠায়। সেই টাকায় সংসার ভালোমতো চললেও সোনিয়া সুলতানার দিন ভালো কাটে না। সে ডিসেম্বরের অপেড়্গায় থাকে। কেননা তার স্বামী তখন দেশে আসবে।

৭১.      উদ্দীপকে সোনিয়া সুলতানার স্বামীর সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার কোন চরিত্রের মিল লড়্গণীয়?     খ

            ক. ঠাকুরঝির  খ. ঠাকুরঝির ভাইয়ের

            গ. অন্ধবধূর    ঘ. অন্ধবধূর শাশুড়ির

৭২.      উদ্দীপকের সোনিয়া সুলতানার মাঝে উক্ত চরিত্রের প্রতিফলিত দিক হলো-

            র.        বিরহকাতরতা  রর.      বিরক্তি

            ররর.   ব্যাকুলতা

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৩ ও ৭৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

বাবা-মা শখ করে মেয়েটির নাম যখন সুভাষিনী রেখেছিল তখন কে জানত যে মেয়েটি বোবা হবে। সুভাষিনীর এই প্রতিবন্ধকতার কারণে তার সামনেই অনেকে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলে সুভাষিনী সবই বুঝতে পারে। কিন্তু কিছু বলতে পারে না বিধায় পুকুর পাড়ে গিয়ে নীরবে বসে থাকে। প্রকৃতি তাকে আপন করে কাছে টেনে নেয়।

৭৩.     উদ্দীপকের সুভাষিনীর সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার কার মিল রয়েছে?           গ

            ক. ঠাকুরঝির  খ. ঠাকুরঝির ভাইয়ের

            গ. অন্ধবধূর    ঘ. প্রতিবেশীদের

৭৪.      সুভাষিনীর মাঝে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার যে চেতনা প্রকাশ পেয়েছে তা হলো-

            র.        প্রতিবন্ধীর বেদনা

            রর.      প্রতিবন্ধীর প্রকৃতি-সান্নিধ্য

            ররর.   বিরহকাতরতা

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৫ ও ৭৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

মিনুর কথা কেউ বুঝতে পারে না বলে বাড়ির কেউ তাকে আপন করে নেয় না। ওদের বাড়ির গরুটাকে মিনুর বড় আপন মনে হয়। গরুটার ঘন কালো গভীর চোখে মিনু সহমর্মিতার ভাষা খুঁজে পায়। প্রতিদিন ফুলের সাথে পাখির সাথে, নীল আকাশের সাথে মিনু একাšেত্ম কথা বলে। মিনুর দুঃখ অন্য কেউ না বুঝলেও এরা ঠিকই বোঝে।

৭৫.     উদ্দীপকের মিনুর মাঝে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার কার অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে?        খ

            ক. ঠাকুরঝির  খ. অন্ধবধূর

            গ. ঠাকুরঝির ভাইয়ের ঘ. পাড়ার লোকদের

৭৬.     উদ্দীপকটি ধারণ করে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার-

            র.        প্রকৃতি-সান্নিধ্যের দিকটি

            রর.      বিরহকাতরতার দিকটি

            ররর.   অসহায়ত্বের দিকটি

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *