অষ্টম শ্রেনী- বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃ জাগো তবে অরণ্য কন্যারা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা
কবি–পরিচিতি
নাম | সুফিয়া কামাল। |
জন্ম পরিচয় | জন্ম তারিখ : ২০শে জুন, ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ; জন্মস্থান : শায়েস্তাবাদ, বরিশাল। |
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় | পিতার নাম : সৈয়দ আবদুল বারী; মাতার নাম : নওয়াবজাদী সৈয়দা সাবেরা খাতুন। |
শিক্ষাজীবন | অনানুষ্ঠানিক ও স্বশিক্ষায় শিক্ষতি। |
পেশা/কর্মজীবন | কলকাতার একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা। |
সাহিত্য সাধনা | কাব্যগ্রন্থ : সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, উদাত্ত পৃথিবী, মন ও জীবন, প্রশন্তিও প্রার্থনা। গল্পগ্রন্থ : কেয়ার কাঁটা। ভ্রমণকাহিনী : সোভিয়েতের দিনগুলি। স্মৃতিকথা : একাত্তরের ডাইরি। শিশুতোষ গ্রন্থ : ইতল বিতল, নওল কিশোরের দরবারে। উপাধি : জননী সাহসিকা। |
পুরস্কার ও সম্মাননা | বুলবুল ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার। |
জীবনাবসান | মৃত্যু তারিখ : ২০শে নভেম্বর, ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ। |
উৎস নির্দেশ জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতাটি কবি সুফিয়া কামালের উদাত্ত পৃথিবী কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত। |
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দোয়েল পাখি বাসা বেঁধেছে জবা গাছে। সোহেল তার নতুন ঘর তোলার জন্য আঙিনার অন্যান্য গাছের সাথে জবা গাছও কেটে ফেলে। দোয়েলের চোখে-মুখে বাসা হারানোর বেদনা। দোয়েল আর গান গায় না। ফুলের সাথে খেলা করে না। অন্যদিকে নিলয় তার বাড়ির আঙিনার খালি জায়গায় ফুল, ফল ও অন্যান্য গাছ লাগায়। গাছগুলোকে সে নিজের মতো ভালোবাসে। তার বাগান দেখে সকলের চোখ জুড়ায়। পাখিরা তার বাগানে চলে আসে। তারা গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন ফলের গাছ থেকে খাদ্য জোগাড় করে, ফুলের সাথে খেলা করে, গান গায়। দিনের শেষে নিশ্চিন্ত মনে বাসায় ফিরে ঘুমায়। নিলয়কে দেখে অনেকেই গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হয়।
ক. গাছের নতুন পাতাকে কী বলে?
খ. বৃক্ষরে বক্ষরে বহ্নিজ্বালা বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
গ. দোয়েলের অভিব্যক্তিতে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কোন বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উদ্দীপকের নিলয়ের কর্মকান্ডের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে- বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. গাছের নতুন পাতাকে পলস্নব বলে।
খ. বৃক্ষরে বক্ষরে বহ্নিজ্বালা বলতে প্রকৃতিজগতের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় বৃক্ষরে বুকের যন্ত্রণাকাতর অভিব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে।
মানুষ প্রকৃতির ওপর হস্তক্ষপে করায় বন উজাড় হচ্ছে। নানা কারণে মানুষ বৃক্ষনিধন করছে। দিনের পর দিন তা বেড়েই চলেছে। এসব দেখে কবির মনে ধারণা জন্মেছে যে, এভাবে বৃক্ষ নিধনের কারণে বৃক্ষরে বুকে যন্ত্রণার আগুন জ্বলছে। বৃক্ষরে বক্ষরে বহ্নিজ্বালা বলতে কবির কল্পিত বৃক্ষরে বুকের এই যন্ত্রণার আগুনকেই বোঝানো হয়েছে।
গ. দোয়েলের অভিব্যক্তিতে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় অস্তিত্ব বিপন্ন মানুষের দুঃখ ভারাক্রান্ত ব্যথিত হৃদয়ের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় বেগম সুফিয়া কামাল বৃক্ষ নিধনের নিদারুণ চিত্র তুলে ধরেছেন। তার রচনায় প্রকাশ পেয়েছে বৃক্ষ নিধনের ফলে প্রকৃতির বৃক্ষহীন, প্রাণহীন, মরুপ্রায় অবস্থা। আরও ফুটে উঠেছে, এভাবে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে পৃথিবীর মানুষ যারা খাদ্যের জন্য বৃক্ষরে ওপর নির্ভরশীল তাদের ভীতি ও শঙ্কিত মলিন মুখাবয়ব। তাই কবির কণ্ঠে আজ আর বসন্ত ফুলের গান বেজে ওঠে না। তার যন্ত্রণাকাতর হৃদয়ে আজ শুধু অরণ্য কন্যা বৃক্ষদের জেগে ওঠার আহ্বান।
উদ্দীপকে দোয়েল পাখির অভিব্যক্তিতেও কবির মতো একই বেদনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কেননা সে সোহেলদের আঙিনার জবা গাছে বাসা বেঁধেছিল। কিন্তু নতুন ঘর তোলার জন্য সোহেল আঙিনার অন্যান্য গাছের সঙ্গে জবা গাছও কেটে ফেলেছে। দোয়েলের চোখে-মুখে আজ তাই বাসা হারানোর বেদনা। কবির মতো সেও আজ আর গান গায় না। খেলা করে না ফুলের সঙ্গে।
সামগ্রিক আলোচনায় স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আশ্রয়হীন দোয়েলের অভিব্যক্তিতে “জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় মানুষের অনিশ্চিত জীবনের বিপর্যয়ের দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকে নিলয়ের কর্মকান্ডের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে।Ñবক্তব্যটি যথার্থ।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় দেখা যায়, পৃথিবীর মানুষের নির্বিচার বৃক্ষ নিধনে প্রকৃতি হয়ে পড়ছে প্রাণশূন্য। তাই কবি অত্যন্ত ব্যথিত ও ভারাক্রান্ত। তার কণ্ঠে আজ আর বসন্ত ফুলের গান জাগে না। চারপাশে সবুজ প্রকৃতির বিলীন হওয়া দেখে তার মন হাহাকার করে ওঠে। তাই আজ তার কণ্ঠে শুধু অরণ্য কন্যা বৃক্ষদের জেগে ওঠার আহ্বান। যাতে পৃথিবী নতুন করে আবার সবুজে শ্যামলে, ফুলে-ফলে ভরে ওঠে। আর এভাবে তারা ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধা নিবারণের মাধ্যমে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা করে বিপন্নতার হাত থেকে।
উদ্দীপকের নিলয় তার বাড়ির আঙিনায় ফুল, ফল ও অন্যান্য গাছ লাগায়। পাখিরা তার বাগানে ঘুরে বেড়ায় গাছ থেকে গাছে খাদ্য সংগ্রহ করে, ফুলের সঙ্গে খেলা করে, গান করে। দিন শেষে ফিরে যায় আপন ঠিকানায়। তার বাগান দেখে সকলের চোখ জুড়ায়। বিপন্ন মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় কবির এ রূপ জগৎই ছিল প্রত্যাশিত। অর্থাৎ কবি বৃক্ষ নিধনের ভয়াবহতা অনুধাবন করে ব্যথিতচিত্তে যে উদ্দেশ্যে অরণ্য কন্যা বৃক্ষদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন, নিলয়ের কর্মকান্ডের মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত হয়েছে।
সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের পরিবেশে সচেতন নিলয়ের কর্মকান্ডের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে।
প্রশ্ন -২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সিডরের খবর শুনে তিয়ার ভীষণ মন খারাপ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ ঘর-বাড়ি হারা, খাবার নেই। কী ভীষণ বিপন্ন মানুষ। অথচ এর জন্য মানুষই অনেকটা দায়ী। মানুষ গাছ কেটে বন উজাড় করছে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। এসব দেখে তিয়া অনুভব করে একটা কিছু করবে। সে তার বন্ধুদের নিয়ে বাড়ির খালি আঙিনায়, ছাদে গাছ লাগানোর জন্য মানুষকে সচেতন করে তোলে। তাছাড়া গাছ কেটে বন উজাড় করার বিরুদ্ধে সে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সে ভাবে এই সুন্দর বনই অনেক বেশি ক্ষতির হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছে। তিয়া স্বপ্ন দেখে ফুলে-ফলে ভরা সতেজ-সবুজ প্রকৃতির।
ক. কবি সুফিয়া কামাল এখন আর কীসের গান শুনতে পান না?
খ. ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. তিয়ার মন খারাপের বিষয়টির সাথে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কোন দিকটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.তিয়া যেন কবির সেই অরণ্য কন্যা- উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কবি সুফিয়া কামাল এখন আর ফুল, ফসলের গান শুনতে পান না।
খ. ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি বলতে কবি বৃক্ষ নিধনের কারণে ভীত ও ক্ষুধার্ত সাধারণ মানুষের ভয়ার্ত অভিব্যক্তিকে বুঝিয়েছেন।
নানা কারণে পৃথিবীর মানুষ প্রতিনিয়ত বৃক্ষ-নিধন করে চলছে। অথচ এই বৃক্ষ আমাদের খাদ্য চাহিদার পাশাপাশি কিছু মানসিক চাহিদাও পূরণ করে। প্রকৃতিতে ফুল ও ফসলের সম্ভার কমে যাওয়ায় মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। আপন অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় মানুষ তাই ভীত। মানুষের এই অভিব্যক্তিকেই কবিতায় ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি এ শব্দগুলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
গ. তিয়ার মন খারাপের বিষয়টির সাথে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবি হৃদয়ের ব্যথাতুর দিকটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় দেখা যায় নির্বিচারে মানুষের বৃক্ষ-নিধন কবিকে ব্যথিত করে তোলে। কবি চারিদিকে বৃক্ষশূন্যতা ফসলহীনতা, পাখির কলরবহীন আর ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত মানুষের সম্মিলনে গঠিত পরিবেশ দেখে শঙ্কিত। কেননা এভাবে অবাধে বৃক্ষ নিধন চলতে থাকলে প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপর্যয়ে বিপন্ন হবে মানুষের অস্তিত্ব। তাই কবিতার মাধ্যমে পরিবেশের প্রতি কবির গভীর মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, সিডরের খবর শুনে তিয়ার মন খারাপ। কেননা প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ ঘরবাড়ি হারায়, অনাহারে থাকে। আর তার মতে, এজন্য মানুষই অনেকটা দায়ী। কারণ, মানুষ বন কেটে উজাড় করায় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই সিডরের মতো মহাদুর্যোগ দেখা দিয়েছে। সুতরাং, প্রকৃতির প্রতি মনুষ্যসত্তার প্রবল অনভূতিই প্রকাশ পেয়েছে কবিতার কবি ও উদ্দীপকের তিয়ার মাঝে।
ঘ. “তিয়া যেন কবির সেই অরণ্য কন্যা”-এ উক্তিটি যথার্থ।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবির প্রকৃতির প্রতি গভীর মমত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। নির্বিচারে পৃথিবীর মানুষ বৃক্ষ নিধনের ফলে প্রকৃতি হয়ে উঠেছে ফুল-ফসলহীন, কবির কণ্ঠে নেই গান। বরং চারপাশের সবুজ প্রকৃতির বিলীন হওয়া দেখে তার মন দুঃখ ভারাক্রান্ত। অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় মানুষ হয়ে পড়েছে ভীত-শঙ্কিত। আর সমস্ত কিছু দেখে কবি ব্যথিত ভারাক্রান্তচিত্তে অরণ্য কন্যা বৃক্ষদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
উদ্দীপকে তিয়াকে দেখা যায়, সিডরের খবরে বিপন্ন মানুষের কথা চিন্তা করে সে ব্যথিত হয়। আর এর কারণ অনুধাবন করে সে তার বন্ধুদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ অভিযানে নেমে পড়ে। তাছাড়া বন উজাড় করার বিরুদ্ধে সে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আর এভাবে সে কবির মতো স্বপ্ন দেখে ফুলে ফলে ভরা শ্যামল-সবুজ প্রকৃতির যা আমাদের রক্ষা করবে বিপন্নতার হাত থেকে। কবি অরণ্য কন্যা বৃক্ষদের আহ্বান জানিয়েছেন পৃথিবীকে সবুজে শ্যামলে ফুলে-ফলে ভরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের অস্তিত্বকে বিপন্নতার হাত থেকে রক্ষা করতে উদ্দীপকের তিয়া সিডরের ভয়াবহতা অনুধাবন করে অরণ্য কন্যা বৃক্ষদের মতো জেগে উঠেছে। পৃথিবীকে সবুজে শ্যামলে, ফুলে-ফলে ভরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের অস্তিত্বকে বিপন্নতার হাত থেকে রক্ষার জন্য যেন সে কবির আহ্বানে সাড়া দিয়েছে।
তাই উলিস্নখিত আলোচনার প্রেক্ষেিত একথা বলা যায়, তিয়া যেন কবির সেই অরণ্য কন্যা।
প্রশ্ন -৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাকা স্কুল থেকে ফিরে দেখে আসবাব বানানোর জন্য জামগাছটা কেটে ফেলা হয়েছে। রাকা অভিমান করে বলল, জামগাছটায় সকালে দুটি সুন্দর হলদে পাখি এসে বসে, আমি নির্মল বাতাসে দোলনায় দোল খাইÑ সেটা তুমি কেটে ফেললে বাবা! রাকার অভিমান উপলব্ধি করে বাবা বাড়ির আঙিনায় বেশ কটি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ক. কবি সুফিয়া কামালের পৈতৃক নিবাস কোথায়? ১
খ. মাটি অরণ্যের পানে চায় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের রাকার মাঝে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কবির যে চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের রাকার বাবার উপলব্ধি যেন কবি সুফিয়া কামালের উপলব্ধিকেই অনুসরণÑ বক্তব্যটি বিশেস্নষণ কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কবি সুফিয়া কামালের পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়।
খ. মাটি অরণ্যের দিকে চেয়ে থাকার কারণ হলোÑ অরণ্যে ফুল হওয়ার সম্ভাবনা আছে, ফল হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা মাটিকে প্রাচুর্য দিতে পারে।
পৃথিবীর যেখানে অরণ্য বেশি থাকে, সেখানে বৃষ্টিপাত বেশি হয়। আর বৃষ্টি হলেই মাটি প্রাণ ফিরে পায়। প্রাণ ফিরে পাওয়ার নিমিত্তেই মাটি অরণ্যের দিকে চেয়ে থাকে। কিন্তু অরণ্যের অবস্থাও দৈন্য। সেখানে সবুজের প্রাচুর্য নেই। ফুলের সমারোহ নেই।
গ. উদ্দীপকে রাকার মাঝে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবির বৃক্ষরে প্রয়োজনীয়তা ও বৃক্ষ নিধনের ক্ষতিকর প্রভাবের চিত্রটি প্রতিফলিত হয়েছে।
মানুষের ভোগবাদী প্রবণতার কারণে প্রকৃতি থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবি সবুজ পরিবেশ বিলীন হওয়া দেখে ব্যথিত। দিগন্ত বিস্তমৃত সবুজের জন্য তার মন হাহাকার করে। এ বাস্তবতার দিকটিই উদ্দীপক এবং জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার মাঝে দেখা যায়।
উদ্দীপকের রাকা স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখে আসবাবপত্র বানানোর জন্য জামগাছটা কেটে ফেলা হয়েছে। রাকা অভিমান করে বলে জামগাছটায় সকালে দুটি হলদে পাখি এসে বসে, আমি নির্মল বাতাসে দোলনায় দোল খাই- সেটা তুমি কেটে ফেললে বাবা! সবুজের নিধন দেখে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কবির মনও বিষণ্ণ। এ বিষণ্ণতাই উদ্দীপকের রাকার মাঝে প্রতিফলিত হয়েছে। অর্থাৎ উদ্দীপকের রাকার মাঝে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবির বৃক্ষরে প্রয়োজনীয়তা ও বৃক্ষ নিধনের ক্ষতিকর প্রভাবের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে রাকার বাবার উপলব্ধি যেন কবি সুফিয়া কামালের উপলব্ধিকেই অনুসরণ করেÑ এ মন্তব্যটি যথার্থ।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবি সুফিয়া কামাল একজন প্রকৃতি প্রেমি। প্রকৃতি নিধন দেখে তার মন হাহাকার করে ওঠে। তিনি অরণ্য কন্যাদের (বৃক্ষ) জাগরণ কামনা করেন। তিনি চান দিকে দিকে আবার সবুজ বৃক্ষরে সমারোহ সৃষ্টি হোক; ফুলে ও ফসলে ভরে উঠুক পৃথিবী। মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা পাক বিপন্নতার হাত থেকে।
প্রকৃতিকে ধ্বংস করে বিলাসী মানুষেরা যে সভ্যতা তৈরি করেছে তা প্রকৃতপক্ষে সমগ্র জীববৈচিত্র্যের জন্য বিশাল হুমকি তৈরি করছে তা উদ্দীপকের রাকা উপলব্ধি করতে পেরেছে। জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতাতে সেই বিপদের আভাস রয়েছে। সবুজের সমারোহ বিলীন হওয়ার কারণেই বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মানুষের অস্তিত্ব হয়ে পড়ছে বিপন্ন।
পুত্রের ভালোবাসা ও পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি উপলব্ধি করে রাকার বাবা বাড়ির আঙিনায় বেশ কিছু গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন।
অতএব, উলিস্নখিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষেিত বলা যায় যে, উদ্দীপকের রাকার বাবার উপলব্ধি কবি সুফিয়া কামালের উপলব্ধিরই অনুরূপ অনুসরণ।
প্রশ্ন –৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মৌরি একদিন বাবার কাছে বায়না ধরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে যাবে। বাবা তাকে নিয়ে গেলে নানা জাতের ফুল-ফলের সমারোহ দেখে সে অভিভূত হয়। দীর্ঘদিন সে যেসব ফুল-ফলের নাম শুনেছে সেগুলো আজ নিজ চোখে দেখে খুবই আনন্দিত হয়। আর তখনি সে সিদ্ধান্ত নেয়- বাড়ির আঙিনায় ছোট একটি বাগান করবে এবং ফুলে-ফলে চারদিক শোভিত করে তুলবে।
ক. ¤স্নান শব্দের অর্থ কী? ১
খ. কবি অরণ্য কন্যাদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন কেন? ২
গ. মৌরির অভিব্যক্তিতে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কোন বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে মৌরির সিদ্ধান্তের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। -বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. স্নান শব্দের অর্থ মলিন।
খ. পৃথিবীতে সবুজের সংকট সৃষ্টি হওয়ার কারণে কবি অরণ্য কন্যাদের জেগে উঠতে বলেছেন।
পারিপার্শ্বিক আঘাতের ফলে বর্তমান পৃথিবীতে সবুজের প্রাচুর্য নেই। ফলে ফুল-ফসলে ভরা শ্যামলিমা নেই, কারও কণ্ঠে গান নেই, চারদিকে হাহাকার। তাই কবির কণ্ঠেও কোনো গান নেই। পৃথিবীকে আবার জাগরিত করতেই কবি অরণ্য কন্যাদেরকে জেগে উঠতে বলেছেন।
গ. বৃক্ষ যে ফুলে-ফলে চারদিক শোভিত করে তোলে এ বিষয়টি জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় এবং উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
বৃক্ষ আমাদের চারপাশকে সবুজ করে তোলে। আমাদের আত¥াকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে। বৃক্ষরে কচি পাতা প্রথম প্রাতে আলোর সাথে কথা বলে আমাদের চারপাশকে স্নিগ্ধতায় ভরিয়ে তোলে।
উদ্দীপকের মৌরিও বৃক্ষরে সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বাড়ির আঙিনায় বাগান করার সিদ্ধান্ত নেয়। মৌরি বোটানিক্যাল গার্ডেনের ফুল-ফুলের গাছ দেখে একইরূপ আনন্দ পেয়েছে, মৌরি চায় বাড়ির আঙিনায় গাছ লাগিয়ে একই রূপ আনন্দ পেতে। অপরদিকে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতাতেও কবির একই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ. উদ্দীপকে মৌরির সিদ্ধান্তের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে -মন্তব্যটি যথার্থ।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবি সুফিয়া কামাল যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সেই প্রেরণাতেই অনুপ্রাণিত হয়েছে উদীপকের মৌরি। কবিতায় সুফিয়া কামাল অরণ্য জাগরণ তথা বৃক্ষরে বিস্তত্মৃতির কামনা করেছেন। উদ্দীপকের মৌরি বাড়ির আঙিনায় ছোট একটি বাগান করবে এবং ফুলে-ফলে চারদিক শোভিত করে সবুজে বসবাস করবে।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবি সুফিয়া কামাল আশা প্রকাশ করেছেন সবুজ বৃক্ষরে সমারোহের, ফুলে ও ফসলে পুনরায় ভরে উঠলেই পৃথিবীকে জীবজগতের অস্তিত্বকে হুমকির মুখ থেকে ফিরিয়ে এনে স্বাভাবিক পরিবেশ প্রদান করা সম্ভব হবে। কবিতার মতোই উদ্দীপকের মৌরি প্রকৃতির সবুজের সমারোহ খোঁজার জন্য বোটানিক্যাল গার্ডেনে যায়। মৌরি প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বাড়ির আঙিনায় একটি বাগান করবে এবং ফুলে-ফলে চারদিক শোভিত করে তুলবে, তার এমন পদক্ষপেই জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবির বাসনাকে পূরণ করতে যথার্থ ভূমিকা পালন করবে।
উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, উদ্দীপকে মৌরির সিদ্ধান্তের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে।
প্রশ্ন -৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গ্রামে একসময় বলা যায় কোনো গাছই ছিল না। সারাদিন কাজ শেষে ক্লান্ত গ্রামবাসী বিশ্রামের জন্য কোনো গাছের ছায়া পাচ্ছে না দেখে কিশোর আফাজ উদ্দিন রাস্তার ধারে, বাজারের আশপাশে, খোলামাঠসহ আরও অনেক জায়গায় গাছ লাগাতে শুরু করেছিলেন। কিশোর বয়সের সে কাজটি বৃদ্ধ আফাজ উদ্দিন আজও করে যাচ্ছেন। তার ফলে বৃক্ষ গ্রাম নামে পরিচয় পেয়েছে আফাজ উদ্দিনের নাগরপুর।
ক. মাটি কীসের পানে চায়? ১
খ. মৌসুমি ফুলের গান কবির কণ্ঠে আর জাগে না কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত আফাজ উদ্দিনের গ্রামের প্রথম অবস্থা জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কোন দিক নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“ আফাজ উদ্দিন যেন কবি সুফিয়া কামালের প্রত্যাশা পূরণে তৎপর।”-জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার আলোকে মন্তব্যটির বিশেস্নষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মাটি অরণ্যের পানে চায়।
খ. কবির কণ্ঠে গান না জাগার কারণ হলো অবাধে বৃক্ষনিধনের ফলে চারদিকের হাহাকার আর শুষ্ক পরিবেশ।
পরিবেশের দৈন্যের কারণে কবির কণ্ঠে মৌসুমি ফুলের গান আর জাগে না। মানুষ প্রতিনিয়ত বৃক্ষনিধন করছে। দিনের পর দিন এ বৃক্ষনিধন বেড়েই চলছে। চারদিকে অবাধ বৃক্ষনিধনের কারণে পরিবেশ আজ হুমকির সম্মুখীন। সবুজের সমারোহ ¤স্নান হয়ে গেছে। চারিদিকে শুধু রুক্ষতা আর শূন্যতা। কোথাও প্রাণের চিহ্ন নেই। এসব দেখে কবির মন হাহাকার করে ওঠে। তাই মৌসুমি ফুলের গান আর কবির কণ্ঠে জাগে না।
গ. প্রকৃতির থেকে সবুজের বিলীন হয়ে যাওয়ার যে দিকটি জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে তা উদ্দীপকেও বিদ্যমান।
আধিপত্যবাদী মানুষের লোভের কারণে প্রকৃতি আজ শ্রীহীন। প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল মানুষও আজ বিপন্ন।
এ চিত্রই প্রকাশিত হয়েছে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় এবং উদ্দীপকে। জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কবি প্রকৃতির রূপহীনতা দেখে মর্মাহত। বৃক্ষ নিধনের ফলস্বরূপ গোটা জীবজগতের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়েছে।
উদ্দীপকেও জীবজগৎ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপর্যস্ত অবস্থার প্রমাণ পাওয়া যায়। কবিতার মতো উদ্দীপকেও বৃক্ষ নিধনই বিরূপ বাস্তবতা সৃষ্টির মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। উদ্দীপক ও কবিতা উভয় ক্ষেেত্র প্রকৃতি ধ্বংসের বিরূপ প্রতিক্রিয়াকেই তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ উদ্দীপকে আফাজউদ্দিনের গ্রামের প্রথম অবস্থা প্রকৃতি থেকে সবুজের বিলীন হয়ে যাওয়ার দিকটিকেই নির্দেশ করে।
ঘ. “আফজাল উদ্দিন যেন কবি সুফিয়া কামালের প্রত্যাশা পূরণে তৎপর।” -এ মন্তব্যটি সঠিক।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবি সুফিয়া কামাল অরণ্য কন্যাদের জাগরণ তথা প্রাকৃতিক পরিবেশের বিস্তত্মৃতির পরিবর্ধন কামনা করেছেন। এই প্রেরণাই অনুপ্রাণিত হয়ে কিশোর আফাজ উদ্দীন রাস্তার ধারে, বাজারের আশপাশে, খোলা মাঠসহ আরও অনেক জায়গায় গাছ লাগাতে শুরু করেছিলেন। কিশোর বয়সের সে কাজটি বৃদ্ধ আফাজ উদ্দিন আজও করে যাচ্ছেন। তার ফলে বৃক্ষগ্রাম নামে পরিচিতি পেয়েছে নাগরপুর।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবি আশা প্রকাশ করেছেন সবুজের বৃক্ষরে সমারোহের। ফুলে ও ফসলে পুনরায় পৃথিবী ভরে উঠলেই পৃথিবীতে জীবজগতের অস্তিত্বকে হুমকির মুখ থেকে ফিরিয়ে এনে স্বাভাবিক পরিবেশ প্রদান করা সম্ভব হবে। উদ্দীপকের আফাজ উদ্দিনও কবির মতো প্রাকৃতিক বিরূপ বাস্তবতা লড়্গ্য করে এর সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন। কবিতার মতোই সবুজের মাঝে সমাধান খোঁজার বাসনায় বনায়নের কাজে আত¥নিয়োগ করেন আফাজ উদ্দিন।
তাই উলিস্নখিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষেিত বলা যায় যে, আফাজ উদ্দিন যেন কবি সুফিয়া কামালের প্রত্যাশা পূরণে তৎপর।
প্রশ্ন -৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আলিফ অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। প্রতিদিন পাখির কলকাকলিতে তার ঘুম ভাঙে। আলিফের ভালো লাগে পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ। একটা কোম্পানি কারখানা গড়ে তোলার জন্য বড় বড় গাছ কাটতে শুরু করেছে, তা দেখে আলিফের মন খুবই বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। পাখিরা আর এখানে ডাকবে না। এভাবেই হয়তো পৃথিবীর এ সবুজ অরণ্য শেষ হয়ে যাবে।
ক. মর্মরে মর্মরে কী বেজে ওঠে? ১
খ. কবিকণ্ঠে মৌসুমি ফুলের গান জাগে না কেন? ২
গ. উদ্দীপকটির সাথে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার সাদৃশ্য তুলে ধর। ৩
ঘ.“আলিফের বিষণ্ণতার কারণ আর জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কবির বিষণ্ণতা যেন একই সূত্রে গাঁথা।” -বিশেস্নষণ কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বৃক্ষরে বক্ষরে বহ্নিজ্বালা মর্মরে মর্মরে বেজে ওঠে।
খ. ৫নং প্রশ্ন সমাধান এর খ নং দ্রষ্টব্য।
গ. অরণ্য নিধনের ফলে বিপন্ন প্রকৃতির সাথে মানুষের অস্তিত্ব সংকটের যে আশঙ্কা কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে তা উদ্দীপকেও বিদ্যমান।
মানুষ জীবনধারণের জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। কারণ প্রকৃতি মানুষের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে। বলতে গেলে মানুষের টিকিয়ে থাকার জন্য প্রকৃতিকে টিকিয়ে রাখা আবশ্যক। কিন্তু অবিবেচক মানুষ অবিরতভাবে প্রকৃতি নিধন করে চলেছে। যার পরিণতি ভয়াবহ।
উদ্দীপকের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আলিফের ঘুম ভাঙে পাখির কলকাকলিতে। তার ভালো লাগে সবুজের সমারোহ, পাখির কলতান। কিন্তু বৃক্ষনিধন দেখে সে আঁতকে ওঠে। আশঙ্কা ব্যক্ত করে সবুজ অরণ্য নিঃশ্বেষ হওয়ার। জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কবি সুফিয়া কামালও অনুরূপ অবস্থা দেখে হাহাকার করে ওঠেন। এ বিষয়টিতে উদ্দীপকের সাথে কবিতার সাদৃশ্য স্পষ্ট।
ঘ. “আলিফের বিষণ্ণতার কারণ আর জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কবির বিষণ্ণতা যেন একই সূত্রে গাঁথা।”-উক্তিটি যথার্থ।
প্রকৃতি সৌন্দর্যের আধার, ঐশ্বর্যের আধার। সর্বোপরি জীবনের অস্তিত্ব ও বিস্তারের অন্যতম অনুষঙ্গ। এ কারণে সমাজসচেতন মানুষেরা চান দিকে দিকে সবুজ বৃক্ষরে সমারোহ হোক, ফুলে ফসলে ভরে উঠুক পৃথিবী; মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা পাক বিপন্নতার হাত থেকে।
উদ্দীপকের আলিফের ঘুম ভাঙে পাখির কাকলিতে। তার ভালো লাগে পাখপাখালির কিচিরমিচির, সবুজের সমারোহ। কিন্তু চারদিকে যেন আজ প্রকৃতি নিধনের উৎসব। বৃক্ষদের নিশ্চিহ্ন করার অমানবিক প্রচেষ্টাও-এর ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কায় আলিফের মন বিষণ্ণ। অনুরূপ বিষণ্ণতা ধ্বনিত হয়েছে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কবির কণ্ঠে। প্রকৃতির রূপ সচেতন এ কবি চারপাশের অরণ্য-নিধন দেখে ব্যথিত। এ পরিস্থিতিতে তার মন হাহাকার করে ওঠে। তাই মৌসুমি ফুলের গান তার কণ্ঠে জাগে না।
উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার বিশেস্নষণে বলা যায়, দিকে দিকে প্রকৃতি নিধনের মহোৎসব দেখে তার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি উপলব্ধি করে বিষণ্ণ হওয়া সচেতন মানুষের বৈশিষ্ট্য। যা উদ্দীপকের আলিফ ও জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কবিকে বিষণ্ণ করেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের চরিত্র দুটি একই সূত্রে গ্রথিত।
প্রশ্ন –৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অপরিহার্য। প্রাণী মাত্রই খাদ্যের মুখাপেক্ষী। মানুষের খাবারে বিভিন্নতা আছে। যেমন : মাছ, মাংস, শাকসবজি। এই তিন প্রকার খাদ্যের সঙ্গেই গাছের সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ পরোক্ষ অথবা প্রত্যক্ষভাবে এসব খাদ্য গাছের ওপর নির্ভরশীল, যাকে খাদ্যচক্র বলা হয়। গাছের সংখ্যা যত কমবে, খাদ্যের পরিমাণও তত কমবে। কিন্তু চাহিদা কমবে না বরং বাড়তে থাকবে। খাদ্য যত কমবে, পরিবেশের ভারসাম্য তত খারাপ হবে, যা বিশ্বশান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। সুতরাং প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ও বিশ্বশান্তি রক্ষা করতে হলে পৃথিবীতে বৃক্ষরে সংখ্যা আরও অনেক বাড়াতে হবে।
ক. ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি কেমন? ১
খ. ফুলের ফসল নেইÑ চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার সমগ্রভাব প্রকাশ পায়নি” – উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি প্রাণহীন।
খ. ফুলের ফসল নেই- চরণটি দ্বারা বৃক্ষরে দৈন্য অবস্থাকে বোঝানো হয়েছে।
ফুল-ফসলের জন্য শক্তির প্রয়োজন। সবুজের প্রাচুর্যের প্রয়োজন। কিন্তু পারিপার্শ্বকি নির্মম আঘাতে সবুজ প্রাচুর্য হারাচ্ছে, বৃক্ষ নিষ্প্রাণ ও নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। বৃক্ষ যদি সতেজ হয়, তবে ফুল এবং ফসলও ভালো হয়। আর বৃক্ষ যদি জীর্ণ কাতর হয়, তবে ফুল-ফসল হয় না। আলোচ্য চরণ দ্বারা এটাই বোঝানো হয়েছে।
গ. উদ্দীপকে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা বৃক্ষকে জেগে ওঠার যে আহ্বান সে দিকটিই মিল রয়েছে।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় পৃথিবীর মুমূর্ষু অবস্থা দেখে কবি ব্যথিত। প্রকৃতির প্রাচুর্য কমে যাওয়ায় পৃথিবী নিরানন্দ হয়ে পড়েছে। মানুষের মনে সুখ নেই। ফুলের ফসল নেই। পাখির গান নেই। চারদিকের হাহাকার শুনে কবি স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। পৃথিবীর এ বিষণ্ণ অবস্থার জন্য একমাত্র পরিবেশের দৈন্যই দায়ী। কবি মুমূর্ষু পৃথিবীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে বৃক্ষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা আবার জেগে ওঠে। মূলত এর দ্বারা কবি মানুষকেই সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের অপরিহার্যতা উদ্দীপকে আলোচিত হয়েছে। কারণ পৃথিবীর সর্বপ্রকার খাদ্যই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে গাছপালার ওপর নির্ভরশীল। গাছপালা যত কমবে, খাদ্যের উৎপাদন তত কমবে। আর খাদ্য যত কমবে, মানুষের মধ্যে চাহিদা তত বাড়বে। ফলে সৃষ্টি হবে দুর্ভিক্ষ, যা বিশ্বশান্তির জন্য প্রবল হুমকিস্বরূপ। মূলত মানুষের জীবন রক্ষার্থে ও বিশ্বশান্তি ঠিক রাখতে গাছপালা অপরিহার্য। অর্থাৎ উদ্দীপকে মূলত জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার পরিবেশ রক্ষায় মানুষের সচেতনতা তথা বৃক্ষরোপণে মানুষের উদ্যোগী হওয়ার দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ. “উদ্দীপকে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার সমগ্র ভাব প্রকাশ পায়নি”- উক্তিটি যথার্থ।
গাছের অভাবে চারপাশের প্রকৃতি আজ বিপন্ন। বৃক্ষরে অন্তরে আজ দুর্বিষহ জ্বালা। কবিতায় এসব বিষয় উঠে আসলেও উদ্দীপকে কেবল বৃক্ষরে অভাবে বিপন্ন পরিবেশের দিকটিই তুলে ধরা হয়েছে।
খাদ্যের অভাবে প্রাণের বিপন্নতা ছাড়াও আরও অনেক ভাবের প্রকাশ ঘটেছে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায়। মাটি জীবনরস সঞ্চয়ের জন্য গাছের পানে করুণ দৃষ্টিতে তাকায়। কারণ গাছ থাকলেই মাটিতে প্রাণের আবাদ ঘটবে। এছাড়া বৃক্ষরে অন্তরের দুর্বিষহ যন্ত্রণাও প্রকাশ পেয়েছে। মানুষ পৃথিবীর গাছ বিনা প্রয়োজনে নিধন করে। কিন্তু বৃক্ষরে অভাব, তা পূরণ করে না, এই কারণে বৃক্ষরে মনে অনেক জ্বালা রয়েছে।
বিশ্বশান্তি রক্ষায় বৃক্ষরে প্রয়োজনীয়তা উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষ গাছপালার মুখাপেক্ষী। পৃথিবীর গাছ যত বিনাশ হবে, খাদ্য তত কমবে, খাদ্য যত কমবে, চাহিদা তত প্রকট হবে এবং পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। খাদ্য সংকট প্রাণিকুলের অস্তিত্ব বিপন্ন করবে এবং বিশ্বশান্তিতে চরম আঘাত হানবে। তাই, প্রাণিকুলের জীবন রক্ষার্থে ও বিশ্বশান্তি রক্ষার্থে গাছের পরিমাণ বাড়াতে হবে। উদ্দীপকে বৃক্ষরে অভাবে প্রাণিকুল ও বিশ্বশান্তি পরিস্থিতি কেমন হবে সে বিষয়ে আলোচনা করা হলেও জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় আলোচিত বৃক্ষরে মর্মজ্বালা ও পরিবেশের হাহাকারের ভাবটি প্রকাশ পায়নি।
সার্বিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষেিত এ বিষয়টি প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার সমগ্র ভাবের প্রকাশ ঘটেনি।
প্রশ্ন -৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আহা! আজি এ বসন্তে
এত ফুল ফোটে
এত পাখি গায়
এত বাঁশি বাজে…
এ গান যখন লেখা হয়েছিল, তখন বাংলার প্রকৃতির সঙ্গে গানের বেশ সংগতি ছিল। কিন্তু বর্তমান বাংলার প্রকৃতির সঙ্গে এ গান বেমানান। বাংলার বুকে বসন্ত আসে ঠিকই, কিন্তু ফুলের মেলা বসে না, পাখির কলকাকলিতে প্রভাত মুখর হয় না। কারণ, বাংলার প্রকৃতিতে ভাটা এসেছে, সবুজের ভাটা। প্রতিনিয়ত বৃক্ষ নিধন এই ভাটার মূল কারণ। বৃক্ষহীনতায় শুধু ফুল আর পাখির সংখ্যা কমেনি। মানুষের আনন্দও কমেছে, কমেছে বসন্তের তাৎপর্য। বসন্তের আনন্দঘন বাসন্দিতী নগুলো ফিরিয়ে আনতে হলে প্রচুর গাছ লাগানোর মাধ্যমে বাংলার প্রকৃতিকে ফিরিয়ে দিতে হবে হারানো সবুজের প্রাচুর্য।
ক. মাটি কার পানে চায়? ১
খ. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের গানের কলি দুটির সঙ্গে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ.প্রমাণ কর যে, উদ্দীপক ও জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতা একই বিষয় নির্দেশ করে। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মাটি অরণ্যের পানে চায়।
খ. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা- লাইনটি দ্বারা কবি অরণ্য কন্যাদের তথা বৃক্ষদের জেগে উঠতে বলেছেন।
পরিবেশের বিপর্যয়ে চারদিকে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। ফুলের ফসল নেই, মানুষের মনে সুখ নাই। তাই কবির কণ্ঠেও মৌসুমি ফুলের গান নাই, প্রকৃতিতে ফুল ও ফসলের সম্ভার কমে যাওয়ায় মানুষের অস্তিত্ব হুমকির আশঙ্কায় মানুষ ভীত। তাই কবি বৃক্ষ কন্যাদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন পৃথিবীকে আবার সবুজে শ্যামলে ফুলে-ফলে ভরিয়ে দিয়ে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য মূলত বৃক্ষ কন্যাদের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে কবি মানুষের প্রতিই আহ্বান জানিয়েছেন।
গ. উদ্দীপকের গানের কলি দুটির সাথে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার বৈসাদৃশ্য রয়েছে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় প্রকৃতির বিপর্যয়ে বিপন্ন পরিবেশ তথা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হতাশার স্তর কবির কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে। উদ্দীপকে কেবল প্রকৃতির অনাবিল রূপ বৈচিত্র্যের চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবি ব্যথিত কণ্ঠে অরণ্য কন্যাদের জেগে ওঠার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ প্রকৃতি ফুল-ফল শূন্য হয়ে পড়েছে। মানুষ নিদারুণভাবে বন উজাড় করার ফলে প্রকৃতি হারিয়ে ফেলছে তার সৌন্দর্য। পাখির কণ্ঠে নেই কোনো গান, বসন্তে গাছে ফোটে না কোনো ফুল। তাই কবিকণ্ঠে হাহাকারের সুর ধ্বনিত হয়েছে। কবি প্রকৃতিকে ফুলে ফলে সুশোভিত করার জন্য অরণ্য কন্যাদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন আলোচ্য কবিতায়।
কিন্তু উদ্দীপকের গানের কলি দুটির চিত্র কবিতার ঠিক উল্টো। এখানে বলা হয়েছে, বসন্তে পাখির কণ্ঠে গান, গাছে গাছে ফুলের সমারোহ গানের লেখকের মনে এক নতুন আনন্দের সৃষ্টি করেছে। পাখির কণ্ঠের গান, বাঁশির সুর, গাছের ফোটা নানা ধরনের ফুল লেখকের মনেও সুরের সৃষ্টি করেছে। তার মনে কোনো দুঃখ নেই, নেই কোনো হাহাকার। কবি ও উদ্দীপকের গানের লেখকের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপক ও জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতা একই বিষয় নির্দেশ করেছে।
নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন। কবিতায় কবি পরিবেশের প্রাচুর্যতা অন্যদিকে উদ্দীপকে প্রকৃতির পুনর্জাগরণ কামনা করা হয়েছে।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় প্রকৃতির সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার আহ্বান রয়েছে। কারণ, প্রকৃতিতে আগের মতো মৌসুমি ফুল নেই। ফুল না থাকায় ফলও হচ্ছে না। খাদ্যের অভাবে মানুষ অস্থির হয়ে উঠছে। এসব কারণে কবির কণ্ঠেও মৌসুমি ফুলের গান নেই। মুমূর্ষু পৃথিবীর প্রাণ ফিরিয়ে আনার জন্য কবি অরণ্য কন্যাদের আহ্বান করেছেন। অরণ্য কন্যাদের জাগরণেই পৃথিবী আবার সবুজ শ্যামলে ভরে উঠবে। ফুলের ফসল হবে। কবির কণ্ঠে জাগবে মৌসুমি ফুলের গান।
বাংলাদেশে অতি পরিচিত একটা বসন্তের গান দ্বারা উদ্দীপকে হারানো প্রকৃতির কথা বোঝানো হয়েছে। একসময় বাংলার প্রকৃতি ছিল অত্যন্ত সুন্দর, কিন্তু বর্তমানে সে প্রকৃতি নেই। ক্রমাগত বৃক্ষ নিধনে ও প্রকৃতির প্রতি মানুষের ঔদাসীন্যে বর্তমান প্রকৃতিতে দৈন্য প্রকাশ পাচ্ছে। ঋতুর অন্তে ঋতু আসছে ঠিকই, কিন্তু ঋতুর সৌন্দর্য প্রকৃতিতে বিশেষ প্রকাশ পাচ্ছে না। আগের মতো পাখির মেলা বসছে না। বাংলার এই নিরানন্দ পরিবেশের অবসান ঘটাতে হলে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। তবেই আমরা আবার ফিরে পাব আমাদের সবুজ ঐতিহ্য। সুতরাং বলা যায় কবিতা ও উদ্দীপক একই বিষয়ে রচিত।
প্রশ্ন –৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
লো ঢাকা পথ, ধূসর আলোয় পাড়ি দিতে দিতে
আমার দৃষ্টি ধূসর হয়ে আসে
কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাগরে
আমার ফুসফুস এক টুকরো অক্সিজেন খোঁজে।
ইটভাটার কালো পৃথিবীতে
আমার দুচোখ কুয়াশা চায়।
আমায় সবুজ পৃথিবী দাও
আমায় আরও অক্সিজেন দাও
আমায় একটু কুয়াশা দাও
না হয় তোমাদের ধূসর পৃথিবী
আমায় হারিয়ে ফেলবে।
ক. কার জন্য খাদ্য আনতে বলা হয়েছে? ১
খ. জাগাও মুমূর্ষু ধরা-প্রাণÑ কথাটা বলা হয়েছে কেন। ২
গ. আমায় সবুজ পৃথিবী দাও আমায় আরও অক্সিজেন দাও- উদ্দীপকের এ চরণ দুটির সাথে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা- কবিতার সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.প্রমাণ কর যে, উদ্দীপক ও জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতা একই যন্ত্রণার ফসল। ৪
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ক্ষুধার্তের জন্য খাদ্য আনতে বলা হয়েছে।
খ. জাগাও মুমূর্ষু ধরা-প্রাণ- চরণটি দ্বারা মুমূর্ষু পৃথিবীতে পুনর্জাগরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
পৃথিবীতে আগের মতো ফুলের ফসল হয় না। কবির কণ্ঠে গান জাগে না। খাদ্যের অভাবে মানুষ হিংস্র হয়ে ওঠে। তাদের দৃষ্টি প্রাণহীন, বৃক্ষরে বুকে বহ্নিজ্বালা। পৃথিবীর এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে কবি বৃক্ষদের কাছে আহ্বান করেছেন, তারা যেন জাগরণের মাধ্যমে ধরার মুমূর্ষু প্রাণের জাগরণ ঘটায়। প্রশ্নে উলিস্নখিত চরণ দ্বারা এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে।
গ. আমায় সবুজ পৃথিবী দাও, আমায় আরও অক্সিজেন দাও- উদ্দীপকের এ চরণ দুটির সাথে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার অরণ্য কন্যাদের জেগে ওঠার আহ্বানের বিষয়টির সাদৃশ্য রয়েছে।
গাছ পরিবেশের প্রধান নিয়ামক। কিন্তু মানুষ নিত্যপ্রয়োজনে অপ্রয়োজনে গাছ কেটে বন উজার করে ফেলছে। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা আমাদের সবুজ পৃথিবীকে ফিরে পেতে পারি। জাগো তবে অরণ্য কবিতার এ সুর যেন উদ্দীপকেও ফুটে ওঠেছে।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবি অরণ্য কন্যাদের নতুনভাবে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন। মুমূর্ষু পৃথিবীকে ফুলে ফলে সুশোভিত করে তোলার জন্য কবি মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। মানুষ প্রতিনিয়ত বৃক্ষ কেটে পৃথিবীকে মরুময়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে বাড়ছে বৈষ্ণিক উষ্ণতা, যা সৃষ্টি করছে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাই এ বিশ্বকে বৃক্ষময় করে তোলার জন্য কবি মানুষের প্রতি পরোক্ষভাবে আহ্বান জানিয়েছেন বৃক্ষ কন্যাদের জেগে ওঠার মাধ্যমে।
উদ্দীপকের আলোচ্য চরণ দুটি পরোক্ষভাবে বৃক্ষরোপণকেই ইঙ্গিত করছে। কারণ গাছই আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান উপাদান অক্সিজেন সরবরাহ করে। গাছই পৃথিবীকে সবুজ সমারোহে ভরে দিতে পারে। তাই উদ্দীপকের লেখক পৃথিবীকে সবুজ করে তোলার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন। তিনি অক্সিজেন পাওয়ার আকাক্সক্ষা করেছেন। এখানে তিনি বৃক্ষময় পৃথিবীর আকাক্সক্ষাই ব্যক্ত করেছেন। পরিশেষে বলা যায় উদ্দীপকের সবুজ পৃথিবী গড়ার আহ্বান জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার মূল স্তরের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. “উদ্দীপক ও জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতা একই যন্ত্রণার ফসল”-এ মন্তব্যটি প্রাসঙ্গিক।
উদ্দীপক ও জাগো তবে অরণ্য কন্যারা একই বোধ থেকে উচ্চারিত হয়েছে। কারণ সবুজ প্রাচুর্যের অভাবে পরিবেশের দৈন্যে দিশেহারা দেখে কবি সুফিয়া কামাল জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতা রচনা করেছেন। উদ্দীপকেও একই দৃশ্যের অবতারণা লক্ষ করা যাচ্ছে।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায়ও হতাশার সুর আর বেদনার চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। কবি পৃথিবীতে হাহাকার আর বেদনা শুনেছেন। প্রকৃতিতে ফুল নেই, ফুলের ফসল নেই, পাখির কণ্ঠে গান নেই, মানুষের মনে আনন্দ নেই। ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির মানুষ। মাটি অরণ্যের পানে করুণ আকুতি জানায়। গাছের প্রাণে দুঃখের জ্বালা, এসব দেখে কবির মনেও মৌসুমি ফুলের গান জাগে না। দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে আসে কবির কণ্ঠ।
উদ্দীপকের কবির কণ্ঠে চরম মানসিক যন্ত্রণা ও হতাশা প্রকাশ পেয়েছে। ধুলো ঢাকা পথ আর ধূসর আলোয় পাড়ি দিতে দিতে কবির দৃষ্টি ধূসর হয়ে গেছে। পৃথিবীর পরিসর কার্বন ডাইঅক্সাইডে ভর্তি হওয়ায় কবি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। ইট ভাটায় ঢাকা পৃথিবীতে কবির চোখ এক টুকরো সাদা কুয়াশার খোঁজ করে। কিন্তু এসব কবির ভাগ্যে জোটে না। বর্তমানের নিষ্ঠুর নিরানন্দ পরিবেশ কবিকে এসব থেকে বঞ্চিত করে। কবির হৃদয় কুয়াশা চায়, ফুসফুস অক্সিজেন চায়, দৃষ্টি সবুজ চায়। এসব না পেলে একদিন প্রকৃতি কবিকে হারাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সার্বিক আলোচনার প্রেক্ষেিত একথা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় যে, উদ্দীপক ও জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতা একই যন্ত্রণায় ফসল।
প্রশ্ন-১০ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গাছ যে মানুষকে শুধু অক্সিজেন দেয়, তা নয়। গাছের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী দৈনন্দিন। সবখানেই কাঠের ব্যবহার হয়। জ্বালানিতে কাঠ লাগে, ঘর সাজাতে কাঠ লাগে, আবার চিতাও কাঠের দ্বারাই সাজানো হয়। অর্থাৎ কাঠ ছাড়া পৃথিবীর মানুষের একদ- চলে না। সুতরাং গাছ আমাদের কাটতেই হবে। এক্ষেেত্র আমরা কার্পণ্য করি না। অতি উৎসাহ নিয়ে গাছ কাটি। কিন্তু পৃথিবীর বুক যে খালি করি, তা পূরণে উৎসাহ পাই না। এই পৃৃথিবী বিশ্ববাসীর আবাসন। এই আবাসনের যত্ন আমাদেরকে নিতে হবে। একটা বৃক্ষনিধন করলে অন্তত তিনটা গাছ রোপণ করতে হবে, আমরা পৃথিবীর চাহিদা মেটালে পৃথিবীও আমাদের চাহিদা মেটাবে।
ক. আনন্দ কীসের জন্য প্রয়োজন? ১
খ. কবি কেন আত্মারজন্য আনন্দ আনতে বলেছেন? ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার পরোক্ষ সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ.দেখাও যে, উদ্দীপক ও জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতা একই সার্থকতা বহন করে। ৪
১০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. আত্মারজন্য আনন্দ প্রয়োজন।
খ. আত্মা আনন্দ ছাড়া নির্জীব হয়ে পড়ে। এ জন্যই কবি আত্মারজন্য আনন্দ আনতে বলেছেন।
আমাদের শরীর ঠিক রাখতে হলে যেমন খাদ্য এবং ভিটামিন প্রয়োজন, তেমনি আত্মারপ্রয়োজন আনন্দ। কারণ আনন্দকে বলা হয় আত্মারখাদ্য। এজন্যই কবি আত¥াকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আনন্দ আনতে বলেছেন।
গ. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় প্রকৃতিকে আবার সবুজে-শ্যামলে, ফুলে-ফলে ভরিয়ে তোলার আহ্বানের দিকের সঙ্গে উদ্দীপকের পরোক্ষ সাদৃশ্য রয়েছে।
বৃক্ষরোপণের উৎসাহ জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায়ও পাওয়া যায়। কবি বৃক্ষকে জাগরণের আহ্বান জানানোর দ্বারা মূলত মানুষের জাগরণ কামনা করেছেন। কারণ, মানুষ যদি সচেতন হয়ে বৃক্ষরে আবাসন বৃদ্ধি করে, তবে ক্ষুধার্তের জন্য খাদ্য আসবে, নিরানন্দের জন্য আনন্দ আসবে, মাটি তার জীবনী শক্তি ফিরে পাবে, যারা সুন্দর প্রকৃতির জন্য আকুল হয়ে অপেক্ষা করছে, তাদের জীবনে প্রকৃতির আনন্দ আসবে।
উদ্দীপকেও বৃক্ষ আমাদের যে চাহিদা পূরণ করে, তার স্বীকৃতি রয়েছে। উদ্দীপকে গাছের প্রয়োজনীয়তার কথা ফুটে উঠেছে। গাছ আমাদের অক্সিজেনের পাশাপাশি আরও অনেক কিছু দেয়। যেমন : কাঠের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী। দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে চিতা জ্বালানো পর্যন্ত কাঠের ব্যবহার হয়ে থাকে। এজন্য মানুষ গাছ কাটে। কিন্তু গাছ আর লাগায় না। পৃথিবী হলো জীবকুলের আবাসন। গাছের অভাবে এই আবাসন ধীরে ধীরে হুমকির সম্মুখীন হয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি পৃথিবীর এ বিপন্ন অবস্থায় সতর্ক না হই, তবে আমরাই বিপদে পড়ব। আমরা পৃথিবীর চাহিদা মেটালে পৃথিবীও আমাদের চাহিদা মেটাবে। সুতরাং, উদ্দীপকের সঙ্গে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার পরোক্ষ সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপক এবং জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতা একই সার্থকতা বহন করে।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায়ও কবি গাছ লাগানোর জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে পৃথিবীতে ফুলের ফসল নেই। মানুষের মনে সুখ নেই। পৃথিবীব্যাপী খাদ্যের অভাব। ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার চারদিকে। এসব কারণে কবির কণ্ঠেও আর গান আসে না। কবি বৃক্ষকে আহ্বান করেছেন জেগে ওঠার জন্য। মূলত এই আহ্বান মানুষের প্রতি, বৃক্ষরে পুনর্জাগরণে ক্ষুধার্তের জন্য খাদ্য আসবে, আত্মারজন্য আনন্দ আসবে। মাটিতে প্রাণ ফিরে আসবে। কবির কণ্ঠে আবার বাজবে মৌসুমি গান।
উদ্দীপকে গাছের নানাবিধ ব্যবহার আলোচিত হয়েছে। গাছ শুধু আমাদের অক্সিজেন দেয় না, বরং প্রতিদিনই আমরা নানা কাজে কাঠের ব্যবহার করছি। সর্বত্রই বিশ্বব্যাপী কাঠের প্রয়োজন রয়েছে। ফলে মানুষ গাছ কাটছে। কিন্তু গাছ লাগাতে তারা উৎসাহী হচ্ছে না। এ কারণে প্রতিনিয়ত পৃথিবী বৃক্ষশূন্য হচ্ছে। প্রাণীর জীবন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা যদি আমাদের এই পৃথিবীকে এখনো রক্ষা না করি, তবে আমাদের বেঁচে থাকাটাই সমস্যার ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। গাছ লাগানোর মাধ্যমে আমরা যদি বিশ্বের চাহিদা পূরণ করি, তবে বিশ্বও আমাদের চাহিদা পূরণ করবে।
বৃক্ষরে জাগরণে পৃথিবীর হাহাকার ঘুচে যাবে এমন মত কবি জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় ব্যক্ত করেছেন। উদ্দীপকেও বলা হয়েছেÑ বৃক্ষ লাগানোর মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর চাহিদা পূরণ করলে পৃথিবীও আমাদের চাহিদা পূরণ করবে। তাই বলা যায়, উদ্দীপক ও কবিতা একই সার্থকতা বহন করে।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন-১১ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের বর্ণাঢ্য র্যালিতে গিয়েছিল শায়ক। র্যালি শেষে পাবলিক লাইব্রেরিতে বৃক্ষ বাঁচায় মানুষের জীবন শিরোনামে আয়োজিত সেমিনারে অংশগ্রহণ করে। বক্তারা বৃক্ষনিধনে পরিবেশের ওপর মারাত¥ক প্রভাব পড়ছে বলে দাবি করেন। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে, যা পরিবেশের জন্য মারাত¥ক হুমকিস্বরূপ।
ক. সুফিয়া কামালের সময় কাদের পড়াশোনার কোনো সুযোগ ছিল না? ১
খ. মাটির সাথে অরণ্যের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে বক্তাদের বক্তব্যে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবির ব্যথিত হওয়ার কারণ নিহিত কীভাবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “বৃক্ষ বাঁচায় মানুষের জীবন” – জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১২ জাফর সাহেব একজন প্রকৃতি প্রেমিক। তাই তিনি তার বাড়ির আশপাশে অনেক গাছ রোপণ করেন। তিনি চান পুরো দেশটাকে সবুজে সবুজে ভরে দিতে। পুরো দেশটা ফুলে ফলে ভরে উঠলেই তার দৃষ্টি জুড়াবে ও ভালো লাগবে। কারণ, মানুষ পরিবেশের বন্ধু বৃক্ষকে নির্বিচারে ধ্বংস করছে। ফলে পৃথিবী ধ্বংসের সম্মুখীন হচ্ছে।
ক. সুফিয়া কামাল কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. আত্মারআনন্দ আনো বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকটিতে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটিতে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার মূলভাব ফুটে উঠেছে কি? বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ সুফিয়া কামাল কোথায় জন্মগ্রহণ?
উত্তর : সুফিয়া কামাল বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কার কণ্ঠে মৌসুমি ফুলের গান জাগে না?
উত্তর : কবির কণ্ঠে মৌসুমি ফুলের গান জাগে না।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কবি চারদিকে কী শোনেন?
উত্তর : কবি চারদিকে হাহাকার শোনেন।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ফুলের কী নেই?
উত্তর : ফুলের ফসল নেই।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সব মুখ কী?
উত্তর : সব মুখ ¤স্নান।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ কোথায় স্নেহ পলস্নবের নিবিড় ছায়া ক্ষরিত হচ্ছে?
উত্তর : অরণ্যে স্নেহ পলস্নবের নিবিড় ছায়া ক্ষরিত হচ্ছে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ কবি কাদের জাগতে বলেছেন?
উত্তর : কবি অরণ্য কন্যাদের জাগতে বলেছেন।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ কবি কাদের মর্মরে মর্মরে বেজে জেগে উঠতে বলেছেন?
উত্তর : কবি অরণ্য কন্যাদের মর্মরে মর্মরে বেজে জেগে উঠতে বলেছেন।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ লেলিহান শিখা মেলে কাদের জেগে ওঠার আহ্বান জানানো হয়েছে?
উত্তর : অরণ্য কন্যাদের লেলিহান শিখা মেলে জেগে ওঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ মুমূর্ষু প্রাণ কীভাবে জাগাতে বলা হয়েছে?
উত্তর : কঙ্কণে ছন্দ তান তুলে মুমূর্ষু প্রাণ জাগাতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ ফুলের জন্য কী আনতে বলা হয়েছে?
উত্তর : ফুলের জন্য ফসল আনতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ কবি সুফিয়া কামাল কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : কবি সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ সাঁঝের মায়া কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা।
উত্তর : সাঁঝের মায়া কাব্যগ্রন্থটি কবি সুফিয়া কামালের লেখা।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কবি কী লক্ষ করে ব্যথিত হয়েছেন?
উত্তর : জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কবি নির্বিচারে অরণ্য নিধন লক্ষ্য করে ব্যথিত হয়েছেন।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ ধরা-প্রাণ কথাটির অর্থ কী?
উত্তর : ধরা-প্রাণ কথাটির অর্থ হলো পৃথিবীর জীবন।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ ক্ষরিছে শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ক্ষরিছে শব্দটির অর্থ হচ্ছে চুয়ে চুয়ে পড়ছে।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ কঙ্কণ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : কঙ্কণ শব্দের অর্থ হলো কাঁকন, নারীর হাতের অলঙ্কার বিশেষ।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় কারা ভীত?
উত্তর : বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় মানুষ ভীত।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ “মেলি লেলিহান শিখা তোমরা জাগিয়া ওঠো বলো!” – চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : মেলি লেলিহান শিখা তোমরা জাগিয়া ওঠো বলো!”-চরণটি দ্বারা কবি তরুকন্যাকে আহ্বান জানিয়েছেন আগুন রাঙা ফুল ফুটিয়ে আকাশে শাখা বিস্তার করতে।
সুফিয়া কামাল তার কবিতায় বর্তমান সময়ে বৃক্ষনিধনে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাই মৌসুমি ফুলের গান আর তার কণ্ঠে জাগে না। বরং চারপাশের সবুজ প্রকৃতির বিলীন হওয়া দেখে তার মন হাহাকার করে ওঠে। এ অবস্থা থেকে বৃক্ষকে কবি জেগে উঠতে বলেছেন। ফুলের সমারোহে আকাশ রঙিন করতে বলেছেন আলোচ্য চরণ দ্বারা এ কথাই বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কবি কঙ্কণে ছন্দ তুলে কী করতে বলেছেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কবি কঙ্কণে ছন্দ তুলে মরণাপন্ন পৃথিবীর জীবন জাগিয়ে তুলতে বলেছেন।
প্রকৃতিতে ফুল ও ফসলের সম্ভার কমে যাওয়ায় সবুজ-শ্যামল পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। কবি তাই তরুকন্যাকে আগুনের লেলিহান শিখার মতো জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন। কঙ্কণে ছন্দ তুলে বিপন্নতার হাত থেকে প্রকৃতিকে জাগিয়ে তোলার কথা বলেছেন।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ছড়াও প্রভাত আলো তোমাদের মুঠি ভরে ভরে- এ আহ্বানের মাধ্যমে কবি কোথায় আলো ছড়াতে বলেছেন?
উত্তর : বিনিদ্র চোখে যারা জেগে আছে, কবি তাদের জন্য আলো ছড়িয়ে দিতে বলেছেন।
কবি তরুকন্যাকে জেগে উঠতে বলেছেন, ফসল আনতে, ক্ষুধার্তের জন্য খাদ্য আনতে। নির্ঘুম চোখে যারা জেগে আছে কবি তাদের মধ্যে আলো ছড়িয়ে দিতে বলেছেন।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. মৌসুমে ফুলের গান কার কণ্ঠে আর জাগে না?
ক সাধারণ মানুষের > সুফিয়া কামালের
গ অরণ্যের ঘ পাখির
২. কবি কেন ব্যথিত হন?
ক ফুল-ফল না থাকায় খ মৌসুমি গান শোনায়
> অরণ্য-নিধন লক্ষ করে ঘ বৃক্ষরে বহ্নিজ্বালা দেখে
৩. কবি অরণ্য-কন্যাদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন কেন?
> পৃথিবীতে সবুজের বিস্তারের জন্য
খ মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য
গ ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য
ঘ মৌসুমি ফুল দেখার জন্য
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
পৃথিবীর জনসংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলছে। এ বাড়তি জনসংখ্যার জন্য প্রতিনিয়ত কমছে আবাদি জমি, বন, জঙ্গল। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা- ঘটছে পরিবেশ বিপর্যয়। বিষয়টি উপলব্ধি করে মফিজ খাঁ এবং আমিনা বেগম বৃক্ষমেলা থেকে প্রচুর চারা কিনে এনে এলাকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করেন।
৪. উদ্দীপকে বর্ণিত বাড়তি জনসংখ্যার ফলে সৃষ্ট সমস্যাটি জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কোন অবস্থাকে নির্দেশ করে?
ক ফুল-ফলশূন্য পৃথিবী খ বৃক্ষ-শূন্য পৃথিবী
> নির্বিচারে বৃক্ষনিধন ঘ বৃক্ষরে সমারোহ সৃষ্টি
৫. এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় যে নির্দেশনা রয়েছে তা হলো-
র. লাগাও গাছ, বাঁচাও দেশ
রর. বৃক্ষ মাটির মুক্তিদাতা
ররর. চারিদিকে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হোক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬ ও ৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সুস্থ পরিবেশের জন্য বৃক্ষরোপণ আবশ্যক। প্রতিটি নাগরিকের বছরে অন্তত একটি করে গাছ লাগানো উচিত। তাহলেই মানবজাতি বাঁচবে। মানুষের বসবাস উপযোগী পরিবেশ গড়ে উঠবে।
৬. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কোন বিষয়টি অনুচ্ছেদে ফুটে উঠেছে?
ক বক্ষরে বহ্নিজ্বালা খ ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি
গ বৃক্ষরে জন্য হাহাকার > বৃক্ষরে জন্য প্রত্যাশা
৭. উক্ত ফুটে ওঠা দিকটির সাথে সংগতিপূর্ণ চরণ কোনটি?
> জাগো তবে অরণ্য কন্যারা জাগো আজি
খ মাটি অরণ্যের পানে চায়
গ ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি প্রাণহীন
ঘ মৌসুমি ফুলের গান মোর কণ্ঠে জাগে না কো
৮. আপনার পত্রপুষ্পপুটে, অনন্ত যৌবনা করি সাজাইলে বসুন্ধরা
উদ্দীপকের সাথে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার প্রধান বৈসাদৃশ্য হলোÑ
ক বৃক্ষরে জ্বালা খ বৃক্ষরে যত্নহীনতা
> বৃক্ষ নিধন ঘ বৃক্ষরে ক্ষত
৯. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
> উদাত্ত পৃথিবী খ ছাড়পত্র
গ মাটির কান্না ঘ রূপসী বাংলা
উদ্দীপকটি পড়ে ১০ ও ১১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“ধূসরের ঊষরের কর তুমি অন্ত,
শ্যামলিয়া ও-পরশে করগো শ্রীমন্ত।”
১০. উদ্দীপকের সাথে নিচের কোন রচনার সাদৃশ্য রয়েছে?
ক দেশ খ নারীর স্বপ্ন
গ আবার আসিব ফিরে > জাগো তবে অরণ্য কন্যারা
১১. সাদৃশ্যপূর্ণ ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে যে চরণে
ক তুই আকাশের রানি, আমি পদ্মার রাজা
> জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙ্গায়
গ মেলি লেলিহান শিখা তোমরা জাগিয়া ওঠ
ঘ শরৎকালের শিশির সেথায় জ্বালায় মানিক আলা
১২. কবি সুফিয়া কামাল রচিত স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থটির নাম কী?
ক একাত্তরের দিনলিপি খ একাত্তরের যিশু
> একাত্তরের ডাইরি ঘ একাত্তরের দিনগুলি
১৩. সুফিয়া কামাল কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক ঢাকা খ কুমিল্লা > বরিশাল ঘ পাবনা
১৪. একাত্তরের ডাইরি কী জাতীয় জাতীয় গ্রন্থ?
> স্মৃতিকথামূলক খ কাব্য গ গল্প ঘ উপন্যাস
১৫. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় প্রাণহীন মুখগুলো কেমন?
ক ভয়ার্ত খ ক্ষুধার্ত গ অস্নান > ¤স্নান
১৬. গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচানÑস্তেস্নাগানের আভাস কোন কবিতায় রয়েছে?
ক দেশ খ নদীর স্বপ্ন
গ আবার আসিব ফিরে > জাগো তবে অরণ্য কন্যারা
১৭. কোনটি কবি সুফিয়া কামালের কাব্যগ্রন্থ?
ক বনফুল খ চক্রবাক > সাঁঝের মায়া ঘ বনলতা সেন
১৮. একাত্তরের ডাইরি গ্রন্থটি কার লেখা?
> কবি সুফিয়া কামাল খ কাজী নজরুল ইসলাম
গ জসীমউদ্দীন ঘ কামিনী রায়
১৯. কবির মতে মুমূর্ষু ধরা প্রাণকে কে জাগাতে পারে?
ক মনুষ্য কন্যারা খ মৌসুমি ফুলেরা
গ মাটির মমতারস > অরণ্য কন্যারা
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২০ ও ২১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সিলেট বেড়াতে গিয়ে মাহফুজ দেখল স্থানীয় দুষ্কৃতকারীরা অবৈধভাবে গাছ কেটে বন উজাড় করছে। সে ভাবল এভাবেইতো প্রকৃতির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে এবং প্রাণিজগৎ হুমকির মুখে পড়ছে।
২০. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাবটি কোন রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ক আবার আসিব ফিরে খ দেশ
গ দুই বিঘা জমি > জাগো তবে অরণ্য কন্যারা
২১. উক্ত সাদৃশ্য যে চরণে ফুটে ওঠে-
ক বনের পর বন চলেছে বনের নাহি শেষ
> ফুলের ফসল নেই, নেই কারও কণ্ঠে গান
গ কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব-এ কাঁঠাল ছাঁয়ায়
ঘ কত হেরিলাম মনোহর ধাম, কত মনোরম দৃশ্য
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
কবি-পরিচিতি
২২. সুফিয়া কামাল কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
> ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে খ ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে
গ ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে
২৩. সুফিয়া কামালের পৈতৃক নিবাস কোথায়? (জ্ঞান)
ক বরিশালে > কুমিল্লায় গ কুষ্টিয়ায় ঘ ফরিদপুরে
২৪. নিচের কোন গ্রন্থটি সুফিয়া কামাল শিশুদের জন্য রচনা করেছেন? (জ্ঞান)
ক মায়া কাজল
> নওল কিশোরের দরবারে
গ উদাত্ত পৃথিবী
ঘ সাঁঝের মায়া
২৫. কবি সুফিয়া কামাল কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে > ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে
গ ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে
২৬. মাহমুদার দাদি তৎকালীন সময় নারী শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকার পরও নিজের চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন। এদিক দিয়ে মাহমুদার দাদির সাথে কোন কবির মিল পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
> সুফিয়া কামাল খ জাহানারা ইমাম
গ কামিনী রায় ঘ স্বর্ণ কুমারী দেবী
মূলপাঠ
২৭. সেখানে ক্ষরিছে স্নেহ পলস্নবের নিবিড় ছায়ায়-চরণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে
> মাটির মমতার রসে বৃক্ষগুলো পত্রপলস্নবে ভরে উঠেছে
গ ফুলে ফুলে পৃথিবী ভরে গিয়েছে
ঘ গাছের ছায়ায় পথিক সাšত্ম্বনা পায়
২৮. মাটি অরণ্যের পানে চায়- কথাটি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক বৃক্ষরে সমারোহ সৃষ্টি > বৃক্ষরে জন্য মাটির আকুলতা
গ মাটির ক্ষয় হয়ে যাওয়া ঘ বৃক্ষরে নিধন হওয়া
২৯. কবি চারদিকে কী শোনেন? (জ্ঞান)
ক কান্না > হাহাকার গ প্রতিধ্বনি ঘ গুঞ্জন
৩০. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় ক্ষুধার্তের জন্য কী আনার কথা বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ফল খ ফসল > খাদ্য ঘ ফুল
৩১. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় আত্মারজন্য কী আনার কথা বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
> আনন্দ খ খাদ্য গ দুঃখ ঘ হতাশা
৩২. কার বুকে বহ্নিজ্বালা? (জ্ঞান)
ক ফুলের খ ফলের > বৃক্ষরে ঘ সকলের
৩৩. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় সকলের দৃষ্টি কেমন? (জ্ঞান)
ক হিংস্র আক্রোশের খ প্রাণহীন শান্ত
> ভয়ার্ত ক্ষুধার্ত ঘ গতিহীন মন্থর
৩৪. মাটি কার পানে চায়? (জ্ঞান)
ক আকাশের পানে > অরণ্যের পানে
গ বৃষ্টির পানে ঘ নদীর পানে
৩৫. নিবিড় ছায়া বলতে কী বোঝায়? (জ্ঞান)
ক হালকা ছায়া খ হালকা ফরসা
> গাঢ় ছায়া ঘ গাঢ় আলো
৩৬. কবি কীভাবে জাগতে বলেছেন? (জ্ঞান)
> মর্মর শব্দে খ সশব্দে
গ নীরবে ঘ কর্কশ শব্দে
৩৭. ক্ষুধার্ত মানুষের দৃষ্টি কেমন? (জ্ঞান)
> ¤স্নান খ হাসিখুশি গ ঝকঝকে ঘ দুঃখিত
৩৮. কারা লেলিহান শিখা মেলে জেগে উঠবে? (জ্ঞান)
> অরণ্য কন্যারা খ ফুলেরা
গ ফলেরা ঘ প্রকৃতি
৩৯. বিহ্নজ্বালা কোথায় বাজে? (জ্ঞান)
ক মর্মরে খ হৃদয়ে > বক্ষে ঘ বৃক্ষে
৪০. বৃক্ষরে শাখায় আগুন রাঙা ফুলকে কবি কীসের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন? (জ্ঞান)
> লেলিহান শিখা খ স্নেহ পলস্নব
গ বক্ষরে বিহ্নজ্বালা ঘ ফুলের ফসল
৪১. বৃক্ষরে বুকে যন্ত্রণার আগুন কেন? (অনুধাবন)
> বৃক্ষ নিধন বৃদ্ধির কারণে
খ ফল ফুল কম হওয়ার কারণে
গ বৃক্ষরে পাতা ঝড়ে যাওয়ার কারণে
ঘ বৃক্ষ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে
৪২. সব মুখ ¤স্নান কেন? (অনুধাবন)
> বিলীন হওয়ার ভয়ে ভীতি বলে
খ প্রকৃতিতে মৌসুমি ফুল নেই বলে
গ চারিদিকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য রয়েছে বলে
ঘ মানুষের কণ্ঠে গান নেই বলে
৪৩. সকলের ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টির কারণ কী? (অনুধাবন)
ক মৌসুমি ফুল ফোটেনি বলে
> মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মুখে বলে
গ তারা অতি দরিদ্র বলে
ঘ আত্মারআনন্দ আর নেই বলে
৪৪. মর্মরে মর্মরে কী বেজে ওঠে? (অনুধাবন)
> বৃক্ষরে বুকের বহ্নিজ্বালা
খ ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার
গ ¤স্নান মুখের আহাজারি
ঘ ভয়ার্ত মানুষের ক্রন্দন
৪৫. একটি গাছ কাটার অর্থ একটি প্রাণের ধ্বংস করা। আর সমগ্র গাছ ধ্বংস করা মানে প্রাণের অস্তিত্ব শেষ করে দেওয়া। এই ভাবটি জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কোন চরণের ভাবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক বৃক্ষরে বক্ষে বহ্নিজ্বালা
> চারদিকে শুনি হাহাকার
গ ফুলের ফসল আনো
ঘ আত্মারআনন্দ আনো
৪৬. কবি কীভাবে মুমূর্ষু ধরা- প্রাণ জাগাতে বলেছেন? (অনুধাবন)
> কঙ্কণে ছন্দ তান তুলে খ ফুলের সমারোহের মাধ্যমে
গ আত্মারআনন্দের মাধ্যমে ঘ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেয়ার মাধ্যমে
৪৭. কবি জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় মুঠি ভরে কোন আলো ছড়াতে বলেছেন? (জ্ঞান)
ক সাঁঝের খ রাতের গ দুপুরের > প্রভাতের
৪৮. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় কোন ফুলের কথা বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক শাপলা খ গোলাপ > মৌসুমি ফুল ঘ বন্য ফুল
৪৯. রহমত চৌধুরী বৃক্ষপ্রেমিক। প্রকৃতিতে বৃক্ষনিধন দেখে তার মন হাহাকার করে ওঠে। রহমত সাহেবের মনোভাবের সঙ্গে কোন কবির মনোভাব সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক কামিনী রায় > সুফিয়া কামাল
গ সুকান্ত ভট্টাচার্য ঘ বুদ্ধদেব বসু
৫০. অরণ্য কন্যাদের জাগরণের ফলে আমাদের প্রকৃতির রূপ কেমন হবে? (অনুধাবন)
ক মানুষে ভরপুর > ফুলে-ফসলে ভরপুর
গ সম্পদে ভরপুর ঘ মৌসুমি ফুলে ভরপুর
৫১. দিকে দিকে সবুজ বৃক্ষরে সমারোহ ও ফুল ফসলে পৃথিবী ভরে ওঠার ফলাফল কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
> পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা পাবে
খ পৃথিবী সম্পদে পরিপূর্ণ হবে
গ পৃথিবী রঙিন হবে
ঘ বৃক্ষরে সাথে মানুষের সম্পর্ক রচিত হবে
৫২. পৃথিবী বাঁচাতে কী করা জরুরি? (উচ্চতর দক্ষতা)
> বৃক্ষরোপণ করা খ গাছের ব্যবহার বাড়ানো
গ গাছ বিক্রি করা ঘ চারা গাছকাটা
৫৩. জাগাও মুমূর্ষু ধরা প্রাণ- বাক্যটির মূল অর্থ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পরনির্ভরশীলতা খ প্রকৃতি নির্ভরতা
গ প্রাণ সৌন্দর্য > মৃৎপ্রায় পৃথিবীকে বাঁচানোর আকুতি
৫৪. ছড়াও প্রভাত আলো তোমাদের মুঠি ভরে ভরে।- চরণটির মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক প্রকৃতির বিপন্নতায় প্রাণের হাহাকার
> পৃথিবীকে সুন্দর করার প্রত্যাশা
গ বৃক্ষময় বাংলাদেশ
ঘ বৃক্ষরে কাছে প্রার্থনা
৫৫. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় অরণ্যকে কন্যার সঙ্গে তুলনা করার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অরণ্য ও কন্যা সমান বলে
খ একটি আরেকটির পরিপূরক বলে
> মানুষের সঙ্গে বৃক্ষরে গভীর সম্পর্ক বোঝাতে
ঘ মায়ের সঙ্গে কন্যার সম্পর্ক বোঝাতে
৫৬. চারদিকে শুনি হাহাকার- এখানে মূলত কীসের হাহাকারের কথা বলা হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
> প্রকৃতির বিপন্নতায় প্রাণের হাহাকার খ ফুলের হাহাকার
গ ফলের হাহাকার ঘ বৃক্ষরে ক্রন্দন
৫৭. খাদ্য আনো ক্ষুধার্তের লাগি- কবির এ আহ্বান কার প্রতি?
ক বৃক্ষ > অরণ্য কন্যার গ দিগন্ত ঘ বঙ্গভূমি
৫৮. কবি কীসের আনন্দ আনার আহ্বান জানিয়েছেন?
ক দেহের > আত্মার গ জীবনের ঘ পৃথিবীর
শব্দার্থ ও টীকা
৫৯. ক্ষরিছে শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক টপ টপ করে পড়ছে > চুয়ে চুয়ে পড়ছে
গ টল টল করে পড়ছে ঘ টিপ টিপ পড়ছে
৬০. ¤স্নান শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
> মলিন খ তাজা গ ভিজা ঘ শুকনা
৬১. কঙ্কণ কীসের অলঙ্কার? (অনুধাবন)
> হাতের খ পায়ের গ কানের ঘ গলার
৬২. কবি বৃক্ষ কন্যাদের আহ্বান জানিয়েছেন কেন? (অনুধাবন)
> প্রকৃতিকে সবুজ শ্যামলে ভরিয়ে তোলার জন্য
খ সামাজিকভাবে সচেতন হওয়ার জন্য
গ নিজেদেরকে সাহসী করে তোলার জন্য
ঘ পৃথিবীর সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য
৬৩. ধরা-প্রাণ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
> পৃথিবীর জীবন খ যে প্রাণ ধরে
গ পৃথিবী ঘ বিপন্ন পৃথিবী
পাঠ-পরিচিতি
৬৪. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার কবি কে? (জ্ঞান)
ক গোলাম মোস্তফা খ কাজী নজরুল ইসলাম
> সুফিয়া কামাল ঘ সুকান্ত ভট্টাচার্য
৬৫. কবি সুফিয়া কামাল কাদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন? (জ্ঞান)
ক শস্য কন্যাদের খ পুষ্প কন্যাদের
> বৃক্ষ কন্যাদের ঘ শ্যামল কন্যাদের
৬৬. কবি সুফিয়া কামালের মন ব্যথিত কেন? (অনুধাবন)
ক চারপাশের অশান্তি দেখে খ চারপাশের বিশৃঙ্খলা দেখে
> চারপাশের অরণ্য নিধন দেখে ঘ চারপাশের পরিবেশ দূষণ দেখে
৬৭. কবি সুফিয়া কামাল জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় বৃক্ষ কন্যাদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন প্রকৃতিকে শ্যামল, সবুজ করে তোলার জন্য। এর মাধ্যমে তার মনের কোন ভাবটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কবিতার প্রতি ভালোবাসার খ সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের
> প্রকৃতির প্রতি প্রেমের ঘ দেশের প্রতি কর্তব্যবোধের
৬৮. বৃক্ষহীন হলে কী হবে বলে কবি মনে করেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পশুপাখি কষ্ট পাবে খ মানুষ কষ্ট পাবে
গ সবাই কষ্ট পাবে > প্রাণের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
কবি–পরিচিতি
৬৯. কবি সুফিয়া কামাল তাঁর কবি প্রতিভার জন্য যে পুরস্কার লাভ করেন- (অনুধাবন)
র. একুশে পদক রর. মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার
ররর. বুলবুল ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৭০. সুফিয়া কামালের কবিতার বৈশিষ্ট্য হলো- (অনুধাবন)
র. সহজ রর. ভাষা সুললিত
ররর. ছন্দ ব্যঞ্জনাময়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৭১. কবি সুফিয়া কামাল নিজের চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন- (অনুধাবন)
র. তাঁর আমলে মেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ ছিল না বলে
রর. মুসলিম মেয়েদের জীবনযাপন ছিল কঠিন
ররর. তাঁর এলাকায় কোনো বিদ্যালয় ছিল না বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. সুফিয়া কামাল সুদীর্ঘকাল সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও নারীকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থেকেছেন। এর মাধ্যমে তাকে আখ্যায়িত করা যায়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আত¥প্রত্যয়ী হিসেবে রর. সংগ্রামী হিসেবে
ররর. নারীদের আদর্শ হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
মূলপাঠ
৭৩. কবির মনে অরণ্য কন্যাদের জেগে ওঠার প্রত্যাশা যে কারণে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সবুজ বৃক্ষরে সমারোহ সৃষ্টির জন্য
রর. পৃৃথিবীকে ফুলে ও ফসলে ভরে তোলার জন্য
ররর. মানুষের বিপন্ন অস্তিত্ব রক্ষার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৭৪. কবির চারদিকে হাহাকার শোনার কারণ- (অনুধাবন)
র. মাটির মমতার রসে নতুন গাছের সৃষ্টি
রর. কণ্ঠে কারও গান না থাকা
ররর. প্রাণহীন মুখের মলিনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. মানুষের দৃষ্টি ভয়ার্ত হওয়ার কারণ- (অনুধাবন)
র. প্রকৃতিতে ফুল ফসল কমে যাওয়ায়
রর. বিদেশি অর্থ সাহায্য বন্ধ হওয়ায়
ররর. সবুজ প্রকৃতি বিলীন হওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. কবির ধরা-প্রাণকে মুমূর্ষু বলার কারণ- (অনুধাবন)
র. বৃক্ষ নিধনে প্রকৃতি বিরান হচ্ছে
রর. বৃক্ষ নিধনে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে
ররর. বৃক্ষ কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ থেকে বিরত থাকছে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৭. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় যা আনতে বলা হয়েছে – (অনুধাবন)
র. আত্মারআনন্দ রর. ফুলের ফসল
ররর. ক্ষুধার্তের খাদ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
শব্দার্থ ও টীকা
৭৮. উদ্দীপকে মুমূর্ষু শব্দটি জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতায় যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে- (অনুধাবন)
র. মৃতপ্রায় রর. মরণাপন্ন
ররর. মরে যাচ্ছে এমন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৭৯. অতন্দ্র শব্দটি যে অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে- (অনুধাবন)
র. চোখ রর. নিদ্রাহীন
ররর. তন্দ্রাহীন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-পরিচিতি
৮০. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতাটি পাঠ করার ফলাফল হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সকলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে আগ্রহী হবে
রর. সকলে ঐশ্বর্য রক্ষায় সচেতন হবে
ররর. সকলে বৃক্ষ নিধনের ব্যাপারে অনাগ্রহী হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৮১. জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতাটি পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা- (অনুধাবন)
র. প্রকৃতির প্রতি সহানুভূতিশীল হবে
রর. প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগে আগ্রহী হবে
ররর. পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮২. কবি অরণ্য কন্যাদের জাগরণ প্রত্যাশা করেন- (অনুধাবন)
র. মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য
রর. সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য
ররর. প্রকৃতিকে সুশোভিত করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আফসানার দাদির সময় মেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ ছিল না। তারপরও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া করেন। তিনি সাহিত্যচর্চা ও সমাজের উন্নয়ন ও নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন কাজ করে থাকেন।
৮৩. আফসানার দাদির জীবনের ঘটনার সঙ্গে কোন কবির জীবনী সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক কামিনী রায়ের > বেগম সুফিয়া কামালের
গ জাহানারা ইমামের ঘ স্বর্ণকুমারী দেবীর
৮৪. উক্ত কবি তার এলাকার একজন স্মরণীয় ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দীর্ঘদিন সাহিত্যচর্চা করার কারণে
রর. নারীদের উন্নয়নে কাজ করার কারণে
ররর. নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত থাকার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৫ ও ৮৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অনিকদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষ নিধন হতে দেখে তার মন হাহাকার করে ওঠে। তাই সে তার এলাকার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপণে মনোযোগী হয় এবং সে প্রতিটি বাড়ি গিয়ে বৃক্ষরোপণের জন্য সকলকে উৎসাহিত করে।
৮৫. অরণ্য নিধন দেখে অনিকের মন হাহাকার করে ওঠে। তার মনের অবস্থার সঙ্গে কোন কবির সাদৃশ্য পরিলক্ষতি হয়? (প্রয়োগ)
ক গোলাম মোস্তফা > সুফিয়া কামাল
গ কামিনী রায় ঘ বুদ্ধদেব বসু
৮৬. অনিক প্রতিটি বাড়িতে বৃক্ষরোপণের জন্য সবাইকে উৎসাহিত করার কারণ হিসেবে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতার যে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য- (অনুধাবন)
> প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য
খ প্রচুর পরিমাণে ফল পাওয়ার জন্য
গ প্রচুর পরিমাণে ফুল পাওয়ার জন্য
ঘ বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য