SSC-২০২৩ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়- সৌরজগৎ ও ভূমণ্ডল সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
তৃতীয় অধ্যায়
সৌরজগৎ ও ভূমণ্ডল
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
সৌরজগৎ : সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উল্কা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলা হয় সৌরজগৎ। সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র হলো সূর্য। সৌরজগতের ৮টি গ্রহ, ৪৯টি উপগ্রহ, হাজার হাজার গ্রহাণুপুঞ্জ ও লক্ষ লক্ষ ধূমকেতু রয়েছে।
সূর্য : সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলো সূর্য। সূর্য একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র।
গ্রহ : মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতকগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে; এদের গ্রহ বলা হয়। সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা ৮টি। বুধ ,শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন।
গুরুমণ্ডল : অশ্মমণ্ডলের নিচে প্রায় ২,৮৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মূলত ব্যাসল্ট শিলা দিয়ে গঠিত পুরুমণ্ডলকে গুরুমণ্ডল বলে।
কেন্দ্রমণ্ডল : গুরুমণ্ডলের নিচ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত মণ্ডলটিকে কেন্দ্রমণ্ডল বলে। এ স্তর প্রায় ৩,৪৮৬ কিলোমিটার পুরু।
অ বাংশ : পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরুরেখা বলে। দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এ রেখাকে বলা হয় নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অ বাংশ বলে। ২৩.৫˚ উত্তর অ বাংশকে বলা হয় কর্কটক্রান্তি। ২৩.৫˚ দক্ষণি অ বাংশকে বলা হয় মকরক্রান্তি। বিষুবরেখাকে বলা হয় মহাবৃত্ত।
দ্রাঘিমারেখা : নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর ওপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষণি মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয়েছে তাকে দ্রাঘিমারেখা বলে। দ্রাঘিমারেখাকে মধ্যরেখাও বলা হয়।
মূল মধ্যরেখা : যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ মান মন্দিরের ওপর দিয়ে উত্তর মেরু ও দক্ষণি মেরু পর্যন্ত বি¯ত্মৃত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে। এই রেখার মান ধরা হয়েছে।
সমাক্ষরেখা : পৃথিবীর বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণ ৩৬০। এই কোণকে ডিগ্রী , মিনিট ও সেকেন্ডে বিভক্ত করা হয়। নিরক্ষরেখা থেকে প্রত্যেক মেরুর কৌণিক দূরত্ব ৯০। এই কোণকে ডিগ্রী ও মিনিটে ভাগ করে নিরক্ষরেখার সমান্তরাল যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে সমাক্ষরেখা বলে।
স্থানীয় সময় : পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনো স্থানে সূর্য যখন ঠিক মাথার উপর আসে বা সর্বোচ্চে অবস্থান করে তখন ঐ স্থানে মধ্যাহ্ন এবং ঐ স্থানের ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। একে ঐ স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়।
প্রমাণ সময় : প্রত্যেক দেশেই সেই দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে।
প্রতিপাদ স্থান : ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর ঠিক বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে।
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা : জলভাগের ওপর মানচিত্রে ১৮০˚ দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।
আহ্নিক গতি : পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে সৌরদিন বলে। নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আহ্নিক গতির বেগ সবচেয়ে বেশি। এখানে পৃথিবীর আিহ্নক গতি ঘণ্টায় ১,৬১০ কিলোমিটারেরও বেশি। পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষণি মেরুতে এ গতিবেগ শূন্যের কাছাকাছি।
বার্ষিক গতি : পৃথিবী সৌরজগতের অন্যতম গ্রহ বলে পৃথিবীও প্রতিনিয়ত উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষণি করছে। পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে পৃথিবীর এ পরিভ্রমণকে পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতি বলে।
জোয়ার-ভাটার কারণ : প্রধানত দুটি কারণে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয় যথা :
১. চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব।
২. পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন কেন্দ্রাতিগ শক্তি।
জোয়ার-ভাটার প্রভাব : মানবজীবনে জোয়ার-ভাটার অনেক প্রভাব দেখা যায়। জোয়ার-ভাটার প্রভাবে নদীর মোহনা পরিষ্কার থাকে, জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হয় ইত্যাদি।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ইউরেনাসের উপগ্রহ কোনটি?
ক ক্যাপিটাস > এরিয়েল
গ নেরাইড ঘ গ্যানিমেড
২. শনির বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসগুলোর মিশ্রণ রয়েছে?
ক নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম > হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম
গ কার্বন ডাই অক্সাইড ও হিলিয়াম ঘ অক্সিজেন ও হিলিয়াম
৩. পৃথিবী উপবৃত্তাকার পথে পরিক্রমণ করার কারণেÑ
র. বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব হয়
রর. মাধ্যাকর্ষণ শক্তির হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে
ররর. দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যরে তারতম্য ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর > র ও ররর ঘ রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
অর্পিতা প্রতিদিন খুব ভোরে পড়তে বসে। একদিন সে লক্ষ করে, পূর্বদিকের আকাশে ভোরবেলাতেও একটি তারা দেখা যাচ্ছে। অর্পিতা বুঝতে পারে যে সে একটি গ্রহ দেখেছে।
৪. অর্পিতার দেখা গ্রহটির নাম কী?
> শুক্র খ শনি গ মঙ্গল ঘ নেপচুন
৫. পৃথিবীর সাথে উক্ত গ্রহের কোন বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষতি হবে?
> গ্রহটির উপগ্রহ নেই
খ গ্রহটিতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে
গ গ্রহটির চারদিকে বলয় আছে
ঘ গ্রহটি নীলাভ বর্ণের
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. জোয়ার-ভাটার কারণ কোনটি?
ক পৃথিবীর বার্ষিক গতি > পৃথিবীর আহ্নিক গতি
গ অক্ষরেখার অসম দৈর্ঘ্য ঘ পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ
২. ‘ক’ দেশটির অবস্থান ৬০˚ পূর্ব দ্রাঘিমায়। এর প্রতিপাদ স্থান কোনটি?
ক ৬০˚ পশ্চিম খ ৯০˚ পশ্চিম গ ১২০˚ পূর্ব > ১২০˚ পশ্চিম
৩. ‘টাইটান’ হলো-
ক গ্রহ > উপগ্রহ গ নক্ষত্র ঘ ধূমকেতু
৪. কোন গ্রহের আকাশে বছরে দুইবার সূর্য উদিত হয়?
ক শুক্র খ মঙ্গল > বৃহস্পতি ঘ শনি
৫. অমাবস্যা তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সাথে কীভাবে অবস্থান করে?
ক সমকোণে > একই পার্শ্বে গ সমসূত্রে ঘ দুই পার্শ্বে
৬. পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্য অপেক্ষা কতগুণ?
> ২ গুণ খ ৩ গুণ গ ৪ গুণ ঘ ৫ গুণ
৭. ঢাকা হতে পঞ্চগড়ের সময়ের পার্থক্য ৮ মিনিট। ঢাকায় দ্রাঘিমা ৯০˚ পূর্ব হলে পঞ্চগড়ের দ্রাঘিমা কত?
ক ৮২ ˚ খ ৮৮ ˚ > ৯২˚ ঘ ৯৮ ˚
৮. কোনো স্থানের সময় সকাল ১১ টা হলে ঐ স্থান হতে ২˚ পূর্বে কোনো স্থানের সময় কী হবে?
ক ১০টা ৫২ মিনিট খ ১০টা ৫৮ মিনিট
গ ১১টা ২ মিনিট > ১১টা ৮ মিনিট
৯. সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ কোনটি?
ক বুধ > বৃহস্পতি গ শুক্র ঘ মঙ্গল
১০. সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা কতটি?
ক ৬টি খ ৭টি > ৮টি ঘ ৯টি
১১. নিরক্ষরেখা থেকে প্রত্যেক মেরুর কৌণিক দূরত্ব-
ক ৬০˚ খ ৭০˚ গ ৮০˚ > ৯০˚
১২. নিচের কোনটি ইউরেনাসের উপগ্রহ?
ক নেরাইড > মিরিন্ডা গ হুয়া ঘ ইউরোপা
১৩. সূর্যের দক্ষণিায়নের শেষ দিনটি কত তারিখ?
> ২২ ডিসেম্বর খ ২১ জুন
গ ২৩ সেপ্টেম্বর ঘ ২১ মার্চ
১৪. কী কারণে বায়ুমণ্ডল বেশি উত্তপ্ত হয়?
দিনের পরিমাণ বেশি হলে
খ সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পতিত হলে
গ জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হলে
ঘ শীতল অঞ্চল থেকে বায়ু প্রবাহিত হলে
১৫. সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বদা সমান না থাকার কারণ কোনটি?
ক সূর্যরশ্মি অধিক স্থানব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বলে
খ সূর্য পৃথিবীর সর্বত্র লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে
গ সূর্যরশ্মি অধিক বায়ুস্তর ভেদ করে বলে
> পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার বলে
১৬. শনির উপগ্রহ কয়টি?
ক ২টি খ ৫টি গ ১৬টি > ২২টি
১৭. ১˚ দ্রাঘিমান্তরে কত মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়?
ক ৩ খ ৪ গ ৫ ঘ ৬
১৮. ওজোনস্তরের আনুমানিক গভীরতা কত?
ক ৮ ১০ কিমি > ১২-১৬ কিমি
গ ৫-৬ কিমি ঘ ২-৩ কিমি
১৯. সৌরজগতের চিত্র-
‘অ’ চিহ্নিত গ্রহটি সূর্যের চারিদিকে পরিক্রমণ করতে কত দিন সময় লাগে?
ক ৭২ দিন > ৮৮ দিন গ ৯২ দিন ঘ ১০২ দিন
২০. টাইটান কোন গ্রহের উপগ্রহ?
> শনি খ বৃহস্পতি গ নেপচুন ঘ ইউরেনাস
২১. কোন গ্রহের কোনো উপগ্রহ নেই?
> শুক্র খ শনি গ মঙ্গল ঘ নেপচুন
২২. বায়ুমণ্ডলের যে স্তর দিয়ে বিমান চলাচল করে সেটি কোন স্তর নামে পরিচিত?
ক স্ট্র্যাটোমণ্ডল খ গুরুমণ্ডল > ট্রপোপস ঘ ওজোন স্তর
২৩. জনাব ‘ক’ সকাল ঠিক ১০টার সময় ঢাকায় অবস্থান করছে। তাঁর ১ ডিগ্রি পশ্চিমে অবস্থান করছে জনাব ‘খ’। জনাব ‘খ’ এর অবস্থিত স্থানের সময় কত হবে?
ক ৯টা ২৪ মিনিট > ৯টা ৫৬ মিনিট
গ ১০টা ৪ মিনিট ঘ ১০টা ২৪ মিনিট
২৪. ডিমোস ও ফেবোস কোন গ্রহের উপগ্রহ?
> মঙ্গল খ বৃহস্পতি গ শনি ঘ নেপচুন
২৫. গ্রিনিচের দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি?
> ০ ডিগ্রি খ ৬০ ডিগ্রি পূর্ব
গ ৯০ ডিগ্রি পূর্ব ঘ ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিম
২৬. পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি?
ক বুধ > শুক্র গ মঙ্গল ঘ বৃহস্পতি
২৭. ১২˚ ৩০˚ দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য কত?
ক ৩৯ মিনিট খ ৪৫ মিনিট
> ৫০ মিনিট ঘ ৫৪ মিনিট
২৮. সূর্য থেকে শুক্রের এবং পৃথিবী থেকে শুক্রের দূরত্বের পার্থক্য কত কোটি কিলোমিটার?
ক ৪.৩ খ ৫.৮ > ৬.৫ ঘ ৭.৮
২৯. ‘নিফে’ স্তরটি কোন মণ্ডলে অবস্থিত?
ক ট্রপোমণ্ডলে খ গুরুমণ্ডলে
গ অশ্বমণ্ডলে > কেন্দ্রমণ্ডলে
৩০. একটি স্থানের দ্রাঘিমা ৯০˚ পূর্ব এবং অপর একটি স্থানের দ্রাঘিমা ৭০˚ পূর্ব, স্থান দুটির মধ্যেকার সময়ের পার্থক্য কত?
ক ১ ঘণ্টা > ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
গ ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ঘ ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট
৩১. দক্ষণি এশিয়ার দেশগুলো প্রচুর সৌরশক্তি পায় কোন অ বাংশে অবস্থিত হওয়ার কারণে?
> ০˚ -৩০˚ খ ৩০˚ -৬০˚ গ ৬০˚ -৯০˚ ঘ ৮০˚ -৯০˚
৩২. কোন সময়ে উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল বিরাজ করে?
ক জানুয়ারি-মার্চ > ফেব্রম্নয়ারি-এপ্রিল
গ মার্চ-মে ঘ এপ্রিল-জুন
৩৩. ‘ডিমোস’ ও ‘ফেবোস’ কোন গ্রহের উপগ্রহ?
ক শনি খ পৃথিবী > মঙ্গল ঘ বৃহস্পতি
৩৪. বৃহস্পতির উপগ্রহ কোনটি?
ক ক্যাপিটাস খ এরিয়েল গ নেরাইড > গ্যানিমেড
৩৫. শনির বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসগুলোর মিশ্রণ রয়েছে?
ক নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম
> হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম
গ কার্বন ডাই অক্সাইড ও হিলিয়াম
ঘ অক্সিজেন ও হিলিয়াম
৩৬. সূর্যে কোন গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
ক হিলিয়াম খ নাইট্রোজেন
> হাইড্রোজেন ঘ সালফার
৩৭. সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে কোনটি দেখা যায়?
ক মঙ্গল > শুক্র গ শনি ঘ বৃহস্পতি
৩৮. আহ্নিক গতির ফলে কী হয়?
ক দিনরাত্রির হ্রাসবৃদ্ধি > দিন ও রাত
গ ঋতু পরিবর্তন ঘ জলবায়ুর পরিবর্তন
৩৯. কোনো স্থানে যখন বেলা ১২টা তখন সে স্থান থেকে ১০ ডিগ্রি পশ্চিমে অবস্থিত স্থানের সময় কত হবে?
> ১১.২০ ঘণ্টা খ ১২.২০ ঘণ্টা
গ ১২.৪০ ঘণ্টা ঘ ১২.৫০ ঘণ্টা
৪০. সূর্য কী?
> একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র খ উপগ্রহ
গ একটি উল্কাপিণ্ড ঘ একটি উজ্জ্বল নীহারিকা
৪১. ‘অ’ চিহ্নিত রেখাটির নাম কী?
ক নিরক্ষরেখা > কর্কটক্রান্তি
গ মূল মধ্যরেখা ঘ মকরক্রান্তি
৪২. পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি?
ক মঙ্গল খ বুধ গ বৃহস্পতি > শুক্র
৪৩. পৃথিবীই জীবনধারণের জন্য আদর্শ গ্রহ। কথাটির তাৎপর্য কী?
ক পৃথিবী সূর্যের চারদিকে সুশৃঙ্খলভাবে ঘোরে বলে
> জীবনধারণের প্রয়োজনীয় সব উপাদান আছে
গ যথেষ্ট মহাকর্ষ বল আছে
ঘ জীবের বংশ বি¯ত্মার সহজ হয়
৪৪. কোনটি ভূ-অভ্যন্তরের একটি স্তর?
ক তাপমণ্ডল > কেন্দ্রমণ্ডল গ ট্রপোমণ্ডল ঘ মেসোমণ্ডল
৪৫. নিরক্ষরেখার বৈশিষ্ট্য কোনটি?
> নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে
খ নিরক্ষরেখা দ্বারা জলবায়ু প্রভাবিত হয়
গ নিরক্ষরেখা দ্বারা সময় নিরূপণ করা যায়
ঘ নিরক্ষরেখা দ্বারা তারিখ নিরূপণ করা যায়
৪৬. এক স্থানের দ্রাঘিমা পূর্ব হলে এর প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা কোন দিকে হবে?
ক উত্তরে খ দক্ষিণে > পশ্চিমে ঘ পূর্বে
৪৭. গ্রিনিচের দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি?
> ০০ খ ৩০০ গ ৬০০ ঘ ৯০০
৪৮. নিরক্ষরেখার অ বাংশ ০˚ কেন?
ক পৃথিবী উপবৃত্তাকার বলে খ পৃথিবী গোলাকার বলে
> পৃথিবীর মাঝখানে বলে ঘ পৃথিবী সমান্তরাল বলে
৪৯. ১৮০˚ পূর্ব ও পশ্চিম দ্রাঘিমারেখাটি কী নামে পরিচিত?
ক মূল মধ্যরেখা খ অক্ষরেখা
গ প্রতিপাদ স্থান > আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা
৫০. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা সাইবেরিয়ার উত্তর-পূর্বে কীসের ওপর দিয়ে গিয়েছে?
ক পাহাড়ের খ পর্বতের
> দ্বীপপুঞ্জের ঘ সমুদ্রের
৫১. পৃথিবী নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যকে পরিভ্রমণ করছে। এ কথাটি বিশ্লেষণ করলে কী দেখা যায়?
> পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে
খ সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে
গ পৃথিবী সূর্যের অক্ষ কেন্দ্র করে ঘুরছে
ঘ পৃথিবী সূর্যের কক্ষপথে অবিরত ঘুরছে
৫২. পৃথিবীর নিজ অক্ষরে ওপর একদিনে আবর্তন করাকে বলে আিহ্নক গতি একবছরে সূর্যকে পরিক্রমণ করাকে কী বলে?
> বার্ষিক গতি খ ঘূর্ণন গতি
গ দোলন গতি ঘ রৈখিক গতি
৫৩. ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়; এর ফলে কীসের প্রতিফলন ঘটে?
ক উত্তর গোলার্ধে এ সময় তাপমাত্রা বেশি হয়
খ এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল
> এ সময় পৃথিবীর তাপমাত্রা সহনশীল হয়
ঘ এ সময় উত্তর গোলার্ধে ঝড় বৃষ্টি হয়
৫৪. ২০ জুন অপু স্যার ক্লাসে বললেন কাল কিন্তু সূর্য পূর্ব দিকে উঠবে না। তাহলে ঐ দিন সূর্য কোন দিকে উঠবে?
> উত্তর-পূর্ব কোণে খ পশ্চিম দিকে
গ দক্ষণি-পূর্ব কোণে ঘ দক্ষণি দিকে
৫৫. বছরের কোনো সময় দিনের দৈর্ঘ্য বেশি আবার কোনো সময় রাতের দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ার কারণ কী?
ক পৃথিবীপৃষ্ঠের অভিকর্ষ বল খ চন্দ্র দ্বারা পৃথিবীর আকর্ষণ
> পৃথিবী দ্বারা সূর্যকে প্রদক্ষণি ঘ পৃথিবীর আবর্তন গতি
৫৬. সূর্যের উন্নতি পরিমাপক যন্ত্রের নাম কী?
ক ব্যারোমিটার সেক্সট্যান্ট যন্ত্র
গ ¯স্নাইড ক্যালিপার্স ঘ স্ক্রুগজ
৫৭. পৃথিবী ছাড়া কোন গ্রহে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি দেখা যায়?
ক বৃহস্পতি খ নেপচুন > মঙ্গল ঘ ইউরেনাস
৫৮. কোন অ বাংশকে মকরক্রান্তি বলে?
ক ২৩১২˚ উত্তর খ ৬৬১২˚ দক্ষণি গ ০˚ > ২৩১২˚ দক্ষণি
৫৯. কখন চাঁদ ও সূর্য উভয়ের আকর্ষণে জোয়ার অত্যন্ত প্রবল হয়?
ক দুটি ভিন্ন রেখায় অবস্থিত
একই সরল রেখায় অবস্থিত
গ দুটি বিপরীত দিক থেকে আকর্ষণ
ঘ উত্তর ও দক্ষিণে একই সরলরেখায় অবস্থিত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬০. কোনটি মঙ্গলের উপগ্রহ?
র. ডিমোস
রর. ক্যারন
ররর. ফেবোস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর > র, ররর
৬১. ভূত্বক সৃষ্টির মূল কারণ হলো-
র. পৃথিবীর অবিরাম গতি
রর. শিলাবৃষ্টি
ররর. উত্তপ্ত পদার্থ শীতল হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬২. পৃথিবী সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ থেকে ভিন্ন হবার কারণ হলো-
র. সৌরজগতে এর অবস্থান সুবিধাজনক স্থানে
রর. জীবনধারণের আদর্শ পরিবেশ
ররর. ভৌগোলিক পরিবেশের বৈচিত্র্য
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. ‘শনি’ সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ যেটি-
র. সূর্য থেকে ১৪৩ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
রর. পৃথিবী থেকে বড়
ররর. উজ্জ্বল নক্ষত্র নামে পরিচিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র, রর ও ররর খ রর ও ররর > র ও রর ঘ র ও ররর
৬৪. জোয়ার-ভাটার প্রভাবে-
র. নদীখাত গভীর হয়
রর. নদী নোংরা হয়
ররর. নদী মোহনায় পলি জমা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৫. রুমার বাবা সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে একটি উজ্জ্বল তারা দেখিয়ে বললেন, এটি সন্ধ্যাতারা। রুমার দেখা তারাটি মূলত-
র. একটি নক্ষত্র
রর. একটি জ্যোতিষ্ক
ররর. একটি গ্রহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. আহ্নিক গতির ফলে-
র. দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি হয়
রর. দিন ও রাত হয়
ররর. জোয়ার ও ভাটা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৭. কোনো স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করতে হলে হাফিজকে যে বিষয়গুলো জানা দরর্কালÑ
র. ঐ স্থানের দ্রাঘিমাংশ
রর. ঐ স্থানের স্থানীয় সময়
ররর. গ্রিনিচ স্থানীয় সময়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. সূর্যের ক্ষেত্রেযে বৈশিষ্ট্যটি যৌক্তিক-
র. সূর্যের কোনো কঠিন বা তরল পদার্থ নেই
রর. সূর্যের নিজ অক্ষরে ওপর আবর্তন ক্ষমতা নেই
ররর. গ্যালাক্সির চারদিকে পরিক্রমণ করে ২০ কোটি বছরের ব্যবধানের বেশি সময় লাগে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৯. গুরুমণ্ডলের ঊর্ধ্বাংশের শিলা-
র. কঠিন ও ভঙ্গুর
রর. প্রায় ১০০ কিলোমিটার গভীর
ররর. উত্তপ্ত ও গলিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৭০. মুরাদ কোনো স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করার জন্য ব্যবহার করবেÑ
র. স্থানীয় সময়
রর. গ্রিনিচ সময়
ররর. আন্তর্জাতিক সময়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৭১. আদনান বিজ্ঞান ম্যাগাজিনে জানতে পারে পৃথিবী নিজ অড়্গে আবর্তনের পাশাপাশি সূর্যকেও প্রদক্ষণি করছে। এই পরিক্রমণের ফলে-
র. দিবা রাতের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটছে
রর. ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে
ররর. দিন ও রাত সংঘটিত হচ্ছে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. অশ্মমণ্ডলে দেখা যায়-
র. কর্দমাক্ত শিলাস্তর
রর. কঠিন ও ভঙ্গুর শিলা
ররর. অক্সিজেন
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৩. দিন-রাত্রি সমান হয়-
র. ২১ মার্চ
রর. ২৩ সেপ্টেম্বর
ররর. ২১ জুন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর > র ও রর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখে ৭৪ ও ৭৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৭৪. কতদিনে একবার ‘অ’ চিহ্নিত গ্রহটি সূর্যের চারপাশে ঘুরে?
ক ৭২ > ৮৮ গ ৯২ ঘ ১০২
৭৫. ‘ই’ চিহ্নিত গ্রহটি পরিক্রমণের ফলেÑ
র. বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব ঘটে
রর. একদিনে দুইবার সূর্য উঠে
ররর. দিন-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর > র ও ররর ঘ রর ও ররর
নিচের চিত্রটি থেকে ৭৬-৭৮ প্রশ্নের উত্তর দাও :
৭৬. এই চিত্রটি-
র. পৃথিবী
রর. মহাকাশ
ররর. সৌরজগৎ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর > ররর ঘ রর ও ররর
৭৭. কোন গ্রহটি সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যাতারা রূপে এবং ভোরে পূর্ব আকাশে শুকতারা রূপে দেখতে পাই?
> শুক্র খ শনি গ বুধ ঘ বৃহস্পতি
৭৮. কেবল তখনই মঙ্গলে বসবাস সম্ভব-
ক গড় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে
খ গড় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের সমান
গ গড় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ওপরে
> গড় তাপমাত্রা ও অক্সিজেন দুয়ের মধ্যে সঙ্গতি
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৭৯ ও ৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাতুল ও প্রতীক কক্সবাজার বেড়াতে গেল। পরিবেশ অনেক শান্ত থাকার কারণে তারা ঘুরে ঘুরে সমুদ্র দেখছিল। হঠাৎ তারা দেখতে পেল যে, সমুদ্রের পানি ফুলে উঠছে।
৭৯. অনুচ্ছেদে সমুদ্রের পানি ফুলে উঠাকে বলেÑ
> জোয়ার খ ভাটা গ বৃষ্টিপাত ঘ জোয়ার ভাটা
৮০. অনুচ্ছেদে সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠার কারণ-
র. কেন্দ্রাভিগ শক্তি রর. আহ্নিক গতি
ররর. বার্ষিক গতি
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটি দেখে ৮১ও ৮২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৮১. উপরের চিত্রটি দ্বারা কী নির্দেশ করা হচ্ছে?
> মরা কটাল খ পূর্ণিমা
গ মুখ্য জোয়ার ঘ অমাবস্যা
৮২. উপরের ঘটনাটি কোথায় বেশি দেখা যায়?
ক ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে খ মেরু অঞ্চলে
গ উত্তর গোলার্ধে > উপকূলবর্তী অঞ্চলে
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নাজমা প্রতিদিন খুব ভোরে পড়তে বসে। একদিন সে লক্ষ করে, পূর্বদিকের আকাশে ভোরবেলাতেও একটি তারা দেখা যাচ্ছে। নাজমা বুঝতে পারে যে সে একটি গ্রহ দেখেছে।
৮৩. নাজমার দেখা গ্রহটির নাম কী?
> শুক্র খ শনি গ মঙ্গল ঘ নেপচুন
৮৪. পৃথিবীর সাথে উক্ত গ্রহের কোন বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষতি হবে?
ক গ্রহটি নীলাভ বর্ণের
> গ্রহটির উপগ্রহ নেই
গ গ্রহটির চারিদিকে বলয় আছে
ঘ গ্রহটিতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে
নিচের চিত্রের আলোকে ৮৫ ও ৮৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৮৫. ক ও খ রেখাটি কী রেখা?
ক নিরক্ষ > দ্রাঘিমা গ বিষুব ঘ সমাক্ষ
৮৬. চ ও ছ বিন্দু পরস্পরের কী?
ক বিম্ব খ সম্পাত বিন্দু
গ সমাক্ষ স্থান > প্রতিপাদ স্থান
চিত্র থেকে ৮৭ ও ৮৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৮৭. চিত্রে উত্তর গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহ উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে বেঁকে যায়; এ নিয়মটি কী নামে পরিচিত?
> ফেরেলের সূত্র খ কোপার্নিকাসের সূত্র
গ ফুকোর সূত্র ঘ টলেমির সূত্র
৮৮. বায়ুপ্রবাহের এই বেঁকে যাওয়া প্রমাণ করে যেÑ
র. বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে যায়
রর. আহ্নিক গতিতে পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে
ররর. পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের প্রদত্ত সারণিটি লক্ষ করে ৮৯ ও ৯০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গ্রহসমূহ সূর্যকে প্রদক্ষণিকাল
শুক্র ২২৫ দিন
পৃথিবী ৩৬৫ দিন
মঙ্গল ৬৮৭ দিন
বৃহস্পতি ৪,৩ ৮০ দিন
৮৯. সারণির কোন গ্রহটি আকৃতিতে ক্ষুদ্র?
ক বুধ খ পৃথিবী গ মঙ্গল > শুক্র
৯০. সারণির ক্ষুদ্র ও বৃহত্তম গ্রহের জন্য প্রযোজ্য-
র. আবর্তনকালের পার্থক্য ৪১৫৫ দিন
রর. উপগ্রহ নেই
ররর. জীবের অস্তিত্ব নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভূমিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯১. কোনটি পৃথিবীর চারদিকে বি¯ত্মৃত আছে? (জ্ঞান)
> মহাকাশ খ গ্রহ গ ছায়াপথ ঘ উপগ্রহ
৯২. মহাকাশের অসংখ্য জ্যোতিষ্ক নিয়ে কোনটি সৃষ্টি হয়েছে? (জ্ঞান)
ক মহাকাশ > বিশ্বজগৎ
গ সৌরজগৎ ঘ জ্যোতিষ্কমণ্ডল
৯৩. সৌরজগতের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
> সৌর পরিবার খ সৌর পৃথিবী
গ সৌর মণ্ডলী ঘ সৌর কলঙ্ক
৯৪. সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক কোনটি? (অনুধাবন)
ক পৃথিবী > সূর্য গ উল্কা ঘ ধূমকেতু
৯৫. কোন শক্তির মাধ্যমে গ্রহ ও উপগ্রহসমূহ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে? (জ্ঞান)
ক অভিকর্ষণ খ আণবিক
> মহাকর্ষণ ঘ সৌরশক্তি
পরিচ্ছেদ-৪.১ : সৌরজগৎ
সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উল্কা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলা হয়- সৌরজগত।
সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা বড়- ১৩ লক্ষ গুণ।
সূর্যের উপরিভাগের উচ্চতা- ৫৭,০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
সূর্য নিজ অক্ষরে ওপর একবার আবর্তন করে- প্রায় ২৫ দিনে।
সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে যে কালো দাগ দেখা যায় তাকে বলে- সৌরকলঙ্ক।
সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ- বুধ।
পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ- শুক্র।
পৃথিবীকে প্রাণিজগতের বাস উপযোগী করেছে- ওজোন স্তর।
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ আনুমানিক- ৬,৪০০ কিলোমিটার।
পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ১৬ ভাগ- কেন্দ্রমন্ডল।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৬. সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু ও উল্কা নিয়ে কী গঠিত?
(অনুধাবন)
ক বিশ্বজগৎ খ জ্যোতিষ্কমণ্ডলী
> সৌরজগৎ ঘ নক্ষত্রমণ্ডলী
৯৭. নিচের কোনটিকে সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র বলে? (জ্ঞান)
ক গ্রহ খ উল্কা গ উপগ্রহ > সূর্য
৯৮. সৌরজগতে কয়টি উপগ্রহ রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ১৯ > ৪৯ গ ৩৯ ঘ ৫৯
৯৯. সূর্যকে সৌরজগতের প্রাণ বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক সকল গ্রহ, উপগ্রহের চারদিকে আবর্তন করছে
সকল গ্রহ, উপগ্রহ সূর্য নিয়ন্ত্রণ করে
গ সকল গ্রহ, উপগ্রহ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে
ঘ সকল উপগ্রহ গ্রহের চারদিকে পরিক্রমণ করছে
১০০. নিচের কোনটি সৌরজগতের নিয়ন্ত্রক? (জ্ঞান)
ক মহাকাশ > সূর্য গ আহ্নিক গতি ঘ নক্ষত্র
১০১. পৃথিবী সূর্য অপেক্ষা কতগুণ ছোট? (জ্ঞান)
ক ১০ লক্ষ খ ১১ লক্ষ গ ১২ লক্ষ > ১৩ লক্ষ
১০২. পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক প্রায় ১৫ কোটি বর্গমাইল খ ১৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার প্রায়
> প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার ঘ প্রায় ১৩ লক্ষ বর্গমাইল
১০৩. সূর্যের ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ১১,৪২,০০০ কিলোমিটার > ১৩,৮৪,০০০ কিলোমিটার
গ ১৫,১৩,০০০ কিলোমিটার ঘ ১৭,৩৫,০০০ কিলোমিটার
১০৪. সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা কত? (জ্ঞান)
> ৫৭,০০০০ সে. খ ৫৮,০০০০ ফা.
গ ৬৭,০০০০ সে. ঘ ৬৭,০০০০ ফা.
১০৫. সূর্যে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের অনুপাত কত? (অনুধাবন)
> ৫ : ৪ খ ৭ : ১০ গ ১০ : ৭ ঘ ১১ : ৪
১০৬. সূর্যে হিলিয়ামের পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক শতকরা ৩৫ ভাগ > শতকরা ৪৪ ভাগ
গ শতকরা ৫৫ ভাগ ঘ শতকরা ৬৫ ভাগ
১০৭. সূর্যের মাঝে যে কালো দাগ দেখা যায় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সৌরচিহ্ন খ সৌরদাগ গ উল্কা > সৌরকলঙ্ক
১০৮. সৌরকলঙ্কের উত্তাপ কেমন? (অনুধাবন)
ক সূর্যের অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশি খ পৃথিবীর চেয়ে বেশি
> সূর্যের অন্যান্য অংশের চেয়ে কম ঘ অন্যান্য গ্রহের চেয়ে বেশি
১০৯. সূর্যে কীভাবে শক্তি তৈরি হচ্ছে? (অনুধাবন)
> আণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় খ ভৌত প্রক্রিয়ায়
গ পারমাণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় ঘ জৈব প্রক্রিয়ায়
১১০. সূর্যের হিলিয়াম থেকে কী তৈরি হচ্ছে? (জ্ঞান)
ক হাইড্রোজেন খ নাইট্রোজেন
গ আরগন > শক্তি
১১১. নিজ অক্ষরে ওপর আবর্তন করতে সূর্যের কতদিন লাগে? (জ্ঞান)
ক প্রায় ২২৫ দিন খ প্রায় ৩০০ দিন
গ প্রায় ৮৮ দিন > প্রায় ২৫ দিন
১১২. আপন গ্যালাক্সির চারদিকে পরিভ্রমণ করতে সূর্যের কত বছর সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক প্রায় ১০ কোটি খ প্রায় ১২ কোটি
গ প্রায় ১৫ কোটি > প্রায় ২০ কোটি
১১৩. কোনটি মহাকর্ষ বলের প্রভাবে সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে? (জ্ঞান)
ক উপগ্রহ > গ্রহ গ উল্কা ঘ ধূমকেতু
১১৪. ঠবহঁং অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক বুধ খ মঙ্গল গ শনি > শুক্র
১১৫. সূর্য থেকে পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের গড় দূরত্ব যথাক্রমে ১৫ কোটি এবং ২২.৮ কোটি কিলোমিটার। পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছতে ৮ মিনিট সময় লাগলে মঙ্গল গ্রহে কত সময় লাগবে? (প্রয়োগ)
ক ১০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড খ ১১ মিনিট ১২ সেকেন্ড
১২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড ঘ ১৩ মিনিট ১২ সেকেন্ড
১১৬. নিচের কোনটি সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ? (জ্ঞান)
> বৃহস্পতি খ শুক্র গ শনি ঘ মঙ্গল
১১৭. সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহের নাম কী? (জ্ঞান)
ক পৃথিবী > বুধ গ বৃহস্পতি ঘ শনি
১১৮. কোনটি সূর্যের নিকটতম গ্রহ? (জ্ঞান)
ক পৃথিবী খ মঙ্গল > বুধ ঘ শনি
১১৯. বুধ গ্রহের তাপমাত্রা অত্যধিক কেন? (অনুধাবন)
ক বুধ গ্রহ আয়তনে সবচেয়ে ছোট বলে
খ বুধ গ্রহের নিজস্ব আলো নেই বলে
গ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে কম সময় লাগে বলে
বুধ সূর্যের নিকটতম গ্রহ বলে
১২০. বুধ গ্রহের ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ১২,৭৫২ কিলোমিটার খ ৪৮৫০ মাইল
গ ১২,৭৫২ মাইল > ৪,৮৫০ কিলোমিটার
১২১. বুধ গ্রহের ওজন পৃথিবীর কত ভাগের সমান? (জ্ঞান)
ক ৪০ ভাগের ৩ ভাগ খ ৪৫ ভাগের ২ ভাগ
> ৫০ ভাগের ৩ ভাগ ঘ ৬০ ভাগের ৩ ভাগ
১২২. সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে বুধের কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৮৭ দিন > ৮৮ দিন
গ ৮৯ দিন ঘ ৯০ দিন
১২৩. সূর্য থেকে বুধের গড় দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
> ৫.৮ কোটি কিমি খ ১০.৮ কোটি কিমি
গ ১১.৩ কোটি কিমি ঘ ১২.৮ কোটি কিমি
১২৪. কোন গ্রহের উপগ্রহ নেই? (জ্ঞান)
ক মঙ্গল > বুধ গ শনি ঘ নেপচুন
১২৫. বুধ গ্রহে সীসা ও দ¯ত্মার মতো ধাতু গলে বাষ্প হয়ে যায়, এর দ্বারা কী প্রকাশ পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বুধে পানি বেশি হওয়ায় জলীয় বাষ্প বেশি
খ সীসা ও দ¯ত্মার গলনাঙ্ক বুধের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি
গ সীসা ও দ¯ত্মার স্ফুটনাঙ্ক বুধের চেয়ে কম
> বুধ সূর্যের নিকটতম হওয়ায় এর তাপ অত্যধিক
১২৬. কোন গ্রহের তাপমাত্রা অত্যধিক? (জ্ঞান)
ক শুক্র > বুধ গ শনি ঘ মঙ্গল
১২৭. সূর্য থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
> ১০.৮ কোটি খ ১২.৮ কোটি গ ১৩.৮ কোটি ঘ ১৫.৮ কোটি
১২৮. পৃথিবী থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ১৫ কোটি কিলোমিটার খ ৫.৮ কোটি কিলোমিটার
গ ১০.৫ কোটি কিলোমিটার > ৪.৩ কোটি কিলোমিটার
১২৯. শুক্রকে পশ্চিম আকাশে আমরা কীরূপে দেখতে পাই? (জ্ঞান)
ক শুকতারা খ ধ্রুবতারা > সন্ধ্যাতারা ঘ রংধনু
১৩০. শুক্রকে কখন আমরা শুকতারা রূপে দেখতে পাই? (জ্ঞান)
ক সকালে খ রাতে > ভোরে ঘ সন্ধ্যায়
১৩১. শুক্র কর্তৃক সূর্যের পরিভ্রমণ কাল কত? (জ্ঞান)
ক ২৯ দিন খ ৮৮ দিন > ২২৫ দিন ঘ ৩৬৫ দিন
১৩২. শুক্রের বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কত? (অনুধাবন)
> ০ ভাগ খ ১০ ভাগ গ ৫৫ ভাগ ঘ ৯০ ভাগ
১৩৩. শুক্রের আকাশে বছরে ২ বার সূর্য ওঠে এবং অস্ত যায় কেন? (অনুধাবন)
> শুক্র গ্রহ খুবই ধীর গতিতে আবর্তন করে বলে
খ শুক্র গ্রহ খুবই দ্রুত গতিতে আবর্তন করে বলে
গ শুক্র গ্রহ খুবই ধীর গতিতে পরিভ্রমণ করে বলে
ঘ শুক্র গ্রহ খুবই দ্রুত গতিতে পরিভ্রমণ করে বলে
১৩৪. কোন গ্রহের উপরিভাগ থেকে সূর্যকে কখনই দেখা যায় না? (জ্ঞান)
ক বুধ > শুক্র গ শনি ঘ বৃহস্পতি
১৩৫. শুক্র গ্রহের গড় তাপমাত্রা মানুষের সহনীয় পর্যায়ে হলেও মানুষ জীবনধারণ করতে পারবে না কেন? (অনুধাবন)
ক অতিরিক্ত হাইড্রোজেনের জন্য
খ সমতল ভূমি নেই বলে
> অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের জন্য
ঘ পর্বতময় অবস্থার জন্য
১৩৬. কোনটির কারণে শুক্র গ্রহে এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে? (অনুধাবন)
ক অক্সিজেন খ হিলিয়াম
গ হাইড্রোজেন > কার্বন ডাইঅক্সাইড
১৩৭. শুক্রের পৃষ্ঠে পৃথিবীর তুলনায় কত গুণ বেশি বাতাসের চাপ রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ৬০ > ৯০ গ ১২০ ঘ ১৮০
১৩৮. পৃথিবীতে কোনো স্থানের বায়ুর চাপ ৫ সেন্টিমিটার হলে শুক্র গ্রহে ঐ বায়ুর চাপ কত হবে? (প্রয়োগ)
ক ৩০০ সেন্টিমিটার > ৪৫০ সেন্টিমিটার
গ ২৫০ সেন্টিমিটার ঘ ৪০০ সেন্টিমিটার
১৩৯. সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
> পৃথিবী খ শুক্র গ বুধ ঘ বৃহস্পতি
১৪০. পৃথিবীর আয়তন কত? (জ্ঞান)
> ৫১০,১০০,৪২২ বর্গকিলোমিটার খ ১৫,৭০৯ বর্গকিলোমিটার
গ ৫১০,১০০,৪২২ কিলোমিটার ঘ ১৫,৭০৯ কিলোমিটার
১৪১. পূর্ব-পশ্চিমে পৃথিবীর ব্যাস কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১২,৭০৯ খ ৪৯,০০০ > ১২,৭৫২ ঘ ২৪,০০০
১৪২. কোন দিকে পৃথিবীর ব্যাস ১২,৭০৯ কিলোমিটার? (জ্ঞান)
> উত্তর-দক্ষিণে খ পূর্ব-পশ্চিমে
গ দক্ষণি-পশ্চিমে ঘ দক্ষণি-পূর্বে
১৪৩. সূর্যকে প্রদক্ষণি করতে পৃথিবীর কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৩৫৬ দিন ৪ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড
খ ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড
> ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড
ঘ ৩৬৫ দিন ৪ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড
১৪৪. পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক ইউরোপা > চাঁদ গ ডিমোস ঘ ফেবোস
১৪৫. পৃথিবী থেকে চন্দ্রের গড় দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১,২৪,৮০০ > ৩,৮১,৫০০
গ ৫,৮১,৪২২ ঘ ৭,১০০,৫০০
১৪৬. পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগের ক্রমাগত সংকুচিত হওয়ার ফলে কোনটি সৃষ্টি হয়েছে? (জ্ঞান)
> পর্বত খ মালভূমি
গ মরুভূমি ঘ সমভূমি
১৪৭. সূর্য থেকে মঙ্গল গ্রহের গড় দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ৩.৮ কোটি খ ৭.৮ কোটি
গ ২০.৮ কোটি > ২২.৮ কোটি
১৪৮. কোন গ্রহের ওজন পৃথিবীর দশ ভাগের এক ভাগ? (জ্ঞান)
ক পস্নুটো খ বুধ > মঙ্গল ঘ শনি
১৪৯. সূর্যকে পরিভ্রমণ করতে মঙ্গলের সময় লাগে কত দিন? (জ্ঞান)
ক ৩৬৫ খ ৪৬৫ > ৬৮৭ ঘ ৭৬৫
১৫০. নিজ অড়্গে আবর্তন করতে মঙ্গল গ্রহের কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ২১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট খ ২২ ঘণ্টা ২৯ মিনিট
গ ২৩ ঘণ্টা ১২ মিনিট > ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট
১৫১. মঙ্গলের উপগ্রহের সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
> ২টি ক ৩টি গ ৪টি ঘ ৫টি
১৫২. মঙ্গল গ্রহে অক্সিজেন ও পানির পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অত্যধিক, এর থেকে কী বলা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
> এ গ্রহ জীবের বসবাসের অনুপযোগী
খ এ গ্রহে উদ্ভিদের বৃদ্ধি দ্রুত ঘটে
গ এ গ্রহে শুধু উদ্ভিদের জন্ম হয়
ঘ মানুষ ছাড়া অন্যান্য জীব বেড়ে উঠতে পারে
১৫৩. মঙ্গলে জীবনধারণ করা অসম্ভব। এর যথাযথ কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
> এখানে পানি খুব কম এবং ঠাণ্ডা অত্যধিক
খ এ গ্রহের উপরিভাগে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি অত্যধিক
গ এখানে যেমন পানির পরিমাণ বেশি তেমন অত্যধিক ঠাণ্ডা
ঘ এখানে পানির পরিমাণ বেশি হলেও উত্তাপ অত্যধিক
১৫৪. মঙ্গল গ্রহ কীভাবে লালচে বর্ণ ধারণ করেছে? (অনুধাবন)
ক উচ্চতাপে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ নির্গত করার মাধ্যমে
খ সূর্যের লাল বর্ণ শোষণ করার মাধ্যমে
> এ গ্রহের পাথরে মরচে পড়ার মধ্য দিয়ে
ঘ অ¤স্নীয় মাটির মতো লাল মাটি গঠনের মাধ্যমে
১৫৫. জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশে ৫৫০ কিলোমিটার ব্যাসসম্পন্ন একটি জ্যোতিষ্ক আবিষ্কার করে। প্রকৃতিগত দিক থেকে এটি কী ধরনের? (প্রয়োগ)
ক গ্রহ খ নীহারিকা > গ্রহাণু ঘ ধূমকেতু
১৫৬. বৃহস্পতির আয়তন পৃথিবীর কতগুণ? (জ্ঞান)
ক ১,১০০ খ ১,২০০ > ১,৩০০ ঘ ১,৪০০
১৫৭. বৃহস্পতির ব্যাস কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১,৩২,৮০০ > ১,৪২,৮০০
গ ১,৫২,৮০০ ঘ ১,৬২,৮০০
১৫৮. সূর্য থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ৭২.৮ কোটি খ ৭৩.৮ কোটি গ ৭৫.৮ কোটি > ৭৭.৮ কোটি
১৫৯. সূর্যকে প্রদক্ষণি করতে বৃহস্পতির কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ১০ বছর > ১২ বছর
গ ২০ বছর ঘ ২৫ বছর
১৬০. সৌরজগতের কোন গ্রহের উপর দিকের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি? (জ্ঞান)
ক শনি খ বুধ গ ইউরেনাস > বৃহস্পতি
১৬১. বৃহস্পতি’র কয়টি উপগ্রহ আছে? জ্ঞান)
ক ১৪ খ ১৫ > ১৬ ঘ ১৭
১৬২. সূর্য থেকে শনির দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১২৫ কোটি খ ১৩০ কোটি
> ১৪৩ কোটি ঘ ১৪৪ কোটি
১৬৩. শনি গ্রহ কত সময়ে সূর্যকে একবার প্রদক্ষণি করে? (জ্ঞান)
> ২৯ বছর ৫ মাসে খ ৩০ বছর ৫ মাস
গ ৩২ বছর ৫ মাসে ঘ ৩৫ বছর ৮ মাসে
১৬৪. শনি গ্রহ কত সময়ে নিজ অড়্গে একবার আবর্তন করে? (জ্ঞান)
ক ৯ ঘণ্টা ৫০ মিনিট > ১০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট
গ ১২ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ঘ ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট
১৬৫. শনি গ্রহটি পৃথিবী থেকে কতগুণ বড়? (জ্ঞান)
ক প্রায় ৭ > প্রায় ৯ গ প্রায় ১১ ঘ প্রায় ১৩
১৬৬. কোন গ্রহটি খালি চোখে দেখা যায়? (জ্ঞান)
> শনি খ বৃহস্পতি গ বুধ ঘ শুক্র
১৬৭. কয়টি উজ্জ্বল বলয় শনিকে বেষ্টন করে আছে? (জ্ঞান)
ক ১ খ ২ > ৩ ঘ ৪
১৬৮. শনি গ্রহ সুন্দর দেখায় কেন? (অনুধাবন
> উজ্জ্বল বলয়ের জন্য খ অধিক বলয়ের জন্য
গ গতিশীল বলয়ের জন্য ঘ অনুজ্জ্বল বলয়ের জন্য
১৬৯. শনির উপগ্রহের সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ২৫টি > ২২টি গ ১৫টি ঘ ১০টি
১৭০. সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহের নাম কী? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শনি ইউরেনাস ঘ নেপচুন
১৭১. সূর্য থেকে ইউরেনাসের দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
> ২৮৭ কোটি কিলোমিটার খ ১৪৩ কোটি কিলোমিটার
গ ২২২ কোটি কিলোমিটার ঘ ১২২ কোটি কিলোমিটার
১৭২. ইউরেনাসের আবহমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ অধিক? (জ্ঞান)
> মিথেন খ হাইড্রোজেন গ আরগন ঘ অক্সিজেন
১৭৩. ইউরেনাসের কয়টি উপগ্রহ রয়েছে? (জ্ঞান)
> ৫ খ ৭ গ ১০ ঘ ১৫
১৭৪. এভারেস্টের চূড়ায় উঠে মুসা ইব্রাহিম সেখানে বায়ুমণ্ডলের কোন অবস্থা দেখেছেন? (প্রয়োগ)
ক অধিক বায়ুর চাপ > বায়ুর ঘনত্ব খুবই কম
গ ঘনত্ব খুবই বেশি ঘ অতিমাত্রায় অক্সিজেন
১৭৫. সূর্য থেকে নেপচুনের দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১৫০ কোটি খ ২৫০ কোটি
> ৪৫০ কোটি ঘ ৫৬০ কোটি
১৭৬. কোন গ্রহটি শীতল? (জ্ঞান)
ক ইউরেনাস > নেপচুন গ শনি ঘ বুধ
১৭৭. নেপচুন গ্রহটির বর্ণ কী? (জ্ঞান)
ক হলম্নদ খ লালচে > নীলাভ ঘ বাদামি
১৭৮. সূর্যকে প্রদক্ষণি করতে নেপচুনের কত বছর সময় লাগে? (জ্ঞান)
> ১৬৫ খ ২২৫ গ ৬৮৭ ঘ ৭৬৭
১৭৯. নেপচুনের উপগ্রহ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ১ > ২ গ ৩ ঘ ৫
১৮০. কীসের প্রভাবে বায়ুমণ্ডল ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে লেপ্টে আছে? (অনুধাবন)
ক তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির প্রভাবে খ চুম্বকীয় বলের প্রভাবে
গ অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাবে > মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে
১৮১. পৃথিবীর কোথায় বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি? (জ্ঞান)
ক পাহাড়ে > সমুদ্রপৃষ্ঠে
গ সমতল ভূমিতে ঘ বনভূমিতে
১৮২. প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই বায়ুমণ্ডলকে বিশুদ্ধ রাখা দরকার। উক্তিটি কী প্রমাণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
> বায়ুমণ্ডল সকল জৈবিক ক্রিয়া সম্পাদনে সাহায্য করে
খ বায়ুমণ্ডল গ্রহগুলোর মধ্যে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়
গ বায়ুমণ্ডলের কাজ প্রাণীর বংশবি¯ত্মার ঘটানো
ঘ বায়ুমণ্ডলের কাজ প্রাণীকে ক্রিয়াশীল করা
১৮৩. ট্রপোমণ্ডলের গভীরতা কত? (জ্ঞান)
> ১৩ কিলোমিটার প্রায় খ ১৩.৯০ কিলোমিটার প্রায়
গ ১৩ বর্গমাইল প্রায় ঘ ১৩.৫ বর্গমাইল প্রায়
১৮৪. মানুষের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় স্তর কোনটি? (জ্ঞান)
ক স্ট্রাটোমণ্ডল খ ট্রপোসীমা
গ ওজোনস্তর > ট্রপোমণ্ডল
১৮৫. পৃথিবীর কোন স্তরে আর্দ্রতা, কুয়াশা, মেঘ, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি লক্ষ করা যায়? (অনুধাবন)
> ট্রপোমণ্ডল খ ওজোনস্তর
গ বায়ুমণ্ডল ঘ স্ট্রাটোমণ্ডল
১৮৬. আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত যাবতীয় প্রক্রিয়ার কাজ বেশির ভাগ বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ঘটে থাকে? (জ্ঞান)
> ট্রপোমণ্ডল খ মেসোমণ্ডল
গ স্ট্রাটোমণ্ডল ঘ তাপমণ্ডল
১৮৭. ট্রপোমণ্ডলের ঊর্ধ্বসীমাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ট্রপোসীমা > ট্রপোপস গ মেটাপথ ঘ ট্রপোডেস্ক
১৮৮. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরটি পৃথিবীকে প্রাণিজগতের বাস উপযোগী করছে? (জ্ঞান)
ক ট্রপোস্ফিয়ার > ওজোনস্তর
গ ট্রপোমণ্ডল ঘ ট্রপোপস
১৮৯. ওজোন স্তরের গড় গভীরতা কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক প্রায় ৭-১৬ খ প্রায় ৮-১৯ গ প্রায় ১০-১২ > প্রায় ১২-১৬
১৯০. ওজোন স্তরের তাপমাত্রা কত? (জ্ঞান)
ক ৩৬০ সেলসিয়াস > ৭৬০ সেলসিয়াস
গ ৮৩০ সেলসিয়াস ঘ ৯৩০ সেলসিয়াস
১৯১. কোন মণ্ডলটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে প্রাণীকুলের রক্ষা করে থাকে? (জ্ঞান)
ক অশ্মমণ্ডল খ কেন্দ্রমণ্ডল
> বায়ুমণ্ডল ঘ বারিমণ্ডল
১৯২. বাষ্পীয় অবস্থা থেকে পৃথিবী কীভাবে শীতল ও ঘনীভূত হয়েছে? (অনুধাবন)
> তাপ বিকিরণের মাধ্যমে খ তাপ শোষণের মাধ্যমে
গ তাপ পরিচালনার মাধ্যমে ঘ সংকুচিত হওয়ার মাধ্যমে
১৯৩. কোনটি বায়ুমণ্ডলের গঠন ও উপাদানে পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে? (জ্ঞান)
ক বন্যপ্রাণীর কর্মকাণ্ড খ সমুদ্রের পানি
গ নাইট্রোজেন গ্যাস > মানুষের কর্মকাণ্ড
১৯৪. পৃথিবীতে পানি আছে বলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে-এ থেকে আমরা কী ধারণা পাই? (উচ্চতর দক্ষতা)
> জীবের বিকাশের জন্য পানি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান
খ পৃথিবী পানি থেকে তৈরি হয়েছে
গ পানি গ্রহের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান
ঘ মঙ্গল গ্রহে পানির উপস্থিতি জীবনের বিকাশ ঘটাবে
১৯৫. পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা কত? (জ্ঞান)
ক ১৩.৯০০ ফা. খ ১২.১৫০ সে. > ১৩.৯০০ সে. ঘ ১২.১৬০ ফা.
১৯৬. পৃথিবীর ব্যাসার্ধ আনুমানিক কত? (জ্ঞান)
> ৬,৪০০ কিলোমিটার খ ৬,৭৮৭ কিলোমিটার
গ ১২,৭০৯ কিলোমিটার ঘ ১২,৭৫২ কিলোমিটার
১৯৭. ভূঅভ্যন্তরের গভীরে সরাসরি পর্যবেক্ষণের সুযোগ না থাকার যৌক্তিক কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ভূঅভ্যন্তরে অতিরিক্ত চাপ বিরাজ করে থাকে
খ সূর্যরশ্মি প্রবেশ করে না বলে ভূঅভ্যন্তর খুব অন্ধকার
গ ভূঅভ্যন্তরে মহাকর্ষ বলের আকর্ষণ যথেষ্ট থাকে না
> ভূপৃষ্ঠের কঠিন বহিরাবরণ এবং গভীর ভূঅভ্যন্তর
১৯৮. কোনটি দ্বারা ভূঅভ্যন্তর গঠিত? (অনুধাবন)
ক ভূত্বক > শিলামণ্ডল
গ গুরুমণ্ডল ঘ কেন্দ্রমণ্ডল
১৯৯. পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে এর কেন্দ্র পর্যন্ত কয়টি স্তরে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক ২ > ৩ গ ৪ ঘ ৫
২০০. সৃষ্টি হবার সময় পৃথিবী কী অবস্থায় ছিল? (জ্ঞান)
ক কঠিন খ শিলারূপ গ তরল > বাষ্পীয়
২০১. পৃথিবীর ওপরিভাগের কঠিন আবরণকে কী বলে? (জ্ঞান)
> ভূত্বক খ বায়ুমণ্ডল গ ভূপৃষ্ঠ ঘ কেন্দ্রমণ্ডল
২০২. নিচের কোনটি গুরুমণ্ডল নির্দেশ করে? (জ্ঞান)
ক ভূত্বকের ওপরের স্তর খ ভূত্বকের সামনের স্তর
> ভূত্বকের নিচের স্তর ঘ ভূত্বকের মধ্যের স্তর
২০৩. গুরুমণ্ডলের স্তরটির পুরুত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ১৮৬৭ কি.মি. খ ১৯৯৫ কি.মি.
গ ২৭৭৫ কি.মি. > ২৮৮৫ কি.মি.
২০৪. ভূ-অভ্যন্তরের গঠনগত দিক দিয়ে ভূত্বকের নিচে কোন স্তরটি অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক অšত্মঃকেন্দ্র খ স্ট্রাটোমণ্ডল > গুরুমণ্ডল ঘ কেন্দ্রমণ্ডল
২০৫. গুরুমণ্ডলের ঊর্ধ্বাংশে অবস্থিত স্তরের নাম কী? (জ্ঞান)
ক কেন্দ্রমণ্ডল > অশ্মমণ্ডল গ ট্রপোমণ্ডল ঘ গুরুমণ্ডল
২০৬. শিলামণ্ডলের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
ক কেন্দ্রমণ্ডল খ গুরুমণ্ডল গ ভূত্বক > অশ্মমণ্ডল
২০৭. ভূত্বকের উপরিভাগ থেকে পৃথিবীর অভ্যন্তরে কত কিমি পর্যন্ত অশ্মমণ্ডল? (জ্ঞান)
ক ৪০ খ ৫০ > ৬০ ঘ ৭০
২০৮. গুরুমণ্ডল কর্দমাক্ত থাকার পেছনে কোন কারণটি বিদ্যমান? (অনুধাবন)
ক প্রচণ্ড ঘর্ষণ > প্রচণ্ড চাপ গ প্রচণ্ড তাপ ঘ প্রচণ্ড বর্ষণ
২০৯. কেন্দ্রমণ্ডলের পুরুত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ২,২১৬ মাইল > ৩,৪৮৬ কিলোমিটার
গ ৪,৭৭৯ মাইল ঘ ৫,৭৭৯ কিলোমিটার
২১০. কেন্দ্রমণ্ডল পৃথিবীর মোট আয়তনের কত ভাগ? (জ্ঞান)
ক ১২ খ ১৪ > ১৬ ঘ ১৮
২১১. পৃথিবীর মোট ওজনের এক-তৃতীয়াংশ ওজন কোন অংশটির? (জ্ঞান)
ক গুরুমণ্ডলের > কেন্দ্রমণ্ডলের
গ পর্বতের ঘ ভূত্বকের
২১২. কেন্দ্রমণ্ডলের তাপমাত্রা কত? (জ্ঞান)
> প্রায় ৩০০০-৫০০০০ সেল. খ প্রায় ৩০০০-৬০০০০ সেল.
গ প্রায় ৩০০০-৭০০০০ সেল. ঘ প্রায় ৩০০০-৮০০০০ সেল.
২১৩. কেন্দ্রমণ্ডলে তরল বহিরাবরণটির পুরুত্ব কত? (জ্ঞান)
> ১,২১৬ কিলোমিটার খ ২,৮৮৫ কিলোমিটার
গ ৩,৪০৬ কিলোমিটার ঘ ৪,৮৮৬ কিলোমিটার
২১৪. কোন স্তরটি নিফে নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
> কেন্দ্রমণ্ডল খ ট্রপোমণ্ডল গ গুরুমণ্ডল ঘ অশ্বমণ্ডল
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১৫. ট্রপোপস দিয়ে বিমান নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারার কারণÑ (অনুধাবন)
র. সূর্যালোক বেশি থাকে
রর. বায়ু স্থির থাকে
ররর. ঝড় বৃষ্টির প্রাদুর্ভাব থাকে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৬. বায়ুতে যেসব উপাদান মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকে সেগুলো হলোÑ (অনুধাবন)
র. অক্সিজেন
রর. কার্বন ডাইঅক্সাইড
ররর. নাইট্টোজেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৭. একমাত্র পৃথিবীই উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী কেননা- (অনুধাবন)
র. বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন আছে
রর. বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের তুলনায় অক্সিজেন বেশি
ররর. বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৮. সৌরজগতে বলয় দ্বারা বেষ্টিত গ্রহ- (অনুধাবন)
র. শনি
রর. ইউরেনাস
ররর. নেপচুন
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৯. বুধ গ্রহের উপরিভাগে দেখা যায়- (অনুধাবন)
র. অসংখ্য গর্ত
রর. সমতলভূমি
ররর. পাহাড়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২২০. মঙ্গল গ্রহের উপগ্রহগুলো হলোÑ (অনুধাবন)
র. ডিমোস
রর. ফেবাস
ররর. ফেবোস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২১. আমাদের বাসভূমি পৃথিবীতে আছে- (অনুধাবন)
র. উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী বায়ুমণ্ডল
রর. জীবনধারণের উপযোগী তাপমাত্রা
ররর. অসংখ্য বলয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর > র ও রর ঘ র, রর ও ররর
২২২. পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত রয়েছে- (অনুধাবন)
র. কেন্দ্রমণ্ডল
রর. গুরুমণ্ডল
ররর. ভূত্বক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২২৩. সমুদ্র তলদেশের শিলাস্তরÑ (অনুধাবন)
র. ভূত্বকের নিচের স্তর
রর. ভূত্বকের অবনমিত অংশ
ররর. উত্তপ্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৪. কেন্দ্রমণ্ডলের উপাদান হলো- (অনুধাবন)
র. লোহা ও নিকেল
রর. পারদ ও সীসা
ররর. কার্বন ও ম্যাগনেসিয়াম
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৫. খনিজ হলো- (অনুধাবন)
র. প্রাকৃতিক অজৈব পদার্থ
রর. সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন বিশিষ্ট যৌগ
ররর. শিলার পরিবর্তিত রূপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র > র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৬. গুরুমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য হলো- (অনুধাবন)
র. ভূত্বকের নিচের স্তর
রর. প্রায় ২.৮৮৫ কিমি পুরু
ররর. অত্যন্ত কঠিন অবস্থায় বিদ্যমান থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৭. উত্তপ্ত পৃথিবী শীতল ও সংকুচিত হয়ে- (অনুধাবন)
র. বহিরাবরণ উঁচুনিচু হয়ে গেছে
রর. বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়েছে
ররর. ভূঅভ্যন্তর ভাগ সুচালো হয়ে গেছে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৮. কেন্দ্রমণ্ডলের বহিরাবরণ স্তরটি রয়েছে- (অনুধাবন
র. স্থিতিস্থাপক অবস্থায়
রর. উত্তপ্ত অবস্থায়
ররর. চটচটে অবস্থায়
নিচের কোনটি সঠিক? )
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৯. সন্ধ্যার আকাশে তারা দেখছিল মুমেন। তার দাদা বলেন এটি আসলে একটি গ্রহ যেটিÑ (অনুধাবন)
র. সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে দ্বিতীয়
রর. শনির নিকটতম
ররর. পৃথিবীর নিকটতম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩০. সৃষ্টির আদিতে পৃথিবী উত্তপ্ত গলিত অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণ করে কঠিন ভূত্বকের সৃষ্টি হয়েছে। ভূত্বকের অবনমিত অংশে সৃষ্টি হয়েছে- (প্রয়োগ)
র. সাগর
রর. ভূপৃষ্ঠ
ররর. মহাসাগর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩১. ভূত্বক উঁচু-নিচু ও বন্ধুর হয় কারণ- (অনুধাবন)
র. পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ উত্তপ্ত ও গলিত
রর. পৃথিবীর অভ্যন্তরে অনেক ফাঁক আছে
ররর. উত্তপ্ত পদার্থ শীতল হয়ে সংকুচিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩২. ট্রপোমণ্ডলের ঊর্ধ্বসীমার বৈশিষ্ট্য হলো- (অনুধাবন)
র. গভীরতা সরু
রর. বায়ুর চাপের তারতম্য
ররর. ঝড় বৃষ্টির প্রাদুর্ভাব নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৩. গর্ত ও পাহাড় লক্ষ করা যায়- (অনুধাবন)
র. বুধের ভূত্বকে
রর. চাঁদের পৃষ্ঠদেশে
ররর. পৃথিবীতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
২৩৪. লোহা ও নিকেলের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়- (অনুধাবন)
র. নিফেতে
রর. সেন্ট্রোস্ফিয়ারে
ররর. কেন্দ্রমণ্ডলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৩৫ ও ২৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অসীম একদিন ভোরের আকাশে অবাক হয়ে লক্ষ করল একটি তারা দেখা যাচ্ছে। তার দাদু তাকে বললেন এটি তারা নয়, সৌরজগতের একটি গ্রহ। অতঃপর দাদু অসীমকে সৌরজগৎ সম্পর্কে বি¯ত্মারিত বললেন।
২৩৫. অসীমের দেখা তারা কোনটি? (প্রয়োগ)
ক শনি খ বুধ > শুক্র ঘ বৃহস্পতি
২৩৬. দাদুর কথায় অসীম জানতে পারবে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সূর্যকে ভিত্তি করে সকল গ্রহের কাজকর্ম চলে
রর. সূর্যের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নিকটতম গ্রহ যথাক্রমে বুধ, শুক্র ও পৃথিবী
ররর. শনির ২২টি ও ইউরেনাসের ৫টি উপগ্রহ আছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের সারণি থেকে ২৩৭ ও ২৩৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও
গ্রহের নাম উপগ্রহের সংখ্যা বায়ুমণ্ডলের উপাদান
পৃথিবী ০১ অক্সিজেন, নাইট্রোজেন
মঙ্গল ০২ নাইট্রোজেন, আরগন
শনি ২২ হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, মিথেন, অ্যামোনিয়া
ইউরেনাস ২৭ মিথেন
২৩৭. উপরের তথ্য অনুসারে জীবজগতের বসবাসের উপযোগী গ্রহ কোনটি?
(অনুধাবন)
> পৃথিবী খ মঙ্গল গ শনি ঘ ইউরেনাস
২৩৮. উক্ত সারণি থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় যে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মঙ্গলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অক্সিজেনের থেকে এত বেশি যে প্রাণের অস্তিত্ব অসম্ভব
রর. উপাদানগুলোর উপস্থিতির কারণে শনির ভূত্বক বরফে ঢাকা
ররর. ইউরেনাসে মিথেন গ্যাসের কারণে জীবাশ্ম খনিজ প্রাপ্তির সম্ভাবনা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র খ র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৩৯ ও ২৪০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শোভন ক্লাসে শিক্ষকের মুখে এমন একটি গ্রহের কথা জানতে পারল যে গ্রহে পৃথিবীর একদিনে দুইবার সূর্য ওঠে ও অস্ত যায়। এতে শোভন অবাক হয়।
২৩৯. শোভন শিক্ষকের নিকট থেকে কোন গ্রহের কথা জানতে পারল? (অনুধাবন)
ক মঙ্গল খ শুক্র গ বুধ > বৃহস্পতি
২৪০. শোভনের জানা গ্রহটির বৈশিষ্ট্য- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গভীর বায়ুমণ্ডল আছে
রর. সর্ববৃহৎ গ্রহ
ররর. ১৬টি গ্রহ আছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটি দেখে ২৪১, ২৪২ এবং ২৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
২৪১. চিত্রের ই স্তরকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক অশ্মমণ্ডল > গুরুমণ্ডল
গ কেন্দ্রমণ্ডল ঘ বায়ুমণ্ডল
২৪২. চিত্রের গঠন কাঠামোর কোথায় সিয়াল ও সিমা স্তরে ভাগ হয়েছে? (প্রয়োগ)
> অ খ ই গ অ ও ই ঘ ই ও ঈ
২৪৩. চিত্রের ঈ স্তরটি- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত বি¯ত্মৃত
রর. প্রধান উপাদান নিকেল ও লোহা
ররর. পৃথিবীর বাহ্যিক গঠন উপাদান
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৪৪ ও ২৪৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ক্লাসে রাহাতকে শফিউল স্যার সৌরজগতের পরিবারের কয়েকটি সদস্যের নাম বলতে বললেন। উত্তরে সে চন্দ্র, ডিমোস, ওবেরন এর নাম বলল।
২৪৪. রাহাত যে নামগুলো বলল প্রকৃতিগত দিক থেকে সেগুলো কী? (প্রয়োগ)
ক গ্রহ খ গ্রহাণু
> উপগ্রহ ঘ উল্কা
২৪৫. রাহাতের উলিস্নখিত নামগুলোর সাথে প্রকৃতিগত সাদৃশ্য রয়েছেÑ
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. টেথিসের
রর. নেরাইডের
ররর. গ্যালাক্সির
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পরিচ্ছেদ ৩.২ : বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের সময় নির্ণয় পদ্ধতি
দ্রাঘিমার অবস্থান থেকে জানা যায়- কোনো স্থানের সময়।
পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে বলা হয়- নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা।
নিরক্ষরেখার অ বাংশ ও গ্রিনিচের দ্রাঘিমা- ০˚ ।
পৃথিবীর কেন্দ্রে কোণের পরিমাণ- ৩৬০˚ ।
প্রতি ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয়- ৪ মিনিট।
বাংলাদেশের প্রমাণ সময় গ্রিনিচের সময় অপেক্ষা- ৬ ঘণ্টা অগ্রবর্তী।
বাংলাদেশের প্রায় মধ্যভাগে অবস্থিত- ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমারেখা।
ঢাকার প্রতিপাদ স্থান অবস্থিত- দক্ষণি আমেরিকার অন্তর্গত চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে।
গ্রিনিচের সঠিক সময় জানা যায়- ক্রনোমিটার ঘড়ি থেকে।
পৃথিবী নিজ অক্ষ বা মেরুরেখায় আবর্তন করছে- পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৪৬. পৃথিবীর মানচিত্রে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য পূর্ব-পশ্চিমে যে কাল্পনিক রেখা অঙ্কন করা হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক নিরক্ষরেখা > অক্ষরেখা
গ সমাক্ষরেখা ঘ দ্রাঘিমা রেখা
২৪৭. কোনো স্থানের সময় জানা যায় কোনটির মাধ্যমে? ( অনুধাবন)
> দ্রাঘিমা রেখা খ অক্ষরেখা
গ নিরক্ষরেখা ঘ সমাক্ষরেখা
২৪৮. মূল মধ্যরেখা থেকে দূরত্ব কৌণিক মাপে প্রকাশ সুবিধাজনক হওয়ার যথাযথ কারণ কোনটি? (অনুধাবন)
ক পৃথিবীর নিজ অক্ষরেখার ওপর ঘুরতে থাকে বলে
খ পৃথিবীকে উত্তর-দক্ষিণে সমান দুই অংশে ভাগ করা যায়
গ পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে দুই অংশে ভাগ করা যায়
> পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার
২৪৯. সুমেরু ও কুমেরু সংযোগকারী কাল্পনিক রেখাকে কী বলে? (জ্ঞান)
> মেরুরেখা খ নিরক্ষরেখা
গ দ্রাঘিমা রেখা ঘ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা
২৫০. পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখার উত্তর প্রান্ত বিন্দুকে কী বলে? (জ্ঞান)
> সুমেরু খ মেরুবিন্দু গ দক্ষণি মেরু ঘ কুমেরু
২৫১. পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সমাক্ষ রেখা খ বিষুব রেখা
> মেরু রেখা ঘ কর্কটক্রান্তি রেখা
২৫২. পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখার দক্ষণি প্রান্ত বিন্দুকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সুমেরু খ মেরুবিন্দু গ উত্তর মেরু > কুমেরু
২৫৩. নিরক্ষরেখার অপর নাম কী? (জ্ঞান)
> বিষুবরেখা খ মেরুরেখা
গ বিভক্তরেখা ঘ গোলার্ধরেখা
২৫৪. খুকুমনি মানচিত্র নিয়ে খেলতে খেলতে মানচিত্রটিকে সমান দুইভাগে ছিঁড়ে উত্তর ও দক্ষিণের অংশ আলাদা করে ফেলেছে। যে রেখা বরাবর ছিঁড়েছে তা ভূগোলের কোন রেখা নির্দেশ করবে? (প্রয়োগ)
ক মূল মধ্যরেখা > নিরক্ষরেখা
গ সমাক্ষরেখা ঘ দ্রাঘিমা রেখা
২৫৫. কোন রেখাটি পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে? (জ্ঞান)
ক অক্ষরেখা > নিরক্ষরেখা
গ মধ্যরেখা ঘ মেরুরেখা
২৫৬. ভারত রাষ্ট্রটির অবস্থান নিরক্ষরেখার উত্তর দিকে। ভারত কোন গোলার্ধে অবস্থিত? (প্রয়োগ)
ক দক্ষণি > উত্তর গ পশ্চিম ঘ পূর্ব
২৫৭. নিরক্ষরেখার অ বাংশ ০˚ কেন? (অনুধাবন)
ক পৃথিবী উপবৃত্তাকার বলে খ পৃথিবী গোলাকার বলে
> পৃথিবীর মাঝখানে বলে ঘ পৃথিবী সমান্তরাল বলে
২৫৮. অ বাংশ পরিমাপের একক কী? (জ্ঞান)
ক রেডিয়ান খ মিনিট > ডিগ্রি ঘ সেকেন্ড
২৫৯. পৃথিবীর বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণের পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক ৯০˚ খ ১৮০˚ গ ২৭০˚ ৩৬০˚
২৬০. নিরক্ষরেখা থেকে প্রত্যেক মেরুর কৌণিক দূরত্ব কত ডিগ্রি? (জ্ঞান)
ক ০০ > ৯০০ গ ১৮০০ ঘ ৩৬০০
২৬১. নিরক্ষরেখার সমান্তরাল যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক বিষুবরেখা খ দ্রাঘিমারেখা
> সমাক্ষরেখা ঘ সমান্তরাল রেখা
২৬২. সমাক্ষরেখার সর্বোচ্চ অ বাংশ কত ডিগ্রি? (জ্ঞান)
> ৯০০ খ ১২০০ গ ১৮০০ ঘ ৩৬০০
২৬৩. কত ডিগ্রি অ বাংশকে কর্কটক্রান্তি বলে? (জ্ঞান)
২৩.৫˚ উত্তর খ ২৩.৫˚ দক্ষণি গ ৬৬.৫˚ উত্তর ঘ ৬৬.৫˚ দক্ষণি
২৬৪. ২৩.৫˚ দক্ষণি অ বাংশকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক কর্কটক্রান্তি > মকরক্রান্তি
গ সুমেরুবৃত্ত ঘ কুমেরুবৃত্ত
২৬৫. সুমেরুবৃত্ত কোনটি? (জ্ঞান)
ক ২৩.৫˚ উত্তর অক্ষরেখা ৬৬.৫˚ উত্তর অক্ষরেখা
গ ২৩.৫˚ দক্ষণি অক্ষরেখা ঘ ৬৬.৫˚ দক্ষণি অক্ষরেখা
২৬৬. কুমেরুবৃত্ত কোনটি? (জ্ঞান)
ক ২৩.৫˚ উত্তর অক্ষরেখা খ ৬৬.৫˚ উত্তর অক্ষরেখা
গ ২৩.৫˚ দক্ষণি অক্ষরেখা ৬৬.৫˚ দক্ষণি অক্ষরেখা
২৬৭. নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক দ্রাঘিমা খ অক্ষরেখা গ সমাক্ষ রেখা > অ বাংশ
২৬৮. কোন অ বাংশকে নিম্ন অ বাংশ বলা হয়? (জ্ঞান)
> ০০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত খ ৩০০ থেকে ৬০০ পর্যন্ত
গ ৪৫০ থেকে ৯০০ পর্যন্ত ঘ ৬০০ থেকে ৯০০ পর্যন্ত
২৬৯. ৩০˚ থেকে ৬০˚ পর্যন্ত অ বাংশকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক নিম্ন অ বাংশ খ উচ্চ অ বাংশ
> মধ্য অ বাংশ ঘ সর্বোচ্চ অ বাংশ
২৭০. পৃথিবীর মানচিত্রে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য উত্তর-দক্ষিণে যে কাল্পনিক রেখা অঙ্কন করা হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সমাক্ষরেখা খ মূলমধ্যরেখা
> দ্রাঘিমারেখা ঘ নিরক্ষরেখা
২৭১. দ্রাঘিমা রেখার অপর নাম কোনটি? (জ্ঞান)
ক অক্ষরেখা খ নিরক্ষরেখা
> মধ্যরেখা ঘ সমাক্ষ রেখা
২৭২. ভূগোলকের সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা কত? (জ্ঞান)
> ১৮০০ খ ৩৬০০ গ ২৭০০ ঘ ৯০০
২৭৩. নিচের কোনটির সাহায্যে স্থানীয় সময় জানা যায়? (জ্ঞান)
> দ্রাঘিমা খ অ বাংশ
গ অক্ষরেখা ঘ সমাক্ষরেখা
২৭৪. দ্রাঘিমারেখার অবস্থান থেকে কী জানা যায় ? (জ্ঞান)
সময় খ তারিখ গ দিন ঘ মাস
২৭৫. কোন রেখা বাংলাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত? (অনুধাবন)
ক ০˚ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা > ৯০˚ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা
গ ১৮০˚ মূল মধ্যরেখা ঘ ১৮০˚ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা
২৭৬. কোন শহরের ওপর দিয়ে মূল মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে? (জ্ঞান)
ক টোকিও খ প্যারিস গ নিউইয়র্ক > লন্ডন
২৭৭. লন্ডনের নিকটে গ্রিনিচ শহরের ওপর দিয়ে উত্তর হতে দক্ষিণে যে রেখা অতিক্রম করেছে তার নাম কী? (জ্ঞান)
ক অক্ষরেখা > মূল মধ্যরেখা
গ দ্রাঘিমারেখা ঘ নিরক্ষরেখা
২৭৮. মূল মধ্যরেখার মান ধরা হয়েছে নিচের কোনটিকে? (জ্ঞান)
> ০০ খ ৯০০ গ ১৮০০ ঘ ৩৬০০
২৭৯. মূল মধ্যরেখার বৈশিষ্ট্য কী? (অনুধাবন)
> এটি অর্ধবৃত্ত আকৃতির খ এটি পূর্ণবৃত্ত আকৃতির
গ এটি পূর্ব পশ্চিমে বি¯ত্মৃত ঘ এটি ৯০˚ বরাবর বি¯ত্মৃত
২৮০. পৃথিবীর কেন্দ্রে পরিধির দ্বারা উৎপন্ন কোণের পরিমাপ কত (জ্ঞান)
ক ০˚ খ ৯০˚ গ ১৮০˚ > ৩৬০˚
২৮১. প্রতি মিনিট দ্রাঘিমা এক ডিগ্রির কত অংশের সমান? (অনুধাবন)
ক ১১৫ অংশ > ১৬০ অংশ গ ১৪৫ অংশ ঘ ১৩০ অংশ
২৮২. মূল মধ্যরেখা ও নিরক্ষরেখা কোথায় পরস্পর লম্বভাবে ছেদ করেছে?
(অনুধাবন)
> গিনি উপসাগরে খ মেক্সিকো উপসাগরে
গ বঙ্গোসাগরে ঘ কোরিয়া উপসাগরে
২৮৩. প্রতিনিয়ত পৃথিবী পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে কোন রেখায় আবর্তিত হচ্ছে? (অনুধাবন)
ক মূল মধ্যরেখায় খ বিষুবরেখায়
গ নিরক্ষরেখায় > নিজ মেরুরেখায়
২৮৪. দ্রাঘিমার মান সর্বোচ্চ কত ডিগ্রি? (জ্ঞান)
ক ৯০০ খ ১৬০০ > ১৮০০ ঘ ৩৬০০
২৮৫. কোনো স্থানের মধ্যরেখা সূর্যের ঠিক সামনে এলে ঐ স্থানে কোন সময় ধরা হয়? (অনুধাবন)
ক ভোর > দুপুর গ গোধূলি ঘ অপরাহ্ন
২৮৬. কোনো স্থানে সময় বেলা ১টা হলে, তার ১০ পূর্বের স্থানের সময় কী হবে? (জ্ঞান)
> ১টা ৪ মিনিট খ ১২টা ৫০ মিনিট
গ ১২টা ১২ মিনিট ঘ ১২টা ৫ মিনিট
২৮৭. এক ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য কত? (জ্ঞান)
ক ১ মিনিট > ৪ মিনিট গ ১ ঘণ্টা ঘ ৪ ঘণ্টা
২৮৮. গ্রিনিচের সঠিক সময় নির্ণয় করা যায় কোন ঘড়ি থেকে? (জ্ঞান)
ক সেক্সট্যান্ট খ ন্যানোমিটার
গ ল্যাকটোমিটার > ক্রনোমিটার
২৮৯. কোন যন্ত্রের সাহায্যে অ বাংশ নির্ণয় করা যায়? (অনুধাবন)
ক ব্যারোমিটার > সেক্সট্যান্ট
গ থার্মোমিটার ঘ তাপমান যন্ত্র
২৯০. কোনো স্থান গ্রিনিচের পূর্বে হলে তার স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় থেকে কী হবে? (জ্ঞান)
> বেশি খ কম গ সমান ঘ অপরিবর্তিত
২৯১. পৃথিবী আবর্তন করে কোন দিকে? (জ্ঞান)
> পশ্চিম থেকে পূর্বে খ পূর্ব থেকে পশ্চিমে
গ উত্তর থেকে দক্ষিণে ঘ দক্ষণি থেকে উত্তরে
২৯২. মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থান দেখে কী নির্ণয় করা হয়? (জ্ঞান)
ক প্রমাণ সময় খ রাষ্ট্রীয় সময়
> স্থানীয় সময় ঘ আন্তর্জাতিক সময়
২৯৩. কোন স্থানের স্থানীয় সময়কে সমগ্র পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে ধরা হয়? (জ্ঞান)
ক যুক্তরাষ্ট্রের খ কানাডার
গ গিনি উপসাগরের > গ্রিনিচের
২৯৪. কোন যন্ত্রের সাহায্যে স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়? (জ্ঞান)
ক ক্রনোমিটার > সেক্সট্যান্ট
গ ব্যারোমিটার ঘ ন্যানোমিটার
২৯৫. ৩৬০ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্ব আবর্তন করতে পৃথিবীর কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ১৪০০ মিনিট খ ১৪২০ মিনিট > ১৪৪০ মিনিট ঘ ১৪৬০ মিনিট
২৯৬. ১৫ ডিগ্রি দ্রাঘিমার ব্যবধানে সময়ের পার্থক্য কত? (অনুধাবন)
ক ৪ মিনিট খ ১ মিনিট > ৬০ মিনিট ঘ ৬০ সেকেন্ড
২৯৭. যুক্তরাষ্ট্রের প্রমাণ সময় কয়টি? (জ্ঞান)
ক দুই খ তিন > চার ঘ পাঁচ
২৯৮. কোথায় পাঁচটি প্রমাণ সময় রয়েছে? (জ্ঞান)
ক যুক্তরাজ্যে খ যুক্তরাষ্ট্রে
গ জাপানে > কানাডায়
২৯৯. বাংলাদেশের সময় দুপুর ১২ টা ৩০ হলে গ্রিনিচ সময় কত হবে? (প্রয়োগ)
ক বিকাল ৬টা ২০ মিনিট খ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট
> সকাল ৬টা ৩০ মিনিট ঘ বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট
৩০০. মহাবৃত্ত কাকে বলা হয়? (অনুধাবন)
> বিষুবরেখাকে খ অক্ষরেখাকে
গ মেরু রেখাকে ঘ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে
৩০১. গ্রিনিচের সময়ের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য কত ঘণ্টা? (জ্ঞান)
> ৬ খ ৮ গ ১০ ঘ ১২
৩০২. ঢাকার দ্রাঘিমা ৯০˚ পূর্ব এবং ব্যাঙ্গালোরের দ্রাঘিমা ৮০˚ পূর্ব। ঢাকায় যখন দুপুর ১২ টা, তখন ব্যাঙ্গালোরের স্থানীয় সময় কত? (প্রয়োগ)
> সকাল ১১টা ২০ মি: খ সকাল ১১টা ৫০ মি:
গ দুপুর ১২টা ০০ মি: ঘ দুপুর ১২টা ৪০ মি:
৩০৩. ৩০˚ দ্রাঘিমান্তরে ব্যবধান কত হবে? (জ্ঞান)
ক ১ ঘণ্টা খ ১১০ মিনিট গ ৩ ঘণ্টা > ২ ঘণ্টা
৩০৪. মি. হলব্রম্নক ২৮ মে আমেরিকা থেকে জাহাজে প্রশান্তমহাসাগর পাড়ি দিয়ে ১০ দিন পর অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছলেন। তিনি কত তারিখে সেখানে পৌঁছলেন? (প্রয়োগ)
> ৭ জুন খ ৮ জুন গ ৯ জুন ঘ ১০ জুন
৩০৫. ক শহরের দ্রাঘিমা ৬০˚ পশ্চিম, গ্রিনিচ যখন দুপুর ১টা ৩০ মিনিট ক শহরের স্থানীয় সময় তখন কত? (প্রয়োগ)
ক সকাল ৫টা ৩০ মিনিট খ সকাল ৬টা ৩০ মিনিট
> সকাল ৯টা ৩০ মিনিট ঘ সকাল ১০টা ৩০ মিনিট
৩০৬. প্রতিপাদ স্থানদ্বয় একে অন্যের সাথে কীরূপে অবস্থান করে? (অনুধাবন)
> বিপরীতে খ একই দিকে গ সমান্তরালে ঘ সমকোণে
৩০৭. প্রতিপাদ স্থান নির্ণয় করার জন্য ভূপৃষ্ঠের কোনো বিন্দু থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে কোন রেখা পৃথিবীর বিপরীত দিকে টানা হয়? (অনুধাবন)
ক একটি বাস্তব রেখা খ একটি আদর্শিক রেখা
> একটি কল্পিত রেখা ঘ একটি আংশিক রেখা
৩০৮. একটি স্থানের অ বাংশ ৭০˚ উত্তর, তার প্রতিপাদ স্থানের অ বাংশ কত হবে? (প্রয়োগ)
ক ২০˚ দক্ষণি খ ৭০˚ পশ্চিম গ ৭০˚ উত্তর > ৭০˚ দক্ষণি
৩০৯. প্রতিপাদ স্থানদ্বয়ের দ্রাঘিমা যোগ করলে কত হয়? (জ্ঞান)
ক ৯০০ খ ৭০০ > ১৮০০ ঘ ৩৬০০
৩১০. ৫০˚ পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত স্থানের প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা কত? (প্রয়োগ)
ক ৫০˚ পশ্চিম > ১৩০˚ পশ্চিম গ ১৩০˚ পূর্ব ঘ ১৮০˚ পূর্ব
৩১১. নিচের কোনটি ৪০০ পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত স্থানের প্রতিপাদ স্থান? (জ্ঞান)
ক ৪০০ পশ্চিম খ ১৪০০ পূর্ব > ১৪০০ পশ্চিম ঘ ১৩০০ পশ্চিম
৩১২. প্রতিপাদ স্থানদ্বয়ের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত? (জ্ঞান)
ক ৬ ঘণ্টা > ১২ ঘণ্টা গ ২৪ ঘণ্টা ঘ ২৬ ঘণ্টা
৩১৩. ঢাকার প্রতিপাদ স্থান কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক উত্তর আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরে
> দক্ষণি আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরে
গ ইউরোপের আটলান্টিক মহাসাগরে
ঘ আফ্রিকার ভারত মহাসাগরে
৩১৪. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কোথায় কল্পনা করা হয়? (জ্ঞান)
ক আটলান্টিক মহাসাগরে > প্রশান্ত মহাসাগরে
গ ভারত মহাসাগরে ঘ ভূমধ্যসাগরে
৩১৫. বাংলাদেশে শুক্রবার ভোর ছয়টায় রফিককে লন্ডন থেকে তার মামা ফোন করেছে। লন্ডনে ঐ সময়টি কত ছিল? (প্রয়োগ)
> বৃহস্পতিবার রাত ১২টা খ শুক্রবার দুপুর ১২টা
গ শুক্রবার রাত ১২টা ঘ শনিবার রাত ১২টা
৩১৬. কোন রেখা অতিক্রম করলে দিন ও তারিখের পরিবর্তন হয়? (জ্ঞান)
ক নিরক্ষরেখা খ দ্রাঘিমারেখা
> আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা ঘ মূল মধ্যরেখা
৩১৭. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা না থাকলে কী অসুবিধা হতো? (জ্ঞান)
ক পৃথিবী গোলাকার তা বোঝা যেত না
খ মহাসমুদ্রে জাহাজ চলাচলে অসুবিধা হতো
গ মহাসমুদ্রে জাহাজের দিক নিয়ন্ত্রণ করা অসুবিধা হতো
একই দ্রাঘিমায় তারিখ ও বারের সমস্যা হতো
৩১৮. কোথায় আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা নির্ধারণ করা হয়? (জ্ঞান)
ক যুক্তরাজ্যের লন্ডনে খ ভারতের দিলিস্নতে
গ ফ্রান্সের প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে
৩১৯. মূল মধ্যরেখায় যদি সোমবার সকাল ১০টা হয়, ১৮০০ পূর্ব দ্রাঘিমায় স্থানীয় সময় কত হবে? (অনুধাবন)
ক রোববার সকাল ১০টা খ রোববার রাত ১০টা
> সোমবার রাত ১০টা ঘ মঙ্গলবার সকাল ১০টা
৩২০. কত ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ৯০˚ ১৮০˚ গ ২৭০˚ ঘ ৩৬০˚
৩২১. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার সাথে কোন প্রণালিটি যুক্ত? (জ্ঞান)
ক পক প্রণালি খ জিব্রাল্টার প্রণালি
> বেরিং প্রণালি ঘ ফ্লোরিডা প্রণালি
৩২২. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাটি বেরিং প্রণালিতে কত ডিগ্রি বেঁকে গিয়েছে? (জ্ঞান)
ক ১১˚ পূর্ব > ১২˚ পূর্ব গ ৭০˚ পশ্চিম ঘ ৮০˚ পশ্চিম
৩২৩. অ্যালসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কত ডিগ্রি বেঁকে টানা হয়েছে? (জ্ঞান)
> ১১˚ পূর্ব খ ৭˚ পশ্চিম
গ ১২˚ পূর্ব ঘ ৮০˚ পশ্চিম
৩২৪. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে বেঁকে দেওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক একই স্থানে দুই রকম তারিখ ও বার হওয়ার জন্য
> স্থানীয় অধিবাসীদের সুবিধার্থে
গ অভিযাত্রীদের সুবিধার্থে
ঘ জাহাজ চলাচলের জন্য
৩২৫. কোনো স্থানে সূর্য যখন মাথার ওপর থাকে তখন ঐ স্থানের সময় কত ধরা হয়? (জ্ঞান)
ক সকাল ১০টা > দুপুর ১২টা
গ দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট ঘ দুপুর ১টা
৩২৬. কোনো স্থানের অবস্থান জানা যায় কীসের সাহায্যে? (জ্ঞান)
ক অক্ষরেখার খ দ্রাঘিমারেখার
গ নিরক্ষরেখার > অক্ষ রেখা ও দ্রাঘিমারেখার
৩২৭. অ স্থানটির সময় গ্রিনিচের চেয়ে বেশি। এ উক্তি দ্বারা কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
ক স্থানটি গ্রিনিচের পশ্চিমে অবস্থিত
> স্থানটি গ্রিনিচের পূর্বে অবস্থিত
গ স্থানটি গ্রিনিচের উত্তরে অবস্থিত
ঘ স্থানটি গ্রিনিচের দক্ষিণে অবস্থিত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩২৮. দ্রাঘিমা রেখাগুলো- (অনুধাবন)
র. অর্ধবৃত্ত
রর. অসমান্তরাল
ররর. দৈর্ঘ্য সমান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর > র, রর ও ররর
৩২৯. কোনো স্থানের অ বাংশ নির্ণয় করা যায়- (অনুধাবন)
র. সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে
রর. ধ্রম্নবতারার সাহায্যে
ররর. দ্রাঘিমার সাহায্যে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩০. বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে অতিক্রম করেছে- (অনুধাবন)
র. কর্কটক্রান্তি রেখা
রর. মকরক্রান্তি রেখা
ররর. ২৩.৫˚ উত্তর অক্ষরেখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর > র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩১. দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে আমরা জানতে পারি- (অনুধাবন)
র. মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে কোনো স্থানের অবস্থান
রর. নিরক্ষরেখার উত্তরে বা দক্ষিণে কোনো স্থানের অবস্থান
ররর. পৃথিবীর যেকোনো স্থানের সময়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৩৩২. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অতিক্রম করেছে- (অনুধাবন)
র. অ্যালিউসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছ দিয়ে
রর. ফিজি দ্বীপপুঞ্জের ১২˚ পূর্বে
ররর. চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জের ১২˚ পূর্বে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৩৩৩. পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য জানা দরকার- (অনুধাবন)
র. নিরক্ষরেখা থেকে স্থানটি কত পূর্বে বা পশ্চিমে
রর. নিরক্ষরেখা থেকে স্থানটি কত উত্তরে বা দক্ষিণে
ররর. মূল মধ্যরেখা থেকে স্থানটি কত পূর্বে বা পশ্চিমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৪. নিরক্ষরেখা কল্পনা করা হয়েছে- (অনুধাবন)
র. উত্তর ও দক্ষিণে অবস্থান জানা যায়
রর. পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে
ররর. উত্তর-দক্ষিণে বেষ্টন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৫. সমাক্ষরেখাগুলো থাকে- (অনুধাবন)
র. পূর্ব-পশ্চিমে বি¯ত্মৃত
রর. পরস্পর সমান্তরাল
ররর. অ বাংশ বাড়লে পরিধি বাড়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৩৩৬. প্রতিপাদ স্থানদ্বয়ের সম্পর্ক- (অনুধাবন)
র. স্থানদ্বয় ভূগোলকে পরস্পরের বিপরীতে অবস্থান করে
রর. বিন্দুদ্বয়ের যোগ স্থাপনকারী রেখা পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে যায়
ররর. সমাক্ষরেখার মতো এরা সবসময় সমান্তরালভাবে থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৭. কোনো স্থানের অবস্থান জানার জন্য যেসব বিষয় জানা আবশ্যক-
(অনুধাবন)
র. স্থানটি মূল মধ্যরেখা হতে কোন দিকে অবস্থিত
রর. স্থানটি বিষুব রেখা হতে কত উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত
ররর. স্থানটি মকর রেখা হতে কত উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৩৮ ও ৩৩৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জামিল প্রতিদিন ঢাকায় বসে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় লন্ডন থেকে প্রচারিত বিবিসি সংবাদ শোনে। তার ভাই সুমন ৬৭˚ পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত করাচি শহরে থাকে। সেও সংবাদটি নিয়মিত শোনে।
৩৩৮. সুমন উক্ত বিবিসি সংবাদ করাচির স্থানীয় সময় কয়টায় শোনে? (প্রয়োগ)
> বিকাল ৫টা ৫৮ মিনিট খ সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিট
গ রাত ৯টা ০২ মিনিট ঘ রাত ১০টা ০২ মিনিট
৩৩৯. বিবিসি খবরটি প্রচার করে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. স্থানীয় সময় দুপুর ১ : ৩০ মিনিটে
রর. জামিলের শহর থেকে পূর্ব অবস্থানে থেকে
ররর. সুমনের শহর থেকে পশ্চিম অবস্থানে থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর খ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের চিত্রের আলোকে ৩৪০ ও ৩৪১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৩৪০. চিত্রে উলিস্নখিত স্থান দুটির মধ্যে পার্থক্য কত? (অনুধাবন)
ক ৪ ঘণ্টা খ ৫ ঘণ্টা > ৬ ঘণ্টা ঘ ৭ ঘণ্টা
৩৪১. চিত্রে উলিস্নখিত স্থান দুটির ড়্গেেত্র- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অ স্থানের তুলনায় ই স্থানের সময় বেশি
রর. অ স্থানটি ই স্থানের পূর্বে অবস্থিত
ররর. ই স্থানটির অবস্থান মূল মধ্যরেখার পূর্বে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটির আলোকে ৩৪২ ও ৩৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৩৪২. ০˚ তে অবস্থিত রেখাটি হলো- (অনুধাবন)
ক কর্কটক্রান্তি খ মকরক্রান্তি
গ মেরুরেখা > নিরক্ষরেখা
৩৪৩. চিত্রটি পর্যবেক্ষণ করে পাই (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মেরুরেখা উত্তর ও দক্ষণি মেরুকে সংযোগ করেছে
রর. মেরুরেখা বিষুবরেখাকে অতিক্রম করেছে
ররর. মেরুরেখা ও বিষুবরেখা পরস্পর সমান্তরাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পরিচ্ছেদ- ৩.৩ : পৃথিবীর গতি
মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা পৃথিবীর নিজ অড়্গে আবর্তন ও সূর্যের চারিদিকে পরিক্রমণ করাকে বলে- পৃথিবীর গতি।
পৃথিবীর গতি- দুই প্রকার।
পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে বলে- সৌরদিন।
আহ্নিক গতির ফলে- দিন ও রাত হয়।
বার্ষিক গতির ফলে- পৃথিবীতে দিন-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ও ঋতু পরিবর্তন ঘটে।
২১ জুন- সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ দিন।
উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত সবচেয়ে ছোট হয়- ২১ জুন।
২৩ সেপ্টেম্বর ও ২১ মার্চ- পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়।
সূর্যের দক্ষণিায়নের শেষ দিন- ২২ ডিসেম্বর।
দক্ষণি গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত সবচেয়ে ছোট হয়- ২২ ডিসেম্বর।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৪৪. পৃথিবী নিজ কক্ষপথে প্রদক্ষণি করতে কোনটি বিশেষভাবে সহায়তা করছে? (অনুধাবন)
ক চন্দ্রের আকর্ষণ বল > সূর্যের মহাকর্ষ বল
গ পৃথিবীর মহাকর্ষ বল ঘ পৃথিবীর আবর্তন গতি
৩৪৫. পৃথিবীর গতি কত প্রকার? (জ্ঞান)
ক ৩ > ২ গ ৪ ঘ ৫
৩৪৬. কোনো বস্তু যদি নিজ অক্ষরে ওপর ঘুরতে থাকে তবে তার মধ্যে কয়টি বলের উদ্ভব হয়? (অনুধাবন)
ক ১ > ২ গ ৩ ঘ ৪
৩৪৭. পৃথিবীর দিনরাত্রি সংঘটিত হওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
> পৃথিবীর আহ্নিক গতি খ সূর্যকে প্রদক্ষণি করা
গ পৃথিবীর মহাকর্ষ বল ঘ পৃথিবীর অভিকর্ষ বল
৩৪৮. কোনটি পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফল? (অনুধাবন)
> দিনরাত্রি সংঘটন খ দিনরাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি
গ ঋতু পরিবর্তন ঘ সৌরবছর
৩৪৯. কোন রেখার ওপর পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে? (জ্ঞান)
ক দ্রাঘিমা > অক্ষ গ নিরক্ষ ঘ সমাক্ষ
৩৫০. সমুদ্রস্রোত এবং বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষণি গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রস্রোতের এই গতিবেগ কী প্রমাণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পৃথিবী নিজ অক্ষরে ওপরে ঘোরে
খ চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে
গ সূর্য উদয় হয় ও অস্ত যায়
> পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে
৩৫১. পৃথিবীর নিজ অড়্গে আবর্তন করতে কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
> ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড খ ২৩ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট ৪ সেকেন্ড
গ ২৩ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট ৪ সেকেন্ড ঘ ২৩ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট ৪ সেকেন্ড
৩৫২. পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনকে কী বলে? (জ্ঞান)
> সৌরদিন খ গ্রহ দিন গ উপগ্রহ দিন ঘ নক্ষত্র দিন
৩৫৩. কীসের সাহায্যে পৃথিবী আলোকিত হয়? (অনুুধাবন)
ক চন্দ্রের আলোর খ উপগ্রহের আলোর
> সূর্যের আলোর ঘ গ্রহণের আলোর
৩৫৪. সূর্যের আলো একই সময়ে ভূপৃষ্ঠের সব অংশে পড়ে না। কথাটি কী প্রমাণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
> পৃথিবী গোলাকার খ পৃথিবী ত্রিভুজাকার
গ পৃথিবী আয়তাকার ঘ পৃথিবী বর্গাকার
৩৫৫. পৃথিবীর আহ্নিক গতি না থাকলে কী হতো? (অনুধাবন)
ক সারা পৃথিবীতে চিরকাল দিন থাকত
খ সারা পৃথিবীতে ছয় মাস দিন ও ছয় মাস রাত থাকত
গ সারা পৃথিবীতে চিরকাল রাত থাকত
অর্ধেক পৃথিবীতে চিরকাল রাত ও অর্ধেক পৃথিবীতে চিরকাল দিন থাকত
৩৫৬. একটি স্থানে আজকে জোয়ার যে সময়ে হয় পরের দিন হয় তার ৫২ মিনিট পর। কী কারণে এই সময়ের ব্যবধান ঘটে? (প্রয়োগ)
ক বার্ষিক গতি > আহ্নিক গতি
গ রাত-দিন সংঘটন ঘ ঋতু পরিবর্তন
৩৫৭. পৃথিবীর আলোকিত ও অন্ধকার অংশের মধ্যবর্তী বৃত্তাকার অংশকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক নিরক্ষবৃত্ত খ পূর্ণবৃত্ত > ছায়াবৃত্ত ঘ অর্ধবৃত্ত
৩৫৮. সন্ধ্যার কিছু পূর্বে বিদ্যমান ড়্গীণ আলোর সময়কে কী বলে? (জ্ঞান)
ক প্রভাত > গোধূলি গ ঊষা ঘ বিকাল
৩৫৯. সূর্যের মহাকর্ষ বলের আকর্ষণে পৃথিবী নিজ অক্ষরে ওপর অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে একটি নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট দিকে এবং নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। পৃথিবীর এই গতিকে কী বলে? (প্রয়োগ)
> বার্ষিক গতি খ আহ্নিক গতি
গ আবর্তন গতি ঘ কেন্দ্রাভিমুখী গতি
৩৬০. পৃথিবী সেকেন্ডে কত বেগে সূর্যকে প্রদক্ষণি করছে? (জ্ঞান)
> ৩০ কিলোমিটার খ ২৫ কিলোমিটার
গ ১৫ কিলোমিটার ঘ ২৮ কিলোমিটার
৩৬১. সূর্যকে পৃথিবীর পরিক্রমণকাল কত? (জ্ঞান)
> এক বছর খ এক দিন গ এক সপ্তাহ ঘ এক মাস
৩৬২. পৃথিবীর একবার সূর্যকে পরিক্রমণের সময়কে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সৌরদিন > সৌরবছর গ অধিবর্ষ ঘ লিপ ইয়ার
৩৬৩. কতদিনে সৌরবছর গণনা করা হয়? (জ্ঞান)
ক ৩৬৪ > ৩৬৫ গ ৩৬৬ ঘ ৩৬৭
৩৬৪. কত বছর পর পর অধিবর্ষ হয়? (জ্ঞান)
ক ২ খ ৩ > ৪ ঘ ৫
৩৬৫. অধিবর্ষ বছর গণনা করা হয় কত দিনে? (জ্ঞান)
ক ৩৬৫ > ৩৬৬ গ ৩৬৭ ঘ ৩৬৮
৩৬৬. অধিবর্ষে ফেব্রম্নয়ারি মাস কত দিনে ধরা হয়? (জ্ঞান)
ক ৩০ খ ২৮ গ ৩১ > ২৯
৩৬৭. ঋতু পরিবর্তনের জন্য কোনটি দায়ী? (জ্ঞান)
> বার্ষিক গতি খ রৈখিক গতি
গ আহ্নিক গতি ঘ দ্বিমাত্রিক গতি
৩৬৮. কোনটি পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফল? (অনুধাবন)
ক দিনরাত্রি > ঋতু পরিবর্তন
গ বায়ুপ্রবাহের গতি বিক্ষপে ঘ জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি
৩৬৯. দিনরাতের তাপমাত্রার তারতম্যের সৃষ্টি হয় কেন? (অনুধাবন)
> বার্ষিক গতির জন্য খ সূর্যের আলোর জন্য
গ আহ্নিক গতির জন্য ঘ পৃথিবীর মেরুরেখার জন্য
৩৭০. ২১ জুন পৃথিবী কিরূপ অবস্থায় থাকে? (অনুধাবন)
> উত্তরমেরু সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে থাকে
খ দক্ষণিমেরু সূর্যের দিকে হেলতে থাকে
গ উভয়মেরু সূর্যের সর্বাপেক্ষা নিকটে থাকে
ঘ উভয়মেরু সূর্যের সর্বাপেক্ষা দূরে থাকে
৩৭১. সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবী সবসময় কত কোণে হেলে থাকে? (জ্ঞান)
> ২৩.৫˚ খ ৬৬.৫˚ গ ৯০˚ ঘ ১৮০˚
৩৭২. উত্তর গোলার্ধে কোন তারিখে দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতম রাত হয়? (জ্ঞান)
ক ২২ মার্চ > ২১ জুন গ ২৩ সেপ্টেম্বর ঘ ২২ ডিসেম্বর
৩৭৩. কত তারিখে দক্ষণি গোলার্ধে রাত সবচেয়ে বড় হয়? (জ্ঞান)
ক ২৩ সেপ্টেম্বর খ ২২ ডিসেম্বর গ ২২ মার্চ > ২১ জুন
৩৭৪. উত্তর গোলার্ধে ২৩ সেপ্টেম্বরকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ক গ্রীষ্মকাল খ বসন্ত বিষুব
> শারদ বিষুব ঘ উত্তর অয়নান্ত
৩৭৫. পৃথিবীর মেরুরেখাটি কক্ষপথের সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে? (জ্ঞান)
ক ৬৫˚ খ ৬৫.৫˚ গ ৬৬˚ > ৬৬.৫˚
৩৭৬. কখন থেকে উত্তর গোলার্ধের বেশি অংশে সূর্যের আলো পড়ে? (জ্ঞান)
ক ২১ ফেব্রম্নয়ারির পর খ ২১ এপ্রিলের পর
গ ২১ নভেম্বরের পর > ২১ জুনের পর
৩৭৭. নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর বেগ বেশি কেন? (অনুধাবন)
ক নিরক্ষরেখায় সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে
খ নিরক্ষরেখায় সূর্যের উত্তাপ বেশি থাকে বলে
নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর পরিধি সবচেয়ে বেশি বলে
ঘ নিরক্ষরেখায় জলভাগ বেশি বলে
৩৭৮. সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবী কীভাবে ঘুরে? (অনুধাবন)
ক ২৬.৫০ কোণে হেলে > ৬৬.৫০ কোণে হেলে
গ ২৩.৫০ কোণে হেলে ঘ ৯০০ কোণে হেলে
৩৭৯. কোন সময়কাল পর্যন্ত সূর্যের অবস্থান দক্ষণি গোলার্ধে থাকে? (জ্ঞান)
ক ২১ মার্চ – ২৩ সেপ্টেম্বর খ ২১ জুন – ২২ ডিসেম্বর
> ২৩ সেপ্টেম্বর – ২১ মার্চ ঘ ২২ ডিসেম্বর – ২১ জুন
৩৮০. কোথায় আিহ্নক গতির বেগ সবচেয়ে বেশি? (জ্ঞান)
ক মেরু অঞ্চলে > নিরক্ষরেখায়
গ মকরক্রান্তি রেখায় ঘ কর্কটক্রান্তি রেখায়
৩৮১. কত তারিখে উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে ছোট হয়? (জ্ঞান)
ক ২১ জুন খ ২৩ সেপ্টেম্বর
> ২২ ডিসেম্বর ঘ ২১ মার্চ
৩৮২. কোন তারিখে দক্ষণি গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয়? (জ্ঞান)
ক ২১ মার্চ খ ২১ জুন গ ২৩ সেপ্টেম্বর > ২২ ডিসেম্বর
৩৮৩. ২২ ডিসেম্বর তারিখে সূর্য পৃথিবীর কোন স্থানে লম্বভাবে কিরণ দেয়? (জ্ঞান)
ক ২৩.৫˚ উত্তর অ বাংশে > ২৩.৫˚ দক্ষণি অ বাংশে
গ ৯০˚ উত্তর অ বাংশে ঘ ৯০˚ দক্ষণি অ বাংশে
৩৮৪. কোন তারিখে সূর্যরশ্মি মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে পতিত হয়? (জ্ঞান)
ক ২১ জুন খ ২৩ সেপ্টেম্বর
> ২২ ডিসেম্বর ঘ ২১ মার্চ
৩৮৫. ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয় কেন? (অনুধাবন)
> উত্তরমেরু ও সূর্য থেকে সমান দূরত্বে থাকে
খ উত্তর ও দক্ষণি গোলার্ধের উভয়টিই সূর্যের কাছাকাছি থাকে
গ দক্ষণি গোলার্ধ সবচেয়ে দূরে থাকে
ঘ পৃথিবী সূর্য থেকে সমান দূরত্বে থাকে
৩৮৬. ২৩ সেপ্টেম্বর দিনের বেলায় পৃথিবীতে যে তাপ আসে রাতের বেলা একই তাপ বিকিরিত হয়ে যায়-এ থেকে কী প্রমাণ হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ঐ তারিখে কোনো তাপ থাকে না
খ ঐ তারিখে রাতের তাপমাত্রা ০˚ সে. হয়ে যায়
> ঐ তারিখ ঠাণ্ডা গরমের পরিমাণ সমান থাকে
ঘ ঐ দিন মকরক্রান্তি অঞ্চলে রাতের দৈর্ঘ্য দীর্ঘ হয়
৩৮৭. কোন দিনটিকে বাসন্তবিষুব বা মহাবিষুব বলা হয়? (জ্ঞান)
২১ মার্চ খ ২১ জুন গ ২৩ আগস্ট ঘ ২২ ডিসেম্বর
৩৮৮. পৃথিবীর কোন গতির ফলে দিবারাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি হয়? (জ্ঞান)
ক আহ্নিক গতি > বার্ষিক গতি গ ঘূর্ণন গতি ঘ দোল গতি
৩৮৯. রাতের আকাশে পূর্ব থেকে পশ্চিমে নক্ষত্রগুলোর অবস্থান পরিবর্তন হতে হতে ঠিক এক বছর পর আদি স্থানে ফিরে আসে। এ থেকে কী বোঝা যায়? (প্রয়োগ)
ক পৃথিবীর আহ্নিক গতি আছে খ পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার
গ পৃথিবী আপন মেরুরেখায় ঘোরে > পৃথিবীর বার্ষিক গতি আছে
৩৯০. তাপমাত্রার পার্থক্য অনুসারে সারা বছরকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়? (জ্ঞান)
ক তিন > চার গ পাঁচ ঘ ছয়
৩৯১. ২১ জুন তারিখে উত্তর গোলার্ধে কোন ঋতু বিরাজ করে? (অনুধাবন)
> গ্রীষ্মকাল খ শীতকাল গ শরৎকাল ঘ বসন্তকাল
৩৯২. কোন দিনটিতে সূর্য উত্তরায়ণের শেষ সীমায় পৌঁছায়? (জ্ঞান)
ক ২১ মার্চ > ২১ জুন গ ২৩ সেপ্টেম্বর ঘ ২২ ডিসেম্বর
৩৯৩. কোন তারিখে সূর্যরশ্মি কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর লম্বভাবে পড়ে? (জ্ঞান)
> ২১ জুন খ ২৩ সেপ্টেম্বর গ ২২ ডিসেম্বর ঘ ২১ মার্চ
৩৯৪. কোন তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়? (জ্ঞান)
ক ২১ মার্চ খ ২১ জুন > ২৩ সেপ্টেম্বর ঘ ২২ ডিসেম্বর
৩৯৫. ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তর গোলার্ধে কোন ঋতু বিরাজ করে? (জ্ঞান)
ক গ্রীষ্মকাল খ শীতকাল গ বসন্তকাল > শরৎকাল
৩৯৬. কোন তারিখে দক্ষণি গোলার্ধে বসন্তকাল? (জ্ঞান)
ক ২১ মার্চ > ২৩ সেপ্টেম্বর গ ২১ জুন ঘ ২৩ ডিসেম্বর
৩৯৭. ইমরান ১২ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে লক্ষ করে সেখানে গ্রীষ্ম ঋতু বিরাজ করছে। এ দেশের ভৌগোলিক অবস্থান কোন গোলার্ধে? (প্রয়োগ)
ক উত্তর খ পূর্ব গ পশ্চিম > দক্ষণি
৩৯৮. সূর্যের দক্ষণিায়নের শেষ দিন কোনটি? (জ্ঞান)
ক ২১ ডিসেম্বর > ২২ ডিসেম্বর গ ২১ জুন ঘ ২১ মার্চ
৩৯৯. উত্তর গোলার্ধে যখন শীতকাল দক্ষণি গোলার্ধে তখন কোন কাল বিরাজ করে? (জ্ঞান)
> গ্রীষ্ম খ শীত গ বসন্ত ঘ শরৎ
৪০০. সূর্য রশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কোন তারিখের পড়ে? (অনুধাবন)
> ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর খ ২২ ডিসেম্বর ও ২৩ সেপ্টেম্বর
গ ২১ জুন ও ২১ মার্চ ঘ ২১ জুন ও ২২ ডিসেম্বর
৪০১. নিরক্ষরেখায় লম্বভাবে সূর্যালোক পড়লে পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক নিরক্ষরেখা সুমেরুবৃত্তে অবস্থিত
খ পৃথিবী নিরক্ষরেখাকে দুই ভাগ করেছে
গ নিরক্ষরেখা কুমেরুবৃত্তের মাঝখানে অবস্থিত
> নিরক্ষরেখা পৃথিবীর ঠিক মাঝখানে অবস্থিত
৪০২. উত্তর গোলার্ধে যখন বসন্তকাল দক্ষণি গোলার্ধে তখন কোন ঋতু বিরাজ করে? (প্রয়োগ)
ক বসন্ত খ গ্রীষ্ম > শরৎ ঘ শীত
৪০৩. পৃথিবীর আবর্তনের পথ উপবৃত্তাকার হওয়ায় কী হচ্ছে? (অনুধাবন)
ক দিনরাত হচ্ছে খ সমুদ্রস্রোত হচ্ছে
> ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে ঘ জোয়ার ভাটা হচ্ছে
৪০৪. পৃথিবীর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য কত? (জ্ঞান)
ক ৫১০,১০০,৪২২২ কিলোমিটার খ ৫২,২৩,৮১,৫০০ কিলোমিটার
গ ৫৪,৫১,৪২৮০০ কিলোমিটার > ৯৩,৮০,৫১,৮২৭ কিলোমিটার
৪০৫. ঋতু বৈচিত্র্যের কারণ কী? (অনুধাবন)
> সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণ
খ পৃথিবীর চারদিকে চন্দ্রের পরিক্রমণ
গ নিজ মেরুরেখায় পৃথিবীর ঘূর্ণন
ঘ নক্ষত্রদের অভ্যন্তরীণ আকর্ষণ বল
৪০৬. কখন সূর্য পৃথিবীর নিকটে অবস্থান করে? (জ্ঞান)
> ১-৩ জানুয়ারি খ ১-৪ ফ্রেবুয়ারি
গ ১-৩ মার্চ ঘ ১-৪ জুলাই
৪০৭. যখন সূর্য পৃথিবীর নিকটতম স্থানে থাকে তখন তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক বাসন্ত বিষুব খ শারদ বিষুব
> অনুসূর ঘ অপসূর
৪০৮. বাংলাদেশ কোন গোলার্ধে অবস্থান করছে? (অনুধাবন)
ক দক্ষণি > উত্তর গ পূর্ব ঘ পশ্চিম
৪০৯. ২১ মার্চ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তর মেরুতে অবিরত ৬ মাস দিন থাকে কেন? (জ্ঞান)
> সূর্য কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে
খ সূর্য মকরক্রান্তির উপর লম্ভভাবে কিরণ দেয় বলে
গ সূর্য বিষুবরেখায় লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে
ঘ সূর্য মূল মধ্যরেখায় লম্ভভাবে কিরণ দেয় বলে
৪১০. মহাকাশ সম্পর্কে প্রযোজ্য উক্তি কোনটি? (অনুধাবন)
ক সূর্য প্রতিদিন পশ্চিম আকাশে একই জায়গায় অস্ত যায়
খ সূর্য প্রতিদিন পূর্ব আকাশে একই জায়গায় ওঠে
গ চাঁদের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে
> আকাশে নক্ষত্রগুলোর পূর্ব থেকে পশ্চিমে অবস্থান পরিবর্তন হয়
৪১১. কোন গতির প্রভাবে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষণিমেরু একটু চাপা এবং মধ্যভাগ সামান্য স্ফীত হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আপেক্ষকি খ পরম
> আবর্তন ঘ বার্ষিক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪১২. আহ্নিক গতি প্রভাব বি¯ত্মার করে- (অনুধাবন)
র. সমুদ্র স্রোতের ওপর
রর. বায়ুপ্রবাহের ওপর
ররর. পৃথিবীর গতির ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ ররর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১৩. দুটি স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য হয়ে থাকে- (অনুধাবন)
র. দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য
রর. পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির জন্য
ররর. আহ্নিক গতির জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৪১৪. পৃথিবীর আহ্নিক গতি প্রায় শূন্যের কাছাকাছি- (অনুধাবন)
র. উত্তর মেরুতে
রর. দক্ষণি মেরুতে
ররর. নিরক্ষরেখায়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১৫. ২২ জুন থেকে দুই মেরু ও সূর্যের সাথে যেরূপ সম্পর্ক বিরাজ করে- (অনুুধাবন)
র. উত্তর মেরু থেকে সূর্য দূরে সরতে থাকে
রর. উত্তর মেরু সূর্যের নিকট আসতে থাকে
ররর. দক্ষণি মেরু সূর্যের নিকট আসতে থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১৬. পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য পরিবর্তন ঘটছে- (অনুুধাবন)
র. বায়ুপ্রবাহের
রর. জলীয় বাষ্পের
ররর. সমুদ্রস্রোতের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১৭. পৃথিবী তার নিজের অড়্গে না ঘুরে যদি স্থির থাকত তবে- (অনুুধাবন)
র. গাছপালা দ্রুত বৃদ্ধি পেত
রর. একটি নির্দিষ্ট স্থান মরুপ্রায় হয়ে পড়ত
ররর. কোনো কোনো স্থান সবসময় অন্ধকার থাকত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১৮. ২১ জুন মধ্যােহ্ন ২৩.৫˚ উত্তর অ বাংশে- (অনুুধাবন)
র. সূর্যকিরণ লম্বভাবে পতিত হয়
রর. দীর্ঘতম দিন
ররর. ক্ষুদ্রতম রাত্রি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৪১৯. উত্তর গোলার্ধে জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন এবং জুলাই মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে। এর কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সময়ভেদে সূর্যরশ্মির পতন কোণের পার্থক্য
রর. দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যরে পার্থক্য
ররর. উত্তর ও দক্ষণি গোলার্ধের স্থলভাগের আয়তনগত পার্থক্য
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪২০. সূর্য উত্তর ও দক্ষণিমেরু থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করেÑ (অনুধাবন)
র. ২৩ সেপ্টেম্বর
রর. ২১ মার্চ
ররর. ২১ জুন
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪২১. পৃথিবীর আবর্তন গতি থাকা সত্ত্বেও প্রাণিকুল তা অনুভব করে না, কারণ- (অনুধাবন)
র. প্রাণিকুল পৃথিবীর সাথে একই গতিতে আবর্তন করছে
রর. প্রাণিকুলকে পৃথিবী অভিকর্ষ বল দ্বারা নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করছে
ররর. পৃথিবীর আয়তনের তুলনায় প্রাণিকুল অত্যন্ত ক্ষুদ্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৪২২. পৃথিবী নিজ অক্ষরে উপর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে তার প্রমাণ হলোÑ (অনুধাবন)
র. মহাকাশযানের পাঠানো পৃথিবীর ছবি
রর. পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষণি মেরু একটু চাপা এবং মধ্যভাগ সামান্য স্ফীত
ররর. সমুদ্রস্রোত এবং বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৪২৩. পৃথিবীর দিবারাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ- (অনুধাবন)
র. পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ
রর. পৃথিবীর আবর্তন ও পরিক্রমণ গতি
ররর. পৃথিবীর কক্ষপথে কৌণিক অবস্থান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৪২৪. বাংলাদেশে জুন মাসের দিকে বেশি গরম অনুভূত হয় কেন? (অনুধাবন)
র. দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হয় বলে
রর. কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে সূর্যরশ্মি পতিত হয় বলে
ররর. দিনে যে তাপ গৃহীত হয় রাতে পুরোটা বিকিরিত হয় না বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৪২৫. ঋতু পরিবর্তনের কারণ- (অনুধাবন)
র. সূর্যের তাপের পার্থক্য
রর. পৃথিবীর গোল আকার
ররর. পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর > র, রর ও ররর
৪২৬. ২১ জুন পৃথিবীর- (অনুধাবন)
র. দক্ষণি মেরু সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে থাকে
রর. উত্তর মেরু সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে থাকে
ররর. উভয় মেরু সূর্যের সর্বাপেক্ষা নিকটে থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র > রর গ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
৪২৭. তির্যকভাবে পতিত সূর্য রশ্মির বৈশিষ্ট্য হলো- (অনুধাবন)
র. ভূপৃষ্ঠকে অধিক উত্তপ্ত করে
রর. অধিক স্থানব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে
ররর. অধিক বায়ুস্তর ভেদ করে আসে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪২৮. বার্ষিক গতি ভূপৃষ্ঠে যেভাবে ভূমিকা রাখে-
র. জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি করে
রর. তাপের তারতম্য ঘটিয়ে
ররর. ঋতু পরিবর্তন ঘটিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও ররর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রের ভিত্তিতে ৪২৯ ও ৪৩০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৪২৯. প্রদত্ত চিত্রটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ঋতু পরিবর্তন > দিনরাত্রি সংঘটন
গ দিনরাত্রির হ্রাসবৃদ্ধি ঘ পৃথিবীর আবর্তন
৪৩০. চিত্রে প্রদর্শিত গতির অভাবে পৃথিবীর- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. একদিক চিরকাল অন্ধকার থাকত
রর. একদিক চিরকাল আলোকিত থাকত
ররর. গাছপালা জš§াত না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৩১ ও ৪৩২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাবুর বাবা দক্ষণি গোলার্ধের সবচেয়ে বড় দিনের কথা বললেন, আজ থেকে ছয় মাস পর সূর্য উত্তর-পূর্ব কোণে উঠবে।
৪৩১. রাবুর বাবা কী সম্পর্কে ইঙ্গিত দিলেন? (প্রয়োগ)
ক আহ্নিক গতি খ শীতকাল > বার্ষিক গতি ঘ গ্রীষ্মকাল
৪৩২. রাবুর বাবার নির্দেশিত দিনেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হবে
রর. দক্ষণি গোলার্ধে দিন সবচেয়ে ছোট হবে
ররর. উত্তর গোলার্ধে রাত সবচেয়ে বড় হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পরিচ্ছেদ- ৩.৪ : জোয়ার-ভাটা
সমুদ্রের পানির নিয়মিত ফুলে উঠা ও নেমে যাওয়াকে বলে- জোয়ার-ভাটা।
জোয়ার-ভাটা হয়- প্রতি ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পর পর।
জোয়ার-ভাটা হয়- পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ।
পৃথিবীর এক পার্শ্বে চাঁদ ও অপর পার্শ্বে সূর্য অবস্থান করে- পূর্ণিমা তিথিতে।
ফ্রান্সের ল্যারান্স ও ভারতের বান্ডালা বন্দরে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়- ভাটার স্রোতকে কাজে লাগিয়ে।
জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিকে আবদ্ধ করে শুকিয়ে তৈরি করা হয়- লবণ।
নদীখাত গভীর হয়- জোয়ার-ভাটার স্রোতে।
সমদ্রের মোহনা থেকে নদীসমূহের গতিপথে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত অনুভূত হয়- জোয়ার ভাটা।
বাংলাদেশে জোয়ারের প্রবল বান হতে দেখা যায়- বর্ষাকালের অমাবশ্যায়।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৩৩. বাংলাদেশের পতেঙ্গা ও মংলা সমুদ্রবন্দর সচল রাখতে নিচের কোনটি ভূমিকা রাখছে? (অনুধাবন)
> জোয়ার-ভাটা খ কেন্দ্রাতিগ শক্তি
গ উষ্ণ সমুদ্রস্রোত ঘ সমুদ্র বায়ুপ্রবাহ
৪৩৪. কত ঘণ্টায় সমুদ্রের পানি একবার নিয়মিতভাবে ওঠানামা করে? (জ্ঞান)
ক সাড়ে ৫ খ সাড়ে ১০ > সাড়ে ১২ ঘ সাড়ে ১৪
৪৩৫. কত ঘণ্টা পরপর জোয়ার-ভাটা হয়? (জ্ঞান)
ক ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিট > ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট
গ ১২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ঘ ১২ ঘণ্টা ১৩ মিনিট
৪৩৬. সমুদ্র এবং উপকূলবর্তী নদীর জলরাশি প্রতিদিনই একটি সময়ে ধীরে ধীরে ফুলে ওঠে। পানির এ ফুলে ওঠা বা স্ফীতিকে কী বলে? (জ্ঞান)
> জোয়ার খ ভাটা
গ জোয়ার ও ভাটা ঘ পূর্ণিমা
৪৩৭. সমুদ্র এবং উপকূলবর্তী নদীর জলরাশি প্রতিদিনই ফুলে ওঠার পর আবার নেমে যায়। পানির এ নেমে যাওয়াকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক জোয়ার > ভাটা
গ জোয়ার ও ভাটা ঘ অমাবস্যা
৪৩৮. সমুদ্রের মধ্যভাগে পানি সাধারণত কত ফুট উঁচু-নিচু হয়? (জ্ঞান)
ক ১-২ খ ২-৩ > ১-৩ ঘ ২-৪
৪৩৯. সমুদ্রের কোন অংশে পানিরাশি অনেক উঁচু-নিচু হয়? (জ্ঞান)
ক উপরিভাগে > উপকূলের নিকটে
গ মধ্যভাগে ঘ অভ্যন্তরভাগে
৪৪০. প্রধানত কয়টি কারণে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
ক পাঁচ খ চার গ তিন > দুই
৪৪১. পৃথিবীর সকল পদার্থের একে অপরের আকর্ষণকে কী বলে? (জ্ঞান)
> মহাকর্ষণ শক্তি খ আণবিক শক্তি
গ কেন্দ্রাতিক শক্তি ঘ অভিকর্ষ শক্তি
৪৪২. সূর্য ও চাঁদ পৃথিবীকে আকর্ষণ করে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মহাকাশে এগুলো নক্ষত্র, উপগ্রহ ও গ্রহ বলে
খ পৃথিবী পৃষ্ঠের সাথে বায়ুমণ্ডল লেপ্টে আছে বলে
গ মহাকাশে এগুলো একই জড়বস্তু থেকে উৎপত্তি বলে
> মহাকাশের প্রতিটি জ্যোতিষ্ক পরস্পরকে আকর্ষণ করে বলে
৪৪৩. বস্তুসমূহের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পেলে মহাকর্ষ শক্তি কী হয়? (অনুধাবন)
ক তারতম্য হয় না খ দ্বিগুণ কমে যায়
> কমে যায় ঘ বেড়ে যায়
৪৪৪. সূর্য-চন্দ্র অপেক্ষা কী পরিমাণ বড়? (জ্ঞান)
> ২.৬০ কোটি গুণ খ ০.২৬ কোটি গুণ
গ ৬.২০ কোটি গুণ ঘ ২০.৬ কোটি গুণ
৪৪৫. পৃথিবীর উপর সূর্য অপেক্ষা চাঁদের আকর্ষণ বেশি কেন? (অনুধাবন)
> চাঁদ সূর্য অপেক্ষা পৃথিবীর অনেক নিকটে বলে
খ সূর্যের ভর অপেক্ষা চাঁদের ভর অনেক কম বলে
গ চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ বলে
ঘ চাঁদ ও পৃথিবী সূর্য নামের নক্ষত্রের অধীন বলে
৪৪৬. প্রধানত কোন জ্যোতিষ্কের আকর্ষণে সমুদ্রের জল ফুলে ওঠে বা জোয়ার হয়? (জ্ঞান)
ক সূর্য > চাঁদ গ উল্কা ঘ ধূমকেতু
৪৪৭. জোয়ার কখন অত্যন্ত প্রবল হয়? (অনুধাবন)
ক যখন চাঁদ ও সূর্য সমকোণে থাকে
খ যখন চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর বিপরীত দিকে থাকে
> যখন চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় থাকে
ঘ যখন চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর সাথে বিপ্রতীপ কোণে থাকে
৪৪৮. কিসের প্রভাবে তরল জলরাশি কঠিন ভূভাগ হতে বিচ্ছিন্ন হতে চায়? (অনুধাবন)
ক মহাকর্ষণ শক্তি > কেন্দ্রাতিগ শক্তি
গ সূর্যের আকর্ষণ ঘ অভিকর্ষ বল
৪৪৯. সমুদ্রে জোয়ার সৃষ্টির জন্য কোন বল মুখ্য ভূমিকা পালন করে? (জ্ঞান)
ক ঘর্ষণ খ আকর্ষণ গ তড়িৎ চুম্বকীয় > কেন্দ্রাতিগ
৪৫০. পৃথিবীর নিজ মেরুরেখায় যে কেন্দ্রাতিগ শক্তির উদ্ভব হয় তা কী সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে? (জ্ঞান)
> জোয়ার খ ভাটা গ ত্বরণ ঘ বল
৪৫১. আঙ্গুলের মাথায় একটি সুতা বেঁধে সুতার অপর প্রাšেত্ম ছোট বল বেঁধে ঘুরালে বলটি ছিটকে যেতে চায়। এটি কোন ধরনের শক্তি? (প্রয়োগ)
ক মহাকর্ষ > কেন্দ্রাতিগ গ মাধ্যাকর্ষণ ঘ অভিকর্ষ
৪৫২. চাঁদের আবর্তনকালে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের নিকটবর্তী হয়, সেখানে চাঁদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। এর প্রভাব কী পড়বে? (অনুধাবন)
> মূখ্য জোয়ার হবে খ গৌণ জোয়ার হবে
গ জলোচ্ছ্বাস হবে ঘ ভাটা হবে
৪৫৩. কখন চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর একই পাশে থাকে? (অনুধাবন)
ক পূর্ণিমা তিথিতে খ সপ্তমী তিথিতে
গ উভয় তিথিতে > অমাবস্যা তিথিতে
৪৫৪. কোন তিথিতে পৃথিবীর একপাশে চাঁদ ও অপর পাশে সূর্য অবস্থান করে?
(অনুধাবন)
> পূর্ণিমা খ অমাবস্যা গ অষ্টমী ঘ সপ্তমী
৪৫৫. চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবীর অবস্থান একই সরলরেখায় অবস্থান করলে নিচের কোনটি সংঘটিত হয়? (প্রয়োগ)
ক মরাকটাল খ জোয়ার-ভাটা
গ লোটাইড় > তেজকটাল
৪৫৬. সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সাথে কীরূপে অবস্থান করে? (জ্ঞান)
ক সমান্তরালে খ সমসূত্রে গ একই পাশে > সমকোণে
৪৫৭. ভরাকটাল ও মরাকটাল মাসে কয়বার হয়? (জ্ঞান)
ক ৪ > ২ গ ৫ ঘ ৩
৪৫৮. পৃথিবীকে প্রদক্ষণি করতে চন্দ্রের কত দিন সময় লাগে? (অনুধাবন)
ক ১০ > ২৭ গ ৭ ঘ ৩৬৫
৪৫৯. পৃথিবীর একবার আবর্তনকালে চন্দ্র কী পরিমাণ পথ অতিক্রম করে? (জ্ঞান)
ক ৬০ খ ২৫০ > ১৩০ ঘ ৩০০
৪৬০. মুখ্য ও গৌণ জোয়ারের মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য কত? (জ্ঞান)
> ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট খ সাড়ে ১২ ঘণ্টা
গ ১২ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ঘ ২৪ ঘণ্টা
৪৬১. কতক্ষণ পর পর জোয়ার-ভাটা হয়? (জ্ঞান)
> ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট খ সাড়ে ৬ ঘণ্টা
গ ১২ ঘণ্টা ১৩ মিনিট ঘ সাড়ে ১২ ঘণ্টা
৪৬২. বাংলাদেশের পতেঙ্গা ও মংলা সমুদ্রবন্দর সচল রাখতে নিচের কোনটি ভূমিকা রাখছে? (অনুধাবন)
> জোয়ার-ভাটা খ কেন্দ্রাতিগ শক্তি
গ উষ্ণ সমুদ্রস্রোত ঘ সমুদ্র বায়ুপ্রবাহ
৪৬৩. সমুদ্র এবং উপকূলবর্তী নদীর জলরাশিতে দৈনিক কতবার জোয়ার-ভাটা হয়? (জ্ঞান)
ক ১ > ২ গ ১ বা ২ ঘ দুই দিনে ১
৪৬৪. কী উপায়ে প্রাকৃতিকভাবে নদীর আবর্জনা দৈনিক পরিষ্কার হতে পারে? (অনুধাবন)
ক বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে খ শুধু ভাটার মাধ্যমে
গ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে > জোয়ার-ভাটার মাধ্যমে
৪৬৫. জোয়ার-ভাটার স্রোতে নদীখাত কীরূপ হয়? (জ্ঞান)
> গভীর খ দীর্ঘ গ প্রশস্ত ঘ ভরাট
৪৬৬. শীতপ্রধান দেশে নদীর পানি সহজে জমে যায় না কেন? (অনুধাবন)
ক শীতল সমুদ্রস্রোতের কারণে
> জোয়ারের পানি নদীতে প্রবেশ করায়
গ মহাকর্ষ শক্তির আকর্ষণের কারণে
ঘ চাঁদের আকর্ষণের কারণে
৪৬৭. বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে জাহাজ সর্বদা প্রবেশ করতে না পারার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক সবসময় প্রবল স্রোত থাকে বলে
> সবসময় জোয়ার থাকে না বলে
গ নদীতে বেশিরভাগ সময় বান থাকে বলে
ঘ ভাটা বেশি সময় ধরে থাকে বলে
৪৬৮. বন্দরে প্রবেশের পূর্বে জোয়ারের অপেক্ষায় জাহাজগুলো কোথায় নোঙর করে থাকে? (জ্ঞান)
ক নদীর উপকূলে খ স্রোতের অভিমুখে
গ নদীর তীরে > নদীর মোহনায়
৪৬৯. বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি পদ্মা নদীতে কোন স্থানের কাছাকাছি পৌছায়? (জ্ঞান)
> গোয়ালন্দের কাছে খ চাঁদপুরের কাছে
গ হরিদ্বারের কাছে ঘ মহানন্দার কাছে
৪৭০. বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি মেঘনা নদীতে কোন স্থানে গিয়ে পৌঁছে? (জ্ঞান)
ক চাঁদপুরের কাছে খ গোমতীর কাছে
> ভৈরববাজারের কাছে ঘ ফেনী শহরের কাছে
৪৭১. কোন সময় সমুদ্রের পানিকে আবদ্ধ করে পরবর্তীতে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়? (জ্ঞান)
ক বর্ষা > জোয়ার গ গরমের ঘ ভাটার সময়
৪৭২. কখন সমুদ্রের পানি বানের সৃষ্টি করে? (জ্ঞান)
ক মরাকটালের সময় খ মুখ্য জোয়ারের সময়
> ভরাকটালের সময় ঘ গৌণ জোয়ায়ের সময়
৪৭৩. বানের পানির উচ্চতা কত হয়? (জ্ঞান)
ক ১-২ ফুট হতে ৩০ ফুট > ৩-৪ ফুট হতে ৪০ ফুট
গ ৫-৬ ফুট হতে ৫০ ফুট ঘ ৭-৮ ফুট হতে ৪০ ফুট
৪৭৪. বাংলাদেশে কোন ঋতুতে প্রবল বান হতে দেখা যায়? (জ্ঞান)
ক গ্রীষ্মকালে > বর্ষাকালে
গ বসন্তকালে ঘ শীতকালে
৪৭৫. যে নদীর মোহনা সংকীর্ণ বা সম্মুখে বালির বাঁধ থাকে সেসব নদীতে কী হয়ে থাকে? (অনুধাবন)
ক প্রবল স্রোত খ প্রবল জোয়ার
গ প্রবল ভাটা > প্রবল বান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৭৬. জোয়ার-ভাটার সৃষ্টির কারণগুলো হলো- (অনুধাবন)
র. চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব
রর. পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব
ররর. বায়ুমণ্ডলের আয়নমণ্ডলের তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের প্রভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর > র ও রর ঘ র, রর ও ররর
৪৭৭. জোয়ার ও ভাটার ফলে-
র. আবর্জনা সাগরে গিয়ে পড়ে
রর. সেচ কাজের সুবিধা হয়
ররর. ব্যবসা-বাণিজ্যে উপকার হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৪৭৮. জোয়ার-ভাটার প্রভাব- (অনুধাবন)
র. জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়
রর. নদীর মোহনায় পলি ও আবর্জনা জমতে পারে না
ররর. অনেক সময় নৌকা, লঞ্চ ডুবে যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৪৭৯. জোয়ার-ভাটা প্রভাবিত করেÑ (অনুধাবন)
র. মহাকর্ষ শক্তি
রর. কেন্দ্রাতিগ শক্তি
ররর. শীতল ও উষ্ণ সমুদ্রস্রোত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র > র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮০. চন্দ্র ও সূর্য অবিরাম আকর্ষণ করে ভূপৃষ্ঠের- (অনুধাবন)
র. বায়ুমণ্ডলকে
রর. জলভাগকে
ররর. স্থালভাগকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮১. প্রবল বানের যৌক্তিক বৈশিষ্ট্য হলো- (অনুধাবন)
র. এটি সপ্তমী তিথিতে হয়
রর. এটি তেজকটালের সময় হয়
ররর. এসময় পানি মূলভাগে প্রবেশ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮২. কেন্দ্রাতিগ শক্তি অধিক হয়Ñ (অনুধাবন)
র. পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবে
রর. সূর্যের আবর্তনের প্রভাবে
ররর. চন্দ্রের আবর্তনের প্রভাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮৩. কেন্দ্রাতিগ শক্তির ফলে পৃথিবীতে যে বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষতি হয়-
র. জলরাশি ভূখণ্ড হতে বিচ্ছিন্ন হতে চায়
রর. বস্তু পরস্পরকে কম আকর্ষণ করে
ররর. জলরাশি সর্বদা বাইরে ছিটকে যায়
নিচের কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ)
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি পর্যবেক্ষণ করে ৪৮৪ ও ৪৮৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৪৮৪. চিত্রের ‘ক’ অংশের জোয়ারকে কী বলে? (প্রয়োগ)
> মূখ্য খ গৌণ গ বিক্ষপ্তি ঘ সামান্য
৪৮৫. চিত্রের প্রক্রিয়াটি সংঘটনে ভূমিকা রাখে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. চন্দ্র ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তি রর. পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তি
ররর. পানির ঘর্ষণ বল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর > র ও রর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৮৬ ও ৪৮৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিলা গতকাল নৌকাভ্রমণে খেয়াল করল নদীর পাশের একটি পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন চললেও ঐ স্থানে নৌকার গতি কমে গেল।
৪৮৬. শিলার দেখা বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় কোন কাঁচামাল ব্যবহার করা হচ্ছে? (প্রয়োগ)
ক জোয়ারের পানি > ভাটার স্রোত
গ নদীর স্থির পানি ঘ নদীর ঢেউ
৪৮৭. শিলার দেখা উক্তরূপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ল্যারান্স বিদ্যুৎ কেন্দ্র রর. বান্ডালা বিদ্যুৎ কেন্দ্র
ররর. শাহজীবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্র
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ সময় নির্ণয়ে কাল্পনিক রেখার ভূমিকা
স্থান | অক্ষরেখা | দ্রাঘিমা রেখা | তারিখ | সময় |
অ | ৩০˚ উত্তর | ১০৫˚ পশ্চিম | ২২ জুন | ৭টা (সকাল) |
ই | ৫০˚ দক্ষণি | ৫৬˚ পশ্চি | ২২ জুন | ? |
ক. মেরুরেখা কাকে বলে?
খ. সৌরকলঙ্ক কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. ছকের অ চিহ্নিত স্থানটির স্থানীয় সময় সকাল ৬:১৫টা হলে ই চিহ্নিত স্থানটির স্থানীয় সময় কতো হবে?
ঘ. উক্ত তারিখে দুটি স্থানে দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্য কী একইরূপ হবে? তোমার উত্তরের স্বপড়্গে যুক্তি উপস্থাপন কর।
ক পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরুরেখা বলে।
খ সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা ৫৭,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছু অংশের উত্তাপ অন্যান্য অংশের চেয়ে কম থাকে। ফলে সে অংশে কালো কালো দাগ দেখা যায়। আর সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে যে কালো দাগ দেখা যায় তাকে সৌরকলঙ্ক (ঝঁহ ংঢ়ড়ঃ) বলে।
গ A-এর দ্রাঘিমা ১০৫০ পশ্চিম।
BÑএর দ্রাঘিমা ৫৬০ পশ্চিম।
A ও B-এর দ্রাঘিমার পার্থক্য (১০৫০Ñ ৫৬০ ) বা, ৪৯০।
১০ দ্রাঘিমার পার্থক্যের কারণে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
৪৯০ দ্রাঘিমার পার্থক্যের কারণে সময়ের পার্থক্য (৪৯ ´ ৪) মিনিট
বা, ১৯৬ মিনিট
বা, ৩ ঘণ্টা ১৬ মিনিট
প্রশ্নানুযায়ী ‘অ’ চিহ্নিত স্থানটির স্থানীয় সময় সকাল ৬.১৫ মিনিট হলে ‘ই’ স্থানীয়টির সময় হবে সকাল ৯টা ৩১ মিনিট।
সুতরাং, ই চিহ্নিত স্থানে স্থানীয় সময় হবে (৭ + ৩ ঘণ্টা ১৬ মিনিট)
বা, ১০টা ১৬ মিনিট (সকাল)
ঘ উদ্দীপকে উলিস্নখিত তারিখ অর্থাৎ ২২ জুন উভয় গোলার্ধে দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্য একই রূপ হবে না।
ছকে উলিস্নখিত অ স্থানটি ৩০০ উত্তর অক্ষরেখা অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। অন্যদিকে ই স্থানটি ৫০০ দক্ষণি অক্ষরেখা অর্থাৎ দক্ষণি গোলার্ধের অন্তর্ভুক্ত। ২২ জুন উত্তর গোলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছোট হয়। আর দক্ষণি গোলার্ধে দিন ছোট এবং রাত বড় হয়।
যেহেতু অ স্থানটি উত্তর গোলার্ধে এবং ই স্থানটি দক্ষণি গোলার্ধে অবস্থিত, তাই ২২ জুন অ এবং ই স্থানে দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্য একই রূপ হবে না।
প্রশ্ন- ২ স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়
মাইশা সুইডেনে (৬৬.৫˚ উত্তর অক্ষরেখা ও ১৫˚ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা) বসবাস করে। ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে তিনি সুইডেনের স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ক্যানবেরায় (৩৫˚ দক্ষণি অক্ষরেখা ও ১৫০˚ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা) বসবাসরত ছোট বোন মালিহাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। মালিহা কথা প্রসঙ্গে তাকে জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখে সে সুইডেনে বেড়াতে যাবে।
ক. সৌরদিন কাকে বলে?
খ. অধিবর্ষ কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. ক্যানবেরার স্থানীয় সময় কয়টায় মাইশা টেলিফোন করেছিল।
ঘ. মালিহার বেড়াতে যাওয়ার তারিখে দুটি স্থানে কী একই ধরনের ঋতু বিরাজ করবে? উদ্দীপকের আলোকে যুক্তি দাও।
২ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে সৌরদিন বলে।
খ সূর্যকে পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। কিন্তু ৩৬৫ দিনে এক বছর অর্থাৎ সৌর বছর গণনা করা হয়। তাই প্রতিদিনের থেকে যাওয়া সময়ের সামঞ্জস্য বিধানের জন্য প্রতি চার বছরে একদিন বাড়িয়ে ইংরেজি চতুর্থ বছর ৩৬৬ দিনে বছর গণনা করা হয়। সে বছর ফেব্রম্নয়ারি মাস ২৮ দিনের পরিবর্তে ২৯ দিনে হয়। এরূপ বছরকে অধিবর্ষ বলে।
গ মাইশা সুইডেনের স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় ক্যানবেরা টেলিফোন করে। সুইডেনের দ্রাঘিমা ১৫০ পূর্ব এবং ক্যানবেরার দ্রাঘিমা ১৫০০ পূর্ব।
দ্রাঘিমার পার্থক্য (১৫০˚-১৫˚) বা, ১৩৫˚।
১০˚ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট।
১৩৫˚ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য = ১৩৫´৪ মিনিট
= ৫৪০ মিনিট
= ৯ ঘণ্টা
যেহেতু ক্যানবেরা সুইডেনের পূর্বে অবস্থিত সেহেতু ক্যানবেরার সময় সুইডেন থেকে বেশি হবে।
অতএব, সুইডেনের সময় ভোর ৬টা হলে
ক্যানবেরায় স্থানীয় সময় হবে ভোর ৬টা + ৯ ঘণ্টা = ১৫ ঘণ্টা বা বিকেল ৩টা
অর্থাৎ, মাইশা ক্যানবেরার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় টেলিফোন করেছিল।
ঘ মালিহার বেড়াতে যাওয়ার তারিখে দুটি স্থানে একই ঋতু বিরাজ করবে না। সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণকালে ২২ ডিসেম্বর সূর্যের দক্ষণিায়নের শেষদিন অর্থাৎ এই দিন সূর্য মকরক্রান্তির ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দিন বড় ও রাত ছোট হয়। এ তারিখের দেড় মাস পূর্বে ও পরে দক্ষণি গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং উত্তর গোলার্ধে বিপরীত কারণে শীতকাল থাকে। সুতরাং ২৮ ডিসেম্বর দক্ষণি গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল আর উত্তর গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা অর্থাৎ শীতকাল বিরাজ করবে। উদ্দীপকে দেখা যায় মালিহা ২৮ ডিসেম্বর ক্যানবেরা থেকে সুইডেনে বেড়াতে যাবে। উদ্দীপকে এটিও উলিস্নখিত হয়েছে যে, ক্যানবেরা ৩৫˚ দক্ষণি অক্ষরেখা তথা দক্ষণি গোলার্ধে এবং সুইডেন ৬৬.৫˚ উত্তর অক্ষরেখা তথা উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর সুইডেনে যখন শীতকাল, ক্যানবেরায় তখন গ্রীষ্মকাল। সুতরাং মালিহার বেড়াতে যাওয়ার তারিখে দুটি স্থানে একই ধরনের ঋতু বিরাজ করবে না।
প্রশ্ন- ৩ জোয়ার ভাটার প্রভাব
সিনথিয়া বাবা-মায়ের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে যায়। সন্ধ্যাবেলা পূর্ণিমার আলোয় সমুদ্রের শান্ত রূপ দেখে তারা মুগ্ধ হয়। কিছুক্ষণ পরে তারা লক্ষ করে, সমুদ্রের পানি ফুলে উঠছে এবং তীরে প্রচণ্ড বেগে আছড়ে পড়ছে। বাবা তাকে ভীত হতে নিষেধ করেন এবং বলেন, সমুদ্রে এরূপ অবস্থা নিয়মিত ঘটে।
ক. ভাগীরথী কী?
খ. কেন্দ্রাতিগ শক্তি কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. সমুদ্রের পানিতে উক্ত সময়ে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সিনথিয়ার দেখা ঘটনাটির প্রভাব আছে কি? বিশ্লেষণ কর।
৩ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক ভাগীরথী একটি নদী।
খ পৃথিবী তার অক্ষ বা মেরুদণ্ডের ওপর থেকে চারিদিকে দ্রুত বেগে ঘুরছে বলে তার পৃষ্ঠ থেকে তরল পানিরাশি চতুর্দিকে ছিটকে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। একেই কেন্দ্রাতিগ শক্তি (ঈবহঃৎরভঁমধষ ঋড়ৎপব) বলে। পৃথিবী ও চন্দ্রের আবর্তনের জন্য ভূপৃষ্ঠের তরল ও হালকা জলরাশির ওপর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব অধিক হয়।
গ সমুদ্রের পানিতে উক্ত সময়ে জোয়ারের সৃষ্টি হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি এবং পৃথিবীর ওপর চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার-ভাটা হয়।
পৃথিবীর সকল পদার্থের আকর্ষণ আছে এবং একটি অপরটিকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণকে মহাকর্ষণ শক্তি বলে। এই মহাকর্ষণের ফলে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে এবং চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। যে যত বড় তার আকর্ষণ শক্তি তত বেশি। কিন্তু দূরত্ব বৃদ্ধি পেলে আকর্ষণ শক্তি কমে যায়। সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা ২.৬০ কোটি গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব চন্দ্রের দূরত্ব থেকে অনেক বেশি বলে পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্য অপেক্ষা প্রায় দ্বিগুণ। তাই চন্দ্রের আকর্ষণেই জোয়ার-ভাটা হয়। এছাড়া পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে জলরাশি সর্বদা বাইরে নিক্ষপ্তি হয় এবং তরল জলরাশির কঠিন ভূভাগ হতে বিচ্ছিন্ন হতে চায়। এমনিভাবে কেন্দ্রাতিগ শক্তি জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে সহায়তা করে। উদ্দীপকে দেখা যায় যে, সিনথিয়া বাবা-মায়ের সাথে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে সন্ধ্যাবেলায় সমুদ্রের পানি ফুলে উঠছে দেখতে পায় এবং সমুদ্র তীরে প্রচণ্ড বেগে আছড়ে পড়তে দেখে ভীত হয়। বাবা তাকে ভয় পেতে নিষেধ করে এবং উপরোলিস্নখিত কারণটি বলে তা বুঝিয়ে দেয়।
ঘ মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সিনথিয়ার দেখা ঘটনা তথা জোয়ার-ভাটার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। পৃথিবী তথা স্থলভাগ, পানিরাশি ও মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর জোয়ার-ভাটার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। দৈনিক দু’বার করে জোয়ার-ভাটা হওয়ার ফলে নদীর আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে পানি নির্মল হয় এবং নদী মোহনায় পলি সঞ্চিত হয়, ফলে নদীর মুখ বন্ধ হতে পারে না। জোয়ার-ভাটার স্রোতে নদীখাত গভীর হয়। অনেক নদীর পাশে খাল খনন করে জোয়ারের পানি আটকে জমিতে সেচ দেয়া হয়। পৃথিবীর বহু নদীতে ভাটার স্রোতকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। যেমন : ফ্রান্সের লার্যান্স বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভারতের বান্ডালা বন্দরেও এরূপ একটি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। জোয়ার-ভাটায় সমুদ্রের লবণাক্ত পানি দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার ফলে শীতপ্রধান দেশে নদীর পানি চলাচলে অনুকুলে থাকে। জোয়ারের সময় নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রগামী বড় বড় জাহাজ অনায়াসেই নদীতে প্রবেশ করে, আবার ভাটার টানে সমুদ্রে চলে আসে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিকে আবদ্ধ করে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়। জোয়ারের প্রবল বানে কখনো কখনো নেতিবাচক প্রভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত করে। অসাবধানতাবশত কখনো কখনো এই বানে নৌকা, স্টিমার, জাহাজসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর জোয়ার-ভাটার প্রভাব ব্যাপক।
প্রশ্ন- ৪ দিবা-রাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি
স্থান | অক্ষরেখা | দ্রাঘিমারেখা | তারিখ | সময় |
মেক্সিকো | ৩০ ˚ উত্তর | ১০৫˚ পশ্চিম | ২২ জুন | ? |
উইলিং দ্বীপপুঞ্জ | ৫০ ˚ দক্ষণি | ৭৫ ˚ পশ্চিম | ২২ জুন | ৭টা (সকাল) |
ক. প্রতিপাদ স্থান কাকে বলে?
খ. নেপচুন গ্রহ শীতল হওয়ার কারণ কী?
গ. ছকে উলেস্নখিত উইলিং দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় সময়ের সাথে মেক্সিকোর স্থানীয় সময়ের পার্থক্য কতো হবে? নির্ণয় কর।
ঘ. উক্ত তারিখে স্থান দুটির দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্যরে তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।
ক ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে।
খ নেপচুনের গড় ব্যাস ৪৮,৪০০ কিলোমিটার এবং সূর্য থেকে দূরত্ব ৪৫০ কোটি কিলোমিটার। সূর্য হতে অধিক দূরত্বের কারণে গ্রহটি শীতল।
গ মেক্সিকোর দ্রাঘিমা ১০৫ ˚ পশ্চিম।
উইলিং দ্বীপপুঞ্জের দ্রাঘিমা ৭৫˚ পশ্চিম।
সুতরাং মেক্সিকো ও উইলিং দ্বীপপুঞ্জের দ্রাঘিমার পার্থক্য (১০৫˚-৭৫˚) বা, ৩০ ˚ ।
১ ˚ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট।
৩০ ˚ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য (৩০ ´ ৪) মিনিট
বা, ১২০ মিনিট।
উইলিং দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় সময়ের সাথে মেক্সিকোর স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হবে ২ ঘণ্টা।
ঘ উদ্দীপকে ২২ জুন তারিখের কথা উলেস্নখ করা হয়েছে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণকালে ২১ জুন কক্ষপথে এমন এক অবস্থানে পৌঁছে যেখানে উত্তর মেরু সূর্যের দিকে সর্বাপেক্ষা বেশি (২৩.৫০) ঝুঁকে থাকে এবং দক্ষণি মেরু সূর্য থেকে সর্বাপেক্ষা দূরে সরে পড়ে। এ দিন মধ্যাহ্নে ২৩.৫০ উত্তর অ বাংশে সূর্যকিরণ লম্বভাবে (৯০০ কোণে) পড়ে। এই তারিখে উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত সবচেয়ে ছোট হয়। দক্ষণি গোলার্ধে বিপরীত অবস্থা বিরাজ করে। উদ্দীপকে উলিস্নখিত স্থান মেক্সিকো ৩০˚ উত্তর অক্ষরেখা তথা উত্তর গোলার্ধে এবং উইলিং দ্বীপপুঞ্জ ৫০˚ দক্ষণি তথা দক্ষণি গোলার্ধে অবস্থিত। সুতরাং এ দুটি স্থানে উক্ত তারিখ তথা ২২ জুন দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্যরে ক্ষেত্রেসম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা বিরাজ করবে। এক কথায় বলা যায়, ২২ জুন তারিখে মেক্সিকোতে দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি থাকে এবং রাতের দৈর্ঘ্য কম থাকে। অপরদিকে উইলিং দ্বীপপুঞ্জে এ সময় দিনের দৈর্ঘ্য ছোট এবং রাতের দৈর্ঘ্য বেশি থাকে।
সংক্ষপ্তি প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ শুক্র গ্রহে এসিড বৃষ্টি হয় কেন?
উত্তর : পৃথিবীর মতো শুক্রের একটি বায়ুমণ্ডল রয়েছে কিন্তু এতে অক্সিজেন নেই। এতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ প্রায় শতকরা ৯৬ ভাগ। গ্রহটিতে কার্বন ডাইঅক্সাইডের ঘন মেঘ রয়েছে। এ কারণে শুক্র গ্রহে এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ সূর্যকে প্রদক্ষণি করতে বৃহস্পতির অধিক সময় প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর : বৃহস্পতি গ্রহের ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। এটি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে। তাই সূর্যকে প্রদক্ষণি করতে বৃহস্পতির অধিক সময় লাগে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ট্রপোপস দিয়ে বিমান চলাচল করার কারণ কী?
উত্তর : ট্রপোমণ্ডল ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন স্তর বা বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। ট্রপোমণ্ডলের ঊর্ধ্বসীমাকে ট্রপোপস বলে। ট্রপোপসের গভীরতা সরু। এখানে বায়ু স্থির এবং ঝড়বৃষ্টির প্রাদুর্ভাব না থাকায় বিমান এ স্তরে চলাচল করে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ওজোনস্তরের তাপমাত্রা অধিক হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের একটি স্তর আছে, যা ওজোনস্তর নামে পরিচিত। এর গভীরতা প্রায় ১২-১৬ কিলোমিটার। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করার কারণে এ স্তরের তাপমাত্রা অধিক।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অতিক্রমকালে বার ও তারিখের পরিবর্তন হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমরা জানি, ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমান্তরে ৪ মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়। সুতরাং ১৫ ডিগ্রি দ্রাঘিমান্তরে সময়ের ব্যবধান হবে ১ ঘণ্টা। এভাবে মূল মধ্যরেখা থেকে (গ্রিনিচের দ্রাঘিমা) পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকলে ১৮০ ˚ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় ১২ ঘণ্টা সময় বেশি হয় এবং পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলে ১৮০ ˚ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় ১২ ঘণ্টা সময় কম হয়। সুতরাং মূল মধ্যরেখায় যখন সোমবার সকাল ১০টা তখন ১৮০ ˚ ডিগ্রি
পূর্ব দ্রাঘিমায় স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১০টা। এভাবে আবার ঠিক পশ্চিম দিক দিয়ে দ্রাঘিমা গণনা করলে ১৮০ ˚ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমায় স্থানীয় সময় হবে তার পূর্ব দিন অর্থাৎ রবিবার রাত ১০টা। কিন্তু ১৮০ ˚ ডিগ্রি পূর্ব ও ১৮০ ˚ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমা মূলত একই রেখা। সুতরাং, দেখা যায় একই দ্রাঘিমায় স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা বা একদিন।
একই স্থানে কোথাও রোববার কোথাও সোমবার। কিন্তু একই দ্রাঘিমারেখায় একই সঙ্গে রোববার রাত ১০টা ও সোমবার রাত ১০টা হতে পারে না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরের জলভাগের উপর মানচিত্রে ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা। এ রেখা অতিক্রম করলে দিন এবং তারিখের পরিবর্তন হয় বলে এ রেখাটিকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কোনো স্থান নির্ণয়ের ক্ষেত্রেকোন কাল্পনিক রেখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : কোনো স্থান নির্ণয়ের ক্ষেত্রেঅক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণ ৩৬০˚এই কোণকে ডিগ্রি (০), মিনিটে (র্ ) ও সেকেন্ডে (র্ র্ ) বিভক্ত করা হয়। নিরক্ষরেখা থেকে প্রত্যেক মেরুর কৌণিক দূরত্ব ৯০০। এই কোণকে ডিগ্রি ও মিনিটে ভাগ করে নিরক্ষরেখার সমাšত্মারাল যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে সমাক্ষরেখা বলে। নিরক্ষরেখা হতে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ওই স্থানের অ বাংশ বলা হয়। আবার নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষণি মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয়েছে তাকে দ্রাঘিমা রেখা বলে। ০ ˚ দ্রাঘিমারেখা বা মধ্য রেখাকে মূল রেখা ধরে অন্যান্য মধ্যরেখার কৌণিক দূরত্ব মাপা হয়। কোনো স্থানের অবস্থান জানার জন্য স্থানটি নিরক্ষরেখার কত উত্তরে বা দক্ষিণে এবং মূল মধ্যরেখার কত পূর্বে বা পশ্চিমে তা জানা থাকা প্রয়োজন।
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ সৌরজগৎ
সৌরজগতের আংশিক চিত্র
ক. সূর্য থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব কত কিলোমিটার? ১
খ. প্রমাণ সময় ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘ই’ চিহ্নিত গ্রহটির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘অ’ ও ‘ঈ’ চিহ্নিত গ্রহ দুটির বৈশিষ্ট্যগুলো তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪
১ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক সূর্য থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলোমিটার।
খ দ্রাঘিমা রেখার ওপর মধ্যাহ্নের সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনায় বিভ্রাট হয়। সেজন্য প্রত্যেক দেশের একটি প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়। প্রত্যেকটি দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে। অনেক বড় দেশ হলে কয়েকটি প্রমাণ সময় থাকে।
গ চিত্রের ‘ই’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো পৃথিবী। এটি সৌর পরিবারের একটি সদস্য হলেও এর সাথে সৌর পরিবারের অন্যান্য গ্রহের ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষতি হয়। পৃথিবীর বৈশিষ্ট্য হলো : ১. পৃথিবীর হলো একমাত্র গ্রহ যেখানে জীবের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা আছে। ২. পৃথিবীতে জীবের বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপাদান অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি। ৩. পৃথিবীর ভূভাগে পর্যাপ্ত পানি থাকার জন্য এবং বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতির কারণে বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে পৃথিবীতে কৃষিকাজ সহজ হয় এবং উদ্ভিদ জন্মে। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বাতাসে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বাতাস হতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে। ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় থাকে। ৪. সৌরজগতের সকল গ্রহের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীতে চাষাবাদ ও উদ্ভিদ জন্মানো সহায়ক মাটির উপস্থিতি পরিলক্ষতি হয়। ফলে এখানে জীবের বসবাস সম্ভব হয়েছে।
ঘ চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো বুধ এবং ‘ঈ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো বৃহস্পতি। এরা সৌর পরিবারের সদস্য হলেও একটি অপরটির সাথে ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষতি হয়। বুধের সাথে বৃহস্পতি গ্রহের বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য হলো : ১. বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ। অপরদিকে বৃহস্পতি সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ। ২. বুধের ব্যাস ৪,৮৫০ কিলোমিটার। কিন্তু বৃহস্পতির ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। ৩. বুধের আয়তন পৃথিবীর ৫০ ভাগের ৩ ভাগের সমান। অপরদিকে বৃহস্পতির আয়তন পৃথিবীর প্রায় ১,৩০০ গুণ। ৪. বুধ সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ৫.৮ কোটি কিলোমিটার। আর বৃহস্পতি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে। ৫. বুধের কোনো উপগ্রহ নেই। অপরদিকে বৃহস্পতির ১৬টি উপগ্রহ রয়েছে। ৬. বুধ সূর্যের নিকটতম গ্রহ বলে এর তাপমাত্রা অত্যধিক এবং এর ভূত্বকে অসংখ্য গর্ত ও পাহাড় লক্ষ করা যায়। অপরদিকে বৃহস্পতির উপরিভাগের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অধিক।
প্রশ্ন- ২ জোয়ার ভাটা
কামাল তার বাবা-মায়ের সাথে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সন্ধ্যাবেলায় পানির অপরূপ শান্ত প্রকৃতি দেখে খুবই মুগ্ধ হয়। কিছুক্ষণ পর তারা দেখে সাগরের পানি ক্রমশ ফুলে উঠছে। পানির ঢেউ তীরে এসে ভীষণভাবে গর্জন করছে। মা তাকে ভীত হতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, “এটা সমুদ্রের একটি স্বাভাবিক ঘটনা, কিছুক্ষণ পরই আবার দেখবে পানি নেমে যাবে।”
ক. অক্ষরেখা কী? ১
খ. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. কামাল ও তার মা-বাবা সমুদ্রের পানিতে সন্ধ্যাবেলা যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ করেছিল তা কীসের ইঙ্গিত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত বিষয়টি আমাদের জীবনে কোন ধরনের প্রভাব ফেলে তা তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
২ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক নিরক্ষরেখার সমান্তরাল পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টনকারী পূর্ণবৃত্ত রেখাগুলোই অক্ষরেখা।
খ কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে দীর্ঘপথ ভ্রমণ করার সময় স্থানীয় সময়ের পার্থক্যের সঙ্গে সঙ্গে সপ্তাহের দিন বা বার নিয়েও গরমিল হয়। কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করলে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমা রেখাকে অবলম্বন করে সম্পূর্ণভাবে জলভাগের উপর দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত একটি রেখা কল্পনা করা হয়। এ কল্পিত রেখাটিকে ‘আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা’ বলে।
গ উদ্দীপকে কামাল ও তার মা-বাবা সমুদ্রের পানিতে সন্ধ্যাবেলা জোয়ার-ভাটার প্রতিক্রিয়া লক্ষ করেছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি এবং পৃথিবীর ওপর চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার-ভাটা হয়। পৃথিবীর সকল পদার্থের আকর্ষণ আছে এবং একটি অপরটিকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণকে মহাকর্ষণ শক্তি বলে। এই মহাকর্ষণের ফলে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে এবং চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। যে যত বড় তার আকর্ষণ শক্তি তত বেশি। কিন্তু দূরত্ব বৃদ্ধি পেলে আকর্ষণ শক্তি কমে যায়। সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা ২.৬০ কোটি গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব চন্দ্রের দূরত্ব থেকে অনেক বেশি বলে পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্য অপেক্ষা প্রায় দ্বিগুণ। তাই চন্দ্রের আকর্ষণেই জোয়ার-ভাটা হয়। এছাড়া পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে জলরাশি সর্বদা বাইরে নিক্ষপ্তি হয় এবং তরল জলরাশির কঠিন ভূভাগ হতে বিচ্ছিন্ন হতে চায়। এমনিভাবে কেন্দ্রাতিগ শক্তি জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে সহায়তা করে। তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায় উদ্দীকের কামাল সমুদ্রের পানিতে যে প্রতিক্রিয়া লড়্গ্য করেছিল তা জোয়ারভাটার ইঙ্গিতই বহন করে।
ঘ মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর কামালের দেখা ঘটনা তথা জোয়ার-ভাটার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। পৃথিবী তথা স্থলভাগ, পানিরাশি ও মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর জোয়ার-ভাটার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। দৈনিক দু’বার করে জোয়ার-ভাটা হওয়ার ফলে নদীর আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে পানি নির্মল হয় এবং নদী মোহনায় পলি সঞ্চিত হয়, ফলে নদীর মুখ বন্ধ হতে পারে না। জোয়ার-ভাটার স্রোতে নদীখাত গভীর হয়। অনেক নদীর পাশে খাল খনন করে জোয়ারের পানি আটকে জমিতে সেচ দেয়া হয়। পৃথিবীর বহু নদীতে ভাটার স্রোতকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। যেমন : ফ্রান্সের লার্যান্স বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভারতের বান্ডালা বন্দরেও এরূপ একটি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। জোয়ার-ভাটায় সমুদ্রের লবণাক্ত পানি দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার ফলে শীতপ্রধান দেশে নদীর পানি চলাচল অনুকূলে থাকে। জোয়ারের সময় নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রগামী বড় বড় জাহাজ অনায়াসেই নদীতে প্রবেশ করে, আবার ভাটার টানে সমুদ্রে চলে আসে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিকে আবদ্ধ করে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়।
জোয়ারের প্রবল বানে কখনো কখনো নেতিবাচক প্রভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত করে। অসাবধানতাবশত কখনো কখনো এই বানে নৌকা, স্টিমার, জাহাজসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর জোয়ার-ভাটার প্রভাব ব্যাপক।
প্রশ্ন- ৩ অক্ষরেখা, নিরক্ষরেখা, সমাক্ষরেখা, দ্রাঘিমা রেখা, মূলমধ্যরেখা
স্থান | অ বাংশ | দ্রাঘিমা | তারিখ | সময় |
ক | ২০˚ ৩৪˚উঃ | ৯২˚ ৪৫˚ পঃ | ২৫ জুন | অপরাহ্ন ১টা ৩০ মি. |
খ | ২৩˚ ৩০˚ দঃ | ৬০˚ ১৫˚ পঃ | ২৫ জুন | – |
ক. পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি? ১
খ. পূর্ণিমা তিথিতে জোয়ার তীব্র হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সাহায্যে ‘খ’ স্থানের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর। ৩
ঘ. একই সময়ে উদ্দীপকের ‘ক’ ও ‘খ’ স্থানে ভিন্ন ঋতু পরিলক্ষতি হয়-বিশ্লেষণ কর। ৪
৩ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।
খ পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবীর এক পার্শ্বে চাঁদ ও অপর পার্শ্বে সূর্য অবস্থান করে। ফলে এ তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য সমসূত্রে থাকে এবং উভয়ের মিলিত আকর্ষণে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয় অর্থাৎ জোয়ারের তীব্রতা গড়ে।
গ ‘ক’ এর দ্রাঘিমা ৯২˚ ৪৫˚ পশ্চিম। ‘খ’ এর দ্রাঘিমা ৬০˚ ১৫˚ পশ্চিম। ‘ক’ ও ‘খ’ এর দ্রাঘিমার পার্থক্য ৯২˚ ৪৫˚ – ৬০˚ ১৫˚ বা ৩২˚ ৩০˚।
১˚ দ্রাঘিমার পার্থক্যের কারণে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
৩২˚ দ্রাীঘমার পার্থক্যের কারণে সময়ের পার্থক্য (৩২ ´ ৪) মিনিট বা, ১২৮ মিনিট।
আবার, ৩০˚ দ্রাঘিমার পার্থক্যে জন্য সময়ের পার্থক্য (৩০´৪) সেকেন্ড বা ১২০ সেকেন্ড বা ২ মিনিট।
অতএব, ৩২˚ ৩০˚ দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য (২ ঘণ্টা ৮ মিনিট + ২ মিনিট) বা ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট।
‘খ’ স্থানটি ‘ক’ স্থানের পূর্বে। ফলে ‘খ’ স্থানের স্থানীয় সময় অগ্রবর্তী।
সুতরাং, ‘খ’ চিহ্নিত স্থানে স্থানীয় সময় হবে (অপরাহ্ন ১ টা ৩০ মিনিট + ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট) বা, ৩টা ৪০ মিনিট (অপরাহ্ন)।
ঘ উদ্দীপকের ‘ক’ ও ‘খ’ স্থানে ভিন্ন ঋতু পরিলক্ষতি হয়। ২১ জুন সূর্যের উত্তরায়ণের শেষদিন অর্থাৎ এই দিন সূর্য কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতম রাত হয়। এ তারিখের দেড় মাস পূর্বে ও পরে উত্তর গোলার্ধে তিন মাস উত্তাপ বেশি থাকে। এ সময় উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং দক্ষণি গোলার্ধে বিপরীত কারণে শীতকাল থাকে। সুতরাং ২৫ জুন উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল আর দক্ষণি গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা অর্থাৎ শীতকাল বিরাজ করবে। উদ্দীপকে দেখা যায় ‘ক’ স্থানটি ২০˚ ৩৪˚ উত্তর অ বাংশ তথা উত্তর গোলার্ধে এবং ‘খ’ স্থানটি ২০˚ ৩০˚ দক্ষণি অ বাংশ তথা দক্ষণি গোলার্ধে অবস্থিত। অর্থাৎ ২৫ জুন ‘ক’ স্থানে যখন গ্রীষ্মকাল, ‘খ’ স্থানে তখন শীতকাল। সুতরাং উদ্দীপকের ‘ক’ ও ‘খ’ স্থানে ভিন্ন ঋতু পরিলক্ষতি হয়।
প্রশ্ন- ৪ সৌরজগৎ
চিত্র : সৌরজগৎ
ক. কোন গ্রহের আকাশে বছরে দুইবার সূর্য উদিত হয়? ১
খ. প্রমাণ সময় কী? বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. চিত্রের কোন গ্রহটিতে তুমি বসবাস করছ? তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. চিত্রের অ ও ঊ চিহ্নিত গ্রহ দুটির বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য বিশ্লেষণ কর। ৪
৪ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক শুক্র গ্রহের আকাশে বছরে দুইবার সূর্য উদিত হয়।
খ দ্রাঘিমারেখার ওপর মধ্যাহ্নের সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনায় বিভ্রাট হয়। সেজন্য প্রত্যেক দেশের একটি প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়। প্রত্যেকটি দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে। অনেক বড় দেশ হলে কয়েকটি প্রমাণ সময় থাকে।
গ চিত্রের ‘ঈ’ চিহ্নিত তথা পৃথিবী গ্রহে আমি বসবাস করি। পৃথিবী সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ। পৃথিবীর আয়তন ৫১০,১০০,৪২২ বর্গ কিলোমিটার। পূর্ব-পশ্চিমে এর ব্যাস ১২,৭৫২ কিলোমিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে ১২,৭০৯ কিলোমিটার। সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। পৃথিবী ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৭ সেকেণ্ডে সূর্যকে একবার প্রদক্ষণি করে। এ গ্রহে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন রয়েছে। পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ১৩.৯০˚ সেলসিয়াস। ভূত্বকে প্রয়োজনীয় পানি রয়েছে। গ্রহগুলোর মধ্যে একমাত্র পৃথিবীই জীবজন্তু ও উদ্ভিদের জীবন ধারণের জন্য আদর্শ গ্রহ। চন্দ্র পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবী থেকে চন্দ্রের গড় দূরত্ব ৩,৮১,৫০০ কিলোমিটার। এটি ২৯ দিন ১২ ঘণ্টায় পৃথিবীকে একবার পরিক্রমণ করে। চাঁদের পৃষ্ঠদেশে গর্ত, পাহাড়, পর্বত লক্ষ করা গিয়েছে।
ঘ চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো বুধ এবং ‘ঈ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো বৃহস্পতি। এরা সৌর পরিবারের সদস্য হলেও একটি অপরটির সাথে ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষতি হয়। বুধের সাথে বৃহস্পতি গ্রহের বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য হলো : ১. বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ। অপরদিকে বৃহস্পতি সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ। ২. বুধের ব্যাস ৪,৮৫০ কিলোমিটার। কিন্তু বৃহস্পতির ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। ৩. বুধের আয়তন পৃথিবীর ৫০ ভাগের ৩ ভাগের সমান। অপরদিকে বৃহস্পতির আয়তন পৃথিবীর প্রায় ১,৩০০ গুণ। ৪. বুধ সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ৫.৮ কোটি কিলোমিটার। আর বৃহস্পতি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে। ৫. বুধের কোনো উপগ্রহ নেই। অপরদিকে বৃহস্পতির ১৬টি উপগ্রহ রয়েছে। ৬. বুধ সূর্যের নিকটতম গ্রহ বলে এর তাপমাত্রা অত্যধিক এবং এর ভূত্বকে অসংখ্য গর্ত ও পাহাড় লক্ষ করা যায়। অপরদিকে বৃহস্পতির উপরিভাগের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অধিক।
প্রশ্ন- ৫ ঋতু পরিবর্তন
ক. মেরুরেখা কাকে বলে? ১
খ. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘অ’ চিহ্নিত অবস্থানে উত্তর গোলার্ধে কোন ঋতু বিরাজ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উত্তর গোলার্ধে ‘অ’ ও ‘ই’ চিহ্নিত অবস্থানে ঋতুগত ভিন্নতা দেখা যায়”Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
৫ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরু রেখা বলে।
খ নির্দিষ্ট সময় ও বার ঠিক করার জন্য আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা ব্যাপক প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা হলো ১৮০˚ পূর্ব ও পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা। কিন্তু এ দুইটি দ্রাঘিমা রেখা মূলত একই। ফলে মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে সময় বিবেচনা করলে এ দ্রঘিমারেখার একই স্থানে কোথাও রোববার কোথাও সোমবার। কিন্তু একই দ্রাঘিমারেখায় একই সঙ্গে রবিবার রাত ১০টা ও সোমবার রাত ১০টা হতে পারে না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরের জলভাগের উপর মানচিত্রে ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। আর এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।
গ চিত্রের ‘অ’ চিহ্নিত অবস্থানে উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল বিরাজ করে।
সূর্যকে পরিক্রমণকালে ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়। সেজন্য এ তারিখের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত মোট তিন মাস উত্তাপ মধ্যম ধরনের হয়ে থাকে। এ সময়টি উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল তথা- আগস্টের ৯ তারিখ থেকে নভেম্বর ৬ তারিখ পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল বিরাজ করে। চিত্রে যেহেতু ‘অ’ চিত্রিত স্থানটি ২৬ অক্টোবর সেহেতু উক্ত সময়ে উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল বিরাজ করবে।
ঘ চিত্রে চিহ্নিত ‘অ’ শরৎকাল উত্তর গোলার্ধে এবং ‘ই’ চিহ্নিত উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল। বার্ষিক গতির জন্য সূর্যরশ্মি কোথাও লম্বভাবে আবার কোথাও তির্যকভাবে পতিত হয় এবং দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপের তারতম্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তন ঘটে। পৃথিবীতে সময়ভেদে তাপমাত্রার পার্থক্য বা পরিবর্তনকে ঋতু পরিবর্তন বলে। ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়। সেজন্য এ তারিখের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত মোট তিন মাস উত্তাপ মধ্যম ধরনের হয়ে থাকে। এ সময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষণি গোলার্ধে বসন্তকাল। ২১ মার্চ তারিখে উত্তর ও দক্ষণি মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে। এই দিন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়। ২১ মার্চের দেড়মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষণি গোলার্ধে শরৎকাল।
প্রশ্ন- ৬ জোয়ার ভাটার শ্রেণিবিভাগ
গত সেপ্টেম্বর মাসে পূর্ণিমার সময় ৩/৪ দিন রুমানাদের শহরের বাসার আশপাশে ও রা¯ত্মায় জোয়ারের পানিতে ভরে যায়। রুমানা লক্ষ করল প্রথম দিন যে সময় জোয়ারের পানি আসা শুরু করে দ্বিতীয় দিন তার অনেক পর পানি উঠতে শুরু করে। এভাবে তৃতীয় ও চতুর্থ দিনও জোয়ার আসার সময়ের ভিন্নতা দেখা যায়। এ বিষয়ে রুমানা তার ভূগোল শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “পৃথিবীর আহ্নিক গতি এবং চাঁদের গতির কারণে এরূপ ঘটে।”
ক. অনুসূর কী? ১
খ. কেন্দ্রাতিগ শক্তি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. রুমানার দেখা জোয়ার কোন শ্রেণিভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রুমানার শিক্ষকের বক্তব্যের যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
৬ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক জানুয়ারির ১ থেকে ৩ তারিখে সূর্য পৃথিবীর নিকটতম অবস্থানে থাকে বলে একে অনুসূর বলে।
খ পৃথিবী তার অক্ষ বা মেরুদণ্ডের ওপর থেকে চারিদিকে দ্রুত বেগে ঘুরছে বলে তার পৃষ্ঠ থেকে তরল পানিরাশি চতুর্দিকে ছিটকে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। একেই কেন্দ্রাতিগ শক্তি (ঈবহঃৎরভঁমধষ ঋড়ৎপব) বলে। পৃথিবী ও চন্দ্রের আবর্তনের জন্য ভূপৃষ্ঠের তরল ও হালকা জলরাশির ওপর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব অধিক হয়।
গ রুমানার দেখা জোয়ার তেজকটাল বা ভরাকটালের শ্রেণিভুক্ত। জোয়ার-ভাটা কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন : মুখ্য জোয়ার, গৌণ জোয়ার, ভরাকটাল, মরাকটাল। চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে। চাঁদের এই আবর্তনকালে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের নিকটবর্তী হয় সেখানে চাঁদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। যেমনভাবে অমাবস্যা তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর একই পার্শ্বে এবং পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবীর এক পার্শ্বে চাঁদ ও অপর পার্শ্বে সূর্য অবস্থান করে। ফলে এ দুই তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য সমসূত্রে থাকে এবং উভয়ের মিলিত আকর্ষণে যে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয় তাকে তেজকটাল বা ভরাকটাল বলে। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায় উদ্দীপকে রোমানার দেখা জোয়ারভাটা তেজকটাল বা ভরকাটালের শ্রেণিভুক্ত।
ঘ উদ্দীপকে রুমানার শিক্ষকের বক্তব্যটি যথার্থ। কেননা পৃথিবীর আহ্নিক গতি এবং চাঁদের গতির কারণে জোয়ার-ভাটা হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন সাগর মহাসাগরে সমুদ্রস্রোত ছাড়াও পানিরশ্মীর নিজস্ব গতি আছে। এর ফলে প্রতিদিনই কিছু সময় সমুদ্রের পানি ফুলে উঠে, আবার কিছু সময়ের জন্য তা নেমে যায়। সমুদ্রের পানি এভাবে নিয়মিতভাবে ফুলে উঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।
প্রাচীনকালে জোয়ার-ভাটার কারণ সম্পর্কে নানা ধরনের অবাস্তব কল্পনা করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানীগণ মনে করেন যে, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি এবং পৃথিবীর উপর চন্দ্র-সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার-ভাটা হয়।
উদ্দীপকে রুমানার দেখা বিষয়টি হলো জোয়ার-ভাটা যা পৃথিবীর আহ্নিকগতি এবং চাঁদের গতির কারণে ঘটে থাকে। সুতরাং আমরা বলতে পারি উদ্দীপকে রুমানার শিক্ষকের বক্তব্যটি সত্য ও বাস্তব।
প্রশ্ন- ৭ মুখ্য জোয়ার ও গৌন জোয়ার
ক. সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ দিন কত তারিখ? ১
খ. মঙ্গল গ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয় কেন? ২
গ. ‘অ’ চিহ্নিত স্থানে কোন ধরনের জোয়ার হয় বা হতে পারে? তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “‘ই’ চিহ্নিত স্থানে ‘অ’ চিহ্নিত স্থানের মতো জোয়ার অসম্ভব”- উক্তিটিতে তোমার মতামত দাও। ৪
৭ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক ২১ শে জুন সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ দিন।
খ মঙ্গল গ্রহে জীবন ধারণ অসম্ভব। কেননা এখানে বায়ুমণ্ডলে শতকরা ৩ ভাগ নাইট্রোজেন ও শতকরা ২ ভাগ আরগন গ্যাস আছে। পানির পরিমাণ খুবই কম। পৃথিবীর তুলনায় অনেক ঠাণ্ডা, গড় উত্তাপ হিমাঙ্কের অনেক নিচে। মঙ্গল গ্রহের উপরিভাগে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এ গ্রহের পাথরগুলোতে মরচে পড়েছে, ফলে গ্রহটি লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, মঙ্গল গ্রহে প্রাণ ধারণের উপযোগী বৈশিষ্ট্য তথা ভূপ্রকৃতি ও বায়ুমণ্ডল তথা জলবায়ু অনুপস্থিত। স্বাভাবিকভাবে মঙ্গল গ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়।
গ ‘অ’ চিহ্নিত স্থানে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার হয় বা হতে পারে।জোয়ার-ভাটা কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন- মুখ্য জোয়ার, গৌণ জোয়ার, ভরা কটাল, মরা কটাল। চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে। চাঁদের এই আবর্তনকালে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের নিকটবর্তী হয় সেখানে চাঁদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। ফালে পার্শ্ববর্তী স্থান হতে পানি এসে ঠিক চন্দ্রের নিচে ফুলে উঠে এবং জোয়ার হয়। একে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার বলে। চিত্রে ‘অ” চিহ্নিত স্থান চাঁদের নিকটবর্তী স্থানকে নির্দেশ করে। সুতরাং ‘অ’ স্থানে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার হয় বা হবে।
ঘ ুই’ চিহ্নিত স্থানে ‘অ’ চিহ্নিত স্থানের মতো জোয়ার অসম্ভব’- উক্তিটির সাথে আমি পুরোপুরি একমত। চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত অবস্থান চাঁদের নিকটবর্তী অবস্থান হওয়ার এখানে মুখ্য জোয়ার হয়। অন্যদিকে ‘ই’ অবস্থান হচ্ছে এর ঠিক বিপরীত অবস্থান। মুখ্য জোয়ারের বিপরীত দিকে পানির নিচের স্থলভাগ পৃথিবীর কেন্দ্রের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ। ফলে তার উপর চাঁদের আকর্ষণ পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের আকর্ষণের সমান থাকে। এতে বিপরীত দিকের পানিরাশি অপেক্ষা স্থলভাগ চাঁদের দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়। এতে কেন্দ্রাতিগ শক্তির সৃষ্টি হয়। দুইদিকের পানি সে স্থনে প্রবাহিত হয়ে যে জোয়ারের সৃষ্টি করে, তাকে গৌণ জোয়ার বা পরোক্ষ জোয়ার বলে। এভাবে পৃথিবীর একপাশে মুখ্য জোয়ার ও অন্যপাশে গৌণ জোয়ার হয়। সুতরাং ‘অ’ ও ‘ই’ পরপর বিপরীত অবস্থানে হওয়ার ‘ই’ চিহ্নিত স্থানে কখনোই ‘অ’ চিহ্নিত স্থানের মতো জোয়ার সম্ভব নয়।
প্রশ্ন- ৮ জোয়ার ভাটার কারণ
রুমি গ্রীষ্মের ছুটিতে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বেড়াতে যায়। রুমি যে বাড়িতে ওঠে তার পাশ দিয়েই একটি নদী বয়ে গেছে। সে লক্ষ করে, একসময় নদীটি পানিতে কানায় কানায় ভরে যায় আবার নির্দিষ্ট সময় পরে পানি অনেক নিচে নেয়ে যায়।
ক. অ বাংশ কাকে বলে? ১
খ. প্রতিপাদ স্থান ধারণার ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. রুমির দেখা ঘটনাটির কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের ওপর উক্ত ঘটনার প্রভাব বিশ্লেষণ কর। ৪
৮ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক নিরক্ষরেখা হতে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অ বাংশ বলা হয়।
খ ভূ-পৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে। প্রতিপাদ স্থান সম্পূর্ণভাবে একে অন্যের বিপরীত দিকে থাকে। প্রতিপাদ স্থান নির্ণয় করার জন্য ভূপৃষ্ঠের কোনো বিন্দু থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে একটি কল্পিত রেখা পৃথিবীর ঠিক বিপরীত দিকে টানা হয়। ঐ কল্পিত রেখা যে বিন্দুতে ভূপৃষ্ঠের বিপরীতে পাশে এসে পৌঁছায় সেই বিন্দুই পূর্ব বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান।
গ রুমির দেখা ঘটনাটি জোয়ার-ভাটা। সে নদীতে নির্দিষ্ট সময় পরপর পানির ভরে যাওয়া ও নেমে যাওয়া দেখতে পায়। বর্তমানে বিজ্ঞানীগণ মনে করেন যে, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রতিগ শক্তি এবং পৃথিবীর উপর চন্দ্র সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার-ভাটা হয়।
র. পৃথিবীর সকল পদার্থের আকর্ষণ আছে এবং একটি অপরটিকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণকে মহাকর্ষণ শক্তি বলে। এই মহাকর্ষণের ফলে পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে এবং চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা ২.৬০ কোটি গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব চন্দ্রের দূরত্ব থেকে অনেক বেশি বলে পৃথিবীর উপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্য অপেক্ষা প্রায় দ্বিগুণ। তাই চন্দ্রের আকর্ষণেই জোয়ার-ভাটা হয়।
রর. পৃথিবী ও চন্দ্রের আবর্তনের জন্য ভূ-পৃষ্ঠের তরল ও হালকা জলরাশির উপর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব আিধক হয়। এর ফলেই জলরাশি সর্বদা বাইরে নিক্ষপ্তি হয় এবং তরল জলরাশির কঠিন ভূ-ভাগ হতে বিছিন্ন হতে চায়। এমনিভাবে কেন্দ্রাভিগ শক্তিও জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
ঘ বাংলাদেশে উক্ত ঘটনা তথা জোয়ার-ভাটার ব্যাপক এবং নানামুখী প্রভাব রয়েছে।নদীমাতৃক বাংলাদেশে দৈনিক দুইবার করে জোয়ার-ভাটা হওয়ার ফলে নদীর আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে পানি নির্মল হয় এবং নদী মোহনায় পলি সঞ্চিত হয়, ফলে নদীর মুখ বন্ধ হতে পারে না। জোয়ার-ভাটার স্রোতে নদীখাত গভীর হয়। জোয়ারের সময় নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রগামী বড় বড় জাহাজ অনায়াসেই নদীতে প্রবেশ করে, আবার ভাটার টানে সমুদ্রে চলে আসে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে জোয়ারের সময় নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পেলে বড় বড় জাহাজ প্রবেশ করে অথবা বন্দর ছেড়ে যায়। বন্দরে প্রবেশের পূর্বে জোয়ারের অপেক্ষায় জাহাজগুলো নদীর মোহনায় নোঙর করে থাকে। বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি পদ্মা নদীতে গোয়ালন্দের কাছে এবং মেঘনা নদীতে ভৈরব বাজারের কাছাকাছি পৌঁছায়। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিকে আবদ্ধ করে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়। ভরাকটালের অনেক সময় সমুদ্রের পানি প্রবল তরঙ্গে নদীর মোহনা দিয়ে স্থলভাগের মধ্যে প্রবেশ করে বানের (ঞরফধষ নড়ৎব) সৃষ্টি করে। বানের পানির উচ্চতা ৩ – ৪ ফুট হতে প্রায় ৪০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। যে নদীর মোহনা সংকীর্ণ বা সম্মুখে বালির বাঁধ থাকে, সেসব নদীতে প্রবল বান হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও বর্ষাকালে অমাবস্যায় জোয়ারে প্রবল বান হতে দেখা যায়। তবে স্থলভাগে প্রবেশের পর এর বেগ কমে যায়। মেঘনা নদীতে প্রবল বান দেয়া যায়। অসাবধানতাবশত কখনো কখনো এই বানে নৌকা, স্টিমার জাহাজসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
প্রশ্ন- ৯ ঋতু পরিবর্তন
ক. পৃথিবীর কেন্দ্রে কোণের পরিমাণ কত? ১
খ. জোয়ার-ভাটা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. পৃথিবীর ‘অ’ চিহ্নিত স্থানের অবস্থানের ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পৃথিবীর ‘ই’ চিহ্নিত অবস্থানের বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনে কী প্রভাব পড়বে? তোমার মতামত দাও। ৪
৯ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক পৃথিবীর কেন্দ্রে কোণের পরিমাণ ৩৬০ক্ক।
খ পৃথিবীর বিভিন্ন সাগর মহাসাগরে সমুদ্রস্রোত ছাড়াও পানিরাশির নিজস্ব গতি আছে। এর ফলে প্রতিদিনই কিছু সময় সমুদ্রের পানি ফুলে উঠে, (উচ্চতা বৃদ্ধি পায়) আবার কিছু সময়ের জন্য তা নেমে যায়। সমুদ্রের পানি এভাবে নিয়মিতভাবে ফুলে উঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে। পৃথিবীর নিজের গতি এবং তার উপর চন্দ্র ও সূর্যের প্রভাবেই মূলত জোয়ার ভাটা সংগঠিত হয়।
গ চিত্রের ‘অ’ চিহ্নিত স্থানের অবস্থান হচ্ছে ২২ ডিসেম্বর পৃথিবীর উত্তর অয়নান্ত অবস্থান। ২৩ সেপ্টেম্বরের পর উত্তর মেরু সূর্য থেকে আরও দূরে সরতে থাকে এবং দক্ষণি মেরু অপেক্ষাকৃত নিকটবর্তী হয়। ফলে উত্তর গোলার্ধে দিনের পরিমাণ কমতে থাকে এবং রাতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এভাবে ২২ ডিসেম্বর পৃথিবী এমন এক অবস্থানে পৌঁছে যখন দক্ষণি মেরু সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি (২৩.৫ক্ক) হেলে থাকে। এই দিন সূর্যকিরণ মকরক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে (৯০ক্ক কোণে) পতিত হয়। এই তারিখে দক্ষণি গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত সবচেয়ে ছোট হয়।
ঘ পৃথিবীর ‘ই’ চিহ্নিত অবস্থানে বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে বসন্তকাল বিরাজ করে। চিত্রে ‘ই’ অবস্থানটি মূলত ২১শে মার্চের অবস্থান। অর্থাৎ বাসন্ত বিষুব। উত্তর গোলার্ধে পৃথিবীর এ অবস্থানে বসন্তকাল বিরাজ করে। ২১ মার্চ তারিখে উত্তর ও দক্ষণি মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে। এই দিন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়। ২১ মার্চের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষণি গোলার্ধে শরৎকাল। বাংলাদেশ উত্তর গোলার্ধের একটি দেশ হওয়ার চিত্রের ‘অ’ অবস্থানে বাংলাদেশেও ঋতু পরিবর্তনের পালায় বসন্তকাল বিরাজ করে।
প্রশ্ন- ১০ বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের ভূমিকা
ক. মেরুরেখা কাকে বলে? ১
খ. ভূত্বক বলতে কী বোঝায়? ২
গ. বায়ুমণ্ডলের ‘অ’ স্তরটির ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে বায়ুমণ্ডলের ‘ঈ’ স্তরের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
১০ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ (অীরং) বা মেরু রেখা বলে।
খ ভূত্বক হচ্ছে পৃথিবীর কঠিন বহিরাবরণ। অশ্মমণ্ডল বা শিলামন্ডলের উপরিভাগকে ভূত্বক বলে। অর্থাৎ ভূঅভ্যন্তরের গঠন বিন্যাসে ভূত্বক হচ্ছে সর্ব উপরের আবরণ। এর গভীরতা ৩ কি. মি. (সমুদ্রের তলদেশ) হতে ৪০ কি. মি. (পর্বতের তলদেশ)। তবে গড় গভীরতা ১৭ কি. মি.। উলেস্নখ্য অশ্মমণ্ডলের নিম্নভাগকে ভূত্বকের নিম্নাংশ বলে।
গ ‘অ’ স্তরটি হচ্ছে বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর ট্রপোমণ্ডল যা ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অবস্থায় চিত্রে দেখা যাচ্ছে। ট্রপোমণ্ডল ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন স্তর বা বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। এ স্তরটির গড় গভীরতা প্রায় ১৩ কি. মি.। এটি মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় স্তর। কেননা, আর্দ্রতা, কুয়াশা, মেঘ, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি এই স্তরে লক্ষ করা যায়। উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে এ স্তরে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়, বায়ু উপরে নিচে উঠা-নামা করে। আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত যাবতীয় প্রক্রিয়ার বেশির ভাগ বায়ুমণ্ডলের এ স্তরে ঘটে থাকে। ট্রপোমণ্ডলের ঊর্ধ্বসীমাকে ট্রপোপস বলে। ট্রপোপাসের গভীরতা সরু, এখানে বায়ু স্থির এবং ঝড় বৃষ্টির প্রাদুর্ভাব না থাকায় বিমান এ স্তর দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করে।
ঘ চিত্রের বিন্যাস অনুযায়ী ‘ঈ’ স্তরকে ওজোন স্তর হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। পাঠ্যপুস্তকে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন ট্রপোমণ্ডল, তার উপর ট্রপোমণ্ডলের সরু গভীরতার শেষ সীমা ট্রপোপসের উলেস্নখ রয়েছে। চিত্রে এ দুইটি স্তর ‘অ’ ও ‘ই” দ্বারা চিহ্নিত ধরে নিলে ‘ঈ’ স্তরটি ওজোন স্তরকেই নির্দেশ করে। পাঠ্যপুস্তকের বর্ণনা এরূপই। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে বায়ুমণ্ডলের ‘ওজোন স্তর’ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের স্তরটি ওজোন স্তর নামে পরিচিত। এর গভীরতা প্রায় ১২-১৬ কি.মি.। সূর্যরশ্মির অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করায় এর তাপমাত্রা প্রায় ৭৬ক্ক সেলসিয়াস। অতিবেগুনি রশ্মি প্রাণের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ত্বকে ক্যান্সার সৃষ্টি, নিম্ন বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা বাড়িয়ে অতিবেগুনি রশ্মি সমগ্র প্রাণিজগতকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সুতরাং অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নিয়ে ওজোন স্তরটি পৃথিবীকে প্রাণীজগতের বাস উপযোগী করেছে।
প্রশ্ন- ১১ বিষুবরেখা ও মূল মধ্যরেখা
ক. আহ্নিক গতি কাকে বলে? ১
খ. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘গ’ চিহ্নিত স্থানের স্থানীয় সময় মধ্যাহ্ন এবং চ চিহ্নিত স্থানের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা। চ স্থানের দ্রাঘ্রিমা ৮০˚ পূর্ব হলে, গ স্থানের দ্রাঘিমা কত? ৩
ঘ. “কোনো স্থানের অবস্থান এবং সময় নির্ণয় করতে চিত্রে অঙ্কিত রেখাগুলোর জ্ঞান প্রয়োজনীয়”Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
১১ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক নিজ মেরুরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আবর্তনকে আহ্নিক গতি বলে।
খ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা হলো ১৮০˚ পূর্ব ও পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা। কিন্তু এ দুইটি দ্রাঘিমা রেখা মূলত একই। ফলে মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে সময় বিবেচনা করলে এ দ্রঘিমারেখার একই স্থানে কোথাও রোববার কোথাও সোমবার। কিন্তু একই দ্রাঘিমারেখায় একই সঙ্গে রবিবার রাত ১০টা ও সোমবার রাত ১০টা হতে পারে না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরের জলভাগের উপর মানচিত্রে ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। আর এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।
গ চিত্রে ‘গ’ চিহ্নিত স্থানের স্থানীয় সময় মধ্যাহ্ন অর্থাৎ দুপুর ১২টা। ‘চ’ চিহ্নিত স্থানের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা।
অতএব, ‘গ’ ও ‘চ’ স্থানের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য (১২-১১) বা ১ ঘণ্টা।
আমরা জানি ১ ঘণ্টা সময়ের পার্থক্য হয় ১৫ক্ক দ্রাঘিমান্তরে।
[১ক্ক তে ৪ মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়]
সুতরাং ‘চ’ ও ‘গ’ চিহ্নিত স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য ১৫ক্ক এবং চিত্রে ‘গ’ স্থানটি ‘চ’ স্থানের পূর্বে বলে তার দ্রাঘিমার মান বেশি হবে।
সুতরাং ‘চ’ স্থানের দ্রাঘিমা ৮০ক্ক পূর্ব হলে ‘গ’ স্থানের দ্রার্ঘিমা হবে (৮০ + ১৫)ক্ক পূর্ব বা ৯৫ক্ক পূর্ব।
অর্থাৎ ‘গ’ স্থানের দ্রাঘিমা ৯৫ক্ক পূর্ব।
ঘ চিত্রে বিষুবরেখা ও মূল মধ্যরেখা অঙ্কিত হয়েছে। কোনো স্থানের অবস্থান ও সময় নির্ণয় করতে রেখাগুলোর জ্ঞান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে বলা হয় নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে। নিরক্ষরেখার সাহায্যে উত্তর ও দক্ষণি গোলার্ধের কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্ব স্থির করা হয়। নিরক্ষরেখা হতে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অ বাংশ বলা হয়। কোনো স্থানের অবস্থান জানার জন্য স্থানটি নিরক্ষরেখার কত উত্তরে বা দক্ষিণে এবং মূল মধ্যরেখার কত পূর্বে বা পশ্চিমে তা জানা থাকা প্রয়োজন। একই অক্ষরেখায় অবস্থিত সকল স্থানের অ বাংশ এক। যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ (এৎববহরিপয) মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু ও দক্ষণি মেরু পর্যন্ত বি¯ত্মৃত যে মধ্য রেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে। এই রেখার মান ০ ডিগ্রি ধরা হয়েছে। মূল মধ্যরেখা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণের সাহায্যে অপরাপর দ্রাঘিমারেখাগুলো অঙ্কন করা যায়। গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখা থেকে ৪৫ ডিগ্রি পূর্বে যে মধ্যরেখা বা দ্রাঘিমারেখা তার উপর সকল স্থানের দ্রাঘিমা ৪৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে যে কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলা হয়। এভাবে বিষুব রেখা ও মূল মধ্যরেখা কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ে ভূমিকা রাখে। আবার মূল মধ্যরেখা তথা গ্রিনিচের দ্রাঘিমা শূন্য (০) ডিগ্রি। গ্রিনিচের সঠিক সময় ক্রনোমিটার ঘড়ি থেকে জানা যায়। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে যে স্থানের দ্রাঘিমা বের করতে হবে ঐ স্থানের আকাশে সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থান দেখে এ সময় এ স্থানের দুপুর ১২টা ধরা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে গ্রিনিচের সময়ও ঐ স্থানের সময় পার্থক্য থেকে ঐস্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয়। কোনো স্থান গ্রিনিচের পূর্বে হলে তার স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় থেকে বেশি হবে এবং পশ্চিমে হলে স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় থেকে কম হবে। আর এর নিরিখে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমান্তরে ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য হিসেবে মূল মধ্যরেখা থেকে যেকোনো স্থানের সময় নির্ণয় করা হয়। পরিশেষে বলা যায় কোনো স্থানের অবস্থান ও সময় নির্ণয়ে বিষুবরেখা ও মূল মধ্যরেখার জ্ঞান অপরিহার্য।
প্রশ্ন- ১২ সৌরজগৎ
ক. কোন যন্ত্রের সাহায্যে স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়? ১
খ. জোয়ার-ভাটার একটি কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উপরের চিত্রে প্রদর্শিত ‘ঊ’ চিহ্নিত গ্রহটির বিবরণ দাও। ৩
ঘ. “সৌরজগতের সব গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলো সূর্য”-উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
১২ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্য স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়।
খ জোয়ার-ভাটার একটি কারণ হচ্ছে পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ বা কেন্দ্রাভিমুখী শক্তি। পৃথিবী তার অক্ষ বা মেরুদণ্ডের উপর থেকে চারিদিকে দ্রুত বেগে ঘুরছে বলে তার পৃষ্ঠ থেকে তরল পানিরাশি চর্তুদিকে ছিটকে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। একেই কেন্দ্রাতিগ শক্তি (ঈবহঃৎরভঁমধষ ঋড়ৎপব) বলে। পৃথিবী ও চন্দ্রের আবর্তনের জন্য ভূ-পৃষ্ঠের তরল ও হালকা জলরাশির উপর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব আিধক হয়। এর ফলেই জলরাশি সর্বদা বাইরে নিক্ষপ্তি হয় এবং তরল জলরাশির কঠিন ভূ-ভাগ হতে বিছিন্ন হতে চায়। এমনিভাবে কেন্দ্রাভিগ শক্তিও জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
গ উপরের চিত্রে প্রদর্শিত ‘ঊ’ চিহ্নিত গ্রহটি হচ্ছে সূর্য থেকে দূরত্বের দিক থেকে সৌরজগতের পঞ্চম গ্রহ বৃহস্পতি।সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি। সূর্য থেকে দূরত্বের ভিত্তিতে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান পঞ্চম স্থানে। এর আয়তন পৃথিবীর প্রায় ১,৩০০ গুণ। এর ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। এটি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতি ১২ বছরে একবার সূর্যকে এবং ৯ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটে নিজ অড়্গে একবার আবর্তন করে। এই গ্রহটিতে পৃথিবীর একদিনে দুইবার সূর্য উঠে ও দুইবার অস্ত যায়। এ গ্রহে গভীর বায়ুমণ্ডল আছে। গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অধিক। এর ১৬টি উপগ্রহ রয়েছে। এদের মধ্যে হলো, ইউরোপা, গ্যানিমেড ও ক্যাপলিস্টো প্রধান।
ঘ সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলো সূর্য। সূর্য একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা ১৩ লক্ষ গুণ বড়। পৃথিবী থেকে সূর্য প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর ব্যাস প্রায় ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা ৫৭,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিরাট দূরত্বের জন্য সূর্যের অতি সামান্য তাপ পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। এ সামান্য তাপ ও আলো দ্বারাই পৃথিবীর জীবজগতের সকল প্রয়োজন মেটে। অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহগুলোতেও তাপ ও আলোর উৎস সূর্য। সূর্যের কোনো কঠিন বা তরল পদার্থ নেই। শতকরা ৫৫ ভাগ হাইড্রোজেন, শতকরা ৪৪ ভাগ হিলিয়াম এবং শতকরা ১ ভাগ অন্যান্য গ্যাসে সূর্য গঠিত। আণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় সূর্যে অনবরত হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়াম এবং হিলিয়াম থেকে শক্তি তৈরি হচ্ছে। আর এই শক্তি বলেই সূর্য সকল গ্রহ ও উপগ্রহ নিয়ন্ত্রণ করছে। বস্তুত সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উল্কা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলা হয় সৌরজগৎ। সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র হলো সূর্য। সৌরজগতে ৮টি গ্রহ, ৪৯টি উপগ্রহ হাজার হাজার গ্রহাণুপুঞ্জ ও লক্ষ লক্ষ ধূমকেতু রয়েছে। আর এসব কিছুর নিয়ন্ত্রক সূর্য।
প্রশ্ন- ১৩ ভূত্বক ও কেন্দ্রমণ্ডল
চিত্র : ভূঅভ্যন্তরের গঠন
ক. পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি? ১
খ. প্রতিপাদ স্থান বলতে কী বোঝায়? ২
গ. চিত্রের ‘ই’ চিহ্নিত স্থানটি ভূঅভ্যন্তরের কোন স্তরটিকে নির্দেশ করছে? ৩
ঘ. ভূত্বক এবং চিত্রের ‘ঈ’ চিহ্নিত স্থানটির বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
১৩ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।
খ ভূ-পৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে। প্রতিপাদ স্থান সম্পূর্ণভাবে একে অন্যের বিপরীত দিকে থাকে। প্রতিপাদ স্থান নির্ণয় করার জন্য ভূপৃষ্ঠের কোনো বিন্দু থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে একটি কল্পিত রেখা পৃথিবীর ঠিক বিপরীত দিকে টানা হয়। ঐ কল্পিত রেখা যে বিন্দুতে ভূপৃষ্ঠের বিপরীতে পাশে এসে পৌঁছায় সেই বিন্দুই পূর্ব বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান।
গ চিত্রের ‘ই’ চিহ্নিত স্থানটি ভূঅভ্যন্তরের গুরুমণ্ডলকে নির্দেশ করছে। ভূত্বকের নিচের স্তরই গুরুমণ্ডল।কেন্দ্রমণ্ডলের উপর হতে চতুর্দিকে প্রায় ২৮৯৫ কি. মি. পর্যন্ত মণ্ডলটিকে গুরুমণ্ডল বলে। সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি ভারী ধাতুগুলোর সংমিশ্রণে এ মণ্ডলটি গঠিত। এর উপরাংশে ১৪৪৮ কি. মি. পুরু স্তর ব্যাসল্ট জাতীয় উপাদান দ্বারা গঠিত বলে একে ব্যাসল্ট অঞ্চল বলে। সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম দ্বারা এ মণ্ডলটি গঠিত বলে একে সিলা বলে।
ঘ ভূত্বক এবং চিত্রের ‘ঈ’ চিহ্নিত স্থান তথা কেন্দ্রমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যে ব্যাপক ভিন্নতা রয়েছে। মূলত এ ভিন্নতা ভূঅভ্যন্তরের স্তরগুলো সৃষ্টির প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত। পৃথিবীর উপরিভাগ কঠিন হলেও অভ্যন্তর ভাগ উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় রয়েছে। উত্তপ্ত পদার্থ শীতল হলে সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত সংকুচিত হবার ফলে উপরের পাতলা আবরণের উপরিভাগ কুঁচকে উঁচু-নিচু বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়েছে। ভূপৃষ্ঠের অবনমিত অংশে সাগর ও মহাসাগরের সৃষ্টি হয়েছে। পানির উপরের অংশ হয় মহাদেশ। অন্যদিকে ভারি উপাদানগুলো নিচের দিকে জমা হয়ে কেন্দ্রমণ্ডল গঠন করেছে। গুরুমণ্ডলের নিম্নভাগ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরকে কেন্দ্রমণ্ডল বলে। এ স্তর প্রায় ৩,৪৭৫ কিলোমিটার পুরু। এ মণ্ডলের আপেক্ষকি গুরুত্ব ১০ হতে ১৩. ৬। বিজ্ঞানীদের মতে, কেন্দ্রমণ্ডল লৌহ, নিকেল, পারদ, সীসা প্রভৃতি কঠিন ও ভারী পদার্থ দ্বারা গঠিত। এ স্তরে নিকেল ও লৌহের পরিমাণ বেশি থাকায় একে নাইফ (ঘরভব) বলা হয়। এটি পানি অপেক্ষা ১০/১২ গুণ এবং পৃথিবীর অন্যান্য অংশ অপেক্ষা দ্বিগুনের অধিক ঘন। কিন্তু প্রচণ্ড তাপ ও চাপে এটি সম্ভবত কঠিন অবস্থায় নেই। ভূ-কম্পন তরঙ্গ হতে বুঝা যায় কেন্দ্রমণ্ডল দুটি অংশে বিভক্ত: যেমন- বাইরের অংশ এবং ভিতরের অংশ। বাইরের অংশ তরল এবং ভিতরের অংশ কঠিন অবস্থায় আছে বলে অনুমান করা হয়। কেন্দ্র মণ্ডলের বাইরের অংশের বি¯ত্মৃতি প্রায় ২২৫০ কি. মি.। কেন্দ্রমণ্ডলের ভিতরের অংশটি পৃথিবীর কেন্দ্র হতে প্রায় ১,২২৫ কি. মি. ব্যাসার্ধের মধ্যে কঠিন অবস্থায় রয়েছে এবং তা প্রধানত লৌহ ও নিকেল দ্বারা গঠিত। পরিশেষে বলা যায়, সৃষ্টিগত কারণে, উপাদানগত ভিন্নতায়, গভীরতার ব্যাপক পার্থক্যে তাপ ও চাপের ভিন্নতায় ভূত্বক ও কেন্দ্রমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যগত ভিন্নতা রয়েছে।
প্রশ্ন- ১৪ ভূত্বকের গঠন
ক. চিত্রের তৃতীয় স্তরের প্রধান একটি উপাদানের নাম লিখ। ১
খ. অশ্মমণ্ডল কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. প্রথম স্তরের উপরিভাগ সৃষ্টি প্রক্রিয়া পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “প্রথম স্তরকে ঘিরে আবর্তিত অদৃশ্য গ্যাসীয় আবরণটি পৃথিবীকে প্রাণিজগতের বাস উপযোগী করেছে।” -বিশ্লেষণ কর। ৪
১৪ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক চিত্রের তৃতীয় স্তরের প্রধান একটি উপাদান হচ্ছে নিকেল।
খ ভূত্বকের নিচের স্তরই গুরুমণ্ডল। ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের মাঝে একটি অত্যন্ত পাতলা স্তর আছে। গুরুমণ্ডলীয় স্তরটি প্রায় ২৮৮৫ কিলোমিটার পুরু। গুরুমণ্ডলের ঊর্ধ্বাংশের শিলা কঠিন ও ভঙ্গুর, যা প্রায় ১০০ কিলোমিটার গভীর। ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের ঊর্ধ্বাংশ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পুরু এ স্তরকে একত্রে শিলামণ্ডল বা অশ্মমণ্ডল বলে। ভূত্বকের উপরিভাগ থেকে পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অশ্মমণ্ডল।
গ প্রথম স্তরটি হলো ভূত্বক। চিত্রে ভূ-অভ্যন্তরের গঠন দেখানো হয়েছে। ভূ-অভ্যন্তর শিলামণ্ডল নিয়ে গঠিত। পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে এর কেন্দ্র পর্যন্ত তিনটি স্তরে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো : ভূত্বক, গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল। প্রথম স্তর অর্থাৎ ভূত্বকের গঠন প্রক্রিয়া পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা করা হলো : পৃথিবী সৃষ্টি হবার সময় বাষ্পীয় অবস্থায় ছিল। কোটি কোটি বছরের ঘূর্ণনের মধ্য দিয়ে তাপ বিকিরণ করতে করতে পৃথিবী শীতল ও ঘনীভূত হতে বহু বছর লেগেছে। এভাবে পৃথিবীর উপরিভাগে কঠিন আবরণের সৃষ্টি হয়। এ কঠিন আবরণই ভূত্বক। পৃথিবীর উপরিভাগ কঠিন হলেও অভ্যন্তর ভাগ উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় রয়েছে। উত্তপ্ত পদার্থ শীতল হলে সংকুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত সংকুচিত হবার ফলে উপরের পাতলা আবরণের উপরিভাগ কুঁচকে উঁচু-নিচু বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়েছে। ভূপৃষ্ঠের অবনমিত অংশে সাগর ও মহাসাগরের সৃষ্টি হয়েছে। পানির উপরের অংশ হয় মহাদেশ।
ঘ প্রথম স্তর অর্থাৎ ভূত্বককে ঘিরে আবর্তিত অদৃশ্য গ্যাসীয় আবরণটি পৃথিবীকে প্রাণিজগতের বাস উপযোগী করেছে। পৃথিবীর চারদিক নানা প্রকার গ্যাসীয় উপাদান দ্বারা বেষ্টিত। অদৃশ্য এই গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। একে বায়ুমণ্ডল বলে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আকর্ষণে বায়ুমণ্ডল ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে লেপ্টে আছে। আর পৃথিবীর সঙ্গে আবর্তিত হচ্ছে। বায়ু চাপের কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠে এর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি এবং উপরের দিকে ঘনত্ব খুবই কম। বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের প্রাধান্য রয়েছে। সকল প্রাণীর জন্য অক্সিজেন অত্যাবশ্যকীয়। কার্বন ডাইঅক্সাইড ছাড়া অন্যান্য উপাদান বায়ুতে মোটামুটি অপরিবর্তনীয় পরিমাণে থাকে। তবে ধুলা, ধোঁয়া, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি উপাদান বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিমাণে থাকে। পৃথিবীর সমস্ত জীবের বেঁচে থাকার জন্য বায়ুমণ্ডলের গুরুত্ব অপরিসীম। বায়ুমণ্ডল সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে প্রাণিকুলকে রক্ষা করে এবং এর গ্যাসীয় উপাদান যেমন, কার্বন ডাইঅক্সাইড (ঈঙ২) উদ্ভিদকে ও অক্সিজেন প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখে। ট্রপোমণ্ডল ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন স্তর বা বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। এটি মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় স্তর। কেননা, আর্দ্রতা, কুয়াশা, মেঘ, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি এই স্তরে লক্ষ করা যায়। আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত যাবতীয় প্রক্রিয়ার বেশির ভাগ বায়ুমণ্ডলের এ স্তরে ঘটে থাকে। বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের একটি স্তর আছে, যা ওজোন স্তর নামে পরিচিত। এ স্তরটি পৃথিবীকে প্রাণিজগতের বাস উপযোগী করেছে। সুতরাং বলা যায় যে, ভূত্বককে ঘিরে আবর্তিত বায়ুমণ্ডলই পৃথিবীকে প্রাণিজগতের বাস উপযোগী করেছে।
প্রশ্ন- ১৫ সৌরজগত
ক. চন্দ্র কী? ১
খ. মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্য লেখ। ২
গ. ‘চ’ চিহ্নিত গ্রহটি জীবের জন্য বসবাস উপযোগী কেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ছ’ ও ‘জ’ চিহ্নিত গ্রহ দুটির বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪
১৫ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক চন্দ্র পৃথিবী গ্রহের একমাত্র উপগ্রহ যা মহাকর্ষ বলের প্রভাবে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে।
খ মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
এ গ্রহে অক্সিজেন ও পানির পরিমাণ খুবই কম কিন্তু কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অত্যন্ত বেশিÑ শতকরা ৯৯ ভাগ।
এর উপরিভাগে রয়েছে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি।
খালি চোখে এ গ্রহকে লালচে দেখায়।
দিন-রাত্রির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান।
গ ‘চ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো পৃথিবী। পৃথিবী আমাদের বাসভূমি। পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণী ও উদ্ভিদকুলের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান যেমন : আলো, তাপ, বায়ু, পানি ও খাদ্যবস্তুর ব্যবস্থা আছে। একমাত্র পৃথিবী ব্যতীত সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তাপমাত্রায় জীব বেঁচে থাকতে পারে না। এখন পর্যন্ত জানা মতে একমাত্র পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে। সূর্যের তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণের ওপর পৃথিবীতে জীবনের প্রবাহ নির্ভরশীল। প্রতি মিনিটে প্রতি বর্গসেন্টিমিটার ভূপৃষ্ঠে ২ ক্যালরি সৌরশক্তি এসে পড়ে। সৌরশক্তির প্রধান উপাদান তাপ ও আলো। এই শক্তি উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ ঘটায়, যা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে জীবজগতের খাদ্যের চাহিদা মেটায়। আর পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যার বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা রয়েছে, যা উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সূর্যের তাপে হ্রদ, নদী ও সমুদ্রের পানি বাষ্পে পরিণত হয়। এ পানি বৃষ্টি অথবা বরফরূপে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। আমরা বিশুদ্ধ পানি পাই। তাই ‘চ’ চিহ্নিত গ্রহটি সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে জীবের জন্য বসবাস উপযোগী।
ঘ ‘ছ’ এবং ‘জ’ চিহ্নিত গ্রহ দুটি হলো যথাক্রমে শনি ও বৃহস্পতি। শনি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ১৪৩ কোটি কিলোমিটার। বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। একে গ্রহরাজ বলে। এটি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে। শনির ব্যাস প্রায় ১,২০,০০০ কিলোমিটার। আর বৃহস্পতির ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে শনির সময় লাগে পৃথিবীর প্রায় ২৯.৫ বছরের সমান। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে বৃহস্পতির সময় লাগে ১২ বছর। শনির বায়ুমণ্ডলে আছে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ, মিথেন ও অ্যামোনিয়া গ্যাস। বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দ্বারা গঠিত। শনির ২২টি উপগ্রহ আছে। আর বৃহস্পতির উপগ্রহ সংখ্যা ১৬টি।
প্রশ্ন- ১৬ দিবারাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি
নবাব একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। গ্রীষ্মকালে তার স্কুল ৪:৩০টায় ছুটি হয়। বাসায় ফিরে সে মাঠে ভলিবল খেলতে যেতে পারে। শীতকালে তার বিদ্যালয় একই সময় ছুটি হয়। কিন্তু সে মাঠে খেলার সময় পায় না। কারণ বাসায় ফিরতে ফিরতে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ে। এ বিষয়ে সে তার ভূগোল বিষয়ের শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলে এরূপ হয়।
ক. সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি হয়? ১
খ. পৃথিবীর অনুসূর বলতে কী বোঝায়? ২
গ. নবাব কেন গ্রীষ্মকালে খেলার সময় পায় আর শীতকালে পায় না? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ভূগোল বিষয়ের শিক্ষকের কথার যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ১৮০˚ হয়।
খ পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার। এ পথে পরিক্রমণকালে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বদা সমান থাকে না। জানুয়ারির ৩ তারিখ সূর্য পৃথিবীর নিকটতম অবস্থানে থাকে। একে পৃথিবীর অনুসূর বলে।
গ নবাব গ্রীষ্মকালে খেলার সময় পায় অথচ শীতকালে স্কুল ছুটির পর সময় পায় না। এ অবস্থার কারণ হলো দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি। গ্রীষ্মকালে দিন বড় থাকে বলে নবাব স্কুল ছুটির পর খেলার সময় পায়। কিন্তু শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য ছোট হয়, তাই নবাব শীতকালে খেলার সময় পায় না। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে কিংবা দক্ষণি গোলার্ধে যে অংশে গ্রীষ্মকাল শুরু হয়, সে গোলার্ধে সূর্য দিনের বেলায় লম্বভাবে কিরণ দেওয়া শুরু করে। সে কারণে উক্ত গোলার্ধে গ্রীষ্মকালে দিনের দৈর্ঘ্য বড় হয় এবং রাত ছোট হয়। নবাব পৃথিবীর যে গোলার্ধে বাস করে, সে গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল। সূর্যের এরূপ কিরণের জন্য দিন বড় থাকে। ফলে সে গ্রীষ্মকালে স্কুল ছুটির পর খেলার সময় পায়। আবার শীতকালে সূর্য তির্যকভাবে কিরণ দেওয়া শুরু করে। তাই এ সময়ে দিনের দৈর্ঘ্য ছোট হতে থাকে এবং রাত বড় হওয়া শুরু করে। আর এজন্যই শীতকালে নবাব বিদ্যালয় ছুটির পর খেলার সময় থাকে না।
ঘ উদ্দীপকে ভূগোল বিষয়ের শিক্ষক যে কথাটি বোঝাতে চেয়েছেন, সেটি হলো, পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলে দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটছে তথা শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য ছোট ও গ্রীষ্মকালে দিনের দৈর্ঘ্য বড় হচ্ছে। পৃথিবী নিজ অড়্গে অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে একটি নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে, নির্দিষ্ট দিকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারদিকে পরিভ্রমণ করছে। পৃথিবীর এই পরিভ্রমণই হলো বার্ষিক গতি। ২১ জুন সূর্য উত্তর গোলার্ধে লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে এখানে দিন বড় হয়। ২১ জুনের ৪৫ দিন পূর্ব হতে ৪৫ দিন পর পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধ বেশি উত্তাপ পেয়ে থাকে। ফলে এই গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে। আর দক্ষণি গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা বিরাজ করে। আবার ২২ ডিসেম্বরের দেড় মাস আগে দেড় মাস পর পর্যন্ত সূর্য তির্যকভাবে কিরণ দেওয়ায় সেখানে দিনের দৈর্ঘ্য ছোট হয়ে আসে এবং রাত বড় হয়। এ সময় উত্তর গোলার্ধে উত্তাপের পরিমাণ কম থাকে বলে শীতকাল বিরাজ করে। আর দক্ষণি গোলার্ধে বিপরীত অবস্থা বিরাজ করে। উপরিউক্ত বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায় যে, বার্ষিক গতির ফলে ঋতু পরিবর্তন হয় এবং এর সাথে সাথে দিন-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে, যা ভূগোল শিক্ষকের কথার যথার্থতা প্রমাণ করে।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১৭ পৃথিবী ও চাঁদ
পৃথিবী সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ। বাইরে থেকে পৃথিবী দেখতে একটা বিশাল বলের মতো। এটি আসলে শিলার তৈরি একটি বল। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই।
ক. সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব কত? ১
খ. সূর্য কী কী দ্বারা গঠিত তার একটি তালিকা তৈরি কর। ২
গ. উদ্দীপকের উপগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয় ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের গ্রহের সাথে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য বিশ্লেষণ কর। ৪
১৭ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক ১৫ কোটি কিলোমিটার।
খ সূর্যে কোনো কঠিন বা তরল পদার্থ নেই। বায়বীয় পদার্থই এর মৌলিকত্ব। সূর্যে বিদ্যমান গ্যাস ও তাদের শতকরা হার নিম্নরূপ:
গ্যাসের নাম | পরিমাণ (%) |
হাইড্রোজেন | ৫৫ |
হিলিয়াম | ৪৪ |
অন্যান্য গ্যাস | ০১ |
সর্বমোট | ১০০ |
গ উদ্দীপকের উপগ্রহটি হলো চাঁদ। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। চাঁদে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়।মহাকাশে অবস্থিত যেসব জ্যোতিষ্ক গ্রহের আকর্ষণে তাদের চারদিকে নির্দিষ্ট পথে পরিক্রমণ করে তাদেরকে উপগ্রহ বলে। গ্রহ থেকে উপগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। চাঁদ ধূলিময় শিলার তৈরি একটি বিরাটাকৃতির গোলক। এটি মহাশূন্যে আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। দিনের বেলায় চাঁদে অস্বাভাবিক গরম এবং রাতের বেলায় বরফের মতো ঠাণ্ডা অবস্থা বিরাজ করে। এটি সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়। পৃথিবী থেকে চাঁদের সৃষ্টি হলেও চাঁদে বাতাস, পানি, আবহাওয়া স্তর এসব কিছুই নেই। প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এসব আবশ্যকীয় উপাদান চাঁদে অনুপস্থিত থাকায় চাঁদে প্রাণের অস্তিত্ব নেই।
ঘ উদ্দীপকের গ্রহটি হলো পৃথিবী। এটি সৌর পরিবারের একটি সদস্য হলেও এর সাথে সৌর পরিবারের অন্যান্য গ্রহের ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষতি হয়। পৃথিবীর সাথে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য তুলে ধরা হলো :
১. পৃথিবী হলো একমাত্র গ্রহ যেখানে জীবের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা আছে। সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তাপমাত্রা এত বেশি বা কম যে জীবের জন্য বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।
২. পৃথিবীতে জীবের বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপাদান অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি। সৌরজগতের অন্যান্য সকল গ্রহে এসব অপরিহার্য উপাদানের অভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ নেই।
৩. পৃথিবীর ভূভাগে পর্যাপ্ত পানি থাকার জন্য এবং বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতির কারণে বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে পৃথিবীতে কৃষিকাজ সহজ হয় এবং উদ্ভিদ জন্মে। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বাতাসে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বাতাস হতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে। ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু অন্য গ্রহে বৃষ্টিপাত হয় না। বৃষ্টিপাত কিংবা পানির উপস্থিতি না থাকায় অন্য গ্রহে উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাস করা অসম্ভব।
৪. সৌরজগতের সকল গ্রহের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীতে চাষাবাদ ও উদ্ভিদ জন্মানো সহায়ক মাটির উপস্থিতি পরিলক্ষতি হয়। ফলে এখানে জীবের বসবাস সম্ভব হয়েছে। সৌরজগতের অন্য গ্রহে চাষযোগ্য মাটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে সেখানে উদ্ভিদের বা জীবের কোনো সন্ধান মেলে না। কাজেই সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীই উদ্ভিদ ও প্রাণীর একমাত্র আবাসস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রশ্ন- ১৮ সৌরজগৎ
ক. সৌরজগৎ কী? ১
খ. গ্রহকে নক্ষত্র বলা যায় না কেন? ২
গ. ‘অ’ গ্রহে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ঈ’ গ্রহটি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ‘ই’ গ্রহটির অনুরূপ কি? তোমার মতামত দাও। ৪
১৮ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক সূর্য এবং তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, অসংখ্য ধূমকেতু ও অগণিত উল্কা নিয়ে যে জগৎ গঠিত তাকে সৌরজগৎ বা সৌরপরিবার বলে।
খ মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথে পরিক্রমণ করে, তাদের গ্রহ বলে। এদের নিজেদের কোনো আলো ও তাপ নেই। অপরদিকে রাত্রিবেলা মেঘমুক্ত আকাশের দিকে তাকালে অনেক আলোক বিন্দু মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায় তাদের নক্ষত্র বলে। নক্ষত্র প্রকৃতপড়্গে জ্বলন্ত বাষ্পপিণ্ড। নক্ষত্রের নিজস্ব আলো ও তাপ আছে। সুতরাং গ্রহ ও নক্ষত্র মহাকাশের আলাদা জ্যোতিষ্ক। গ্রহকে নক্ষত্র বলা যায় না।
গ ‘অ’ গ্রহটি হচ্ছে শুক্র। এ গ্রহটি ঘন মেঘের আড়ালে ঢাকা। এ গ্রহে দিন ও রাতের মধ্যে আলোর বিশেষ কোনো তারতম্য হয় না। শুক্রের ঘন মেঘ প্রধানত কার্বন ডাইঅক্সাইডের মেঘ। এখানে এসিড বৃষ্টি হয়। এটি সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত গ্রহ। এখানে জীবনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান যেমন : আলো, তাপ, বায়ু, পানি ও খাদ্যবস্তুর ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী প্রয়োজনীয় হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা না থাকায় গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়।
ঘ ‘ঈ’ গ্রহটি হচ্ছে বৃহস্পতি এবং ‘ই’ গ্রহটি হচ্ছে পৃথিবী। বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। এর ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। আয়তনে পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১,৩০০ গুণ বড়। বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অধিক। সূর্যকে একবার প্রদক্ষণি করতে এই গ্রহের সময় লাগে ১২ বছর। এর বায়ুমণ্ডল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে তৈরি। বৃহস্পতির উপগ্রহের সংখ্যা ১৬টি। অপরদিকে পৃথিবী সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ। সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। এর ব্যাস প্রায় ১২,৭৫২ কিলোমিটার। পৃথিবীর নিজ অড়্গে আবর্তন করতে সময় লাগে ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড। পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষণি করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যার বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা রয়েছে, যা উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী। সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত্ব আছে। সুতরাং ‘ঈ’ গ্রহটি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ‘ই’ গ্রহটির অনুরূপ নয়।
প্রশ্ন- ১৯ দ্রাঘিমারেখা
ক. মধ্যরেখা কী? ১
খ. দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্য উলেস্নখ কর। ২
গ. চিত্রের ‘অ’ চিহ্নিত রেখাটি বি¯ত্মৃতরূপে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. চিত্রের রেখাগুলো স্থানীয় সময় নির্ণয়ে সহায়কÑ পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
১৯ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষণি মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয়েছে তাকে দ্রাঘিমারেখা বা মধ্যরেখা বলে।
খ দ্রাঘিমারেখা অর্ধবৃত্ত এবং সমান্তরাল নয়। প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান। সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ১৮০˚ হয়। মধ্যরেখাগুলোর যে কোনো একটিকে নির্দিষ্ট মূল মধ্যরেখা ধরে এ রেখা থেকে অন্যান্য মধ্যরেখার কৌণিক দূরত্ব মাপা হয়। দ্রাঘিমার সাহায্যে স্থানীয় সময় নির্ণয় বা স্থির করা যায়।
গ চিত্রের ‘অ’ চিহ্নিত রেখাটি মূল মধ্যরেখা যা ০˚ দ্বারা চিহ্নিত এবং উত্তর-দক্ষিণে বি¯ত্মৃত। এটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ (এৎববহরিপয) মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু ও দক্ষণি মেরু পর্যন্ত বি¯ত্মৃত। যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাই মূল মধ্যরেখা। এই রেখার মান ˚ ডিগ্রি ধরা হয়েছে। মূল মধ্যরেখা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণের সাহায্যে অপরাপর দ্রাঘিমারেখাগুলো অঙ্কন করা যায়। গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখা থেকে ৪৫ ডিগ্রি পূর্বে যে মধ্যরেখা বা দ্রাঘিমারেখা তার উপর সকল স্থানের দ্রাঘিমা ৪৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে যে কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলা হয়। আমরা আরও জানি গ্রিনিচের দ্রাঘিমা ˚ ডিগ্রি। পৃথিবীর পরিধি দ্বারা উৎপন্ন কোণ ৩৬০ ডিগ্রি। মূল মধ্যরেখা এই ৩৬০ ডিগ্রিকে ১ ডিগ্রি অন্তর অন্তর সমান দুই ভাগে অর্থা ১৮০ ডিগ্রি পূর্ব ও ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিমে ভাগ করেছে। পৃথিবী গোলাকার বলে ১৮০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা ও ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমা মূলত একই মধ্যরেখায় পড়ে। অ বাংশের ন্যায় দ্রাঘিমাকেও মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি মিনিট দ্রাঘিমা এক ডিগ্রির ষাট ভাগের এক অংশের সমান। যেখানে নিরক্ষরেখা ও মূল মধ্যরেখা পরস্পরকে লম্বভাবে ছেদ করে সেখানে অ বাংশ ও দ্রাঘিমা উভয়ই শূন্য (০) ডিগ্রি।
ঘ চিত্রের রেখাগুলো তথা দ্রাঘিমারেখাগুলো স্থানীয় সময় নির্ধারণে সহায়ক। পৃথিবী গোলাকার এবং পৃথিবী নিজ অক্ষ বা মেরুরেখার চারদিকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অনবরত আবর্তন করছে। ফলে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থান ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সূর্যের সামনে উপস্থিত হচ্ছে। যে সময়ে কোনো স্থানের মধ্যরেখা সূর্যের ঠিক সামনে আসে অর্থাৎ ঐ স্থানে সূর্যকে ঠিক মাথার উপর দেখা যায়, তখন ঐ স্থানে মধ্যাহ্ন হয় এবং ঘড়িতে বেলা ১২টা বাজে। মধ্যাহ্ন অনুসারে দিনের অন্যান্য সময় নির্ধারণ করা হয়। আমরা জানি ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট এবং ১র্ দ্রাঘিমার ব্যবধানে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ সেকেন্ড। কোনো স্থান বা অঞ্চলে যখন বেলা ১২ টা তখন সে স্থান থেকে ৫ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত স্থানের সময় হবে ১২ + (৫ ৪) মিনিট বা ১২ ঘণ্টা ২০ মিনিট। একই স্থান থেকে ৫ ডিগ্রি পশ্চিমে অবস্থিত স্থানের সময় হবে ১২ টা (৫ ৪) মিনিট বা (১২টা-২০ মিনিট) ১১টা ৪০মিনিট। সুতরাং কোনো স্থানের স্থানীয় সময় জানা থাকলে খুব সহজেই দ্রাঘিমার সাহায্যে অন্যান্য স্থানের স্থানীয় সময় নির্ধারণ করা যায়।
প্রশ্ন- ২০ স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়
ফাহিম তার নিজ বাসায় বাবার পাশে বসে লন্ডনের ওভাল মাঠে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট খেলা দেখছিল। খেলা দেখতে দেখতে সে লক্ষ করল তাদের এখানে সন্ধ্যা নেমে আসলেও ওভালের মাঠ রৌদ্রোজ্জ্বল। সে তার বাবার কাছে এর কারণ জানতে চাইলে বাবা বললেন, এর জন্য পৃথিবীর আবর্তন, স্থানীয় সময় এবং প্রমাণ সময় সম্বন্ধে জানা প্রয়োজন। ওভাল মাঠ ০.৫˚ পশ্চিম দ্রাঘিমায় অবস্থিত এবং ওভালের সাথে আমাদের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য ছয় ঘণ্টা।
ক. পৃথিবীর আবর্তন কী? ১
খ. পৃথিবীর কোন ধরনের গতির জন্য ফাহিমদের বাসার সাথে ওভাল মাঠের সময়ের পার্থক্য হচ্ছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ফাহিমদের বাসা কত ডিগ্রি দ্রাঘিমায় অবস্থিত? ৩
ঘ. উপরিউক্ত ঘটনা ব্যাখ্যার জন্য স্থানীয় সময় এবং প্রমাণ সময় জানা প্রয়োজন কেন? যুক্তি দাও। ৪
২০ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক পৃথিবী নিজ মেরুরেখা বা অড়্গে অবিরাম পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে ঘুরছে। এই গতিকে পৃথিবীর আবর্তন বলে।
খ পৃথিবীর আপন অড়্গে বা মেরুরেখায় প্রতিনিয়ত পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে। একবার ঘুরতে বা আবর্তন করতে পৃথিবীর ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড বা ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। এই আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত সংঘটিত হয়। পৃথিবীর যেদিকে যখন সূর্য থাকে সেখানে তখন দিন এবং অপর অংশে সূর্যালোকের অভাবে রাত হয়। তাই পৃথিবীর আিহ্নক গতির জন্য ফাহিমদের বাসার সাথে ওভাল মাঠের সময়ের পার্থক্য হয়েছে।
গ আমরা জানি, ১˚ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য ৪ মিনিট সময় ব্যবধান হয়
এখন,
ওভালের সাথে ফাহিমদের বাসার সময় ব্যবধান = ৬ ঘণ্টা
= (৬ ৬০) মিনিট
= ৩৬০ মিনিট
৪ মিনিট সময় ব্যবধানে দ্রাঘিমার পার্থক্য হয় ১˚
১ ” ” ” ” ” ” ১৪ ”
১ ” ” ” ” ” ” ৩৬০৪˚ ”
= ৯০˚
যেহেতু ওভাল মাঠ ০.৫˚ পশ্চিম দ্রাঘিমায় অবস্থিত এবং ফাহিমদের বাসার সাথে তার দ্রাঘিমার পার্থক্য ৯০˚ ;
ফাহিমদের বাসা ৮৯.৫˚ পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থান করছে।
ঘ পৃথিবী নিজ অক্ষরেখায় পশ্চিম হতে পূর্বে ঘূর্ণয়নের জন্য পূর্বে অবস্থিত স্থানে সূর্য আগে উদিত হয়। এ কারণে পূর্বদিকে অবস্থিত স্থানসমূহ ও পশ্চিমে অবস্থিত স্থানসমূহের মধ্যে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হয়ে থাকে। পৃথিবী ২৪ ঘণ্টায় ৩৬০˚ পরিধি অতিক্রম করে। এ হিসেবে প্রতি ৪ মিনিটে ১˚ পরিধি অতিক্রম করে থাকে। যদি কোনো দুটি স্থানের স্থানীয় সময় পার্থক্য ১ ঘণ্টা হয় তবে দ্রাঘিমার পার্থক্য ১৫˚ হবে। যে স্থানের সময় অগ্রগামী বা বেশি হবে সে স্থানটি অপর স্থান হতে পূর্ব দিকে অবস্থিত হবে। তাই স্থানের পারস্পরিক সঠিক অবস্থান জানার জন্য স্থানীয় সময় এবং প্রমাণ সময় জানা প্রয়োজন। কোনো স্থানে আকাশে সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে যে সময় স্থির করা হয় তাকে স্থানীয় সময় বলে। আমরা জানি ১˚ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য ৪ মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়। সে কারণে বিভিন্ন দ্রাঘিমায় অবস্থিত স্থানের স্থানীয় সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন : ওভালের সাথে ফাহিমদের বাসার স্থানীয় সময়ের পার্থক্য ছয় ঘণ্টা হয়েছিল। বড় বড় দেশের বিভিন্ন শহরে নিজ নিজ স্থানীয় সময় ব্যবহার করে তবে রেল, বিমান, তারবার্তা প্রেরণের বিরাট অসুবিধা হয়। এই অসুবিধা দূরীকরণের জন্য বড় বড় দেশের মধ্যবর্তী কোন প্রধান শহরের স্থানীয় সময়কে দেশের সকল স্থানের ব্যবহারিক সময় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এই নির্দিষ্ট সময়কে প্রমাণ সময় বলে। যেমন : ৯০˚ পূর্ব দ্রাঘিমার স্থানীয় সময়কে বাংলাদেশের প্রমাণ সময় ধরা হয়েছে। এভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে একই সময়ে দিন ও রাত বা সময়ের পার্থক্যের ঘটনাকে ব্যাখ্যা করার জন্য স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময় সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যকীয়।
প্রশ্ন- ২১ প্রতিপাদস্থান
ক. ঢাকার প্রতিপাদ স্থান কোথায়? ১
খ. প্রতিপাদ স্থান বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘চ’ স্থানের অ বাংশ ৭০˚ উত্তর এবং দ্রাঘিমা ৪০˚ পূর্ব হলে ‘ছ’ স্থানের অ বাংশ ও দ্রাঘিমা নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘ক’ থেকে ‘খ’ স্থানের সময়ের পার্থক্য হবে ১২ ঘণ্টা- প্রমাণ কর। ৪
২১ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক ঢাকার প্রতিপাদ স্থান দক্ষণি আমেরিকার অন্তর্গত চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত।
খ ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে। প্রতিপাদ স্থান সম্পূর্ণভাবে একে অন্যের বিপরীত দিকে থাকে। প্রতিপাদ স্থান নির্ণয় করার জন্য ভূপৃষ্ঠের কোনো বিন্দু থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে একটি কল্পিত রেখা পৃথিবীর ঠিক বিপরীত দিকে টানা হয়। ঐ কল্পিত রেখা যে বিন্দুতে ভূপৃষ্ঠের বিপরীতে পাশে এসে পৌঁছায় সেই বিন্দুই পূর্ব বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান।
গ চিত্রে দেখা যাচ্ছে ‘ছ’ স্থান হচ্ছে ‘চ’ স্থানের প্রতিপাদ স্থান। কোনো স্থানের অ বাংশ জানা থাকলে তার প্রতিপাদ স্থানেরও অ বাংশ নির্ণয় করা যায়। কোনো স্থানের অ বাংশ যত ডিগ্রি, এর প্রতিপাদ স্থানের অ বাংশ তত ডিগ্রি হবে। স্থান দুটি একটি নিরক্ষরেখার উত্তরে ও অপরটি দক্ষিণে অবস্থিত হবে। দুটি স্থান দুই গোলার্ধে হবে। সুতরাং ‘চ’ অ বাংশ ৭০˚ উত্তর হলে তার প্রতিপাদ স্থানের অ বাংশ ৭০˚ দক্ষণি হবে। আবার কোনো স্থানের দ্রাঘিমা এবং এর প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা যোগ করলে ১৮০˚ হবে। সুতরাং, ১৮০˚ থেকে এক স্থানের দ্রাঘিমা বাদ দিলে এর প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা পাওয়া যায়। এক স্থানের দ্রাঘিমা পূর্ব হলে এর প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা পশ্চিমে হবে। সুতরাং, ৪০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত ‘চ’ স্থানের প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা তথা ‘ছ’ স্থানের দ্রাঘিমা হবে ১৮০-৪০˚ = ১৪০˚ পশ্চিম।
ঘ চিত্রে দেখা যাচ্ছে ‘ক’ এবং ‘খ’ পরষ্পরের প্রতিপাদ স্থান। এ দুটি স্থানের সময়ের পার্থক্য হবে ১২ ঘণ্টা। আমরা জানি, পৃথিবীতে প্রতিপাদ স্থান দুটি পরস্পর ভিন্ন গোলার্ধে অবস্থিত। সেই সাথে কোনো স্থানের দ্রাঘিমা পূর্ব হলে তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা পশ্চিমে হবে। কোনো স্থানের দ্রাঘিমা এবং এর প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা যোগ করলে তাই ১৮০˚ হবে। অর্থাৎ প্রতিপাদ স্থানদ্বয়ের দুরত্ব বা ব্যবধান হয় ১৮০˚ । ‘ক’ ও ‘খ’ পরস্পর প্রতিপাদ স্থান, সুতরাং ‘ক’ ও ‘খ’ স্থানের দ্রাঘিমান্তর ১৮০˚ ।
এখন,
১˚ দ্রাঘিমান্তরের সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট
সুতরাং ১৮০˚ দ্রাঘিমান্তরের সময়ের পার্থক্য হয় (১৮০৪) বা ৭২০ মিনিট বা, ১২ ঘণ্টা।
অর্থাৎ ‘ক’ থেকে ‘খ’ স্থানের সময়ের পার্থক্য হবে ১২ ঘণ্টা।
প্রশ্ন- ২২ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা
ক. তাপমাত্রার পার্থক্য অনুসারে সারা বছরকে কী কী ভাগে ভাগ করা হয়েছে? ১
খ. ১৮০˚ দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করলে সময়ের কিরূপ পরিবর্তন হয়? বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. চিত্রে প্রদর্শিত ‘ক’ রেখাটি কেন জলভাগের ওপর দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেউক্ত রেখাটির গুরুত্ব অপরিসীম’Ñ ব্যাখ্যা কর। ৪
২২ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক তাপমাত্রার পার্থক্য অনুসারে সারা বছরকে গ্রীষ্মকাল, শরৎকাল, শীতকাল ও বসন্তকালÑ এই চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
খ ১৮০˚ দ্রাঘিমারেখা পৃথিবীর পশ্চিম বা পূর্ব গোলার্ধের তারিখ বিভাজিকার কাজ করে। আমরা জানি ০˚ দ্রাঘিমার ঠিক উল্টো দিকে ১৮০˚ পূর্ব ও পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা যা একই স্থানে অবস্থান করছে। এখানে সময়ের পার্থক্য হয়ে যায় ২৪ ঘণ্টা এবং তারিখও হয়ে যায় দুই রকম। এই অসুবিধা দূর করার জন্য পৃথিবীর মানচিত্রে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে ১৮০˚ দ্রাঘিমা অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা প্রবর্তন করা হয়েছে। পশ্চিমগামী জাহাজ এ রেখা অতিক্রমকালে ঘড়ির সময় একদিন বাড়াতে হয় আর জাহাজ যদি পূর্বদিকে যায় তাহলে একদিন বিয়োগ করতে হয়।
গ চিত্রে প্রদর্শিত ‘ক’ রেখাটি হলো আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা। এ রেখাটি উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণে কোথাও কোথাও স্থলভাগের ওপর দিয়ে গেছে। স্থলভাগে এ রেখার দুই পাশে দুটি তারিখ থাকলে স্থানীয় লোকদের সময় গণনায় বিরাট গোলমাল হবে। কারণ একই স্থানের মধ্যেই সময় ও বার দুই রকম হবে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য এই রেখাটি অ্যালিউসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে এবং ফিজি ও চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জে ১১˚ পূর্ব দিয়ে বেঁকে এবং বেরিং প্রণালিতে ১২˚ পূর্বে বেঁকে শুধু পানির উপর অর্থাৎ প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে টানা হয়েছে। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার মূল উদ্দেশ্য ঠিক রাখার স্বার্থেই এরূপ কিছু জায়গায় আঁকাবাঁকা করা হয়েছে। এতে স্থলভাগের সকল অধিবাসীদের স্থানীয় সময় ও তারিখ সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হয়েছে।
ঘ ১˚ দ্রাঘিমান্তরে ৪ মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়। সুতরাং, ১৫˚ দ্রাঘিমান্তরে ৬০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা সময়ের ব্যবধান হয়। এভাবে গ্রিনিচের মূল দ্রাঘিমা থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকলে ১৮০˚ দ্রাঘিমায় ১২ ঘণ্টা সময় এগিয়ে যায় এবং পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলে ১৮০˚ দ্রাঘিমায় ১২ ঘণ্টা সময় পিছিয়ে যায়। সুতরাং গ্রিনিচের মূল দ্রাঘিমায় যখন সোমবার সকাল ১০টা, তখন ১৮০˚ পূর্ব দ্রাঘিমার স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১০টা। এভাবে আবার ঠিক পশ্চিম দিক দিয়ে দ্রাঘিমা গণনা করলে ১৮০˚ পশ্চিম দ্রাঘিমায় স্থানীয় সময় হবে তার পূর্বদিন অর্থাৎ রবিবার রাত ১০টা। কিন্তু ১৮০˚ পূর্ব ও ১৮০˚ পশ্চিম দ্রাঘিমা মূলত একই রেখা। সুতরাং দেখা যায়, একই দ্রাঘিমায় স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা। একই স্থানে কোথাও সোমবার আবার কোথাও রবিবার, কিন্তু একই দ্রাঘিমায় একই সাথে রবিবার রাত ১০টা ও সোমবার রাত ১০টা হতে পারে না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য পৃথিবীর সকল জাতি সম্মিলিতভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের জলভাগের ওপর ১৮০˚ দ্রাঘিমা রেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করেছে। এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা। এ রেখা অতিক্রম করলে দিন এবং তারিখের পরিবর্তন হয় বলে এ রেখাটিকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা না থাকলে পৃথিবীর কোনো স্থান থেকে পূর্বে বা পশ্চিমে দীর্ঘতম পথ ভ্রমণ করার সময় স্থানীয় সময়ের পার্থক্যের সঙ্গে সপ্তাহের দিন বা বার নিয়েও অসুবিধা দেখা দিত। কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ১৮০˚ দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করলে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো। আন্তর্জাতিক তারিখ ও সময় সংক্রান্ত বিভ্রান্তি নিরসনে এ রেখার গুরুত্ব তাই অপরিসীম।
প্রশ্ন- ২৩ দিনরাত্রি সংঘটন
ক. গোধূলি কাকে বলে? ১
খ. প্রভাত কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্রের ‘অ’ অংশে রাত এবং ‘ই’ অংশে দিন- একটি সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. চিত্রের ‘অ’ ও ‘ই’ অবস্থার জন্য দায়ী পৃথিবীর গতির সার্বিক প্রভাব বিশ্লেষণ কর। ৪
২৩ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক সন্ধ্যার কিছু পূর্বে যে সময় ড়্গীণ আলো থাকে সে সময়কে গোধূলি বলে।
খ প্রভাব মূলত প্রতিদিনের একটি বিশেষ সময়কে নির্দেশ করে।
পৃথিবীর আলোকিত ও অন্ধকার অংশের মধ্যবর্তী বৃত্তাকার অংশকে ছায়াবৃত্ত বলে। আবর্তনের ফলে পৃথিবীর যে অংশ অন্ধকার থেকে ছায়াবৃত্ত পার হয়ে সবেমাত্র আলোকিত অংশে পৌঁছায় সেখানে প্রভাত হয়। প্রভাতের কিছু পূর্বে যে সময় ড়্গীণ আলো থাকে তখন ঊষা বলে। আর ঊষা পেরিয়েই প্রভাত হয়।
গ চিত্রের ‘অ’ অংশে রাত এবং ‘ই’ অংশে দিন, পৃথিবীর দিবারাত্রি সংঘটনকে নির্দেশ করে। মোমবাতি ও ভূগোলকের সাহায্যে একটি সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে তা প্রমাণ ও বর্ণনা করা যায়।
চিত্র: মোমবাতি ও ভূগোলকের সাহায্যে দিবারাত্রি সংঘটন পরীক্ষা
একটি অন্ধকার ঘরে টেবিলের উপর জ্বলন্ত মোমবাতিকে সূর্য এবং ভুগোলককে পৃথিবী ধরে জ্বলন্ত মোমবাতির সামনে ভূগোলকটি ঘুরালে দেখা যাবে বাতির সম্মুখের অংশ আলোকিত এবং তার বিপরীত অংশ অন্ধকার থাকে। আলোকিত অংশে দিন এবং অন্ধকার অংশে রাত হয়। পৃথিবীতে আহ্নিক গতির ফলে ঠিক এভাবেই দিন ও রাত সংঘটিত হয়।
ঘ চিত্রের ‘অ’ ও ‘ই’ অবস্থা তথা দিনরাত্রি সংঘটনের জন্য দায়ী পৃথিবীর আিহ্নক গতি।পৃথিবীর উপর আহ্নিক গতির প্রভাব প্রত্যক্ষ ও ব্যাপক। আিহ্নক গতির ফলে দিন ও রাত হয়। পৃথিবীর নিজস্ব আলো নেই। সূর্যের আলোতে পৃথিবী আলোজিত হয়। পৃথিবী গোলাকার বলে সূর্যের আলো একই সময়ে ভূপৃষ্ঠের সকল অংশে পড়ে না। আবর্তনের সময় যে অংশে আলো পড়ে সে অংশে দিন এবং যে অংশে অন্ধকার থাকে সে অংশে রাত হয়, এভাবেই দিন-রাত হয়ে থাকে। আিহ্নক গতির ফলে সময় গণনা করা যায়। পূর্ণ আবর্তনকে ২৪ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টা, মিনিট ও সেকেন্ড বিভক্ত করে সময় গণনা করা যায়। আিহ্নক গতির ফলে চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণে পৃথিবীতে জোয়ার ও ভাটা হয়। আিহ্নক গতি সমুদ্রস্রোত ও বায়ুপ্রবাহের ওপর যথেষ্ট প্রভাব বি¯ত্মার করে।
প্রশ্ন- ২৪ ঋতু পরিবর্তন
ক. কোন রেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে? ১
খ. কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখা কী? ২
গ. চিত্রে প্রদর্শিত অ অবস্থানের কারণে পৃথিবীতে কী বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষতি হয়? তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পৃথিবীর পরিক্রমণকালে যখন ‘অ’ থেকে ‘ই’ অবস্থানে পৌঁছে তখন কীরূপ ভিন্নতা পরিলক্ষতি হয়Ñ ব্যাখ্যা কর। ৪
২৪ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক ১৮০˚ দ্রাঘিমারেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে।
খ কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখা পৃথিবীর দুইটি গুরুত্বপূর্ণ অক্ষরেখা। উত্তর গোলার্ধে ২৩.৫˚ উত্তর অক্ষরেখাকে কর্কটক্রান্তি রেখা এবং দক্ষণি গোলার্ধে ২৩.৫˚ দক্ষণি অক্ষরেখাকে মকরক্রান্তি রেখা বলে।
গ আমরা জানি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে নিজ কক্ষপথে ঘোরে। এই ঘোরার সময় সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে পৃথিবীতে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যেহেতু চিত্রে ‘অ’ অবস্থানটি ২৩ সেপ্টেম্বরের অবস্থানের পরে দেড় মাসের মধ্যে পড়ে তাই ২৩ সেপ্টেম্বরের অবস্থানের বৈশিষ্ট্যই অ অবস্থানে অর্থাৎ ৮ নভেম্বর তারিখে দেখা যাবে। পৃথিবীর অ অবস্থানটিতে সূর্য নিরক্ষরেখা বরাবর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং এসময় উত্তর গোলার্ধে সমান সূর্যরশ্মি পায়। তাই দুই গোলার্ধে দিন ও রাত সমান হয়। এসময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল এবং দক্ষণি গোলার্ধে বসন্তকাল।
ঘ পৃথিবীর পরিক্রমণকালে এক গোলার্ধ কখনো সূর্যের কাছে আসে অন্য গোলার্ধ দূরে থাকে। এভাবে পর্যায়ক্রমে গোলার্ধদ্বয় ঘুরতে থাকে। চিত্রে অ হলো ৮ নভেম্বরের অবস্থান এবং ৮ জানুয়ারি হলো ই এর অবস্থান। অ এবং ই এই দুই অবস্থানে ভিন্নতা পরিলক্ষতি হয়। অ তে যখন সূর্য লম্বভাবে পতিত হয় তখন সেখানে উত্তর গোলার্ধে এবং দক্ষণি গোলার্ধে তাপমাত্রা সমান থাকে। দিনের দৈর্ঘ্য এবং রাতের দৈর্ঘ্যও সমান থাকে। কিন্তু ৮ জানুয়ারি ই অবস্থানটি ২২ ডিসেম্বরের দেড়মাসের মধ্যে। ফলে সেখানে উত্তর গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে এবং দক্ষণি গোলার্ধ সূর্যের কাছে থাকে এবং মকরক্রান্তিতে সূর্যের কিরণ লম্বভাবে পড়ে। ফলে উত্তর গোলার্ধে শীতকাল দক্ষণি গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং উত্তর গোলার্ধে সূর্য থেকে দূরে থাকার কারণে দিনের দৈর্ঘ্য কম হয় এবং রাতের দৈর্ঘ্য বড় হয়। আবার দক্ষণি গোলার্ধ সূর্য থেকে কাছে থাকে বলে এখানে তখন গ্রীষ্মকাল এবং সূর্য তাপের আধিক্যের জন্য দিনের দৈর্ঘ্য বেশি রাতের দৈর্ঘ্য কম হয়। অর্থাৎ অ অবস্থানে উত্তর গোলার্ধে যখন শরৎকাল এবং দক্ষণি গোলার্ধে বসন্তকাল তখন ই অবস্থানে উত্তর গোলার্ধে যখন শীতকাল তখন দক্ষণি গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ দুই অবস্থানের মধ্যে যথেষ্ট ভিন্নতা রয়েছে।
প্রশ্ন- ২৫ জোয়ার-ভাটার কারণ ও প্রভাব
সুমন কক্সবাজারে বেড়াতে এসে লক্ষ করল গতকাল রাতে সৈকতে যেখানে পানি পৌঁছেছিল, আজ সকালে তা থেকে অনেক নিচে অবস্থান করছে। কিন্তু বিকালে সমুদ্রের পানি ধীরে ধীরে ফুলে উঠে সৈকতের অনেক ভেতরে চলে আসতে দেখে তার কৌতূহল বেড়ে গেল।
ক. মহাকর্ষ কী? ১
খ. জোয়ার-ভাটা বলতে কী বোঝ? ২
গ. সুমনের দেখা সৈকতে পানির এরূপ অবস্থার পেছনে চাঁদ ও সূর্যের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত বিষয়টি মানবজীবনের ওপর
কীরূপ প্রভাব ফেলতে পারে তার বিবরণ দাও। ৪
২৫ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে মহাকর্ষ বলে।
খ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার জলরাশি প্রতিদিনই কোনো একটি সময়ে ফুলে ওঠে এবং কিছুক্ষণ পর আবার তা ধীরে ধীরে নেমে যায়। পানিরাশির এরকম নিয়মিত স্ফীত বা ফুলে ওঠাকে জোয়ার ও নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।
গ সুমনের দেখা সমুদ্রের পানিরাশির এরূপ অবস্থাকে তথা ফুলে ওঠা ও নেমে যাওয়াকে জোয়ার-ভাটা বলা হয়। প্রধানত দুটি কারণে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। যথা : ১. চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব এবং ২. পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন কেন্দ্রাতিগ বল। নিচে চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তি কীভাবে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি করে তার ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো : মহাকর্ষ সূত্র অনুযায়ী মহাকাশে বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র প্রভৃতি জ্যোতিষ্ক পরস্পরকে আকর্ষণ করে। হিসাব করে দেখা গেছে পৃথিবীর উপর চাঁদের আকর্ষণ বল সূর্য থেকে প্রায় দ্বিগুণ। সূর্যের ভর চাঁদ থেকে বেশি হলেও দূরত্বের কারণে চাঁদের আকর্ষণ বল বেশি হয়। তাই চাঁদের আকর্ষণে পৃথিবীর জলরাশি ফুলে উঠে ও জোয়ারের সৃষ্টি হয়। সূর্যের আকর্ষণে এ জোয়ার তত জোরালো হয় না। অর্থাৎ পানিরাশি ততটা ফুলে ওঠে না। এভাবে চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থিত হলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়।
ঘ উদ্দীপকে উলিস্নখিত বিষয়টি হলো জোয়ার-ভাটা। মানবজীবনে এই জোয়ার ভাটার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে যা বিশ্বের সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশসমূহে বেশি পরিলক্ষতি হয়। যেমন :
১. জোয়ার-ভাটা ভূপৃষ্ঠে ময়লা-আবর্জনাকে সরিয়ে নেয়।
২. নদীর মোহনায় পলি, বালিকে সরিয়ে পরিষ্কার রাখে।
৩. জোয়ার-ভাটার প্রভাবে নদী খাত গভীর হয়।
৪. নদীতে ভাটার স্রোতে বিপরীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
৫. জোয়ারের পানি সেচকার্যে ব্যবহৃত হয়।
৬. শীতের সময় লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে পানি সহজে বরফ বা জমে না।
৭. জোয়ার-ভাটা ব্যবসা-বাণিজ্যে সাহায্য করে। জোয়ারের সময় জাহাজ মালামাল নিয়ে নদীপথে ভেতরে যেতে পারে। আবার ভাটার টানে অনায়াসে সমুদ্রে নেমে আসতে পারে।
৮. প্রবল জোয়ারের সময় বান ডাকার ফলে অনেক সময় জানমালের ক্ষতি হয়।
এভাবে জোয়ার-ভাটা মানবজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ২৬ বার্ষিক গতি ও ঋতু পরিবর্তন
ক. উপরের চিত্রটি কিসের? ১
খ. ২২ ডিসেম্বর দক্ষণি গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন কেন? ২
গ. প্রদত্ত চিত্রের ২৩ সেপ্টেম্বর ও ২১ মার্চ এ অবস্থান থেকে বার্ষিক গতির প্রমাণ দাও। ৩
ঘ. চিত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন অবস্থান হেতু যে পরিবর্তন নির্দেশিত হয় তার কারণ আলোচনা কর। ৪
২৬ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক উপরের চিত্রটি দিনরাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ও ঋতু পরিবর্তন সংঘটন সংক্রান্তি পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির।
খ সূর্যের চারদিকে ভ্রমণকালে ২২ ডিসেম্বর পৃথিবী কক্ষপথের এমন এক অবস্থানে এসে পৌঁছে যখন দক্ষণি মেরু সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে পড়ে। এদিন দুপুরে সূর্য মকরক্রান্তির ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে দক্ষণি গোলার্ধে ২২ ডিসেম্বর তারিখে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত্রি সবচেয়ে ছোট হয়। অন্যদিকে উত্তর গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা বিরাজ করে।
গ ২৩ সেপ্টেম্বর ও ২১ মার্চ চিত্রে প্রদর্শিত এ দুই অবস্থান থেকে বার্ষিক গতির প্রমাণ পাওয়া যায় ২৩ সেপ্টেম্বর : ২১ জুনের পর উত্তর গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে সরতে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি আসতে থাকে। ফলে উত্তর গোলার্ধে ক্রমেই দিন ছোট ও রাত বড় এবং দক্ষণি গোলার্ধে দিন বড় ও রাত ছোট হতে থাকে। এভাবে ২৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবী তার কক্ষপথে এমন এক স্থানে আসে, যখন উভয় মেরু সূর্য হতে সমান দূরে অবস্থান করে। ঐ দিন পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত সমান হয়। এ কারণে ২৩ সেপ্টেম্বরকে শারদ বিষুব বলা হয়।
২১ মার্চ : ২২ ডিসেম্বরের পর থেকে পৃথিবী কক্ষপথে যতই অগ্রসর হয় উত্তর গোলার্ধ ততই সূর্যের কাছাকাছি আসতে থাকে এবং দক্ষণি গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে সরতে থাকে। ফলে উত্তর গোলার্ধে ধীরে ধীরে দিন বড় ও রাত ছোট এবং দক্ষণি গোলার্ধে দিন ছোট ও রাত বড় হয়। অবশেষে ২১ মার্চ তারিখে পৃথিবী কক্ষপথের এমন একস্থানে আসে যখন সূর্য উত্তর ও দক্ষণি মেরু থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে। এই সময় ২৩ সেপ্টেম্বরের মতো পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রি সমান হয়। এই দিনকে বাসন্তবিষুব বলে। ২১ মার্চের পর পৃথিবী নিজ কক্ষপথে অগ্রসর হতে থাকলে উত্তর গোলার্ধের দিনরাত্রির চেয়ে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং পৃথিবী পুনরায় ২১ জুনের অবস্থায় ফিরে আসে।
এভাবে বার্ষিক গতির ফলে দিন ও রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি হয়। অর্থাৎ চিত্রের অবস্থান দুটি বার্ষিক গতি প্রমাণ করে।
ঘ চিত্রে বছরের বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের মাধ্যমে ঋতু পরিবর্তন দেখানো হয়েছে। ঋতু পরিবর্তন সংঘটনের কারণসমূহ হলো :
১. পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সূর্য পৃথিবীর যে গোলার্ধের নিকট অবস্থান করে তখন সেই গোলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছোট। তার বিপরীত গোলার্ধে রাত বড়, দিন ছোট। ফলে তাপের তারতম্যে ঋতুর পরিবর্তন ঘটে।
২. পৃথিবী গোল, তাই পৃথিবীর কোথাও সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে আবার কোথাও তির্যকভাবে পড়ে। ফলে তাপমাত্রার পার্থক্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তিত হয়।
৩. পৃথিবীর আবর্তন পথ উপবৃত্তাকার। তাই বছরের বিভিন্ন সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব কমবেশি হয়। এতে তাপমাত্রার পার্থক্য হয়, তাই ঋতু পরিবর্তিত হয়।
৪. সূর্যকে পরিক্রমণের সময় নিজ কক্ষতলের সঙ্গে পৃথিবীর মেরুরেখা সমকোণে না থেকে ৬৬.৫˚ কোণে হেলে একই দিকে অবস্থান করে। এতে বছরে একবার পৃথিবীর উত্তর মেরু ও দক্ষণি মেরু সূর্যের নিকটবর্তী হয়। যে গোলার্ধ যখন সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে সে গোলার্ধে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়। তার তাপমাত্রা তখন বেশি হয় এবং দূরে গেলে তাপমাত্রা কম হয়। ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।
৫. পৃথিবীর বার্ষিক গতির জন্য সূর্যকিরণ বিভিন্ন স্থানে কম বেশি পড়ার কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রার পার্থক্য ঘটছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে জলবায়ুর বিভিন্নতা হয়। এতে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ২৭ পৃথিবীর গতি
ক. পৃথিবী কোন দিক থেকে কোন দিকে আবর্তিত হচ্ছে? ১
খ. গ্রহাণুপুঞ্জ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে চিত্রে যে ঘটনা সংঘটন দেখানো হয়েছে, তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত ঘটনা মানবজীবনের জন্য কতটুকু তাৎপর্যপূর্ণ? মূল্যায়ন কর। ৪
২৭ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক পৃথিবী পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে আবর্তিত হচ্ছে।
খ মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রহ একত্রে পুঞ্জীভূত হয়ে পরিক্রমণ করছে। এ পরিসরের মধ্যে আর কোনো গ্রহ নেই। ৮০৫ কি.মি. থেকে ১.৬ কি. মি.-এর কম ব্যাসসম্পন্ন এসব জ্যোতিষ্ককে গ্রহাণু বলে। একত্রিতভাবে এসব গ্রহাণুকে গ্রহাণুপুঞ্জ বলে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ আহ্নিক গতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ আহ্নিক গতির ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ২৮ সৌরজগৎ
ক. পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কত? ১
খ. গুরুমণ্ডলের গঠন ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্রে গ ও ঘ এর সম্পর্ক দেখাও। ৩
ঘ. চিত্রের ঘ এর পরিচিতি ও গ্রহে জীবের অস্তিত্ব নেই। কথাটি ব্যাখ্যা কর। ৪
২৮ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬৪৩৪ কি মি।
খ ভূত্বকের নিচের স্তরই গুরুমণ্ডল। ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের মাঝে একটি অত্যন্ত পাতলা স্তর আছে। গুরুমণ্ডলীয় স্তরটি প্রায় ২.৮৮৫ কিলোমিটার পুরু। গুরুমণ্ডলের ঊর্ধ্বাংশের শিলা কঠিন ও ভঙ্গুর যা প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গভীর। ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের উর্ধ্বাংশ ১০০ কিমি এ স্তরকে একত্রে শিলামণ্ডল বা অশ্বমণ্ডল বলে। গুরুমণ্ডলটি খুবই উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে। অনেকের মতে প্রচণ্ড চাপে এর উপাদানগুলো কর্দমাক্ত অবস্থায় রয়েছে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ সৌরজগত সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ বৃহস্পতি গ্রহ সম্পর্কে বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ২৯ স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়
বিবিসির খবর শোনার জন্য উদগ্রীব ছিল স্বপ্নিল ও রুমানা। বিবিসির খবরের শুরুতেই সংবাদ পাঠক বললেন, এখন বাংলাদেশে সকাল সাড়ে ছয়টা, ভারতে সকাল ছয়টা এবং লন্ডন স্টুডিওতে রাত ১২টা। একটি নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীর তিন স্থানে তিন রকমের সময় কেন- তা স্বপ্নিলের বোধগম্য হচ্ছিল না।
ক. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কোন মহাসাগরের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে? ১
খ. দিন-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. স্বপ্নীলের বোধগম্য না হওয়া বিষয়টি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের উলিস্নখিত দেশ তিনটিতে সময় ভিন্ন হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৪
২৯ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে।
খ পৃথিবী নিজ অড়্গে অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে একটি নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে, নির্দিষ্ট দিকে এবং নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে। পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে পৃথিবীর এ পরিক্রমণকে বার্ষিক গতি বলে। আর বার্ষিক গতির কারণেই পৃথিবীতে দিন-রাত্রির হ্রসা-বৃদ্ধি ঘটে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের সময় নির্ণয় পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ স্থানীয় সময় ও গ্রিনিচ সময় সম্পর্কে বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৩০ স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়
ঈ ই
ভোর ৬ টা ৩০ মি. সকাল ৮টা
ক. সৌরজগৎ কাকে বলে? ১
খ. প্রমাণ সময় বলতে কী বোঝ? ২
গ. ই স্থানের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর যখন তা ঈ থেকে ৮০˚ পূর্বে। ৩
ঘ. ঈ স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় কর যখন ই তে সময় ভোর ৫টা। ৪
৩০ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ ধুমকেতু, উল্কা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলা হয় সৌরজগৎ।
খ দ্রাঘিমারেখার ওপর মধ্যাহ্নের সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনায় বিভ্রাট। সেজন্য প্রত্যেক দেশের একটি প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়। প্রত্যেকটি দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে। অনেক বড় দেশ হলে কয়েকটি প্রমাণ সময় থাকে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ মূল মধ্যরেখা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ স্থানীয় সময়ের পার্থক্য বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৩১ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা
তমার বাবা ইউরোপীয় দেশ ইতালিতে কর্মরত। ২১ জুলাই রাত ১০টার সময় তমা তার বাবার কাছে ফোন করে। সেই তারিখে তমার বাবার ঘড়িতে তখন বিকেল ৫টা বাজে।
ক. সৌরজগতের কয়টি গ্রহ আছে? ১
খ. সমাক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার ৩টি পার্থক্য লিখ। ২
গ. স্থান দুটির সময়ের পার্থক্য অনুযায়ী ইতালির দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি? (ঢাকার দ্রাঘিমা ৯০˚ পূর্ব) ৩
ঘ. দেশ দুটিতে একই ঋতু বিরাজ করবেÑ বক্তব্যটির সাথে তুমি কি একমত তোমার উত্তরের পড়্গে যুক্তি দেখাও। ৪
৩১ নং প্রশ্ন ও উত্তর
ক সৌরজগতের গ্রহ ৮টি।
খ সমাক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্য:
র. নিরক্ষরেখার সমান্তরাল রেখাকে বলা হয় সমাক্ষরেখা। পক্ষান্তরে, নিরক্ষরেখার ওপর লম্বালম্বিভাবে কল্পিত রেখাকে বলা হয় দ্রাঘিমারেখা।
রর. সমাক্ষরেখাগুলো পূর্ণবৃত্ত। পক্ষান্তরে, দ্রাঘিমারেখাগুলো অর্ধবৃত্ত।
ররর. সমাক্ষরেখাগুলো পরস্পর সমান্তরাল। পক্ষান্তরে, দ্রাঘিমারেখাগুলো সমান্তরাল নয়।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ দ্রাঘিমারেখা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ ঋতু পরিবর্তন সম্পর্কে বিশ্লেষণ কর।
– জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কোনটি একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র?
উত্তর : সূর্য একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা কত লক্ষ গুণ বড়?
উত্তর : সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা ১৩ লক্ষ গুণ বড়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ সূর্য কত দিনে নিজ অক্ষরে উপর একবার আবর্তন করে?
উত্তর : সূর্য ২৫ দিনে নিজ অক্ষরে উপর একবার আবর্তন করে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কোনটি সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ?
উত্তর : বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে বুধের কত দিন সময় লাগে?
ত্তর : সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে বুধের ৮৮ দিন সময় লাগে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ পৃথিবীর আয়তন কত বর্গকিলোমিটার?
উত্তর : পৃথিবীর আয়তন ৫১০,১০০,৪২২ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব কত?
উত্তর : সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ইউরেনাসের কয়টি উপগ্রহ আছে?
উত্তর : ইউরেনাসের ৫টি উপগ্রহ আছে ।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ শনি গ্রহ পৃথিবী থেকে কত গুণ বড়?
উত্তর : শনি গ্রহ পৃথিবী থেকে নয় গুণ বড়।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ মঙ্গল গ্রহের কয়টি উপগ্রহ আছে?
উত্তর : মঙ্গল গ্রহের ২টি উপগ্রহ আছে ।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ কোনটি?
উত্তর : পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চন্দ্র।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ নেপচুনের উপগ্রহ কয়টি?
উত্তর : নেপচুনের উপগ্রহ দুইটি।
– অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ গ্রহ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতকগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে; এদের গ্রহ বলা হয়। যথা : বুধ (গঁৎপঁৎু), শুক্র (ঠবহঁং), পৃথিবী (ঊধৎঃয), মঙ্গল (গধৎং), বৃহস্পতি (ঔঁঢ়রঃবৎ), শনি (ঝধঃঁৎহ), ইউরেনাস (টৎধহঁং), নেপচুন (ঘবঢ়ঃঁহব)। গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রহ হচ্ছে বৃহস্পতি এবং সবচেয়ে ছোট গ্রহ বুধ।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বৃহস্পতি গ্রহ সম্পর্কে বর্ণনা কর।
উত্তর : সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি। সূর্য থেকে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান পঞ্চম স্থানে। এর আয়তন পৃথিবীর প্রায় ১,৩০০ গুণ। এর ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। এটি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতি ১২ বছরে একবার সূর্যকে এবং ৯ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটে নিজ অড়্গে একবার আবর্তন করে। এই গ্রহটিতে পৃথিবীর একদিনে দু’বার সূর্য ওঠে ও দু’বার অস্ত যায়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ইউরেনাস গ্রহ সম্পর্কে কী জান লেখ।
উত্তর : ইউরেনাস তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ২৮৭ কোটি কিলোমিটার। ৮৪ বছরে এটি সূর্যকে একবার প্রদক্ষণি করে। এর গড় ব্যাস প্রায় ৪৯,০০০ কিলোমিটার। এর আয়তন পৃথিবীর প্রায় ৬৪ গুণ, ওজন পৃথিবীর মাত্র ১৫ গুণ। গ্রহটির আবহমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অধিক। এর ৫টি উপগ্রহ রয়েছে। ইউরেনাসেরও শনির মতো বলয় আবিষ্কৃত হয়েছে। মিরিন্ডা, এরিয়েল, ওবেরন, আম্ব্রিয়েল, টাইটানিয়া প্রভৃতি ইউরেনাসের উপগ্রহ।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ভূত্বক বলতে কী বোঝ?
উত্তর : পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার সময় বাষ্পীয় অবস্থায় ছিল। কোটি কোটি বছরের ঘূর্ণনের মধ্য দিয়ে তাপ বিকিরণ করতে করতে পৃথিবী শীতল ও ঘনীভূত হয়েছে। এভাবে পৃথিবীর উপরিভাগে কঠিন আবরণের সৃষ্টি হয়। এ কঠিন আবরণই ভূত্বক। পৃথিবীর উপরিভাগ কঠিন হলেও অভ্যন্তরভাগ উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় রয়েছে। উত্তপ্ত পদার্থ শীতল হলে সংকুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত সংকুচিত হওয়ার ফলে উপরের পাতলা আবরণের উপরিভাগ কুচকে উঁচু-নিচু বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়েছে। ভূপৃষ্ঠের অবনমিত অংশে সাগর ও মহাসাগরের সৃষ্টি হয়েছে। আর ভূপৃষ্ঠের এ বহিরাবরণই ভূত্বক।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ জোয়ার-ভাটার ব্যবধান ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পৃথিবী যেমন নিজ মেরুদণ্ডের উপর পশ্চিম হতে পূর্বদিকে আবর্তন করছে চন্দ্রও তেমনি পশ্চিম হতে পূর্বদিকে পৃথিবীর চারদিকে পরিক্রমণ করে। চন্দ্র নিজ কক্ষপথে ২৭ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষণি করে। ফলে পৃথিবীর একবার আবর্তনকালে অর্থাৎ প্রায় ২৪ ঘণ্টায় চন্দ্র (৩৬০ ২৭) বা ১৩˚ পথ অতিক্রম করে। পৃথিবী ও চন্দ্র উভয়ই যেহেতু পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঘুরছে তাই পৃথিবী উক্ত ১৩˚ পথ আরও (১৩ ৪) = ৫২ মিনিটে অগ্রসর হয়। তাই কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট একটি সময়ে মুখ্য জোয়ার হওয়ার ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরে সেখানে গৌণ জোয়ার হয় এবং মুখ্য জোয়ারের ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পর সেখানে আবার মুখ্য জোয়ার হয়। তাই প্রত্যেক স্থানে জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা হয়ে থাকে।