৯ম-১০ম শ্রেণী বাংলা ১ম পত্র পদ্যঃ ঝর্ণার গান
ঝর্ণার গান
লেখক পরিচিতি
নাম সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থান : কলকাতার কাছাকাছি নিমতা গ্রাম ।
শিক্ষা জীবন বি.এ. শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
সাহিত্য সাধনা ছাত্রজীবন থেকেই কাব্য চর্চা করতেন। দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভাষা, ধর্ম ইত্যাদি বিচিত্র বিষয়ের প্রতি অনুরাগী ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য রচনা মৌলিক কাব্য : সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা, হোমশিখা, কুহু ও কেকা, অভ্র-আবীর, বেলা শেষের গান, বিদায় আরতী ইত্যাদি।
অনুবাদ কাব্য : তীর্থরেণু, তীর্থ-সলিল ও ফুলের ফসল।
বিবিধ উপনিষদ, কবির, নানক প্রমুখের রচনা এবং আরবি, ফার্সি, চীনা, জাপানি, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার অনেক উৎকৃষ্ট কবিতা ও গদ্য রচনা তিনি বাংলায় অনুবাদ করেন।
বিশেষ পরিচিত ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক ও উনিশ শতকের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ছিলেন তাঁর পিতামহ অক্ষয়কুমার দত্ত ।
বিশেষত্ব বাংলা ভাষায় ছন্দ নির্মাণে তিনি অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন।‘ছন্দের রাম’ তাঁর উপাধি।
মৃত্যু ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১. নিসর্গকে হাতের মুঠোয় পুরে দেয়ার তাগিদ থেকে শিল্পী গড়ে তোলেন এক রমণীয় উদ্যান। বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্পিতভাবে তিনি গড়ে তোলেন। পুকুর, দীঘি, হাঁস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্য-পিপাসু মানুষ মাত্রকেই আকৃষ্ট করে। অনিন্দ্য সুন্দর এই প্রকৃতিকে শিল্পী তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন শুধুই নিজের খেয়ালে। ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো গোষ্ঠীকে আনন্দ দান নয়, সৌন্দর্যই মুখ্য। বৈরী প্রকৃতি, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তিনি সম্মুখে ছুটে চলেছেন। সৃষ্টির আনন্দই তাঁকে এগিয়ে নিয়েছে এতটা পথ।
ক. ঝর্ণা কেমন পায়ে ছুটে চলে?
খ. শিথিল সব শিলার পর বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।
১ নং প্র. উ.
ক. ঝর্ণা চপল পায়ে ছুটে চলে।
খ. শিথিল সব শিলার পর বলতে কবি স্তব্ধ পাথরের বুকে ঝর্ণার আনন্দমুখর ছুটে চলাকে বুঝিয়েছেন।
কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঝর্ণার গতিময়তা গভীর ব্যঞ্জনায় তুলে ধরেছেন। প্রকৃতির নীরবতা ভেঙে ঝর্ণা ছুটে চলে আপন ছন্দে। ভয়ংকর পাহাড়, পাখির ডাকহীন নির্জন দুপুর-সবকিছু উপেক্ষা করে ঝর্ণা শিথিল শিলা বেয়ে নিচে নেমে আসে। চলার পথে স্তব্ধ পাথরের বুকে আনন্দের চিহ্ন রেখে যায়।
গ. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বর্ণিত রূপ-সৌন্দর্যের দিকটির সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তুলে ঝর্ণার সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরেছেন । চপল পায়ে আনন্দময় পদধ্বনিতে পর্বত থেকে নেমে আসা সাদা জলরাশি ছুটে চলে। পতিত এই জলরাশি পাথরের বুকে আঘাত হেনে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ দৃশ্য চিত্তকে আকর্ষণ করে। নির্জন দুপুরে ধাবমান ঝর্ণা প্রকৃতিতে যে অনিন্দ্যসুন্দর রূপ সৃষ্টি করে তা বর্ণনাতীত।
উদ্দীপকে শিল্পীর হাতে গড়া এক উদ্যানের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। শিল্পী উদ্যানটিকে তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন নিজের মতো করে। এ সৌন্দর্য সকলের জন্য উন্মুক্ত অবারিত। উদ্যানের এ সৌন্দর্য ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝর্ণার সৌন্দর্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ঝর্ণার মতোই উদ্দীপকের উদ্যানের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে।
ঘ. প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনা ও সৌন্দর্য ভাবনা তুলে ধরার দিক দিয়ে উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে শতভাগ ধারণ করে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার ঝর্ণার রূপ বর্ণনার পাশাপাশি কবি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সৌন্দর্য চেতনার স্বরূপ অঙ্কন করেছেন। নিস্তব্ধ প্রকৃতি যেখানে পাখির কূজন নেই, নির্জন পাহাড় যেন ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়, বনবনানি ঘুমায়, পথ ঝিমায়। এমনই স্নিগ্ধ পরিবেশে ঝর্ণা ছুটে চলে আপন গতিতে। নিচে ধাবমান স্বচ্ছ জলরাশি পাথরের ওপর আছড়ে পড়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করে। সৌন্দর্যপিপাসুদের হৃদয়ে ঝর্ণার এই সৌন্দর্য বিশেষ আলোড়ন তোলে।
উদ্দীপকে বর্ণিত প্রকৃতিপ্রেমী শিল্পী তার উদ্যানকে সাজিয়েছেন তিলোত্তমা করে। যার পুকুর, দিঘি, হাঁস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্যপিপাসু মানুষকে তীব্রভাবে আকৃষ্ট করে। শিল্পী সকল বৈরিতা উপেক্ষা করে কেবল সৌন্দর্যকে তুলে ধরার কাজে মনোনিবেশ করেছেন। যে কারণে একটি বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্পিতভাবে তার পক্ষে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।
উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় উল্লেখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অনেকখানি ধারণ করেছে। উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পীর সৃজনশীলতা বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে দান করেছে অনুপম সৌন্দর্য। ঝর্ণাও তার ছুটে চলার পথটিকে সাজিয়ে যায় আপন খেয়ালে। উদ্দীপকের শিল্পীর উদ্দেশ্য কেবলই নিছক সৌন্দর্য সৃষ্টি। ঝর্ণাও তার অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে একই কথা বলেছে। ঝর্ণার বিরামহীন ছুটে চলা তাদের খোঁজেই, যারা তার রূপ দেখে মুগ্ধ হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্য ধারণে সম্পূর্ণরূপে সফল।
২. সমুদ্র বরাবরই খুব টানে দিহানকে। সৈকতের দিকে বিরামহীন ছুটে আসা স্রোতগুলো তার মনে বিস্ময় জাগায়। সমুদ্রকে ভালোবেসেই বেছে নিয়েছে নাবিক জীবন। জাহাজে চড়ে সমুদ্রের বুকে ভেসেছে বহুদিন। দেখেছে সাদা বালির সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়া পাথুরে পাহাড়ের সাথে স্রোতের সংঘর্ষের সৌন্দর্য। অবসর সময়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সমুদ্রের দিকে চেয়ে থেকে কাটিয়ে দেয় দিহান।
ক. ঝর্ণা কেবল কার গান গায়? ১
খ. ‘চপল পায় কেবল ধাই।’Ñ চরণটি বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. ‘ঝর্ণা’ কবিতায় বর্ণিত ঝর্ণার সাথে উদ্দীপকে উল্লিখিত সমুদ্রের সাদৃশ্য তুলে ধরো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের দিহানের মতো মানুষেরাই ঝর্ণার পরম আকাক্সিক্ষত’Ñ ঝর্ণা কবিতার আলোকে কথাটি বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. ঝর্ণা কেবল পরীর গান গায়।
খ. চরণটির মাধ্যমে ঝর্ণার উচ্ছল ও বিরামহীন ছুটে চলাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
পাহাড় থেকে সৃষ্ট ঝর্ণা পাহাড়ের গা বেয়ে উদ্দাম গতিতে ছুটে চলে। তার চঞ্চল, আনন্দমুখর চলার মাঝে বাধা হতে পারে না কিছুই। দিনরাত সে নৃত্যরত রমণীর মতো কেবলই ছুটে চলে।
গ. উদ্দীপকে বিরামহীন ছুটে আসা সমুদ্রের স্রোত আর সাদা বালির সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়ায় সাথে ঝর্ণার গান কবিতার ঝর্ণার সাদৃশ্য রয়েছে।
‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণা এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। ঝর্ণা যখন পাহাড়ের গা ঘেঁষে নিচে পতিত হয় তখন দ্রুত ধাবমান জলরাশি দেখতে খুবই চমৎকার মনে হয়। এই ধেয়ে চলা জলরাশি নিচে পতিত হয় এবং পাথরের ওপর আছড়ে পড়ে। নীরব-নিস্তব্ধ পরিবেশে ঝর্ণার এই গতিময় ছুটে চলা এক নৈসর্গিক পরিবেশের সৃষ্টি করে।
উদ্দীপকে সমুদ্রের সৌন্দর্যের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। সমুদ্রের বিরামহীন ঢেউ সকলের মনেই বিস্ময়ের অনুভূতি সৃষ্টি করে। নাবিক হিসেবে দিহান দেখেছে সাদা পলির সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়া। পাহাড়ের সাথে স্রোতে সংঘর্ষ এক অপরূপ দৃশ্যের অবতারণা করে। সমুদ্রের স্রোতের বিরামহীন ছুটে চলা আর তীরে ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার সাথে ঝর্ণার যথেষ্ট সাদৃশ্য বহন করে। কারণ উভয় ক্ষেত্রেই গতিময়তা, প্রবহমানতা ও সৌন্দর্য সৃষ্টি লক্ষণীয়।
ঘ. সুন্দরের তৃষ্ণা আছে বলেই উদ্দীপকের দিহানের মতো মানুষেরাই ঝর্ণার পরম আকাক্সিক্ষত।
‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সৌন্দর্যপিয়াসী মানুষের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কবিতায় বলা হয়েছে, যার কণ্ঠে প্রবল তৃষ্ণা সে শুধু ঝর্ণার স্বচ্ছ জল নিতে চায়। কেবল তৃষ্ণা মেটাতেই সে ব্যস্ত। ঝর্ণার সৌন্দর্য তাদের চোখে পড়ে না। কারণ সৌন্দর্য উপলব্ধি করার সেই মানসিকতা তার মাঝে থাকে না। তাই কবি ক্ষোভের সাথে বলেছেন, যারা শুধু জল চায় তারা যেন পাতকুয়ায় চলে যায়। আর তার জলে যেন নিজের তৃষ্ণা মেটায়। যাদের সুন্দরের তৃষ্ণা আছে ঝর্ণা কেবল তাদের তৃষ্ণা মেটাতে এগিয়ে যাবে।
উদ্দীপকের দিহানকে সমুদ্র খুব কাছে টানে। সৈকতের দিকে বিরামহীন ছুটে আসা স্রোত তার মনে বিস্ময় জাগিয়ে তোলে। সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়া, পাথুরে পহাড়ের সাথে স্রোতের সংযত সৌন্দর্যের এক অপার লীলা তৈরি করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সমুদ্রের বিশালতার মাহাত্ম্য বোঝার মতো প্রশস্ত মন দিহানের আছে বলেই সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেয়।
ঝর্ণার সৌন্দর্য তুলনাহীন। এই সৌন্দর্য বোঝার ক্ষমতা যাদের নেই তাদের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য কবি পরামর্শ দিয়েছেন পাতকুয়ার জল সংগ্রহ করতে। ঝর্ণা কেবল তাদের জন্য ছুটে চলে যাদের সুন্দরের তৃষ্ণা রয়েছে। আলোচ্য উদ্দীপকের দিহানের সেই সৌন্দর্য চেতনা রয়েছে। তার পক্ষে কেবল প্রকৃতির হৃদয় দিয়ে উপভোগ করা সম্ভব। তাই উদ্দীপকের দিহানের মতো মানুষেরাই ঝর্ণার পরম আকাক্সিক্ষত।
৩. করতোয়া নদীর মনে খুব দুঃখ। একসময় তার আকার ছিল বিশাল। ঢেউ ছিল ক্ষুরধার। তার রূপ দেখে মুগ্ধ হতো সকলে। কিন্তু দখলদার মানুষেরা তার দুই তীর ভরাট করে নানান স্থাপনা গড়ায় ব্যস্ত। স্রোত হারিয়ে সে এখন পরিণত হয়েছে সরু খালে। কচুরিপানা বাসা বেঁধেছে তার বুকজুড়ে। তার আশঙ্কা হয়তো খুব দ্রুতই তার চিহ্ন সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
ক. ঝর্ণা কোন পাখির বোল সাধে? ১
খ. ‘ভয় দ্যাখায়, চোখ পাকায়’Ñ চরণটি ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বর্ণিত ঝর্ণার মনোভাবের সাথে উদ্দীপকের করতোয়া নদীর মনোভাবের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিশেষ শ্রেণির মানুষের প্রতি ‘ঝর্ণা’ কবিতায় কটাক্ষ করা হয়েছেÑ উক্তিটি বিশ্লেষণ করো। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. ঝর্ণা বুলবুলি পাখির বোল সাধে।
খ. ঝর্ণার চলার পাহাড়ি পথ যেন ঝর্ণার সামনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায়Ñ আলোচ্য চরণের বক্তব্যে এটিই প্রকাশ পেয়েছে।
ঝর্ণা যেন মুক্ত প্রাণের প্রতীক। পাহাড়ের বুক চিরে চঞ্চল পায়ে ছুটে আসে। পথে পাহাড় এঁকে বেঁকে বাধা সৃষ্টি করে। কবির ভাষায় পাহাড় যেন এভাবে ঝর্ণাকে ভয় দেখাতে চায়। যদিও ঝর্ণা তাতে ভীত না হয়ে আপন গতি বজায় রাখে।
গ. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বর্ণিত ঝর্ণা আনন্দিত চিত্তে ছুটে চললেও উদ্দীপকের করতোয়ার মনে রয়েছে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা।
কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তঁর ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় প্রকৃতির সৌন্দর্যের আঁধার ঝর্ণার অনিন্দ্য সুন্দর রূপটি তুলে ধরেছেন। নির্জন স্তব্ধ পাহাড় থেকে নেমে আসছে ঝর্ণা। পুলকিত তার ছুটে চলা। পাহাড় যেন দৈত্যের মতো ঘাড় ঘুরিয়ে ভয় দেখায়। তা উপেক্ষা করে ঝর্ণা অবিরাম ছুটে চলের স্বচ্ছ এই জলরাশির ধারা যেন শরীরের মতোই রূপ লাভ করে।
উদ্দীপকে করতোয়া নদী তার গতি হারিয়ে দিন দিন মরা খালে পরিণত হচ্ছে। তার বুকে আর বিশাল ঢেউ খেলা করে না। নদী থেকে দখলদাররা দুই তীরে গড়ে তুলছে অসংখ্য স্থাপনা। যে নদীর রূপ দেখে মানুষ মুগ্ধ হতো, এখন তা দিন দিন বিবর্ণ হয়ে পড়ছে। করতোয়া নদী এখন তার অস্তিত্ব সংকটের আশঙ্কা করছে। কিন্তু ঝর্ণার গান কবিতার ঝর্ণা প্রবহমান। ঝর্ণার আনন্দমুখর ছুটে চলার সাথে তাই বিলুপ্তপ্রায় করতোয়ার মানসিকতায় বৈপরীত্য বিদ্যমান। প্রকৃতির প্রতি কারোরই কোনো মমতা নেই।
ঘ. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় যাদের সুন্দরের তৃষ্ণা নেই তাদের এবং উদ্দীপকে নদী দখলদারদের প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে।
‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি বলেছেন, যাদের সুন্দরের তৃষ্ণা রয়েছে ঝর্ণা তাদের জন্য ছুটে চলে। যারা শুধু এর পানি পান করে তৃষ্ণা মেটাতে চায় তাদের চোখে এর সৌন্দর্য ধরা পড়ে না। তাদের প্রতি ঝর্ণার কোনো অনুরাগ নেই, অনুভূতি নেই। যাদের অভ্যাস শুধুই জল স্যাঁচার, তারা যেন পানি সংগ্রহের জন্য পাতকুয়ায় চলে যায়। যাদের মনে সৌন্দর্যবোধ নেই কবিতায় কবি এভাবেই তাদের প্রতি কটাক্ষ করেছেন।
উদ্দীপকে করতোয়া নদীর বেহাল দশার কারণ হচ্ছে এক শ্রেণির হৃদয়হীন মানুষ। একটি বহমান নদীর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে না ভেবে তারা অবৈধভাবে দুপাড়ে নির্মাণ করে বাড়িঘর। ফলে নদী দিন দিন সরু হয়ে পড়ছে। স্রোত হারিয়ে তার বুকে বাসা বাঁধছে কচুরিপানা। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে একসময় হয়তো করতোয়া পুরোপুরি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।
ঝর্ণার গান কবিতায় কবি ঝর্ণার সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন। সৌন্দর্যপিপাসু মন মাত্রই ঝর্ণার রূপে মুগ্ধ না হয়ে পারে না। ঝর্ণাকে যারা শুধু পানির উৎস ভেবে তৃষ্ণা মেটাতে যায়, তারা কখনো ঝর্ণার সৌন্দর্য বুঝতে পারে না। ঝর্ণার সৌন্দর্য তাদের জন্য নয়। একইভাবে যারা নদীর সৌন্দর্য শোভা উপলব্ধি করতে পারে না তারাই কেবল নদীর মৃত্যু ঘটিয়ে ঘরবাড়ি কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে। তারা দখলদার, তারা হৃদয়হীন। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায়ও এমন স্বার্থপর মানুষের কথা বলা হয়েছে। তাদের কটাক্ষ করা হয়েছে।
৪. শিখর হইতে শিখরে ছুটব
ভূধর হইতে ভূধরে লুটিব,
হেসে খল খল গেয়ে কল কল তালে তালে দিব তালি
এত কথা আছে, এত গান আছে, এত প্রাণ আছে মোর
এত সুখ আছে, এত সাধ আছে, প্রাণ হয়ে আছে ভোর।
ক. ঝর্ণা কিসের গান গায়? ১
খ. ‘ঝর্ণা একা দিবস-রাত, সাঁঝ-সকালে চলে’-বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের মধ্যে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার কোন বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের বর্ণনা ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সহধর্মী হলেও সমগ্রভাবের প্রকাশক নয় – বিশ্লেষণ করো। ৪
৪ নং প্র. উ.
ক. ঝর্ণা পরীর গান গায়।
খ. ঝর্ণা একা দিবস-রাত, সাঁঝ-সকাল চলে বলতে ঝর্ণার অবিরাম ছুটে চলাকে বোঝানো হয়েছে।
ঝর্ণা হচ্ছে পর্বত থেকে নেমে আসা সাদা জলরাশি। ঝর্ণার কোনো বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই। ধেয়ে চলাই তার ধর্ম। দিনরাত-সাঁঝ-সকাল অর্থাৎ বাধাহীন, বিরামহীনভাবে পতিত হচ্ছে সে।
গ. উদ্দীপকে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বর্ণিত ঝর্ণার অনন্দমুখর ছুটে চলার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণা অস্থির, চঞ্চল। ঝর্ণার গতিশীলতা নিরন্তর কেবলই ধেয়ে চলে। বিরামহীন চলাই তার কাজ। বাধা-বিঘœ ও ভয়-ভীতিকে অতিক্রম করে ঝর্ণা এগিয়ে যায়।
উদ্দীপকেও ঝর্ণার আনন্দময় ছুটে চলার দিকটি উল্লেখ করা হয়েছে। পাহাড়ি মেয়ের মতো চঞ্চল ঝর্ণা চারদিকে যে কাঁপন জাগায়। পৃথিবীতে বইয়ে দেয় সুখের পরশ। পাহাড়ের চূড়া থেকে পাথরের ওপর আছড়ে পড়ে।ঝর্ণার গান কবিতায়ও ঝর্ণার এই মনোমুগ্ধকর প্রবহমানতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে শুধু ঝর্ণার প্রাণচঞ্চল ছুটে চলার কথা বলা হয়েছে। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় রয়েছে এর পাশাপাশি আরো বহু বিষয়ের উল্লেখ।
‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণার অনিন্দ্য সুন্দর সৌন্দর্যের কথা বলা হয়েছে। পাহাড়ের ওপর থেকে অবিরাম নেমে আসা ঝর্ণা পাথরের ওপর পড়ে তা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে, সৃষ্টি করে অসাধারণ সৌন্দর্য। ঝর্ণা সবাইকে সৌন্দর্য অবগাহন করায় আহ্বান জানায়। যারা সেই সৌন্দর্যের অস্তিত্ব টের পায় না তারা শুধু ঝর্ণার জলে তৃষ্ণা নিবারণ করতে চায়। তারা ঝর্ণার বিরাগভাজন হয়।
উদ্দীপকে ঝর্ণার উদ্দাম নৃত্য আর আনন্দময় গতিকে তুলে ধরা হয়েছে। ঝর্ণা পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে আসে ভূমিতে। আপন ভঙ্গিমায় সে চপল পায়ে ছুটে চলে। ঝর্ণার মনোমুগ্ধকর গান আর খলখল হাসিতে সমস্ত প্রকৃতিও যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে।
‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণার নানা বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ রয়েছে। বিশাল পাহাড় যেন ঝর্ণাকে ভয় দেখায়। ঝর্ণার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। ঝর্ণা কেবলই ছুটে চলে সবার মৌনতা ভাঙিয়ে। ঝর্ণাকে ঘিরে আনন্দে গান গায় শালিক-চাতক পাখিও। ঝর্ণা কেবল ধাবিত হয় সৌন্দর্যপিপাসুদের জন্যই। কিন্তু উদ্দীপক শুধু ঝর্ণার নৃত্য ও আনন্দময় গতিকেই তুলে ধরেছে। প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে সে যে অপর সৌন্দর্য সৃষ্টি করে সেই কথার উল্লেখ নেই। নিজের মনের পুলক জড়ানো ভাবনার বিষয়টিই উদ্দীপকে কেবল স্থান পেয়েছে। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, উদ্দীপকের বর্ণনা ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সমধর্মী হলেও সমগ্রভাবের প্রকাশক নয়।
৫. ঝম্ ঝম্ ঝম্ নামে বরষা
ধরণী উষসী জাগে শ্যাম সরসা।
উছলিত ভরা নদী জাগে কল্লোলে
তীরে বন মল্লিকা কেতকী দোলে।
ক. ঝর্ণা কেমন পায় ধায়? ১
খ. ঝর্ণার সকল গায় পুলক কেন? ২
গ. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সাথে উদ্দীপক কবিতাংশের সাদৃশ্য বিচার করো। ৩
ঘ. উদ্দীপক কবিতাংশে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সমগ্র ভাব প্রতিফলিত হয়েছে কি? বিশ্লেষণী মতামত দাও। ৪
৫ নং প্র. উ.
ক. ঝর্ণা চপল পায় ধায়।
খ. ঝর্ণা বাধাহীনভাবে ছুটে চলে চারপাশে অপূর্ব সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে বলে তার সকল গায় পুলক।
ঝর্ণার চলার পথটি চঞ্চল, আনন্দিত, গতিময়। স্তব্ধ পাহাড়ের বুকে সে এঁকে দিয়ে যায় উচ্ছ্বাসের পদচিহ্ন। এই জলধারার চলার পথের সর্বত্র থাকে অসামান্য সৌন্দর্যের সম্ভার। চঞ্চল পদচারণের মাধ্যমে ঝর্ণা মধুর আবেশ সৃষ্টি করে বলেই তার সর্বাঙ্গে পুলক জাগে।
গ. উদ্দীপকের বর্ণনাটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় উল্লিখিত প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্যের উপস্থাপনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বর্ণিত ঝর্ণার সৌন্দর্য মনকাড়া ও মনোরম। ঝর্ণা পাথরের বুকে আনন্দের পদচিহ্ন ফেলে ছুটে যায়। পর্বত চূড়া থেকে ঝর্ণা নেমে আসে সাদা জলরাশির ধারা হয়ে। পাথরের গায়ে আঘাত হেনে তার বিচ্ছুরিত জলরাশির মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের কোনো তুলনা হয় না। তখন মনে হয় সৌন্দর্যের প্রতীক পরীরা যেন কোনো নাচের উৎসবে মেতে উঠেছে।
উদ্দীপক কবিতাংশে বর্ষার রূপচিত্র অঙ্কিত হয়েছে। বর্ষায় বৃষ্টির ঝমঝম শব্দে তৈরি হয় এক মোহনীয় পরিবেশ। বর্ষার প্রভাবে প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয় প্রাণের স্পন্দন। নদীগুলো ভরে যায় কানায় কানায় আবার কখনো দুই কূল ছাপিয়ে। মল্লিকা, কেতকী ইত্যাদির বাহার এক নৈসর্গিক দৃশ্যের অবতারণা করে। বর্ষার চিরচেনা সৌন্দর্য প্রাণে আনে নতুন আবেগ। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায়ও একইভাবে নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরা হয়েছে।
ঘ. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় উল্লিখিত বিষয়াবলির মধ্যে কেবল একটি দিক অর্থাৎ প্রাকৃতিক রূপময়তার বিষয়টি উদ্দীপকে প্রতিফলিত। তাই উদ্দীপকটিতে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সমগ্রভাব প্রতিফলিত হয়নি।
‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি ঝর্ণার রূপ বর্ণনা করেছেন অসামান্য দক্ষতায়। ঝর্ণা প্রকৃতিতে সৌন্দর্যের মায়াজাল বিস্তার করে। ঝর্ণার চলার পথটি আনন্দময়। আর পথের চারপাশ রূপময়তায় ঘেরা। কবিতায় এ বিষয়টি উপস্থাপনের পাশাপাশি এসেছে সৌন্দর্যপিপাসুদের প্রতি কবি-মনের বিশেষ অনুরাগের বিষয়টিও।
বর্ষা ঋতুতে যে দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে প্রকৃতি ভরে যায় সেই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে উদ্দীপকে। পৃথিবী যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়। ভরা নদীতে আসে প্রবল জোয়ার। দুকূল ছাপিয়ে চারদিকে প্রবাহিত হয় পানি। প্রকৃতিতে বিরাজ করে স্নিগ্ধতা। বর্ষা যেমন প্রকৃতিকে সুন্দর করে তোলে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বর্ণিত ঝর্ণাও তেমনি প্রকৃতিতে সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। কিন্তু কবিতার বিষয়বস্তু আরো বিস্তৃত।
প্রকৃতির প্রতি সবার দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়। কেউ কেউ প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ হয়। তার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। গভীরভাবে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করতে চায়। আবার কারো কারো কাছে প্রকৃতি নিছক প্রয়োজন মেটানোর উপাদান। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় এমন মানসিকতা পোষণকারীদের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে আমরা এমন কোনো কিছুর উল্লেখ দেখি না। উদ্দীপকে কেবল প্রকাশিত হয়েছে বর্ষার প্রভাবে প্রকৃতির সেজে ওঠার বিষয়টি। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার বিশেষ একটি দিককেই কেবল তা মনে করিয়ে দেয়। সম্পূর্ণ অংশকে নয়। উদ্দীপকটিকে তাই কবিতার সমগ্রভাবের ধারক বলা যায় না।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহ কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
উত্তর : সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
২. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কী নির্মাণে অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন?
উত্তর : সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছন্দ নির্মাণে অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন।
৩. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কী হিসেবে খ্যাত?
উত্তর : সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘ছন্দের জাদুকর’ হিসেবে খ্যাত।
৪. ঝর্ণার সকল গায় কী?
উত্তর : ঝর্ণার সকল গায় পুলক।
৫. ঝর্ণা কিসের ওপর চরণ রাখে।
উত্তর : ঝর্ণা শিথিল শিলার ওপর চরণ রাখে।
৬. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় দুপুর-ভোর কিসের ডাক শোনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ঝর্ণার গান কবিতায় দুপুর-ভোর ঝিঁঝির ডাক শোনার কথা বলা হয়েছে।
৭. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝিমায় কে?
উত্তর : ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় পথ ঝিমায়।
৮. ঝর্ণাকে কে ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়?
উত্তর : ঝর্ণাকে ঝুম পাহাড় ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়।
৯. গিরির পায়ে কোন ফুলের নূপুর?
উত্তর : গিরির পায়ে টগর ফুলের নূপুর।
১০. কার উদ্ভবে গিরির হিম ললাট ঘামল?
উত্তর : ঝর্ণার উদ্ভবে গিরির হিম ললাট ঘামল।
১১. বন-বাউয়ের ঝোপগুলোতে কিসের দল চরে?
উত্তর : বন-ঝাউয়ের ঝোপগুলোতে কালসারের দল চরে।
১২. ঝর্ণা কী দুলিয়ে যায়?
উত্তর : ঝর্ণা অচল-ঠাঁট দুলিয়ে যায়।
১৩. শালিক-শুক কিসে মুখ বুলায়?
উত্তর : শালিকশুক থল-ঝাঁঝির মখমলে মুখ বুলায়।
১৪. যার কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা তাকে ঝর্ণা কী ছেঁকে নিতে বলেছে?
উত্তর : যার কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা তাকে ঝর্ণা পাঁক ছেঁকে নিতে বলেছে।
১৫. যার কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা তাকে ঝর্ণা কোথায় যেতে বলেছে?
উত্তর : যার কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা তাকে ঝর্ণা পাতকুয়ায় যেতে বলেছে।
১৬. চকোর কিসের প্রত্যাশী?
উত্তর : চকোর চন্দ্রমার প্রত্যাশী।
১৭. ঝর্ণা কিসের ঘায় ঝিলিক দেয়?
উত্তর : ঝর্ণা উপল-ঘায় ঝিলিক দেয়।
১৮. ‘ফটিক জল’ বলতে কোন পাখিকে বোঝানো হয়?
উত্তর : ফটিক জল বলতে চাতক পাখিকে বোঝানো হয়।
১৯. কবি-কল্পনা অনুযায়ী কোন পাখি চাঁদের আলো পান করে?
উত্তর : কবি-কল্পনা অনুযায়ী চকোর পাখি চাঁদের আলো পান করে।
২০. ‘চন্দ্রমা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : চন্দ্রমা শব্দের অর্থ চাঁদের আলো।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘শঙ্কা নাই, সমান যাই’ Ñ ঝর্ণা এ কথা বলেছে কেন?
উত্তর : পাহাড়ের বাধাকে উপেক্ষা করে ঝর্ণা আপন বেগে ছুটে চলে বলে ঝর্ণা আলোচ্য কথাটি বলেছে।
শিথিল পাহাড়ের গা বেয়ে ঝর্ণা আনন্দিত চিত্তে ছুটে যায়। পথে ঝুম পাহাড় ঝর্ণাকে ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়। কিন্তু ঝর্ণা তাতে ভীত না হয়ে একই গতিতে ছুটে চলে। পাহাড়ের শঙ্কাকে পরোয়া না করে ঝর্ণা নিজের চলমানতা বজায় রাখে-এই প্রসঙ্গটিই উঠে এসেছে আলোচ্য চরণে।
২. ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখ’Ñ ঝর্ণা এ কথা বলেছে কেন?
উত্তর : সৌন্দর্যপিপাসুর সঙ্গ লাভ করার জন্য ঝর্ণার প্রত্যাশার কথা প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।
ঝর্ণার সৌন্দর্য তুলনারহিত। এর চলার পথটি যেমন আনন্দে ঘেরা তেমনি পথের চারপাশের সৌন্দর্যও অপূর্ব। তা দেখে সৌন্দর্যপিপাসুর মনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মুগ্ধ চোখে তারা চেয়ে থাকে ঝর্ণার দিকে। এমন বিহ্বল ও প্রশংসাসূচক দৃষ্টির প্রত্যাশার কথা বলা হয়েছে আলোচ্য চরণে।
৩. ‘সুন্দরের তৃষ্ণা যার, আমরা ধাই তার আশেই।’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : সৌন্দর্যপিপাসুদের সঙ্গ লাভের জন্য ঝর্ণার আগ্রহের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে আলোচ্য চরণে।
ঝর্ণার চলা গতিময়, নির্ভয়। তার চলার পথে সে সৃষ্টি করে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। ঝর্ণার প্রত্যাশা, তার সৌন্দর্যে সকলে মুগ্ধ হবে। যারা তাকে দেখবে তাদের চোখে থাকবে মুগ্ধ দৃষ্টি। নিসর্গপ্রেমী সত্তার মনে ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টির জন্য ঝর্ণা বিরামহীন ছুটে চলে।
৪. ‘পাতকুয়ায় যাক না সেই’Ñ ঝর্ণা কেন এ কথা বলেছে?
উত্তর : বিশুদ্ধ জল পাওয়ার জন্য যারা আগ্রহী ঝর্ণা তাকে পাতকুয়ায় যেতে বলেছে।
শুদ্ধতার চেয়ে ঝর্ণার বেশি মনোযোগ সৌন্দর্যের দিকে। কণ্ঠে যার তৃষ্ণা সে বিশুদ্ধ পানি চায়। ঝর্ণার সৌন্দর্যের তুলনায় সে ঝর্ণার পানির শুদ্ধতার প্রতি বেশি আগ্রহী। কিন্তু ঝর্ণা এ ধরনের মানসিকতার ব্যক্তিদের সঙ্গ লাভে উৎসাহী নয়। তাদেরকে সে পাতকুয়া থেকে জল সেঁচে তৃষ্ণা মেটাতে বলেছে।
৫. ‘দুল দোলাই মন ভোলাই।’Ñ চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : আলোচ্য চরণে ঝর্ণার চলায় ছন্দ ও সৌন্দর্য সৃষ্টির বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়েছে।
ঝর্ণার চলার পথটি পুলকিত গতিময়। স্তব্ধ পাথরের বুকে সে আনন্দের চিহ্ন রেখে ছুটে চলে। এই জলধারার যে সৌন্দর্য তা তুলনারহিত। পাথরের বুকে আঘাত হেনে ঝর্ণা ছন্দের দোলা ও মনোহর সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটায়। এই দৃশ্য সহজেই সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষের মনকে হরণ করে নেয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার কবি কে? জ
ক জসীমউদ্দীন খ কাজী নজরুল ইসলাম
গ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ঘ যতীন্দ্রমোহন বাগচী
২. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ছ
ক ১৮৮০ সালে খ ১৮৮২ সালে
গ ১৮৯০ সালে ঘ ১৮৯২ সালে
৩. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন? ঝ
ক মাঝআইল খ সাগরদাঁড়ি
গ বিজয়করা ঘ নিমতা
৪. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্মস্থান কোন শহরের কাছাকাছি? ঝ
ক ঢাকা খ চট্টগ্রাম
গ রাঁচি ঘ কলকাতা
৫. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহের নাম কী? ছ
ক বীরেন্দ্রনাথ দত্ত খ অক্ষয়কুমার দত্ত
গ অনুপ নারায়ণ দত্ত ঘ শমরেশ দত্ত
৬. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহের বিশিষ্টতা ছিল কিসে? জ
ক অভিনয়ে খ সংগীতে
গ প্রবন্ধ রচনায় ঘ কাব্যচর্চায়
৭. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহ কোন শতকের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ছিলেন? জ
ক সপ্তদশ শতকের খ অষ্টাদশ শতকের
গ উনবিংশ শতকের ঘ বিংশ শতকের
৮. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহ কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন? জ
ক যুগবাণী খ সবুজপত্র
গ তত্ত্ববোধিনী ঘ আঙুর
৯. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কোন শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন? জ
ক ম্যাট্রিক খ ইন্টারমিডিয়েট
গ বি.এ ঘ এম.এ
১০. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কখন থেকে কাব্যচর্চা শুরু করেন? ছ
ক শিশুকাল থেকে খ ছাত্রজীবন থেকে
গ যুবক বয়স থেকে ঘ বৃদ্ধ বয়স থেকে
১১. নিচের কোনটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের মৌলিক কাব্য? ঝ
ক তীর্থ-সলিল খ তীর্থরেণু
গ ফুলের ফসল ঘ কুহু ও কেকা
১২. নিচের কোনটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অনুবাদ কাব্য? জ
ক সন্ধিক্ষণ খ বেণু ও বীণা
গ ফুলের ফসল ঘ অভ্র-আবীর
১৩. কোন ক্ষেত্রে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অসাধারণ নৈপুণ্যের স্বাক্ষর মেলে? ছ
ক অনুপ্রাস নির্মাণে খ ছন্দ নির্মাণে
গ দৃশ্যকল্প নির্মাণে ঘ চরিত্র নির্মাণে
১৪. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কী হিসেবে খ্যাত? ছ
ক ছন্দের রাজকুমার খ ছন্দের জাদুকর
গ ছন্দের রাজা ঘ ছন্দের ফেরিওয়ালা
১৫. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত সালে মৃত্যুরবণ করেন? ছ
ক ১৯১১ সালে খ ১৯২২ সালে
গ ১৯৩৩ সালে ঘ ১৯৪৪ সালে
১৬. চপল পায় কে ধায়? জ
ক কপোতাক্ষ নদ খ চোখ গেল পাখি
গ ঝর্ণা ঘ কানা কুয়ো
১৭. ঝর্ণা কেবল কিসের গান গায়? ঝ
ক নিজের গান খ পাখির গান
গ বসন্তের গান ঘ পরীর গান
১৮. ঝর্ণার সারা গায়ে কী? ছ
ক আলোক খ পুলক
গ লজ্জা ঘ জড়তা
১৯. ঝর্ণার সকল প্রাণ কেমন? চ
ক বিভোল খ বিবর্ণ
গ বিমুগ্ধ ঘ বিষণœ
২০. ঝর্ণা কিসের ওপর চরণ রাখে? চ
ক নিশ্চল শিলার ওপর খ কাদামাটির উপর
গ বরফের ওপর ঘ পিশ্চিল পাথরের উপর
২১. ঝর্ণা তার মনকে কোন বিশেষণের মাধ্যমে তুলে ধরেছে? ছ
ক বিষণœ খ দোদুল
গ বিস্মিত ঘ নিরুদ্বিগ্ন
২২. দুপুর-ভোরে কিসের ডাক শোনা যায়? ছ
ক কালসারের খ ঝিঁঝিঁর
গ বুলবুলির ঘ চকোরের
২৩. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কার ঘুমানোর কথা বলা হয়েছে? চ
ক বনের খ পরীর
গ ঝর্ণার ঘ পথের
২৪. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝিমায় কে? জ
ক বন খ পরী
গ পথ ঘ রাত
২৫. বিজন দেশে কী নাই? ছ
ক পুলক খ কূজন
গ শঙ্কা ঘ তৃষ্ণা
২৬. ঝর্ণা কী দিয়ে তাল বাজায়? ছ
ক হাত খ পা
গ কণ্ঠ ঘ আঙুল
২৭. কে একা একা গান গেয়ে কেবলই ছুটে চলে? জ
ক চকোর খ পরী
গ ঝর্ণা ঘ পথ
২৮. কে ভয় দেখায়? চ
ক ঝুম পাহাড় খ শিথিল শিলা
গ রাঙা পরী ঘ বনের পাখি
২৯. ঝুম পাহাড় কী ঝুঁকিয়ে ভয় দেখায়? ছ
ক মাথা খ ঘাড়
গ হাত ঘ পা
৩০. ঝুম পাহাড় চোখ পাকায় কেন? ছ
ক বিস্ময় প্রকাশ করতে খ ভয় দেখাতে
গ ঘুম তাড়াতে ঘ অস্থিরতা প্রকাশ করতে
৩১. ‘শঙ্কা নাই’Ñ কী হতে? জ
ক পরী খ বিজন দেশে
গ ঝুম পাহাড় ঘ কালসারের দল
৩২. ‘সমান যাই’Ñ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ছ
ক সমতলে যাই খ নির্ভীকচিত্তে যাই
গ ধীরে ধীরে যাই ঘ দ্রুত যাই
৩৩. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় গিরির পায়ে কিসের নূপুর? জ
ক জবা ফুলের খ বেলী ফুলের
গ টগর ফুলের ঘ বকুল ফুলের
৩৪. গিরির হিম ললাট ঘেমে কার উদ্ভব হয়েছে? ছ
ক কপোতাক্ষ নদের খ ঝর্ণার
গ রক্তগঙ্গার ঘ বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টির
৩৫. গিরির হিম ললাট ঘামল কেন? চ
ক ঝর্ণার উদ্ভবে খ ভয় পাওয়ায়
গ গ্রীষ্মের আগমনে ঘ পুলক লেগে
৩৬. পরীর হার কোথায় টুটল? ছ
ক ঝুম পাহাড়ে খ নাচের উৎসবে
গ বিজন দেশে ঘ শিথিল শিলায়
৩৭. ঝর্ণা কিসের সংবাদ পায়নি? ঝ
ক বনের ঘুম ভাঙার খ পরীর গান গাওয়ার
গ পাহাড়ের ভয় পাওয়ার ঘ পরীর হার টুটার
৩৮. ঝর্ণার আনন্দানুভূতির প্রকাশ ঘটেছে কোনটির মাধ্যমে? ছ
ক মিটমিটাই খ খিলখিলাই
গ চোখ পাকাই ঘ খেয়াল নাই
৩৯. বন ঝাউয়ের ঝোপে কিসের দল চরে? জ
ক শালিকের খ চকোরের
গ কালসারের ঘ শাখামৃগের
৪০. কালসারের দল কিসের গায় শিং শিলায়? জ
ক টিলার গায় খ যল ঝাঁঝির গায়
গ শিলার গায় ঘ ডালচিনির গায়
৪১. ঝর্ণা কী দুলিয়ে যায়? ছ
ক ডালচিনির খ অচল-ঠাঁট
গ থল-ঝাঁঝি ঘ হিমললাট
৪২. ঝর্ণা টিলার গায় কী বাড়িয়ে যায়? জ
ক অচল ঠাঁট খ থল ঝাঁঝি
গ ডালিম ফাট ঘ ফটিক জল
৪৩. শালিক-শুক কিসে মুখ বুলায়? চ
ক থল ঝাঁঝির মখমলে খ জরির জালে
গ গিরির ললাটে ঘ বন ঝাউয়ের ঝোপে
৪৪. কিসের কারণে ঝর্ণার অঙ্গ ঝলমল করে? ছ
ক মল ঝাঁঝির মখমল খ জরির জাল
গ ফটিক জল ঘ টগর-নূহর
৪৫. ঝর্ণা কিসের হাঁক শুনতে পায়? জ
ক কালসারের খ চকোরের
গ ফটিক জলের ঘ বুলবুলির
৪৬. ঝর্ণা কাকে পাঁক ছেকে নিতে বলেছে? জ
ক যে শিং শিলায় খ যে মুগ্ধ চোখে চায়
গ যার কণ্ঠে তৃষ্ণা ঘ যার শঙ্কা নেই
৪৭. ঝর্ণা কার আশে ধায়? ঝ
ক যার কণ্ঠে তৃষ্ণা আছে
খ যার জল স্যাঁচার গরজ আছে
গ যার মনে পুলক আছে
ঘ যার মনে সৌন্দর্যবোধ আছে
৪৮. কার খোঁজে ঝর্ণার বিরাম নেই? চ
ক সুন্দরের জন্য তৃষ্ণার্ত যে খ পরীর গান শোনায় যে
গ মুগ্ধ চোখে চায় যে ঘ পাতকুয়ায় যায় যে
৪৯. ঝর্ণা কেমন শ্লোক বিলায়? ছ
ক অচল শ্লোক খ তরল শ্লোক
গ দোদুল শ্লোক ঘ শীতল-শ্লোক
৫০. যার জল স্যাঁচার গরজ আছে ঝর্ণা তাকে কোথায় যেতে বলেছে? জ
ক ঝর্ণার ধারে খ নদীর পাড়ে
গ পাতকুয়ায় ঘ পুকুরে
৫১. কে চন্দ্রমা চায়? ছ
ক ঝর্ণা খ চকোর
গ কালসার ঘ বুলবুলি
৫২. ঝর্ণা কেমন চোখের প্রত্যাশী? ছ
ক বিষণœ চোখের খ মুগ্ধ চোখের
গ উদাসী চোখের ঘ শঙ্কাহীন চোখের
৫৩. কিসের আঘাতে ঝর্ণা ঝিলিক দিয়ে ওঠে? চ
ক পাথরের আঘাতে খ পাঁকের আঘাতে
গ ডালচিনির আঘাতে ঘ থল ঝাঁঝির আঘাতে
৫৪. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কার প্রতি ঝর্ণার বিরূপ মনোভাব লক্ষ করা যায়? চ
ক সৌন্দর্যের কদর করে না যে
খ যার মাঝে সৌন্দর্যবোধ আছে
গ পরীর গান গায় যে ঘ কণ্ঠে যার তৃষ্ণা নেই
৫৫. ‘বিভোল’ শব্দের অর্থ কোনটি? চ
ক বিবশ খ অবশ
গ নিভৃত ঘ চাঁদের আলো
৫৬. ‘বিজন’ শব্দের অর্থ কী? চ
ক নিভৃত খ অচেতন
গ বরফ ঘ হালকা চালের কবিতা
৫৭. ‘কূজন’ শব্দের অর্থ কী? ঝ
ক খারাপ মানুষ খ সৌন্দর্যের তৃষ্ণাহীন
গ হালকা চালের কবিতা ঘ কলরব
৫৮. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ‘ঝুম পাহাড়’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? জ
ক রাগী পাহাড় খ উঁচু পাহাড়
গ নীরব পাহাড় ঘ ছোট পাহাড়
৫৯. ‘শুক’ বলতে কোন পাখিকে বোঝায়? চ
ক টিয়া খ বুলবুলি
গ শালিক ঘ কোকিল
৬০. ‘থল ঝাঁঝির মখমল’ কিসে তৈরি হয়েছে? চ
ক বহুদিন ধরে জমা শেওলায়
খ বরফের আচ্ছাদন জমা হয়ে
গ লতানো গাছ জন্ম নিয়ে
ঘ ঘাসের বিস্তারের মাধ্যমে
৬১. ‘মখমল’ কী? ছ
ক লম্বা ও ঢিলা পোশাক খ কোমল ও মিহি কাপড়
গ বহুদিন ধরে জমা শেওলা ঘ পাখিদের বিচরণক্ষেত্র
৬২. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ‘ফটিক জল’ বলতে কোন পাখিকে বোঝানো হয়েছে? ছ
ক চকোর খ চাতক
গ টিয়া ঘ বুলবুলি
৬৩. ‘তরল শ্লোক’ বলতে কোনটি বোঝায়? চ
ক হালকা চালের কবিতা খ পাথরের আঘাত
গ নীরব পাহাড় ঘ পাখির গান
৬৪. ‘আংরাখা’ কী? জ
ক কোমল ও মিহি কাপড়
খ লঘু চালের কবিতা
গ লম্বা ও ঢিলা পোশাক বিশেষ
ঘ এক প্রকার জলজ গুল্ম
৬৫. ‘চন্দ্রমা’ কী? ছ
ক চাতক পাখি খ চাঁদের আলো
গ নির্জন পাহাড় ঘ সবুজ উদ্যান
৬৬. ‘উপল-ঘায়’ বলতে কী বোঝায়? ছ
ক বরফের আঘাতে খ পাথরের আঘাতে
গ মনের আঘাতে ঘ প্রচণ্ড আঘাতে
৬৭. ঝর্ণা কার বুকে আনন্দের পদচিহ্ন এঁকে যায়? ছ
ক থল ঝাঁঝির বুকে খ স্তব্ধ পাথরের বুকে
গ বন-ঝাউয়ের বুকে ঘ ফটিক জলের বুকে
৬৮. ঝর্ণার ভয় ও বাধাহীন মনোভাব প্রকাশক বাক্য কোনটি? ঝ
ক আমরা ধাই তার আশেই খ আমরা চাই মুগ্ধ চোখ
গ দুলিয়ে যাই অচল ঠাঁই ঘ শঙ্কা নাই-সমান যাই
৬৯. ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখ’Ñ বলতে ঝর্ণা কী বুঝিয়েছে? ছ
ক আমরা আনন্দিত দৃষ্টিতে তাকাই
খ আমরা সৌন্দর্যপিপাসুর সন্ধান করি
গ আমরা সুন্দর চোখের খোঁজ করি
ঘ আমরা দুচোখ ভরে দেখতে চাই
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৭০. সত্যেন্দ্রনাথ প্রাত্যহিক জীবনে কঠোর সাধনায় নিমগ্ন থাকতেনÑ
র. অধ্যয়নে রর. যোগব্যায়ামে
ররর. কাব্য অনুশীলনে
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রতিভার স্বাক্ষর মেলেÑ
র. মৌলিক কাব্য রচনায় রর. ছন্দ নির্মাণে
ররর. অনুবাদ সাহিত্যে
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. ঝর্ণার আনন্দানুভূতি প্রকাশক চরণ হলোÑ
র. বিভোল মোর সকল প্রাণ রর. চপল পায়, কেবল ধাই
ররর. পুলক মোর সকল গায়
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৩. ঝর্ণার চলার পথটিÑ
র. কোলাহলপূর্ণ রর. নির্জন
ররর. শিলায় গঠিত
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৪. ঝুম-পাহাড় ঝর্ণাকে ভয় দেখায়Ñ
র. চোখ পাকিয়ে রর. ঘাড় ঝুঁকিয়ে
ররর. হাত উঠিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. ঝর্ণা তার প্রত্যাশায় ছুটে চলেÑ
র. যার কণ্ঠে তৃষ্ণা আছে
রর. যার জল স্যাঁচার গরজ নেই
ররর. যার সুন্দরের তৃষ্ণা আছে
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় যে পাখির উল্লেখ রয়েছেÑ
র. টিয়া রর. বুলবুলি
ররর. চকোর
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৭ ও ৭৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
৭৭. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার যে দিকটি উদ্দীপক কবিতাংশে প্রকাশিতÑ
র. উচ্ছলতা রর. বাধাহীনতা
ররর. নির্ভীকতা
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৮. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার যে চরণে উক্ত ভাব প্রকাশিতÑ
র. শঙ্কা নাই সমান যাই
রর. বিভোল মোর সকল প্রাণ ররর. চপল পায় কেবল ধাই
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৯ ও ৮০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
আমি ভালোবাসি আমার
নদীর বালুচর,
শরৎকাল যে নির্জনে
চকচকির ঘর।
যেথায় ফুটে কাশ
তটের চারিপাশ,
শীতের দিনে বিদেশি সব
হাঁসের বসবাস।
৭৯. উদ্দীপক কবিতাংশে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার যে দিকটি উপস্থিতÑ
র. প্রকৃতিঘনিষ্ঠতা
রর. জীবন ও পরিবেশের নিবিড় সহাবস্থান
ররর. বাধাহীন ছুটে চলার প্রেরণা
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮০. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার যে চরণে সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি রয়েছেÑ
র. চপল পায় কেবল ধাই রর. কালসারের দল চলে
ররর. টগর-ফুল-নূপুর পায়
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮১ ও ৮২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
সীমানা বাবার সাথে রাঙামাটির শুভলং ঝর্ণা দেখতে এসেছে। ঝর্ণাটির চারপাশে সবুজে ঘেরা। সীমানার খুব ভালো লাগল। কিন্তু শীতকাল হওয়ায় সে ঝর্ণাটির প্রকৃত সৌন্দর্য দেখা থেকে বঞ্চিত হলো। খুব সামান্য পরিমাণ পানি পাথরের গা বেয়ে চুইয়ে পড়ছিল।
৮১. উদ্দীপকের সাথে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ছ
ক ঝর্ণার উদ্দামতা খ নিসর্গপ্রিয়তা
গ পাহাড়ের ভয় দেখানো ঘ প্রাণীদের উপস্থিতি
৮২. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার যে চরণে উদ্দীপকের বিপরীত চিত্র ধরা পড়েছেÑ
র. দুল দোলাই মন ভোলাই রর. সুন্দরের তৃষ্ণা যার
ররর. উপল-ঘায় দিই ঝিলিক
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্লাস নবম-দশম শ্রেনীর বাংলা বইয়ের, প্রবাসী বন্ধু , আগন্তক
খুব তারাতারিই আরো নতুন আপডেট আসবে।
ধন্যবাদ।