৯ম-১০ম শ্রেণী বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃ একাত্তরের দিনগুলি

একাত্তরের দিনগুলি

লেখক পরিচিতি

নাম জাহানারা ইমাম।

জন্ম পরিচয়     জন্ম তারিখ     :    ১৯২৩ সালের ৩রা মে।

জন্মস্থান   :    মুর্শিদাবাদের সুন্দরপুর গ্রাম।

শিক্ষা কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ থেকে বিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ও বাংলায় এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

পেশা সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন ও ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অধ্যাপনা করেন।

উল্লেখযোগ্য সাহিত্য   একাত্তরের দিনগুলি, গজকচ্ছপ, সাতটি তারার ঝিকিমিকি, ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস, প্রবাসের দিনগুলি ইত্যাদি।

বিশেষ পরিচয় অবদান শহিদ মুক্তিযোদ্ধা রুমীর মা। ১৯৭১ সালে নিজেও মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, রসদ জোগানো, অস্ত্র আনা-নেওয়া, খবর আদান-প্রদান ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

উপাধি     শহিদ জননী।

মৃত্যু ১৯৯৪ সালের ২৬শে জুন।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

 ১.    ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে নেপথ্য ভূমিকা রেখেছিল। তারেক মাসুদ ‘মুক্তির গান’ প্রমাণ্যচিত্রে দেখিয়েছেন শিল্পীরা বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করছেন। যুদ্ধ কেবল মুক্তিযোদ্ধারা করেনি। এ যুদ্ধে শিল্পী, কলাকুশলী ও শব্দ-সৈনিকের ভূমিকাও ছিল।

ক.   যুদ্ধের সময় জামী কোন শ্রেণির ছাত্র ছিল?   ১

খ.   ‘নিয়াজীর আত্মসমর্পণ আনন্দের কিন্তু শরীফের কুলখানি বেদনার’ কেন? বুঝিয়ে লেখো।    ২

গ.   উদ্দীপকের ভাবনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’র কোন দিককে উন্মোচিত করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলি’র সমগ্র অনুভবকে ধারণ করে কি? মূল্যায়ন করো।  ৪

১ নং প্র. উ.

ক.  মুক্তিযুদ্ধের সময় জামী দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

খ.   ‘নিয়াজীর আত্মসমর্পণ আনন্দের কিন্তু শরীফের কুলখানি বেদনার’ কারণ প্রিয়জন হারানোর কষ্ট সহজে ভোলা যায় না।

      ‘একাত্তরের দিনগুলি’ শহিদ জননী জাহানারা ইমামের একটি স্মৃতিচারণামূলক রচনা। লেখিকা মুক্তিযুদ্ধে তার সন্তান রুমীকে হারিয়েছেন। এই রচনায় প্রিয়জন হারানোর গভীর ক্ষত ও যন্ত্রণাই ব্যক্ত হয়েছে। প্রিয় সন্তান রুমীকে বাঁচানোর জন্য তিনি হানাদার বাহিনীর কাছে মার্সি পিটিশন না করে দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় দিয়েছেন। সন্তান ও স্বামী শরীফের মৃত্যুতে তার বেদনা আরো ঘনীভূত হয়েছে।

গ.   উদ্দীপকের ভাবনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় মহান মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী-কলাকুশলী ও বুদ্ধিজীবীদের গৌরবময় ভূমিকার দিকটি উন্মোচিত করেছে।

      শিল্প-সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করেই একটি দেশের জাতীয় চেতনার জন্ম হয়। আবার শিল্প-সংস্কৃতির মধ্য দিয়েই কবি-লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পীরা সেই চেতনাকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেন। তারা মানুষের মাঝে ন্যায়-অন্যায় বোধ জাগ্রত করেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী ও প্রতিবাদী করে তোলেন। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় আমরা দেখি স্বাধীন বাংলা বেতারে বহু গুণী শিল্পী, সংবাদ পাঠক ও কলাকুশলী  মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে জনমত গঠন করেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

      আলোচ্য উদ্দীপকে আমাদের মুক্তিসংগ্রামের একটি বিশেষ দিক ফুটে উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একটি নেপথ্য ও ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র। যেখানে শিল্পী ও কলাকুশলীরা কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেন তা প্রদর্শিত হয়। তাই মুক্তিযোদ্ধারাই কেবল দেশ স্বাধীন করেন, নি এই নেপথ্য সৈনিকেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। উদ্দীপকের এই ভাবনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় উল্লিখিত মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী ও কলাকুশলীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনের বিশেষ দিকটি উন্মোচিত করেছে।

ঘ.   উদ্দীপকে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাত্র একটি দিক শিল্পী কলাকুশলীদের ভূমিকা আলোচিত হয়েছে। তাই উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলির’ সমগ্র অনুভবকে ধারণ করে না।

      ‘একাত্তরের দিনগুলি’ শহিদ জননী জাহানারা ইমামের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্মৃতিচারণামূলক রচনা। এই রচনায় পাকহানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণ, গণহত্যা, অত্যাচার, নির্যাতন ও বাঙালির প্রতিরোধ সংগ্রাম, জীবন দান, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বীরোচিত ভূমিকা, একজন পুত্রহারা জননীর গভীর মর্মবেদনা তথা দেশপ্রেমিকের গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচিত হয়েছে। শত্রুসেনাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান পরিচালনার দিক চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে। দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বসে থাকেনি বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, কলাকুশলীরা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেছেন।

      উদ্দীপকে আলোচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটি নেপথ্য দিক। ‘স্বাধীন বাংলা বেতার’ কেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে কীভাবে ভূমিকা পালন করে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়েছে। শিল্পীরা উদ্দীপনামূলক গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গণজাগরণ তৈরি করেন। এক্ষেত্রে শব্দ-সৈনিক ও কলম-সৈনিকদের ভূমিকাও ছিল উল্লেখযোগ্য। শিল্পী ও কলাকুশলীদের এই যৌথ প্রচেষ্টা মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের জন্য লড়াই করার প্রেরণা জোগায়।

      ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় মুক্তিযুদ্ধের নানাবিধ বিষয়ের অবতারণা করা হলেও উদ্দীপকে শুধু স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কলাকুশলীদের ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করার বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও বাঙালির ত্যাগ-তিতিক্ষা, আত্মত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধকালীন ভয়াবহতার চিত্র প্রতিফলিত হয়নি। উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়নি দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর শত্রু বাহিনীর আত্মসমর্পণের কথা। তাই উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলির’ সমগ্র অনুভবকে ধারণ করে না।

 ২.   সেবিকা অনন্যা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে যুদ্ধাহতদের সেবা-শুশ্রƒষা করেছিলেন। হৃদয়বিদারক সেই স্মৃতি আজও তাকে তাড়িত করে। অবসর সময়ে তিনি নাতি-নাতনিদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথাগুলো স্মৃতিচারণ করেন।

ক.   ঢাকার কয় জায়গায় গ্রেনেড ফেটেছে?   ১

খ.   স্কুল খুললেও জামী স্কুলে যাবে না কেন?  ২

গ.   উদ্দীপকের বিষয়টি নবীন প্রজন্মকে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করবে তা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   “উদ্দীপকের অনন্যার কর্মকাণ্ড এবং ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার প্রয়াস এক ও অভিন্ন”Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।  ৪

২ নং প্র. উ.

ক.   ঢাকায় ছয় জায়গায় গ্রেনেড ফেটেছে।

খ.   দেশে কোনো কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল না বলে স্কুল খুললেও জামী স্কুলে যাবে না।

     ১৯৭১ সালে এ দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিল। ফলে দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। এ অবস্থায় কোনো ছাত্রের পক্ষেই স্কুলে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু সরকার জোর করে স্কুল খোলার ব্যবস্থা করে। উদ্দেশ্য, দেশে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে এমনটি প্রচার করা। কিন্তু দেশের এমন সঙ্গিন অবস্থায় লোকদেখানো স্কুলে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন খুঁজে পেলেন না জামীর অভিভাবকেরা। সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদস্বরূপ তাঁরা জামীকে স্কুলে যেতে নিষেধ করলেন।

গ.   উদ্দীপকে অনন্যার স্মৃতিচারণা মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথা নতুন প্রজন্মকে অবগত করার মাধ্যমে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।

      বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলার বীর সেনানীরা বুকের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতাসূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। সেই যুদ্ধে বাঙালি বীরদের আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে মুদ্রিত রয়েছে। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখিকা এই মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করেছেন, যা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে।

      উদ্দীপকে সেবিকা অনন্যা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবগত করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তার নাতি-নাতনিদের ধারণা দেন। এর ফলে তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত হবে। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখিকাও সেবিকা অনন্যার মতো স্মৃতিচারণা করেছেন। এ ধরনের স্মৃতিচারণা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে।

ঘ.   নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক ইতিহাস জানানোর জন্য উদ্দীপকের অনন্যা এবং ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার উদ্যোগটি একই সুতোয় গাঁথা।

      বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নানাভাবে এদেশের নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ বাঙালি অস্ত্র ধারণ করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন করে। এই মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই ভয়াবহ স্মৃতি বহন করছে। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনাটি লেখিকা জাহানারা ইমামের এমনই স্মৃতিচারণামূলক রচনা।

      উদ্দীপকের সেবিকা অনন্যা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার মতোই মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন ঘটনার স্মৃতিচারণা করেছেন। তাদের এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত হবে। উদ্দীপকের অনন্যার কাছে নতুন প্রজন্ম যুদ্ধকালীন অবস্থা জেনে যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাবনত হয়েছে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার ক্ষেত্রেও তাই।

      ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা নতুন প্রজন্মকে অবহিত করা। উদ্দীপকের সেবিকা অনন্যার উদ্দেশ্যও এক। তিনি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে চেয়েছেন। ফলে অনন্যা এবং ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

 ৩.   এই একটি অক্ষর ‘মা’

      হাজার হাজার বছর জয়নাল, শামসুজ্জোহা লিখে গেছে

      রাজপথে, চানমারিতে, দেয়ালে, চত্বরে, কারাগারে

      রক্তলাল রমনায় জ্যোতির্ময়, জিসি দেব, মধুদা

      আর পদ্মায়, ব্রহ্মপুত্রের পানিতে।

ক.   জেনারেল নিয়াজী কত জন সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করে? ১

খ.   সামরিক জান্তার কাছে মার্সি পিটিশন করলে রুমী বাবা-মাকে ক্ষমা করতে পারবে না কেন?   ২

গ.   “একটি অক্ষর ‘মা’-এর অস্তিত্ব রক্ষায় রক্তে লাল হয়েছে এ দেশ” মন্তব্যটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’র আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   উদ্দীপকের শহিদদের আত্মত্যাগ এবং রুমীর অনুভূতি একসূত্রে গাঁথাÑ মূল্যায়ন করো। ৪

৩ নং প্র. উ.

ক.   জেনারেল নিয়াজী নব্বই হাজার সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করে।

খ.   সামরিক জান্তার কাছে মার্সি পিটিশন করলে রুমীর আত্মমর্যাদাবোধ থাকবে না বলে সে বাবা-মাকে ক্ষমা করতে পারবে না।

     রুমীকে পাকিস্তানিদের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য মার্সি পিটিশন করার একটি উপায় ছিল। কিন্তু সরকারের কাছে মার্সি পিটিশন করা মানে রুমীর আদর্শকে অপমান করা। ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন জানানো হলে রুমীর উঁচু মাথা হেঁট হবে। সে তার বাবা-মাকে কোনো দিন ক্ষমা করতে পারবে না।

গ.   ১৯৭১ সালে দেশের জন্য জীবন দেওয়া লাখো মানুষের অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য মন্তব্যে।

      ‘একাত্তরের দিনগুলি’ স্মৃতিকথায় লেখিকা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর অভিজ্ঞতার নানা দিক তুলে ধরেছেন। লেখিকার বর্ণনা থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা এ দেশের মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার চালায়। অসংখ্য মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য এ দেশের মানুষ অকাতরে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দেয়।

      উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই ‘মা’কে রক্ষা করার জন্য দেশের সাহসী সন্তানদের আত্মত্যাগের স্বরূপ। ‘মা’ বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে দেশমাতৃকাকে। দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দেশের বীর সন্তানদের বুকের রক্ত ঝরানোর প্রসঙ্গটিই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যে ফুটে উঠেছে। এ দিকটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখিকার স্মৃতিচারণায়ও উঠে এসেছে।

ঘ.   উদ্দীপকে উল্লিখিত শহিদরা এবং ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় বর্ণিত রুমীর আত্মত্যাগের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। আর তা হলো দেশমাতৃকার মুক্তি।

      ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় বর্ণিত রুমী একজন আদর্শবান, দৃঢ়চেতা, দেশপ্রেমিক যুবক। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ঘটনাচক্রে সে হানাদারদের হাতে বন্দি হয়। এ অবস্থায় তাকে বাঁচানোর জন্য মার্সি পিটিশন করার সুযোগ থাকলেও তার বাবা-মা সেটি করার সাহস করতে পারেননি। কেননা তাঁরা জানতেন যে, তাঁদের দেশপ্রেমিক ও নীতিবান সন্তান শত্রুদের সামনে মাথা নত করার অপমান কিছুতেই সহ্য করবে না।

      উদ্দীপক কবিতাংশে বর্ণিত হয়েছে দেশের জন্য জীবন দেওয়া শহিদদের প্রতি বন্দনা। ‘মা’ অর্থাৎ মাতৃসম এই দেশকে ভালোবেসে তাঁরা সর্বোচ্চ ত্যাগের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে গেছেন। একইভাবে অতুলনীয় দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রেখে গেছেন ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকা জাহানারা ইমামের সন্তান রুমী।

      যুগে যুগে অসংখ্য দেশপ্রেমিকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ভাস্বর হয়ে আছে বাংলার ইতিহাস। উদ্দীপকের কবিতাংশে উল্লেখিত জয়নাল, সামসুজ্জোহা, জ্যোতির্ময়, জিমি দেব, মধুদা কিংবা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় বর্ণিত রুমী তাদেরই উজ্জ্বল প্রতিনিধি। দেশকে তারা ভালোবেসে গেছে গভীর আবেগে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে শত্রুকে মোকাবেলা করে গেছে। তাদের রক্তের বিনিময়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীন স্বদেশভূমি। তাই বলা যায়, উদ্দীপক কবিতাংশের শহিদদের আত্মত্যাগ এবং ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার রুমীর আত্মত্যাগ একই অনুভূতিজাত।

 ৪.   একাত্তরের শ্রাবণের বৃষ্টিভেজা এক দুপুরবেলার কথা। সারা দেশে পাকিস্তানি নরঘাতকরা নারকীয় অত্যাচার চালায়। থানা সদর থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে কচখানা গ্রাম। এ গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফাজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন ক্যাম্প তৈরি করা হয়। কিন্তু হানাদাররা গোপন সূত্রে এ ক্যাম্পের সন্ধান পায়। শ্রাবণের সেই বৃষ্টিভেজা দিনটিতে রাজাকারদের সহায়তার পুরো এলাকায় অতর্কিত আক্রমণ চালায়। গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। আফাজসহ চারজনকে ধরে পুকুর পাড়ের একটি মোটা আমগাছের সাথে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। নিথর দেহগুলো এলিয়ে পড়ে গাছের সাথে। রক্তে লাল হয় পুকুরের পানি।

ক.   ‘কূটকৌশল’ শব্দের অর্থ কী? ১

খ.   ‘মুক্তিফৌজ’ কথাটা লেখিকার কাছে ভারী কেন? ২

গ.   উদ্দীপকের ঘটনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার কোন দিককে উন্মোচিত করেছে? ব্যাখ্যা করো।    ৩

ঘ.   উদ্দীপকের ঘটনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার সামগ্রিক কাহিনি ধারণ করে কি? মূল্যায়ন করো।  ৪

৪ নং প্র. উ.

ক.   ‘কূটকৌশল’ শব্দের অর্থ চতুরতা, দুর্বুদ্ধি।

খ.   অবরুদ্ধ ঢাকায় মুক্তিফৌজের অবস্থান অবিশ্বাস্য হওয়ায় মুক্তিফৌজ কথাটা লেখিকার কাছে ভারী।

     ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর ছিল হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের দ্বারা এক প্রকার অবরুদ্ধ। এর মধ্যে মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছিল প্রায় অসম্ভব। কিন্তু স্বাধীনতাকামী সাহসী যুবকেরা ঠিকই গোপনে গোপনে এখানে-সেখানে তাদের উপস্থিতি জানান দিতে থাকে। লেখিকার কাছে এ বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হয়। তা মুক্তিফৌজ কথাটা তার কাছে ভারী।

গ.   উদ্দীপকের ঘটনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় বর্ণিত পাকিস্তানি হানাদারদের নারকীয় তাণ্ডবের কথা মনে করিয়ে দেয়।

      ‘একাত্তরের দিনগুলি’ জানারা ইমাম রচিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণামূলক রচনা। রচনাটির বর্ণনা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এদেশের মানুষের ওপর বর্বর অত্যাচার চালায়। শত শত শহর-গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়। লাখো মানুষ তাদের নির্যাতনে প্রাণ হারায়।

      উদ্দীপকে দেখা যায়, পাকবাহিনীর নির্মমতার চিত্র। তাদের, তাণ্ডবের কারণে পুড়ে যায় কচখানা গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি। মুক্তিসেনাদের নির্মমভাবে হত্যা করে তারা। উদ্দীপকে বর্ণিত পাকবাহিনীর নিষ্ঠুরতার এই দিকটিই ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার সাথে সম্পর্কিত।

ঘ.   উদ্দীপকটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার আংশিক ভাব ধারণ করেছে।

      ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় বর্ণিত হয়েছে জাহানারা ইমামের মুক্তিযুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির কথা। রচনায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির রোজনামচা রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে লেখিকার ব্যক্তিগত সুখ, দুঃখের কথা।

      উদ্দীপকে পাক হানাদারদের বর্বর অত্যাচারের স্বরূপ ফুটে উঠেছে। তাদের নিষ্ঠুরতার মুখে ধ্বংস হয়ে যায় একটি গোটা গ্রাম। মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর তাদের বীভৎস নির্যাতনের বর্ণনাও রয়েছে উদ্দীপকে। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার প্রেক্ষাপট উদ্দীপকের তুলনায় অনেক বেশি বিস্তৃত।

      ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় টুকরো টুকরো ঘটনার সন্নিবেশের মাধ্যমে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের নানা তাৎপর্যপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়েছে। এখানে হানাদারদের আগ্রাসনের পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধের কথা। পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের ন্যক্কারজনক অপপ্রচার, মুক্তিযুদ্ধে কণ্ঠযোদ্ধাদের অবদানের স্বরূপও প্রকাশ পেয়েছে রচনায়। এছাড়াও রচনাটি পড়ে লেখিকার সন্তান রুমীর মহান আত্মত্যাগ এবং চূড়ান্ত বিজয় লাভের অনুভূতির কথাও আমরা জানতে পারি। কিন্তু উদ্দীপকে শুধু রয়েছে পাক হানাদারদের বর্বরতা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বরূপ। আলোচ্য রচনার জন্য বিষয়গুলো উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়নি। উদ্দীপকটি তাই ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার সমগ্র কাহিনি ধারণ করতে পারেনি।

৫.    মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

      মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি ॥

      যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা

      যার নদী জল ফুলে ফুলে মোর স্বপ্ন আঁকা।

ক.   জাহানারা ইমামের কোন সন্তান মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন? ১

খ.   লেখিকা মাছ খাওয়া বাদ দিয়েছেন কেন? ২

গ.   ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার কোন দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   উদ্দীপকে বর্ণিত দেশপ্রেম ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো।     ৪

৫ নং প্র. উ.

ক.   জাহানারা ইমামের বড় ছেলে রুমী মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন।

খ.   নদীতে মরা মানুষ ভেসে যাওয়ার সংবাদ শুনে লেখিকা মাছ খাওয়া বাদ দিয়েছেন।

     একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী এদেশে বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালায়। অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে তারা ধরে নিয়ে হত্যা করে। ঢাকা শহরেও একইভাবে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হতো। নদীতে ভেসে যেত কেবল লাশ আর লাশ। পচা লাশের দুর্গন্ধে নদীর পানি দূষিত হয়ে যেত। এ তথ্য জানার পর থেকে লেখিকা মাছ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন, যা নদী থেকেই আসত।

গ.   ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার যুদ্ধ করে অধিকার আদায় করার বিষয়টি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।

      ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করার চিত্রটি বর্ণনা করা হয়েছে। এই গৌরবের ইতিহাসকে অম্লান করে রাখতে রচিত হয়েছে অসংখ্য গান-কবিতা।

     আলোচ্য উদ্দীপকটি মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় রচিত একটি দেশাত্মবোধক গানের অংশবিশেষ। যার মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক চেতনা ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। অন্যায়কে মেনে নেওয়া বা অন্যায়ের সাথে আপস করার মধ্যে কোনো গৌরব নেই। বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং অধিকার আদায়ের জন্য অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করাই বীরের ধর্ম। এই সংগ্রামের মধ্যেই রয়েছে জীবনের গৌরব ও সম্মান। উদ্দীপকে প্রতিফলিত এ দিকটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনারই একটি দিককে ধারণ করে।

ঘ.   উদ্দীপক ও একাত্তরের দিনগুলি রচনায় মূলভাব একই দেশপ্রেম থেকে উৎসারিত।

     ‘একাত্তরের দিনগুলি’ একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা। এখানে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য বাংলার মুক্তিসেনারা হানাদার বাহিনীর মোকাবেলায় প্রাণপণ যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে। দেশের জন্য এমন অকাতরে জীবন দান ইতিহাসে অম্লান হয়ে আছে।

     আলোচ্য উদ্দীপকটি একটি উদ্দীপনামূলক দেশাত্মবোধক গানের অংশবিশেষ। মায়ের কোলে শিশু যেমন গভীর মমতায় বেড়ে ওঠে, আমরাও তেমনি মাটির মমতায় নদী, ফলে, ফুলে সুশোভিত এই দেশে বেড়ে উঠছি। এদেশ আমাদের মায়ের মতো। দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য তার সন্তানেরা একাত্তরে জীবন দিয়েছে। মায়ের সম্মান সমুন্নত করেছে। তাই তারা একটি ফুলের জন্য, একটি মুখের হাসির জন্য যুদ্ধ করতে পারে। অস্ত্র ধরতে পারে।

     ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় আমরা দেখি হানাদার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে হত্যা করেছে, বহু বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। সীমাহীন পৈশাচিকতায় অসংখ্য নারীর ইজ্জত ও সম্ভ্রমহানি করেছে। সন্তানের সামনে পিতা ও পিতার সমানে সন্তানকে হত্যা করেছে। বহু মানুষ নিখোঁজ হয়েছে, আর ফিরে আসেনি। যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে অসহায় মানুষের লাশ। নদীতে ভেসে গেছে লাশের সারি। শত্রুর ভয়ে মানুষ কাঁদতেও পারেনি। প্রাণভয়ে মানুষ আশ্রয় খুঁজেছে। কিন্তু বীর বাঙালির কঠোর প্রতিরোধে তারা টিকতে পারেনি। আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছে। যে অসীম ত্যাগে বাঙালিরা দেশপ্রেমকে সবার ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছে উদ্দীপকেও সেই দেশ প্রেমের প্রমাণ মেলে। কারণ উদ্দীপকেও দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তাই উদ্দীপক ও ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনা উভয়ই দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটিয়েছে।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   ‘রোদ হয় বৃষ্টি হয়, খ্যাঁক-শিয়ালির বিয়ে হয়’Ñছড়াটি কে কাটছিল?

      উত্তর : ‘রোদ হয় বৃষ্টি হয়, খ্যাঁক-শিয়ালির বিয়ে হয়’Ñছড়াটি কাটছিল জামী।

২.   ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখিকাকে ফুফুজান বলে সম্বোধন করে কে?

      উত্তর : ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখিকাকে ফুফুজান বলে সম্বোধন করে করিম।

৩.  করিম এলিফ্যান্ট রোড থেকে নিরাপত্তার কারণে কোথায় যেতে চাচ্ছে?

      উত্তর : করিম এলিফ্যান্ট রোড থেকে নিরাপত্তার কারণে শান্তিনগর যেতে চাচ্ছে।

৪.   কিসের আধফোটা কলি জাহানারা ইমামের বেড-সাইড টেবিলে কালিদানিতে আছে?

      উত্তর : বনি প্রিন্স-এর আধফোটা কলি জাহানারা ইমামের বেড-সাইড টেবিলে কালিদানিতে আছে।

৫.  ৭ই মে কতজন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীর নাম দিয়ে কাগজে বিবৃতি বের হয়?

      উত্তর : ৭ই মে ৫৫ জন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীর নাম দিয়ে কাগজে বিবৃতি বের হয়।

৬.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার স্বামীর নাম কী?

      উত্তর : ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার স্বামীর নাম শরীফ।

৭.   কারা রুমীর জন্য মার্সি পিটিশন করতে শরীফকে অনেক বুঝিয়েছে?

      উত্তর : বাঁকা ও ফকির রুমীর জন্য মার্সি পিটিশন করতে শরীফকে অনেক বুঝিয়েছে।

৮.  মতিয়ুর রহমানের পরিবার ১৯৭১ সালের কোন তারিখে করাচি থেকে ঢাকা ফেরে?

      উত্তর : মতিয়ুর রহমানের পরিবার ১৯৭১ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর করাচি থেকে ঢাকা ফেরে।

৯.  স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সালেহ আহমেদ ছদ্মনামে খবর পড়তেন কে?

      উত্তর : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সালেহ আহমেদ ছদ্মনামে খবর পড়তেন হাসান ইমাম।

১০.  কে ১৬ই ডিসেম্বর পালানোর সময় বেপরোয়া গুলি ছুড়ে বহু মানুষকে জখম করে?

      উত্তর : এলিফ্যান্ট রোডের আজিজ মটরসের মালিক খান ১৬ই ডিসেম্বর পালানোর সময় বেপরোয়া গুলি ছুড়ে বহু মানুষকে জখম করে।

১১.  ১৬ই ডিসেম্বর জাহানারা ইমামের কোন আত্মীয়ের কুলখানি ছিল?

      উত্তর : ১৬ই ডিসেম্বর জাহানারা ইমামের স্বামী শরীফের কুলখানি ছিল।

১২.  গোয়েবলস কার সহযোগী ছিল?

      উত্তর : গোয়েবলস হিটলারের সহযোগী ছিল।

১৩. ১৯৭১ সালে কোথা থেকে চরমপত্র প্রচারিত হতো?

      উত্তর : ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে চরমপত্র প্রচারিত হতো।

১৪.  ‘মার্সি পিটিশন’ অর্থ কী?

      উত্তর : ‘মার্সি পিটিশন’ অর্থ শাস্তি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন।

১৫. রাজনীতিতে প্রতিহিংসা ও মিথ্যা রটনার প্রবর্তক কে?

      উত্তর : রাজনীতিতে প্রতিহিংসা ও মিথ্যা রটনার প্রবর্তক গোয়েবলস।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   বাগান করার নেশার কথা লেখিকার হঠাৎ মনে পড়ল কেন?

      উত্তর : ভয়ানক অস্থির মনটাকে শান্ত করার তাগিদেই লেখিকার বাগান করার নেশার কথা হঠাৎ মনে পড়ল।

     ১৯৭১ সালের যুদ্ধাবস্থা লেখিকার মনকে নানা দুশ্চিন্তায় ভরে তুলেছিল। এ অবস্থায় তাঁর প্রয়োজন ছিল বিনোদনমূলক কোনো কাজে আত্মনিয়োগ করে বিক্ষিপ্ত মনের গতিপথ পরিবর্তন করা। লেখিকার ভালোবাসা ছিল বাগান করার প্রতি। বাগান করার সময় লেখিকা তাঁর দুঃখ-কষ্টগুলোকে কিছু সময়ের জন্য হলেও ভুলে থাকতে পারতেন। এ কারণেই তিনি তাঁর প্রিয় শখের কাজটিতে মনোনিবেশ করেন।

২.   ‘স্বয়ং গোয়েবল্স্ও লিখতে পারতেন কি না সন্দেহ’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।

      উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠীর প্রচণ্ড মিথ্যাচারের নমুনা লক্ষ করে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকা আলোচ্য কথাটি বলেছেন।

     মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা এদেশের মানুষের ওপর বর্বর অত্যাচার চালায়। কিন্তু দেশ ও দেশের বাইরে তারা প্রচার করে যে অবস্থা স্বাভাবিক আছে। বিষয়টিতে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য তারা বিবৃতি তৈরি করে তাতে বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর আদায় করে। পরে তা খবরের কাগজে ছাপে। সেই বিবৃতিটি হতো অত্যন্ত মিথ্যাচারিতায় পরিপূর্ণ। তার তীব্রতা এতই বেশি যে লেখিকার ধারণা গোয়েবল্স্Ñ যিনি রাজনীতিতে মিথ্যা রটনার প্রবর্তক তিনিও এমন মিথ্যাভাষণে ভরা বিবৃতি লিখতে পারতেন না।

৩.  লেখিকা ও তাঁর স্বামী দুদিন ধরে অত্যন্ত দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন কেন?

      উত্তর : বড় ছেলে রুমীর মুক্তির জন্য সরকারের কাছে মার্সি পিটিশন করবেন কি নাÑ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে লেখিকা ও তাঁর স্বামী দুদিন ধরে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন।

     ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকা জাহানারা ইমামের বড় ছেলে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়েন। তাঁকে মুক্ত করার জন্য মার্সি পিটিশন করা হবে কি না এ নিয়ে লেখিকা ও তাঁর স্বামী কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছিলেন না। কেননা মার্সি পিটিশন করলে রুমীর আদর্শের অপমান হয়। আবার না করলে রুমীকে চিরতরে হারানোর ভয় থাকে। লেখিকার মাতৃহৃদয় সে আশঙ্কায় বারবার হাহাকার করে ওঠে। এসব নিয়েই দুদিন ধরে মানসিক দ্বন্দ্বে ভুগছিলেন।

৪.   দুপুর থেকে শহরে ভীষণ চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা কেন?

      উত্তর : পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করার খবরে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দুপুর থেকে শহরে ভীষণ চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

     ১৯৭১ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস ধরে চলে পাকবাহিনীর বর্বর ধ্বংসযজ্ঞ। মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে একসময় দিশেহারা হয়ে পড়ে হানাদাররা। তাদের পরাজয় মেনে নেওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর সেই সম্ভাবনার সুবাতাস পেয়ে যায় ঢাকার মানুষ। তাই আনন্দে আর উত্তেজনায় তার উদ্বেল হয়।

৫.  ‘যদিও সারা দেশ থেকে ‘পিস’ উধাও’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।

      উত্তর : পাকবাহিনীর নির্মম অত্যাচারের কারণে সারা দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।

     ১৯৭১ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। পাকহানাদাররা গোটা দেশেই চালায় তাদের বর্বর পৈশাচিকতা। এ দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের মনে ঢুকিয়ে দেয় ভয়াল মৃত্যুর আতঙ্ক। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার বাগানে ‘পিস’ নামক গোলাপের গাছে একটি কলি এসেছিল। বাগানে পিস থাকলেও লেখিকার মনে হলো সারা দেশে কোথাও ‘পিস’ অর্থাৎ শান্তি নেই।

৬.  ‘পড়ে তারা নিশ্চয়ই স্তম্ভিত হয়ে বসে রইবেন খানিকক্ষণ!’Ñ কথাটি ব্যাখ্যা করো।

      উত্তর : পত্রিকায় ছাপা মিথ্যাভাষণে ভরা বিবৃতি না পড়ে যারা স্বাক্ষর করেছিলেন তাঁদের জন্য যে চরম বিস্ময় অপেক্ষা করছেÑ এ কথাটিই বোঝানো হয়েছে আলোচ্য উক্তিটিতে।

     মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের অবস্থা ছিল অত্যন্ত অরাজক। কিন্তু পাকিস্তানি কুচক্রী শাসকগোষ্ঠী প্রচার করতে চাইছিল দেশের সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। তাই কৌশল হিসেবে তারা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাক্ষরসংবলিত বিবৃতি পত্রিকায় ছাপার ব্যবস্থা করে। সেই বিবৃতিতে কেউ কেউ সানন্দে স্বাক্ষর করলেও অধিকাংশই করতেন প্রাণভয়ে বাধ্য হয়ে। বেয়নেটের মুখে বিবৃতি না পড়েই সই করে দিতেন। ফলে পরদিন সকালে পত্রিকায় দেখতেন যে চরম মিথ্যাভাষণে ভরা একটি বিবৃতিতে তাঁরা স্বাক্ষর করেছেন। বিষয়টি তাদেরকে নিশ্চিতভাবেই হতবিহবল করে দিত। এমন অনুভূতিই প্রকাশিত হয়েছে উক্তিটিতে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি

১.   ‘একাত্তরের দিনগুলি’ স্মৃতিচারণমূলক রচনাটি কে লিখেছেন? ছ

      ক   সুফিয়া কামাল   খ    জাহানারা ইমাম

      গ   শহীদুল্লা কায়সার ঘ    শাহরিয়ার কবির

২.   জাহানারা ইমাম কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?   চ

      ক   ১৯২৩     খ    ১৯২৫

      গ   ১৯৩০     ঘ    ১৯২০

৩.   জাহানারা ইমাম কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন? জ

      ক   ৫ই জুলাই খ    ১৫ই জুলাই

      গ   ৩ই মে    ঘ    ৮ই মে

৪.   জাহানারা ইমামের জন্ম কোথায়?   জ

      ক   বরিশাল   খ    কুমিল্লা

      গ   মুর্শিদাবাদ  ঘ    কলকাতা

৫.   জাহানারা ইমামের পিতার নাম কী? চ

      ক   সৈয়দ আব্দুল আলী   খ    সৈয়দ জামালুদ্দীন

      গ   সৈয়দ মাজহার আলী  ঘ    সৈয়দ নজরুল ইসলাম

৬.   জাহানারা ইমামের পিতা পেশায় কী ছিলেন?    ঝ

      ক   আইনজীবী খ    ডাক্তার

      গ   অধ্যাপক  ঘ    ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট

৭.   জাহানারা ইমাম কত সালে বি.এ পাস করেন?  ছ

      ক   ১৯৪৫     খ    ১৯৪৭

      গ   ১৯৫০     ঘ    ১৯৫৫

৮.   কোন কলেজ থেকে জাহানারা ইমাম বিএ পাস করেন?     ঝ

      ক   বরিশালের বিএম কলেজ

      খ    মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজ

      গ   ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ

      ঘ    কলকাতার ব্রেবোর্ন কলেজ

৯.   ঢাকায় কোন স্কুলে জাহনারা ইমাম প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন?    ছ

      ক   ভিকারুননিসা নূন স্কুল খ    সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল

      গ   আজিমপুর গভ. গার্লস স্কুল  ঘ    খিলগাঁও গার্লস স্কুল

১০.  জাহানারা ইমাম কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন? চ

      ক   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

      গ   জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

      ঘ    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

১১.  জাহানারা ইমাম কোন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন?     জ

      ক   ইতিহাস   খ    সমাজবিজ্ঞান

      গ   বাংলা ঘ    জনপ্রশাসন

১২.  জাহানারা ইমাম কোন কলেজে অধ্যাপনা করেন?    জ

      ক   নটরডেম কলেজ খ    ঢাকা কলেজ

      গ   ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ

      ঘ    সরকারি বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ

১৩.  জাহানারা ইমামের প্রথম সন্তানের নাম কী?    চ

      ক   রুমী খ    সজল

      গ   সাদিক    ঘ    জামী

১৪.  রুমী কখন শহিদ হন? জ

      ক   মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে খ    মুক্তিযুদ্ধের মধ্যভাগে

      গ   মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে  ঘ    মুক্তিযুদ্ধের পরপর

১৫.  জাহানারা ইমাম কী হিসেবে পরিচিত?    ছ

      ক   লৌহমানবী খ    শহিদ জননী

      গ   জাতীয় শিক্ষক   ঘ    প্রধান কবি

১৬.  জাহানারা ইমামের কোন গ্রন্থটি সর্বত্র সমাদৃত? ছ

      ক   ক্যান্সারের সঙ্গে আবাস খ    একাত্তরের দিনগুলি

      গ   প্রবাসের দিনগুলি ঘ    গজকচ্ছপ

১৭.  সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য জাহানারা ইমাম কোন পুরস্কার পান?      ছ

      ক   নোবেল পুরস্কার

      খ    বাংলা একাডেমি পুরস্কার

      গ   স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার

      ঘ    আলাওল সাহিত্য পুরস্কার

১৮.  জাহানারা ইমাম কাদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন? চ

      ক   একাত্তরের ঘাতকদের  খ    পাকিস্তানিদের

      গ   কুসংস্কারাচ্ছন্নদের ঘ    ধর্মান্ধদের

১৯.  জাহানারা ইমাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?   ছ

      ক   ১৯৯৮     খ    ১৯৯৪

      গ   ১৯৯০ ঘ    ১৯৯২

২০.  ৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল কী বার ছিল?     জ

      ক   শনিবার    খ    সোমবার

      গ   মঙ্গলবার  ঘ    বৃহস্পতিবার

২১.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় কদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার কথা বলা আছে?  জ

      ক   ৭ দিন     খ    ১০ দিন

      গ   ৪ দিন     ঘ    ৩ দিন

২২.  জাহানারা ইমামের শ্বশুর কী ছিলেন?     চ

      ক   অন্ধ খ    বোবা

      গ   পঙ্গু  ঘ    অসুস্থ

২৩.  ‘নদীতে নাকি প্রচুর লাশ ভেসে যাচ্ছে’- ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় উক্তিটি কার?      ছ

      ক   লেখিকার  খ    করিমের

      গ   মাঝির     ঘ    দোকানির

২৪.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় কোন গাছের উল্লেখ আছে?   জ

      ক   শিউলি    খ    বকুল

      গ   গোলাপ    ঘ    গন্ধরাজ

২৫.  মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা দেশে কাদের অত্যাচার চলছিল?     চ

      ক   পাকিস্তানি হানাদারদের খ    রাজাকারদের

      গ   রক্ষীবাহিনীর     ঘ    সর্বহারাদের

২৬. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় বর্ণিত জামী কোন শ্রেণির ছাত্র ছিল?      জ

      ক   ৮ম  খ    ৯ম

      গ   ১০ম ঘ    ৫ম

২৭.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় ‘কর্তাদের’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? ছ

      ক   মুক্তিযোদ্ধাদের   খ    পাকিস্তানি শাসকদের

      গ   রাজাকারদের    ঘ    ভারতীয়দের

২৮.  ১৯৭১ সালের ১৭ই মে পত্রিকায় কতজন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীর বিবৃতি বেরিয়েছিল?      ছ

      ক   ৭০ জন   খ    ৫৫ জন

      গ   ৪০ জন   ঘ    ৩০ জন

২৯.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কিসে ভরা ছিল?     চ

      ক   মিথ্যা ভাষণে    খ    ভুল-ভ্রান্তিতে

      গ   গুরুচণ্ডালী দোষে ঘ    কটূক্তিতে

৩০.  ২৫শে মে কার জন্মজয়ন্তী?  ছ

      ক   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের    খ    কাজী নজরুলের

      গ   ফররুখ আহমদের    ঘ    আহসান হাবীবের

৩১.  ৭১’র ২৫শে মে স্বাধীন বাংলা বেতারে কার সংবাদ পাঠের কথা বলা হয়েছে? চ

      ক   সালেহ আহমদ  খ    সালেহ আকরাম

      গ   রামেন্দু মজুমদার ঘ    ফাহমিদা হক

৩২.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় শরীফ লেখিকার কী হন?      ছ

      ক   ভাই  খ    স্বামী

      গ   বন্ধু  ঘ    দেবর

৩৩.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় মার্সি পিটিশন বিষয়ে জোরালো আপত্তি কে জানিয়েছিল?     চ

      ক   শরীফ খ    বাঁকা

      গ   ফকির     ঘ    লেখক

৩৪.  স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সালেহ আহমদ ছদ্মনামে কে সংবাদ পাঠ করতেরন?      ঝ

      ক   আলমগীর কবির খ    শিমুল কবির

      গ   আলী যাকের    ঘ    হাসান ইমাম

৩৫.  মতিয়ুর রহমানের পরিবার কত তারিখে করাচি থেকে ঢাকা এসেছে?    ঝ

      ক   ৫ই সেপ্টেম্বর   খ    ১০ই সেপ্টেম্বর

      গ   ১৫ই সেপ্টেম্বর  ঘ    ২৯শে সেপ্টেম্বর

৩৬. বাংলা বিভাগের মনিরুজ্জামান স্যারের শালী কে?     চ

      ক   মিসেস মতিয়ুর রহমান খ    ডলি

      গ   মিসেস কামরুল  ঘ    মিসেস রাজু আহমেদ

৩৭.  ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর সকাল কয়টা পর্যন্ত আকাশযুদ্ধ-বিরতির কথা ছিল?      ছ

      ক   দশটা খ    নয়টা

      গ   এগারোটা  ঘ    বারোটা

৩৮. ১৬ই ডিসেম্বর কারা পালাতে গিয়ে বাঙালিকে খুন-জখম করে যাচ্ছিল?  জ

      ক   মুক্তিযোদ্ধারা    খ    রাজাকাররা

      গ   পাকিস্তানি সেনারা ঘ    গেরিলারা

৩৯.  ১৬ই ডিসেম্বর দুপুর থেকে সারা শহরে উত্তেজনা ছিল কেন?     ঝ

      ক   বেপরোয়া গুলিবর্ষণের কারণে

      খ    বুদ্ধিজীবী হত্যার কারণে

      গ   যত্রতত্র নাম দেখে

      ঘ    পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবরে

৪০.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখিকা কোন নামটা আগে শোনেননি?   চ

      ক   সালেহ আহমদ  খ    আবু মোহাম্মদ আলী

      গ   আহমেদ চৌধুরী  ঘ    আলমগীর কবির

৪১.  জাহানারা ইমামকে শহিদ জননী বলা হয় কেন?      চ

      ক   মুক্তিযুদ্ধে ছেলে শহিদ হয়েছে বলে

      খ    মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন বলে

      গ   মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন বলে

      ঘ    মুক্তিযুদ্ধকে চেতনায় ধারণ করেছেন বলে

৪২.  জাহানারা ইমামের কোন সন্তান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হন? ছ

      ক   জামী খ    রুমী

      গ   বাঁকা ঘ    ফকির

৪৩.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় মার্সি পিটিশন না চাওয়ায় কী প্রকাশ পেয়েছে?  চ

      ক   আত্মমর্যাদা খ    আপসকামিতা

      গ   অহংকার  ঘ    উদাসীনতা

৪৪.  হায়দারদের অতর্কিত হামলায় প্রথমেই কোনটি বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে?     ঝ

      ক   গ্রামীণ জনপদ   খ    সড়কপথ

      গ   আকাশপথ ঘ    ঢাকায় নগর-জীবন

৪৫.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ কী ধরনের রচনা?   জ

      ক   প্রবন্ধ খ    গল্প

      গ   স্মৃতিচারণমূলক  ঘ    আত্মজীবনী

৪৬.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখিকা কী ব্যক্ত করেছেন?   চ

      ক   বেদনা     খ    সাহিত্য চেতনা

      গ   মনের আকাক্সক্ষা ঘ    প্রচণ্ড হতাশা

৪৭.  গোয়েবলস কে ছিল?   জ

      ক   লেখক    খ    সাংবাদিক

      গ   হিটলারের সহযোগী    ঘ    কুখ্যাত সম্রাট

৪৮.  কথিকা অর্থ কী? জ

      ক   কথোপকথন     খ    কথামালা

      গ   ক্ষুদ্র পরিসরে বর্ণনাত্মক রচনা ঘ    ছোট কবিতা

৪৯.  ‘বেয়নেট’ শব্দের অর্থ কী?    চ

      ক   বন্দুকে লাগানো বিষাক্ত ছুরি

      খ    বন্দুক

      গ   কার্তুজ    ঘ    তলোয়ার

৫০.  বিরান শব্দের অর্থ কী? ছ

      ক   বিষণœ     খ    জনমানবহীন

      গ   বর্ণহীন    ঘ    বৃক্ষ

৫১.  আলটিমেটাম অর্থ কী? জ

      ক   অনুরূপ   খ    অবিকল

      গ   চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ   ঘ    জোরপূর্বক

৫২.  খুরপি অর্থ কী?   চ

      ক   ছোট খন্তা  খ    নিড়ানি

      গ   কোদাল    ঘ    হাতুড়ি

৫৩.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় কোন দিন রাতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিল?  চ

      ক   শনিবার    খ    রবিবার

      গ   সোমবার   ঘ    মঙ্গলবার

৫৪.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় দিনভর বৃষ্টি হয় কখন? ছ

      ক   শনিবার    খ    রবিবার

      গ   সোমবার   ঘ    মঙ্গলবার

৫৫.  ‘রোদ হয় বৃষ্টি হয়, খ্যাঁক-শিয়ালির বিয়ে হয়।’Ñ ছড়াটি কাটছিল কে?     ছ

      ক   রুমী খ    জামী

      গ   জাহানারা ইমাম  ঘ    শরীফ

৫৬. করিম জাহানারা ইমামের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হলো কেন?   ছ

      ক   কাছেই বুড়িগঙ্গা নদী বলে

      খ    কাছেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বলে

      গ   কাছেই মিলিটারি ক্যাম্প বলে

      ঘ    কাছেই সেনানিবাস বলে

৫৭.  সব খালি, বিরানÑ ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় কিসের কথা বলা হয়েছে?     জ

      ক   সেনানিবাস খ    সরকারি কোয়ার্টার

      গ   বিশ্ববিদ্যালয়ের হল    ঘ    রেডিও স্টেশন

৫৮. জাহানারা ইমামের বাসা কোন এলাকায় ছিল?   ছ

      ক   শান্তিনগর  খ    এলিফ্যান্ট রোড

      গ   হাতিরপুল  ঘ    মগবাজার

৫৯.  জাহানারা ইমামকে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় বর্ণিত করিম কী বলে সম্বোধন করে? ঝ

      ক   চাচিজান   খ    খালাজান

      গ   মামিজান  ঘ    ফুফুজান

৬০.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় বর্ণিত করিমের দুলাভাইয়ের বাসা কোথায়? চ

      ক   শান্তিনগর  খ    এলিফ্যান্ট রোড

      গ   শান্তিবাগ   ঘ    ইস্কাটন রোড

৬১.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় করিম এলিফ্যান্ট রোড ছেড়ে শান্তিনগর যেতে চাইছিল কেন?    জ

      ক   বাড়ি ভাড়া বেড়ে যাওয়ায়

      খ    ভালো বাসা পেয়ে যাওয়ায়

      গ   নিরাপত্তাজনিত কারণে

      ঘ    পারিবারিক কারণে

৬২. ‘খুব দামি কথা বলেছেন ফুফুজান।’Ñ কথাটা কী?      ছ

      ক   না, মার্সি পিটিশন কর

      খ    ভয়টা আসলে মনে

      গ   বাগান করা একটা নেশা

      ঘ    হল তো সব খালি, বিরান

৬৩. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় ঢাকার মানুষ খামোখা কোথায় গুলি খেয়ে মরতে গেল? জ

      ক   যাত্রাবাড়ীতে খ    চট্টগ্রামে

      গ   জিঞ্জিরায়  ঘ    গাজীপুরে

৬৪.  সদরঘাট, সোয়ারীঘাটে দাঁড়ানো যায় না কেন?   ঝ

      ক   পচা মাছের দুর্গন্ধে

      খ    বিষাক্ত রাসায়নিকের দুর্গন্ধে

      গ   দূষিত পানির দুর্গন্ধে

      ঘ    পচা লাশের দুর্গন্ধে

৬৫. জাহানারা ইমাম মাছ খাওয়া বাদ দিয়েছিলেন কেন?   জ

      ক   মাছের দাম বেড়ে গিয়েছিলেন বলে

      খ    মাছে ফরমালিন মেশানো হতো বলে

      গ   নদীতে মানুষের লাশ ভাসছিল বলে

      ঘ    পাকিস্তান থেকে আমদানি হতো বলে

৬৬. ১৯৭১ সালের ১০ই মে কী বার ছিল?     জ

      ক   শনিবার    খ    রবিবার

      গ   সোমবার   ঘ    মঙ্গলবার

৬৭.  ১৯৭১ সালের ১০ই মে জাহানারা ইমাম সকালের নাশতা শেষে কোথায় গেলেন?      ছ

      ক   স্কুলে খ    বাগানে

      গ   বারান্দায়   ঘ    বাজারে

৬৮. মাখনের মতো রঙের গোলাপ কোনটি?   জ

      ক   বনি প্রিন্স  খ    এলা হার্কনেস

      গ   পিস ঘ    ল্যাভেন্ডার

৬৯. এনা হার্কনেস কোন রঙের গোলাপ?      জ

      ক   টকটকে লাল    খ    গাঢ় বেগুনি

      গ   কালচে মেরুন   ঘ    সাদা

৭০.  কোন ফুলটির রং ফিকে বেগুনি?   ছ

      ক   পামকালি  খ    সিমোন

      গ   এনা হার্কনেস   ঘ    পিস

৭১.  ল্যাভেন্ডার জাতীয় গোলাপের রং কেমন? ছ

      ক   সাদা খ    বেগুনি

      গ   লাল  ঘ    হলুদ

৭২.  ‘বুকানিয়ার’ কোন রঙের গোলাপ?  জ

      ক   সাদা খ    কালো

      গ   হলুদ ঘ    লাল

৭৩.  ‘পাসকালি’ নামক গোলাপের রং কেমন? চ

      ক   সাদা খ    বেগুনি

      গ   লাল  ঘ    হলুদ

৭৪.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় কলিদানিতে কিসের আধফোটা একটি কলি আছে?      জ

      ক   পিন্স খ    এনা হার্কনেস

      গ   বনি প্রিন্স  ঘ    বুকানিয়ার

৭৫.  একাত্তরের দিনগুলি রচনায় লেখিকা কোনটিকে নেশা বলেছেন?  জ

      ক   বাড়ি পরিবর্তন   খ    মাছধরা

      গ   বাগান করা ঘ    রেডিও শোনা

৭৬.  সারাদেশ থেকে কী উধাও?   ছ

      ক   মাছ  খ    পিস

      গ   রোগ ঘ    লাভ

৭৭.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় কত তারিখে প্রাইমারি স্কুল খোলার হুকুম হলো? চ

      ক   ১ তারিখ   খ    ৫ তারিখ

      গ   ৯ তারিখ  ঘ    ১৫ তারিখ

৭৮.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় কত তারিখে মাধ্যমিক স্কুল খোলার হুকুম দেওয়া হয়েছে?    জ

      ক   ১ তারিখ   খ    ৫ তারিখ

      গ   ৯ তারিখ  ঘ    ১০ তারিখ

৭৯.  জামীর স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারে পরিবারের সবার সিদ্ধান্ত কী ছিল? ছ

      ক   স্কুলে যাবে খ    স্কুলে যাবে না

      গ   মাসখানেক পরে যাবে  ঘ    আর কখনো যাবে না

৮০.  জামীকে স্কুলে পাঠানোর বিপক্ষে সবাই মত দিল কেন?     চ

      ক   দেশের অবস্থা স্বাভাবিক নয় বলে

      খ    জামী পড়াশোনায় খারাপ করছে বলে

      গ   স্কুলে পড়াশোনার মান কমে যাওয়ায়

      ঘ    স্কুলে মিলিটারিরা ক্যাম্প করায়

৮১.  ১৯৭১ সালের ১৭ই মে পত্রিকায় কাদের নাম দিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়?  ছ

      ক   খেলোয়াড়দের

      খ    বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের

      গ   রাজনীতিবিদদের

      ঘ    ডাক্তার ও প্রকৌশলীদের

৮২.  ১৯৭১ সালের ১৭ই মে পত্রিকায় বের হওয়া বিবৃতি পড়ে অনেক বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের স্তম্ভিত হওয়ার কথা কেন? জ

      ক   বিবৃতিতে প্রচুর বানান ভুল ছিল

      খ    বিবৃতিটি যুদ্ধের পর বের হওয়ার কথা ছিল

      গ   না পড়েই বিবৃতিতে সই করেছিলেন

      ঘ    তাদের নামে কটূক্তি করা হয়েছিল

৮৩. জাহানারা ইমাম ১৯৭১ সালের ১৭ই মে পত্রিকায় বের হওয়া বিবৃতির রচয়িতার সাথে কার তুলনা দিয়েছেন?  ঝ

      ক   হিটলারের  খ    সক্রেটিসের

      গ   ইয়াহিয়ার  ঘ    গোয়েবলসের

৮৪.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় বিবৃতি রচয়িতার সাথে গোয়েবলসের তুলনা দেওয়ার কারণ কী? জ

      ক   অসংখ্য বানান ভুল    খ    অসাধারণ রচনাশৈলী

      গ   নির্লজ্জ মিথ্যাচার ঘ    আপসহীন সত্য ভাষণ

৮৫. ১৯৭১ সালের ২৫শে মে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কাকে নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল?  জ

      ক   বিশ্বকবিকে নিয়ে খ    পল্লিকবিকে নিয়ে

      গ   বিদ্রোহী কবিকে নিয়ে  ঘ    মানবতার কবিকে নিয়ে

৮৬. ‘একজন একটা কথিকা পড়লেন’Ñ কথিকাটির নাম কী?     ছ

      ক   অঙ্গীকারনামা   খ    চরমপত্র

      গ   বাংলার কথা     ঘ    আলটিমেটাম

৮৭.  ‘চরমপত্র’ পাঠক শুদ্ধ বাংলা ভাষায় বলতে বলতে শেষ দিকে কোন ভাষায় দুটি কথা বললেন?    ছ

      ক   খাঁটি চাঁটগাইয়া ভাষায়  খ    খাঁটি ঢাকাইয়া ভাষায়

      গ   খাঁটি উর্দু ভাষায়  ঘ    খাঁটি ইংরেজি ভাষায়

৮৮. ‘গাজুরিয়া মাইর কী জিনিস?’Ñ কার প্রশ্ন? জ

      ক   করিমের   খ    রুমীর

      গ   জামীর    ঘ    শরীফের

৮৯.  গেরিলারা কেবল কোথায় তৎপর বলে জানতেন জাহানারা ইমাম? জ

      ক   ঢাকায়     খ    চট্টগ্রামে

      গ   সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলে    ঘ    গ্রামাঞ্চলে

৯০.  কোন বিষয়টি জাহানারা ইমামের কাছে অত্যন্ত অবিশ্বাস্য বলে মনে হলো?   ছ

      ক   জামীর স্কুল খুলে দেওয়া

      খ    ঢাকায় গেরিলাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলা

      গ   বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খালি হয়ে যাওয়া

      ঘ    নদীতে মানুষের লাশ ভেসে আসা

৯১.  কোন কঠিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে জাহানারা ইমাম ও তাঁর স্বামী দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন?  ছ

      ক   জামীকে স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে

      খ    রুমীর জন্য মার্সি পিটিশন করার ব্যাপারে

      গ   বাংলাদেশের পতাকা টানানোর ব্যাপারে

      ঘ    গেরিলাদের সাহায্য করার ব্যাপারে

৯২.  রুমীকে ঘিরে বাঁকা ও ফকিরের ভাবনা কী ছিল?     চ

      ক   যেকোনো ভাবে মুক্ত করতে হবে

      খ    মার্সি পিটিশন করা যাবে না

      গ   জেলের ভেতরেই নিরাপদে থাকবে

      ঘ    মার্সি পিটিশনে লাভ হবে না

৯৩.  শরীফ মার্সি পিটিশনের বিপক্ষে কেন?    ছ

      ক   ছেলেকে ভালোবাসে না বলে

      খ    ছেলের আদর্শের অপমান হয় বলে

      গ   কোনো লাভ হবে না বলে

      ঘ    অনেক টাকা লাগবে বলে

৯৪.  কোনটি করা হলে রুমী কোনোদিন তার মা-বাবাকে ক্ষমা করতে পারত না?  চ

      ক   প্রাণভিক্ষার আবেদন   খ    বাড়ি বদল

      গ   দেশত্যাগ  ঘ    তার সাথে যোগাযোগ

৯৫.  মতিউর রহমানের পদবি ছিল কোনটি?   ছ

      ক   লেফটেন্যান্ট কর্নেল   খ    ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট

      গ   অ্যাডমিরাল জেনারেল ঘ    মেজর জেনারেল

৯৬. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় শরীফ কার কাছ থেকে মতিউর রহমানের কথা শুনেছে?   ছ

      ক   ডা. সুজা   খ    ডা. রাব্বি

      গ   ডা. জব্বার ঘ    ডা. মনিরুজ্জামান

৯৭.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় ডা. রাব্বি কার ভাস্তে?  ঝ

      ক   শরীফের   খ    করিমের

      গ   ফকিরের   ঘ    সুজার

৯৮.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় শরীফের বন্ধু কে? ছ

      ক   রুমী খ    সুজা

      গ   রাব্বি ঘ    জামী

৯৯.  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় ডা. রাব্বির সাথে শরীফের কোথায় দেখা হয়?   চ

      ক   ফকিরের অফিসে খ    সুজার অফিসে

      গ   বাঁকার অফিসে  ঘ    মঞ্জুরের অফিসে

১০০. ১৯৭১ সালের কোন তারিখে শহিদ মতিউর রহমানের চল্লিশা অনুষ্ঠিত হয়?    ঝ

      ক   ২৭শে সেপ্টেম্বর খ    ২৮শে সেপ্টেম্বর

      গ   ২৯শে সেপ্টেম্বর ঘ    ৩০শে সেপ্টেম্বর

১০১. শহিদ মতিউর রহমানের স্ত্রীর নাম কী?   ঝ

      ক   ডলি খ    মলি

      গ   পলি ঘ    মিলি

১০২. ডলি ও মনিরুজ্জামান স্যার ওপারে যায়নিÑ জাহানারা ইমাম এ ব্যাপারে নিশ্চিত হলেন কিসের ওপর নির্ভর করে?   জ

      ক   মুক্তিফৌজের আক্রমণ

      খ    পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ

      গ   স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান

      ঘ    মতিউরের পরিবারের স্বদেশ ফেরা

১০৩. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে আবু মোহাম্মদ আলী ছদ্মনামে ইংরেজি খবর ও ভাষ্য পাঠ করতেন কে?      চ

      ক   আলী যাকের    খ    আবদুল জব্বার

      গ   অজিত রায় ঘ    হাসান ইমাম

১০৪. আলমগীর কবির কোন ছদ্মনামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কণ্ঠযুদ্ধে যোগ দেন?      ঝ

      ক   সালেহ আহমেদ  খ    আবদুল জব্বার

      গ   আলী আহসান   ঘ    আহমেদ চৌধুরী

১০৫. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীতশিল্পী কে ছিলেন? ছ

      ক   হাসান ইমাম    খ    অজিত রায়

      গ   ফয়েজ আহমদ  ঘ    মাধুরী চট্টোপাধ্যায়

১০৬. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কথিকা পাঠ করতেন কে?      ঝ

      ক   রাজু আহমেদ   খ    জয় লাল রায়

      গ   আলী যাকের    ঘ    কামরুল হাসান

১০৭. কার কথা মনে পড়ে জাহানারা ইমামের মন খারাপ হয়ে গেল?   ছ

      ক   ফকিরের   খ    ডলির

      গ   সুজার ঘ    জামীর

১০৮. ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আকাশযুদ্ধ বিরতি কয়টা পর্যন্ত বাড়ানো হলো?  জ

      ক   সকাল ৯টা খ    দুপুর ১টা

      গ   বিকেল ৩টা ঘ    সন্ধ্যা ৬টা

১০৯. সবার মুখে একই কথা-‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় কিসের কথা বলা হয়েছে? জ

      ক   গেরিলাদের প্রতিরোধের কথা

      খ    স্বাধীন বাংলা বেতারের কথা

      গ   পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের কথা

      ঘ    বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা

১১০. ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দলে দলে লোক কোন ধ্বনি তুলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে? জ

      ক   জয় জনতা খ    ইনকিলাব জিন্দাবাদ

      গ   জয় বাংলা ঘ    বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

১১১. ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর লোকজন কী উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে পড়ে? ঝ

      ক   হরতাল    খ    অবরোধ

      গ   ১৪৪ ধারা  ঘ    কারফিউ

১১২. গাড়িতে পতাকা বিছিয়ে ১৬ই ডিসেম্বর জাহানারা ইমামের বাড়িতে এলেন কে?      ঝ

      ক   ফকির     খ    ডা. রাব্বি

      গ   সুজা সাহেব ঘ    মঞ্জুর

১১৩. ১৬ই ডিসেম্বর কে বেপরোয়া গুলি ছুড়ে পালাচ্ছিল?  চ

      ক   আজিজ মোটরসের মালিক

      খ    শাহ স্পোর্টসের মালিক

      গ   নূর জুয়েলার্সের মালিক

      ঘ    হাসান ইন্ডাষ্ট্রিজের মালিক

১১৪. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় ১৬ই ডিসেম্বর মঞ্জুর লেখিকাকে কী দিয়ে গেলেন?      ছ

      ক   অস্ত্র  খ    পতাকা

      গ   খাবার ঘ    খবর

১১৫. জাহানারা ইমামের স্বামীর কুলখানি কবে অনুষ্ঠিত হয়?      ঝ

      ক   ২৫শে মার্চ ১৯৭১ খ    ২৫ শে মে ১৯৭১

      গ   ৩০ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭১     ঘ    ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১

১১৬. রাজনীতিতে মিথ্যা রচনা ও প্রতিহিংসার প্রবর্তক কে? জ

      ক   হিটলার    খ    বুশ

      গ   গোয়েবলস ঘ    সেলুকাস

১১৭. শেষবারের মতো সতর্ক করে দেওয়ার জন্য প্রেরিত পত্রকে কী বলা যায়?     ছ

      ক   যমপত্র    খ    চরমপত্র

      গ   শেষপত্র   ঘ    মূলপত্র

১১৮. শাস্তি থেকে অব্যাহতি লাভের জন্য কোনটির আশ্রয় নিতে হবে? ছ

      ক   আলটিমেট ক্লিয়ারেস   খ    মার্সি পিটিশন

      গ   পাইনাল রিভিউ  ঘ    গ্রান্ট অর্ডার

১১৯. ‘লহমা’ শব্দটির অর্থ কী?     ছ

      ক   তৎক্ষণাৎ  খ    মুহূর্ত

      গ   সবসময়   ঘ    হঠাৎ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক

১২০. ১৩ই এপ্রিল ১৯৭১-এর ঘটনাবলির মধ্যে রয়েছেÑ

      র.   নদীতে প্রচুর লাশ ভেসে যাচ্ছিল

      রর.  মানুষ দল বেঁধে খেলা দেখতে যাচ্ছিল

      ররর. ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছিল হাত ও চোখ বাঁধা মানুষ

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২১. জামী অবরুদ্ধ নিষ্ক্রিয়তায় হাঁপিয়ে উঠবে না। কারণÑ

      র.   বন্ধুরা একসঙ্গে বসে আলোচনা করে পড়াশোনা করবে

      রর.  বন্ধুদের সঙ্গ পেলে সময়টা ভালো কাটবে

      ররর. দল বেঁধে ঘুরতে যাবে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২২. ৭১ সালের ২৫শে মে জাহানারা ইমাম লক্ষ করলেনÑ

      র.   স্বাধীন বাংলা বেতারে নতুন কণ্ঠস্বর

      রর.  একজন একটা কথিকা পড়লেন (চরমপত্র)

      ররর. পাপিয়া সরোয়ার রবীন্দ্রসংগীত গাইছেন

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৩. মার্সি পিটিশন বিষয়ে শরীফ মত দিতে পারছে না, কারণÑ

      র.   রুমীর আদর্শকে অপমান করা হবে

      রর.  রুমীর উঁচু মাথা হেঁট হবে

      ররর. খুনি সরকারের কাছে মার্সি পিটিশন করা যায় না

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৪. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় করিমের উদ্বিগ্নতা ছিলÑ

      র.   লেখিকার নিরাপত্তার বিষয়ে

      রর.  নিজের নিরাপত্তা নিয়ে

      ররর. রুমীর মুক্তির ব্যাপারে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৫. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখিকা বাগানে এলেনÑ

      র.   বাগান করার নেশা থেকে

      রর.  বিক্ষিপ্ত মনকে ব্যস্ত রাখতে

      ররর. শরীফের জন্য ফুল আনতে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৬. জামীকে স্কুলে পাঠানো হবে না, কেননাÑ

      র.   দেশে যুদ্ধাবস্থা চলছে

      রর.  জামী আর পড়তে চায় না

      ররর. পড়াশোনার পরিবেশ নেই

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৭. ১৭ই মে ১৯৭১ পত্রিকায় বের হওয়া বিবৃতিতে অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী সই করেছেÑ

      র.   সানন্দে

      রর.  বাধ্য হয়ে

      ররর. প্রাণের ভয়ে

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৮. ১৯৭১ সালে ১৭ই মে পত্রিকায় প্রকাশিত বিবৃতির রচয়িতা সম্পর্কে জাহানারা ইমামের শ্লেষ প্রকাশিত হয়েছেÑ

      র.   গোয়েবলসের সাথে তুলনা দেওয়ায়

      রর.  ‘প্রতিভাধর’ আখ্যা দেওয়ায়

      ররর. ‘মিথ্যাভাষণে ভরা বিবৃতি’ আখ্যা দেওয়ায়

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৯. চরমপত্রে থাকতÑ

      র.   তীক্ষè রসবোধের ছাপ

      রর.  পাকিস্তানিদের প্রতি আলটিমেটাম

      ররর. মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনুপ্রেরণা

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩০. ঢাকা শহরে মুক্তিফৌজের প্রতিরোধ গড়ে তোলার খবর জাহানারা ইমামের মনে সৃষ্টি করেÑ

      র.   অবিশ্বাস

      রর.  আশা

      ররর. অহংকার

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩১. বাঁকা ও ফকির রুমীর জন্য মার্সি পিটিশন করতে চায়, কেননাÑ

      র.   তাতে রুমীর প্রাণ বাঁচতে পারে

      রর.  রুমী দেশের সম্পদ

      ররর. রুমীকে তারা খুব ভালোবাসে

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩২. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধাদের অন্যতম হলেনÑ

      র.   রুমী

      রর.  রথীন্দ্রনাথ রায়

      ররর. ফয়েজ আহমদ

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৩. ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর দুপুর থেকে সারা শহরে চাঞ্চল্য ছিলÑ

      র.   যুদ্ধ বিরতির সময় বাড়ানো হয়েছিল বলে

      রর.  পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করবে বলে

      ররর. দেশ স্বাধীন হবে বলে

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৪. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর যে অনুভূতির উল্লেখ রয়েছেÑ

      র.   প্রবল উল্লাসের   রর.  গভীর বেদনার

      ররর. গাঢ় অভিমানের

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৫. গোয়েবলস স্মরণীয় হয়ে আছেনÑ

      র.   হিটলারের সহযোগী ছিলেন বলে

      রর.  বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন বলে

      ররর. রাজনীতিতে প্রতিহিংসা ও মিথ্যা রটনার প্রবর্তক হিসেবে

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৬. মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর অন্যায়ভাবে বল প্রয়োগের উদাহরণÑ

      র.   স্কুল-কলেজ খোলা রাখা

      রর.  বুদ্ধিজীবীদের নামে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ

      ররর. অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৩৭ ও ১৩৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ানোর নেশা রতনের। ছোট বোনটা মারা যাওয়ার পর দীর্ঘদিন বাসায় নিজেকে প্রায় বন্দি করে রেখেছিল সে। মনটাকে একটু হালকা করার জন্য আজ আবার রওনা হয়েছে বান্দরবানের উদ্দেশে।

১৩৭. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় উল্লিখিত কার সাথে উদ্দীপকের রতনের মনের অবস্থার মিল লক্ষ করা যায়? ছ

      ক   রুমীর খ    লেখিকার

      গ   লেখিকার স্বামীর  ঘ    জামীর

১৩৮. উভয়ের মাঝে লক্ষণীয়Ñ

      র.   অবরুদ্ধ নিষ্ক্রিয়তায় আটকে পড়া

      রর. নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি তীব্র ভালোলাগা

      ররর. বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত করার চেষ্টা

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৩৯ ও ১৪০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

সমীরদের এলাকার মাস্তান রুবেল সমীরের বাবার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সমীরের বাবা কোনোভাবেই দিতে রাজি হয়নি। রুবেল সমীরের বাবাকে একটা উড়ো চিঠি পাঠিয়ে বলেছে ৭ দিনের মধ্যে চাঁদা না পেলে জানে মেরে ফেলা হবে।

১৩৯. উদ্দীপকের রুবেলের পাঠানো বার্তাটিকে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার আলোকে কী বলা যায়?     জ

      ক   মার্সি পিটিশন   খ    কারফিউ

      গ   আলটিমেটাম    ঘ    বেয়নেট

১৪০. উদ্দীপক ও আলোচ্য রচনায় বার্তা প্রেরণের মধ্যে পার্থক্যÑ

      র.   উদ্দেশ্যগত

      রর. মাধ্যমগত

      ররর. ফলাফলের দিক থেকে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৪১ ও ১৪২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায় ছদ্মনাম ব্যবহার করে লিখতে। এর ফলে তাঁরা যেমন একটি নিভৃত আড়াল পান তেমনি পান এক ধরনের বিশিষ্টতা।

১৪১. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় উল্লিখিত কাদের জন্য উদ্দীপকের কথা প্রযোজ্য?      ঝ

      ক   লেখিকার পরিবার

      খ    পলায়নপর পাকিস্তানি ও বিহারি

      গ   বাঁকা ও ফকির

      ঘ    স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীবৃন্দ

১৪২. উদ্দীপকের কবি-সাহিত্যিক ও আলোচ্য রচনায় উল্লিখিত ব্যক্তিদের ছদ্মনাম ধারণের পার্থক্যÑ

      র.   দেশপ্রেমে

      রর. নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে

      ররর. আবাসস্থল পরিবর্তনে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৪৩ ও ১৪৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

কবিরের বাবা ছিলেন একজন সৎ সরকারি চাকরিজীবী। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে তাদের পরিবারের অবস্থা খুব সঙ্গীন হয়ে পড়ে। কবিরের মা বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায়। তাঁকে বাঁচানোর জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। কবিরের সামনে অবৈধ পথে উপার্জনের হাতছানি। কিন্তু বাবার আদর্শের কথা ভেবে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে।

১৪৩. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় কার মাঝে উদ্দীপকের কবিরের অনুরূপ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে?  চ

      ক   লেখিকার মাঝে  খ    জামীর মাঝে

      গ   ফকিরের মাঝে  ঘ    মঞ্জুরের মাঝে

১৪৪. উভয় ক্ষেত্রে এরূপ মনোভাবের কারণÑ

      র.   প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা

      রর. আত্মমর্যাদাবোধ সমুন্নত রাখা

      ররর. স্বাধিকার চেতনা

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৪৫ ও ১৪৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

আলেয়া বেগমের ছেলে মারুফ ১৯৭১ সালে মায়ের আদেশে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। মায়ের সাথে গোপনে দেখা করতে এলে রাজাকাররা খবর পেয়ে যায়। মারুফকে তারা ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করে। আলেয়া বেগম তাঁর ছেলের ঘাতকদের বিচার চান।

১৪৫. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় উদ্দীপকের মারুফের প্রতিনিধি কে? চ

      ক   রুমী খ    শরীফ

      গ   ফকির     ঘ    জামী

১৪৬. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার সাথে উদ্দীপকের আলেয়া বেগমের সাদৃশ্যÑ

      র.   আত্মত্যাগে

      রর. স্বাধিকার চেতনায়

      ররর. প্রতিবাদমুখরতায়

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *