অষ্টম শ্রেনী- বাংলা ১ম পত্র পদ্যঃ তৈলচিত্রের ভূত সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
তৈলচিত্রের ভূত
লেখক-পরিচিতি
নাম | পিতৃপ্রদত্ত নাম : প্রবোধকুমার; সাহিত্যিক নাম : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। |
জন্ম পরিচয় | জন্ম সাল : ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ; জন্মস্থান : দুমকা শহর, সাঁওতাল পরগনা, বিহার; পৈতৃক নিবাস : মালবদিয়া, বিক্রমপুর, মুন্সীগঞ্জ। |
পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় | পিতার নাম : হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়; মাতার নাম : নীরদাসুন্দরী দেবী। |
শিক্ষাজীবন | মাধ্যমিক : ম্যাট্রিক (১৯২৬), মেদিনীপুর জিলা স্কুল; উচ্চ মাধ্যমিক : আইএসসি (১৯২৮), ওয়েসলিয়ন মিশন কলেজ, বাঁকুড়া; বিএসসি (গণিত) : কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ (অসমাপ্ত)। |
কর্মজীবন | সহ-সম্পাদক : বঙ্গশ্রী পত্রিকা; পাবলিসিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট : ন্যাশনাল ওয়ার ফ্রন্টের প্রভিন্সিয়াল অর্গানাইজার দফতর।; যুগ্ম সম্পাদক : প্রগতি লেখক সংঘ। |
সাহিত্য সাধনা | উপন্যাস :জননী (১৯৩৫),দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫),পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬),পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬),শহরতলী (১৯৪০),অহিংসা (১৯৪১),শহরবাসের ইতিকথা (১৯৪৬),চতুষ্কোণ (১৯৪৮),সোনার চেয়ে দামী (১৯৫১),হলুদ নদী সবুজ বন (১৯৫৬)। গল্পগ্রন্থ :অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫),প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭),মিহি ও মোটা কাহিনী (১৯৩৮),সরীসৃপ (১৯৩৯),বৌ (১৯৪৩),সমুদ্রের স্বাদ (১৯৪৩),আজ কাল পরশুর গল্প (১৯৪৬),মাটির মাশুল,ছোটবড় (১৯৪৮),ছোট বকুলপুরের যাত্রী (১৯৪৯),ফেরিওয়ালা (১৯৫৩),উত্তরকালে গল্প সংগ্রহ,শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৫০)। |
জীবনাবসান | মৃত্যু তারিখ : ৩রা ডিসেম্বর, ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দ। |
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রফিক সাহেব শীতের ছুটিতে ভাগ্নি সাহানাকে নিয়ে গ্রামে বেড়াতে যান। রাতের আকাশ দেখার জন্য তারা খোলা মাঠে যান। অদূরেই দেখতে পান মাঠের মধ্যে হঠাৎ এক প্রকার আলো জ্বলে উঠে তা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ওটা কিসের আলো তা জানতে চাইলে সাহানার মামা বলেন, ভূতের! সাহানা ভয় পেয়ে তার মামাকে জড়িয়ে ধরে। মামা তখন তাকে বুঝিয়ে বলেন যে, খোলা মাঠের মাটিতে এক প্রকার গ্যাস থাকে, যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে জ্বলে ওঠে। সাহানা বিষয়টা বুঝতে পেরে স্বাভাবিক হয়।
ক. তৈলচিত্রের ভূত কোন জাতীয় রচনা?
খ. নগেনের মনে দারম্নণ লজ্জা আর অনুতাপ জেগেছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের সাহানা আরতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের বিশেষ মিল কোথায়? -ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“রফিক সাহেব আরতৈলচিত্রের ভূত গল্পের পরাশর ডাক্তার উভয়কে আধুনিক মানসিকতার অধিকারী বলা যায়”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. তৈলচিত্রের ভূত রচনাটি কিশোর উপযোগী ছোটগল্প।
খ. মামাকে সারাজীবন মিথ্যে ভক্তি ও ভালোবাসার ভান করে ঠকানোর জন্য নগেনের মনে দারম্নণ লজ্জা আর অনুতাপ জেগেছিল।
মামার বাড়িতে থেকে নগেন পড়ালেখা করত। মামা নগেনকে খুব বেশি আদর করতেন না। তবে মৃত্যুর পূর্বে নিজের ছেলেদের সমান সম্পত্তি নগেনকেও দিয়ে যায় তার মামা। নগেন মামার এ উদারতা কখনো কল্পনা করতে পারেনি। এ কারণে মামার প্রতি আšত্মরিক শ্রদ্ধায় তার মন ভরে ওঠে। নিজের আচরণের কথা ভেবে নগেন অনুতপ্ত হয়।
গ. ভূত-বিশ্বাসের দিক দিয়ে উদ্দীপকের সাহানা আরতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের বিশেষ মিল রয়েছে।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পে পরলোকগত মামার প্রতি অনুশোচনা থেকে জেগে ওঠা শ্রদ্ধা ভক্তি প্রদর্শন করার জন্য মামার তৈলচিত্রের ফ্রেমে হাত রেখে প্রচ- ঝাড়া খেয়ে নগেন ভয় পায়। তার কাছে মনে হয় তার মামার আত¥া তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়েছে। প্রকৃতপড়্গে নগেন বৈদ্যুতিক শকের বিষয়টিকে ভূত মনে করেছিল।
উদ্দীপকে শীতের ছুটিতে মামা তার ভাগ্নি সাহানাকে গ্রামে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা রাতের আকাশ দেখতে খোলা মাঠে যায়। তখন তারা মাঠে হঠাৎ এক প্রকার আলো জ্বলে উঠে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে। কীসের আলো? সাহানার এমন প্রশ্নের উত্তরে মামা তাকে ভয় দেখানোর জন্য বললেন, এটা ভূতের আলো। এতে সাহানা প্রচ- ভয় পায়। তাই বলা যায়, অযথা ভূতের ভয়ে ভীত হওয়ার দিক দিয়ে সাহানা ও নগেনের মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধি দিয়ে কুসংস্কারকে জয় করার মানসিকতার দিক থেকে রফিক সাহেব এবংতৈলচিত্রের ভূত গল্পের পরাশর ডাক্তারকে আধুনিক মানসিকতার অধিকারী বলা যায়।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পে লেখক পরাশর ডাক্তারের বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে স্পষ্ট করে তুলেছেন নগেনের ভূতে বিশ্বাস ও কুসংস্কারের ভিত্তিহীনতাকে। মৃত ব্যক্তির আত¥া ভূতে পরিণত হয়- এরূপ বিশ্বাস সমাজে প্রচলিত থাকায় নগেন বৈদ্যুতিক শককে ভূতের কাজ বলে সহজে বিশ্বাস করেছে। অন্যদিকে, পরাশর ডাক্তার সবকিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করে বলে তার কাছে বৈদ্যুতিক শকের বিষয়টি সহজেই ধরা পড়েছে।
উদ্দীপকে রফিক সাহেব তার ভাগ্নি সাহানাকে নিয়ে গ্রামে বেড়াতে যান। খোলা মাঠে হঠাৎ এক প্রকার আলো জ্বলে উঠতে দেখে কৌতূহলবশত সাহানা জানতে চায় ওটি কীসের আলো। তার মামা ভূতের আলো বলে মজা করলে সাহানা ভয় পায়। পরে মামা বৈজ্ঞানিক যুক্তি দেখিয়ে বলেন, মিথেন নামক এক প্রকার গ্যাসের সঙ্গে বাতাসের সংস্পর্শে এরকম আলো জ্বলে বলে তার মামা সাহানাকে জানায়। এতে সাহানা স্বাভাবিক হয়।
উদ্দীপকে রফিক সাহেবের মাঝে বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধি আছে বলেই খোলা মাঠের আলো জ্বলার কারণ তিনি জানতে পেরেছেন। আর গল্পে পরাশর ডাক্তার ছবির ফ্রেমে শক খাওয়ার কারণ নগেনকে বোঝাতে পেরেছেন। তাই তাদেরকে আধুনিক মানসিকতার অধিকারী বলা যায়।
নির্বাচিত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রিমন গোর¯ত্মানের ধারে সবুজ ঘাসে গরম্নটিকে বেঁধে আসে। সে বিকালে গরম্নটি আনতে যেয়ে আর বাড়ি ফিরে আসে না। সন্ধ্যায় গোর¯ত্মানের পাশে তার মৃতদেহটি পাওয়া যায়। গ্রামের সবাই বলল ভূতে রিমনকে মেরেছে। তারা রিমনের মৃতদেহটি ধরতেও ভয় পেল। ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায় সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিশোর উপযোগী গল্পের সংখ্যা কত? ১
খ. নগেন অনুতপ্ত হয়েছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের গ্রামবাসীর মধ্যেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেন চরিত্রের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের কুসংস্কার এবংতৈলচিত্রের ভূত গল্পের মৃত্যু যেন একই সূত্রে গাঁথা।” উক্তিটির তাৎপর্য বিশেস্নষণ কর। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিশোর উপযোগী গল্পের সংখ্যা ২৭
খ. বোর্ড বই ১ নং অনুশীলনী প্রশ্নেরখ নং অংশ দ্রষ্টব্য।
গ. উদ্দীপকের গ্রামবাসীর মধ্যেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের ভূতের ভয় পাওয়া এবং কুসংস্কারে বিশ্বাসের দিকটি ফুটে উঠেছে।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পে দেখা যায় মামার তৈলচিত্র ছোঁয়ামাত্র নগেন টের পায় কেউ তাকে জোরে ধাক্কা দিয়েছে। তার বিশ্বাস মামা মৃত্যুর পর তার প্রতি নগেনের মিথ্যা ভক্তির কথা জানতে পেরে রেগে গেছেন। তাই তিনি নগেনকে নিজের ছবি স্পর্শ করতে দিতে রাজি নন। কুসংস্কার, বিবেচনাবোধের অভাব এবং অন্ধবিশ্বাসের কারণে নগেন অশরীরী আত¥ার বিশ্বাস করে এবং ভয় পায়।
উদ্দীপকের গ্রামবাসী গোর¯ত্মানের পাশে মৃতদেহ পাওয়ায় তারা মনে করে গোর¯ত্মানের প্রেতাত¥া রিমনকে মেরেছে। ভূতের হাতে রিমনের মৃত্যু হয়েছে ভেবে নিজেদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা রিমনের মৃতদেহ স্পর্শ করতে ভয় পায়। গ্রামবাসীর মাঝে ভূতে বিশ্বাস, কুসংস্কারের মতো অন্ধবিশ্বাস থাকায় তারা সাপের কামড়ে মৃত্যুকেও একটি অপার্থিব ভয়ের আবরণে প্রত্যক্ষ করে। বিবেচনাবোধ, যৌক্তিকতার অনুপস্থিতিই গ্রামবাসীর চেতনায় এমন ধারণা সৃষ্টি করে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের গ্রামবাসী এবং তৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের চরিত্রের মাঝে কুসংস্কারে বিশ্বাসের দিকটিই প্রতিফলিত হয়।
ঘ. “উদ্দীপকের কুসংস্কার এবংতৈলচিত্রের ভূত গল্পের মূল মর্মবাণী একই সূত্রে গাঁথাÑ উক্তিটি যথার্থ।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেন তার মামার বাড়িতে আশ্রিত যিনি স্বভাবগতভাবে কৃপণ ছিলেন। মামার মৃত্যুর পর তার ছবিকে সম্মান জানাতে গেলে নগেন কিছুটা শারীরিক অস্ব¯িত্ম বোধ করে এবং প্রচ- ধাক্কা খায়। তার ভাষ্যমতে ছবি থেকে মামা-ই তাকে ধাক্কা দিয়েছেন কারণ মৃত্যুর পর তিনি নগেনের মনোভাব জানতে পেরেছেন। কুসংস্কার, যৌক্তিক চিšত্মাভাবনার অভাব ইত্যাদির উপস্থিতিই নগেনকে অশরীরী বস্তুতে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে।
উদ্দীপকের গ্রামবাসী রিমনের মৃতদেহ গোর¯ত্মানের পাশে পাওয়ার কারণে কুসংস্কারে আচ্ছন্ন মানসিকতা জাগ্রত হয়। তারা মনে করে ভূতে রিমনকে মেরে ফেলেছে। ফলে ভূতের আছরের ভয়ে তারা মৃতদেহকে স্পর্শ পর্যšত্ম করে না। গ্রামবাসী স্বল্পশিক্ষতি মানুষ, তদুপরি কুসংস্কার এবং গোঁড়ামির নাগপাশে আবদ্ধ থেকে এই মানুষগুলো যখনই যুক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব খুঁজে পায় না তখনই তাকে অপার্থিব আখ্যা দেয়। যা ঘটেছে উদ্দীপকের কুসংস্কার এবংতৈলচিত্রের ভূত গল্পে মূল পটভূমিতে।
উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেড়্গেিত বলা যায় উদ্দীপকের কুসংস্কার এবংতৈলচিত্রের ভূত গল্পের মূল মর্মবাণী একই সূত্রে গাঁথা।
প্রশ্ন -৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বৈশাখ মাসের খাঁ খাঁ দুপুরে গ্রামের বড় তেঁতুল গাছের নিচে পাতা কুড়াতে যায় আসমানি। প্রচ- রোদের তাপে হঠাৎ সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ঐ পথে বাড়ি ফেরা হাটুরে আমজাদ মিয়ার মাধ্যমে পুরো গ্রামে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীর সাথে সাথে আসমানির বাবাও ভাবে তেঁতুল গাছের নিচে যাওয়ায় ভূতে আসমানির এই অবস্থা করেছে। তাই মেয়ের সুস্থতার জন্য কবিরাজ ডেকে আনেন আসমানীর বাবা।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম কত সালে? ১
খ. মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করার কথা নগেনের মনে হলো কেন? ২
গ. উদ্দীপকের আসমানি ওতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তৈলচিত্রের ভূত গল্পের মূল বিষয় উপস্থাপনে উদ্দীপকটি সহায়ক হয়েছে কী? তোমার যৌক্তিক মতামত দাও। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
খ. তৈলচিত্রের ভূত গল্পে নগেন মামাকে সারাজীবন মিথ্যে শ্রদ্ধা-ভক্তির ভান করে ঠকিয়েছে বলে লজ্জায় অনুতপ্ত হয়ে মনকে সাšত্ম্বনা দেয়ার জন্য নগেন তৈলচিত্রে প্রণাম করার কথা ভেবেছে।
নগেনের কৃপণ মামার আচরণ তার ভক্তি-শ্রদ্ধা লাভ করতে পারেনি। নগেন বাইরে থেকে মামার প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা দেখালেও অšত্মরের টান অনুভব করত না। কিন্তু তার এই কৃপণ মামা মৃত্যুর পূর্বে তার পুত্রদের সমান টাকা নগেনের নামে উইল করে গেছেন। মামার এমন উদারতার কারণে তার মধ্যে অনুশোচনা জাগ্রত হলো। আত¥গস্নানি ও অনুশোচনা কমানোর জন্য তাই নগেন মামার তৈলচিত্রকে প্রণাম করার কথা ভাবে।
গ. কুসংস্কারে বিশ্বাসের দিক থেকে উদ্দীপকের আসমানীতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেন মামার মানবিকতা এবং ভালোবাসার দিকটি উপলব্ধি করে ছবিতে প্রণাম করতে গেলে ছবির স্পর্শে প্রচুর জোরে ধাক্কা অনুভব করে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এবং অজ্ঞানতার কারণে সে একে মামার ভূত বলে বিশ্বাস করে নেয় কারণ এছাড়া অন্য কোনো ব্যাখ্যা তার ভেতরে কাজ করে না।
একইভাবে উদ্দীপকের আসমানি প্রচ- রোদে তেঁতুল গাছের নিচে পাতা কুড়াতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। আমাদের সমাজে তেঁতুল গাছে ভূত থাকে এমন একটি কুসংস্কার প্রচলিত আছে। ফলে আসমানি গাছের নিচে অজ্ঞান হয়ে গেলে গ্রামবাসীরা একে ভূতের কাজ বলে অভিহিত করে। মূলত বহুদিন ধরে চলে আসা লোকজ বিশ্বাস এবং রোদের প্রচ-তায় আসমানি জ্ঞান হারানো দুটি মিলেই ভূতের আছর হওয়ার ধারণা পাকাপোক্ত হয়। যা ভিন্ন ঘটনা ও পটভূমিতে গল্পের নগেনেরই প্রতিচ্ছবি। তাই বলা যায় যে কুসংস্কারে বিশ্বাস এবং যৌক্তিক দিক বিবেচনা না করার দিক থেকে উদ্দীপকের আসমানি ও গল্পের নগেনের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. “তৈলচিত্রের ভূত” গল্পের মূল বিষয় উপস্থাপনে উদ্দীপকটি সহায়ক বলে আমি মনে করি।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেন লেখাপড়া জানা হলেও অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে সরে দাঁড়াতে পারে না। মামার ছবিকে স্পর্শ করে জোরে ধাক্কা খেলে এর কোনো যৌক্তিক উত্তর তার মাথায় আসে না। যার ফলশ্রম্নতিতে মামার ভূত রেগে গিয়ে তাকে আঘাত করেছে মতামতটি তার ম¯ষ্কে স্থান করে নেয়। তারপরও শেষ চেষ্টা হিসেবে সে পরাশর ডাক্তারের সহযোগিতা নেয় এবং মামার ভূতের একটি যুক্তিযুক্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য উত্তর খুঁজে পায়।
অন্যদিকে উদ্দীপকের আসমানি প্রচুর রোদে তেঁতুল গাছের নিচে পাতা কুড়াতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। হাটুরে আমজাদ মিয়ার মাধ্যমে গ্রামবাসী ধারণা করে তেঁতুল গাছের ভূতই আসমানির এই অবস্থার জন্য দায়ী। আসমানির বাবাও তা বিশ্বাস করেন এবং আসমানির অবস্থা উন্নত করার জন্য কবিরাজকে ডেকে আনেন। মূলত ভূতের কারণে নয় বরং প্রচুর রোদের তাপে শারীরিক অবস্থার অবণতি ঘটায় আসমানি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যা আসমানীর বাবা কবিরাজ ডাকার মাধ্যমে জানা যায়। গল্পের নগেনও ভূত আছে এই বিশ্বাস নিয়েই পরাশর ডাক্তারের কাছে সাহায্য চাইতে যায় যা তাকে আসমানির ঘটনার সাথে একই সূত্রে সম্পর্কযুক্ত করে তোলে।
উপরিউক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে,তৈলচিত্রের ভূত গল্পের মূল বিষয় উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রশ্ন -৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পিয়ারী কিছুতেই শ্রীকত্মকে শ্মশানে যেতে দেবে না। তার দৃঢ়বিশ্বাস, শ্মশানে ভূত-প্রেতের বাস। শনিবারের অমাবস্যায় শ্মশানে গেলে প্রাণ নিয়ে আর ফিরে আসা যাবে না। কিন্তু শ্রীকাত্মর ভীষণ জেদ। পিয়ারীর শত অনুনয় উপেক্ষা করে বন্দুক হাতে সে ভূতের সন্ধানে শ্মশানের দিকে রওনা হয়।
ক. তৈলচিত্রের ভূত গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? ১
খ. নগেন তার মামার প্রতি মিথ্যে ভক্তি দেখাত কেন? ২
গ. উদ্দীপকের পিয়ারী চরিত্রটি কোন দিক থেকেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের শ্রীকাšত্ম এবং পঠিত গল্পের পরাশর ডাক্তার একই চেতনার মানুষÑ মšত্মব্যটি বিশেস্নষণ কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. তৈলচিত্রের ভূত সর্বপ্রথমমৌচাক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
খ. নিজের থাকা খাওয়ার অর্থ যথাযথভাবে পাওয়ার জন্য নগেন তার মামার প্রতি মিথ্যে ভক্তি দেখাত।
নগেন মামার বাড়িতে থেকে কলেজে পড়ে। ছোটবেলা থেকেই সে মামার বাড়িতে থেকে মানুষ হয়েছে। কিন্তু তার মামা টাকা-পয়সা খরচ করতে চাইত না। এ কারণে নগেনের চলাফেরার খুব সমস্যা হতো। ফলে নগেনও তার মামার প্রতি কৃত্রিম ভালোবাসার ভাব বজায় রাখলেও মনে মনে সে তার মামাকে ভালোবাসত না।
গ. উদ্দীপকের পিয়ারী চরিত্রটি অন্ধবিশ্বাসের দিক থেকে নগেনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেন মৃত মামার ছবিতে প্রণাম করার জন্য হাত দিলে প্রচ- ধাক্কা অনুভব করে। এই ধাক্কা অনুভূত হওয়ার কোনো সদুত্তর নগেনের জানা নেই। আমরা যে বিষয়ে পরিষ্কার জবাব দিতে অক্ষম হই তাকে ভূতের উপর চাপিয়ে দিতে অভ্য¯ত্ম। তাই ধাক্কা খাওয়ার কার্যকারণ পেতে অক্ষম হলে নগেন অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে একে মামার ভূত নামে অভিহিত করে।
উদ্দীপকের পিয়ারী চরিত্রটি শ্রীকাত্মকে শ্মশানে যেতে দিতে রাজি নয়, কারণ সে বিশ্বাস করে সেখানে মৃত মানুষের আত্মা ভূত হয়ে বিচরণ করে। শনিবার অমাবস্যায় শ্মশানে গেলে ভূতপ্রেত অবশ্যই ক্ষতি করবে এবং বেঁচে ফিরে আসার কোনো আশাই নেই। পিয়ারী ভূতপ্রেতের সাথে শনিবার এবং অমাবস্যায় এদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে মানুষের প্রাণ হরণ করতে পারে এমন বিশ্বাস ধারণ করে। এই বিশ্বাসের মাধ্যমে পিয়ারী অন্ধবিশ্বাস প্রকাশিত হয়েছে যা আমরা গল্পের নগেনের ড়্গেেত্র দেখতে পাই। তাই বলা যায় উদ্দীপকের পিয়ারী এবং গল্পের নগেনের চরিত্রের মাঝে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ “উদ্দীপকের শ্রীকাšত্ম এবং পরাশর ডাক্তার একই চেতনার মানুষ”Ñ মšত্মব্যটি যথাযথ।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের পরাশর ডাক্তার ভূতে বিশ্বাস না করে ঠা-া মাথায় নগেনের ঘটনাটি নিয়ে ভেবেছেন। তিনি বুদ্ধি খাটিয়ে উদ্ঘাটন করেন যে বৈদ্যুতিক সংযোগের কারণেই রুপার ফ্রেম তথা ছবিটিতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়েছে এবং এর কারণেই নগেন ধাক্কা অনুভব করেছে। বিজ্ঞানের সূত্র ধরে বিশেস্নষণ ও যুক্তি প্রয়োগ করে তিনি পুরো বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হন।
উদ্দীপকের শ্রীকাত্ম পিয়ারীর কথায় কান দেয় না। শত অনুনয় উপেক্ষা করে ভূতের সন্ধানে শ্মশানের দিকে রওনা হয়। প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পেরে মানুষ তাকে অশরীরী আত্মার কাজ বা ভূতের উপস্থিতি বলে মনে করে। অথচ ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটি ঘটনার পিছনে সাধারণ অথচ যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ অবশ্যই থাকে। যা শ্রীকাত্ম বিশ্বাস করে। ফলে সে জানে ভূত বলে কিছু নেই। এই কারণেই পিয়ারীর নিষেধ করা সত্ত্বেও শনিবার অমাবস্যার রাত ইত্যাদি নিয়ামকের প্রতি মনোযোগ দিতে আগ্রহী নয়। যা আমরা গল্পের পরাশর ডাক্তারের চরিত্রে দেখতে পাই।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্দীপকের শ্রীকাšত্ম এবং গল্পের পরাশর ডাক্তারের চেতনা সমতালে প্রবাহিত হয় বলে প্রতীয়মান।
প্রশ্ন -৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সৃজনের মা মারা যাওয়ার পর থেকে সৃজন তার মামাবাড়ি থাকে। তার মামা অনেক বড়লোক অথচ কৃপণ। সৃজনকে আদর যত্ন করলেও টাকা পয়সা দিত না। সৃজন তার মামাকে মনে মনে গালি দিলেও উপরে উপরে শ্রদ্ধা দেখাত। মামা যেন তার কাছে যমের মতো। কিত্মু সেই মামাই মৃত্যুর সময় সৃজনের নামে এক বিঘা সম্পত্তি উইল করে রেখে যান।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়েরমাঝির ছেলে কী ধরনের রচনা? ১
খ. নগেন তার মামাকে ত্মর থেকে শ্রদ্ধাভক্তি করেনি কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কোন ঘটনার সাদৃশ্য আছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটিতৈলচিত্রের ভূত গল্পের শিক্ষণীয় দিকটির প্রতিনিধিত্ব করে”- বিশেস্নষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়েরমাঝির ছেলে কিশোর উপন্যাস।
খ. নগেনের প্রতি মামার আচার-আচরণ এবং অত্যšত্ম কৃপণতার জন্যই নগেন তার মামাকে অšত্মর থেকে শ্রদ্ধা-ভক্তি করেনি।
নগেন তার মামার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করেছে এবং মানুষ হয়েছে। তার মামার সম্পদের অভাব ছিল না। তবু তিনি ছিলেন কৃপণ। তাছাড়া সারাক্ষণ তিনি নগেনকে বকাঝকার মধ্যেই রাখতেন। তাই সে সর্বদা মামার মৃত্যু কামনা করত এবং মন থেকে তার মামাকে শ্রদ্ধা-ভক্তি করত না।
গ. উদ্দীপকের সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের মামার নগেনের নামে সম্পত্তি উইল করে দেওয়ার মতো দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসার বিষয়ের সাদৃশ্য রয়েছে।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পে নগেনের মামা ছিলেন অত্যšত্ম কৃপণ। কখনো নগেনকে এক পয়সা দিতে চাইতেন না এবং বকাঝকা করতেন। তাই নগেন তার মামাকে তেমন শ্রদ্ধা-ভক্তি করত না। সর্বদাই মামার মৃত্যু কামনা করত। কিন্তু তার মামা তাকে ঠিকই ভালোবাসত। তাই মৃত্যুর পূর্বে তার নামে সম্পত্তি উইল করে যান।
উদ্দীপকে সৃজনও মামার বাড়িতে থাকে। তার মামাও অত্যšত্ম কৃপণ। কখনো তাকে সামান্য অর্থ দিতে চায় না। তাই সেও তার মামাকে মনে মনে গালি দিত কিন্তু উপরে শ্রদ্ধা দেখাত। তবে মৃত্যুর সময় তার মামা ঠিকই তাকে এক বিঘা জমি উইল করে যান। এ ঘটনাটিই গল্পের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকে সৃজনের মামার ভাগ্নের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে, যাতৈলচিত্রের ভূত গল্পের শিক্ষণীয় দিকের প্রতিনিধিত্ব করে।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পে নগেনের মামার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। নগেনের মামা অত্যšত্ম কৃপণ। তাই নগেন কখনই তার মামার ভালো চায়নি। উপরে উপরে শ্রদ্ধা করলেও নগেন তার মামার মৃত্যু কামনা করত। কিন্তু তার মামা ঠিকই তাকে ভালোবাসত। তাইতো মৃত্যুর পূর্বে তার নামে সম্পত্তি উইল করে দিয়ে দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসার পরিচয় দিয়েছেন।
উদ্দীপকেও সৃজনের মামার গভীর ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। সৃজন মামার বাড়িতে থাকে। কিন্তু তার মামা অত্যত্ম কৃপণ। তাই সে সর্বদা মামাকে মনে মনে গালি দিত। কিন্তু তার মামা তার প্রতি যথেষ্টই দায়িত্বশীল ছিলেন। যে কারণে মৃত্যুর সময় তার নামে সম্পত্তি উইল করে দিয়েছেন।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকটি গল্পের শিক্ষণীয় দিকের প্রতিনিধিত্ব করে।
প্রশ্ন –৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কৃষক গনি মিয়ার বড় ছেলে ফটিক ডেঙ্গুজ্বরে আক্রাত্ম হলে কবিরাজের কাছ থেকে পানি পড়া এনে খাওয়ায় এবং তাবিজ দরজায় ঝুলিয়ে রাখে। বাড়ির সবাইকে সাবধান করে বলে খোঁড়া কোনো প্রাণী দেখলে যেন তাড়িয়ে দেয়। তার ধারণা ডেঙ্গুজ্বর খোঁড়া প্রাণীর রূপ ধরে বাড়িতে আসে। কিন্তু গনি মিয়ার অষ্টম শ্রেণিতে পড়া ছোট ছেলে রবিন বাবার ধারণা ভুল প্রমাণ করতে তার বিজ্ঞান বইয়ের ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উদাহরণ দেয়।
ক. নগেনের মামার গায়ে কীসের পাঞ্জাবি ছিল? ১
খ. নগেন মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করতে গেল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের গনি মিয়ার ধারণাটিতৈলচিত্রের ভূত গল্পের যে দিকটি ফুটিয়ে তুলেছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর রবিন পরাশর ডাক্তারের যথার্থ প্রতিনিধি? তোমার উত্তরের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. নগেনের মামার গায়ে ছিল মটকার পাঞ্জাবি।
খ. নগেন আত¥গস্নানি কমানোর জন্য মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করতে গেল।
নগেন তার মামার বাড়িতে থেকে কলেজে পড়ত। তার মামা ছিল বড্ড কৃপণ। এ জন্য মামাকে বাইরে থেকে শ্রদ্ধা-ভক্তি দেখালেও ভিতরে প্রায়ই নগেন যমের বাড়ি পাঠাত। কিন্তু মামার মৃত্যুর পর যখন দেখল মামা তার জন্যও মোটা অঙ্কের টাকা উইল করে গেছেন তখন মামার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তিতে মন ভরে গেল। এমন মানুষকে সে ভক্তি ভালোবাসার ভান করে ঠকিয়েছে বলে অনুতপ্ত হতে লাগল। এই আত¥গস্নানি কমানোর জন্য মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করতে গেল নগেন।
গ. উদ্দীপকের গনি মিয়ার ধারণাটিতৈলচিত্রের ভূত গল্পের ভূতে বিশ্বাস নিয়ে যে কুসংস্কার সে দিকটি ফুটিয়ে তুলেছে।
কুসংস্কারাচ্ছন্নতার কারণে মানুষ নানা অশরীরী শক্তির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে বিভ্রাšত্ম হয়ে পড়ে। কিন্তু মানুষকে যদি বিজ্ঞানচেতনা দিয়ে ঘটনা-বিশেস্নষণে উদ্বুদ্ধ করা যায় তাহলে ঐসব বিশ্বাসের অšত্মঃসারশূন্যতা ধরা পড়ে।
উদ্দীপকের কৃষক গনি মিয়া কুসংস্কারাচ্ছন্ন একজন মানুষ। ছেলে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রাšত্ম হলে কবিরাজের কাছ থেকে পানিপড়া এনে খাওয়ায় এবং দরজায় তাবিজ ঝুলিয়ে রাখে। তার ধারণা ডেঙ্গুজ্বর খোঁড়া প্রাণীর রূপ ধরে বাড়িতে আসে। এই বিষয়টিতৈলচিত্রের ভূত গল্পের ভূতে বিশ্বাস নিয়ে কুসংস্কারের দিকটি ফুটিয়ে তুলেছে। নগেন আত¥গস্নানি কমাতে রাতে তার মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করতে যায় এবং ছবির ফ্রেমের সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ ঘটায় সেটি ছুঁলে তার বৈদ্যুতিক শক লাগে। কিন্তু নগেন ভাবে এটা মামার আত¥ার ভূত। তার এই ভূতে বিশ্বাসের কুসংস্কারকে ফুটিয়ে তুলেছে উদ্দীপকের গনি মিয়ার ধারণাটি।
ঘ. “উদ্দীপকের রবিনতৈলচিত্রের ভূত গল্পের পরাশর ডাক্তারের যথার্থ প্রতিনিধি”- এই মত্মব্যের সাথে আমি একমত।
আমাদের সমাজ তথা সমাজের মানুষ নানারকম কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। ভিত্তিহীন অন্ধ বিশ্বাসে তারা ডুবে আছে এবং এই বিশ্বাস নিয়েই তারা থাকতে পছন্দ করে। যারা এই বিষয়ে সচেতন তাদের উচিত বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে সেই সব কুসংস্কারের ভিত্তিহীনতাকে তাদের সামনে স্পষ্ট করে তোলা।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের পরাশর ডাক্তার একজন বিজ্ঞানমনস্ক সচেতন মানুষ। তিনি ভূতের কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন না। তাইতো নগেন যখন এসে তার মামার তৈলচিত্রের ভূতের কথা শোনায় তিনি সেটা বিশ্বাস না করে ঘটনাস্থলে নিজে গিয়ে নগেনের ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করেন। এই পরাশর ডাক্তারের যথার্থ প্রতিনিধি উদ্দীপকের রবিন। রবিন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা গনি মিয়ার ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কে ভিত্তিহীন ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে। গনি মিয়ার ধারণা ডেঙ্গুজ্বর খোঁড়া প্রাণীর রূপ ধরে বাড়িতে আসে। তাই সে দরজায় তাবিজ ঝুলিয়ে রাখে। রবিন ডেঙ্গুজ্বরের সঠিক কারণটি বিজ্ঞান বই থেকে তার বাবাকে পড়ে শোনায়।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, রবিন পরাশর ডাক্তারের যথার্থ প্রতিনিধি।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন –৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আলিফের বাবা মারা যাওয়ার পর তার এক মামা ও এক চাচা তার দেখাশোনার দায়িত্ব নেন। আলিফের মামা আব্দুল আউয়াল স্বল্পশিক্ষতি ও পীরভক্ত মানুষ। অপরপক্ষ,ে তার চাচা আব্দুল মান্নান আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষতি একজন শিক্ষক। একদিন আলিফ ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ায় এবং সন্ধ্যায় জ্বর নিয়ে বিছানায় পড়ে। আলিফের মামা চায় পীরের পানিপড়া খাওয়াতে এবং চাচা চায় ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়াতে। শেষ পর্যšত্ম ডাক্তার নির্দেশিত ওষুধের পাশাপাশি পীরের পানি পড়াও আলিফ খায়। এক সপ্তাহ পর আলিফ সুস্থ হয়। আব্দুল আউয়ালের বিশ্বাস, পীরের পানিপড়া খেয়েই আলিফ সেরে উঠেছে।
ক. পরাশর ডাক্তার প্রকা- লাইব্রেরিতে বসে কী করছিলেন? ১
খ. মামার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তিতে নগেনের মন ভরে উঠল কেন? ২
গ. আব্দুল আউয়ালের সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.আব্দুল মান্নানকেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের পরাশর ডাক্তারের প্রতিরূপ বলা যায় কি? মতের পড়্গে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. পরাশর ডাক্তার প্রকা- লাইব্রেরিতে বসে চিঠি লিখছিলেন।
খ. মামা নিজের ছেলেদের মতোই নগেনকেও ভালোবাসতেন- এ কথা জানতে পেরে মামার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তিতে নগেনের মন ভরে উঠল।
নগেনের মামা মারা যাওয়ার আগে নিজের ছেলেদের সমপরিমাণ টাকা তার জন্যও উইল করে গেছেন। মামার এ রকম উদারতা নগেনের কাছে কল্পনাতীত ছিল। তাই নগেন সে যখন বুঝতে পারল মামা তাকে নিজের ছেলের মতোই ভালোবাসতেন, তখন তার মন শ্রদ্ধা-ভক্তিতে ভরে উঠল।
গ. মনের চেতনাগত দিক দিয়ে আব্দুল আউয়ালের সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘটনাগত অমিল থাকলেও নগেনের মধ্যে উপস্থিত কুসংস্কারের প্রতিফলন দেখা যায় উদ্দীপকের আব্দুল মান্নানের মধ্যে।তৈলচিত্রের ভূত গল্পে দেখা যায়, মামার তৈলচিত্র ছোঁয়ামাত্র নগেনের মনে হয়েছে কে যেন তাকে ধাক্কা দিয়েছে। তার বিশ্বাস মামার প্রতি মিথ্যা ভক্তির কথা মামা জানতে পেরেছেন। তাই তিনি তাকে ছবি স্পর্শ করতে দিতে রাজি নন। প্রকৃতপড়্গে কুসংস্কার, বিবেচনাবোধ ও অন্ধবিশ্বাসের কারণেই নগেন অশরীরী আত্ময় বিশ্বাস করে ভয় পায়।
উদ্দীপকের আব্দুল আউয়াল স্বল্পশিক্ষতি মানুষ। ভুল বিশ্বাসের কারণে সে অন্ধভক্ত হয়ে পড়ে। সে কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বশে আলিফের অসুস্থতার সময় পীরের পানি পড়াকে আলিফের সুস্থতার জন্য যথেষ্ট মনে করে। তাই বলা যায়, মনের চেতনাগত দিক দিয়ে আব্দুল আউয়াল ও নগেনের সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. আব্দুল মান্নানকেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের পরাশর ডাক্তারের প্রতিরূপ বলা যায়।
চেতনাগত ভূতে বিশ্বাসের বিপরীতেই বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির অবস্থান। বিজ্ঞান কোনো ভৌতিক ঘটনা বিশ্বাস করে না বরং ঐসব ঘটনার পেছনের বৈজ্ঞানিক কার্যকারণ উপস্থাপন করে। তাই বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি খুব সহজেই যেকোনো ভুল বিশ্বাসজনিত সমস্যা দূর করতে পারেন। এর বা¯ত্মব প্রমাণ লক্ষ করা যায়তৈলচিত্রের ভূত গল্পের পরাশর ডাক্তার এবং উদ্দীপকের আব্দুল মান্নানের মধ্যে।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের পরাশর আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যয়নকারী। তিনি যুক্তি দিয়ে সবকিছু ব্যাখ্যা করতে পছন্দ করেন। নগেন তার কাছে ভূতে ভয়জনিত ঘটনা খুলে বললে তিনি ভূত নেই বলে নগেনকে আশ্ব¯ত্ম করেন। পরে তৈলচিত্রটি পর্যবেক্ষণ করে এবং স্পর্শ করে ঘটনার প্রকৃত কারণ হিসেবে বৈদ্যুতিক সংযোগকে চিহ্নিত করেন। অন্যদিকে উদ্দীপকে আব্দুল মান্নান আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষতি একজন শিক্ষক। তিনি আলিফের সুস্থতার জন্য পীরের পানিপড়াকে যথেষ্ট বা যৌক্তিক মনে করেননি। তিনি ডাক্তারের পরামর্শমতো আলিফকে ওষুধ খাওয়ান। এতে তার মধ্যে পরাশর ডাক্তারের বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির উপস্থিতি প্রকাশ পায়।
উলিস্নখিত আলোচনায় আব্দুল মান্নানকে পরাশর ডাক্তারের প্রতিরূপ বলা যায়।
প্রশ্ন –৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দীর্ঘদিন যাবৎ মিতুলদের বাড়ির পাশে একঘর হিন্দু পরিবারের বসতি ছিল। গত চৈত্র মাসে কলেরায় আক্রাšত্ম হয়ে সবাই পরপারে চলে গেলে বাড়িটিতে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। এলাকার যে কেউ রাতের বেলা এ বাড়িটির পাশ দিয়ে গেলে কান্নার শব্দ শুনতে পায়। সবার ধারণা মৃতদের আত¥া ভূত হয়ে কাঁদে- এ নিয়ে এলাকার সবার মধ্যে একটি অস্থির ও অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ক. নগেনের মামা কত বছর লাইব্রেরির পেছনে একটি পয়সাও খরচ করেনি? ১
খ. সম¯ত্ম সকালটা নগেন মড়ার মতো পড়ে রইল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের বৈসাদৃশ্যগত দিকটি চিিহ্নত কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের সমগ্র বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেছে কি? মতের পড়্গে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. নগেনের মামা গত তিরিশ বছর লাইব্রেরির পেছনে একটি পয়সাও খরচ করেনি।
খ. তৈলচিত্রে প্রণাম করার সময় ধাক্কার রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় নগেন সম¯ত্ম সকালটা মড়ার মতো পড়ে রইল।
রাতের অন্ধকারে নগেন যখন তার মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করার জন্য হাত রাখে তখন কে যেন তাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে ফেলে দেয়। নগেন তার মামাকে মন থেকে ঘৃণা করত কিন্তু মামা মারা যাওয়ার পর সে বুঝতে পারে তার মামা তাকে ছেলের মতো ভালোবাসতেন। তাই সে তার ভুল বুঝতে পেরে রাতের অন্ধকারে মৃত মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করতে গেলে কে যেন তাকে ধাক্কা মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। এ রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পেরে সম¯ত্ম সকালটা নগেন মড়ার মতো পড়ে রইল।
গ. উদ্দীপকের সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের ঘটনাগত বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পে মামার প্রতি অনুশোচনা থেকে জেগে ওঠা শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রদর্শন করার জন্য মামার তৈলচিত্রের ফ্রেমে হাত রেখে প্রচ- ঝাড়া খেয়ে নগেন ভয় পায়। তার কাছে মনে হয় তার মামার আত¥া তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়েছে। প্রকৃতপড়্গে নগেন বৈদ্যুতিক শকের বিষয়টিকে ভূত মনে করেছিল।
উদ্দীপকে হিন্দু পরিবারের মৃত্যুতে হিন্দু বাড়িটিতে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এলাকার যে কেউ রাতের বেলা এ বাড়ির পাশ দিয়ে গেলে কান্নার শব্দ শুনতে পায়। এলাকার সবার ধারণা মৃতদের আত্মা ভূত হয়ে কাঁদে। প্রকৃতপড়্গে এলাকাবাসী একটি মানসিক অস্ব¯তিকর অবস্থার কারণেই মৃতদের আত্মাকে ভূত বলে বিশ্বাস করেছে। তাই বলা যায়, ভূত-বিশ্বাসের দিক দিয়ে উদ্দীপক ও আলোচ্য গল্পের মিল থাকলেও এতে ঘটনাগত বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের সমগ্র বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেনি।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পে ভূতে বিশ্বাস নিয়ে মানুষের মধ্যে বিরাজমান কুসংস্কার যে ভিত্তিহীন সে বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এ গল্পে নগেন চরিত্রের মধ্যে ভূতে বিশ্বাসের স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন। অন্যদিকে পরাশর ডাক্তারের মধ্যকার বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে স্পষ্ট করে তুলেছেন নগেনের বিশ্বাস ও কুসংস্কারের ভিত্তিহীনতা।
উদ্দীপকে কলেরায় আক্রাšত্ম একটি পরিবারের মৃতের ঘটনায় এলাকাবাসী ভীত হয়ে পড়ে। এই ভয়ের সূত্র ধরেই বাড়িটির পাশে রাতে হাঁটার সময় কান্নার শব্দ শোনা যায়। এ ঘটনায় এলাকার সবাই মনে করে মৃতের আত¥া ভূত হয়ে কাঁদে। এখানে আলোচ্য গল্পে নগেন চরিত্রে প্রতিফলিত ভূত বিশ্বাসের বিষয়টির ইঙ্গিত রয়েছে। কিন্তু গল্পে উলিস্নখিত বিজ্ঞানচেতনা দিয়ে ভূতে বিশ্বাসের অšত্মঃসারশূন্যতার বিষয়টি উদ্ঘাটনের জন্য ঘটনা বিশেস্নষণে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়টি অনুপস্থিত।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের সমগ্র বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেনি।
প্রশ্ন -৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সমুদ্রসৈকতে সৌন্দর্যতৃষ্ণা মেটানোর পর সজিব ও পিয়াস যখন হোটেলে নিজেদের রম্নমে প্রবেশ করল তখন দুজনই ভীত সন্ত্র¯ত্ম অবস্থায় চিৎকার করে রম্নমের বাইরে এলো। কারণ তারা রম্নমে একজন মানুষের ছায়ার মতো কিছু একটা দেখল। সজিব এই ছায়াকে অলৌকিক কিছু একটা মনে করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধাšত্ম নিল। কিন্তু পিয়াস দমে যাওয়ার পাত্র নয় সে বিভিন্নভাবে চিšত্মাভাবনা ও ঐ রাতে হোটেলে অবস্থানরত মানুষের কাছে খোঁজ নিয়ে প্রমাণ করল ছায়াটি অলৌকিক কিছু নয়। হোটেলের দারোয়ান রম্নমের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তার ছায়াটিই সজিবদের রম্নমে পড়েছিল।
ক. নগেনের মামার ছবি কীসের ফ্রেম দিয়ে বাঁধানো হয়েছিল? ১
খ. নগেন পরাশর ডাক্তারের সাথে দেখা করেছিল কেন? ২
গ. পিয়াসের সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ. বিজ্ঞানবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে সজিবের মানসিকতার পরিবর্তন সম্ভব কিনা-তৈলচিত্রের ভূত গল্পের আলোকে এ ব্যাপারে তোমার মতামত উপস্থাপন কর।
৪
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. নগেনের মামার ছবি রম্নপার ফ্রেম দিয়ে বাঁধানো হয়েছিল।
খ. ভুতুড়ে কচের ঘটনাটি জানানোর জন্য নগেন পরাশর ডাক্তারের সাথে দেখা করেছিল।
মামার উদারতার পরিচয় পেয়ে মৃত মামার প্রতি নগেনের শ্রদ্ধা-ভক্তি বেড়ে যায়। সে অনুতপ্ত হয়ে মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করতে গেলে মামার প্রেতাত¥া তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরদিনও একই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাটি জানানোর জন্যই নগেন পরাশর ডাক্তারের সাথে দেখা করেছিল।
গ. বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও সাহসের দিক দিয়ে উদ্দীপকের পিয়াস ওতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের মধ্যে বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের অলৌকিক বিশ্বাস অবলম্বন করে মানুষ স্বাভাবিক ঘটনায়ও ভীত হয়। এর কারণ হলো বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার অভাব। এই গুণগুলো বর্তমান থাকলে ভূত বা অলৌকিক, অশরীরী কোনো বস্তুর ওপর মানুষ বিশ্বাস করত না। মানব চরিত্রের এই গুরম্নত্বপূর্ণ গুণগুলোর অভাব রয়েছেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের মধ্যে। আবার এই গুণগুলোর প্রবলভাবে উপস্থিতি লক্ষণীয় উদ্দীপকের পিয়াসের মধ্যে।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেন রাতের অন্ধকারে তার মামার ছবির ফ্রেমে হাত দিলে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। এতে সে মনে করে মৃত মামার অশরীরী আত¥া ভূত হয়ে তাকে ধাক্কা দেয়। প্রকৃতপড়্গে ছবির ফ্রেমে সে বৈদ্যুতিক শক খেয়ে পড়ে গিয়েছিল। অপরপক্ষ,ে উদ্দীপকের সজিব ছায়াটিকে অলৌকিক কিছু মনে করে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধাšত্ম নেয়। কিন্তু পিয়াস চিত্ভাবনা ও লোকের কাছে জিজ্ঞাসার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় ছায়াটি প্রকৃতপড়্গে হোটেলের দারোয়ানের। এর মধ্যদিয়ে তার বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার প্রকাশ ঘটেছে, যা আলোচ্য গল্পের নগেনের মধ্যে অনুপস্থিত। এই দিক দিয়েই তাদের মধ্যে বৈসাদৃশ্য সূচিত হয়েছে।
ঘ. বিজ্ঞানবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে সজিবের মানসিকতার পরিবর্তন সম্ভব।
বিজ্ঞান সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের সকল প্রকার কুসংস্কারাচ্ছন্নতার অযৌক্তিকতা প্রমাণ করতে সক্ষম। কুসংস্কারাচ্ছন্নতার কারণে মানুষ নানা অশরীরী শক্তির প্রতি বিশ্বাস করে বিভ্রাšত হয়ে পড়ে। কিন্তু মানুষকে যদি বিজ্ঞানচেতনা দিয়ে ঘটনা বিশেস্নষণে উদ্বুদ্ধ করা যায় তাহলে ঐসব বিশ্বাসের অšত্মঃসারশূন্যতা ধরা পড়ে। যেমনটি আমরা উদ্দীপকের পিয়াস ওতৈলচিত্রের ভূত গল্পের পরাশর ডাক্তারের ঘটনা বিশেস্নষণে দেখতে পাই।তৈলচিত্রের ভূত গল্পে পরাশর ডাক্তার নগেনের ভয় পাওয়ার ঘটনা শুনে ভয় পাননি বরং তিনি নগেনের ভয় পাওয়ার ঘটনার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা খুঁজতে চেষ্টা করেছেন এবং প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করেছেন।
উদ্দীপকের পিয়াসও রম্নমে দেখতে পাওয়া ছায়াটির প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পরাশর ডাক্তারের মতোই বিচক্ষণতা ও বিজ্ঞানচেতনার মাধ্যমে ঘটনা বিশেস্নষণে প্রয়াসী হয়েছিল। অপরপক্ষ, উদ্দীপকের সজিব রম্নমের মধ্যে দেখতে পাওয়া ছায়াটিকে অলৌকিক কিছু মনে করে ভয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধাšত্ম নেয়। এতে তার মধ্যে বিজ্ঞানচেতনার অভাব প্রকাশিত হয়।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে আলোচ্য গল্পের পরাশর ডাক্তার ও উদ্দীপকের পিয়াসের মতো বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলতে পারলে সজিবের মানসিকতার পরিবর্তন সম্ভব।
প্রশ্ন -১০ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নাতাশা মায়ের মৃত্যুর পর সৎ মায়ের সংসারে বড় হয়। সৎ মায়ের সঙ্গে নাতাশার সম্পর্ক ছিল খুব দূরের। আপন মায়ের স্থানে সে সৎ মাকে বসাতে পারেনি। তাদের মধ্যে কথাবার্তাও খুব কম হতো। নাতাশাকে মা কোনো টাকা পয়সা দিত না। সৎ মায়ের মনে কোথায় যেন একটি স্নেহধারা তার জন্য ছিল, যা নাতাশা অনুভব করতে পারেনি। একদিন নাতাশার প্রচ- জ্বর হলে ওই সৎমা নাতাশার পাশে সারারাত জেগে থেকে তার সেবাশুশ্রূষা করে। নাতাশা তখন মায়ের প্রতি অশ্রদ্ধার জন্য অনুতপ্ত হয়।
ক. কে সম¯ত্ম সকালটা মড়ার মতো বিছানায় পড়ে রইল? ১
খ. নগেন কেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা চিšত্মা করে? ২
গ. উদ্দীপকের নাতাশা চরিত্রটির সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেন চরিত্রের কী সাদৃশ্য রয়েছে? নির্ণয় কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে নগেন চরিত্রের সবটুকু প্রকাশিত হয়েছে কি? মতের পড়্গে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
১০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. নগেন সম¯ত্ম সকালটা মড়ার মতো বিছানায় পড়ে রইল।
খ. ভূতের ভয়ে তথা মামার প্রেতাত¥ার ভয়ে নগেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চিšত্মা করে।
মৃত্যুর পর নগেন তার মামার উদারতার পরিচয় পায়। সে মামার প্রতি মিথ্যা ভক্তি-শ্রদ্ধা দেখিয়ে তাকে ঠকিয়েছে ভেবে অনুতপ্ত হয়। তাই মামার তৈলচিত্রের কাছে ক্ষমা চেয়ে আত¥গস্নানি কমাতে চায়। কিন্তু ছবি স্পর্শ করা মাত্র সে ধাক্কা খেয়ে জ্ঞান হারায়। দিনরাত সে শুধু এ কথাই ভাবে। এ ভয়ের কারণে নগেন বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা চিšত্মা করে।
গ. উদ্দীপকের নাতাশা চরিত্রটির সঙ্গেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের মানসিকতার দিক দিয়ে সাদৃশ্য রয়েছে।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেন মামার সংসারে বড় হলেও মামার সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল না। সে মামাকে উপরে উপরে শ্রদ্ধা করত। নগেনের প্রতি তার মামারও যে ভালোবাসা ছিল তা সে বুঝতে পারেনি। মামা নগেনকে নিজের সšত্মানের মতোই দেখত। তাই মৃত্যুর পূর্বে নিজের সšত্মানের সমান টাকা নগেনের নামে উইল করে দিয়েছেন। নগেন তার মামার ভালোবাসার পরিচয় পেয়ে অনুতপ্ত হয়।
উদ্দীপকের নাতাশা মায়ের মৃত্যুর পর সৎ মায়ের সংসারে বড় হয়েছে। সৎ মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল না। সৎ মায়ের মনের কোণে নাতাশার জন্য যে ভালোবাসা জমা ছিল তা সে জানত না। নাতাশার অসুস্থ অবস্থায় সেবাশুশ্রূষার মাধ্যমে সৎ মায়ের সে ভালোবাসা প্রকাশ পায়। নাতাশা তখন অনুতপ্ত হয়ে মায়ের কাছে ক্ষমা চায়। তাই বলা যায়, উলিস্নখিত চরিত্র দুটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেন চরিত্রের সবটুকু প্রকাশিত হয়নি।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নগেন চরিত্রের মধ্য দিয়ে ভূত-বিশ্বাসের স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন। এখানে নগেন মামাকে ভুল বুঝে তার প্রতি মনে মনে অন্যায় মানসিকতা লালন করে। পরে ভুল বুঝতে পেরে অনুশোচনা থেকে জেগে ওঠা শ্রদ্ধাভক্তি প্রদর্শনের জন্য মামার তৈলচিত্রের ফ্রেমে হাত রেখে ধাক্কা খেয়ে ভয় পায়। এখানে নগেন বৈদ্যুতিক শকের বিষয়টিকে না বুঝে ভূত মনে করে। এতে তার কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতার প্রকাশ ঘটে।
অন্যদিকে উদ্দীপকে নাতাশার জন্য সৎ মায়ের ভালোবাসার বিষয়টি। সে না জেনে তার প্রতি অন্যায় মানসিকতা লালন করে। এরপর নাতাশা তার ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়। এখানে নাতাশার মধ্যে নগেন চরিত্রের অন্যান্য বিষয়ের উপস্থিতি থাকলেও ভূতে বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রকাশিত কুসংস্কারাচ্ছন্নতার বিষয়টি অনুপস্থিত।
উলিস্নখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকে নগেন চরিত্রের সবটুকু প্রকাশিত হয়নি।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন-১১ গালিব এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে রাত জেগে পড়াশোনা করে। কয়েকদিন আগে তার দাদু মারা গেছেন। দাদু মারা যাওয়ার পর থেকে রাতে জেগে পড়তে তার ভয় লাগে। সন্ধ্যার পর জানালা দিয়ে তাকালেই মনে হয় পাশের কলাবাগান থেকে দাদু তাকে হাত ইশারা করে ডাকছে। রাতে হালকা বাতাস বইতে থাকলেই সে দাদুকে কলাবাগানে দাঁড়িয়ে ডাকতে দেখে। কিন্তু দিনের বেলায় বাতাস থাকলেও দাদুকে কলাবাগানে দাঁড়িয়ে ডাকতে দেখা যায় না।
ক. রুপার ফ্রেমটা কে সিন্দুকে তুলে রেখেছিল? ১
খ. নগেনের হৃৎকম্প হতে লাগল কেন? ২
গ. উদ্দীপকে তোমার পাঠ্য কোন গল্পের বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. গালিবের ভয় দূর করতে করণীয় কী?তৈলচিত্রের ভূত গল্পের আলোকে মতামত দাও। ৪
প্রশ্ন-১২ মানিক প্রকৃতির ডাকে গভীর রাতে বেরিয়ে দেখতে পায় একটু দূরে সাদা মতো কী যেন দেখা যায় এবং তা হালকা বাতাসে দোল খাচ্ছে মনে হয়। মানিক একেই ভূত মনে করে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তারপর মানিকের বাবা এসে মানিককে উদ্ধার করে এবং জানতে পারে ভূত দেখে সে ভয় পেয়েছিল। আসলে সেটা কোনো ভূত ছিল না। সেটা ছিল একটি ছোট গাছ, যা রাতের বেলায় হালকা জ্যোৎস্নার আলোতে সাদা দেখাচ্ছিল।
ক. অশরীরী মানে কী? ১
খ. নগেনের মামা কেমন লোক ছিলেন? ২
গ. উদ্দীপকের মানিকের ভূত দেখার সঙ্গেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কোনো ঘটনার সাদৃশ্য আছে কি? নির্ণয় কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটিতৈলচিত্রের ভূত গল্পের আংশিক ভাব ধারণ করে”- মšত্মব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। ৪
প্রশ্ন-১৩ তনিমার স্কুলেবিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধিই পারে ভ্রাšত্মধারণার অবসান ঘটাতে শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্যার নবী মাহমুদ। তিনি বলেন,বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর। আর এ নিরক্ষরতার কারণেই তাদের মাঝে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস বাসা বেঁধে আছে। ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের ভৌতিক ও অশরীরী ভ্রাšত্ম ধারণায় বিশ্বাসী। যা ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও অšতসারশূন্য। তাই তিনি বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
ক. কে মামার ছবিটা ফ্রেমে বাঁধিয়েছিল? ১
খ. পরাশর ডাক্তার চুপ হয়ে গেলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের নবী মাহমুদের সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কার সাদৃশ্য রয়েছে? ৩
ঘ. উদ্দীপকটিতৈলচিত্রের ভূত গল্পের মূলভাবের ধারক- মšত্মব্যটির সত্যতা যাচাই কর।
৪
অনুশীলনের জন্য দক্ষতা¯ত্মরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ নগেনের মামা কী রকম লোক ছিলেন?
উত্তর : নগেনের মামা কৃপণ লোক ছিলেন।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ নগেনের মামা শেষ সময়ে নগেনের জন্য কী করেছিলেন?
উত্তর : নগেনের মামা শেষ সময়ে নগেনের নামে টাকা উইল করেছিলেন।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ নগেন মরিয়া হয়ে ডাক্তারকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল?
উত্তর : নগেন মরিয়া হয়ে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, সত্যই প্রেতাত¥া আছে কিনা।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ নগেন তার মামাকে কীভাবে ঠকিয়েছিল?
উত্তর : নগেন তার মামাকে ভালোবাসার ভান করে ঠকিয়েছিল।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ নগেন তার মৃত মামাকে কীভাবে ভক্তি-শ্রদ্ধা করতে চেয়েছিল?
উত্তর : নগেন তার মৃত মামার তৈলচিত্রের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে ভক্তি-শ্রদ্ধা করতে চেয়েছিল।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ অন্ধকারে নগেন তার মামার তৈলচিত্রের সামনে গিয়ে কী বলল?
উত্তর : অন্ধকারে নগেন তার মামার তৈলচিত্রের সামনে গিয়ে অস্ফুট স্বরে বললÑমামা, আমায় ক্ষমা কর।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ নগেন তার মামার ছবি ছুঁতেই তার কী হলো?
উত্তর : নগেন তার মামার ছবি ছুঁতেই তাকে কে যেন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ নগেনের মতে, নগেনের মামা দেয়ালে কীভাবে দাঁড়িয়ে আছেন?
উত্তর : নগেনের মতে, নগেনের মামা মটকার পাঞ্জাবির উপর দামি শাল গায়ে দিয়ে দেয়ালে দাঁড়িয়ে আছেন।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ নগেনের মামা তাকে দ্বিতীয় রাতে ধাক্কা দিলে নগেনের অবস্থা কী হলো?
উত্তর : নগেনের মামা তাকে দ্বিতীয় রাতে ধাক্কা দিলে নগেন আচ্ছন্নের মতো হয়ে গেল।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ কেন পরাশর ডাক্তারের বুক ধড়াস করে লাফিয়ে উঠল?
উত্তর : তৈলচিত্রের উপর দুটি জ্বলšত্ম চোখ পরাশর ডাক্তারের দিকে জ্বলজ্বল চোখে তাকিয়ে থাকার কারণে পরাশর ডাক্তারের বুক ধড়াস করে লাফিয়ে উঠল।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ তীব্র চাপা গলায় পরাশর ডাক্তার নগেনকে কী বললেন?
উত্তর : তীব্র চাপা গলায় পরাশর ডাক্তার নগেনকে বললেন,তুমি একটি আ¯ত্ম গর্দভ, নগেন।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ নগেনের মামার ছবি দিনের বেলা স্পর্শ করলে কিছু হয় না কেন?
উত্তর : নগেনের মামার ছবি দিনের বেলা স্পর্শ করলে কিছু না হওয়ার কারণ হলো দিনের বেলা সব সুইচ বন্ধ থাকে।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ নগেন কীভাবে ঘরে ঢুকল?
উত্তর : নগেন চোরের মতো নিঃশব্দে ঘরে ঢুকল।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ নগেনের মামা নগেনের নামে কী উইল করে রেখে গিয়েছিলেন?
উত্তর : নগেনের মামা নগেনের নামে মোটা অঙ্কের টাকা উইল করে রেখে গিয়েছিলেন।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ নগেনের মামার তৈলচিত্রটি দিনের বেলা কিরূপ থাকে?
উত্তর : নগেনের মামার তৈলচিত্রটি দিনের বেলায় নি¯েত্মজ হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ নগেনের মামাতো ভাই কোথায় ভর্তি হয়েছিল?
উত্তর : নগেনের মামাতো ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছিল।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ নগেনের মামার তৈলচিত্রটি কে আঁকিয়েছিলেন?
উত্তর : নগেনের মামার তৈলচিত্রটি মামা নিজে আঁকিয়েছিলেন।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥তৈলচিত্রের ভূত গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর :তৈলচিত্রের ভূত গল্পটি মৌচাক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥সূর্যবাবুর ভিটামিন সমস্যা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী ধরনের রচনা?
উত্তর :সূর্যবাবুর ভিটামিন সমস্যা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কিশোর উপযোগী গল্প।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সাঁওতাল পরগনার দুমকায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥উইল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : মৃত্যুর পরে সম্পত্তি বণ্টন বিষয়ে মালিকের ইচ্ছানুসারে প্রস্তুত ব্যবস্থাপত্রকে উইল বলে।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥মটকা কাকে বলে?
উত্তর : রেশমের মোটা কাপড়কে মটকা বলে।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ নগেনের কথা পরাশর ডাক্তার বিশ্বাস করেছিলেন কেন?
উত্তর : নগেন মিথ্যা গল্প বানিয়ে শোনাবার ছেলে নয়, তাই নগেনের কথা পরাশর ডাক্তার বিশ্বাস করেছিলেন।
নগেন বিমর্ষভাব নিয়ে পরাশর ডাক্তারের লাইব্রেরিতে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন কথার পরিপ্রেড়্গেিত একসময় চমকপ্রদ অবিশ্বাস্য ভূতের কাহিনী বর্ণনা করে। কারণ নগেনের এ ভুতুড়ে কাহিনী বিশ্বাস করা কঠিন হলেও তিনি তা বিশ্বাস করলেন। নগেন কখনো মিথ্যা কথা বলে না।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ নগেনের কথা বলার ভঙ্গি খাপছাড়া হওয়ার কারণ দর্শাও।
উত্তর : ভয়ের কারণে নগেনের কথা বলার ভঙ্গি খাপছাড়া হয়।
নগেনের মামা ছিলেন কৃপণ স্বভাবের। কিন্তু তার মামা মারা যাওয়ার সময় তাকে অনেক টাকা উইল করে দিয়ে যায়। ফলে নগেন তার মামার প্রতি আগের খারাপ ধারণার কারণে আত¥গস্নানিতে ভুগতে থাকে। এই আত¥গস্নানি কমানোর জন্য সে তার মামার তৈলচিত্র ধরে ক্ষমা চাইতে গেলে কিসে যেন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ভয় পেয়ে নগেনের কথা বলার ভঙ্গি খাপছাড়া হয়েছিল।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥মামার তৈলচিত্রের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করলে হয়তো আত¥গস্নানি একটু কমবে।Ñ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : নগেন তার মামাকে জীবিত থাকতে ভালো না বাসার কারণে মামার তৈলচিত্রের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করতে চেয়েছিল। কারণ এতে তার আত¥গস্নানি কমবে বলে মনে হয়েছিল।
নগেনের মামা ছিলেন বেজায় কৃপণ স্বভাবের। এ কারণে সে তার মামাকে মুখে মুখে ভক্তি-শ্রদ্ধা দেখালেও মনে মনে ঘৃণা করত। কিন্তু তার মামা মারা যাওয়ার পর সে তার ভুল বুঝতে পেরেছিল।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ নগেনের মামা কেমন লোক ছিল?
উত্তর : নগেনের মামা কৃপণ অথচ বিশেষ ড়্গেেত্র উদার লোক ছিলেন।
নগেনের মামার অঢেল সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কৃপণ। কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে নগেনের নামে মোটা অঙ্কের টাকা উইল করে রেখে যান তিনি। এতে তার উদারতার বিশেষ পরিচয় পাওয়া যায়। আবার জীবিত অবস্থায় নগেনের প্রতি তার অনাদর আচরণের মাধ্যমে তার কৃপণতার পরিচয় পাওয়া যায়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. নগেন কার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত?
ক মাসির খ পিসির
মামার ঘ দাদার
২. নগেনের সাথে পরাশর ডাক্তারের প্রথম দেখা হয় কখন?
২ মাস আগে খ ৩ মাস আগে
গ ৪ মাস আগে ঘ ৫ মাস আগে
৩. নগেন প্রায়ই তার মামাকে যমের বাড়ি পাঠাত কেন?
ক পড়ার খরচ না দেয়ায় খ ভালো ব্যবহার না করায়
গ বিরক্তির ভাব প্রকাশ করায়
> অনাদর অবহেলা করায়
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আদনান সন্ধ্যাবেলা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিল। একসময় মনে হলো তার পেছনে পেছনে কেউ হাঁটছে। সে পেছনে ফিরে তাকায় কিšত্মু কিছুই দেখতে পায় না। ফলে সে ভয়ে কাঁপছিল। এমন সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে সে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। তার মা বাতি নিয়ে ছুটে এসে দেখেন আদনানের পায়ের জুতার তলে পেরেক গাঁথা একটা কাঠি। এতক্ষণে আদনান ভয়ের কারণ খুঁজে পায়।
৪. উদ্দীপকের আদনান-এর সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের সাদৃশ্যের কারণÑ
ক তাদের বয়স কম
খ তারা অন্ধকারকে ভয় করত
> তারা ভীষণ ভিতু ছিল
ঘ তারা ভূত দেখেছিল
৫. এরূপ সাদৃশ্যের মূলে কোনটি বিদ্যমান?
> বা¯ত্মবজ্ঞানের অভাব
খ প্রকৃত শিক্ষা না পাওয়া
গ মানসিক বিকাশ না হওয়া
ঘ সঠিক সিদ্ধাšত্ম নিতে না পারা
নির্বাচিত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬. তৈলচিত্রের ভূত গল্পে প্রকাশ পেয়েছে নগেনের
র. অজ্ঞানতা রর. বিচারবুদ্ধিহীনতা
ররর. কুসংস্কারাচ্ছন্নতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শনিবারে গজার মাছ খেলে অমঙ্গল হয়। বাড়ি থেকে বের হবার সময় খালি কলস দেখলে যাত্রা শুভ হয় না।
৭. উদ্দীপকটিতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কার চিšতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক পরেশ > নগেন
গ পরাশর ডাক্তার ঘ নগেনের মামা
৮. উক্ত সাদৃশ্যের ভিত্তি
র. বিচারবুদ্ধির অভাব রর. কুসংস্কারে বিশ্বাস
ররর. বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৯. তৈলচিত্রের ভূত গল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য কী?
ক ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি
খ আলোকিক ঘটনার সমাবেশ
> শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করা
ঘ পাঠকদের নিছক আনন্দ দান
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১০ ও ১১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“ইলিয়াস মাঝে মাঝে রাতে ভয়ে জেগে ওঠে। তার মনে হয় ভূতে তাকে তাড়া করছে। সে কাউকে বলে না। দিন দিন আরো ভয় বাড়ছে এবং শরীর খারাপ হচ্ছে।
১০. “তৈলচিত্রের ভূত গল্পের আলোকে ইলিয়াসের ভয় পাওয়ার কারণ
ক শিক্ষার অভাব
খ মানসিক বিপর্যয়
গ ভীতিকর মানসিকতা
> বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অভাব
১১. উক্ত অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায়
র. বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন
রর. আধুনিক চেতনা ধারণ
ররর. কুসংস্কার মুক্ত হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২. তৈলচিত্র থেকে কি যেন তার ভিতর থেকে কাঁপিয়ে তুলেছিল?
> বিদ্যুৎ খ ভূত প্রেত
গ এসিড ঘ অশরীরী আত্মা
১৩. পরাশর ডাক্তার রাত কয়টায় নগেনদের বাড়িতে আসেন?
ক ১০টায় খ ১১টায়
> ১২টায় ঘ ১টায়
১৪. প্রাগৈতিহাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন জাতীয় রচনা?
ক উপন্যাস খ নাটক
> ছোটগল্প ঘ কাব্য
১৫. তৈলচিত্রের ভূত গল্পে লেখক নগেন চরিত্রের মধ্যে কীসের স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন?
ক ভূত বিশ্বাসের
> কুসংস্কারের
গ কাল্পনিকতার
ঘ বিজ্ঞান বুদ্ধির
১৬. পরেশ তোমার মামার উপযুক্ত ছেলেই বটে পরাশর ডাক্তারের এ কথায় রয়েছেÑ
র. উপহাস রর. তাচ্ছিল্য ররর. প্রতিহিংসা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অংশটুকু পড় এবং ১৭ ও ১৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সন্ধ্যারাতে অন্ধকারে কলপাড়ে গিয়ে দড়ির ওপর পা পড়ায় চিৎকার দিয়ে ওঠে বানেছা। বড়ভাই দৌড়ে এসে পায়ের নিচ থেকে টেনে বের করা দড়ি দেখিয়ে বলে সাপ কই, এ তো দড়ি।
১৭. উদ্দীপকের বানেছাতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে?
> নগেন খ পরেশ
গ মামা ঘ পরাশর ডাক্তার
১৮. উক্ত প্রতিনিধিত্বের কারণ
র. অন্ধবিশ্বাস রর. অšত্মঃসারশূন্যতা
ররর. বিচারবুদ্ধিহীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯. নগেনের বর্ণিত কাহিনীকে পরাশর ডাক্তার চমকপ্রদ অবিশ্বাস্য কাহিনী বলেছেন কেন?
> বা¯ত্মবতাবর্জিত খ কল্পকাহিনী বলে
গ ভৌতিক বলে ঘ অলৌকিক বলে
২০. নিচের কোনটি পরাশর ডাক্তারের ড়্গেেত্র প্রযোজ্য?
ক সাহসী ও ন্যায়পরায়ণ
> বুদ্ধিমান ও আধুনিক
গ জ্ঞানী ও সৎ
ঘ নম্র ও বিনয়ী
২১. পরাশর ডাক্তার পড়ে গেলেন কেন?
> বিদ্যুতের ধাক্কায় খ পা হড়কে
গ ভূতের ধাক্কায় ঘ দুর্বলতার কারণে
২২. মরলে তো মানুষ সব জানতে পারে-এটি কার উক্তি?
ক ডাক্তারের খ দরবেশের গ আত¥ার > নগেনের
২৩. রাত বারোটায় পরাশর ডাক্তার নগেনকে কোথায় অপেক্ষা করতে বললেন?
> বাইরের ঘরে খ বাড়ির সামনে
গ লাইব্রেরিতে ঘ নিজ কড়্গে
২৪. তৈলচিত্রের ভূত গল্পটিতে কোন মাসের উলেস্নখ আছে?
ক বৈশাখ খ জ্যৈষ্ঠ গ ফাল্গুন > চৈত্র
২৫. ভর্ৎসনা অর্থ কী?
ক কান্না > তিরস্কার গ হাসি ঘ উৎসাহ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৬ ও ২৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আজ সানির জেএসসি পরীক্ষা। মা তাকে সকালে কলা ও ডিম খেতে দিল না।
২৬. মায়ের ধারণাটিতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কার চিšত্মার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক পরেশ খ পরাশর ডাক্তার
> নগেন ঘ মামা
২৭. উক্ত সাদৃশ্যের ভিত্তি-
র. কুসংস্কারে বিশ্বাস
রর. বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অভাব
ররর. বিচারবুদ্ধির অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
লেখক-পরিচিতি
২৮. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৩ > ১৯৫৬ গ ১৯৬০ ঘ ১৯৬৫
২৯. পুতুল নাচের ইতিকথা উপন্যাসটির লেখক কে? (জ্ঞান)
ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
> মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
গ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৩০. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯০৭ > ১৯০৮
গ ১৯০৯ ঘ ১৯১০
৩১. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক চব্বিশ পরগনায় > সাঁওতাল পরগনার দুমকায়
গ রাজশাহীর চারঘাটে ঘ সিলেটের শ্রীমঙ্গলে
৩২. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিশোর উপযোগী গল্পের সংখ্যা কতটি? (জ্ঞান)
ক ২৩ খ ২৫ গ ২৬ > ২৭
৩৩. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস কোনটি? (জ্ঞান)
ক শাহবাজপুর খ জয়দেবপুর > বিক্রমপুর ঘ শ্রীপুর
৩৪. পদ্মানদীর মাঝিÑ কী ধরনের রচনা? (অনুধাবন)
> উপন্যাস খ ভ্রমণকাহিনী
গ রম্যরচনা ঘ নাটক
৩৫. প্রাগৈতিহাসিক গল্পের রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
> মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
খ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
গ আবু জাফর শামসুদ্দিন
ঘ শওকত ওসমান
৩৬. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়েরসরীসৃপ কোন ধরনের রচনা? (অনুধাবন)
ক কাব্যগ্রন্থ > ছোটগল্প
গ নাটক ঘ প্রবন্ধ
৩৭. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়েরমাঝির ছেলে কোন ধরনের রচনা? (অনুধাবন)
> কিশোর-উপন্যাস খ কিশোর-উপযোগী ছোটগল্প
গ ভ্রমণকাহিনী ঘ রম্যরচনা
মূলপাঠ
৩৮. কে চোরের মতো নিঃশব্দে ঘরে ঢুকে টেবিল ঘেঁষে দাঁড়াল? (জ্ঞান)
> নগেন খ পরাশর ডাক্তার
গ দাদামশায় ঘ দিদিমা
৩৯. কে মুখ না তুলেই নগেনকে বসতে বললেন? (জ্ঞান)
ক দাদামশায় খ নিরঞ্জন
> পরাশর ডাক্তার ঘ দিদিমা
৪০. তৈলচিত্রের ভূত গল্পে কার চাউনি একটু উদ্ভ্রাšত্ম ছিল? (জ্ঞান)
ক দিদিমার > নগেনের
গ পরাশর ডাক্তারের ঘ নগেনের মামার
৪১. নগেন কোথায় থেকে কলেজে পড়ে? (জ্ঞান)
> মামাবাড়ি খ দাদাবাড়ি
গ মাসির বাড়ি ঘ পরাশর ডাক্তারের বাড়ি
৪২. নগেনের মামা কেমন ছিলেন? (অনুধাবন)
> কৃপণ খ উদার গ উগ্র মেজাজি ঘ ভদ্র ও নম্র
৪৩. কার জন্য শ্রদ্ধা-ভক্তিতে নগেনের মন ভরে গেল? (জ্ঞান)
> মামার জন্য
খ পরাশর ডাক্তারের জন্য
গ দিদিমার জন্য
ঘ পরেশের জন্য
৪৪. নগেন মরিয়া হয়ে কখন বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল? (জ্ঞান)
ক রাত একটায় খ রাত দুইটায়
> রাত তিনটায় ঘ রাত সাড়ে তিনটায়
৪৫. লাইব্রেরিটি কোন আমলের ছিল? (জ্ঞান)
ক নগেনের বাবার আমলের
খ নগেনের বড় ভাইয়ের আমলের
> নগেনের দাদামশায়ের আমলের
ঘ নগেনের মামাদের আমলের
৪৬. লাইব্রেরির আলমারির ভেতরগুলোতে কী ছিল? (জ্ঞান)
ক মামার প্রয়োজনীয় বই
> অদরকারি বাজে বই
গ জরম্নরি বইপত্র
ঘ দাদামশায়ের বিভিন্ন ফাইল
৪৭. লাইব্রেরির দেয়ালে কয়টি বড় বড় তৈলচিত্র ছিল? (জ্ঞান)
ক ২ > ৩ গ ৪ ঘ ৫
৪৮. লাইব্রেরির দেয়ালে টানানো ক্যালেন্ডারে ইংরেজি কোন মাসের তারিখ লেখা কাগজের ফলক ঝুলছিল? (জ্ঞান)
ক জানুয়ারির খ মার্চের
> ডিসেম্বরের ঘ সেপ্টেম্বরের
৪৯. অন্ধকারে নগেন কার তৈলচিত্রের সামনে এগিয়ে গেল? (জ্ঞান)
ক দাদামশায়ের > মামার
গ দিদিমার ঘ মায়ের
৫০. কখন নগেনের জ্ঞান ফিরল? (জ্ঞান)
ক ভোর রাতে > সকালে
গ শেষ রাতে ঘ দুপুরে
৫১. নগেনের মামার তৈলচিত্রটি কীসের ফ্রেমে বাঁধানো ছিল? (জ্ঞান)
ক কাঠের > রুপার গ সোনার ঘ তামার
৫২. নগেনকে কে একটা আ¯ত্ম গর্দভ বলল? (জ্ঞান)
ক মামা খ দাদামশায় > পরাশর ডাক্তার ঘ দিদিমা
৫৩. নগেনের মামার ছবির সঙ্গে কয়টি ইলেকট্রিক বাল্ব লাগান হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক ১ > ২ গ ৩ ঘ ৪
৫৪. ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছিল কে? (জ্ঞান)
ক নগেন > পরেশ গ সুজিত ঘ সুরঞ্জিত
৫৫. বিদ্যুৎ কোন তার দিয়ে বেশি চলাচল করে থাকে? (জ্ঞান)
> তামার তার খ পস্নাস্টিকের তার
গ পিতলের তার ঘ রাবারের তার
৫৬. নগেনের মামা কত বছরের মধ্যে লাইব্রেরির পেছনে একটি পয়সাও খরচ করেনি? (জ্ঞান)
ক ২৫ খ ২৭ > ৩০ ঘ ৩২
৫৭. পরলোকগত মামার জন্য নগেনের মনে শ্রদ্ধা-ভক্তি বৃদ্ধি পেল কেন? (অনুধাবন)
> মামা নিজের ছেলের মতো তাকে ভালোবাসত জেনে
খ মামা নিজের সব সম্পদ তাকে দিয়েছে জেনে
গ মামা তার জন্য জমি দিয়েছিল জেনে
ঘ মামা তার লেখাপড়া চালানোর সুযোগ দিয়েছে জেনে
৫৮. নগেন রাত তিনটায় মরিয়া হয়ে বিছানা ছাড়ল কেন? (অনুধাবন)
> মামার তৈলচিত্রের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে মনকে শাšত্ম করার জন্য
খ ভূতের ভয় পেয়ে বাড়ির সবাইকে ডাকার জন্য
গ মামার তৈলচিত্রে মালা পরানোর জন্য
ঘ পরাশর ডাক্তারের কাছে সব ঘটনা জানানোর জন্য
৫৯. নগেন রাত্রিবেলায় লাইব্রেরিতে ঢোকার সময় আলো বন্ধ রাখল কেন? (অনুধাবন)
ক চোর বুঝে ফেলবে এ ভয়ে
> কারো ঘুম ভেঙে যাওয়ার ভয়ে
গ মামি বুঝে ফেলবে এ ভয়ে
ঘ বাড়ির সকলে রাগ করবে এ ভয়ে
৬০. নগেন লাইব্রেরিতে ঢুকে ডাক্তারের একটা হাত শক্ত করে ধরে কাঁপছিল কেন? (অনুধাবন)
> মামার তৈলচিত্রের ভূতের ভয়ে
খ দাদামশায়ের তৈলচিত্রের উজ্জ্বলতার ভয়ে
গ পরাশর ডাক্তারের ভয়ে
ঘ মামির বকুনির ভয়ে
৬১. তৈলচিত্রের ফ্রেমে হাত স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে পরাশর ডাক্তারের শরীরটা ঝন ঝন করে উঠল কেন? (অনুধাবন)
ক ভূতের ধাক্কার কারণে
খ ফ্রেমের ধাক্কার কারণে
গ ভূতের ভয়ের কারণে
> বৈদ্যুতিক শকের কারণে
৬২. নগেনের তৈলচিত্রটিকে প্রেতাত¥া মনে করার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক প্রাচীন ধ্যানধারণা খ আধুনিক ধ্যানধারণা
> জ্ঞানের অপ্রতুলতা ঘ জ্ঞানের গভীরতা
৬৩. তৈলচিত্রের ভূত গল্পে কে বৈদ্যুতিক শককে ভূত ভেবেছে? (জ্ঞান)
> নগেন খ পরেশ গ মামি ঘ পরাশর ডাক্তার
৬৪. রুপার ফ্রেমের নিচে কাঠ দেয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
> বিদ্যুৎ যাতে দেয়ালে যেতে না পারে
খ তৈলচিত্র লাগাতে প্রয়োজন হয় বলে
গ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য
ঘ সুরক্ষার জন্য
৬৫. তৈলচিত্রের ভূত গল্পে সংস্কারক হিসেবে লেখক কোন চরিত্রটিকে উপস্থাপন করেছেন? (জ্ঞান)
ক নগেন > পরাশর ডাক্তার
গ পরেশ ঘ নগেনের মামা
৬৬. রাসেল ফুটবল খেলে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে দূরে জোনাকি পোকা জ্বলতে দেখে ভূতের ভয় পেয়ে
অজ্ঞান হয়ে যায়। রাসেলের সঙ্গেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কার মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
> নগেনের খ পরেশের
গ পরাশর ডাক্তারের ঘ মামার
৬৭. রাজু তার চাচাকে সামনাসামনি খুব ভক্তি-শ্রদ্ধা করত। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তার মধ্যে চাচার প্রতি
অনেক ঘৃণা লুক্কায়িত ছিল। রাজুর আচরণের সাথেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের কোন দিকটি
সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক মামির প্রতি আচরণ
খ পরেশের প্রতি আচরণ
গ পরাশর ডাক্তারের প্রতি আচরণ
> মামার প্রতি আচরণ
৬৮. মাহমুদ সাহেব কৃপণ ব্যক্তি হলেও মৃত্যুর পূর্বে তার মৃত বোনের ছেলেকে নিজের ছেলেদের মতো
অর্থসম্পদ দিয়ে যায়। মাহমুদ সাহেবের সঙ্গেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কার চরিত্র সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক পরাশর ডাক্তারের
> নগেনের মামার
গ নগেনের দিদিমার
ঘ নগেনের দাদামশায়ের
৬৯. তৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনকে কী অনুশোচনায় পোড়ায়? (জ্ঞান)
ক বুদ্ধি খ আত¥গস্নানি > বিবেক ঘ সাহস
৭০. সম¯ত্ম সকালটা নগেন কীভাবে কাটাল? (অনুধাবন)
ক লাইব্রেরিতে বই পড়ে
খ ডাক্তারের চেম্বারে বসে থেকে
গ স্কুলের বারান্দায় বসে থেকে
> মড়ার মতো বিছানায় পড়ে থেকে
৭১. নগেন মামার তৈলচিত্রের ছবিটা কত বার ছুঁয়েছে? (জ্ঞান)
ক দুইবার খ তিনবার গ চারবার > বহুবার
৭২. মাঝরাতে অন্ধকার লাইব্রেরিতে পরাশর ডাক্তার কেমন বোধ করলেন? (অনুধাবন)
ক আনন্দ > অস্ব¯িত্ম গ ভয় ঘ অহংকার
৭৩. অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করীÑ প্রবাদটির বৈশিষ্ট্যতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কার মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
> পরেশ খ পরাশর ডাক্তার গ নগেন ঘ মামা
৭৪. পরাশর ডাক্তার নগেনের দুহাতের আঙুল ধরে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক রোগ নিরাময়
> রোগ নির্ণয়ের প্রচেষ্টা
গ অভিজ্ঞতা
ঘ সাহসিকতা প্রদর্শন
৭৫. চেয়ারগুলোপেনশন পেয়েছে। এই পেনশন বলে লেখক কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক অবসর > পুরাতন অবস্থা
গ নতুন অবস্থা ঘ স্বাভাবিক অবস্থা
৭৬. লাইব্রেরির পেছনে কেন পয়সা খরচ করা হয়নি? (অনুধাবন)
ক পড়ার প্রতি অনীহার কারণে
খ লাইব্রেরির প্রতি ঘৃণার কারণে
> কৃপণতার কারণে
ঘ ভালোবাসার কারণে
৭৭. কোনটি নগেনকে বারবার ছবির কাছে টেনে নিয়েছে? (জ্ঞান)
ক কৌতূহল খ শ্রদ্ধা
গ ভালোবাসা > অনুশোচনা
৭৮. কোন জিনিসটির ফলে পরাশর ডাক্তারও একটু অস্ব¯িত্মর মধ্যে পড়েছিল? (জ্ঞান)
ক কুসংস্কার খ অনুশোচনা
> অবচেতন মনের সংস্কার ঘ ভয়
৭৯. রাসেলদের গ্রামে ভূতের ভয়ে এক মহিলা অজ্ঞান হলে ঐ গ্রামের স্কুলের শিক্ষক আসাদ তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করে ভূতের ভয় দূর করলেন। আসাদের সঙ্গেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কোন চরিত্র সাদৃশ্যপূর্ণ? (জ্ঞান)
> পরাশর ডাক্তার খ নগেন
গ পরেশ ঘ মামি
৮০. চোরকে যেন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে চুরি করেছে কিনা-এখানে কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
> অতি মাত্রায় বিব্রতকর অবস্থা খ ভয়ঙ্কর অবস্থা
গ হাস্যকর অবস্থা ঘ লজ্জাজনক অবস্থা
৮১. নগেন বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইল কেন? (অনুধাবন)
ক চাকরির কারণে
> ভয়ের কারণে
গ ব্যবসার কারণে
ঘ ডাক্তারের পরামর্শে
শব্দার্থ ও টীকা
৮২. তৈলচিত্রের ভূত গল্পেকস্মিনকাল বলতে কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক এক সময়ে খ শেষকালে
গ কঠিন সময়ে > কোনো কালে
৮৩. উইল শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক ব্যবসায়িক পত্র খ শুভেচ্ছাপত্র
গ মানপত্র > শেষ ইচ্ছাপত্র
৮৪. মটকা শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পশমের মোটা কাপড়
> রেশমের মোটা কাপড়
গ জর্জেটের মোটা কাপড়
ঘ সুতির মোটা কাপড়
৮৫. অশরীরী শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
> শরীরহীন খ মৃদুকার
গ ভৌতিক ঘ সংকোচহীন
পাঠ–পরিচিতি
৮৬. তৈলচিত্রের ভূত গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়? (জ্ঞান)
ক সবুজপত্র খ যুগাšত্মর গ ইত্তেফাক > মৌচাক
৮৭. কত সালেতৈলচিত্রের ভূত গল্পটি মৌচাক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৩৫ > ১৯৪১ গ ১৯৪২ ঘ ১৯৪৫
৮৮. তৈলচিত্রের ভূত গল্পটি পাঠের শিক্ষণীয় বিষয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
> ভিত্তিহীন কুসংস্কারকে বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধিতে দূর করা
খ ভয়মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা
গ ভৌতিক কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠন করা
ঘ আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করা
৮৯. তৈলচিত্রের ভূত গল্পের মূল বিষয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
> কুসংস্কার থেকে মানুষকে সচেতন করা
খ সাহসিকতা প্রদর্শন করা
গ ভালোবাসার স্বরূপ তুলে ধরা
ঘ শ্রদ্ধার স্বরূপ তুলে ধরা
৯০. কোনোকিছু দেখে অস্বাভাবিক মনে হলে বা অবা¯ত্মব মনে হলে করণীয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতা প্রয়োগ করা
> বিজ্ঞানভিত্তিক বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করা
গ আধুনিক মানসিকতা প্রয়োগ করা
ঘ অন্যের মতামতকে সাদরে গ্রহণ করা
৯১. তৈলচিত্রের ভূত গল্পে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কিসের জয় দেখিয়েছেন? (জ্ঞান)
> বিজ্ঞানসম্মত বুদ্ধির জয় খ কুসংস্কারের জয়
গ অশরীরী শক্তির জয় ঘ অশিক্ষার জয়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
লেখক–পরিচিতি
৯২. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস- (অনুধাবন)
র. দিবারাত্রির কাব্য রর. পদ্মানদীর মাঝি
ররর. প্রাগৈতিহাসিক
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৩. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ছোটগল্প- (অনুধাবন)
র. দিবারাত্রির কাব্য রর. সমুদ্রের স্বাদ
ররর. টিকটিকি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৪. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন লেখক ছিলেন যিনি- (অনুধাবন)
র. মানুষের মন বিশেস্নষণের কথা ভাবতেন
রর. শ্রমিক-কৃষকের কল্যাণের কথা ভাবতেন
ররর. সাম্প্রদায়িক বিভেদ নিরসনের চেষ্টা করতেন
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত কিশোরগল্প হলো- (অনুধাবন)
র. ভয় দেখানোর গল্প রর. সূর্যবাবুর ভিটামিন সমস্যা
ররর. তিনটি সাহসী ভীরম্নর গল্প
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
মূলপাঠ
৯৬. তৈলচিত্রজাত ঘটনাটি অবিশ্বাস্য হিসেবে গণ্য করা যায়, কারণ-
র. ঘটনাটিতে চমৎকারিত্ব রয়েছে
রর. ঘটনাটি অলৌকিকতা আশ্রিত
ররর. ঘটনাটিতে বা¯ত্মবতার ঘাটতি আছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৯৭. মামার তৈলচিত্রে অশরীরী আত্মা প্রবেশ করেছে- নগেনের এমন ধারণার কারণ-
র. কুসংস্কারাচ্ছন্ন মন রর. বিদ্যুৎ সম্পর্কে অজ্ঞতা
ররর. মামার প্রতি ভক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৮. নগেনের মামার লাইব্রেরিতে তৈলচিত্রগুলো ছিল-
র. নগেনের মামার রর. নগেনের দাদামশায়ের
ররর. নগেনের দিদিমার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
৯৯. তৈলচিত্রের ভূত গল্প পড়ে শিক্ষার্থীরা-
র. অলৌকিক ভয় থেকে মুক্ত হবে
রর. কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্ত হবে
ররর. বিজ্ঞান চেতনায় আলোকিত হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১০০. পরাশর ডাক্তার নগেনকে দেখে গুরম্নতর কিছু হয়েছে বলে মনে করলেন যে কারণে- (অনুধাবন)
র. নগেনের শুকনো চামড়া দেখে
রর. নগেনের হাসিবিহীন মুখ দেখে
ররর. নগেনের খাপছাড়া কথা বলার ভঙ্গি দেখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১০১. মামার শ্রাদ্ধের দিন রাতে বিছানায় শুয়ে নগেন ছটফট করতে লাগলÑ (অনুধাবন)
র. সারাজীবন দেবতার মতো মামাকে ঠকিয়েছে বলে
রর. সারাজীবন মামার সঙ্গে মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় করেছে বলে
ররর. সারাজীবন মামার সম্পদ লুট করেছে বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০২. নগেনের হৃৎকম্প হতে লাগল যে কারণে- (অনুধাবন)
র. লাইব্রেরিতে যাওয়ার কথা ভেবে
রর. মামার বাড়িতে যাওয়ার কথা ভেবে
ররর. মামির কথা ভেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৩. পরাশর ডাক্তার নগেনকে গর্দভ বলে গালি দিল- (অনুধাবন)
র. তার নির্বুদ্ধিতার কারণে
রর. ইলেকট্রিক বাল্বের খবর ডাক্তারকে না বলার কারণে
ররর. ইলেকট্রিক শক বুঝতে না পারার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১০৪. নগেনকে শেষ অবধি মামা টাকা উইল করে দেওয়ার কারণÑ (অনুধাবন)
র. কর্তব্যবোধ রর. পরোপকার
ররর. ভালোবাসা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৫. যে কারণে নগেন বারবার ছবির কাছে যায়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শ্রদ্ধা রর. অনুশোচনা ররর. কৌতূহল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১০৬. নগেনের মামার লাইব্রেরিতে ছিল- (অনুধাবন)
র. বই রর. তৈলচিত্র ররর. ফুলদানি
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
শব্দার্থ ও টীকা
১০৭. খাপছাড়া বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. বেমানান, উদ্ভট রর. ব্যাকুল, বিচলিত
ররর. অসংলগ্ন, এলোমেলো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৮. উদ্ভ্রাšত্ম বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. বিহ্বল রর. দিশেহারা ররর. হতজ্ঞান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
১০৯. ইত¯তত বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. দ্বিধা রর. সংকোচ ররর. গড়িমসি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১০ ও ১১১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাজন ফুটবল খেলে রাতে বাড়ি ফেরার পথে চাঁদের আলোতে বাঁশঝাড়ের পাতা চিকচিক করতে দেখে ভূত মনে করে বাড়িতে এসে অজ্ঞান হয়ে যায়। তার শিক্ষক মানিক চৌধুরী তাকে যুক্তি দিয়ে ব্যাপারটি বোঝানোর চেষ্টা করে। তার ব্যাখ্যায় রাজন ব্যাপারটি বুঝতে পারে।
১১০. শিক্ষক মানিক চৌধুরী চরিত্রটিতৈলচিত্রের ভূত গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? (প্রয়োগ)
ক পরেশ > পরাশর ডাক্তার গ মামি ঘ মামা
১১১. প্রতিনিধিত্বকারী চরিত্রটিতে উপস্থিত- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধি রর. কুসংস্কারমুক্ত মানসিকতা
ররর. জ্ঞানের অšত্মঃসারশূন্যতা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১২ ও ১১৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাকিবের বড় ভাই উচ্চ শিক্ষতি হয়ে সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তিনি রাকিবকে কড়া শাসন করেন। বড় ভাই হিসেবে রাকিব তাকে সম্মান করলেও মনে মনে তার প্রতি বিদ্বেষ ভাব পোষণ করে। বহুদিন পর বাবার কাছ থেকে রাকিব জানতে পারে তার পড়াশোনা, ভরণ-পোষণের সব খরচ তার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে আসে।
১১২. বড় ভাইয়ের প্রতি রাকিবের আচরণেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধি খ কুসংস্কার
> কৃত্রিম শ্রদ্ধাভক্তি ঘ আšত্মরিক শ্রদ্ধাবোধ
১১৩. রাকিবের বড় ভাইয়ের চরিত্রেতৈলচিত্রের ভূত গল্পের নগেনের মামার যে বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দায়িত্ববোধ রর. উদারতা ররর. বিশ্ব¯ত্মতা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর