নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়ঃজীবনের জন্য পানি

  • পানির ধর্ম : বরফের গলনাঙ্ক  সেলসিয়াস। পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০ সেলসিয়াস। ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বোচ্চ। বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহন করে না তবে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ দ্রবীভূত থাকলে তড়িৎ পরিবহন করে। পানি একটি উভধর্মী পদার্থ হিসেবে কাজ করে। বিশুদ্ধ পানি পুরোপুরি নিরপেক্ষ অর্থাৎ এর pH ৭।
  • পানির গঠন : পানি দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গঠিত। H2O হলো পানির রাসায়নিক সংকেত। আমরা যে পানি দেখি সেখানে অনেক পানির অণু ক্লাস্টার আকারে থাকে।
  • পানির উৎস : পানির সবচেয়ে বড় উৎস হলো সাগর, মহাসাগর বা সমুদ্র। পানির আরেকটি অন্যতম উৎস হলো হিমবাহ ও তুষার স্রোত যেখানে পানি মূলত বরফ আকারে থাকে। ব্যবহার উপযোগী উৎস হলো নদনদী, খালবিল, হ্রদ, পুকুর ও ভূগর্ভস্থ পানি।
  • জলজ উদ্ভিদ জলজ প্রাণীর জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা : পানি না থাকলে বেশির ভাগ জলজ উদ্ভিদ জš§াতই না, অথবা কিছু কিছু জš§ালেও বেড়ে উঠতে পারত না। জলজ উদ্ভিদ না থাকলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী বাঁচতে পারত না।
  • পানির মানদ : পানির নির্দিষ্ট মান যদি বজায় না থাকে তাহলে এটি জীববৈচিত্র্য বা পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকর হবে, তেমনি অন্যান্য কাজে এর ব্যবহার ব্যাহত হবে। পানির মানদ   কেমন হওয়া উচিত তা নির্ভর করে এর বর্ণ ও স্বাদ, ঘোলাটে ভাব, তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি, ময়লা-আবর্জনার উপস্থিতি, দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ, তাপমাত্রা, ঢ়ঐ, লবণাক্ততা ইত্যাদির ওপর। সাধারণত ব্যবহারের ধরনের ওপর ভিত্তি করে পানির মানদ   ঠিক করা হয়।
  • pH: pH হলো এমন একটি রাশি, যার দ্বারা বোঝা যায় পানি বা জলীয় দ্রবণ এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ হলে pH হয় ৭, এসিডিক হলে মান হয় ৭ এর কম আর ক্ষারীয় হলে মান হয় ৭ এর বেশি। এসিডের পরিমাণ যত বাড়বে pH এর মান তত কমবে; অন্যদিকে ক্ষারের পরিমাণ যত বাড়বে pH এর মান তত বাড়বে।
  • পরিবেশ সংরক্ষণে পানির পুনঃআবর্তনের ধাপসমূহ : দিনের বেলা সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠের পানি বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুম  লে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে বাষ্প ঘনীভূত হলে প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টির আকারে ফিরে আসে। এই বৃষ্টির পানির বড় একটি অংশ নদনদী, খালবিল ও সমুদ্রে গিয়ে পড়ে এবং আবার বাষ্পীভূত হয় ও বৃষ্টি আকারে ফিরে আসে।
  • মানসম্মত পানির প্রয়োজনীয়তা : পানি যদি মানসম্মত না হয় তাহলে প্রতিটি কাজেই বিঘ্ন ঘটবে। খাওয়ার পানি যদি মানসম্মত না হয়, বিশেষ করে এতে যদি রোগজীবাণু থাকে তাহলে মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটাতে পারে।

সমুদ্রের পানিতে প্রচুর লবণ থাকে যা শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ক্ষয় সাধন করে ও নষ্ট করে ফেলে। একইভাবে আমাদের বেশিরভাগ ফসলাদিই লবণ পানিতে জš§াতে পারে না। শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজেই মানসম্মত পানি অত্যাবশ্যকীয়।

  • পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া : যে সমস্ত প্রক্রিয়ায় সাধারণত পানি বিশুদ্ধকরণ করা হয় সেগুলো হলো পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন, স্ফুটন, পাতন ইত্যাদি।

১.পরিস্রাবণ : পরিস্রাবণ হলো তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার একটি প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে বালির স্তরের মধ্য দিয়ে পানিকে প্রবাহিত করা হয়। এতে করে পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলো বালির স্তরে আটকা পড়ে যায়। বালির স্তর ছাড়াও খুব সূক্ষ্মভাবে তৈরি কাপড় ব্যবহার করেও পরিস্রাবণ করা যায়।

২.ক্লোরিনেশন : পানিতে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু দূর করা হয় জীবাণুনাশক ব্যবহার করে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্লোরিন গ্যাস (Cl2)। এছাড়া ব্লিচিং পাউডার [Ca(OCl)Clঈষ এবং আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে এবং যা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে তা ব্যবহার করা হয়। ক্লোরিন ছাড়াও ওজোন (O3) গ্যাস দিয়ে অথবা অতি বেগুনি রশ্মি দিয়েও পানিতে থাকা রোগ জীবাণু ধ্বংস করা যায়।

৩.স্ফুটন : পানিকে খুব ভালোভাবে ফুটালে এতে উপস্থিত জীবাণু মরে যায়। স্ফুটন শুরু হওয়ার পর ১৫-২০ মিনিট ধরে ফুটালে পানি জীবাণুমুক্ত হয়।

৪.পাতন : এই প্রক্রিয়ায় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে বাষ্পে পরিণত করা হয়। পরে ওই বাষ্পকে আবার ঘনীভূত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়।

  • বাংলাদেশের পানির উৎসে দূষণের কারণ : বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত বর্জ্যপানির বড় একটি অংশ নর্দমার মাধ্যমে নদনদীতে নিয়ে ফেলা হয় এবং তা পানিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে।

পঁচা বর্জ্য যেখানে রোগজীবাণুসহ নানারকম রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে, তা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে নদনদী, খাল বিল বা লেকের পানিকে দূষিত করে। বৃষ্টি হলে অথবা বন্যার সময় কৃষিজমি প্লাবিত হলে কৃষি জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও জৈবসার ও কীটনাশক পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে। চামড়ার কারখানা থেকে প্রচুর বর্জ্য নদীতে গিয়ে পড়ার ফলে পানি দূষিত হচ্ছে। স্টিমার ও জাহাজ থেকে ফেলা মলমূত্রে ও তেল জাতীয় পদার্থের মাধ্যমে নদনদী ও সমুদ্রের পানি দূষিত হয়।

 পানি দূষণের প্রভাব : নদনদী, পুকুর, খালবিল ও ভূগর্ভস্থ প্রভৃতি উৎসের পানি দূষিত হলে তা উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের ওপর নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এমনকি কখনোও কখনোও তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। টাইফয়েড, জ্বর, কলেরা, আমাশয়, সংক্রামক হেপাটাইটিস বি এসবই পানিবাহিত রোগ। পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেন খুব বেড়ে গেলে তা প্রচুর শ্যাওলা জš§াতে সাহায্য করে। এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যায় তখন পানিতে থাকা দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয় এবং তার ফলে মাছসহ সকল প্রাণী মারা যায়। অজৈব পদার্থসমূহ (যেমন : এসিড, ক্ষার, লবণ) পানিতে বসবাসকারী উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। পানিতে যদি ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ (যেমন : পারদ, সিসা, আর্সেনিক ইত্যাদি) থাকে ওই পানি পান করলে তা মানুষের দেহে নানাবিধ রোগের কারণ হতে পারে। নিচে পারদ, সিসা ও আর্সেনিকের প্রভাব উল্লেখ করা হলো :

১. পারদ : মস্তিষ্কের বিকল হওয়া, ত্বকের ক্যান্সার, বিকলাঙ্গ হওয়া।

২. সিসা : বিতৃষ্ণাবোধ বা খিটখিটে মেজাজ, শরীর জ্বালাপোড়া, রক্তশূন্যতা, কিডনি বিকল হওয়া, পরিমাণে খুব বেশি হলে মস্তিষ্ক বিকল হওয়া।

৩. আর্সেনিক : আর্সেনিকোসিস, ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার, পাকস্থলীর রোগ।

তেজস্ক্রিয় পদার্থ যেমন : ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, সিজিয়াম, রেডন প্রভৃতি দ্বারা পানি দূষিত হলে তা জীবদেহে ক্যান্সার ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ সৃষ্টি করে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানার বর্জ্য, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে সৃষ্ট বর্জ্যরে দ্বারা পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়েও পানি দূষিত হয়।

  বাংলাদেশের মিঠা পানিতে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব : বৈশ্বিক উষ্ণতা হলো বায়ুম  লের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধিতেই মেরু অঞ্চলসহ অন্যান্য জায়গায় সঞ্চিত বরফ গলতে শুরু করে। এর ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি নদনদী, খালবিল, পুকুর, ভূগর্ভস্থ ও হ্রদের পানিতে মিশে যাবে। ফলে পানির সকল উৎসই লবণাক্ত হয়ে পড়বে। মিঠা পানিতে বসবাসকারী জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে এবং এক পর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পড়বে।

  বাংলাদেশে পানি দূষণের প্রতিরোধের কৌশল এবং নাগরিকের দায়িত্ব :

১. জলাভূমি রক্ষা : জলাভূমি, বনভূমি এগুলো রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তা পানির দূষণ রোধের সহায়ক হবে। বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করলে পুরো পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

২. জনসচেতনতা বৃদ্ধি : জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রেডিও টেলিভিশনে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান ও সতর্কবার্তা প্রচার করা যেতে পারে। এমনকি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পানির প্রয়োজনীয়তা, অপ্রতুলতা এবং দূষণ প্রতিরোধ বিষয়ে পোস্টার তৈরি করে মানুষকে সচেতন করতে পারে।

৩. শিল্প কারখানার দ্বারা পানির দূষণ প্রতিরোধ : শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্য পানি বিশেষ করে নদীর পানি দূষণের অন্যতম কারণ। এই দূষণ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সৃষ্ট বর্জ্য পানি বিশোধন করে তারপর নদীতে ফেলা। এ পরিশোধনের কাজের জন্য দরকার বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা (Effluent Treatment Plant বা, ETP)।

৪. কৃষিজমি থেকে মাটির ক্ষয়জনিত কারণে দূষণ প্রতিরোধ : যখন তখন সার প্রয়োগ না করে ঠিক সময়ে বিশেষ করে বৃষ্টিপাতের আগ মুহূর্তে সার প্রয়োগ না করে দূষণ প্রতিরোধ করা যায়।

  উন্নয়ন কার্যক্রমে পানির ভূমিকা : আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন অসম্ভব। আর সেই কৃষিকাজে সেচের জন্য দরকার পানি অর্থাৎ পানি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। এমন কোনো শিল্প কারখানা নেই যেখানে কোনো না কোনো পর্যায়ে পানির ব্যবহার না হয়। সুতরাং উন্নয়ন ও পানি একে অপরের পরিপূরক।

  বাংলাদেশে পানি উৎসে হুমকি : আমাদের পানির উৎসসমূহ স্পষ্টতই বেশ কয়েকটি হুমকির মুখে রয়েছে :

১. বন্যা মাটির ক্ষয়জনিত কারণে সৃষ্ট হুমকি : এতে একদিকে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয় ও অন্যদিকে নদী শুকিয়ে যেতে পারে বা মরেও যেতে পারে। নদী শুকিয়ে যাওয়ার অর্থই হলো পানি সম্পদ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া।

২. নদী দখল : এর ফলে নদীর গতিপথ সরু হয়ে যাচ্ছে ও পানিধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। যে কারণে ভারী বর্ষণ হলেই বন্যা  দেখা দিচ্ছে।

৩. নদীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ : পদ্মা, যমুনাসহ বেশ কয়েকটি নদীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দেয়ার ফলে এদের শাখা-প্রশাখায় পানির প্রবাহ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

৪. অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : ঢাকা শহরে দৈনিক প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়। নদী এসব বর্জ্য দিয়ে ভরে উঠেছে, নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে পড়েছে।

৫. পানির গতিপথ পরিবর্তন : গঙ্গার পানির গতিপথ পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের অনেক নদী পানি শূন্য হয়ে পড়েছে যা ঐ অঞ্চলকে খরা অঞ্চলে পরিণত করেছে।

  পানি প্রাপ্তি একটি মৌলিক অধিকার : মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার হলো খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। এসব অধিকার পানির ওপর নির্ভরশীল। তাই পানি প্রাপ্তিও মানুষের মৌলিক অধিকার।

  পানির উৎস সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা : আমরা যদি পানির উৎস সংরক্ষণে সজাগ না হই, তাহলে ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হতে পারে। যেকোনো ধরনের উন্নয়ন কাজ তা শিল্প কারখানা, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, নগরায়ন যাই হোক না কেন পানির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

 কাজেই যেখানে সেখানে যত্রতত্রভাবে শিল্প কারখানা ও নগরায়ন না করে পরিকল্পিত উপায়ে সম্পন্ন করতে হবে। যাতে করে পানির উৎসসমূহ কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

  পানি প্রবাহের সার্বজনীনতা এবং আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি : পানি সম্পদ অবশ্যই একটি সার্বজনীন বিষয়। এটি কোনো জাতিগোষ্ঠী, দেশ ও মহাদেশের সম্পদ নয়। জাতিসংঘ ১৯৯৭ সালে বিভিন্ন দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদনদীর ক্ষেত্রে পানির বণ্টন নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সমঝোতা চুক্তি তৈরি করে।

  রামসার কনভেনশান : ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে ইরানের রামসারে ইউনেস্কোর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নেওয়া জলাভূমি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ হলো রামসার কনভেনশান। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে এই সমঝোতা চুক্তিতে সম্মতি জ্ঞাপন করে স্বাক্ষর করে।

  আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশান : জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আইন কমিশন আন্তর্জাতিক পানির ব্যবহারের জন্য চুক্তি তৈরি করে যা ১৯৯৭ সালের ২১ মে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় কনভেনশান হিসেবে গৃহীত হয়। এই কনভেনশান অনুযায়ী একের অধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি কোনো দেশই অন্য দেশের অনুমতি ছাড়া একতরফাভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। তবে এই রীতি অনুযায়ী দেশসমূহ ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গতভাবে নিজ নিজ দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অংশের পানি ব্যবহার করতে পারে। এতে অন্য দেশের অংশে পানি প্রবাহে যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন –নিচের চিত্রটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

 ক. পানিতে দ্রবীভূত কোন গ্যাসের সাথে গ্লুকোজ বিক্রিয়া করে?

খ. পানির পুনঃআবর্তন বলতে কী বোঝায়?

গ. নদীটি কোন ধরনের নদীতে পরিণত হতে পারে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. তুমি কি মনে কর নদীটিকে জলজ প্রাণী বসবাসের উপযোগী করা সম্ভব? যুক্তিসহ মতামত দাও।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্যাসের সাথে গ্লুকোজ বিক্রিয়া করে।

খ. সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠের পানির উৎস- সমুদ্র, নদনদী, খাল-বিল, পুকুর, হ্রদ এর পানি বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুম  লে চলে আসে। এরপর ঘনীভূত হয়ে প্রথমে মেঘ ও পরে তা বৃষ্টি আকারে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। এই বৃষ্টির পানির বড় অংশ আবার নদনদী, সমুদ্র, খাল ও বিলে গিয়ে পড়ে এবং আবার বাষ্পীভূত ও ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টির আকারে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। প্রাকৃতিকভাবে সংগঠিত এ চক্রটিকে পানির পুনঃআবর্তন বলে।

গ. নদীটি মরা নদীতে পরিণত হতে পারে।

 নদীটি দখল করে নানারকম শিল্প কারখানা এমনকি আবাসিক এলাকা পর্যন্ত গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে নদীর গতিপথ সরু হয়ে গেছে এবং পানি ধারণক্ষমতা অনেকটাই কমে আসছে।

 শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্যপানি নদীর পানিকে দূষিত করে তুলছে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার বা জাহাজ থেকে ফেলা মলমূত্র ও তেল জাতীয় পদার্থের মাধ্যমে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। এই বর্জ্য পানিতে রোগজীবাণু থেকে শুরু করে নানারকম রাসায়নিক বস্তু মিশ্রিত অবস্থায় আছে। এর ফলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে আসছে। এক্ষেত্রে পানিতে বসবাসকারী মাছসহ সকল প্রাণী অক্সিজেন স্বল্পতায় ভুগছে।

 এ অবস্থায় বেশি দিন চলতে থাকলে একপর্যায়ে এ নদী প্রাণিশূন্য হয়ে পড়বে। তখন নদীটি মরা নদীতে পরিণত হবে।

ঘ. আমি মনে করি নদীটির জলজ প্রাণী বসবাসের উপযোগী করা সম্ভব।

শিল্পকারখানার সৃষ্ট বর্জ্যপানি বিশেষ করে নদীর পানি দূষণের অন্যতম কারণ। এই প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, সৃষ্ট বর্জ্যপানি পরিশোধন করে তারপর নদীতে ফেলা। এ পরিশোধন কাজের জন্য দরকার বর্জ্য পরিশোধন অথবা (Effluent Treatment Plant বা ETP) ইটিপি। ইটিপি কীভাবে তৈরি করা হবে তা নির্ভর করে কী ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ বর্জ্য পানিতে বিদ্যমান তার ওপর। যেহেতু একেক ধরনের বর্জ্যপানি একেক শিল্পকারখানা থেকে বের হয় তাই একটি সাধারণ ইটিপি দিয়ে সব কারখানার বর্জ্যপানি পরিশোধন করা সম্ভব নয়। তবে একই ধরনের শিল্প কারখানা দিয়ে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলে সব কারখানার বর্জ্য পানি একত্রিত করে একটি ETP তে পরিশোধন করা যেতে পারে।

উদ্দীপকের চিত্রের কলকারখানার বর্জ্য পরিশোধনের জন্য একটি ETP স্থাপন করে, তাতে বর্জ্যসমূহ পরিশোধন করে নদীতে ফেলা হলে নদীর পানির pH পরিবর্তন এবং জলজ পরিবেশ নষ্ট হবে না। তাছাড়া নদীতে চলাচলকারী জলযান হতে তেল ও বর্জ্য নদীতে নিক্ষেপ করার ওপর আইন প্রণয়ন এবং জনমত গড়ে তোলা গেলে চিত্রের নদীটি জলজ প্রাণীর বসবাসের উপযোগী করা সম্ভব।

সুতরাং আমি মনে করি, জলজ পরিবেশ রক্ষার জন্য জনমত গড়ে তোলা এবং পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে নদীটিতে জলজ প্রাণী বসবাসের উপযোগী করা সম্ভব।

প্রশ্ন –২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

জমিলা খাতুন বাড়ির পাশের পুকুরের ঘোলা পানিকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় রান্নার উপযোগী করেন। অপরদিকে রতন সাহেব তার পানি বোতলজাতকরণ কারখানায় ও ঔষধ তৈরির কারখানায় পানিকে জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করেন।

  ক. পানির স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে?

খ. জলজ উদ্ভিদ পানির স্রোতে ভেঙে যায় না কেন?

গ. জমিলা খাতুন পুকুরের পানিকে কীভাবে রান্নার উপযোগী করেন? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. রতন সাহেব তার দুই কারখানার কাজে ব্যবহার করা পানি কি একইভাবে জীবাণুমুক্ত করেন? যুক্তিসহ মতামত দাও।

    ২নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. বায়ুম  লীয় চাপে পানি যে তাপমাত্রায় বাষ্পে পরিণত হয়, তাকে পানির স্ফুটনাঙ্ক বলে।

খ. জলজ উদ্ভিদের কা   ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুব নরম হয় যা পানির স্রোত ও জলজ প্রাণীর চলাচলের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তাই এটি এক ধরনের অভিযোজন। পানির স্রোত এগুলোতে প্রভাব ফেলতে পারে না। এজন্যই জলজ উদ্ভিদ পানির স্রোতে ভেঙে যায় না।

গ. জমিলা খাতুন পুকুরের পানিকে রান্নার উপযোগী করতে পরিস্রাবণ পদ্ধতিকে কাজে লাগান। কারণ পুকুরের পানি ঘোলা ছিল।

 পরিস্রাবণ হলো তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার একটি প্রক্রিয়া। পানিতে অদ্রবণীয় ধুলাবালির কণা থেকে শুরু করে নানারকম ময়লা আবর্জনার কণা মিশে থাকে। এজন্য পুকুর বা নদনদীর পানি অনেকসময় ঘোলা দেখায়। পরিস্রাবণের মাধ্যমে এদের পানি থেকে দূর করা যায়। এক্ষেত্রে বালি ও পাথরের স্তরের মধ্য দিয়ে পানিকে প্রবাহিত করা হয়। এতে করে পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলো বালির স্তরে আটকে যায়। বালির স্তর ছাড়াও খুব সূক্ষ্মভাবে তৈরি কাপড় ব্যবহার করে পরিস্রাবণ করা যায়। এ পদ্ধতিতে অদ্রবণীয় সূক্ষ্ম ভাসমান পদার্থও পৃথক হয়। জমিলা খাতুন পুকুরের পানিকে এভাবেই রান্নার উপযোগী করে থাকেন।

ঘ. রতন সাহেব তার দুই কারখানার কাজে ব্যবহার করা পানি একইভাবে জীবাণুমুক্ত করেন না।

 পানি বোতলজাতকরণ কারখানায় তিনি ক্লোরিনেশন পদ্ধতির সাহায্যে পানিকে জীবাণুমুক্ত করেন। এজন্য নানারকম জীবাণুনাশক পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্লোরিন গ্যাস (Cl2)। এছাড়া সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (NaOCl) এবং আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে এবং যা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে তা ব্যবহার করা হয়। তবে রতন সাহেব বোতলজাত পানির কারখানায় ওজোন (O3) গ্যাস দিয়ে অথবা অতিবেগুনি রশ্মি দিয়েও পানিতে থাকা রোগজীবাণু ধ্বংস করে পানিকে রোগজীবাণুমুক্ত করেন।

 ওষুধ তৈরির জন্য ও পরীক্ষাগারে রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইত্যাদি কাজে পুরোপুরি বিশুদ্ধ পানির দরকার হয়। তখন পাতন প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে বাষ্পে পরিণত করা হয়। পরে ঐ বাষ্পকে আবার ঘনীভূত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধকৃত পানিতে অন্য পদার্থ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।

 এজন্য রতন সাহেব পাতন পদ্ধতিতে ওষুধ কারখানার পানি বিশুদ্ধ করেন।

 প্রশ্ন –৩  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

        চিত্র : A                             চিত্র : B

  ক. গলনাংক কাকে বলে? ১

খ. ক্লোরিনেশন বলতে কী বোঝায়? ২

গ. চিত্রে A উদ্ভিদটির টিকে থাকার জন্য পানি আবশ্যক   ব্যাখ্যা কর। ৩ 

ঘ. বর্তমানে নদ-নদীতে B চিত্রের প্রাণীটির কমে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪

    ৩নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. কোনো কঠিন পদার্থ যে তাপমাত্রায় গলে যায় বা তরলে পরিণত হয় তাকে ঐ পদার্থের গলনাংক বলে।

খ. নানা রকমের জীবাণু নাশক পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্লোরিন (Cl2) গ্যাস। এছাড়া ব্লিচিং পাউডার ও সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড এবং অন্যান্য পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে ব্যবহার করে পানিকে বিশুদ্ধকরণ করা হয়। ক্লোরিন দিয়ে যেহেতু পানিকে বিশুদ্ধ করা হয় যেহেতু পানির এই বিশুদ্ধকরণ পদ্ধতিকে ক্লোরিনেশন বলা হয়।

গ. চিত্রের A উদ্ভিদটি একটি জলজ উদ্ভিদ।

 জলজ উদ্ভিদসমূহ পানিতে বাস করে। জলজ উদ্ভিদসমূহ মূল ও  সারা দেহের মাধ্যমে পানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান বিশেষ করে খনিজ লবণ সংগ্রহ করে থাকে। তাই এদের সমগ্র দেহ পানির সংস্পর্শে না এলে এদের বেড়ে ওঠার ব্যাঘাত ঘটত। আরেকটি লক্ষণীয় ব্যাপার হলো জলজ উদ্ভিদের কা   ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুব নরম হয় যা পানিতে স্রোত ও জলজ প্রাণির চলাচলের সঙ্গে মানানসই। তাছাড়া জলজ উদ্ভিদসমূহ সাধারণত অঙ্গজ উপায়ে বংশবিস্তার করে থাকে। পানি না থাকলে এরা বাঁচতে পারবে না। এরা পানিতে দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরী করে। পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে শ্বসন কার্য সম্পন্ন করি। জলজ উদ্ভিদগুলো শুধুমাত্র পানিতে জন্মায় ও বংশবৃদ্ধির জন্য অভিযোজিত হয়েছে।

 অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে চিত্রের A উদ্ভিদটির টিকে থাকার জন্য পানি একান্ত আবশ্যক।

ঘ. B চিত্রের প্রাণীটি হলো মাছ যা বর্তমানে নদ-নদীতে কমে যাওয়ার কারণ হলো পানি দূষণ এবং অক্সিজেনের অভাব।

 হাজারো জলজ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত জলজ প্রাণী হলো মাছ। অক্সিজেন ছাড়া মাছ বাঁচতে পারে না। মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে ফুলকার মাধ্যমে। আর ফুলকা এমনভাবে তৈরি যে, এটি শুধু পানি থেকেই অক্সিজেন নিতে পারে, বাতাস থেকে নয়। তাই পানিতে অক্সিজেন না থাকলে মাছ বাঁচতে পারে না। পানিতে অক্সিজেন কমে যাওয়ার কারণগুলো নিচে বিশ্লেষণ করা হলো।

  কিছু কিছু রাসায়নিক পদার্থ আছে, যেমন   গোবর, গাছপালার ধ্বংসাবশেষ, খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে চিনি, গ্লুকোজ ইত্যাদি পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। ফলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়। আর যদি ঐ সকল পদার্থ খুব বেশি থাকে তাহলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্যে নেমে আসতে পারে।

  পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেন খুব বেড়ে গেলে তা প্রচুর শ্যাওলা জন্মাতে সাহায্য করে। এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যায় তখন পানিতে থাকা দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয় এবং তার ফলে মাছসহ সকল প্রাণী মরে যায়।

  পানির তাপমাত্রা এবং লবণাক্ততা বাড়লে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে। অর্থাৎ বৈশ্বিক উষ্ণতাও পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণ।

 অতএব, উপরিউক্ত কারণে বর্তমানে নদনদীতে মাছ কমে যাচ্ছে।

 প্রশ্ন –৪  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ঢাকা নিবাসী নিশাদদের বাসায় পানির লাইনে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি আসে। এতে তাদের প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়। এছাড়া ঢাকা শহরে অপরিকল্পিতভাবে শিল্প কারখানা স্থাপন, ভাসমান লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি, অধিক যানবাহনে নদীর পানি যেমন দূষিত হচ্ছে, পাশাপাশি শহরের বাতাসও হচ্ছে দূষিত।

  ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত লেখ। ১

খ. পানিকে একটি সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয় কেন? ২

গ. নিশাদদের বাসার পানি ব্যবহার উপযোগী করার উপায়সমূহ ব্যাখ্যা কর। ৩ 

ঘ. উদ্দীপকের এরূপ অবস্থার জন্য জনগণের অসচেতনতাই দায়ী। উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।  ৪

    ৪নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত হলো [Ca(OCl)Cl)]

খ. পানি বেশিরভাগ অজৈব যৌগ ও অনেক জৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে বলে পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।

 পানি পৃথিবীর সবচেয়ে সহজলভ্য তরল পদার্থ। পৃথিবীপৃষ্ঠের শতকরা ৭৫ ভাগই পানি দিয়ে গঠিত। এর বিশেষ ধর্ম হলো এটি খুব ভালো একটি দ্রাবক। পৃথিবীর অধিকাংশ মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ, জৈব ও অজৈব পদার্থকে পানি দ্রবীভূত করতে পারে। যা অন্য কোনো তরল পারে না। এ কারণেই পানিকে একটি সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।

গ. নিশাদদের পানিতে যেহেতু দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি আসে, তাই তাদের পানি অত্যন্ত ভালোরূপে বিশুদ্ধ করা প্রয়োজন।

 নিচে উক্ত পানি ব্যবহার উপযোগী করার উপায়গুলো ব্যাখ্যা করা হলো। পরিস্রাবণ : প্রথমে পানিতে অদ্রবণীয় ধূলি-বালির কণা থেকে শুরু করে নানারকম ময়লা আবর্জনার কণা পরিস্রাবণের মাধ্যমে পানি থেকে দূর করতে হবে। বালির স্তরের মধ্য দিয়ে পানিকে প্রবাহিত করলে, পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলো তাতে আটকে যায়। বালির স্তর ছাড়াও খুব সূক্ষ্মভাবে তৈরি কাপড় ব্যবহার করে পরিস্রাবণ করা যায়। ইদানিং বাসা-বাড়িতে যেসব ফিল্টার ব্যবহৃত, সেখানে আরো উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে পরিস্রাবণ করা হয়। নিশাদের বাসার পানি পরিস্রাবণ করার পর নিম্নোক্ত উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যেতে পারে।

 ক্লোরিনেশন : যদি পানিতে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থাকে, তবে নানারকম জীবাণুনাশক যেমন : ক্লোরিন গ্যাস (Cl2), ব্লিচিং পাউডার [ঈধ(ঙঈষ)ঈষ] এবং আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে এবং যা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে তা ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড [Ca(OCl)Cl] পানিতে থাকা রোগজীবাণুকে ধ্বংস করে।

 স্ফুটন : পানিকে খুব ভালোভাবে ফুটালে এতে উপস্থিত জীবাণু মরে যায়। স্ফুটন শুরু হওয়ার পর ১৫  ২০ মিনিট ধরে স্ফুটন করলে পানি জীবাণুমুক্ত হয়। বাসা-বাড়িতে খাওয়ার পানির জন্য এটি একটি সহজ ও সাশ্রয়ী প্রক্রিয়া।

 পাতন : এ প্রক্রিয়ায় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে বাষ্পে পরিণত করে। ঐ বাষ্পকে আবার ঘনীভূত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধকৃত পানিতে অন্য পদার্থ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।

 উপযুক্ত পদ্ধতিগুলো আলোচনা করে দেখা যায় দুগন্ধযুক্ত ময়লা পানি ভালোভাবে বিশুদ্ধ করার জন্য প্রত্যেকটি উপায় কার্যকরী। তাই যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করেই নিশাদদের বাসার পানি ব্যবহার উপযোগী করা যেতে পারে।

ঘ. উদ্দীপকে যে অবস্থার কথা বলা হয়েছে তা হলো পানিদূষণ। আর পানির এই দূষিত অবস্থার জন্য দায়ী মানুষের তথা জনগণের সচেতনতার অভাব।

 উদ্দীপকে পানি দূষণ, বায়ু দূষণের কথা বলা হয়েছে যার কারণ শহরে অপরিকল্পিতভাবে শিল্প কারখানা স্থাপন, ভাসমান লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি, অধিক যানবাহন ইত্যাদি নিচে কারণগুলো ব্যাখ্যা করা হলো।

 ১. গোসল, পায়খানাসহ অন্যান্য কাজের পর বর্জ্যপানির বড় একটি অংশ নর্দমার নলের মাধ্যমে নদ-নদীতে নিয়ে ফেলা হয়। এই বর্জপানিতে রোগজীবাণু থেকে শুরু করে নানারকম রাসায়নিক বস্তু থাকে। ফলে পানি দূষিত হয়।

 ২. বাসা-বাড়িতে যেসব বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়, সেগুলো সাধারণত বাড়ির পাশে ডাস্টবিন বা খোলা জায়গায় ফেলা হয় দু’ এক দিনের মধ্যে তা পচে বৃষ্টির পানির সাথে মিশে নদ-নদী, খাল-বিল বা লেকের পানিকে দূষিত করে।

 ৩. কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, জৈব সার ও কীটনাশক বৃষ্টি বা বন্যার পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে।

 ৪. টেক্সটাইল মিল, ডাইং, রং তৈরির কারখানা, সার কারখানা, কাগজ তৈরির কারখানা ইত্যাদি নানারকম শিল্প কারখানার বর্জ্যপদার্থের দ্বারা নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার বা জাহাজ থেকে ফেলা মলমূত্র ও তেল জাতীয় পদার্থের মাধ্যমে নদ-নদী ও সমুদ্রের পানি দূষিত হয়। পরীক্ষাগার থেকে সৃষ্ট বর্জ্য পানি যেখানে এসিড, ক্ষারসহ নানারকম রাসায়নিক পদার্থ থাকে, তাও পানিকে দূষিত করে।

 দেখা যাচ্ছে যে, মানুষের বিভিন্ন অসচেতন ও যাচ্ছে তাই কর্মকা  ের জন্যই পানির এত দূষণ ও দূরাবস্থা। কাজেই, উদ্দীপকের উল্লিখিত অবস্থার জন্য জনগণের সচেতনতাই দায়ী   উক্তিটি যথার্থ ও বাস্তবসম্মত।

 প্রশ্ন –৫  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ফাহাদের বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে অনেক শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় নদীর পানির pH এর মান পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। পানি খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফাহাদের মা আগে পানি ফুটাতেন কিন্তু ইদানীং সেটিও সম্ভব হচ্ছে না।

  ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত কী? ১

খ. সমুদ্রের পানি লোনা হয় কেন? ২

গ. ফাহাদের মা কীভাবে পানি খাওয়ার উপযোগী করে তুলতে পারেন ব্যাখ্যা কর। ৩ 

ঘ. উদ্দীপকের আলোকে pH পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ কর। ৪

    ৫নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত [Ca(OCl)Cl]|

খ. সমুদ্রের পানিতে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকায় তা লোনা হয়।

 পানির সবচেয়ে বড় উৎস হলো সমুদ্র বা সাগর এবং মহাসাগর। পৃথিবীর মোট পানির শতকরা ৯০ ভাগেরই উৎস হলো সমুদ্র। কিন্তু সমুদ্রের পানিতে প্রচুর লবণ থাকায় তা পানযোগ্য নয়। এমনকি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা অন্য কাজেও ব্যবহারের উপযোগী নয়। একারণেই সমুদ্রের পানি লোনা।

গ. ফাহাদের মা পানিকে বিশুদ্ধ করার জন্য পানি ফুটাতেন। কিন্তু ইদানীং তাতেও কাজ হচ্ছে না। এখন তিনি একমাত্র পাতন পদ্ধতির দ্বারা পানি বিশুদ্ধ করতে পারেন। কারণ পানির ঢ়ঐ এর মান এর পরিবর্তন হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি হবে বর্ণহীন, স্বাদহীন এবং নিরপেক্ষ এই মানদ   সম্পন্ন পানি পেতে হলে পাতনের বিকল্প নেই। নিচে পাতন পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলো :

 যখন খুব বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন হয়, তখন পাতন প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে বাষ্পে পরিণত করা হয়। পরে ঐ বাষ্পকে আবার ঘনীভূত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধকৃত পানিতে অন্য পদার্থ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

 অতএব, ফাহাদের মা উপরিউক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে পানিকে খাওয়ার উপযোগী করে তুলতে পারেন।

ঘ. উদ্দীপকের আলোকে দেখা যায় pH পরিবর্তনের প্রভাবে পানি দূষিত এবং পানের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়াও pH পরিবর্তনের আরও অনেক প্রভাব রয়েছে বা নিচে বিশ্লেষণ করা হলো।

 ঢ়ঐ হলো এমন একটি রাশি, যার দ্বারা বোঝা যায় পানি বা জলীয় দ্রবণ এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ হলে pH হয় ৭, এসিডিক হলে ৭-এর কম, আর ক্ষারীয় হলে ৭-এর বেশি। এসিডের পরিমাণ যত বাড়ে pH এর মান তত কমে, অন্যদিকে ক্ষারের পরিমাণ যত বাড়ে, pH এর মানও তত বাড়ে। নদনদী, খালবিল ইত্যাদি জন্য pH এর মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত নদনদীর পানি ক্ষারীয় হয়। গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে নদনদীর পানির ঢ়ঐ যদি ৬-৮ এর মধ্যে থাকে, তবে তা জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য কোনো অসুবিধার সৃষ্টি করে না। তবে pH এর মান যদি খুব কমে যায় বা বেড়ে যায়, তাহলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের মারাত্মক ক্ষতি হয়। মাছের ডিম, পোনা মাছ এরা খুব কম বা বেশি pH হলে বাঁচতে পারে না, পানিতে এসিডের পরিমাণ খুব বেড়ে গেলে অর্থাৎ pH এর মান খুব কমে গেলে জলজ প্রাণীদের দেহ থেকে ক্যালসিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ বাইরে চলে আসে, ফলে মাছ রোগাক্রান্ত হয়।

 অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢ়ঐ পরিবর্তনের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন –৬  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

তাপমাত্রা  সেলসিয়াস হলে X তরল পদার্থটি কঠিন আকার ধারণ করে। তাপ দিলে কঠিন আকারের X তরল হয়ে যায় এবং ১০ সেলসিয়াস তাপে বাষ্পে পরিণত হয়।

  ক. ইউরেনিয়াম কী? ১

খ. মরা নদী বলতে কী বোঝ? ২

গ. উদ্দীপকে X পদার্থের গলনাংক ও স্ফুটনাংক ভিন্ন হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. ঢ পদার্থটির ভিন্ন ভিন্ন রূপ   বিশ্লেষণ কর। ৪

    ৬নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. ইউরেনিয়াম একটি তেজষ্ক্রিয় পদার্থ।

খ. জলাভূমি যেমন নদী, খাল, বিল অতিরিক্ত দূষণের ফলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্যে নেমে আসে। এ অবস্থায় জলজ উদ্ভিদ ও সকল জলজ প্রাণীর শ্বসন ক্রিয়ার ব্যাঘাত হওয়ায় মরে যায় এবং নদীগুলো প্রাণী শূন্য হয়ে পড়ে। যখন এ অবস্থা সৃষ্টি হয় তখন সেসব নদীকে মরা নদী বলা হয়।

গ. বায়ুম  লীয় চাপে যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো একটি কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিণত হয় সেই তাপমাত্রাকে ঐ পদার্থের গলনাংক বলে। কঠিন পদার্থটি গলে তরলে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত ঐ তাপমাত্রা স্থির থাকে। উদ্দীপকের ঢ পদার্থটি পানি এবং এর কঠিন অবস্থা বরফ। বরফের গলনাংক  সেলসিয়াস। অপরদিকে বায়ুম  লীয় চাপে যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তরলের বাষ্পায়ন হয়, সেই তাপমাত্রাকে ঐ তরলের স্ফুটনাংক বলে। সমস্ত তরল পদার্থটি বাষ্পে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত তরলের স্ফুটনাংক স্থির থাকে। উদ্দীপকের তরল পদার্থের অর্থাৎ পানির স্ফুটনাংক ১০ সেলসিয়াস।

 সুতরাং পানির গলনাংক ও স্ফুটনাংক দুটি ভিন্ন বিষয়।

ঘ. অবস্থাবিশেষে নির্দিষ্ট কোনো পদার্থ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় অবস্থায় থাকতে পারে। যেমন : ঢ পদার্থটির কঠিন রূপ বরফ, তরল রূপ পানি ও  বাষ্পীয় রূপ জলীয় বাষ্প একই পদার্থ। তাপ বাড়িয়ে বা কমিয়ে এদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো যায়। সাধারণ তাপমাত্রায় পানি একটি তরল পদার্থ। পানিকে ঠা  া করলে  সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বরফে পরিণত হয়। এ বরফে তাপ দিলে আবার পানিতে পরিণত হয়। তাপবৃদ্ধি করে ১০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বা পানি জলীয় বাষ্পে রূপান্তরিত হয়। ওই জলীয় বাষ্পকে ঠা  া করলে তা পুনরায় অর্থাৎ উদ্দীপকের ঢ পদার্থটিকে পানিতে পরিণত হয়। এভাবে তাপের পরিবর্তন  করে পানিকে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর করা যায়।

 সুতরাং বরফ, পানি ও জলীয় বাষ্প একই পদার্থের ভিন্ন ভিন্ন রূপ।

প্রশ্ন –৭  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

শ্রেণিশিক্ষক ক্লাসে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্বন্ধে শিক্ষার্থীদের বোঝালেন। জলজ উদ্ভিদগুলোর দৈহিক গঠন ও এদের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য জানালেন। মাছ কীভাবে পানিতে বাস করে এবং বংশবিস্তার করে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধারণা দিলেন।

 ক. পানির স্ফুটনাংক কত? ১

খ. জলজ প্রাণীদের বেঁচে রাখতে জলজ উদ্ভিদ কী ভূমিকা রাখে? ব্যাখ্যা কর। ২

গ. পানির কোন কোন মানদ   উদ্দীপকের জলজ প্রাণীর বংশবিস্তারে প্রভাব রাখে? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত জলজ উদ্ভিদ ও মাছের মতো তুমি কি পানিতে বাস করতে পারবে? ব্যাখ্যাসহ লেখ।  ৪

    ৭নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. পানির স্ফুটনাংক ১০০°C

খ. জলজ উদ্ভিদগুলো সালোকসংশ্লেষণের সময় অক্সিজেন নির্গত করে। এই অক্সিজেন পানিতে দ্রবীভূত হয়ে পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখে। এতে করে জলজ প্রাণী ফুলকার সাহায্যে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে শ্বসন প্রক্রিয়া চালায়। এছাড়া জলজ শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদ জলজ প্রাণীদের খাদ্যভা  ার হিসেবে কাজ করে।

গ. উদ্দীপকের জলজ প্রাণী হলো মাছ। পানির তাপ, pH ও লবণাক্ততা মাছের বংশবিস্তারে সরাসরি প্রভাব রাখে। পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে মাছের প্রজনন থেকে শুরু করে অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কাজে সমস্যা সৃষ্টি হয়। নদনদী, খালবিল ইত্যাদিতে জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য পানির pH মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত নদনদীর পানি ক্ষারীয় হয়। নদনদী ও জলাশয়ের পানির pH যদি ৬-৮ এর মধ্যে থাকে, তাহলে মাছের বংশবিস্তার ও বেঁচে থাকতে অসুবিধা হয় না। ঢ়ঐ এর মান এসিডিক বা ক্ষারীয় হলে ওই পানিতে মাছের ডিম, পোনা মাছ বাঁচতে পারে না এবং বংশবিস্তারে বিঘ্ন ঘটে।

 পানির লবণাক্ততা কিছু মাছের বংশ বিস্তারে সমস্যা সৃষ্টি করে। যেমন ইলিশ মাছ। ইলিশ মাছ সামুদ্রিক মাছ হলেও প্রজননের সময় ডিম ছাড়ার জন্য মিঠা পানিতে চলে আসে। কারণ সমুদ্রের পানি লোনা হওয়ায় ইলিশ পোনা মাছ সৃষ্টি হতে পারে না। তাই প্রাকৃতিক নিয়মেই ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে আসে।

 সুতরাং, পানির তাপ, লবণাক্ততা, pH এসব মানদ   জলজ প্রাণীর জীবনচক্রে গুরুত্বপূর্ণ।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত জলজ উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীদের মতো মানুষ পানিতে বাস করতে পারে না। কারণ জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী পানিতে বসবাসের জন্য অভিযোজিত হয়েছে। জলজ উদ্ভিদগুলো পানিতে দ্রবীভূত গ্যাস ও খনিজ পদার্থগুলো দেহ দ্বারা শোষণ করে আর জলজ প্রাণীগুলো পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন বিশেষ শ্বাসঅঙ্গ ফুলকার দ্বারা শোষণ করে শ্বসনকার্য সম্পন্ন করে। মানুষ ফুসফুসের সাহায্যে বায়ুর অক্সিজেন শোষণ করে শ্বাসকার্য সম্পন্ন করে। মানুষের এমন কোনো অঙ্গ নেই যার দ্বারা পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন শোষণ করে শ্বসনকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব। এজন্য মানুষের পক্ষে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মতো পানিতে বসবাস সম্ভব নয়।

প্রশ্ন –৮  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

অবনি ও হিয়া তাদের বাবার সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে যায়। সমুদ্রে গোসল করার সময় পানি মুখে লাগায় তারা বুঝে সমুদ্রের পানি লোনা। তাদের বাবা বোঝালেন এ পানি থেকে মিঠা পানি প্রস্তুত করা যায়। এও বললেন সমুদ্রের পানির উচ্চতা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে মিঠা পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে।

  ক. pH কী? ১

খ. পানিকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয় কেন? ২

গ. অবনি ও হিয়ার বাবা কীভাবে সমুদ্রের পানি থেকে মিঠা পানি প্রস্তুত করবেন? ৩

ঘ. বাংলাদেশের উক্ত অঞ্চলে মিঠা পানির সমস্যা কেন দেখা দিয়েছে এবং এর সমাধান কী? বিশ্লেষণ কর। ৪

    ৮নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. pH হলো এমন একটি রাশি, যার দ্বারা বোঝা যায় পানি বা জলীয় দ্রবণ এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ।

খ. পানির একটি বিশেষ ধর্ম হলো এটি বেশির ভাগ অজৈব যৌগ ও অনেক জৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে। যেমন : পানির মধ্যে জৈব যৌগ চিনি আর অজৈব যৌগ লবণ দ্রবীভূত হতে পারে। এজন্য একে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।

গ. মানসম্মত পানি উৎপাদন করার জন্য যে প্রক্রিয়াগুলো আছে তাদের মধ্যে পাতন একটি পদ্ধতি।

 অবনির বাবা পাতন প্রক্রিয়ায় সমুদ্রের পানি থেকে মিঠা পানি প্রস্তুত করবেন। তিনি সমুদ্রের পানিকে একটি বদ্ধ পাত্রে নিয়ে তাপ দিয়ে বাষ্পে পরিণত করে ওই বাষ্পকে ঘনীভূত করে মিঠা পানিতে পরিণত করবেন। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য অবনির বাবাকে বিশেষ ধরনের যন্ত্রপাতির সাহায্যে নিতে হবে।

ঘ. বাংলাদেশের উক্ত অঞ্চল অর্থাৎ দক্ষিণ অঞ্চল বঙ্গোপসাগরের নিকটে। বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলার কারণে সমুদ্রের পানির উচ্চতা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে সাগরের লবণাক্ত পানি মূল ভূখ  ে ঢোকার ফলে নদী খালবিলের ও ভূগর্ভস্থ পানি লবণাক্ত হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে চিংড়ি চাষের জন্য নালা কেটে লবণাক্ত পানি মূল ভূখ  ে আনা হয়। এ কারণে এ এলাকার ভূগর্ভস্থ পানিসহ মিঠা পানির অন্যান্য উৎস লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে খাওয়ার পানি ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার উপযোগী পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলে মিঠা পানির একমাত্র উৎস বৃষ্টির পানি।

 তাই দক্ষিণ অঞ্চলে ১০-১৫টি গ্রামের মানুষ সবাই মিলে পুকুর খনন করে মিঠা পানির জন্য বৃষ্টির পানি ধরে রেখে ব্যবহার করতে পারে। এভাবে এ অঞ্চলের মানুষ এ সমস্যার সমাধান করতে পারে।

প্রশ্ন –৯  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সজল পান করার জন্য বাসা থেকে ফুটানো পানি স্কুলে নিয়ে যায়। একদিন সে বাসা থেকে পানি না নেওয়ায় স্কুলের ট্যাপের দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। সে ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি তাকে সব সময় বিশুদ্ধ পানি পান করার কথা বললেন।

  ক. পানিদূষণ কী? ১

খ. মানবদেহের জন্য পানি অপরিহার্য কেন? ২

গ. ট্যাপের পানিকে সজল কীভাবে পানযোগ্য করতে পারে? ৩

ঘ. সজলের পান করা পানি মানবদেহে কী কী রোগ সৃষ্টি করতে পারে? আলোচনা কর। ৪

    ৯নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. পানির মধ্যে নানা ধরনের রোগজীবাণু, ময়লা, আবর্জনা ইত্যাদি মিশ্রিত হলে একে পানিদূষণ বলে।

খ. পানি খাদ্যের একটি উপাদান। মানবদেহ গঠন ও আভ্যন্তরীণ কাজ পানি ছাড়া চলে না। মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গ গঠনের জন্য পানি প্রয়োজন। কোষের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো পানি ছাড়া সম্ভব নয়। এটি জীবের প্রবাহের কাজ করে।এটি খাদ্য পরিপাক ও পরিশোষণে সাহায্য করে। এজন্য পানি মানবদেহের জন্য অপরিহার্য।

গ. ট্যাপের পানিকে সজল পানযোগ্য করতে পারে পানিকে বিশুদ্ধ করে। পানিবাহিত রোগের জীবাণুকে দূর করার জন্য সজলকে জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে। পানি বিশুদ্ধকরণের পদ্ধতিকে ক্লোরিনেশন বলে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ক্লোরিন গ্যাস। এ ছাড়া ব্লিচিং পাউডার পরিমিত পরিমাণ ব্যবহার করে পানিকে জীবাণুমুক্ত করা যায়। সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (NaOCl) ট্যাবলেট পানিতে দিয়ে পানিকে পানযোগ্য করা যায়। এতে বিদ্যমান ক্লোরিন পানিতে থাকা রোগজীবাণু ধ্বংস করে। এ ছাড়া পানিতে ওজোন (O3) গ্যাস অথবা অতিবেগুনি রশ্মি চালিত করে পানিকে বিশুদ্ধ করা যায়।

 ক্লোরিনেশন ছাড়া সজল স্ফুটন প্রক্রিয়ায় ট্যাপের পানিকে জীবাণুমুক্ত করতে পারে। এ পদ্ধতিতে পানি ফুটতে শুরু হওয়ার পর ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত পানিকে ফুটালে পানি জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়। এরপর এই পানি ঠা  া করে পান করা যায়।

 সুতরাং সজল পানি বিশুদ্ধকরণের এই পদ্ধতিগুলোর যেকোনো একটি ব্যবহার করে ট্যাপের পানিকে পানযোগ্য করতে পারে।

ঘ. সজলের পান করা পানি দূষিত। দূষিত পানি পানে পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়। টাইফয়েড জ্বর, কলেরা, আমাশায়, হেপাটাইটিস-বি এসব পানিবাহিত রোগ। দূষিত পানি পান ও ব্যবহারে এসব রোগের জীবাণু মানবদেহ সংক্রমিত হয় এবং এসব রোগে আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া পানিতে যদি ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ যেমন : পারদ, সিসা, আর্সেনিক ইত্যাদি থাকে এবং এই পানি পান করলে মানবদেহে পারদ, সিসা ও আর্সেনিকের প্রভাবে যেসব রোগ হতে পারে তা হলো 

পারদ  : মস্তিষ্কের বিকল হওয়া, ত্বকের ক্যান্সার ও বিকলাঙ্গ হতে পারে।

সিসা  : মেজাজ খিটখিটে হওয়া, শরীর জ্বালাপোড়া, রক্তশূন্যতা, কিডনি বিকল হওয়া, দেহে বেশি সিসা প্রবেশ করলে মস্তিষ্ক বিকল হতে পারে।

আর্সেনিক : ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার, পাকস্থলীর রোগ হতে পারে।

এছাড়া তেজস্ক্রিয় পদার্থ যেমন : ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, সিজিয়াম প্রভৃতি দ্বারা পানি দূষিত হলে তা মানবদেহে ক্যান্সার ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন –১০  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

পৃথিবীতে যত তরল পদার্থ আছে এর মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য হলো পানি। পৃথিবীর ৩৪ ভাগ পানি। মানবদেহের ৭০ ভাগই পানি। পানি ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না।

  ক. পানির রাসায়নিক সংকেত লেখ। ১

খ. পানির pH বলে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২

গ. উদ্দীপকের তরলটির ব্যবহার যোগ্যতার মানদ   কী কী হওয়া উচিত? আলোচনা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকের তরলটির ব্যবহার ব্যাপক কিন্তু তবুও এটি শেষ হয় না    বিশ্লেষণ কর।  ৪

    ১০নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. পানির রাসায়নিক সংকেত ঐ২ঙ.

খ. পানির ঢ়ঐ বলতে এমন একটি রাশিকে বোঝায় যার দ্বারা বোঝা যায় পানি এসিডিক, ক্ষারীয় নাকি নিরপেক্ষ। পানি নিরপেক্ষ হলে ঢ়ঐ মান ৭ হয়, এসিডিক হলে ঢ়ঐ মান ৭ এর মান কম এবং ক্ষারীয় হলে ঢ়ঐ মান ৭ এর বেশি হয়।

গ. পানির ব্যবহার যোগ্যতার মানদ   নির্ভর করে পানিকে কোন কাজে ব্যবহার করা হবে তার উপর। মানদ  গুলো হলো   বর্ণ ও স্বাদ, স্বচ্ছতা, ক্ষতিকর ধাতু ও তেজস্ক্রিয় পদার্থ যুক্ত দ্রবীভূত অক্সিজেনের উপস্থিতি, তাপমাত্রা ঢ়ঐ এবং লবণাক্ততা। বিশুদ্ধ পানি সব সময় হবে বর্ণহীন ও স্বাদহীন; পর্যাপ্ত দ্রবীভূত অক্সিজেন যুক্ত এবং ক্ষতিকর পদার্থমুক্ত। ঢ়ঐ মান হবে ৭। পানি অস্বচ্ছ বা ঘোলাটে হলে তাতে আলো না পৌছার কারণে জলজ উদ্ভিদগুলো সালোকসংশ্লেষণ করতে পারেনা ফলে পানিতে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। এতে করে জলজ প্রাণীদের শ্বসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। নদনদী খাল বিল ইত্যাদির পানির ঢ়ঐ মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব জলাশয়ের পানির ঢ়ঐ ৬-৮ এর মধ্যে হলে তা জলজ উদ্ভিদও প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য কোনো অসুবিধার সৃষ্টি করে না তবে ঢ়ঐ এর মান যদি খুব কমে যায় বা বেড়ে যায়, তা হলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এছাড়া পানির তাপমাত্রা জলজ প্রাণীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি হয় এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

ঘ. উদ্দীপকের তরলটি পানি। পানির ব্যবহার ব্যাপক কারণ পানির অপর নাম জীবন। পানির এত ব্যবহার ও অপচয়ের পরও পানি শেষ হওয়ার কারণ পৃথিবী পৃষ্ঠে পানির পুনঃআবর্তন ঘটে। দিনের বেলায় সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠের পানির উৎসগুলো থেকে পানি বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুম  লে চলে যায়। এরপর বাষ্প ঘনীভূত হয়ে প্রথমে মেঘ ও পরে তা বৃষ্টি আকারে আবার ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। এই বৃষ্টির পানির বড় অংশ আবার পানির উৎসগুলোতে গিয়ে পরে এবং আবার বাষ্পীভূত ও ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টির আকারে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। এজন্য পানির এই পুনঃআবর্তনে পানির ব্যবহার ব্যাপক হওয়ার পরও শেষ হয় না। পানির পুনঃআবর্তনের দ্বারা পরিবেশের পানির পরিমাণ ও ভারসাম্য বজায় থাকে।

প্রশ্ন –১১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

আমাদের দেশের অনেক নদনদীর পানিই শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়ছে। এ নদীগুলোকে এখন মরা নদী হিসেবেই আখ্যায়িত করা যায়। এ ব্যাপারে আমাদের এখনই সতর্ক না হলে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

  ক. মরা নদী কাকে বলে? ১

খ. আমেরিকার এরি হ্রদকে মরা হ্রদ হিসেবে কেন ঘোষণা করা হয়? ২

গ. ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীকে উদ্দীপকে উল্লিখিত নামে সাব্যস্ত করা যায় কিনা ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকের বিপর্যয় প্রতিরোধের কৌশল প্রণয়ন কর। ৪

    ১১নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. যখন কোনো নদীর সকল জলজ জীব অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে মারা যায় তখন সে নদীকে মরা নদী বলে।

খ. এরি হ্রদের চারপাশে বেশ কয়েকটি ডিটারজেন্ট তৈরির কারখানা থেকে সৃষ্ট বর্জ্য ওই হ্রদের পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেনের বৃদ্ধি ঘটায় যা প্রচুর শ্যাওলা জন্মাতে সাহায্য করে। এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যায় তখন পানিতে থাকা দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয় এবং তার ফলে মাছসহ সকল প্রাণী মরে যায়। তাই এরি হ্রদকে মরা হ্রদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

গ. ঢাকার পাশে বুড়িগঙ্গা নদীর অবস্থা অনেকটাই মরা নদীর মতো। বুড়িগঙ্গা নদীর পানি শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্যপানির কারণে দূষিত হয়ে পড়ছে।

 ঢাকা শহরের দৈনিক প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়। এর প্রায় অর্ধেক পরিমাণ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সংগ্রহ করে ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসে এবং বাকি অর্ধেক নর্দমার নালা দিয়ে বা অন্য উপায়ে নদীতে গিয়ে পড়ে।

 এছাড়া ঢাকার আশপাশের প্রায় সব শিল্প কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যও নদীতে ফেলা হয়। নদী এসব বর্জ্য দিয়ে ভরে উঠছে, নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ছে।

 সুতরাং বুড়িগঙ্গা নদীকে মরা নদী নামে সাব্যস্ত করা যায়।

ঘ. উদ্দীপকের বিপর্যয়টি হলো মিঠা পানির উৎসস্থল অব্যাহত হারে দূষিত হয়ে পড়া। মিঠা পানির দূষণ প্রতিরোধ করতে হলে দূষণের কারণ জেনে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করাই হবে দূষণ প্রতিরোধের কৌশলের বড় দিক। এ দূষণ প্রতিরোধে নিম্নলিখিত কৌশল গ্রহণ করা যায় :

১. জলাভূমি রক্ষা : জলাভূমি, বনভূমি রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তা পানি দূষণ রোধে সহায়ক হবে। বৃক্ষরোপণ করে, জলাভূমি, হ্রদ ও সমুদ্রের তীরে পরিচ্ছন্নতার কাজ করে পানি দূষণ রোধে জনসচেতনতামূলক কাজ করা যায়।

২. জনসচেতনতা বৃদ্ধি : পানি দূষণকারী ক্ষতিকর বর্জ্যরে বড় একটি অংশ আসে আমাদের বাসাবাড়ি থেকে। এগুলো যদি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হয় তাহলে দূষণ অনেকটাই কমে যায়। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

৩. শিল্প কারখানার দ্বারা পানির দূষণ প্রতিরোধ : শিল্প কারখানায় সৃষ্ট বর্জ্যপানি পরিশোধন করে তারপর নদীতে ফেলা উচিত। এ জন্য দরকার বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা ইটিপি।

প্রশ্ন –১২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

বাংলাদেশে শহর অঞ্চলের আশে পাশে মিঠা পানির উৎসে শাপলা, শ্যাওলা, হেলেঞ্চা, কচুরিপানা ও বিভিন্ন রকমের জলজ উদ্ভিদ জš§াতো। এছাড়া এগুলো বিভিন্ন জলজ প্রাণীরও আবাস ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন আবাসন ব্যবসায়ীরা এই সমস্ত মিঠা পানির উৎসগুলো ভরাট করে আবাসিক এলাকা গড়ে তুলছে।

  ক. আর্সেনিক কী? ১

খ. বুড়িগঙ্গা ও শীতল¶্যা নদী দুটির ভবিষ্যৎ কী? ২

গ. আমিষের চাহিদা মেটাতে উদ্দীপকের জলজ উদ্ভিদের অবদান আছে কি? উত্তরের সপ¶ে ব্যাখ্যা লেখ। ৩

ঘ. প্রাকৃতিক জলজ পরিবেশ বিপর্যয়ে উদ্দীপকের উলি­খিত ঘটনা কীভাবে যুক্ত এবং এ বিপর্যয়কে কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় বিশে­ষণ কর। ৪

    ১২নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. আর্সেনিক এক ধরনের ¶তিকর রাসায়নিক ধাতব পদার্থ।

খ. আজকাল নদী দখল করে নানা ধরনের স্থাপনা ও আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে। বুড়িগঙ্গা ও শীতল¶্যা নদীর পাড় দখল করে এ ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে ফলে নদীগুলোর গতিপথ সরু হয়ে যাচ্ছে এবং পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এ নদী দুটি মরা নদীতে পরিণত হবে।

গ. উদ্দীপকে উলি­খিত উদ্ভিদগুলো জলজ উদ্ভিদ। পানি না থাকলে এগুলো জন্মাতে পারবেনা। এ উদ্ভিদগুলো পানিতে অক্সিজেন  সংযোজন করে সালোকসংশে­ষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এই অক্সিজেন অন্যান্য সকল জলজ প্রাণী শ্বসনের জন্য গ্রহণ করে  বেঁচে থাকে। এছাড়া এই সমস্ত জলজ উদ্ভিদ বিশেষ করে শ্যাওলা মাছের খাদ্যভা  ার হিসেবে কাজ করে। মাছ আমাদের খাদ্যের আমিষের একটি উলে­খযোগ্য উৎস। সুতরাং বলা যায় জলজ উদ্ভিদ পানিতে না থাকলে মাছ বাঁচতে পারত না। কারণ জলজ উদ্ভিদগুলো একদিকে যেমন মাছের খাদ্যভা  ার অপর দিকে তারা মাছের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে।

 অতএব আমাদের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা মেটাতে উদ্দীপকে উলি­খিত জলজ উদ্ভিদগুলোর ভূমিকা গুর“ত্বপূর্ণ।

ঘ. আবাসন ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আবাসন গড়ার জন্য নদী, খালবিল ভরাট করে ফেলার কারণে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জলজ আবাস নষ্ট হওয়ার কারণে জলজ উদ্ভিদগুলো জন্মাতে পারছে না। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। কারণ জলজ উদ্ভিদ একদিকে যেমন সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে পানিতে অক্সিজেন যুক্ত করে অপরদিকে এরা জলজ প্রাণীদের খাদ্যভা  ার হিসেবে কাজ করে। এসব জলজ উদ্ভিদ না থাকলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী বাঁচতে পারবে না এবং বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।

 আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের শতকরা ৮০ ভাগই আসে মাছ থেকে। নদী ও খালবিল দখলের ফলে জলজ পরিবেশ হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। ফলে আমাদের প্রোটিনের উৎসও হুমকির মুখে পড়েছে।

 এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হচ্ছে :

 ১. জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে আবাসন ব্যবসায়ীরা নদী ও খালবিল দখল করে ভরাট করতে না পারে।

 ২. নদী দখল ও ভরাট করা বন্ধের জন্য দেশে যে বিদ্যমান আইন আছে তা কঠোরভাবে সরকারকে প্রয়োগ করতে হবে।

প্রশ্ন –১৩  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

খোকন তার একুয়ারিয়ামে ল¶ করল তার মাছগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। সে সবসময় মাছের খাদ্য ঠিক ঠাক দেয়। তার সমস্যার কথা মৎস্য বিশেষজ্ঞের কাছে বললে তিনি তাকে বললেন তোমার একুয়ারিয়ামের পানির মানদ   ঠিক নাই।

  ক. NaOCl  ট্যাবলেটের একটি ব্যবহার লেখ। ১

খ. আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ও মাছের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার পার্থক্য কী?  ২

গ. উদ্দীপকে খোকনের একুয়ারিয়ামে মাছগুলোর রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণ এবং এর প্রতিকার ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. বিশেষজ্ঞের মতে একুয়ারিয়ামের পানির মানদ   ঠিক রাখার জন্য খোকনের করণীয় কী? বিশে­ষণ কর। ৪

    ১৩নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. পানিকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য NaOCl  ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।

খ. আমরা বাতাস থেকে ফুসফুসের দ্বারা অক্সিজেন গ্রহণ শ্বাস-প্রশ্বাস নিই আর মাছ পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন ফুলকার মাধ্যমে গ্রহণ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়।

গ. খোকনের একুয়ারিয়ামের মাছগুলো রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণ পানির pH । পানির pH এর মান যদি খুব কমে যায় তাহলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের মারাত্মক ¶তি হয়। পানির pH খুব কমে গেলে অর্থাৎ এসিডিক হলে জলজ প্রাণীদের দেহ থেকে ক্যালসিয়ামসহ গুর“ত্বপূর্ণ খনিজ লবণ বাইরে চলে আসে; ফলে মাছ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। খোকন একুয়ারিয়ামে যে খাবার দিচ্ছে তা সম্ভবত পানির pH কে কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে মাছগুলো  রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এর জন্য তার করণীয় একুয়ারিয়ামের পানির pH ৬-৮ এর মধ্যে রাখা এবং মাছকে ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ লবণসমৃদ্ধ খাবার দেওয়া।

ঘ. পানির মানদ  ের উপর নির্ভর করে জলজ জীবগুলোর শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো। খোকনের একুয়ারিয়ামের মাছগুলোকে রোগমুক্ত ও সুস্থ রাখার জন্য করণীয় হলো :

১. পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন এর পরিমাণ ঠিক রাখা। কারণ জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য ১ লিটার পানিতে ন্যূনতম  ৫ মি. গ্রাম অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন। কোনো কারণে এই অক্সিজেন যদি নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কমে যায়, তাহলে জলজ প্রাণীদের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।

  খোকন একুয়ারিয়ামে যে খাবার সবরাহ করছে তা সম্ভবত পানির pH কে কমিয়ে দিচ্ছে এবং এতে করে মাছগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

২. পানির তাপমাত্রা ঠিক রাখা দরকার। পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে, পানিতে এক দিকে যেমন দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়, অপর দিকে জলজ প্রাণীর প্রজনন ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়।

৩. জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য পানির pH ৬-৮ উপযুক্ত। যদি pH এর মান খুব কমে যায় বা বেড়ে যায় তাহলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর মারাত্মক ¶তি হয়। পানির ঢ়ঐ কমে গেলে অর্থাৎ পানি এসিডিক হয়ে গেলে জলজ প্রাণীদের দেহ থেকে ক্যালসিয়ামসহ গুর“ত্বপূর্ণ খনিজ লবণ দেহ থেকে বের হয়ে যায় এবং রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন –১৪  নিচের ছকটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

  ক. পানির গাঠনিক সংকেত লেখ। ১

খ. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজননের জন্য পানির মানদ   কী রকম হওয়া উচিত? ২

গ. উদ্দীপকে নদী ও খালের পানিকে কীভাবে পানযোগ্য করবে? ব্যাখ্যাসহ লেখ। ৩

ঘ. বাংলাদেশে ব্যবহার উপযোগী পানির উৎসগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা বিশ্লেষণ কর। ৪

    ১৪নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. পানির গাঠনিক সংকেত 

খ. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজননের জন্য পানির তাপমাত্রা এবং pH মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে জলজ প্রাণীর প্রজননে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কারণ তখন পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়। পানির pH খুব কম বা বেশি অর্থাৎ অম্লত্ব অথবা ক্ষারত্ব খুব বেশি হলে মাছের ডিম পোনা মাছ বাঁচতে পারে না এবং প্রজননে সমস্যা সৃষ্টি হয়।

গ. নদী ও খালের পরিষ্কার পানিতে পানিবাহিত রোগের জীবাণু থাকে। নানা ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করে একে পানযোগ্য করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্লোরিন গ্যাস। এছাড়া ব্লিচিং পাউডার ও আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খুব সহজ পদ্ধতি হলো সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (NaOCl) ট্যাবলেট পানিতে দিয়ে খাল ও নদীর পানিকে পানযোগ্য করা যায়।

 আর একটি সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি হচ্ছে পানিকে ১৫-২০ মিনিট স্ফুটন করে নদী ও খালের পানিকে জীবাণুমুক্ত করে পানযোগ্য করা যায়।

 সুতরাং এই দুটি পদ্ধতির মধ্যে কোনো একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে নদী ও খালের পানিকে পানযোগ্য করা যায়।

ঘ. বাংলাদেশে ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হলো   নদনদী, খালবিল, পুকুর ও ভূগর্ভস্থ পানি। এই উৎসগুলো দিন দিন ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। বর্জ্য পানির বড় একটি অংশ নর্দমার দ্বারা নদনদীতে ফেলা হচ্ছে এবং পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। কৃষি জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। বৃষ্টি এবং বন্যার সময় কৃষি জমির রাসায়নিক ও জৈব সার এবং কীটনাশক পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করছে।

 নদনদীর পানিদূষণের একটি অন্যতম কারণ হলো শিল্প কারখানার বর্জ্য। এছাড়া নৌকা, লঞ্চ, জাহাজ থেকে ফেলা মলমূত্র ও তেল জাতীয় পদার্থ নদনদীর পানিকে দূষিত করছে।

 বাংলাদেশের আর একটি ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানি। সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি অতিরিক্ত উত্তোলনের ফলে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের পানি আর্সেনিক দ্বারা দূষিত হয়ে পড়েছে।

 সুতরাং দিন দিন বাংলাদেশের ব্যবহার উপযোগী পানির উৎসগুলো স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে পড়ছে।

প্রশ্ন –১৫  নিচের রেখাচিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

  ক. পারমাণবিক বিদ্যুৎ কারখানার বর্জ্যে কী থাকে? ১

খ. হেলসিংকি নিয়ম কী? ২

গ. প্রকৃতিতে উদ্দীপকে রেখাচিত্রটির ভূমিকা উল্লেখ কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকের রেখাচিত্রটি চি‎িহ্নত করে ব্যাখ্যা কর। ৪

    ১৫নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. পারমাণবিক বিদ্যুৎ কারখানার বর্জ্যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকে।

খ. আন্তর্জাতিক আইন সমিতি ১৯৬৬ সালে হেলসিংকিতে অনুষ্ঠিত তাদের ৫২ তম সভায় আন্তর্জাতিক নদীগুলোর পানির ব্যবহার সম্পর্কে একটি রিপোর্ট গ্রহণ করে। এই রিপোর্টটি হেলসিংকি নিয়ম নামে পরিচিত।

গ. উদ্দীপকের রেখাচিত্রে পানির পুনঃআবর্তনকে বোঝানো হয়েছে। পানির এই পুনঃআবর্তন প্রকৃতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে পানির পুনঃআবর্তনের সাহায্যে পরিবেশের বিশুদ্ধ পানির যোগান বজায় থাকে। পানির পুনঃআবর্তনের দ্বারা পরিবেশের পানির পরিমাণ এবং ভারসাম্য বজায় থাকে।

 পানির পুনঃআবর্তন না হলে বৃষ্টি হতো না; ফলে পুরো পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যেত। প্রচ   খরা হতো, ফসল উৎপাদন ব্যাহত হতো। ফলে খাদ্যের ঘাটতি ঘটত এবং দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হতো।

ঘ. উদ্দীপকের রেখাচিত্রটি চিহ্নিত করে নিচে দেয়া হলো :

পানির পুনঃআবর্তন চক্র।

 দিনের বেলায় সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠের পানির উৎস-সমুদ্র, নদনদী, খালবিল, পুকুর এর পানি বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুম  লে চলে আসে। এরপর বাষ্প ঘনীভূত হয়ে প্রথমে মেঘ ও পরে তা বৃষ্টি আকারে আবার ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। এই বৃষ্টির পানির বড় অংশ নদনদী, সমুদ্র ও খালবিলে গিয়ে পড়ে এবং আবার বাষ্পীভূত ও ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টির আকারে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। এভাবে গঠিত পানির পুনঃআবর্তন দ্বারা পরিবেশের পানির পরিমাণ ও ভারসাম্য বজায় থাকে।

প্রশ্ন –১৬  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সেলিম সাতক্ষীরায় তার মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। তার মামা বললেন এ অঞ্চলের মিঠাপানির উৎসগুলো ক্রমশ কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

  ক. ইটিপি কী? ১

খ. আমাদের পরিচিত একটি সামুদ্রিক মাছ এক সময় মিঠা পানিতে চলে আসে কেন? ২

গ. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী এবং দৈনন্দিন কাজে উদ্দীপকে উল্লিখিত পানির প্রভাব ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যা সৃষ্টির কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪

    ১৬নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. ইটিপি হলো বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা।

খ. ইলিশ মাছ লবণাক্ত পানির মাছ হলেও প্রজননের সময় মিঠা পানিতে চলে আসে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি ইলিশের ডিম নষ্ট করে ফেলে। তাই ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে চলে আসে।

গ. সেলিমের মামার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায় যা সমুদ্রের কাছে অবস্থিত। এ অঞ্চলের মিঠা পানির উৎসগুলোতে দিন দিন লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এ পানি প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। পানি লবণাক্ত হওয়ার কারণে কৃষিকাজে এবং শিল্প কারখানাতেও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কারণ এ অঞ্চলের বেশির ভাগ ফসল লবণ পানিতে জম্মাতে পারে না। লবণ পানি শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতিকে নষ্ট করে ফেলে। এর ফলে এ অঞ্চলের জনগণ অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

 মিঠা পানির উৎসগুলোতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে মিঠা পানিতে বসবাসকারী জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলোও মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। লবণাক্ততার কারণে জলজ জীবগুলোর প্রজনন ব্যাহত হবে, বংশবৃদ্ধি হবে না। এছাড়া পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যাবে, ফলে তারা বাঁচতে পারবে না। এতে করে এ অঞ্চলে জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যার কারণ হলো- এ অঞ্চলের মিঠা পানির উৎসগুলোতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়া। এটি সৃষ্টির কারণগুলোর বিশ্লেষণ নিচে উল্লেখ করা হলো :

 ১.  বৈশ্বিক উষ্ণতা : বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব বাংলাদেশে যে পড়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে বায়ুম  লীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর সঞ্চিত বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে জোয়ারের পানি মিঠা পানির উৎসগুলোতে প্রবেশ করছে এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পানি লবণাক্ত হয়ে পড়েছে।

 ২. চিংড়ি চাষ : সাতক্ষীরাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জেলায় চিংড়ি চাষের জন্য নালা কেটে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি মূল ভূখ  ে আনা হচ্ছে। এ কারণে ওইসব অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানিসহ মিঠা পানির উৎসগুলো লবণাক্ত হয়ে পড়ায় খাওয়ার পানি ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার উপযোগী পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

প্রশ্ন –১৭  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কৃষকরা টি.এস.পি ও ইউরিয়া সার প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করছে। বেশ কয়টি নদীর পাড়ে শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। জমি ও শিল্পকারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণে ফসফেট ও নাইট্রোজেনসহ অন্যান্য রাসায়নিক বর্জ্য পানি নদীতে পড়ছে। নদীগুলোতে আর পূর্বের মতো মাছ দেখা যাচ্ছে না।

  ক. রামসার কনভেনশন কখন অনুষ্ঠিত হয়েছিল? ১

খ. ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করলে কী হতে পারে? ২

গ. উদ্দীপকের নদীগুলোতে জলজ প্রাণী সম্প্রদায় বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন পাবে কি? ব্যাখ্যাসহ লেখ। ৩

ঘ. উদ্দীপকে নদীর পানি দূষণ ও তার প্রতিরোধ সম্পর্কে তোমার মতামত দাও। ৪

    ১৭নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রামসার কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

খ. ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমিয়ে দেয়। আর যদি ওইসব পদার্থ খুব বেশি থাকে তাহলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্যে নেমে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে পানিতে বসবাসকারী মাছসহ সকল প্রাণী অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে মারা যাবে। এই অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে এক পর্যায়ে ওইসব জলাশয় প্রাণীশূন্য হয়ে পড়বে।

গ. জলজ জীবসম্প্রদায় পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। এদের বেঁচে থাকার জন্য  ১ লিটার পানিতে ন্যূনতম ৫ মিলি গ্রাম অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন।

 জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত টি.এস.পি ও ইউরিয়া সার থেকে উদ্দীপকের নদীগুলোতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন ও ফসফেট বৃষ্টির পানির সাথে চলে আসে। ফলে নদীর পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। শিল্প কারখানার বর্জ্য পানিতে নানা ধরনের দূষিত পদার্থের সাথে ফসফেট থাকে যা নদীতে এসে পড়ে।

 পানিতে নাইট্রোজেন ও ফসফেট খুব বৃদ্ধি পেলে তা প্রচুর শ্যাওলা জন্মাতে সাহায্য করে। এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যায় তখন পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় এবং এক সময় অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্যে নেমে আসতে পারে। এতে করে পানিতে বসবাসকারী প্রাণী সম্প্রদায় অক্সিজেনের সল্পতার কারণে মারা যাবে।

 সুতরাং এ অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে এক পর্যায়ে এ সকল নদীর জলজ প্রাণী সম্প্রদায় শূন্য হয়ে পড়বে এবং এক পর্যায়ে মরা নদীতে পরিণত হবে।

ঘ. উদ্দীপকে নদীগুলোর দূষণের কারণসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে। এই দূষণ প্রতিরোধে কী কী কৌশল অবলম্বন করা যায় তা নিচে আলোচনা করা হলো :

 ১. কৃষকরা যদি রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করে তাহলে জৈব সার মিশ্রিত মাটি পানিকে ধরে রাখতে সহায়তা করবে। ফলে বৃষ্টির পানিতে নাইট্রোজেন ও ফসফেট বাহিত হয়ে নদীর পানি দূষিত হবে না এবং দূষণ হ্রাস পাবে।

  এছাড়া কৃষকরা যদি যখন তখন রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করে সময়মতো কৃষিকর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে যতখানি সারের প্রয়োজন ততখানি সার প্রয়োগ করে তাহলেও নদীর পানির দূষণ কমে যাবে।

 ২. শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্য দ্বারা দূষণ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল উপায় হলো, সৃষ্ট বর্জ্য পানি পরিশোধন করে তারপর নদীতে ফেলা। এ জন্য প্রয়োজন বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা ইটিপি (ঊভভষঁবহঃ ঞৎবধঃসবহঃ চষধহঃ বা ঊঞচ)। শিল্প-কারখানাগুলোর বর্জ্যে কী ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ বিদ্যমান তার ওপর ভিত্তি করে ঐ অঞ্চলে ইটিপি তৈরি করতে হবে। নদীর পাড়ে একই ধরনের শিল্প কারখানা দিয়ে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলে সব কারখানার বর্জ্য পানি একত্রিত করে একটি ইটিপিতে পরিশোধন করে নদীতে সে পানি ফেলা যেতে পারে। এটি সাশ্রয়ী হবে।

প্রশ্ন –১৮  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

রাফাত তার বন্ধুকে বলল এখন গ্রীষ্মকাল খুব বেশি গরম পড়ছে। বৃষ্টিপাতও ঠিকমতো হয় না। দেশের দ¶িণ-পশ্চিম অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় মিঠা পানির উৎসগুলোতে লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। এসব কিছু ঘটছে জলবায়ুজনিত পরিবর্তনের কারণে।

  ক. পানির রাসায়নিক সংকেত লেখ। ১

খ. আমরা যে পানি ব্যবহার করি তার উৎসগুলো কী কী এবং একে মিঠা পানি বলা হয় কেন? ২

গ. রাফাত তার বন্ধুকে যা বলল তার কারণ কী এবং এতে করে ভবিষ্যতে মিঠা পানিতে থাকা জলজ প্রাণীদের কী অবস্থা হতে পারে ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কী? আলোচনা কর। ৪

    ১৮নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. পানির রাসায়নিক সংকেত H2O|

. আমরা যে পানি ব্যবহার করি তার উৎসগুলো : নদনদী, খালবিল, পুকুর, হ্রদ ও ভূগর্ভ। এই পানিকে মিঠা পানি বলা হয়। কারণ এটি স্বাদহীন, গন্ধহীন ও বর্ণহীন এবং নিরপেক্ষ ধর্মী অর্থাৎ এর ঢ়ঐ ৭। 

গ. উদ্দীপকে রাফাত তার বন্ধুকে যা বলল তার কারণ হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব।

 বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে বায়ুম  লের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পানির তাপমাত্রাও বেড়ে যাবে। ফলে মেরু অঞ্চলসহ অন্যান্য জায়গায় সঞ্চিত বরফ গলতে শুরু করবে। এই বরফ গলা পানি সমুদ্রে গিয়ে পড়বে এবং পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। ফলে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর মিঠা পানির উৎসগুলোতে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি ঢুকে যাবে এবং পানি লবণাক্ত হয়ে পড়বে।

 এর ফলে মিঠা পানিতে বসবাসকারী প্রাণীগুলো মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তাপমাত্রা বাড়লে পানির দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়। আবার লবণাক্ততা বাড়লে  পানির অভিস্রবণ চাপ বেড়ে যাবে ফলে মিঠা পানির জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলোর শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে এবং এতে করে সেগুলো মরে যেতে পারে।

 সুতরাং বৈশ্বিক উষ্ণতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় জলজ প্রাণীসমূহ বাঁচতে পারবে না এবং সেখানকার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।

ঘ. রাফাত তার বন্ধুকে যা বলেছে তা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব। এটি বাংলাদেশে বেশ স্পষ্ট। বর্তমানে তাপমাত্রার উপাত্ত থেকে এটি অত্যন্ত স্পষ্ট যে গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল দুই সময়েই তাপমাত্রা আগের তুলনায় বেশি থাকে।

 ভবিষ্যতে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব আরও তীব্রতর হলে, বঙ্গোপসাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে আমাদের দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে। সাগরের লবণাক্ত পানি মূল ভূখ  ে ঢুকে যাবার কারণে নদনদী, খালবিল ও ভূগর্ভস্থ পানি লবণাক্ত হয়ে যাবে। মিঠা পানি বলতে আর কিছু থাকবে না। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ইতিমধ্যে এর প্রভাব শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে বৃষ্টিপাতের ধরন পাল্টে যেতে পারে এবং এতে করে নদনদীর প্রবাহ ও গতিপথও পাল্টে যেতে পারে। 

প্রশ্ন –১৯  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

রহমত ঢাকায় থাকে। তার বন্ধু সালাম এর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে দেখল তাদের বিশুদ্ধ পানির কোনো অভাব নেই। সে সালামকে বলল অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা এবং ঢাকার বাসিন্দাদের অসচেতনতার কারণে ঢাকার ট্যাপের পানি এবং পার্শ্ববর্তী নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ছে।

  ক. বৈশ্বিক উষ্ণতা কী? ১

খ. যদি একটা পুকুরের পানিতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন ও ফসফেট বেড়ে যায় তাহলে পুকুরটির পরিণতি কী হবে? ২

গ. রহমত কী কী সহজ পদ্ধতিতে ট্যাপের পানিকে পানযোগ্য করবে? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নদীর পানিদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় বিকল্প ব্যবস্থা কী কী গ্রহণ করা যায় মতামত দাও। ৪

    ১৯নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. বিশ্বের বায়ুম  লের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বলা হয়।

খ. একটি পুকুরের পানিতে নাইট্রোজেন ও ফসফেট প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেলে সেখানে প্রচুর শ্যাওলা জন্মাবে। এগুলো যখন মরে যাবে তখন পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে পানিতে অক্সিজেনের স্বল্পতা সৃষ্টি করবে। এতে করে জলজ প্রাণীগুলো মরে যাবে এবং একপর্যায়ে মরা পুকুরে পরিণত হবে।

গ. পানিকে পানযোগ্য করা মানে পানিকে জীবাণুমুক্ত করা।

 রহমত ট্যাপের পানিকে ক্লোরিনেশন এবং স্ফুটন পদ্ধতিতে পানযোগ্য করতে পারে।

 ক্লোরিনেশন পদ্ধতিতে ক্লোরিন গ্যাস, ব্লিচিং পাউডার এবং আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে তা ব্যবহার করে পানিকে জীবাণু মুক্ত করা যায়। এছাড়া সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (NaOCl) ট্যাবলেট ব্যবহার করে পানিকে পানযোগ্য করা যায়।

 স্ফুটন পদ্ধতিতে পানিকে ১৫-২০ মিনিট ধরে ফুটালে পানি জীবাণুমুক্ত হয়। পরে এ পানিকে ঠা  া করে পানযোগ্য করা যায়। এছাড়াও বর্তমানে উন্নত ধরনের ফিল্টার দ্বারা পানিকে পরিস্রাবণ করে পানযোগ্য করা যায়।

ঘ. রহমত ঢাকার পার্শ্ববর্তী নদী বলতে বুঝিয়েছে বুড়িগঙ্গা নদীর কথা। এর দূষণ রোধে বিকল্প ব্যবস্থাসমূহ :

 ১. শহরাঞ্চলে পানি দূষণের একটি বড় কারণ বৃষ্টির পানি প্রবাহ। রাস্তাঘাট পাকা হওয়ায় বৃষ্টির পানি এর ভেতর দিয়ে ভূগর্ভে যেতে পারে না। ফলে বৃষ্টির পানি যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ নিয়ে নর্দমা ও নালার মাধ্যমে নদীতে গিয়ে পানিকে দূষিত করে। এক্ষেত্রে বাসাবাড়ির ছাদে এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জলাধার তৈরি করে বৃষ্টির পানিকে ধরে রাখলে নদীর পানির দূষণ কমবে।

 ২. কংক্রীটের বদলে গ্রাভেল জাতীয় ছিদ্রযুক্ত এমন পদার্থ ব্যবহার করলে, এর ভেতর দিয়ে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে জমা হতে থাকবে।

 ৩. শিল্প কারখানার বর্জ্য পানি নদীর পানি দূষণের অন্যতম কারণ। এই দূষণ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হলো বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা যাকে ETP ((Effluent Treatment Plant বলে। নির্দিষ্ট ETP তৈরি করে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ রোধ করা যায়।

  এগুলো ছাড়া ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে তারা পানিদূষণকারী বর্জ্যসমূহ যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে।

প্রশ্ন –২০  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

আনিস তার কাকার বাড়িতে বেড়াতে এসে দেখল নদীর পানি কালো এবং বাজে দুর্গন্ধযুক্ত। তার কাকা বললেন চামড়াজাত দ্রব্য তৈরির কারখানা এই নদীর তীরে অবস্থিত। এছাড়া এ নদীতে বিভিন্ন কারখানার বর্জ এসে পড়ছে।

  ক. pH কী? ১

খ. দুটি ধাতব পদার্থ দ্বারা দূষিত পানি আমাদের দেহে কী কী রোগ নষ্ট করতে পারে?  ২

গ. উদ্দীপকের নদীর পানির যে সমস্যাটি তুলে ধরা হয়েছে তার কারণসমূহ ব্যাখ্যা কর।  ৩

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নদীর চামড়া কারখানার বর্জ্য পরিশোধনের জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে? আলোচনা কর। ৪

    ২০নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. pH হলো এমন একটি রাশি যার দ্বারা বোঝা যায় জলীয় দ্রবণ  এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ।

খ. পানি যে সমস্ত ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ দ্বারা দুষিত হতে পারে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পারদ, সিসা ও আর্সেনিক।

 পারদ : মস্তিষ্কের ব্যাধি, ত্বকের ক্যান্সার এবং বিকলাঙ্গ সৃষ্টি করে।

 আর্সেনিক : ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার এবং পাকস্থলীর রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

গ. উদ্দীপকে যে নদীটির কথা বলা হয়েছে সেটি বুড়িগঙ্গা নদী। কারণ বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে উঠেছে চামড়ার তৈরি দ্রব্যের কারখানাগুলো চামড়ার কারখানা ছাড়াও নদীটি দুষিত হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। কৃষি জমি প্লাবিত হলে কৃষি জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও জৈবসার এবং কীটনাশক দ্রব্যগুলো নদীর পানিতে মিশে দুষিত করে। এ নদীর তীরে গড়ে উঠা অন্যান্য কারখানা যেমন : টেক্সটাইল ও ডাইংমিল, রং তৈরির কারখানা, কাগজ তৈরির কারখানা, সার কারখানা থেকে নানা রকমের বর্জ্য পদার্থের দ্বারা দূষিত হয়। নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার ও অন্যান্য নৌযান থেকে ফেলা মলমূত্র আবর্জনা ও তেল এ নদীর পানিকে দূষিত করছে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চামড়াজাত দ্রব্য তৈরির কারখানার বর্জ্যগুলো নদীতে না ফেলে মাটিতে পুতে ফেলে নদীর পানি কিছুটা দূষণ মুক্ত থাকবে। বর্জ্য পানি নদীতে না ফেলে। দুষণ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা হলো, বর্জ্য পানি পরিশোধন করে নদীতে ফেলা। এ পরিশোধন কাজ সম্পন্ন করা যায় বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা  (Effluent Treatment Plant ev ETP ) দ্বারা। ETP কীভাবে তৈরি করা হবে তা নির্ভর করে কী ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ বর্জ্য পানিতে আছে তার ওপর যেহেতু এ নদীর তীরে গড়ে উঠা একেক ধরনের শিল্প কারখানা থেকে একেক ধরনের বর্জ্যপানি বের হয়। তাই একটি সাধারণ ETP দিয়ে সব বর্জ্যপানি পরিশোধন সম্ভব নয়। সেজন্য বুড়িগঙ্গার তীরে শুধু চামড়ার কারখানা গড়ে তুলে সব বর্জ্য পানি একত্রিত করে একটি ETP তে পরিশোধন করে পরিশোধিত পানি নদীতে ফেলে নদীটি দুষণমুক্ত থাকবে।

প্রশ্ন –২১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

কাশেমের গ্রামের টিউবওয়েলগুলোর পানি খেয়ে এলাকার লোকজনের ত্বক ও পেটের অসুখ দেখা দিয়েছে। পরীক্ষা করে টিউবওয়েলের পানিতে এক ধরনের ক্ষতিকর ধাতুর উপস্থিতি বেশি পরিমাণের পাওয়া গেল। এখন টিউবওয়েলের পানি না পান করে গ্রামের মানুষ পুকুরের পানি পান করছে।

  ক. ETP এর পূর্ণ নাম কী এবং এর কাজ কী? ১

খ. বৈশ্বিক উষ্ণতার সাথে সম্পর্কিত কম্পিউটার মডেলিং সম্বন্ধে ধারণা দাও।  ২

গ. কাশেমের গ্রামের লোকজন কীভাবে বিশুদ্ধ পানি পেতে পারে? ব্যাখ্যাসহ লেখ। ৩

ঘ. কাশেমের গ্রামের লোকজন যদি টিউবওয়েলের পানি পান করা অব্যাহত রাখে তাহলে তাদের কী পরিণতি হতে পারে? বর্ণনা কর। ৪

    ২১নং প্রশ্নের উত্তর    

ক.  ETP এর পূর্ণ নাম Efflument Treatment Plant এর কাজ বর্জ্যপানি পরিশোধন করে নদীতে ফেলা।   

খ.  বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে একেক এলাকার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ধরনের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এ সংক্রান্ত পরিবর্তনগুলো কম্পিউটার মডেলিং থেকে ধারণা পাওয়া যায়। কোন কোন এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাবে, আবার কোন কোন এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে, কোন এলাকায় শীতকালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এসব কিছু কম্পিউটার মডেলিং থেকে পূর্বে জানা যায়।

গ. উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে গ্রামের মানুষ পুকুরের পানি পান করছে। পুকুরের পানিতে পানিবাহিত রোগের জীবাণু থাকে। একে পানযোগ্য করার অন্যতম উপায় হলো ক্লোরিনেশন করে বিশুদ্ধ করা। এক্ষেত্রে কাশেমের গ্রামবাসী ব্লিচিং পাউডার অথবা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (NaOCl) ট্যাবলেট ব্যবহার করে পানিকে বিশুদ্ধ করতে পারে। এতে থাকা ক্লোরিন পানির রোগজীবাণু ধ্বংস করে দেয়।

 আর একটি সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি হচ্ছে পুকুরের পানিকে ১৫-২০ মিনিট ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করে ঠা  া করে পানযোগ্য করা।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে পরীক্ষা করে টিউবওয়েলের পানিতে এক ধরনের ক্ষতিকর ধাতুর  উপস্থিতি বেশি পরিমাণ পাওয়া গেছে। ভূগর্ভস্থ পানি সাধারণত আর্সেনিক দ্বারা দূষিত হয়। তাছাড়া গ্রামবাসীর ত্বকের ও পেটের অসুখ থেকে বোঝা যাচ্ছে এ এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি আর্সেনিক ধাতু দ্বারা দূষিত হয়ে পড়েছে।

 কাশেমের গ্রামের অধিবাসীরা যদি টিউবওয়েলের পানি পান করা অব্যাহত রাখে তাহলে পানিতে উল্লিখিত পদার্থের উপস্থিতির কারণে তাদের ত্বক ও ফুসফসের ক্যান্সার এবং পাকস্থলীর রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

প্রশ্ন –২২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

রহিম ও তার গ্রামের মানুষরা প্রতিদিন তাদের বাড়ির কাছে পুকুরে সাবান দিয়ে গোসল করে এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করে। পুকুরের মাছগুলো মাঝে মাঝে ভেসে উঠে আবার মরেও যায়।

  ক. পরিস্রাবণ কাকে বলে? ১

খ. পানির নির্দিষ্ট মান বজায় রাখা প্রয়োজন কেন?  ২

গ. পুকুরের মাছগুলো মাঝে মাঝে ভেসে উঠে আবার মরেও যায় কেন?  ৩

ঘ. “রহিম ও গ্রামের মানুষের কর্মকা   উল্লিখিত পুকুরের জলজ জীবের জন্য হুমকি।” বিশ্লেষণ কর। ৪

    ২২নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার প্রক্রিয়াকে পরিস্রাবণ বলে।

খ. পানি অত্যন্ত মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। পানি আমাদের জন্য যেমন অতি প্রয়োজনীয় তেমনি জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর আশ্রয়স্থল। পানি জীবদেহের সকল শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যম এবং সর্বজনীন দ্রাবকও বটে। তাই পানির নির্দিষ্ট মান যদি বজায় না থাকে তাহলে এটি পরিবেশের ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর হবে।

গ. জীবের পরিবেশের জন্য পানির মানদ   যথাযথ হওয়া প্রয়োজন। পানির মানদ  ের মধ্যে পানির pH ও দ্রবীভূত অক্সিজেন গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে নদনদী এবং অন্য জলাশয়ের পানির ঢ়ঐ এর মান যদি ৬-৮ এর মধ্যে থাকে তাহলে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য অসুবিধা হবে না। এই মান যদি বেড়ে যায় বা কমে যায় তাহলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের মারাত্মক ক্ষতি হয়। পুকুরের পানিতে সব সময় ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় কাঁচা ও সাবান ব্যবহারের ফলে ফসফেটের মাত্রা ক্রমশ অনেক বেড়ে যাচ্ছে এবং এর সাথে পানির pH মানও বেড়ে যাচ্ছে। পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেনের মাত্রা খুব বেড়ে যাওয়ার কারণে পানিতে প্রচুর শ্যাওলা জাতীয় জলজ উদ্ভিদ জন্মায়। এগুলো মরে পানিতে  দ্রবীভূত থাকা অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে, ফলে পানির অক্সিজেনের স্বল্পতার সৃষ্টি হয়। তাই পানিতে অক্সিজেনের স্বল্পতার এবং pH এর মানের বৃদ্ধির কারণে পুকুরটির মাছগুলো মাঝে মাঝে ভেসে উঠে এবং মরেও যায়।

ঘ. পুকুর জলজ প্রাণী ও জলজ উদ্ভিদের আবাসস্থল। এই আবাসস্থলে তাদের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ার জন্য সঠিক মানদ  ের পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানি স্বচ্ছ হলে পানিতে সূর্যের আলোর প্রবেশ ঘটে ফলে জলজ উদ্ভিদগুলো সালোকসংশ্লেষণের দ্বারা পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণের বৃদ্ধি ঘটায়। পানির pH মান জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। pH ৬  ৮ থাকা জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য সুবিধাজনক অবস্থা। pH মান কমে গেলে অথবা বেড়ে গেলে মাছের পোনা ও ডিম বেঁচে থাকতে পারে না। পানিতে যদি ফসফেট ও নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে সে পানিতে প্রচুর শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায়। এগুলো মরে পচে পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের স্বল্পতা সৃষ্টি করে।

 উদ্দীপকে উল্লিখিত পুকুরটিতে অতিরিক্ত  সাবান ও ডিটারজেন্ট ব্যবহারের কারণে পুকুরের pH এর মান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুকুরে ক্রমশ ফসফেট ও নাইট্রোজেনের বৃদ্ধির কারণে পুকুরে শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটছে। এবং এগুলো মরে পচে অক্সিজেনের স্বল্পতা সৃষ্টি করছে। এসব কারণে রহিম ও গ্রামের মানুষের কর্মকা  ে পুকুরটির জলজ পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জলজ জীবগুলো মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।

প্রশ্ন –২৩  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

বাংলাদেশের মিঠা পানির উৎস নদীনালা, খালবিল। কিছু ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে, এছাড়া ভারত কর্তৃক পানি প্রবাহের আন্তর্জাতিক নিয়ম না মানায় বাংলাদেশে মিঠা পানির উৎস হুমকির মধ্যে পড়েছে।

  [এস ও এস হারম্যন মেইনার কলেজ, ঢাকা।]

  ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত লেখ। ১

খ. পানির পুনঃআবর্তন বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর। ২

গ. উদ্দীপকের কারণ ব্যতীত অন্য যে সমস্ত অভ্যন্তরীণ কারণে বাংলাদেশের মিঠা পানির উৎস নষ্ট হচ্ছে তা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকের হুমকিটির স্বরূপ বিশ্লেষণসহ আমাদের কী করা উচিত বলে তুমি মনে কর? মতামত দাও। ৪

    ২৩নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত  [Ca(OCl)Cl

খ. দিনের বেলায় সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠের পানির উৎস- সমুদ্র, নদনদী, খালবিল, পুকুর, হ্রদ এর পানি বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুম  লে চলে আসে। এরপর ঘনীভূত হয়ে প্রথমে মেঘ ও পরে তা বৃষ্টি আকারে আবার ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। এই বৃষ্টির পানির বড় অংশ আবার নদনদী, সমুদ্র, খাল ও বিলে গিয়ে পড়ে এবং আবার বাষ্পীভূত ও ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টির আকারে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। এভাবে গঠিত চক্রটিকে পানির পুনঃআবর্তন বলে।

গ. যে সমস্ত অভ্যন্তরীণ কারণে বাংলাদেশের মিঠা পানির উৎস হুমকির মধ্যে পড়েছে সেগুলো হলো :

ক্স নদীদখল।

ক্স অপরিকল্পিতভাবে নদীতে বাঁধ নির্মাণ।

ক্স অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো :

 ১. মিঠা পানির উৎস রক্ষা করতে হলে অবৈধভাবে নদী দখল বন্ধ করতে হবে। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

 ২. পদ্মা, যমুনাসহ বেশ কয়েকটি নদীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দেয়ার ফলে এদের শাখা-প্রশাখার পানি প্রবাহ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। কাজেই পরিকল্পিতভাবে নদীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।

 ৩. ঢাকাসহ বাংলাদেশের বড় বড় শহরগুলোর বর্জ্যরে প্রায় অর্ধেক নর্দমা-নালা দিয়ে নদীতে গিয়ে পড়ে। এতে করে নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ছে। তাই প্রতিটি বড় শহরের সিটি কর্পোরেশনকে পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও সচেতন হতে হবে।

 এছাড়া শিল্প কারখানার বর্জ্যও নদীতে ফেলা হয়। এজন্য একই ধরনের শিল্প কারখানা দিয়ে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলে সব কারখানার বর্জ্য পানি একত্রিত করে একটি ইটিপিতে পরিশোধন করার ব্যবস্থা করতে হবে।

ঘ. উদ্দীপকে বাংলাদেশে মিঠাপানি উৎসের হুমকির জন্য ভৌগোলিক অবস্থান এবং ভারত কর্তৃক পানি প্রবাহের আন্তর্জাতিক নিয়ম না মানার কথা বলা হয়েছে।

 বাংলাদেশের বেশিরভাগ নদীর উৎপত্তি স্থল ভারতে। ভারত বেশ কয়েকটি নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করেছে। পানি প্রবাহের আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে ভারত সরকার গঙ্গার পানির গতিপথ পরিবর্তনের কারণেই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের অনেক নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে, যার কারণে ঐ অঞ্চলে খরার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ভারত ব্র‏হ্মপুত্র নদে এবং  সম্প্রতি টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাতেও বাংলাদেশের পানি সম্পদ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

 পানি সম্পদ অবশ্যই একটি সার্বজনীন বিষয়। পানি সম্পদের সার্বজনীনতা অনেক ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না।

 জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশন অনুযায়ী, একের অধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি কোনো দেশই অন্যদেশের অনুমতি ছাড়া একতরফাভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। এই কনভেনশন অনুযায়ী দেশসমূহ ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গতভাবে নিজ নিজ দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অংশের পানি ব্যবহার করতে পারবে। অন্য দেশের অংশে পানি প্রবাহের যাতে কোন বিঘ্ন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সুতরাং আমাদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন করতে হবে।

 উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা নির্দ্ধিধায় বলা যায় যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পানির উৎসগুলো সংরক্ষণে সজাগ হতে হবে।

প্রশ্ন –২৪  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

A এমন একটি তরল পদার্থ যা মানবদেহের শতকরা ৬০-৭৫ ভাগ অংশ জুড়ে থাকে। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

[সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]

  ক. মাছ কোনটির সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়? ১

খ. জলজ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর। ২

গ. A -কীভাবে জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে বর্ণনা কর। ৩

ঘ. A -এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪

    ২৪নং প্রশ্নের উত্তর 

ক. মাছ ফুলকার মাধ্যমে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে শ্বাসকার্য চালায়।

খ. জলজ উদ্ভিদসমূহ মূলের মাধ্যমে পানি ও প্রয়োজনীয় উপাদান গ্রহণ করে। এছাড়াও এরা সারা দেহের মাধ্যমে পানিসহ প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ সংগ্রহ করে থাকে। এদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুবই নরম ফলে স্রোতেও জলজ প্রাণীর চলাচলের সাথে মানানসই। এরা অঙ্গজ উপায়ে বংশবৃদ্ধি করে।

গ. উদ্দীপকের ‘Aতরল পদার্থটি পানি। জলজ পরিবেশে জলজ প্রাণী ও জলজ উদ্ভিদ বাস করে। পানি না থাকলে জলজ উদ্ভিদ জন্মাতে পারত না। জলজ বাস্তুতন্ত্রে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলো খাদ্য শৃঙ্খলে আবদ্ধ এবং পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। জলজ উদ্ভিদ, মাছ ও অন্যান্য তৃণভোজী জলজ প্রাণীদের খাদ্যের এবং পানিতে বসবাসকারী প্রাণীদের শ্বসনের জন্য অক্সিজেনের যোগান দেয়। পানি না থাকলে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলো বাঁচতে পারত না এবং স্থলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের পানিও খাদ্যের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতো। ফলে জলজ পরিবেশের বিপর্যয় ঘটত।

 Aঅর্থাৎ পানি এভাবেই জলজ উদ্ভিদ প্রাণীদের লালন করে জলজ ও স্থলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।

ঘ. জীবদের বেঁচে থাকার জন্য বায়ুর পরেই প্রয়োজনীয় উপাদান হলো উদ্দীপকের ‘Aতরল পদার্থ পানি। খাবার না খেয়েও বেশ কিছুদিন বেঁচে থাকা যায় কিন্তু বাতাস আর পানি ছাড়া জীবের বেঁচে থাকা মোটেই সম্ভব নয়।

 আমাদের দেহের শতকরা ৬০-৭৫ ভাগ পানি। পানি হলো জীবকোষের প্রোটোপ্লাজমের এবং রক্তরসের অন্যতম উপাদান। দেহে পানির ঘাটতি বেশি হলে শুষ্কতাজনিত কারণে জীবের মৃত্যু ঘটে। এ কারণে পানির আর এক নাম জীবন। পৃথিবীতে যত পানি আছে তার প্রায় শতকরা ৯০ ভাগের উৎস সমুদ্র। ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হলো- নদনদী, খালবিল, পুকুর ও ভূগর্ভস্থ পানি এবং এই পানি পৃথিবীর মোট পানির মাত্র ১ ভাগ। এই পানি আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করি। পানি না থাকলে জলজ উদ্ভিদ জন্মাত না; এতে করে জলজ প্রাণীরা বাঁচতে পারত না এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতো। পানি না থাকলে আমরা খাদ্যশস্য আবাদ করতে পারতাম না। এছাড়া পানি না থাকলে পৃথিবীর সকল জীবের শারীরবৃত্তীয় কাজ ব্যাহত হতো।

 সুতরাং পানির অভাবে পৃথিবীতে কোনো উদ্ভিদ জন্মাতে পারত না ফলে পৃথিবী জীবশূন্য মরুভূমিতে পরিণত হতো।

প্রশ্ন –২৫  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

রহিমদের বাড়ির পাশ দিয়ে একটি ছোট নদী বয়ে গেছে। নদীটির পানি ঘোলাটে। এ নদীর পানির pH পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে ৪.৮। নদীটিতে তেমন কোন জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী নেই।

[ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়; সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়]

  ক. বিশুদ্ধ পানির pH কত? ১

খ. পানির নির্দিষ্ট মান বজায় থাকা জরুরী কেন? ২

গ. নদীটিতে জলজ প্রাণী না থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. নদীটির পানির মানদ   যাচাই কর। ৪

    ২৫নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. বিশুদ্ধ পানির pH হলো ৭।

খ. পানির মানদ   বজায় রাখা প্রয়োজন। পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এবং pH যদি খুব কমে যায় অথবা বেড়ে যায় তাহলে ওই পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ জীবের মারাত্মক ক্ষতি হয়। পানিতে ময়লা আবর্জনা থাকলে সে পানিতে জীবন ধ্বংসকারী জীবাণু তৈরি হয়। পানিতে বিভিন্ন ধাতব পদার্থ ও তেজস্ক্রিয় পদার্থ মানুষের ক্যান্সার ও অন্যান্য কঠিন ব্যাধি সৃষ্টি করে। এ জন্য পানির মান বজায় রাখা অপরিহার্য।

গ. উদ্দীপকে রহিমদের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির পানি ঘোলাটে। পানি ঘোলাটে হলে বসবাসকারী প্রাণীদের ও জলজ উদ্ভিদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঘোলা পানিতে সূর্যের আলো জলজ উদ্ভিদের কাছ পর্যন্ত যেতে পারে না এবং সালোকসংশ্লেষণ বাধাগ্রস্থ হয়। এতে করে সালোকসংশ্লেষণের ফলে যে অক্সিজেন তৈরি হতো তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায় এবং পানিতে বসবাসকারী জলজ প্রাণী অক্সিজেনের সল্পতার কারণে মরে যায়।

 নদীটির পানির pH ৪.৮ অর্থাৎ পানি এসিডিক।

 pH এর মান যদি খুব কমে যায়, তাহলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং প্রজননের জন্য ডিম বা ডিম পোনার মাছ বাঁচতে পারে না। এছাড়া পানি বেশি এসিডিক হলে জলজ প্রাণীদের দেহ থেকে ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ পদার্থ বেরিয়ে আসে; ফলে মাছ রোগাক্রান্ত হয়ে মরে যায়।

 সুতরাং উদ্দীপকের নদীতে জলজ প্রাণী না থাকার কারণ হচ্ছে ঘোলা পানি এবং অম্লত্ব।

ঘ. নদী, খাল বিল ও পুকুরের পানির মানদ   বিচার করতে গেলে দেখতে হবে পানির বিশুদ্ধতা ও pH এর মান। বিশুদ্ধ পানি স্বচ্ছ, বর্ণহীন ও স্বাদহীন হবে এবং pH হবে নিরপেক্ষ বা ৭। কিন্তু উদ্দীপকের নদীটির পানি ঘোলাটে এবং pH এর মান ৪.৮ অর্থাৎ এসিডিক।

 পানি ঘোলাটে হওয়ার মূল কারণ হলো পানিতে অদ্রবণীয় পদার্থ যেমন : মাটি, বালি, তেল, গ্রিজ ইত্যাদির উপস্থিতি। এই পানি মানসম্মত না হওয়ায় হাত মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে গোসল করাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

 জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য ১ লিটার পানিতে কমপক্ষে ৫ মিলিগ্রাম অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন। কিন্তু নদীটির পানি ঘোলাটে হওয়ায় সূর্যের আলো না  পাওয়ায় জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের ফলে যে অক্সিজেন তৈরি হতো, তাও বন্ধ হয়ে যাবে এবং জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

 বিশুদ্ধ পানির pH হতে হবে ৭। পানি যদি এসিডিক অর্থাৎ pH ৭ এর কম এবং ক্ষরীয় অর্থাৎ pH ৭ এর বেশি হয় তাহলে এ পানি জীবের শারীরবৃত্তীয় কাজে সমস্যা সৃষ্টি করে। দেহে নানা রোগ সৃষ্টি করে এবং পানিবাহিত রোগের জীবাণুদের বৃদ্ধি ঘটায়। এছাড়া মাছের প্রজনন ব্যাহত হয় এবং মাছ রোগাক্রান্ত হয়।

প্রশ্ন –২৬  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

X একটি যৌগিক পদার্থ। এটি বর্ণহীন, গন্ধহীন, স্বাদহীন এবং উভধর্মী অক্সাইড। প্রকৃতিতে এটি তিনটি অবস্থায় থাকতে পারে। এর ঢ়ঐ মান ৭ এবং স্ফুটনাংক ১০০ঈ। [অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া]

  ক. বৈশ্বিক উষ্ণতা কী? ১

খ. Dead River বা মরা নদী বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২

গ. উদ্দীপকের পদার্থটির pH এর মান ২ একক কম বা বেশি হলে জলজ প্রাণী বেঁচে থাকবে কিনা ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকের পদার্থটির বিশুদ্ধতা ও গাঠনিক কৌশল বিশ্লেষণ কর।  ৪

    ২৬নং প্রশ্নের উত্তর    

ক.   বিশ্বের বায়ুম  লের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বলা হয়।

খ. কোনো নদীর পানি যখন এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা দূষিত হয়ে পড়ে যা পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায় এবং একপর্যায়ে শূন্যে নেমে আসে। সেক্ষেত্রে পানিতে বসবাসকারী মাছসহ সকল প্রাণী অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। একপর্যায়ে নদী প্রাণীশূন্য হয়ে পড়ে। তখন ঐ নদীকে Dead River বা মরা নদী বলা হয়।

গ. উদ্দীপকে X যৌগটি পানি। কারণ উল্লিখিত ধর্মগুলো বিশুদ্ধ পানির। এটির pH এর মান ২ একক কম বা বেশি হলে pH এর মান হবে ৫ ও ৯। গবেষণায় দেখা গেছে পানির pH যদি ৬-৮ এর মধ্যে থাকে; তাহলে তা জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করে না।তবে ঢ়ঐ এর মান যদি খুব কমে যায় বা বেড়ে যায় তাহলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং মাছের ডিম ও পোনা মাছ বাঁচতে পারে না। সুতরাং উদ্দীপকের পানির pH এর মান ৫ ও ৯ হলে, ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হবে। এছাড়া pH এর মান ৫ হলে জলজ প্রাণীদের দেহ থেকে ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ পদার্থ বাইরে চলে আসবে, ফলে জলজ প্রাণীগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়বে এবং বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

ঘ. আমরা জানি, বিশুদ্ধ পানি বর্ণহীন, গন্ধহীন, স্বাদহীন এবং উভধর্মী অক্সাইড। প্রকৃতিতে পানি কঠিন, তরল ও বায়বীয় অবস্থায় থাকে। বিশুদ্ধ পানি পুরোপুরি নিরপেক্ষ অর্থাৎ pH মান ৭। বিশুদ্ধ পানির স্ফুটনাংক ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই ধর্মগুলো উদ্দীপকের ‘X’ যৌগের পদার্থটি প্রকাশ করছে। সুতরাং ‘X’ পদার্থটি বিশুদ্ধ পানি।

 পানি দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গঠিত। পানির রাসায়নিক সংকেত- H2O পানির গাঠনিক

 সংকেত হচ্ছে : 

প্রশ্ন –২৭  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

অ একটি তরল পদার্থ যা মানবদেহের শতকরা ৬০-৭০ ভাগ জুড়ে থাকে। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

[হবিগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ]

  ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত কী? ১

খ. রামসার কনভেনশন বলতে কী বোঝ? ২

গ. A কীভাবে জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে বর্ণনা দাও। ৩

ঘ. A এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪

    ২৭নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত হল [Ca(OCl)Cl

খ. ১৯৭১ সালের ২রা ফেব্রুয়ারিতে ইরানের রামসারে ইউনেস্কোর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নেওয়া জলাভূমি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ হলো রামসার কনভেনশন।

গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত A দ্বারা তরল পদার্থ পানিকে বোঝানো হয়েছে। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কচুরি পানা, ক্ষুদিপনা, সিংগারা, টোপাপানা, শাপলা ইত্যাদি পানি ছাড়া জš§াতে পারে না। এসব জলজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেন উৎপন্ন করে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখে। পানিতে দ্রবীভূত এ অক্সিজেন গ্রহণ করেই পানিতে বসবাসকারী প্রাণীরা শ্বসন কার্য পরিচালনা করে এবং জীবনধারণ করে। অর্থাৎ পানি উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি করে। এর ফলে জলজ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে। অর্থাৎ পানি জলজ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহযোগিতা করে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত A অর্থাৎ পানি পৃথিবীর অস্তিত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানবদেহের শতকরা ৬৫-৭৫ ভাগই পানি। মাছ, মাংস, শাকসবজি প্রভৃতির শতকরা ৬০-৯০ ভাগ পানি থাকে। ভূ-পৃষ্ঠের শতকরা ৭৫ ভাগই পানি। পানির ব্যবহার ছাড়া আমরা একদিনও অতিবাহিত করতে পারি না। নিচে এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার তুলে ধরা হলো 

 ১. দ্রাবক হিসেবে : পানিকে সর্বোৎকৃষ্ট দ্রাবক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অধিকাংশ অজৈব যৌগ ও অনেক জৈব যৌগকে পানি দ্রবীভূত করতে পারে। এজন্য পানিকে সার্বজনীন দ্রাবকও বলা হয়।

 ২. পানীয়রূপে : পানি পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট পানীয়। পানি পান না করে এক মুহূর্ত বেঁচে থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর। তাই পানির অপর নাম জীবন।

 ৩. শিল্প কারখানায় বিকারকরূপ : শিল্প কারখানায় বিকারকরূপে পানির গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে। পানি উভধর্মী পদার্থ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ কখনো এসিড কখনো ক্ষার হিসেবে কাজ করে।

 ৪. বিভিন্ন পদার্থের বাহকরূপে : পানি বিভিন্ন পদার্থের বিশেষ করে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের বাহকরূপে কাজ করে। পানিতে থাকা খনিজ পদার্থ, জৈব পদার্থসমূহ বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণের বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

 ৫. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে : পানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। উদ্ভিদ পানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের উপস্থিতিতে শর্করা ও অক্সিজেন উৎপন্ন করে। এ অক্সিজেন প্রাণী শ্বসনকার্যে ব্যবহার করে। এতে উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড আবার উদ্ভিদ ব্যবহার করে। এভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে একটি যোগসূত্র স্থাপিত হয়। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পায়।

 এভাবে পানি আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন –২৮  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীর পানি সাম্প্রতিককালে অনেক ঘোলাটে হয়ে গেছে। দেশের নদী বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে খুবই চিন্তিত।

[সরকারি এস.সি. বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ]

  ক. পরিস্রাবণ কী? ১

খ. লবণাক্ত পানি জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ কেন? ২

গ. নদীটিতে উদ্ভিদের জীবন কেন সংকটের মুখে পড়তে পারে? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. নদীটিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কিরূপ হওয়া উচিত? বিশ্লেষণ কর। ৪

    ২৮নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. পরিস্রাবণ হলো তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার প্রক্রিয়া।

খ. পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে গেলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যাবে। ফলে জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে। জলজ উদ্ভিদের একটা বড় অংশ লবণাক্ত পানিতে জš§াতে পারে না, আবার বেড়ে উঠতেও পারে না। ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ে।

গ. নদীতে পানি ঘোলাটে হওয়ায় সেখানকার উদ্ভিদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেখানকার উদ্ভিদ পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাবে খাদ্য তৈরি করতে পারবে না।

 আমরা জানি, উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেদের খাদ্য নিজেরাই তৈরি করে। খাদ্য উৎপাদনের জন্য যে সকল উপাদান অত্যাবশ্যকীয় সেগুলো হলো কার্বন ডাইঅক্সাইড ও সূর্যালোক। কিন্তু নদীর পানি ঘোলাটে হলে সূর্যালোক পানির স্তর ভেদ করে নিচে থাকা উদ্ভিদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। ফলে নদীর তলদেশে বসবাসকারী উদ্ভিদসমূহ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে গ্লুকোজ জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন করতে পারে না। খাদ্যের অভাবে উদ্ভিদদেহের সমস্ত বিপাকীয় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে খাদ্যের অভাবে উদ্ভিদটি এক সময় মারাও যেতে পারে।

 অতএব, ঘোলা পানিতে খাদ্য তৈরিতে সমস্যা হওয়ায় নদীতে উদ্ভিদের জীবন সংকটের মুখে পড়তে পারে।

ঘ. নদীতে জলজ পরিবেশ তথা জীববৈচিত্র্য টিকে থাকার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন।

 কারণ, স্থলে বসবাসকারী জীবদের ন্যায় জলে বসবাসকারী জীবদের তথা প্রাণীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজন হয়। তারা এজন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন থেকে। কোনো কারণে এই অক্সিজেন যদি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কমে যায়, তাহলে জলজ প্রাণীদের অসুবিধা হয় এবং যদি পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন না থাকে, তাহলে মাছসহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচতে পারে না। আর মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী নদীতে না থাকলে পুরো ইকোসিস্টেম বিনষ্ট হয়ে যায়। কারণ খাদ্যশৃঙ্খলের ক্রমানুসারে এক স্তরের জীব অন্য স্তরের জীবের ওপর নির্ভর করে। যেমন   পশুর নদীর পানি ঘোলাটে হওয়ার কারণে নদীটির পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মান কমে গিয়ে, সেখানকার জলজ পরিবেশে এমন ধরনের অস্বাভাবিক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে যাতে জীববৈচিত্র্যে বিপর্যয় নেমে আসবে।

 তাই নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা প্রতি লিটারে ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত।

প্রশ্ন –২৯  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

পুরান ঢাকায় শুভদের বসবাস। প্রায়ই গ্রীষ্মকালে পাইপ লাইন সরবরাহকৃত পানির প্রচ   অভাব দেখা দেয়। এছাড়াও পানি প্রায়ই ভাসমান ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত, পানের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা, জনগণের অসচেতনতার কারণে ঐ এলাকার নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। [আগ্রাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]

  ক. বৈশ্বিক উষ্ণতা কী? ১

খ. বিশুদ্ধ পানির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ। ২

গ. উদ্দীপকে ব্যবহৃত দূষিত পানি বিশোধনে কী কী সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়   ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. শুভদের এলাকার পানির অভাব মেটানো ও নদীর পানিদূষণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে মতামত দাও। ৪

    ২৯নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. বৈশ্বিক উষ্ণতা হলো বায়ুম  লের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া।

খ. বিশুদ্ধ পানির দুটি বৈশিষ্ট্য হলো 

 ১. বিশুদ্ধ পানি বর্ণহীন ও স্বাদহীন।

 ২. বিশুদ্ধ পানির pH মান ৭।

গ. উদ্দীপকে ব্যবহৃত দূষিত পানি বিশোধনে সহজ পদ্ধতি ও পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন ও স্ফুটন পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।

 পরিস্রাবণ : পরিস্রাবণে বালির স্তরের মধ্য দিয়ে পানিকে প্রবাহিত করা হয়, এতে করে পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলো বালির স্তরে আটকে যায়। বালির স্তর ছাড়াও খুব সূক্ষ্মভাবে তৈরি কাপড় ব্যবহার করে পরিস্রাবণ করা যায়। ইদানীং বাসা-বাড়িতে ফিল্টার ব্যবহার করে পানি পরিস্রাবণ করা হয়।

 ক্লোরিনেশন : নানারকম জীবাণুনাশক পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্লোরিন গ্যাস (Cl2)। এছাড়া ব্লিচিং পাউডার [Ca(OCl)Cl] এবং আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে এবং যা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে তা ব্যবহার করা হয়।

 এছাড়া সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (NaOCl) ট্যাবলেট ব্যবহার করে পানি বিশুদ্ধকরণ করা যায়। এতে বিদ্যমান ক্লোরিন পানিতে থাকা রোগজীবাণুকে ধ্বংস করে।

 স্ফুটন : পানিকে খুব ভালোভাবে ফুটালে এতে উপস্থিত জীবাণু মরে যায়। স্ফুটন শুরু হওয়ার পর ১৫-২০ মিনিট ধরে স্ফুটন করলে পানি জীবাণুমুক্ত হয়। বাসা-বাড়িতে খাওয়ার পানির জন্য এটি একটি সহজ ও সাশ্রয়ী প্রক্রিয়া।

ঘ. শুভদের এলাকায় পানির অভাব মেটানো ও নদীর পানিদূষণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় বিকল্প ব্যবস্থা হলো পানিদূষণ প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি করা এবং সুনাগরিক হিসেবে তা মেনে চলা। পানিদূষণ প্রতিরোধে যেসব কৌশল অবলম্বন করতে হবে 

১. জলাভূমি, বনভূমি এগুলো রক্ষা করার ব্যবস্থা নিলে পানিদূষণ রোধের সহায়ক হবে। আবার বাসা বাড়িতে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করা গেলে পুরো পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

২. পানিদূষণকারী ক্ষতিকর বজ্যসমূহ যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেললে দূষণ অনেক ক্ষেত্রে কমে যাবে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই।

৩. শিল্প কারখানা সৃষ্ট বর্জ্য পানি পরিশোধন করে নদীতে ফেলতে হবে।

৪. কৃষি জমি থেকে মাটির ক্ষয়জনিত কারণে দূষণ প্রতিরোধ করতে হলে মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।

 সর্বোপরি পানিদূষণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

প্রশ্ন –৩০  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

আমাদের দেশে দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র উপকূলের মিঠা পানির উৎস দিন দিন কৃষিকাজে ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

[আমেনা বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ; দিনাজপুর]

  ক. বিশুদ্ধ পানির pH কত? ১

খ. পানি ঘোলা হলে জলজ উদ্ভিদের কী সমস্যা হতে পারে- ব্যাখ্যা কর। ২

গ. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর দৈনন্দিন জীবনে উক্ত পানির উপযোগিতা ও প্রভাব ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যার কারণ ও এর জন্য দায়ী উপাদান সম্পর্কে মতামত দাও। ৪

   ৩০নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. বিশুদ্ধ পানির pH এর মান ৭।

খ. পানি ঘোলা হওয়ার মূল কারণ হলো পানিতে অদ্রবণীয় পদার্থ যেমন   মাটি, বালি, তেল, গ্রীজ ইত্যাদির উপস্থিতি। এর ফলে জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ ব্যাহত হয়। ফলে উদ্ভিদ ঠিকমত খাদ্য তৈরি করতে পারে না।

গ. আমাদের দেশে দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র উপকূলের মিঠা পানির উৎসে দিন দিন লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ঐ পানি ব্যবহারের উপযোগিতা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

 মিঠা পানির উৎস লবণাক্ত হলে তা আর পান করার উপযোগী থাকে না। এছাড়া শিল্প কারখানায় এ পানি ব্যবহৃত হলে যন্ত্রপাতির ক্ষয় সাধন ও নষ্ট হতে পারে।

 অন্যদিকে মিঠা পানির উৎসে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেলে মিঠা পানিতে বসবাসকারী জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীসমূহ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। কারণ লবণাক্ততা বাড়লে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মান অনেক কমে যায় এবং অভিস্রবণ চাপের বৃদ্ধি ঘটে। এতে করে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর শ্বসন ক্রিয়া ব্যাহত হয় ও শারীরবৃত্তীয় কাজ বিঘ্নিত হয় এবং জলজ উদ্ভিদগুলো হুমকির মুখে পড়ে। জলজ উদ্ভিদের একটি বড় অংশ লবণাক্ত পানিতে জš§ালেও বেড়ে উঠতে পারে না। যে কারণে পানিতে লবণাক্ততা বাড়লে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যাটি হলো মিঠা পানিতে লবণাক্ততা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া।

 মিঠা পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হলো বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং এজন্য মানুষের কর্মকা  কেও অনেকাংশে দায়ী করা যায়। নিচে এগুলো সম্পর্কে মতামত দেয়া হলো :

 বৈশ্বিক উষ্ণতা : বৈশ্বিক উষ্ণতা হলো বায়ুম  লের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। বায়ুম  লের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াতে মেরু অঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলের বরফ এবং হিমালয়ের বরফ গলনের হার দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এ বরফগলা পানি সমুদ্রে গিয়ে পড়ে এবং সমুদ্রের লোনা পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এ পানি নদীগুলো দিয়ে ভূমির দিকে এগিয়ে আসে এবং মিঠা পানির উৎস যেমন, পুকুর, খাল, নদী ইত্যাদির পানিকে লবণাক্ত করে।

 মানুষের কর্মকা   : দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অনেক জেলায় চিংড়ি চাষের জন্য নালা কেটে লবণাক্ত পানি মূল ভূখ  ে আনা হয়। যে কারণে ঐ সকল এলাকার ভূগর্ভস্থ পানিসহ মিঠা পানির অন্যান্য উৎসগুলো লবণাক্ত হয়।

 সুতরাং মানুষের অযাচিত হস্তক্ষেপে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে এবং প্রত্যক্ষভাবে মানুষ লবণাক্ত পানি দিয়ে বিভিন্ন মিঠা পানির উৎসকে লবণাক্ত করছে। তাই এই লবণাক্ততার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষই দায়ী।

প্রশ্ন –৩১  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

হাজেরা বেগমের ছোট একটি ফুলের বাগান আছে। সে নিয়মিত ফুল গাছে পানি দেন কারণ সে জানে প্রতিটি জীবের বেঁচে থাকার জন্য পানি অপরিহার্য। [মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]

  ক. মানবদেহের শতকরা কত ভাগ পানি? ১

খ. জলজ প্রাণীদের পানির দ্রবীভূত অক্সিজেন প্রয়োজন কেন? ২

গ. জীবের বেঁচে থাকার জন্য উদ্দীপকে উল্লিখিত অপরিহার্য উপাদানটির ধর্ম ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. মাটিতে বিদ্যমান উক্ত উপাদানটির ভূমিকা বিশ্লেষণ কর। ৪

    ৩১নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. মানবদেহের শতকরা ৬৫-৭৫ ভাগ পানি।

খ. প্রতিটা জীবের জন্য শক্তির প্রয়োজন। জীব সে শক্তি শ্বসনের মাধ্যমে পায়। শ্বসনের জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য শ্বসন প্রক্রিয়া ঘটে এবং তারা পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের দ্বারা শ্বসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তাই জলজ প্রাণী ও জলজ উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজন।

গ. উদ্দীপকে যে উপাদানটির কথা বলা হয়েছে তা হলো পানি।

 পানির অসাধারণ কিছু ধর্ম রয়েছে যার জন্য পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব টিকে আছে। যেমন   বিশুদ্ধ পানি স্বাদহীন, বর্ণহীন ও গন্ধহীন হয়। বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহন করে না, তবে এতে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ (যেমন : লবণ, এসিড ইত্যাদি) দ্রবীভূত থাকলে তড়িৎ পরিবহন করে। বিশুদ্ধ পানি পুরোপুরি নিরপেক্ষ অর্থাৎ এর pH ৭। পানি একটি উভধর্মী যৌগ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ এসিডের উপস্থিতিতে এটি ক্ষার এবং ক্ষারের উপস্থিতিতে এটি এসিড হিসেবে কাজ করে। পানির একটি বিশেষ ধর্ম হলো এটি অনেক ধরনের জৈব যৌগ ও বেশির ভাগ অজৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে। এজন্য এটি একটি সার্বজনীন দ্রাবক। পানি  সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বরফ হয় এবং এর গলনাংক  সেলসিয়াস। অন্যদিকে এর স্ফুটনাংক ১০ সেলসিয়াস।

ঘ. মাটিতে বিদ্যমান উক্ত উপাদানটি হলো পানি। পানি অত্যন্ত মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। পানি সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য অপরিহার্য। জলজ উদ্ভিদ পানির অনুপস্থিতিতে বাঁচতে পারে না। পানি না থাকলে জলজ উদ্ভিদ জš§ নিত না এবং নিলেও বাঁচতে পারতো না। স্থলজ উদ্ভিদ পানি মূলের সাহায্যে গ্রহণ করে এবং তাদের সকল জৈবিক ক্রিয়া সম্পন্ন করে। জলজ প্রাণী পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাধ্যমে তাদের শ্বাসকার্য চালায় এবং বেঁচে থাকে। স্থলজ প্রাণীর দেহ সচল রাখতে পানি অপরিহার্য। পানি ছাড়া কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না কারণ কোষের প্রধান উপাদান প্রোটোপ্লাজম যার ৬০-৭০ ভাগ পানি। এই পানি না থাকলে প্রাণী ও উদ্ভিদ কিছুই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারতো না।

প্রশ্ন-৩২   একের অধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি কোনো দেশেই অন্য দেশের অনুমতি ছাড়া একতরফাভাবে ব্যবহার করতে পারে না। এই রীতি অনুযায়ী দেশসমূহ ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গতভাবে নিজ নিজ দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অংশের পানি ব্যবহার করতে পারে।

ক. ১ কিউবিক মিটার পানির ভর কত? ১

খ. পানিতে pH এর মান কমে গেলে কী ঘটবে?  ২

গ. ভারত কর্তৃক পানির গতিপথ পরিবর্তনে বাংলাদেশ কী ধরনের হুমকির সম্মুখীন? ৩

ঘ. আন্তর্জাতিক পানি প্রবাহের সার্বজনীনতা আলোচনা কর। ৪

প্রশ্ন-৩৩    পানিদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব শ্রেণিশিক্ষকের কাছ থেকে জেনে আয়েশার সহপাঠীদের কয়েকজন এ ব্যাপারে হাতে কলমে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হলো। এজন্য তারা প্রতিরোধের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করে স্কুলের আশপাশের এলাকাকে তাদের কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেয়। এলাকায় অল্পদিনের মধ্যেই তারা সাড়া ফেলতে সক্ষম হলো।

ক. ঊঞচ কী? ১

খ. জলাভূমি রক্ষা করা অপরিহার্য কেন? ২

গ. আয়েশার সহপাঠীদের পানিদূষণ প্রতিরোধের কৌশলপত্রের মতো তুমি একটি কৌশলপত্র তৈরি কর।  ৩

ঘ. আয়েশার সহপাঠীদের উদ্বুদ্ধ হওয়ার পেছনে কী কারণ নিহিত আছে একটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন কর। ৪

প্রশ্ন-৩৪    সানি ও জুবায়েরকে নিয়ে একদিন তার দাদু নদী পাড়ে বেড়াতে গেলেন। সানি নদীর স্বচ্ছ পানি দেখে বিমোহিত হলো। দাদু বললেন, নদীর পানি দেখতে পরিষ্কার হলেও তা পান করার জন্য নিরাপদ নয়।

ক. আমাদের দেশের একটি মরা নদীর নাম লেখ। ১

খ. বৈশ্বিক উষ্ণতা বাংলাদেশের মিঠা পানিতে কী প্রভাব ফেলবে?  ২

গ. নদী কীভাবে দূষিত হয় তা চিহ্নিত কর। ৩

ঘ. নদীর পানি নিরাপদের উপায় কী হতে পারে তা আলোচনা কর। ৪

প্রশ্ন-৩৫    কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা গত ২০ বছরে প্রায় ০.৫০ সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশবাদীরা এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন কীভাবে এ অবস্থা ঠেকানো যায়?

ক. আর্সেনিক কী? ১

খ. পানির পুনঃআবর্তন না হলে কী ধরনের সমস্যা তৈরি হতো? ২

গ. উদ্দীপকের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো শঙ্কিত কেন? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকের অবস্থা এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ভয়াবহ দুর্যোগের সম্মুখীন হবে-বিশ্লেষণ কর। ৪

প্রশ্ন-৩৬    ধামরাই নদীর তীর ঘেঁসে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো শিল্প কারখানা। এতে নদীটির পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। এতে প্রতি ১০০ লিটার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ প্রায় ৩ মিলিগ্রাম। এ পানি ব্যবহারে নানা রকম চর্মরোগ সহ টাইফয়েড, আমাশয়, কিডনি রোগ ইত্যাদি হচ্ছে।

ক. ঢ়ঐ কী? ১

খ. “পানি উভধর্মী পদার্থ”- ব্যাখ্যা কর। ২

গ. উদ্দীপকের নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট কিনা- ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উল্লিখিত রোগ সমূহ সৃষ্টিতে নদীটির পানি কীভাবে যুক্ত? এক্ষেত্রে সম্ভাব্য মতামত দাও। ৪

প্রশ্ন-৩৭    ইমনের বাড়ির পাশ দিয়ে একটি ছোট নদী বয়ে গেছে। নদীটির পানি ঘোলাটে। এ নদীর পানির pH পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে ৪.৮। নদীটিতে তেমন কোন জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী নেই।

ক. pH কী? ১

খ. পানির পুনঃআবর্তন জরুরি কেন? ২

গ. নদীটিতে জলজ প্রাণী না থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. নদীটির পানির মানদ   যাচাই কর। ৪

প্রশ্ন-৩৮    আমাদের দেশে দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র উপকূলের মিঠা পানির উৎস দিন দিন কৃষি কাজে ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

ক. বিশুদ্ধ পানির pH কত? ১

খ. পানি ঘোলা হওয়ার ফলে জলজ উদ্ভিদের কী সমস্যা হতে পারে ব্যাখ্যা কর। ২

গ. দৈনন্দিন জীবনে উক্ত পানির উপযোগিতা ও প্রভাব বিশ্লেষণ কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যার কারণ ও এর জন্য দায়ী উপাদান সম্পর্কে মতামত দাও। ৪

প্রশ্ন-৩৯    সমুদ্রের পানি নিয়ে গবেষণাকারী এক দল গবেষক পরীক্ষা করে অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের সাথে সমুদ্রের তাপমাত্রাও পরিমাপ করল। তারা জানতে পারল বর্তমান এই তাপমাত্রা ১০০ বছর আগের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি। তারা বুঝতে পারল এটা ভালো লক্ষণ নয়, তাই তারা চিন্তিত হয়ে পড়ল।

ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত লেখ। ১

খ. পানিকে উভধর্মী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। ২

গ. গবেষকদের চিন্তার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. গবেষকদের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের সাথে বৈশ্বিক উষ্ণতার সম্পর্ক স্থাপন কর। ৪

প্রশ্ন -৪০  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

A একটি তরল পদার্থ যা মানবদেহে শতকরা ৬৫-৭৫ ভাগ আছে। বিশুদ্ধ অবস্থার এর pH মান ৭।   [অধ্যায় : ১ম ও ২য়]

  ক. প্রতিদিন কত গ্রাম আঁশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচ্চতা? ১

খ. A যৌগের নির্দিষ্ট মানদ   থাকা প্রয়োজন কেন? ২

গ. A যৌগের উৎস ও তড়িৎ পরিবাহিতা ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. মানবদেহে অ এর ভূমিকা বিশ্লেষণ কর। ৪

    ৪০নং প্রশ্নের উত্তর    

ক. প্রতিদিন ২০  ৩০ গ্রাম আঁশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

খ. উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে A তরলটির ঢ়ঐ মান ৭ এবং মানব দেহের ৬৫-৭৫ ভাগ। এটি পানির ধর্ম। সুতরাং A যৌগটি পানি। পানি জীবকোষের অন্যতম উপাদান। জীব দেহে যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো স্বাভাবিক মানদ  ের যেমন : pH, স্বাদ ও বর্ণ, তাপমাত্রা এবং দূষণ মুক্ত পানি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পানির মানদ   যদি যথাযথ না থাকে তা হলে জলজ প্রাণীদের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এজন্য A যৌগ অর্থাৎ পানির নির্দিষ্ট মানদ   থাকা প্রয়োজন।

গ. উদ্দীপকের অ যৌগ অর্থাৎ পানি বিশুদ্ধ অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে না, তবে এতে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ যেমন লবণ অথবা এসিড দ্রবীভূত থাকলে তড়িৎ পরিবহন করে। পানি উভধর্মী অক্সাইড। কারণ পানি এসিড ও ক্ষার হিসেবে আচরণ করতে পারে।

 পানির pH ৭ এর কম হলে এসিডিক এবং pH ৭ এর বেশি হলে ক্ষারীয় হয়। সাধারণত নদনদীর পানি ক্ষারীয় হয়। কারণ নদীর পানিতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম প্রভৃতির ক্লোরাইড, সালফেট, কার্বনেট মিশ্রিত থাকে। সমুদ্রের পানিতে সোডিয়াম ক্লোরাইড এর পরিমাণ বেশি তাই লবণাক্ত। এই পানি তড়িৎ পরিবহন করে।

ঘ. উদ্দীপকে A যৌগ অর্থাৎ মানবদেহের জন্য পানি অপরিহার্য। দেহের গঠন এবং অভ্যন্তরীণ কাজ পানি ছাড়া চলতে পারে না। আমাদের দৈহিক ওজনের ৬০  ৭৫% পানি। আমাদের রক্ত, মাংস, স্নায়ু, দাঁত হাড় ইত্যাদি প্রতিটি অঙ্গ গঠনের জন্য পানির প্রয়োজন।

 দেহকোষ গঠন ও কোষের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো পানি ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পানির মাধ্যমে শরীর গঠনের নানা প্রয়োজনীয় উপাদান দেহের সর্বত্র পরিবাহিত হয়। এটি জীবদেহে দ্রাবণের কাজ করে। পানি খাদ্য উপাদানের পরিপাক ও পরিশোষণে সাহায্য করে। বিপাকের ফলে দেহে উৎপন্ন ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পানি মূত্র ও ঘাম হিসেবে দেহ থেকে নিষ্কাশন করে। এছাড়া পানি দেহ থেকে ঘাম নিঃসরণে ও বাষ্পীভবনের দ্বারা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে।

 অতএব, সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে মানবদেহের বিশুদ্ধ পানির গুরুত্ব সর্বাধিক।

১. কোন উদ্ভিদটি পানিতে এবং স্থলে উভয় জায়গায় জন্মে?

 ক শ্যাওলা   কলমি গ সিংগারা ঘ ¶ুদিপানা

২. পানির pH মান খুব কমে গেলে জলজ প্রাণীর

 র. অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে বিকশিত হবে না

 রর. দেহাভ্যন্তরে খনিজ পদার্থ কমে যাবে

 ররর. রোগব্যাধি সৃষ্টি হবে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ  রর ও ররর  র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

অনিক ও তুষার দুজনে দুটি পুকুরে মাছ চাষ করে। অনিকের পুকুরের মাছের বৃদ্ধি সন্তোষজনক। আর তুষারের পুকুরের মাছগুলো দুর্বল; এদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে বিকশিত হয়নি।

৩. অনিকের পুকুরের পানি কোন ধরনের?

 ক এসিডিক খ ক্ষারীয়

  নিরপেক্ষ ঘ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ

৪. তুষারের পুকুরের পানিতে নিচের কোনটি প্রয়োগ করা উচিত?

 ক এসিড খ ক্ষার  ক্যালসিয়াম ঘ ফসফরাস

৫. গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি হয় কোন সালে?

  ১৯৭৭ খ ১৯৭৫ গ ১৯৭৩ ঘ ১৯৯৬

৬. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য ঢ়ঐ থাকা প্রয়োজন-

  ৬-৮ এর মধ্যে খ ৭-১০ এর মধ্যে

 গ ১০-১২ এর মধ্যে ঘ ১২-১৪ এর মধ্যে

৭. পানিতে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকলে কী ঘটে?

 ক পানি আবর্জনা মুক্ত হয়

  জলজ জীবের ক্যান্সার হতে পারে

 গ পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন বৃদ্ধি পায়

 ঘ পানিতে জীবাণু হ্রাস পায়

৮. নিচের কোনটি পানি ও মাটি উভয় জায়গায় জন্মে?]

 ক শাপলা  কলমি গ সিংগারা ঘ শ্যাওলা

৯. পানির অণুর আকৃতি কেমন?

 ক গোলাকার খ পিরামিডীয় গ সরলরৈখিক  কৌণিক

১০. জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য প্রতি লিটার পানিতে কমপক্ষে ৫ মিলিগ্রাম অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন। ০.১২৫ গ্রাম অক্সিজেন কত লিটার পানিতে মিশ্রিত থাকবে?

  ২৫ লিটার খ ১২৫ লিটার গ ৫২৫ লিটার ঘ ৬২৫ লিটার

১১. বিশুদ্ধ পানির ধর্ম কোনটি?

 ক স্বাদযুক্ত খ গন্ধযুক্ত

  বর্ণহীন ঘ তড়িৎ পরিবাহী

১২. ভূ-পৃষ্ঠের মোট কতভাগ পানি?

 ক ৬০% খ ৬৫% গ ৭০%  ৭৫%

১৩. বিশুদ্ধ পানির pH কত?

 ক ৪ খ ৫ গ ৬  ৭

১৪. কোনটির দ্বারা ক্লোরিনেশন করা হয় না?

 ক Ca(OCI) Cl খ Cl2 O3ঘ NaOCl

১৫. কোনটি শুধু পানিতেই জন্মায়?

 ক হেলেঞ্চা খ কেশরদাম গ কলমি  সিংগারা

১৬. বুড়িগঙ্গা নদীকে কোন হ্রদের সাথে তুলনা করা যায়?

 ক কাপ্তাই খ ফয়েজ  এরি ঘ মেঘলা

১৭. পানির প্রধান উৎস কোনটি?

 ক পুকুর   সমুদ্র গ নদী ঘ বিল

১৮. বিশুদ্ধ পানি হচ্ছে-

 ক ঘোলাটে  স্বাদহীন

 গ লবণাক্ত ঘ কম অক্সিজেনযুক্ত

১৯. সমুদ্রের উচ্চতা দুই মিটার বাড়লে বাংলাদেশের কি পরিমাণ এলাকা পানির নিচে চলে যাবে?

  এক দশমাংশ খ এক সপ্তমাংশ

 গ এক পঞ্চমাংশ ঘ এক তৃতীয়াংশ

২০. ব্লিচিং পাউডার এর সংকেত কোনটি?

 ক NaCl  [Ca(OCI) Cl]

 গ Na2CO3ঘ Ca(OH)2

২১. কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বাধিক?

 ক ২ খ ৩  ৪ ঘ ৫

২২. একটি জলাশয়ের পানিতে পাশের কারখানা থেকে ঐ২ঝঙ৪ যুক্ত বর্জ্য নিষ্কাশিত হয়। এর ফলে-  [কু. বো. ’১৫]

 র. পানির ঢ়ঐ কমে যায়

 রর. পানি নীল লিটমাসকে লাল করবে

 ররর. মাছের বংশবৃদ্ধি হবে না

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

২৩. জলজ উদ্ভিদের-

 র. অঙ্গ প্রত্যঙ্গ খুব নরম হয়

 রর. সাধারণত অঙ্গজ উপায়ে বংশ বিস্তার হয়

 ররর. জন্ম ও বেড়ে উঠার জন্য পানি প্রয়োজন

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

২৪. বায়ুম  লের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পানির তাপমাত্রা-

 র. কমে যায়

 রর. বেড়ে যায়

 ররর. অপরিবর্তিত থাকে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র   রর গ ররর ঘ রর ও ররর

২৫. একটি পুকুরের পানির pH =৯, পুকুরটির পানি-

 র. মাছ চাষ অনুপযোগী

 রর. ক্ষারের মাত্রা বেশি

 ররর. এসিডের মাত্রা বেশি

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

পানির ধর্ম, গলনাংক ও স্ফুটনাংক, পানির গঠন, উৎস ও বাংলাদেশে মিঠা পানির উৎস

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৬. বরফের গলনাংক কত?  (জ্ঞান)

 ক   ১ সেলসিয়াস   সেলসিয়াস

 গ ১ সেলসিয়াস ঘ ২ সেলসিয়াস

২৭. pH এর কোন মানটি নিরপেক্ষ?  (জ্ঞান)

 ক ৩.৫ খ ৬  ৭ ঘ ৭.৫

২৮. pH মান ৭ নিচের কোনটির?  (অনুধাবন)

 ক ক্ষারযুক্ত পানির  বিশুদ্ধ পানির

 গ এসিডযুক্ত পানির ঘ লবণযুক্ত পানির

২৯. ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব কত? (জ্ঞান)

  ১ গ্রাম/সি.সি. খ ২ গ্রাম/সি.সি.

 গ ৪ গ্রাম/সি.সি. ঘ ৬ গ্রাম/সি.সি.

৩০. ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১ কিউবিক মিটার পানির ভর কত?  (প্রয়োগ)

 ক ৯০০ কেজি  ১০০০ কেজি

 গ ১৫০০ কেজি ঘ ২০০০ কেজি

৩১. মিঠা পানির উৎস কোনটি? (অনুধাবন)

  পদ্মা নদী খ আরব সাগর

 গ বঙ্গোপসাগর ঘ সুন্দরবনের নদনদী

৩২. সুন্দরবনের নদনদী ও বঙ্গোপসাগর কোন ধরনের পানির উৎস? (প্রয়োগ)

 ক মিঠা পানির  লোনা পানির

 গ খাবার পানির ঘ পাতিত পানির

৩৩. পৃথিবীতে সবচেয়ে সহজলভ্য তরল পদার্থ কোনটি?  (জ্ঞান)

  পানি খ গ্যাস গ খনিজ তেল ঘ অকটেন

৩৪. মানবদেহের শতকরা কত ভাগ পানি? (জ্ঞান)

 ক ৬০-৭০  ৬৫-৭৫ গ ৭০-৮০ ঘ ৮৫-৯৫

৩৫. মাছ, মাংস ও শাকসবজিতে শতকরা কত ভাগ পানি থাকে? (জ্ঞান)

 ক ৪০-৬৫ খ ৫০-৭৫  ৬০-৯০ ঘ ৭০-৯৫

৩৬. পৃথিবীপৃষ্ঠের শতকরা কত ভাগ পানি দ্বারা গঠিত? (জ্ঞান)

 ক ৫৫ খ ৬৫  ৭৫ ঘ ৮৫

৩৭. পানির স্ফুটনাংক কত?  (জ্ঞান)

 ক ৯ সেলসিয়াস  ১০ সেলসিয়াস

 গ ১২ সেলসিয়াস  ঘ ১৩ সেলসিয়াস

৩৮. পানির ঘনত্ব কিসের ওপর নির্ভর করে? (জ্ঞান)

  তাপমাত্রা খ চাপ

 গ ভর ঘ অভিকর্ষজ ত্বরণ

৩৯. পানির ঘনত্ব কখন সর্বোচ্চ হয়?  (জ্ঞান)

 ক  সেলসিয়াস তাপমাত্রায়  খ ২ সেলসিয়াস তাপমাত্রায়

 গ ৩ সেলসিয়াস তাপমাত্রায়  ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রায়

৪০. বিশুদ্ধ পানির pH কত? (জ্ঞান)

  ৭ খ ৭.৫ গ ৮ ঘ ৮.৫

৪১. পানির রাসায়নিক গঠন কোনটি?  (জ্ঞান)

 ক একটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও দুটি অক্সিজেন পরমাণু

 খ একটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু

  দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু

 ঘ দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও দুটি অক্সিজেন পরমাণু

৪২. পানির অণু কী আকারে থাকে?  (জ্ঞান)

 ক আয়ন  ক্লাস্টার গ কলয়েড ঘ সাসপেনশন

৪৩. পৃথিবীর পানির শতকরা কত ভাগ সমুদ্র ধারণ করে আছে? (জ্ঞান)

 ক ৮০% খ ৮৫%   ৯০% ঘ ৯৫%

৪৪. পৃথিবীর ব্যবহার উপযোগী পানি শতকরা কত ভাগ? (জ্ঞান)

  ১% খ ২% গ ৩% ঘ ৪%

৪৫. ভূগর্ভস্থ পানি আমরা কিসের সাহায্যে উত্তোলন করি? (জ্ঞান)

 ক হর্স পাইপ খ জেট পাম্প

 গ লো লিফট পাম্প  নলকূপ

৪৬. পানিতে হাইড্রোজেন  ও অক্সিজেনের অনুপাত কত? (জ্ঞান)

 ক ১ ঃ ২  ২ ঃ ১ গ ২ ঃ ৩ ঘ ৩ ঃ ১

৪৭. পানির প্রধান উৎস কোনটি?  (জ্ঞান)

 ক ঝরনা খ নদী গ বৃষ্টি  সমুদ্র

৪৮. পানির কঠিন অবস্থাকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)

 ক বাষ্প খ তরল ˜ বরফ ঘ বায়বীয়

৪৯. নিচের কোন তাপমাত্রাদ্বয় পানির গলনাংক ও স্ফুটনাংক নির্দেশ করছে?

 (অনুধাবন)

 ˜ 0°  ও100° সেলসিয়াস খ 4° ও 98°  সেলসিয়াস

 গ 0°  ও 90°  সেলসিয়াস ঘ 4° ও 100° সেলসিয়াস

৫০. ১ সিসি পানির ভর কত?  (অনুধাবন)

 ˜ ১ গ্রাম খ ১০ গ্রাম গ ১০০ গ্রাম ঘ ১০০০ গ্রাম

৫১. পানি কী ধরনের যৌগ?  (জ্ঞান)

 ˜ উভধর্মী খ ক্ষারধর্মী গ অম্লধর্মী ঘ নিরপেক্ষ

৫২. পানি কখন তড়িৎ পরিবহন করে?  (অনুধাবন)

 ক বিশুদ্ধ অবস্থায় খ নিরপেক্ষ অবস্থায়

 ˜ লবণ দ্রবীভূত থাকা অবস্থায় ঘ যখন ঢ়ঐ ৭ থাকে

৫৩. পানিকে উভধর্মী পদার্থ বলা হয় কেন? (অনুধাবন)

 ক অধিকাংশ যৌগকে দ্রবীভূত করে বলে

 ˜ এসিড ও ক্ষার হিসেবে কাজ করে বলে

 গ স্বাদ ও গন্ধহীন তরল পদার্থ বলে

 ঘ তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ দ্রবীভূত করে বলে

৫৪. সমুদ্রের পানি পানযোগ্য নয় কেন?  (অনুধাবন)

 ক প্রচুর আয়রন থাকায় খ ঘনত্ব অনেক বেশি

 ˜ প্রচুর লবণ বিদ্যমান ঘ প্রচুর আর্সেনিক আছে

৫৫. কোনটিকে Marine Water বলা হয়? (অনুধাবন)

 ˜ সমুদ্রের পানি খ নদীর পানি

 গ নলকূপের পানি ঘ ঝরনার পানি

৫৬. তাপমাত্রা কত হলে পানির ঘনত্ব সর্বোচ্চ হয়? (জ্ঞান)

 ক0°C  4°C গ 10°C ঘ 100°C

৫৭. যে তাপমাত্রায় পানির তরল রূপ বাষ্প হয় তাকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)

 ক হিমাংক  খ বাষ্পীভবন গ বাষ্পীয় অবস্থা ˜ স্ফুটনাংক

৫৮. ১ কিউবিক মিটার পানির ভর কত? (প্রয়োগ)

 ক ১ কেজি খ ১০ কেজি গ ১০০ কেজি  ১০০০ কেজি

৫৯. বাংলাদেশের কিছু এলাকার ভূগর্ভস্থ পানি কেন পানের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে?  (উচ্চতর দক্ষতা)

 ক শিল্প কারখানার বিস্তৃতি ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায়

 খ পানি দূষণ অব্যাহত গতিতে বাড়তে থাকায়

 গ রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিস্তৃতি ঘটায়

 ˜ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ আর্সেনিক মিশ্রিত থাকায়

৬০. কোনটি বিশুদ্ধ পানির বৈশিষ্ট্য?   (জ্ঞান)

  বর্ণহীন, স্বাদহীন ও গন্ধহীন

 খ স্বাদযুক্ত, গন্ধহীন ও বর্ণহীন

 গ স্বাদহীন, গন্ধহীন ও নীল বর্ণের

 ঘ কটুস্বাদযুক্ত, গন্ধহীন ও বর্ণহীন

৬১. কোনটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ?   (অনুধাবন)

  সোডিয়াম ক্লোরাইড খ গ্লুকোজ

 গ চিনি ঘ গ্লিসারল

৬২. কোনটি সার্বজনীন দ্রাবক?   (জ্ঞান)

  H2O খ HCl গ NaOH ঘ NaHCO3

৬৩. কোনটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ?  (অনুধাবন)

 ক এসিড মিশ্রিত পানি  বিশুদ্ধ পানি

 গ ক্ষার মিশ্রিত পানি ঘ ব্রাইন

৬৪. কোনটি পানির রাসায়নিক সংকেত?  (জ্ঞান)

 ক H2O2খ H2O3গ HOH ˜ H2O

৬৫. যে তাপমাত্রায় বরফ গলে, তাকে কী বলে?  (জ্ঞান)

 ক বাষ্পীভবন খ স্ফুটনাংক ˜ গলনাংক ঘ স্ফুটন

৬৬. বায়ুম  লীয় চাপে কোনো তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় বাষ্পে পরিণত হয় তাকে কী বলে?  (জ্ঞান)

 ক গলনাংক ˜ স্ফুটনাংক গ বাষ্পীভবন ঘ স্ফুটন

৬৭. নিচের কোনটির গলনাংক  সেলসিয়াস?  (জ্ঞান)

 ক খাবার লবণ খ লবণ পানি গ পানি  বরফ

৬৮. সমুদ্রের পানিকে কী বলা হয়?  (জ্ঞান)

 ক Mineral water  Marine water গ Fresh water ঘ Inland water

   বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬৯. বিশুদ্ধ পানি    (অনুধাবন)

 র. স্বাদহীন

 রর. গন্ধহীন

 ররর. বর্ণহীন

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর   র, রর ও ররর

৭০. ৪°  সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব   (অনুধাবন)

 র. ১ গ্রাম/সি.সি

 রর. ১০০০ কেজি/মিটার৩

 ররর. ১০০ মিলি/কেলভিন

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  ˜ র ও রর গ র ও ররর  ঘ রর ও ররর

৭১. pH এর মান ৭  (অনুধাবন)

 র. বিশুদ্ধ পানির

 রর. সমুদ্রের পানির

 ররর. পাতিত পানির

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  খ রর গ ররর ˜ র ও ররর

৭২. ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হলো   (অনুধাবন)

 র. ভূগর্ভস্থ পানি

 রর. সমুদ্রের পানি

 ররর. ঝরনার পানি

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর   র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৭৩. HCl + X H3O + + Cl ¯; বিক্রিয়ায়- (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. X একটি উভধর্মী পদার্থ

 রর. X এর pH

 ররর. X ক্ষার হিসেবে কাজ করে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র খ র ও রর  র ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৭৪. H2O পদার্থটি-  (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. উভধর্মী

 রর. সার্বজনীন দ্রাবক

 ররর. ২টি H পরমাণু ও ১টি O পরমাণু দ্বারা গঠিত

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

৭৫. বিশুদ্ধ পানির ধর্ম-  (অনুধাবন)

 র. স্ফুটনাংক ৯৯.৯৮ সেলসিয়াস

 রর. হিমাংক  সেলসিয়াস

 ররর. ঢ়ঐ এর মান ৭

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

৭৬. সাধারণত পানি-  (অনুধাবন)

 র. এসিডের উপস্থিতিতে ক্ষার হিসেবে কাজ করে

 রর. ক্ষারের উপস্থিতিতে এসিড হিসেবে কাজ করে

 ররর. ১০ সেলসিয়াসে বাষ্পে পরিণত হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

৭৭. পানির ধর্ম হলো- (অনুধাবন)

 র. বেশিরভাগ অজৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে

 রর. অনেক জৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে

 ররর. সব জৈব ও অজৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

   অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদ পড় এবং ৭৮ ৭৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

পানি দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু একটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গঠিত। পানির সংকেত হলো H2O

৭৮. উক্ত অণু কী আকারে বিন্যস্ত থাকে?  (অনুধাবন)

  ক্লাস্টার খ আয়ন গ  যৌগমূলক ঘ যোজনী

৭৯. উদ্দীপকের সংকেতে ঐ ও ঙ সন্নিবেশিত থাকে কোন অনুপাতে? (প্রয়োগ)

 ক ১ : ১ খ ১ : ২   ২ : ১ ঘ ৩ : ১

উদ্দীপকের আলোকে ৮০ ৮১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

একটি দ্রাবকের ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎপ্রবাহ চালনা করলে নমুনাটি বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।

৮০. ওই দ্রাবকের pH কত?  (অনুধাবন)

 ক ৫ খ ৬  ৭ ঘ ৮

৮১. ওই দ্রাবকটি-  (প্রয়োগ)

 র. সার্বজনীন দ্রাবক

 রর. 0°C এ কঠিন অবস্থায় থাকে

 ররর. 100°C তাপমাত্রায় ফুটতে শুরু করে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

উদ্দীপকের আলোকে ৮২ ৮৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৮২. উক্ত পদার্থটির গলনাংক কত?  (প্রয়োগ)

  0°C খ 1°C গ4°C ঘ 100°C

৮৩. উদ্দীপকের পদার্থটি  (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. বিশুদ্ধ অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না

 রর. দুটি H ও একটি O নিয়ে গঠিত

 ররর. OH ¯ আয়ন তৈরি হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

জলজ উদ্ভিদ প্রাণীর জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা পানির মানদ  পৃষ্ঠা : ৩০-৩৩

   সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৮৪. জলজ উদ্ভিদসমূহ কী পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে থাকে? (জ্ঞান)

 ক জরায়ুজ খ পরাগায়ন  অঙ্গজ ঘ অযৌন

৮৫. যেসব উদ্ভিদ পানিতে জন্মায় তাদের কী বলা হয়? (জ্ঞান)

  জলজ উদ্ভিদ খ উভচর উদ্ভিদ

 গ লোনা মাটির উদ্ভিদ ঘ জরায়ুজ উদ্ভিদ

৮৬. পানিতে অক্সিজেন সংযোজন হয় কাদের দ্বারা? (জ্ঞান)

 ক জলজ প্রাণী খ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া

  জলজ উদ্ভিদ ঘ বিয়োজক শ্রেণি

৮৭. আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের শতকরা কত ভাগ মাছ থেকে আসে? (জ্ঞান)

 ক ৬০ খ ৭০  ৮০ ঘ ৯০

৮৮. পানি ঘোলা হলে জলজ উদ্ভিদের কোন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয় 

  (অনুধাবন)

 ক শ্বসন খ অভিস্রবণ  সালোকসংশ্লেষণ ঘ শোষণ

৮৯. জলজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কী উৎপন্ন করে? (জ্ঞান)

 ক পানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইড  শর্করা ও অক্সিজেন

 গ সূর্যালোক ও ক্লোরোফিল ঘ স্থৈতিক শক্তি ও গতিশক্তি

৯০. পানিতে বসবাসকারী প্রাণীরা অক্সিজেন কোথা থেকে পায়? (জ্ঞান)

 ক বায়ু খ মাটি  পানি ঘ জলজ উদ্ভিদ

৯১. জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য ১ লিটার পানিতে ন্যূনতম কত মিলিগ্রাম অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন?  (জ্ঞান)

 ক ১  ৫ গ ১০ ঘ ১৫

৯২. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য জলাশয়ের পানির ঢ়ঐ কত থাকা বাঞ্ছনীয়?  (জ্ঞান)

 ক ২-৪ খ ৪-৬  ৬-৮ ঘ ৭-৮

৯৩. একটি জলাশয়ের পানি এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ তা বোঝার উপায় কী?  (জ্ঞান)

 ক স্ফুটনাংক  pH মান গ H + এর হার ঘ ক্ষারত্বের মান

৯৪. পানির pH মান খুব কমে গেলে পানিতে কোন খনিজ পদার্থের ঘাটতি মারাত্মক আকার ধারণ করে?  (জ্ঞান)

 ক ফসফরাস খ আয়োডিন গ আয়রন  ক্যালসিয়াম

৯৫. কোন ধরনের উদ্ভিদের মূল খুব ছোট এবং মূলরোম নেই? (অনুধাবন)

 ক স্থলজ  খ মরু  ˜ জলজ  ঘ লোনা মাটির

৯৬. কোন প্রাণী বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না? (অনুধাবন)

 ক গরু খ হাত ˜ মাছ ঘ বাঘ

৯৭. জলজ উদ্ভিদ পানি শোষণ করে কিসের দ্বারা? (জ্ঞান)

 ক মূল খ কা    সারাদেহ ঘ পাতা

৯৮. পানিতে বসবাসকারী প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য পানি কেমন হওয়া উত্তম?

(অনুধাবন)

 ক pH ২-৪ খ অতি বিশুদ্ধ গ ছায়াযুক্ত  pH ৬-৮

৯৯. পানি ঘোলা হওয়ার মূল কারণ কোনটি? (অনুধাবন)

 ক দ্রবণীয় পদার্থের উপস্থিতি ˜ অদ্রবণীয় পদার্থের উপস্থিতি

 গ শ্যাওলার উপস্থিতি ঘ সঞ্চারমান পদার্থের উপস্থিতি

১০০. নদনদীর পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ মিশ্রিত থাকলে জলজ প্রাণী ও মানুষের কোন রোগ হতে পারে? (অনুধাবন)

 ক চর্মরোগ ˜ ক্যান্সার গ এইডস ঘ হেপাটাইটিস

১০১. ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে আসে কেন? (অনুধাবন)

 ক কারণ পর্যাপ্ত খাবার পাওয়া যায়

 খ মিঠা পানিতে যৌন জননে সুবিধা হয়

 গ লবণাক্ত পানিতে নিষেক ঘটে না

 ˜ মিঠা পানিতে ডিম নষ্ট হয় না

১০২. নিচের জলজ উদ্ভিদগুলোর মধ্যে কোনটি পানি ও মাটি দু’জায়গাতেই জন্মে?  (প্রয়োগ)

 ক কচুরিপানা ˜ হেলেঞ্চা গ ¶ুদিপানা ঘ টোপাপানা

১০৩. কী দ্বারা জলজ উদ্ভিদ পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে? (প্রয়োগ)

 ক মূল খ কা   ˜ সারাদেহ ঘ পাতা

১০৪. জলজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় যে অক্সিজেন উৎপন্ন করে তা গ্রহণ করে বেঁচে থাকে কোনটি?  (প্রয়োগ)

 ক জলজপ্রাণী খ শ্যাওলা  জলজ জীব ঘ ওড়িপানা

১০৫. কোনটি পানিতে বসবাসকারী জীবদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য? (প্রয়োগ)

 ক কার্বন ডাইঅক্সাইড খ জলীয় বাষ্প

 ˜ অক্সিজেন ঘ নাইট্রোজেন

১০৬. ক্ষারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে, pH -এর মানে কী ঘটে? (প্রয়োগ)

 ক ৭ হয় ˜ বাড়ে গ হ্রাস পায় ঘ নিরপেক্ষ হয়

১০৭. একটি পুকুরের পানির pH ১০। এই পুকুরের পানি কিরূপ? (প্রয়োগ)

 ক এসিডিক খ নিরপেক্ষ ˜ ক্ষারীয় ঘ H + সমৃদ্ধ

১০৮. জলজ উদ্ভিদ ভাসতে পারে, কারণ এদের   (উচ্চতর দক্ষতা)

 ক মূলরোম নেই খ পানি শোষণ করে না

 গ কা   নরম ˜ কাে বায়ুকুঠুরি আছে

১০৯. মাছকে পানির বাইরে আনা হলে মরে যায়; কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)

 ˜ মাছ ফুলকার মাধ্যমে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে

 খ মাছ পানিতে বাস করে

 গ মাছ ফুসফুসের মাধ্যমে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে

 ঘ মাছ ফুসফুসের মাধ্যমে পানিতে দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে

১১০. পানি ঘোলাটে হলে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়; কারণ

(উচ্চতর দক্ষতা)

 ক উদ্ভিদ পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না

 ˜ উদ্ভিদ পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পায় না

 গ উদ্ভিদের পর্যাপ্ত ক্লোরোফিল তৈরিতে বিঘ্ন ঘটে

 ঘ উদ্ভিদ পর্যাপ্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড পায় না

১১১. মাছের ডিম ফুটার জন্য জলাশয়ের পানির pH হওয়া প্রয়োজন  (অনুধাবন)

 ক ২ খ ৩ ˜ নিরপেক্ষ ঘ এসিডিক

১১২. পানির pH কত হলে পানিকে আমরা ক্ষারীয় বলব? (প্রয়োগ)

 ক ৫ খ ৬ গ ৭ ˜ ৮

১১৩. পানির pH = ৭ এর কম হলে পানি কী প্রকৃতির হবে? (অনুধাবন)

 ˜ এসিডিক খ ক্ষারীয় গ নিরপেক্ষ ঘ নোনা

১১৪. পানির pH = ৭ এর বেশি হলে পানি কী প্রকৃতির হবে? (প্রয়োগ)

 ক এসিডিক খ নিরপেক্ষ গ নোনা ˜ ক্ষারীয়

১১৫. ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার জন্য মিঠা পানিতে আসে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)

 ˜ যাতে ডিমে বহিঃঅভিস্রবণ না ঘটে

 খ যাতে ডিমে অন্তঃঅভিস্রবণ না ঘটে

 গ যাতে ডিমে অভিস্রবণ না ঘটে

 ঘ যাতে ডিমে ব্যাপন না ঘটে

১১৬. পানি ও মাটি উভয় স্থানে জন্মায় কোন উদ্ভিদগুলো? (জ্ঞান)

 ক কচুরিপানা, ওড়িপানা  হেলেঞ্চা, কলমি

 গ সিংগারা, কলমি ঘ কেশরদাম, হাইড্রিলা

১১৭. জলজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে পানিতে কোনটির মাত্রা ঠিক রাখে?   (জ্ঞান)

 ক নাইট্রোজেন খ হাইড্রোজেন গ কার্বন ডাইঅক্সাইড  অক্সিজেন

১১৮. কোন জাতীয় উদ্ভিদ জলজ প্রাণীদের খাদ্য ভা  ার?  (জ্ঞান)

 ক লাউ খ কলমি গ পদ্ম  শ্যাওলা

১১৯. জলজ উদ্ভিদসমূহ দেহের কোন অংশ দিয়ে খনিজ উপাদান সংগ্রহ করে?   (অনুধাবন)

  সারা দেহ খ মূল গ পাতা ঘ পাতা ও কা 

১২০. শুধু পানিতে জন্মে কোন উদ্ভিদটি?   (জ্ঞান)

 ক কলমি খ হেলেঞ্চা গ কেশরদাম  সিংগারা

১২১. পানিতে কোনটি বেড়ে গেলে প্রচুর শ্যাওলা জন্মাতে পারে?  (জ্ঞান)

 ক pH খ গাছপালার ধ্বংসাবশেষ

 গ অম্লত্ব  ফসফেট ও নাইট্রোজেন

১২২. কোনটি জলজ উদ্ভিদ?  (অনুধাবন)

  কলমি খ কুমড়া গ ক্যাকটাস ঘ সেগুন

১২৩. কিসের মাধ্যমে মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে? (জ্ঞান)

 ক ফুসফুস  ফুলকা গ নাক ঘ ত্বক

১২৪. কোন পদার্থের উপস্থিতি জলজ প্রাণীর দেহে ক্যান্সারের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে?  (জ্ঞান)

 ক জৈব পদার্থ খ যৌগিক পদার্থ

  তেজস্ক্রিয় পদার্থ ঘ অজৈব পদার্থ

১২৫. পানিতে অদ্রবণীয় কোনটি?  (জ্ঞান)

  মাটি খ খাদ্য লবণ

 গ অক্সিজেন ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড

১২৬. জলজ সবুজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের ফলে পানিতে সংযোজিত হয় কোনটি?  (জ্ঞান)

 ক CO2খ N2গ H O2

১২৭. সাধারণত নদনদীর পানি কী প্রকৃতির হয়? (জ্ঞান)

 ক অম্লীয়  খ উভধর্মী গ নিরপেক্ষ  ক্ষারীয়

১২৮. পানির pH খুব বেড়ে গেলে জলজ প্রাণীদের জন্য কোন মৌলটির ঘাটতি সৃষ্টি হয়?  (জ্ঞান)

 ক Fe খ Na  Ca ঘ P

১২৯. নদীতে নাব্যতা হ্রাস পায় কখন?  (জ্ঞান)

 ক পানির লবণাক্ততা বেড়ে গেলে

  খ পানির ময়লা-আর্বজনা বেড়ে গেলে

  পানি ঘোলাটে হলে

 ঘ পানির বর্ণ ও স্বাদ পরিবর্তন হলে

১৩০. বিশুদ্ধ পানির pH কত?  (জ্ঞান)

 ক ৪ খ ৫ গ ৬  ৭

১৩১. নিচের pH মানের কোনটি অম্ল?   (অনুধাবন)

  ৩-৪ খ ৭-৬ গ ৬-৮ ঘ ৮-৯

১৩২. দ্রবণ ক্ষারীয় হলে pH এর মান কোনটি হবে?  (অনুধাবন)

 ক ৪ খ ৫ গ ৭  ৮

১৩৩. দ্রবণ নিরপেক্ষ হলে pH এর মান কোনটি হবে?  (অনুধাবন)

 ক ৪ খ ৫  ৭ ঘ ৮

১৩৪. জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য নদীর পানির pH এর মান কত হওয়া উচিত?  (জ্ঞান)

 ক ৫-৬  ৬-৮  গ ৭-৮ ঘ ৮-৯

১৩৫. pH দ্বারা কোনটি বোঝায় না?   (প্রয়োগ)

 ক জলীয় দ্রবণের অম্লতা খ জলীয় দ্রবণের ক্ষারীয়তা

  জলীয় দ্রবণের লবণাক্ততা ঘ জলীয় দ্রবণের নিরপেক্ষতা

১৩৬. কোনটির দ্বারা বোঝা যায় পানি বা জলীয় দ্রবণ এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ?   (অনুধাবন)

 ক লবণাক্ততা খ স্বাদ  pH ঘ স্ফুটনাংক

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৩৭. একটি জলাশয়ের পানি ঘোলাটে হলে অসুবিধা হয়   (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার

 রর. উদ্ভিদের খাবার তৈরিতে

 ররর. জলজ প্রাণীদের খাবার সংগ্রহে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর  গ রর ও ররর  ˜ র, রর ও ররর

১৩৮. জলাশয়ে মাটি ও বালির ভাগ বেড়ে গেলে (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. নাব্যতা হ্রাস পায়

 রর. নৌযান চলাচলে অসুবিধা হয়

 ররর. জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের খাবার সংগ্রহে বাধাগ্রস্ত হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

১৩৯. কোনটির দ্বারা জলজ উদ্ভিদ পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করে (প্রয়োগ)

 র. মূল

 রর. কা   

 ররর. সারা দেহ

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  খ রর  ররর ঘ রর ও ররর

১৪০. জলজ উদ্ভিদসমূহের পানি প্রয়োজন; কারণ- (অনুধাবন)

 র. এরা সাধারণত অঙ্গজ উপায়ে বংশবিস্তার করে

 রর. এদের বেড়ে ওঠার জন্য পানি প্রয়োজন

 ররর. এদের কা   ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুব নরম

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

১৪১. পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে পারে- (অনুধাবন)

 র. পানি ঘোলাটে হলে

 রর. পানিতে তেল, গ্রিজ ইত্যাদি উপস্থিত থাকলে

 ররর. জলজ উদ্ভিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

১৪২. মিঠা পানিতে লবণাক্ততা বাড়লে-  (প্রয়োগ)

 র. পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়

 রর. জলজ উদ্ভিদের বড় অংশ জন্মাতে পারে না

 ররর. কৃষিকাজের জন্য অনুপোযোগী হয়ে পড়ে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

১৪৩. জলজ উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত-  (অনুধাবন)

 র. পদ্ম

 রর. কচুরিপানা

 ররর. হেলেঞ্চা

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

১৪৪. তাপমাত্রা-  (অনুধাবন)

 র. পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদ 

 রর. স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়

 ররর বেড়ে গেলে জলজ প্রাণীর শারীরবৃত্তীয় কাজে সমস্যা সৃষ্টি হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

১৪৫. জলাশায়ের পানির ঢ়ঐ –  (অনুধাবন)

 র. ৬-৮ জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য উপযোগী

 রর.  ৬-৮ জলজ উদ্ভিদ বেঁচে থাকার উপযোগী নয়

 ররর. ৭ এর কম হলে পোনা মাছের বৃদ্ধি ঘটে

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

১৪৬. একটি পানির নমুনায় pH এর মান ৭; এক্ষেত্রে- (অনুধাবন)

 র. নমুনার পানি বিশুদ্ধ মানের

 রর.  একে Marine water বলা যাবে

 ররর. পানির হিমাংক 0°C এবং স্ফুটনাংক 100°C

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

১৪৭. নদনদীর পানির pH খুব কম বা বেশি হলে বাঁচতে পারে না- (প্রয়োগ)

 র. জলজ প্রাণী

 রর. পোনা মাছ

 ররর. মাছের ডিম

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৪৮ ১৪৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

তেজস্ক্রিয় পদার্থ পানিতে মিশে প্রাণীর দেহে রোগ সৃষ্টি করে। পানিতে অনাকাক্সি¶ত পদার্থের উপস্থিতি নদীর নাব্যতা হ্রাস করে।

১৪৮. উদ্দীপকে কোন রোগের কথা বলা হয়েছে? (অনুধাবন)

  ক্যান্সার  খ কলেরা গ জন্ডিস ঘ টাইফয়েড

১৪৯. উল্লিখিত নাব্যতা হ্রাসকারী উপাদানসমূহ- (প্রয়োগ)

 র. সালোকসংশ্লেষণকে বাধাগ্রস্ত করে

 রর. পানিকে ঘোলাটে করে

 ররর. নদীর পানিতে নৌযান চলাচল অসুবিধা ঘটায়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

উদ্দীপকের আলোকে ১৫০ ১৫১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

টোপাপানা, হেলেঞ্চা, কলমি, কেশরদাম, কচুরিপানা ইত্যাদি উদ্ভিদের জন্য পানি প্রয়োজন। এদের অধিকাংশই পানি মাটি দু জায়গাতেই জন্মায়।

১৫০. উদ্দীপকের কোন উদ্ভিদটি শুধু পানিতে জন্মে? (প্রয়োগ)

  টোপাপানা খ হেলেঞ্চা গ কলমি ঘ কেশরদাম

১৫১. উদ্দীপকের উল্লিখিত উদ্ভিদগুলো    (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. নরম কা  বিশিষ্ট হয়

 রর. অঙ্গজ উপায়ে বংশবিস্তার করে

 ররর. সারাদেহের মাধ্যমে পানি শোষণ করে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৫২ ১৫৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

বাংলাদেশের অনেক স্থানের ভূগর্ভ পানি পরীক্ষা করলে দেখা যাবে পানিতে

(১) আর্সেনিক, (২) খনিজ লবণ ও (৩) লৌহ আছে।

১৫২. উল্লিখিত রাসায়নিক পদার্থগুলোর মধ্যে কোনগুলো মৌলিক পদার্থ? (অনুধাবন)

 ক আর্সেনিক ও লবণ খ লবণ ও লৌহ

  আর্সেনিক ও লৌহ ঘ আর্সেনিক, লৌহ ও লবণ

১৫৩. উদ্দীপকের রাসায়নিক পদার্থগুলোর- (প্রয়োগ)

 র. ১ নং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

 রর. ২ নং মিঠা পানিতে প্রচুর থাকে

 ররর. ৩ নং এর জন্য ভূগর্ভস্থ পানি পানের অযোগ্য

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটির আলোকে ১৫৪ ১৫৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

কর্ণফুলী নদীর পানির ঢ়ঐ এর মান ১২ এর কাছাকাছি।

১৫৪. ওই নদীর পানি কিরূপ?  (প্রয়োগ)

 ক অম্লীয়  ক্ষারীয় গ লবণাক্ত ঘ নিরপেক্ষ

১৫৫. উদ্দীপকের নদীর পানির pH এর মান খুব কমে গেলে- (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার উপযোগী নয়

 রর. জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার উপযোগী

 ররর. জলজ প্রাণীদের দেহ থেকে খনিজ পদার্থ বাইরে চলে আসে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

পানির পুনঃআবর্তন ও পরিবেশ সংরক্ষণে পানির ভূমিকা  পৃষ্ঠা :  ৩৩

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৫৬. পৃথিবীর মোট পানির শতকরা কত ভাগ Fresh water? (জ্ঞান)

  ১ খ ২ গ ৪ ঘ ১০

১৫৭. ভূপৃষ্ঠের শতকরা কত ভাগ পানি দ্বারা আবৃত? (জ্ঞান)

 ক ৩০% খ ৪০% গ ৫৫%  ৭৫%

১৫৮. প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রায় প্রতিটি উপাদান কিসের ওপর নির্ভরশীল? (জ্ঞান)

 ক জলীয় বাষ্প  খ প্রস্বেদন  পানি ঘ ব্যাপন

১৫৯. পানির পুনঃআবর্তন প্রক্রিয়া তুমি নিচের কোনটিকে বলবে? (প্রয়োগ)

 ˜ বৃষ্টি খ মেঘ গ বাষ্প ঘ কুয়াশা

১৬০. পানি ব্যবহারের পর পরিশোধন করে আবার ব্যবহার করা হলে এটিকে কী বলা যাবে?  (প্রয়োগ)

 ক পরিশোধন চক্র খ রূপান্তর চক্র

 গ পানিচক্র ˜ পুনঃআবর্তন

১৬১. প্রকৃতিতে পানির পুনঃআবর্তন না হলে কী হতো? (উচ্চতর দক্ষতা)

 ক পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রহে পরিণত হতো

 খ পৃথিবীর অন্যান্য আবর্তন চক্র বন্ধ হয়ে যেত

 ˜ পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো

 ঘ পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হতো

১৬২. ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করলে তার পরিণাম কী হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)

 ক পানি দূষিত হবে খ পানি জীবাণুমুক্ত হবে

 গ পানিতে অক্সিজেন কমে যাবে ˜ প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে

১৬৩. 

 উপরের রেখাচিত্রটি কী নির্দেশ করে?  (উচ্চতর দক্ষতা)

 ˜ পানিচক্র খ বাষ্প ও মেঘের সম্পর্ক

 গ বাষ্প ও বৃষ্টির সম্পর্ক ঘ মেঘ ও বৃষ্টির সম্পর্ক

১৬৪. ভূপৃষ্ঠের কত ভাগ পানি ব্যবহার উপযোগী? (জ্ঞান)

 ক ০.৫  ১ গ ২ ঘ ৩

১৬৫. কোনটি দ্বারা প্রকৃতিতে প্রাকৃতিকভাবে পানির পুনঃআবর্তন ঘটে? (অনুধাবন)

 ক বাষ্পীভবন খ ঘনীভবন  বৃষ্টিপাত ঘ মেঘ

১৬৬. পানিচক্রের জন্য সঠিক উক্তি কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)

 ক পানি বাষ্পীভূত হয়ে বৃষ্টির আকারে ফিরে আসে

 খ পানি বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুম  লে যায় এবং বৃষ্টি হয়

 গ পানি বাষ্পীভূত হয়ে মেঘ হয়

  পানি বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুম  লে গিয়ে মেঘ হয় এবং বৃষ্টি হয়

১৬৭. কোনটির পুনঃআবর্তন পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? (জ্ঞান)

 ক মাটি খ ময়লা  পানি ঘ গ্রিজ

১৬৮. কৃষিকাজে বা শিল্প কারখানায় ব্যবহার করা যায় না কোনটি? (জ্ঞান)

 ক বৃষ্টির পানি খ নদীর পানি গ বিলের পানি  সমুদ্রের পানি

১৬৯. পৃথিবীতে লবণাক্ত পানির পরিমাণ শতকরা কতভাগ? (অনুধাবন)

 ক ৭৯ খ ৮৫ গ ৯০  ৯৭

  বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৭০. ভূপৃষ্ঠে প্রাকৃতিকভাবে পানির পুনঃআবর্তন ঘটে (প্রয়োগ)

 র. মেঘ সৃষ্টির দ্বারা

 রর. পানির বাষ্পীভবনের দ্বারা

 ররর. বৃষ্টিপাতের দ্বারা

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  খ রর  ররর ঘ র ও রর

১৭১. ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হলো-  (প্রয়োগ)

 র. হ্রদ

 রর. সমুদ্র

 ররর. খালবিল

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

  অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদ পড় এবং ১৭২ ও ১৭৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

প্রকৃতিতে পানির পুনঃআবর্তন সংঘটিত হয় বলে পানির অভাব হয় না।

১৭২. উক্ত প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত কোনটি? (প্রয়োগ)

 ক মেঘ খ হিমবাহ  বৃষ্টি ঘ কুয়াশা

১৭৩. প্রকৃতিতে উক্ত প্রক্রিয়া না হলে   (উচ্চতর দক্ষতা)

 র.   ভূ-পৃষ্ঠ মরুভূমিতে পরিণত হতো

 রর.  ফসল উৎপাদন কমে যেত

 ররর. লবণাক্ত পানির পরিমাণ বাড়ত

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর

মানসম্মত পানির প্রয়োজনীয়তা-পানি বিশুদ্ধকরণ, পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন, স্ফুটন ও পাতন  পৃষ্ঠা : ৩৩  ৩৫

  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৭৪. বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানিতে ক্ষতিকর কোনটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে?  (জ্ঞান)

  আর্সেনিক খ আয়রন গ কার্বনেট ঘ ক্লোরিন

১৭৫. বোতলজাত পানির কারখানায় কোন পদ্ধতিতে পানিকে রোগজীবাণুমুক্ত করা হয়?  (জ্ঞান)

  ওজোন গ্যাস খ পরিস্রাবণ

 গ স্ফুটন ঘ অক্সিজেন গ্যাস

১৭৬. যখন খুব বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন হয়, তখন কোন প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করা হয়?  (জ্ঞান)

 ক স্ফুটন খ পরিস্রাবণ গ ক্লোরিনেশন  পাতন

১৭৭. পানীয় জলে ক্লোরিন যোগ করা হয় কেন? (অনুধাবন)

 ক সুস্বাদু করার জন্য

 খ পুষ্টিগুণ বৃদ্ধির জন্য

 গ অদ্রাব্য পদার্থ দ্রবীভূত করার জন্য

 ˜ ক্ষতিকর জীবাণু নষ্ট করার জন্য

১৭৮. বালির স্তরের মধ্য দিয়ে পানিকে প্রবাহিত করে বিশুদ্ধ করা হয় কোন পদ্ধতিতে?  (অনুধাবন)

 ˜ পরিস্রাবণ খ ক্লোরিনেশন গ স্ফুটন ঘ পাতন

১৭৯. পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহৃত নিচের কোন জীবাণুনাশকে ক্লোরিন নেই? (অনুধাবন)

 ক ক্লোরিন খ ব্লিচিং পাউডার

 গ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ˜ ওজোন

১৮০. নিচের কোন প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধকৃত পানিতে অন্য পদার্থ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম?  (অনুধাবন)

 ক স্ফুটন খ পরিস্রাবণ ˜ পাতন ঘ ক্লোরিনেশন

১৮১. সমুদ্রের পানি পানের অযোগ্য। কারণ এতে আছে   (প্রয়োগ)

 ক এসিড খ ক্ষারক ˜ লবণ ঘ ক্ষার

১৮২. গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা ঘোলা পানি নিচের কোন পদ্ধতিতে শোধন করে?  (প্রয়োগ)

 ক পাতন ˜ পরিস্রাবণ গ ক্লোরিনেশন ঘ স্ফুটন

১৮৩. কৃষিকাজ ও শিল্প কারখানায় ব্যবহার উপযোগী পানি হলো    (অনুধাবন)

 ক সমুদ্র ও নদীর পানি খ সাগর ও নদীর পানি

  খালবিল ও নদীর পানি ঘ সমুদ্র ও খালবিলের পানি

১৮৪. কোন প্রক্রিয়ায় পানিতে অদ্রবণীয় বস্তুসমূহকে আলাদা করা হয়? (প্রয়োগ)

 ক অভিস্রবণ খ ব্যাপন  পরিস্রাবণ ঘ ইমবাইবিশন

১৮৫. নিচের উক্তি দুটির ভিত্তিতে সঠিক উত্তর নির্বাচন কর: (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. পানিকে জীবাণুমুক্ত করা হয় Cl2 ও O3 গ্যাস দ্বারা

 রর. Cl2 ও O3 গ্যাস পানিকে ভেঙে H2 ও O2 নির্গত করে

 ক র ও রর উভয় সঠিক খ র ও রর উভয় ভুল

  র সঠিক কিন্তু রর ভুল ঘ র ভুল কিন্তু রর সঠিক

১৮৬. বাসাবাড়িতে খাওয়ার পানি বিশুদ্ধকরণের সহজ ও সাশ্রয়ী প্রক্রিয়া কোনটি?   (অনুধাবন)

 ক পরিস্রাবণ খ ক্লোরিনেশন  স্ফুটন ঘ পাতন

১৮৭. তুমি খাবার পানি পুরোপুরি নিরাপদ করতে চাইলে কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করবে?  (প্রয়োগ)

 ক পরিস্রাবণ খ ক্লোরিনেশন ˜ স্ফুটন ঘ পাতন

১৮৮. বন্যার সময় পানি বিশুদ্ধকরণে কী ব্যবহার করা হয়? (প্রয়োগ)

 ˜ NaOCl খ Cl2গ O3ঘ Ca(OCl) Cl

১৮৯. তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে পৃথক করার প্রক্রিয়াকে কী বলে?  (জ্ঞান)

 ক পাতন  পরিস্রাবণ  গ স্ফুটন ঘ অভিস্রবণ

১৯০. ক্লোরিনেশন প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করার জন্য কোনটি ব্যবহার করা যায়?   (জ্ঞান)

 ক সোডিয়াম ক্লোরাইড  সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড

 গ সোডিয়াম বাইক্লোরাইড ঘ হাইড্রোজেন ক্লোরাইড

১৯১. সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইডের কোন উপাদানটি পানির রোগ জীবাণু ধ্বংসে সাহায্য করে?  (অনুধাবন)

 ক Na  Cl গ O2ঘ H2

১৯২. পানি বিশুদ্ধ করার কোন পদ্ধতিতে ঈধ(ঙঈষ)ঈষ ব্যবহার করা হয়?   (অনুধাবন)

 ক পাতন খ স্ফুটন গ পরিস্রাবণ  ক্লোরিনেশন

১৯৩. ঔষধ তৈরির জন্য কোন প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করা হয়?  (জ্ঞান)

  পাতন খ ক্লোরিনেশন গ স্ফুটন ঘ পরিস্রাবণ

১৯৪. পরিস্রাবণ পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় কোনটি?  (জ্ঞান)

 ক ক্লোরিন গ্যাস খ ওজোন গ্যাস

  বালির স্তর  ঘ পাথরের স্তর

১৯৫. একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে বাষ্পে ও পরে বাষ্পকে ঠা  া করা হয় কোন প্রক্রিয়ায়?   (জ্ঞান)

 ক স্ফুটন খ পরিস্রাবণ  পাতন ঘ ক্লোরিনেশন

১৯৬. ওজোনের রাসায়নিক সংকেত কোনটি? (জ্ঞান)

 ক O Oগ O4 ঘ O8

১৯৭. পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য কোন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়? (জ্ঞান)

 ক Ca (OCl) Cl  NaOCl গ CaOCl ঘ NaCl

১৯৮. পানিকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য স্ফুটন শুরু হওয়ার পর আরও কতক্ষণ ফুটানো প্রয়োজন?  (জ্ঞান)

 ক ৪-৫ মিনিট খ ৫-১০ মিনিট

  ১৫-২০ মিনিট ঘ ২০-২৫ মিনিট

১৯৯. ওজোন গ্যাসে কয়টি অক্সিজেন পরমাণু থাকে? (জ্ঞান)

 ক ১ খ ২  ৩ ঘ ৪

২০০. কোনটি দ্বারা পানিতে থাকা রোগ জীবাণু ধ্বংস করা যায়? (জ্ঞান)

 ক আর্সেনিক খ সোডিয়াম লাইট

  অতিবেগুনি রশ্মি ঘ এক্সরে রশ্মি

   বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২০১. পানিতে অদ্রবণীয় বস্তুসমূহকে আলাদা করা হয় (প্রয়োগ)

 র. অভিস্রবণ দ্বারা

 রর. পরিস্রাবণ দ্বারা

 ররর. পাতন দ্বারা

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র   রর গ ররর ঘ রর ও ররর

২০২. পানিকে জীবাণুমুক্ত করা হয়   (অনুধাবন)

 র. Cl2 গ্যাস দ্বারা

 রর. স্ফুটন করে

 ররর. CO2গ্যাস দ্বারা

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  খ রর ˜ র ও রর ঘ র ও ররর

২০৩. অতিবেগুনি রশ্মি    (উচ্চতর দক্ষতা

 র. পানিকে বিশুদ্ধ করে

 রর. ত্বকে ভিটামিন D সংশ্লেষ করে

 ররর. জীবাণু ধ্বংস করে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  খ র ও রর গ র ও ররর ˜ র, রর ও ররর

২০৪. অত্যন্ত বিশুদ্ধ পানি দরকার হয়   (অনুধাবন)

 র. খাওয়ার জন্য

 রর. ওষুধ তৈরির কাজে

 ররর. সেচকাজে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ˜ রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

২০৫. পানি বিশুদ্ধকরণের উপায়    (অনুধাবন)

 র. পরিস্রাবণ

 রর. ক্লোরিনেশন ও স্ফুটন

 ররর. পাতন ও হ্যালোজেন ট্যাবলেট

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

২০৬. পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায় পানি থেকে দূর হয় (অনুধাবন)

 র. জীবাণু

 রর. অদ্রবণীয় পদার্থ

 ররর. আর্সেনিক জাতীয় পদার্থ

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  রর গ ররর ঘ র ও রর

২০৭. পানি বিশুদ্ধের জন্য ক্লোরিনেশন প্রক্রিয়ায় (অনুধাবন)

 র. পানি জীবাণুমুক্ত হয়

 রর. NaOCl ব্যবহৃত হয়

 ররর. O3 গ্যাস ব্যবহার করা যায়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

২০৮. পানিকে জীবাণুমুক্ত করা যায়-  (প্রয়োগ)

 র. পরিস্রাবণ পদ্ধতি ব্যবহার করে

 রর. ক্লোরিনেশনের মাধ্যমে

 ররর. স্ফুটন করে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

২০৯. শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতির ক্ষয় সাধনকারী পানি- (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. কৃষিকাজের অনুপযোগী

 রর. প্রচুর লবণযুক্ত পানি

 ররর. সামুদ্রিক পানি

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

উদ্দীপকের আলোকে ২১০ ২১১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

শহিদুলরা গ্রামে থাকে। কাছাকাছি কোনো নলকূপ না থাকায় তারা পুকুরের পানি পান করে। স্বাস্থ্যকর্মী গিয়ে তাদের এক ধরনের ট্যাবলেট দিলেন পানি জীবাণুমুক্ত করার জন্য।

২১০. স্বাস্থ্যকর্মীর দেওয়া ট্যাবলেটটির নাম কী?  (জ্ঞান)

 ক টেট্রাসাইক্লিন খ সোডিয়াম ক্লোরাইড

  সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ঘ সোডিয়াম বাইকার্বোনেট

২১১. স্বাস্থ্যকর্মীর ট্যাবলেট দ্বারা বিশুদ্ধকরণ ব্রিক্রিয়াটি- (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. পানিতে ব্লিচিং পাউডার যোগের অনুরূপ

 রর. পানিতে ক্লোরিন গ্যাস যোগের অনুরূপ

 ররর. পানিতে ওজোন গ্যাস যোগের অনুরূপ

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

উদ্দীপকের আলোকে ২১২ ২১৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

শাকিলা তার বাসায় পানি ফুটিয়ে ঠা  া করে পান করে। তিনি সবাইকে এভাবে পানি পান করার জন্য উপদেশ দেন।

২১২. প্রক্রিয়াটি কী?  (প্রয়োগ)

 ক পাতন  স্ফুটন গ ক্লোরিনেশন ঘ পরিস্রাবণ

২১৩. ওই প্রক্রিয়ায় পানি-  (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. জীবাণুমুক্ত করা হয়

 রর. বিশুদ্ধকরণ সহজ ও সাশ্রয়ী হয়

 ররর. অদ্রবণীয় পদার্থ দূরীভূত হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

উদ্দীপকের আলোকে ২১৪ ২১৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

বাষ্পীভবন ও ঘনীভবন করে পানি বিশুদ্ধকরণ করা হয়।

২১৪. উদ্দীপকের পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াটির নাম কী?  (প্রয়োগ)

 ক পরিস্রাবণ খ স্ফুটন  পাতন ঘ ক্লোরিনেশন

২১৫. উদ্দীপকের পানির বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াটি- (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. ঔষধ তৈরির কারখানায় ব্যবহৃত হয়

 রর. বাসাবাড়িতে ব্যবহার করা হয়

 ররর. ব্যবহারে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

বাংলাদেশের পানির উৎস দূষণের কারণ   পৃষ্ঠা :  ৩৫-৩৭

  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২১৬. পানিতে সিসা থাকলে মানবদেহে দেখা দিতে পারে- (্জ্ঞান)

  মস্তিষ্কে রোগ খ বিকলাঙ্গ

 গ ফুসফুসে ক্যান্সার  ঘ পাকস্থলীর রোগ

২১৭. বিশুদ্ধ পানির স্বাদ কেমন?  (জ্ঞান)

 ক সামান্য মিষ্টি স্বাদ খ নোনতা স্বাদ

  স্বাদহীন ঘ সামান্য তেঁতোস্বাদ

২১৮. কঠিন বর্জ্য কত দিনের মধ্যে পচতে শুরু করে?  (জ্ঞান)

  ১-২ খ ২-৩ গ ৩-৪ ঘ ৪-৫

২১৯. বুড়িগঙ্গার পানি দূষণের প্রধান কারণ কোনটি? (জ্ঞান)

 ক সার কারখানা খ কাগজ তৈরির কারখানা

  চামড়া তৈরির কারখানা ঘ চিনি কল

২২০. কিসের পানি সাধারণত রোগ জীবাণু মুক্ত থাকে? (জ্ঞান)

 ক নদনদীর  ভূগর্ভস্থ গ পুকুরের ঘ মহাসাগরের

২২১. পানিবাহিত রোগ কোনটি?   (জ্ঞান)

 ক বসন্ত  আমাশয় গ হাম ঘ ম্যালেরিয়া

২২২. কোনটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ? (জ্ঞান)

 ক আর্সেনিক খ সিসা গ পারদ  থোরিয়াম

২২৩. মানবদেহে কিডনির সমস্যা হয় পানিতে কোন পদার্থ থাকলে?  (জ্ঞান)

  সিসা খ পারদ গ আর্সেনিক ঘ রেডন

২২৪. পানিতে আর্সেনিক থাকলে কোন রোগটি হয়?  (জ্ঞান)

 ক আলসার খ রক্তশূন্যতা

 গ নেফ্রাইটিস  আর্সেনিকোসিস

২২৫. কোনটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়?  (জ্ঞান)

 ক রেডন  আর্সেনিক গ ইউরেনিয়াম ঘ থোরিয়াম

২২৬. মানবদেহে ক্যান্সার ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ সৃষ্টি করে কোন পাদর্থগুলো?  (জ্ঞান)

 ক সোডিয়াম ও পারদ  আর্সেনিক ও রেডন

 গ লৌহ ও রেডন ঘ সিসা ও ইউরেনিয়াম

২২৭. কোন মৌলটি বিকলাঙ্গ ঘটায়?  (প্রয়োগ)

 ক Ag খ Fe গ Zn  Hg

২২৮. পানিতে কোনটির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে শরীর জ্বালাপোড়া করে? (জ্ঞান)

 ক পারদ খ ক্যালসিয়াম  সিসা ঘ আর্সেনিক

২২৯. শিল্প কারখানার বর্জ্যে বাংলাদেশের কোন নদী অধিক দূষিত হয়ে পড়ছে? (জ্ঞান)

 ক শীতলক্ষ্যা  বুড়িগঙ্গা গ ব্রহ্মপুত্র ঘ ধলেশ্বরী

২৩০. প্রাণীশূন্য হয়ে পড়া নদীকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)

 ক জরাজীর্ণ নদী খ বর্জ্য নদী  মরা নদী ঘ কালো নদী

২৩১. এরি হ্রদ আমেরিকার কোন অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত? (জ্ঞান)

 ক আরাকানসাস খ আলাবামা গ কলরাডো  ওহাইও

২৩২. শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্যরে কারণে আমেরিকার কোন হ্রদকে মরা হ্রদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়?  (জ্ঞান)

 ক বৈকাল  এরি গ সুপিরিয়র ঘ হুরন

২৩৩. কত সালে এরি হ্রদকে মরা হ্রদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়? (জ্ঞান)

 ক ১৯৫০  ১৯৬০ গ ১৯৭০ ঘ ১৯৮০

২৩৪. কোন ধরনের কারখানার সৃষ্ট বর্জ্যে এরি হ্রদের ফসফেটের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল?  (জ্ঞান)

 ক সার কারখানা খ ট্যানারি

  ডিটারজেন্ট ঘ কাগজ তৈরির কারখানা

২৩৫. কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এরি হ্রদের প্রাণীর অস্তিত্ব ফিরে আসে? (জ্ঞান)

 ক বর্জ্য পানি নাইট্রোজেনমুক্ত করার পদক্ষেপ

 খ বর্জ্য পানি ক্লোরিনমুক্ত করার পদক্ষেপ

 গ বর্জ্য পানি আর্সেনিকমুক্ত করার পদক্ষেপ

  বর্জ্য পানি ফসফরাসমুক্ত করার পদক্ষেপ

২৩৬. আমাদের দেশের কোন নদীর অবস্থা এরি হ্রদের মতো? (জ্ঞান)

 ক শীতলক্ষ্যা  বুড়িগঙ্গা গ ধলেশ্বরী ঘ কপোতাক্ষ

২৩৭. পানিতে থাকা কোন ধাতব উপাদান ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে?  (জ্ঞান)

  আর্সেনিক খ সিসা গ পারদ ঘ ক্যালসিয়াম

২৩৮. জাপানের ফুকুশিমা শহরের পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ কবে ছড়িয়ে পড়ে?  (জ্ঞান)

 ক ১১ মার্র্চ, ২০১০  ১১ মার্চ, ২০১১

 গ ১১ মার্চ, ২০১২ ঘ ১১ মার্চ, ২০০৯

২৩৯. পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়লে তা থেকে মানবদেহে কোন রোগ সৃষ্টি হতে পারে?  (জ্ঞান)

 ক রক্তশূন্যতা খ জন্ডিস গ কিডনি বিকল  ক্যান্সার

২৪০. জাপানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানিতে কী কারণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে?  (জ্ঞান)

 ক ঝড় খ যন্ত্রপাতি  সুনামি ঘ জলোচ্ছ্বাস

২৪১. বর্জ্য পানি সর্বশেষ কোথায় গিয়ে পড়ে? (অনুধাবন)

 ক পুকুরে ˜ নদনদীতে গ নর্দমায় ঘ খালবিলে

২৪২. বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণে সর্বাধিক ভূমিকা রেখে চলেছে কোন শিল্প?

  (অনুধাবন)

 ক গার্মেন্টস খ রং ও ডাইং কারখানা

 ˜ ট্যানারি ঘ প্লাস্টিক

২৪৩. নদী দূষণের প্রাকৃতিক কারণ কোনটি? (অনুধাবন)

 ক বৃষ্টিপাত খ খরা গ ভূমিকম্প ˜ নদীভাঙন

২৪৪. দূষিত পানি পান করলে মানুষ কোন রোগে আক্রান্ত হয়? (অনুধাবন)

 ক ডিপথেরিয়া খ এইডস গ ক্যান্সার ˜ টাইফয়েড

২৪৫. ১৯৬০ সালে আমেরিকার এরি হ্রদে কী বেড়ে যাওয়ায় এটিকে মরা হ্রদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়?  (অনুধাবন)

 ক পানিতে গ্লুকোজের মাত্রা  খ পানিতে সুগারের মাত্রা

 ˜ পানিতে ফসফেটের মাত্রা  ঘ পানিতে গাছপালার ধ্বংসাবশেষ

২৪৬. নিচের কোনটির উপস্থিতি পানিতে বসবাসকারী উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য খুবই ক্ষতিকর?  (অনুধাবন)

 ক ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড খ খাবার সোডা

 ˜ এসিড-ক্ষার ঘ লবণ

২৪৭. পানিতে খুব বেশি পরিমাণের কোন ধাতব উপাদান মানুষের দেহে রোগের কারণ হতে পারে?  (অনুধাবন)

 ক সোডিয়াম ˜ সিসা গ ক্যালসিয়াম ঘ আয়রন

২৪৮. পানীয় পানিতে কী থাকলে কিডনি বিকল হতে পারে? (অনুধাবন)

 ক আর্সেনিক খ পারদ ˜ সিসা ঘ লবণ

২৪৯. নিচের উক্তি দুটির ভিত্তিতে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন কর (উচ্চতর দক্ষতা)

র. হেপাটাইটিস-বি পানিবাহিত সংক্রামক রোগ।

 রর. হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণের কারণে অনেক নদী প্রাণীশূন্য হয়ে পড়ে।

 ক (র)  ও (রর) উভয় ভুল  (র)সঠিক কিন্তু (রর) ভুল

 গ (র) ভুল কিন্তু (রর)সঠিক ঘ (র) ও (রর) উভয় সঠিক

২৫০. পানিতে কোনটির অভাবে জলজ প্রাণী মরে যায়?  (অনুধাবন)

 ক H2খ CO2 O2ঘ N2

২৫১. কোনটির দ্বারা পানি দূষণের কারণে মানুষের মস্তিষ্ক ও ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়?  (অনুধাবন)

  পারদ খ আর্সেনিক গ সিসা ঘ দস্তা

২৫২. ইউরেনিয়াম একটি  (অনুধাবন)

 ক অজৈব পদার্থ খ জৈব পদার্থ

 গ ধাতব পদার্থ  তেজস্ক্রিয় পদার্থ

২৫৩. শিল্প ও পারমাণবিক কারখানার কোন বর্জ্যগুলো পানিকে দূষণ করছে’?  (প্রয়োগ)

 ক পারদ ও লৌহ খ পারদ, সিসা ও দস্তা

 গ আর্সেনিক ও লৌহ ˜ আর্সেনিক, পারদ ও ইউরেনিয়াম

২৫৪. নদনদীর পানি দূষণের অন্যতম কারণ হলো   (উচ্চতর দক্ষতা)

 ক যত্রতত্র পলিথিন ব্যবহার খ জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার

 ˜ শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্য ঘ গৃহস্থ কাজে সৃষ্ট বর্জ্য

২৫৫. পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ কীভাবে আসতে পারে? (উচ্চতর দক্ষতা)

 ˜ খনিজ পদার্থ আহরণের সময়

 খ শিল্প কারখানার পানি নিষ্কাশনের সময়

 গ জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহারের সময়

 ঘ জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের সময়

   বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৫৬. জলাভূমিতে প্রচুর শ্যাওলা জন্মাতে সাহায্য করে (প্রয়োগ)

 র. লৌহের মাত্রা বেড়ে গেলে

 রর. ফসফেটের মাত্রা বেড়ে গেলে

 ররর. নাইট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে গেলে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

২৫৭. বৃষ্টি বা বন্যায় কৃষি জমি প্লাবিত হলে পানি দূষণ ঘটায়- (অনুধাবন)

 র. জৈব সার

 রর. কীটনাশক

 ররর. রাসায়নিক সার

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

২৫৮. বাংলাদেশের বেশিরভাগ নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ছে   (অনুধাবন)

 র. শিল্প কারখানার বর্জ্যপদার্থে

 রর. রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে

 ররর. নৌযান থেকে নিঃসৃত তেল জাতীয় পদার্থের মাধ্যমে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

২৫৯. পানিবাহিত রোগ    (প্রয়োগ)

 র. টাইফয়েড ও কলেরা

 রর. আমাশয় ও হেপাটাইটিস বি

 ররর. জলাতঙ্ক ও এইডস

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র খ রর ˜ র ও রর ঘ রর ও ররর

২৬০. বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকার ভূগর্ভস্থ পানিতে পাওয়া গেছে- (প্রয়োগ)

 র. লৌহ

 রর. পারদ

 ররর. আর্সেনিক

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র খ রর ˜ ররর ঘ র ও রর

২৬১. পানিতে অক্সিজেনের স্বল্পতা সৃষ্টি হয়   (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদ পচে গেলে

 রর. পানিতে ময়লা আবর্জনা ফেললে

 ররর. পানিতে অজৈব ও ধাতব পদার্থের মিশ্রণ ঘটলে

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

২৬২. পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের কারণে হয় (প্রয়োগ)

 র. ত্বকের ক্যান্সার

 রর. ফুসফুসের ক্যান্সার

 ররর. পাকস্থলীর রোগ

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

২৬৩. পানির সাথে পারদ গ্রহণে মানবদেহে যেসব রোগ হতে পারে (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. মস্তিষ্কের বিকল হওয়া

 রর. ত্বকের ক্যান্সার

 ররর. বিকলাঙ্গ হওয়া

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

২৬৪. সিসাযুক্ত পানি পান করলে-  (অনুধাবন)

 র. আর্সেনিকোসিস রোগ হয়

 রর. রক্তশূন্যতা দেখা দেয়

 ররর. কিডনি বিকল হতে পারে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

২৬৫. আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে-  (অনুধাবন)

 র. বিতৃষ্ণাবোধ হয়

 রর. ত্বকের ক্যান্সার হয়

 ররর. পাকস্থলীর রোগ হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

২৬৬. পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উৎস-  (অনুধাবন)

 র. অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

 রর. পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানার বর্জ্য

 ররর. পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কারখানার বর্জ্য

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

২৬৭. পানিদূষণকারী ধাতব পদার্থ হচ্ছে- (অনুধাবন)

 র. পারদ

 রর. লৌহ

 ররর. আর্সেনিক

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

উদ্দীপকের আলোকে ২৬৮ ২৬৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

কিছুকিছু রাসায়নিক দ্রব্য বেশি পরিমাণ নদীর পানিতে মিশ্রিত থাকলে তা নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যায়।

২৬৮. উল্লিখিত দ্রবীভূত পদার্থের সাথে কোনটি বিক্রিয়া করে?  (অনুধাবন)

 ক আর্সেনিক খ ওজোন

  মৃত শ্যাওলা ঘ ক্যালসিয়াম লবণ

২৬৯. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনার ফলে-  (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্যে নেমে আসতে পারে

 রর. ওই নদী বেশ কিছুদিন পর মরা নদীতে পরিণত হতে পারে

 ররর. ওই নদীতে প্রচুর শ্যাওলা জন্মাতে পারে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

উদ্দীপকের আলোকে ২৭০-২৭২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

সুনামির কারণে ফুকুশিমা শহরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা থেকে প্রচুর তেজস্ক্রিয় পদার্থ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পানি থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্যেও প্রচুর তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে।

২৭০. উদ্দীপকে উল্লিখিত দুর্ঘটনাটি কত তারিখে ঘটেছিল?  (জ্ঞান)

 ক ১ মে, ২০১০  ১১ মার্চ, ২০১১

 গ ১২ মার্চ, ২০১১ ঘ ১১ মার্চ, ২০১২

২৭১. উদ্দীপকের ঘটনা ছাড়া তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে পানি দূষিত হতে পারে-  (উচ্চতর দক্ষতা)

  খনিজ পদার্থ আহরণের সময়

 খ ভূগর্ভস্থ পানির দ্বারা সেচের মাধ্যমে

 গ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্যরে দ্বারা

 ঘ লঞ্চ থেকে ফেলা বর্জ্যরে দ্বারা

২৭২. উদ্দীপকে উল্লিখিত তেজস্ক্রিয় পদার্থ মানবদেহে সৃষ্টি করতে পারে- (অনুধাবন)

 র. ক্যান্সার

 রর. শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ

 ররর. টাইফয়েড

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

মিঠা পানিতে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব  পৃষ্ঠা : ৩৭ ৩৮

  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৭৩. বিগত ১০০ বছরে গড় বৈশ্বিক উষ্ণতা কত বেড়েছে? (জ্ঞান)

  1° সেলসিয়াস খ ২° সেলসিয়াস

 গ ৩° সেলসিয়াস ঘ ৪° সেলসিয়াস

২৭৪. গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠে? (জ্ঞান)

 ক ৪৫° সেলসিয়াস খ ৪৬° সেলসিয়াস

  ৪৭° সেলসিয়াস ঘ ৪৮° সেলসিয়াস

২৭৫. বৈশ্বিক উষ্ণতা বলতে কী বোঝায়?  (অনুধাবন)

 ˜ বিশ্বের বায়ুম  লের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া

 খ বিশ্বের বায়ুম  লে CO2 গ্যাস বেড়ে যাওয়া

 গ বিশ্বের বায়ুম  লে O2 গ্যাস বেড়ে যাওয়া

 ঘ বিশ্বের বায়ুম  লে তাপ ও চাপ বেড়ে যাওয়া

২৭৬. বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কোনটি?  (অনুধাবন)

 ক স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন ˜ পরিবেশ বিপর্যয়

 গ অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টি ঘ জীবনযাত্রার নিশ্চয়তা

২৭৭. বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মিঠা পানি আহরণে ভূমিকা রাখছে   

  (অনুধাবন)

 ক খালবিল খ নদনদী গ সাগর ˜ বৃষ্টিপাত

২৭৮. বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মূল কারণ হলো কোনটি?  (অনুধাবন)

 ক পুনঃআবর্তন চক্র ˜ লবণাক্ত পানির প্রভাব

 গ রাসায়নিক সারের প্রভাব ঘ রাসায়নিক বর্জ্যরে প্রভাব

২৭৯. বৈশ্বিক উষ্ণতা ও লবণাক্ততার ফলে পানিতে নিচের কোনটি ঘটবে? 

   (উচ্চতর দক্ষতা)

  দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যাবে

 খ দ্রবীভূত অক্সিজেন বেড়ে যাবে

 গ দ্রবীভূত অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড কমে যাবে

 ঘ দ্রবীভূত অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড বেড়ে যাবে

২৮০. বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জেলায় নালা কেটে লবণাক্ত পানি মূল ভূখ  ে আনা হচ্ছে কেন?  (প্রয়োগ)

 ক সেচের জন্য খ মাছ চাষের জন্য

  চিংড়ি চাষের জন্য ঘ ধান চাষের জন্য

২৮১. বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মূল ভূখ  ের পানি ক্রমশ লোনা হয়ে যাচ্ছে কী কারণে?  (প্রয়োগ)

 ক কৃষিকাজের কারণে খ সেচের কারণে

 গ জলোচ্ছ্বাসের কারণে  চিংড়ি চাষের কারণে

২৮২. বর্তমানে বায়ুম  লের গড় তাপমাত্রা ৩০ঈ হলে ১০০ বছর আগে তা কত ছিল?  (অনুধাবন)

 ক ২৮°C  ২৯°C গ ৩০°C ঘ ৩১°C

২৮৩. বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে কোনটি ঘটবে? (অনুধাবন)

 ক পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে

 খ পানির লবণাক্ততা হ্রাস পাবে

  মেরু অঞ্চলের বরফ সমুদ্রের পানির বৃদ্ধি ঘটাবে

 ঘ পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের বৃদ্ধি ঘটাবে

২৮৪. বাংলাদেশের কোন জেলায় চিংড়ি চাষের জন্য নালা কেটে লবণাক্ত পানি মূল ভূখ  ে আনা হয়?   (জ্ঞান)

 ক মৌলভীবাজার খ বাগেরহাট  সাতক্ষীরা ঘ যশোর

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৮৫. বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবে    (প্রয়োগ)

 র. সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে

 রর. পৃথিবীতে সঞ্চিত বরফ গলতে শুরু করবে

 ররর. নিচু দেশসমূহ সাগরে তলিয়ে যাবে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

২৮৬. বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে তার প্রমাণ (অনুধাবন)

 র. শীতকালে আগের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি

 রর. গ্রীষ্মকালে বেশি গরম

 ররর. সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

২৮৭. পৃথিবীর বায়ুম  লের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে (অনুধাবন)

 র. মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করবে

 রর. মিঠা পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি ঘটবে

 ররর. মিঠা পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যাবে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

   অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৮৮ ২৮৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে মিঠা পানিতে লোনা পানির প্রবেশ ঘটে। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় চিংড়ি চাষের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবেও এ কাজটি করা হয়। এতে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের জলবায়ু শরণার্থীতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

২৮৮. উদ্দীপকে উল্লিখিত উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ কত তাপমাত্রা ওঠে?   (অনুধাবন)

 ক ২৭°সে. খ ৩৭°সে.  ৪৭°সে. ঘ ৫৭°সে.

২৮৯. উল্লিখিত এলাকায়-  (প্রয়োগ)

 র. মিঠা পানির উৎস লবণাক্ত হয়ে যাচ্ছে

 রর. তীব্র পানি সংকট দেখা যাচ্ছে

 ররর. লোকজন পুকুরের পানি পান করে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৯০ ২৯১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষণ করছি। পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের দেশসহ বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে। খরা, ঝড়, বন্যা, সুনামি ইত্যাদি দেখা দিচ্ছে দেশে দেশে।

২৯০. উক্ত দূষণের জন্য কে দায়ী?   (অনুধাবন)

 ˜ মানুষ খ গাছপালা গ প্রকৃতি ঘ জীবজন্তু

২৯১. বায়ুম  লের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে ফলে   (প্রয়োগ)

 র. পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে

 রর. মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে

 ররর. প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক থাকছে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র খ রর ˜ র ও রর ঘ র ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদ পড় এবং ২৯২ ২৯৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরা নানারকম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। অসময়ে অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি ঘটছে। প্রতি বছরই ভয়াবহ বন্যা দেখা দিচ্ছে। মাটির লবণাক্ততা বেড়ে কৃষিজমির ক্ষতি হচ্ছে।

২৯২. উক্ত পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা কে রাখে? (অনুধাবন)

 ক গাছপালা ˜ মানুষ গ ভূমিকম্প ঘ পশুপাখি

২৯৩. উক্ত পরিবর্তনের প্রভাব  (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. মরুকরণ

 রর. লবণাক্ততা বৃদ্ধি

 ররর. অসময়ে বৃষ্টিপাত

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র খ র ও রর গ র ও ররর ˜ র, রর ও ররর

বাংলাদেশে পানিদূষণের প্রতিরোধের কৌশল এবং নাগরিকের দায়িত্ব  পৃষ্ঠা : ৩৮-৪২

  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৯৪. ইটিপি তৈরী নির্ভর করে-  (উচ্চতর দক্ষতা)

  কী ধরনের ক্ষতিকর বর্জ্য পানিতে বিদ্যমান

 খ কী ধরনের মাছ পানিতে বিদ্যমান

 গ কত প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ বিদ্যমান

 ঘ কত পরিমাণে নাইট্রোজেন  বিদ্যমান

২৯৫. পানি পরিশোধন ব্যবস্থা ETP ব্যবহার হয় কী উদ্দেশ্যে? (জ্ঞান)

 ক শহরাঞ্চলের পানি দূষণ দূরীকরণ

  শিল্প কারখানায় বর্জ্য পরিশোধনে

 গ মাটির ক্ষয়জনিত দূষণ প্রতিরোধে

 ঘ লঞ্চ, স্টিমার থেকে ফেলা বর্জ্য পরিশোধনে

২৯৬. মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং ক্ষয়রোধ করে কোনটি? (জ্ঞান)

 ক রাসায়নিক সার  জৈব সার

 গ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস ঘ ময়লা আবর্জনা

২৯৭. ফসলের ধরন পরিবর্তন করে মাটির কোনটি করা যায়? (জ্ঞান)

 ক দূষণ বৃদ্ধি  দূষণ রোধ গ উর্বরতা বৃদ্ধি ঘ উর্বরতা হ্রাস

২৯৮. দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোন নদীটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জন্য মরে গেছে?  (প্রয়োগ)

 ক বড়াল  হামকুড়া গ মনোজ ঘ সুরমা

২৯৯. কত সালে ভারত সরকার গঙ্গার পানির গতিপথ পরিবর্তন করে? (জ্ঞান)

 ক ১৯৭০ খ ১৯৭২  ১৯৭৫ ঘ ১৯৮০

৩০০. কত সালে গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হয়?  (জ্ঞান)

 ক ১৯৭৫  ১৯৭৭ গ ১৯৮৫ ঘ ১৯৮৭

৩০১. আমাদের দেশের বেশির ভাগ নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়? (জ্ঞান)

 ক চীনে  ভারতে গ মায়ানমারে ঘ পাকিস্তানে

৩০২. ভারত ব্রহ্মপুত্র নদের পানির গতিপথ পরিবর্তন করলে বাংলাদেশের কত কিলোমিটার এলাকার পানি সম্পদে বিপর্যয় নেমে আসবে? (জ্ঞান)

 ক প্রায় ২০০ বর্গকিলোমিটার  প্রায় ৩০০ বর্গকিলোমিটার

 গ প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার ঘ প্রায় ৮০০ বর্গকিলোমিটার

৩০৩. ভারত টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ করলে বাংলাদেশের কোন অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হবে?  (জ্ঞান)

  পূর্বাঞ্চল খ পশ্চিমাঞ্চল গ উত্তরাঞ্চল ঘ দক্ষিণাঞ্চল

৩০৪. কংক্রিটের বদলে কী ব্যবহার করা হলে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে জমা হতে পারে?  (জ্ঞান)

 ক ইটের ঢালাই  গ্রাভেল গ মার্বেল ঘ চিমনি

৩০৫. ভূগর্ভে পানি সঞ্চালনে নিচের কোনটি সাহায্য করে? (অনুধাবন)

 ক পানিদূষণ খ জলাশয় খনন গ বন্যানিয়ন্ত্রণ ˜ বনভূমি

৩০৬. পানিদূষণ রোধে নিচের কোনটি জনসচেতনতামূলক কাজ? (অনুধাবন)

 ক ভূগর্ভে পানি সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা

 খ বন্য প্রাণী নিধন বন্ধ করা

 ˜ বৃক্ষরোপণ নিয়ে র‌্যালির আয়োজন করা

 ঘ জলাভূমি খনন করা

৩০৭. কোন নদীটির পানির গতিপথ পরিবর্তনের কারণেই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের অনেক নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে? (জ্ঞান)

 ক বিবিয়ানা খ মেঘলা  গঙ্গা ঘ বুড়িগঙ্গা

৩০৮. ভারত কোন নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে শিলিগুড়ি দিয়ে পশ্চিমাঞ্চলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে?  (জ্ঞান)

 ক মেঘনা খ করতোয়া ˜ ব্র‏হ্মপুত্র ঘ গঙ্গা

৩০৯. উন্নয়ন ও  একে অপরের পরিপূরক। শূন্যস্থানে কী বসবে? (অনুধাবন)

 ক অর্থনীতি খ জীবন ˜ পানি ঘ অবকাঠামো

৩১০. বাগেরহাটের উপকূলীয় অঞ্চলে মিঠা পানির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এর কারণ কোনটি?  (প্রয়োগ)

 ক জলাশয়ের শুষ্কতা খ বননিধন

 ˜ সমুদ্রের লবণাক্ত পানি ঘ জমিতে সারের ব্যবহার

৩১১. তরল বর্জ্য থেকে পরিবেশ দূষণ রোধের উপায় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)

 ক বর্জ্য পোড়ানো  ˜ বর্জ্যরে পরিশোধন

 গ বর্জ্য জমিয়ে রাখা ঘ বর্জ্য ঢেকে রাখা

৩১২. নদীর গতিপথ পরিবর্তনের প্রধান কারণ কোনটি? (অনুধাবন)

  নদীভাঙন খ নদী খনন

 গ নদীর পানি বৃদ্ধি ঘ অতি বৃষ্টি

৩১৩. করতোয়া একটি  (অনুধাবন)

 ক খরস্রোতা নদী  মরা নদী গ খাল ঘ বিল

৩১৪. বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে করতোয়া ও বিবিয়ানা নদীর জন্য সঠিক উক্তি কোনটি?  (উচ্চতর দক্ষতা)

 ক এগুলো খরস্রোতা নদী খ এগুলো এখন খাল

  এগুলো মরা নদী ঘ এগুলো এখন বিল

৩১৫. নিচের কোন নদী দখলের কারণে এখন প্রায় মরতে বসেছে? (অনুধাবন)

 ক পদ্মা খ রূপসা  শীতলক্ষ্যা ঘ গড়াই

৩১৬. দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের কারণে প্রায় মরে গেছে এমন নদী কোনগুলো?  (অনুধাবন)

 ক বড়াল এবং কুমার খ ভৈরব এবং মনোজ

 ˜ হামকুড়া এবং হরিহর ঘ করতোয়া এবং শিবসা

৩১৭. পানি সম্পদের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে কোনটি?  (অনুধাবন)

 ˜ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ খ কারেন্ট জালের ব্যবহার

 গ অবাধে মৎস্য আহরণ ঘ নৌযান থেকে তেল নিঃসরণ

৩১৮. শিল্প কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যে ঢাকার কাছে নিচের কোন নদী প্রায় মরতে বসেছে?  (অনুধাবন)

 ক বংশী ˜ বালু গ ধলেশ্বরী ঘ মেঘনা

৩১৯. নদী পানিশূন্য হয়ে প্রায় মরুভূমি অবস্থা বিরাজ করছে বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে?  (অনুধাবন)

 ক পশ্চিমাঞ্চল ˜ উত্তরাঞ্চল গ দক্ষিণাঞ্চল ঘ মধ্যাঞ্চল

৩২০. বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর পানিশূন্যতার জন্য ভূমিকা রাখছে কোন বাঁধ?  (প্রয়োগ)

 ক টিপাইমুখ বাঁধ খ ব্রহ্মপুত্র বাঁধ ˜ ফারাক্কা বাঁধ ঘ তিস্তা বাঁধ

৩২১. সমুদ্রের পানির উচ্চতা ২ মিটার বাড়লে বাংলাদেশের প্রায় কতভাগ ভূমি পানির নিচে তলিয়ে যাবে?  (জ্ঞান)

 ক এক-তৃতীয়াংশ খ এক-পঞ্চমাংশ

 গ এক-অষ্টমাংশ  এক-দশমাংশ

৩২২. ঢাকা শহরে দৈনিক কী পরিমাণ কঠিন বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান)

 ক প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন  প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন

 গ প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন ঘ প্রায় ৭০০ মেট্রিক টন

৩২৩. গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে সর্বশেষ কত সালে ভারতের সাথে চুক্তি সম্পাদিত হয়?  (জ্ঞান)

 ক ১৯৭৭ খ ১৯৯১  ১৯৯৬ ঘ ২০০১

৩২৪. জমিতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে কোনটি? (অনুধাবন)

 ক ইউরিয়া সার খ কৃত্রিম সার  জৈব সার ঘ বৃক্ষরোপণ

   বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩২৫. শহরাঞ্চলে পানি দূষণ প্রতিরোধ করা যেতে পারে- (অনুধাবন)

 র. বাসাবাড়ির ছাদে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে

 রর. গ্রাভেল জাতীয় ছিদ্রযুক্ত পদার্থ ব্যবহার করে

 ররর. বড় গর্ত বা খাল তৈরি করে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩২৬. শহরাঞ্চলে পানি দূষণের কারণ-  (অনুধাবন)

 র. নদীর তীরে কারখানা স্থাপন

 রর. জনগণের অসচেতনতা

 ররর. অপরিকল্পিত নগরায়ন

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

৩২৭. আমাদের দেশে নদীর পানির গতিপথের পরিবর্তন হয়েছে- (অনুধাবন)

 র. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের ফলে

 রর. নদী দখল করে আবাসিক এলাকা গড়ার ফলে

 ররর. বন্যা ও মাটির ক্ষয়জনিত কারণে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

৩২৮. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জন্য যেসব নদী মরে গেছে সেগুলো হলো-  (অনুধাবন)

 র. মনোজ

 রর. হামকুড়া

 ররর. পদ্মা

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩২৯. আমাদের দেশে মরা নদী হচ্ছে-  (অনুধাবন)

 র. করতোয়া

 রর. বিবিয়ানা

 ররর. সুরমা

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৩০. নিচু জলাভূমি পানি ধারণ করা ছাড়া আর যেসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে    (প্রয়োগ)

 র. বন্যা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে

 রর. পরিবেশের ক্ষতিকর পদার্থ শোষণ করে

 ররর. ভূগর্ভ ও নদীতে বিশুদ্ধ পানি সঞ্চালন করে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

৩৩১. আমাদের পানির উৎসসমূহ যেসব হুমকির মধ্যে রয়েছে  (অনুধাবন)

 র. জলবায়ু পরিবর্তন

 রর. শিল্প কারখানার সৃষ্ট

 ররর. বনভূমি নিধন

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

৩৩২. আমাদের দেশের নদীগুলির জন্য মারাত্মক হুমকি  (প্রয়োগ)

 র. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

 রর. নদীভাঙন

 ররর. পরিশোধিত বর্জ্য

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  খ রর  র ও রর ঘ র, রর ও ররর

৩৩৩. খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নির্ভরশীল- (অনুধাবন)

 র. পানির ওপর 

 রর. মাটির ওপর

 ররর. সম্পদের ওপর

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৩৪. শহর অঞ্চলের বৃষ্টির পানি যাবতীয় ময়লা ও আবর্জনা বহন করে দূষিত করছে   (প্রয়োগ)

 র. নদীর পানিকে

 রর. জলাশয় ও হ্রদের পানিকে

 ররর. ভূগর্ভস্থ পানিকে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  খ রর  র ও রর ঘ রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদ পড় এবং ৩৩৫ ৩৩৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

হৃদয়দের বাড়ি চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায়। সেখানে টিউবওয়েলে মাঝে মাঝে পানি ওঠে না। হৃদয় বৃষ্টির পানি সংগ্রহ নিয়ে চিন্তা করে।

৩৩৫. টিউবওয়েল ছাড়া পানি সংগ্রহের বিকল্প উৎস হতে পারে নিচের কোনটি?   (অনুধাবন)

 ক গভীর কূপ খনন খ সাগরের পানি সংগ্রহ

  বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ঘ গভীর নলকূপ স্থাপন

৩৩৬. উল্লিখিত স্থানে গ্রাভেল কোন কাজে ব্যবহার হতে পারে?  (উচ্চতর দক্ষতা)

 ক কূপের পানি দূষণ রোধে

  বৃষ্টির পানি দূষণ রোধ করার জন্য

 গ খাল থেকে পানি আনার জন্য

 ঘ টিউবওয়েলের পানির দূষণ রোধ করার জন্য

পানি প্রবাহের সর্বজনীনতা এবং আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি  পৃষ্ঠা : ৪২

  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩৩৭. সর্বপ্রথম কত সালে আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)

 ক ১৯৬১  ১৯৬৬ গ ১৯৭১ ঘ ১৯৭৩

৩৩৮. ১৯৯৭ সালের কোন তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় পানি ব্যবহারের কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)

 ক ২১ আগস্ট  ২১ মে গ ২৫ জুলাই ঘ ২৫ সেপ্টেম্বর

৩৩৯. রামসার কনভেনশন কোন দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল? (জ্ঞান)

 ক ইরাক  ইরান গ সুইজারল্যান্ড ঘ জাপান

৩৪০. কত সালে রামসার কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)

  ১৯৭১ খ ১৯৭২ গ ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৫

৩৪১. কোন সংস্থার উদ্যোগে রামসায় কনভেনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়? (জ্ঞান)

  UNESCO খ ILO গ UN ঘ UNIC

৩৪২. আন্তর্জাতিক আইন সমিতি তাদের কততম সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নদীগুলোর পানির ব্যবহার সম্পর্কে একটি কমিটি রিপোর্ট গ্রহণ করে? (জ্ঞান)

 ক ১৫তম খ ৪৫তম  ৫২তম ঘ ৫৪তম

৩৪৩. নদনদীর পানি বণ্টন নিয়ে জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক সমঝোতা চুক্তি কবে তৈরি করে?  (জ্ঞান)

 ক ১৯৭৩ সালে  ১৯৯৭ সালে গ ১৯৮১ সালে ঘ ১৯৯১ সালে

৩৪৪. কোন কনভেনশনে জলাভূমি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করা হয়? (অনুধাবন)

 ক আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশন খ হেলসিংকি কনভেনশন

  রামসার কনভেনশন ঘ জেনেভা কনভেনশন

৩৪৫. আন্তর্জাতিক আইন সমিতি আন্তর্জাতিক নদীগুলোর পানির ব্যবহার সম্পর্কে একটি কমিটি রিপোর্ট গ্রহণ করে কোথায়? (জ্ঞান)

 ক ওয়াশিংটন খ রাশিয়া  হেলসিংকি ঘ নয়াদিল্লি

৩৪৬. রামসার কনভেনশনের সমঝোতা চুক্তিতে বাংলাদেশ কবে স্বাক্ষর করে? (জ্ঞান)

 ক ১৯৯১ সালে খ ১৯৮৭ সালে গ ১৯৮২ সালে  ১৯৭৩ সালে

   বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩৪৭. রামসার কনভেনশনের সিদ্ধান্তসমূহ সংশোধন করা হয়- (অনুধাবন)

 র. ১৯৭১ সালে

 রর. ১৯৮২ সালে

 ররর. ১৯৮৭ সালে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৪৮ ৩৪৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে সৃষ্ট নদী সাগরে গিয়ে পড়ে। সাগর-মহাসাগর বা সমুদ্র একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে পৃথিবীর পানি, সম্পদ সৃষ্টি করে।

৩৪৮. উদ্দীপকের উৎসগুলোতে প্রাপ্ত সম্পদটি কিরূপ?  (অনুধাবন)

 ক নির্দিষ্ট দেশের  খ নির্দিষ্ট জাতির

 গ নির্দিষ্ট জাতি গোষ্ঠির  সার্বজনীন

৩৪৯. উল্লিখিত পানির উৎসসমূহের মালিকানা নিয়ে (অনুধাবন)

 র. রামসার কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়

 রর. আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশন জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়

 ররর. বাংলাদেশের পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৫০. পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা বজায় রাখে কোনটি?

  [হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]

 ক জলজ প্রাণী  জলজ উদ্ভিদ গ খনিজ পদার্থ ঘ বিয়োজক

৩৫১. কোনটি জলজ প্রাণীদের খাদ্যভা  ার হিসেবে কাজ করে?

  [আজিমপুর গভ. গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]

 ক মাছ   শ্যাওলা  গ কচুরিপানা ঘ কলমি

৩৫২. পানির pH কত হলে পানিকে আমরা এসিডিক বলব?

   [কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম]

 ˜ ৫ খ ৭ গ ৮ ঘ ১০

৩৫৩. পানিচক্র না ঘটলে [নাসিরাবাদ বয়েজ স্কুল, চট্টগ্রাম]

 র. পৃথিবী মরুভূমি হয়ে যেতো

 রর. বন্যা হতো

 ররর. ফসল উৎপাদন ব্যাহত হতো

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৫৪. ত্বকের ক্যান্সার কোন রাসায়নিক পদার্থের কারণে হয়?

 [বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]

 ক এসিড খ সিসা গ মারকারি ˜ আর্সেনিক

৩৫৫. সিসার ক্ষতিকর প্রভাবে কোনটি হতে পারে?

 [শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা]

 ক ত্বকের ক্যান্সার খ কলেরা

 ˜ রক্তশূন্যতা ঘ বাতজ্বর

৩৫৬. পানিতে কোন ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ থাকলে মস্তিষ্ক বিকল হতে পারে?

 [ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম]

 ক আয়রন ˜ পারদ গ আর্সেনিক ঘ ডিটারজেন্ট

৩৫৭. মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয় কোন ধাতব পদার্থযুক্ত পানি করলে?

 [নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

 ক আর্সেনিক খ মারকারি ˜ সিসা ঘ আয়রন

৩৫৮. পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ানো যায় কীভাবে?

  [কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম]

 ক পানির তাপমাত্রা বাড়িয়ে ˜ পানির তাপমাত্রা কমিয়ে

 গ পানিতে ফসফরাস যুক্ত করে ঘ পানিতে জলজ প্রাণীর সংখ্যা বাড়িয়ে

৩৫৯. এক লিটার বিশুদ্ধ পানির সম্ভাব্য ঢ়ঐ কত?

[হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]

 ক ০ খ ৬.৫  ৭ ঘ ৭.৫

৩৬০. সমুদ্রের পানিতে কোনটি থাকায় ইলিশ মাছের ডিম নষ্ট করে?

[রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল, ঢাকা]

 ক প্রচুর পরিমাণ এসিড খ প্রচুর পরিমাণ তেল

 ˜ প্রচুর পরিমাণ লবণ ঘ প্রচুর পরিমাণ সালফার

৩৬১. নদ-নদীর পানির pH এর মাত্রা কত থাকলে জলজ উদ্ভিদের কোনো সমস্যা হবে না? [মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]

 ˜ ৬-৮ খ ৬.৫-৮.৫ গ ৭-৮ ঘ ৫-৮

৩৬২. পানি শোষণ করতে পারে- [বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী]

 র. জৈব সার

 রর. হিউমাস

 ররর. রাসায়নিক সার

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

৩৬৩. পানিতে যে উপাদানটি বেড়ে গেলে প্রচুর শ্যাওলা জšে§ 

  [বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী]

 র. অক্সিজেন

 রর. নাইট্রোজেন

 ররর. ফসফেট

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৬৪. pH মানের শর্তসমূহ হলো   [ইস্পাহানী পাবলিক স্কল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম]

 র. নিরপেক্ষ ঢ়ঐ = ৭.০

 রর. এসিডীয় হলে ঢ়ঐ > ৭.০

 ররর. ক্ষারীয় হলে ঢ়ঐ < ৭.০

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ˜ র খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৬৫. পানিতে ফসফেটের মাত্রা বেড়ে গেলে   [চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম]

 র. উক্ত পানিতে প্রচুর শ্যাওলা জšে§

 রর. জলজ প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে যায়

 ররর. দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৬৬ ৩৬৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

সোহাগদের পুকুরের পানি খুবই ঘোলাটে। তারা এ পুকুরে ময়লা আবর্জনা ফেলে।  [আজিমপুর গভঃ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]

৩৬৬. পুকুরটিতে জলজ উদ্ভিদের কোন প্রক্রিয়াটি সংঘটিত হতে পারবে না?

 ক শ্বসন খ রেচন ˜ সালোকসংশ্লেষণ ঘ বিযোজন

৩৬৭. পুকুরটির পানিতে দ্রবীভূত থাকতে পারে 

 র. মাটি রর. বালি

 ররর. গ্রিজ

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৬৮ ৩৬৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

গবেষক শাহেদ যমুনা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করেন এবং একটি গ্যাস মিশ্রিত করে পানি জীবাণুমুক্ত করেন। [বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]

৩৬৮. পানিতে কোন গ্যাস যুক্ত করা হয়?

 ক H2খ F2গ NH3˜ Cl2

৩৬৯. পানিতে HCl যুক্ত করলে কী ঘটত?

 র. পানির pH হ্রাস পেত

 রর. জীবাণু মরে যেত

 ররর. পানিতে ধোঁয়া উড়ত

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৭০ ৩৭১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

পানির বাষ্পীভবন + পানির ঘনীভবন = পানির বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া

 [শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিলেট]

৩৭০. উদ্দীপকের পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াটি কিরূপ?

 ˜ পাতন খ স্ফুটন গ পরিস্রাবণ ঘ ক্লোরিনেশন

৩৭১. উদ্দীপকের পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াটি 

 র. ঔষধ তৈরির কারখানায় ব্যবহৃত হয়

 রর. বাসাবাড়িতে পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহৃত হয়

 ররর. ব্যবহারে খুব বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

   বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩৭২. মিঠা পানির অন্যতম উৎস    (প্রয়োগ)

 র. বন্যা ও সুনামি

 রর. খালবিল ও পুকুর

 ররর. নদী ও ভূগর্ভ

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক  র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর  ঘ র, রর ও ররর

৩৭৩.   পদার্থটি- (অনুধাবন)

র. উভধর্মী

 রর. সার্বজনীন দ্রাবক

 ররর. তেজস্ক্রিয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৭৪. পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে   (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. দ্রবীভূত অক্সিজেনের অভাব হয়

 রর. পানির পুনঃআবর্তন হয়

 ররর. জলজ জীবদের শারীরবৃত্তীয় কাজে সমস্যা হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র খ র ও রর ˜ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৭৫. জলজ উদ্ভিদসমূহ-  (অনুধাবন)

 র. পানিতে  দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখে

 রর. পানি দূষণের অন্যতম কারণ

 ররর. জলজ প্রাণীদের খাদ্যভা  ার হিসেবে কাজ করে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৭৬. জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন- (অনুধাবন)

 র. ১ লিটার পানিতে ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম অক্সিজেন

 রর. পানির ঢ়ঐ ৬-৮ এর কাছাকাছি

 ররর. দ্রবীভূত রাসায়নিক পদার্থ

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৭৭. পানি ঘোলাটে হলে-  (প্রয়োগ)

 র. জলজ উদ্ভিদসমূহের সালোকসংশ্লেষণ বাধাগ্রস্ত হয়

 রর.  বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়

 ররর. জলজ প্রাণী ঠিকমতো খাবার সংগ্রহ করতে পারে না

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৭৮. সমুদ্রের পানি কৃষিকাজে ব্যবহার করা যায় না কারণ- (অনুধাবন)

 র. এতে ক্ষতিকারক তেজস্ক্রিয় ও রাসায়নিক পদার্থ থাকে

 রর. সমুদ্রের পানি লবণাক্ত

 ররর. সমুদ্রের পানি কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষতিসাধন করে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৭৯. পানিতে pH এর মান খুব কমে গেলে জলজ প্রাণীদের দেহে- (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. খনিজ পদার্থের ঘাটতি হয়

 রর. তেজষ্ক্রিয়তা দেখা দেয়

 ররর. ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৮০. বরফ আকারের পানির উৎস হলো-  (অনুধাবন)

 র. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

 রর. ইটিপি

 ররর. তুষার স্রোত

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৮১. পরীক্ষাগারে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্তির জন্য ব্যবহৃত হয়  (অনুধাবন)

 র. ইটিপি

 রর. পাতন

 ররর. গ্রাভেল

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র  ˜ রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৮২. পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহৃত হয়    (প্রয়োগ)

 র. ক্লোরিন গ্যাস ও ব্লিচিং পাউডার

 রর. সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ও ওজোন গ্যাস

 ররর. গ্রাভেল নামক পদার্থ

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ˜ র ও রর  খ র ও ররর  গ রর ও ররর  ঘ র, রর ও ররর

৩৮৩. খুব বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন হলে-  (অনুধাবন)

 র. পাতন করা হয়

 রর. পানি বাষ্পীভবন ও ঘনীভূত করা হয়

 ররর. pH এর মান বাড়ানো হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৮৪. বাসা বাড়িতে সাধারণত পানিকে বিশুদ্ধ করা হয়- (প্রয়োগ)

 র. পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায়

 রর. ক্লোরিনেশন প্রক্রিয়ায়

 ররর. তেজস্ক্রিয় প্রক্রিয়ায়

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৮৫. ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, সিজিয়াম, রেডন- (অনুধাবন)

 র.  তেজস্ক্রিয় পদার্থ

 রর. জীবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করে

 ররর. বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৮৬. সাগরের লবণাক্ত পানি মিঠা পানির দিকে এগিয়ে এলে  (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে

 রর. পানির জীববৈচিত্র্য হুমকির মধ্যে পড়বে

 ররর. পানির গতিপথ পরিবর্তিত হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৮৭. বাংলাদেশ- (অনুধাবন)

 র. গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করে

 রর. বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে মুক্ত

 ররর. একদিন পানির নিচে চলে যেতে পারে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৮৮. একটা দেশের বনভূমি- (অনুধাবন)

 র. বৃষ্টিপাতে সাহায্য করে

 রর. ভূগর্ভে পানি সঞ্চালনে সাহায্য করে

 ররর. মৃত নদী ও হ্রদের কারণ

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৮৯ ৩৯০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

পানিতে বিভিন্ন কারণে অদ্রবণীয় পদার্থ যেমন : মাটি, বালি, তৈল, গ্রিজ জমা হয়।

৩৮৯. উপরের পদার্থগুলো পানিতে কী করে? (প্রয়োগ)

  ঘোলা করে খ জীবাণু হ্রাস করে

 গ দ্রবীভূত অক্সিজেন বৃদ্ধি করে ঘ pH বৃদ্ধি করে

৩৯০. উদ্দীপকের অদ্রবণীয় পদার্থগুলো জমা হওয়ার ফলে- (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়

 রর. মাছ বা অন্য প্রাণী ঠিকমতো খাবার সংগ্রহ করতে পারে না

 ররর. নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩৯১ ৩৯২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

ভূপৃষ্ঠে যে পরিমাণ পানি সঞ্চিত আছে, তার মাত্র শতকরা ১ ভাগ ব্যবহার উপযোগী।

৩৯১. উক্ত পানির উৎস কোনটি? (প্রয়োগ)

 ক সমুদ্র খ মরা নদী গ বৃষ্টি  নদনদী

৩৯২. উক্ত পানি   (উচ্চতর দক্ষতা)

 র.   প্রতিনিয়ত দূষিত হয়ে চলেছে

 রর.  আমাদের জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য

 ররর. হাইড্রোজেন ও ক্লোরিন পরমাণু দিয়ে গঠিত

 নিচের কোনটি সঠিক?

  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

উদ্দীপকের আলোকে ৩৯৩ ৩৯৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

অনুন্নত দেশের মানুষ পানিকে বিশুদ্ধকরণের জন্য বালি স্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করে।

৩৯৩. উপরিউক্ত ধরনের দেশের পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াটি কীরূপ?  (প্রয়োগ)

 ক স্ফুটন খ পাতন গ অভিস্রাবণ  পরিস্রাবণ

৩৯৪. উপরের প্রক্রিয়ার ফলে-  (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. পানিতে অদ্রবণীয় পদার্থ দূরীভূত হয়

 রর. ঢ়ঐ পরিবর্তন হয়

 ররর. পানিতে বিদ্যমান আর্সেনিক মুক্ত হয় না

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩৯৫ ৩৯৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কারখানার বর্জ্যরে দ্বারা পানিতে এক ধরনের পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে ও পানি দূষিত হয়।

৩৯৫. উদ্দীপকের বর্জ্য পদার্থের উদাহরণ কোনটি?  (অনুধাবন)

 ক রাসায়নিক সার খ মৃত জীবদেহ

 গ আর্সেনিক  ইউরেনিয়াম

৩৯৬. উদ্দীপকের বর্জ্য পদার্থটি  (উচ্চতর দক্ষতা)

 র. পানিতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে দেয়

 রর. অক্সিজেন স্বল্পতা সৃষ্টি হয়

 ররর. জীবদেহে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ সৃষ্টি করে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৯৭ ৩৯৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তার প্রমাণস্বরূপ আমরা দেখছি ঋতুগুলোর তাপমাত্রার পরিবর্তন এবং সমুদ্রে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি। 

৩৯৭. উদ্দীপকে যে প্রভাবটির কথা বলা হয়েছে, সেটির ফলে কী ঘটতে পারে?   (অনুধাবন)

  বায়ুম  লের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে

 খ পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের বৃদ্ধি ঘটতে পারে

 গ পানিতে তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে

 ঘ পানির তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে

৩৯৮. উক্ত প্রভাবের ফলে বাংলাদেশে-  (প্রয়োগ)

 র. বঙ্গোপসাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে

 রর. গ্রীষ্মকাল ও শীতকালের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে

 ররর. মিঠা পানির উৎসে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে

 নিচের কোনটি সঠিক?

 ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

প্রশ্ন পৃথিবীর সবচেয়ে সহজলভ্য তরল পদার্থ কোনটি?

উত্তর : পৃথিবীর সবচেয়ে সহজলভ্য তরল পদার্থ হলো পানি।

প্রশ্ন বিশুদ্ধ পানির ধর্ম কী?

উত্তর : বিশুদ্ধ পানি স্বাদহীন, গন্ধহীন ও বর্ণহীন হয়।

প্রশ্ন বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহন করে কি?

উত্তর : বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহন করে না।

প্রশ্ন পানি কী দিয়ে গঠিত?

উত্তর : পানি দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গঠিত।

প্রশ্ন ব্যবহার উপযোগী পানির উৎসসমূহ কী কী?

উত্তর : ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হলো নদনদী, খালবিল, হ্রদ, পুকুর, ঝর্না ও ভূগর্ভস্থ পানি।

প্রশ্ন বাংলাদেশে মিঠা পানির উৎস কী কী?

উত্তর : বাংলাদেশের মিঠা পানির উৎস হলো নদনদী, খালবিল, পুকুর, হ্রদ ও ভূগর্ভ।

প্রশ্ন জলজ উদ্ভিদ কীভাবে বংশবিস্তার করে থাকে?

উত্তর : জলজ উদ্ভিদ সাধারণত অঙ্গজ উপায়ে বংশবিস্তার করে থাকে।

প্রশ্ন আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের শতকরা কত ভাগ মাছ থেকে আসে?

উত্তর : আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগই আসে মাছ থেকে।

প্রশ্ন পানি ঘোলা হওয়ার মূল কারণ কী?

উত্তর : পানি ঘোলা হওয়ার মূল কারণ হলো পানিতে অদ্রবণীয় পদার্থ যেমন : মাটি, বালি, তেল, গ্রিজ ইত্যাদির উপস্থিতি।

প্রশ্ন ১০ পানিতে থাকা প্রাণীরা অক্সিজেন কোথা থেকে পায়?

উত্তর : পানিতে থাকা প্রাণীরা অক্সিজেন পায় পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন থেকে।

প্রশ্ন ১১ পানি বিশুদ্ধকরণের পদ্ধতিগুলো কী কী?

উত্তর : পানি বিশুদ্ধকরণের পদ্ধতিগুলো হলো: পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন, স্ফুটন ও পাতন পদ্ধতি।

প্রশ্ন ১২ শিল্প কারখানা গার্হস্থ্য কাজে বর্জ্যপানি কোথায় যায়?

উত্তর : শিল্প কারখানা ও গার্হস্থ্য কাজের বর্জ্যপানির বড় একটি অংশ নর্দমার মাধ্যমে নদনদীতে নিয়ে ফেলা হয়।

প্রশ্ন ১২ কোন কোন রাসায়নিক পদার্থ পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে?

উত্তর : গোবর, গাছপালার ধ্বংসাবশেষ, খাদ্যের বর্জ্য ইত্যাদি পচনের সময় পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে।

প্রশ্ন ১২ রামসার কনভেনশন কী?

উত্তর : ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে ইরানের রামসারে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নেওয়া জলাভূমি-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ হলো রামসার কনভেনশন।

প্রশ্ন ১৩ আর্সেনিকোসিস কী?

উত্তর : আর্সেনিক দ্বারা দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে মানবদেহে যে রোগসৃষ্টি হয় তাকে আর্সেনিকোসিস বলে।

প্রশ্ন ১৪ বি­চিং পাউডার দ্বারা পানি বিশুদ্ধ করা হয় কোন প্রক্রিয়ায়?

উত্তর : বি­চিং পাউডার দ্বারা পানি বিশুদ্ধ করা হয় ক্লোরিনেশন প্রক্রিয়ায়।

প্রশ্ন ১৫ পানি বিশুদ্ধকরণের কোন প্রক্রিয়ায় পানিকে ফুটানো হয়?

উত্তর : পানি বিশুদ্ধকরণের স্ফুটন প্রক্রিয়ায় পানিকে ফুটানো হয়।

প্রশ্ন ১৬ পানি তড়িৎ পরিবহন করে কখন?

উত্তর : পানিতে তড়িৎ বিশে­ষ্য পদার্থ যেমন লবণ অথবা এসিড দ্রবীভূত থাকলে পানি তড়িৎ পরিবহন করে।

প্রশ্ন ১৭ আমরা প্রয়োজনীয় প্রোটিনের কত ভাগ মাছ থেকে পাই?

উত্তর : ৮০ ভাগ।

প্রশ্ন ১৮ NaOCl কোন যৌগের সংকেত?

উত্তর :  NaOCl সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইডের সংকেত।

প্রশ্ন ১৯ ॥  ক্লোরিন গ্যাস ছাড়া আর কী দিয়ে পানিকে জীবাণুমুক্ত করা যায়?

উত্তর : ওজোন গ্যাস অথবা অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে।

প্রশ্ন ২০ এরি হ্রদ কোথায়?

উত্তর : আমেরিকার উত্তর ওহাইও অঙ্গরাজ্যে।

প্রশ্ন ২১ ॥  আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহার চুক্তিটি কোন সংস্থা করে?

উত্তর : জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আইন কমিশন এই চুক্তিটি তৈরি করে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন °সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ৪°সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বোচ্চ আর তা হলো ১ গ্রাম/সিসি বা ১০০০ কেজি/মিটার৩ অর্থাৎ ১ সিসি পানির ভর হলো ১ গ্রাম বা ১ কিউবিক মিটার পানির ভর হলো ১০০০ কেজি।

প্রশ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে মাছ না পাওয়ার কারণ লেখ।

উত্তর : শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্যপানির কারণে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। যার কারণে এটি জলজ প্রাণী শূন্য প্রায় মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। এজন্য মাছ পাওয়া যায় না।

প্রশ্ন পানি একটি উভধর্মী পদার্থ- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পানি একটি উভধর্মী পদার্থ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ কখনো এসিড, কখনো ক্ষার হিসেবে কাজ করে। সাধারণত এসিডের উপস্থিতিতে পানি ¶ার হিসেবে অপরদিকে ¶ারের উপস্থিতিতে এসিড হিসেবে কাজ করে।

প্রশ্ন পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয় কেন?

উত্তর : পানির বিশেষ ধর্ম হলো এটি অজৈব যৌগ ও জৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে। এজন্য একে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।

প্রশ্ন পানিতে জলজ উদ্ভিদ না জন্মালে কী ঘটত?

উত্তর : জলজ উদ্ভিদগুলো একদিকে যেমন সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরি করে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখে, অন্যদিকে শ্যাওলা জাতীয় জলজ উদ্ভিদগুলো জলজ প্রাণীদের খাদ্যভা  ার হিসেবে কাজ করে। পানিতে জলজ উদ্ভিদ না থাকলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী বাঁচতে পারত না।

প্রশ্ন পানির মানদ   কেমন হওয়া উচিত?

উত্তর : পানির মানদ   নির্ভর করে কোন কাজে ব্যবহার করা হবে তার ওপর। বিশুদ্ধ পানি বর্ণহীন ও স্বাদহীন হয়। পানি পরিষ্কার, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও তেজস্ক্রিয়তামুক্ত হতে হবে। পানির ঢ়ঐ মান ৬-৮ এর মধ্যে থাকতে হবে।

প্রশ্ন পানি ঘোলা হলে কী অসুবিধা হয়?

উত্তর : পানি ঘোলা হলে সূর্যের আলো পানির নিচে থাকা উদ্ভিদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না, ফলে সালোকসংশ্লেষণ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে পানিতে থাকা উদ্ভিদের খাবার তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটে, যা তাদের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়। আবার সালোকসংশ্লেষণের ফলে যে অক্সিজেন তৈরি হতো তা বন্ধ হয়ে যায়। পানি ঘোলা হলে মাছ বা অন্য প্রাণী ঠিকমতো খাবার সংগ্রহ করতে পারে না।

প্রশ্ন নদনদীর পানি কেন তেজস্ক্রিয়তামুক্ত হতে হবে?

উত্তর : নদনদীর পানিতে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকলে তা জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহে ক্যান্সারের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া এই তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এলে নানা ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধি সৃষ্টি করে। তাই নদনদীর পানি তেজস্ক্রিয়তামুক্ত হতে হবে।

প্রশ্ন পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে কী হয়?

উত্তর : পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে, একদিকে যেমন দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়, অন্যদিকে জলজ প্রাণীর প্রজনন থেকে শুরু করে নানা শারীরবৃত্তীয় কাজেও সমস্যা সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ১০ আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে আসে কেন?

উত্তর : ইলিশ সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে আসে। কারণ, সমুদ্রের লবণাক্ত পানি ডিম নষ্ট করে ফেলে। ফলে ওই ডিম থেকে আর পোনা মাছ তৈরি হতে পারে না। তাই প্রকৃতির নিয়মেই ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে আসে।

প্রশ্ন ১১ প্রকৃতিতে পানির পুনঃআবর্তন না হলে কী ধরনের সমস্যা হতো?

উত্তর : প্রকৃতিতে পানির পুনঃআবর্তন না হলে বৃষ্টি হতো না, ফলে মরুভূমিতে পরিণত হতো পৃথিবী। প্রচ   খরা হতো, ফসল উৎপাদন কমে যেত। বৃষ্টি হলো প্রাকৃতিকভাবে পানির পুনঃআবর্তন।

প্রশ্ন ১২ পানিবাহিত রোগ কীভাবে ছড়ায়?

উত্তর : মলমূত্র, আবর্জনা ইত্যাদি বর্জ্যরে মাধ্যমে পানিবাহিত রোগের জীবাণু ছড়ায়। সেই পানিতে গোসল করলে, পান করলে, খাবার রান্না করলে বা ধুলে অথবা যেকোনোভাবে দূষিত পানির সংস্পর্শে এলে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর দেহে জীবাণু সংক্রমিত হয়ে রোগ সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ১৩ তেজস্ক্রিয় পদার্থ দ্বারা পানি দূষিত হলে মানবদেহে কী প্রভাব পড়ে?

উত্তর : তেজস্ক্রিয় পদার্থ যেমন : ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, সিজিয়াম, রেডন প্রভৃতি দ্বারা পানি দূষিত হলে তা জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর দ্বারা খাদ্য শৃঙ্খল মাধ্যমে চলে আসবে। পরবর্তীতে মানুষ যখন এই উদ্ভিদ ও মাছ ভ¶ণ করবে তখন মানবদেহে পদার্থগুলো চলে আসবে। এই পদার্থগুলো মানব দেহে ক্যান্সার ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ১৪ পানির সকল উৎস লবণাক্ত হলে কী কী অসুবিধা হবে?

উত্তর : পানির সকল উৎস লবণাক্ত হলে মিঠা পানিতে বসবাসকারী জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীসমূহ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে এবং এক পর্যায়ে নিশ্চি‎‎হ্ন হয়ে যাবে। কারণ, লবণাক্ততার প্রভাবে মিঠা পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন অনেক কমে যাবে, যার ফলে জলজ প্রাণীসমূহ বাঁচতে পারবে না। জলজ উদ্ভিদের বড় একটি অংশ লবণাক্ত পানিতে জন্মাতে পারে না, বেড়ে উঠতেও পারে না, যে কারণে পানির জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।

প্রশ্ন ১৫ বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়লে নাতিশীতোষ্ণ এলাকায় কী প্রভাব পড়বে?

উত্তর : বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়লে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ধরনের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে পারে। নাতিশীতোষ্ণ এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে, যা খরা সৃষ্টি করবে, এমনকি  মরুভূমিতেও  পরিণত করতে পারে।

বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ধরন পরিবর্তন হলে নদনদী, খালবিলে পানির পরিমাণ ও প্রবাহ পরিবর্তিত হবে যা অনেক ক্ষেত্রে বিপর্যয় ডেকে আনবে।

প্রশ্ন ১৬ জলাভূমি বনভূমি পরিবেশ রক্ষায় কী ভূমিকা পালন করে?

উত্তর : জলাভূমি একদিকে পানি ধারণ করে যেমন বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে, অন্যদিকে তেমনি ক্ষতিকর পদার্থ শোষণ করে, ভূগর্ভে ও নদীতে বিশুদ্ধ পানি সঞ্চালন করে ও বন্যপ্রাণীদের সহায়তা করে। বনভূমিও কিন্তু ভূগর্ভে পানি সঞ্চালনে সাহায্য করে এবং বন্যপ্রাণীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। এগুলো ধ্বংস হলে নদীর দূষণ বেড়ে যায়।

প্রশ্ন ১৭ পানির উৎস সংরক্ষণ করা জরুরি কেন?

উত্তর : যেকোনো ধরনের উন্নয়নকাজ তা শিল্প-কারখানা, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, নগরায়ন যাই হোক না কেন পানির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আবার এসব উন্নয়নের ফলে পানির উৎসসমূহ যদি হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে প্রকৃতপক্ষে সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকা  ই থমকে যাবে। আমাদের ব্যবহারযোগ্য পানিসম্পদের পরিমাণ সীমিত। এমতাবস্থায় আমরা যদি পানির উৎস সংরক্ষণে সজাগ না হই, তাহলে ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হতে পারে।

প্রশ্ন ১৮ আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশনে কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়?

উত্তর : সিদ্ধান্তসমূহ হলো : আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশন অনুযায়ী, একের অধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি কোনো দেশই অন্য দেশের অনুমতি ছাড়া একতরফাভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। তবে এই রীতি অনুযায়ী দেশসমূহ ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গতভাবে নিজ নিজ দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অংশের পানি ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে অন্য দেশের অংশে পানি প্রবাহে যাতে কোনো বিঘ্ন না  ঘটে তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

প্রশ্ন ১৯ ডিটারজেন্ট তৈরির কারখানার বর্জ্য পকুরে গেলে কী অবস্থা হবে?

উত্তর : ডিটারজেন্ট তৈরির কারখানা থেকে সৃষ্ট বর্জ্য পুকুরে ফেলার ফলে পুকুরের পানিতে ফসফেটের মাত্রা বেড়ে যাবে। পানিতে ফসফেট খুব বেড়ে গেলে সেখানে প্রচুর শ্যাওলা জন্মাবে। এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যাবে তখন পানির অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি করবে। এর ফলে পুকুরটির জলজ প্রাণীগুলো মরে যাবে এবং আস্তে আস্তে পুকুরটি মরা পুকরে পরিণত হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *