একাই একটি দুর্গ বাংলা বই ৩য় শ্রেনী

একাই একটি দুর্গ

রচনাটি পড়ে জানতে পারব

           মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে

           স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা সম্পর্কে

           মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার কথা

          বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের আত¥ত্যাগের পরিচয়

          ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধি সম্পর্কে

রচনাটির মূলভাব জেনে নিই

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মহান আত¥ত্যাগের কথা বর্ণিত হয়েছে রচনাটিতে। পাকিস্তানি সেনাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া দখলে বাধা দিতে প্রস্তুত হন মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু হানাদার বাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের অস্ত্রশস্ত্রও ছিল অনেক বেশি উন্নত। ফলে শত্রম্নদের আক্রমণের মুখে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিনায়ক সিপাহি মোস্তফা কামাল সবাইকে পিছু হটে আত¥রড়্গার নির্দেশ দেন। আর নিজে অনবরত গুলি চালিয়ে শত্রম্নবাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখেন। শত্রম্নর গোলার আঘাতে শেষ পর্যšত্ম তিনি শহিদ হন। নিজের জীবনের বিনিময়ে এভাবে সহযোদ্ধাদের প্রাণ রড়্গা করেন তিনি। বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল আমাদের গর্ব।

বানানগুলো  লক্ষ  করি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাহিনী, সিপাহি, মুক্তিযোদ্ধা, ভাষণ, বঙ্গবন্ধু, জরম্নরি, সরবরাহ, আত¥রড়্গা, গোলাবর্ষণ, নির্বিঘ্নে, আক্রমণ, তীব্র, মুহূর্ত, অস্ত্রশস্ত্র, আশ্রয়, সাথি, ঝাঁঝরা, ড়্গতবিড়্গত, গৌরব, বীরশ্রেষ্ঠ, ভূষিত।

অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

১. শব্দগুলোর পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। 

অধিনায়ক     পরিখা          নির্বিঘ্নে

অকুতোভয়   বীরশ্রেষ্ঠ        সমাহিত

উত্তর :

অধিনায়ক     –        দলপতি, দলনেতা।

পরিখা          –         শত্রম্নর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্যে মাটির মধ্যে তৈরি গর্ত।

নির্বিঘ্নে          –        নিরাপদে, বাধাহীনভাবে।

অকুতোভয়   –        ভয় নেই এমন।

বীরশ্রেষ্ঠ        –        মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের জন্যে দেওয়া বিশেষ উপাধি।

সমাহিত        –        কবরে শায়িত।

২.ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।

                    পরিখার                 বীরশ্রেষ্ঠ         অধিনায়ক   

                   অকুতোভয়             সমাহিত        নির্বিঘ্নে

উত্তর :

ক)      যাত্রীরা  নির্বিঘ্নে  নদী পার হলো।

খ)      অধিনায়ক  লড়াই চালিয়ে যেতে বললেন।

গ)      মোস্তফা কামাল একজন  বীরশ্রেষ্ঠ

ঘ)       সৈন্যরা  পরিখার  ভেতর থেকে গুলি ছুঁড়ছে।

ঙ)      মোস্তফা কামালকে দরম্নইনে  সমাহিত  করা হয়।

চ)       তিনি একজন  অকুতোভয়  মুক্তিযোদ্ধা।

৩. পাঠ অনুসরণ করে নিচের ঘটনার পাশে তারিখবাচক শব্দ লিখি।

উত্তর :

          ক)      পাকিস্তানি বাহিনী আখাউড়া রেললাইন ধরে এগোয় Ñ ১৬ই এপ্রিল ।

          খ)      দরম্নইন গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর গোলাবর্ষণ হয় Ñ ১৭ই এপ্রিল।

          গ)      মোস্তফা কামাল শহিদ হলেনÑ ১৮ই এপ্রিল।

৪.      আমাদের জাতীয় দিবসগুলোর পাশে তারিখবাচক শব্দ লিখি।

          উত্তর :

          ক)      আন্তর্জাতিক  মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারি।

          খ)      স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ।

          গ)      বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর।

৫.      ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি লিখি।

ক)     মোত্মফা কামাল সমাহিত আছেনÑ

          ১. ব্রাহ্মণবাড়িয়া       ২. দরম্নইন

          ৩. আখাউড়া ৪. কুমিল্লা

খ) এই যুদ্ধে কত জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন?

          ১. আট জন   ২. নয় জন

          ৩. দশ জন   ৪. এগারো জন

গ)      পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা এগিয়ে আসছিলÑ

          ১ .ঢাকার দিকে                  ২ .দরম্নইনের দিকে

          ৩ .ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে     ৪. কুমিলস্নার দিকে

ঘ)      ১৮ই এপ্রিল কয়টার সময়ে প্রচ- বৃষ্টি হলো?

          ১. সকাল ৯টায়        ২. সকাল ১১টায়

          ৩ .দুপুর ১টায়                    ৪. দুপুর ২টায়

          উত্তর : ক) ২. দরম্নইন;   খ) ৩. দশ জন; 

          গ) ৩. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে;   ঘ) ২. সকাল ১১টায়।

৬.      প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি লিখি।

ক)     কারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল?

          উত্তর : পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল।

খ)      মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় অবস্থান নিয়েছিল?

          উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা দরম্নইন গ্রামে অবস্থান নিয়েছিল।

গ)      মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে কোন দুটি পথ খোলা ছিল?

          উত্তর : মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে মাত্র দুটি পথই খোলা ছিল। হয় সামনাসামনি যুদ্ধ। না হয় পিছু হটে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া।

ঘ)      সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে মোস্তফা কামাল কী সিদ্ধাšত্ম নিলেন?

          উত্তর : সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে মোস্তফা কামাল সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিলেন। একাই অবিরাম গুলি চালিয়ে দুশমনদের ঠেকিয়ে রাখার সিদ্ধাšত্ম নিলেন তিনি।

ঙ)      একাই একটি দুর্গ কাকে বোঝানো হয়েছে? কেন?

          উত্তর : ‘একাই একটি দুর্গ’ বলতে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালকে বোঝানো হয়েছে। সঙ্গীদের জীবন রড়্গা করতে একাই অবিরাম গুলি চালিয়ে পাক বাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখেন তিনি। তাঁর গুলির তোড়ে শত্রম্নরা এগোতে পারল না। তিনি যেন একাই মুক্তিবাহিনীর একটি দুর্গ হয়ে উঠেছিলেন।

৭.      বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।

জীবন/মৃত্যু           শত্রম্ন/মিত্র             কম/অনেক

হালকা /ভারি                   বন্ধ/খোলা

উত্তর :

ক)      আমাদের দেশে  অনেক  নদী আছে।

খ)      মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই  জীবন  দিয়েছিলেন।

গ)      পাকিস্তানি সেনাদের সাথে ছিল  ভারি  অস্ত্রশস্ত্র।

ঘ)       শত্রু  বাহিনী গোলাবর্ষণ শুরম্ন করল।

ঙ)      শুক্রবারে আমাদের স্কুল  বন্ধ  থাকে।

৮.      বাক্যগুলো পড়ি। হাঁ বোঝানো এবং না বোঝানো বাক্য সম্পর্কে জেনে নিই।

          ওদের মোকাবেলা করা যাবে।

          ওদের মোকাবেলা করা যাবে না।   হাঁ বোঝানো

                                                            না বোঝানো

এবার নিচের বাক্যগুলোকে হাঁ বোঝানো/না বোঝানো বাক্যে পরিবর্তন করি।

          সকালে গোলাবর্ষণ শুরম্ন হলো।

          উত্তর : সকালে গোলাবর্ষণ শুরম্ন হলো না।        [না বোঝানো]

          শত্রম্নরা এগুতে পারল না।

          উত্তর : শত্রম্নরা এগুতে পারল।     [হাঁ বোঝানো]

          মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটবে।

          উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটবে না।       [না বোঝানো]

 অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর

        সঠিক উত্তরটি লেখ।

১.       সিপাহি মোস্তফা কামাল কোন মাসে শহিদ হন?   

          ক       জানুয়ারি       খ       ফেব্রম্নয়ারি

          গ       মার্চ    ঘ       এপ্রিল

২.      দরম্নইন গ্রামটি কোন জেলায় অবস্থিত?     

          ক       ঢাকা  খ       ব্রাহ্মণবাড়িয়া  

          গ       নোয়াখালী     ঘ       ময়মনসিংহ 

৩.      ১৯৭১ সালে মোস্তফা কামালের বয়স কত ছিল?   

          ক       ২২ বছর       খ       ২৩ বছর

          গ       ২৪ বছর       ঘ       ২৫ বছর

৪.      ১৬ই এপ্রিল মোস্তফা কামাল কোন খবর পেলেন?

          ক       বঙ্গবন্ধুর ভাষণের    খ       পাকিস্তানি বাহিনী আসার

          গ       তুমুল গোলাবর্ষণের ঘ       মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর

৫.      কত তারিখ থেকে পাকি¯ত্মানিরা গোলাবর্ষণ করা শুরম্ন করল?

          ক       ১৬ই এপ্রিল   খ       ১৭ই এপ্রিল  

          গ       ১৮ই এপ্রিল             ঘ       ১৯শে এপ্রিল  

৬.      মোস্তফা কামাল কিসের জন্য খবর পাঠালেন?     

          ক       খাবার সরবরাহের জন্য      খ       গোলা বারম্নদের জন্য

          গ       হেলিকপ্টারের জন্য          ঘ       সেনা সহায়তার জন্য

৭.      মুক্তিযোদ্ধারা গোলাবর্ষণ থেকে বাঁচতে কী করলেন?

          ক       পিছু হটলেন                    

          খ       পাল্টা গোলাবর্ষণ করলেন

          গ       পরিখার ভেতর থাকলেন

          ঘ       পানিতে ডুব দিলেন

৮.      মোস্তফা কামাল সেনাবাহিনীর কোন পদে ছিলেন?        

          ক       হাবিলদার      খ       সুবেদার

          গ       সিপাহি         ঘ       মেজর

৯.      মোস্তফা কামাল কোন তারিখে শহিদ হন?  

          ক       ১৫ই এপ্রিল   খ       ১৬ই এপ্রিল

          গ       ১৭ই এপ্রিল    ঘ       ১৮ই এপ্রিল

        নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।

সংগ্রাম, জরম্নরি, দুশমন, অবধারিত, অনবরত, ভূষিত, সর্বোচ্চ।

উত্তর :

শব্দ                        অর্থ

সংগ্রাম         –        যুদ্ধ।

জরুরি          –        অত্যন্ত দরকারি

দুশমন          –        শত্রু।

অবধারিত      –        নিশ্চিত।

অনবরত       –        কোনো রকম বিরতি ছাড়াই।

ভূষিত           –        সম্মানিত।

সর্বোচ্চ         –        সবচেয়ে উঁচু।

        নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।

লড়াই, সাহসী, আহত, গৌরব।

উত্তর :

শব্দ              বাক্য

লড়াই  –        মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করে দেশকে স্বাধীন করেছেন।

সাহসী –        সাহসী মানুষেরাই উন্নতি করে।

আহত –        আহতদের সেবা করা উচিত।

গৌরব –        ভাষাশহিদেরা আমাদের গৌরব।

        নিচের শব্দগুলোর যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে নতুন শব্দ গঠন কর।

মুক্তিযোদ্ধা, ধ্বংস, বন্ধ, নিঃশ্বাস, তীব্র, পাল্টা, আক্রমণ,  দায়িত্ব,  নষ্ট।

উত্তর :

মুক্তিযোদ্ধা    –        ক্ত      =        ক + ত          –        শক্ত

                   দ্ধ       =        দ + ধ –        উদ্ধার

ধ্বংস  –        ধ্ব      =        ধ + ব  –        ঊর্ধ্ব

বন্ধ     –        ন্ধ       =        ন + ধ –        অন্ধ

নিঃশ্বাস         –        শ্ব       =        শ + ব-ফলা (  ্ব ) –        বিশ্বাস

তীব্র    –        ব্র       =        ব + র-ফলা (  ্র )   –        বিব্রত

পাল্টা  –        ল্ট      =        ল + ট –        উল্টা

আক্রমণ       –        ক্র      =        ক + র-ফলা (  ্র ) –        ক্রমিক

দায়িত্ব –        ত্ব       =        ত + ব-ফলা (  ্ব )  –        গুরম্নত্ব

নষ্ট     –        ষ্ট        =        ষ + ট –        অষ্টম

শূন্যস্থান পূরণ কর।

ক)      পাকিস্তানি সৈন্যরা সংখ্যায় —।

খ)      পিছু না হটলে সবার — অবধারিত।

গ)      হঠাৎ একটা গুলি এসে বিঁধল — বুকে।

          উত্তর :  ক) অনেক;  খ) মৃত্যু;  গ) এক মুক্তিযোদ্ধার।

        ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।

মোস্তফা কামাল ছিলেন                আমাদের গর্ব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া দখল করতে চায়     মৃত্যু অবধারিত।

মোস্তফা কামাল                            আত¥রড়্গা করলেন।

পরিখার মধ্যে                               মুক্তিযোদ্ধাদের অধিনায়ক।

পিছু না হটলে                              পাকিস্তানি বাহিনী।

                                                    সামনাসামনি যুদ্ধ।

উত্তর :

মোস্তফা কামাল ছিলেন -মুক্তিযোদ্ধাদের অধিনায়ক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া দখল করতে চায় -পাকিস্তানি বাহিনী।

মোস্তফা কামাল -আমাদের গর্ব।

পরিখার মধ্যে -আত¥রড়্গা করেছিলেন।

পিছু না হটলে -মৃত্যু অবধারিত।

        নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।

ধ্বংস, বন্ধ, স্ব¯িত্ম, শীতল।

উত্তর :          শব্দ    –        বিপরীত শব্দ

                   ধ্বংস –        নির্মাণ

                   বন্ধ     –        খোলা

                   স্ব¯িত্ম –       অস্ব¯িত্ম

                   শীতল –        উষ্ণ

        নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।

          দুশমন, রাষ্ট্র, সংগ্রাম, অকুতোভয়, খবর।

          উত্তর : শব্দ             সমার্থক শব্দ

                   দুশমন          –        শত্রম্ন, অরি।

                        রাষ্ট্র         –        দেশ, ভূখ-।

                   সংগ্রাম         –        লড়াই, সমর।

                   অকুতোভয়   –        সাহসী, ভয়হীন।

                       খবর         –        সংবাদ, সন্দেশ।

        নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ।

          স¯িত্ম, ঘাটি, মুহুর্ত, ঝাঁজরা, বীরশ্রেষ্ট,

          গোলাবর্ষন, সহয়তা, আত্নরড়্গা, জরম্নরী, নির্বিগ্নে।

          উত্তর : ভুল বানান              শুদ্ধ বানান

                       সস্তি         –        স্বস্তি

                      ঘাটি          –        ঘাঁটি

                     মুহুর্ত          –        মুহূর্ত

                   ঝাঁজরা         –        ঝাঁঝরা

                   বীরশ্রেষ্ট        –        বীরশ্রেষ্ঠ

                   গোলাবর্ষন    –        গোলাবর্ষণ

                   সহয়তা         –        সহায়তা

                   আত্নরড়্গা     –        আত¥রড়্গা

                   জরম্নরী        –         জরম্নরি

                   নির্বিগ্নে         –        নির্বিঘ্নে

        নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

ক)     কাদের ঠেকানোর জন্য মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করছিলেন?

          উত্তর : পাকিস্তানি বাহিনীকে ঠেকানোর জন্য মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করছিলেন।

খ)      ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু কিসের ডাক দিয়েছিলেন?

          উত্তর : ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন।

গ)      কার ভাষণ শুনে মোস্তফা কামালের বুক ফুলে উঠেছিল?

          উত্তর : বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে মোস্তফা কামালের বুক ফুলে উঠেছিল।

ঘ)      মোস্তফা কামালসহ সকলে পরিখায় গেলেন কেন?

          উত্তর : মোস্তফা কামালসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণ থেকে নিজেদের রড়্গা করতে পরিখায় আশ্রয় নিলেন।

ঙ)  মোস্তফা কামাল চিšত্মায় অস্থির হয়ে উঠেছিলেন কেন?

          উত্তর : মোস্তফা কামাল বাড়তি সৈন্য চেয়ে খবর পাঠালেও তা সময়মতো এসে পৌঁছাল না। সেই সাথে দুই দিন ধরে খাবারের নিয়মিত সরবরাহও বন্ধ ছিল। তাই মোস্তফা কামাল চিšত্মায় অস্থির হয়ে উঠেছিলেন।

চ)       আকাশে কালো মেঘ দেখে মুক্তিযোদ্ধারা কী ভাবলেন?

          উত্তর : আকাশে কালো মেঘ দেখে মুক্তিযোদ্ধারা ভাবলেন, বৃষ্টি হলে শত্রম্নদের হামলা থেকে কিছুটা রেহাই মিলবে।

ছ)      পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধাদের কী ধরনের ড়্গয়ড়্গতি হয়?

          উত্তর : পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালসহ দশজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। আরও কয়েকজন কমবেশি আহত হন।

জ)     মোস্তফা কামাল সবাইকে পিছু হটতে আদেশ দিলেন কেন?

          উত্তর : পিছু না হটলে পাকি¯ত্মানিদের আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধাদের সবার নিশ্চিত মৃত্যু ঘটত। তাঁদের জীবন রড়্গার্থে মোস্তফা কামাল সবাইকে পিছু হটতে আদেশ দিলেন।

ঝ)      মোস্তফা কামাল কীভাবে তাঁর সাথি মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন রড়্গা করলেন?

          উত্তর : মোস্তফা কামাল তাঁর সাথি মুক্তিযোদ্ধাদের পিছু হটতে আদেশ দিলেন। আর নিজে মৃত্যুর আগ পর্যšত্ম মেশিনগান দিয়ে অনবরত গুলি চালিয়ে গেলেন। তাঁর গুলির তোড়ে শত্রম্নরা সামনে এগোত পারল না। এই অবসরে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে পিছু হটলেন। এভাবে মোস্তফা কামাল নিজের জীবনের বিনিময়ে তাঁর সাথি মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন রড়্গা করলেন।

ঞ)     বাংলাদেশ সরকার মোস্তফা কামালকে কোন খেতাবে ভূষিত করেছে?

          উত্তর : বাংলাদেশ সরকার মোস্তফা কামালকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করেছে।

বুঝিয়ে লেখ।

তিনি একাই যেন মুক্তিবাহিনীর একটা দুর্গ

উত্তর : আলোচ্য অংশটি ‘একাই একটি দুর্গ’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে।

এখানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের বীরত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

মোস্তফা কামাল দরম্নইনের যুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দেন। যুদ্ধের সময় শত্রম্নদের আক্রমণ মোকাবেলার জন্য দুর্গ তৈরি করা হয়। পাকি¯ত্মানিদের আক্রমণের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা অসহায় হয়ে পড়লে মোস্তফা কামাল একাই যুদ্ধ করে তাদের জীবন রড়্গা করেন। তাঁর প্রতিরোধ ছিল দুর্গের মতোই শক্তিশালী।

প্রাথমিক সমাপনী নমুনা প্রশ্ন উত্তর

 পাঠ্য বইভিত্তিক

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।

এপ্রিল ১৯৭১। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এগিয়ে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে। তাদের ঠেকানোর জন্য লড়াই করছেন মুক্তিযোদ্ধারা। অবস্থান নিয়েছেন দরম্নইন গ্রামে। দলে মাত্র দশ জন সৈন্য। আর তার অধিনায়ক হচ্ছেন সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। ১৮ই এপ্রিল ১৯৭১। সকাল বেলা সারা আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল। সকাল এগারোটা। শুরম্ন হলো প্রচ- বৃষ্টি। আর সেই সঙ্গে শত্রম্নর গোলাবর্ষণ। এগিয়ে আসতে লাগল পাকিস্তানি বাহিনী। বেলা বারোটা। আক্রমণ হলো আরও তীব্র। মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টা গুলি তার সামনে কিছুই না। হঠাৎ একটা গুলি এসে বিঁধল এক মুক্তিযোদ্ধার বুকে। তিনি মেশিনগান চালাচ্ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল মেশিনগান। মোস্তফা কামাল পাশেই ছিলেন। তিনি এক মুহূর্ত দেরি না করে চালাতে লাগলেন মেশিনগান।

১.       সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।

১)       ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে কারা এগিয়ে আসছিল?

          (ক)     মুক্তিযোদ্ধারা           (খ)     হানাদাররা

          (গ)     রাজাকাররা  (ঘ)      সাধারণ মানুষেরা

২)      মুক্তিযোদ্ধাদের দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কে?

          (ক)     নান্নু মিয়া      (খ)     মোস্তফা কামাল

          (গ)     শেখ মুজিবুর রহমান         (ঘ)      মোস্তফা মিয়া

৩)      মেশিনগান বন্ধ হয়ে গেল 

          (ক)     একজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হওয়ায়

          (খ)     মোস্তফা কামাল লুকিয়ে থাকায়

          (গ)     সব মুক্তিযোদ্ধা পিছু হটায়

          (ঘ)      গুলি ফুরিয়ে যাওয়ায়

৪)       ১৯৭১ সালের ১৮ই এপ্রিল বৃষ্টির সাথে সাথে কী শুরম্ন হলো?

          (ক)     বজ্রপাত       (খ)     বন্যা

          (গ)     গোলাবর্ষণ     (ঘ)      বোমাবর্ষণ

৫)      মুক্তিযোদ্ধারা সংখ্যায় ছিলেন 

          (ক)     অনেক বেশি (খ)     যথেষ্ট 

          (গ)     অনেক কম  (ঘ)      মাত্র নয় জন

          উত্তর : ১) (খ) হানাদাররা;   ২) (খ) মোস্তফা কামাল;  ৩) (ক) একজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হওয়ায়; ৪) (গ)  গোলাবর্ষণ; ৫) (গ) অনেক কম।

২.      নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।

হানাদার, অধিনায়ক, আড়াল, লড়াই, শীতল।

          উত্তর : শব্দ              অর্থ

          হানাদার        –        আক্রমণকারী।

          অধিনায়ক     –        দলনেতা।

          আড়াল         –        আবরণ, পর্দা।

          লড়াই             –       যুদ্ধ।

          শীতল           –        ঠাণ্ডা।

৩.      নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

ক)     মুক্তিযোদ্ধারা দরম্নইন গ্রামে কেন অবস্থান নিয়েছিলেন?

          উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদারদের প্রতিরোধ করতে দরম্নইন গ্রামে অবস্থান নিয়েছিলেন।

খ)      ১৯৭১ সালে ১৮ই এপ্রিল সকাল বেলার আবহাওয়া কেমন ছিল?

          উত্তর : ১৯৭১ সালের ১৮ই এপ্রিল সকাল বেলা সারা আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল। সকাল এগারোটা থেকে প্রচ- বৃষ্টি শুরম্ন হয়।

গ)      সকাল এগারোটায় কী কী ঘটল?

          উত্তর : সকাল এগারোটার সময় প্রচ- বৃষ্টি শুরম্ন হলো। সেই সঙ্গে শুরম্ন হলো শত্রম্নর গোলাবর্ষণ। মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকল পাকিস্তানি বাহিনী।

৪.      অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।

উত্তর : পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দরম্নইন গ্রামে লড়াই করছিলেন দশ জন মুক্তিযোদ্ধা। সিপাহি মোস্তফা কামাল ছিলেন তাঁদের অধিনায়ক। ১৮ই এপ্রিল সকাল এগারোটা থেকে প্রচ- বৃষ্টি আর শত্রম্নর গোলাবর্ষণ শুরম্ন হলো। হানাদার বাহিনীর আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা টিকতে পারছিলেন না। এরই মাঝে একজন মুক্তিযোদ্ধা শত্রম্নর গুলিতে লুটিয়ে পড়লে মোস্তফা কামাল সাথে সাথে মেশিনগান চালানোর দায়িত্ব নিলেন।

এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- ৫. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন,  ৬. শূন্যস্থান পূরণ ও  ৭. প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।

পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীড়্গায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীড়্গার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।

৮.      নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।

হ্ম, গ্র, ম্ম, লস্ন, ত¥।

উত্তর :

হ্ম      =        হ + ম –        ব্রাহ্মণ

          –        সুবল ব্রাহ্মণ জাতের লোক।

গ্র       =        গ + র-ফলা (  ্র )  –        আগ্রহ

          –        ও কাজে আমার আগ্রহ নেই।

ম্ম      =        ম + ম –        আম্মু

          –        আমার আম্মু আমাকে খুব আদর করে।

লস্ন     =        ল + ল –        উলস্নাস

          –        খেলায় জিতে সবাই খুব উলস্নাস করল।

ত¥       =        ত + ম-ফলা ( ¥ )      –        আত¥দান

          –        শহিদদের আত¥দানের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

৯.      সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।

ভারি অস্ত্রশস্ত্র তাদের তেমন নেই তাদের হয় সামনাসামনি যুদ্ধ করতে হবে না হয় পিছু হটতে হবে কিন্তু পিছু হটতে চাইলেও কিছুটা সময় দরকার ততড়্গণ অবিরাম গুলি চালিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে হবে দুশমনদের এ দায়িত্ব কে নেবে

উত্তর : ভারি অস্ত্রশস্ত্র তাদের তেমন নেই। তাদের হয় সামনাসামনি যুদ্ধ করতে হবে না হয় পিছু হটতে হবে। কিন্তু পিছু হটতে চাইলেও কিছুটা সময় দরকার। ততড়্গণ অবিরাম গুলি চালিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে হবে দুশমনদের। এ দায়িত্ব কে নেবে?

১০.     এককথায় প্রকাশ কর।

          ক)      ভয় নেই যার; খ)      কবরে শায়িত; গ) শত্রম্নর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মাটির মধ্যে তৈরি গর্ত; ঘ) একটুও না থেমে; ঙ) বীরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।

উত্তর : ক) অকুতোভয়; খ) সমাহিত; গ) পরিখা; ঘ) অনবরত; ঙ) বীরশ্রেষ্ঠ।

১১.     নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ। 

          নির্বিঘ্ন, অবিরাম, দ্রম্নত, সাবধান, সর্বোচ্চ।

          উত্তর :          শব্দ              বিপরীত শব্দ

                              নির্বিঘ্ন      –     বিঘ্ন

                           অবিরাম      –    বিরাম

                               দ্রম্নত      –    ধীরে

                           সাবধান      –    অসাবধান

                             সর্বোচ্চ    –    সর্বনিম্ন

১২.    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

          (গদ্যের ড়্গেেত্র প্রযোজ্য নয়)

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *