ভাষা শহিদদের কথা- আমার বাংলা বই ৩য় শ্রেনী
ভাষা শহিদদের কথা
- রচনাটি পড়ে জানতে পারব
- ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে
- মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা
- ভাষাশহিদদের পরিচয়
ভাষাশহিদদের আত¥ত্যাগের কথা
রচনাটির মূলভাব জেনে নিই
রচনাটিতে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন এবং এ আন্দোলনে শহিদদের কথা বলা হয়েছে। পাকি¯ত্মান সরকার উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। কিন্তু এদেশের ছাত্র-জনতা তার প্রতিবাদ জানায়। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সবাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রম্নয়ারি পুলিশ ভাষা আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালায়। রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে শহিদ হন। ভাষাশহিদদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলায় কথা বলার অধিকার। আমরা তাঁদের চিরকাল মনে রাখব।
বানানগুলো লড়্গ করি
ফেব্রম্নয়ারি, বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্রভাষা, উর্দু, তরম্নণ, বাঙালি, বেপরোয়া, ভাষাশহিদ, শাশুড়ি, গফরগাঁও, চিকিৎসা, মৃত্যুবরণ, ব্যবসা, সম্মান, আত¥ত্যাগ, শ্রদ্ধা, ফাল্গুন।
অনুশিলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
থমথমে মিছিল টগবগে বেপরোয়া হাসপাতাল ব্যবসায় অসুস্থ মাতৃভাষা আত¥ত্যাগ অমর
উত্তর :
থমথমে – বিপদের ভয়ে নীরব অবস্থা।
মিছিল – শোভাযাত্রা।
টগবগে – গরম হয়ে ওঠা, রাগে উত্তেজিত হয়ে ওঠা।
বেপরোয়া – ভয়হীন। কোনো বাধা-নিষেধ মানে না এমন।
হাসপাতাল – চিকিৎসালয়।
ব্যবসায় – কারবার। বাণিজ্য।
অসুস্থ – সুস্থ নয়। রম্নগ্ণ। পীড়িত।
মাতৃভাষা – মায়ের মুখ থেকে শিশু যে ভাষা শেখে।
আত্তত্যাগ – নিজের প্রাণ উৎসর্গ করা।
অমর – যার মৃত্যু নেই। চিরদিনের জন্য স্মরণীয়।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
মিছিলে টগবগে হাসপাতালে
মাতৃভাষা অমর বেপরোয়া
উত্তর :
ক) তরম্নণদের মধ্যে সব সময় টগবগে ভাব।
খ) একুশে ফেব্রম্নয়ারির মিছিলে খালি পায়ে যেতে হয়।
গ) অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
ঘ) বাংলা আমাদের মাতৃভাষা ।
ঙ) সবকিছুতে তার বেপরোয়া ভাব।
চ) দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ দেন তাঁরা অমর ।
৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি।
ফাল্গুন বল্গা
অসুস্থ মুখস্থ, দুস্থ
সম্মান আম্মা
রাষ্ট্রভাষা (র-ফলা) উষ্ট্র, লোষ্ট্র
৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন Ñ
১. রফিক ২. সালাম
৩. বরকত ৪. জব্বার
খ) রফিকের বাবা কী করতেন?
১. ব্যবসায় ২. কৃষিকাজ
৩. চাকরি ৪. শিড়্গকতা
গ) আবদুস সালামের বাড়ি কোন জেলায়?
১. মানিকগঞ্জ ২. ঢাকা
৩. ময়মনসিংহ ৪. ফেনী
উত্তর : ক) ৩. বরকত; খ) ১. ব্যবসায়; গ) ৪. ফেনী।
৫. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় বসাই।
ক) কিছু কিছু গাছে নতুন গজিয়েছে। মাতৃভাষাকে
খ) পুলিশ করতে নিষেধ করেছে। পাতা
গ) টগবগে তরম্নণরা । বেপরোয়া
ঘ) এই ভাষাশহিদেরা ভালোবাসতেন। মিছিল
উত্তর : ক) কিছু কিছু গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে।
খ) পুলিশ মিছিল করতে নিষেধ করেছে।
গ) টগবগে তরম্নণরা বেপরোয়া।
ঘ) এই ভাষাশহিদেরা মাতৃভাষাকে ভালোবাসতেন।
৬. নাম বোঝায় এমন শব্দ লিখি।
উত্তর :
মাসের নাম ফেব্রম্নয়ারি, ফাল্গুন
ফুলের নাম পলাশ, গাঁদা
জায়গার নাম ঢাকা, ফেনী
৭. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
গরিব ধনী সম্ভব অসম্ভব জীবন মরণ নতুন পুরনো
উত্তর :
ক) ধনী হলেও তিনি ভালো মানুষ।
খ) ভাষার দাবিতে ছাত্ররা জীবন দিয়েছিলেন।
গ) লেখাপড়া না করে ভালো ফলাফল করা অসম্ভব ।
ঘ) বসšত্মকালে গাছে নতুন পাতা গজায়।
৮. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক) ছাত্ররা কী দাবি জানিয়েছিল?
উত্তর : ছাত্ররা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়েছিল।
খ) পাকি¯ত্মানিরা কী চেয়েছিল?
উত্তর : পাকি¯ত্মানিরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। তারা বাঙালির মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল।
গ) ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রম্নয়ারি কে কে শহিদ হয়েছিলেন?
উত্তর : ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রম্নয়ারি রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ আরও নাম না জানা অনেকে শহিদ হয়েছিলেন।
ঘ) ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের আমরা কী নামে ডাকি?
উত্তর : ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের আমরা ভাষাশহিদ নামে ডাকি।
ঙ) রফিকউদ্দিন আহমদ কেন ঢাকায় এসেছিলেন?
উত্তর : রফিকউদ্দিন আহমদ তাঁর বাবাকে ব্যবসায়ে সাহায্য করার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন।
চ) আবদুল জব্বারের বাড়ি কোথায়?
উত্তর : আবদুল জব্বারের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে।
ছ) ভাষাশহিদেরা কিসের জন্য জীবন দিয়েছিলেন?
উত্তর : ভাষাশহিদেরা মায়ের ভাষার মর্যাদা রড়্গা করতে জীবন দিয়েছিলেন। তাঁদের প্রাণের বিনিময়েই আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করেছি।
জ) ফেব্রম্নয়ারি মাসে ফোটে এমন কয়েকটি ফুলের নাম কী কী?
উত্তর : ফেব্রম্নয়ারি মাসে ফোটে এমন কয়েকটি ফুল হলোÑ পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, ডালিয়া, গাঁদা ইত্যাদি।
ঝ) ভাষাশহিদেরা কেন অমর?
উত্তর : ভাষাশহিদেরা মাতৃভাষাকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। বাংলা ভাষার সম্মান রড়্গার জন্য তাঁরা অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন। এই মহান আত¥ত্যাগের কারণেই ভাষাশহিদেরা অমর।
৯. নিচের শব্দগুলো দিয়ে মুখে মুখে বাক্য বলি ও লিখি।
উত্তর :
পাতা – বসšত্মকালে গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়।
ভাষা – আমাদের মাতৃভাষা বাংলা।
ডাক্তার – খুকি ডাক্তার হতে চায়।
গুলি – পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়।
ত্যাগ – শহিদদের ত্যাগের তুলনা হয় না।
১০. ছবি দেখি। ছবি নিয়ে ভাবি। বাক্য বলি ও লিখি।
উত্তর : ছবিটি ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দেয়। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল পাকি¯ত্মান সরকার। কিন্তু এ দেশের মানুষ তাদের মুখের ভাষার অধিকার হারাতে চায়নি। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ২১শে ফেব্রম্নয়ারি মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। সেই মিছিলেরই একটি চিত্র প্রকাশিত হয়েছে উপরে।
অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
সঠিক উত্তরটি লেখ ।
১. ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রম্নয়ারির দিন বাংলা কোন মাস ছিল?
ক অগ্রহায়ণ খ ফাল্গুন গ পৌষ ঘ মাঘ
২. কারা মিছিল করতে নিষেধ করেছিল?
ক মিলিটারি খপুলিশ গ ছাত্ররা ঘ ব্যবসায়ীরা
৩. পুলিশ গুলি চালিয়েছিল কোথায়?
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়
খ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়
গ ধানম-ি এলাকায়
ঘ গুলি¯ত্মান এলাকায়
৪. আবুল বরকত কখন মারা যান?
ক একুশে ফেব্রম্নয়ারি সকালে খ একুশে ফেব্রম্নয়ারি বিকালে
গ একুশে ফেব্রম্নয়ারি দুপুরে ঘ একুশে ফেব্রুয়ারি রাতে
৫. রফিকউদ্দিনের বাড়ি কোথায় ছিল?
ক ময়মনসিংহে খ ঢাকায়
গ নোয়াখালীতে ঘ মানিকগঞ্জে
৬. পুলিশের গুলি রফিকউদ্দিনের কোথায় লেগেছিল?
ক বুকে খ পিঠে
গ মাথায় ঘ কাঁধে
৭. পুলিশের গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মারা যান কে?
ক আবুল বরকত খ রফিকউদ্দিন
গ আবদুল জব্বার ঘ আবদুস সালাম
৮. আবদুস সালাম কোথায় চাকরি করতেন?
ক ময়মনসিংহে খ নোয়াখালীতে
গ ঢাকায় ঘ বিদেশে
৯. কাকে দেড় মাস চিকিৎসা করেও বাঁচানো গেল না?
ক আবদুল জব্বারকে খ আবদুস সালামকে
গ রফিকউদ্দিনকে ঘ আবুল বরকতকে
১০. ভাষা আন্দোলন কত সালে হয়েছিল?
ক ১৯৪৭ সালে খ ১৯৫২ সালে
গ ১৯৬৬ সালে ঘ ১৯৭১ সালে
নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
ভাষাশহিদ, ডাক্তার, শ্রদ্ধা।
উত্তর:
শব্দ অর্থ
ভাষাশহিদ – ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন।
ডাক্তার – যিনি চিকিৎসা করেন।
শ্রদ্ধা – সম্মান।
নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
তারিখ, এলাকা, দাবি, মিছিল, অমর।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
তারিখ – ৫ তারিখ থেকে পরীড়্গা শুরম্ন।
এলাকা – আমাদের এলাকার রা¯ত্মাঘাট উন্নত।
দাবি – ছাত্ররা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানায়।
মিছিল – ভাষার দাবিতে ছাত্ররা মিছিল করেছিল।
অমর – বীরশ্রেষ্ঠগণ চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন।
নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ল্প, šত্ম, ত¥, তৃ।
উত্তর :
ল্প = ল + প – গল্প
– দাদি রাতে গল্প শোনান।
šত্ম = ন + ত – শাšত্ম
– শীতে নদী শাšত্ম থাকে।
ত¥ = ত + ম – ফলা ( § ) – আত¥ীয়
– ছুটিতে আত¥ীয়-স্বজনদের বাড়ি গেলাম।
তৃ = ত + ঋ-কার ( ৃ ) – তৃণভোজী
– গরম্ন তৃণভোজী প্রাণী।
শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) বাংলাকে করার দাবি ছাত্রদের।
খ) চারিদিকে ভাব।
গ) তাঁরা জীবন দিয়ে বাংলা ভাষার রড়্গা করেছেন।
ঘ) তাঁদের কথা ভুলে যাওয়ার নয়।
উত্তর : ক) রাষ্ট্রভাষা; খ) থমথমে; গ) সম্মান; ঘ) ত্যাগের।
ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।
ফেনীতে বাড়ি রফিকউদ্দিনের।
মাথায় গুলি লাগে আবদুস সালামের।
পুলিশ গুলি করল ভাষাশহিদেরা।
ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন সম্মান।
মিছিলে।
আবদুল জব্বারের।
উত্তর :
ফেনীতে বাড়ি – আবদুস সালামের।
মাথায় গুলি লাগে – রফিকউদ্দিনের।
পুলিশ গুলি করল – মিছিলে।
ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন – ভাষাশহিদেরা।
নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ।
ফেব্রম্নয়ারী, রাষ্টভাষা, তরম্নন, অসুস্থ্য, সন্মান, শ্বাশুড়ি,
ব্যাবসায়, ঊর্দু, মিচিল, বেপোরোয়া, আত্নত্যাগ।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
ফেব্রম্নয়ারী – ফেব্রম্নয়ারি
রাষ্টভাষা – রাষ্ট্রভাষা
তরম্নন – তরম্নণ
অসুস্থ্য – অসুস্থ
সন্মান – সম্মান
শ্বাশুড়ি – শাশুড়ি
ব্যাবসায় – ব্যবসায়
ঊর্দু – উর্দু
মিচিল – মিছিল
বেপোরোয়া – বেপরোয়া
আত্নত্যাগ – আত¥ত্যাগ
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) আবুল বরকত পড়ার টেবিল ছেড়ে ছুটে এসেছিলেন কেন?
উত্তর : বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এদেশের ছাত্র-জনতা। সে আন্দোলনে যোগ দিতে চেয়েছিলেন আবুল বরকতও। এ কারণেই ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রম্নয়ারি পড়ার টেবিল ছেড়ে মিছিলে ছুটে এসেছিলেন তিনি।
খ) বাঙালির মুখের ভাষাকে কারা কেড়ে নিতে চেয়েছিল?
উত্তর : পাকি¯ত্মান সরকার বাঙালির মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল।
গ) রফিকউদ্দিনের বাবার ব্যবসায় কোথায় ছিল?
উত্তর : রফিকউদ্দিনের বাবার ব্যবসায় ছিল ঢাকার বাদামতলিতে।
ঘ) রফিকউদ্দিন আহমদ কীভাবে শহীদ হন?
উত্তর : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ছাত্র-জনতার মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন রফিকউদ্দিন আহমদ। পুলিশ মিছিলে গুলি চালালে মাথায় গুলি লাগে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি শহিদ হন ।
ঙ) আবদুল জব্বার বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি কেন?
উত্তর : আবদুল জব্বারের পরিবার ছিল দরিদ্র। তাই তিনি বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেন নি।
চ) আবদুল জব্বার ঢাকায় এসেছিলেন কেন?
উত্তর : অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসার জন্য আবদুল জব্বার ঢাকায় এসেছিলেন।
ছ) ভাষাশহিদ আবদুস সালামের বাড়ি কোথায়?
উত্তর : ভাষাশহিদ আবদুস সালামের বাড়ি ফেনী জেলায়।
জ) আমরা ভাষাশহিদদের স্মরণ করি কেন?
উত্তর : ভাষাশহিদেরা দেশকে ও মাতৃভাষাকে ভালোবাসতেন। তাঁদের আত¥ত্যাগের ফলেই আমরা স্বাধীনভাবে বাংলায় কথা বলতে পারছি। তাই আমরা তাঁদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
বুঝিয়ে লেখ।
তাঁরা জীবন দিয়ে বাংলা ভাষার সম্মান রড়্গা করেছেন।
উত্তর : আলোচ্য বাক্যটি ‘ভাষাশহিদদের কথা’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এখানে ভাষাশহিদদের মহান আত¥ত্যাগের কথা বলা হয়েছে।
ভাষাশহিদরা মাতৃভাষাকে ভালোবাসতেন। মাতৃভাষার মর্যাদা রড়্গার জন্য তাঁরা জীবন দিয়েছেন। তাঁদের আত¥ত্যাগের ফলে বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা হয়েছে। তাঁদের এই ত্যাগের কথা ভুলে যাওয়ার নয়।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি ছাত্রদের। পাকি¯ত্মান সরকার চায় উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে। কিন্তু ছাত্র-জনতা তা মানবে না। তারা মিছিল করবে। টগবগে তরম্নণরা বেপরোয়া। প্রয়োজনে তারা জীবন দেবে। মায়ের ভাষার দাবি ছাড়বে না। মিছিল বের হলো। পুলিশ গুলি করল। গুলিতে নিহত হলো রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে। তাঁরা আমাদের ভাষাশহিদ। এই ভাষাশহিদেরা মাতৃভাষাকে ভালোবাসতেন। তাঁরা জীবন দিয়ে বাংলা ভাষার সম্মান রড়্গা করেছেন। তাঁদের আত¥ত্যাগের ফলে বাংলা রাষ্ট্রভাষা হয়েছে। আমরা কখনো তাঁদের ভুলব না।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) অনুচ্ছেদে কী প্রকাশিত হয়েছে?
(ক) ভাষাশহিদের জন্মপরিচয়
(খ) ভাষাশহিদদের মহান ত্যাগের পরিচয়
(গ) মাতৃভাষায় কথা বলার আনন্দ
(ঘ) মাতৃভাষা শেখার গুরম্নত্ব
২) ছাত্রদের দাবি কী ছিল?
(ক) উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার
(খ) বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার
(গ) বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার
(ঘ) মিছিলে বাধা না দেওয়ার
৩) মিছিলে গুলি চালাল কারা?
(ক) পুলিশ (খ) ছাত্ররা
(গ) জনতা (ঘ) ভাষাশহিদরা
৪) রফিক ও সালামকে আমরা বলি
(ক) শহিদ বুদ্ধিজীবী (খ) জাতীয় নেতা
(গ) মুক্তিযোদ্ধা (ঘ) ভাষাশহিদ
৫) পাকি¯ত্মানিরা কী চেয়েছিল?
(ক) বাঙালির মুখের কথা কেড়ে নিতে
(খ) মিছিল করতে
(গ) বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে
(ঘ) ভাষার জন্য জীবন দিতে
উত্তর : ১) (খ) ভাষাশহিদদের মহান ত্যাগের পরিচয়; ২) (গ) বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার; ৩) (ক) পুলিশ; ৪) (ঘ) ভাষাশহিদ; ৫) (ক) বাঙালির মুখের ভাষা কেড়ে নিতে।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
মাতৃভাষা, আত¥ত্যাগ, বেপরোয়া, মিছিল, টগবগে।
উত্তর :
শব্দ অর্থ
মাতৃভাষা – মায়ের মুখ থেকে শিশু যে ভাষা শেখে।
আত¥ত্যাগ – নিজের প্রাণ উৎসর্গ করা।
বেপরোয়া – ভয়হীন।
মিছিল – শোভাযাত্রা।
টগবগে – রাগে উত্তেজিত হয়ে ওঠা।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) পুলিশের গুলিতে কারা নিহত হলেন?
উত্তর : পুলিশের গুলিতে রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে নিহত হলেন।
খ) ভাষাশহিদেরা কিসের জন্য জীবন দিয়েছিলেন?
উত্তর : ভাষাশহিদেরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলার সম্মান রড়্গার জন্য জীবন দিয়েছিলেন।
গ) আমরা ভাষাশহিদদের ভুলব না কেন?
উত্তর : ভাষাশহিদেরা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার রড়্গার জন্য জীবন দিয়েছেন। তাঁদের আত¥ত্যাগের ফলেই আমরা স্বাধীনভাবে বাংলায় কথা বলতে পারছি। তাই আমরা তাঁদের কোনোদিন ভুলব না।
৪. অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : বাংলার বদলে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল পাকি¯ত্মান সরকার। ছাত্ররা মায়ের ভাষার দাবিতে মিছিল করে। পুলিশ সে মিছিলে গুলি চালালে নিহত হন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ অনেক ভাষাশহিদ। তাঁদের এই আত¥ত্যাগের কারণেই আমরা স্বাধীনভাবে বাংলায় কথা বলতে পারছি। আমরা ভাষাশহিদদের চিরদিন মনে রাখব।
এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- ৫. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, ৬. শূন্যস্থান পূরণ ও ৭. প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীড়্গায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীড়্গার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
শ্ব, ¯ত্ম, ব্ব, ন্ধ, ক্ত।
উত্তর :
শ্ব = শ + ব-ফলা ( ^ ) – বিশ্ব
– বিশ্বকে জানার আগ্রহ সবারই আছে।
¯ত্ম = স + ত – স¯ত্মা
– আজ বাজারে ইলিশ খুব স¯ত্মা।
ব্ব = ব + ব – আব্বা
– আব্বা আমাকে খুব ভালোবাসেন।
ন্ধ = ন + ধ – অন্ধ
– অন্ধকে রা¯ত্মা পার হতে সাহায্য করো।
ক্ত = ক + ত – রক্ত
– রক্তের রং লাল।
৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
মিছিল বের হলো পুলিশ গুলি করল গুলিতে নিহত হলেন রফিক সালাম বরকত জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে
উত্তর : মিছিল বের হলো। পুলিশ গুলি করল। গুলিতে নিহত হলেন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে।
১০. এককথায় প্রকাশ কর।
ক) বিপদের ভয়ে নীরব অবস্থা; খ) যার মৃত্যু নেই; গ) বাধা নিষেধ মানে না এমন; ঘ) নিজের প্রাণ উৎসর্গ করা; ঙ) সুস্থ নয় যে।
উত্তর : ক) থমথমে; খ) অমর; গ) বেপরোয়া; ঘ) আত¥ত্যাগ; ঙ) অসুস্থ।
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
মৃত্যু, অসুস্থ, শ্রদ্ধা, ত্যাগ, অমর।
উত্তর : শব্দ বিপরীত শব্দ
মৃত্যু – জন্ম
অসুস্থ – সুস্থ
শ্রদ্ধা – অশ্রদ্ধা
ত্যাগ – গ্রহণ
অমর – মরণশীল
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(গদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)