চল্ চল্ চল্ -আমার বাংলা বই ৩য় শ্রেনী
চল্ চল্ চল্
কাজী নজরম্নল ইসলাম
কবি পরিচিত
নাম : কাজী নজরম্নল ইসলাম।
জন্ম : ২৪শে মে ১৮৯৯, পশ্চিমবঙ্গের চুরম্নলিয়ায়।
মৃত্যু : ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬, ঢাকায়।
উলেস্নখযোগ্য শিশুবিষয়ক গ্রন্থ : ঝিঙে ফুল, পিলেপটকা, ঘুমপাড়ানী মাসিপিসি।
কবিতাটি পড়ে জানতে পারব
বাধা জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা সম্পর্কে
তারম্নণ্যের শক্তি সম্পর্কে
নতুনের জয়গান সম্পর্কে
কবিতাটির মূলভাব জেনে নিই
তরম্নণদের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। তারাই দেশের মূল প্রাণশক্তি। তারম্নণ্যের শক্তিতে তারা সব অন্ধকারের বাধা ডিঙিয়ে আলোকিত দিন আনবে। তাদের স্পর্শে সবকিছু সজীব হয়ে উঠবে।
বানানগুলো লক্ষ করি
ঊর্ধ্ব, ধরণী, অরম্নণ, উষা, রাঙা, বিন্ধ্যাচল, নবীন, সজীব, মহাশ্মশান।
অনুশীলন প্রশ্ন ও উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
ঊর্ধ্ব গগন মাদল নিম্নে উতলা ধরণী
অরম্নণ প্রাতে উষা প্রভাত টুটাব তিমির
বিন্ধ্যাচল নবীন সজীব শ্মশান
উত্তর :
ঊর্ধ্ব – উপরের দিক।
গগন – আকাশ।
মাদল – ঢোলের মতো বাদ্যযন্ত্র।
নিম্নে – নিচে।
উতলা – ব্যাকুল। অস্থির।
ধরণী – পৃথিবী।
অরম্নণ – সকালের সূর্য।
প্রাতে – সকালে।
উষা – ভোরবেলা।
প্রভাত – সকাল।
টুটাব – ভাঙব। দূর করব।
তিমির – অন্ধকার।
বিন্ধ্যাচল – বিন্ধ্যা পর্বত।
নবীন – নতুন।
সজীব – সতেজ। জীবšত্ম।
শ্মশান – মৃতদেহ পোড়ানোর স্থান।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
নবীনদের ধরণী প্রভাতে উতলা
বিন্ধ্যাচল মাদল সজীব
উত্তর :
ক) তিনি প্রভাতে বই পড়েন।
খ) সাঁওতালরা নাচের সময় মাদল বাজায়।
গ) আমরা নবীনদের বরণ করি।
ঘ) তরম্নণটি সব সময় সজীব ।
ঙ) ধরণী খুবই সুন্দর।
চ) মা সšত্মানের জন্য উতলা হয়েছেন।
ছ) বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম।
৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি।
ঊর্ধ্ব (ব-রেফ)
নিম্নে
বিন্ধ্যাচল (য-ফলা) অন্ধ, বন্ধ
মহাশ্মশান ( ¥-ফলা) রশ্মি
৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক) মাদল বাজে কোথায়?
১. ঊর্ধ্ব গগনে ২. ধরণীতলে
৩. উষার দুয়ারে ৪. মহাশ্মশানে
খ) অরুণ প্রাতের দলে কারা আছে?
১. শিশুরা ২. কিশোরেরা
৩. তরম্নণেরা ৪. প্রবীণেরা
উত্তর : ক) ১. ঊর্ধ্ব গগনে; খ) ৩. তরম্নণেরা।
৫. কথাগুলো বুঝে নিই এবং লিখি।
ক) আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
তরম্নণেরা সজীব প্রাণের অধিকারী। তারা সব সময় অন্ধকার দূর করতে চায়। তারা এজন্য সব বাধা ডিঙিয়ে যাবে।
খ) নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান
মহাশ্মশানে প্রাণের আনন্দ নেই। কিন্তু তরম্নণেরা নতুনের গান গেয়ে মহাশ্মশানকেও সজীব করে তুলবে।
৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক) সারি বেঁধে কারা চলেছে?
উত্তর : তরম্নণেরা সারি বেঁধে চলেছে।
খ) কারা তিমির দূর করবে?
উত্তর : তরম্নণেরা তিমির দূর করবে।
গ) বিন্ধ্যাচল কী?
উত্তর : বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম।
৭. আগের চরণটি বলি ও লিখি।
ক) ……………………………………
নিম্নে উতলা ধরণীতল
খ) ……………………………………
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
গ) ……………………………………
সজীব করিব মহাশ্মশান
উত্তর ক )ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণীতল
খ) উষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
গ) নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান
৮. একই অর্থের শব্দ জেনে নিই।
গগন – আকাশ, আসমান, নভ।
ধরণী – পৃথিবী, অবনী, জগৎ।
৯. তালে তালে পা ফেলে আমরা কবিতাটি আবৃত্তি করি।
উত্তর : সহপাঠীরা একসঙ্গে মিলে চেষ্টা কর।
১০. কবিতাটি লিখি।
উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে খাতায় লেখ।
১১. সবাই মিলে কবিতাটি সুর করে গাই।
উত্তর : সহপাঠীরা একসঙ্গে মিলে চেষ্টা কর।
অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
গগন, তরম্নণ, সজীব।
উত্তর : শব্দ বাক্য
গগন – রাতের বেলা গগনে চাঁদ দেখা যায়।
তরম্নণ – তরম্নণেরা দেশের সম্পদ।
সজীব – বর্ষাকালে গাছপালা সজীব হয়ে ওঠে।
শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) ঊর্ধ্ব গগনে বাজে —–।
খ) আমরা আনিব —– প্রভাত।
গ) আমরা টুটাব —– রাত।
ঘ) —– করিব মহাশ্মশান।
উত্তর : ক) মাদল; খ) রাঙা; গ) তিমির; ঘ) সজীব।
ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।
আমরা দানিব বাধার বিন্ধ্যাচল।
অরম্নণ প্রাতের রাঙা প্রভাত।
আমরা আনিব নতুন প্রাণ।
তরম্নণ দল।
উত্তর : আমরা দানিব – নতুন প্রাণ।
অরম্নণ প্রাতের – তরুণ দল।
আমরা আনিব – রাঙা প্রভাত।
নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
ঊর্ধ্ব, নবীন, সজীব, নতুন।
উত্তর : শব্দ বিপরীত শব্দ
ঊর্ধ্ব – নিম্ন
নবীন – প্রবীণ
সজীব – নির্জীব
নতুন – পুরাতন
নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ।
ঊধ্ব, ধরনী, ঊশা, বিন্দ্যাচল, মহাশ্নশান।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
ঊধ্ব – ঊর্ধ্ব
ধরনী – ধরণী
ঊসা – উষা
বিন্দ্যাচল – বিন্ধ্যাচল
মহাশ্নশান – মহাশ্মশান
নিচের কোনটি কোন পদ লেখ।
গগন, টুটাব, রাঙা, গান, সজীব।
উত্তর :
শব্দ পদ
গগন – বিশেষ্য
টুটাব – ক্রিয়া
রাঙা – বিশেষণ
গান – বিশেষ্য
সজীব – বিশেষণ
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) তরম্নণেরা কোথায় আঘাত হেনে রাঙা প্রভাত আনবে?
উত্তর : তরম্নণেরা উষার দুয়ারে আঘাত হেনে রাঙা প্রভাত আনবে।
খ) কাদের বাহুতে নবীন বল?
উত্তর : তরম্নণদের বাহুতে নবীন বল।
প্রাথমকি সমাপনি নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর
নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
উষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত,
বাধার বিন্ধ্যাচল।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) কবিতাংশে বলা হয়েছে
(ক) তারম্নণ্যের শক্তির কথা
(খ) পাহাড় পেরিয়ে যাওয়ার কথা
(গ) দিন ও রাতের সৌন্দর্যের কথা
(ঘ) বসšেত্মর সজীবতার কথা
২) ‘মহাশ্মশান’ শব্দটির যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত?
(ক) ‘শ’ ও ‘ন’ (খ) ‘শ’ ও ‘ণ’
(গ) ‘শ’ ও ‘ম’ (ঘ) ‘শ’ ও ‘থ’
৩) উষার দুয়ারে আঘাত হেনে তরম্নণেরা কী আনবে?
(ক) নবীন বল (খ) রাঙা প্রভাত
(গ) নতুন প্রাণ (ঘ) তিমির রাত
৪) কারা তিমির দূর করবে?
(ক) তরম্নণেরা (খ) বৃদ্ধরা
(গ) শিশুরা (ঘ) কিশোরেরা
৫) তরম্নণদের বাহুতে কী?
(ক) উতলা ধরণী (খ) আঘাতের চিহ্ন
(গ) নতুন প্রাণ (ঘ) নবীন বল
উত্তর : ১) (ক) তারম্নণ্যের শক্তির কথা; ২) (গ) ‘শ’ ও ‘ম’; ৩) (খ) রাঙা প্রভাত; ৪) (ক) তরম্নণেরা; ৫) (ঘ) নবীন বল।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
উষা, প্রভাত, নবীন, শ্মশান, তিমির।
উত্তর :
শব্দ অর্থ
উষা – ভোরবেলা।
প্রভাত – সকাল।
নবীন – নতুন।
শ্মশান – মৃতদেহ পোড়ানোর স্থান।
তিমির – অন্ধকার।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) বিন্ধ্যাচল কী?
উত্তর : বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম।
খ) তরম্নণরা কীভাবে মহাশ্মশান সজীব করবে?
উত্তর : তরম্নণেরা নব নবীনের গান গেয়ে মহাশ্মশান সজীব করবে।
গ) তরম্নণেরা কী কী টুটাবে?
উত্তর : তরম্নণেরা তিমির রাত ও বাধার বিন্ধ্যাচল টুটাবে।
৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : তরম্নণেরা উষার দুয়ারে আঘাত করে নতুন দিন আনবে। সকল অন্ধকার ও বাধা দূর করে তারা সামনে এগিয়ে যাবে। তরম্নণেরা সজীব প্রাণের অধিকারী। তারা নতুনের গানে গানে মহাশ্মশানেও সজীবতা এনে দেবে।
এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- ৫. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, ৬. শূন্যস্থান পূরণ ও ৭. প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীড়্গায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীড়্গার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ধ্ব, প্র, ন্ধ, শ্ম, ব্দ।
উত্তর :
ধ্ব = ধ + ব-ফলা ( ^ ) – ধ্বনি
– নদীর কুলুকুলু ধ্বনি খুব মনোহর।
প্র = প + র-ফলা ( ্র ) – প্রমাণ
– ঘটনাটির কোনো প্রমাণ নেই।
ন্ধ = ন + ধ – বন্ধু
– সুমন রাতুলের ভালো বন্ধু।
শ্ম = শ + ম-ফলা ( ¥ ) – শ্মশান
– নদীর ধারে শ্মশান ঘাট।
ব্দ = ব + দ – শব্দ
– ক দিয়ে একটি শব্দ লেখ।
৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
(কবিতার ড়্গেেত্র প্রযোজ্য নয়)
১০. ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
চলিতেছে, গাহিয়া, দানিব, আনিয়াছি, হানি।
উত্তর : ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
চলিতেছে – চলছে
গাহিয়া – গেয়ে
দানিব – দান করব
আনিয়াছি – এনেছি
হানি – হেনে
১১. নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
গগন, ধরণী, রাত, প্রভাত, নবীন।
উত্তর : শব্দ সমার্থক শব্দ
গগন – আকাশ, আসমান।
ধরণী – পৃথিবী, বসুন্ধরা।
রাত – রাত্রি, নিশি।
প্রভাত – সকাল, প্রাত।
নবীন – নব, নতুন।
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
চল্রে চল্রে চল্
অরম্নণ প্রাতের তরম্নণ দল
চল্ চল্ চল্ ॥
নিম্নে উতলা ধরণীতল
চল্ চল্ চল্
ঊর্ধ্ব গগনে মাজে মাদল
ক) কবিতার লাইনগুলো সাজিয়ে লেখ।
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) ঊর্ধ্ব গগনে কী বাজে?
উত্তর :
ক) কবিতার লাইনগুলো নিচে সাজিয়ে লেখা হলোÑ
চল্ চল্ চল্
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণীতল
অরম্নণ প্রাতের তরম্নণ দল
চল্রে চল্রে চল্
চল্ চল্ চল্ ॥
খ) কবিতাংশটি ‘চল্ চল্ চল্’ কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম কাজী নজরম্নল ইসলাম।
ঘ) ঊর্ধ্ব গগনে মাদল বাজে।