নবম-দশম শ্রেনী-২০২৩ বাংলা ১ম পত্র পদ্যঃ আমি কোনো আগন্তুক নই সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

আমি কোনো আগন্তুক নই

কবি পরিচিতি :

নামআহসান হাবীব
জন্ম পরিচয়জন্ম তারিখ: ১৯১৭ সালে ২রা জানুয়ারি। জন্মস্থান: পিরোজপুর জেলার শঙ্করপাশা গ্রাম।
শিক্ষাজীবনব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল থেকে আইএ পাস করেন।
কর্মজীবনকর্মজীবনে ছিলেন সাংবাদিক ।
উলেস্নখযোগ্য রচনাকাব্যগ্রন্থ : ছায়াহরিণ, সারাদুপুর, আশায় বসতি, মেঘ বলে চৈত্রে যাবো; প্রথম কাব্যগ্রন্থ- রাত্রিশেষ। শিশুতোষ গ্রন্থ : ছুটির দিন দুপুরে। কিশোর পাঠ্য উপন্যাস : রানী খালের সাঁকো।
পুরস্কার সম্মাননাবাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক।
মৃত্যু‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক থাকাকালে  ১৯৮৫ সালের ১০ই জুলাই।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

১ নং.   আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে
            গ লাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়;
            হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে;
            হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে;
হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে;
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে
ডিঙা বায়; রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে
দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে।

ক.       বিস্তর জোনাকি কোথায় দেখা যায়?    ১

খ.        ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ – কবি একথা বলেছেন কেন?          ২

গ.        উদ্দীপকে ফুটে ওঠা চিত্রের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।  ৩

ঘ.        উদ্দীপকের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার চেতনাগত বৈসাদৃশ্যই বেশি – যুক্তিসহ বিশেণ্ঢষণ করো।        ৪

এর নং প্র. উ.

বিস্তর জোনাকি বাঁশবাগানে দেখা যায়।

এর নং প্র. উ.

‘আমি কোনো আগন্তুক নই’-কবি এ কথা বলেছেন এটি বোঝাতে যে, তিনি বাইরে থেকে আসা কোনো মানুষ নন।
কবি এ মাটির সন্তান। এ জনপদের মানুষ তাঁর চিরচেনা। জন্মভূমির সাথে তিনি গভীরভাবে সম্পর্কিত। তাই তিনি কবিতায় বারবার উচ্চারণ করেছেন এদেশে তিনি কোনো আগুন্তক নন। কবির এই বক্তব্য গভীর দেশপ্রেমের পরিচায়ক।

এর নং প্র. উ.

উদ্দীপকে ফুটে ওঠা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
কবি আহসান হাবীব তাঁর ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনবদ্য বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে নীল আসমান, জমিনের ফুল, জোনাকি, পুকুর, মাছরাঙার কথা বলেছেন। পাখি, কার্তিকের ধান কিংবা শিশিরের সাথে কবির ব্যাপক জানাশোনা। যে লাঙল জমিতে ফসল ফলায় সেই লাঙল আর মাটির গন্ধ লেগে আছে তার হাতে-শরীরে। ধূ-ধূ নদীর কিনার, ধানখেত আর গ্রামীণ জনপদের সাথে তার জীবন বাঁধা। জারুল, জামরুল, ঝাঁকড়া ডুমুরের ডাল, জল, বাতাস সবই সাড়্গ্য দেয় কবি এ মাটির সন্তান।
উদ্দীপকেও রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক মনোরম দৃশ্যকল্প। উদ্দীপকের কবি এক নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে তার অস্তিত্ব জানান দিয়েছেন। কবি মৃত্যুর পর যেন আবার ফিরে আসতে চান এই সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে। বাংলার নদী, মাঠ, খেত, উড়ন্ত সুদর্শন, লক্ষ্মীপেঁচার ডাক, কবিকে মুগ্ধ করে। উঠানের ঘাসে শিশুর ধান ছড়ানো, রূপসার ঘোলা জলে ছেঁড়া পালে কিশোরের ডিঙা বাওয়া, ধবল বকের নীড়ে ছুটে যাওয়া বর্ণনা আমাদের বিমোহিত করে। উদ্দীপকে উলিস্নখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায়ও লক্ষণীয়।

এর নং প্র. উ.

‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি নিজের মাটিতে অস্তিত্বের জানান দিয়েছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবি মৃত্যুর পরে এই বাংলায় আবার ফিরে আসার কামনা ব্যক্ত করেছেন। তাই উভয়ের মাঝে চেতনাগত বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
মাতৃস্নেহে লালিত ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি সকলের কাছে তাঁর অস্তিত্বের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি বাইরে থেকে আসা কোনো মানুষ নন। তিনি এ মাটিরই সন্তান। নদী, গাছপালা, বাতাস, মাটি সবকিছুই তার সাক্ষী। এদেশের মাছরাঙা, জোনাকি, ধানের মঞ্জরী মানুষ সবকিছু কবিকে যেমন চেনে, কবিও তেমনি সবকিছুকে চেনেন। জন্মভূমির সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি কবিতায় তাঁর শেকড়ের সন্ধান করেছেন।
উদ্দীপকের কবি মৃত্যুর পর আবার এই বাংলায় ফিরে আসতে চান। কারণ তিনি বাংলার রূপে মুগ্ধ। এ দেশের নদী, মাঠ, ফসলের খেত, পাল তোলা নৌকাসহ দৃষ্টিনন্দন সব কিছুই কবির মনে গভীর অনভূতি জাগিয়ে তোলে। কবি তাই মরণের পর এই প্রকৃতির বুকে মিশে থাকতে চান। আবার তিনি দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অবগাহন করতে চান। কবির এই মনোভাব দেশপ্রেম থেকে জাত।
‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবির জন্মভূমিতে কবির অস্তিত্ব বিদ্যমান। তিনি প্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গের মতোই মিলেমিশে আছেন। তিনি নিজ পরিবেশে থেকে দেশকে ভালোবেসে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবি মরণের পর আবার এই প্রিয় বাংলায় ফিরে আসতে চান। তিনি কল্পনার জগতে ভালোবাসার জাল বি¯ত্মার করেছেন। তাই চেতনাগত দিক থেকে উদ্দীপক ও কবিতায় বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

২ নং.  আমি বাংলায় গান গাই,
            আমি বাংলার গান গাই,
            আমি আমার আমিকে চিরদিন এই
            বাংলায় খুঁজে পাই।
            আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন,
            আমি বাংলায় বাঁধি সুর-
            আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে
            হেঁটেছি এতটা দূর।

ক.       মাছরাঙা কাকে চেনে?            ১

খ.        কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত কেন?          ২

গ.        উদ্দীপক কবিতাংশটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কোন চেতনাকে ধারণ করে? ব্যাখ্যা করো।  ৩

ঘ.        উদ্দীপকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার মূলভাবের সম্পূর্ণ প্রকাশক কি? তোমার মতামত দাও।    ৪

নং প্র. উ.

ক.       মাছরাঙা কবিকে চেনে।

খ.        অভাব ও পুষ্টিহীনতায় কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত।
‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কদম আলী গ্রামীণ সমাজের অভাবী মানুষের প্রতিনিধি। সংসারের অভাবের কারণে তাঁর মতো মানুষদের ঠিকমতো আহার জোটে না। ফলে শরীরের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হয় না। আর এ কারণেই কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত।

গ.        উদ্দীপক কবিতাংশটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত জন্মভূমির সাথে মানুষের গভীর সম্পর্কের চেতনাকে ধারণ করে।
জন্মভূমির সাথে মানুষের আজীবনের সম্পর্ক। এটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি গভীরভাবে ব্যক্ত করেছেন। কবি এদেশে বাস করে আপন সত্তায় সমগ্র দেশকে ধারণ করেছেন। এদেশের মাঠ-ঘাট, ফুল-ফল, মানুষ, পাখি, গাছপালা, মানুষ জন সবকিছুকেই কবি একান্ত আপনার করে নিয়েছেন। সকলের সাথে তিনি গভীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। জন্মভূমির সাথে গভীর সম্পর্কের এই চেতনাকে কবি আপন সত্তায় লালন করে চলেছেন।
উদ্দীপক কবিতায় বর্ণিত এই জন্মভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসার দিকটিই প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে কবি বাংলাকে গভীরভাবে আপন সত্তায় ধারণ করেছেন। ফলে কবির চলাফেরা, হাসি-গান, আনন্দ-বেদনা, সবকিছুর মাঝেই বাংলাকে খুঁজে পেয়েছেন। দেশকে গভীরভাবে অনুভব করলেই নিজের অস্তিত্বে তাকে অনুভব করা যায়। উদ্দীপকের কবি দেশকে নিজের অস্তিত্বে অনুভব করেছেন। আর ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবির মাঝে এই চেতনাই প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ.        উদ্দীপকে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার মতো জন্মভূমির প্রতি গভীর অনুরাগ অনুরাগ ও আতি¥ক সম্পর্কের দিকটি তুলে ধরায় তা কবিতার সম্পূর্ণ মূলভাবের প্রকাশক।
‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় জন্মভূমির সাথে কবির গভীর সম্পর্কের দিকটিই প্রধান হয়ে উঠেছে। কবি জন্মভূমির মধ্যে শিকড় গেঁড়ে সমগ্র দেশকে আপন করে নিয়েছেন। তিনি নিজের অনুভূতি দিয়ে চারপাশের সবকিছুকে অনুভব করেন। কবির এই অনুভবই কবিতায় মূলবক্তব্য হয়ে ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপকের প্রধান বিষয় হলো কবির দেশপ্রেমের চেতনা। সেখানে কবি জন্মভূমি বাংলার মাঝে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। আপন করে নিয়েছেন বাংলার মাঠ-ঘাট, প্রকৃতিকে। বাংলার সাথে তার গড়ে উঠেছে আজীবনের সম্পর্ক। সে কারণেই সবকিছুতে বারবার বাংলাকেই খুঁজে পান। দেশের সাথে এই গভীর সম্পর্কের দিকটিই উদ্দীপকের মূল বক্তব্য হয়ে উঠেছে।
‘আমি কোনো আগুন্তক নই’ এবং উদ্দীপক উভয়ের আলোচনার বিষয় হলো দেশেপ্রেমের চেতনা। উভয় কবির মাঝেই গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে জন্মভূমির সাথে গভীর সম্পর্কের দিকটি। কবিতার কবি বারবার নিজেকে এ মাটির সন্তান বলে ঘোষণা করেছেন। উদ্দীপক কবিতাংশের কবিও নিজের অস্তিত্বে গভীরভাবে অনুভব করেন বাংলাকে। বাংলাকে ঘিরেই তাঁর সব স্বপ্ন, সাধনা।

৩ নং. গ র্জের জন্ম ইউরোপের দেশ স্পেনে। ১৯৮৫ সালে মাদকাসক্তদের নিরাময়ের ব্যাপারে কাজ করার জন্য তিনি বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও মানুষের অন্তরঙ্গ ব্যবহার তাঁকে মুগ্ধ করে। তাই তিনি এই দেশেই স্থায়ী বসতি গড়েছেন। বাংলাদেশের সাথে তাঁর প্রাণ বাঁধা পড়েছে গভীরভাবে। এ দেশের সাথে যেন তাঁর চিরকালের পরিচয়।

ক.       ‘আমি কোনো আগুন্তক নই’ কবিতায় জ্যোৎস্নার চাদরে ঢাকা কী?          ১

খ.        ক্লান্ত বিকেলের পাখিরা কবিকে চেনে কেন? ২

গ.        উদ্দীপকের জর্জের এদেশে অবস্থানের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির অবস্থানের অমিল ব্যাখ্যা করো।         ৩

ঘ.        ‘উক্ত পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের প্রতি জর্জ ও কবির অনুভূতি একই’- উক্তিটির যথার্থতা বিশেস্নষণ করো।         ৪

নং প্র. উ.

ক.       ‘আমি কোনো আগুন্তক নই’ কবিতায় জ্যোৎস্নার চাদরে ঢাকা নিশিন্দার ছায়া।

খ.        কবি প্রকৃতি সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠায় ক্লান্ত বিকেলের পাখিদের সাথে প্রতিনিয়ত তাঁর দেখা হয় বলে তারা কবিকে চেনে।
কবি জন্মভূমিকে নিজের অস্তিত্বে ধারণ করেছেন। জন্মভূমির প্রকৃতির মাঠ-ঘাট, খেত-খামার, পশুপাখি সবকিছুকেই কবি কাছে থেকে দেখেছেন। তিনি বিকেলে ক্লান্ত পাখিদের নীড়ে ফেরা প্রত্যক্ষ করেছেন। তারাও কবিকে দেখেছে। এজন্য এই পাখিরা কবিকে চেনে।

গ.        উদ্দীপকের জর্জ অন্য দেশ থেকে এদেশে এসে অবস্থান করেছেন। আর ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি জন্ম থেকে এদেশে অবস্থান করায় তাঁদের মধ্যে অমিল ফুটে ওঠে।
জন্মভূমির সাথে মানুষের আজীবনের সম্পর্ক। তাই জন্মভূমির সবকিছুকেই মানুষের চেনা মনে হয়। জন্মভূমির মাঝে শিকড় গেড়ে থেকেই সমগ্র দেশকে আপন করে পাওয়া যায়। জন্মভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকলে তাকে একান্ত আপনার মনে হয়। জন্মভূমির প্রতি এই গভীর অনুভূতি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির মাঝে প্রকাশিত হয়েছে। কবি এদেশেই জন্মেছেন। তাই এদেশের সবকিছু তাঁর চেনাজানা।
উদ্দীপকের জর্জের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির অবস্থানগত বৈসাদৃশ্য ফুটে উঠেছে। জর্জের জন্মভূমি হলো স্পেন। তিনি একটি কাজে বাংলাদেশে এসে স্থায়ী হয়েছেন। এদেশের প্রকৃতি ও জনজীবন উভয়ের মনে মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়েছে। দু’জনেই এদেশকে ভালোবেসেছেন অন্তর দিয়ে। কিন্তু ‘আমি কোনো আগুন্তক নই’ কবিতার বর্ণিত কবি ভিনদেশি নন। ফলে কবিতার কবি এবং উদ্দীপকের জর্জের মাঝে অবস্থানগত ভিন্নতা ফুটে উঠেছে।

ঘ.        অবস্থানগত ভিন্নতা থাকলেও উদ্দীপকের জর্জ এবং ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি এদেশকে আপন সত্তায় অনুভব করেছেন।
‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় দেশের প্রতি কবি গভীর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। দেশের সাথে তার আজীবনের সম্পর্ক। তিনি তাঁর সত্তায় সমগ্র দেশকে আপন করে পেয়েছেন। তাই তো তিনি বলেছেন, আমি কোনো আগন্তুক নই। কবি এদেশের আসমান, জমিন, ফুল, ফল, পাখি, মানুষ সবকিছুকে চেনেন। তারাও কবিকে চেনে। কবি তাদের চিরচেনা স্বজন। দেশের প্রতি কবির এ গভীর অনুভূতি তাকে সকলের কাছে আপন করে তুলেছে।
উদ্দীপকের জর্জ অন্য দেশ থেকে এলেও তিনি এদেশের সাথে বাঁধা পড়েছেন গভীরভাবে। এদেশের মানুষের সাথে মিশে তাদের সাথে জর্জের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। জর্জ আপন অনুভূতি দিয়ে গভীরভাবে এদেশকে অনুভব করেছেন। ফলে এদেশে স্থায়ী বসতি গড়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। বসতি গড়ার ফলে জর্জ এদেশের সবকিছুকে আপন করে নিয়েছেন। সকলে তার পরিচিতজন হয়ে উঠেছে।
উদ্দীপকের জর্জের অনুভূতি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির অনুভূতিতেও প্রকাশ পেয়েছে। জর্জ যেমন এদেশের সাথে গভীরভাবে বাঁধা পড়েছেন, কবিও তাই। এদেশের প্রকৃতি ও জনজীবন উভয়ের মনে মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়েছে। দুজনেই এদেশকে ভালোবেসেছেন অন্তর দিয়ে। এজন্যই এদেশের সবকিছু তাঁদের কাছে আপন বলে মনে হয়েছে। তারা উভয়ই এদেশকে গভীরভাবে আপন সত্তায় অনুভব করেছেন। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।

  নং. শাকিল সাহেবের জন্ম হয়েছিল বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে। গ্রামের এক স্কুলেই তাঁর পড়ালেখা শুরু। তারপর শহরের কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। অবশেষে বর্তমানে আমেরিকায় আছেন। মাঝে মাঝে দেশে এলেও গ্রামে কখনো যান না। তাঁর নাকি গ্রাম ভালো লাগে না। তাছাড়া এদেশের কোনো সাধারণ মানুষের সাথে তিনি মিশতে চান না। ব্যবসার কাজে দেশে এলে কয়েক দিন শহরের দামি হোটেলে থেকে আবার আমেরিকা চলে যান।

ক.       কবি আহসান হাবীবের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?   ১

খ.        ‘আমি কোনো অভ্যাগত নই’- উক্তিটি দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন?       ২

গ.        উদ্দীপকের শাকিলের দেশের প্রতি যে বিরূপ ধারণা তার সাথে তোমার পঠিত ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির তুলনা করো।    ৩

ঘ.        “উদ্দীপকের শাকিল সাহেব এবং তোমার পঠিত আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির জন্ম একইসূত্রে গাঁথা, কিন্তু মানসিকতায় ভিন্ন।”- উক্তিটি বিশেস্নষণ করো।      ৪

নং প্র. উ.

ক.       কবি আহসান হাবীবের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘রাত্রিশেষ’।

খ.        ‘আমি কোনো অভ্যাগত নই’- বাক্যটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে কবি এদেশের কোনো আমন্ত্রিত অতিথি নন।
জন্মভূমি মায়ের মতো। জন্মভূমির সাথে মানুষের তাই গভীর সম্পর্ক। কবিরও রয়েছে মাতৃভূমির প্রতি প্রবল অনুরাগ। নিজভূমির সবকিছুই তিন চেনেন। তিনিও সবার পরিচিত, অতি আপনজন। তাই তিনি বলেছেন “আমি কোনো অভ্যাগত নই।” অর্থাৎ জন্মস্থানের সথে তাঁর সম্পর্ক বহু পুরনো।

গ.        দেশের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করার কারণে উদ্দীপকের শাকিলের মনোভাব আমি কোনো আগন্তুক নই। কবিতার কবির মনোভাবের সম্পূর্ণ বিপরীত।
‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় জন্মভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ প্রকাশিত হয়েছে। কবি তাঁর আপন সত্তায় এদেশের চারপাশকে উপলব্ধি করেছেন। জন্মভূমির ‘মানুষকেই শুধু নয়, ফুলফল, গাছপালা, নদী, পাখি, জোনাকি সব কিছুকেই অনুভব করেছেন গভীরভাবে। তিনি বলতে চেয়েছেন সবকিছু তাঁর পরিচিত এবং তিনিও সবার পরিচিত।
উদ্দীপকে শাকিল সাহেবের জন্ম প্রত্যন্ত গ্রামে হলেও গ্রাম তাকে টানে না। গ্রামের মানুষ ও প্রকৃতিকে তিনি ভালোবাসতে পারেননি। তাই এসবের প্রতি তিনি কোনো আকর্ষণ অনুভব করেন না। তিনি শিক্ষতি হয়েছেন বটে কিন্তু তার ভেতর দেশপ্রেম জাগ্রত হয়নি। অন্যদিকে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি দেশের ধুলাবালিকেও ভালোবাসেন। দেশের প্রতি এই মমত্ববোধের জাগরণ আমরা উদ্দীপকের শাকিল সাহেবের ড়্গেেত্র লক্ষ করি না।

ঘ.        উদ্দীপকে শাকিল সাহেব ও ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির জন্মস্থান বঙ্গভূমি হলেও দেশকে ভালোবাসার মানসিকতার মাঝে ভিন্নতা রয়েছে।
‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি তাঁর জন্মভূমির একান্ত স্বজনদের বলতে চেয়েছেন, আমি তোমাদের লোক। তিনি তাঁর জন্মভূমির অপত্য স্নেহে বেড়ে উঠেছেন। গ্রামীণ চিরচেনা সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি প্রকৃতির সবকিছুকে সাক্ষী রেখে বলেছেন, তিনি এ মাটির সন্তান।
উদ্দীপকের শাকিল সাহেব জন্মভূমিতে দীর্ঘসময় পার করে বর্তমানে আমেরিকাপ্রবাসী। তার অতীত জীবন এবং গ্রামবাংলার চিরচেনা রূপ সৌন্দর্য তাকে কাছে টানে না। কারণ তিনি সেই অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছেন অথবা তিনি তাঁর জন্মভূমিকে কোনো দিন সেভাবে ভালোই বাসেননি। ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির মাঝে এই মনোভাবের বৈপরীত্য লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতা বিশেস্নষণ করলে আমরা পাই, শাকিল সাহেব প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নিলেও তিনি দেশের সন্তান হয়ে উঠতে পারেননি। ব্যক্তিগত কাজে দেশে এসেও দেশের প্রকৃতি ও জনজীবনের মূলকেন্দ্র অর্থাৎ গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন। অর্থাৎ দেশের সাথে তাঁর সম্পর্কটি খুব গভীর নয়। ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি জন্মভূমির মায়ায় বাঁধা পড়েছেন। জন্মভূমির প্রতি তার আকর্ষণ প্রবল। তাই জন্মভূমির বিভিন্ন উপকরণকে স্মরণ করেছেন। জন্মভূমির মায়ামন্ত্র বলে তিনি সম্পূর্ণরূপে আবদ্ধ। দেশপ্রেমের চেতনা উদ্দীপ্ত হয়ে তাই তিনি ঘোষণা করেছেন ‘আমি কোনো আগন্তুক নই।’ আলোচনাটি থেকে এটি স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকের শাকিল সাহেব ও ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির জন্ম প্রত্যন্ত গ্রামে হলেও দুজনের মানসিকতায় ভিন্নতা রয়েছে।

 ৫ নং. (র) তোমার ধূলিতে গড়া এ দেহ আমার
            তোমার ধূলিতে কালে মিশিবে আবার।
            (রর) সার্থক জনম আমার জন্মেছি এ দেশে।
            সার্থক জনম মাগো, তোমায় ভালোবেসে।

ক.       কবি আহসান হাবীবের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি?       ১

খ.        ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’- কবি এ কথা বলেছেন কেন?          ২

গ.        উদ্দীপক (র) -এর যে ভাব ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় ফুটে উঠেছে- তা ব্যাখ্যা করো।            ৩

ঘ.        “উদ্দীপকদ্বয় ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করেছে”- বিশেস্নষণ করো।            ৪

নং প্র. উ.

ক.       কবি আহসান হাবীবের প্রথম কাব্যগ্রন্থটির নাম ‘রাত্রি শেষ’।

খ.        ১ নং প্রশ্নের (খ) উত্তর দেখো।

গ.        ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় উলিস্নখিত জন্মভূমির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসাই উদ্দীপক (র) -এ প্রকাশিত হয়েছে।
কবি আহসান হাবীব তাঁর ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় নানাভাবে নানা উপমায় বলতে চেয়েছেন, তিনি এ মাটির সন্তান। তিনি ভিন্ন দেশ থেকে আসেননি। কারণ এ দেশের গাছপালা, নদী-নালা, ফুল, পাখি সবই তাঁর অতি পরিচিত, চির আপন। তাঁর শরীরে লেগে আছে জন্মভূমির স্নিগ্ধ মাটির সুবাস। তাই কবি এ মাটিতে কোনো আগন্তুক নন।
উদ্দীপক (র) -এ প্রকাশিত হয়েছে দেশের প্রতি গভীর টান ও মমত্ববোধ। উদ্দীপকের মাটির প্রতিটি ধূলিকণার সাথে কবির যেন নিবিড় সম্পর্ক। তিনি মনে করেন তাঁর দেহ জন্মভূমির ধূলিকণায় গড়া এবং একসময় এই মাটিতেই তিনি মিশে যাবেন। ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় অনুরূপ ভাব প্রকাশিত হয়েছে।

ঘ.        উদ্দীপকের দুটি অংশেই জন্মভূমির প্রতি অসাধারণ ভালোবাসা ও মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে, যা ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণ করেছে।
জন্মভূমির সাথে মানুষের সম্পর্ক চিরন্তন। কারণ এই চিরচেনা পরিবেশে সে প্রকৃতির সন্তান হিসেবে বেড়ে ওঠে। জন্মভূমির প্রতি মানুষের তাই থাকে নাড়ির টান। ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি অত্যন্ত আস্থার সাথে উচ্চারণ করেছেন তিনি কোনো আগন্তুক নন। কারণ এই দেশের আসমান, জমিন, ফুল, ফল, জোনাকি, মাছরাঙা সকলকেই তিনি চেনেন, তারাও তাঁকে ভালোভাবে চেনে । তিনি অনুভব করেন জন্মভূমির মাটির সুঘ্রাণ মেখে আছে তাঁর শরীরে। কাজেই তিনি এই মাটি ও মানুষের অতি আপনজন।
আলোচ্য দুটি উদ্দীপকেই জন্মভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ ও ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে। উদ্দীপক (র) -এ বলা হয়েছে, জন্মভূমির ধুলোবালিতে কবির দেহ গড়া। আপন জন্মভূমির মাটিতেই তিনি একদিন মিশে যেতে চান। উদ্দীপক (রর) -এ এই মাটিতে জন্মে কবি নিজের জীবনকে সার্থক মনে করেন। জন্মভূমিকে ভালোবাসতে পেরে তিনি গর্ব অনুভব করেন। আর ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায়ও জন্মভূমি তথা দেশমাতৃকাকে গভীরভাবে ভালোবাসার কথা ব্যক্ত হয়েছে।
দেশপ্রেমিকের মন মাতৃভূমির স্পর্শ পাওয়ার জন্য আকুল হয়ে থাকে। জন্মভূমির আলো-হাওয়া, স্বদেশের মানুষের সংস্পর্শ তার প্রাণ জুড়ায়। ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির ড়্গেেত্র এ বিষয়টি স্পষ্টরূপে ধরা পড়ে। জন্মভূমির প্রতি কবিতায় তাঁর সীমাহীন আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। উদ্দীপকের উলিস্নখিত উভয় কবিতাংশ মিলে জন্মভূমির শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরেছে। জন্মভূমির কোলে জন্ম নিয়ে ধন্য হওয়ার অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে (রর) নং অংশে। (র) নং অংশের কবি জন্মভূমির মাটিতেই শেষ আশ্রয় খুঁজে নিতে চান। দেশপ্রেমের গভীরতা প্রকাশিত হয়েছে উদ্দীপকের উভয় অংশেই। তারা মিলিতভাবে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার মূলসুরকে ধারণ করেছে সম্পূর্ণরূপে।

অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর

১.         ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতাটির রচয়িতা কে?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতাটির রচয়িতা আহসান হাবীব।
২.        আহসান হাবীব কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
            উত্তর : আহসান হাবীব ১৯১৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
৩.        আহসান হাবীব কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
            উত্তর : আহসান হাবীব পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
৪.        আহসান হাবীব আইএ পর্যন্ত কোন কলেজে অধ্যয়ন করেন?
            উত্তর : আহসান হাবীব আইএ পর্যন্ত বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে অধ্যয়ন করেন।
৫.        আহসান হাবীব কর্মজীবনে পেশা হিসেবে কী বেছে নেন?
            উত্তর : আহসান হাবীব কর্মজীবনে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে বেছে নেন।
৬.        আহসান হাবীবের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
            উত্তর : আহসান হাবীবের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম রাত্রিশেষ।
৭.        আহসান হাবীবের ‘রানী খালের সাঁকো’ উপন্যাসটি কাদের জন্য রচিত?
            উত্তর : আহসান হাবীবের ‘রানীখালের সাঁকো’ উপন্যাসটি কিশোরদের জন্য রচিত।
৮.        ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি আসমানের কাকে সাক্ষী করেন?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি আসমানের তারাকে সাক্ষী করেন।
৯.        ‘আমি কোনো আগšত্মুক নই’ কবিতায় বর্ণিত পুকুর কোন দিকে?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত পুকুর পূর্বদিকে রয়েছে।
১০.      ‘আমি কোনো আগšত্মুক নই’ কবিতায় বর্ণিত মাছরাঙা কিসের ডালে বসে?
            উত্তর : ‘আমি কোন আšত্মুক নই’ কবিতায় বর্ণিত মাছরাঙা ডুমুরগাছের ডালে বসে।
১১.       ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি খোদার কসম করে কী বলেছেন?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি খোদার কসম করে বলেছেন আমি ভিনদেশি
থিক নই।
১২.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় ক্লান্ত বিকেলের কারা কবিকে চেনে?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় ক্লান্ত বিকেলের পাখিরা কবিকে চেনে।
১৩.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি কোন মাসের ধানের মঞ্জরীকে সাক্ষী করেছেন?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি কার্তিকের ধানের মঞ্জরীকে সাক্ষী করেছেন।
১৪.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় চিরোল পাতার কোনটিকে সাক্ষী করেছেন কবি?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় চিরোল পাতার টলমল শিশিরকে সাক্ষী করেছেন
বি।
১৫.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় অকাল বার্ধক্যে নত কে?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় অকাল বার্ধক্যে নত কদম আলী।
১৬.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি কার চিরচেনা স্বজন?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি কদম আলীর চিরচেনা স্বজন।
১৭.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় শূন্য খা খা রান্নাঘর কার?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় শূন্য খা খা রান্নাঘর জমিলার মায়ের।
১৮.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বৈঠায় লাঙলে কার হাতের স্পর্শ লেগে আছে?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বৈঠায় লাঙলে কবির হাতের স্পর্শ লেগে আছে।
১৯.      ‘আসমান’ শব্দের অর্থ কী?
            উত্তর : ‘আসমান’ শব্দের অর্থ আকাশ।
২০.      নিশিন্দা কী?
            উত্তর : নিশিন্দা এক ধরনের গ্রামীণ গাছ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

১.         কবি আহসান হাবীবের কবিতা পাঠক হৃদয়ে মধুর আবেশ সৃষ্টি করে কেন?
            উত্তর : কবি আহসান হাবীবের কবিতায় গভীর জীবনবোধ ও আশাবাদ বিশিষ্ট ব্যঞ্জনায় ফুটে ওঠায়
 পাঠক হৃদয়ে মধুর আবেশ সৃষ্টি করে।
আহসান হাবীব কবিতার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং আর্তমানবতার পড়্গে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন। গভীর জীবনবোধ ও আশাবাদ স্নিগ্ধ রূপে ফুটে উঠেছে তাঁর কবিতায়। তাঁর কবিতার এই স্নিগ্ধতাই পাঠক মনে মধুর আবেশ সৃষ্টি করে।

২.        ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় মাছরাঙা কবিকে চেনে কেন?
            উত্তর : ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবির প্রতিনিয়ত পুকুরপাড়ে মাছরাঙার সাথে সাক্ষাৎ হতো বলে মাছরাঙা তাঁকে চেনে।
মানুষ জন্মভূমির মধ্যে শিকড় গেড়ে সমগ্র দেশকে আপন করে নেয়। কবি জন্মভূমিতে চারপাশের প্রকৃতিকে আপন সত্তায় অনুভব করেছেন। প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের সান্নিধ্যে থেকেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। তেমনি মাছরাঙার সান্নিধ্যও তিনি পেয়েছেন। তাই মাছরাঙা কবিকে চেনে।

৩.        গ মিলার মায়ের রান্নাঘরের থালাগুলো সব শুকনো কেন?
            উত্তর : ঠিকমতো রান্না-খাওয়া হয় না বলে জমিলার মায়ের রান্নাঘরের থালাগুলো সব শুকনো।
জমিলার মা গ্রামীণ সমাজের দরিদ্র, অভাবী একজন মানুষ। অভাবের কারণে তার রান্নাঘর সাধারণত শূন্যই থাকে। কেননা রান্না করার খাদ্য উপাদান তাদের নেই। যেহেতু রান্না করা হয় না, সেহেতু খাবারও যাওয়া হয় না। ফলে রান্নাঘরের থালাগুলো শুকনোই থাকে।

৪.        কবি জমিনের ফুল, জারুল, জামরুলকে সাক্ষী করেছেন কেন?
            উত্তর : কবি জমিনের ফুল, জারুল, জামরুলকে সাক্ষী করেছেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠার
রণে।
প্রকৃতির সাথে কবির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তিনি প্রকৃতির গাছপালা পাখপাখালি প্রভৃতির মাঝে বেড়ে উঠেছেন। ফলে এদেরকে তিনি ভালো করে চেনেন। এরাও কবিকে চেনে। জমিনের ফুল, জারুল, জামরুলও প্রকৃতির উপাদান। কবি এদের সাথে কবির আত¥ার সম্পর্ক সৃষ্টি করেছেন। তাই তিনি এদেরকে সাক্ষী করেছেন।

৫.        গ ন্মভূমির সবকিছু কবির কাছে চেনাজানা মনে হয় কেন?
            উত্তর : জন্মভূমির একান্ত সান্নিধ্যে কবি বেড়ে উঠেছেন বলে জন্মভূমির সবকিছু কবির কাছে চেনাজানা মনে হয়।
জন্মভূমির সাথে মানুষের আজীবনের সম্পর্ক। জন্মভূমির মধ্যে শেকড় গেড়ে থেকেই মানুষ সমগ্র দেশকে আপন করে পায়। জন্মভূমির প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠায় কবি প্রকৃতির সবকিছুকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাই কবির কাছে জন্মভূমির সবকিছু চেনাজানা মনে হয়।

৬.        গ ন্মভূমির সাথে মানুষ গভীরভাবে সম্পর্কিত কেন?
            উত্তর : মানুষ জন্মভূমিতে জন্ম নিয়ে তার সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠে বিধায় জন্মভূমির সাথে মানুষ গভীরভাবে সম্পর্কিত।
মানুষ জন্মলাভের পর তার দেশের প্রকৃতি ও মানুষের সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠে। প্রকৃতির নানা উপাদানের সাথে তার পরিচয় ঘটে। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে মানুষের সাথে জন্মভূমির এক গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক আজীবন স্থায়ী হয়। আর এভাবেই জন্মভূমির সাথে মানুষ গভীরভাবে সম্পর্কিত।

৭.        কবি নিজেকে কদম আলীর চিরচেনা স্বজন বলেছেন কেন?
            উত্তর : কবি ছোটবেলা থেকেই কদম আলীকে ভালোভাবে চেনেন বলে নিজেকে কদম আলীর চিরচেনা স্বজন বলেছেন।
জন্মভূমির সাথে কবির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তিনি জন্মভূমির প্রকৃতি যেমন চেনেন, তেমনি জন্মভূমির মানুষগুলোকেও চেনেন। গ্রামীণ জনপদের সাথেই তাঁর জীবন বাঁধা। এই গ্রামীণ জনপদের এক দরিদ্র প্রতিনিধি কদম আলী। কদম আলীর সাথে কবির অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। এজন্য তিনি নিজেকে কদম আলীর চিরচেনা স্বজন বলেছেন।

অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি

১.         ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতাটির রচয়িতা কে?       গ

            ক. কাজী নজরুল ইসলাম      খ. সুকান্ত ভট্টাচার্য

            গ. আহসান হাবীব      ঘ. ফররুখ আহমদ

২.        আহসান হাবীব কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?         গ

            ক. ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে       খ. ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে

            গ. ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে        ঘ. ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে

৩.        আহসান হাবীব কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?       ঘ

            ক. পাবনা        খ. বরিশাল

            গ. ফরিদপুর   ঘ. পিরোজপুর

৪.        আহসান হাবীব কোন কলেজে আইএ পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন?         

            ক. ব্রজমোহন কলেজে

            খ. বি.এল কলেজে

            গ. গ গন্নাথ কলেজে

            ঘ. ঢাকা কলেজে

৫.        আহসান হাবীব কর্মজীবনে কোনটিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন? খ

            ক. শিক্ষকতা   খ. সাংবাদিকতা

            গ. আইন ব্যবসায়       ঘ. নাট্যাভিনয়

৬.        কবি আহসান হাবীবের কবিতাকে বিশিষ্ট ব্যঞ্জনা দান করেছেন কোনটি?    

            ক. পলিস্নর মাটি ও মানুষের জীবনচিত্র

            খ. গভীর জীবনবোধ ও আশাবাদ

            গ. বাংলার প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্য বর্ণনা

            ঘ. সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

৭.        কবি আহসান হাবীবের কবিতার স্নিগ্ধতা পাঠকচিত্তে কোনটির সৃষ্টি করে?   খ

            ক. বিদ্রোহের ঝংকার  খ. মধুর আবেশ

            গ. প্রতিবাদী চেতনা     ঘ. দুর্বোধ্য আবেগ

৮.        কবি আহসান হাবীবের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?   ক

            ক. রাত্রিশেষ   খ. ছায়াহরিণ

            গ. আশায় বসতি         ঘ. সারাদুপুর

৯.        ছোটদের জন্য কবি আহসান হাবীবের কবিতার বই কোনটি?          

            ক. ছায়াহরিণ   খ. মেঘ বলে চৈত্রে যাবো

            গ. জোছনা রাতের গল্প            ঘ. আশায় বসতি

১০.      কোনটি আহসান হাবীবের কিশোর পাঠ্য উপন্যাস?  ঘ

            ক. মেঘ বলে চৈত্রে যাবো       খ. জোছনা রাতের গল্প

            গ. ছুটির দিন দুপুরে    ঘ. রানী খালের সাঁকো

১১.       আহসান হাবীব তার সাহিত্যকর্মের জন্য কোন পুরস্কার লাভ করেন?           গ

            ক. নোবেল পুরস্কার    খ. আদমজী পুরস্কার

            গ. একুশে পদক          ঘ. ভারতরত্ন পুরস্কার

১২.      কোন পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক থাকাকালে আহসান হাবীবের জীবনাবসান ঘটে?            খ

            ক. ইত্তেফাক   খ. দৈনিক বাংলা

            গ. গ নকণ্ঠ      ঘ. সংগ্রাম

১৩.      আহসান হাবীব কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? গ

            ক. ১৯৮৩ সালে          খ. ১৯৮৪ সালে

            গ. ১৯৮৫ সালে          ঘ. ১৯৮৬ সালে

১৪.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি আসমানের কাকে সাক্ষী করেছেন?  ঘ

            ক. চাঁদকে       খ. সূর্যকে

            গ. ধূমকেতুকে ঘ. তারাকে

১৫.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি আসমানের তারার পর কাকে সাক্ষী করেছেন?       

            ক. জামরুলকে           খ. শিশিরকে

            গ. মাছরাঙাকে           ঘ. গ মিনের ফুলকে

১৬.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কোথায় বিস্তর জোনাকি রয়েছে বলে উলেস্নখ আছে?      খ

            ক. ধানের ড়্গেেত     খ. বাঁশবাগানে

            গ. ডুমুরের বাগানে     ঘ. ধূধূ নদীর কিনারায়

১৭.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত পুকুর কোন দিকে অবস্থিত?            ক

            ক. পূর্ব দিকে   খ. পশ্চিম দিকে

            গ. উত্তর দিকে ঘ. দক্ষণি দিকে

১৮.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত ডুমুরের গাছ কোথায় অবস্থিত?       খ

            ক. গ মিলার মায়ের রান্নাঘরের পাশে

            খ. পুবের পুকুর পাড়ে

            গ. বাঁশবাগানের কাছে

            ঘ. ধানখেতের কাছে

১৯.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত মাছরাঙা কোথায় স্থির দৃষ্টিতে বসে থাকে?  গ

            ক. বাঁশবাগানে            খ. জামরুলের ডালে

            গ. ডুমুরের ডালে        ঘ. কদমের ডালে

২০.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত মাছরাঙা কাকে চেনে?        ঘ

            ক. আসমানের তারাকে          খ. গ মিলার মাকে

            গ. কদম আলীকে                   ঘ. কবিকে

২১.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় অভ্যাগত নয় কে? ঘ

            ক. জোনাকি               খ. মাছরাঙা

            গ. কদম আলী            ঘ. কবি

২২.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি সৃষ্টিকর্তার শপথ নিয়ে করে কী বলেছেন?    গ

            ক. মাছরাঙা আমাকে চেনে

            খ. মাটিতে আমার গন্ধ

            গ. আমি ভিনদেশি পথিক নই

            ঘ. পাখিরা আমাকে চেনে

২৩.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত ক্লান্ত বিকেলের পাখিরা কাকে চেনে?         খ

            ক. কদম আলীকে      খ. কবিকে

            গ. গ মিলার মাকে      ঘ. মাছরাঙাকে

২৪.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কারা জানে কবি কোনো অনাত¥ীয় নন? ক

            ক. পাখিরা       খ. নদীরা

            গ. ধানেরা        ঘ. মাছেরা

২৫.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি কোন সময়ের ধানের মঞ্জরীকে সাক্ষী করেছেন?     খ

            ক. আশ্বিনের             খ. কার্তিকের

            গ. অগ্রহায়ণের           ঘ. পৌষের

২৬.     কবি কিসের টলমল শিশিরকে সাক্ষী করেছেন?        খ

            ক. দূর্বাঘাসের খ. ধানের চিরোল পাতার

            গ. ফুলের        ঘ. কাঁঠালপাতার

২৭.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় জ্যোৎস্নার চাদরে ঢাকা কী?           গ

            ক. ডুমুরের গাছ          খ. জামরুলগাছ

            গ. নিশিন্দার ছায়া        ঘ. বাঁশবাগান

২৮.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত কে অকাল বার্ধক্যে নত?     খ

            ক. কবি           খ. কদম আলী

            গ. গ মিলার মা            ঘ. মাছরাঙা

২৯.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি কার চিরচেনা স্বজন? ক

            ক. কদম আলীর         খ. মাছরাঙার

            গ. গ মিলার মায়ের     ঘ. পাখির

৩০.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় জমিলার মায়ের রান্নাঘর কেমন?  গ

            ক. হাঁড়ি-পাতিলে ঠাসা           খ. খাবারে ভরপুর

            গ. শূন্য খাঁ খাঁ                          ঘ. উচ্ছল প্রাণবন্ত

৩১.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি জমিলার মায়ের রান্নাঘরের কী চেনেন?        ক

            ক. শুকনো থালা         খ. ভাতের হাঁড়ি

            গ. পানির কলসি         ঘ. চুলা

৩২.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত কিসে কবির হাতের স্পর্শ লেগে আছে?      খ

            ক. ডুমুরের ডালে        খ. লাঙলে

            গ. রান্নাঘরের থালায়   ঘ. ধানের মঞ্জরীতে

৩৩.     ‘আমি ছিলাম এখানে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?           ক

            ক. স্বদেশকে               খ. ধানখেতকে

            গ. বাঁশবাগানকে         ঘ. নদীর কিনারকে

৩৪.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কিসের খেতের উলেস্নখ রয়েছে?  খ

            ক. গমের        খ. ধানের

            গ. বেগুনের    ঘ. পাটের

৩৫.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় ধানখেতের মাঝে কেমন পথ কবির অস্তিত্বে গাঁথা?          গ

            ক. আঁকাবাঁকা             খ. প্রশস্ত

            গ. সরু             ঘ. দীর্ঘ

৩৬.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত সরুপথের সামনে কী?         ক

            ক. ধূ ধূ নদীর কিনার   খ. টলমলে পানির দিঘি

            গ. বাঁশবাগান              ঘ. ধানখেত

৩৭.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত ধূ ধূ নদীর কিনার কোথায়?  ঘ

            ক. বাঁশবাগানের পাশে            খ. সারা দেশে

            গ. ধানখেতের পাশে               ঘ. কবির অস্তিত্বে

৩৮.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় ‘নিশিরাইত’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?   খ

            ক. অন্ধকার রাত         খ. গভীর রাত

            গ. জ্যোৎস্না রাত         ঘ. সন্ধ্যা রাত

৩৯.     ‘জমিন’ শব্দের অর্থ কী?     খ

            ক. ঘাসের বিছানা        খ. ভূমি

            গ. বি¯ত্মৃত ধানখেত  ঘ. ফসলের মাঠ

৪০.      গ মিলার মায়ের রান্নাঘর কিসের প্রতিনিধিত্ব করে?   ক

            ক. গরিব ও অভাবী শ্রেণির     খ. ধনীদের জীবনযাপনের

            গ. বাঙালির অভাবহীনতার     ঘ. আধুনিক সমাজের

৪১.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় জমিলার মায়ের রান্নাঘর শূন্য খা খা করে কেন?   ক

            ক. দারিদ্র্যের কারণে

            খ. গ মিলার বাবা না থাকায়

            গ. বাড়িতে কেউ থাকে না বলে

            ঘ. রান্নাঘর অব্যবহৃত বলে

৪২.     গ মিলার মায়ের রান্নাঘরের থালাবাসন সব শুকনো থাকে কেন?      গ

            ক. রান্নাঘরে রোদ পড়ে বলে

            খ. রান্নাঘর কেউ ব্যবহার করে না বলে

            গ. রান্না-খাওয়া হয় না বলে

            ঘ. রান্নাঘরের চালা নেই বলে

৪৩.     গ ন্মভূমির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কীরূপ?     ঘ

            ক. সাময়িক    খ. বৈরিতাপূর্ণ

            গ. দ্বন্দ্বমুখর    ঘ. আজীবনের

৪৪.      কী করলে দেশের মানুষকে আপন মনে হবে আমাদের?      খ

            ক. বিদেশে বেড়াতে গেলে      খ. দেশকে অনুভব করলে

            গ. মানবতার কথা ভাবলে       ঘ. ধানখেতে বেড়ালে

৪৫.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত রৌদ্র কেমন?           গ

            ক. কোমল      খ. তীক্ষ্ণ

            গ. খর              ঘ. স্নিগ্ধ

৪৬.     বৈঠায় লাঙলে কবির কেমন স্পর্শ লেগে আছে?        খ

            ক. আবছা       খ. গভীর

            গ. তীব্র            ঘ. ধারালো

৪৭.      ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় উলিস্নখিত ‘নিশিন্দা’ কী?           খ

            ক. একটি মেয়ের নাম খ. একটি গাছের নাম

            গ. একটি পাখির নাম  ঘ. একটি গ্রামের নাম

৪৮.     কোনো কিছু নিজ চোখে দেখেছেন এমন কাউকে কী বলে? ক

            ক. সাক্ষী         খ. আগন্তুক

            গ. অভ্যাগত    ঘ. বাদী

বহুপদী সমাপ্তিসূচক

৪৯.      কবি আহসান হাবীবের কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো-

            র.        গভীর জীবনবোধ        রর.      স্নিগ্ধতা

            ররর.   পলিস্নর মানুষের জীবনচিত্র

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫০.     কবি আহসান হাবীব বক্তব্য রেখেছেন-

            র.        সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে

            রর.      বাংলার পলিস্ন- প্রকৃতি সম্পর্কে

            ররর.   আর্তমানবতার সপড়্গে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫১.      মাছরাঙা স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে-

            র.        পানিতে গোসলের জন্য          রর.      মাছ শিকারের জন্য

            ররর.   শিকারে মনোসংযোগ করার জন্য

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫২.     কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত-

            র.        অভাবের কারণে         রর.      পুষ্টিহীনতার কারণে

            ররর.   পরিবেশের কারণে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৩.     গ মিলার মায়ের রান্নাঘর শূন্য হওয়ার কারণ-

            র.        অভাব

            রর.      রান্নার উপাদান না থাকা

            ররর.   গ মিলার মা বাড়িতে না থাকা

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৪.     গ মিলার মায়ের রান্নাঘরের থালাগুলো সব শুকনো হওয়ার কারণ-

            র.        থালাগুলো রোদে পড়ে থাকা   রর.      রান্না-খাওয়া না হয়ে ওঠা

            ররর.   থালাগুলোর ব্যবহার না হওয়া

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   গ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৫.     গ ন্মভূমিকে মানুষ আপন করে পায়-

            র.        সত্তায় তাকে অনুভবের মাধ্যমে

            রর.      প্রকৃতি মানুষের মাঝে মিশে গিয়ে

            ররর.   দেশ থেকে দূরে থাকার ফলে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৬.     মানুষ জন্মভূমিকে আপন সত্তায় অনুভব করার মাধ্যমে-

            র.        দেশের সবকিছুকে চেনা মনে হয়

            রর.      দেশকে ভালোবাসতে শেখে

            ররর.   দেশের প্রতি তুলনাহীন অনুভূতি সৃষ্টি হয়

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ঘ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৭.     গ মিলার মা গরিব, অভাবী শ্রেণির প্রতিনিধি, কেননা-

            র.        গ মিলার মায়ের রান্না করার খাদ্য উপাদান নেই

            রর.      গ মিলার মা অকাল বার্ধক্যে নত

            ররর.   রান্না-খাওয়ার অভাবে তার থালা-বাসন শুকনো

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৮.     কবি কোনো আগন্তুক নন, কারণ-

            র.        তিনি এদেশের গ্রামীণ জীবনেই বেড়ে উঠেছেন

            রর.      এদেশের মানুষ-প্রকৃতি সবাই তাকে চেনে

            ররর.   এদেশের মাটির গন্ধ তাঁর শরীরে মিশে আছে

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ঘ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৫৯.     এদেশের মাঠ-ঘাট, পথ-প্রান্তর কবির অস্তিত্বে গাঁথা, কারণ-

            র.        তিনি এদেশেই বেড়ে উঠেছেন

            রর.      তিনি জন্মভূমিতে শিকড় দেশকে আপন করে নিয়েছেন

            ররর.   তিনি দেশের প্রকৃতিকে সাক্ষী করেছেন

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬০.     কবির শরীরে স্নিগ্ধ মাটির সুবাস লেগে থাকার কারণ-

            র.        গ ন্মভূমির সাথে তাঁর একাত¥তা

            রর.      ছোটবেলায় গায়ে মাটি মেখে থাকা

            ররর.   গভীর দেশপ্রেম

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬১.      ‘এখানে থাকার নাম সর্বত্রই থাকা’-চরণটিতে প্রকাশ পেয়েছে-

            র.        স্বদেশ সান্নিধ্যের সর্বব্যাপকতা

            রর.      দেশপ্রেমের ব্যাপকতা

            ররর.   দেশপ্রেমের গভীরতা

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬২.     ‘খোদার কসম আমি ভিনদেশি পথিক নই।’ চরণটিতে প্রকাশ পেয়েছে-

            র.        মানসিক দৃঢ়তা            রর.      দেশপ্রেম

            ররর.   মাটি ও মানুষের অন্তরঙ্গতা

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

৬৩.     ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি তুলে ধরেছেন-

            র.        দেশের প্রকৃতি বর্ণনা

            রর.      দেশপ্রেমের গভীর অনুভূতি

            ররর.   গ ন্মভূমির সাথে তার গভীর সম্পর্ক

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ঘ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৪ ও ৬৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত সুদূর ফ্রান্সে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। দেশের মাঠ-ঘাট, ফসলের ক্ষতে সর্বোপরি দেশের কথা ভেবে কবি ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। দেশে ফিরে কপোতাক্ষ নদের ধারে গিয়ে তিনি আবেগাপস্নুত হয়ে পড়েন।

৬৪.     উদ্দীপকে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে?           ক

            ক. গ ন্মভূমির সাথে সম্পর্কের দিক

            খ. দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক

            গ. ভিনদেশ থেকে ফিরে আসার দিক

            ঘ. আগন্তুক না হওয়ার দিক

৬৫.     উদ্দীপকের মাইকেল মধুসূদন দত্তের ড়্গেেত্র বলা যায়-

            র.        তিনি কোনো আগন্তুক নন

            রর.      তিনি ভিনদেশি পথিক

            ররর.   তিনি অভ্যাগত নন

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৬ ও ৬৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

সখিনা খাতুন একজন ছিন্নমূল মহিলা। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোনোমতে তার দিন চলে যায়। বিদেশে গৃহপরিচারিকার কাজ করে ভালো উপার্জনের প্র¯ত্মাব পেলেও দেশের মাটি ছেড়ে তার কোথাও যাওয়ার আগ্রহ নেই।

৬৬.    উদ্দীপকের সখিনা খাতুনের মাঝে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কোনো চরিত্রের প্রতিফলন লক্ষণীয়?         খ

            ক. কদম আলী           খ. গ মিলার মা

            গ. কবি            ঘ. মাছরাঙা

৬৭.     ‘আমি কোনো আগুন্তক নই’ কবিতার যে দিকটি উদ্দীপকের সখিনা খাতুনের মাঝে লক্ষণীয়-

            র.        অভাবী শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব

            রর.      বিদেশের প্রতি অনীহা

            ররর.   দেশের প্রতি অনুরাগ

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   খ

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৮ ও ৬৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

কামাল ঢাকায় থাকে। অনেক দিন পর সে দেশের বাড়ি যাচ্ছে। গ্রামের কাছে গিয়ে সে খেয়াল করে তাকে পেছন থেকে কেউ ডাকছে। সে পেছন ফিরে দেখে জীর্ণ-শীর্ণ এক লোক। লোকটি কাছে আসতে কামাল চিনতে পারে ইনি গফুর চাচা।

৬৮.     উদ্দীপকের গফুর চাচা ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির দেখা কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?      খ

            ক. গ মিলার মা           খ. কদম আলী

            গ. মাছরাঙা     ঘ. নদী

৬৯.     সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটির ড়্গেেত্র বলা যায়-

            র.        অকাল বার্ধক্যে নত

            রর.      অভাবী মানুষের প্রতিনিধি

            ররর.   দেশপ্রেমিক সত্তা

            নিচের কোনটি সঠিক?                                   ক

            ক. র ও রর      খ. র ও ররর

            গ. রর ও ররর  ঘ. র, রর ও ররর

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *