নবম-দশম শ্রেনী-২০২৩ বাংলা ১ম পত্র পদ্যঃ তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
লেখক পরিচিতি :
নাম | শামসুর রাহমান |
জন্ম পরিচয় | জন্ম তারিখ:১৯২৯ সালের ২৪ অক্টোবর। জন্মস্থান: ঢাকা। পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। |
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় | পিতার নাম: মোখলেসুর রহমান চৌধুরী মাতার নাম: আমেনা খাতুন |
শিক্ষাজীবন | ১৯৪৫ সালে ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও ১৯৪৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। |
পেশা | সাংবাদিকতা। |
সাহিত্যিক পরিচয় | একনিষ্ঠভাবে কাব্য সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন। কবিতায় মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবনের প্রত্যাশা, হতাশা, বিচ্ছিন্নতা, বৈরাগ্য ও সংগ্রাম এবং অতি আধুনিক কাব্যধারার বৈশিষ্ট্য সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে। উপমা ও চিত্রকল্পে তিনি প্রকৃতিনির্ভর এবং বিষয় ও উপাদানে শহরকেন্দ্রিক। |
উলেস্নখযোগ্য রচনা | কাব্যগ্রন্থ : প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে, রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিরালোকে দিব্যরথ, নিজ বাসভূমে, বন্দী শিবির থেকে, দুঃসময়ে মুখোমুখি, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, এক ধরনের অহংকার, আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি, আমি অনাহারী, বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে, দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে, বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, গৃহযুদ্ধের আগে, হৃদয়ে আমার পৃথিবীর আলো, হরিণের হাড়, মানব হৃদয়ে নৈবেদ্য সাজাই ইত্যাদি। |
পুরস্কার ও সম্মাননা | বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন। |
মৃত্যু | ২০০৬ সালের ১৭ই আগস্ট। |
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
1 নং. পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই শাসকগোষ্ঠী শুরু করে নানা বৈষম্যনীতি। তারা পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু এদেশের ছাত্র-শিক্ষকসহ আপামর জনতা এর বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, বিসর্জন দেয় বুকের তাজা রক্ত।
ক. কার সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল? ১
খ. গ লপাই রঙের ট্যাংককে কবি দানব বলেছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের যে ভাবটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বর্ণিত দিকগুলোর একটিমাত্র দিক উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে। মন্তব্যটির যথার্থতা বিশেণ্ঢষণ করো। ৩
১ এর ক নং প্র. উ.
হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল।
১ এর খ নং প্র. উ.
শহরে জলপাই রঙের ট্যাংক কামানের গোলার শব্দে চিৎকার করতে করতে এসেছিল বলে একে দানব বলা হয়েছে।
‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তারা নির্বিচারে ছাত্র, যুবক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। রাস্তায় নামায় জলপাই রঙের ট্যাংক। ছাত্রাবাস, বস্তি ট্যাংকের কামানের গোলায় ধ্বংস করে দেয়। জলপাই রঙের ট্যাংকের ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করে কবি তাই তাকে দানব বলেছেন।
১ এর গ নং প্র. উ.
উদ্দীপকে উলিস্নখিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়টি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় প্রতিফলিত।
স্বাধীনতাকামী বাঙালি কখনও পরাজয় মানেনি। অন্যায় জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তারা সব সময়ই সোচ্চার থেকেছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর বাঙালি হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাঙালির সেই বীরত্বগাথাই ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় চিত্রিত হয়েছে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
উদ্দীপকে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের বিষয়টি উলেস্নখ করা হয়েছে। একদিকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যনীতি অন্যদিকে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ায় ষড়যন্ত্রে বাঙালি বিক্ষােভে ফেটে পড়ে। এই অন্যায়কে রুখে দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে তারা অংশগ্রহণ করে। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তারা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে উভয় ড়্গেেত্রই বাঙালি ঐক্যবদ্ধভাবে পাকবাহিনীকে মোকাবেলা করেছে। তারা জান দিয়েছে কিন্তু মান দেয়নি। এই ভাবটি তুলে ধরার দিক থেকে উদ্দীপকটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার সাথে সম্পর্কিত।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
উদ্দীপকে কেবল ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় উলিস্নখিত হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথাই আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কবিতায় রয়েছে আমাদের স্বাধীনতা চেতনার স্বরূপ, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির স্বাধীনতা হরণ করেছিল। গণতান্ত্রিক সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় এই স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিকামী মানুষের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের চিত্রই অঙ্কন করা হয়েছে। হরিদাসী-সাকিনা বিবির মতো অনেক নারী তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে। হায়েনাদের রাইফেল, মেশিনগানের গুলিতে প্রাণ দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ। বাঙালি স্বাধীনতার জন্য কীভাবে প্রত্যাশায় থেকেছে, আত্মত্যাগ করেছে ও চড়ামূল্য পরিশোধ করেছে তার এক করুণ চিত্র বর্ণনা করা হয়েছে কবিতায়। দীর্ঘ নয় মাসের ভয়াবহ যুদ্ধ শেষে বাঙালি জয় লাভ করে ও স্বাধীনতার লাল সূর্যটি ছিনিয়ে আনে।
উদ্দীপকে ভাষা আন্দোলনে বাঙালির সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানিরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-শিক্ষক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে সে ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছিল। সে সংগ্রামেও জেল-জুলুমসহ বহু রক্ত ঝরেছিল। বেশ কয়েকজন সাহসী প্রাণকে তাদের জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছিল।
কবিতা ও উদ্দীপক বিবেচনা করলে আমরা দেখি, কবিতায় স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ লড়াইসহ ত্যাগ তিতিক্ষার করুণ চিত্র বিবৃত হয়েছে। তাছাড়া রয়েছে স্বাধীনতার জন্য মানুষের ব্যাকুল প্রতীক্ষার স্বরূপ। বাংলার জনতা দেশকে শত্রম্নমুক্ত করার প্রত্যয়েই হাসিমুখে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল। উদ্দীপকের ঘটনাটিতে অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার বিশেষ অনুভূতি এখানে অনুপস্থিত। তাই বলা বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার খণ্ডিত ভাবের ধারক।
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
২ নং. ভাষার দাবিকে ভূলুন্ঠিত করার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রম্নয়ারি তারিখে পূর্ববাংলায় ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু এদেশের ছাত্রসমাজ প্রতিবাদমুখর হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বর থেকে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষপে এবং গুলি চালায়। এতে সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকে শহিদ হয়। অবশেষে সর্বস্তরের জনগণ এ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ক. কার ফুসফুস এখন পোকার দখলে? ১
খ. শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ফুটে ওঠা দিকটি ছাড়াও ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় আরও নানা দিক রয়েছে- মন্তব্যের যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. রুস্তম শেখের ফুসফুস এখন পোকার দখলে।
খ. স্বাধীনতাকামী বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাংক এসেছিল।
এদেশের মানুষের ওপর হানাদার বাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়ন চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তারা বাঙালিদের দমন করতে নিরীহ মানুষের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। অসংখ্য মানুষকে তারা নির্বিচারে হত্যা করে। তারা হত্যাযজ্ঞ চালানোর উদ্দেশ্যেই শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাংক নামায়।
গ. উদ্দীপকে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারের দিকটি ফুটে উঠেছে।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর এক ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। তারা নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করে তাদের হাত রক্তে রঞ্জিত করেছিল। তাদের অত্যাচারে অনেক বাবা-মা হারিয়েছিল তাদের সস্তানকে, অনেক স্ত্রী হারিয়েছিল স্বামীকে। পাকিস্তানি যুদ্ধবাজরা বাঙালির রক্তে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছিল বাংলার বুকে।
উদ্দীপকে পাকিস্তানিদের অত্যাচারের দিকটি দৃশ্যমান। ভাষার জন্য আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালিয়ে হত্যা করে নিরীহ ছাত্রদের। উদ্দীপকের এই দিকটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায়ও লক্ষ করা যায়। সেখানে পাকিস্তানিদের অত্যাচারে ছাত্রাবাসের ছাত্ররা প্রাণ হারিয়েছে। উজাড় হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। পাক হানাদারদের অস্ত্রের গুলিতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয় বাঙালিরা। কবিতায় বর্ণিত পাকিস্তানি বাহিনীর এই অত্যাচারের দিকটিই উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকে শুধু পাকিস্তানিদের অত্যাচারের দিকটি প্রতিফলিত হলেও ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাই প্রধান হয়ে উঠেছে।
‘স্বাধীনতা’ শুধু শব্দমাত্র নয়। এটি এমন এক অধিকার ও অনুভব, যা মানুষের জন্মগত। কিন্তু বাঙালির সেই অধিকার হরণ করেছিল পাকিস্তানিরা। তারা বাঙালিদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করতে থাকে। বাঙালিদের এই অত্যাচারের প্রতিবাদে যুদ্ধের ময়দানে নামতে হয়। স্বাধীনতা অর্জনের সেই বলিষ্ঠ চেতনার বহিঃপ্রকাশ ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায়।
উদ্দীপকে পাকিস্তানিদের অত্যাচারের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। যেখানে ছাত্রসমাজ ভাষার দাবিতে রাজপথে নেমে পাকিস্তানিদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। কিন্তু “তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা” কবিতায় বাঙালির দাবিটি ছিল চূড়ান্ত মুক্তির। তারা পাকিস্তানিদের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে চেয়েছিল।
স্বাধীনতাযুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালিদের ওপর বীভৎস ও ভয়ংকর আক্রমণ চালায়। তারা গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। এই ধ্বংসযজ্ঞে সাকিনা বিবির মতো গ্রামীণ নারীর সহায় সম্বল সম্ভ্রম বিসর্জিত হয়েছে, হরিদাসী হয়েছে স্বামীহারা, নবজাতক হারিয়েছে মা-বাবাকে। এত কিছুর পরও বাঙালি তার স্বাধীনতার জন্য ছিল দৃঢ়প্রত্যয়ী। উদ্দীপকে শুধু ভাষার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পাকিস্তানিদের অত্যাচারের দিকটি প্রস্ফুটিত হয়েছে। যেটি ছিল আমাদের স্বাধীকার চেতনার সূচনা। কিন্তু ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় ফুটে ওঠা বাঙালির স্বাধীন স্বদেশ পাওয়ার প্রবল আত্মবিশ্বাসের স্বরূপ উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
৩ নং. অনেক যুদ্ধ গেল,
অনেক রক্ত গেল
শিমুল তুলোর মতো সোনারুপো ছড়াল বাতাস।
ছোট ভাইটিকে আমি কোথাও দেখিনা,
নরম নোলক পরা বোনটিকে আজ আর কোথাও দেখিনা,
কেবল পতাকা দেখি
কেবল উৎসব দেখি
স্বাধীনতা দেখি
তবে কি আমার ভাই আজ ঐ স্বাধীন পতাকা?
তবে কি আমার তিমিরের বেদিতে উৎসব?
ক. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় সবচেয়ে সাহসী লোক কে? ১
খ. যার ফুসফুস এখন ‘পোকার দখলে’ এখানে পোকার দখলে বলতে কোন বিষয়টি নির্দেশ করা হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটি তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব এবং তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা কবিতায় মূলভাব চেতনাগত দিক থেকে এক সূত্রে গাঁথা- মন্তব্যটি বিশেস্নষণ করো। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় সবচেয়ে সাহসী লোক হচ্ছে, কেষ্ট দাস।
খ. আলোচ্য চরণটির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দেওয়া একজন দরিদ্র মানুষের দুর্ভাগ্যের স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে।
স্বাধীনতার সংগ্রামে আত্মত্যাগ করে বাংলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বর্ণিত রুস্তম শেখ তাঁদেরই একজন প্রতিনিধি। ঢাকার দরিদ্র রিকশাচালক রুস্তম শেখ মুক্তিযুদ্ধের সময় শহিদ হন। তার বর্তমান অবস্থা বোঝানোর জন্য বলা হয়েছে, তার ফুসফুস এখন পোকার দখলে।
গ. উদ্দীপকটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বধীনতা’ কবিতায় উলিস্নখিত মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
মহান স্বাধীনতা আমাদের গৌরবের শ্রেষ্ঠ অর্জন। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ ও মহান স্বাধীনতা অর্জনের প্রত্যাশার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। এই যুদ্ধে বহু মানুষ তাদের স্বজন হারিয়েছে। স্বাধীনতার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অসংখ্য মানুষের অত্মত্যাগের বিনিময়ে তোমার আমার কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভে সমর্থ হয়েছি।
উদ্দীপকে সেই আত্মত্যাগের বিষয়টি উলিস্নখিত রয়েছে। এখানে অনেক যুদ্ধ অনেক রক্ত ঝরার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকের কবি তাঁর আদরের ছোট ভাই বোনকে আর দেখতে পাচ্ছেন না। কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি নিজে নিজেই তাই সান্ত্বনা খুঁজে নিয়েছেন। স্বাধীন দেশের পতাকা অর্জনের জন্যই তাঁর স্বজনেরা প্রাণ দিয়েছে ঐ পতাকাই যেন তাঁর ভাই-বোন। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় ও এমন আত্মত্যাগের উলেস্নখ রয়েছে।
ঘ. চেতনাগত দিক থেকে উদ্দীপক ও ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতাটির বিষয়বস্তু হচ্ছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা।
স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির স্বাধীনতা হরণ করেছিল। এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বাঙালি এক রক্তাক্ত সংগ্রামের অংশ নিয়েছিল এবং লাখো শহিদের প্রাণের বিনিময়ে দেশ শত্রম্নমুক্ত হয়েছিল। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় কবি শামসুর রহমান সেই সংগ্রামের কাহিনি বর্ণনা করেছেন।
উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে মহান মুক্তিয্দ্ধু ও স্বাধীনতা অর্জনের প্রেক্ষাপট। এই যুদ্ধে অনেক রক্তক্ষয় হয়েছে। উদ্দীপকের ছোট ভাই-বোনকে হারিয়ে বেদনার্ত ব্যথা ভারাক্রান্ত। কারণ যুদ্ধে প্রিয় ভাই-বোন হারিয়েছেন। ঐ স্বাধীন পতাকা দেখে ভাই-বোন হারানোর ব্যথ্যা ভুলতে চান কবি। তিনি মনে করেন ঐ লাল-সবুজের পতাকাই তাঁর হারানো ভাই-বোন।
‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতা ও আলোচ্য উদ্দীপক পর্যালোচনা করলে আমরা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জনের বিষয়টি লক্ষ করি। উভয়ই একই প্রেক্ষাপটে রচিত। কবিতায় মুুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর নরকীয় তাণ্ডবের কথা বলা হয়েছে। অসহায় বাঙালিরা প্রাণদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে বলা হয়েছে শত্রম্নদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আক্রমণ চালানোর কথা। উদ্দীপকে প্রকট হয়ে উঠেছে স্বজন হারানোর বেদনার কথা। তবে কবিতায় যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ লাভ করেছে উদ্দীপকে আমরা তার পূর্ণতা দেখতে পাই। স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করেই ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতা রচিত। উদ্দীপক কবিতাংশের মূল অনুভূতি তাই।
৪ নং. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ লক্ষ জনতার সামনে ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি বলেন- ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআলস্নাহ। তিনি আরো বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
ক. অবুঝ শিশু কিসের ওপর হামাগুড়ি দিয়েছিল? ১
খ. পাকিস্তানিরা কেন ছাত্রাবাস উজাড় করে দিয়েছিল? ২
গ. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কোন বিষয়টি উদ্দীপকে রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কবিতায় উলিস্নখিত ‘তোমাকে আসতেই হবে’ আর উদ্দীপকের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বাক্য দুটির মূলসুর একই- মন্তব্যটির যথার্থ বিচার করো। ৪
৪ নং প্র. উ.
ক. পিতা-মাতার লাশের ওপর অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিয়েছিল।
খ. স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্ররা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। তাই পাকহানাদার বাহিনী ছাত্রাবাস উজাড় করে দিয়েছিল।
পাকিস্তানিদের স্বৈরশাসন বাঙালি মেনে নেয়নি। তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এ দেশের জনগণ রুখে দাঁড়ায়। সর্বপ্রথম ছাত্ররাই সোচ্চার এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাদের ধ্বংস করার জন্য তাই হানাদার বাহিনী ছাত্রাবাস আক্রমণ করে।
গ. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বর্ণিত কবির স্বাধীনতা লাভের বাসনার বিষয়টি উদ্দীপকে রয়েছে।
স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’ কবিতার বর্ণনায় জানা যায়, বাঙালিদের এই স্বাধীনতা হরণ করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। তারা বাংলার নিরীহ মানুষের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। বাঙালিরা এই অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করেনি। তারা এর প্রতিবাদ করে এবং স্বাধীনতা লাভের জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালির এই দৃঢ়তা কবিকে আশান্বিত করেছিল। কবি মনে করেন যার জন্য বাঙালির এই আত্মত্যাগ সেই স্বাধীনতা তারা ছিনিয়ে আনবেই।
উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাঝেও বাঙালির প্রাণের দাবি স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে আনার আকাঙ্ক্ষা পরিলক্ষতি হয়েছে। তিনি আশা করেছেন যে স্বাধীনতার জন্য বাঙালি রক্ত দিচ্ছে, প্রয়োজনে আরো রক্ত দিয়ে হলেও সেই স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। স্বাধীনতার জন্য উদ্দীপকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই আকাঙ্ক্ষা ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কবির আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন। তাই বলা যায়, কবিতায় বর্ণিত স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি উদ্দীপকেও প্রস্ফুটিত হয়েছে।
ঘ. কবিতার ‘তোমাকে আসতেই হবে’ এবং উদ্দীপকের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ একই আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটিয়েছে। সে আকাঙ্ক্ষা স্বাধীনতা লাভের।
পাকিস্তানি হানা দার বাহিনী বাঙালির ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। তারা বাংলার নিরীহ মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। তাদের অত্যাচারে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বর্ণিত হরিদাসীর মতো অনেকেই হয়েছে স্বামীহারা, সাকিনা বিবির মতো অনেকে হারিয়েছে তাদের সহায়-সম্ভ্রম। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙালিরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যুদ্ধে বাঙালির এই আত্মত্যাগ এবং দৃঢ়তা দেখে কবির বিশ্বাস স্বাধীনতাকে একদিন তারা ছিনিয়ে আনবেই।
উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে স্বাধীনতাকে অর্জন করার দৃঢ় প্রত্যয় লক্ষ করা যায়। স্বাধীনতা যে বাঙালির প্রাণের দাবি তা বঙ্গবন্ধুর জনসভায় লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতেই প্রতীয়মান হয়। বঙ্গবন্ধু দৃঢ় প্রত্যয়ে ঘোষণা করেছেন রক্ত দিয়ে হলেও তিনি বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবেন। তিনি লক্ষ জনতার সামনে ঘোষণা করেছেন ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তার এই ঘোষণার মাঝে স্বাধীনতা অর্জনের দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ পেয়েছে।
‘তোমাকে পাওয়ার জ, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বর্ণিত হয়েছে স্বাধীনতার জন্য বাঙালির তীব্র আকাঙ্ক্ষার স্বরূপ। পাকিস্তানিরা বাঙালির স্বাধীনতা হরণ করেছিল তাদের ওপর নারকীয় নির্যাতন চালিয়েছিল। কিন্তু তাতে আপামর জনতার মনে মুক্তির চেতনা আরো উজ্জ্বলভাবে প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠেছিল। সবার সাথে প্রাণস্পন্দন ও আশা জেগে থাকতে দেখেই কবি দৃপ্তকন্ঠে উচ্চারণ করেছেন ‘তোমাকে আসতেই হবে, ‘হে স্বাধীনতা’। উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধুর মাঝেও স্বাধীনতার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় লক্ষ করা যায়। আত্মত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে তাই তিনি স্বাধীনতা অর্জনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং বলা যায়, ‘তোমাকে আসতেই হবে’ এবং উদ্দীপকের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বাক্য দুটির মূলসুর একই।
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. শামসুর রাহমান কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : শামসুর রাহমান ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
২. শামসুর রাহমানের পেশা কী ছিল?
উত্তর : শামসুর রাহমানের পেশা ছিল সাংবাদিকতা।
৩. শামসুর রাহমানের কবিতায় কোন কাব্যধারার বৈশিষ্ট্য সার্থকভাবে প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর : শামসুর রাহমানের কবিতায় অতি আধুনিক কাব্যধারার বৈশিষ্ট্য সার্থকভাবে প্রকাশিত
য়েছে।
৪. উপমা ও চিত্রকল্প নির্মাণে শামসুর রাহমান কী নির্ভর?
উত্তর : উপমা ও চিত্রকল্প নির্মাণে শামসুর রাহমান প্রকৃতিনির্ভর।
৫. শামসুর রাহমানের কবিতার বিষয় ও উপাদান কী কেন্দ্রিক?
উত্তর : শামসুর রাহমানের কবিতার বিষয় ও উপাদান শহরকেন্দ্রিক।
৬. শামসুর রাহমান কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : শামসুর রাহমান ২০০৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৭. স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য কিসে ভাসার কথা বলা হয়েছে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’
কবিতায়?
উত্তর : স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য রক্তগঙ্গায় ভাসার কথা বলা হয়েছে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে
ধীনতা’ কবিতায়।
৮. স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য বারবার কী দেখার কথা বলা হয়েছে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে
ধীনতা’ কবিতায়?
উত্তর : স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য বারবার খাণ্ডবদাহন দেখার কথা বলা হয়েছে ‘তোমাকে পাওয়ার
ন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায়।
৯. স্বাধীনতা আসবে বলে কার কপাল ভাঙল?
উত্তর : স্বাধীনতা আসবে বলে সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল।
১০. স্বাধীনতা আসবে বলে কার সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল?
উত্তর : স্বাধীনতা আসবে বলে হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর ছে গেল।
১১. শহরের বুকে কোন রঙের ট্যাংক এলো?
উত্তর : শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাংক এলো।
১২. কিসের মতো চিৎকার করতে করতে শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাংক এলো?
উত্তর : দানবের মতো চিৎকার করতে করতে শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাংক এলো।
১৩. স্বাধীনতা আসবে বলে কে বিধ্বস্ত পাড়ায় প্রভুর বাস্তুভিটার ভগ্ন¯ত্মূপে দাঁড়িয়ে একটানা আর্তনাদ
রল?
উত্তর : স্বাধীনতা আসবে বলে একটা কুকুর বিধ্বস্ত পাড়ায় প্রভুর বাস্তুভিটার ভগ্ন¯ত্মূপে দাঁড়িয়ে
কটানা আর্তনাদ করল।
১৪. স্বাধীনতার জন্য উদাস দাওয়ায় বসে আছেন কে?
উত্তর : স্বাধীনতার জন্য উদাস দাওয়ায় বসে আছেন থুত্থুরে বুড়ো।
১৫. স্বাধীনতার জন্য অপেক্ষারত থুত্থুরে বুড়োর চোখের নিচে কিসের ঝিলিক?
উত্তর : স্বাধীনতার জন্য অপেক্ষারত থুত্থুরে বুড়োর চোখের নিচে অপরাহ্ণের দুর্বল আলোর ঝিলিক।
১৬. স্বাধীনতার জন্য কে দগ্ধ ঘরের নড়বড়ে খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে আছে?
উত্তর : স্বাধীনতার জন্য মোলস্নাবাড়ির বিধবা দগ্ধ ঘরের নড়বড়ে খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
১৭. হাড্ডিসার অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে কোথায় বসে আছে?
উত্তর : হাড্ডিসার অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে পথের ধারে বসে আছে।
১৮. সগীর আলীর বাড়ি কোথায়?
উত্তর : সগীর আলীর বাড়ি শাহবাজপুরে।
১৯. জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লোকটার নাম কী?
উত্তর : জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লোকাটার নাম কেষ্ট দাস।
২০. গাজী গাজী বলে উদ্দাম ঝড়ে নৌকা চালায় কে?
উত্তর : গাজী গাজী বলে উদ্দাম ঝড়ে নৌকা চালায় মতলব মিয়া।
২১. রুস্তম শেখ কোথাকার রিকশাওয়ালা?
উত্তর : রুস্তম শেখ ঢাকার রিকশাওয়ালা।
২২. রুস্তম শেখের ফুসফুস এখন কিসের দখলে?
উত্তর : রুস্তম শেখের ফুসফুস এখন পোকার দখলে।
২৩. তেজি তরুণের পদভারে কিসের জন্ম হতে চলেছে?
উত্তর : তেজি তরুণের পদভারে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে।
২৪. সবাই কার জন্য অধীর প্রতীক্ষায় রয়েছে?
উত্তর : সবাই স্বাধীনতার জন্য অধীর প্রতীক্ষায় রয়েছে।
২৫. কোন ধর্মের মেয়েদের বিয়ের পর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়?
উত্তর : সনাতন ধর্মের মেয়েদের বিয়ের পর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়’ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : স্বাধীনতার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।
স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। পাকিস্তানিরা বাঙালির সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বাঙালি তাই বারবার প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তা মোকাবেলা করতে গিয়ে বারবার আঘাত করেছে। ফলে বাঙালিকে কেবলই বুকের রক্ত ঝরাতে হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য বাঙালিকে আর কত রক্ত বিসর্জন দিতে হবে- এই প্রশ্ন করেছেন কবি।
২. সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল কেন?
উত্তর : হানাদারদের নির্যাতনের শিকার হয়ে সবকিছু হারানোর কারণে সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলার শহর-গ্রামের সর্বত্র পাকিস্তানি হানাদাররা মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। এর ফলে সহায়-সম্বল-সম্ভ্রম হারায় অনেক নারী। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় উলিস্নখিত সাকিনা বিবি তেমনি এক নির্যাতনের শিকার গ্রামীণ নারীর প্রতিনিধিত্ব করছেন। স্বাধীনতার জন্য এমন অসংখ্য নারীকে দুর্ভাগ্য বরণ করতে হয়।
৩. হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল কেন?
উত্তর : হরিদাসীর স্বামী শহিদ হওয়ায় তাঁর সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল।
সনাতন ধর্মের মেয়েদের বিয়ের পর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। স্বামী মারা গেলে তা মুছে ফেলা হয়। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় উলিস্নখিত হরিদাসীর স্বামী মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে জীবন দিয়েছেন। এ কারণেই তাঁর সিঁথির সিঁদুর মুছে ফেলা হয়েছে। চরণটির মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য বাংলার মানুষের মহান আত্মত্যাগের কথাই প্রকাশিত হয়েছে।
৪. বিধ্বস্ত পাড়ায় প্রভুর বাস্তুভিটার ভগ্ন¯ত্মূপে দাঁড়িয়ে একটানা আর্তনাদ করল একটা কুকুর-কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : পাকিস্তানি হানাদারদের নৃশংস নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল পশুও-এমন চিত্রই প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণটিতে।
‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলার মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বর অত্যাচারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এই অত্যাচারের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল। নিচু শ্রেণির প্রাণী হিসেবে পরিচিত কুকুরও সেদিন হানাদারদের হত্যাযজ্ঞ দেখে আর্তনাদ করে উঠেছিল। কবিতায় কুকুরের এই আর্তনাদকে পাকিস্তানিদের হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিবাদ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
৫. সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা- কেন?
উত্তর : নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে ও হানাদারদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে সবাই স্বাধীনতার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে।
স্বাধীনতা কেবল একটি বুলিমাত্র নয়। এটি মানুষের জন্মগত অধিকার পাকিস্তানিরা আমাদের এই অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সারা দেশে বিপুল হত্যা ও ধ্বংসের নারকীয় উৎসবে মেতে ওঠে হানাদাররা। সব স্বপ্ন হারিয়ে মানুষের কাছে বেঁচে থাকার জন্য আর মাত্র একটা স্বপ্নই অবশিষ্ট থাকে। তা হলো স্বাধীন স্বদেশে মুক্তভাবে বিচরণ করা। স্বাধীনতার জন্য মানুষের সেই ব্যাকুলতার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।
৬. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় কবি সগীর আলী, কেষ্ট দাস, মতলব মিয়া, রুস্তম শেখদের কথা বলেছেন কেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অবদানের প্রসঙ্গটি বোঝাতে শামসুর রাহমান
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বিভিন্ন পেশার মানুষের কথা বলেছেন।
স্বাধীনতার জন্য মানুষের যে ব্যাকুলতা তার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে শামসুর রাহমান রচিত ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায়। পরাধীনতার শেকল ভাঙতে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল সর্বস্তরের মানুষ। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই অর্জিত হয়েছে বহু আরাধ্য স্বাধীনতা। কবিতায় বর্ণিত সগির আলী, কেষ্ট দাস, মতলব মিয়া, রুস্তম শেখদের কেউ কৃষক, কেউ জেলে, কেউ মাঝি, কেউ বা রিকশাচালক। আলোচ্য কবিতায় এরা বাংলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতিনিধি।
৭. ‘যার পদভারে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে’- কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : চরণটির মাধ্যমে তরুণ মুক্তিযোদ্ধার সাফল্যের কথা বলা হয়েছে।
পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতাকে রুখে দিতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে লাখো জনতা। তাদের প্রবল দৃঢ়তায় হানাদারদের পতন ঘনিয়ে আসে। স্বাধীনতার সূর্য আরও নিকটবর্তী হয়। একটি দেশের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটি ভূখণ্ডের নামের অন্তর্ভুক্তি। ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে সাথে নতুন একটি পৃথিবীরই যেন জন্ম হবে। আর সেই নতুন দিনের কারিগর অর্থাৎ মুক্তিসেনাদের বীরত্বের কথাই ফুটে উঠেছে আলোচ্য চরণটিতে।
৮. তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা- কবির এই দৃঢ়তার কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : স্বাধীনতার জন্য সর্বস্তরের মানুষের আত্মত্যাগ ও আকুলতা দেখেই কবি এতটা দৃঢ়ভাবে স্বাধীনতার আগমনের সম্ভাবনার কথা বলতে পেরেছেন।
স্বাধীনতার জন্য বাঙালি তাদের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছে। অসংখ্য মানুষ তার স্বজন ও সম্বল হারিয়েছে। অসংখ্য নারী তার সম্ভ্রম হারিয়েছে। হানাদারদের মোকাবেলা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছে অগণিত মানুষ। হানাদারদের শত অত্যাচার নিপীড়নের মাঝেও মানুষ মুক্তির লড়্গ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি। তরুণ যুবক থেকে শুরু করে থুত্থুরে বৃদ্ধ পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ হয়ে থেকেছে। মানুষের মাঝে স্বাধীনতার জন্য এমন মানসিকতা লক্ষ করেই কবি দৃঢ়তার সাথে উচ্চারণ করেছেন- তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা।
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. শামসুর রাহমান কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? গ
ক. ১৯১৯ সালে খ. ১৯২৫ সালে
গ. ১৯২৯ সালে ঘ. ১৯৩৫ সালে
২. শামসুর রাহমানের জন্মতারিখ কোনটি? ঘ
ক. ১৯শে আগস্ট ১৯১৯ খ. ২৪শে অক্টোবর ১৯১৯
গ. ২৯শে আগস্ট ১৯২৯ ঘ. ২৪শে অক্টোবর ১৯২৯
৩. শামসুর রাহমানের জন্মস্থান কোনটি? ক
ক. ঢাকা খ. নরসিংদী
গ. ক ট্টগ্রাম ঘ. মানিকগঞ্জ
৪. শামসুর রাহমানের পৈতৃক নিবাস কোথায়? খ
ক. ঢাকা জেলায় খ. নরসিংদী জেলায়
গ. মানিকগঞ্জ জেলায় ঘ. মুন্সিগঞ্জ জেলায়
৫. শামসুর রাহমানের গ্রামের নাম কী? গ
ক. কাশবন খ. বিজয়করা
গ. পাড়াতলী ঘ. মাঝআইল
৬. শামসুর রাহমানের বাবার নাম কোনটি? গ
ক. মাহমুদুর রহমান খ. মোস্তাফিজুর রহমান
গ. মোখলেসুর রহমান ঘ. মাসুদুর রহমান
৭. শামসুর রাহমানের মায়ের নাম কী? খ
ক. সালমা বেগম খ. আমেনা খাতুন
গ. রহিমা খাতুন ঘ. সালেহা বেগম
৮. শামসুর রাহমান কত সালে ম্যাট্রিক পাস করেন? ঘ
ক. ১৯২৯ সালে খ. ১৯৩৫ সালে
গ. ১৯৩৯ সালে ঘ. ১৯৪৫ সালে
৯. শামসুর রাহমান কত সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন? ঘ
ক. ১৯২৭ সালে খ. ১৯২৯ সালে
গ. ১৯৩৯ সালে ঘ. ১৯৪৭ সালে
১০. শামসুর রাহমান কোন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন? গ
ক. রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল
খ. কলেজিয়েট স্কুল
গ. পোগোজ স্কুল
ঘ. আইডিয়াল স্কুল
১১. শামসুর রাহমান কোথা থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন? ক
ক. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
খ. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
গ. ক ট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
ঘ. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
১২. শামসুর রাহমানের কাব্যগ্রন্থ কোনটি ছিল? খ
ক. এই পথ এই কোলাহল খ. প্রেমাংশুর রক্ত চাই
গ. গৃহযুদ্ধের আগে ঘ. নূরুলদীনের সারাজীবন
১৩. শামসুর রাহমান কোন কাজে একনিষ্ঠভাবে নিয়োজিত ছিলেন? ক
ক. কাব্য সাধনায় খ. শিক্ষকতায়
গ. বিজ্ঞান গবেষণায় ঘ. মানবসেবায়
১৪. কাদের জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা হতাশার কথা শামসুর রাহমানের কবিতায় সার্থকভাবে বিধৃত হয়েছে? খ
ক. উচ্চবিত্তদের খ. মধ্যবিত্তদের
গ. নিম্নবিত্তদের ঘ. উচ্চ মধ্যবিত্তদের
১৫. শামসুর রাহমানের কবিতায় কোন ধরনের কাব্যধারার বৈশিষ্ট্য সার্থকভাবে প্রকাশিত হয়েছে? ঘ
ক. প্রাচীন কাব্যধারার খ. মধ্যযুগীয় কাব্যধারার
গ. আধুনিক কাব্যধারার
ঘ. অতি আধুনিক কাব্যধারা
১৬. কবিতায় উপমা ও চিত্রকল্প ব্যবহারে শামসুর রাহমান কোনটিকে অবলম্বন করেছেন? গ
ক. বিজ্ঞান খ. শহর
গ. প্রকৃতি ঘ. মানুষ
১৭. কোনটি শামসুর রাহমানের অন্যতম কাব্যগ্রন্থ? ক
ক. মানব হৃদয়ে নৈবেদ্য সাজাই খ. বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা
গ. প্রেমাংশুর রক্ত চাই ঘ. এসেছি নিজের ভোরে
১৮. নিচের কোনটি শামসুর রাহমানের উলেস্নখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ? খ
ক. বাংলার মাটি বাংলার জল খ. বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
গ. অগ্নি ও জলের কবিতা ঘ. মিছিলের সমান বয়সী
১৯. শামসুর রাহমানের মৃত্যুতারিখ কোনটি? গ
ক. ১৭ই আগস্ট ২০০৪ খ. ২৪শে অক্টোবর ২০০৪
গ. ১৭ই আগস্ট ২০০৬ ঘ. ২৪শে অক্টোবর ২০০৬
২০. স্বাধীনতা আসবে বলে কার কপাল ভাঙল? খ
ক. হরিদাসীর খ. সাকিনা বিবির
গ. অনাথ কিশোরীর ঘ. মোলস্নাবাড়ির বিধবার
২১. শহরের বুকে কোন রঙের ট্যাঙ্ক এলো? গ
ক. কালো খ. হলুদ
গ. গ লপাই ঘ. জাম
২২. গ লপাই রঙের ট্যাঙ্ক কিসের মতো চিৎকার করতে করতে শহরে এলো? গ
ক. হাতির মতো খ. সিংহের মতো
গ. দানবের মতো ঘ. উন্মত্তের মতো
২৩. কোনগুলো যত্রতত্র খই ফোটাল? ক
ক. রাইফেল, মেশিনগান খ. পিস্তল, গ্রেনেড
গ. স্টেনগান, কামান
ঘ. হাতবোমা, রকেট লাঞ্চার
২৪. রিকয়েললেস রাইফেল আর মেশিনগান খই ফোটাল যত্রতত্র- এখানে কিসের চিত্র প্রকাশিত হয়েছে? ক
ক. নির্মম হত্যাযজ্ঞের
খ. সম্মিলিত প্রতিরোধের
গ. সামরিক অনুশীলনের
ঘ. আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতার
২৫. কার সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল? গ
ক. সুমতির খ. রেণুমালার
গ. হরিদাসীর ঘ. অঞ্জলীর
২৬. স্বাধীনতা আসবে বলে কোনটি ছাই হয়ে গেল? খ
ক. শহরের পর শহর খ. গ্রামের পর গ্রাম
গ. বনের পর বন ঘ. মাঠের পর মাঠ
২৭. স্বাধীনতা আসবে বলে প্রভুর বাস্তুভিটার ভগ্ন¯ত্মূপে দাঁড়িয়ে কে আর্তনাদ করল? খ
ক. ঘোড়া খ. কুকুর
গ. বিড়াল ঘ. হাতি
২৮. অবুঝ শিশু কিসের ওপর হামাগুড়ি দিল? ঘ
ক. বাস্তুভিটার ভগ্ন¯ত্মূপের ওপর
খ. গ লপাই রঙের ট্যাঙ্কের ওপর
গ. নতুন নিশানের ওপর ঘ. পিতামাতার লাশের ওপর
২৯. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় কার পিতামাতা হানাদারদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে? খ
ক. হরিদাসীর খ. অবুঝ শিশুর
গ. থুত্থুরে বুড়োর ঘ. রুস্তম শেখের
৩০. স্বাধীনতার প্রতীক্ষায় থুত্থুরে বুড়ো কোথায় বসে আছেন? গ
ক. বৃদ্ধাশ্রমে খ. পথের ধারে
গ. ঘরের দাওয়ায় ঘ. বিধ্বস্ত বাস্তুভিটায়
৩১. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় প্রকাশিত ঘরের দাওয়ায় থুত্থুরে বুড়োর বসে থাকার সময়কাল কোনটি? খ
ক. সকাল খ. বিকেল
গ. সন্ধ্যা ঘ. রাত
৩২. বাতাসে উদাস দাওয়ায় বসে থাকা থুত্থুরে বুড়োর কী নড়ছে? খ
ক. দাড়ি খ. চুল
গ. রুমাল ঘ. গামছা
৩৩. স্বাধীনতার প্রত্যাশায় দগ্ধ ঘরের খুঁটি ধরে কে দাঁড়িয়ে আছে? ক
ক. মোলস্নাবাড়ির বিধবা খ. হরিদাসী
গ. সাকিনা বিবি ঘ. হাড্ডিসার অনাথ কিশোরী
৩৪. স্বাধীনতার জন্য হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী কী হাতে দাঁড়িয়ে আছে? খ
ক. বই-খাতা খ. শূন্য থালা
গ. নতুন নিশান ঘ. ফুলের মালা
৩৫. সগীর আলীর বাড়ি কোথায়? খ
ক. জেলেপাড়ায় খ. শাহবাজপুরে
গ. ব¯িত্মতে ঘ. ঢাকা শহরে
৩৬. সগীর আলীর পরিচয় কোনটি? ক
ক. জোয়ান কৃষক খ. দক্ষ মাঝি
গ. ঢাকার রিকশাওয়ালা ঘ. মোলস্নাবাড়ির কর্তা
৩৭. জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লোকটার নাম কী? ঘ
ক. সগীর আলী খ. হরিদাস
গ. রুস্তম আলী ঘ. কেষ্ট দাস
৩৮. মতলব মিয়ার পরিচয় কোনটি? গ
ক. দক্ষ রিকশাচালক খ. দক্ষ কৃষক
গ. দক্ষ মাঝি ঘ. দক্ষ জেলে
৩৯. মতলব মিয়া কোন নদীতে নৌকা চালায়? খ
ক. পদ্মা খ. মেঘনা
গ. যমুনা ঘ. শীতলড়্গ্যা
৪০. উদ্দাম ঝড়ে মতলব মিয়া কী বলে নৌকা চালায়? খ
ক. আলী আলী খ. গাজী গাজী
গ. হেঁইয়ো হেঁইয়ো ঘ. গ য় বাংলা জয় বাংলা
৪১. রুস্তম শেখ কে? গ
ক. জোয়ান কৃষক খ. সাহসী জেলে
গ. ঢাকার রিকশাওয়ালা ঘ. নৌকার মাঝি
৪২. কার ফুসফুস এখন পোকার দখলে? গ
ক. সাকিনা বিবির খ. কেষ্ট দাসের
গ. রুস্তম শেখের ঘ. হরিদাসীর
৪৩. তেজি তরুণ কী কাঁধে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়? খ
ক. স্টেনগান খ. রাইফেল
গ. শটগান ঘ. মেশিনগান
৪৪. কার পদভারে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে? গ
ক. জোয়ান কৃষকের খ. মোলস্নাবাড়ির বিধবার
গ. তেজী তরুণের ঘ. থুত্থুরে বুড়োর
৪৫. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় সকলের ব্যাকুল প্রতীক্ষা কিসের জন্য? খ
ক. বৃষ্টির জন্য খ. স্বাধীনতার জন্য
গ. বসন্তের জন্য ঘ. সম অধিকারের জন্য
৪৬. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার তেজি তরুণের পরিচয় কী? ক
ক. মুক্তিযোদ্ধা খ. জোয়ান কৃষক
গ. দক্ষ মাঝি ঘ. হানাদারদের সহযোগী
৪৭. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় কবি কোনটিকে অবশ্যম্ভাবী বলেছেন? গ
ক. পরাধীনতাকে খ. হত্যাযজ্ঞকে
গ. স্বাধীনতাকে ঘ. আত্মত্যাগকে
৪৮. ‘সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল হরিদাসীর’- বাক্যটিকে কী বলা হয়েছে? ক
ক. হরিদাসী স্বামীহারা হয়েছে
খ. হরিদাসীর বিয়ে ভেঙে গেছে
গ. হরিদাসীর মৃত্যু হয়েছে
ঘ. হরিদাসী সহায়-সম্বল-সম্ভ্রম হারিয়েছে
৪৯. সনাতন ধর্মের মেয়েদের বিয়ের পর কোথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়? ঘ
ক. হাতে খ. পায়ে
গ. কপালে ঘ. সিঁথিতে
৫০. রুস্তম শেখের ফুসফুস এখন পোকার দখলে কেন? খ
ক. অসুস্থ বলে খ. মৃত বলে
গ. ধূমপায়ী বলে ঘ. যুদ্ধে গিয়েছেন বলে
৫১. হরিদাসী ও মোলস্নাবাড়ির দগ্ধ ঘরের খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে থাকা নারীর মধ্যে সাদৃশ্য কিসে? খ
ক. যুদ্ধে যোগদান করায় খ. বিধবা হওয়ায়
গ. গৃহহীন হওয়ায় ঘ. অনাথ হওয়ায়
৫২. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতাটি শামসুর রাহমানের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? ঘ
ক. বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
খ. বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
গ. দুঃসময়ের মুখোমুখী
ঘ. শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা
৫৩. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতাটি শামসুর রাহমানের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? গ
ক. বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
খ. বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
গ. বন্দী শিবির থেকে
ঘ. দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে
৫৪. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় সহায়-সম্বল-সম্ভ্রম হারানোর প্রতীক কে? খ
ক. হরিদাসী খ. সাকিনা বিবি
গ. হাড্ডিসার অনাথ কিশোরী ঘ. মোলস্নাবাড়ির বিধবা
৫৫. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বর্ণিত কুকুরের আর্তনাদ কী প্রকাশ করে? গ
ক. নিঃসঙ্গ জীবনের কষ্ট
খ. বাসস্থান হারানোর মর্মবেদনা
গ. প্রাকৃতির প্রতিবাদ ঘ. পশু হত্যার নির্মম চিত্র
৫৬. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের প্রাকৃতিক প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে কিসের মাধ্যমে? গ
ক. বৃক্ষরে মাধ্যমে খ. বজ্রপাতের মাধ্যমে
গ. কুকুরের মাধ্যমে ঘ. বন্যার মাধ্যমে
৫৭. হরিদাসীর সিঁথিতে কখন সিঁদুর দেওয়া হয়েছিল? গ
ক. গ ন্মের পর খ. মৃত্যুর পর
গ. বিয়ের পর ঘ. স্বামীর মৃত্যুর পর
৫৮. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বর্ণিত তেজি তরুণের যুদ্ধের হাতিয়ার কী? খ
ক. স্টেনগান খ. রাইফেল
গ. মেশিনগান ঘ. গ্রেনেড
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৫৯. শামসুর রাহমানের কবিতায় সার্থকভাবে প্রকাশিত হয়েছে-
র. মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবনের চিত্র
রর. গ্রামবাংলার নিসর্গের সৌন্দর্য
ররর. অতি আধুনিক কাব্যধারার বৈশিষ্ট্য
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬০. শামসুর রাহমানের কাব্য রচনার বৈশিষ্ট্য-
র. প্রকৃতিনির্ভরতা
রর. শহরকেন্দ্রিকতা
ররর. ইসলামি ভাবধারা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬১. ‘আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়’ বাক্যটির প্রতিচ্ছবি রয়েছে যে বাক্যে-
র. সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল
রর. ছাত্রাবাস, বস্তিউজাড় হলো
ররর. অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতা-মাতার লাশের উপর
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬২. ‘আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডব দাহন?’ বাক্যটির প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায়-
র. হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে যাওয়ায়
রর. গ্রামের পর গ্রাম ছাই হওয়ায়
ররর. মোলস্নাবাড়ির দগ্ধ ঘরে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৩. হরিদাসী ও মোলস্নাবাড়ির দগ্ধ ঘরের খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে থাকা নারীর মধ্যে সাদৃশ্য হলো-
র. বিধবা হওয়ায়
রর. অনাথ হওয়ায়
ররর. স্বাধীনতার প্রত্যাশায়
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৪. মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গণহত্যার প্রতীক-
র. গ লপাই রঙের ট্যাঙ্ক
রর. রিকয়েললেস রাইফেল
ররর. উজাড় হওয়া ছাত্রাবাস
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৫. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় যে আগ্নেয়াস্ত্রের উলেস্নখ রয়েছে-
র. মেশিনগান
রর. রাইফেল
ররর. স্টেনগান
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৬. বিদ্ধস্ত পাড়ায় বাস্তুভিটার ভগ্ন¯ত্মূপে দাঁড়িয়ে একটা কুকুর একটানা আর্তনাদ করল-
র. বাস্তুভিটা হারানোর বেদনায়
রর. প্রভুকে হারানোর শোকে
ররর. হানাদারদের নির্যাতনের প্রতিবাদে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৭. রুস্তম শেখের পরিচয়-
র. ঢাকার রিকশাওয়ালা
রর. মুক্তিযুদ্ধে শহিদ
ররর. দক্ষ মাঝি
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৮. কবির প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বাধীনতাকে আসতে হবে-
র. গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে
রর. জ্বলন্ত ঘোষণার ধ্বনি প্রতিধ্বনি তুলে
ররর. নতুন নিশান উড়িয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৯. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত উপস্থাপিত হয়েছে-
র. সাকিনা বিবির মাধ্যমে
রর. হরিদাসীর মাধ্যমে
ররর. রুস্তম শেখের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭০. স্বাধীনতা হলো-
র. একটি গভীর অনুভব
রর. কেবল একটি শব্দ
ররর. গ ন্মগত অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭১. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে-
র. স্বাধীনতার জন্য মানুষের আত্মত্যাগের স্বরূপ
রর. স্বাধীনতার জন্য মানুষের ব্যাকুলতার স্বরূপ
ররর. স্বাধীনতার অনিবার্যতা সম্পর্কে কবির দৃঢ়তার স্বরূপ
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭২. হানাদারদের হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের প্রতিবাদ করে-
র. অনাথ নবজাতক রর. তেজি তরুণ
ররর. প্রভুহারা পশু
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৩. স্বাধীনতার অনিবার্যতা সম্পর্কে কবি আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন-
র. স্বাধীনতার জন্য মানুষের ব্যাকুলতা লক্ষ করে
রর. স্বাধীনতার জন্য মানুষের আত্মত্যাগ লক্ষ করে
ররর. স্বাধীনতার জন্য মানুষের সংগ্রাম লক্ষ করে
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৪ – ৭৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
কিসে কী হইল, পশ্চিম হতে নরঘাতকেরা আসি,
সারা গাঁও ভরি আগুন জ্বালায়ে হাসিল অট্টহাসি।
মার কোল হতে শিশুরে কাড়িয়া কাটিল যে খানখান,
পিতার সামনে মেয়েরে কাটিয়া করিল রক্তস্নান।
৭৪. উদ্দীপক কবিতাংশে প্রকাশিত চিত্রটি নিচের কোন কবিতায় পাওয়া যায়? ঘ
ক. আমার পরিচয় খ. আমর সস্তান
গ. স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো
ঘ. তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
৭৫. উক্ত কবিতার যে দিকটি উদ্দীপক কবিতাংশে প্রকাশিত-
র. হানাদার বাহিনীর গণহত্যা
রর. স্বাধীনতার জন্য মানুষের আত্মত্যাগ
ররর. বাঙালির জাতিগত পরিচয়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৬. নিচের কোন চরণটির সাথে উদ্দীপক কবিতাংশের সাদৃশ্য বিদ্যমান? খ
ক. এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে
খ. আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়
গ. সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের
ঘ. এসেছি জননী বঙ্গে স্বাধীনতা উড়িয়ে উড়িয়ে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৭ ও ৭৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতের আঁধারে ঢাকা শহরে পাকবাহিনীর নারকীয় তাণ্ডব চলে। পশু-পাখির মতো গুলি করে মানুষ মারা হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আহ্বান বেতারে প্রচারিত হলে সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ। কৃষক, শ্রমিক, মজুর, ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসক। সকলেই অংশ নেয় মহারণে।
৭৭. উদ্দীপকের সাথে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ হলো-
র. মতলব মিয়া মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি
রর. সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা
ররর. অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের উপর
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৮. উক্ত সাদৃশ্য-
র. নির্মম হত্যাযজ্ঞে
রর. সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে
ররর. স্বাধীনতার জন্য আকুলতায়
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৯ ও ৮০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
ভাষার দাবিতে এদেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে ১৯৫২ সালে। ২১শে ফেব্রম্নয়ারি ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এ ¯েস্নাগানকে সামনে রেখে মিছিলে মিছিলে রাজপথ প্রকম্পিত করে ছাত্র-জনতা। শাসকগোষ্ঠীর আজ্ঞাবহ পুলিশ মিছিলে গুলি ছুড়লে শহিদ হন অনেকে। তাঁরা আমাদের ভাষাশহিদ।
৭৯. উদ্দীপকের সাথে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার মিল-
র. ভাষাপ্রীতিতে
রর. নির্বিচার হত্যাকাণ্ডে
ররর. অধিকার হরণে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮০. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার যে চরণটি উদ্দীপকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ-
র. আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়
রর. তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
ররর. শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
বিদেশি সেনার কামান বুলেটে বিদ্ধ
নারী শিশু আর যুবক-জোয়ান বৃদ্ধ
শত্রম্নসেনারা হত্যার অভিযানে-
মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ উত্থানে।
৮১. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় প্রকাশিত যে বিষয়গুলো উদ্দীপক কবিতাংশে উপস্থিত-
র. পাকবাহিনীর গণহত্যা
রর. স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা
ররর. বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮২ ও ৮৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
১৯৭১ সালে দেশকে শত্রম্নমুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের অনেকেই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। সেই শহিদদের জীবনের বিনিময়ে পেয়েছি মুক্ত স্বদেশ।
৮২. উদ্দীপকে উলিস্নখিত যে বিষয়টি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ-
র. স্বাধীনতার জন্য প্রত্যাশা
রর. স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ
ররর. হানাদারদের নৃশংসতা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮৩. উদ্দীপকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার চরণ-
র. সেই তেজি তরুণ যার পদভারে
একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে
রর. যার ফুসফুস এখন পোকার দখলে
ররর. সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
স্বাধীনতা তুমি
বাগানের ঘর, কোকিলের গান,
বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা,
যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা।
৮৪. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার যে বিষয়টি উদ্দীপকে প্রকাশিত-
র. স্বাধীনতার জন্য ব্যাকুল প্রতীক্ষা
রর. স্বাধীনতার অনুভূতি
ররর. স্বাধীনতার অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর